অন্তরের আলো পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত অন্তরের আলো অন্তরের আলো লেখক অভীক সরকার তুই নিজেকে খোঁজ তুই হোস না হতাশ বিশ্বাস রাখ নিজের উপর তোর মধ্যে যে ভগবানের বাস ভেঙে ফেল সব শিকল নিজেকে কর ভয় হতে মুক্ত বিজয় একদিন তোর হবে হয়তো এই যুদ্ধে ঝরবে রক্ত চরিত্র তোর পবিত্র যখন তবে কেন তোর এই দশা এই পাপিষ্ঠদের সঙ্গে তুলনা করে কেন বাড়াচ্ছিস নিজের হতাশা জ্বালিয়ে ভষ্ম কর ওদের পাপের রাজ্য কলমকে কর হাতিয়ার সূর্যের অংশ তোর মধ্যে বিরাজমান মুছে ফেল তুই সব পাপের আঁধার বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৮ তিলোত্তমাকে লেখা একটা চিঠি হলাহল টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ পঞ্চম ও শেষ পর্ব আমার মা নিভেছে পুনর্জীবন দূরে কোথায় কুড়ি শব্দের গল্প খড়্গবাহাদুর পয়া কলম জন্মদিন অন্য বসন্ত বৃষ্টি তুমি এলে ভালবাসার গন্ধ রম্য রচনা অন্য বসন্ত পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই ফেলি মুখোশ হাওয়ায় বাড়ে ছোবল মারে বিষ জলের মুখে গ্লানির আবর্জনা একুল ওকুল ভাসছে অহর্নিশ সীমান্তে আর সিমন্তে মেঘ করে এই আগামীর সূর্য খোঁজা বাকি পথ হারিয়ে ভুল ভাঙ্গানো ঝড়ে বসন্তে ঘর ফিরেছে জোনাকি প্রেম পিরিত ও মানবচরিত শ্রেয়া ও আমি পুনর্জীবন একজোড়া চোখ নির্বাক শিলালিপি দিনের শেষে বর্ষাদিন মনে পড়ে পিতৃত্বের স্বাদ রহস্যের নাম ক্রিকেট প্রথম পর্ব পঁচিশে বৈশাখে কর্ণ উবাচ স্বপ্ন বিহার রম্য রচনা আইকম বাইকম পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত আইকম বাইকম আইকম বাইকম লেখা চিত্রাভানু সেনগুপ্ত শ্যামনগরের দুই যমজ ভাই আইকম আর বাইকমের দুষ্টুমির বহর আছে ষোল আনা সকল সময়েই তাদের দুষ্টুমিতে থাকে নতুন চমক কখনো কখনো সে দুষ্টুমি এমনই চমকপ্রদ হয় পাড়ার লোকে তাদের তখন ডাকাত বলে ডাকে আখেরে তারা দুষ্টু মোটেই নয় তারা সকলের উপকারই করতে চায় বেশি নিতান্ত মা একটু রাগি তাই ডাকাত ছেলে উপাধিটা তাদের ঘুচলো না মাত্র এক বছর দুই মাস বয়সে আইকম দোতলার সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে এক্কেবারে নীচে পড়ে গেল বাইকম তখন আইকমের নকল করে ইচ্ছাকৃত ভাবে গড়িয়ে পড়লো সিঁড়ি দিয়ে মা বলেন সেই তখন থেকেই তাদের একখানা করে লেজ গজিয়েছে কিন্তু একথা তাদের মোটেও বিশ্বাস হয় না সেইদিন প্রবল বর্ষায় নিতান্তই উপকারের তাগিদে বাইকম উঠান থেকে কুড়িয়ে আনলো রাজ্যের কেঁচো পোকা শামুক আর জড়ো করে বারান্দায় তাই দেখে আইকমও উঠোনময় লাফিয়ে বেড়ানো কেলে ব্যাঙটা ধরার জন্য ছুটলো পিছু পিছু এমন সময় পা পিছলে ছিটকে যখন পড়লো মা এসে পিঠের উপর দিলেন ঘা কতক সেদিন আবার দুই ভাইয়ে মিলে পেয়ারা গাছের শুঁটকো ডালখানা ভেঙে যখন সটাং নীচে পড়লো মা একটুও আদর না করে ধমক দিয়ে হেঁকে বললেন লক্ষীছাড়া বাঁদর ওদিকে পেয়ারা গাছটা যে বিনা খাবারে এক্কেবারে রোগা হয়ে গেছে সেদিকে যেন কারো নজর নেই তাদের ভাতের থালা থেকে যত খুশি সবজি আর তেঁতো মায়ের চোখের আড়ালে চুপ করে লুকিয়ে এনে গুঁজে দেয় পেয়ারা গাছের তলায় এই এত্তো ভালো কাজের পরও মা তাদের দোষটাই দেখেন একদিন দুপুর বেলায় ঘুমে ফাঁকি দিয়ে যেমনি উঠেছে ওরা মা বললেন দুই ভাইয়ে মিলে পাতা ভরে নামতা লেখ ষোল ঘর আর আঠারো ঘরের নামতা দুষ্টু হলেও লক্ষী ছেলে তারা আইকম পাতা ভরে লিখলে ষোল ঘরের নামতা ষোল ঘরের নামতা বাইকম লিখলে আঠারো ঘরের নামতা আঠারো ঘরের নামতা মায়ের অবাধ্য তারা হয় না কক্ষণো নেহাত মা একটু রাগি তাই এর পরেও মা তাদের একটা সময়ে বড্ড আদর করেন যখন তারা রাতের বেলায় মায়ের কোলে চুপটি করে ঘুমায় তখন মা তাদের জড়িয়ে ধরে আদর করেন লক্ষী ছেলে সোনা ছেলে আমার অনুচ্চারিত যে শব্দরা হারায় বারেবার ব্লু ডায়মন্ড রহস্য দ্বিতীয় পর্ব একটা খুন মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৫ সে তবে কে পঞ্চম পর্ব এখনো প্রেম পিরিত ও মানবচরিত যন্ত্রণার ভিন্নরূপ অচিনপুর হোম ওয়ার্ক রোদ্দুরের সাথে প্রাক্তন পয়া কলম প্রজাতন্ত্র রম্য রচনা ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত লেখা রবীন জাকারিয়া আমাদের একমাত্র কন্যা৷ বাইয়াতুন ঈবাদাহ্৷ সকলে ঈবাদাহ্ নামেই ডাকে৷ ছোট্ট মেয়ে৷ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা বলে৷ মিষ্টি লাগে৷ তাই সকলে ওকে খুব ভালবাসে৷ এমনকি ওর স্কুলের শিক্ষকরাও৷ ও শহরের একটি মান সম্মত স্কুলের নার্সারিতে পড়ে৷ স্কুলটির নাম নর্থ ব্রিজ স্কুল৷ ওর ক্লাশে ও সবচেয়ে ছোট৷ কিন্ত পড়াশুনায় খুব ভাল৷ মেধাবি৷ সকল এই সে সেরা তিনে থাকে৷ ওর স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের প্রায় সকলেই সাহিত্য সংস্কৃতির সাথে জড়িত থাকার কারণেই বোধ হয় স্কুল ছুটির পর বিকেলে সহপাঠক্রমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে চিত্রাঙ্কন গান ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন৷ আমার মেয়েটিও আনন্দের সাথে নিয়মিত উপস্থিত থাকে৷ কোন ক্লাশ মিস করে না৷ অবশ্য করলে জরিমানা দিতে হয়৷ প্রতিদিনের ধর্মীয় ক্লাশ করার পর ওর মনে প্রশ্ন জাগে ঈবাদাত কী বাসায় এসে একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করলো বাবা ঈবাদাত কী ও ছোট মানুষ তাই এ প্রশ্নের উত্তর এক কথায় বলা কঠিন৷ আমি তাই সহজ করে বললাম ঈবাদাত মানে হচ্ছে এই ধরো নামাজ রোজা সত্য কথা বলা অন্যের ক্ষতি না করা এইসব৷ আচ্ছা আমি তো তোমার সাথে নামাজ পড়ি তাহলে আমাকে রোজা থাকতে হবে তাই না বাবা মাঝে মাঝে ও আমার সাথে নামাজ পড়ে কখনও পিঠে উঠে৷ কখনও কোলে বসে থাকে৷ কিন্ত রাগ করি না কখন ও৷ ক দিন পর পবিত্র রমজান শুরু হবে৷ আমি ভয়ে ভয়ে বললাম এখন তোমাকে রোজা থাকতে হবে না৷ একটু বড় হও মা৷ তখন রোজা রেখো৷ কিন্ত সে রোজা থাকবেই জেদ ধরল৷ চিন্তা করলাম রোজা আসতে তো আরো কিছুদিন বাকি আছে এর মধ্যে ও ভুলে যাবে ভেবে বললাম ঠিক আছে৷ রোজা থেকো৷ ক দিন পর রমজান শুরু হল৷ প্রথম রমজান৷ সবাই সেহরি ইফতারের ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ রাতে সে হুট করে বললো রোজা সে থাকবেই৷ কী আর করা সেহেরির সময় ডেকে তুললাম৷ সেহেরি করল৷ তখনও আমরা জানি এটা শুধু ওর জেদ৷ আর কিছু নয়৷ ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমোতে গেলাম৷ সকালে উঠে শুনি মেয়ে কিছু খায়নি৷ রোজা আছে৷ ভয়ংকর কথা৷ আবার ভাবলাম কিছুক্ষণ পর ও নিজেই খেয়ে নেবে৷ তাই কথা বাড়ালাম না৷ ঠিক চারটা কিংবা সাড়ে চারটার দিকে আমার মেয়ে শুধু একটু পানি খেতে চাচ্ছে৷ মুখ মলিন৷ খারাপ লাগছে৷ কষ্ট হচ্ছে৷ তবুও সিদ্ধান্ত নিলাম৷ যেভাবেই হোক এ মাসুম বাচ্চাটার রোজাটা পরিপূর্ণ হোক৷ তাই মটর সাইকেলে করে ওকে শহরে ঘুরতে বেড়ালাম৷ আর তো দুইটা ঘন্টা৷ চিড়িয়াখানা সুরভী উদ্যান ঘাটের পাড় দেখাতে নিয়ে গেলাম৷ কিন্ত যেখানেই যাই সেখানেই ইফতারের দোকান৷ খাবারের দোকান দেখলেই সে খাবার কিনছে৷ আমিও এভাবে অনেক ইফতার কিনে ফেললাম৷ সময় প্রায় কেটেই গেল৷ বাড়ি ফিরে এলাম৷ ও একটা বড় প্লেটে সব ইফতার নিয়ে বসল৷ একাই খাবে৷ আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছি৷ যেন মেয়েটা রোজাটা পূর্ণ করে৷ অবশেষে মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি শুনতে পেলাম৷ আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ৷ বিসমিল্লাহ্ বলে মেয়েটা এক ঢোঁকে এক গ্লাস শরবত পান করল৷ মুখে একটু নাস্তা দিয়ে বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল৷ বিশাল প্লেটে পড়ে থাকল সমস্ত ইফতার৷ আর ঈবাদাহ্ নিজেই বুঝিয়ে দিল ঈবাদাত কী বসন্ত পঞ্চমী তিলোত্তমাকে লেখা একটা চিঠি প্রাক্তন পুনর্জীবন সতী মায়ের মেলা হারিয়ে যাওয়া প্রপোজ কাগজের নৌকো তোমাকে রবীন্দ্রনাথ আজ সারাদিন সারপ্রাইজ বৃষ্টি তুমি এলে রম্য রচনা একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথা নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথা নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সমস্থিথা নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ সামনের প্যান্ডেল থেকে মহালয়ার চন্ডীশ্লোক ভেসে আসছে প্রতিটা শব্দ কবিতার গায়ে যেন কাঁটার মতন ফুঁটছে যদিও আজকে ষষ্ঠীর অপরাহ্ন কিন্তু ফিলিংসটা মহালয়ের দিনের ভোরে মতনই এসে গায়ে বিঁধছে যেন দুজনেরই কবিতা আর সুজয়ের আজকে কবিতা পুরো আটপৌঢ় বাঙালি সাজে এসেছে দেখা করতে একটা কচি কলাপাতা রঙের শাড়ি তার ওপরে হালকা হলুদ রঙের প্রিন্ট আঁচলটা গাঢ় রানী রঙের ডান হাতে একটা পুঁথির বালা আর ম্যাচিং লাল রঙের আইফোন আড়চোখে আরেকবার দেখে নিল সুজয় বাঁ হাতে আবার একটা ছোট্ট রুমাল ফোনের রঙের সাথে মিলিয়ে রুমালটা গত পরশু কিনেছি ভালো ম্যাচ করেছে না বল সুজয় যতই আড়চোখে দেখুক কবিতার নজর এড়ানো মুশকিল হুম ঠিকই আছে কত বছর পর এলি যেন সুজয় কবিতার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা করলো আগের বারেই তো এলাম ব্রেনোলিয়া খা এবার থেকে খানিকটা অবাক হয়েই উত্তর দিলো ও ও হ্যা ঠিক ই বলেছিস সুজয় মাথা নাড়লো আমি ঠিক ই বলি কবিতার সপ্রতিভ উত্তর সুজয় আর কবিতা একটা রুফটপে এসে বসছে এইটা একটা পুরানো জমিদার টাইপের বাড়ি আইটিসি গ্রুপ এখন রিনোভেট করছে নিশ্চই রিসোর্ট বানাবে ওরা ম্যানেজ করে ছাদে চলে এসেছে এই চত্বরে ওরা পরিচিত মুখ তাই বাঁধা পাওয়ার ব্যাপারটা নেই পাঁচিলের ওপরে পা ঝুলিয়ে বোসে আছে কবিতা আর সুজয় পা গুটিয়ে পদ্মাসন এর মতন ধ্যান এর পোজ নিয়ে বসার চেষ্টা করে চলেছে এই জায়গাটা তা ছোটবেলা থেকেই হ্যাং আউট এর সেরা জায়গা ছিল কবিতার এখানেই ওদের বন্ধুদের গ্রুপের আড্ডার জায়গা ছিল স্পেশালি পূর্ণিমার রাতে অসম্ভব ভালো ফীল হয় এই জায়গাটাতে এলে তার সাথে সবাই একসাথে এনজয় করাটাও একটা স্পেশাল ফিলিং ছিল ওর কাছে তুই যে কেন এখানেই পরে রইলি স্টেট এর বাইরে বেরোনো টা খুব দরকার ছিল তোর সামনের দিকে তাকিয়ে নিজস্ব ভঙ্গিতে কথাগুলো বলে যাচ্ছিলো কবিতা একটু দূরেই ইছামতি নদী বর্ষা এলে দুই কুল ছাপিয়ে যায় কিন্তু এখন অনেকটাই শান্ত কিছুটা সুজয়ের মতন কি রে কিছু বল কবিতা ঝাঁজিয়ে উঠল আসলে কি বলতো একটা সময় অনুভব করলাম যে এই জায়গাতে অনেক শেঁকড় বাকড় জড়িয়ে গিয়েছে আমার চেষ্টা করেছিলাম টেনে টেনে ছাড়ানোর কিন্তু একটা জট ছাড়াচ্ছি তো দেখছি আর একটা জায়গায় জট আটকে আছে শেষে ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিলাম এই তো বেশ আছি রে ভাই এখানে সুজয় খানিকটা স্বগতোক্তির মতো বলে গেলো কথাগুলো একদিন কবিতা বলেছিলো এই তুই কথায় কথায় ভাই বলিস কেন রে আমি কি তোর ভাই ও বলেছিলো আরে এইটা বাঙালিদের কথা বলার ধরণ ভাই দাদা এই গুলো ফিলার তোর তো বাংলা বলার অভ্যেস চলে গেছে তুই বুঝবি না মনে মনে দুটো গালাগালি দিয়ে ব্যাপারটা হজম করে নিয়েছিলো কবিতা বাইরে থাকলেও কবিতা অন্যদের থেকেও অনেকটা বেশি বাঙালি আচারে ব্যবহারে পোশাকে আশাকে সব মিলিয়ে ওর প্রবাসী বর এনিয়ে প্রায়ই ওকে খোঁটা দেয় কিন্তু বাইরে থাকলে বোধহয় বাঙালিয়ানা টা বেশিই মিস হয় সুজয় আর কবিতা এই গ্রামের ই কবিতা মামাবাড়ি তে মানুষ কিন্তু সুজয়ের এখানেই জন্ম দুজনের বড় হয়ে ওঠা ইছামতির তীরে এই গ্রামেই সুজয় ঠিক কোর ফ্রেন্ড গ্রুপে পড়েনা কবিতার এক্সটেন্ডেড ফ্রেন্ড গ্রুপে বলা যায় অনেকটা সিনিয়র কবিতার থেকে কিন্তু ওদের চিন্তা ভাবনা টা অসম্ভব ভাবে মেলে যে কোনো টপিকেই হোক কবিতাকে বোধহয় সুজয়ের থেকে ভালো কেউ বোঝেনা বা ফীল করতে পারেনা পৃথিবীতে সেটা দুজনেই জানে কিন্তু এই ফিলিংস টাকে ওরা এক্সপ্লিসিটলি কোনোদিন একনোলেজ করেনি নিজেদের কাছে কবিতা বরাবরই কনফিউসড ছিল এ ব্যাপারে ওর মতে এতো সুন্দর বন্ডিংটা অবভিয়াস একটি প্রেমে পরিণত হয়ে ফিকে না হয়ে যায় তার থেকে এইভাবেই চলুক না ওর বন্ধুরা বলতো এই কথাটা সুজয়কে বলেছিল কবিতা একদিন বোঝার চেষ্টা করেছিল ওর রিঅ্যাকশনটা সুজয়ের রিঅ্যাকশন বুঝতে পারাটা মাঝেমাঝে কবিতার মনে হতো স্কুলের সিঁড়িভাঙ্গা অংকের মতন অনেক চেষ্টা করেও যার উত্তর বেশিরভাগ সময়ই মিলতো না সুজয় শুনে ওর দিকে তাকিয়ে হালকা করে হেসে বলেছিলো সব সময়ই আমাদের মধ্যে একহাত গ্যাপ থাকে কিন্তু মেপে দেখিস কখনো কবিতা পড়াশুনোয় মোটেই খারাপ ছিলনা সুজয় বলতো তুই কিন্তু খুব ব্রিলিয়ান্ট ট্যালেন্টটাকে রেস্পেক্ট দিস যাইহোক সেই ট্যালেন্টের জোরে সুজয়ের মনের সিঁড়িভাঙা অঙ্ক মাঝেমাঝে সল্ভ করে ফেলতো কিন্তু সুজয় কোনোদিন উত্তরটা মেলাতে দিতোনা এইভাবেই চলছিল ফিনান্সিয়াললি সুজয়ের ফ্যামিলি দুর্বল ছিল বরাবরই তাই কলেজে পড়ার সময় থেকেই সুজয়ের ফোকাস ছিল চটজলদি কিছু একটা করার যাতে ফিনান্সিয়াললি সেটল হয় ফ্যামিলিটা ওদিকে কবিতা উছকাঙ্খী ছিল সেটা অনেকেটা সুজয় ও ওকে হতে হেল্প করেছে জোর করেই পোস্ট গ্রাডুয়েশনের জন্য কলকাতায় ওকে রাজি করিয়েছিলো সুজয় প্রেসিডেন্সিতে মাস্টার্স করার পর আর ওকে পিছনে তাকাতে হয়নি লাইফের সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কগুলোকে অবলিলিয়ায় সল্ভ করে এগিয়ে গেছে কবিতা এখন ও টরেন্টোতে সেটলড সিটিজেনশিপও পেয়ে গেছে কিন্তু যেখানেই থাক পুজোর সময়ে বাড়িতে ও ফিরবেই ফিরবে বাইরে ওর হাঁপ ধরে যায় এখানে তিন চারটে সপ্তাহ মা আর মামা বাড়ির সান্নিধ্যটা ওর কাছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন এর মতন সুজয় একবার বলেছিল ওকে তুই প্রতিবছর পয়সা খরচ করে এখানে আসিস কেন এর বদলে তোর আরামসে একটা ভালো ইউরোপ ট্রিপ হয়ে যেত কাকিমাকে যদি তোর ওখানে নিয়ে যাস পার্মানেন্টলি যদি উনি রাজি থাকেন তাহলে তোর প্রতিবছর এই রেকারিং খরচটা বেঁচে যাবে বদলে ওয়ার্ল্ড টুর টাও কমপ্লিট করে ফেলতে পারবি তুইতো ঘুরতে ভালোবাসিস খুব আমি জানি এইযে পাঁচিলের ওপর পা ঝুলিয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে বসা কোনো পিছুটান ছাড়া সুজয়ের এক হাত পাশে বসে এই কদিনের আড্ডা এগুলো কি কিচ্ছু না সামনের এক বছরের জন্য অনেক গুলো অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে রাখার মতন ব্যাপারটা কিন্তু সুজয় কি এগুলো জানে এই অঙ্ক আর সল্ভ করার চেষ্টা করেনা কবিতা সেই সময়গুলো তো চলে গেছে মুখে শুধু বললো ফ্রি এর সাজেশন দেওয়া বন্ধ কর আজকাল কেউ না ফ্রি জিনিস নেয় না বরঞ্চ তোর ওই গরুর গোয়ালে গিয়ে দিস ওরা শুনবে কবিতা বলতে থাকলো আচ্ছা তার মানে তুই টিউশন করিয়েই কাটিয়ে দিবি বাকি জীবনটা তাই তো আচ্ছা তোর কি নাম ডাক হয়েছে আশেপাশের পাড়ার লোকজন তোকে মাস্টার বলে ডাকে কবিতা ছুড়ে ছুড়ে কথা গুলো বলছিলো ও এখনো মেনে নিতে পারেনি যে সুজয় মফস্বলে বসে টিউশন করে চলেছে আগে সুজয় রাজনৈতিক ভাবেও সক্রিয় ছিল কিন্তু পালা বদলের পর সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে ভালোই করেছে মনে হয় আগে সুজয় সভাবে মডারেট ছিল কিন্তু লাইভলি ছিল এখন ক্রমশ খুব শান্ত হয়ে যাচ্ছে মাঝেমাঝে চিন্তা হয় ওর জন্য খুব কিন্তু এই কয়েকটা দিনের মধ্যে কিচ্ছু বুঝে ওঠার আগেই কবিতার রিটার্ন ফ্লাইটের দিন চলে আসে আর একটা ব্যাপার ও খুব অদ্ভুত লাগে ওর ফেরার দু তিনদিন আগে থেকেই সুজয় বেপাত্তা হয়ে যায় অদ্ভুৎ অদ্ভুৎ কারণ নিয়ে কোথায় একটা হারিয়ে যায় একবার কবিতা বিরক্ত হয়ে পরে জিজ্ঞেস করেছিল তুই এরকম করিস কেন প্রতিবার আমি তো সামনের বছর আবার আসছি তুই কি চাস আমি এখানেই থেকে যাই অবভিয়াসলি উত্তরটা আসে কবিতা ফিরে যাওয়ার পরে টরেন্ট থেকে কবিতা উত্তরটা পরে মনে মনে হাসে সুজয় লিখেছিলো এখন এখানে এসে সেটল করিস না তোর ধার দেনা সব চুকিয়ে প্রচুর ক্যাপিটাল বানিয়ে নে আগে তারপর এখানে আয় আমরা একটা খুলব বেশি কিচ্ছু না অল্প করে শুরু করব প্রচুর নিডি আর ইন্টেলিজেন্ট বাচ্চা আছে ওদেরকে পড়াবো তুই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পার্টটা দেখবি আমি টিচিংটা দেখবো ফ্ল্যাশব্যাকে মেমরিগুলো একটার পর একটা আসছিলো সম্বিৎ ফিরে এলো সুজয়ের ডাকে একটা তেতুল পাতার ডাল হাতে নিয়ে সুজয় তাকিয়ে আছে ওর দিকে কিরে কি দেখছিস দূরে তাকিয়ে নদীতে মাছ খুজছিস নাকি সুজয় হাসতে হাসতে বললো না না এমনি কবিতা উত্তর দিলো এমনি বলে কিচ্ছু হয় না তুই তো বলতিস সুজয় ওর দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো সুজয় আনমনে বললো যাইহোক এই দ্যাখ তোকে একটা ট্রিকস দেখাই বলে সুজয় তেঁতুলের ডালটা দু আঙ্গুল দিয়ে চেপে আস্তেআস্তে ওপর থেকে নিচে টানলো অদ্ভুত ভাবে হাতের তালুতে ছোটছোট পাতা গুলো জড়ো হয়ে এলো এরকমই করে সুজয় বাচ্চাদের মতন কিম্ভুত সব কাজ কবিতা হেসে বললো বাহ্ ব্যাপক তো আমায় দে আমিও ট্রাই করি কিছুক্ষন কবিতা আর সুজয় এভাবেই ব্যস্ত থাকলো লাস্টে কবিতা সব তেঁতুল পাতাগুলো সুজয়ের হাতে থেকে তুলে নিয়ে ওর মাথায় ঢেলে দিলো আলতো করে সুজয় চোখ বন্ধ করে বসেছিল যখন কবিতা সব পাতাগুলো ওর মাথার ওপর চাপিয়ে দিলো সম্ভবত চোখে পাতা ঢুকে যাওয়ার ভয়ে কিন্তু ওই মুহূর্তে সুজয়কে মায়াবী ভাবে কোনো এক দেবদূতের মতন লাগছিলো ওর সারা গায়ে পাতায় ভর্তি হালকা একটা হলুদ রঙের ফতুয়া ওর গায়ে হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে যাওয়া মাথা ভর্তি চুল সব কেমন যেন ওলোটপালোট করে দিচ্ছিল কবিতাকে কেমন সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছিলো কবিতার এই অনুভব গুলো খুব কনফিউস করে দেয় কবিতাকে এটা কি ভালোলাগা নাকি সুজয়ের ওপর মায়া করুণা এটা বুঝে উঠতে পারে না কিছুতেই একটা লোক যে হয়তো সারা বছর এই কটা দিনের জন্যই অপেক্ষা করে থাকে যে কিছুতেই প্রতিবছর ওর ফিরে যাওয়াটাকেও মেনে নিতে পারেনা ঠিক করে তাকে সান্তনা দেওয়ার মতন সাহস ওর এখন আর নেই নিজের মনের এই দ্বন্দ্বগুলো খুব ভয় পায় ও যদি কিছূ ভুল করে ফেলে নিজের জন্য ওর চিন্তা অতটা নেই ও হয়তো সামলে নেবে কিন্তু সুজয় কি করবে ও চলে যাওয়ার পর সম্বিৎ ফিরলো সুজয়ের ডাকে এই মুখ থেকে পাতাগুলো সরিয়ে দে না চোখ দুটো খুলতে পারছি না তো দাঁড়া দাঁড়া দিচ্ছি মুখটা সামনে নিয়ে এসে জোরে একটা ফুঁ দিয়ে পাতাগুলো সরিয়ে দিলো কবিতা কিন্তু কিছূ এখনো লেগে আছে ওর মুখের আনাচে কানাচে দুজনের মধ্যে দূরত্বটা এখন এক হাত থেকে কমে কয়েকটা আঙুলের ব্যবধানে এসে দাঁড়িয়েছে সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্ক কি এতদিনে সল্ভ হবে কবিতা বাকি পাতাগুলো একটা একটা করে খুব যত্ন করে সরিয়ে দিচ্ছিল দেখিস চোখের মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিসনা যেন বিড়বিড় করে সুজয় বলে যাচ্ছিলো আলতো করে জিজ্ঞেস করলো কবিতা সেই পারফিউমটা এখনো চালিয়ে যাচ্ছিস জিনিস বটে তুই একটা পাঁচ বছর আগে কবিতার নিজের গিফট করা পারফিউম এর গন্ধটা ওর কাছে ক্রমশ স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছিলো তুইও তো তোর ফেভরিট পারফিউম এখনো ছাড়িসনি দেখছি সুজয় বললো কিন্তু একটু থেমে থেমে কবিতা উত্তর দিলো হ্যা কিন্তু এটা নতুন কালেকশন তোর দেওয়া বোতলটি বহুদিন আগেই খতম আচ্ছা আমি কি চোখ খুলব সুজয় জিজ্ঞেস করলো না চোখ মেলে নতুন কিছু দেখার নেই যখন বলবো তখন খুলবি কবিতা হেসে উত্তর দিলো অদ্ভুত সুন্দর লাগছিলো হালকা হাসির ভঙ্গিমায় চোখ বন্ধ করে বসে থাকা সুজয়কে নিশ্চিতে বসে থাকা একটা ছেলেকে যে কিনা চোখ খোলার জন্য একজনের নির্দের্শ এর অপেক্ষা করছে কিছুক্ষন পরে সুজয়ের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ইছামতির দিকে নজর ফেরালো কবিতা তারপর নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললো মনটা একদিকে ভারাক্রান্ত হয়ে আসছে আবার একটা সুন্দর ভালোলাগাতে ভরে যাচ্ছে মিনিট দুই পরে ওরা দুজনেই চোখ খুললো সামনে পরন্ত সূর্য্য দিগন্তে আর প্যান্ডেলে ঢাকের ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে আওয়াজ ভালোলাগাটাকে রেসোন্যান্সের মতন বহুগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে আর তারসাথে ক্যাটালিস্ট এর মতন রয়েছে ওদের কয়েক আঙুলের এই বাব্যধান হঠাৎ করে কবিতার ফোনে এবার নোটিফিকেশন এলো ওর মামাতোবোন রত্না ডাকছে একসাথে প্যান্ডেল হপিং করবে ঠিক করেছিল ওরা সকালে রেডি হয়ে বসে আছে কবিতার জন্য আজ উঠিরে ডাক এসেছে বাড়ি যেতে হবে কবিতা পাঁচিলের ধার থেকে উঠে বসলো হ্যা হ্যা তুই যা আমি একটু বসি এখানে আরো কিছুক্ষন সুজয় ওর ডাকিয়ে তাকিয়ে বললো আমি কিন্তু আর আসব না এখন ফিরে পরে আবার দেখা যাবে যদি টাইম পাই হুম সিঁড়ির দিকটা অন্ধকার সাবধানে যাস সুজয় আর কিছু বললো না কবিতাও আর কথা না বাড়িয়ে আস্তে আস্তে সিঁড়ির দিকে এগোলো হোটেলের লোকগুলোর রুচি খুব একটা খারাপ নয় রেডিওতে গান চালিয়ে ওয়াল পেইন্টিং এর কাজ করে চলেছে মনে হলো ওর মনের ভাবনাগুলো আজ পুরো বাড়িটাতে গানের মধ্যে দিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে যেন আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন তোমাতে করিব বাস দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী দীর্ঘ বরষ মাস আর একটু ওপরে ছাদের পাঁচিলে বসে থাকা সুজয়ের চোখদুটো খানিকটা আদ্র যেন এখন তারও কানে হালকা হয়ে গানের বাকি কথাগুলো যেন ফিরে ফিরে আসছে যদি আর কারে ভালোবাস যদি আর ফিরে নাহি আস তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও অসমাপ্ত হেমন্তিকা দূরে কোথায় অচিনপুর পোড়ো বাড়ি কেউ কেউ ফেরে না মরচে ধরা রহস্য সপ্তম ও শেষ পর্ব শৈশব সন্ন্যাসিনী এ্যাসাইলামে শৈশব সংক্রান্তি মরচে ধরা রহস্য পর্ব ১ প্রতীক্ষা স্বপ্ন বিহার মেঘলা স্বপ্ন রম্য রচনা কর্ণ উবাচ পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচ লেখক অভীক সরকার তুমি পেয়েছ ভগবানের বর আমি পেয়েছি মাটির অভিশাপ ধর্মযুদ্ধে করিলাম প্রাণত্যাগ করেছি আমি এমন কি পাপ তুমি জন্মেছ সোনার মহলে আমি গঙ্গায় ভেসে করেছি বিলাপ সুতপুত্র হয়ে করেছি বিশ্বজয় করেছি আমি এমন কি পাপ ক্ষত্রিয় হয়ে পেলে উত্তম শিক্ষা পরিচয় গোপন করে পেলাম অভিশাপ গুরু আমায় করল না আশীর্বাদ করেছি আমি এমন কি পাপ সখা ছিল তোমার শ্রীকৃষ্ণ দুর্যোধন এসে ধরেছিল আমার হাত বন্ধুর জন্য করেছি ধর্মযুদ্ধ করিনি আমি কোনো পাপ পাতা ঝরার বেলা কাগজের নৌকো রিয়ানা কুড়ি শব্দের গল্প খুশি চাঁদের আলোয় ভেসে যাব সিলিন্ডার স্বপ্ন হবে সত্যি তোমাকে রবীন্দ্রনাথ সুজন লাল সুতোর ঘুনসি বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১১ ভালবাসার গন্ধ অন্য বসন্ত রম্য রচনা কোমল স্পর্শ শিপ্রা তরফদার মজুমদার পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত কোমল স্পর্শ শিপ্রা তরফদার মজুমদার আমাদের এই দীর্ঘ জীবনে সম্পর্ক একটি বিশেষ অনুভূতি যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এই সম্পর্ক এই কোমল স্পর্শ আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে থাকে আর আমাদের জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করে এই স্পর্শ যখন বন্ধুত্বের হয় জীবন তখন আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে কোমল স্পর্শ এমনি এক অনবদ্য অন্য ধরনের পারিবারিক ভালোবাসার কাহিনী রম্য রচনা কোমল স্পর্শ শিপ্রা তরফদার মজুমদার পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত কোমল স্পর্শ শিপ্রা তরফদার মজুমদার আমাদের এই দীর্ঘ জীবনে সম্পর্ক একটি বিশেষ অনুভূতি যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এই সম্পর্ক এই কোমল স্পর্শ আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে থাকে আর আমাদের জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করে এই স্পর্শ যখন বন্ধুত্বের হয় জীবন তখন আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে কোমল স্পর্শ এমনি এক অনবদ্য অন্য ধরনের পারিবারিক ভালোবাসার কাহিনী রম্য রচনা ক্ষমার অযোগ্য পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি নয় একটু গম্ভীর ভাবে কিছুক্ষন আগে র করা আসিসমেন্টটা নিজের মনে মনে একবার যাচাই করে নিল নাহ ঠিক ই আছে এই ধরনের পেশেন্টের কেসের অভিজ্ঞতা ওর ভালোই আছে ভদ্রমহিলা ক্রনিক লোনলিনেসে ভুগছেন এক্ষুনি কোনো ওষুধ ও সাজেস্ট করে নি আরও দু তিনটে সিটিংএর পর ভেবে দেখবে ততক্ষণে একটু কনসাল্টিং ফিসের পরিমানটাও মোটা রকমের হয়ে যাবে মেডিসিন ইস নট আ সল্যুশন রাইট নাউ এটাই ওর ক্লোসিং স্টেটমেন্ট ছিল যেটা একটু আগে জমা করলো ল্যাপটপ এর মাধ্যমে উত্তর কলকাতার একটা মাঝারি মানের ক্লিনিক তবে মনোরোগীদের জন্য ইদ্রিসের নয় নয় করে বছর দশ হয়ে গেলো এই ক্লিনিকে ২০১০ সালে ডিপ্লোমা ইন সাইক্রিয়াটিকে করে ভেবেছিলো নিজের মতন করে প্রাকটিস শুরু করবে কিন্তু প্রথম তিন চার বছর সে রকম ভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি এদিক ওদিকে প্রাকটিস করত কিছুদিন ভুবনেশ্বরেও ছিল উড়িয়া ভাষাটা ওর মা এর থেকে শেখা সেই ছোটবেলাতেই মামাবাড়ি তো কটকেই কিন্তু লোকাল ভাষা জানা সত্ত্বেও খুব একটা জমেনি ওখানে তাই কিছুটা নিজের ওপর বিরক্ত হয়েই কলকাতা ফিরে এসেছিলো ওই সময়টাতে অরুনিমা অনেকটা হেল্প করেছিল ইদ্রিসকে ইনফ্যাক্ট ওর জন্যই এই ক্লিনিক টা মোহনবাগান লেনে লিজে নিতে পেরেছিলো মোহনবাগান লেন এর ঠিকানাটা ফুটবল পাগল বাঙালিরা খুব সহজেই মনে রাখতে পারে আর এতেই আদতে ইদ্রিসের পেশেন্ট ভাগ্যটাও বেশ খুলে গেছিলো অরুনিমা প্রসঙ্গে না হয় একটু পরে আসা যাক এখন ঘড়ির কাঁটা চারটে ছুঁইছুঁই ডায়েরির এপয়েন্টমেন্ট এর পাতাটা উল্টে দেখলো আজকে আর একজন আসার কথা আছে নামটাতে চোখ রাখলো মিসেস শর্বরী মজুমদার নাম আর উপাধির মিশ্রনে একটা গাম্ভীর্য্য আছে সমস্যাও নিশ্চই সেরকমই গম্ভীর হবে বাপি দেখতো কেউ কি অপেক্ষা করছেন গেস্ট রুমে কেয়ারটেকার টাকে একটা হালকা করে আওয়াজ দিলো মন বলছিলো কেউ আর না থাকলেই ভালো হয় তাহলে একটু কলেজস্ট্রিটে হিন্দু হোস্টেলের গলিতে ঢুঁ দিয়ে আসত ওখানে ওদের ছোটবেলার বন্ধুদের একটা গল্পের ঠেক আছে কেউ না কেউ রোজই থাকে আড্ডা মারার জন্য এটা ওদের সবার কাছে একটা লাইফলাইনের মত সে গল্পতেও না হয় পরে আসা যাবে আপাতত মিসেস শর্বরী মজুমদার ওর ঘরের পর্দাটা হালকা করে সরিয়ে জানতে চাইলো ইস ইট ওকে ইফ আই কাম ইন খানিকটা হকচকিয়ে যে যায়নি ইদ্রিস তা নয় বুঝতে চেষ্টা করছিলো যে হতভাগা কেয়ারটেকারটা কোথায় গেলো কিন্তু কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই উনি আবার বলে উঠলেন এবার পর্দাটা পুরো সরিয়ে আর একটা পা চৌকাঠে রেখে আই এম শর্বরী ফ্রম ডোভের লেন বাল্লিগঞ্জ সিওর প্লিজ কাম ইন এন্ড বি সিটেড ইদ্রিস সপ্রীতিত ভাবে ভদ্রমহিলাকে বসতে বললো ওর চেম্বারে বেশি আসবাব পাত্র একুয়ারিয়াম বা ডেকোরেশন অর্থাৎ আধুনিক ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের ভিড় বাড়ানোর মতন কোনো জিনিস সেরকম নেই বেশিরভাগটাই তাই খালি চার দেওয়ালে হালকা নীল রঙের ওয়াল পেইন্টিং অনেকটা পুজোর সময়ের আকাশের মতন চোখে লাগার মধ্যে একটা টি টেবিল আছে আর আছে হেলান কেদারা অতিথিদের জন্য ইদ্রিস ওর পেশেন্টদের কে গেস্ট বলেই সম্বোধন করে এটা ওকে পেশেন্ট দেড় সাথে কানেকশন তৈরির কাজটা সহজ করে দেয় ধন্যবাদ বলে শর্বরী চেয়ার টা টেনে বসতে গিয়ে একটু থমকে গেল যদি কিছু মনে না করেন ইস দেয়ার এনিথিং এলস ফর সেটলিং ইন এইটা খুব কোজি টাইপের একটু ইতস্তত করে বললো সরি আমার এতটাই অর্র্যাঞ্জমেন্ট এখানে আপনি আরাম করে বসুন না আমি না হয় বাইরে থেকে একটা সিগারেট খেয়ে আসছি দুই তিন মিনিটই লাগবে বড়োজোর এই বলে ইদ্রিস ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে রোয়াকে বসে লাইটার আর সিগারেটের প্যাকেটটা বার করলো ইচ্ছে করেই বেরিয়ে এসেছে ও রূম থেকে মহিলাটি এর মধ্যে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে পারবেন আসা করি মনে মনে হাসছিলো আই এম শর্বরী ফ্রম ডোভের লেন বাল্লিগঞ্জ এই কথাটা মনে পরাতে প্রথম দু তিনটে মুহূর্ত দিয়ে যেটুকুনি বোঝা যাচ্ছে যে মহিলাটি স্বতন্ত্রতা নিয়ে খুবই সচেতন নিজেকে সাবধান করলো এতো তাড়াতাড়ি পেশেন্ট এর ব্যাপারে কনক্লুশনে আসাটা উচিত নয় পক্ষপাতিত্ব চলে আসে পুরো প্রসিডিউরের মধ্যে মিউনিসিপালিটি কাজের জন্য রাস্তাটা খুঁড়ে রেখে গলির দুই দিকেই নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে ফলে চারচাকা নিয়ে ঢোকা বা পার্কিং কিছুই গত দুই সপ্তাহ ধরে করা যাচ্ছে না ওকে এখন ট্যাক্সি করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে মাঝে মাঝে একটু হেঁটে মেট্রো ধরে নেয় কোনো কোনো দিন আজকে কি করবে সেটাই ভাবছে সিগারেটটা পুরো শেষ করলো না দেরি হয়ে যাচ্ছে আই এম কামিং ইন বলে উত্তরের অপেক্ষা না করেই ইদ্রিস চেম্বারে ঢুকে স্বাভাবিক ভঙ্গিমাতে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসল কোলের ওপর ল্যাপটপটা টেনে নিয়ে বললো বলুন মিসেস শর্বরী কি ভাবছেন ভাবছি কিভাবে শুরু করবো যাতে ব্যাপারটা পরে অস্বস্তিজনক না হয়ে যায় শর্বরীর গলার আওয়াজ আর ভঙ্গিমাতে বোঝা যাচ্ছে যে ওই তিন চার মিনিটে নিজেকে বেশ গুছিয়ে নিয়েছে আপনি নিজের মতন করে বলুন না আমি শুনছি ইদ্রিস একটু অধ্যেইয্য হয়ে পড়ছে যদিও এটা ওর সহজাত নয় এরপর ভদ্রমহিলা চেয়ার থেকে উঠে ধীর গতিতে জানালার সামনে গিয়ে পর্দাটা টেনে দিয়ে বললো একটু অন্ধকার করে রাখলাম আপনাকে দেখলে হয়তো কথা গুলো নিজের মতন করতে বলতে পারবো না বুঝতেই তো পারছেন এটাকে ওদের ডাক্তারি ভাষায় বলে মুড ট্রিটমেন্ট সিচুয়েশন ভদ্রমহিলা ইদ্রিস এর কাজের সুবিধাই করে দিলেন ইদ্রিস কোনো কথা বলছিলো না কারণ ও বুঝতে পারছে যে এবার শর্বরী কথা বলতে শুরু করবে শুধুমাত্র কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা আমার জন্ম দুর্গাপুরে বাবা ওখানেই স্টিল প্লান্টে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন উনি তিন বছর আগে মারা গেছেন মা চলে গেলেন আগের বছর সামনের মাসে আমার উনচল্লিশ বছর পূর্ণ হবে আর আমি হ্যাপিলি সিঙ্গেল আপনি নিশ্চই কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস কোম্পানির নাম শুনেছেন ডালহৌসিতে আমার অফিস সেরকম বিশাল কোনো হ্যাপেনিং লাইফ আমি লিড করি না কিন্তু বুঝতেই পারছেন সিঙ্গেল বলে বন্ধুদের তালিকা না চাইলেও অনেকটা বড়ো হয়ে যায় এটা একধরেণর প্রফেশনাল হ্যাজার্ডের মতন কিন্তু সেটা আমার সমস্যা নয় এটা আমি হ্যান্ডেল করতে পারি নিজের মতন করে আমি বউবাজার গোয়েঙ্কা কলেজে পড়তাম তখন বি কম অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছি সবে ওখানেই ওর সাথে আলাপ মেয়েটার নামে পরে আসছি না হলে পুরো গপ্পটা শেষ করতে পারবো না আচ্ছা আমরা কল্পনা করেনি ওর নাম সুলগ্না ওই নামে আমার আবার তিনটে বন্ধুও আছে এই বলে স্বাভাবিক ছন্দে একটু হাসলো শর্বরী ইদ্রিস চোখ দুটি বন্ধ করে হেলান দিয়ে শুনছে শুধু শুনছে নয় একটা এসেসমেন্ট করার চেষ্টাও করছে ওর কেন যেন মনে হচ্ছে যে এই কেসটা একটু অন্য ধরণের কারণ মূলত পেশেন্ট সীমস ভেরি স্টেবল এই ধরণের পরিস্থিতে মনোরোগের মূল কারণ খুঁজে পাওয়াটা একটু চাপের যাই হোক দেখা যাবে বলে মনে মনে আবার কানদুটোকে সজাগ করলো আমি তখন একটু ইন্ট্রোভার্ট আর রিসার্ভড টাইপের ছিলাম সুলগ্না ছিল মাঝামাঝি খুব যে হুল্লোড়বাজ তা নয় তবে আমাদের মধ্যে কিছু কমন ইন্টারেস্ট ছিল ফ্রীকোয়েসি খুব ভালো মিলতো একসাথে সিনেমা দেখতে যেতাম ফুচকা তো আমাদের সবথেকে প্রিয় স্ট্রিট ফুড ছিল গ্লোব সিনেমা হলের পাশের গলির ফুচকায়ালা তো আমাদেরকে প্রায় চিনেই গেছিলো এখন তো হলটাই উধাও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর হয়ে গেছে শুনেছি আসলে ওই ঘটনার পর থেকে আর কোনোদিন ওদিকে যাইই নি আমার আপনার এখানে আসার কারণটা মানে চিরাচরিত ভাবে লোকে যেটা বলে মনোরোগ তার কারণ কিন্তু ও আমরা জানেন তো আসলে খুউউব ক্লোস ছিলাম মানে ছোটবেলাতে যেমন দুই বোনেরা হয়ে থাকে একদম সেরকম এখনকার বাচ্চারা খুব স্লীপ ওভার বলে শুনি আমরা তো দিনের পর দিন কেউ না কেউ কারো বাড়িতে থাকতাম আমাদের বাড়িদুটো কিন্তু পাবলিক বাসে মাত্র পনেরো মিনিট তাহলেই ভেবে দেখুন কোন বছরে আপনি গোয়েঙ্কাতে ভর্তি হয়েছিলেন ইদ্রিস কৌতূহল বসে প্রশ্ন করল কেন কলেজের রেজিষ্ট্রেণ চেক করবেন না কি বলে শর্বরী হাসতে শুরু করলো শীতকালে বিকেল পাঁচটাতেই বেশ অন্ধকার নেমে আসে তারই ফাঁকে রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ির ডিপারের আলো ওর রুম টাকে ছুঁয়ে গেল এক ঝলকে শর্বরীর সারা শরীরের ওপর দিয়ে আলোর রেশটা সৈকতের জলের মতন ভিজিয়ে দিয়ে চলে গেল ওর পুরো শরীরটা হাসির তালে তালে কাঁপছে ভরাট বুকের খাঁজটা এখন যেন আরো সুস্পষ্ট তখনই খেয়াল করলো যে সাদা ব্লাউসের মধ্যে দিয়ে ভেতরের গারো রঙের অন্তর্বাস বেশ সুস্পষ্ট আবার চোখ বন্ধ করলো ইদ্রিস ঠাট্টাটাকে আমল দিলো না আমল দেওয়ার মতন জিনিস তো চাক্ষুস হয়েই গেছিলো বাইরের আলোতে খুব ধীরে বললো না না আমি এমনি এমনিই জিজ্ঞেস করছিলাম হ্যা তো কি যেন বলছিলাম আমাদের বন্ধুত্ব এরকমই ছিল আমরা সবকিছুই শেয়ার করতাম ইনফ্যাক্ট আমাদের বয়ফ্রেইন্ডও এতোটুকনি বলে আবার হাসতে শুরু করলো এক ঝলক কিছু আরো একটু বেশি কিছু দেখার আশায় আলতো করে চোখ দুটো খুলেছিলো ইদ্রিস কিন্তু কোনো গাড়ির আওয়াজ এবার আর শুনতে পেলো না একটু থেমে আবার বলা শুরু করলো যদিও ঘটনাটা আমি জানতে পারিনি আমিই কেবল জানতাম না ওরা কিন্তু জানতো ছেলেটার নাম ছিল ইউসুফ আমি ওকে ইউ বলে ডাকতাম তখন তো আমি অল্প বয়সের প্রেমে হাবুডুবু আমাদের সমস্ত ডেট এর গল্প ও মানে সুলগ্না জানতো এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সুলগ্না যে সত্যিটা আমাকে বলেনি এটা আমি ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি এই রকম প্লটের সিনেমা ন্যাকা ন্যাকা টিভি সিরিয়াল খুব কমন কিন্তু এটা যে আমাদের সাথেও হবে কখনো ভাবি নি নিজের কাঁধের ব্যাগ থেকে জলের বোতল বার করে একটু চুমুক দিয়ে বোতলের মুখ বন্ধ করে আবার ভেতরে রেখে বলতে শুরু করলো শর্বরী ভাবা আর বোঝাটা সেইদিন হলো যে দিন দেখলাম ইউ ওদের বাড়িতে বসে টিভি দেখছে মানে আমাকে ওদের বাড়িতে ঢুকতে দেখে ইউ টিভি দেখার অভিনয় করছে আর আমার বন্ধু বেডরুম এর চাদর ঠিক করছে আমি সেদিন কিছুই বলিনি ওদের কে ইনফ্যাক্ট নেক্সট এক মাস আমি ওদের কে বুঝতেই দিইনি আমার রিঅ্যাকশন টা আমি আসলে মানসিক ভাবে খুব স্ট্রং ছিলাম ওই সময়ে তাই অনেক করে নিজেকে বুঝিয়ে ছিলাম যে ওদের দুজনের মধ্যে কেউ নিশ্চই আর একজনের আগে ব্যাপারটা আমার কাছে স্বীকার করবে তারপর আমি যা করার করবো দেখুন এই পরিস্থিতিতে আপনি যতই চেষ্টা করুন আগের মতন করে আর ওদের সাথে মিশতে পারবেন না কিন্তু ওই সময়ে আমার কস্টিং এর ফাইনাল পেপার এর পরীক্ষা ছিল ফলে সাপে বড় ই হলো আমার জন্য ওই সময়টাতে আমি দিনরাত এক করে কস্ট একাউন্টেন্ট ক্লিয়ার করে ফেললাম ইনফ্যাক্ট যে তারিখে আমার কস্টিংয়ের পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোলো সেই রাতেই সুলগ্না আমার কাছে চলে এলো বিশ্বাস করবেন না আমার বাড়িতে আসার পর থেকে সেই যে কান্না শুরু করলো পরের দিন ওকে আমি ওর বাড়িতে ড্রপ করা অব্দি কাঁদছিলো চোখ মুখের অবস্থা তো বুঝতেই পারছেন ওর মা জিজ্ঞেস করছে কিরে বাবিন শরীর খারাপ নাকি কি হলো তোর আমি ওর হাত টিপে ধরে উত্তর দিলাম কিছু না কাকিমা কাল আমরা সারারাত জেগে ফ্রেন্ডস দেখেছি হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে একাক্কার এবার সামলাও তোমার মেয়ে কে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকি নি বাবিন সুলগ্নার ডাক নাম ইদ্রিস আচমকাই জিজ্ঞেস করে বসলো হ্যাঁ সেইদিনও আমাকে সুলগ্না বলেনি ঠিক কি ঘটেছিলো ঐদিনে অথবা কি সম্পর্ক ওদের মধ্যে ছিল বা হচ্ছিলো আমিও প্রশ্ন করিনি কারণ কিছুভাবে আমার মনে হয়েছিল যদি কিছু হয়েও থাকে সেটা সুলগ্নার অজান্তে আপনি অথবা নিরপেক্ষ ভাবে যারা শুনবেন তারা হয়তো ভাববেন এটা কি ধরণের পক্ষপাতিত্ব কিন্তু ভুলে গেলে চলবে কেন যে আমি ওদের দুজনকেই খুব কাছের থেকে চিনি আর জানি তাই এখানে এই বিচারককে আপনারা ভরসা করতেই পারেন যাইহোক এরপর থেকে আমাদের দুজনের বন্ধত্বর মধ্যে একটা তফাৎ এলো আমি অনেক বেশি সাবধানী হয়ে উঠলাম ওর ক্ষেত্রে যাতে ওকে কেউ এরকম ভাবে না আর ব্যবহার করতে সাহস করে সুলগ্নাও এইসব ব্যাপারে অনেকটা নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল যাইহোক আমাদের বধুত্ব আবার আগের মতন বাধনহারা আর সহজাত হয়ে চলছিল আর ইউসুফ ইদ্রিস জানতে চাইলো আপনি না খুব প্রেডিক্টবল টাইপের পুরুষ মানুষ মনে হয় শর্বরী একটু বিরক্ত হলো ওই প্রসঙ্গে পরে আসছি না হলে গল্পটা শেষ করতে পারবো না ইদ্রিস মনে খটকা লাগলো প্রেডিক্টবল টাইপের কেন বললেন ভদ্রমহিলা ওনাকে ওর চোখ যে শর্বরীর উর্ধাঙ্গে ঘোরাফেরা করছিলো একটু আগে সেটা কি উনি বুঝতে পেরেছেন দাদা বাইরের গেট কি লক করে দেব কোনো জুতো জোড়া রাখা নেই দেখে ধরেই নিয়েছিল যে আর কেউই নেই কেয়ারটেকার বাইরে থেকে জানতে চাইলো না না চাবিটা গেটে তালার মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে যা আমি না হয় লাগিয়ে দেব বেরোনোর সময়ে ইদ্রিস তড়িঘড়ি উত্তর দিলো ঠিক আছে দাদা আমি আশেপাশেই আছি শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে একটা বড় এক্সিডেন্ট হয়েছে শুনলাম স্পট ডেড একটু দেখে আসছি ফেরার সময় একবার না হয় আওয়াজ দিয়ে যাবো এই বলে বাপি উধাও হয়ে গেলো ঠিক আছে এই বলে আবার শর্বরীর দিকে তাকালো ইদ্রিস উনি একটু বিরক্ত মনে হলো ছন্দপতন হওয়াতে অনেকবার করে কেয়ারটেকারটাকে বলা হয়েছিল যে ভেতরে গেস্ট থাকলে আওয়াজ না করতে দুঃখিত আপনি বলুন প্লিজ বলে ইদ্রিস আবার চোখ বুজলো এভাবেই চলছিল বেশ অনেককটা মাস প্রায় দেড় বছর হবে তারপর সুলগ্না কলকাতার বাইরে একটা প্রাইভেট মেডিকেল সেন্টারে একাউন্টেন্ট হয়ে জয়েন করলো আমিও তখন আমার কোম্পানিতে নতুন কাজকর্মের ধরণ বোঝার চেষ্টাতেই অনেকটাই সময় চলে যাচ্ছিলো অফিসে ফলে আমাদের মধ্যে ঐ যে একটা রোজকারের আলাপ পরিচয় ছিল সেটা আস্তে আস্তে একদিন অন্তর তারপর সপ্তাহে দুবার একবার করে হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিন্তু ওইটাকে আমরা স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলাম কারণ এটাই প্রাক্টিকাল কিন্তু পরে মনে হয়েছিল যে আমার একটু সতর্ক হওয়াটা উচিত ছিল অফিসের বাইরে কি করছে আর করছে না সেটার খবর নেওয়াটা হয়তো উচিত ছিল আমার না হলে আমাকে আজ আপনার সামনে বসে থাকতে হতোনা ইদ্রিস মনে মনে বললো ঘটনা ঘটাবে তোমরা আর এমন ভাব করবে যে সাইক্রিয়াটিকরা টাইম মেশিনে করে সময় কাল জয় করে পৌঁছে গিয়ে ঘটনাগুলোকে বদলে দেবে শোনাই যাক না পুরো ইতিহাসটা চায়ের ঠেকটা আজ আর হলো না হোয়াটসাপে ছোট্ট করে একটা নোটিফিকেশন পাঠিয়ে রাখলো স্কুলের গ্রুপে যে আজ আর যাওয়া হচ্ছে না এইভাবেও প্রায় দেড় বছর কেটে গেছিল তারপর একদিন সুলগ্না বোমাটা ফাটালো একটা চিঠি ইমেইল করে আমাকে পাঠালো আফটার রিডিং দ্যাট আই ওয়াস আটার্লি কনফিউসড আমার রাতের ঘুম চলে গেছিলো পুরো ওই সপ্তাহটাতে দিনের বেলায় অফিসের কাজেও মন বসছিলো না একটাই চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল কিভাবে এতটা জড়িয়ে গেলো সুলগ্না ওখানকার চিফ এককোনটেন্টের সাথে ওর একটা বেশ সিরিয়াস সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আর সেটাকে নিয়ে ও খুব অবসেসড দেখুন বন্ধু হিসাবে এটাতে আমার খুবই খুশি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমার সবার প্রথমে খটকা লাগলো এই ভেবে যে এতদিন পরে আমাকে ও কেন জানাচ্ছে এই ঘটনাটা আমারতো সবার আগেই জানা উচিত ছিল তখনি মনটা আমার কূ ডেকেছিল কিন্তু চিঠিটা পুরোটা পড়ার পরে সমস্ত ঘটনাটা আমার কাছে কিছুটা পরিষ্কার হলো সংক্ষেপে বলতে গেলে ওর কলিগটি বিবাহিত কিন্তু চিরাচরিত গল্পের প্লটের মতন নয় মানে সেটা ও শুরু থেকেই জানতো আসলে সেই ইউসুফ এর ঘটনাটার পর থেকে ও একটু রিসার্ভড হয়ে গেছিলো আর এই পুরো ঘটনাটাই নাকি ওর কলিগটিকে ও জানিয়েছিল কিছুটা সহানুভূতি কিছুটা কান্ধা দেওয়া আর বাকিটা হাসি ঠাট্টার ছলে ওরা দুজনেই খুব দুজনের কাছাকাছি চলে আসে কিন্তু সেটাকে যে অন্য আরেকজন সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করবে সেটা বুঝতে কি খুব অসুবিধে হয় কিন্তু যার বোঝার ছিল সে কেন বুঝলো না কে জানে এরপর যত দিন যাচ্ছিলো ব্যাপার গুলো আস্তে আস্তে জটিল হয়ে আসছিলো আর তার সাথে সুলগ্নার মানসিক পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছিল এর মধ্যে বাড়ি থেকে ওর বিয়ের জন্য একটা সুক্ষ চাপ আসা শুরু হয়েছে কিন্তু এই সম্পর্কের কথা তো কাউকে বলতেও পারছে না স্বভাবততই বাবা মা এর সাথে প্রায় রোজই ওর কথা কাটাকাটি লেগেই থাকতো এ নিয়ে আস্তে আস্তে ও ডিপ্রেশনের দিকে এগোচ্ছিল সেটা আমি অনেক পরে বুঝতে পেরেছিলাম যাই হোক চিঠিটার প্রসঙ্গে আসি আবার যদি সংক্ষেপে বলতে হয় তাহলে ঘটনাটা হলো সুলগ্না ঠিক করেছে যে সারা জীবন ও কাউকে বিয়ে করতে পারবে না ওদিকে আবার ওর কলিগের থেকে কোনো সোশ্যাল এক্সপেকটেশনও নেই কিন্তু উনি যেন কোনোদিন ওকে ভুলে না যায় বা ওর সাথে যোগাযোগ যেন বন্ধ না করে এতো অব্দি তাও ঠিক ছিল মোটামুটি চেনা গল্পের ছক কিন্তু নিজের বৌয়ের অনুপস্থিতিতে নিজের ফ্ল্যাটে নিজের বিছানায় কিভাবে একটা লোক দিনের পর দিন কাউকে জড়িয়ে নিতে থাকে একটা মানুষ কি আর একটা মানুষের শুধুই টাইমপাস এর বস্তু হয়ে উঠতে পারে এইভাবে লোকেরা হয়তো বলবে এটাতো দুজনের সম্মতিতে কিন্তু হোয়াট এবাউট আফটার এফেক্ট অনুশোচনা হয় না এই ভেবে যে একজন নয় দুজনকেই ঠকাচ্ছি আমরা যখন কারো সাথে মিশি তখন তার ভালোমন্দর সামান্য হলেও দায়িত্ব তো বর্তায় তাই না দায়িত্ব আসে না বলুন ইদ্রিস বাবু এই ধরণের অস্বস্তিকর প্রশ্ন ওকে কেউ করেনি অনেকদিন উত্তরটা এড়িয়ে গেলো শর্বরী উত্তরের অপেক্ষা না করেই বলে চলেছে কিন্তু আমার মনে আবার একটা খটকা লাগছিলো এই ভেবে যে আমাকে সুলগ্না এখন কেন বলছে কেন এখন ওই ইমেইলটা যেটা ও ওর কলিগকে লিখেছিলো সেটা আমাকে ফরওয়ার্ড করেছে এমন কি আছে কারণ একদিন হোয়াটসআপ করলাম আর ইউ মিসিং পিরিয়ডস বললো না না ওরকম কিছু নয় তখন বুঝলাম স্বাভাবিক ভাবেই ওর কলিগ এসব ব্যাপারে অনেক বেশি সাবধানী আস্তে আস্তে পরের এক দুই মাসে আমার সাথে অনেকটা খোলাখুলি হলো সুলগ্না আবার মাঝের ঘটনাগুলো আর বলছি না সংক্ষেপে ওকে আমি অনেকটা কনভিন্স করতে পেরেছিলাম যে এই ব্যাপারটাকে ফিজিক্যাল রিলেসন হিসাবে পাল্টে ফেলতে অনেকটা ডেটিং আপের সম্পর্কগুলোর মতন আপনি হয়তো ভাবছেন এতো ডিটেলস আমি কেন আপনাকে দিচ্ছি মূলত দুটি কারণে প্রথমত এতে আপনার ডায়গোনসিসে সুবিধা হতে পারে আপনার কনসাল্টিং চার্জ আমি প্রতি ঘন্টা হিসাবেই মিটিয়ে দেব তাই একটু ধৈর্য্য দিয়ে শুনবেন দয়া করে আর দ্বিতীয়ত আমার মনে হলো পুরো ঘটনা যেটা আমার সো কল্ড ডিপ্রেশনের কারণ সেটা যদি কাউকে বলে ফেলতে পারি তাহলে হয়তো অনেকটা রিলিভড হবো ন্যাচারাল হিলিং ও বলতে পারেন আর কি ইদ্রিসকে একটু কনফিউসড লাগছিলো এতটা ডিটেইলিং কোনো পেশেন্ট নিজের থেকে কোনো দিন করে না কোথাও যেন একটা জট আছে ও নিশ্চিত ওর সামনের হালকা হলুদ রঙের শাড়ি পড়া মহিলাটি জট এর আশেপাশে ঘুরছেন এখনো মূল সমস্যার মধ্যে ঢোকেননি নিজের মনেই দেখা যাক বলে আবার মনোযোগ দিলো যখন থেকে শর্বরীর রূপ একঝলক নজরে এসেছে তখন থেকে ওর দিকে নজর যেতেই একটু অস্স্বস্তি আসছে হাজার হোক পেশেন্ট তো কিন্তু ঘটনাটা এবার অন্য দিকে টার্ন নিলো ওদের কিছু পার্সোনাল ফটো ছিল যেমন হয় অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বিছানায় বসা শোয়া অবস্থায় ইত্যাদি অসাবধানতা বসত তারই একটা ফটো ওর কলিগ তার হোয়াটস্যাপ গ্রূপে শেয়ার করে ফেলে পরে নাকি ভুল বুঝতে পেরে ডিলিট করেও দিয়েছিলো কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছিলো কিছুটা প্রথমে সুলগ্না জানতো না পরে আশেপাশের লোকের আচার আচরণ দেখে আর আলোচনা শুনে ওর কলিগকে জিজ্ঞেস করে সেও স্বীকার করে ফেলে আশ্চর্য ভাবে ওই লোকটার কিস্তু কোনো আফসোস ছিল না বরঞ্চ ওকে জিনিসটা ফ্রেন্ডলি ভাবে স্বীকার করতে বলে শহরটা ছোট লোকজন কম তাই স্বভাবিক ভাবেই যত দিন যাচ্ছিলো লোক জানাজানি বাড়ছিল পরিচিতদের মধ্যে আমি যখন জানতে পারলাম ওকে সঙ্গে সঙ্গে রেসিগ্ন্যাশন দিয়ে ফিরে আস্তে বললাম কিন্তু বাড়িতে ফিরে এসেও ও আর স্বাভাবিক হতে পারে নি কোনো দিন নতুন কোনো চারকিতে জয়েনও করেনি আর বাড়ির মধ্যেই টিউশন শুরু করেছিল শেষ ছয় মাস তো বাড়ি থেকেই বেরোয়ই নি ওর শেষ হোয়াটস্যাপ এই দেখুন বলে চেয়ার থেকে উঠে হাত বাড়িয়ে দেখালো শর্বরী সেদিন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম তাই টেরই পাইনি যে কখন ইউসুফ এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলো একবচন নয়রে ফটো শেয়ার হয়েছে বহুবচনে অসাবধানতা বসত নয়রে আজ জানতে পারলাম ইদ্রিসের শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেলো হোয়াটস্যাপ এর স্ক্রীনসেভার টা লক্ষ্য করার পর একটু থেমে আর থমকে থমকে ইদ্রিস বলে উঠলো অরুনিমা আপনি ওকে চেনেন নাকি তাহলে এতক্ষন কি আমি সময়টা পুরোই নষ্ট করলাম শর্বরী একটু তাচ্ছিল সুরেই বললো এবার ইদ্রিসের টাইম মেশিনে চড়ে পিছিয়ে যাওয়ার পালা অরুণিমার সাথে সম্পর্কটা ওর বৌ জানার পর থেকে কিছু দিন আলাপ পরিচয় বন্ধ করতে হয়েছিল এটা কোনোদিনই দৈহিক ছাড়া অন্য কিছু ছিল না ওর কাছে বৌ সেই ঘটনার পর থেকে ওর ওই চাহিদা সুদে আসলে মিটিয়ে দিতো কলকাতায় আসার পর আবার কথা হয়েছিল ওদের মধ্যে মূলত এই ক্লিনিকটা সেট করার পেছনে অরুণিমার অনেক কান্ট্রিবিউশন ছিল অরুনিমাই ওর জ্যাঠা কে বলে এই জায়গাটার লিজ এর কাগজ পত্তর জোগাড় করেছিল হটাৎ করে মেয়েটা একদিন বেপাত্তা হয়ে গেল হয়তো কিছু এক্সপেক্টশন রেখেছিলো ইদ্রিসের ওপর ও ইদ্রিস এর কোনো এক বন্ধু নাকি অরুণিমাকে ফাঁস করে দিয়েছিলো যে ওর কাছে যে ইদ্রিস নিজের এলিট পৌরুষত্ব এর স্টেটাস প্রমান করার জন্যই একাধিক ফটোগুলো জেনেবুঝেই পাবলিক করেছিল এটা শোনার পর থেকে অরুনিমা ইদ্রিসের সাথে আর কখনো যোগাযোগ করে নি এক দুই বার হোয়াটস্যাপ করেছিল ইদ্রিস কিন্তু উত্তর না আসায় ও নিজেও কিছু দিন পর ব্যাপারটাকে নরমাল ভেবে ভুলে গেছিলো ও এখন কোথায় আপনার সাথে কন্টাক্ট আছে ইদ্রিস যথেষ্ট বিব্রত হয়ে প্রশ্ন করলো পুরো গল্পটা তো এখনো বলা হয় নি শুনুন না হ্যা আমার সাথে ওর কন্টাক্ট এখন আছে বলতে পারেন তারপর কোথায় যেন ছিলাম হ্যা ওর হোয়াটস্যাপ টেক্সট তো আপনি দেখলেন যে রাত্রে ও টেক্সট করলো বর্ষার বৃষ্টিতে তখন কলকাতা পুরো ভেসে আছে তাই ভাবলাম পরেরদিন সকালে অফিসএ যাওয়ার আগে ওর বাড়িতে ঢুঁ দেব পারলে একটাদিন অফিস ডুব দিয়ে দেব অনেক কথা জমে আছে আমাদের মধ্যে রাতে ফোনটা রিং হতে ঘড়িতে দেখলাম দেড়টা এতো রাতে ফোন পেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে তড়িঘড়ি করে ধরতে গেলাম সুলগ্না এই নামটাই থাক গল্পতে অরুনিমা উহ্য থাক নয় ঠিক আছে কলার আইডি তে ওর মায়ের নাম ভাসছে কাঁপা কাঁপা গলায় কাকিমা শুধু এইটুকুনি বলতে পারলেন শর্বরী একটু আমরি সল্টলেকে আস্তে পারবি তোর বন্ধু আর কিছু শুনতে পেলাম না আর কোনোভাবে পৌঁছে গেলাম ইমার্জেন্সিতে কিন্তু সব শেষ জানেন তো ডান হাতের কব্জির ওপরটা ডাক্তাররা ব্যাণ্ডেজ করে রেখেছে পুরো শরীর তা সাদা চাদরে ঢাকা মুখ অব্দি ওই হাতটা একটু বেরিয়েছিল আমি ওর বেরিয়ে থাকা হাতের ওপর একটু হাত রাখলাম হাত বুলিয়ে দিলাম ক্ষমা তো ওকে আমি আগের রাতেই করে দিয়েছিলা সামনাসামনি বলার সুযোগই আর দিলো না জানেন তো আসলে ও খুব অভিমানী তো আপনি কোনোদিন বোঝেননি না আমি কিন্তু হাসপাতাল থেকে চলে আসিনি পালিয়ে ও একমাত্র সন্তান বুঝতেই পারছেন ওর বাবা মায়ের অবস্থা থানা পুলিশ হাসপাতাল মর্গ দাহ শেষ অব্দি ছিলাম আমি কেমন একটা ঘোরের মতন কাটছিলো ওকে মিস করার কথা মনেও আসছিলো না মাস দুই তিন পর কাকু কাকিমা কলকাতা ছেড়ে বাঁকুড়া শিফট হয়ে গেলেন ওদের পৈতৃক বাড়িতে ওনারা চলে যাওয়ার পর থেকেই আমার মধ্যে অদ্ভুত একটা একাকিত্ব আর অবসাদ এসে থাবা বসালো খালি মনে হতো যদি সেই রাতেই আমি চলে যেতাম ওর সাথে দেখা করতে কি এমন ক্ষতি হতো একটু ভিজতাম হয় তো এর থেকে বেশি তো কিছু নয় গত দুবছর ধরে এই স্মৃতি একাকিত্ব অবসাদ আর অনুশোচনা নিয়ে আমি রয়ে গেছি একদিন অন্তর একদিন রাতে ঘুম আসত তারপর আস্তে আস্তে নিজেকে বোঝালাম অনুশোচনা আমার কেন হবে তাদের কেন হবে না যাদের নাম ওই টেক্সটের দুটো লাইনে উল্লেখ ছিল মাথায় হাত দিয়ে টেবিলে ভর দিয়ে বসে আছে ইদ্রিস এখন ওর হৃৎপিন্ডটা বেশ ভালোই ওঠানামা করছে এখন শর্বরীর পালা সেটাকে উপভোগ করার বিশ্বাস করুন আমি এসব কিছু জানিই না আমাকে কেউ জানায়ও নি হোয়াট আ লস সাচ আ লাভলী লেডি সি ওয়াস এই প্রথম শর্বরীর চোখ দুটো আগুনের মতন জ্বলজ্বল করে উঠলো সেটা ইদ্রিসের নজর এড়িয়ে গেল আরে আপনি এতো ভেঙে পড়েছেন কেন এক্ষুনি আচ্ছা একটু আগে জানতে চাইছিলেন না যে আমার ইউ এর কি হলো হ্যাঁ কিছুটা বোকার মতন প্রশ্ন করে ফেললো শুনুনই না তাহলে সে তো একটা নামকরা সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করতো ওর একটা স্বভাব ছিল সবসময় ব্যালকনির রেলিং এ ঝুকে সিগেরেট খাওয়ার অনেক বারণ করতাম জানেন যদি কিছু হয়ে যায় দু সপ্তাহ আগে খবরের কাগজে একটা ছোট্ট নিউস কলাম ছিল হয়তো আপনার চোখে পড়েনি অফিসের সাততলার ব্যালকনি থেকে পরে এক তরুণ কর্মীর মৃত্যু এই ধরণের কিছুই একটা তবে নাকি তদন্ত হচ্ছে এটা এক্সিডেন্ট কিনা নিশ্চিত নয় করুক না পুলিশ তদন্ত ইদ্রিস এর মাথায় কিছু আসছে না কেমন একটা ঘোরের মধ্যে আছে মনে হচ্ছে ওর শর্বরীর চোখ দুটো খুব অস্বাভাবিক লাগছে এখন ইদ্রিসের কাছে ভদ্রমহিলা কি কোনো ইলুশন তৈরি করছেন এইরকম একটা কেস ওরা কলেজে পড়ার সময় ক্লাসে ডিসকাস হয়েছিল কিন্তু এখানে তো ও নিজেই জড়িয়ে গেছে কি করবে ঠাওর করতে পারছে না একদম দেখবেন না কি ইউ এর প্রোফাইল পিকচার বেশ হ্যান্ডসম টাইপের এই দেখুন বলে শর্বরী হটাৎ করে ফোনের স্ক্রিনটা ওর চোখের সামনে নিয়ে এলো ঘটনার আকস্মিকতায় ইদ্রিস চোখে মুখে সর্ষেফুল দেখার মতন অবস্থা এবারে শর্বরীকে চেয়ার থেকে উঠতে হয় নি বসে বসেই হাত বাড়িয়ে ফোনটা নিয়ে এলো ইদ্রিসের চোখের সামনে অস্বাভাবিক লম্বা একটা হাত অন্য হাতটার তুলনায় এ কি করে সম্ভব বুড়ো আঙুলের নেইলপলিশ এর রং লাল বাকি আঙ্গুলগুলো গাড়ো নীল ইদ্রিসের কপাল থেকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জড়ো হচ্ছে তলপেট এর জায়গা থেকে ঘাম জড়ো হয়ে নিচের দিকে জায়গা খুঁজছে এতোটা ইলুশন ওর কি করে হচ্ছে ইউকে দেখার মতন মানসিক শক্তি ওর বেঁচে ছিল না স্ক্রিনের পাস্ দিয়ে শর্বরী চোখের দিকে নজর গেল এ কি ভয়াবহ এ কি দেখছে শর্বরীর ওই সুন্দর চেহারার মধ্যে শুধু চোখের কোঠর দেখা যাচ্ছে দুটো জ্বলন্ত কোঠর নিজের সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছে খালি সময় গুনছে যদি এইটা দুঃসপ্ন হয় নিশ্চই একটা সময় ভেঙে যাবে হটাৎ করে শর্বরীর চোখদুটো আবার আগের মতন শান্ত হয়ে গেল আস্তে আস্তে এগিয়ে এলো ইদ্রিসের দিকে ল্যাপটপ সরিয়ে রেখে টেবিল এর ওপর ঝুঁকে পরে বললো বলুন এখন কেমন অনুভব করছেন মানে ইদ্রিস থতমত খেয়ে জানতে চাইলো মানে এই যে একটা চল্লিশ ছুঁই ছুঁই মহিলা সিঙ্গেল শাড়ি পড়ে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এইটা কেমন উপভোগ করছেন আরো একটু ইদ্রিসের দিকে ঝুঁকে ওর চোখে চোখ রেখে দাঁড়ালো সাদা রঙের ডিপ কাট ব্লাউস ভেদ করে ভেতরের অন্তর্বাস অনেকটাই দেখা যাচ্ছে ওর শরীরের অল্প অল্প ঘামের মিষ্টি গন্ধ ইদ্রিসের নাকে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে বুকের বাঁদিকের গভীরে বাদামি তিলটা একদম একই জায়গায় রয়েছে যেরকম ছিল অরুণিমার দামী পারফিউমের তীব্র গন্ধ শর্বরীর গ্রীবা থেকে কানের লতির পিছন থেকে আসছে একদম ঠিক একইরকম অনুভূতি অরুণিমার সময় যেটা ও তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করত আপনি কে আর থাকতে না পেরে প্রশ্ন করে উঠলো ইদ্রিস এটা যে দুঃস্বপ্ন নয় সেটা ও বুঝতে পেরেছে নিজেকে ওই ভঙ্গিমাতেই রেখে শর্বরী উত্তর দিলো যে পরিচয় আপনাকে দিয়েছি আমি সেই আপনি বুঝতে পারেন নি আপনার কেয়ারটেকার ছোকড়াটি কাউকে দেখতে না পেয়ে তালা দিয়ে দিছিলো আপনি বারণ করলেন আপনি জানেন যে এই কয়েকদিন আপনার ক্লিনিকের সামনের গলিতে কোনো গাড়ি যাতায়াত করছে না তাও আপনি গাড়ির আলোতে আমার রূপের বাহবা করলেন মনে মনে বাবিন এই ডাকনামটাও তো আপনার জানা তাও আপনার মনে কোনো সন্দেহ হয় নি গত আধ ঘন্টা আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় ঠিকঠাক কাজ করছিলো না মনে হয় অন্য একটি ইন্দ্রীয় প্রবল ছিল বলে হয়তো আপনি জানতেও পারেন নি শ্যামবাজার এর পাঁচমাথার মোড়ে যে ফ্যাটাল আকসিডেন্টটা হয়েছে সিরাজ রেস্তোরার সামনে সেখানে এখনো একটা মধ্যে বয়সী ভদ্রমহিলা স্কুটি থেকে পরে গিয়ে রাস্তায় পরে আছে একটা বেসরকারি বাস ওর মাথার ওপর দিয়ে চলে গেছে আসলে আপনার কাছেই আসছিলাম দেখা করতে ট্রাম লাইনে স্কিড্ করে গেলাম এমন ভাবে যে আর টাল সামলাতে পারলাম না আর তখনই বাসটা কাটাতে না পেরে আমার মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিলো ভাবলাম এতো কাছে এসে আপনার সাথে না দেখা করে চলে যাবো এটা হয় নাকি সুলগ্না সরি অরুণিমাকে কি উত্তর দেব আপনি যদি আমার জায়গায় হতেন তাহলে আপনি কি করতেন বলুন আ আ আপনি কি চান অসহায় ভাবে প্রশ্ন করলো ইদ্রিস আপনার সেই বন্ধুটিকে কি আজ আপনাদের চায়ের ঠেকে পাওয়া যাবে হিন্দু হোস্টেল এর পেছনে শর্বরী আর একটু এগিয়ে এসে প্রশ্ন করলো কে কোন বন্ধু ইদ্রিস প্রমাদ গুনলো কেন আপনি কুন্তল কে ভুলে গেলেন যাকে আপনাদের রঙিন মুহূর্তের ফোট্ শেয়ার করে নিজের পৌরুষত্বের বাহবা কুড়ালেন সেই বন্ধুটি ওটা তো ওরই পাড়া তবে আজকে তো আমি যাবো না লিখে দিয়েছি হয়তো ও আসবে না আপনি কেন জিজ্ঞেস করছেন এটা তো অনেক দিনের পুরোনো ঘটনা আর অরুনিমা তো বেঁচেও নেই আর তো কোনো ক্ষতির সম্ভাবনাও নেই ওকে ক্ষমা করে দিন প্লিজ আপনি প্লিজ ওকে একটু আসতে বলুন না আপনাদের আড্ডার জায়গাতে একটু লিখে দিন হোয়াটসাপে আপনি নাকি খুব তাড়াতাড়ি টাইপ করতে পারেন শুনেছি আমি কোনোমতে কাঁপা কাঁপা হাতে লিখলো যে তিরিশ মিনিটের মধ্যে আমি আসছি তুই থাকিস কিছু কথা আছে আজকে আপনার আমাকে দেখে লোভ হচ্ছে না এই যে এতো কাছে আপনার হাতের নাগালের মধ্যে পুরো দিস ইউসড টু এরৌস ইউ ভুলে গেলেন না না আমি কখনো ওর অমঙ্গল চাই নি আপনি বিশ্বাস করুন কিন্তু অরুনিমা আমার ওপর খুব নির্ভর হয়ে পড়ছিলো আমি চাইনি একটা অদ্ভুত টাইপের সম্পর্কের জন্য ও নিজের জীবনটা নষ্ট করুক আমি তাই ইচ্ছে করেই একটা সময়ে ওকে ইগনোর করতাম তারপর আমার মিসেস ও ব্যাপার টা জেনে গেছিলেন আমার কাছে আর কোনো অপসন ছিলোনা এর থেকে বেশি আর কিছু ওর গলা দিয়ে বেরোলো না যদি অরুনিমা চাইতো আপনার পরিণতিও আমার সেই ইউ এর মতনই হতো কিন্তু আপনার একটা তিন বছরের ছটফটে ছেলে আছে বলেছে আমায় সিঙ্গেল মাদারের লাইফ খুব কঠিন চারিদিকে হাজার হাজার ইদ্রিস আর কুন্তলে ছেয়ে আছে অরুনিমা চায় না যে আপনার ছেলে আপনার মতন মানসিকতা নিয়ে বড় হোক আশাকরি আপনার বৌও সেটা চায় না আপনি আসলে ভীষণ ভাবে ক্ষমার অযোগ্য একটু অবসাদ ছেয়ে এলো শর্বরীর মুখে সেই হিংস্র ভাবটা অনেকটা উধাও আপনার যখন আমাকে নিয়ে সেরকম উৎসাহ নেই তাহলে আমি আপনার বন্ধুর সাথে একটু দেখা করে আসি আপনার অজান্তে সে বন্ধু আপনাদের অনেকগুলো ছবি বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে দিয়েছে শুধু খেয়াল রাখবেন আপনাকে সব সময় দুজোড়া চোখ খেয়াল রাখছে হিসাব নিকাশ কিন্তু এখনো পুরো শেষ হয় নি এই বলে আস্তে আস্তে ঘোর থেকে বেরিয়ে গেল শর্বরী মাথাটা অসম্ভব ব্যাথা করতে লাগলো ইদ্রিসের জল তেষ্টায় বুকটা ফেটে যাবে মনে হচ্ছে কিন্তু একবিন্দুও নড়তে পারছে না হটাৎ করে শরীরটা ওর পুরো ছেড়ে দিলো মেঝেতে গড়িয়ে পরে জ্ঞান হারালো ইদ্রিস যখন চোখের পাতা মেললো দেখলো সামনেই দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট তিতিন তার মায়ের হাত ধরে বাবাকে চোখ মেলতে দেখে একগাল হাসি হাসলো অনেকটা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেললো আরেকজন হাতের চ্যানেলটার দিকে তাকিয়ে হটাৎ মনে পড়লো কালকের হোয়াটসআপ এর কথা ফোনটা চালু করে হোয়াটসআপ গ্রুপ টা দেখেই বুকের বাঁদিকে আবার চীন চীন করে ব্যাথা অনুভব করতে শুরু করলো ইদ্রিস গতকাল কুন্তল বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময়ে বিবস্ত্র মন ব্লু ডায়মন্ড রহস্য তৃতীয় পর্ব পায়ের ছাপ কুসুম পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম ব্লু ডায়মন্ড রহস্য প্রথম পর্ব মাকড়সার জাল তবুও চরৈবেতি ইয়েলো স্পট একদিন নবাবের শহরে অনুচ্চারিত যে শব্দরা হারায় বারেবার এ সভ্যতার পর নির্জনতা চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব রম্য রচনা চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত হালদারের চোখের দিকে এবং অবাক বিস্ময়ে সে দেখল পরমব্রতর চোখেও এই একই নীরব মুগ্ধ প্রনয়ের আর্তি যা এতক্ষণ সে রেললাইনের ধার থেকে বাড়িতে আসা পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের চোখে দেখেছে ১২ এরপরের দিনগুলোয় যা ঘটলো তা শুধু চারুবালার নয় সবাইকার কাছেই স্বপ্নেরও অতীত অচিন্তনীয় প্রথমে চারুবালার কথাতেই আসা যাক কলকাতার বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট ডঃ সমরেশ হালদারের বাড়িতে তাঁর বিবাহযোগ্য ছেলে বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন ডঃ পরমব্রত হালদারের বিবাহের জন্য পাত্রীর সম্বন্ধের অনুরোধ নিয়ে গিয়েছিল জনৈক ঘটক সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল কলকাতার অভিজাত সম্ভ্রান্ত পরিবারের ডাকসাইটে সুন্দরী বিবাহযোগ্যা পাত্রীদের ছবি তাদের অধিকাংশই গৌরাঙ্গী তণ্বী পেলব স্নিগ্ধা আকর্ষনীয়া প্রকৃতির যাবতীয় রূপ রস গন্ধ বর্ণ সমন্বিত যাঁদের কুসুম কোমল তনু তাদের সেই ছবির মধ্যে ভুলক্রমে চারুবালার ছবিও চলে এসেছিল এর কারণ ওই ঘটক চারুবালার বাবারও পরিচিত এবং চারুবালার বাবা ওই ঘটককেই তাঁর নিজের মেয়ের জন্যও একজন পাত্র দেখে দিতে বলেছিল ঘটনাচক্রে চারুবালার ওই ছবি অন্যান্য পাত্রীদের ছবির সঙ্গে পরমব্রত দেখে সেদিন দেখে সে সঙ্গে সঙ্গে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল কিন্তু ঘটনার দিন অর্থাৎ যেদিন সকালে চারুবালা আত্মহত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রেললাইনের ধার থেকে নিজের ঘরে ফিরছিল সেইদিনই খুব সকালে ঘুম থেকে ধড়মড় উঠেই পরমব্রত বাড়ির সবাইকার ঘুম ভাঙ্গিয়ে পাত্রীদের ছবির মধ্যে থেকে চারুবালার ছবি বেছে নিয়ে তাকেই জীবনসঙ্গিনী করবে এই বিষয়ে জেদ করতে থাকে কেবলমাত্র তার জেদেই সকালবেলা ওই ঘটকের বাড়িতে গিয়ে চারুবালার ডঃ ঠিকানা জেনে নেন ডঃ সমরেশ হালদার তারপর গাড়ি নিয়ে সোজা পিতা পুত্র চলে আসেন চারুবালাদের বাড়িতে সেই দিনের পর থেকে প্রতিদিনই চারুবালাদের ঝুপড়ির সামনে থামতে লাগলো একের পর এক দামি দেশী ও বিদেশী গাড়ি সেখান থেকে প্রতিদিন নামতে লাগলো ধনী অভিজাত সম্ভ্রান্ত সুবেশা সুশিক্ষিত জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত ও সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত একের পর এক পাত্রপক্ষের দল স্বনামধন্য পুঁজিপতির একমাত্র সন্তান বিদেশে কর্মরত এন আর আই আইএএস সফল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ব্যারিস্টার ইঞ্জিনিয়ার তাদের সকলের একই অভিলাষ চারুবালার পানিগ্রহণ চারুবালার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে শুনেও অনেকে মানতে চাইলো না হত্যে দিয়ে পড়ে রইল ওদের ঝুপড়ির সামনে শুধু চারুবালা নয় গোটা দেশেই যেন একই অবস্থা সাধারণ বিচারে যারা কুৎসিত অর্থাৎ চারুবালার মতই রুগ্না কৃশ কৃষ্ণবর্ণা কুরূপা জৌলুষহীন ও নীরস সেই নারীরাই যুবক বৃদ্ধ নির্বিশেষে পুরুষ জাতির একান্ত কাম্য হয়ে উঠলো আর সাধারণভাবে যাদের সুন্দরী বলে মনে করা হতো তারা হয়ে উঠল ব্রাত্য দৈনিক খবরের কাগজের বিবাহ ও ঘটকালির পাতায় গৃহকর্মনিপুনা গৌরাঙ্গী তণ্বী পাত্রী চাই এই শিরোনামকে সরিয়ে স্থান পেতে লাগলো কৃশ কৃষ্ণাঙ্গী কাষ্ঠসদৃশ সকল রকম পেলবতা বর্জিত সুন্দরী পাত্রী চাই এই শব্দগুলি গোটা দেশে যেন বিবাহযোগ্যা পুরুষের রুচির আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে সাধারণ বিচারে কুৎসিত কুরূপা মেয়েদেরই বিয়ের বাজারে বাজারদর তুঙ্গে হয়ে উঠলো সেইসব মেয়ের বাবারা বুক ফুলিয়ে ঘুরতে লাগলো অপরদিকে দুধে আলতা বর্ণের মসৃণ ও পেলব ত্বকের মেয়েদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না তাদের বাবাদের মাথায় যেন বজ্রাঘাত হলো এখন অতি সাধারণ পাত্রও এমন মেয়ে নিতে চায় না এদের পার করতে এখন পাত্রীর বাবাকে দিতে হয় মোটা বরপণ এই যন্ত্রনায় দগ্ধ হয়ে পারিবারিক লাঞ্ছনায় কত এইরকম পাত্রী যে আত্মঘাতিনী হল তার কোন হিসেব রইল না ১৩ আমাদের চারুবালা কিন্তু তার শ্বশুরগৃহে স্বামী পুত্র সংসার নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছে হ্যাঁ যেই ডাক্তার পরমব্রত হালদারকেই যে তার স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছে ডক্টর সমরেশ হালদারের পরিবারের সকলের চোখের মনি এখন সে অর্থের স্বাচ্ছন্দ্যের সুখের বিলাসের নিরাপত্তা বোধের আর কোন অভাব নেই জীবন সম্বন্ধে আর নেই কোথাও কোন অভিযোগ হ্যাঁ শ্বশুরগৃহের সবাইকার মত ওর মা বাবারও নয়নের মনি এতদিনে হয়ে উঠতে পেরেছে সে ওর বিয়ের পর ওর মা বাবারও আর্থিক উন্নতি যথেষ্টই হয়েছে আর এই ব্যাপারে যে চারুবালার একেবারেই হাত নেই এটা হলফ করে বলা যাবে না ওকে খাইয়ে পড়িয়ে বড় করার ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টার কোনো ত্রুটি করে নি সে এখন হারান সাহা আর রিকশা চালায় না এখন সে নিজেই একটা টোটো আর দুটো অটোরিক্সার মালিক প্রতিদিন এগুলোকে লোক দিয়ে ভাড়া খাটায় সে তাতে আমদানি কিছু মন্দ হয় না চারুবালার দুই ভাই স্কুলের পাঠ শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে হারান সাহার বংশে এই প্রথম চারুবালার নিচের বোনটার বিয়ে হয়ে গেছে পাত্র বেশ স্বচ্ছল অর্থাৎ সব দিক দিয়ে জীবন একটা স্থিতাবস্থায় এইরকম একটা নিশ্চিন্ততা ও চিন্তাহীনতার নিরবিচ্ছিন্ন স্রোতে গা ভাসিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছে চারুবালার জীবন তরী ঠিক এইরকম সময় ওর জীবনে নেমে এলো অকস্মাৎ বজ্রাঘাত ১৪ এক ভোররাতে হঠাৎ ওর মোবাইলের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল চারুবালার অনিচ্ছা সত্ত্বেও মোবাইল স্ক্রিনে উঁকি মেরে দেখে ওর মা কল ধরতেই শুনতে পেল ওঁর কান্নাভেজা গলা হ্যালো চারু বলছিস হ্যাঁ মা কি বলবে বলো সব্বোনাশ হয়ে গেছে চারু মা আমার উমি বিষ খেয়েছে এক মুহূর্তের জন্য জন্য তড়িৎস্পৃষ্ট হয়ে গেল চারুবালা উমি মানে উর্মিলা ওর ছোট বোন বড় আদরের বোন ফুটফুটে ডল পুতুলের মত দেখতে অসাধারণ ফর্সা অনেকটা মেমদের মত শুনেছে ঠিক ওর দিদিমার মত রং পেয়েছে সেই কারণে ছোটবেলা থেকেই বাবা মায়ের খুব আদরের একই সঙ্গে ওরও সাধারণভাবে উর্মিলার জন্য চারুবালার মনে একটা হিংসার ভাব হওয়া উচিত ছিল কিন্তু অদ্ভুতভাবে ওর প্রতি একটা অদ্ভুত স্নেহ অনুভব করে চারুবালা সেটা অবশ্য এই জন্য হতে পারে যে চারুবালার মা রুগ্না হওয়ায় খুব ছোটবেলাতে থেকেই উর্মিলাকে ঠিক মায়ের স্নেহ দিয়েই মানুষ করেছে সে হয়তো ওর অবচেতন মনে এটাই চেয়েছিল যে জীবনে ও যা পায় নি উর্মিলা সেটা পেলেই ওর সাধ অনেকটা পূর্ণ হবে সেই উর্মি আজ বিষ খেয়েছে আর ভাবতে পারছে না সে অবশ্য শুনেছে উর্মির বিয়ে দিতে ওর বাবাকে খুব বেগ পেতে হয়েছে পাত্র প্রচুর বরপণ চেয়েছিল ওর বাবাকে নিজের বাড়িটা বাঁধা রাখতেও হয়েছে হ্যাঁ এখন আর ঝুপড়িতে থাকে না ওর বাবা অবস্থা কিছুটা ফেরাতে কাছাকাছি একটা জমি কিনে তার উপর একটা ছোট একতলা বাড়ি করেছে উর্মিলার বিয়ে দিতে এই বাড়িটাই বাঁধা দিতে হয়েছে ওর বাবাকে তারপরও হয়তো বিয়েটা হতো না চারুবালার তরফ থেকে সাহায্য না এলে কিন্তু জামাই শুনেছে মনোমতো হয়নি উর্মিলার দিকে টান নেই সম্প্রতি কাছাকাছি এলাকাতেই একজন কালো রোগা সাঁওতাল মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে সেই কারনেই উর্মিলার এই পদক্ষেপ গ্রহণ আর ভাবতে পারছে না চোখের সামনে সব শুন্য হয়ে যাচ্ছে আত্মহননের যে পদক্ষেপ ও নিতে গিয়েও নেয় নি ওরই প্রাণাধিক প্রিয় সহোদরা আজ সেই পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে একটা তীব্র বুক ফাটা আর্তনাদ বেরিয়ে এলো ওর মুখ থেকে না আ আ আ ঠাকুরে এ কি করলে তুমি উর্মিকে বাঁচাও তুমি যে কোন মূল্যে বাঁচাও দরকারে আমার প্রাণের বিনিময়ে হলেও বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো চারুবালা ১৫ চোখের সামনে আবার এক বিস্তীর্ণ ঘনায়মান অন্ধকারের মধ্যে চারুবালা দেখছে সেই জ্যোতির্পুঞ্জ সেই অগ্নি বলয়ের মধ্যে শ্বেত শ্মশ্রু সমন্বিত দিব্য জ্যোতির্ময় পুরুষ এবার আর এক চোখ নিমীলিত নয় দুই চোখের পূর্ণ দৃষ্টি মেলে তার দিকে চেয়ে আছেন মুখের স্মিত হাসিটি অবশ্য এখনো আছে অকস্মাৎ তার কানে গেল ওনার দিব্য কণ্ঠস্বর তুই এখনো কাঁদছিস এখনো তোর দুঃখ গেল না আমি তো তোর সব ইচ্ছা পূরণ করে দিয়েছি না বাবা আমি চাইনি বিশ্বাস কর আমার ক্ষনিকের সুখের জন্য আবার উমির এত বড় সর্বনাশ হবে এ আমি কখনোই চাইনি ওনার মুখের হাসি আরো দীর্ঘায়িত হল মনে করে দেখ ওই সময় তুই কি ভেবেছিলিস অকস্মাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতো চারুবালার মনে পড়ল সব কথা সেই ভোর রাতে আত্মহত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রেল লাইনের ধারে আমগাছের নিচে নিদ্রাচ্ছন্ন হওয়ার আগে তার দুই চোখের কোল বেয়ে গড়িয়ে এসেছিল জল তার সঙ্গে বুক চিরে যেন বেরিয়ে এসেছিল এই কথাগুলি হে ভগবান তুমিই যদি বিধাতা পুরুষ হও তবে বলো আগের জন্মে কি পাপ করেছিলাম যে এই জন্মে তুমি আমাকে গরিবের ঘরের মেয়ে করে জন্মগ্রহণ করালে শুধু মেয়ে না গরিবের ঘরের কালো মেয়ে না শুধু কালো মেয়ে হয়ে জন্মানোর দুঃখ তোর ছিল না এটা তোর মনের কথা ছিল না আমি যে শুধু তোর উচ্চারণ করা শব্দ নয় তোর মনের ভেতরটাও পড়তে পারি কালো মেয়ে বলে সকলের তোকে অবজ্ঞা করাটাই তোর আসল দুঃখের কারণ ছিল কিন্তু কেন বাবা কেন তুমি একজনকে সুন্দর করবে আর একজনকে অসুন্দর করবে কেন একজন সবাইকার কাছে আদর পাবে আরেক জনের ভাগ্যে থাকবে শুধুই অবজ্ঞা আর অপমান এটাই তো আমার সৃষ্ট মায়ার খেলা রে পাগলি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আমার মায়ার অধীন কেউ এর বাইরে নয় এই মায়ার প্রভাবেই তো কেউ হয় ভালো কেউ মন্দ কেউ হয় কালো কেউ সাদা কেউ সুন্দর কেউ কুৎসিত কিন্তু আসলে এই সাদা কালো সুন্দর কুৎসিত অবয়ব সবটাই তো মায়া সবটাই মিথ্যা তোদের দৃষ্টিতে এই সুন্দর আর কুৎসিত যে দেহটা সেই দেহের অন্তরালে যাঁর নিবাস সেই রূপহীন গুনহীন বর্ণহীন নিরাকার নিরাবয়ব আত্মা যা আসলে আমারই প্রকাশ সেই তো আসল সত্য রে সেদিকে না তাকিয়ে তোরা শুধু বাইরের খোলসটার দিকে তাকাস আর তাতেই তো যত বিভ্রান্তি এই বিভ্রান্তি মুক্ত করতে চাই বলেই তো তোদের একেক জনকে আমি একেক রকম করে গড়ি আজ যে রূপে গড়েছি কাল আবার তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে নতুন রূপ দিই তাই আজ যে সুন্দর কাল সে কুৎসিত আবার আজকের কুৎসিত আবার কোনদিন অন্য কোন জন্মে সে সুন্দর এই ভাঙ্গা গড়ার খেলার মধ্যে দিয়েই যাতে তোরা তোদের রুপের তোদের বাহ্যিক অস্তিত্বের অনিত্যতা বুঝতে পারিস এই জন্যই তো আমার এত আয়োজন আর যে কালো রঙের জন্য তুই একদিন দুঃখ করছিলিস সেই কালোও তো আমারই সৃষ্টি রে সৃষ্টির খাতিরেই আমাকে যেমন সাদা তেমনি কালোও সৃষ্টি করতে হয়েছে এই বৈপরীত্যই তো আমার সৃষ্টির চালিকাশক্তি রে এই বৈচিত্র না থাকলে আমারই সৃষ্ট নিয়মে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এক মুহূর্তও থাকবে না এই বৈচিত্রের কারণেই তো আমি সৃষ্টি করেছি পাপ পুণ্য আলো অন্ধকার বৃহৎ ক্ষুদ্র জ্ঞানী মূর্খ উষ্ণতা শৈত্য সাধু তস্কর একটা না হলে আরেকটা যে অসম্পূর্ণ রে কিন্তু আমি যে আর পারছিনা বাবা উর্মি আমার প্রাণ তুমি ওকে বাঁচিয়ে দাও আমার আর কিছু চাইনা তুমি আবার সব কিছু আগের মতো করে দাও আমি কুৎসিত আমাকে কুৎসিতই থাকতে দাও তাতে যদি আমাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেয় তাহলেও আমি বুঝেছি বাবা তুমি আমাকে কুৎসিত করেছো এটাও তোমার একটা দয়া এটা একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে যাতে আমি আমার এই বাইরের রূপটাকে ভুলে আমার হৃদয়ের অন্ত স্থলে আত্মা রূপে যে তুমি আছো তাতেই যাতে মনোনিবেশ করতে পারি আমার আগেকার প্রগলভতা তুমি ক্ষমা কর বাবা আরেকবার সেই মনোরম নিষ্পাপ মধুর স্মিত হাসি ফুটে উঠলো তাঁর মুখে তাঁর সেই দিব্য আনন থেকে বেরিয়ে এলো কেবলমাত্র একটাই শব্দ তথাস্ত বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৯ বোহেমিয়ান তারা জন্মাষ্টমী বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৬ পয়া কলম বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ২ আকাশ তোকে ডাক পাঠায় বাবা চোর ধরা কবি তুমি কোথায় চারুবালা প্রথম পর্ব ক্ষমার অযোগ্য রম্য রচনা চারুবালা প্রথম পর্ব পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১ বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় মাংস প্রায় নেইই বললে চলে হাত পাও কাঠ কাঠ গায়ের চামড়া খসখসে মুখের গড়নও অসুন্দর চোখ দুটো ছোট ছোট কুতকুতে নাক থ্যাবড়া ঠোঁট দুটো এত ছোট আর সরু উপর নিচের দুই পার্টির দাঁতের বেশিরভাগটাই ঢাকতে পারে নি তাই ঠোঁট বন্ধ থাকা অবস্থাতেও সামনের দিকে দুই পার্টির অনেকগুলো দাঁত বেরিয়ে থাকে পরনে একটা মলিন সস্তার মিলের কাপড়ের তৈরি শাড়ি আর তার ওপর একটা ময়লা চাদর পায়ে একটা সস্তার হাওয়ায় চটি দুই হাতের কবজিতে কয়টা কাচের চুড়ি কপালে ছোট দেখে একটা টিপ কালো রঙের বয়স বড়জোর ১৮ ১৯ ইনিই আমাদের এই গল্পের নায়িকা শ্রীমতি চারু বালা মজুমদার কাছেই রেল লাইনের ধারে গড়ে ওঠা বিধান কলোনির বস্তির মধ্যে থাকা অসংখ্য ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে একটিতে থাকেন কিন্তু ইনি এখন শীতকালের এই রাত প্রায় দেড়টার সময় অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকারে রেললাইনের ধারে কি করছেন এই প্রসঙ্গে চারিপাশের পরিবেশটা একবার দেখে নেওয়া যাক হাওড়া বর্ধমান মেইন লাইনের তালান্ডু আর খন্যান স্টেশনের মাঝে একটি জায়গা একদিকে আদিগন্ত বিস্তৃত ধু ধু মাঠ অপরদিকে সারি সারি আমবাগান চারিদিকের ঘন অন্ধকারের মধ্যে অসংখ্য জোনাকি পোকার আলো দপ দপ করছে দূরে গাঢ় কুয়াশায় ঢেকে যাওয়া রেল সিগন্যালের লাল আলোটাই একমাত্র দেখা যাচ্ছে ঠিক সামনে অসংখ্য সারি সারি সিমেন্টের স্ল্যাব এর ওপর আর তার উপর ঢেলে রাখা অসংখ্য ছোট ছোট পাথরের কুচি বা স্টোন চিপস এর মধ্যে দিয়ে দুই দিকের দিগন্ত রেখা ভেদ করে একদিকে বর্ধমান আর অপরদিকে হাওড়ার দিকে ছুটে গেছে ঝকঝকে ইস্পাতের তৈরি দুই জোড়া সমান্তরাল রেল লাইন একদিকের রেললাইনের ঠিক পাশেই একটা আমগাছের নিচে শূন্য দৃষ্টি মেলে দাঁড়িয়ে আছে চারুবালা আমবাগানের গাঢ় অন্ধকারে হাতে পায়ে ছেঁকে ধরেছে বড় বড় মশা কিন্তু সেদিকে তার ভ্রূক্ষেপ নেই কেন কেন এই নির্জন নিশুতি রাতে রেল লাইনের ধারে এই ভয়াল পরিবেশে প্রচন্ড শীতের আর মশার কামড় সহ্য করে চারুবালা এইরকম উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এটা জানতে হলে আমাদের চারুবালার পরিবারের দিকে তাকাতে হবে ২ চারুবালার বাবা পঞ্চাশোর্ধ হারু মজুমদার লোকাল এরিয়ায় রিকশা চালান মা মালতি দেবী মধ্য চল্লিশ এর গৃহবধূ শারীরিকভাবে রুগ্না ও কৃশ চারুবালার নিচে ভাই বোন আছে আরো তিনটি প্রত্যেকেই রোগা আর কম বেশি অপুষ্টিজনিত রোগের শিকার সংসারে উপার্জনশীল ব্যক্তি বলতে কেবলমাত্র চারুবালার বাবা মাঝে মাঝে চারুবালার মা অবসর সময় ঘরের মধ্যে ঠোঙ্গা বেঁধে কিছু অতিরিক্ত উপার্জন করেন তাও এমন কিছু নয় অর্থাৎ একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবার যাকে বলে স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের পরিবারে কন্যা সন্তান খুব একটা কাঙ্ক্ষিত নয় বিশেষ করে সে কন্যা সন্তান যদি সব রকম সৌন্দর্য্য বর্জিত হয় এরকম অনেক ক্ষেত্রেই সেই কন্যা সন্তানের নিজের বাবা মাই তাকে বোঝা বলে মনে করে সুতরাং সেই হতভাগিনীর অতি শৈশব কাল থেকে নিজের সংসারেই জোটে লাঞ্ছনা গঞ্জনা বিদ্রুপ পক্ষপাতিত্ব আর অবিচার সেইসঙ্গে সেই পরিবারের অন্যান্য সন্তান বিশেষ করে তার অন্য কোন সুন্দরী বোন অথবা ভাইয়ের সঙ্গে তুলনা টেনে তাকে অপমান আমাদের চারুকলার ভাগ্যেও ঠিক এমনটাই ঘটলো এমনিতেই এই ধরনের পরিবারে ছেলেমেয়েরা খুব একটা পড়াশোনা করে না কারণ পরিবেশ পরিস্থিতি ও সর্বোপরি আর্থিক সক্ষমতার অভাব সাধারণভাবে ক্লাস সেভেন এইট টেনেটুনে মাধ্যমিক পর্যন্ত খুব কম ছেলেমেয়েই যেতে পারে চারুবালা একে মেয়ে তার ওপর কুশ্রী রুপা হওয়ায় ওর এই সুযোগ মিলল আরো কম ক্লাস ফোর পাশ করার পরেই ওর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেল বেশী পড়ে আমার গুষ্টি উদ্ধার করবে না লেখাপড়া করে জজ ব্যারিস্টার হবে মেয়ে সন্তান সেই পরের বাড়ি খুন্তি নাড়তে হবে তাহলে এখন থেকে করাই ভালো আর সেই পরের ঘরই বা কিরকম হবে কে জানে যা রূপের ছিরি বিয়ে দিতে পারলে হয় এই হল চারুবালা সম্বন্ধে ওর মায়ের ধারণা আমাদের গুষ্টিতে মেয়ে বেশি পড়াতে নেই গো বাবু তাতে লক্ষ্মী থাকে না আর তাছাড়াও আমার মত যদি নেন তো বাবু মেয়ে মানুষকে কখনোই কোথাও বেশি পড়াতে নেই তাতে কি হয় জানেন মেয়ে মানুষ অবুঝ হয় অবাধ্য হয় বাপের সংসারে বাপ ভাই কে মানবে না আর সোয়ামীর সংসারে সোয়ামীকে মানবে না শেষে কি হবে জানেন বাবু সোয়ামীর সংসারে অশান্তি মারামারি তারপর শ্যাষে সোয়ামীর ঘর ছেড়ে পাকাপাকিভাবে বাপের ভিটে এসে থাকা না বাবু ও বড়লোকদের ঘরে হয় আমাদের ঘরে ওসব পোষাবে না এই হল চারুবালা সম্বন্ধে ওর বাবার অর্থাৎ হারান রিক্সাওয়ালার মনোভাব ৩ যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারুবালা পড়তো সেখানকার প্রধান শিক্ষক মহাশয় একবার ওর রিকশায় উঠেছিলেন সেই সময় চারুবালা ওনার বিদ্যালয়ে পড়তো হ্যাঁ অন্যান্যদের দেখাদেখি হারান রিক্সাওয়ালাও চারুবালাকে ওই প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করিয়েছিল অবশ্য সেটা যতটা না চারুবালাকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য তার থেকে অনেক বেশি প্রাইমারি স্কুলের একবেলার ফ্রি মিলের জন্য গরিবের সংসারে একবেলা একজনের পাত কম পড়লে ক্ষতি কি তা প্রধান শিক্ষক মহাশয় হারানের রিকশায় উঠে কিছুদূর যাওয়ার পরই চারুবালার লেখাপড়ার কথা জিজ্ঞেস করলেন চারুবালার অভিভাবক হিসেবে তিনি হারানকে চিনতেন তোমার মেয়েই তো চারুবালা না আমাদের স্কুলে ক্লাস ফাইভে পড়ে আইজ্ঞে হ্যাঁ স্যার আপনার দয়া না না ও দয়াফয়া কিছু নয় শোন হারান একটা কথা বলি তোমার মেয়ের লেখাপড়ায় মাথা কিন্তু খুব ভালো এবারে ফোর থেকে ফাইভে উঠতে ক্লাসে সেকেন্ড হয়েছে তুমি কিন্তু হাল ছেড়ো না কষ্ট করে হলেও ওকে যতদূর সম্ভব পড়িয়ে যাও দেখবে এই মেয়ে কিন্তু একদিন অনেক দূর যাবে প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের এই কথার উত্তর এই হারান রিক্সাওয়ালা চারুবালা সম্বন্ধে ওই কথাগুলি শুনিয়ে ছিল আমাদের গরিব গুরবোর ঘরে কে আর কত বেশি পড়াশোনা করে বলুন তার ওপর মেয়ে এইতো ১০ বছর হল আর তিন চার বছর পরেই তো ছেলে দেখতে হবে মেয়েকে তো চিরকাল ঘরে বসে খাওয়াতে পারবো না ফোর পাশটা হয়ে রইল এবার মেয়ে ঘরে থেকে ওর মায়ের সঙ্গে ঘরের কাজগুলো শিখুক এতেই ওর কাজে লাগবে এর উত্তরে প্রধান শিক্ষক মহাশয় হারানকে অনেক কথাই শুনালেন এমনকি নাবালিকা বিয়ে দেওয়া যে আমাদের দেশে অপরাধ দিলে হাজতবাস পর্যন্ত হতে পারে হারান যেন সে চেষ্টা ভুলেও না করে এরকম কিছু বলে একটু ভয়ও দেখালেন কিন্তু স্পষ্ট মনে হলো হারান এক কান দিয়ে কথাগুলো শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিল ৪ আর এই বিয়ে দিতে গিয়েই হলো যত বিপত্তি মেয়ের যা রূপ তাতে মেয়েকে ভালো কোথাও দিতে পারবে না সেটা তো হারান ভালো করেই জানতো তাই সে নিজের মতো করেই চেষ্টা করছিল বাজারের কমবয়সী নতুন পান বিড়িওয়ালা স্থানীয় জুট মিলের অস্থায়ী শ্রমিক রিক্সাওয়ালা টোটো ওয়ালা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে মুদিখানার কর্মচারী এমনকি চল্লিশ পঞ্চাশ বছর বয়সের দোজবরে তেজবরেও বাড়িতে এসে মেয়ে দেখে গেল মেয়ে সব দিক দিয়ে কাজের দারুন গৃহকর্ম নিপুনা এই একটা ব্যাপারে হারান নিশ্চিন্ত ছিল কারণ স্কুল ছাড়ানোর পর সংসারের যাবতীয় কাজ চারুবালার মা তাকে দিয়ে করিয়েছে মোটামুটি সূর্যোদয়ের আগে থেকে মাঝরাত্রি পর্যন্ত প্রতিদিন গাধার খাটুনি খাটতে হতো চারুবালাকে তা সে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা যাই হোক এইটা পাত্রপক্ষের কাছে বারবার জাহির করেও একবার মেয়েকে দেখেই সবাই দূরে সরে যেত দোজবরে বা তেজবরে একজন পাত্র যাও বা রাজি হতো তাও এমন বরপণ হাঁকতো যে তা দিতে গেলে হারান রিকশাওয়ালার ঘটিবাটি বিক্রি হয়ে যাবে আর অনিবার্য ভাবেই এর জের এসে পড়তো চারুবালার উপর হে ভগবান কি পাপ যে করেছিলাম এই কয়লার বোঝা এনে ফেললে আমার ঘাড়ের উপর এই পাপ এসে পড়লো আমাদের ঘাড় মটকে পায়ের উপর পা তুলে গান্ডে পিন্ডে আমাদের গিলবে বলে ওঃ ঠাকুর আর কতদিন এই পাপ আমাদের ঘাড়ের উপর ফেলে রাখবা ঠাকুর মরতেও পারে না না হলে আমাদের তুলে নাও ঠাকুর কোন ভাগাড় থেকে আমাদের ঘরে এই জঞ্জাল এনে ফেলে আমার সর্বনাশ করলে দোজবরে তেজবরেরও পছন্দ হয় না এমন মেয়ে পেটে ধরলাম শুধু কালো কুচ্ছিৎ হলেও হতো একেবারে রসকষহীন আখের ছিবড়ে তার ওপর ঢ্যাঙা তালগাছ এই কাকতাড়ুয়া আমি কার ঘাড়ে গছাব ঠাকুর আর কতদিন আমাদের এই শাস্তি দেবে একের পর এক পাত্রপক্ষ এসে ডিশ ভর্তি রসগোল্লা সিঙ্গারা আর নিমকি খেয়ে যেত আর তারপর পরে জানাবে এই কথা বলে চলে যেত মাঝে মাঝে কেউ কেউ লোক মারফত হারান রিকশাওয়ালাকে জানিয়ে দিত পাত্রী তাদের পছন্দ হয়নি তখন চারুবালার মায়ের এই মর্মভেদী বাক্যবান শুনে চারুবালা নিজের ঘরে বিছানায় শুয়ে চোখের জল ফেলতো আর ভাবতো কোন অভিশাপে সে এমন সমস্ত রূপ রস বর্ণ বঞ্চিত কুরূপা হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল ৫ কিন্তু পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছিল আজকের সন্ধ্যেবেলা অর্থাৎ এখন যখন চারুবালা এই গভীর রাতে গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে জোনাকির আলো জ্বলা আমবাগানে তালান্ডু আর খন্যান স্টেশনের মাঝের এই রেললাইনের ধারে মশার কামড় খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই সময় থেকে ৬ ৭ ঘন্টা আগে ভুলটা কিন্তু ছিল চারুবালার বাবা মায়েরই এতদিন চারুবালার প্রায় তিনগুন বয়সী দোজবরে তেজবরে পাত্র যাদের আগের স্ত্রী গত হয়েছে তারা এসে চারুবালাকে দেখছিল চারুবালা এ কথা জানতোও কিন্তু নিজের দুর্ভাগ্যের কথা ভেবে এর সঙ্গেই আপস করে নিয়েছিল কিন্তু এখন ওর বাবা এমন এক বয়স্ক পাত্র জোগাড় করলো যার স্ত্রী জীবিত কিন্তু পক্ষাঘাতে পঙ্গু ঘরে দুই বড় বড় ছেলে এই অবস্থায় শুধু নিজের কদর্য বাসনা পরিপূর্ণ করার জন্য ভদ্রলোক এসেছেন চারুবালার পানি গ্রহণ করার জন্য এবার আর হারানকে কোন টাকা দিতে হবে না বরঞ্চ ওই ভদ্রলোকই বিয়ের সমস্ত খরচ আর সেই সঙ্গে বেশ কিছু অতিরিক্ত টাকাও খরচ করতে রাজি হারান রিক্সাওয়ালাকে বেশ কিছু টাকা অগ্রিমও দিয়ে রেখেছেন তিনি এবার আর চারুবালা চুপ থাকতে পারল না এ বিয়ে আমি করব না আচমকা চারুবালার মুখে এই দৃঢ় ঘোষণা শুনে ওদের ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে যেন আচমকা বিস্ফোরণ হল আমার সর্বনাশ করছো করো কিন্তু আমি বিছানায় পড়ে যাওয়া অন্য কোন ঘরের বউয়ের সর্বনাশের কারণ হতে পারব না কি বললি হা মজাদী বিয়ে করবি না তুই বিয়ে করবি না তোর বাপ করবে হারান যেন বিশ্বাসই করতে পারছিল না চারুবালার মুখে কথাগুলো শুনে রাগে তার চোখ মুখ রক্তবর্ণ হয়ে গেছে কিন্তু সেদিকে ফিরেও তাকালো না চারুবালা শক্ত হয়ে বসে রইল বিছানার উপর ৬ না বিয়ে আমি করবো না বাবা তুমি যদি আমাকে কেটেও ফেলো আমি অন্যের ক্ষতি করতে পারব না জানি তুমি আমাকে বিক্রি করছো কত টাকা নিয়েছো সেটাও জানি ফেরত দিয়ে দাও ওই টাকা ওনাকে কি বললি টাকা ফেরত দেবো যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা দাঁড়া তোকে কেটেই ফেলবো আজ এই পাপ থাকার থেকে না থাকা ভালো এই বলে এক ধাক্কা দিয়ে চারুবালাকে ফেলে দিয়ে মারতে লাগলো হারান তার সঙ্গে হাত লাগালো ওর মাও সেইসঙ্গে অশ্রাব্য গালাগালি সতী এয়েছেন আমার সতীপনা দেখানো হচ্ছে অন্যের ক্ষেতি করব না নিজের লাভ ক্ষেতি বোঝার ক্ষমতা নেই উনি অন্যের ক্ষেতি আটকাবেন আবার আমার সব্বোনাশ করছো কি সব্বোনাশ তোর করছি শুনি বলি এই তো শ্যাওড়া গাছের পেত্নীর মত চেহারা আমার গবভের পাপ তালগাছের মতো লম্বা তালঢ্যাঙা তার ওপর কয়লার মত কুচকুচে কালো কি এমন রাজপুত্তুর জুটবে তোর বলি এর থেকে ভালো পাত্তর তোর কোথায় জুটবে শুনি একটা হিল্লে হয়ে যাবে তোর এই পাত্তরকেই বিয়ে করতে হবে তোর তবে আমার নাম হারান সাহা নাহলে আমি এক বাপের পুত্তুর নয় না আর কোন কথা বলেনি চারু বালা আর কোন প্রতিবাদ করেনি দাঁতে দাঁত চেপে সমস্ত লাঞ্ছনা অপমান গালাগালি সহ্য করেছে রাতে একদানা ভাতও মুখে দেয়নি নিজের বিছানায় বালিশে মুখ বুঝে শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিল রাত গভীর হলে কোন এক ফাঁকে দরজা খুলে বেরিয়ে এসে হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছে এই রেললাইনের ধারে না এই জীবন আর রাখবে না সে এই উনিশ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের সমস্ত লাঞ্ছনা গ্লানি অপমান আর অসহায়তার শেষ করবে সে আজকেই চলন্ত রেল গাড়ির চাকার তলায় নিজেকে সঁপে দিয়ে সেজন্যই এই গভীর রাতে রেল লাইনের ধারে এই নির্জন আম বাগানে আম গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে সে ৭ আচমকা গভীর রাতের নিবিড় সূচিভেদ্য অন্ধকার ও গাঢ় কুয়াশার যবনিকা ভেদ করে অনেক দূর থেকে দৃশ্যমান রেল সিগন্যালের লাল বাতিটা সবুজ হয়ে গেল এতক্ষণ ধরে রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খেতে খেতে একটু তন্দ্রা মত এসে গিয়েছিল চারুবালার আচমকা এক ঝটকায় সেই তন্দ্রা ছুটে গেল চাবুকের মত খাড়া হয়ে উঠল সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মেলে চেয়ে রইল সবুজ হয়ে যাওয়া সিগন্যালটার দিকে আর বেশিক্ষণ নয় যেকোনো মুহূর্তের দিগন্ত কাঁপিয়ে চলে আসবে রাতের মেল ট্রেন তার সমস্ত দুঃখ অপমান আর যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে বেশীক্ষন অপেক্ষা করতে হলো না হঠাৎ দূর দিগন্তে অন্ধকার ভেদ করে দেখা গেল ছুটে আসছে একটা জ্বলন্ত আগুনের শিখা কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই শিখা রূপ নিল ট্রেনের হেডলাইটে হু হু করে দশ দিগন্ত কাঁপিয়ে ছুটে আসছে ভাগলপুর হাওড়া আপ গয়া এক্সপ্রেস শোনা যাচ্ছে তার চাকার ঘড় ঘড় শব্দ আচমকা কিছু দূরে দৃশ্যমান হলো ট্রেনের পরিপূর্ণ অবয়ব তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে সে আর সময় নেই লাইনের একটা রেলে মাথা আর আরেকটা রেলে পা রেখে শুয়ে পড়ার জন্য তৈরি হলো চারুবালা আর কিছুক্ষনের মধ্যেই অবসান হবে এই পর্যন্ত জীবনের যাবতীয় দুঃখ অপমান নির্যাতন অসহায়তা আর লাঞ্ছনার নিজের মনকে শক্ত করে রেললাইনে শুয়ে পড়তে যাবে হঠাৎ করে চোখ গেল দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা গয়া এক্সপ্রেস চাকার দিকে হঠাৎ বুকটা ধক করে ওঠে উঠল ওর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই চাকা দুটো নির্মম নিস্পেষনে ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে ওর দেহ ভাবতেই শিউরে উঠল সে কতটা কষ্ট হবে ওর যখন ওর মাথার উপর দিয়ে রেলের চাকাটা যাবে ওর মাথার খুলিটা সঙ্গে সঙ্গে ফেটে যাবে সঙ্গে সঙ্গে মাথার ভেতর ঘিলু মাথা থেকে বেরিয়ে আসবে ওর রক্ত মাংস রেলের চাকার সঙ্গে বহুদুর পর্যন্ত ঘষটাতে ঘষটাতে যাবে ওঃ মাগো আর ভাবতে পারে না সে না পারবে না কিছুতেই সে পারবে না এই যন্ত্রনাময় মৃত্যু বরণ করতে রেল লাইনের কাছ থেকে সভয়ে পেছিয়ে এল চারুবালা ওর চোখের সামনে দিয়ে তীব্র গতিতে বেরিয়ে গেল ভাগলপুর হাওড়া আপ গয়া এক্সপ্রেস ৮ গয়া এক্সপ্রেস চলে যাওয়ার পর চরম হতাশায় হাঁটু মুড়ে যে আমাগাছটার তলায় দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে বসে পড়ল চারুবালা তবে কি সে পারবে না দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা ট্রেনের তলায় নিজের দেহকে সঁপে দিয়ে মৃত্যুর শীতল ক্রোড়ে আশ্রয় নিতে আবার কি তাকে ফিরে যেতে হবে সেই লাঞ্ছনাময় অবমাননাকর জীবনে না এ প্রাণ থাকতে কখনোই সে তা পারবে না আর ফিরে যাবে না সে ওই জীবনে এখানেই হোক ওর যাবতীয় দুঃখের অবসান আবার সে বুক বাঁধলো একটা ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেনি তো কি হয়েছে আরো তো ট্রেন আছে আবার শুরু হলো সেই যন্ত্রনাময় প্রতীক্ষা বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হলো না কিছুক্ষণের মধ্যেই দশ দিক কাঁপিয়ে ছুটে এলো রক্সৌল হাওড়া আপ মিথিলা এক্সপ্রেস এবং সেখানেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ট্রেনের চাকাগুলোর দিকে চোখ যেতেই প্রচন্ড আতঙ্কে রেললাইনের ধার থেকে সরে এলো চারুবালা একই ঘটনা ঘটলো এর পরে আসা বর্ধমান হাওড়া ফার্স্ট আপ লোকাল এর ক্ষেত্রেও প্রচন্ড হতাশায় চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এলো চারুবালার না মরতে সে পারবে না এই যন্ত্রণাময় জীবনই তার ভবিতব্য নিজের ঘরেই তাকে ফিরতে হবে নিজের দুর্ভাগ্যের সঙ্গে আপস করে তাকে মেনে নিতে হবে ওই কামনালোলুপ বৃদ্ধ আর তার বিছানায় শয্যাশায়ী অর্ধাঙ্গিনীকে ওই পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধের বিকৃত কামনার শিকার হয়ে তার শয্যাশায়ী স্ত্রীয়ের অভিশাপ কুড়িয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে মনে পড়ে গেল বহুদিন আগে তার ঠাকুমা কথায় কথায় বলতেন যাই করো আর তাই করো বিধেতা পুরুষের লেখন খন্ডাবে কে বলি আগের জন্মের পাপের ফল ভুগবে কোন দাসী কি নির্মমভাবে সত্যি কথাটা বুক ফেটে একটা তীব্র দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো চারুবালার চরম হতাশায় ওই আম গাছটার নিচেই শুয়ে পড়ল দু চোখের কোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল জলের ফোঁটা হে ভগবান তুমিই যদি বিধাতা পুরুষ হও তবে বলো আগের জন্মে কি পাপ করেছিলাম যে এই জন্মে তুমি আমাকে গরিবের ঘরের মেয়ে করে জন্মগ্রহণ করালে শুধু মেয়ে না গরিবের ঘরের কালো মেয়ে আর ভাবতে পারছে না সে প্রচন্ড তন্দ্রায় আর একটা অদ্ভুত আচ্ছন্নভাব এসে ওর দুই চোখের পাতা ভারি করে দিচ্ছে চারদিক অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে এরই মাঝে দেখতে পেলে একটি আলোর শিখা ক্রমশ সেই আলোর শিখা বড় হয়ে এক জ্যোতির্ময় আগুনের শিখার রূপ নিল সেই আগুনের শিখার মধ্যে সেই আগুনের মতই শ্বেতশ্মশ্রু সমন্বিত এক জ্যোতির্ময় পুরুষ দুই চোখ অর্ধ নিমীলিত তার দিকে চেয়ে যেন অস্ফুটে হাসছেন সেই হাসিতে মিশে আছে যেন অবুঝ সন্তানের প্রতি পিতার স্নেহ প্রশ্রয় আর কৌতুক ৯ মুখের ওপর রোদ পড়তে ধড়মড় করে উঠে বসলো চারুবালা কটা বাজে কে জানে সারা রাত সে বাড়িতে ছিল না গভীর রাতে দরজা খুলে বেরিয়ে এসেছে সবাই নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছে এতক্ষণে হয়তো ওর বাড়ির সবাই হন্যে হয়ে ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশে খবর দেওয়াও বিচিত্র নয় ক্লান্তভাবে উঠে দাঁড়ালো সে বাড়িতে কি অভ্যর্থনা হবে সে তো বুঝতেই পারছে আর এক প্রস্থ গালাগালি ওর চরিত্র তুলে প্রশ্ন উত্থাপন এসব তো আছেই আর এক প্রস্থ মারধর হওয়াও বিচিত্র নয় এটাই এখন তার ভবিতব্য মাথায় আর কোন বোধ কাজ করছে না যন্ত্রচালিতের মতো বাড়ির দিকে পা চালালো সে রেললাইন ছেড়ে আমবাগানের মধ্যে দিয়ে হাঁটছে রেল লাইনের পাশে খালের মধ্যে কতগুলো অল্প বয়সী ছোকরা বোধহয় প্রাতকৃত্য করতে এসেছিল তাকে দেখে হঠাৎ সন্ত্রস্তভাবে নিজেদের সামলে নিয়ে তার মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল চোখের পলক পড়ে না এদের কি কোন সন্দেহ হয়েছে এরা কি তবে বুঝে গেছে ও এখানে কি উদ্দেশ্যে এসেছিল যাক গে যা বোঝার বুঝুক এরা ওর এখন কিছুতেই কিছু যায় আসে না ও তো জেনে গেছে ওর ভবিতব্য কি হাঁটতে হাঁটতে আমবাগান পেরিয়ে একটা মোড় ঘুরে বাজারের মধ্যে ঢুকলো কিন্তু কি অদ্ভুত ব্যাপার বাজারের মধ্যে তখনই ছোট বড় দোকানে ক্রেতা বিক্রেতাদের বেশ ভীড় কিন্তু যেখান দিয়েই যাচ্ছে সেখানেই মানুষের জটলা তাদের কথোপকথন যেন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে সবাই নিজের কাজ ফেলে তার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে এটা কি ব্যাপার এই বাজার তার আজন্ম পরিচিত এখানকার ক্রেতা বিক্রেতদের বেশীরভাগই তাকে চেনে স্থানীয় মেয়ে হিসেবে এই বাজার দিয়েই তো ওর রোজ যাতায়াত কই অন্য দিন কেউ তো ফিরেও তাকায়নি বিশেষ করে ওর এই কুশ্রী রূপের জন্য অনেকে বিরক্ত হয়েছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যও করেছে কিন্তু এইভাবে এত জনের মনোযোগ তো ও কখনোই আকর্ষণ করতে পারে নি তবে কি তবে কি ও সারারাত বাড়িতে না থাকার কথা এর মধ্যেই রাষ্ট্র হয়ে গেছে সবাই কি তাকে ভাবছে দুশ্চরিত্রা যে গভীর রাতে বাড়ীর দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে কোন গোপন অভিসারে গিয়ে নিজের মুখ কালো করে ফিরছে ছিঃ ছিঃ কি লজ্জা কিন্তু তাহলে তো এদের চোখে থাকতো কৌতুহল ও ঘৃণা তা তো সে দেখতে পাচ্ছে না এ বাজারের মধ্যে অসংখ্য যুবক এবং মধ্যবয়সী পুরুষ যারা ওকে দেখেই নিজের হাতের কাজ ফেলে এক দৃষ্টিতে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে তাদের চোখে আছে সেটা যেটা যেকোন নারীই পুরুষের চোখে দেখতে চায় সেই দৃষ্টিতে আছে মুগ্ধতা যেন সকলেই ওর সঙ্গে কিছুক্ষন কথা বলতে পারলে ধন্য হয়ে যায় ১০ এই চারু সক্কাল সক্কাল কোথায় বেরিয়েছিলিস শিগগির বাড়ী যা ওদিকে গিয়ে দেখ হুলুস্থূলু কান্ড সকাল থেকে তোর বাবা মা তোকে হন্যে হয়ে খুঁজছে তুই নাকি খুব ভোরে দরজা খুলে বেরিয়ে এসেছিস কোথায় গিয়েছিলিস এতক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে থাকায় চারুবালা বুঝতেই পারেনি যে সে এতক্ষণে নিজের পাড়ার কাছাকাছি রমজান আলীর মাংসের দোকানের কাছে চলে এসেছে সেখান থেকে বৃদ্ধ রমজান আলী তাকে দেখতে পেয়েই এই কথাগুলো বলছে আবার বুকের মধ্যেটা ধক করে উঠলো চারুবালার তাহলে তো ওর বাবা মায়ের জানতে বাকি নেই ও রাতেই ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে চলে এসেছে না জানি আবার কোন লাঞ্ছনা আর নির্যাতন অপেক্ষা করছে ওর জন্য বিশেষ করে ওর বাবার যে চন্ডাল রাগ আজকে একটা আস্ত চ্যালাকাঠ ভাঙবে ওর পিঠে কিন্তু ও খুব ভোরে ঘর থেকে বেরিয়েছে এ কথাটা রমজান জ্যাঠাকে কে বলল তবে কি ওর বাবা মা ভেবেছে ও খুব ভোরে দরজা খুলে বেরিয়েছে একটু রেললাইনের ধারে গিয়েছিলাম জ্যাঠা বেতো শাক তুলতে এই কথা বলতে বলতে এগিয়ে এসে রমজান আলীর সামনে আসতেই রমজান আলী চোখের দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেল চারুবালা সত্তরোর্ধ্ব রমজান আলীও তার দিকে সেই অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যে দৃষ্টিতে আছে পঁচিশ বছরের যুবকের মুগ্ধতা শুধু রমজান আলীই নয় সেখান থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে নিজের পাড়ায় অন্তত এরকম একশ জোড়া পুরুষ চোখের নীরব কামনা ও মুগ্ধতার শিকার হলো চারুবালা আশ্চর্য এরা তো এতদিন ওর দিকে কোনদিন ফিরেই তাকায় নি একরাতে কি এমন যাদু মন্ত্র খাটল যে এরা সবাই এক নিশ্বাসে ওর দিকে তাকিয়ে আছে যেন কোন হিন্দি সিনেমার নায়িকাকে চোখের সামনে দেখছে ১১ চারু মা আমার কোথায় ছিলি সারারাত আয় ঘরে আয় বাড়ির কাছে আসতে আসতে ওকে দূর থেকে দেখতে পেয়েই হারান রিকশাওলা ছুটে এসে চারুবালাকে জড়িয়ে ধরল একটা অদ্ভুত বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল চারুবালা ওর সঙ্গে ওর বাবার এইরকম ব্যবহার বোধহয় ওর জীবনে এই প্রথম ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছে ওর জন্ম থেকেই ওর বাবার বিরাগভাজন ও শুধুমাত্র কন্যাসন্তান হওয়ার কারণে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন ওর কুশ্রী রূপটা প্রকাশিত হয়ে পড়ল তখন সেই বিরাগ আরো বাড়ে সেই বাবা হঠাৎ করে তার সঙ্গে এরকম মধুর ব্যবহার করছে এই সস্নেহ গলার সুরে কথা বলছে এ তার কাছে অভূতপূর্ব কিন্তু না তার বিস্ময়ের আরো অনেক বাকি ছিল বাবার সঙ্গে বাড়িতে আসতে আসতে তাদের ঝুপড়ির সামনে বিরাট একটা বিদেশী গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটু অবাকই হয়ে গেল ঘরের মধ্যে ঢুকে প্রথমেই দেখল তাদের একমাত্র পরিষ্কার করে কাচা শতরঞ্জিটা যেটা সাধারণত তাদের পুরনো স্টিলের ট্রাঙ্কে ভাঁজ করে রাখা থাকে সেটা পাতা আছে আর তার ওপর বসে আছেন দামি স্যুট ব্লেজার পরিহিত দুইজন ভদ্রলোক একজনের একটু ভারিক্কি চেহারা মাথা জোড়া টাক কানের পাশে জুলপি পুরোটা সাদা হয়ে গেছে চোখে গোল্ডেন ফ্রেমের চশমা তার ঠিক পাশেই অত্যন্ত সুপুরুষ একটি যুবক অতি আকর্ষণীয় চেহারা দেখলেই মনে হয় অত্যন্ত অভিজাত এবং ধনী পরিবারের সদস্য এনারা দুজনের সামনে তাদের বাড়ীর একমাত্র কাঁচের প্লেটে বেশ কয়েকটা মিষ্টি কাঁচের গ্লাসে জল কাঁচের গ্লাস অবশ্যই ওদের বাড়িতে একটাই চারুবালা অনুমান করল আর একটা কাঁচের গ্লাস পাশে বাড়ি থেকে ধার করে আনা হেঁ হেঁ হেঁ এই আমার মেয়ে স্যার ভারী ভক্তিমতি কিনা সেই কোন ভোরে ওঠে চান করে পাড়ার শিব মন্দিরে গিয়েছিল পুজো করতে এই কাছেই স্যার এই হাঁ করে দেখছিস কি কর কর পেন্নাম কর ইনি কলকাতার বড় ডাক্তার সমরেশ হালদার গরিবের মা বাপ আর এই যে পাশে দেখছিস ইনিও খুব বড় ডাক্তার একেবারে বিলেত ফেরৎ ডাক্তার পরমব্রত হালদার প্রণাম কর মা আজ আমাদের সাত জন্মের ভাগ্যি যে এঁরা এই গরীবের ঘরে পায়ের ধুলো দিয়েছেন এতক্ষণে বুঝতে পারলো তাহলে এঁদের জন্যই ওর বাবার এত সুন্দর ব্যবহার কিন্তু এনারা কারা তাদের এখানে কেন কি উদ্দেশ্যে তাদের বাড়ির ঠিকানাই বা এনারা কি করে পেলেন আর এনাদের প্রণাম করতেই বা হবে কেন তবুও ওর বাবার কথা অনুযায়ী ঝুঁকে ওনাদের পায়ে হাত দিয়ে করলো চারুবালা থাক থাক মা বেঁচে থাকো ভাগ্যবতী হও তাহলে হারান বাবু ওই কথাই রইল এই অগ্রহায়নেই দিন ঠিক করে ফেলেন না না আপনি এক কাপড়ে শাঁখা সিঁদুর দিয়েই চারু মাকে আমাদের কাছে পাঠান আমাদের আর কিছু চাই না তবে হ্যাঁ আমার এই নতুন চারু মাকেই কিন্তু আমার গোটা সংসার সামলাতে হবে পরম কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মাতৃহারা এ কি শুনছে সে তার সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ হবে এই আপাদমস্তক সুন্দর অভিজাত সুমার্জিত জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত এই রাজকুমারের সঙ্গে সে স্বপ্ন দেখছে না তো ক্রমশ দ্বিতীয় পর্ব আনন্দধারা অন্বেষণ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৭ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৮ সে তবে কে পঞ্চম পর্ব হঠাৎ দেখা চল যাই সাগরে আমার ছেলেবেলার প্রেম বাবা নক্ষত্র বীথি যন্ত্রণার ভিন্নরূপ দৃষ্টি চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব রম্য রচনা দায়ী পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত দায়ী দায়ী লেখা অনির্বাণ সরকার আজ সকালে টিভিতে একটি খবর দেখে কৃশানুর মন মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়ে গেল সে রাজ্য সরকারের একটি সাধারণ যোগ্যতামূলক চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিল যার ফল বেরনোর সম্ভাবনা ছিল এই সপ্তাহেই কিন্তু আজ টিভিতে একটি খবরের চ্যানেলে সম্প্রচারিত হল যে সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার খবরে আরও জানাল গতবছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও এক জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন যে এইধরণের সরকারী চাকরিতে কেবলমাত্র অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদেরই যার যার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে নিয়োগ করা হবে অথচ পরবর্তীতে ঐ চাকরির বিজ্ঞাপন বের হয় শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে সেখানে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদের বিষয়ে কোনও কথা লেখা ছিল না ফলে হাজার হাজার যুবক যুবতীরা সেই চাকরির পরীক্ষায় বসে খবরে যা বলল সেই অনুযায়ী এর পরের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ ও চিত্তাকর্ষক কিছু অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকরা মিলে মুখ্যমন্ত্রীর ঐরকম ঘোষণার পরও উক্ত পরীক্ষাটির চয়নপদ্ধতি নিয়ে প্রথমে আর টি আই এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টে কেস করে দিলেন কোর্টের নির্দেশানুসারে পরীক্ষা বাতিল হল যার ফলস্বরূপ আজকের এই খবর কৃশানুর এই চাকরিটার খুব দরকার ছিল আর বেশীদিন বেকার এর তকমা লাগিয়ে বাড়িতে বসে থাকা যাচ্ছিল না যোগ্যতা ও পরীক্ষা দু টোই অনুকূলও ছিল কিন্তু তার আকাঙ্ক্ষার পথে বাধ সাধল সেই আর টি আই আর কোর্ট কেস নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নকে চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে তার সব রাগ ও ক্ষোভ গিয়ে পড়ল সমাজের সকল অবসরপ্রাপ্ত বরিষ্ঠ ও প্রবীণ নাগরিক অর্থাৎ রিটায়ার্ড সিনিয়র সিটিজ়েনদের উপর অবশ্য সেই রাগের ছিঁটেফোঁটাও বাড়িতে মা বাবা ও বোনের উপরও পড়ল আজ তার একটি প্রয়োজনীয় বিশেষ কাজে গড়িয়াহাট যেতে হবে এ বেলায় গিয়েই সেরে আসবে ভেবে সে তিরিক্ষি মেজাজ ও একরাশ বিরক্তি নিয়েই বাড়ি থেকে রওনা হল সন্তোষপুর জোড়া ব্রীজ বাসস্ট্যান্ড থেকে গড়িয়াহাটগামী একটি বাসে উঠে পড়ল কৃশানু বাস মোটামুটি ফাঁকা প্রাত্যহিক ঝঅফিস টাইম সবে শুরু হচ্ছে তবে সাধারণের বসার সীটগুলি ফাঁকা নেই গন্তব্য খানিকটা দূরে বলে অবশেষে একটি খালি সিনিয়র সিটিজ়েন এর সীটেই বসে পড়ল সে প্রাক জমজমাট রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে চলতে চলতে বাসটি যাদবপুর এসে পৌঁছল কিছু লোক নেমে গেল বাস থেকে আর বেশ কয়েকজন তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠে এল আগের যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় যে সীটগুলি খালি হয়েছিল মুহূর্তের মধ্যে নতুন যাত্রীতে ভরে গেল সেগুলো এই শহরের নিত্যদিনের ছবি এটা ভিড়ে সকলের পিছনে ছিলেন আন্দাজ সত্তরোর্ধ্ব সম্ভ্রান্ত চেহারার এক বয়স্ক ভদ্রলোক কোনওক্রমে ভিড় সামলে বাসে উঠলেন তিনি তারপর অন্যান্য যাত্রীদের পা বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে নিজে সাবধানে পা ফেলে কৃশানুর সামনে এসে দাঁড়ালেন কৃশানু সকাল থেকেই অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণদের উপর রেগে বসে আছে ফলে ঐ বয়স্ক মানুষটি তার সামনে এসে দাঁড়ানোয় তার বিরক্তির মাত্রা বেশ ভালরকমই বেড়ে গেল কোনওরকম সৌজন্য দেখানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল না সে আপন খেয়ালে যেন তাঁকে দেখেইনি এমন ভাব করে সেই সিনিয়র সিটিজ়েন এর সীটেই বসে রইল নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে ওদিকে প্যাসেঞ্জার ওঠা নামা সেরে বাস আবার চলতে আরম্ভ করল জুন মাসের সকালের ক্রমবর্ধমান ভ্যাপসা গরমে ভিড় বাসে সকলেই কষ্ট পেতে শুরু করেছে ততক্ষণে সেই বয়স্ক ভদ্রলোক ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার আড়চোখে কৃশানুকে দেখেছেন সিনিয়র সিটিজ়েন দের সীটগুলোয় পরপর সব বৃদ্ধরাই বসে আছেন শুধুমাত্র সে ছাড়া তাকে সীট ছাড়তে বলতে তাঁর বোধ হয় সঙ্কোচ হচ্ছে তাই মুখে কিছু বলছেন না এদিকে গরমে আর ভিড়ের চাপে তো দাঁড়িয়ে থাকাও মুশকিল যাদবপুর ইউনিভার্সিটির চার নম্বর গেট পেরনোর পর আর ঐ অসহনীয় অবস্থায় থাকতে না পেরে শেষে বাধ্য হয়েই সেই বৃদ্ধ মানুষটি কৃশানুকে সামান্য আর্তকণ্ঠে বললেন ভাই তুমি যে সীটে বসে রয়েছ সেটা সিনিয়র সিটিজ়েনদের জন্য আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি ভিড় ও গরমে কষ্ট করছি তা সত্ত্বেও তুমি এমন ভাব করছ যেন আমায় দেখতেই পাওনি দয়া করে সীটটা একটু ছাড়বে আমি ধর্মতলা যাব কৃশানুর মনের ভিতর জমে থাকা অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদের উপর সমস্ত ক্ষোভ যেন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মত বেরিয়ে এল সবসময় সরকারী নিয়ম কানুনের সুবিধা ভোগ করতে খুব ভাল লাগে না আপনাদের যেখানে যান সেখানেই কনসেশন আর ভর্তুকি পান বাসে একই ভাড়া দিয়ে সীটের সুবিধা ট্রেনে এক তৃতীয়াংশ ভাড়ায় সকলের সমান সুবিধে হসপিটাল ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিস বাজার এল পি জি সর্বত্র আপনাদের ছাড় তার এই আকস্মিক বিস্ফোরণে সেই বৃদ্ধ একেবারে স্তম্ভিত ও হতভম্ব হয়ে গেলেন আশপাশের যাত্রীরাও কৃশানুর আচমকা এভাবে অপ্রাসঙ্গিক ক্ষোভে ফেটে পড়াতে সম্পূর্ণ হতবাক কারও মুখে কথা সরছে না ওদিকে কৃশানুর তিরস্কার প্রবল হতে হতে চরমে পৌঁছেছে রিটায়ারমেন্টের পর সমাজে কোনও অবদান নেই শুধু কন্ সেশনের ধান্দা গভর্ণমেন্টের স্কীম আর ভর্তুকির ফিকির খুঁজে কেবলমাত্র নিজের সুযোগ সুবিধাটুকু বুঝে নেওয়া চাই সেখানে সামান্য কমতি হলেই চললেন বাবু আর টি আই করতে বা কোর্টে কেস করতে কাজ কাম কিছু নেই ঘন ঘন ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স চেক করা সকাল সন্ধ্যা পার্কে হাঁটা আর সরকারের এবং ইয়ং জেনারেশনের নিন্দা করা এ ই তো পারেন বৃদ্ধ এখনও সামলে উঠতে পারেননি ফ্যালফ্যাল করে কৃশানুর দিকে তাকিয়ে আছেন নির্বাক দৃষ্টিতে যাত্রীদের অধিকাংশই স্বভাবসিদ্ধ ব্যস্ততা নিয়ে নিজের নিজের মোবাইল ফোন ঘাঁটছে আর বাকিদের কেউ কেউ সকালবেলায় এই নাটকের দৃশ্য উপভোগ করছে আবার কেউ বা বিরক্তি বিড়ম্বনা মনে করে জানালা দিয়ে বাইরে দেখছে বাসের কন্ডাক্টর টিকিট কাটতে ব্যস্ত কেউই কিন্তু ওদের ব্যাপারে ঢুকছে না বা সর্বসমক্ষে কৃশানুকে কিছু বলতে সাহস করছে না পরিশেষে কৃশানু নিজেই এই নাটকের দৃশ্যের যবনিকা টানল ক্ষোভের একেবারে শেষটুকু সে উগরে দিল সেই বয়স্ক মানুষটির উপরে আপনি ও আপনাদের মত সব রিটায়ার্ড সিনিয়র সিটিজ়েনরা এই সমাজের বোঝা জঞ্জাল বুঝেছেন আপনারা সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে সেই সরকারেরই নিন্দা করেন ইয়ং জেনারেশনকে মনে করেন গুড ফর নাথিং কিন্তু জেনে রাখুন এই ইয়ং জেনারেশন আসলে বেটার ফর এভ্ রিথিং সারাজীবনই তো চাকরি বাকরি করলেন এবার আমাদেরও একটু সুযোগ দিন সেখানেও তো ভাগ বসাচ্ছেন আপনারা লজ্জা করে না হাজার হাজার বেকার ছেলে মেয়েদের পেটে লাথি মারতে বাস এতক্ষণে যাদবপুর থানার সিগন্যালে এসে দাঁড়িয়েছে কৃশানু নিজের শেষ কথাগুলো বলে নিয়ে লক্ষ্য করল অন্যান্য যাত্রীরা এবার তাদের দিকে তাকিয়েছে সে বুঝল একটা পলিটিক্যাল কমেন্ট করে ফেলেছে সে কাজেই এই বাসে তার আর যাওয়া ঠিক হবে না একটু শান্ত হল সে তারপর উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই সেই বৃদ্ধের উপর ঝেড়ে দিল তার বাকি রাগটুকু নিজেদের অধিকারবোধটা বজায় রাখতে খুব পটু আপনারা তাতে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হোক বা লোকেরা জাহান্নামে যাক আপনাদের কিস্যু এসে যায় না নিন বসুন আপনার অধিকারে হস্তক্ষেপ করে সমাজের অপরাধী হয়ে থাকতে পারব না কথাগুলি সেই সত্তরোর্ধ্ব বয়স্ক ভদ্রলোকের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিয়েই সকলের হতভম্বতার মাঝখানে কৃশানু কোনওদিকে না তাকিয়ে ভিড় ঠেলে বাস থেকে নেমে এল রাস্তায় গড়িয়াহাটের কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে কৃশানুর বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেল ইতিমধ্যে তার মন ভাল হওয়ার মত ঘটনাও ঘটে গিয়েছে সকালে যাবার সময় তার মন যতটা ক্ষুব্ধ ছিল বাড়ি ফেরার সময় ঠিক ততটাই প্রফুল্ল হয়ে উঠেছে সকালে যে পরীক্ষার পুরো পদ্ধতি বাতিল হওয়ার খবর শুনে তার এত রাগ আর ক্ষোভ দুপুর নাগাদ খবর এল যে সেই পরীক্ষা এবং আরও অন্যান্য যেসব পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গিয়েছে সরকারের তরফে সেগুলো বাতিল করা হবে না এবছরের মত সেইসব পরীক্ষা ও তৎপরবর্তী পর্যায়গুলি বহাল রাখছে সরকার আগামী দিনে ঐ ধরণের যেসব পরীক্ষা হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বলবৎ করা হবে অর্থাৎ ভবিষ্যতে যেকোনও অনুরূপ সরকারী চাকরিতে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদেরকে নিয়োগ করবে সরকার সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যপালের সমর্থন এবং হাইকোর্টের অনুমোদন পেয়ে যাবে টিভিতে খবরের চ্যানেলগুলো সরকারের ঐ সিদ্ধান্তের কথা এবং দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও ফুটেজ বারবার দেখাচ্ছে কৃশানু ও তার বাড়ির লোক ভীষণ খুশী খাবার টেবলে বসে ডিনার করতে করতে পুরো পরিবার একসঙ্গে সেই খবর দেখল প্রধান খবর দেখানো শেষ হলে এবার শুরু হল সংবাদমাধ্যমের সার্কাস সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সরকারের ঐ সিদ্ধান্তকে মানুষের হিতের পক্ষে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলগুলির সদস্যরা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার রসদ হিসেবে প্রচার করলেন এদিকে শহরের সিনিয়র সিটিজ়েনদের অ্যাসোসিয়েশন সেই একই জিনিসকে তাঁদেরই নৈতিক জয় বলে মান্যতা দিলেন অন্যদিকে বেশ কিছু যুবক যুবতী গোটা ব্যাপারটাকে একটা রাজনৈতিক প্রহসনরূপে দেখছে তাদের মধ্যে যারা চাকরিজীবী বা বিভিন্নরকম কাজে নিযুক্ত তারা বলল যে এতে বেকারত্ব গুণোত্তর প্রগতিতে বাড়বে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করে কিংবা স্বনির্ভরভাবে কাজ করে তাদের মতে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারে থাকা দলটি একাধারে চাকরিজীবীদের আর অন্যদিকে প্রবীণ নাগরিকদের ভোট নিজেদের ঝুলিতে নিয়ে এল কিন্তু তাদের জন্য কিছুই করল না আর যারা বেকার তারা বলল যে তাদের প্রতি ঘোর অন্যায় হয়েছে বলে তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে আবার কিছু মানুষের মনে হয়েছে সরকার শুধুমাত্র সমাজের বরিষ্ঠ নাগরিক এবং চাকরিজীবীদের নিয়েই ভাবে সাধারণ মানুষ এর জন্য কিছু করে না এতে বোঝা গেল আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষ বলে আরেকটি প্রজাতি রয়েছে তবে এদেরকে কেউ চিহ্নিত করতে পারে না এরপর আরম্ভ হল লাইভ টক শো যেখানে গোটা বিষয়টা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্বপক্ষে বিপক্ষে উভয়পক্ষে চলল রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের বাক বিতণ্ডা সেই শো তে কেউ কেউ চরম আত্মবিশ্বাসের সাথে অনর্গল ভুল বলতে থাকে এর পরে একটু বিরতি কৃশানুর ঘুম ধরে এসেছিল কিন্তু বিরতির পরে হঠাৎ একটি খবর দেখাতে লাগল সংবাদমাধ্যমটি খবরটির শিরোনাম হল যুবকের ভর্ৎসনায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু সাথে ইনসেটে একটি নীল হলুদ রঙের বাসের বাঁদিকের সামনের চাকায় হেলান দিয়ে বসে থাকা এক বয়স্ক মানুষের মৃতদেহ আর তাঁকে ঘিরে জনতার জটলা দৃশ্যটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এইভাবে মহানগর কলকাতার বুকে একজন বয়স্ক মানুষ রাস্তায় পড়ে মারা যাবেন আর তাঁর মৃতদেহকে ঘিরে সং সেজে দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের ভিড় বড্ড মর্মান্তিক এ ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ঘোষিকা বলে চলেছেন ঘটনার পর্যায়ক্রম প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী বাসটি যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার কিছু পরই বসার সীট নিয়ে একজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের সাথে ঐ প্রৌঢ়ের বচসা বাধে যাদবপুর থানার সিগন্যালে বাস থামলে সেই অজ্ঞাতপরিচয় যুবক বচসা ছেড়ে অকস্মাৎ বাস থেকে নেমে যায় এরপরই সেই প্রৌঢ়ের হঠাৎ হৃদ যন্ত্রণা শুরু হয় এবং কিছুক্ষণ পর তিনিও বাস থেকে নেমে যান তারপর বাসের চাকায় হেলান দিয়ে ঐরকমভাবে বসেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় অনুমান করা হচ্ছে সেই অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের সাথে বচসার জেরেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে খবরটা দেখে কৃশানুর বাবা ভীষণ আফশোস করলেন এই প্রজন্মের নীতিগত অবক্ষয় দেখে তার মা ও খুব মর্মাহত হয়ে বলে ফেললেন সেই যুবকও একদিন প্রবীণ নাগরিক হবে সেদিন তাকেও এমনই ভর্ৎসনার মুখোমুখি হতে হবে তার বোন কৃত্তিকা তো ঐ বৃদ্ধের এমন পরিণতি দেখে নিঃশব্দে কেঁদেই ফেলল কেবলমাত্র কৃশানু নির্বিকার তার ঘুম একেবারে উবে গেছে ততক্ষণে নির্বিকার না হয়ে তার তো অন্য কোনও উপায়ও নেই সে যে চিনতে পেরেছে ঐ মৃত প্রৌঢ়কে ঐ নীল হলুদ বাসটিকে এমনকি ভিড়ের কিছু কিছু মুখও যে তার চেনা সে চেনে না শুধু এই কৃশানুকে যে মুষ্টিমেয় কয়েকজন মানুষের দাবিকে অন্যায় ও অন্যায্য মনে করে তাঁদের পুরো প্রজন্মকেই প্রবল ভর্ৎসনা করে ফেলেছে যে কৃশানু কেবলমাত্র একটি খবর শুনেই ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল ভেবে সমাজের সবচেয়ে সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গকে অপমান করেছে সেই কৃশানুও তার অচেনা সরকারী অনুদান কিংবা যানবাহনে বিশেষ ছাড় যে এই সমাজের প্রবীণদেরকে একরকম সম্মানজ্ঞাপন করা তাঁদের উপর দয়া বা করুণা করা নয় সে সম্পর্কে অবুঝ কৃশানুও তার কাছে অপরিচিত সেই বৃদ্ধের মৃত্যুর কারণ যা ই হোক না কেন তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী একমাত্র কৃশানু এই দায়ের পাষাণভার নিয়েই তাকে সারাজীবন চলতে হবে কোনও মন্তব্য না করে চেয়ার ছেড়ে উঠে ধীরপায়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল কৃশানু ওদিকে টিভিতে নিউজ় রিপোর্টার বলে চলেছে এই সেই বাস এই হল সেই সামনের চাকা তিনি ঠিক এইভাবেই বসে ছিলেন মারা যাবার সময় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার মা নিভেছে ক্ষমার অযোগ্য শেষ বিকেলের বাংলা কত কিছু হয় নি বলা অন্বেষণ এবার নিয়ে ছ বার হল ক্যাশলেস ও একটি গন্ডার লকডাউন দুই বিন্দু শিশির দিনের শেষে বুড়োদাদুর গল্পের ঝুলি অন্তরের আলো পরিচালক ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর রম্য রচনা দায়ী পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত দায়ী দায়ী লেখা অনির্বাণ সরকার আজ সকালে টিভিতে একটি খবর দেখে কৃশানুর মন মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়ে গেল সে রাজ্য সরকারের একটি সাধারণ যোগ্যতামূলক চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিল যার ফল বেরনোর সম্ভাবনা ছিল এই সপ্তাহেই কিন্তু আজ টিভিতে একটি খবরের চ্যানেলে সম্প্রচারিত হল যে সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার খবরে আরও জানাল গতবছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও এক জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন যে এইধরণের সরকারী চাকরিতে কেবলমাত্র অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদেরই যার যার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে নিয়োগ করা হবে অথচ পরবর্তীতে ঐ চাকরির বিজ্ঞাপন বের হয় শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে সেখানে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদের বিষয়ে কোনও কথা লেখা ছিল না ফলে হাজার হাজার যুবক যুবতীরা সেই চাকরির পরীক্ষায় বসে খবরে যা বলল সেই অনুযায়ী এর পরের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ ও চিত্তাকর্ষক কিছু অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকরা মিলে মুখ্যমন্ত্রীর ঐরকম ঘোষণার পরও উক্ত পরীক্ষাটির চয়নপদ্ধতি নিয়ে প্রথমে আর টি আই এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টে কেস করে দিলেন কোর্টের নির্দেশানুসারে পরীক্ষা বাতিল হল যার ফলস্বরূপ আজকের এই খবর কৃশানুর এই চাকরিটার খুব দরকার ছিল আর বেশীদিন বেকার এর তকমা লাগিয়ে বাড়িতে বসে থাকা যাচ্ছিল না যোগ্যতা ও পরীক্ষা দু টোই অনুকূলও ছিল কিন্তু তার আকাঙ্ক্ষার পথে বাধ সাধল সেই আর টি আই আর কোর্ট কেস নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নকে চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে তার সব রাগ ও ক্ষোভ গিয়ে পড়ল সমাজের সকল অবসরপ্রাপ্ত বরিষ্ঠ ও প্রবীণ নাগরিক অর্থাৎ রিটায়ার্ড সিনিয়র সিটিজ়েনদের উপর অবশ্য সেই রাগের ছিঁটেফোঁটাও বাড়িতে মা বাবা ও বোনের উপরও পড়ল আজ তার একটি প্রয়োজনীয় বিশেষ কাজে গড়িয়াহাট যেতে হবে এ বেলায় গিয়েই সেরে আসবে ভেবে সে তিরিক্ষি মেজাজ ও একরাশ বিরক্তি নিয়েই বাড়ি থেকে রওনা হল সন্তোষপুর জোড়া ব্রীজ বাসস্ট্যান্ড থেকে গড়িয়াহাটগামী একটি বাসে উঠে পড়ল কৃশানু বাস মোটামুটি ফাঁকা প্রাত্যহিক ঝঅফিস টাইম সবে শুরু হচ্ছে তবে সাধারণের বসার সীটগুলি ফাঁকা নেই গন্তব্য খানিকটা দূরে বলে অবশেষে একটি খালি সিনিয়র সিটিজ়েন এর সীটেই বসে পড়ল সে প্রাক জমজমাট রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে চলতে চলতে বাসটি যাদবপুর এসে পৌঁছল কিছু লোক নেমে গেল বাস থেকে আর বেশ কয়েকজন তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠে এল আগের যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় যে সীটগুলি খালি হয়েছিল মুহূর্তের মধ্যে নতুন যাত্রীতে ভরে গেল সেগুলো এই শহরের নিত্যদিনের ছবি এটা ভিড়ে সকলের পিছনে ছিলেন আন্দাজ সত্তরোর্ধ্ব সম্ভ্রান্ত চেহারার এক বয়স্ক ভদ্রলোক কোনওক্রমে ভিড় সামলে বাসে উঠলেন তিনি তারপর অন্যান্য যাত্রীদের পা বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে নিজে সাবধানে পা ফেলে কৃশানুর সামনে এসে দাঁড়ালেন কৃশানু সকাল থেকেই অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণদের উপর রেগে বসে আছে ফলে ঐ বয়স্ক মানুষটি তার সামনে এসে দাঁড়ানোয় তার বিরক্তির মাত্রা বেশ ভালরকমই বেড়ে গেল কোনওরকম সৌজন্য দেখানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল না সে আপন খেয়ালে যেন তাঁকে দেখেইনি এমন ভাব করে সেই সিনিয়র সিটিজ়েন এর সীটেই বসে রইল নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে ওদিকে প্যাসেঞ্জার ওঠা নামা সেরে বাস আবার চলতে আরম্ভ করল জুন মাসের সকালের ক্রমবর্ধমান ভ্যাপসা গরমে ভিড় বাসে সকলেই কষ্ট পেতে শুরু করেছে ততক্ষণে সেই বয়স্ক ভদ্রলোক ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার আড়চোখে কৃশানুকে দেখেছেন সিনিয়র সিটিজ়েন দের সীটগুলোয় পরপর সব বৃদ্ধরাই বসে আছেন শুধুমাত্র সে ছাড়া তাকে সীট ছাড়তে বলতে তাঁর বোধ হয় সঙ্কোচ হচ্ছে তাই মুখে কিছু বলছেন না এদিকে গরমে আর ভিড়ের চাপে তো দাঁড়িয়ে থাকাও মুশকিল যাদবপুর ইউনিভার্সিটির চার নম্বর গেট পেরনোর পর আর ঐ অসহনীয় অবস্থায় থাকতে না পেরে শেষে বাধ্য হয়েই সেই বৃদ্ধ মানুষটি কৃশানুকে সামান্য আর্তকণ্ঠে বললেন ভাই তুমি যে সীটে বসে রয়েছ সেটা সিনিয়র সিটিজ়েনদের জন্য আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি ভিড় ও গরমে কষ্ট করছি তা সত্ত্বেও তুমি এমন ভাব করছ যেন আমায় দেখতেই পাওনি দয়া করে সীটটা একটু ছাড়বে আমি ধর্মতলা যাব কৃশানুর মনের ভিতর জমে থাকা অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদের উপর সমস্ত ক্ষোভ যেন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মত বেরিয়ে এল সবসময় সরকারী নিয়ম কানুনের সুবিধা ভোগ করতে খুব ভাল লাগে না আপনাদের যেখানে যান সেখানেই কনসেশন আর ভর্তুকি পান বাসে একই ভাড়া দিয়ে সীটের সুবিধা ট্রেনে এক তৃতীয়াংশ ভাড়ায় সকলের সমান সুবিধে হসপিটাল ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিস বাজার এল পি জি সর্বত্র আপনাদের ছাড় তার এই আকস্মিক বিস্ফোরণে সেই বৃদ্ধ একেবারে স্তম্ভিত ও হতভম্ব হয়ে গেলেন আশপাশের যাত্রীরাও কৃশানুর আচমকা এভাবে অপ্রাসঙ্গিক ক্ষোভে ফেটে পড়াতে সম্পূর্ণ হতবাক কারও মুখে কথা সরছে না ওদিকে কৃশানুর তিরস্কার প্রবল হতে হতে চরমে পৌঁছেছে রিটায়ারমেন্টের পর সমাজে কোনও অবদান নেই শুধু কন্ সেশনের ধান্দা গভর্ণমেন্টের স্কীম আর ভর্তুকির ফিকির খুঁজে কেবলমাত্র নিজের সুযোগ সুবিধাটুকু বুঝে নেওয়া চাই সেখানে সামান্য কমতি হলেই চললেন বাবু আর টি আই করতে বা কোর্টে কেস করতে কাজ কাম কিছু নেই ঘন ঘন ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স চেক করা সকাল সন্ধ্যা পার্কে হাঁটা আর সরকারের এবং ইয়ং জেনারেশনের নিন্দা করা এ ই তো পারেন বৃদ্ধ এখনও সামলে উঠতে পারেননি ফ্যালফ্যাল করে কৃশানুর দিকে তাকিয়ে আছেন নির্বাক দৃষ্টিতে যাত্রীদের অধিকাংশই স্বভাবসিদ্ধ ব্যস্ততা নিয়ে নিজের নিজের মোবাইল ফোন ঘাঁটছে আর বাকিদের কেউ কেউ সকালবেলায় এই নাটকের দৃশ্য উপভোগ করছে আবার কেউ বা বিরক্তি বিড়ম্বনা মনে করে জানালা দিয়ে বাইরে দেখছে বাসের কন্ডাক্টর টিকিট কাটতে ব্যস্ত কেউই কিন্তু ওদের ব্যাপারে ঢুকছে না বা সর্বসমক্ষে কৃশানুকে কিছু বলতে সাহস করছে না পরিশেষে কৃশানু নিজেই এই নাটকের দৃশ্যের যবনিকা টানল ক্ষোভের একেবারে শেষটুকু সে উগরে দিল সেই বয়স্ক মানুষটির উপরে আপনি ও আপনাদের মত সব রিটায়ার্ড সিনিয়র সিটিজ়েনরা এই সমাজের বোঝা জঞ্জাল বুঝেছেন আপনারা সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে সেই সরকারেরই নিন্দা করেন ইয়ং জেনারেশনকে মনে করেন গুড ফর নাথিং কিন্তু জেনে রাখুন এই ইয়ং জেনারেশন আসলে বেটার ফর এভ্ রিথিং সারাজীবনই তো চাকরি বাকরি করলেন এবার আমাদেরও একটু সুযোগ দিন সেখানেও তো ভাগ বসাচ্ছেন আপনারা লজ্জা করে না হাজার হাজার বেকার ছেলে মেয়েদের পেটে লাথি মারতে বাস এতক্ষণে যাদবপুর থানার সিগন্যালে এসে দাঁড়িয়েছে কৃশানু নিজের শেষ কথাগুলো বলে নিয়ে লক্ষ্য করল অন্যান্য যাত্রীরা এবার তাদের দিকে তাকিয়েছে সে বুঝল একটা পলিটিক্যাল কমেন্ট করে ফেলেছে সে কাজেই এই বাসে তার আর যাওয়া ঠিক হবে না একটু শান্ত হল সে তারপর উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই সেই বৃদ্ধের উপর ঝেড়ে দিল তার বাকি রাগটুকু নিজেদের অধিকারবোধটা বজায় রাখতে খুব পটু আপনারা তাতে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হোক বা লোকেরা জাহান্নামে যাক আপনাদের কিস্যু এসে যায় না নিন বসুন আপনার অধিকারে হস্তক্ষেপ করে সমাজের অপরাধী হয়ে থাকতে পারব না কথাগুলি সেই সত্তরোর্ধ্ব বয়স্ক ভদ্রলোকের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিয়েই সকলের হতভম্বতার মাঝখানে কৃশানু কোনওদিকে না তাকিয়ে ভিড় ঠেলে বাস থেকে নেমে এল রাস্তায় গড়িয়াহাটের কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে কৃশানুর বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেল ইতিমধ্যে তার মন ভাল হওয়ার মত ঘটনাও ঘটে গিয়েছে সকালে যাবার সময় তার মন যতটা ক্ষুব্ধ ছিল বাড়ি ফেরার সময় ঠিক ততটাই প্রফুল্ল হয়ে উঠেছে সকালে যে পরীক্ষার পুরো পদ্ধতি বাতিল হওয়ার খবর শুনে তার এত রাগ আর ক্ষোভ দুপুর নাগাদ খবর এল যে সেই পরীক্ষা এবং আরও অন্যান্য যেসব পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গিয়েছে সরকারের তরফে সেগুলো বাতিল করা হবে না এবছরের মত সেইসব পরীক্ষা ও তৎপরবর্তী পর্যায়গুলি বহাল রাখছে সরকার আগামী দিনে ঐ ধরণের যেসব পরীক্ষা হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বলবৎ করা হবে অর্থাৎ ভবিষ্যতে যেকোনও অনুরূপ সরকারী চাকরিতে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদেরকে নিয়োগ করবে সরকার সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যপালের সমর্থন এবং হাইকোর্টের অনুমোদন পেয়ে যাবে টিভিতে খবরের চ্যানেলগুলো সরকারের ঐ সিদ্ধান্তের কথা এবং দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও ফুটেজ বারবার দেখাচ্ছে কৃশানু ও তার বাড়ির লোক ভীষণ খুশী খাবার টেবলে বসে ডিনার করতে করতে পুরো পরিবার একসঙ্গে সেই খবর দেখল প্রধান খবর দেখানো শেষ হলে এবার শুরু হল সংবাদমাধ্যমের সার্কাস সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সরকারের ঐ সিদ্ধান্তকে মানুষের হিতের পক্ষে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলগুলির সদস্যরা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার রসদ হিসেবে প্রচার করলেন এদিকে শহরের সিনিয়র সিটিজ়েনদের অ্যাসোসিয়েশন সেই একই জিনিসকে তাঁদেরই নৈতিক জয় বলে মান্যতা দিলেন অন্যদিকে বেশ কিছু যুবক যুবতী গোটা ব্যাপারটাকে একটা রাজনৈতিক প্রহসনরূপে দেখছে তাদের মধ্যে যারা চাকরিজীবী বা বিভিন্নরকম কাজে নিযুক্ত তারা বলল যে এতে বেকারত্ব গুণোত্তর প্রগতিতে বাড়বে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করে কিংবা স্বনির্ভরভাবে কাজ করে তাদের মতে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারে থাকা দলটি একাধারে চাকরিজীবীদের আর অন্যদিকে প্রবীণ নাগরিকদের ভোট নিজেদের ঝুলিতে নিয়ে এল কিন্তু তাদের জন্য কিছুই করল না আর যারা বেকার তারা বলল যে তাদের প্রতি ঘোর অন্যায় হয়েছে বলে তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে আবার কিছু মানুষের মনে হয়েছে সরকার শুধুমাত্র সমাজের বরিষ্ঠ নাগরিক এবং চাকরিজীবীদের নিয়েই ভাবে সাধারণ মানুষ এর জন্য কিছু করে না এতে বোঝা গেল আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষ বলে আরেকটি প্রজাতি রয়েছে তবে এদেরকে কেউ চিহ্নিত করতে পারে না এরপর আরম্ভ হল লাইভ টক শো যেখানে গোটা বিষয়টা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্বপক্ষে বিপক্ষে উভয়পক্ষে চলল রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের বাক বিতণ্ডা সেই শো তে কেউ কেউ চরম আত্মবিশ্বাসের সাথে অনর্গল ভুল বলতে থাকে এর পরে একটু বিরতি কৃশানুর ঘুম ধরে এসেছিল কিন্তু বিরতির পরে হঠাৎ একটি খবর দেখাতে লাগল সংবাদমাধ্যমটি খবরটির শিরোনাম হল যুবকের ভর্ৎসনায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু সাথে ইনসেটে একটি নীল হলুদ রঙের বাসের বাঁদিকের সামনের চাকায় হেলান দিয়ে বসে থাকা এক বয়স্ক মানুষের মৃতদেহ আর তাঁকে ঘিরে জনতার জটলা দৃশ্যটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এইভাবে মহানগর কলকাতার বুকে একজন বয়স্ক মানুষ রাস্তায় পড়ে মারা যাবেন আর তাঁর মৃতদেহকে ঘিরে সং সেজে দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের ভিড় বড্ড মর্মান্তিক এ ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ঘোষিকা বলে চলেছেন ঘটনার পর্যায়ক্রম প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী বাসটি যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার কিছু পরই বসার সীট নিয়ে একজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের সাথে ঐ প্রৌঢ়ের বচসা বাধে যাদবপুর থানার সিগন্যালে বাস থামলে সেই অজ্ঞাতপরিচয় যুবক বচসা ছেড়ে অকস্মাৎ বাস থেকে নেমে যায় এরপরই সেই প্রৌঢ়ের হঠাৎ হৃদ যন্ত্রণা শুরু হয় এবং কিছুক্ষণ পর তিনিও বাস থেকে নেমে যান তারপর বাসের চাকায় হেলান দিয়ে ঐরকমভাবে বসেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় অনুমান করা হচ্ছে সেই অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের সাথে বচসার জেরেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে খবরটা দেখে কৃশানুর বাবা ভীষণ আফশোস করলেন এই প্রজন্মের নীতিগত অবক্ষয় দেখে তার মা ও খুব মর্মাহত হয়ে বলে ফেললেন সেই যুবকও একদিন প্রবীণ নাগরিক হবে সেদিন তাকেও এমনই ভর্ৎসনার মুখোমুখি হতে হবে তার বোন কৃত্তিকা তো ঐ বৃদ্ধের এমন পরিণতি দেখে নিঃশব্দে কেঁদেই ফেলল কেবলমাত্র কৃশানু নির্বিকার তার ঘুম একেবারে উবে গেছে ততক্ষণে নির্বিকার না হয়ে তার তো অন্য কোনও উপায়ও নেই সে যে চিনতে পেরেছে ঐ মৃত প্রৌঢ়কে ঐ নীল হলুদ বাসটিকে এমনকি ভিড়ের কিছু কিছু মুখও যে তার চেনা সে চেনে না শুধু এই কৃশানুকে যে মুষ্টিমেয় কয়েকজন মানুষের দাবিকে অন্যায় ও অন্যায্য মনে করে তাঁদের পুরো প্রজন্মকেই প্রবল ভর্ৎসনা করে ফেলেছে যে কৃশানু কেবলমাত্র একটি খবর শুনেই ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল ভেবে সমাজের সবচেয়ে সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গকে অপমান করেছে সেই কৃশানুও তার অচেনা সরকারী অনুদান কিংবা যানবাহনে বিশেষ ছাড় যে এই সমাজের প্রবীণদেরকে একরকম সম্মানজ্ঞাপন করা তাঁদের উপর দয়া বা করুণা করা নয় সে সম্পর্কে অবুঝ কৃশানুও তার কাছে অপরিচিত সেই বৃদ্ধের মৃত্যুর কারণ যা ই হোক না কেন তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী একমাত্র কৃশানু এই দায়ের পাষাণভার নিয়েই তাকে সারাজীবন চলতে হবে কোনও মন্তব্য না করে চেয়ার ছেড়ে উঠে ধীরপায়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল কৃশানু ওদিকে টিভিতে নিউজ় রিপোর্টার বলে চলেছে এই সেই বাস এই হল সেই সামনের চাকা তিনি ঠিক এইভাবেই বসে ছিলেন মারা যাবার সময় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার মা নিভেছে ক্ষমার অযোগ্য শেষ বিকেলের বাংলা কত কিছু হয় নি বলা অন্বেষণ এবার নিয়ে ছ বার হল ক্যাশলেস ও একটি গন্ডার লকডাউন দুই বিন্দু শিশির দিনের শেষে বুড়োদাদুর গল্পের ঝুলি অন্তরের আলো পরিচালক ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর রম্য রচনা দায়ী পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত দায়ী দায়ী লেখা অনির্বাণ সরকার আজ সকালে টিভিতে একটি খবর দেখে কৃশানুর মন মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়ে গেল সে রাজ্য সরকারের একটি সাধারণ যোগ্যতামূলক চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিল যার ফল বেরনোর সম্ভাবনা ছিল এই সপ্তাহেই কিন্তু আজ টিভিতে একটি খবরের চ্যানেলে সম্প্রচারিত হল যে সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার খবরে আরও জানাল গতবছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও এক জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন যে এইধরণের সরকারী চাকরিতে কেবলমাত্র অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদেরই যার যার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে নিয়োগ করা হবে অথচ পরবর্তীতে ঐ চাকরির বিজ্ঞাপন বের হয় শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে সেখানে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদের বিষয়ে কোনও কথা লেখা ছিল না ফলে হাজার হাজার যুবক যুবতীরা সেই চাকরির পরীক্ষায় বসে খবরে যা বলল সেই অনুযায়ী এর পরের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ ও চিত্তাকর্ষক কিছু অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকরা মিলে মুখ্যমন্ত্রীর ঐরকম ঘোষণার পরও উক্ত পরীক্ষাটির চয়নপদ্ধতি নিয়ে প্রথমে আর টি আই এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টে কেস করে দিলেন কোর্টের নির্দেশানুসারে পরীক্ষা বাতিল হল যার ফলস্বরূপ আজকের এই খবর কৃশানুর এই চাকরিটার খুব দরকার ছিল আর বেশীদিন বেকার এর তকমা লাগিয়ে বাড়িতে বসে থাকা যাচ্ছিল না যোগ্যতা ও পরীক্ষা দু টোই অনুকূলও ছিল কিন্তু তার আকাঙ্ক্ষার পথে বাধ সাধল সেই আর টি আই আর কোর্ট কেস নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নকে চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে তার সব রাগ ও ক্ষোভ গিয়ে পড়ল সমাজের সকল অবসরপ্রাপ্ত বরিষ্ঠ ও প্রবীণ নাগরিক অর্থাৎ রিটায়ার্ড সিনিয়র সিটিজ়েনদের উপর অবশ্য সেই রাগের ছিঁটেফোঁটাও বাড়িতে মা বাবা ও বোনের উপরও পড়ল আজ তার একটি প্রয়োজনীয় বিশেষ কাজে গড়িয়াহাট যেতে হবে এ বেলায় গিয়েই সেরে আসবে ভেবে সে তিরিক্ষি মেজাজ ও একরাশ বিরক্তি নিয়েই বাড়ি থেকে রওনা হল সন্তোষপুর জোড়া ব্রীজ বাসস্ট্যান্ড থেকে গড়িয়াহাটগামী একটি বাসে উঠে পড়ল কৃশানু বাস মোটামুটি ফাঁকা প্রাত্যহিক ঝঅফিস টাইম সবে শুরু হচ্ছে তবে সাধারণের বসার সীটগুলি ফাঁকা নেই গন্তব্য খানিকটা দূরে বলে অবশেষে একটি খালি সিনিয়র সিটিজ়েন এর সীটেই বসে পড়ল সে প্রাক জমজমাট রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে চলতে চলতে বাসটি যাদবপুর এসে পৌঁছল কিছু লোক নেমে গেল বাস থেকে আর বেশ কয়েকজন তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠে এল আগের যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় যে সীটগুলি খালি হয়েছিল মুহূর্তের মধ্যে নতুন যাত্রীতে ভরে গেল সেগুলো এই শহরের নিত্যদিনের ছবি এটা ভিড়ে সকলের পিছনে ছিলেন আন্দাজ সত্তরোর্ধ্ব সম্ভ্রান্ত চেহারার এক বয়স্ক ভদ্রলোক কোনওক্রমে ভিড় সামলে বাসে উঠলেন তিনি তারপর অন্যান্য যাত্রীদের পা বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে নিজে সাবধানে পা ফেলে কৃশানুর সামনে এসে দাঁড়ালেন কৃশানু সকাল থেকেই অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণদের উপর রেগে বসে আছে ফলে ঐ বয়স্ক মানুষটি তার সামনে এসে দাঁড়ানোয় তার বিরক্তির মাত্রা বেশ ভালরকমই বেড়ে গেল কোনওরকম সৌজন্য দেখানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল না সে আপন খেয়ালে যেন তাঁকে দেখেইনি এমন ভাব করে সেই সিনিয়র সিটিজ়েন এর সীটেই বসে রইল নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে ওদিকে প্যাসেঞ্জার ওঠা নামা সেরে বাস আবার চলতে আরম্ভ করল জুন মাসের সকালের ক্রমবর্ধমান ভ্যাপসা গরমে ভিড় বাসে সকলেই কষ্ট পেতে শুরু করেছে ততক্ষণে সেই বয়স্ক ভদ্রলোক ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার আড়চোখে কৃশানুকে দেখেছেন সিনিয়র সিটিজ়েন দের সীটগুলোয় পরপর সব বৃদ্ধরাই বসে আছেন শুধুমাত্র সে ছাড়া তাকে সীট ছাড়তে বলতে তাঁর বোধ হয় সঙ্কোচ হচ্ছে তাই মুখে কিছু বলছেন না এদিকে গরমে আর ভিড়ের চাপে তো দাঁড়িয়ে থাকাও মুশকিল যাদবপুর ইউনিভার্সিটির চার নম্বর গেট পেরনোর পর আর ঐ অসহনীয় অবস্থায় থাকতে না পেরে শেষে বাধ্য হয়েই সেই বৃদ্ধ মানুষটি কৃশানুকে সামান্য আর্তকণ্ঠে বললেন ভাই তুমি যে সীটে বসে রয়েছ সেটা সিনিয়র সিটিজ়েনদের জন্য আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি ভিড় ও গরমে কষ্ট করছি তা সত্ত্বেও তুমি এমন ভাব করছ যেন আমায় দেখতেই পাওনি দয়া করে সীটটা একটু ছাড়বে আমি ধর্মতলা যাব কৃশানুর মনের ভিতর জমে থাকা অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদের উপর সমস্ত ক্ষোভ যেন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মত বেরিয়ে এল সবসময় সরকারী নিয়ম কানুনের সুবিধা ভোগ করতে খুব ভাল লাগে না আপনাদের যেখানে যান সেখানেই কনসেশন আর ভর্তুকি পান বাসে একই ভাড়া দিয়ে সীটের সুবিধা ট্রেনে এক তৃতীয়াংশ ভাড়ায় সকলের সমান সুবিধে হসপিটাল ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিস বাজার এল পি জি সর্বত্র আপনাদের ছাড় তার এই আকস্মিক বিস্ফোরণে সেই বৃদ্ধ একেবারে স্তম্ভিত ও হতভম্ব হয়ে গেলেন আশপাশের যাত্রীরাও কৃশানুর আচমকা এভাবে অপ্রাসঙ্গিক ক্ষোভে ফেটে পড়াতে সম্পূর্ণ হতবাক কারও মুখে কথা সরছে না ওদিকে কৃশানুর তিরস্কার প্রবল হতে হতে চরমে পৌঁছেছে রিটায়ারমেন্টের পর সমাজে কোনও অবদান নেই শুধু কন্ সেশনের ধান্দা গভর্ণমেন্টের স্কীম আর ভর্তুকির ফিকির খুঁজে কেবলমাত্র নিজের সুযোগ সুবিধাটুকু বুঝে নেওয়া চাই সেখানে সামান্য কমতি হলেই চললেন বাবু আর টি আই করতে বা কোর্টে কেস করতে কাজ কাম কিছু নেই ঘন ঘন ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স চেক করা সকাল সন্ধ্যা পার্কে হাঁটা আর সরকারের এবং ইয়ং জেনারেশনের নিন্দা করা এ ই তো পারেন বৃদ্ধ এখনও সামলে উঠতে পারেননি ফ্যালফ্যাল করে কৃশানুর দিকে তাকিয়ে আছেন নির্বাক দৃষ্টিতে যাত্রীদের অধিকাংশই স্বভাবসিদ্ধ ব্যস্ততা নিয়ে নিজের নিজের মোবাইল ফোন ঘাঁটছে আর বাকিদের কেউ কেউ সকালবেলায় এই নাটকের দৃশ্য উপভোগ করছে আবার কেউ বা বিরক্তি বিড়ম্বনা মনে করে জানালা দিয়ে বাইরে দেখছে বাসের কন্ডাক্টর টিকিট কাটতে ব্যস্ত কেউই কিন্তু ওদের ব্যাপারে ঢুকছে না বা সর্বসমক্ষে কৃশানুকে কিছু বলতে সাহস করছে না পরিশেষে কৃশানু নিজেই এই নাটকের দৃশ্যের যবনিকা টানল ক্ষোভের একেবারে শেষটুকু সে উগরে দিল সেই বয়স্ক মানুষটির উপরে আপনি ও আপনাদের মত সব রিটায়ার্ড সিনিয়র সিটিজ়েনরা এই সমাজের বোঝা জঞ্জাল বুঝেছেন আপনারা সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে সেই সরকারেরই নিন্দা করেন ইয়ং জেনারেশনকে মনে করেন গুড ফর নাথিং কিন্তু জেনে রাখুন এই ইয়ং জেনারেশন আসলে বেটার ফর এভ্ রিথিং সারাজীবনই তো চাকরি বাকরি করলেন এবার আমাদেরও একটু সুযোগ দিন সেখানেও তো ভাগ বসাচ্ছেন আপনারা লজ্জা করে না হাজার হাজার বেকার ছেলে মেয়েদের পেটে লাথি মারতে বাস এতক্ষণে যাদবপুর থানার সিগন্যালে এসে দাঁড়িয়েছে কৃশানু নিজের শেষ কথাগুলো বলে নিয়ে লক্ষ্য করল অন্যান্য যাত্রীরা এবার তাদের দিকে তাকিয়েছে সে বুঝল একটা পলিটিক্যাল কমেন্ট করে ফেলেছে সে কাজেই এই বাসে তার আর যাওয়া ঠিক হবে না একটু শান্ত হল সে তারপর উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই সেই বৃদ্ধের উপর ঝেড়ে দিল তার বাকি রাগটুকু নিজেদের অধিকারবোধটা বজায় রাখতে খুব পটু আপনারা তাতে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হোক বা লোকেরা জাহান্নামে যাক আপনাদের কিস্যু এসে যায় না নিন বসুন আপনার অধিকারে হস্তক্ষেপ করে সমাজের অপরাধী হয়ে থাকতে পারব না কথাগুলি সেই সত্তরোর্ধ্ব বয়স্ক ভদ্রলোকের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিয়েই সকলের হতভম্বতার মাঝখানে কৃশানু কোনওদিকে না তাকিয়ে ভিড় ঠেলে বাস থেকে নেমে এল রাস্তায় গড়িয়াহাটের কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে কৃশানুর বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেল ইতিমধ্যে তার মন ভাল হওয়ার মত ঘটনাও ঘটে গিয়েছে সকালে যাবার সময় তার মন যতটা ক্ষুব্ধ ছিল বাড়ি ফেরার সময় ঠিক ততটাই প্রফুল্ল হয়ে উঠেছে সকালে যে পরীক্ষার পুরো পদ্ধতি বাতিল হওয়ার খবর শুনে তার এত রাগ আর ক্ষোভ দুপুর নাগাদ খবর এল যে সেই পরীক্ষা এবং আরও অন্যান্য যেসব পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গিয়েছে সরকারের তরফে সেগুলো বাতিল করা হবে না এবছরের মত সেইসব পরীক্ষা ও তৎপরবর্তী পর্যায়গুলি বহাল রাখছে সরকার আগামী দিনে ঐ ধরণের যেসব পরীক্ষা হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বলবৎ করা হবে অর্থাৎ ভবিষ্যতে যেকোনও অনুরূপ সরকারী চাকরিতে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদেরকে নিয়োগ করবে সরকার সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যপালের সমর্থন এবং হাইকোর্টের অনুমোদন পেয়ে যাবে টিভিতে খবরের চ্যানেলগুলো সরকারের ঐ সিদ্ধান্তের কথা এবং দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও ফুটেজ বারবার দেখাচ্ছে কৃশানু ও তার বাড়ির লোক ভীষণ খুশী খাবার টেবলে বসে ডিনার করতে করতে পুরো পরিবার একসঙ্গে সেই খবর দেখল প্রধান খবর দেখানো শেষ হলে এবার শুরু হল সংবাদমাধ্যমের সার্কাস সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সরকারের ঐ সিদ্ধান্তকে মানুষের হিতের পক্ষে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলগুলির সদস্যরা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার রসদ হিসেবে প্রচার করলেন এদিকে শহরের সিনিয়র সিটিজ়েনদের অ্যাসোসিয়েশন সেই একই জিনিসকে তাঁদেরই নৈতিক জয় বলে মান্যতা দিলেন অন্যদিকে বেশ কিছু যুবক যুবতী গোটা ব্যাপারটাকে একটা রাজনৈতিক প্রহসনরূপে দেখছে তাদের মধ্যে যারা চাকরিজীবী বা বিভিন্নরকম কাজে নিযুক্ত তারা বলল যে এতে বেকারত্ব গুণোত্তর প্রগতিতে বাড়বে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করে কিংবা স্বনির্ভরভাবে কাজ করে তাদের মতে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারে থাকা দলটি একাধারে চাকরিজীবীদের আর অন্যদিকে প্রবীণ নাগরিকদের ভোট নিজেদের ঝুলিতে নিয়ে এল কিন্তু তাদের জন্য কিছুই করল না আর যারা বেকার তারা বলল যে তাদের প্রতি ঘোর অন্যায় হয়েছে বলে তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে আবার কিছু মানুষের মনে হয়েছে সরকার শুধুমাত্র সমাজের বরিষ্ঠ নাগরিক এবং চাকরিজীবীদের নিয়েই ভাবে সাধারণ মানুষ এর জন্য কিছু করে না এতে বোঝা গেল আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষ বলে আরেকটি প্রজাতি রয়েছে তবে এদেরকে কেউ চিহ্নিত করতে পারে না এরপর আরম্ভ হল লাইভ টক শো যেখানে গোটা বিষয়টা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্বপক্ষে বিপক্ষে উভয়পক্ষে চলল রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের বাক বিতণ্ডা সেই শো তে কেউ কেউ চরম আত্মবিশ্বাসের সাথে অনর্গল ভুল বলতে থাকে এর পরে একটু বিরতি কৃশানুর ঘুম ধরে এসেছিল কিন্তু বিরতির পরে হঠাৎ একটি খবর দেখাতে লাগল সংবাদমাধ্যমটি খবরটির শিরোনাম হল যুবকের ভর্ৎসনায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু সাথে ইনসেটে একটি নীল হলুদ রঙের বাসের বাঁদিকের সামনের চাকায় হেলান দিয়ে বসে থাকা এক বয়স্ক মানুষের মৃতদেহ আর তাঁকে ঘিরে জনতার জটলা দৃশ্যটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এইভাবে মহানগর কলকাতার বুকে একজন বয়স্ক মানুষ রাস্তায় পড়ে মারা যাবেন আর তাঁর মৃতদেহকে ঘিরে সং সেজে দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের ভিড় বড্ড মর্মান্তিক এ ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ঘোষিকা বলে চলেছেন ঘটনার পর্যায়ক্রম প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী বাসটি যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার কিছু পরই বসার সীট নিয়ে একজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের সাথে ঐ প্রৌঢ়ের বচসা বাধে যাদবপুর থানার সিগন্যালে বাস থামলে সেই অজ্ঞাতপরিচয় যুবক বচসা ছেড়ে অকস্মাৎ বাস থেকে নেমে যায় এরপরই সেই প্রৌঢ়ের হঠাৎ হৃদ যন্ত্রণা শুরু হয় এবং কিছুক্ষণ পর তিনিও বাস থেকে নেমে যান তারপর বাসের চাকায় হেলান দিয়ে ঐরকমভাবে বসেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় অনুমান করা হচ্ছে সেই অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের সাথে বচসার জেরেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে খবরটা দেখে কৃশানুর বাবা ভীষণ আফশোস করলেন এই প্রজন্মের নীতিগত অবক্ষয় দেখে তার মা ও খুব মর্মাহত হয়ে বলে ফেললেন সেই যুবকও একদিন প্রবীণ নাগরিক হবে সেদিন তাকেও এমনই ভর্ৎসনার মুখোমুখি হতে হবে তার বোন কৃত্তিকা তো ঐ বৃদ্ধের এমন পরিণতি দেখে নিঃশব্দে কেঁদেই ফেলল কেবলমাত্র কৃশানু নির্বিকার তার ঘুম একেবারে উবে গেছে ততক্ষণে নির্বিকার না হয়ে তার তো অন্য কোনও উপায়ও নেই সে যে চিনতে পেরেছে ঐ মৃত প্রৌঢ়কে ঐ নীল হলুদ বাসটিকে এমনকি ভিড়ের কিছু কিছু মুখও যে তার চেনা সে চেনে না শুধু এই কৃশানুকে যে মুষ্টিমেয় কয়েকজন মানুষের দাবিকে অন্যায় ও অন্যায্য মনে করে তাঁদের পুরো প্রজন্মকেই প্রবল ভর্ৎসনা করে ফেলেছে যে কৃশানু কেবলমাত্র একটি খবর শুনেই ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল ভেবে সমাজের সবচেয়ে সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গকে অপমান করেছে সেই কৃশানুও তার অচেনা সরকারী অনুদান কিংবা যানবাহনে বিশেষ ছাড় যে এই সমাজের প্রবীণদেরকে একরকম সম্মানজ্ঞাপন করা তাঁদের উপর দয়া বা করুণা করা নয় সে সম্পর্কে অবুঝ কৃশানুও তার কাছে অপরিচিত সেই বৃদ্ধের মৃত্যুর কারণ যা ই হোক না কেন তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী একমাত্র কৃশানু এই দায়ের পাষাণভার নিয়েই তাকে সারাজীবন চলতে হবে কোনও মন্তব্য না করে চেয়ার ছেড়ে উঠে ধীরপায়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল কৃশানু ওদিকে টিভিতে নিউজ় রিপোর্টার বলে চলেছে এই সেই বাস এই হল সেই সামনের চাকা তিনি ঠিক এইভাবেই বসে ছিলেন মারা যাবার সময় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার মা নিভেছে ক্ষমার অযোগ্য শেষ বিকেলের বাংলা কত কিছু হয় নি বলা অন্বেষণ এবার নিয়ে ছ বার হল ক্যাশলেস ও একটি গন্ডার লকডাউন দুই বিন্দু শিশির দিনের শেষে বুড়োদাদুর গল্পের ঝুলি অন্তরের আলো পরিচালক ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর রম্য রচনা দৃষ্টি পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ান লাইনে দাঁড়িয়েও ঘুম দাদা কি রাতে সিঁদ কাটতে বেরোন নাকি রাতে ভালো ঘুম হয় নি আরে না না রাতে বোধ হয় দাদার ফুটবল ম্যাচ ছিল এতক্ষণে বুঝতে পারলাম আমি আছি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি ব্যস্ততম শাখা অফিসের টাকা জমা তোলার লাইনে আর আমাকে লক্ষ্য করে লাইনে দাঁড়ান আশে পাশের লোকেদের এই বাক্যবান হ্যাঁ এটা আমার একটা বিশেষ গুন যেখানে সেখানে শুয়ে হোক বসে হোক দাঁড়িয়ে হোক যখন তখন ঘুমোতে পারার ক্ষমতা শুনেছি এটা নাকি সবার থাকে না বিরল প্রতিভাধর ব্যক্তিদেরই নাকি এই বিশেষ ক্ষমতা থাকে শোনা যায় নেপোলিয়ন বোনাপার্টেরও নাকি এই বিশেষ গুন ছিল এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও যুদ্ধ শুরু হওয়ার আধ ঘন্টা আগে তিনি ঘোড়ার পিঠে ঘুমিয়ে নিতে পারতেন সেদিক দিয়ে নেপোলিয়নের সঙ্গে আমার অদ্ভুত মিল কিন্তু তাই বলে মুখের উপর এতটা অভদ্রতা সামনের লোককে দেওয়ার মত একটা যুতসই জবাব মুখে এসে গেছিল সেই জবাব দেওয়ার জন্য মুখ তুলতেই মুখের জবাব মুখেই রয়ে গেল সেই দৃষ্টি কাউন্টারের ওপার থেকে নির্নিমেষে আমার দিকে তাকিয়ে কিন্তু আজ সেই দৃষ্টিতে কি হাসির আভাষ আমি অনেকক্ষণ তাকিয়েও কিছু বুঝতে পারলাম না কিন্তু একটা খুশির হাওয়া যেন আমার চার পাশ দিয়ে বয়ে গেল আজ্ঞে হ্যাঁ আজ গত তিন মাস যাবৎ এই দৃষ্টি থেকে নিঃসৃত অদৃশ্য অনুভূতির সাগরে আমি নাকানি চোবানি খাচ্ছি বলতে পারেন কখনও খুশির জোয়ারে ভাসছি আবার কখনও বিষাদের ঢেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে কখনও চিন্তার সমুদ্র ডুবিয়ে দিতে চাইছে আবার কখনও নিশ্চিন্ততার স্রোতে গা ভাসিয়ে চলেছি কখনও এই দৃষ্টি আমাকে ক্রশবিদ্ধ করছে আবার ক্রুশের ক্ষতে মলম লাগাচ্ছেও এই দৃষ্টি এক কথার এখন আমার হয়েছে এই দৃষ্টি অন্ত প্ৰাণ তাহলে প্রথম থেকেই শুরু করা যাক আমি শ্ৰীমান অচেনা ঘোষ পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়পুর গ্রামের সাবেক অধিবাসী শ্রীযুক্ত অনুষ্ঠান ঘোষের একমাত্র পুত্র আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতাঠাকুর তাঁর বাবা অর্থাৎ আমার পিতামহ ঈশ্বর ব্যস্তবাগীশ ঘোষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রায় নব্বই বিঘা ধানী জমি তৎসহ তিন বিঘা করে দুইটি বিশাল পুকুর ষোল বিঘার ফল বাগান আর বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ফিক্স ডিপোজিট হিসেবে প্রায় ষাট লক্ষ টাকা পেয়েছেন এই জমি পুকুর বাগান আবার আমার পরম শ্রদ্ধেয় স্বর্গীয় পিতামহ বংশগত উত্তরাধিকার হিসেবে পেয়েছিলেন সুতরাং ব্যস্তবাগীশ নাম হলেও তাঁর জীবনে কখনও ব্যস্তবাগীশ থাকার প্রয়োজন হয় নি বরং পরম আয়েসে পায়ের উপর পা তুলে কাটিয়েছেন এবং আমার পিতাঠাকুরকেও জীবনধারনের এই সহজতম পথটি দেখিয়েছেন বলা বাহুল্য আমার পিতাঠাকুরও আমাকে এই যন্ত্রেই দীক্ষিত করতে চান কিন্তু আমি বুঝলেন কি না একটু অন্য ধাতুতে গড়া বাপ ঠাকুরদার পয়সায় পায়ের উপর পা তুলে খাওয়ার বান্দাই আমি নই তাই রায়পুর প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রতিটা পরীক্ষায় অসাধারণ ভাল নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে জলপানি অর্থাৎ স্কলারশিপ পেয়ে কলকাতার একটি বিখ্যাত কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করে কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে সেখানেও গৌরবের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতার একটি স্বনামধন্য কলেজের আজ আমি প্রফেসর এর ফলে আমার শ্রদ্ধেয় পিতাঠাকুর শ্রীযুক্ত অনুষ্ঠান ঘোষ তাঁর জীবনের আরেকটি পরম গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান অর্থাৎ বিবাহের যুপকাষ্ঠে আমার মাথাটি গলিয়ে দেবার জন্য বিশেষভাবে উদগ্রীব কিন্তু আমি আমার মাথাটা এত সহজে কাটা যাক তা কখনই চাই না স্বাধীনতা বড়ই প্রিয় আর এই কম বয়সে নিজের অর্ধেক স্বাধীনতা কে বিকিয়ে দিতে চায় বলুন তাছাড়া এখন আমার একটা বিশেষ লক্ষ্য যাথায় এসেছে কলকাতার একটি বিশেষ অভিজাত এলাকায় সম্পূর্ণ নিজের ব্যয়ে একটি মহার্ঘ্য বাংলো কেনা তাই কলকাতার একটা সস্তা মেসে একটা মাঝারি ঘরে পাঁচজনের একজন রুমমেট হিসেবে প্রচুর কৃচ্ছসাধন করে থাকি আর আমার লক্ষাধিক টাকার মাইনের বেশীরভাগটাই ব্যাঙ্কে রাখি আর এই ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে গিয়েই আসল ঘটনা শুরু আমার আগের দুটো ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে এখন স্টেট ব্যাঙ্কের নতুন একটা শাখায় রেকারিং অ্যাকাউন্ট খুলব ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ঘরে ফর্ম ভরে সই সাবুদ করেছি ম্যানেজারবাবু বললেন যান এবার কাউন্টারে গিয়ে টাকাটা জমা দিয়ে আসুন আর তা করতে গিয়ে কাউন্টারের লাইনে দাঁড়াতেই ধাক্কা কাউন্টারের ওধারে ক্যাশিয়ারের আসনে তন্বী বেনীবদ্ধ দীর্ঘকেশী গৌরাঙ্গী কমল নয়না সুগঠনা তাম্বুল পত্রাননা অর্থাৎ পান পাতার যত মুখ বিশিষ্ট্যা গোলাপী ঠোঁটের এক বঙ্গতনয়া অর্থাৎ বাংলার কন্যা কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদ্মপাতার যত আকর্ণ অথচ গভীর মোলায়েম অন্তর্ভেদী ওই দুটি চোখের দৃষ্টি ওই দুটি কালো তারায় কিসের ভাষা আতিথ্যের কানের কাছে আচমকা যেন চার্চের ঘন্টার মত একটানা একটা ঘন্টা বাজতে লাগল আচমকা যনে পড়ল ভবেশদার কথা ভবেশদা অর্থাৎ আমার মেসের রুমমেটদের একজন একটু প্লেবয় গোছের এমনিতে চেহারায় বিশেষত্ব কিছু নেই নাটা যাঝারি গঠন কিন্তু টকটকে ফর্সা রং অসম্ভব টিকলো নাক পরিষ্কার করে দাড়ি গোঁফ কাযান মুখ ছুঁচলো চিবুক পরিষ্কার ঝকঝকে চোখ তাতে আবার গোল্ডেন ফ্রেমের চশমা মুখে সব সময় গোল্ড ফ্লেক সিগারেট চেহারায় সব সময় কেমন যেন একটা ওপর চালাক সবজান্তা গোছের ভাব ভবেশদা অবশ্য বলে ইন্টেলেকচুয়্যল ভাব আমার কিন্তু মনে হয় ঘোড়দৌড়ের এজেন্ট তা এই ভবেশদার জন্য নারীরা পাগল ভবেশদা যেখানেই যায় শ্রীকৃষ্ণের একশ এক গোপিকা পরিবৃত থাকার মত সব সময় রমনীকুল দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে এ ব্যাপারে আমাদের ভবেশদার উপর যথেষ্ট ঈর্ষা আছে ভবেশদাও সময়ে অসময়ে এ জন্য আমাদের কাছে অনেক ফাট দেখায় অর্থাৎ গর্ব করে থাকে এই ভবেশদাই একদিন বলছিল ক্রিকেট খেলেছ গুরু ব্যাট করার সময় কি করতে হয় বোলারের হাত থেকে বেরোন বলের দিকে সব সময় নজর রাখতে হয় বল থেকে কখনও নজর হঠাতে নেই কিন্তু মেয়েদের বেলায় বস্ সব উল্টো প্রথম দর্শনে ওদের চোখের দিকে বেশিক্ষণ তাকাবে না তুমি দুরে কোন দেওয়ালের দিকে তাকাও গাছের দিকে তাকাও অথবা মেয়েটার পাশে দাঁড়ানো লোকের দিকে কিন্তু মেয়েটার দিকে নৈব নৈব চ এর দুটো ফল আছে প্রথমতঃ মেয়েটার চোখে তোর একটা যাচো ইমেজ তৈরী হবে যেটা মেয়েদের খুব পছন্দ আর দু নম্বর মেয়েরা সব সময় চায় যে ছেলেরা তা সে যেমনই হোক তাদের দিকে চোখ বড়ো বড়ো করে তাকাক কিন্তু তোর বেলা সেটা না করতে পারাতে তোকে আরো আকর্ষণ করতে চেষ্টা করবে কিন্তু মেয়েদের দিকে প্রথমে বেশিক্ষণ তাকিয়েছ কি তুমি ফেকলু মনে রেখ মেয়েদের চোখের নজর এক একটা বাউন্সার ঠিক যত না খেলতে পেরেছ কি বোল্ড কিন্তু আজ এই দৃষ্টির সামনে থেকে চোখ সরাব কি করে এ দৃষ্টি তো আমাকে অচল অনড় অসাড় করে দিয়েছে অতএব স্লিপে ক্যাচই গেল বোধ হয় একটা ঘোরের মধ্য দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে এলাম তারপর যেখানেই দেখি সেই চোখ নীল আকাশে গাছের প্রতিটা পাতায় সূর্যে ভেসে মেঘে খবরের কাগজ বিক্রেতার খবরের কাগজের পাতায় পাতায় পোস্টারের ছবিতে সেই এক মুখ এরপর থেকে প্রায় রোজ যাই ওই ব্যাঙ্কে এর জন্য আমাকে অবশ্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয় যেমন ধরুন আমি ব্যাঙ্কে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রতি মাসে রাখি তো একবারে পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা না দিয়ে পাঁচ হাজার করে দশ বার জমা দিই আবার আজ পাঁচ হাজার জমা দিয়ে কাল তিন হাজার তুললাম আবার এই তিন হাজার জমা দেওয়ার জন্য পরশু দিন আবার ব্যাঙ্কে গেলাম এইভাবে ছুটির দিনগুলো বাদ দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ওই ব্যাঙ্কে যাই আর প্রতিদিনই দেখি ওই বিশেষ দৃষ্টির বিভিন্ন রূপ বিভিন্ন ভাষা কোনদিন হয়তো দেখি ওই চোখে পেশাদারিত্বের আত্মপ্রত্যয় আবার কোনদিন হয় তো দেখি অধিক পরিশ্রমের ক্লান্তি একদিন দেখলাম ওই চোখ ছলোছলো শুনলাম চোখের মালিকের যায়ের গুরুতর অসুখ আবার সুস্থ হওয়ার পর দেখলাম ওই চোখেই নিশ্চিন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস যাইনের টাকা কম ঢোকায় একদিন ওই চোখে ছিল উদ্বেগ আবার একদিন বান্ধবীর বিয়ের নেমন্তন্নে খেতে যাওয়ার আগে সেজে গুজে আসা চোখের মালিকের দুই চোখে ছিল আসন্ন সুন্দর সময় কাটানোর ভাবী উচ্ছ্বাস সেই উচ্ছ্বাস সেদিন আমারও উপর বর্ষিত হল উদারতার বার্তা নিয়ে আচ্ছা আপনাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছেন যিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা জমা তোলার লাইনে ভীড় দেখলে বিরক্ত না হন আপনাদের মধ্যে কত জন কত বার ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে পেছনের লোককে নিজের সামনে এগিয়ে দিয়েছেন তাহলে জেনে নিন আমার অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়াল যে ব্যাঙ্কে লম্বা লাইন দেখলে আমি আনন্দিত হয়ে পড়ি আবার কখনও কখনও আমার পেছনে অনেক লোক দাঁড়িয়ে পড়লে কোন একটা বাহানায় লাইন ছেড়ে অন্য কোন কাউন্টারে গিয়ে আবার ফিরে এসে ওই লাইনের একবারে শেষে গিয়ে আবার দাঁড়িয়ে পড়ি বলা বাহুল্য সবই ওই একটা বিশেষ লাইনে বিশেষ একটি দৃষ্টির সামনে যতক্ষন বেশী সম্ভব থাকবার জন্য শুধু যে ব্যাঙ্কের মধ্যেই এই দৃষ্টির সম্মুখীন হই তা নয় কখনও সখনও ব্যাঙ্কের বাইরেও এই চোখের দেখা পাই যেমন এই তো সেদিন প্ৰায় সন্ধ্যা ছয়টা আমি ব্যাঙ্কের ওই শাখারই আশেপাশে ঘুরঘুর করছি এমন সময় ভেতর থেকে বেরিয়ে এল আমার স্বপনচারিনী এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এ যেয়ে এতদিনে আমার স্বপনচারিনী হয়ে উঠেছে সঙ্গে আরও কয়েকটি তরুনী এতদিন ব্যাঙ্কের এই শাখায় যাওয়া আসার সুবাদে জানতে পেরেছি এরা সবাই একই জায়গায় কাজ করে তা বেরিয়েই তিনি অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন আপনারা কি কখনও অজগর সাপের শিকার করা দেখেছেন শুনেছি অজগর তার দৃষ্টি দিয়ে সম্মোহন করে হরিণ ছানাকে আকর্ষণ করে নিজের মুখগহ্বরে এনে ফেলে সেই সন্ধ্যা বেলায় ব্যাঙ্কের বাইরে তেনার ওই দৃষ্টিনিক্ষেপের ফলে আমারও ওই হরিণছানার দশা হল চোখ সরাতে পারছি না কখন যে ওই দৃষ্টিতে আচ্ছন্ন হয়ে ওদের ফলো করে শিয়ালদহগামী বাসে উঠেছি কখন যে শিয়ালদহ ষ্টেশনের সাউথ সেকশনের প্লাটফর্মে চলে এসেছি আমি নিজেও জানি না টিকিট চমক ভাঙল একটা ভারী গলার আওয়াজ শুনে টিকিট মুখ তুলে দেখি কালো কোট পরিহিত স্থূলবপুর এক টি টি ই আমার কাছে টিকিট চাইছেন ইয়ে স্যার আমি যানে এখানে এসেছিলাম চেনা কয়েকজন বন্ধুকে সি অফ্ করতে বন্ধু কোথায় তারা আরে মশাই তাহলেও তো প্লাটফর্ম টিকিট কাটতে হয় ওই যে ওদিকে আমার আঙুল অজান্তে চলে গেছে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা সোনারপুর লোকালের দিকে যেখানে সোনারপুরগামী লোকালের সামনে ওরা দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু হায় সেখানে এখন ভোঁ ভাঁ কেউ নেই কোথায় আপনার চেনা বন্ধু আরে রাখুন যশাই ওসব অনেক দেখা আছে এখন বার করুন টাকা আর নয়তো চলুন আমাদের অফিসে হঠাৎ লোকালের দিকে চেয়ে দেখি ছেড়ে যাওয়া লোকালের দরজা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে দুটি চোখ কিন্তু ওই দুটি চোখ কি মনে হল আমার কাছে নীরবে ক্ষমা চাইছে এইরকম আরেকদিন কলেজ যাওয়ার আগে নতুন কেনা স্যুট ট্রাউজারস্ পড়ে বেরিয়েছি রাস্তায় দেখা সেই চোখের সেও বোধহয় ব্যাঙ্কে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছেন আবার সেই সম্মোহিত হয়ে অনুসরণ যা শেষ হল পি ডব্লিউ ডি এর সদ্য খোঁড়া কোমড় সমান জল কাদা ভরা গর্তে আমার নেমে গিয়ে খিলখিল হাসির শব্দে চেয়ে দেখি ওই দুটি চোখের কোনে নিৰ্মল হাসির ফোয়ারা আবার আরেকদিন দুপুর বেলা গিয়ে দেখি উনি আগের দিনের যত দল বেঁধে লাঞ্চ করতে বেরিয়েছেন যথারীতি আমার বিযুগ্ধ অনুসরন শেষ হল একটি নামী রেস্তোঁরায় ঢুকে একজন উর্দিপরা বেয়ারার সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘোর কাটতে দেখি ট্রেতে করে বেয়ারার বয়ে আনা বিরিয়ানির প্লেট মাটিতে পড়ে টুকরো টুকরো আর চিকেন স্যুপের বউল উল্টে পড়ে বেয়ারার মাথায় মুখে মুরগীর ঝোলে যাখামাখি ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোটা টাকার দণ্ড দিয়ে চোখ তুলে দেখি অপর দিকের ওই দুটি চোখে এবার স্পষ্ট বিরক্তির আভাষ কিন্তু পরিস্থিতি আরো খারাপ হল সেদিন ইতিমধ্যে আমার যত ওনার আরো একটি যে অনুরাগী জুটেছে তা দেখি নি আজকাল আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আমারই যত ওনার দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করে জিম করা গাঁট্টাগোট্টা চেহারা বারমুডা আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরা চুল যাথার একদম যাঝখানে কিছু ছাড়া গোটা মাথা কামানো সেই চুলও আবার লাল রং করা এক কানে দুল দুই হাতের বাহুতে ও পিঠে অজস্র উলকি খৈনি খাওয়া হলুদ দাঁত মুখে গুটখা এক কথায় এ যে কোনখান থেকে উঠে এসেছে তা এর দিকে এক ঝলক তাকালেই বোঝা যায় তা সেদিনও লাইনে দাঁড়িয়েছি হঠাৎ পেছন থেকে ভেসে এল এই কটি লজ আ যা মেরি রানী যেরে পাশ আকে আঁখোমে আঁখ মিলা লে পেছনে তাকিয়ে দেখি সেই মহাশয় বলতে বলতে হঠাৎ দেখি সেই জেন্টলম্যান একটা চোখ বন্ধ করে একটা অশ্লীল ইঙ্গিত করল কি করছেন আপনি উনি একজন ভদ্রমহিলা ক্ষমা চান আপনাকে পুলিশে দেওয়া উচিত রাগে চেঁচিয়ে উঠলাম আমি আমার দু কান গরম হয়ে উঠেছে আবে তেরি বলে অশ্লীল একটা শব্দ উচ্চারণ করে আমার জামার কলারটা মুঠো করে ধরল তেরা মুশকিল কেয়া হ্যায় ম্যায় নেহি জানতা তু কিঁউ ইঁহা পর হররোজ আতা হ্যায় কিস ধান্দে পে আতা হ্যায় আর পারলাম না প্রচন্ড রাগে রগের পাশটা দপদপ করছে দেহের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে বাঁ হাত দিয়ে একটা প্রচন্ড চড় বসিয়ে দিলাম এখানে কি হচ্ছে বেরিয়ে যান নয়ত দুজনকেই পুলিশে দেব ইউনিফর্ম পরা সিকিউরিটি চলে এসেছে আপনি এখানকার সিকিউরিটি আপনার সামনে ইনি আপনাদেরই স্টাফকে অপমান করছেন আর আপনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছেন ওটা আমাদের ব্যাপার স্যার আপনি কমপ্লেন করতে পারতেন কিন্তু আপনি নিজে মারপিট করতে পারেন না আপনাদের দুজনকেই যেতে হবে তুঝে য্যায় দেখ লুঙ্গা প্রচন্ড রাগে গনগনে দৃষ্টি ফেলে লোকটা চলে গেল রাগে অপযাণে যাথাটা ঝাঁ ঝাঁ করছে চলে যাওয়ার আগে তাকালাম কাউন্টারের দিকে সেখানের দুই চোখ এখনও আমার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু আজ ওই চোখে কি দেখছি তীব্ৰ ঘৃণা আর ক্রোধ এর পর কয়েকদিন যখনই ব্যাঙ্কে যাই তখনই আযাকে দেখলে হয় ও চোখ নামিয়ে নেয় অথবা মুখ ফিরিয়ে অন্যের সঙ্গে গল্প করতে থাকে অর্থাৎ আমাকে দেখেও দেখে না কখনও বা ভুল বশতঃ আমার দিকে ওই দৃষ্টি পড়ে তো দেখি সেই দৃষ্টিতে অপরিসীম অবজ্ঞা আপনারা কি কখনও মরুভূমির মধ্যে ওয়েসিস দেখেছেন দেখেন নি তাহলেও বসন্তের বাতাস তো চেনেন মনে করে নিন আপনি বসন্তের মৃদুমন্দ বাতাসের মধ্যে একটি ওয়েসিসএর মধ্যে আছেন হঠাৎ করে দেখলেন সেই ওয়েসিসএর সরোবরের জল শুকিয়ে গিয়ে চারদিকটা হয়ে গেল মরুভূমির তপ্ত বালুকণা সেই সঙ্গে চারিদিকে বইতে লাগল রাজস্থানের লু কেমন লাগবে আমার অবস্থা এখন হয়ে গেল তাই কয়েকদিন এখানে ছিলাম না দেশের বাড়ী গিয়েছিলাম ফেরার পর ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখি আমার সেই বিশেষ কাউন্টারের সামনে একটা জটলা সাদা পোশাকের পুলিশও দেখছি কি ব্যাপার ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে এলাম এ কি ভীড়ের মাঝখানে আমার উনি যে চোখের দৃষ্টির শরাঘাতে আমার জীবন এখনও পর্যন্ত অতিষ্ঠ সেই চোখে জল চুপ করে থাকলে চলবে না মিস সেন বলুন টাকাটা কখন এবং কিভাবে দেবেন জবাব দিন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের গলা কি করে দেব স্যার জানেন তো আমার যা অসুস্থ বাবা নেই চিকিৎসার জন্য যাইনের বেশীর ভাগ টাকাই চলে যায় তার উপর বাড়ীতে ছোট ছোট ভাই বোন তা বললে তো চলবে না মিস সেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু তার জন্য তো ব্যাঙ্ক সাফার করবে না হয় আপনি টাকা দেবেন নয়তো আমরা থানায় ডাইরি করতে বাধ্য হব জানতে পারলাম মায়ের অসুস্থতার জন্য অন্যমনস্ক হয়ে টাকা দিতে গিয়ে এক ধনী শেঠকে পাঁচশর জায়গায় দুই হাজার টাকার নোটের বান্ডিল দিয়ে ফেলেছেন ওই শেঠও বেশী টাকার কথা স্বীকার করছে না অনুনয় বিনয়ের মধ্যে হঠাৎ আবার ওই চোখ আমার উপর পড়ল আর এই প্রথম ওই চোখে দেখলাম অসহায়তা আর বাঁচার করুণ আর্তি আর দেরী নয় ম্যানেজারকে চিনি একফাঁকে তাঁর কাছে এসে বললাম এক্সকিউজ মি স্যার একটু প্রাইভেট কথা আছে এখন না পরে দেখছেন আমরা ব্যস্ত আছি এই ব্যাপারেই কথা বলতে চাই এই ব্যাপারে কি বলবেন সরি এটা আমাদের ইন্টারনাল ব্যাপার কিন্তু উনি আমার বিশেষ পরিচিত উনি যাতে বিপদে না পড়েন সে জন্য যদি কিছু করতে পারি আপনি কি করবেন জানেন কত টাকার ডেফিসিট সব মিলিয়ে প্রায় একানব্বই লক্ষ টাকা নাইনটি ওয়ন ল্যাক রুপিজ আমি কিছুটা শুনেছি স্যার আমার দুটো সেভিংস অ্যাকাউন্টে প্রায় একাশি লক্ষ টাকা আছে এই ব্যাঙ্কে রেকারিং অ্যাকাউন্টে আমার প্রায় দশ লক্ষ টাকা জমেছে এ থেকে নয় লক্ষ টাকা তো লোণ পেতে পারি এর সঙ্গে আমার এ মাসের মাইনে এক লক্ষ দশ হাজার টাকার মধ্যে দশ হাজার টাকা আমার এ মাসের খরচের জন্য রেখে বাকী এক লক্ষ টাকা দিয়ে দিচ্ছি মনে হয় হয়ে যাবে কি বলেন স্যার তা সম্ভব একটু থেমে ম্যানেজারবাবু বললেন কিন্তু আপনি এ টাকাটা দিচ্ছেন কেন আপনি বললেন উনি আপনার পরিচিত কি রকম পরিচিত আত্মীয় বন্ধু সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় স্যার দেখবেন উনি যেন কোন বিপদে না পড়েন কলকাতায় অভিজাত এলাকায় নিজের টাকায় বাংলো কেনার জন্য অসীম কৃচ্ছসাধন করে যে টাকা জমিয়ে জমিয়েছিলাম সেটা এবং এ মাসের যাইনের প্রায় পুরোটাই ম্যানেজারবাবুর হাতে তুলে দিয়ে বেরিয়ে এসেছি এমন সময় পিছন থেকে মোলায়েম নারীকন্ঠ শুনুন তাকিয়ে দেখি পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের একটি সূশ্রী তরুনী চিনতে পারলাম ওই ব্যাঙ্কেই কাজ করেন এগিয়ে গেলাম কিছু বলবেন হ্যাঁ মানে উনি আপনাকে কিছু বলতে চান তাকিয়ে দেখলাম রাস্তার ওপাশে কচি কলাপাতার যত সবুজ সালোয়ার পরিহিত উনি পানপাতার মত সলজ্জ মুখের উপর পদ্মপাতার মত সেই সুন্দর চোখে সেই দৃষ্টি কিন্তু সেই দৃষ্টিতে কি শুধুই অসীম কৃতজ্ঞতা নাকি সেই সঙ্গে মিশে আছে গভীর প্রণয় এই গল্পের একটি উপসংহার আছে এই গল্পের উনি যাঁর দৃষ্টিতে আমি এতকাল ধরাশায়ী তিনি আজ ছয় বছর হল আমার অর্ধাঙ্গিনী আমরা স্বামী স্ত্রী ও আমাদের কন্যা সন্তান নিয়ে সুখের সংসার কিন্তু আজও তাঁর দৃষ্টি আমার উপর পড়ে জানেন কখন যখন যাসের প্রথম মাইনে পেয়ে উচ্ছ্বাসের চোটে হিসেবের অতিরিক্ত খরচ করে ফেলি বা কোন নেমন্তন্ন বাড়ীতে গিয়ে শিষ্টতা ভুলে সাধ্যের চেয়ে বেশী খেয়ে পেট খারাপ করে ফেলি বা ওর কোন বন্ধুবান্ধবের সামনে প্রগলভতা বশে হাস্যকর উক্তি করে ফেলি তখন জানেন কি থাকে সেই দৃষ্টিতে সেই দৃষ্টিতে তাই থাকে যা আমাদের পাঁচ বছরের খুকী কাচের শিশি ভাঙলে বা চুরি করে আচার খেলে বা হোমওয়র্ক না করে স্কুল থেকে রিমার্ক নিয়ে এলে ওর মায়ের চোখে থাকে বুঝতে পারছেন না ওই চোখে এখন থাকে শাসন টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ দ্বিতীয় পর্ব রামধনু মেঘ বালিকার দেশে মা খড়্গবাহাদুর বিদ্যাং দেহি নমস্তুতে আত্মকথা অবিনশ্বর গামছাওয়ালা এবার মরলে গাছ হবো আমি সভ্যতা তুমি কি শুনছো ব্লু ডায়মন্ড রহস্য প্রথম পর্ব মাকড়সার জাল এখনো বাবা চারুবালা প্রথম পর্ব রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত আগুন আমার সহচর আগুন আমার সহচর আগুন আমার সহচর ভিতরে বাইরে আগুন আমায় নিয়ে খেলা করে বুঝতে পারি বেঁচে আছি শেষ সহবাসের অপেক্ষা এই লাল শাড়ি পরেই শীতল শরীরে তার আগ্রাসী আলিঙ্গনে লাল হতে হতে দু জন মিশে যাবো ছাই হয়ে আদি জন্মদাত্রী কোলে হাত পাতা জীবন হাত পাতা জীবন আমায় দেখ দেখ আমার হাত পাতা জীবনপাবে আমায় মন্দির মসজিদ গির্জায় সর্বত্রকরুণার প্রলেপে ঘৃণার বাস্পে কিম্বা কোনো ক্রোধেছুঁড়ে দেওয়া কিছু আমার বাঁচার রসদ ঐ ফটোগ্রাফার আমায় দেখেনাকি সে খুঁজে ফেরে জীবনের রূপউদগ্র আগ্রহে আদিম প্রবৃত্তিতে আছি টিকে তুমি কী কখনো ঝাঁকি দিয়ে দেখেছো ভিতরছুঁড়ে দেওয়া ফেলে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কোথায় যাওয়া যায় সে বলেছিলো একটু এগিয়েই একটা বাঁক পড়ে কেমন একটা সবুজ রঙের ধাঁধার মত সেখানে হারিয়ে গেলেই হয় রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত আমাদের এই দীর্ঘ জীবনে সম্পর্ক একটি বিশেষ অনুভূতি যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এই সম্পর্ক এই কোমল স্পর্শ আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে থাকে আর আমাদের জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করে এই স্পর্শ যখন বন্ধুত্বের হয় জীবন তখন আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে কোমল স্পর্শ এমনি এক অনবদ্য অন্য ধরনের পারিবারিক ভালোবাসার কাহিনী রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত আমাদের এই দীর্ঘ জীবনে সম্পর্ক একটি বিশেষ অনুভূতি যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এই সম্পর্ক এই কোমল স্পর্শ আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে থাকে আর আমাদের জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করে এই স্পর্শ যখন বন্ধুত্বের হয় জীবন তখন আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে কোমল স্পর্শ এমনি এক অনবদ্য অন্য ধরনের পারিবারিক ভালোবাসার কাহিনী রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত আমাদের এই দীর্ঘ জীবনে সম্পর্ক একটি বিশেষ অনুভূতি যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এই সম্পর্ক এই কোমল স্পর্শ আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে থাকে আর আমাদের জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করে এই স্পর্শ যখন বন্ধুত্বের হয় জীবন তখন আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে কোমল স্পর্শ এমনি এক অনবদ্য অন্য ধরনের পারিবারিক ভালোবাসার কাহিনী রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত আর্কিমিডিস গামছা পরে চৌবাচ্চায় না ঢুকলে কি অমন সত্যটা বেরিয়ে আ সত এ হলো জাগতিক নিয়ম রোগ ঢুকলে টাকা বেরিয়ে যাবে আবার ওষুধ ঢুকলেই রোগ বেরোবে রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত আর্কিমিডিস গামছা পরে চৌবাচ্চায় না ঢুকলে কি অমন সত্যটা বেরিয়ে আ সত এ হলো জাগতিক নিয়ম রোগ ঢুকলে টাকা বেরিয়ে যাবে আবার ওষুধ ঢুকলেই রোগ বেরোবে রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত লেখা রবীন জাকারিয়া আমাদের একমাত্র কন্যা৷ বাইয়াতুন ঈবাদাহ্৷ সকলে ঈবাদাহ্ নামেই ডাকে৷ ছোট্ট মেয়ে৷ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা বলে৷ মিষ্টি লাগে৷ তাই সকলে ওকে খুব ভালবাসে৷ এমনকি ওর স্কুলের শিক্ষকরাও৷ ও শহরের একটি মান সম্মত স্কুলের নার্সারিতে পড়ে৷ স্কুলটির নাম নর্থ ব্রিজ স্কুল৷ ওর ক্লাশে ও ম্যাগনাম মাগনায় ম্যাগনাম মাগনায় ম্যাগনাম মাগনায় লেখা তপন তরফদার বিল্টু আর মিল্টু হরিহর আত্মা দুজনেই পেটুক ক্লাস ইলেভেনে পড়ে এখনই তো খাবার বয়স অথচ পকেটমানি জোটে না ওদিকে হিরুদা আর ধীরুদার গলায় গলায় বন্ধুত্ব কেন ওদের জুটি অটুট তাও জানে বিল্টু মিল্টু ওরা ভোজনা বাড়িতে বিনা নিমন্ত্রণে বিনামূল্যে গান্ডে পিন্ডে গিলে আসে অনুষ্ঠানের তাতানের কথা তাতানের কথা তাতানের কথা লেখা সৌরভ চাকী তাতান মন খারাপ করে পড়ার টেবিলে বসে মা বাবার কাছে খুব বকুনি খেয়েছে আসলে স্কুলের ফাইনাল টার্মের রেজাল্টে ও মোটামুটি নম্বর পেয়ে ক্লাস ফোরে উঠেছে কিন্তু অঙ্কে খুব খারাপ বাবা বলেই দিয়েছেন সামনের মাস থেকে বিকেলে একজন মিস শুধু অঙ্ক করাতে আসবেন অর্থাৎ বিকেলে নীল ধ্রুবতারা নীল ধ্রুবতারা নীল ধ্রুবতারা লেখা গোবিন্দ মোদক পোশাকি নাম স্বপ্ননীল হলেও সবার কাছে সে নীল বছর আটেক বয়স নীলের একমাথা কোঁকড়ানো চুল নীলাভ চোখ আর মায়াময় চাউনির জন্য সবার কাছেই নীল অত্যন্ত আদরের তার চোখ দু টিতে অপার বিস্ময় মনে হয় যেন নীল অন্য সবার তুলনায় তার দু চোখ দিয়ে আরও অনেক কিছু রিয়ানা রিয়ানা রিয়ানা লেখা সবিতা বিশ্বাস রিয়ানার দিম্মা প্রতিদিন সকালে সাজি ভরে ফুল তোলে রিয়ানারও ফুল তুলতে খুব ভালো লাগে কিন্তু সকাল হলেই তো ছুট্ ছুট্ ছুট্ না ছুটলে হবে তোমাদের তো আর টুবি মিসের ক্লাস করতে হয় না তাই জানো না বাব্বাঃ টুবি মিসের কি রাগ তা রিয়ানার কি চোর ধরা চোর ধরা চোর ধরা লেখা সুমন্ত বোস কিছুতেই ঘুম আসছেনা রিষানের তার মনে অনেক প্রশ্নের ভিড় চোর কিরকম দেখতে কিভাবে আসে কিভাবে চুরি করে সকালবেলা কোথায় থাকে আরো কত কি ঠাম্মা তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজের ছোটবেলার চোরের গল্প শুনিয়ে দিল তাতে তার কৌতুহল পরিনত হল ভয়ে সে ঠাম্মার করোনাসুর দমন করোনাসুর দমন করোনাসুর দমন লেখা মঞ্জিলা চক্রবর্তী একবার ধরাধামে এক ভয়ংকর দৈত্য এসে হাজির হল তাকে খালি চোখে দেখা যায় না সেই অদৃশ্য দানব মানুষের চোখ নাক মুখ দিয়ে শরীরের ভেতর ঢুকে পড়ে তাকে প্রথমে বন্দি বানিয়ে ফেলে তারপর তাকে প্রাণে শেষ করে ফেলছিল শুধু তাই নয় ওই করোনাক্রান্ত বন্দির ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর লেখা কবিতা সামন্ত পল্টু রোজ বিস্কুট খেলেই ছুটে বারান্দায় চলে য়ায় মা কতবার বারণ করেছে ওদিকে না যেতে তবুও রোজ মায়ের চোখে ফাঁকি দিয়ে ঠিক যাবেই ওদিকের মাটির দেওয়ালে অনেক গর্ত রয়েছে তাতে ইঁদুরের সংসার ওরা অনেক জন একসাথে থাকে ধানের গোলাটা যবে থেকে বাবা বন্ধু বন্ধু বন্ধু লেখা শ্রাবণী সেনগুপ্ত সুন্দরবনের ছোট্ট একটি গ্রাম ছোট্ট রেহানা আর তার মা সেখানে থাকে তার বাবা ভিনদেশে কাজে গিয়ে আটকে পড়েছে মা সাতসকালে বেরিয়ে যায় গাঁয়ের মিনতি মাসির সাথে কাঁকড়া ধরতে রেহানা আগের দিনের আমানি খেয়ে ছোট হাতে ঘরের কিছু কাজ সারে আগে গাঁয়ের প্রাইমারি ইস্কুলে যেতো কাগজের নৌকো কাগজের নৌকো কাগজের নৌকো লেখা স্বপঞ্জয় চৌধুরী কালিদাসের বড় দাদা হরিদাস কাগজ দিয়ে নানা ধরনের খেলনা বানাতে পারে তাই পাড়ার শিশু মহলে তার খুব কদর স্কুল ছুটি হলেই ছোট্ট ছেলেদের দল পচপচ করে হোমওয়ার্কের কপি থেকে কাগজ ছিঁড়ে নিয়ে আসে হরিদাসের কাছে কাউকে বানিয়ে দিচ্ছে কাগজের পদ্মফুল কাউকে কাগজের প্লেন কাউকে বোকা মু্রগি আর বুদ্ধিমান মোরগের গল্প বোকা মু্রগি আর বুদ্ধিমান মোরগের গল্প বোকা মু্রগি আর বুদ্ধিমান মোরগের গল্প লেখা শরণ্যা মুখোপাধ্যায় এক যে ছিল ছোট্ট রোগা মুরগি সে ছিল ভারি বোকা সবাই তাকে দুরছাই করত বলত তুই কিচ্ছু জানিস না চোরপুলিস খেলায় তাকে চোর হতে হত বড় মুরগি তাকে দিয়ে অনেক কাজ করাত তাই মুরগির ভারি দুঃখ তার কেউ নেই এইভাবে মা মা মা লেখা মুহাম্মদ জিকরাউল হক লক ডাউন পিরিয়ডে ছ মাস বাড়িতে কাটিয়ে যখন ভাড়া বাড়িতে ফিরলাম ততদিনে বাড়িটি বিরান হয়ে গেছে চারদিকে ধুলোর আস্তরণ পাঁচ ঘণ্টা জার্নির ধকল কাটিয়ে উঠার আগেই হাতে তুলে নিতে হল ঝাড়ু এই নোংরার মধ্যে খাওয়া যাবে না ভেবেই পথিমধ্যে হালকা জল খাবার খেয়ে এসেছি রূপসার একদিন রূপসার একদিন রূপসার একদিন লেখা অদিতি ঘটক এসব কি হচ্ছে টুকুন ক্লাস করতে করতে আবার গেম খেলা তোমাকে বলেছি না এভাবে ফোনের ব্যাটারি শেষ করবে না আর যেন না দেখি ওহ তোমাকে নিয়ে আর পারি না খাবার আনছি আজ কিন্তু তোমার ফেবারিট খাবার নয় ছোট্ট রূপসা পুতুল নিয়ে নিজের মনে আইকম বাইকম আইকম বাইকম আইকম বাইকম লেখা চিত্রাভানু সেনগুপ্ত শ্যামনগরের দুই যমজ ভাই আইকম আর বাইকমের দুষ্টুমির বহর আছে ষোল আনা সকল সময়েই তাদের দুষ্টুমিতে থাকে নতুন চমক কখনো কখনো সে দুষ্টুমি এমনই চমকপ্রদ হয় পাড়ার লোকে তাদের তখন ডাকাত বলে ডাকে আখেরে তারা দুষ্টু মোটেই নয় তারা সকলের উপকারই করতে চায় পয়া কলম পয়া কলম পয়া কলম লেখা অমিতাভ সাহা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ধারে একটি খুব সুন্দর ডিজাইন করা কলম কুড়িয়ে পেল সমীর কলমটার রিফিলে কালি শেষ হয়ে গেছিল তাই বলে এত সুন্দর কলম কেউ ফেলে দেয় ও পেনটাতে নতুন রিফিল ভরে নিল কদিন ব্যবহার করার পর দেখল এই পেনটা রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ পড়িবে নয়ন পরে অন্তিম নিমেষ পরদিনে এইমতো পোহাইবে রাত জাগ্রত জগত পরে জাগিবে প্রভাত কলরবে চলিবেক সংসারের খেলা সুখে দুঃখে ঘরে ঘরে বহি যাবে বেলা ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই রম্য রচনা দায়ী পিছু টান পিছু টান খুব সুন্দর গল্প আরও চাই দায়ী ধন্যবাদ দায়ী বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপন অনবদ্য চিত্রাভানু সেনগুপ্ত আইকম বাইকম অসংখ্য ধন্যবাদ রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ পড়িবে নয়ন পরে অন্তিম নিমেষ পরদিনে এইমতো পোহাইবে রাত জাগ্রত জগত পরে জাগিবে প্রভাত কলরবে চলিবেক সংসারের খেলা সুখে দুঃখে ঘরে ঘরে বহি যাবে বেলা ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই রম্য রচনা দায়ী পিছু টান পিছু টান খুব সুন্দর গল্প আরও চাই দায়ী ধন্যবাদ দায়ী বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপন অনবদ্য চিত্রাভানু সেনগুপ্ত আইকম বাইকম অসংখ্য ধন্যবাদ রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ পড়িবে নয়ন পরে অন্তিম নিমেষ পরদিনে এইমতো পোহাইবে রাত জাগ্রত জগত পরে জাগিবে প্রভাত কলরবে চলিবেক সংসারের খেলা সুখে দুঃখে ঘরে ঘরে বহি যাবে বেলা ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই রম্য রচনা দায়ী পিছু টান পিছু টান খুব সুন্দর গল্প আরও চাই দায়ী ধন্যবাদ দায়ী বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপন অনবদ্য চিত্রাভানু সেনগুপ্ত আইকম বাইকম অসংখ্য ধন্যবাদ রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ পড়িবে নয়ন পরে অন্তিম নিমেষ পরদিনে এইমতো পোহাইবে রাত জাগ্রত জগত পরে জাগিবে প্রভাত কলরবে চলিবেক সংসারের খেলা সুখে দুঃখে ঘরে ঘরে বহি যাবে বেলা ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই রম্য রচনা দায়ী পিছু টান পিছু টান খুব সুন্দর গল্প আরও চাই দায়ী ধন্যবাদ দায়ী বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপন অনবদ্য চিত্রাভানু সেনগুপ্ত আইকম বাইকম অসংখ্য ধন্যবাদ রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ পড়িবে নয়ন পরে অন্তিম নিমেষ পরদিনে এইমতো পোহাইবে রাত জাগ্রত জগত পরে জাগিবে প্রভাত কলরবে চলিবেক সংসারের খেলা সুখে দুঃখে ঘরে ঘরে বহি যাবে বেলা ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই রম্য রচনা দায়ী পিছু টান পিছু টান খুব সুন্দর গল্প আরও চাই দায়ী ধন্যবাদ দায়ী বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপন অনবদ্য চিত্রাভানু সেনগুপ্ত আইকম বাইকম অসংখ্য ধন্যবাদ রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি নয় একটু গম্ভীর ভাবে কিছুক্ষন আগে র করা আসিসমেন্টটা নিজের মনে মনে একবার যাচাই করে নিল নাহ ঠিক ই আছে এই ধরনের পেশেন্টের চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত হালদারের চোখের দিকে এবং অবাক বিস্ময়ে সে দেখল পরমব্রতর চোখেও এই একই নীরব মুগ্ধ প্রনয়ের আর্তি যা এতক্ষণ সে রেললাইনের ধার থেকে বাড়িতে চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় মাংস প্রায় নেইই বললে চলে হাত পাও কাঠ কাঠ গায়ের চামড়া খসখসে মুখের গড়নও অসুন্দর চোখ দুটো ছোট ছোট কুতকুতে নাক থ্যাবড়া দৃষ্টি দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ান লাইনে দাঁড়িয়েও ঘুম দাদা কি রাতে সিঁদ কাটতে বেরোন নাকি রাতে ভালো ঘুম হয় নি আরে না না রাতে একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ সামনের প্যান্ডেল থেকে মহালয়ার চন্ডীশ্লোক ভেসে আসছে প্রতিটা শব্দ কবিতার গায়ে যেন কাঁটার ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ লেখা অতনু কর্মকার এক আচ্ছা ভালবাসার কি কোনো গন্ধ হয় তুই পেয়েছিস কখনও অর্কর দিকে না তাকিয়েই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল মানভি অর্ক মানে অর্কজিৎ ওরা দুজনেই একটা স্থানীয় খবরের কাগজে চাকরি করে অর্ক হল ক্যামেরাম্যান আর মানভি জার্নালিস্ট ফিল্ডের কাজটা ওরা ইদানিং একসাথেই শুরু করেছে এর ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত লেখা রবীন জাকারিয়া আমাদের একমাত্র কন্যা৷ বাইয়াতুন ঈবাদাহ্৷ সকলে ঈবাদাহ্ নামেই ডাকে৷ ছোট্ট মেয়ে৷ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা বলে৷ মিষ্টি লাগে৷ তাই সকলে ওকে খুব ভালবাসে৷ এমনকি ওর স্কুলের শিক্ষকরাও৷ ও শহরের একটি মান সম্মত স্কুলের নার্সারিতে পড়ে৷ স্কুলটির নাম নর্থ ব্রিজ স্কুল৷ ওর ক্লাশে ও সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ গল্প সারপ্রাইজ কলমে পীযূষ বসু চৌধুরী সুমন আর দেবাংশী অফিস থেকে একসঙ্গেই ফেরে গেটের দরজা চাবি দিয়ে খুলতে খুলতে দেবাংশী বলে আজও তোমার বাবা এত রাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে ফটিক কাকা আর সেই চিরকুমার অসিতের সাথে সত্যি একটা হ্যান্ডসাম ছেলে ওই বয়স্ক মানুষ দুটোর সাথে বসে আড্ডা দিয়ে দূরে কোথায় দূরে কোথায় দূরে কোথায় লেখা অতনু কর্মকার দূরে কোথায় দূরে দূরে আমার মন বেড়ায় গো ঘুরে ঘুরে দূরে কোথায় দূরে দূরে গানটা পাশের ঘর থেকে গ্রামোফোনে বাজছে ঠাকুর্দার ওই একটি জিনিসই পিসি বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে এখনও পর্যন্ত বাকি সব জিনিস বাড়ির লোকেরা বিক্রিবাটা করে সাফ করে দিয়েছে হৈমন্তীর চিলেকোঠার এই দুটো বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন লেখা সুনিপা চ্যাটার্জি যদি ইন্টারনেটে পৃথিবীর দশটি ভুতুড়ে রেলওয়ে স্টেশনের নাম খোঁজ করা যায় তবে পুরুলিয়ার এই বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশনের নাম অবশ্যই আসবে এই স্টেশনটি পড়ে পুরুলিয়া জেলায় ঝালদা এবং কোটশিতা স্টেশনের মাঝখানে এটি একটি হল্ট স্টেশন এখানে কোন এক্সপ্রেস গাড়ি থামে না শুধু কিছু প্যাসেঞ্জার ম্যাগনাম মাগনায় ম্যাগনাম মাগনায় ম্যাগনাম মাগনায় লেখা তপন তরফদার বিল্টু আর মিল্টু হরিহর আত্মা দুজনেই পেটুক ক্লাস ইলেভেনে পড়ে এখনই তো খাবার বয়স অথচ পকেটমানি জোটে না ওদিকে হিরুদা আর ধীরুদার গলায় গলায় বন্ধুত্ব কেন ওদের জুটি অটুট তাও জানে বিল্টু মিল্টু ওরা ভোজনা বাড়িতে বিনা নিমন্ত্রণে বিনামূল্যে গান্ডে পিন্ডে গিলে আসে অনুষ্ঠানের তাতানের কথা তাতানের কথা তাতানের কথা লেখা সৌরভ চাকী তাতান মন খারাপ করে পড়ার টেবিলে বসে মা বাবার কাছে খুব বকুনি খেয়েছে আসলে স্কুলের ফাইনাল টার্মের রেজাল্টে ও মোটামুটি নম্বর পেয়ে ক্লাস ফোরে উঠেছে কিন্তু অঙ্কে খুব খারাপ বাবা বলেই দিয়েছেন সামনের মাস থেকে বিকেলে একজন মিস শুধু অঙ্ক করাতে আসবেন অর্থাৎ বিকেলে নীল ধ্রুবতারা নীল ধ্রুবতারা নীল ধ্রুবতারা লেখা গোবিন্দ মোদক পোশাকি নাম স্বপ্ননীল হলেও সবার কাছে সে নীল বছর আটেক বয়স নীলের একমাথা কোঁকড়ানো চুল নীলাভ চোখ আর মায়াময় চাউনির জন্য সবার কাছেই নীল অত্যন্ত আদরের তার চোখ দু টিতে অপার বিস্ময় মনে হয় যেন নীল অন্য সবার তুলনায় তার দু চোখ দিয়ে আরও অনেক কিছু রিয়ানা রিয়ানা রিয়ানা লেখা সবিতা বিশ্বাস রিয়ানার দিম্মা প্রতিদিন সকালে সাজি ভরে ফুল তোলে রিয়ানারও ফুল তুলতে খুব ভালো লাগে কিন্তু সকাল হলেই তো ছুট্ ছুট্ ছুট্ না ছুটলে হবে তোমাদের তো আর টুবি মিসের ক্লাস করতে হয় না তাই জানো না বাব্বাঃ টুবি মিসের কি রাগ তা রিয়ানার কি চোর ধরা চোর ধরা চোর ধরা লেখা সুমন্ত বোস কিছুতেই ঘুম আসছেনা রিষানের তার মনে অনেক প্রশ্নের ভিড় চোর কিরকম দেখতে কিভাবে আসে কিভাবে চুরি করে সকালবেলা কোথায় থাকে আরো কত কি ঠাম্মা তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজের ছোটবেলার চোরের গল্প শুনিয়ে দিল তাতে তার কৌতুহল পরিনত হল ভয়ে সে ঠাম্মার রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি নয় একটু গম্ভীর ভাবে কিছুক্ষন আগে র করা আসিসমেন্টটা নিজের মনে মনে একবার যাচাই করে নিল নাহ ঠিক ই আছে এই ধরনের পেশেন্টের চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত হালদারের চোখের দিকে এবং অবাক বিস্ময়ে সে দেখল পরমব্রতর চোখেও এই একই নীরব মুগ্ধ প্রনয়ের আর্তি যা এতক্ষণ সে রেললাইনের ধার থেকে বাড়িতে চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় মাংস প্রায় নেইই বললে চলে হাত পাও কাঠ কাঠ গায়ের চামড়া খসখসে মুখের গড়নও অসুন্দর চোখ দুটো ছোট ছোট কুতকুতে নাক থ্যাবড়া দৃষ্টি দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ান লাইনে দাঁড়িয়েও ঘুম দাদা কি রাতে সিঁদ কাটতে বেরোন নাকি রাতে ভালো ঘুম হয় নি আরে না না রাতে বাবা বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মনে ছিল ভারী সাধ ছেলে দেখবে যথার্থ ছেলের জন্য ত্যাজ্বিলে তুমি নিজের সব ইচ্ছা সেই ছেলে কি তোমার জন্য করলো কিছু ভিক্ষা মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে রয়েছি বাকহারামনের কথা বলতে পারিনি এক মুক্ত আকাশের স্বপ্নে মেতেছিআকাশটা ছিল মেঘলা স্বপ্ন আমার হয়নি পূরণহয়েছি ভিড়ের মাঝে একলা নামটি তাহার জানা হয়নি ঠিকানাটিও নয় এ একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ সামনের প্যান্ডেল থেকে মহালয়ার চন্ডীশ্লোক ভেসে আসছে প্রতিটা শব্দ কবিতার গায়ে যেন কাঁটার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ তোমার সুরভি মাখা উপস্থিতি ঠাঁই পেল মোর কিংশুক হৃদয়ে তৃষ্ণার্ত নয়ন অনুভব করল তোমার স্নিগ্ধ উপস্থিতি কৃষ্ণ পরিচ্ছদে হলুদ ওড়নায় বসন্ত মেখে তুমি এক ব্যাকুল অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই ফেলি মুখোশ হাওয়ায় বাড়ে ছোবল মারে বিষ জলের মুখে গ্লানির আবর্জনা একুল ওকুল ভাসছে অহর্নিশ সীমান্তে আর সিমন্তে মেঘ করে এই আগামীর সূর্য খোঁজা বাকি পথ হারিয়ে ভুল কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচলেখক অভীক সরকার তুমি পেয়েছ ভগবানের বর আমি পেয়েছি মাটির অভিশাপ ধর্মযুদ্ধে করিলাম প্রাণত্যাগ করেছি আমি এমন কি পাপ তুমি জন্মেছ সোনার মহলে আমি গঙ্গায় ভেসে করেছি বিলাপ সুতপুত্র হয়ে করেছি বিশ্বজয় করেছি আমি এমন কি পাপ ক্ষত্রিয় হয়ে পেলে উত্তম শিক্ষা পরিচয় গোপন করে পেলাম অভিশাপ গুরু আমায় করল না আশীর্বাদ করেছি আমি এমন কি পাপ সখা ছিল তোমার শ্রীকৃষ্ণ দুর্যোধন ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ লেখা অতনু কর্মকার এক আচ্ছা ভালবাসার কি কোনো গন্ধ হয় তুই পেয়েছিস কখনও অর্কর দিকে না তাকিয়েই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল মানভি অর্ক মানে অর্কজিৎ ওরা দুজনেই একটা স্থানীয় খবরের কাগজে চাকরি করে অর্ক হল ক্যামেরাম্যান আর মানভি জার্নালিস্ট ফিল্ডের কাজটা ওরা ইদানিং একসাথেই শুরু করেছে এর অন্তরের আলো অন্তরের আলো অন্তরের আলো লেখক অভীক সরকার তুই নিজেকে খোঁজ তুই হোস না হতাশ বিশ্বাস রাখ নিজের উপর তোর মধ্যে যে ভগবানের বাস ভেঙে ফেল সব শিকল নিজেকে কর ভয় হতে মুক্ত বিজয় একদিন তোর হবে হয়তো এই যুদ্ধে ঝরবে রক্ত চরিত্র তোর পবিত্র যখন তবে কেন তোর এই দশা এই পাপিষ্ঠদের সঙ্গে তুলনা করে কেন বাড়াচ্ছিস নিজের হতাশা বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলেকলমে কবি ও সাহিত্যিক সুলতা পাত্র রুপসা দিঘির পাড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ভিজলাম আমি তোমরা হয়তো বলবে আমি কবি এক প্রকৃতিপ্রেমী আমার মন খারাপ হয়তো বৃষ্টি সেটা বোঝে চোখের জল মুছিয়ে বলল যাও মন দাও গিয়ে নিজের কাজে ঘরে ফিরে যাও মন দিয়ে খাতা ভর্তি করে লেখো আবার ভীষণ ব্যস্ত মোরা কাজ সেরে তোমার ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত লেখা রবীন জাকারিয়া আমাদের একমাত্র কন্যা৷ বাইয়াতুন ঈবাদাহ্৷ সকলে ঈবাদাহ্ নামেই ডাকে৷ ছোট্ট মেয়ে৷ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা বলে৷ মিষ্টি লাগে৷ তাই সকলে ওকে খুব ভালবাসে৷ এমনকি ওর স্কুলের শিক্ষকরাও৷ ও শহরের একটি মান সম্মত স্কুলের নার্সারিতে পড়ে৷ স্কুলটির নাম নর্থ ব্রিজ স্কুল৷ ওর ক্লাশে ও রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি নয় একটু গম্ভীর ভাবে কিছুক্ষন আগে র করা আসিসমেন্টটা নিজের মনে মনে একবার যাচাই করে নিল নাহ ঠিক ই আছে এই ধরনের পেশেন্টের চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত হালদারের চোখের দিকে এবং অবাক বিস্ময়ে সে দেখল পরমব্রতর চোখেও এই একই নীরব মুগ্ধ প্রনয়ের আর্তি যা এতক্ষণ সে রেললাইনের ধার থেকে বাড়িতে চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় মাংস প্রায় নেইই বললে চলে হাত পাও কাঠ কাঠ গায়ের চামড়া খসখসে মুখের গড়নও অসুন্দর চোখ দুটো ছোট ছোট কুতকুতে নাক থ্যাবড়া দৃষ্টি দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ান লাইনে দাঁড়িয়েও ঘুম দাদা কি রাতে সিঁদ কাটতে বেরোন নাকি রাতে ভালো ঘুম হয় নি আরে না না রাতে বাবা বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মনে ছিল ভারী সাধ ছেলে দেখবে যথার্থ ছেলের জন্য ত্যাজ্বিলে তুমি নিজের সব ইচ্ছা সেই ছেলে কি তোমার জন্য করলো কিছু ভিক্ষা মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে রয়েছি বাকহারামনের কথা বলতে পারিনি এক মুক্ত আকাশের স্বপ্নে মেতেছিআকাশটা ছিল মেঘলা স্বপ্ন আমার হয়নি পূরণহয়েছি ভিড়ের মাঝে একলা নামটি তাহার জানা হয়নি ঠিকানাটিও নয় এ একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ সামনের প্যান্ডেল থেকে মহালয়ার চন্ডীশ্লোক ভেসে আসছে প্রতিটা শব্দ কবিতার গায়ে যেন কাঁটার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ তোমার সুরভি মাখা উপস্থিতি ঠাঁই পেল মোর কিংশুক হৃদয়ে তৃষ্ণার্ত নয়ন অনুভব করল তোমার স্নিগ্ধ উপস্থিতি কৃষ্ণ পরিচ্ছদে হলুদ ওড়নায় বসন্ত মেখে তুমি এক ব্যাকুল অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই ফেলি মুখোশ হাওয়ায় বাড়ে ছোবল মারে বিষ জলের মুখে গ্লানির আবর্জনা একুল ওকুল ভাসছে অহর্নিশ সীমান্তে আর সিমন্তে মেঘ করে এই আগামীর সূর্য খোঁজা বাকি পথ হারিয়ে ভুল কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচলেখক অভীক সরকার তুমি পেয়েছ ভগবানের বর আমি পেয়েছি মাটির অভিশাপ ধর্মযুদ্ধে করিলাম প্রাণত্যাগ করেছি আমি এমন কি পাপ তুমি জন্মেছ সোনার মহলে আমি গঙ্গায় ভেসে করেছি বিলাপ সুতপুত্র হয়ে করেছি বিশ্বজয় করেছি আমি এমন কি পাপ ক্ষত্রিয় হয়ে পেলে উত্তম শিক্ষা পরিচয় গোপন করে পেলাম অভিশাপ গুরু আমায় করল না আশীর্বাদ করেছি আমি এমন কি পাপ সখা ছিল তোমার শ্রীকৃষ্ণ দুর্যোধন ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ লেখা অতনু কর্মকার এক আচ্ছা ভালবাসার কি কোনো গন্ধ হয় তুই পেয়েছিস কখনও অর্কর দিকে না তাকিয়েই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল মানভি অর্ক মানে অর্কজিৎ ওরা দুজনেই একটা স্থানীয় খবরের কাগজে চাকরি করে অর্ক হল ক্যামেরাম্যান আর মানভি জার্নালিস্ট ফিল্ডের কাজটা ওরা ইদানিং একসাথেই শুরু করেছে এর অন্তরের আলো অন্তরের আলো অন্তরের আলো লেখক অভীক সরকার তুই নিজেকে খোঁজ তুই হোস না হতাশ বিশ্বাস রাখ নিজের উপর তোর মধ্যে যে ভগবানের বাস ভেঙে ফেল সব শিকল নিজেকে কর ভয় হতে মুক্ত বিজয় একদিন তোর হবে হয়তো এই যুদ্ধে ঝরবে রক্ত চরিত্র তোর পবিত্র যখন তবে কেন তোর এই দশা এই পাপিষ্ঠদের সঙ্গে তুলনা করে কেন বাড়াচ্ছিস নিজের হতাশা বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলেকলমে কবি ও সাহিত্যিক সুলতা পাত্র রুপসা দিঘির পাড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ভিজলাম আমি তোমরা হয়তো বলবে আমি কবি এক প্রকৃতিপ্রেমী আমার মন খারাপ হয়তো বৃষ্টি সেটা বোঝে চোখের জল মুছিয়ে বলল যাও মন দাও গিয়ে নিজের কাজে ঘরে ফিরে যাও মন দিয়ে খাতা ভর্তি করে লেখো আবার ভীষণ ব্যস্ত মোরা কাজ সেরে তোমার ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত লেখা রবীন জাকারিয়া আমাদের একমাত্র কন্যা৷ বাইয়াতুন ঈবাদাহ্৷ সকলে ঈবাদাহ্ নামেই ডাকে৷ ছোট্ট মেয়ে৷ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা বলে৷ মিষ্টি লাগে৷ তাই সকলে ওকে খুব ভালবাসে৷ এমনকি ওর স্কুলের শিক্ষকরাও৷ ও শহরের একটি মান সম্মত স্কুলের নার্সারিতে পড়ে৷ স্কুলটির নাম নর্থ ব্রিজ স্কুল৷ ওর ক্লাশে ও রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি নয় একটু গম্ভীর ভাবে কিছুক্ষন আগে র করা আসিসমেন্টটা নিজের মনে মনে একবার যাচাই করে নিল নাহ ঠিক ই আছে এই ধরনের পেশেন্টের চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত হালদারের চোখের দিকে এবং অবাক বিস্ময়ে সে দেখল পরমব্রতর চোখেও এই একই নীরব মুগ্ধ প্রনয়ের আর্তি যা এতক্ষণ সে রেললাইনের ধার থেকে বাড়িতে চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় মাংস প্রায় নেইই বললে চলে হাত পাও কাঠ কাঠ গায়ের চামড়া খসখসে মুখের গড়নও অসুন্দর চোখ দুটো ছোট ছোট কুতকুতে নাক থ্যাবড়া দৃষ্টি দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ান লাইনে দাঁড়িয়েও ঘুম দাদা কি রাতে সিঁদ কাটতে বেরোন নাকি রাতে ভালো ঘুম হয় নি আরে না না রাতে বাবা বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মনে ছিল ভারী সাধ ছেলে দেখবে যথার্থ ছেলের জন্য ত্যাজ্বিলে তুমি নিজের সব ইচ্ছা সেই ছেলে কি তোমার জন্য করলো কিছু ভিক্ষা মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে রয়েছি বাকহারামনের কথা বলতে পারিনি এক মুক্ত আকাশের স্বপ্নে মেতেছিআকাশটা ছিল মেঘলা স্বপ্ন আমার হয়নি পূরণহয়েছি ভিড়ের মাঝে একলা নামটি তাহার জানা হয়নি ঠিকানাটিও নয় এ একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ সামনের প্যান্ডেল থেকে মহালয়ার চন্ডীশ্লোক ভেসে আসছে প্রতিটা শব্দ কবিতার গায়ে যেন কাঁটার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ তোমার সুরভি মাখা উপস্থিতি ঠাঁই পেল মোর কিংশুক হৃদয়ে তৃষ্ণার্ত নয়ন অনুভব করল তোমার স্নিগ্ধ উপস্থিতি কৃষ্ণ পরিচ্ছদে হলুদ ওড়নায় বসন্ত মেখে তুমি এক ব্যাকুল অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই ফেলি মুখোশ হাওয়ায় বাড়ে ছোবল মারে বিষ জলের মুখে গ্লানির আবর্জনা একুল ওকুল ভাসছে অহর্নিশ সীমান্তে আর সিমন্তে মেঘ করে এই আগামীর সূর্য খোঁজা বাকি পথ হারিয়ে ভুল কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচলেখক অভীক সরকার তুমি পেয়েছ ভগবানের বর আমি পেয়েছি মাটির অভিশাপ ধর্মযুদ্ধে করিলাম প্রাণত্যাগ করেছি আমি এমন কি পাপ তুমি জন্মেছ সোনার মহলে আমি গঙ্গায় ভেসে করেছি বিলাপ সুতপুত্র হয়ে করেছি বিশ্বজয় করেছি আমি এমন কি পাপ ক্ষত্রিয় হয়ে পেলে উত্তম শিক্ষা পরিচয় গোপন করে পেলাম অভিশাপ গুরু আমায় করল না আশীর্বাদ করেছি আমি এমন কি পাপ সখা ছিল তোমার শ্রীকৃষ্ণ দুর্যোধন ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ লেখা অতনু কর্মকার এক আচ্ছা ভালবাসার কি কোনো গন্ধ হয় তুই পেয়েছিস কখনও অর্কর দিকে না তাকিয়েই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল মানভি অর্ক মানে অর্কজিৎ ওরা দুজনেই একটা স্থানীয় খবরের কাগজে চাকরি করে অর্ক হল ক্যামেরাম্যান আর মানভি জার্নালিস্ট ফিল্ডের কাজটা ওরা ইদানিং একসাথেই শুরু করেছে এর অন্তরের আলো অন্তরের আলো অন্তরের আলো লেখক অভীক সরকার তুই নিজেকে খোঁজ তুই হোস না হতাশ বিশ্বাস রাখ নিজের উপর তোর মধ্যে যে ভগবানের বাস ভেঙে ফেল সব শিকল নিজেকে কর ভয় হতে মুক্ত বিজয় একদিন তোর হবে হয়তো এই যুদ্ধে ঝরবে রক্ত চরিত্র তোর পবিত্র যখন তবে কেন তোর এই দশা এই পাপিষ্ঠদের সঙ্গে তুলনা করে কেন বাড়াচ্ছিস নিজের হতাশা বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলেকলমে কবি ও সাহিত্যিক সুলতা পাত্র রুপসা দিঘির পাড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ভিজলাম আমি তোমরা হয়তো বলবে আমি কবি এক প্রকৃতিপ্রেমী আমার মন খারাপ হয়তো বৃষ্টি সেটা বোঝে চোখের জল মুছিয়ে বলল যাও মন দাও গিয়ে নিজের কাজে ঘরে ফিরে যাও মন দিয়ে খাতা ভর্তি করে লেখো আবার ভীষণ ব্যস্ত মোরা কাজ সেরে তোমার ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত লেখা রবীন জাকারিয়া আমাদের একমাত্র কন্যা৷ বাইয়াতুন ঈবাদাহ্৷ সকলে ঈবাদাহ্ নামেই ডাকে৷ ছোট্ট মেয়ে৷ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা বলে৷ মিষ্টি লাগে৷ তাই সকলে ওকে খুব ভালবাসে৷ এমনকি ওর স্কুলের শিক্ষকরাও৷ ও শহরের একটি মান সম্মত স্কুলের নার্সারিতে পড়ে৷ স্কুলটির নাম নর্থ ব্রিজ স্কুল৷ ওর ক্লাশে ও সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ গল্প সারপ্রাইজ কলমে পীযূষ বসু চৌধুরী সুমন আর দেবাংশী অফিস থেকে একসঙ্গেই ফেরে গেটের দরজা চাবি দিয়ে খুলতে খুলতে দেবাংশী বলে আজও তোমার বাবা এত রাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে ফটিক কাকা আর সেই চিরকুমার অসিতের সাথে সত্যি একটা হ্যান্ডসাম ছেলে ওই বয়স্ক মানুষ দুটোর সাথে বসে আড্ডা দিয়ে রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি নয় একটু গম্ভীর ভাবে কিছুক্ষন আগে র করা আসিসমেন্টটা নিজের মনে মনে একবার যাচাই করে নিল নাহ ঠিক ই আছে এই ধরনের পেশেন্টের চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুভাশীষ দে প্রথম পর্ব হতচকিৎ হয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ গেল ঠিক সামনেই দাঁড়ানো অতি সুপুরুষ সুদর্শন ডঃ পরমব্রত হালদারের চোখের দিকে এবং অবাক বিস্ময়ে সে দেখল পরমব্রতর চোখেও এই একই নীরব মুগ্ধ প্রনয়ের আর্তি যা এতক্ষণ সে রেললাইনের ধার থেকে বাড়িতে চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় মাংস প্রায় নেইই বললে চলে হাত পাও কাঠ কাঠ গায়ের চামড়া খসখসে মুখের গড়নও অসুন্দর চোখ দুটো ছোট ছোট কুতকুতে নাক থ্যাবড়া দৃষ্টি দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ান লাইনে দাঁড়িয়েও ঘুম দাদা কি রাতে সিঁদ কাটতে বেরোন নাকি রাতে ভালো ঘুম হয় নি আরে না না রাতে বাবা বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মনে ছিল ভারী সাধ ছেলে দেখবে যথার্থ ছেলের জন্য ত্যাজ্বিলে তুমি নিজের সব ইচ্ছা সেই ছেলে কি তোমার জন্য করলো কিছু ভিক্ষা মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে রয়েছি বাকহারামনের কথা বলতে পারিনি এক মুক্ত আকাশের স্বপ্নে মেতেছিআকাশটা ছিল মেঘলা স্বপ্ন আমার হয়নি পূরণহয়েছি ভিড়ের মাঝে একলা নামটি তাহার জানা হয়নি ঠিকানাটিও নয় এ একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প লেখা অতনু কর্মকার যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সমস্থিথানমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নমস্থ্যসই নম নমঃ সামনের প্যান্ডেল থেকে মহালয়ার চন্ডীশ্লোক ভেসে আসছে প্রতিটা শব্দ কবিতার গায়ে যেন কাঁটার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ তোমার সুরভি মাখা উপস্থিতি ঠাঁই পেল মোর কিংশুক হৃদয়ে তৃষ্ণার্ত নয়ন অনুভব করল তোমার স্নিগ্ধ উপস্থিতি কৃষ্ণ পরিচ্ছদে হলুদ ওড়নায় বসন্ত মেখে তুমি এক ব্যাকুল অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই ফেলি মুখোশ হাওয়ায় বাড়ে ছোবল মারে বিষ জলের মুখে গ্লানির আবর্জনা একুল ওকুল ভাসছে অহর্নিশ সীমান্তে আর সিমন্তে মেঘ করে এই আগামীর সূর্য খোঁজা বাকি পথ হারিয়ে ভুল কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচলেখক অভীক সরকার তুমি পেয়েছ ভগবানের বর আমি পেয়েছি মাটির অভিশাপ ধর্মযুদ্ধে করিলাম প্রাণত্যাগ করেছি আমি এমন কি পাপ তুমি জন্মেছ সোনার মহলে আমি গঙ্গায় ভেসে করেছি বিলাপ সুতপুত্র হয়ে করেছি বিশ্বজয় করেছি আমি এমন কি পাপ ক্ষত্রিয় হয়ে পেলে উত্তম শিক্ষা পরিচয় গোপন করে পেলাম অভিশাপ গুরু আমায় করল না আশীর্বাদ করেছি আমি এমন কি পাপ সখা ছিল তোমার শ্রীকৃষ্ণ দুর্যোধন ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ লেখা অতনু কর্মকার এক আচ্ছা ভালবাসার কি কোনো গন্ধ হয় তুই পেয়েছিস কখনও অর্কর দিকে না তাকিয়েই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল মানভি অর্ক মানে অর্কজিৎ ওরা দুজনেই একটা স্থানীয় খবরের কাগজে চাকরি করে অর্ক হল ক্যামেরাম্যান আর মানভি জার্নালিস্ট ফিল্ডের কাজটা ওরা ইদানিং একসাথেই শুরু করেছে এর অন্তরের আলো অন্তরের আলো অন্তরের আলো লেখক অভীক সরকার তুই নিজেকে খোঁজ তুই হোস না হতাশ বিশ্বাস রাখ নিজের উপর তোর মধ্যে যে ভগবানের বাস ভেঙে ফেল সব শিকল নিজেকে কর ভয় হতে মুক্ত বিজয় একদিন তোর হবে হয়তো এই যুদ্ধে ঝরবে রক্ত চরিত্র তোর পবিত্র যখন তবে কেন তোর এই দশা এই পাপিষ্ঠদের সঙ্গে তুলনা করে কেন বাড়াচ্ছিস নিজের হতাশা বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলেকলমে কবি ও সাহিত্যিক সুলতা পাত্র রুপসা দিঘির পাড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ভিজলাম আমি তোমরা হয়তো বলবে আমি কবি এক প্রকৃতিপ্রেমী আমার মন খারাপ হয়তো বৃষ্টি সেটা বোঝে চোখের জল মুছিয়ে বলল যাও মন দাও গিয়ে নিজের কাজে ঘরে ফিরে যাও মন দিয়ে খাতা ভর্তি করে লেখো আবার ভীষণ ব্যস্ত মোরা কাজ সেরে তোমার ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত লেখা রবীন জাকারিয়া আমাদের একমাত্র কন্যা৷ বাইয়াতুন ঈবাদাহ্৷ সকলে ঈবাদাহ্ নামেই ডাকে৷ ছোট্ট মেয়ে৷ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা বলে৷ মিষ্টি লাগে৷ তাই সকলে ওকে খুব ভালবাসে৷ এমনকি ওর স্কুলের শিক্ষকরাও৷ ও শহরের একটি মান সম্মত স্কুলের নার্সারিতে পড়ে৷ স্কুলটির নাম নর্থ ব্রিজ স্কুল৷ ওর ক্লাশে ও সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ গল্প সারপ্রাইজ কলমে পীযূষ বসু চৌধুরী সুমন আর দেবাংশী অফিস থেকে একসঙ্গেই ফেরে গেটের দরজা চাবি দিয়ে খুলতে খুলতে দেবাংশী বলে আজও তোমার বাবা এত রাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে ফটিক কাকা আর সেই চিরকুমার অসিতের সাথে সত্যি একটা হ্যান্ডসাম ছেলে ওই বয়স্ক মানুষ দুটোর সাথে বসে আড্ডা দিয়ে রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য ক্ষমার অযোগ্য লেখাঃ অতনু কর্মকার আগের পেশেন্ট এর রিপোর্টটা ল্যাপটপে অনলাইনে সাবমিট করে কিছুক্ষন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো ইদ্রিস তিন চার সেকেন্ডস হবে হয়তো এর বেশি নয় একটু গম্ভীর ভাবে কিছুক্ষন আগে র করা আসিসমেন্টটা নিজের মনে মনে একবার যাচাই করে নিল নাহ ঠিক ই আছে এই ধরনের পেশেন্টের দৃষ্টি দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ান লাইনে দাঁড়িয়েও ঘুম দাদা কি রাতে সিঁদ কাটতে বেরোন নাকি রাতে ভালো ঘুম হয় নি আরে না না রাতে ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ লেখা অতনু কর্মকার এক আচ্ছা ভালবাসার কি কোনো গন্ধ হয় তুই পেয়েছিস কখনও অর্কর দিকে না তাকিয়েই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল মানভি অর্ক মানে অর্কজিৎ ওরা দুজনেই একটা স্থানীয় খবরের কাগজে চাকরি করে অর্ক হল ক্যামেরাম্যান আর মানভি জার্নালিস্ট ফিল্ডের কাজটা ওরা ইদানিং একসাথেই শুরু করেছে এর বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন লেখা সুনিপা চ্যাটার্জি যদি ইন্টারনেটে পৃথিবীর দশটি ভুতুড়ে রেলওয়ে স্টেশনের নাম খোঁজ করা যায় তবে পুরুলিয়ার এই বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশনের নাম অবশ্যই আসবে এই স্টেশনটি পড়ে পুরুলিয়া জেলায় ঝালদা এবং কোটশিতা স্টেশনের মাঝখানে এটি একটি হল্ট স্টেশন এখানে কোন এক্সপ্রেস গাড়ি থামে না শুধু কিছু প্যাসেঞ্জার যদি এমন হতো যদি এমন হতো যদি এমন হতো লেখা প্রমিতা মান্না রোহান রোহান উঠ উঠ সকাল হয়ে গেছে পড়তে বসতে হবে তো নাকি রোহান পড়াশোনা খেলাধূলা সবেতেই খুব ভালো একদিন রোহান দুপুরে স্বপ্ন দেখে সে তার তিনটে হাত দিয়ে অংক করছে হঠাৎ মা ডাকায় রোহানের স্বপ্ন ভেঙে যায় সে মাকে বলে স্বপ্নের কথা আলোর বিচ্ছুরণ আলোর বিচ্ছুরণ আলোর বিচ্ছুরণ লেখা অমিত কুমার জানা দুপুর থেকে মেঘ কালো হয়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হলো অষ্টম শ্রেণীর সায়ন প্রতিদিন বিকেলে তাদের গ্ৰামের মাঠে ফুটবল খেলতে যায় আজ তার ছোট্ট ভাই সানু বায়না ধরলো সেও মাঠে যাবে সায়ন সানুকে বললো যে ও খুব ছোট্ট ওকে বন্ধুরা খেলতে নেবে না তবুও ক্লাসের বন্ধু ক্লাসের বন্ধু ক্লাসের বন্ধু লেখা দীপঙ্কর বেরা আমগাছের ডালে আটকে যাওয়া ঘুড়িটা যে পাড়তে পারবে তাকে আমি এই চকলেটটা দেব রকির এই কথায় বিলু বলে আরে ঘুড়িটা তো ছিঁড়ে গেছে মাঞ্জা কাটা তাহলে ওই ঘুড়ি নিয়ে কি করবি সে পরে দেখা যাবে কে পারবি বল মিতুল অর্ণব আর্য পলি সান্তা সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে অভিমান অভিমান অভিমান লেখা শংকর দেবনাথ সামনে বইখাতা খোলা টিচার আসবেন পড়াতে বিকেল পাঁচটায় হোমওয়ার্কটা এখুনি করতে হবে নইলে কিন্তু কিছুতেই ছোট্ট শ্রমণের মন বসতে চাইছে না পড়াতে বারবার যেন আনমনা হয়ে যাচ্ছে বইয়ের দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে অক্ষরগুলো যেন ওকে হাঁ করে গিলতে আসছে হঠাৎ খোলা জানালা দিয়ে বাতাস আসে ওর অবিনশ্বর গামছাওয়ালা অবিনশ্বর গামছাওয়ালা অবিনশ্বর গামছাওয়ালা পলাশ সরকার অবিনশ্বর চক্রবর্তী ওরফে অবিনশ্বর গামছাওয়ালা পিতা স্বর্গীয় বিশ্বেশ্বর চক্রবর্তী বাসভূমি বামুনপাড়া গোয়ালটুলী পেশায় গোয়ালা আজ বামুনপাড়া গ্রামে পঞ্চায়েত বসেছে প্রায় তিনশো গ্রামবাসীর জমায়েত হয়েছে সবাই বেশ কৌতুহলী আজ অবিনশ্বরের বিচার হবে এখন শুধু পঞ্চায়েত প্রধানের আসার অপেক্ষা সকলের মধ্যে বেশ গুঞ্জন চলছে আজ অবিনশ্বরের উচিত পরম্পরা পরম্পরা পরম্পরা লেখা শ্রেয়া বাগচী আজ অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে উদ্বোধন হ ল থুড়ি উদ্বোধন না ওপেনিং হ ল সিটি কাফে র বেলুন সাজিয়ে বেলুন ফাটিয়ে কেক কেটে মাথায় টুপি পরে বেশ একটা আনন্দ অনুষ্ঠান হ ল আজ আর যাঁরা লাকি কাস্টমার আছেন তাঁরা যে কোনো কেনাকাটায় টোয়েন্টি পার্সেন্ট ছাড় পেলেন তা বিক্রি সিঁদুর সিঁদুর সিঁদুর লেখা রুমি বন্দ্যোপাধ্যায় সিঁদুর রুমি বন্দ্যোপাধ্যায় দু বছর হল ললিতার স্বামী হঠাৎই গত হলেন সময়টাও তাই আর আগের মত তেমন অনুরাগ প্রিয় রইল না লাল রং বড় পছন্দের ছিল তাঁর এই বয়েস ও এক মাথা সিঁদুর পড়তেন তিনি সাথে একটা বড় টিপ স্বামী মারা যাওয়ার পর তার সেগুন কাঠের মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৬ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৬ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৬ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে সোমনীল বাবু এক নারীকে দেখে অজানা আতঙ্কে মারা গেলেন ইন্দ্রদার ঘরে সেই নারী মার্টিনা ক্যাম্পবেল এসে গুপ্তধনের ধাঁধা সমাধানের জন্য শাঁসিয়ে যায় খোঁজখবর করে জানা গেল সোমনীল জীবনের বেশ কিছু সময় আমেরিকায় কাটিয়েছেন মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৫ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৫ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৫ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে বিপিন চ্যাটার্জির বাবা সোমনীল বাবু এক নারীকে দেখে অজানা আতঙ্কে মারা গেলেন তাঁর শেষ কথাগুলো জুল হার ক্ষমা গুপ্তধন যে অসংলগ্ন কথা নয় তা ইন্দ্রদার ঘরে মার্টিনা ক্যাম্পবেলের আবির্ভাব এবং গুপ্তধনের ধাঁধা সমাধানের মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৪ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৪ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৪ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে বিপিন চ্যাটার্জির বাবা সোমনীল বাবু এক নারীকে দেখে অজানা আতঙ্কে মারা গেলেন তাঁর শেষ কথাগুলো জুল হার ক্ষমা গুপ্তধন যে অসংলগ্ন কথা নয় তা ইন্দ্রদার ঘরে মার্টিনা ক্যাম্পবেলের আবির্ভাব এবং গুপ্তধনের ধাঁধা সমাধানের মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৩ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৩ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৩ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে বিপিন চ্যাটার্জির বাবা সোমনীল বাবু এক নারীকে দেখে অজানা আতঙ্কে শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন তাঁর শেষ কথাগুলো জুল হার ক্ষমা গুপ্তধন কি অসংলগ্ন কথা সোমনীলের ঘরে চোর আসা আর ইন্দ্রদার ঘরে মার্টিনা ক্যাম্পবেলের রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব চারুবালা প্রথম পর্ব লেখা শুভাশীষ দে ১বেশ লম্বা বলতে গেলে তালঢ্যাঙা চেহারা গায়ের রং ঘোর কালো চেহারা একেবারে শ্রীহীন একেবারে কাঠ কাঠ গড়ন গোটা দেহের কাঠামোয় মাংস প্রায় নেইই বললে চলে হাত পাও কাঠ কাঠ গায়ের চামড়া খসখসে মুখের গড়নও অসুন্দর চোখ দুটো ছোট ছোট কুতকুতে নাক থ্যাবড়া যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব সন্ধের আড্ডায় যতই বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের গ্লাস নিয়ে বলি এসব পুজো ফুজো করে কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে কি হচ্ছে এক বছর পুজো বন্ধ করলেই কতগুলো হাসপাতাল তৈরি হয়ে যায় আজ পুজো পেরিয়ে হঠাৎ এক একাদশীর সকালে মনে হল দীর্ঘজীবি হোক বাঙালির উৎসব আনন্দের সংজ্ঞা বেঁচে থাকুক বাবা মেয়ের খুনসুটিতে এ গরীব দেশের খুশিরা নয় বেঁচে থাকুক উদযাপনের আতিশয্যেই যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ আর্ত অবলাকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম সেদিন বালতি হাতে তার সামনে গিয়ে দেখি সে উঠে দাঁড়িয়েছে অবিকল যেভাবে খারাপ সময়টা এভাবেই নিভৃতে কাটিয়েই সবাই একদিন উঠে দাঁড়ায় বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১২ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১২ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১২ শিপ্রা মজুমদার তরফদার আজ অখিল এসেছিল পর্ণা ওকে ডেকে পাঠিয়েছিল কিছু বই দেবে বলে যাক মনটা ভালো লাগছে ওর কাছে শুনে যে ওর দাদা বাড়ি ফিরে এসেছে অখিলের মা শয্যাশায়ী দাদার জন্য খুব অস্থির হয়ে উঠেছিল আট বছর ধরে নিখোঁজ ছিল দাদা অভাবের সংসার ছেড়ে একদিন বন্ধুর বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১১ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১১ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১১ শিপ্রা মজুমদার তরফদার সারা রাত ভালো করে ঘুম হয় না রামুর এক অজানা আতঙ্কে বারবার উঠে উঠে নিজের গায়ে হাত রেখে দেখছে জ্বর আসলো না তো মৃত্যুভয় যেন গলার কাছে দলা পাকিয়ে উঠছে আগে এত ভয় ছিলনা রামুর কিন্তু সন্ধ্যা মারা যাবার পর মনটা যেন বেশি দুর্বল মরচে ধরা রহস্য সপ্তম ও শেষ পর্ব মরচে ধরা রহস্য সপ্তম ও শেষ পর্ব মরচে ধরা রহস্য সপ্তম ও শেষ পর্ব লেখা শান্তনু দাসপ্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে সোমনীল বাবুর মৃত্যু এবং মার্টিনা ক্যাম্পবেলের আবির্ভাবকে ছাপিয়ে যে প্রশ্নটা ইন্দ্রদাকে ভাবাচ্ছে তা হল ওনার সঙ্গে মার্টিনার যোগসূত্র গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েও মার্টিনা তা নেয় না হোটেল পর্যন্ত ধাওয়া করে জানা যায় মার্টিনা বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১০ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১০ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ১০ শিপ্রা মজুমদার তরফদার গোদের উপর বিষফোড়া চারিদিকে এই অজানা রোগের আতঙ্ক আর তার মাঝেই কাল বিকেল থেকে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি আকবর একটু বেরিয়েছিল মেহেরের আবার জ্বর এসেছে মেয়েটা হওয়ার পর থেকে খুব ভুগছে এদিকে ডাক্তার খানা ওষুধের দোকান বন্ধ ওষুধ আনতে সাইকেল নিয়ে দূরে গিয়ে ছিল আকবর ফেরার বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৯ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৯ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৯ শিপ্রা মজুমদার তরফদার দেখতে দেখতে এক মাস কেটে যায় রামুর ভোলার আশ্রয়ে নিজেকে বড় অসহায় লাগছে এই মা মরা ছেলেটিকে নিয়ে সন্ধ্যার যে বড় ইচ্ছে ছিল বিশ্বকে একদিন বড় মানুষ করবে কিন্তু হায় এখন ওর যা পরিস্থিতি মানুষের দয়ায় বেঁচে থাকতে হচ্ছে রামু ভেবেছিল ভিন রাজ্য থেকে ফিরে মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৬ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৬ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৬ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে সোমনীল বাবু এক নারীকে দেখে অজানা আতঙ্কে মারা গেলেন ইন্দ্রদার ঘরে সেই নারী মার্টিনা ক্যাম্পবেল এসে গুপ্তধনের ধাঁধা সমাধানের জন্য শাঁসিয়ে যায় খোঁজখবর করে জানা গেল সোমনীল জীবনের বেশ কিছু সময় আমেরিকায় কাটিয়েছেন মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৫ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৫ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৫ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে বিপিন চ্যাটার্জির বাবা সোমনীল বাবু এক নারীকে দেখে অজানা আতঙ্কে মারা গেলেন তাঁর শেষ কথাগুলো জুল হার ক্ষমা গুপ্তধন যে অসংলগ্ন কথা নয় তা ইন্দ্রদার ঘরে মার্টিনা ক্যাম্পবেলের আবির্ভাব এবং গুপ্তধনের ধাঁধা সমাধানের মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৪ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৪ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৪ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে বিপিন চ্যাটার্জির বাবা সোমনীল বাবু এক নারীকে দেখে অজানা আতঙ্কে মারা গেলেন তাঁর শেষ কথাগুলো জুল হার ক্ষমা গুপ্তধন যে অসংলগ্ন কথা নয় তা ইন্দ্রদার ঘরে মার্টিনা ক্যাম্পবেলের আবির্ভাব এবং গুপ্তধনের ধাঁধা সমাধানের মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৩ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৩ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৩ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে বিপিন চ্যাটার্জির বাবা সোমনীল বাবু এক নারীকে দেখে অজানা আতঙ্কে শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন তাঁর শেষ কথাগুলো জুল হার ক্ষমা গুপ্তধন কি অসংলগ্ন কথা সোমনীলের ঘরে চোর আসা আর ইন্দ্রদার ঘরে মার্টিনা ক্যাম্পবেলের মরচে ধরা রহস্য পর্ব ২ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ২ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ২ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার আগে যা ঘটেছে এক ঝড় জলের রাতে সোমনীল বাবুর বাড়িতে এক মহিলা ছায়া মূর্তির আবির্ভাব পনেরো বছরের পুরোনো স্মৃতি তাজা হয়ে গেল ভয়ার্ত সোমনীল বাবুর মনে তারপর পর্ব ২ গুপ্তধনের সংকেত অবাক দৃষ্টিতে এক মরচে ধরা রহস্য পর্ব ১ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ১ মরচে ধরা রহস্য পর্ব ১ লেখা শান্তনু দাস প্রচ্ছদ অনিন্দিতা রায় কর্মকার পর্ব ১ সেই মুখ দেয়ালঘড়ির একটা ঘন্টাধনি সমস্ত নীরবতা ভঙ্গ করে কেঁপে কেঁপে বাতাসে মিশে গেল কদিন থেকে রাত্রিতে ঘুমোতে পারছেন না সোমনীল বাবু পুরনো সেই ভয়ংকর স্মৃতিটা বারবার মনকে নাড়া দিচ্ছে কদিন থেকে রাতে সে তবে কে ষষ্ঠ এবং শেষ পর্ব সে তবে কে ষষ্ঠ এবং শেষ পর্ব সে তবে কে ষষ্ঠ এবং শেষ পর্ব লেখা শান্তনু দাস আগে যা হয়েছে কলেজের হোস্টেলে খুন হ ওয়া অলীকের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে ইন্দ্রদা হিমসিম খাচ্ছিল অনেককে জেরা করেও কিছু জানা যায় নি অলীকের ওয়াকম্যান থেকে বোঝা গেল খুনির নাম সম্ভবত সুমি তমলুকে অলীকের বাড়িতে সেদিন সন্ধ্যায় এক ছায়ামূর্তির রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত দূরে কোথায় দূরে কোথায় দূরে কোথায় লেখা অতনু কর্মকার দূরে কোথায় দূরে দূরে আমার মন বেড়ায় গো ঘুরে ঘুরে দূরে কোথায় দূরে দূরে গানটা পাশের ঘর থেকে গ্রামোফোনে বাজছে ঠাকুর্দার ওই একটি জিনিসই পিসি বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে এখনও পর্যন্ত বাকি সব জিনিস বাড়ির লোকেরা বিক্রিবাটা করে সাফ করে দিয়েছে হৈমন্তীর চিলেকোঠার এই দুটো প্রেমে অপ্রেমে প্রেমে অপ্রেমে প্রেমে অপ্রেমে লেখা সুদীপ দাশ প্রেম কি ছিল কোনদিন বহুবাসনায় প্রাণপণে চেয়েছি যে তাকে কখনো পেয়েছি কি গন্ডুষ ভরা প্রাণ ছিল দাবি ছিল আশা প্রাণহীন বুকে অস্ফুট কথা ছিল রঙহীন ঠোঁটে ছিল না এক সমুদ্র প্রেমের ঢেউ অথবা নিপাট আটপৌরে চালধোয়া হাতখানি একবুক ভালোবাসার ছিল যে খাঁই প্রেমের আবাসে আজধান খাওয়া বুলবুলির কেবল ওড়াউড়ি দিনান্তের খাজনা এখানে একান্তে এখানে একান্তে এখানে একান্তে লেখা অনির্বাণ সরকার এখানে আকাশ নীল রঙিন ঋতুর ছোঁয়া জোছনায় দুধ ধোয়ানীরব লহরী ভরা ঝিল এখানে পাখির ঝাঁকপ্রতিদিন ভোর সাথী দিবালোক সাঁঝবাতি আমার স্মৃতিতে ধরা থাক এখানে একান্তে বসেশুধু যেন হয় মনে নিজেরই নির্বাসনেদূরের তারাও যায় খসে এখানে জানিয়ে যাই আমার এ শান্ত নীড়তোমাদের পৃথিবীরদিগন্তরেখার পরে ঠাঁই এখানে সময় শেষ আর ফেরা হবে নাকো তোমরাও ভাল থাকো আমিও ভালই আছি বেশ বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন লেখা সুনিপা চ্যাটার্জি যদি ইন্টারনেটে পৃথিবীর দশটি ভুতুড়ে রেলওয়ে স্টেশনের নাম খোঁজ করা যায় তবে পুরুলিয়ার এই বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশনের নাম অবশ্যই আসবে এই স্টেশনটি পড়ে পুরুলিয়া জেলায় ঝালদা এবং কোটশিতা স্টেশনের মাঝখানে এটি একটি হল্ট স্টেশন এখানে কোন এক্সপ্রেস গাড়ি থামে না শুধু কিছু প্যাসেঞ্জার কুয়াশা কুয়াশা কুয়াশা লেখা লাবণী বসু কুয়াশা জমছে তোমার মনেকুয়াশায় ঘেরা সকাল ভালোবাসা যেন যাচ্ছে সরেসন্দেহ অবিচল বিস্ময়ের মেঘ দু চোখে নিদ্রাদিবারাত্রির লুকোচুরি সময়ের ভারে স্রোতহীন আবেগশিথিল প্রেমের তরী সেদিনও ছিল এমনই সন্ধ্যাসোহাগের কুহুতান চেনা স্পর্শের অচেনা গহবরেজমেছিল অভিমান মধ্যযামিনী ভিজে যায় যেনএকাকিত্বের আলিঙ্গনে হিমাদ্রিসম স্মৃতির ভারভিড় জমায় প্রাঙ্গণে অনুভূতির আকাশে ঘনকালো মেঘ ঝাপসা কাঁচের ম্যাগনাম মাগনায় ম্যাগনাম মাগনায় ম্যাগনাম মাগনায় লেখা তপন তরফদার বিল্টু আর মিল্টু হরিহর আত্মা দুজনেই পেটুক ক্লাস ইলেভেনে পড়ে এখনই তো খাবার বয়স অথচ পকেটমানি জোটে না ওদিকে হিরুদা আর ধীরুদার গলায় গলায় বন্ধুত্ব কেন ওদের জুটি অটুট তাও জানে বিল্টু মিল্টু ওরা ভোজনা বাড়িতে বিনা নিমন্ত্রণে বিনামূল্যে গান্ডে পিন্ডে গিলে আসে অনুষ্ঠানের তাতানের কথা তাতানের কথা তাতানের কথা লেখা সৌরভ চাকী তাতান মন খারাপ করে পড়ার টেবিলে বসে মা বাবার কাছে খুব বকুনি খেয়েছে আসলে স্কুলের ফাইনাল টার্মের রেজাল্টে ও মোটামুটি নম্বর পেয়ে ক্লাস ফোরে উঠেছে কিন্তু অঙ্কে খুব খারাপ বাবা বলেই দিয়েছেন সামনের মাস থেকে বিকেলে একজন মিস শুধু অঙ্ক করাতে আসবেন অর্থাৎ বিকেলে নীল ধ্রুবতারা নীল ধ্রুবতারা নীল ধ্রুবতারা লেখা গোবিন্দ মোদক পোশাকি নাম স্বপ্ননীল হলেও সবার কাছে সে নীল বছর আটেক বয়স নীলের একমাথা কোঁকড়ানো চুল নীলাভ চোখ আর মায়াময় চাউনির জন্য সবার কাছেই নীল অত্যন্ত আদরের তার চোখ দু টিতে অপার বিস্ময় মনে হয় যেন নীল অন্য সবার তুলনায় তার দু চোখ দিয়ে আরও অনেক কিছু রিয়ানা রিয়ানা রিয়ানা লেখা সবিতা বিশ্বাস রিয়ানার দিম্মা প্রতিদিন সকালে সাজি ভরে ফুল তোলে রিয়ানারও ফুল তুলতে খুব ভালো লাগে কিন্তু সকাল হলেই তো ছুট্ ছুট্ ছুট্ না ছুটলে হবে তোমাদের তো আর টুবি মিসের ক্লাস করতে হয় না তাই জানো না বাব্বাঃ টুবি মিসের কি রাগ তা রিয়ানার কি চোর ধরা চোর ধরা চোর ধরা লেখা সুমন্ত বোস কিছুতেই ঘুম আসছেনা রিষানের তার মনে অনেক প্রশ্নের ভিড় চোর কিরকম দেখতে কিভাবে আসে কিভাবে চুরি করে সকালবেলা কোথায় থাকে আরো কত কি ঠাম্মা তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজের ছোটবেলার চোরের গল্প শুনিয়ে দিল তাতে তার কৌতুহল পরিনত হল ভয়ে সে ঠাম্মার করোনাসুর দমন করোনাসুর দমন করোনাসুর দমন লেখা মঞ্জিলা চক্রবর্তী একবার ধরাধামে এক ভয়ংকর দৈত্য এসে হাজির হল তাকে খালি চোখে দেখা যায় না সেই অদৃশ্য দানব মানুষের চোখ নাক মুখ দিয়ে শরীরের ভেতর ঢুকে পড়ে তাকে প্রথমে বন্দি বানিয়ে ফেলে তারপর তাকে প্রাণে শেষ করে ফেলছিল শুধু তাই নয় ওই করোনাক্রান্ত বন্দির পিছু টান পিছু টান পিছু টান কলমে পীযূষ বসু চৌধুরী অবনী হাঁটতে হাঁটতে প্রায় পার্কের কাছাকাছি চলে এসেছে কিছুটা দূরে একটা চায়ের দোকান দেখে অবনী এগিয়ে যায় কয়েকজন বসে চা খাচ্ছে অবনী একটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে বসে পড়ল দোকানীর দিকে তাকিয়ে বলল এক কাপ চা একটা বিস্কুট অবনী চা খেয়ে বাজার যাবে ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর লেখা কবিতা সামন্ত পল্টু রোজ বিস্কুট খেলেই ছুটে বারান্দায় চলে য়ায় মা কতবার বারণ করেছে ওদিকে না যেতে তবুও রোজ মায়ের চোখে ফাঁকি দিয়ে ঠিক যাবেই ওদিকের মাটির দেওয়ালে অনেক গর্ত রয়েছে তাতে ইঁদুরের সংসার ওরা অনেক জন একসাথে থাকে ধানের গোলাটা যবে থেকে বাবা দায়ী দায়ী দায়ী লেখা অনির্বাণ সরকার আজ সকালে টিভিতে একটি খবর দেখে কৃশানুর মন মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়ে গেল সে রাজ্য সরকারের একটি সাধারণ যোগ্যতামূলক চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিল যার ফল বেরনোর সম্ভাবনা ছিল এই সপ্তাহেই কিন্তু আজ টিভিতে একটি খবরের চ্যানেলে সম্প্রচারিত হল যে সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়ার পরিচালক পরিচালক পরিচালক লেখা তুলসী কর্মকার পর্ব ১মধ্যরাত গদিতে ঈশ্বরসৃষ্টি পালন ধ্বংস করছেন পর্ব ২একটি বাক্সে হরেক ধর্ম আছে এক এক করে স্বহস্তে বিতরণ করছেন পর্ব ৩লম্বা লাইন জীব জড় সকলে হাজির যে যা পাচ্ছেন নিয়ে খুশি হচ্ছেন পর্ব ৪হঠাৎ বাক্স শেষ মানুষ অবাক হয়ে দেখছেন পর্ব ৫ঈশ্বর হে মানুষ তুমি কী চাও মানুষ আশীর্বাদ ঈশ্বর রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত দৃষ্টি দৃষ্টি দৃষ্টি কলমে শুভাশীষ দে সবে হাল্কা ঘুমটা এসেছিল হঠাৎ করে কার গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যেন ঘুমটা ভেঙে গেল আরে এ কি এ সব কি হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়ান লাইনে দাঁড়িয়েও ঘুম দাদা কি রাতে সিঁদ কাটতে বেরোন নাকি রাতে ভালো ঘুম হয় নি আরে না না রাতে আনন্দ আশ্রম আনন্দ আশ্রম আনন্দ আশ্রম লেখা সান্ত্বনা চৌধুরী মহালয়ার আগের দিনই মিষ্টি বলে রেখেছিল সকাল সকাল তৈরি হয়ে থাকতে বিগত ছ বছর ধরে এই বিশেষ দিনটিতে মিষ্টি আর আমি বিশেষ কিছু মানুষের সান্নিধ্যে সারাটাদিন কাটাই এবারে অবশ্য আর একজন সঙ্গী হয়েছে আমাদের দীপ্ত আর মিষ্টির চার বছরের ফুটফুটে মেয়ে পুপে দীপ্ত অফিসের কাজে দুদিনের জীবন ও প্রেম সমার্থক জীবন ও প্রেম সমার্থক জীবন ও প্রেম সমার্থক শ্রদ্ধেয় কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের শুভ জন্মদিনে ওনাকে স্মরণ করে লিখেছে দেবশ্রী সিংহ আমার শরীরে প্রেম দিয়েছ শঙ্খ তোমার শারদ প্রেমের স্থির বলয়ে আমি এক ভ্রাম্যমান নক্ষত্র যৌবনের অবগাহনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চেয়ে দেখি অবহেলায় সৃষ্টির বেদনা মন্থন রাত চুঁইয়ে পড়া রক্তে প্রত্যহ ভেসে যায় আমি শুয়ে থেকেছি বাহুর হার হার হার কলমে সঙ্কর্ষণ সেন ছবি দেব হোর হেরে গেছি বলে চলে গেছ ফিরে ঘুরে তাকাওনি আর পশ্চিমের আকাশে সূর্য ডোবার সময় মনখারাপ নামে লাল রঙে সেজে ওঠে নতুন বউ সব শেষেরই বোধহয় দুটো দিক থাকে একটা রাস্তা ধরে পথিক হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় অনেকদূর আমার ছেলেবেলার প্রেম আমার ছেলেবেলার প্রেম চট্টগ্রামের চৌধুরীহাট ষ্টেশনের অদূরে পাহাড়ঘেঁষা ফতেহাবাদ গ্রামে আমার ছেলেবেলা কেটেছে সে সময়ে আমার খেলার সাথী ছিল আমার থেকে দু বছরের বড় আমার ছোড়দি আর গ্রামেরই আরো কয়েকজন আমাদের সমবয়সী ছেলেমেয়ে তাদের মধ্যে আমাদের পাশের বাড়ির দুই বোনও ছিল বড়বোন ছিল ছোড়দির বন্ধু কথা কম বলত বাড়িতেই বেশি সময় থাকত মায়ের অকপটে বসন্ত পঞ্চমী অকপটে বসন্ত পঞ্চমী ব্যস্ত আমি বেল দিতে দিতে স্কুলে স্কুলে ঘোরায় আড়চোখেতে মুগ্ধ হওয়া হলুদ শাড়ির পশরায় একটা দিনের স্বাধীনতা চুটিয়ে আড্ডা মারা পাত্তা পাওয়া হালকা হাসি হৃদয় পাগলপারা হাসি ঠাট্টা ঘোরার ভিড়ে একটু আড়াল খোঁজা দু হাত ভরে লুটে নেওয়া ধোঁয়া ওড়ানোর মজা এখন আমি বাইক আরোহী সাইকেল গেছি সম্পর্ক সম্পর্ক বহুদিন পর দেখা আরুহি আর সূর্য্য র৷ কিরে ভালো আছিস তো বহুদিন পর এই প্রশ্নটা শুনে সূর্য্য নিজের মনেই বলে ওঠে মেয়েটা আজও বদলায়নি মুখে শুধু বলে হ্যাঁ ভালো আছি৷ আর তুই আছি এক রকম৷ খারাপ নেই সেটা বুঝতেই পারছি তাও একবার জিজ্ঞেস করলাম ভদ্রতার খাতিরে৷ তোর আমার সুজাতা সুজাতা ১ হীরক সামান্য আলো নিয়ে তুমি দাঁড়িয়ে থাকতে রাস্তায় হীরক সামান্য আলো নিয়ে তুমি দাঁড়িয়ে থাকতে রাস্তায় আমার কৈশোর চলে গেলো যৌবন চলে গেলো এই বানপ্রস্থে একি আলোর খেলা দেখি চোখ জ্বলে যায় চোখ জ্বলে যায় ভুবনমোহিনী ২ ছাই ভস্ম সব গিলে না বলা কথা না বলা কথা দেবারতির মনে আজ একটা চাপা টেনশন কাজ করে চলেছে সারাদিন স্কুলে ক্লাস নেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে যেন চিন্তাটাকে চেষ্টা করেও ভুলতে পারছে না সে টিফিন এর সময় পাপিয়াদি জিজ্ঞাসাও করলেন তোমার কি হয়েছে বল তো দেবারতি বাড়ীতে কোন অশান্তি ক ই কিছু না তো বলে এড়িয়ে গেল দেবারতি কিন্তু কমনরুমের অনেকেই তোজোর ভাষা দিবস তোজোর ভাষা দিবস অনবরত কলিং বেল বাজতেই শেলী ঘরের ভিতর থেকে বলতে লাগল আসছি আসছি তোজো এতবার কলিং বেল বাজালে নষ্ট হয়ে যাবে তো উফফ্ দরজা খুলতেই তোজো এক ছুটে ঘরে ঢুকেই ঠাম্মির কোলে গিয়ে বসল তারপর দুজনে কিছুক্ষণ ফিসফিস শেলী এবার চোখ পাকিয়ে ছেলের দিকে তাকিয়ে বলল তোজো যাও ফ্রেশ হয়ে বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা ছেলে আমার হিন্দি বলে ইংরেজিতে লেখে এসব কিছুর চাপের মাঝে বাংলা কখন শেখে অ আ ক খ লিখতে গিয়ে জটিলতায় ভরা কি হবে ছাই বাংলা পড়ে সময় নষ্ট করা ছেলে আমার ইংরেজি স্কুল সাহেব সাহেব চাল তুমিই বলো পিত্জা ছেড়ে কে খায় ভাত ডাল বাংলা গানে কিসের জাদু আমার একুশ আমার একুশ আমার একুশ রক্তে রাঙা শহীদের বলিদান আমার একুশ বাংলা ভাষা বাংলার সম্মান আমার একুশ গর্ব আমার কত শত বীরের জীবন দান আমার একুশ বাংলা গান আমার অভিমান আমার একুশ ভোরের আলো সবুজ বাংলা মাঠ আমার একুশ কিশলয় আর বাংলা সহজ পাঠ আমার একুশ গ্ৰীষ্ম দুপুর বর্ষা শীতের রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত পিছু টান পিছু টান পিছু টান কলমে পীযূষ বসু চৌধুরী অবনী হাঁটতে হাঁটতে প্রায় পার্কের কাছাকাছি চলে এসেছে কিছুটা দূরে একটা চায়ের দোকান দেখে অবনী এগিয়ে যায় কয়েকজন বসে চা খাচ্ছে অবনী একটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে বসে পড়ল দোকানীর দিকে তাকিয়ে বলল এক কাপ চা একটা বিস্কুট অবনী চা খেয়ে বাজার যাবে দায়ী দায়ী দায়ী লেখা অনির্বাণ সরকার আজ সকালে টিভিতে একটি খবর দেখে কৃশানুর মন মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়ে গেল সে রাজ্য সরকারের একটি সাধারণ যোগ্যতামূলক চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিল যার ফল বেরনোর সম্ভাবনা ছিল এই সপ্তাহেই কিন্তু আজ টিভিতে একটি খবরের চ্যানেলে সম্প্রচারিত হল যে সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়ার উপকথার গাছ উপকথার গাছ উপকথার গাছ লেখা দিলীপ কুমার ঘোষ এক যে ছিল গাছ সে গাছে হত না পাতা ফুল ফল গাছ পারত না ছায়া দিতে কীটপতঙ্গকে ডাকতে পাখিকে বসাতে কেউ যেত না তার কাছে তার ছিল না এতটুকু কদর মন খারাপ করে তাই সে সবসময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করত হে ভগবান আমায় পাতায় অবিনশ্বর গামছাওয়ালা অবিনশ্বর গামছাওয়ালা অবিনশ্বর গামছাওয়ালা পলাশ সরকার অবিনশ্বর চক্রবর্তী ওরফে অবিনশ্বর গামছাওয়ালা পিতা স্বর্গীয় বিশ্বেশ্বর চক্রবর্তী বাসভূমি বামুনপাড়া গোয়ালটুলী পেশায় গোয়ালা আজ বামুনপাড়া গ্রামে পঞ্চায়েত বসেছে প্রায় তিনশো গ্রামবাসীর জমায়েত হয়েছে সবাই বেশ কৌতুহলী আজ অবিনশ্বরের বিচার হবে এখন শুধু পঞ্চায়েত প্রধানের আসার অপেক্ষা সকলের মধ্যে বেশ গুঞ্জন চলছে আজ অবিনশ্বরের উচিত এক্স কলিগ এক্স কলিগ এক্স কলিগ প্রমিতা মান্না আজ থেকে প্রায় পঁচিশ বছর আগের কথা আমি তখন সবে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরির চেষ্টা করছিলাম মনে আছে আমি যেদিন চাকরী পাই বাবা সেদিন এত খুশি ছিল যে পি এফ র টাকা দিয়ে আমার জন্যে বাইক কিনে এনেছিল আর মা আমার পছন্দের খাসির মাংস বানিয়েছিল সত্যি মানবতা মানবতা মানবতা তুলসী কর্মকার একদিনঈশ্বর মৃত বলে ঘোষিত হবে সরকার পতন হবে টাকা মূল্য হারাবে নারী স্বপ্ন ভঙ্গ হবেমদ নেশা হারাবে তখনটাকা সরকার ঈশ্বর মানুষের সৃষ্টি বলে গণ্য হবে উচ্চবিত্ত অর্থ নারীর মোহ থেকে বঞ্চিত হবে নিম্নবিত্ত ও সরকার নেশা মোহ থেকে সরে আসবে বহুকাল বেঁচে আছি মধ্যবিত্ত হয়েটাকা সরকার ঈশ্বর নারী কেউ কথা রাখেনি ক্রমাগত কষ্টের সাথে সিলিন্ডার সিলিন্ডার ত্রিদিব কাঁধের ব্যাগ রেখে তাকিয়ে থাকে স্নিগ্ধার দিকে মনে মনে ভাবে স্নিগ্ধাকে ছেড়ে যাওয়া অপরাধ হবে স্বেচ্ছায় নিজের হাত এগিয়ে দেয় স্নিগ্ধার দিকে যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব সন্ধের আড্ডায় যতই বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের গ্লাস নিয়ে বলি এসব পুজো ফুজো করে কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে কি হচ্ছে এক বছর পুজো বন্ধ করলেই কতগুলো হাসপাতাল তৈরি হয়ে যায় আজ পুজো পেরিয়ে হঠাৎ এক একাদশীর সকালে মনে হল দীর্ঘজীবি হোক বাঙালির উৎসব আনন্দের সংজ্ঞা বেঁচে থাকুক বাবা মেয়ের খুনসুটিতে এ গরীব দেশের খুশিরা নয় বেঁচে থাকুক উদযাপনের আতিশয্যেই মনে পড়ে মনে পড়ে দু হাত মেলে ভাসান টানে যাই পাখির মতো আকাশ মেঘে মেঘে দু জন মিলে এতদিনের ইচ্ছেগুলো ভাসাই যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ আর্ত অবলাকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম সেদিন বালতি হাতে তার সামনে গিয়ে দেখি সে উঠে দাঁড়িয়েছে অবিকল যেভাবে খারাপ সময়টা এভাবেই নিভৃতে কাটিয়েই সবাই একদিন উঠে দাঁড়ায় ছাতা বিষয়ক কথকতা ছাতা বিষয়ক কথকতা আর্কিমিডিস গামছা পরে চৌবাচ্চায় না ঢুকলে কি অমন সত্যটা বেরিয়ে আসত এ হলো জাগতিক নিয়ম রোগ ঢুকলে টাকা বেরিয়ে যাবে আবার ওষুধ ঢুকলেই রোগ বেরোবে বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৮ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৮ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৯ শিপ্রা মজুমদার তরফদার দেখতে দেখতে এক মাস কেটে যায় রামুর ভোলার আশ্রয়ে নিজেকে বড় অসহায় লাগছে এই মা মরা ছেলেটিকে নিয়ে সন্ধ্যার যে বড় ইচ্ছে ছিল বিশ্বকে একদিন বড় মানুষ করবে কিন্তু হায় এখন ওর যা পরিস্থিতি মানুষের দয়ায় বেঁচে থাকতে হচ্ছে রামু ভেবেছিল ভিন রাজ্য থেকে বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৮ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৮ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৮ শিপ্রা মজুমদার তরফদার পরিমল ওদের সাথে এসে ট্রেনে তুলে দেয় এ ক দিনে আকবর যেন ওর ছোট ভাইয়ের মতো হয়ে গিয়েছিল ছোট্ট মেহের এই নিঃসন্তান দম্পতির মন জয় করে নিয়েছিল বেরোবার সময় মুক্তি কেঁদেই ফেলে আকবর পরিমলদার ব্যবহারে শুধু কৃতজ্ঞ নয় অভিভূত হয়ে যায় রাস্তার দাদা বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৭ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৭ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৭ শিপ্রা মজুমদার তরফদার সকালের নিউজ চ্যানেল চালিয়েছিল অমিয় মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায় এরই মাঝে আরেক বিপদ দেশের আরেক প্রান্তে কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে গ্রামের পর গ্রাম ছড়িয়ে পড়ছে এমনিতে লকডাউন রাস্তায় মানুষ বেরোবার কথা নয় তবুও দেখছে কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায় দৌড়ে বেরোচ্ছে বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৬ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৬ বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৬ শিপ্রা মজুমদার তরফদার পুরনো বন্ধু ভোলার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে রামুর বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে পুরোনো ভিটের পাশে গাছ তলায় বসে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল মনে নেই ছেলেটাও অঘোরে ঘুমাচ্ছে পাড়াতে মস্তান বলে পরিচিত ছিল ভোলা ওর চেয়ে ২ বছরের বড় কিরে মুখ দেখে তো রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত বাবা বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মনে ছিল ভারী সাধ ছেলে দেখবে যথার্থ ছেলের জন্য ত্যাজ্বিলে তুমি নিজের সব ইচ্ছা সেই ছেলে কি তোমার জন্য করলো কিছু ভিক্ষা মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়নযে মায়া বাধতে পারেশত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকেশব্দের খেলা খেলিনি হয়ে রয়েছি বাকহারামনের কথা বলতে পারিনি এক মুক্ত আকাশের স্বপ্নে মেতেছিআকাশটা ছিল মেঘলা স্বপ্ন আমার হয়নি পূরণহয়েছি ভিড়ের মাঝে একলা নামটি তাহার জানা হয়নি ঠিকানাটিও নয় এ স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ তোমার সুরভি মাখা উপস্থিতি ঠাঁই পেল মোর কিংশুক হৃদয়ে তৃষ্ণার্ত নয়ন অনুভব করল তোমার স্নিগ্ধ উপস্থিতি কৃষ্ণ পরিচ্ছদে হলুদ ওড়নায় বসন্ত মেখে তুমি এক ব্যাকুল অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত অন্য বসন্ত সৌকর্য সামাদ আমি গ্রীলের ফাঁকে আতঙ্কের কুয়াশা দেখে ছবির খাতায় মৃতের শহর আঁকি আজ ধূসর টুকু আবার অনেক সবুজ বহু বসন্তে ঘর ফেরেনি জোনাকি রাস্তা হেঁটে পড়েই ফেলি মুখোশ হাওয়ায় বাড়ে ছোবল মারে বিষ জলের মুখে গ্লানির আবর্জনা একুল ওকুল ভাসছে অহর্নিশ সীমান্তে আর সিমন্তে মেঘ করে এই আগামীর সূর্য খোঁজা বাকি পথ হারিয়ে ভুল কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচ কর্ণ উবাচলেখক অভীক সরকার তুমি পেয়েছ ভগবানের বর আমি পেয়েছি মাটির অভিশাপ ধর্মযুদ্ধে করিলাম প্রাণত্যাগ করেছি আমি এমন কি পাপ তুমি জন্মেছ সোনার মহলে আমি গঙ্গায় ভেসে করেছি বিলাপ সুতপুত্র হয়ে করেছি বিশ্বজয় করেছি আমি এমন কি পাপ ক্ষত্রিয় হয়ে পেলে উত্তম শিক্ষা পরিচয় গোপন করে পেলাম অভিশাপ গুরু আমায় করল না আশীর্বাদ করেছি আমি এমন কি পাপ সখা ছিল তোমার শ্রীকৃষ্ণ দুর্যোধন অন্তরের আলো অন্তরের আলো অন্তরের আলো লেখক অভীক সরকার তুই নিজেকে খোঁজ তুই হোস না হতাশ বিশ্বাস রাখ নিজের উপর তোর মধ্যে যে ভগবানের বাস ভেঙে ফেল সব শিকল নিজেকে কর ভয় হতে মুক্ত বিজয় একদিন তোর হবে হয়তো এই যুদ্ধে ঝরবে রক্ত চরিত্র তোর পবিত্র যখন তবে কেন তোর এই দশা এই পাপিষ্ঠদের সঙ্গে তুলনা করে কেন বাড়াচ্ছিস নিজের হতাশা বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলেকলমে কবি ও সাহিত্যিক সুলতা পাত্র রুপসা দিঘির পাড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ভিজলাম আমি তোমরা হয়তো বলবে আমি কবি এক প্রকৃতিপ্রেমী আমার মন খারাপ হয়তো বৃষ্টি সেটা বোঝে চোখের জল মুছিয়ে বলল যাও মন দাও গিয়ে নিজের কাজে ঘরে ফিরে যাও মন দিয়ে খাতা ভর্তি করে লেখো আবার ভীষণ ব্যস্ত মোরা কাজ সেরে তোমার প্রেমে অপ্রেমে প্রেমে অপ্রেমে প্রেমে অপ্রেমে লেখা সুদীপ দাশ প্রেম কি ছিল কোনদিন বহুবাসনায় প্রাণপণে চেয়েছি যে তাকে কখনো পেয়েছি কি গন্ডুষ ভরা প্রাণ ছিল দাবি ছিল আশা প্রাণহীন বুকে অস্ফুট কথা ছিল রঙহীন ঠোঁটে ছিল না এক সমুদ্র প্রেমের ঢেউ অথবা নিপাট আটপৌরে চালধোয়া হাতখানি একবুক ভালোবাসার ছিল যে খাঁই প্রেমের আবাসে আজধান খাওয়া বুলবুলির কেবল ওড়াউড়ি দিনান্তের খাজনা এখানে একান্তে এখানে একান্তে এখানে একান্তে লেখা অনির্বাণ সরকার এখানে আকাশ নীল রঙিন ঋতুর ছোঁয়া জোছনায় দুধ ধোয়ানীরব লহরী ভরা ঝিল এখানে পাখির ঝাঁকপ্রতিদিন ভোর সাথী দিবালোক সাঁঝবাতি আমার স্মৃতিতে ধরা থাক এখানে একান্তে বসেশুধু যেন হয় মনে নিজেরই নির্বাসনেদূরের তারাও যায় খসে এখানে জানিয়ে যাই আমার এ শান্ত নীড়তোমাদের পৃথিবীরদিগন্তরেখার পরে ঠাঁই এখানে সময় শেষ আর ফেরা হবে নাকো তোমরাও ভাল থাকো আমিও ভালই আছি বেশ কুয়াশা কুয়াশা কুয়াশা লেখা লাবণী বসু কুয়াশা জমছে তোমার মনেকুয়াশায় ঘেরা সকাল ভালোবাসা যেন যাচ্ছে সরেসন্দেহ অবিচল বিস্ময়ের মেঘ দু চোখে নিদ্রাদিবারাত্রির লুকোচুরি সময়ের ভারে স্রোতহীন আবেগশিথিল প্রেমের তরী সেদিনও ছিল এমনই সন্ধ্যাসোহাগের কুহুতান চেনা স্পর্শের অচেনা গহবরেজমেছিল অভিমান মধ্যযামিনী ভিজে যায় যেনএকাকিত্বের আলিঙ্গনে হিমাদ্রিসম স্মৃতির ভারভিড় জমায় প্রাঙ্গণে অনুভূতির আকাশে ঘনকালো মেঘ ঝাপসা কাঁচের পরিচালক পরিচালক পরিচালক লেখা তুলসী কর্মকার পর্ব ১মধ্যরাত গদিতে ঈশ্বরসৃষ্টি পালন ধ্বংস করছেন পর্ব ২একটি বাক্সে হরেক ধর্ম আছে এক এক করে স্বহস্তে বিতরণ করছেন পর্ব ৩লম্বা লাইন জীব জড় সকলে হাজির যে যা পাচ্ছেন নিয়ে খুশি হচ্ছেন পর্ব ৪হঠাৎ বাক্স শেষ মানুষ অবাক হয়ে দেখছেন পর্ব ৫ঈশ্বর হে মানুষ তুমি কী চাও মানুষ আশীর্বাদ ঈশ্বর প্রজাতন্ত্র প্রজাতন্ত্র প্রজাতন্ত্র লেখা রাজীব চক্রবর্তী অনন্ত দর্পে প্রাসাদ শিখরেযে রঙিন জয় পতাকা ওড়ে ফিকে হয়ে যায় একদিন সিংহাসন ধুলোয় মিশে যায় রথচক্র দাগ পথেই হারায় রাজ শিখা নয় যে অন্তহীন একচ্ছত্র আকাশের বুকেবিদ্রোহ দেয় ইতিহাস লিখে অজান্তে অগুনিত বঞ্চিত হাতে একদিন সব পথ হারাবে সীমানাথেকে যাবে মানুষ পরিচয় বিনাদুঃখ সুখের ভাগ হবে একসাথে এক মানবতা মানবতা মানবতা তুলসী কর্মকার একদিনঈশ্বর মৃত বলে ঘোষিত হবে সরকার পতন হবে টাকা মূল্য হারাবে নারী স্বপ্ন ভঙ্গ হবেমদ নেশা হারাবে তখনটাকা সরকার ঈশ্বর মানুষের সৃষ্টি বলে গণ্য হবে উচ্চবিত্ত অর্থ নারীর মোহ থেকে বঞ্চিত হবে নিম্নবিত্ত ও সরকার নেশা মোহ থেকে সরে আসবে বহুকাল বেঁচে আছি মধ্যবিত্ত হয়েটাকা সরকার ঈশ্বর নারী কেউ কথা রাখেনি ক্রমাগত কষ্টের সাথে প্রথম প্রেম প্রথম প্রেম প্রথম প্রেম লেখা সৌমিতা চক্রবর্তী ঘাসের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা আমার প্রথম প্রেম সূর্যাস্তের তখনও কিছু বাকি যখন মনে হল সেই প্রেম খুঁজে দেখি নিযুত বছর বুকের ভেতর খিল আঁটা এক বৃষ্টিভেজা দুপুর উঠোন জুড়ে আজ ছড়িয়ে যখন তখন মনে হয় সেই দুপুরের কাছে গিয়ে বসি আকাশকুসুম মুখচোরা আবেগ সাহস করে একদিন বলেই একটি নৌকার আত্মকথা একটি নৌকার আত্মকথা একটি নৌকার আত্মকথা লেখা শুভ্রাংশু কুম্ভকার তিনকুল বলে কিছু নেই শুধু দুই কূলই আমার গন্তব্য নিত ্য যাতায়াতের সঙ্গীরা আত্মার আত্মীয় সাক্ষী থাকি কথা হাসি গল্পের আসরে বিশ্রাম পোষায় না কোনো কালে আনন্দ খুঁজে চলি নদীর বুকের ছায়ায় আকাশের লালে জল চিকচিক করা তরঙ্গের তালে গোধূলি আলোয় বেলা শেষের ক্ষণে ঘরে ফেরা যাত্রীদের গানে সন্ধ্যার নরম অন্ধকার নামে পৃথিবীর কোলে আমার রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন লেখা সুনিপা চ্যাটার্জি যদি ইন্টারনেটে পৃথিবীর দশটি ভুতুড়ে রেলওয়ে স্টেশনের নাম খোঁজ করা যায় তবে পুরুলিয়ার এই বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশনের নাম অবশ্যই আসবে এই স্টেশনটি পড়ে পুরুলিয়া জেলায় ঝালদা এবং কোটশিতা স্টেশনের মাঝখানে এটি একটি হল্ট স্টেশন এখানে কোন এক্সপ্রেস গাড়ি থামে না শুধু কিছু প্যাসেঞ্জার যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব সন্ধের আড্ডায় যতই বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের গ্লাস নিয়ে বলি এসব পুজো ফুজো করে কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে কি হচ্ছে এক বছর পুজো বন্ধ করলেই কতগুলো হাসপাতাল তৈরি হয়ে যায় আজ পুজো পেরিয়ে হঠাৎ এক একাদশীর সকালে মনে হল দীর্ঘজীবি হোক বাঙালির উৎসব আনন্দের সংজ্ঞা বেঁচে থাকুক বাবা মেয়ের খুনসুটিতে এ গরীব দেশের খুশিরা নয় বেঁচে থাকুক উদযাপনের আতিশয্যেই যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ আর্ত অবলাকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম সেদিন বালতি হাতে তার সামনে গিয়ে দেখি সে উঠে দাঁড়িয়েছে অবিকল যেভাবে খারাপ সময়টা এভাবেই নিভৃতে কাটিয়েই সবাই একদিন উঠে দাঁড়ায় একদিন নবাবের শহরে একদিন নবাবের শহরে একদিন নবাবের শহরে লেখা সুদেষ্ণা মন্ডলছবি অভিজিৎ ধর আজ সকাল থেকেই সোনাইয়ের মনটা উড়ুউড়ু হবে নাই বা কেন আজ অনেকদিন পর পছন্দের কার্টুনগুলো যে দেখতে পাবে৷ এতদিন পরীক্ষার জন্য মায়ের কড়া নিষেধ ছিল সোনাই যেন একদম টিভির রিমোটের দিকে ভুল করেও হাত না দেয়৷ সোনাইও মায়ের কথা অক্ষরে রবীন্দ্রনাথ ও ভারতীয় দর্শন রবীন্দ্রনাথ ও ভারতীয় দর্শন রবীন্দ্রনাথ ও ভারতীয় দর্শন লেখা অরূপ কুমার পাল ও ছবি অরিন্দম ঘোষ তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে যত দূরে আমি ধাই রবীন্দ্রনাথের প্রতিটা সৃষ্টি তাকে নতুন করে চেনায় তবে উপরের এই গানটি আমাকে যেভাবে ওনাকে চিনিয়েছে সেটা সর্বোত্তম বলে মনে হয় কারণ রবীন্দ্রনাথ কে যারা তথাকথিত প্রেম লেখা পাঠিয়ে দিন এই ইমেইল আইডি তে নির্বাচিত লেখা প্রকাশিত হবে ওয়েব সাইটে সাথে মানপত্র তো থাকছেই গল্প হওয়া চাই ছোট্ট লেখা পাঠানোর শেষ দিন ফেব্রুয়ারি যেকোন প্রয়োজনে করুন নম্বরে সতী মায়ের মেলা সতী মায়ের মেলা সতী মায়ের মেলা লেখা ও ছবি সৌম্য গাঙ্গুলী অনেক দিন ধরে ভাবছি কবে যাব কবে যাব এই করতে করতে আজ সকালে আমরা সবাই মিলে স্নান করে বেরিয়ে পড়লাম সতী মায়ের মেলার উদ্দেশ্যে বহু প্রচলিত এই সতী মায়ের মেলা কল্যানীর ঘোষপাড়া অঞ্চলটি এই সময় এক বিরাট টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ চতুর্থ পর্ব টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ চতুর্থ পর্ব কলমে সৌরভ সেন ছবি রূপম দে আগে যা যা হয়েছে গোয়েন্দার বেড়ানো বোধহয় এরকমই হয় দার্জিলিং এ স্নো ফল দেখতে গিয়ে টিটোদি আর নিলু জড়িয়ে পড়ল রহস্যের জালে কার্শিয়ং টুরিস্ট লজে লাঞ্চ করতে করতে এক ভদ্রলোক হঠাৎ মারা গেলেন বিষক্রিয়ায় কিন্তু আশ্চর্য ফরেনসিক রিপোর্টে ওনাদের তিনজনের নৈশ অভিযান নৈশ অভিযান নৈশ অভিযান কলমে শুচিতা ছবি নিকোলাস আমার বাবা ফরেষ্ট ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন সে কারণে এক দুবছর বাদে বাদে বদলি হতেন আমাদের ছোটবেলাটা তাই খুব মজার ছিল কখনো পাহাড়ে কখনো সমুদ্রে আবার কখনো অভয়ারণ্যে বাঁকুড়া পুরুলিয়া শুশুনিয়া পাহাড় বেলিয়াতোড় বড়জোরা সব নিয়ে বড় হওয়া খুব বৈচিত্র্যময় ছিল ছোটবেলাটা আমাদের টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ প্রথম পর্ব টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ প্রথম পর্ব টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ প্রথম পর্ব কলমে সৌরভ সেন ছবি রূপম দে এবং কুণাল খুব খুশীতেই আছিস মনে হচ্ছে নিলু ঘরে ঢুকতেই টিটোদি তাকে প্রশ্নটা করল নিলুকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে টিটোদি বলে চলল দুবার পর পর বেল টেপা শুনেই বুঝেছিলাম তুই কোনও সংবাদ সুখের উৎসব উৎসবের সুখ সুখের উৎসব উৎসবের সুখ সুখের উৎসব উৎসবের সুখ লেখা ও ছবি অরিন্দম ঘোষ আমাদের পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া যে ছোট্ট দেশটা পৃথিবীর অন্যতম সু্খী দেশ হিসেবে মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে তার নাম ভুটান অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এক রহস্যময় দেশ রহস্য এটাই যে এত সুখের উৎস কী না আছে কোন ভারী শিল্প না মেঘ বালিকার দেশে মেঘ বালিকার দেশে লেখা ও ছবি দেব হোর বিচিত্র এই পৃথিবীর অনেক বৈচিত্র্যের মধ্যে মানুষই সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ এই বিচিত্রতার মধ্যেই আমি সেই অপরূপের দর্শন পাই শৈশবের ধারনা ছিল অপরূপ অন্য কোথাও লুক্কায়িত আছে যৌবনেই সেই ভুল ভেঙ্গেছে মানুষের একাকিত্বের অনুভব যত গভীরে আনন্দের তীব্রতা তত চট করে চটকপুর চট করে চটকপুর অনেকদিন কোথাও বেরোন হয়নি অফিসের গ্রুপ নিয়ে তাই মনটা কেমন ছুটি ছুটি করছিল কিন্ত গন্তব্যটা কিছুতেই ঠিক হচ্ছিল না কেউ বললেন জলঢাকা কেউ বললেন ঝান্ডি আমি তখন চটকপুর এর প্রসঙ্গ তুলি আমি আগে একবার চটকপুর গিয়েছিলাম খুব ভাল লেগেছিল কিন্তু রাত্রিবাস করা হয়নি সবাইকে রাজি করানো খুব কঠিন হল না আবিষ্কারের নেশায় আবিষ্কারের নেশায় ছোটবেলা থেকেই দাদার আর আমার অজানাকে জানার অদম্য আগ্রহ ও ইচ্ছে ছিল ১৯৭৭ সাল বাবা তখন দার্জিলিং তাগদার রেঞ্জ অফিসার ছিলেন ৭৭ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাবা ছিলেন দার্জিলিং এ দার্জিলিং জোড়বাংলো থেকে ১৬ কি মি ভেতরে আরও উপরে তাগদাবাজার তাগদা যেতে প্রথমে পড়বে তাগদা অর্কিড সেন্টার তারপর ভবঘুরের ডাইরি ভবঘুরের ডাইরি নিজেকে স্থায়ী ঠিকানাধারী সংসারীর চেয়ে ভবঘুরে ভাবতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি যদিও অবশিষ্ট এক চতুর্থাংশ জীবনের একটা স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে যেখানে প্রতিবেশীরা সংসারী হিসেবেই জানে তবুও মনটা ঘুরে বেড়ায় অ্যাটলাসের পাতা থেকে এভারেস্টের চূড়ায় সাহারা মরুভূমি থেকে সুমেরু প্রদেশে সুযোগ পেলেই মনটা বেনারস থেকে বার্লিন গঞ্জাম থেকে গুয়াতেমালা রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত বোকা গাধা বোকা গাধা বোকা গাধা নিকোলাস বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের সবচেয়ে বোকা জন্তু হল গাধা তো একদিন সকাল সকাল শিয়াল হনুমান গন্ডার চিতা সবাই একটা বড় বট গাছের তলায় বসে গল্প করছিল এমন সময়ে সেখানে হাজির হল বোকা গাধা সবাই মিলে ভাবল ওর সাথে একটু মজা করা যাক গন্ডার বলল ভাই গাধা যে যাই বলুক কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প কুড়ি শব্দের গল্প রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব সন্ধের আড্ডায় যতই বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের গ্লাস নিয়ে বলি এসব পুজো ফুজো করে কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে কি হচ্ছে এক বছর পুজো বন্ধ করলেই কতগুলো হাসপাতাল তৈরি হয়ে যায় আজ পুজো পেরিয়ে হঠাৎ এক একাদশীর সকালে মনে হল দীর্ঘজীবি হোক বাঙালির উৎসব আনন্দের সংজ্ঞা বেঁচে থাকুক বাবা মেয়ের খুনসুটিতে এ গরীব দেশের খুশিরা নয় বেঁচে থাকুক উদযাপনের আতিশয্যেই মনে পড়ে মনে পড়ে দু হাত মেলে ভাসান টানে যাই পাখির মতো আকাশ মেঘে মেঘে দু জন মিলে এতদিনের ইচ্ছেগুলো ভাসাই যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ আর্ত অবলাকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম সেদিন বালতি হাতে তার সামনে গিয়ে দেখি সে উঠে দাঁড়িয়েছে অবিকল যেভাবে খারাপ সময়টা এভাবেই নিভৃতে কাটিয়েই সবাই একদিন উঠে দাঁড়ায় আর্কিমিডিস গামছা পরে চৌবাচ্চায় না ঢুকলে কি অমন সত্যটা বেরিয়ে আ সত এ হলো জাগতিক নিয়ম রোগ ঢুকলে টাকা বেরিয়ে যাবে আবার ওষুধ ঢুকলেই রোগ বেরোবে তবু মনে রেখো তবু মনে রেখো চারিদিক ঘুমিয়ে আছে প্রতীক্ষা জেগে রয় প্রদীপের আলোর নীচে মায়াবী দিন রাত সস্তা রঙের ঢেউয়ে ঠোঁটের কোণে তির্যক হাসে থেকে থেকে চমকের ঘোর ভেঙে যায় রুদ্ধ দুয়ার স্বপ্নরা ঢুকে যায় অস্থির কোমায় সহজ পাতার বুকে নেমে আসে ঘূর্ণিঝড় ছাতা বিষয়ক কথকতা ছাতা বিষয়ক কথকতা আর্কিমিডিস গামছা পরে চৌবাচ্চায় না ঢুকলে কি অমন সত্যটা বেরিয়ে আসত এ হলো জাগতিক নিয়ম রোগ ঢুকলে টাকা বেরিয়ে যাবে আবার ওষুধ ঢুকলেই রোগ বেরোবে পরিযায়ী পরিযায়ী লেখা পার্থ সারথি দাস ছবি নিকোলাস আমারই রক্তে ঘামে গড়ে ওঠা তোমাদের রঙিন শহরে ব্রাত্য আমি আজ পেয়েছি নতুন নাম নিজদেশে পরিযায়ী আমি যোগদিবস ও প্রাচীন ভারত যোগদিবস ও প্রাচীন ভারত চলুন জেনে নিই যোগ আসলে কি বা প্রাচীন ভারতের মূলে যোগের প্রাসঙ্গিকতাটাই বা কি উত্তরণ উত্তরণ হঠাৎই একদিন না জানিয়ে মিশে যাবে রক্তের প্রবাহে পুরোনো পথ ভোলাটাই সহজ ও স্বাভাবিক ফিনিক্স ফিনিক্স ফিনিক্স আরো পাঁচশো বছর আগুন জ্বালো আরো আলো দিতে সব অন্ধকার ঘুচে যাক বাস্তবতা তুমি ফিনিক্স হও সভ্যতা তুমি কি শুনছো সভ্যতা তুমি কি শুনছো আমি জর্জ ফ্লয়েড আমেরিকার কালো মানুষ তোমার হাঁটুর নীচে অবরুদ্ধ আমার কন্ঠ আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না জীবনের মানে জীবনের মানে বেঁচে থাকাটা যেন নিছক অভ্যাস করে ফেলো না জীবনে আসুক নেমে কিছু শ্যামাঙ্গী সন্ধ্যা সন্ধ্যামালতী রঙা রাত দুপুর হলদে রোদ্দুরে মনকে জ্বালিয়ো না হালকা রিমঝিম নীল সবজে বৃষ্টি মাঝে মাঝে মনে বাজাক না নূপুর জীবন হোক সুন্দর একগুচ্ছ কৃষ্ণপ্রেম মেঘ রোদ্দুর টাটকা রক্তকরবী তুলে এনে সাজিয়ে নিয়ো ধূসর আকাশটাকে দূর দূরান্তে ওই চোখ যায় রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব সন্ধের আড্ডায় যতই বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের গ্লাস নিয়ে বলি এসব পুজো ফুজো করে কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে কি হচ্ছে এক বছর পুজো বন্ধ করলেই কতগুলো হাসপাতাল তৈরি হয়ে যায় আজ পুজো পেরিয়ে হঠাৎ এক একাদশীর সকালে মনে হল দীর্ঘজীবি হোক বাঙালির উৎসব আনন্দের সংজ্ঞা বেঁচে থাকুক বাবা মেয়ের খুনসুটিতে এ গরীব দেশের খুশিরা নয় বেঁচে থাকুক উদযাপনের আতিশয্যেই মনে পড়ে মনে পড়ে দু হাত মেলে ভাসান টানে যাই পাখির মতো আকাশ মেঘে মেঘে দু জন মিলে এতদিনের ইচ্ছেগুলো ভাসাই যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ যাযাবরের স্বগতোক্তি পর্ব ১ আর্ত অবলাকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম সেদিন বালতি হাতে তার সামনে গিয়ে দেখি সে উঠে দাঁড়িয়েছে অবিকল যেভাবে খারাপ সময়টা এভাবেই নিভৃতে কাটিয়েই সবাই একদিন উঠে দাঁড়ায় টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ চতুর্থ পর্ব টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ চতুর্থ পর্ব কলমে সৌরভ সেন ছবি রূপম দে আগে যা যা হয়েছে গোয়েন্দার বেড়ানো বোধহয় এরকমই হয় দার্জিলিং এ স্নো ফল দেখতে গিয়ে টিটোদি আর নিলু জড়িয়ে পড়ল রহস্যের জালে কার্শিয়ং টুরিস্ট লজে লাঞ্চ করতে করতে এক ভদ্রলোক হঠাৎ মারা গেলেন বিষক্রিয়ায় কিন্তু আশ্চর্য ফরেনসিক রিপোর্টে ওনাদের তিনজনের নৈশ অভিযান নৈশ অভিযান নৈশ অভিযান কলমে শুচিতা ছবি নিকোলাস আমার বাবা ফরেষ্ট ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন সে কারণে এক দুবছর বাদে বাদে বদলি হতেন আমাদের ছোটবেলাটা তাই খুব মজার ছিল কখনো পাহাড়ে কখনো সমুদ্রে আবার কখনো অভয়ারণ্যে বাঁকুড়া পুরুলিয়া শুশুনিয়া পাহাড় বেলিয়াতোড় বড়জোরা সব নিয়ে বড় হওয়া খুব বৈচিত্র্যময় ছিল ছোটবেলাটা আমাদের সুখের উৎসব উৎসবের সুখ সুখের উৎসব উৎসবের সুখ সুখের উৎসব উৎসবের সুখ লেখা ও ছবি অরিন্দম ঘোষ আমাদের পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া যে ছোট্ট দেশটা পৃথিবীর অন্যতম সু্খী দেশ হিসেবে মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে তার নাম ভুটান অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এক রহস্যময় দেশ রহস্য এটাই যে এত সুখের উৎস কী না আছে কোন ভারী শিল্প না মেঘ বালিকার দেশে মেঘ বালিকার দেশে লেখা ও ছবি দেব হোর বিচিত্র এই পৃথিবীর অনেক বৈচিত্র্যের মধ্যে মানুষই সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ এই বিচিত্রতার মধ্যেই আমি সেই অপরূপের দর্শন পাই শৈশবের ধারনা ছিল অপরূপ অন্য কোথাও লুক্কায়িত আছে যৌবনেই সেই ভুল ভেঙ্গেছে মানুষের একাকিত্বের অনুভব যত গভীরে আনন্দের তীব্রতা তত চট করে চটকপুর চট করে চটকপুর অনেকদিন কোথাও বেরোন হয়নি অফিসের গ্রুপ নিয়ে তাই মনটা কেমন ছুটি ছুটি করছিল কিন্ত গন্তব্যটা কিছুতেই ঠিক হচ্ছিল না কেউ বললেন জলঢাকা কেউ বললেন ঝান্ডি আমি তখন চটকপুর এর প্রসঙ্গ তুলি আমি আগে একবার চটকপুর গিয়েছিলাম খুব ভাল লেগেছিল কিন্তু রাত্রিবাস করা হয়নি সবাইকে রাজি করানো খুব কঠিন হল না আবিষ্কারের নেশায় আবিষ্কারের নেশায় ছোটবেলা থেকেই দাদার আর আমার অজানাকে জানার অদম্য আগ্রহ ও ইচ্ছে ছিল ১৯৭৭ সাল বাবা তখন দার্জিলিং তাগদার রেঞ্জ অফিসার ছিলেন ৭৭ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত বাবা ছিলেন দার্জিলিং এ দার্জিলিং জোড়বাংলো থেকে ১৬ কি মি ভেতরে আরও উপরে তাগদাবাজার তাগদা যেতে প্রথমে পড়বে তাগদা অর্কিড সেন্টার তারপর ভবঘুরের ডাইরি ভবঘুরের ডাইরি নিজেকে স্থায়ী ঠিকানাধারী সংসারীর চেয়ে ভবঘুরে ভাবতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি যদিও অবশিষ্ট এক চতুর্থাংশ জীবনের একটা স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে যেখানে প্রতিবেশীরা সংসারী হিসেবেই জানে তবুও মনটা ঘুরে বেড়ায় অ্যাটলাসের পাতা থেকে এভারেস্টের চূড়ায় সাহারা মরুভূমি থেকে সুমেরু প্রদেশে সুযোগ পেলেই মনটা বেনারস থেকে বার্লিন গঞ্জাম থেকে গুয়াতেমালা মুণ্ডু শিকারির দেশে মুণ্ডু শিকারির দেশে আমরা নর্থ ইস্ট স্টেট বলতে জানি সেভেন সিস্টার বা পূর্বোত্তরের ৭টি রাজ ্য তবে সরকারি নথিতে এটা ৮ রাজ্য নিয়ে সিকিম আসাম অরুণাচল মিজোরাম নাগাল্যান্ড ত্রিপুরা ও মণিপুর এদের প্রত ্যেকের আলাদা আলাদা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে যেমন অরুণাচল প্রদেশ সেখানে ২৬ ১০০ ট্রাইব ও সাবট্রাইব আছে আদি আবর আঁকা আপাতানি দাফ্লা নিসিং বাঙ্গণী তাগইন গালো মৌচুকির পথে মৌচুকির পথে প্রথম দিন মৌচুকি ফরেস্ট বাংলো লাটাগুড়িতে বুকিং করে চালসা থেকে দু কেজি মাংস আর পরদিন এর জন্য কিছু ফল আর শুকনো খাবার কিনে বাইকে ঝুলিয়ে একে একে মেটেলি সামসিং পেরিয়ে ন্যাওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের মৌচুকি পাহাড়ের ঠিক নিচেই ছবির মতো সুন্দর আর শীতকালের নদীর মতো শান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রুনুর কান্ড কারখানা ভেজ সানডে রুনুর কান্ড কারখানা ভেজ সানডে কাহিনী ও গ্রাফিক্স অভিজিৎ রুনুর কান্ড কারখানা স্নান পর্ব রুনুর কান্ড কারখানা স্নান পর্ব কাহিনী ও গ্রাফিক্স নিকোলাস আগুন আমার সহচর আগুন আমার সহচর আগুন আমার সহচর ভিতরে বাইরে আগুন আমায় নিয়ে খেলা করে বুঝতে পারি বেঁচে আছি শেষ সহবাসের অপেক্ষা এই লাল শাড়ি পরেই শীতল শরীরে তার আগ্রাসী আলিঙ্গনে লাল হতে হতে দু জন মিশে যাবো ছাই হয়ে আদি জন্মদাত্রী কোলে হাত পাতা জীবন হাত পাতা জীবন আমায় দেখ দেখ আমার হাত পাতা জীবনপাবে আমায় মন্দির মসজিদ গির্জায় সর্বত্রকরুণার প্রলেপে ঘৃণার বাস্পে কিম্বা কোনো ক্রোধেছুঁড়ে দেওয়া কিছু আমার বাঁচার রসদ ঐ ফটোগ্রাফার আমায় দেখেনাকি সে খুঁজে ফেরে জীবনের রূপউদগ্র আগ্রহে আদিম প্রবৃত্তিতে আছি টিকে তুমি কী কখনো ঝাঁকি দিয়ে দেখেছো ভিতরছুঁড়ে দেওয়া ফেলে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কোথায় যাওয়া যায় সে বলেছিলো একটু এগিয়েই একটা বাঁক পড়ে কেমন একটা সবুজ রঙের ধাঁধার মত সেখানে হারিয়ে গেলেই হয় রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রুনুর কান্ড কারখানা ভেজ সানডে রুনুর কান্ড কারখানা ভেজ সানডে কাহিনী ও গ্রাফিক্স অভিজিৎ রুনুর কান্ড কারখানা স্নান পর্ব রুনুর কান্ড কারখানা স্নান পর্ব কাহিনী ও গ্রাফিক্স নিকোলাস রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত শুভ বিজয়া সে তবে কে চতুর্থ পর্ব যন্ত্রণার ভিন্নরূপ হঠাৎ দেখা ছাগল পুঁইশাক ও কুমড়ো নেশা অন্বেষণ পুনর্জীবন শেষ চুম্বন বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ২ রামধনু চারুবালা প্রথম পর্ব মেঘলা স্বপ্ন বাবা রম্য রচনা পিছু টান পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত পিছু টান পিছু টান কলমে পীযূষ বসু চৌধুরী অবনী হাঁটতে হাঁটতে প্রায় পার্কের কাছাকাছি চলে এসেছে কিছুটা দূরে একটা চায়ের দোকান দেখে অবনী এগিয়ে যায় কয়েকজন বসে চা খাচ্ছে অবনী একটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে বসে পড়ল দোকানীর দিকে তাকিয়ে বলল এক কাপ চা একটা বিস্কুট অবনী চা খেয়ে বাজার যাবে বসে থাকা দু এক জন মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে একজন ঠোঁট বাঁকিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে বলতে চাইলো কি জানি আমি চিনি না অবনী পেপারের হেডিং গুলো পড়ে ফেলল সব নীরবতা ভঙ্গ করে যে ছেলেটা চা বানাচ্ছিল সে বলল এই যে কাকু দুধ চা না লেবু অবনী বলে না না ভাই লেবু চা পাশে বসা ভদ্রলোকটি বলে দাদা এ পাড়ায় নতুন নাকি অবনী মাথা ঝাঁকিয়ে বলে হ্যাঁ কেন বলুন তো গতকাল এসেছি সানি রকের বি ব্লকের সেকেন্ড ফ্লোরে একটু বাজারে বেড়িয়েছি শাক সবজি আর মাছের জন্য ডান পাশ থেকে আর এক ভদ্রলোক বললেন কমপ্লেক্সের ভেতরেও তো একটা বাজার আছে অবনী বলে বলবেন না মশাই আগুন আগুন প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি একদম চোর পাশের জন বলে ওঠে আমিও তাই শুনেছিলাম তা মশাই রিটায়ার্ড না ব্যবসাপাতি করেন অবনী বলে আরে না না রিটায়ার্ড পেনশনের টাকায় চলছে সরকারি অফিসের সিনিয়র ক্লার্ক চাকরির শেষ দিকে সুপারিনটেন্ডেন্ট এখানে আসার আগে অবনী থাকতো নাগের বাজারের কাছে দু ঘরের ছোট একতলা বাড়িতে একটা ঘরে বাবা মা আর একটায় দাদা আর অবনী বারান্দায় এজবেস্টরের শেডের রান্না ঘর সামনে কিছুটা জমি অবনীর বাবা ছিলেন পাড়ার স্কুলের ইতিহাসের মাষ্টার কোন রকমে সংসার চালাতেন দাদা মেধাবী ছাত্র বিদেশে ভালো চাকরি পেয়ে বিয়ে করে ওখানেই থেকে গেলেন আর কোন যোগাযোগ নেই ভালোদা র মুখটা এখন ছোটবেলার ছবি না দেখে মনে করতে পারে না অবনী অবনীর বাবার পেনশনের সামান্য টাকা আর অবনীর মাইনের টাকার কিছু অংশ দিয়ে সংসার চলতো তারপর স্ত্রী আর মেয়ে এলো সংসার আরো একটু বাড়লো মাইনে সাতশো সাতাত্তর থেকে বেড়ে হলো চৌদ্দশ এরপর পর্ণার পড়াশুনার খরচ বাড়তে লাগলো স্কুলের মাইনের চাইতে বেশী খরচা হতে লাগলো বাড়ীতে রাখা মাষ্টারদের জন্য অবনী কিন্তু রিক্সোয় না চড়ে স্টেশন থেকে হেঁটে হেঁটে অফিস যেত গায়ে সেই এক হালকা নীল সার্ট আর খয়েরি প্যান্ট পায়ে বেল্টের কাবুলি জুতো যদিও এই সবটাই অবনী পয়সা বাঁচাবার জন্যই করতো এটা কারো অজানা ছিল না মেয়ে পর্ণাকে পড়াশুনা করাতে গিয়ে অবনীর ব্যাঙ্ক ব্যালান্স প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল চাকরি জীবনে অবনী যে খুব বেশি কিছু একটা জমাতে পেরেছে তা নয় অবনীর মেয়ে পর্ণার একটা চাকরি হয়েছে সে এখন কোলকাতার একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এইচ আর ডি এর কাজ করে বেশ ভালো মাইনের চাকরি বিদেশে যাবার অফারও পেয়েছে পর্ণা কিন্তু সে যেতে চায় নি কাজের সূত্রে প্রোজেক্ট ডেভলপার কুশলের সাথে পর্ণার আলাপ হয় কুশল বেশ বড়লোকের ছেলে কোলকাতায় থাকে আস্তে আস্তে দুজনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে কাজের সুত্রে পর্ণাকে কুশলের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলতে হয় অফিসের গাড়ীতে কুশল রোজই পর্ণাকে বাড়ীতে পৌঁছে দেয় কুশলের সাথে পর্ণার একটা ভালোলাগার সম্পর্ক গড়ে ওঠে পর্ণার পাশের কাউন্টারে বসে সৌম্য সৌম্য বাগচী শান্ত প্রকৃতির মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বাবা রিটায়ার্ড শিক্ষক উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের এখন পেনশনে সংসার চলে অফিস থেকে কুশলকে প্রোজেক্টের মিটিং এ দু দিনের জন্য বেঙ্গালুরুতে পাঠায় ফোনে পর্ণার সাথে কুশল দুপুরেও একবার কথা বলেছে প্রোজেক্টের বিষয়ে আজ দক্ষিনবঙ্গ জুড়ে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে সাড়া দিন ধরে বৃষ্টি পড়েই চলেছে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে রাস্তায় জায়গায় জায়গায় জল জমেছে পর্ণা ল্যাপটপ বন্ধ করে ফাইলপত্র তুলে পিঠের ব্যাগ নিয়ে লনে আসতেই দেখল বৃষ্টি পড়ছে অফিসের ড্রাইভার এসে বলল ম্যাডাম গাড়ীটা নিয়ে আসি পর্ণা বলল হ্যাঁ সুবলদা নিয়ে আসুন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল সৌম্য এগিয়ে এসে বলল পর্ণা যদি কিছু মনে না করো তো আমাকে ফেরার পথে একটু কাশিপুরে নামিয়ে দিলে খুব ভালো হতো দেখছো তো ওয়েদার কেমন খারাপ হয়েছে আরও রাত হলে হয়তো ফেরার মতো কিছুই পাওয়া যাবে না পর্ণা আর না করে না গাড়ী ছুটে চলে কাশীপুর হয়ে নাগের বাজার সৌম্য যেতে যেতে তাদের পরিবারের কথা পর্ণাকে বলে পর্ণার খুব একটা খারাপ লাগেনি সৌম্যর কথাবার্তা পরের দিন সৌম্য পর্ণাকে তার মায়ের বানানো টিফিন শেয়ার করে দুদিনেই সৌম্যের সাথে পর্ণার একটা ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে আজকে টিফিনের পর সৌম্যের মাকে ফোন করে পর্ণা টিফিনের খুব প্রশংসা করেছে কুশল ফিরে এসেছে আজ দুপুরে মিটিং ডেকেছিল আরও একটা নতুন প্রোজেক্ট আসছে সেটা নিয়ে আলোচনাও হয় সকলকে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে তাড়াতাড়ি কাজটা তুলে দিলে কোম্পানির হাতে আরো কাজ আসবে সেদিন রাতের খাবার খাওয়ার সময় পর্ণার মা পর্ণাকে বলেন তোর মামা তোর জন্য একটা পাত্র দেখেছে তুই যদি রাজী থাকিস তো রোববার ওরা দেখতে আসবে আর তোর যদি পরিচিত কেউ থাকে তাহলেও আমাদের বলতে পারিস আমরা তাদের সাথে কথা বলবো পর্ণা বলে আচ্ছা মা যারা এতদিন আমাদের কোন খোঁজ খবর রাখতো না হঠাৎ আমার বিয়ের জন্য ওরা এতো ব্যস্ত হয়ে পড়ল কেন তুমি মামার কাছে আমার বিয়ের জন্য লাখ খানেক টাকা চেয়ে দেখ তো আবার দেখবে পাঁচ বছর কোন যোগাযোগ রাখবে না আর আমার বিয়ে হয়ে গেলে তোমরা কি খুব আনন্দে থাকতে পারবে আমি তোমাদের একমাত্র মেয়ে আমার বিয়ে হয়ে গেলে তোমরা তো একলা হয়ে যাবে তোমাদের অসুখ বিসুখে দেখার কেউ থাকবে না বাজারের ব্যাগ বইতে বাবার কষ্ট হয় তোমার একটা রান্নার লোকের দরকার সেই ছোটবেলার থেকে রোজ দুবেলা খুন্তি নেড়ে চলেছো তোমরা কোন কথা শুনবে না বললেই বলবে কাজ করলে শরীর সুস্থ থাকে তাই আমাকেই সাথে থেকে তোমাদের কে ভালো রাখতে হবে আমি মেয়ে হয়েও তো তোমাদের ছেলে মা আমাকে ক টা দিন ভাববার মতো সময় দাও তারপর তোমাদের জানাবো কয়েকদিন পর বাড়ী ফেরার পথে পর্ণা কুশলকে বলে আমার বাড়ীতে আমার বিয়ের সমন্ধ দেখতে শুরু করছে তুমি যদি আমাদের বিয়েতে রাজি থাকো তো আমাদের বাড়ীতে একদিন বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে এসে কথা বলতে পারো তাহলে রোববার মামা আমার জন্য যে বিয়ের সমন্ধটা এনেছেন তাদের আসতে না করে দেব কুশল বলে ঠিক আছে আমাকে দুটো দিন সময় দাও আমি বাবা মায়ের সাথে কথা বলে দেখি দুদিন পর কুশল বলল মা বাবা রাজী হয়েছেন তারা আগামী রোববার তোমার বাবা মার সাথে কথা বলতে যাবেন রোববার পর্ণা বাড়ীঘর যথাসাধ্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখলো কুশল আর তার বাবা মা ঠিক সন্ধ্যায় গাড়ী নিয়ে চলে এলো বাবা মা তাদের সকলকে আদর আপ্যায়ন করে বসালেন এখন বারান্দার এক দিকটা রান্নাঘর আর অন্য দিকটা কাঁচের জানালা দেওয়া বসার ঘর বাবা মিষ্টির দোকান থেকে গরম সিঙ্গাড়া আর কয়েক পদের মিষ্টি এনে রেখেছেন মা গল্প করতে করতে উঠে চা বানাতে গেলেন মা বললেন কি হলো দাদা দিদি আপনারা তো কিছু খেলেন না নিন শুরু করুন কুশল নাও তুমি শুরু করো আমি মেয়েকে দিয়ে সকলের জন্য চা পাঠিয়ে দিচ্ছি কুশল ও তার বাবা মা সিঙ্গাড়া মিষ্টি খেতে খেতে পর্ণার বাবার সাথে কথা বলছিলেন পর্ণা সকলকে চায়ের কাপ এগিয়ে দেয় চা দিয়ে পর্ণা তার মায়ের পাশে বসে খাওয়া দাওয়া শেষে কুশলের বাবা মা বলে আপনার মেয়ের কথা কুশলের কাছে অনেক শুনেছি অফিসের কাজে আপনার মেয়ে খুবই দক্ষ বিদেশে যাবার সুযোগ পেয়েও যেতে চাইছে না কেন যে যেতে চাইছে না তা বুঝতে পারছি না আপনাদের মেয়েকে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে একটা ভালো দিন দেখে কুশলের আর পর্ণার বিয়েটা কথা শেষ করতে না দিয়েই পর্ণা বলে কুশল আমার কয়েকটা কথা বলার আছে পর্ণার বাবা বলেন তুই আবার কি বলবি রে মা আমাদেরও কুশলকে পছন্দ হয়েছে পর্ণা বাবাকে থামিয়ে দিয়ে বলে আমার কিছু বলার আছে বাবা আমি ও কুশল দুজনে দুজনকে ভালোবাসি আপনাদের পরিবারের কুশল যেমন একমাত্র ছেলে তেমন আমাদের পরিবারে আমি একমাত্র মেয়ে কুশল যেমন বৃদ্ধ বয়সে আপনাদের একমাত্র যষ্টি আমার মা বাবার বৃদ্ধ বয়সে আমি তাদের একমাত্র যষ্টি আমার বাবা মা নিঃস্ব হয়ে আমাকে পড়াশুনা করিয়ে বড় করেছেন এই জন্য আমি অসময়ে তাদের পাশে থেকে সাহায্য করতে চাই তা সেটা আর্থিক হোক বা মানসিক ভাবে আশা করি আপনারা আমার অবস্থাটা বুঝতে পেরেছেন আপনারা যদি এমনটা মেনে নিতে পারেন তবেই আমি বিয়ে করবো নয়ত এই সম্পর্ক না হওয়াই ভালো কুশলের মা চায়ের কাপটা টেবিলে রাখতে রাখতে বলে ঠিক আছে আমরা সবাই তোমার কথা শুনলাম বাড়ীতে গিয়ে সকলের সাথে আলোচনা করে কিছুদিন পরে সব জানিয়ে দেবো কেমন আজ তবে চলি পর্ণার বাবা বললেন আচ্ছা মা তুই আবার এসব কথা ওনাদের বলতে গেলি কেন কেউ এসব কথা শুনলে কি তোকে ছেলের বৌ করে নিয়ে যাবে পর্না বলে জানি বাবা আমার এই প্রস্তাবে হয়তো কেউ আমাকে বিয়ে করতে চাইবে না কিন্তু আমার বিয়ের জন্য আমি তোমাদের অসহায় অবস্থায় ফেলে যেতে পারি না বাবা তাতে যদি আমার বিয়ে হয় তো ভালো আর বিয়ে না হলে না হবে আমি তোমাদের আর কষ্টে রাখতে পারবো না বাবা পরের দিন অফিসে গিয়ে দেখে কুশল নানা অজুহাতে পর্ণাকে এড়িয়ে চলছে বেশীর ভাগ সময় ব্যস্ততার ভাব করেই কাটিয়ে দিল সৌম্য টিফিনের সময় পর্ণাকে ডেকে নিয়ে যায় টিফিন খেতে খেতে পর্ণা বলে তোমাদের ওদিকে ভালো একতলা বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে কিনা দেখো না সৌম্য বলে তোমাদের বাড়ী আছে তো আবার ফ্ল্যাট দিয়ে কি করবে পর্না বলে মা ভীষণ বিয়ে বিয়ে করছে একটা ভালো বাড়ী ঘর না হলে কি কেউ মেয়ে পছন্দ করবে সৌম্য চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলে কেনো কুশল পর্ণা সৌম্যের কথা এড়িয়ে গিয়ে বলে দেখো না একটা বাড়ী কিম্বা ফ্ল্যাট কয়েকদিন হয়ে গেল খুব প্রয়োজন ছাড়া কুশল পর্ণার সাথে কথা বলে না টিফিনে একসাথে যায় না মিটিং এর ফাইল বা কিছু লাগলে পর্ণাকে ফোন করে বেয়ারা দিয়ে পাঠাতে বলে রোববার দিন রাত নটা নাগাদ কুশলের ফোন আসে বলে পর্ণা আমি আগামী বুধবার প্রোজেক্ট ইনচার্জ হয়ে কানাডা চলে যাচ্ছি বাবা মা তোমার শর্তে রাজী হতে পারে নি তাই কলেজের বান্ধবী শ্রীজিতার সাথে আমার রেজিষ্ট্রি করে বিয়েটা হচ্ছে আগামী মাসে শ্রীজিতা কানাডা পৌঁছবে পর্ণা কুশলের কথার কোন উত্তর দেয় না শুধু বলে কনগ্র্যাচুলেশন কুশল পর্ণা ফোনটা বন্ধ করে দেয় সৌম্য পর্ণাকে বলে কুশল যে বিদেশে যাচ্ছে এটা তুমি আগে জানতে না পর্ণা মাথা ঝাঁকিয়ে না বলে সৌম্য বলে শুনলাম আজ নাকি শ্রীজিতার সাথে ওর রেজিষ্ট্রি ম্যারেজ পর্ণা কোন উত্তর দেয়না সৌম্য পর্ণাকে টিফিন বাক্সটা এগিয়ে দিয়ে বলে তোমার ফেভারিট ডিশ বানিয়ে দিয়েছেন মা খেয়ে দেখো মা রাতে ফোন করবে পর্ণা দু চামচ খেয়ে বলে দারুন দারুন হয়েছে রাতে বাবা আমার বিয়ের ব্যাপারে কার সাথে যেন কথা বলছিলেন ফোন শেষে বাবা এসে আমায় বললেন কুশল কি তোমায় কিছু জানিয়েছে পর্ণা পর্ণা বাবাকে বলে না আজ অফিসে শুনলাম বুধবার ও কানাডা চলে যাচ্ছে শ্রীজিতাকে বিয়ে করে ও আচ্ছা এ কথা বলে চলে গেলেন পর্ণার বাবা কি চিন্তা করে ফিরে এসে বললেন রোববার তোমাকে পাত্রের বাড়ি থেকে দেখতে আসবে এবার আর তুমি আগের বারের মতো বোলো না কেমন পর্না ঘাড় নেড়ে না বলল রোববার পর্না খুব ভালো করে সেজেছে তাকে একবার দেখেই যেন পাত্র পক্ষের পছন্দ হয়ে যায় পাত্র পক্ষের লোকজন এসে বসে আছেন বাবা মায়ের সাথে পরিচিত হচ্ছেন মা তাদের খাবার দিয়েছেন পাশের বাড়ির ময়না এসে চা বানিয়ে দিয়ে গেছে বাবা মাকে বললেন পর্ণাকে চা নিয়ে আসতে বলো পর্ণা চা নিয়ে ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে গেল একি সৌম্য তুই তুই তো আমায় আগে কিছুই বলিস নি রে সৌম্যর মা চায়ের কাপ নিতে নিতে বললেন আমি তোমাকে চমকে দেবো বলে বলতে মানা করেছিলাম শুনুন দাদা দিদি পর্ণাকে আমাদের আগের থেকেই পছন্দ ছিল পর্ণা বলে মাসিমা আমার যে একটা শর্ত আছে পর্নাকে থামিয়ে দিয়ে সৌম্যের মা বলেন তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না আমরা সব শর্ত মেনে নিয়েছি এনারা সৌম্যর মামা মামি মামা প্রোমোটার তোমার শর্ত তোমার হবু মামা শ্বশুর ব্যবস্থা করে দেবে সৌম্যর মা বলেন কি হলো পর্ণা এবার সৌম্যকে বিয়ে করতে রাজী আছো তো পর্ণা আর কিছু বলতে পারে না এক পলক সৌম্যর দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকে চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব সেই সব মেয়েরা চোর ধরা উপকথার গাছ আজ সারাদিন বাংলা ভাষা কুড়ি শব্দের গল্প জীবনের প্রতিদিন কবি তুমি কোথায় কুড়ি শব্দের গল্প মরচে ধরা রহস্য পর্ব ১ ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর করোনাসুর দমন রম্য রচনা পিছু টান পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত পিছু টান পিছু টান কলমে পীযূষ বসু চৌধুরী অবনী হাঁটতে হাঁটতে প্রায় পার্কের কাছাকাছি চলে এসেছে কিছুটা দূরে একটা চায়ের দোকান দেখে অবনী এগিয়ে যায় কয়েকজন বসে চা খাচ্ছে অবনী একটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে বসে পড়ল দোকানীর দিকে তাকিয়ে বলল এক কাপ চা একটা বিস্কুট অবনী চা খেয়ে বাজার যাবে বসে থাকা দু এক জন মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে একজন ঠোঁট বাঁকিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে বলতে চাইলো কি জানি আমি চিনি না অবনী পেপারের হেডিং গুলো পড়ে ফেলল সব নীরবতা ভঙ্গ করে যে ছেলেটা চা বানাচ্ছিল সে বলল এই যে কাকু দুধ চা না লেবু অবনী বলে না না ভাই লেবু চা পাশে বসা ভদ্রলোকটি বলে দাদা এ পাড়ায় নতুন নাকি অবনী মাথা ঝাঁকিয়ে বলে হ্যাঁ কেন বলুন তো গতকাল এসেছি সানি রকের বি ব্লকের সেকেন্ড ফ্লোরে একটু বাজারে বেড়িয়েছি শাক সবজি আর মাছের জন্য ডান পাশ থেকে আর এক ভদ্রলোক বললেন কমপ্লেক্সের ভেতরেও তো একটা বাজার আছে অবনী বলে বলবেন না মশাই আগুন আগুন প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি একদম চোর পাশের জন বলে ওঠে আমিও তাই শুনেছিলাম তা মশাই রিটায়ার্ড না ব্যবসাপাতি করেন অবনী বলে আরে না না রিটায়ার্ড পেনশনের টাকায় চলছে সরকারি অফিসের সিনিয়র ক্লার্ক চাকরির শেষ দিকে সুপারিনটেন্ডেন্ট এখানে আসার আগে অবনী থাকতো নাগের বাজারের কাছে দু ঘরের ছোট একতলা বাড়িতে একটা ঘরে বাবা মা আর একটায় দাদা আর অবনী বারান্দায় এজবেস্টরের শেডের রান্না ঘর সামনে কিছুটা জমি অবনীর বাবা ছিলেন পাড়ার স্কুলের ইতিহাসের মাষ্টার কোন রকমে সংসার চালাতেন দাদা মেধাবী ছাত্র বিদেশে ভালো চাকরি পেয়ে বিয়ে করে ওখানেই থেকে গেলেন আর কোন যোগাযোগ নেই ভালোদা র মুখটা এখন ছোটবেলার ছবি না দেখে মনে করতে পারে না অবনী অবনীর বাবার পেনশনের সামান্য টাকা আর অবনীর মাইনের টাকার কিছু অংশ দিয়ে সংসার চলতো তারপর স্ত্রী আর মেয়ে এলো সংসার আরো একটু বাড়লো মাইনে সাতশো সাতাত্তর থেকে বেড়ে হলো চৌদ্দশ এরপর পর্ণার পড়াশুনার খরচ বাড়তে লাগলো স্কুলের মাইনের চাইতে বেশী খরচা হতে লাগলো বাড়ীতে রাখা মাষ্টারদের জন্য অবনী কিন্তু রিক্সোয় না চড়ে স্টেশন থেকে হেঁটে হেঁটে অফিস যেত গায়ে সেই এক হালকা নীল সার্ট আর খয়েরি প্যান্ট পায়ে বেল্টের কাবুলি জুতো যদিও এই সবটাই অবনী পয়সা বাঁচাবার জন্যই করতো এটা কারো অজানা ছিল না মেয়ে পর্ণাকে পড়াশুনা করাতে গিয়ে অবনীর ব্যাঙ্ক ব্যালান্স প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল চাকরি জীবনে অবনী যে খুব বেশি কিছু একটা জমাতে পেরেছে তা নয় অবনীর মেয়ে পর্ণার একটা চাকরি হয়েছে সে এখন কোলকাতার একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এইচ আর ডি এর কাজ করে বেশ ভালো মাইনের চাকরি বিদেশে যাবার অফারও পেয়েছে পর্ণা কিন্তু সে যেতে চায় নি কাজের সূত্রে প্রোজেক্ট ডেভলপার কুশলের সাথে পর্ণার আলাপ হয় কুশল বেশ বড়লোকের ছেলে কোলকাতায় থাকে আস্তে আস্তে দুজনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে কাজের সুত্রে পর্ণাকে কুশলের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলতে হয় অফিসের গাড়ীতে কুশল রোজই পর্ণাকে বাড়ীতে পৌঁছে দেয় কুশলের সাথে পর্ণার একটা ভালোলাগার সম্পর্ক গড়ে ওঠে পর্ণার পাশের কাউন্টারে বসে সৌম্য সৌম্য বাগচী শান্ত প্রকৃতির মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বাবা রিটায়ার্ড শিক্ষক উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের এখন পেনশনে সংসার চলে অফিস থেকে কুশলকে প্রোজেক্টের মিটিং এ দু দিনের জন্য বেঙ্গালুরুতে পাঠায় ফোনে পর্ণার সাথে কুশল দুপুরেও একবার কথা বলেছে প্রোজেক্টের বিষয়ে আজ দক্ষিনবঙ্গ জুড়ে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে সাড়া দিন ধরে বৃষ্টি পড়েই চলেছে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে রাস্তায় জায়গায় জায়গায় জল জমেছে পর্ণা ল্যাপটপ বন্ধ করে ফাইলপত্র তুলে পিঠের ব্যাগ নিয়ে লনে আসতেই দেখল বৃষ্টি পড়ছে অফিসের ড্রাইভার এসে বলল ম্যাডাম গাড়ীটা নিয়ে আসি পর্ণা বলল হ্যাঁ সুবলদা নিয়ে আসুন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল সৌম্য এগিয়ে এসে বলল পর্ণা যদি কিছু মনে না করো তো আমাকে ফেরার পথে একটু কাশিপুরে নামিয়ে দিলে খুব ভালো হতো দেখছো তো ওয়েদার কেমন খারাপ হয়েছে আরও রাত হলে হয়তো ফেরার মতো কিছুই পাওয়া যাবে না পর্ণা আর না করে না গাড়ী ছুটে চলে কাশীপুর হয়ে নাগের বাজার সৌম্য যেতে যেতে তাদের পরিবারের কথা পর্ণাকে বলে পর্ণার খুব একটা খারাপ লাগেনি সৌম্যর কথাবার্তা পরের দিন সৌম্য পর্ণাকে তার মায়ের বানানো টিফিন শেয়ার করে দুদিনেই সৌম্যের সাথে পর্ণার একটা ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে আজকে টিফিনের পর সৌম্যের মাকে ফোন করে পর্ণা টিফিনের খুব প্রশংসা করেছে কুশল ফিরে এসেছে আজ দুপুরে মিটিং ডেকেছিল আরও একটা নতুন প্রোজেক্ট আসছে সেটা নিয়ে আলোচনাও হয় সকলকে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে তাড়াতাড়ি কাজটা তুলে দিলে কোম্পানির হাতে আরো কাজ আসবে সেদিন রাতের খাবার খাওয়ার সময় পর্ণার মা পর্ণাকে বলেন তোর মামা তোর জন্য একটা পাত্র দেখেছে তুই যদি রাজী থাকিস তো রোববার ওরা দেখতে আসবে আর তোর যদি পরিচিত কেউ থাকে তাহলেও আমাদের বলতে পারিস আমরা তাদের সাথে কথা বলবো পর্ণা বলে আচ্ছা মা যারা এতদিন আমাদের কোন খোঁজ খবর রাখতো না হঠাৎ আমার বিয়ের জন্য ওরা এতো ব্যস্ত হয়ে পড়ল কেন তুমি মামার কাছে আমার বিয়ের জন্য লাখ খানেক টাকা চেয়ে দেখ তো আবার দেখবে পাঁচ বছর কোন যোগাযোগ রাখবে না আর আমার বিয়ে হয়ে গেলে তোমরা কি খুব আনন্দে থাকতে পারবে আমি তোমাদের একমাত্র মেয়ে আমার বিয়ে হয়ে গেলে তোমরা তো একলা হয়ে যাবে তোমাদের অসুখ বিসুখে দেখার কেউ থাকবে না বাজারের ব্যাগ বইতে বাবার কষ্ট হয় তোমার একটা রান্নার লোকের দরকার সেই ছোটবেলার থেকে রোজ দুবেলা খুন্তি নেড়ে চলেছো তোমরা কোন কথা শুনবে না বললেই বলবে কাজ করলে শরীর সুস্থ থাকে তাই আমাকেই সাথে থেকে তোমাদের কে ভালো রাখতে হবে আমি মেয়ে হয়েও তো তোমাদের ছেলে মা আমাকে ক টা দিন ভাববার মতো সময় দাও তারপর তোমাদের জানাবো কয়েকদিন পর বাড়ী ফেরার পথে পর্ণা কুশলকে বলে আমার বাড়ীতে আমার বিয়ের সমন্ধ দেখতে শুরু করছে তুমি যদি আমাদের বিয়েতে রাজি থাকো তো আমাদের বাড়ীতে একদিন বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে এসে কথা বলতে পারো তাহলে রোববার মামা আমার জন্য যে বিয়ের সমন্ধটা এনেছেন তাদের আসতে না করে দেব কুশল বলে ঠিক আছে আমাকে দুটো দিন সময় দাও আমি বাবা মায়ের সাথে কথা বলে দেখি দুদিন পর কুশল বলল মা বাবা রাজী হয়েছেন তারা আগামী রোববার তোমার বাবা মার সাথে কথা বলতে যাবেন রোববার পর্ণা বাড়ীঘর যথাসাধ্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখলো কুশল আর তার বাবা মা ঠিক সন্ধ্যায় গাড়ী নিয়ে চলে এলো বাবা মা তাদের সকলকে আদর আপ্যায়ন করে বসালেন এখন বারান্দার এক দিকটা রান্নাঘর আর অন্য দিকটা কাঁচের জানালা দেওয়া বসার ঘর বাবা মিষ্টির দোকান থেকে গরম সিঙ্গাড়া আর কয়েক পদের মিষ্টি এনে রেখেছেন মা গল্প করতে করতে উঠে চা বানাতে গেলেন মা বললেন কি হলো দাদা দিদি আপনারা তো কিছু খেলেন না নিন শুরু করুন কুশল নাও তুমি শুরু করো আমি মেয়েকে দিয়ে সকলের জন্য চা পাঠিয়ে দিচ্ছি কুশল ও তার বাবা মা সিঙ্গাড়া মিষ্টি খেতে খেতে পর্ণার বাবার সাথে কথা বলছিলেন পর্ণা সকলকে চায়ের কাপ এগিয়ে দেয় চা দিয়ে পর্ণা তার মায়ের পাশে বসে খাওয়া দাওয়া শেষে কুশলের বাবা মা বলে আপনার মেয়ের কথা কুশলের কাছে অনেক শুনেছি অফিসের কাজে আপনার মেয়ে খুবই দক্ষ বিদেশে যাবার সুযোগ পেয়েও যেতে চাইছে না কেন যে যেতে চাইছে না তা বুঝতে পারছি না আপনাদের মেয়েকে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে একটা ভালো দিন দেখে কুশলের আর পর্ণার বিয়েটা কথা শেষ করতে না দিয়েই পর্ণা বলে কুশল আমার কয়েকটা কথা বলার আছে পর্ণার বাবা বলেন তুই আবার কি বলবি রে মা আমাদেরও কুশলকে পছন্দ হয়েছে পর্ণা বাবাকে থামিয়ে দিয়ে বলে আমার কিছু বলার আছে বাবা আমি ও কুশল দুজনে দুজনকে ভালোবাসি আপনাদের পরিবারের কুশল যেমন একমাত্র ছেলে তেমন আমাদের পরিবারে আমি একমাত্র মেয়ে কুশল যেমন বৃদ্ধ বয়সে আপনাদের একমাত্র যষ্টি আমার মা বাবার বৃদ্ধ বয়সে আমি তাদের একমাত্র যষ্টি আমার বাবা মা নিঃস্ব হয়ে আমাকে পড়াশুনা করিয়ে বড় করেছেন এই জন্য আমি অসময়ে তাদের পাশে থেকে সাহায্য করতে চাই তা সেটা আর্থিক হোক বা মানসিক ভাবে আশা করি আপনারা আমার অবস্থাটা বুঝতে পেরেছেন আপনারা যদি এমনটা মেনে নিতে পারেন তবেই আমি বিয়ে করবো নয়ত এই সম্পর্ক না হওয়াই ভালো কুশলের মা চায়ের কাপটা টেবিলে রাখতে রাখতে বলে ঠিক আছে আমরা সবাই তোমার কথা শুনলাম বাড়ীতে গিয়ে সকলের সাথে আলোচনা করে কিছুদিন পরে সব জানিয়ে দেবো কেমন আজ তবে চলি পর্ণার বাবা বললেন আচ্ছা মা তুই আবার এসব কথা ওনাদের বলতে গেলি কেন কেউ এসব কথা শুনলে কি তোকে ছেলের বৌ করে নিয়ে যাবে পর্না বলে জানি বাবা আমার এই প্রস্তাবে হয়তো কেউ আমাকে বিয়ে করতে চাইবে না কিন্তু আমার বিয়ের জন্য আমি তোমাদের অসহায় অবস্থায় ফেলে যেতে পারি না বাবা তাতে যদি আমার বিয়ে হয় তো ভালো আর বিয়ে না হলে না হবে আমি তোমাদের আর কষ্টে রাখতে পারবো না বাবা পরের দিন অফিসে গিয়ে দেখে কুশল নানা অজুহাতে পর্ণাকে এড়িয়ে চলছে বেশীর ভাগ সময় ব্যস্ততার ভাব করেই কাটিয়ে দিল সৌম্য টিফিনের সময় পর্ণাকে ডেকে নিয়ে যায় টিফিন খেতে খেতে পর্ণা বলে তোমাদের ওদিকে ভালো একতলা বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে কিনা দেখো না সৌম্য বলে তোমাদের বাড়ী আছে তো আবার ফ্ল্যাট দিয়ে কি করবে পর্না বলে মা ভীষণ বিয়ে বিয়ে করছে একটা ভালো বাড়ী ঘর না হলে কি কেউ মেয়ে পছন্দ করবে সৌম্য চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলে কেনো কুশল পর্ণা সৌম্যের কথা এড়িয়ে গিয়ে বলে দেখো না একটা বাড়ী কিম্বা ফ্ল্যাট কয়েকদিন হয়ে গেল খুব প্রয়োজন ছাড়া কুশল পর্ণার সাথে কথা বলে না টিফিনে একসাথে যায় না মিটিং এর ফাইল বা কিছু লাগলে পর্ণাকে ফোন করে বেয়ারা দিয়ে পাঠাতে বলে রোববার দিন রাত নটা নাগাদ কুশলের ফোন আসে বলে পর্ণা আমি আগামী বুধবার প্রোজেক্ট ইনচার্জ হয়ে কানাডা চলে যাচ্ছি বাবা মা তোমার শর্তে রাজী হতে পারে নি তাই কলেজের বান্ধবী শ্রীজিতার সাথে আমার রেজিষ্ট্রি করে বিয়েটা হচ্ছে আগামী মাসে শ্রীজিতা কানাডা পৌঁছবে পর্ণা কুশলের কথার কোন উত্তর দেয় না শুধু বলে কনগ্র্যাচুলেশন কুশল পর্ণা ফোনটা বন্ধ করে দেয় সৌম্য পর্ণাকে বলে কুশল যে বিদেশে যাচ্ছে এটা তুমি আগে জানতে না পর্ণা মাথা ঝাঁকিয়ে না বলে সৌম্য বলে শুনলাম আজ নাকি শ্রীজিতার সাথে ওর রেজিষ্ট্রি ম্যারেজ পর্ণা কোন উত্তর দেয়না সৌম্য পর্ণাকে টিফিন বাক্সটা এগিয়ে দিয়ে বলে তোমার ফেভারিট ডিশ বানিয়ে দিয়েছেন মা খেয়ে দেখো মা রাতে ফোন করবে পর্ণা দু চামচ খেয়ে বলে দারুন দারুন হয়েছে রাতে বাবা আমার বিয়ের ব্যাপারে কার সাথে যেন কথা বলছিলেন ফোন শেষে বাবা এসে আমায় বললেন কুশল কি তোমায় কিছু জানিয়েছে পর্ণা পর্ণা বাবাকে বলে না আজ অফিসে শুনলাম বুধবার ও কানাডা চলে যাচ্ছে শ্রীজিতাকে বিয়ে করে ও আচ্ছা এ কথা বলে চলে গেলেন পর্ণার বাবা কি চিন্তা করে ফিরে এসে বললেন রোববার তোমাকে পাত্রের বাড়ি থেকে দেখতে আসবে এবার আর তুমি আগের বারের মতো বোলো না কেমন পর্না ঘাড় নেড়ে না বলল রোববার পর্না খুব ভালো করে সেজেছে তাকে একবার দেখেই যেন পাত্র পক্ষের পছন্দ হয়ে যায় পাত্র পক্ষের লোকজন এসে বসে আছেন বাবা মায়ের সাথে পরিচিত হচ্ছেন মা তাদের খাবার দিয়েছেন পাশের বাড়ির ময়না এসে চা বানিয়ে দিয়ে গেছে বাবা মাকে বললেন পর্ণাকে চা নিয়ে আসতে বলো পর্ণা চা নিয়ে ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে গেল একি সৌম্য তুই তুই তো আমায় আগে কিছুই বলিস নি রে সৌম্যর মা চায়ের কাপ নিতে নিতে বললেন আমি তোমাকে চমকে দেবো বলে বলতে মানা করেছিলাম শুনুন দাদা দিদি পর্ণাকে আমাদের আগের থেকেই পছন্দ ছিল পর্ণা বলে মাসিমা আমার যে একটা শর্ত আছে পর্নাকে থামিয়ে দিয়ে সৌম্যের মা বলেন তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না আমরা সব শর্ত মেনে নিয়েছি এনারা সৌম্যর মামা মামি মামা প্রোমোটার তোমার শর্ত তোমার হবু মামা শ্বশুর ব্যবস্থা করে দেবে সৌম্যর মা বলেন কি হলো পর্ণা এবার সৌম্যকে বিয়ে করতে রাজী আছো তো পর্ণা আর কিছু বলতে পারে না এক পলক সৌম্যর দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকে চারুবালা দ্বিতীয় পর্ব সেই সব মেয়েরা চোর ধরা উপকথার গাছ আজ সারাদিন বাংলা ভাষা কুড়ি শব্দের গল্প জীবনের প্রতিদিন কবি তুমি কোথায় কুড়ি শব্দের গল্প মরচে ধরা রহস্য পর্ব ১ ছোট পল্টু বাবুর ইঁদুর করোনাসুর দমন রম্য রচনা বাবা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত বাবা বাবা কলমে প্রীতম ঘোষাল ব্যানার্জী কষ্ট করে করলে বড়ো দিয়ে ভালোবাসা পারলাম না করতে পূরন তোমারই সেই আশা নিজের খাবার আমায় দিয়ে রইলে নিজে ক্ষুধার্ত মনে ছিল ভারী সাধ ছেলে দেখবে যথার্থ ছেলের জন্য ত্যাজ্বিলে তুমি নিজের সব ইচ্ছা সেই ছেলে কি তোমার জন্য করলো কিছু ভিক্ষা ভালোবাসার বদলে তুমি পেলে অবহেলা সেই কারণেই বুঝি বিধাতা তোমার নাম যে দিলো বাবা সমর্পিতা নিবারণের সংসার টিটোদি ও রহস্যে ঘেরা কার্শিয়ং টুরিস্ট লজ প্রথম পর্ব হারিয়ে যাওয়া মরচে ধরা রহস্য পর্ব ৪ নীল ধ্রুবতারা জীবনের শিক্ষা ব্লু ডায়মন্ড রহস্য পঞ্চম পর্ব জীবন্ত মৃত একদিন নবাবের শহরে আনন্দধারা দৃষ্টি রম্য রচনা বৃষ্টি তুমি এলে পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত বৃষ্টি তুমি এলে বৃষ্টি তুমি এলে কলমে কবি ও সাহিত্যিক সুলতা পাত্র রুপসা দিঘির পাড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ভিজলাম আমি তোমরা হয়তো বলবে আমি কবি এক প্রকৃতিপ্রেমী আমার মন খারাপ হয়তো বৃষ্টি সেটা বোঝে চোখের জল মুছিয়ে বলল যাও মন দাও গিয়ে নিজের কাজে ঘরে ফিরে যাও মন দিয়ে খাতা ভর্তি করে লেখো আবার ভীষণ ব্যস্ত মোরা কাজ সেরে তোমার সাথে অনেক কথা বলব আবার নব উদ্যমে এক পৃথিবী লিখব আমি মনে মনে ভাবলাম সঙ্গী হল কাগজ কলম নতুন আশায় বুক বাঁধলাম অনেকদিন ভালো লাগার ভালোবাসার কথা হয়নি হয়তো বা কেউ তেমন করে আর শুনতে চায়নি কতদিন মালতীলতা ফুলের গন্ধ আমার কাছে আসেনি কতদিন কৃষ্ণচূড়া ফুলে ভরা গাছ দেখা হয়নি বকুলের মালা কেউ যে গেঁথে দিতে বলেনি কটা স্বর্ণ চাঁপা ফুল কেউ এনে হাতে দেয়নি অঞ্জনা আমার লেখা পড়ে বলেছিস বিষণ্ণতাকে বড্ড বেশি প্রশ্রয় দিয়েছি হয়তো তাই চোখের জলে ভেজা মনের কথাগুলো কবিতায় লিখেছি কেটেছে দিন কেটেছে রাত লেখার দিকে তাকিয়ে দেখি একটা খাতাও শেষ হয়নি বৃষ্টি এলো ঝমঝমিয়ে বলল এখনও লেখায় মন দাওনি মেঘাচ্ছন্ন মন দিগন্ত কেন বারে বারে আকুল অধীর হয় বিষন্ন হৃদয় কেন কেঁদে কেঁদে তৃষিত তাপিত রয় বৃষ্টি তুমি কি এলে আজ আনন্দ শিখার বিজলী প্রদীপ জ্বেলে আমায় সাহস দিতে কি তুমি নিশীথ গগন অঙ্গনে এলে আসুক টর্নেডো আসুক টাইফুন আসুক ঝঞ্ঝা ঘূর্ণিঝড় ধুয়ে যাক মুছে যাক মোর জীবনের বেদনার বালুচর প্রজাতন্ত্র মা আমি এবং স্মার্টফোন ক্ষমার অযোগ্য নির্জনতা যে কথা শুনতে চেয়েও শোনা হ ল না হোম ওয়ার্ক ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত পাতা ঝরার বেলা বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত অন্তরের আলো রম্য রচনা ভালবাসার গন্ধ পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত ভালবাসার গন্ধ ভালবাসার গন্ধ লেখা অতনু কর্মকার এক আচ্ছা ভালবাসার কি কোনো গন্ধ হয় তুই পেয়েছিস কখনও অর্কর দিকে না তাকিয়েই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল মানভি অর্ক মানে অর্কজিৎ ওরা দুজনেই একটা স্থানীয় খবরের কাগজে চাকরি করে অর্ক হল ক্যামেরাম্যান আর মানভি জার্নালিস্ট ফিল্ডের কাজটা ওরা ইদানিং একসাথেই শুরু করেছে এর আগে প্রুফ রিডিংয়ের কাজ করত দুজনেই প্রোমোশনের পরে এই প্রোফাইলটা দু জনেই একসাথে পেয়েছে ওরা একত্রে কাজ করার সুবাদে ওদের আলাপটাও অনেকদিনের ঠিক কলিগ সুলভ নয় অনেকটা বন্ধুত্বর মতোই ওদের মেলামেশাটা আজকে ওদের একটা পলিটিকাল ডেমোন্সট্রেশন কভার করার ছিল কিন্তু পুলিশ লাঠি চার্জ করে সেই সুযোগটা হাতছাড়া করে দিয়েছে যৎসামান্য কভার করে ভিডিও ফাইলটা অফিসে পোস্ট করে দিয়েছে অর্ক তাই আজকের মতো কাজ শেষ ওদের শহীদ মিনার থেকে হাঁটতে হাঁটতে ওরা এখন ক্যালকাটা প্রেস ক্লাবের লেকের ধারে এসে বসেছে একটু জিরিয়ে নিতে যদিও মরশুমটা বর্ষাকাল বৃষ্টি হয়নি একদমই গত চার পাঁচ দিন ধরে কিন্তু তা সত্ত্বেও ময়দানে বিকেলের পর ভ্যাপসা গরমটা আর সেরকম মনে হচ্ছিল না অর্কর ঠান্ডা হাওয়াতে মাথাটা বেশ হালকা হালকা হচ্ছিল কিন্তু হঠাৎ বাণের মতন প্রশ্নটা আছড়ে পড়ল প্রশ্নটার মাথা মুণ্ডু তল পেল না অর্ক কিছু তা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকিয়ে রইল মানভির দিকে সে যে কোন দিকে তাকিয়ে আছে সেটাও ঠাওর করতে পারল না অর্ক কিন্তু মানভি যে ওর উত্তরের অপেক্ষায় আছে সেটা বুঝতে সময় লাগল না ভালবাসার গন্ধ শুরু করে একটু আটকে গেল অর্ক তোকে রিপিট করতে বলিনি হ্যাঁ অথবা না তে উত্তর দে মানভি ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল বাইনারিতে উত্তরটা হয়তো হয় না তবে ভালবাসা একটা অনুভূতি একটা অ্যাবস্ট্রাক্ট সাবজেক্ট আর গন্ধ একটা ফিজিক্যাল সেন্স দুটোর ইন্টারসেকশন কি সম্ভব অর্ক বলে উঠল তবে হ্যাঁ একটু অন্য ভাবে দেখলে এই ধর এখন যদি বৃষ্টি নেমে ময়দানের মাটিকে ভেজাতে শুরু করে বৃষ্টির জলে ভেজা মাটির গন্ধ সেটা কার ও হয়তো ভাল লাগতে পারে যেমন ধর ছোটবেলায় মায়ের বিকেলে ধুপ ধুনো জ্বালানোর যে গন্ধ সেটা আমি এখনও কোনও বাড়ি থেকে পেলে মনটা ভাললাগায় ভরে যায় এগুলো হল কিছু নির্দিষ্ট গন্ধকে ভালবাসা যেখানে গন্ধের সাথে স্মৃতি ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে কিন্তু ভালবাসার গন্ধ ব্যাপারটা আমি ঠিক হজম করতে পারলাম না অর্ক একটু থামল ওর প্রতিক্রিয়াটা বোঝার জন্য দোষটা তোর নয় আমার বোঝা উচিত ছিল মানভি দৃষ্টি না সরিয়েই উত্তর দিল কী অর্ক কিছুটা অপ্রস্তুত এখন কিছু নয় রে বোঝা উচিত ছিল যে উত্তর তো দূর তুই প্রশ্নটাই নিতে পারবি না মানভি এক পলক ওর দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলল অর্কর একটু রাগ হল ভাবল একবার যে বলেই দেয় কেন তোমার তমালকে জিজ্ঞেস করো না তোমরা দু জনে নিশ্চয়ই পাবে ওইসব গন্ধ যত সব উদ্ভট চিন্তাভাবনা কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে মানভির মনটা ভাল নেই তাই কথাগুলো বলল না না হলে আজকে একপ্রস্থ হয়ে যেত অর্ক যুক্তি তর্কে একটু কাঁচা কিন্তু মানভির সাথে ঝগড়ার সময় নিজের প্রতিভাটা উপভোগ করে খুব আমি জানি তুই কী ভাবছিস মানভি আলতো করে বলল না তো কী অর্ক আবার ব্যাকফুটে ভাবছিস যে তমাল নিশ্চয়ই পায় গন্ধটা তাই না মানভির স্বরটা বহু দূর থেকে আসছিল মনে হল কেন তুই পাস না অর্ক জিজ্ঞেস করল নাহ আগে পেতিস তাই তো না আগেও পাইনি কখনও ওর সাথে ভাবতাম যে হয়তো পরে সেন্স করব সেই পরেটা আর এল না ঝগড়া হয়েছে তোদের মধ্যে তাই না অর্ক একটা কুইক কনক্লুশনে আসার চেষ্টা করল তুই বুঝবি না ছাড় এই টপিক আর তমাল এমনিতেও পরের সপ্তাহে স্টেটস এ পার্মানেন্টলি শিফট করে যাচ্ছে বাঁচা গেছে গায়ে পড়া আর পেছনে পড়া ছেলেদের এবার থেকে স্ট্রীক্টলি এড়িয়ে চলব যদি দেখিস এরকম কার ও দিকে আবার ঢলতে শুরু করেছি তবে আমাকে ওয়ার্নিং দিবি তোর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল রে মানভির কথায় মনে হল না যে ও খুব একটা আঘাত পেয়েছে পুরো ঘটনাটাতে অর্ক একটু আশ্বস্ত হল আবার একটু ঘাবড়েও গেল এই ভেবে যে ও কেন মানভির অনুভূতিগুলোকে নিয়ে ভাবা শুরু করেছে না কি মানভিকে নিয়ে দুই কিছুক্ষণের নীরবতা কাটিয়ে উঠে মানভি বলল এই বাদাম ভাজা খাবি নাকি গরম গরম আমার ব্যাপক লাগে খাবি ফ্রেশ বাদাম জিনিসটা অর্কের কাছে খুব টেম্পটিং কিন্তু সবসময় হজম হয় না তাই হ্যাঁ বা না বলতে সময় নিল এই সব ক্ষেত্রে নীরবতাকেই সম্মতি ভেবে মানভি নিজের মতন এগিয়ে চলে বাদামের ঠোঙাটা অর্কের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল খা খা অত ভাবিস না এমনিতেও গ্রে ম্যাটার কম তোর মস্তিষ্কে কথা না বাড়িয়ে হাতের তালুটা এগিয়ে দিল অর্ক বাদাম নেওয়ার জন্য ঠোঙাটা ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে মানভি আবার চুপ হয়ে রইল খানিকটা অন্যমনস্ক ভাবে ঘোড়ার গাড়ি চাপবি আমার অনেক দিনের ইচ্ছে আজ তো সময়ও আছে আমাদের হাতে অর্ক ওর মনোযোগটা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করল আচ্ছা তুই কোন ওদিন প্রেমে পড়েছিস কার ও ক্রাশের ওপর প্রেমে পড়া নয় হঠাৎ করে কার ও ওপর অকারণেই প্রেমে পড়া কিংবা ধর বহুদিন ধরে নিজেকে আটকে রেখেও শেষ অবধি আটকে না রাখতে পেরে তার প্রেমে পড়া এসেছে কখনও এরকম ফিলিংস মানভি ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে কথাগুলো শেষ করল এতটাই স্পষ্ট যে প্রতিটা যতিচিহ্নকে অর্ক অনুভব করতে পারল আবার একটা মারাত্মক প্রশ্ন অর্কর সামনে এর উত্তর অর্ক কিছুতেই দেবে না ঠিক করল কারণ উত্তরটি অর্কর সামনেই বসে আছে গত তিন বছরের আলাপে অনেকটাই চিনেছে মানভিকে বাইরে থেকে কিন্তু ওর মনের তল সব সময় পাওয়া যায় না কখনও পুরোপুরি এড়িয়ে যায় হোয়াটস্যাপ এর মেসেজও ইগনোর করে দিনের পর দিন আবার কখনো আজকের মতন উদ্ভট প্রশ্নবাণে উড়িয়ে দেয় তোর তো প্রসেসর বসে গেল মনে হচ্ছে এত ডাটা এরকমই হওয়ার কথা মানভি বিরক্ত হয়ে বলে উঠল না ঠিক তা নয় আসলে প্রসেসর এত কম ডাটা বলে কাজ করতে পারছিল না বলে হেসে উঠল অর্ক সত্যি বলতে কি আমরা তো বাংলা মিডিয়াম এর ছেলেদের স্কুলে পড়া ব্যাকগ্রাউন্ডের কোনও মেয়ে তাকালেই প্রেম প্রেম ভাব চলে আসত ইনফ্যাক্ট শুধু দেখে দেখেই কত প্রেমে পড়ে গেলাম টিউশনে গিয়ে অর্ক এবার অবলীলায় বলে উঠল এক্ষুনি তো বলি প্রসেসর ডাটা পাচ্ছে না এ তো আস্ত ডাটাবেস বস এত ক্যাবলা হয় বাংলা মিডিয়াম এর ছেলেরা আমার জানা ছিল না শুধু চোখ তুলে তাকালেই প্রেম হয়ে যায় কী স্যাম্পল জিনিস মাইরি তোরা মানভি এই সুযোগটা যে ছাড়বে না সেটা অর্কর বোঝা উচিত ছিল যাইহোক ও থামল না তখন আমাদের দৃষ্টিগুলো খুব পিওর ছিল জানিস তো মানে সৌন্দর্য বলতে চোখ গলার স্বর সুর হাতের আঙ্গুল এই সবই বুঝতাম কোনোদিন আমাদের নজর মুখের থেকে নীচেতে নামত না এখন তো পুরোটাই ওপেন প্যাকেজের মতন কোনটা ঠিক কোনটা ভুল এরকম কিছু নয় ইট ইস মোসল্টি আ জেনারেশন গ্যাপ আপাতত একটা বিরতি নিল অর্ক জিও দাদা কী দিলেন আপনি একদম দাদার কীর্তির তাপস পাল তো আর আমরা আমাদের ইত্যাদি বলে সবাইকে তো দলে নিয়ে নিলেন বাজারে কিন্তু শক্তি কাপুরেরা গুনতিতে অনেক বেশি মানভি বলতে বলতে ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করছিল সেটা ওর চোখমুখ দেখে অর্ক বেশ বুঝতে পারল কিন্তু এই সবই হয় ইনফাচুয়েশন অথবা একতরফা মানভি বলল হ্যাঁ কিন্তু আমার দৌড় এতদূরই ছিল অর্কর স্বগতোক্তি হ্যাঁ যে বিরিয়ানি খেয়ে প্রেমে পড়ে যায় তার এর থেকে বেশি কিছু হওয়ার নয় ময়দানের রোদ হালকা হয়ে আসছে বেলা যত পড়ছে আর তারই একফালি মানভির চিবুক স্পর্শ করছে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে ফ্রেম বন্দি করতে খুব ইচ্ছে করছিল তারপর ভাবল থাক না মনের ফ্রেমে ওখানে স্মৃতি নষ্ট হয় না অনেক রাখা আছে শেষ তিন চার বছরের কী কুক্ষনে যে অর্ক এই বিরিয়ানির গল্পটা শুনিয়েছিল আগের সপ্তাহে রোজই আওয়াজ খাচ্ছে তারপর থেকে অর্কদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়দের বাড়ি বাংলদেশের নারায়ণগঞ্জ বলে একটা গ্রামে সেখানে গিয়ে একটি মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল ওর তখন অর্ক ক্লাস এইটে পড়ে মেয়েটি একবার ওকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে মায়ের হাতে বানানো বিরিয়ানি খাইয়েছিল সারাদিন ওরা প্রচুর দৌড়াদৌড়ি করত যে কদিন ছিল একটা বন্ধুদের দল ও তৈরি হয়ে গেছিল যেদিন ফিরে আসছিল মেয়েটি ওদের বাস স্ট্যান্ডে ছাড়তেও এসেছিল মন খারাপ ছিল কিছুদিন অর্কর বাড়ি ফিরে এসে এই ঘটনা কেউ জানে না অনেক দিন হয়েও গেছে কিন্তু যবে থেকে এই মহিলা গল্পটি শুনেছেন ব্যাস তবে থেকে সুযোগ পেলেই আওয়াজ দিয়ে চলেছেন যাই হোক অর্ককে আওয়াজ দিয়ে যদি ওর মনটা ভাল হয়ে যায় তাহলে চাপ নেই কিন্তু এদিকে সন্ধ্যে নামছে আরও দেরি করলে এবার পাড়ার ঠেকটা মায়া হয়ে যাবে কিন্তু মানভির এবং ওর সান্নিধ্য এই দুটোকে অবলীলায় উপেক্ষা করার মতন মানসিকতা ওর কোন ও দিনই ছিল না আর হবেও না তবুও বলে উঠল তুই বাড়ি ফিরবি না একটু পরেই কাকিমার ফোন আসা শুরু হবে কিন্তু এখন প্রচুর ট্রাফিকও পাবি রাস্তায় অলরেডি মেসেজ চালু হয়ে গেছে আমি বলেছি তোর সাথে আছি আর তুই আমাকে ড্রপ করে দিয়ে যাবি মানভি উত্তর দিল আচ্ছা আচ্ছা কিন্তু আমি তো আজ বাইকে ফিরব আর এক্সট্রা হেলমেটও নেই আজ রিপোর্টারদের ট্রাফিক পুলিশ ধরে না একবার বাইক থামিয়ে দেখুক না মানভি কিছুটা হলেও নিজের ফর্মে ফিরছে একদিন এরকম ঘটেছিল ওরা একটা স্ক্যাম কভার করার জন্য বাইক নিয়ে একটা মারুতিকে চেজ করছিল আর ট্রাফিক সার্জেন্ট ওদেরকে আটকে দিয়েছিল সেদিন ওরা কেউই হেলমেট পরেনি মানভি নিজের আইকার্ড দেখিয়ে ওইখানেই নেমে পড়ে স্ক্যাম কভার করতে শুরু করে দিয়েছিল সার্জেন্টকে বলল আপনি একটু গুছিয়ে নিন নিজেকে আমরা অন লাইভ যাব এখন আপনি যে রিপোর্টারদের হ্যারাস করছেন সেটা সবাই দেখবে আগেই জানিয়ে রাখলাম পরে আবার বলবেন না যে কেন আপনাকে আগে থেকে জানাইনি এটা বলার পরে সার্জেন্ট ওদেরকে সাথে নিয়ে ফলো করেছিল শেষে বলল ম্যাডাম যদি স্ক্যাম প্রমান হয় আমার নাম একটু মনে রাখবেন সুদীপ তরফদার এন্টালি জোন তিন হ্যাঁ লোকটার নামটাও মনে আছে অর্ক হেসে বলল কিন্তু হেলমেট তোর সেফটির জন্য বলেছিলাম আসলে ওই তো গরুর গাড়ির স্পিড তার আবার সেফটি মাথায় একটা স্কার্ফ আটকে নেব নাহলে ধুলোয় চুল সাদা হয়ে যাবে মানভি হাওয়াতে উড়ে যাওয়া চুল ঠিক করতে করতে কথা বলছিল তুই হেলমেটটা পরে নিস অর্ক মানভির দিকে তাকিয়ে বলে উঠল মানভির ওই এলমেল চুল তার ফাঁক দিয়ে পড়ন্ত সূর্যের বেলাশেষের আলো চোখ ফেরাতে পারল না অর্ক কিছুক্ষণের জন্য দুজনের দৃষ্টি এক হল একজোড়া চোখে প্রবল মুগ্ধতা অন্য জোড়াটি তার অঙ্গীকারে আগেও অর্ক একবার বলেছিল মানভিকে তুই যখন হাতের আঙ্গুল দিয়ে চুল ঠিক করিস ব্যাপারটা বেশ ফটোজেনিক একবার ফ্রেমিং করব ভাবছি সেই শুনে মানভি পাক্কা দুই মিনিট ধরে হেসেছিল সেটাও বিভিন্ন ভঙ্গিমায় তারপর হাসি থামিয়ে বলেছিল বাজে বকিস না অর্ক বাড় খেয়ে যদি তাল গাছে উঠে যাই নামবার সময় মই খুঁজে পাব না হেলমেটটা তুই কবে কিনেছিস তা চার পাঁচ বছর হয়ে গেল অর্ক বলল ওই চার পাঁচ বছরের জার্ম আমার মাথায় গেলে এই চুল আর থাকবে এমনিতেই রোজ চুল পড়েই যাচ্ছে আমার মাথার চুল বোধহয় তোর সহ্য হয় না না আগেও লক্ষ্য করেছি আমি মানভি তেড়েফুঁড়ে বলে উঠল জানি একটা হেলমেট কিনতে হবে বলে প্রসঙ্গটা এখানেই শেষ করতে চেষ্টা করল অর্ক খুব কম কনভার্সেশনই ওর ফেভারে যায় এবারে হাফ হেলমেট কিনবি পরতে সুবিধে হয় মানভি ঠোঙাটা নিচে নামিয়ে রেখে একটা বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে বলল আচ্ছা অর্ক এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারল না একটা মৃদু ঘ্রান ওর অনুভূতি হতে শুরু করল ধীরে ধীরে যদিও আশেপাশে এমন কিছু নেই যেখান থেকে এটার উৎস হতে পারে একটু পরে বুঝতে পারল অর্ক যে খুব অচেনা নয় এই ঘ্রান ওর কাছে কিছুটা ছোটবেলার স্মৃতিতে মেশানো একটু ভয়ের খানিকটা ভাললাগার আর অনেকটা মানাভির চুলের এবং শরীরের তুই কি কোনও গন্ধ পাচ্ছিস অর্কর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কথাটা জানি না রে হবে হয় তো বাড়ি চল দেরি হয়ে যাচ্ছে মা চিন্তা করছে অর্ক আর মানভি পাশাপাশি হাঁটছিল ময়দানকে পেছনে ফেলে রেখে এখন ওরা অনেকটা কাছাকাছি মানভিকে লাল আকাশের ফ্রেমে অপরূপ মায়াবী লাগছে অর্কর ময়দানটাকে একটা আস্ত মেঘের স্তর মনে হচ্ছে ওরা দুজনে যেন মেঘের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে পড়ন্ত সূর্যকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ময়দানের প্রান্তরে হারিয়ে গিয়েছে দিগন্তের শেষে আজকের মতো ক্ষতি কী সূর্য তো কালকে আবার উঠবে কিছু পাওয়ার সাক্ষী তো আজ ময়দানও থাকল সমাপ্ত নিবারণের সংসার একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প বোহেমিয়ান রামধনু বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৫ পরম্পরা শেষ বিকেলের বাংলা রোদ্দুরের সাথে সে তবে কে ষষ্ঠ এবং শেষ পর্ব শ্রেয়া ও আমি আজ সারাদিন অনুচ্চারিত যে শব্দরা হারায় বারেবার অন্তরের আলো কর্ণ উবাচ রম্য রচনা মেঘলা স্বপ্ন পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত মেঘলা স্বপ্ন মেঘলা স্বপ্ন লেখা পৃথ্বীশা সরকার তার চোখে দেখেছিলাম এক নাম না জানা মায়ার আলোড়ন যে মায়া বাধতে পারে শত ইচ্ছের শক্ত বাধন দূর হতে দেখেছি তাকে শব্দের খেলা খেলিনি হয়ে রয়েছি বাকহারা মনের কথা বলতে পারিনি এক মুক্ত আকাশের স্বপ্নে মেতেছি আকাশটা ছিল মেঘলা স্বপ্ন আমার হয়নি পূরণ হয়েছি ভিড়ের মাঝে একলা নামটি তাহার জানা হয়নি ঠিকানাটিও নয় এ কেমন মায়া যাহা স্মৃতিটুকু শুধু রয় সুখরাত্রি রুনুর কান্ড কারখানা স্নান পর্ব পয়া কলম প্রপোজ তাতানের কথা সেই সব মেয়েরা পিছুটান ফিনিক্স বিদ্যাং দেহি নমস্তুতে শিশুশ্রম বৃষ্টি তুমি এলে একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প রম্য রচনা র আদ্যোপান্ত পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত র আদ্যোপান্ত প্রত্যেক গল্প বা কবিতা পড়লেই যেমন অজান্তেই মনের ভেতর একটা ছবি ভেসে ওঠে তেমনই প্রতিটা ছবিরই আছে নিজস্ব একটা করে গল্প আরো একটু গভীর ভাবে ভাবলে উল্টাতে হবে ইতিহাসের পাতা খুঁজতে হবে শিলালিপি অথবা প্রাচীন হরফ কিছু অক্ষর আর কিছু ছবি দিয়েই দিব্বি চলত ভাবের আদানপ্রদান সহজে সানন্দে ইতিহাস যেমন সদাপ্রবহমান তেমনি অলিখিত নিয়মে সে ফিরে ফিরে আসে বারংবার পাণ্ডুলিপি ঘটিয়েছে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি অনুক্ষণ মেলবন্ধন শব্দ আর ছবির পাণ্ডুলিপির পরতে পরতে হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও এক নিমেষে দেখে নেওয়া এক আকাশ শব্দ আর ছবির রঙিন বুনট কুশলী দীরঘাঙ্গী সাহিত্যশিল্প নয় পাণ্ডুলিপির গর্ভে জন্ম শব্দ আর ছবির নতুন ছোট্ট এক রূপকথার রম্য রচনা রম্য রচনা পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত রম্য রচনা যদি এমন হতো যদি এমন হতো যদি এমন হতো লেখা প্রমিতা মান্না রোহান রোহান উঠ উঠ সকাল হয়ে গেছে পড়তে বসতে হবে তো নাকি রোহান পড়াশোনা খেলাধূলা সবেতেই খুব ভালো একদিন রোহান দুপুরে স্বপ্ন দেখে সে তার তিনটে হাত দিয়ে অংক করছে হঠাৎ মা ডাকায় রোহানের স্বপ্ন ভেঙে যায় সে মাকে বলে স্বপ্নের কথা তাল তলার মাঠে তাল তলার মাঠে তাল তলার মাঠে লেখা অসীম কুমার চট্টোপাধ্যায় সেদিন ছিল উত্তরপাড়ার সাথে আমাদের কলাবাগানের শিল্ড ফাইনাল দুটো টিমই খুব ভালো হাবুল স্যার আমাদের দলের কোচ কয়েকদিন ধরে খুব প্রাকটিস করাচ্ছেন ছেলেদের স্কুল থেকে ফিরেই আমরা সোজা চলে যাই তালতলার মাঠে প্রাকটিস দেখি বিকেল সাড়ে তিনটের সময় খেলা শুরু মাঠ বন্ধ ঘরে টিকটিকির ভূত বন্ধ ঘরে টিকটিকির ভূত বন্ধ ঘরে টিকটিকির ভূত লেখা শ্রীপর্ণা দাস ব্যানার্জী রিম্পি প্রায় চার মাস পরে ঢুকবে নিজের বাড়িতে সেই যে মামার বাড়ি গেল মা বাবার সাথে তারপর তো আর ফিরতেই পারল না করোনার জন্য সব কিছু বন্ধ মামাতো ভাই বোনের সাথে বেশ কাটছিল সময় এদিকে বাড়ি ফেরার তাড়াও ছিল বাবা মায়ের বুড়োদাদুর গল্পের ঝুলি বুড়োদাদুর গল্পের ঝুলি বুড়োদাদুর গল্পের ঝুলি লেখা রিয়া ভট্টাচার্য বুড়ো দাদু ছেলেপিলেদের গল্প শোনাতে বসেন প্রতিসন্ধ্যায় ঠিক যখন মামণির শঙ্খয় ফুঁ পড়ে মিষ্টিদিদু নিজের ঘরে সুর করে রামায়ণ পাঠ করেন কালবোশেখী ঝড়ে ঝুরঝুর ঝরে পড়ে বড়ো গাছটার পাতা ঠিক সেই সময় বুড়োদাদুকে ঘিরে বসে মৌটুসী ও তার বন্ধুরা মহামারীর জন্য এখন তালা ক্লাসের বন্ধু ক্লাসের বন্ধু ক্লাসের বন্ধু লেখা দীপঙ্কর বেরা আমগাছের ডালে আটকে যাওয়া ঘুড়িটা যে পাড়তে পারবে তাকে আমি এই চকলেটটা দেব রকির এই কথায় বিলু বলে আরে ঘুড়িটা তো ছিঁড়ে গেছে মাঞ্জা কাটা তাহলে ওই ঘুড়ি নিয়ে কি করবি সে পরে দেখা যাবে কে পারবি বল মিতুল অর্ণব আর্য পলি সান্তা সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে বেইমানির শাস্তি বেইমানির শাস্তি বেইমানির শাস্তি লেখা শুভঙ্কর ভট্টাচার্য হরিদেবপুর নামে একটি জায়গাতে এক দুধওয়ালা বসবাস করতো যার নাম ছিল রবি তার বেচা দুধের চাহিদা ছিল খুব তার দুধ খুব খাঁটি হওয়ায় চাহিদাও ছিল অনেক কেবল হরিদেবপুরের মধ্যেই না আশে পাশের আরও তিন চারটি জায়গা থেকে মানুষ দুধ কিনে নিয়ে যেত সময়ের সাথে শ্রেয়া ও আমি শ্রেয়া ও আমি শ্রেয়া ও আমি লেখা সুবীর মজুমদার আমি ঈশানী বাবা আমাকে আদর করে পুটু বলে ডাকেন অন্যেরা ডাকে পুটি বলে আমার মাসির মেয়ে গুল্লি প্রায়ই আমাকে পুঁটি মাছ বলে পুঁটি মাছ বললে আমার খুব রাগ হয় আচ্ছা বল তো আমি কি মাছ ছোটবেলার দিনগুলো কত ভালো ছিল সারাদিন খেলা করতাম বোকা গাধা বোকা গাধা বোকা গাধা নিকোলাস বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের সবচেয়ে বোকা জন্তু হল গাধা তো একদিন সকাল সকাল শিয়াল হনুমান গন্ডার চিতা সবাই একটা বড় বট গাছের তলায় বসে গল্প করছিল এমন সময়ে সেখানে হাজির হল বোকা গাধা সবাই মিলে ভাবল ওর সাথে একটু মজা করা যাক গন্ডার বলল ভাই গাধা যে যাই বলুক ছাতা বিষয়ক কথকতা ছাতা বিষয়ক কথকতা আর্কিমিডিস গামছা পরে চৌবাচ্চায় না ঢুকলে কি অমন সত্যটা বেরিয়ে আসত এ হলো জাগতিক নিয়ম রোগ ঢুকলে টাকা বেরিয়ে যাবে আবার ওষুধ ঢুকলেই রোগ বেরোবে রম্য রচনা সারপ্রাইজ পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত সারপ্রাইজ গল্প সারপ্রাইজ কলমে পীযূষ বসু চৌধুরী সুমন আর দেবাংশী অফিস থেকে একসঙ্গেই ফেরে গেটের দরজা চাবি দিয়ে খুলতে খুলতে দেবাংশী বলে আজও তোমার বাবা এত রাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে ফটিক কাকা আর সেই চিরকুমার অসিতের সাথে সত্যি একটা হ্যান্ডসাম ছেলে ওই বয়স্ক মানুষ দুটোর সাথে বসে আড্ডা দিয়ে যে কি মজা পায় তা কে জানে সুমন রাগত স্বরে বলে চুপ করো তো না জেনে একটা ছেলের সমন্ধে কিছু বোলো না ও আমার দিদির সাথে পড়ত ওদের ক্লাসের প্রতিবারের ফাস্ট বয় খুব ভালো ছেলে দিদির বিয়েটা মা তার বান্ধবীর ছেলের সাথে না দিলে ওকে আর চিরকুমার থাকতে হত না যাক্ এখন ওসব কথা ছাড়ো একটু কফি বানিয়ে নাও হাত মুখ ধুয়ে দেবাংশী কফির জলটা বসিয়ে দিল রান্না ঘর থেকে চেঁচিয়ে বলে সুমন তোমার বাবার জন্যও বসাব নাকি সুমন চেঁচিয়ে বলে বসিয়ে রাখো এর মধ্যে যদি এসে পড়ে দেবাংশী ফ্রিজ খুলে চেঁচিয়ে ওঠে সুমন দেখে যাও ফ্রিজে তো কিছু রান্না করাই নেই সুমন হাত ফোনটা বিছানার উপর রেখে উঠে রান্না ঘরের দিকে ছুটে যায় দরজায় দাঁড়িয়ে বলে সে কী তাহলে কি ইরাদি আজ আসেইনি তাহলে বাবা বাবা কী খেল তুমি কফিটা বানাও তো আমি ইরাদিকে একটা ফোন করে দেখি ইরাদি ফোনটা ধরেই বলে হ্যাঁ দাদাবাবু আমি আজ দুবার তোমাদের বাড়ি গিয়ে গেটের দরজা বন্ধ দেখে ফিরে এসেছি বড়বাবুকে একবারও পাইনি সুমন শুধু বলে ওহ্ ঠিক আছে তুমি কাল সকালে এসো কিন্তু সুমন মনে মনে বলে তাহলে বাবা কোথায় বাবা কি চায়ের দোকানে দেবাংশী কফির কাপ নিয়ে এসে বলে কী হল নাও কফিটা খেয়ে নাও রাতের খাবারটা অর্ডার করে আনিয়ে নাও সুমন একটু গলা উচু করে বলে দাঁড়াও অর্ডার টর্ডার রাখো বাবা তাহলে কোথায় গেলেন আমি এখুনি শিবুর চায়ের দোকানে যাচ্ছি তুমি রাতের খাবারটা অর্ডার করে দিও সুমন পাঞ্জাবিটা গায়ে চাপিয়ে বলে বাবার ফোনটা বলছে সুইচড অফ বাবা কতবার ফোনে একটা নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে দিতে বলেছিল আমার আর সময় হয়ে ওঠেনি দেবাংশী সুমনকে বলে কফিটা দু চুমুক খেয়ে নাও সুমন হাতের কাপটা নামিয়ে পায়ে চটিটা গলিয়ে বেরিয়ে পড়ে শিবুর চায়ের দোকানে এসে দেখে শিবুর দোকান বন্ধ রাস্তার আলো পড়ছে শিবুর চায়ের দোকানের বন্ধ দরজার ওপর দরজায় দুটো বড় তালা ঝুলছে শিবু ভেতরে নেই সুমন দু বার ডেকে ওঠে শিবু এই শিবু ভেতর থেকে কোন উত্তর আসে না ভেতরে তো কোন আলোও দেখা যাচ্ছে না শিবুর ছেলে আর বৌ বাপের বাড়িতে থাকে শিবুর স্ত্রী একটা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা শিবুর ছেলেও তার মায়ের সাথে থাকে তবে কি শিবু ছেলের কাছে গিয়েছে সুমন বাবার খোঁজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে দেবাংশী রাতের খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে পেপারটা উল্টেপাল্টে দেখছিল কলিং বেল বাজতেই সুমন ছুটে যায় দরজা খুলতে সুমন ভেবেছিল বাবা এসেছে ডেলিভারি বয়টা এসে খাবার প্যাকেটটা নামিয়ে দেয় সুমন প্যাকেটটা ধরে ঘরে নিয়ে ডাইনিং টেবিলের ওপর রাখে দেবাংশী বলে আচ্ছা সুমন তোমার বাবা আবার তোমার দিদির বাড়ি খড়গপুর চলে গেল না তো সুমন ঠোঁট বেঁকিয়ে বলে কী করে বলি বল তো এখন এত রাতে দিদিকে ফোন করলে দিদি অস্হির হয়ে পড়বে আর রেগে যাবে বাবা খড়গপুর গেলে দিদি নিশ্চয় ফোন করে জানাত আর কোথায় যেতে পারে এত রাতে বাবা তো বাড়ির বাইরে থাকে না তারপর দুপুরে কী খেল না খেল কে জানে আর ভালো লাগছে না এই শীতের রাতে কোথায় খুঁজতে যাব বল তো একটা ফোন করে তো আমাকে জানাতে পারত দেবাংশী পেপারটা টেবিলে রেখে বলে সত্যি তোমার বাবা পারে বটে এই বয়সে যে কোথায় চলে গেলো কে জানে ছেলে বৌকে একবার বলাও প্রয়োজন মনে করল না আচ্ছা ঘরের কোথাও কিছু লিখে টিখে রাখেনি তো দেখো না বাবার ঘরের বিছানা আর বালিশের নিচটা একবার আমাদের ওপর রাগ করে বৃদ্ধাশ্রমে চলে গেলো না তো সুমন মাথা ঝাঁকিয়ে বলে না না কালকেও বাবার সাথে আমার কথা হল বাবা গ্রাচুয়েটির অনেক টাকা পেয়েছে তাই বাবা এবার বড় করে দিদির জন্মদিন এ বাড়িতেই করবে সব ব্যবস্থা নিজেই করছে আর বাবা কাউকে কিছু না বলে বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবে এটা হতেই পারে না দেবাংশী বলে আচ্ছা তুমি তো শুধু শিবুর খোঁজ নিলে বাদ বাকি আর দু জনের কোন খোঁজ তো নিলে না সুমন বাবার ঘর থেকে বেরোতে বেরোতে বলে তুমি কাদের কথা বলছ দেবাংশী বলে কেন তোমার ফটিক কাকাবাবু আর চিরকুমার অসিতের কথা বলছি তবে তার তো আবার নাইট ডিউটিও থাকে আমার মনে হয় ওদের বাড়িতে একবার খোঁজ করে দেখো কোন খবর না পেলে সামনের থানাতে সেকেন্ড অফিসার দত্ত তো তোমার পরিচিত ওর সাথে একবার কথা বলে দেখো কী বলে সুমন পাঞ্জাবির ওপর সোয়েটারটা চাপিয়ে বেরিয়ে পরল রাত প্রায় দশটা শীতের রাত রাস্তা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে ঘন কুয়াশায় চারিদিক ছেয়ে আছে হেঁটে হেঁটে ফটিককাকার বাড়ির গেটের দরজা খুলতেই নিচের ভাড়াটিয়া মহিলা উচু গলায় বলে উঠলেন কে এত রাতে কাকে চাইছেন সুমন ভয়ে ভয়ে বলে আমি সুমন ফটিক কাকার সাথে দেখা করতে এসেছি আবছা আলোয় সুমন দেখতে পেল ফটিক কাকার দরজার বাইরের দিকে তালা ঝুলছে দোতলার ঘরের আলোও তো জ্বলছে না তাহলে ফটিককাকা কোথায় গেলেন কাছাকাছি তো ফটিক কাকার কোন আত্মীয় থাকেন বলে তো জানা নেই তাহলে অসিতদার বাড়িতে একবার খোঁজ করলে হত কিন্তু অসিতদার তো নাইট ডিউটিও থাকতে পারে তাহলে একবার সেকেন্ড অফিসার দত্তের সাথে দেখা করতেই হবে যদি উনি কোন কিছু একটা সুরাহা করতে পারেন অসিতের দরজা বন্ধ দেখে সুমন পুলিশ স্টেশনে আসতেই সেকেন্ড অফিসার দত্তের সাথে দেখা হয়ে গেল সব শুনে দত্ত বলল তোমার বাবার মোবাইল নম্বরটা কোথায় আছে সেটা একবার ট্রেস করে দেখতে হবে কিছুক্ষন পরে একটা ফোন আসতেই দত্ত ফোনটা রিসিভ করে বলে ওনার ফোন নম্বরটা সব শেষ দেখা যাচ্ছে হাওড়া স্টেশনে সকাল নটা দশ মিনিটে তোমাদের কোন আত্মীয় স্বজন কি ওদিকে থাকেন তাহলে তাদের সাথে একটু যোগাযোগ করে দেখতে পারো তারপর কাল সকালে না হয় একটা কিছু করা যাবে সুমন তোমার ফোন নম্বরটা দাও তো কোন খোঁজ পেলে তোমাকে জানাতে পারব সুমন ভয়ে ভয়ে দত্তকে ফোন নম্বরটা দিতেই দত্ত একটা মিস কল দিয়ে নম্বরটা কনফার্ম করে নিল সুমন রাস্তায় বেরিয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়াল বাড়িতে ফিরতেই দেবাংশী সুমনকে জিজ্ঞেস করল কী গো বাবার কোন খবর পেলে সুমন মুখে কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়িয়ে চেয়ারে বসে পড়ে দেবাংশী অর্ডার দেওয়া খাবার বেড়ে নিয়ে বলে সুমন হাতটা ধুয়ে একটু কিছু মুখে দিয়ে নাও সুমন অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাত ধুয়ে খেতে বসল দেবাংশী খাবার প্লেটে বাড়তে বাড়তে বলে আচ্ছা দত্তবাবু কি কিছু বললেন সুমন খাবার মুখে দিতে দিতে বলে না সেরকম কিছু না ফটিক কাকাকে বাড়ি পেলাম না অসিতদার বাড়িতে লাইট জ্বলছে না তবে অসিতদা ডিউটিতে যেতেই পারেন তবে একটা ভালো খবর দত্ত বলল বাবার মোবাইলটা সকাল নটা দশ মিনিটে হাওড়ায় ছিল বাবা দিদির বাড়ি গেল না তো দেবাংশী খাবার মুখে তুলতে তুলতে বলে না না তা হলে দিদি নিশ্চয় ফোন করে আমাদের জানাত সুমন দু তিন গাল খেয়ে আর খেতে পারল না খাবার ছেড়ে উঠে পড়ল দেবাংশী থালা গুছাতে গুছাতে বলে রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা একবার দিদিকে একটা ফোন করে দেখো না বাবা ওখানে গিয়ে থাকলে দিদি যদি নিজের থেকে কিছু বলে ফেলেন তা নাহলে তুমি নিজের থেকে বলে এত রাতে দিদিকে আর টেনশনে ফেলো না সুমন ইজি চেয়ারে বসে মোবাইলটা নিয়ে বাবার ফোন নম্বরটায় ফোন করল কিন্তু ওপাশ থেকে একই উত্তর আসে সুইচড অফ ফোনটা টেবিলের উপর নামিয়ে রেখে বলে না বাবার ফোনটা সুইচড অফই বলছে সুমন টেবিল থেকে ফোনটা তুলে নিয়ে দিদি সুমিকে ফোনটা করতে যাচ্ছিল তার আগেই ওপাশ থেকে একটা আননোন নাম্বারে ফোন আসে ফোন নম্বরটা দেখেই সুমনের বুকটা ধড়াস করে ওঠে এটা আবার কার ফোন নম্বর সুমন নিজের অজান্তেই বলে হ্যালো কে বলছেন ওপাশ থেকে বলে সুমন আমি রে তোর বাবা সুমন চিৎকার করে বলে বাবা তুমি তুমি কোথায় বাবা আমরা এখানে কত চিন্তা করছি বলো তো তুমি ভালো আছ তো এটা কার ফোন নাম্বার তোমার ফোনটা বন্ধ কেন ওপাশ থেকে রনেনবাবু বলেন কোন ও চিন্তা করিস না বাবা এ ফোনটা অসিতের আমার ফোনটার ব্যাটারিটা নষ্ট হয়ে গেছে তোকে কতবার বলেছিলাম ফোনটায় চার্জ থাকে না তারপর বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় চার্জারটা আনতে ভুলে গেছি আমার মোবাইলে অন্যদের চার্জার লাগছে না তাই চার্জ দিতে পারছি না রে তাই মোবাইলটা অফ হয়ে গেছে তোকে মোবাইলের একটা ব্যাটারি এনে দিতে বলেছিলাম কিন্তু তোদের তো সময়ই হল না তোর বা বৌমার কারো নম্বরই আমার মুখস্থ নেই তাই ফোন করতে পারিনি অসিত এখন তোর ফেসবুক থেকে তোর ফোন নম্বর জোগাড় করে ওর ফোন থেকে ফোনটা ধরিয়ে দিল সুমন আর ধৈর্য্ রাখতে পারে না বলে আচ্ছা তুমি এখন কোথায় আছ বলো তো রনেন বাবু বলেন আরে কোন চিন্তা করিস না আমি তোর ফটিক কাকা অসিত আর শিবু আজ সকালে দীঘাতে ঘুরতে এসেছি অসিতের বন্ধুর হোটেলে রাজার হালে রয়েছি আমরা একঘরে চার জনে আড্ডা মেরে কাটাচ্ছি একদম বাড়ির মতো অসিতকে বলেছিলাম টাকা নেওয়ার জন্য কিন্তু ও বলল বন্ধু যদি টাকা নেয় তবে নেবে আমরা রোববার দুপুরে ফিরে আসব ট্রেনের ভাড়াটাও লাগেনি শিবু খুব আনন্দ পেয়েছে বেচারা কোনদিন কোথাও ঘুরতে যায়নি তো তবে বৌ আর ছেলের জন্য ওর মনটা খারাপ লাগছিল সুমন ইজি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলে তুমি তো বাবা আমাদের বলে গেলেই আমাদের এত চিন্তা করতে হত না রনেন বাবু বলেন গত সপ্তাহে তোরা যখন মন্দারমনি থেকে ফিরছিলি তখন আমরা চায়ের দোকানে বসে বসে প্লান করে ফেলেছিলাম তবে অসিত কিন্তু রাজি হয়নি আমার এভাবে বাড়িতে কিছু না বলে আসাটা আমি প্রায় জোর করে ওকে রাজি করাই তবে বাবা খুব মজা করছি সবাই মিলে সমুদ্রের পাড়ে বসে বসে বয়সটা যেন কমে গেছে ছোটবেলায় কোন সুযোগ হয়নি তো চাকরি করতে গিয়ে তো ছুটি ছাটা পাইনি তাছাড়া তখন এতো সুযোগ সুবিধাও ছিল না তারপর বাবা মাকে দেখাশোনা সঙ্গে তোর দিদি আর তোর স্কুল কলেজ আর মাষ্টারদের টাকা জোগাড় করতে করতে কখন যে বয়সটা হয়ে গেল বুঝতেও পারি না যখন বুঝতে পারলাম তখন দেখলাম আর সময় নেই হঠাৎ তোর মাকে হারিয়ে সাথীহারা হয়ে পরলাম এখন তোরা দুজনে এতো ব্যস্ত থাকিস যে আমাকে তোরাও সময় দিতে পারিস না আর তোদের সাথে তো আমি ঘুরতে যেতে পারি না তাছাড়া আমার আর ফটিক কাকার তো বয়স হয়ে যাচ্ছে আর কতদিনই বা পারব তাই বেরিয়ে পড়লাম তোদের কিছু না বলেই জানি তোদের বললে তোরা না বলতিস বাধা দিতিহ তাই তোদের না জানিয়ে চলে এসেছি ফোনটা যে বেইমানি করবে বুঝতে পারিনি বৌমাকে চিন্তা করতে মানা করিস আর সুমিকে কিছু বলিস না আর কত দিনই বা বাচঁব তাই একটু আনন্দ করে বাকি জীবনটা কাটাতে চাই বাবা তোরা রাগ করিস না সুমন আর কিছু বলতে পারে না গলার স্বর রুদ্ধ হয়ে আসে চোখদুটো ছলছল করে ওঠে শুধু বলে তুমি সাবধানে থেকো বাবা বারবার চা খেও না সময়মতো খাওয়া দাওয়া কোরো দেবাংশী রান্না ঘরের থেকে বেরিয়ে বলে যাক বাবা একটা চিন্তার থেকে মুক্তি পাওয়া গেল তুমি দত্তবাবুকে একটা ফোন করে বলে দাও কারন উনিও একটা চিন্তার থেকে মুক্তি পাবেন সুমন ফোনটা হাতে নিতে নিতে বলে এটা আমাদেরই ভুল এরপর থেকে আমাদেরও বাবাকে একটু সময় দিতে হবে দিনের শেষে বাবার সাথে বসে কিছু সময় কাটাতে হবে মা চলে যাবার পর থেকে বাবা একদম একা হয়ে পরেছে অনেকদিন যাবৎ বাবার মোবাইলের ব্যাটারিটা নষ্ট হয়ে গেছে সেটা কিনে দেওয়ার সময়ও আমাদের হয়নি ব্যাটারিটা কিনে দিলে হয়তো আজ এই ঘটনাটা ঘটত না সুমন ল্যাপটপটা খুলে অনলাইনে বাবার জন্য একটা ভালো মোবাইলের অর্ডার দিয়ে রাখল রোববার বাবাকে একটা সারপ্রাইজ দেওয়া যাবে ভেবে মনটা খুশিতে ভরে উঠল আটটা সাতচল্লিশ ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত ব্লু ডায়মন্ড রহস্য প্রথম পর্ব মাকড়সার জাল উত্তরণ শিশুশ্রম মা আমি এবং স্মার্টফোন বসুন্ধরার নবজাগরণ পর্ব ৩ কুয়াশা একাত্মতা চট করে চটকপুর দায়ী রামধনু দূরে কোথায় ঈবাদাহ্ র ঈবাদাত রম্য রচনা স্বপ্ন বিহার পাণ্ডুলিপি গল্প কবিতা শিশু সাহিত্য বাংলা পাণ্ডুলিপি পড়ুন সারা পৃথিবী থেকে বহু লেখকদের লেখা ছোট গল্পের বিপুল সংগ্রহ অনলাইন একদম বিনামূল্যে র আদ্যোপান্ত স্বপ্ন বিহার স্বপ্ন বিহার কলমে সাগর চৌধুরী হঠাৎ দেখা সেদিন তবে শহরের সাজানো রাস্তার ধারে নয় প্রত্যন্ত এক পদ্ম পুকুর পাড়ে বৃষ্টিভেজা ধুলির গন্ধ মেখে আমি চলেছি গ্রাম হতে গ্রামান্তরে হঠাৎ তোমার সুরভি মাখা উপস্থিতি ঠাঁই পেল মোর কিংশুক হৃদয়ে তৃষ্ণার্ত নয়ন অনুভব করল তোমার স্নিগ্ধ উপস্থিতি কৃষ্ণ পরিচ্ছদে হলুদ ওড়নায় বসন্ত মেখে তুমি এক ব্যাকুল চিত্তের সম্মুখীন কেন ছেড়ে গেলে এই প্রথম প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম তোমার ভাবনার ঘরে নির্বাক তুমি শুধু প্রাক্তন আদলে পায়ে পা মিলিয়ে চললে আমার তরে কত স্মৃতি কত গল্প বলে গেলাম আমি অস্থির মনে তোমার পানে চেয়ে নির্বাক তুমি শুধু প্রাক্তন আদলে চললে আগামীর দিকে ধেয়ে ভাবছি আমি এত কিছুর পরেও মন কেন শুধু তোমার চিন্তায় ছোটে দেখি তখনই পদ্মবিলের পদ্মগুলো উঠল বলে তুই বড্ড বোকা বটে আকাশে জমল আবার কালো মেঘের অশেষ সারি সব কথা সব আশা ভেঙে নেমে এলো তীব্র বর্ষার অঝোর বারি বৃষ্টির ধারা গায়ে মেখে নির্বাক দুজন চলেছি নিশ্চুপ কথা বলে হঠাৎ দেখি চাইলে তুমি চোখের পানে অনেক কথা বলার ছলে বেহায়া আমি উঠলাম বলে বলে ফেলো যা বলতে চাও সিক্ত অধরে বললে তুমি আমার ভাবনা ভাবা ছেড়ে দাও আকাশ তখন আরও গাঢ় অন্ধকারে করেছে স্নান বর্ষণ ধারায় অস্তমিত চোখ আমার প্রায় ম্লান তাকে বলব বলে বলার আছে অনেক কথা চললে তুমি কোথায় চোখ খুলেছি যখন দেখি ভোরের আলো স্বপ্নের কালো মেঘেদের দিয়েছে বিদায় আমি তো আমার শয্যায় কোথায় বা পদ্মপুকুর কোথায় বা তোমার উপস্থিতি আর সম্বিৎ পেয়ে বুঝলাম ক্ষণে হয়েছে আজ তোমার সঙ্গে আমার শ্রাবণী স্বপ্ন বিহার সুখ সদাশিব এলো কি তাতানের কথা রবীন্দ্রনাথ ও ভারতীয় দর্শন মামার বাড়ি যাওয়া ভালোবাসা শৈশব জন্মাষ্টমী বর্ষাদিন আমার বৃষ্টিভেজা স্মৃতির পাতা অন্য বসন্ত একটি সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের গল্প রম্য রচনা