Row Content
stringlengths
4
141k
জলবায়ু পরিবর্তন এক জ্বলন্ত বাস্তবতা। দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশ পড়েছে ৩য় প্রকার দেশের মাঝে। জলবায়ু পরিবর্তনের বেশ কিছু নেতিবাচক দিকের মাঝে একটি হলো সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশের বড় একটা অংশ নিচু ভূমির। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা সামান্য বাড়লেই ডুবে যাবে বাংলাদেশের অনেক ভূমি।
এটা যদি বাংলাদেশ ছাড়া পশ্চিমের অন্য কোনো দেশ হতো তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। ভৌগলিক সুবিধার কারণে বাংলাদেশে মানুষের পরিমাণ বেশি। বাংলাদেশের একটা অংশ তলিয়ে গেলে ঘর হারাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। বাংলাদেশ সামর্থ্যের দিক থেকে যথেষ্ট সচ্ছল নয়, তাদেরকে উপযুক্ত সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করতে পারবে না সরকার, এটা স্বাভাবিক বাস্তবতা। তাই বলা যায় নিজের দেশে থেকেও রিফিউজি হবে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
বাংলাদেশের জন্য এই ব্যাপারটি যেখানে জ্বলজ্বল করা সত্য সেখানে পশ্চিমা দেশের হর্তাকর্তারা ব্যাপারটিকে স্বীকারই করছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের রাষ্ট্রপতি জনতার সামনে বলেন যে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যদি সত্যই হতো তাহলে বাইরে কেন এত ঠাণ্ডা? এই বক্তব্য প্রাদানকারীর নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৈশ্বিক উষ্ণতা একটা গুজব। আমেরিকার শিল্পায়ন ধ্বংস করার জন্য এবং মানুষকে বোকা বানিয়ে উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য চীন এই গুজব ছড়িয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন আর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বাস্তবতাকে মানুক না মানুক এর ফল সবাইকেই পেতে হবে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও বাদ যাবে না। সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিজ্ঞানী এবং পরিবেশকর্মী এ ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
শুনলে অবাক লাগবে, ইতোমধ্যেই আশঙ্কার ঘণ্টা বেজে গেছে। ১৮৮০ সাল থেকে শুরু করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। সংখ্যায় কম দেখে অনেকেরই মনে হতে পারে, একশো বছরেরও বেশি সময়ে তাপমাত্রা বেড়েছে সামান্যই, এতে শঙ্কিত হবার কিছু নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা অনেক বেশি। আর কয়েক ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা বাড়লেই পৃথিবীর স্বাভাবিকতা নড়েবড়ে হয়ে যাবে। একটা ব্যাপার হিসেব করে দেখুন, বিশাল পৃথিবীর পৃষ্ঠের ক্ষুদ্র একটা অংশে সকল মানুষের বসবাস, এর বাইরে বেশিরভাগ জায়গাই মানবশূন্য। তার উপর পুরো বায়ুমণ্ডলও শূন্য। এ সত্ত্বেও উপরে-নিচে, চারদিকে সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
এর ফলে গলতে শুরু করে মেরু অঞ্চলের বরফ। বাড়তে শুরু করেছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ যদি চলতেই থাকে তাহলে পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে যাবে।
বর্তমানে শিল্প বিপ্লব যে পর্যায়ে পৌঁছেছে গত শতাব্দীতে পরিস্থিতি সেরকম ছিল না। পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে কম খারাপ ছিল তখন। এখন গণহারে গাড়ি হয়েছে, বাড়ি হয়েছে, কল হয়েছে, কারখানা হয়েছে, বাড়িতে কলের নানা যন্ত্র হয়েছে, এদের সবগুলোই কার্বন নিঃসরণ করছে, করে যাচ্ছে। তাই গত শতাব্দীতে ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা বাড়তে যে সময় লেগেছে বর্তমানের পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়তে সেই সময় লাগবে না, তার আগেই বেড়ে যাবে। মিলিয়ন মিলিয়ন বছরে গড়ে উঠেছে যে প্রাণিবৈচিত্র্য সেটি নষ্ট হয়ে যাবে মাত্র কয়েক শত বছরে।
শত বছর, সে তো অনেক দেরি বলে যারা তেমন শঙ্কা করছেন না তাদেরকেও ভাবতে হবে নতুন করে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুধু সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিই নয়, অন্যান্য অনেক দিকেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনাকাঙ্ক্ষিত খারাপ আবহাওয়া, ভুল সময়ে পরিবেশ ভুল ঋতুর মতো আচরণ করা ইত্যাদি সবকিছুর মাঝেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আছে। সময় এসেছে এখনই সতর্ক হবার। পরিবেশের জন্য হুমকি এরকম জিনিসকে বর্জন করার।
যুগে যুগে পৃথিবীতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। দেখা যাচ্ছে বর্তমান সময়ের কার্বনের ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে ইতিহাসের সকল রেকর্ডকে।
কিন্তু নগরায়ন এবং শিল্পায়ন কেন এখানে অপরাধী? কীভাবে হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ফল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন? উনিশ শতকের দিকে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান বায়ুমণ্ডলে এমন কিছু গ্যাস আছে যেগুলো তাপকে আটকে রাখতে পারে। এ ধরনের গ্যাসের মধ্যে অন্যতম হলো কার্বন ডাই-অক্সাইড। এটি মূলত পৃথিবীর পরিবেশের জন্য ভালো দিক। কারণ পৃথিবীর তাপ প্রতিনিয়ত বিকিরিত হয়ে যাচ্ছে মহাশূন্যে। তাপ আটকে রাখার ব্যবস্থা যদি না থাকতো তাহলে পুরো পৃথিবী হতো অতি-শীতল বরফে ঢাকা। প্রাণ টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে দাঁড়াতো। তাই কিছু তাপ আটকে থাকা দরকার। কিন্তু এরও একটা সীমা আছে।
শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে প্রচুর কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে। এগুলো বায়ুতে থেকে তাপ যাবার পথ আরো বেশি বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে ভেতরে ভেতরে উত্তপ্ত হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী, আর নষ্ট হচ্ছে স্বাভাবিকতা। উত্তাপ ধরে রাখার বিষয়টা আগে যেমন ছিল তেমন থাকাই যথেষ্ট, এর বেশি হলেও ক্ষতি আবার কম হলেও ক্ষতি। কিন্তু আধুনিক সভ্যতা পরিবেশকে স্বাভাবিক থাকার অবকাশ দিচ্ছে না।
কেউ কেউ এমনও প্রশ্ন করে মানুষই যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটাচ্ছে তার প্রমাণ কী? পরিবেশ নিজে নিজেও তো উষ্ণ হয়ে যেতে পারে। হ্যাঁ, তাত্ত্বিকভাবে পরিবেশ তা পারে। যেমন সূর্যের খুব তীব্রতর বিকিরণ যদি পৃথিবীতে আসতে থাকে তাহলে এমনটা হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন সূর্যের কারণে এমনটা হয়নি। বর্তমানের উষ্ণায়ন এতই নাটকীয় যে এই কর্ম মানুষ ছাড়া আর কেউ করতেই পারে না।
মানুষই যে করেছে তার প্রমাণ কী? যেহেতু এটি গ্যাস সংক্রান্ত ব্যাপার তাই গ্যাস বিশ্লেষণ করলে তার উত্তর পাওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন প্রাকৃতিক গ্যাস নিঃসরণ আর শিল্প-কারখানা কর্তৃক গ্যাস নিঃসরণের বৈশিষ্ট্য আলাদা। অতিরিক্ত যে গ্যাসগুলো পৃথিবীভর বিরাজ করছে সেগুলো শিল্প-কারখানা থেকে কৃত্রিমভাবে নিঃসরিত।
বর্তমানে মানুষ বায়ুমণ্ডলে যে হারে কার্বন নিঃসরণ করছে ইতিহাসের কোনো সময়ই এত পরিমাণ কার্বন নিঃসরিত হয়নি। কীভাবে নিশ্চিত হওয়া গেল এই তথ্য? অতীতে তো মানুষ এই রেকর্ড রাখেনি। লক্ষ লক্ষ বছর আগের পরিবেশের তথ্য কীভাবে মানুষ জানলো?
তথ্য সংগ্রহ করা বিজ্ঞানের কাছে তেমন কঠিন কিছু নয়। ধরুন একটা অঞ্চলে তুষারপাত হচ্ছে। ভূমিতে অল্প অল্প করে তুষার জমা হচ্ছে। তুষারের ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু করে বায়ু আটকে আছে। এদের উপর আরো তুষার পড়লো এবং তার উপর আরো। এভাবে তুষারের চাপে নিচের তুষারগুলো বরফ হয়ে যাবে। বরফ হয়ে গেলেও তার মাঝে বুদবুদ আকারে থেকে যাবে সেই আটকে থাকা বায়ুগুলো। আর বায়ুগুলোর মধ্যে থাকবে বায়ু সম্পর্কিত সকল তথ্য। বায়ু কেমন ছিল, বায়ুতে কী ছিল, কোন উপাদান কতটুকু ছিল ইত্যাদি। যত বছর বরফ থাকবে বায়ুও থাকবে তত বছর। এ যেন বরফের ভেতর আটকে থাকা ইতিহাস।
এখন কয়েক লক্ষ বছর পর কোনো বিজ্ঞানী যদি এ বরফের কোনো একটি অংশ কেটে নিয়ে উপযুক্তভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে তাহলে লক্ষ বছর আগের বায়ুমণ্ডলে কেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড ছিল তা সহজেই বলে দিতে পারবে।
বাংলাদেশেই অনেক শিক্ষিত মানুষের দেখা পাবেন যারা বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বিশ্বাস করে না। তাদের দাবি পৃথিবীর তাপমাত্রা মাপার কাজটা চাতুরীর সাথে করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভ্রান্ত অনুমান।
সময় এসেছে বাস্তবতাকে গ্রহণ করার। আমরা বাংলাদেশিরা যেহেতু সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার তাই আমাদের উচিত এটি নিয়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা, সচেতনতা, সতর্কতা, কার্যক্রম ও উদ্যোগ। এমন সব পদক্ষেপ নিতে হবে যার মাধ্যমে দেশে বিদেশে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কিত নেতিবাচক কর্মকাণ্ডগুলো থামানো যায়। এমন সব উদ্যোগ নিতে হবে যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া পরিবেশকে ফিরিয়ে আনা যায়। যা ক্ষতি হবার হয়ে গিয়েছে ক্ষতি যেন আর না বাড়ে। এই পর্যায়ে স্থির থেকেই সারিয়ে ফেলতে হবে আমাদের তৈরি করা জঞ্জালগুলো।
মাসুদ রানা,সৌদি আরব প্রতিনিধিঃসৌদি আরব প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের প্রয়োজনীয় সেবা অনলাইনে দেওয়া হবে। আবেদনের পর যে কেউ তার আপডেট ও দেখে নিতে পারবেন। এছাড়া ওয়েবসাইটে অন্যান্য সেবার জন্যও আবেদন করা যাবে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন শহরে দূর-দূরান্তে বসবাস করেন। তাদের কষ্ট করে সেবা নিতে আর দূতাবাসে আসার প্রয়োজন হবে না। বিভিন্ন শহরে স্থাপিত প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমেও তাদের পাসপোর্টসহ জরুরি সেবা নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে আবেদন ও আপডেট জানার বিষয়ে একটি টিউটোরিয়াল ও প্রদর্শন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
আপনারা যারা সরকারি চাকরি বা বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খুঁজছেন তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই লেখাটিতে নেভাল একাডেমি নিয়োগ সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রকাশ করে থাকি।
বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। আজ আবারো নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটিতে বাংলাদেশের সকল যোগ্যতাসম্পন্ন নাগরিকদের আবেদন করার জন্য আহবান করা হচ্ছে।
আবেদন করার জন্য আপনার মধ্যে কি কি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং আবেদন করার শুরুর তারিখ, আবেদন করার শেষ তারিখ, আবেদন করার বয়স, আবেদন করার পদ্ধতি, পদ সংখ্যা, পদের নাম সমূহ সকল বিস্তারিত তথ্য নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। আপনি চাইলে এক পলকে দেখে নিতে পারেন সকল তথ্য।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন এবং স্টার বাটনে টিক মার্ক দিয়ে রাখুন।
আপনি কি সরকারি চাকরি করতে আগ্রহী বা বাংলাদেশের নেভাল একাডেমিতে চাকরি করতে আগ্রহী?
বর্তমান সময়ে অন্যান্য সরকারি চাকরির মধ্যে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে চাকরিতে অন্যতম। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সকল সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য একটি সুযোগ। আপনিও চাইলে এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন।
বাংলাদেশের সকল সরকারি ও প্রাইভেট চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে ভিজিট করুন স্বাধীন জবস ডটকম এই ওয়েবসাইটটি। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নতুন চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়া মাত্রই আমরা সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি আমাদের ওয়েবসাইটে আপডেট করে থাকি। আপডেট নতুন চাকরির খবর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর হ্যাঁ আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা আরো প্রকাশ করে থাকি বাংলাদেশের সকল ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, সকল ডিফেন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আপনি চাইলে আরও দেখতে পারেন বাংলাদেশের সকল ফার্মাসিউটিক্যালস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। আর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি আপনার বন্ধু-বান্ধব ও কাছের লোকদের সাথে শেয়ার করতে পারেন নিচে থাকা শেয়ার বাটন থেকে।
র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আনম ইমরান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল্ম হিন্দাল শারক্বিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন। প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকল্পের উদ্দ্যেশ্য বর্ননা করে বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি বলেন, যারা এই প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত তারা সকলে নিজেদের আত্ম কর্মসংস্থান করতে পারবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার কাজে সহায়ক হবে। তাই তিনি সকলকে এর সুফল বাস্তবায়নে কাজ করার আহবান জানান।
পচানব্বই বছর বয়সে এ ধরণের একটি উপন্যাস লিখার উদ্যোগ নেয়ার কথা খুব কম লোকই ভাবতে পারেন। জীবন সায়াহ্নে উপনীত তিন বৃদ্ধ বুটা সিং, বরকতউল্লাহ বেগ দেহলভী ও পন্ডিত প্রীতম শৰ্মার যৌন চিন্তা এবং যৌবনে তাদের নারী সংসর্গের স্মৃতি রোমন্থন উপন্যাসটির বিষয়বস্তু। তাদের মধ্যে বুটা সিং এর সাথে খুশবন্ত সিং এর সাযুজ্য লক্ষ্যণীয়। তিনি উপন্যাসটির বর্ণনাস্থল লোধি গার্ডেনের অদূরে সুজন সিং পার্কে জীবনের অধিক সময় ধরে বসবাস করেছেন। তিনজন ভিন্ন পটভূমি ও ভিন্ন বিশ্বাসের ধারক, যারা প্রতি সন্ধ্যায় লোধি গার্ডেনে একটি মসজিদের গম্বুজের আড়ালে সূর্যকে পশ্চিম গগণে ঢলে পড়তে দেখেন। তারা যৌনতা, কোষ্ঠকাঠিণ্য ও বার্ধক্যজনিত রোগব্যাধি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিশেষ করে যৌন বিষয়ে তাদের আলোচনা যুবক-যুবতির আলোচনার মতোই সরস। আসল সত্য হচ্ছে, আমরা ভারতীয়রা স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। আমরা বিশ্বের কাছে শান্তির বাণী প্রচার করি, আর নিজেরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেই। আমরা মনের পবিত্রতা, সতীত্ব ও যৌন সংযমের কথা বলি, আর যৌনতার মাঝে নিজেদের আচ্ছন্ন রাখি। কয়েকদিন পর ৩০ জানুয়ারী আমাদের নেতারা রাজঘাটে যাবেন, যেদিন আমরা গান্ধীকে হত্যা করেছি। আমরা একটি কালো মার্বেল পাথরের ওপর ফুল ছড়িয়ে দেই, যেখানে আমরা তার দেহকে ভস্মে পরিণত করেছি।
সংক্ষেপে বলা যায়, তিনটি চরিত্রের মধ্যেই স্ববিরোধিতা রয়েছে। বুটা সিং ধর্মে বিশ্বাসী নন, কিন্তু ভোরে উঠে তার নিজস্ব উপায়ে প্রার্থনা করেন। বরকতউল্লাহ বেগ ধর্মে বিশ্বাসী, কিন্তু ধর্ম চর্চা করেন না। প্ৰীতম শর্মা অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট এবং সাবেক শিক্ষা সচিব হওয়া সত্ত্বেও তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে অজ্ঞ। এর ফলে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়, আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেও সহায়ক হয়, যা বিকশিত হয়েছে বুটা, বেগ ও শর্মার মধ্যে, যা ভারতীয় সমাজে সবসময় বিদ্যমান। সব মিলিয়ে উপন্যাসটি পাঠককে আকৃষ্ট করার খােরাকে সমৃদ্ধ।
বই নিয়ে শুধুমাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, বই নিয়ে শুধু মাত্র বই নিয়েই আমাদের এই প্রয়াস। ধ্বংস ও ধসের সামনে বই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। বই আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার শাণিত অস্ত্র। বইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে চারিদিকে আশঙ্কা, নতুন প্রজন্ম চকঝমকের আকর্ষণে বইয়ের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে মুখ। আমাদের এ আয়োজন বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ককে অনিঃশেষ ও অবিচ্ছিন্ন করে রাখা। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এই ইচ্ছা আরোও দৃঢ় হবে। দুনিয়ার পাঠক এক হও! বাংলা বই বিশ্বের বিবিধ স্থানে, সকল বাংলাভাষীর কাছে সহজলভ্য হোক!
খোলামেলা ও প্রাণবন্ত কথোপকথনে তারা জানান তাদের অভিনয় ও ব্যক্তি জীবনের নানা অজানা কথা।
আড্ডা আর খেলার ছলে জায়েদ ও নিপুন দুজনেই দর্শকের সামনে আসেন নতুন পরিচয়ে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনায় রয়েছেন শাহজালাল সরদার শিমুল।
উল্লেখ্য, জায়েদ- নিপুন একসঙ্গে অভিনয় ও নানা সেবামূলক কাজে যুক্ত থাকলেও শিল্পী সমিতির নির্বাচন কেন্দ্র করে তাদের মাঝে তৈরি হয় দূরত্ব।
প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছেন তরুণ-তরুণী। তাদের বিবাহিত জীবন শুরুর আগেই ঘটলো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
তিনি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ঠিকাদারের অধীনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাকসুদুর রহমান জিসামের সঙ্গে ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের পাটিবাগ গ্রামের আব্দুল মছব্বির বতাইর মেয়ে তাছলিমা আক্তার নামের এক তরুণীর প্রেম ছিল। বিয়ের পর জিসামের পরিচিত এক মাঝি আকবর আলীর বাড়িতে যায় নবদম্পতি। সেখানে রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে পুকুরে গোসল করতে নেমে ঘাটে পা পিছলে পানিতে পড়ে যায় জিসাম। এ সময় স্ত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শ্রীপুর বাজারে তার মৃত্যু হয়।
তাঁর সংগ্রামী জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন আবর্তিত হয়েছে নজরুলের কবিতা ও গানের আলোকে। তিনি সেই শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য থেকে আমৃত্যু ছিলন নজরুল-ভক্ত। বঙ্গবন্ধু নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করতেন, গুনগুন করে তাঁর গান গাইতেন। বঙ্গবন্ধু ও নজরুল এবং বাংলাদেশ একই মাল্যে সৌরভে গৌরবে গ্রন্থিত।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, শৈশবে- কৈশোরে, ছাত্রজীবনেই বঙ্গবন্ধু বিদ্রোহী কবি নজরুলের জীবন ও সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে অবহিত হন। নজরুল আটবার বৃহত্তর ফরিদপুর সফর করেছেন। তখন গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার অংশ ছিল। বেবী মওদুদ সূত্রে জানা যায় যে, ১৯৩৭ সালে কিশোর মুজিব যখন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তখন তাঁর গৃহশিক্ষক কাজী আব্দুল হামিদ তাঁর মধ্যে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ, সাংস্কৃতিক চিন্তা-ভাবনা ও রবীন্দ্র-নজরুলকে জানার আগ্রহ জাগিয়ে তোলেন।
বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষভাবে নজরুলের সংস্পর্শে আসেন ১৯৪১ সালের আগস্ট মাসে। ওই সময় তিনি সরাসরি নজরুলের গান শোনেন এবং তাঁকে ও অন্যান্যকে নিয়ে আন্দোলনের জড়িত হন। জানা যায়, নজরুল ফরিদপুর জেলা মুসলিম ছাত্র সম্মিলনের অধিবেশনে অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং ওই বৎসর তাঁর সঙ্গে ছিলেন অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খাাঁ, মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ, মুহম্মদ শামসুল হুদা চৌধুরী ও আবদুর রউফ। এই সম্মিলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তরুণ শেখ মুজিব।
তাঁরা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম, হুমায়ূন কবীর, ইব্রাহীম খাঁ সাহেব। সে সভা আমাদের করতে দিল না। ১৪৪ ধারা জারি করল। কনফারেন্স করলাম হুমায়ূন কবীর সাহেবের বাড়িতে।
বঙ্গবন্ধুর চেতনায় সবসময় দীপ্র ছিলেন রবীন্দ্র-নজরুল। এমনকি তিনি পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছেও বাংলা ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন রচনা তুলে ধরতেন।
শহীদ সাহেব গাড়ি চালালেন, আমি তাঁর পাশেই বসলাম। পিছনে আরও কয়েকজন ও এডভোকেট বসলেন। বাংলা ভাষাকে কেন আমরা রাষ্ট্রভাষা করতে চাই।
বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ উত্তর পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ববঙ্গ প্রদেশে ভাষা আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংগ্রামে অংশগ্রহণ এবং রবীন্দ্র-নজরুলের সাহিত্য সম্পর্কে উচ্চকণ্ঠে সোচ্চার হন। ১৯৫৩ সালের ২৩ মে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ কর্তৃক রবীন্দ্র-নজরুল জন্মবার্ষিকী পালিত হয় ঢাকার মোগলটুলী প্রধান কার্যালয়ে। বঙ্গবন্ধু ওই সময় রাজনৈতিক সফরে করাচী অবস্থান করায় প্রবন্ধটি পাঠ করেন মোশাররফ হোসেন চৌধুরী।
এই গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধটি কবি নজরুল ইসলামের বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিদ্রোহী জীবনযাত্রার এক নিখুঁত আলোচনা রূপ প্রত্যক্ষ হয়।
বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে ভালোবাসতেন ও শ্রদ্ধা করতেন তা জানা যায় নজুরুল গবেষক আসাদুল হক সূত্রে। তিনি লিখেছেন যে, ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু কলকাতায় গেলে তিনি কবি নজরুলকে দেখার ইচ্ছে পোষণ করেন। তখন আসাদুল হক ডেপুটি হাইকমিশনে চাকুরিরত। তিনি কলকাতাস্থ মনন্নথ দত্ত রোডে দোতলার ফ্ল্যাটে নজরুলের বাসগৃহে বঙ্গবন্ধুকে সঙ্গে করে নিয়ে যান।
কবির বাসায় তিনি যখন যান তখন কবি শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন। আগন্তুক প্রবেশ করতে দেখে কবি উঠে বসেন। বঙ্গবন্ধু তাঁকে হাত উঠিয়ে সালাম জানান এবং নজরুলের হাতে রজনীগন্ধার গুচ্ছ দেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও সাংস্কৃতিক চেতনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুলের কবিতা ও গান প্রায় সমভাবে উচ্চারিত হতো।
তাঁর একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায় অন্য একটি অনুষ্ঠানেও। প্রতি উত্তর ভাষণে বঙ্গবন্ধু দেশের গণমুখী সংস্কৃতি বিকাশের উপর জোর দেন।
আজ সর্বহারা মানুষের জয়গান রচনার দিন এসেছে। রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের মতো বিপ্লবী গান গাইতে হবে।
বঙ্গবন্ধু নজরুল ও তাঁর পরিবারের জন্য ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি বরাদ্দ করেন। এই বাড়িতেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিকে দেখতে যান। পরে কবির জন্য মাসিক ভাতা মঞ্জুর করা হয়।
বঙ্গবন্ধু নজরুলের রচনাবলী সুযোগ পেলেই পাঠ করতেন বলে জানা যায়। কিন্তু নজরুলের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আছে, আছে বাঙালি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
বাদামি বর্ণের ছোট ছোট দাগে মুখ ঢেকে গেলে সৌন্দর্যে ভাটা পড়ে। তাই ত্বকের সৌন্দর্যে ত্বক রাখতে হবে মেছতা ম্ক্তু। আর এসব দাগছোপ থেকে মুক্তি পেতে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন।
ত্বকে দাগ দেখা দিতে শুরু করলেই বোঝা যাবে এগুলো মেছতার পূর্ব লক্ষণ। তাই তখনই প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। আর ঘরোয়া উপায়েই মুক্তি মিলবে মেছতা থেকে।
মেছতা দূর করতে টক দই খুবই কার্যকরী। ত্বকে টক দই লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। এটি মেছতা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়িয়ে দেয়।
লেবুর রস সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান।
ত্বকের যত্নে আমন্ড বেশ কার্যকরী। তাই মেছতার উপর ২ থেকে ৩ ফোঁটা কুসুম গরম অল্প আমন্ড অয়েল নিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ঘণ্টা খানেক রেখে ধুয়ে নিলে মেছতা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি মিলবে।
ত্বকের দাগ বা মেছতা কমাতে লেজার করা অনেকক্ষেত্রেই ঠিক না। কারণ অনেকেই সঠিক নিয়ম মেনে লেজার করে না। ফলে ত্বকের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
রোদে গেলে অবশ্যই রোদ চশমার পাশাপাশি ছাতা রাখতে হবে। যাতে ত্বকে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে।
ত্বকে দাগ দেখা দিলেই যত্ন নেয়া শুরু করা ভালো। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ছোট্ট অবহেলায় মেছতায় ঢেকে যেতে পারে পুরো মুখ।
শীতে ফেটেছে ঠোঁট?
শীতে সানস্ক্রিন কেন ব্যবহার করবো?
জেড স্টোন রোলারঃআসলেই কি কাজে দেয়?
শীতে ফেটেছে ঠোঁট?
১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস। ঢাকার প্রধান খবর বন্যা। টেলিভিশনেও বন্যা আর এরশাদীয় ত্রাণ সরবরাহ ছাড়া কোন খবর নাই।
যুদ্ধ করতে বন্দুক দিয়ে শুট করতে হয়। নাটক বানানোও একধরনের যুদ্ধ।
এর আগে এ দায়িত্ব পালন করছিলেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতাদের সম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের প্রবীণ নেতা এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছেন।
কাদের বলেন, আমির হোসেন আমু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে ১৪দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন বলে নেত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
২০০৪ সালের নভেম্বরে তৎকালীন বিরোধী দলে থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪দলীয় জোটের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে এ জোটের সমন্বয়ক ছিলেন আব্দুল জলিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৪ দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পান দলটির প্রবীণ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তবে বার্ধ্যকজনিত কারণে তিনি প্রায়ই অসুস্থ থাকায় মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। সেই থেকে তার নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়ে আসছিল ১৪দলের কার্যক্রম। চলতি বছরের ১৩ জুন মোহাম্মদ নাসিম মৃত্যুবরণ করলে ওই পদটি শূন্য হয়।
মানিকগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শহরের খালপাড় এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল নিয়ে শহরের সেওতা এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে খালপাড় এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ লাঠিচার্জ করলে নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের বিচ্ছিন্ন করতে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এছাড়া পরিবেশ শান্ত করতে শহরের অলিগলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস নিজে জানুন অন্যকে জানান এবং লেখাটি নিজের সংগ্রহে রাখুন। বাঁচতে হলে জানতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস নিজে জানুন অন্যকে জানান এবং লেখাটি নিজের সংগ্রহে রাখুন। বাঁচতে হলে জানতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা বা প্রতিবিধান চিকিৎসাশাস্ত্রের একটি অংশ। প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে হঠাৎ কোনো পীড়া বা দৈব দুর্ঘটনায় হাতের কাছের জিনিসের দ্বারা রোগীকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করা, যাতে ডাক্তার আসার আগে রোগীর অবস্থার অবনতি না ঘটে বা জটিলতা সৃষ্টি না হয়।
রক্ত হলো এক প্রকার তরল পদার্থ। এর রং লাল। হিমোগ্লোবিন নামক লাল রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতিতে রক্তের রং লাল দেখায়। শরীরের কোনো স্থানে আঘাতের ফলে বা কেটে গেলে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, এবং সেই ক্ষত হতে যে রক্ত বের হয়, তাকে রক্তক্ষরণ বা রক্তপাত বলে।
১- মুখ দিয়ে রক্ত পড়া : মুখের ভিতরের যেকোনো অংশ থেকে রক্তপাত হলে বরফ চুষতে হবে। তাহলে রক্তপাত বন্ধ হবে। এরপর রোগীকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে।
২- নাক দিয়ে রক্ত পড়া :আঘাতজনিত বা অন্য কোনো কারণে কারো নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে তৎক্ষণাৎ তাকে চিত করে শোয়াতে হবে অথবা বসিয়ে মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে রাখতে হবে। কাপড়চোপড় ঢিলা করে দিতে হবে। নাকের সামনে ও ঘাড়ের পিছনে ঠাণ্ডা কমপ্রেস দিতে হবে। তখন মুখ দিয়ে শ্বাসকার্য চালাতে হবে। রক্তপাত বন্ধ হবার পরও কিছুক্ষণ নাকের ছিদ্রপথে তুলো দিয়ে রাখতে হবে।
৩- শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে:কাটা স্থানটি কিছুক্ষণ পরিষ্কার হাতে চেপে ধরতে হবে। রক্ত বন্ধ হলে ব্যাণ্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। সাধারণত তিনটি উৎস থেকে রক্তপাত হয়।
দুর্ঘটনায় বেশির ভাগ রক্তপাত হয় কৈশিক নালি থেকে।
১- রোগীকে বসানো ও শোয়ানো যায় এমন স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। এতে রক্তপাত আপনা-আপনি কমে যাবে।
২- যে স্থান হতে রক্তপাত হচ্ছে, সে স্থান হৃৎপিণ্ডের সমতার উপর তুলে ধরলে রক্তপাত অনেকটা কমে যাবে।
৩- সামান্য কেটে গেলে ঐ স্থানে রক্ত জমাটবেঁধে আপনা-আপনি রক্তপাত বন্ধ হয়।
৪- কাটা স্থানে বৃদ্ধাঙ্গুলির চাপ প্রয়োগ করলে অনেক সময় রক্তপাত বন্ধ হয়।
৫- আহত অঙ্গের নড়াচড়া বন্ধ করতে হবে।
৬- রক্তপাতের স্থানে বরফ ব্যবহার করতে হবে।
৭- রক্তপাত বন্ধের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ দিতে হবে।
৮- ক্ষতস্থান পরিষ্কার কাপড় বা ব্যাণ্ডেজ দিয়ে বাঁধতে হবে।
৯- তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে বাহাসপাতালে নিতে হবে।
১০- বেশি রক্তপাত হলে টুর্নিকেট ব্যবহার করতে হবে। টুর্নিকেটঅর্থ হলো প্রাথমিক বাঁধনকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শক্ত করে তোলা।
আজকাল শহর ও শহরতলি এবং গ্রামেও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বণ্ড জায়গায় অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ফলে যেকোনো সময় তড়িতাহত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যুৎপ্রবাহ বা কারেন্ট দুই ধরনের। এসি কারেন্ট আকর্ষণ করে টেনে নেয়। ডিসি কারেন্ট শুধু ধাক্কা মারে। সে জন্য এসি কারেন্ট বেশি মারাত্মক। ভেজা কাপড় বা গাছের সাথে বিদ্যুৎপ্রবাহের সংযোগের ফলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এগুলো স্পর্শ করলে নিজেও তড়িতাহত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।