id
stringlengths 3
7
| url
stringlengths 39
43
| title
stringlengths 1
93
| content
stringlengths 3
166k
|
---|---|---|---|
1049722
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049722
|
সাইপ্রাসে ইসলাম
|
সাইপ্রাসে ইসলাম
১৫৭১ সালে সাইপ্রাস দ্বীপটি উসমানীয় বিজয়ীদের হাতে আসলে তখন সাইপ্রাসের সাথে ইসলামের পরিচয় ঘটে। এর আগে, ভ্রমণপথ হিসাবে দ্বীপটিতে মুসলমানদের উপস্থিতি ছিল। উসমানীয় ভুট্টা পদ্ধতি দ্বারা নির্ধারিত কর হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে করের স্থিতির জন্য গ্রীক অর্থোডক্স জনসংখ্যার একটি ছোট অংশের সাথে দ্বীপের বেশিরভাগ ক্যাথলিক লাতিন জনগোষ্ঠীর লোক ইসলাম গ্রহণ করে, কিন্তু তা বাধ্যতামূলক ছিল না। এই কর ব্যবস্থার জন্য একটি সামান্য অর্থ প্রদানের প্রয়োজন ছিল এবং এর বিনিময়ে নাগরিকরা রাজ্য থেকে সুরক্ষা এবং অন্যান্য সুবিধাও পেত।
১৯৭৪ সালে সাইপ্রাসে তুর্কি আক্রমণের আগে তুর্কি সাইপ্রিয়রা (সাইপ্রাসের মুসলিম সম্প্রদায়) দ্বীপটির জনসংখ্যার ১৮% ছিল এবং পুরো দ্বীপ জুড়ে বসবাস করত। বর্তমানে, আনুমানিক ২৬৪,১৭২ জন মুসলমানের বেশিরভাগই দ্বীপটির উত্তরে অবস্থান করছে। তুর্কি সাইপ্রিয় সমাজ অন্তত আনুষ্ঠানিকভাবে হলেও, ধর্মনিরপেক্ষ; বিশ্বাসটির অনুগামীরা বেশিরভাগ সুন্নি সম্প্রদায়ের সাথে সম্মত, এর সাথে সাথে সুফিবাদের একটি প্রভাবশালী প্রবাহের সাথেও তাদের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য এবং বিকাশ অন্তর্ভুক্ত থাকে। নকশবন্দী-হাক্কানী তরিকার নেতা নাজিম আল-কুবরুসী লার্নাকা থেকে এসেছিলেন এবং লেফকার বাসিন্দা ছিলেন। তুর্কি সাইপ্রিয় মুসলমানদের মধ্যে আরেকটি শাখা হ'ল আলেভিজম। দেশটিতে কিছু আহমদীয়া মুসলমান রয়েছেন।
আরব বিজয়ের শুরুতেই ইসলাম সাইপ্রাসে এসেছিল যদিও স্থায়ী উপস্থিতি কেবল ১৫৭১ সালের উসমানীয় বিজয়ের পর দেখা গিয়েছিল ।
১৯৭৪ সালে সাইপ্রাসে তুর্কি আক্রমণ এর পর থেকে দ্বীপটির উত্তরে তুরস্ক থেকে আগত বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়িয়ে যায়, যারা প্রায় সবাই শুধু সুন্নি মুসলমান। রাজ্যের জনমিতি তৈরির কাঠামোগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে অন্যান্য রাজ্যগুলির দ্বারা আন্তঃ-সীমান্ত স্থানান্তর করে জনগণকে পাঠানোর বিষয়ে জেনেভা কনভেনশনের অধীনে এই বসতি স্থাপনকারীদের অবস্থান আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এবং বিশেষত নিষেধাজ্ঞার বিরোধী।
সাইপ্রিয় তুর্কি ও গ্রীকদের বিচ্ছিন্নতা প্রমাণ করেছে যে, অঞ্চলটির বেশিরভাগ মুসলমান সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণাধীন যারা আরব অভিবাসী এবং শরণার্থী, ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চলে বসবাসকারী তুর্কিদের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।
দ্বীপে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী মাজার এবং স্থাপনা বিদ্যমান রয়েছে:
|
1049725
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049725
|
শাহ জালাল দাখিনী
|
শাহ জালাল দাখিনী
শাহ জালাল দাখিনী () ছিলেন পনেরো শতকের একজন বাংলাদেশের সুফি দরবেশ। পূর্ব ভারতে অসংখ্য সুফীদের মধ্যে দাখিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি সুলতান ইউসুফ শাহের (১৪৭৪-৮১) শাসনকালে গুজরাত থেকে কয়েকজন অনুসারি সহ পূর্ববঙ্গে আসেন। দাক্ষিণাত্য থেকে আসা লোকদেরকে দাখিনী বলে। তিনি ছিলেন শেখ পিয়ারার অনুসারী।
শাহ জালাল দাখিনী ঢাকার মতিঝিলে খানকাহ প্রতিষ্ঠা করে এবং সেখান থেকে তিনি ধর্ম প্রচার শুরু করেন। সৎ ও স্পষ্টভাষী হিসেবে তিনি খ্যাতিমান ছিলেন। তার সততার জন্যই তিনি একজন সুলতানের মতো জনগণের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। ৮৮১ হিজরিতে (১৪৭৬ খ্রিঃ) তাকে সহ তার কয়েকজন অনুসারীদের হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গভবনের চৌহদ্দির অভ্যন্তরে একটি এক গম্বুজবিশিষ্ট সৌধে তাকে সমাহিত করা হয়।
তৎকালীন জমিদার খাজা আহসানউল্লাহ পরবর্তীতে রাজউক শাহ জালাল দাখিনীর সমাধিটি বছরের নিয়মিত ভাবে সংস্কার করেছেন। মোগল আমলে বঙ্গভবনের পাশেই দাখিনীর নামে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি এখন রাজউক সংস্কার করেছে এবং এই মসজিদের নামকরণ করেছেন দিলকুশা জামে মসজিদ।
|
1049726
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049726
|
গুরুপ্রসাদ সেন
|
গুরুপ্রসাদ সেন
গুরুপ্রসাদ সেন () (২০ মার্চ, ১৮৪২ - ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯০০) ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি আইনজীবী, প্রাবন্ধিক ও বিহারের প্রথম ইংরেজি পত্রিকা "বিহার হেরল্ড"এর প্রতিষ্ঠাতা।
গুরুপ্রসাদ সেনের জন্ম ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে মার্চ (৮ই চৈত্র, ১২৪৯ বঙ্গাব্দ) বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশের) ময়মনসিংহ পরগনার ঢাকার ডোমসারে (বর্তমান শরীয়তপুর)। পিতা কাশীচন্দ্র সেন ও মাতা সারদাসুন্দরী দেবী। তার অতি অল্প বয়সে পিতৃবিয়োগ হলে মাতা সারদাসুন্দরী তাঁকে নিয়ে চলে আসেন তার ভ্রাতা রাধানাথ সেনের আশ্রয়ে বিক্রমপুরের কাঁচাদিয়া গ্রামে এবং সেখানে তিনি মাতুল কর্তৃক প্রতিপালিত হন। সেসময় বিক্রমপুরে ইংরাজী মাধ্যমের স্কুল না থাকায় তার মাতুলই ইংরাজী শেখাতেন। পরে ভর্তি হন ঢাকা পোপোজ স্কুলে। গুরুপ্রসাদ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তিসমেত প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে এফ.এ.পরীক্ষায় প্রথম হন।কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে বি.এ. এবং ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাশ করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশের) প্রথম এম.এ.।
এম. এ পাশের পর প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এল পরীক্ষা পাশ করে ডেপুটি ম্যাজিসেট্রট পদে প্রথমে কৃষ্ণনগর ও পরে বাঁকিপুরে কাজ করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে ইংরেজ ম্যাজিসেট্রটের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় সরকারি পদ ত্যাগ করে বাঁকিপুরেই স্বাধীনভাবে ওকালতি শুরু করেন। এই বাঁকিপুর তার ত্রিশ বৎসর কর্মজীবনের মূল কর্মক্ষেত্র হয়েছিল এবং বহু জনহিতকর কাজে লিপ্ত ছিলেন। বিহারের প্রধান প্রধান জমিদারগণের আইনি-উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল, নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীলচাষিদের পক্ষ অবলম্বন করা এবং তাদের সংগ্রামে সামিল হওয়া। প্রকৃতপক্ষে তার চেষ্টায় বিহারের নীলচাষীরা ইংরেজ নীলকর সাহেবদের অত্যাচার মুক্ত হন। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিহারে প্রথম ইংরাজী সাপ্তাহিক পত্রিকা "বিহার হেরল্ড" প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার সাহায্যে তিনি জনসাধারণের সপক্ষে সংগ্রাম করে তাদের প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠেন। দরিদ্র ছাত্রদের জন্য হোস্টেল এবং বাঁকিপুরে ও ঢাকায় দুটি স্কুল স্থাপন করেন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বিহার ল্যান্ড-হোল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা তার চেষ্টায় সম্ভব হয়েছিল এবং তিনি এর আজীবন সম্পাদক ছিলেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হন এবং পরের বৎসর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সেকালের বিখ্যাত পত্রিকা ‘সোম প্রকাশ’ পত্রিকায় তিনি অনেক প্রবন্ধ লিখতেন। জুরির বিচারব্যবস্থা ওঠানোর চেষ্টা হলে তার রচিত ইংরাজী পুস্তিকা বিলাতে প্রশংসিত হয়েছিল। ইংরেজি ভাষায় তিনি কয়েকখানি পুস্তক রচনা করেছিলেন -
বাঁকিপুরে অবস্থানকালে বিধানচন্দ্র রায়ের পিতা প্রকাশ চন্দ্র রায় ও মাতা অঘোরকামিনী দেবীর সাথে তার পরিচয় ছিল। তাঁদের মতো তিনিও এক সময় ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরে তার ধর্মবিশ্বাসে উদারপন্থী মনোভাব লক্ষিত হয়েছিল। বিধবাবিবাহের উৎসাহী সমর্থক ছিলেন তিনি। বিপথগামী মেয়েদের বিবাহ ও পুনর্বাসনের পক্ষে নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সূচনা থেকেই তার সমর্থক ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
গুরুপ্রসাদ সেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে সেপ্টেম্বর (১৩০৭ বঙ্গাব্দের ২৮শে আশ্বিন) প্রয়াত হন।
|
1049727
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049727
|
হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজ
|
হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজ
হাজী এম এ কালাম ডিগ্রি কলেজ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049729
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049729
|
মাদানি গার্লস স্কুল
|
মাদানি গার্লস স্কুল
মাদানি গার্লস স্কুল ইংল্যান্ডের পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেট্সের হোয়াইটচ্যাপেলে অবস্থিত একটি ইসলামি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক স্কুল।
এটি একটি কলেজ এবং আলিমাহ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে স্কুলটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
প্রধান (দক্ষিণ) স্কুল ভবনটি মূলত"মাইর্ডল স্ট্রিট সেন্ট্রাল স্কুল" কে অধিগ্রহণ করে। ১৯০৫ সালে লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলের শিক্ষা বিভাগের স্থপতি টমাস জেররাম বেইলি স্কুল ভবনের নকশা করা করেন। মাইর্ডল স্ট্রিট লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলের "কেন্দ্রীয় স্কুলগুলির" মধ্যে প্রথম ছিল যা প্রাথমিক শিক্ষার চেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়। ভবনটি লন্ডন ইস্টের জন্য পেভসনার আর্কিটেকচারাল গাইডে একটি "অনন্য, অসাধারণ নকশা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেখানে তামার গম্বুজ সহ দুটি অর্ধবৃত্তাকার সিঁড়ি রয়েছে। এটি ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয় গ্রেডের তালিকাভুক্ত ভবনে অন্তর্ভুক্ত হয়।
মায়ার্ডল স্ট্রিট সেন্ট্রাল স্কুলের উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে হান্না বিলিগ ছিলেন একজন ব্রিটিশ-ইহুদি ডাক্তার, যিনি লন্ডন ব্লিটজ-এর সময় পূর্ব প্রান্তে কাজ করেছিলেন যখন তিনি "দ্য অ্যাঞ্জেল অফ ক্যাবল স্ট্রিট" হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। মরিস হ্যারল্ড ডেভিস, সিনাগোগগুলি ফেডারেশনের সভাপতি (১৯২৮-১৯৪৪) এবং লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, এটি একটি বিশেষ স্কুল হয়ে ওঠে যার নামকরণ করা হয় "গ্রেনফেল স্পেশাল স্কুল"। যা অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ জুলাই বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৭ সালে স্কুলটি সন্ধ্যা ভাষার ক্লাস সহ স্থানীয় বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সামাজিক কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
|
1049730
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049730
|
লালমাই ডিগ্রি কলেজ
|
লালমাই ডিগ্রি কলেজ
লালমাই ডিগ্রি কলেজ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৭০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৮৬ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৩ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049732
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049732
|
রুমা সাঙ্গু সরকারি কলেজ
|
রুমা সাঙ্গু সরকারি কলেজ
রুমা সাঙ্গু সরকারি কলেজ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠা সাল ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১ জানুয়ারি ২০১৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
|
1049736
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049736
|
সরকারি মাতামুহুরী কলেজ
|
সরকারি মাতামুহুরী কলেজ
সরকারি মাতামুহুরী কলেজ, লামা বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৮৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ২০০৭ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ১৯৯৬ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049737
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049737
|
বান্দরবান সরকারি কলেজ
|
বান্দরবান সরকারি কলেজ
বান্দরবান সরকারি কলেজ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাকৃতিক পরিবেশ কলেজটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পাহাড়ের পাদদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলো তৈরি করা হয়েছে।
বান্দরবান কলেজ বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার নোয়াপাড়া রোডের পাশে অবস্থিত।
১৯৭৫ সালে বান্দরবান কলেজ প্রতিষ্ঠত হয়। সাবেক এমএলএ বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা (ত্রিপুরা ) কলেজটির উন্নয়নের জন্য ২০ লাখ টাকা সরকার হতে অনুদান এনে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালের মার্চে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের পর পরবর্তীতে স্নাতক (কলা), ১৯৯৬ সালে স্নাতক (ব্যবসায় শিক্ষা) এবং ১৯৯৮ সালে স্নাতক (বিজ্ঞান) কোর্স চালু করা হয়। এর ফলে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রী কলেজের মর্যাদা পায়। একাডেমিক শিক্ষার সম্প্রসারণে এখানে ২০০১ সালে ৩টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয় এবং ২০১৩-১৪ সালে আরও ২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন লাভ করে। বর্তমানে অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি ও ইতিহাস বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।
কলেজ পরিচালনার জন্য একটি গভর্নিং বডি রয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আবছার চৌধুরী এবং উপাধ্যক্ষ সনজীব কুমার চৌধুরী। এছাড়াও আরও শিক্ষক - শিক্ষিকা কর্মরত আছেন।
কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানভবন ও ছাত্রাবাস, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, অডিটরিয়াম ও খেলার মাঠ রয়েছে। এছাড়াও কলেজে একটি কম্পিউটার ল্যাব আছে। শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।
কলেজে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার পাশাপাশি, অনার্স এবং ডিগ্রি পর্যায়েও পাঠদান করা হয়ে থাকে।
কলেজের বর্তমান পাশের হার ৫৪%। শিক্ষার ক্ষেত্রে বান্দরবান সরকারি কলেজের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে কলেজটি জেলা পর্যায়ে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ কলেজের গৌরব লাভ করে।
|
1049738
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049738
|
বড় আগা মাদ্রাসা
|
বড় আগা মাদ্রাসা
বড় আগা মাদ্রাসা বা কাপি আগা মাদ্রাসা তুরস্কের আমাসিয়ায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি ১৫ শতকে নির্মিত হয়। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদের রাজত্বকালে মাদ্রাসাটি "কাপি আগাসি" (হেরেমে কাজ করা নপুংসকদের প্রধান) হুসেইন আগার আদেশে ১৪৮৮ সালে নির্মিত হয়।
মাদ্রাসাটি ভবনটি একটি অনন্য অষ্টভুজাকৃতির। অষ্টভুজ আকৃতির উঠোনের চারপাশে শিক্ষার্থীদের কক্ষগুলি রয়েছে যাদের প্রত্যেকটি একটি ছোট গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। বৃহত্তম গম্বুজযুক্ত ঘরটি মূল বক্তৃতা কক্ষ হিসাবে ব্যবহৃত হত এবং এখন স্থানীয় যুবকদের"হাফেজ" হওয়ার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহৃত হচ্ছে।
|
1049740
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049740
|
সরকারি রাঙ্গামাটি মহিলা কলেজ
|
সরকারি রাঙ্গামাটি মহিলা কলেজ
সরকারি রাঙ্গামাটি মহিলা কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ২০১৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049741
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049741
|
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ
|
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৬৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৭৬ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০০৬ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়।
|
1049743
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049743
|
রাজস্থলী সরকারি কলেজ
|
রাজস্থলী সরকারি কলেজ
রাজস্থলী সরকারি কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৮ সালে এটি জতীয় করনের মাধ্যমে সরকারি কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
|
1049747
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049747
|
বাঙ্গাল হালিয়া কলেজ
|
বাঙ্গাল হালিয়া কলেজ
বাঙ্গাল হালিয়া কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
|
1049748
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049748
|
যাদাদ্রি ভুবনগিরি জেলা
|
যাদাদ্রি ভুবনগিরি জেলা
যদাদ্রি ভুবনগিরি জেলা ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের একটি জেলা । প্রশাসনিক সদর দফতর ভোঙ্গিরে অবস্থিত। জেলা সূর্যাপেট, নলগোন্ডা, ঝাঁওগাঁ, সিদ্দীপেট, মেডচাল, রঙ্গারেড্ডি জেলাগুলির সাথে সীমানা ভাগ করে নেয়।
জেলাটির আয়তন ।
২০১১র ভারতের জনগণনার অনুসারে,জেলাটির জনসংখ্যা ৭২৬,৪৬৫ জন
জেলাতে ভোঙ্গির ও চৌতুপ্পাল নামে দুটি রাজস্ব বিভাগ আছে। এগুলি আবার ১৬ টি মন্ডলে উপ-বিভক্ত। অনিতা রামচন্দ্রন জেলার বর্তমান জেলাশাসক।
|
1049749
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049749
|
বনমৃত্যু
|
বনমৃত্যু
বনমৃত্যু বা অরণ্যমৃত্যু (জার্মান ভাষায় "ভাল্ডষ্টের্বেন" নামে পরিচিত) গাছ বা কাষ্ঠময় উদ্ভিদের এমন একটি অবস্থা যেখানে গাছের বাইরের অংশগুলি রোগজীবাণু, পরজীবী, অম্ল বৃষ্টি, খরা, এবং আরও অনেক কিছু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই অবস্থাগুলির পরিণতি বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস, গুরুত্বপূর্ণ মিথোজীবী সম্পর্ক এবং সূত্রপাতগুলি অদৃশ্য হওয়ার মতো বিপর্যয়কর হতে পারে। পরবর্তী শতাব্দীর জলবায়ু পরিবর্তনের পূর্বাভাসের জন্য কিছু সঙ্কট বিন্দু (Tipping point) সরাসরি বনমৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত। এটা জলবায়ু পরিবর্তন জন্য হুমকিস্বরূপ
বনমৃত্যু বলতে এমন একটি অবস্থা বোঝায় যেখানে কোন স্পষ্ট কারণ ছাড়াই গাছগুলির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এবং মারা যায়। এটি সাধারণত নির্দিষ্ট প্রজাতির গাছকে প্রভাবিত করে তবে একাধিক প্রজাতিকেও এটি প্রভাবিত করতে পারে। বনমৃত্যু একটি অনিয়মিত ঘটনা এবং এটি বিভিন্ন অবস্থান ও আকার ধারণ করতে পারে। এটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পরিধির মাঝে থাকতে পারে আবার বনের বাস্তুতন্ত্রের সর্বত্র ছড়িয়েও যেতে পারে
বনমৃত্যু বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পায়। এগুলো হলো পাতা এবং সূচির পতন, পাতা এবং সূচির বিবর্ণতা, গাছের মুকুট পাতলা হওয়া, একটি নির্দিষ্ট বয়সের গাছের মৃত্যু এবং গাছের শিকড়ের পরিবর্তন। এর অনেকগুলি গতিশীল রূপ রয়েছে। গাছের একটি স্ট্যান্ড হালকা লক্ষণ, চরম লক্ষণ, এমনকি মৃত্যুও প্রদর্শন করতে পারে। বনমৃত্যুকে বনাঞ্চলে একাধিক প্রজাতির ক্রমাগত, বিস্তৃত এবং মারাত্মক মৃত্যুর ফল হিসাবে দেখা যেতে পারে। বর্তমান বনের পতনকে নির্দিষ্ট গাছের দ্রুত বিকাশ, বিভিন্ন ধরনের বনের সংঘটন, দীর্ঘ সময়কালের (১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে) সংঘটন এবং আক্রান্ত প্রজাতির প্রাকৃতিক পরিসীমা জুড়ে ছড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।
১৯৮০-র দশকে জার্মানি এবং উত্তর-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক বনমৃত্যুর ঘটনা ঘটার সময় অনেক গবেষণা হয়েছিল। পূর্ববর্তী বনমৃত্যুগুলি আঞ্চলিকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল, তবে ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে, মধ্য ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার কিছু অংশে বনমৃত্যু ঘটেছিল। তবে জার্মানিতে বনমৃত্যু তীব্র হওয়ায় সৃষ্ট ক্ষতি অন্যরকম ছিল ।বিভিন্ন উদ্ভিদের প্রজাতিতে এই ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। আক্রান্ত গাছের শতাংশ ১৯৮২ সালে ৮৮% থেকে বেড়ে ১৯৮৪ সালে ৫০% এ দাঁড়িয়েছিলো এবং ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ৫০% এই ছিল। এই বনমৃত্যুর জন্য অনেক প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে, "নীচে দেখুন।"
বিংশ শতাব্দীতে, উত্তর আমেরিকা পাঁচটি উল্লেখযোগ্য হার্ডউড বনমৃত্যুু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। এগুলি বনের পূর্ণতা প্রাপ্তির পরে ঘটেছিল এবং প্রতিটি পর্ব প্রায় এগারো বছর ধরে চলেছিল। সর্বাধিক তীব্র নাতিশীতোষ্ণ বনের বনমৃত্যু সাদা বার্চ এবং হলুদ বার্চ গাছকে লক্ষ্য করে হয়েছিলো। তাদের অভিজ্ঞতা লব্ধ এই পর্বটি ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৭ সালের মধ্যে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৫৩ এবং ১৯৫৪ সালের মধ্যে শেষ হয়েছিল। এটি একটি তরঙ্গ রীতি অনুসরণ করে, যা প্রথম দক্ষিণাঞ্চলে দেখা গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে উত্তর অঞ্চলে চলে গিয়েছিল, যেখানে ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে উত্তর কিউবেকে একটি দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা গিয়েছিল।
বনমৃত্যু এ্যাশ, ওক এবং ম্যাপেলের মতো অন্যান্য প্রজাতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।১৯৬০ এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে সুগার ম্যাপেল বনমৃত্যুর একটি তরঙ্গ অনুভূত হয় । ১৯৮০ এর দশকে প্রাথমিকভাবে কানাডায় দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা দিয়েছিল,যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল। এই বনমৃত্যুগুলি প্রাকৃতিক গাছের মরণশীলতা কমানোর জন্য সংখ্যাগতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। এটি অনুমান করা হয় যে একটি পরিণত বন চরম পরিবেশগত চাপের জন্য বেশি সংবেদনশীল।
বনাঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের উপাদানগুলি জটিল। বনমৃত্যু এবং পরিবেশের মধ্যে নির্দিষ্ট কারণ-প্রভাব সম্পর্কগুলি চিহ্নিত করাও একটি কঠিন প্রক্রিয়া। বছরের পর বছর ধরে, এ সম্পর্কে প্রচুর গবেষণা পরিচালিত হয়েছে এবং কিছু প্রকল্প নেয়া হয়েছে।যেমন:
অন্যান্য কিছু অনুমান বনমৃত্যুর কারণ এবং প্রভাবগুলি ব্যাখ্যা করতে পারে।১৯৮৮ সালে জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক বিনিময়গুলির মধ্যে সম্মতি অনুযায়ী :
বনমৃত্যু অনেকগুলি ঘটনার কারণে ঘটতে পারে। তবে এটি একবার ঘটে গেলে তার ফলে কিছু নির্দিষ্ট পরিণতি হতে পারে।
বনমৃত্যুতে প্রধান অবদানকারী ঘটনা হলো গড় বার্ষিক তাপমাত্রা পরিবর্তন এবং খরা। বিশেষত অ্যামাজন এবং বোরিয়াল বনাঞ্চলে মৃত গাছ থেকে অধিক কার্বন নিঃসৃত হওয়ায় বায়ুমণ্ডলে আরও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়। গ্রীনহাউস গ্যাসের বর্ধিত মাত্রা বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। বনমৃত্যুর প্রভাব বিভিন্ন রকম হতে পারে, তবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি কেবল বনমৃত্যুর হার বাড়িয়ে তুলবে।
|
1049750
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049750
|
কর্ণফুলী সরকারি কলেজ
|
কর্ণফুলী সরকারি কলেজ
কর্ণফুলী কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেটও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৭৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯৯১ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049751
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049751
|
কাউখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজ
|
কাউখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজ
কাউখালী ডিগ্রি কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা, রাঙ্গামাটি অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ২০১৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049752
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049752
|
শক্তি ঠাকুর
|
শক্তি ঠাকুর
শক্তি ঠাকুর (১৯৪৭ - ৫ অক্টোবর ২০২০) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা, কৌতুক অভিনেতা এবং নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বহু বাংলা সিনেমার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন এবং ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। "তার কিছু ছবি —" "ইয়ে দেশ" (১৯৮৪), "আগুন" (১৯৮৮), "সজনী গো সজনী" (১৯৯৪) ইত্যাদি।
প্রথম জীবনে শক্তি ঠাকুর স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে তপন সিনহার "হারমোনিয়াম" চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। তারপর তিনি দাদার কীর্তি (১৯৮০) ও "ভালোবাসা ভালোবাসা" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সফলতা পান। বেশিরভাগ ছবিতে তাকে কৌতুক অভিনেতা হিসাবেই দেখা গেছে।
শক্তি ঠাকুর ছিলেন প্রশিক্ষিত সঙ্গীত শিল্পী। তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, অজয় দাশ এবং আরডি বর্মণ প্রভৃতি সুরকারদের সুরারোপিত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বিশিষ্ট সুরকার আরডি বর্মণ তাঁকে কুমার সানু, উদিত নারায়ণ এবং শৈলেন্দ্র সিংয়ের সাথে মিলিত ভাবে হিন্দি ছবি "ইয়ে দেশ" এ গান গাওয়ার সুযোগ দেন এবং এতেই তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। কুমার সানুও প্রথম এই সংগীতেই আত্মপ্রকাশের সুযোগ পান। এর পরে, তিনি বহু বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা ছবি "আগুন" এ দ্বৈত কণ্ঠে প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমারের সাথে "খালি পেটে করলে ভোজন" গেয়েছিলেন।
শক্তি ঠাকুরের দুই কন্যা মেহুলি এবং মোনালি। জ্যেষ্ঠা কন্যা মেহুলি ঠাকুর রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী এবং কনিষ্ঠা মোনালি ঠাকুর এক জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেত্রী।
তিনি রাসায়ন বিজ্ঞান, অংক ও স্পোর্টস নিয়ে নেতাজি নগর বিদ্যামন্দিরে শিক্ষকতা করতেন!
২০২০ খ্রিস্টাব্দের ৫ অক্টোবর শক্তি ঠাকুর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৩ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন।
|
1049753
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049753
|
কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজ
|
কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজ
কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৮২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯৯৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049754
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049754
|
কবিরহাট সরকারি কলেজ
|
কবিরহাট সরকারি কলেজ
কবিরহাট সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৬৯ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৭ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়।
|
1049759
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049759
|
সৈকত সরকারি কলেজ
|
সৈকত সরকারি কলেজ
সৈকত সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৯৭ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৩ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049761
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049761
|
আবদুল মোনেম লিমিটেড
|
আবদুল মোনেম লিমিটেড
আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) একটি বাংলাদেশী অন্যতম বৃহত্তম শিল্প সংস্থা। এই সংস্থার শিল্পের মধ্যে রয়েছে পানীয়, চিনি পরিশোধন, ভোগ্য পণ্য, আবাসন, নির্মাণ সামগ্রী ইত্যাদি।
এএমএল প্রতিষ্ঠা করেন আবদুল মোনেম, যিনি বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের একজন অগ্রগামী শিল্প নেতা ছিলেন। প্রবীণ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মোনেম ১৯৫৬ সালে এই শিল্প গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন। এই গ্রুপটিতে বর্তমানে ২০ টিরও বেশি আলাদা সংস্থা সংযুক্ত রয়েছে। সংস্থাটি বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। এটি বাংলাদেশে কোকাকোলার অফিসিয়াল বাজারজাত করে।
চিনির শোধনাগার
পানীয়
খাদ্য
আবাসন
আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ফার্মাসিউটিক্যালস
বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল
নির্মাণ
|
1049764
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049764
|
থানা থেকে আসছি
|
থানা থেকে আসছি
থানা থেকে আসছি হল একটি জনপ্রিয় বাংলা রহস্য, রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন হীরেন নাগ। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৫ সালে ইউনাইটেড সিনে প্রোডিউসার ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন তিমিরবরণ ভট্টাচার্য। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, মাধবী মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়, কমল মিত্র।
|
1049773
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049773
|
শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াহ
|
শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াহ
শারহুল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ বা শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াহ বা সংক্ষেপে শরহে মাওয়াহিব হল ইসলামি পণ্ডিত মুহাম্মদ আল-জুরকানি রচিত একটি আট খন্ডের ভাষ্য গ্রন্থ , যা শিহাবুদ্দীন আল কাস্তালানী-এর লেখা আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ গ্রন্থের ভাষ্য।
|
1049780
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049780
|
সূর্যতপা
|
সূর্যতপা
সূর্যতপা হল একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন অগ্রদূত। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৫ সালে এইচ. জি. প্রোডাকশান ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, সন্ধ্যা রায়, জহর রায়, পাহাড়ী সান্যাল।
|
1049782
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049782
|
গীতা জুতশি
|
গীতা জুতশি
গীতা জুতশি (জন্ম ২রা ডিসেম্বর ১৯৫৬) একজন প্রাক্তন ভারতীয় ট্র্যাক এবং ফিল্ড অ্যাথলেট। তিনি ৮০০ মিটার এবং ১৫০০ মিটার ইভেন্টে বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং এশিয়ান রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন।
১৯৮২ সালে মহিলাদের ৮০০ মিটার এবং ১৯৭৮ এবং ১৯৮২ -দুবারেই মহিলাদের ১৫০০ মিটার দূরপাল্লার দৌড়ে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন জুত্সি নয়াদিল্লিতে ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসে শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট হিসাবে তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের পক্ষে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। তার কৃতিত্বের জন্য তিনি অর্জুন পুরস্কার এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি অন্যান্য ভারতীয় মহিলা অ্যাথলেটদের কাছে অনুপ্রেরণা স্বরূপ। যেমন সফলভাবে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণকারী প্রথম ভারতীয় মহিলা বাচেন্দ্রী পাল তাকে রোল মডেল রূপে স্বীকার করেন। তিনি বলেন শৈশবেই প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে জুটশির একটি সংবাদপত্রের ছবি দেখে জাতীয় খ্যাতির আকাঙ্ক্ষা শুরু করেছিলেন।
গীতার প্রশিক্ষক ছিলেন মোহাম্মদ ইলিয়াস বাবর। যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছর থাকার পরে, তিনি ২০০২ সালের জুলাই মাসে ভারতে ফিরে এসে ভারতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স দলের (৮০০ মিটার এবং ১৫০০ মিটার) কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
|
1049790
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049790
|
রাজদ্রোহী (১৯৬৬-এর চলচ্চিত্র)
|
রাজদ্রোহী (১৯৬৬-এর চলচ্চিত্র)
রাজদ্রোহী হল একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন নীরেন লাহিড়ী। এই চলচ্চিত্রটি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিখ্যাত উপন্যাস রাজদ্রোহী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটি ২৫ মার্চ ১৯৬৬ সালে বি. কে. প্রোডাকশান ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন আলি আকবর খান। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রতন বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জনা ভৌমিক।
|
1049792
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049792
|
চেম্বরমবক্কম
|
চেম্বরমবক্কম
চেম্বরমবক্কম দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভেলুর জেলার পুন্তমল্লী তালুকের অন্তর্গত একটি বৃহৎ গ্রাম। এটি ভৌগোলিকভাবে চেম্বরমবক্কম হ্রদের চারিদিকে এই জনবসতি অবস্থিত। এই গ্রামের উত্তর বরাবর রয়েছে চেন্নাই-বেঙ্গালুরু মহাসড়ক ও দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত রয়েছে কুন্দ্রতুর-শ্রীপেরুম্বুদুর সড়ক।
অনুন্নত নিকাশি ব্যবস্থার কারণে প্রতিবছর চেন্নাই শহরের দক্ষিণ পশ্চিম দিকের লোকালয়ে জলমগ্নতা দেখা যায়। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে বৃহত্তর চেন্নাই পৌরনিগমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও এই সমস্যার বিশেষ সমাধান হয় না। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে স্থানীয়রা এই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের দাবি পেশ করে। সরকারি আধিকারিকদের মতামত অনুসারে চেম্বরমবক্কম হ্রদ থেকে দক্ষিণে তাম্বরম পর্যন্ত একটি ১৩ কিলোমিটার পাইপলাইন তৈরীর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
চেম্বরমবক্কম হ্রদ পুলিয়ুর কোট্টম নামেও পরিচিত৷ চোল রাজাদের সময়কালে কাঞ্চী ছিল তণ্ডাইমণ্ডলমের রাজধানী৷ সেই সময়ে রাজ্য জুড়ে মোট চব্বিশটি এরকম উপযোগী বৃহদাকৃতি হ্রদ খনন করা হয়, যা কোট্টম নামে পরিচিত৷ হ্রদটি রাজরাজ চোলের পুত্র রাজেন্দ্র চোলের শাসনকালে খোদিত৷
দ্রুত অধঃক্ষেপনের ফলে হ্রদের সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতা বর্তমানে ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ কন্নি কোয়িল নামে একটি প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে৷ ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে চেন্নাইতে জলসঙ্কটের সময়ে এই হ্রদটি শুকিয়ে যায়৷
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে চেম্বরমবক্কমের জনসংখ্যা হয় ৫,৭০৯ জন, যেখানে পুরুষ ২,৮৭৭ জন ও নারী ২,৮৩২ জন অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষে ৯৮৪ জন নারী বাস, যা রাষ্ট্রীয় গড়ের তুলনায় অধিক। মোট শিশু সংখ্যা ৭৮২ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ৩৯০ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ৩৯২ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে শিশু ১৩.৭০ শতাংশ। লোকালয়ের সাক্ষরতার হার ছিল ৮৩.৮৬ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯০.২৭ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৭৭.৩৪ শতাংশ। এখানে মোট পরিবার সংখ্যা ১,৫০৩ টি। মোট তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি যথাক্রমে ১,৫৬৪ ও ৭০ জন। মোট শ্রমজীবী ২,১৩৩ জন।
|
1049797
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049797
|
দক্ষিণ ওশেতিয়ায় ইসলাম
|
দক্ষিণ ওশেতিয়ায় ইসলাম
দক্ষিণ ওশেতিয়ায় ইসলাম একটি সংখ্যালঘু ধর্ম। উত্তর ওশেটিয়া আলানিয়ার মতোই স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীরা লোকেরা মুসলিম ছিল না; কিন্তু সেখানে আগমনকারী অভিবাসী ও প্রবাসীরা ইসলামের প্রচার করেছে।
ইসলাম চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতকে ওশেটিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। কিছু সূত্রমতে বেশিরভাগ ওশেটীয় সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারগুলি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। তবে কৃষকরা খ্রিস্টধর্মীয় বিশ্বাসে থেকে গিয়েছিল।
সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে দিগোরের (কাবার্ডের প্রভাবের) ওশেটীয়দের কিছু অংশ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।
যদিও কোনো সরকারী আদমশুমারি সেখানে করা হয়নি, তবে একটি অনুমান অনুসারে দক্ষিণ ওশেটিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ০.৫% মুসলমান। সরকারী কর্মকর্তারা সন্দেহ করেন যে, রাশিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপের ফলে এই শতাংশ সম্ভবত বৃদ্ধি পেয়ে থাকবে।
|
1049799
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049799
|
তৌহিদুল ইসলাম গার্লস হাই স্কুল
|
তৌহিদুল ইসলাম গার্লস হাই স্কুল
তৌহিদুল ইসলাম গার্লস হাই স্কুল এবং সিক্সথ ফর্ম কলেজ (টিআইএইচএস) ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টির ব্ল্যাকবার্নের বেয়ার্ডউড অবস্থিত মেয়েদের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এটি দাতব্য সংস্থা তৌহিদুল ইসলাম ফেইথ, এডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিটি ট্রাস্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল (বর্তমানে স্টার একাডেমি নামে পরিচিত)। এটি দাতব্য সংস্থার প্রধান স্কুল।
১৯৮৪ সালের সেপ্টেম্বরে ছয় জন শিক্ষক এবং ৯৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলটি একটি স্বতন্ত্র বিদ্যালয় হিসাবে চালু হয়েছিল। বিদ্যালয়টি জানিয়েছিল যে তখন এর প্রথম ভবনটি "খুব পুরানো" ছিল।
২০০৫ সাল স্কুলটি উত্তর পশ্চিমের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছিল। এটি আগে একটি স্বতন্ত্র স্কুল ছিল। স্কুলটি লীগ টেবিলে একটি সাফল্য পেয়েছে। ২০০৭ সালে ৮২% শিক্ষার্থী পাঁচ বা তার বেশি জিসিএসই অর্জন করেছে যেখানে জাতীয় গড় ছিল ৪৬.৭%।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে স্কুলটি বিয়ারডউড অঞ্চলে একটি নতুন ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে একাডেমির স্কুলটি একাডেমির মর্যাদায় রূপান্তরিত হয়।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলের সিক্সথ ফর্মের ১০% শিক্ষার্থী নিকাব পড়েন। একই মাসে "সানডে টাইমস" একটি শিরোনাম প্রকাশ করেছিল যে, স্কুলটি শিক্ষার্থীদের স্কুলের বাইরে হিজাব পরতে বাধ্য করে। এর উত্তরে অধ্যক্ষ মুফতি হামিদ প্যাটেল বলেছিলেন যে "এটা বলা সম্পূর্ণ ভুল যে শিক্ষার্থীদের স্কুলের বাইরে হিজাব পরতে 'বাধ্য' করা হয়।"
২০১৪ সালের অগাস্টে সানডে টাইমস 'তৌহিদুল ইসলাম গার্লস স্কুলে লক্ষণীয় রূপান্তর' বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং স্কুলটি কতগুলি পরিবর্তন করেছে তা তালিকাভুক্ত করে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: বাহ্যিক বক্তাদের জন্য কঠোর পরীক্ষণ নীতি, মেয়েদের আর হিজাব পরার প্রয়োজন নেই (যদি তারা না চায়) এবং সমস্ত ধর্মের একাধিক বক্তাকে শিক্ষার্থীদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ফলস্বরূপ এবং ২০১৪ সালের জুলাইয়ের অফস্টেড পরিদর্শনের নোটিশ বলে, স্কুলটি এখন শিক্ষা বিভাগের দ্বারা অন্যান্য ধর্মীয় বিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে, স্কুলটি ব্রিটিশ মুসলিম পুরস্কারে শিক্ষা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
|
1049802
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049802
|
গুয়ামে ইসলাম
|
গুয়ামে ইসলাম
গুয়ামে ইসলামের উপস্থিতি সামান্য। এটির অবস্থান মঙ্গিলাওতে অবস্থিত দ্বীপটির একমাত্র মসজিদ, মসজিদ আল-নূরকে কেন্দ্র করে। গুয়ামে বিভিন্ন ধরনের পটভূমিতে মুসলমানদের উদ্ভব, ঐতিহ্যগতভাবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো একইসাথে চামোরো ধর্মান্তরিত এবং মূল ভূখণ্ডের আমেরিকান উভয় থেকে।
|
1049820
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049820
|
আকিতা ফুটবল ক্লাব কাম্বিয়ারে
|
আকিতা ফুটবল ক্লাব কাম্বিয়ারে
আকিতা ফুটবল ক্লাব কাম্বিয়ারে (, ; সাধারণত এএফসি কাম্বিয়ারে অথবা কাম্বিয়ারে নামে পরিচিত) হচ্ছে আকিতা ভিত্তিক একটি জাপানি পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে জাপানের ষষ্ঠ স্তরের ফুটবল লীগ তোহোকু সকার লীগে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৯৭৩ সালে আশিকাগা কোমুতেন কাওয়াবে ফুটবল ক্লাব নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাম্বিয়ারে তাদের সকল হোম ম্যাচ আকিতার সোইয়ু স্টেডিয়ামে আয়োজন করে থাকে; যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ২০,১২৫। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন হিরোইয়ুকি কিকুচি এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইকুও হোরি।
ঘরোয়া ফুটবলে, কাম্বিয়ারে এপর্যন্ত ৬টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ১টি তোহোকু সকার লীগ এবং ৪টি তোহোকু সকার লীগ (ডি২ উত্তর) শিরোপা রয়েছে। কাজুনারি সুগাওয়ারা, হিরোইয়ুকি কিকুচি, গো তোগাশি, জুম্পেই কুদো এবং তাকুইয়া ওনুমার মতো খেলোয়াড়গণ কাম্বিয়ারের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
|
1049823
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049823
|
উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস
|
উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস
উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (, ; সাধারণত উরাওয়া রেডস নামে পরিচিত) হচ্ছে সাইতামা ভিত্তিক একটি জাপানি পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে জাপানের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ জে১ লিগে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উরাওয়া রেডস তাদের সকল হোম ম্যাচ সাইতামার সাইতামা স্টেডিয়াম ২০০২-এ আয়োজন করে থাকে; যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ৬৩,৭০০। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্পেনীয় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রিকার্দো রদ্রিগেস সুয়ারেস এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কেইজো ফুচিতা। জাপানি মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ইয়ুকি আবে এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘরোয়া ফুটবলে, উরাওয়া রেডস এপর্যন্ত ২৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ৪টি জাপান সকার লিগ, ৪টি এম্পেরর'স কাপ এবং ১টি জাপানি সুপার কাপ শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে এশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ২টি এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ১টি সুরুগা ব্যাংক চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা রয়েছে। নোবিহিসা ইয়ামাদা, কেইতা সুজুকি, ইয়ুকি আবে, শিনজো কোরোকি এবং মাসাহিরো ফুকুদার মতো খেলোয়াড়গণ উরাওয়া রেডসের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
|
1049826
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049826
|
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ
|
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ ( GAW ) বিশ্বব্যাপী একটি সিস্টেম যা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি জাতিসংঘ সংস্থা যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এর প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে। এটি ১৯৬০ এর দশকে বায়ুমণ্ডলের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচের মিশনটি বেশ সোজা। এটি গঠিত হয়েছে তিনটি সংক্ষিপ্ত পয়েন্ট এর সমন্বয়ে:
GAW প্রোগ্রামটি ৮ টি কৌশলগত লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত:
অধিকন্তু, প্রোগ্রামটি কেবলমাত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তনগুলিই বোঝার চেষ্টা করে না। এটি এগুলির পূর্বাভাসও দেয় এবং সম্ভবত তাদের মানবিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণও করে।
ট্রেস রাসায়নিকের জন্য বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করার মূল কারণটি ছিল কেবল বৈজ্ঞানিক আগ্রহ, তবে অবশ্যই, অনেক বিজ্ঞানী অবাক হয়েছিলেন এটা দেখে যে এই ট্রেস রাসায়নিকগুলি বায়ুমণ্ডল এবং জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে।
GAW এর জেনেসিস ১৯৫০ এর দশকের মধ্যে শুরু হয়েছিল যখন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ট্রেস রাসায়নিকগুলির জন্য বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণের একটি প্রোগ্রাম শুরু করে এবং আবহাওয়া সম্পর্কিত দৃষ্টিকোণ থেকে বায়ু দূষণ নিয়ে গবেষণা করে।
তারা আন্তর্জাতিক জিওফিজিকাল ইয়ার এ, ১৯৫৭ সালে, গ্লোবাল ওজোন পর্যবেক্ষণ সিস্টেম (জিওএসওএস) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওজোন নিরীক্ষণ করেছিল।
১৯৬৮ সালে, জাতিসংঘ দ্রুত শিল্পায়ন দ্বারা সৃষ্ট বিশ্ব পরিবেশগত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ডাক দেয়। প্রায় এই সময়ে, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ব্যাকগ্রাউন্ড এয়ার পলিউশন মনিটরিং নেটওয়ার্ক নামের আরেকটি পরিবেশ গবেষণা সংস্থা স্থাপন করে। সম্মেলনটি ১৯৭২ সালে স্টকহোম এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং পরিবেশগত উদ্বেগের বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছিল। যথা:
প্রকৃতপক্ষে, এটি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার পাঠ এবং পর্যবেক্ষণ যা এই সম্মেলনে বিশিষ্টভাবে অঙ্কিত হয়েছিল। তাদের কাছে দেয়ার মতো সামান্যই সুসংবাদ ছিল।
GAW নিজেই শেষ পর্যন্ত ১৯৮৩ সালে GO3OS এবং ব্যাকগ্রাউন্ড এয়ার পলিউশন মনিটরিং নেটওয়ার্ককে একত্রিত করে নিজেকে তৈরি করেছিল। GAW পর্যবেক্ষণ স্টেশন এবং সমর্থনকারী সুবিধাদির একটি বিশ্বব্যাপী সিস্টেম নিয়ে গঠিত। এটি বায়ুমণ্ডলীয় মূল্যায়নের জন্য ডেটা সরবরাহ করে এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক বা শারীরিক পরিবর্তন (যা পরিবেশ উদ্বেগের কারণ হতে পারে) এর জন্য প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণকারী হিসাবে কাজ করে। এই জাতীয় পরিবর্তন ওজোন স্তর ও তারপরে অতিবেগুনী স্তর, গ্রিনহাউস গ্যাসের স্তর বা বৃষ্টিপাতের রসায়ন যা বিশ্বের অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী ইত্যাদির পরিবর্তনে জড়িত থাকতে পারে।
GAW বিভিন্ন উপাদানগুলির সমন্বিত সিস্টেম নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
৬৫ টিরও বেশি দেশ বর্তমানে GAW এর বৈশ্বিক বা আঞ্চলিক পরিমাপ স্টেশনগুলি হোস্ট করে এবং পরিচালনা করে। এছাড়াও "অবদানকারী স্টেশন" রয়েছে যা অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহ করে। ইদানীং, উপগ্রহ প্রোগ্রামগুলিও GAW এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এরা স্থল পরিমাপের পরিপূরক বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য সরবরাহ করে।
এরা সিস্টেমের দ্বারা উৎপাদিত সমস্ত ডেটা আন্তর্জাতিক মান পর্যন্ত পরিমাপ করার কাজ নিশ্চিত করে।
এটি অর্জন করা হয় বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গোষ্ঠী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মানগুলির কঠোর অনুসরণ এবং বিশ্ব ক্যালিব্রেশন মানগুলির কঠোর প্রয়োগের আশ্বাসের মাধ্যমে। GAW প্রোগ্রামের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম যেমন শিক্ষা, কর্মশালা, ক্যালিব্রেশন স্টেশন পরিদর্শন ইত্যাদি। আরো অনেক কিছু সরবরাহ করা হয় এই প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে। এগুলো করা হয়ে থাকে GAW এর মানব উপাদানগুলির কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারণ বেশিরভাগ স্টেশন এখন উন্নয়নশীল দেশ এ পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অঞ্চল্গুলিতে উচ্চতর শিক্ষা প্রায়শই একটি বিলাসিতা মাত্র যা শুধুমাত্র একটি ছোট অভিজাত মানবগোষ্ঠী উপভোগ করে থাকেন।
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ এ বর্তমানে ছয়টি ওয়ার্ল্ড ডেটা সেন্টার রয়েছে। প্রত্যেকে তার আয়োজক দেশ দ্বারা পরিচালিত। প্রত্যেক সেন্টার বিশ্বব্যাপী পরিমাপ স্টেশনগুলি থেকে বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য এবং এটি বিজ্ঞানীদের কাছে বিভিন্ন আকারে বিনামূল্যে সহজলভ্য করার কাজ করে থাকে।
ছয়টি ডেটা সেন্টার হল:
বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গোষ্ঠীগুলি (এসএজি) GAW প্রোগ্রাম পরিচালনা ও বাস্তবায়নের কাজ করে।
এর মধ্যে রয়েছে গুণগত ডেটা ও মানসম্মত অপারেটিং পদ্ধতি স্থাপন এবং এই জিনিসগুলি অর্জনের জন্য গাইডলাইন ও সুপারিশ প্রদান। পরিমাপের পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়াগুলি এসএজি-এর ডোমেনের মধ্যেও পড়ে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে টুইনিং এবং প্রশিক্ষণের প্রচার করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও আনা হয়।
|
1049832
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049832
|
বীরেশ্বর সরকার
|
বীরেশ্বর সরকার
বীরেশ্বর সরকার ব্রিটিশ ভারতে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। পারিবারিক ব্যবসা কলকাতা শহরে সোনা-জহরতের। কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ আর চলচ্চিত্রের প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। তবে তাঁর মধ্যে ছিল বড় একগুঁয়েমি ভাব। তিনি নিজের প্রযোজিত ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবিতে কাজ করবেন না। আর হাজার অনুরোধ সত্বেও কাজ করেননিও। বীরেশ্বর সরকারের সোনা দোকানের উপরে থাকতেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বীরেশ্বরের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। তাঁর অনুরোধেও তিনি অন্যের ছবিতে সুর না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা থেকে সরে আসেন নি। দ্বিজেন ছাড়াও সুরকার সুধীন দাশগুপ্ত ও রতু মুখোপাধ্যায়ের সাথেও ছিল তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব। বীরেশ্বরের এক গুয়েমির কারণে তার বেশি অবদান তেমন নেই বললেই চলে। তবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, প্রমুখ স্বনামধন্য গায়ক গায়িকা তাঁর সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন। আর তাতেই সৃষ্টি হয়েছিল 'কে জানে ক' ঘণ্টা', 'বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি এ কোন অপরূপ সৃষ্টি', 'আমার নাম এন্টনি', 'হতাম যদি তোতাপাখি', 'আহা কি দারুণ দেখতে', বা 'এক যে ছিল রাজকন্যে' মতো কালজয়ী গান, যা আজো সমানভাবে জনপ্রিয়। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য রচনাও তিনিই করতেন। যে তিনটি ছবি তিনি প্রযোজনা করেন সেগুলি হল -
নিম্নের চলচ্চিত্র অনুযায়ী সমস্ত গানগুলির সুরকার ছিলেন তিনি -
প্রতিভাবান সুরকার বীরেশ্বর সরকার ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন।
|
1050058
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050058
|
২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারত
|
২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারত
টোকিওর ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারত অংশ গ্রহণ করেছে। মূলত ২০২০র ২৪শে জুলাই থেকে ২০শে আগস্ট এর মধ্যে অলিম্পিকের আয়োজনকাল নির্ধারিত হওয়ার পরে, কোভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে ক্রীড়াটি ২০২১ য়ের ২৩শে জুলাই থেকে ৮ই আগস্ট পুনর্নির্ধারিত করা হয়েছে। প্যারিসে আয়োজিত ১৯০০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে প্রথমবার অংশগ্রহণ করে ভারতীয় দল এবং ১৯২০ থেকে ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রতিটি সংস্করণে অংশ নিয়েছেন।
টোকিও অলিম্পিক ২০২০ এর জন্য কোটা স্থান অর্জনকারী প্রতিযোগীদের তালিকা নিচে দেওয়া হয়েছে। ৪ঠা জুলাই, ২০২১-য়ের হিসেবে ১১৭ জন ক্রীড়াবিদ সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
তিনজন ভারতীয় পুরুষ তীরন্দাজ নেদারল্যান্ডসের 'স-হার্টোজেনবোস্কে ২০১৮ সালের বিশ্ব তীরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে পুরুষদের ইভেন্টের জন্য যোগ্যতা বা কোটা অর্জন করেছিলেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডে আরও একজন ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ শ্যুট অফ জয় অর্জন করে কোটা জয় করেন।
২০২১ সালের ৮ ই মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণ তীরন্দাজ দল ঘোষণা করা হয়েছিল, অভিজ্ঞ তরুনদীপ রাই এবং বিশ্ব-নয় নম্বর সিড দীপিকা কুমারী তাদের তৃতীয় অলিম্পিকে শ্যুটিংয়ের লড়াইয়ে নামবেন।
ভারতীয় অ্যাথলিটরা নিম্নলিখিত ট্র্যাক এবং মাঠের ইভেন্টগুলিতে যোগ্যতার সাথে বা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে প্রবেশের মানগুলি আরও অর্জন করেছেন (প্রতিটি ইভেন্টে সর্বোচ্চ ৩ জন অ্যাথলিট):
ভারত দুই দশকে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক অশ্বারোহণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কোটা অর্জন করেছে; গ্রুপ জি (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়া) এর পৃথক এফআইআই অলিম্পিক র্যাঙ্কইং্যে শীর্ষ দুটি গ্রুপে শেষ করে।
ভারত প্রথমবারের মতো অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ফেন্সিংএ সরাসরি অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এফআইই অ্যাডজাস্টেড অফিসিয়াল র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়া ও ওশেনিয়া থেকে দু'জন সর্বোচ্চ তালিকাভুক্ত ফেন্সারের মধ্যে সিএ ভবানী দেবী একজন। তাই ভবানী দেবী সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ অর্জন করেছেন
মহিলাদের শৈল্পিক জিমন্যাস্টিক
মহিলাদের জুডো
ভারতীয় শুটাররা ২০১৯ সালের আইএসএসএফ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৮ আইএসএসএফ বিশ্বকাপ সিরিজ এবং ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের সেরা ফাইনাল অর্জনের কারণে নিম্নলিখিত ইভেন্টের জন্য কোটা স্থান অর্জন করেছে
সজন প্রকাশ প্রথম ভারতীয় রূপে 'এ' টাইম অর্জন করে পুরুষদের ২০০ মিটার বাটারফ্লাইতে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। ইতালির রোমে আয়োজিত সেত্তে কোলি ট্রফিতে ১:৫৬:৩৮ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে তিনি সরাসরি অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ অর্জন করেছেন। শ্রীহরি নটরাজও 'এ' টাইম অর্জন করে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে মানা প্যাটেল অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্যে ভারতের একজন মাত্র ভারোত্তোলক সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
ভারত পুরুষদের লাইটওয়েট দ্বৈত স্কালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাপানের টোকিওতে আয়োজিত ২০২১ ফিসা এশিয়া ওশেনিয়া কোয়ালিফিকেশন রিগাট্টাতে রৌপ্য পদক জিতে এবং তিনটি বার্থের প্রথমটি অর্জন করে একটি নৌকোর কোটাস্থান অর্জন করেছে।
২০২১ সালের ১১ই মে প্রকাশিত বিডাব্লুএফ রেস টু টোকিও র্যাঙ্কিংয়ের উপর ভিত্তি করে অলিম্পিক টুর্নামেন্টে ভারত নিম্নলিখিত ইভেন্টগুলির জন্য চারজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের দল পাঠাতে চলেছে।
|
1050080
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050080
|
সীমা বিসলা
|
সীমা বিসলা
সীমা বিসলা একজন ভারতীয় মহিলা কুস্তিগির। তিনি ২০২১-য়ের এশীয় রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পদকপ্রাপ্ত। ২০২১ সালের মে মাসে বুলগেরিয়ার সোফিয়াতে বিশ্ব অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জন টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তিনি জাপানের টোকিওতে ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত ২০১৮ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ৫৫ কেজি ইভেন্টে তার প্রথম ম্যাচে তিনি হেরে গিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। তিনি কাজাখস্তানের নুর-সুলতানে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ৫০ কেজি ইভেন্টেও অংশ নিয়েছিলেন।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে, তিনি জাপানের টোকিওতে ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতার প্রত্যাশায় কাজাখস্তানের আলমাতিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান অলিম্পিক যোগ্যতা টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি এই টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন নি তবে কয়েক দিন পরে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ২০২১ সালের এশীয় কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ৫০ কেজি ইভেন্টে তিনি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। ২০২১ সালের মে মাসে, তিনি ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নিতে বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব অলিম্পিক যোগ্যতা টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
|
1050084
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050084
|
২০২১ ভারত ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর
|
২০২১ ভারত ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর
ভারত ক্রিকেট দল তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং তিনটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা সফর করে, যা জুলাই ২০২১-এ অনুষ্ঠিত হয়।
|
1050096
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050096
|
ফিল্ড মার্শাল (পাকিস্তান)
|
ফিল্ড মার্শাল (পাকিস্তান)
ফিল্ড মার্শাল ( ; বা ক্ষেত্র-মার্শাল, সংক্ষেপে এফ এম বা FMoP) হলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি পাঁচ তারকা ও সর্বোচ্চ পদমর্যাদা যা পাকিস্তান সরকার থেকে সেনাবাহিনী প্রধানকে বিশেষ স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়। এটি পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ এবং জেনারেল, পাকিস্তান বিমান বাহিনী এয়ার চিফ ও পাকিস্তান নৌবাহিনীর অ্যাডমিরালের চেয়েও ঊর্ধ্বে এবং কারোর অধীন নয়। যদিও এটি একটি বর্তমান ও অনুমোদিত পদ যার বেতন গ্রেড “অ্যাপেক্স স্কেল”-এ পড়ে, তবে এটি ইতিহাসে একবারই শুধু ব্যবহার হয়েছে। আইয়ুব খান, যিনি ১৯৬৫ সালে এই পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এটি কোনও অতিরিক্ত ক্ষমতা এবং বেতন গ্রেডের সাথে আসে না, তবে ন্যাটো'র সমমানের র্যাঙ্ক কোড অফ -১০ সহ একটি সম্মানজনক পদমর্যাদায় আসে। এটি বহর অ্যাডমিরালের সমতুল্য, এবং যদিও এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সাধারণভাবে সিনিয়র পদমর্যাদার, অন্য সেনা ইনজিনিয়াস থেকে আলাদা করার জন্য এটি পাঁচতারা সাধারণ "স্ট্যান্ডার্ড র্যাঙ্ক স্কেল" হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে।
যদিও পাঁচতারা মাঠের মার্শাল কোনও অতিরিক্ত ক্ষমতা অনুমান করে না, তবে অসাংবিধানিক রাজনৈতিক আন্দোলন এবং সামরিক একনায়ক, বিশেষত একটি ফিল্ড মার্শাল দ্বারা অগ্রহণযোগ্য ক্ষমতা ব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সরকারের পক্ষে কঠিন কাজ হতে পারে।
যেহেতু পাকিস্তান একটি সার্বভৌম রাজ্যে পরিণত হয়েছিল, পাঁচ তারকা মাঠের মার্শাল পদটি কেবল দুইবার দেওয়া হয়েছিল। প্রথমবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জেনারেল আইয়ুব খানকে দেওয়া হয়েছিল যিনি ১৯৬৫ সালে তিনি যখন দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন নিজেকে ফিল্ড মার্শাল হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন।
২০১৬ সালে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাহিল শরীফকে পাঁচ তারকা ফিল্ড মার্শাল র্যাঙ্ক প্রদান করার প্রস্তাব করেছিলেন, তবে পরে প্রস্তাবটি অজানা বিষয় নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন।
২০২৫ সালে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল র্যাঙ্কে পদন্নোতি দেওয়া হয়। অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস-এ নেতৃত্ব প্রদানের জন্য তাকে এটি দেওয়া হয়
পাঁচ-তারকা মাঠের মার্শাল নিয়োগের বিষয়টি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দ্বারা রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে যৌথ প্রয়াসে সুপ্রিম কোর্ট বা উচ্চ আদালতে সংবিধানের আদেশের জন্য কিছু বিধি ও বিধি মোতাবেক যৌথ প্রয়াসে পর্যালোচনা অনুরোধের জন্য জমা দেওয়া আপিলের মাধ্যমে করা হয়েছে, যদিও রাষ্ট্রপতি কমান্ডার-ইন-চিফের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদকে শাসন করেন।
যদিও পাঁচতারা মাঠের মার্শাল র্যাঙ্কটি কেবল একবার দেওয়া হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণ নেই যা কোনও ফিল্ড মার্শালের বিধিবদ্ধ সীমা স্থাপন করতে পারে। তবে, পাকিস্তানের আইন কোনও ফিল্ড মার্শাল বা জেনারেল দ্বারা অগ্রহণযোগ্য ক্ষমতার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এবং একটি নির্দিষ্ট সাংবিধানিক সংশোধনীতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
|
1050101
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050101
|
শিবপাল সিং
|
শিবপাল সিং
শিবপাল সিং (জন্ম: ৬ই জুলাই ১৯৯৫) একটি ভারতীয় বর্শা নিক্ষেপকারী ।
তিনি ২০১৮ এশিয়ান গেমসে অষ্টম স্থান অর্জন করেছিলেন এবং ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদক জিতেছেন।
তাঁর ব্যক্তিগত সেরা থ্রোটি ৮৬.২৩ মিটার যা দোহার ২০১৯ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অর্জন।
২০১৬ সালে, শিবপাল সিং হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাথলেটিকসে পুরুষদের বর্শা নিক্ষেপ বিভাগে জিতেছিলেন। ২০১৫ সালে, তিনি জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নির্বাচিত হয়েছিলেন তবে চোটের কারণে তাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
|
1050112
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050112
|
ফৌয়াদ মির্জা
|
ফৌয়াদ মির্জা
ফৌয়াদ মির্জা (জন্ম- ৬ই মার্চ ১৯৯২) একজন ভারতীয় অশ্বারোহী যিনি ২০১৮ এশিয়ান গেমসে একক ইভেন্ট এবং দল দুটিতেই রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালের পর এশিয়ান গেমসে খেলাধুলার একটি একক ইভেন্টে পদকজয়ী প্রথম ভারতীয় ।
২০১৯-য়ের অক্টোবরে, তিনি পোল্যান্ডের স্ট্রজেগমে অনুষ্ঠিত সিসিআই 3 * -এস ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন।
২০২০ সালের ৭ই জানুয়ারী, মির্জা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, ওশেনিয়া গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জনের পরে অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন। গত দুই দশকে ভারত অশ্বারোহণে প্রথম কোন কোটা অর্জন করল।
|
1050121
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050121
|
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ
|
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ হ'ল দক্ষিণ মহাসাগরের সমুদ্রের বরফ। এটি শীতে সুদূর উত্তর থেকে প্রসারিত এবং প্রতি গ্রীষ্মে প্রায় উপকূলরেখায় ফিরে আসে এবং সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়ার কারণে প্রতি বছর উপকূলরেখার কাছাকাছি পৌঁছায়। সমুদ্রের বরফ হলো হিমায়িত সমুদ্রের জল, যা সাধারণত কয়েক মিটারের চেয়ে কম পুরু হয়। এটি বরফের স্তরের বিপরীত, যা হিমবাহ দ্বারা গঠিত হয়, যা সমুদ্রে ভেসে বেড়ায় এবং প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। সমুদ্রের বরফের দুটি উপ-বিভাগ রয়েছে: দ্রুত বরফ, যা জমির সাথে সংযুক্ত; এবং ভাসমান তুষারস্তর, যা নয়।
দক্ষিণ মহাসাগর থেকে আসা সমুদ্রের বরফটি আর্টিকের বরফের মতো পৃষ্ঠের পরিবর্তে নীচ থেকে গলে যায়, কারণ এটি উপরে তুষারে ঢাকা থাকে। ফলস্বরূপ, গলিত পুকুর খুব কমই দেখা যায়। গড়ে অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ আর্কটিক সমুদ্রের বরফের চেয়ে কম বয়স্ক, পাতলা, উষ্ণ, লবণাক্ত এবং বেশি সচল। যেহেতু আর্কটিকের বরফের তুলনায় সমুদ্রের বরফ খুব ভালভাবে অধ্যয়ন করা হয় না, এটি কম সুলভ।
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের আবরণ অত্যন্ত মৌসুমী, অস্ট্রেলীয় গ্রীষ্মে খুব সামান্য বরফ থাকে, যা শীতকালে অ্যান্টার্কটিকার সমান অঞ্চলে প্রসারিত হয়। সেপ্টেম্বরের সময় এর শীর্ষ হয় (~ ১৮ × ১০^৬ কিমি^২) যা অস্ট্রেলিয়ান শীতের শেষ চিহ্নিত করে এবং সর্বনিম্ন (~ ৩ × ১০^৬ কিলোমিটার^২) হয় ফেব্রুয়ারিতে। ফলস্বরূপ, বেশিরভাগ অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ প্রথম বর্ষের বরফ, কয়েক মিটার ঘন, তবে এর সঠিক পুরুত্বটি জানা যায়নি। বরফের ১৮ মিলিয়ন কিলোমিটার^2 এর ক্ষেত্রফল ১৮ ট্রিলিয়ন বর্গমিটার, সুতরাং প্রতিটি মিটার পুরুত্বের জন্য, বরফের ঘনত্ব প্রায় ০.৮৮ টেরেটোনস/মিলিয়ন কিমি ^ ৩, শীতের শেষের দিকে অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের শীর্ষ মিটারের ভর হ'ল প্রায় ১৬ টেরেটোনস (ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন)।
যেহেতু অ্যান্টার্কটিক উপকূলের সমুদ্র সাধারণত তার উপরের বাতাসের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ থাকে, তাই সমুদ্রের বরফের পরিমাণটি মূলত বায়ু এবং স্রোত দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা এটিকে উত্তর দিকে ঠেলে দেয়। যদি একে দ্রুত ঠেলে দেওয়া হয় তবে বরফ গলে যাওয়ার আগে আরও অনেক উত্তরে যেতে পারে। উত্তর-দিকে চলমান বরফটি খোলা জলের অঞ্চল (উপকূলীয় সুপ্ততাপ পলিনিয়াস) ছেড়ে দেয় বলে বেশিরভাগ বরফ উপকূল অঞ্চলে তৈরি হয়, যা দ্রুত শীতল হয়ে যায়।
যেহেতু অ্যান্টার্কটিক বরফটি মূলত প্রথম বর্ষের বরফ, যা বহু বছরের বরফের মতো ঘন নয়, এটি সাধারণত কয়েক মিটারের চেয়ে কম পুরু হয়। তুষারপাত এবং বরফ বন্যা একে যথেষ্ট ঘন করতে পারে এবং অ্যান্টার্কটিক বরফের স্তর কাঠামো প্রায়শই জটিল হয়।
অ্যান্টার্কটিকার আশেপাশে বহিরাগত ঘূর্ণিঝড় এবং প্রতীপ ঘূর্ণিঝড়গুলির সংখ্যা আঞ্চলিক পরিবর্তনের সাথে সংযুক্ত যা বাতাসের ধরনে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো কিছু অঞ্চলে সমুদ্রের বরফকে আরও উত্তরে সজ্জিত করেছে এবং অন্যদের তুলনায় উত্তরে নয় (চিত্র দেখুন)। নিট পরিবর্তন হলো অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের সামান্য বৃদ্ধি (আর্কটিক মহাসাগরের মতো নয় যা সমুদ্রের বরফের অঞ্চলে অনেক বেশি পরিমাণ হ্রাস দেখাচ্ছে)। দক্ষিণ মহাসাগর উষ্ণতর হওয়ায় সমুদ্রের বরফের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এটা বোঝায় না যে দক্ষিণ মহাসাগর শীতল হচ্ছে।
আইপিসিসি এআর৫ রিপোর্টে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে "এটি "খুব সম্ভবত" " যে ১৯৭৯ সাল থেকে ২০১২ সালে বার্ষিক গড় অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিমাণ প্রতি দশকে ১.২ থেকে ১.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ০.১৩ থেকে ০.২০ হয় মিলিয়ন কিমি হয়। আইপিসিসি এআর৫ এছাড়াও এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে সমুদ্রের বরফের মোট আয়তন বা ভরগুলির প্রবণতা নির্ধারণের জন্য তথ্যের অভাব রয়েছে। সমুদ্রের বরফের অঞ্চল বৃদ্ধির সম্ভবত বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এগুলি দক্ষিণ গোলার্ধী পশ্চিমা বাতাসের পরিবর্তনের সাথে একত্র, যা প্রাকৃতিক পরিবর্তনশীলতার সাথে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস এবং ওজোন গর্ত থেকে জোর করে পরিবর্তনের সংমিশ্রণ। আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হ'ল বরফের স্তরগুলি গলানো, যা সমুদ্রে মিঠা পানির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে; এটি দুর্বল স্তরযুক্ত সমুদ্রের পৃষ্ঠের স্তরকে বৃদ্ধি করে এবং তাই উষ্ণ পৃষ্ঠতলের পৃষ্ঠে পৌঁছানোর ক্ষমতা হ্রাস করে। ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে জলবায়ু মডেলগুলিতে এই প্রভাব ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের অনুকরণে চালিত হয়, ফলে শীতের মাসগুলিতে সমুদ্রের বরফের বৃদ্ধি ঘটে।
বায়ুমণ্ডলীয় এবং মহাসাগরীয় চালকরা সম্ভবত অ্যান্টার্কটিক সমুদ্র-বরফের পরিমাণে অঞ্চলগতভাবে বিভিন্ন প্রবণতা গঠনে অবদান রেখেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭৯-২০০৪ সময়কালে বায়ুমণ্ডল এবং দক্ষিণ মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, দুর্বল স্তরযুক্ত মহাসাগরের কারণে সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়ার চেয়ে দ্রুত তৈরী হয়। সুতরাং, এই মহাসাগরীয় প্রক্রিয়াটি, অন্যদের মধ্যে, নেট বরফের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে, সম্ভবত আরও বেশি সমুদ্রের বরফ তৈরি করে। যদিও পুরুত্ব পর্যবেক্ষণগুলি সীমিত, মডেলিং থেকে জানা যায় যে উপকূলীয় অঞ্চলগুলির দিকে লক্ষ্য করা বরফ-প্রবাহ শরৎ এবং শীতের সময় গতিময় সমুদ্র-বরফ ঘন হওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অবদান রাখে। এক্সট্রাট্রপিকাল ঘূর্ণিঝড়, প্রতীপ ঘূর্ণিঝড় এবং ব্লকগুলির সংখ্যায় শরৎকাল এবং বসন্তের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে, যা একটি শক্তিশালী তাপবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করে এবং বরফ-প্রবাহের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গতিশীল নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফলস্বরূপ, আবহাওয়া ব্যবস্থার আশেপাশে সজ্জিত কাছাকাছি পৃষ্ঠের বাতাস অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্র-বরফের প্রবণতাগুলির বৃহৎ অংশগুলো ব্যাখ্যা করতে পারে বলে মনে করা হয়।
উপরে উল্লেখিত হিসাবে সমুদ্রের বরফে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার পরে, দক্ষিণ গোলার্ধের বসন্তে (যেমন- সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর) ২০১৬ সালে অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পেয়েছে।
সমুদ্রের বরফের পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি এখানে বাস করা মনোবিজ্ঞানগুলিকে প্রভাবিত করে।
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিবর্তনগুলি বায়ুমণ্ডলীয় এবং মহাসাগরীয় সঞ্চালনের জন্য জড়িত থাকার কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রের বরফ তৈরি হয়ে গেলে, এটি লবণকে প্রত্যাখ্যান করে (সমুদ্রের জল লবণাক্ত তবে সমুদ্রের বরফটি মূলত সতেজ) ঘন নোনা জল তৈরি করে, যা ডুবে যায় এবং অ্যান্টার্কটিক নিচে জলের গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
বরফের চলন শক্তি বিবেচনাযোগ্য; এটি বরফে আটকে পড়া জাহাজগুলিকে চূর্ণ করতে পারে এবং গ্রীষ্মে এমনকি জাহাজগুলি যে স্থলে পৌঁছতে পারে সেগুলি কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে। আইসব্রেকার, আইসপোর্ট এবং আইস জেটিগুলি জমি সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
|
1050134
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050134
|
ফিল্ড মার্শাল (ভারত)
|
ফিল্ড মার্শাল (ভারত)
ফিল্ড মার্শাল (সংক্ষেপে এফএম) হচ্ছে ভারতের পাঁচ-তারকা জেনারেল অফিসার পদ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অর্জনযোগ্য সর্বোচ্চ পদমর্যাদা। ফিল্ড মার্শালকে জেনারেলের ঠিক উপরে স্থান দেওয়া হয়, তবে নিয়মিত সেনা কাঠামোতে এটি ব্যবহৃত হয় না। এটি মূলত একটি আনুষ্ঠানিক বা যুদ্ধকালীন পদমর্যাদা তথা র্যাঙ্ক। ভারতে কেবল দুজন সেনা কর্মকর্তাকে এই পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফিল্ড মার্শালের পদমর্যাদাচিহ্নের প্রশস্ত দিকে একটি পদ্ম ফুলের পুষ্পস্তবক বেষ্টিত আড়াআড়ি ছেদ করা লাঠি ও বাঁকা তলোয়ার এবং এর উপরে ভারতের জাতীয় প্রতীক তথা অশোকের সিংহস্তম্ভ রয়েছে।
শ্যাম মানেকশ’ হচ্ছেন ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শাল। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারিতে তিনি এই পদকে ভূষিত হন। দ্বিতীয় জন হচ্ছেন কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা। ১৯৮৬ সালের ১৫ জানুয়ারিতে তিনি এই পদমর্যাদা অর্জন করেন।
ফিল্ড মার্শাল ভারতীয় নৌবাহিনীতে অ্যাডমিরাল অফ দ্য ফ্লিট এবং বিমানবাহিনীতে "মার্শাল অফ দ্য (ইন্ডিয়ান) এয়ার ফোর্সের" সমতুল্য। এখন পর্যন্ত নৌবাহিনীতে কাউকেই অ্যাডমিরাল অফ দ্য ফ্লিট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, তবে বিমানবাহিনীতে অর্জন সিংহকে মার্শাল অফ দ্য এয়ার ফোর্স পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।
এখন পর্যন্ত কেবল দুইজন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাকে এই পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে দায়িত্ব ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে শ্যাম মানেকশ’কে এই পদে ভূষিত করা হয়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মানেকশ’কে ফিল্ড মার্শালে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একইসময়ে তাকে চিফ অফ দ্য ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সরকারি আমলা এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর কমান্ডারদের একাধিক আপত্তির পরে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়। ১৯৭৩ সালের ৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান (চিফ অফ আর্মি স্টাফ) হিসাবে দায়িত্ব সমাপ্তির পর মানেকশ’কে ফিল্ড মার্শাল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এটি প্রথম নিয়োগ হওয়ায় প্রতীক ও ফিতাসহ পদমর্যাদার বেশ কয়েকটি মাপকাঠি তখনও তৈরি করা হয়নি। মানেকশ’র নিয়োগের কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লি সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর কর্মশালায় ফিল্ড মার্শালের পদমর্যাদার প্রতীক তৈরি করা হয়। তারা ব্রিটিশ ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদাচিহ্ন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
এই পদে ভূষিত হওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা। তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান (কমান্ডার-ইন-চিফ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। শ্যাম মানেকশ’ অবসর গ্রহণের ঠিক আগে এই পদমর্যাদায় ভূষিত হলেও কারিয়াপ্পা নিয়োগের পূর্বেই ১৯৫৩ সালে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। একজন ফিল্ড মার্শাল যেহেতু কখনোই অবসর নেন না, তাই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই পদমর্যাদা দেওয়া যায় না। জাতির প্রতি তার আদর্শিক সেবার কৃতজ্ঞতার প্রতীক হিসেবে ভারত সরকার এই পদবি প্রদানের পূর্ব-প্রতিষ্ঠিত যোগ্যতার শর্তসমূহ বাতিল করে। প্রথা ভেঙ্গে পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অবসর প্রাপ্ত কারিয়াপ্পাকে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা প্রদান করে।
ফিল্ড মার্শাল হচ্ছে পাঁচ-তারকা পদ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অর্জনযোগ্য সর্বোচ্চ পদ। পদটিকে জেনারেলের উপরে স্থান দেওয়া হলেও নিয়মিত সেনা কাঠামোতে এটি ব্যবহার হয় না। এটি মূলত একটি আনুষ্ঠানিক বা যুদ্ধকালীন পদমর্যাদা, যা শুধু দুইজনকে প্রদান করা হয়েছে।
একজন ফিল্ড মার্শাল চার-তারকা জেনারেলের পুরো বেতন পান এবং তাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একজন সার্ভিসিং অফিসার হিসাবে বিবেচিত হন। তারা সবধরণের আনুষ্ঠানিক পরিবেশে পূর্ণ সামরিক পোশাক পরেন। এছাড়াও তারা একটি সচিবালয় নিয়ে সেনা সদর দপ্তরে একটি কার্যালয় পরিচালনা করেন।
ফিল্ড মার্শালের পদমর্যাদাচিহ্নের (ইনসিগনিয়া) প্রশস্ত দিকে একটি পদ্ম ফুলের পুষ্পস্তবক বেষ্টিত আড়াআড়ি ছেদ করা লাঠি ও বাঁকা তলোয়ার এবং এর উপরে ভারতের জাতীয় প্রতীক তথা অশোকের সিংহস্তম্ভ রয়েছে।
নিয়োগের সময় ফিল্ড মার্শালকে অগ্রভাগ স্বর্ণে মোড়ানো একটি লাঠি দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিক পরিবেশে তারা এটি বহন করে থাকেন। এই পদের তারকা পদমর্যাদাচিহ্ন লাল পটির উপরে পাঁচটি সোনালি তারা নিয়ে গঠিত। এটি গাড়ির সামনে লাগানো ছোট পতাকা, পদমর্যাদা পতাকা এবং সামরিক পোশাকের কলারে ব্যবহৃত হয়।
শ্যাম মানেকশ’, এমসি (১৯১৪–২০০৮), হচ্ছেন প্রথম ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা যিনি ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি "শ্যাম বাহাদুর" ("শ্যাম দ্য ব্রেভ") নামেও পরিচিত ছিলেন। ১৯৩৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সেনা একাডেমির মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তবে দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসেবে তার সেনা নথিতে তা লিখা হয়েছিলো ১৯৩৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। তার বিশিষ্ট সামরিক কর্মজীবন চার দশক ও পাঁচটি যুদ্ধ জুড়ে বিস্তৃত ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে তার যুদ্ধ জীবনের সূচনা হয়। তিনি প্রথমে রয়্যাল স্কটসের ২য় ব্যাটালিয়নের সাথে সংযুক্ত হন, এবং পরে দ্বাদশ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের ৪র্থ ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত হন, যা সাধারণত ৫৪তম শিখ নামে পরিচিত। দেশভাগের পর তাকে ষোড়শ পাঞ্জাব রেজিমেন্টে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯৬৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৮ম সেনাপ্রধান (সিওএএস) হিসেবে উন্নীত হন এবং তার নেতৃত্বে ভারতীয় বাহিনী ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে। যুদ্ধটি ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ দিন ধরে চলে। এটি ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম যুদ্ধগুলোর মধ্যে একটি। একই সাথে এর সমান্তরালে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে চলমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব সহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ঢাকায় আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। সেদিন ৯৩ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে, যা ইতিহাসের বৃহত্তম আত্মসমর্পণের মধ্যে একটি হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। যদিও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান আত্মসমর্পণের পক্ষে ছিলেন না, কিন্তু তার সৈন্যদের জীবন রক্ষার্থে তাকে রাজি হতে হয়েছিল। এই যুদ্ধে মানেকশ’র চৌকস সামরিক নেতৃত্বে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিষ্পত্তিমূলক ফলাফল জাতির মধ্যে নতুন আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। তাই তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভারতীয় জাতির প্রতি তার সেবার জন্য তাকে যথাক্রমে ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ ও পদ্মভূষণ পুরস্কারও প্রদান করা হয়।
যদিও শ্যাম মানেকশ’কে ১৯৭৩ সালে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদায় ভূষিত করা হয়। কিন্তু জানা যায়, ফিল্ড মার্শাল হিসেবে তিনি যে সম্পূর্ণ ভাতা পাওয়ার অধিকারী ছিলেন, তা তাকে কখনোই দেওয়া হয়নি। ওয়েলিংটনে মানেকশ'র সাথে সাক্ষাতের সময় ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম উদ্যোগ গ্রহণ করে তাকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে তার ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের বকেয়া বেতন হিসেবে ₹১.৩ কোটি ভারতীয় টাকার চেক প্রদান করার ব্যবস্থা করেন। আরও আশ্চর্যের বিষয়, মানেকশ’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সামরিক-বেসামরিক বা রাজনৈতিক শীর্ষ-ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন না।
স্যার কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা, ওবিই (১৮৯৯-১৯৯৩), প্রথম ভারতীয় হিসাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান (কমান্ডার-ইন-চিফ) নিযুক্ত হন। তার বিশিষ্ট সামরিক ক্যারিয়ার প্রায় তিন দশক ধরে বিস্তৃত। কারিয়াপ্পা ১৯১৯ সালের ১ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২/৩৮ কার্ন্যাটিক পদাতিকে অস্থায়ী দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসাবে কমিশন লাভ করেন। পরে তাকে ২২/১২৫ নেপিয়ার রাইফেলস বদলি করা হয়। এরপর ১৯২২ সালের জুন মাসে ৭ম প্রিন্স অফ ওয়েলস ওন ডোগরা রেজিমেন্টে এবং সবশেষে ১/৭ রাজপুত রেজিমেন্টে বদলি করা হয়, যা তার মূল রেজিমেন্টে পরিণত হয়।
তিনিই কোয়েটারের স্টাফ কলেজের কোর্সে অংশ নেওয়া এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একটি ব্যাটালিয়ন কমান্ড করা প্রথম ভারতীয় কর্মকর্তা। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের ক্যামবার্লির ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত প্রথম দুই ভারতীয়ের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিট এবং কমান্ড সদর দপ্তরে (এইচকিউ) এবং নয়াদিল্লির জেনারেল সদর দপ্তরে বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তিনি কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। তিনি সশস্ত্রবাহিনী পুনর্গঠন কমিটির সেনা উপ কমিটির সদস্য ছিলেন, যা ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পরে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে বিভক্ত করে। ১৯৫৩ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতির প্রতি তার দৃষ্টান্তমূলক সেবার প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে ভারত সরকার ১৯৮৬ সালের ১৪ জানুয়ারিতে ৮৭ বছর বয়সে কারিয়াপ্পাকে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা প্রদান করে।
|
1050141
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050141
|
ডুবন্ত শহর
|
ডুবন্ত শহর
ডুবন্ত শহরগুলি নগরীর পরিবেশ যা তাদের দ্রুত পরিবর্তিত ল্যান্ডস্কেপের কারণে অদৃশ্য হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই শহরগুলি অপরিবর্তনীয় হয়ে উঠতে সবচেয়ে বড় অবদানকারীরা হ'ল জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মিলিত প্রভাব (সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান, তীব্র ঝড় এবং ঝড়ের তীব্র উত্থানের মধ্য দিয়ে উদ্ভাসিত হয় ), ভূমি হ্রাস এবং তীব্র নগরায়ণ বিশ্বের বৃহত্তম এবং দ্রুত বর্ধমান শহরগুলির অনেকগুলি নদী এবং উপকূলে অবস্থিত এবং যা এদেরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি করে। যেহেতু দেশগুলি এই শহরগুলিতে লোক, সম্পদ এবং অবকাঠামো বিনিয়োগ করে চলেছে, এই অঞ্চলগুলির ক্ষতির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। আজকের গতিশীল পরিবেশগত আবহাওয়ার জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য ডুবে যাওয়া শহরগুলিকে অবশ্যই যথেষ্ট বাধা অতিক্রম করতে হবে।
মেসোপটেমিয়ার মতো প্রাচীন শহরগুলিতে যে মৌলিক অবস্থার জন্ম হয়েছিল তা বহু আগে থেকেই বিদ্বানরা বিতর্ক করেছেন। বেশ কয়েকটি তত্ত্ব উপস্থাপন করা হয়েছে এবং আজ অবধি, একক মূল কারণকে সমর্থন করার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই যা শহরগুলি গঠনের দিকে পরিচালিত করেছিল। কৃষি, বর্ধিত অর্থনৈতিক উত্পাদনশীলতা এবং উচ্চতর সামাজিক সংগঠনকে প্রায়শই মূল অবদানকারী কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয় যা এই প্রাচীন শহরগুলিকে উত্থিত করেছিল, যদিও সম্ভবত আরো অন্যান্য কারণগুলির ভূমিকা ছিল । আজ, একই জাতীয় শক্তি বিশ্ব জনসংখ্যার নগরায়নের পিছনে চালক হিসাবে রয়েছে।
ডুবে যাওয়া শহরগুলির বেশিরভাগ অংশ উপকূলীয় নিম্নভূমিতে অবস্থিত। এই অঞ্চলগুলি জলবায়ু সম্পর্কিত ঝুঁকির জন্য বিশেষত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে প্রাচীন কাল থেকেই মানব বসতির জন্যও এ অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। মাটির উর্বরতা, নদী থেকে মিঠা পানির সহজলভ্যতা, সমতল ভূগোলের ত্রাণের কারণে প্রবেশযোগ্যতা এবং সমুদ্র ও নৌপথগুলি দীর্ঘদিন ধরে উপকূলীয় সমতলকে মূল্যবান কৃষি ও অর্থনৈতিক সম্পদ তৈরি করেছে। ইতিহাস জুড়ে, এই অঞ্চলগুলি বিকাশ অব্যাহত রেখেছে, এবং আজ বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত অঞ্চল।
অনেক উপকূলীয় শহরগুলিতে ক্রমবর্ধমান শারীরিক ঝুঁকিগুলি দ্রুত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জমি হ্রাস সম্পর্কিত কারণগুলির সংমিশ্রণে উদ্ভূত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক বিপদগুলির অনেকগুলি মূলত মূলত নৃতাত্ত্বিক। অনেক ক্ষেত্রে, শহরগুলি ডুবে যাওয়ার মৌলিক দিকগুলি দৃঢ়ভাবে আন্তঃ বোনা হয়ে পড়ে এবং সময়ের সাথে সাথে সমাধান করা আরও ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ে।
মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বেশিরভাগ মানুষ শহুরে অঞ্চলে বাস করেন। জাতিসংঘের অনুমান যে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৬৮% জনসংখ্যা শহরাঞ্চলে বাস করবে। নগরায়ণের একটি অঞ্চলের নগর পরিকল্পনা, ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, আর্কিটেকচার, অর্থনীতি এবংজনস্বাস্থ্য সহ বিশাল তাৎপর্য রয়েছে নগরায়ন যে হারে ঘটে তাও গুরুত্বপূর্ণ। নগরায়ণের ধীর গতি নগর পরিকল্পনাকারীদের চিন্তাশীল পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নিতে সময় দেয়। শহরগুলি পরিপক্কতায় পৌঁছে যাওয়ার পরে, স্থানীয় সরকারগুলিকে দ্রুত নগরায়ণের মাধ্যমে আনা সমস্যাগুলি নিরসনে বড় অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির বিকাশ, তহবিল এবং পরিচালনা করতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।
বিশেষত, এশিয়ার কয়েকটি অঞ্চল বর্তমানে অভূতপূর্ব শহুরে বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা করছে। বর্তমানে এশীয় নগর জনসংখ্যা প্রতিদিন ১৪০,০০০ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০০৬ সালের প্রায় ১.২৫ বিলিয়ন থেকে দ্বিগুণ হয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ২.৪ বিলিয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরও উদ্বেগজনক সত্যটি হ'ল এই প্রবৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশ উপকূল বরাবর ঘটছে। চীন শহুরে উপকূলীয় অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি জাতীয় বৃদ্ধি হারের তিনগুণ বেশি ছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে দ্রুত বর্ধন এই শহুরে পরিবেশের বহনক্ষমতার চ্যালেঞ্জকে প্রায়শই প্রাকৃতিক সম্পদের অব্যবস্থাপনার দিকে পরিচালিত করে। ডুবে যাওয়া শহরগুলির জন্য, সর্বাধিক সাধারণ ফলাফল হলো ভূগর্ভস্থ জলের অত্যধিক উত্তোলন পরিণামে ভূমি হ্রাস পেয়েছে।
নিচু-শহরগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক প্রভাবগুলির জন্য বিশেষত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে নাটকীয় হ্রাস অর্জন করা হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলি পূর্ববর্তী নির্গমন থেকে অন্তর্নিহিত গতির কারণে পরবর্তী শতাব্দীতে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তদুপরি, জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে জলবায়ু পরিবর্তন কমে যাওয়ার পরিবর্তে হয়তো ত্বরান্বিত হচ্ছে। ২০১৯ এ্যামিশন গ্যাপ রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে উচ্চ প্রচারিত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জিএইচজি নির্গমন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে দেশগুলিকে অবশ্যই তাদের নির্ধারিত জাতীয় নির্ধারিত অবদানগুলি তিনগুণ বাড়াতে হবে ২° সি লক্ষ্যের নীচে থাকতে হলে এবং পাঁচগুণের বেশি বাড়াতে হবে ১.৫° সি লক্ষ্য অর্জন করতে হলে ।
উপকূলীয় শহরগুলি সমুদ্রের সান্নিধ্যের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের বৃহত্তম প্রভাব বহন করবে। ঝড়ের স্ফীতি এবং উচ্চ জোয়ার সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান এবং জমি হ্রাসের সাথে একত্রিত হতে পারে আরও অনেক অঞ্চলে বন্যা আরও বৃদ্ধি করতে পারে। এমনকি প্রায়শই সাম্প্রতিক সম্পন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলি দ্রুত পরিবর্তিত জলবায়ুর জন্য সঠিকভাবে জবাবদিহি করে না। এশিয়ার উপকূলীয় বৃহৎ শহরগুলো বিশেষত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কারণ কয়েকটি শহরের বন্যা সুরক্ষা ব্যবস্থা ৩০ বছরের বন্যার ঘটনার জন্যও অপর্যাপ্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির উচ্চতা পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে রিপোর্টগুলি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, তবে আইপিসিসির অনুমান অনুযায়ী পরের শতাব্দীতে এক মিটার বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যান্য প্রতিবেদনগুলি আইপিসিসির অনুমানগুলি অনেক কম বলে মনে করে এবং ২১০০-এর মধ্যে ১.৯ মিটারের কাছাকাছি স্তর ইঙ্গিত দেয় তবুও, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান একটি অনিবার্য বাস্তবতা। সমুদ্রের স্তর বাড়তে থাকায় উপকূলীয় শহরগুলি যথাযথভাবে মডেলিং করা এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় দ্বারা বয়ে যাওয়া বন্যার ঝড়ের জন্য প্রস্তুত করার চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানের কারণে ঝুঁকিগুলি তীব্র ঝড়ের সাহায্যে কেবল আরও জটিল হবে। মহাসাগরগুলির উষ্ণতা অব্যাহত থাকায় ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় বৃষ্টিপাতের হার এবং ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনওএএ দ্বারা পরিচালিত অধ্যয়নগুলিও ইঙ্গিত দেয় যে একটি ২°সি বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের একটি বৃহত অনুপাতে পৌছাবে যা বিভাগ ৪ এবং বিভাগ ৫ স্তরে পৌঁছায় হারিকেন স্যান্ডি (২০১২), যা কেবল একটি বিভাগ ৩ ছিল, প্রায় ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি করেছিল। অধিকন্তু, জলবায়ু পরিবর্তন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের পথ পরিবর্তনের কারণ হতে পারে, এমন জায়গাগুলিতে ঝড় বইতে পারে যার আগে বড় ঝড়ের সাথে লড়াই করতে হয়নি। এই দুর্বল অঞ্চলগুলি অবিচ্ছিন্ন এবং চিরকালের তীব্র ঝড়ের জন্য প্রস্তুত নয় বলে মনে করা হয়।
ক্ষয় হ'ল হঠাৎ ডুবে যাওয়া বা ক্রমান্বয়ে নিম্নভূমি স্থলভাগের সামান্য বা কোনো অনুভূমিক গতি সহ স্থির হয়ে যাওয়া। জমির অবনমন শহরগুলির জন্য প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ উভয়ই ফলস্বরূপ হতে পারে। সরাসরি প্রভাবগুলি জল পরিচালন নেটওয়ার্ক, ভবন এবং হাইওয়ে সহ বড় অবকাঠামো সিস্টেমে কাঠামোগত ক্ষতির আকারে থাকে। ভূমি হ্রাসও উপকূলীয় বন্যার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং প্রায়শই, হ্রাসের মোট হার সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধি ছাড়িয়ে যায়। ব্যাংককে, থাইল্যান্ডের উপসাগর প্রতি বছর বাড়ছে ০.২৫ সেমি, তবে শহরটি আরও দ্রুত হারে ডুবে যাচ্ছে, প্রতি বছরচ৪ পর্যন্ত সেমি। এই নিম্নগামী বন্দোবস্তটি উল্লেখযোগ্যভাবে বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে যা শেষ পর্যন্ত বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং প্রাণহানির কারণ হতে পারে।
একবিংশ শতাব্দী জুড়ে, এই শহরগুলি ক্রমবর্ধমান অব্যাহত থাকায়, টাটকা জল একটি আরও মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠল। নদী বদ্বীপ, শিল্প বিকাশ এবং স্বচ্ছন্দ বা পরিবেশ সুরক্ষা না দিয়ে ঘন জনসংখ্যার কারণে নদীর জল প্রায়শই দূষিত হয়ে পড়ে। উপকূলীয় বৃহৎ-শহরগুলোতে, বিশেষত এশিয়ায় এটি একটি আরও সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক শহর ব্যয়বহুল জল চিকিৎসা ব্যবস্থা বহন করতে অক্ষম এবং ভূগর্ভস্থ জলের উপর প্রচুর নির্ভর করতে বাধ্য হয়। ভূগর্ভস্থ জল যখন ভূগর্ভস্থ জলজঞ্চল থেকে রিচার্জ করতে সক্ষম হওয়ার চেয়ে আরও দ্রুত উত্তোলন করা হয় তখন পৃথিবীর নীচে শূন্যতা তৈরি হয়। স্থলটি ভারবহনকারী হওয়ার সাথে সাথে প্রায়শই বর্ধিত বিকাশের মাধ্যমে মাটি সঙ্কুচিত হয় এবং জমি কমতে শুরু করে। অঞ্চলটির ভূতত্ত্বের উপর নির্ভর করে, অনেক উপকূলীয় সমভূমির মতো দ্রুত হ্রাস পেতে পারে বা আরও ধীরে ধীরে বড় হতে পারে যদি কোনও অঞ্চলে বড় শৈলীর উপস্থিতি থাকে।
ভেনিস প্রায়শই হ্রাসে ভুগছে এমন একটি শহরের উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, তবে এটি বেশিরভাগ ঐতিহাসিক উৎস সহ অপেক্ষাকৃত ছোটখাটো ঘটনা। আরও গুরুতর বিষয়, সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে বা তারও নীচে বাস করা কয়েক মিলিয়ন লোকের ঘনত্ব সহ এশীয় মহানগরগুলি। কিছু শহর, যেমন টোকিও, ভূমি ক্ষয় পরিমাপ, নিরীক্ষণ এবং লড়াইয়ের জন্য অত্যাধুনিক কৌশল তৈরি করেছে। তবে বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অন্যান্য অনেক বড় শহর (হ্যানয়, হাইফং, রাঙ্গুন, ম্যানিলা ইত্যাদি) তাদের ক্ষয় হওয়ার কোনও রেকর্ড নেই, যা নিয়ন্ত্রণের অনেক বাইরে রয়েছে। অনেক শহর জমির নিবিড়তা সঠিকভাবে পরিমাপ ও মডেল করার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল ও ব্যয়বহুল, ভূতাত্ত্বিক, ভূ-প্রযুক্তিগত এবং হাইড্রোজোলজিকাল স্টাডিজ পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থানগুলি রাখে না।
মেক্সিকো সিটি উপকূলীয় বা নিচু শহর নয় এমন একটি ডুবে যাওয়া শহরের উদাহরণ। শহরটি মূলত ১৩০০ এর দশকে অ্যাজটেক দ্বারা একটি বৃহত জলফরার উপরে নির্মিত হয়েছিল। ক্ষয় মূলত বড় অ্যাজটেক এবং স্প্যানিশ কাঠামোর ভারের কারণে হয়েছিল। উনিশ শতকে এই শহরটি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং এর সাথে জলের চাহিদাও ছিল। ১৮৫৪ সাল নাগাদ মেক্সিকো সিটির নীচে জলজগরে ১৪০ টিরও বেশি কূপ খনন করা হয়েছিল। যদিও প্রাথমিক সংস্কৃতিগুলি একই হ্রদ এবং জলাশয় থেকে জল নিয়েছিল, শহরের বর্তমান জনসংখ্যার ২১ মিলিয়ন লোকেরা তুলনায় এগুলি কেবল ৩০০,০০০ মানুষ ছিল। আজ, ঐতিহাসিক এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহরটি ১৫ থেকে ৪৬সেমি / বছর এর মধ্যে বিভিন্ন হারে দ্রুত ডুবে যাচ্ছে । শহরটি বর্তমানে জলের ঘাটতিজনিত সমস্যার সাথে জর্জরিত রয়েছে যা ডুবে যাওয়া শহরগুলির মধ্যে বিদ্যমান একটি সাধারণ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লুপকে জোর দেয়।
বিশ্বব্যাপী নগরায়ণের ফলে যেমন শহরগুলি বৃদ্ধি পেতে থাকে, দেশগুলি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার স্থান সংকুলান করতে অতিরিক্ত সংস্থান বিনিয়োগ করতে থাকবে। প্রতিদিন ডুবে যাওয়া শহরগুলি ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে, যার মধ্যে অনেকগুলি তাদের জাতীয় অর্থনীতি এবং কিছু বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বার্ষিক ৬০–১০০বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, তবে একক বড় আকারের বিপর্যয় সহজেই এটিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে, যেমন হারিকেনেস স্যান্ডি এবং মারিয়া প্রমাণ করেছেন। বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ডুবন্ত শহরগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতি আরও উন্মুক্ত হয়ে উঠছে, যার মধ্যে অনেকের কাছেই আসন্ন ঝড়ের জন্য প্রস্তুত করার আর্থিক উপায় নেই।
জুলাই এবং আগস্টে মুম্বাইয়ের পাতাল রেলপথের কাছে প্রায় উচ্চ জোয়ারে বন্যা আসন্ন জলবায়ু বিপদের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। এক সমীক্ষায় মুম্বাইয়ের সমুদ্রপৃষ্ঠের এক-মিটার সমুদ্রের বৃদ্ধির ব্যয় $৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। হো চি মিন সিটি বর্তমানে ভিয়েতনামের জিডিপির ৪০% অবদান রাখে এবং সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি, স্থল হ্রাস এবং অব্যাহত নগরায়নের কারণে বিশেষত দুর্বল হয়ে পড়েছে। ব্যাংকক নদী বন্যায় অত্যন্ত উন্মুক্ত, কারণ একটি বড় ঝড় জাতীয় অর্থনীতিতে সম্ভাব্য ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি ২০১১ সালে নিশ্চিত হয়েছিল যখন চাও ফ্রেয়া নদীর বন্যা হয়েছিল এবং থাইল্যান্ডের জিডিপির প্রায় ১০% লোকসান হয়েছিল।
যদিও অনেক মার্কিন শহরগুলো কম উন্মুক্ত এবংজলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি পরিচালনা করার জন্য আরও ভালভাবে সজ্জিত, কিছু ক্ষেত্রে, মার্কিন শহরগুলি বিশেষত অর্থনৈতিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে সংবেদনশীল। জিলো কর্তৃক পরিচালিত এক সমীক্ষায় রিয়েল এস্টেট সংস্থাটি আবিষ্কার করেছে যে সমুদ্রের স্তর ছয় ফুট বাড়লে এক মিলিত $ ৮৮২ বিলিয়ন ডলারের রিয়েল এস্টেট পানির তলে থাকবে। তদ্ব্যতীত, প্রাক্কলনটি কেবল সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানের জন্য হিসাব করে এবং বড় ঝড় বা ভূমি ক্ষয়ের সম্ভাবনা বিবেচনা করে না। কেবলমাত্র নিউইয়র্ক সিটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির প্রায় ৮% অবদান রাখে এবং গত এক দশকের মধ্যে ব্যয়বহুল ঝড়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। বিআইজি ইউ (এনওয়াইসি) এর মতো মেগাপ্রজেক্টগুলি ভবিষ্যতের সুপার ঝড় এবং দীর্ঘমেয়াদী সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে, প্রকল্পটির কার্যকারিতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে বড় বড় প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।
এশীয় নগরায়নের সাথে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আশায় অভিবাসীরা শহরে চলে যাওয়ায় নগর দরিদ্রের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে । ওইসিডি-র একটি প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ১৩০ টি প্রধান বন্দর শহরগুলির দুর্বলতা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে ২০৭০ সালের মধ্যে উপকূলীয় বন্যার ফলে হুমকিরুপিত মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই কেবল দশ মেগাটিতে বাস করবে, যা এশিয়াতে অবস্থিত একটি ছাড়া। অন্য একটি প্রতিবেদনে ৬১৬ বৃহত্তম মেট্রোপলিটন অঞ্চল বিশ্লেষণ করেছে যা ১.৭ বিলিয়ন মানুষকে রাখে এবং বিশ্বজুড়ে জিডিপির প্রায় $৩৪,০০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বন্যার ঝুঁকি অন্য যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চেয়ে বেশি লোককে হুমকি দেয়।
শহুরে দরিদ্ররা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির একটি অপ্রয়োজনীয় বোঝা বহন করবে কারণ তারা সম্ভবত বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহরে এটিও দেখা গেছে যেহেতু স্বল্প আয়ের আবাসন সাধারণত বন্যার অঞ্চলে অবস্থিত। নিউ অরলিন্সে হারিকেন ক্যাটরিনা অনুপাতহীনভাবে নিম্ন আয়ের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর প্রভাব ফেলেছিল কারণ ধনী সম্প্রদায়গুলি সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে অবস্থিত এবং এইভাবে আরও বড় ঝড় থেকে রক্ষা পেয়েছে। অরলিন্স প্যারিশ এবং নবম ওয়ার্ডের মতো উচ্চ প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে এবং তাই প্রভাবগুলি অসমভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যান্য দেশে পরিবেশ শরণার্থীরা সরকারগুলির জন্য একটি বিশেষ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে সমুদ্রের মাত্রা বৃদ্ধি এবং তার কারণে হওয়া বন্যার ফলে বহু লোক ভারতের শহরগুলিতে পালিয়ে গেছে। আসন্ন দশকগুলিতে, আসন্ন ঝড়গুলি ডুবে যাওয়া বড় শহরগুলিকে ক্ষতি করতে শুরু করার সাথে সাথে পরিবেশ শরণার্থীরা একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনাতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শহরগুলি ডুবিয়ে এমনকি কিছু দেশকে কঠোর রাজনৈতিক পরিবর্তন করতে পরিচালিত করেছে। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা হ'ল ১ কোটি লোক এবং এটি বিশ্বের দ্রুততম ডুবে যাওয়া শহরগুলির মধ্যে একটি। প্রায় অর্ধেক শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে বসে আছে এবং কিছু গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে যদি ক্ষয়ের সমস্যাগুলি অব্যাহত থাকে তবে শহরটির কিছু অংশ ২০৫০ সালের মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাবে। জাকার্তার পরিবেশগত সমস্যা এতটাই মারাত্মক হয়ে উঠেছে যে ইন্দোনেশিয়ান সরকার রাজধানীটি জাকার্তা থেকে কালিমন্টন শহরে স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব দিয়েছে , যা এখনো নির্মিত হয় নি। এই পদক্ষেপে জনতার একটি বড় অংশকে নতুন রাজধানীতে স্থানান্তরিত করে জাকার্তায় কিছু অসমতা ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সমস্যা সমাধানের আশা করা হচ্ছে। বিতর্কিত পদক্ষেপটি নজিরবিহীন নয়, তবে সম্ভবত পরিবেশ শক্তি দ্বারা চালিত প্রথম রাজধানী স্থানান্তরের মধ্যে একটি।
অনেক ক্ষেত্রে, নগর কর্মকর্তারা ডুবে যাওয়া শহরগুলির সাথে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি পরিচালনা করতে অক্ষম হয়েছেন। যদিও প্রতিটি শহরে নির্দিষ্ট সমস্যা রয়েছে তবে শহুরে অভিযোজনে নিম্নলিখিত সাধারণ বাধা রয়েছে:
ডুবে যাওয়া শহরগুলির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি নিরসনের প্রথম পদক্ষেপ হ'ল নাগরিক এবং নগর কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। ডুবে যাওয়া শহরগুলির জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কয়েকটি দুর্বলতা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পগুলি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, সুতরাং এটি প্রয়োজনীয় যে নগর আধিকারিকরা তাদের অঞ্চলে যে ঝুঁকি এবং দুর্বলতা রয়েছে সে সম্পর্কে সচেতন হন। এটি শহর ও পর্যায়ের বন্যার ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মূল্যায়ন পরিচালনা করে শুরু হয় এবং শহরগুলির জন্য দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিস্থাপকতার পরিকল্পনা তৈরিতে সমাপ্ত হয়। এই পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন আর প্রশমিত করা যাবে না। আন্তর্জাতিক লক্ষ্যগুলি একবিংশ শতাব্দী জুড়ে এর প্রভাব হ্রাস করার আশাবাদী, তবে শহরগুলিকে আবহাওয়ার অভিযোজনযোগ্যতার কথা মাথায় রেখে নকশা করতে হবে।
ডুবে যাওয়া শহরগুলির অন্যান্য উপাদানগুলি নগর আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং সফলভাবে প্রশমিত করা যায়। সফল ক্ষয় প্রশমন কৌশলটির প্রথম পদক্ষেপটি এর মূল কারণগুলি পরিমাপ করা এবং বোঝা। অপটিকাল সমতলকরণ, জিপিএস সমীক্ষা, লিডার, এবং ইনসার উপগ্রহের চিত্রাবলী সহ আজ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আদর্শভাবে, কৌশলগুলির সংমিশ্রণটি প্রাথমিক অধ্যয়ন পরিচালনা করার জন্য ব্যবহৃত হবে। বহু শহর সাফল্য হ্রাস করার জন্য সফলভাবে নীতিমালা প্রয়োগ করেছে। টোকিওতে ১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে ভূগর্ভস্থ জলের বিধিগুলি প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং দশ বছর পরে, ক্ষয় বন্ধ হয়ে যায়। সাংহাই এমন একটি শহরের অন্য উদাহরণ যা সফলভাবে একটি ক্ষয় প্রশমন কৌশল কার্যকর করেছে। সাংহাই একটি সক্রিয় রিচার্জ কৌশল বাস্তবায়িত করেছিল, যা জল উত্তোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে সমান পরিমাণ পরিমাণ জল ঢেলে দেয়। ড পাম্প করার হারগুলি রিচার্জের হারের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ চিন্তা করলে, এটি একটি সফল কৌশল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
ডুবে যাওয়া অনেক শহরগুলির জন্য, অভিযোজন একটি আরও বাস্তবসম্মত কৌশল কারণ নগরায়নের সাথে যুক্ত অনেকগুলি প্রতিক্রিয়া লুপগুলি অতিক্রম করার জন্য খুব শক্তিশালী। বেশিরভাগ ডুবে যাওয়া শহরগুলির জন্য, অভিযোজন সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রায়শই খরচ হয়ে যায়। বেশিরভাগ এশিইয়ায় অবস্থিত উন্নয়নশীল দেশগুলির, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনের ব্যয় বিশ্বব্যাংক দ্বারা প্রতি বছর $৭৫-১০০ বিলিয়ন ডলার হিসাবে নির্ধারিত হয়। তবে, জাতিসংঘের অভিযোজন তহবিলটি করুণভাবে হয়েছে ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে আন্ডার রিসোর্সড অবস্থায় আছে। অনেক দেশের জন্য, বড় অভিযোজন প্রকল্পগুলির তহবিলের জন্য বিদেশী সহায়তা প্রয়োজন হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটি প্রধান উপাদান হ'ল বন্যা রক্ষা স্থাপন করা, সতর্কতা ব্যবস্থা / উচ্ছেদের পরিকল্পনা এবং ভূমি ব্যবহার এবং স্থানীয় পরিকল্পনা। অনেক শহরে বিশাল সমুদ্রের জলাশয়, ডাইক এবং ডাইভার্সন চ্যানেলগুলির নির্মাণ কাজ চলছে তবে এই সমাধানগুলি প্রায়শই কেবল ক্ষতির সীমাবদ্ধ করে এবং সতর্কতা ব্যবস্থা এবং সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার সাথে অবশ্যই এটি একত্রিত হতে হবে। সতর্কতামূলক সিস্টেমগুলি এবং উচ্ছেদ কর্মসূচীগুলি সম্ভবত উল্লেখযোগ্যভাবে প্রাণহানি এড়াতে বৃহৎ আকারের বিপর্যয় মোকাবেলায় একমাত্র প্রতিক্রিয়া। যাইহোক, হারিকেন ক্যাটরিনার সময় দেখা গেছে, সরিয়ে নেওয়া সহজেই কার্যকর করা যায় না, কারণ বাসিন্দারা প্রায়শই তাদের অরক্ষিত সম্পত্তি ত্যাগ করতে রাজি হন না।
পূর্বে আলোচনা হিসাবে, বন্যার ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে ডুবে যাওয়া শহরগুলির মধ্যে বৃহত্তম প্রাকৃতিক ঝুঁকি । বন্যার ঝুঁকির সংস্পর্শ কমাতে জমি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয়তাকে অনেক সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। নেদারল্যান্ডস দেশজুড়ে একটি "নদীর জন্য ঘর" নামক কর্মসূচী বাস্তবায়িত করেছে, যার লক্ষ্য এই নদীটিকে সারা দেশে উচ্চতর পানির স্তর পরিচালনা করতে সক্ষম করার জন্য আরও বেশি কক্ষ সরবরাহ করা। প্রাকৃতিকভাবে বন্যা হয় এমন নদীগুলির জন্য বাফার স্পেসের অনুমতি দিয়ে ডুবন্ত শহরগুলি বন্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে যেগুলো প্রতিষ্ঠিত নির্মিত পরিবেশকে প্রভাবিত করে।
|
1050152
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050152
|
ফিল্ড মার্শাল (শ্রীলঙ্কা)
|
ফিল্ড মার্শাল (শ্রীলঙ্কা)
ফিল্ড মার্শাল (এফএম) একজন পাঁচ তারকা জেনারেল অফিসার র্যাঙ্ক এবং শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীতে সর্বোচ্চ অর্জনযোগ্য র্যাঙ্ক। ফিল্ড মার্শালকে তাত্ক্ষণিকভাবে জেনারেলের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং কেবল একবারই সম্মানিত পদমর্যাদা হিসাবে শরৎ ফনসেকাকে ভূষিত করা হয়েছে। এটি শ্রীলঙ্কা বিমান বাহিনীর ফ্লিট এবং মার্শালের সমতুল্য।
আ ফিল্ড মার্শাল আজীবন শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর সক্রিয় তালিকায় একজন সার্ভিসিং অফিসার হিসাবে রয়েছেন। এটি কোনও সম্মানজনক পদ যার কোনও আদেশ বা প্রশাসনিক দায়িত্ব নেই, এবং অফিসার সেনা আইনের সাপেক্ষে নয়। সুতরাং, ফিল্ড মার্শালকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার এবং রাজনৈতিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়। অগ্রাধিকারের ক্রমে র্যাঙ্কধারক একজন মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীর সমতুল্য। তিনি সমস্ত আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে ইউনিফর্মে অংশ নিতে পারেন। এই পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী দ্বারা রক্ষিত একটি অফিস এবং এইড-ডি-ক্যাম্প এবং ব্যক্তিগত কর্মচারীদের অধিকারী; পাশাপাশি জীবনের জন্য একটি পরিবেশনকারী জেনারেলের অধিকারী সমস্ত সুযোগ-সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে বেতন, একটি সরকারী আবাস, পরিবহন এবং সুরক্ষা বিশদ। তদুপরি, এই ধরনের একজন কর্মকর্তা চারজন অফিসার এবং আরও ১৫০ জন র্যাঙ্কের সমন্বয়ে গার্ড অব অনার এবং একু-বন্দুকের স্যালুট দিয়ে তাঁর মৃত্যুতে একটি সামরিক জানাজা পাওয়ার অধিকারী। এই জাতীয় আধিকারিকের বিধবা তার স্বামীকে যাবজ্জীবনের জন্য দেওয়া বেতন, ভাতা এবং আবাসনের অধিকারী।
একটি ফিল্ড মার্শালের স্বাক্ষর একটি পদ্ম পুষ্পস্তবক পুষ্পস্তবক অর্পিত ব্যাটন উপর জাতীয় প্রতীক নিয়ে গঠিত। অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়, ফিল্ড মার্শালগুলিকে একটি সোনার টিপড লাঠি (যা তারা আনুষ্ঠানিক উপলক্ষে চালিয়ে যেতে পারে) এবং একটি ব্যক্তিগত পতাকা দেওয়া হয়।
একটি ফিল্ড মার্শালের ইউনিফর্মটি অনন্য যে এটি শ্রীলঙ্কা সেনা পোশাক নিয়মাবলী অনুসরণ করে, তবে তাদের অধীন হয় না। একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হ'ল পাঁচ তারকা রেড জর্জেট প্যাচগুলির ব্যবহার ।
সরথ ফনসেকা ছিলেন প্রথম এবং আজ অবধি কেবলমাত্র শ্রীলঙ্কার সেনা অফিসার পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। ২২ মার্চ ২০১৫-তে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।
|
1050158
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050158
|
জামিয়া আল-কারম
|
জামিয়া আল-কারম
জামিয়া আল-কারম ( ) ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ারের ইটনে অবস্থিত একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইটনের ৩০ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি মুহাম্মদ ইমদাদ হুসেন পীরজাদা পরিচালনা করেছেন।
১৯৯৫ সালে জামিয়া আল-কারম তার বর্তমান অবস্থানে নটিংহামশায়ার রেটফোর্ডে চলে আসে, যেখানে এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ পীরজাদা একটি নতুন প্রকল্প আল কারম মাধ্যমিক বিদ্যালয় চালু করেছিলেন। এটি একটি বোর্ডিং স্কুল ছিল যা জিসিএসই স্তর পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করে। স্কুলটি শিক্ষার মান বজায় রেখেছিল এবং এর ফি কম থাকায় অনেকের জন্য সেটা সাশ্রয়ী ছিল।
এটি ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান করে। পাশাপাশি আরবি ভাষা, ইসলামিক স্টাডিজ এবং উর্দু বিষয়গুলিও পাঠদান করে।
ইনস্টিটিউট ৪০০ ব্রিটিশ ইসলামিক পণ্ডিত তৈরি করেছে যার মধ্যে ৪০ জন মিশরের কায়রোতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। ১৯৫১ সাল দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক বিদ্যমান। যখন বিচারপতি শাইখ মুহাম্মদ কারম শাহ আল-আজহারী (যার নাম অনুসারে জামিয়া আল-কারম নামকরণ করা হয়) আহমাদ জাকি, মুস্তাফা শিলবি এবং মুহাম্মদ আবু জাহরাসহ আল-আজহারের মহান পণ্ডিতদের তত্ত্বাবধানে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।
২০১১ সালের ১৫ মে রবিবার, জামিয়া আল-কারম প্রাঙ্গণে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর আল-আজহার গ্র্যাজুয়েটস (ডাব্লুএএজি)-এর যুক্তরাজ্য শাখা এবং গ্রেট ব্রিটেনের আল-আজহার যোগাযোগ অফিসের উদ্বোধন করা হয়। এতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও কেমব্রিজ মুসলিম কলেজের টিমোথি উইন্টার, নাজির আহমেদ, ব্যারন আহমেদ, ফায়াজ গফুর (সিওও, এআরওয়াই নেটওয়ার্ক) সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জামিয়া আল কারমের ইমাম ও প্রবীণ প্রভাষক গুল মুহাম্মাদ ব্রিটিশ জিম্মি অ্যালান হেনিংকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আইএসআইএস-এর কাছে আবেদন করেছিলেন এবং জঙ্গিদের ইসলামের বিরুদ্ধে 'সবচেয়ে নিন্দনীয় পাপ' না করার আহ্বান জানান।
জামিয়া আল-কারম প্রতিষ্ঠাতার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে এটি ব্রিটিশ মুসলমানদের শিক্ষাগত ও সামাজিক সামাজিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
জামিয়া আল কারমে দারসে নিজামি কোর্স পড়ায় যা ইসলামিক শিক্ষার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত। এটি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ততা অর্জন করেছে এবং জামিয়া আল-কারমের স্নাতকদের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ ডিগ্রি কোর্সের তৃতীয় বর্ষে ভর্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি ৬০ জনেরও বেশি ইসলামিক পণ্ডিত তৈরি করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি একটি আল কারম নাশিদ গ্রুপ পরিচালনা করে। যা ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের সময় সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইসলামিক গান পরিবেশন করে।
এটি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংলাপের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিবিদ ও নেওয়ার্কের সংসদ সদস্য (এমপি) রবার্ট জেনেরিক জামিয়া আল কারম পরিদর্শন করেন এবং এর প্রতিষ্ঠাতার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
|
1050165
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050165
|
মানসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন
|
মানসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন
মানসম্মত স্বাস্থ্যব্যবস্থা (“সাবধানতার সাথে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা” থেকে আলাদা অর্থে) বলতে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহারযোগ্য পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা কে বুঝায়। ইউনিসেফ এবংডব্লিউএইচ্ও এর পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রামের(জেএমপি) উদ্যোগে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল(এমডিজি) এর ৭ টি লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ২০০২ সালে ব্যবহৃত হয় ।মানসম্মত সাস্থ্যব্যবস্থা র বিপরীত হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ।এই একই শব্দ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৬ অর্জনের উদ্দেশ্যে (লক্ষ্য ৬.২, নির্দেশক ৬.২.১) ২০১৫ থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেএমপি বার্ষিকভাবে পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশ করছে।২০১৫ সালে বলা হয়,৬৮% লোক মানসম্মত স্বাস্থ্যব্যবস্থা ব্যবহার করে।
২০১৫ সালে এই লক্ষ্যকে সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ৬ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয় এবং তাতে বলা হয় মুক্তভাবে পয়ঃনিষ্কাশন,মহিলা এবং মেয়েদের এবং যারা বয়স্ক তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা এবং সর্বোপরি সবার জন্য সমান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।নির্দেশক ৬.২.১ হচ্ছে জনগন যাতে ”মানসম্মত স্বাস্থ্যব্যবস্থা” এবং ”সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ” পায়।
২০১৭ সালে জেএমপি ”মৌলিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা” নামে একটি নতুন শব্দ আবিষ্কার করে যা বলতে ঐসব ব্যবস্থাকে বুঝায় যা ঘরবাড়ির সাথে সংযুক্ত নয়। নিচু লেভেলের ”সীমিত স্বাস্থ্যব্যবস্থা” বলতে বুঝায় যা কেবল কেবলমাত্র দুই বা তিন ঘরবাড়িতে ব্যবহৃত হয় ।এটি মৌলিক ব্যবস্থা যা ইন সিটু বা পরিবাহিত হয়।I
উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলতে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মানুষের সংস্পর্শ থেকে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আলাদা করাকে বুঝায়।
মানসম্মত স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধাপ হচ্ছে মুক্ত জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ সীমিতকরণ, উন্নতিকরণ।
উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলতে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মানুষের সংস্পর্শ থেকে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আলাদা রাখা এবং তা সাসটেইনেবল স্বাস্থ্যব্যবস্থার সাথে এক নয়।জেএমপি সংজ্ঞা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত স্বাস্থ্যব্যবস্থা আর অস্বাস্থ্যকর সাস্থ্যব্যবস্থাকে আলাদা করা হয়।
মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলের জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রামের এবং পানি সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা অর্জনের জন্য টয়লেট হবে নিম্নরূপ:
স্বাস্থ্যব্যবস্থায় যা স্বাস্থ্যসম্মত হিসাবে ধরা হয়না তা হলো:
একত্রে সকলের ব্যবহৃত বাথরুম কে জেএমপি ২০১৭ এর বার্ষিক রিপোর্ট এ দেখানো হয়নি।
|
1050166
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050166
|
পরিবেশগত উৎকর্ষ নীতি
|
পরিবেশগত উৎকর্ষ নীতি
পরিবেশগত উৎকর্ষ নীতি (ইভিই) নামটি দিয়ে যা বোঝা যায় তা হল উৎকর্ষ নীতিশাস্ত্রের দৃষ্টি দিয়ে পরিবেশ নীতিশাস্ত্র উপলব্ধি করার একটি উপায়। এটি আপাতবিরোধী মনে হলেও উভয়ই খুব নবীন এবং তুলনামূলকভাবে পুরাতন অথবা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি। এটি পুরোনো অথবা প্রতিষ্ঠিত কারণ, যেহেতু ল্যুক ভ্যান ওয়েনস্ভিন দেখিয়েছেন যে, প্রায় সব পরিবেশ বিষয়ক সাহিত্য নৈতিক ভাষার প্রয়োগ ঘটায়। এটি নবীন কেননা নীতি-ভারাক্রান্ত ভাষা ব্যবহারের যে প্রবণতা তা কেবল সম্প্রতিই বিশদভাবে গৃহীত হয়েছে এবং দার্শনিক উৎকর্ষ নীতিশাস্ত্রের দৃষ্টিতে তা বিবেচনা করা হয়েছে।
পরিবেশগত সমস্যার ক্ষেত্রে ভার্চু থিওরি প্রয়োগ করার গোড়ার দিককার আগ্রহ খুঁজে পাওয়া যাবে একাডেমিক এবং পরিবেশসম্বন্ধীয় জার্নালের ভিন্নধর্মী প্রবন্ধগুলোতে, যেমন থমাস হিলের "আইডিয়ালস অব হিউম্যান এক্সিলেন্স এন্ড প্রিজারভিং ন্যাচারাল এনভায়রনমেন্ট" এই পদ্ধতির প্রথম প্রধান বিশ্লেষণ আছে ল্যুক ভ্যান ওয়েনস্ভিনের প্রভাবশালী বই "ডার্টি ভার্চুসঃ দ্য ইমার্জেন্স অব ইকোলজিক্যাল ভার্চু এথিক্স" এ।
পরিবেশগত উৎকর্ষ নীতিশাস্ত্রজ্ঞগণ উৎকর্ষ নীতিশাস্ত্রের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে এবং পরিবেশ নীতিশাস্ত্রের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে অনুপ্রেরণা নেন। সে যাইহোক, ইভিই এর মধ্যে দোষ ও গুণগুলো নির্ণয় করার জন্য তিনটি সাধারণ পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত, “উৎকর্ষ তত্ত্ব পদ্ধতি,” যা গভীর থেকে পরিবেশগত উৎকর্ষ নীতি নির্মাণের চেষ্টা করে। দ্বিতীয়ত, “পরিবেশগত আদর্শ পদ্ধতি,” যা পরিবেশগতভাবে সুনীতিসম্পন্ন হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের আদর্শ হিসেবে প্রদর্শন করিয়ে থাকে। এবং, পরিশেষে, “সম্প্রসারণবাদী পদ্ধতি,” যা চিরাচরিত উৎকর্ষসমূহ গ্রহণ করে এবং পরিবেশগতভাবে অর্থবহ উপায়ে পরিচালনা করার জন্য তাদের প্রসারিত করে। কিছুসংখ্যক লেখক এই পদ্ধতিগুলোর যেকোনো একটি গ্রহণ করলেও অন্যরা দুটি বা ততোধিক পদ্ধতির উপাদানগুলিকে একত্রিত করে।
সাধারণ ইভিই বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্তঃ নির্দিষ্ট গুণ বা দোষের ব্যাখ্যা; এক বা একাধিক গুণের প্রতিমূর্তিস্বরুপ নির্দিষ্ট আদর্শ ব্যক্তিদের বিশ্লেষণ; যথাযথ নীতিমালা সুপারিশ করা পরিচালনা অথবা তৈরির জন্য বিধি (“ভি-রুলস”) প্রণয়ন করা সহ উৎকর্ষ নীতিশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে নির্দিষ্ট পরিবেশগত সমস্যাগুলো বিবেচনা করার চেষ্টা; এবং, অবশ্যই, পরিবেশ নীতিশাস্ত্রে উৎকর্ষ-তত্ত্ব পদ্ধতির তাত্ত্বিক ভিত্তি এবং বৈধতার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন।
|
1050168
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050168
|
সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ
|
সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ
সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ (এমএইচডাব্লু) হল স্বল্প সময়ের জন্য সমুদ্র বা মহাসাগর এর অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা। সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ বিভিন্ন কারণ দ্বারা সৃষ্টি হয় এবং এটি মারাত্মক জীববৈচিত্রের পরিবর্তনের সাথে যুক্ত। যেমন সমুদ্রের তারা নষ্টকারী রোগ, বিষাক্ত অ্যালগাল ফুল এবং বেন্টিক সম্প্রদায়ের গণমৃত্যু।
প্রধান সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের ইভেন্টগুলি যেমন গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ২০০২ ভূমধ্যসাগর ২০০৩, উত্তর পশ্চিম আটলান্টিক ২০১২, এবং উত্তর-পূর্ব প্যাসিফিক ২০১৩-২০১৬, ঐসব অঞ্চলের সমুদ্রবৃত্তীয় এবং জৈবিক অবস্থার উপর কঠোর এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বব্যাপী ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণায়ন এর বিশেষ প্রতিবেদন এর উপরজলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তঃসরকারী প্যানেল (আইপিসিসি) প্রতিবেদনটি "ভার্চুয়ালভাবে নিশ্চিত" যে বিশ্বব্যাপী মহাসাগর আমাদের জলবায়ু ব্যবস্থার অতিরিক্ত তাপের ৯০% এরও বেশি শোষণ করেছে, সমুদ্র উষ্ণায়নের হার দ্বিগুণ হয়েছে, এবং এমএইচডাব্লু ইভেন্ট ১৯৮২ সাল থেকে ফ্রিকোয়েন্সিতে দ্বিগুণ হয়েছে। আরসিপি ৪.৫ এবং আরসিপি ৬.০ পরিস্থিতির অধীনে বলা যায় যে, সমুদ্র উষ্ণ হতে শুরু করলে সেটা পার্থিব এবং মহাসাগরীয় বাস্তুতন্ত্রের উপর গুরুতর প্রভাব পড়বে।
একটি সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ হল একটি স্বতন্ত্র দীর্ঘস্থায়ী উষ্ণ জলের ইভেন্ট। উষ্ণ জলের ইভেন্টগুলির প্রয়োজনীয়তা এভাবে বর্ণনা করা উচিত যে এমএইচডাব্লু ৫ বা তার বেশি দিনকালের জন্য, ৩০ বছরের স্থানীয় পরিমাপের ৯০% এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রার জন্য, শীতল হওয়ার সময় ৩ দিনের বেশি নয় এমন বিষয়ের জন্য প্রযোজ্য। এটি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ঘটা ঘটনা।
মেরিন হিটওয়েভস ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কিং গ্রুপের সাম্প্রতিক কাজ একটি শ্রেণিবিন্যাস ব্যবস্থা প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব করা হচ্ছে গবেষকদের ও নীতি নির্ধারকদের এই চরম ঘটনাগুলি সংজ্ঞায়িত করার এবং জৈবিক সিস্টেমে প্রভাবগুলি অধ্যয়ন করার অনুমতি দেওয়ার জন্য।
মেরিন হিটওয়েভস ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কিং গ্রুপ দ্বারা সংজ্ঞায়িত এমএইচডাব্লুয়ের পরিমাণগত এবং গুণগত শ্রেণিবিন্যাস, এমএইচডাব্লু ইভেন্টগুলির জন্য একটি নামকরণ সিস্টেম, টাইপোলজি এবং বৈশিষ্ট্যগুলি প্রতিষ্ঠা করে। নামকরণ সিস্টেমটি স্থান এবং বছর দ্বারা প্রয়োগ করা হয়; উদাহরণস্বরূপ ভূমধ্যসাগর ২০০৩। এটি গবেষকদের প্রতিটি ইভেন্টের ড্রাইভার এবং বৈশিষ্ট্যগুলির তুলনা, এমএইচডাব্লু এর ভৌগোলিক এবং ঐতিহাসিক প্রবণতার তুলনা করতে সহায়তা করে। এমএইচডাব্লু ইভেন্টগুলি রিয়েল-টাইমে ঘটে যাওয়ার কারণে এটি সহজেই এমএইচডাব্লু এর অন্যান্য ইভেন্টগুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারে। বিভাগকরণ পদ্ধতিটির স্কেল ১-৪ অবধি। বিভাগ ১ একটি মধ্যম ঘটনা, বিভাগ ২ একটি শক্তিশালী ঘটনা, বিভাগ ৩ একটি মারাত্মক ঘটনা, এবং বিভাগ ৪ একটি চরম ঘটনা। প্রকৃত সময়ে প্রতিটি ইভেন্টে প্রয়োগ করা বিষয়শ্রেণিটি মূলত সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অসঙ্গতিগুলি (এসএসটিএ) দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে টাইপোলজি এবং বৈশিষ্ট্যগুলিও এর অন্তর্ভুক্ত থাকে। এমএইচডব্লিউর প্রকারগুলি হল প্রতিসম, ধীর সূচনা, দ্রুত সূচনা, নিম্ন তীব্রতা এবং উচ্চ তীব্রতা। এমএইচডাব্লু ইভেন্টের একাধিক বিভাগ থাকতে পারে যেমন ধীর সূচনা উচ্চ তীব্রতা। এমএইচডাব্লু ইভেন্টগুলির বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে সময়কাল, তীব্রতা (সর্বাধিক, গড়, ক্রমযুক্ত), সূচনা হার, পতনের হার, অঞ্চল এবং ফ্রিকোয়েন্সি।
এমএইচডাব্লু ইভেন্টের ড্রাইভারদের স্থানীয় প্রক্রিয়া, টেলিযোগাযোগ প্রক্রিয়া এবং আঞ্চলিক জলবায়ু নিদর্শন হিসাবে বিভক্ত করা যেতে পারে। এই ড্রাইভারদের দুটি পরিমাণগত পরিমাপ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা দিয়ে তারা এমএইচডাব্লু, গড় সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার পরিবর্তনশীলতা শনাক্ত করতে পারবে। স্থানীয় স্তরে এমএইচডাব্লু ইভেন্টগুলি সমুদ্র advection, বায়ু-সমুদ্রের প্রবাহ, থার্মোকোলাইন স্থিতিশীলতা এবং বাতাসের চাপ দ্বারা আধিপত্য বিস্তার করে।
টেলিকানেকশন প্রক্রিয়া বলতে জলবায়ু এবং আবহাওয়ার নিদর্শনগুলিকে বোঝায় যা ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী অঞ্চলগুলিকে সংযুক্ত করে।
এমএইচডাব্লুয়ের জন্য, টেলিকানেকশন প্রক্রিয়া এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বায়ুমণ্ডলীয় ব্লকিং/সাবসিডেন্স, জেট-স্ট্রিম অবস্থান, মহাসাগরীয় কেলভিন ওয়েভস, আঞ্চলিক বাতাসের চাপ, উষ্ণ পৃষ্ঠের বায়ু তাপমাত্রা, এবং মরসুমী জলবায়ু দোলন। এই প্রক্রিয়াগুলি আঞ্চলিক উষ্ণায়ন প্রবণতায় অবদান রাখে যা পশ্চিমা সীমানা স্রোতকে তুলনামূলকভাবে প্রভাবিত করে।. আঞ্চলিক জলবায়ুর
নিদর্শন, যেমন এল নিনো দক্ষিণী অসিলেশন (ইএনএসও) এর মত আন্তঃসত্তা দোলন, উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে "দ্য ব্লব" এর মতো এমএইচডাব্লু ইভেন্টগুলিতে অবদান রেখেছেন। যে ড্রাইভারগুলি জীবজগত ক্ষেত্র বা পৃথিবীর স্কেলে সার্বিকভাবে কাজ করে সেগুলো হল প্যাসিফিক ডেকাডাল অসিলেশনস (পিডিও) এবং অ্যানথ্রোপোজেনিক সাগর উষ্ণায়নের মতো ডেকাডাল দোলন।
যুক্তরাজ্যের পোর্ট ইরিনে ১৯০৪ সাল থেকে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিশ্ব সংগঠনের মাধ্যমে এখনো তা চলছে। বিশ্ব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে আইপিসিসি, মেরিন হিটওয়ায়েস আন্তর্জাতিক ওয়ার্কিং গ্রুপ, NOAA, নাসা, এবং আরো অনেক। ইভেন্টগুলি ১৯২৫ থেকে আজ অবধি চিহ্নিত করা যায়। নীচের তালিকাটি রেকর্ড করা সমস্ত এমএইচডাব্লু ইভেন্টের সম্পূর্ণ উপস্থাপনা নয়।
তালিকা:
১) ভূমধ্যসাগর ১৯৯৯,২০০৩,২০০৬
২)ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯,২০১১
৩) এনডাব্লু আটলান্টিক ২০১২,২০১৬
৪)এনই প্যাসিফিক ২০১৩–২০১৬, "ব্লব"
৫)গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ১৯৯৮,২০০২,২০১৬
৬) তাসমান সমুদ্র ২০১৫
পার্থিব এবং সামুদ্রিক জীবের তাপীয় পরিবেশে পরিবর্তনগুলি তাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উপর কঠোর প্রভাব ফেলতে পারে। এমএইচডাব্লু ইভেন্টগুলিতে যা দেখা গিয়েছে তা হল আবাসের অবক্ষয় বৃদ্ধি, প্রজাতির পরিসীমা বিচ্ছুরণ পরিবর্তনকরণ, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যজীবনের জটিল পরিচালনা প্রজাতির গণহত্যায় অবদান এবং সাধারণভাবে বাস্তুসংস্থান পুনরায় আকার প্রদান। আবাসস্থল অবক্ষয় তাপীয় পরিবেশের পরিবর্তন ও পরবর্তী পুনর্গঠন এবং কখনও কখনও জৈব আবাসের সম্পূর্ণ ক্ষতির মাধ্যমে ঘটে। জৈব আবাস বলতে সিগ্রাস বিছানা, প্রবাল এবং কেল্প বন কে বুঝায়। এই আবাসস্থলগুলিতে সমুদ্রের জীব বৈচিত্র্যের একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাত রয়েছে। সমুদ্রের বর্তমান সিস্টেম এবং স্থানীয় তাপীয় পরিবেশে পরিবর্তনগুলি অনেক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রজাতিকে বিস্তৃত উত্তর দিকে স্থানান্তরিত করেছে। যেখানে নাতিশীতোষী প্রজাতিগুলি তাদের দক্ষিণ সীমানা হারিয়েছে। বিষাক্ত অ্যালগাল ব্লুমস এর প্রাদুর্ভাবের সাথে বৃহত পরিসরের এদের স্থানান্তর ট্যাক্সা জুড়ে বহু প্রজাতিকে প্রভাবিত করেছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত প্রজাতির পরিচালনা ক্রমশ কঠিন হয়ে ওঠে কারণ তারা পরিচালনা সীমানা এবং গতিশীলতাময় খাদ্যজাল জুড়ে মাইগ্রেশন করে। ২০০৩ সালে ভূমধ্যসাগরে ২৫টি বেন্থিক প্রজাতির গণহারে মৃত্যু, সমুদ্রের নষ্ট রোগ), এবং প্রবাল ব্লিচিং ঘটনাগুলির কারণে প্রজাতির প্রাচুর্য হ্রাস পেয়েছে। এগুলো সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে।. আরও ঘন ঘন এবং দীর্ঘায়িত এমএইচডাব্লু ইভেন্টগুলির ফলে প্রজাতিগুলির বিতরণে কঠোর প্রভাব পড়বে।
১৯২৫-১৯৫৪ এবং ১৯৮৭-২০১৬ সালের মধ্যে মহাসাগরের বায়ুমণ্ডল পরিবর্তিত হয়েছে যা ফ্রিকোয়েন্সিতে ৩৪% বৃদ্ধি, সময়কালে ১৭% বৃদ্ধি এবং মোট বার্ষিক দিনে 54% বৃদ্ধি পেয়েছে। আইপিসিসি আরসিপি সিমুলেশন এমএইচডাব্লু বৈশ্বিক গড় পূর্বাভাস আরসিপি 4.5 এবং আরসিপি ৬.০ ব্যবহার করে এমএইচডাব্লুয়ের অধীনে এগুলো জানা গিয়েছিল। ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ এ আইপিসিসি "পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে মহাসাগর এবং ক্রিস্টোফিয়ার" সম্পর্কিত তার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, এবং এই প্রতিবেদনে এমএইচডাব্লুকে ৭২ বার উল্লেখ করা হয়েছে। আরসিপি পরিস্থিতি ২.৬-৮.৫ দেখায় যে, বিশ্বব্যাপী গড় পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২০৩১-২০৫০ সালের মধ্যে ১.৬-২.০ °C বেড়ে যাবে এবং এভাবে চলতে থাক্লে তাপমাত্রা ২০৮১-২১০০ সালের মধ্যে ১.৬-৪.৩ °C হবে। সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার জন্য এটি ২০৩১-২০৫০ এর মধ্যে গড়ে ০.৯–১.৩ °C এবং ২০৮১-২১০০ এর মধ্যে ১.০–৩.৭ °C বৃদ্ধি পাবে। অনেক প্রজাতি ইতোমধ্যে এমএইচডাব্লু ইভেন্ট চলাকালীন এই তাপমাত্রার পরিবর্তনগুলি অনুভব করেছে। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা এবং চরম উত্তাপের ঘটনা বৃদ্ধি অনেক উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ সম্প্রদায়ের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ কারণ তৈরী করেছে এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে।
|
1050174
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050174
|
ইঞ্জিনিয়ারিং ইকুয়েশন সল্ভার (সমীকরণ সমাধানকারী)
|
ইঞ্জিনিয়ারিং ইকুয়েশন সল্ভার (সমীকরণ সমাধানকারী)
ইঞ্জিনিয়ারিং ইক্যুয়েশন সলভার (ইইএস) একটি বাণিজ্যিক সফটওয়্যার প্যাকেজ যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অ-রৈখিক সমীকরণ সমাধানের ব্যবহৃত হয়।এটি তাপ গতিবিদ্যা এবং তাপের আদান-প্রদান মূলক সমস্যার সমাধানের জন্য অনেক কার্যকারী বিশেষায়িত ফাংশন/পদ্ধতি এবং সমীকরণ প্রদান করে। এইসব কারণে এটি যন্ত্রকৌশল প্রকৌশলীদের জন্য দরকারি এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত সফট্ওয়ারে পরিণত হয়েছে। ই.ই.এস. তাপগতিবিদ্যা সম্পর্কিত কিছু বৈশিষ্ট্য তথ্য আকারে জমা রাখে, যেগুলোর সাহায্যে কোডের ব্যবহারের মাধ্যমে হাত দিয়ে পুনরাবৃত্তি-মূলক সমস্যার সমাধান অপসারণ করে। ই.ই.এস. এর বিল্ট ইন ফাংশন ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যাবৃত্তিমূলক সমস্যার সমাধান করে এবং সেই সাথে তাপগতিবিদ্যার কোন বৈশিষ্ট্য বের করার ক্লান্তিকর এবং সময় সাপেক্ষ কাজ অপসারণ করে।
ই.ই.এস. বিশেষত ৩২ এবং ৬৪-বিট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের অধীনে চলার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বুটক্যাম্প, প্যারালাল ডেস্কটপ অথবা ভিএমওয়ার ফিউশন ব্যবহার করে এটিকে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমেও ব্যবহার করা যায়। এর বাণিজ্যিক সংস্করণ ৬০০০ সমীকরণ সমাধান করতে পারে। ৩২-বিট পেশাদার সংস্করণ একসাথে ১২০০০ এবং ৬৪-বিট পেশাদার সংস্করণ একসাথে ২৪০০০ সমীকরণ সমাধান করতে পারে। এটিকে ফোরট্রান, সি/সি++,ম্যাটল্যাব এক্সেল এবং পাইথনের সাথে সংযুক্ত করা যায়।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইক্যুয়েশন সলভার প্যারামেট্রিক/বৈশিষ্ট্যমূলক টেবিল ও অন্তর্ভুক্ত করে, যেটা ব্যবহারকারীকে একই সময়ে অনেকগুলো চলকের তুলনা করার অনুমতি দেয়। প্যারামেট্রিক টেবিলগুলি লেখচিত্র তৈরি করতেও ব্যবহৃত হয়। ই.ই.এস.-কে কমান্ড-ইন-কোড এবং ইন-টেবিল হিসেবে ও একীভূত করা যায়।এছাড়াও এর অপটিমাইজেশন টুল কিছু চলকের পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট চলকের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মান দেয়। লুকআপ টেবিল তথ্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা যেতে পারে এবং এই টেবিলকে কোড লিখে ব্যবহার করা যেতে পারে। ই.ই.এস. ব্যবহারকারীকে যেকোনো মাত্রার সমীকরণ প্রবেশ করানোর ( ইনপুট) অনুমতি দেয় এবং সমাধান পেতে (আউটপুট) সাহায্য করে, সেই সাথে ই.ই.এস. -এর মধ্যে if-then স্টেটমেন্ট থাকে, এই স্টেটমেন্ট নিজেদের মধ্যে নেস্টেড আকারে ব্যবহার করে if-then-else স্টেটমেন্ট তৈরি করা যেতে পারে। ব্যবহারকারী নিজের লেখা কোড ব্যবহার করেও ফাংশন বানাতে পারে। সেই ফাংশনগুলোর একাধিক আউটপুট থাকে।
পছন্দগুলি সামঞ্জস্য করে ব্যবহারকারীকে ইউনিট সিস্টেম চয়ন করতে, পুনরাবৃত্তির সংখ্যা সহ স্টপ মাপদণ্ড নির্দিষ্ট করতে এবং অন্যান্য বিকল্পগুলির মধ্যে ইউনিট চেকিং এবং সুপারিশকারী ইউনিটগুলিকে সক্ষম/অক্ষম করে।ব্যবহারকারীরা এছাড়াও নির্দিষ্ট মান অনুমান এবং চলকের সীমা নির্ধারণ করে পর্যাবৃত্তিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। এর সাহায্যে ই.ই.এস.-কে দ্রুত সফল ভাবে সমাধান খুঁজে দিতে সাহায্য করতে পারে।
প্রোগ্রামটি এফ-চার্ট সফটওয়্যার দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।এটি উইসকনসিন-মেডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সানফোর্ড এ ক্লিনের একটি বাণিজ্যিক পণ্য।
ম্যাকগ্রা-হিল প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু তাপগতিবিদ্যা, তাপের আদান-প্রদান এবং তরল বলবিদ্যার বই -এ ই.ই.এস. সফটওয়্যারটি সংযুক্ত করা হয়েছে।
এটি একই লেখকের গতিশীল সিস্টেম সিমুলেশন প্যাকেজ TRNSYS এর সাথে একত্রে সংযুক্ত হয়েছে।
|
1050180
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050180
|
হুদুদ অধ্যাদেশ
|
হুদুদ অধ্যাদেশ
হুদুদ অধ্যাদেশ (উর্দু ; এছাড়াও রোমান হরফে Hadood, Hadud, Hudud লেখা হয়; একবচন রূপ "হাদ") এমন আইন যা ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়া-উল-হকের "শরিয়াকরণ" বা "ইসলামিকরণ" প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে প্রণীত হয়েছিল। এতে ব্রিটিশ আমলের পাকিস্তান দণ্ডবিধির কিছু অংশ, যেমন ব্যভিচার ও বিবাহবহির্ভূত যৌনতার নতুন ফৌজদারি অপরাধ যুক্ত করা, এবং বেত্রাঘাত, অঙ্গচ্ছেদ প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যার নতুন শাস্তি যোগ করার মধ্য দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। বিভিন্ন বিতর্ক ও সমালোচনার পরে ২০০৬ সালে মহিলা সুরক্ষা বিল দ্বারা ব্যাপকভাবে এই আইনের সংশোধন করা হয়েছিল।
হুদুদ আইনের উদ্দেশ্য ছিল জিনা (বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার), কাযফ (যিনার মিথ্যা অভিযোগ), চুরি, এবং অ্যালকোহল সেবন। এর জন্য কুরআন ও সুন্নাহতে উল্লিখিত শাস্তি কার্যকর করার মাধ্যমে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন বা পাকিস্তানি আইনকে "ইসলামের আদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ" আনার উদ্দেশ্যে।)। সিস্টেম দুটি ধরণের অপরাধের জন্য প্রদান করেছিল - হাদ এবং তাজির - তাদের সাথে যেতে বিভিন্ন শাস্তি সহ। হাদ অপরাধের (নির্দিষ্ট শাস্তি) তাজিরের (বিবেচনামূলক শাস্তি) চেয়ে উচ্চতর প্রমাণের প্রয়োজন এবং তাদের শাস্তি আরও কঠোর।
আইনের জিনা বিধানগুলি বিশেষভাবে বিতর্কিত ছিল এবং সমালোচকরা অভিযোগ করেন যে "শত শত ঘটনা যেখানে একজন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এমনকি গণধর্ষণ করা হয়েছে, অবশেষে তাকে যিনার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে" এবং তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে আইন সংশোধন করা হয়েছিল, এমন নারীদের ক্ষমা করে যারা ধর্ষণ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
|
1050186
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050186
|
২০১৫-এর জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন
|
২০১৫-এর জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন
ফ্রান্সের প্যারিসে ৩০শে নভেম্বর থেকে ১২ই ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ২০১৫ সালের জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন, কপ ২১ বা সিএমপি ১১ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ১৯৯২ সালের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (ইউএনএফসিসিসি) -এ পার্টির সম্মেলনের (সিওপি) একুশতম বার্ষিক অধিবেশন এবং ১৯৭৭ সালের কিয়োটো প্রোটোকলের পার্টির (সিএমপি) সভার একাদশ তম অধিবেশন ছিল।
সম্মেলনটি প্যারিস চুক্তি , জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস সম্পর্কিত একটি বৈশ্বিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে, যার পাঠ্যক্রমে উপস্থিত ১৯৬টি দেশের প্রতিনিধিদের ঐকমতের ভিত্তিতে করা হয়েছিল। যখন কমপক্ষে ৫৫টি দেশ একত্র হয় তখন এই চুক্তিটি কার্যকর হয়, যারা বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কমপক্ষে ৫৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। ২২শে এপ্রিল ২০১৬( ধরিত্রী দিবস ) এ, ১৭৪টি দেশ নিউইয়র্কে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং তাদের নিজস্ব আইনি ব্যবস্থায় ( অনুমোদন, স্বীকৃতি, সমর্থন, বা প্রবেশের মাধ্যমে) এটিকে গ্রহণ করা শুরু করে।
আলোচনার শুরুতে আয়োজক কমিটির মতে, প্রত্যাশিত মূল ফলাফলটি ছিল "বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন সীমাবদ্ধকরণের লক্ষ্য একে প্রাক-শিল্প স্তরের তুলনায় ২° সেলসিয়াস এর নিচে রাখা। চুক্তিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে নৃতাত্ত্বিকভাবে শূন্যতে পৌঁছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। প্যারিস চুক্তির গৃহীত সংস্করণে, দেশগুলিও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫° সেঃ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করার জন্য "প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।" কিছু বিজ্ঞানীর মতে ১.৫° সেঃ নির্গমনের লক্ষ্য পূরণ করতে ২০৩০ থেকে ২০৫০ এর মধ্যে কোনও সময় শূন্য নির্গমন প্রয়োজন।
এই সম্মেলনের আগে ১৪৬টি জাতীয় জলবায়ু প্যানেল প্রকাশ্যে জাতীয় জলবায়ু অবদানের একটি খসড়া উপস্থাপন করে ( যা "উদ্দিষ্ট জাতীয় নির্ধারিত অবদান ", আইএনডিসি) নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবিত প্রতিশ্রুতিগুলি বৈশ্বিক উষ্ণয়নকে ২১০০ সালের মধ্যে ২.৭-এ সীমাবদ্ধ করবে অনুমান করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ইইউ প্রস্তাবিত আইএনডিসি ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০% নির্গমন হ্রাস করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চুক্তিটি একটি " গ্লোবাল স্টকটেক " প্রতিষ্ঠা করে যা ২০২৩ সাল থেকে প্রতি পাঁচ বছরে তাদের "হালনাগাদ এবং বৃদ্ধি" করার লক্ষ্যে জাতীয় লক্ষ্যগুলি পুনর্বিবেচনা করে। তবে, পূর্বের কিয়োটো প্রোটোকলের বিপরীতে - প্যারিস চুক্তিতে কোনও নির্ধারিত সময়সূচী বা দেশ-নির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
কপ ২১-র প্রস্তুতিতে বন জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনসহ, ১৯ থেকে ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছিল, যা একটি খসড়া চুক্তি তৈরি করেছিল।
প্যারিসে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কমিটির মতে, ২০১৫ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল জাতিসংঘের ২০ বছরেরও বেশি আলোচনার মধ্যে প্রথমবারের মতো জলবায়ু সম্পর্কিত একটি বাধ্যতামূলক এবং সর্বজনীন চুক্তি অর্জন করা। সম্মেলনকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে পোপ ফ্রান্সিস "লৌডাটো সি'র" উদ্দেশ্যে একটি চিঠি প্রকাশ করেছিলেন। তা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে: "এই উষ্ণায়নের মোকাবিলার জন্য জীবনযাত্রা, উৎপাদন ও ব্যবহারের পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মানবতার প্রতি আহ্বান জানানো হয় বা অন্ততপক্ষে মানবিক কারনগুলো যা এটি উৎপাদন করে বা বাড়িয়ে তোলে।" আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন লক্ষ্যটিকে "শূন্য কার্বন, শূন্য দারিদ্র্য" হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং এর সাধারণ সম্পাদক শরণ বুরো বলেছেন যে, "মৃত গ্রহে কোনো চাকরি নেই"।
ইউএনএফসিসিসির আলোচনার স্থানটি জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশে হয়। ২০১৫ এর সম্মেলনটি ৩০শে নভেম্বর থেকে ১২ই ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত লে বুর্জেটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কিছুটা হলেও ফ্রান্স সিওপি ২১-এ অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদের জন্য একটি মডেল দেশ হিসাবে কাজ করেছে, কারণ বিশ্বের কয়েকটি উন্নত দেশগুলির মধ্যে এটি একটি যারা এখনও উচ্চমানের জীবনযাত্রা প্রদান করার সময় অঙ্গারমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং জীবাশ্ম জ্বালানী শক্তির সজ্জা করে। ২০১২ সালের হিসাবে, ফ্রান্স পারমাণবিক, জলবিদ্যুৎ এবং বায়ুসহ শূন্য কার্বন উৎস থেকে ৯০% এরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
সেন্ট-ডেনিসের প্যারিসের ৮তম ওয়ার্ডে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার দুই সপ্তাহ পরে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সামরিক আইন ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সম্মেলন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশব্যাপী ৩০,০০০ জন পুলিশ অফিসার এবং ২৮৫টি সুরক্ষা চেকপয়েন্ট মোতায়েন করে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ১৯৫টি দেশ ("রেফারেন্সের তালিকায় দেখুন") অংশ নিয়েছিল।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমাবদ্ধ করতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করা এই কনভেনশনের লক্ষ্য ছিল। সিওপি ১৭ থেকে এই বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প স্তরের উপরে করা হয়েছিল। তবে, ক্রিস্টিয়ানা ফিগিউরেস ২০১২ দোহার সম্মেলনে সমাপনী ব্রিফিংয়ে স্বীকার করেছেন: "কিয়োটো প্রোটোকলের অধীনে দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতিকালীন সময়ে বর্তমান প্রতিশ্রুতিগুলি তাপমাত্রা ২ এর নিচে থাকবে বলে নিশ্চিতভাবে গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয়। ২° সেন্টিগ্রেড এবং দেশগুলির কাজ এবং বিজ্ঞান আমাদের যা বলছে তার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধান রয়েছে। "
পূর্ববর্তী জলবায়ু আলোচনার সময়, দেশগুলি ১লা অক্টোবর ২০১৫ সালের মধ্যে একটি বৈশ্বিক চুক্তির মধ্যে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা যে কাজগুলি করেছে তার রূপরেখা করতে সম্মত হয়েছিল। এই প্রতিশ্রুতিগুলি জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান বা আইএনডিসি হিসাবে পরিচিত। একসাথে, আইএনডিসিগুলি উষ্ণয়নকে আনুমানিক ৪-৫° সে (২১০০ সালের মধ্যে) থেকে হ্রাস করে থেকে ২.৭° সে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু নির্গমনকে ৯% এ কমিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে আরও হ্রাসের জন্য সম্মেলনের আয়োজকদের দৃষ্টিতে আশা জাগিয়ে নিঃসরণ ২°সে এ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে।
ওয়ার্ল্ড পেনশন কাউন্সিল (ডব্লিউপিসি) যুক্তি দিয়েছিল যে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন- দুই বৃহত্তম নির্গমনকারীকে বোঝানোর মধ্যে নিহিত রয়েছে: "যতক্ষণ না ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের নীতিনির্ধারকরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্বন-নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণের পেছনে তাদের সমস্ত রাজনৈতিক মূলধন রাখেনা, অন্যান্য জি২০ সরকারের প্রশংসামূলক প্রচেষ্টা প্রায়শই ইচ্ছার রাজ্যেই থেকে যায়। রাষ্ট্রপতি ওবামা এবং শি জিনপিং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সীমাবদ্ধ করতে সম্মত হলে ১২ই নভেম্বর ২০১৪-তে পরিস্থিতি আরও উন্নত হয়েছিল। "
রাষ্ট্রপতি ওবামা সে ক্ষেত্রে আমেরিকার অত্যাবশ্যক ভূমিকার প্রতি জোর দিয়েছিলেন: "উদাহরণস্বরূপ [...] আমরা আলাস্কা থেকে উপসাগরীয় উপকূল পর্যন্ত বৃহৎ সমভূমিতে নেতৃত্ব দিয়েছি [...] আমরা আমাদের ইতিহাসে বেসরকারী চাকরির সর্বাধিক দীর্ঘতর ধারাবাহিকতা দেখেছি। প্রায় দুই দশকের মধ্যে আমাদের কার্বন দূষণকে সর্বনিম্ন স্তরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা আমাদের অর্থনৈতিক উৎপাদনকে সর্বকালের উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছি। এবং তারপরে, গত বছর চীনের সাথে ঐতিহাসিক জোট ঘোষণার মাধ্যমে আমরা দেখিয়েছিলাম যে, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে থাকা পুরোনো বিভাজন কাটানো সম্ভব হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি স্থির করে রেখেছিল [...] এটি ছিল প্যারিসে সাফল্যের ভিত্তি। " হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বন রক্ষায় লক্ষ্য করে আলোচনার একটি দিক নিয়ে কেস স্টাডি প্রকাশ করেছে।
১২ই ডিসেম্বর ২০১৫, অংশগ্রহীণকারী ১৯৬টি দেশ গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাস করার পদ্ধতির অংশ হিসাবে নির্গমন হ্রাস করতে, চূড়ান্ত বৈশ্বিক জোট, প্যারিস চুক্তিতে সর্বসম্মতভাবে সম্মত হয়েছিল। ১২ পৃষ্ঠার নথিতে, সদস্যরা তাদের কার্বন নিঃসরণকে "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব" হ্রাস করতে এবং বৈশ্বিক উষ্কয়নকে "২° সেলসিয়াসের নীচে" রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। বিতর্ক চলাকালীন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলি, সেশেলস এবং ফিলিপাইন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানের ফলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির কারণে মাত্র ২°সে এর পরিবর্তে ১.৫°সে লক্ষ্য নির্ধারণের পক্ষে দৃঢ়ভাবে ভোট দিয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্ট ফ্যাবিয়াস বলেছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন হ্রাস করার লক্ষ্যে এই "উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং ভারসাম্যপূর্ণ" পরিকল্পনা একটি "ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট" ছিল। তবে, কেউ কেউ সমালোচনা করে বলেছেন যে উল্লেখযোগ্য বিভাগগুলি "প্রতিশ্রুতি" বা লক্ষ্য এবং এগুলো দেশগুলির দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নয়।
বিশ্বের গ্রিনহাউস গ্যাসের ৫৫% এর বেশি উৎপাদনকারী ৫৫টি দেশ চুক্তিটি অনুমোদন না করা পর্যন্ত চুক্তিটি তার সদস্য দেশগুলির জন্য বাধ্যতামূলক হবে না। সন্দেহ রয়েছে কিছু দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এ বিষয়ে একমত হবে যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে যৌথ রাষ্ট্রপতি বিবৃতিতে ২০১৬ সালের চুক্তিতে যোগদানের কথা প্রকাশ্যে বলেছে।
চুক্তিটি অনুমোদনকারী প্রতিটি দেশের নির্গমন হ্রাস বা সীমাবদ্ধতার জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে, যাকে "জাতীয় নির্ধারিত অবদান," বা "এনডিসি" বলা হবে তবে এর পরিমাণ ইচ্ছাধীন হবে। এটি বাধ্যতামূলক করার বা স্ময়ের মধ্যে কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কোনও ব্যবস্থাও থাকবে না। সেখানে কেবল একটি "নাম ও লজ্জার" ব্যবস্থা থাকবে বা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি- জোনস প্যাস্তর সিবিএস নিউজকে একটি "নাম ও উৎসাহ" "পরিকল্পনা নিয়ে বলেছিলেন।
কিছু বিশ্লেষকও পর্যবেক্ষণ করেছেন যে প্যারিস চুক্তির বর্ণিত উদ্দেশ্যগুলিতে স্পষ্টতই "একটি অনুমানের ভিত্তিতে পূর্বাভাস দেওয়া - জাতিসংঘের সেই সদস্য দেশসমূহ, উচ্চ দূষণকারী সহ যেমন চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, কানাডা, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া, যারা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে, খারাপ আচরণ নিরুৎসাহিত করতে কোনও বাধ্যতামূলক প্রয়োগ ছাড়াই কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাদের নির্দিষ্ট জরিমানা বা রাজস্ব চাপ ছাড়াই তাদের কার্বন দূষণকে স্বেচ্ছায় এবং আশ্বাসের সাথে কমিয়ে আনবে (উদাহরণস্বরূপ কার্বন ট্যাক্স)।"
কপ ২১ শীর্ষ সম্মেলনের সময় অনুষ্ঠিত পঞ্চম বার্ষিক ওয়ার্ল্ড পেনশন ফোরামের ভাষণে আর্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক জেফ্রি স্যাক্স যুক্তি দিয়েছিলেন যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধে রাজনৈতিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক প্রচেষ্টায় প্রতিক্রিয়া জানাতে না পারলে অবশেষে কার্বন নির্ভরশীল সংস্থাগুলির কাছ থেকে সরে আসবে: " পেনশন তহবিলের পোর্টফোলিওর প্রতিটি শক্তি সংস্থাকে তার ভবিষ্যত সম্পর্কে নিখুঁত আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত করতে হবে, 'কেন এটি [একটি সংস্থা] আমরা পাঁচ থেকে ২০ বছর ধরে রাখতে চাই?' ... যদি আমরা এমন বড় শক্তি সংস্থাগুলি ধরে রাখি যার একটি মৌলিক আর্থিক পরীক্ষার উত্তর নেই, তবে আমরা কেবল জুয়া খেলছি। আমাদের একটি খাঁটি দায়িত্ব নিতে হবে - এগুলি ভাল বাজি নয়।"
কিছু মার্কিন নীতিনির্ধারক একমত হয়েছেন, বিশেষত আল গোর জোর দিয়ে বলেছেন, "কোনও চুক্তিই নিখুঁত নয় এবং সময়ের সাথে সাথে এটিকে আরও জোরদার করতে হবে, তবে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশগুলি এখন এই চুক্তির কাঠামোর মাধ্যমে বিপজ্জনক কার্বন দূষণ হ্রাস শুরু করবে।"
এ জাতীয় বড় সম্মেলনের আগে যথারীতি, বড় বড় এনজিও এবং সরকার দলগুলির প্যারিস সম্মেলনে নিজেই ঐক্যমত্য কামনা করার ইচ্ছা নিয়ে বিস্তৃত ঘোষণা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে অন্তত নিম্নলিখিত বড় প্রচেষ্টাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
বাজেটে সম্মেলনের খরচ ছিল 170 মিলিয়ন ইউরো (সেই সময়ে ১৮৬.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ফরাসী সরকার বলেছে যে ২০% ব্যয় বহন করবে ইডিএফ, ইঞ্জি (পূর্বে জিডিএফ সুয়েজ নামে পরিচিত), এয়ার ফ্রান্স, রেনো-নিসান এবং বিএনপি পরিবহনের মতো ফরাসি সংস্থাগুলি। স্পনসররা ছিলেন বিএমডাব্লু, অ্যাভেরি ডেনিসন, কার্বন ট্রেড এক্সচেঞ্জ, কুল এফেক্ট, কোকাকোলা কোম্পানি, জলবায়ু সম্পদ এক্সচেঞ্জ এবং ভ্যাটেনফল ।
বিশ্বজুড়ে ৬০০,০০০ জন দৃঢ়ভাবে এই চুক্তির বিপক্ষে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল, যেমন ৩৫০.সংগঠন (এবং অন্যান্য ইভেন্ট যেমন আল্টারনেটিবা, ভিলেজ অফ আল্টারনেটিভস) দ্বারা আয়োজিত বৈশ্বিক জলবায়ু মার্চ। সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা (জরুরি অবস্থা) এর প্রেক্ষিতে প্যারিসে জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তবে হাজার হাজার লোককে ১২ই ডিসেম্বর তারা যাকে খুবই দুর্বল চুক্তি বলে মনে করেছিল তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয়। প্যারিসে পুলিশ ও নৈরাজ্যবাদীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে দশজন পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং ৩১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা সহ একটি অবৈধ বিক্ষোভও হয়েছিল।
৩০শে নভেম্বর, সম্মেলনের প্রথম দিন, ১০০ টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা একটি "জলবায়ু ধর্মঘট" আয়োজন করেছিল; ৫০০০০ এরও বেশি মানুষ এতে অংশ নেয়।
|
1050191
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050191
|
তানজিমুল মাকাতিব
|
তানজিমুল মাকাতিব
তানজিম উল মাকাতিব ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনউতে অবস্থিত একটি সংগঠন। ভারতে শিয়াদের মধ্যে ধর্মীয় সচেতনতার জন্য নিবেদিত একটি সংগঠন। এই সংগঠনটি বর্তমানে ভারতের ৩৮ টি প্রদেশে ১২৪৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মক্তব / স্কুল) পরিচালনা করে। ১৯৪৭ জনেরও বেশি শিক্ষক অত্যন্ত নিষ্ঠা ও উদ্যমে ৫০,৪৫৭ জন শিশুকে শিক্ষা প্রদান করছেন। এই স্কুলগুলোর জন্য বিশেষ সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। সংগঠনটি বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা কেন্দ্রও পরিচালনা করে, যেমন জামিয়া ইমামিয়া (ছেলেদের জন্য), জামেতুজ জাহরা (মেয়েদের জন্য) এবং খাদিজাতুল কুবরা মাদ্রাসা (কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য)। এই কেন্দ্রগুলি হাওজা সিলেবাস অনুসরণ করে। সংগঠনটির দ্বারা জেলা, আঞ্চলিক ও প্রাদেশিক পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষামূলক সম্মেলনগুলি আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনগুলি স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। এই সম্মেলনগুলি কোনও নির্দিষ্ট বা স্থায়ী জায়গায় অনুষ্ঠিত হয় না তবে তাদের স্থানগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়, যাতে শিয়া সম্প্রদায়ের আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সুবিধা নিতে পারে।
সায়েদ সাফি হায়দার তানজিমুল মাকাতিবের বর্তমান সচিব।
তানজিমুল মাকাতিব বিভিন্ন ইসলামিক পত্রিকাও প্রকাশ করে।
মাওলানা সৈয়দ তেহজীব উল হাসান তানজিমুল মাকাতিবের সিনিয়র ইসলামী পণ্ডিত।
|
1050193
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050193
|
জনসন অ্যান্ড জনসন কোভিড-১৯ টিকা
|
জনসন অ্যান্ড জনসন কোভিড-১৯ টিকা
জনসন অ্যান্ড জনসন কোভিড-১৯ টিকাটি একটি কোভিড-১৯ টিকা, যা নেদারল্যান্ডসের লাইডেনের জ্যানসেন ভ্যাকসিনস এবং এর মূল বেলজিয়ামের সংস্থা জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যালস, আমেরিকান সহযোগী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন কর্তৃক তৈরি করা হয়।
এটি মানব অ্যাডিনোভাইরাস ভিত্তিক একটি ভাইরাল ভেক্টর টিকা, যা কোভিড-১৯-এর কারণে এসএআরএস-কোভি-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন তৈরির জন্য জিনকে সংশ্লেষ করে সংশোধন করা হয়। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা অ্যান্টিবডি তৈরি করতে এই স্পাইক প্রোটিনকে প্রতিক্রিয়া জানায়। টিকার জন্য একটি মাত্র ডোজ প্রয়োজন ও হিমায়িত সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
টিকার রোগীভিত্তিক পরীক্ষণ ২০২০ সালের জুন মাসে শুরু হয়, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষণে প্রায় ৪৩,০০০ লোক জড়িত ছিল। জনসন ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ঘোষণা করে, যে একটি সম্পূর্ণ টিকা দেওয়ার ২৮ দিনের পরে, এক ডোজ পদ্ধতিতে এই ভ্যাকসিন লক্ষণীয় কোভিড-১৯ রোধের ৬৬% কার্যকারিতার সাথে গুরুতর কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৮৫% কার্যকর এবং রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যু রোধে ১০০% কার্যকর।
এই টিকাটি মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন দ্বারা জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন ও ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) দ্বারা শর্তসাপেক্ষ বিপণনের অনুমোদন পেয়েছে।
|
1050198
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050198
|
আর্কটিক বরফ আচ্ছাদন
|
আর্কটিক বরফ আচ্ছাদন
আর্কটিক বরফ আচ্ছাদন আর্কটিক সাগর ও এর সংলগ্ন এলাকাকে আচ্ছাদন করে রাখে। এই আর্কটিক বরফ আচ্ছাদনের পরিবর্তন চক্রাকারে চলতে থাকে। বরফ বসন্ত ও গ্রীষ্ম ঋতুতে গলতে থাকে এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সর্বনিন্ম বরফ থাকে আবার হেমন্ত ও শীত ঋতুতে বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়। গ্রীষ্মে বরফের আচ্ছাদন শীতকালের প্রায় অর্ধেক হয়। কিছু পরিমাণ বরফ এক বছরের অধিক সময় থাকে। বর্তমানে আর্কটিক সাগরের ২৮% বরফ বহু বছরের পুরাতন বরফ, যা দীর্ঘ এলাকা জুড়ে মৌসুমি বরফ অপেক্ষা ৩-৪ মিটার(৯.৮-১৩.১ ফিট) অধিক পুরু এবং শৈলশিরা ২০ মিটার(৬৫.৬ ফিট) পুরু। বিগত কয়েক দশক ধরে প্রতিনিয়ত আর্কটিক সাগরের মৌসুমি বরফ ক্ষয় হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
সামুদ্রিক বরফ মেরু অঞ্চলীয় সাগরের তাপের সমতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ পানির উপরিতলের বায়ু আপেক্ষিকভাবে ঠান্ডা হওয়ায়, এই বরফ সমুদ্রের গরম পানিকে তাপ হারিয়ে ঠান্ডা হতে বাধা দেয়।সমুদ্রের বরফ শূন্য অবস্থায় প্রায় ৬০% সূর্যালোক প্রতিফলিত করে আর যখন তুষারে আবৃত থাকে ৮০% প্রতিফলিত করে। এই প্রতিক্রিয়া টি আলবিদো প্রভাব নামে পরিচিত। এই প্রতিফলন সাগরের প্রতিফলন অপেক্ষা অনেক বড় ( প্রায় ১০%)। এভাবে বরফ সাগরের উপরিতলে আলো শোষণ করে।
সমুদ্রের বরফ ঘন (লবণাক্ত ) "তলদেশীয় পানির" গুরুত্বপূর্ণ উৎস। পানি জমে যাওয়ার পর লবণ নিচে পরে থাকে। যা অবশিষ্ট পানিকে গাঢ় করে। এটা ঘন পানির ভর সৃষ্টি করে যেমন নর্থ আটলান্টিক ডিপ ওয়াটার। এই ঘন পানি থার্মোহ্যালাইন চক্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সঠিক উপস্থাপন জলবায়ু মডেলিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।.
আর্কটিকের গ্রীনল্যান্ড সাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল ওডেনের বরফ জিহবা নামে পরিচিত যেখানে প্যানকেক বরফ জমা হয়। ওডেন শব্দটা এসেছে নরওয়ের ভাষা থেকে যার অর্থ অন্তরীপ।ওডেন শীতকালে মেরুর ঠাণ্ডা পানির উপস্থিতিতে প্রধান পূর্ব গ্রীনল্যান্ড বরফ প্রান্ত যা ৭২-৭৪ °উত্তর সংলগ্ন থেকে শুরু করে পূর্বাঞ্চলে বিস্তৃত। ইয়ান মায়ান স্রোতের কারণে পূর্ব গ্রীনল্যান্ড স্রোত এই অক্ষাংশে পূর্ব দিকে দিক পরিবর্তন করে। অধিকাংশ পুরাতন বরফ বাতাসে দক্ষিণে চলে যায় ফলে নতুন ঠান্ডা পানি বের হয় যা থেকে সাগরে ফ্রাযিল এবং প্যানকেকের মত বরফের সৃষ্টি হয়।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে যুক্তরাজ্যের হ্যাডলি সেন্টার ফর ক্লাইমেট প্রেডিকশন অ্যান্ড রিসার্চ আর্কটিক সাগরের বরফ রেকর্ড সংগ্রহ করছে যদিও ১৯৫০ সালের পূর্বের ডাটা প্রশ্নবিদ্ধ। বরফের পরিমাণ নির্ভরযোগ্যভাবে শুরু হয় স্যাটেলাইটের যুগ থেকে। ৭০ এর দশকের শেষের দিকে স্ক্যানিং মাল্টিচ্যানেল মাইক্রোওয়েভ রেডিওমিটার(এসএমএমআর), সিস্যাট এবং নিম্বাস ৭ স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রদান করে এবং এটা সূর্যালোক ও আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয়াদির উপর নির্ভরশীল নয়। পরক্ষ মাইক্রোওয়েভ পরিমাপের কম্পাংক এবং নির্ভূলতা উন্নত হয়েছে ১৯৮৭ সাল থেকে ডিএমএসপি এফ ৮, বিশেষ সেন্সর মাইক্রোওয়েভ/ইমেজার(এসএসএমআই) ব্যবহার করে। বরফে আবৃত অঞ্চল ও এর আশেপাশের এলাকার ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা যাচ্ছে।
১৯৪৭-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ৫২ বছর ধরে করা একটি মডেল গবেষণায় পাওয়া গেছে যে প্রতি দশকে আর্কটিক বরফের আয়তন ৩% করে হ্রাস পায়। এর কারন হিসেবে বায়ু এবং তাপমাত্রার প্রভাবকে আলাদাভাবে বিবেচনা করে দেখা গেছে যে তাপমাত্রাই মূল ভূমিকা রাখে। একটি কম্পিউটার ভিত্তিক গবেষণায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপায়ে বরফের আয়তন মেপে দেখানো হয়েছে যে সমগ্র এলাকার বরফের তুলনায় সাগরের বরফই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৭৯ থেকে ২০০২ সালে করা একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এই ২৩ বছরে প্রতি দশকে -২.৫% ± ০.৯% করে বরফ হ্রাস পেয়েছে। জলবায়ু মডেল ২০০২ সাল পর্যন্ত হ্রাসের ধারা প্রকাশ করেছে। ১৯৭৯-২০১১ সাল পর্যন্ত ৩২ বছরে সেপ্টেম্বরের ন্যূনতম বরফ প্রায় ১২% কমেছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্ভুল ডাটা অনুসারে ২০০৭ সালে কয়েক মিলিয়ন কম এলাকা জুড়ে বরফ পরেছে। এলাকার আয়তন কমে দাঁড়িয়েছে ৪১৪১০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১৬০০০০০ বর্গ মাইল)। ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এর করা এক গবেষণায় জানা গেছে, ২০০৭ সালে ১৮ টি কম্পিউটার মডেলের বের করা সময়ের চেয়ে কম সময়ে বরফ গলছে। ২০১২ সালের নতুন রেকর্ড অনুসারে সবচেয়ে কম ৩৫০০০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বরফ পড়েছে।
সমগ্র ভরের সাম্য, সাগরের বরফ পুরুত্ব এবং বরফের বিস্তারের উপর নির্ভরশীল । স্যাটেলাইটের যুগে উত্তম ভাবে বিস্তৃতি পরিমাণ করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু পুরুত্ব নির্ণয় এখনো কষ্টসাধ্য। গ্রীষ্মের গলন এবং ধীরে জমাট বাধার কারণে বরফের পরিমাণ শরৎ ও শীত ঋতুতেও কম থাকছে। নতুন জমা ১ম বর্ষের বরফগুলো খুব পাতলা হচ্ছে। অধিক পাতলা বরফের কারণে স্থায়িত্ব হ্রাস পাচ্ছে এবং আলোড়ন সৃষ্টি হচ্ছে যা থেকে বিনামৌসুমে সাইক্লোন হয়ে বরফে ফাটল ধরছে।
|
1050207
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050207
|
স্পুটনিক ভি কোভিড-১৯ টিকা
|
স্পুটনিক ভি কোভিড-১৯ টিকা
স্পুটনিক ভি গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি দ্বারা প্রস্তুত করা কেভিড-১৯-এর একটি ভাইরাল ভেক্টর টিকা। রাশিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রক গাম-কোভিড-ভ্যাক হিসাবে ২০২০ সালে স্পুটনিক ভি টিকাটিকে একটি অ্যাডেনোভাইরাস ভাইরাল ভেক্টর টিকা হিসাবে নিবন্ধিত করে। 'ভি' (V) রোমান হরফকে মনোনীত করে, রোমান সংখ্যা পাঁচকে (৫/V) নয়।
গাম-কোভিড-ভ্যাক প্রথম দিকে রাশিয়ায় বিতরণ করার জন্য অনুমোদিত হয় এবং তারপরে ৫৯ টি অন্যান্য দেশে (এপ্রিল ২০২১ সাল অনুসারে) প্রথম–দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রাথমিক ফলাফল নিয়ে ২০২০ সালের ৪ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। গাম-কোভিড-ভ্যাকের আগস্ট মাসে শুরুতে অনুমোদনের বিষয়টি গণমাধ্যমে সমালোচনা ও বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে, কারণ সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার দৃঢ় বৈজ্ঞানিক গবেষণার অনুপস্থিতিতে অনুমোদন করা হয়েছিল। "দ্য ল্যানসেটে" টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষার একটি অন্তর্বর্তী বিশ্লেষণ ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়, যা অস্বাভাবিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ৯১.৬% কার্যকারিতার নির্দেশ করে।
এই টিকার জরুরি গণ-বিতরণ রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, বেলারুশ, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ বিভিন্ন দেশসমূহে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। বিশ্বব্যাপী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ভ্যাকসিন তাত্ক্ষণিকভাবে বিতরণের জন্য আদেশ করা হয়।
|
1050208
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050208
|
সিনোফার্ম বিবিআইবিপি-কর্ভি কোভিড-১৯ টিকা
|
সিনোফার্ম বিবিআইবিপি-কর্ভি কোভিড-১৯ টিকা
সিনোফর্ম কোভিড-১৯ টিকা নামে পরিচিতসিনোফর্ম বিবিআইবিপি-কর্ভি সিনোফর্ম দ্বারা বিকশিত দুটি নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ভিত্তিক কোভিড-১৯ টিকার মধ্যে একটি। সিনোফর্ম দ্বারা নির্মিত নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ভিত্তিক অন্য কোভিড-১৯ টিকাটি ডাব্লুআইবিপি-কর্ভি তুলনামূলকভাবে কম সফল। টিকাটির ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে ৬০,০০০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারীসহ আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, মিশর, মরক্কো, পাকিস্তান, পেরু ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (উইএই) তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হয়। বিবিআইবিপি-কর্ভি টিকাটি করোনোভ্যাক ও বিবিভি১৫২-এর সাথে একই রকম প্রযুক্তি দ্বারা কোভিড-১৯-এর জন্য তৈরিকৃত নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ভিত্তিক টিকা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল ৯ই ডিসেম্বর ঘোষণা করে, ফলাফল থেকে জানাযায় বিবিআইবিপি-কর্ভি কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৮৬% কার্যকরী। সিনোফর্ম ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে ঘোষণা করে, যে টিকার অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ ৭৯% কার্যকারিতার নির্দেশ করেছে। আরএনএ-র টিকাসমূহ যেমন ফাইজার-বায়োএনটেক কোভিড-১৯ টিকা ও এমআরএনএ-১২৭৩ উচ্চ কার্যকারিতা ৯০% এর বেশি দেখিয়েছে, তবে উক্ত টিকাসমূহকে ডিপ-ফ্রিজের সুবিধা ও ট্রাকের প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে বিতরণ সমস্যার সম্মুখীন করেছে। "বিআইবিপি-কর্ভি"কে সাধারণ রেফ্রিজারেটেড তাপমাত্রায় স্থানান্তরিত এবং সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
বিবিআইবিপি-কর্ভি এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে টিকাদানের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। সিনোফর্ম ২০২১ সালে বিবিআইবিপি-কর্ভির এক বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করবে বলে আশাবাদী। সিনোফর্ম ২৬শে মার্চ বলেছিল যে ৮০ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) ২০২১ সালের ৭ই মে সিনোফর্ম কোভিড-১৯ টিকাকে কোভিড-১৯ টিকার গ্লোবাল বৈশ্বিক প্রাপ্তার (সিওএভিএক্স) জন্য জরুরী ব্যবহারের অনুমোদিত টিকাসমূহের তালিকায় যুক্ত করে।
|
1050211
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050211
|
কেলমবক্কম
|
কেলমবক্কম
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেঙ্গলপট্টু জেলার (পূর্বতন কাঞ্চীপুরম জেলা) তিরুপোরূর তালুকের অন্তর্গত একটি আবাসিক অঞ্চল। এটি চেন্নাই মহানগরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত একটি লোকালয়৷
এটি সিরুচেরি তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যান থেকে ৫ কিলোমিটার ও শোলিঙ্গনলু্র জংশন থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দক্ষিণ চেন্নাই ও চেন্নাইয়ের দক্ষিণে শোলিঙ্গনলু্র জংশনের পরেই কেলমবক্কম অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন বণ্ডলুর থেকে গ্র্যাণ্ড সাদার্ন ট্রাঙ্ক রোড ও কোবলম থেকে ইসিআর রোডকে সংযুক্ত করেছে। এটিকে দক্ষিণ দিকে চেন্নাই শহরের প্রবেশদ্বার বলে গণ্য করা হয়, পুরাতন মহাবলীপুরম রোডের উপর এটি জোন-২ তে অবস্থিত।
চেন্নাই মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের মেট্রো লাইন মাধবরম থেকে সিরুচেরি আইটি পার্ক পর্যন্ত চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তৃতীয় করিডোরের প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করা যাবে বলে ধারণা।
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে কেলমবক্কমের জনসংখ্যা হয় ৫,১৮৯ জন, যেখানে পুরুষ ২,৫৭১ জন ও নারী ২,৬১৮ জন অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষে ১,০১৮ জন নারী বাস, যা রাষ্ট্রীয় গড়ের তুলনায় অধিক। মোট শিশু সংখ্যা ৫৮৮ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ২৯৩ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ২৯৫ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে শিশু ১১.৩৩ শতাংশ। লোকালয়ের সাক্ষরতার হার ছিল ৯০.২৮ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯৪.৬৯ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৮৫.৯৭ শতাংশ। এখানে মোট পরিবার সংখ্যা ১,২৮৮ টি। মোট তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি যথাক্রমে ১,১৬০ ও ৩ জন। মোট শ্রমজীবী ১,৯৮২ জন।
|
1050213
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050213
|
অক্সিজেনবিহীন জলাশয়
|
অক্সিজেনবিহীন জলাশয়
অক্সিজেনবিহীন জলাশয় হলো সমুদ্রের জল, মিঠা জল বা ভূগর্ভস্থ জল এমন সব অঞ্চল যেগুলিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন ফুরিয়ে গেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ প্রতিষ্ঠানটির সংজ্ঞানুযায়ী অক্সিজেনের অভাবগ্রস্ত ভূগর্ভস্থ জলেতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের ঘনমাত্রা প্রতি লিটারে ০.৫ মিলিগ্রামেরও কম হয়। এই অবস্থা সাধারণত এমন অঞ্চলে পাওয়া যায় যেখানে পানির বিনিময় সীমাবদ্ধ।
অক্সিজেনবিহীন জলাশয়ের সাথে অক্সিজেনের অভাবগ্রস্ত জলাশয়ের (হাইপক্সিক) পার্থক্য আছে। অক্সিজেনের অভাবগ্রস্ত জলাশয়গুলিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে, তবে শূন্যের কাছাকাছি নয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, অক্সিজেনকে প্রাকৃতিকভাবে বাধা দিয়ে উচ্চ ঘনত্বের স্তরবিন্যাসের গভীর স্তরে পৌঁছানো রোধ করা হয়, উদাহরণস্বরূপ, অতিলোনা হ্রদের জল একটি অববাহিকার নীচে স্থির থাকে। ব্যাকটেরিয়া দ্বারা জৈব পদার্থের জারণের হার দ্রবীভূত অক্সিজেনের সরবরাহের চেয়ে বেশি হলে অক্সিজেনবিহীন অবস্থার সৃষ্টি হবে।
অক্সিজেনবিহীন জলাশয় একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, এবং এটি সমগ্র ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস জুড়ে ঘটে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, কিছু লোক দাবি করা যে পার্মিয়ান – ট্রায়াসিক বিলুপ্তির ঘটনাটি বিশ্বের মহাসাগরগুলির একটি বৃহত্তর বিলুপ্তি, যার ফলে ব্যাপক অক্সিজেনবিহীন অবস্থা হয়েছে। বর্তমানে অক্সিজেনবিহীন অববাহিকা বিদ্যমান রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, বাল্টিক সাগরে, এবং অন্য কোথাও (নীচে দেখুন)। সম্প্রতি, কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে বাল্টিক সাগর, মেক্সিকো উপসাগর, এবং ওয়াশিংটন রাজ্যের হুড খালসহ অঞ্চলগুলিতে পুষ্টিবৃদ্ধি প্রক্রিয়ার (Eutrophication ইউট্রোফিকেশন বা উদ্ভিদ পুষ্টি-উপাদানের ঘনমাত্রা অতিবৃদ্ধির) কারণে অক্সিজেনবিহীন অঞ্চলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অক্সিজেনবিহীন পরিস্থিতি বিভিন্ন কারণে উদ্ভূত হয়। উদাহরণস্বরূপ, স্থবিরতা, ঘনত্ব স্তরকরণ, জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃ্দ্ধি এবং শক্তিশালী থার্মোক্লাইন। এর উদাহরণগুলি হল সমুদ্রের খাঁড়ি (যেখানে তাদের প্রবেশপথের অগভীর চাকাগুলি সঞ্চালন রোধ করে) এবং গভীর সমুদ্রের পশ্চিম সীমানা যেখানে প্রবাহ খুবই কম থাকে তবে পানির উচ্চ স্তরের প্রবাহ খুবই উচ্চ থাকে। বর্জ্যপানির ক্ষেত্রে কেবল অক্সিজেনের অনুপস্থিতি অক্সিজেনবিহীন অবস্থা নির্দেশ করে, অন্যদিকে অবাত শব্দটি কোনো সাধারণ ইলেক্ট্রন গ্রহীতার অভাব ইঙ্গিত করতে ব্যবহার করা হয় যেমন- নাইট্রেট, সালফেট বা অক্সিজেন।
যখন একটি অববাহিকায় অক্সিজেন ক্ষয় হয়, তখন ব্যাকটেরিয়া প্রথমে দ্বিতীয় সেরা ইলেকট্রন গ্রহণকারীর দিকে ফিরে যায়, যা সমুদ্রের পানির ক্ষেত্রে নাইট্রেট। এর ফলে নাইট্রেট বরং দ্রুত গ্রাস করা হয়। কিছু অন্যান্য গৌণ উপাদান হ্রাস করার পরে, ব্যাকটিরিয়া সালফেট হ্রাস করতে শুরু করে। এটি হাইড্রোজেন সালফাইড (HS) এর উপজাত, বেশিরভাগ বায়োটার জন্য রাসায়নিকভাবে বিষাক্ত এবং "পচা ডিম" এর মতো গন্ধ এবং গাঢ় কালো রঙের অধঃক্ষেপের জন্য দায়ী।
SO + H → HS +HO + রাসায়নিক শক্তি
যদি অক্সিজেনবিহীন সমুদ্রের পানি পুনরায় মিশ্রিত হয় তবে সালফাইড রাসায়নিক সমীকরণ অনুসারে সালফেটের জারণ ঘটে।
HS + 2 O → HSO
বা, আরও স্পষ্টভাবে:
(CHO)(NH)HPO + 53 SO → 53 CO + 53 HCO + 53 HS +16 NH + 53 HO + HPO
অক্সিজেনবিহীনতা কাদামাটি সমুদ্রের বোতলগুলিতে খুব সাধারণ যেখানে উচ্চমাত্রায় জৈব পদার্থ এবং পলির পানিতে অক্সিজেনের নিম্ন পরিমাণ উভয়ই রয়েছে। পৃষ্ঠ থেকে কয়েক সেন্টিমিটার নীচে আন্তঃস্থির জল (পলির মধ্যবর্তী জল) অক্সিজেন মুক্ত থাকে।
অক্সিজেনবিহীনতা জৈব রাসায়নিক অক্সিজেনে্র চাহিদা (বিওডি) দ্বারাও প্রভাবিত হয়, যা হলো জৈব পদার্থ ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সামুদ্রিক জীব দ্বারা ব্যবহৃত অক্সিজেনের পরিমাণ। বিওডি উপস্থিত প্রাণীর ধরন, পানির পিএইচ, তাপমাত্রা এবং ঐ অঞ্চলে জৈব পদার্থের ধরনের দ্বারা প্রভাবিত হয়। বিওডির সাথে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ সরাসরি সম্পর্কিত, বিশেষত নদী এবং প্রবাহিত ছোট জলাধারের মধ্যে। বিওডির সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে উপলব্ধ অক্সিজেন হ্রাস পায়। এটি বৃহত্তর জীবের উপর চাপ সৃষ্টি করে। বিওডি প্রাকৃতিক এবং নৃতাত্ত্বিক উৎস থেকে আসে, যার মধ্যে রয়েছে: মৃত জীব, সার, বর্জ্য জল এবং নগর বর্জ্য।
বাল্টিক সাগরে, অক্সিজেনবিহীন অবস্থার অধীনে পচনের ধীরগতির হার লেগারস্টাটেনে নরম দেহের অঙ্গগুলির াপব জায় রেখে উল্লেখযোগ্যভাবে সংরক্ষণ করা জীবাশ্ম রেখে গেছে।
পুষ্টিবৃদ্ধি (ইউট্রোফিকেশন) প্রায়শই কৃষিকাজের এবং নর্দমার উপজাত পুষ্টি উপাদানগুলির একটি অন্ত: প্রবাহের ফলে (ফসফেট / নাইট্রেট) বড় তবে স্বল্পস্থায়ী শেওলা ফুল ফোটে। ফুল ফোটার পরে, মৃত শেওলাগুলো নীচে ডুবে যায় এবং সমস্ত অক্সিজেন ব্যয় না করা অবধি ভেঙে যায়। এই জাতীয় ঘটনা মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে ঘটে যেখানে একটি ঋতুতে মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয়, যা হারিকেন এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সংক্রমণ যেমন আবহাওয়ার নিদর্শন দ্বারা সংবিগ্ন হতে পারে। নর্দমার বর্জ্য, বিশেষত পুষ্টিকেন্দ্রিক "কাদা" বিশেষত বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। অ্যানোক্সিক অবস্থার প্রতি সংবেদনশীল প্রজাতিগুলি অল্প পরিমাণ বলিষ্ঠ প্রজাতি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের সামগ্রিক পরিবর্তনশীলতা হ্রাস করে।
পুষ্টিবৃদ্ধি বা ভূমন্ডলীয় উষ্ণতা বৃ্দ্ধির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পরিবেশগত পরিবর্তনগুলো বড় ধরনের অক্সিজেনযুক্ত-অক্সিজেনবিহীন অবস্থা পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। কিছু প্রতিমান গবেষণা (মডেল স্টাডি) অনুযায়ী সায়ানোব্যাকটেরিয়া দ্বারা প্রভাবিত একটি অক্সিজেনযুক্ত দশা এবং সালফেট-হ্রাসকারী ব্যাকটেরিয়া এবং ফটোট্রফিক সালফার ব্যাকটেরিয়াসহ একটি অক্সিজেনবিহীন দশার মধ্যে রূপান্তর ঘটানোর মাধ্যমে এটি হঠাৎ করেই ঘটতে পারে।
পানির তাপমাত্রা এটি যে পরিমাণ দ্রবীভূত অক্সিজেন ধারণ করতে পারে তাকে সরাসরি প্রভাবিত করে। হেনরির সূত্র অনুসরণ করে, পানি যত গরম হয়, অক্সিজেন এতে তত কম দ্রবণীয় হয়। এই ধর্মটি ছোট ভৌগোলিক স্কেলগুলিতে দৈনিক অক্সিজেন চক্র এবং বৃহত্তর মাপনীগুলিতে অক্সিজেনবিহীনতার মৌসুমী চক্রের দিকে পরিচালিত করে। সুতরাং দিনের উষ্ণতম সময়কালে এবং গ্রীষ্মের মাসে পানি অক্সিজেনবিহীন পরিস্থিতিতে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। শিল্প বর্জ্যের আশেপাশে এই সমস্যাটি আরও বেড়ে যেতে পারে যেখানে যন্ত্র শীতল করার জন্য ব্যবহৃত গরম পানি যে অববাহিকাটিতে বের হয় তার চেয়ে কম অক্সিজেন ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
দৈনিক চক্র সালোকসংশ্লিষ্ট জীবের ক্রিয়াকলাপ দ্বারাও প্রভাবিত হয়। আলোর অভাবে রাতে সালোকসংশ্লেষণ কম হবার ফলে সূর্যোদয়ের পরপরই রাতে অক্সিজেনবিহীন পরিস্থিতি তীব্র হয়।
জীবগুলি অক্সিজেনবিহীন পলির মধ্যে বাস করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। যদিও কিছু জীব উচ্চতর পানির স্তর থেকে অক্সিজেনকে পলিতে নামাতে সক্ষম হয়, অন্য অভিযোজনগুলির মধ্যে স্বল্প অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশের জন্য নির্দিষ্ট হিমোগ্লোবিন, বিপাকের হার হ্রাস করতে ধীর গতি এবং অবাত ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিথোজীবীতার সম্পর্ক অন্তর্ভুক্ত থাকে। সব ক্ষেত্রেই, যদি অঞ্চলটি সাধারণত অক্সিজেনবিহীন না হয়, বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইডের প্রাদুর্ভাবে জীবতত্ত্বিক ক্রিয়াকলাপ কমে যায় এবং প্রজাতির বৈচিত্র্যের একটি নিম্ন স্তরের ফলাফল হয়।
|
1050216
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050216
|
কঠিন দ্রবণ
|
কঠিন দ্রবণ
একটি কঠিন দ্রবণ দ্বারা এমন ধরনের পদার্থকে বোঝায় যাদের রাসায়নিক সংযুতি একটি নির্দিষ্ট পরিসরে থাকে যেমনঃ AB এবং একটিমাত্র ক্রিস্টাল গঠন থাকে। ধাতুবিদ্যা, ভূতত্ত্ব এবং কঠিন পদার্থের রসায়ন বিজ্ঞানে এর অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। "দ্রবণ" শব্দটি দ্বারা বিভিন্ন উপাদানের পারমাণবিক স্তরের প্রগাঢ় মিশ্রণকে বর্ণনা করা হয়। "দ্রবণ" নামক সমসত্ত্ব পদার্থ ও বিভিন্ন পদার্থের ভৌত মিশ্রণ সম্পূর্নরূপে পৃথক। সাধারণত, যদি দুইটি উপাদানের গঠন একই রকমের হয়, তাহলে উপাদান দুটির মধ্যে (প্যারেন্ট উপাদান হিসেবেও পরিচিত) একটি কঠিন দ্রবণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং পটাশিয়াম ক্লোরাইডের ক্রিস্টাল গঠন ঘনকাকৃতির এবং পরস্পর সদৃশ যার ফলে এদের মধ্যে একটি কঠিন দ্রবণ উৎপন্ন করা সম্ভব যেখানে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম যেকোন অনুপাতে থাকতে পারে (NaK)Cl রূপে। এটি করা সম্ভব হবে যদি সেই অনুপাতের সোডিয়াম ক্লোরাইড ও পটাশিয়াম ক্লোরাইডকে পানিতে দ্রবীভূত করে পরবর্তীতে দ্রবণটিকে বাষ্পীভূত করতে দেওয়া হয়। । এই কঠিন দ্রবণ গুলো বিভিন্ন অনুপাতেই থাকতে পারে এবং এমন একটি পদার্থ লো সল্ট নামে পরিচিত ( NaK)Cl এবং এই পদার্থটিতে সাধারণ খাবার লবণের তুলনায় ৬৬% কম সোডিয়াম থাকে। খাঁটি খনিজ পদার্থকে হ্যালাইট এবং সিলভাইট বলা হয় এবং এই দুটি পদার্থের ভৌত মিশ্রণকে সিলভিনাইট বলা হয়ে থাকে।
যেহেতু খনিজ পদার্থগুলো প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায় সেহেতু এদের রাসায়নিক গঠনের অনেক ধরনের প্রকরণ হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নমুনাগুলো একটি নির্দিষ্ট কঠিন দ্রবণ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে এবং এ কারণে ভূতাত্ত্বিকরা একটি আলাদা নমুনার চেয়ে, সেই গোষ্ঠীর গঠন কাঠামো নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। অলিভিন এমন একটি কঠিন দ্রবণ গোষ্ঠী যাকে (Mg, Fe)SiO রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যা (MgFe)SiO এর সমতুল্য। এখানে ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের সংযোজন অনুপাতটি কঠিন দ্রবণ সিরিজটির দুইটি প্রান্তীয় উপাদানের মধ্যে পরিবর্তিত হয়ে থাকে এবং তারা হলঃ ফোরস্টেরাইট (Mg-প্রান্তীয় উপাদান: MgSiO) এবং ফায়ালাইট (Fe-প্রান্তীয় উপাদান: FeSiO) তবে সাধারণত, এই অনুপাতটি অলিভিনে সুসঙ্গায়িত করা হয়না। ক্রমাগত জটিল কাঠামো বৃদ্ধির সাথে সাথে রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করার চেয়ে ভূতাত্ত্বিক সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা সহজ হয়ে যায়।
একটি ফেজ ডায়াগ্রামে একটি কঠিন দ্রবণকে একটা নির্দিষ্ট ক্ষেত্র দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং রাসায়নিক সংযুতি ও তাপমাত্রা/চাপ এর পরিসরের উপর ভিত্তি করে এদের কাঠামোর ধরন দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। যেই কঠিন দ্রবণ পরিসরের প্রান্তীয় সদস্য গুলোর গাঠনিক কাঠামো একইরকম হয়না, সেখানে সাধারণত দুইটি ভিন্ন কাঠামোর কঠিন দ্রবণের পরিসর পাওয়া যায় যা এদের মূল কাঠামো দ্বারা নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে দ্রবণ পরিসর গুলো পরস্পরের উপর সমাপতিত হতে পারে এবং এই অংশের যৌগ গুলো যেকোন একটি কাঠামোর হতে পারে অথবা কঠিন ভৌত অবস্থায় এদের কাঠামোতে মিশ্রণযোগ্যতার অনুপস্থিতি থাকতে পারে যা নির্দেশ করে যে ঐ রাসায়নিক কাঠামোর যৌগ তৈরি করতে হলে তা যৌগ না হয়ে মিশ্রণে পরিণত হবে। ফেজ ডায়াগ্রামের যেসব ক্ষেত্রে কঠিন দ্রবণ অনুপস্থিত, সেখানে রেখা দ্বারা একটি ফেজের উল্লেখ থাকতে পারে যাদের নির্দিষ্ট ক্রিস্টাল গঠন এবং রাসায়নিক সংযুতি রয়েছে। এমন কোন রৈখিক ফেজ যদি দুইটি চার্জবিহীন জৈব অণু দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে তবে তাকে সাধারণত সহ-ক্রিস্টাল বলা হয়। ধাতব কৌশল বিদ্যায় নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুতির সংকর কে ইন্টারমেটালিক যৌগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। দুটি পদার্থের (সধারণত ধাতু) মধ্যে কঠিন দ্রবণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে যখন তারা পর্যায় সারণিতে কাছাকাছি অবস্থান করে এবং পর্যায় সারণিতে কাছাকাছি অবস্থান না করলে সাধারণত এদের ইন্টারমেটালিক যৌগ তৈরি হয়।
কঠিন দ্রবণ গঠিত দুভাবে গঠিত হতে পারে। দ্রবের অণু দ্রাবকের ক্রিস্টাল ল্যাটিসের কোন অণুকে প্রতিস্থাপন করতে পারে অথবা দ্রাবক অণুসমূহের মধ্যবর্তী কোন স্থানে অন্তবর্তী অণু হিসেবে বসতে পারে। উভয় ধরনের কঠিন দ্রবণ ক্রিস্টাল ল্যাটিস কে বিকৃত করে এবং দ্রাবক পদার্থের ভৌত ও তড়িৎ সমসত্ত্ব ধর্ম বিনষ্ট করার মাধ্যমে যৌগের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর প্রভাব ফেলে। যখন দ্রবের পরমাণুর ব্যাসার্ধ দ্রাবকের পরমাণুর ব্যাসার্ধের চেয়ে বড় হয় তখন এটি ল্যাটিসে প্রতিস্থাপিত হওয়ায় ক্রিস্টাল গঠন (একক কোষ) প্রসারিত হয়ে যায়। সুতরাং, কঠিন দ্রবণের একটি যৌগের একক কোষের আয়তন গণনার মাধ্যমে এটির রাসায়নিক সংযুতি বের করা যায়। এই সম্পর্কটি জানা যায় ভেগার্ডের সূত্রের মাধ্যমে।
কিছু মিশ্রণ স্বতস্ফূর্তভাবে একটি রাসায়নিক সংযুতির পরিসরে কঠিন দ্রবণ তৈরি করে আবার অন্যান্য কিছু মিশ্রণ একদমই কঠিন দ্রবণে পরিণত হয়না। যেকোন দুইটি পদার্থের কঠিন দ্রবণ তৈরি করার প্রবণতা একটি জটিল ব্যাপার যা পদার্থের রাসায়নিক, ক্রিস্টালোগ্রাফিক, এবং কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। হিউম-রোথেরির নিয়ম অনুসারে, প্রতিস্থাপনীয় কঠিন দ্রবণ তৈরি হতে পারে যদি দ্রব এবং দ্রাবকের:
একটি কঠিন দ্রবণ অন্যান্য যৌগের সাথে মিশ্রিত হয়ে নতুন দ্রবণ তৈরি করতে পারে।
চিত্রঃ১ এর ফেজ ডায়াগ্রামে দেখানো হয়েছে যে দুটি ধাতুর সংকর,তাদের সকল রাসায়নিক সংযুতিতে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে কঠিন দ্রবণ তৈরি করেছে। এখানে, প্রতিটি ধাতুর খাঁটি অবস্থার ক্রিস্টাল গঠন একই এবং তাদের কিছু অনুরূপ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার ফলে এদের ল্যাটিসের মধ্যে নিরপেক্ষভাবে সকল রাসায়নিক সংযুতির পরিসরে প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়েছে।
কঠিন দ্রবণের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এবং শিল্পজাত প্রয়োগ রয়েছে কারণ সাধারণত এমন যৌগসমূহের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য খাঁটি মৌলের চেয়েও উচ্চতর হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সংকর ধাতুই কঠিন দ্রবণ। এমনকি দ্রাবকের মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণে দ্রব উপস্থিত থাকলেও তা দ্রাবকের ভৌত ও বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য কে পরিবর্তন করতে পারে।
চিত্র ২ এর বাইনারি ফেজ ডায়াগ্রামে দুটি পদার্থ A এবং B এর বিভিন্ন সংযুতিতে মিশ্রণের দশা দেখানো হয়েছে। formula_1 চিহ্নিত ক্ষেত্রটি কঠিন দ্রবণ যেখানে formula_2 দ্রবটি formula_3 দ্রাবকের মধ্যে উপস্থিত। অন্যদিকে রাসায়নিক ঘনত্বের স্কেলের অপরপাশে formula_4 দ্বারা চিহ্নিত ক্ষেত্রটি আরেকটি কঠিন দ্রবণ নির্দেশ করে যেখানে formula_3 দ্রবটি formula_2 দ্রাবকের মধ্যে উপস্থিত রয়েছে। formula_1 ও formula_4 কঠিন দ্রবণের মধ্যের বড় ক্ষেত্রটি " formula_1 + formula_4 " দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে যা কোন কঠিন দ্রবণ নয় বরং দুইটি কঠিন দ্রবণের মিশ্রণ। এই পরিসরের মিশ্রণের আণুবীক্ষনিক কাঠামো নিরীক্ষণের মাধ্যমে দুইটি দশা পাওয়া যাবেঃ formula_2 এর মধ্যে formula_3 এর কঠিন দ্রবণ এবং formula_3 এর মধ্যে formula_2 এর কঠিন দ্রবণ যারা ল্যামেলা অথবা কণা আকারে আলাদা দশা তৈরি করবে।
ফেজ ডায়াগ্রামে, তিনটি পৃথক রাসায়নিক সংযুতিতে পদার্থটি কঠিন অবস্থায় থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে তার গলনাংক পর্যন্ত উত্তপ্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে ফিউশনের এনথালপি (গলনের সুপ্ততাপ) যুক্ত করার পরে একই তাপমাত্রায় তরল হয়ে উঠবে। এই তিনটি বিন্দু হলঃ
অন্যান্য রাসায়নিক অনুপাতসমূহে, পদার্থটি উত্তাপ পেলে নরম আঠালো দশায় চলে যাবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সম্পূর্নরূপে গলে না যায়।
চিত্রের নিম্ন বিন্দুতে থাকা মিশ্রণটিকে ইউটেকটিক সংকর ধাতু বলা হয়। সীসা ও টিনের ইউটেকটিক মিশ্রণ(৩৭/৬৩ অনুপাত) খুব দ্রুতই ঠান্ডা হলে কঠিন দশায় রূপান্তরিত হয়ে যায়। এ কারণে এটি তড়িৎ যন্ত্রপাতি ঝালাই করার সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে বিশেষত যখন হাতে ঝালাই করা হয়। আবার যখন অটোমোবাইল এর কোন দুই প্রান্তের জোড়া লাগানোর প্রয়োজন হয় তখন সীসা-টিনের মিশ্রণকে নরম আঠালো লেইয়ের মত হতে হয় এবং তখন ৭০-৩০ অনুপাতে সীসা-টিনের সংকর করা হয়। ( এমন প্রয়োগ থেকে এখন সীসা কে সরিয়ে ফেলা হয়েছে যেহেতু এটি বিষাক্ত এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়)।
যখন একটি কঠিন দ্রবণ নিম্ন তাপমাত্রায় কারণে অস্থিতিশীল হয়ে যায় তখন প্রাক্তন দ্রবণের উৎপত্তি ঘটে এবং ফেজ দুইটি আনুবীক্ষণিক ও দৃশ্যমান ল্যামেলী রূপে আলাদা হয়ে যায়। এর পিছনে মূলত ক্যাটায়নের আকারের পার্থক্য দায়ী। যেসব ক্যাটায়নের ব্যাসার্ধের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে, তাদের মধ্যে সাধারণত প্রতিস্থাপন ঘটে না।
উদাহরণস্বরূপঃ ক্ষারীয় ফেল্ডস্পার খনিজের প্রান্তীয় সদস্যসমূহ হল এলবাইট-NaAlSiO এবং মাইক্রোক্লাইন-KAlSiO উচ্চ তাপমাত্রায় Na এবং K সহজেই একে অপরকে প্রতিস্থাপন করতে পারে এবং তার ফলে এই খনিজ গুলো কঠিন দ্রবণ তৈরি করতে পারে। তবুও, নিম্ন তাপমাত্রায় এলবাইট কেবলমাত্র অল্প পরিমাণে K কে প্রতিস্থাপন করতে পারে এবং মাইক্রোক্লাইনে Na এর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এ কারণে এখানে প্রাক্তন দ্রবণের উৎপত্তি হবে যেখানে এরা দুইটি ভিন্ন দশায় আলাদা হয়ে যাবে। ক্ষারীয় ফেল্ডস্পার খনিজের ক্ষেত্রে পাতলা সাদা এলবাইট, গোলাপী মাইক্রোক্লাইনের মধ্যে পর্যায়ক্রমিক স্তর তৈরি করবে যা পার্থাইট এর উৎপত্তি ঘটাবে।
সংকরায়ন পদ্ধতিতে ক্রমাগত বিভিন্ন রাসায়নিক সংযুতির কঠিন দ্রবণ তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন সংকর ধাতুতে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্যগুলোর সূচনা হয় যখন দ্রাবকের ক্রিস্টালে দ্রবের পরমাণু প্রবেশের মাধ্যমে ল্যাটিসের বিকৃতি হয়। ধাতুর তড়িৎ রোধকত্ব নির্ভর করে ল্যাটিস কাঠামোর বিকৃতির পরিমাণের উপর। লঘু দ্রবণে খুব সামান্য পরিমাণে দ্রব যুক্ত করলেও রোধকত্বের অনেক বড় পরিবর্তন আসে যেখানে ঘন দ্রবণে এই পরিবর্তন খুব ধীরে আসে।
|
1050413
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050413
|
কৃষ্ণজি গোপাল কারভে
|
কৃষ্ণজি গোপাল কারভে
কৃষ্ণজি গোপাল কারভে (জন্ম:- ১৮৮৭ - মৃত্যু:- ১৯ এপ্রিল ১৯১০) ছিলেন একজন অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি আনা কারভে নামেও পরিচিত ছিলেন। ১৯ এপ্রিল ১৯১০ সালে ইংরেজ সরকার তাকে ফাঁসি দেন।
তিনি বি.এ অনার্স এ পড়াশোনা করেন, বি.এ অনার্স শেষ করার পরে বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়নের জন্য যোগদান করেন। তিনি নাসিকের অভিনব ভারত সোসাইটি সদস্যে যোগদান করেন, গণেশ দামোদর সাভারকর এবং বিনায়ক দামোদর সাভারকর প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী সংগঠন 'অভিনব ভারত'। ১৯০৯ সালের ২১ শে ডিসেম্বর নাসিকের বিজয়ানন্দ থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়। জ্যাকসন যেমন মারাঠি ভাষার ভক্ত এবং তিনি এই নাটকে আসতে চলেছিলেন।
ফলে তাদের গ্রেপ্তার হতে হয়। বোম্বাই হাইকোর্টে বিনায়ক দেশপাণ্ডে, কৃষ্ণজি গোপাল কারভে ও অনন্ত লক্ষ্মণ কানহেরে কে ১৯ এপ্রিল, ১৯১০ এ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
|
1050416
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050416
|
ইবনে হাজার আল হায়তামি
|
ইবনে হাজার আল হায়তামি
ইবনে হাজার আল হায়তামি বা শিহাবুদ্দিন আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলি ইবনে হাজার আল হায়তামি আল মাক্কি (আরবি: ابن حجر الهيتمي المكي)
একজন মিশরীয় আরব মুহাদ্দিস এবং ইসলামের ধর্মতত্ত্ববিদ ছিলেন । তিনি বানু সাদ উপজাতি থেকে এসেছিলেন যারা মিশরের আল-শারকিয়াহ প্রদেশে বসতি স্থাপন করেছিলেন। ইবনে হাজার ইসলামী আইনশাস্ত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং শাফিঈ মাজহাব-এর একজন লেখক হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। ইমাম আমাদ আল-রামলির সাহায্যে তিনি পুরো দেরী শফি’র বিদ্যালয়ের ফতোয়ার (আইনি মতামত) সর্বাধিক উত্সের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ইবনে হাজার আল হায়তামি ৯০৯ হিজরিতে (১৫০৩ খ্রিস্টাব্দ) পশ্চিম মিশরের ছোট্ট গ্রাম 'আবু হায়তাম'-এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[] তিনি যখন ছোট ছিলেন, তখন তার বাবা মারা যান এবং তার লালন-পালন তার দাদার দায়িত্বে চলে যায়। তার দাদু তার ধার্মিক স্বভাবের কারণে স্থানীয়দের কাছে তিনি "পাথর" নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি "পাথরের মত নীরব" ছিলেন বলে এ ডাকনামটি লোকদের কাছ থেকে এসেছে।ধর্মীয় মনোভাব নিয়ে তিনি খুব কম কথা বলতেন এবং তিনি ধর্মীয় জ্ঞানের জন্য অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন হয়েছিলেন। এক সময় তার দাদা মারা যান। যাহোক ইবনে হাজার আল হায়তামি তার বাবার পরেই তার বাবার শিক্ষক শামসুদ্দিন ইবনে আবিল হামাইল এবং শামসুদ্দিন মুহাম্মদ আল-শানাভি তার তত্ত্বাবধায়ক হন। ছোটবেলায় তিনি কুরআন এবং নওয়াবির "মিনহাজ" মুখস্থ করেই পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।[] তার তত্ত্বাবধায়ক আল-শানাভি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, আল হায়তামির উচিত 'তান্তায়' ধর্মস্থানের সাইয়্যেদ আহমদ আল বাদাভির নিকট মৌলিক শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া ।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পরে ইবনে হাজার আল হায়তামি আল-আজহার-এ তার পড়াশোনা অব্যাহত রাখেন। সেখানে তিনি অনেক উল্লেখযোগ্য পন্ডিতের অধীনে পড়াশোনা করেন, এর মধ্যে স্মরণযোগ্য সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব যাকারিয়া আল-আনসারি। তিনি বিখ্যাত শাফিয়ী আলেম শিহাবুদ্দিন আল রামলির অধীনেও পড়াশোনা করেছিলেন।
আল হায়তামি ১৫২৭ সালে তার এক শিক্ষক আল-বাকরির সাথে মক্কায় গমন করে হজব্রত পালন করেছিলেন।
ইবনে হাজার আল হায়তামি ১৫৬৬ খ্রিস্টাব্দে / ৯৭৩ হিজরিতে মক্কায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মা'লাতের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।
|
1050421
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050421
|
শাহ গাবরু
|
শাহ গাবরু
শেখ গরীব খাঁন নিস্থানি আফগানী (), ছিলেন সিলেট অঞ্চলের চতুর্দশ শতাব্দীর মুসলিম সুফি। সিলেটের ওসমানী নগরে ইসলাম প্রচার এর সাথে শাহ গাবরু বিশেষ ভাবে জড়িত। ১৩০৩ সালে তিনি শাহ জালালের সাথে সিলেটের বিজয়ে যোগ দেন।
শাহ গাবরুর জন্ম হয়েছিল ১৩ শতকে আফগানিস্তানে। শাহ গাবরু নিজামউদ্দিন আউলিয়াদের সাথে সাক্ষাতকালে শাহ জালালের সাথে দেখা করেছিলেন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের অভিযানে তাঁর সাথে ভারতে আসেন। ১৩০৩ সালে তিনি রাজা গৌর গোবিন্দের বিরুদ্ধে শাহ জালালের নেতৃত্বে সিলেটের বিজয়ের চূড়ান্ত লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। বিজয়ের পরে শাহ জালাল তার অল্প সংখ্যক সঙ্গীকে ওসমানী নগরে হিজরত করার আদেশ দেন। গাবরু পঞ্চ পীর নামে পরিচিত লাভ করেছিলেন। তিনি বানাইয়া হাওরের দক্ষিণে একটি হিন্দু গ্রামে একটি হুজরাখানা স্থাপন করেছিলেন। তার প্রচেষ্টার কারণে অনেক হিন্দু পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং শেষ পর্যন্ত গাবরু একটি পরিবারে বিয়ে করে। পরিবারের প্রবীণরা তাকে বিবাহের পরে ভালবাসার সাথে "গাবরু" (অর্থ জনপ্রিয় ব্যক্তি বা জামাই) বলে ডাকে যার ফলে তিনি শাহ গাবরু নামে আরও বেশি পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তাঁর নামানুসারে এই গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছিল গাবুর্তেকি।
তিনি কীভাবে এবং কোন বছরে মারা গেছেন তা স্পষ্ট নয়, তবে তাকে অন্য চার পীরের পাশে গাবুর্তেকির মাজারে সমাহিত করা হয়েছে। এটি এখন পঞ্চ পীরের মাকাম নামে পরিচিত
|
1050501
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050501
|
উত্তর মেসিডোনিয়ায় ইসলাম
|
উত্তর মেসিডোনিয়ায় ইসলাম
২০০২ সালের আদমশুমারি অনুসারে, উত্তর ম্যাসেডোনিয়ার মুসলমানরা দেশটির মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা ইসলামকে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রচারিত ধর্ম হিসাবে গড়ে তুলেছে। উত্তর ম্যাসিডোনিয়াতে মুসলিমরা হানাফি মাযহাবের সুন্নি ইসলামকে অনুসরণ করে। দেশটির কয়েকটি উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম অঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। দেশটির সমস্ত মুসলমানের একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ হল আলবেনীয়, বাকিরা মূলত তুর্কি, রোমান, বসনিয় বা টরবিয় ।
নীচের সারণিতে মুসলিম জনসংখ্যা এবং তারা প্রতিটি প্রদত্ত বছরের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ ছিল তা দেখায়। ম্যাসেডোনিয়ায় মুসলিমদের হার সাধারণত ১৯০৪ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে তবে মুসলিম পরিবারগুলির মধ্যে উচ্চ উর্বরতার হারের কারণে আবারও সেটির বৃদ্ধি শুরু হয়, যা ২০০২ সালে ৩৩.৩৩% এ পৌঁছেছে। তবে পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১১ সালে মুসলমানরা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২ ২৮.৬% এর প্রতিনিধিত্ব করেছিল।
(২০০২ সালের আদমশুমারি অনুসারে)
স্কোপজের সেন্টস সিরিল এবং মেথোডিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় ২০১২ সালে জানিয়েছিল যে, "উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার মুসলমানদের কাছে ধর্মের প্রাথমিক গুরুত্ব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর ম্যাসিডোনিয়াতে ১৮৫০ জন মুসলমানের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে, যেখানে দেখা গেছে যে, ৮১.৬% তাদেরকে ধার্মিক বলে বর্ণনা করেছেন, যার মধ্যে অত্যন্ত ধার্মিক ছিল ৬০.৫%। তাদের প্রায় ২২% কখনও মসজিদে যাননি (৪৮.৬% কমপক্ষে সপ্তাহে একবার মসজিদে উপস্থিত হন) এবং ১৭.৩% ঘরে বসে নামাজ পড়ে না (৪২.১%। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে)। প্রায় ২৮.৬% বিশ্বাস করেছিলেন যে ইসলামিক শরিয়া আইন ব্যবহার করে বিরোধ নিষ্পত্তি করা উচিত (৪১.৭% বলছেন যে উত্তর ম্যাসেডোনিয়ার আইন ব্যবহার করে সমাধান করা উচিত, ২৯.৭% জানেন না বা উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন), এবং ২৭.৮% বলেছেন স্কুলে ওড়না পরা "অগ্রহণযোগ্য"।" উত্তরদাতাদের ১৬.৪% বলেছিলেন যে, বিবাহবিহীন সম্মতি "গ্রহণযোগ্য" (৭৪.২% বলেছেন "গ্রহণযোগ্য নয়" এবং ৯.৩% জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন), ১৩.৬% শূকরের মাংস খেয়েছেন এবং মদ খেয়েছেন ২৪.৮% । এছাড়াও ৯৪% উত্তরদাতারা বলেছেন যে তারা তাদের ছেলেদের সুন্নত করেছে এবং ৯৮% তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য মুসলিম কবর দেয়ার রীতি পালন করেছেন।
২০১৭ সালের পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা অনুসারে, ম্যাসেডোনিয়ার ৬৪% মুসলমান প্রতিক্রিয়া ছিল যে তাদের জীবনে ধর্ম "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ"। একই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ম্যাসেডোনিয়ার ৪৩% মুসলমান পাঁচ নামাজ আদায় করেন ৫১% সপ্তাহে কমপক্ষে একবার মসজিদে উপস্থিত হন, এবং ৪৬% কমপক্ষে সপ্তাহে একবার কোরআন পড়েন। এটি মন্টিনিগ্রো এবং সার্বিয়ার মুসলিম সম্প্রদায় ও বলকান দেশগুলির মধ্যে ম্যাসেডোনিয়ানদেরকে সবচেয়ে ধর্মীয় মুসলিম সম্প্রদায় তৈরি করেছে।
|
1050520
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050520
|
চেক প্রজাতন্ত্রে ইসলাম
|
চেক প্রজাতন্ত্রে ইসলাম
চেক প্রজাতন্ত্রে আনুমানিক ২০,০০০ মুসলমান রয়েছে, যারা দেশের জনসংখ্যার ০.২% কে প্রতিনিধিত্ব করে।
২০১০ সালের আদমশুমারি অনুসারে, চেক প্রজাতন্ত্রে প্রায় ৩৫০০ জন মুসলমান ( যা দেশটির জনসংখ্যার ০.১% এর চেয়ে কম), ১৯৯১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯৫ জন।
চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি মসজিদ রয়েছে; প্রাগে একটি এবং ব্রনোতে একটি।
ইসলামের জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির প্রমাণিত প্রথম সফরটি করেছিলেন (৯৬৪-৯৬৫) তৎকালীন মুসলিম স্পেনের ইহুদি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম ইবনে জ্যাকব। তার স্মৃতিচারণগুলি পরবর্তীতে ইসলামি বিশ্বে মধ্য ইউরোপ সম্পর্কে প্রথম একটি বর্ণনায় প্রকাশিত হয়েছিল।
ভিয়েনার উভয় অবরোধের সময়, উসমানীয় সেনাবাহিনীর পুনরুদ্ধার জোটের দলগুলি মোরাভিয়ায় পৌঁছেছিল। ১৯ শতকে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য সংযোগ দেখা গিয়েছিল। বসনিয়া অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ হওয়ার পরে ১৯ শতকের শেষের দিকে থেকে স্বতন্ত্র মুসলমানরা চেকের জমিতে বসতি স্থাপন শুরু করে।
ঐতিহ্যগতভাবে, চেক ভূমির সংস্কৃতিতে ইসলামের প্রভাব খুব কম ছিল।
অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান রাজতন্ত্র ১৯১২-এর একটি আইনে ইসলামকে একটি "রাষ্ট্রীয় ধর্ম" হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল এবং এটি বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্রে তাদের উপস্থিতির আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেয়। প্রথম জনগোষ্ঠীটি ("মুসলিমসকো নোবেইস্কি ওবেস প্রো ইসেসোস্লোভেনস্কো" ) ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৪৯ সালে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে একটি নতুন সম্প্রদায় স্থাপনের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। ১৯৯১ সালে, "সেন্টার ফর" "মুসলিম কমিউনিটিস" () প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে প্রথম মসজিদটি ব্রনোতে এবং এক বছর পরে রাজধানী প্রাগে খোলা হয়েছিল। স্থানীয় নাগরিকরা অন্যান্য শহরে মসজিদ খোলার চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছে। ২০০৪ সালে ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে চেক প্রজাতন্ত্রে নিবন্ধিত হয়: এভাবে সম্প্রদায়টি রাজ্য থেকে তহবিল অর্জনের জন্য যোগ্য হয়ে ওঠে।
মুসলমানদের বেশিরভাগই বসনিয়া-হার্জেগোভিনা (১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে), কসোভো (১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে) এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক দেশগুলি (বেশিরভাগ ককেশাস অঞ্চল থেকে এসেছেন, ১৯৯০ এর দশকের শেষ থেকে এখন অবধি) থেকে এসেছেন। একটি উল্লেখযোগ্য এবং প্রভাবশালী অংশ হ'ল মিশরীয়, সিরিয় এবং অন্যান্য মধ্য প্রাচ্যের পূর্বসূরিদের মধ্যবর্তী শ্রেণির লোকেরা (সাধারণত যারা চেকোস্লোভাকিয়ায় পড়াশোনা করেছিলেন এবং থাকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন)। কয়েক শতাধিক মুসলিম হলেন ধর্মান্তরিত চেক।
|
1050523
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050523
|
শাহ মালুম
|
শাহ মালুম
শাহ মালুম () ছিলেন সিলেট অঞ্চলের চতুর্দশ শতাব্দীর মুসলিম সুফি। ফেনচুগঞ্জে ইসলাম প্রচার ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠায় শাহ মালুম বিশেষভাবে জড়িত। ১৩০৩ সালে তিনি শাহ জালালের নেতৃত্বে সিলেট বিজয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ের পরে তিনি মহুরাপুর পরগনায় (বর্তমানে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর) খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন।
জুনায়েদ ১৩ শতাব্দীতে ভারতের গুজরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইয়েমেনের হাদারামাউট থেকে ভারতীয় উপদ্বীপের দিকে শাহ জালালের অভিযানের সময়, দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খলজির অধীনস্থ উলুগ খান দিল্লির সুলতানির অধীনে গুজরাত রাজ্য পেরিয়েছিলেন। শাহ জালালের সাথে সময়কালে জুনেদ তার বুদ্ধি, সাধারণ জ্ঞান এবং নেতৃত্ব জন্য ১৩০৩ সালে সিলেটের বিজয়ের আগে তিনি "শাহ মালুম" খেতাব অর্জন করেছিলেন।
তিনি কীভাবে এবং কখন মারা গিয়েছিলেন তার সঠিক তথ্য নেই, তবে তাকে রাজপুরের ফেঞ্চুগঞ্জ রেল লাইনের বিপরীতে তাঁর খানকাহের কাছে মাজারে দাফন করা হয়েছে। কয়েক শতাব্দী ধরে বিপুল সংখ্যক ভক্ত তাঁর সমাধিতে যাতায়াত করে যা আজও অব্যাহত রয়েছে। ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারী শাহ মালুমের উরস অনুষ্ঠিত হয়।
ফেঞ্চু শাহের নাম অনুসারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নাম রাখা হয়েছে। ফেঞ্চু ছিলেন শাহ মালুম এর মাজারের একজন খাদেম। তিনি প্রতিদিনি বিকাল বেলা কুশিয়ারা নদীর ঘাটে এসে বসতেন। পরে এখানে দোকানপাট গড়ে উঠলে এর নাম ফেঁচুগঞ্জ রাখা হয়।
শাহ মালুমের নামানুসারে ইতালির পালেরমোতে একটি দক্ষিণ এশীয় রেস্তোঁরা রয়েছে। এটি প্রদেশের একমাত্র দক্ষিণ এশীয় রেস্তোঁরা হিসাবে উল্লেখযোগ্য।
|
1050534
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050534
|
অ্যানচিয়েটাস কোবরা
|
অ্যানচিয়েটাস কোবরা
অ্যানচিয়েটাস কোবরা ("Naja anchietae"), যা কখনও কখনও অ্যাঙ্গোলান কোবরা হিসাবেও পরিচিত। এটি এলাপিডে পরিবারের এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এই প্রজাতিটি দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় অঞ্চলে দেখা যায়।
অ্যানচিয়েটাস কোবরা ১৮৭৯ সালে পর্তুগিজ প্রাণিবিজ্ঞানী জোসে ভিসেন্টে বার্বোসা ডু বোকেজ প্রথম বর্ণনা করেছিলেন। সুনির্দিষ্ট "নাম" অ্যানচিয়েটাস আফ্রিকার পর্তুগিজ একজন অন্বেষক জোসে আলবার্তো দে ওলিভিরা আনচিয়েতার নাম অনুসারে রাখা হয়েছে।
নিম্নে চিত্রিত ক্ল্যাডোগ্রাম বা শাখা বিন্যাস্টি বিভিন্ন নাজা বর্গভুক্ত সর্পপ্রজাতির শ্রেনীবিন্যাস ও সম্প্ররককে বিশ্লেষন এবং প্রকাশ করে।
এগুলো হ'ল মাঝারি আকারের কোবরা জাতীয় প্রজাতি। দেহের আকার সরু এবং মাঝারি দৈর্ঘ্যের লেজ রয়েছে। এই কোবরা প্রজাতিটি সহজেই এর তুলনামূলকভাবে বড় এবং বেশ চিত্তাকর্ষক ফনা দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। কোন হুমকির মুখে পড়লে এটি প্রসারিত হয়। এটির একটি প্রশস্ত এবং সমতল মাথা রয়েছে যা ঘাড় থেকে কিছুটা স্বতন্ত্র। তুণ্ডটি গোল আকারের যেমন স্নোটেড কোবরা ( "এন। অ্যানুলিফেরা" ) এর মতো। বৃত্তাকার মনিসহ চোখটি মাঝারি আকারের। প্রাপ্তবয়স্কদের গড় প্রায় মোট দৈর্ঘ্য (লেজ সহ), তবে এবং দৈর্ঘ্যের মধ্যে সাপ খুজে পাওয়া যেতে পারে। এই প্রজাতি দ্বারা প্রাপ্ত সর্বাধিক আকার হল , তবে এগুলি বিরল ঘটনা। দীর্ঘতম রেকর্ড হল লম্বা একটি পুরুষ সাপ এবং এটিকে নামিবিয়ার উইন্ডহোকে ধরা হয়েছিল। থেকে সামান্য খাটো একটি স্ত্রী সাপ ধরা হয়েছিল এবং এটি পাওয়া গেছে বতসোয়ানা থেকে দক্ষিণে শকওয়েতে ()। পুরুষ ও স্ত্রীলোকেরা একই আকারে বেড়ে ওঠার সাথে এই প্রজাতির কোবরাতে কোনও যৌন দ্বিরূপতা নেই। যদিও অন্যান্য কোবরা প্রজাতির মতো, পুরুষদের সাধারণত মহিলাদের চেয়ে বড় মাথা এবং লম্বা লেজ থাকে।
এই প্রজাতিকে দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে দেখা যায়। এটি দক্ষিণ আঙ্গোলা, মধ্য ও উত্তর নামিবিয়া, উত্তর বোটসওয়ানা, পশ্চিম জাম্বিয়া এবং উত্তর-পশ্চিম জিম্বাবুয়ের কিছু অংশে পাওয়া যায় এবং কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কাটাঙ্গায় দেখা পাওয়ার একটি রেকর্ড রয়েছে। এদের পছন্দের আবাস হ'ল ম্যাসিক সাভানা তৃণভূমি, বিশেষত বুশভেল্ড এবং লোভেল্ড। এটি আধা-মরুভূমি এবং পাথুরে অঞ্চলে এবং পাশাপাশি মানুষের বসতিগুলিতে বা তার কাছাকাছি জায়গায় থাকে, যেখানে তারা বাড়ির নীচে আশ্রয় নিতে পারে। এটি অরণ্যযুক্ত অঞ্চলে, বিশেষত নদী এবং জলাভূমিতে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। এই কোবরা কখনই বন বা মরুভূমিতে দেখা যায় না। যদিও সাধারণত কম উচ্চতায় পাওয়া যায় তবে এটি মাঝে মাঝে সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরেও যেসব স্থান রয়েছে সেখানেও দেখা গেছে।
এই প্রজাতির খাদ্যাভ্যাস সাধারন এটি টোডস এবং ব্যাঙের মতো উভচর, টিকটিকি এবং অন্যান্য সাপের মত সরীসৃপ, পাখি (পোল্ট্রি সহ) সহ পাখির ডিম এবং ইঁদুরের মতো পুরো এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের খেতে পছন্দ করে।
অ্যানচিয়েটের কোবরাকে শিকারী পাখি যেমন সেক্রেটারি পাখি এবং সাপের ঈগল এবং স্তন্যপায়ী মাংসাশী যেমন মধু ব্যাজার খেয়ে থাকে। এটি সাদা-গলা মনিটরের ( "বারানাস অ্যালবিগুলারিস" ) শিকারও হয়।
অন্যান্য কোবরার মত এই প্রজাতিও ডিম পাড়ে। প্রথম গ্রীষ্মের সময় ৪৭ এবং ৬০টি ডিম পাড়ে। বাচ্চাগুলো গড়ে দৈর্ঘ্যের হয় এবং জন্ম পরবর্তী সময় সম্পূর্ণ স্বাধীন।
এই প্রজাতির বিষ মূলত একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন, তবে এতে কার্ডিওটক্সিক উপাদানও থাকতে পারে। তুলনামূলকভাবে বড় ফ্যাং সহ মাঝারি আকারের একটি প্রজাতি হিসাবে, এটি এক কামড়ে তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমাণে বিষ মিশ্রিত করতে পারে। যদিও বিরল, কামড়ে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
|
1050536
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050536
|
হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ
|
হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ
হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি (পাসকোর্স) ও বাংলা,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের অনার্স কোর্স পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৭০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
|
1050540
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050540
|
কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ, নোয়াখালী
|
কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ, নোয়াখালী
কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ, নোয়াখালী বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৭৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৭ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। ২০২৫ সালের ২৮ মে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়ে নতুন নামকরণ করে।
|
1050541
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050541
|
চাটখিল পাঁচগাঁও মাহবুব সরকারি কলেজ
|
চাটখিল পাঁচগাঁও মাহবুব সরকারি কলেজ
চাটখিল পাঁচগাঁও মাহবুব সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৬৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৬৮ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়।
|
1050544
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050544
|
সোনাইমুড়ি সরকারি কলেজ
|
সোনাইমুড়ি সরকারি কলেজ
সোনাইমুড়ি কলেজ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৭০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৮১ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1050546
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050546
|
করফুলেন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ
|
করফুলেন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ
করফুলেন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৮৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ২০১২ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1050575
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050575
|
প্রয়াস ও প্রমাদ
|
প্রয়াস ও প্রমাদ
প্রয়াস ও প্রমাদ (ইংরেজি Trial and error) বলতে সমস্যা সমাধানের একটি মৌলিক পদ্ধতিকে বোঝায় যেখানে পদ্ধতিটির প্রয়োগকারী সমস্যা সমাধানে সফলতা লাভের আগ পর্যন্ত কিংবা নিজ থেকে থামার আগ পর্যন্ত বারংবার বিভিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। একে প্রচেষ্টা ও ত্রুটি সংশোধন নামেও ডাকা হতে পারে। এই পরিভাষাটি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ব্যবহৃত হয়।
প্রকৌশলবিদ্যায় সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্র প্রয়াস ও প্রমাদ হল এক ধরনের সমস্যা সমাধান কৌশল বা পদ্ধতি যেখানে যুক্তিপাত ব্যবহার করে কোনও সমস্যার সমাধান বের করা হয়। যখন কোনও প্রদত্ত সমস্যাকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্ঞান বা তথ্যের অভাব থাকে, তখন এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে সমস্যাটির একটি সমাধান কল্পনা করে সেটিকে পরীক্ষা করে দেখা হয় (প্রয়াস)। সমাধানটি ব্যর্থ হলে উদ্ভূত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিক সমাধানটিতে পরিবর্তন সাধন করে (প্রমাদ সংশোধন) আবারও সংশোধিত সমাধানটি প্রয়োগ করা হয়। এভাবে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বারংবার প্রয়াস ও প্রমাদ সংশোধন করা হতে থাকে।
প্রাণী আচরণবিদ্যায় প্রয়াস ও প্রমাদ বলতে প্রাণীদের মধ্যে দৃষ্ট খুবই সাধারণ একটি শিখন কৌশল বা পদ্ধতিকে বোঝায়, যাতে প্রাণীরা কোনও সর্বোচ্চ সন্তুষ্টিবিধায়ক বা কাম্য ফলাফল অর্জনের জন্য বারংবার
আপাতদৃষ্টিতে দৈব এলোমেলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সিদ্ধান্তগুলির পরিণামের ভিত্তিতে প্রাণীটি তার যেসব আচরণ ফলপ্রসূ, তৃপ্তিকর ও আরামদায়ক হয়, সেগুলিকে গ্রহণ করে।
মানুষের শিখন প্রক্রিয়ার মনোবৈজ্ঞানিক আলোচনাতে প্রয়াস ও প্রমাদ হল শিখনের একটি সংযোগবাদী মতবাদ। মার্কিন শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী এডওয়ার্ড লি থর্নডাইক এই তত্ত্বের জনক। থর্নডাইকের মতে শিখন হল সমস্যা ও সমাধানের মধ্যে ত্রুটিহীন সংযোগ স্থাপন। এক্ষেত্রে সমস্যাটি হল এক ধরনের উদ্দীপক এবং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যে মানুষ এলোমেলোভাবে বা যাদৃচ্ছিকভাবে একের পর এক প্রচেষ্টা চালাতে থাকে ও প্রচেষ্টা-পরবর্তী ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রমাদ বা ত্রুটি সংশোধন করতে থাকে এবং এভাবে হঠাৎ সৌভাগ্যবশত সমস্যাটির একটি সমাধান খুঁজে বের করে ও লক্ষ্যে পৌঁছায়। এভাবে সমস্যা (উদ্দীপক) ও সঠিক সমাধানের (প্রতিক্রিয়া) মধ্যে ত্রুটিহীন সংযোগ স্থাপিত হয়। সঠিক সমাধানটি বের করে মানুষ তৃপ্তিলাভ করে ও পরবর্তীকালে ঐ সমস্যাটি উদ্ভূত হলে আবারও সেই ত্রুটিহীন সমাধানটি প্রয়োগ করে আবার তৃপ্তিলাভ করে, ফলে মানুষের শিখন দৃঢ়ীভূত বা বলবর্ধিত (reinforced) হয়। এর বিপরীতে মনের ভেতরে ভুল বা ত্রুটিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া বা সমাধানগুলির অবস্থান দুর্বল হতে হতে বিলুপ্ত হয়ে যায়। থর্নডাইকের মতে মানুষের দৈহিক ও মানসিক প্রস্তুতি, সমস্যা ও সমাধান বারংবার অনুশীলন ও সমাধান করে তৃপ্তিলাভ - এই তিনটি সূত্র মানুষের শিখনকে দৃঢ়ীভূত ও দীর্ঘস্থায়ী করে।
কম্পিউটার বিজ্ঞানে এই পদ্ধতিটি উৎপাদন ও পরীক্ষা (Generate and test, অন্য ভাষায় পাশবিক বলপ্রয়োগ তথা ব্রুট ফোর্স Brute force) হিসেবে পরিচিত। মৌলিক বীজগণিতে সমীকরণ সমাধানের ক্ষেত্রে এটি অনুমান ও যাচাই (গেস অ্যান্ড চেক guess and check) নামে পরিচিত।
প্রয়াস ও প্রমাদকে সমস্যা সমাধানের দুইটি মৌলিক পন্থা একটি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এর বিপরীত পন্থাটি হল অন্তর্দৃষ্টি ও তত্ত্ব ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান। তবে এই দুইয়ের মধ্যবর্তী পন্থাও আছে; যেমন চালিত অভিজ্ঞতাবাদ (guided empiricism) নামক পন্থায় পদ্ধতিকে চালিত করা জন্য তত্ত্ব ব্যবহার করা হয়।
এই ধরনের চিন্তা দার্শনিক কার্ল পপারের সমালোচনামূলক যুক্তিবাদের একটি প্রধান অবলম্বনে পরিণত হয়েছে।
|
1050611
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050611
|
স্থানিক পরিকল্পনা
|
স্থানিক পরিকল্পনা
স্থানিক পরিকল্পনা রাজ্য, বাজার এবং সম্প্রদায়ের স্থান সম্পর্কিত দাবির মধ্যে মধ্যস্থতা করে। এটি করার মাধ্যমে, স্টেকহোল্ডারদেরকে জড়িত করার, বিভাগীয় নীতিগুলি সংহতকরণের এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে উন্নীত করার তিনটি পৃথক প্রক্রিয়া রূপান্তর কৌশল প্রণয়ন, উদ্ভাবনী কর্ম এবং স্থানীয় পরিকল্পনায় কর্মক্ষমতার তিনটি স্কুলকে চিহ্নিত করে
স্থানিক পরিকল্পনা ব্যবস্থা সরকারী ও বেসরকারী খাত দ্বারা ব্যবহৃত পদ্ধতি ও পন্থাসমূহ উল্লেখ করে যা জনগণের সংস্থান এবং ক্রিয়াকলাপকে বিভিন্ন মাত্রার জায়গায় প্রভাবিত করতে। স্থানিক পরিকল্পনাকে স্থানীয় স্থানকে প্রভাবিত করে এমন অনুশীলন এবং নীতিগুলির সমন্বয় হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। স্থানিক পরিকল্পনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নগর পরিকল্পনার সাথে সমার্থক তবে বৃহত্তর ক্ষেত্রে শব্দটি প্রায়শই ইউরোপীয় দেশগুলিতে পরিকল্পনার প্রচেষ্টার প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। স্থানিক পরিকল্পনা জড়িত স্বচ্ছ পেশাদার শাখাগুলির মধ্যে ভূমি ব্যবহার, নগর, অঞ্চল, পরিবহন এবং পরিবেশ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । অর্থনৈতিক ও সম্প্রদায় পরিকল্পনা এবং সামুদ্রিক স্থানিক পরিকল্পনা সহ এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিও গুরুত্বপূর্ণ। স্থানিক পরিকল্পনা স্থানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং আন্তঃদেশীয় স্তরে সংঘটিত হয় এবং প্রায়শই ফলস্বরূপ স্থানিক পরিকল্পনা তৈরি করে ।
স্থানিক পরিকল্পনার প্রাথমিক সংজ্ঞাটি আসে ইউরোপীয় আঞ্চলিক / স্থানিক পরিকল্পনা সনদ (প্রায়শই 'টরেমোলিনোস চার্টার' নামে পরিচিত) , ১৯৮৩ সালে আঞ্চলিক পরিকল্পনার জন্য দায়ী ইউরোপীয় সম্মেলন (সিইএমএটি) দ্বারা গৃহীত: " "আঞ্চলিক / স্থানিক পরিকল্পনা সমাজের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশগত নীতিগুলিকে ভৌগোলিক প্রকাশ দেয়"" থেকে।এটি "একই সাথে বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খলা, প্রশাসনিক কৌশল এবং একটি সামগ্রিক কৌশল হিসেবে গড়ে উঠেছে যা একটি আন্তঃশৃঙ্খল ও বিস্তৃত পদ্ধতি হিসেবে একটি ভারসাম্য যুক্ত আঞ্চলিক বিকাশ এবং মহাকাশের শারীরিক সংস্থার দিকে একটি ব্যাপক পদ্ধতি অনুযায়ী পরিচালিত ।""
বিশ্বজুড়ে অনেক পরিকল্পনা ব্যবস্থার অস্তিত্ব রয়েছে । পরিকল্পনার গঠনটি মূলত সমাজ এবং তাদের শাসনব্যবস্থার সাথে বিচ্যুত এবং সহ-বিকশিত হয়। এই দেশগুলির মধ্যে প্রতিটি দেশ এবং রাজ্যের একটি অনন্য পরিকল্পনা ব্যবস্থা রয়েছে যা বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন পরিকল্পনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং একটি নির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দ্বারা গঠিত। উভয় গঠন এবং স্থানীয় পরিকল্পনার প্রভাবকে প্রভাবিত করে দৃষ্টিভঙ্গি, কর্মকর্তা এবং সংস্থাগুলি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়, । বিশেষত উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে স্থানিক পরিকল্পনা ১৯৫০ এর দশকের শেষের দিক থেকে ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে। ১৯৯০ এর দশক অবধি 'স্পেসিয়াল' শব্দটি মূলত ব্যবহৃত হয়েছিল এটি বুঝাতে যে পরিকল্পনাকে কেবল অঞ্চলবিভাজন, ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা বা শহর বা অঞ্চলগুলির শারীরিক রূপের নকশার চেয়েও বেশি কিছু মোকাবেলা করা উচিত, তবে আরও জটিল বিষয়গুলি যেমন কর্মসংস্থান, ঘর এবং অবসর ব্যবহারের মতো ক্রিয়াকলাপের স্থানিক সম্পর্কের বিষয়গুলি সমাধান করা উচিত।
স্থানিক পরিকল্পনা হলো দর্শন সম্পর্কিত এবং কীভাবে তা স্থানিক পর্যায়ে প্রকাশিত হচ্ছে। এটির উচিত নিয়ন্ত্রক এবং প্রচারমূলক উভয় উদ্দেশ্যকে সেবা প্রদান করা যাতে আকাংক্ষিত উন্নয়নমূলক ফলাফল অর্জন করা যায়। এটি স্থানের অভ্যন্তর ও বাইরে ভাবনা এবং কর্মের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়, যার ফলে স্থানিক ক্ষেত্র এবং লোকনীতি ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইনের কার্যকর মিশ্রণ নিশ্চিত করে।
স্থানিক পরিকল্পনা ব্যবস্থার বিভিন্ন সংমিশ্রণ পাওয়া যায়। নীচের সারণীতে কিছু প্রধান উৎস, দেশ এবং প্রকাশনার তারিখ দেখানো হয়েছে।
১৯৯৯ সালে, ইউরোপীয়ান স্পেসিয়াল ডেভলপমেন্ট পারস্পেক্টিভ (ইএসডিপি) নামক একটি নথি ইইউ সদস্য দেশগুলিতে আঞ্চলিক পরিকল্পনার জন্য দায়ী মন্ত্রীদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যদিও ইএসডিপির কোনও বাধ্যতামূলক অবস্থান নেই, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্থানিক পরিকল্পনার কোনও আনুষ্ঠানিক কর্তৃত্ব নেই, ইএসডিপি ইউরোপীয় অঞ্চল এবং সদস্য দেশগুলিতে স্থানিক পরিকল্পনা নীতিকে প্রভাবিত করেছে, এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ইইউ বিভাগীয় নীতিগুলির সমন্বয়কে স্থান দিয়েছে।
ইউরোপীয় স্তরে, আঞ্চলিক সংহতি শব্দটি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং উদাহরণস্বরূপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারত্ব হিসাবে ইইউ চুক্তির (সংবিধান) খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে; এটি লিসবন চুক্তিতেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০০৪ সালের শেষের দিকে রটারড্যামের একটি "স্কোপিং ডকুমেন্ট" এ শব্দটি সংজ্ঞায়িত হয়েছিল এবং "দ্য টেরিটরিয়াল স্টেট অ্যান্ড পারস্পেক্টিভ অফ দ্য ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন " শিরোনামে একটি নথিতে রটারড্যামে শুরু হওয়া প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখতে "টেরিটরিয়াল এজেন্ডা" নামে একটি রাজনৈতিক দলিল ২০০৭ সালের মে মাসে লাইপজিগে মন্ত্রীর সম্মেলনে স্বাক্ষরিত হয়, যা ২০১১ সালের মে মাসে গডেলিতে সংশোধিত হয়।
|
1050622
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050622
|
কাশিমা অ্যান্টলার্স
|
কাশিমা অ্যান্টলার্স
কাশিমা অ্যান্টলার্স (, ) হচ্ছে কাশিমা ভিত্তিক একটি জাপানি পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে জাপানের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ জে১ লিগে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৯৪৭ সালে "সুমিতোমো মেটাল ফুটবল ক্লাব" নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৪০,৭২৮ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট কাশিমা সকার স্টেডিয়ামে এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন জাপানি সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় নাওকি সোমা এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ফুমিয়াকি কোইজুমি। জাপানি মধ্যমাঠের খেলোয়াড় কেন্তো মিসাও এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘরোয়া ফুটবলে, কাশিমা অ্যান্টলার্স এপর্যন্ত ২৮টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ৮টি জে১ লিগ, ৫টি এম্পেরর'স কাপ এবং ৬টি জাপানি সুপার কাপ শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে এশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ৪টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ২০১৮ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা রয়েছে। হিতোশি সোগাহাতা, মিতসুও ওগাসাওয়ারা, তাকেশি আওকি, ইয়োশিয়ুকি হাসেগাওয়া এবং আতসুহি ইয়ানাগিসাওয়ার মতো খেলোয়াড়গণ কাশিমা অ্যান্টলার্সের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
|
1050623
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050623
|
হাইতিতে ইসলাম
|
হাইতিতে ইসলাম
হাইতিতে ইসলাম মুসলমানদের একটি ছোট সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যারা মোট জনসংখ্যার ১% এরও কম এবং স্থানীয় ও বিদেশী অভিবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত। দেশটিতে বেশ কয়েকটি মসজিদ ও ইসলামী সংগঠন উপস্থিত রয়েছে।
দাস ব্যবসায়ের সময়কালে (ষোড়শ শতকের শুরু) আফ্রিকা থেকে ইসলামের সূচনা হয়েছিল, তবে পরবর্তী বছরগুলিতে হাইতিতে গোঁড়া ধর্মাবলম্বী ধর্মীয় বিশ্বাস হ্রাস পেয়েছিল। এরপরে এটি মরোক্কার অভিবাসীদের দ্বারা পুনঃবর্তিত হয় এবং তখন থেকেই বর্তমান অবধি এটি বিদ্যমান রয়েছে । মুসলমানরা তাদের ধর্ম নির্দ্বিধায় অনুশীলন করতে পারে এবং ইসলামিক অধ্যয়ন উপলব্ধ রয়েছে।
হাইতিতে ইসলামী সংগঠনের মধ্যে রয়েছে বিলাল মসজিদ এবং ক্যাপ-হাইতিয়েনের ইসলামিক সেন্টার, যা ইসলামী শিক্ষার অনুষ্ঠান সুযোগ আছে এবং প্রতিদিনের প্রার্থনা করা যায় । অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে মসজিদ শহীদ হাইতি মিরাগোয়েন মসজিদ মিরাগোয়েনে এবং পোর্ট-অ-প্রিন্সের সেন্টার স্পিরিচুয়েল আল্লাহু আকবর । মসজিদ তাওহিদ হাইতি স্থাপন করা হয়েছে এবং কাজ সমাপ্তির কাছাকাছি। গোনাইভেসে, মসজিদ-আল-মুনাওয়ার হল প্রথম মসজিদ যা পাকিস্তানি সেনা অফিসার মেজর সাইফুল্লাহ মিনুস্তায় দায়িত্ব পালন করার সময় তৈরি করেছিলেন এবং ২০০৮ সালে তাঁর পিতা মুনওয়ার সুলতান রন্ধাওয়াকের (একজন অভিজ্ঞ পাকিস্তানি অ্যাথলেট) নামে নামকরণ করেছিলেন। এই মসজিদটি তখন থেকে দাতব্য কাজের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে আসছে এবং নতুন রূপান্তরিত মুসলিম স্থানীয়দের কাছে হস্তান্তর করছে। ২০১০ সালের ভূমিকম্পের পরে সহায়তা সরবরাহের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন এবং ত্রাণ গোষ্ঠী দেশটি পরিদর্শন করেছিল । মুফতি শহীদ মোহাম্মদ মিরাগোয়েন অঞ্চলে একটি দারুল উলূম প্রতিষ্ঠা করেছেন যা সমগ্র দেশের মুসলমানদের জন্য খাবারদাবারের যোগান দেয়।
হাইতিতে দাসত্বের শুরুর মধ্য দিয়ে হিসপানিওলা দ্বীপে (যা হাইতি ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের অংশ) ইসলামের ইতিহাস শুরু হয়। যদিও অনেকে সময়ের সাথে সাথে ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল, কিন্তু তাদের স্বজাতীয় হাইতিয়ানদের সংস্কৃতিতে ইসলামী ঐতিহ্য বজায় আছে । অধিকন্তু, ডুতি বাউকমানের একটি সংশোধনবাদী ইতিহাস, যার মৃত্যুতে মূলত হাইতিয়ান বিপ্লবের সূচনা করে, ধারণা করা হয় যে তিনি মুসলিম ছিলেন। বিশ শতকের গোড়ার দিকে খ্রিস্টান আরব অভিবাসীরা আমেরিকাতে এসেছিল, যাতে আশ্চর্যরূপে লক্ষণীয় পরিমাণ খ্রিস্টান হাইতিতে (এবং অন্যান্য দেশগুলিতে) স্থায়ী বসবাস করা শুরু করে।
কথিত আছে যে,একজন লোক মরোক্কার ফেজ গ্রামের বাসিন্দা ১৯ জন পরিবারসহ ১৯০২ সালের দিকে হাইতিতে প্রথম পৌঁছেছিলেন । বর্তমানে, দেশের বেশিরভাগ মুসলমান আদিবাসী হাইতিয়ান এবং তারপরে জাতিগত রয়েছে মরোক্কানরা।
সীমিত আর্থিক সংস্থার ফলস্বরূপ, একটি আবাসস্থল মসজিদে রূপান্তরিত এবং একটি মিনার নির্মিত হওয়ার আগে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত কোনও মসজিদ বা স্কুল তৈরি করতে তারা অক্ষম ছিল।
2000 সালে, সান রাফায়েলের ফ্যানমি লাভালাসের সদস্য নওন মার্সেলাস হাইতির চেম্বার অফ ডেপুটিসের নির্বাচিত প্রথম মুসলিম হয়েছিলেন।
হাইতিতে মুসলমানদের বেশিরভাগই হলেন সুন্নি মুসলমান।
|
1050627
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050627
|
ভূসম্পত্তি উন্নয়ন
|
ভূসম্পত্তি উন্নয়ন
রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন বা সম্পত্তি উন্নয়ন, হল একটি ব্যবসা প্রক্রিয়া, পরিবেষ্টনকারী কার্যক্রম যা সংস্কার এবং বিদ্যমান ভবনসমূহের পুনরায় ইজারা থেকে শুরু করে কাঁচা জমি ক্রয় এবং উন্নত জমি এবং জমির অংশ অন্যদের কাছে বিক্রয় পর্যন্ত । রিয়েল এস্টেট বিকাশকারীরা হ'ল এমন ব্যক্তিরা এবং সংস্থাগুলি যারা এই সমস্ত ক্রিয়াকলাপকে সমন্বয় করে কাগজ থেকে বাস্তব সম্পত্তিতে রূপান্তর করে। রিয়েল এস্টেটের বিকাশ নির্মাণ বা গৃহনির্মাণ থেকে পৃথক, যদিও অনেক বিকাশকারীও নির্মাণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন বা গৃহনির্মাণে জড়িত।
রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন আজকে বিভিন্নভাবে নির্ধারণ করে যে আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে বাস করব। বসতি, কর্মক্ষেত্র, কেনাকাটা এবং অবসর সরবরাহ করার মাধ্যমে এটি আধুনিক সমাজের বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা পূরণ করে এবং অনেক দেশ যেখানে বাজার অর্থনীতি বিদ্যমান সেখানে প্রধান বেসরকারি অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ এর একটি অনেক বিরাট অংশ গঠন করে। এটি অস্বাভাবিকভাবে গতিশীল, যেহেতু নির্মাণ, নিয়ন্ত্রণ, বিপণন, অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা এবং আরো অনেক কিছুর মধ্যবর্তী শিকলে দ্রুত পরিবর্তন ঘটে।
বিকাশকারীরা জমি কিনে, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়ের জন্য অর্থায়ন করে, নিজেরা অথবা বিল্ডারদের মাধ্যমে প্রকল্প তৈরি করে, কল্পনা করে, নিয়ন্ত্রণ করে এবং উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুসমন্বিত করে। বিকাশকারীরা সাধারণত রিয়েল এস্টেট তৈরি বা সংস্কারে সর্বাধিক ঝুঁকি নেন এবং সর্বাধিক পুরস্কার পান। সাধারণত, বিকাশকারীরা জমিটির একটি অংশ কিনে, সম্পত্তির বিপণন নির্ধারণ করে, বিল্ডিং এর প্রোগ্রাম এবং ডিজাইন বিকাশ করে, প্রয়োজনীয় জনসাধারণের অনুমোদন এবং অর্থায়ন অর্জন করে, কাঠামো তৈরি করে এবং ভাড়া দেয়, পরিচালনা করে এবং শেষ পর্যন্ত এটিকে বিক্রয় করে।
কখনও কখনও সম্পত্তি বিকাশকারীরা কেবলমাত্র প্রক্রিয়াটির অংশ গ্রহণ করবেন। উদাহরণস্বরূপ, কিছু বিকাশকারী একটি সম্পত্তির উত্স তৈরি করে এবং সর্বাধিক মূল্যে কোনও বিল্ডারের কাছে পরিকল্পনাগুলি এবং অনুমতি সহ সম্পত্তি বিক্রয় করার আগে পরিকল্পনা এবং অনুমোদনের অনুমতি পায়। বিকল্পভাবে, একজন বিকাশকারী যা একজন নির্মাতাও সেখানে পরিকল্পনা এবং অনুমতির সাথে সম্পত্তি কিনে যাতে তাদের পরিকল্পনার অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি না থাকে এবং অবিলম্বে উন্নয়নের উপর নির্মাণ শুরু করতে পারে।
স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী, সমীক্ষক, পরিদর্শক, ঠিকাদার, আইনজীবী, ইজারা এজেন্ট ইত্যাদিসহ এই প্রক্রিয়াটির প্রতিটি পদক্ষেপে বিকাশকারীরা বিভিন্ন বিভিন্ন অংশের সাথে কাজ করেন। যুক্তরাজ্যের টাউন এবং কান্ট্রি প্ল্যানিং প্রসঙ্গে টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি প্ল্যানিং আইন ১৯৯০ এস৫৫-তে 'উন্নয়ন' সংজ্ঞায়িত করা হয়।
রিয়েল এস্টেট বিকাশের প্রক্রিয়াটির অনেকগুলি ক্ষেত্রে স্থানীয় বা রাষ্ট্রীয় লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়, যেমন রিয়েল এস্টেট ব্রোকার বা বিক্রয় এজেন্ট হিসাবে কাজ করা। একজন রিয়েল এস্টেট বিকাশকারী পেশাদার পদবি নয়; এমন কোনও স্কুল বা সমিতি নেই যা এই শব্দটিকে ট্রেডমার্ক হিসাবে স্বীকৃতি দেয় বা সুরক্ষা দেয়।
কোনও একক পথ রিয়েল এস্টেট বিকাশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাফল্যের দিকে পরিচালিত করে না। বিকাশকারীরা বিভিন্ন শৃঙ্খলা — নির্মাণ, নগর পরিকল্পনা, ঋণদান, আর্কিটেকচার, আইন এবং অ্যাকাউন্টিং ইত্যাদি থেকে আসে। রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট (এমআরইডি) ডিগ্রি অর্জনের জন্য সাম্প্রতিক বিশেষ প্রোগ্রামগুলি উপলভ্য। রিয়েল এস্টেট বিকাশের স্নাতক প্রোগ্রামগুলি রিয়েল এস্টেট শিল্পের সর্বাধিক বিস্তৃত শিক্ষা। অন্যান্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে রিয়েল এস্টেটের বিজ্ঞানের একটি স্নাতক (এমএসআরই), বা একটি এমবিএ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।
একটি উন্নয়ন দলকে একাধিক উপায়ে একসাথে রাখা যেতে পারে। চূড়ান্তভাবে, একটি বৃহত সংস্থা স্থাপত্য থেকে প্রকৌশল পর্যন্ত অনেক পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করতেপারে। বর্ণালীটির অন্য প্রান্তে, একটি উন্নয়ন সংস্থা একটি প্রধান এবং কয়েকজন কর্মী সমন্বিত হতে পারে যা প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি সেবার জন্য অন্য সংস্থাগুলি এবং পেশাদারদের নিয়গ দেয় বা তাদের সাথে চুক্তি করে।
একটি জটিল উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্নিহিত পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, ব্যক্তিগত, শারীরিক এবং রাজনৈতিক সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য পেশাদারদের একটি দলকে সমবেত করা সমালোচনা। একজন বিকাশকারীর সাফল্য সমন্বয়ের দক্ষতা এবং উপযুক্ত সময়ে ধারাবাহিকভাবে আন্তঃসম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপগুলির সমাপ্তির নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
বিকাশ প্রক্রিয়াটির জন্য অনেক পেশাদারির দক্ষতা প্রয়োজন: প্রকল্পের নকশা দেখানোর জন্য স্থপতি, ভূদৃশ্য স্থপতি, পুরকৌশল প্রকৌশলী এবং নির্মাণ-ভূমি পরিকপনাবিদ ; চাহিদা এবং একটি প্রকল্পের অর্থনীতি নির্ধারণের জন্য বাজার পরামর্শদাতা; চুক্তি এবং সরকারী অনুমোদনের জন্য উকিল; কোনও সাইটের শারীরিক সীমাবদ্ধতা এবং পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পরিবেশ পরামর্শদাতা এবং মাটি প্রকৌশলী ; কোনও সম্পত্তি সম্পর্কিত আইনি বিবরণ প্রদানের জন্য সমীক্ষক এবং শিরোনাম সংস্থাগুলি; এবং অর্থ সরবরাহের জন্য ঋণদানকারী। প্রকল্পের সাধারণ ঠিকাদার স্থাপত্য পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য সাবকন্ট্রাক্টরদের নিয়োগ দেয়।
সম্ভাব্য বিকাশের জন্য অব্যবহৃত জমি ক্রয়কে কখনও কখনও দূরকল্পনামূলক উন্নয়ন বলা হয়।
জমির পুনর্বিভাজন হলো প্রধান ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সম্প্রদায়গুলি বিকাশ লাভ করে। প্রযুক্তিগতভাবে, পুনর্বিভাজন কাঁচা জমিটিকে উন্নত জমিতে রূপান্তর করতে একজন বিকাশকারীকে অবশ্যই আইনী এবং শারীরিক পদক্ষেপগুলি বর্ণনা করে। পুনর্বিভাজন একটি সম্প্রদায়ের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, এটির চেহারা নির্ধারণ করে, এর জমি ব্যবহারের মিশ্রণ এবং এর অবকাঠামো, যাতে রাস্তা, নিকাশী ব্যবস্থা, জল, নর্দমা ব্যবস্থা এবং জনসাধারণের উপযোগ অন্তর্ভুক্ত।
ভূমি বিকাশ সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তবে এটি সবচেয়ে লাভজনক কৌশলও হতে পারে কারণ এটি অনুমোদনের জন্য এবং অবকাঠামোগত করার জন্য সরকারী খাতের উপর নির্ভরশীল এবং কারণ এতে নগদ প্রবাহের কোনও ইতিবাচক প্রবণতা ছাড়াই দীর্ঘ বিনিয়োগের সময় জড়িত।
পুনর্বিভাজনটি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, বিকাশকারী সাধারণত গুদাম বা শপিং সেন্টারের মতো ব্যবহারের জন্য জমিটি কোনও বাড়ি নির্মাতা বা অন্য প্রান্ত ব্যবহারকারীকে বাজারজাত করে। যাইহোক, স্থানীয় বুদ্ধি সরঞ্জামের ব্যবহার বাড়ির নির্মাতা বা খুচরা বিক্রেতাদের নতুন বিকাশ ঘিরে থাকা গ্রাহকদের ধরনের জনসংখ্যার প্রবণতা এবং জনতাত্ত্বিক নেপথ্যে মডেলিং করে এই বিকাশকারীদের ঝুঁকি হ্রাস করে।
|
1050630
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050630
|
হাওয়াইতে ইসলাম
|
হাওয়াইতে ইসলাম
১৯৭৯ সালে মুসলিম স্টুডেন্টস' অ্যাসোসিয়েশন অফ হাওয়াই সংগঠনকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে হাওয়াইয়ে ইসলামের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংস্থাটি সংগঠিত হয়, যদিও এই সংগঠনটি ১৯৬৮ সালের প্রথম দিকে চালু ছিল। মানোয়া মসজিদ কেনার আগে গোষ্ঠীটি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল প্রাথমিকভাবে একটি কুটিরে প্রার্থনা করত। যাইহোক, আমেরিকান মুসলিম সাপোর্ট গ্রুপের ১৯৯২সালের একটি গবেষণায় ১৯৯২ সালে হাওয়াইকে শূন্য মসজিদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
২০০১ এর প্রথমদিকে, মনোয়া মসজিদে শুক্রবারের নামাজে ২০০ জনের উপস্থিতি ছিল, রমজানের "ইফতারের" খাবারের শেষে ১০০ জনের উপস্থিতি এবং মসজিদেরই ২,০০০ সদস্য ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০০৯ সালের মে মাসে, "ইসলামী বিশ্বের সমৃদ্ধ ধর্মীয়, বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অবদানকে" স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য হাওয়াইয়ের বিধায়করা সে বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর একটি রাষ্ট্রীয় নির্ধারিত স্বীকৃতি দিবস বা ইসলাম দিবস তৈরির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। রাজ্য সিনেটে এই প্রস্তাবটি ২২-৩ ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছিল।
১৯৩৭ সালে ডরিস ডিউকের নির্মিত শ্যাংরি লা ম্যানশনটি ২,৫০০ টিরও বেশি ইসলামিক শিল্পের ভাণ্ডার হিসাবে কাজ করে, পাশাপাশি ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত ইসলামী স্থাপত্যও রয়েছে। হোনোলুলু মিউজিয়াম অফ আর্টের সহযোগিতায় ট্যুর সহ এখন বভবনটি ডরিস ডিউক ফাউন্ডেশন ফর ইসলামিক আর্টের দ্বারা পরিচালিত হয়।
মনোয়ার হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে রাজ্যের প্রধান মসজিদটি অবস্থিত, যা ইসলামিক স্টাডিজের অস্নাতক সনদপত্র প্রদান করে থাকে।
|
1050633
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050633
|
হেদায়াত
|
হেদায়াত
হেদায়াত ( , হিদায়াহ ) একটি আরবি শব্দ যার অর্থ "পথপ্রদর্শন"। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আল্লাহ মানুষের কাছে মূলত কুরআন আকারে হেদায়েত প্রদান করেছেন। শুধু কুরআনের মাধ্যমে নয়, হেদায়াত বা পথপ্রদর্শন মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমেও প্রদান করা হয়েছে এবং তিনি যেভাবে তাঁর জীবন যাপন করেছিলেন তা নবীজীর সুন্নাহ হিসাবে পরিচিত। তাঁর শিক্ষা এবং কুরআনে দিকনির্দেশের মাধ্যমে মুসলমানরা উন্নততর জীবনধারা অর্জনের আশা করেন।
‘হুদা’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘গাইড’। কুরআনে এই গ্রন্থটিকে আল্লাহ 'আল্লাহভিরুদের জন্য হুদা/পথ প্রদর্শক' নামে উল্লেখ করেছেন। ‘হুদাল্লিল মুত্তাকিন’ও (স্রষ্টার পরিচয়প্রাপ্ত মানুষের জন্য আলোর পরশ) বলেন, কারণ তিনি শুধু তাদেরকেই সাহায্য করেন যারা নিজেদেরকে সাহায্য করে।
|
1050639
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050639
|
রেডিং
|
রেডিং
রেডিং ( ) ইউরোপ মহাদেশের রাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বভাগের ঐতিহাসিক বার্কশার কাউন্টির একটি শহর। এটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন থেকে প্রায় ৬১ কিলোমিটার পশ্চিমে, টেমস নদী ও এর একটি উপনদী কেনেট নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। সড়কপথে এটি এম৪ মহাসড়ক ও রেলপথে এটি গ্রেট ওয়েস্টার্ন মেইন লাইনের উপরে পড়েছে।
রেডিং একটি ঐতিহাসিক কৃষিবাজার শহর। এখানকার চারা-পরিচর্যা ক্ষেত্র বা নার্সারিগুলি সুখ্যাত। এছাড়া এখানে বিস্কুট ও মদ চোলাইয়ের কারখানা আছে। এছাড়া মুদ্রণ, লোহাগলন, প্রকৌশল ও কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবসাও উল্লেখ্য। ১৮৯২ সালে এখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্কিত একটি মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯২৬ সালে এটি স্বাধীন রেডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি, উদ্যানবিদ্যা ও দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদনের উপরে বিশেষ গবেষণা সম্পাদন করা হয়। এখানে প্রায় ১ লক্ষ ৬৩ হাজার অধিবাসী বাস করে।
প্রতি বছর এখানে রেডিং ফেস্টিভাল নামক একটি সঙ্গীত উৎসবের আয়োজন করা হয়।
|
1050652
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050652
|
ব্যান্ডেড ওয়াটার কোবরা
|
ব্যান্ডেড ওয়াটার কোবরা
ব্যান্ডেড ওয়াটার কোবরা হল একটি পানির কেউটে প্রজাতি যার বৈজ্ঞানিক নাম নাজা এনুলেটা (Naja annulata) (পূর্বে বৌলেনগেরিনা এনুলেটা "Boulengerina annulata)।" এটি সাধারণভাবে ব্যাণ্ডেড পানি কেউটে বা বৃত্তাকার পানি কেউটে নামে পরিচিত। এটি পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় দেখা যায় । পৃথিবীর দুটি প্রজাতির জল কোবরাগুলির মধ্যে এই প্রজাতি হ'ল একটি, অন্যটি হ'ল কঙ্গোর জল কোবরা ( "নাজা ক্রিসিটি" )।
এটি একটি বৃহত, ভারী দেহযুক্ত সাপ। এর একটি সংক্ষিপ্ত, প্রশস্ত এবং সমতল মাথা রয়েছে যা একটি আবছা ক্যান্থাসযুক্ত এবং ঘাড় থেকে পৃথক। এটির গোলাকার চোখের মনির সাথে মাঝারি আকারের কৃষ্ণবর্ণ চোখ রয়েছে। দেহটি নলাকার; লেজটি দীর্ঘ। শরীরের মধ্যভাগের ২১-২৩ সারিতে স্কেলগুলি মসৃণ এবং চকচকে। প্রাপ্তবয়স্করা গড়ে দৈর্ঘ্যের হয়, তবে এগুলি সর্বোচ্চ হতে পারে। স্কেলগুলি মসৃণ, যা এই প্রজাতির জলজ জীবন নির্দেশ করে। এটি একটি সংকীর্ণ, তবে চিত্তাকর্ষক ফণা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। দেহের রঙগুলি বেশিরভাগ চকচকে বাদামী, ধূসর-বাদামি বা লালচে বাদামী হয়ে সমস্ত শরীরের সাথে কালো ব্যান্ডযুক্ত। পেটটি ফ্যাকাশে হলুদ বর্ণের, যদিও লেজটি পুরো কালো।
এই প্রজাতিটি মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, নিরক্ষীয় গিনি, গ্যাবোন, রুয়ান্ডা এবং অ্যাঙ্গোলার কাবিন্ডা প্রদেশের পাশাপাশি টাঙ্গানিকা লেকের তীরবর্তী বুরুন্ডিয়ার, তানজানিয়ান এবং জাম্বিয়ান তীরে পাওয়া যায় । এটি মূলত একটি জলজ প্রজাতি এবং খুব কমই জল থেকে খুব দূরে পাওয়া যায়। এটি বনভূমি এবং কাঠের আধিক্য আছে এমন সাভানা ভূখণ্ডের হ্রদ এবং নদীর তীরে পাওয়া যায় যেখানে আচ্ছাদন যথেষ্ট বেশি। সাধারণত নিম্নভূমি বনাঞ্চল, ঝোপঝাড় বা হ্রদ, নদী এবং প্রবাহের কাছে ঝোপযুক্ত এবং ঘন কাঠের তীরে বাস করে।
এটি একটি গোপন প্রজাতি এবং খুব কমই মানুষের মুখোমুখি হয়। এটি দিন ও রাতে সক্রিয় থাকে, যদিও এটি সাধারণত দিনে বেশি সক্রিয় থাকে। এই জলজ সাপটি বেশিরভাগ সময় পানিতে থাকে। এটি একটি দুর্দান্ত সাঁতারু এবং ১০ মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে থাকতে পারে ডুব দিয়ে এবং জলের গভীর পর্যন্ত ডুব দিতে পারে। এটি জমিতে ধীর গতিবেগে চলে এবং এটি শৈলরেখায়, গর্তে বা তীররেখায় গাছের শিকড়কে ছাপিয়ে লুকিয়ে থাকে। এটি লুকানোর জন্য করার জন্য সেতু ও জেটির মতো কোনও মনুষ্যনির্মিত কাঠামো ব্যবহার করে। এটি সাধারণত আক্রমণাত্মক হয় না এবং জলে এর কাছে পৌঁছে গেলে তা দ্রুত সাঁতার কেটে চলে যাবে এবং স্থলভাগে থাকলে জলে নেমে পালানোর চেষ্টা করবে। যদি স্থলভাগে এটি হুমকির মুখে পড়ে তবে এটি তার সংকীর্ণ, তবু বিশিষ্ট ফণাটি ছড়িয়ে দেবে এবং এটি উচ্চস্বরে ফোস ফোস করতে পারে, তবে এটি কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয় না। উত্তেজিত হলেই এটি দংশন করে।
এটি প্রায় একচেটিয়াভাবে মাছের উপর শিকার করে। এটি ব্যাঙ, টোডস এবং অন্যান্য উভচরদের শিকার করে খেতে পারে।
এই প্রজাতির বিষটি ভালভাবে অধ্যয়ন করা হয় নি। তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে বিষটি বেশিরভাগ এলাপিডির মতোই বিপজ্জনকভাবে নিউরোটক্সিক। একটি গবেষণায় এই প্রজাতির ইন্টারপাটারিটোনিয়াল (আইপি) এলডি৫০টি ০.১৪৩ মিলিগ্রাম / কেজিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
|
1050654
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050654
|
আরব্য কোবরা
|
আরব্য কোবরা
আরবীয় কোবরা বা আরব্য কোবরা ("নাজা আরাবিকা") এলাপিডে পরিবারের এক প্রজাতির বিষধর সাপ। প্রজাতিটি আরব উপদ্বীপের পাওয়া যায়। উপদ্বীপের মধ্যে কোবরা একটি উদ্বেগজনক কারণ এই অঞ্চলে মৃত্যুর হারের প্রধান কারণ হিসেবে এই কোবরা রয়েছে।
ওমান, দক্ষিণ ও পশ্চিম সৌদি আরব এবং ইয়েমেনে আরবীয় কোবরা পাওয়া যায়।
এর বৈজ্ঞানিক নাম "Arabica" শব্দটি থেকে এসেছে লাতিন হতে, যার অর্থ হল আরব।
এই প্রজাতি, "নাজা আরাবিকা" দীর্ঘকাল ধরে মিশরীয় কোবরা ("নাজা হজে") এর একটি উপ -প্রজাতি হিসাবে বিবেচিত ছিল, তবে শরীরের শৈলী ও জিনগত পার্থক্য একটি পৃথক প্রজাতি হিসাবে এর স্বীকৃতি দেয়। "এন আরবিকা" একটি অধরা প্রজাতি এবং বন্যে খুব কমই দেখা যায়।
|
1050659
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050659
|
অ্যাশেস স্পিটিং কোবরা
|
অ্যাশেস স্পিটিং কোবরা
বৈজ্ঞানিক নাম Naja ashei, সাধারণভাবে পরিচিত অ্যাশেস স্পিটিং কোবরা বা দৈত্যকার স্পিটিং কোবরা হিসাবে। এটি এলাপিডি পরিবারের একটি বিষধর সাপ প্রজাতি। প্রজাতিটি আফ্রিকার স্থানীয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রজাতির স্পিটিং কোবরা ।
ইংরেজি স্পিটিং শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল থুথু ছিটানো, তবে প্রজাতির সাপেরা বিষ ছিটিয়ে দেয় থুথু নয়। এই কোবরা দূর থেকে শত্রুকে লক্ষ্য করে বিষ ছুড়ে মারে।
জেনেরিক নাম, "নাজা", সংস্কৃত শব্দ নাগা ("" ) এর ল্যাটিনকৃত নাম যার অর্থ "কোবরা"। সুনির্দিষ্ট "নাম আশেই" রাখা হয়েছে প্রয়াত জেমস আশেইকে সম্মান জানিয়ে যিনি বায়ো-কেন স্নেক ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তিনিই প্রথম "এন.আশেইকে" একটি নতুন প্রজাতি বলে অভিহিত মধ্যে একজন ছিলেন। অন্যান্য বিষ নিক্ষেপকারী কোবরা থেকে পার্থক্য ১৯৬০ এর দশকে উপলব্ধি করা হয়েছিল, তবে "এন আশেই" প্রাথমিকভাবে কালো-ঘাড়ের বিষ নিক্ষেপকারী কোবরা ( "এন। নিগ্রিকোলিস" ) এর একটি বাদামী বর্ণের রূপ হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। সুতরাং, "এন আশেই যে একটি আলাদা প্রজাতি তা" ওল্ফগ্যাং ওয়েস্টার ( ব্যাঙ্গার বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েলস) এবং ডোনাল্ড ব্রডলি (আফ্রিকার জীববৈচিত্র্য ফাউন্ডেশন ) দ্বারা নির্ণীত হয়। একটি স্বতন্ত্র প্রজাতি হিসাবে ২০০৭ সালে এটিকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছিল। রায়জান টেইলর ( কেনিয়ার ওয়াটামুতে বায়ো-কেন স্নেক ফার্মের পরিচালক) নমুনা সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাদের মধ্যে হোলোটাইপও ছিল।
জায়ান্ট স্পিটিং কোবরা মোজাম্বিক স্পিটিং কোবরা ( "এন। মোসাম্বিকা" ) এর সাথে সর্বাধিক ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
এটি বৃহত্তম বিষ নিক্ষেপকারী কেউটে, প্রায় গড় দৈর্ঘ্যে (লেজ সহ)। এখন পর্যন্ত এই প্রজাতির বৃহত্তম নমুনা, কেনিয়াতে ধরা হয়েছিল, দৈর্ঘ্যের। কিছু "এন। নিগ্রিকোলিসও" এই ধরনের আকারে পৌঁছতে পারে তবে এটি খুব ব্যতিক্রমী। অন্যদিকে কেনিয়ার উপকূলে, টেরও বেশি "এন আশেয়ের নমুনাগুলি রয়েছে যা সেখানকার জন্য মোটেই" অস্বাভাবিক নয়।
দৈত্যাকার বিষ নিক্ষেপকারী কোবরাগুলি পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার এবং উত্তর ও পূর্ব কেনিয়ার শুকনো নিম্নভূমিতে এবং উত্তর-পূর্ব উগান্ডা, দক্ষিণ ইথিওপিয়া এবং দক্ষিণ সোমালিয়ায় অনুরূপ আবাসস্থল পাওয়া যায়।
ব্ল্যাক-নেক স্পিটিং কোবরা ( "এন। নিগ্রিকোলিস" ) এবং লাল বিষ নিক্ষেপকারী কোবরা ( "এন। পালিদা" ) সহ অন্যান্য বিষ নিক্ষেপকারী কোবারের বিষের সাথে "এন আশেয়ের" বিষ খুব মিলে যায়। অবশ্য এদের উভয়ই একই অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি পোস্টসিন্যাপটিক নিউরোটক্সিন এবং সাইটোক্সিন নিয়ে গঠিত। তবে "এন আশেই" অন্যের তুলনায় এক কামড়ে অনেক বেশি পরিমাণের বিষ প্রয়োগে সক্ষম। ২০০৪ সালে বায়ো-কেন স্নেক ফার্মে মিল্ক করা একটি একক নমুনায় ভেজা বিষের পরিমাণ পাওয়া গিয়েছিল ৬.২ মিলি, ওজন ৭.১ গ্রাম এবং প্রায় ৩ গ্রাম প্রতিবিষ রয়েছে।
|
1050664
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050664
|
সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়
|
সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়
সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় (২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬ – ৭ জুন ২০১৩) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কবি ও সাহিত্য সমালোচক। ১৯৫৬ সালে প্রথম বই প্রকাশিত হয়, ‘প্রিয় প্রসঙ্গ’। ‘বাংলা উপন্যাসের কালান্তর’ এবং ‘কবিতার কালান্তর’ তাঁর দুইটি বই বহু আলোচিত সৃষ্টি করে ও পাঠক সমাজে প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়া ‘বিকিকিনির হাট’, ‘তিন তাসের খেলা’, ‘নীল রাখি’, ‘গোলাপ হয়ে উঠবে’ প্রভৃতি বই সমাদৃত।
|
1050684
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050684
|
কোবলম
|
কোবলম
কোবলম দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত চেঙ্গলপট্টু জেলায় চেন্নাই শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি জনবসতিপূর্ণ শহর। চেন্নাই মহানগর থেকে ৪০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এটি একটি মৎস আহরণের প্রধান গ্রাম। এটি ইস্ট কোস্ট রোডের ওপর মহাবলীপুরমের দিকে অবস্থিত। কর্ণাটের নবাব দ্বিতীয় মহম্মদ সাদাতুল্লা খানের সময়কালে কোবলম একটি বন্দর ছিল। ১৭৪৬ খ্রিস্টাব্দে নবাবের থেকে ফরাসিরা ও ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা এর দখল নেয়।
ওলন্দাজরা ঔপনিবেশিক কালে এখানে ছোটখাটো একটি দুর্গ নির্মাণ করেন, বর্তমানে এটি তাজ ফিশারম্যান'স কোভ নামে একটি বেসরকারি বিলাসবহুল রিসর্টে পরিণত হয়েছে। একটি প্রাচীন ক্যাথলিক গির্জা ও একটি দরগাও এই লোকালয়ের অন্যতম ধর্মীয় আকর্ষণ।
কোবলম সমুদ্র সৈকত ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত গুটিকয়েক এমন সমুদ্রসৈকতের মধ্যে একটি যেখানে উইন্ড সার্ফিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কয়াল ও নদীমুখ যা বছরে প্রতি সময়ে প্লাবিত থাকে।
২০১১ খ্রিটাব্দে ভারতের জনগণনা অনুযায়ী কোবলমের মোট জনসংখ্যা ৮,১২৪ জন, যেখানে ৩,৯৮০ জন পুরুষ ও ৪,১৪৪ জন নারী৷ অর্থাৎ প্রতিহাজার পুরুষে ১০৪১ জন নারীর বাস৷ মোট পরিবার সংখ্যা ৩,৫২০ টি৷ ছয় বছর অনূর্ধ্ব শিশু সংখ্যা ১,০০৮, যা মোট জনসংখ্যার ১২.৪১ শতাংশ৷ কোবলমের মোট সাক্ষরতার হার ৮৩.২৬ শতাংশ, যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯০.২১ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৭৬.৭৩ শতাংশ৷
|
1050687
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050687
|
নীরদ মজুমদার
|
নীরদ মজুমদার
নীরদ মজুমদার (১১ মে, ১৯১৭ - ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ )
ছিলেন ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী। বিশ শতকের প্রথম দিকে ভারতীয় আধুনিকতাবাদী নবীন প্রজন্মের ও কলকাতা গ্রুপের অন্যতম চিত্রশিল্পী ছিলেন তিনি। ইউরোপীয় ছবির আঙ্গিকে ভারতীয় শৈলীর অপূর্ব সংমিশ্রণ করে নিজস্ব আঙ্গিকে শিল্প সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার অদ্বিতীয় কথাশিল্পী কমলকুমার মজুমদারের এবং চিত্রশিল্পী শানু লাহিড়ীর সহোদর।
নীরদ মজুমদারের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ই মে। তিনি পিতা প্রফুল্লকুমার মজুমদার ও মাতা রেণুকাময়ী দেবীর সাত সন্তানের একজন।
তাঁদের পৈতৃক নিবাস ছিল উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত শহর টাকিতে। তবে তাঁদের কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে একটা ভাড়াবাড়ি ছিল। বছর ছয়েক বয়সে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরের ‘বিষ্ণুপুর শিক্ষা সংঘ’ স্কুলে নীরদ ও তাঁর বড় ভাই কমলকুমারের সাথে একই শ্রেণিতে ভর্তি হন। কয়েক বছর পর সেখান থেকে কলকাতার ক্যাথিড্রাল মিশনারি স্কুলে। এখানেও বেশি দিন তাঁর মন টেকেনি। সংস্কৃত ভাষা শিখতে ভর্তি হলেন ভবানীপুরের এক সংস্কৃত টোলে।
নীরদ মজুমদার ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক কমলকুমার মজুমদারের (১৯১৪ - ১৯৭৯) কনিষ্ঠ ভ্রাতা। তাঁদের কনিষ্ঠা ভগিনী শানু লাহিড়ী (১৯২৮-২০১৩) ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রকর ও চিত্রকলার প্রশিক্ষক।
নীরদ মজুমদার শিল্পকলার প্রথম পাঠ নেন কলকাতার ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্টে। তার প্রথম শিক্ষক ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছাত্র চিত্রশিল্পী ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার। শৈপ্লিক দক্ষতার জন্য পাঠ শেষে ‘নরম্যান ব্লান্ট স্মৃতি পদক’ লাভ করেন।
প্রদোষ দাশগুপ্ত, রথীন মৈত্র এবং পরিতোষ সেন প্রমুখ এক ঝাঁক নবীন প্রজন্মের আধুনিকতাবাদীদের নিয়ে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে নীরদ মজুমদার গড়ে তোলেন ক্যালকাটা গ্রুপ। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ক্যালকাটা গ্রুপে তার একক প্রদর্শনী হয়। ইতোমধ্যে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি সরকারের বৃত্তি পেয়ে নীরদ প্যারিসে যান সেখানে তার শিক্ষাকেন্দ্র ছিল আঁদ্রে লেৎ-এর অ্যাকাডেমি। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের ইন্ডিয়া হাউসে এক প্রদর্শনীতে অংশ নেন এবং কিছুদিন সেখানে আর্ট গ্যালারিতে কিউরেটার হিসাবে কাজ করেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে নীরদ প্যারিসে ফিরে আসেন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসে ‘গ্যালরী বারবিজ’ -এ তার একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপে তিনি দশ বৎসর বসবাস করেন এবং সেখানে অবস্থানকালে কনস্ট্যান্টিন ব্রানসুয়েসি, জর্জেস ব্রাক এবং জিন জেনেটের প্রমুখ অনেক লেখক এবং শিল্পীর সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল।
১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে নীরদ মজুমদার কলকাতায় ফিরে আসেন। তিনি বড় আকারের ক্যানভাসে আঁকতে থাকেন এবং, ধীরে ধীরে তার শিল্প কাজে তন্ত্র আর্টের পুনরজাগরণ ঘটতে লাগল। ছবির বিষয় রইল ভারতীয় তথা একান্ত বাংলার, কিন্তু রীতিতে কিছুটা আধুনিক ইউরোপীয়। তিনি কিউবিজম্-এর পথ ছেড়ে ভারতীয় দর্শন, বেদ এবং উপনিষদের পবিত্রবাক্যের চিত্ররূপায়ণে আত্মনিয়োগ করেন। ভারতীয় মন্ত্র-তন্ত্র শাস্ত্রোক্ত বিষয়গুলি যথা কালী, দুর্গা, মঙ্গল কাব্যের বিষয়বস্তু হয়ে উঠল।
তার শিল্পকল্প কেবল একটি রচনায় সম্পূর্ণ ছিল না। সব সময় গুটিকয়েক ক্যানভাস মিলে একেকটি বিষয়ের উপস্থাপনা হয়েছে। ওই রকম সিরিজ:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের যুগ্মকাব্যগ্রন্থ “সুন্দর রহস্যময়”-এর জন্য তিনি একাধিক ছবি এঁকেছেন। এটা নিছক অলঙ্করণ নয়, বরং শিল্পকর্মই।
সাহিত্যের প্রতি নীরদ মজুমদারের একটা আকর্ষণ ছিল। বড় দাদা কমলকুমার মজুমদারের পরোক্ষ প্রভাব ছিল। তিনি একসময় তার স্ত্রীর সাথে যৌথভাবে ভক্তকবি রামপ্রসাদের গানের ফরাসি অনুবাদ করেছিলেন।
নীরদ মজুমদার তাঁর প্রয়াণের চার বছর আগে দেশ সাহিত্য পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে লেখেন আত্মজীবনীমূলক রচনা "পুনশ্চ প্যারী"। এটি তাঁর মৃত্যুর পর আনন্দ পাবলিশার্স কলকাতা কর্তৃক ১৯৮২-এ পুস্তকাকারে প্রকাশিত।
|
1050688
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050688
|
সুমা শিরুর
|
সুমা শিরুর
সুমা শিরুর (জন্ম: ১০ মে ১৯৭৪) একজন প্রাক্তন ভারতীয় মহিলা শুটার যিনি ১০ মিটার এয়ার রাইফেল বিভাগে অংশ নিতেন। ২০০৪ সালের কুয়ালালামপুরে এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে তিনি ৪০০ পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন, যা একটি বিশ্ব রেকর্ড। ২০০৩ সালে, তিনি ভারত সরকার দ্বারা অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে ভারতীয় জুনিয়র রাইফেল শ্যুটিং দলের হাই পারফরম্যান্স কোচ
সুমা দীক্ষিত ১৯৭৪ সালের ১০ইমে জন্মগ্রহণ করেন ভারতের কর্ণাটকের চিকবল্লাপুরে। পরে তিনি নবি মুম্বাইয়ে চলে আসেন এবং নেরুলের সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুল, ভাসির ফাদার এঙ্গেলস জুনিয়র কলেজে পড়াশোনা করেন। সাউথ ইন্ডিয়ান এডুকেশন সোশাইটি কলেজ থেকে রসায়ন নিয়ে স্নাতক হন। তার স্নাতক কোর্স চলাকালীন, তিনি জাতীয় ক্যাডেট কর্পসের একটি অংশ ছিলেন। তখনই তিনি শ্যুটিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন এবং তারপরে দ্রোণাচার্য পুরস্কারপ্রাপ্ত সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং মহারাষ্ট্র রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের শ্রী বি পি বামের তত্ত্বাবধানে শ্যুটিং শুরু করেন। বিপিবিম ।
১৯৯৩ সালে, মহারাষ্ট্র রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের অংশ হিসাবে, শিরুর মহারাষ্ট্র রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। ১৯৯৪ সালে চেন্নাইয়ের জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের পরে তিনি জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন। এর পরে ১৯৯৭ সালে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় গেমসে তিনি তার ভূমিরাজ্য কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, যেখানে তিনি ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।
শিরুর ২০০২ সালে বুসানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে এবং ম্যানচেস্টারে ২০০২ এর কমনওয়েলথ গেমসে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের পদক জিতেছিলেন, যেখানে তিনি ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ব্যক্তিগত ও দলের ইভেন্টে পদক জিতেছিলেন। ২০০৪ সালের অ্যাথেন্সের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে শিরুর এই ইভেন্টে মোট ৪৯৭.২ পয়েন্ট অর্জন করে ফাইনালে অষ্টম স্থানে ছিলেন। একই বছরে, কুয়ালালামপুরে এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে, তিনি সর্বোচ্চ ৪০০ পয়েন্ট অর্জনের পরে, একটি যৌথ বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছিলেন। তিনি ফাইনালে সর্বমোট ৫০২.৩ পয়েন্ট পেয়ে ইভেন্টে স্বর্ণপদক জেতেন। ২০০২ সালে ব্যাংককে চ্যাম্পিয়নশিপে, তিনি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
সুমা ব্যক্তিগত জীবনে একজন স্থপতি সিদ্ধার্থ শিরুরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ২০০৬ সালে, তিনি নিউ পানভেলের লক্ষ্য শুটিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
|
1050689
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050689
|
কঙ্গোর জল কোবরা
|
কঙ্গোর জল কোবরা
বৈজ্ঞানিক নাম নাজা ক্রিশ্চাই (পূর্বে "বোলেঞ্জেরিনা ক্রিসিটি" )। সাধারণত কঙ্গোর জল কোবরা বা খ্রিস্টির জলের কোবরা হিসাবে পরিচিত। এটি ইলাপিডে পরিবারের এক প্রজাতির বিষাক্ত সাপ। প্রজাতিটি মূলত সাব-সাহারান আফ্রিকার। এই প্রজাতিটি পূর্বে ছিল "বোলেঞ্জেরিনা" গণভুক্ত ("Boulengerina)" কিন্তু ভ্যান ওয়ালেস আরো সাম্প্রতিক গবেষণা দ্বারা বুঝতে পারেন যে "বোলেঞ্জেরিনা" আসলে একটি উপগণ এবং "বোলেঞ্জেরিনা খ্রিস্টি" "নাজা খ্রিস্টির" প্রতিশব্দ। এই প্রজাতির কোনও উপ- প্রজাতি নেই।
"নাজা খ্রিস্টিয়ি" প্রজাতিটি প্রথম বেলজিয়াম-ব্রিটিশ প্রাণিবিজ্ঞানী জর্জ অ্যালবার্ট বোলেঞ্জার ১৯০৪ সালে বর্ণনা করেছিলেন। জেনেরিক নাম "নাজা" সংস্কৃত নাগা ( ) শব্দের এর ল্যাটিনকৃত রূপ ) এর অর্থ "কোবরা"।
নির্দিষ্ট বিশেষণ, "খ্রিস্টিয়ি" "," নামটি রাখা হয়েছে ডাঃ কাথ্বার্ট খ্রিস্টির নাম অনুসারে, যিনি গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন জৈবিক অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
এটি একটি মাঝারি থেকে মাঝারি দৈর্ঘ্যের হয়। কিছুটা সংকুচিত, মাঝারি আকারের সরু-দেহযুক্ত। রয়েছে একটি মাঝারি দৈর্ঘ্যের ক্রমশঃ সরু লেজ। মাথা সংক্ষিপ্ত, একটি ক্যান্থাস সহ, এবং ঘাড় থেকে পৃথক। ঘাড় ফণা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। চোখ গোলাকার মনিসহ আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট এবং ডোরসাল স্কেলগুলি মসৃণ এবং চকচকে।
প্রাপ্তবয়স্কদের নমুনার গড় মোট দৈর্ঘ্য (লেজ সহ) প্রায় যা ওপরের দিকে বাড়তে পারে । রোস্টাল স্কেলটি একক এবং দেড়ের মত চওড়া ও সে হিসাবে গভীর এবং উপরে থেকে এটি দৃশ্যমান। অন্তনাসিক্য প্রিফ্রন্টালের মতই গভীর এবং প্রিওকুলারের সঙ্গে ব্যাপকভাবে যুক্ত।
এর বিচরণের ক্ষেত্রটি ছোট ভৌগোলিক পরিসীমায় আবদ্ধ। এটি পাওয়া যায় গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণে অর্ধেক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, দক্ষিণ-পূর্ব খুব গ্যাবনের ছোট অংশ জুড়ে এবং উত্তর দিকে বিস্তৃত এ্যাঙ্গোলার ক্যাবিন্ডা প্রদেশে। "এন ক্রিসিটি" হ্রদ, নদী এবং স্রোতের ধারে নিম্নভূমি গুল্মে বা কাঠের অঞ্চলে জলে বা তার নিকটে সাধারণত দেখা যায়। এটি নিম্ন কঙ্গো নদী এবং নিকটবর্তী ভিজা বনভূমিগুলিতে বিচরণ করে।
"এন ক্রিসিটি" সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায়নি। তবে এটি দিনরাত সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে। এটি একটি আধা জলজ সাপ যা পানিতে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে। একটি দুর্দান্ত সাঁতারু। এটি পাথরের মধ্যে, গর্তে বা তীরে লাইনের গাছের শিকড়গুলিকে লুকিয়ে থাকে। এটি গোপন থাকতে ব্রিজ এবং জেটির মতো কোনও মনুষ্যনির্মিত কাঠামো ব্যবহার করে। সাধারণত এটি কোনও আক্রমণাত্মক সাপ নয়। জলের কাছে গেলে এটি দ্রুত সাঁতার কেটে পালায়। যদি জমিতে হুমকির মুখে পড়ে থাকে তবে তা পিছন ফিরে আসবে। এর সরু ফণা মেলে এবং হিস শব্দ ছড়িয়ে সাবধান করবে। এটিকে ব্যাপকভাবে উস্কে দিলে তবেই তা কামড়াতে পারে।
এগুলো একটি ডিম পাড়া প্রজাতির সাপ। তবে মৈথুনের মৌসুম এবং ডিম পাড়ার পরিমাণ নির্ধারণের তথ্য জানা যায়নি।
এরা প্রধানত মাছ এবং উভচর প্রাণী শিকার করে। তবে সুযোগ পেলে এটি ছোট ছোট টিকটিকি এবং ইঁদুরদেরও শিকার করবে।
"এন ক্রিসটির" বিষটি খুব ভালভাবে অধ্যয়ন করা হয় না তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে বিষটি বেশিরভাগ ইলাপিডের মতোই বিপজ্জনকভাবে নিউরোটক্সিক । একটি গবেষণায় এই প্রজাতির ইন্টারপাটারিটোনিয়াল (আইপি) এলডি৫০ ০.১২ তে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে মিলিগ্রাম/কেজি। কমপক্ষে একজনকে এই প্রজাতি দ্বারা কামড়েছে বলে জানা গেছে। ব্যক্তির কেবলমাত্র হালকা লক্ষণ ছিল (মাথা ব্যথা, স্থানীয় ব্যথা), তবে এই প্রজাতিটি মানুষের গুরুতর বিষক্রিয়া ঘটাতে সক্ষম। এই প্রজাতির বিষের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টিভেনম উৎপাদিত হয়নি।
কোন এন্টিভেনম না থাকায় এটি একটি খুব বিপজ্জনক সাপ। জলের কোবরাগুলির বিষগুলি প্রাণঘাতী, প্রোটোলিটিক ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন এবং প্রোটিনের উপাদানগুলির বহন করে। "নাজা আনুলাটা অ্যানুলাটা" এবং "নাজা ক্রিসিটির" বিষ গড়ে ৮৯% প্রোটিন এবং প্রোটোলিটিক ক্রিয়াকলাপের অভাব রয়েছে।
|
1050693
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050693
|
ওসমানি মসজিদ (গ্রিস)
|
ওসমানি মসজিদ (গ্রিস)
ওসমানি মসজিদ (, ), স্থানীয়ভাবে ফ্রাংগোমাচালা মসজিদ নামে পরিচিত () গ্রিসের খিয়স দ্বীপে অবস্থিত সর্বশেষ টিকে থাকা তিনটি মসজিদের মধ্যে একটি। মসজিদটি ১৮৯২ সালে নির্মিত, খিয়স শহরের পুরাতন দুর্গপ্রাকারের সীমার ভিতরে ফ্রাংগোমাচালা শহরতলির কন্সট্যান্টিনৈ মনোমাচো সড়কের পাশে অবস্থিত। এ শহরতলিতে একসময় তুর্কি সম্প্রদায়ের প্রধান বসতি ছিল।
খিয়স শহর যখন তুর্কি দীপপুঞ্জ ভিলায়েতের রাজধানী ছিল, সেসময় অটোম্যান সম্রাট দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের নির্দেশে ১৮৯১ সালে দ্বীপের অপর মসজিদ- হামিদিয়া মসজিদের সাথে যৌথভাবে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। পরের বছর ১৮৯২ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল। মসজিদের সদর দরজার উপর মার্বেল শিলালিপিতে, স্থাপন ও নির্মাণসম্পন্নের তথ্য উল্লেখ করেছে। শিলালিপিটি তুর্কি শিল্পী ফাইজি কর্তৃক নির্মিত। নির্মাণশৈলীর দিক দিয়ে এটির সাথে হামিদিয়া মসজিদের মিল আছে।
১৯৮৩ সালের ২১ শে জানুয়ারি মসজিদটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীক সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দ্বারা দেশটির একটি সাংস্কৃতিক নিদর্শন হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। ফলস্বরূপ, গ্রীক সরকার ১৯৯৭ সালে মসজিদটি মেরামত ও সংস্কার করে এবং প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য উপলব্ধ করে। বর্তমানে মসজিদটিতে ইফোরেট রক্ষণাবেক্ষণ গবেষণা এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মসূচী পালনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ওসমানি মসজিদটি ৮x১০ মিটার আয়তক্ষেত্রাকার জমির উপর নির্মিত, এটির মূল সালাত আদায়ের স্থানের আয়তন ৮x৮ বর্গ মিটার। এটির ছাদ-মেঝে, একটি খালি পোর্ট এবং পশ্চিম পাশে একটি গ্যালারী রয়েছে যা দিয়ে মিনারে গমন করা যায়। মিনারটি অষ্টভুজাকৃতির এবং মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত। এছাড়াও, এখানে একটি ঐতিহাসিক তুর্কি ভবন রয়েছে যা মিনারের সাথে যুক্ত এবং এটি মূলত মসজিদের বহিঃভবন যা তুরস্কের শাসনামলে সেবাকক্ষ ছিল।
ওসমানী মসজিদটি একই সময়ে নির্মিত অপর তুর্কি মসজিদ- হামিদিয়া মসজিদ, যা এখনও টিকে আছে, এবং এটির সাথে সমরূপ স্থাপত্যশৈলীর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
|
1050695
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050695
|
লাভলিনা বরগোঁহাই
|
লাভলিনা বরগোঁহাই
লাভলিনা বরগোঁহাই (জন্ম ২রা অক্টোবর ১৯৯৭) একজন ভারতীয় অপেশাদার মহিলা বক্সার যিনি ২০১৮ এআইবিএ মহিলা বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০১৯ এর এআইবিএ মহিলা বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। তিনি নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত প্রথম ভারত ওপেন ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং টুর্নামেন্টে অনুষ্ঠিত স্বর্ণপদক এবং গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় ভারত ওপেন ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং টুর্নামেন্টে রৌপ্য পদক জয় করেছেন।
২০২১সালে অনুষ্ঠিত ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন ওয়াল্টার ওয়েট বিভাগে
লাভলিনা ১৯৯৭ সালের ২রা অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং আসামের গোলাঘাট জেলার বাসিন্দা। তার বাবা-মা হলেন টিকেন এবং মামনি বরগোঁহাই। তার বাবা টিকেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী; স্বভাবতই মেয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য পরিবারকে অনেক আর্থিক লড়াই করতে হয়েছে। তার বড় যমজ বোন লিচা ও লিমাও কিকবক্সিংয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করেছিলেন, কিন্তু পরিবারের আর্থিক কারণে তা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। লাভলিনাও কিকবক্সার হিসাবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তবে সুযোগ পেয়ে বক্সিংয়ে সরে যেতে শুরু করেছিলেন। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তার হাই স্কুল বারপাথার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ট্রায়াল করেছিল, যেখানে লাভলিনা অংশ নিয়েছিলেন। প্রখ্যাত কোচ পদুম বোরো দ্বারা নির্বাচিত হয়ে ২০১২ সাল থেকে তিনি তার অধীনে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন।
লভলিনার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সুযোগ তখন এসেছিল যখন তাকে ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসের ওয়েলটারওয়েট বক্সিং বিভাগে অংশ নিতে নির্বাচিত করা হয়েছিল। কমনওয়েলথ গেমসে, তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে যুক্তরাজ্যর বক্সার স্যান্ডি রায়ানের কাছে হেরেছিলেন। স্যান্ডি রায়ান শেষ পর্যন্ত সেই বিভাগে স্বর্ণ জেতেন।
টোকিওতে আয়োজিত ২০২১ সালের ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ৬৯ কেজি বিভাগে তিনি অংশ গ্রহণ করেছেন এবং পদক জয় করেছেন।
বরগোঁহাই মহিলা ৬৯ কেজি বক্সার, ২০২০র ১৫ ই অক্টোবর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইতালির আসিসিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন মে - জুন ২০২১-তে নির্ধারিত বিশ্ব অলিম্পিক বাছাই ইভেন্টের জন্য
|
1050699
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050699
|
মাখনলাল সেন
|
মাখনলাল সেন
মাখনলাল সেন (১১ জানুয়ারি ১৮৮১১১ মে ১৯৬৫ ) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী, অনুশীলন সমিতির নেতা, সাংবাদিক ও সম্পাদক । তিনি বিপ্লবী সাংবাদিকতার আদর্শ স্থাপন করেছেন।
মাখনলাল সেনের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে পিতার কর্মস্থলে। পিতা গুরুনাথ সেন সেসময় অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন ছিলেন সেখানে। পৈতৃক বাড়ি ছিল মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং য়ে । পড়াশোনা চট্টগ্রামেই।
এম.এ.পড়ার সময় মাখনলাল স্বদেশী আন্দোলন কালে বিপ্লবী দলে যোগ দিয়ে ঢাকা যান এবং অনুশীলন সমিতির নেতা পুলিনবিহারী দাস গ্রেফতার হবার পর তিনি সমিতির নেতা হন। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তার নামে ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা বের হলে তিনি আত্মগোপন করে কলকাতায় চলে আসেন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমানে ও কাঁথিতে প্রবল বন্যা হলে তিনি বাঘা যতীনের সহায়তায় বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে যান। এই ব্যাপারে তৎকালীন বাংলা সরকারের সঙ্গে প্রচন্ড বিবাদ শুরু হয়। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে "ভারত রক্ষা আইন " রচিত হলে মাখনলাল চট্টগ্রামের টেকনাফ অঞ্চলে গ্রেফতার হন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে মুক্তি পেয়ে কলকাতায় আসেন এবং কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনে মহাত্মা গান্ধীর সমর্থনে এগিয়ে যান। এরপর নাগপুর কংগ্রেসে অসহযোগ নীতি গৃহীত হলে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অনুরোধে গৌড়ীয় সর্ববিদ্যায়তনের ভার গ্রহণ করেন। পূর্ববঙ্গের অধুনা বাংলাদেশের সোনারং ন্যাশনাল স্কুলের তিনি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
বিপ্লবীজীবনের বন্ধু সুরেশচন্দ্র মজুমদারের অনুরোধে তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক হন কিছুদিনের জন্য। ওই বছরের ১২ নভেম্বর রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সের প্রতিবাদে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের আদেশ অমান্য করে মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেপ্তার হন এবং ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে আনন্দবাজার পত্রিকা ছেড়ে "জার্নালিস্ট কর্নার" নামে সাংবাদিক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারত নামে এক পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৪২ এর 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের সময় তিনি "ভারত" পত্রিকা মারফত বিপ্লবী সাংবাদিকতার চূড়ান্ত আদর্শ স্থাপন করেন। পত্রিকাটি রাজরোষেও পড়ে এবং মাখনলাল আত্মগোপন করতে বাধ্য হন। কিছুদিনের মধ্যেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং তিনি ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অন্তরীণ থাকেন। মুক্তি পেয়ে পুনরায় "ভারত" পত্রিকা প্রকাশ করলেও তিনি দীর্ঘদিন চালাতে পারেননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাখনলাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে যুক্ত হয়েছিলেন।
মাখনলাল সেন ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১১ মে প্রয়াত হন।
|
1050706
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050706
|
২০২১ ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকট
|
২০২১ ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকট
২০২১ ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকট হলো ২০২১ সালের মে মাসে সংঘটিত একটি সংঘাত। ২১ মে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ফলে এর সমাপ্তি ঘটে। এই সংঘাতকে বিক্ষোভ, পুলিশের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদ কর্তৃক ইসরায়েলে রকেট হামলা এবং গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলা দ্বারা সূচিত করা হয়। ৬ মে শেখ জাররাহতে ছয়টি ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদের বিষয়ে ইসরায়েলের সুপ্রিমকোর্টের প্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের কারণে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুসালেমে বিক্ষোভ শুরু করে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে, ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত এই এলাকাটি ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর একটি অংশ যা বর্তমানে ইসরায়েলের দখলে রয়েছে। বিক্ষোভ দ্রুত ইহুদি ও ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘাতে পরিণত হয়। ৭ মে ইসরায়েলি পুলিশ ইহুদি ধর্মের পবিত্রতম স্থান টেম্পল মাউন্টে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালায়। পুলিশ পাথর নিক্ষেপকারী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে।
ইসলামের পবিত্র রাত লাইলাতুল কদর ও জেরুসালেম দিবসের ছুটির দিনে ডানপন্থী ইহুদি জাতীয়তাবাদীদের পরিকল্পিত মিছিলের আগে (মিছিল পরে বাতিল করা হয়) এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৩০০ জনেরও বেশি লোক আহত হন, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক। ফলে ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাভিচাই ম্যান্ডেলব্লিট উত্তেজনা কমাতে চাওয়ায় সুপ্রিমকোর্টের রায় ৩০ দিন বিলম্বিত হয়।
১০ মে হামাস ইসরায়েলকে টেম্পল মাউন্ট কমপ্লেক্স ও শেখ জাররাহ থেকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেয়। একই দিনে হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদ গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে, যেগুলো একাধিক বাসভবন ও একটি স্কুলে আঘাত হানে। পরবর্তীতে ইসরায়েল গাজার অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালায়। ফলে ১৬ মে নাগাদ প্রায় ৯৫০টি হামলায় চারটি উঁচু টাওয়ারসহ ১৮টি ভবন, ৪০টি বিদ্যালয় ও চারটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। আল-শাতি শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালানো হয়। এছাড়াও ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৯টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়।
এই সহিংসতার ফলে গাজায় ৬৬ জন শিশুসহ কমপক্ষে ২৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এবং ফিলিস্তিনি রকেট হামলায় ইসরায়েলে একজন শিশুসহ মোট ১২ জন নিহত হন। ১১ মে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায় ফিলিস্তিনি হতাহতের মধ্যে অন্তত ১৫ জন হামাসের সদস্য এবং গাজা ভূখণ্ডে ভুল রকেট উৎক্ষেপণের ফলে কিছু ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ২০২১ সালের ২০ মে ফিলিস্তিন জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমপক্ষে ১,৯০০ ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হন। অন্যদিকে, ১২ মে ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী কমপক্ষে ২০০ জন ইজরায়েলি আহত হন। ২০২১ সালের ১৯ মে অনুযায়ী, এই সংঘাতে কমপক্ষে ৭২,০০০ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়। ১৩ মে হামাস প্রথম যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করেন। ১৮ মে মিশর, জর্ডান ও ফ্রান্স যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব দাখিলের ঘোষণা দেয়। ২০ মে অনুযায়ী, ২১ মে রাত ২টা (জিএমটি ২০ মে রাত ১১টা) থেকে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
২০২১ সালে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে জেরুসালেম ইসলামি ওয়াকফ কর্মকর্তারা বলেন, ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং আযান সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত লাউডস্পিকারের তারগুলো কেটে দেয়, যাতে পশ্চিম প্রাচীরে ইসরায়েলের স্মরণীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি রুভেন রিভলিনের দেওয়া ভাষণ বিঘ্নিত না হয়। ইসরায়েলি পুলিশ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। জর্ডান এই ঘটনার নিন্দা জানায় এবং ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস এই ঘটনাকে "বর্ণবাদী ঘৃণামূলক অপরাধ" বলে অভিহিত করেন, কিন্তু এটি অন্য কোনো আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি। একই মাসে ইসরায়েলি পুলিশ পুরনো শহরের দামেস্ক গেটের বাইরের প্লাজাটি বন্ধ করে দেয়, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী ছুটির দিনের সমাবেশস্থল। ফলে রাতে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়, বেশ কয়েকদিন পরে ব্যারিকেডগুলো সরিয়ে দেয়া হয়। ১৫ এপ্রিল, এক ফিলিস্তিনি কিশোর একজন ইহুদি ব্যক্তিকে চড় মারার একটি টিকটক ভিডিও প্রকাশিত হয়। পরদিন অর্থাৎ রমজানের প্রথম শুক্রবার ইসরায়েল সরকার মসজিদে নামাজের ক্ষেত্রে ১০,০০০ ব্যক্তির সীমা আরোপ করায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মসল্লিকে আল-আকসা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। একই দিনে জাফায় একজন ইহুদি ধর্মীয় শিক্ষককে মারধর করা হয়, যার ফলে দুই দিন ধরে বিক্ষোভ হয়।
৬ মে শেখ জাররাহতে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ শুরু হয়, কিন্তু শীঘ্রই আল-আকসা মসজিদ, লোদ, ইসরায়েলের অন্যান্য আরব এলাকা এবং পশ্চিম তীরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ১০ থেকে ১৪ মে-র মধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে পূর্ব জেরুসালেমে প্রায় ১,০০০ জন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী আহত হন।
শেখ জাররাহতে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে ৬ মে প্রথম সংঘর্ষ হয়, যেখানে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো উচ্ছেদ হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল। ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা সন্ধ্যায় ঘরের বাইরের ইফতার করছিলো। ৬ মে, ওতজমা ইহুদিত ও ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের রাস্তা জুড়ে একটি টেবিল স্থাপন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওগুলোতে দেখা যায় উভয় পক্ষই একে অপরের দিকে পাথর ও চেয়ার ছুঁড়ে মারছে। এই ঘটনায় ইসরায়েলি পুলিশ হস্তক্ষেপ করে কমপক্ষে ৭ জনকে আটক করে।
১৩ এপ্রিল ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে এবং মিনারের স্পিকারের তার কেটে দেয়। ঐ দিনটি ছিল ইসলামের পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন। জর্ডান এই ঘটনার নিন্দা জানায় এবং ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষ একে ঘৃণিত অপরাধ বলে অভিহিত করে।
৭ মে, প্রায় ৭০,০০০ মুসল্লি আল-আকসায় রমজানের শেষ শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নেওয়ায় টেম্পল মাউন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মাগরিবের নামাজের পর কিছু ফিলিস্তিনি মুসল্লি ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে পূর্বে মজুত করা পাথর ও অন্যান্য বস্তু নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পুলিশ কর্মকর্তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ও একটি ফিল্ড ক্লিনিকে স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। মসজিদের একজন মুখপাত্র জানান, ইসরায়েলি পুলিশ কম্পাউন্ডটি (যেখানে অনেক ফিলিস্তিনি রমজানে ঘুমান) খালি করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলিদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই চেষ্টা করা হয়। ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালানোর সময় ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হন। ফিলিস্তিনিরা পাথর, আতশবাজি ও ভারী বস্তু নিক্ষেপ করে এবং অন্যদিকে ইসরায়েলি পুলিশ মুসল্লিদের লক্ষ্য করে স্টান গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোঁড়ে। জেরুসালেমের পুরনো শহর দিয়ে ইহুদি জাতীয়তাবাদীদের জেরুসালেম দিবসের পতাকা মিছিলের আগে এই সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় মোট ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হন, যাদের মধ্যে ৪০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন রাতে হামাস ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করে।
৮ মে, ইসলামের পবিত্র রাত লাইলাতুল-কাদরের দিন আরও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনিরা পাথর নিক্ষেপ করে এবং ইসরায়েল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে স্টান গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। ফলে কমপক্ষে ৮০ জন আহত হন।
১০ মে, ইসরায়েলি পুলিশ দ্বিতীয়বার আল-আকসায় আক্রমণ করে। এতে ৩০০ জন ফিলিস্তিনি ও ২১ জন ইসরায়েলি পুলিশ আহত হন। রেড ক্রিসেন্টের তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এবং সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
১৪ মে জুমার নামাজের পর, ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীরের ২০০টিরও বেশি স্থানে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করলে ইসরায়েলি সেনারা আগুন ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। ফলে এই সংঘর্ষে ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০০ জন আহত হন। ১৬ মে অনুযায়ী, ১৪ মে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের সাথে সংঘর্ষে মোট ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। ১৭ মে, আরও ৩ জন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নিহত হন।
ফাতাহ পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীরে ১৮ মে সাধারণ ধর্মঘটের আহ্বান জানালে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনিরা এতে অংশ নেয়। গাজা, পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরের গ্রাম ও শহরগুলোতে দোকান-পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। রামাল্লাহর কাছে সংঘর্ষে, একজন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭০ জনেরও বেশি আহত হন এবং গুলিবর্ষণে দুই ইসরায়েলি সেনা আহত হন। নাবলুস, বেথলেহেম ও হেবরনেও প্রচুর জনসমাগম হয় এবং ইসরায়েলি পুলিশ শেখ জাররাহতে জলকামান মোতায়েন করে।
১০ মে সন্ধ্যা ও রাতে, লোদের আরব বিক্ষোভকারীরা ইহুদিদের বাড়ি, একটি স্কুল ও একটি সিনাগগ লক্ষ্য করে পাথর ও আগুনের বোমা নিক্ষেপ করে এবং পরে একটি হাসপাতালে হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, ফলে একজন নিহত এবং দুজন আহত হন।
ইসরায়েল জুড়ে বিশেষ করে আরব জনসংখ্যার শহরগুলোতে বিক্ষোভ তীব্রতর হয়। লোদে, ইহুদিদের বাড়িগুলোতে পাথর নিক্ষেপ করা হয় এবং কিছু ইহুদি বাসিন্দাকে পুলিশ তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়। সিনাগগ ও একটি মুসলিম কবরস্থান ভাংচুর করা হয়। একজন ইহুদি ব্যক্তি মাথায় ইটের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন এবং ছয় দিন পর মারা যান। নিকটবর্তী রামলা শহরে, ইহুদি বিক্ষোভকারীরা যানবাহন লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। ১১ মে, লোদের মেয়র ইয়াইর রিভাইভিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে শহরে ইসরায়েল সীমান্ত পুলিশ মোতায়েনের পরামর্শ দেন। নেতানিয়াহু ১১ মে লোদ-এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। শহরে সীমান্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাত্রিকালীন কারফিউ ঘোষণা করা হয় এবং অনাবাসী বেসামরিক নাগরিকদের জন্য শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। জননিরাপত্তা মন্ত্রী আমির ওহানা জরুরী আদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।
১২ মে অস্থিরতা অব্যাহত ছিল। একরে, এক ইহুদি ব্যক্তি তার গাড়ি চালানোর সময় আরব বিক্ষোভকারীদের লাঠি ও পাথর দ্বারা মারাত্মকভাবে আহত হন। বাত ইয়ামে, ইহুদি বিক্ষোভকারীরা আরব দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং পথচারীদের মারধর করে। একজন আরব গাড়ি চালককে তার গাড়ি থেকে টেনে নিয়ে রাস্তায় মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়। ঘটনাটি ইসরায়েলি সংবাদ কর্মীদের দ্বারা সরাসরি ধরা পড়ে।
১৩ মে অনুযায়ী বিরশেবা, রাহাত, রামলা, লোদ, নাসিরিয়া, তিবেরিয়াস, জেরুসালেম, হাইফা ও একরে ছুরিকাঘাত, অগ্নিসংযোগ, বাড়িতে হামলা ও গুলি চালনার চেষ্টাসহ বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জাফফায় এক ইসরায়েলি সেনাকে মারাত্মকভাবে মারধর করা হলে মাথার খুলি ভেঙ্গে যাওয়ায় ও সেরিব্রাল হেমারেজের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লোদে আরেকটি পৃথক ঘটনায় একজন ইহুদি প্যারামেডিক ও আরেকজন ইহুদিকে গুলি করা হয়। রামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন এবং তেল আবিবে ইসরায়েলি সাংবাদিকদের উপর ডানপন্থী বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায়। একটি ইহুদি পরিবার ভুলক্রমে উম্ম আল-ফাহমে প্রবেশ করলে আরব বিক্ষোভকারীরা তাদের আক্রমণ করে। পরে অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। অস্থিরতা নিরসনে সারাদেশে ইসরায়েল সীমান্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং ১০টি সীমান্ত পুলিশ রিজার্ভ কোম্পানিকে ডাকা হয়।
১৮ মে, পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরায়েলি-আরবরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি নীতির প্রতিবাদে সাধারণ ধর্মঘট পালন করে। অসংখ্য নিয়োগকর্তা ধর্মঘটে অংশ নেওয়া আরব কর্মীদের বরখাস্ত করার হুমকি দেন। হাইফার রামবাম হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ তাদের আরব কর্মচারীদের কাছে এই ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করে চিঠি পাঠায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরব শহরগুলোর বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষদের কাছে এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে অনুরোধ পাঠালে শিক্ষকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। ইসরায়েলি আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় পূর্ব শুনানি ছাড়াই ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী কিছু কর্মচারীদের অবৈধভাবে বরখাস্ত করা হয়। ইসরায়েলি টেলিযোগাযোগ সংস্থা সেলকম এই সহাবস্থানের সমর্থনে এক ঘন্টার জন্য কাজ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ইসরায়েলি ডানপন্থীরা সেলকম বয়কটের আহ্বান জানায় এবং বেশ কয়েকটি ইহুদি বসতি পরিষদ ও দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সেলকমের তহবিল পরবর্তীকালে ২% হ্রাস পায়।
পুরো বিক্ষোভ জুড়ে, আরব বিক্ষোভকারীরা ১০টি সিনাগগ, ১১২টি ইহুদি বাড়ি ও ৮৪৯টি ইহুদি গাড়িতে আগুন দেয়, ৩৮৬টি ইহুদি বাড়ি লুট করে এবং আরও ৬৭৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। অন্যদিকে, ইহুদি বিক্ষোভকারীরা ১৩টি আরব গাড়িতে আগুন দেয় ও ১৩টি আরব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এছাড়াও আরব বিক্ষোভকারীরা ভুল করে একটি আরব বাড়িতে আগুন দেয়। ২৪ মে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য একটি অভিযান শুরু করে এবং সন্দেহভাজন বিক্ষোভকারীদের গণহারে গ্রেপ্তারের জন্য হাজার হাজার পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করে। ২৫ মে অনুযায়ী, ১,৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে প্রায় ৭০% আরব।
১০ মে, হামাস আল-আকসা মসজিদ এলাকা ও শেখ জাররাহ উভয় স্থান থেকে সকল পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিতে ইসরায়েলকে আল্টিমেটাম দেয় এবং ঘোষণা দেয়, যদি ইসরায়েল তা না করে তাহলে গাজা ভূখণ্ডের সম্মিলিত সামরিক বাহিনী ইসরায়েলে আক্রমণ করবে। নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কয়েক মিনিট পর হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলে ১৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায় জেরুসালেম ও বাইতু শিইমেশের দিকে সাতটি রকেট নিক্ষেপ করা হয় এবং একটিকে রুদ্ধ করা হয়। একটি ইসরায়েলি বেসামরিক গাড়ি লক্ষ্য করে একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়, ফলে চালক আহত হন। ইসরায়েল একই দিনে গাজা ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালায়। হামাস এই সংঘর্ষকে "জেরুজালেম যুদ্ধের তলোয়ার" বলে অভিহিত করে। পরদিন আইডিএফ আনুষ্ঠানিকভাবে গাজা ভূখণ্ডে এই অভিযানকে "অপারেশন গার্ডিয়ান অফ দ্য ওয়ালস" নামে অভিহিত করে।
১১ মে, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদ আশদোদ ও আশকেলোনে শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করে। এতে দুজন নিহত হন এবং ৯০ জনেরও বেশি আহত হন। রিশন লেজিওনের একজন ইসরায়েলি মহিলাও নিহত হন এবং দাহমাশের আরও ২ জন বেসামরিক নাগরিক রকেট হামলায় নিহত হন।
১১ মে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ১৩ তলা আবাসিক হানাদি টাওয়ার ধ্বংস হয়। টাওয়ারে আবাসিক কামরা এবং বাণিজ্যিক অফিস ছিল। আইডিএফ জানায় ভবনটিতে হামাস কর্তৃক ব্যবহৃত অফিস ছিল। হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদ পাঁচ মিনিটে তেল আবিবে ১৩৭টি রকেট নিক্ষেপ করে। এছাড়াও, ইসরায়েলি মালিকানাধীন একটি তেলের পাইপলাইন রকেটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১২ মে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী গাজা ভূখণ্ডে কয়েক ডজন স্থাপনা ধ্বংস করে। হামাস জানায় ধ্বংস হওয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে তাদের পুলিশ সদর দপ্তরও ছিল। ১২ মে গাজা থেকে ইসরায়েলে ৮৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। আইডিএফ অনুযায়ী, হামাস কর্তৃক উৎক্ষেপিত কমপক্ষে ২০০টি রকেট ইসরায়েলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় এবং গাজা ভূখণ্ডের ভিতরে পতিত হয়। হামাস গাজা সীমান্তের কাছে একটি ইসরায়েলি সামরিক জিপেও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ফলে একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত ও তিনজন আহত হন।
১৩ মে, হামাস ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে আত্মঘাতী ড্রোন মোতায়েনের চেষ্টা করে। আয়রন ডোম ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা অনেকগুলো রকেট রুদ্ধ করে। হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েল বেশ কয়েকবার হামলা চালায়। ১৪ মে, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থলে ও আকাশপথে তাদের সৈন্য রয়েছে বলে দাবি করে, যদিও পরে এই দাবি প্রত্যাহার করা হয় এবং সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে। এছাড়াও জানা যায়, ইসরায়েলি স্থলবাহিনী সীমান্তে অবস্থান করে গাজায় আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই দিনে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হামাসের বিস্তৃত ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে। সন্দেহ করা হয়, ইসরায়েলি স্থল আক্রমণের খবর হামাস যোদ্ধাদের সুড়ঙ্গে প্রলুব্ধ করার জন্য আইডিএফ ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করে যাতে বিমান হামলায় বিপুল সংখ্যক যোদ্ধা নিহত হয়। একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার মতে, এই বোমাবর্ষণে হামাসের শতাধিক সেনা ও ২০ জন কমান্ডার নিহত হন। কিন্তু আনুমানিক মৃতের সংখ্যা কয়েক ডজনে নেমে আসে যখন জানা যায়, হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা আইডিএফ-এর এই কৌশল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং বোমা হামলার পূর্বে মাত্র কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধা সুড়ঙ্গে অবস্থান নেয়। ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর মোট ১৬০টি বিমান ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে ৪৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এছাড়াও ১৪ মে, ইসরায়েল আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসের একটি ড্রোন ধ্বংস করে।
১৫ মে, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার আল-জালা ভবনে হামলা চালায়, যেখানে আল জাজিরা ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকদের বাসস্থান ও আরও বেশ কয়েকটি অফিস ছিল। ইসরায়েলি বাহিনী ভবনটির মালিককে ফোন করে ভবন থেকে সকলকে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় এবং এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ভবনটি কমপক্ষে ৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস এই হামলার নিন্দা জানায়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ তদন্তের আহ্বান জানায়।
১৭ মে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হামাসের সুড়ঙ্গে আরেকটি বড় অভিযান চালায়; ১৫ কিলোমিটারেরও বেশি ভূগর্ভস্থ প্যাসেজে বোমাবর্ষণ করে, ৫৪টি ইসরায়েলি জেট বিমান ১১০টি বোমা ফেলে। হামাসের নয়জন কমান্ডারের বাড়ি ও হামাসের সামরিক গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক ব্যবহৃত একটি বাড়িতেও বোমাবর্ষণ করা হয়।
সংঘাত চলাকালীন, ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রসহ হামাস যোদ্ধারা বারবার অ্যাপার্টমেন্ট ও টিলার পিছনে অবস্থান নেয়। আইডিএফ পর্যবেক্ষক ইউনিট এই দলগুলো শনাক্ত করে এবং পরবর্তীতে পিনপয়েন্ট আক্রমণে দলগুলো ধ্বংস করা হয়। ইসরায়েলি বিমান ও স্থলবাহিনীর গুলিতে এরকম কমপক্ষে ২০টি দল ধ্বংস হয়। ২০ মে, আইডিএফ-এর একটি বাসে হামাসের ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন সেনা হালকাভাবে আহত হন। ১০ জন সেনার একটি দল বাস থেকে নামার কয়েক মুহূর্ত পর এই হামলা হয়।
এছাড়াও, আইডিএফ হামাসের ছোট মনুষ্যবিহীন ডুবোজাহাজের বহর ডুবিয়ে দেয় যেটি ইসরায়েলি নৌ-জাহাজ বা তেল ও গ্যাস ড্রিলিং রিগের নিচে বা কাছাকাছি বিস্ফোরিত হওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। হামাস বারবার ইসরায়েলের তামার গ্যাসক্ষেত্রে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। ইসরায়েলি নৌবাহিনীর একটি জাহাজ, হামাস কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত একটি ডুবোজাহাজ ধ্বংস করে যখন এটি তীরের কাছাকাছি ছিল। পরবর্তীতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ডুবোজাহাজটি প্রেরণকারী দলকে আক্রমণ করে।
এই সংঘাত চলাকালীন, দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলে প্রতিদিন গড়ে ৪০০টি করে মোট ৪,৩৬০ টিরও বেশি রকেট ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়। প্রায় ৩,৪০০টি রকেট সফলভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে এবং ৬৮০টি গাজায় ও ২৮০টি সমুদ্রে পতিত হয়। আয়রন ডোম ১,৪২৮টি রকেট ধ্বংস করে যেগুলো জনবহুল এলাকার দিকে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলো। আয়রন ডোম প্রায় ৬০–৭০টি রকেট আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় এগুলো জনবহুল এলাকায় আঘাত হানে। ফলে ৬ জন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়, যাদের মধ্যে একজন ৫ বছর বয়সী ছেলে, ২ জন ইসরায়েলি-আরব, একজন ভারতীয় মহিলা এবং ২ জন থাই শ্রমিক। হামলার চলাকালীন আশ্রয়কেন্দ্রে দৌড়ে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়ে ৭৩ বছর বয়সী এক মহিলাসহ আরও ৩ জন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
আইডিএফ অনুমান করে, গাজা ভূখণ্ডে প্রায় তিন ডজন রকেট উৎপাদন কেন্দ্রে হামলার ফলে স্থানীয় রকেট উৎপাদন ক্ষমতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। এছাড়াও, ইসরায়েলি বিমান হামলায় অসংখ্য হামাস ও ইসলামি জিহাদ কমান্ডার নিহত হয়। অভিযানের চলাকালীন আইডিএফ প্রায় ৩০ জন সিনিয়র হামাস কমান্ডারকে হত্যা করে।
হামাস সুড়ঙ্গগুলো ব্যবহার করে ইসরায়েলি সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বা অপহরণের জন্য সীমান্তে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে। এই আক্রমণগুলো ব্যর্থ হয়। আইডিএফ সুড়ঙ্গে অবস্থান নেয়া হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। মোট ১৮ জন হামাস যোদ্ধা নিহত হন। আইডিএফ আরও দাবি করে তারা ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশকারী হামাসের সাতটি ড্রোন ধ্বংস করে, যেগুলোর মধ্যে অন্তত একটি আয়রন ডোম দ্বারা। একটি ইসরায়েলি ড্রোনও দুর্ঘটনাক্রমে আয়রন ডোম কর্তৃক ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
জাতিসংঘ অনুযায়ী, ৭২,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়, যাদের অনেকে গাজার ৪৮টি ইউএনআরডাব্লিউএ স্কুলে আশ্রয় নেয়।
১৩ মে, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননের আল-রাশিদিয়া ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির থেকে ৩টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়, যেগুলো ভূমধ্যসাগরে পতিত হয়। হিজবুল্লাহ রকেট উৎক্ষেপণের দায় অস্বীকার করে। আল-রাশিদিয়া শরণার্থী শিবিরে লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলে তারা বেশ কয়েকটি রকেট খুঁজে পায়।
১৪ মে, কয়েক ডজন লেবানিজ বিক্ষোভকারী ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের সাথে একাত্মতা প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দল সীমান্তের বেড়া কেটে ইসরায়েলে প্রবেশ করে, মেটুলার কাছে আগুন ধরিয়ে দেয়। আইডিএফ সেনারা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে একজন নিহত হন যাকে পরে হিজবুল্লাহর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আরেকজন আহত হন এবং পরে তার আঘাতের কারণে মারা যান। ঐ দিন সন্ধ্যায়, সিরিয়া থেকে ৩টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়, যেগুলোর মধ্যে ২টি রকেট ইসরায়েলের জনবসতিহীন স্থানে আঘাত হানে। পরদিন লেবাননের বিক্ষোভকারীরা ককটেল ও অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে সীমান্তের বেড়া ক্ষতিগ্রস্ত করে।
১৭ মে, ফিলিস্তিনি সেনারা ইসরায়েলের দিকে ছয়টি রকেট নিক্ষেপ করে কিন্তু রকেটগুলো লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সীমান্তের ওপারে রকেট নিক্ষিপ্ত হওয়ার দিকে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
১৯ মে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবাননের টায়ার জেলার সিদ্দিকিন গ্রামের কাছ থেকে হাইফার দিকে চারটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। একটি রকেট রুদ্ধ করা হয়, আরেকটি খোলা এলাকায় অবতরণ করে এবং বাকি দুটি ভূমধ্যসাগরে অবতরণ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করে।
যুদ্ধবিরতির পর, জাতিসংঘ ও গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, ৬৬ জন শিশু ও ৪০ জন নারীসহ মোট ২৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং ৬০০ জনেরও বেশি শিশু ও ৪০০ জন নারীসহ প্রায় ২,০০০ জন আহত হন। ইসরায়েল দাবি করে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২২৫ জন যোদ্ধা ছিল। হামাস অনুযায়ী, ৮০ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়। নিহত শিশুদের মধ্যে একজনকে একটি যোদ্ধা দল তাদের আল-মুজাহিদীন ব্রিগেডের সদস্য বলে দাবি করে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের ১৩ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে দুইজন শিশু, একজন ভারতীয় মহিলা ও ইসরায়েলে কর্মরত দুইজন থাই পুরুষ।
ইসরায়েলের মতে, প্রায় ৬৪০টি ফিলিস্তিনি রকেট গাজা ভূখণ্ডে অবতরণ করে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাই ইসরায়েলি বিমান হামলা বা ভুল ফিলিস্তিনি রকেট হামলায় ১০ মে কয়েকজন নিহত হয়েছিলো কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে, ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত পরিবারের সংখ্যা ২০ এবং ঘোষণা দেয় তারা আন্তর্জাতিক আদালতে এ বিষয়ে "যুদ্ধাপরাধের" জন্য অভিযোগ দায়ের করবে। ১৯ মে, ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউসুফ আবু হুসেইন তার নিজ বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। ২০ মে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনি ব্যক্তি, তার গর্ভবতী স্ত্রী ও তাদের তিন বছরের মেয়ে নিহত হন। পরবর্তীতে একটি তদন্তে জানা যায় হামাস যোদ্ধারা একটি ফিলিস্তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে সামরিক কাঠামো তৈরি করেছে।
হামাসের একজন কমান্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ফায়াদ ও ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদের তিনজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার নিহত হন। ১১ মে, হামাসের আরেকজন সদস্য নিহত হন। উভয় দলের সরকারি বিবৃতিতে পাঁচ কমান্ডারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অন্যান্য সেনাদের মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা করা হয়, তবে নিশ্চিত করা হয়নি। হামাসের একজন শীর্ষ কমান্ডার বাসেম ইসা নিহত হন।
১২৩টি দেশের ২৯,০০০টি ঘটনা পর্যবেক্ষণকারী একটি গবেষণায়, গত এক দশকের গণনায় গাজা নবম স্থানে রয়েছে যেখানে সাধারণ নাগরিকরা বিস্ফোরক অস্ত্রশস্ত্রের কারণে নিহত বা আহত হন। সংখ্যার দিক থেকে গাজা নবম সর্বাধিক প্রভাবিত অঞ্চল ছিল। বিস্ফোরণের ৭৬৪টি ঘটনায় প্রায় ৫,৭০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, যা মোট সংখ্যার ৯০ শতাংশ। ফলস্বরূপ, নিহতের সংখ্যার অনুপাত ও বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মধ্যে গাজা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
১৮ মে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর গাজা পুনর্নির্মাণের জন্য মিশর ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কাতার একইভাবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ইসরায়েল অভিযোগ করে হামাস তাদের কার্যক্রম ঢাকার জন্য চিকিৎসা সুবিধা ব্যবহার করছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হামাস সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয় এবং আহত সৈন্যদের প্রায়ই বেসামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। জাতিসংঘের মানবসেবা বিষয়ক সমন্বয় দপ্তর জানায়, ১৭ মে পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিম্নলিখিত ক্ষয়ক্ষতি হয়:
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস অনুযায়ী, ১৮ মে পর্যন্ত গাজার ১৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রিমাল ক্লিনিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ডের একমাত্র কোভিড-১৯ পরীক্ষাগারও বন্ধ হয়ে যায়।
নিহত কর্মচারীবৃন্দ
যুদ্ধবিরতির পর ইউএনওসিএইচএ অনুযায়ী,
এই সংঘাতের ফলে ইসরায়েলিরা সম্পত্তির ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণের ৩,৪২৪টি দাবি দায়ের করে, যার ১,৭২৪টি মোটর যানবাহনের ক্ষতি সম্পর্কিত।
|
1050707
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050707
|
সি এ ভবানী দেবী
|
সি এ ভবানী দেবী
চাদলবদা আনন্দ সুন্দরামণ ভবানী দেবী, যিনি ভবানী দেবী (জন্ম: ২৭ আগস্ট ১৯৯৩) নামে পরিচিত, তিনি একজন ভারতীয় মহিলা ফেন্সিং খেলোয়াড়। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া তিনিই প্রথম ভারতীয় ফেন্সার। রাহুল দ্রাবিড় অ্যাথলিট মেন্টারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাকে গোস্পোর্টস ফাউন্ডেশন সমর্থন করে।
ভবানী তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন একজন পুরোহিত এবং তার মা গৃহকর্মী। সিএ ভবানী দেবী ২০০৩ সালে তার ক্রীড়া জীবনের শুরু করেছিলেন। তিনি চেন্নাইয়ের মুরুগা ধনুষ্কোটি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্কুল পড়াশোনা করেন এবং তারপরে চেন্নাইয়ের সেন্ট জোসেফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন এবং কেরালার থ্যালাসেরিতে সরকারী ব্রেনেন কলেজ থেকে ব্যবসায় প্রশাসন শেষ করেন। ২০০৪ সালে, স্কুল পর্যায়ে ফেন্সিংএর সাথে তার পরিচয় হয়। দশম শ্রেণি শেষ করে তিনি কেরালার থ্যালাসেসির এসএআই (স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) কেন্দ্রে যোগদান করেছিলেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি তুরস্কের প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন, যেখানে তিন মিনিট দেরী হওয়ার কারণে তিনি ব্ল্যাক কার্ড পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে ফিলিপাইনে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছিলেন।
২০০৯ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক থেকে শুরু করে, ভবানী দেবী ২০১০ সালের আন্তর্জাতিক ওপেন, থাইল্যান্ডে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন; ২০১০ ক্যাডেট এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, ফিলিপাইন; ২০১২ সাধারণ চ্যাম্পিয়নশিপ, জার্সি; ২০১৫ অনূর্ধ্ব -২৩ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, মঙ্গোলিয়া, উলানবাটার এবং ২০১৫ ফ্লেমিশ ওপেন। ফিলিপিন্সে 23 বিভাগের আওতাধীন 2014 এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি রৌপ্যপদক অর্জন করেছেন । তার সফল ২০১৪ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পরে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণের জন্য তিন লাখ টাকা দিয়ে সম্মানিত করেছেন। ২০১৫ সালে, তিনি রাহুল দ্রাবিড় অ্যাথলেট মেন্টারশিপ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত 'গো স্পোর্টস ফাউন্ডেশন' এর ১৫ জন অ্যাথলিটের একজন হয়েছিলেন। ভবানী দেবী ২০১২ সালের জার্সি ও কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে একটি করে দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছেন এবং ২০১৪ সালের ইতালির টাসকানি কাপে Cup তিনি রেইকাজাভিকে অনুষ্ঠিত ভাইকিং কাপ ২০১ Icelandic আইসল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক সাবের টুর্নামেন্টে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছিলেন এবং ২০২০ অলিম্পিকে ভারত থেকে বেড়ানোর সম্ভাব্য প্রার্থী। তিনি আজারবাইজান থেকে বাশত আনার কাছে হেরে বেলজিয়ামের ঘেন্টে 2019 টর্নোই স্যাটেলাইট বেড়া প্রতিযোগিতায় মহিলা সাবার স্বতন্ত্র বিভাগে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন। তিনি সাবার ইভেন্টে ক্যানবেরার সিনিয়র কমনওয়েলথ বেড়া চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার মেডেল জিতে প্রথম ভারতীয় হয়ে ইতিহাস গড়লেন। সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ড থেকে ক্যাটরিওনা থমসনকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের এমিলি রুউকে পরাজিত করে। তিনি ইতালির পাশাপাশি কান্নুরে ভারতের স্পোর্টস অথরিটিতে প্রশিক্ষণ নেন।
|
1050709
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050709
|
যশস্বিনী সিং দেসওয়াল
|
যশস্বিনী সিং দেসওয়াল
যশস্বিনী সিং দেশওয়াল একজন ভারতীয় মহিলা স্পোর্ট শ্যুটার। তিনি রিও ডি জেনিরোতে ২০১৯ আইএসএসএফ বিশ্বকাপে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের পক্ষে কোটা অর্জন করেছিলেন।
যশস্বিনীর জন্ম ১৯৯৭ সালের ৩০শে মার্চ নতুন দিল্লিতে । তার বাবা এসএস দেশওয়াল একজন আইপিএস অফিসার যিনি ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের মহাপরিচালক এবং মা সরোজ দেশওয়াল পাঁচকুলায় আয়কর প্রধান কমিশনার হিসাবে কর্মরত।
২০১৯ সালে, যশস্বিনী রিও ডি জেনিরোতে ২০১৯ আইএসএসএফ বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং ভারতের জন্যে ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের কোটা অর্জন করেন। চূড়ান্ত পর্বে তিনি প্রাক্তন অলিম্পিক এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওলেনা কোস্টেভিচকে পরাজিত করেছিলেন।
|
1050722
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050722
|
ভবন নির্মাণ নীতিমালা
|
ভবন নির্মাণ নীতিমালা
ভবন নির্মাণ নীতিমালা (এছাড়াও নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বা নির্মাণ প্রবিধান) বিধি জারি করে যে যেমন নির্মাণ অবজেক্টের জন্য মান উল্লেখ একটি সেট ভবন এবং ভবন বহির্ভূত কাঠামোর । পরিকল্পনার অনুমতি পেতে সাধারণত বিল্ডিং কাউন্সিলের কাছ থেকে বিল্ডিংগুলিকে কোডটির সাথে সঙ্গতি রাখতে হবে। কোড বিল্ডিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হল জনস্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং অন্যান্য কল্যাণ নিশ্চিত করা কেননা তারা ভবন নির্মাণ এবং ব্যবহারের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। যথাযথ সরকারী বা বেসরকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে আইন প্রয়োগ করা হলে বিল্ডিং কোডটি একটি নির্দিষ্ট এখতিয়ারের আইন হয়ে যায়।
বিল্ডিং কোডগুলি সাধারণত স্থপতি, প্রকৌশলী, ইন্টিরিওর ডিজাইনার, কন্সট্রাক্টর এবং ব্যবস্থাপকগণ প্রয়োগ করেন। এছাড়াও, নিরাপত্তা নিরীক্ষক, পরিবেশ বিজ্ঞানী, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার, সাবকন্ট্রাক্টরস, নির্মাণ পণ্য ও উপকরণ প্রস্তুতকারক, বীমা সংস্থা, সুবিধা পরিচালক, ভাড়াটে এবং অন্যান্যরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন। কোডগুলোর মাধ্যমে কাঠামোর নকশা এবং নির্মাণ প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে যা আইন হিসাবে গৃহীত হয়। ভবন নির্মাণ নীতিমালার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নির্মাণ প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য ত্রুটিগুলো ব্যাখ্যা করা হয় এবং এই ত্রুটিগুলো সমাধানে যথোপযুক্ত পথনির্দেশ ও আলোচনা করা হয়।
বিল্ডিং কোডগুলির উদাহরণগুলি প্রাচীন কাল থেকেই শুরু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান কোডগুলি হলো আন্তর্জাতিক বিল্ডিং কোড বা আন্তর্জাতিক আবাসিক কোড [আইবিসি / আইআরসি], বৈদ্যুতিক কোড এবং নদীর গভীরতানির্ণয়, যান্ত্রিক কোড। পঞ্চাশটি রাজ্য এবং জেলা কলম্বিয়া রাজ্য বা এখতিয়ার পর্যায়ে আই-কোড গ্রহণ করেছে। কানাডায়, জাতীয় মডেল কোডগুলি কানাডার জাতীয় গবেষণা কাউন্সিল প্রকাশ করে। যুক্তরাজ্যে বিল্ডিং রেগুলেশনগুলির সাথে সম্মতিগুলি অনুমোদিত নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শনকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিল্ডিং কন্ট্রোল বিভাগগুলি দ্বারা বিল্ডিং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা দ্বারা তদারকি করা হয়। বিল্ডিং কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রক প্রযোজ্য ইভেন্ট এর ক্ষেত্রে জরিমানা জারি করে যদি কাজটি করার সময় পরীক্ষা করা উচিত ছিল।
বিল্ডিং কোডগুলি বিকাশ, অনুমোদন এবং প্রয়োগের অনুশীলন দেশগুলির মধ্যে যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়। কিছু দেশে বিল্ডিং কোডগুলি সরকারী সংস্থা বা আধা-সরকারী সংস্থাগুলি দ্বারা বিকশিত হয় এবং তারপরে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক সারাদেশে প্রয়োগ করা হয়। এই জাতীয় কোডগুলি জাতীয় বিল্ডিং কোড হিসাবে পরিচিত (এক অর্থে তারা বাধ্যতামূলকভাবে দেশব্যাপী প্রয়োগ করে)।
অন্যান্য দেশগুলিতে, যেখানে নির্মাণ এবং আগুন সুরক্ষা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত, সেখানে মডেল বিল্ডিং কোডগুলোর একটি সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। মডেল বিল্ডিং কোডগুললোর কোনও আইনি স্থিতি নেই যতক্ষণ না এখতিয়ারযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বা অভিযোজিত হয়। মডেল কোডগুলির বিকাশকারীরা সরকারী কর্তৃপক্ষকে তাদের আইন, অধ্যাদেশ, বিধিবিধি এবং প্রশাসনিক আদেশে মডেল কোডগুলি উল্লেখ করতে অনুরোধ করেন। এই আইনি যন্ত্রে যেকোনটিতে রেফারেন্স পেলে একটি নির্দিষ্ট মডেল কোড আইন হয়ে যায়। এই অনুশীলনটি 'রেফারেন্স দ্বারা গ্রহণ' হিসাবে পরিচিত। যখন কোনও গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ গৃহীত মডেল কোডের যে কোনও অংশ মুছে ফেলতে, যুক্ত করতে বা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়, সাধারণত মডেল কোড বিকাশকারীকে একটি আনুষ্ঠানিক অবলম্বন পদ্ধতি অনুসরণ করা আবশ্যক যেখানে এই পরিবর্তনগুলি আইনি উদ্দেশ্যে ডকুমেন্ট করা যায়।
উদাহরণ রয়েছে যখন কিছু স্থানীয় এখতিয়ারগুলি তাদের নিজস্ব বিল্ডিং কোডগুলি বিকাশ করতে পছন্দ করে। একসময় আমেরিকার সমস্ত বড় শহরগুলির নিজস্ব বিল্ডিং কোড ছিল। যাইহোক, ক্রমবর্ধমান জটিলতা এবং বিল্ডিং বিধিমালাগুলির বিকাশের ব্যয়ের কারণে, কার্যত দেশের সমস্ত পৌরসভাগুলি পরিবর্তে মডেল কোডগুলি গ্রহণ করা বেছে নিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালে নিউইয়র্ক সিটি আন্তর্জাতিক বিল্ডিং কোডের স্বনির্ধারিত সংস্করণের পক্ষে "১৯৬৮ সালে নিউ ইয়র্ক সিটি বিল্ডিং কোডটি" তার মালিকানা ত্যাগ করে। শিকাগো শহরে আমেরিকার একমাত্র পৌরসভা হিসাবে রয়ে গেছে যা "শিকাগোর মিউনিসিপাল কোডের" অংশ হিসাবে নিজস্ব বিকাশিত একটি বিল্ডিং কোড ব্যবহার করে চলেছে।
ইউরোপে, ইউরোকোড: কাঠামোগত ডিজাইনের ভিত্তি, একটি প্যান-ইউরোপীয় বিল্ডিং কোড যা পুরানো জাতীয় বিল্ডিং কোডগুলি ছাড়িয়ে যায়। প্রতিটি দেশ এখন ইউরোকোডস এর বিষয়বস্তু স্থানীয়করণ জাতীয় সংযুক্তি হয়েছে।
একইভাবে, ভারতে, প্রতিটি পৌরসভা এবং নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব বিল্ডিং কোড রয়েছে, যা তাদের এখতিয়ারের মধ্যে সমস্ত নির্মাণের জন্য বাধ্যতামূলক। এই সমস্ত স্থানীয় বিল্ডিং কোডগুলি একটি জাতীয় বিল্ডিং কোডের রূপ, যা বিল্ডিং নির্মাণের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশিকা প্রমাণকারী মডেল কোড হিসাবে কাজ করে।
বিল্ডিং কোডগুলোর একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রাচীনতম লিখিত বিল্ডিং কোডটি হামারুবি কোডে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা খ্রিস্টপূর্ব ১৭৭২ শতাব্দী থেকে চলে আসছে।
হিব্রু বাইবেলে ডিউটারোনমির বইটিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে লোকেরা যাতে পড়ে না যায় সেজন্য সমস্ত বাড়িতে প্যারাপেট তৈরি করতে হবে।
প্যারিসে, দ্বিতীয় সাম্রাজ্যের অধীনে শহরের বেশিরভাগ অংশের পুনর্গঠনের অধীনে (১৮৫২-.৭০) অ্যাপার্টমেন্টের দুর্দান্ত ব্লক তৈরি করা হয়েছিল এবং বিল্ডিংগুলির উচ্চতা আইন অনুসারে সর্বাধিক পাঁচ বা ছয়টি তালার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
১৯৬৬ সালে লন্ডনের গ্রেট ফায়ার হওয়ার পরে, যা শহরের ঘনভাবে নির্মিত কাঠের আবাসনগুলির মাধ্যমে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল , লন্ডনের আইন পুনর্নির্মাণটি প্রথম তাত্পর্যপূর্ণ বিল্ডিং নিয়ন্ত্রণ হিসাবে একই বছরে পাস হয়েছিল। স্যার ম্যাথু হ্যালের প্রণীত এই আইনটি শহরটির পুনর্নির্মাণকে নিয়ন্ত্রিত করেছিল, কিছু অগ্নি প্রতিরোধক ক্ষমতা থাকার জন্য আবাসন প্রয়োজন ছিল এবং লন্ডন কর্পোরেশন সিটিকে রাস্তা পুনরায় খোলা এবং প্রশস্ত করার অনুমতি দিয়েছে। স্পেনের বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যভিত্তিক উপনিবেশগু্রলো জন্য নগর পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণে স্পেনীয় ক্রাউন ১৬৮০ এর দশকে ইন্ডিজের আইন পাস করেছিল।
১৮৪৪ সালের লন্ডন বিল্ডিং অ্যাক্টের মাধ্যমে প্রথম পদ্ধতিগত জাতীয় বিল্ডিং স্ট্যান্ডার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিধানগুলির মধ্যে, বিল্ডারদের বিল্ডিংয়ের আগে জেলা সমীক্ষককে দু'দিনের নোটিশ দেওয়া দরকার ছিল, দেয়ালগুলির ঘনত্ব, কক্ষের উচ্চতা, মেরামতের কাজে ব্যবহৃত উপকরণ, বিদ্যমান বিল্ডিংগুলির বিভাজন এবং চিমনি, অগ্নিকুণ্ডের নকশাগুলি স্থাপন এবং নকশার বিষয়ে বিধিবিধি এবং ড্রেনগুলি প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তার সাথে রাস্তাগুলি তৈরি করতে হয়েছিল।
মেট্রোপলিটন বিল্ডিং অফিস লন্ডন জুড়ে ভবন নির্মাণ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত হয়েছিল। জরিপকারীদের বিল্ডিং প্রবিধান কার্যকর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, যা বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রাঙ্গনের মান উন্নত করতে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ ক্রিয়াকলাপগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। ১৮৫৫ সালে অফিসের সম্পদ, ক্ষমতা এবং দায়িত্বগুলো মেট্রোপলিটন বোর্ড অফ ওয়ার্কে পাস হয়েছিল।
বাল্টিমোর শহরটি তার প্রথম বিল্ডিং কোডটি ১৮৫৯ সালে পাস করেছে। ১৯০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেট বাল্টিমোর ফায়ার হয়েছিল। পরবর্তীকালে পরিবর্তনগুলি করা হয়েছিল যা অন্যান্য শহরগুলির সাথে মিলে। ১৯০৪ সালে বাল্টিমোর সিটি বিল্ডিং আইনগুলির একটি হ্যান্ডবুক প্রকাশিত হয়েছিল। এটি চার বছরের জন্য বিল্ডিং কোড হিসাবে কাজ করে। খুব শীঘ্রই, একটি আনুষ্ঠানিক বিল্ডিং কোড তৈরি করা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত ১৯০৮ সালে গৃহীত হয়েছিল।
১৯১৯ সালের গ্রেট মোলেসেস বন্যার কারণে ট্যাঙ্কের কাঠামোগত ব্যর্থতা বোস্টন বিল্ডিং বিভাগকে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচারাল গণনা ফাইল এবং স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। মার্কিন শহরগুলি এবং রাজ্যগুলিতে শীঘ্রই বড় বড় বিল্ডিংগুলির পরিকল্পনার জন্য নিবন্ধিত পেশাদার প্রকৌশলীদের দ্বারা সাইন-অফের প্রয়োজন শুরু হয়েছিল।
বিল্ডিং কোডগুলির উদ্দেশ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সাধারণ কল্যাণে কাঠামোগত অখণ্ডতা, যান্ত্রিক অখণ্ডতা (স্যানিটেশন, জল সরবরাহ, আলো, এবং বায়ুচলাচল সহ), উদাহরণস্বরূপ, আগুন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, এবং শক্তি সংরক্ষণ সহ ন্যূনতম মান সরবরাহ করা। বিল্ডিং কোডগুলি সাধারণত অন্তর্ভুক্ত:
বিল্ডিং কোডগুলি জোনিং অধ্যাদেশগুলি থেকে সাধারণত পৃথক হয় তবে বহিরাগত বিধিনিষেধ (যেমন বিড়ম্বনা) যে কোনও বিভাগে পড়তে পারে।
ডিজাইনাররা নকশাকালীন সময়ে উল্লেখযোগ্য রেফারেন্স বইগুলির বাইরে বিল্ডিং কোডের মান ব্যবহার করেন। বিল্ডিং বিভাগগুলি তাদের নির্মাণের আগে জমা দেওয়া পরিকল্পনাগুলি পর্যালোচনা করে, অনুমতি দেয় [বা না] এবং পরিদর্শকগণ নির্মাণের সময় সাইটে এই মানগুলির সম্মতিটি যাচাই করে।
একই বিল্ডিং কোডের প্রায়শই অতিরিক্ত কোড বা বিভাগগুলি রয়েছে যার আরও নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যা আবাসস্থল বা ব্যবসায়ের জায়গাগুলিতে এবং বিশেষ নির্মাণ সামগ্রী যেমন ক্যানোপি, চিহ্ন, পথচারী ওয়াকওয়ে, পার্কিং লট এবং রেডিও এবং টেলিভিশন অ্যান্টেনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি কোডগুলি রাজ্য এবং পৌরসভা স্তরে গৃহীত হয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তি সংরক্ষণ কোড (আইইসিসি) এর উপর ভিত্তি করে। পূর্বে, তারা মডেল এনার্জি কোড (এমইসি) এর উপর ভিত্তি করে ছিল।
মার্চ ২০১৭ এর হিসাবে, নিম্নলিখিত আবাসিক কোড আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণরূপে যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা গৃহীত হয়েছে:
২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, নিম্নলিখিত আবাসিক শক্তি কোডগুলি আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্র দ্বারা গৃহীত হয়েছিল:
জানুয়ারী ২০০৪ হিসাবে, নিম্নলিখিত আবাসিক শক্তি কোডগুলি আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্র দ্বারা গৃহীত হয়েছিল:
২০০০ সালের বসন্ত হিসাবে, নিম্নলিখিত আবাসিক শক্তি কোডগুলি আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্র দ্বারা গৃহীত হয়েছিল:
১৯৯৮ সালের হিসাবে, তিনটি রাজ্য (ওহিও, মিশিগান এবং ভার্জিনিয়া) ১৯৯৩ সালের এমইসি আবাসিক শক্তি নীতিমালা গ্রহণ করেছিল। বাকি রাজ্যগুলি হয় : একটি রাষ্ট্র-লিখিত কোড; একটি আঞ্চলিক কোড; এমইসি বা আমেরিকান সোসাইটি অব হিটিং, রেফ্রিজারেটিং এবং এয়ার কন্ডিশনিং ইঞ্জিনিয়ার্স মানগুলোর পূর্ববর্তী সংস্করণ গ্রহণ করেছে অথবা কোনো কোড গ্রহণ করেনি।
|
1050749
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050749
|
সিয়োন
|
সিয়োন
সিয়োন ( "Ṣîyōn", ; ) বা জায়োন হলো হিব্রু বাইবেলে উল্লিখিত একটি স্থানের নাম যা যিরূশালেম ও সমগ্র ইস্রায়েল দেশের সমার্থক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
এই নামটি হিব্রু বাইবেলের ২ শমূয়েল (৫:৭) পুস্তকে পাওয়া যায়, এই পুস্তকটি খ্রীষ্টপূর্ব মধ্য ৬ষ্ঠ শতাব্দীর পূর্বে বা কাছাকাছি সময়ে রচিত হয়েছিল। এটি প্রকৃতপক্ষে যিরূশালেমের একটি নির্দিষ্ট পাহাড়কে (সিয়োন পর্বত) নির্দেশ করে যা মোরিয়া পর্বতের (মন্দির পর্বত) দক্ষিণদিকে অবস্থিত।
"সিয়োন" ("ṣiyôn") শব্দের ব্যুৎপত্তি অনিশ্চিত।
পুরাতন নিয়মের শমূয়েলের পুস্তকে (২ শমূয়েল ৫:৭) দায়ূদ কর্তৃক জয় করা একটি যিবূষীয় দুর্গের নাম হিসাবে উল্লেখিত এই শব্দটির উৎস ইস্রায়েলীয়দের পূর্ববর্তী বলে মনে হয়। সেমেটিক হলে এটি ইব্রীয় শব্দমূল সিয়্যন ṣiyyôn (“প্রাসাদ”) বা ইব্রীয় সিয়্যা ṣiyya (“শুষ্ক ভূমি” বা “মরুভূমি”, যিরমিয় ৫১:৪৩) থেকে উদ্ভূত হতে পারে। হুরীয় শব্দ সেয়া "šeya" (“নদী” বা “স্রোত”)-এর সাথে একটি অসেমিটিক সম্পর্কের এবং একটি হিত্তীয় উৎসেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শব্দটির ৎসিয়োন ("Tzion", তিবিরীয় উচ্চারণরীতি: "Ṣiyyôn") রূপটি তানাখে ১০৮ বার এবং পদাশ্রিত নির্দেশক-সহ "হাৎসিয়োন" ("HaTzion") রূপে একবার আবির্ভূত হয়।
ৎসাদ সাধারণত ইংরেজি বাইবেল অনুবাদে z হিসাবে লিপ্যন্তরিত হয়, তাই বানান Tzion-এর পরিবর্তে Zion হয়। এই প্রচলটি স্পষ্টতই জার্মান লিখনবিধি থেকে উদ্ভূত, যেখানে z সবসময় রূপে উচ্চারিত হয়।
|
1050759
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050759
|
মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড
|
মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড
মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড ২০১৬ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সংঘটিত একটি বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ড। এটি ২০১৬ সালের ৫ই জুন একজন বাংলাদেশ পুলিশের সুপারিন্টেনডেন্ট বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু তার অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে চট্টগ্রামের ব্যস্ত রাস্তায় তিন সন্দেহভাজন দ্বারা ছুরিকাঘাত প্রাপ্ত হন এবং শরীরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তিনি খুন হওয়ার সময় তার ছয় বছরে ছেলে তার সাথে সেখানে উপস্থিত ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার, মামলা ও তদন্ত আদালতে চলমান। যদিও তিনি সেকুলার বা নাস্তিক ছিলেন না, তারপরও প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছিল তিনি জঙ্গি সম্প্রদায় দ্বারা হত্যার শিকার হতে পারে। কারণ তার স্বামী বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে জঙ্গী দমনে জড়িত ছিলেন এবং তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারও পেয়েছিলেন। যাইহোক, এই খুনের দায় ভারতীয় আল কায়েদার উপশাখা আনসার-আল-ইসলাম স্বীকার করেছে। তবে ২০১৭ সালে মিতুর পিতা মুহম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন যে, অবস্থাগত প্রমাণ (এটি চূড়ান্ত প্রমান নয়) থেকে তার মনে এখন এটাই হচ্ছে যে, যে বাবুল আক্তার নিজেই তার স্ত্রীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করিয়েছেন। এই অভিযোগ করার সাথে সাথে আরো একটা বিষয়কে জড়ানো হয়, স্পেশাল ব্রাঞ্চের উপ-পুলিশ অফিসার আকরাম হুসেইন লিটনের স্ত্রী বনানী বিনতে বন্নীর সাথে বাবুল আক্তারের সম্পর্ক ছিল।
বাবুল পুলিশের দ্বারা সময়ে সময়ে বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার হন। ২০১৭ এর ফেব্রুয়ারি থেকে পুলিশ তালিকাভুক্ত অপরাধী "কামরুল ইসলাম মুসাকে" খুজছে। অভিযুক্ত মুসা বাবুল আক্তার এবং তার সঙ্গী নবির ইনফর্মার ছিল। যদিও "কামরুল ইসলাম মুসার" দাবী করেছে, এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ-পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার কর্মক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন।
এই মামলার দুইজন আসামি রাশেদ ও নবী পুলিশের হাতে আটক ছিল। পুলিশি হেফাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিলো। ২০১৬ সালের ৫ জুলাইয়ে এই দুইজনকে নিয়ে অন্যান্য আসামিদের ধরতে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের ঠাণ্ডাছড়ি নামক এলাকায় গেলে সেখানে বন্দুকযুদ্ধ হয় এবং অভিযুক্ত দুইজন মৃত্যবরন করেন। তবে এই বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে গণমাধ্যম সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
এই হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর ২৪ জুন ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ বাবুল আক্তারকে ১৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ২ মাস পরে পুলিশ থেকে জানানো হয় বাবুল আক্তার স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু বাবুল দাবি করেন তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি, এমনকি তার এই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই আবেদন গ্রহণ করেননি। বাবুল আক্তার পুলিশের চাকরি ছেড়ে প্রথমে আদ–দ্বীন হাসপাতালে যোগ দেন। পরবর্তীতে চীন থেকে পানি পরিশোধনকারী যন্ত্র এনে বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন।এরপরে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত মামলার অগ্রগতি দেখা যায়নি।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। বাদীর দিক থেকেও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে কোনো তাগাদা ছিল না। শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।
বাংলাদেশের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন গত ৩ সেপ্টেম্বর ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছেন তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও কনটেন্ট ইউটিউবে প্রকাশ করেন, যেখানে মিতু হত্যা, বাংলাদেশ পুলিশ, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ও সাম্প্রদায়িক ইস্যুসহ বেশ কিছু বিষয় দেখানো হয়। বনোজ কুমার ভিডিওটিকে আপত্তিকর এবং অসত্য দাবি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন এবং মামলার আবেদনে ভিডিওতে উপস্থাপিত তথ্যগুলোর প্রতিউত্তর হিসেবে তার বক্তব্য 'যুক্তি খণ্ডন' হিসেবে প্রদান করেন।
|
1050770
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050770
|
শাহ রুকুন উদ্দিন
|
শাহ রুকুন উদ্দিন
শাহ রুকুন উদ্দিন () ছিলেন সিলেট অঞ্চলের চতুর্দশ শতাব্দীর মুসলিম সুফি। রাজনগরে ইসলাম প্রচার ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠায় শাহ মালুম বিশেষভাবে জড়িত। ১৩১৫ সালে তিনি শাহ কামাল কাহাফার সাথে যোগ দেন এবং শাহ জালালের সাথে সাক্ষাত করতে তার পিতা খাজা বুরহানউদ্দিন কেতনের সাথে পুনরায় মিলনের জন্য সিলেট অঞ্চলে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
শাহ রুকনউদ্দিন ১৩ শতাব্দীতে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তার বাবা সৈয়দ আলাউদ্দিনের সাথে যোগ দেন, যিনি শাহ জালালের সাথে এক দশক আগে সিলেটে এসেছিলেন। রুকনউদ্দিন তার ভাই সৈয়দ বাহাউদ্দিন, শাহ তাজউদ্দীন এবং সৈয়দ শামসুদ্দিন সহ তার মামা শাহ কামাল কাহাফার(রহঃ) পিতার সঙ্গে নিয়ে। ও হযরত শাফাই শাহ আউলিয়া(রহঃ) তিনিরা শাহ জালালের সাথে দেখা করার জন্য এবং শাহ কামালের পিতা খাজা বুরহানউদ্দিন কেতনের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য ১৩১২ খ্রিস্টাব্দে তারা সিলেটে পৌঁছে এবং দরগাহ মহল্লায় শাহ জালালের অনুসারী হিসাবে কিছুটা সময় কাটিয়েছিল। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ, সিলেট সুনামগঞ্জ জেলা এসে আস্তানা থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।।
তিনি কীভাবে এবং কোন বছর মারা গেছেন তা স্পষ্ট নয়, তবে তাকে রাজনগর উপজেলার কুলাউড়া রোডের (এন ২০৮) কদমহাটায় একটি মাজারে সমাহিত করা হয়েছে। মাজারটি কদমহাটা বাজার জামে মসজিদ এবং রুকনউদ্দিনের নিজস্ব ঈদগাহের নিকটবর্তী। তাঁর উরস ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় যা তাঁর মৃত্যুর তারিখ হিসাবে বিবেচিত হয়। তাঁর বংশধররা কদমহাতার সিডস হিসাবে পরিচিত, সুপরিচিত কবি সৈয়দ শাহ নূর এবং ভাষাবিদ সৈয়দ মুর্তজা আলী তাঁর বংশধর। তাঁর বংশধররা সাম্পাসি, আকামুরা, কামারচাক এবং বিজলীতেও পাওয়া যায়।
|
1050807
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050807
|
সিরুচেরি
|
সিরুচেরি
সিরুচেরি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেঙ্গলপট্টু জেলায় অবস্থিত একটি আবাসিক ও অর্থনৈতিক অঞ্চল। একটি চেন্নাই মহানগরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত শহরতলি। মূল চেন্নাই শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন মহাবলীপুরম রোড তথা রাজীব গান্ধী সালাই বরাবর নাবলুর ও কেলমবক্কমের মাঝে অবস্থিত গ্রামটি তিরুপোরূর পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত।
সিরুচেরিতে রয়েছে সিপকট তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যান। সিরুচেরি গ্রামে জমির ওপর স্টেট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রোমোশন কর্পোরেশন অব তামিলনাড়ু বা সংক্ষেপে সিপকট নামে এই উদ্যান প্রতিষ্ঠিত হয়। তামিলনাড়ুর সাইবার কোরিডরও এইখানে নিজেদের একটি দপ্তর খোলার জন্য উৎসাহ দেখিয়েছেন। পৃথক সাব-স্টেশন, বিদ্যুৎ সরবরাহ, টেলিফোন পরিষেবা, উচ্চগতির ডেটা সংযোগ প্রভৃতি প্রাথমিক তথ্যপ্রযুক্তি চাহিদাগুলি পরিকল্পনামাফিক রয়েছে। বেশ কিছু আইটি কোম্পানি এখানে নিজেদের প্লট নির্দিষ্ট করেছে আবার কিছু কোম্পানি তাদের দপ্তর গড়ে নিজেদের সুবিধামতো কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২৫০ একর জমির ওপর কাজ শুরু হয়, যা ২০২১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে পুরোপুরি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিরুচেরি মূল বাসস্টপটি রয়েছে সিপকটের দিকে রাজীব গান্ধী সালাইয়ের ওপর। বাস পরিষেবার মাধ্যমে সরাসরি সঈদাপেট, কেলমবক্কম, আদিয়ার, তিরুবান্মিয়ুর, তিরুপোরূর, তাম্বরম, কোবলম, চেন্নাই সেন্ট্রাল, ব্রডওয়ে, অম্বাত্তুর, শোলিঙ্গনলুর যাওয়া যায়।
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে সিরুচেরির জনসংখ্যা হয় ১,৩৪৬ জন, যেখানে পুরুষ ৬৬৯ জন ও নারী ৬৭৭ জন অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষে ১,০১২ জন নারী বাস, যা রাষ্ট্রীয় গড়ের তুলনায় অধিক। মোট শিশু সংখ্যা ১৬৪ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ৮৯ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ৭৫ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে শিশু ১২.১৮ শতাংশ। লোকালয়ের সাক্ষরতার হার ছিল ৮০.৬৩ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮৩.৭৯ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৭৭.৫৭ শতাংশ। এখানে মোট পরিবার সংখ্যা ৩৩৫ টি। মোট তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি যথাক্রমে ৬১২ ও ১৭৭ জন। মোট শ্রমজীবী ৫৩৫ জন।
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.