Bangladesh-Legal-Acts-Dataset / acts /act-print-1023.json
sakhadib's picture
Dataset
8318615 verified
{
"act_title": "জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯",
"act_no": "৫৩",
"act_year": "2009",
"publication_date": "19/07/2025",
"sections": [
{
"section_title": "প্রারম্ভিক",
"section_content": "১৷(১) এই আইনজাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯নামে অভিহিত হইবে৷(২) ইহা ১ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।"
},
{
"section_content": "২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে -(ক)\t\"কমিশন\" অর্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন;(খ)\t\"চেয়ারম্যান\" অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বপালনরত কোন ব্যক্তি;(গ)\t\"জনসেবক\" অর্থ দণ্ডবিধির section 21 এ public servant যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক;(ঘ)\t\"দণ্ডবিধি\" অর্থPenal Code, 1860(XLV of 1860);(ঙ) \"বিধি\" অর্থ এই অাইনের অধীন প্রণীত বিধি;(চ) \"মানবাধিকার\" অর্থগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানদ্বারা নিশ্চিত কোন ব্যক্তির জীবন (Life), অধিকার (Liberty), সমতা (Equality) ও মর্যাদা (Dignity) এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আদালত দ্বারা বলবৎযোগ্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে ঘোষিত মানবাধিকার;(ছ) \"শৃঙ্খলা-বাহিনী\" অর্থগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২(১) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত শৃঙ্খলা-বাহিনী;(জ) \"সদস্য\" অর্থ কমিশনের কোন সদস্য এবং চেয়ারম্যানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;(জ) \"সাক্ষ্য আইন\" অর্থEvidence Act, 1872(I of 1872);(ঞ) \"সংবিধান\" অর্থগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।"
},
{
"section_title": "মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা",
"section_content": "৩৷ (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এবং উহার বিধান অনুসারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নামে একটি কমিশন প্রতিষ্ঠিত হইবে।(২) কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।(৩) কমিশনের একটি সীলমোহর থাকিবে, যাহা কমিশনের সচিবের হেফাজতে থাকিবে।"
},
{
"section_content": "৪। কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হইবে এবং কমিশন প্রয়োজনে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ইহার কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।"
},
{
"section_content": "৫। (১) চেয়ারম্যান ও অনধিক ছয়জন সদস্য সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হইবে।(২) কমিশনের চেয়ারম্যান ও একজন সদস্য সার্বক্ষণিক হইবেন এবং অন্যান্য সদস্যগণ অবৈতনিক হইবেন।(৩) কমিশনের সদস্যগণের মধ্যে কমপক্ষে একজন মহিলা এবং একজন নৃতাত্তিক (Ethnic) জনগোষ্ঠীর সদস্য হইতে হইবে।(৪) চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন।"
},
{
"section_content": "৬। (১) রাষ্ট্রপতি, বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে, কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণকে নিয়োগ করিবেন :তবে র্শত থাকে যে, কোন ব্যক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে নিয়োগ লাভের বা অধিষ্ঠিত থাকিবার যোগ্য হইবেন না যদি তিনি ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) বৎসর অপেক্ষা কম এবং ৭০ (সত্তর) বৎসর অপেক্ষা অধিক বয়স্ক হন।(২) আইন বা বিচার কার্য, মানবাধিকার, শিক্ষা, সমাজসেবা বা মানবকল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখিয়াছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য হইতে চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ, এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, নিযুক্ত হইবেন।(৩) কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে তিন বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেনঃতবে শর্ত থাকে যে, একই ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসাবে দুই মেয়াদের অধিক নিয়োগ লাভ করিবেন না।(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে যে কোন সময় স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।(৫) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান তাহার পদে যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক সদস্য চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।"
},
{
"section_content": "৭। (১) চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য নিম্নবর্ণিত সাত জন সদস্য সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠিত হইবে, যথাঃ-(ক) জাতীয় সংসদের স্পীকার, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;(খ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;(গ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;(ঘ) চেয়ারম্যান, আইন কমিশন;(ঙ) মন্ত্রি পরিষদ সচিব, মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ;(চ) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত দুইজন সংসদ-সদস্য, যাহাদের মধ্যে একজন সরকার দলীয় এবং অন্যজন বিরোধী দলীয় হইবেন।(২) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।(৩) অন্যূন ৪ (চার) জন সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম গঠিত হইবে।1[(৩ক) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাছাই কমিটির সভাপতির অবর্তমানে বা অনুপস্থিতিতে কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যগণের সম্মতিতে যে কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৩খ) কেবল বাছাই কমিটির কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বাছাই কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে উহার কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।](৪) বাছাই কমিটি, চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুই জন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করিবে এবং সিদ্ধান্তের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত প্রদানের অধিকার থাকিবে।(৫) বাছাই কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।"
},
{
"section_content": "৮। (১) সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারক যেরূপ কারণ ও পদ্ধতিতে অপসারিত হইতে পারেন, সেইরূপ কারণ ও পদ্ধতি ব্যতীত চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে অপসারণ করা যাইবে না।(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রপতি চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবেন, যদি তিনি-(ক) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন; বা(খ) চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্যের ক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্বীয় দায়িত্ব বহির্ভুত অন্য কোন পদে নিয়োজিত হন; বা(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হন; বা(ঘ) নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।"
},
{
"section_content": "৯। শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা কমিশন গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কমিশনের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷"
},
{
"section_content": "১০। (১) চেয়ারম্যান সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের একজন বিচারকের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাইবার অধিকারী হইবেন।(২) সার্বক্ষণিক সদস্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাইবার অধিকারী হইবেন।(৩) অবৈতনিক সদস্যগণ কমিশনের সভায় যোগদানসহ অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হারে সম্মানী ও ভাতা পাইবেন।"
},
{
"section_content": "১১। (১) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কমিশন উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) চেয়ারম্যান কমিশনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সার্বক্ষণিক সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৩) চেয়ারম্যান এবং অন্যূন ৩ (তিন) জন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিশনের সভার কোরাম গঠিত হইবে।(৪) কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে।(৫) প্রতি দুইমাসে কমিশনের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।"
},
{
"section_content": "১২। (১) কমিশন নিম্নবর্ণিত সকল বা যেকোন কার্যাবলী সম্পাদন করিবে, যথা :-(ক) কোন ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় বা সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন কর্তৃক মানবাধিকার লংঘন বা লংঘনের প্ররোচনা সম্পর্কিত কোন অভিযোগ স্বতঃই বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত করা;(খ) কোন জনসেবক কর্তৃক মানবাধিকার লংঘন বা লংঘনের প্ররোচনা বা অনুরূপ লংঘন প্রতিরোধে অবহেলা করা সম্পর্কিত কোন অভিযোগ স্বতঃই বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত করা ;(গ) জেল বা সংশোধনাগার, হেফাজত, চিকিৎসা বা ভিন্নরূপ কল্যাণের জন্য মানুষকে আটক রাখা হয় এমন কোন স্থানের বাসিন্দাদের বসবাসের অবস্থা পরিদর্শন করা এবং এইরূপ স্থান ও অবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকারের নিকট প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করা;(ঘ) মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য সংবিধান বা আপাততঃ বলবৎ কোন আইনের অধীন স্বীকৃত ব্যবস্থাদি পর্যালোচনা করা এবং উহাদের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা;(ঙ) মানবাধিকার সংরক্ষণের পথে বাধা স্বরূপ সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা এবং যথাযথ প্রতিকারের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা;(চ) মানবাধিকার বিষয়ক চুক্তি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক দলিলাদির উপর গবেষণা করা এবং উহাদের বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা ;(ছ) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এর মানের সহিত কোন প্রস্তাবিত আইনের সাদৃশ্য পরীক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলের সহিত উহাদের সমন্বয় নিশ্চিত করিবার স্বার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় সংশোধন সুপারিশ করা;(জ) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলের অনুসমর্থন বা উহাতে স্বাক্ষর প্রদানে সরকারকে পরামর্শ প্রদান এবং উহাদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা;(ঝ) মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা করা এবং শিক্ষা ও পেশাগত প্রতিষ্ঠানে উহাদের বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করা;(ঞ) সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজনের মধ্যে মানবাধিকার শিক্ষার প্রচার এবং প্রকাশনা ও অন্যান্য উপায়ে মানবাধিকার সংরক্ষণ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা;(ট) মানবাধিকার বিষয়ে বে-সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রচেষ্টাকে উৎসাহ প্রদান এবং উক্তরূপ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বয় করা;(ঠ) মানবাধিকার লংঘন বা লংঘিত হইতে পারে এমন অভিযোগের উপর তদন্ত ও অনুসন্ধান করিয়া মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তি করা;(ড) মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রণয়নের ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা;(ঢ) দেশের প্রচলিত আইন ও প্রশাসনিক কর্মসূচীর মাধ্যমে গৃহীতব্য ব্যবস্থা যাহাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানের ও নিয়মের হয় সেই লক্ষ্যে সরকারের নিকট সুপারিশ করা;(ণ) মানবাধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে কর্মরত সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণভাবে সুশীল সমাজকে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা;(ত) মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ এবং অনুরূপ অন্যবিধ ব্যবস্থার মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রকাশ ও প্রচার করা;(থ) মানবাধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা;(দ) কমিশনে অভিযোগ দায়েরের জন্য সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি বা সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তির পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে আইনী সহায়তা প্রদান করা; এবং(ধ) মানবাধিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিবেচিত অন্য যেকোন কার্য করা।(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি কমিশনের কার্যাবলী বা দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথাঃ-(ক) আদালতে বিচারাধীন মামলার কোন বিষয়;(খ) ন্যায়পাল আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সনের ১৫ নং আইন) এর অধীন ন্যায়পাল কর্তৃক বিবেচ্য কোন বিষয়;(গ) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত সরকারী কর্মচারী এবং সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত কর্মচারীর চাকুরী সংক্রান্ত এমন কোন বিষয় যাহাAdministrative Tribunals Act, 1980( VII of 1981) এর অধীন স্থাপিত ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য।"
},
{
"section_title": "কমিশনের কার্যাবলী ও তদন্তের ক্ষমতা",
"section_content": "১৩। সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন আবেদন হইতে উদ্ভূত কোন বিষয় তদন্তক্রমে প্রতিবেদন পেশ করিবার জন্য সুপ্রীম কোর্ট কমিশনের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রেরিত বিষয়ে কমিশন তদন্ত করিয়া রেফারেন্সে উল্লিখিত সময়সীমা, যদি থাকে, এর মধ্যে সুপ্রীম কোর্টে প্রতিবেদন প্রেরণ করিবে।"
},
{
"section_content": "১৪। (১) কমিশন কর্তৃক পরিচালিত তদন্তে যদি মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা প্রকাশ পায়, তাহা হইলে কমিশন বিষয়টি মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করিতে পারিবে।(২) \tউপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবস্থিত মধ্যস্থতা ও সমঝোতা সফল না হইলে-(ক) \tমানবাধিকার লংঘনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা বা অন্য কোন কার্যধারা দায়ের করিবার জন্য কমিশন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করিবে;(খ)\tমানবাধিকার লংঘন প্রতিরোধ বা প্রতিকারের উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তির নিকট সুপারিশ করিবে।(৩)\tমানবাধিকার লংঘন করিয়াছেন বা করিতে উদ্যত হইয়াছেন এমন সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুনানীর সুযোগ না দিয়া কমিশন এই ধারার অধীন কোন সুপারিশ করিবে না।(৪)\tএই ধারার অধীন কমিশন প্রদত্ত সুপারিশের একটি কপি কমিশন অভিযোগকারীর নিকট প্রেরণ করিবে।(৫)\t যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের নিকট এই ধারার অধীন সুপারিশ প্রেরণ করা হয় উক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে কমিশন সুপারিশ অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য আহবান করিতে পারিবে এবং যাচিত প্রতিবেদন দাখিল করা উক্তরূপ ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হইবে।(৬)\tএই ধারার অধীন সুপারিশ প্রেরণ করা হইয়াছে এমন কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ যদি প্রার্থিত প্রতিবেদন প্রেরণ করিতে ব্যর্থ হন বা প্রেরিত প্রতিবেদনে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী গৃহীত বা প্রস্তাবিত ব্যবস্থা কমিশনের মতে অপর্যাপ্ত হয়, তাহা হইলে কমিশন যথাযথ বিবেচনা করিলে ঘটনাটির পূর্ণ বিবরণ রাষ্ট্রপতির নিকট দাখিল করিবে এবং রাষ্ট্রপতি উক্ত প্রতিবেদনের কপি সংসদে উত্থাপনের ব্যবস্থা করিবেন।"
},
{
"section_content": "১৫। (১) কোন বিষয় এই আইনের অধীন মধ্যস্থতা বা সমঝোতার জন্য প্রেরণ করা হইলে কমিশন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে পক্ষগুলির মধ্যে মধ্যস্থতা বা সমঝোতার জন্য নিয়োগ করিবে।(২) \tমধ্যস্থতা ও সমঝোতাকারীর নিয়োগের পদ্ধতি এবং ক্ষমতা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।(৩)\tকমিশন সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে মধ্যস্থতা ও সমঝোতার জন্য মধ্যস্থতা বা সমঝোতাকারীর সম্মুখে হাজির হইবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে।(৪)\tমধ্যস্থতা ও সমঝোতাকারীদের অধিবেশন উম্মুক্তভাবে বা গোপনীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে।(৫) \tমধ্যস্থতা বা সমঝোতা না হইলে বা কোন পক্ষ মধ্যস্থতা বা সমঝোতায় আপত্তি করিলে, মধ্যস্থতা বা সমঝোতাকারী বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করিবেন।(৬)\tযদি মধ্যস্থতা বা সমঝোতার মাধ্যমে কোন বিষয় সমঝোতা করিতে সক্ষম হয়, তাহা হইলে মধ্যস্থতা বা সমঝোতাকারী মীমাংসার বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করিবে।(৭) \tউপ-ধারা (৬) এর অধীন মীমাংসা কার্যকর করণার্থে কমিশন তৎকর্তৃক যথাযথ বিবেচিত জরিমানা প্রদানের নির্দেশসহ অন্যান্য নির্দেশ দিতে পারিবে।"
},
{
"section_content": "১৬। এই আইনের অধীন অনুসন্ধান বা তদন্তের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়ে কমিশনের দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ (১৯০৮ সালের ৫ নং আইন) এর অধীন একটি দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ ক্ষমতা থাকিবে, যথাঃ-(ক) সাক্ষীর সমন ও উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা;(খ) কোন লিখিত বা মৌখিক সাক্ষ্য শপথের মাধ্যমে প্রদানের জন্য তলব করা;(গ) বাংলাদেশে বসবাসকারী কোন ব্যক্তিকে কমিশনের কোন বৈঠকে উপস্থিত হইয়া সাক্ষ্য দেওয়া বা তাহার দখলে আছে এমন কোন দলিল উপস্থাপন করিবার জন্য তলব করা;(ঘ) তদন্ত বা অনুসন্ধানে জনগণের অংশগ্রহণ অনুমোদন বা অননুমোদন করা।"
},
{
"section_content": "১৭। (১) কমিশন, মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার বা তদ্‌ধীন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট হইতে প্রতিবেদন বা তথ্য চাহিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন বা তথ্য প্রাপ্ত না হইলে কমিশন নিজ উদ্যোগে অনুসন্ধান শুরু করিতে পারিবে।(৩) উপ-ধারা (১) এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রাপ্তির পর কমিশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,-(ক) বিষয়টি অধিকতর অনুসন্ধানের প্রয়োজন নাই; বা(খ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকার বা ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছে বা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করিয়াছে-তাহা হইলে কমিশন এই বিষয়ে অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করিবে না।"
},
{
"section_content": "১৮। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শৃঙ্খলা বাহিনীর বা ইহার সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগের ক্ষেত্রে কমিশন নিজ উদ্যোগে বা কোন দরখাস্তের ভিত্তিতে সরকারের নিকট হইতে প্রতিবেদন চাহিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদন চাওয়া হইলে সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমিশনের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর কমিশন,(ক) সন্তুষ্ট হইলে, এই বিষয়ে আর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করিবে না;(খ) প্রয়োজন মনে করিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে সরকারের নিকট সুপারিশ পেশ করিতে পারিবে।(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কমিশনের নিকট হইতে কোন সুপারিশ প্রাপ্ত হইলে উক্তরূপ সুপারিশপ্রাপ্ত হইবার ছয় মাসের মধ্যে সরকার ইহার গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে লিখিতভাবে কমিশনকে অবহিত করিবে।(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর কমিশন উক্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি অভিযোগকারী বা ক্ষেত্রমত, তাহার প্রতিনিধির নিকট সরবরাহ করিবে।"
},
{
"section_content": "১৯। (১) এই আইনের অধীন ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, কোন তদন্ত সমাপ্তির পর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হইলে, কমিশন-(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট সুপরিশ করিতে পারিবে এবং একই সঙ্গে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি ধরনের মামলা বা অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যথাযথ হইবে তাহা সুপারিশের মধ্যে উল্লেখ করিবে;(খ) সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন আদেশ বা নির্দেশযোগ্য হইলে, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পক্ষে আবেদন দাখিল করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবে বা কমিশন স্বয়ং উক্ত বিভাগে আবেদন দাখিল করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন বিষয়ে কমিশন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্ত বা তাহার পরিবারকে উহার বিবেচনায় যথাযথ সাময়িক সাহায্য মঞ্জুর করিবার জন্য সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করিতে পারিবে।(৩) কমিশন তদন্ত রিপোর্টের একটি কপি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধিকে সরবরাহ করিবে।(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন সুপারিশসহ তদন্ত রিপোর্টের একটি কপি কমিশন সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে এবং উক্ত সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত বা প্রস্তাবিত ব্যবস্থা সম্পর্কে, রিপোর্ট প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে, সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কমিশনকে অবহিত করিবেঃতবে শর্ত থাকে যে, যদি সরকার বা উক্ত কর্তৃপক্ষের কমিশনের সিদ্ধান্ত বা সুপারিশের সহিত মতপার্থক্য থাকে অথবা সরকার বা উক্ত কর্তৃপক্ষ কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণে অসমর্থ হয় বা অস্বীকার করে,তাহা হইলে উক্ত মতপার্থক্য, অসমর্থতা বা অস্বীকারের কারণ উল্লেখ করিয়া উপরি-উক্ত সময়সীমার মধ্যে কমিশনকে অবহিত করিবে।(৫) কমিশন সংশ্লিষ্ট তদন্ত রিপোর্টের সারার্থ এবং উক্ত রিপোর্টের উপর কমিশনের সিদ্ধান্ত বা সুপারিশ তদকর্তৃক যথাযথ বিবেচিত পদ্ধতিতে প্রকাশ করিবেঃতবে শর্ত থাকে যে, কমিশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, গুরুত্ব বিবেচনায় কোন তদন্ত রিপোর্টের সম্পূর্ণ অথবা অংশবিশেষ জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে কমিশন উক্ত রিপোর্ট সম্পূর্ণ বা, ক্ষেত্রমত, উহার অংশবিশেষ প্রকাশ করিবেঃআরও শর্ত থাকে যে, যদি কমিশন এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন রিপোর্টের সারার্থ প্রকাশ করিবার প্রয়োজন নাই, সেই ক্ষেত্রে উক্ত রিপোর্টের কোন কিছুই প্রকাশ করিবার প্রয়োজন হইবে না।(৬) মানবাধিকার লংঘনের দায়ে আদালতে বিচারাধীন কোন মামলায় বা আইনগত কার্য ধারায় পক্ষ হইয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিবার অধিকার কমিশনের থাকিবে।"
},
{
"section_content": "২০। (১) কমিশনের নিকট সাক্ষ্য প্রদানকারী ব্যক্তি আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকারী ব্যক্তির ন্যায় সকল সুযোগ-সুবিধার অধিকারী হইবেন।(২) কমিশনের সম্মুখে সাক্ষ্য প্রদানকালে কোন ব্যক্তির প্রদত্ত বিবৃতি বা বক্তব্যের জন্য তাহার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী মামলা রুজু করা যাইবে না বা উক্ত বিবৃতি বা বক্তব্য তাহার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী কার্যধারায় ব্যবহার করা যাইবে না, তবে উক্তরূপ বিবৃতি বা বক্তব্যের মধ্যে কোন মিথ্যা সাক্ষ্য থাকিলে তজ্জন্য তিনি অভিযোগ হইতে অব্যাহতি পাইবেন না।"
},
{
"section_content": "২১। (১) এই আইনের অধীন প্রত্যেক সমন চেয়ারম্যান বা সদস্য বা কমিশন কর্তৃক তদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিশনের কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে জারী করা হইবে।(২) প্রত্যেক সমন উহাতে উল্লিখিত ব্যক্তির নিকট এবং যেক্ষেত্রে তাহা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে জানামতে তাহার সর্বশেষ বাসস্থানের ঠিকানায় সরবরাহ করিয়া বা রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া জারী করা হইবে।(৩) যে ব্যক্তির নিকট সমন জারী করা হয় তিনি উহাতে উল্লিখিত সময় ও স্থানে কমিশনের সম্মুখে উপস্থিত থাকিবেন এবং কমিশন কর্তৃক তাহাকে জিজ্ঞাসিত সকল প্রশ্নের জবাব দিবেন এবং তাহার নিকট হইতে যাচিত এবং তাহার দখলে আছে এমন সকল দলিল সমনের মর্মার্থ অনুসারে উপস্থাপন করিবেন।"
},
{
"section_content": "২২। (১) প্রতি বৎসরের ৩০ মার্চ এর মধ্যে কমিশন উহার পূর্ববর্তী বৎসরের কার্যাবলী সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদনের সহিত একটি স্মারকলিপি থাকিবে, যাহাতে, অন্যান্যের মধ্যে, কমিশনের পরামর্শ অনুসারে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হইলে সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ না করিবার কারণ, কমিশন যতদূর অবগত ততদূর, লিপিবদ্ধ থাকিবে।"
},
{
"section_title": "কমিশনের কর্মকর্তা, ইত্যাদি",
"section_content": "২৩। (১) কমিশনের একজন সচিব থাকিবে।(২) এই আইনের অধীন কমিশন উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।(৩) সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা ও চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা ও চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।(৪) সরকার, কমিশনের অনুরোধক্রমে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগ করিতে পারিবে।"
},
{
"section_content": "২৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মানবাধিকার কমিশন তহবিল নামে একটি তহবিল গঠিত হইবে।(২) মানবাধিকার কমিশন তহবিল, অতঃপর এই ধারায় তহবিল বলিয়া উল্লিখিত, এর পরিচালনা ও প্রশাসন, এই ধারা এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে, কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে।(৩) তহবিল হইতে কমিশনের সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও চাকুরীর শর্তাবলী অনুসারে প্রদেয় অর্থ প্রদান করা হইবে এবং কমিশনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।(৪) তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-(ক)\tসরকার কর্তৃক প্রদত্ত বাৎসরিক অনুদান;(খ)\tস্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান।"
},
{
"section_content": "২৫। (১) সরকার প্রতি অর্থ বৎসরের কমিশনের ব্যয়ের জন্য উহার অনুকূলে নির্দিষ্টকৃত অর্থ বরাদ্দ করিবে; এবং অনুমোদিত ও নির্ধারিত খাতে উক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ হইতে ব্যয় করার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করা কমিশনের জন্য আবশ্যক হইবে না।(২) এই ধারার বিধান দ্বারা সংবিধানের ১২৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত মহা-হিসাব নিরীক্ষকের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হইয়াছে বলিয়া ব্যাখ্যা করা যাইবে না।"
},
{
"section_content": "২৬। কমিশন যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর কমিশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কমিশনের নিকট পেশ করিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কমিশনের সকল রেকর্ড, দলিল দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কমিশনের কোন সদস্য বা যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷"
},
{
"section_content": "২৭। চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং এই আইনের অধীন কার্য সম্পাদনের জন্য কমিশন হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রত্যেক কর্মকর্তা দণ্ডবিধির section 21 এর public servant (জনসেবক) অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে public servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন।"
},
{
"section_content": "২৮। কমিশন উহার যেকোন ক্ষমতা,তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, চেয়ারম্যান, সদস্য বা সচিবকে অর্পণ করিতে পারিবে।"
},
{
"section_content": "২৯। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য সরকার, কমিশন, কোন সদস্য বা কমিশন বা সরকারের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বা সরকার বা কমিশনের কর্তৃত্বাধীন কোন প্রকাশনা, রিপোর্ট বা কার্যধারার বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের বা রুজু করা যাইবে না।"
},
{
"section_content": "৩০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশন, রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।"
},
{
"section_content": "৩১। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে।(২) বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।"
},
{
"section_content": "৩২। (১) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০০৭ (২০০৭ সনের ৪০ নং অধ্যাদেশ), অতঃপর উক্ত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লিখিত, এর অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।(২)গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ এর দফা (২) এর বিধান অনুসারে উক্ত অধ্যাদেশের কার্যকরতা লোপ পাওয়া সত্ত্বেও অনুরূপ লোপ পাইবার পর উহার ধারাবাহিকতায় বা বিবেচিত ধারাবাহিকতায় কোন কাজকর্ম কৃত বা ব্যবস্থা গৃহীত হইয়া থাকিলে উহা এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, এই আইনের অধীনেই কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়াও গণ্য হইবে।"
}
],
"footnotes": [
{
"footnote_text": "1উপ-ধারা (৩ক) ও (৩খ)জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪(২০২৪ সনের ১৬ নং অধ্যাদেশ) এর ২ ধারাবলে সন্নিবেশিত।"
}
],
"copyright_info": {
"copyright_text": "Copyright©2019, Legislative and Parliamentary Affairs DivisionMinistry of Law, Justice and Parliamentary Affairs"
},
"source_url": "http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-1023.html",
"fetch_timestamp": "2025-07-19 02:30:53",
"csv_metadata": {
"act_title_from_csv": "জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯",
"act_no_from_csv": "৫৩",
"act_year_from_csv": "২০০৯",
"is_repealed": false
},
"token_count": 3261,
"language": "bengali",
"government_context": {
"govt_system": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
"position_head_govt": "Prime Minister",
"head_govt_name": "Sheikh Hasina",
"head_govt_designation": "Prime Minister of Bangladesh",
"how_got_power": "Democratic election (2009), subsequent controversial elections (2014, 2018, 2024)",
"period_years": "2009-2024",
"years_in_power": 15
},
"processing_info": {
"processed_timestamp": "2025-07-19 19:33:18",
"enhanced_with_reducer": true,
"enhanced_with_govt_context": true,
"language_detected": "bengali",
"token_count": 3146,
"legal_context_added": true,
"legal_context_timestamp": "2025-07-19 20:26:24",
"year_standardized": true,
"year_standardization_timestamp": "2025-07-19 20:35:48",
"legal_context_recovery_attempted": true,
"legal_context_recovery_timestamp": "2025-07-19 20:42:47",
"token_count_updated": true,
"token_count_update_timestamp": "2025-07-19 20:56:00",
"previous_token_count": 3146,
"accurate_token_count": 3261
},
"legal_system_context": {
"period_info": {
"period_name": "Awami League Dominance",
"year_range": "2008-2024",
"act_year": 2009
},
"legal_framework": {
"primary_laws": [
"15th Amendment (2011)",
"Cyber Security Act 2023",
"Digital Security Act",
"International Crimes Tribunal Act"
],
"court_system": [
"Supreme Court",
"High Court Division",
"Specialized Tribunals"
],
"legal_basis": "Constitutional parliamentary system",
"enforcement_mechanism": "Politicized judicial system"
},
"government_system": {
"type": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
"structure": "Single-party dominance",
"revenue_collection": "Modernized tax system",
"administrative_units": [
"8 Divisions",
"64 Districts",
"492 Upazilas",
"4,554 Unions"
]
},
"policing_system": {
"law_enforcement": "Politicized police force",
"military_police": "RAB, Police, Border Guards",
"jurisdiction": "Centralized political control"
},
"land_relations": {
"tenure_system": "Market-based with disputes",
"property_rights": "Development-focused acquisition",
"revenue_system": "Digital land records",
"peasant_status": "Modernization and displacement issues"
},
"key_characteristics": [
"Caretaker system abolition",
"War crimes tribunals",
"Digital governance initiatives",
"Authoritarian drift",
"Student movement repressions"
],
"context_added_timestamp": "2025-07-19 20:42:47",
"recovery_note": "Legal context added after year translation recovery"
}
}