|
{
|
|
"act_title": "রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮",
|
|
"act_no": "৩",
|
|
"act_year": "2018",
|
|
"publication_date": "19/07/2025",
|
|
"sections": [
|
|
{
|
|
"section_title": "প্রারম্ভিক",
|
|
"section_content": "১। (১) এই আইনরাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকা এবং সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকার সংলগ্ন যে সব এলাকা নির্ধারণ করিবে সেই সকল এলাকায় প্রযোজ্য হইবে।(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ’’ অর্থস্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ;(২) ‘‘ইমারত’’ অর্থBuilding Construction Act, 1952(Act No. II of 1953) এর section 2(b) এ সংজ্ঞায়িত building;(৩) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ;(৪) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;(৫) ‘‘জলাধার’’ অর্থ নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝর্ণা বা জলাশয় হিসাবে মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা সরকার, সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বন্যা প্রবাহ এলাকা হিসাবে ঘোষিত কোন জায়গা এবং সলল পানি এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোন ভূমিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(৬) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি বা, ক্ষেত্রমত, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;(৭) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(৮) ‘‘পৌরসভা’’ অর্থ স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৮ নং আইন) এর অধীন গঠিত পৌরসভা;(৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(১০) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে যে কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা সংস্থা উহা নিবন্ধিত হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১১) ‘‘মহাপরিকল্পনা (Master Plan)\" অর্থ ধারা ১২ এর অধীন প্রণীত মহাপরিকল্পনা;(১২) ‘‘সদস্য’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের কোন সদস্য এবং চেয়ারম্যানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১৩) ‘‘সার্বক্ষণিক সদস্য’’ অর্থ ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন সার্বক্ষণিক সদস্য;(১৪) ‘‘সচিব’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের সচিব;(১৫) ‘‘সিটি কর্পোরেশন’’ বা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন’’ অর্থস্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৬০ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন;(১৬) “ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কোন কর্মচারী।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৩। (১)Rajshahi Town Development Authority Ordinance, 1976(Ordinance No. LXXVIII of 1976) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (Rajshahi Town Development Authority) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ ইহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪। (১) কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় থাকিবে।(২) কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে,: যথা:-(ক) ১ (এক) জন চেয়ারম্যান;(খ) ৪ (চার) জন সদস্য;(গ) জেলা প্রশাসক, রাজশাহী;(ঘ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন;(ঙ) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন উপ-সচিব পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি;(চ) গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ছ) পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(জ) বিভাগীয় প্রধান, নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়;(ঝ) স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপ-প্রধান স্থপতি বা পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ঞ) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত সরকার কর্তৃক মনোনীত অন্যূন ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট নাগরিক, তন্মধ্যে একজন হইবেন মহিলা।(২) চেয়ারম্যান এবং উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে উল্লিখিত সদস্যগণ কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক সদস্য হইবেন এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হইবেন।(৩) কোন ব্যক্তি ২ (দুই) মেয়াদের বেশী সময়ের জন্য চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।(৪) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন সময়, চেয়ারম্যান বা কোন সার্বক্ষণিক সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।(৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঞ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোন সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোন সদস্যকে সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং কোন মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।(৬) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা তাহার অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নূতন চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সার্বক্ষণিক সদস্য চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা :-(১) ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করিয়া মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;(২) মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের নিমিত্ত ভূমি জরিপ ও সমীক্ষা, গবেষণা পরিচালনা এবং তদসংশ্লিষ্ট সকল প্রকার তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ;(৩) ভূমির উপর যে কোন প্রকৃতির অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যাবলী গ্রহণ;(৪) কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় আবাসিক, বাণিজ্যিক, বিনোদন, শিল্প বা এতদ্সম্পর্কিত অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পৃথক পৃথক এলাকা নির্ধারণ ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;(৫) কর্তৃপক্ষের সীমানার মধ্যে নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ এবং বিধি বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণ;(৬) অপরিকল্পিত, অপ্রশস্ত ও ঘিঞ্জি বসতি অপসারণক্রমে নূতন আবাসন প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং উক্ত এলাকার বাসিন্দাগণের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;(৭) নিম্নবিত্ত, বস্তিবাসী এবং গৃহহীনদের আবাসন সমস্যার অগ্রাধিকার বিবেচনায় রাখিয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উহার বাস্তবায়ন;(৮) উন্নয়ন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রহিয়াছে এইরূপ কোন এলাকার জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি এবং উক্ত এলাকার ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন বা কোন ইমারত বা স্থাপনার পরিবর্তনের উপর অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ;(৯) আধুনিক ও আকর্ষণীয় নগর পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি এবং উহার ধারাবাহিক সংরক্ষণ;(১০) পর্যাপ্ত বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনী তৈরি;(১১) কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ বা বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যয়ে দেশি-বিদেশি বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে পরামর্শ বা সহযোগিতা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;(১২) দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি, সরকারি বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;(১৩) কোন উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান;(১৪) উন্নয়ন কার্যক্রম তরান্বিত করিবার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয় সাধন;(১৫) আধুনিক নগর সংক্রান্ত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন;(১৬) কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সেবাসমূহ অনলাইনে সম্পাদন এবং কর্তৃপক্ষের সকল সেবা দলিল সম্পাদনে বিদ্যমান পদ্ধতির পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ এবং মনিটরিং;(১৭) ওয়েব সাইটে সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত প্রকাশ;(১৮) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, কর্তৃপক্ষের উপর অর্পিত অন্য যে কোন দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭। চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি এই আইন, বিধি ও প্রবিধানের বিধান অনুসারে কর্তৃপক্ষের প্রশাসন পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮। (১) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন না অথবা চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য পদে থাকিতে পারিবেন না, যদি তিনি-(ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন;(খ) শারীরিক বা মানসিক অসমর্থের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন;(ঘ) কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ খেলাপী হিসাবে ঘোষিত হন;(ঙ) কোন ফৌজদারী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন; বা(চ) কর্তৃপক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন পেশা বা ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন বা হন।(২) সরকার, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, চেয়ারম্যান বা কোন সার্বক্ষণিক সদস্যকে এই ধারার অধীন অপসারণ করিতে পারিবে।(৩) এই ধারার অধীন অপসারিত চেয়ারম্যান বা কোন সার্বক্ষণিক সদস্য কর্তৃপক্ষের অথবা অন্যান্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের কোন পদে নিয়োগের অযোগ্য হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তদকর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৩) কর্তৃপক্ষের সভায় কোরামের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।(৪) প্রতি ৩ (তিন) মাসে কর্তৃপক্ষের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে :তবে শর্ত থাকে যে, যে কোন সময় জরুরি সভা আহ্বান করা যাইবে।(৫) কর্তৃপক্ষের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে।(৬) কেবল কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা কর্তৃপক্ষ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কর্তৃপক্ষের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।(৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হইবার অনধিক ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট উহার অনুলিপি প্রেরণ করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০। কর্তৃপক্ষ উহার সভার নির্ধারিত আলোচ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম বা কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পাদনে সহায়তার জন্য, প্রয়োজনে, সদস্য নন অথচ উক্তরূপ কাজে অভিজ্ঞ এইরূপ কোন ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ বা সহযোগিতা গ্রহণ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১১। কর্তৃপক্ষ, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উহার কার্যাবলী সম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "১২। (১) কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করিয়া উহার আওতাভুক্ত এলাকার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে, যথা:-(ক) নৌ, বিমান, রেল, সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচলের গতি-প্রকৃতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি;(খ) পানি সরবরাহ, সংরক্ষণ, পয়ঃপ্রণালী ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা;(গ) বিভিন্ন সরকারি অফিস, সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা কেন্দ্র, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, উদ্যান, উন্মুক্ত স্থান, জলাশয় এবং বিনোদনমূলক ব্যবস্থা, পর্যটন তথ্য কেন্দ্র, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, ইত্যাদির জন্য ভূমি সংরক্ষণসহ উহার অবস্থান নির্ধারণ ও সংরক্ষণ;(ঘ) আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার অবস্থান নির্ধারণ, সংরক্ষণ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি;(ঙ) মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজন হইতে পারে এইরূপ ভূমি চিহ্নিতকরণ ও উহার অবস্থান নির্ধারণ;(চ) ভূমি ব্যবহার, জোনিং (Zoning) এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ (Natural Landscape) অনুসরণ করিয়া ভূমি সংরক্ষণ;(ছ) সৌর-বিদ্যুৎসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি; এবং(জ) দীর্ঘমেয়াদী ও আধুনিক নাগরিক সুবিধাসম্বলিত নগরায়ন পরিকল্পনা, প্রকল্প, ধারাবাহিক উন্নয়ন, নিয়মিত সংস্কার এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি।(২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত মহাপরিকল্পনা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেট, ইলেকট্রনিক গেজেট (যদি থাকে), কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েব সাইট এবং বহুল প্রচারিত ২ (দুই) টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে উহার প্রাক্-প্রকাশ করিবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশিত মহাপরিকল্পনার বিষয়ে কাহারও কোন আপত্তি বা পরামর্শ থাকিলে উহা প্রাক্-প্রকাশের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।(৪) কর্তৃপক্ষ, প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনা করিয়া উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশের তারিখ হইতে অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে।(৫) সরকার, উপ-ধারা (৪) এর অধীন মহাপরিকল্পনা প্রাপ্ত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উহা অনুমোদন করিবে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উহার চূড়ান্ত প্রকাশ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৩। কর্তৃপক্ষ, সময় সময়, মহাপরিকল্পনা সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবে এবং এইক্ষেত্রে ধারা ১২ এর উপ-ধারা (২), (৩), (৪) ও (৫) এর বিধানাবলী অনুসরণ করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৪। মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন অথবা উহার সংশোধন বা পরিবর্তন গেজেট প্রকাশিত হইবার পূর্বে বা পরে উহা সম্পর্কে কোন আদালতে মামলা করা যাইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৫। (১) কোন ভূমি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাইবে না।(২) কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় সকল সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন এবং নির্মাণ কাজ মহাপরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইতে হইবে।(৩) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ভূমি সংরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত করিবার কারণে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ পাইবার যোগ্য হইবেন না, তবে মহাপরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ভূমিতে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৬। (১) কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনার ভিত্তিতে ইহার আওতাভুক্ত কোন এলাকার জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুত করিয়া উহা অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে।(২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রকাশ করিবে এবং অতঃপর উহা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।(৩) কোন উন্নয়ন বা জনকল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়নকালে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত কোন রাস্তায় বা উহার অংশবিশেষে যানবাহন বা জনসাধারণের চলাচলের উপর কর্তৃপক্ষ সাময়িক বিধি-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে।(৪) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর অধীন সাময়িক বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি উক্ত অঞ্চলের জনসাধারণ এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করিবার নিমিত্ত, অবহিত করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৭। কোন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হইবার পর কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহা সংশোধন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৮। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার কোন অংশে কোন ব্যক্তি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সরকারি বা বেসরকারি কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি সাধারণভাবে কোন ধরনের রাস্তাঘাট ও ইমারত নির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়ন করিতে পারিবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৯। (১) ধারা ১২ ও ১৬ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, জনস্বার্থে, মহাপরিকল্পনার আওতা বহির্ভূত এলাকায় কোন অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রণীত অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এবং মহাপরিকল্পনায় চূড়ান্তভাবে অন্তর্ভুক্ত হইবার পর উক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর থাকিবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২০। (১) কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিনোদন বা পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে।(২) কর্তৃপক্ষ,বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৩১ নং আইন) এর বিধান সাপেক্ষে, ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা জলাধার খননের জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২১। (১) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন কোন ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চত্বর বা উহার কোন অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের কোন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন ভূমি উন্নয়নে প্রয়োজন হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা বা উহার অংশবিশেষ উহার অধীন ন্যস্ত করিবার জন্য উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদান করিবে এবং তদানুসারে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের অধীনে ন্যস্ত হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষের কোন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন ভূমি উন্নয়নের জন্য কোন রাস্তা, চত্বর বা উহার কোন অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত হইলে উক্ত রাস্তা, চত্বর বা উহার কোন অংশবিশেষের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না।(৩) রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশ বিশেষ ব্যতীত অন্য কোন ভূমি বা ইমারত উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্ত হইলে যে উদ্দেশ্যে উক্ত ভূমি বা ইমারত ন্যস্ত করা হইয়াছিল সেই একই উদ্দেশ্যে উন্নয়ন বা ব্যবহার করা হইলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোনরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না :তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে উন্নয়ন বা ব্যবহার করা হইলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে।(৪) এই ধারার অধীন গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা কোন কার্যক্রমের বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে বা মতবিরোধ দেখা দিলে উহা ধারা ৪৬ এ উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২২। (১) কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অথবা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ, ক্রয়, লীজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জন করিতে পারিবে এবং এইরূপ ভূমি কিংবা ভূমির স্বার্থ বিক্রয়, লীজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করিতে পারিবে।(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ভূমি বা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ অর্জন করিবার প্রয়োজন হইলে উহা জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে উহাস্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭(২০১৭ সনের ২১ নং আইন) বা এতদসংক্রান্ত প্রচলিত আইনের বিধান মোতাবেক হুকুম দখল বা অধিগ্রহণ করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৩। (১) সরকার কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার মধ্যে সরকার বা সরকারি কোন সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বা অনুমোদিত কোন উন্নয়ন প্রকল্প এবং সরকারের মালিকানাধীন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের বরাবরে হস্তান্তর করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন হস্তান্তরিত কোন উন্নয়ন প্রকল্পের অবাস্তবায়িত কার্য পূর্ববর্তী অনুমোদিত আকারে অথবা, প্রয়োজনে, কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্পের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিয়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়ন করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৪। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন বা এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অনুমোদিত কোন প্রকল্প বা স্কিম বা উহার কোন অংশ কোন সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকায় থাকিলে, কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহিত পরামর্শক্রমে, উক্ত প্রকল্প বা স্কিম বা উহার অংশ বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যয়িতব্য অর্থ কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পারস্পরিক সম্মতভাবে বহন করিবে।(২) উপ-ধারা ১ এর অধীন কোন প্রকল্প বা স্কিম বাস্তবায়নের জন্য ব্যয়িতব্য খরচ বহনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে উহা ধারা ৪৬ এ উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৫। (১) চেয়ারম্যান বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মচারী, এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকার কোন ভূমিতে নিম্নবর্ণিত যে কোন উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিতে পারিবেন, যথা:(ক) কোন অনুসন্ধান, জরিপ, পরীক্ষা, মূল্যায়ন বা তদন্ত;(খ) ভূমির স্তর গ্রহণ;(গ) নিম্ন স্তরের মাটি খনন বা ছিদ্রকরণ;(ঘ) পূর্ত কাজের চৌহদ্দি ও সীমারেখা নির্ধারণ;(ঙ) চিহ্ন বা নালা কাটিয়া উক্তরূপ স্তর, চৌহদ্দি ও সীমারেখা চিহ্নিতকরণ; অথবা(চ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোন কাজ।(২) সংশ্লিষ্ট ভূমির মালিক বা দখলদারকে উক্ত ভূমিতে প্রবেশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্যূন ২৪ (চবিবশ) ঘন্টা পূর্বে নোটিশ প্রদান করিয়া সূর্যোদয়ের পর ও সূর্যাস্তের পূর্বে যে কোন সময় উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রবেশ করিতে পারিবে।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন কার্যের ফলে যদি ভূমির কোন ক্ষতি হয়, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "বিধি-নিষেধ, অপসারণ, দণ্ড, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "২৬। যদি কোন ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন ভূমি ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৭। (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার মধ্যে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত, কোন ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, জলাধার খনন বা ভরাট, জলাধার হইতে বালি উত্তোলন কিংবা পাহাড় বা টিলা কাটা যাইবে না।(২)Building Construction Act, 1952(Act No. II of 1953) এর বিধান অনুযায়ী কোন ইমারত বা অন্য কোন প্রকার স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ বা জলাধার খননের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফিসহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং এইরূপ আবেদন পাইবার পর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, মহাপরিকল্পনার সহিত সঙ্গতি রাখিয়া, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে, ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ, জলাধার খনন বা এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।(৩) কর্তৃপক্ষের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যে সকল শর্তে উপ-ধারা (২) এর অধীন অনুমতি প্রদান করা হইয়াছিল উহা প্রতিপালন করা হয় নাই বা ভঙ্গ করা হইয়াছে বা ভঙ্গ করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা হইলে কর্তৃপক্ষBuilding Construction Act, 1952(Act No. II of 1953) এর বিধান অনুযায়ী উক্ত অনুমতি বাতিল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।(৪) এই ধারার কোন বিধান বিদ্যমান ইমারত মেরামত বা জলাধার সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।(৫) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৮। (১) কর্তৃপক্ষ, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অননুমোদিত নির্মাণাধীন কোন ইমারতের নির্মাণ কাজ স্থগিত বা কোন নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ করিবার জন্য উহার মালিককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্মাণাধীন কোন ইমারতের মালিককে নির্দেশ প্রদান করা হইলে উক্ত ইমারতের মালিক নন এমন কোন ব্যক্তি সেখানে বসবাস করিলে তাহাকেও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ইমারত ত্যাগ করিবার জন্য কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রদান করিতে পারিবে।(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, নির্মাণ কাজ স্থগিত করা না হইলে বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনা অপসারণ করা না হইলে অথবা সংশ্লিষ্ট বসবাসকারী উক্ত ইমারত পরিত্যাগ না করিলে কর্তৃপক্ষ, স্ব-উদ্যোগে, উক্ত ইমারত বা স্থাপনা অপসারণ করিতে অথবা সংশ্লিষ্ট বসবাসকারীকে উচ্ছেদ করিতে পারিবে এবং উক্ত অপসারণ বা উচ্ছেদ কার্যক্রমের আনুষঙ্গিক ব্যয়ের সমুদয় অর্থ সংশ্লিষ্ট মালিক বা ব্যক্তির নিকট হইতে নগদ আদায় করিবে।(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত অর্থ সংশ্লিষ্ট মালিক বা ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ না করিলে উহাPublic Demands Recovery Act, 1913(Act No. III of 1913) এর বিধান অনুযায়ী সরকারি দাবী হিসাবে আদায় করা যাইবে।(৫) উপ-ধারা (১) এর বিধান বিদ্যমান ইমারত সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।(৬) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৯। (১) কর্তৃপক্ষ, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অননুমোদিত কোন জলাধারের খনন বা ভরাটের কাজ স্থগিত বা বন্ধ করিবার বা টিলা কাটিবার কাজ স্থগিত বা বন্ধ করিবার জন্য উহার মালিক বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান বিদ্যমান জলাধার সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।(৩) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩০। এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিপরীতে ক্ষতিপূরণের দাবী উত্থাপন করা যাইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩১। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের আওতাধীন এলাকায় সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে, কোন ইমারত নির্মাণ বা জলাধার খননের অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে না।(২) উপ-ধারা (১) এর ব্যত্যয় ঘটাইয়া কোন নির্মাণ বা কাজ খননের অনুমতি প্রদান করা হইলে উহা বে-আইনি ও ক্ষমতা বহির্ভূত হিসাবে গণ্য হইবে অথবা অনুরূপ অনুমতির মাধ্যমে কৃত কার্যক্রম অননুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে :তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, সংশোধন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩২। (১) এই আইনের আওতাধীন কোন এলাকার নীচু ভূমি ভরাট বা উঁচু করা বা কোন উপায়ে কোন জলাধারের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাইবে না।(২) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৩। ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (৩), ধারা ২৭ এর উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এবং ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ প্রদানের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল করা যাইবে এবং বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল করা যাইবে এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন কর, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৩৪। কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্তকৃত সকল রাস্তা, চত্বর, ইমারত, ভূমি অথবা উহার অংশ বিশেষ কর্তৃপক্ষ নিজে অথবা প্রয়োজনে, কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সহিত যৌথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৫। মহাপরিকল্পনা বা অন্তর্বর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনাভুক্ত কোন প্রকল্পের কাজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সমাপ্ত হইবার পর, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত প্রকল্পের অধীন সমাপ্ত অবকাঠামো যথা:- উদ্যান, রাস্তা, নর্দমা এবং অনুরূপ অন্যান্য সেবা ও সুবিধাসমূহ স্থানীয় কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ন্যস্ত করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৬। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোন ইমারত অধিগ্রহণ করা হইলে এবং কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত ইমারত ন্যস্ত হইলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে উদ্দেশ্যে উক্ত ইমারত অধিগ্রহণ করা হইয়াছে, উহা ব্যতীত ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হইলে বা কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া প্রদান করা হইলে সাধারণ হারে, ক্ষেত্রমত, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ হোল্ডিং ট্যাক্স এবং অন্যান্য করসমূহ পরিশোধ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৭। (১) কর্তৃপক্ষ তদকর্তৃক গৃহীত কোন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে উক্ত এলাকার কোন ভূমির মূল্য বৃদ্ধি পাইয়াছে বা পাইবে বলিয়া মনে করিলে উক্ত ভূমির মালিক বা ভূমির স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এমন ব্যক্তিবর্গের উপর ভূমির মূল্য বৃদ্ধির অনুপাতে উন্নয়ন কর ধার্য করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত উন্নয়ন কর বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধার্য, নির্ধারণ ও আদায় করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "তহবিল, হিসাবরক্ষণ, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৩৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তহবিল নামে কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে।(২) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা তহবিল গঠিত হইবে, যথাঃ-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোন বিদেশি সরকার, সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান;(গ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হইতে প্রাপ্ত অনুদান;(ঘ) গৃহীত ঋণ;(ঙ) কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং নিজস্ব আয়;(চ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংগৃহীত ফি, চার্জ, ইত্যাদি; এবং(ছ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অনুদান।(৩) কর্তৃপক্ষের তহবিল কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা পরিচালনা করিতে হইবে।(৪) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সদস্য, কমিটির সদস্য, সচিব ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি, সম্মানী এবং কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী পরিচালনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে :তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে এতদ্সংশ্লিষ্ট প্রচলিত বিধি-বিধান ও নিয়ম-নীতি অনুসরণ করিতে হইবে।(৫) প্রত্যেক অর্থ বৎসরে উহার সকল ব্যয় নির্বাহের পর কর্তৃপক্ষ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখিয়া তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবে জমা প্রদান করিবে।ব্যাখ্যা।- এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘তফসিলি ব্যাংক’’ বলিতেBangladesh Bank Order, 1972(President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত ‘‘Scheduled Bank” ।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উহা পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪০। কর্তৃপক্ষ কোন অর্থ বৎসর শুরুর ১২০ (একশত বিশ) দিন পূর্বে অথবা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪১। (১) কর্তৃপক্ষ, যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ এবং হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করিবে।(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের অনুলিপি কর্তৃপক্ষ ও সরকারের নিকট পেশ করিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোন আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াওBangladesh Chartered Accountants Order, 1973(President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2 (1) (b) এ সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিতে হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।(৫) কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউনটেন্ট কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের যে কোন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।(৬) এই ধারার বিধানাবলী প্রয়োগের ক্ষেত্রেফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫(২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর বিধানাবলী, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অনুসরণ করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪২। এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কোন অর্থ পাওনা থাকিলে উহা সরকারি দাবি হিসাবেPublic Demands Recovery Act, 1913(Act No. III of 1913) এর বিধান অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৪৩। (১) কর্তৃপক্ষের একজন সচিব থাকিবেন।(২) সচিব সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৪। (১) কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।(২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৫। কর্তৃপক্ষের সকল সদস্য, সচিব, কর্মচারী এবং কর্তৃপক্ষের পক্ষে কোন কাজ করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তিPenal Code, 1860(Act No. XLV of 1860) এর Section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (Public Servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "বিবিধ",
|
|
"section_content": "৪৬। এই আইনের অন্য কোন বিধানে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহমোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৭। এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী বা অন্য কোন ব্যক্তি আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে এবং আদালত উক্ত অভিযোগ আমলে গ্রহণ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প বা অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা কোন কার্যক্রমের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোন সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে উহা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে আপোষ মীমাংসা না হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত বিরোধের বিষয়টি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সরকার উক্ত সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষ, যেক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য, এর সহিত পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে উহা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৯। (১) কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলীর উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে।(২) সরকার প্রয়োজনমত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে যে কোন সময় কর্তৃপক্ষের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫১। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, কর্তৃপক্ষ উহার যে কোন ক্ষমতা চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য বা কর্তৃপক্ষের অন্য কোন কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সময় সময়, কর্তৃপক্ষকে যে কোন নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৫। (১)Rajshahi Town Development Authority Ordinance, 1976(Ordinance No. LXXVIII of 1976), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Ordinance এর অধীন কৃত কোন কাজ বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা, প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধান, ইস্যুকৃত কোন আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট প্রাক্কলন, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রণীত, ইস্যুকৃত, প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।(৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Rajshahi Town Development Authority এর-(ক) সকল সম্পদ, অধিকার ও স্বার্থ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং সিকিউরিটিসহ স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ অন্য সকল দাবি ও অধিকার, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং অন্যান্য দলিলপত্র কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত ও উহার উপর ন্যস্ত হইবে;(খ) সকল ঋণ, দায়-দায়িত্ব, গৃহীত বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায়-দায়িত্ব, বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;(গ) বিরুদ্ধে বা তদ্কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;(ঘ) সকল কর্মচারী কর্তৃপক্ষের কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন সেই সকল শর্তে নিযুক্ত থাকিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহাদের চাকরির শর্তাবলী পরিবর্তিত হয়।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।"
|
|
}
|
|
],
|
|
"footnotes": [],
|
|
"copyright_info": {
|
|
"copyright_text": "Copyright©2019, Legislative and Parliamentary Affairs DivisionMinistry of Law, Justice and Parliamentary Affairs"
|
|
},
|
|
"source_url": "http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-1225.html",
|
|
"fetch_timestamp": "2025-07-19 02:36:55",
|
|
"csv_metadata": {
|
|
"act_title_from_csv": "রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮",
|
|
"act_no_from_csv": "৩",
|
|
"act_year_from_csv": "২০১৮",
|
|
"is_repealed": false
|
|
},
|
|
"token_count": 4720,
|
|
"language": "bengali",
|
|
"government_context": {
|
|
"govt_system": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
|
|
"position_head_govt": "Prime Minister",
|
|
"head_govt_name": "Sheikh Hasina",
|
|
"head_govt_designation": "Prime Minister of Bangladesh",
|
|
"how_got_power": "Democratic election (2009), subsequent controversial elections (2014, 2018, 2024)",
|
|
"period_years": "2009-2024",
|
|
"years_in_power": 15
|
|
},
|
|
"processing_info": {
|
|
"processed_timestamp": "2025-07-19 19:33:19",
|
|
"enhanced_with_reducer": true,
|
|
"enhanced_with_govt_context": true,
|
|
"language_detected": "bengali",
|
|
"token_count": 4605,
|
|
"legal_context_added": true,
|
|
"legal_context_timestamp": "2025-07-19 20:26:25",
|
|
"year_standardized": true,
|
|
"year_standardization_timestamp": "2025-07-19 20:35:52",
|
|
"legal_context_recovery_attempted": true,
|
|
"legal_context_recovery_timestamp": "2025-07-19 20:42:51",
|
|
"token_count_updated": true,
|
|
"token_count_update_timestamp": "2025-07-19 20:56:02",
|
|
"previous_token_count": 4605,
|
|
"accurate_token_count": 4720
|
|
},
|
|
"legal_system_context": {
|
|
"period_info": {
|
|
"period_name": "Awami League Dominance",
|
|
"year_range": "2008-2024",
|
|
"act_year": 2018
|
|
},
|
|
"legal_framework": {
|
|
"primary_laws": [
|
|
"15th Amendment (2011)",
|
|
"Cyber Security Act 2023",
|
|
"Digital Security Act",
|
|
"International Crimes Tribunal Act"
|
|
],
|
|
"court_system": [
|
|
"Supreme Court",
|
|
"High Court Division",
|
|
"Specialized Tribunals"
|
|
],
|
|
"legal_basis": "Constitutional parliamentary system",
|
|
"enforcement_mechanism": "Politicized judicial system"
|
|
},
|
|
"government_system": {
|
|
"type": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
|
|
"structure": "Single-party dominance",
|
|
"revenue_collection": "Modernized tax system",
|
|
"administrative_units": [
|
|
"8 Divisions",
|
|
"64 Districts",
|
|
"492 Upazilas",
|
|
"4,554 Unions"
|
|
]
|
|
},
|
|
"policing_system": {
|
|
"law_enforcement": "Politicized police force",
|
|
"military_police": "RAB, Police, Border Guards",
|
|
"jurisdiction": "Centralized political control"
|
|
},
|
|
"land_relations": {
|
|
"tenure_system": "Market-based with disputes",
|
|
"property_rights": "Development-focused acquisition",
|
|
"revenue_system": "Digital land records",
|
|
"peasant_status": "Modernization and displacement issues"
|
|
},
|
|
"key_characteristics": [
|
|
"Caretaker system abolition",
|
|
"War crimes tribunals",
|
|
"Digital governance initiatives",
|
|
"Authoritarian drift",
|
|
"Student movement repressions"
|
|
],
|
|
"context_added_timestamp": "2025-07-19 20:42:51",
|
|
"recovery_note": "Legal context added after year translation recovery"
|
|
}
|
|
} |