|
{
|
|
"act_title": "গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন, ২০১৮",
|
|
"act_no": "১৯",
|
|
"act_year": "2018",
|
|
"publication_date": "19/07/2025",
|
|
"sections": [
|
|
{
|
|
"section_title": "প্রারম্ভিক",
|
|
"section_content": "১। (১) এই আইনগাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন, ২০১৮নামে অভিহিত হইবে।(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।(৩) এই আইন গাজীপুর মহানগরী এলাকায় প্রযোজ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(ক) ‘‘অধস্তন অফিসার’’ অর্থ সহকারী পুলিশ কমিশনারের অধস্তন যে কোনো পুলিশ অফিসার;(খ) ‘‘ঊর্ধ্বতন অফিসার’’ অর্থ পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার;(গ) ‘‘গবাদি পশু’’ অর্থে হাতি, ঘোড়া, উট, গাধা, খচ্চর, গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগল এবং শুকর শ্রেণিভুক্ত সকল পশু অন্তর্ভুক্ত হইবে;(ঘ) ‘‘গাজীপুর মহানগরী এলাকা’’ বা ‘‘মহানগরী এলাকা’’ অর্থ এই আইনের প্রথম তপশিলে বর্ণিত এলাকা;(ঙ) ‘‘জনসাধারণের প্রমোদাগার’’ অর্থ এমন স্থান যেখানে খেলাধুলা, বাদ্য, সংগীত, নৃত্য বা চিত্তবিনোদনমূলক অন্য কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা থাকে এবং অর্থের বিনিময়ে জনসাধারণকে প্রবেশাধিকার প্রদান করা হয়, এবং ঘোড়-দৌঁড়ের মাঠ, সার্কাস, নাট্যশালা, সিনেমাহল, সংগীতালয়, বিলিয়ার্ড কক্ষ, ব্যায়ামাগার, সুইমিং পুল বা নৃত্যশালাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(চ) ‘‘পুলিশ আইন’’ অর্থPolice Act, 1861(Act V of 1861);(ছ) ‘‘পুলিশ কমিশনার’’, ‘‘অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার’’, ‘‘যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার’’, ‘‘উপ-পুলিশ কমিশনার’’ ‘‘অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার’’, ‘‘সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার’’ এবং ‘‘সহকারী পুলিশ কমিশনার’’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন নিযুক্ত যথাক্রমে পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার;(জ) ‘‘পুলিশ অফিসার’’ অর্থ এই আইনের অধীন নিযুক্ত বাহিনীর যে কোনো সদস্য এবং ধারা ১০ এর অধীন নিযুক্ত কোনো সহায়ক পুলিশ অফিসার এবং এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনরত অন্য কোনো পুলিশ বাহিনীর সদস্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;(ঝ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(ঞ) ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি’’ অর্থCode of Criminal Procedure, 1898(Act V of 1898);(ট) ‘‘বাহিনী’’ অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত গাজীপুর মহানগরী পুলিশ বাহিনী;(ঠ) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(ড) ‘‘মহা-পুলিশ পরিদর্শক’’ অর্থ পুলিশ আইনের অধীন নিযুক্ত Inspector General of Police;(ঢ) ‘‘যানবাহন’’ অর্থ যে কোনো প্রকারের গাড়ি, গরু বা ঘোড়ার গাড়ি, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি, মালবাহী গাড়ি, বাই-সাইকেল, ট্রাই-সাইকেল, মোটর সাইকেল, মোটর গাড়ি, ব্যাটারি চালিত গাড়ি, বাস, টেম্পু, ট্রাক, রিকশা বা রাস্তায় চলাচলের উপযোগী চাকাযুক্ত যে কোনো প্রকারের বাহন, এবং ট্রেন, মেট্রো রেল, জাহাজ, লঞ্চ, ট্রলার, নৌকা, সাম্পান, ফেরি ও উড়োজাহাজও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(ণ) ‘‘রাস্তা’’ অর্থ সর্বসাধারণের সরাসরি চলাচলের অধিকার রহিয়াছে এমন কোনো সড়ক, গলি, পায়ে হাঁটা পথ, প্রাঙ্গণ, সংকীর্ণ পথ বা প্রবেশ পথ, সরাসরি চলাচলের জন্য উপযুক্ত হউক বা না হউক।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩। এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, গাজীপুর মহানগরী এলাকায় পুলিশ আইন প্রযোজ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১০ এর উপ-ধারা (৭) এর ক্ষমতাবলে, সরকার, এই বিধান করিল যে, এই আইনের বা উহার অধীন ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, গাজীপুর মহানগরী এলাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কর্তৃত্বধীন থাকিবে না:তবে শর্ত থাকে যে গাজীপুর মহানগরী এলাকায় ফৌজদারি বিচার কার্য সম্পন্নের জন্য যতদিন পর্যন্ত উপযুক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থাপন না হইবে, ততদিন পর্যন্ত উক্ত এলাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর বিচারিক দায়িত্বে থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "গাজীপুর মহানগরী পুলিশ বাহিনীর গঠন",
|
|
"section_content": "৫। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার সমন্বয়ে, গাজীপুর মহানগরী এলাকার জন্য গাজীপুর মহানগরী পুলিশ নামে, একটি স্বতন্ত্র পুলিশ বাহিনী গঠিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬। ধারা ৫ এর অধীন গঠিত বাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানের কর্তৃত্ব সরকারের উপর থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭। (১) সরকার একজন পুলিশ কমিশনার নিয়োগ করিবে, যিনি মহা-পুলিশ পরিদর্শকের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, এই আইন দ্বারা বা উহার অধীন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।(২) সরকার এক বা একাধিক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার নিয়োগ করিতে পারিবে, যাহারা পুলিশ কমিশনারকে তাহার ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালনে সাহায্য করিবেন এবং পুলিশ কমিশনার কর্তৃক তাহাদের উপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।(৩) পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে নিযুক্ত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮। (১) বাহিনীতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক পুলিশ পরিদর্শক এবং অন্যান্য অধস্তন পুলিশ অফিসার থাকিবে।(২) মহা-পুলিশ পরিদর্শক কর্তৃক পুলিশ পরিদর্শক নিযুক্ত হইবেন এবং অন্যান্য অধস্তন পুলিশ অফিসার মহা-পুলিশ পরিদর্শক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পদের নিম্নে নহেন এমন ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।(৩) অধস্তন পুলিশ অফিসার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে নিযুক্ত হইবেন।(৪) নিযুক্ত হইবার পর প্রত্যেক অধস্তন পুলিশ অফিসার এই আইনের দ্বিতীয় তপশিলে বর্ণিত ফরমেট অনুযায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি সনদ প্রাপ্ত হইবেন।(৫) কোনো অধস্তন পুলিশ অফিসারের অনুকূলে উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী সনদ প্রদত্ত হইলে, বাহিনীতে তাহার চাকরি অবসান হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত সনদ বাতিল হইয়া যাইবে এবং বাহিনীর চাকরি হইতে সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে উহার কার্যকারিতা স্থগিত থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯। এই আইন, পুলিশ আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুন না কেন, সরকার বা মহা-পুলিশ পরিদর্শক এই আইনের অধীন নিযুক্ত কোনো পুলিশ অফিসারকে পুলিশ আইনের অধীন গঠিত পুলিশ বাহিনীতে এবং পুলিশ আইনের অধীন নিযুক্ত কোনো পুলিশ অফিসারকে এই আইনের অধীন গঠিত পুলিশ বাহিনীতে বদলি করিতে পারিবেন, এবং অনুরূপ বদলির পর বদলিকৃত পুলিশ অফিসার যে পুলিশ বাহিনীতে বদলি হইয়াছেন সেই বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য আইনের অধীন একজন পুলিশ অফিসার বলিয়া গণ্য হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০। (১) বাহিনীর স্বার্থে পুলিশ কমিশনারের বিবেচনায় যদি কোনো ব্যক্তির সাহায্য প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, সহায়ক পুলিশ অফিসার হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবেন।(২) নিযুক্ত হইবার পর, প্রত্যেক সহায়ক পুলিশ অফিসার-(ক) এই আইনের দ্বিতীয় তপশিলে বর্ণিত ফরম অনুযায়ী একটি সনদ প্রাপ্ত হইবেন;(খ) অন্য যে কোনো পুলিশ অফিসারের অনুরূপ ক্ষমতা ও সুবিধাদি ভোগ করিবেন এবং দায়িত্ব পালন করিবেন;(গ) অন্য যে কোনো পুলিশ অফিসারের জন্য যে শাস্তির বিধান রহিয়াছে সেই শাস্তির বিধানের আওতায় থাকিবেন; এবং(ঘ) অন্য যে কোনো পুলিশ অফিসার যে কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বাধীন থাকিবেন, সেইরূপ কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বাধীন থাকিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "বাহিনীর প্রশাসন",
|
|
"section_content": "১১। পুলিশ কমিশনার এই আইন ও তদধীন প্রণীত কোনো বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে আদেশ জারি করিতে পারিবেন, যথা:-(ক) বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব এবং উহা পালনের পদ্ধতি ও শর্ত;(খ) বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র, পোশাক ও বস্ত্রাদি এবং উহার পরিমাণ;(গ) বাহিনীর দক্ষতা ও শৃঙ্খলা;(ঘ) পুলিশ অফিসারের ক্ষমতার অপব্যবহার ও কর্তব্যে অবহেলা নিরোধ;(ঙ) বাহিনী পরিদর্শন;(চ) পুলিশ অফিসার কর্তৃক সংবাদ ও গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং অবহিতকরণ;(ছ) বাহিনীর সদস্যদের আবাসস্থল; এবং(জ) বাহিনীর প্রশাসন ও কল্যাণের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো তহবিল গঠন, ব্যাবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১২। (১)গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৫ অনুচ্ছেদের বিধান এবং কোনো বিধি সাপেক্ষে, পুলিশ কমিশনার বা তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ঊর্ধ্বতন অফিসার কোনো অধস্তন অফিসারকে অবাধ্যতা, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, দুর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা বা কর্তব্য পালনে শিথিলতা অথবা অন্য কোনো কার্যের কারণে কর্তব্য পালনে অযোগ্য প্রতিপন্ন করিবার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করিলে, তাহাকে লিখিত আদেশ দ্বারা কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, নিম্নবর্ণিত যে কোনো এক বা একাধিক শাস্তি প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-(ক) চাকরি হইতে বরখাস্তকরণ (Dismissal from Service);(খ) চাকরি হইতে অপসারণ (Removal from service);(গ) বাধ্যতামূলক অবসর (Compulsory Retirement);(ঘ) পদাবনতি (Reduction in Rank);(ঙ) পদোন্নতি বন্ধকরণ (Barring Promotion);(চ) অনূর্ধ্ব এক বৎসরের জ্যেষ্ঠতা বাজেয়াপ্তকরণ (Forfeiture of Seniority for maximum one year);(ছ) অনূর্ধ্ব এক মাসের বেতন ও ভাতাদি বাজেয়াপ্তকরণ;(জ) বেতন বৃদ্ধি বন্ধকরণ;(ঝ) অনূর্ধ্ব এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ টাকা জরিমানা;(ঞ) অনূর্ধ্ব ৩০ (ত্রিশ) দিনের জন্য কোয়ার্টার গার্ডে আটকাই রাখা;(ট) অনূর্ধ্ব ৩০ (ত্রিশ) দিনের জন্য পুলিশ লাইনে আটক রাখা এবং তৎসহ এক্সট্রা ড্রিল (Extra Drill), এক্সট্রা গার্ড (Extra Guard), ফ্যাটিগ (Fatigue) বা অন্য কোনো ডিউটি প্রদান;(ঠ) তিরস্কার; এবং(ড) দৈনিক ২(দুই) ঘণ্টা করিয়া অনূর্ধ্ব ১৪ (চৌদ্দ) দিনের জন্য শাস্তিস্বরুপ ড্রিল (Drill) প্রদান।ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-(ক) ‘‘অসদাচরণ’’ বলিতে চাকরির শৃঙ্খলা ও নিয়মের হানিকর বা ভীরুতার দায়ে দোষী বা কোনো অফিসার, কর্মচারী বা ভদ্রজনের পক্ষে শোভনীয় নয় এমন অথবা আপাতত বলবৎ সরকারি কর্মচারী আচরণ সংক্রান্ত বিধি-বিধানের পরিপন্থি কোনো আচরণকে বুঝাইবে; এবং(খ) ‘‘দুর্নীতি’’ বলিতে অন্যায়ভাবে লাভবান হইবার জন্য সরকারি অফিসে ক্ষমতা বা পদের অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ ও প্রদান, সরকারি কর্মচারী কর্তৃক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে কোনো মূল্যবান বস্তু বিনামূল্যে গ্রহণ, কোনো সরকারি কর্মচারী বেআইনিভাবে কোনো ব্যবসায়ে সম্পৃক্ত হওয়া, অসাধুভাবে সম্পত্তি আস্তসাৎকরণ, দুর্নীতিতে সহায়তা, ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা এবং জ্ঞাত আয়ের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন আয়েশী জীবন-যাপনকে বুঝাইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পুলিশ কমিশনারের ক্ষমতাসমূহ, পুলিশ পরিদর্শক ব্যতীত অন্য কোনো অধস্তন অফিসারের ক্ষেত্রে, উপ-পুলিশ কমিশনারের অধস্তন নয় এমন ঊর্ধ্বতন অফিসার কর্তৃক প্রয়োগ করা যাইবে।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন যাহার বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ বা তদন্ত করা প্রয়োজন, এমন যে কোনো অধস্তন অফিসারকে পুলিশ কমিশনার বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো ঊর্ধ্বতন অফিসার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৩। (১) ছুটিতে বা সাময়িক বরখাস্তকৃত নন এমন প্রত্যেক পুলিশ অফিসার সার্বক্ষণিক কর্তব্যরত বলিয়া গণ্য হইবেন।(২) এই আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মহা-পুলিশ পরিদর্শকের নির্দেশে যে কোনো পুলিশ অফিসার মহানগরী এলাকার বাহিরে যে কোনো স্থানে পুলিশের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত হইতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৪। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন নহে এমন অফিসারের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কোন অধস্তন অফিসার পদত্যাগ করিতে অথবা কর্তব্য হইতে নিজেকে প্রত্যাহার করিতে পারিবেন না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "পুলিশ অফিসারের ক্ষমতা ও কর্তব্য",
|
|
"section_content": "১৫। প্রত্যেক পুলিশ অফিসারের সাধারণ দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা:-(ক) যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহার নিকট প্রদত্ত আইনানুগ সমন জারি, পরোয়ানা বা অন্যবিধ আদেশ কার্যকর করা এবং ঊর্ধ্বতন অফিসারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করিবার জন্য আইনসম্মতভাবে চেষ্টা করা;(খ) বিচারার্থ গ্রহণযোগ্য সংঘটিত এবং সংঘটিত হইতে পারে এমন অপরাধের সূত্র উপস্থাপনের জন্য তাহার সর্বশক্তি নিয়োগ ও তৎসম্পর্কিত গোপন তথ্য অনুসন্ধান করা, অপরাধীদের বিচার এবং উক্তরূপ অপরাধ এবং বিচারার্থ গ্রহণযোগ্য নয় এমন অপরাধ নিরোধের জন্য এই আইনের বিধানাবলি ও ঊর্ধ্বতন অফিসারের আদেশ মোতাবেক প্রাপ্ত তথ্য সরবরাহ এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা;(গ) গণউৎপাত (nuisance) সংঘটনের চেষ্টা যথাসাধ্য প্রতিহত করা;(ঘ) যাহাদিগকে গ্রেফতার করিবার জন্য তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং যাহাদিগকে গ্রেফতার করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে তাহাদিগকে অযৌক্তিকভাবে বিলম্ব না করিয়া গ্রেফতার করা;(ঙ) কোনো অফিসার কর্তৃক অনুরোধ করা হইলে, সেই অফিসারকে আইনানুগ এবং যুক্তিসংগত সাহায্য প্রদান করা; এবং(চ) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন দ্বারা তাহার উপর প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করা।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৬। জনগণ এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের প্রতি পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা:-(ক) রাস্তাঘাটে দৈহিকভাবে অক্ষম ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে, যতদূর সম্ভব, সহায়তা প্রদান করা এবং কোন ব্যক্তি তাহার নিকট বিপজ্জনক, মাতাল বা নিজের নিরাপত্তার প্রতি অমনোযোগী ও উম্মাদ বিবেচিত হইলে উক্ত ব্যক্তির দায়িত্ব গ্রহণ করা;(খ) গ্রেফতারকৃত আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য সংগ্রহের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করা এবং অনুরূপ ব্যক্তির প্রহরায় নিযুক্ত থাকাকালে তাহার অবস্থার প্রতি যত্নবান হওয়া;(গ) গ্রেফতারকৃত বা জিম্মায় রাখা হইয়াছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যথোপযুক্ত আহার্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা;(ঘ) তল্লাশি করিবার সময় দুর্ব্যবহার পরিহার করা এবং বিরক্তিকর আচরণের কারণ না হওয়া;(ঙ) মহিলা ও শিশুদের সহিত ব্যবহারের সময়, শালীনতাপূর্ণ আচরণ কঠোরভাবে মানিয়া চলা এবং যুক্তিসংগত ভদ্র ব্যবহার করা;(চ) অগ্নিকাণ্ডের সময় ক্ষয়ক্ষতি রোধ করিবার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করা; এবং(ছ) সর্বসাধারণের দুর্ঘটনা বা বিপদ পরিহারের জন্য সাধ্যমত কাজ করা।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৭। রাস্তায় পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা :-(ক) যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা;(খ) রাস্তায় অবৈধ নির্মাণ কার্য রোধ করা;(গ) রাস্তায় বা রাস্তার সন্নিকটে এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান বা প্রদত্ত কোনো আদেশের বিধান যাহাতে কেহ ভঙ্গ করিতে না পারে সেই জন্য চেষ্টা করা;(ঘ) রাস্তায়, সর্বসাধারণের ব্যবহার্য জায়গায়, মেলায়, পার্কে ও সর্বসাধারণের সম্মিলিত হওয়ার অন্যান্য সকল জায়গায় এবং সর্বসাধারণের প্রার্থনার স্থানসমূহের আশেপাশে শৃঙ্খলা বজায় রাখা; এবং(ঙ) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীবাহী নৌকায় বিপজ্জনকভাবে বা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই রোধ এবং অনুরূপ যে কোনো স্থানে বা নৌকায় কোনো আইন বা আইনানুগ বিধি, আদেশ, ইত্যাদি লঙ্ঘন রোধ করা।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৮। এই আইনের দ্বারা প্রদত্ত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে পুলিশ অফিসারের যে কোনো আইনসঙ্গত নির্দেশ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি মানিতে বাধ্য থাকিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৯। ধারা ১৮ এ উল্লিখিত নির্দেশ পালনে বাধা প্রদান, অস্বীকার করা বা অপারগতার জন্য পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করিতে বা, ক্ষেত্রমত, বিতাড়িত করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থিত করিতে অথবা, ঘটনাটি নগণ্য হইলে উক্ত ব্যক্তিকে মুক্ত করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২০। এই আইন অনুযায়ী কোনো পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যে কোনো তথ্য পেশ করিতে ও অপরাধীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২১। রাস্তায় বা সর্বসাধারণের সমবেত হইবার কোনো স্থানে কোনো ব্যক্তির নিকট চোরাইমাল, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য রহিয়াছে বলিয়া কোন পুলিশ অফিসার যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করিলে, তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তল্লাশি করিতে ও তৎসম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে তাহার বক্তব্য মিথ্যা বা সন্দেহজনক বলিয়া পুলিশ অফিসার মনে করিলে, তিনি প্রাপ্ত মালামাল আটক করিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ঘটনাটির উপর রিপোর্ট দায়ের করিবেন এবং আটককৃত ব্যক্তিকে আলামতসহ (চোরাইমাল, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্যসহ) ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করিবেন, অতঃপর ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৫২৩ এবং ৫২৫ এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২২। (১) যে ক্ষেত্রে ধারা ২৮, ৩০, ৩২ ও ৩৩ এর অধীন কোনো নির্দেশ প্রদান বা জারি করা হয় অথবা ধারা ২৯ ও ৩১ এর অধীন কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রচার বা জারি করা হয়, সেইক্ষেত্রে উক্তরূপ নির্দেশ বা বিজ্ঞপ্তির পরিপন্থি কোনো কাজ করা হইতে কোনো ব্যক্তিকে বিরত রাখা পুলিশ অফিসারের পক্ষে আইনসম্মত হইবে এবং পুলিশ অফিসার আদেশ অমান্যকারীকে গ্রেফতার করিতে এবং অনুরূপ নির্দেশ বা বিজ্ঞপ্তি অমান্য করিবার লক্ষ্যে ব্যবহৃত দ্রব্য বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত দ্রব্য আটক করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা ১ এর অধীন আটককৃত দ্রব্য ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী নিষ্পত্তি (Dispose of) হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৩। (১) নিম্নবর্ণিত সম্পত্তির সাময়িকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করা পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হইবে, যথা :-(ক) তাহার গোচরীভূত হইয়াছে বা তাহার নিকট আনীত হইয়াছে এইরূপ বেওয়ারিশ অস্থাবর সম্পত্তি; এবং(খ) সম্পত্তির মালিক বা দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি কর্তৃক অপসারণ করিতে অস্বীকার করিবার ক্ষেত্রে বা অপসারণ না করিবার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে বা রাস্তায় পড়িয়া থাকা অস্থাবর সম্পত্তি।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো সম্পত্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি হস্তান্তর করিবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের নিকট বিষয়টি রিপোর্ট করিবেন।(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সম্পত্তি কোনো মালিকানাবিহীন বা মৃত ব্যক্তির বলিয়া যৌক্তিক কারণ থাকিলে এবং উহার মূল্য ৫(পাঁচ) হাজার টাকার কম না হইলে, পুলিশ কমিশনার বিষয়টি এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেলের গোচরীভূত করিবেন, যাহাতে (Administrator General's Act, 1913(Act III of 1913) বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন উক্ত সম্পত্তির বন্দোবস্ত করা যায়।(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বিবরণ প্রদান করিয়া এই মর্মে একটি ঘোষণা জারি করিবেন যে, উহার দাবিদার যেন ঘোষণা জারির ৩(তিন) মাসের মধ্যে তাহার বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো পুলিশ অফিসারের নিকট উপস্থিত হইয়া সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দাবি প্রমাণ করেন।(৫) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সম্পত্তির বা উহার কোনো অংশবিশেষ দ্রুত ও স্বাভাবিকভাবে বিনষ্ট হইবার মত হইলে, বা উহাতে গবাদি পশু থাকিলে, বা উহার মূল্য ৫(পাঁচ) হাজার টাকার কম বলিয়া অনুমিত হইলে, উহা অনতিবিলম্বে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ মোতাবেক নিলামে বিক্রয় করা যাইবে, এবং অনুরূপ সম্পত্তি বিলিবণ্টনের জন্য এই আইনের বিধান মোতাবেক বিক্রয়লব্ধ অর্থ বিলিবণ্টন করা হইবে।(৬) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সম্পত্তি সম্পর্কে দাবিদারের যৌক্তিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হইবার পর পুলিশ কমিশনার পুলিশ কর্তৃক উহা আটক ও সংরক্ষণের জন্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় হইয়াছে তাহা কর্তন সাপেক্ষে, উক্ত দ্রব্য দাবিদারকে প্রত্যার্পণের নির্দেশ প্রদান করিবেন।(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আদেশ প্রদানের পূর্বে পুলিশ কমিশনার যেভাবে যথাযথ মনে করিবেন সেইভাবে যে ব্যক্তিকে সম্পত্তি ফেরত প্রদান করা হইতেছে তাহার নিকট হইতে জামানত গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে ব্যক্তির নিকট সম্পত্তি হস্তান্তর করা হইতেছে তাহার নিকট হইতে উহার সম্পূর্ণ অংশ অথবা অংশবিশেষ উদ্ধারের জন্য কোনো ব্যক্তির অধিকার থাকিলে সেই অধিকার কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ হইবে না।(৮) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে অনুরূপ সম্পত্তির বিষয়ে কোনোরূপ দাবি পেশ না করেন, তাহা হইলে উহা সরকারি হেফাজতে থাকিবে এবং উহা অথবা উহার অংশবিশেষ উপ-ধারা (৫) এর অধীন বিক্রয় না হইয়া থাকিলে, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশক্রমে উহা নিলামে বিক্রয় করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৪। কোনো গবাদি পশু রাস্তায় বেওয়ারিশভাবে ঘোরাফেরা করিতে থাকিলে অথবা কোনো সরকারি সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিলে, পুলিশ অফিসার সেই গবাদি পশু খোয়াড়ে রাখিবার জন্য আটক করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৫। কোনো পুলিশ অফিসার যদি কোনো রাস্তা বা প্রকাশ্য স্থানে কোনো অসুস্থ, জখমপ্রাপ্ত বা দৈহিকভাবে অক্ষম জীবজন্তু দেখিতে পান এবং তিনি যদি মনে করেন যে, সংশ্লিষ্ট জন্তুটি নিধন করা প্রয়োজন এবং যে ক্ষেত্রে উক্ত জন্তুর মালিক অনুপস্থিত থাকেন বা নিধনের সম্মতি না দেন, সেই ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি পশু চিকিৎসককে তলব করিবেন এবং সরকারি পশু চিকিৎসক যদি প্রত্যয়ন করেন যে, সংশ্লিষ্ট জন্তুটি এতই অসুস্থ বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত বা এমনই দুরবস্থাগ্রস্ত হইয়াছে যে, উহাকে জীবিত রাখা জনস্বার্থে ক্ষতিকর, তাহা হইলে পুলিশ অফিসার মালিকের আপত্তি সত্ত্বেও উক্ত জন্তুটিকে নিধন করিতে বা নিধনের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি পশু চিকিৎসক যদি মনে করেন যে, গুরুতর কষ্ট প্রদান ব্যতিরেকে জন্তুটিকে স্থানান্তর করা সম্ভব, তাহা হইলে নিধনের পূর্বে উহাকে তাহার বিবেচনায় অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে অপসারণের জন্য তিনি পুলিশ অফিসারকে পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবেন :আরও শর্ত থাকে যে, কোনো রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে কোনো জন্তু নিধন করিতে হইলে উহাকে জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে রাখিবার জন্য যতদূর সম্ভব আবরণ দ্বারা চারিদিকে আবৃত করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৬। (১) ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৫৩ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পুলিশ কমিশনার কর্তৃক সাধারণভাবে অথবা বিশেষভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার যে কোনো পরিমাপযন্ত্র বা দাড়িপাল্লা তল্লাশি বা পরীক্ষা করিবার জন্য বিনা পরোয়ানায় যে কোনো দোকানে বা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তল্লাশিকালে পুলিশ অফিসারের নিকট যদি কোনো পরিমাপযন্ত্র বা দাড়িপাল্লা ত্রুটিপূর্ণ মর্মে অনুমান করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে, তাহা হইলে তিনি উহা আটক করিতে পারিবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক তাহা অনতিবিলম্বে পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করিবেন।(৩) পরিমাপযন্ত্রের ওজন ও মাপ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে মাপ নির্ধারণ করা হইয়াছে উহার সহিত গরমিল হইলে এই ধারার অধীন সংশ্লিষ্ট পরিমাপযন্ত্র বা দাড়িপাল্লা ত্রুটিপূর্ণ বলিয়া গণ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "পুলিশ কমিশনারের ক্ষমতা",
|
|
"section_content": "২৭। (১) যদি পুলিশ কমিশনার এই মর্মে প্রয়োজনবোধ করেন যে, কোনো রাস্তায় অস্থায়ীভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা সমীচীন, তাহা হইলে তিনি কোনো পুলিশ অফিসারকে উক্ত রাস্তায় অস্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধক নির্মাণ করিবার ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রতিবন্ধক কিভাবে ব্যবহার করা হইবে তজ্জন্য পুলিশ কমিশনার প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৮। পুলিশ কমিশনার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো পুলিশ অফিসার, ধারা ১১৩ এর অধীন প্রণীত প্রবিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথা :-(ক) রাস্তায় জনসমাবেশ বা মিছিলকারীদের শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিতকরণ;(খ) অনুরূপ মিছিল কোন্ কোন্ রাস্তা অভিমুখে বা কোন্ কোন্ সময়ে গমন করিতে পারিবে বা পারিবে না;(গ) কোনো স্থানে বা উপসনাস্থলে বা উহার সন্নিকটে অনুরূপ মিছিল গমন বা জনসমাবেশ অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকিবে;(ঘ) রাস্তা, জনসাধারণের গোসলের জায়গা, ইত্যাদি এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য অন্যান্য স্থানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা;(ঙ) রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল বা উহার নিকটে গান বাজনা, ঢাক-ঢোল, ইত্যাদি বাজানো নিয়ন্ত্রণ;(চ) রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থান বা জনসাধারণের প্রমোদাগারে লাউড স্পিকারের ব্যবহার।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৯। (১) জনশৃঙ্খলা, শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার নিমিত্ত পুলিশ কমিশনার যখনই যে স্থানে প্রয়োজন মনে করিবেন তখনই সেই স্থানে প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়া নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন, যথা :-(ক) হিংসাত্মকভাবে আঘাত করিবার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র, তলোয়ার, বর্শা, বন্দুক, ছোরা বা লাঠি বহন;(খ) বিস্ফোরক দ্রব্য বহন;(গ) ইট, পাথর, ইত্যাদি সংগ্রহ ও বহন;(ঘ) মানুষের মৃতদেহ, মূর্তি ও কুশপুত্তলিকা প্রদর্শনী;(ঙ) সর্বসাধারণের শ্রুতিগোচরে চিৎকার করা বা গান বাজনা করা; এবং(চ) শালীনতা ও নৈতিকতা বিরোধী এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিরোধী কোনো কিছু প্রদর্শন, প্ল্যাকার্ড বহন বা ছবি, ইত্যাদি প্রদর্শনী।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিয়া কোনো ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক বা অনুরূপ কোনো দ্রব্য বহন করিলে, পুশিল অফিসার তাহাকে নিরস্ত্র করিতে, অস্ত্র আটক করিতে এবং অস্ত্র ও, ক্ষেত্রমত, বিস্ফোরক দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩০। শান্তি-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন মনে করিলে পুলিশ কমিশনার যে কোনো স্থানে যে কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য লিখিত নির্দেশ জারি করিয়া জনসমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো নিষেধাজ্ঞা সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের অধিক বহাল থাকিবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩১। (১) পুলিশ কমিশনার প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করিয়া শর্ত সাপেক্ষে যে কোনো রাস্তা বা স্থান জনস্বার্থে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত রাখিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত সংরক্ষিত রাস্তা বা স্থানে কেবল উক্ত আদেশ দ্বারা আরোপিত শর্তাধীনে প্রবেশ করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩২। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাহিনীর কাজের প্রয়োজনে পুলিশ কমিশনার, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোনো যানবাহন সরবরাহ করিতে উহার মালিককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকিলে, পুলিশ কমিশনার, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, যে কোনো যানবাহন সরবরাহের জন্য উহার মালিককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, তবে এইরূপ ক্ষেত্রে তিনি উহা অনতিবিলম্বে সরকারকে অবহিত করিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৩। কোনো এলাকার জনসাধারণ বা কোনো ব্যক্তি বিশেষের অসুবিধা বা বিরক্তি দূরীকরণের জন্য প্রয়োজন মনে করিলে পুলিশ কমিশনার লিখিত নির্দেশ জারি করিয়া নিম্নবর্ণিত বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা বা শর্ত আরোপ করিতে বা উক্ত বিষয় নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন, যথা :-(ক) বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে কোনো প্রাঙ্গণ বা বাড়ির সম্মুখে গান-বাজনা করা;(খ) গান-বাজনা বা অন্যান্য শব্দ বৃদ্ধি করিয়া শুনাইবার জন্য মাইক্রোফোনের লাউড স্পিকার বা অন্য কোনো যন্ত্র ব্যবহার করা;(গ) অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় শব্দ করা; অথবা(ঘ) কোনো প্রাঙ্গণ বা ব্যবসা কেন্দ্রে এমন কিছু ব্যবহার করা যাহাতে বিকট শব্দ হয়।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৪। (১) দাঙ্গা, হাঙ্গামা বা শান্তির পরিপন্থি কোনো কাজ বন্ধ করিবার উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার, লিখিত নির্দেশ জারি করিয়া অস্থায়ীভাবে যে কোনো গৃহের বা স্থানের দখল গ্রহণ এবং সেই স্থান হইতে যে কোনো বা সকল ব্যক্তিকে বিতাড়িত করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের দরুন অনুরূপ গৃহের বা স্থানের মালিক বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি অনুরূপ ব্যবস্থার তারিখ হইতে ১ (এক) মাসের মধ্যে পুলিশ কমিশনারের নিকট দরখাস্ত করিলে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবে, যদি না পুলিশ কমিশনারের নিকট উক্তরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যথাযথ হইয়াছে বলিয়া প্রমাণিত হয়।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যথাযথ হইয়াছে কিনা তদ্মর্মে কোনো বিরোধ উদ্ভূত হইলে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং উহার প্রাপক নির্ধারণে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৫। (১) জনসাধারণকে আহবান করা হইয়াছে বা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হইয়াছে এমন কোনো চিত্তবিনোদনের স্থানে বা জনসমাবেশে বা জনসভায় গুরুতর গোলযোগ, অশান্তি বা আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের জন্য উক্ত স্থানে উপস্থিত সর্বোচ্চ পদাধিকারী পুলিশ অফিসার শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরাইয়া আনিবার জন্য উপযুক্ত যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য অনুরূপ যে কোনো স্থান, জনসমাবেশ বা সভায় পুলিশের অবাধ প্রবেশাধিকার থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার বিশেষ ব্যবস্থাসমূহ",
|
|
"section_content": "৩৬। (১) শান্তি, শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা রক্ষা অথবা এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো অপরাধ সম্পর্কিত কোনো বিধান কার্যকর করিবার জন্য কোনো ব্যক্তি পুলিশ কমিশনারকে কোনো স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করিবার জন্য অনুরোধ জানাইয়া দরখাস্ত করিলে, পুলিশ কমিশনার উক্ত স্থানে অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অতিরিক্ত পুলিশ আবেদনকারীর ব্যয়ে মোতায়েন করা হইবে, কিন্তু তাহারা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশের অধীন এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের জন্য মোতায়েন থাকিবেন, তবে আবেদনকারীর লিখিত অনুরোধে পুলিশ কমিশনার যে কোনো সময় উক্ত অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৭। (১) পুলিশ কমিশনার যদি মনে করে যে, কোনো সরকারি কাজে বা কোনো শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত ব্যক্তিদের আচরণের কারণে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি সংশ্লিষ্ট স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করিতে পারিবেন এবং তিনি যতদিন প্রয়োজন মনে করিবেন, ততদিনের জন্য উক্ত স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনে পুলিশ কমিশনার সংশ্লিষ্ট সরকারি কাজ বা শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে উক্ত অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগের ব্যয় বহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ নির্দেশে উক্ত ব্যয়ের পরিমাণও নির্ধারণ করিবেন, যাহা উক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরিশোধ করিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত পুলিশ কমিশনারের নির্দেশের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং তৎসম্পর্কে সরকারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৮। পুলিশ কমিশনারের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোনো স্থানে কোনো একদল ব্যক্তির বা দুষ্কৃতিকারীদলের গতিবিধি বা তৎপরতা বিপজ্জনক বা আশংকাজনক অথবা তাহারা বেআইনি কাজে লিপ্ত রহিয়াছে বলিয়া সন্দেহের কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি লিখিত নির্দেশ জারি করিয়া অনুরূপ দলের যে কোনো সদস্যকে বা সম্পূর্ণ দলকে শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন অথবা তাহাদিগকে মহানগরী এলাকা হইতে বহিষ্কার করিতে বা, ক্ষেত্রমত, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাহাদের প্রত্যাবর্তন নিষেধ করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৯। পুলিশ কমিশনারের নিকট যদি-(ক) প্রতীয়মান হয় যে, কোনো ব্যক্তির গতিবিধি অপর কোনো ব্যক্তির বা কোনো সম্পত্তির ক্ষতি বা বিপদ সৃষ্টি করিতেছে বা করিতে পারে; অথবা(খ) বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি হিংসাত্মক পন্থায় অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত রহিয়াছে বা লিপ্ত হইবার উদ্যোগ গ্রহণ করিয়াছে অথবাPenal Code, 1860(Act XLV of 1860) এর Chapter XII, XVI বা উহার অধীন শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ সংঘটনে উদ্যোগী হইয়াছে-তাহা হইলে পুলিশ কমিশনার, লিখিত আদেশ জারি করিয়া, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থি তৎপরতা হইতে বিরত হইবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য মহানগরী এলাকা হইতে বহিষ্কার করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪০। কোনো ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত যে কোনো অপরাধে ইতোপূর্বে দণ্ড ভোগ করিয়া থাকিলে এবং পুলিশ কমিশনারের যদি বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি পুনরায় অনুরূপ অপরাধ করিতে পারে, তাহা হইলে তিনি আদেশ জারি করিয়া অনুরূপ ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য মহানগরী এলাকা পরিত্যাগ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথা :-(ক) Penal Code (Act XLV of 1860) এর Chapter XII, XVI বা XVII এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ;(খ)মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২(২০১২ সনের ৩ নং আইন) এর ধারা ১১, ১২ ও ১৩ এর অধীন অপরাধ;(গ)Customs Act, 1969(Act IV of 1969) এর অধীন অপরাধ; এবং(ঘ) এই আইনের ধারা ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৮২, ৮৭ বা ৮৯ এর অধীন তিনবার বা ততোধিক বার অপরাধ।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪১। ধারা ৩৮, ৩৯ ও ৪০ এর অধীন কোনো ব্যক্তিকে মহানগরী এলাকার বাহিরে চলিয়া যাইবার নির্দেশ প্রদান করা হইলে, উক্ত নির্দেশ অনধিক ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪২। (১) কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে ধারা ৩৮, ৩৯ ও ৪০ এর অধীন আদেশ জারির পূর্বে পুলিশ কমিশনার উক্ত ব্যক্তিকে তাহার বিরুদ্ধে আনীত প্রাথমিক অভিযোগ এবং তজ্জন্য তাহার উপর প্রস্তাবিত আদেশ জারির বিষয়টি তাহাকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন এবং এতদ্সম্পর্কে তাহাকে কৈফিয়ত প্রদানের জন্য যুক্তিযুক্ত সুযোগ প্রদান করিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তি যদি কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দরখাস্ত করেন, তাহা হইলে পুলিশ কমিশনার অনুরূপ সাক্ষ্য গ্রহণ করিবেন, যদি না তিনি মনে করেন যে, কেবল বিরক্ত ও বিলম্ব করিবার উদ্দেশ্যেই অনুরূপ দরখাস্ত করা হইয়াছে।(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তির তাহার আইনজীবীর মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার সমীপে হাজির হইয়া বক্তব্য পেশের ও তৎকর্তৃক উপস্থাপিত সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদানের অধিকার থাকিবে।(৪) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার তদন্ত চলাকালে অনুরূপ ব্যক্তিকে তৎসমীপে উপস্থিত হইয়া মুচলেকা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ মুচলেকা জামানতসহ বা জামানত ব্যতীত প্রদান করা যাইবে।(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন মুচলেকা প্রদানে অনুরূপ ব্যক্তি ব্যর্থ হইলে অথবা তদন্ত চলাকালে পুলিশ কমিশনার সমীপে উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হইলে, পুলিশ কমিশনার যথারীতি তদন্ত করিয়া তাহার সম্পর্কে প্রস্তাবিত আদেশ জারি করিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৩। (১) ধারা ৩৮, ৩৯ ও ৪০ এর অধীন আদেশ জারির ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি অনুরূপ আদেশ জারির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন।(২) এই ধারার অধীন আপিল একটি স্মারকলিপির মাধ্যমে দায়ের করিতে হইবে এবং উহার সহিত আপিল করিবার কারণ উল্লেখসহ সংশ্লিষ্ট আদেশের একটি সত্যায়িত কপি দাখিল করিতে হইবে।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপিল আবেদন প্রাপ্তির পর সরকার সংশ্লিষ্ট আপিলকারীকে ব্যক্তিগতভাবে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে শুনানির সুযোগ প্রদান করিবেন এবং অধিকতর তদন্ত করা হইলে সেই তদন্তের পর যে আদেশটির বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে সে আদেশটি বহাল রাখিতে, সংশোধন করিতে অথবা বাতিল করিতে পারিবে :তবে শর্ত থাকে যে, সরকার ভিন্নরূপ নির্দেশ প্রদান না করিলে, আপিলের নিষ্পত্তি সাপেক্ষে, যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে তাহা কার্যকর থাকিবে।(৪) এই ধারার অধীন আপিলের জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিনের মেয়াদ গণনার সময় যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে সেই আদেশটির সত্যায়িত কপি সংগ্রহের জন্য যে সময় প্রয়োজন হইবে তাহা বাদ যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৪। ধারা ৩৮, ৩৯ ও ৪০ এর অধীন পুলিশ কমিশনার কর্তৃক অথবা ধারা ৪৩ এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৫। (১) ধারা ৩৮, ৩৯ ও ৪০ এর অধীন যে ব্যক্তিকে মহানগরী এলাকা হইতে অপসারণের আদেশ প্রদান করা হইয়াছে, তিনি যদি-(ক) আদেশ পালনে ব্যর্থ হন; অথবা(খ) অপসারণের পর, উপ-ধারা (২) এর অধীন পুলিশ কমিশনারের অনুমতি ব্যতীত আদেশে উল্লিখিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত এলাকায় প্রবেশ করেন,-তাহা হইলে পুলিশ কমিশনার তাহাকে গ্রেফতার করিয়া উক্ত এলাকার বাহিরে নির্দিষ্ট স্থানে অপসারণের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন।(২) ধারা ৩৮, ৩৯ ও ৪০ এর অধীন আদেশপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে পুলিশ কমিশনার তৎকর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে, মহানগরী এলাকায় অস্থায়ীভাবে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং তাহাকে জামানতসহ বা জামানত ব্যতীত আরোপিত শর্ত পালন নিশ্চিত করিবার স্বার্থে মুচলেকা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।(৩) পুলিশ কমিশনার তদ্কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো অনুমতি যে কোনো সময় বাতিল করিতে পারিবেন।(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীনে মহানগরী এলাকায় প্রত্যাবর্তন করিবার অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি, অনুমতিতে উল্লিখিত মেয়াদ শেষে অথবা অনুরূপ অনুমতির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে উহা বাতিল করা হইলে উক্তরূপ বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে মহানগরী এলাকা ত্যাগ করিবেন এবং নূতন অনুমতি ব্যতীত ধারা ৩৮, ৩৯ ও ৪০ এ উল্লিখিত মেয়াদ পূর্তি না হইলে মহানগরী এলাকায় প্রত্যাবর্তন করিতে পারিবেন না।(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ব্যক্তি আরোপিত কোনো শর্ত পূরণে ব্যর্থ হইলে অথবা শর্তানুসারে মহানগর এলাকা ত্যাগ না করিলে অথবা অপসারণের পর বিনা অনুমতিতে পুনঃপ্রবেশ করিলে পুলিশ কমিশনার তাহাকে গ্রেফতার করিয়া মহানগরীর এলাকার বাহিরে যে কোনো নির্ধারিত স্থানে অপসারণ করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "অপরাধ, দণ্ড ও কার্যপদ্ধতি",
|
|
"section_content": "৪৬। কোনো ব্যক্তি ধারা ১০ এর অধীন সহায়ক পুলিশ অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হইবার পর যথেষ্ট কারণ ব্যতীত উক্ত পদে কাজ করিতে অথবা তাহাকে প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে অসম্মত হইলে, তিনি ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৭। কোনো ব্যক্তি পুলিশ অফিসার হিসাবে চাকরি লাভের অথবা চাকরি হইতে অব্যাহতি লাভের জন্য কোনো মিথ্যা বিবৃতিদান বা মিথ্যা তথ্য পেশ করিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ৩ (তিন) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৮। কোনো পুলিশ অফিসার ভীরুতা প্রদর্শন করিলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো আইন, বিধি, প্রবিধান বা আদেশ লঙ্ঘন করিলে উহা অসদাচরণ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তিনি ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ৫(পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭ (সাত) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৯। কোনো অধস্তন অফিসার ধারা ১৪ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া পদত্যাগ করিলে বা কর্তব্য পালন হইতে নিজেকে প্রত্যাহার করিলে, তিনি ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭ (সাত) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫০। কোনো পুলিশ অফিসার বাহিনীর সহিত সম্পর্ক ছিন্ন হইবার অব্যবহিত পরে তাহার সনদপত্র, অস্ত্র, পোশাক ও অন্যান্য দ্রব্য ফেরত প্রদান করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে গাফিলতি বা অস্বীকার করিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ৩ (তিন) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫১। কোনো পুলিশ অফিসার আইনানুগ কর্তৃত্ব অথবা যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত কোনো গৃহে, যানবাহনে বা স্থানে প্রবেশ করিলে বা তল্লাশি চালাইলে, তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫২। কোনো পুলিশ অফিসার বিরক্তিকরভাবে বা বিনা প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি, আটক বা গ্রেফতার করিলে অথবা কাহারও কোনো সম্পত্তি আটক করিলে, তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ৫(পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৩। কোনো পুলিশ অফিসার কোনো আটক ব্যক্তির উপর অপ্রয়োজনীয় হামলা করিলে বা কোনো আসামিকে বেআইনিভাবে ভীতি প্রদর্শন করিলে, তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৪। কোনো পুলিশ অফিসার বিনাপরোয়ানায় গ্রেফতারকৃত কোনো ব্যক্তিকে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত সময় হাজতে আটক করিয়া রাখিলে, অথবা ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৬৭ এর অধীন ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদেশ ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে ২৪ (চবিবশ) ঘণ্টার অধিক সময়ে হাজতে আটক করিয়া রাখিলে, তিনি ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭(সাত) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৫। কোনো ব্যক্তি, বাহিনীর সদস্য না হইয়া এবং পুলিশ কমিশনারের অনুমতি ব্যতিরেকে, বাহিনীর পোশাক পরিধান করিলে অথবা উহার সহিত সাদৃশ্যপূর্ণ অন্য কোনো পোশাক পরিধান করিলে, তিনি ১ (এক) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ (দুই) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৬। কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৩ এর অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান অথবা অনুরূপ প্রবিধানের অধীন মঞ্জুরিকৃত লাইসেন্স বা অনুমতির কোনো শর্ত লঙ্ঘন করিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৭। কোনো ব্যক্তি ধারা ২৮ এর অধীন প্রদত্ত কোনো নির্দেশ লঙ্ঘন করিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৮। কোনো ব্যক্তি ধারা ২৯ এর অধীন প্রদত্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫৯। কোনো ব্যক্তি ধারা ৩০ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ লঙ্ঘন করিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ৩ (তিন) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬০। কোনো ব্যক্তি ধারা ৩১ এর অধীন প্রদত্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬১। কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ লঙ্ঘন করিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬২। কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৮, ৩৯ বা ৪০ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ লঙ্ঘন করিলে, তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ৩ (তিন) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭ (সাত) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬৩। কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৮, ৩৯ বা ৪০ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ অমান্য করিয়া মহানগরী এলাকায় বিনানুমিতে প্রবেশ বা প্রত্যাবর্তন করিলে অথবা ধারা ৪৫(২) এর অধীন অনুমতির ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় প্রবেশ করিবার পর অনুমতিতে উল্লিখিত সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও উক্ত এলাকা হইতে প্রস্থান করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ৩ (তিন) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭ (সাত) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬৪। কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন কর্তব্য পালনের প্রসঙ্গে বা প্রয়োজনে প্রদত্ত পুলিশ অফিসারের কোনো যুক্তিসংগত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬৫। কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে রাস্তায় বাম পার্শ্ব দিয়া গাড়ি চালাইতে ব্যর্থ হইলে এবং একইদিকে গমনকালে কোন গাড়ি অতিক্রমের সময় উহার ডান পার্শ্ব দিয়া যাইতে ব্যর্থ হইলে অথবা পুলিশ কমিশনার কর্তৃক প্রণীত ট্রাফিক প্রবিধান ভঙ্গ করিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬৬। কোনো ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নিষিদ্ধ স্থানে বা রাস্তায় গাড়ি রাখিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্ধদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬৭। কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্যারাম্বুলেটর ব্যতীত অন্য যে কোনো গাড়ি ফুটপাতে রাখা বা চালানো হইলে, তিনি ন্যূনতম ১(এক)হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২(দুই) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬৮। কোনো ব্যক্তি-(ক) মালামাল বোঝাই করিবার বা নামাইবার জন্য বা যাত্রী উঠানামার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কোনো স্থানে যানবাহন দাঁড় করাইয়া রাখিলে; অথবা(খ) যানবাহনকে অননুমোদিত স্থানে রাখিয়া অন্যত্র চলিয়া গেলে,-তিনি ন্যূনতম ২(দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬৯। যে কোনো ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক প্রণীত প্রবিধান ভঙ্গ করিয়া রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে কোনো কিছু বিক্রয় করিবার জন্য রাখিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫(পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭০। কোনো ব্যক্তি যদি কোনো রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে -(ক) গাফিলতি করিয়া কোনো জন্তু এমনভাবে রাখেন যাহাতে কোনো পথচারী বা অন্য কোনো প্রাণী ভীতসন্ত্রস্ত হয় বা জখমপ্রাপ্ত হয় বা বিপদগ্রস্ত হয়; অথবা(খ) কোনো হিংস্র কুকুর বা প্রাণী ছাড়িয়া দেন; অথবা(গ) অন্য কোনো ব্যক্তিকে ভয় দেখাইবার বা আক্রমণ করিবার জন্য কুকুর বা অন্য কোনো জন্তু লেলাইয়া দেন,-তাহা হইলে তিনি ন্যূনতম ২(দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭১। কোনো ব্যক্তি যদি পুলিশ কমিশনারের অনুমতি ব্যতীত বিক্রয় বা ভাড়া খাটাইবার উদ্দেশ্যে রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য প্রকাশ্য কোনো স্থানে কোনো গাড়ি বা জন্তু মোতায়েন করেন অথবা গাড়ির যন্ত্র ধোয়া মোছা করেন বা করান, তাহা হইলে তিনি ন্যূনতম ২(দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭২। কোনো ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে গাড়ি নির্মাণ বা মেরামত করিলে বা গাড়ির অংশবিশেষ বা যন্ত্রাংশ মেরামত বা নির্মাণ করিলে এবং উহাতে যাত্রী বা যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হইলে, তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং এতদ্ব্যতীত সরকার সংশ্লিষ্ট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭৩। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে গৃহ নির্মাণের সরঞ্জাম বা অন্যান্য বস্তু রাখিয়া বিঘ্ন সৃষ্টি করিলে, তিনি ন্যূনতম ৫(পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং এতদ্ব্যতীত সরকার সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বা বস্তু বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭৪। কোনো ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ব্যতিরেকে অন্য কোনো স্থানে বা রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে বা উহার সন্নিকটে অথবা উক্ত স্থান হইতে দেখা যায় এমন স্থানে কোনো পশু জবাই করিলে বা পশুর মৃতদেহ পরিষ্কার করিলে বা চামড়া ছাড়াইলে, তিনি ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) শত টাকা এবং সর্বোচ্চ ২(দুই) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭৫। কোনো ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে বা গৃহাভ্যন্তরে বা গৃহের বাহিরে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে সরাসরিভাবে অথবা মুখের ভাষায় বা অঙ্গভঙ্গি করিয়া বা অশালীন ভাব-ভঙ্গি প্রদর্শন করিয়া কোনো ব্যক্তিকে আহবান করিলে অথবা শ্লীলতাহানী করিলে, তিনি ৩(তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ১(এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫(পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭৬। কোনো ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন প্রকাশ্য স্থানে, অথবা রাস্তা বা অনুরূপ স্থান হইতে দেখা যায় এইরূপ কোনো জায়গায় বা কোনো স্টেশনে বা লোক অবতরণ স্থানে বা অফিসে বা গৃহাভ্যন্তরে বা ঘরের বাহিরে ইচ্ছাকৃতভাবে ও অশালীনভাবে নিজের দেহ প্রদর্শন করিলে অথবা অশালীন ভাষা ব্যবহার করিলে অথবা অশালীন বা মারমুখী আচরণ করিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭৭। কোনো ব্যক্তি রাস্তায় বা হাট-বাজার, মেলা ও শপিং মলসহ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য যে কোনো স্থানে অথবা গৃহাভ্যন্তরে বা ঘরের বাহিরে মহিলাকে দেখাইয়া বা দেখাইবার উদ্দেশ্যে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রদর্শন করিলে অথবা রাস্তায় বা হাট-বাজার, মেলা ও শপিং মলসহ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য প্রকাশ্য যে কোনো স্থানে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মহিলার পথ রোধ করিলে বা তাহার শরীরের কোনো স্থান স্পর্শ করিলে, অথবা অশালীন বাক্য বা শব্দ বা মন্তব্য করিয়া বা অঙ্গভঙ্গি করিয়া তাহাকে উত্যক্ত করিলে, তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭৮। কোনো ব্যক্তি কোনো রাস্তায় বা প্রকাশ্য কোনো স্থানে কোনো যাত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান করিলে বা উত্যক্ত করিলে অথবা হিংসাত্মক আচরণের দ্বারা বা চিৎকার করিয়া বা মারমুখী আচরণ করিয়া কোনো যাত্রীকে ভীতি প্রদর্শন করিলে অথবা অন্য কোনোভাবে জননিরাপত্তা বা শান্তি বিঘ্নিত করিলে, তিনি ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩ (তিন) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭৯। কোনো ব্যক্তি শান্তিভঙ্গের উস্কানিদানের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে ভীতিমূলক গালিগালাজপূর্ণ বা অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করিলে এবং তদ্বারা শান্তিভঙ্গের কারণ সৃষ্টি হইলে, তিনি ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩ (তিন) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮০। কোনো ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক প্রণীত কোনো প্রবিধান ভঙ্গ করিয়া রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে গানবাজনা বা কোনো কিছুর প্রদর্শনী করিলে, যাহাতে ভীড় সৃষ্টি হইয়া অথবা বৃহদাকার বিজ্ঞাপন, ছবি, কাঠামো বা প্রতীক ব্যবহারের কারণে যাত্রীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় অথবা আশেপাশের বাসিন্দারা বিরক্ত হয়, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮১। কোনো ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে বা উহার নিকটে মূত্র বা মল ত্যাগ করিলে, অথবা নিজ তত্ত্বাবধানে রক্ষিত ৭ (সাত) বৎসরের নিম্নবয়স্ক কোনো শিশুকে মূত্র বা মল ত্যাগ করিতে দিলে, অথবা পথচারীদের বিরক্তির উদ্রেক করিতে পারে এইরূপভাবে মল বা ময়লা নিক্ষেপ করিলে, তিনি ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩ (তিন) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮২। কোনো ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে ভিক্ষা করিলে, অথবা জনসাধারণের মনে দয়ার উদ্রেক করিয়া ভিক্ষা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দেহের কোনো ঘা, জখমী, অসুস্থতা বা বিকলাঙ্গতা প্রদর্শন করিলে, তিনি ১ (এক) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮৩। পুলিশ কমিশনারের আদেশক্রমে নির্ধারিত না হওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তি যদি সাধারণ কূপ, পুকুর, দীঘি বা সংরক্ষিত জলাধারে বা উহার পার্শ্বে গোসল করেন বা কোনো কিছু ধোলাই করেন, তাহা হইলে তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) শত টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) শত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮৪। কোনো ব্যক্তি সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো দালানে বা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিয়া উক্ত দালান বা প্রাঙ্গণে লটকানো নোটিশ অমান্য করিয়া ধূমপান করিলে বা থুথু নিক্ষেপ করিলে, তিনি ন্যূনতম ৩ (তিন) শত টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) শত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮৫। কোনো ব্যক্তি সন্তোষজনক কারণ ব্যতীত কোনো বসতবাড়িতে বা উহার প্রাঙ্গণে বা উহার সংলগ্ন জমিতে বা মাঠে অথবা সরকারি জমি, স্মৃতিমিনার, নৌকা, জলযান বা যানবাহনে অনধিকার প্রবেশ করিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) শত টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) শত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮৬। কোনো ব্যক্তি সজ্ঞানে অগ্নিকাণ্ডের মিথ্যা সংকেত প্রদান করিলে অথবা করাইলে অথবা মিথ্যা সংকেত প্রদানের জন্য রাস্তায় সংরক্ষিত অগ্নিকাণ্ডের সংকেত যন্ত্রের কাঁচ ভাঙ্গিলে অথবা অন্যভাবে উহার ক্ষতিসাধন করিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩ (তিন) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮৭। কোনো ব্যক্তিকে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মধ্যবর্তী সময়ে সন্তোষজনক কারণ ব্যতীত নিম্নবর্ণিত অবস্থায় পাওয়া গেলে, উক্ত ব্যক্তি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, যথা:―(ক) কোনো মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত;(খ) মুখ ঢাকা অথবা ছদ্মবেশ;(গ) কোনো বাসগৃহে বা অন্য কোনো গৃহে অথবা কোনো নৌযানে বা যানবাহনে অনধিকার প্রবেশ;(ঘ) কোনো রাস্তায়, প্রাঙ্গণে বা অন্য কোনো স্থানে শায়িত বা ঘোরাফেরা; অথবা(ঙ) ঘরের দরজা ভাঙ্গার যন্ত্র কাছে রাখা।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮৮। পুলিশ অফিসার না হইয়া অথবা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্য না হইয়া বা অনুরূপ বাহিনীর কোনো দায়িত্বে রত না থাকিয়া, কোনো ব্যক্তি তলোয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র বা অন্য কোনো আক্রমণাত্মক অস্ত্রে কিংবা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যে কোনো রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে আইনানুগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে সজ্জিত থাকিলে, পুলিশ অফিসার তাহার নিকট হইতে প্রাপ্ত অস্ত্র বা বিস্ফোরক জব্দ করিয়া তাহাকে নিরস্ত্র করিতে পারিবেন এবং তজ্জন্য পুলিশ কমিশনার তাহাকে ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবেন এবং উক্ত জরিমানার অর্থ ১ (এক) মাসের মধ্যে পরিশোধ না করিলে উক্ত অস্ত্র বা বিস্ফোরক দ্রব্য সরকার বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮৯। কোনো ব্যক্তি চোরাই বলিয়া সন্দেহকৃত কোনো সম্পত্তি বা জিনিস দখলে রাখিলে অথবা বিক্রয় করিলে বা বিক্রয়ের চেষ্টা করিলে এবং তদমর্মে সন্তোষজনক কারণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হইলে, তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯০। কোনো ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে কোনো হাসপাতালে, কারাগারে, সেফহোমে বা কিশোর-কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে অথবা কোনো শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করিতেছে এইরূপ কোনো ব্যারাকে বা গৃহে অথবা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মদ বা মাদক জাতীয় কোনো দ্রব্য লইয়া প্রবেশ করিলে বা প্রবেশের চেষ্টা করিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ৩ (তিন) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; এবং অনুরূপ মদ, স্পিরিট বা মাদক জাতীয় দ্রব্য সরকার বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯১। কোনো বন্ধকগ্রহীতা বা পুরাতন জিনিসের ব্যবসায়ী বা ধাতব কারখানার কর্মচারী কোনো দ্রব্য চুরি হইবার বিষয়ে পুলিশ অফিসার কর্তৃক জ্ঞাত হইবার পর অনুরূপ দ্রব্য তাহার দখলে আসা সত্ত্বেও নিকটবর্তী থানায় তৎসম্পর্কে খবর প্রদান না করিলে এবং যে ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত দ্রব্য গ্রহণ করিয়াছেন তাহার নাম অবহিত করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি ন্যূনতম ৩ (তিন) শত টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯২। কোনো ব্যক্তি ধারা ৯১ এ উল্লিখিত প্রকারে সংবাদ প্রাপ্তির পর পুলিশের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে উক্ত ধারায় উল্লিখিত সম্পত্তি গলাইয়া ফেলিলে অথবা অন্য কোনোভাবে রূপান্তরিত করিলে, তিনি ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯৩। কোনো ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে জুয়া খেলিবার উদ্দেশ্যে জমায়েত হইলে অথবা অনুরূপ জমায়েতে অংশগ্রহণ করিলে, তিনি ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯৪। জনসাধারণের প্রমোদাগারের কোনো কর্তৃপক্ষ উক্ত স্থানে উহার কাহাকেও মাতলামি করিবার বা অন্য কোনোরূপ উচ্ছৃঙ্খল বা অশালীন আচরণের সুযোগ প্রদান করিলে, তিনি ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩ (তিন) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯৫। কোনো ব্যক্তি জনসাধারণের প্রমোদাগারের বিক্রিত টিকেট যে মূল্যে ক্রয় করিয়াছেন, উহার অধিক মূল্যে বিক্রয় করিলে বা বিক্রয়ের চেষ্টা করিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ (দুই) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯৬। কোনো ব্যক্তি নিজের অথবা স্বীয় দায়িত্বাধীন গবাদি পশু রাস্তায় চরাইলে বা চরাইতে দিলে অথবা কাহারও সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিতে দিলে, তিনি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ (দুই) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯৭। কোনো ব্যক্তি মালিকের অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া, খুঁটি বা অন্য কোনো কিছুতে বিজ্ঞাপন, কাগজ, প্রভৃতি লটকাইলে অথবা কালি বা রং দিয়া লিখিলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯৮। কোনো ব্যক্তি পুলিশ কমিশনারের অনুমোদিত নির্ধারিত সময় ও স্থান ব্যতীত কোনো রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে বা উহার সন্নিকটে কোনো খড়কুটায় অগ্নি সংযোগ করিলে, অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করিলে বা আতশবাজি পোড়াইলে অথবা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র বা এয়ারগানের গুলি ছুঁড়িলে, তিনি ন্যূনতম ২ (দুই) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯৯। কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিলে, তিনি নিজেই উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয় গণ্য হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০০। এই আইনের অধীন অপরাধকারী কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা কর্পোরেশন হইলে, উহা সেই প্রতিষ্ঠানের জ্ঞাতসারে হয় নাই অথবা উহা নিবারণের জন্য সেই প্রতিষ্ঠান সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছিল বলিয়া প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, অনুরূপ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক অংশীদার, ডাইরেক্টর, ম্যানেজার, সেক্রেটারি বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধের জন্য দোষী হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০১। (১) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত অপরাধ ব্যতীত এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় যে কোনো অপরাধ সম্পর্কে পুলিশ অফিসার কর্তৃক লিখিতভাবে রিপোর্ট পেশ না করা পর্যন্ত কোনো আদালত উক্ত অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।(২) ধারা ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১ , ৫২ বা ৫৩ এর অধীন দণ্ডনীয় অপরাধ সম্পর্কে আদালত নিজস্ব উদ্যোগে কিংবা যে কোনো ব্যক্তির অভিযোগক্রমে অথবা কোনো পুলিশ অফিসারের লিখিত রিপোর্ট প্রাপ্ত হইয়া উহা বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০২। কোনো ব্যক্তি এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ কোনো পুলিশ অফিসারের উপস্থিতিতে বা, গোচরীভূত হয় এমনভাবে, সংঘটন করিলে, পুলিশ অফিসার উক্ত ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করিতে পারিবেন।ব্যাখ্যা।- এই ধারার কোনো কিছুই অন্য কোনো আইনের অধীন পুলিশ অফিসারের গ্রেফতারের ক্ষমতাকে সঙ্কুচিত করিবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০৩। (১) ধারা ৫৬, ৫৭, ৬০, ৬১, ৬৪, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৪, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮৩, ৮৪, ৮৭, ৯৩, ৯৪, ৯৫, ৯৭ বা ৯৮ এর অধীন দণ্ডণীয় অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণকারী আদালত আসামির নিকট প্রেরিতব্য সমনে ইহা উল্লেখ করিতে পারিবে যে, অভিযোগের শুনানি আরম্ভের পূর্বে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনো নির্দিষ্টকৃত তারিখে রেজিস্ট্রি চিঠি প্রেরণ করিয়া নিজেকে দোষী ঘোষণা করিতে এবং অনুরূপ অপরাধের জন্য নির্ধারিত অর্থদণ্ডের অনধিক এক চতুর্থাংশ অর্থ আদালতে জমা প্রদান করিতে পারিবেন।(২) কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে উপ-ধারা (১) অনুযায়ী দোষী ঘোষণা করিয়া আদালতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা প্রদান করিলে সংশ্লিষ্ট অপরাধ সম্পর্কে তাহার বিরুদ্ধে অন্য কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০৪। (১) পুলিশ কমিশনার কর্তৃক সাধারণ বিজ্ঞপ্তি মারফত নির্ধারিত পদের কোনো পুলিশ অফিসার যদি অবলোকন করেন যে, কোনো ব্যক্তি ধারা ৬৫, ৬৬, ৬৭ বা ৬৮ এর অধীন দণ্ডণীয় কোনো অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তির নামে অথবা তাহাকে পাওয়া না গেলে তাহার বাড়িতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে, নিম্নবর্ণিত বিষয় উল্লেখ করিয়া, নোটিশ প্রেরণ করিবেন বা, ক্ষেত্রমত, লটকাইয়া দিবেন, যথা :―(ক) অনুরূপ ব্যক্তি যে অপরাধ করিয়াছেন;(খ) যে অর্থদণ্ড তাহাকে প্রদান করা হইবে; এবং(গ) ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত হইয়া উক্ত অর্থদণ্ড পরিশোধের তারিখ।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নোটিশের প্রেক্ষিতে কোনো অপরাধী নির্দিষ্ট তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করিলে তদ্সম্পর্কে তাহার বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হইবে না।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রদানের পরও কোনো ব্যক্তি যদি নির্ধারিত তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন এবং এই ব্যর্থতা সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তিনি সন্তোষজনক কৈফিয়ত প্রদান করিতে না পারেন, তাহা হইলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আরোপিত অর্থদণ্ড যে পদ্ধতিতে আদায় করা হয়, সেই পদ্ধতিতে উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত অর্থদণ্ডের অর্থ আদায় করা হইবে।(৪) কোনো ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট তারিখে ম্যাজিস্ট্রেট সমীপে উপস্থিত হইয়া নোটিশে উল্লিখিত অপরাধ করেন নাই মর্মে দাবি করেন, তাহা হইলে ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট নোটিশকে ঐ অপরাধ সম্পর্কে পুলিশ অফিসারের রিপোর্ট বলিয়া গণ্য করিয়া এই আইনের অন্যান্য বিধান অনুসারে মামলার বিচার অব্যাহত রাখিবেন, তবে অপরাধ সংঘটন না করিবার প্রমাণের দায়িত্ব অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাইবে।(৫) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার বিধান কার্যকর থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "বিবিধ",
|
|
"section_content": "১০৫। এই আইনের কোনো কিছুই ইহার অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকে ব্যাহত করিবে না:তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ যাবতীয় মামলা ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪০৩ এর বিধান সাপেক্ষে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০৬। এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান, প্রজ্ঞাপিত কোনো আদেশ, নির্দেশ, তদন্ত বা নোটিশ এবং উহার অধীন কৃত কোনো কাজকর্ম কোনো ফরম বা পদ্ধতির ত্রুটির জন্য অবৈধ হইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০৭। এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজের দরুণ কোনো পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০৮। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন, বিধি, প্রবিধান বা তদধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের অধীন কোনো পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করিতে হইলে সরকারি কার্য-সম্পাদনকালে একজন সরকারি অফিসারকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে যে সংরক্ষণ (protection) প্রদান করা হইয়াছে তাহা বলবৎ থাকিবে, তবে অন্যবিধ ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের জন্য পুলিশ অফিসার কর্তৃক সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের ৬(ছয়) মাসের মধ্যে এতদ্সংক্রান্ত মামলা দায়ের করিতে হইবে এবং অনুরূপ মামলা দায়েরের কমপক্ষে ১(এক) মাস পূর্বে উক্ত মামলার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া একটি নোটিশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার এবং তাহার ঊর্ধ্বতন অফিসারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১১০। এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন প্রদেয় সমন বা পরোয়ানা ব্যতীত লাইসেন্স, লিখিত অনুমতি, নোটিশ বা অন্য কোনো দলিলে পুলিশ কমিশনারের স্বাক্ষর সিল মোহরাঙ্কিত করা হইলে উহা তদকর্তৃক স্বাক্ষরিত বলিয়া গণ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০৯। (১) এই আইনের অধীন জারিতব্য সকল গণবিজ্ঞপ্তি লিখিত এবং পুলিশ কমিশনার কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত গণবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে এইরুপ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজ্ঞপ্তিটির অনুলিপি লটকাইয়া বা সাঁটিয়া দিয়া অথবা ঢোল পিটাইয়া বিজ্ঞপ্তিটির বিষয় ঘোষণা করিয়া অথবা পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো স্থানীয় প্রত্রিকায় প্রকাশ করিয়া জনগণকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবহিত করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১১১। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মহানগরী এলাকার সন্নিহিত কোনো এলাকাকে মহানগরী এলাকার সহিত সংযুক্ত করিতে এবং মহানগরী এলাকার কোনো এলাকাকে মহানগরী হইতে কর্তন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১১২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১১৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পুলিশ কমিশনার, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং এই আইন ও বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবেন, যথা:-(ক) পোতাশ্রয়, রেলস্টেশন, লঞ্চ ও ফেরিঘাট, ইত্যাদিতে যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য কাজ করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরির হার নির্ধারণ;(খ) রাস্তায় ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে যানবাহন দাঁড় করাইয়া রাখিবার শর্তাবলি আরোপ এবং যানবাহন বা গবাদি পশুর বিশ্রামস্থল হিসাবে রাস্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ;(গ) রাস্তা ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে সকল প্রকার যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং জনসাধারণের অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে রাস্তা ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে অশ্বারোহণ, গাড়ি ও সাইকেল চালনা, হাঁটা এবং গবাদি পশুসহ চলাচল নিয়ন্ত্রণ;(ঘ) রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনে আলো ও বাতির সংখ্যা এবং উহাদের ব্যবহারের সময় নির্ধারণ;(ঙ) দিনের বেলায় রাস্তায় কখন গবাদি পশু চলাচল করিতে পারিবে না অথবা কোনো্ কোনো্ রাস্তা দিয়া চলাচল করিতে পারিবে না তাহা নির্ধারণ অথবা উহাদের চলাচলের উপর শর্ত আরোপ;(চ) রাস্তা দিয়া কাষ্ঠ, মই, লোহার পাত, রড ইত্যাদি জাতীয় লম্বা ও চওড়া দ্রব্যসামগ্রী বহনের সময় রাস্তা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ ও পদ্ধতি নির্ধারণ;(ছ) আশে পাশের বাসিন্দাদের এবং যানবাহন আরোহীদের অসুবিধা ও বিরক্তি দূরীকরণের উদ্দেশ্যে রাস্তায় সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে গান বাজনা, বাদ্য বাজনা, হর্ন বাজানো ইত্যাদির অনুমতি প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ;(জ) শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের আচরণ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং শোভাযাত্রা গমনাগমনের রাস্তা ও সময় নির্ধারণ;(ঝ) যানবাহন চলাচলে যাহাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হইতে না পারে তজ্জন্য রাস্তায় বাঁশ বা খাম্বা লাগানো বা ঝুলানো নিষিদ্ধকরণ;(ঞ) কোন রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বা অন্যান্য বস্তু ফেলিয়া রাখা অথবা গরু, ছাগল, ইত্যাদি বাঁধিয়া রাখা নিবারণ বা নিয়ন্ত্রণ;(ট) বাসিন্দাদের অসুবিধা দূরীকরণের জন্য নিম্নবর্ণিত বিষয় নিষিদ্ধ করিয়া লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ, যথা:-(অ) যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকার বা স্থানীয় সংস্থার কর্মচারী ব্যতীত অন্য কাহারও দ্বারা রাস্তা ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে আলোকসজ্জা করা;(আ) রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা উহার সন্নিকটে পাথর বিদীর্ণ করা অথবা মাটি খোঁড়া;(ই) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা উহার সন্নিকটে লাউড স্পিকার ব্যবহার; এবং(ঈ) পতনোন্মুখ বিল্ডিং এর বিপদ পরিহার বা অন্যান্য কারণবশত বিশেষ বিশেষ রাস্তায় সাময়িকভাবে চলাচল বন্ধ রাখা;(ঠ) কোনো বিল্ডিং, প্লাটফরম বা কাঠামো ধ্বংস করিবার সময় আঘাত লাগা বা অন্যান্য বিপদ হইতে জনসাধারণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;(ড) কাঠ-খড় অগ্নিদগ্ধ করা, বহ্ন্যুৎসব, বাজী পোড়ানো ও পটকা ফুটানো, ইত্যাদি নিবারণ বা নিয়ন্ত্রণ;(ঢ) সাধারণ চিত্তবিনোদন ও প্রমোদাগারের জন্য লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ;(ণ) জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে এবং সাধারণ চিত্তবিনোদন ও প্রমোদাগারে গমনাগমনের পথ নিয়ন্ত্রণ;(ত) জনসাধারণের চিত্তবিনোদন ও প্রমোদাগারে গান, বাজনা, নৃত্য, নাট্যাভিনয় বা অনুরূপ প্রকৃতির কোন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ;(থ) জনসাধারণের প্রমোদাগারে প্রবেশের জন্য টিকেট বিক্রয় অথবা পাস প্রদান নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণ; এবং(দ) এই আইনের অধীন কোনো লাইসেন্স বা অনুমতি প্রদানের ফিস নির্ধারণ।(২) এই ধারার অধীন প্রণীতব্য প্রবিধান প্রাক-প্রকাশ হইবে করিতে এবং সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিয়া ও সংশ্লিষ্ট এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লটকাইয়া জারি করিতে হইবে, তবে পুলিশ কমিশনার, সমীচীন মনে করিলে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দ্বারাও প্রকাশ করিতে পারিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আশু্ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহা হইলে প্রাক-প্রকাশনা না করিয়াও প্রবিধান প্রণয়ন করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১১৪।General Clauses Act, 1897এর section 3 এর সংশোধন।General Clauses Act, 1897(Act No. X of 1897) এর section 3 এর-(ক) clause (32a) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ clause (32a) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:“(32a) “Metropolitan Area” means any area declared As Metropolitan Area under any Act;”; এবং(খ) clause (39a) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ clause (39a) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:“(39a) “Police Commissioner” means the Police Commissioner appointed under any Act for any metropolitan area, and also includes an Additional Police Commissioner, a Joint Police Commissioner, a Deputy Police Commissioner, an Additional Deputy Police Commissioner, a Senior Assistant Police Commissioner and an Assistant Police Commissioner;”।"
|
|
}
|
|
],
|
|
"footnotes": [],
|
|
"copyright_info": {
|
|
"copyright_text": "Copyright©2019, Legislative and Parliamentary Affairs DivisionMinistry of Law, Justice and Parliamentary Affairs"
|
|
},
|
|
"source_url": "http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-1238.html",
|
|
"fetch_timestamp": "2025-07-19 02:37:14",
|
|
"csv_metadata": {
|
|
"act_title_from_csv": "গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন, ২০১৮",
|
|
"act_no_from_csv": "১৯",
|
|
"act_year_from_csv": "২০১৮",
|
|
"is_repealed": false
|
|
},
|
|
"token_count": 8638,
|
|
"language": "bengali",
|
|
"government_context": {
|
|
"govt_system": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
|
|
"position_head_govt": "Prime Minister",
|
|
"head_govt_name": "Sheikh Hasina",
|
|
"head_govt_designation": "Prime Minister of Bangladesh",
|
|
"how_got_power": "Democratic election (2009), subsequent controversial elections (2014, 2018, 2024)",
|
|
"period_years": "2009-2024",
|
|
"years_in_power": 15
|
|
},
|
|
"processing_info": {
|
|
"processed_timestamp": "2025-07-19 19:33:19",
|
|
"enhanced_with_reducer": true,
|
|
"enhanced_with_govt_context": true,
|
|
"language_detected": "bengali",
|
|
"token_count": 8523,
|
|
"legal_context_added": true,
|
|
"legal_context_timestamp": "2025-07-19 20:26:25",
|
|
"year_standardized": true,
|
|
"year_standardization_timestamp": "2025-07-19 20:35:52",
|
|
"legal_context_recovery_attempted": true,
|
|
"legal_context_recovery_timestamp": "2025-07-19 20:42:52",
|
|
"token_count_updated": true,
|
|
"token_count_update_timestamp": "2025-07-19 20:56:02",
|
|
"previous_token_count": 8523,
|
|
"accurate_token_count": 8638
|
|
},
|
|
"legal_system_context": {
|
|
"period_info": {
|
|
"period_name": "Awami League Dominance",
|
|
"year_range": "2008-2024",
|
|
"act_year": 2018
|
|
},
|
|
"legal_framework": {
|
|
"primary_laws": [
|
|
"15th Amendment (2011)",
|
|
"Cyber Security Act 2023",
|
|
"Digital Security Act",
|
|
"International Crimes Tribunal Act"
|
|
],
|
|
"court_system": [
|
|
"Supreme Court",
|
|
"High Court Division",
|
|
"Specialized Tribunals"
|
|
],
|
|
"legal_basis": "Constitutional parliamentary system",
|
|
"enforcement_mechanism": "Politicized judicial system"
|
|
},
|
|
"government_system": {
|
|
"type": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
|
|
"structure": "Single-party dominance",
|
|
"revenue_collection": "Modernized tax system",
|
|
"administrative_units": [
|
|
"8 Divisions",
|
|
"64 Districts",
|
|
"492 Upazilas",
|
|
"4,554 Unions"
|
|
]
|
|
},
|
|
"policing_system": {
|
|
"law_enforcement": "Politicized police force",
|
|
"military_police": "RAB, Police, Border Guards",
|
|
"jurisdiction": "Centralized political control"
|
|
},
|
|
"land_relations": {
|
|
"tenure_system": "Market-based with disputes",
|
|
"property_rights": "Development-focused acquisition",
|
|
"revenue_system": "Digital land records",
|
|
"peasant_status": "Modernization and displacement issues"
|
|
},
|
|
"key_characteristics": [
|
|
"Caretaker system abolition",
|
|
"War crimes tribunals",
|
|
"Digital governance initiatives",
|
|
"Authoritarian drift",
|
|
"Student movement repressions"
|
|
],
|
|
"context_added_timestamp": "2025-07-19 20:42:52",
|
|
"recovery_note": "Legal context added after year translation recovery"
|
|
}
|
|
} |