|
{
|
|
"act_title": "আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২১",
|
|
"act_no": "০৮",
|
|
"act_year": "2021",
|
|
"publication_date": "19/07/2025",
|
|
"sections": [
|
|
{
|
|
"section_title": "প্রারম্ভিক",
|
|
"section_content": "১। (১) এই আইনআয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২১নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ’ অর্থ ধারা ১০ এর অধীন নির্ধারিত মান ও মাত্রার আয়োডিনযুক্ত লবণ;(২) ‘ইনস্টিটিউট’ অর্থ এই আইনের অধীন ধারা ২৬ এর অধীন স্থাপিত জাতীয় লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট;(৩) ‘উৎপাদন’ অর্থ আয়োডিনবিহীন লবণের সহিত আয়োডিনযুক্তকরণের মাধ্যমে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ বা পরিশোধন;(৪) ‘উৎপাদনকারী’ অর্থ আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদনের সহিত যুক্ত নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান;(৫) ‘জাতীয় লবণ কমিটি’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন গঠিত জাতীয় লবণ কমিটি;(৬) ‘খাদ্য’ অর্থ-(ক)নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩(২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৪৩ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৩) এ সংজ্ঞায়িত ‘খাদ্য’;(খ) মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩৫ নং আইন) ধারা ২ এর দফা (ছ) তে সংজ্ঞায়িত ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প’, দফা (জ) তে সংজ্ঞায়িত ‘শিশু খাদ্য’, দফা (ঞ) তে সংজ্ঞায়িত ‘বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য’; এবং(গ)মৎস্যখাদ্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০(২০১০ সনের ২নং আইন) ধারা ২ এর দফা (৬) এ সংজ্ঞায়িত ‘পশুখাদ্য’ এবং দফা (১৩) তে সংজ্ঞায়িত ‘মৎস্যখাদ্য’;(৭) ‘গবেষণা ইনস্টিটিউট’ অর্থ ধারা ২৬ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট;(৮) ‘জেলা কমিটি’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত কোনো জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি;(৯) ‘তথ্যকেন্দ্র’ অর্থ ধারা ৮ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন স্থাপিত কোনো লবণ তথ্যকেন্দ্র;(১০) ‘নিবন্ধন’ অর্থ ধারা ২১ এর অধীন নিবন্ধন;(১১) ‘নির্ধারিত প্যাকেট’ অর্থ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত ভোজ্য লবণ বা ক্ষেত্রমতো, শিল্প লবণের প্যাকেট;(১২) ‘প্যাকেট’ অর্থ কোনো বাক্স, বোতল, ঝুড়ি, টিন, কৌটা, ব্যারেল, আধার (case), পাত্র, টিউব, গ্যাস, মগ, বস্তা বা অন্য কোনো সামগ্রী যাহাতে লবণ প্যাকেটজাত করিয়া বিপণন, বিক্রয় বা বিতরণ করা হয়;(১৩) ‘প্রান্তিক কমিটি’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত কোনো প্রান্তিক কমিটি;(১৪) ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’ অর্থCode of Criminal Procedure, 1898(Act No. V of 1898);(১৫) ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ অর্থ এই আইনের অধীন সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি;(১৬) ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন’ অর্থBangladesh Small and Cottage Industries Corporation Act, 1957(Act No. XVII of 1957) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Small and Cottage Industries Corporation;(১৭) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি;(১৮) ‘বিজ্ঞাপন’ অর্থে নোটিশ, পরিপত্র, খাম, প্যাকেট বা অন্য কোনো দলিলাদিসহ যে কোনো প্রকার প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ই-মেইল, ইন্টারনেট বা অন্য কোনো মাধ্যমে লিখিত, ছাপানো, শব্দ বা আলোর মাধ্যমে কোনো ঘোষণা বা উপস্থাপনাও অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১৯) ‘ব্যক্তি’ অর্থে স্বাভাবিক ব্যক্তিসহ কোনো কোম্পানি, সমিতি বা সংঘ, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;(২০) ‘ভোজ্য লবণ’ অর্থ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য নির্ধারিত জাতীয় মান-মাত্রায় আহার্য এবং মানুষ ও অন্যান্য খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার্য আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ;(২১) ‘লবণ কারখানা’ অর্থ লবণ পরিশোধনাগার বা লবণ আয়োডিনযুক্তকরণ কারখানা বা অন্য কোনো লবণ কারখানা;(২২) ‘শিল্প লবণ’ অর্থ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ব্যতীত অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্য উৎপাদনের শোধন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ বা কাঁচামাল হিসাবে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত লবণ।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩। এই আইনের বিধানাবলি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের বিধানাবলিকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া উহার অতিরিক্ত, এবং উহাদের হানিকর নয়, বলিয়া গণ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "কমিটি, কার্যাবলি, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একটি জাতীয় লবণ কমিটি থাকিবে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী জাতীয় লবণ কমিটির উপদেষ্টা হইবেন এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে উক্ত জাতীয় লবণ কমিটি গঠিত হইবে, যথা :-(ক) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;(খ) স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১(এক) জন কর্মকর্তা;(গ) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১(এক) জন কর্মকর্তা;(ঘ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন কর্মকর্তা;(ঙ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন কর্মকর্তা;(চ) খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন কর্মকর্তা;(ছ) তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন কর্মকর্তা;(জ) সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই);(ঝ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট;(ঞ) পরিচালক, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান;(ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত লবণ চাষিদের ১ (এক) জন প্রতিনিধি;(ঠ) সরকার কর্তৃক মনোনীত লবণ কারখানা মালিকদের ১ (এক) জন প্রতিনিধি;(ড) সরকার কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন লবণ বিশেষজ্ঞ;(ঢ) চেয়ারম্যান, বিসিক, যিনি কমিটির সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) মনোনীত সদস্যগণ উক্তরূপ মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যে-কোনো সময় প্রদত্ত মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবেন।(৩) কোনো সদস্য পদে কেবল শূন্যতা বা কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে জাতীয় লবণ কমিটির কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।(৪) আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল জাতীয় লবণ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, জাতীয় লবণ কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।(২) সভার আলোচ্যসূচি, তারিখ, সময় ও স্থান সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।(৩) সভাপতি কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত অন্য কোনো জ্যেষ্ঠ সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন।(৪) সভাপতি এবং অন্যূন ৫(পাঁচ) জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।(৫) সভাপতি এবং উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতি বা, ক্ষেত্রমত, সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।(৬) সভাপতি, সদস্যগণের সহিত আলোচনাক্রমে, প্রয়োজনে, সভার আলোচ্যসূচির সহিত সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ যে কোনো ব্যক্তিকে সভায় আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবেন, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬। জাতীয় লবণ কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-(ক) লবণের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুত, বিক্রয়, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, লবণ কারখানার জন্য আয়োডিনের সরবরাহ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনার নীতি বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন;(খ) আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সামগ্রিক কর্ম-কৌশল প্রণয়ন;(গ) মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী শিল্পে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার বাধ্যতামূলককরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন;(ঘ) লবণ গবেষণা এবং লবণ শিল্পের আধুনিকীকরণ ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন;(ঙ) জনসাধারণকে আয়োডিনযুক্ত লবণ ক্রয়ে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে উক্ত লবণ ব্যবহারের সুফল এবং ব্যবহার না করার কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ;(চ) আয়োডিনের জাতীয় মান এবং মানুষ ও প্রাণী-স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রা নির্ধারণে সুপারিশ প্রদান;(ছ) আয়োডিনবিহীন লবণ বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন;(জ) ধারা ১৯ ও ২০ এর অধীন নির্ধারিত আয়োডিনযুক্ত লবণের প্যাকেট ও লেবেলের অনুমোদন প্রদান;(ঝ) লবণ চাষিগণের প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;(ঞ) জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং প্রান্তিক কমিটিসমূহ হইতে প্রাপ্ত তথ্য ও সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;(ট) জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং প্রান্তিক কমিটিসমূহের কার্যক্রম সমন্বয়; এবং(ঠ) সরকার কর্তৃক, সময়ে সময়ে, প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, লবণ উৎপাদন, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, মোড়কীকরণ ও লেবেলিং প্রক্রিয়া তদারকিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, জেলা পর্যায়ে জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রান্তিক লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিতে পারিবে।(২) জেলা এবং প্রান্তিক লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন, কার্য-পরিধি এবং সভার কার্য-পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।(৩) সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য জেলা এবং প্রান্তিক লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "পর্যবেক্ষণ, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন",
|
|
"section_content": "৮। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, পরিশোধন, সরবরাহ সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ, জাতীয় লবণ কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল নামে একটি সেল গঠন করিবে।(২) সরকার, প্রয়োজনে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সেল এর পাশাপাশি বা অতিরিক্ত হিসাবে অন্য কোনো সংস্থাকে উক্তরূপ দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে।(৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, লবণ উৎপাদন, মজুত, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, আয়োডিনের অভাবজনিত সাম্প্রতিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য উক্ত সেলের আওতাধীন একটি আয়োডিনযুক্ত লবণ তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা যাইবে।(৪) এই ধারার অধীন গঠিত সেল ও তথ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব, কার্যাবলি এবং অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯। (১) জাতীয় লবণ কমিটি জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত জরিপে প্রাপ্ত তথ্যাদি মূল্যায়ন করিবে এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।(২) ধারা ৮ এর অধীন গঠিত আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত তথ্যাদি মূল্যায়নে জাতীয় লবণ কমিটিকে সহায়তা প্রদানসহ উক্ত কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০। (১) সরকার, জাতীয় লবণ কমিটির সুপারিশক্রমে, লবণ আয়োডিনযুক্তকরণের আন্তর্জাতিক মান ও জনস্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় মাত্রা নির্ধারণ পূর্বক, আয়োডিনের একটি জাতীয় মান-মাত্রা নির্ধারণ করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জাতীয় মান-মাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, জনস্বাস্থ্য পুষ্ঠি প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদসহ অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সহায়তা গ্রহণ করা যাইবে।(৩) আয়োডিনের জাতীয় মান-মাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন আয়োডিনের জাতীয় মান-মাত্রা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত, আয়োডিনযুক্ত লবণে নিম্নবর্ণিত উপাদানসমূহ থাকিবে, যথা :-(ক) অন্যূন ৯৬% ওজনের সোডিয়াম ক্লোরাইড;(খ) অনধিক ১.০% ওজনের পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ;(গ) অনধিক ৩.০% ওজনের সোডিয়ামক্লোরাইড ব্যতীত, পানিতে দ্রবণীয় পদার্থ;(ঘ) উৎপাদন পর্যায়ে ৩০-৫০ পিপিএম এবং খুচরা পর্যায়ে ২০-৫০ পিপিএম মাত্রার আয়োডিন; এবং(ঙ) জলীয় অংশের পরিমাণ অনধিক ৬.০ শতাংশ।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "লবণ উৎপাদন, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "১১। লবণ উৎপাদন, পরিশোধন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং উৎপাদিত, পরিশোধিত ও প্রক্রিয়াজাতকৃত লবণের বিজ্ঞানভিত্তিক সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে উৎপাদনকারী ব্যক্তি বা সমিতি কর্তৃক সরাসরি লবণ কারখানায় প্রেরণের জন্য সরকার বা, ক্ষেত্রমতো, জাতীয় লবণ কমিটি, জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রান্তিক কমিটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১২। (১) ভোজ্য লবণ পরিশোধনকারী ব্যক্তি, ভোজ্য লবণ সমৃদ্ধকরণের গুণগতমান নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে, ধারা ১০ এর অধীন নির্ধারিত জাতীয় মান-মাত্রা অনুযায়ী উহার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ গুণগতমান নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।(২) ভোজ্য লবণ পরিশোধনকারী ভোজ্য লবণ সমৃদ্ধকরণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত আয়োডিনের চালান এবং পরিমাণের হিসাব সংরক্ষণসহ উক্ত আয়োডিন ব্যবহারের পূর্বে যথাযথ স্থানে এবং উপযুক্ত অবস্থায় মজুত রাখিবে।(৩) প্রত্যেক ভোজ্য লবণ পরিশোধনকারী কারখানা তৎকর্তৃক সমৃদ্ধকৃত ভোজ্য লবণের নমুনা কোনো অ্যাক্রোডিটেশন সনদপ্রাপ্ত পরীক্ষাগারের মাধ্যমে পরীক্ষা করিবে এবং এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত মাত্রা অনুযায়ী সমৃদ্ধকরণ নিশ্চিত করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৩। (১) প্রত্যেক লবণ পরিশোধনাগার, অপরিশোধিত লবণ এমনভাবে পরিশোধন করিবে যাহাতে উহার মৌলিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ থাকে এবং পরিশোধিত লবণে কোনো মৃত্তিকাজাত বা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান বিদ্যমান না থাকে।(২) ভোজ্য লবণ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণির খাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত সকল লবণ আয়োডিনযুক্ত হইবে।(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিশোধিত লবণ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আয়োডিনযুক্ত করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৪। (১) সরকার, জাতীয় লবণ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, লবণ পরিশোধনাগার ও আয়োডিনযুক্তকারী কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ আয়োডিনের সরবরাহ নিশ্চিত করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার এতদ্বিষয়ে কার্যক্রম রহিয়াছে এইরূপ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৫। (১) ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন লবণের উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদনের বিজ্ঞানভিত্তিক কৌশল প্রয়োগ, নিরাপদ উৎপাদন, পরিশোধন এবং অন্যান্য বিষয়ে লবণ উৎপাদনকারী ও পরিশোধকারীগণকে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, প্রয়োজনে, জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি বা প্রান্তিক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৬। সমবায়ের ভিত্তিতে লবণ উৎপাদন, পরিশোধন, পরিবহণ ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে, লবণ চাষিগণের সমন্বয়েসমবায় সমিতি আইন, ২০০১(২০০১ সনের ৪৭ নং আইন) এর অধীন প্রয়োজনীয় সংখ্যক সমিতি গঠন করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৭। সরকার বা, ক্ষেত্রমত, ধারা ৪ এর অধীন গঠিত কমিটি পৃথক বা সমন্বিতভাবে, লবণ চাষিগণের জন্য লবণ মৌসুম বহির্ভূত সময়ের জন্য বিকল্প পেশা অন্বেষণ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৮। লবণ কারখানার মালিকগণ লবণ কারাখানায় অপরিশোধিত লবণ ক্রয় ও মজুতের পরিমাণ এবং অপরিশোধিত লবণ পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, মজুত ও এতদ্সংক্রান্ত তথ্য ধারা ৮ এর অধীন গঠিত আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেলে প্রেরণ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "প্যাকেজিং ও লেবেলিং",
|
|
"section_content": "১৯। (১) কোনো ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিতরূপে প্রস্তুতকৃত প্যাকেট ব্যতীত অন্য কোনো প্রকারে ভোজ্য লবণ বিক্রয়, গুদামজাত, বিতরণ বা সরবরাহ করিতে পারিবে না।(২) ভোজ্য লবণ স্বচ্ছ ও ফুড গ্রেড (Transparent and Food grade) প্যাকেট বাজারজাত করিতে হইবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, স্বচ্ছ ও ফুড গ্রেড প্যাকেটে ভোজ্য লবণ বাজারজাতকরণের জন্য এই আইন কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ২ (দুই) মাস সময় প্রদান করা যাইবে।(৪) ভোজ্য লবণের প্যাকেটের আকার ও পরিমাণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে :তবে শর্ত থাকে যে, বিধি দ্বারা ভোজ্য লবণের প্যাকেটের আকার ও পরিমাণ নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত উহার পরিমাণ প্রতিটি প্যাকেট ২৫০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম, ১০০০ গ্রাম এবং ২০০০ গ্রাম বিশিষ্ট হইবে।(৫) উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, টেবিল সল্ট হিসাবে ব্যবহৃত ভোজ্য লবণ ৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম বা ২৫০ গ্রামের শক্ত মোড়ক বা পাত্রে বাজারজাত করা যাইবে।(৬) ভোজ্য লবণের প্রত্যেক প্যাকেটের উপর নিম্নরূপ তথ্যাদি সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকিবে, যথা :-(ক) উৎপাদনকারীর নাম ও ঠিকানা;(খ) লবণের পরিমাণ এবং উহার উৎপাদন, পরিশোধন, প্যাকেটজাত করিবার ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ;(গ) ব্যাচ নম্বর;(ঘ) সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য; এবং(ঙ) লবণে আয়োডিন মিশ্রিতকরণ এবং উহার পরিমাণ।(৭) সকল লবণ উৎপাদনকারী জাতীয় লবণ কমিটির পরামর্শ বা দিক-নির্দেশনার আলোকে ভোজ্য লবণের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করিবে।(৮) কোনো প্যাকেটে উল্লিখিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের অধিক মূল্যে ভোজ্য লবণ বিক্রয় করা যাইবে না।(৯) সকল ভোজ্য লবণের প্যাকেটে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন কর্তৃক অনুমোদিত লেবেল ব্যবহার করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২০। (১) শিল্প লবণ হলুদ রং এর প্যাকেটে বাজারজাত করিতে হইবে।(২) শিল্প লবণের প্যাকেটের আকার, পরিমাণ ও লিপিবদ্ধযোগ্য তথ্যাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "নিবন্ধন, নবায়ন, বাতিল, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "২১। (১) কোনো ব্যক্তি কোনো প্রকার লবণ আমদানি, লবণ উৎপাদন, গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারী সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্তকরণ কারখানা বা অন্য কোনো লবণ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনা করিতে চাহিলে তাহাকে এই আইনের অধীন নিবন্ধিত হইতে হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধনের জন্য ইচ্ছুক ব্যক্তিকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ফর্মে এবং ফি পরিশোধ সাপেক্ষে, সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট আবেদন করিতে হইবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনকৃত আবেদন বিষয়ে সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি অনুযায়ী নিবন্ধনযোগ্য, তাহা হইলে উক্ত আবেদন প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উহা মঞ্জুর করত আবেদনকারী বরাবর নিবন্ধন সনদ ইস্যু করিবে, বা উক্তরূপ আবেদন নামঞ্জুর করা হইলে উহার কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত সিদ্ধান্ত আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন ইস্যুকৃত নিবন্ধনের মেয়াদ হইবে উহা প্রদানের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর।(৫) নিবন্ধনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার অন্যূন ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি পরিশোধ সাপেক্ষে, নিবন্ধন নবায়ন করিতে হইবে।(৬) এই ধারার অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন সনদে উহার মেয়াদ, নিবন্ধনের শর্ত ও নবায়নের সময় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকিবে।(৭) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিবন্ধন ফি, নিবন্ধনের শর্তাদি ও নবায়ন ফি-এর হার নির্ধারণ করিতে পারিবে,তবে উক্তরূপ প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ এই আইন কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসরের অধিক হইবে না।(৮) এই ধারার অধীন নিবন্ধন গ্রহণ সাপেক্ষে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তে শিল্প কারখানায় খাদ্যদ্রব্য নহে এইরূপ কোনো বাণিজ্যিক পণ্য উৎপাদনে শোধন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ বা কাঁচামাল হিসাবে শিল্প লবণ উৎপাদন ও ব্যবহার করা যাইবে।(৯) এই ধারার অধীন বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, বিদ্যমান বিধি-বিধান মোতাবেক, নিবন্ধন প্রদান করিতে পারিবে।(১০) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, লবণ চাষি কর্তৃক উৎপাদিত অপরিশোধিত লবণ সংরক্ষণ বা মজুত এবং উহা কোনো লবণ কারখানায় বিক্রয়, সরবরাহ বা পরিবহণের ক্ষেত্রে নিবন্ধন বা পঞ্চম অধ্যায়ে উল্লিখিত প্যাকেজিং বা লেবেলিং সংক্রান্ত বিধান প্রযোজ্য হইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২২। (১) এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করা হইলে বা নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কোনো শর্ত ভঙ্গ করা হইলে বা নিবন্ধন প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য প্রদান করা হইলে, সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত নিবন্ধন স্থগিত বা, ক্ষেত্রমত, বাতিল করিতে পারিবে।(২) নিবন্ধন গ্রহীতাকে অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিনের কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান না করিয়া উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো নিবন্ধন স্থগিত বা, ক্ষেত্রমত, বাতিল করা যাইবে না।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ দ্বারা কোনো নিবন্ধন গ্রহীতা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন।(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আপিল আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে এতদ্বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত চুড়ান্তহইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "রেজিস্টার, পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ",
|
|
"section_content": "২৩। সকল লবণ পরিশোধনাগার বা কারখানা লবণ চাষিগণের নিকট হইতে অপরিশোধিত লবণ ক্রয় এবং উহা পরিশোধন ও আয়োডিনযুক্তকরণ, বিক্রয়, বিতরণ, মজুত, সরবরাহ ও এতদ্সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, রেজিস্টারে লিপিবদ্ধক্রমে উহা সংরক্ষণ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৪। এই আইনের অধীন প্রত্যেক নিবন্ধন গ্রহীতা লবণ উৎপাদন, আয়োডিনযুক্তকরণ, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও অন্যান্য বিষয়াদি সংক্রান্ত তথ্যাদি ও কাগজপত্র, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সংরক্ষণ করিবেন, এবং সরকার বা নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উহা তাৎক্ষণিকভাবে প্রদর্শনে বাধ্য থাকিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৫। (১) সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের কোনো পরিদর্শক লবণ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ তথ্য ও এতদ্সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র এবং যে কোনো লবণ কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান, গুদাম বা কোনো স্থানে রক্ষিত লবণ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিদর্শন ও লবণের নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবেন এবং উহা পরীক্ষার জন্য লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণাগারে বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোনো গবেষণাগারে প্রেরণ করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো লবণ কারখানা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান, গুদাম বা স্থানে রক্ষিত লবণ পরিদর্শনকালে পরিদর্শক লবণ রেজিস্টার, হিসাব বহিসহ সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ড পরীক্ষা করা হইয়াছে মর্মে স্বাক্ষর করিবেন এবং এতদ্সংক্রান্ত একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেলে দাখিল করিবেন।(৩) সরকার উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত পরিদর্শন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করিবে, এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উহার ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "২৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, আয়োডিনযুক্ত লবণ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনার উদ্দেশ্যে, একটি লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং উহার কার্যক্রম শুরু করিবার পূর্ব পর্যন্ত সময়ের জন্য, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো গবেষণাগারকে লবণ গবেষণাগার হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্থান, গবেষক নিয়োগ, জনবল কাঠামো, কর্মের পরিধি, শর্ত, কার্যপদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৭। লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-(ক) লবণ উৎপাদন, পরিশোধন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের সুপারিশ;(খ) লবণ উৎপাদনে বৈশ্বিকভাবে ব্যবহৃত অধিক উৎপাদনশীল পদ্ধতি বিষয়ে অবহিত হওয়া এবং উহার আলোকে গবেষণাপূর্বক বাংলাদেশের উপযোগী লবণ উৎপাদন, পরিশোধন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পদ্ধতির প্রবর্তন;(গ) দেশীয় উন্নত ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি উদ্ভাবন;(ঘ) যুগোপযোগী ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন;(ঙ) উপকূলীয় এলাকার সম্ভাব্য সকল স্থানে লবণ উৎপাদনসহ মৌসুমী চাষ পদ্ধতির পরিবর্তে সারা বৎসরব্যাপী লবণ উৎপাদনের পদ্ধতি উদ্ভাবন; এবং(চ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো কার্য সম্পাদন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "লবণ প্রক্রিয়াকরণ শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা",
|
|
"section_content": "২৮। (১) লবণ উৎপাদন, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, সরবরাহসহ উহাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তদারকির স্বার্থে সরকার এক বা একাধিক লবণ প্রক্রিয়াকরণ শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে।(২) লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পাঞ্চলে স্থাপিত কারখানাকে সরকার বিশেষ সুবিধা প্রদান করিতে পারিবে।(৩) লবণ প্রক্রিয়াকরণ শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।ব্যাখ্যা।-এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘বিশেষ সুবিধা’ অর্থ সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ, আর্থিক প্রণোদনা, উৎপাদন উপাদান সরবরাহ, ভর্তুকি প্রদান এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো সুবিধা।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "প্রবেশ, তল্লাশি, আটক, বাজেয়াপ্তি, নিলাম, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "২৯। সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলি সাপেক্ষে নিম্নবর্ণিত কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন, যথা :-(ক) লবণ পরিশোধন ও আয়োডিনযুক্তকরণ কারখানায় এবং গুদামজাতকরণের স্থানে প্রবেশ, পরিদর্শন ও বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি;(খ) লবণ পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ বা গুদামজাতকরণ সংক্রান্ত হিসাব বই, রেজিস্টার ও অন্যান্য নথিপত্র পরীক্ষা;(গ) লবণ পরিশোধন ও আয়োডিনযুক্তকরণে ব্যবহৃত সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও উপাদান পরীক্ষা এবং প্যাকেটকৃত লবণের ওজন পরীক্ষা;(ঘ) লবণ পরিশোধন ও আয়োডিনযুক্তকরণে ব্যবহৃত সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও উপাদান পরীক্ষা এবং প্যাকেটকৃত লবণের ওজন পরীক্ষান্তে উহা সঠিক পাওয়া না গেলে বা ত্রুটিযুক্ত পাওয়া গেলে উহা আটক।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩০। এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, যে সকল পণ্য, উপাদান, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে উহা বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩১। (১) এই আইনের অধীন পরিচালিত তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে, কোনো পণ্য ধারা ৩০ এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য, তাহা হইলে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হউক বা না হউক, তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত পণ্য বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।(২) যদি কোনো ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো বস্তু আটক করা হয়, কিন্তু উহার সহিত সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন।(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ প্রদানের পূর্বে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদানের জন্য নোটিশ জারি করিতে হইবে, এবং উক্ত নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারির তারিখ হইতে অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।(৪) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে-(ক) জেলা প্রশাসক ব্যতীত অন্য কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট, এবং(খ) জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের নিকট, আপিল করিতে পারিবেন।(৫) আপিল কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করিবেন এবং এই বিষয়ে আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩২। এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো দ্রব্যের বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যসমূহ সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং তিনি উহা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বিলি বন্দেজের ব্যবস্থা করিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "অপরাধ ও দণ্ড",
|
|
"section_content": "৩৩। (১) এই আইনের অধীন নিবন্ধন গ্রহণ না করিয়া কোনো ব্যক্তি-(ক) কোনো প্রকার লবণ আমদানি; বা(খ) লবণ গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্তকরণ কারখানা পরিচালনা করিবেন না।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০(দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, কিন্তু ২০(বিশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৪। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত গুণগতমান নিশ্চিত না করিয়া কোনো ব্যক্তি লবণ পরিশোধন করিবেন না।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০(দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, কিন্তু ২০(বিশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৫।(১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত মাত্রার আয়োডিনযুক্ত না করিয়া কোনো ব্যক্তি ভোজ্য লবণ বিক্রয় করিবেন না।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১৫(পনেরো) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, কিন্তু ২৫(পঁচিশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন :তবে শর্ত থাকে যে, কোনো এজেন্ট, ডিলার বা সরবরাহকারীর নিকট হইতে লবণ ক্রয় করিয়া কেবল মুদি দোকানে খুচরা বিক্রয় করেন, এইরূপ কোনো খুচরা লবণ বিক্রেতার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না :আরও শর্ত থাকে যে, কোনো এজেন্ট, ডিলার বা সরবরাহকারীর যদি ইহা প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, তিনি কেবল আয়োডিনযুক্ত বা প্যাকেটযুক্ত বা লেবেলযুক্ত লবণ সরবরাহের কাজে নিযুক্ত ছিলেন, কোনো পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্তকরণ কারখানার লবণ উৎপাদনের সহিত জড়িত ছিলেন না, তাহা হইলে তাহার ক্ষেত্রেও এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৬। (১) কোনো ব্যক্তি-(ক) কোনো লবণ, প্যাকেটবিহীন বা লেবেলবিহীন অবস্থায়, কোনো এজেন্ট, ডিলার, সংরক্ষণকারী বা খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পরিবহণ বা সংরক্ষণ করিবেন না;(খ) এই আইন বা বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত প্যাকেট বা লেবেল ব্যতীত কোনো ভোজ্য লবণ বিক্রয় করিবেন না বা বিক্রয়ের জন্য গুদামজাত, সরবরাহ, বিতরণ বা প্রদর্শন করিবেন না; বা(গ) এই আইন বা বিধি অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত প্যাকেট বা লেবেল ব্যতীত কোনো অ-ভোজ্য বা শিল্প লবণ বিক্রয় করিবেন না বা বিক্রয়ের জন্য গুদামজাত, সরবরাহ, বিতরণ বা প্রদর্শন করিবেন না।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০(দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, কিন্তু ২০(বিশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৭। (১) কোনো ব্যক্তি লবণের প্যাকেটের উপর এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত তথ্য, যেমন- সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, ব্যবহার-বিধি, ব্যাচ নম্বর, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিবেন।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১(এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, কিন্তু ২০(বিশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৮। (১) কোনো ব্যক্তি ভোজ্য লবণ হিসাবে আয়োডিনবিহীন লবণ উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ, মজুত বা সরবরাহ করিবেন না বা আয়োডিনবিহীন লবণ ব্যবহার করিয়া বাণিজ্যিকভাবে কোনো খাদ্য প্রস্তুত করিবেন না বা এমন কোনো সরঞ্জামাদি ব্যবহারে জন্য তৈরি করিবেন না যাহাতে উক্তরূপ লবণ বা খাদ্য গ্রহণ কিংবা সরঞ্জামাদি ব্যবহারের ফলে অন্য কোনো ব্যক্তির জীবন বা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিপন্ন হয়।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০(বিশ) লক্ষ টাকা, কিন্তু ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকার নিম্নে নহে, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন গৃহীত অর্থদন্ড ক্ষতিপূরণ হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, প্রদান করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৯। (১) কোনো ব্যক্তি-(ক) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোনো ভোজ্য লবণ বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করিবেন না; বা(খ) ভোজ্য লবণ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা তথ্যসম্বলিত বিজ্ঞাপন তৈরি বা প্রচার করিবেন না।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১(এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা, কিন্তু ৫,০০০(পাঁচ হাজার) টাকার নিম্নে নহে, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪০। (১) প্রত্যেক লবণ পরিশোধনাগার বা কারখানা লবণ চাষীগণের নিকট হইতে অপরিশোধিত লবণ ক্রয় এবং উহা পরিশোধন ও আয়োডিনযুক্তকরণ, বিক্রয়, বিতরণ, মজুত, সরবরাহ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিয়া উহা সংরক্ষণ করিবেন।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত লবণ পরিশোধনাগার বা কারখানা পরিচালনাকারী ব্যক্তি অনধিক ১(এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২(দুই) লক্ষ টাকা, কিন্তু ২০(বিশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪১। এই আইনে উল্লিখিত কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় বার কিংবা পৌনঃপুনিক অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি পর্যায়ক্রমিকভাবে উক্ত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪২। যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কার্য করেন বা করা হইতে বিরত থাকেন যাহা এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধানের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশ অমান্য করিবার সামিল, কিন্তু তজ্জন্য এই আইনে কোনো স্বতন্ত্র দণ্ডের বিধান রাখা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ডে কিন্তু ১০(দশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, দণ্ডিত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "অপরাধের বিচার, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৪৩। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৪। (১) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable), জামিনযোগ্য (bailable) এবং আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।(২) ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।(৩) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার অধীন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং বিচার সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৫। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির উপর এই আইনের অধীন অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনে উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৬। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘনকারী বা অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানি হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানির মালিক, অংশীদার, স্বত্ত্বাধিকারী, চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজার, ম্যানেজার, সচিব বা প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী বা এজেন্ট, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, বিধানটি লঙ্ঘন বা অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়া অকৃতকার্য হইয়াছেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত ব্যাক্তিসত্ত্বা (Body Corporate) হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারি মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।ব্যাখ্যা।-এই ধারায়-(ক) ‘কোম্পানি’ অর্থে যে কোনো সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ হউক না হউক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি, সংঘ বা সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘পরিচালক’ অর্থে উহার কোনো অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যও অন্তর্ভুক্ত হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "বিবিধ",
|
|
"section_content": "৪৮।এই আইনের কোনো বিধানের অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, সরকার, এই আইনের অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।(২) ইংরেজি পাঠ এবং মূল বাংলা পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫১। (১)আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৯(১৯৮৯ সালের ১০ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত আইনের অধীন-(ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) সংরক্ষিত সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য সকল দলিল-দস্তাবেজ আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেলের নিকট হস্তান্তরিত হইবে এবং উক্ত সেল উহার অধিকারী হইবে;(গ) প্রণীত কোনো বিধিমালা, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নিবন্ধন উক্তরূপ রহিতের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, এই আইনের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন প্রণীত, জারিকৃত ও প্রদত্ত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে; এবং(ঘ) দায়েরকৃত কোনো মামলা বিচারাধীন থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই।"
|
|
}
|
|
],
|
|
"footnotes": [],
|
|
"copyright_info": {
|
|
"copyright_text": "Copyright©2019, Legislative and Parliamentary Affairs DivisionMinistry of Law, Justice and Parliamentary Affairs"
|
|
},
|
|
"source_url": "http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-1373.html",
|
|
"fetch_timestamp": "2025-07-19 02:40:46",
|
|
"csv_metadata": {
|
|
"act_title_from_csv": "আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২১",
|
|
"act_no_from_csv": "০৮",
|
|
"act_year_from_csv": "২০২১",
|
|
"is_repealed": false
|
|
},
|
|
"token_count": 4740,
|
|
"language": "bengali",
|
|
"government_context": {
|
|
"govt_system": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
|
|
"position_head_govt": "Prime Minister",
|
|
"head_govt_name": "Sheikh Hasina",
|
|
"head_govt_designation": "Prime Minister of Bangladesh",
|
|
"how_got_power": "Democratic election (2009), subsequent controversial elections (2014, 2018, 2024)",
|
|
"period_years": "2009-2024",
|
|
"years_in_power": 15
|
|
},
|
|
"processing_info": {
|
|
"processed_timestamp": "2025-07-19 19:33:20",
|
|
"enhanced_with_reducer": true,
|
|
"enhanced_with_govt_context": true,
|
|
"language_detected": "bengali",
|
|
"token_count": 4626,
|
|
"legal_context_added": true,
|
|
"legal_context_timestamp": "2025-07-19 20:26:25",
|
|
"year_standardized": true,
|
|
"year_standardization_timestamp": "2025-07-19 20:35:55",
|
|
"legal_context_recovery_attempted": true,
|
|
"legal_context_recovery_timestamp": "2025-07-19 20:42:54",
|
|
"token_count_updated": true,
|
|
"token_count_update_timestamp": "2025-07-19 20:56:04",
|
|
"previous_token_count": 4626,
|
|
"accurate_token_count": 4740
|
|
},
|
|
"legal_system_context": {
|
|
"period_info": {
|
|
"period_name": "Awami League Dominance",
|
|
"year_range": "2008-2024",
|
|
"act_year": 2021
|
|
},
|
|
"legal_framework": {
|
|
"primary_laws": [
|
|
"15th Amendment (2011)",
|
|
"Cyber Security Act 2023",
|
|
"Digital Security Act",
|
|
"International Crimes Tribunal Act"
|
|
],
|
|
"court_system": [
|
|
"Supreme Court",
|
|
"High Court Division",
|
|
"Specialized Tribunals"
|
|
],
|
|
"legal_basis": "Constitutional parliamentary system",
|
|
"enforcement_mechanism": "Politicized judicial system"
|
|
},
|
|
"government_system": {
|
|
"type": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
|
|
"structure": "Single-party dominance",
|
|
"revenue_collection": "Modernized tax system",
|
|
"administrative_units": [
|
|
"8 Divisions",
|
|
"64 Districts",
|
|
"492 Upazilas",
|
|
"4,554 Unions"
|
|
]
|
|
},
|
|
"policing_system": {
|
|
"law_enforcement": "Politicized police force",
|
|
"military_police": "RAB, Police, Border Guards",
|
|
"jurisdiction": "Centralized political control"
|
|
},
|
|
"land_relations": {
|
|
"tenure_system": "Market-based with disputes",
|
|
"property_rights": "Development-focused acquisition",
|
|
"revenue_system": "Digital land records",
|
|
"peasant_status": "Modernization and displacement issues"
|
|
},
|
|
"key_characteristics": [
|
|
"Caretaker system abolition",
|
|
"War crimes tribunals",
|
|
"Digital governance initiatives",
|
|
"Authoritarian drift",
|
|
"Student movement repressions"
|
|
],
|
|
"context_added_timestamp": "2025-07-19 20:42:54",
|
|
"recovery_note": "Legal context added after year translation recovery"
|
|
}
|
|
} |