|
{
|
|
"act_title": "পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪",
|
|
"act_no": "০৯",
|
|
"act_year": "2024",
|
|
"publication_date": "19/07/2025",
|
|
"sections": [
|
|
{
|
|
"section_title": "প্রারম্ভিক",
|
|
"section_content": "১। (১) এই আইন ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’ নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে সকল পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।*এস, আর, ও নং ৪২৭-আইন/২০২৪, তারিখ: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং দ্বারা ১৬ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক উক্ত আইনের ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (৪) এবং ধারা ৩১ বিগত ১২ আগষ্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ হইতে কার্যকর এবং অন্যান্য ধারাসমূহ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে—(১) ‘অগ্রিম পরিশোধিত পরিশোধ দলিল (Prepaid Payment Instrument)’ অর্থ অগ্রিম পরিশোধিত অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট অংকের আর্থিক মূল্য সম্বলিত কোনো কাগুজে বা ইলেকট্রনিক দলিল, যাহা পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ বা লেনদেনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার হইতে পারে।(২) ‘আইনস্বীকৃত মুদ্রা (Legal Tender)’ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রা যাহা পণ্য ও সেবার মূল্য এবং ঋণ পরিশোধের মাধ্যম হিসাবে আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য;(৩) ‘আউটসোর্সিং (Outsourcing)’ অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর কোনো কার্যক্রম বা কার্যক্রমের অংশবিশেষ অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্পাদন করা;(৪) ‘ই-ওয়ালেট (e-Wallet)’ অর্থ ইলেকট্রনিক মুদ্রা সংরক্ষণের আধার;(৫) ‘ইলেকট্রনিক মুদ্রা (Electronic Money)’ অর্থ আইনস্বীকৃত মুদ্রার বিপরীতে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আর্থিক মূল্য, যাহা লেনদেনের বা আমানতের বা আর্থিক দায় পরিশোধের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় এবং যাহা সকলে পরিশোধ-মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে;(৬) ‘ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর (Electronic Fund Transfer-EFT)’ অর্থ তহবিল স্থানান্তর যাহা পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ও পরিশোধ সেবাদানকারীকে উহাদের সহিত রক্ষিত হিসাব হইতে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে অর্থ আকলন (Credit) বা বিকলন (Debit) করিবার আদেশ বা ক্ষমতা প্রদান দ্বারা উদ্ভূত হয়;(৭) ‘এজেন্ট’ অর্থ এই আইনের আওতায় গ্রাহককে পরিশোধ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পরিশোধ সেবা প্রদানকারী কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি;(৮) ‘কেন্দ্রীয় সরকারি সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি (Central Government Securities Depository)’ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি সিকিউরিটিজের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার, যাহাতে অন্যান্যের মধ্যে, সরকারি সিকিউরিটিজ ইস্যু, প্রত্যাহার এবং ইহার মালিকানা সংক্রান্ত তথ্যাদি ইলেকট্রনিক উপায়ে সংরক্ষিত থাকে;(৯) ‘ক্রেডিট কার্ড’ অর্থ এমন কোনো কার্ড যাহা যাচাইকরণ ও প্রমাণীকরণের পর উহার ধারককে একটি নির্দিষ্ট সময়ান্তে পরিশোধের শর্তে পণ্য বা সেবা ক্রয় ও নগদ উত্তোলন করিবার অধিকার প্রদান করে;(১০) ‘ক্রেডিট ব্যুরো (Credit Bureau)’ অর্থ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঋণমান নির্ধারণের নিমিত্তে এই আইনের অধীন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান দ্বারা অনুমোদিত বা উন্মুক্ত উৎস হইতে আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে এবং তাহা বিশ্লেষণপূর্বক ঋণমান নির্ধারণ করে;(১১) ‘কোম্পানি’ অর্থ এই আইনের অধীন কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যেকোম্পানী আইন, ১৯৯৪(১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন গঠিত এবং নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি;(১২) ‘গ্রাহক’ অর্থ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান—(ক) যাহার সহিত কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক রহিয়াছে;(খ) যাহার জন্য কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী লেনদেন করিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা লেনদেন করিতে আগ্রহী; এবং(গ) যিনি ব্যাংক হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ই-ওয়ালেট বা অন্য কোনো অনুমোদিত মাধ্যম ব্যবহার করিয়া লেনদেন পরিচালনা করিতে আগ্রহী;(১৩) ‘চেক (Cheque)’ অর্থNegotiable Instruments Act, 1881(Act No. XXVI of 1881) এর section 6 এ সংজ্ঞায়িত ‘Cheque’;(১৪) ‘ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট (Trust and Settlement Account)’ অর্থ এমন এক ধরনের সংরক্ষিত ব্যাংক হিসাব, যেখানে পরিশোধ সেবাদানকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত ইলেকট্রনিক মুদ্রার বিপরীতে গ্রাহকের অর্থ জমা রাখা হয় অথবা পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা উক্ত হিসাব পরিচালনার জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহীতার অর্থ জমা রাখা হয় এবং এই হিসাবে জমাকৃত অর্থ অনুমোদিত খাত ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায় না;(১৫) ‘ডেবিট কার্ড’ অর্থ এমন কোনো কার্ড যাহা যাচাইকরণ ও প্রমাণীকরণের পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব হইতে নগদ অর্থ উত্তোলন, দ্রব্য ও সেবার মূল্য পরিশোধে ব্যবহৃত হয়;(১৬) ‘তারল্য সুবিধা’ (Liquidity Facility)’ অর্থ এমন এক সাময়িক ঋণ-সুবিধা, যাহা পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণ সহায়ক জামানতের বিপরীতে গ্রহণপূর্বক তাৎক্ষণিক দায়-দেনা নিষ্পত্তি করে;(১৭) ‘নগদ অর্থ বা অর্থ (Cash)’ অর্থ আইনস্বীকৃত মুদ্রা;(১৮) ‘নিকাশ (Clearing)’ অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণের মধ্যে বা পরিশোধ ব্যবস্থাসমূহের মধ্যে বা পরিশোধ সেবাদানকারীগণের মধ্যে পরিশোধ-নির্দেশ বিনিময়, বাছাই ও নেটিং করা;(১৯) ‘নির্ভরশীলতাজনিত ঝুঁকি (Systemic Risk)’ অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থায় কোনো অংশগ্রহণকারীর দায় পরিশোধের অক্ষমতার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি, যাহা পরিশোধ ব্যবস্থার অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের দায় পরিশোধের অক্ষমতা বা আর্থিক ক্ষতির কারণ হইতে পারে;(২০) ‘নিশ্চিতকরণ (Authentication)’ অর্থ এমন এক প্রক্রিয়া, যাহার মাধ্যমে পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী উহার গ্রাহকের পরিচয় সম্পর্র্কে নিশ্চিত হয়;(২১) ‘নিষ্পত্তি (Settlement)’ অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণের বা গ্রাহকগণের মধ্যে বুক এন্ট্রি পদ্ধতিতে অর্থ বা সরকারি সিকিউরিটিজের দেনা-পাওনার সমাপ্তি;(২২) ‘নিষ্পত্তি প্রতিনিধি (Settlement Agent)’ অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থার এমন এক অংশগ্রহণকারী, যে অপর অংশগ্রহণকারীর পক্ষে নিজ হিসাবে দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করে;(২৩) ‘নিষ্পত্তি ব্যবস্থা (Settlement System)’ অর্থ গ্রাহকগণের বা পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণের মধ্যে অর্থ বা সরকারি সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত দেনা-পাওনা সমাপ্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বা তৎকর্তৃক মনোনীত ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক পরিচালিত ব্যবস্থা;(২৪) ‘নেটিং (Netting)’ অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ান্তে পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণের পরস্পরের মধ্যে নিট দেনা-পাওনা নিরূপণ;(২৫) ‘পরিশোধ (Payment)’ অর্থ প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর মধ্যে আর্থিক মূল্য হস্তান্তরের নিমিত্ত গ্রহণযোগ্য তৃতীয় কোনো পক্ষের উপর দাবি স্থানান্তর, যাহা আইনস্বীকৃত মুদ্রা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রা বা বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে কার্যকর হয়;(২৬) ‘পরিশোধ দলিল (Payment Instrument)’ অর্থ স্বীকৃত কোনো কাগুজে বা ইলেকট্রনিক দলিল, যাহার মাধ্যমে গ্রাহক, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীকে তহবিল হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান করে;(২৭) ‘পরিশোধ নির্দেশ (Payment Instruction)’ অর্থ গ্রাহক কর্তৃক পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ও পরিশোধ সেবাদানকারীকে ইলেকট্রনিক উপায়ে প্রদত্ত অর্থ স্থানান্তর নির্দেশ, যাহার মধ্যে, গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিতকরণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত;(২৮) ‘পরিশোধ ব্যবস্থা (Payment System)’ অর্থ দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তিকরণ প্রক্রিয়া বা এমন কোনো ব্যবস্থা যাহা হইতে পরিশোধ কার্যক্রমের উদ্ভব হয়;(২৯) ‘পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী (Payment System Participant)’ অর্থ যাহারা পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করিয়া নিজেদের বা গ্রাহকের পক্ষ হইয়া অর্থ ও সরকারি সিকিউরিটিজ বিনিময়, নিকাশ ও নিষ্পত্তি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে নিষ্পত্তিব্যবস্থা পরিচালনা করে;(৩০) ‘পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী (Payment Systems Operator)’ অর্থ এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানি, যাহা অনুমোদিত পদ্ধতিতে গ্রাহকগণের পরিশোধ কার্যক্রমে সহায়তা করে;(৩১) ‘পরিশোধ সেবা (Payment Service)’ অর্থ নগদ জমা ও উত্তোলন, অর্থ স্থানান্তর, পরিশোধ দলিল ইস্যু, ইলেকট্রনিক মুদ্রা স্থানান্তর বা পরিশোধ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সহায়ক সেবা;(৩২) ‘পরিশোধ সেবাদানকারী (Payment Service Provider)’ অর্থ এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা অনুমোদনপ্রাপ্ত কোম্পানি, যাহা গ্রাহকগণকে পরিশোধ সেবা প্রদান করিয়া থাকে এবং এতদুদ্দেশ্যে গ্রাহকের হিসাবের সমন্বিত স্থিতি ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টে সংরক্ষণ করে;(৩৩) ‘প্রবিধান’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(৩৪) ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ অর্থBangladesh Bank Order, 1972(President’s Order No. 127 of 1972) এর অধীনে স্থাপিত Bangladesh Bank;(৩৫) ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা (Bangladesh Bank Digital Currency)’ অর্থ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা সার্বজনীন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত আইনস্বীকৃত ইলেকট্রনিক মুদ্রা;(৩৬) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(৩৭) ‘বুক এন্ট্রি পদ্ধতি (Book Entry System)’ অর্থ এমন এক হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা যাহার মাধ্যমে কেবল বহিতে হিসাবায়নের দ্বারা সম্পদের হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়;(৩৮) ‘ব্যক্তি’ অর্থ কোনো স্বাভাবিক সত্তাবিশিষ্ট ব্যক্তি বা আইনগত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং কোনো ব্যাংক-কোম্পানি এবং কোম্পানিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(৩৯) ‘ব্যাংক’ বা ‘ব্যাংক কোম্পানি’ অর্থব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১(১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৩১ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাংলাদেশে ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনাকারী কোনো কোম্পানি;(৪০) ‘সরকারি সিকিউরিটিজ’ অর্থ সরকার কর্তৃক বা সরকারের পক্ষে ইস্যুকৃত বন্ড, বিল বা সিকিউরিটিজ;(৪১) ‘সরকারি সিকিউরিটিজ সেটেলমেন্ট সিস্টেম’ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সত্তা, যাহা সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণপূর্বক বুক এন্ট্রি পদ্ধতিতে সরকারি সিকিউরিটিজ হস্তান্তরের তথ্যাদি নিরাপদে সংরক্ষণ করে; এবং(৪২) ‘সহ-জামানত (Collateral)’ অর্থ এমন এক সম্পদ, যাহা ঋণ প্রদানের বিপরীতে বন্ধক রাখা হয়।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩। এই আইনের বিধানাবলি এতদ্সংক্রান্ত প্রচলিত অন্যান্য আইনের পরিপূরক হইবে এবং উহাদের ব্যত্যয়ে ব্যবহৃত হইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "পরিশোধ ব্যবস্থার অনুমোদন, লাইসেন্স, পরিচালনা, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৪। (১) কোনো ব্যাংক-কোম্পানি এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুমোদন গ্রহণ ব্যতীত কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা প্রদান করিতে পারিবে না।(২) কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা প্রদান করিতে পারিবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫। (১) পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা প্রদান করিতে ইচ্ছুক কোনো ব্যাংক-কোম্পানি এই আইনের অধীন অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে, পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন করিতে পারিবে।(২) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা প্রদান করিতে ইচ্ছুক কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে, পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন করিতে পারিবে।(৩) পরিশোধ সেবা-সংক্রান্ত কোনো উদ্ভাবনী উদ্যোগের ব্যবহারিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক তৎকর্তৃক প্রণীত প্রবিধানের আলোকে নির্ধারিত সময়ের জন্য উক্ত উদ্যোগ গ্রহণকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে উক্ত উদ্যোগ পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনার অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে এবং কোনো উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পরীক্ষামূলকভাবে সফল বলিয়া বিবেচিত হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি উপ-ধারা (২) এর অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করিতে পারিবে।(৪) উপ-ধারা (১) বা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত আবেদন পত্রে উল্লিখিত তথ্যাবলি বা সংযোজিত দলিলাদি যাচাইবাছাই পূর্বক সন্তুষ্ট হইলে আবেদনকারী বরাবর অনুমোদন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্স প্রদান করিবে।(৫) উপ-ধারা (১) বা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত আবেদন পত্রে উল্লিখিত তথ্যাবলি বা সংযোজিত দলিলাদি যাচাইবাছাই পূর্বক সন্তুষ্ট না হইলে কারণ উল্লেখপূর্বক লিখিতভাবে উক্ত আবেদন প্রত্যাখ্যান করিবে।(৬) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংক তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্সের যেকোনো শর্ত পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবে।(৭) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোনো প্রবিধানের কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে অথবা পরিশোধ ব্যবস্থা বা পরিশোধ সেবার জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে, জনস্বার্থে, বাংলাদেশ ব্যাংক এই আইনের অধীন প্রদত্ত অনুমোদন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্স কারণ উল্লেখপূর্বক লিখিতভাবে স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।(৮) উপ-ধারা (৫), (৬) বা (৭) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা ব্যাংক-কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নিকট উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবে এবং এতদ্বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৬। (১) এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে প্রাপ্ত অনুমোদন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্সের শর্তাবলি অনুসরণ করিয়া—(ক) পরিশোধ সেবাদানকারী পরিশোধ সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে, অন্যান্যের মধ্যে, গ্রাহকের হিসাব খোলা, ইলেকট্রনিক মুদ্রা ইস্যুকরণ, ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেন সম্পাদন এবং ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করিবে;(খ) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, অন্যান্যের মধ্যে, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণের মধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনাসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোনো পদ্ধতিতে গ্রাহকগণের পরিশোধ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করিবে;(গ) পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী, অন্যান্যের মধ্যে, নিজের বা গ্রাহকের পক্ষে পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় অংশগ্রহণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিষ্পত্তি ব্যবস্থা পরিচালনা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করিবে; এবং(ঘ) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ও পরিশোধ সেবাদানকারী নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেবা গ্রহীতার অর্থ ধারণ করিলে, উক্ত অর্থের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন করিবে।(২) বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রয়োজনে, পরিশোধ সেবাদানকারী, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী ও পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীর কার্যপরিধিতে নূতন কার্যক্রম সংযোজন বা উহাদের যেকোনো কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৭। (১) পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক-কোম্পানি উহাদের মূলধন, মালিকানা ও পরিচালনার বিষয়েব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১(১৯৯১ সনের ১৪নং আইন) এর সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি অনুসরণ করিবে।(২) এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত পরিমাণে, হারে ও পদ্ধতিতে মূলধন সংরক্ষণ করিতে হইবে।(৩) এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা, ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কোনো ব্যক্তিকে নিযুক্তির পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।(৪) এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর পরিচালনা পর্ষদে কোনো ঋণ খেলাপি ব্যক্তি পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন না।(৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর পরিচালনা পর্ষদে নিয়োজিত পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তর করা যাইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৮। (১) প্রত্যেক পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ও পরিশোধ সেবাদানকারী স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের অনুশাসন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত প্রবিধান অনুসরণ করিয়া নিয়মাবলি প্রণয়ন ও প্রকাশ করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রণীত নিয়মাবলিতে তারল্য, নিষ্পত্তি ও কারিগরি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সুশাসন, নিরবচ্ছিন্ন পরিচালন, আপৎকালীন ব্যবস্থা, বিরোধ নিষ্পত্তি, গ্রাহক সেবা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে:তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়মাবলি নৈর্ব্যক্তিক, বৈষম্যহীন ও সংগতিপূর্ণ হইতে হইবে এবং উহাতে গ্রাহকের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করিবে এইরূপ কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে না:আরো শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়মাবলির যতটুকু এই আইন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের এতদ্সংক্রান্ত বিধি, প্রবিধান, নির্দেশনা বা আদেশের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হইবে উক্ত নিয়মাবলির ততটুকু অবৈধ ও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, পরিশোধ ব্যবস্থার সহিত সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের অনুশাসন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য নিয়মাবলি প্রণয়ন করিতে পারিবে।(৪) কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী নিম্নলিখিত শর্ত প্রতিপালন ব্যতীত উহার পরিশোধ ব্যবস্থায় এমন কোনো পরিবর্তন করিতে পারিবে না, যাহা উক্ত পরিশোধ ব্যবস্থা বা পরিশোধ সেবার কাঠামো বা পরিচালনকে প্রভাবিত করিবে, যথা:—(ক) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে পূর্বানুমোদন গ্রহণ; এবং(খ) বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণের পর গ্রাহককে উক্ত পরিবর্তনের বিষয়ে অন্যূন ৩০(ত্রিশ) দিনের নোটিশ প্রদান:তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক, জনস্বার্থে, গ্রাহককে নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীকে উহার পরিশোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন করিবার নির্দেশ বা অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৯। (১) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার আওতায় কোনো তৃতীয় পক্ষ হইতে আউটসোর্সিং সেবা গ্রহণ করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, আউটসোর্সিংয়ের কারণে পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষুণ্ন করা যাইবে না এবং উহাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা সীমিত করা যাইবে না।(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী কর্তৃক নিম্নবর্ণিত কোনো কার্যক্রম আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা যাইবে না, যথা:—(ক) ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তৃতীয় পক্ষের নিকট অর্পণ;(খ) পরিশোধ দলিল ব্যবহারকারী এবং সংশ্লিষ্ট ইস্যুকারীর সম্পর্ক ও দায় এর কোনোরূপ পরিবর্তন; এবং(গ) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী ও পরিশোধ সেবাদানকারীর লাইসেন্সের অবশ্যপালনীয় শর্ত রদ।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১০। (১) কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণক্রমে, এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট পরিশোধ সেবা প্রদান করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুমোদন গ্রহণের পূর্বে পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীকে এই মর্মে নিশ্চিত করিতে হইবে যে, সংশ্লিষ্ট এজেন্ট তাহার পক্ষে কার্য করিতেছে মর্মে গ্রাহকগণকে অবহিত করা হইয়াছে।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো এজেন্ট নিয়োগ করা হইলে, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীকে উক্ত নিয়োগ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করিতে হইবে।(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশোধ সেবার পক্ষে ক্ষতিকর কার্যক্রমে লিপ্ত হইবার কারণে, জনস্বার্থে, যেকোনো এজেন্টের কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিলের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নলিখিত বিষয়ে সময়ে সময়ে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে, যথা:—(ক) এজেন্ট নিয়োগের পদ্ধতি;(খ) এজেন্টের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার, অধিকার, সম্মানি ও দায়বদ্ধতা; এবং(গ) আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১১। পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী উহাদের কর্মচারী, এজেন্ট, শাখা বা আউটসোর্সিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ তৃতীয় পক্ষের এতদ্সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকান্ডের জন্য যৌথভাবে দায়ী থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১২। পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী কর্তৃক লেনদেন সংক্রান্ত সকল তথ্য লেনদেনের তারিখ হইতে পরবর্তী ১২ (বারো) বৎসর পর্যন্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৩। পরিশোধ ব্যবস্থা সংক্রান্ত কোনো তথ্য নিম্নলিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত প্রদান করা যাইবে না, যথা:—(ক) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিশোধ ব্যবস্থার আর্থিক শুদ্ধতা, স্বচ্ছতা, কার্যকারিতা বা নিরাপত্তা যাচাই ও নিশ্চিতকরণ;(খ) প্রচলিত কোনো আইন অনুসারে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সম্পন্ন ব্যক্তি;(গ) আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ;(ঘ) আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তির অধীন বাংলাদেশের দায়-দায়িত্ব পালন; এবং(ঙ) এই আইনের অধীন কোনো নির্দেশনা পরিপালন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৪। (১) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী পরিশোধ কার্যক্রমের জন্য ফি আরোপ করিতে পারিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, উক্ত ফি এর সীমা নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী উহার গ্রাহককে সেবা প্রদানের জন্য উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত ফি এর বিষয়ে পূর্বেই অবহিত করিবে এবং ফি সংক্রান্ত তথ্যাদি পরিশোধ সেবা প্রদানের স্থানে দৃষ্টি গ্রাহ্যভাবে স্থাপন করিবে।(৩) ধারা ২০ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সুবিধাদি প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর উপর ফি আরোপ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাহার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিশোধ সেবা উদ্ভূত হইতে পারে এইরূপ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, লাইসেন্স, পরিচালনা, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "১৫। (১) এই আইনের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুমোদন গ্রহণ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ‘অগ্রিম পরিশোধিত পরিশোধ দলিল (Prepaid Payment Instrument)’ ইস্যু বা ক্রয়-বিক্রয় করিতে পারিবে না।(২) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুমোদন গ্রহণ ব্যতীত জনসাধারণ হইতে যেকোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয় এরূপ কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্লাটফর্ম পরিচালনা করিতে পারিবে না।(৩) আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ঋণমান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট ব্যুরো অথবা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে না।(৪) উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এ বর্ণিত সেবাসমূহ প্রদানের নীতিমালা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, প্রণীত প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।(৫) উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এ বর্ণিত সেবাসমূহ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনরূপ অস্পষ্টতা তৈরি হইলে বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাখ্যা প্রযোজ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৬। (১) ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এই আইনের অধীন অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে, পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন করিতে পারিবে।(২) ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে, পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৭। বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির মূলধন সংরক্ষণ, মালিকানা হস্তান্তর, পরিচালনা ও সেবাদান সম্পর্কিত নীতিমালা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণ করিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা ও দায়িত্ব",
|
|
"section_content": "১৮। (১) বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশে কার্যরত সকল পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করিবে।(২) পরিশোধ কার্যক্রমের উন্নয়ন, নির্ভরশীলতাজনিত ঝুঁকিসহ সম্ভাব্য অন্যান্য ঝুঁকি হ্রাসকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, যথা:—(ক) পরিশোধ কার্যক্রমের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এতদ্সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন;(খ) গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান; এবং(গ) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর কার্যক্রমের মানদণ্ড, পদ্ধতি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নির্ধারণপূর্বক উহাদের প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ।(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশোধ সেবা সংক্রান্ত উদ্ভাবনী উদ্যোগের ব্যবহারিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নীতিগত সহায়তা প্রদান করিতে পারিবে।(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে, পরিশোধ ব্যবস্থার উন্নয়নে বা পরিশোধ সেবার জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী, উহাদের নিযুক্ত এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে যেকোনো বিষয়ে লিখিতভাবে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উক্ত নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "১৯। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশোধ ব্যবস্থার সহিত সম্পর্কিত যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য মানদণ্ড নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং সময় সময়, উক্ত মানদণ্ড পুন:নির্ধারণ ও পরিমার্জন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২০। (১) বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী এবং পরিশোধ সেবাদানকারীকে পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সুবিধাদি প্রদান করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নবর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদন করিতে পারিবে, যথা :—(ক) পরিশোধ, নিকাশ এবং নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংস্থাপন, পরিচালন, অংশগ্রহণ ও নিজে বা পৃথক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে মালিকানা ধারণ;(খ) লেনদেনের নিকাশ ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর হিসাব ধারণ;(গ) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর হিসাবে অর্থ ও সরকারি সিকিউরিটিজ সংরক্ষণ;(ঘ) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীগণের পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি কার্যক্রম পরিচালনার্থে তারল্য সুবিধা প্রদান;(ঙ) সরকারি সিকিউরিটিজ-এর ব্যবস্থাপনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি ও সরকারি সিকিউরিটিজ সেটেলমেন্ট ব্যবস্থা পরিচালনা।(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে, বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা ইস্যু ও উহার পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।(৪) উপধারা (৩) এ বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা ইস্যু, পরিচালনা এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২১। (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সময় উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তা দ্বারা কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ও উহাদের নিযুক্ত এজেন্ট এর যে কোনো কার্যালয় পরিদর্শন করিতে পারিবে এবং এইরূপ পরিদর্শন সমাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সরবরাহ করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শন কার্যক্রম চলাকালে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক যাচিত হিসাব, বহি, কার্যবিবরণী, দলিল, রসিদসহ যেকোনো তথ্য সংশ্লিষ্ট পরিদর্শকের নিকট প্রদান ও উপস্থাপন করিতে বাধ্য থাকিবে।(৩) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর হিসাব, বহি, দলিলাদি ও নথিপত্র নিরীক্ষা করিবার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকBangladesh Chartered Accountants Order, 1973(President’s Order No. 2 of 1973) বা প্রচলিত অন্য কোনো আইন অনুসারে কোম্পানির নিরীক্ষক হইবার যোগ্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে।(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিরীক্ষা কার্য পরিচালনার জন্য পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষককে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে।(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর কর্মকাণ্ড, প্রয়োজনে, তদারকি ও তদন্ত করিতে পারিবে।(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক অগ্রিম পরিশোধিত পরিশোধ দলিল ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান, ক্রেডিট ব্যুরো এবং এই আইনের অধীন অনুমোদনপ্রাপ্ত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড, প্রয়োজনে, তদারকি, পরিদর্শন ও তদন্ত করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২২। এই আইনের অধীন পরিশোধ ব্যবস্থা তদারকি ও উন্নয়নের নিমিত্ত বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "পরিশোধ ও নিষ্পত্তি",
|
|
"section_content": "২৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো পরিশোধ নির্দেশ অনুমোদিত পরিশোধ নির্দেশ বলিয়া গণ্য হইবে, যদি—ক) গ্রাহক উক্ত পরিশোধ নির্দেশ কার্যকর করিবার জন্য সম্মত হয়; বা(খ) গ্রাহক কোনো ধারাবাহিক লেনদেন কার্যকর করিবার জন্য সম্মত হয়, যাহা উক্ত লেনদেনের একটি অংশ বলিয়া গণ্য হয়।(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, গ্রাহকের সহিত পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীর সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় পরিশোধ নির্দেশ কার্যকর হইবে।(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, এই ধারার অধীন সম্পাদিত চুক্তির ধরণ, প্রকৃতি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ করিতে পারিবে।(৪) এই ধারার অধীন কোনো লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে যেকোনো সময় গ্রাহক পরিশোধ নির্দেশের বিপরীতে প্রদত্ত সম্মতি প্রত্যাহার করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৪। অননুমোদিত, ভুলভাবে, অসদুপায়ে বাNegotiable Instruments Act, 1881এর ‘যথাবিহিত পরিশোধ’ এর শর্ত পালন না করিয়া কিংবা কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রদত্ত কোনো পরিশোধ নির্দেশ কার্যকর হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী উক্ত অর্থের প্রাপক বা সুবিধাভোগীর হিসাব হইতে কোনো নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে উক্ত অর্থ কর্তন করিতে পারিবে এবং উক্ত প্রাপক বা সুবিধাভোগীর হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকিলে প্রাপক বা সুবিধাভোগীকে উক্ত অর্থ ফেরত প্রদান করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৫। (১) বাংলাদেশ ব্যাংক বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যাংক-কোম্পানি পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারীকে নিষ্পত্তি সেবা প্রদান করিতে পারিবে।(২) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে নিষ্পত্তি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী—(ক) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত নির্ধারিত শর্তে, অন্যান্যের মধ্যে, নিষ্পত্তি কার্যক্রম পরিচালনার্থে চলতি ব্যাংক হিসাব খুলিয়া উহাতে পর্যাপ্ত স্থিতি সংরক্ষণ করিতে পারিবে; এবং(খ) পরস্পরের মধ্যে নিকাশ কার্যক্রম হইতে উদ্ভূত দায় নিষ্পত্তির নিমিত্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত অন্য কোনো হিসাবধারীকে উহার নিষ্পত্তি প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে।(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রয়োজনে, নিষ্পত্তি সেবা গ্রহণের নিমিত্ত পরিশোধ কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসাব খুলিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।(৪) উপ-ধারা (২) এর দফা (খ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী উহাদের নিষ্পত্তি প্রতিনিধি কর্তৃক নিষ্পত্তি কার্যক্রম আরম্ভের পূর্বে উভয়ের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংক বা তৎকর্তৃক মনোনীত ব্যাংক-কোম্পানির নিকট প্রেরণ করিবে।(৫) পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী উহাদের নিষ্পত্তি প্রতিনিধির নিয়োগ বাতিল করিতে চাহিলে উক্ত নিয়োগ বাতিলের প্রস্তাবিত তারিখের অন্যূন ৭(সাত) কর্মদিবস পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংককে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।(৬) এই ধারার অধীন নিস্পত্তি সেবা প্রদান, নিষ্পত্তি প্রতিনিধি নিয়োগ, নিষ্পত্তি প্রতিনিধির দায়িত্ব ও কর্তব্য, এখতিয়ার, অধিকার, সম্মানি, দায়বদ্ধতা, নিষ্পত্তি প্রতিনিধির নিয়োগ বাতিল এবং নিষ্পত্তি কার্যক্রম সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াবলি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৬। (১) পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী বা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানি এই আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিধি, প্রবিধান বা আদেশ অনুসারে উহাদের লেনদেন নিষ্পত্তি করিবে।(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কোনো লেনদেন নিষ্পত্তির পর বা নিষ্পত্তির জন্য অনুমোদনের পর পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী বা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানির অসমর্থতা, দেউলিয়াত্ব, অবসায়নের কারণে বা লেনদেনটি স্থগিত করিবার নিমিত্ত প্রশাসনিক বা আদালতের আদেশ বা অন্য যেকোনো কারণেই হউক না কেন, নিষ্পত্তিকৃত বা নিষ্পত্তির জন্য অনুমোদিত লেনদেনটি বাতিল করা যাইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৭। পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী বা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত তারল্য সুবিধার বিপরীতে রক্ষিত সহ-জামানত হইতে উহাদের অসমর্থতা বা দেউলিয়াত্বজনিত দায়দেনা পরিশোধ করা যাইবে না, যতক্ষণ না প্রদত্ত তারল্য সমন্বয় করা হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "চেক, ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর ও ইলেকট্রনিক মুদ্রা ইস্যুকরণ",
|
|
"section_content": "২৮। চেকসহ অন্যান্য কাগুজে পরিশোধ দলিলের অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রেNegotiable Instruments Act, 1881(Act No. XXVI of 1881) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে :তবে শর্ত থাকে যে, আন্তঃব্যাংক চেকসহ অন্যান্য কাগুজে পরিশোধ দলিল নিকাশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত এতদ্সংক্রান্ত প্রবিধান ও নির্দেশনা প্রযোজ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "২৯। (১) বাংলাদেশ ব্যাংক স্বয়ং বা প্রয়োজনে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোনো কর্তৃপক্ষ দ্বারা আন্তঃব্যাংক ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর ব্যবস্থা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, পরিচালনা করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আন্তঃব্যাংক ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর ব্যবস্থা পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩০। (১) ব্যাংক-কোম্পানিসহ এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিশোধ সেবাদানকারীগণ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তে ইলেকট্রনিক মুদ্রা ইস্যু করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ইস্যুকৃত ইলেকট্রনিক মুদ্রার ব্যবস্থাপনা এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "প্রশাসক নিয়োগ, অবসায়ন, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৩১। (১) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যথাযথ তদন্ত পরিচালনা সাপেক্ষে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী কোম্পানি বা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানির কার্যক্রম উহার গ্রাহক বা জনস্বার্থ বিরোধী, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, নির্দিষ্টকৃত সময়ের জন্য উক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারিবে, এবং তদুদ্দেশ্যে উক্ত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ রহিত করিয়া প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে।(২) সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩২। (১) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক লিখিতভাবে প্রত্যয়িত না হইলে ব্যাংক কোম্পানি ব্যতীত কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী বা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানি স্বেচ্ছায় অবসায়নের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করিতে পারিবে না।(২) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী বা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানির কার্যক্রম উহার গ্রাহক বা জনস্বার্থ বিরোধী মর্মে-বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রতীয়মান হইলে, ধারা ৩১ এর অধীন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অবসায়নের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৩। এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে অবসায়ন সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হইলে উহা পরিশোধ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে না।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৪। অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানি অবসায়ন সংক্রান্ত আদেশপ্রাপ্ত বা দেউলিয়া ঘোষিত হইলে, ইতোমধ্যে উহাদের পরিশোধ ব্যবস্থায় আগত লেনদেন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৫। অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানি অবসায়ন সংক্রান্ত আদেশপ্রাপ্ত বা দেউলিয়া ঘোষিত হইলে, উহার পরিশোধ কার্যক্রম সংক্রান্ত সমুদয় দায়দেনা নিষ্পত্তির ভার অবসায়ক বা, ক্ষেত্রমত, প্রশাসকের উপর বর্তাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৬। অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী বা পরিশোধ সেবাদানকারী এর অবসায়নকালে দায়দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে গ্রাহকগণ অগ্রাধিকার পাইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "দণ্ড, বিচার, প্রশাসনিক জরিমানা, ইত্যাদি",
|
|
"section_content": "৩৭। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪ ও ১৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা, উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।(২) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রাপ্ত অনুমোদন বা লাইসেন্স প্রত্যাহার হওয়া সত্ত্বেও পরিশোধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন, তাহা হইলে উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০(পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা, উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।(৩) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের কোনো বিধানের প্রয়োজন মোতাবেক বা উহার অধীন বা উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, তলবকৃত বা দাখিলকৃত কোনো বিবরণ, প্রতিবেদন বা অন্যান্য দলিল বা কোনো তথ্যে, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং তাহার জ্ঞাতসারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি প্রদান করেন, অথবা, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং তাহার জ্ঞাতসারে, অনুরূপ বিষয়ে তথ্য বা কোনো বিবৃতি প্রদান না করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা, উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।(৪) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২১ এর অধীন কোনো হিসাব, বহি বা অন্য কোনো দলিল উপস্থাপন করিতে, অথবা কোনো তথ্য সরবরাহ করিতে অসম্মত হন, অথবা উক্ত ধারার অধীন নিযুক্ত কোনো পরিদর্শক, নিরীক্ষক বা তদন্তকারীর কর্ম সম্পাদনে অসহযোগিতা বা বাধা প্রদান করেন, তাহা হইলে তাহাকে উক্ত অসম্মতি বা অসহযোগিতা বা বাধা প্রদানের জন্য অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করা যাইবে।(৫) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অন্য কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, বা তদধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত কোনো শর্ত বা প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।(৬) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের সমপরিমান দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৮। (১) এই আইনের অধীন অনুমোদন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বা কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানি বা কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, কোম্পানি সচিব, অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যাংক-কোম্পানি বা কোম্পানি আইনগত সত্ত্বা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ব্যতীতও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একটি কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৩৯। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য (cognizable), অ-জামিনযোগ্য (non-bailable) এবং অ-আপসযোগ্য (non-compoundable) হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪০। (১) TheCode of Criminal Procedure, 1898(Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রাপ্ত উহার কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না।(২) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে TheCode of Criminal Procedure, 1898(Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪১। (১) এই আইনের কোনো বিধানের অধীন কোনো ব্যক্তি দণ্ডনীয় অপরাধ করিলে তাঁহার বিরুদ্ধে মামলা না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক তাহার উপর কেন আর্থিক জরিমানা আরোপ করিবে না সে সম্পর্কে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিতে পারিবে এবং তাহার প্রদত্ত ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হইলে বা তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা প্রদান না করিলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাহার উপর উক্ত বিধানে উল্লিখিত যেকোনো অংকের আর্থিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তির উপর জরিমানা আরোপ করা হইলে, তিনি উক্তরূপ আদেশ প্রদানের ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে উহা পরিশোধ করিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে উহা পরিশোধ করিলে তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধানের অধীন তৎকর্তৃক কৃত অপরাধের জন্য আর কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তির উপর জরিমানা আরোপ করা হইলে, তিনি উক্ত জরিমানা আরোপের ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নিকট উহা পুনর্বিবেচনার আবেদন পেশ করিতে পারিবে এবং এই বিষয়ে উক্ত পর্ষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।(৪) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত জরিমানা উপ-ধারা (২) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোরূপ নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে উক্ত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব হইতে উক্ত জরিমানা আদায় করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, যদি তিনি উক্ত জরিমানার অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কৃত অপরাধের জন্য তাহার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪২। (১) এই আইনের অধীন অনুমোদন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বা কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানি বা কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, কোম্পানি সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক তাহাকে কেন তাহার পদ হইতে অপসারণ করা হইবে না সে সম্পর্কে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিতে পারিবে এবং তাহার প্রদত্ত ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হইলে বা তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা প্রদান না করিলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাহাকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তিকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করা হইলে, তিনি উক্ত অপসারণ সংক্রান্ত আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নিকট উহা পুনর্বিবেচনার আবেদন পেশ করিতে পারিবে এবং এই বিষয়ে উক্ত পর্ষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_title": "বিবিধ",
|
|
"section_content": "৪৩। (১) যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের বাহিরে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করিয়া থাকেন যাহা বাংলাদেশে সংঘটন করিলে এই আইনের অধীন দণ্ডযোগ্য হইত, তাহা হইলে এই আইনের বিধানাবলি এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত অপরাধটি তিনি বাংলাদেশেই সংঘটন করিয়াছেন।(২) যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের বাহির হইতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করিয়া থাকেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের বিধানাবলি এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত অপরাধের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই সংঘটিত হইয়াছে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৪। (১) পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তির বিষয়ে এই আইনের অধীন অনুমোদন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বা কোম্পানির মধ্যে কোনো বিরোধের উৎপত্তি হইলে এবং উহারা উক্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতা করিতে পারিবে এবং উক্ত মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ মানিতে বাধ্য থাকিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিরোধ নিষ্পত্তি মধ্যস্থতার আবেদন, পদ্ধতি, সিদ্ধান্ত প্রদান এবং বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৫। পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী বা এই আইনের অধীন অনুমোদন বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে গ্রাহক বা বিনিয়োগকারীর অদাবিকৃত কোনো স্থিতি থাকিলে উক্ত স্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত প্রবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী, পরিশোধ সেবাদানকারী বা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানি উহাদের প্রতিষ্ঠান, পরিচালন এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম এই আইনের বিধানাবলির সহিত সংগতিপূর্ণ করিবে।(২) এই আইন কার্যকর হইবার তারিখে যে সকল ব্যাংক-কোম্পানি বা কোম্পানি পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা প্রদান করিতেছে, সেই সকল ব্যাংক-কোম্পানি বা কোম্পানিকে এই আইন কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের মধ্যে এই আইনের অধীন অনুমোদন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৭। এই আইনের কোনো বিধানে কোনো প্রকার অস্পষ্টতা থাকিলে উহা দূরীকরণ বা উক্ত বিধান বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশ বা নির্দেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৪৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫০। এই আইনের অধীন পেমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম এবং ইলেক্সনিক ফান্ড ট্রান্সফার সংক্রান্ত বিধি বা প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্তBangladesh Bank Order, 1972(President’s Order No. 127 of 1972) এর অধীন প্রণীত Bangladesh Payment and Settlement Systems Regulations, 2014 এবং Regulations on Electronic Fund Transfer, 2014 এর বিধান, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, বলবৎ থাকিবে।"
|
|
},
|
|
{
|
|
"section_content": "৫১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।"
|
|
}
|
|
],
|
|
"footnotes": [],
|
|
"copyright_info": {
|
|
"copyright_text": "Copyright©2019, Legislative and Parliamentary Affairs DivisionMinistry of Law, Justice and Parliamentary Affairs"
|
|
},
|
|
"source_url": "http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-1496.html",
|
|
"fetch_timestamp": "2025-07-19 02:44:01",
|
|
"csv_metadata": {
|
|
"act_title_from_csv": "পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪",
|
|
"act_no_from_csv": "০৯",
|
|
"act_year_from_csv": "২০২৪",
|
|
"is_repealed": false
|
|
},
|
|
"token_count": 5640,
|
|
"language": "bengali",
|
|
"government_context": {
|
|
"govt_system": "Interim Government",
|
|
"position_head_govt": "Chief Adviser",
|
|
"head_govt_name": "Prof. Muhammad Yunus",
|
|
"head_govt_designation": "Chief Adviser of Interim Government",
|
|
"how_got_power": "Student uprising/mass revolution against Sheikh Hasina",
|
|
"period_years": "2024-2025",
|
|
"years_in_power": 1
|
|
},
|
|
"processing_info": {
|
|
"processed_timestamp": "2025-07-19 19:33:20",
|
|
"enhanced_with_reducer": true,
|
|
"enhanced_with_govt_context": true,
|
|
"language_detected": "bengali",
|
|
"token_count": 5527,
|
|
"legal_context_added": true,
|
|
"legal_context_timestamp": "2025-07-19 20:26:26",
|
|
"year_standardized": true,
|
|
"year_standardization_timestamp": "2025-07-19 20:35:58",
|
|
"legal_context_recovery_attempted": true,
|
|
"legal_context_recovery_timestamp": "2025-07-19 20:42:57",
|
|
"token_count_updated": true,
|
|
"token_count_update_timestamp": "2025-07-19 20:56:07",
|
|
"previous_token_count": 5527,
|
|
"accurate_token_count": 5640
|
|
},
|
|
"legal_system_context": {
|
|
"period_info": {
|
|
"period_name": "Awami League Dominance",
|
|
"year_range": "2008-2024",
|
|
"act_year": 2024
|
|
},
|
|
"legal_framework": {
|
|
"primary_laws": [
|
|
"15th Amendment (2011)",
|
|
"Cyber Security Act 2023",
|
|
"Digital Security Act",
|
|
"International Crimes Tribunal Act"
|
|
],
|
|
"court_system": [
|
|
"Supreme Court",
|
|
"High Court Division",
|
|
"Specialized Tribunals"
|
|
],
|
|
"legal_basis": "Constitutional parliamentary system",
|
|
"enforcement_mechanism": "Politicized judicial system"
|
|
},
|
|
"government_system": {
|
|
"type": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)",
|
|
"structure": "Single-party dominance",
|
|
"revenue_collection": "Modernized tax system",
|
|
"administrative_units": [
|
|
"8 Divisions",
|
|
"64 Districts",
|
|
"492 Upazilas",
|
|
"4,554 Unions"
|
|
]
|
|
},
|
|
"policing_system": {
|
|
"law_enforcement": "Politicized police force",
|
|
"military_police": "RAB, Police, Border Guards",
|
|
"jurisdiction": "Centralized political control"
|
|
},
|
|
"land_relations": {
|
|
"tenure_system": "Market-based with disputes",
|
|
"property_rights": "Development-focused acquisition",
|
|
"revenue_system": "Digital land records",
|
|
"peasant_status": "Modernization and displacement issues"
|
|
},
|
|
"key_characteristics": [
|
|
"Caretaker system abolition",
|
|
"War crimes tribunals",
|
|
"Digital governance initiatives",
|
|
"Authoritarian drift",
|
|
"Student movement repressions"
|
|
],
|
|
"context_added_timestamp": "2025-07-19 20:42:57",
|
|
"recovery_note": "Legal context added after year translation recovery"
|
|
}
|
|
} |