{ "act_title": "বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন,২০১০", "act_no": "১২", "act_year": "2010", "publication_date": "19/07/2025", "sections": [ { "section_content": "১। (১) এই আইন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।" }, { "section_content": "২। -বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৩ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ;(খ) ''কর্তৃপক্ষের তহবিল'' অর্থ ধারা ১৬ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কর্তৃপক্ষের তহবিল;(গ) ''চেয়ারম্যান'' অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;(ঘ) \"প্রবিধান\" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(ঙ) \"বিধি\" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(চ) ''মধ্যস্থতাকারী বা বীমা মধ্যস্থতাকারী'' অর্থ বীমা এজেন্ট, এজেন্ট নিয়োগকারী, বীমা ও পুনঃবীমার ব্রোকার এবং বীমা জরিপকারী;(ছ) ''সদস্য'' অর্থ কর্তৃপক্ষের সদস্য; এবং(জ) এই আইনে যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হয় নাই সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তিবীমা আইন, ২০১০এবংকোম্পানী আইন, ১৯৯৪এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।" }, { "section_content": "৩।(১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, যথা শীঘ্র সম্ভব, এই আইনের বিধান অনুযায়ী সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে।(২) কর্তপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার পক্ষে ইহা নিজের নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।" }, { "section_content": "৪। (১) কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।(২) কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৫৷ (১) চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে৷(২) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৭ এর বিধান সাপেক্ষে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অন্যূন একজন এবং নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অন্যূন একজন ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসাবে নিয়োগ করিতে হইবে৷(৩) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য চেয়ারম্যানরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন৷" }, { "section_content": "৮। চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুসারে, কর্তৃপক্ষের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন।" }, { "section_content": "৯৷ চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে তাহাদের কার্যকালের মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার অব্যবহিত পরবর্তী ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে সরকারের অধীনে বা কোন বীমা কোম্পানীতে চাকুরী গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷" }, { "section_content": "৬। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন এবং অনুরূপ একটি মাত্র মেয়াদের জন্য পুনরায় নিয়োগের যোগ্য হইবেন।(২) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোন সময়, ৩ (তিন) মাসের নোটিশ প্রদানপূর্বক, স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান বা ক্ষেত্রমত, সদস্য স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন।" }, { "section_content": "৭। (১) বীমা, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং, মার্কেটিং, পরিসংখ্যান, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, প্রশাসন বা আইনে অন্যূন ২০ (বিশ) বৎসরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী পাওয়া না গেলে অভিজ্ঞতার সময়সীমা শিথিল করা যাইবে।(৩) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসাবে নিযুক্ত হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না হন;(খ) তিনি বীমা মধ্যস্থতাকারী বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোন সংস্থার বা উক্তরূপ নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী হন বা তিনি কোন কোম্পানী বা সংস্থার (সরকারী বা বেসরকারী) পরিচালক বা অন্য কোন পদে নিযুক্ত থাকেন;(গ) তিনি শারীরিক বা মানসিক অসামর্থের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;(ঘ) তিনি কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন;(ঙ) তিনি কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ খেলাপী হিসাবে ঘোষিত হন;(চ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক অন্যূন ৬ (ছয়) মাস বা তদূধর্ব মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং উক্ত দণ্ড হইতে মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর সময় অতিক্রান্ত না হয়; বা(ছ) তাহার বয়স ৬৭ (সাতষট্টি) বৎসর পূর্ণ হয়।" }, { "section_content": "১১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ হিসাবরক্ষক, একচ্যুয়ারী, আইনজ্ঞ, জরিপকারী, মূল্যায়নকারী এবং ইসলামী শরীয়াহ্ বিশেষজ্ঞসহ পেশাজীবীদের মধ্য হইতে পরামর্শক বা উপদেষ্টা নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিয়োগের শর্তাদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।" }, { "section_content": "১২৷ চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের পারিশ্রমিক, ভাতা ও অন্যান্য শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷" }, { "section_content": "১৫। কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী ও দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা :-(ক) বীমা ও পুনঃবীমা ব্যবসা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ন্ত্রণ;(খ) বাংলাদেশে বীমা শিল্পের উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান এবং এই শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;(গ) বাংলাদেশে বীমা ও পুনঃবীমা সেবার মান উন্নয়নে বীমা শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহের উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান;(ঘ) বীমা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সভা, ইত্যাদির আয়োজন;(ঙ) বীমাকারী, পুনঃবীমাকারী, মধ্যস্থতাকারীর নিবন্ধীকরণ ও সনদ প্রদান এবং অনুরূপ নিবন্ধীকরণ নবায়ন, সংশোধন, প্রত্যাহার, স্থগিতকরণ বা বাতিলকরণ ;(চ) মধ্যস্থতাকারী, বীমা ও পুনঃবীমা মধ্যস্থতাকারী এবং এজেন্টদের আচরণবিধি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী এবং নির্দেশিকা প্রণয়ন;(ছ) জরীপকারীদের লাইসেন্স প্রদান এবং উহার নবায়ন, সংশোধন, প্রত্যাহার, স্থগিতকরণ বা বাতিলকরণ;(জ) বীমা পলিসি গ্রাহক কতৃর্ক মনোনয়ন, বীমাযোগ্য স্বার্থ, লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির প্রত্যর্পণ মূল্য এবং বীমার অন্যান্য শর্তাবলী বিষয়ে বীমা পলিসি গ্রাহক ও উহার উপকারভোগী এবং বীমা ও পুনঃবীমাকারীর স্বার্থ সংরক্ষণ;(ঝ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ফি, অন্যান্য প্রাপ্য সংগ্রহ ও জরিমানা ধার্যকরণ;(ঞ) বীমাকারী, পুনঃবীমাকারী, মধ্যস্থতাকারী, বীমা মধ্যস্থতাকারী, বীমা ও পুনঃবীমা ব্যবসায় সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ, বীমা ও পুনঃবীমা ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার নিরীক্ষাসহ উহাদের পরিদর্শন, তদন্ত ও অনুসন্ধান এবং উহাদের নিকট হইতে তথ্য সংগ্রহকরণ;(ট) বীমাকারী, ও বীমা মধ্যস্থতাকারী, কর্তৃক ব্যবহার্য হিসাবের বইয়ের নমুনা ও হিসাবরক্ষণ প্রণালী এবং হিসাব বিবরণী প্রেরণের ছক নির্ধারণ;(ঠ) একচ্যুয়ারিয়াল প্রতিবেদন এবং সার-সংক্ষেপ প্রস্তুত করিবার ছক ও পদ্ধতি নির্দিষ্টকরণ;(ড) বীমাকারী এবং পুনঃবীমাকারী কোম্পানীসমূহের ঋণ পরিশোধের সলভেন্সি মার্জিন রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণকরণ;(ঢ) বীমা পলিসি গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণে তহবিল গঠন ও নিয়ন্ত্রণ;(ণ) বীমা ও পুনঃবীমা কোম্পানীর তহবিল ও বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ;(ত) বীমাকারী, মধ্যস্থতাকারী ও বীমা মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তিকরণ;(থ) বীমা শিল্প সংক্রান্ত কোন অভিযোগের নিষ্পত্তিকল্পে পৃথক শাখা কার্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ;(দ) নন-লাইফ ইন্সুরেন্স ব্যবসায়ের জন্য প্রস্তাবযোগ্য রেট, সুবিধা ও শর্তাবলী নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় রেটিং কমিটি গঠন এবং উক্ত কেন্দ্রীয় রেটিং কমিটির ক্ষমতা, কার্যাবলী ও ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ;(ধ) গ্রামীণ ও সামাজিক খাতে বীমাকারী কর্তৃক করণীয় লাইফ ইন্সুরেন্স ও নন-লাইফ ইন্সুরেন্স ব্যবসার অনুপাত নির্ধারণ;(ন) সার্বিক কর্মকান্ডের বিবরণ সম্বলিত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত ও সরকারের নিকট উহা উপস্থাপন;(প) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আনুষঙ্গিক সকল এবং উপরে বর্ণিত কার্যাদির সম্পূরক ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কার্য সম্পাদন; এবং(ফ) কর্তৃপক্ষের জন্য, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন সম্পত্তি ক্রয় এবং অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ।" }, { "section_content": "১৭৷ কর্তৃপক্ষ প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে৷" }, { "section_content": "১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী সংস্থা বা অন্য কোন উৎস হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "১০৷ (১) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম বা সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশাবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে৷(২) কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।" }, { "section_content": "১৩। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবেন।(২) কর্তৃপক্ষ প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।(৩) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৪) সভাপতিসহ অন্যূন ৩ (তিন) জন সদস্যের উপস্থিতিতে কর্তৃপকক্ষের সভার কোরাম পূর্ণ হইবে।(৫) উপস্থিত সদস্যদের মধ্য হইতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।(৬) শুধুমাত্র চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা কর্তৃপক্ষ গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কর্তৃপক্ষের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।(৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সভার সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে এবং উক্ত সভার পরবর্তী ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে উহার একটি কপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।" }, { "section_content": "১৯৷ (১) কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷(২) Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব প্রতি বৎসর নিরীক্ষা করা হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ চার্টার্ড একাউন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে৷(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কোন হিসাব নিরীক্ষা করিতে পারিবে।(৪) উপ-ধারা (২) ও (৩) এ উল্লিখিত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, নিরীক্ষক বা নিরীক্ষাদল কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।(৫) এই ধারার অধীন কোন চার্টার্ড একাউন্টেন্টস কর্তৃক নিরীক্ষা কার্য সমাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, চার্টার্ড একাউন্টেন্টস, কর্তৃপক্ষের নিকট নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করিবে।" }, { "section_content": "২১৷ কর্তৃপক্ষ উহার কাজের সহায়তার জন্য, প্রয়োজনবোধে, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব এবং কার্যধারা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷" }, { "section_content": "২২। কর্তৃপক্ষ, প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা ব্যতীত, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উহার যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে চেয়ারম্যান, সদস্য এবং কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "১৪। (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা যে কোন সদস্যকে অপসারণ করিতে পারিবে, যদি তিনি-(ক) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন বা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানান;(খ) উপযুক্ত কারণ ব্যতীত ৩ (তিন) মাস দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন;(গ) এই আইনের অধীন চেয়ারম্যান বা সদস্য থাকিবার অযোগ্য হইয়া পড়েন;(ঘ) এমন কোন কাজ করেন যাহা কর্তৃপক্ষের জন্য ক্ষতিকর হয়; এবং(ঙ) এমনভাবে নিজেকে পরিচালনা করেন, বা নিজের পদকে অপব্যবহার করেন যাহা এই আইনের উদ্দেশ্য বা জনস্বার্থকে ব্যাহত করে।(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কারণে চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে তাঁহার পদে বহাল থাকিবার অযোগ্য মনে করিলে, সরকার, উক্ত কারণের যথার্থতা যাচাই করিবার জন্য, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করিবে এবং কমিটি গঠনের আদেশে উক্ত তদন্ত কমিটি কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমাও নির্ধারণ করিয়া দিবে।(৩) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের ব্যাপারে উপ-ধারা (২) এর অধীনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হইলে, সরকার, সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে, তাঁহাকে, তাঁহার দায়িত্ব পালন হইতে বিরত থাকিবার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হইলে তিনি তাহা পালনে বাধ্য থাকিবেন।(৪) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী গঠিত তদন্ত কমিটি সরকারের নিকট সুনির্দিষ্ট তথ্যাদি ও কারণসহ চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট সদস্যের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হইয়াছে কিনা এবং তাঁহাকে অপসারণ করা সমীচীন হইবে কিনা, তদ্‌মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করিবে এবং সরকার উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনা করিয়া যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।(৫) কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান না করিয়া এই ধারার অধীনে সরকার চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে অপসারণ করিবে না।(৬) এই ধারার অধীন অপসারিত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসাবে বা সরকারের বা সরকারী সংস্থার বা কর্তৃপক্ষের অন্য কোন পদে নিয়োজিত বা পুনঃনিয়োজিত হইতে পারিবে না।" }, { "section_content": "২৫৷ এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমালযোগ্য (non-cognizable), জামিনযোগ্য (bailable) এবং আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে৷" }, { "section_content": "২৬। কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের পাওনা সরকারী দাবী হিসাবেPublic Demands Recovery Act, 1913(Ben. Act, III of 1913) এর বিধানানুসারে আদায়যোগ্য হইবে৷" }, { "section_content": "২৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৩০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "১৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কতৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(খ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(গ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ঋণ;(ঘ) বীমাকারী হইতে নিবন্ধীকরণ ও নবায়ন ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;(ঙ) বীমাকারীর উপর র্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত জরিমানালব্ধ অর্থ;(চ) নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্থিরীকৃত বীমা কোম্পানীর প্রিমিয়ার আয়ের একটি নির্ধারিত অংশ;(ছ) ব্রোকার, বীমা জরিপকারী এবং বীমা এজেন্ট নিয়োগের ফলে প্রাপ্ত ফি;(জ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন বিদেশী সরকার, সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান;(ঝ) কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;(ঞ) অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; এবং(ট) বিনিয়োগ খাতে প্রাপ্ত আয়।(২) কর্তৃপক্ষের তহবিল কর্তৃপক্ষের নামে তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করা হইবে।(৩) চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পারিশ্রমিক, বেতন, ভাতা, ইত্যাদি এই তহবিল হইতে পরিশোধ করা হইবে এবং কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হইবে :তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মনীতি ও বিধি-বিধান, অনুসরণ করিতে হইবে।(৪) সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসরে কর্তৃপক্ষের ব্যয় নির্বাহের পর কর্তৃপক্ষের তহবিলে কোন অর্থ উদ্বৃত্ত থাকিলে সরকারের নির্দেশ অনুসারে উহার সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ সরকারের কোষাগারে জমা করিতে হইবে।(৫) কর্তৃপক্ষ তহবিলের অর্থ বা উহার অংশ বিশেষ, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "২০। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তদকর্তৃক উক্ত অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং সরকার তাহা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।(২) সরকার, প্রয়োজনমত, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার কর্মকান্ড বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোন তথ্য, পরিসংখ্যান, হিসাব-নিকাশ, আনুষঙ্গিক কাগজাদি ও তথ্যাদি তলব করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।(৩) সরকার, যে কোন সময়, কর্তৃপক্ষের কর্মকান্ড অথবা যে কোন প্রকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে।" }, { "section_content": "২৩। (১) এই আইনের অধীনে নিযুক্ত চেয়ারম্যান, প্রত্যেক সদস্য, কর্মকর্তা, পরামর্শক এবং উপদেষ্টা এই আইনের অধীনে তাহার নিজ দায়িত্ব সম্পাদনের উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষের অপ্রকাশিত কর্মকাণ্ডের তথ্য এবং তাহার কর্তব্য পালনকালে তাহার গোচরে আনা বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাইরে কোন প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, সংস্থা বা সরকার বা কর্তৃপক্ষের আর্থিক বা অর্থ সংশ্লিষ্ট সকল তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করিবেন।(২) যদি কোন ব্যক্তি আইনের বাধ্যবাধকতা বা নিজের দায়িত্ব পালন ব্যতীত অন্য কোন কারণে কোন তথ্য প্রকাশ করেন, তবে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "২৪। (১) কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃপক্ষ হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।(২) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।" }, { "section_content": "২৭। (১) কর্তৃপক্ষ বা কমিটি কর্তৃক সভায় আলোচিত ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এমন কোন বিষয়ে যদি কর্তৃপক্ষের কোন সদস্য বা কর্মকর্তা বা কমিটির কোন সদস্যের আর্থিক বা অন্য কোন সংশ্লেষ থাকে যাহা এই আইনের অধীন তাহার দায়িত্বকে ক্ষুণ্ন করিতে পারে, তবে তিনি বিষয়টিতে তাহার ক্ষমতা প্রয়োগের বা কর্তৃপক্ষ বা উহার কোন কমিটি কর্তৃক আলোচনার পূর্বে কর্তৃপক্ষকে বা কর্তৃপক্ষের কমিটিকে লিখিতভাবে সেই বিষয়ে তাহার স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতা এবং তাহার প্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত করিবেন৷(২) কোন সদস্য অথবা কর্মকর্তা অথবা কমিটির সদস্য এই ধারার বিধান অনুযায়ী স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার বিষয় অবহিত করিতে ব্যর্থ হইলে তাহা অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং দোষী সাব্যস্ত হইলে অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷" }, { "section_content": "২৮। এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেঃতবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের বিধান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবার তারিখ হইতে সন্তোষজনক কারণ ব্যতিরেকে, ৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পর উক্তরূপ কোন আদেশ দেওয়া যাইবে না।" }, { "section_content": "৩১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উক্ত নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবে :তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন নির্দেশ প্রদানের পূর্বে সরকার কর্তৃপক্ষকে তদ্সম্পর্কে মতামত প্রদান করিবার সুযোগ প্রদান করিবে।" }, { "section_content": "৩২। (১) এই আইনের অধীন চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য বা কর্মকর্তার আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংক্ষুব্ধ হইলে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, উক্ত আদেশ রিভিউ এর জন্য আবেদন করিতে পারিবেন এবং এই রিভিউ আবেদনের উপর কর্তৃপক্ষের আদেশই চূড়ান্ত হইবে।(২) নির্ধারিত সময়ের পর দায়েরকৃত কোন রিভিউ গ্রহণযোগ্য হইবে না। তবে রিভিউকারী যদি এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিভিউ আবেদন দাখিল না করার যুক্তিসংগত কারণ ছিল; সেই ক্ষেত্রে উক্ত সময় অব্যবহিত হওয়ার পরও দাখিলকৃত রিভিউ আবেদন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করিতে পারিবে।(৩) প্রতিটি রিভিউ আবেদন চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করিতে হইবে।(৪) কর্তৃপক্ষ, যেমন যুক্তযুক্ত মনে করিবে, রিভিউ আবেদনের উপর তদরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৩৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, অনধিক ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।" }, { "section_content": "৩৪। (১) এই আইনের অধীন কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে,-(ক) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বীমা অধিদপ্তর, অতঃপর \"বিলুপ্ত অধিদপ্তর\" বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;(খ) বিলুপ্ত অধিদপ্তর এর সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং এতদ্‌সংক্রান্ত সকল দাবী ও অধিকার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত হইবে এবং কর্তৃপক্ষ উহার অধিকারী হইবে;(গ) বিলুপ্ত অধিদপ্তর এর সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি যথাক্রমে কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;(ঘ) বিলুপ্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মামলা বা সূচিত কোন আইনগত কার্যধারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বা সূচিত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; এবং(ঙ) বিলুপ্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত বা অনুমোদিত কোন লাইসেন্স, সনদ এবং নিবন্ধন, এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা এই আইনের অধীন সংশোধিত বা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত, এইরূপে কার্যকর ও বহাল থাকিবে যেন উক্তরূপ লাইসেন্স, সনদ এবং নিবন্ধন এই আইনের অধীন ইস্যু করা হইয়াছে বা অনুমোদিত হইয়াছে।(২) বিলুপ্ত অধিদপ্তরের-(ক) সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, দফা (খ) এর বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসাবে কর্তৃপক্ষের ন্যস্ত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহাদের চাকুরী কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের চাকুরীর শর্তাবলী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে :তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাবলী নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষে ন্যস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরী এইরূপে নিয়ন্ত্রিত হইবে যেইরূপে বীমা অধিদপ্তর বিলুপ্ত হইবার পূর্বে নিয়ন্ত্রিত হইত;(খ) কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি কতৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিতে না চাহেন, তাহা হইলে তিনি, কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে, তৎমর্মে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে ইচ্ছা ব্যক্ত করিতে পারিবেন, এবং অনুরূপ ইচ্ছা ব্যক্ত করিলে তিনি সরকারী কর্মচারী হিসাবে কর্তৃপক্ষে প্রেষণে বদলী হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহার ক্ষেত্রে সরকারী চাকুরীর ধারাবাহিকতা, জ্যেষ্ঠতা, শর্তাবলী এবং সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকিবে; এবং(গ) কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি দফা (খ) এর অধীন কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে প্রেষণে নিয়োজিত থাকিতে না চাহেন, তাহা হইলে তাহার ক্ষেত্রেSurplus Public Servants Absorption Ordinance, 1985এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।" } ], "footnotes": [], "copyright_info": { "copyright_text": "Copyright©2019, Legislative and Parliamentary Affairs DivisionMinistry of Law, Justice and Parliamentary Affairs" }, "source_url": "http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-1036.html", "fetch_timestamp": "2025-07-19 02:31:25", "csv_metadata": { "act_title_from_csv": "বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন,২০১০", "act_no_from_csv": "১২", "act_year_from_csv": "২০১০", "is_repealed": false }, "token_count": 2964, "language": "bengali", "government_context": { "govt_system": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)", "position_head_govt": "Prime Minister", "head_govt_name": "Sheikh Hasina", "head_govt_designation": "Prime Minister of Bangladesh", "how_got_power": "Democratic election (2009), subsequent controversial elections (2014, 2018, 2024)", "period_years": "2009-2024", "years_in_power": 15 }, "processing_info": { "processed_timestamp": "2025-07-19 19:33:18", "enhanced_with_reducer": true, "enhanced_with_govt_context": true, "language_detected": "bengali", "token_count": 2848, "legal_context_added": true, "legal_context_timestamp": "2025-07-19 20:26:24", "year_standardized": true, "year_standardization_timestamp": "2025-07-19 20:35:48", "legal_context_recovery_attempted": true, "legal_context_recovery_timestamp": "2025-07-19 20:42:47", "token_count_updated": true, "token_count_update_timestamp": "2025-07-19 20:56:00", "previous_token_count": 2848, "accurate_token_count": 2964 }, "legal_system_context": { "period_info": { "period_name": "Awami League Dominance", "year_range": "2008-2024", "act_year": 2010 }, "legal_framework": { "primary_laws": [ "15th Amendment (2011)", "Cyber Security Act 2023", "Digital Security Act", "International Crimes Tribunal Act" ], "court_system": [ "Supreme Court", "High Court Division", "Specialized Tribunals" ], "legal_basis": "Constitutional parliamentary system", "enforcement_mechanism": "Politicized judicial system" }, "government_system": { "type": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)", "structure": "Single-party dominance", "revenue_collection": "Modernized tax system", "administrative_units": [ "8 Divisions", "64 Districts", "492 Upazilas", "4,554 Unions" ] }, "policing_system": { "law_enforcement": "Politicized police force", "military_police": "RAB, Police, Border Guards", "jurisdiction": "Centralized political control" }, "land_relations": { "tenure_system": "Market-based with disputes", "property_rights": "Development-focused acquisition", "revenue_system": "Digital land records", "peasant_status": "Modernization and displacement issues" }, "key_characteristics": [ "Caretaker system abolition", "War crimes tribunals", "Digital governance initiatives", "Authoritarian drift", "Student movement repressions" ], "context_added_timestamp": "2025-07-19 20:42:47", "recovery_note": "Legal context added after year translation recovery" } }