{ "act_title": "বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮", "act_no": "৭", "act_year": "2018", "publication_date": "19/07/2025", "sections": [ { "section_title": "প্রারম্ভিক", "section_content": "১। (১) এই আইনবিদ্যুৎ আইন, ২০১৮নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।" }, { "section_content": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘‘ইমারত’’ অর্থে কোন গৃহ, বহিঃগৃহ, কুটির, প্রাচীর, গাঁথুনি, এবং ইট, ঢেউটিন, ধাতু, টালি, কাঠ, বাঁশ, কাদামাটি, পাতা, ঘাস, খড় বা অন্য যে কোন উপকরণ দ্বারা নির্মিত কোন কাঠামো অন্তর্ভুক্ত হইবে;(২) ‘‘উপকেন্দ্র’’ অর্থ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থার এমন অংশকে বুঝাইবে যেখানে ভোল্টেজকে উচ্চ হইতে নিম্ন অথবা নিম্ন হইতে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয় অথবা যেখানে অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিক কার্যক্রম সম্পাদিত হয়;(৩) ‘‘উৎপাদন কেন্দ্র’’ অর্থ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং কোন ইমারত, প্ল্যান্ট ও সংশ্লিষ্ট উপকেন্দ্র, যাহা বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয়, এবং অনুরূপ কোন স্থাপনাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(৪) ‘‘এরিয়্যাল লাইন’’ অর্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং সরবরাহ লাইন যাহা ভূমির উপর শূন্য স্থানে (in the air) এবং পোল বা খুঁটি বা টাওয়ারের উপর স্থাপন করা হয়;(৫) ‘‘কমিশন’’ অর্থবাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩(২০০৩ সনের ১৩ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন;(৬) ‘‘কমিশন আইন’’ অর্থবাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩(২০০৩ সনের ১৩ নং আইন);(৭) ‘‘গ্রাহক’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যাহার মালিকানাধীন বা দখলে থাকা কোন বাসগৃহ, স্থাপনা বা স্থানে বিতরণ লাইসেন্সি কর্তৃক বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হইয়াছে;(৮) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;(৯) ‘‘পূর্তকর্ম’’ অর্থ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সরবরাহ ও বিতরণ সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কাজ, মেশিনারি বা যন্ত্রপাতি স্থাপন বা পুনঃস্থাপন এবং এতদ্‌সংশ্লিষ্ট কোন পূর্ত কাজ;(১০) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থCode of Criminal Procedure, 1898(Act No. V of 1898);(১১) ‘‘বাসগৃহ’’ অর্থ বসবাসের উদ্দেশ্যে নির্মিত কোন ইমারত বা উহার অংশ বিশেষ এবং উক্ত বাসগৃহের অন্তর্ভুক্ত বা সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় এইরূপ বাগান, আঙ্গিনা, বহিঃআঙ্গিনা এবং সংলগ্ন ঘরও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১২) ‘‘বিদ্যুৎ চুরি’’ অর্থ অবৈধ পন্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করিয়া উহার ভোগ্য বা ব্যবহার;(১৩) ‘‘বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন’’ বা ‘‘বিদ্যুৎ লাইন’’ অর্থ তার, পরিবাহী বা অন্য কোন মাধ্যম যাহা বিদ্যুৎ পরিবহণ, সঞ্চালন, সরবরাহ বা বিতরণের জন্য ব্যবহৃত, এবং উক্ত তার, পরিবাহী বা মাধ্যমের অংশ বিশেষ বা ইন্সুলেটর, সহযোগী তার বা কোন বস্তু যাহা বিদ্যুৎ পরিবহণ, সঞ্চালন বা বিতরণের সহিত সংশ্লিষ্ট;(১৪) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(১৫) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে কোন ফার্ম, অংশীদারি কারবার, কর্পোরেশন, কোম্পানি, সমিতি, সংঘ বা ব্যক্তিসমষ্টি, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১৬) ‘‘মিটার’’ অর্থ বিদ্যুৎ পরিমাপক যন্ত্র, যেমন- এনালগ মিটার, ডিজিটাল মিটার, প্রি-পেমেন্ট মিটার (অফলাইন ও অনলাইন মিটার), ইত্যাদি, যাহা দ্বারা গ্রাহকের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ শক্তির পরিমাণ নিরূপণ ও মনিটর করা হয়;(১৭) ‘‘রাস্তা’’ অর্থে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হইতেছে বা অধিকার রহিয়াছে এইরূপ কোন সড়ক, জলপথ, মেট্রোরেল, ফ্লাই ওভার, ওভার পাস, ফুট ওভার ব্রিজ, আন্ডার পাস, গলি, স্কয়ার, গৃহপ্রাঙ্গণের সড়কগলি, যে কোন পথ বা খোলা জায়গা, যাহার উভয় প্রান্ত উন্মুক্ত হউক বা না হউক, এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সেতু বা বাঁধের উপর যানবাহন চলাচল বা পায়ে হাটার পথও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১৮) ‘‘লাইসেন্সি’’ অর্থ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ বা সরবরাহের জন্য কমিশন আইন এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি;(১৯) ‘‘সরবরাহ এলাকা’’ অর্থ যে ভৌগোলিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কোন লাইসেন্সি অনুমতিপ্রাপ্ত হইয়াছে; এবং(২০) ‘‘সার্ভিস লাইন’’ অর্থ কোন লাইসেন্সি কর্তৃক বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্দেশ্যে স্থাপিত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন, যাহা দ্বারা গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।" }, { "section_content": "৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।" }, { "section_title": "বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন এবং ইন্ডিপেনডেন্ট সিস্টেম অপারেটর", "section_content": "৪। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থার সংস্কার, উন্নয়ন, উন্নত প্রযুক্তি প্রবর্তন ও ক্রয়-বিক্রয় এবং সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।" }, { "section_content": "৫। (১) বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সমন্বিত আকারে পরিচালনার লক্ষ্যে সরকার, প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, একটি ইন্ডিপেনডেন্ট সিস্টেম অপারেটর প্রতিষ্ঠা করিবে।(২) ইন্ডিপেনডেন্ট সিস্টেম অপারেটর নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রবাহ মনিটরিং, সিডিউলিং এবং মেরিট অর্ডার ডেসপাস ও বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী ন্যায়পরায়নতার ভিত্তিতে লোড বরাদ্দ করিবে।" }, { "section_title": "পূর্তকর্ম, ইত্যাদি", "section_content": "৬। (১) কোন লাইসেন্সি সরবরাহ এলাকার মধ্যে অথবা লাইসেন্সের শর্ত মোতাবেক সরবরাহ এলাকার বাহিরে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন স্থাপনের অনুমতিপ্রাপ্ত হইলে, যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করিবার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া প্রয়োজনীয় পূর্তকর্ম করিতে পারিবে।(২) কোন লাইসেন্সি কর্তৃক রাস্তা, রাস্তার অংশবিশেষ, রেলপথ, খাল বা জলপথের উপর, নিচ, বরাবর বা একপাশ হইতে অন্য পাশ পর্যন্ত অথবা ভূগর্ভস্থ পূর্তকর্ম করিবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করিতে হইবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্তির পর কোন ব্যক্তি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং আপিল নিষ্পত্তির পর লাইসেন্সি পূর্তকর্ম করিতে পারিবে।(৪) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জরুরি প্রয়োজনে লাইসেন্সি নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করিতে পারিবে।(৫) যদি কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা পূর্তকর্ম কোন ব্যক্তির বৈধ কর্তৃত্ব যথাযথভাবে বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি করে, তাহা হইলে লাইসেন্সি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা পূর্তকর্মের স্থান পরিবর্তন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, লাইসেন্সির নিয়ন্ত্রণাধীন কোন বিদ্যুৎ লাইন বা প্ল্যান্ট লাইসেন্সির লিখিত সম্মতি ব্যতিরেকে পরিবর্তন করা যাইবে না।" }, { "section_content": "৮। ভূগর্ভস্থ নর্দমা, পাইপ বা বিদ্যমান বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা পূর্তকর্মের সন্নিকটে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন স্থাপন বা পূর্তকর্ম নির্ধারিত পদ্ধতিতে করিতে হইবে।" }, { "section_content": "৯। কোন পূর্তকর্ম করিবার কারণে কোন রাস্তা, রেলপথ, ভূগর্ভস্থ নর্দমা, নালা, পয়ঃনালী বা সুরঙ্গপথ ভাঙ্গিয়া ফেলা হইলে, অবিলম্বে খননকৃত অংশে মাটি ভরাট, ভগ্নাংশ মেরামত এবং আবর্জনা অপসারণ করিতে হইবে।" }, { "section_content": "১০। কোন লাইসেন্সি টেলিফোন বা ইন্টারনেট লাইনের কোন অংশের মধ্যে সার্ভিস লাইন বা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে নূতন পূর্তকর্ম বা উহার মেরামত বা বিদ্যমান পূর্তকর্মের সংশোধন ইচ্ছুক করিতে হইলে সংশ্লিষ্ট টেলিযোগাযোগ বা ইন্টারনেট সেবাদানকারী সংস্থাকে উক্ত কর্মের বিষয় উল্লেখ করিয়া লিখিত নোটিশ প্রদান করিবে:তবে শর্ত থাকে যে, জরুরি প্রয়োজনে নোটিশ ব্যতিরেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের নূতন পূর্তকর্ম বা সংশোধন করিতে পারিবে এবং সেইক্ষেত্রে তদ্‌পরবর্তীতে লাইসেন্সি সংশ্লিষ্ট টেলিযোগাযোগ বা ইন্টারনেট সেবাদানকারী সংস্থাকে পরিবর্তনের বিষয়ে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।" }, { "section_content": "১১। সরকারের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে লাইসেন্সি কোন রাস্তা, রেলপথ, খাল বা জলপথের পাশাপাশি বা আড়াআড়িভাবে এরিয়্যাল লাইন স্থাপন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "১২। (১) এই আইনের অধীন কোন পূর্তকর্ম সম্পাদনকালে লাইসেন্সি কোন ক্ষতি, অনিষ্ট বা অসুবিধার সৃষ্টি করিলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অথবা বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের নিমিত্ত ব্যবহৃত জমির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিককে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষতিপূরণের পরিমাণের বিষয়ে কোন বিরোধের উদ্ভব হইলে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কমিশন আইনের বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।" }, { "section_content": "১৩। এই আইনের অধীন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন বা পূর্তকর্ম সম্পাদনের প্রয়োজনে ভূ-গর্ভ, ভূমি বা ভূমির উপর লাইসেন্সির পথের অধিকার থাকিবে:তবে শর্ত থাকে যে, বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন বা পূর্তকর্ম সম্পাদনের পূর্বে লাইসেন্সি, যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট ভূমির মালিককে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।" }, { "section_content": "১৪। (১) লাইসেন্সি কর্তৃক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা উপকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কোন ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হইলে উহা জনস্বার্থে প্রয়োজন বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন এবং বিধি-বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।(২) লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি কোম্পানি কর্তৃক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উপকেন্দ্র বা গ্রিড উপকেন্দ্রের সাথে সংযোগ লাইন নির্মাণের জন্য কোন ভূমির প্রয়োজন হইলে উক্ত লাইসেন্সি সংশ্লিষ্ট ভূমির মালিকের নিকট হইতে ভূমি ক্রয় বা ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রচলিত আইন এবং বিধি-বিধান অনুসরণ করিয়া ভূমি অধিগ্রহণ করিতে পারিবেন।" }, { "section_title": "বিদ্যুৎ সরবরাহ, মিটার স্থাপন, ইত্যাদি", "section_content": "১৫। কোন বাসগৃহ, স্থাপনা বা স্থানের মালিক বা বৈধ দখলদার অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ সাপেক্ষে বিতরণ লাইসেন্সি নির্ধারিত পদ্ধতিতে-(ক) আবেদনে উল্লিখিত বাসগৃহ, স্থাপনা বা স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা করিবে; এবং(খ) দফা (ক) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিদ্যুৎ লাইন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করিবে।" }, { "section_content": "১৬। লাইসেন্সি, লাইসেন্সের শর্তে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকিলে, উহার সরবরাহ এলাকার প্রত্যেক গ্রাহককে একই মানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করিবে:তবে শর্ত থাকে যে, কোন গ্রাহক নির্ধারিত ফি প্রদান করিয়া পৃথক সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে ভিন্ন মানের বিদ্যুৎ সরবরাহের আবেদন করিলে লাইসেন্সি উক্ত গ্রাহককে উক্ত মানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "১৭। (১) কোন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ নিরুপণের জন্য লাইসেন্সি গ্রাহকপ্রান্তে মিটার স্থাপন করিবে।(২) মিটার সরবরাহ, মিটার স্থাপন, মিটার পরীক্ষা, মিটার রিডিং এবং তদ্‌সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।(৩) গ্রাহক মিটার যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং তিনি মিটারে কোন অবৈধ হস্তক্ষেপ (tampering) বা ক্ষতি করিবেন না।(৪) কোন গ্রাহক মিটার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করিলে বিতরণ লাইসেন্সি নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক উক্ত গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিতে এবং তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।(৫) ভিন্নরূপ কোন কিছু প্রমাণিত না হইলে, কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ নিরুপণের জন্য মিটারের রেজিস্টার ও মিটারে সংরক্ষিত তথ্য সঠিকভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ রেকর্ড হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহা সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে।" }, { "section_content": "১৮। (১) কোন গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে ব্যর্থ হইলে অথবা কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করিলে, লাইসেন্সি নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক উক্ত গ্রাহক বা ব্যক্তির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হইলে কোন আদালত লাইসেন্সিকে উক্ত গ্রাহকের বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ করিবার জন্য আদেশ দিতে পারিবে না।(৩) বিদ্যুৎ বিল প্রণয়ন ও আদায়ের সহিত সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্মচারীর দায়িত্বে অবহেলার কারণে কোন বিল অনাদায়ী থাকিলে উহার দায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্মচারীর উপর বর্তাইবে।" }, { "section_content": "১৯। (১) কোন লাইসেন্সি বা তদ্‌কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বিদ্যুৎ সংযোগ রহিয়াছে এইরূপ কোন বাসগৃহ, স্থাপনা বা স্থানে, সুনির্দিষ্টকরণ, যুক্তিসঙ্গত সময়ে এবং উক্ত বাসগৃহ, স্থাপনা বা স্থানের মালিক বা দখলদারকে অবহিত করিয়া বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন এবং ফিটিংস ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করিবার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে।(২) লাইসেন্সি বা তদ্‌কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট যদি উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হয় যে, বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন অথবা কোন ফিটিংস বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি অপসারণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন, ফিটিংস বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি অপসারণ করিতে পারিবেন।(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রবেশে বাধা দিলে অথবা উপ-ধারা (২) এর অধীন বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন, ফিটিংস বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি অপসারণে বাধা দিলে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাইবে।" }, { "section_content": "২০। ধারা ১৮ বা ১৯ এর অধীন কোন গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হইলে, নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে, লাইসেন্সি সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ করিবে।" }, { "section_content": "২১। লাইসেন্সি, সময় সময়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "২২। কোন গ্রাহক নির্ধারিত পদ্ধতিতে অগ্রিম বিল পরিশোধ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "২৩। (১) কোন গ্রাহক কোন কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখিতে ইচ্ছুক হইলে, তিনি উক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিতরণ লাইসেন্সিকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অবহিত হইবার পর বিতরণ লাইসেন্সি উক্ত গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করিতে পারিবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হইলে, উক্ত গ্রাহককে বিদ্যুতের মূল্য ব্যতীত অন্যান্য চার্জ প্রদান করিতে হইবে।" }, { "section_content": "২৪। কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলার রায় বা দেউলিয়াত্বের কারণে উক্ত ব্যক্তির মালিকানাধীন কোন চত্বরের ভিতর বা উপরে বিদ্যুৎ সরবারাহের জন্য লাইসেন্সির বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন, মিটার, ফিটিংস, পূর্তকর্ম বা যন্ত্রপাতি ক্রোকযোগ্য হইবে না।" }, { "section_content": "২৫। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণের যথাযথ হিসাব এবং নিরীক্ষা কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, ও বিতরণের যে কোন পর্যায়ে এবং স্থানে লাইসেন্সিকে মিটার স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "২৬। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা এবং উপযুক্ত শর্ত এবং বিধি-বিধান সাপেক্ষে, কোন লাইসেন্সিকে তাহার সরবরাহ এলাকার বাহিরে কোন ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পূর্তকর্ম সম্পাদনের জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।" }, { "section_title": "সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা", "section_content": "২৭। কোন লাইসেন্সি বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সরবরাহ বা বিতরণ করিবার ক্ষেত্রে কোন রেলপথ, হাইওয়ে, বিমানবন্দর, জলপথ, খাল, ডক, ঘাট, জেটি এবং পাইপ এর ক্ষতিসাধন, বাধাগ্রস্ত বা হস্তক্ষেপ করিবে না এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয়ের মাধ্যমে উহাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।" }, { "section_content": "২৮। লাইসেন্সি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন নির্মাণ এবং পূর্তকর্ম করিবার ক্ষেত্রে যৌক্তিক সতর্কতা অবলম্বন করিবে যাহাতে আবেশ (induction) বা অন্যবিধভাবে টেলিগ্রাফ, টেলিফোন বা বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় সংকেত প্রদানকালে যোগাযোগ কাজের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলিতে না পারে।" }, { "section_content": "২৯। (১) বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সরবরাহ বা বিতরণের ফলে কিংবা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা অন্যবিধ কার্যের ফলে কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়া থাকিলে অথবা ক্ষতি হইবার আশঙ্কা সৃষ্টি হইলে ক্ষেত্রমত ক্ষতিগ্রস্থ বা জ্ঞাত কোন ব্যক্তি উক্ত ঘটনা বা ক্ষতির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন।ব্যাখা : এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ বলিতে প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শককে অথবা সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্দিষ্টকৃত কর্তৃপক্ষকে বুঝাইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্তির পর উক্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করিবে।" }, { "section_content": "৩০। (১) কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন বা সরবরাহ লাইনের কোন অংশকে ভূমির সহিত সংযুক্ত করিতে পারিবেন না।(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করা হইয়াছে মর্মে সরকারের নিকট প্রতীয়মান হইলে, সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা লাইসেন্সিকে প্রতিকারের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং যতদিন পর্যন্ত উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা না হইবে ততদিন পর্যন্ত বা আদেশে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা পূর্তকর্ম ব্যবহার নিষিদ্ধ বা অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।" }, { "section_title": "প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক এবং বিদ্যুৎ পরিদর্শক", "section_content": "৩১। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, একজন প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিদ্যুৎ পরিদর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে।(২) প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক এবং বিদ্যুৎ পরিদর্শক নিয়োগ এবং তাহাদের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কর্মের শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।" }, { "section_title": "অপরাধ ও দণ্ড", "section_content": "৩২। (১) কোন ব্যক্তি বাসগৃহ বা কোন স্থানে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ চুরি করিলে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড অথবা চুরিকৃত বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ অথবা ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।(২) কোন ব্যক্তি শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ চুরি করিলে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড অথবা চুরিকৃত বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ অথবা ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৩৩। (১) কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে লাইসেন্সির বিদ্যুৎ সংযোগে কোন যন্ত্র, ডিভাইস বা কৃত্রিম পদ্ধতি স্থাপন বা ব্যবহার করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।(২) যদি কোন বাসগৃহে কোন যন্ত্র, ডিভাইস বা কৃত্রিম পদ্ধতি স্থাপনের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে লাইসেন্সির বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ, ভোগ বা ব্যবহৃত হইয়াছে বলিয়া প্রমাণিত হয়, তাহা হইলে ভিন্নরূপ কিছু প্রমাণিত না হইলে, উক্ত চত্বরের দখলদার উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।" }, { "section_content": "৩৪। কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ অপচয় করিলে বা বিদ্যুতের সরবরাহ ঘুরাইয়া দিলে অথবা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করিবার উদ্দেশ্যে কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা পূর্তকর্ম কাটিয়া দিলে বা ক্ষতিগ্রস্ত করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড বা ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৩৫। কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা উপকেন্দ্র বা স্থাপনার কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি অথবা বিদ্যুৎ লাইন সামগ্রী, যেমন-পোল, টাওয়ারের অংশ বিশেষ, কন্ডাক্টর, ট্রান্সফরমার, বৈদ্যুতিক তার, ইত্যাদি চুরি, অপসারণ, বিনষ্ট বা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিসাধন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৩৬। কোন ব্যক্তি ধারা ৩৫ এ উল্লিখিত যন্ত্রপাতি বা বিদ্যুৎ লাইন সামগ্রী চুরি হইয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকা সত্ত্বেও উক্ত চুরিকৃত মালামাল নিজ দখলে রাখিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৩৭। কোন লাইসেন্সি-(ক) ধারা ২৬ এর বিধান সাপেক্ষে, সরবরাহ এলাকার বাহিরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করিলে বা কোন বিদ্যুৎ লাইন বা পূর্তকর্ম স্থাপন করিলে;(খ) এই আইন বা বিধির কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে বা যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করিলে; অথবা(গ) ত্রুটিযুক্ত বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করিলে;উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত লাইসেন্সি অথবা অপরাধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৩৮। কোন ব্যক্তি-(ক) লাইসেন্সির লিখিত অনুমতি ব্যতীত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সহিত মিটার সংযোগ স্থাপন করিলে বা বিচ্ছিন্ন করিলে অথবা অন্য কোন স্থাপনার সহিত যোগাযোগ রক্ষার্থে কোন যন্ত্র স্থাপন করিলে;(খ) লাইসেন্সির লিখিত অনুমতি ব্যতীত মিটার হইতে অন্য কোন ব্যক্তিকে পার্শ্ব সংযোগ প্রদান করিলে;(গ) মিটারের ক্ষতিসাধন করিলে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে বা প্রতারণামূলকভাবে মিটারের ইনডেক্স পরিবর্তন করিলে অথবা উহাদের যথাযথ রেজিস্টারে বাধার সৃষ্টি করিলে; অথবা(ঘ) লাইসেন্সি কর্তৃক সরবরাহকৃত বিদ্যুতের উচ্চতর হার পদ্ধতির পরিবর্তে নিম্নতম হার পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করিলে বা কোন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করিলে;উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৩৯। (১) কোন ব্যক্তি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বিদ্যুৎ লাইন, খুঁটি বা অন্যবিধ যন্ত্রপাতি নাশকতার মাধ্যমে ভাঙ্গিয়া ফেলিলে বা ক্ষতিগ্রস্ত করিলে বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করিবার উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা যন্ত্রের উপর কোন বস্তু নিক্ষেপ করিলে বা রাখিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ৭(সাত) বৎসর এবং অনধিক ১০(দশ) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০(দশ) কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।(২) কোন ব্যক্তি লাইসেন্সির অনুমতি ব্যতিরেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বিদ্যুৎ লাইন, খুঁটি বা অন্যবিধ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিলে অবহেলাবশত ভাঙ্গিয়া ফেলিলে বা ক্ষতিগ্রস্ত করিলে বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করিবার উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বা যন্ত্রের উপর কোন বস্তু নিক্ষেপ করিলে বা রাখিলে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড অথবা ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪০। কোন ব্যক্তি যদি এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডের বিধান উল্লেখ নাই এইরূপ কোন বিধান অথবা বিধির কোন বিধান লঙ্ঘন করেন তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬(ছয়) মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০(দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪১। কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা, ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনা করিলে এবং উক্ত সহায়তা, ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনার ফলে অপরাধটি সংঘটিত হইলে, উক্ত সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী বা প্ররোচনাদানকারী তাহার সহায়তা, ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনা দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য নির্দিষ্টকৃত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪২। এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত যে কোন যন্ত্র, বস্তু, বা উপকরণ সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হইবে।" }, { "section_content": "৪৩। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন বা বিতরণ কাজে নিয়োজিত কোন সরকারি অথবা বেসরকারি কোন সংস্থা, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মচারী এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ করেন বা অপরাধ সংঘটনের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন বা অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনা প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য নির্দিষ্টকৃত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন বা বিতরণ কাজে নিয়োজিত কোন সরকারি অথবা বেসরকারি কোন সংস্থা, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনের ঘটনা অবহিত হইয়াও যদি তিনি যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে উক্ত অপরাধ প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, যাহা প্রতিরোধ করা তাহার দায়িত্ব অথবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করেন, তাহা হইলে তিনি অপরাধ সংঘটনে সহায়তা প্রদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।" }, { "section_content": "৪৪। কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইবার পর পুনরায় একই অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪৫। এই আইনের অধীন আরোপিত অর্থদণ্ড ক্ষতিপূরণ প্রদানের অতিরিক্ত হইবে এবং ইহা দণ্ডিত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ প্রদানের দায়কে হ্রাস করিবে না।" }, { "section_content": "৪৬। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে লাইসেন্সির নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যূন সহকারী প্রকৌশলী, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বা সমপদমর্যাদার কোন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত যে কোন কাজ করিতে পারিবেন, যথা :-(ক) যদি তাহার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোন জায়গা বা অঙ্গনে অননুমোদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার হইতেছে, তাহা হইলে উক্ত জায়গায় বা অঙ্গনে প্রবেশ, উহার দরজা ভাঙ্গিয়া প্রবেশ এবং তল্লাশি করিতে পারিবেন; এবং(খ) উক্তরূপ অননুমোদিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, ক্যাবল বা অন্য কোন যন্ত্র জব্দ বা অপসারণ করিতে এবং সংশ্লিষ্ট কোন হিসাব বহি বা দলিল পরীক্ষা বা জব্দ করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন যে জায়গা তল্লাশি করা হইতেছে উহার মালিক বা তাহার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্তরূপ তল্লাশি সম্পন্ন করিতে হইবে এবং জব্দকৃত জিনিসের একটি তালিকা প্রস্তুত করিয়া উক্ত ব্যক্তির এবং কমপক্ষে দুইজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে হইবে।(৩) তল্লাশি বা জব্দকরণের ক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।" }, { "section_content": "৪৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন আদালত লাইসেন্সির নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বা সমপদমর্যাদার কর্মচারী কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগ ব্যতীত এই আইনের অধীন কোন অভিযোগ আমলে গ্রহণ করিবে না।" }, { "section_content": "৪৮। (১) এই আইনের অন্য কোন বিধানকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, কোন ব্যক্তি বা গ্রাহক কর্তৃক বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা অবগত হইবার পর লাইসেন্সি তাৎক্ষণিকভাবে তাহার বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করিবে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করিবার ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে অধিক্ষেত্র সম্পন্ন আদালতে লিখিতভাবে অভিযোগ করিবে :তবে শর্ত থাকে যে, গ্রাহক অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি চুরিকৃত বিদ্যুতের মূল্যের ৩ (তিন) গুণ অর্থ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, লাইসেন্সি কর্তৃক সরবরাহকৃত মিটারের মূল্য, বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পুনঃসংযোগ ফি এবং প্রযোজ্য অন্যান্য ফি, যদি থাকে, পরিশোধ করেন এবং লাইসেন্সির নিকট উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইলে, মামলা দায়ের হইতে বিরত থাকিতে পারিবে এবং অর্থ পরিশোধের ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান করিতে পারিবে :আরো শর্ত থাকে যে, এই বিধান অভিযুক্ত ব্যক্তি বা গ্রাহকের শুধুমাত্র প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে বিবেচনাযোগ্য হইবে।(২) অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ব্যক্তি এই আইনের অধীন তাহার বিরুদ্ধে গৃহীত কোন কার্যক্রম সম্পর্কে কোন দেওয়ানি বা ফৌজদারি আদালতে মামলাদায়ের করিতে পারিবে না।" }, { "section_content": "৪৯। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।(২) ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন-(ক) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে ;(খ) প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে বর্ণিত যে কোন অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৫০। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৩৩, ৩৫, ৩৮ এবং ৩৯ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ আমলযোগ্য, অ-জামিনযোগ্য এবং অ-আপোষযোগ্য হইবে এবং ধারা ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৭ এবং ৪০ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য এবং আপোষযোগ্য হইবে।" }, { "section_content": "৫১। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৫২। (১) কোন কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত কোম্পনির এইরূপ মালিক, পরিচালক, নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, সচিব, অন্য কোন কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত সত্ত্বা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে এই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘কোম্পানি’’ অর্থে নিগমিত বা নিবন্ধিত হউক বা না হউক এইরূপ যে কোন কোম্পানি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন বা সংস্থা এবং সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা সরকারের সম্পূর্ণ বা আংশিক মালিকানাধীন কোন কোম্পানিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।" }, { "section_title": "বিবিধ", "section_content": "৫৩। বিদ্যুৎ সরবরাহ বা ব্যবহার সংক্রান্ত উদ্ভূত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কমিশন আইন প্রযোজ্য হইবে।" }, { "section_content": "৫৪। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন, দলিল বা চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন গ্রাহকের নিকট বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মূল্য বা অন্য কোন অর্থ বকেয়া থাকিলে উহাPublic Demands Recovery Act, 1913(Bengal Act, No. III of 1913) এর বিধান অনুসারে সরকারি পাওনা হিসাবে আদায় করা যাইবে।" }, { "section_content": "৫৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন লাইসেন্সি বা তদ্‌কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি শৃঙ্খলা-বাহিনীর সহায়তা চাহিলে, সংশ্লিষ্ট বাহিনী সহায়তা প্রদান করিবে।" }, { "section_content": "৫৬। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সরবরাহ ও বিতরণ কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন স্থাপনায় জরুরি অবস্থার উদ্ভব ঘটিলে, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সেবা অব্যাহত রাখিবার স্বার্থে সরকার উক্ত স্থাপনায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতঃ বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৫৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল কর্মচারীর চাকরিEssential Services (Maintenance) Act, 1952(Act No. LIII of 1952) অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসাবে ঘোষণা করা যাইবে।" }, { "section_content": "৫৮। এই আইনের কোন বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরাণার্থে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৫৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে :তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার, প্রয়োজনে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ ও সম্পাদন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৬০। (১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেElectricity Act, 1910(Act No. IX of 1910) অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে।(২) উক্ত Act রহিত হওয়া সত্ত্বেও উক্ত Act এর অধীন -(ক) কৃত কোন কাজ বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা, প্রণীত কোন বিধি, জারীকৃত কোন প্রজ্ঞাপন বা আদেশ অথবা ইস্যুকৃত কোন নোটিশ এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রণীত, জারীকৃত অথবা ইস্যুকৃত বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) চলমান বা নিষ্পন্নাধীন কোন কার্যক্রম এই আইনের অধীন, যতদূর সম্ভব, নিষ্পত্তি করিতে হইবে; এবং(গ) দায়েরকৃত কোন মামলা বা কার্যধারা কোন আদালতে চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে যেন উক্ত Act রহিত হয় নাই।" }, { "section_content": "৬১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।(২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।" } ], "footnotes": [], "copyright_info": { "copyright_text": "Copyright©2019, Legislative and Parliamentary Affairs DivisionMinistry of Law, Justice and Parliamentary Affairs" }, "source_url": "http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-1228.html", "fetch_timestamp": "2025-07-19 02:36:59", "csv_metadata": { "act_title_from_csv": "বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮", "act_no_from_csv": "৭", "act_year_from_csv": "২০১৮", "is_repealed": false }, "token_count": 3950, "language": "bengali", "government_context": { "govt_system": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)", "position_head_govt": "Prime Minister", "head_govt_name": "Sheikh Hasina", "head_govt_designation": "Prime Minister of Bangladesh", "how_got_power": "Democratic election (2009), subsequent controversial elections (2014, 2018, 2024)", "period_years": "2009-2024", "years_in_power": 15 }, "processing_info": { "processed_timestamp": "2025-07-19 19:33:19", "enhanced_with_reducer": true, "enhanced_with_govt_context": true, "language_detected": "bengali", "token_count": 3837, "legal_context_added": true, "legal_context_timestamp": "2025-07-19 20:26:25", "year_standardized": true, "year_standardization_timestamp": "2025-07-19 20:35:52", "legal_context_recovery_attempted": true, "legal_context_recovery_timestamp": "2025-07-19 20:42:51", "token_count_updated": true, "token_count_update_timestamp": "2025-07-19 20:56:02", "previous_token_count": 3837, "accurate_token_count": 3950 }, "legal_system_context": { "period_info": { "period_name": "Awami League Dominance", "year_range": "2008-2024", "act_year": 2018 }, "legal_framework": { "primary_laws": [ "15th Amendment (2011)", "Cyber Security Act 2023", "Digital Security Act", "International Crimes Tribunal Act" ], "court_system": [ "Supreme Court", "High Court Division", "Specialized Tribunals" ], "legal_basis": "Constitutional parliamentary system", "enforcement_mechanism": "Politicized judicial system" }, "government_system": { "type": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)", "structure": "Single-party dominance", "revenue_collection": "Modernized tax system", "administrative_units": [ "8 Divisions", "64 Districts", "492 Upazilas", "4,554 Unions" ] }, "policing_system": { "law_enforcement": "Politicized police force", "military_police": "RAB, Police, Border Guards", "jurisdiction": "Centralized political control" }, "land_relations": { "tenure_system": "Market-based with disputes", "property_rights": "Development-focused acquisition", "revenue_system": "Digital land records", "peasant_status": "Modernization and displacement issues" }, "key_characteristics": [ "Caretaker system abolition", "War crimes tribunals", "Digital governance initiatives", "Authoritarian drift", "Student movement repressions" ], "context_added_timestamp": "2025-07-19 20:42:51", "recovery_note": "Legal context added after year translation recovery" } }