{ "act_title": "চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮", "act_no": "৩১", "act_year": "2018", "publication_date": "19/07/2025", "sections": [ { "section_title": "প্রারম্ভিক", "section_content": "১। (১) এই আইনচট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকা এবং সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকা সংলগ্ন যে সকল এলাকা নির্ধারণ করিবে সেই সকল এলাকায় প্রযোজ্য হইবে।(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।" }, { "section_content": "২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ’’ অর্থস্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ;(২) ‘‘ইমারত’’ অর্থBuilding Construction Act, 1952(Act No. II of 1953) এর section 2(b) এ সংজ্ঞায়িত building,(৩) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ;(৪) ‘‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মচারী;(৫) ‘‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন’’ অর্থস্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৬০ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন;(৬) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;(৭) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ৩২ এ উল্লিখিত তহবিল;(৮) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি বা, ক্ষেত্রমত, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;(৯) ‘‘নিয়ন্ত্রিত এলাকা’’ অর্থ ধারা ১৫ এর অধীন ঘোষিত নিয়ন্ত্রিত এলাকা;(১০) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(১১) ‘‘পৌরসভা’’ অর্থ স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৮ নং আইন) এর অধীন গঠিত পৌরসভা;(১২) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(১৩) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে যে কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা সংস্থা, উহা নিবন্ধিত হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১৪) ‘‘মহাপরিকল্পনা (Master Plan)’’ অর্থ ধারা ১১ এর অধীন প্রণীত মহাপরিকল্পনা;(১৫) ‘‘সচিব’’ অর্থ ধারা ৪০ এর অধীন নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের সচিব;(১৬) ‘‘সদস্য’’ অর্থ কর্তৃপক্ষের যে কোনো সদস্য;(১৭) ‘‘সার্বক্ষণিক সদস্য’’ অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সার্বক্ষণিক সদস্য; এবং(১৮) ‘‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনসহ কোনো আইনের অধীন কোনো নির্দিষ্ট কার্যাদি সম্পাদনের জন্য প্রতিষ্ঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান।" }, { "section_title": "কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি", "section_content": "৩। (১)Chittagong Development Authority Ordinance, 1959(Ordinance No.LI of 1959) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (Chattogram Development Authority) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ ইহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।" }, { "section_content": "৪। (১) কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় থাকিবে।(২) কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৫। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে, যথা : -(ক) চেয়ারম্যান;(খ) চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য;(গ) জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম;(ঘ) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ঙ) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(চ) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ছ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃপ্রণালী কর্তৃপক্ষ;(জ) প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম রেলওয়ে (পূর্ব);(ঝ) প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ;(ঞ) পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ট) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্তৃক মনোনীত এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উহার নির্বাচিত দুইজন কাউন্সিলর;(ঠ) চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক মনোনীত তিনজনের প্যানেল হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;(ড) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত সরকার কর্তৃক মনোনীত অন্যূন ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিক, তন্মধ্যে একজন হইবেন পরিকল্পনাবিদ বা স্থপতি এবং একজন হইবেন মহিলা; এবং(ঢ) সচিব, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ট), (ঠ) ও (ড) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং কোনো মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।" }, { "section_content": "৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা : -(১) ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করিয়া মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;(২) মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের নিমিত্ত ভূমি জরিপ ও সমীক্ষা, গবেষণা পরিচালনা এবং তদসংশ্লিষ্ট সকল প্রকার তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ;(৩) ভূমির উপর যে কোনো প্রকৃতির অপরিকল্পিত উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যাবলি গ্রহণ;(৪) পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় গৃহায়ন ও আবাসন সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পর্যটনকেন্দ্রিক আবাসিক, বাণিজ্যিক, বিনোদন, শিল্প বা এতদসম্পর্কিত অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পৃথক পৃথক এলাকার অবস্থান নির্ধারণ ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উহার কার্যকর বাস্তবায়ন;(৫) সড়ক, মহাসড়ক, নৌপথ, রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনাক্রমে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন;(৬) কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে বিধি বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণ;(৭) অপরিকল্পিত, অপ্রশস্ত ও ঘনবসতি অপসারণক্রমে নূতন আবাসন প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং উক্ত এলাকার বাসিন্দাগণের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;(৮) নিম্নবিত্ত, বস্তিবাসী এবং গৃহহীনদের আবাসন সমস্যার অগ্রাধিকার বিবেচনায় রাখিয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উহার বাস্তবায়ন;(৯) উন্নয়ন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রহিয়াছে এইরূপ কোনো এলাকার জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি এবং উক্ত এলাকার ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন বা কোনো ইমারত বা স্থাপনার পরিবর্তনের উপর অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ;(১০) আধুনিক ও আকর্ষণীয় নগর পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা তৈরি এবং উহার ধারাবাহিকতা সংরক্ষণ;(১১) পর্যাপ্ত সংখ্যক বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনী তৈরি;(১২) কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে দেশি-বিদেশি বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে পরামর্শ বা সহযোগিতা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;(১৩) দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি, সরকারি বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;(১৪) কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান;(১৫) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ;(১৬) আধুনিক ও নগর সংক্রান্ত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন;(১৭) জনকল্যাণমূলক যে কোনো টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;(১৮) শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য, যোগাযোগ, নগরায়ণ, পরিবেশ উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন, বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, খাল ও নালা নর্দমার উন্নয়ন, উড়াল সেতু, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাম, মেট্রোরেল খাতে উন্নয়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;(১৯) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে চুক্তি সম্পাদন; এবং(২০) সরকার কর্তৃক সময় সময় অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদন।" }, { "section_content": "৭। (১) সরকার কর্তৃপক্ষের একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য নিয়োগ করিবে এবং তাহাদের চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।(২) চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্যগণ কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে ৩(তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি ২ (দুই) মেয়াদের বেশী সময়ের জন্য চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।(৩) কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সার্বক্ষণিক সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন না বা উক্ত পদে থাকিতে পারিবেন না, যদি তিনি -(ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন;(খ) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;(গ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন;(ঘ) কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ খেলাপী হিসাবে ঘোষিত হন এবং দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;(ঙ) কোনো ফৌজদারী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক ২ বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন; বা(চ) কর্তৃপক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো পেশা বা ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন বা হন।(৪) সরকার, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, চেয়ারম্যান বা কোনো সার্বক্ষণিক সদস্যকে যে কোনো সময় অপসারণ করিতে পারিবে।(৫) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা তাহার অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নূতন চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো সার্বক্ষণিক জ্যেষ্ঠ সদস্য চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।(৬) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি -(ক) এই আইন, বিধি ও প্রবিধানের বিধান অনুসারে কর্তৃপক্ষের প্রশাসন পরিচালনার জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন।" }, { "section_content": "৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) প্রতি ৩ (তিন) মাসে কর্তৃপক্ষের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে :তবে শর্ত থাকে যে, যে কোনো সময় জরুরি সভা আহবান করা যাইবে।(৩) চেয়ারম্যান, কর্তৃপক্ষের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তদকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৪) কর্তৃপক্ষের সভায় কোরামের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।(৫) কর্তৃপক্ষের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে।(৬) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা কর্তৃপক্ষ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।(৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হইবার অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট উহার অনুলিপি প্রেরণ করিতে হইবে।" }, { "section_content": "৯। কর্তৃপক্ষ উহার সভার নির্ধারিত আলোচ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম বা কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পাদনে সহায়তার জন্য, প্রয়োজনে, সদস্য নহেন কিন্তু উক্তরূপ কাজে অভিজ্ঞ এইরূপ কোনো ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের পরামর্শ বা সহযোগিতা গ্রহণ করিতে পারিবে, তবে তিনি কোনো ভোটাধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন না।" }, { "section_content": "১০। কর্তৃপক্ষ সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা উহার কার্যাবলি সম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।" }, { "section_title": "মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প, ইত্যাদি", "section_content": "১১। (১) কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করিয়া উহার আওতাভুক্ত এলাকার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে, যথা :-(ক) নৌ, বিমান, রেল, সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচলের গতি-প্রকৃতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি;(খ) পানি সরবরাহ, সংরক্ষণ, পয়ঃপ্রণালী ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা;(গ) বিভিন্ন সরকারি অফিস, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা কেন্দ্র, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, উদ্যান, উন্মুক্ত স্থান, জলাশয় এবং বিনোদনমূলক ব্যবস্থা, পর্যটন তথ্য কেন্দ্র, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, ইত্যাদির জন্য ভূমি সংরক্ষণসহ উহার অবস্থান নির্ধারণ ও সংরক্ষণ;(ঘ) আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার অবস্থান নির্ধারণ, সংরক্ষণ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি;(ঙ) মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজন হইতে পারে এইরূপ ভূমি চিহ্নিতকরণ ও উহার অবস্থান নির্ধারণ;(চ) ভূমি ব্যবহার, জোনিং এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ অনুসরণ করিয়া ভূমি সংরক্ষণ;(ছ) সৌর-বিদ্যুৎসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি;(জ) দীর্ঘমেয়াদী ও আধুনিক নাগরিক সুবিধা সংবলিত নগরায়ন পরিকল্পনা, প্রকল্প, ধারাবাহিক উন্নয়ন, নিয়মিত সংস্কার এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি; এবং(ঝ) আধুনিক পর্যটন ও বাণিজ্যিক নগরী গড়িয়া তুলিবার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আধুনিক সুবিধা।(২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত মহাপরিকল্পনা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেট, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং বহুল প্রচারিত ২(দুই) টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে উহার প্রাক্-প্রকাশ করিবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশিত মহাপরিকল্পনার বিষয়ে কাহার কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকিলে উহা প্রাক্-প্রকাশের ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।(৪) কর্তৃপক্ষ, প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনা করিয়া উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাক্-প্রকাশের তারিখ হইতে অনধিক ১০৫ (একশত পাঁচ) দিনের মধ্যে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে।(৫) সরকার, উপ-ধারা (৪) এর অধীন মহাপরিকল্পনা প্রাপ্ত হইবার ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উহা অনুমোদন করিবে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উহার চূড়ান্ত প্রকাশ করিবে।" }, { "section_content": "১২। কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, সময় সময়, মহাপরিকল্পনা সংশোধন করিতে পারিবে এবং এইক্ষেত্রে ধারা ১১ এর উপ-ধারা (২), (৩), (৪), ও (৫) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।" }, { "section_content": "১৩। মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন অথবা উহার সংশোধন বা পরিবর্তন গেজেট প্রকাশিত হইবার পূর্বে বা পরে, উহা সম্পর্কে কোনো আদালতে মামলা করা যাইবে না।" }, { "section_content": "১৪। (১) কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো ভূমি ব্যবহার করিতে ইচ্ছুক হইলে তাহাকে লিখিতভাবে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করিতে হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর চেয়ারম্যান উহা মঞ্জুর করিতে পারিবেন অথবা না মঞ্জুর করিতে পারিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো আবেদন না মঞ্জুর করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করিতে পারিবে এবং এইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।" }, { "section_content": "১৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, মহাপরিকল্পনাভুক্ত কোনো এলাকাকে প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে এবং উক্ত এলাকায় অপরিকল্পিত ও নিম্নমানের ইমারত নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রমের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "১৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, মহাপরিকল্পনাভুক্ত কোনো এলাকাকে উক্ত এলাকার ভূমির মালিকগণকে লিখিত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত কোনো সংরক্ষিত এলাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাইবে না।" }, { "section_content": "১৭। (১) কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনার ভিত্তিতে উহার আওতাভুক্ত কোনো এলাকার জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুত করিয়া উহা অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে।(২) উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখ থাকিবে, যথা :-(ক) গৃহায়নসহ প্রস্তাবিত উন্নয়ন, পূর্ত কাজের বিবরণ, প্রাক্কলিত ব্যয় ও প্রস্তাবিত অর্থের সংস্থান;(খ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করিবার জন্য যে পরিমাণ ভূমি অধিগ্রহণ করিতে হইবে বা উহা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে;(গ) এলাকার ভূমি বিন্যাস বা পুনর্বিন্যাস;(ঘ) প্রকল্প এলাকার ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমির উপর অবস্থিত যে সকল ইমারত ধ্বংস, পরিবর্তন বা পুনঃনির্মাণ করিতে হইবে;(ঙ) বিক্রয় ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে সকল ইমারত নির্মাণ করিতে হইবে;(চ) রাস্তা, নর্দমা, পয়ঃনিষ্কাশন, পানি সরবরাহের পাইপ লাইন, সেতু, গলি, টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেটের গ্লাসফাইবার লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন, গ্যাস লাইন ও কালভার্টের বিন্যাস বা পরিবর্তন;(ছ) রাস্তা সমতলকরণ, পাকাকরণ, পাথরকুচি বিছানো, পাথর বসানো, সংযোগকরণ, পয়ঃসংযোগ ও নর্দমার ব্যবস্থাকরণ এবং পানি সরবরাহ, আলোকিতকরণ এবং সাধারণভাবে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ সংস্থান করে এমন স্যানিটারি সুবিধাদি;(জ) প্রকল্পভুক্ত এলাকার ভূমি ভরাট করা, নিচু করা ও সমতল করা;(ঝ) উন্মুক্ত গণস্থান তৈরি, সংরক্ষণ, বর্ধিতকরণ ও উন্নয়ন;(ঞ) বিদ্যমান পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সমৃদ্ধিকরণ অথবা পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য গৃহীত প্রকল্প;(ট) নির্গমনদ্বারসহ নর্দমা ও পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প;(ঠ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র ও ইলেক্ট্রিক সাব-স্টেশন, বাস, ট্যাক্সি ও রিক্সা স্ট্যান্ড এবং বাজার নির্মাণের স্থান অধিগ্রহণ করিয়া উক্ত উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত রাখা; এবং(ড) এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্য যে কোনো বিষয়।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে দাখিলকৃত উন্নয়ন প্রকল্প সরকার পরিবর্তনসহ বা পরিবর্তন ব্যতীত অনুমোদন করিতে পারিবে।(৪) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর অধীন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।(৫) কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বা ইহার নিজস্ব ওয়েবসাইটে উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করিয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিবে এবং প্রকল্প এলাকায় দৃশ্যমান সাইবোর্ডে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ প্রদর্শন করিবে।(৬) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ভূমির বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখিতে হইবে।(৭) কোনো উন্নয়ন বা জনকল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়নকালীন কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত কোনো রাস্তায় বা উহার অংশবিশেষে যানবাহন বা জনসাধারণের চলাচলের উপর কর্তৃপক্ষ সাময়িক বিধি-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে।(৮) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৭) এর অধীন সাময়িক বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি স্থানীয় জনসাধারণকে অবহিত করিবে যাহাতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উক্ত অঞ্চলের জনসাধারণ এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করিবার সুযোগ পায়।" }, { "section_content": "১৮। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হইবার পর কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহা সংশোধন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "১৯। (১) কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার কোনো অংশে কোনো ব্যক্তি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি সাধারণভাবে কোনো ধরনের রাস্তাঘাট ও ইমারত নির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়ন করিতে পারিবে না।(২) নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় ভরাট করিয়া বা উহাদের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যহত করিয়া কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাইবে না।(৩) পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এমন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাইবে না।(৪) পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখিয়া প্রকল্প প্রণয়ন করিতে হইবে।" }, { "section_content": "২০। (১) ধারা ১১ ও ১৭ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বে সরকারের পূর্বানুমোনক্রমে, জনস্বার্থে, কোনো মধ্য ও স্বল্প মেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রণীত মধ্য ও স্বল্প মেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প অবাস্তবায়িত থাকাবস্থায় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হইলে উক্ত মধ্য ও স্বল্প মেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।" }, { "section_content": "২১। (১) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, নৌ, বিমান, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ বা অন্য কোনো সংস্থা বা কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বা কোম্পানি মহাপরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উহাদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য উন্নয়ন ও নির্মাণ পরিকল্পনা সম্পর্কিত স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে এবং উহা অবগতির জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অবহিত হইবার পর কর্তৃপক্ষ উহার মতামত, যদি থাকে, বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিকট প্রেরণ করিবে।" }, { "section_content": "২২। যদি কর্তৃপক্ষের নিকট জনস্বার্থে প্রতীয়মান হয় যে, কোনো ভূমির ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বা শর্ত আরোপ করা সমীচীন অথবা কোনো ইমারত, পূর্ত কাজ, কারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন বা অপসারণ করা সমীচীন তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ কার্য করিবার জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "২৩। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে কোনো ব্যক্তি স্থানচ্যূত বা বাস্তুচ্যূত হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।" }, { "section_content": "২৪। কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার রাস্তার প্রশস্ততা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।" }, { "section_content": "২৫। (১) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন কোনো ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চত্বর বা উহার কোনো অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা বা উহার অংশবিশেষ উহার অধীন ন্যস্ত করিবার জন্য উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদান করিবে এবং তদনুসারে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ভূমি, ইমারত, রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো রাস্তা, চত্বর বা উহার কোনো অংশবিশেষ কর্তৃপক্ষের অধীন ন্যস্ত হইলে উক্ত রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশবিশেষের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না।(৩) রাস্তা, চত্বর বা উহার অংশ বিশেষ ব্যতীত অন্য কোনো ভূমি বা ইমারত উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্ত হইলে, যে উদ্দেশ্যে উক্ত ভূমি বা ইমারত অধিগ্রহণ করা হইয়াছিল সেই একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হইলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোনরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না :তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হইলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে।(৪) এই ধারার অধীন গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত বা কার্যক্রমের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে বা বিরোধ দেখা দিলে ধারা ৫৯ তে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।" }, { "section_content": "২৬। মহাপরিকল্পনা বা মধ্য বা স্বল্প মেয়াদী কোনো প্রকল্পের কাজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সমাপ্ত হইবার পর কর্তৃপক্ষ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত প্রকল্পের অধীন সমাপ্ত অবকাঠামো, যথা- উদ্যান, রাস্তা, নর্দমা এবং অনুরূপ অন্যান্য সেবা ও সুবিধাসমূহ স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ন্যস্ত করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "২৭। (১) সরকার, কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকার মধ্যে সরকারি কোনো সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বা অনুমোদিত কোনো উন্নয়ন প্রকল্প এবং সরকারের মালিকানাধীন কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের বরাবরে হস্তান্তর করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন হস্তান্তরিত কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের অবাস্তবায়িত কার্য পূর্ববর্তী অনুমোদিত আকারে অথবা, প্রয়োজনে, কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্পের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিয়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়ন করা যাইবে।" }, { "section_title": "ভূমি ক্রয়, লিজ, অধিগ্রহণ, উন্নয়ন কর, ইত্যাদি", "section_content": "২৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ যে কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অথবা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ ক্রয়, লিজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "২৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো ভূমি বা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ অধিগ্রহণ করিবার প্রয়োজন হইলে উহা জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।" }, { "section_content": "৩০। ধারা ২৮ এর অধীন অর্জিত ভূমি বা ধারা ২৯ এর অধীন অধিগ্রহণকৃত ভূমি বা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ কর্তৃপক্ষ নিজ কর্তৃত্বে রাখিতে পারিবে অথবা বিক্রয়, লিজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৩১। (১) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে উক্ত এলাকার ভূমির মূল্য বৃদ্ধি পাইলে বা পাইবে বলিয়া মনে করিলে উক্ত ভূমির মালিক বা ভূমির স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এমন ব্যক্তির উপর ভূমির মূল্য বৃদ্ধির অনুপাতে উন্নয়ন কর ধার্য করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত উন্নয়ন কর বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধার্য, নির্ধারণ ও আদায় করা যাইবে।" }, { "section_title": "আর্থিক বিষয়াদি", "section_content": "৩২। (১) কর্তৃপক্ষের নিম্নরূপ দুইটি তহবিল থাকিবে, যথা :-(ক) মূলধনী তহবিল; এবং(খ) রাজস্ব তহবিল।(২) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ মূলধনী তহবিলে জমা হইবে, যথা :-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি;(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার, সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান;(গ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ঋণ;(ঘ) উন্নয়ন কর হইতে প্রাপ্ত অর্থ;(ঙ) কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;(চ) নিজস্ব আয়;(ছ) বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং(জ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।(৩) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ রাজস্ব তহবিলে জমা হইবে, যথা :-(ক) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রাপ্ত চাঁদা;(খ) ক্ষতিপূরণ হইতে প্রাপ্ত অর্থ;(গ) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান;(ঘ) কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্তকৃত ভূমি বা ইমারত হইতে ভাড়া বা ইজারা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;(ঙ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।(৪) মূলধনী তহবিল হইতে নিম্নবর্ণিত ব্যয় নির্বাহ করা হইবে, যথা :―(ক) উন্নয়ন প্রকল্প এবং পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ;(খ) ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ;(গ) ইমারত নির্মাণ ব্যয় ;(ঘ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যয় ;(ঙ) জরিপ কার্য পরিচালনার জন্য ব্যয় ; এবং(চ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত অন্যান্য ব্যয়।(৫) রাজস্ব তহবিল হইতে নিম্নবর্ণিত ব্যয় নির্বাহ করা হইবে, যথা :―(ক) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য, অন্যান্য সদস্য, সচিব, কর্মচারী, পরামর্শক, বিশেষজ্ঞ ও নিরীক্ষকদের বেতন, ভাতা, সম্মানী, পারিতোষিক, ইত্যাদি বাবদ খরচ ;(খ) কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্তকৃত ভূমির উপর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রাপ্য কর ও রেট পরিশোধ ;(গ) কর্তৃপক্ষের সংস্থাপন ব্যয় ;(ঘ) নাগরিক সুযোগ-সুবিধার জন্য নির্মিত কোনো পূর্ত কাজের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ব্যয়; এবং(ঙ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত অন্যান্য ব্যয়।(৬) মূলধনী তহবিল এবং রাজস্ব তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে।ব্যাখ্যা।―এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতেBangladesh Bank Order, 1972(Persident Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত ‘Scheduled Bank’ কে বুঝাইবে।(৭) মূলধনী তহবিল এবং রাজস্ব তহবিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।(৮) কোনো অর্থ বৎসরে রাজস্ব তহবিল এবং মূলধনী তহবিল হইতে, ক্ষেত্রমত, উহাদের জন্য নির্দিষ্টকৃত ব্যয় এবং চলমান প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখিবার পর কোনো অর্থ উদ্বৃত্ত থাকিলে সরকারের নির্দেশ অনুসারে উহাদের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ সরকারি কোষাগারে জমা করিতে হইবে।" }, { "section_content": "৩৩। (১) কর্তৃপক্ষ, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য, প্রয়োজনে, রাজস্ব তহবিল হইতে মূলধনী তহবিলে অর্থ স্থানান্তর করিতে পারিবে।(২) কোনো অর্থ বৎসর শেষে রাজস্ব তহবিলে কোনো ঘাটতি দেখা দিলে উহা মূলধনী তহবিল হইতে অগ্রিম গ্রহণ করিয়া মিটানো যাইবে এবং এইরূপ অগ্রিম গৃহীত অর্থ পরবর্তী অর্থ বৎসরে মূলধনী তহবিলে জমা করিতে হইবে।" }, { "section_content": "৩৪। কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাসমূহ ইমারতের বার্ষিক মূল্যায়নের উপর ১.৫% হারে অনুদান কর্তৃপক্ষকে প্রদান করিবে।" }, { "section_content": "৩৫। কর্তৃপক্ষ কোনো অর্থ বৎসর শুরুর ১২০ (একশত বিশ) দিন পূর্বে অথবা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরের সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।" }, { "section_content": "৩৬। (১) কর্তৃপক্ষ, যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ এবং হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করিবে।(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত, প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের অনুলিপি কর্তৃপক্ষ ও সরকারের নিকট পেশ করিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াওBangladesh Chartered Accountants Order, 1973(President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1) (b) এ সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিতে হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ এক বা একাধিক চার্টার্ড একাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।(৫) কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত চার্টার্ড একাউনটেন্ট কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিলাদি, বার্ষিক ব্যালেন্স সিট, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্তৃপক্ষের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।(৬) এই ধারার বিধানাবলী প্রয়োগের ক্ষেত্রেফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫(২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর বিধানাবলী, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অনুসরণ করিতে হইবে।" }, { "section_content": "৩৭। এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কোনো অর্থ পাওনা থাকিলে উহা সরকারি দাবি হিসাবেPublic Demands Recovery Act, 1913(Act No.III of 1913) এর বিধান অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।" }, { "section_content": "৩৮। (১) কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে উহার আয়, ব্যয় ও স্থিতির আর্থিক বিবরণসহ উক্ত বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে।(২) সরকার, প্রয়োজনে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে যে কোনো সময় কর্তৃপক্ষের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।" }, { "section_content": "৩৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উহা পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে।" }, { "section_title": "কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি", "section_content": "৪০। কর্তৃপক্ষের একজন সচিব থাকিবেন, যিনি সরকারের উপসচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাধাদারীদের কর্মকর্তারগণের মধ্য হইতে প্রেষণে নিযুক্ত হইবেন।" }, { "section_content": "৪১। (১) কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।(২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।" }, { "section_content": "৪২। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য, সচিব এবং কর্মচারীগণPenal Code, 1860(Act No. XLV of 1860) এর section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (Public servant) বলিয়া গণ্য হইবে।" }, { "section_title": "অপরাধ, দণ্ড, বিচার, ইত্যাদি", "section_content": "৪৩। যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো ভূমি ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪৪। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখনন কিংবা পাহাড় বা টিলা কাটা যাইবে না।(২) কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখননের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফিসহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, মহাপরিকল্পনার সহিত সঙ্গতি রাখিয়া, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, উক্তরূপ কাজের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন:তবে শর্ত থাকে যে,বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৩১ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন ঘোষিত পর্যটন সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত সমন্বয় সাধন করিয়া কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি প্রদান করিতে হইবে।(৩) যদি কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যে সকল শর্তে উপ-ধারা (২) এর অধীন ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখননের জন্য অনুমতি প্রদান করা হইয়াছিল উহা প্রতিপালন করা হয় নাই বা ভঙ্গ করা হইয়াছে বা ভঙ্গ করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা হইলে উক্ত অনুমতি বাতিল করা যাইবে।(৪) এই ধারার কোনো কিছুই বিদ্যমান ইমারত বা স্থাপনার মেরামত বা উহাদের সাধারণ মেরামত কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।(৫) অন্য কোনো আইনে যাহাই থাকুক না কেন, পর্যটন এলাকায় মহা-পরিকল্পনা বা উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে কোনো বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে উহা ধারা ৫৯ এর বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।(৬) কর্তৃপক্ষ, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে, পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মতি সাপেক্ষে, পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচনের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।(৭) যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪৫। কোনো ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত উহার আওতাধীন কোনো এলাকার নিচু ভূমি ভরাট বা উঁচু করিলে অথবা কোনো প্রাকৃতিক জলাধারের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪৬। কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তনের ক্ষেত্রেমহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০(২০০০ সনের ৩৬ নং আইন) প্রযোজ্য হইবে।" }, { "section_content": "৪৭। কোনো ব্যক্তি আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতীত কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্থাপিত কোনো সীমানা প্রাচীর, দেয়াল, সীমানা খুঁটি, নিরাপত্তা বেষ্টনী, গ্রোথিত কোনো বার, চেইন বা পোস্ট অথবা কোনো বাতি অপসারণ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪৮। যদি কোনো ইমারত বা দেয়ালের মালিক কর্তৃপক্ষের সহিত স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত ইমারত বা দেয়াল অপসারণ না করেন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি পাকা ইমারত বা দেয়ালের জন্য অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে এবং কাঁচা ইমারত বা দেয়ালের জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৪৯। যদি আদালত কোনো ব্যক্তিকে কোনো দেয়াল ইমারত বা স্থাপনা অপসারণের আদেশ প্রদান করে এবং উক্ত ব্যক্তি যদি আদালত কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত দেয়াল, ইমারত বা স্থাপনা অপসারণ না করেন তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উহা অপসারণ করিতে পারিবে এবং উক্ত অপসারণের জন্য ব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট মালিক বা ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ না করিলে উহাPublic Demands Recovery Act, 1913(Act No.III of 1913) এর বিধান অনুযায়ী সরকারি দাবি হিসাবে আদায় করা যাইবে।" }, { "section_content": "৫০। (১) কর্তৃপক্ষ, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অননুমোদিত নির্মাণাধীন কোনো ইমারতের নির্মাণ কাজ স্থগিত বা কোনো নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ করিবার জন্য উহার মালিককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্মাণাধীন কোনো ইমারতের মালিককে নির্দেশ প্রদান করা হইলে উক্ত ইমারতের মালিক নন এমন কোনো ব্যক্তি সেখানে বসবাস করিলে তাহাকেও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ইমারত ত্যাগ করিবার জন্য কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রদান করিতে পারিবে।(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, নির্মাণ কাজ স্থগিত করা না হইলে বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনা অপসারণ করা না হইলে অথবা সংশ্লিষ্ট বসবাসকারী উক্ত ইমারত পরিত্যাগ না করিলে কর্তৃপক্ষ, স্ব-উদ্যোগে, উক্ত ইমারত বা স্থাপনা অপসারণ করিতে অথবা সংশ্লিষ্ট বসবাসকারীকে উচ্ছেদ করিতে পারিবে এবং উক্ত অপসারণ বা উচ্ছেদ কার্যক্রমের আনুষঙ্গিক ব্যয়ের সমুদয় অর্থ সংশ্লিষ্ট মালিক বা ব্যক্তির নিকট হইতে নগদ আদায় করিবে।(৪) উপ-ধারা (৩) উল্লিখিত অর্থ সংশ্লিষ্ট মালিক বা ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ না করিলে উহাPublic Demands Recovery Act, 1913(Act No.III of 1913) এর বিধান অনুযায়ী সরকারি দাবি হিসাবে আদায় করা যাইবে।(৫) উপ-ধারা (১) এর বিধান বিদ্যমান ইমারত সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।(৬) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালনের ব্যর্থ হন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৫১। (১) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ বা অন্য কোনো স্থানীয় সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনো ইমারত নির্মাণ বা কৃত্রিম জলাধার খননের অনুমতি প্রদান করিবে না।(২) কোনো স্থানীয় সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর ব্যত্যয় ঘটাইয়া কোনো নির্মাণ কাজ বা খননের অনুমতি প্রদান করা হইলে উহা বেআইনি ও ক্ষমতা বহির্ভূত হিসাবে গণ্য হইবে অথবা অনুরূপ অনুমতির মাধ্যমে কৃত কার্যক্রম অকার্যকর ও অননুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে।" }, { "section_content": "৫২। কোনো ব্যক্তি এই আইন, বিধি বা প্রবিধান অনুসারে কর্তৃপক্ষের কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ বা নির্দেশিত হইয়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা কোম্পানি কর্তৃক দায়িত্ব পালনে বা কার্য সম্পাদনে বাধা প্রদান করিলে বা বিঘ্ন সৃষ্টি করিলে অথবা কোনো কার্য সম্পাদনের জন্য আবশ্যক কোনো লেবেল বা নির্দেশনার জন্য স্থাপিত কোনো চিহ্ন অপসারণ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৫৩। এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিপরীতে ক্ষতিপূরণের দাবি উত্থাপন করা যাইবে না।" }, { "section_content": "৫৪। (১) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব বা কোনো কর্মচারী কর্তৃপক্ষের কোনো পদে বহাল থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের সহিত ব্যবসা-বাণিজ্য বা কোনো লেনদেন বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো শেয়ার বা স্বত্ব বা দখল করিবেন না।(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব বা কোনো কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।" }, { "section_content": "৫৫। এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী বা অন্য কোনো ব্যক্তি আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে এবং আদালত উক্ত অভিযোগ আমলে গ্রহণ করিবে।" }, { "section_content": "৫৬। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রেCode of Criminal Procedure, 1898(Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।(২) উক্ত Code এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন-(ক) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে; এবং(খ) প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে বর্ণিত যে কোনো অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৫৭। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য হইবে।" }, { "section_content": "৫৮। এই আইনের অন্য কোনো বিধানে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহমোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাইবে।" }, { "section_content": "৫৯। (১) কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে উক্ত কোম্পানির এইরূপ মালিক, পরিচালক, নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, সচিব, অন্য কোনো কর্মচারী উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানি আইনগত সত্ত্বা হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।ব্যাখ্যা।―এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘কোম্পানি’’ অর্থে নিগমিত বা নিবন্ধিত হউক বা না হউক এইরূপ যে কোনো কোম্পানি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন বা সংস্থা এবং সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা সরকারের সম্পূর্ণ বা আংশিক মালিকানাধীন কোনো কোম্পানিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।" }, { "section_title": "বিবিধ", "section_content": "৬০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প, স্বল্প মেয়াদী বা মধ্য মেয়াদী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত বা কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সহিত অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে উহা নিষ্পত্তি করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা না হইলে, কর্তৃপক্ষ উক্ত বিরোধের বিষয়টি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং সরকার উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়, এর সহিত পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে উহা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।" }, { "section_content": "৬১। (১) চেয়ারম্যান বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী, এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকার কোনো ভূমিতে নিম্নবর্ণিত যে কোনো উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিতে পারিবেন, যথা:―(ক) কোনো অনুসন্ধান, জরিপ, পরীক্ষা, মূল্যায়ন বা তদন্ত ;(খ) ভূমির স্তর গ্রহণ ;(গ) নিম্ন স্তরের মাটি খনন বা ছিদ্রকরণ ;(ঘ) পূর্ত কাজের চৌহদ্দি ও সীমারেখা নির্ধারণ ;(ঙ) চিহ্ন বা নালা কাটিয়া উক্তরূপ স্তর চৌহদ্দি ও সীমারেখা চিহ্নিতকরণ ; অথবা(চ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোনো কাজ।(২) সংশ্লিষ্ট ভূমির মালিক বা দখলদারকে উক্ত ভূমিতে প্রবেশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্যূন ২৪ (চবিবশ) ঘণ্টা পূর্বে নোটিশ প্রদান করিয়া সূর্যোদয়ের পর ও সূর্যাস্তের পূর্বে যেকোনো সময় উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রবেশ করিতে পারিবে।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো কার্যের ফলে যদি ভূমির কোনো ক্ষতি হয়, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে।" }, { "section_content": "৬২। কর্তৃপক্ষ, উহার কোনো ক্ষমতা, প্রয়োজনে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য, সচিব বা উহার কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৬৩। এই আইনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয় নাই এইরূপ ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোনো ক্ষেত্রে, এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধানের অধীন কর্তৃপক্ষ, চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব বা উহার কোনো কর্মচারীর উপর ন্যস্তকৃত দায়িত্ব পালনকালে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তিকে যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৬৪। এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানী আদালতে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।" }, { "section_content": "৬৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৬৬।এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।" }, { "section_content": "৬৭। (১)Chittagong Development Authority Ordinance, 1959(Ordinance No. LI of 1959), অতঃপর উক্ত ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Ordinance এর অধীন কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, ইস্যুকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট প্রাক্কলন, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রণীত, ইস্যুকৃত প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।(৩) উক্ত ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Chittagong Development Authority এর―(ক) সকল সম্পদ, অধিকার ও স্বার্থ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং সিকিউরিটিসহ স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, অন্য সকল দাবি ও অধিকার, সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্র এবং অন্যান্য দলিলপত্র কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত ও উহার উপর ন্যস্ত হইবে;(খ) সকল ঋণ, দায়-দায়িত্ব, গৃহীত বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায়-দায়িত্ব, বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে ;(গ) অধীন রক্ষিত মূলধনী তহবিল এবং রাজস্ব তহবিলের সকল সম্পদ, অধিকার, সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবি ও অধিকার, ক্ষেত্রমত, এই আইনের অধীন গঠিত মূলধনী তহবিল এবং রাজস্ব তহবিলে হস্তান্তরিত হইবে ;(ঘ) বিরুদ্ধে বা তদ্‌কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে ;(ঙ) সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃপক্ষের কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন সেই সকল শর্তে নিযুক্ত থাকিবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহাদের চাকরির শর্তাবলি পরিবর্তিত হয়।" }, { "section_content": "৬৮। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন ধারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।" } ], "footnotes": [], "copyright_info": { "copyright_text": "Copyright©2019, Legislative and Parliamentary Affairs DivisionMinistry of Law, Justice and Parliamentary Affairs" }, "source_url": "http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-1249.html", "fetch_timestamp": "2025-07-19 02:37:36", "csv_metadata": { "act_title_from_csv": "চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮", "act_no_from_csv": "৩১", "act_year_from_csv": "২০১৮", "is_repealed": false }, "token_count": 5849, "language": "bengali", "government_context": { "govt_system": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)", "position_head_govt": "Prime Minister", "head_govt_name": "Sheikh Hasina", "head_govt_designation": "Prime Minister of Bangladesh", "how_got_power": "Democratic election (2009), subsequent controversial elections (2014, 2018, 2024)", "period_years": "2009-2024", "years_in_power": 15 }, "processing_info": { "processed_timestamp": "2025-07-19 19:33:19", "enhanced_with_reducer": true, "enhanced_with_govt_context": true, "language_detected": "bengali", "token_count": 5734, "legal_context_added": true, "legal_context_timestamp": "2025-07-19 20:26:25", "year_standardized": true, "year_standardization_timestamp": "2025-07-19 20:35:53", "legal_context_recovery_attempted": true, "legal_context_recovery_timestamp": "2025-07-19 20:42:52", "token_count_updated": true, "token_count_update_timestamp": "2025-07-19 20:56:02", "previous_token_count": 5734, "accurate_token_count": 5849 }, "legal_system_context": { "period_info": { "period_name": "Awami League Dominance", "year_range": "2008-2024", "act_year": 2018 }, "legal_framework": { "primary_laws": [ "15th Amendment (2011)", "Cyber Security Act 2023", "Digital Security Act", "International Crimes Tribunal Act" ], "court_system": [ "Supreme Court", "High Court Division", "Specialized Tribunals" ], "legal_basis": "Constitutional parliamentary system", "enforcement_mechanism": "Politicized judicial system" }, "government_system": { "type": "Parliamentary Democracy (increasingly authoritarian)", "structure": "Single-party dominance", "revenue_collection": "Modernized tax system", "administrative_units": [ "8 Divisions", "64 Districts", "492 Upazilas", "4,554 Unions" ] }, "policing_system": { "law_enforcement": "Politicized police force", "military_police": "RAB, Police, Border Guards", "jurisdiction": "Centralized political control" }, "land_relations": { "tenure_system": "Market-based with disputes", "property_rights": "Development-focused acquisition", "revenue_system": "Digital land records", "peasant_status": "Modernization and displacement issues" }, "key_characteristics": [ "Caretaker system abolition", "War crimes tribunals", "Digital governance initiatives", "Authoritarian drift", "Student movement repressions" ], "context_added_timestamp": "2025-07-19 20:42:52", "recovery_note": "Legal context added after year translation recovery" } }