id
stringlengths
1
15
text
stringlengths
1
126k
__index_level_0__
int64
0
10k
7698b0b9cb
ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক এবং দুটি অস্ত্র, প্রায় ৭০টি রামদাসহ কয়েক বস্তা পাথর ও লাঠিসোঁটা উদ্ধার করে পুলিশ।ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যেই গতকাল সকালে স্নাতক প্রথম বর্ষের প্রকৌশল অনুষদ এবং বিকেলে মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার কারণে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। তবে গতকাল সংঘর্ষ হলেও পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা চলবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।এদিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (চুয়েট) গতকাল ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বীর অনুসারীরা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর এলাকায় ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে পৃথকভাবে অবস্থান নেন। এ সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রূপ নেয়। এ সময় সভাপতি পক্ষের অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদক পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে মূল ফটক থেকে বের করে দেয়। কিছুক্ষণ পর সভাপতির অনুসারী নেতা-কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে এবং সাধারণ সম্পাদক পক্ষের নেতা-কর্মীরা শাহ আমানত হল এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে আবারও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইটে হাটহাজারী থানার ওসি মোহাম্মদ ইসমাইল, পুলিশ সদস্য নুরে আলম, এনামুল হক এবং ছাত্রলীগের দুই পক্ষের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ করে। পরে বেলা সোয়া একটার দিকে দুটি হলে ব্যাপক লাঠিপেটা করে শুরু করে পুলিশ। তখন শাহজালাল হলের সভাপতি পক্ষের নেতা-কর্মীরা এবং শাহ আমানত হলে সাধারণ সম্পাদক পক্ষের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতা লাঠিপেটার শিকার হন। এ সময় নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইটে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সদর) মো. শহীদুল্লাহ হাতে আঘাত পান।জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর উসকানিতে এ ঘটনা ঘটেছে। যারা বিশৃঙ্খলা করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। সভাপতি পক্ষের সঙ্গে হয়তো প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর যোগসাজশ থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।তবে সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, সংগঠনের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, হয়তো ছাত্রলীগের মধ্যে ছাত্রশিবিরের এজেন্ট ঢুকে থাকতে পারে। তারাই হয়তো ছোট ঘটনাটি লম্বা করেছে।বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ ৬৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হয়তো অন্য কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।জানতে চাইলে পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মশিউদৌল্লাহ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে একটি এলজি, একটি কাটাবন্ধুক, প্রায় ৭০টি রামদাসহ কয়েক বস্তা লাঠিসোঁটা ও পাথর উদ্ধার করা হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দায়ী ছাত্রদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভর্তি-ইচ্ছুক ও তাঁদের অভিভাবকদের ভয়ের কিছু নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা বরদাশত করব না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আজ (সোমবার) অসাধারণ ভূমিকা রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন, ভবিষ্যতে তাঁরা আরও কঠোর হবেন।’চুয়েট বন্ধ ঘোষণা: ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এ আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে ছাত্ররা হল ছেড়ে যান। মঙ্গলবার (আজ) সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুপুরের দিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিন কর্মীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাঁরা হলেন রিয়াজ উদ্দিন, ইশরাক হোসেন ও মো. সানজিদ। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আবদুল হামিদ জানান, তিনজনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, নাহিদ পারভেজ ও শাহনেওয়াজ তানভীরের অনুসারীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় গত শনিবার রাতে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে রোববার দুপুরেও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়। কিন্তু গতকাল পুলিশের উপস্থিতিতেই দুই পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়ায়।রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ গতকাল রাতে জানান, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৭৯টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।এদিকে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইনজামাম-উল-হক রাতে প্রথম আলোকে জানান, আগামী বুধবার দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শেষ পরীক্ষা ছিল তাঁর। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় এখন পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলম গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল তারা আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
null
fa8cc63982
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল বাকী। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সহ-উপাচার্য হিসেবে তাঁর এ নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল বাকী। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আজই তিনি মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছেন। চলতি মাসের মধ্যেই তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সহ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন। তিনি ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সহ-উপাচার্যের পদটি শূন্য ছিল। নতুন নিয়োগ পাওয়া সহ-উপাচার্য ওই পদে স্থলাভিষিক্ত হলেন।
null
774a98c17e
দালাই লামা জাপানেতিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা গতকাল শুক্রবার এক সফরে জাপান গিয়ে পৌঁছেছেন। সফরে তিনি বিভিন্ন স্থানে ভাষণ দেবেন। আজ শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন দালাই লামা। আগামীকাল রোববার তিনি নাগানো এলাকার একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। আগামী মঙ্গলবার ইশিকাওয়া এলাকায় বৌদ্ধধর্মের ওপর ভাষণ দেবেন নোবেলজয়ী এই আধ্যাত্মিক নেতা। আগামী ২৬ জুন তিনি ইয়োকোহামায় ধর্মীয় ভাষণ দেবেন। এএফপি।আলোচনায় সম্মতপরমাণু জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। যে চুক্তি সিউলের একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রপ্তানির পথ প্রশস্ত করবে। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। গত বছরের আগস্টে দুই দেশ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করে, যা গত জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। সিউলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ভারতের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এএফপি।
null
j6kkjo8r69
রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের সরকারি বাসভবনের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাতে কলেজ ডরমিটরি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে বলে পাংশা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ মো. ইয়ামিন আলী। অভিযোগে বলা হয়, গতকাল রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি (অধ্যক্ষ) পাংশা সরকারি কলেজের বাসভবন কলেজ ডরমিটরিতে ছিলেন। এ সময় পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। তিনি বেলকনিতে এসে দেখতে পান, চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে আছে। ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীরা এসে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান। ধোঁয়ার তীব্র গন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় বোমার অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়। প্রায় সপ্তাহখানেক আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগে অধ্যক্ষ মো. ইয়ামিন আলী আরও উল্লেখ করেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু অনিয়ম ছিল। পাঠদানে অনিয়মিত, ফি আদায়সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ ছিল। আমি ২ জুন এখানে যোগদান করেছি। যোগদান করার পর অনিয়ম দূর করার চেষ্টা করছি। ফি আদায়ের ক্ষেত্রে সবকিছু অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। শিক্ষকদের নিয়মিত শ্রেণিতে পাঠদানের জন্য বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবকের কাছে খুদে বার্তা পাঠানোসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কারণে কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে আতঙ্কিত করার জন্য এ কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।’ রাজবাড়ীর পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পর সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আগে বোমা বিস্ফোরণের বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
3,280
7e88f2f85b
লা লিগায়ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ‘মিস’ করেনলিওনেল মেসি। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড লা লিগাতেই খেলে যান চেয়েছিলেন বার্সার এ তারকা। গত বছর রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি-তে জুভেন্টাসে যোগ দেন রোনালদো। মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথ বহু আগেই জায়গা করে নিয়েছে ফুটবলের ইতিহাসে। খেলাটির ইতিহাসে এমন আর আছে কি না তা গবেষণার বিষয়। প্রায় এক দশক ধরে দুজন জিভে জল আনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলেন লা লিগায়। রোনালদো তুরিনের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর দুজনে এখনো মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি হননি। কাতালান রেডিও ‘আরএসি১’কে মেসি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি চেয়েছিলাম রোনালদো লা লিগায় মাদ্রিদের হয়ে খেলে যাক। লা লিগা আর ক্লাসিকো মিলিয়ে এটা আমাদের দ্বৈরথে অন্য মাত্রা যোগ করেছে।’ রোনালদো জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ায় শক্তি কমেছে রিয়ালের। মাদ্রিদের ক্লাবটি তা ভালোই টের পেয়েছে গত মৌসুমে। তবে রিয়ালে এখন যাঁরা আছেন দলটিকে শীর্ষে তোলার সব রকম যোগ্যতাই আছে বলে মনে করেন বার্সা তারকা। রিয়াল নিয়ে মেসির উক্তি, ‘এ বছরের শুরুতে বলেছিলাম রোনালদোর অভাব টের পাবে রিয়াল। অন্য যেকোনো দলই টের পাবে। কিন্তু এরপরও সেরা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খেলোয়াড় রয়েছে রিয়ালের। এটা মাদ্রিদ আর ইতিহাস-ঐতিহ্য অনেক সমৃদ্ধ।’ মেসি-রোনালদোর ব্যক্তিগত দ্বৈরথ নিয়েও ফুটবলমোদীদের মধ্যে আগ্রহ কম নয়। ব্যক্তিগত পুরস্কার জয়ে দুজন একে-অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকে দুজনের, এমনটাই মনে করেন ফুটবলমোদীরা। কিন্তু মেসি জানালেন ধারণাটি ভুল, ‘রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জিতে ক্যারিয়ার শেষ করব তা কখনো ভাবিনি।’
null
5c947f56e7
নির্বাচনসহ সব বেসামরিক কাজে সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নয়, পুলিশই যথেষ্ট। রংপুরে প্রধান নির্বাচন কমিনার এ টি এম শামসুল হুদা আরডিআরএসের এক কর্মশালায় আজ মঙ্গলবার সকালে এ কথা বলেন। আরডিআরএসের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে ‘সাপোর্ট টু দ্য ইলেকটোরাল প্রসেস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার প্রধান অতিথির ভাষণে ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে শামসুল হুদা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচন কাঠামো গড়ে তোলার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পরিচালনা, আচরণবিধি, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নির্বাচনী ফলাফল পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।জেলাপ্রশাসক বিএম এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রংপুরের উপনির্বাচন কমিশনার সুভাষ চন্দ্র, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। কর্মশালায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও কর্মকতা এবং পুলিশ, আনসার, বিডিআরসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
null
30d34eda79
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এ দেশের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় অভাব কৃতজ্ঞতা। কেউ কারও অবদান মনে রাখে না।গতকাল রোববার গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সদস্য আবদুর রউফ স্মরণে নাগরিক শোকসভায় তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কমিটি আয়োজিত শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন গণফোরামের সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন প্রবীণ রাজনীতিক নূরে আলম সিদ্দিকী, খালেদ মোহাম্মদ আলী, শামসুজ্জোহা, সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, অধ্যাপক আবু সায়ীদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মাহমুদ মনসুর, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
null
3fdf9e0a6b
সম্প্রতি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু নাটকীয়ভাবে তাঁর ওই অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটে। গভর্নরের বক্তৃতার সময় এক ব্যক্তি মঞ্চে ওঠেন। দর্শকের সারি থেকে সরাসরি মঞ্চে উঠে বক্তৃতারত গভর্নরের গালে চড় মারেন। গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইরানে। খবর সিএনএনের। ইরানের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের তাবরিজ শহরে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত ব্যক্তির নাম জেইনোল আবেদিন খোররাম। সম্প্রতি তিনি পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগ পাওয়ার পর তাবরিজে ইমাম খোমেনি মসজিদে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। তখনই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা। ইরানের আধাসরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স অনলাইনে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি ধীরে ধীরে খোররামের কাছে যাচ্ছেন। গিয়েই গালে চড় মারার পর ধাক্কাধাক্কি করছেন তাঁকে। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিকে আটকান এবং তাঁকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনেন। নিরাপত্তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ইরানে সাধারণত এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায় না। ওই অনুষ্ঠানে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একাধিক প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রের অন্য কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। ইরানের আরেক আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানতে পেরেছে, গভর্নরকে চড় মারা ওই ব্যক্তির নাম আইয়ুব আলিজাদেহ। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য তিনি। এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি আরআইবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাদেশিক গভর্নর জানিয়েছেন, তাঁকে চড় মারা ওই ব্যক্তিকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে গভর্নর খোররামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই ব্যক্তি পুলিশকে বলে‍ছেন, করোনার টিকা দেওয়ার একটি কেন্দ্রে নারীর পরিবর্তে একজন পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে টিকা দিয়েছেন। বিষয়টিতে মর্মাহত হয়ে তিনি গভর্নরকে চড় মেরেছেন।
8,927
3e718064fa
নৌকার কোনো ব্যাকগিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেআওয়ামী লীগমনোনীত মেয়রপ্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নৌকার গিয়ার একটিই। সেটি হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার। নৌকা দিয়েছে স্বাধীনতা, নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা। নৌকা এগিয়ে যাবে।’ আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটির বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে জাতীয় প্রেসক্লাব। গতকাল সোমবার এসেছিলেন দক্ষিণে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। আগামীকাল প্রেসক্লাবে আসবেন দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামী বৃহস্পতিবার আসার কথা রয়েছে উত্তরে বিএনপি মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের স্লোগান ছিল আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। সেই প্ল্যাটফর্ম জাতীয় প্রেসক্লাব তৈরি করে গেছে। আমার যারা প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন তাঁরাও প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আমরা মনে করি, সুন্দর পরিবেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি অপরিকল্পিত শহর এই ঢাকা। বিদেশে দেখেছি, একটা প্ল্যান করে তারপর নগরায়ণ করা হয়। আমাদের এখানে বাস্তবে এটা হয়নি। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার সামনে চ্যালেঞ্জ অনেকগুলো। অপরিকল্পিত শহরে যেমন আছে যানজট, জলজট, তেমন আছে মশার উপদ্রব, বায়ুদূষণ। অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। শুরু কিন্তু করতেই হবে। শুরু করতে পারলে শেষ হবেই।’ মতবিনিময় সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা মনে করি জাতীয় প্রেসক্লাবের ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের প্রেসক্লাব। আমরা একটা নিরাপদ, সবুজ ও স্বচ্ছন্দে চলার মতো ঢাকা চাই।’ সিটি করপোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স সেবায় অটোমেশন চালু করা হবে বলে জানান আতিকুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, অনলাইনে ট্যাক্স দিলে ফেস টু ফেস কন্টাক্ট কমবে। আর ফেস টু ফেস কন্টাক্ট কমাতে পারলে দুর্নীতি কমবে। কাজের গতি বাড়বে, রাজস্ব আদায় হবে বেশি, হয়রানিও বন্ধ হবে। তিনি বলেন, ‘আকাশেতে যত তারা, সিটি করপোরেশনে তত ধারা—এ ধরনের জুজুর ভয়ে সিটি করপোরেশনে লোকজন যায় না। কনটাক্টের মাধ্যমে ট্যাক্স দিতে চায়। এটি বন্ধ করা হবে।’ মশকনিধন প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে কীটতত্ত্ব বিভাগ বলে কিছুই ছিল না, যারা মশা নিয়ে কাজ করবে। প্রজনন ক্ষেত্র কোথায়, নিয়ন্ত্রণ কীভাবে হবে, সে ধরনের কোনো বিভাগ সিটি করপোরেশনে ছিল না। গত ৯ মাসে বের করেছি এই বিভাগ লাগবে। এ ছাড়া মশক নিধন সম্ভব না। মশার কর্মীরা ওষুধ মেরে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের কাজের কোয়ালিটি চেক করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এটা করার জন্য সিস্টেম তৈরির কাজ করছি।’ মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত। আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।
null
7vqjuduuoc
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচল উপশহর থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ২০ নম্বর সেক্টরের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনেরা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক গতকাল মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নিহত শিক্ষকের নাম আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৫)। তিনি রাজধানীর নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন। তিনি ফেনীর সদর থানাধীন ফগদী এলাকার আবুল কালামের ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন রাজধানীর দক্ষিণখান থানার কাওলা এলাকায়। রূপগঞ্জ থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে পূর্বাচল উপশহরের ২০ নম্বর সেক্টর এলাকায় একটি সড়কের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পরে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনেরা এসে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেন। মো. নোমান নামের আবদুল্লাহ আল মামুনের এক আত্মীয় জানান, গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বের হন মামুন। বেলা দুইটার দিকে সর্বশেষ স্ত্রী মোর্শেদা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় তাঁর। এর পর থেকে মামুনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। রাত পর্যন্ত তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে দক্ষিণখান থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরই মধ্যে তাঁর মরদেহ পাওয়া গেল। নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তাঁর মুখে মাস্ক ছিল। এই শিক্ষকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নাকি হত্যাকাণ্ড, তা জানার জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আবদুল্লাহ আল মামুনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিকেল চারটা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, দক্ষিণখানের অনেকেই পূর্বাচলে বেড়াতে আসেন। এই শিক্ষক কী এখানে একা একা বেড়াতে এসেছিলেন, নাকি তাঁকে কেউ নিয়ে এসেছে, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। সম্ভাব্য সবগুলো বিষয় মাথায় রেখেই তদন্তকাজ চলছে।
null
61d4f7689b
ছোটবেলায় কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম যাঁর কাছে খেলা শিখেছিলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালের উত্তেজনা সইতে না পেরে সেই কোচ মারা গেছেন। কাকতালীয়ভাবে, সুপার ওভারে জিমি নিশামের ছক্কা মারার পরপরই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিশ্বকাপ ফাইনালের পরপরই জিমি নিশাম টুইট করেছিলেন, ‘বাচ্চারা, খেলাধুলাকে পেশা বানিয়ো না। কেক-বিস্কুট বানাও কিংবা অন্য কিছু করো। ৬০ বছর বয়সে মোটাতাজা হয়ে মনে সুখ নিয়ে মরো, তাও ভালো।’ ওভাবে ফাইনাল হারের পর নিশামের এই টুইট তাঁর হৃদয়ের রক্তক্ষরণকেই বোঝাচ্ছিল যেন। এখন জানা গেল, নিশামের মনঃকষ্টের কারণ অন্য জায়গায়। ফাইনালের চরম উত্তেজনাপূর্ণ সুপার ওভার দেখতে গিয়ে যে মৃত্যুবরণ করেছেন নিশামের ছোটবেলার কোচ ডেভিড জেমস গর্ডন। ব্যাপারটা নিশাম নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন, ‘ডেভ গর্ডন, আমার হাইস্কুল শিক্ষক, আমার কোচ ও বন্ধু। খেলার প্রতি তোমার ভালোবাসাটা সংক্রামক ছিল। মূলত তাদের কাছে, যাদের সৌভাগ্য হয়েছিল তোমার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার ও তোমার অধীনে খেলার। এমন একটা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত তুমি ছিলে, এটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি, তোমাকে গর্বিত করতে পেরেছি আমি। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি।’ বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ২৪১ রানে থেমে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ইংল্যান্ডও থামে ২৪১ রানেই। প্রথমবারের মতো সুপার ওভারে গড়ায় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এবার প্রথমে ব্যাটিং করে ইংলিশরা বেন স্টোকস আর জস বাটলারের ব্যাটে তোলে ১৫। জবাব দিতে নামেন মার্টিন গাপটিল ও জিমি নিশাম। নিজেদের সুপার ওভারের দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা মেরে ব্যবধান কমিয়ে আনেন নিশাম। উত্তেজনাপূর্ণ সেই ছক্কার পরপরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন গর্ডন। ঘটনাটি জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে লিওনি, ‘সুপার ওভার চলার সময় একজন নার্স আসে বাবাকে দেখার জন্য। সে তখনই বলে, বাবার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি পরিবর্তিত হচ্ছে। আমার মনে হয়, নিশাম যখন ছক্কাটা মারল, বাবা সেটা দেখেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।’ জিমি নিশাম ছাড়াও লকি ফার্গুসনের মতো একাধিক তারকা গর্ডনের নিজের হাতে তৈরি। আড়াই দশক ধরে অকল্যান্ড গ্রামার স্কুলের ক্রিকেট ও হকি কোচ হিসেবে কর্মরত ছিলেন গর্ডন।
null
463023a16d
গল্পটি দুই জুটির।নাইম অর্থনীতির ছাত্র। তার কাছে জীবনের অর্থ পুঁজি। মুখে মুখে সব সময় লেগে থাকে কার্ল মার্ক্স-এর থিওরি ‘ক্যাপিটালিজম ইজ দা ম্যান পাওয়ার অব হিউম্যান লাইফ।’ তার এই ধরনের কার্যকলাপে স্ত্রী শখ মহাবিরক্ত। নাইমের হিসাব নিকাশ ও স্ত্রী শখের পিতার সম্পত্তির দিকে দৃষ্টি একটা সময়ে সম্পর্ক নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।এবার অন্য জুটির কথা শুনুন। যেখানে পাত্র মিলন, পাত্রী ইমি। মিলন মনে করেন, মানুষের শুরু ও শেষ দুই অন্ধকার অধ্যায়ের মাঝখানে যে আলোর ঝিলিক দেখা যায় তাই জীবন। মিলনের কাছে এই আলোর ঝিলিকটুকুই উপভোগের। এই আলোর ঝিলিকের অর্থ জীবন, যা সে ইমির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। যেখানে সুখের জন্য ভালোবাসার জন্য অর্থের চেয়ে ভালোবাসা বেশি প্রয়োজন পড়ে। ফ্রয়েডিয় তত্ত্বের জয় এখানে। ভালোবাসাই হলো বেঁচে থাকার আসল শক্তি। এই দুই ধরনের ভালোবাসার গল্প, কমেডি নিয়ে দুই জোড়া প্রেমিক প্রেমিকার গল্প ‘আলোর ঝিলিক’। ‘আলোর ঝিলিক’ বন্ধু দিবসের টেলিফিল্ম। ভালোবাসা বা বেঁচে থাকার জন্য মার্কসের তত্ত্বের চেয়ে ফ্রয়েডিয় তত্ত্বের কার্যকারিতা বেশি মূলত এই নাটকের গল্পে তা দেখানো হয়েছে।টেলিফিল্মটি ৭ আগস্ট রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে প্রচার হবে এটিএন বাংলার পর্দায়।হাবিব শাকিল এর রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন বি ইউ শুভ।
null
tg3f5rkzce
চট্টগ্রামের পটিয়ায় কুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে বিদ্যুৎতের তার দিয়ে নিজ বাড়ির উঠানে ফাঁদ পেতেছিলেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির বাড়ির গোলাপজামগাছ থেকে ফল ছিঁড়তে গিয়ে সেই ফাঁদে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে পটিয়া পৌরসভার গৌবিন্দারখীল গ্রামে গোলাম মোস্তাফার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া স্কুলছাত্রের নাম তামিউল ইসলাম (১১)। সে পটিয়া পৌরসভার গৌবিন্দারখীল  গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের ছেলে। নুরুল ইসলামের দুই ছেলে এক  মেয়ের মধ্যে তামিউল বড়। সে দক্ষিণ গৌবিন্দারখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত তামিউল ইসলামের চাচা তৌহিদুল ইসলাম। তামিউলের চাচা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে তামিউল ইসলামসহ তার তিন বন্ধু খেলতে বের হয়। এ সময় পাশের একটি বাড়ির উঠানে গোলাপজামগাছ থেকে ফল ছিঁড়তে যায় সে। ওই বাড়ির উঠানে কুকুর মারার জন্য টাঙানো বৈদ্যুৎতিক তারের ফাঁদে জড়িয়ে তার ভাতিজা লুটিয়ে পড়ে। সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক তা দেখে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে খবর পাঠান। এরপর স্বজনেরা দ্রুত পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শারমীন আফরিন বলেন, সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট তামিউল ইসলামকে মৃত অবস্থায় স্বজনেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরোয়ার কামাল রাজীব বলেন, ‘পাশের বাড়ির উঠানে বৈদ্যুৎতিক তারে জড়িয়ে তামিউল ইসলাম নামের এক শিশু মারা যাওয়ার খবর শুনে আমি তাদের বাড়ি যাচ্ছি।’
5,618
15d01ff658
এক্সকিউজ মি, ভাইয়া, সেবা প্রকাশনীর স্টল কোথায়? এক তরুণী জানতে চাইলেন নিরাপত্তাকর্মীর কাছে। বলতে পারলেন না ওই নিরাপত্তাকর্মী। শেষে একজন সংবাদকর্মী উৎসাহী হয়ে দেখিয়ে দিলেন, সামনের সারিতে একটু বাঁয়ে যাবেন...। বইমেলায়অধিকাংশ বইপ্রেমী প্রথমে খোঁজ করছেন কোথায় ম্যাপ পাওয়া যায়। রামপুরা থেকে আসা নাসরিন বেগম অনেকক্ষণ ঘুরে আবার আসেন মূল প্রবেশপথে। সেখানে একটি তথ্যকেন্দ্র আছে। জেনে নিলেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রকাশনীর ঠিকানা। নাসরিন বেগম বলেন, পত্রিকায় পড়েছিলাম এবার বড় পর্দায় মেলার মানচিত্র থাকবে। কিন্তু হলো কই! এমন হতাশা আরও কয়েকজন পাঠকের মধ্যেও দেখা গেছে। এবার মেলার সাজসজ্জা, বিন্যাস নিয়ে অনেক আলাপ–আলোচনা হয়েছে। প্রকাশক থেকে শুরু করে পাঠকেরাও প্রশংসা করেছেন। হাঁটাচলায় সুবিধা হচ্ছে। বিনা মূল্যে পানি মিলছে। এমনকি কফিও। কিন্তু মেলায় ঢুকে কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পেতে নতুন দর্শনার্থীদের একটু কষ্ট হচ্ছে। অবশ্য এমন সমস্যা আর থাকবে না বলে জানালেন এবারের মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ। বড় মনিটরে কাল মঙ্গলবার থেকে মিলবে মেলার যাবতীয় তথ্য। পাঁচ বছর হয়ে গেল, বইমেলা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাটি পেয়েছে। শুরুটা ২০১৪ সালে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার একটি অংশ আছে বটে, তবে বইমেলার প্রকৃত সৌন্দর্যটাও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। দেশসেরা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নতুন-পুরোনো বইয়ের পসরা সাজিয়েছে এ মাঠে। এখানেই মিলছে সদ্য ছাপা বইয়ের গন্ধ। সেই তালিকায় গতকাল যোগ হয়েছে ১৪১টি নতুন বই। মেলায় অন্যপ্রকাশ এনেছে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামেরকয়লাতলা ও অন্যান্য গল্প। প্রথমা প্রকাশন এনেছে স্টিফেন হকিংয়েরমাই ব্রিফ হিস্ট্রিআত্মস্মৃতিটি ভাষান্তর করেছেন আবুল বাসার। দ্যু প্রকাশন এনেছে এম এম আকাশেরসমাজতন্ত্র: ভাবনা-পুনর্ভাবনা। সময় প্রকাশন এনেছে আনিসুল হকেরদুষ্টু মেয়ের দল। বিশ্বসাহিত্য ভবন এনেছে ড. মোহাম্মদ হাননানেরপ্রাচীন বাংলায় মুসলিম আগমন(তিন খণ্ড)। গতকাল মেলায় এসেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অধ্যাপক রওনক জাহানসহ কয়েকজন গুণী। আজ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের মেলা চলবে বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত।
null
5538d034fa
মনে পড়ে? ঈদের দিন সকালে নামাজ আদায়ের পর প্রেসক্লাবের সামনে ভুখা মিছিল করে নিজেদের দুর্দশার কথা জানান দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। ঈদের ঠিক পরপর ২০ জুন খবরের কাগজ থেকে আমরা জানতে পারলাম, এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করেছে সরকার। একই দিনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজের জন্য একটা বাছাই কমিটি এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আরেকটি কারিগরি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারপরও ২৩ জুন থেকে প্রথমে দুদিন প্রতীকী অনশন ও তারপর ২৫ জুন থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকেরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, সরকার এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করার পরও শিক্ষকেরা নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরণ অনশনের মতো একটা কঠোর কর্মসূচি নিলেন কেন? রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে, না খেয়ে রাস্তার ধারে বসে থাকার পেছনে কী আনন্দ থাকতে পারে? এ ধরনের নতুন করে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করার অর্থ হচ্ছে, যেসব স্কুল এরই মধ্যে এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে, সেই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নতুন করে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো। ধরুন, আপনারা দুই ভাই এসএসসি পরীক্ষা দিলেন। আপনার এক ‘মধ্যম আয়ের দেশের’ চাচা, যাঁর ‘কোনো দারিদ্র্য’ নেই বা কোনো ‘অভাব’ নেই, প্রতিশ্রুতি দিলেন এসএসসি পাস করার পর আপনাদের দুই ভাইকে দুটি সাইকেল কিনে দেওয়া হবে। আপনারা দুই ভাই সার্টিফিকেট উঠিয়ে আপনার মধ্যম আয়ের চাচার কাছে গিয়ে সার্টিফিকেট দেখালেন। উনি বললেন, সার্টিফিকেট দিয়ে কাজ হবে না, বোঝাতে হবে ‘তোমরা’ সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য। এখন আপনারা দুই ভাই জানেন না নতুন করে কী পরীক্ষা নেওয়া হবে। চাচার মনে আসলে কী আছে? ওনার ঘাড় টিপে দিতে হবে, নাকি পা মালিশ করে দিতে হবে? নাকি অন্য কিছু? চাচা বললেন, অনলাইনে সব তথ্য দাও। আপনি কোন পরীক্ষায় কী লিখে পাস করেছিলেন, সেগুলো এখন নতুন করে পরীক্ষা দেবেন। যিনি পরীক্ষা নিতেন, তিনি নতুন একজন নিয়োগপ্রাপ্ত লোক। আপনি এর আগে কীভাবে পড়েছিলেন, কী সিলেবাস ছিল, প্রশ্ন কেমন ছিল, তা উনি জানেন না। কিন্তু এখন নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে। আপনার জন্য সাইকেল খুব জরুরি না হলে আপনার মনে হতে পারে, এই পরীক্ষা দেওয়ার চেয়ে দুই মাস টিউশনি করে নিজের টাকায় একটা সেকেন্ডহ্যান্ড সাইকেল কিনে ফেলাই ভালো। খুবই সম্ভাবনা আছে এমন একটি সমাধানের পথ বেছে নেওয়ার এবং চাচার ওপর রাগ হয়ে কোনো দিনই ওনার কাছে না যাওয়ার। কিন্তু শিক্ষকদের কাছে এমপিও নিতান্তই একটি সাইকেল নয়; এটা তাঁদের কাছে জীবন-মরণের ব্যাপার। তাঁদের নিজেদের অস্তিত্ব, পরিবার নিয়ে, জীবিকার পথ বাঁচিয়ে রেখে টিকে থাকার একটি প্রশ্ন। গত বছর ২৬ ডিসেম্বর থেকে এমপিও যোগ্যতা অর্জনকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। টানা এই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁর তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান গিয়ে আশ্বাস দেওয়ায় শিক্ষকেরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। এরপর সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন অর্থবছরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় স্পষ্টভাবে এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে শিক্ষকেরা আবার আন্দোলনে নামেন। ১০ জুন শিক্ষকেরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করলে তাঁদের পুলিশ বাধা দেয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, এরপরও সুযোগ আছে এবং তিনি অর্থমন্ত্রীর কথা রাখবেন এবং সুযোগ করে দেবেন। এরপর প্রথম আলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র মারফত জানিয়েছে, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী হাজার খানেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। সফটওয়্যার তৈরির পর শিগগিরই অনলাইনে ‘এমপিও প্রত্যাশী’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। একটু লক্ষ করুন, দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে ‘এমপিও স্বীকৃতপ্রাপ্ত’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এক দিনের বৈঠকের কৃপায় ‘এমপিও প্রত্যাশী’ স্তরে নেমে এসেছে। অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘদিন চর্চা করে আসা স্বীকৃতির প্রক্রিয়া এক দিনে নতুন কমিটির মাধ্যমে নাকচ করে নতুনভাবে আবেদন করতে বাধ্য করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জনের জন্য ৫ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রদত্ত শর্ত পূরণ করে এর আগে আবেদন করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইনভেস্টিগেটররা সশরীরে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে সেই স্কুলগুলোকে এমপিও যোগ্যতার স্বীকৃতি দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে পাঁচ বছরের স্বীকৃতি অর্জন করে এবং পরে সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে পুনর্মূল্যায়নের পর সেই স্বীকৃতিপত্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়। অর্থাৎ তাদের একবার না, বারবারই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়নের ভিত্তিতে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এর মধ্যে সরকারের কাছ থেকে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ল্যাব, ক্লাসরুম নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বরাদ্দও পেয়ে থাকে। অর্থাৎ সরকার তাদের যে বরাদ্দ দেয়, তা তাদের সাফল্য ও অর্জনের কারণেই দিয়ে থাকে। কিন্তু শুধু শিক্ষকদের বরাদ্দের বেলায় তাহলে কেন নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে? এর অর্থ কি শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেই নিজের নেওয়া পরীক্ষার ওপর আস্থাশীল নয়? নাকি কম্পিউটার ল্যাব বা শ্রেণিকক্ষ মেরামতে ঠিকাদার ও টেন্ডারবাজদের কাছ থেকে যত বেশি সুবিধা আদায় করা যায়, তত সুবিধা আদায় করা যায় না শিক্ষকদের কাছ থেকে? যদি ৫ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র হাজারখানেক প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘অলিখিত’ ও ‘অপ্রকাশিত’ বরাদ্দ সব সমাধান করে দেয়, তাহলে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকেরা আন্দোলনে নেমেছেন কেন? কারণ, ওনারা বুঝে গেছেন, সেই সাইকেল-আকাঙ্ক্ষী দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাইকে সাইকেল দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আংশিক দেওয়ার জন্য নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের মূল পাঠ্যদানের কাজ রেখে যেন নতুন ইঁদুরদৌড়ে অংশগ্রহণ করে। এক ভাই অপর ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জেনে যাক অধ্যবসায় ও গুণাবলি ঊর্ধ্বে আনুগত্য। সকাল-বিকেল ক্লাস নিয়ে, সন্ধ্যায় অন্য চাকরি বা ব্যবসায় সময় দিয়ে আনুগত্যের রাজনীতি করার সময় এই শিক্ষকদের তেমন একটা নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নতুন মূল্যায়নকারী পাঠানো হবে, তাদের সন্তুষ্ট করার মতো আর্থিক সামর্থ্যও তাঁদের নেই। তাঁদের এখন হারানোর মতো একটা দেহ আছে। আর তা নিয়েই তাঁরা আমরণ অনশনে বসেছেন। মোশাহিদা সুলতানা:শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
null
11b2958f67
পটিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১ চেয়ারম্যান ও ১১ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন সংরক্ষিত ও সাতজন সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য রয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পটিয়া উপজেলার ২১ ইউপিতে ২৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দক্ষিণ ভূর্ষি ইউপির আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চরলক্ষ্যা ইউপির ১ নম্বরে রেজিয়া সুলতানা, ভাটিখাইনের ২ নম্বরে নুরুন নাহার বেগম, কেলিশহরের ৩ নম্বরে আয়েশা বেগম ও কচুয়াইয়ের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাজেদা বেগম এবং সাধারণ ওয়ার্ডে চরপাথারঘাটার ৬ নম্বরে ছবির আহমদ, শিকলবাহার ৪ নম্বরে আবদুচ ছবুর, দক্ষিণ ভূর্ষির ৯ নম্বরে আহমেদ নুর, ২ নম্বরে মো. শাহ আলম, ভাটিখাইনের ৮ নম্বরে স্বপন কান্তি দে, ধলঘাটের ১ নম্বরে মোহাম্মদ আবু সায়েদ ও কেলিশহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
null
79c451fe6f
পলাতক থাকা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড মামলায় অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, এ বিষয়ে শুনানি হবে ১৬ জুন। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তারিখ ধার্য করেন। চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে ইতিমধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দুজন ওই সময়ের মধ্যে উপস্থিত হননি। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনেও তাঁরা দুজন পলাতক। এ জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন-১৯৭৩ অনুযায়ী ওই দুজনের অনুপস্থিতিতে তাঁদের বিচারকাজ শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষ গত ২৫ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষ বলে, যেহেতু তাঁরা দুজন যৌথভাবে একই অপরাধ করেছেন, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আলাদা করে অভিযোগ না এনে একসঙ্গে ১৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠায়। মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। গত বছরের ৯ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়। তদন্তে মুক্তিযুদ্ধকালে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তদন্ত সংস্থা ১০ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে জমা দেয়। তদন্ত সংস্থা সূত্র জানায়, একাত্তরের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুদ্ধিজীবী নিধনের যে নীলনকশা হয়েছিল, ঘাতক আলবদর বাহিনী তা বাস্তবায়ন করে। মুঈনুদ্দীন ছিলেন আলবদর বাহিনীর ‘অপারেশন ইনচার্জ’ আর আশরাফুজ্জামান ছিলেন ‘চিফ এক্সিকিউটর’।
null
3fa538a9e2
বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ও মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট প্রোস্টেট (মূত্রাশয়ের গ্রন্থিবিশেষ) ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গত মঙ্গলবার এ কথা ঘোষণা করে তিনি আভাস দেন, ক্যানসারের কারণে নিজ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হাথাওয়ের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই।বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ওরাকল অব ওমাহা’ নামে পরিচিত ৮১ বছর বয়সী পুঁজিপতি ওয়ারেন বাফেট বলেন, ‘ক্যানসার ধরা পড়লেও আমি বেশ ভালোই আছি।’ প্রভাবশালী ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় গত মাসে তিনি তৃতীয় স্থান লাভ করেন। তিনি প্রায় চার হাজার ৪০০ কোটি (৪৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদের অধিকারী।নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে লেখা এক চিঠিতে বাফেট জানান, তিনি প্রাথমিক পর্যায়ের প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাঁর এ ক্যানসার ধরা পড়ে। আগামী মধ্য-জুলাই থেকে তিনি বিকিরণ পদ্ধতির (রেডিয়েশন) চিকিৎসা নেওয়া শুরু করবেন। দেহের অন্য স্থানে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েনি বলেও জানান তিনি।বাফেট বলেন, ‘চিকিৎসকেরা যে ভালো খবরটি দিয়েছেন তা হচ্ছে, আমার শারীরিক অবস্থা স্নায়বিক দুর্বলতা সৃষ্টি করার মতো নয়। জীবনের জন্য হুমকিও নয় এটি।’ তিনি আরও বলেন, দুই মাস ধরে তাঁর নিয়মিত বিকিরণ চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর ভ্রমণের বিষয়টি সীমিত হয়ে পড়লেও প্রাত্যহিক কাজকর্মে পরিবর্তন আসবে না। এএফপি।
null
1bc2dfefb1
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি গরুর রাখাল আহত হয়েছেন। উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিভীষণ সীমান্তে আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন। আহত ব্যক্তিরা হলেন রাধানগর ইউনিয়নের জশৈল গ্রামের মো. মোজাম্মেল (৪০) ও আক্কেলপুর ঘোলাদিঘী গ্রামের মো. ফারুক (৩৯)। নওগাঁর ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম ঘটনাটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং ঘটনার বিস্তারিত জানানোর জন্য বলা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্র জানায়, ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনার জন্য গরু ব্যবসায়ীরা বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি রাখালকে ভারতে পাঠান। এই রাখালদের ভারতীয় অংশে দেখতে পেয়ে ভারতের ৪৪ বিএসএফের বেলডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এ সময় মো. মোজাম্মেল ও মো. ফারুক গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর তাঁরা স্থানীয় পর্যায়ে গোপনে চিকিৎসা নিয়েছেন।
2,851
e6f67565b2
সাইবার দুনিয়ার দুর্বৃত্তদের হামলা বেড়েই চলেছে। সাইবার নিরাপত্তার খাতিরে এবার ‘থ্রেটএক্সচেঞ্জ’ নামে একজোট হলো ফেসবুক, ইয়াহুর মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ে সহযোগিতা করবে। খবর এএফপির।এক বিবৃতিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করে থ্রেটএক্সচেঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। এই জোটে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার হামলার হুমকি, বিপদ সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারবে এবং তা প্রকাশ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাইবার হামলা-সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় সহজ এবং সেবা নিরাপদ করার জন্য থ্রেটএক্সচেঞ্জ গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার সৌন্দর্য হচ্ছে, আমাদের প্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত থাকলে অন্যদের প্রতিষ্ঠানও সুরক্ষিত থাকবে।’ফেসবুকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফেসবুকের এই থ্রেটএক্সচেঞ্জ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পিন্টারেস্ট, টাম্বলার, টুইটার। এ ছাড়া বিটলি ও ড্রপবক্সও এতে যোগ দিচ্ছে।ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং মানুষের হাতে তথ্য বিনিময় ও সংযোগের আরও উন্নত সেবা পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। আমাদের সহযোগী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে থ্রেটএক্সচেঞ্জ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে যাতে পরস্পরকে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।
null
1df6f09623
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র মনিরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। মনিরুজ্জামানের আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, এর ফলে মেয়র হিসেবে মনিরুজ্জামানের কাজ চালিয়ে যেতে কোনো আইনি বাধা নেই।একই সঙ্গে মনিরুজ্জামানের বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে সরকারকে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ২০১৩ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করে মেয়র পদে জয়ী হন। অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলাসহ দুই মামলায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯-এর ধারা ১২ অনুযায়ী গত ২ নভেম্বর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমান করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে আছেন প্যানেল মেয়র-১ আনিসুর রহমান বিশ্বাস। গত ১৮ এপ্রিল মনিরুজ্জামান মনি ওই দুই মামলায় জামিনে মুক্তি পান।মনিরুজ্জামানের আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘হাইকোর্টের এই আদেশেই মেয়র হিসেবে মনি পুনর্বহাল হয়েছেন। এখন মেয়রের দায়িত্ব নিতে তাঁর আর কোনো বাধা নেই। আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি আমরা মন্ত্রণালয় ও কেসিসিতে পাঠাচ্ছি।’তবে কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের কোনো নির্দেশ এখনও তিনি হাতে পাননি। রায়ের পর মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছিল। একই কারণে মেয়রের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি।’ আদালতের রায়ে উচ্ছ্বসিত খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিপুল ভোটে নির্বাচিত মেয়রকে বরখাস্ত করে সরকার জনগণের রায়কে অপমান করেছিলেন। আদালত সেই রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে মেয়রকে পুনর্বহাল করেছেন।
null
774f88f4b5
উপকরণ কাঁচা পেঁপে কিউব ২ কাপ, কালোজিরা ১/৪ চা–চামচ , পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ , রসুনকুচি ১/২ চা–চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ , কাঁচা মরিচ ৩টা, জিরাগুঁড়া ১/৪ চা–চামচ , লবণ স্বাদমতো, হলুদ ১/৪ চা–চামচ, পানি পরিমাণমতো। প্রণালি প্রথমে কাঁচা পেঁপে ভালভাবে ধুয়ে কেটে নিতে হবে। এরপর জ্বলন্ত চুলায় কড়াই বসিয়ে দুই টেবিল চামচ তেল দিতে হবে। তেল একটু গরম হয়ে এলে এর মধ্যে কালোজিরা, পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়ে কেটে রাখা পেঁপে কড়াইয়ে ঢেলে দিতে হবে। এতে লবণ, হলুদ, কাঁচা মরিচ ও এক কাপ পানি দিয়ে ভালভাবে নেড়ে মসলাগুলো মিশিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে ঢাকনা দিয়ে হালকা আঁচে রেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। ১০ মিনিট পর ঢাকনা তুলে জিরাগুঁড়া মিশিয়ে একটু নেড়ে দিয়ে আবার হালকা আঁচে ১০ মিনিট রেখে পানি শুকিয়ে পেঁপে ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে দারুণ মজাদার কালোজিরা ফোড়নে পেঁপে ভাজি। এটা সাদাভাত অথবা রুটির সঙ্গে (৩ জনের জন্য) পরিবেশন করা যাবে। রেসিপি পাঠিয়েছেন: তাওসিফ আলি খান উত্তর বালুবাড়ি, রেলবাজার রোড, দিনাজপুর সদর
4,583
374bb23d34
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) বহির্বিভাগ আজ রোববার খোলা থাকছে। জাতীয় শোক দিবসের ছুটি সত্ত্বেও চিকিৎসকেরা আজ বহির্বিভাগে রোগী দেখবেন। হাসপাতালের পরিচালক খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভী এ তথ্য জানান। এ ছাড়া দিবসটি উদ্যাপনে পঙ্গু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবে। এর বাইরে ভোর সাড়ে পাঁচটায় হাসপাতালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা ও কালো ব্যাজ ধারণ, কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে হাসপাতালটি।বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল গনি মোল্লা জানান, জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। তবে প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী আসে। তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সে জন্যই বহির্বিভাগ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
null
ID_38595
হাজেরা খাতুন হাজেরা খাতুন (জন্ম: ৩১শে জুলাই, ১৯৪৭) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পটভূমি. হাজেরা খাতুন পেশায় একজন সরকারি কর্মচারী।
null
3868916820
তুরস্কে শিশুদের যৌন হয়রানির দায়ে এক শিক্ষককে ৫০৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল বুধবার ওই শিক্ষককে এই দণ্ড দেওয়া হয়।কারাদণ্ড পাওয়া শিক্ষকের নাম মুহারেম বুয়ুকতুর্ক। ৫৪ বছর বয়সী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলায় দাতব্য সংস্থা পরিচালিত নিবাসে ১০ জন শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো ঘটেছে। যৌন হয়রানির শিকার হওয়া শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। তাঁর ভাষ্য, তিনি এসব করেননি। স্বীকারোক্তি দিতে তাঁকে চাপ প্রয়োগ করেছে পুলিশ। গোপন বিচারে ওই শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে দণ্ড দেন আদালত।
null
4307d49efb
কম্বোডিয়ার আঙ্কর ভাট মন্দিরই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দির হিসেবে স্বীকৃত। দ্বাদশ শতকের শুরুতে হিন্দু মন্দির হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও পরে তা বৌদ্ধ মন্দিরে পরিবর্তিত হয়। খেমার স্থাপত্যের অনুপম নিদর্শন এই মন্দিরসহ এখানকার পুরো মন্দির নগরটিই জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। কিন্তু ভারতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মহাবীর মন্দির ট্রাস্ট বিহারে আঙ্কর ভাটের একটি বিশাল অনুকৃতি বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অবিলম্বে এই প্রকল্প বন্ধে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে কম্বোডিয়া। পিটিআই-এর বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।১৯৯২ সালে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায় কম্বোডিয়ার সিয়েম রিপ প্রদেশের আঙ্কর পুরাতাত্ত্বিক উদ্যান। খেমার সাম্রাজ্যের এই রাজধানী নগরের সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্দির আঙ্কর ভাট। প্রায় হাজার বছরের পুরোনো এই মন্দির গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রতীক হিসেবে কম্বোডিয়ার পতাকাতেও আঁকা। আঙ্কর ভাট মন্দির নগরই কম্বোডিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। দেশটির সরকারি তথ্যানুযায়ী কেবল চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই এই মন্দির নগরে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৭১৯ জন বিদেশি পর্যটক সফর করেছেন। কেবল টিকিট বিক্রি থেকেই এই সময়ে ২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে দেশটি।ভারতকে পাঠানো কম্বোডিয়ার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘কম্বোডিয়া মনে করে বাণিজ্যিক স্বার্থে আঙ্কর ভাট মন্দিরের অনুকৃতি বানানো মানবতার অনন্য সম্পদ এই বিশ্ব ঐতিহ্যের চরম লঙ্ঘন।’ শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘উপরন্তু, আঙ্কর ভাট হলো সেই প্রতীক যা বহু শতক ধরে কম্বোডিয়ার জাতীয় পতাকায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।’ ভারত এবং কম্বোডিয়ার দুই দেশ ও মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং তার পরিচর্যা করতে এ বিষয়টিকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ নিতে এবং ‘দ্রুততার সঙ্গে’ বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছে কম্বোডিয়া।ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাম মন্দির নির্মাণ করতে চায় মহাবীর মন্দির ট্রাস্ট। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে এই প্রকল্পকে নিজেদের ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী পরিকল্পিত মন্দিরটির নাম হবে ‘বিরাট রামায়ণ মন্দির’। মন্দিরটির উচ্চতা হবে ৪০৫ ফুট আর এর দৈর্ঘ্য হবে ২ হাজার ৮০০ ফুট ও প্রস্থ হবে ১ হাজার ৪০০ ফুট। এই রাম মন্দিরের প্রধান প্রার্থনা হলে একত্রে ২০ হাজার মানুষ সমবেত হতে পারবে। মহাবীর মন্দির ট্রাস্টের এই প্রকল্প নির্মিত হবে মোট ১৬১ একর জমির ওপর। ওয়েবসাইটে থাকা নকশাতেও দেখা যায় যে, পরিকল্পিত ‘বিরাট রামায়ণ মন্দির’ কম্বোডিয়ার আঙ্কর ভাট মন্দিরের প্রায় হুবহু অনুকৃতি।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম খেমার সাম্রাজ্যের রাজধানী ও মন্দির নগর আঙ্কর। বনাঞ্চল ও জলাধারসহ প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই নগর। ৯ম থেকে ১৫ শতক পর্যন্ত খেমার সাম্রাজ্যের রাজধানী এবং প্রধান ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল এই এলাকা। কয়েক শতক ধরে একের পর খেমার সম্রাটরা ওই এলাকাতেই নতুন নতুন রাজধানী প্রকল্প ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। খেমারদের রাজধানীর বৈশিষ্ট্যই ছিল একেবারে নগরকেন্দ্রে প্রধান মন্দিরকে ঘিরে নগরের বিস্তৃতি। এখানকার মন্দির এবং অন্যান্য পুরাকীর্তির অনন্য স্থাপত্য ও ভাস্কর্যসমূহ ভারতীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রীতির মিশেলে অনন্য কম্বোডীয় শিল্পসৌকর্য তৈরি করেছে।৯ম শতকের শুরুতে সম্রাট দ্বিতীয় জয়বর্মণ সেখানকার দুটি রাজ্যকে একত্র করে খেমার সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন করেন। আজকের আধুনিক কম্বোডিয়ার ঐতিহাসিক ভিত্তি সেটাই। সম্রাট দ্বিতীয় জয়বর্মণের পুত্র যশবর্মণ এই এলাকার প্রধান হ্রদের কাছে যশধাপুর নামে যে নগর প্রতিষ্ঠা করেন সেটাই পরবর্তীতে আঙ্কর ভাট নাম ধারণ করে। ১১১৩ সালে দ্বিতীয় সূর্যবর্মণ খেমার সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন। তিনিই খেমার স্থাপত্যের চূড়ান্ত উৎকর্ষে আঙ্কর ভাট মন্দির ও রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় ভাষায় ‘আঙ্কর’ অর্থ নগর আর ‘ভাট’ শব্দটির অর্থ চত্বর বা সংলগ্ন এলাকা। সংস্কৃত ‘নগর ভাটা’ থেকে এই ‘আঙ্কর ভাট’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
null
6a1bedb433
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন, সব কিছু ফয়সালা হয়ে যাওয়ার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সংবাদ সম্মেলন করে অযাচিত ও কটু মন্তব্য করেছে। যদিও শুরু থেকেই অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে। গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত করোনা নির্ণায়ক জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট র‌্যাপিড টেস্টিং কিট নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সোমবার স্বাস্থ্য মিডিয়া সেল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এখন পর্যন্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যে তিনটি চিঠি দিয়েছে, সেগুলোও উপস্থাপন করেন মাহবুবুর রহমান। এর মধ্যে সবশেষ চিঠিটি গত ২১ এপ্রিল পাঠানো। গতকাল তাঁদের বৈঠকটিও 'সৌহার্দ্যপূর্ণ' ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনুমোদনের শর্ত হিসেবে একটি ফার্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এর মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঘুষ খাওয়ার সুযোগ আছে বলে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এই মন্তব্যকে অত্যন্ত আপত্তিকর (অবজেকশনেবল) বলে উল্লেখ করেন মাহবুবুর রহমান। রোববার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে গিয়েও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কিট জমা দিতে পারেনি। অনুমোদনের শর্ত হিসেবে তাদের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে বলা হচ্ছে। অধিদপ্তরের উচিত ছিল কিটগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠিয়ে পরীক্ষা করে দেখা। আজ পাল্টা সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনজন প্রতিনিধি এসেছিলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা থেকে তাঁদের একজনকে বাইরে অবস্থান করতে বলা হয়। অধিদপ্তর প্রতিনিধিদলকে অনুমোদন পাওয়ার স্তরগুলো জানায়। নিয়ম অনুযায়ী, একটি কন্ট্র্যাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) সঙ্গে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে প্রটোকল তৈরি করতে হয়। প্রটোকলে কিটটি কার্যকর কি না, সেটির ট্রায়াল কীভাবে হবে, কতজনের ওপর হবে, কত সময়ের মধ্যে হবে, সে বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকে। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার (বিএমআরসি) থেকে উৎপাদন প্রক্রিয়া যথাযথ ছিল কি না, সে সম্পর্কিত মূল্যায়ন হওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ট্রায়ালের কাগজপত্র ও বিএআরসির মূল্যায়নপত্র খতিয়ে দেখে বিপণন বা বাজারজাতকরণের অনুমতি দেবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, অধিদপ্তরের যে কমিটি অনুমোদন করে থাকে, সে কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সিআরও হিসেবে কার সঙ্গে কাজ করতে পারে, জানতে চাইলে মহাপরিচালক আইসিডিআর,বি, আইইডিসিআর ও আইপিএইচ এর কথা বলেন। জোর দেন আইসিডিডিআর'বির ওপর। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পরে প্রতিনিধিদল বলে, আইসিডিডিআর,বি লকডডাউন। যদিও আইসিডিডিআর,বির আংশিক লকডাউন এবং গবেষণাকাজ চলছে। পরে তাঁদের নয়টি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়। চিঠি চাইলে হাতে হাতে চিঠিও দেওয়া হয়। বেসরকারি সংস্থা এমিনেন্সের কথাও তিনি বলেছেন বলে উল্লেখ করেন। মাহবুবুর রহমান বলেন, 'সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মিটিং হবার পর বিকেল ৪টায় উনি (জাফরুল্লাহ চৌধুরী) জরুরি সংবাদ সম্মেলন করলেন।'মহাপরিচালক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা র‌্যাপিড টেস্ট সুপারিশ করে না। তারপরও বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা করছেন বলে তাঁরা সহযোগিতা করেছেন। রিএজেন্ট আনার অনুমতি ১৮ মার্চ চান, ১৯ তারিখে অনুমতি দেওয়া হয়। অধিদপ্তর ২২ মার্চ অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গবেষণাগার দেখতে চায়। গবেষণাগার দেখে এসে কিছু সংশোধনের পরামর্শ দেয়। ৬ এপ্রিল তাঁরা আবারও পরিদর্শনে যান এবং দেখেন সুপারিশ অনুসারে গবেষণাগারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এনেছেন। হস্তান্তর অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, তাঁরা অনুমোদনের পর অনুষ্ঠান করার অনুরোধ করেছিলেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কিট ভালো কি মন্দ, তা নিয়ে পরীক্ষার আগে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না। তিনি জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মান করেন। আশা প্রকাশ করেন, তিনি বিজ্ঞানভিত্তিক ও সৌজন্যমূলক আচরণ করবেন। আরও পড়ুন: কিট কার্যকর কি না পরীক্ষা করে দেখুন, সরকারকে জাফরুল্লাহ
null
4df3c6d927
শিশু আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী, নয় বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা অপরাধী নয়। আর ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বিচার করতে হবে পৃথক আদালতে। তবে এ দুটি বিষয় বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ কারণে গত ১০ বছরে উচ্চ আদালত সাত বার স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ (সুয়োমটো) জারি করেছেন। স্বতঃপ্রণোদিত আদেশগুলোতে বলা হয়েছে, শিশুরা অপরাধের সংস্পর্শে এলে প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে তাদের বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে না। এই শিশুদের থাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একজন প্রবেশন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। তিনি নিরাপদ হেফাজতে শিশুটিকে রাখা, প্রয়োজনে একেবারে গোপন আদালতে (যেখানে শিশুটির অপরিচিত কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না) বিচারকাজ পরিচালনার বিষয়ে শিশুটির পরিবারের মতামত নেবেন। শিশু আইন অনুযায়ী, অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিশুকে আটকের পর থেকে তার আবাস, নিরাপত্তা ও শিশুবান্ধব পরিবেশে বিচার পরিচালনাসহ সব দায়িত্ব প্রবেশন কর্মকর্তা পালন করবেন। এমনকি চাইলে থানা থেকেই শিশুটির জামিনের ব্যবস্থাও করা যাবে। জানা যায়, ২০০১ সালে ধর্ষণের অভিযোগে যশোরে ১৪ বছরের শিশুকে আটক করে পুলিশ। ২০০৩ সালে সারা দেশে ৪০০ শিশু কারাগারে ছিল। ২০০৫ সালে ও ২০০৯ সালে সিলেটে ধর্ষণের শিকার শিশুর আবাস নির্ধারণে পরিবারের সম্মতি না নেওয়া, ২০০৮ সালে যশোরে মাদকসহ আট বছরের শিশুকে আটক ও কারাগারে পাঠানো, ২০০৯ সালে ধর্ষণ মামলায় ১৬ বছরের শিশুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ২০১০ সালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নয় বছরের কম বয়সী তিন শিশুকে আটক ও কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এসব ঘটনায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত আদেশগুলো জারি করেন। জানা যায়, ২০০৩ সালে কারাগার ও আদালতে শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য আদেশ দেওয়া হলেও ২০০৮ সালে এক শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে না নেওয়ায় আবারও একই ধরনের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। ২০০৯ সালে ধর্ষণের শিকার শিশুকে একাধিকবার আদালতে হাজির করা হলে উচ্চ আদালত আগের আদেশের সঙ্গে নতুন কয়েকটি দিকনির্দেশনা দেন। ২০০৩ ও ২০০৫ সালে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে শিশুদের কারাগারে না পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভৈরবে আটক তিন শিশুকে কারাগারে পাঠানো হলে আবারও একই আদেশ দেন উচ্চ আদালত। আইনজীবীরা বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য শিশু আইন এবং স্বতঃপ্রণোদিত আদেশগুলো সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁরা বিষয়গুলো জানলে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি এড়ানো যাবে। স্বতঃপ্রণোদিত আদেশের কয়েকটির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন বলেন, ‘কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে নিম্ন আদালত সাম্প্রতিক বা পুরোনো আদেশগুলো জানার চেষ্টা করলে এমন ঘটবে না।’ এ ব্যাপারে আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘শিশুদের অধিকার রক্ষায় শিশু আইন ১৯৭৪, শিশুনীতি ২০১০, জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ থাকার পরও এ ধরনের ভুল করা ব্যক্তির শাস্তির বিধান থাকা উচিত।’
null
3a0a136905
টরন্টোর ২৬৭০ ডানফোর্ড অ্যাভিনিউয়ে হয়ে গেল ব্যতিক্রমধর্মী বর্ষবরণ। ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সেন্টারের (বিসিসিএস) নিজস্ব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। টরন্টোর অন্যতম বড় বাংলাদেশি সমাজকল্যাণ সংস্থা ‘বাংলাদেশ সেন্টার’ এবং এর অঙ্গসংগঠন ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইইআই)’ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিসিসিএসের বিভিন্ন প্রবীণ হিতৈষী প্রকল্পের (সিনিয়র প্রোগ্রামস) সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক এবং ওয়াইইআইয়ের সদস্য কিশোর-তরুণেরা।জীবনগল্পের বিপরীত দুই প্রান্তের এই দুই প্রজন্মের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি পায় এক ভিন্ন মাত্রা। প্রবীণদের অংশগ্রহণে গীতিনাট্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির শুরু হয়। বর্ষবরণের চিরায়ত অনুষঙ্গ ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় দলগত নৃত্য আর একক নৃত্য। দ্বিতীয় পর্বে ওয়াইইআইয়ের সাধারণ সম্পাদক মোহনা ও তাঁর সহযোগী সদস্য মুগ্ধ এবং কাব্যর গিটার-তবলার সমন্বয়ে ফিউশনধর্মী আধুনিক বাংলা গান গেয়ে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।অনুষ্ঠানে নববর্ষের আবহ ধরে রাখতে শিঙাড়া, সন্দেশ, ঝাল-মুড়ি আর চায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশি-কানাডীয় কমিউনিটির তরুণ সংগঠন ইয়ুথ এনগেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভের কার্যক্রম সম্পর্কে সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাইফাহ নাজাহ খান ও ট্রেজারার আইশা তাবাসসুম সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ছোটদের ছবি আঁকার ক্লাস, স্বাস্থ্য-সচেতনতা বিষয়ক প্রচারণার কথা যেমন আসে, তেমনি শিগগির শুরু হতে যাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক মতবিনিময় এবং কর্মশালা, এলিমেন্টারি, জুনিয়র স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য আফটার স্কুল প্রোগ্রাম এবং মূলধারার প্রখ্যাত সংগঠন ‘ইস্ট অ্যান্ড আর্টস’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তরুণদের জন্য শুরু হতে যাওয়া ম্যুরাল তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণের কথাও বলা হয়।পুরো অনুষ্ঠানটিতে ওয়াইইআইয়ের সদস্যদের মাঝে সমন্বয় করেন প্রধান উপদেষ্টা রিজওয়ান রহমান। বাংলাদেশ সেন্টারের নানামুখী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে এবং এর সঙ্গে যুক্ত হতে তিনি কমিউনিটির সবাইকে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রবীণদের গীতিনাট্যে সংগীতায়োজনের দায়িত্বে ছিলেন প্রখ্যাত শিল্পী আইকো কাজী। উপস্থাপনায় ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. মাহবুব রেজা।
null
5b01425251
সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি রাশেদ ও রানাকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিচারিক হাকিম ওয়াসিম শেখ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সিরাজুল হক দুই আসামিকে আজ আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত প্রত্যেকের জন্য চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাশেদ ও রানাকে চলতি বছরের ২৩ মে গ্রেপ্তার করা হয়।গত বছরের ১৭ জুলাই গভীর রাতে রাজধানীর উপকণ্ঠে আমিনবাজারের বড় বরদেশী গ্রামে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করে গ্রামবাসী। নিহত ছাত্ররা হলেন শামস রহিম শাম্মাম (১৭), তৌহিদুর রহমান পলাশ (২০), ইব্রাহিম খলিল (২১), টিপু সুলতান (১৯), সিতাব জাবীর মুনিব (২০) ও কামরুজ্জামান কান্ত (১৬)।নিহত ছয়জনের মধ্যে তিনজন মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র, একজন তেজগাঁও কলেজের, একজন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ম্যাপললিফের ও একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
null
2656fd7ada
জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০১১-১২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অধিবেশনে প্রস্তাবিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন অনুমোদনের জন্য উঠছে না। এতে আগামী অর্থবছর থেকে নতুন মূসক আইন কার্যকর করার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে গেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত জানুয়ারি মাসে মূসক আইনের খসড়া প্রকাশ হয়েছে। আগামী অর্থবছর থেকে মূসক আইন কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তখনই। আর এ সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত নিয়ে খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করার কথা ছিল।ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখেই আগামী বাজেট অধিবেশনে প্রস্তাবিত মূসক আইন অনুমোদনের জন্য উঠছে না। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় মূসক ফাঁকি দিলে জেল-জরিমানা, মূসক কর্মকর্তাদের ঐচ্ছিক ক্ষমতা দেওয়াসহ বিভিন্ন বিধানের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা একমত হননি। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা সহজ প্রক্রিয়ায় মূসক দিতে চান। ব্যবসায়ীরা চান আইনের খসড়ার আরও যাচাই-বাছাই।অন্যদিকে আইন প্রণয়নে যথেষ্ট প্রস্তুতিও নেই এনবিআরের। এখনো প্রস্তাবিত মূসক আইনের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন হয়নি। নতুন মূসক আইন বাস্তবায়নে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করার কথা বলা হলেও, এখন পর্যন্ত তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে খসড়াটি সংশোধন বা চূড়ান্ত করতে পারেনি এনবিআর। এ প্রসঙ্গে এনবিআরের সদস্য (মূসক) আবদুল মান্নান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, মূসক আইনটি সংসদে অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তবে আইনটি অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানোর বিষয়ে এনবিআর প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি অভিমত দেন।অবশ্য অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট-বক্তৃতায় নতুন মূসক আইনের নানা দিক তুলে ধরবেন। এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে মূসক অফিস স্থাপনসহ এ খাতের সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী। এরই মধ্যে সচিব কমিটি কাস্টম ও মূসক প্রশাসনের নতুন জনবল কাঠামো অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দসহ নতুন জনবল কাঠামো অন্তর্ভুক্ত করতে আরও সময় লাগবে বলে জানান মূসক কর্মকর্তারা। এনবিআরের সূত্রগুলো বলছে, বাজেট অধিবেশনের পরের অধিবেশনে মূসক আইনটি অনুমোদনের জন্য সংসদে তোলা হতে পারে।প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আয়কর ও মূসক—এ দুটি আইনের খসড়া প্রকাশ করে এনবিআর। আয়কর আইনটি ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে কার্যকরের ঘোষণা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য খসড়া আইনটির ওপর মতামত নেওয়ার কথা রয়েছে। খসড়ায় যা রয়েছে: ২১টি অনুচ্ছেদে ১৯৩টি শাখা রয়েছে প্রস্তাবিত মূসক আইনে। এসব অনুচ্ছেদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া, মূসক আরোপ, আমদানি পর্যায়ে মূসক, সরবরাহ পর্যায়ে মূসক, মূসক নির্ধারণ কৌশল, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার ট্যাক্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।এ ছাড়া মূসক আইনের খসড়া অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি মূসক আরোপযোগ্য হওয়ার পরও মূসক নিবন্ধন না নিলে জেল-জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আইনে। এমনকি পাঁচ বছরের জেল-দণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে।মূসক কর্মকর্তাদের বেশ কিছু ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। কোনো ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে মূসক নিবন্ধন দেখতে চাইতে পারবেন তাঁরা। ওই ব্যবসায়ী যদি মূসক নিবন্ধন সনদপত্র দেখাতে না পারেন, তাহলে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা আইনে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ছয় মাস পর্যন্ত জেল দেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে। মূসক বিবরণী জমা না দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়। এমনকি সর্বোচ্চ এক বছর জেল-দণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে।
null
bc77b56f21
কত কিছুই না দেখাল ফুটবল! কয়েক মাস আগেই যে ঘটনাকে অবিশ্বাস বলে মনে হতো, বিচিত্র দলবদলের গেরোয় আজ সেটাই বাস্তব। একসময় রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের ছেলেই ছিলেন রামোস। ছিলেন দলটার অধিনায়কও। রিয়ালের জন্য মাঠে সর্বস্ব নিংড়ে দেওয়া সেই নেতা এখন পিএসজির। সেখানে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন লিওনেল মেসিকে। চরম প্রতিপক্ষ থেকে মেসি এখন তাঁর পরম বন্ধু। এখানেই চমকের শেষ নয়; যে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলে নাম কামিয়েছেন, ভাগ্যের পরিহাসে ক্লাব ছাড়ার পরপরই সেই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে হবে রামোসকে! চ্যাম্পিয়নস লিগের কল্যাণে এই দিন দেখার সুযোগ মিলছে ফুটবলভক্তদের। যেখানে লিওনেল মেসির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রামোসকে দেখা যাবে কাসেমিরো, মদরিচ, বেনজেমাদের সঙ্গে লড়াই করতে। কিন্তু রামোসের নিজের কেমন লাগছে? যে ক্লাবটাকে এত ভালোবেসেছেন, সে ক্লাবের বিপক্ষে নতুন ক্লাবের হয়ে রামোস কীভাবে শতভাগ দিতে পারবেন? কিন্তু রামোস পুরোপুরি পেশাদার। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পেশাদারির ময়দানে আবেগ-ভালোবাসার জায়গা নেই। জানিয়েছেন, রিয়ালের বিপক্ষে পিএসজির হয়ে মরতেও রাজি তিনি! কথাগুলো রামোসের মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘আমি যখন প্লেনে চাপলাম, তখন শুনলাম আমরা প্রতিপক্ষ হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পেয়েছি। প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের আমি বেশ পছন্দ করি। কিন্তু পরে দেখা গেল তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদকে না পেলেই খুশি হতাম। কিন্তু সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফেরার ব্যাপারটা আনন্দ দিচ্ছে। কারণ, আমি কোভিডের কারণে ঠিকভাবে বিদায় নিতে পারিনি। ভাগ্য অনেক অনিশ্চিতভাবে কাজ করে। অন্য কোনো দলের বিপক্ষে পড়লে খুশি হতাম। কারণ, সবাই জানে আমি রিয়াল মাদ্রিদকে কতটা ভালোবাসি।’ রিয়াল মাদ্রিদকে ভালোবাসলেও রামোস জানেন, পিএসজি তাঁর ওপর কতটা ভরসা করে, যে ভরসার প্রতিদান এখনো ঠিকঠাক দিতে পারেননি। ফ্রি দলবদলে কয়েক মাস আগে পিএসজিতে গেলেও বিভিন্ন চোটাঘাতে রামোসের অভিষেকই হয়েছে সম্প্রতি। তাই পিএসজিকে বাড়তি কিছু দেওয়ার একটা তাগিদ ভেতর থেকেই অনুভব করছেন তিনি, ‘আমি পিএসজিকে পরের রাউন্ডে নেওয়ার জন্য সবকিছু করব। তারা আমার ওপর ভরসা রেখেছে। আমি এখন তাদের জন্য মরতেও রাজি।’ কথাগুলো রিয়াল–সমর্থকদের মনে শেল হয়ে বিঁধবে নিশ্চিত!
2,717
529928c74c
আনন্দে আত্মহারা হয়ে লাফাচ্ছেন, খুশিতে নাচই শুরু করে দিয়েছেন, আবার হাউমাউ করে কাঁদছেন—এবারের অলিম্পিক এমন উদ্যাপন অনেক দেখেছে। কিন্তু পদক জয়ের খুশিতে কোচকে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়ার মতো বিপজ্জনক উদ্যাপন কি কেউ করে? জাপানের মহিলা কুস্তিগির রিসাকো কাওয়াই সেই কাণ্ডই করেছেন। মেয়েদের ৬৩ কেজি ফ্রিস্টাইলে সোনা পেয়েছেন কাওয়াই। কোচকে কোথায় জড়িয়ে ধরবেন, তা নয় আবেগে কুস্তির প্যাঁচ কষে প্রায় আছাড়ই দিয়েছেন। তাও একবার নয়, দু-দুবার। কোচ কাজুহিতো সাকাইয়ের হাসিমুখ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, ‘যন্ত্রণাটা’ উপভোগই করেছেন। পরে কাওয়াই নিজেই জানিয়েছেন, সোনা জিতলে কোচকে অমনভাবে জব্দ করার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন! টেলিগ্রাফ।
null
pj5qq4max9
সরকার আরও দুটি নতুন বিভাগ ঘোষণা করেছে। এর আগপর্যন্ত সর্বশেষ ঘোষিত বিভাগ ছিল ময়মনসিংহ। নতুন বিভাগ হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রমের সুবিধার জন্য নানা কার্যালয়সহ ময়মনসিংহকে একটি বিভাগীয় শহর গড়ে তোলার জন্য তখন নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন ছিল। সেটি করতে গিয়ে শুরুতে বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার এবং সেই সব জমি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। সেই জমিতে অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা থাকায় অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে দুই বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করেন স্থানীয় লোকজন। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জমির চার ভাগের এক ভাগের কম জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু বাকি জমিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থেকেই গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি সেখানে রীতিমতো জটিল আকার ধারণ করেছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের চর এলাকায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ৩৩৬ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৯ সালের শেষের দিকে কেবল ৯৪৫ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। গ্রামবাসীও সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত মেনে নেন। কিন্তু তিন বছর ধরে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারছে না প্রশাসন। ফলে আগের নিষেধাজ্ঞার কারণে পাঁচটি গ্রামের মানুষ নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গ্রামবাসী জানান, উচ্চশিক্ষা, বিয়ে, কৃষি, ব্যবসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে জমি বিক্রি করতে হয়। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। এসব জমি বন্ধক রাখতে না পারায় তাঁরা ব্যাংক থেকে ঋণও পাচ্ছেন না। জমি বিক্রি করতে না পেরে ক্যানসারে আক্রান্ত এক রোগী চিকিৎসার অর্থের অভাবে মারা গেছেন বলেও অভিযোগ আছে। কারণ, জমি বিক্রি করতে চাইলেও তিনি পারেননি। এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এস এ এম রফিকুন্নবীর বক্তব্য, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এখন শেষের দিকে। চলতি মাস থেকে অধিগ্রহণ এলাকায় নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। অধিগ্রহণের কাজ শেষে জমি বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। তবে গ্রামবাসীর অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা তোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার এমন বক্তব্য দেওয়া হয়। ফলে শিগগিরই যে এ সমস্যার কোনো সুরাহা হবে, সে ব্যাপারে তাঁরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। কোন জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে আর কোনগুলো হচ্ছে না, তা অনেক আগেই ঠিক হয়ে গেছে। তাহলে যেসব জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না, সেসব জমি বিক্রিতে এত দিন ধরে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার কারণ কী? আমরা আশা করব, প্রশাসন দ্রুত এ সমস্যা নিষ্পত্তি করে নানা ভোগান্তি থেকে গ্রামবাসীকে মুক্তি দেবে।
4,832
2fef1f660e
সাড়ে তিন ফুটের ফুটপাত। তার ওপর সারি দিয়ে সাজানো ঝুড়িভর্তি সবজি। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক চলছে। জমজমাট বাজার। হাঁটাচলার জায়গা নেই। রাস্তায় নেমে যানবাহনের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করাটাই নিয়ম।হাতিরপুল কাঁচাবাজারের পূর্ব দিকে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) সামনের সড়কের চিত্রটি এমনই। হাতিরপুল মোড় থেকে শুরু করে ডিপিডিসির ফটক পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে এ বাজার। এখানে আছে প্রায় ২০টি ছোট-বড় দোকান। বিক্রি হচ্ছে নানা রকম সবজি ও ফল। মাঝেমধ্যে মাছও বিক্রি হয়।কারওয়ান বাজার থেকে সবজি এনে এ বাজারে বিক্রি করেন খুচরা বিক্রেতারা। তাঁদের কয়েকজন বলেন, বাজারের বয়স তিন-চার বছর। এখানে দোকান বসানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। ৭ থেকে ১০টি ঝুড়ি (বড় দোকান) নিয়ে বসলে দৈনিক ৫০০ টাকা, তিন থেকে পাঁচ ঝুড়ি (ছোট দোকান) বসালে দৈনিক ২৫০ টাকা লাগে। এভাবেই ঝুড়ির হিসেবে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় দোকান বসাতে।কারা টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা মো. সোহাগ প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা-কর্মীরা টাকা নেন।গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ডিপিডিসির সামনের সড়কটি বেশ ব্যস্ত। হাতিরপুল ট্রাফিক সংকেত মোড় থেকে চারদিকে যাওয়া সড়কে রিকশাভ্যান ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে। আসন্ন ঈদের কারণে যানবাহনের চাপও বেশি। ফুটপাত সবজি বিক্রেতাদের দখলে থাকায় সব বয়সী লোকই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন। কেউ কেউ ফুটপাতে উঠলেও দোকানের ভিড় দেখে নিচে নেমে যাচ্ছেন।পথচারী নাসিমা আক্তার বলেন, ‘পাশেই হাতিরপুল কাঁচাবাজার, কী নেই সেখানে! তারপরও ফুটপাতে বসে সবজি বেচতে হবে কেন? হাঁটাচলার জন্য ছোট এই ফুটপাতটাও ছেড়ে দেওয়া যায় না?’ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারটি আগে এত বড় ছিল না। ছয়-সাত মাস হয় এ বাজারে দোকানের সংখ্যা বেড়েছে। মোতালিব প্লাজার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ডিপিডিসির সামনের এই সড়ক হাতিরপুল মোড় ও পরীবাগ সড়কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। এ পথ দিয়ে সহজেই শাহবাগে যাওয়া যায়। বাজার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ১০টায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিপিডিসির নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘ফুটপাতে দোকান থাকলে সমস্যা তো হইবোই।’সড়কটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। বিষয়টি জানালে ওয়ার্ড কমিশনার এম এ হামিদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাতিরপুলের পশ্চিম পাশে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডের লোকজনই চাঁদা নেয়। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। আমি বলেছি, রাস্তা পরিষ্কার থাকবে, কোথাও কোনো দোকানপাট থাকবে না। এখানে বড় একটা কাঁচাবাজার আছে, আর কোনো বাজারের দরকার নেই। আমি ওদেরকে তুলে দেব।’
null
5f104a8d8e
অ্যাকশন গেম যাদের পছন্দ, তাদের কাছে ‘দ্য কিং অব ফাইটারস’ গেমটি বেশ পরিচিত। জাপানের এসএনকে প্রতিষ্ঠানের তৈরি গেমটি প্রথম বাজারে আসে ১৯৯৪ সালে। গেমারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় ১৭ ফেব্রুয়ারি গেমটির ১৫তম সংস্করণ ‘দ্য কিং অব ফাইটারস ১৫’ উন্মুক্ত করা হয়েছে। গেমটি একই সঙ্গে কম্পিউটার, প্লেস্টেশন এবং এক্সবক্সে খেলার সুযোগ মিলবে। নতুন এ সংস্করণের শুরুতে সামনে-পেছনে ভয়ংকর শত্রুর আনাগোনা দেখা যাবে। শত্রুরা হঠাৎ করেই হামলা করছে আপনার ওপর। বাঁচতে হলে নিজেকে রক্ষার পাশাপাশি শত্রুদের ওপর হামলাও চালাতে হবে আপনাকে। তবে চিন্তার কিছু নেই, শত্রুর আক্রমণ ঠেকিয়ে হামলা চালানোর জন্য আপনার পছন্দের দুজন সঙ্গীও মিলবে। তিনজনের সমন্বয়ে গড়া দল নিয়েই শক্রর দুর্বল জায়গায় হামলা চালাতে হবে। গেমের বিভিন্ন পর্বে আপনি যত বেশি হামলা চালাতে পারবেন, তত শত্রুর লাইফ শেষ হবে। আবার শত্রু হামলা চালালে আপনার লাইফ শেষ হবে। এভাবে গেম শেষে যার লাইফ বেশি থাকবে, সেই জয়ী হবে। গেমটিতে নিজের পছন্দমতো চরিত্র বাছাই করা যাবে। নতুন সংস্করণের গ্রাফিকস আগের সংস্করণগুলোর তুলনায় অনেক বেশি উন্নত করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, শত্রুর অবস্থান জানার জন্য আগের তুলনায় ভালো ভিউ অ্যাঙ্গেল পাওয়া যাবে। ফলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে শত্রুদের পরাস্ত করা যাবে।অনলাইনেও খেলা যাবে গেমটি। দেখা যাবে র‍্যাঙ্কিংও। শত্রুর ওপর হামলা চালানোর জন্য তিনজনের দল গড়তে হবে। এ জন্য ইচ্ছেমতো চরিত্র নিয়ে আপনি দল গড়তে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে, গেমটিতে দুটি বস চরিত্র রয়েছে। এ চরিত্র দুটি নিয়ে দল গঠন করা যাবে না। গেমটি খেলার জন্য ইন্টেল কোর আই ৫ প্রসেসরে চলা কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। ৮ গিগাবাইট র‍্যামসহ এনভিডিয়া জিফোরস জিটিএক্স ৭৭০ ২ গিগাবাইট গ্রাফিকস ব্যবহার করতে হবে। এ ঠিকানা থেকে (https://store.steampowered.com/app/1498570/THE_KING_OF_FIGHTERS_XV/) গেমটি সংগ্রহ করা যাবে।
5,009
49360978d5
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র অবিক্রীত রয়ে গেছে। টানা অবরোধ-হরতালে বাইরের পাইকাররা ওই এলাকায় যেতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, জেলায় সবচেয়ে বড় শীতবস্ত্রের ব্যবসাকেন্দ্র কোচাশহর ইউনিয়নে। এখানে প্রায় ৪৫০টি শীতবস্ত্র বিক্রির দোকান আছে। সব দোকানমালিকেরই কারখানা আছে। এখানে উৎপাদিত শীতবস্ত্র দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। রপ্তানি হয় বিদেশেও। প্রতি শীত মৌসুমে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র পাইকারি বেচাকেনা হয়। কিন্তু টানা অবরোধ-হরতালের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এখানে আসতে পারছেন না। ফলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীরই ২ থেকে ১০ লাখ টাকার শীতবস্ত্র অবিক্রীত রয়েছে। এর মধ্যে সোয়েটার, মাফলার ও কার্ডিগানই বেশি। এগুলোর দাম প্রায় ৩০ কোটি টাকা।কোচাশহর ইউনিয়নের নয়ারহাট কুটিরশিল্প অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবছর পাইকাররা ট্রাক নিয়ে শীতবস্ত্র কিনতে আসতেন। এবার মুঠোফোনে বারবার তাগাদার পরও তাঁরা আসতে রাজি হচ্ছেন না। নাশকতার অজুহাত দেখাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, প্রতি মৌসুমে ১০০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র বিক্রি হয়। অবরোধ-হরতালের কারণে এ মৌসুমে মাত্র ৫০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র বিক্রি হয়েছে। তাঁরই ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শীতবস্ত্র অবিক্রীত পড়ে আছে।নয়ারহাট গ্রামের ব্যবসায়ী মাহফুজ মিয়া বলেন, ‘ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শীতবস্ত্র তৈরি করেছি। কিন্তু অবরোধের কারণে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার শীতবস্ত্র ঘরে পড়ে আছে।’কুমড়াডাঙ্গা গ্রামের ব্যবসায়ী মিলন মিয়া জানান, এই সময়ে তাঁদের কাছে কোনো শীতবস্ত্র থাকে না। অথচ ৮ মার্চ পর্যন্ত বিক্রি না হওয়া পাঁচ লাখ টাকার শীতবস্ত্র নিয়ে তিনি বেশ বিপাকে আছেন।মোকন্দপুর গ্রামের কৃষক জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী। চাষাবাদের পাশাপাশি শীতবস্ত্রও তৈরি করি। গত বছর ৫০ হাজার টাকায় হালের বলদ বিক্রি করে ব্যবসায় লাগিয়েছি। কিন্তু হরতাল-অবরোধ সব মাটি করে দিয়েছে।’কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লেলিন মিয়া বলেন, ‘ইউনিয়নের ৯৫ শতাংশ মানুষই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ দিয়েই তাঁদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। কিন্তু অবরোধ-হরতালে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।’ তিনি জানান, কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
null
16e3d64bee
নওগাঁর রানীনগর উপজেলা সদরে মরে যাওয়া গরু গোপনে জবাই করার অপরাধে এক মাংসবিক্রেতাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় রানীনগর উপজেলা সদরের চকাদিন গ্রামের মাংসবিক্রেতা নাজমুল হক (২০) পাশের কাটনারশিন গ্রাম থেকে একটি গাভি কেনেন। তিনি ভটভটিতে করে বাজারে নেওয়ার পথে রানীনগর বাজারের কাছে রেলগেট এলাকায় সেটি মারা যায়। নাজমুল কৌশলে ভটভটিটি একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ব্লেড দিয়ে গরুটি জবাই করার সময় এলাকার কয়েকজন টের পেয়ে থানায় খবর দেন। রানীনগর থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জাকারিয়া হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নাজমুলকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) নূরউদ্দিন আল ফারুক বলেন, মরে যাওয়া গাভির পেটে বাচ্চা ছিল। তা ছাড়া নাজমুল গরু জবাই করতে ছুরির পরিবর্তে ব্লেড ব্যবহার করায় জবাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। নাজমুল চকাদিন গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। তিনি আরেকজন কসাইয়ের সহযোগী হিসেবে মাংস বিক্রি করেন। শুক্রবার রাতেই তাঁকে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
null
238523f813
দুটো ঘটনাকে অবশ্য একই সরল রেখায় মাপা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশে টানা দুই সিরিজে ‘ধাক্কা’র ঘটনায় জরিমানার ঘটনা ঘটল। এবার তামিম ইকবালকে ‘ধাক্কা’ মেরে জরিমানা গুনলেন রাইলি রুশো। ম্যাচ ফির পুরো অর্ধেকটা কেটে নেওয়া হয়েছে তাঁর। গত সিরিজে মুস্তাফিজকে ধাক্কা মেরে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেদিন অবশ্য মুস্তাফিজকেও জরিমানা করেছিলেন ম্যাচ রেফারি,ম্যাচ ফির অর্ধেকটা দিতে হয়েছিল সেদিন তাঁকে। ঘটনাটি কালকের ম্যাচে। আউট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ফিরে আস​ছিলেন তামিম। রাবা​দাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্লেড অন হয়েছেন। সেই হতাশা তো ছিলই। এর সঙ্গে রুশো কাঁধ দিয়ে ঠেলা মারেন বাংলাদেশি ওপেনারকে। ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা অবশ্য বোঝা যায়নি। তবে তামিম এতে রেগে গিয়েছিলেন। মাঠের আম্পায়ারের কাছে অভিযোগও করেন। আম্পায়ার প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলাকে ডেকে সতর্কও করে দেন। কিন্তু সেখানেই পার পাননি রুশো। ক্রিকেটে যেকোনো ধরনের শারীরিক সংযোগ যেহেতু সর্বৈব পরিত্যাজ্য বলে বিবেচনা করা হয়। আজ ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন ডেকে পাঠিয়েছিলেন রুশোকে। ‘অগ্রহণযোগ্য ও ইচ্ছাকৃত’ ধাক্কারই অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ধোনির পথে না হেঁটে রুশো দোষ স্বীকার করে নেন। তবে দাবি করেন, ধাক্কাটি ইচ্ছাকৃত ছিল না। কিন্তু এও স্বীকার করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ধরনের ঘটনা দর্শক ও উদীয়মান ক্রিকেটারদের কাছে ভুল বার্তা দেবে। রুশোর অতীত রেকর্ড এবং স্বীকারোক্তির কারণে অর্ধেকটা ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়। ধোনির ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ কাটা হয়েছিল।
null
27bb40ccff
অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানির দায়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলার রায় ঘোষণা পিছিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের ব্যাখ্যা না দিয়ে আদালত এই রায় ঘোষণা ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন। জান্তার আদালতে সু চির বিচার হচ্ছে। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় জান্তার একটি বিশেষ আদালতে সু চির বিচার হচ্ছে। এই আদালতে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া সু চির আইনজীবীদের গণমাধ্যমে কথা বলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ফলে ঠিক কী কারণে রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা জানা যাচ্ছে না। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বীদের উসকানি দেওয়া ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের দায়ে মামলায় সু চি চার বছর কারাদণ্ড হয়। চলতি মাসের শুরুতে ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর সেই সাজা কমিয়ে দুই বছর করেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তিনি বলেন, বাড়িতে থেকেই এই সাজা ভোগ করবেন তিনি। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে জান্তা সরকার। এর পর থেকে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। এ ছাড়া দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। জান্তার এসব পদক্ষেপে কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া দেশজুড়ে ১১ হাজার বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ সু চির বিরুদ্ধে আরও ৯টি মামলা করে জান্তা। সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
3,808
3cc56c7bca
বীরাঙ্গনাদের নিয়ে বানানো ‘রাইজিং সাইলেন্স’ দিয়ে আলোচনায় আসেন লীসা গাজী। তথ্যচিত্রটি নানা দেশের নানা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সমাদৃত ও পুরস্কৃত হয়েছে। অতি সম্প্রতি এটি ব্রিটিশ সরকারের পিএসভিআই উদ্যোগে শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্রের পুরস্কার লাভ করে। তথ্যচিত্রের পর এবার কাহিনিচিত্রে নির্মাণে হাত দিলেন লীসা গাজী। শুরু হয়েছে তাঁর নতুন চলচ্চিত্র ‘বাড়ির নাম শাহানা’র শুটিং। ১৯৮০ ও ১৯৯০ দশকের পটভূমিকায় নির্মীয়মাণ ছবিটির শুটিং ২৩ মে থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চলছে। বাংলাদেশে এই চলচ্চিত্রের শুটিং চলবে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত। ২০ ভাগ শুটিংয়ের কাজ এই বছরেরই শেষ দিকে যুক্তরাজ্যে হবে। সমান্তরালে চলবে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। আনান সিদ্দিকাকে সঙ্গে নিয়ে নিজেরই লেখা গল্প থেকে চিত্রনাট্য লিখেছেন লীসা গাজী। ‘বাড়ির নাম শাহানা’ এক বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নারীর গল্প। দীপা নব্বই দশকের বাংলাদেশের এক নারী যে নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। দীপা সাংঘাতিক, দীপা প্রাণচঞ্চল, সত্যবাদী, কারও কারও জন্য আবার হুমকিস্বরূপ! চেনা এই সমাজে সে কি বেমানান? ‘এই মাইয়ার চাইর দিকে পানি’—এক হেঁয়ালিপূর্ণ বুড়ির অযাচিত মন্তব্য দীপার জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ইঙ্গিত দেয়। কখনো সে ডোবে না; ডুবতে ডুবতে ভেসে ওঠে, প্রতিবার। দীপা চরিত্রে অভিনয় করছেন আনান সিদ্দিকা। আরও অভিনয় করছেন আমিরুল হক চৌধুরী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, নায়লা আজাদ নূপুর, লুৎফর রহমান জর্জ, ইরেশ যাকের, কাজী রুমা, কামরুন্নাহার মুন্নি, ঋদ্ধি, আপন। লন্ডনভিত্তিক আর্টস অর্গানাইজেশন ‘কমলা কালেকটিভ’ প্রযোজিত ছবিটির চিত্রগ্রহণ করছেন যোয়াহের মুসাব্বির, সংগীত পরিচালনা করবেন সোহিনী আলম ও অলিভার উইক্স। আগামী বছরের মাঝামাঝি চলচ্চিত্রটি দেশে ও দেশের বাইরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। লীসা গাজী বর্তমানে কমলা কালেকটিভের যুগ্ম শিল্পনির্দেশক। তাঁর উপন্যাস রৌরব বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই মুদ্রিত হয়েছে।
1,736
ID_55943
সেঞ্চুরিয়ন ইউনিভার্সিটি সেঞ্চুরিয়ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি এ্যাণ্ড ম্যানেজমেন্ট বা সেঞ্চুরিয়ন ইউনিভার্সিটি () ভারতের ওড়িশা রাজ্যের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।
null
613c43ec78
শেখ জাররাহ। পূর্ব জেরুজালেমের ছোট্ট এই পাড়ার আকাশে গত ১০–১২ দিনে কোনো নক্ষত্রের আলো চোখে পড়েনি। চোখে পড়েনি অবাক জ্যোৎস্নার রোশনাই। সারা আকাশ ভরে আছে আগুন-বোমার লেলিহান শিখায়। অনন্ত নক্ষত্রবীথি ঘুমিয়ে গেছে। ঘরের জানালা খুললেই শিশুরা দেখছে তাদের দিকে ধেয়ে আসছে রকেট লঞ্চার। আকাশে চোখ তুললেই দেখতে পাচ্ছে বোমারু বিমানের ওড়াউড়ি। আচমকা মাথার ওপর ধ্বসে পড়ছে ঘরের ছাদ। চারপাশে শুধু ধ্বংস, শুধু রক্ত, শুধু মৃত্যু! এই ধ্বংসলীলার সূত্রপাত প্রায় ১২ দিন আগে। শেখ জাররাহর আটটি পরিবারকে ভিটেমাটি ছেড়ে দেওয়ার আদেশ পাঠান জেরুজালেমের জেলা আদালত। কিন্তু বংশপরম্পরায় যুগ যুগ ধরে যাঁরা এই অঞ্চলে বাস করছেন, তাঁরা কেন ভিটেমাটি ছাড়তে রাজি হবেন? স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা অস্বীকৃতি জানান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দেখল, সোজা আঙুলে ঘি উঠছে না। তাই হামলা করে বসে তারা। এ পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরাও চালায় পাল্টা হামলা। শুরু হয় অনিবার্য সংঘাত-সংঘর্ষ। মাত্র এই কয়েক দিনে ইসরায়েলের হামলায় দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এর মধ্যে শিশু রয়েছে অর্ধশতাধিক। আহত হয়েছে হাজার হাজার। সংঘর্ষে মারা গেছেন ইসরায়েলেরও কয়েকজন। তবে সংখ্যার দিক থেকে ইসরায়েলের চেয়ে ফিলিস্তিনিরা নিহত হয়েছে কয়েক গুণ। এই ধ্বংসযজ্ঞের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা গণমাধ্যমে প্রতিবাদ জারি রাখেন ফিলিস্তিনি কবি মোহাম্মদ এল কুর্দ। সম্প্রতি এই তরুণ কবির দুটি সাক্ষাৎকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে (ভাইরাল)। তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল ও এমএসএনবিসি চ্যানেলে। ভাইরাল হওয়া সেই সাক্ষাৎকারের পর কী ঘটেছিল এই কবির জীবনে, তা জানার আগে চলুন জানা যাক, কে এই এল কুর্দ। মোহাম্মদ এল কুর্দ ফিলিস্তিন থেকে উৎখাত হওয়া একজন লেখক ও কবি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাভানাহ কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। স্নাতকোত্তর করেন ব্রুকলিন কলেজ থেকে। ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ লেখক সম্প্রতি নিউইয়র্কের নিরাপদ জীবন ছেড়ে চলে গেছেন নিজ জন্মভিটা জেরুজালেমের শেখ জাররাহতে। ‘কেন ফিরলেন’, এমন প্রশ্নের জবাবে ভাইস মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এল কুর্দ বলেন, ‘আমার জন্মভিটা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের হানাদাররা আর আমি চুপ করে বসে থাকব? ৭৩ বছর ধরে যেখানে বসবাস করছেন আমার প্রতিবেশীরা, সেখান থেকে উৎখাত করা হচ্ছে তাঁদের, আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখব এই অন্যায়? আমার না ফিরে তো উপায় নেই। এটাই আমার বাড়ি, এটাই আমার শিকড়, এটাই আমার আসল ঠিকানা।’ এল কুর্দ শুধু ফিরলেনই না। ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ–প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানাতে থাকলেন ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান বর্বরতার বার্তা। লিখতে থাকলেনগার্ডিয়ান, আল–জাজিরা,দ্য নেশনথেকে শুরু করে বিশ্বের বড় বড় সংবাদমাধ্যমে। অনবরত সাক্ষাৎকার দিতে থাকলেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয়। এর মধ্যে সিএনএন ও এমএসএনবিসি চ্যানেলে দেওয়া তাঁর দুটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়ে যায় অন্তর্জালের দুনিয়ায়। দুটি সাক্ষাৎকারেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এল কুর্দ। তিনি ইসরায়েলের এই হামলাকে সরাসরি ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিযোগ করেছেন। সিএনএনের উপস্থাপক যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘এই যে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের পরিবারগুলোর ওপর রকেট হামলা চালাচ্ছে, তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কি আপনি সমর্থন করেন?’ তখন অগ্নিমূর্তি হয়ে এল কুর্দ পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এই যে আমার জন্মস্থান থেকে আমাকে উৎখাত করা হচ্ছে, আমার পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে, বোমা মেরে শিশুদের মেরে ফেলা হচ্ছে, তা কি আপনি সমর্থন করেন?’ অন্যদিকে এমএসএনবিসির উপস্থাপক আয়মান মোহেলাইদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে এখন যা চলছে, তা এককথায় জাতিগত নিধন। একটি জাতিকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য তারা ঔপনিবেশিক আমলের আইনকে তো ব্যবহার করছেই, উপরন্তু ব্যবহার করছে পেশিশক্তি। ইসরায়েলের এই অন্যায় আচরণ ঐতিহাসিকভাবেই অনৈতিক। এটা ‘এথনিক ক্লিনজিং’ (জাতিগত নিধন) ছাড়া আর কিছু নয়। এটা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ। ঠিক এই সময় আয়মান মোহেলাইদিন এই লাইভ সাক্ষাৎকারে আমন্ত্রণ জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্ক রিজেভকে। তিনি মার্ককে প্রশ্ন করেন, ‘ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরায়েল’—এল কুর্দের এই অভিযোগের ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? উত্তরে মার্ক রিজেভ বলেন, দুই দিক থেকেই শক্ত যুক্তি আছে। তারাও তো বলে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের কোনো অস্তিত্ব নেই। এল কুর্দের সাক্ষাৎকারের এই দুই অংশই মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দুটি সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর ২৪ ঘণ্টাও অতিক্রম করেনি, তার আগেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাজির হয়েছে এল কুর্দের শেখ জাররাহর বাড়িতে। টেনেহিঁচড়ে বের করেছে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে রাস্তায়। বলেছে, ‘চলে যাও শেখ জাররাহর সীমানার বাইরে।’দ্য ডেইলি বিস্টপত্রিকা মারফত জানা গেছে, এ সময় ‘আমাকে মেরে ফেলো, আমাকে মেরে ফেলো’ বলে চিৎকার করতে থাকেন এল কুর্দ। আর সৈন্যরা তাঁকে ধাক্কা দিতে দিতে সীমান্তরেখার বাইরে পাঠিয়ে দেন। তখন এল কুর্দের বোন সৈন্যদের হাত থেকে ভাইকে কেড়ে নিতে এলে ইসরায়েলি সৈন্যরা তাঁকেও ধাক্কা দিয়ে ঠেলে দেন সীমান্তরেখার বাইরে। এভাবে যতবার এল কুর্দ, তাঁর বোন ও পরিবারের লোকজন শেখ জাররাহর সীমানায় ঢুকতে চেয়েছেন, ততবারই ইসরায়েলি সৈন্যরা তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন। এল কুর্দ এখন কোথায় আছেন? টুইটারে লিখেছেন, তিনি যেখানে আছেন, সেখানে ভালো আছেন। তবে ভয় এখনো কাটেনি। সূত্র:সিএনএন, এমএসএনবিসি, দ্য ইনডিপেনডেন্ট, ভাইস, মিডিয়া আইটিই, ডেইলি বিস্ট ও দ্য নেশন।
3,867
1569b1038b
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। আজ শনিবার উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার বসুরহাট বাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। বেলা ১১টার দিকে কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে সকাল থেকে বসুরহাট পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা বসুরহাটের কালামিয়া ম্যানশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে একই স্থানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল কবির, সদস্যসচিব জাহিদুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সদস্য বেলায়েত হোসেন, আবদুল মালেক, আবুল কাশেম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আতায়োর হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুছেন মোহাম্মদ এরশাদ, বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দীন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিনই বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। দ্রব্যমূল্য এখন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
null
6gj05vtlzj
অবশেষে গ্রাহকদের জন্য মাসে ৮ ডলারের (৭ দশমিক ৯৯ ডলার) বিনিময়ে টুইটারের ‘ব্লু টিক’ সেবা চালু করেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ইলন মাস্ক সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের মালিকানা কিনে প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব নিয়েছেন। নেতৃত্ব নেওয়ার পরই অর্থের বিনিময়ে ‘ব্লু টিক’ সেবা চালু করলেন মাস্ক। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড—এই পাঁচ দেশে অর্থের বিনিময়ে পরিষেবাটি চালু করেছে টুইটার। খবর দ্য গার্ডিয়ানের গত শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে টুইটার বলেছে, ‘যেকোনো ব্যবহারকারী এখন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে টুইটারের ব্লু টিক সেবাটি নিতে পারবেন। আমরা এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন করেছি; অর্থাৎ শুধু সেলিব্রিটি, কোম্পানি ও রাজনীতিবিদেরাই নন, এখন থেকে যেকোনো গ্রাহকই তাঁর অ্যাকাউন্টে একটি “নীল চিহ্ন” নিতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি দেশে অর্থের বিনিময়ে ব্লু টিক সেবা চালু করলেও পর্যায়ক্রমে আরও বেশ কিছু দেশে এই সেবা চালু করা হবে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে কোম্পানিটি। টুইটার কেনার পরে মাত্র পাঁচ দিন আগে এক টুইটে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, টুইটারে ফ্রির জমানা শেষ। এখন থেকে টুইটারের ব্লু টিকের জন্য খরচ করতে হবে গ্রাহকদের। অর্থের বিনিময়ে ব্যবহারকারীরা চাইলেই নিজেদের অ্যাকাউন্টকে ‘ভেরিফায়েড’ করে নিতে পারবেন। এ জন্য প্রতি মাসে পকেট থেকে খসবে কয়েক ডলার। মূলত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া, বিনোদন, সাংবাদিকতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ টুইটার ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করতে ব্লু টিক ব্যবস্থাটি চালু করেছিল টুইটার। এত দিন পর্যন্ত টুইটারে এই ব্লু টিক পাওয়া যেত বিনা মূল্যে। এটি পেতে ব্যবহারকারীদের প্রথমে আবেদন জানাতে হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্য যাচাই করে ব্লু টিক দেয় টুইটার। তবে এখন থেকে এই পদ্ধতি পাল্টে যাচ্ছে। টুইটার অ্যাকাউন্টের এই ব্লু টিক কেনা যাবে অর্থ দিয়ে। গত সপ্তাহে টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, আগামী দিনগুলোতে একাধিক নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হবে টুইটারে। অর্থের বিনিময়ে ব্লু টিক নিবন্ধন দেওয়া তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এই পরিষেবা নিলে গ্রাহকেরা বেশ কিছু সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে টুইটার। বড় আকারের ফাইল বা অডিও আপলোড করতে পারবেন তাঁরা। পাশাপাশি আগের তুলনায় অনেক ভালো অভিজ্ঞতা পাবেন ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনের পরিমাণও কম থাকবে এখানে। এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছেন টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক। প্রায় সাড়ে সাত হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি।
985
363de6eb09
নিরাপদ পথখাবার নিশ্চিত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গতকাল পথের খাবার বিক্রেতাদের মধ্যে ১০০টি বিশেষ ধরনের গাড়ি বিতরণ কেরছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এই গাড়িগুলো সরবরাহ করেছে। খাবার বিক্রেতাদের নিরাপদ খাবার তৈরি ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছে আইসিডিডিআরবি।গতকাল শনিবার বিকেলে নগর ভবনে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিরাপদ পথখাবার বিক্রির গাড়িগুলো হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, নগরবাসীর জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের সব বাজার পর্যায়ক্রমে ফরমালিনমুক্ত করা হবে। পথখাবার নিরাপদ করতে এফএও এবং আইসিডিডিআরবির সহায়তায় যাঁদের এই নিরাপদ খাবারের গাড়ি দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে আইনি কাঠামোর আওতায় আনা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বিক্রেতাদের দায়বদ্ধতা বাড়বে, তেমনি ক্রেতাদের মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টি হবে।নিরাপদ পথখাবার নিশ্চিত করতে এফএও পথের উন্মুক্ত পরিবেশে খাবার বিক্রেতাদের মধ্যে বিনা মূল্যে কাচে ঢাকা বিশেষ ধরনের ভ্যানগাড়ি বিতরণের উদ্যোগ নেয় ২০১২ সালে। এফএও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান হাসান আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, খুলনায় পরীক্ষামূলকভাবে ৩০০টি গাড়ি বিতরণ করা হয়েছিল। সেই উদ্যোগের অভিজ্ঞতা থেকে ঢাকায় ৫০০টি গাড়ি বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩০০টি এবং উত্তরে ২০০টি গাড়ি বিতরণ করা হবে। গাড়ি বিতরণের আগে বিক্রেতাদের নিরাপদ খাবার তৈরি ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিয়েছে আইসিডিডিআরবি। তিনি জানান, এরপরের ধাপে ঢাকার বিভিন্ন স্কুলের সামনে খোলা খাবার বিক্রেতাদের এই কর্মসূচির আওতায় নিরাপদ খাবার গাড়ি বিতরণ করা হবে। এই গাড়িগুলোও সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। তবে বিক্রেতারা সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর তত্ত্বাবধানে থাকবেন।খাবার গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনসার আলী খান। আলোচনা করেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, এফএও-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন ও আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক জন ডিক্লিমেন্স।রিকশা ভ্যানের আদলে গড়া এই নিরাপদ খাবার গাড়িগুলোতে রান্নার জন্য চুলা, নিরাপদ পানি, খাবার তৈরির সরঞ্জামও সরবরাহ করা হয়েছে। চা, হালকা খাবার, দই-চিড়া, ফুচকা, চটপটিসহ বিভিন্ন খাবার বিক্রি হবে এসব গাড়িতে। বিক্রেতারা আগে যে ধরনের খাবার বিক্রি করতেন তিনি এই গাড়িতে সেই ধরনের খাবারই বিক্রি করবেন।নরসিংদীর আল আমিন মতিঝিল সিটি সেন্টারের সামনে ফুচকা, ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। তিনিও একটি গাড়ি পেয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বললেন, বছর খানেক আগে আইসিডিডিআরবির লোক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে কয়েক দফায় তাঁকে নিরাপদে খাবার তৈরি, পরিচ্ছন্নতা এসব সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন গাড়িটি পাওয়ায় তিনি ক্রেতাদের নিরাপদ খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দিতে পারবেন।
null
41b703e137
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটির শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে কয়েকটি সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ৬০টি সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি, আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের আমরাই পারি ক্যাম্পেইন এবং কর্মজীবী নারী পৃথক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে ১৯৯৭ সালে ঘোষিত জাতীয় নারী উন্নয়ননীতি হালনাগাদ করে পূর্ণ বাস্তবায়ন, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, সিডও সনদের ধারা ২ ও ১৬ (১) গ থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে পূর্ণ অনুমোদন করাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক রোকেয়া কবির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে জানানো হয়, ৮ মার্চ নারী দিবসে দুপুর দুইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ হবে। বিকেল তিনটায় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে প্রেসক্লাব পর্যন্ত র্যালি হবে। এ ছাড়া ফানুস ওড়ানো, বাংলা একাডেমীতে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বুকলেট তৈরি ও মিডিয়াতে টক শোসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ৩০ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির কর্মসূচি। এ ছাড়া কমিটির সদস্য ৬০টি সংগঠন সারা দেশে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, নারী দিবসের ১০০ বছরের অর্জন অনেক। তবে এখনো সংকট আছে। স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার বলেন, নারী আন্দোলনের স্লোগানে পরিবর্তন এসেছে। আগে নারী-পুরুষের সম-অংশগ্রহণের দাবি তোলা হতো, এখন সম-সুযোগের দাবি উঠেছে।কর্মজীবী নারী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের কর্মসূচি সমন্বয়ক আরিফা আক্তার। এতে বলা হয়, দেশে শক্তিশালী শ্রম আইন আছে। অথচ অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় শ্রমিকদের কারখানায় তালাবদ্ধ রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হলেও বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে না। সম্প্রতি গরিব অ্যান্ড গরিব সোয়েটার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ২১ শ্রমিকের মধ্যে ১৩ জনই নারী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ক্ষতিপূরণের নামে শ্রমিকদের দু-এক লাখ টাকা দেওয়া আরেক ধরনের প্রতারণা। কর্মজীবী নারীর সভাপতি শিরীন আখতার বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিজনেরা আইন সম্পর্কে জানে না। অন্যদিকে আইনের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে কি না সরকারও সে খোঁজ রাখে না।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় ঢাকার মুক্তাঙ্গন থেকে নারীশ্রমিকদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মজীবী নারীর কর্মসূচি শুরু হবে। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিলসহ মহীয়সী নারীদের জীবনী নিয়ে গান, কবিতা, নাটক, যৌন হয়রানি বন্ধে বছরব্যাপী প্রচার কর্মসূচি ছাড়াও বিভাগ ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি থাকছে। সংবাদ সম্মেলনে কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক ও পরিচালক মাহমুদা ইমাম উপস্থিত ছিলেন।আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের ‘আমরাই পারি ক্যাম্পেইন’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্যাম্পেইনের জাতীয় সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমরাই পারির কো-চেয়ার ফৌজিয়া খোন্দকার ও অধ্যাপক লতিফা আকন্দ।জিনাত আরা বলেন, আন্তর্জাতিক জরিপে নারীর প্রতি সহিংসতার উচ্চহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থান চতুর্থ। বাংলাদেশে প্রতি দুজন নারীর মধ্যে একজন পরিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংগঠনটির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ ৩ মার্চ বেগম রোকেয়ার জন্মস্থান রংপুরের পায়রাবন্দ এবং বেগম সুফিয়া কামালের জন্মস্থান বরিশালের শায়েস্তাবাদ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ৮ মার্চ ঢাকায় শেষ হবে।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারী দিবসের শতবর্ষ পালন উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা-তেঁতুলিয়া ‘নারী জাগরণ যাত্রা’ এবং ৮ মার্চ ঢাকায় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। সম্প্রতি সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তাঙ্গনে নারী জাগরণ যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
null
75394b538c
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার পাগড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হলো প্রায় পৌনে দুই কেজি সোনা। গতকাল সোমবার সৌদি আরব থেকে আসা এক যাত্রীর সঙ্গে থাকা কার্টনের ভেতরে রাখা পাগড়ি থেকে এই সোনা উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টম হাউস। তিন মালয়েশীয় নাগরিকের কাছ থেকে ৪৫ কেজি সোনা আটকের এক দিন পর এই সোনা উদ্ধার হলো। কাস্টম সূত্র বলেছে, সোনাসহ গ্রেপ্তার যাত্রীর নাম মোহাম্মদ মামুন। বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরায়। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে করে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার এস এম সোহেল রহমান বলেন, বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেলের সামনে থেকে মামুনকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা কার্টনের ভেতরে একটি পাগড়ির মধ্যে ১৫টি সোনার বার পাওয়া যায়। প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। মামুন সৌদি আরবে দরজির কাজ করেন। ১০ বছর পর তিনি দেশে ফিরেছেন। বেশি লাভের আশায় এসব সোনার বার নিয়ে তিনি দেশে ফিরেছেন।
null
7586621fec
এবারই প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার চালু করতে যাচ্ছে ফিফা। সেরা কোচের তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম আছে স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক, বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলা এবং রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হোসে মরিনহোর। বিশ্বকাপের বছর না হলে সেরা কোচ হিসেবে নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যেত মরিনহোর নাম। কিন্তু ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ অনেকখানিই প্রভাবিত করে ফিফা বর্ষসেরার এ পুরস্কারগুলোকে। তাই স্পেনকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারটা দেল বস্কের হাতেই উঠবে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। তবে ফিফা বর্ষসেরা কোচ হিসেবে কার নাম ঘোষণা করল—তা নিয়ে একদমই চিন্তিত নন ‘স্পেশাল ওয়ান’ মরিনহো। সদর্পেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দেল বস্ক নয়, আমিই সেরা।’এ বছর ইন্টার মিলান থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসার আগে কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুবর্ণ সময়টা পার করেছেন মরিনহো। সব প্রতিযোগিতাতেই পরেছেন জয়ের মুকুট। ইতালিয়ান ক্লাব, ইতালিয়ান লিগ শিরোপার পাশাপাশি ৪৫ বছর পর ইন্টারকে এনে দিয়েছেন ইউরোপ সেরার শিরোপা। ‘গাজ্জেতা দেল্লো স্পোর্তোকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ‘কে সেরা সেই সিদ্ধান্ত আমি নিয়ে ফেলেছি। আর সেটা অবশ্যই আমি নিজে। ১১ মাসে ৫৭টা ম্যাচের পর ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাসহ সবকিছুই আমি জিতেছি। এর বেশি আর কিছু করার ছিল না আমার। আমার খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য।’তাঁর ইন্টার মিলানের শিষ্য ওয়েসলি স্নাইডারের নাম বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় না দেখে অনেকের মতোই দারুণ বিস্মিত মরিনহো। এ বছর এই পুরস্কারটা ইনিয়েস্তার হাতে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি—এটা যেন মানতেই পারছেন না তিনি। বিশ্বকাপের বছর বলেই এটা সম্ভব হতে পারছে উল্লেখ করে এ সময়ের অন্যতম সেরা এই কোচ বলেছেন, ‘ইনিয়েস্তা গত মৌসুমের প্রথম পাঁচ মাস ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারেনি। শুধু বিশ্বকাপের কয়েকটা ম্যাচে অংশ নিয়ে, আর ফাইনালে একটা গোল করেই যদি সে এই পুরস্কারটা পেয়ে যায়, তাহলে বলতে হবে বিশ্বকাপের বছরে সবকিছুই সম্ভব। অন্য কোনো কিছুই এখানে গণ্য হবে না।’ ইনিয়েস্তা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার খেলোয়াড় বলেই কি আক্ষেপটা একটু বেশি রিয়াল কোচের? টাইমস অব ইন্ডিয়া।
null
2f4b457548
ভারতের লোকসভা নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে হওয়ার কথা। এই নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা বা এনডিএ মনে করছে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গড়বে এনডিএ। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট বা ইউপিএ মনে করছে, তাদের আসন বাড়বে। তৃতীয় শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে তাদের নেতৃত্বে সরকার হতে পারে। এসব ভাবনার মধ্যে এবিপি নিউজ ও সি–ভোটারের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন নির্বাচন হলে বিজেপির পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন। তবে তাদের নেতৃত্বাধীন এনডিএ কষ্ট করে সামান্য ব্যবধানে সরকার গড়তে পারে। সমীক্ষা প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, কংগ্রেসের আসন বাড়বে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএর আসনও বাড়বে। তবে বিজেপিবিরোধী শক্তি এক হলে সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসসহ অন্যরা মিলে সরকার গড়ার কাছাকাছি যেতে পারে। নির্বাচনের এখনো কয়েক মাস বাকি। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হবে। ওই তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আসন্ন নির্বাচনে ওই তিনটি রাজ্যে কংগ্রেস ভালো ফল করবে বলে সমীক্ষা প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই ফলাফলের পর লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘুরে যেতে পারে । বিজেপির ভোট কমতে পারে। কংগ্রেসসহ বিজেপিবিরোধীদের ভোট বাড়তে পারে। এবিপি নিউজ ও সি-ভোটারের সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মুহূর্তে লোকসভার নির্বাচন হলে ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ২৭৬টি আসন। সরকার গড়তে হলে দরকার ২৭২টি আসন। ফলে অতিকষ্টে মাত্র চারটি আসনের ব্যবধানে সরকার গড়তে পারে এনডিএ। তবে এই নির্বাচনে বিজেপি আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। ২০১৪ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে পেয়েছিল ২৮২টি আসন, আর তাদের এনডিএ জোট পেয়েছিল ৩৪১টি আসন। এবার সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২৪৮ ও ২৭৬টি আসনে। সমীক্ষায় জানানো হয়, এবার ইউপিএ পেতে পারে মাত্র ১১২টি আসন। এর মধ্যে কংগ্রেস একা পেতে পারে ৮০টি আসন। ২০১৪ সালে ইউপিএ পেয়েছিল ৬০টি আসন, আর কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৪৪টি আসন। আর বিজেপিবিরোধী অন্য দলগুলো পেতে পারে ১৫৫টি আসন। এই আসনের সঙ্গে কংগ্রেস বা ইউপিএর আসন যোগ করলেও তাদের জেতা কঠিন হবে। তবে নির্বাচনের এখনো ছয় মাসের বেশি সময় বাকি। এর মধ্যে পরিস্থিতির আরও পরিবর্তন হবে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভোট বাড়তে পারে। পাশাপাশি এনডিএর ভোট কমতে পারে। কারণ এনডিএর কয়েকটি শরিক চলে গেছে। আবার এর উল্টোটাও হতে পারে।
null
5ea25c965b
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৩/৬জিম্বাবুয়ে: ৩৮.২ ওভারে ১৬০ফল: বাংলাদেশ ৯৩ রানে জয়ীটানা দুই ম্যাচ জিতে সফর শেষ করার তৃপ্তি থাকছে। তবে তৃতীয় ওয়ানডেতে তীরে এসে তরী ডোবার দুঃখটাও কি আরও তীব্র হয়ে উঠছে না এতে? জিততে জিততে হেরে যাওয়া সেই ম্যাচই তো শেষ পর্যন্ত নির্ধারক হয়ে দাঁড়াল ওয়ানডে সিরিজের। ইশ্, মুশফিকুরের ছয়টা হয়ে গেলেই জিম্বাবুয়ে নয়, বাংলাদেশই ৩-২-এ জেতে!ক্রিকেটে ‘যদি’র কথা বললে এর শেষ নেই। এসব হা-হুতাশ না করে যা হয়েছে, সেটি মেনে নেওয়াই ভালো। দুঃস্বপ্নের এই সফরে টানা পাঁচ ম্যাচ হারার পর টানা দুটি জয় হাসি তো ফেরাল সাকিবদের মুখে। সিরিজ শেষ হওয়ার রাতেই ভোরে উঠে বুলাওয়ে থেকে বাসে হারারে। সেখান থেকে জোহানেসবার্গ-দোহা হয়ে ঢাকা। দেশে ফেরার দীর্ঘ বিমানযাত্রাটা এখন একটু হলেও কম ক্লান্তিকর লাগবে বাংলাদেশ দলের।ব্রেন্ডন টেলর যখন হারারেতেই জিতে ফেলা ট্রফিটা হাতে নিলেন, দেখা গেল জিম্বাবুইয়ানদের চেয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মুখেই বেশি হাসি। সবচেয়ে বড় হাসিটা সাকিব আল হাসানের মুখে। শেষ ম্যাচেই যে প্রথম মনে হলো, কদিন আগেও এই ছেলেটা ছিল ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ে ৭৯ রানের পর বোলিংয়ে সিবান্দা ও টাইবুর মহামূল্য দুটি উইকেট—ম্যান অব দ্য ম্যাচও বাংলাদেশ অধিনায়ক।তবে দল হেরে গেলে আউট হওয়ার ধরনটা নিয়ে নিশ্চিত যন্ত্রণায় ভুগতেন। ৭১ বলে ৭৯ রানের ইনিংসটি শেষ হয়েছে মেথের বলে স্কুপমতো কী একটা করতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার মাধ্যমে। তখনো দুই ওভার বাকি ছিল। সাকিব থাকলে রানটাও আরেকটু বেশি হতো। সেঞ্চুরিও অসম্ভব ছিল না। আবার সেই ‘যদি’...! যা হয়েছে, তাতেই একটা জায়গায় নিজেকে সবার ওপরে নিয়ে গেছেন সাকিব। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরি (২১) করার কীর্তিটি এখন তাঁর।এই ম্যাচের আগে হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যায় যাঁর পাশে ছিলেন, সেই মোহাম্মদ আশরাফুল দুই ম্যাচ বাইরে বসে থাকার পর আবার ফিরেছিলেন এই ম্যাচে। করতে পেরেছেন মাত্র ১৫। ইমরুলের দুর্দশা এই ম্যাচেও অব্যাহত। কত বেশি লাইফ পেয়ে কত কম রান করা যায়—বাঁহাতি ওপেনার বোধহয় এর একটা রেকর্ডই করে ফেললেন এই সিরিজে! তামিমের ৪৫-ই একটু উল্লেখ করার মতো, নইলে বাংলাদেশের ইনিংসে আসলে সাকিব আর মাহমুদউল্লাহর ১০৭ রানের জুটিটিই সব। ৩০তম ওভারে ১২৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ওই জুটিতেই বাংলাদেশের উদ্ধার। শেষ পর্যন্ত যা ম্যাচজয়ী জুটি হিসেবেই প্রমাণিত।এত বড় ব্যবধানে জয় যে, দুই ইনিংসের বিরতির সময়ও ৩-২ আর ৪-১ এর মধ্যে দোলাচলটা এখন ঠিক বোঝার উপায় নেই। এই উইকেটে ২৫৩ এমন কোনো রান নয়। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পর ব্রেন্ডন টেলর বলেছিলেন, বাংলাদেশকে ২৫০-এর মধ্যে আটকে রাখতে পারলেই খুশি থাকবেন। সাকিব বলেছিলেন, ২৫০-এর বেশি যেকোনো স্কোরই জয়ের মতো হবে। ২৫৩ রান ২৫০-এর চেয়ে অবশ্যই বেশি। তবে মাত্র ৩ রানে আর কি আসে-যায়, টেলরের ইচ্ছাই পূরণ হয়েছিল বলা যায়।কিন্তু এই বাংলাদেশ টানা হারে বিপর্যস্ত সেই দল নয়। জয়ের টনিকে উজ্জীবিত এক দল। ম্যাচটাতে তাই কোনো লড়াই-ই হলো না। তবে পরাজয়ের ব্যবধান যেমন বলছে, জিম্বাবুয়ে ইনিংসের দুই-তৃতীয়াংশ পথ পেরোনোর পরও কিন্তু এমন একপেশে সমাপ্তির কথা ভাবা যায়নি। ৩২তম ওভারে স্কোর ৪ উইকেটে ১৪০—ম্যাচে ভালোমতোই ছিল জিম্বাবুয়ে। মুতিজাওয়ার রানআউটটি এল আশীর্বাদ হয়ে। এরপর যেন চতুর্থ ম্যাচের রিপ্লে! দেখতে না-দেখতেই মাত্র ২০ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়ে অলআউট! ৩ উইকেট নিয়ে যাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা মাহমুদউল্লাহর। পুরো সফরটাই ব্যাটে-বলে ধুঁকেছেন। শেষ গানের রেশটা অবশ্য মধুর হয়েই বাজবে মাহমুদউল্লাহর কানে।জিম্বাবুয়ে অলআউট, তবে আসলে ৯ উইকেট হারিয়ে। কিগান মেথ যে ব্যাটিংয়ে নামতেই পারেননি। বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ বলে নাসিরের ড্রাইভে বল গিয়ে লেগেছিল তাঁর মুখে। উইকেটেই দুটি দাঁত পড়ে যায়। স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে বের করে সোজা হাসপাতাল। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে মাঠে ফিরলেও দ্রুত পরিস্থিতিটা এমন হয়ে যেতে দেখেন যে, ব্যাটিংয়ে নামাটা অকারণ ঝুঁকি ছাড়া আর কিছু হতো না।ম্যাচ শেষে জিম্বাবুইয়ান খেলোয়াড়েরা ট্রফি নিয়ে একটা ল্যাপ অব অনার মতো দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। একদমই জমল না। বুলাওয়ের এই মাঠে তিন দিনের মধ্যে দুই ম্যাচে দুই পরাজয়—এখানে বিজয়োৎসব জমে নাকি! জিম্বাবুয়ে হারারেতে জিতেছে, বুলাওয়েতে জয়ী তো বাংলাদেশ!এই সফরের শুধু বুলাওয়ে অংশটাই তাই মনে রাখতে চাইবে বাংলাদেশ দল। উপায় থাকলে হারারে-পর্বটা মুছেও দেওয়ার চেষ্টাও হয়তো হতো! উল্টো সেটি আরও ভালো করে মনে করিয়ে দিল ম্যান অব দ্য সিরিজের নাম। পেশিতে একটু টান লাগায় তাঁকে শেষ দুই ম্যাচে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। তার পরও প্রথম তিন ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে হারারেতেই সিরিজের মীমাংসা করে দিয়েছেন বলে অভিষেক সিরিজেই সেরার পুরস্কার ব্রায়ান ভিটরির হাতে।বর্তমানের ওপর যে সব সময়ই অতীতের ছায়া পড়ে!
null
40d7f33517
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার অভিযোগ করেছেন, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী ও প্রশাসন প্রভাব বিস্তার করছে। পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য হয়রানি করছে এবং মিথ্যা মামলায় নেতা-কর্মীদের আটক করছে।গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলসংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মজিবর রহমান সরোয়ার এই অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সারা দেশে আওয়ামী লীগ কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান এবং বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বরিশাল সদর উপজেলায় বিএনপি বারবার জয়ী হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এটা কেড়ে নিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জাগুয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ইউনিয়নের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী মো. মন্টু খানকে আটক করা হয়েছে। একইভাবে আটক করা হয়েছে চরকাউয়া ইউনিয়নের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আনোয়ার হোসেন, কর্ণকাঠি স্কুল কেন্দ্রের সমন্বয়কারী কাজী মোকলেছুর রহমান ও রফিকুল ইসলামকে। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রশাসনও সহযোগিতা দিচ্ছে।সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার, সদর উপজেলা বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কাউকে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে না।
null
71d09a2d0c
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে প্রক্টর কার্যালয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে: শিক্ষার্থীকে মারধর, শাটল ট্রেনচালক ও পুলিশ সদস্যকে মারধরসহ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি। গত এক সপ্তাহের মধ্যে আলাদাভাবে তাঁদের এসব নোটিশ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌলাহ প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে একদল শিক্ষার্থী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সাত শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে নোটিশ পাওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের জবাব পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও আকন্দ ইউনুস আহমেদ গত ৫ আগস্ট রাতে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চালককে মারধর করেন। মোহাম্মদ হোসেন ফরায়েজী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ডাকঘরে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন।লুৎফর রহমান দলবল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুপড়িতে পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। শফিকুল আলম সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির এক সদস্যকে লাঞ্ছিত করেন। শরীফুল ইসলাম কলা অনুষদের ঝুপড়িতে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এ ছাড়া, গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে এক সাংবাদিককে মারধর করেন এবং ছাত্রীদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী রুবেল দে।
2,407
3611d03e02
‘আগডুম বাগডুম’ খেলাটা যে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের এত পছন্দ, জানা ছিল না। যেমন জানা ছিল না, বার্সার রিজার্ভ গোলরক্ষক হোসে ম্যানুয়েল পিন্টো ‘ঘোড়াডুম’ সাজতে খুব পছন্দ করেন। পরশু রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতে না বাজাতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনার টানা তৃতীয় লিগ শিরোপা জয়ের উৎসব। পিন্টোর কাঁধে তখন সওয়ার হচ্ছেন কখনো ডেভিড ভিয়া, কখনো জাভি, কখনো বা ইনিয়েস্তা।আনন্দ এতটাই লাগাম ছাড়িয়ে গিয়েছিল, আর কাউকে কাছেপিঠে না পেয়ে দানি আলভেজ এক সাংবাদিকেরই পিঠে চড়লেন। বেচারা সাংবাদিক ওই অবস্থাতেও মাইক্রোফোন বাগিয়ে জানতে চাইছেন প্রতিক্রিয়া। অনেক দিক দিয়েই লেভান্তের মাঠে ফিরে এসেছিল ছয় বছর আগের স্মৃতি। ২০০৫ সালে এই মাঠেই ১-১ গোলে ড্র করে শিরোপা নিশ্চিত করেছিল ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের বার্সেলোনা।পরশুও তা-ই হলো। গোলমুখের সামনে জনা আষ্টেক খেলোয়াড়ের জঙ্গল তৈরি করে রাখা লেভান্তের জালে অনেক কষ্টে একটা গোল বার্সেলোনা ঢোকাল ঠিকই, কিন্তু জাভির অনেক দূর থেকে বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া বলে হেড করে সেইডু কেইটার করা ২৮ মিনিটের গোলটি প্রথমার্ধের শেষ প্রান্তে ঠিকই শোধ করে দিল লেভান্তে। বার্সা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেজ ও ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে। আরও স্পষ্ট করে বললে ভুলটা জেরার্ড পিকের। ঠিকমতো বলটা ক্লিয়ার করতে পারেননি এই সেন্টার ব্যাক।অনেক চেষ্টাচরিত্র করেও আর গোল করতে পারেননি মেসি-ভিয়ারা। মেসির একটা শট অবশ্য পোস্টে লেগেছিল। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে লিগে গোল-ব্যবধানটি পাঁচ থেকে আর কমাতে পারলেন না। তা না পারুন। রোনালদো পিচিচি ট্রফিটা নিয়ে উৎসবে মাতুন। আরও বড় ট্রফি তো হাতে তুলতে পারছেন মেসি। টানা তৃতীয়বার রিয়ালকে দর্শক বানিয়ে লিগ শিরোপা জিততে পারার চেয়ে বড় আনন্দ আর হয় নাকি!হয় না বলেই কাল আসল উৎসবটা হলো বার্সেলোনা শহরে। রাতভর গান, নাচ, ড্রামের বাদ্য বাজল। আতশবাজি পুড়ল। ‘পুড়ন্ত’ উড়ন্ত সেই উৎসবে মাতোয়ারা গোটা কাতালোনিয়া রাজ্য। কিন্তু চাইলেও সেই উৎসবে যোগ দিতে পারলেন না বার্সার খেলোয়াড়েরা। লিগের এখনো দুটো ম্যাচ বাকি। তার চেয়েও বড় কথা, সত্যিকারের ম্যাচটি তো ২৮ মে, ওয়েম্বলিতে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাভিকে তাই কষ্টটা বুকচাপা দিয়েই রাখতে হলো, ‘শিরোপা জেতার আনন্দ সব সময়ই অন্য রকম। এই শিরোপার আসল দাবিদার আসলে আমাদের সমর্থকেরা। আমি কল্পনা করে নিচ্ছি, বার্সেলোনার পথে আজ (গত পরশু) রাতে আমরাও তাদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দিয়েছি।’শিষ্যদের উৎসব করতে দিলেও তাতে খুব একটা যোগ দেননি পেপ গার্দিওলা। দ্রুতই আবেগের দরজায় খিল এঁটে দিয়েছেন। তাঁর মাথাতেও ঘুরছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। খুব সংক্ষেপে নিজের প্রতিক্রিয়া সারলেন, ‘লিগ শিরোপা জেতা সব সময়ই কঠিন ছিল। এবারেরটিও জিততে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এখন আমরা মুহূর্তটা উপভোগ করতেই পারি। এরপর আমাদের সবচেয়ে সুন্দর খেলাটি—চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’গত দশ বছরে এটি বার্সার পঞ্চম লিগ শিরোপা। তার চেয়েও বড় কথা, ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম টানা তিনটি শিরোপা জিতল তারা। সেবার ১৯৯১-১৯৯৪ পর্যন্ত টানা চারটি লিগ জিতেছিল ইয়োহান ক্রুইফের ‘ড্রিম টিম’। গার্দিওলার ‘ড্রিম টিমে’র সামনে এখন সেই সম্ভাবনার হাতছানি। এএফপি, রয়টার্স।
null
78c0832b4f
অনুমতি না নিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কাগজপত্র ফটোকপি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সহকারী নথি সংরক্ষক (রেকর্ডকিপার) এস এম শাহজাহান। গতকাল রোববার তাঁকে আদালতপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
null
nmi478bmd4
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকায় তুলার গুদামে লাগা আগুন সাড়ে ছয় ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহার করায় ঘটনাস্থলে আশপাশে থাকা সব জলাশয়ের পানি শেষ হয়ে গেছে। ফলে আধা কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে আগুন নির্বাপণের কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্র জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিরা এলাকায় নেমসন কনটেইনার ডিপোর বাইরে ওই তুলার গুদামে আগুন লাগে। শুরুতেই গুদামের পাশে থাকা খালের পানি দিয়ে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করেছিল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এরপর ঘটনাস্থলের পাশে থাকা নেমসন কনটেইনার ডিপোর ভেতরে জলাধার থেকে পানি ছিটাতে থাকে। এই দুটি উৎসর পানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসকে পানির উৎস খুঁজতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। এর মধ্যে একাধিক গাড়ি দিয়ে অন্তত আধা কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে তুলার গুদামে আগুনে পানি ছিটাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপপরিচালক আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, এমনিতে তুলা দাহ্য পদার্থ। তুলায় আগুন লাগলে মুহূর্তে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তার ওপর পানির সংকট। পানির সংকুলান করতে তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে থাকা দুটি পুকুর থেকে পানি আনছেন। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এখন আগুনের তীব্রতা আগের থেকে কিছুটা কমেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গুদামটিতে এল আকৃতির একটি ভবন রয়েছে। ভবনের দ্বিতীয়তলা টিনের চাল। এর বাইরে পুরো গুদামটি সাধারণ টিন দিয়ে করা। সাইরেন বাজিয়ে গাড়ি ভর্তি করে পানি আনছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর গাড়ি করে আনা পানি ছিটাচ্ছে। উৎসুক জনতা দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন। কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, খালে অল্প পরিমাণ পানি ছিল। তাঁরা পানির পাম্প লাগানোর কিছুক্ষণের মধ্যে পানি কমে এলে স্থানীয় লোকজন মাছ ধরতে নেমে যান। এতে পানি ঘোলা হয়ে যায়। পরে তাঁরা একাধিক স্থানে পাম্প নিয়ে গিয়ে পানি ছিটিয়েছেন। এতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েন তাঁরা। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গুদামটির মালিক এসএল স্টিল করপোরেশনের মালিক লোকমান হোসেন। তিনি গুদামটি ভাড়া দিয়েছেন ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড নামে একটি সুতা তৈরির কারখানায় কর্তৃপক্ষের কাছে। তুলাগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, তুলা যেখানে গুদামজাত করা ছিল তার পাশেই ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছিল গুদাম মালিক লোকমান হোসেনের লোকজন। সেখানে ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের স্ফুলিঙ্গ উড়ে এসে তুলার মধ্যে পড়ে। এতে আগুন ধরে যায়। বিষয়টি আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।’ সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এমনিতেই অতিরিক্ত তাপে তুলায় আগুন ধরার আশঙ্কা থাকে। তার ওপর গুদামটি সাধারণ টিন দিয়ে করা। এখন শোনা যাচ্ছে সেখানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার কারণে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এখানে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি আছে।
null
369bcb2164
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করবে পাকিস্তান। ওদিকে ২০২৩ সালে ভারতে হবে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যে বছর যে সংস্করণের বিশ্বকাপ হবে, বিশ্বকাপের আগের এশিয়া কাপ একই সংস্করণে করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া আছে। গতকাল সোমবার এ নিয়েই কথা বলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রমিজ রাজা। আলোচনার একপর্যায়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বৈশ্বিক বা মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় যতই দেখা হোক না কেন, এখনই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন করার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এখনো অনেক কাজ করা বাকি। সম্পর্ক উন্নয়নের আগে দুই দেশের মধ্যে সিরিজ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না পিসিবি চেয়ারম্যান। সম্প্রতি দুবাইতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) এক সভায় অংশ নেন রমিজ রাজা। সেখানে পরবর্তী এশিয়া কাপের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। সভা শেষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী এবং সচিব জয় শাহের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। সে বৈঠকের সূত্র ধরেই হতাশার খবরটা জানান রমিজ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার ক্রিকেটীয় সম্পর্ক আবারও পুনরুজ্জীবিত করতে আমাদের এখনো অনেক কাজ করতে হবে। দুই বোর্ডের মধ্যকার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ আরও বাড়াতে হবে। তারপর দেখতে হবে আমরা কীভাবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারি। সব মিলিয়ে আমরা একটি ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি।’ বৈঠক শেষে পরবর্তী এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে পিসিবির ওয়েবসাইটে কথা বলার সময় তাঁকে বেশ উচ্ছ্বসিতই মনে হয়, ‘পরবর্তী এশিয়া কাপ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আয়োজিত হবে, এবং এটি আয়োজন করবে পাকিস্তান। যেহেতু ২০২৩ সালের নভেম্বরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে তাই এশিয়া কাপও একই ফরম্যাটে হবে, ফলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বিশ্বকাপের সঙ্গে ভালোভাবেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।’ পরবর্তী এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। তবে বর্তমানে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনা করলে ভারতের পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ফলে টুর্নামেন্টের ভেন্যু যদি ২০১৮ সালের মতো আবার দুবাইতে নিয়ে যায়, তাহলেও বিস্ময়ের কিছু নেই। এ বিষয়ে রমিজ রাজাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁকে বেশ আশাবাদী শোনায়, ‘আমি এশিয়া কাপ পাকিস্তানে আয়োজন করার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী এবং আমি এ বিষয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী যে খুব ভালোভাবেই আমরা সেটা আয়োজন করতে পারব। কারণ, সমর্থকেরা আমাদের কাছ থেকে এটাই আশা করেন।’ রমিজ রাজা অবশ্য স্বীকার করেছেন ভারতের মতো শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ডকে কোনো বিষয়ে বাধ্য করতে পারবে না এসিসি। ফলে এশিয়া কাপ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা যেন সফল না হয়, সে ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক করেছেন পিসিবি প্রধান, ‘সবাইকে সংগঠিত করার উদ্দেশ্যেই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের জন্ম হয়েছিল। যেকোনো পরিস্থিতিতে সবার একই সুরে কথা বলাই ছিল কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য। আমি পিসিবির সঙ্গে এসিসি এবং অন্যান্য বোর্ডগুলোর ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই, যেন সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। ফলে কোনো দল যদি এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে চায়, তাহলে এসিসি যেন শক্ত হাতে পরিস্থিতির সামাল দিতে পারে। ভবিষ্যতে ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এসিসি এ দর্শন অনুসরণ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ ২০২৩ সালের আগে আগামী বছর আরেকটি এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি, ‘আগামী এশিয়া কাপটি আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা। যেহেতু ২০২২ সালে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, তাই আগামী বছরের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হবে।’
7,902
55cf158b32
এ ম্যাচটিকে বলা হচ্ছিল আবাহনীর লিগ দৌড়ে টিকে থাকার লড়াই। সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই বিধ্বস্ত আকাশি নীলরা। প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের আগুনে আজ রীতিমতো পুড়ে গেল আবাহনী। বসুন্ধরা কিংসের কাছে আজ ৪-১ গোলে হেরেছে আবাহনী। বসুন্ধরার হয়ে জোড়া গোল করেছেন রাউল বেসেরা। ১টি করে গোল করেছেন জোনাথন ফার্নান্দেজ ও খালেদ শাফি। আবাহনীর গোলটি কারভেন্স বেলফোর্টের। প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরার কাছে এটাই আবাহনীর সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। আর এ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট ও লিগ মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে বসুন্ধরার কাছে হারল ধানমন্ডির দলটি। ম্যাচের ২৫ মিনিটেই দুটো হাস্যকর গোল খেয়ে বসে আবাহনী! ১৮ মিনিটে রবিনিওর দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট সাইড পোস্টে লেগে ফেরে। ফিরতি বল থেকে রাউল বেসেরা করেন ১-০। ২৫ মিনিটে রবসনের কর্নার থেকে ব্যাক হিলে খালেদ শাফি যে শট নেন, সেটা প্রথম দফায় ধরতে পারেননি শহীদুল আলম। পরে ফিরিয়েছেন কিন্তু এর আগেই গোললাইন অতিক্রম করায় রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেন। ৪৩ মিনিটে জুয়েল রানার ক্রস থেকে পা ছোঁয়াতে পারলেন না ফ্রান্সেসকো তোরেস। না হলে ব্যবধান কমিয়ে নিতে পারত আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার বসুন্ধরার দাপট। ৫০ মিনিটে রাউল বেসেরার বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে জোনাথন ঠান্ডা মাথায় করলেন ৩-০। এরপর ৭৫ মিনিটে জোনাথনের দারুণ এক ক্রস থেকে হেডে রাউল বেসেরা করেন ৪-০। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে একটা গোল শোধ করেন বেলফোর্ট। বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে আবাহনীর বড় পার্থক্য বিদেশিতে। বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান রবিনিও, জোনাথনদের কাছে অনেক পিছিয়ে আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফ্রান্সিসকো তোরেস, রাফায়েল অগুস্তোরা। বসুন্ধরার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার রাউল আর ডিফেন্ডার খালেদ শাফির সঙ্গেও মাঠের লড়াইয়ে পিছিয়ে আবাহনীর কারভেন্স বেলফোর্ট ও মাসিহ সাইগানি। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে তো আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস বলেই দিলেন, ‘রবিনিও ইউরোপের লিগে খেলার মতো ফুটবলার। ও একাই যে কোনো ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’ একে তো আবাহনী দলে চোটজর্জর অবস্থা। এর ওপর তাদের রিজার্ভ বেঞ্চও নড়বড়ে। চোটের কারণে মৌসুম শেষ নাবিব নেওয়াজের। চোটের জন্য আজ খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার রায়হান হাসান। বেলফোর্ট তো কাল অনুশীলনই করেননি। পুরো ফিট যে ছিলেন না এই হাইতির ফরোয়ার্ড ম্যাচে, সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। এর সঙ্গে ভাগ্যটাও যেন পক্ষে ছিল না বেলফোর্টের। গোটা দুই শট ক্রসবারে লেগে ফিরেছে! এই জয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেল বসুন্ধরা কিংস। ১২ ম্যাচে ১১ জয় ১ ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট তাদের। আর ১১ ম্যাচে ৬ জয় ও ৪ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আবাহনী। তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাটাও অনেকটা ক্ষীণ হয়ে গেল এই হারে।
4,218
544a96a5a9
নেইমারের বার্সেলোনায় আসা-না আসা নিয়ে নাটক কম হচ্ছে না। মুখ ফুটে না বললেও, নিজের কাজকর্মে নেইমার বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বার্সেলোনায় ফিরে আসতে চান। কিন্তু এমন জটিল একটা দলবদল করতে চাইলে নেইমারকে নিজেই উদ্যোগী হয়ে কিছু বলতে হবে। না হয় লাভ হবে না। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে নেইমারের কথা বলার এখনই সময়—বলেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। পিকে নিজেও জানেন, নেইমারকে বার্সায় আনার ব্যাপারটা সহজ হবে না, ‘আসলে ব্যাপারটা (নেইমারের দলবদল) অনেক জটিল। সে পিএসজির খেলোয়াড়।’ এ জটিলতা কাটাতে নেইমারকেই উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেছেন পিকে, ‘আমি অনেক খুশি হব যদি ও আবারও বার্সেলোনায় ফিরে আসে। কিন্তু বার্সায় ও আসতে চায় কি না, এ ব্যাপারটা ওকেই মুখ ফুটে বলতে হবে। হ্যাঁ এটা সত্যি আমাদের সঙ্গে ওর নিয়মিত কথা হয়। কিন্তু আমাদের ব্যক্তিগত কথাবার্তা সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করতে চাই না। ওকে নিজেই বলতে হবে ও কি চায়। না হয় লাভ হবে না।’ খেলোয়াড় হিসেবে নেইমারের যোগ্যতা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই পিকের, ‘মাঠের ভেতরে ও বাইরে ও অসাধারণ। ও একজন তারকা। ও একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় যে বার্সেলোনার ড্রেসিং রুম, ক্লাব ও শহরটিকে অনেক ভালো জানে। তবে এটাও মানতে হবে ও যদি পিএসজি ছেড়ে আবারও এখানে আসতে চায় এটা অনেক জটিল একটা দলবদল হবে, আর এ জটিলতা কাটাতে ওকেই এগিয়ে আসতে হবে। ওকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ এদিকে প্রিয় বন্ধু নেইমারকে নিয়ে পিকের বলা এ কথাগুলো আবার বার্সেলোনা তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে গুঞ্জন বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণত কোনো ক্লাব কোনো খেলোয়াড়কে কিনতে চাইলে সংবাদমাধ্যম তা নিয়ে সরব থাকলেও সেই ক্লাবটি নিজ থেকে কিছু বলে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত খেলোয়াড়টি দলে আসছেন। তাই নেইমারের দলবদল নিয়ে পিকের বলা এসব কথা যেন আগুনে আরেকটু ঘি ঢেলে দিল!
null
5580f77f2d
১০ বছর আগে ফিরে যাওয়া যাক। মুহাম্মদ ফারুক খান তখন বাণিজ্যমন্ত্রী। ভারতের সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সদস্য মনিশংকর আয়ারের নেতৃত্বাধীন ৩১ সদস্যের এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল এল ঢাকায়। উদ্দেশ্য, সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করা। বাণিজ্যবাধা দূর করার সেই আলোচনা এখনো চলছে। সে অনুযায়ী গতকাল সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। সেখানেও উঠল বাণিজ্যবাধা দূর করার কথা।বৈঠক সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে মন্ত্রী ও হাইকমিশনার একমত পোষণ করেছেন। উভয়ের বক্তব্যের প্রায় একই সুর। সেটা হচ্ছে, আন্তরিকতার সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারত। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভালো। বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাধাগুলো দূর করতে হবে। অশুল্ক বাধাগুলো দূর করার বিষয়ে আলোচনা করা যায়। সীমান্তে শুল্ক ব্যবস্থাপনার উন্নতি করেও তা সম্ভব। রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ জন্য উভয় দেশকে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবেই এত দিন তা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন করে আলোচনা শুরুর সুযোগ এসেছে। এখন সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রীর মতো প্রায় একই ভাষায় কথা বলেন রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যা দূর করা সম্ভব। রামগড় সীমান্তে সেতু নির্মাণের ফলে উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এখানে শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করা যায়। এতে ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতে ১৯ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য। এই বাণিজ্য ১০ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
1,866
588efa0402
আমাদের দেশে গণিত অলিম্পিয়াডের আন্দোলন, গণিত উৎসব একটি অত্যন্ত সফল উদ্যোগ। শুরু থেকেই যুক্ত থাকার সুবাদে আমার অহংকারের সীমা নেই। কতগুলো অত্যন্ত জরুরি উপাদানের সমন্বয় ঘটায় এই আন্দোলন বেগবান হয়। অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপস্থিতি, মুনির হাসানের মতো উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী কর্মী, প্রথম আলো–ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রজ্ঞা ও নেতৃত্ব, আমাদের শিশু–কিশোরের সীমাহীন উৎসাহ, ততোধিক উৎসাহের অভিভাবক এবং সর্বোপরি বিদেশে বড় হওয়া অগাধ দেশপ্রেমে উদ্ভাসিত ড. মাহবুব মজুমদার। এই আন্দোলন যে এতটা জনপ্রিয় হবে তা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি। আর এত দ্রুত যে বহুমাত্রিক সাফল্য আসবে তা–ও আমাদের স্বপ্ন ছাড়িয়ে গেছে। গণিত অলিম্পিয়াড থেকে নানা রঙের অনেক পদক এখন বাংলাদেশের ঝুলিতে। এই অলিম্পিয়াড করে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই আমাদের ছেলেমেয়েরা বিশ্বখ্যাত এমআইটি, হার্ভার্ড, ক্যালটেক, কেমব্রিজে আমাদের দেশের পতাকা ওড়াচ্ছে ড. মাহবুব মজুমদারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও উপদেশে। সারা দেশে আয়োজিত হচ্ছে আঞ্চলিক গণিত প্রতিযোগিতা, যাতে ছাত্রদের থেকে অভিভাবক ও অন্যান্য উৎসাহী মানুষের অংশগ্রহণ কম নয়। দেশ হিসেবে আমরা র‍্যাংকিংয়ে বেশ এগিয়ে। ২০১৫ সালে আমরা দল হিসেবে ভারতকে পেছনে ফেলেছিলাম। ২০১৬ সালেও আমরা তাদের সঙ্গে সমান তালে চলেছি। গণিত অলিম্পিয়াডকে কেন্দ্র করে যেসব লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক, ফিল্ডস মেডাল ও নোবেল পুরস্কার—সেই স্বপ্ন যে বাস্তবায়ন হবে তার সম্ভাবনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গণিত অলিম্পিয়াডের স্বেচ্ছাসেবীরা এই আন্দোলনকে প্রশংসনীয় দ্রুততায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞানভিত্তিক সমাজে একমাত্র উদ্বৃত্ত জনসংখ্যার দেশে গণিত অলিম্পিয়াডের পাশাপাশি অন্যান্য অলিম্পিয়াডের সূচনায় বাংলাদেশ দক্ষ মানবসম্পদের ওপর ভর করে সমৃদ্ধি অর্জন করবে তা আমাদের সবার কামনা। সদস্য, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি
null
3d4eb77874
পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের আন্ধারমানিক নদের ওপর নির্মিত শেখ কামাল ও সোনাতলা নদীর ওপর নির্মিত শেখ জামাল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলেও সেতু দুটি যান চলাচলের জন্য খোলা হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণসহ কুয়াকাটায় আসা পর্যটকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর বলেন, আন্ধারমানিক নদের কলাপাড়া-নীলগঞ্জ পয়েন্টে শেখ কামাল সেতু নির্মিত হয়েছে। এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৮৯১ দশমিক ৭৬ মিটার। গত বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। একই সড়কের হাজীপুর-পুরান মহিপুর পয়েন্টে শেখ জামাল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে। এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৮২ মিটার। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য সেতু দুটি যানবাহন চলাচলের জন্য এখনো খোলা হয়নি।সরেজমিনে জানা গেছে, পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় দুই মাস ধরে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসছেন। এ সড়কের কলাপাড়া-নীলগঞ্জ ও হাজীপুর-পুরান মহিপুর পয়েন্টের ফেরি পারাপার পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির অন্যতম কারণ। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটকদের সারা পথ পার হয়ে এসে কলাপাড়া ও হাজীপুর পয়েন্টে ফেরি পারাপারের জন্য এখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে সারা রাত ওই দুটি পয়েন্টে ফেরির জন্য আটকে থাকেন। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার পর্যটকবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি ছিল এসব ফেরিঘাটে।ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মাহমুদ ইকবাল বলেন, ‘পরিবারের সাতজন সদস্য নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। শেষরাতে কলাপাড়া ফেরিঘাটে প্রথমে আটকা পড়ি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর এখান থেকে ফেরি পার হতে পারলেও আবার হাজীপুর পয়েন্টে গিয়ে দুই ঘণ্টা আটকা পড়ি। মানুষ কতক্ষণ কষ্ট করতে পারে।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সেতু না থাকলে একটা কথা ছিল। অথচ সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু তা খুলে না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘কী কারণে যানবাহন চলাচলসহ জনসাধারণের জন্য সেতু দুটি খুলে দেওয়া হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না। তবে আমাদের দাবি, পর্যটন মৌসুমে কুয়াকাটার কথা বিবেচনা করে হলেও দ্রুত সেতু দুটি চালু করা হোক।’পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ হওয়ার খবর চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। কবে নাগাদ এ দুটি সেতু খুলে দেওয়া হবে, তা আমরা বলতে পারছি না।’
null
77f048013c
জাতীয় চিত্রশালায় প্রবেশমুখে দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মোটিভ-সংবলিত নানা দেশের চিত্রকর্ম। নিচে ছোট্ট করে আঁকা দেশটির পতাকা। উৎসবের জন্য মাঠে প্রস্তুত হচ্ছে মঞ্চ। আজ সকালে উদ্বোধন হবে ১৬তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। শেষ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তখনো দেয়ালে রঙের প্রলেপ দিচ্ছিলেন নির্মাণশ্রমিকেরা। ফুলের টবগুলো আর দেয়ালের গা ঘেঁষে ফুলের গাছগুলোর পাশের ইটে চলছে রং চড়ানোর কাজ।চিত্রশালায় ঢোকার মুখে শিল্পকর্ম নিয়ে কয়েকজন বিশ্বখ্যাত চিত্রকরের মন্তব্য চোখে পড়বে। একটিতে পাবলো পিকাসো বলেছেন, ‘যা কিছু কল্পনা করা যায়, তা-ই বাস্তব।’ ধীরে ধীরে ভেতরে গিয়ে দেখা গেল, অতিকায় সব বাক্স সারিবদ্ধভাবে রাখা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিল্পকর্ম এসেছে ওগুলোতে করে। মনে হলো, সবগুলো গ্যালারি এখনো সাজানো শেষ হয়নি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজকেরা এতটাই ব্যস্ত যে কথা বলা তো দূরের কথা, দম ফেলার সময় নেই তাঁদের।দ্বিতীয় তলায় চোখে পড়ল একটি কাফনে মোড়া লাশ, তার সামনে টাকা ভর্তি বাটি। বাটিটা সামনে রেখে থমকে গেছে আরেকটি মূর্তি। শুরুতে ভড়কে যেতে পারেন যে কেউ। ধীরে ধীরে এগুলোর সঙ্গে মিশে যেতে থাকবেন দর্শক। দেখা হবে মেঝেতে একটি আয়না, যেন কুয়া। কুয়ার ভেতরে যেন ভেসে আছে অনেকগুলো মানুষের মৃতদেহ। ঠিক তখনই চোখ চলে যাবে ছাদে, ফাইবার দিয়ে ঝোলানো কতগুলো মানুষের অবয়বে।তৃতীয় তলায় রঙের ছড়াছড়ি। জীবন ও স্বপ্নের এমন কোনো রং নেই যা এখানে মিলবে না। এর মধ্যে ইরানি একজন শিল্পীর ভাস্কর্যে চোখ আটকে যায়। ধাতব একটি গাভীকে দেখা যায় একজন মানবীর স্তন্যপান করতে। মনে পড়ে যায় পাবলো পিকাসোর উক্তিটি, ‘যা কিছু কল্পনা করা যায়, তা-ই বাস্তব।’শিল্পকর্মগুলো আছে আপনারই অপেক্ষায়। আপনি যাচ্ছেন তো আজ শিল্পকলার চিত্রশালায়?
null
6a5420c150
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৭৩৩ জন আসামির মধ্যে ৭২৩ জনের সাজা হয়েছে। এ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন ১০ জন। ৬৪ জনকে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার পিলখানার দরবার হলের এজলাসে বিশেষ আদালত-৯-এর সভাপতি কর্নেল এহিয়া আজম খান এ রায় ঘোষণা করেন। এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিডিআর বিদ্রোহ হয়। ওই বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআর আইনে দায়ের করা ৫৭টি মামলায় ছয় হাজার ৪১ জনকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচ ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। পিলখানা বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যা-লুণ্ঠন-অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ঢাকার জজ আদালতে ফৌজদারি বিচার চলছে। ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন নিহত হন।
null
2249bddce9
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারএকুশের অনুষ্ঠান। আয়োজন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। বিকেল সাড়ে চারটায়।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ব্যাতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর নাটক পাখি। মনোজ মিত্রের লেখা থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম। স্টুডিও থিয়েটারে, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। সুবর্ণ জয়ন্তী চলচ্চিত্র উৎসব। আজ বেলা তিনটায় বাইসাইকেল থিফ (ভিত্তরিও ডি-সিকা), বিকেল পাঁচটায় এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী (বাদল রহমান) এবং সন্ধ্যা সাতটায় রাণী কুঠির বাকি ইতিহাস (সামিয়া জামান)। জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে।ঢাকা আর্ট সেন্টার, ধানমন্ডিকিবরিয়া ছাপচিত্র মেলা। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।শিল্পাঙ্গণ, ধানমন্ডিপ্রশান্ত কর্মকারের চিত্রকর্মের প্রদর্শনী ‘বুক অ্যান্ড হেরিটেজ’। চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।বেঙ্গল শিল্পালয়, ধানমন্ডিসঞ্জীব দত্তের চিত্রকলা প্রদর্শনী ‘যে জীবন ফরিঙের’। চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডঅগ্নি ও ভালোবাসার লাল গোলাপ। বেলা সাড়ে ১২টা, সাড়ে তিনটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত নয়টায়।ব্লকবাস্টার সিনেমাস অগ্নি: বেলা সাড়ে ১২টা, তিনটা ৪০ ও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। আকাশ কত দূরে: বেলা সাড়ে ১২টা, তিনটা ১০ ও বিকেল পাঁচটা ৫০ মিনিটে। গ্র্যাভিটি: বেলা সাড়ে ১২টা, তিনটা, বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। ফোরটি সেভেন রনিন: বেলা সাড়ে ১২টা, আড়াইটা, তিনটা, বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা সাতটায়। ক্যাপ্টেন ফিলিপস: বেলা দুইটা ও সন্ধ্যা ছয়টায়। এলিসিয়াম: বিকেল চারটা ৪০ ও সন্ধ্যা সাতটায়।
null
423d340b1a
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অচলাবস্থার নয় দিনের মাথায় আজ শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাইলটরা। রাত ১০টায় পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন এম এ বাসেত মাহতাব প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।বিশেষ ব্যবস্থায় কয়েকটি ফ্লাইট: পাইলটদের কর্মবিরতির কারণে বিমান কর্তৃপক্ষ আজ শুক্র ও কাল শনিবার হজ ফ্লাইট ছাড়া সব ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিলেও বিশেষ ব্যবস্থায় কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) খান মোশাররফ হোসেন জানান, আজ সকাল নয়টায় ২৫২ জন যাত্রীসহ সিঙ্গাপুর ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়। একই উড়োজাহাজ ওই দেশের সময় বিকেল সাড়ে চারটায় ফিরতি ফ্লাইট নিয়ে সিঙ্গাপুর ছাড়ে।বেলা পৌনে তিনটায় ঢাকা-কলকাতা ও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা-সিলেট ফ্লাইট চালানো হয়। রাত সাড়ে ১০টায় জেদ্দা, সোয়া ১২টায় রিয়াদ ফ্লাইট এবং কাল শনিবার সকাল সোয়া আটটায় ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইট যাওয়ার কথা রয়েছে।বিভিন্ন গন্তব্যে আটকে পড়া যাত্রীদের কথা বিবেচনায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থায় ফ্লাইটগুলো চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিমান সূত্র জানায়। বিদেশি পাইলট দিয়ে ভাড়া করা উড়োজাহাজে এবং বিমানের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে বিভিন্ন পদে কর্মরত পাইলটদের দিয়ে এসব ফ্লাইট চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।প্রসঙ্গত, বিমানের পাইলটদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৬২ বছর করাকে কেন্দ্র করে সংকটের শুরু। বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে পাইলটদের সংগঠন বাপা ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় বিমান কর্তৃপক্ষকে। পরদিন বিকেল পাঁচটা থেকে বৈমানিকদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুরু হয়।চুক্তি অনুযায়ী বিমানের প্রত্যেক পাইলটকে মাসে ৭০ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনা করতে হয়। আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা চুক্তির বাইরে বাড়তি দায়িত্ব পালন না করার ঘোষণা দেন। ২২ অক্টোবর থেকে এই কর্মসূচি শুরুর পরপরই বিমানের ফ্লাইট সূচিতে বিপর্যয় শুরু হয়।
null
4593786b69
ফারুক চৌধুরী নামে মানুষটির কীভাবে বর্ণনা দেওয়া সম্ভব? দীর্ঘ পেশাদার জীবন কাটানো সফল একজন কূটনীতিক। ১৯৫৬ সালে, পাকিস্তান আমলে, যোগ দিয়েছিলেন পররাষ্ট্র দপ্তরে। পরাধীনতার সেই যুগ থেকে স্বাধীনতার যুগে এসে, ১৯৯২ সালে, শেষ হয় তাঁর কূটনীতিক জীবন। মাঝখানের এই ৩৬ বছর বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং কখনো কখনো স্পর্শকাতর দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে তাঁকে। কর্মব্যস্ত জীবন কাটিয়েছেন ইতালি, চীন, নেদারল্যান্ডস, আলজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে দেশের মুখপাত্র হয়ে গেছেন আবুধাবি, বেলজিয়াম ও ভারতে। ১৯৮৪ সালে উঠেছিলেন পেশার সর্বোচ্চ চূড়ায়, হয়েছিলেন পররাষ্ট্রসচিব। কিন্তু কর্মজীবনের এই তালিকায় ফারুক চৌধুরী কোথায়? অবিভক্ত ভারতে, আজকের বাংলাদেশের সীমানার ওপারে, আসামের করিমগঞ্জে ফারুক চৌধুরীর জন্ম হয়েছিল—তাঁর ভাষায় রাজা ‘পঞ্চম জর্জের অনুগত প্রজা হিসেবে’। দিনটি ছিল ১৯৩৪ সালের ৪ জানুয়ারি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে-পরে আসাম ও সিলেটে স্কুল বদল করেছেন পাঁচবার। এরপর ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতক। পড়াশোনা শেষ করার পরপরই সুপিরিয়র সার্ভিসে পরীক্ষা দিয়ে ঢুকে গেলেন আমলা-জীবনে। এও নিছক এক জীবনপঞ্জি। ফারুক চৌধুরীর মূল পরিচয় সম্ভবত এই যে তিনি ছিলেন একজন রসগ্রাহী। জীবনকে তিনি উপভোগ করেছেন নানা দিক থেকে। আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গ, সাহিত্যের সজীব ভুবন, দেশে দেশে বিচরণ এবং বিশ্বজুড়ে ছড়ানো অভূতপূর্ব খাদ্যের আস্বাদে। এই অভিজ্ঞতা তাঁর ব্যক্তিত্বকে স্নিগ্ধ ও উজ্জ্বল করে তুলেছিল। স্নিগ্ধতা ও রসবোধ তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষদের গভীরভাবে স্পর্শ করত। নির্মল রসবোধে বিষণ্ন মুহূর্তও তিনি লঘু করে তুলতে পারতেন। যেকোনো মানুষকে কাছে টেনে আনতে এবং অন্তরঙ্গ সম্পর্কে বেঁধে ফেলতে তাঁর জুড়ি ছিল না। দেশে-বিদেশে ও বিচিত্র ক্ষেত্রে ছড়ানো বন্ধুদের সঙ্গে এক নিবিড় সম্পর্কের মধ্য দিয়ে তিনি জীবন পার করেছেন। জীবনকে বিস্তৃত পরিসরে দেখার ও বরণ করার মনটি তিনি পেয়েছিলেন উপমহাদেশের উত্থান-পতনময় ইতিহাস ও পেশাজীবনে বিচিত্র লোকের সান্নিধ্য থেকে। নিজের জীবনের পটভূমি রচনা করতে গিয়েজীবনের বালুকাবেলায়নামে আত্মস্মৃতিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের ইতিহাসের একটি অসাধারণ এবং রোমাঞ্চকর অধ্যায়েই জীবন কাটিয়েছি—তিন পতাকার নিচে; অবিভক্ত ভারত থেকে পাকিস্তান আর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে। পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতায়।’ তাঁর কৈশোরবেলা থেকে পেশাজীবনের সমাপ্তি পর্যন্ত এ উপমহাদেশের ইতিহাসের ওপর দিয়ে কী ঝঞ্ঝামুখর ঝোড়ো হাওয়াই না বয়ে গেল। বিলয় ঘটল ব্রিটিশ উপনিবেশের, পাকিস্তান থেকে অভ্যুদয় হলো নবীন স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। রাজনীতির বহু নায়ক পরিণত হলো খলনায়কে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন বহু রাষ্ট্রনায়ক। এ রকম বহু ঘটনা তিনি দেখেছেন বেশ কাছ থেকে। দেখেছেন ঘটনার কুশীলবদের। দেশে-বিদেশে বড় বড় মানুষের ছক কাটা চেহারার আড়ালে দেখেছেন তাঁদের চকিত মানবিক মুহূর্ত। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের ধর্মান্তরিত স্ত্রী রানা লিয়াকতের উদারতা ও শেষ জীবনের নিঃসঙ্গ বিষণ্নতা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি বুমেদিয়ানের দক্ষতা, বেলজিয়ামের রাজা বঁদোয়াকে রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ করার সময়কার হাস্যপরিহাসময় ঘটনা, প্রিন্স চার্লসের হাস্যরস, মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর উপস্থিত বুদ্ধি, ঢাকার সার্ক সম্মেলনে কাশ্মীরের বিতর্কিত সীমান্তচিহ্নিত ডাকটিকিট নিয়ে রাজীব গান্ধী-জিয়াউল হককে নিয়ে উত্তেজনাময় প্রহর—এমন অসংখ্য ঘটনার অন্তরঙ্গ অভিজ্ঞতা তাঁর অভিজ্ঞতাকে অনন্য মাত্রা দিয়েছে। কিন্তু ঘটনার ভালোমন্দ ছাপিয়ে বেশির ভাগ সময় তিনি বুঝতে চেয়েছেন তাঁদের মানুষী সত্তা। ফারুক চৌধুরীর বড় গুণ ছিল তাঁর ইতিবাচক মন। সেখানে তিক্ততা ছিল না। রাজনীতির নায়ক বা খলনায়ক যাঁর প্রসঙ্গেই তিনি উত্থাপন করুন না কেন, প্রথমেই তাঁকে ভালো বা মন্দের সাদায়-কালোর খোপের দিকে তাঁকে ঠেলে দিতেন না। ইতিহাসের চরিত্র হিসেবে ইতিহাসের পটে রেখে তিনি তাঁদের বিচার করতেন। কিন্তু ব্যক্তিগত সাহচর্যে নামিয়ে আনতেন মানুষের বৃত্তে। তাঁর প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছত্র ধার করে বলতে হয়, তাঁর জীবনের মর্মবাণী ছিল, ‘যা দেখেছি, যা পেয়েছি, তুলনা তার নাই।’ মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় তিনি দিল্লিতে। বঙ্গবন্ধুর ভারত আগমন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ঐতিহাসিক ঘটনার তিনি নিকটতম সাক্ষী। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঢাকার যাত্রাপথে তাঁর সহযাত্রী হওয়ার সুযোগও ঘটেছিল। ফারুক চৌধুরী বিবেচনায় এই পুরো ঘটনা ছিল তাঁর কূটনীতিক জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা। সে স্মৃতি তিনি নানাভাবে লিখেছেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ তখনো মুজিবশূন্য। তিনি তখনো পাকিস্তানি কারাগারে অন্তরীণ। কবে মুক্তি পাবেন, তা অনিশ্চিত। পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক মত গড়ে তুলতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে ভারত সফরে গিয়েছেন তাঁরা। ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের সময় অকস্মাৎ সম্মেলন কক্ষের দরজাটি সশব্দে খুলে ভেতরে ঢুকলেন ভারতীয় কূটনীতিক জে এন দীক্ষিত। উত্তেজিত কণ্ঠে জানালেন, এইমাত্র খবর এসেছে, বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেয়েছেন। অবশেষে ব্রিটিশ বিমানে করে সে সময়ের ইতিহাসের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান এসে নামলেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২। ফারুক চৌধুরী আবেগময় ভাষায় দিয়েছেন সে মুহূর্তের অভূতপূর্ব বর্ণনা: ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রুপালি কমেট বিমান। ধীরে ধীরে এসে সশব্দে সুস্থির। তারপর শব্দহীন কর্ণভেদী নীরবতা। সিঁড়ি লাগল। খুলে গেল দ্বার। দাঁড়িয়ে সহাস্যে, সুদর্শন, দীর্ঘকায়, ঋজু, নবীন দেশের রাষ্ট্রপতি। অকস্মাৎ এক নির্বাক জনতার ভাষাহীন জোয়ারের মুখোমুখি। সুউচ্চ কণ্ঠে উচ্চারণ করলেন তিনি আবেগের বাঁধভাঙা দুটি শব্দ। ‘জয় বাংলা’। করতালি, উল্লাস, আলিঙ্গন, তারপর আবেগের অশ্রুতে ঝাপসা স্মৃতি। রাষ্ট্রপতি গিরি, ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের মন্ত্রিসভার সদস্য, কূটনীতিবিদ, শত শত সাংবাদিক। ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, টেলিভিশন। অদূরে ক্যান্টনমেন্টের জনবহুল জনসভা। আন্তরিক অভ্যর্থনায় রাস্তার দুপাশের জনতা।...স্বাধীনতা-উত্তর অভিজ্ঞতায় এই প্রথমবারের মতো দিল্লির আকাশে-বাতাসে প্রতিধ্বনিত হলো আমাদের রাষ্ট্রপতির সম্মানে একুশটি তোপধ্বনি।’ ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি উপমহাদেশের আন্তরাষ্ট্রীয় সহযোগিতার মঞ্চ হিসেবে সার্কের প্রতিষ্ঠা ঘটে। ফারুক চৌধুরী তখন পররাষ্ট্রসচিব। সার্ক প্রতিষ্ঠার অভিজ্ঞতাটিকেও তিনি অমূল্য বলে ভাবতেন। নানা টানাপোড়েনে সার্কের সম্ভাবনা যে অর্থবহ হতে পারল না, সে নিয়ে তাঁর দুঃখবোধ ছিল। খাদ্য ছিল ফারুক চৌধুরীর অনন্য বিলাসের উপাদান। যেমন দেশি খাদ্য, তেমনই দেশ-বিদেশের।প্রথম আলোর অনুরোধে কতবার যে রান্না নিয়ে লিখেছেন। দিয়েছেন বিচিত্র সব খাদ্যের রেসিপি। কথায় তুলতেন পৃথিবীর নানা প্রান্তের খাদ্যের প্রসঙ্গ—ভুটানের কাঁচা মরিচের সঙ্গে রাঁধা ঝাল পনির; কাশ্মীরের গুজতাবা, ইয়াখনি, রোগন জোশ; বাগদাদের মাসগুফ; চীনের মাওতাই, রোমে গালিয়াজ্জি রেস্তোরাঁর মুরগির কাচ্চাতোরে এবং আরও কত কী! প্রথম আলোর সঙ্গে ফারুক চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। ওসামা বিন লাদেন ও তালেবান-শাসিত আফগানিস্তান নিয়ে উত্তেজনাকর সময়েপ্রথম আলোর হয়ে তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সাংবাদিকতার দায়িত্ব নিয়ে। সেটি পালনও করেছিলেন অসামান্য দক্ষতায়। পুরোনো বন্ধুত্বের সূত্রে তিনি অবলীলায় প্রশাসনের উচ্চমহলে পৌঁছে যেতে পেরেছিলেন। যে আনন্দ ও রঙে তিনি আমাদের ভরে দিয়ে গেছেন, তার মধ্যে ফারুক চৌধুরী বেঁচে থাকবেন। সাজ্জাদ শরিফ: কবি ও সাংবাদিক।
null
6c273bd0c6
জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুইয়া ওকাদা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। সফরকালে তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে আলোচনা করবেন।ঢাকা ও টোকিওর কূটনৈতিক সূত্রগুলো প্রথম আলোকে জানায়, ওকাদার সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বড় অবকাঠামো প্রকল্পে জাপানের সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। অন্যদিকে জাপানের পক্ষ থেকে সে দেশের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ-সহায়ক পরিবেশ তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে।ওকাদার এই সফর হবে প্রায় এক যুগে বাংলাদেশে জাপানের কোনো উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তির প্রথম সফর। এর আগে ২০০০ সালে জাপানের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিরো মোরি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকরবেন।
null
c175e2e4ef
ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে গতকাল শনিবার রাতে এ হামলা চালানো হয়। ওই দিনই সকালে গাজার দিক থেকে দুটি রকেট ছোড়া হয়েছিল; যা ভূমধ্যসাগরে তেল আবিবের উপকূলে গিয়ে পড়ে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে। তবে ওই রকেট নিজেরা ছুড়েছিল কি না, তা হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি। ফিলিস্তিনের একটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস এলাকায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী ওই বিমান হামলা চালায়। একই সময় উত্তর গাজায় হামাসের একটি পর্যবেক্ষণ ঘাঁটিতে কামানের গোলা ছোড়া হয়। এসব হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, মূলত হামাসের একটি রকেট তৈরির স্থাপনায় তারা ওই বিমান হামলা চালিয়েছে। ২০০৭ সালে গাজার শাসনক্ষমতায় আসে হামাস। এরপর থেকে এ উপত্যকায় অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত বছরের মে মাসে দুপক্ষের মধ্যে টানা ১১ দিন যুদ্ধ চলে। এতে ফিলিস্তিনে আড়াই শতাধিক ও ইসরায়েলে ১২ জনের মতো প্রাণ হারায়। ওই সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও এখনো মাঝেমধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে।
211
5f57077fc3
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকদের একটি অংশ সান্ধ্য কোর্স চালু রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষকেরা বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভায় ‘ফাইট’ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। একাডেমিক কাউন্সিলের সভা সামনে রেখে তাঁরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ও সান্ধ্য কোর্স নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভা ডেকেছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাবে কি না এবং চলমান সান্ধ্য কোর্সের ধরনে পরিবর্তন আসবে কি না। সান্ধ্য কোর্স পর্যালোচনা ও যৌক্তিকতা যাচাই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৫টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সান্ধ্য কোর্স আছে। মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট, ট্রেনিং কোর্সসহ অনিয়মিত এসব কোর্সের সংখ্যা ৬৯। এর মধ্যে ৫১টি মাস্টার্স, ৪টি ডিপ্লোমা, ৭টি সার্টিফিকেট আর ৭টি ট্রেনিং কোর্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কোর্সের বাইরে ১০৫টি ব্যাচে এসব কোর্সে বছরে ৭ হাজার ৩০২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তাঁদের ক্লাস নেন ৭২৫ জন শিক্ষক। সবচেয়ে বেশি সান্ধ্য কোর্স আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে। এই অনুষদের ৯টি বিভাগের প্রতিটিতেই সান্ধ্য কোর্স আছে। এসব কোর্সে প্রতিবছর ৪৫টি ব্যাচে ২ হাজার ৯৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। ক্লাস নেন ২৩০ জন শিক্ষক। সান্ধ্য কোর্সে বাড়তি আয়ের সুযোগ আছে। এ জন্য শিক্ষকদের অনেকেই নিয়মিতর চেয়ে সান্ধ্য কোর্সে ক্লাস নিতে বেশি আগ্রহী—এমন অভিযোগ বেশ পুরোনো। তা ছাড়া সান্ধ্য কোর্স করতে নিয়মিত কোর্সের চেয়ে বেশি অর্থ লাগে। নামমাত্র ভর্তি পরীক্ষা, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষা ছাড়াই নিয়মবহির্ভূতভাবে এসব কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা পরিষদের এই সভা সামনে রেখে গত শুক্রবার বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের একটি সভা ডাকেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবদুল মঈন। ‘উদ্বিগ্ন সহকর্মীদের পক্ষে’ ব্যানারে অনুষদের শিক্ষকদের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে এই শিক্ষক বলেছেন, ‘অনুষদের অধ্যাপক হাবীবুল্লাহ সভাকক্ষে ২৩ ফেব্রুয়ারি বেলা দুইটায় সান্ধ্য কোর্সসহ অনিয়মিত কোর্সগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সভায় আপনাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।’ অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষা পরিষদের সভায় সান্ধ্য কোর্সের পক্ষে ‘ফাইট’ দিতে শিক্ষকদের ‘ম্যানেজ’ করার উদ্দেশ্যে এই সভা ডাকা হয়েছে। অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের নির্দেশনায় এই সভা ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নীতিনির্ধারক ও শিক্ষকনেতা। বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ও সিন্ডিকেটের দুজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সান্ধ্য কোর্স বন্ধ হলে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের একক কর্তৃত্ব থাকবে না। এ ছাড়া অতিরিক্ত আয়ের কারণে অনেক শিক্ষক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। মূলত, সে কারণেই ওই ডিন ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা এটি নিয়ে সক্রিয়। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা একাডেমিক কাউন্সিলে ‘ফাইট’ দিতে চান। এ ক্ষেত্রে বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরাও বাদ যাননি। অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবদুল মঈন সভা ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সভার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে জানালে তিনি বলেন, ‘সমালোচনা হলে তো কিছু করার নেই। আমাদের যা বলার, তা আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের সভার পরে বলব।’ সভাটির বিষয়ে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ জানেন না বলে জানিয়েছেন অনুষদের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিএনপি-সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ শাখার আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘একটি যৌক্তিক জায়গা থেকেই ২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স চালু হয়েছিল। এসব কোর্সের চাহিদাও আছে। তাই বন্ধ না করে এ ক্ষেত্রে সংস্কার করা যেতে পারে। নীতিমালার আওতায় পরিচালনা করা যেতে পারে।’ জানতে চাইলে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ডাকা সভার বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলারও কিছু নেই। কে কী মনে করেন, তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।’ সান্ধ্য কোর্সের বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইএমবিএ আছে। স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন কিছুর জন্য চাকরিজীবীরা আমাদের এখানে পড়তে আসেন। এই সুযোগ বন্ধ করা ঠিক হবে না বলে আমি মনে করি। যদি বন্ধ করতেই হয়, পাবলিক ও বেসরকারি—সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই এ ধরনের কোর্স বন্ধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’
null
3ed2276ae2
খাদ্য, বস্ত্র, উপহারে উৎসব হয় বর্ণিল, হৃদয়গ্রাহী। খ্রিষ্টীয় সমাজে উপহার বিনিময় এবং সুস্বাদু খাবার বড়দিনকেন্দ্রিক উৎসবের প্রধান দুটি অনুষঙ্গ। উৎসব ঘিরে বস্ত্র এবং উপহারের যে প্রচলন সেটা নয়, বরং আজ খাদ্যের কথা হোক। এই উৎসবে হরেক পদের খাবারের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে বিশেষ স্থান দখল করে আছে একটি খাবার, তার নাম ‘ফোয়া গ্রা’। পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন, দামি ও সুস্বাদু এ খাবার বিভিন্ন ইউরোপীয় জাতির বিলাসী খাদ্যসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে সুদীর্ঘকাল ধরে। শুধু বড়দিনেই নয়, যেকোনো উৎসবে খাবার টেবিলে ফোয়া গ্রা থাকবে না, তা ভাবতে পারে না অনেকেই। বড়দিন সামনে রেখে ছোট-বড় সব বিপণিতে চকলেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফোয়া গ্রা সমানতালে উপস্থিত থাকে। বছরের এ সময়টিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় উৎসবের খাবারের অন্যতম অনুষঙ্গ এই ফোয়া গ্রা। ফরাসিতে ফোয়া (Foie) মানে কলিজা বা যকৃৎ। আর গ্রা (Gras) অর্থ হচ্ছে ফ্যাট বা চর্বি। তাহলে ফোয়া গ্রার অর্থ দাঁড়াচ্ছে চর্বিযুক্ত মোটা কলিজা। মজার বিষয় হলো ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, জাপান ও চীনের ভোজনরসিকেরা নাম না বদলিয়ে ফরাসিদের দেওয়া নাম ‘ফোয়া গ্রা’ বহাল রেখেছে।ফোয়া গ্রা আসলে অতিরিক্ত খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হাঁসের কলিজা বা যকৃৎ। বাছাইকৃত প্রজাতির রাজহাঁস এবং সাধারণ পাতিহাঁসকে নিয়মিত আকণ্ঠ খাবার গিলিয়ে এসব প্রাণীর যকৃৎ কলেবরে বৃদ্ধি এবং চর্বি সমৃদ্ধ করা হয়। জোর করে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানোর পরে ত্রাসের যকৃৎ স্বাভাবিক আকারের থেকে প্রায়ই দশ গুণ বড় হয়। ফোয়া গ্রা তৈরি করার জন্য পাতিহাঁস ও রাজহাঁসকে সাধারণত ভুট্টা খাওয়ানো হয়ে থাকে। ইতিহাসফোয়া গ্রার উৎপত্তির ইতিহাস ঘাঁটলে আমাদের ফিরে যেতে হবে আনুমানিক সাড়ে চার হাজার বছর আগে। মিসরের নীল নদের অববাহিকায় বসবাসরত প্রাচীন মানুষেরা হাঁসকে ভালো করে খাইয়ে নাদুসনুদুস বানিয়ে বেশ মজা করে চর্বিসমৃদ্ধ যকৃৎ অর্থাৎ ফ্যাটি লিভার অন্য খাবারে মাখনের মতো লাগিয়ে খেতে অভ্যস্ত ছিল। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানদের গল্প, কাহিনিতেও এমন খাবারের বর্ণনা পাওয়া যায়। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রজার কারাটিনির মতে, প্রাচীন সভ্যতায় সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রাণীদের উপাদেয় অঙ্গগুলোকে দেবতাদের জন্য উৎসর্গ করা হতো। এসব উপাদেয় অঙ্গের মধ্যে ‘ফোয়া’ অর্থাৎ যকৃৎ ছিল উল্লেখযোগ্য।ফোয়া গ্রা ও ফ্রান্সপ্রাচীন মিসর, গ্রিক ও রোমানরা এমন মজাদার খাবারের সঙ্গে পরিচিত থাকলেও ফরাসিরা এ খাবারের উপাদান এবং রন্ধনশিল্পে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। এ কারণে ফোয়া গ্রা ফরাসি খাদ্যসংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষিত। সারা পৃথিবীতে এ খাবারের মোট উৎপাদন প্রায় ২৭ হাজার টন। এর মধ্যে সিংহভাগ অর্থাৎ তিন–চতুর্থাংশ ফোয়া গ্রা ফ্রান্সেই উৎপাদিত হয়। মোট উৎপাদিত ফোয়া গ্রার মাত্র এক–চতুর্থাংশ রপ্তানি করা হয়। সোজা কথায়, ফ্রান্স হচ্ছে ফোয়া গ্রার প্রধান উৎপাদক এবং ভোক্তা দেশ। ফরাসিদের পছন্দের তালিকায় এ খাবারের অবস্থান অনেক ওপরের দিকে। আর বড়দিন উপলক্ষে খাবার টেবিলে নিঃশেষ হয় মোট উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ ফোয়া গ্রা। প্রণালিএটি তৈরি করা খুব একটা কঠিন নয়। তবে বেশ সতর্ক হতে হয় এর রান্নার ক্ষেত্রে। উজ্জ্বল বাদামি রঙের যকৃৎ থেকে যত্ন করে শিরা, উপশিরা ছাড়িয়ে পরিমাণমতো লবণ, ক্ষেত্র বিশেষে গোলমরিচ মিশিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে খাবারের উপযোগী করা হয়ে থাকে ফোয়া গ্রা। আধা সেদ্ধ করতে হলে একটি পাত্রে পানি নিয়ে ৮০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০ মিনিট আর পুরো সেদ্ধ করতে হলে একই তাপমাত্রায় ১৫ মিনিট ফোটাতে হবে। ফোয়া গ্রা পানিতে সরাসরি রাখা যাবে না। বিশেষ ধরনের কাগজের আস্তরণে বা কাপড়ে মুড়িয়ে পানিতে রাখতে হবে। তাপমাত্রা ও সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, একটু এদিক-ওদিক হয়ে গেলে সুস্বাদু এ খাবারের আসল স্বাদ হারিয়ে যাবে। ফোয়া গ্রা সুবাসিত করার জন্য যোগ করা হয় বিভিন্ন উপাদান। তারপরও এটি রান্নার আলাদা আলাদা পদ্ধতি আছে। পরিবেশনফোয়া গ্রা পরিবেশনায় নান্দনিকতার ছোঁয়া সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সালাদে, বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে অনেকভাবে পরিবেশন করা হয় এটি। তবে পরিবেশনের নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। সাধারণত তিনভাবে ফোয়া গ্রা প্রস্তুত করা হয়—কাঁচা বা ক্রুড, আধা সেদ্ধ এবং পুরো সেদ্ধ। কাঁচা ফোয়া গ্রা সরাসরি স্বল্প আঁচে ভেজে বিভিন্নভাবে পরিবেশন করা হয়। আধা সেদ্ধ ও সেদ্ধ ফোয়া গ্রা রুটির ওপর মাখনের মতো প্রলেপ মাখিয়ে পরিবেশন করা হয়। গোল গোল চাকা করে কেটে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গেও পরিবেশন করা হয় এটি। তবে ফোয়া গ্রার সঙ্গে পেঁয়াজের ও ফিগের জ্যাম বেশ জনপ্রিয়। সঙ্গে অনেকেই পছন্দ করেন খানিকটা মিষ্টি স্বাদের হোয়াইট ওয়াইন। মূল্যফোয়া গ্রার মূল্য নির্ভর করে অনেকটা উৎপাদনকারীর সুনামের ওপর। গ্রামে যাদের এটি উৎপাদনে সুনাম আছে, তাদের কাছ থেকে কিনলে দাম পড়বে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১৫০ ইউরো। বড় বড় দোকানে ৫০ থেকে ১০০ ইউরোর মধ্যে পাওয়া যাবে। তবে দক্ষিণ ফ্রান্সের নামকরা উৎপাদনকারী মশিয়েঁ ডমিনিক দু ত্রিউ-র ফোয়া গ্রা কিনতে হলে গুনতে হবে কেজিতে ৯৯০ ইউরো। গুণগত মান বজায় রাখতে তারা খামারে প্রতিবছর ৩০০ রাজহাঁস লালন পালন করেন এবং প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে রাজহাঁসগুলোকে অনেক যত্নে মোটাতাজা করে বড়দিন উপলক্ষে মাত্র ২০ কেজি ফোয়া গ্রা উৎপাদন করে থাকেন। পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতাফোয়া গ্রার প্রায় ৮৫ শতাংশ ক্যালরির উৎস হচ্ছে লিপিড। এই লিপিডের ৬০ শতাংশ হচ্ছে একক-অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড আর ৩৩ শতাংশ হচ্ছে সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড। যেহেতু ফোয়া গ্রার লিপিড একক-অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, তাই হৃদ্‌রোগীরা খাবার তালিকায় রাখলে স্বাস্থ্যের ওপর তা তেমন খারাপ প্রভাব ফেলবে না। অন্যদিকে আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে, তা হলো ফোয়া গ্রাতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ মোটেই কম নয়। তবে যে বিদগ্ধজনেরা কোলেস্টেরলের খবর রাখেন, তাঁদের কথা হলো, এমন কোনো প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি যে নিয়মিত ফোয়া গ্রা খাওয়ার ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে। তাই কোলেস্টেরলের আধিক্যের অজুহাতে চমৎকার সুস্বাদু এ খাবারকে দূরে সরিয়ে রাখা ঠিক হবে না। তবে যেহেতু হাঁসের এমন যকৃৎকে মজাদার করতে কেজিপ্রতি ১২ গ্রাম খাবার লবণ ব্যবহার করা হয়, তাই উচ্চ রক্তচাপের অস্বস্তিকর চাপের মধ্যে যাঁরা আছেন, তাঁদের লবণবিহীন ফোয়া গ্রা খুঁজে নিতে হবে। খাদ্যবিলাসীদের কাছে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা আরও যেসব ভালো খবর দিচ্ছেন, তা হলো মোটাতাজা করা হাঁসের লিভারে প্রচুর ভিটামিন এ, বি ১২, ফসফরাস, সেলেনিয়াম ও আয়রন রয়েছে। তবে আধা সেদ্ধ, সেদ্ধ অর্থাৎ হালকা আঁচে খাবারের জন্য প্রস্তুত করা হয়, তাই ডাক্তাররা গর্ভবতী নারীদের খাবারটি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।নিষিদ্ধপশুপাখিপ্রেমীরা পাতিহাঁস ও রাজহাঁসকে জোর করে খাওয়ানো মোটেই পছন্দ করেন না। তাই এই প্রাণীদের এমন কষ্ট দিয়ে ফোয়া গ্রা উৎপাদনে জোর করে গেলানোর বিরুদ্ধে জোর আপত্তি জানান অনেকেই। সে জন্য আর্জেন্টিনা, ইসরায়েল, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় এর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খোদ ফ্রান্সে অনেকেই ফোর্স ফিডিং বা জোর করে খাওয়ানো পছন্দ করছেন না। বিজ্ঞানীরা তাই বিকল্প পথ খুঁজছেন। সে যা–ই হোক, ফ্রান্সে বেড়াতে এসে ফোয়া গ্রার মনমাতানো স্বাদ না নিলে খাদ্যসংস্কৃতির তীর্থ ভ্রমণ অনেকটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। লেখক: অণুজীববিজ্ঞানী এবং ফরাসি বিচার বিভাগে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত।
null
132cb7637c
নতুন অতিথির আগমনে পরিবারে চলে উৎসবের আমেজ। মা-বাবার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করে বাঁধাভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস। দূরদূরান্তে থাকা আত্মীয়স্বজন ছুটে আসেন শিশুটিকে দেখতে, কোলে নিয়ে আদর করতে। কিন্তু জাপানে করোনাভাইরাস মহামারি সেই আনন্দে বাদ সেধেছে। বিধিনিষেধের কারণে আত্মীয়স্বজন নবজাতককে দেখতে আসতে পারছেন না। তাই বলে শিশুর মুখদর্শন হবে না, তা তো হতে পারে না। সে জন্য মা-বাবা সন্তানের ছবি ও নামসংবলিত চালের ব্যাগ উপহার হিসেবে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠাচ্ছেন। শিশুটির ওজন যে পরিমাণ, চালও সেই পরিমাণে পাঠানো হচ্ছে। চালের ব্যাগটি নবজাতকের ছবি ও কম্বল দিয়ে এমনভাবে মোড়ানো হয়েছে, দেখে যে কারোর মনে হবে যেন কোনো শিশুকে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। এই ব্যাগের আবার নামও দিয়েছেন জাপানিরা—দাকিগোকোচি। দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওজনের অনুপাতে প্রতিটি ব্যাগের দাম বেড়ে যায়। সাড়ে ৩ কেজি ওজনের চালের ব্যাগের দাম ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ইয়েন। তবে জাপানে দাকিগোকোচির এই সংস্কৃতি নতুন নয়। মহামারির আগেও এর চল ছিল। করোনার মধ্যে জাপানে উপহারের এই চল ব্যাপক বেড়েছে। জাপানিরা মনে করেন, চালের ব্যাগ ধরলে মনে হবে শিশুকে ধরে আছেন। ব্যবসায়ী নারু ওনো বলেন, ‘১৪ বছর আগে আমার ছেলের জন্মের সময় প্রথম এমন পরিকল্পনা মাথায় আসে। যেসব স্বজন আমার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকেন, যাঁরা আমার ছেলেকে দেখতে আসতে পারেননি, তাঁদের কাছে এই খুশির খবর কীভাবে দেওয়া যায়, সেই চিন্তা থেকেই এই পরিকল্পনা মাথায় আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, জন্ম নেওয়ার সময় আমার ছেলের ওজনের সমান চাল ব্যাগে ভরে তাঁদের কাছে পাঠাব, যাতে তাঁরা ওই ব্যাগ ধরে অনেকখানি শিশুকে কোলে তোলার মতো অনুভূতি পান।’
null
5480b22f1a
আইপিএলের সাবেক কমিশনার ললিত মোদিকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ইডি) সামনে হাজিরা দিতে বলা হচ্ছে। সরকার চাইছে, ললিতকে দেশে ফিরিয়ে এনে তদন্ত শুরু করে এই বিতর্ক বন্ধ করতে, যাতে ভারতীয় সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন বিরোধীরা বানচাল করতে না পারে। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পক্ষে সরকার, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ দাঁড়ালেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সম্পর্কে তাঁরা নীরব। তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁর লড়াই তাঁকেই লড়তে হবে। বসুন্ধরার সাংসদ পুত্র দুষ্মন্তের কোম্পানির শেয়ার কেনার নামে ললিতের কোটি কোটি টাকা হাতবদলের বিষয়টিও ইডি তদন্ত করছে।বস্তুত, বসুন্ধরাকে নিয়েই বিজেপি বেশি বিব্রত। গতকাল শুক্রবার পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিবে এক অনুষ্ঠানে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বসুন্ধরারও থাকার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে সেখানে যেতে বারণ করে দেন অমিত শাহ। তবে বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী গতকাল বলেন, বসুন্ধরা সম্পর্কে ললিত মোদির অভিযোগ ধ্রুব সত্য বলে কেন ধরে নেওয়া হচ্ছে? তা ছাড়া দুষ্মন্তের সংস্থায় ললিতের টাকা লগ্নির অভিযোগে বসুন্ধরাকে দায়ী করা ঠিক নয়। অর্থাৎ, বসুন্ধরার সঙ্গে দুষ্মন্তের পার্থক্য সৃষ্টি করে মুখ্যমন্ত্রীকে বাঁচানোর একটা চেষ্টা চলছে। বিজেপি সূত্রের খবর, ২১ তারিখে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পর্যন্ত ললিত বিতর্কে দল বা সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।কংগ্রেস অবশ্য চাপ সৃষ্টি করেই যচ্ছে। তাদের প্রশ্ন, যে প্রধানমন্ত্রী সব কিছুতেই টুইট করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এত কথা বলেন, এত বড় ঘটনা সত্ত্বেও এখনো তিনি কেন নীরব?ললিত মোদিকে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীও জড়িত বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। দলের মুখপাত্র টম বরাক্কম বলেছেন, ললিত মোদির পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে না যাওয়া, অথবা ব্রিটিশ সরকারকে ভিসা দেওয়ার অনুরোধ—সবকিছুই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জ্ঞাতসারে।অবশ্য জবাবে বিজেপিও পিছিয়ে নেই। গুজরাটের কংগ্রেস নেতা শঙ্করসিন বাঘেলার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের বিরুদ্ধেও নতুন করে সিবিআই মামলা শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শিগগিরই কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরের কারও কারও বিরুদ্ধেও সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দলকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলতে পারে।
null
3dba91fed3
দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করেছে সরকার। তবে সেখানে তেমন কোনো দক্ষ চিকিৎসক নেই। অনেক ক্লিনিকে যে ওষুধগুলো ফ্রি দেওয়ার জন্য সরকার সরবরাহ করে, সেসব ওষুধও সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হয় না । তাই গ্রামের মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে অনীহা দেখান। জ্বর, সর্দি কিংবা মাথাব্যথা হলে গ্রামের মানুষ ফার্মেসিতে চলে যান ওষুধের জন্য। অনেক স্থানে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রায় বন্ধের মতো। কর্মকর্তা আছেন কিন্তু কোনো রোগী দেখা যায় না। অন্য দিকে ফার্মেসিগুলোতে আমরা দেখতে পাই জ্বর, পেটের সমস্যা, হাঁটুব্যথা, সর্দি ও হোঁচট খেয়ে ব্যথা পাওয়া ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ। ফার্মেসিগুলোতে প্রাথমিক অবস্থায় রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়। এতে সাময়িকভাবে সেরে উঠলেও পরবর্তী সময়ে শরীরে দেখা যায় এর মারাত্মক প্রভাব। এতে একসময় হালকা অসুস্থ অনুভব হলেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে এবং শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে যদি দক্ষ চিকিৎসক রেখে মানুষকে সেখানে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হয়, তাহলে এই চিত্রে পরিবর্তন আসবে। গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে নিরাময়কেন্দ্র হিসেবে প্রথমে বেছে নেবেন কমিউনিটি ক্লিনিক। তাই দ্রুত প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা উন্নত করা হোক। ফার্মেসিগুলোতে প্রেসক্রিপশনবিহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা হোক। মাহমুদ নাঈমকিশোরগঞ্জ
6,035
34a59c51e2
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় এক সংখ্যালঘু যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় দুই ইউপি মেম্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে বন্দর উপজেলা মিলনায়তনে বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বন্দর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুউদ্দিন মিয়া ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মঞ্জুর হোসেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে নুরুউদ্দিন ওই সংখ্যালঘু যুবককে নির্যাতনে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। অভিযোগ রয়েছে, এ মামলায় আরও দুজন এজাহারভুক্ত আসামি মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নবী হোসেন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোতালিব মিয়া রোববার একই সঙ্গে শপথ গ্রহণ করলেও তাঁরা ক্ষমতাসীন মহাজোটের অনুগামী হওয়ায় তাঁদের দুজনকে আটক করা হয়নি। গত ২৯ জুন বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সামছুর রহমান বন্দর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ শেষে মিলনায়তনের বারান্দা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শপথ অনুষ্ঠানে পাঁচ ইউনিয়নের মধ্যে চার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শপথ নেন। এর মধ্যে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন গত ২৪ জুলাই এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।বন্দর উপজেলার মুছাপুর এলাকায় প্রেম করে বিয়ে করার অপরাধে সালিসি বৈঠক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে বাবু চক্রবর্তীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনায় আনোয়ারসহ তাঁর সহযোগী তিন নবনির্বাচিত মেম্বার নুরুউদ্দিন মিয়া, নবী হোসেন ও মোতালিব মিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
null
1f004d694a
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে স্নাতকোত্তর কোর্স ছাড়াও সারা দেশে সব (৩২টি) স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউট/মেডিকেল কলেজের ৮২টি স্নাতকোত্তর কোর্স পরিচালনা করে আসছে এবং এক হাজার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল পরিচালনা করছে। সাবেক আইপিজিএমআরের (পিজি হাসপাতাল) সময় বিভিন্ন হাসপাতাল/বাইরে থেকে চিকিৎসকেরা রেফার্ড করলেই শুধু সেসব রোগীকে দেখা হতো। এর ফলে হাসপাতালে আসা রোগীরা এই হাসপাতালে দেখানোর সুযোগ পেত না। ১৯৯৮ সালে আইপিজিএমআর বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর তৎকালীন প্রশাসন রেফার্ড সিস্টেম বন্ধ করে উন্মুক্ত টিকিটের মাধ্যমে রোগী দেখা শুরু করে। এতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। এখন প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী বহির্বিভাগে ভিড় করে, এমনকি বহির্বিভাগে দাঁড়ানোর মতো জায়গা থাকে না। দ্বিতীয়ত, বহু রোগী বহির্বিভাগে ভিড় দেখে এত সময় ব্যয় করে চিকিৎসক দেখাতে চায় না। ফলে এসব রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে যায়। সেখানে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা ফি দিয়ে রোগী দেখাতে হয় এবং দ্বিতীয়বার ওই চিকিৎসককে দেখাতে গেলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ফি দিতে হয়। চিকিৎসকেরা যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে উপদেশ দেন, সেগুলো বাইরের হাসপাতাল/ক্লিনিকগুলোতে করালে অনেক টাকা ব্যয় হয়, যা সাধারণ পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বর্তমান প্রশাসন ক্ষমতা পাওয়ার পর এসব রোগীকে অল্প পয়সায় কীভাবে সেবা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে অল্প পয়সায় অফিস সময়ের পর সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বেলা তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের রোগী দেখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রোগীর পর্যাপ্ততা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে ছয়টি বিভাগ, যেমন—মেডিসিন, নাক-কান-গলা, মহিলা ও প্রসূতি, চর্ম ও যৌনরোগ, শিশু ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের নিয়ে বিশেষজ্ঞ কনসালটেশন সার্ভিস শুরু করা হয়। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বিভাগেই বিশেষজ্ঞ কনসালটেশন সেবা দেওয়া সম্ভব। এ সেবার জন্য ফি ধার্য করা হয়েছে ২০০ টাকা এবং এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার দেখাতে এলে আর কোনো ফি দিতে হবে না। সুতরাং ২০০ টাকা ফি দিয়ে একজন রোগী দুবার চিকিৎসক দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। আবার ২০০ টাকা ফির মধ্যে ৫০ টাকা পাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকি ১৫০ টাকা সেবা প্রদানকারী শিক্ষকসংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফের মধ্যে বণ্টন করা হবে। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রায় ১০০ থেকে ১১০ টাকা পাবেন। তাহলে ১০০ টাকার বিনিময়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দুবার ওই রোগীকে দেখছেন। এ পদ্ধতির ফলে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বিশেষজ্ঞ সেবা পাওয়ার সহজতর হবে। ফির এই বণ্টন একাডেমি কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট অনুমোদিত হতে হবে।হাসপাতালের অফিস সময় প্রতিদিন (শুক্রবার ও ছুটির দিন বাদে) সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মোট সাড়ে ছয় ঘণ্টা। এই সময়ের পর এত ব্যস্ত হাসপাতাল যেন এক নীরব-নির্জন ভূমিতে পরিণত হয়। তার মানে, এত বিরাট হাসপাতালে দিনের মাত্র এক-চতুর্থাংশ সময় ব্যবহূত হচ্ছে।এই বৈকালিক বিশেষজ্ঞ কনসালট্যান্সি সার্ভিস চালু করার ফলে অল্প আয়ের মানুষ কম খরচে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো বাইরের হাসপাতাল/ক্লিনিকের চেয়ে কম মূল্যে করানোর সুবিধা পাবে। দ্বিতীয়ত, হাসপাতালের জায়গারও সর্বোচ্চ ব্যবহার হবে। তৃতীয়ত, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম চালু হয়েছে, সে প্রোগ্রামগুলোর ছাত্রদেরও বাস্তব প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি পাবে।এত জনবহুল একটি দেশে বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সব রোগীর সেবা করা সম্ভব নয়। যদি অল্প খরচে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সেবা দেওয়া যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এটা একটা বড় সাফল্য।এ কার্যক্রম সফল হলে পর্যায়ক্রমে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোয় এই সেবা চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভালো হবে। তবে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে, যেন কোনো অনিয়ম না হয়। প্রাণ গোপাল দত্ত: উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
null
33dbcc5c07
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ হিসেবে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বন্দর কর্তৃপক্ষের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান মিলনায়তনে সংস্থার ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংস্থাটি ১১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় করেছে। একই সময়ে ব্যয় হয়েছে ১১২ কোটি ৮ লাখ টাকা। নিট লাভ হয়েছে ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
null
j09qk0jdkt
গরমে ত্বকের বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে পড়ে (সেবাম বেশি নিঃসৃত হয় বলে)। ত্বকের পোর (ছোট ছোট ছিদ্র) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্রণের প্রবণতা বাড়ে। ত্বক দ্রুত ময়লা হয়। প্রচুর ঘাম হয়। ঘামাচি ও সানবার্ন হয় বেশি। অতিবেগুনি রশ্মির শিকার হয় ত্বক। এসব সমস্যা ত্বককে নাজুক করে তোলে। সাধারণ কিছু সতর্কতা এসব সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে বাড়তি তেল বা সেবাম সরাতে দিনে দুবার ভালো কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। নন–ফোমিং, অ্যালকোহল ফ্রি, পিএইচ ব্যালান্সড ফেসওয়াশ বেছে নিন। ত্বকে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করার সময় জেল–বেসড (শুষ্ক ত্বকের জন্য) বা ওয়াটার–বেসড (তৈলাক্ত ত্বকের জন্য) পণ্য বেছে নিন। গরমে ক্রিম–বেসড প্রসাধনী সমস্যা বাড়ায়। প্রচুর পানি পান করতে হবে এ সময়। ত্বক আর্দ্র রাখবেন। দিনে কয়েকবার পানির ছটা দিতে পারেন মুখে। নিয়মিত গোসল করবেন। অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ টক ফল, জলীয় অংশ বেশি আছে এমন তাজা শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খাবেন। গ্রিন টি পান করতে পারেন। শসা, লেটুস মেশানো সালাদ খেতে পারেন। টক দই ভালো কাজে দেবে। সপ্তাহে দুই দিন বাড়তি তেল ও ময়লা দূর করতে স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্রাব বৃত্তাকারে লাগাতে হয়। মুখ ছাড়া ঠোঁট ও ঘাড়েও স্ক্রাব ব্যবহার করা যায়। বাইরে যেতে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। রোদ থেকে বাঁচতে হ্যাট (টুপি) বা ছাতা ব্যবহার করুন। ঘাম ও সেবাম থেকে রেহাই পেতে ভালো টোনার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার সময় অয়েল ফ্রি বা নন–গ্রিসি বেছে নেওয়া ভালো। সুতি হালকা কাপড় পরবেন। ঘেমে গেলে বদলে পোশাক পড়ুন। মোজা, অন্তর্বাস অবশ্যই একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত ও তেল–মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। চা, কফিও বেশি নয়। এতে গরম বেশি লাগবে, ঘামও বেশি হবে; বরং পানি খান। ফলের রস খেতে পারেন। অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান,বিভাগীয় প্রধান, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
1,571
7fb106c63a
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) নির্বাচনে আজ সোমবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে ১৬টি কেন্দ্র ও ৩৫টি উপকেন্দ্রে সকাল নয়টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তা চলবে।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আইইবির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক মো. শামীম জেড বসুনিয়া। বর্তমানে আইইবির সদস্যসংখ্যা ৪০ হাজার। কিন্তু ভোটার প্রায় ১৯ হাজার। দুই বছর পর পর এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও কাউন্সিল সদস্য কমিটির নির্বাচন হয়।সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী প্যানেল থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান ও বিরোধী প্যানেল থেকে প্রকৌশলী মিয়া মোহাম্মদ কাইয়ুম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংশোধনী: দৈনিক প্রথম আলোর আজকের ছাপা সংস্করণে রাজধানী পাতায় (পৃষ্ঠা ৭) ‘আজ আইইবির নির্বাচন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক মো. শামীম জেড বসুনিয়া। এটি ঠিক নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।— বার্তা সম্পাদক
null
401642da71
গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় চট্টগ্রাম বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনসহ ২৯ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। কোতোয়ালি থানার পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আবদুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালত কোতোয়ালি ও খুলশি থানার আরও মামলার কয়েকজন আসামির জামিন শুনানির পর নামঞ্জুরের আদেশ দেন। তাঁদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নগর কমিটির আমির ও সাংসদ শামসুল ইসলাম রয়েছেন। আদালত সূত্র জানায়, গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির ৩০ নেতার বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগপত্র শুনানির পর আদালত তা গ্রহণ করেছেন। এই মামলায় উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরীর জামিনের মেয়াদ ১৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন আদালত। হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পেয়েছিলেন। তবে অসুস্থতাজনিত কারণে গতকাল তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। কৌঁসুলির মাধ্যমে তিনি জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। আদালত সূত্র জানায়, গতকাল শাহাদাৎ হোসেন ছাড়াও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ হাসনাত, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এম এ হাশেম, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাশেম, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিমউদ্দিন ওরফে সিএনজি জসিম, খুলশি এলাকার বিএনপি নেতা শাহ আলমসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে নগরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ৩০ পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সময় তিনটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় শতাধিক গাড়ি। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে তিনটিসহ ছয়টি মামলা হয়। নগরের কোতোয়ালি ও খুলশি থানায় মামলাগুলো হয়। এতে আসামির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। কোতোয়ালি থানায় করা একটি মামলার অভিযোগপত্র আদালত গত সপ্তাহে গ্রহণ করেন। ওই মামলায় জামায়াতের সাংসদ শামসুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ২৩ জন, যাঁদের মধ্যে সবাই জামায়াতের নেতা-কর্মী।
null
42fc0d396d
ময়মনসিংহে গতকাল বৃহস্পতিবার চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশে যোগ দিতে গফরগাঁওয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপির স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ বাধা দিয়েছেন।গফরগাঁও থেকে নির্বাচিত বিএনপির সাবেক সাংসদ ফজলুর রহমান সুলতান প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, গতকাল ভোরবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে গফরগাঁও উপজেলার সব সড়কে ম্যাক্সি, পিকআপ, টেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নছিমন-করিমনসহ সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল-সমাবেশের নামে গফরগাঁও ও মশাখালী রেলস্টেশনে সশস্ত্র পাহারা বসিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ট্রেনে উঠতে বাধা দেন।গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহের মহাসমাবেশে যোগ না দিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের এক সপ্তাহ ধরে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ জন্য সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী বুধবার রাতেই হোসেনপুর ও ভালুকা হয়ে ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছান।তা ছাড়া ময়মনসিংহে সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের নেতারাও তাঁদের বক্তব্যে অভিযোগ করেন, গফরগাঁও, ঈশ্বরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা থেকে নেতা-কর্মীদের সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল উদ্দিন আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির সমাবেশে যোগদানে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। বিএনপির “বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের” প্রতিবাদে ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গত বুধবার থেকে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।’
null
5d7fce77e2
কোনো সংসদ সদস্যকে নিজ নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা তাঁর মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত, আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য, ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা যিনি ওই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটার, তাঁকে নির্বাচন কমিশন এলাকা ছাড়ার কথা বলতে পারে কি না। এটি কি তাঁর মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ নয়? তাহলে তো ঢাকা শহরে যখন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে তখন ঢাকা থেকে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদেরও ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। এভাবে তাঁকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে তাঁর মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।’ হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংসদ সদস্য যাতে কোনো নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা বা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করেন, সেটির নির্দেশনা অবশ্যই থাকবে, থাকা বাঞ্ছনীয়। সেটি করলে অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে। কিন্তু যিনি ওখানে ভোটার, ওই এলাকার সংসদ সদস্য তাঁকে নিজের ভিটে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলা কি সমীচীন হয়েছে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন?’ বিশ্বের কোথাও এমন আইন নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এলাকা ছেড়ে যেতে হবে এটি দুনিয়ার কোথাও নেই। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না—এটি ভারতে নেই, পাকিস্তানে নেই, ইংল্যান্ডে নেই, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে নেই, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে নেই, কোথাও নেই। সেই আইনটাও কিন্তু বৈষম্যমূলক।’ হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে অনেক কাগজে দেখলাম এটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এখানে নির্বাচন কমিশন কী ভুল করেছে আগে সেটি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা কখনো কোথাও দেওয়া হয়নি। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আমি মন্ত্রী এবং আমি চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম। কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় আমি অংশগ্রহণ করিনি। বাড়ি থেকে দু–একবার বের হয়েছিলাম প্রটোকল ছাড়া।’ এর আগে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রক্তদান ও জনহিতকর কর্মসূচির জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭২ সালের ১০ জুন দেশে প্রথম স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত চিকিৎসক পরে জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত অধ্যাপক নূরুল ইসলাম নিজে রক্ত দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নিজামউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক (মোটিভেশন) এম রেজাউল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। রক্তদানে বিশেষ অবদানের জন্য সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম দিলালকে প্লাটিনাম পদকসহ রক্তদাতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
2,923
gnrq3qph8h
ঢাকার আজিমপুরে একটি সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রে (ডে–কেয়ার সেন্টার) ১১ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উম্মে আলিফা নামের শিশুটির মা ইসরাত আরা নগরীর আজিমপুরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স। আর বাবা হাকিবুল হাসান তালুকদার ওরফে আল আমিন বসুন্ধরায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী। হাকিবুল-ইসরাত দম্পতি দুই শিশুসন্তান নিয়ে লালবাগের কাজী রিয়াজ উদ্দিন সড়কে থাকেন। ইসরাত আরা প্রথম আলোকে বলেন, স্বামী-স্ত্রী চাকরি করার কারণে তাঁদের দুই শিশুকে (২ বছর ৩ মাস বয়সী আল আরাবিয়া ও ১১ মাস বয়সী আলিফা) আজিমপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাস–সংলগ্ন ‘নিম্নমধ্যবিত্ত’ ডে-কেয়ার সেন্টারে রেখে কর্মস্থলে যান। বিকেলে কর্মস্থল থেকে ফেরার সময় সন্তানদের নিয়ে বাসায় ফেরেন। প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার সকালে দুই সন্তানকে সেখানে রেখে কাজে যান তাঁরা। দুপুরের দিকে ওই ডে–কেয়ার সেন্টার থেকে ফোন করে আলিফা অসুস্থ হওয়ার কথা জানায়। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, আলিফাকে আজিমপুর ম্যাটার্নিটিতে (আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান) নেওয়া হয়েছে। সেখানে গেলে জানতে পারেন, বেলা সোয়া একটার দিকে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আলিফাকে মৃত ঘোষণ করেছেন। পরে তিনি আলিফাকে নিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। বেলা পৌনে দুইটার দিকে সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরাও আলিফাকে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে মৃত বলে জানান। দুই সন্তানকে ডে–কেয়ার সেন্টারে রাখার জন্য মাসে এক হাজার টাকা দিচ্ছিলেন বলে জানান ইসরাত আরা। সন্তানের মৃত্যুর জন্য ওই ডে–কেয়ার সেন্টার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে এই মা বলেন, ‘সুস্থ আলিফাকে রেখে গেলাম, ফিরে পেলাম মৃত অবস্থায়। এর বিচার চাই।’ শিশুটির মৃত্যুর পরপরই ডে–কেয়ার সেন্টার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কেটে পড়েন। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শিশুদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ করেছিলেন বলে জানান ইসরাত আরা। তিনি বলেন, ‘গত মাসে আমার ছেলে আরাবিয়ার পিঠে কামড়ের দাগ ছিল। কীভাবে ওই ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে চেয়েছিলাম। পরে তারা এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি।’ সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা হাকিবুল হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি অভিযোগ করেন, আলিফা কীভাবে মারা গেছে, ডে–কেয়ার সেন্টার কর্তৃপক্ষ সেই জবাব দিতে পারেনি। তিনি জানান, আলিফার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ডে–কেয়ার সেন্টারের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, শিশুটি বালতিভর্তি পানিতে পড়ে মারা গেছে। শিশুটিকে উদ্ধার করার সময় তার মাথা নিচে এবং পা ওপরের দিকে ছিল। এই মৃত্যুর পেছনে ডে–কেয়ার সেন্টার পরিচালনাকারীদের গাফিলতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
null
1a7e43e43e
সাধারণ বীমা করপোরেশনের আইটি–সংক্রান্ত সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও কন্ট্রোল অপারেটর পদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি ও কেন্দ্রের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণ বীমার ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ দুই পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের ট্রেনিং সেন্টারে (৪র্থ তলা) এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। ঠিকানা হলো সাধারণ বীমা করপোরেশন, প্রধান কার্যালয়, ৩৩, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওই দিনই সন্ধ্যায় জানিয়ে দেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষা পরের দিন, অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট ও মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীকালে জানিয়ে দেওয়া হবে।
5,079
367360dc50
বেসরকারি খাতের দুটি কোম্পানির সঙ্গে তিনটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি অনুস্বাক্ষর ও একটি সৌর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎ ভবনে এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। মোট এক হাজার ৮৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র তিনটি স্থাপন করবে ওরিয়ন গ্রুপ (লংকিং ওরিয়ন যৌথ উদ্যোগ)। আর ১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করবে সোলারিয়াম পাওয়ার লিমিটেড। দেশে এই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে (আইপিপি) কয়লাভিত্তিক ও সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হলো। পিডিবির সচিব আজিজুল ইসলাম, ওরিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিম এবং সোলারিয়াম পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আবেদীন নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কেন্দ্র তিনটি স্থাপনে কবে নাগাদ চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে জানতে চাইলে সালমান ওবায়দুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, পিডিবি তাঁদের বলেছে, অনুস্বাক্ষরিত চুক্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন (ভেটিং) পেতে অন্তত দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।কয়লাভিত্তিক ৫২২ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র হবে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায়। চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পর এটি উৎপাদনে আসতে ৪৫ মাস সময় লাগবে। এই কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম হবে ৪ দশমিক ০৯৫ টাকা। এ ছাড়া খুলনার লবণচোরা এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রতিটি ২৮২ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র স্থাপিত হবে। তিন বছরের মধ্যে এই দুটি কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে তিন টাকা ৭৯ পয়সা। খুলনা কেন্দ্রের তিন টাকা ৮৮ পয়সা। কেন্দ্রগুলোর জন্য উদ্যোক্তা কোম্পানিই কয়লা আমদানি করবে।সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলো জানায়, প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক ওই তিনটি কেন্দ্রের বিদ্যুতের যে দাম ধরা হয়েছে, তা অপেক্ষাকৃত অনেক কম। পিডিবি এবং ভারতের এনটিপিসি বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২৬ মেগাওয়াটের যে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, সেটির প্রস্তাবিত দাম এর প্রায় দ্বিগুণ। সৌর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপিত হবে ময়মনসিংহের ফুলপুরে। চুক্তি অনুযায়ী ২৪ মাসের মধ্যে এ কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসবে। এ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত হয়েছে সাড়ে পাঁচ টাকা। এই দামের ব্যাপারেও সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি সূত্র বিস্ময় প্রকাশ করেছে। তাঁরা বলেন, সৌর তাপবিদ্যুৎ (সোলার থারমাল পাওয়ার) উৎপাদিত হয় সূর্য থেকে তাপ নিয়ে। বাংলাদেশে সূর্যের তাপ যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাতে এই বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় সাড়ে পাঁচ টাকার দ্বিগুণের বেশি হওয়ার কথা।গতকাল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম বলেন, কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র তিনটি নির্মাণে ১০৪ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। কেন্দ্র তিনটির জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইতিমধ্যে তাঁরা জমি কিনেছেন।সোলারিয়াম পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আবেদিন বলেন, সূর্যের তাপনির্ভর কেন্দ্রটি স্থাপনে ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। চুক্তি সইয়ের আগে এই উদ্যোগকে ‘মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, কয়লাকে মূল জ্বালানি ধরে ২০১৪ সালের পর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে এ কেন্দ্রগুলো স্থাপনের চুক্তি করা হচ্ছে।বিদ্যুৎসচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, পিডিবির চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর বর্তমান সরকার এখন পর্যন্ত ৪৮টি চুক্তির অধীনে মোট ৫২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলোর সর্বমোট উৎপাদন ক্ষমতা ছয় হাজার ৪০৩ মেগাওয়াট। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২২টি কেন্দ্র চালু হয়েছে। চলতি মাসেই আরও ২৫৫ মেগাওয়াট চালু হওয়ার কথা। এ ছাড়া, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া এই সময়ে ৯৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
null
7cd5f5d787
চলতি জোহানেসবার্গ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের স্কোর কার্ডটা ভালোভাবে খেয়াল করেছেন? একজন মাত্র এলবিডব্লু, বাকি ৯ জন ক্যাচ আউট হয়েছেন ৯ ভিন্ন ফিল্ডারের হাতে! আগের ২০১৭ ম্যাচে ৯ জন ভিন্ন ফিল্ডারের ক্যাচ টেস্ট ক্রিকেট দেখেছে মাত্র দুবার। দুবারই ব্রিজটাউনে। প্রথমটি ১৯৯৮ সালে, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ক্যাচ নিয়েছিলেন ৯ ক্যারিবিয়ান ফিল্ডার। শুধু ব্রায়ান লারা নিয়েছিলেন দুটি। পরেরটি ২০০২ সালে, এবার উল্টো প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের প্রথম ইনিংসে ৯টি ক্যাচই নিয়েছিলেন ৯ কিউই ফিল্ডার। লারাকে বোল্ড করে বাকি উইকেটটি পেয়েছিলেন ভেট্টোরি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের সুদীর্ঘ ইতিহাসেই এমনটা ঘটেছে আর মাত্র একবার। ১৯৬৭ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নর্দাম্পটনশায়ারের প্রথম ইনিংসে ক্যাচ নিয়েছিলেন লিস্টারশায়ারের ৯ জন। এলবিডব্লুতে বাকি উইকেটটি নিয়েছিলেন মুশতাক মোহাম্মদ।
null
33554af943
রাঙামাটিতে গতকাল বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিলয় নিশীথ চাকমা (২৪) নিহত ও তাঁর দুই বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন: কুসুম চাকমা (২৫) ও সুপন মারমা (২৫)।নিহত শিক্ষকের চাচা আলোময় চাকমা জানান, নিলয় গতকাল সকালে দুই বন্ধুর সঙ্গে রাঙামাটি শহর থেকে একটি মোটরসাইকেলে বাঘাইছড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের নানিয়ারচরে চান্দের গাড়ির (হুডখোলা জিপ) সঙ্গে মোটরসাইকেলটি ধাক্কা খায়। গুরুতর আহতাবস্থায় তিনজনকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নিলয় নিশীথকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। নিলয় পাঁচ মাস আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর বাবা কেরল চাকমা রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক। হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা কর্মকর্তা আশীষ তঞ্চঙ্গ্যা জানান, আহত কুসুম ও সুপনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নিলয়ের অকালমৃত্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমাসহ আরও অনেকে শোক প্রকাশ করেছেন।
null
1ca527f904
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রেললাইন কলোনিতে গত শুক্রবার রাতে যৌতুকের দাবিতে শান্তা নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শান্তার স্বামী মুছা মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শান্তার বাবা মাসুদ মিয়া। অন্য আসামিরা হলেন শান্তার ননদ আলিয়া ও তাঁর স্বামী মনির হোসেন। শান্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চার মাস আগে বন্দরের ঠাকুরবাড়ি এলাকার শান্তাকে রেললাইন কলোনি এলাকার মুছা মিয়া বিয়ে করেন।
null
ID_46205
চাহিদা অর্থনীতিতে চাহিদা হল কোনো পণ্য বা সেবা দ্রব্যের উপযোগের প্রয়োজনীয়তা। চাহিদাকারী হল একটি নির্দিষ্ট পরিমান পণ্য বা সেবা গ্রহনের উদ্যেশ্যে ব্যয় করার ইচ্ছা। একজন ক্রেতা বিভিন্ন দামে যে পরিমান দ্রব্য বা সেবা পেতে ইচ্ছুক তার পরিমান এর দ্বারা চাহিদা প্রকাশ করা হয়। কোনো নির্দিষ্ট দামে ভোক্তা যে পরিমান দ্রব্য ক্রয় করতে আগ্রহী হয় তার পরিমান কে চাহিদার পরিমান বলে। দাম ও চাহিদার পরিমানের মধ্যকার সম্পর্ক কে চাহিদা বলা হয়। (আরো দেখুন: যোগান ও চাহিদা) চাহিদা বিধি. চাহিদার অন্যান্য নির্ধারকসমূহ অপরিবর্তিত থেকে স্বাভাবিক সময়ে কোনো দ্রব্যের দাম হ্রাস পেলে চাহিদা বৃদ্ধি পায়, দাম বৃদ্ধি পেলে চাহিদা হ্রাস পায়। দাম ও চাহিদার পরিমানের মধ্যে এরুপ বিপরীত সম্পর্ককে চাহিদা বিধি বলা হয়। চাহিদার নির্ধারক সমুহ. অসংখ্য কারণের এবং পরিস্থিতিতে একজন ক্রেতার কোনো দ্রব্য ক্রয় করার ইচ্ছা প্রভাবিত হতে পারে। তারমধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হল: চাহিদা অপেক্ষক এবং সমীকরণ. দ্রব্যের চাহিদা এর নির্ধারকসমূহের ওপর নির্ভরশীল, চাহিদা ও এর নির্ধারকসমূহের নির্ভরশীলতার সম্পর্কের গানিতিক প্রকাশকে অপেক্ষক বলে।  উদাহরণস্বরূপ, Q = (১০-২P) একটি চাহিদা অপেক্ষক যেখানে Q একটি দ্রব্যের চাহিদার পরিমান, P দ্রব্যের দাম। সমতা চিহ্নের ডানের রাশিকে স্বাধীন  চলক ও বামের রাশিকে বলা হয় অধীন চলক। এখানে (-২P) এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে অধীন চলকের সাথে স্বাধীন চলকের বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মাধ্যমে বোঝা যায় এই অপেক্ষক থেকে অংকিত চাহিদা রেখার ঢাল হবে ডানদিকে নিম্নগামী। চাহিদা রেখা. অর্থনীতিতে চাহিদারেখা হল একটি লেখচিত্র যেখানে কোনো দ্রব্যের দাম ও ভোক্তাদের নির্দিষ্ট দামে উক্ত দ্রব্য ক্রয় করার ইচ্ছার মধ্যকার সম্পর্ক দেখানো হয়। চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা (PED). কোনো দ্রব্যের দামের পরিবর্তন এর ফলে চাহিদার যে পরিবর্তন সংঘটিত হয় তার মাত্রাকে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা বলে। চাহিদার স্থিতিস্থাপকতার দ্বারা চাহিদার শতাংশিক পরিবর্তন ও দামের শতাংশিক পরিবর্তন এর অনুপাতকে বোঝায়। চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে দাম ছাড়া চাহিদার অন্যান্য নির্ধারকসমূহ অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকবে। চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যে সুত্র ব্যবহার করা হয় তা হল:  (Δ"Q"/Δ"P")×("P"/"Q")। এখানে Q, চাহিদার পরিমান এবং P, দ্রব্যের দাম। চাহিদা ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি. চাহিদা ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি হল বিজ্ঞান ও কলার সংমিশ্রণ যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
null
aff47b7247
অধ্যায় ৭ ২৬. গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন কবে বসে ছিল? ক. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল খ. ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল গ. ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল ঘ. ১৯৭২ সালের ১৭ জুলাই ২৭. কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে বা অবলুপ্ত হলে সংবিধান অনুযায়ী কত দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়? ক. ৯০ খ. ৯৫ গ. ১০০ ঘ. ১০৫ ২৮. বাংলাদেশের সংবিধান এ পর্যন্ত কতবার সংশোধিত হয়েছে? ক. ১৭ বার খ. ১৮ বার গ. ১৯ বার ঘ. ২১ বার ২৯. বাংলাদেশের সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনী গৃহীত হয় কবে? ক. ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর খ. ২০১১ সালের ২০ জুন গ. ২০১৩ সালের ৩০ জুন ঘ. ২০১৮ সালের ৮ জুলাই ৩০. বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পরিচয় কী? ক. রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র খ. সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গ. সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ঘ. গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ৩১. বাংলাদেশের সংবিধান কতটি ভাগে বিভক্ত রয়েছে? ক. ১১ খ. ১২ গ. ১৩ ঘ. ১৪ ৩২. বাংলাদেশের সংবিধানে কতটি অনুচ্ছেদ রয়েছে? ক. ১৪০টি খ. ১৪৮টি গ. ১৫২টি ঘ. ১৫৩টি ৩৩. বাংলাদেশের সংবিধানে কতটি প্রস্তাবনা রয়েছে? ক. ১টি খ. ২টি গ. ৩টি ঘ. ৪টি ৩৪. বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার কয়টি মূলনীতির কথা বলা হয়েছে? ক. ৪টি খ. ৫টি গ. ৬টি ঘ. ৭টি ৩৫. নিচের কোনটি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি? i. জাতীয়তাবাদ ii. সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র iii. ধর্মনিরপেক্ষতা নিচের কোনটি সঠিক? ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii ৩৬. সংবিধানে কোন ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে? ক. ইসলাম খ. হিন্দু গ. বৌদ্ধ ঘ. খ্রিষ্টান ৩৭. কোনটি বাংলাদেশের নাগরিকদের পরিচয় ? ক. স্বদেশীয় খ. প্রবাসী গ. বাংলাদেশি ঘ. বাঙালি ৩৮. জাতি হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ কী নামে পরিচিত ? ক. বাংলা ভাষাভাষী খ. প্রবাসী গ. বাংলাদেশি ঘ. বাঙালি সঠিক উত্তর অধ্যায় ৭:২৬. গ ২৭. ক ২৮. ক ২৯. ক ৩০. ঘ ৩১. ক ৩২. ঘ ৩৩. ক ৩৪. ক ৩৫. ঘ ৩৬. ক ৩৭. গ ৩৮. ঘ বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল মো. আবুল হাছান, সিনিয়র শিক্ষকআদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ঢাকা
5,414
8b0070f325
সাধারণভাবে ‘শান্তি চুক্তি’ নামে পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে দেশের সংবিধানে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে আলোচনার পর এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্রে এ খবর জানা গেছে।এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গঠিত ভূমি কমিশনকে কার্যকর করতে ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের বিষয়ে একটি প্রধান বিষয় ছাড়া বাকি সব বিষয়ে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এই মতৈক্য হয়। এখন পার্বত্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে শিগগিরই একটি বৈঠকে আইন সংশোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।তবে কাপ্তাইসহ বেশ কিছু সংরক্ষিত এলাকা ভূমি কমিশনের আওতাধীন না থাকার যে বিধান আইনে রয়েছে, সেটি সংশোধনের ব্যাপারে ভূমি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আপত্তি রয়েছে। ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের এটিই এখন একমাত্র প্রধান বিষয়, যা নিয়ে মতানৈক্য আছে।সংবিধানে সংযুক্তি: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সংবিধানে সংযুক্ত করার বিষয়ে সরকারি সূত্র জানায়, এ চুক্তি যাতে কখনো কেউ বাতিল করতে, এমনকি আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে এবং চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়নও যাতে নিশ্চিত হয়, সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব তৈরি করে সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার সরকারের ওই উদ্যোগ ও প্রক্রিয়া শুরুর সত্যতা স্বীকার করে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আদিবাসী জনগণের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও অধিকার রক্ষায় বর্তমান সরকার আরও অনেক কিছুই করছে এবং করবে।এ বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধ করলে চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশীষ রায় প্রথম আলোকে বলেন, এটি অবশ্যই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দেশের সংবিধান আরও সমৃদ্ধ হবে। এ উদ্যোগের জন্য তিনি সরকারকে অভিনন্দন জানান।উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিনের সশস্ত্র যুদ্ধের অবসান ঘটায়। কিন্তু চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। তবে চুক্তি বাতিল করার দাবিসহ অনেক বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।আইন সংশোধন: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি এবং ওই চুক্তি অনুযায়ী ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রণীত ভূমি কমিশন আইনের মধ্যে অসামঞ্জস্য থাকায় এর আগে গঠিত তিনটি ভূমি কমিশন কোনো কাজ করতে পারেনি। বর্তমান সরকার ভূমি কমিশন পুনর্গঠনের পরও কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি জরিপ নিয়ে তীব্র মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধ মীমাংসায় সরকার ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।২০০০ সালে ভূমি কমিশন আইন প্রণীত হওয়ার পরই জনসংহতি সমিতি ২৪টি স্থানে সংশোধনের প্রস্তাব দেয়। এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ জনসংহতি সমিতির সব প্রস্তাবের সঙ্গেই একমত হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও আইনটি সংশোধন করা হয়নি।বর্তমান সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ওই আইনের ছয়টি ধারা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাতে আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী সম্পূর্ণ কার্যকর হবে না বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ মত প্রকাশ করে। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে গতকাল আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।গতকালের সভায় ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা, কমিশনের সভার কোরাম ও সদস্যদের প্রতিনিধি পাঠানোর বিধানগুলো সংশোধনের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে।ভূমি কমিশন আইন অনুযায়ী কমিশনের সভা কোনো বিষয়ে একমত না হলে সে বিষয়ে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এ বিধান পরিবর্তন করা হবে। চেয়ারম্যান ও কমিশনের দুই সদস্য উপস্থিত থাকলেই কোরাম হওয়ার বিধানও পাল্টে চেয়ারম্যান ও তিন সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হওয়ার বিধান করা হবে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি সার্কেলের তিন প্রধান (চাকমা রাজা, মং রাজা ও বোমাং রাজা) যাতে কমিশনের সভায় তাঁদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন, সে জন্যও আইন সংশোধন করা হবে।প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব মতানৈক্যের অবসান হবে। ভূমি কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ যথাসময়ে শুরু করতে পারবে।
null
10ed5684f9
আরব দেশগুলো ওয়েবে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এখন থেকে তারা ল্যাটিন অক্ষরের পরিবর্তে ওয়েব ঠিকানায় নিজেদের ভাষা আরবিতেই ঠিকানা লিখতে পারবে। এটি হচ্ছে ওয়েবে ঐতিহাসিক পরিবর্তনের প্রথম ধাপ।বিবিসি জানায়, নেট নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস (আইসিএএনএন) এই ব্যবস্থা চালু করেছে, যেখানে পুরো ওয়েব ঠিকানায় কোনো ল্যাটিন অক্ষর নেই।মিশর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতই প্রথম দেশ, যারা ‘কান্ট্রি কোড’ আরবি হরফে লিখবে। এরপর চীন, থাই ও তামিল ভাষাতেও ওয়েব ঠিকানা লেখা যাবে।২০ টিরও বেশি দেশ এ বিষয়টি অনুমোদনের জন্য আইসিএএনএনের কাছে আবেদন করেছে।আইসিএএনএনের প্রেসিডেন্ট রড ব্যাকস্ট্রম বলেছেন, এখন আরবি হরফেই ওয়েব ঠিকানা ব্যবহার করা যাবে। আর এই পরিবর্তনটা মূলত ওয়েবে একটা ঐতিহাসিক পরিবর্তন।
null
1813f3197a
পুরুষদের ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫ হাজার রান এখন আর আলোড়ন তোলে না। কম তো নয়, ৭৩ জন ব্যাটসম্যান এই মাইলফলক পেরিয়েছেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। তবে মেয়েদের ওয়ানডেতে ৫ হাজার রান এখনো বিশাল এক অর্জন। কাল মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক পেরোলেন ভারতের মহিলা দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ। বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে অপরাজিত ৮১ রান করার পর ওয়ানডেতে মিতালির মোট রান ৫০২৯। ৫৮১২ রান নিয়ে ইংল্যান্ডের শার্লট এডওয়ার্ডস সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। ২০০৫ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্ডা ক্লার্ক (৪৮৪৪) তালিকার তিনে। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে সবার ওপরে রুমানা আহমেদ। এই ডানহাতি ব্যাটার ১৬ ম্যাচে ৩৫৩ রান করেছেন।
null
7834c67c6b
যুক্তরাজ্যে গত এক বছরে ফেসবুকের সঙ্গে জড়িত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এক হাজারের বেশি। এ অপরাধের মধ্যে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির মতো ঘটনাও রয়েছে। যুক্তরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বরাত দিয়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে এ কথা জানানো হয়। যুক্তরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে শিশুদের যৌন হয়রানি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মার্ক জাকারবার্গের তৈরি সাইট এখন শুধু তর্ক-বিতর্কের কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ নেই, এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অপরাধ সংঘটনের ঘটনা বাড়ছে। অনেকে অপরাধ করার পর ফেসবুকে তা প্রকাশ করে গর্ব পর্যন্ত করছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, তারা সাইটটিকে যথেষ্ট নিরাপদ করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানান, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিকে সবচেয়ে প্রাধান্য দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক নিপীড়ন বা হয়রানি করার কোনো প্ল্যাটফর্ম নয়, তবে দুর্ভাগ্যবশত ফেসবুকেও কিছু দুর্বৃত্ত রয়েছে।
null
a3a52af51e
‘কোনো এক অদৃশ্য হাত রামু বৌদ্ধমন্দির ভাঙচুর ও হামলার ঘটনার বিচারকাজকে স্থবির করে দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ছাত্রসংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা।ওই হামলার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এ আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি যুক্ত করে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের রামুতে হামলা চালিয়ে মন্দিরসহ আশপাশের অনেক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।‘অহিংসার আলোয় দূর হোক সাম্প্রদায়িকতার আঁধার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুবর্ণ বড়ুয়া। তাতে বলা হয়, রামু, উখিয়া ও টেকনাফে মন্দিরে হামলার ঘটনায় মোট ১৯টি মামলা হয়েছিল। এ পর্যন্ত ৯৫৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানেই শেষ। কোনো এক অদৃশ্য হাত বিচারকাজকে স্থবির করে দিয়েছে। এখন যে অবস্থা তাতে বিচার আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘পুলিশের অভিযোগপত্রে প্রকৃত দোষীদের নাম আসেনি। অথচ নির্দোষদের নাম এসেছে। স্থানীয় বৌদ্ধরা হামলায় জড়িত ১৭ জনের নামের তালিকা দিয়েছিলেন। অথচ সেই তালিকার কেউ পুলিশের দেওয়া তালিকায় নেই। হামলায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’রামু হামলায় যে মামলাগুলো হয়েছে সেগুলোর বিচার হবেই—এ আশাবাদের কথা জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘শুধু সভায়, আলোচনায় কথা বললে হবে না। আদালতে সাক্ষ্য দিতে হবে। যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরা সাক্ষ্য দেবেন। সঠিকভাবে সাক্ষ্য দিলে কুকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হবে।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, রামু হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে গেলে এমন ঘটনা আবারও ঘটবে।গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে শুধু রামু নয়, যত সাম্প্রদায়িক অপকর্ম হয়েছে সবগুলোর বিচার হতে হবে। আগামী বছর এই দিন (২৯ সেপ্টেম্বর) আসার আগেই রামু হামলার ঘটনার সব মামলার বিচার শেষ করে আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।বৌদ্ধ ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক রেজিন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি অসীম রঞ্জন বড়ুয়া, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি, সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। অহিংসা ও অসাম্প্রদায়িকতার নিদর্শনস্বরূপ ফানুস উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
null
6cd918399f
সোনার নৌকা, চেইন, আংটিসহ বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে যশোর-৪ আসনের (বাঘারপাড়া-যশোর সদরের আংশিক) আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ রনজিত কুমার রায় ও তাঁর স্ত্রী মিনতি রায়কে ৯ জানুয়ারি গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। নড়াইল-যশোর সীমান্তবর্তী যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিনয় কৃঞ্চ বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন সংবর্ধনার প্রধান উদ্যোক্তা প্রসেন সরকার, বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক মো. জুলফিকার আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুর রউফ, জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ মুন্সি প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হীরক দাস।স্থানীয় জনগণ সূত্রে জানা গেছে, এ জন্য এক মাস ধরে এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ি থেকে ধান-চালসহ নগদ অর্থ উঠানো হয়। জামদিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিহির বিশ্বাস বলেন, ‘সংবর্ধনায় সাংসদকে দেড় ভরি ওজনের একটি সোনার নৌকা, দুগাছি সোনার চেইন, শালের চাদর, পাঞ্জাবি, ধুতি, মুজিব কোট এবং তাঁর স্ত্রীকে একটি আংটি উপহার দেওয়া হয়। এ জন্য গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ি থেকে চাল, ধান আর নগদ অর্থ সংগ্রহ করা হয়। অনুষ্ঠান করতে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো খরচ করা হয়।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘সাংসদের কাছে প্রিয় হতে এবং নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে এলাকার কয়েকজন এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংবর্ধনার জবাবে সাংসদ স্থানীয় হরিপদ সংগীত নিকেতনকে ২০ হাজার ও থ্রি স্টার ক্লাবকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান এবং বাকড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণসহ স্থানীয় সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।’ বাকড়ী গ্রামের বিদ্যুত্ বিশ্বাস বলেন, ‘বঞ্চিত কৃষকের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনতে এ দেশে যে তেভাগা আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই বাকড়ী গ্রামকে বলা হয় তেভাগা আন্দোলনের সূতিকাগার। যে গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে ঘুমিয়ে আছেন তেভাগা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ কমরেড অমল সেন। সেই স্কুল চত্বরে একজন সাংসদ ও তাঁর পত্নীকে বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে, তা আমার জানা নেই।’উদ্যোক্তা প্রসেন সরকার বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে যশোর-৪ আসনের নির্বাচিত সব সাংসদই বাকড়ী সড়কটি পাকা করাসহ এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েও রক্ষা করেননি। বাঘারপাড়া অঞ্চল থেকে আজ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী সাংসদ নির্বাচিত হননি। রনজিত কুমার রায় বাঘারপাড়া এলাকার লোক। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি বাকড়ী এলাকায় আসেন। এ কারণেই তাঁকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বর্ণালংকার উপহার দেওয়া হয়।’বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি উপজেলার নারকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাংসদকে সোনার নৌকা দিয়ে সংবর্ধনা দেয়। এ ছাড়া ৯ জানুয়ারি সোনার নৌকা, চেইন, আংটিসহ অনেক সামগ্রী দিয়ে বাকড়ী স্কুল চত্বরে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা আমাকে ও জামদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে একটি করে কোরআন শরীফ উপহার দেয়।’এ ব্যাপারে সাংসদ রনজিত কুমার রায় বলেন, ‘এলাকার জনগণ ভালোবেসে এগুলো দিলে কী করব? তবে আগামীতে এ ধরনের উপহার বর্জন করব।’
null
7bbef05cbd
বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নওয়াব প্যালেস (নওয়াববাড়ি) সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করে পুরাকীর্তি ঘোষণার দাবিতে সংস্কৃতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘ঐতিহ্য স্থাপনা রক্ষা কমিটি’। গতকাল বুধবার বগুড়ার জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাড়ে তিন শ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী এই ‘নবাব প্যালেস’। একে সুরক্ষার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন যখন পত্র বিনিময় করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে এটি গোপনে বিক্রি করা হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তির সাক্ষী এই অমূল্য সম্পদ মাত্র ২৭ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। এখন এই প্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে ফেলার পাঁয়তারা করছে প্রভাবশালীরা।স্মারকলিপি প্রদানের সময় ঐতিহ্য স্থাপনা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের মহাসচিব তৌফিক হাসান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাহফুজুল হক, উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
null
37bec01cbf
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত মুশুলীর ঐতিহ্য নামের একটি সাময়িকীর প্রকাশনা উৎসব গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুশুলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের আঙিনায় আয়োজিত প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইফতিকার উদ্দিন ভূঁইয়া। এতে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৯ আসনের সাংসদ মো. আনোয়ারুল আবেদিন খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক চৌধুরী, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আয়ুব আলী খান, আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
null
1c6ebeb702
বিতর্কিত জামালউদ্দিন আহমেদকে আবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব করেছে বিমান মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য এখন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রয়েছে। গতকাল রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে এ কথা জানানো হয়।সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জামালউদ্দিনসহ আগের পরিচালনা পর্ষদের প্রায় সবাইকে বহাল রেখেই পুনর্গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জানতে চাইলে বিষয়টি বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন স্বীকার করেছেন।বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে সোনা চোরাচালানে বিমানের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার বিষয়ে আলোচনা হয়। এর প্রতিকারে বিমান কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা অবিলম্বে কার্যকর করার সুপারিশ করা হয়। পরে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান প্রথম আলোকে বলেন, সোনা চোরাচালান ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া সোনা চোরাচালানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত জমা দেওয়ার জন্য আরও ১৫ দিন সময় নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি গতকাল রোববার জমা দেওয়ার কথা ছিল।ফারুক খান বলেন, বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার সংরক্ষিত এলাকা। অথচ সেখানে দীর্ঘদিন থেকে একটি খাবারের ক্যানটিন পরিচালিত হচ্ছে। কমিটি মনে করে, এই ক্যানটিনে সোনা চোরা কারবারিদের যাতায়াত রয়েছে। হ্যাঙ্গার থেকে ক্যানটিন হয়ে চোরাই সোনা বাইরে পাচার করা হয়। সে জন্য কমিটি এই ক্যানটিনটি বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে।ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আলী আশরাফ, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান, আফতাব উদ্দীন সরকার, সাবিহা নাহার বেগমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
null
38d7dba8a9
গাইবান্ধা ও চট্টগ্রামে আজ শুক্রবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন শিশু মারা গেছে। নিহতরা হচ্ছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাগদা কাটাবাড়ি গ্রামের পানফুল খাতুন (১০), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মাইদুল ইসলাম (৮) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের কালু মিয়া (৮)। গোবিন্দগঞ্জ ও সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ সুত্র জানায়, আজ সকাল ১০টার দিকে পানফুল তার ফুফু হালিমা বেগমের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা পানফুল ও হালিমা বেগমসহ পাঁচজন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পানফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।অপরদিকে আজ বিকেল চারটার দিকে সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি এলাকায় গোবরসার বোঝাই একটি ট্রলির ধাক্কায় শিশু মাইদুল মারা যায়। পুলিশ ট্রলি আটক করেছে। তবে ট্রলি চালক জাহিদুল ইসলাম পলাতক।সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।আজ বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কালিয়াইশ ইউনিয়নে একটি ট্রাক শঙ্খ নদীর দক্ষিণ পাড়ে বালু আনতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শিশু কালু মিয়াকে চাপা দেয় ট্রাকটি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কালু।সাতকানিয়ার দোহাজারী হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন বলেন, ট্রাক আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন।
null