Dataset Viewer
original_title
stringlengths 2
272
⌀ | category
stringclasses 58
values | full_news
stringlengths 2
73.5k
⌀ | sub_article
stringlengths 1
24.1k
⌀ | semantic_title
stringlengths 2
255
⌀ | lexical_title
stringlengths 4
240
| random_title
stringlengths 3
255
⌀ |
---|---|---|---|---|---|---|
শাহবাজ়ের লড়াকু ব্যাটিং! বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ, এখনও শেষ চার নিশ্চিত নয় মনোজদের
|
sports
|
দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেছিলেন, প্রথম ইনিংসে যত বেশি সম্ভব লিড নেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা। কিন্তু আদতে সেটা হল না। তৃতীয় দিন সকালে একাই লড়লেন শাহবাজ় আহমেদ। তাঁকে বাকিরা সাহায্য করতে পারলেন না। ফলে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানের বেশি লিড নিতে পারলেন না মনোজ তিওয়ারিরা। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ ঘরামির ব্যাটে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট ২৩৮ রান করেছিল বাংলা। ৬৫ রানের লিড ছিল। ক্রিজে ছিলেন শাহবাজ় ও অভিষেক পোড়েল। তৃতীয় দিন খুব বেশি রান করতে পারেননি অভিষেক। ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। নীচের দিকের ব্যাটাররা রান পাননি। একাই খেললেন শাহবাজ়। নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে দলের রানকে ৩০০ পার করালেন। অর্ধশতরান করলেন তিনি। অন্য দিকে উইকেট পড়তে থাকায় শেষ দিকে চালিয়ে খেলতেই হত শাহবাজ়কে। সেটাই করছিলেন তিনি। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৮১ রানের মাথায় আউট হলেন এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে সব থেকে বেশি রান করলেন তিনি। শাহবাজ় আউট হতেই ৩২৮ রানে শেষ হয়ে গেল বাংলার প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় দিনের শেষে লক্ষ্মী বলেছিলেন, ইডেনের উইকেটে এখনও যে কোনও ফল হতে পারে। প্রথম দু’দিনের খেলায় সেটাই দেখা গিয়েছে। তাই ১৫৫ রানের লিড নিয়েও খুব স্বস্তিতে থাকবে না বাংলা। কারণ, এখনও প্রায় দু’দিনের খেলা বাকি। অনেক কিছুই হতে পারে। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার বোলারদের লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত সম্ভব ঝাড়খণ্ডকে অলআউট করা। এখন দেখার আকাশ দীপ, মুকেশ কুমাররা সেই কাজটা কেমন করেন।
|
তৃতীয় দিন খুব বেশি রান করতে পারেননি অভিষেক ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি নীচের দিকের ব্যাটাররা রান পাননি একাই খেললেন শাহবাজ় নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে দলের রানকে ৩০০ পার করালেন অর্ধশতরান করলেন তিনি অন্য দিকে উইকেট পড়তে থাকায় শেষ দিকে চালিয়ে খেলতেই হত শাহবাজ়কে সেটাই করছিলেন তিনি দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৮১ রানের মাথায় আউট হলেন এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার
|
ব্যর্থ শাহবাজ়, রঞ্জি সেমিতে অধিনায়ক মনোজের ব্যাটে বড় রানের লক্ষ্যে বাংলা
|
লোকালের ভিড়ে প্রথম কাজের দিনেই ‘বেলাইন’ বিধি
|
সমাজমাধ্যমে প্রতি দিন ছড়িয়ে পড়ছে কুরুচিকর মন্তব্য, বিরক্ত অপু বিশ্বাস ছুটলেন থানায়
|
বুলডোজার রাজ কাশ্মীরে, প্রতিবাদ
|
national
|
বলা হয়েছিল ভাঙা হবে কেবল প্রভাবশালী, বিত্তবানদের বেআইনি বাড়ি। সরকারি জমি বেদখল করে যা তৈরি হয়েছে। কাজের বেলায় একেবারে গরিব, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে নেমেছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে বুলডোজার রাজ চলছে। অন্তত কুড়িটি জেলায় চলছে প্রশাসনিক আগ্রাসন। প্রতিবাদও শুরু হয়েছে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে সিপিআই(এম)। নেতৃত্ব দিয়েছেন পার্টি নেতা ইউসুফ তারিগামি নিজে। তারিগামি বলেছেন, ‘‘প্রশাসন যা বলছে ঠিক তার উলটোটা করছে। গরিব, সাধারণ মানুষের জমি, আবাস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ চলবে। গরিবের বাড়ি ভাঙা যাবে না, সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করা যাবে না।’’ উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা বলেছিলেন যে কেবল বিত্তবানদের বেআইনি দখলে থাকা সম্পত্তি ভাঙা হবে। সাধারণ মানুষের জমিতে হাত দেওয়া হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি বলছে, সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করাই এর উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে চলছে ধরপাকড়। এর আগে দিল্লি বা উত্তর প্রদেশে বুলডোজার রাজ শীর্ষ আদালতের অসন্তোষের মুখে পড়েছে। যে কারণে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে সেই প্রক্রিয়াই নিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নির্দেশিত প্রশাসন। একতরফা বেআইনি দখলদারি বলে ঘোষণা করা হচ্ছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে। বাসিন্দাদের বক্তব্য শোনার সুযোগ না দিয়ে, আইনি প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করে শুরু হয়ে যাচ্ছে বুলডোজারের তাণ্ডব। The government must stop running bulldozers over the shelters of poor people. Tearing down homes and dispossessing people of the land they have been farming for decades constitutes a flagrant assault on their legitimate rights and livelihood. #Kathua Protest pic.twitter.com/peQhkNYzIj প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ওমর আবদুল্লা বলেছেন, ‘‘কোনও প্রক্রিয়াই মানা হচ্ছে না। কাশ্মীরে ভূমিসংস্কার হয়েছিল স্বাধীনতার পরই। সেই ভূমি ব্যবস্থাকে উলটে দিচ্ছে বিজেপি প্রশাসন।’’ আরও কড়া মন্তব্য করেছেন পিডিপি নেত্রী এবং আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘পরিস্থিতি প্যালেস্তাইনের থেকেও খারাপ।’ ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন বলছেন, ‘‘উচ্ছেদের মুখে যাঁদের ফেলা হচ্ছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশ সংখ্যালঘু। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল এমন এলাকাগুলিতে বুলডোজার যাচ্ছে।’’
|
প্রতিবাদও শুরু হয়েছে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব দিয়েছেন পার্টি নেতা ইউসুফ তারিগামি নিজে তারিগামি বলেছেন, ‘‘প্রশাসন যা বলছে ঠিক তার উলটোটা করছে গরিব, সাধারণ মানুষের জমি, আবাস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ চলবে গরিবের বাড়ি ভাঙা যাবে না, সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করা যাবে না’’ উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা বলেছিলেন যে কেবল বিত্তবানদের বেআইনি দখলে থাকা সম্পত্তি ভাঙা হবে সাধারণ মানুষের জমিতে হাত দেওয়া হবে না
|
কাশ্মীরে ভূমিকম্প
|
লড়াইটা প্রতি মুহূর্তের
|
Panchayat Election: আক্রান্ত হয়েছিলেন ভোটের দিন, কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর
|
হিংসা চলছেই, মণিপুরের গ্রামে খুন আরও ৩
|
national
|
দু’সপ্তাহ থমকে থাকার পরে শুক্রবার ফের নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটলো মণিপুরে। এদিন ভোরে উখরুল জেলার থোয়াই গ্রামে আচমকা হানা দিয়ে ৩ জনকে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। এই তিনজনই গ্রামের পাহারাদার কমিটির স্বেচ্ছাসেবক। কুকি সম্প্রদায়ের স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মেইতেই দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভোরবেলায় ওই গ্রামে তুমুল গুলিবিনিময় হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মেইতেই দুষ্কৃতীদের গুলির পালটা হিসেবে গ্রামবাসীরাও গুলি ছোঁড়েন। লড়াই থামার পরে গুলি ও ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ৩ টি দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পরে উত্তর-পূর্বের অশান্ত রাজ্যটিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।উখরুলের লিটন থানার অন্তর্গত থোয়াই গ্রামটিতে মোটামুটি ৫০টি পরিবারের বাস। উখরুল জেলায় তাঙখুল নাগারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও থোয়াইয়ে বেশি রয়েছেন কুকিরাই। থোয়াইয়ে চারপাশে রয়েছে সাঙ্গকাই, মঙ্গকোট, জালেনবুঙ্গের মতো বেশ কয়েকটি কুকি প্রধান গ্রাম। মণিপুরে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ বাড়তে থাকায় থোয়াইয়ের বাসিন্দারা পালা করে গ্রাম পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেন। মোটামুটি এক কিলেমিটার দূরে গ্রামের প্রবেশপথে একটি বাঙ্কার বানিয়ে স্থানীয় যুবকরা গত কয়েক মাস ধরে পাহারা দিচ্ছিলেন।জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ওই বাঙ্কারে থেকে গ্রাম পাহারা দেন। শুক্রবার ভোর পাঁচটায় তাঁদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার খানিকক্ষণ আগে এঁদের একজন পরিবর্ত স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজতে গ্রামে যান। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ওই স্বেচ্ছাসেবক গ্রামে ঢোকার পরপরই পাহারা স্থল থেকে গুলির আওয়াজ শোনা যায়। থোয়াইয়ের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দৌড়ে যান। দুষ্কৃতীদের মোকাবিলায় পালটা গুলি চালাতে থাকেন থোয়াইয়ের পাহারাদার কমিটির সদস্যরা। প্রায় এক ঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পরে হামলাকারীরা পালালে বাঙ্কারের কাছে থোয়াইয়ের তিন পাহারাদার যুবকের রক্তাক্ত দেহ মেলে। নিহতরা হলেন জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে। সকলেরই বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুষ্কৃতীদের পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল দু’টি দেহ। আরেকটি দেহে গুলির চিহ্নের সঙ্গে ছিল একাধিক ছুরিকাঘাত। হামলাকারী দুষ্কৃতীরা থোয়াই গ্রাম লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছোঁড়ে বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ।প্রসঙ্গত, রাজ্যের সংখ্যাগুরু মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। এর প্রতিবাদেই ৩ মে মিছিল করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর (এটিএসইউএম) নামে একটি সংগঠন। সেই মিছিলের পরেই বিজেপি-শাসিত মণিপুরে ভয়াবহ জাতি সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। শাসকদল বিজেপি’র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে টানা সাড়ে তিন মাস ধরে ভয়াল চেহারায় এই সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা চলছে। ইতিমধ্যেই খুন হয়েছেন ২০০ জনের বেশি নিরীহ মানুষ। সাধারণ নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও মহিলাদের সম্ভ্রমহানির বর্বর ঘটনাবলীতে শিউরে উঠেছে সারা দেশ। ৬০ হাজারেরও বেশি ঘরছাড়া মানুষ মণিপুরের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে অসহায় জীবনযাপন করছেন। বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের চরম নিষ্ক্রিয়তা দেখে শেষপর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বেনজির হস্তক্ষেপে বাধ্য হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, মণিপুরের জনসমষ্টির প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। তাঁরা প্রধানত ইম্ফল উপত্যকায় বসবাস করেন। অন্যদিকে কুকি, নাগাদের মতো ৪০ শতাংশ আদিবাসী মানুষের বাস রাজ্যের পার্বত্য জেলাগুলিতে।
|
আরেকটি দেহে গুলির চিহ্নের সঙ্গে ছিল একাধিক ছুরিকাঘাত হামলাকারী দুষ্কৃতীরা থোয়াই গ্রাম লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছোঁড়ে বলে জানিয়েছেন কেউ কেউপ্রসঙ্গত, রাজ্যের সংখ্যাগুরু মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট এর প্রতিবাদেই ৩ মে মিছিল করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর (এটিএসইউএম) নামে একটি সংগঠন সেই মিছিলের পরেই বিজেপি-শাসিত মণিপুরে ভয়াবহ জাতি সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় শাসকদল বিজেপি’র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে টানা সাড়ে তিন মাস ধরে ভয়াল চেহারায় এই সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা চলছে ইতিমধ্যেই খুন হয়েছেন ২০০ জনের বেশি নিরীহ মানুষ সাধারণ নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও মহিলাদের সম্ভ্রমহানির বর্বর ঘটনাবলীতে শিউরে উঠেছে সারা দেশ ৬০ হাজারেরও বেশি ঘরছাড়া মানুষ মণিপুরের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে অসহায় জীবনযাপন করছেন বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের চরম নিষ্ক্রিয়তা দেখে শেষপর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বেনজির হস্তক্ষেপে বাধ্য হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ্য, মণিপুরের জনসমষ্টির প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের তাঁরা প্রধানত ইম্ফল উপত্যকায় বসবাস করেন
|
মণিপুরে বাড়ছে উত্তেজনা, ফের ৩ জনের মৃত্যু
|
মণিপুর কান্ডে গ্রেপ্তার আরও ১
|
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ব্রাজিলে নিহত ১১, নিখোঁজ ২০
|
সেন্ট পিটার্সবার্গে বিস্ফোরণ মৃত রুশ সামরিক ব্লগার ধৃত আততায়ী
|
international
|
রাশিয়ার জনপ্রিয় সামরিক ব্লগার ভ্লাদলেন তাতারস্কিকে খুনের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করল সেদেশের পুলিশ। রাশিয়ার সরকারি সংবাদসংস্থা আরটি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের একটি ক্যাফেতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তাতারস্কি প্রাণ হারান। ঘটনায় আহত হন ৩০ জনের বেশি সাধারণ মানুষ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম দারিয়া ত্রেপোভা। রুশ গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, বিস্ফোরণের কিছু আগে তাতারস্কির হাতে একটি মূর্তি তুলে দেন দারিয়া। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে তিনি ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যান। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। রাশিয়ার অপর সংবাদ সংস্থা ফন্টাঙ্কা জানাচ্ছে, ঘটনার পরে দারিয়া তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টে আশ্রয় নেন। নিজের পরিচয় বদলে ফেলতে চুলও কেটে ফেলেন তিনি। ফন্টাঙ্কা জানাচ্ছে, রাশিয়া ছেড়ে উজবেকিস্তানে পালানোর ছক কষেছিলেন দারিয়া। সেই মতো প্লেনের টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই দারিয়া’র একটি ভিডিও সামনে আনা হয়েছে। সেখানে তাঁকে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তাপ চড়তে শুরু করেছে। রাশিয়ার তরফে এই ঘটনার জন্য ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগকে দায়ী করা হয়েছে। অপরদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেন্স্কি জানিয়েছেন এই ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেন কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
|
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম দারিয়া ত্রেপোভা রুশ গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, বিস্ফোরণের কিছু আগে তাতারস্কির হাতে একটি মূর্তি তুলে দেন দারিয়া বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে তিনি ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যান তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা রাশিয়ার অপর সংবাদ সংস্থা ফন্টাঙ্কা জানাচ্ছে, ঘটনার পরে দারিয়া তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টে আশ্রয় নেন নিজের পরিচয় বদলে ফেলতে চুলও কেটে ফেলেন তিনি
|
পুতিনের অধীনে যেভাবে রুশ কূটনীতির মৃত্যু ঘটেছে
|
ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ
|
IRCTC অনলাইন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় বদল, জানুন কীভাবে বুক করবেন ট্রেনের টিকিট
|
যোধপুর পার্কে হঠাৎ উপড়ালো কৃষ্ণচূড়া, চাপা পড়ে আহত যুবক-সহ তিন
|
kolkata
|
ঝড়বৃষ্টি ছাড়াই যোধপুর পার্কে উপড়ে পড়ল বিশাল এক কৃষ্ণচূড়া। তাতে চাপা পড়ে আহত হলেন ১৮ বছরের এক যুবক-সহ তিন জন। গাছে চাপা পড়ে যায় একটি স্কুটি এবং পণ্যপরিবাহী গাড়িও। বৃহস্পতিবার সকালে ২০১ নম্বর যোধপুর পার্কের কাছে ঘটে ঘটনাটি। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্কুটি আরোহী সিদ্ধার্থ মণ্ডল। আহতকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয় হয় ইইডিএফ হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। সেখানে তাঁর পায়ের এক্সরে করা হয়েছে। এ ছাড়াও গাছ পড়ে আহত হয়েছেন সব্জি বিক্রেতা চন্দনা নস্কর এবং গাড়িচালক সোমনাথ মণ্ডল নামে দুজন। এঁদেরও স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লেক থানার পুলিশ। গাছটি কাটার জন্য ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে, খবর দেওয়া হয় পুরসভাকেও।
|
আহতকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয় হয় ইইডিএফ হাসপাতালে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন সেখানে তাঁর পায়ের এক্সরে করা হয়েছে এ ছাড়াও গাছ পড়ে আহত হয়েছেন সব্জি বিক্রেতা চন্দনা নস্কর এবং গাড়িচালক সোমনাথ মণ্ডল নামে দুজন
|
পথ দুর্ঘটনায় তিন যুবকের মৃত্যু
|
৩ কাজ: ত্বকে ট্যান পড়ে গেলে এড়িয়ে চলাই ভাল
|
ভারতে কেমন আছেন? কী কী অসুবিধা হচ্ছে? মাঠে নামার আগে জানালেন পাক অধিনায়ক বাবর
|
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে বাংলাদেশকে বড় অংশীদার মনে করে রাশিয়া
|
international
|
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশে সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে রাশিয়ার দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় অংশীদার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন মি. লাভরভ। তিনি বলেছেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আমাদের ভালো এবং দীর্ঘদিনের অংশীদার। গত ৫০ বছর ধরে আমরা আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও সমতার ভিত্তিতে গড়ে তুলছি।” দোভাষীর মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে মি. লাভরভ আরো বলেন, “কোভিড মহামারির মতো নানা প্রতিবন্ধকতার পরও আমরা আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রেখেছি এবং আজ আমরা সব ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।" তিনি বলেন, "আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছি। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বড় অংশীদার।” এরআগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে সময় সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মি. লাভরভ। রুশ কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। পরে ঢাকার একটি হোটেলে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বসেন। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়া এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মি. লাভরভ। ছবির উৎস, MOFA বিমানবন্দরে সের্গেই লাভরভকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রাশিয়ার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশের রূপপুর পাওয়ার প্লান্টের বকেয়া অর্থ পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে - উল্লেখ করে মি. লাভরভকে প্রশ্ন করা হয়, এর সমাধানে কী করছে রাশিয়া। জবাবে মি. লাভরভ বলেন, "আমি মনে করি, আমরা খুব দ্রুত নানা ধরণের পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি, যা হবে মূলত কোন দেশের নিজস্ব মুদ্রায়।" মার্কিন ডলারের কথা উল্লেখ না করলেও, সেটিকে ইঙ্গিত করে মি. লাভরভ বলেন, "...সেটি এমন কোন দেশের মুদ্রা হবে না যারা সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।" রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে 'সাপ্লাই চেইন' বা সরবারহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, রূপপুর প্রকল্পের সব উপাদান নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ করা হবে। এটা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে রাশিয়ার প্রধান বিনিয়োগ প্রকল্প রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ প্রাক্কলিত সময়ের মধ্যে হচ্ছে উল্লেখ করে মি. লাভরভ বলেছেন, অক্টোবরে এ প্রকল্পে জ্বালানির প্রথম চালানটি পৌঁছাবে বাংলাদেশে। রোহিঙ্গা সংকটের মতো বড় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে - উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. লাভরভ বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাইরের পক্ষগুলোর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুজে বের করা উচিত। রাশিয়া সেটাই করে যাচ্ছে। মিয়ানমারের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, "বাইরের কিছু পক্ষ এই বিষয়টিকে ব্যবহার করে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে এবং তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি, এতে হিতে বিপরীত হবে এবং একই সাথে এটা অগ্রহণযোগ্যও বটে।" তিনি বলেন, “আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তাদের পররাষ্ট্রনীতি অপরিবর্তিত রেখেছে।” সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, "দুই পক্ষের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ার বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।" পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক।" ছবির উৎস, Getty Images সংবাদ সম্মেলনে মি. লাভরভ উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন দুই বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করত। তবে ২০২২ সালে সেটি প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। কিন্তু সম্প্রতি সেটি কিছুটা কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, দুই দেশের বাণিজ্য বিষয়ক কমিশনের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন এবং সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রূপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাইরেও বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে রাশিয়ার আগ্রহের কথা তুলে ধরেন মি. লাভরভ। তিনি বলেছেন, গ্যাস খাতে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার কিছু প্রকল্প রয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে ২০টির বেশি কূপ খনন করেছে এবং তারা এটা অব্যাহত রাখবে। রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া গম এবং সার সরবরাহ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. লাভরভ। রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম যেমন জাতিসংঘ, আসিয়ানসহ সব জায়গায় তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে বৈঠকের কথা রয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এরপর দুপুরে তিনি ঢাকা থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন। আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলন শেষ করে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন এক সময় এই সফর করছেন, যখন ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে, অন্যদিকে সুুষ্ঠু নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ সময়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের মধ্যে দিয়ে রাশিয়া একদিকে যেমন বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্ব এবং সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানাবে, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক বা কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তাও দিতে চায় দেশটি।
|
রাশিয়া সেটাই করে যাচ্ছে মিয়ানমারের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, "বাইরের কিছু পক্ষ এই বিষয়টিকে ব্যবহার করে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে এবং তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে আমি বিশ্বাস করি, এতে হিতে বিপরীত হবে এবং একই সাথে এটা অগ্রহণযোগ্যও বটে" তিনি বলেন, “আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তাদের পররাষ্ট্রনীতি অপরিবর্তিত রেখেছে” সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, "দুই পক্ষের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ার বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে" পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাই না আমরা চাই আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক" ছবির উৎস, Getty Images সংবাদ সম্মেলনে মি. লাভরভ উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন দুই বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করত তবে ২০২২ সালে সেটি প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে কিন্তু সম্প্রতি সেটি কিছুটা কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, দুই দেশের বাণিজ্য বিষয়ক কমিশনের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন এবং সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে রূপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাইরেও বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে রাশিয়ার আগ্রহের কথা তুলে ধরেন মি. লাভরভ তিনি বলেছেন, গ্যাস খাতে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার কিছু প্রকল্প রয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে ২০টির বেশি কূপ খনন করেছে এবং তারা এটা অব্যাহত রাখবে রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন
|
রাশিয়ার বন্ধু দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
|
গাড়ি পরিষ্কারের কাজ থেকে ছাঁটাই, ১২টি গাড়িতে অ্যাসিড ঢেলে প্রতিশোধ কর্মীর
|
দোকান থেকে না কিনে ‘অ্যান্টি-এজিং সিরাম’ বাড়িতেই তৈরি করতে চান, কী ভাবে করবেন?
|
কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিট গঠন করলো কলকাতা হাই কোর্ট
|
state
|
কালিয়াগঞ্জের নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিবেছেন। তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। সিটে রয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার পঙ্কজ দত্ত, প্রাক্তন সিবিআই অধিকারিক উপেন বিশ্বাস এবং দময়ন্তী সেন। হাই কোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
|
সিটে রয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার পঙ্কজ দত্ত, প্রাক্তন সিবিআই অধিকারিক উপেন বিশ্বাস এবং দময়ন্তী সেন হাই কোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে
|
CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ হাই কোর্টের
|
ঝালদা পৌর বোর্ড গঠন করলো কংগ্রেস
|
Toyota AI-Based Car Design: এআই-ভিত্তিক গাড়ির ডিজাইন তৈরি করবে টয়োটা, শুরু হয়ে গেল গবেষণা
|
সল্টলেকে ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে কোটি কোটি টাকার মাদকের কারবার! গ্রেফতার ২
|
kolkata
|
ছাগলের ব্যবসার আড়ালে চলছিল মাদকের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সল্টলেকের সেই ছাগলের খোঁয়াড়ে হানা দিয়ে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। উদ্ধার হল ৫ কেজি মাদক। পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ বিধাননগর থানার অন্তর্গত নওভাঙা সেক্টর-৪ এলাকায় হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। ধৃত মবিন খান এবং মেহতাব বেগম পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হবে।
|
পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ বিধাননগর থানার অন্তর্গত নওভাঙা সেক্টর-৪ এলাকায় হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক ধৃত মবিন খান এবং মেহতাব বেগম পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর
|
পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলে ব্যবসায়ীর থেকে ১৭ লক্ষ লুট, কলকাতা পুলিশের জালে ২
|
‘রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা নীরব কেন’
|
ব্রিটেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক 'রক-সলিড': প্রেসিডেন্ট বাইডেন
|
চা খাওয়ায় বাধা পোশাক! জালের ভিতর যুদ্ধ করলেন উরফি
|
entertainment
|
গাড়িতে বসে গরম চা খাওয়ার চেষ্টা করছেন উরফি জাভেদ। কিন্তু পারছেন কই? কালো ধাতব ঢাল আড়াল করে আছে তাঁর বুক থেকে মুখ। কোমরের উপরেই পরে ফেলেছেন সেই জালের বর্ম। ভিতরে শুধুই একফালি অন্তর্বাস। এই পোশাকে ঠোঁটের কাছে চা পৌঁছতে হিমসিম উরফি। তবু কসরত করে চললেন মডেল-তারকা। তেষ্টায় গলা শুকিয়ে আসছিল তাঁর। শেষমেশ চায়ের কাপ পাশে টেনে এনে ঢালের মধ্যে থেকে মুখ বার করে দিলেন চুমুক। উজ্জ্বল গোলাপি লিপস্টিক পরা ঠোঁটে হাসি খেলে গেল উরফির। সেই ভিডিয়ো ঘুরছে নেটদুনিয়ায়। ক্যাপশনে উরফি লিখেছেন, “যখন চা না খেলে চলছেই না!” সেই দেখে মন্তব্যের বন্যা। অনেকেই বললেন, “স্ট্র ব্যবহার করলে জালের মধ্যে দিয়েই চা খেতে পারতেন!” উরফি এক সময়ে টেলিভিশনে অভিনয় করতেন। গানের ভিডিয়োতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। তবে জনপ্রিয় হন ‘বিগ বস্’-এর মতো রিয়্যালিটি শোয়ে অংশ নেওয়ার পরই। নিজের কৃতিত্বেই বার বার শিরোনামে আসেন তিনি। এ বারও মগজাস্ত্রের জোরেই শিরোনামে উরফি। নিমেষে জিতে নিলেন হাজার হাজার ভক্তের হৃদয়। উরফির মাথায় যে কোন দিন কী ফন্দি চাপে, তা আগে থেকে টের পাওয়া কঠিন। তাঁর উপস্থিতি মাত্রেই চমক। প্রকাশ্যে এলেই আলোকচিত্রীরা ছেঁকে ধরেন এই পোশাক শৌখিনীকে। কথাও যা বলেন, তাতেও সংবাদের শিরোনাম কেড়ে নেন তারকা। এক বার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘তোমাদের কথা ভেবেই বেড়াতে যাই না বেশি দিনের জন্য, তিন মাস আমায় না পেলে খবর করবে কী নিয়ে?’’ সম্প্রতি মুম্বই বিমানবন্দরে উরফিকে দেখামাত্রই নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল অনুরাগীদের মধ্যে। শোরগোল থামিয়ে দেন উরফি নিজেই। কী বলেছিলেন তিনি? সেখানেও বুদ্ধির প্যাঁচ। উরফি বলেন ‘‘সেলফি তুলব, আগে পয়সা বার করো।’’ টাকা না দিলে একটিও নিজস্বী নয়, উরফির সমন জারি। আর তাতেই কেল্লাফতে। যদিও বিতর্ক, সমালোচনা তাঁর পিছু ছাড়ে না। সমাজমাধ্যমে অনুরাগীদের কাছে এই পোশাক শৌখিনীর টাকা চাওয়া নিয়েও ধেয়ে এসেছে সমালোচনা। যদিও মজার ছলেই টাকা চেয়েছিলেন উরফি।
|
কথাও যা বলেন, তাতেও সংবাদের শিরোনাম কেড়ে নেন তারকা এক বার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘তোমাদের কথা ভেবেই বেড়াতে যাই না বেশি দিনের জন্য, তিন মাস আমায় না পেলে খবর করবে কী নিয়ে?’’ সম্প্রতি মুম্বই বিমানবন্দরে উরফিকে দেখামাত্রই নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল অনুরাগীদের মধ্যে শোরগোল থামিয়ে দেন উরফি নিজেই কী বলেছিলেন তিনি? সেখানেও বুদ্ধির প্যাঁচ উরফি বলেন ‘‘সেলফি তুলব, আগে পয়সা বার করো’’ টাকা না দিলে একটিও নিজস্বী নয়, উরফির সমন জারি আর তাতেই কেল্লাফতে যদিও বিতর্ক, সমালোচনা তাঁর পিছু ছাড়ে না সমাজমাধ্যমে অনুরাগীদের কাছে এই পোশাক শৌখিনীর টাকা চাওয়া নিয়েও ধেয়ে এসেছে সমালোচনা যদিও মজার ছলেই টাকা চেয়েছিলেন উরফি
|
সঙ্কটে চা
|
রিভিউ হারিয়ে দিনের শুরু করল বাংলাদেশ
|
Whatsapp Scam: হোয়াটসঅ্যাপে বাড়ছে দুর্নীতি, এবার শিকার কলকাতার বাসিন্দা, কী ঘটেছে?
|
এস এ পরিবহন অফিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে
|
national
|
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর কাকরাইলের এস এ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সবশেষ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। সোমবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ার খবর পেয়ে একে একে আরও ৫টিসহ মোট ১০টি ইউনিট পাঠানো হয়েছিল। লিমা খানম বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে, সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ার খবর পেয়ে একে একে আরও ৫টিসহ মোট ১০টি ইউনিট পাঠানো হয়েছিল লিমা খানম বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি
|
কাকরাইলে এস এ পরিবহন অফিসে আগুন
|
কাকরাইলে এস এ পরিবহন অফিসে আগুন
|
জমা জল নিয়ে ফের কমিটি, বিতর্ক পুর অন্দরে
|
কমিশনের কোর্টে বল, তাঁরাই আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে কর্মী চাইছেন উদ্ধব
|
politics
|
শিবসেনাকে শেষ করে দিতেই একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ হয়েছে। এবার এমনই অভিযোগ করলেন শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। গতমাসে শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে এবং ৩৯ জন অন্যান্য বিধায়ক ঠাকরের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। যার জেরে ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের পতন ঘটে। শিবসেনায় অবশ্য বিদ্রোহ নতুন কিছু না। এর আগে রাজ ঠাকরের নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়েছে। যার জের রাজ আলাদা পার্টি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা গঠন করেছেন। তারও আগে বিদ্রোহ হয়েছেন সেনার ভিতরে। নারায়ণ রানের মত একাধিক নেতা বিদ্রোহ করেছেন। কিন্তু, সেগুলো ছিল দল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য। এবার শিবসেনার অভ্যন্তরে বিদ্রোহ হয়েছে দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। এমনই অভিযোগ উদ্ধবের। দলীয় কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে উদ্ধব জানিয়েছেন, শিবসেনা হিন্দুত্বের স্বার্থে রাজনীতি করে। আর, বিজেপি হিন্দুত্বকে স্রেফ ব্যবহার করে। বিজেপি নেতৃত্ব হিন্দুত্বকে ব্যবহার করে থাকে স্রেফ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে। বরাবরের মত শিবসেনার অভ্যন্তরে এবারের বিদ্রোহেও মদত দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এমনই অভিযোগ উদ্ধবের। তবে, এসব করে শিবসেনাকে আটকানো যাবে না। একথা মনে করিয়ে দিয়ে রবিবার দক্ষিণ মুম্বইয়ে একটি দলীয় কার্যালয়ও উদ্বোধন করেছেন উদ্ধব। আরও পড়ুন- দ্রৌপদীর শপথ গ্রহণে অশ্রুসজল আসমুদ্রহিমাচল, ভারত সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, দাবি মোদীর গত ৩০ জন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এই ব্যাপারে উদ্ধব বলেন, ‘এবারের বিদ্রোহটা অন্যবারের চেয়ে আলাদা। এবার চিরকালের মত শিবসেনাকে শেষ করে দেওয়াই বিদ্রোহীদের লক্ষ্য। বিজেপির মদতপুষ্ট বিদ্রোহীরা আমাদের বিরোধিতা করার জন্য পেশাদার এজেন্সি পর্যন্ত ভাড়া করেছে। বর্তমানে এমন পরিস্থিত যে লড়াইটা হচ্ছে অর্থ এবং আনুগত্যের মধ্যে।’ আর দিন দুয়েক পর ২৭ জুলাই ৬২ বছরে পা দেবেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি জানান, এবারের জন্মদিনে তিনি সেনার কর্মী ও সদস্যদের থেকে উপহার হিসেবে ফুলের তোড়া চান না। তিনি চান আরও বেশি করে কর্মী। যাঁরা শিবসেনার প্রতি আস্থা রাখবে। যারা শিবসেনাকে তুলে ধরবে। উদ্ধবের কথায়, ‘লড়াই এখন নির্বাচন কমিশনের কোর্টে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারাই প্রকৃত শিবসেনা। আমাদের শুধু প্রাণশক্তি নয়। দলের সদস্যদের দৃঢ় সমর্থন এবং নথিভুক্ত কর্মী প্রয়োজন।’ Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest National news download Indian Express Bengali App. Web Title: Uddhav thackeray says revolt this time aimed at finishing off sena
|
যার জের রাজ আলাদা পার্টি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা গঠন করেছেন তারও আগে বিদ্রোহ হয়েছেন সেনার ভিতরে নারায়ণ রানের মত একাধিক নেতা বিদ্রোহ করেছেন কিন্তু, সেগুলো ছিল দল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য এবার শিবসেনার অভ্যন্তরে বিদ্রোহ হয়েছে দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য এমনই অভিযোগ উদ্ধবের দলীয় কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে উদ্ধব জানিয়েছেন, শিবসেনা হিন্দুত্বের স্বার্থে রাজনীতি করে আর, বিজেপি হিন্দুত্বকে স্রেফ ব্যবহার করে বিজেপি নেতৃত্ব হিন্দুত্বকে ব্যবহার করে থাকে স্রেফ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে বরাবরের মত শিবসেনার অভ্যন্তরে এবারের বিদ্রোহেও মদত দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব এমনই অভিযোগ উদ্ধবের তবে, এসব করে শিবসেনাকে আটকানো যাবে না
|
ঠাকরে না শিণ্ডে? শিবসেনায় শেষ কথা কে? ‘শক্তি’র প্রমাণ চায় কমিশন
|
ঠাকরে না শিণ্ডে? শিবসেনায় শেষ কথা কে? ‘শক্তি’র প্রমাণ চায় কমিশন
|
খাবার না জুটুক, বেঁচে থাক মাস্ক-সাবান-স্যানিটাইজ়ার
|
ফ্রান্সে দুই আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত: নিখোঁজ ১০
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের বন্দর নগরী মার্সেই শহরে দুটি আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণের পর ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ধংসস্তূপের নিচে অন্তত ১০ জন চাপা পড়া অবস্থায় নিখোঁজ থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। রোববার (৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে অভিযান। তবে বিস্ফোরণের পরপরই ভবন দুটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। অন্তত ১০০টি উদ্ধারকর্মী দল দুর্ঘটনাস্থলে তৎপরতা চালাচ্ছে। বড় ক্রেনের সাহায্যে চলছে ধংসস্তূপ সরানোর কাজ। পাশেই উড়ছে ধোঁয়া, তাতে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারীরা। রোববার স্থানীয় সময় ভোরে ফ্রান্সের বন্দরনগরী মার্সেইয়ের ওই দুই আবাসিক ভবন বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই ধসে পড়ে ভবন দুটি। খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলবাহিনীর সদস্যরা। শুরু হয় উদ্ধার কার্যক্রম। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আগুনের কারণে উদ্ধার অভিযানে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। ভবনের ধংসস্তুপের নিচে এখনো বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করছে দমকল বাহিনী। এদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আগুন জ্বলছে। এতে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক ইউনিট কাজ করছে বলেও জানা তিনি। তবে এ দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছেন কি না সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। অপরদিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর পাশের আরো একটি ভবন আংশিক ধসে পড়ে। এ ঘটনার পর ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি ভবন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
এদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আগুন জ্বলছে এতে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক ইউনিট কাজ করছে বলেও জানা তিনি তবে এ দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছেন কি না সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অপরদিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর পাশের আরো একটি ভবন আংশিক ধসে পড়ে এ ঘটনার পর ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি ভবন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে
|
চীনে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুন: নিহত ১০
|
চীনে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুন: নিহত ১০
|
চকরিয়ায় আ.লীগের ৭ বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কার
|
জনতার পঞ্চায়েত গড়তে বুথ রক্ষার লড়াইয়ে বাংলা
|
state
|
পঞ্চায়েত কেমন হবে? এমন পঞ্চায়েত যা জবাবদিহি করবে গ্রামের মানুষের কাছে। গ্রামের সরকার হবে পঞ্চায়েতই। সরকারি পরিষেবা বাড়ির দুয়ারে টেনে আনবে এমন জনতার পঞ্চায়েত। চাপড়ায় জনসভা মীনাক্ষী মুখার্জির। তৃণমূল আর বিজেপি’কে হারিয়ে জনতার পঞ্চায়েত গড়ার প্রচারে এমনই বলছেন বামপন্থীরা। মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে চলেছে প্রচার। কোথাও হয়েছে সমাবেশ, বড় মিছিল। কোথাও আবার প্রার্থীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কথা বলা হয়েছে সহনাগরিকদের সঙ্গে। নির্বাচনে বামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতায় থাকা আইএসএফ এবং কংগ্রেস একসঙ্গে করছে মিছিল। এদিন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় হয় বিশাল মিছিল। নেতৃত্ব দিয়েছেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নদীয়ার চাপড়ায় সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন যুবনেত্রী এবং সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভগবানপুর শঙ্করপুরে গ্রামের পথে কেবল মানুষ আর মানুষ। এখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ভগবানপুর শঙ্করপুরে মিছিলে রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি ও কান্তি গাঙ্গুলি তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে মামলা দিচ্ছে পুলিশ। রাজ্যের বহু জায়গা থেকে উঠছে এমন অভিযোগ। রাজ্যের পুলিশ প্রধান বলছেন ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে দেওয়া হচ্ছে মনোনয়ন। তালিকা থেকে সিপিআই(এম), আইএসএফ প্রার্থীদের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে। বামপন্থীরা বলছেন পুলিশ এবং কমিশনকেও জবাবদিহি করতে হবে জনতার কাছে। চোরদের তাড়ানোর ডাক দিয়েছেন মহম্মদ সেলিম, কাঁকসায় বিশাল মিছিলের পর জনসভায়। সেই সঙ্গে মনে করিয়েছেন যে দুর্নীতিকে হারাতে হলে মানুষের একজোট থাকা প্রয়োজন। তৃণমূলের মতো বিজেপি’ও বিভাজনের রাজনীতিকে সম্বল করে ভোট লড়ে। দুই দলই লুটেরাদের পক্ষে। তৃণমূল চাকরি বিক্রি করে, বালি পাথর কয়লা চালান করে। আর বিজেপি পছন্দের কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়। জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, কাজের সুযোগ বন্ধ হয়, কাজ থাকলে মজুরির ঠিক থাকে না- সবই হয় লুটের রাজনীতির জন্য। সেই জন্যই গণতন্ত্রকে লুট করতে হয়। দু’দলই মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। মানুষের সম্পদ লুট করে কয়েকজনের হাতে দেওয়ার রাজনীতিকে হারাতেই হবে, মিছিলে জনসভায় বলছে বামফ্রন্ট। যে কোনও অবস্থায় রক্ষা করতে হবে বুথ। রক্ষা করতে হবে ভোট দেওয়ার অধিকার। রাস্তায় নেমেই রাখতে হবে সেই অধিকার। বামপন্থীরা বলছেন, জনতার পঞ্চায়েত গড়তেই বুথ রক্ষার লড়াইয়ে নামবে বাংলা।
|
নির্বাচনে বামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতায় থাকা আইএসএফ এবং কংগ্রেস একসঙ্গে করছে মিছিল এদিন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় হয় বিশাল মিছিল নেতৃত্ব দিয়েছেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নদীয়ার চাপড়ায় সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন যুবনেত্রী এবং সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভগবানপুর শঙ্করপুরে গ্রামের পথে কেবল মানুষ আর মানুষ এখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ভগবানপুর শঙ্করপুরে মিছিলে রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি ও কান্তি গাঙ্গুলি তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে মামলা দিচ্ছে পুলিশ রাজ্যের বহু জায়গা থেকে উঠছে এমন অভিযোগ রাজ্যের পুলিশ প্রধান বলছেন ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে বিদেশ থেকে দেওয়া হচ্ছে মনোনয়ন তালিকা থেকে সিপিআই(এম), আইএসএফ প্রার্থীদের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে বামপন্থীরা বলছেন পুলিশ এবং কমিশনকেও জবাবদিহি করতে হবে জনতার কাছে
|
পঞ্চায়েতে বুথরক্ষা করবে যুবরা: সোচ্চারে ঘোষণা যুব সমাবেশে
|
খাদান রক্ষার লড়াইয়ে রাস্তা দেখাচ্ছে চিনাকুড়ি
|
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ পুলিশকর্মীদের
|
Whatsapp Features: হোয়াটসঅ্যাপে চালু হতে চলেছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার, আগামী দিনে কী কী সুবিধা পাবেন ইউজাররা?
|
technology
|
Whatsapp Features: ইউজারদের সুবিধার জন্য একাধিক ফিচার নিয়ে কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) সংস্থা। তবে এর মধ্যে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার (Whatsapp Features), যা খুব তাড়াতাড়ি লঞ্চ হতে চলেছে। এর মধ্যে একটি হল, ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে ফোন নম্বর লুকিয়ে রেখে ইউজার নেম (User Name) দিতে পারবেন। আর একটি হল, ভিডিও কলের (Video Call) সময় স্ক্রিন শেয়ার (Screen Share) করতে পারবেন ইউজাররা। এই দুই ফিচার নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে চালু হয়েছে মেসেজ এডিট এবং চ্যাট লক ফিচার। এছাড়াও এখন একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট একাধিক ফোনে ব্যবহারের সুযোগও পান ইউজাররা। হোয়াটসঅ্যাপে লুকিয়ে রাখতে পারবেন নম্বর হোয়াটসঅ্যাপ ট্র্যাকার WaBetaInfo জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ এমন একটি ফিচার নিয়ে কাজ করছে যেখানে অ্যাকাউন্টে আপনি ইউজার নেম ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি ফোন নম্বর লুকিয়ে রাখতে পারবেন। অর্থাৎ ফোন নম্বর না দিলেও চলবে। চাইলে আপনি দিতেই পারবেন। আপনি নম্বর না দিলে অন্যান্য ইউজাররা আপনার ইউজার নেমই দেখতে পারবেন। এই ইউজার নেম দিয়েই আপনার অ্যাকাউন্ট হোয়াটসঅ্যাপে খুঁজেও পাবেন ইউজাররা। হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্রিন শেয়ার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করার সময় স্ক্রিন শেয়ার করার অপশন পাবেন ইউজাররা। গুগল মিটে এই সুবিধা রয়েছে। ভিডিও কলের জন্য গুগল মিট যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাই এবার গুগল মিটকে টেক্কা দিতেই স্ক্রিন শেয়ারের অপশন চালু করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে ৩২ জন ইউজার একসঙ্গে ভিডিও কলে যোগ দিতে পারেন। Whatsapp Edit Message: ইউজারদের সুবিধায় হোয়াটসঅ্যাপে হাজির নতুন ফিচার। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ অতুন এডিট বাটন ফিচার সকলের জন্য লঞ্চ করেছে। অর্থাৎ ভুল করে কোনও মেসেজ পাঠিয়ে ফেললে তা এডিট করে ঠিক করার সুবিধা পাবেন ইউজাররা। সম্প্রতিই হোয়াটসঅ্যাপে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার লঞ্চ হয়েছে। সেই ফিচারের সাহায্যে নির্দিষ্ট একটি চ্যাটবক্স বা গ্রুপ চ্যাট লক করে রাখার সুবিধা পাবেন ইউজাররা। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া মেসেজ এডিট করার জন্য নতুন একটি বাটন লঞ্চ করেছে সংস্থা। মেসেজ পাঠানোর পর তা এডিট করার জন্য ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় পাবেন ইউজাররা। অনেকসময়েই আমরা মেসেজ টাইপ করার সময় বানান ভুল করে থাকি। এছাড়াও অনেকক্ষেত্রেই যা লিখতে চাই হয়তো অটো কারেক্টের জন্য তা লেখা হয় না। এইসব ক্ষেত্রে পাঠানোর পরেও মেসেজ এডিট করার অপশন থাকলে খুবই উপকার হবে ইউজারদের। তবে মেসেজ পাঠানোর পর ১৫ মিনিটের মধ্যেই যাবতীয় এডিট করে নিতে হবে। কারণ সময় পেরিয়ে গেলে আর সুবিধা পাবেন না। আরও পড়ুন- ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে থালার মাপ ! অবাক করবে পুষ্টিবিদের এই ভিডিও
|
এছাড়াও এখন একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট একাধিক ফোনে ব্যবহারের সুযোগও পান ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপে লুকিয়ে রাখতে পারবেন নম্বর হোয়াটসঅ্যাপ ট্র্যাকার WaBetaInfo জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ এমন একটি ফিচার নিয়ে কাজ করছে যেখানে অ্যাকাউন্টে আপনি ইউজার নেম ব্যবহার করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনি ফোন নম্বর লুকিয়ে রাখতে পারবেন অর্থাৎ ফোন নম্বর না দিলেও চলবে চাইলে আপনি দিতেই পারবেন আপনি নম্বর না দিলে অন্যান্য ইউজাররা আপনার ইউজার নেমই দেখতে পারবেন এই ইউজার নেম দিয়েই আপনার অ্যাকাউন্ট হোয়াটসঅ্যাপে খুঁজেও পাবেন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্রিন শেয়ার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করার সময় স্ক্রিন শেয়ার করার অপশন পাবেন ইউজাররা গুগল মিটে এই সুবিধা রয়েছে ভিডিও কলের জন্য গুগল মিট যথেষ্ট জনপ্রিয়
|
Whatsapp Features: একটি ফোনে দুটো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট! ইউজারদের সুবিধায় দ্রুত আসছে নতুন ফিচার
|
WhatsApp: পুজোর আগেই দুঃখের খবর! একগুচ্ছ ফোনে বন্ধ হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ
|
অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা বাচ্চাদের স্কুলে পড়াতেন, মাসিক বেতন কত ছিল জানেন?
|
Murder: গলায় ক্ষুর চালিয়ে ১৪ বছরের নাবালিকাকে খুনের চেষ্টা, গ্রেপ্তার নিকট আত্মীয়
|
national
|
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৪ বছরের নাবালিকার গলায় ক্ষুর চালিয়ে খুনের চেষ্টার অভিয়োগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি তারই নিকট আত্মীয়। গলায় আঘাত করার পাশাপাশি ওই বালিকার মুখে অ্যাসিডও ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ভেঙ্কটাচালামে। আহত বালিকাকে প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতাল পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অ্যাসিড হামলার কারণে মেয়েটির অবস্থা বর্তমানে সঙ্কটজনক। আরও পড়ুন: বালিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু যুবকের, সমালোচনায় বিদ্ধ স্থানীয় প্রশাসন পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত বালিকাটিরই নিকট আত্মীয়, যাকে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সোমবার বিকেলে মেয়েটির ওপর হামলা করা হয়। সেই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় সাহায্য পায়নি ওই বালিকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে খবর দেওয়া হয় মেয়েটির বাবাকে, তারপর ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্তের বয়স ৩৫ বছর। টাকা পয়সার লোভেই খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে অন্য কোনো কারণ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি তারই নিকট আত্মীয় গলায় আঘাত করার পাশাপাশি ওই বালিকার মুখে অ্যাসিডও ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ভেঙ্কটাচালামে আহত বালিকাকে প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতাল পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
|
Nadia: একই কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা মা-ছেলের
|
১৮৬০ টাকা চুরি করে লুকিয়ে ছিলেন গুহায়, ১৪ বছর পর আত্মসমর্পণ পুলিশের কাছে
|
মনোরোগী সাজিয়ে রিহ্যাবে পাঠানোর চেষ্টা, ধৃত স্বামী-সহ ২
|
১৪০ দিন পর খাবার খেলেন ফিলিস্তিনি
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিনা কারণে আটকে রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশন করা হিশাম আবু হাওয়াস তার অনশন ভেঙেছেন। অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন নামক একটি কালো আইনে তাকে আটক করে দখলদার ইসরাইল। এর প্রতিবাদে ১৪২ দিন না খেয়ে ছিলেন তিনি। এতে করে তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। ফলে ইসরাইল তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। হিশাম আবু হাওয়াসের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবেন তিনি। এই খবর জানার পর ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট দলের সদস্য হিশাম অনশন ভাঙেন। অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন আইনে ইসরাইলি সেনাবাহিনী যে কাউকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গ্রেফতার করতে পারে। এরপর কোন বিচার না করেই যতোদিন ইচ্ছা আটকে রাখতে পারবে। যদি বিচার শুরুও হয় তাহলে সে বন্দি জানতে পারবেন না কোন অপরাধে তার বিচার করা হচ্ছে। ফলে এই আইনে কেউ আটক হলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান না। কয়েকদিন ধরে আবু হাওয়াসের মুক্তির দাবিতে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। তাছাড়া অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশনে আটক আরো প্রায় ৫০০ বন্দি জানায়, আবু হাওয়াসকে মুক্তি না দিলে তারা ইসরাইলের সামরিক আদালতে হাজিরা দেবেন না। আবু হাওয়াসের দল ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট জানায়, যতি তিনি অনশনরত অবস্থায় মারা যান তাহলে তারা সামরিক পদক্ষেপ নেবে। আবু হাওয়াসের জন্য ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে গঠিত সংঘটন দি অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো অপারেশনও একটি বিবৃতি দেয়। সংঘটনটি বিবৃতিতে জানায়, আবু হাওয়াসের জীবন নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন। অনশনের মাধ্যমে ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে আবু হাওয়াসের মুক্তির বিষয়টিকে বিজয় হিসেবে দেখছে ফিলিস্তিনিরা। তাকে মুক্তি দেয়া হবে এ খবর জানার পর অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। পাঁচ সন্তানের জনক ৪০ বছর বয়সী আবু হাওয়াস তার জীবনের আট বছরই কাটিয়েছেন জেলে। এর মধ্যে প্রায় চার বছর তাকে আটকে রাখা হয়েছে অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন আইনে। শুধু আবু হাওয়াস নয়। এই কালো আইনের প্রতিবাদে অনেক বন্দিই অনশন করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম/এম.এম
|
ফলে ইসরাইল তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে হিশাম আবু হাওয়াসের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবেন তিনি এই খবর জানার পর ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট দলের সদস্য হিশাম অনশন ভাঙেন অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন আইনে ইসরাইলি সেনাবাহিনী যে কাউকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গ্রেফতার করতে পারে এরপর কোন বিচার না করেই যতোদিন ইচ্ছা আটকে রাখতে পারবে যদি বিচার শুরুও হয় তাহলে সে বন্দি জানতে পারবেন না কোন অপরাধে তার বিচার করা হচ্ছে ফলে এই আইনে কেউ আটক হলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান না কয়েকদিন ধরে আবু হাওয়াসের মুক্তির দাবিতে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা
|
‘গোবি কা পরোটা’ বানাতে বলেন, ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’কে ডিনারের প্রস্তাবও দেন দিলজিৎ
|
পরীক্ষা
|
করোনার জেরে বেড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কলিং, চিন্তায় কপালে ভাঁজ ফেসবুকের
|
অর্জুনের পর লাইনে কে? রাজ্যের ঢালাও প্রশংসায় চর্চায় BJP-র তারকা বিধায়ক
|
politics
|
ফের ভাঙন বঙ্গ বিজেপিতে? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েই গেল। পদ্ম শিবির ছাড়ার আগে ঠিক যেভাবে দিন কয়েক লাগাতার তৃণমূল-স্তুতি শোনা যেত অর্জুন সিংয়ের মুখে, তেমনই এবার সেই পথই ধরেছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও। পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে রাজ্য সরকারের কাজের ঢালাও প্রশংসা হিরণের মুখে। তবে কি অভিনেতার জোড়াফুলে প্রত্যাবর্তন শুধুই সময়ের অপেক্ষা? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। একটা একুশের ভোট সব হিসেব ওলোট-পালোট করে দিয়েছে। গত বছর বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে এরাজ্যে গেরুয়ার ঘর ভাঙা শুরু। সেই ট্রেন্ড এখনও অব্যাহত। এরাজ্যে সর্বশেষ বিজেপি ছেড়েছেন অর্জুন সিং। এবার কি পদ্মে মোহভঙ্গ হিরণেরও? খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণের মুখে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের ঢালাও প্রশংসা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বৃহস্পতিবার ঠিক কী বলেছেন হিরণ? যাগত কয়েক বছরে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে পর্যটন নির্ভর পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকাগুলির পুনর্গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে রাজ্য সরকারের সেই কাজেরই ভূয়সী প্রশংসা হিরণের মুখে। তাঁর কথায়, ”রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা ও জেলাশাসকের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেলায় আগের অবস্থা ফিরে এসেছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।” রাজনীতি ভুলে বাংলার উন্নয়নের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন বিজেপির এই তারকা বিধায়ক। আরও পড়ুন- KK-কে নিয়ে কুমন্তব্য, রূপঙ্করকে ‘গুঁতো’য় সবক শেখালেন অনুপম উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। সৈকতনগরী দিঘা থেকে শুরু করে মন্দারমণি, তাজপুর, মহিষাদল, তমলুক, কাঁথির বিভিন্ন এলাকায় বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপরেই জেলার পর্যটেনকেন্দ্রগুলির পুনর্গঠনে বাড়তি উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পুনর্গঠনের কাজ করা হয়। রাজ্য সরকারের সেই কাজেই যথেষ্ট খুশি বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তবে হিরণের মুখে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের এহেন প্রশংসায় অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। তবে কি পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলে মন মজেছে বিজেপি নেতার? অর্জুন সিংও কিন্তু ঠিক একইভাবে পাট শিল্পের উন্নতি নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে টানা কয়েকদিন ধরে সওয়াল তুলে গিয়েছিলেন। শেষমেশ গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন অর্জুন। অর্জুনের পথেই কি এগোচ্ছেন হিরণ? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েই গেল। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Bjp mla hiran chatterjee congratulates wb govt reconstruction work at east midnapore
|
সৈকতনগরী দিঘা থেকে শুরু করে মন্দারমণি, তাজপুর, মহিষাদল, তমলুক, কাঁথির বিভিন্ন এলাকায় বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এরপরেই জেলার পর্যটেনকেন্দ্রগুলির পুনর্গঠনে বাড়তি উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পুনর্গঠনের কাজ করা হয় রাজ্য সরকারের সেই কাজেই যথেষ্ট খুশি বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় তবে হিরণের মুখে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের এহেন প্রশংসায় অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল তবে কি পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলে মন মজেছে বিজেপি নেতার? অর্জুন সিংও কিন্তু ঠিক একইভাবে পাট শিল্পের উন্নতি নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে টানা কয়েকদিন ধরে সওয়াল তুলে গিয়েছিলেন শেষমেশ গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন অর্জুন অর্জুনের পথেই কি এগোচ্ছেন হিরণ? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েই গেল
|
অর্জুন গড়ে তোলপাড়, BJP সভাপতি নাকি সাংসদের ‘এজেন্ট’! ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া
|
দুই পরিবারকে মেলাল হ্যাম
|
তৃণমূল আছে কেবল পুলিশের দয়ায়: চক্রবর্তী
|
সম্পাদক সমীপেষু: এলেবেলে স্কুলশিক্ষা
|
editorial
|
‘দুয়ারে অশিক্ষা’ (১২-১১) সম্পাদকীয় প্রবন্ধটি খুবই যথাযথ। শিক্ষাকে বর্তমান সরকার যে যথাযথ গুরুত্ব দেয় না, তার একাধিক উদাহরণ করোনার সময় থেকে লক্ষ করা গিয়েছে। অন্য অনেক রাজ্যে করোনার প্রভাব কমলে মাঝেমধ্যে কিছু দিনের জন্য স্কুল খুললেও এ রাজ্যে প্রায় একটানা দু’বছর স্কুল-কলেজ খোলেনি। অনলাইন শিক্ষা থেকেও বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন কারণে বঞ্চিত ছিল। করোনা কমে যাওয়ার পর এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের। তার পর স্কুল খুললেও গরমের অজুহাতে টানা দেড় মাস ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ প্রায় বন্ধ। ফলে বিভিন্ন স্কুলে অসংখ্য শিক্ষকের পদ শূন্য। এমনকি এই জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে অনেক স্কুল এ বছর ছাত্র ভর্তি নিতে পারেনি। অনেক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ক্লাস নিচ্ছেন— এমন সংবাদও উঠে এসেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সভা এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানের জন্য স্কুল ক্যাম্পাস ব্যবহার করা এ রাজ্যে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সে জন্য স্কুল পূর্ণদিবস বা অর্ধদিবস ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এখন আবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে শিক্ষকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলার জন্য বিভিন্ন স্কুলে এক বা একাধিক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সময় মতো বইপত্র, স্কুল ড্রেস ইত্যাদি সরবরাহ না করা, মিড-ডে মিলে ঘাটতি— এ সব তো প্রাত্যহিক ঘটনা। সম্প্রতি বি এড কোর্সের দ্বিতীয় সিমেস্টার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিভিন্ন বি এড কলেজে। এক পরীক্ষার্থীর থেকে জানা গেল, প্রাইভেট বি এড কলেজগুলোতে পরীক্ষার নামে প্রহসন হয়েছে। হোম সেন্টারের অনুমোদন তো দেওয়া হয়েছেই, পাশাপাশি মাইক্রো জ়েরক্স নিয়ে পরীক্ষা দিলে ইনভিজিলেটর দেখেও উপেক্ষা করেছেন পাশের হার ঠিক রাখার জন্য। সুতরাং, এ রাজ্যে শিক্ষার দৈন্যদশা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। শিক্ষার মূল্যায়ন হচ্ছে শুধুমাত্র পাশের হারে। সেই হার ঠিক রাখতে যা করণীয় তা-ই করা যাবে, এমনই মনোভাব। শিক্ষার উন্নয়নে সদর্থক কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এ ভাবে চললে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার আরও অবনমন ঘটবে, সন্দেহ নেই। প্রদ্যোৎ পালুই, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া ভোটে প্রয়োজন ‘দুয়ারে অশিক্ষা’ সম্পাদকীয়তে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস না নিয়ে,বার্ষিক পরীক্ষার কাজ ফেলে শিক্ষকরা কেন ছুটবেন সরকারি ভাতা অনুদানের কাজে মানুষকে পরিষেবা দিতে? যথার্থই। সমাজ গড়ার কারিগরদের শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কহীন কোনও কাজে যুক্ত করা হলে তা শিক্ষা জগতের অপূরণীয় ক্ষতিও বটে। কিন্তু ভোটের তালিকা তৈরি, কিংবা ভোটগ্রহণের মতো কাজে শিক্ষকদের যুক্ত করার কাজেরও বিরোধিতা করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। এই বিষয়ে বলতে হয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভোটগ্রহণ কিংবা ভোটের সঙ্গে যুক্ত কাজকে অপরিসীম গুরুত্বের চোখে দেখা হয়, যা বিরাট স্বচ্ছতার দ্বারা ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করেন ওই কাজে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উক্ত কাজে তাঁদের ছাড়া অন্যদের যুক্ত করা হলে তাতে ভুলত্রুটির সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। আধার ও রেশন কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পাহাড়-প্রমাণ ভুল তাই প্রমাণ করে। সে দিক দিয়ে ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষকদের দায়িত্ব বণ্টনে অন্যায়ের কিছু নেই। সেক ইমরান, গোলকুঁয়াচক, পশ্চিম মেদিনীপুর চূড়ান্ত অবহেলা ‘দুয়ারে অশিক্ষা’ সময়োচিত। সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা দ্রুত অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হতে চলেছে। নির্বাচনী কাজ পরিচালনা থেকে শুরু করে সরকারের নানা ধরনের কাজ করতে শিক্ষকদের বাধ্য করা হচ্ছে। আর আছে শিক্ষকদের রকমারি ট্রেনিং, মিড-ডে মিলের বাজার করা ইত্যাদি। হাজার হাজার শিক্ষক পদ শূন্য। বহু স্কুলে এক জন মাত্র শিক্ষক। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের পরিসংখ্যান আর বাস্তবের ফারাকটা ভুক্তভোগীরাই জানেন। এই চূড়ান্ত অবহেলা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখে মনে হয় যেন সরকার শিক্ষাব্যবস্থাটির থেকে দ্রুত হাত গুটিয়ে নিতে চাইছে। শিক্ষাব্যবস্থা বিপর্যস্ত। অথচ, জনমানসে শিক্ষকরাই আসামীর কাঠগড়ায়। তাঁদের কোনও দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতা নেই— এ কথা ঠিক নয়। কিন্তু সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশকে যেখানে দাঁড় করানো হয়েছে, তা যে শিক্ষাদান ও গ্রহণে উত্তরোত্তর অমনোযোগী করে তুলবে, এ সত্য কি অস্বীকার করা যাবে? জাতি গঠনে শিক্ষার অপরিসীম গুরুত্ব আমরা ভুলতে বসেছি। শিক্ষা যেন আর পাঁচটা সাধারণ বিষয়ের মতো একটি। এ দেশে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অতুলনীয় সংগ্রামের কথা মনে পড়ে। পরবর্তী কালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে আচার্য সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির বিকল্প জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কী অপরিসীম প্রচেষ্টা। আজকের শাসকবর্গ কি তার খোঁজ রাখেন? শিক্ষকদের তরফেই বা সরকারি কাজ করতে বাধ্য করার বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ কই? শিক্ষক সমিতিগুলি যদি একত্রে প্রতিবাদে নামে, তা হলে হয়তো সরকারের কানে ঢুকবে। শিক্ষাব্যবস্থাকে দ্রুত রসাতলে পাঠানোর যে বিরাট আয়োজন চলছে, তার থেকে অন্তত এই প্রশ্নে কিছুটা উপশম হতে পারে। মদন ঘটক, সিউড়ি, বীরভূম কাজের ক্ষতি দুয়ারে রেশন, দুয়ারে মদ, দুয়ারে অশিক্ষা, দুয়ারে অপসংস্কৃতি, পাড়ায় সমাধান, আর কত শুনতে হবে, দেখতে হবে। কাজের কাজ কী হচ্ছে, সেটাই প্রশ্ন। সরকার যদি শিশুদের প্রকৃত শিক্ষা দিত, তা হলে শিক্ষার উপর এত আক্রমণ হানত না। শিক্ষক সমাজকে যেমন খুশি কাজে লাগাতে পারত না। এক জন শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে কত রকমের কাজ করতে হয়, তার ফিরিস্তি দিতে চাই না। পাঠদানের জন্য কতটা সময় দিচ্ছেন, সেটা জরুরি বিষয়। সরকারি নানা কাজে শিক্ষকদের জড়িয়ে দিলে মূল কাজ ব্যাহত হবেই। বিদ্যুৎ সীট, জগদল্লা, বাঁকুড়া রাজার ভুল প্রেমাংশু চৌধুরীর ‘চুপ! সরকার চলছে’ (৩-১১) দেশের বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরেছে। সরকারের কাজের সমালোচনা করলেই তা হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। স্বাধীনতার আগে যেমন ব্রিটিশ সরকার ‘নেটিভ’দের কোনও রকম মন্তব্যও সহ্য করত না, ভাবত ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, বর্তমানের অবস্থাও খুব একটা পাল্টায়নি। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জরুরি অবস্থায় কী রকম ভাবে বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার গলা টিপে দেওয়া হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আছে কুলদীপ নায়ারের দ্য জাস্টিস বইটিতে। ব্রিটেনে একটা কথা খুব প্রচলিত, ‘কিং ক্যান ডু নো রং’, অর্থাৎ রাজা কখনও ভুল করেন না। আমাদের দেশের সরকারও সেটাই মনে করে। কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাতে সব সময় নাগরিকের বাক্স্বাধীনতা রয়েছে। আমাদের দেশের সংবিধানও বাক্স্বাধীনতা-কে একটি মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছে। তা হলে কেনই বা নাগরিক সরকারের কাজের সমালোচনা করতে পারবে না, ভুল-ত্রুটি ধরতে পারবে না? বরং সরকারের কাজের সমালোচনা করে সরকারকে সঠিক পথে দেশ শাসনে সাহায্য করা নাগরিকের দায়িত্ব। এবং রাষ্ট্র সেখানে সহনশীল মনোভাব দেখাবে, এটাই জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রের লক্ষণ। সর্বানী গুপ্ত, বড়জোড়া, বাঁকুড়া
|
অথচ, জনমানসে শিক্ষকরাই আসামীর কাঠগড়ায় তাঁদের কোনও দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতা নেই— এ কথা ঠিক নয় কিন্তু সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশকে যেখানে দাঁড় করানো হয়েছে, তা যে শিক্ষাদান ও গ্রহণে উত্তরোত্তর অমনোযোগী করে তুলবে, এ সত্য কি অস্বীকার করা যাবে? জাতি গঠনে শিক্ষার অপরিসীম গুরুত্ব আমরা ভুলতে বসেছি শিক্ষা যেন আর পাঁচটা সাধারণ বিষয়ের মতো একটি এ দেশে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অতুলনীয় সংগ্রামের কথা মনে পড়ে পরবর্তী কালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে আচার্য সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির বিকল্প জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কী অপরিসীম প্রচেষ্টা আজকের শাসকবর্গ কি তার খোঁজ রাখেন? শিক্ষকদের তরফেই বা সরকারি কাজ করতে বাধ্য করার বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ কই? শিক্ষক সমিতিগুলি যদি একত্রে প্রতিবাদে নামে, তা হলে হয়তো সরকারের কানে ঢুকবে শিক্ষাব্যবস্থাকে দ্রুত রসাতলে পাঠানোর যে বিরাট আয়োজন চলছে, তার থেকে অন্তত এই প্রশ্নে কিছুটা উপশম হতে পারে মদন ঘটক, সিউড়ি, বীরভূম কাজের ক্ষতি দুয়ারে রেশন, দুয়ারে মদ, দুয়ারে অশিক্ষা, দুয়ারে অপসংস্কৃতি, পাড়ায় সমাধান, আর কত শুনতে হবে, দেখতে হবে কাজের কাজ কী হচ্ছে, সেটাই প্রশ্ন সরকার যদি শিশুদের প্রকৃত শিক্ষা দিত, তা হলে শিক্ষার উপর এত আক্রমণ হানত না শিক্ষক সমাজকে যেমন খুশি কাজে লাগাতে পারত না এক জন শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে কত রকমের কাজ করতে হয়, তার ফিরিস্তি দিতে চাই না পাঠদানের জন্য কতটা সময় দিচ্ছেন, সেটা জরুরি বিষয় সরকারি নানা কাজে শিক্ষকদের জড়িয়ে দিলে মূল কাজ ব্যাহত হবেই বিদ্যুৎ সীট, জগদল্লা, বাঁকুড়া রাজার ভুল প্রেমাংশু চৌধুরীর ‘চুপ! সরকার চলছে’ (৩-১১) দেশের বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরেছে সরকারের কাজের সমালোচনা করলেই তা হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল স্বাধীনতার আগে যেমন ব্রিটিশ সরকার ‘নেটিভ’দের কোনও রকম মন্তব্যও সহ্য করত না, ভাবত ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, বর্তমানের অবস্থাও খুব একটা পাল্টায়নি ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জরুরি অবস্থায় কী রকম ভাবে বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার গলা টিপে দেওয়া হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আছে কুলদীপ নায়ারের দ্য জাস্টিস বইটিতে ব্রিটেনে একটা কথা খুব প্রচলিত, ‘কিং ক্যান ডু নো রং’, অর্থাৎ রাজা কখনও ভুল করেন না আমাদের দেশের সরকারও সেটাই মনে করে কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাতে সব সময় নাগরিকের বাক্স্বাধীনতা রয়েছে আমাদের দেশের সংবিধানও বাক্স্বাধীনতা-কে একটি মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছে
|
সম্পাদক সমীপেষু: সরকারি স্কুল
|
সম্পাদক সমীপেষু: বাজির দৌরাত্ম্য
|
নিজেকে বাঁচাতে রাজ্যকে বাজি ধরছেন মমতা অভিযোগ সেলিমের
|
PAN-Aadhaar Linking: হাতে বাকি ৫দিন, এদের করতে হবে না প্যান-আধার লিঙ্ক
|
technology
|
Aadhaar Card: হাতে আর বেশি সময় নেই। ৩০ জুন আধার-প্যান লিঙ্ক করার সময় শেষ হচ্ছে। তাই এখনও এই কাজে অবহেলা করলে ভুগতে হবে আপনাকে। PAN-Aadhaar Linking: আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করেছে আয়কর বিভাগ। এর জন্য করদাতাদের মাত্র ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয় হয়েছে। সময়সীমা পর্যন্ত আধারের সাথে লিঙ্ক না করা হলে প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া করদাতাকে অনেক লোকসানও বহন করতে হতে পারে। তবে কিছু নাগরিকের এই সব বিষয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। UIDAI Update: সময়সীমার পর এই ক্ষতিআয়কর আইন 1961-এর অধীনে আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা আবশ্যক। সময়সীমার মধ্যে অর্থাৎ 30 জুন 2023 এর মধ্যে প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক করতে ব্যর্থ হলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। প্রথমত, ৩০ জুনের পর অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। প্যান ও আধার লিঙ্ক না থাকলে করদাতার আয়কর রিটার্ন আটকে রাখা হবে। আরেকটি বড় অসুবিধা হল আপনার থেকে বেশি TCS ও TDS চার্জ করা হবে। PAN Card Update: কাদের জন্য বাধ্যতামূলককেন আধারের সঙ্গে PAN লিঙ্ক করা দরকার ? আয়কর আইনের 139AA ধারা এটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে। এই বিভাগে বলা হয়েছে , 1 জুলাই 2017 পর্যন্ত যে প্রত্যেক ব্যক্তির PAN ছিল ও আধার নম্বর পাওয়ার যোগ্য তাদের সময়সীমা অর্থাৎ 30 জুনের মধ্যে আধারের সাথে PAN লিঙ্ক করতে হবে। PAN-Aadhaar Linking: তবে চার জায়গার বাসিন্দা এই বিধান থেকে অব্যাহতি পাবেন। আধারের সঙ্গে প্যান লিঙ্ক করা থেকে ছাড় পাবেন.....অসম, জম্মু, কাশ্মীর ও মেঘালয়ের বাসিন্দা।আয়কর আইনের অধীনে, 1961 অনাবাসী ভারতীয় অর্থাৎ NRI.2020 সালে 80 বছর বয়সী নাগরিক।যারা ভারতের নাগরিক নন।আয়কর বিভাগের মতে, উপরে উল্লিখিত চার বিভাগের জন্য আধারের সঙ্গে প্যান লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে তারা স্বেচ্ছায় করতে চাইলে তা করতে পারে। এগুলি ছাড়াও সব করদাতার জন্য 30 জুন পর্যন্ত এই লিঙ্ক করা প্রয়োজন। এর পরে লিঙ্ক করতে আপনাকে 1000 টাকা জরিমানা দিতে হবে। UIDAI Update: লিঙ্কটি কাজ করছে নাসময়সীমা খুব কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই আধারের সাথে প্যান লিঙ্ক করা শুরু করেছেন। যদিও এর অনেক চেষ্টাই ব্যর্থ হচ্ছে। আয়কর বিভাগ এই ধরনের করদাতাদের যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা বিবেচনা করেছে । Best Multibagger Stocks: ৬ মাসে টাকা দ্বিগুণ, জেনে নিন এই ১২টি মাল্টিব্যাগার স্টকের নাম
|
তবে কিছু নাগরিকের এই সব বিষয়ে চিন্তা করার দরকার নেই UIDAI Update: সময়সীমার পর এই ক্ষতিআয়কর আইন 1961-এর অধীনে আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা আবশ্যক সময়সীমার মধ্যে অর্থাৎ 30 জুন 2023 এর মধ্যে প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক করতে ব্যর্থ হলে অনেক ক্ষতি হতে পারে প্রথমত, ৩০ জুনের পর অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে প্যান ও আধার লিঙ্ক না থাকলে করদাতার আয়কর রিটার্ন আটকে রাখা হবে আরেকটি বড় অসুবিধা হল আপনার থেকে বেশি TCS ও TDS চার্জ করা হবে PAN Card Update: কাদের জন্য বাধ্যতামূলককেন আধারের সঙ্গে PAN লিঙ্ক করা দরকার ? আয়কর আইনের 139AA ধারা এটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে এই বিভাগে বলা হয়েছে , 1 জুলাই 2017 পর্যন্ত যে প্রত্যেক ব্যক্তির PAN ছিল ও আধার নম্বর পাওয়ার যোগ্য তাদের সময়সীমা অর্থাৎ 30 জুনের মধ্যে আধারের সাথে PAN লিঙ্ক করতে হবে PAN-Aadhaar Linking: তবে চার জায়গার বাসিন্দা এই বিধান থেকে অব্যাহতি পাবেন
|
PAN Aadhaar Link: আজ প্যান আধার লিঙ্কের শেষ দিন, সরকার বাড়াবে সময়সীমা ?
|
গরমে কি করতে হবে, কি করতে হবে না তা নিয়ে নির্দেশিকা নবান্নের
|
ব্যালন ডি’অর জিতলেন করিম বেনজিমা
|
দশমীতে খুন জেনেও একাদশীতে অয়নের বাড়ি গিয়ে ‘ভিকি কোথায়’ বলে কুম্ভীরাশ্রু বান্ধবীর!
|
kolkata
|
ক্রমেই খুলে যাচ্ছে রহস্যের জট। একাদশীর দিন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিট। হরিদেবপুরে নিহত যুবক অয়ন মণ্ডলের মাকে ফোন করেন তাঁর বান্ধবী। ‘ভিকি (অয়নের ডাকনাম) কোথায়? ওকে ফোনে পাচ্ছি না’— অয়নের মাকে অস্থির হয়ে এ কথাই জিজ্ঞাসা করছিলেন বান্ধবী। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অয়নের বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বর্ষণ করেন অয়ন-বান্ধবী! এমন দাবিই করেছেন অয়নের মা মঞ্জু মণ্ডল। দশমীর রাতে অয়নকে মারধর করে তাঁর দেহ মগরাহাটে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা জানার পরও ‘কিছু না জানার ভান’ করে একাদশীতে অয়নের বাড়িতে গিয়ে যে আচরণ করেছেন অয়নের বান্ধবী, তা দেখে বিস্মিত মঞ্জুদেবীরা। অয়নের পরিণতির কথা প্রকাশ্যে আসার পর একাদশীর দিন অয়নের বান্ধবীর তাঁদের বাড়িতে আসার ‘আসল উদ্দেশ্য’ এখন স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে অয়নের পরিবারের সদস্যদের কাছে। অয়নের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। তা সত্ত্বেও অয়নকে কেন খুন করা হল? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সেই সঙ্গে অয়ন-হত্যার পরও যে ভাবে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ‘ভিকি কোথায়’ বলে চোখেমুখে উদ্বেগের রেখা টেনে উপস্থিত হন বান্ধবী, তা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই। অয়নের মায়ের কথায়, ‘‘ফোন করে ও (বান্ধবী) বলে, ভিকি কোথায়? ওর ফোন স্যুইচড অফ। ফোনে পাচ্ছি না। এর পর ১২টা নাগাদ আমাদের বাড়িতে আসে ও। এসে বলে যে কোথাও ভিকির (অয়নের ডাকনাম) খোঁজ পাচ্ছে না। আমি বলি, হয়তো বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছে।’’ মঞ্জুদেবী আরও বলেন, ‘‘আমাদের বাড়িতে আসার পর থেকেই ওকে অস্থির দেখাচ্ছিল। বসে ক্রমাগত পা নাচাতে থাকে। খারাপ কিছু করে মানুষের মনের অবস্থা যে রকম হয়, ঠিক তেমনটাই দেখাচ্ছিল ওকে। আমরা কেউই বুঝতে পারিনি কী হয়েছে।’’ মঞ্জুদেবী আরও বলেন, ‘‘দুপুর ১টার সময় যখন ছেলের খোঁজ পেলাম না, তখন আমিও অস্থির হয়ে পড়ি। কোথায় গেল আমার ছেলে! সে সময় ও (বান্ধবী) বলে যে, পুলিশ মনে হয় ধরে নিয়ে গিয়েছে। তোমরা থানায় খবর নাও। আমি বলি, কেন ও কী করেছে? পুলিশ কেন?’’ শকুন্তলা মৈত্র নামে অয়নের এক প্রতিবেশীও বলেন, ‘‘ও বসে ক্রমাগত পা নাচাচ্ছিল। ওকে জিজ্ঞাসা করি কিছু কী হয়েছে? কিন্তু কিছুই বলেনি।’’ দশমীর রাতে তাদের বাড়িতে যে গিয়েছিলেন অয়ন এবং সেখানে তাঁকে তাঁর মা যে মারধর করেছেন, সে কথা অয়নের মাকে বলেন বান্ধবী। এ কথা জানার পরই অয়নের মা বান্ধবীর কাছ থেকে জানতে চান যে, তাঁদের মধ্যে কি কোনও ঝামেলা হয়েছে? মঞ্জুদেবীর কথায়, ‘‘ও বলে যে, আমি যদি কিছু করতাম, তা হলে কি এখানে আসতাম!’’ মঞ্জু প্রশ্ন করেন, ‘‘আমার ছেলে কি নেশা করেছিল?’’ ও বলল, ‘না, ও ঠিক ছিল।’’’ প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অয়নের বাড়িতে ছিলেন তার বান্ধবী। পরে শুক্রবার মগরাহাটে অয়নের দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় অয়নের বান্ধবী, তাঁর মা, ভাইকে। শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় বান্ধবীর বাবা, ভাইয়ের দুই বন্ধু ও এক গাড়িচালককে। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অয়নের পরিবার মনে করছে, তাঁদের ছেলেকে খুন করেছেন বান্ধবীর পরিবারের সদস্যরা। গোটা ঘটনা জানার পরও কী ভাবে ‘না জানার ভান’ করে অয়নের খোঁজে ব্যাকুল হয়ে তাঁদের বাড়িতে গেলেন, এ কথাই এখন ভাবাচ্ছে অয়নের মা ও স্বজনদের। অয়নের ওই প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘পরিকল্পনা করেই ও এসেছিল। তা হলে কি সবটাই তার অভিনয়!’’
|
গোটা ঘটনা জানার পরও ‘কিছু না জানার ভান’ করে একাদশীতে অয়নের বাড়িতে গিয়ে যে আচরণ করেছেন অয়নের বান্ধবী, তা দেখে বিস্মিত মঞ্জুদেবীরা অয়নের পরিণতির কথা প্রকাশ্যে আসার পর একাদশীর দিন অয়নের বান্ধবীর তাঁদের বাড়িতে আসার ‘আসল উদ্দেশ্য’ এখন স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে অয়নের পরিবারের সদস্যদের কাছে অয়নের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক তা সত্ত্বেও অয়নকে কেন খুন করা হল? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের সেই সঙ্গে অয়ন-হত্যার পরও যে ভাবে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ‘ভিকি কোথায়’ বলে চোখেমুখে উদ্বেগের রেখা টেনে উপস্থিত হন বান্ধবী, তা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই অয়নের মায়ের কথায়, ‘‘ফোন করে ও (বান্ধবী) বলে, ভিকি কোথায়? ওর ফোন স্যুইচড অফ ফোনে পাচ্ছি না এর পর ১২টা নাগাদ আমাদের বাড়িতে আসে ও এসে বলে যে কোথাও ভিকির (অয়নের ডাকনাম) খোঁজ পাচ্ছে না আমি বলি, হয়তো বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছে’’ মঞ্জুদেবী আরও বলেন, ‘‘আমাদের বাড়িতে আসার পর থেকেই ওকে অস্থির দেখাচ্ছিল বসে ক্রমাগত পা নাচাতে থাকে
|
নাগেরবাজারে বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু, মাথায় আঘাত, লুটের উদ্দেশে খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ
|
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে শামীম
|
মন্দার বাজারে লাখ লাখ কাস্টমার ছেড়ে দিল এয়ারটেল পরিষেবা
|
হৃতিকের সঙ্গে প্রেম, সেই কারণেই কি কঙ্গনাকে জেলে ভরতে চেয়েছিল বলিউড?
|
entertainment
|
বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত অভিনেত্রী তিনি। তাঁর নিশানা থেকে পার পান না ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তারকারাও। তিনি, কঙ্গনা রানাউত। এ বার তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে জড়ালেন ইলন মাস্ক। তা-ও আবার প্রেমের উপদেশ দিলেন টুইটার কর্তাকে! পাশপাশি মুখে ফস্কে বলে ফেলেলেন হৃতিক রোশনের সঙ্গে প্রেমপর্বের কথা! সম্প্রতি ইলন টুইটে নিজের ভালবাসার কথা বলতে গিয়ে লেখেন, ‘‘প্রেমে পড়ে আঘাত পাওয়ার ঘটনা হল এমন একটা অনুভূতি, যেখানে তুমি জানো যে তাঁরা টাকার বিনিময়ে অভিনয় করছে। আর তোমাকে বার বার লক্ষ্যভ্রষ্ট করার চেষ্টা চলছে।’’ টুইট কর্তার মনের কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি কঙ্গনা। ইলনকে নিজের মনের দু-চার কথা জানালেন বিতর্কিত এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমার মতো নাটকীয় জীবন আর কারও আছে বলে মনে হয় না। ইন্ডাস্ট্রির সব মাফিয়ারা প্রেম করার জন্য আমাকে প্রায় জেলে ভরতে চলেছিল।’’ অভিনেত্রীর এই টুইট দেখেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন অনেকে। সকলের নিশানা একই দিকে। অভিনেত্রী এই টুইটের মাধ্যমে আসলে হৃতিকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথাই কবুল করলেন বলে মনে করলেন প্রায় সকলেই! ‘কৃষ ২’ ছবির সময় থেকেই নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। বিস্তর জলঘোলাও হয় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে। পরিস্থিতি এমন হয় যে আদলতের দ্বারস্থ হন হৃতিক। যদিও সে সব অতীত। সাবা আজাদের সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করছেন অভিনেতা। অন্য দিকে, সেই ঘটনার পর থেকে নিজেকে ‘সিঙ্গল’ বলে এসেছেন কঙ্গনা।
|
সকলের নিশানা একই দিকে অভিনেত্রী এই টুইটের মাধ্যমে আসলে হৃতিকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথাই কবুল করলেন বলে মনে করলেন প্রায় সকলেই! ‘কৃষ ২’ ছবির সময় থেকেই নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা বিস্তর জলঘোলাও হয় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে পরিস্থিতি এমন হয় যে আদলতের দ্বারস্থ হন হৃতিক যদিও সে সব অতীত সাবা আজাদের সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করছেন অভিনেতা
|
ক্যাটরিনা পছন্দ করেন না, তবু পুরনো ‘প্রেম’ ভুলতে পারছেন না ভিকি, কিসে মজে আছেন নায়ক?
|
৫ কারণ: দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাবেন কেন?
|
রাজু-হত্যায় বড় মাথা, খুন হতে পারে লতিফ সরাসরি বললেন অর্জুন সিং
|
টেলিভিশনে মায়া বড়ির বিজ্ঞাপন নিয়ে সত্তরের দশকের বাংলাদেশে যা ঘটেছিল
|
lifestyle
|
ছবির উৎস, Rozina রোজিনা: জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির বিজ্ঞাপনের মডেল থেকে জনপ্রিয় চিত্রতারকা সত্তরের দশকের মাঝামাঝি বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজে এক বিরাট আলোড়ন তৈরি হলো বেতার-টেলিভিশন এবং সিনেমা হলে প্রচারিত কিছু বিজ্ঞাপনকে ঘিরে। ছেলে-মেয়েদের সামনে এসব বিজ্ঞাপন দেখে অভিভাবকদের লজ্জা আর অস্বস্তির শেষ নেই। বিজ্ঞাপন শুরু হওয়ার পর কোন কোন মধ্যবিত্ত পরিবারে টেলিভিশনই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছিল। বাংলাদেশে মাত্রই জন্মনিরোধক সামগ্রী সহজলভ্য করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে, এসব বিজ্ঞাপন তারই অংশ। তখনকার রক্ষণশীল সমাজে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বা জন্ম নিরোধক সামগ্রী নিয়ে প্রকাশ্যে কথা-বার্তা বলা সাংঘাতিক লজ্জার, যেন অনেকটা নিষিদ্ধ। সেই সামাজিক লজ্জা আর আড়ষ্টতা ভাঙ্গার কাজে যেন না জেনেই এক বিরাট ভূমিকা রাখলেন পদ্মা তীরের রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় আসা এক তরুণী। নাম তার রেণু। তার দুই চোখে রূপালি পর্দার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। “আমার বাবার বাড়ি ছিল রাজবাড়ী, খুব কাছেই ছিল চিত্রা নামের এক সিনেমা হল। যখন আমি বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই আমি ছবি দেখতাম লুকিয়ে লুকিয়ে বান্ধবীদের সাথে গিয়ে। কবরী ম্যাডাম, শাবানা ম্যাডাম ওনাদের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হতাম, আর স্বপ্ন দেখতাম একদিন আমিও উনাদের মতো বড় নায়িকা হবো,” বিবিসিকে বলছিলেন তিনি। পরিবারের আপত্তি উপেক্ষা করে একদিন রেণু ঢাকায় এলেন সেই স্বপ্ন পূরণে। পুরনো ঢাকায় পাড়ার বার্ষিক নাটকে কিংবা বাণিজ্যিক ছবির একেবারেই ছোট-খাট কিছু দৃশ্যে অভিনয় করে তখন তিনি নজর কাড়ার চেষ্টা করছেন। একদিন তার কাছে একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার অফার আসলো। কিছু না বুঝেই সেটিতে রাজী হয়ে গেলেন তিনি। “যখন আমি মডেল হয়েছিলাম এই বিজ্ঞাপনের, তখন অত কিছু বুঝতাম না, আমি তো কখনো বিজ্ঞাপন করবো এটা ভাবি নি। আমি নায়িকা হতে চেয়েছিলাম, এই বিজ্ঞাপনের মডেল হতে আমার কোন অস্বস্তি হয়নি। তবে এই বিজ্ঞাপনের পর আমার একটা খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লো।” এই বিজ্ঞাপন-চিত্রের শুটিং হয়েছিল ঢাকায় মধুমিতা সিনেমা হলের কাছে এক পুরনো আমলের বনেদী জমিদারের বাড়িতে এবং আরও কিছু লোকেশনে। ছবির ক্যামেরার কাজ করেছিলেন সেসময়ের এক নামকরা ক্যামেরাম্যান সাধন রায়। ছবির উৎস, Social Marketing Company বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত মায়াবড়ির সেই বিজ্ঞাপনের একটি দৃশ্য। এই বিজ্ঞাপন-চিত্রের শুরুতেই লাজ-নম্র বধূর বেশে রেণুকে দেখা যাচ্ছিল বাসর ঘরে, এরপর দুই সন্তান, স্বামীসহ এক সুখী স্ত্রীর ভূমিকায়। বিজ্ঞাপনটির দারুণ জিঙ্গেল, তার সঙ্গে মডেলের মিষ্টি চেহারা- সব মিলিয়ে এটি বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলো। তার এই বিজ্ঞাপন-চিত্রটিকে ঘিরে সেসময় বেশ বিতর্ক যেমন হয়েছে, সেই সঙ্গে এটি তার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগও তৈরি করে দিয়েছিল। জন্ম নিরোধক পিল মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের সেই রেণুই আজকের বাংলাদেশের খ্যাতিমান চিত্রতারকা রোজিনা। তার রেণু নামটি অবশ্য এখন ঢাকা পড়ে গেছে রোজিনা নামের আড়ালে। উনিশশো সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সেই সময়টায় বাংলাদেশ তখন বহুমুখী সংকটে। রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা, অর্থনীতি বিপর্যস্ত, একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই নতুন দেশটি মুখ থুবড়ে পড়ছে বার বার। বিদেশী সাহায্য নির্ভর বাংলাদেশে তখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচী সরকারের কাছেও বড় অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সেই কাজে সাহায্যে নামলো একটি মার্কিন সংস্থা, পপুলেশন সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল। জন্ম নিরোধক সামগ্রীর প্রসারের জন্য তারা ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে ‘সোশ্যাল মার্কেটিং প্রজেক্ট’ বা এসএমপি নামের এক মার্কেটিং কার্যক্রম শুরু করলো। এরাই বাংলাদেশে প্রথম ‘রাজা কনডম’ এবং ‘মায়া বড়ি’র মতো পণ্য বাজারজাত করে। রামেন্দু মজুমদার তখন ‘বিটপী’ নামের এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার তরুণ এক্সিকিউটিভ। এসএমপি’র জন্মনিরোধক সামগ্রীর বিজ্ঞাপন তৈরির কাজ পেয়েছিল তাদের সংস্থা। “১৯৭০ এর দশকের শুরুতেও বাংলাদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞাপন হতো, কিন্তু খুব রাখঢাক করে, এবং কোন জন্মনিরোধক সামগ্রীর পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়া হতো না। পরিবার পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, ছোট পরিবার- সুখী পরিবার, রেখে-ঢেকে এরকম কথা বলা হতো”, বলছিলেন তিনি। সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির জন্য কনডম এবং জন্মনিরোধক পিলের বিজ্ঞাপন তৈরি করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়লেন রামেন্দু মজুমদার এবং তার সহকর্মীরা। “তখনো সমাজে এটা একটা ট্যাবু। কোন মডেল পাওয়া যায় না। মেয়ে তো পাওয়াই যায় না, ছেলেরাও খুব অস্বস্তি বোধ করে এসব পণ্যের মডেল হতে। রাজা কনডমের বিজ্ঞাপন তো টেলিভিশনে করাই যাচ্ছিল না। আমরা অনেক কষ্টে মায়া বড়ির জন্য মডেল হতে রোজিনাকে রাজী করাই। তখন তিনি উঠতি নায়িকা।” ছবির উৎস, Social Marketing Company মায়া বড়ি এবং রাজা কনডমের বিপণন শুরু হয় সত্তরের দশকের মাঝামাঝি। মায়া বড়ির যে প্যাকেটটি তখন বাজারজাত করা হয়েছিল, তার গায়েও রোজিনার ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। এর আগে পর্যন্ত প্যাকেটে হাতে আঁকা ছবি ব্যবহার করতে হতো। এরপর ধীরে ধীরে পত্রিকার পাতায়ও রাজা এবং মায়ার বিজ্ঞাপন ছাপানো শুরু হয়। রেডিওতে বিজ্ঞাপন যায়। কিন্তু টেলিভিশনে রাজার বিজ্ঞাপন যেত না, শুধু মায়ার বিজ্ঞাপন যেত। রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আমার মনে আছে এসব বিজ্ঞাপন যখন চলতো, তখন অনেক পরিবারে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হতো, বা বাচ্চাদের দেখতে দেয়া হতো না।” রামেন্দু মজুমদার জানান, জন্ম নিরোধক সামগ্রীর প্রায় ১২টি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন-চিত্র তৈরি করেছিলেন তারা। এর মধ্যে কোন কোনটি নিয়ে এতটাই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল যে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে কয়েকবার দেখানোর পরই সেটি প্রত্যাহার করে নিতে হয়। “মায়া বড়ির একটা বিজ্ঞাপন ছিল খুব সুন্দর। বিয়ের পরে পালকিতে করে বউ নিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পথ ধরে। এরপর মায়া বড়ি ব্যবহারের কথা বলা হয়। এক সপ্তাহ এই বিজ্ঞাপন চলার পর হঠাৎ বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে বলা হলো, এটা চালানো যাবে না। টেলিভিশনের একজন কর্তাব্যক্তি নাকি বলেছেন, এটা বাংলাদেশের পারিবারিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করছে। শেষ পর্যন্ত এই সুন্দর বিজ্ঞাপনটি বন্ধ হয়ে গেল”, বলছিলেন তিনি। ছবির উৎস, Rozina পরবর্তীকালে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা হিসেবে সাফল্য পান রোজিনা মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পর তারকা হিসেবে রোজিনার পরিচিতি যেমন বেড়েছিল, একই ভাবে কিছুটা নেতিবাচক অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হয়েছিলেন রোজিনা। “এই বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পর আমার নিজের পরিবারের কেউ আমাকে কিছু বলেনি। কিন্তু সেসময়ের এক নামকরা পরিচালকের দিক থেকে বেশ বাজে এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলাম”, বলছিলেন রোজিনা। সামাজিক কাহিনী নিয়ে ছবি তৈরির জন্য সেই পরিচালকের সুখ্যাতি ছিল। তার একটি ছবিতে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল যার, তিনি একদিন শুটিংয়ে হাজির হতে পারেন নি অসুস্থতার কারণে। সেই পার্শ্ব-চরিত্রটি করার জন্য তখন রোজিনার ডাক পড়ে। “আমি এফডিসি তিন নম্বর ফ্লোরে গিয়ে দেখি পরিচালক এবং ছবির প্রযোজক দুজনে বসে আছেন। আমাদের চা-নাশতা খেতে দেয়া হলো। পরিচালক জানতে চাইলেন, পার্শ্বচরিত্র করার কথা যার, সেই অভিনেত্রী কাবেরি এসেছেন কিনা। সহকারী পরিচালক জানালেন, কাবেরি অসুস্থ, আসতে পারেননি, তার জায়গায় আমাকে নেয়া যেতে পারে,” বলছিলেন রোজিনা। এরপর রোজিনাকে পরিচালকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। জানানো হয় তিনি মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছিলেন। “পরিচালক এরপর আমার দিকে তাকালেন, তারপর চিৎকার করে তার সহকারীকে প্রচণ্ড জোরে ধমক দিয়ে বললেন, মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের মডেল নিয়ে এসেছো আমার লাখ লাখ টাকার ছবিতে অভিনয় করার জন্য? আমার ছবিতে একে দেখলে তো সিনেমা হলে দর্শকরা দুয়ো দেবে। বেশ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তিনি কথাটা বলেছিলেন। এরপর চা-নাশতা না খেয়েই আমি রাগ করে সেখান থেকে চলে আসি”, বলছিলেন রোজিনা। তবে এর এক বছরের মধ্যেই রোজিনা ঢাকার চলচ্চিত্র অঙ্গনে সাড়া ফেলে দেন তার অভিনীত ‘রাজমহল’ ছবির বাণিজ্যিক সাফল্যের পর। পরবর্তী জীবনে অবশ্য রোজিনা বহু ভক্ত-দর্শক-অনুরাগীর কাছ থেকে মায়া বড়ির সেই বিজ্ঞাপন-চিত্রের জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছেন। ছবির উৎস, Getty Images বাংলাদেশের মতলবের এক গ্রামে মহিলাদের কনডমের ব্যবহার সম্পর্কে জানাচ্ছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী উনিশশো সত্তর এবং আশির দশকে বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান এক সোশ্যাল মার্কেটিয়ার ছিলেন রিচার্ড ম্যানফ। তাকে বলা হতো সোশ্যাল মার্কেটিং এর গুরু। বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর প্রচার এবং বিপণনে ঢাকায় নিয়ে আসা হলো তাকে পরামর্শক হিসেবে। বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসলেন প্রচার এবং বিপণন কৌশল ঠিক করতে। রামেন্দু মজুমদার জানান, “তিনি বাংলাদেশের কয়েকজন নাট্যকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন। আমি তখন সৈয়দ শামসুল হক এবং আবদুল্লাহ আল মামুনকে হাজির করলাম। আমরা সবাই মিলে সোনারগাঁ হোটেলের সুইমিং পুলের পাশে বসে তিন-চারদিন ধরে কথা বলছি। রিচার্ড ম্যানফ জানতে চাইলেন, ইংরেজি ‘ওয়াইজ’ শব্দের লাগসই বাংলা কী হতে পারে, ‘ফুল’ শব্দের বাংলা অর্থ কী।” তাদের এই ব্রেইন-স্টর্মিং সেশন থেকে বেরিয়ে এলো পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সবচেয়ে সফল এক টিভি কমার্শিয়ালের জনপ্রিয় শ্লোগান: “আছিলাম বোকা, হইলাম বুদ্ধিমান। বুদ্ধিমান হোন, ঠিক কাজটি করুন।” “আমরা চেয়েছিলাম, একটা কালচারাল শক দিতে। এখানে রাজা কনডমের বা মায়া বড়ির কথা সরাসরি বলা হতো না। ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর কথা থাকতো”, বলছিলেন রামেন্দু মজুমদার। পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে তখন রেডিওতে চালু হয় ‘দিন বদলের পালা’ নামের এক ধারাবাহিক নাটক। এটি লিখতেন আবদু্ল্লাহ আল মামুন এবং সৈয়দ শামসুল হক। বাংলাদেশের প্রায় সব জনপ্রিয় শিল্পীকেই এই ধারাবাহিক নাটকের ২৫০টি পর্বে ব্যবহার করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে জানার জন্য তখন মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। প্রতি সপ্তাহে তখন শ্রোতাদের কাছ থেকে শত শত চিঠি আসতো, নাটকের শেষে তিন মিনিট ধরে শ্রোতাদের চিঠির জবাব দেয়া হতো। রামেন্দু মজুমদারের মতে, পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিরোধকের প্রচার এবং বিপণনের কাজটি এতটাই সফল হয়েছিল যে, কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামের মুদি দোকানেও রাজা কনডম এবং মায়া বড়ি পাওয়া যেত। ছবির উৎস, Getty Images জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ করা না গেলে বাংলাদেশে বিপর্যয়ের আশংকা করা হচ্ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল, তখন দেশটির উচ্চ জন্মহার দেখে অনেকেই ছিলেন আতংকিত। এর কয়েক বছর আগে ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসর পল এহরিখ ‘পপুলেশন বম্ব’ বলে একটি বই লিখে হৈ চৈ ফেলে দেন। এই বইতে তিনি ভবিষ্যতের এমন এক চিত্র তুলে ধরেন, যেখানে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে পৃথিবীর সীমিত সম্পদ ফুরিয়ে যাবে। “বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো, তখন কিন্তু আমাদের জন্ম এবং মৃত্যুহার-দুটিই ছিল অসম্ভব উচ্চ। বাংলাদেশে ১৫ হতে ৪৯ বছরের মধ্যে প্রজনন সক্ষম একজন নারী গড়ে সাতটি সন্তানের জন্ম দিতেন। দ্য পপুলেশন বম্ব বইতে যেরকমটা বলা হচ্ছিল, তখন বাংলাদেশে সেরকম একটি ম্যালথুসিয়ান বিপর্যয়ের আশংকা করছিলেন অনেকে”, বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম। কিন্তু প্রফেসর পল এহরিখের তত্ত্ব যেমন ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশ নিয়ে আশংকাও সত্যি হয়নি। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীর সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ তার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশ দ্রুতই কমিয়ে আনতে পেরেছিল। অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম বলেন, “পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীর যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য বিশ্বে যে কয়টি দেশের কথা উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ কিন্তু তার একটি। কোন দেশের জন্য ২ দশমিক ১ হচ্ছে আদর্শ প্রজনন হার। এটি হচ্ছে প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রজনন হার। বাংলাদেশ কিন্তু এই প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রজনন হারের কাছাকাছি চলে এসেছে।” বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীর এই সাফল্যের ক্ষেত্রে চিত্রনায়িকা রোজিনাও যে একটি ভূমিকা রাখতে পেরেছেন, সেজন্যে তিনি গর্বিত। “তখন তো মানুষ এখনকার মতো এত সচেতন ছিল না। আমাদের এসব প্রচারণা দেখে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। এত বেশি সন্তান নিলে যে তাদের লালন-পালন, ভরণ-পোষণ, পড়াশোনার ভার বহন করা সম্ভব হবে না, সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছে। কাজেই আমাদের প্রচারণা অবশ্যই কাজে লেগেছে।”
|
রেডিওতে বিজ্ঞাপন যায় কিন্তু টেলিভিশনে রাজার বিজ্ঞাপন যেত না, শুধু মায়ার বিজ্ঞাপন যেত রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আমার মনে আছে এসব বিজ্ঞাপন যখন চলতো, তখন অনেক পরিবারে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হতো, বা বাচ্চাদের দেখতে দেয়া হতো না” রামেন্দু মজুমদার জানান, জন্ম নিরোধক সামগ্রীর প্রায় ১২টি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন-চিত্র তৈরি করেছিলেন তারা এর মধ্যে কোন কোনটি নিয়ে এতটাই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল যে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে কয়েকবার দেখানোর পরই সেটি প্রত্যাহার করে নিতে হয় “মায়া বড়ির একটা বিজ্ঞাপন ছিল খুব সুন্দর বিয়ের পরে পালকিতে করে বউ নিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পথ ধরে এরপর মায়া বড়ি ব্যবহারের কথা বলা হয় এক সপ্তাহ এই বিজ্ঞাপন চলার পর হঠাৎ বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে বলা হলো, এটা চালানো যাবে না টেলিভিশনের একজন কর্তাব্যক্তি নাকি বলেছেন, এটা বাংলাদেশের পারিবারিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করছে শেষ পর্যন্ত এই সুন্দর বিজ্ঞাপনটি বন্ধ হয়ে গেল”, বলছিলেন তিনি ছবির উৎস, Rozina পরবর্তীকালে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা হিসেবে সাফল্য পান রোজিনা মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পর তারকা হিসেবে রোজিনার পরিচিতি যেমন বেড়েছিল, একই ভাবে কিছুটা নেতিবাচক অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হয়েছিলেন রোজিনা “এই বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পর আমার নিজের পরিবারের কেউ আমাকে কিছু বলেনি কিন্তু সেসময়ের এক নামকরা পরিচালকের দিক থেকে বেশ বাজে এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলাম”, বলছিলেন রোজিনা সামাজিক কাহিনী নিয়ে ছবি তৈরির জন্য সেই পরিচালকের সুখ্যাতি ছিল তার একটি ছবিতে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল যার, তিনি একদিন শুটিংয়ে হাজির হতে পারেন নি অসুস্থতার কারণে সেই পার্শ্ব-চরিত্রটি করার জন্য তখন রোজিনার ডাক পড়ে “আমি এফডিসি তিন নম্বর ফ্লোরে গিয়ে দেখি পরিচালক এবং ছবির প্রযোজক দুজনে বসে আছেন আমাদের চা-নাশতা খেতে দেয়া হলো পরিচালক জানতে চাইলেন, পার্শ্বচরিত্র করার কথা যার, সেই অভিনেত্রী কাবেরি এসেছেন কিনা সহকারী পরিচালক জানালেন, কাবেরি অসুস্থ, আসতে পারেননি, তার জায়গায় আমাকে নেয়া যেতে পারে,” বলছিলেন রোজিনা এরপর রোজিনাকে পরিচালকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় জানানো হয় তিনি মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছিলেন “পরিচালক এরপর আমার দিকে তাকালেন, তারপর চিৎকার করে তার সহকারীকে প্রচণ্ড জোরে ধমক দিয়ে বললেন, মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের মডেল নিয়ে এসেছো আমার লাখ লাখ টাকার ছবিতে অভিনয় করার জন্য? আমার ছবিতে একে দেখলে তো সিনেমা হলে দর্শকরা দুয়ো দেবে বেশ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তিনি কথাটা বলেছিলেন এরপর চা-নাশতা না খেয়েই আমি রাগ করে সেখান থেকে চলে আসি”, বলছিলেন রোজিনা তবে এর এক বছরের মধ্যেই রোজিনা ঢাকার চলচ্চিত্র অঙ্গনে সাড়া ফেলে দেন তার অভিনীত ‘রাজমহল’ ছবির বাণিজ্যিক সাফল্যের পর পরবর্তী জীবনে অবশ্য রোজিনা বহু ভক্ত-দর্শক-অনুরাগীর কাছ থেকে মায়া বড়ির সেই বিজ্ঞাপন-চিত্রের জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছেন ছবির উৎস, Getty Images বাংলাদেশের মতলবের এক গ্রামে মহিলাদের কনডমের ব্যবহার সম্পর্কে জানাচ্ছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী উনিশশো সত্তর এবং আশির দশকে বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান এক সোশ্যাল মার্কেটিয়ার ছিলেন রিচার্ড ম্যানফ তাকে বলা হতো সোশ্যাল মার্কেটিং এর গুরু বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর প্রচার এবং বিপণনে ঢাকায় নিয়ে আসা হলো তাকে পরামর্শক হিসেবে বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসলেন প্রচার এবং বিপণন কৌশল ঠিক করতে রামেন্দু মজুমদার জানান, “তিনি বাংলাদেশের কয়েকজন নাট্যকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন আমি তখন সৈয়দ শামসুল হক এবং আবদুল্লাহ আল মামুনকে হাজির করলাম আমরা সবাই মিলে সোনারগাঁ হোটেলের সুইমিং পুলের পাশে বসে তিন-চারদিন ধরে কথা বলছি রিচার্ড ম্যানফ জানতে চাইলেন, ইংরেজি ‘ওয়াইজ’ শব্দের লাগসই বাংলা কী হতে পারে, ‘ফুল’ শব্দের বাংলা অর্থ কী” তাদের এই ব্রেইন-স্টর্মিং সেশন থেকে বেরিয়ে এলো পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সবচেয়ে সফল এক টিভি কমার্শিয়ালের জনপ্রিয় শ্লোগান: “আছিলাম বোকা, হইলাম বুদ্ধিমান বুদ্ধিমান হোন, ঠিক কাজটি করুন” “আমরা চেয়েছিলাম, একটা কালচারাল শক দিতে
|
দেশে সর্বাধিক অ্যাডিনো সংক্রমণ বাংলায়
|
ব্যাঙ্কিংয়ে ‘৩ দশকের সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি’ চালু ব্রিটেনে, বড় ঝুঁকি
|
‘বেশরম রং’ নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের মাঝেই বিদেশের মাটিতে একই নাচ! ভাইরাল সেই ভিডিয়োও
|
End of preview. Expand
in Data Studio
README.md exists but content is empty.
- Downloads last month
- 7