original_title
stringlengths 2
272
⌀ | category
stringclasses 58
values | full_news
stringlengths 2
73.5k
⌀ | sub_article
stringlengths 1
24.1k
⌀ | semantic_title
stringlengths 2
255
⌀ | lexical_title
stringlengths 4
240
| random_title
stringlengths 3
255
⌀ |
---|---|---|---|---|---|---|
শাহবাজ়ের লড়াকু ব্যাটিং! বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ, এখনও শেষ চার নিশ্চিত নয় মনোজদের
|
sports
|
দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেছিলেন, প্রথম ইনিংসে যত বেশি সম্ভব লিড নেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা। কিন্তু আদতে সেটা হল না। তৃতীয় দিন সকালে একাই লড়লেন শাহবাজ় আহমেদ। তাঁকে বাকিরা সাহায্য করতে পারলেন না। ফলে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানের বেশি লিড নিতে পারলেন না মনোজ তিওয়ারিরা। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ ঘরামির ব্যাটে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট ২৩৮ রান করেছিল বাংলা। ৬৫ রানের লিড ছিল। ক্রিজে ছিলেন শাহবাজ় ও অভিষেক পোড়েল। তৃতীয় দিন খুব বেশি রান করতে পারেননি অভিষেক। ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। নীচের দিকের ব্যাটাররা রান পাননি। একাই খেললেন শাহবাজ়। নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে দলের রানকে ৩০০ পার করালেন। অর্ধশতরান করলেন তিনি। অন্য দিকে উইকেট পড়তে থাকায় শেষ দিকে চালিয়ে খেলতেই হত শাহবাজ়কে। সেটাই করছিলেন তিনি। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৮১ রানের মাথায় আউট হলেন এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে সব থেকে বেশি রান করলেন তিনি। শাহবাজ় আউট হতেই ৩২৮ রানে শেষ হয়ে গেল বাংলার প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় দিনের শেষে লক্ষ্মী বলেছিলেন, ইডেনের উইকেটে এখনও যে কোনও ফল হতে পারে। প্রথম দু’দিনের খেলায় সেটাই দেখা গিয়েছে। তাই ১৫৫ রানের লিড নিয়েও খুব স্বস্তিতে থাকবে না বাংলা। কারণ, এখনও প্রায় দু’দিনের খেলা বাকি। অনেক কিছুই হতে পারে। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার বোলারদের লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত সম্ভব ঝাড়খণ্ডকে অলআউট করা। এখন দেখার আকাশ দীপ, মুকেশ কুমাররা সেই কাজটা কেমন করেন।
|
তৃতীয় দিন খুব বেশি রান করতে পারেননি অভিষেক ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি নীচের দিকের ব্যাটাররা রান পাননি একাই খেললেন শাহবাজ় নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে দলের রানকে ৩০০ পার করালেন অর্ধশতরান করলেন তিনি অন্য দিকে উইকেট পড়তে থাকায় শেষ দিকে চালিয়ে খেলতেই হত শাহবাজ়কে সেটাই করছিলেন তিনি দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৮১ রানের মাথায় আউট হলেন এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার
|
ব্যর্থ শাহবাজ়, রঞ্জি সেমিতে অধিনায়ক মনোজের ব্যাটে বড় রানের লক্ষ্যে বাংলা
|
লোকালের ভিড়ে প্রথম কাজের দিনেই ‘বেলাইন’ বিধি
|
সমাজমাধ্যমে প্রতি দিন ছড়িয়ে পড়ছে কুরুচিকর মন্তব্য, বিরক্ত অপু বিশ্বাস ছুটলেন থানায়
|
বুলডোজার রাজ কাশ্মীরে, প্রতিবাদ
|
national
|
বলা হয়েছিল ভাঙা হবে কেবল প্রভাবশালী, বিত্তবানদের বেআইনি বাড়ি। সরকারি জমি বেদখল করে যা তৈরি হয়েছে। কাজের বেলায় একেবারে গরিব, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে নেমেছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে বুলডোজার রাজ চলছে। অন্তত কুড়িটি জেলায় চলছে প্রশাসনিক আগ্রাসন। প্রতিবাদও শুরু হয়েছে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে সিপিআই(এম)। নেতৃত্ব দিয়েছেন পার্টি নেতা ইউসুফ তারিগামি নিজে। তারিগামি বলেছেন, ‘‘প্রশাসন যা বলছে ঠিক তার উলটোটা করছে। গরিব, সাধারণ মানুষের জমি, আবাস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ চলবে। গরিবের বাড়ি ভাঙা যাবে না, সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করা যাবে না।’’ উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা বলেছিলেন যে কেবল বিত্তবানদের বেআইনি দখলে থাকা সম্পত্তি ভাঙা হবে। সাধারণ মানুষের জমিতে হাত দেওয়া হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি বলছে, সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করাই এর উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে চলছে ধরপাকড়। এর আগে দিল্লি বা উত্তর প্রদেশে বুলডোজার রাজ শীর্ষ আদালতের অসন্তোষের মুখে পড়েছে। যে কারণে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে সেই প্রক্রিয়াই নিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নির্দেশিত প্রশাসন। একতরফা বেআইনি দখলদারি বলে ঘোষণা করা হচ্ছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে। বাসিন্দাদের বক্তব্য শোনার সুযোগ না দিয়ে, আইনি প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করে শুরু হয়ে যাচ্ছে বুলডোজারের তাণ্ডব। The government must stop running bulldozers over the shelters of poor people. Tearing down homes and dispossessing people of the land they have been farming for decades constitutes a flagrant assault on their legitimate rights and livelihood. #Kathua Protest pic.twitter.com/peQhkNYzIj প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ওমর আবদুল্লা বলেছেন, ‘‘কোনও প্রক্রিয়াই মানা হচ্ছে না। কাশ্মীরে ভূমিসংস্কার হয়েছিল স্বাধীনতার পরই। সেই ভূমি ব্যবস্থাকে উলটে দিচ্ছে বিজেপি প্রশাসন।’’ আরও কড়া মন্তব্য করেছেন পিডিপি নেত্রী এবং আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘পরিস্থিতি প্যালেস্তাইনের থেকেও খারাপ।’ ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন বলছেন, ‘‘উচ্ছেদের মুখে যাঁদের ফেলা হচ্ছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশ সংখ্যালঘু। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল এমন এলাকাগুলিতে বুলডোজার যাচ্ছে।’’
|
প্রতিবাদও শুরু হয়েছে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব দিয়েছেন পার্টি নেতা ইউসুফ তারিগামি নিজে তারিগামি বলেছেন, ‘‘প্রশাসন যা বলছে ঠিক তার উলটোটা করছে গরিব, সাধারণ মানুষের জমি, আবাস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ চলবে গরিবের বাড়ি ভাঙা যাবে না, সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করা যাবে না’’ উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা বলেছিলেন যে কেবল বিত্তবানদের বেআইনি দখলে থাকা সম্পত্তি ভাঙা হবে সাধারণ মানুষের জমিতে হাত দেওয়া হবে না
|
কাশ্মীরে ভূমিকম্প
|
লড়াইটা প্রতি মুহূর্তের
|
Panchayat Election: আক্রান্ত হয়েছিলেন ভোটের দিন, কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর
|
হিংসা চলছেই, মণিপুরের গ্রামে খুন আরও ৩
|
national
|
দু’সপ্তাহ থমকে থাকার পরে শুক্রবার ফের নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটলো মণিপুরে। এদিন ভোরে উখরুল জেলার থোয়াই গ্রামে আচমকা হানা দিয়ে ৩ জনকে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। এই তিনজনই গ্রামের পাহারাদার কমিটির স্বেচ্ছাসেবক। কুকি সম্প্রদায়ের স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মেইতেই দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভোরবেলায় ওই গ্রামে তুমুল গুলিবিনিময় হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মেইতেই দুষ্কৃতীদের গুলির পালটা হিসেবে গ্রামবাসীরাও গুলি ছোঁড়েন। লড়াই থামার পরে গুলি ও ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ৩ টি দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পরে উত্তর-পূর্বের অশান্ত রাজ্যটিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।উখরুলের লিটন থানার অন্তর্গত থোয়াই গ্রামটিতে মোটামুটি ৫০টি পরিবারের বাস। উখরুল জেলায় তাঙখুল নাগারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও থোয়াইয়ে বেশি রয়েছেন কুকিরাই। থোয়াইয়ে চারপাশে রয়েছে সাঙ্গকাই, মঙ্গকোট, জালেনবুঙ্গের মতো বেশ কয়েকটি কুকি প্রধান গ্রাম। মণিপুরে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ বাড়তে থাকায় থোয়াইয়ের বাসিন্দারা পালা করে গ্রাম পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেন। মোটামুটি এক কিলেমিটার দূরে গ্রামের প্রবেশপথে একটি বাঙ্কার বানিয়ে স্থানীয় যুবকরা গত কয়েক মাস ধরে পাহারা দিচ্ছিলেন।জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ওই বাঙ্কারে থেকে গ্রাম পাহারা দেন। শুক্রবার ভোর পাঁচটায় তাঁদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার খানিকক্ষণ আগে এঁদের একজন পরিবর্ত স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজতে গ্রামে যান। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ওই স্বেচ্ছাসেবক গ্রামে ঢোকার পরপরই পাহারা স্থল থেকে গুলির আওয়াজ শোনা যায়। থোয়াইয়ের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দৌড়ে যান। দুষ্কৃতীদের মোকাবিলায় পালটা গুলি চালাতে থাকেন থোয়াইয়ের পাহারাদার কমিটির সদস্যরা। প্রায় এক ঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পরে হামলাকারীরা পালালে বাঙ্কারের কাছে থোয়াইয়ের তিন পাহারাদার যুবকের রক্তাক্ত দেহ মেলে। নিহতরা হলেন জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে। সকলেরই বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুষ্কৃতীদের পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল দু’টি দেহ। আরেকটি দেহে গুলির চিহ্নের সঙ্গে ছিল একাধিক ছুরিকাঘাত। হামলাকারী দুষ্কৃতীরা থোয়াই গ্রাম লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছোঁড়ে বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ।প্রসঙ্গত, রাজ্যের সংখ্যাগুরু মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। এর প্রতিবাদেই ৩ মে মিছিল করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর (এটিএসইউএম) নামে একটি সংগঠন। সেই মিছিলের পরেই বিজেপি-শাসিত মণিপুরে ভয়াবহ জাতি সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। শাসকদল বিজেপি’র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে টানা সাড়ে তিন মাস ধরে ভয়াল চেহারায় এই সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা চলছে। ইতিমধ্যেই খুন হয়েছেন ২০০ জনের বেশি নিরীহ মানুষ। সাধারণ নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও মহিলাদের সম্ভ্রমহানির বর্বর ঘটনাবলীতে শিউরে উঠেছে সারা দেশ। ৬০ হাজারেরও বেশি ঘরছাড়া মানুষ মণিপুরের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে অসহায় জীবনযাপন করছেন। বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের চরম নিষ্ক্রিয়তা দেখে শেষপর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বেনজির হস্তক্ষেপে বাধ্য হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, মণিপুরের জনসমষ্টির প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। তাঁরা প্রধানত ইম্ফল উপত্যকায় বসবাস করেন। অন্যদিকে কুকি, নাগাদের মতো ৪০ শতাংশ আদিবাসী মানুষের বাস রাজ্যের পার্বত্য জেলাগুলিতে।
|
আরেকটি দেহে গুলির চিহ্নের সঙ্গে ছিল একাধিক ছুরিকাঘাত হামলাকারী দুষ্কৃতীরা থোয়াই গ্রাম লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছোঁড়ে বলে জানিয়েছেন কেউ কেউপ্রসঙ্গত, রাজ্যের সংখ্যাগুরু মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট এর প্রতিবাদেই ৩ মে মিছিল করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর (এটিএসইউএম) নামে একটি সংগঠন সেই মিছিলের পরেই বিজেপি-শাসিত মণিপুরে ভয়াবহ জাতি সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় শাসকদল বিজেপি’র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে টানা সাড়ে তিন মাস ধরে ভয়াল চেহারায় এই সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা চলছে ইতিমধ্যেই খুন হয়েছেন ২০০ জনের বেশি নিরীহ মানুষ সাধারণ নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও মহিলাদের সম্ভ্রমহানির বর্বর ঘটনাবলীতে শিউরে উঠেছে সারা দেশ ৬০ হাজারেরও বেশি ঘরছাড়া মানুষ মণিপুরের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে অসহায় জীবনযাপন করছেন বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের চরম নিষ্ক্রিয়তা দেখে শেষপর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বেনজির হস্তক্ষেপে বাধ্য হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ্য, মণিপুরের জনসমষ্টির প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের তাঁরা প্রধানত ইম্ফল উপত্যকায় বসবাস করেন
|
মণিপুরে বাড়ছে উত্তেজনা, ফের ৩ জনের মৃত্যু
|
মণিপুর কান্ডে গ্রেপ্তার আরও ১
|
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ব্রাজিলে নিহত ১১, নিখোঁজ ২০
|
সেন্ট পিটার্সবার্গে বিস্ফোরণ মৃত রুশ সামরিক ব্লগার ধৃত আততায়ী
|
international
|
রাশিয়ার জনপ্রিয় সামরিক ব্লগার ভ্লাদলেন তাতারস্কিকে খুনের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করল সেদেশের পুলিশ। রাশিয়ার সরকারি সংবাদসংস্থা আরটি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের একটি ক্যাফেতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তাতারস্কি প্রাণ হারান। ঘটনায় আহত হন ৩০ জনের বেশি সাধারণ মানুষ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম দারিয়া ত্রেপোভা। রুশ গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, বিস্ফোরণের কিছু আগে তাতারস্কির হাতে একটি মূর্তি তুলে দেন দারিয়া। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে তিনি ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যান। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। রাশিয়ার অপর সংবাদ সংস্থা ফন্টাঙ্কা জানাচ্ছে, ঘটনার পরে দারিয়া তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টে আশ্রয় নেন। নিজের পরিচয় বদলে ফেলতে চুলও কেটে ফেলেন তিনি। ফন্টাঙ্কা জানাচ্ছে, রাশিয়া ছেড়ে উজবেকিস্তানে পালানোর ছক কষেছিলেন দারিয়া। সেই মতো প্লেনের টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই দারিয়া’র একটি ভিডিও সামনে আনা হয়েছে। সেখানে তাঁকে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তাপ চড়তে শুরু করেছে। রাশিয়ার তরফে এই ঘটনার জন্য ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগকে দায়ী করা হয়েছে। অপরদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেন্স্কি জানিয়েছেন এই ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেন কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
|
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম দারিয়া ত্রেপোভা রুশ গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, বিস্ফোরণের কিছু আগে তাতারস্কির হাতে একটি মূর্তি তুলে দেন দারিয়া বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে তিনি ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যান তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা রাশিয়ার অপর সংবাদ সংস্থা ফন্টাঙ্কা জানাচ্ছে, ঘটনার পরে দারিয়া তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টে আশ্রয় নেন নিজের পরিচয় বদলে ফেলতে চুলও কেটে ফেলেন তিনি
|
পুতিনের অধীনে যেভাবে রুশ কূটনীতির মৃত্যু ঘটেছে
|
ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ
|
IRCTC অনলাইন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় বদল, জানুন কীভাবে বুক করবেন ট্রেনের টিকিট
|
যোধপুর পার্কে হঠাৎ উপড়ালো কৃষ্ণচূড়া, চাপা পড়ে আহত যুবক-সহ তিন
|
kolkata
|
ঝড়বৃষ্টি ছাড়াই যোধপুর পার্কে উপড়ে পড়ল বিশাল এক কৃষ্ণচূড়া। তাতে চাপা পড়ে আহত হলেন ১৮ বছরের এক যুবক-সহ তিন জন। গাছে চাপা পড়ে যায় একটি স্কুটি এবং পণ্যপরিবাহী গাড়িও। বৃহস্পতিবার সকালে ২০১ নম্বর যোধপুর পার্কের কাছে ঘটে ঘটনাটি। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্কুটি আরোহী সিদ্ধার্থ মণ্ডল। আহতকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয় হয় ইইডিএফ হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। সেখানে তাঁর পায়ের এক্সরে করা হয়েছে। এ ছাড়াও গাছ পড়ে আহত হয়েছেন সব্জি বিক্রেতা চন্দনা নস্কর এবং গাড়িচালক সোমনাথ মণ্ডল নামে দুজন। এঁদেরও স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লেক থানার পুলিশ। গাছটি কাটার জন্য ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে, খবর দেওয়া হয় পুরসভাকেও।
|
আহতকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয় হয় ইইডিএফ হাসপাতালে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন সেখানে তাঁর পায়ের এক্সরে করা হয়েছে এ ছাড়াও গাছ পড়ে আহত হয়েছেন সব্জি বিক্রেতা চন্দনা নস্কর এবং গাড়িচালক সোমনাথ মণ্ডল নামে দুজন
|
পথ দুর্ঘটনায় তিন যুবকের মৃত্যু
|
৩ কাজ: ত্বকে ট্যান পড়ে গেলে এড়িয়ে চলাই ভাল
|
ভারতে কেমন আছেন? কী কী অসুবিধা হচ্ছে? মাঠে নামার আগে জানালেন পাক অধিনায়ক বাবর
|
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে বাংলাদেশকে বড় অংশীদার মনে করে রাশিয়া
|
international
|
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশে সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে রাশিয়ার দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় অংশীদার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন মি. লাভরভ। তিনি বলেছেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আমাদের ভালো এবং দীর্ঘদিনের অংশীদার। গত ৫০ বছর ধরে আমরা আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও সমতার ভিত্তিতে গড়ে তুলছি।” দোভাষীর মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে মি. লাভরভ আরো বলেন, “কোভিড মহামারির মতো নানা প্রতিবন্ধকতার পরও আমরা আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রেখেছি এবং আজ আমরা সব ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।" তিনি বলেন, "আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছি। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বড় অংশীদার।” এরআগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে সময় সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মি. লাভরভ। রুশ কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। পরে ঢাকার একটি হোটেলে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বসেন। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়া এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মি. লাভরভ। ছবির উৎস, MOFA বিমানবন্দরে সের্গেই লাভরভকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রাশিয়ার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশের রূপপুর পাওয়ার প্লান্টের বকেয়া অর্থ পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে - উল্লেখ করে মি. লাভরভকে প্রশ্ন করা হয়, এর সমাধানে কী করছে রাশিয়া। জবাবে মি. লাভরভ বলেন, "আমি মনে করি, আমরা খুব দ্রুত নানা ধরণের পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি, যা হবে মূলত কোন দেশের নিজস্ব মুদ্রায়।" মার্কিন ডলারের কথা উল্লেখ না করলেও, সেটিকে ইঙ্গিত করে মি. লাভরভ বলেন, "...সেটি এমন কোন দেশের মুদ্রা হবে না যারা সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।" রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে 'সাপ্লাই চেইন' বা সরবারহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, রূপপুর প্রকল্পের সব উপাদান নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ করা হবে। এটা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে রাশিয়ার প্রধান বিনিয়োগ প্রকল্প রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ প্রাক্কলিত সময়ের মধ্যে হচ্ছে উল্লেখ করে মি. লাভরভ বলেছেন, অক্টোবরে এ প্রকল্পে জ্বালানির প্রথম চালানটি পৌঁছাবে বাংলাদেশে। রোহিঙ্গা সংকটের মতো বড় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে - উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. লাভরভ বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাইরের পক্ষগুলোর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুজে বের করা উচিত। রাশিয়া সেটাই করে যাচ্ছে। মিয়ানমারের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, "বাইরের কিছু পক্ষ এই বিষয়টিকে ব্যবহার করে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে এবং তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি, এতে হিতে বিপরীত হবে এবং একই সাথে এটা অগ্রহণযোগ্যও বটে।" তিনি বলেন, “আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তাদের পররাষ্ট্রনীতি অপরিবর্তিত রেখেছে।” সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, "দুই পক্ষের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ার বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।" পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক।" ছবির উৎস, Getty Images সংবাদ সম্মেলনে মি. লাভরভ উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন দুই বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করত। তবে ২০২২ সালে সেটি প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। কিন্তু সম্প্রতি সেটি কিছুটা কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, দুই দেশের বাণিজ্য বিষয়ক কমিশনের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন এবং সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রূপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাইরেও বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে রাশিয়ার আগ্রহের কথা তুলে ধরেন মি. লাভরভ। তিনি বলেছেন, গ্যাস খাতে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার কিছু প্রকল্প রয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে ২০টির বেশি কূপ খনন করেছে এবং তারা এটা অব্যাহত রাখবে। রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া গম এবং সার সরবরাহ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. লাভরভ। রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম যেমন জাতিসংঘ, আসিয়ানসহ সব জায়গায় তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে বৈঠকের কথা রয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এরপর দুপুরে তিনি ঢাকা থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন। আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলন শেষ করে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন এক সময় এই সফর করছেন, যখন ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে, অন্যদিকে সুুষ্ঠু নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ সময়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের মধ্যে দিয়ে রাশিয়া একদিকে যেমন বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্ব এবং সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানাবে, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক বা কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তাও দিতে চায় দেশটি।
|
রাশিয়া সেটাই করে যাচ্ছে মিয়ানমারের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, "বাইরের কিছু পক্ষ এই বিষয়টিকে ব্যবহার করে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে এবং তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে আমি বিশ্বাস করি, এতে হিতে বিপরীত হবে এবং একই সাথে এটা অগ্রহণযোগ্যও বটে" তিনি বলেন, “আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তাদের পররাষ্ট্রনীতি অপরিবর্তিত রেখেছে” সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, "দুই পক্ষের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ার বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে" পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাই না আমরা চাই আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক" ছবির উৎস, Getty Images সংবাদ সম্মেলনে মি. লাভরভ উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন দুই বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করত তবে ২০২২ সালে সেটি প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে কিন্তু সম্প্রতি সেটি কিছুটা কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, দুই দেশের বাণিজ্য বিষয়ক কমিশনের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন এবং সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে রূপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাইরেও বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে রাশিয়ার আগ্রহের কথা তুলে ধরেন মি. লাভরভ তিনি বলেছেন, গ্যাস খাতে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার কিছু প্রকল্প রয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে ২০টির বেশি কূপ খনন করেছে এবং তারা এটা অব্যাহত রাখবে রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন
|
রাশিয়ার বন্ধু দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
|
গাড়ি পরিষ্কারের কাজ থেকে ছাঁটাই, ১২টি গাড়িতে অ্যাসিড ঢেলে প্রতিশোধ কর্মীর
|
দোকান থেকে না কিনে ‘অ্যান্টি-এজিং সিরাম’ বাড়িতেই তৈরি করতে চান, কী ভাবে করবেন?
|
কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিট গঠন করলো কলকাতা হাই কোর্ট
|
state
|
কালিয়াগঞ্জের নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিবেছেন। তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। সিটে রয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার পঙ্কজ দত্ত, প্রাক্তন সিবিআই অধিকারিক উপেন বিশ্বাস এবং দময়ন্তী সেন। হাই কোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
|
সিটে রয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার পঙ্কজ দত্ত, প্রাক্তন সিবিআই অধিকারিক উপেন বিশ্বাস এবং দময়ন্তী সেন হাই কোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে
|
CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ হাই কোর্টের
|
ঝালদা পৌর বোর্ড গঠন করলো কংগ্রেস
|
Toyota AI-Based Car Design: এআই-ভিত্তিক গাড়ির ডিজাইন তৈরি করবে টয়োটা, শুরু হয়ে গেল গবেষণা
|
সল্টলেকে ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে কোটি কোটি টাকার মাদকের কারবার! গ্রেফতার ২
|
kolkata
|
ছাগলের ব্যবসার আড়ালে চলছিল মাদকের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সল্টলেকের সেই ছাগলের খোঁয়াড়ে হানা দিয়ে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। উদ্ধার হল ৫ কেজি মাদক। পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ বিধাননগর থানার অন্তর্গত নওভাঙা সেক্টর-৪ এলাকায় হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। ধৃত মবিন খান এবং মেহতাব বেগম পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হবে।
|
পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ বিধাননগর থানার অন্তর্গত নওভাঙা সেক্টর-৪ এলাকায় হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক ধৃত মবিন খান এবং মেহতাব বেগম পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর
|
পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলে ব্যবসায়ীর থেকে ১৭ লক্ষ লুট, কলকাতা পুলিশের জালে ২
|
‘রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা নীরব কেন’
|
ব্রিটেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক 'রক-সলিড': প্রেসিডেন্ট বাইডেন
|
চা খাওয়ায় বাধা পোশাক! জালের ভিতর যুদ্ধ করলেন উরফি
|
entertainment
|
গাড়িতে বসে গরম চা খাওয়ার চেষ্টা করছেন উরফি জাভেদ। কিন্তু পারছেন কই? কালো ধাতব ঢাল আড়াল করে আছে তাঁর বুক থেকে মুখ। কোমরের উপরেই পরে ফেলেছেন সেই জালের বর্ম। ভিতরে শুধুই একফালি অন্তর্বাস। এই পোশাকে ঠোঁটের কাছে চা পৌঁছতে হিমসিম উরফি। তবু কসরত করে চললেন মডেল-তারকা। তেষ্টায় গলা শুকিয়ে আসছিল তাঁর। শেষমেশ চায়ের কাপ পাশে টেনে এনে ঢালের মধ্যে থেকে মুখ বার করে দিলেন চুমুক। উজ্জ্বল গোলাপি লিপস্টিক পরা ঠোঁটে হাসি খেলে গেল উরফির। সেই ভিডিয়ো ঘুরছে নেটদুনিয়ায়। ক্যাপশনে উরফি লিখেছেন, “যখন চা না খেলে চলছেই না!” সেই দেখে মন্তব্যের বন্যা। অনেকেই বললেন, “স্ট্র ব্যবহার করলে জালের মধ্যে দিয়েই চা খেতে পারতেন!” উরফি এক সময়ে টেলিভিশনে অভিনয় করতেন। গানের ভিডিয়োতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। তবে জনপ্রিয় হন ‘বিগ বস্’-এর মতো রিয়্যালিটি শোয়ে অংশ নেওয়ার পরই। নিজের কৃতিত্বেই বার বার শিরোনামে আসেন তিনি। এ বারও মগজাস্ত্রের জোরেই শিরোনামে উরফি। নিমেষে জিতে নিলেন হাজার হাজার ভক্তের হৃদয়। উরফির মাথায় যে কোন দিন কী ফন্দি চাপে, তা আগে থেকে টের পাওয়া কঠিন। তাঁর উপস্থিতি মাত্রেই চমক। প্রকাশ্যে এলেই আলোকচিত্রীরা ছেঁকে ধরেন এই পোশাক শৌখিনীকে। কথাও যা বলেন, তাতেও সংবাদের শিরোনাম কেড়ে নেন তারকা। এক বার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘তোমাদের কথা ভেবেই বেড়াতে যাই না বেশি দিনের জন্য, তিন মাস আমায় না পেলে খবর করবে কী নিয়ে?’’ সম্প্রতি মুম্বই বিমানবন্দরে উরফিকে দেখামাত্রই নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল অনুরাগীদের মধ্যে। শোরগোল থামিয়ে দেন উরফি নিজেই। কী বলেছিলেন তিনি? সেখানেও বুদ্ধির প্যাঁচ। উরফি বলেন ‘‘সেলফি তুলব, আগে পয়সা বার করো।’’ টাকা না দিলে একটিও নিজস্বী নয়, উরফির সমন জারি। আর তাতেই কেল্লাফতে। যদিও বিতর্ক, সমালোচনা তাঁর পিছু ছাড়ে না। সমাজমাধ্যমে অনুরাগীদের কাছে এই পোশাক শৌখিনীর টাকা চাওয়া নিয়েও ধেয়ে এসেছে সমালোচনা। যদিও মজার ছলেই টাকা চেয়েছিলেন উরফি।
|
কথাও যা বলেন, তাতেও সংবাদের শিরোনাম কেড়ে নেন তারকা এক বার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘তোমাদের কথা ভেবেই বেড়াতে যাই না বেশি দিনের জন্য, তিন মাস আমায় না পেলে খবর করবে কী নিয়ে?’’ সম্প্রতি মুম্বই বিমানবন্দরে উরফিকে দেখামাত্রই নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল অনুরাগীদের মধ্যে শোরগোল থামিয়ে দেন উরফি নিজেই কী বলেছিলেন তিনি? সেখানেও বুদ্ধির প্যাঁচ উরফি বলেন ‘‘সেলফি তুলব, আগে পয়সা বার করো’’ টাকা না দিলে একটিও নিজস্বী নয়, উরফির সমন জারি আর তাতেই কেল্লাফতে যদিও বিতর্ক, সমালোচনা তাঁর পিছু ছাড়ে না সমাজমাধ্যমে অনুরাগীদের কাছে এই পোশাক শৌখিনীর টাকা চাওয়া নিয়েও ধেয়ে এসেছে সমালোচনা যদিও মজার ছলেই টাকা চেয়েছিলেন উরফি
|
সঙ্কটে চা
|
রিভিউ হারিয়ে দিনের শুরু করল বাংলাদেশ
|
Whatsapp Scam: হোয়াটসঅ্যাপে বাড়ছে দুর্নীতি, এবার শিকার কলকাতার বাসিন্দা, কী ঘটেছে?
|
এস এ পরিবহন অফিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে
|
national
|
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর কাকরাইলের এস এ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সবশেষ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। সোমবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ার খবর পেয়ে একে একে আরও ৫টিসহ মোট ১০টি ইউনিট পাঠানো হয়েছিল। লিমা খানম বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে, সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ার খবর পেয়ে একে একে আরও ৫টিসহ মোট ১০টি ইউনিট পাঠানো হয়েছিল লিমা খানম বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি
|
কাকরাইলে এস এ পরিবহন অফিসে আগুন
|
কাকরাইলে এস এ পরিবহন অফিসে আগুন
|
জমা জল নিয়ে ফের কমিটি, বিতর্ক পুর অন্দরে
|
কমিশনের কোর্টে বল, তাঁরাই আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে কর্মী চাইছেন উদ্ধব
|
politics
|
শিবসেনাকে শেষ করে দিতেই একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ হয়েছে। এবার এমনই অভিযোগ করলেন শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। গতমাসে শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে এবং ৩৯ জন অন্যান্য বিধায়ক ঠাকরের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। যার জেরে ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের পতন ঘটে। শিবসেনায় অবশ্য বিদ্রোহ নতুন কিছু না। এর আগে রাজ ঠাকরের নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়েছে। যার জের রাজ আলাদা পার্টি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা গঠন করেছেন। তারও আগে বিদ্রোহ হয়েছেন সেনার ভিতরে। নারায়ণ রানের মত একাধিক নেতা বিদ্রোহ করেছেন। কিন্তু, সেগুলো ছিল দল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য। এবার শিবসেনার অভ্যন্তরে বিদ্রোহ হয়েছে দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। এমনই অভিযোগ উদ্ধবের। দলীয় কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে উদ্ধব জানিয়েছেন, শিবসেনা হিন্দুত্বের স্বার্থে রাজনীতি করে। আর, বিজেপি হিন্দুত্বকে স্রেফ ব্যবহার করে। বিজেপি নেতৃত্ব হিন্দুত্বকে ব্যবহার করে থাকে স্রেফ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে। বরাবরের মত শিবসেনার অভ্যন্তরে এবারের বিদ্রোহেও মদত দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এমনই অভিযোগ উদ্ধবের। তবে, এসব করে শিবসেনাকে আটকানো যাবে না। একথা মনে করিয়ে দিয়ে রবিবার দক্ষিণ মুম্বইয়ে একটি দলীয় কার্যালয়ও উদ্বোধন করেছেন উদ্ধব। আরও পড়ুন- দ্রৌপদীর শপথ গ্রহণে অশ্রুসজল আসমুদ্রহিমাচল, ভারত সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, দাবি মোদীর গত ৩০ জন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এই ব্যাপারে উদ্ধব বলেন, ‘এবারের বিদ্রোহটা অন্যবারের চেয়ে আলাদা। এবার চিরকালের মত শিবসেনাকে শেষ করে দেওয়াই বিদ্রোহীদের লক্ষ্য। বিজেপির মদতপুষ্ট বিদ্রোহীরা আমাদের বিরোধিতা করার জন্য পেশাদার এজেন্সি পর্যন্ত ভাড়া করেছে। বর্তমানে এমন পরিস্থিত যে লড়াইটা হচ্ছে অর্থ এবং আনুগত্যের মধ্যে।’ আর দিন দুয়েক পর ২৭ জুলাই ৬২ বছরে পা দেবেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি জানান, এবারের জন্মদিনে তিনি সেনার কর্মী ও সদস্যদের থেকে উপহার হিসেবে ফুলের তোড়া চান না। তিনি চান আরও বেশি করে কর্মী। যাঁরা শিবসেনার প্রতি আস্থা রাখবে। যারা শিবসেনাকে তুলে ধরবে। উদ্ধবের কথায়, ‘লড়াই এখন নির্বাচন কমিশনের কোর্টে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারাই প্রকৃত শিবসেনা। আমাদের শুধু প্রাণশক্তি নয়। দলের সদস্যদের দৃঢ় সমর্থন এবং নথিভুক্ত কর্মী প্রয়োজন।’ Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest National news download Indian Express Bengali App. Web Title: Uddhav thackeray says revolt this time aimed at finishing off sena
|
যার জের রাজ আলাদা পার্টি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা গঠন করেছেন তারও আগে বিদ্রোহ হয়েছেন সেনার ভিতরে নারায়ণ রানের মত একাধিক নেতা বিদ্রোহ করেছেন কিন্তু, সেগুলো ছিল দল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য এবার শিবসেনার অভ্যন্তরে বিদ্রোহ হয়েছে দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য এমনই অভিযোগ উদ্ধবের দলীয় কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে উদ্ধব জানিয়েছেন, শিবসেনা হিন্দুত্বের স্বার্থে রাজনীতি করে আর, বিজেপি হিন্দুত্বকে স্রেফ ব্যবহার করে বিজেপি নেতৃত্ব হিন্দুত্বকে ব্যবহার করে থাকে স্রেফ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে বরাবরের মত শিবসেনার অভ্যন্তরে এবারের বিদ্রোহেও মদত দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব এমনই অভিযোগ উদ্ধবের তবে, এসব করে শিবসেনাকে আটকানো যাবে না
|
ঠাকরে না শিণ্ডে? শিবসেনায় শেষ কথা কে? ‘শক্তি’র প্রমাণ চায় কমিশন
|
ঠাকরে না শিণ্ডে? শিবসেনায় শেষ কথা কে? ‘শক্তি’র প্রমাণ চায় কমিশন
|
খাবার না জুটুক, বেঁচে থাক মাস্ক-সাবান-স্যানিটাইজ়ার
|
ফ্রান্সে দুই আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত: নিখোঁজ ১০
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের বন্দর নগরী মার্সেই শহরে দুটি আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণের পর ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ধংসস্তূপের নিচে অন্তত ১০ জন চাপা পড়া অবস্থায় নিখোঁজ থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। রোববার (৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে অভিযান। তবে বিস্ফোরণের পরপরই ভবন দুটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। অন্তত ১০০টি উদ্ধারকর্মী দল দুর্ঘটনাস্থলে তৎপরতা চালাচ্ছে। বড় ক্রেনের সাহায্যে চলছে ধংসস্তূপ সরানোর কাজ। পাশেই উড়ছে ধোঁয়া, তাতে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারীরা। রোববার স্থানীয় সময় ভোরে ফ্রান্সের বন্দরনগরী মার্সেইয়ের ওই দুই আবাসিক ভবন বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই ধসে পড়ে ভবন দুটি। খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলবাহিনীর সদস্যরা। শুরু হয় উদ্ধার কার্যক্রম। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আগুনের কারণে উদ্ধার অভিযানে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। ভবনের ধংসস্তুপের নিচে এখনো বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করছে দমকল বাহিনী। এদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আগুন জ্বলছে। এতে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক ইউনিট কাজ করছে বলেও জানা তিনি। তবে এ দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছেন কি না সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। অপরদিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর পাশের আরো একটি ভবন আংশিক ধসে পড়ে। এ ঘটনার পর ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি ভবন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
এদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আগুন জ্বলছে এতে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক ইউনিট কাজ করছে বলেও জানা তিনি তবে এ দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছেন কি না সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অপরদিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর পাশের আরো একটি ভবন আংশিক ধসে পড়ে এ ঘটনার পর ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি ভবন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে
|
চীনে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুন: নিহত ১০
|
চীনে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুন: নিহত ১০
|
চকরিয়ায় আ.লীগের ৭ বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কার
|
জনতার পঞ্চায়েত গড়তে বুথ রক্ষার লড়াইয়ে বাংলা
|
state
|
পঞ্চায়েত কেমন হবে? এমন পঞ্চায়েত যা জবাবদিহি করবে গ্রামের মানুষের কাছে। গ্রামের সরকার হবে পঞ্চায়েতই। সরকারি পরিষেবা বাড়ির দুয়ারে টেনে আনবে এমন জনতার পঞ্চায়েত। চাপড়ায় জনসভা মীনাক্ষী মুখার্জির। তৃণমূল আর বিজেপি’কে হারিয়ে জনতার পঞ্চায়েত গড়ার প্রচারে এমনই বলছেন বামপন্থীরা। মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে চলেছে প্রচার। কোথাও হয়েছে সমাবেশ, বড় মিছিল। কোথাও আবার প্রার্থীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কথা বলা হয়েছে সহনাগরিকদের সঙ্গে। নির্বাচনে বামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতায় থাকা আইএসএফ এবং কংগ্রেস একসঙ্গে করছে মিছিল। এদিন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় হয় বিশাল মিছিল। নেতৃত্ব দিয়েছেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নদীয়ার চাপড়ায় সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন যুবনেত্রী এবং সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভগবানপুর শঙ্করপুরে গ্রামের পথে কেবল মানুষ আর মানুষ। এখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ভগবানপুর শঙ্করপুরে মিছিলে রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি ও কান্তি গাঙ্গুলি তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে মামলা দিচ্ছে পুলিশ। রাজ্যের বহু জায়গা থেকে উঠছে এমন অভিযোগ। রাজ্যের পুলিশ প্রধান বলছেন ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে দেওয়া হচ্ছে মনোনয়ন। তালিকা থেকে সিপিআই(এম), আইএসএফ প্রার্থীদের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে। বামপন্থীরা বলছেন পুলিশ এবং কমিশনকেও জবাবদিহি করতে হবে জনতার কাছে। চোরদের তাড়ানোর ডাক দিয়েছেন মহম্মদ সেলিম, কাঁকসায় বিশাল মিছিলের পর জনসভায়। সেই সঙ্গে মনে করিয়েছেন যে দুর্নীতিকে হারাতে হলে মানুষের একজোট থাকা প্রয়োজন। তৃণমূলের মতো বিজেপি’ও বিভাজনের রাজনীতিকে সম্বল করে ভোট লড়ে। দুই দলই লুটেরাদের পক্ষে। তৃণমূল চাকরি বিক্রি করে, বালি পাথর কয়লা চালান করে। আর বিজেপি পছন্দের কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়। জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, কাজের সুযোগ বন্ধ হয়, কাজ থাকলে মজুরির ঠিক থাকে না- সবই হয় লুটের রাজনীতির জন্য। সেই জন্যই গণতন্ত্রকে লুট করতে হয়। দু’দলই মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। মানুষের সম্পদ লুট করে কয়েকজনের হাতে দেওয়ার রাজনীতিকে হারাতেই হবে, মিছিলে জনসভায় বলছে বামফ্রন্ট। যে কোনও অবস্থায় রক্ষা করতে হবে বুথ। রক্ষা করতে হবে ভোট দেওয়ার অধিকার। রাস্তায় নেমেই রাখতে হবে সেই অধিকার। বামপন্থীরা বলছেন, জনতার পঞ্চায়েত গড়তেই বুথ রক্ষার লড়াইয়ে নামবে বাংলা।
|
নির্বাচনে বামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতায় থাকা আইএসএফ এবং কংগ্রেস একসঙ্গে করছে মিছিল এদিন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় হয় বিশাল মিছিল নেতৃত্ব দিয়েছেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নদীয়ার চাপড়ায় সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন যুবনেত্রী এবং সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভগবানপুর শঙ্করপুরে গ্রামের পথে কেবল মানুষ আর মানুষ এখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ভগবানপুর শঙ্করপুরে মিছিলে রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি ও কান্তি গাঙ্গুলি তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে মামলা দিচ্ছে পুলিশ রাজ্যের বহু জায়গা থেকে উঠছে এমন অভিযোগ রাজ্যের পুলিশ প্রধান বলছেন ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে বিদেশ থেকে দেওয়া হচ্ছে মনোনয়ন তালিকা থেকে সিপিআই(এম), আইএসএফ প্রার্থীদের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে বামপন্থীরা বলছেন পুলিশ এবং কমিশনকেও জবাবদিহি করতে হবে জনতার কাছে
|
পঞ্চায়েতে বুথরক্ষা করবে যুবরা: সোচ্চারে ঘোষণা যুব সমাবেশে
|
খাদান রক্ষার লড়াইয়ে রাস্তা দেখাচ্ছে চিনাকুড়ি
|
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ পুলিশকর্মীদের
|
Whatsapp Features: হোয়াটসঅ্যাপে চালু হতে চলেছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার, আগামী দিনে কী কী সুবিধা পাবেন ইউজাররা?
|
technology
|
Whatsapp Features: ইউজারদের সুবিধার জন্য একাধিক ফিচার নিয়ে কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) সংস্থা। তবে এর মধ্যে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার (Whatsapp Features), যা খুব তাড়াতাড়ি লঞ্চ হতে চলেছে। এর মধ্যে একটি হল, ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে ফোন নম্বর লুকিয়ে রেখে ইউজার নেম (User Name) দিতে পারবেন। আর একটি হল, ভিডিও কলের (Video Call) সময় স্ক্রিন শেয়ার (Screen Share) করতে পারবেন ইউজাররা। এই দুই ফিচার নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে চালু হয়েছে মেসেজ এডিট এবং চ্যাট লক ফিচার। এছাড়াও এখন একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট একাধিক ফোনে ব্যবহারের সুযোগও পান ইউজাররা। হোয়াটসঅ্যাপে লুকিয়ে রাখতে পারবেন নম্বর হোয়াটসঅ্যাপ ট্র্যাকার WaBetaInfo জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ এমন একটি ফিচার নিয়ে কাজ করছে যেখানে অ্যাকাউন্টে আপনি ইউজার নেম ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি ফোন নম্বর লুকিয়ে রাখতে পারবেন। অর্থাৎ ফোন নম্বর না দিলেও চলবে। চাইলে আপনি দিতেই পারবেন। আপনি নম্বর না দিলে অন্যান্য ইউজাররা আপনার ইউজার নেমই দেখতে পারবেন। এই ইউজার নেম দিয়েই আপনার অ্যাকাউন্ট হোয়াটসঅ্যাপে খুঁজেও পাবেন ইউজাররা। হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্রিন শেয়ার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করার সময় স্ক্রিন শেয়ার করার অপশন পাবেন ইউজাররা। গুগল মিটে এই সুবিধা রয়েছে। ভিডিও কলের জন্য গুগল মিট যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাই এবার গুগল মিটকে টেক্কা দিতেই স্ক্রিন শেয়ারের অপশন চালু করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে ৩২ জন ইউজার একসঙ্গে ভিডিও কলে যোগ দিতে পারেন। Whatsapp Edit Message: ইউজারদের সুবিধায় হোয়াটসঅ্যাপে হাজির নতুন ফিচার। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ অতুন এডিট বাটন ফিচার সকলের জন্য লঞ্চ করেছে। অর্থাৎ ভুল করে কোনও মেসেজ পাঠিয়ে ফেললে তা এডিট করে ঠিক করার সুবিধা পাবেন ইউজাররা। সম্প্রতিই হোয়াটসঅ্যাপে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার লঞ্চ হয়েছে। সেই ফিচারের সাহায্যে নির্দিষ্ট একটি চ্যাটবক্স বা গ্রুপ চ্যাট লক করে রাখার সুবিধা পাবেন ইউজাররা। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া মেসেজ এডিট করার জন্য নতুন একটি বাটন লঞ্চ করেছে সংস্থা। মেসেজ পাঠানোর পর তা এডিট করার জন্য ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় পাবেন ইউজাররা। অনেকসময়েই আমরা মেসেজ টাইপ করার সময় বানান ভুল করে থাকি। এছাড়াও অনেকক্ষেত্রেই যা লিখতে চাই হয়তো অটো কারেক্টের জন্য তা লেখা হয় না। এইসব ক্ষেত্রে পাঠানোর পরেও মেসেজ এডিট করার অপশন থাকলে খুবই উপকার হবে ইউজারদের। তবে মেসেজ পাঠানোর পর ১৫ মিনিটের মধ্যেই যাবতীয় এডিট করে নিতে হবে। কারণ সময় পেরিয়ে গেলে আর সুবিধা পাবেন না। আরও পড়ুন- ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে থালার মাপ ! অবাক করবে পুষ্টিবিদের এই ভিডিও
|
এছাড়াও এখন একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট একাধিক ফোনে ব্যবহারের সুযোগও পান ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপে লুকিয়ে রাখতে পারবেন নম্বর হোয়াটসঅ্যাপ ট্র্যাকার WaBetaInfo জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ এমন একটি ফিচার নিয়ে কাজ করছে যেখানে অ্যাকাউন্টে আপনি ইউজার নেম ব্যবহার করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনি ফোন নম্বর লুকিয়ে রাখতে পারবেন অর্থাৎ ফোন নম্বর না দিলেও চলবে চাইলে আপনি দিতেই পারবেন আপনি নম্বর না দিলে অন্যান্য ইউজাররা আপনার ইউজার নেমই দেখতে পারবেন এই ইউজার নেম দিয়েই আপনার অ্যাকাউন্ট হোয়াটসঅ্যাপে খুঁজেও পাবেন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্রিন শেয়ার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করার সময় স্ক্রিন শেয়ার করার অপশন পাবেন ইউজাররা গুগল মিটে এই সুবিধা রয়েছে ভিডিও কলের জন্য গুগল মিট যথেষ্ট জনপ্রিয়
|
Whatsapp Features: একটি ফোনে দুটো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট! ইউজারদের সুবিধায় দ্রুত আসছে নতুন ফিচার
|
WhatsApp: পুজোর আগেই দুঃখের খবর! একগুচ্ছ ফোনে বন্ধ হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ
|
অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা বাচ্চাদের স্কুলে পড়াতেন, মাসিক বেতন কত ছিল জানেন?
|
Murder: গলায় ক্ষুর চালিয়ে ১৪ বছরের নাবালিকাকে খুনের চেষ্টা, গ্রেপ্তার নিকট আত্মীয়
|
national
|
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৪ বছরের নাবালিকার গলায় ক্ষুর চালিয়ে খুনের চেষ্টার অভিয়োগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি তারই নিকট আত্মীয়। গলায় আঘাত করার পাশাপাশি ওই বালিকার মুখে অ্যাসিডও ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ভেঙ্কটাচালামে। আহত বালিকাকে প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতাল পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অ্যাসিড হামলার কারণে মেয়েটির অবস্থা বর্তমানে সঙ্কটজনক। আরও পড়ুন: বালিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু যুবকের, সমালোচনায় বিদ্ধ স্থানীয় প্রশাসন পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত বালিকাটিরই নিকট আত্মীয়, যাকে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সোমবার বিকেলে মেয়েটির ওপর হামলা করা হয়। সেই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় সাহায্য পায়নি ওই বালিকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে খবর দেওয়া হয় মেয়েটির বাবাকে, তারপর ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্তের বয়স ৩৫ বছর। টাকা পয়সার লোভেই খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে অন্য কোনো কারণ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি তারই নিকট আত্মীয় গলায় আঘাত করার পাশাপাশি ওই বালিকার মুখে অ্যাসিডও ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ভেঙ্কটাচালামে আহত বালিকাকে প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতাল পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
|
Nadia: একই কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা মা-ছেলের
|
১৮৬০ টাকা চুরি করে লুকিয়ে ছিলেন গুহায়, ১৪ বছর পর আত্মসমর্পণ পুলিশের কাছে
|
মনোরোগী সাজিয়ে রিহ্যাবে পাঠানোর চেষ্টা, ধৃত স্বামী-সহ ২
|
১৪০ দিন পর খাবার খেলেন ফিলিস্তিনি
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিনা কারণে আটকে রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশন করা হিশাম আবু হাওয়াস তার অনশন ভেঙেছেন। অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন নামক একটি কালো আইনে তাকে আটক করে দখলদার ইসরাইল। এর প্রতিবাদে ১৪২ দিন না খেয়ে ছিলেন তিনি। এতে করে তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। ফলে ইসরাইল তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। হিশাম আবু হাওয়াসের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবেন তিনি। এই খবর জানার পর ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট দলের সদস্য হিশাম অনশন ভাঙেন। অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন আইনে ইসরাইলি সেনাবাহিনী যে কাউকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গ্রেফতার করতে পারে। এরপর কোন বিচার না করেই যতোদিন ইচ্ছা আটকে রাখতে পারবে। যদি বিচার শুরুও হয় তাহলে সে বন্দি জানতে পারবেন না কোন অপরাধে তার বিচার করা হচ্ছে। ফলে এই আইনে কেউ আটক হলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান না। কয়েকদিন ধরে আবু হাওয়াসের মুক্তির দাবিতে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। তাছাড়া অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশনে আটক আরো প্রায় ৫০০ বন্দি জানায়, আবু হাওয়াসকে মুক্তি না দিলে তারা ইসরাইলের সামরিক আদালতে হাজিরা দেবেন না। আবু হাওয়াসের দল ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট জানায়, যতি তিনি অনশনরত অবস্থায় মারা যান তাহলে তারা সামরিক পদক্ষেপ নেবে। আবু হাওয়াসের জন্য ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে গঠিত সংঘটন দি অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো অপারেশনও একটি বিবৃতি দেয়। সংঘটনটি বিবৃতিতে জানায়, আবু হাওয়াসের জীবন নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন। অনশনের মাধ্যমে ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে আবু হাওয়াসের মুক্তির বিষয়টিকে বিজয় হিসেবে দেখছে ফিলিস্তিনিরা। তাকে মুক্তি দেয়া হবে এ খবর জানার পর অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। পাঁচ সন্তানের জনক ৪০ বছর বয়সী আবু হাওয়াস তার জীবনের আট বছরই কাটিয়েছেন জেলে। এর মধ্যে প্রায় চার বছর তাকে আটকে রাখা হয়েছে অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন আইনে। শুধু আবু হাওয়াস নয়। এই কালো আইনের প্রতিবাদে অনেক বন্দিই অনশন করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম/এম.এম
|
ফলে ইসরাইল তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে হিশাম আবু হাওয়াসের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবেন তিনি এই খবর জানার পর ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট দলের সদস্য হিশাম অনশন ভাঙেন অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিটেনশন আইনে ইসরাইলি সেনাবাহিনী যে কাউকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গ্রেফতার করতে পারে এরপর কোন বিচার না করেই যতোদিন ইচ্ছা আটকে রাখতে পারবে যদি বিচার শুরুও হয় তাহলে সে বন্দি জানতে পারবেন না কোন অপরাধে তার বিচার করা হচ্ছে ফলে এই আইনে কেউ আটক হলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান না কয়েকদিন ধরে আবু হাওয়াসের মুক্তির দাবিতে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা
|
‘গোবি কা পরোটা’ বানাতে বলেন, ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’কে ডিনারের প্রস্তাবও দেন দিলজিৎ
|
পরীক্ষা
|
করোনার জেরে বেড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কলিং, চিন্তায় কপালে ভাঁজ ফেসবুকের
|
অর্জুনের পর লাইনে কে? রাজ্যের ঢালাও প্রশংসায় চর্চায় BJP-র তারকা বিধায়ক
|
politics
|
ফের ভাঙন বঙ্গ বিজেপিতে? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েই গেল। পদ্ম শিবির ছাড়ার আগে ঠিক যেভাবে দিন কয়েক লাগাতার তৃণমূল-স্তুতি শোনা যেত অর্জুন সিংয়ের মুখে, তেমনই এবার সেই পথই ধরেছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও। পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে রাজ্য সরকারের কাজের ঢালাও প্রশংসা হিরণের মুখে। তবে কি অভিনেতার জোড়াফুলে প্রত্যাবর্তন শুধুই সময়ের অপেক্ষা? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। একটা একুশের ভোট সব হিসেব ওলোট-পালোট করে দিয়েছে। গত বছর বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে এরাজ্যে গেরুয়ার ঘর ভাঙা শুরু। সেই ট্রেন্ড এখনও অব্যাহত। এরাজ্যে সর্বশেষ বিজেপি ছেড়েছেন অর্জুন সিং। এবার কি পদ্মে মোহভঙ্গ হিরণেরও? খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণের মুখে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের ঢালাও প্রশংসা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বৃহস্পতিবার ঠিক কী বলেছেন হিরণ? যাগত কয়েক বছরে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে পর্যটন নির্ভর পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকাগুলির পুনর্গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে রাজ্য সরকারের সেই কাজেরই ভূয়সী প্রশংসা হিরণের মুখে। তাঁর কথায়, ”রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা ও জেলাশাসকের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেলায় আগের অবস্থা ফিরে এসেছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।” রাজনীতি ভুলে বাংলার উন্নয়নের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন বিজেপির এই তারকা বিধায়ক। আরও পড়ুন- KK-কে নিয়ে কুমন্তব্য, রূপঙ্করকে ‘গুঁতো’য় সবক শেখালেন অনুপম উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। সৈকতনগরী দিঘা থেকে শুরু করে মন্দারমণি, তাজপুর, মহিষাদল, তমলুক, কাঁথির বিভিন্ন এলাকায় বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপরেই জেলার পর্যটেনকেন্দ্রগুলির পুনর্গঠনে বাড়তি উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পুনর্গঠনের কাজ করা হয়। রাজ্য সরকারের সেই কাজেই যথেষ্ট খুশি বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তবে হিরণের মুখে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের এহেন প্রশংসায় অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। তবে কি পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলে মন মজেছে বিজেপি নেতার? অর্জুন সিংও কিন্তু ঠিক একইভাবে পাট শিল্পের উন্নতি নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে টানা কয়েকদিন ধরে সওয়াল তুলে গিয়েছিলেন। শেষমেশ গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন অর্জুন। অর্জুনের পথেই কি এগোচ্ছেন হিরণ? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েই গেল। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Bjp mla hiran chatterjee congratulates wb govt reconstruction work at east midnapore
|
সৈকতনগরী দিঘা থেকে শুরু করে মন্দারমণি, তাজপুর, মহিষাদল, তমলুক, কাঁথির বিভিন্ন এলাকায় বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এরপরেই জেলার পর্যটেনকেন্দ্রগুলির পুনর্গঠনে বাড়তি উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পুনর্গঠনের কাজ করা হয় রাজ্য সরকারের সেই কাজেই যথেষ্ট খুশি বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় তবে হিরণের মুখে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের এহেন প্রশংসায় অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল তবে কি পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলে মন মজেছে বিজেপি নেতার? অর্জুন সিংও কিন্তু ঠিক একইভাবে পাট শিল্পের উন্নতি নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে টানা কয়েকদিন ধরে সওয়াল তুলে গিয়েছিলেন শেষমেশ গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন অর্জুন অর্জুনের পথেই কি এগোচ্ছেন হিরণ? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েই গেল
|
অর্জুন গড়ে তোলপাড়, BJP সভাপতি নাকি সাংসদের ‘এজেন্ট’! ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া
|
দুই পরিবারকে মেলাল হ্যাম
|
তৃণমূল আছে কেবল পুলিশের দয়ায়: চক্রবর্তী
|
সম্পাদক সমীপেষু: এলেবেলে স্কুলশিক্ষা
|
editorial
|
‘দুয়ারে অশিক্ষা’ (১২-১১) সম্পাদকীয় প্রবন্ধটি খুবই যথাযথ। শিক্ষাকে বর্তমান সরকার যে যথাযথ গুরুত্ব দেয় না, তার একাধিক উদাহরণ করোনার সময় থেকে লক্ষ করা গিয়েছে। অন্য অনেক রাজ্যে করোনার প্রভাব কমলে মাঝেমধ্যে কিছু দিনের জন্য স্কুল খুললেও এ রাজ্যে প্রায় একটানা দু’বছর স্কুল-কলেজ খোলেনি। অনলাইন শিক্ষা থেকেও বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন কারণে বঞ্চিত ছিল। করোনা কমে যাওয়ার পর এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের। তার পর স্কুল খুললেও গরমের অজুহাতে টানা দেড় মাস ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ প্রায় বন্ধ। ফলে বিভিন্ন স্কুলে অসংখ্য শিক্ষকের পদ শূন্য। এমনকি এই জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে অনেক স্কুল এ বছর ছাত্র ভর্তি নিতে পারেনি। অনেক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ক্লাস নিচ্ছেন— এমন সংবাদও উঠে এসেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সভা এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানের জন্য স্কুল ক্যাম্পাস ব্যবহার করা এ রাজ্যে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সে জন্য স্কুল পূর্ণদিবস বা অর্ধদিবস ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এখন আবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে শিক্ষকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলার জন্য বিভিন্ন স্কুলে এক বা একাধিক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সময় মতো বইপত্র, স্কুল ড্রেস ইত্যাদি সরবরাহ না করা, মিড-ডে মিলে ঘাটতি— এ সব তো প্রাত্যহিক ঘটনা। সম্প্রতি বি এড কোর্সের দ্বিতীয় সিমেস্টার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিভিন্ন বি এড কলেজে। এক পরীক্ষার্থীর থেকে জানা গেল, প্রাইভেট বি এড কলেজগুলোতে পরীক্ষার নামে প্রহসন হয়েছে। হোম সেন্টারের অনুমোদন তো দেওয়া হয়েছেই, পাশাপাশি মাইক্রো জ়েরক্স নিয়ে পরীক্ষা দিলে ইনভিজিলেটর দেখেও উপেক্ষা করেছেন পাশের হার ঠিক রাখার জন্য। সুতরাং, এ রাজ্যে শিক্ষার দৈন্যদশা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। শিক্ষার মূল্যায়ন হচ্ছে শুধুমাত্র পাশের হারে। সেই হার ঠিক রাখতে যা করণীয় তা-ই করা যাবে, এমনই মনোভাব। শিক্ষার উন্নয়নে সদর্থক কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এ ভাবে চললে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার আরও অবনমন ঘটবে, সন্দেহ নেই। প্রদ্যোৎ পালুই, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া ভোটে প্রয়োজন ‘দুয়ারে অশিক্ষা’ সম্পাদকীয়তে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস না নিয়ে,বার্ষিক পরীক্ষার কাজ ফেলে শিক্ষকরা কেন ছুটবেন সরকারি ভাতা অনুদানের কাজে মানুষকে পরিষেবা দিতে? যথার্থই। সমাজ গড়ার কারিগরদের শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কহীন কোনও কাজে যুক্ত করা হলে তা শিক্ষা জগতের অপূরণীয় ক্ষতিও বটে। কিন্তু ভোটের তালিকা তৈরি, কিংবা ভোটগ্রহণের মতো কাজে শিক্ষকদের যুক্ত করার কাজেরও বিরোধিতা করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। এই বিষয়ে বলতে হয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভোটগ্রহণ কিংবা ভোটের সঙ্গে যুক্ত কাজকে অপরিসীম গুরুত্বের চোখে দেখা হয়, যা বিরাট স্বচ্ছতার দ্বারা ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করেন ওই কাজে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উক্ত কাজে তাঁদের ছাড়া অন্যদের যুক্ত করা হলে তাতে ভুলত্রুটির সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। আধার ও রেশন কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পাহাড়-প্রমাণ ভুল তাই প্রমাণ করে। সে দিক দিয়ে ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষকদের দায়িত্ব বণ্টনে অন্যায়ের কিছু নেই। সেক ইমরান, গোলকুঁয়াচক, পশ্চিম মেদিনীপুর চূড়ান্ত অবহেলা ‘দুয়ারে অশিক্ষা’ সময়োচিত। সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা দ্রুত অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হতে চলেছে। নির্বাচনী কাজ পরিচালনা থেকে শুরু করে সরকারের নানা ধরনের কাজ করতে শিক্ষকদের বাধ্য করা হচ্ছে। আর আছে শিক্ষকদের রকমারি ট্রেনিং, মিড-ডে মিলের বাজার করা ইত্যাদি। হাজার হাজার শিক্ষক পদ শূন্য। বহু স্কুলে এক জন মাত্র শিক্ষক। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের পরিসংখ্যান আর বাস্তবের ফারাকটা ভুক্তভোগীরাই জানেন। এই চূড়ান্ত অবহেলা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখে মনে হয় যেন সরকার শিক্ষাব্যবস্থাটির থেকে দ্রুত হাত গুটিয়ে নিতে চাইছে। শিক্ষাব্যবস্থা বিপর্যস্ত। অথচ, জনমানসে শিক্ষকরাই আসামীর কাঠগড়ায়। তাঁদের কোনও দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতা নেই— এ কথা ঠিক নয়। কিন্তু সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশকে যেখানে দাঁড় করানো হয়েছে, তা যে শিক্ষাদান ও গ্রহণে উত্তরোত্তর অমনোযোগী করে তুলবে, এ সত্য কি অস্বীকার করা যাবে? জাতি গঠনে শিক্ষার অপরিসীম গুরুত্ব আমরা ভুলতে বসেছি। শিক্ষা যেন আর পাঁচটা সাধারণ বিষয়ের মতো একটি। এ দেশে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অতুলনীয় সংগ্রামের কথা মনে পড়ে। পরবর্তী কালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে আচার্য সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির বিকল্প জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কী অপরিসীম প্রচেষ্টা। আজকের শাসকবর্গ কি তার খোঁজ রাখেন? শিক্ষকদের তরফেই বা সরকারি কাজ করতে বাধ্য করার বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ কই? শিক্ষক সমিতিগুলি যদি একত্রে প্রতিবাদে নামে, তা হলে হয়তো সরকারের কানে ঢুকবে। শিক্ষাব্যবস্থাকে দ্রুত রসাতলে পাঠানোর যে বিরাট আয়োজন চলছে, তার থেকে অন্তত এই প্রশ্নে কিছুটা উপশম হতে পারে। মদন ঘটক, সিউড়ি, বীরভূম কাজের ক্ষতি দুয়ারে রেশন, দুয়ারে মদ, দুয়ারে অশিক্ষা, দুয়ারে অপসংস্কৃতি, পাড়ায় সমাধান, আর কত শুনতে হবে, দেখতে হবে। কাজের কাজ কী হচ্ছে, সেটাই প্রশ্ন। সরকার যদি শিশুদের প্রকৃত শিক্ষা দিত, তা হলে শিক্ষার উপর এত আক্রমণ হানত না। শিক্ষক সমাজকে যেমন খুশি কাজে লাগাতে পারত না। এক জন শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে কত রকমের কাজ করতে হয়, তার ফিরিস্তি দিতে চাই না। পাঠদানের জন্য কতটা সময় দিচ্ছেন, সেটা জরুরি বিষয়। সরকারি নানা কাজে শিক্ষকদের জড়িয়ে দিলে মূল কাজ ব্যাহত হবেই। বিদ্যুৎ সীট, জগদল্লা, বাঁকুড়া রাজার ভুল প্রেমাংশু চৌধুরীর ‘চুপ! সরকার চলছে’ (৩-১১) দেশের বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরেছে। সরকারের কাজের সমালোচনা করলেই তা হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। স্বাধীনতার আগে যেমন ব্রিটিশ সরকার ‘নেটিভ’দের কোনও রকম মন্তব্যও সহ্য করত না, ভাবত ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, বর্তমানের অবস্থাও খুব একটা পাল্টায়নি। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জরুরি অবস্থায় কী রকম ভাবে বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার গলা টিপে দেওয়া হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আছে কুলদীপ নায়ারের দ্য জাস্টিস বইটিতে। ব্রিটেনে একটা কথা খুব প্রচলিত, ‘কিং ক্যান ডু নো রং’, অর্থাৎ রাজা কখনও ভুল করেন না। আমাদের দেশের সরকারও সেটাই মনে করে। কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাতে সব সময় নাগরিকের বাক্স্বাধীনতা রয়েছে। আমাদের দেশের সংবিধানও বাক্স্বাধীনতা-কে একটি মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছে। তা হলে কেনই বা নাগরিক সরকারের কাজের সমালোচনা করতে পারবে না, ভুল-ত্রুটি ধরতে পারবে না? বরং সরকারের কাজের সমালোচনা করে সরকারকে সঠিক পথে দেশ শাসনে সাহায্য করা নাগরিকের দায়িত্ব। এবং রাষ্ট্র সেখানে সহনশীল মনোভাব দেখাবে, এটাই জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রের লক্ষণ। সর্বানী গুপ্ত, বড়জোড়া, বাঁকুড়া
|
অথচ, জনমানসে শিক্ষকরাই আসামীর কাঠগড়ায় তাঁদের কোনও দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতা নেই— এ কথা ঠিক নয় কিন্তু সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশকে যেখানে দাঁড় করানো হয়েছে, তা যে শিক্ষাদান ও গ্রহণে উত্তরোত্তর অমনোযোগী করে তুলবে, এ সত্য কি অস্বীকার করা যাবে? জাতি গঠনে শিক্ষার অপরিসীম গুরুত্ব আমরা ভুলতে বসেছি শিক্ষা যেন আর পাঁচটা সাধারণ বিষয়ের মতো একটি এ দেশে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অতুলনীয় সংগ্রামের কথা মনে পড়ে পরবর্তী কালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে আচার্য সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির বিকল্প জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কী অপরিসীম প্রচেষ্টা আজকের শাসকবর্গ কি তার খোঁজ রাখেন? শিক্ষকদের তরফেই বা সরকারি কাজ করতে বাধ্য করার বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ কই? শিক্ষক সমিতিগুলি যদি একত্রে প্রতিবাদে নামে, তা হলে হয়তো সরকারের কানে ঢুকবে শিক্ষাব্যবস্থাকে দ্রুত রসাতলে পাঠানোর যে বিরাট আয়োজন চলছে, তার থেকে অন্তত এই প্রশ্নে কিছুটা উপশম হতে পারে মদন ঘটক, সিউড়ি, বীরভূম কাজের ক্ষতি দুয়ারে রেশন, দুয়ারে মদ, দুয়ারে অশিক্ষা, দুয়ারে অপসংস্কৃতি, পাড়ায় সমাধান, আর কত শুনতে হবে, দেখতে হবে কাজের কাজ কী হচ্ছে, সেটাই প্রশ্ন সরকার যদি শিশুদের প্রকৃত শিক্ষা দিত, তা হলে শিক্ষার উপর এত আক্রমণ হানত না শিক্ষক সমাজকে যেমন খুশি কাজে লাগাতে পারত না এক জন শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে কত রকমের কাজ করতে হয়, তার ফিরিস্তি দিতে চাই না পাঠদানের জন্য কতটা সময় দিচ্ছেন, সেটা জরুরি বিষয় সরকারি নানা কাজে শিক্ষকদের জড়িয়ে দিলে মূল কাজ ব্যাহত হবেই বিদ্যুৎ সীট, জগদল্লা, বাঁকুড়া রাজার ভুল প্রেমাংশু চৌধুরীর ‘চুপ! সরকার চলছে’ (৩-১১) দেশের বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরেছে সরকারের কাজের সমালোচনা করলেই তা হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল স্বাধীনতার আগে যেমন ব্রিটিশ সরকার ‘নেটিভ’দের কোনও রকম মন্তব্যও সহ্য করত না, ভাবত ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, বর্তমানের অবস্থাও খুব একটা পাল্টায়নি ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জরুরি অবস্থায় কী রকম ভাবে বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার গলা টিপে দেওয়া হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আছে কুলদীপ নায়ারের দ্য জাস্টিস বইটিতে ব্রিটেনে একটা কথা খুব প্রচলিত, ‘কিং ক্যান ডু নো রং’, অর্থাৎ রাজা কখনও ভুল করেন না আমাদের দেশের সরকারও সেটাই মনে করে কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাতে সব সময় নাগরিকের বাক্স্বাধীনতা রয়েছে আমাদের দেশের সংবিধানও বাক্স্বাধীনতা-কে একটি মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছে
|
সম্পাদক সমীপেষু: সরকারি স্কুল
|
সম্পাদক সমীপেষু: বাজির দৌরাত্ম্য
|
নিজেকে বাঁচাতে রাজ্যকে বাজি ধরছেন মমতা অভিযোগ সেলিমের
|
PAN-Aadhaar Linking: হাতে বাকি ৫দিন, এদের করতে হবে না প্যান-আধার লিঙ্ক
|
technology
|
Aadhaar Card: হাতে আর বেশি সময় নেই। ৩০ জুন আধার-প্যান লিঙ্ক করার সময় শেষ হচ্ছে। তাই এখনও এই কাজে অবহেলা করলে ভুগতে হবে আপনাকে। PAN-Aadhaar Linking: আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করেছে আয়কর বিভাগ। এর জন্য করদাতাদের মাত্র ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয় হয়েছে। সময়সীমা পর্যন্ত আধারের সাথে লিঙ্ক না করা হলে প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া করদাতাকে অনেক লোকসানও বহন করতে হতে পারে। তবে কিছু নাগরিকের এই সব বিষয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। UIDAI Update: সময়সীমার পর এই ক্ষতিআয়কর আইন 1961-এর অধীনে আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা আবশ্যক। সময়সীমার মধ্যে অর্থাৎ 30 জুন 2023 এর মধ্যে প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক করতে ব্যর্থ হলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। প্রথমত, ৩০ জুনের পর অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। প্যান ও আধার লিঙ্ক না থাকলে করদাতার আয়কর রিটার্ন আটকে রাখা হবে। আরেকটি বড় অসুবিধা হল আপনার থেকে বেশি TCS ও TDS চার্জ করা হবে। PAN Card Update: কাদের জন্য বাধ্যতামূলককেন আধারের সঙ্গে PAN লিঙ্ক করা দরকার ? আয়কর আইনের 139AA ধারা এটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে। এই বিভাগে বলা হয়েছে , 1 জুলাই 2017 পর্যন্ত যে প্রত্যেক ব্যক্তির PAN ছিল ও আধার নম্বর পাওয়ার যোগ্য তাদের সময়সীমা অর্থাৎ 30 জুনের মধ্যে আধারের সাথে PAN লিঙ্ক করতে হবে। PAN-Aadhaar Linking: তবে চার জায়গার বাসিন্দা এই বিধান থেকে অব্যাহতি পাবেন। আধারের সঙ্গে প্যান লিঙ্ক করা থেকে ছাড় পাবেন.....অসম, জম্মু, কাশ্মীর ও মেঘালয়ের বাসিন্দা।আয়কর আইনের অধীনে, 1961 অনাবাসী ভারতীয় অর্থাৎ NRI.2020 সালে 80 বছর বয়সী নাগরিক।যারা ভারতের নাগরিক নন।আয়কর বিভাগের মতে, উপরে উল্লিখিত চার বিভাগের জন্য আধারের সঙ্গে প্যান লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে তারা স্বেচ্ছায় করতে চাইলে তা করতে পারে। এগুলি ছাড়াও সব করদাতার জন্য 30 জুন পর্যন্ত এই লিঙ্ক করা প্রয়োজন। এর পরে লিঙ্ক করতে আপনাকে 1000 টাকা জরিমানা দিতে হবে। UIDAI Update: লিঙ্কটি কাজ করছে নাসময়সীমা খুব কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই আধারের সাথে প্যান লিঙ্ক করা শুরু করেছেন। যদিও এর অনেক চেষ্টাই ব্যর্থ হচ্ছে। আয়কর বিভাগ এই ধরনের করদাতাদের যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা বিবেচনা করেছে । Best Multibagger Stocks: ৬ মাসে টাকা দ্বিগুণ, জেনে নিন এই ১২টি মাল্টিব্যাগার স্টকের নাম
|
তবে কিছু নাগরিকের এই সব বিষয়ে চিন্তা করার দরকার নেই UIDAI Update: সময়সীমার পর এই ক্ষতিআয়কর আইন 1961-এর অধীনে আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা আবশ্যক সময়সীমার মধ্যে অর্থাৎ 30 জুন 2023 এর মধ্যে প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক করতে ব্যর্থ হলে অনেক ক্ষতি হতে পারে প্রথমত, ৩০ জুনের পর অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে প্যান ও আধার লিঙ্ক না থাকলে করদাতার আয়কর রিটার্ন আটকে রাখা হবে আরেকটি বড় অসুবিধা হল আপনার থেকে বেশি TCS ও TDS চার্জ করা হবে PAN Card Update: কাদের জন্য বাধ্যতামূলককেন আধারের সঙ্গে PAN লিঙ্ক করা দরকার ? আয়কর আইনের 139AA ধারা এটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে এই বিভাগে বলা হয়েছে , 1 জুলাই 2017 পর্যন্ত যে প্রত্যেক ব্যক্তির PAN ছিল ও আধার নম্বর পাওয়ার যোগ্য তাদের সময়সীমা অর্থাৎ 30 জুনের মধ্যে আধারের সাথে PAN লিঙ্ক করতে হবে PAN-Aadhaar Linking: তবে চার জায়গার বাসিন্দা এই বিধান থেকে অব্যাহতি পাবেন
|
PAN Aadhaar Link: আজ প্যান আধার লিঙ্কের শেষ দিন, সরকার বাড়াবে সময়সীমা ?
|
গরমে কি করতে হবে, কি করতে হবে না তা নিয়ে নির্দেশিকা নবান্নের
|
ব্যালন ডি’অর জিতলেন করিম বেনজিমা
|
দশমীতে খুন জেনেও একাদশীতে অয়নের বাড়ি গিয়ে ‘ভিকি কোথায়’ বলে কুম্ভীরাশ্রু বান্ধবীর!
|
kolkata
|
ক্রমেই খুলে যাচ্ছে রহস্যের জট। একাদশীর দিন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিট। হরিদেবপুরে নিহত যুবক অয়ন মণ্ডলের মাকে ফোন করেন তাঁর বান্ধবী। ‘ভিকি (অয়নের ডাকনাম) কোথায়? ওকে ফোনে পাচ্ছি না’— অয়নের মাকে অস্থির হয়ে এ কথাই জিজ্ঞাসা করছিলেন বান্ধবী। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অয়নের বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বর্ষণ করেন অয়ন-বান্ধবী! এমন দাবিই করেছেন অয়নের মা মঞ্জু মণ্ডল। দশমীর রাতে অয়নকে মারধর করে তাঁর দেহ মগরাহাটে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা জানার পরও ‘কিছু না জানার ভান’ করে একাদশীতে অয়নের বাড়িতে গিয়ে যে আচরণ করেছেন অয়নের বান্ধবী, তা দেখে বিস্মিত মঞ্জুদেবীরা। অয়নের পরিণতির কথা প্রকাশ্যে আসার পর একাদশীর দিন অয়নের বান্ধবীর তাঁদের বাড়িতে আসার ‘আসল উদ্দেশ্য’ এখন স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে অয়নের পরিবারের সদস্যদের কাছে। অয়নের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। তা সত্ত্বেও অয়নকে কেন খুন করা হল? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সেই সঙ্গে অয়ন-হত্যার পরও যে ভাবে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ‘ভিকি কোথায়’ বলে চোখেমুখে উদ্বেগের রেখা টেনে উপস্থিত হন বান্ধবী, তা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই। অয়নের মায়ের কথায়, ‘‘ফোন করে ও (বান্ধবী) বলে, ভিকি কোথায়? ওর ফোন স্যুইচড অফ। ফোনে পাচ্ছি না। এর পর ১২টা নাগাদ আমাদের বাড়িতে আসে ও। এসে বলে যে কোথাও ভিকির (অয়নের ডাকনাম) খোঁজ পাচ্ছে না। আমি বলি, হয়তো বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছে।’’ মঞ্জুদেবী আরও বলেন, ‘‘আমাদের বাড়িতে আসার পর থেকেই ওকে অস্থির দেখাচ্ছিল। বসে ক্রমাগত পা নাচাতে থাকে। খারাপ কিছু করে মানুষের মনের অবস্থা যে রকম হয়, ঠিক তেমনটাই দেখাচ্ছিল ওকে। আমরা কেউই বুঝতে পারিনি কী হয়েছে।’’ মঞ্জুদেবী আরও বলেন, ‘‘দুপুর ১টার সময় যখন ছেলের খোঁজ পেলাম না, তখন আমিও অস্থির হয়ে পড়ি। কোথায় গেল আমার ছেলে! সে সময় ও (বান্ধবী) বলে যে, পুলিশ মনে হয় ধরে নিয়ে গিয়েছে। তোমরা থানায় খবর নাও। আমি বলি, কেন ও কী করেছে? পুলিশ কেন?’’ শকুন্তলা মৈত্র নামে অয়নের এক প্রতিবেশীও বলেন, ‘‘ও বসে ক্রমাগত পা নাচাচ্ছিল। ওকে জিজ্ঞাসা করি কিছু কী হয়েছে? কিন্তু কিছুই বলেনি।’’ দশমীর রাতে তাদের বাড়িতে যে গিয়েছিলেন অয়ন এবং সেখানে তাঁকে তাঁর মা যে মারধর করেছেন, সে কথা অয়নের মাকে বলেন বান্ধবী। এ কথা জানার পরই অয়নের মা বান্ধবীর কাছ থেকে জানতে চান যে, তাঁদের মধ্যে কি কোনও ঝামেলা হয়েছে? মঞ্জুদেবীর কথায়, ‘‘ও বলে যে, আমি যদি কিছু করতাম, তা হলে কি এখানে আসতাম!’’ মঞ্জু প্রশ্ন করেন, ‘‘আমার ছেলে কি নেশা করেছিল?’’ ও বলল, ‘না, ও ঠিক ছিল।’’’ প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অয়নের বাড়িতে ছিলেন তার বান্ধবী। পরে শুক্রবার মগরাহাটে অয়নের দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় অয়নের বান্ধবী, তাঁর মা, ভাইকে। শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় বান্ধবীর বাবা, ভাইয়ের দুই বন্ধু ও এক গাড়িচালককে। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অয়নের পরিবার মনে করছে, তাঁদের ছেলেকে খুন করেছেন বান্ধবীর পরিবারের সদস্যরা। গোটা ঘটনা জানার পরও কী ভাবে ‘না জানার ভান’ করে অয়নের খোঁজে ব্যাকুল হয়ে তাঁদের বাড়িতে গেলেন, এ কথাই এখন ভাবাচ্ছে অয়নের মা ও স্বজনদের। অয়নের ওই প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘পরিকল্পনা করেই ও এসেছিল। তা হলে কি সবটাই তার অভিনয়!’’
|
গোটা ঘটনা জানার পরও ‘কিছু না জানার ভান’ করে একাদশীতে অয়নের বাড়িতে গিয়ে যে আচরণ করেছেন অয়নের বান্ধবী, তা দেখে বিস্মিত মঞ্জুদেবীরা অয়নের পরিণতির কথা প্রকাশ্যে আসার পর একাদশীর দিন অয়নের বান্ধবীর তাঁদের বাড়িতে আসার ‘আসল উদ্দেশ্য’ এখন স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে অয়নের পরিবারের সদস্যদের কাছে অয়নের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক তা সত্ত্বেও অয়নকে কেন খুন করা হল? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের সেই সঙ্গে অয়ন-হত্যার পরও যে ভাবে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ‘ভিকি কোথায়’ বলে চোখেমুখে উদ্বেগের রেখা টেনে উপস্থিত হন বান্ধবী, তা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই অয়নের মায়ের কথায়, ‘‘ফোন করে ও (বান্ধবী) বলে, ভিকি কোথায়? ওর ফোন স্যুইচড অফ ফোনে পাচ্ছি না এর পর ১২টা নাগাদ আমাদের বাড়িতে আসে ও এসে বলে যে কোথাও ভিকির (অয়নের ডাকনাম) খোঁজ পাচ্ছে না আমি বলি, হয়তো বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছে’’ মঞ্জুদেবী আরও বলেন, ‘‘আমাদের বাড়িতে আসার পর থেকেই ওকে অস্থির দেখাচ্ছিল বসে ক্রমাগত পা নাচাতে থাকে
|
নাগেরবাজারে বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু, মাথায় আঘাত, লুটের উদ্দেশে খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ
|
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে শামীম
|
মন্দার বাজারে লাখ লাখ কাস্টমার ছেড়ে দিল এয়ারটেল পরিষেবা
|
হৃতিকের সঙ্গে প্রেম, সেই কারণেই কি কঙ্গনাকে জেলে ভরতে চেয়েছিল বলিউড?
|
entertainment
|
বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত অভিনেত্রী তিনি। তাঁর নিশানা থেকে পার পান না ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তারকারাও। তিনি, কঙ্গনা রানাউত। এ বার তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে জড়ালেন ইলন মাস্ক। তা-ও আবার প্রেমের উপদেশ দিলেন টুইটার কর্তাকে! পাশপাশি মুখে ফস্কে বলে ফেলেলেন হৃতিক রোশনের সঙ্গে প্রেমপর্বের কথা! সম্প্রতি ইলন টুইটে নিজের ভালবাসার কথা বলতে গিয়ে লেখেন, ‘‘প্রেমে পড়ে আঘাত পাওয়ার ঘটনা হল এমন একটা অনুভূতি, যেখানে তুমি জানো যে তাঁরা টাকার বিনিময়ে অভিনয় করছে। আর তোমাকে বার বার লক্ষ্যভ্রষ্ট করার চেষ্টা চলছে।’’ টুইট কর্তার মনের কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি কঙ্গনা। ইলনকে নিজের মনের দু-চার কথা জানালেন বিতর্কিত এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমার মতো নাটকীয় জীবন আর কারও আছে বলে মনে হয় না। ইন্ডাস্ট্রির সব মাফিয়ারা প্রেম করার জন্য আমাকে প্রায় জেলে ভরতে চলেছিল।’’ অভিনেত্রীর এই টুইট দেখেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন অনেকে। সকলের নিশানা একই দিকে। অভিনেত্রী এই টুইটের মাধ্যমে আসলে হৃতিকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথাই কবুল করলেন বলে মনে করলেন প্রায় সকলেই! ‘কৃষ ২’ ছবির সময় থেকেই নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। বিস্তর জলঘোলাও হয় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে। পরিস্থিতি এমন হয় যে আদলতের দ্বারস্থ হন হৃতিক। যদিও সে সব অতীত। সাবা আজাদের সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করছেন অভিনেতা। অন্য দিকে, সেই ঘটনার পর থেকে নিজেকে ‘সিঙ্গল’ বলে এসেছেন কঙ্গনা।
|
সকলের নিশানা একই দিকে অভিনেত্রী এই টুইটের মাধ্যমে আসলে হৃতিকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথাই কবুল করলেন বলে মনে করলেন প্রায় সকলেই! ‘কৃষ ২’ ছবির সময় থেকেই নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা বিস্তর জলঘোলাও হয় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে পরিস্থিতি এমন হয় যে আদলতের দ্বারস্থ হন হৃতিক যদিও সে সব অতীত সাবা আজাদের সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করছেন অভিনেতা
|
ক্যাটরিনা পছন্দ করেন না, তবু পুরনো ‘প্রেম’ ভুলতে পারছেন না ভিকি, কিসে মজে আছেন নায়ক?
|
৫ কারণ: দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাবেন কেন?
|
রাজু-হত্যায় বড় মাথা, খুন হতে পারে লতিফ সরাসরি বললেন অর্জুন সিং
|
টেলিভিশনে মায়া বড়ির বিজ্ঞাপন নিয়ে সত্তরের দশকের বাংলাদেশে যা ঘটেছিল
|
lifestyle
|
ছবির উৎস, Rozina রোজিনা: জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির বিজ্ঞাপনের মডেল থেকে জনপ্রিয় চিত্রতারকা সত্তরের দশকের মাঝামাঝি বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজে এক বিরাট আলোড়ন তৈরি হলো বেতার-টেলিভিশন এবং সিনেমা হলে প্রচারিত কিছু বিজ্ঞাপনকে ঘিরে। ছেলে-মেয়েদের সামনে এসব বিজ্ঞাপন দেখে অভিভাবকদের লজ্জা আর অস্বস্তির শেষ নেই। বিজ্ঞাপন শুরু হওয়ার পর কোন কোন মধ্যবিত্ত পরিবারে টেলিভিশনই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছিল। বাংলাদেশে মাত্রই জন্মনিরোধক সামগ্রী সহজলভ্য করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে, এসব বিজ্ঞাপন তারই অংশ। তখনকার রক্ষণশীল সমাজে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বা জন্ম নিরোধক সামগ্রী নিয়ে প্রকাশ্যে কথা-বার্তা বলা সাংঘাতিক লজ্জার, যেন অনেকটা নিষিদ্ধ। সেই সামাজিক লজ্জা আর আড়ষ্টতা ভাঙ্গার কাজে যেন না জেনেই এক বিরাট ভূমিকা রাখলেন পদ্মা তীরের রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় আসা এক তরুণী। নাম তার রেণু। তার দুই চোখে রূপালি পর্দার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। “আমার বাবার বাড়ি ছিল রাজবাড়ী, খুব কাছেই ছিল চিত্রা নামের এক সিনেমা হল। যখন আমি বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই আমি ছবি দেখতাম লুকিয়ে লুকিয়ে বান্ধবীদের সাথে গিয়ে। কবরী ম্যাডাম, শাবানা ম্যাডাম ওনাদের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হতাম, আর স্বপ্ন দেখতাম একদিন আমিও উনাদের মতো বড় নায়িকা হবো,” বিবিসিকে বলছিলেন তিনি। পরিবারের আপত্তি উপেক্ষা করে একদিন রেণু ঢাকায় এলেন সেই স্বপ্ন পূরণে। পুরনো ঢাকায় পাড়ার বার্ষিক নাটকে কিংবা বাণিজ্যিক ছবির একেবারেই ছোট-খাট কিছু দৃশ্যে অভিনয় করে তখন তিনি নজর কাড়ার চেষ্টা করছেন। একদিন তার কাছে একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার অফার আসলো। কিছু না বুঝেই সেটিতে রাজী হয়ে গেলেন তিনি। “যখন আমি মডেল হয়েছিলাম এই বিজ্ঞাপনের, তখন অত কিছু বুঝতাম না, আমি তো কখনো বিজ্ঞাপন করবো এটা ভাবি নি। আমি নায়িকা হতে চেয়েছিলাম, এই বিজ্ঞাপনের মডেল হতে আমার কোন অস্বস্তি হয়নি। তবে এই বিজ্ঞাপনের পর আমার একটা খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লো।” এই বিজ্ঞাপন-চিত্রের শুটিং হয়েছিল ঢাকায় মধুমিতা সিনেমা হলের কাছে এক পুরনো আমলের বনেদী জমিদারের বাড়িতে এবং আরও কিছু লোকেশনে। ছবির ক্যামেরার কাজ করেছিলেন সেসময়ের এক নামকরা ক্যামেরাম্যান সাধন রায়। ছবির উৎস, Social Marketing Company বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত মায়াবড়ির সেই বিজ্ঞাপনের একটি দৃশ্য। এই বিজ্ঞাপন-চিত্রের শুরুতেই লাজ-নম্র বধূর বেশে রেণুকে দেখা যাচ্ছিল বাসর ঘরে, এরপর দুই সন্তান, স্বামীসহ এক সুখী স্ত্রীর ভূমিকায়। বিজ্ঞাপনটির দারুণ জিঙ্গেল, তার সঙ্গে মডেলের মিষ্টি চেহারা- সব মিলিয়ে এটি বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলো। তার এই বিজ্ঞাপন-চিত্রটিকে ঘিরে সেসময় বেশ বিতর্ক যেমন হয়েছে, সেই সঙ্গে এটি তার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগও তৈরি করে দিয়েছিল। জন্ম নিরোধক পিল মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের সেই রেণুই আজকের বাংলাদেশের খ্যাতিমান চিত্রতারকা রোজিনা। তার রেণু নামটি অবশ্য এখন ঢাকা পড়ে গেছে রোজিনা নামের আড়ালে। উনিশশো সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সেই সময়টায় বাংলাদেশ তখন বহুমুখী সংকটে। রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা, অর্থনীতি বিপর্যস্ত, একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই নতুন দেশটি মুখ থুবড়ে পড়ছে বার বার। বিদেশী সাহায্য নির্ভর বাংলাদেশে তখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচী সরকারের কাছেও বড় অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সেই কাজে সাহায্যে নামলো একটি মার্কিন সংস্থা, পপুলেশন সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল। জন্ম নিরোধক সামগ্রীর প্রসারের জন্য তারা ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে ‘সোশ্যাল মার্কেটিং প্রজেক্ট’ বা এসএমপি নামের এক মার্কেটিং কার্যক্রম শুরু করলো। এরাই বাংলাদেশে প্রথম ‘রাজা কনডম’ এবং ‘মায়া বড়ি’র মতো পণ্য বাজারজাত করে। রামেন্দু মজুমদার তখন ‘বিটপী’ নামের এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার তরুণ এক্সিকিউটিভ। এসএমপি’র জন্মনিরোধক সামগ্রীর বিজ্ঞাপন তৈরির কাজ পেয়েছিল তাদের সংস্থা। “১৯৭০ এর দশকের শুরুতেও বাংলাদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞাপন হতো, কিন্তু খুব রাখঢাক করে, এবং কোন জন্মনিরোধক সামগ্রীর পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়া হতো না। পরিবার পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, ছোট পরিবার- সুখী পরিবার, রেখে-ঢেকে এরকম কথা বলা হতো”, বলছিলেন তিনি। সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির জন্য কনডম এবং জন্মনিরোধক পিলের বিজ্ঞাপন তৈরি করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়লেন রামেন্দু মজুমদার এবং তার সহকর্মীরা। “তখনো সমাজে এটা একটা ট্যাবু। কোন মডেল পাওয়া যায় না। মেয়ে তো পাওয়াই যায় না, ছেলেরাও খুব অস্বস্তি বোধ করে এসব পণ্যের মডেল হতে। রাজা কনডমের বিজ্ঞাপন তো টেলিভিশনে করাই যাচ্ছিল না। আমরা অনেক কষ্টে মায়া বড়ির জন্য মডেল হতে রোজিনাকে রাজী করাই। তখন তিনি উঠতি নায়িকা।” ছবির উৎস, Social Marketing Company মায়া বড়ি এবং রাজা কনডমের বিপণন শুরু হয় সত্তরের দশকের মাঝামাঝি। মায়া বড়ির যে প্যাকেটটি তখন বাজারজাত করা হয়েছিল, তার গায়েও রোজিনার ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। এর আগে পর্যন্ত প্যাকেটে হাতে আঁকা ছবি ব্যবহার করতে হতো। এরপর ধীরে ধীরে পত্রিকার পাতায়ও রাজা এবং মায়ার বিজ্ঞাপন ছাপানো শুরু হয়। রেডিওতে বিজ্ঞাপন যায়। কিন্তু টেলিভিশনে রাজার বিজ্ঞাপন যেত না, শুধু মায়ার বিজ্ঞাপন যেত। রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আমার মনে আছে এসব বিজ্ঞাপন যখন চলতো, তখন অনেক পরিবারে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হতো, বা বাচ্চাদের দেখতে দেয়া হতো না।” রামেন্দু মজুমদার জানান, জন্ম নিরোধক সামগ্রীর প্রায় ১২টি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন-চিত্র তৈরি করেছিলেন তারা। এর মধ্যে কোন কোনটি নিয়ে এতটাই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল যে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে কয়েকবার দেখানোর পরই সেটি প্রত্যাহার করে নিতে হয়। “মায়া বড়ির একটা বিজ্ঞাপন ছিল খুব সুন্দর। বিয়ের পরে পালকিতে করে বউ নিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পথ ধরে। এরপর মায়া বড়ি ব্যবহারের কথা বলা হয়। এক সপ্তাহ এই বিজ্ঞাপন চলার পর হঠাৎ বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে বলা হলো, এটা চালানো যাবে না। টেলিভিশনের একজন কর্তাব্যক্তি নাকি বলেছেন, এটা বাংলাদেশের পারিবারিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করছে। শেষ পর্যন্ত এই সুন্দর বিজ্ঞাপনটি বন্ধ হয়ে গেল”, বলছিলেন তিনি। ছবির উৎস, Rozina পরবর্তীকালে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা হিসেবে সাফল্য পান রোজিনা মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পর তারকা হিসেবে রোজিনার পরিচিতি যেমন বেড়েছিল, একই ভাবে কিছুটা নেতিবাচক অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হয়েছিলেন রোজিনা। “এই বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পর আমার নিজের পরিবারের কেউ আমাকে কিছু বলেনি। কিন্তু সেসময়ের এক নামকরা পরিচালকের দিক থেকে বেশ বাজে এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলাম”, বলছিলেন রোজিনা। সামাজিক কাহিনী নিয়ে ছবি তৈরির জন্য সেই পরিচালকের সুখ্যাতি ছিল। তার একটি ছবিতে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল যার, তিনি একদিন শুটিংয়ে হাজির হতে পারেন নি অসুস্থতার কারণে। সেই পার্শ্ব-চরিত্রটি করার জন্য তখন রোজিনার ডাক পড়ে। “আমি এফডিসি তিন নম্বর ফ্লোরে গিয়ে দেখি পরিচালক এবং ছবির প্রযোজক দুজনে বসে আছেন। আমাদের চা-নাশতা খেতে দেয়া হলো। পরিচালক জানতে চাইলেন, পার্শ্বচরিত্র করার কথা যার, সেই অভিনেত্রী কাবেরি এসেছেন কিনা। সহকারী পরিচালক জানালেন, কাবেরি অসুস্থ, আসতে পারেননি, তার জায়গায় আমাকে নেয়া যেতে পারে,” বলছিলেন রোজিনা। এরপর রোজিনাকে পরিচালকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। জানানো হয় তিনি মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছিলেন। “পরিচালক এরপর আমার দিকে তাকালেন, তারপর চিৎকার করে তার সহকারীকে প্রচণ্ড জোরে ধমক দিয়ে বললেন, মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের মডেল নিয়ে এসেছো আমার লাখ লাখ টাকার ছবিতে অভিনয় করার জন্য? আমার ছবিতে একে দেখলে তো সিনেমা হলে দর্শকরা দুয়ো দেবে। বেশ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তিনি কথাটা বলেছিলেন। এরপর চা-নাশতা না খেয়েই আমি রাগ করে সেখান থেকে চলে আসি”, বলছিলেন রোজিনা। তবে এর এক বছরের মধ্যেই রোজিনা ঢাকার চলচ্চিত্র অঙ্গনে সাড়া ফেলে দেন তার অভিনীত ‘রাজমহল’ ছবির বাণিজ্যিক সাফল্যের পর। পরবর্তী জীবনে অবশ্য রোজিনা বহু ভক্ত-দর্শক-অনুরাগীর কাছ থেকে মায়া বড়ির সেই বিজ্ঞাপন-চিত্রের জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছেন। ছবির উৎস, Getty Images বাংলাদেশের মতলবের এক গ্রামে মহিলাদের কনডমের ব্যবহার সম্পর্কে জানাচ্ছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী উনিশশো সত্তর এবং আশির দশকে বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান এক সোশ্যাল মার্কেটিয়ার ছিলেন রিচার্ড ম্যানফ। তাকে বলা হতো সোশ্যাল মার্কেটিং এর গুরু। বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর প্রচার এবং বিপণনে ঢাকায় নিয়ে আসা হলো তাকে পরামর্শক হিসেবে। বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসলেন প্রচার এবং বিপণন কৌশল ঠিক করতে। রামেন্দু মজুমদার জানান, “তিনি বাংলাদেশের কয়েকজন নাট্যকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন। আমি তখন সৈয়দ শামসুল হক এবং আবদুল্লাহ আল মামুনকে হাজির করলাম। আমরা সবাই মিলে সোনারগাঁ হোটেলের সুইমিং পুলের পাশে বসে তিন-চারদিন ধরে কথা বলছি। রিচার্ড ম্যানফ জানতে চাইলেন, ইংরেজি ‘ওয়াইজ’ শব্দের লাগসই বাংলা কী হতে পারে, ‘ফুল’ শব্দের বাংলা অর্থ কী।” তাদের এই ব্রেইন-স্টর্মিং সেশন থেকে বেরিয়ে এলো পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সবচেয়ে সফল এক টিভি কমার্শিয়ালের জনপ্রিয় শ্লোগান: “আছিলাম বোকা, হইলাম বুদ্ধিমান। বুদ্ধিমান হোন, ঠিক কাজটি করুন।” “আমরা চেয়েছিলাম, একটা কালচারাল শক দিতে। এখানে রাজা কনডমের বা মায়া বড়ির কথা সরাসরি বলা হতো না। ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর কথা থাকতো”, বলছিলেন রামেন্দু মজুমদার। পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে তখন রেডিওতে চালু হয় ‘দিন বদলের পালা’ নামের এক ধারাবাহিক নাটক। এটি লিখতেন আবদু্ল্লাহ আল মামুন এবং সৈয়দ শামসুল হক। বাংলাদেশের প্রায় সব জনপ্রিয় শিল্পীকেই এই ধারাবাহিক নাটকের ২৫০টি পর্বে ব্যবহার করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে জানার জন্য তখন মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। প্রতি সপ্তাহে তখন শ্রোতাদের কাছ থেকে শত শত চিঠি আসতো, নাটকের শেষে তিন মিনিট ধরে শ্রোতাদের চিঠির জবাব দেয়া হতো। রামেন্দু মজুমদারের মতে, পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিরোধকের প্রচার এবং বিপণনের কাজটি এতটাই সফল হয়েছিল যে, কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামের মুদি দোকানেও রাজা কনডম এবং মায়া বড়ি পাওয়া যেত। ছবির উৎস, Getty Images জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ করা না গেলে বাংলাদেশে বিপর্যয়ের আশংকা করা হচ্ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল, তখন দেশটির উচ্চ জন্মহার দেখে অনেকেই ছিলেন আতংকিত। এর কয়েক বছর আগে ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসর পল এহরিখ ‘পপুলেশন বম্ব’ বলে একটি বই লিখে হৈ চৈ ফেলে দেন। এই বইতে তিনি ভবিষ্যতের এমন এক চিত্র তুলে ধরেন, যেখানে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে পৃথিবীর সীমিত সম্পদ ফুরিয়ে যাবে। “বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো, তখন কিন্তু আমাদের জন্ম এবং মৃত্যুহার-দুটিই ছিল অসম্ভব উচ্চ। বাংলাদেশে ১৫ হতে ৪৯ বছরের মধ্যে প্রজনন সক্ষম একজন নারী গড়ে সাতটি সন্তানের জন্ম দিতেন। দ্য পপুলেশন বম্ব বইতে যেরকমটা বলা হচ্ছিল, তখন বাংলাদেশে সেরকম একটি ম্যালথুসিয়ান বিপর্যয়ের আশংকা করছিলেন অনেকে”, বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম। কিন্তু প্রফেসর পল এহরিখের তত্ত্ব যেমন ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশ নিয়ে আশংকাও সত্যি হয়নি। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীর সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ তার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশ দ্রুতই কমিয়ে আনতে পেরেছিল। অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম বলেন, “পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীর যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য বিশ্বে যে কয়টি দেশের কথা উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ কিন্তু তার একটি। কোন দেশের জন্য ২ দশমিক ১ হচ্ছে আদর্শ প্রজনন হার। এটি হচ্ছে প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রজনন হার। বাংলাদেশ কিন্তু এই প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রজনন হারের কাছাকাছি চলে এসেছে।” বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীর এই সাফল্যের ক্ষেত্রে চিত্রনায়িকা রোজিনাও যে একটি ভূমিকা রাখতে পেরেছেন, সেজন্যে তিনি গর্বিত। “তখন তো মানুষ এখনকার মতো এত সচেতন ছিল না। আমাদের এসব প্রচারণা দেখে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। এত বেশি সন্তান নিলে যে তাদের লালন-পালন, ভরণ-পোষণ, পড়াশোনার ভার বহন করা সম্ভব হবে না, সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছে। কাজেই আমাদের প্রচারণা অবশ্যই কাজে লেগেছে।”
|
রেডিওতে বিজ্ঞাপন যায় কিন্তু টেলিভিশনে রাজার বিজ্ঞাপন যেত না, শুধু মায়ার বিজ্ঞাপন যেত রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আমার মনে আছে এসব বিজ্ঞাপন যখন চলতো, তখন অনেক পরিবারে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হতো, বা বাচ্চাদের দেখতে দেয়া হতো না” রামেন্দু মজুমদার জানান, জন্ম নিরোধক সামগ্রীর প্রায় ১২টি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন-চিত্র তৈরি করেছিলেন তারা এর মধ্যে কোন কোনটি নিয়ে এতটাই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল যে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে কয়েকবার দেখানোর পরই সেটি প্রত্যাহার করে নিতে হয় “মায়া বড়ির একটা বিজ্ঞাপন ছিল খুব সুন্দর বিয়ের পরে পালকিতে করে বউ নিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পথ ধরে এরপর মায়া বড়ি ব্যবহারের কথা বলা হয় এক সপ্তাহ এই বিজ্ঞাপন চলার পর হঠাৎ বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে বলা হলো, এটা চালানো যাবে না টেলিভিশনের একজন কর্তাব্যক্তি নাকি বলেছেন, এটা বাংলাদেশের পারিবারিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করছে শেষ পর্যন্ত এই সুন্দর বিজ্ঞাপনটি বন্ধ হয়ে গেল”, বলছিলেন তিনি ছবির উৎস, Rozina পরবর্তীকালে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা হিসেবে সাফল্য পান রোজিনা মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পর তারকা হিসেবে রোজিনার পরিচিতি যেমন বেড়েছিল, একই ভাবে কিছুটা নেতিবাচক অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হয়েছিলেন রোজিনা “এই বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পর আমার নিজের পরিবারের কেউ আমাকে কিছু বলেনি কিন্তু সেসময়ের এক নামকরা পরিচালকের দিক থেকে বেশ বাজে এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলাম”, বলছিলেন রোজিনা সামাজিক কাহিনী নিয়ে ছবি তৈরির জন্য সেই পরিচালকের সুখ্যাতি ছিল তার একটি ছবিতে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল যার, তিনি একদিন শুটিংয়ে হাজির হতে পারেন নি অসুস্থতার কারণে সেই পার্শ্ব-চরিত্রটি করার জন্য তখন রোজিনার ডাক পড়ে “আমি এফডিসি তিন নম্বর ফ্লোরে গিয়ে দেখি পরিচালক এবং ছবির প্রযোজক দুজনে বসে আছেন আমাদের চা-নাশতা খেতে দেয়া হলো পরিচালক জানতে চাইলেন, পার্শ্বচরিত্র করার কথা যার, সেই অভিনেত্রী কাবেরি এসেছেন কিনা সহকারী পরিচালক জানালেন, কাবেরি অসুস্থ, আসতে পারেননি, তার জায়গায় আমাকে নেয়া যেতে পারে,” বলছিলেন রোজিনা এরপর রোজিনাকে পরিচালকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় জানানো হয় তিনি মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছিলেন “পরিচালক এরপর আমার দিকে তাকালেন, তারপর চিৎকার করে তার সহকারীকে প্রচণ্ড জোরে ধমক দিয়ে বললেন, মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের মডেল নিয়ে এসেছো আমার লাখ লাখ টাকার ছবিতে অভিনয় করার জন্য? আমার ছবিতে একে দেখলে তো সিনেমা হলে দর্শকরা দুয়ো দেবে বেশ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তিনি কথাটা বলেছিলেন এরপর চা-নাশতা না খেয়েই আমি রাগ করে সেখান থেকে চলে আসি”, বলছিলেন রোজিনা তবে এর এক বছরের মধ্যেই রোজিনা ঢাকার চলচ্চিত্র অঙ্গনে সাড়া ফেলে দেন তার অভিনীত ‘রাজমহল’ ছবির বাণিজ্যিক সাফল্যের পর পরবর্তী জীবনে অবশ্য রোজিনা বহু ভক্ত-দর্শক-অনুরাগীর কাছ থেকে মায়া বড়ির সেই বিজ্ঞাপন-চিত্রের জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছেন ছবির উৎস, Getty Images বাংলাদেশের মতলবের এক গ্রামে মহিলাদের কনডমের ব্যবহার সম্পর্কে জানাচ্ছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী উনিশশো সত্তর এবং আশির দশকে বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান এক সোশ্যাল মার্কেটিয়ার ছিলেন রিচার্ড ম্যানফ তাকে বলা হতো সোশ্যাল মার্কেটিং এর গুরু বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর প্রচার এবং বিপণনে ঢাকায় নিয়ে আসা হলো তাকে পরামর্শক হিসেবে বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসলেন প্রচার এবং বিপণন কৌশল ঠিক করতে রামেন্দু মজুমদার জানান, “তিনি বাংলাদেশের কয়েকজন নাট্যকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন আমি তখন সৈয়দ শামসুল হক এবং আবদুল্লাহ আল মামুনকে হাজির করলাম আমরা সবাই মিলে সোনারগাঁ হোটেলের সুইমিং পুলের পাশে বসে তিন-চারদিন ধরে কথা বলছি রিচার্ড ম্যানফ জানতে চাইলেন, ইংরেজি ‘ওয়াইজ’ শব্দের লাগসই বাংলা কী হতে পারে, ‘ফুল’ শব্দের বাংলা অর্থ কী” তাদের এই ব্রেইন-স্টর্মিং সেশন থেকে বেরিয়ে এলো পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সবচেয়ে সফল এক টিভি কমার্শিয়ালের জনপ্রিয় শ্লোগান: “আছিলাম বোকা, হইলাম বুদ্ধিমান বুদ্ধিমান হোন, ঠিক কাজটি করুন” “আমরা চেয়েছিলাম, একটা কালচারাল শক দিতে
|
দেশে সর্বাধিক অ্যাডিনো সংক্রমণ বাংলায়
|
ব্যাঙ্কিংয়ে ‘৩ দশকের সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি’ চালু ব্রিটেনে, বড় ঝুঁকি
|
‘বেশরম রং’ নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের মাঝেই বিদেশের মাটিতে একই নাচ! ভাইরাল সেই ভিডিয়োও
|
‘ইতিহাস উৎসব’-এ উত্তমকুমারকে নিয়ে প্রদর্শনী, আয়োজনে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার
|
entertainment
|
আপামর বাঙালির ‘ম্যাটিনি আইডল’ ছিলেন উত্তমকুমার। নায়কের মৃত্যুর চার দশক পরেও তাঁকে নিয়ে একাংশের বাঙালির কৌতূহলের অন্ত নেই। বাঙালির সেই ‘মহানায়ক’-কে নিয়েই একটি রেট্রোস্পেক্টিভের আয়োজন করতে চলেছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ। তাদের সপ্তদশ আন্তর্জাতিক ‘ইতিহাস উৎসব’-এ এ বারের মূল আকর্ষণ বাঙালির মহানায়ক। বড়িশায় সাবর্ণদের বড় বাড়ির সংগ্রহশালায় প্রদর্শনী চলবে ৫-৮ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতি বছরই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রায় এক বছর ধরে উত্তমকুমারের হাতে তৈরি শিল্পী সংসদকে সঙ্গী করে এই প্রদর্শনী আয়োজনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিষদের সম্পাদক দেবর্ষি রায়চৌধুরী। উত্তম ছাড়াও ঋষি অরবিন্দ ও গায়ক বিমল মুখোপাধ্যায়কে নিয়েও রেট্রোস্পেক্টিভের আয়োজন করা হচ্ছে ওই সংগ্রহশালায়। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তাঁদের থিম দেশ কেনিয়া। সেখানকার সরকারের সহায়তায় হরেক জিনিস হাজির করা হবে। কিন্তু প্রদর্শনীর সিংহভাগ জুড়ে থাকবেন উত্তমই। শিল্পী সংসদের উদ্যোগে এই প্রদর্শনীতে হাজির করা হচ্ছে উত্তমকুমারের রেওয়াজ করার হারমোনিয়াম থেকে শুরু করে তাঁর অ্যাশট্রে, লাইটার, কাপ, কাপলিং, কোর্ট-ব্রাশ, টাই ইত্যাদি। পাশাপাশি, উত্তম অভিনীত কিংবদন্তী ছায়াছবি অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, জতুগৃহ, নায়িকা সংবাদ, কুহকের চিত্রনাট্যের আসল পাণ্ডুলিপিও থাকবে এই প্রদর্শনীতে। থাকবে তাঁকে নিয়ে লেখা অসংখ্য বই ও তাঁর অটোগ্রাফ। উত্তম অভিনীত ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’, ‘ঝিন্দের বন্দি’, ‘সন্নাসী রাজা’-র মতো সিনেমার বিরল পোস্টার। সিনেমায় উত্তমকুমার নামে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে মহানায়ক অরূপকুমার এবং অরুণকুমার নামেও অভিনয় করেছিলেন। সে সব প্রমাণও থাকবে উত্তমের প্রদর্শনীতে। থাকবে উত্তমকুমারকে নিয়ে তৈরি স্ট্যাম্প, ম্যাক্সকার্ড। নিজের ছবি ‘বনপলাশীর পদাবলী’ ও ‘কাল তুমি আলেয়া’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন উত্তম। সেই কাজে তাঁকে কারা সাহায্য করেছিলেন, কী ভাবে হয়েছিল সেই রেকর্ডিং, সে সব ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ থাকছে প্রদর্শনীতে। এ ছাড়াও উত্তমকুমারের এই প্রদর্শনীকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বাজানো হবে তাঁর সিনেমার গান। নিজেদের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে দেবর্ষি বলেন, ‘‘প্রতি বছর আমরা এ ধরনে প্রদর্শনীর আয়োজন করি। তাতে এক বছর ধরে গবেষণামূলক কাজকর্ম করেই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ বার আমরা নানা বিষয়ের সঙ্গে উত্তমবাবুকে নিয়েও অনেক পরিশ্রম করে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শিল্পী সংসদ না থাকলে আমাদের এই উদ্যোগ সফল হত না। শিল্পী সংসদের বৈঠকের মিনিট্সেও উত্তমবাবুর উপস্থিতির কথা আমরা জেনেছিলাম। তাঁদের অনুমতিক্রমে আমরা সেই মিনিটস্টিও প্রদর্শনীতে হাজির করব।’’
|
আপামর বাঙালির ‘ম্যাটিনি আইডল’ ছিলেন উত্তমকুমার নায়কের মৃত্যুর চার দশক পরেও তাঁকে নিয়ে একাংশের বাঙালির কৌতূহলের অন্ত নেই বাঙালির সেই ‘মহানায়ক’-কে নিয়েই একটি রেট্রোস্পেক্টিভের আয়োজন করতে চলেছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ তাদের সপ্তদশ আন্তর্জাতিক ‘ইতিহাস উৎসব’-এ এ বারের মূল আকর্ষণ বাঙালির মহানায়ক বড়িশায় সাবর্ণদের বড় বাড়ির সংগ্রহশালায় প্রদর্শনী চলবে ৫-৮ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতি বছরই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় প্রায় এক বছর ধরে উত্তমকুমারের হাতে তৈরি শিল্পী সংসদকে সঙ্গী করে এই প্রদর্শনী আয়োজনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিষদের সম্পাদক দেবর্ষি রায়চৌধুরী উত্তম ছাড়াও ঋষি অরবিন্দ ও গায়ক বিমল মুখোপাধ্যায়কে নিয়েও রেট্রোস্পেক্টিভের আয়োজন করা হচ্ছে ওই সংগ্রহশালায় আন্তর্জাতিক বিষয়ে তাঁদের থিম দেশ কেনিয়া
|
শতবর্ষে মৃণাল সেন, সিনেমা প্রদর্শন এবং বিশ্লেষণ
|
টেলিভিশনে ঈদের বিশেষ আয়োজন
|
বৃষ্টিতে ৩৮ বলে শেষ দ্বিতীয় দিনের খেলা
|
এখনও চোখেই দেখেননি, তাকেই সাফল্য উৎসর্গ কেকেআর বোলারের
|
sports
|
বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। টানা চার ম্যাচে হারের পরে দলকে জয়ে ফেরাতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। এত দিনে আইপিএলের মহিমা টের পাচ্ছেন বরুণ। তিনি বুঝতে পারছেন, এক দিন নায়কের সম্মান পেলেও পরের দিনই সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে। আরসিবিকে হারানোর পরে বরুণ বলেছেন, ‘‘এটাই ক্রিকেট। এটাই আইপিএল। গত ম্যাচে আমি ৪৯ রান দিয়েছিলাম। এই ম্যাচে ৩ উইকেট পেলাম। এটাই জীবন।’’ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তিনি বৈচিত্রের থেকে নিজের লাইন-লেংথের উপর বেশি জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বরুণ। কেকেআর স্পিনার বলেছেন, ‘‘আমি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করার চেষ্টা বেশি করছি। লাইন-লেংথ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। বেশি পরীক্ষা করতে যাচ্ছি না। তার জন্য কলকাতার সাপোর্ট স্টাফদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’ কোহলিদের বিরুদ্ধে জয় নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে উৎসর্গ করতে চান বরুণ। আইপিএলের জন্য এখনও ছেলের মুখ দেখতে পারেননি বরুণ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার সদ্যোজাত সন্তানকে এই জয় উৎসর্গ করতে চাই। এখনও ওকে দেখিনি। আইপিএল শেষ হলে ওদের সঙ্গে সময় কাটাব।’’
|
এত দিনে আইপিএলের মহিমা টের পাচ্ছেন বরুণ তিনি বুঝতে পারছেন, এক দিন নায়কের সম্মান পেলেও পরের দিনই সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে আরসিবিকে হারানোর পরে বরুণ বলেছেন, ‘‘এটাই ক্রিকেট এটাই আইপিএল গত ম্যাচে আমি ৪৯ রান দিয়েছিলাম এই ম্যাচে ৩ উইকেট পেলাম এটাই জীবন
|
এক বলও পড়ার আগেই বড় সুবিধা কেকেআরের! গুজরাত অধিনায়কহীন, কী হয়েছে হার্দিকের
|
প্রতারিত হয়ে আর প্রেমে পড়তে চাননি, সিদ্ধার্থ আর নিজের ‘লাস্ট স্টোরি’ শোনালেন বিদ্যা
|
শিরোপা ছুঁতে পাকিস্থানের দরকার ১৭১ রান
|
বিয়ের আগে নখ বাড়াতে চান? কোন ঘরোয়া উপায়েই পাবেন সুন্দর, লম্বা নখ
|
lifestyle
|
সুন্দর, লম্বা, স্বাস্থ্যবান নখ সব সময়েই সাজে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। বেশির ভাগ মেয়েই লম্বা নখ পছন্দ করেন। বিভিন্ন উৎসবে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নানান রঙের নেলপলিশ পরলে লাগেও বেশ। শুধু সৌন্দর্যবৃদ্ধিই নয়, আপনি ভিতর থেকে কতটা সুস্থ, তা বোঝা যায় আপনার নখ দেখে। আমাদের পায়ের নখের চেয়ে হাতের নখ অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, হাতের নখ সময় মতো বাড়ছে না। দাঁত দিয়ে নখ কাটার স্বভাব থাকলে বা পুষ্টির অভাব অথবা ভুল পদ্ধতিতে নখ কাটলে নখের বৃদ্ধি কমে যায়। সামনেই যাঁদের বিয়ে, তাঁরা ইতিমধ্যেই নিজেকে কী ভাবে পরিপাটি করে তোলা যায় তা নিয়ে নিশ্চয়ই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন। বিয়ের আগে কী ভাবে কী ভাবে দ্রুত নখ বাড়াবেন, তার জন্য রইল কিছু ঘরোয়া টোটকার খোঁজ। ১) লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা দ্রুত নখ বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি, নখের হলুদ দাগ সরিয়ে নখকে সুন্দর ও ঝকঝকে করে তুলতে এর জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিন এক টুকরো লেবুতে নারকেল তেল নিয়ে নখে ঘষতে পারেন। রোজ এমনটা করলে নখ ভাঙবে না। প্রতি দিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত কোন কাজ করলে খুব সহজেই নখ বাড়বে?
ছবি: শাটারস্টক। ২) রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার কারণেও আমাদের নখ খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল কাজ করে ম্যাজিকের মতো। একটি পাত্রে কিছুটা অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এর পর অন্তত ৫ মিনিট নখে মাসাজ করুন। প্রতি দিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত এটি করলে খুব সহজেই নখ বাড়বে। ৩) মুখ ধোয়ার পর আমরা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলি না। তবে হাত ধোয়ার পর আমরা তা মোটেই করি না। নখ শুষ্ক হয়ে গেলে দ্রুত ভেঙে যায়। তাই হাত শুষ্ক হলেই ক্রিম ব্যবহার করুন।
|
শুধু সৌন্দর্যবৃদ্ধিই নয়, আপনি ভিতর থেকে কতটা সুস্থ, তা বোঝা যায় আপনার নখ দেখে আমাদের পায়ের নখের চেয়ে হাতের নখ অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায় তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, হাতের নখ সময় মতো বাড়ছে না দাঁত দিয়ে নখ কাটার স্বভাব থাকলে বা পুষ্টির অভাব অথবা ভুল পদ্ধতিতে নখ কাটলে নখের বৃদ্ধি কমে যায় সামনেই যাঁদের বিয়ে, তাঁরা ইতিমধ্যেই নিজেকে কী ভাবে পরিপাটি করে তোলা যায় তা নিয়ে নিশ্চয়ই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন বিয়ের আগে কী ভাবে কী ভাবে দ্রুত নখ বাড়াবেন, তার জন্য রইল কিছু ঘরোয়া টোটকার খোঁজ ১) লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা দ্রুত নখ বাড়াতে সাহায্য করে এমনকি, নখের হলুদ দাগ সরিয়ে নখকে সুন্দর ও ঝকঝকে করে তুলতে এর জুড়ি মেলা ভার
|
গরমে শুধু ত্বক নয়, যত্ন প্রয়োজন নখেরও, কী ভাবে নেবেন?
|
ঈদের আগে নখের যত্ন
|
জন্মাষ্টমীতে তাল তো আসবেই, বড়া না করে মালপোয়া বানালে কেমন হয়? জেনে নিন প্রণালী
|
ব্রিটেনে চলছে রেল ধর্মঘট
|
international
|
ব্রিটেন জুড়ে আজ রেল ধর্মঘট। সাধারণ মানুষও এই ধর্মঘট সমর্থন করছেন। বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট। পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ১৬টি অপারেটর সংস্থার ট্রেন চালকরা ধর্মঘট অবন্তী, নর্দার্ন এবং ম্যানচেস্টারে পরিষেবা প্রদানকারী ট্রান্সপেনাইন এক্সপ্রেস সহ বেশিরভাগ রুটে ট্রেনগুলি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের আন্তঃসীমান্ত পরিষেবাগুলিকেও প্রভাবিত করবে এই ধর্মঘট। ট্রেন চালকদের পাশে রয়েছে পরিবহণ ক্ষেত্রে অন্য অংশের কর্মীরা। ধর্মঘটীরা যাতে সরকারের ক্ষোভের কারণ না হন তার জন্য বাস চালকদের সংগঠন বাড়তি বাস চালাচ্ছে। জনতার অন্য অংশের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য সড়ক পরিবহণ চালু রাখা আছে। তবে জনতার সমর্থন খুব স্পষ্ট। আরেকটি পৃথক বিরোধে, আরএমটি লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মীরা পরের সপ্তাহে বুধ ও শুক্রবার ধর্মঘট করবে, টিউব বন্ধ করে দেবে। ধর্মঘটীদের দাবীকে নার্সরাও সমর্থন করছে।ঋষি সুনকের সরকারের প্রতি এদের ক্রমশ উষ্মা বাড়ছে। চারিদিকে সরকারি একাধিক নীতির বিরুদ্ধে ছোট ছোট স্টিকার সেঁটে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন দেওয়ালে। বিভিন্ন জায়গায় পার্কে, রাস্তার রেলিংয়ে অধিকার আদায়ের স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছে ধর্মঘটীরা।
|
আরেকটি পৃথক বিরোধে, আরএমটি লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মীরা পরের সপ্তাহে বুধ ও শুক্রবার ধর্মঘট করবে, টিউব বন্ধ করে দেবে ধর্মঘটীদের দাবীকে নার্সরাও সমর্থন করছেঋষি সুনকের সরকারের প্রতি এদের ক্রমশ উষ্মা বাড়ছে চারিদিকে সরকারি একাধিক নীতির বিরুদ্ধে ছোট ছোট স্টিকার সেঁটে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন দেওয়ালে বিভিন্ন জায়গায় পার্কে, রাস্তার রেলিংয়ে অধিকার আদায়ের স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছে ধর্মঘটীরা
|
ব্রিটেনে দশকের বৃহত্তম ধর্মঘট
|
অনড় কর্মী-শিক্ষকরা, চলছে ধর্মঘট
|
নিজের সঞ্চয় কী ভাবে বাড়াতে পারেন মহিলারা? রইল টাকা জমানোর ৫ উপায়
|
Flipkart Diwali Sale 2018: বৃহস্পতিবার থেকে ফ্লিপকার্টে আইফোনের ওপর অফুরন্ত ছাড়
|
technology
|
Flipkart Diwali Sale 2018: বিগ দিওয়ালি সেল। শুরু হবে ফ্লিপকার্ট ই-কমার্স সাইটে। যার সময়সীমা ১নভেম্বর থেকে ৫ পর্যন্ত। একটা সেলের পর আরেকটা সেল, উৎসব মরশুমকে রঙিন করতে অনুঘটক হিসেবে পাশে থাকে ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনের মত ই-কমার্স সাইটগুলি। এই সেলে ফ্লিপকার্টের ভান্ডারে থাকবে, মোবাইল, ট্যাব, বাড়ির প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যবস্তু, ফ্যাশন প্রোডাক্ট, সহ আরও নানা জিনিস। যার ওপর SBI credit card এর দিয়ে কিনলে পাওয়া যাবে ১০ শতাংশের নগদ ছাড়। This Diwali we wish you a Shubh Bhi, Labh Bhi with Flipkart’s #BigDiwaliSale – mark your calendars for November 1st-5th! pic.twitter.com/U2UoqNMC49 — Flipkart (@Flipkart) October 29, 2018 Congratulations to our lucky two #AaajKiRaat contest winners – @R_tonk9 & @imAshwinJ! Please DM us your email address, phone number and mailing address so we can get the latest iPhones to you. A big thank you for all the participation! pic.twitter.com/cXq3FM4nkU — Flipkart (@Flipkart) October 31, 2018 Pixel 2 XL ফোনটির ওপর ফ্ল্যাট ছাড় ৪৫,০০০ টাকা। iPhone 7, iPhone 6s, iPhone SE ফোনের ওপর পাওয়া যাবে একাধিক ছাড় সঙ্গে নতুন আইফোনের ওপর পাওয়া যাবে । পাশাপাশি নতুন iPhone XR, iPhone XS এর ওপর পাওয়া যাবে no cost EMI ও বিভিন্ন ধরণের এক্সচেঞ্জ অফার। অন্যদিকে iPhone 8 (64GB) পাওয়া যাবে ৫৮,৯৯৯ টাকায়। যার ওপর এক্সচেঞ্জ অফারের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে প্রায় ১৪,৯০০ টাকার। এছাড়া দশ শতাংশ নগদ ছাড় রয়েছে, Axis Bak Buzz ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিনলে পাঁচ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। Apple iPhone 6s পাওয়া যাবে ২৯,৪৯৯ টাকায় পাশাপাশি Apple iPhone SE (32GB) পাওয়া যাবে ১৮,৯৯৯ টাকায়। Read the full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Flipkart diwali 2018 sale deals on google pixel 2 xl apple iphone 8 iphone 6s and more
|
একটা সেলের পর আরেকটা সেল, উৎসব মরশুমকে রঙিন করতে অনুঘটক হিসেবে পাশে থাকে ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনের মত ই-কমার্স সাইটগুলি এই সেলে ফ্লিপকার্টের ভান্ডারে থাকবে, মোবাইল, ট্যাব, বাড়ির প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যবস্তু, ফ্যাশন প্রোডাক্ট, সহ আরও নানা জিনিস যার ওপর SBI credit card এর দিয়ে কিনলে পাওয়া যাবে ১০ শতাংশের নগদ ছাড় This Diwali we wish you a Shubh Bhi, Labh Bhi with Flipkart’s #BigDiwaliSale – mark your calendars for November 1st-5th! pic.twitter.com/U2UoqNMC49 — Flipkart (@Flipkart) October 29, 2018 Congratulations to our lucky two #AaajKiRaat contest winners – @R_tonk9 & @imAshwinJ! Please DM us your email address, phone number and mailing address so we can get the latest iPhones to you. A big thank you for all the participation! pic.twitter.com/cXq3FM4nkU — Flipkart (@Flipkart) October 31, 2018 Pixel 2 XL ফোনটির ওপর ফ্ল্যাট ছাড় ৪৫,০০০ টাকা
|
Flipkart Big Diwali Sale: জেনে নিন কী কী থাকছে এই অফারে
|
Flipkart Sale: ফ্লিপকার্টের বিগ সেভিং ডে'জ সেলে কোন ফোনে কী কী অফার রয়েছে?
|
Voice Enabled UPI: ইউপিআই পেমেন্টে ভয়েস-সাপোর্ট, খুব শীঘ্রই নতুন সুবিধা পাবেন ইউজাররা
|
টেলিকম ব্যবসায় ধাক্কা খেতে চলেছে জিও? এয়ারটেলের সঙ্গে জোট বাঁধল টাটা
|
technology
|
ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে জোট বাঁধার সবুজ সংকেত পেল টাটা গোষ্ঠী। অনেকদিন ধরেই এয়ারটেলের সঙ্গে টাটা টেলিকমের সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব স্থগিত ছিল। অবশেষে সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট)। বৃহস্পতিবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এমটাই জানিয়েছে টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেড। ৬ ফেব্রুয়ারি ডট ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে টাটা টেলি সার্ভিসকে জোট বাঁধার অনুমোদন দিয়েছে। এই সংযুক্তিকরণকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবসায় বড় সিদ্ধান্ত ও একজোট বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সংযুক্তিকরণ করতে কেন্দ্র সময় নিল প্রায় দু’বছর। প্রথম ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলে টাটা গোষ্ঠী। গতকাল তাতে সিলমোহর দিল কেন্দ্র। গত বছরেরে ১ জুলাই ভারতী এয়ারটেল জানিয়েছিল টাটা টেলি সার্ভিস লিমিটেড এয়ারটেলের অংশ হতে চলেছে। আরও পড়ুন:দীর্ঘদিন পর মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ক্রিস্টিনা কোচ, গড়লেন রেকর্ড ডট সূচনায় এয়ারটেলকে টাটার সঙ্গে সংযুক্তিকরণ হওয়ার আগে ৭,০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টি এবং ১,২৮৭.৯৭ কোটি টাকা তৎক্ষনাৎ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জিও-র ধাক্কায় ২০১৭ সালের টাটা টেলিসার্ভিসেসের দেনা বেড়ে হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ব্যবসা বন্ধ করতে চায়নি তারা। যে কারণে নগদহীন শর্তে টাটার টেলিকম ব্যবসা ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে জোট বাঁধার ভাবনাচিন্তা করে। আরও পড়ুন:ফের ক্ষতির মুখে এয়ারটেল, দাম বাড়ার আশঙ্কা! টিডিএসএটি ২ মে, ২০১৯ এ টিটিএসএলের ব্যবসার সঙ্গে একীভূত হওয়ার অনুমোদন দেওয়ার জন্য ভারতী এয়ারটেলকে টেলিকম বিভাগ ৮,২৮৭ কোটি টাকা স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সংযুক্তিকরণের জন্য টিডিএসএটি-র নির্দেশ অনুসারে ভারতী এয়ারটেল ৬৪৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে দেশে টেলিকম পরিষেবা দিচ্ছে টাটা টেলিসার্ভিসেস। জাপানি সংস্থা এনটিটি ডোকোমো ১৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। তবে লাভ না হওয়ায় ২০১৪ সালে প্রকল্প থেকে সড়ে দাঁড়ায় ডোকোমো। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Bharti airtel tata teleservices merger approved technology
|
সংযুক্তিকরণ করতে কেন্দ্র সময় নিল প্রায় দু’বছর প্রথম ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলে টাটা গোষ্ঠী গতকাল তাতে সিলমোহর দিল কেন্দ্র গত বছরেরে ১ জুলাই ভারতী এয়ারটেল জানিয়েছিল টাটা টেলি সার্ভিস লিমিটেড এয়ারটেলের অংশ হতে চলেছে আরও পড়ুন:দীর্ঘদিন পর মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ক্রিস্টিনা কোচ, গড়লেন রেকর্ড ডট সূচনায় এয়ারটেলকে টাটার সঙ্গে সংযুক্তিকরণ হওয়ার আগে ৭,০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টি এবং ১,২৮৭.৯৭ কোটি টাকা তৎক্ষনাৎ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জিও-র ধাক্কায় ২০১৭ সালের টাটা টেলিসার্ভিসেসের দেনা বেড়ে হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা কিন্তু ব্যবসা বন্ধ করতে চায়নি তারা
|
জিওকে টেক্কা দিতে এয়ারটেলের সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছে ডোকোমো
|
অ্যাপেল জোট বাঁধল এয়ারটেল এবং রিলায়েন্সের সঙ্গে
|
নয়া প্রযুক্তি চমকে দেবে…! সরাসরি মহাকাশ থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবে ইন্টারনেট, তোলপাড় ফেলল Jio
|
পার্থর বাড়িতেই চাকরি বিক্রির অফিস
|
kolkata
|
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে বসেই চলত চাকরি বিক্রির অপারেশন! আলিপুরে সিবিআই’র বিশেষ আদালতে এমনই অভিযোগ এবার সিবিআই’র। গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এদিনের সওয়ালেই তৃণমূল আমলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ভয়াবহ ছবি আরও একবার সামনে এল।আদালতের সওয়ালে সিবিআই’র অভিযোগ, ‘খোদ পার্থ চ্যাটার্জির বাড়িতে বসেই চলত এই কারবার। যারা টাকা দিয়েছে সেই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা এখান থেকেই এসএসসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দেওয়া হতো। সিবিআই’র আইনজীবী এদিন শুনানিতে পার্থ চ্যাটার্জির জামিনের আবেদন খারিজ করে দাবি করেন, ‘তদন্তে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। পার্থ চ্যাটার্জি মন্ত্রী হিসাবে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত এই কেলেঙ্কারিতে। তাঁর নাকতলার বাড়িতে বসেই লিস্ট তৈরি করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। নাকতলার বাড়িতে বসেই নিয়োগের তালিকা তৈরি করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাড়ির একতলায় একটি অফিস বানিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ডেকে তালিকা দিতেন তিনি। মূলত যাদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে জেলায় জেলায় বিভিন্ন এজেন্টদের মাধ্যমে তাঁদের নামের তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হতো সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে যেতেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংহও।’এই দুজনেই মিডলম্যান হিসাবে এই চাকরি বিক্রির নেটওয়ার্কে কাজ করত। সিবিআই গত আগস্ট মাসে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। রীতিমতো ‘ক্যান্ডিডেট’ জোগাড় করে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কাজেই যুক্ত ছিলেন ধৃত প্রসন্ন রায়। বিনিময়ে এই মিডলম্যান বা নিয়োগকাণ্ডে অভিযুক্ত দালাল প্রসন্ন রায় যে সম্পত্তি করেছিলেন তাতে চক্ষু চড়কগাছ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের। নিউটাউন থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।তাঁদের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন পার্থ চ্যাটার্জি। তার কাছেই চাকরি পিছু ১০-১২ লক্ষ টাকা দিতে হতো। সেই টাকার সিংহভাগ অংশ ভাগ ভাগ করে পৌঁছে যেত নির্দিষ্ট মহলে। এই প্রসন্ন রায় নামে মিডলম্যানের অধীনে আরও কয়েকজন দালাল কাজ করত জেলায় জেলায়। তাঁদের কাছে ছিল ‘ক্যান্ডিডেট’ জোগাড় করে আনা, তাঁদের কাছ থেকে টাকা বের করার ব্যাপার নিশ্চিত করা। নারকেলডাঙায় একটি ছোট্ট ভাড়া বাড়িতে থাকতেন প্রসন্ন রায়। সেখান থেকে এখন থেকে নিউটাউনের বিলাসবহুল রাজকীয় ফ্ল্যাট। দীঘা, থেকে মন্দারমণি প্রায় সব পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে লজ, হোটেল। একাধিক দামি গাড়ি। একাধিক জমি। এই ব্যক্তির গাড়ির ব্যবসাও ছিল আগে। এসএসসি ভবনে ভাড়া খাটত সেই গাড়ি। প্রসন্নের গাড়ি চড়তেন শান্তিপ্রসাদ সিনহাও। নিউটাউনে একটি আবাসনে ফ্ল্যাট আছে প্রসন্ন রায়ের। সেই আবাসনের পুজোয় গিয়েছিল পার্থ চ্যাটার্জিও।সিবিআই’র দাবি, তদন্তে একাধিকজনের জেরা থেকেই জানা গেছে নাকতলার বাড়ির একতলায় অফিস ঘরেই যাতাযাত ছিল ধৃত ঐ দুই এজেন্টদের। সেখান থেকে তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হতো সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে।কার্যত পার্থ চ্যাটার্জির বাড়িতেই খোলা হয়েছিল চাকরি বিক্রির অফিস, দাবি সিবিআই’র। যদিও পালটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাকতলার বাড়ি হাই সিকিউরিটি জোন, রেজিস্টারে সই করতে হয়, কোথায় নাম? কোথায় রেজিস্টার?এর আগে গত ৭ আগস্ট শুনানিতে পার্থ চ্যাটার্জি মমতা ব্যানার্জির দিকেই ঘুরিয়ে আঙুল তুলে অভিযোগ করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই, নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই। মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের দিকেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির দায় ঠেলে দেন পার্থ চ্যাটার্জি! স্বাভাবিকভাবেই এরপরে শাসক তৃণমূলের তরফেও পার্থ চ্যাটার্জিকে আক্রমণ করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আবার এদিন পার্থ চ্যাটার্জি মুখ্যমন্ত্রীকে আড়াল করে বলেন, ‘আমি বিনীতভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বলতে চাই আইনগুলো একটু ভালো করে পড়তে হবে। দুম করে মন্ত্রীকে ধরে নিয়ে আসা হলো। মন্ত্রীর এখানে কোনও ভূমিকা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নেই, মন্ত্রীরও নেই। এরা কেউ এক্সিকিউটিভ ফাংশন করে না। এরা পলিসি মেকার্স।’ সিবিআই’র তরফে আদালতে সওয়ালে স্পষ্ট অভিযোগ করা হয়, পরিকল্পনামাফিকই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সিবিআই’র আইনজীবীর কথায় দুর্নীতির এই নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে পদে বসানো হয়েছিল। আর এরপরেই পার্থ চ্যাটার্জির তরফে দাবি করা হয় তিনি মন্ত্রী হওয়ার আগেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এসএসসি’র চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কী সরকারের অন্য কোনও মাথা পরিকল্পনা করেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে পদে বসিয়েছিলেন?
|
যারা টাকা দিয়েছে সেই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা এখান থেকেই এসএসসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দেওয়া হতো সিবিআই’র আইনজীবী এদিন শুনানিতে পার্থ চ্যাটার্জির জামিনের আবেদন খারিজ করে দাবি করেন, ‘তদন্তে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে পার্থ চ্যাটার্জি মন্ত্রী হিসাবে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত এই কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাকতলার বাড়িতে বসেই লিস্ট তৈরি করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি নাকতলার বাড়িতে বসেই নিয়োগের তালিকা তৈরি করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাড়ির একতলায় একটি অফিস বানিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সেখানেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ডেকে তালিকা দিতেন তিনি মূলত যাদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে জেলায় জেলায় বিভিন্ন এজেন্টদের মাধ্যমে তাঁদের নামের তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হতো সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে যেতেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংহও’এই দুজনেই মিডলম্যান হিসাবে এই চাকরি বিক্রির নেটওয়ার্কে কাজ করত সিবিআই গত আগস্ট মাসে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে রীতিমতো ‘ক্যান্ডিডেট’ জোগাড় করে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কাজেই যুক্ত ছিলেন ধৃত প্রসন্ন রায় বিনিময়ে এই মিডলম্যান বা নিয়োগকাণ্ডে অভিযুক্ত দালাল প্রসন্ন রায় যে সম্পত্তি করেছিলেন তাতে চক্ষু চড়কগাছ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের নিউটাউন থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিলতাঁদের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন পার্থ চ্যাটার্জি তার কাছেই চাকরি পিছু ১০-১২ লক্ষ টাকা দিতে হতো
|
পার্থের নির্দেশেই টাকার বিনিময়ে শূন্য পদ থেকেও বেশি নিয়োগ
|
সিঙ্গাপুরের অফিস খালি করার নির্দেশ টুইটারের
|
PK Attack Nitish: নীতীশের ‘নীতি’ বদলই বিহারে বার বার রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণ, দাবি পিকের
|
অতি অল্প হইল
|
editorial
|
সুদের হার কমাইবার কথা ঘোষণা করিবার সময় শক্তিকান্ত দাস আর একটি কথা বলিয়াছেন— এই মুহূর্তে রাজস্ব নীতিকে সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া বিধেয়। অর্থাৎ, মনিটারি পলিসি বা আর্থিক নীতির নিরিখে তিনি যাহা করিবার করিয়াছেন, কিন্তু ভারতীয় অর্থব্যবস্থাকে অতিমন্দার সম্ভাবনা হইতে রক্ষা করিবার জন্য তাহাই যথেষ্ট নহে। ফিসক্যাল পলিসি বা রাজস্ব নীতির মাধ্যমে সরকারকে দায়িত্ব লইতে হইবে। নির্মলা সীতারামন যে এক লক্ষ সত্তর হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করিয়াছেন, তাহাই সরকারি দায়বদ্ধতার নমুনা হইলে ঘোর বিপদ। কেন, সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার পূর্বে বলা প্রয়োজন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হইবার পূর্বে ভারতীয় অর্থব্যবস্থার মূল দুর্বলতা নগদের অভাব ছিল না, ছিল চাহিদার অভাব। ভাইরাসের ধাক্কায় তাহার উপর জোগানের অভাবও দেখা দিবে, সেই সম্ভাবনা প্রবল। ফলে, এই সময়ে সুদের হার কমিলেই যে লগ্নিকারীরা টাকা ধার করিয়া ব্যবসায় ঢালিতে আরম্ভ করিবেন, সেই নিশ্চয়তা নাই। কিন্তু, একই সঙ্গে এই কথাটিও স্বীকার করা প্রয়োজন যে মহামারি-বিধ্বস্ত এই বাজার নিতান্ত অপরিচিত— তাহার চলন কী হইবে, তাহা অনুমান করাও দুষ্কর। কাজেই, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটারি পলিসি কমিটি সুদের হার কমাইয়া বাজারের জন্য একটি সম্ভাব্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করিয়া রাখিল। ব্যাঙ্ক জানাইয়াছে, সুদের হার কমাইবার ফলে যেন মূল্যস্ফীতি না ঘটে, সে দিকে কড়া নজর রাখা হইবে। প্রকৃতার্থে, এই মুহূর্তে কাজটি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নহে। ব্যাঙ্ক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে সুদের হারের মাধ্যমে— মূল্যস্ফীতি মাথাচাড়া দিলে সুদের হার বাড়াইয়া দেয়, এবং তাহার ফলে বাজারে নগদের জোগান কমে, মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়া আসে। সুদের হার এতখানি কমাইবার পরই অল্প দিনের মধ্যে ফের তাহা বাড়িবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। অর্থাৎ, ব্যাঙ্কের হাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অস্ত্রটিই নাই। তাহা আছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। বিশেষত এই সময়ে, যখন মূল্যস্ফীতি ঘটিতে পারে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক পণ্যের বাজারেই— অন্যান্য পণ্যের কেনাবেচা এখন সম্পূর্ণ স্তব্ধ। খাদ্যপণ্য ইত্যাদি দেশে যথেষ্ট পরিমাণেই মজুত আছে। প্রয়োজন শুধু তাহার বণ্টনের ব্যবস্থাটি অব্যাহত রাখা। নজর রাখা, যাহাতে বাজারে কোনও ভাবেই এই পণ্যের দাম না বাড়ে। কাজটি একান্তই সরকারের। এবং, শুধু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে নহে, কাজটি মানুষের স্বার্থেই করা প্রয়োজন। অবশ্য, শুধু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নহে, এই মুহূর্তে সরকারের বৃহত্তর কর্তব্য অর্থনীতিতে টাকার জোগান বাড়ানো। নির্মলা সীতারামন যে প্যাকেজটির কথা জানাইয়াছেন, তাহার ঘোষিত উদ্দেশ্য এই কাজটিই। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, তিনি বা তাঁহারা কুমিরছানা দেখাইবার অভ্যাসটি ছাড়িতে পারিলেন না। এমনকি, এই ঘোর দুঃসময়েও নহে। ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইনের ক্ষেত্রে যাহা করিয়াছিলেন, এই ক্ষেত্রেও ঠিক তাহাই করিলেন— বিভিন্ন খাতে সরকার যে খরচ করিয়াই থাকে, অথবা যেটুকু ব্যয়বৃদ্ধি পূর্বনির্ধারিত ছিল, সব কিছু জুড়িয়া তাহার সহিত সামান্য কিছু যোগ করিয়া তিনি গালভরা প্যাকেজ ঘোষণা করিলেন। এনআরইজিএ-র মজুরিবৃদ্ধি পূর্বনির্দিষ্ট। পিএম-কিসানের নগদ হস্তান্তরও বহু পূর্বেই ঘোষিত। জন ধন যোজনার অন্তর্ভুক্ত মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে পাঁচশত টাকা বা পেনশনভোগী, বিধবা, শারীরিক ভাবে অক্ষমদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিন মাসের মধ্যে এক হাজার টাকা রসিকতা হিসাবেও অতি নিষ্ঠুর। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নাই। আশঙ্কা হয়, তিনি বা তাঁহারা বিপদের গুরুত্বই বোঝেন নাই। অথবা, কে বলিতে পারে, নাগরিকের সহিত নিষ্ঠুর রসিকতার অভ্যাসটি ত্যাগ করা হয়তো বা তাঁহাদের পক্ষে অসম্ভব।
|
নজর রাখা, যাহাতে বাজারে কোনও ভাবেই এই পণ্যের দাম না বাড়ে কাজটি একান্তই সরকারের এবং, শুধু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে নহে, কাজটি মানুষের স্বার্থেই করা প্রয়োজন অবশ্য, শুধু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নহে, এই মুহূর্তে সরকারের বৃহত্তর কর্তব্য অর্থনীতিতে টাকার জোগান বাড়ানো নির্মলা সীতারামন যে প্যাকেজটির কথা জানাইয়াছেন, তাহার ঘোষিত উদ্দেশ্য এই কাজটিই কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, তিনি বা তাঁহারা কুমিরছানা দেখাইবার অভ্যাসটি ছাড়িতে পারিলেন না এমনকি, এই ঘোর দুঃসময়েও নহে ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইনের ক্ষেত্রে যাহা করিয়াছিলেন, এই ক্ষেত্রেও ঠিক তাহাই করিলেন— বিভিন্ন খাতে সরকার যে খরচ করিয়াই থাকে, অথবা যেটুকু ব্যয়বৃদ্ধি পূর্বনির্ধারিত ছিল, সব কিছু জুড়িয়া তাহার সহিত সামান্য কিছু যোগ করিয়া তিনি গালভরা প্যাকেজ ঘোষণা করিলেন এনআরইজিএ-র মজুরিবৃদ্ধি পূর্বনির্দিষ্ট পিএম-কিসানের নগদ হস্তান্তরও বহু পূর্বেই ঘোষিত জন ধন যোজনার অন্তর্ভুক্ত মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে পাঁচশত টাকা বা পেনশনভোগী, বিধবা, শারীরিক ভাবে অক্ষমদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিন মাসের মধ্যে এক হাজার টাকা রসিকতা হিসাবেও অতি নিষ্ঠুর
|
শুধু অন্যায় বললে কম হয়
|
অতিমারির শিক্ষা
|
এবার ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি’র বিদেশি বন্ধু সংগঠনের নেতা
|
১১০টি স্পোর্টস মোড সহ Dizo Watch 2 Sports স্মার্টওয়াচ লঞ্চ হল ভারতে
|
technology
|
ভারতে আত্মপ্রকাশ করলো Dizo Watch 2 Sports স্মার্টওয়াচ। Realme টেকলাইফ সাব ব্র্যান্ড ডিজোর ভ্যানিলা ডিজো ওয়াচ ২ -এর উত্তরসূরী এই নতুন ঘড়িটি। এতে রয়েছে ১১০টিরও বেশী স্পোর্টস মোড। এছাড়া, ১.৬৯ ইঞ্চি টিএফটি টাচ ডিসপ্লের সঙ্গে আসা এই ওয়্যারেবলটিতে উপস্থিত ১৫০টিরও বেশি ওয়াচফেস। সংস্থার দাবি, একবার চার্জে এটি দশ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক Dizo Watch 2 Sports স্মার্টওয়াচের দাম, ও সমস্ত ফিচার। Dizo Watch 2 Sports মডেলের দাম ধার্য করা হয়েছে ভারতে ২,৯৯৯ টাকা। তবে সীমিত সময়ের জন্য এটি ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্টে পাওয়া যাবে ১,৯৯৯ টাকায়। শুধু তাই নয়, স্মার্টওয়াচটির সাথে দেওয়া হচ্ছে ১২ মাসের ওয়্যারেন্টি। আগামী ৮ মার্চ থেকে এর সেল শুরু হবে । ক্লাসিক ব্ল্যাক, ডার্ক গোল্ডেন,গোল্ডেন পিঙ্ক ,ওশান ব্লু, প্যাশন রেড এবং সিলভার গ্রে কালারগুলির মধ্যে থেকে ক্রেতারা বেছে নেবেন তাদের পছন্দের কালারের স্মার্টওয়াচটি। এই স্মার্টওয়াচে রয়েছে ১.৬৯ ইঞ্চি টিএফটি টাচ ডিসপ্লে যার রেজোলিউশন ২৪০x২৮০ পিক্সেল এবং এটি ৬০০ নিট উজ্জলতা দেবে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে অ্যান্টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোটিং। আবার ১৫০টিরও বেশি ওয়াচফেস এসে উপস্থিত। ১১০টিরও বেশী ইনডোর এবং আউটডোর স্পোর্টস মোড উপলব্ধ। ডিজো অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার বিভিন্ন স্পোর্টিং অ্যাক্টিভিটি নিরীক্ষণ করতে পারবেন। এমনকি ব্যবহারকারীর জিপিএস রানিং রুটও বলে দেবে ঘড়িটি। উপরন্তু, ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হেলথ ফিচার হিসেবে এতে হার্ট রেট মনিটর, ব্লাডে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মনিটর, স্লিপ ট্র্যাকার, মেনস্ট্রুয়াল পিরিয়ড ট্র্যাকার, স্টেপ কাউন্টার, ওয়াটার ড্রিংকিং রিমাইন্ডার এবং সিডেন্টারি রিমাইন্ডার বর্তমান। এতে রয়েছে ২৬০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং একটি স্মার্ট পাওয়ার -সেভিং চিপ। সংস্থার দাবি, একক চার্জে এটি দশ দিন পর্যন্ত সক্রিয় এবং কুড়ি দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই টাইম অফার করবে। উপরন্তু মাত্র ২ ঘন্টায় এটি পুরোপুরি চার্জ হয়ে যাবে। দ্রুত কানেক্টিভিটির জন্য এতে দেওয়া হয়েছে ব্লুটুথ ভি৫, যা ১০ মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকা যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ কিংবা তার উপরের এবং আইওএস ১০.০ অথবা তার থেকে উচ্চ ভার্সনে চালিত ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। এছাড়াও রয়েছে মিউজিক প্লেব্যাক কন্ট্রোল, রিমোট ক্যামেরা শাটার, স্মার্ট নোটিফিকেশন, কল রিজেকসন ফিচার, এলার্ম এবং ফাইন্ড মাই ফোন ফিচার। জল থেকে সুরক্ষা দিতে Dizo Watch 2 Sports স্মার্টওয়াচ ৫ এটিএম রেটিংয়ের সঙ্গে লঞ্চ করা হয়েছে। ঘড়িটির পরিমাপ ২৫৮x৩৮.৮x১২.২ এবং ওজন ৪১.৫গ্রাম। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Dizo watch 2 sports smartwatch launches with up to 10 days battery life at rs
|
এই স্মার্টওয়াচে রয়েছে ১.৬৯ ইঞ্চি টিএফটি টাচ ডিসপ্লে যার রেজোলিউশন ২৪০x২৮০ পিক্সেল এবং এটি ৬০০ নিট উজ্জলতা দেবে শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে অ্যান্টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোটিং আবার ১৫০টিরও বেশি ওয়াচফেস এসে উপস্থিত ১১০টিরও বেশী ইনডোর এবং আউটডোর স্পোর্টস মোড উপলব্ধ ডিজো অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার বিভিন্ন স্পোর্টিং অ্যাক্টিভিটি নিরীক্ষণ করতে পারবেন এমনকি ব্যবহারকারীর জিপিএস রানিং রুটও বলে দেবে ঘড়িটি উপরন্তু, ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হেলথ ফিচার হিসেবে এতে হার্ট রেট মনিটর, ব্লাডে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মনিটর, স্লিপ ট্র্যাকার, মেনস্ট্রুয়াল পিরিয়ড ট্র্যাকার, স্টেপ কাউন্টার, ওয়াটার ড্রিংকিং রিমাইন্ডার এবং সিডেন্টারি রিমাইন্ডার বর্তমান এতে রয়েছে ২৬০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং একটি স্মার্ট পাওয়ার -সেভিং চিপ সংস্থার দাবি, একক চার্জে এটি দশ দিন পর্যন্ত সক্রিয় এবং কুড়ি দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই টাইম অফার করবে
|
দিওয়ালির বাজার ধরতে বড় চমক Nokia-র, T20 ট্যাবলেট লঞ্চ হল ভারতে
|
50MP ক্যামেরা-সহ ভারতে লঞ্চ হল Vivo X70 সিরিজ! জেনে নিন দাম এবং ফিচার
|
দুর্নীতির মামলায় সু চির আরো ৫ বছরের জেল
|
৫ কারণ: বিশ্বকাপে কী ভাবে আফগানিস্তানকে হারাল রোহিতের ভারত?
|
sports
|
বিশ্বকাপে
আফগানিস্তানকে সহজেই হারাল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭২
রান করে আফগানিস্তান। রোহিত শর্মার শতরানে সহজেই সেই রান তাড়া করে জিতে যায় ভারত।
বিশ্বকাপের প্রথম দু’ম্যাচের দু’টিতেই জিতল ভারত। আনন্দবাজার
অনলাইনের মতে ভারতের আফগানিস্তানকে হারানোর নেপথ্যে প্রধান পাঁচ কারণ কী কী? ১) দল নির্বাচনে
আফগানিস্তানকে টেক্কা দিয়েছে ভারত। দিল্লির মাঠে স্পিনারেরা বিশেষ সুবিধা পান না।
ফলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বদলে শার্দূল ঠাকুরকে নেয় ম্যানেজমেন্ট। শার্দূল উইকেট
নেন। অন্য দিকে আফগানিস্তান তিন স্পিনারেই খেলে। তাঁরা বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। ২) আফগানিস্তানের
দুই ব্যাটার হাসমাতুল্লা শাহিদি ও আজ়মাতুল্লা ওমরজাই ভাল খেলছিলেন। দু’জনের মধ্যে
১২১ রানের জুটি হয়। তাঁরা থাকলে আফগানিস্তান বড় রান করতে পারত। সেই সময়ই কুলদীপ
যাদব শাহিদি ও হার্দিক পাণ্ড্য ওমরজাইকে আউট করেন। ফলে আফগানিস্তানের রান কিছুটা
কম হয়। ৩) আফগানিস্তানের
ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে মনে হচ্ছিল ৩০০ রানের বেশি করবে তারা। ৩০০-র বেশি রান হলে
মনস্তাত্বিক ভাবে কিছুটা বেশি সুবিধা পেত আফগানিস্তান। কিন্তু ভারতীয় বোলারেরা
আফগানিস্তানকে ২৭২ রানে আটকে রাখে। ফলে সুবিধা হয় ভারতের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ। ৪) রান তাড়া
করতে নেমে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা। ৮৪ বলে ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
১৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন রোহিত। তাঁর ব্যাটে প্রথম ১৫ ওভারেই খেলা ভারতের হাতের
মুঠোয় চলে আসে। সেখান থেকে জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ। ৫) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে
ভারতের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু এই ম্যাচে তারা সফল। রোহিতের পাশাপাশি রান
করলেন ঈশান কিশনও। ৪৭ রান এল তাঁর ব্যাট থেকে। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে ইনিংস
ধরলেন বিরাট কোহলি। ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন
বিরাট।
|
শার্দূল উইকেট
নেন অন্য দিকে আফগানিস্তান তিন স্পিনারেই খেলে তাঁরা বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ২) আফগানিস্তানের
দুই ব্যাটার হাসমাতুল্লা শাহিদি ও আজ়মাতুল্লা ওমরজাই ভাল খেলছিলেন দু’জনের মধ্যে
১২১ রানের জুটি হয় তাঁরা থাকলে আফগানিস্তান বড় রান করতে পারত সেই সময়ই কুলদীপ
যাদব শাহিদি ও হার্দিক পাণ্ড্য ওমরজাইকে আউট করেন ফলে আফগানিস্তানের রান কিছুটা
কম হয় ৩) আফগানিস্তানের
ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে মনে হচ্ছিল ৩০০ রানের বেশি করবে তারা ৩০০-র বেশি রান হলে
মনস্তাত্বিক ভাবে কিছুটা বেশি সুবিধা পেত আফগানিস্তান কিন্তু ভারতীয় বোলারেরা
আফগানিস্তানকে ২৭২ রানে আটকে রাখে
|
৫ কারণ: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে কী ভাবে হারাল ভারত
|
৫ কারণ: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে কী ভাবে হারাল ভারত
|
পুর ওয়েবসাইটে উঠতে পারে বিপজ্জনক বাড়ির তালিকা
|
সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি: কাদের
|
politics
|
স্টাফ রিপোর্টার : শীত-গ্রীষ্ম পেরিয়ে এখন বিএনপি শরতে এসে সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পরাশ্রয়ী আন্দোলন নির্ভর বিএনপি দেশের বিদ্যমান স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা আগেই আশংকা প্রকাশ করেছিলাম, ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে ক্যাম্পাসগুলোকে উত্তপ্ত করতে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছাত্র-শিক্ষকরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ঠুনকো অজুহাতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িক দানবদের সাথে নিয়ে বিএনপি অতিদানবীয় অপতৎপরতা চালাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা সরকার নয়, বিএনপিই হচ্ছে আসল দানবীয় শক্তি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ জনমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে, আর বিএনপি এনে দিয়েছিলো পরনির্ভরতার শৃংখল। সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশ বিএনপির কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করতে চেয়েছে, কিন্তু তারা কোন আইন- কানুনের তোয়াক্কা না করে সংঘাতের মাধ্যমে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা করতে চেয়েছিলো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী, সরকার সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পক্ষে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করে আসছে, ভবিষ্যতেও করে আসবে। তিনি বলেন, কর্মসূচিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের উপাদান যুক্ত হলে জনস্বার্থে পদক্ষেপ নিতে হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের এখন আর কোন অবজেক্টিভ শর্ত বিরাজমান নেই, বিএনপির সাবজেক্টিভ প্রস্তুতি কি আছে তা গত একযুগ ধরে মানুষ দেখে আসছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির আন্দোলন এখন কথানির্ভর মিডিয়া সর্বস্ব। অন্যান্য প্রশ্নের মতো জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়েও বিএনপি মহাসচিব কখনও কোন প্রশ্নেরই জবাব দেন না। প্রশ্ন করলে মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে সামঞ্জস্যহীন জবাব দেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশ নাকি জেনারেল এরশাদ কাঁধে বহন করেছেন, এধরনের উত্তর দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেন ফখরুল সাহেব। তিনি বলেন, এরশাদ কফিন বহন করেছেন কিন্তু ভিতরে জিয়ার লাশ আছে- তাতো তিনি কখনো বলেননি। জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে তার লাশ রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছিলো কে, প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
সাম্প্রদায়িক দানবদের সাথে নিয়ে বিএনপি অতিদানবীয় অপতৎপরতা চালাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা সরকার নয়, বিএনপিই হচ্ছে আসল দানবীয় শক্তি তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ জনমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে, আর বিএনপি এনে দিয়েছিলো পরনির্ভরতার শৃংখল সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশ বিএনপির কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করতে চেয়েছে, কিন্তু তারা কোন আইন- কানুনের তোয়াক্কা না করে সংঘাতের মাধ্যমে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা করতে চেয়েছিলো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী, সরকার সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পক্ষে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করে আসছে, ভবিষ্যতেও করে আসবে তিনি বলেন, কর্মসূচিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের উপাদান যুক্ত হলে জনস্বার্থে পদক্ষেপ নিতে হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের এখন আর কোন অবজেক্টিভ শর্ত বিরাজমান নেই, বিএনপির সাবজেক্টিভ প্রস্তুতি কি আছে তা গত একযুগ ধরে মানুষ দেখে আসছে
|
গণ-অভ্যুত্থান করে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি
|
গণ-অভ্যুত্থান করে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি
|
বিরোধীদের হাঁটুতে মারার নিদান তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের
|
ইসরায়েলি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ও জলপাই বাগানে আগুন
|
international
|
ছবির উৎস, Getty Images ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় ফিলিস্তিনিদের পুড়ে যাওয়া গাড়ি ইসরায়েলে সম্প্রতি চারজন ইসরায়েলিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেশ ক’টি ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামে বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের জলপাই বাগান ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’জন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি পেট্রোল পাম্পে ইসরায়েলিদের উপর গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রায় ১০০ জন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ফিলিস্তিনি শহর হুওয়ারাতে তাণ্ডব চালায় বলে জানা গেছে। এই শহরেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুই ইসরায়েলি ভাইকে হত্যার পর বসতি স্থাপনকারীরা বড় ধরনের প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালিয়েছিল। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অবৈধ বলে বিবেচনা করে পশ্চিম তীরের এমন একটি বসতিতে শত শত ইহুদি সেটেলার জড়ো হয়। তাদের দাবি, মঙ্গলবারের আক্রমণের পাল্টা হিসেবে সেখানে নতুন বসতি স্থাপন অনুমোদন করতে হবে। আরেকটি শহর জেনিনে সোমবার একটি বড় ইসরায়েলি অভিযানের সময় আহত ১৫-বছর বয়সী এক কিশোরী বুধবার সকালে মারা গেছে। ঐ অভিযানে এর আগে সাত জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ছবির উৎস, Getty Images ইহুদি বসতি ইলাইতে এই পেট্রোল পাম্পের ওপর ফিলিস্তিনি হামলা হয় মঙ্গলবার ইলাই নামে একটি ইহুদি বসতির বাইরে একটি রেস্তোরাঁ ও পেট্রোল স্টেশনে দুই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী হামলা চালালে একটি কিশোরসহ চারজন ইসরায়েলি মারা যায়। এছাড়া আরও চার ব্যক্তি আহত হয়, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন হামাস বলছে, হামলাকারীরা তাদের সদস্য। ঐ ঘটনায় একজন সশস্ত্র ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়, অন্যজন একটি চুরি করা গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায় এবং পরে তুবাস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়। পশ্চিম তীরে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "মর্মান্তিক এবং ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলা" হামলার বিরুদ্ধে তাদের "সব ধরনের বিকল্প পথ খোলা" রয়েছে। হামাসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সোমবার জেনিনে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে সাত জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল এবং তার প্রতিশোধ হিসেবে ইলাই’তে হামলা চালানো হয়। ইলাই'তে গুলিবর্ষণের কয়েক ঘণ্টা পর ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা কাছাকাছি বেশ ক’টি ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামে আক্রমণ চালায়। তারা ইট-পাথর নিক্ষেপ করে এবং যানবাহন, সম্পত্তি এবং জলপাই বাগানে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবির উৎস, Getty Images জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান নাবলুস অঞ্চলের একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ঘাসান দাঘলাস বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় মোট ১৪০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে ৩৪ জন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক রাবার বুলেট এবং টিয়ার-গ্যাসের আঘাতে আহত হয়েছে বলে তিনি বলেন। ওদিকে, ফিলিস্তিনি হামলার ঢেউ সামাল দেয়ার জন্য ইসরায়েলের জোট সরকারের উগ্র ডানপন্থী দলগুলো উত্তর-পশ্চিম ফিলিস্তিনের একটি বড় সামরিক অভিযান শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গেভির সাংবাদিকদের বলেছেন, "বিমান থেকে টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডে ফিরে আসার, বোমা ব্যবহার করে ভবন ধ্বংস করার, রাস্তা অবরোধ করার, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করার এবং সন্ত্রাসীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার" দিন ফিরে এসেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী বা ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ১৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে জঙ্গিদের পাশাপাশি বেসামরিক মানুষও রয়েছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিদের হামলায় ইসরায়েলি পক্ষে মারা গেছে ২৭ জন, যার মধ্যে রয়েছে দু’জন বিদেশি এবং একজন ফিলিস্তিনি কর্মী। ছবির উৎস, Getty Images জেনিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত এক ফিলিস্তিনির মরদেহ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল
|
তাদের দাবি, মঙ্গলবারের আক্রমণের পাল্টা হিসেবে সেখানে নতুন বসতি স্থাপন অনুমোদন করতে হবে আরেকটি শহর জেনিনে সোমবার একটি বড় ইসরায়েলি অভিযানের সময় আহত ১৫-বছর বয়সী এক কিশোরী বুধবার সকালে মারা গেছে ঐ অভিযানে এর আগে সাত জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে ছবির উৎস, Getty Images ইহুদি বসতি ইলাইতে এই পেট্রোল পাম্পের ওপর ফিলিস্তিনি হামলা হয় মঙ্গলবার ইলাই নামে একটি ইহুদি বসতির বাইরে একটি রেস্তোরাঁ ও পেট্রোল স্টেশনে দুই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী হামলা চালালে একটি কিশোরসহ চারজন ইসরায়েলি মারা যায় এছাড়া আরও চার ব্যক্তি আহত হয়, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন হামাস বলছে, হামলাকারীরা তাদের সদস্য ঐ ঘটনায় একজন সশস্ত্র ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়, অন্যজন একটি চুরি করা গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায় এবং পরে তুবাস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয় পশ্চিম তীরে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "মর্মান্তিক এবং ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলা" হামলার বিরুদ্ধে তাদের "সব ধরনের বিকল্প পথ খোলা" রয়েছে
|
গোলপার্কে পরিত্যক্ত বাড়িতে আচমকাই আগুন, জানলা খুলতেই বেরিয়ে এল জমাট কালো ধোঁয়া
|
ভারতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৬
|
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা সাবধান, এই ভার্সনটি থেকে দুরে থাকুন
|
স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে পথ হাঁটলেন আদিবাসী যুবক
|
national
|
অটোর মধ্যেই প্রাণ হারান গুরুতর অসুস্থ স্ত্রী। অটোচালক রাজি হয়নি মৃতদেহ নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে। পকেটে নেই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার মতো টাকা। অগত্যা স্ত্রীকে কাঁধে চড়িয়েই বাড়ির পথে পাড়ি দিয়েছিলেন ওডিশার কোরাপুটের বাসিন্দা বছর তেত্রিশের আদিবাসী যুবক এডে সামুলু। সেই দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা খবর দেন থানায়। পুলিশ ইন্সপেক্টর সহ পুলিশকর্মীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং হস্তক্ষেপে জোগাড় হয় অ্যাম্বুলেন্স। তাতে চড়ে মৃত স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন এডে। প্রায় একইসময়ে সংসদে দাঁড়িয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার কদর্য বুক চাপড়ানি শোনা যায় নরেন্দ্র মোদীর মুখে। ঘটনাচক্রে মাত্র ছয় মাস আগে ঘটা করে উদযাপিত হয়েছে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস- ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’! ঘটনার সূত্রপাত অন্ধ্রপ্রদেশে। ওডিশার কোরাপুট জেলার সোরাডা গ্রামের বাসিন্দা এডে সামুলু এবং তাঁর স্ত্রী এডে গুরু। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের সাঙ্গিভালাসার এক হাসপাতালে গুরুকে ভর্তি করেন সামুলু। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা সামুলুকে স্ত্রীকে বাড়ি ফেরত নিয়ে যেতে বলেন। সেই মতো একটি অটোরিক্সা করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। মাঝরাস্তায়, ভিজিয়ানগরমের কাছে প্রাণ হারান এডে গুরু। বাকি পথ মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন অটোচালক। তাঁকে ২হাজার টাকা দেওয়ার পরে কানাকড়িও অবশিষ্ট ছিলনা সামুলুর কাছে। অগত্যা স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়েই হাঁটতে শুরু করেন সামুলু। সেই দৃশ্য দেখে ভিজিয়ানগরম থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর থানার ইন্সপেক্টর টিভি তিরুপতি রাও এবং সাব ইন্সপেক্টর কিরণ কুমার নাইডু ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে অ্যাম্বুলেন্সের বন্দোবস্ত করেন। তাতে চড়েই অবশেষে বাড়ি ফেরেন গুরু এবং সামুলু। এই ঘটনা থেকেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র স্পষ্ট। ২০২২ সালে দাঁড়িয়েও অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি পরিষেবা দেশের গরীব মানুষের নাগালের বাইরে। ঘটনাচক্রে ভুক্তভুগীদের অধিকাংশই আদিবাসী, তপশিলী জাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্ত। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে চড়িয়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছিল ক্রান্তির বাসিন্দা বাবা-ছেলেকে। তাঁদের সাহায্য করার অপরাধে গ্রেপ্তার হতে হয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তাকে। বিগত কয়েক বছরে দেশের আরও বেশ কিছু প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে একই ছবি। ২০১৬ সালে কালাহান্ডির দানা মাঝির ঘটনা আলোড়ন ফেলেছিল বিশ্ব জুড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের এই বুনিয়াদি সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি। সেই পথে না হেঁটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ঢালাও বেসরকারীকরণ করে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। তারফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্রমেই দেশের সিংহভাগ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো অধিকাংশ রাজ্যও কেন্দ্রের এই পথের পথিক। ব্যতিক্রম কেবলমাত্র কেরালার মতো হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্য। তারফলেই প্রায় নিয়মিত এই ধরণের ঘটনার কথা সামনে আসছে।
|
২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে চড়িয়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছিল ক্রান্তির বাসিন্দা বাবা-ছেলেকে তাঁদের সাহায্য করার অপরাধে গ্রেপ্তার হতে হয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তাকে বিগত কয়েক বছরে দেশের আরও বেশ কিছু প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে একই ছবি ২০১৬ সালে কালাহান্ডির দানা মাঝির ঘটনা আলোড়ন ফেলেছিল বিশ্ব জুড়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের এই বুনিয়াদি সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি সেই পথে না হেঁটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ঢালাও বেসরকারীকরণ করে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার তারফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্রমেই দেশের সিংহভাগ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মতো অধিকাংশ রাজ্যও কেন্দ্রের এই পথের পথিক ব্যতিক্রম কেবলমাত্র কেরালার মতো হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্য তারফলেই প্রায় নিয়মিত এই ধরণের ঘটনার কথা সামনে আসছে
|
আদিবাসী মহিলার গলা কাটা দেহ উদ্ধার
|
মাতৃত্বকালীন ফোটোশ্যুট করে তাক লাগালেন বিপাশা! যেন সোনামের দেখানো পথেই হাঁটলেন অভিনেত্রী
|
সিরিয়ালের চটজলদি ওঠাপড়া, বন্ধ হয়ে যাওয়া কতটা ভয় পাওয়ায় শীর্ষে থাকা জগদ্ধাত্রীকে?
|
Reliance Jio Oppo Monsoon offer: পাওয়া যাবে ৪৯০০ টাকার ক্যাশব্যাক
|
technology
|
খেলার মরশুমের অফারের মাঝেই রিলায়েন্স জিওর মনসুন অফার। সম্প্রতি Oppo র সঙ্গে নতুন অফারে গাঁটছড়া বেঁধেছে জিও। নতুন Oppo মডেল ও RealMe কিনলে, পাশাপাশি জিও পরিষেবায় সাবসাক্রাইব করলে ফোরজি স্পিডের ৩.২ টিবি সহ পাওয়া যাবে ৩৯ মাসে ৪,৯০০ টাকার ক্যাশব্যাক। এই অফার চলবে ২৮ জুন থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর অবধি। তবে অফার ক্রেডিটেড হবে ১২৯ বা ২৯৯ টাকার প্রথমবারের রিচার্জের পর। #JioDoubleDhamaka. Get double data on your recharge via MyJio App and @PhonePe_ wallet. Know more https://t.co/NFgbeGb5hA#WithLoveFromJio pic.twitter.com/KEjitGpDKC — Reliance Jio (@reliancejio) June 13, 2018 With all your friends,On your vacation,At the party,On your big days! Bring memories to life with Realme 1’s AI-powered 8MP front & 13MP rear camera. Live each moment to the fullest: https://t.co/IQWfpFcvkh pic.twitter.com/5bbJ5E4BYH — Realme (@realmemobiles) June 28, 2018 নতুন হোক বা পুরোনো, Oppo মনসুন অফারের আওতায় মিলবে একাধিক সুবিধা। প্রথম ১৯৮/২৯৯ টাকার রিচার্জ করলে প্রথম ধাপে নগদ ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে ১,৮০০ টাকা। তারপর বাকি টাকা ৩৬ বার ক্যাশব্যাক ভাউচার হিসাবে ক্রেডিটেড হবে আপনার জিও মানিতে, প্রত্যেকবারের টাকার অঙ্ক থাকবে ৫০ টাকা। ১৩ মাসের মধ্যে তিনবার কাজে লাগাতে পারবেন এই টাকা। 2017 is just around the corner. Celebrate New Year with the #SelfieExpert pic.twitter.com/OaqWdtH6XM — OPPO (@oppo) December 29, 2016 প্রথমে ১৯৮/২৯৯ টাকার রিচার্জ করলে প্রথম নগদ ৬০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন ১৩, ২৬ ও ৩৯ তম রিচার্জের পর। তার জন্য আপনাকে প্রত্যেক মাসে ২৯৮ টাকার রিচার্জ করতে হবে। একইসঙ্গে ১,৩০০ টাকা অবধি ছাড় পাওয়া যাবে মেক মাই ট্রিপে। প্রথম রিচার্জের সময়সীমা থাকবে ২৮ দিন। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Reliance jio oppo monsoon offer benefits 4900 4g data
|
তবে অফার ক্রেডিটেড হবে ১২৯ বা ২৯৯ টাকার প্রথমবারের রিচার্জের পর #JioDoubleDhamaka. Get double data on your recharge via MyJio App and @PhonePe_ wallet. Know more https://t.co/NFgbeGb5hA#WithLoveFromJio pic.twitter.com/KEjitGpDKC — Reliance Jio (@reliancejio) June 13, 2018 With all your friends,On your vacation,At the party,On your big days! Bring memories to life with Realme 1’s AI-powered 8MP front & 13MP rear camera. Live each moment to the fullest: https://t.co/IQWfpFcvkh pic.twitter.com/5bbJ5E4BYH — Realme (@realmemobiles) June 28, 2018 নতুন হোক বা পুরোনো, Oppo মনসুন অফারের আওতায় মিলবে একাধিক সুবিধা প্রথম ১৯৮/২৯৯ টাকার রিচার্জ করলে প্রথম ধাপে নগদ ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে ১,৮০০ টাকা তারপর বাকি টাকা ৩৬ বার ক্যাশব্যাক ভাউচার হিসাবে ক্রেডিটেড হবে আপনার জিও মানিতে, প্রত্যেকবারের টাকার অঙ্ক থাকবে ৫০ টাকা
|
৫,৪০০ টাকার ক্যাশ ব্যাক মিলবে ২৯৯ টাকার রিচার্জে
|
Reliance Jio offer: JioFi কিনলে ৫০০ টাকার ক্যাশব্যাক
|
স্থান হইল না
|
ভারতে বাসস্ট্যান্ডের নাম ‘বাংলাদেশ’
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি বাসস্ট্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের থানে জেলার পশ্চিম ভাঈন্দরের উত্তান চক এলাকায় ‘ইন্দিরা নগর’ বাসস্ট্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করে মিরা-ভাঈন্দর পৌরসভা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, অনেক বাঙালি থাকার কারণে অনেকেই এলাকাটিকে ‘বাংলাদেশ’ বলে ডাকতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে বাঙালি মানুষের আধিক্য বাড়তে থাকায় এলাকাটি ‘বাংলাদেশ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। মিরা-ভাঈন্দর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় বসবাসকারীদের আধার কার্ড, বিদ্যুৎ বিল, এমনকি পৌরসভার কাছ থেকে পাওয়া সরকারি বাড়িতেও তারা ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি ব্যবহার করছেন। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসস্ট্যান্ডকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৬ জুন) নামের সেই ফলকটি সামনে আসে। এর আগে, ভারতের জম্মু এবং কাশ্মীরে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি গ্রামের খোঁজ পাওয়া যায়। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসস্ট্যান্ডকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করা হয়েছে গত শুক্রবার (১৬ জুন) নামের সেই ফলকটি সামনে আসে এর আগে, ভারতের জম্মু এবং কাশ্মীরে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি গ্রামের খোঁজ পাওয়া যায়
|
বাংলাদেশ যেতে এখন অভিবাসনের স্লট বুকিং অ্যাপে
|
প্রত্যাশার, প্রাপ্তির বাজেট
|
গণতন্ত্র বিগড়ানোর কল
|
ভাড়া বাকি, নওয়াজ়উদ্দিনের স্ত্রী আলিয়াকে দুবাইয়ের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ সে দেশের সরকারের
|
entertainment
|
বলিউড অভিনেতা নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির দাম্পত্য ভেঙেছে। দুবাইয়ে থাকেন আলিয়া, নওয়াজ থাকেন মুম্বইয়ে। এ বার সন্তানদের নিয়ে বিপদে পড়লেন আলিয়া। দুবাই সরকারের তরফে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার আইনি নোটিস পেলেন তিনি। দুবাইয়ের যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন আলিয়া, ভারতীয় মুদ্রায় তার আনুমানিক ভাড়া প্রায় ৬ লাখ টাকা। সেই ভাড়া মেটাতে পারছেন না অভিনেতার স্ত্রী। সেই কারণে বাড়ি খালি করে দেওয়ার আইনি নোটিস পাঠিয়েছে সে দেশের সরকার। দুবাইয়ের রেন্টাল ডিসপিউট সেন্টার থেকে পাঠানো হয়েছে এই নোটিস। শুক্রবার ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করেন আলিয়া। তাঁর দাবি, ভাড়া বাড়ির চুক্তি নওয়াজ়ের নামে হওয়ার কথা। সেটা না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভাড়া মেটাতে পারছেন না। সে দেশে না থেকেও এই ঘটনায় আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েছেন নওয়াজ়ও। বম্বে হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী আলিয়ার দুবাইয়ের বাড়ির ভাড়া নওয়াজ়ের দেওয়ার কথা। দিন কয়েক আগেই ছেলে-মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দুবাই যান অভিনেতা। সেই সময় আলিয়া জানান, দুবাইয়ের ভাড়া বাড়ি নওয়াজ়ের নামে নামেই হোক। কারণ, বাড়িভাড়া সংক্রান্ত যদি কোনও অসুবিধা হয়, সে ক্ষেত্রে নওয়াজ় তার খেয়াল রাখতে পারবেন। পাশাপাশি আলিয়া জানিয়েছেন, সমস্ত রকম আর্থিক সহায়তা করছেন নওয়াজ়। তিনি শুধু চান, বাড়ি ভাড়ার এগ্রিমেন্টটা তাঁর বদলে নওয়াজ়ের নামে করা হোক। দাম্পত্য কলহের জেরে একাধিক বার আদালতে চক্কর কাটতে হয়েছে দু’জনকেই। এই মুহূর্তে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দুবাইয়ে থাকেন আলিয়া। সেখানকার স্কুলেই পড়াশোনা করছেন দুই সন্তান। নওয়াজ় থাকেন মুম্বইতে। এই মুহূর্তে ‘হাড্ডি’র প্রচারে ব্যস্ত অভিনেতা।
|
পাশাপাশি আলিয়া জানিয়েছেন, সমস্ত রকম আর্থিক সহায়তা করছেন নওয়াজ় তিনি শুধু চান, বাড়ি ভাড়ার এগ্রিমেন্টটা তাঁর বদলে নওয়াজ়ের নামে করা হোক দাম্পত্য কলহের জেরে একাধিক বার আদালতে চক্কর কাটতে হয়েছে দু’জনকেই এই মুহূর্তে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দুবাইয়ে থাকেন আলিয়া সেখানকার স্কুলেই পড়াশোনা করছেন দুই সন্তান নওয়াজ় থাকেন মুম্বইতে এই মুহূর্তে ‘হাড্ডি’র প্রচারে ব্যস্ত অভিনেতা
|
দুবাইয়ে আটকে থাকা পরিচারিকাকে হুমকি! নওয়াজ়ের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ আলিয়ার আইনজীবীর
|
পাকাপাকি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নওয়াজ়উদ্দিনের, অবশেষে কোন শর্তে রাজি হলেন স্ত্রী আলিয়া?
|
অফিসে গিয়ে প্রায়ই বাইরের খাবার খান? অনিয়ম সত্ত্বেও সুস্থ থাকার উপায় কী?
|
জাহাজের কেবিন থেকে ঘরের চার দেওয়ালে বন্দি, বিবর্তনের ‘কোয়ারেন্টাইন’
|
editorial
|
সুচেতা সেনগুপ্ত: সংস্পর্শে বা স্পর্শে এক দেহ থেকে আরেক দেহে ছড়িয়ে পড়ে জীবাণু। তাই সংক্রমিত রোগী সে অর্থে সকলের সঙ্গে থাকতে পারেন না। তাঁর ঠাঁই হয় না ঘরে, প্রিয়জনদের সঙ্গে। আবার শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই কেউ দূরে ঠেলে দেন আত্মীয়কে। যেমনটা হয়েছে মালদহে। বাড়িতে স্থান হয়নি। বাড়ি থেকে দূরে একফালি নৌকা, সেখানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। এই ঘটনা আমাদের অবাক করেছে। কিন্তু জানেন কি কোয়ারেন্টাইনের সূত্রপাত এই জলেই? আসুন, সেই শুরুর সময়ে একবার ফিরে দেখা যাক। কোয়ারেন্টাইনের ধারক এবং বাহক কিন্তু মূলত জাহাজ। ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে সমুদ্রপথে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য হত। সেসময় কোনও ছোঁয়াচে রোগ (প্লেগ, কলেরা) ঠেকাতে সফরের মাঝপথে জাহাজ থামিয়ে নাবিক, যাত্রীদের জাহাজের মধ্যে আটকে রাখা হত। সেটাই ‘কোয়ারেন্টাইন’ (Quarentine)। এর মূল শব্দ কোয়ারেন্টেন, অর্থাৎ ৪০ দিন। সেসময় রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে মোটামুটি এরকম দীর্ঘ সময় লেগেই যেত। সংক্রামক ব্যাধি হলে তো কথাই নেই। আরও সাবধানতার জন্য ৪০ দিনের একটা পৃথক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হচ্ছিলেন নৌযাত্রীরা। পরবর্তী সময়ে অষ্টাদশ শতকে এশিয়ায় কলেরা, উনবিংশ শতকে স্পেনে পীতজ্বর (Yellow fever) সংক্রামক হয়ে ছড়িয়ে পড়তেই ফের কোয়ারেন্টাইনের বেড়াজালে বন্দি হয়ে পড়ে মানুষের জীবন। সেই থেকে আজও এ ধরনের কোনও রোগের ক্ষেত্রে এই ধাপ পেরতেই হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ৪২ বা ৪৯ দিনই কোয়ারেন্টাইনের সম্পূর্ণ সময়সীমা। আজকের যুগে তা কমে ১৪ বা ২১ দিনে দাঁড়িয়েছে। তখনকার বাণিজ্যতরী থেকে আজকের প্রমোদতরী – ডায়মন্ড প্রিন্সেস, ‘কোয়ারেন্টাইনড শিপ’-এর তকমা লাগছে সবকটির গায়ে। বাংলা সাহিত্যেও কিন্তু এই ভেনিশিয়ান শব্দের প্রয়োগ মেলে। স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ এই শব্দ ব্যবহার করেছিলেন তাঁর সুবিখ্যাত গ্রন্থ ‘পরিব্রাজক’-এ। যদিও স্বামীজির স্কটিশ উচ্চারণে ইউরোপিয়ান শব্দটি একটু অন্যরকম ছিল – কারাঁটীন। স্কটিশচার্চ কলেজের ছাত্র নরেন তাঁর স্কট অধ্যাপকদের থেকে এ ধরনের উচ্চারণই শিখেছিলেন। সে যাই হোক, ১৮৯৯ সালে দ্বিতীয়বার তিনি যখন ইউরোপ ভ্রমণে যান, সেসময়
প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। সুয়েজ বন্দরে আটকে যায় তাঁর জাহাজ। কোয়ারেন্টাইন করা হয় যাত্রীদের। সেই অভিজ্ঞতার কথা স্বামীজি প্রতিদিন লিখে পাঠাতেন এখানে। তাঁর সেই দিনলিপি ‘বিলাতযাত্রীর ডায়েরি’ নামে প্রকাশিত হয় ‘উদ্বোধন’ পত্রিকায়। পরবর্তী সময়ে এই সংকলনই বই আকারে বেরয়। বহুবিখ্যাত সেই বইয়ের নাম – ‘পরিব্রাজক’। তো সেখানে স্বামীজি লিখছেন – “রাত্রিতে জাহাজ অনায়াসেই খাল পার (পডুন সুয়েজ ক্যানাল) হতে পারে যদি সামনে বিজলী-আলো পায়, কিন্তু সে আলো পরাতে গেলে সুয়েজের লোককে জাহাজ ছুঁতে হবে। বস্, দশদিন কারাঁটীন (quarentine)।” এই লেখা থেকেই স্পষ্ট, তাঁকেও দশদিনের কোয়ারেন্টাইনের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল সুয়েজ বন্দরে জাহাজে বন্দি থেকে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘শ্রীকান্ত’র দ্বিতীয় পর্বে জলপথে শ্রীকান্তর রেঙ্গুন যাত্রার বর্ণনায় উঠে এসেছে ‘কোয়ারেন্টাইন’ শব্দটি। সেখানে লেখা – “পরদিন বেলা এগার-বারটার মধ্যে জাহাজ রেঙ্গুনে পৌঁছিবে; কিন্তু ভোর না হইতেই সমস্ত লোকের মুখচোখে একটা ভয় ও চাঞ্চল্যের চিহ্ন দেখা দিল। চারিদিক হইতে একটা অস্ফুট শব্দ কানে আসিতে লাগিল, কেরেন্টিন্। খবর লইয়া জানিলাম, কথাটা quarantine: তখন প্লেগের ভয়ে বর্মা গভর্নমেন্ট অত্যন্ত সাবধান। শহর হইতে আট-দশ মাইল দূরে একটা চড়ায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়া খানিকটা স্থান ঘিরিয়া লইয়া অনেকগুলি কুঁড়েঘর তৈয়ারি করা হইয়াছে; ইহারই মধ্যে সমস্ত ডেকের যাত্রীদের নির্বিচারে নামাইয়া দেওয়া হয়। দশদিন বাস করার পর, তবে ইহারা শহরে প্রবেশ করিতে পায়।” এভাবেই ‘কোয়ারেন্টাইন’ শব্দের সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হয়েছি আমরা, আজ যে শব্দ মুখে মুখে ঘুরছে।
|
বাড়িতে স্থান হয়নি বাড়ি থেকে দূরে একফালি নৌকা, সেখানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এক বৃদ্ধ এই ঘটনা আমাদের অবাক করেছে কিন্তু জানেন কি কোয়ারেন্টাইনের সূত্রপাত এই জলেই? আসুন, সেই শুরুর সময়ে একবার ফিরে দেখা যাক কোয়ারেন্টাইনের ধারক এবং বাহক কিন্তু মূলত জাহাজ ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে সমুদ্রপথে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য হত সেসময় কোনও ছোঁয়াচে রোগ (প্লেগ, কলেরা) ঠেকাতে সফরের মাঝপথে জাহাজ থামিয়ে নাবিক, যাত্রীদের জাহাজের মধ্যে আটকে রাখা হত সেটাই ‘কোয়ারেন্টাইন’ (Quarentine) এর মূল শব্দ কোয়ারেন্টেন, অর্থাৎ ৪০ দিন সেসময় রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে মোটামুটি এরকম দীর্ঘ সময় লেগেই যেত সংক্রামক ব্যাধি হলে তো কথাই নেই আরও সাবধানতার জন্য ৪০ দিনের একটা পৃথক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হচ্ছিলেন নৌযাত্রীরা পরবর্তী সময়ে অষ্টাদশ শতকে এশিয়ায় কলেরা, উনবিংশ শতকে স্পেনে পীতজ্বর (Yellow fever) সংক্রামক হয়ে ছড়িয়ে পড়তেই ফের কোয়ারেন্টাইনের বেড়াজালে বন্দি হয়ে পড়ে মানুষের জীবন সেই থেকে আজও এ ধরনের কোনও রোগের ক্ষেত্রে এই ধাপ পেরতেই হয় বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ৪২ বা ৪৯ দিনই কোয়ারেন্টাইনের সম্পূর্ণ সময়সীমা
|
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর
|
ফাইনালে গেল কুমিল্লা ও বরিশাল
|
রানে ফিরেই জোড়া মাইলফলক স্পর্শ রাহুলের, কী কী নজির গড়লেন লখনউ অধিনায়ক?
|
যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বন্দুক হামলা, প্রাণ হারালেন তিন ফুটবলার
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ায়। এই হামলায় ৩ জন ফুটবল খেলোয়াড় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই জন। নিহতরা হলেন, ভার্জিনিয়া বিচের বাসিন্দা ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ডেভিন চ্যান্ডলার, ফ্লোরিডার মায়ামির বাসিন্দা ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ডি’শন পেরি এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনার রিচ হিল থেকে আসা তৃতীয় বর্ষের ছাত্র লাভেল ডেভিস। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত তিনজনই ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দলের সদস্য। স্থানীয় সময় গত রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে এবং এতে আরও দু’জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ জানায়, নিহতদের মৃতদেহ একটি চার্টার বাসের ভেতরে পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি পার্কিং গ্যারেজে বাসটি টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা করা হয়। অভিযুক্ত হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যা ও হ্যান্ডগান ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ তাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত হামলার সম্ভাব্য কোনও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়নি। এই ঘটনায় সোমবার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম জানিয়েছে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম ক্রিস্টোফার ডার্নেল জোনস জুনিয়র। ২২ বছর বয়সী এই যুবক একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি জিম রায়ান বলেছেন, ‘ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি বিধ্বস্ত।’ বিবিসি বলছে, ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন নম্বরে স্থান দেয়া হয়ে থাকে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে নিহত তিনজনই ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দলের সদস্য স্থানীয় সময় গত রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে এবং এতে আরও দু’জন আহত হয়েছেন স্থানীয় পুলিশ জানায়, নিহতদের মৃতদেহ একটি চার্টার বাসের ভেতরে পাওয়া গেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি পার্কিং গ্যারেজে বাসটি টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা করা হয় অভিযুক্ত হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যা ও হ্যান্ডগান ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে
|
Mysterious Death: যুবকের মৃতদেহ শনাক্ত হতেই গ্রেপ্তার তিন, দায়ের খুনের মামলা
|
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে স্কুলে বন্দুক হামলা, নিহত ৩
|
স্বামীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করার অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী
|
ধর্ম নিয়ে ‘নিন্দনীয় বিষয়’ না সরানোর শাস্তি, পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হল উইকিপিডিয়া
|
lifestyle
|
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মবিরুদ্ধ বিষয় নিয়ে লেখা প্রবন্ধ সরাতে হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। উইকিপিডিয়াকে এমন নির্দেশই দিয়েছিল পাকিস্তান টেলিকমিুনিকেশন অথরিটি (PTA)। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারির পরও পদক্ষেপ করা হয়নি। আর তাই দেশে উইকিপিডিয়াকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান বলে খবর। টুইটারে পিটিএ জানায়, “ধর্মদ্রোহ বিষয়ক প্রবন্ধ ব্লক করা অথবা মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল উইকিপিডিয়াকে (Wikipedia)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। শুধু তাই নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে পিটিএ-র নির্দেশকে অমান্য করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়ার পরেও নিন্দনীয় বিষয়গুলি সরানো হয়নি। সেই কারণেই দেশে উইকিপিডিয়াকে নিষিদ্ধ করা হল।” হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই এমনটা করার অনুমতি পেয়েছে পিটিএ বলে খবর। ধর্মদ্রোহ নিয়ে যাবতীয় লেখা উইকিপিডিয়া সরাচ্ছে কি না, কিংবা কতক্ষণে তাদের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে কি না। এমনটাই জানায় পিটিএ। প্রসঙ্গত, উইকিপিডিয়া হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বের যে কোনও বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন ভলান্টিয়াররা। যা নিখরচায় অনলাইনে পড়তে পারেন প্রত্যেকে। Press Release: PTA has degraded Wikipedia services in the country on account of not blocking / removing sacrilegious contents. pic.twitter.com/h6ZWuf8TnR — PTA (@PTAofficialpk) February 1, 2023 মজার বিষয় হল, শুধু পাকিস্তানে নয়, প্রায় একই কারণে চিন, ইরান, মায়ানমার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া, টিউনিশিয়া, তুরস্ক, উজবেকিস্তান ও ভেনিজুয়েলাতেও নিষিদ্ধ উইকিপিডিয়া। এর আগে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণে ফেসবুক ও ইউটিউবের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পাকিস্তান। যদিও উইকিপিডিয়াকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ডিজিটাল রাইটস কর্মীরা। Highlights
|
এমনটাই জানায় পিটিএ প্রসঙ্গত, উইকিপিডিয়া হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বের যে কোনও বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন ভলান্টিয়াররা যা নিখরচায় অনলাইনে পড়তে পারেন প্রত্যেকে Press Release: PTA has degraded Wikipedia services in the country on account of not blocking / removing sacrilegious contents. pic.twitter.com/h6ZWuf8TnR — PTA (@PTAofficialpk) February 1, 2023 মজার বিষয় হল, শুধু পাকিস্তানে নয়, প্রায় একই কারণে চিন, ইরান, মায়ানমার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া, টিউনিশিয়া, তুরস্ক, উজবেকিস্তান ও ভেনিজুয়েলাতেও নিষিদ্ধ উইকিপিডিয়া এর আগে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণে ফেসবুক ও ইউটিউবের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পাকিস্তান যদিও উইকিপিডিয়াকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ডিজিটাল রাইটস কর্মীরা
|
আপত্তিকর নিবন্ধের অভিযোগ, পাকিস্তানে বন্ধ উইকিপিডিয়া
|
জাপানের কাছেও হার, সরানো হল জার্মানির কোচ ফ্লিককে
|
প্রথম সারির বিমান সংস্থার চাকরি ছেড়ে অভিনয়, কী ভাবে যাত্রা শুরু ‘খেলনা বাড়ি’-র রণজিতের?
|
গাজোলে বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪, আহত ২৫
|
state
|
সোমবার সন্ধ্যায় মালদহের গাজোল একটি বেসরকারি বাস ব্রেকফেল করায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৫জন। মঙ্গলবার গাজোলে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে এই যাত্রীরা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছিলেন বলে জানা গেছে। মূলত হস্তশিল্পী, কারুশিল্পীদের এই বাসে করে আনা হচ্ছিলো। এদিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গাজোলের পান্ডুয়াতে দ্রুতগতিতে আসা এই বাসটি ব্রেকফেল করে দুটি বোলেরো গাড়িকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় পাশে একটি ডোবায় পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২৫ জন অন্তত আহত হয়েছেন। পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষজন। শেষ মুহূর্তে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েক জন নিখোঁজ, যারমধ্যে কয়েকটি শিশুও আছে। জনাপঞ্চাশ যাত্রীর মধ্যে প্রায় ২৫ জন আহত। আহতদের কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
|
দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২৫ জন অন্তত আহত হয়েছেন পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষজন শেষ মুহূর্তে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে
|
ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫
|
স্পেনে রেল দুর্ঘটনা, আহত ১৫৫ যাত্রী
|
ভারতীয় রাজনীতি: অনাস্থার দীর্ঘ ইতিহাস, ফেলেছিল সরকারও
|
আইআইটি বম্বের ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ‘কোটা ফ্যাক্টরি’তে ঢুকে নজর কাড়ছেন ‘অচেনা’ রঞ্জন
|
entertainment
|
আইআইটি বম্বের মতো নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পেলেও সেখানে মন টেকেনি। মাঝপথেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়া ছেড়েছুড়ে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজতে শুরু করেন। আপাতত ‘কোটা ফ্যাক্টরি’-তে ঢুকে নজর কাড়ছেন বিহারের সেই অখ্যাত বাসিন্দা রঞ্জন রাজ। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের বাধা পেরোতে বছর দুয়েক বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল রঞ্জনকে। বিহারের অরওয়াল জেলার তাঁদের পারিবারিক বসতি।
|
আইআইটি বম্বের মতো নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পেলেও সেখানে মন টেকেনি মাঝপথেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়া ছেড়েছুড়ে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজতে শুরু করেন
|
বিদেশে পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দেশে ফিরেছিলেন, বচ্চন পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
|
আইআইটি বম্বেতে খাবার নিয়ে ‘বৈষম্য’
|
জোকোভিচকে এগিয়ে রাখলেও উইম্বলডন জেতার দৌড়ে নিজেকে রাখছেন বিশ্বের এক নম্বর আলকারাজ
|
ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতি, পূরণ-অপূরণের চুলচেরা বিশ্লেষণ
|
editorial
|
সুতীর্থ চক্রবর্তী: সব রাজনৈতিক দলই ভোটের আগে তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করে। ইস্তেহার প্রকাশ করার ব্যাপারটি আমাদের গণতন্ত্রে একটা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইস্তেহারে যা যা লেখা হয়, তা যদি ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরে কোনও দল রূপায়িত করতে পারে, তাহলে দেশের অনেক মৌলিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে এমনটা ঘটে না। ১৯৫২ সাল থেকে আমাদের দেশে নির্বাচন হয়ে আসছে। দেশে দুই স্তরে নির্বাচন হয়। একটা সাধারণ নির্বাচন যেখানে দেশের সরকার গঠন হয়৷ আবার প্রতিটি রাজ্যের আলাদা নির্বাচন রাজ্য সরকার গঠনের জন্য। ইস্তেহার কিন্তু সব ভোটের ক্ষেত্রেই থাকে। এমনকী, এখন পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করে। এই সমস্ত ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির যোগফল নিলে দেখা যাবে যে সেগুলি রূপায়ণ করা একরকম অসম্ভব ব্যাপার। যে কোনও প্রকল্প রূপায়ণ করতে গেলে সরকারি অর্থের প্রয়োজন হয়। ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রূপায়ণ করতে গেলে সরকারের কোষাগার থেকে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হবে, সেই পরিমাণ অর্থ কোনও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের হাতে থাকে না। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তবুও কেন ইস্তেহারে মানুষকে গোলাপি স্বপ্ন দেখানো হয়? ভোটের আগে ইস্তাহার প্রকাশ না করতে পারলে রাজনৈতিক দলগুলির যেন প্রচার শুরু হয় না। ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠান ভোটের প্রচারের একটা অন্যতম হাতিয়ার। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নয় দফায় হয়েছিল। প্রথম দফার ভোটের দিন বিজেপি তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছিল। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস। সেই কারণে এই বছর নির্বাচন কমিশন আগাম ঘোষণা করে দিয়েছিল যে, ইস্তেহার ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে কোনওভাবেই প্রকাশ করা যাবে না। তাই দেখা গেল প্রথম পর্বের ভোটের তিন দিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা আগে বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল। নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের ক্ষেত্রে তৃণমূল অবশ্যই সবার আগে। ২৭ মার্চ সব দলের আগে তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ হয়েছে। যে দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই, তারাও তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করে। যেমন সিপিআই-সিপিএমের রাজনৈতিক অবস্থা এখন খুব খারাপ। এ রাজ্যে এবার তারা হয়তো একটি আসনও পাওয়ার জায়গায় নেই। দিল্লিতেও তাদের ক্ষমতার কাছে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু তারাও ঘটা করে তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। এইরকম আরও ছোট ছোট কয়েকটি দল তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে ইস্তেহার রচনা করা রাজনৈতিক দলগুলির রাজনৈতিক কর্মসূচির একটি অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। যদিও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ইস্তাহারে যা লেখা হয়ে থাকে, তা সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোটের আগে পৌঁছয় না। আমাদের রাজ্যে ইস্তেহার-সংস্কৃতি তুলনামূলকভাবে দেশের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়। ভোটের প্রচারে এসে বহু রাজনৈতিক দলকে দেখা যায় বাড়িতে বাড়িতে ইস্তেহার পৌঁছে দিতে। বাড়িতে বাড়িতে ইস্তাহার পৌঁছলেও সেটা ভোটাররা আদৌ উলটেপালটে দেখে কি না, সেই প্রশ্ন থেকে যায়। যারা ইস্তাহার পড়ে, তারাও সেটা এই ভেবে পড়ে না যে, যা লেখা হচ্ছে তা হুবহু আগামী পাঁচ বছর সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলটি ক্ষমতায় এলে পূরণ করবে। সাধারণ ভোটাররাও ইস্তাহারের বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে দেখে থাকে। কাকে ভোট দেবে– সেটা ঠিক করার মাপকাঠি হিসাবে নয়।
কোনও দলের ইস্তেহারে এটা বলা হয় না যে, পাঁচ বছর আগে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো কেন পূরণ করতে পারেনি বা কেন পূরণ করা সম্ভব হয়নি। যেমন এবার সব রাজনৈতিক দলের ইস্তেহারে গুরুত্ব পেয়েছে দেশের কৃষি সমস্যার কথা। দেশের এই কৃষি সংকট একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এর আগেও বিভিন্ন ভোটে রাজনৈতিক দলগুলি কৃষি সমস্যা সমাধানের কথা তাদের ইস্তেহারে বলেছে। কিন্তু সেই পথে কাজ করে কি কৃষি সমস্যা সমাধান করা গিয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর কোনও রাজনৈতিক দলের ইস্তেহারে মিলবে না। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের এমন কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে, যার সমাধান এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিঃসন্দেহে কাশ্মীর সমস্যা। এবারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইস্তাহারে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের প্রসঙ্গ এসেছে। কিন্তু অতীতে ইস্তেহারে দেওয়া নানা প্রতিশ্রুতির পরেও কেন এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি, সেই প্রশ্নের উত্তর কোথাও নেই। দারিদ্র সমস্যাও এইরকম একটি সমাধান না-হওয়া ইস্যু৷ পরিবেশ দূষণ এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা হলেও কোনও দলের ইস্তেহারেই তেমন গুরুত্ব পায়নি। রাজনৈতিক দলগুলি এ ব্যাপারে এতটা উদাসীনতা দেখায় – মনে হয়, এই কারণে যে, ভোটাররা ইস্তেহার গুরুত্ব দিয়ে পড়ে না। সব রাজনৈতিক দলেরই চেষ্টা থাকে ইস্তেহারের মধ্য দিয়ে একটা চমক তৈরি করার। ইস্তেহারে এমন কোনও একটি চমকপ্রদ ঘোষণা রাখা, যা সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হবে। সংবাদমাধ্যমে কোনও একটি বিষয়ে যদি কিছুদিন ধরে চর্চা হয়, তাহলে সেটা দ্রুত অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। যা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা মেলে এবং রাজনৈতিক দলগুলি সেই ধরনের একটা ফায়দা ইস্তাহার থেকে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। প্রতিটি ভোটের ক্ষেত্রে আমরা এই ধরনের দু’-একটি চমকপ্রদ ঘোষণা দেখতে পাই। ইস্তেহার রূপায়ণ করতে হবে এমন একটি বাধ্যবাধকতা যদি রাজনৈতিক দলগুলির থাকে, তাহলে ইস্তেহারে গোলাপি স্বপ্ন দেখানোর প্রবণতা কমবে। আমরা বাজেটের ক্ষেত্রে যেমন দেখি যে সরকার যে হিসাব দেয়, তার সঙ্গে বাস্তবে কী হল তারও উল্লেখ করতে হয়। অর্থাৎ সরকার কোনও বছরের বাজেটে যেমন বলে– সেই বছরে তাদের প্রস্তাবিত আয় কত ও প্রস্তাবিত ব্যয় কত, তেমন হিসাব দিতে হয় যে আগের বছরের প্রস্তাবিত আয়-ব্যয়ের কতটা বাস্তবে করা গিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে বাজেটের লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে সরকার কতটা সক্ষম হয়েছে। ইস্তেহারের ক্ষেত্রেও যদি এরকমটা করা যায় তাহলে মানুষের মূল্যায়নে সুবিধা হয়। পাঁচ বছর পর যখন একটি রাজনৈতিক দল তাদের নতুন ইস্তেহার প্রকাশ করছে, তখন তারা বলুক যে গত পাঁচ বছরে আগের ইস্তেহার রূপায়ণের ক্ষেত্রে তারা কতটা কী করতে পেরেছে। যে দল জিতে সরকারে যায়, তাদের ক্ষেত্রে এই বলার দায়টা অবশ্যই বেশি। কারণ শাসক দলকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রূপায়ণ করতে হয়। যারা বিরোধী থাকে তাদের উপরেও কিছুটা দায় বর্তায়। তাদের বলতে হবে তাদের দেওয়া ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতিগুলি নিয়ে তারা সরকারের উপর কতটা চাপ তৈরি করেছে। সেই ইস্যুগুলি নিয়ে জনগণের মধ্যে মতামত তৈরির ক্ষেত্রে তারা কতটা ভূমিকা নিয়েছে। ইস্তেহারের দাবিগুলো নিয়ে তারা কতটা মানুষের মধ্যে প্রচার করেছে, আন্দোলন করেছে। এই পদ্ধতি যদি চালু করা যায়, তাহলে একদিকে যেমন মানুষের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির দায়বদ্ধতা বাড়ে, তেমন দেশ ও গণতন্ত্রেরও মঙ্গল হয়৷ ভোটের আগে ইস্তেহার প্রকাশ না করতে পারলে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার শুরু হয় না। কিন্তু কোনও দলের ইস্তাহারেই বলা হয় না যে পাঁচ বছর আগে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো কেন পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ইস্তেহার রূপায়ণ করতে হবে– এমন একটি বাধ্যবাধকতা যদি রাজনৈতিক দলগুলির থাকে, তাহলে ইস্তেহারে গোলাপি স্বপ্ন দেখানোর প্রবণতা কমবে। Highlights
|
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তবুও কেন ইস্তেহারে মানুষকে গোলাপি স্বপ্ন দেখানো হয়? ভোটের আগে ইস্তাহার প্রকাশ না করতে পারলে রাজনৈতিক দলগুলির যেন প্রচার শুরু হয় না ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠান ভোটের প্রচারের একটা অন্যতম হাতিয়ার ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নয় দফায় হয়েছিল প্রথম দফার ভোটের দিন বিজেপি তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছিল এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস সেই কারণে এই বছর নির্বাচন কমিশন আগাম ঘোষণা করে দিয়েছিল যে, ইস্তেহার ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে কোনওভাবেই প্রকাশ করা যাবে না তাই দেখা গেল প্রথম পর্বের ভোটের তিন দিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা আগে বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের ক্ষেত্রে তৃণমূল অবশ্যই সবার আগে ২৭ মার্চ সব দলের আগে তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ হয়েছে যে দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই, তারাও তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করে যেমন সিপিআই-সিপিএমের রাজনৈতিক অবস্থা এখন খুব খারাপ এ রাজ্যে এবার তারা হয়তো একটি আসনও পাওয়ার জায়গায় নেই দিল্লিতেও তাদের ক্ষমতার কাছে যাওয়ার সম্ভাবনা কম কিন্তু তারাও ঘটা করে তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে এইরকম আরও ছোট ছোট কয়েকটি দল তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে সংসদীয় গণতন্ত্রে ইস্তেহার রচনা করা রাজনৈতিক দলগুলির রাজনৈতিক কর্মসূচির একটি অঙ্গ হয়ে গিয়েছে যদিও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ইস্তাহারে যা লেখা হয়ে থাকে, তা সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোটের আগে পৌঁছয় না আমাদের রাজ্যে ইস্তেহার-সংস্কৃতি তুলনামূলকভাবে দেশের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয় ভোটের প্রচারে এসে বহু রাজনৈতিক দলকে দেখা যায় বাড়িতে বাড়িতে ইস্তেহার পৌঁছে দিতে বাড়িতে বাড়িতে ইস্তাহার পৌঁছলেও সেটা ভোটাররা আদৌ উলটেপালটে দেখে কি না, সেই প্রশ্ন থেকে যায় যারা ইস্তাহার পড়ে, তারাও সেটা এই ভেবে পড়ে না যে, যা লেখা হচ্ছে তা হুবহু আগামী পাঁচ বছর সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলটি ক্ষমতায় এলে পূরণ করবে সাধারণ ভোটাররাও ইস্তাহারের বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে দেখে থাকে কাকে ভোট দেবে– সেটা ঠিক করার মাপকাঠি হিসাবে নয়
|
প্রতিশ্রুতির টোপ
|
ভুল ধারণা থেকেই বিদ্বেষ শুরু
|
কুভাষিণী
|
‘সবজির দাম বাড়ার জন্য দায়ি মুসলিমরা’, বেফাঁস মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক, পাল্টা ওয়াইসি-আজমল
|
politics
|
‘সবজির মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী মুসলিমরা”বেফাঁস কথা বলে বিতর্ক বাড়ালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। ফের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু বিতর্ক। আকাশছোঁয়া সবজির দাম। হাত পুড়ছে আম-আদমির। এর মাঝেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার আজব সাফাই, “যে সমস্ত বিক্রেতারা সবজির দর বাড়াচ্ছে এবং তাদের বেশিরভাগই মিঞা মুসলিম”। পাশাপাশি তিনি বলেন, “ফ্লাইওভারের নীচের বাজারটি খালি করা হবে। এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রচুর শাক-সবজি-ফলের দোকান রয়েছে”। ‘মিঞা মুসলিমের কারণে গুয়াহাটিতে সবজির দাম বাড়ছে। মিঞা মুসলমানদের শিকড় বাংলাদেশে”, এ কথা বলেছেন বিজেপির ফায়ার ব্র্যান্ড নেতা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সবজির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শর্মা বলেন, “যারা সবজির দাম বাড়িয়েছে তারা কারা? তারা মুসলমান ব্যবসায়ী, যারা বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন। সিএম শর্মা আরও বলেন, ‘গৌহাটিতে ঈদের সময় যানবাহনের সমস্যা দেখা দেয় কেন? কারণ বাস-ক্যাবের অধিকাংশ চালকই ‘মিঞা মুসলিম’। হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেছেন,“গুয়াহাটির বাজারে বাঙালি মুসলমানদের প্রচুর দোকান রয়েছে। তারা সবজি ও মাছের ব্যবসায় যুক্ত। এই বাঙালি মুসলমানদের সাধারণত অসমে ‘মিঞা’ বলা হয়। এটাই প্রথমবার নয়,এর আগেও শর্মা একাধিক ইস্যুতে ‘মিঞা মুসলিম’কে নিশানা করেছেন। গত বছর তিনি একটি ‘ মুসলিম মিউজিয়াম’ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, মিঞা জাদুঘরে ‘লুঙ্গি’ ছাড়া কিছুই নেই। দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে হিমন্ত শর্মা বলেছেন, ‘এই মুসলিম ব্যবসায়ীরা অসমের জনগণের কাছ থেকে বেশি দাম নেয়, গ্রামে গ্রামে কম দামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অসমিয়া হলে অসমের মানুষকে বেশি দামে সবজি কিনতে হত না। তিনি অসমের যুবকদের কাছে সবজি বিক্রি, বাস-ক্যাব চালানোর মত কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আবেদন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা বলেছেন “ফ্লাইওভারের নীচে অবস্থিত বাজারটি খালি করা হবে। বিপুল সংখ্যক মুসলিম ব্যবসায়ী এখানে দোকান বসান। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিলে অসমীয়রা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন”। আসলে গুয়াহাটিতে সবজির দাম দ্রুত বেড়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে শহরে সবজির দাম আকাশছোঁয়া । হিমন্ত শর্মার বক্তব্যের প্রেক্ষিপ্তে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘এই দেশে এমন একটি দল ক্ষমতায় রয়েছে , তারা যদি তাদের মহিষ দুধ দিচ্ছে না অথবা মুরগি ডিম দিচ্ছে না তাহলেও তারা মুসলমানদের দায়ী করবে। তারা তাদের সকল ব্যর্থতার জন্যই মুসলিম সমাজকে দায়ি করবে’। এআইইউডিএফ এমপি বদরুদ্দিন আজমল বলেছেন, ‘ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে মুসলমানদের গুয়াহাটিতে শাকসবজি এবং মশলা বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। তিনি রাজ্যের প্রধান। তার মুখে এই ধরনের কথা শোভা পায় না। তিনি মুসলমান ও অসমিয়াদের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছেন। এরপর কোন অঘটন ঘটলে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী থাকবেন’। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Himanta blames miyas for rocketing vegetable prices owaisi ajmal hit back
|
হাত পুড়ছে আম-আদমির এর মাঝেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার আজব সাফাই, “যে সমস্ত বিক্রেতারা সবজির দর বাড়াচ্ছে এবং তাদের বেশিরভাগই মিঞা মুসলিম” পাশাপাশি তিনি বলেন, “ফ্লাইওভারের নীচের বাজারটি খালি করা হবে এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রচুর শাক-সবজি-ফলের দোকান রয়েছে” ‘মিঞা মুসলিমের কারণে গুয়াহাটিতে সবজির দাম বাড়ছে মিঞা মুসলমানদের শিকড় বাংলাদেশে”, এ কথা বলেছেন বিজেপির ফায়ার ব্র্যান্ড নেতা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সবজির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শর্মা বলেন, “যারা সবজির দাম বাড়িয়েছে তারা কারা? তারা মুসলমান ব্যবসায়ী, যারা বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন সিএম শর্মা আরও বলেন, ‘গৌহাটিতে ঈদের সময় যানবাহনের সমস্যা দেখা দেয় কেন? কারণ বাস-ক্যাবের অধিকাংশ চালকই ‘মিঞা মুসলিম’ হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেছেন,“গুয়াহাটির বাজারে বাঙালি মুসলমানদের প্রচুর দোকান রয়েছে তারা সবজি ও মাছের ব্যবসায় যুক্ত এই বাঙালি মুসলমানদের সাধারণত অসমে ‘মিঞা’ বলা হয়
|
‘আসামে শাকসবজির আগুন দামের জন্যও মিঁয়া মুসলিমরাই দায়ী’
|
‘টিপু সুলতান’কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, মোদীকেই নিশানা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির
|
বুধের মাঝরাতে অচেনা মহিলাকে ফোন, শুক্রে স্ত্রীকে ‘সোনা’ ডাক, শুভঙ্কর কি শুদ্ধির পথ নিলেন
|
হোয়াটসঅ্যাপে আসা ভুয়ো খবর ধরবেন কীভাবে?
|
technology
|
১১ এপ্রিল থেকে শুরু সাধারণ লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে হোয়াটসঅ্যাপ লঞ্চ করল ‘টিপ লাইন’। হোয়াটসঅ্যাপে আসা খবর ভুয়ো বা গুজব কিনা তা জানতে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন +9196430 00888 নম্বরে। নির্বাচনকে ঘিরে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে প্রোটো নামক একটি ভারতীয় মিডিয়া কোম্পানি। নির্বাচন কালে কোন খবর ভুল এবং কোনটা ঠিক, তার সন্ধান দেওয়ার গুরু দায়িত্ব নিয়েছে এই কোম্পানি। এই কর্মকান্ডের জন্য হোয়াটসঅ্যাপকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সাহায্য করবে প্রোটো। পাশাপাশি ভুয়ো খবর রিসার্চ করবে হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা টিপলাইনে সন্দেহজনক মেসেজ পাঠাতে পারেন, যেখানে বিষয়টি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বিতর্কিত কিনা যাচাই করবে প্রোটো। পাশাপাশি কোন বার্তা সত্য সে বিষয়েও তথ্য সরবরাহ করবে। Looking to Marie Kondo your digital life? Pin the chats that bring you joy to the top of your list and mute the most chatty groups when you’re feeling bogged down in messages. #WAProTip pic.twitter.com/mT8op13w7t — WhatsApp Inc. (@WhatsApp) March 29, 2019 টেক্সট বা ছবি হোক, বা ভিডিও, সব কিছুই যাচাই করা যাবে। বর্তমানে ইংরেজি সহ চারটি আঞ্চলিক ভাষাতে সাপোর্ট পাওয়া যাবে। প্রোটোর প্রতিষ্ঠাতা ঋত্বিজ পারিক ও নাসর উল হাদি এক বিবৃতিতে বলেন, “এই প্রকল্পটির লক্ষ্যটি হলো হোয়াটসঅ্যাপের ভুল তথ্য বিবেচনা করা। উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে চলবে ২০১৯ লোক সভা নির্বাচন। ২৩ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশ। ভারতে হোয়াটস্অ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছেন ২৫০ মিলিয়ন। যে কারণে আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভুয়ো খবর। জনপ্রিয় এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্য রুখতে সংস্থা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে জানানো হয়েছে, এতদিন ধরে যে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ছিল তার দৌড় কতটা, পাশাপাশি যাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঠেকানো যায়, তারই চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে ভুয়ো তথ্যে লাগাম টানতে তৎপর ফেসবুক। কিছুদিন আগে মেসেজ ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রে লক্ষ্মণরেখা টেনে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ । Read the full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: How to check fake news on whatsapp
|
এই কর্মকান্ডের জন্য হোয়াটসঅ্যাপকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সাহায্য করবে প্রোটো পাশাপাশি ভুয়ো খবর রিসার্চ করবে হোয়াটসঅ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা টিপলাইনে সন্দেহজনক মেসেজ পাঠাতে পারেন, যেখানে বিষয়টি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বিতর্কিত কিনা যাচাই করবে প্রোটো পাশাপাশি কোন বার্তা সত্য সে বিষয়েও তথ্য সরবরাহ করবে Looking to Marie Kondo your digital life? Pin the chats that bring you joy to the top of your list and mute the most chatty groups when you’re feeling bogged down in messages. #WAProTip pic.twitter.com/mT8op13w7t — WhatsApp Inc. (@WhatsApp) March 29, 2019 টেক্সট বা ছবি হোক, বা ভিডিও, সব কিছুই যাচাই করা যাবে বর্তমানে ইংরেজি সহ চারটি আঞ্চলিক ভাষাতে সাপোর্ট পাওয়া যাবে প্রোটোর প্রতিষ্ঠাতা ঋত্বিজ পারিক ও নাসর উল হাদি এক বিবৃতিতে বলেন, “এই প্রকল্পটির লক্ষ্যটি হলো হোয়াটসঅ্যাপের ভুল তথ্য বিবেচনা করা
|
বন্ধুরা আপনার হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ যাতে পড়তে না পারে, তার জন্য কী করবেন?
|
যে নির্যাতন খবরে উঠে আসে না
|
হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন ফিচার কীভাবে ব্যবহার করবেন?
|
‘সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে’
|
politics
|
স্টাফ রিপোর্টার: নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন গঠন ছাড়া দেশে আগামীতে জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সবার আগে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই হুশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘‘উনি (শেখ হাসিনা) নির্বাচনের কথা বলেছেন, তার দলের কার্য্ নির্বাহী পরিষদের সভায় সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচন শুধু মাত্র আপনাকে নির্বাচিত করবে সেই নির্বাচন, যে নির্বাচনে আমাদের জনগন যারা ভোটার আছে তারা ভোট দিতে যেতে পারবে না এবং কি তাদের বাড়ি-ঘর আক্রমন করা হবে, ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদেরকে বেইজ্জতি করা হবে, নির্যাতন করা হবে সেই নির্বাচন? যে নির্বাচনের আগের রাত্রেই আপনারা দখল করে নিয়ে চলে যাবেন সেই নির্বাচন? যে নির্বাচন আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার আরেকটা পথ সুগম করবেন সেই নির্বাচন?” মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে আর সেই ধরনের নির্বাচন হবে না। আমাদের খুব পরিস্কার কথা -নির্বাচন একটা হবে। সেই নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সেই নির্বাচন হতে হবে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। আর সবার আগে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং একই সঙ্গে মুক্ত করতে হবে যারা কারাগারে আছেন গণতন্ত্রের কর্মী-নেতা, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে। আর ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে সেই মামলাগুলোকে প্রত্যাহার করতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না এদেশে।” নির্বাচন কমিশন গঠন সংসদ আইন প্রণয়নে আপত্তি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা বলতে চাই, নির্বাচন কমিশন গঠন হবে তখনই যখন একটা সত্যিকার অর্থেই একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন হতে পারে সেই ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। আইন করা হবে বলছেন। কোন আইন?” তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আইন করবেন পার্লামেন্টে যেখানে আর কেউ নেই, কথা বলার সুযোগ নেই বা আপনারা একরতফা আইন পাস করে নিয়ে যাবেন আপনাদের সুবিধার জন্য। সেই আইনের মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে সেটাও এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। ১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান মহিলা দল প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বত্র দলীয়করণের চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘এই সরকার দেশকে এমন একটা পর্যায় নিয়ে গেছেন যে দেশে এখন আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। সমস্ত রাষ্ট্র যন্ত্রকে আপনারা দলীয়করণ করেছেন, বিচার বিভাগ দলীয়করন হয়ে গেছে, প্রশাসন দলীয়করণ হয়েছে গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আপনারা দলীয়করণ করেছেন। এমনকি আপনার সেনাবাহিনীকেও আপনার দলীয়করণ করার চেষ্টা করছেন। আমরা কথা বলতে পারছি না, আমরা লিখতে পারছি না। আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা তারা কখনোই বিনা ভয়ে কিছু লিখতে পারেন না। কারণ তাদেরকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ফেলা হয় অথবা তাদেরকে বিভিন্ন আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।” তিনি বলেন, ‘‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এভাবে একরফা, একদলীয় শাসনব্যবস্থা, একটা কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করা, ফ্যাসিবাদী সরকারকে চিরস্থায়ী করা-এটা কোনোদিনই এদেশের জনগন মেনে নিতে পারে না। এটা হচ্ছে বাস্তব কথা। আমরা লড়াই করেছি, আমরা যুদ্ধ করেছি, যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে এসেছি। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিলো কী? একটা ছিলো রাজনৈতিক মুক্তি ও আরেকটা অর্থনৈতিক মুক্তি। সেই রাজনৈতিক মুক্তিই তো আমি পাইনি, আমি তো এখন পুরোপুরিভাবে বন্দি হয়ে আছি।” গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের জন্য মহিলা দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্রের মুক্তি-এই প্রত্যাশায় মহিলাকে সংগঠিত করে আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই্-একথা মনে করে আমাদেরকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে।” স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘আজকে যেভাবে আমাদেরকে হয়রানি করছে যেভাবে বসে থাকার কোনো কারণ নেই।” তিনি বলেন, ‘‘আসুন সেই একদফায় এগিয়ে যাই। দলের মহাসচিবসহ আমাদের চেষ্টা চলছে সুদৃঢ় একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এবং সকল দলমত নির্বিশেষ একটাই ইস্যু- অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের গ্যারান্টি হাসিনার পদত্যাগ। তার এই পদত্যাগ আমরা নিশ্চিত করি।” তিনি আরো বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন গঠন হয়তবা মতামত আমরা দেবো। তবে আমি বলব, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ফেরেস্তা এনেও যদি নির্বাচন কমিশন করা হয় তারপরেও লাভ হবে না।” সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেওয়াজ হালিমা আরলি, হেলেন জেরিন খান, ইয়াসমীন আরা হক, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম /এম.এস
|
” জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয় ১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান মহিলা দল প্রতিষ্ঠা করেন সর্বত্র দলীয়করণের চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘এই সরকার দেশকে এমন একটা পর্যায় নিয়ে গেছেন যে দেশে এখন আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই সমস্ত রাষ্ট্র যন্ত্রকে আপনারা দলীয়করণ করেছেন, বিচার বিভাগ দলীয়করন হয়ে গেছে, প্রশাসন দলীয়করণ হয়েছে গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আপনারা দলীয়করণ করেছেন এমনকি আপনার সেনাবাহিনীকেও আপনার দলীয়করণ করার চেষ্টা করছেন আমরা কথা বলতে পারছি না, আমরা লিখতে পারছি না আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা তারা কখনোই বিনা ভয়ে কিছু লিখতে পারেন না কারণ তাদেরকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ফেলা হয় অথবা তাদেরকে বিভিন্ন আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়” তিনি বলেন, ‘‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এভাবে একরফা, একদলীয় শাসনব্যবস্থা, একটা কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করা, ফ্যাসিবাদী সরকারকে চিরস্থায়ী করা-এটা কোনোদিনই এদেশের জনগন মেনে নিতে পারে না এটা হচ্ছে বাস্তব কথা আমরা লড়াই করেছি, আমরা যুদ্ধ করেছি, যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে এসেছি সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিলো কী? একটা ছিলো রাজনৈতিক মুক্তি ও আরেকটা অর্থনৈতিক মুক্তি
|
‘খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে’
|
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সবার আগে সেমিতে ইংল্যান্ড
|
IRNSS-1I : দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সফল ইসরো
|
বরিস জনসনের ৪ সহযোগীর পদত্যাগ
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দপ্তর এবং ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বার বার মদের পার্টির আয়োজন করে মহাবিপদ ডেকে এনেছেন। নিজের ইমেজ উদ্ধারে বারংবার চেষ্টা করছেন তিনি। প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে গিয়ে এবার বরিস জনসনের চারজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী পদত্যাগ করার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করেন তারা। শুধু লকডাউনের মধ্যে মদের পার্টির আয়োজনে যোগ দেওয়া নয়, বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, গত বছরের ১৭ এপ্রিল ফিলিপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার সময়ও ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করা হয়। আর সেটি ছিল বরিস জনসনের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জেমস স্ল্যাকের বিদায় উপলক্ষে। সারা দেশে তখন ফিলিপের মৃত্যুতে জাতীয় শোক চলছিল। তবে এ ঘটনায় রানির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। তবে নিজ দলের লোকজন তো বটেই তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে গোটা দেশে। তার কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা এরই মধ্যে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ তিন সহযোগী- চিফ অব স্টাফ রোজেনফিল্ড, প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস, যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জ্যাক ডয়েল এবং তার প্রধান রাজনৈতিক কৌশলি মুনিরা মির্জা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কনজারভেটিভ পার্টির দুজন শীর্ষ নেতা বলেছেন যে, এটি জনসনের প্রশাসনে পুনঃস্থাপনের সূচনা বলে মনে হচ্ছে। এর আগে সোমবার বরিস জনসন সরকারের প্রশাসনিক পদে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আইনপ্রণেতা স্টুয়ার্ট অ্যান্ডারসন এক টুইটার বার্তায় বলেন, আজ রাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পরিবর্তনটি ঘটতে শুরু করেছে এবং আমি প্রধানমন্ত্রীর এই দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তার এই টু্ইট বার্তার পরপরই সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দ্য টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোক পালনের সময়ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে কর্মীরা আরও দুটো মদের পার্টি করেন। ওই সময়ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞা ছিল। গণমাধ্যমটি আরও জানায়, ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীরা কাছের একটি সুপারমার্কেট থেকে মদ কিনে নিয়ে যান। তারা নেচে-গেয়ে পার্টি উদযাপনও করেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদিও সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে ২০২০ সালের ২০ মে মদের পার্টির আয়োজন হয় ডাউনিং স্ট্রিটে, যখন সারাদেশে লকডাউন জারি ছিল। সম্প্রতি পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ওই ঘটনার জন্য বরিস জনসন বার বার ক্ষমাও চেয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করেন তারা শুধু লকডাউনের মধ্যে মদের পার্টির আয়োজনে যোগ দেওয়া নয়, বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, গত বছরের ১৭ এপ্রিল ফিলিপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার সময়ও ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করা হয় আর সেটি ছিল বরিস জনসনের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জেমস স্ল্যাকের বিদায় উপলক্ষে সারা দেশে তখন ফিলিপের মৃত্যুতে জাতীয় শোক চলছিল তবে এ ঘটনায় রানির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি তবে নিজ দলের লোকজন তো বটেই তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে গোটা দেশে তার কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা এরই মধ্যে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ তিন সহযোগী- চিফ অব স্টাফ রোজেনফিল্ড, প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস, যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জ্যাক ডয়েল এবং তার প্রধান রাজনৈতিক কৌশলি মুনিরা মির্জা পদত্যাগ করেছেন
|
ট্রাস সরতেই ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা, ফের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বরিস জনসন
|
বিবাদী স্বর
|
সম্পাদক সমীপেষু: ব্যবহারে পরিচয়
|
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনজন
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অর্থনীতিতে নোবেল ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২২ সালে এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিন মার্কিন নাগরিক। তারা হলেন, বেন এস বারন্যাঙ্কে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড, ফিলিপ এইচ ডিবভিগ। ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে গবেষণা করায় এ বছর তাদের মনোনীত করা হয়েছে। | সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় স্টকহোমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে। ২০২১ সালে এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ডেভিড কার্ড, জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট ও গুইদো ডব্লিউ ইমবেন্স। শ্রম অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ডেভিড কার্ড ও কারণগত সম্পর্ক বিশ্লেষণে পদ্ধতিগত অবদানের জন্য বাকি দুই অর্থনীতিবিদ নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে গোড়াপত্তন ঘটলেও এ তালিকায় অর্থনীতি যুক্ত হয় ১৯৬৮ সালে। অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া হচ্ছে ১৯৬৯ সাল থেকে। ১৯৬৮ সালে সুইডিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেভেরিজেস রিক্সব্যাংক ৩০০ বছর পূর্তিতে নোবেল ফাউন্ডেশনকে যে বিপুল অর্থ দান করে তা দিয়ে অর্থনীতিতে নোবেল প্রদান করা হবে বলে ঠিক করা হয়। আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কারের পুরো নাম রাখা হয় ‘দ্য সেভেরিজেস রিক্সব্যাংক প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল’। পদার্থ, রসায়ন ও অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স। অপরদিকে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি থেকে সাহিত্য এবং নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। গত ৩ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়। সোমবার (১০ অক্টোবর) অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই কার্যক্রম শেষ হলো। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে গোড়াপত্তন ঘটলেও এ তালিকায় অর্থনীতি যুক্ত হয় ১৯৬৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া হচ্ছে ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৬৮ সালে সুইডিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেভেরিজেস রিক্সব্যাংক ৩০০ বছর পূর্তিতে নোবেল ফাউন্ডেশনকে যে বিপুল অর্থ দান করে তা দিয়ে অর্থনীতিতে নোবেল প্রদান করা হবে বলে ঠিক করা হয় আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কারের পুরো নাম রাখা হয় ‘দ্য সেভেরিজেস রিক্সব্যাংক প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল’ পদার্থ, রসায়ন ও অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স
|
পদার্থে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
|
অর্থনৈতিক বিকাশে নজর নেই বঞ্চিত গ্রাম, কৃষি
|
চলন্ত নাগরদোলায় উঠে পড়ল আবীর, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না
|
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
|
sports
|
স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে আগে বোলিং করবে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলায় দুই দলের ম্যাচটি সকাল সাড়ে এগারটায় ম্যাচটি শুরু হবে। টস: টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাশ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হাসান ও হাসান মাহমুদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দল: জেসন মোহাম্মদ, সুনীল অ্যাম্ব্রিস, এনক্রুমা বোনার, জশুয়া ডা সিলভা, জাহমার হ্যামিল্টন, শেমার হোল্ডার, আলজারি জোসেফ, আন্দ্রে ম্যাকক্যার্থি, রোভম্যান পাওয়েল, রেমন রেইফার। বাংলাদেশের এক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছয় ক্রিকেটারের অভিষেক বাংলাদেশের ১৩৪তম ওয়ানডে ক্যাপ পেলেন হাসান মাহমুদ। ডানহাতি পেসারের ওয়ানডে অভিষেক হলো আজ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে নতুন দল নিয়ে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে একাধিক অভিষেক হবে তা আগেই জানা ছিল। ম্যাচে ছয়জন পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যাপ। দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে বাংলাদেশ পাক্কা ৩১৩ দিন পর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ফিরল আন্তর্জাতিক মঞ্চে। সবশেষ মিরপুরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর করোনার কারণে নির্বাসনে চলে যায় ক্রিকেট। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজকের ম্যাচ দিয়ে আবার ২২ গজে সাকিব, মুশফিক, তামিম, মাহমুদউল্লহরা। মাশরাফি পরবর্তী যুগ শুরু অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ৫০ জয় নিয়ে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। মাশরাফির অধিনায়কত্বের আর্মব্র্যান্ড পেয়েছেন তামিম ইকবাল। তার হাত ধরে আজ নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগে তামিম তিন ওয়ানডেতে অন্তবর্তীকালীন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার দীর্ঘ মেয়াদে তামিম পেয়েছেন অধিনায়কত্ব। ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশ এ ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ‘আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ’। সোজা ভাষায়, ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ করার লড়াই। আগামী দুই বছরে ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিটি ওয়ানডের জন্য বরাদ্দ ১০ পয়েন্ট। ম্যাচ জিতলে বিজয়ী দল পাবে ১০ পয়েন্ট। ম্যাচ টাই বা পণ্ড হলে সমান ৫ পয়েন্ট করে পাবে দুই দল। এভাবে পয়েন্ট প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবে বিশ্বকাপ সুপার লিগ। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
এর আগে তামিম তিন ওয়ানডেতে অন্তবর্তীকালীন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এবার দীর্ঘ মেয়াদে তামিম পেয়েছেন অধিনায়কত্ব ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশ এ ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ‘আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ’ সোজা ভাষায়, ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ করার লড়াই আগামী দুই বছরে ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ প্রতিটি ওয়ানডের জন্য বরাদ্দ ১০ পয়েন্ট ম্যাচ জিতলে বিজয়ী দল পাবে ১০ পয়েন্ট ম্যাচ টাই বা পণ্ড হলে সমান ৫ পয়েন্ট করে পাবে দুই দল এভাবে পয়েন্ট প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবে বিশ্বকাপ সুপার লিগ
|
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
|
টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
|
বলিউডে কাজ হাতছাড়া সামান্থা রুথ প্রভুর, মাঝপথে ছাড়তে হল ছবি
|
সমুদ্রের নোনা জল, রোদ আর বালিতে চোখের দফারফা! চোখের যত্ন নেবেন কী ভাবে?
|
lifestyle
|
গরমের ছুটিতে এ বারের গন্তব্য সমুদ্র। তবে রোদের যা দাপট, তাতে সমুদ্রে নেমে কত ক্ষণ স্নান করা যাবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কিন্তু বাচ্চাদের তো আটকানো যাবে না। সকাল হতে না হতেই তারা সমুদ্রস্নানের জন্য বায়না শুরু করবে। সূর্যের প্রখর রোদ থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন তো নিয়েছেন। কিন্তু সমুদ্রের নোনা জল লেগে প্রতি বারই চোখের খুব সমস্যা হয়। তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী? চোখের সমস্যা থেকে বাঁচতে সমুদ্রের জলে না নামার কোনও মানে হয় না। তা হলে এর থেকে মুক্তির উপায় কী? রোদ থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন? সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি শুধু ত্বকের নয়, চোখেরও ক্ষতি করে। দীর্ঘ ক্ষণ চোখে এই রশ্মি লাগলে সেখান থেকে ‘ক্যাটার্যাক্ট’, ‘ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’ এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে রোদচশমা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোদচশমা কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। পাশপাশি চোখ ভাল রাখতে গেলেও শরীর আর্দ্র রাখতে হবে। সমুদ্রের বালি থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখবেন কী ভাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সমুদ্রস্নান নয়, বিভিন্ন প্রকার জলক্রীড়াতে অংশ নিলেও চোখে নোনা জল ঢুকে যেতে পারে। জলের সঙ্গে মিহি বালির কণা মিশে থাকে। যা চোখের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর। চোখের মতো স্পর্শকাতর অংশে বালির কণা লেগে কর্নিয়াতে সংক্রমণ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ ধরনের চশমা পরে তবে জলে নামা উচিত। সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ‘লুব্রিকেটিং আইড্রপ’ ও ব্যবহার করতে পারেন। জল থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন? চোখের সমস্যার জন্য সমুদ্রে না হয় নামলেন না। কিন্তু হোটেলের সুইমিং পুলে তো নামতে ইচ্ছা করতেই পারে। সে ক্ষেত্রে জলের মধ্যে মিশে থাকা ক্লোরিনের মতো রাসায়নিকও চোখে ঢুকে যেতে পারে। সেখান থেকেও চোখে সংক্রমণ হয়। এই সমস্যা থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ধরনের চশমা বা ‘ওয়াটার গ্লাস’ পরতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
|
তবে রোদের যা দাপট, তাতে সমুদ্রে নেমে কত ক্ষণ স্নান করা যাবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে কিন্তু বাচ্চাদের তো আটকানো যাবে না সকাল হতে না হতেই তারা সমুদ্রস্নানের জন্য বায়না শুরু করবে সূর্যের প্রখর রোদ থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন তো নিয়েছেন কিন্তু সমুদ্রের নোনা জল লেগে প্রতি বারই চোখের খুব সমস্যা হয় তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী? চোখের সমস্যা থেকে বাঁচতে সমুদ্রের জলে না নামার কোনও মানে হয় না তা হলে এর থেকে মুক্তির উপায় কী? রোদ থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন? সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি শুধু ত্বকের নয়, চোখেরও ক্ষতি করে দীর্ঘ ক্ষণ চোখে এই রশ্মি লাগলে সেখান থেকে ‘ক্যাটার্যাক্ট’, ‘ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’ এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে
|
রোদে বেরোলে মুখে ‘সান স্পট’ দেখা দিচ্ছে? কী ভাবে কমাবেন ত্বকের এই ছোট ছোট দাগ?
|
সম্পাদক সমীপেষু: যাত্রী-স্বার্থ জলাঞ্জলি
|
কোনও প্রচার চান না, অরিজিতের ৩৬তম জন্মদিনে ভরল ক্ষুধার্তদের পেট, নেপথ্যে গায়কের বাবা
|
স্কুলগাড়ির চালকদের সচেতনতার পাঠ দিল পুলিশ এবং আইআইটি
|
kolkata
|
বাবার হাত ধরে বাঁ দিক দিয়ে রাস্তা পার হওয়া পড়ুয়ার উপস্থিতি টের পাননি চালক। তাতেই সম্ভবত পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বেহালার স্কুলপড়ুয়া সৌরনীল সরকারের। বেহালার ওই দুর্ঘটনার পরে আলোচনায় উঠে এসেছে গাড়িচালকদের সামনের বাঁ দিকে থাকা ‘ব্লাইন্ড স্পট’-এর প্রসঙ্গ। শনিবার ‘পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে বিড়লা অ্যাকাডেমি অব আর্ট অ্যান্ড কালচারে আয়োজিত স্কুলগাড়ির চালকদের সচেতনতা শিবিরেও উঠল একই প্রশ্ন। খড়্গপুর আইআইটি-র অধ্যাপক তথা পরিবহণ এবং পথ নিরাপত্তা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ভার্গব মৈত্র ছাড়াও পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা এ দিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতার বিষয় চালকদের সামনে নিয়ে এলেন। উঠল চালকদের মানসিক উদ্বেগ কমানোর কথাও। গাড়ির বাঁ দিকে চালকদের দৃষ্টির বাইরে থাকা অংশ দেখার জন্য গাড়িতে উত্তল আয়না বসানোর কথা সম্প্রতি বলেছে পুলিশ। তবে, এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে বিশেষ ধরনের ক্যামেরা আসছে বলেও এ দিন জানান রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক সঞ্জীব পাইক। এ দিন ভার্গব বলেন, গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির যে আশঙ্কা থাকে, গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার হলে সেই আশঙ্কা ২০ গুণ বেড়ে যায়। আবার গাড়ির গতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চালকের দু’পাশের বিভিন্ন বস্তু দেখার পরিসরও ক্রমশ ছোট হতে থাকে। অস্বাভাবিক গতিতে গাড়ি ছোটালে চালক শুধু সামনের অংশটুকুই দেখতে পান। বেশি গতিতে গাড়ি ছোটানোর পরিস্থিতি এড়াতে স্কুলগাড়ির চালকদের সময় ধরে রাস্তায় নামার একাধিক কার্যকরী পরামর্শ দিলেন আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক স্কুলের অফিসার ইন-চার্জ প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। স্কুলগাড়ি সময় মতো চালাতে হলে গাড়ির মালিক, চালক, পুলিশ, পরিবহণ দফতর, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট স্কুল— সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে বলে জানান ভার্গব। স্কুলগাড়িতে টায়ার, ব্রেক ইত্যাদি যন্ত্রাংশ ঠিক রাখা ছাড়াও গাড়ির অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র এবং প্যানিক বাটন বসানোর গুরুত্বের কথা ব্যাখ্যা করেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সঞ্জীব। স্কুলগাড়ির চালকদের মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার উপায় সম্পর্কে অবহিত করেন মনোবিদ পূজা সেনগুপ্ত। স্কুলগাড়ি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘স্কুলগাড়ি চালাতে যেখানে সব থেকে বেশি সতর্ক থাকা উচিত, সেখানে এক শ্রেণির গাড়িতে সেই সতর্কতা থাকে না। এ নিয়ে চালকদের সচেতন করতেই বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে।’’
|
বেহালার ওই দুর্ঘটনার পরে আলোচনায় উঠে এসেছে গাড়িচালকদের সামনের বাঁ দিকে থাকা ‘ব্লাইন্ড স্পট’-এর প্রসঙ্গ শনিবার ‘পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে বিড়লা অ্যাকাডেমি অব আর্ট অ্যান্ড কালচারে আয়োজিত স্কুলগাড়ির চালকদের সচেতনতা শিবিরেও উঠল একই প্রশ্ন খড়্গপুর আইআইটি-র অধ্যাপক তথা পরিবহণ এবং পথ নিরাপত্তা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ভার্গব মৈত্র ছাড়াও পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা এ দিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতার বিষয় চালকদের সামনে নিয়ে এলেন উঠল চালকদের মানসিক উদ্বেগ কমানোর কথাও গাড়ির বাঁ দিকে চালকদের দৃষ্টির বাইরে থাকা অংশ দেখার জন্য গাড়িতে উত্তল আয়না বসানোর কথা সম্প্রতি বলেছে পুলিশ তবে, এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে বিশেষ ধরনের ক্যামেরা আসছে বলেও এ দিন জানান রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক সঞ্জীব পাইক
|
শহরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ওরা দুর্দান্ত, ট্র্যাফিক পুলিশের প্রশংসায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
|
সচেতনতাই হারিয়ে দিতে পারে ডেঙ্গিকে
|
রেশনে আক্রমণ কেন, তথ্য দিয়ে মোদীকে প্রশ্ন সিপিআই(এম)’র
|
খাবার না জুটুক, বেঁচে থাক মাস্ক-সাবান-স্যানিটাইজ়ার
|
editorial
|
সত্যিই আপনাদের নিয়ে বড় জ্বালা! আপনারা শুধু ঘরে ফিরতে চাইছেন। আর ‘ফিরব’ বললেই কি ‘ফেরা’ যায়? মনে নেই বায়োস্কোপের সেই সুপারস্টারের ডুপার-সুপারহিট ডায়ালগ— ‘আমি যেখানে দাঁড়াই, সেখান থেকেই লাইন শুরু হয়।’ আপনারা কেন ভাবতে পারছেন না, যেখানে আছেন, সেটাই আপনাদের ঘর। মাথার উপর শামিয়ানা হয়ে ঝুলছে আকাশ! নীচে মখমলের মতো বিছানো রয়েছে ঘাস! এর পরেও আর কী চান? কী চাওয়ার থাকতে পারে আর! কী অদ্ভুত! আপনারা কিন্তু সমানে ঘ্যানঘ্যান করেই চলেছেন— ‘খেতে পাচ্ছি না। ত্রাণ পাচ্ছি না।’ সামাজিক দূরত্ব না-মেনে, মুখের মাস্ক কণ্ঠে ঝুলিয়ে আপনারা ভিডিয়ো-বার্তায় কাঁদছেন— ‘প্রশাসন আমাদের ফোন ধরছে না। নেতারা আমাদের সাহায্য করছেন না। রমজান মাসে সেহরি করছি স্রেফ একটা খেজুর দিয়ে। আমাদের বাঁচান।’ বুঝতে পারছেন কি? অল্পেই কেমন অস্থির হয়ে পড়ছেন আপনারা! আসলে, আপনাদের ধৈর্য বলে কিস্যু নেই। আর আপনাদের এত খিদেই-বা কেন, বলুন তো! কই, আমাদের, আমাদের তো এমন খিদে পায় না! আমাদের সেধে-সেধে চিকেন খাওয়াতে হয়। না রুচলে মটন বিরিয়ানি। তা-ও নষ্ট হয় বেশি। যাকগে, এই লকডাউনে কত জনের সুপ্তপ্রতিভা বিকশিত হচ্ছে, জানেন? জানেন, অপটু হাতে কত জন কত রকম রান্না করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভার্চুয়াল যৌথখামারে? আর গোটা লকডাউন-এপিসোডে ঘ্যানঘ্যান করা, নালিশ জানানো আর ভেউ-ভেউ করে কান্নাকাটি ছাড়া আপনারা কিস্যু করলেন না! সরকার তো বলেইছে, বাইরে যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের সবাইকে ফেরানো হবে। আপনাদের ‘অশেষ দুর্গতি’ কষ্ট দিয়েছে দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকেও। তিনি ঘোষণা করেছেন, আপনাদের যাঁদের রেশন কার্ড নেই বা খাদ্যসুরক্ষা প্রকল্পে নাম নেই, তাঁরাও আগামী দু’মাস মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল অথবা গম এবং পরিবার-পিছু এক কেজি করে ডাল পাবেন। আপনাদের জন্য বড় শহরে বাড়ি তৈরি হবে। সস্তার ভাড়ায় সেখানে থাকতে পারবেন। আপনাদের ফেরাতে ১০৫টি ট্রেন চলবে। তাই, তাড়াহুড়ো করবেন না। কথায় কথায় রাষ্ট্রকে বিব্রত করবেন না! আর একটা কথা, ট্রেন ছাড়বে শুনেই তড়িঘড়ি লোটাকম্বল নিয়ে স্টেশনেও ছুটবেন না। রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে যে ট্রেন ছেড়েছে, তার টিকিটের দাম ছিল ওই হাজারখানেক টাকা। সোমবার সব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যে ট্রেন ছেড়েছে, তার ভাড়াও সাকুল্যে হাজারচারেক টাকা। বৌ-বাচ্চা নিয়ে ফিরতে গেলে তা ধরুন কত, বড়জোর দশ-বারো হাজার টাকা লাগবে। ফলে, ট্রেন-বাবদ কয়েকহাজার টাকা, তারপরে গাড়ি-টাড়ি ভাড়া করতে হলে আরও কয়েকহাজার। এ আর এমন কী! ফলে, ছোটাছুটির আগে দেখে নিন, পকেটের জোর কেমন। তবে, এই সামান্য টাকাটাও যদি আপনাদের কাছে না থাকে, তা হলে চুপটি করে যেখানে যে ভাবে আছেন, সেখানেই থাকুন। এই বাজারে কোনও কোনও রাজনৈতিক দল বলেছিল, আপনাদের নিখরচায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আর কয়েকজন অর্থনীতিবিদের প্রস্তাব ছিল— আপনাদের হাতে কিছু নগদ টাকাও গুঁজে দিতে। কী স্পর্ধা! এ আবার হয় নাকি! আপনারা বোকার মতো দুমদাম সিদ্ধান্ত নিয়ে মরে-টরে যাচ্ছেন, তাই বাধ্য হয়ে সরকারকে কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। নইলে আবার মান থাকে না! তাই বলে আপনাদের স্রেফ বসিয়ে বসিয়ে খাইয়ে-দাইয়ে, হাতে নগদ টাকা ধরিয়ে দিয়ে আবার ট্রেনের টিকিট ‘ফ্রি’ করে দিয়ে বাড়ি পাঠানো কি সম্ভব, বলুন তো! এমনিতেই দেশের আর্থিক অবস্থা তো কহতব্য নয়! সেই আর্থিক অবস্থা সামাল দিতে মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। সুরাপ্রেমীরা চোঁ-চোঁ করে বোতলের মদস্তর যত নীচে নামাচ্ছেন, সাঁ-সাঁ করে উঠছে অর্থনীতির পারদ। এ যেন সেই রাঙাজবা-কম্পিটিশন! কিন্তু আপনারা ঠিক কোন কাজে লাগবেন, বলতে পারেন? হ্যাঁ, সামনে যদি ভোট-টোট থাকত, তা-ও একটা কথা ছিল। তখন ব্যাপারটা গণতান্ত্রিক অধিকার হত। প্রশাসন আপনাকে সেই অধিকার প্রয়োগের জন্য চিঠি পাঠাত। ফোন যেত— ‘আয়, শ্রমিকভাই, ভোট দিয়ে যা।’ টুং-টাং শব্দে ঢুকত এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ। পাড়ার নেতারাও বলতেন— ‘ওরে, তোদের যাতায়াতের টিকিট কেটে পাঠিয়ে দিলাম। শিগ্গির চলে আয়।’ কিন্তু এ তো ভোটের লগন নয়। এ লগন করোনা-র (কী আজব ব্যাপার, ভাইরাসের নামের শেষেও লেপ্টে রয়েছে ‘না’)। যার শুরুতে আমরা বিষয়টিকে তেমন পাত্তা না দিলেও পরে দিব্যি বুঝে গিয়েছি, ভাইরাস আমাদের ভিত্তি আর লকডাউন আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে যে দিন লকডাউন ঘোষণা করলেন, সে দিনও আপনারা অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন— ‘আমাদের ব্যবস্থা না করেই কেন লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হল?’ আজব প্রশ্ন! দেশ আগে না কি আপনারা? জরুরি অবস্থায় কত কী করতে হয়! দেশ আপনাকে বাঁচাতে, আপনাকে ‘সলিড’ নাগরিক হিসেবে তুলে ধরতে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তৈরি করেছে, দেশের যেখানে খুশি কাজে যাওয়ার অধিকার দিয়েছে, আপনি যাতে নিশ্চিন্তে দেশে থাকতে পারেন (শর্তাবলি প্রযোজ্য) তার জন্য তৈরি করেছে নয়া নাগরিকত্ব আইন! আর আপনি, আপনারা দেশের জন্য, এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে জিততে এই সামান্য কষ্টটুকু সহ্য করবেন না? আর সেই সামান্য কষ্টে আপনি, আপনারা যদি মরে যান, যাবেন। তা ছাড়া, এ মৃত্যু যে-সে মৃত্যু নয়। করোনা-মরসুমে আপনাদের এই মৃত্যুকে ‘বলিদান’ও বলা হতে পারে। আবেগের বেগ বাড়লে জুটতে পারে ‘শহিদ’ তকমাও। শেষকথা একটাই, আপনাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। মানে, হতেই হবে। ফলে, কাজ মিলুক নাই বা মিলুক, খাবার জুটুক নাই বা জুটুক, প্রাণ থাকুক নাই বা থাকুক, নিয়ম মেনে মাস্ক পরুন আর অন্তহীন পথ হাঁটতে হাঁটতেও হাতে ঘষতে থাকুন সাবান কিংবা স্যানিটাইজ়ার! বলা যায় না, বরাত ভাল থাকলে জিনের সন্ধানও পেয়ে যেতে পারেন! শ্রমের দিব্যি, বাকিটা না হয় তিনিই দেখবেন! (মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)
|
সস্তার ভাড়ায় সেখানে থাকতে পারবেন আপনাদের ফেরাতে ১০৫টি ট্রেন চলবে তাই, তাড়াহুড়ো করবেন না কথায় কথায় রাষ্ট্রকে বিব্রত করবেন না! আর একটা কথা, ট্রেন ছাড়বে শুনেই তড়িঘড়ি লোটাকম্বল নিয়ে স্টেশনেও ছুটবেন না রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে যে ট্রেন ছেড়েছে, তার টিকিটের দাম ছিল ওই হাজারখানেক টাকা সোমবার সব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যে ট্রেন ছেড়েছে, তার ভাড়াও সাকুল্যে হাজারচারেক টাকা বৌ-বাচ্চা নিয়ে ফিরতে গেলে তা ধরুন কত, বড়জোর দশ-বারো হাজার টাকা লাগবে ফলে, ট্রেন-বাবদ কয়েকহাজার টাকা, তারপরে গাড়ি-টাড়ি ভাড়া করতে হলে আরও কয়েকহাজার এ আর এমন কী! ফলে, ছোটাছুটির আগে দেখে নিন, পকেটের জোর কেমন তবে, এই সামান্য টাকাটাও যদি আপনাদের কাছে না থাকে, তা হলে চুপটি করে যেখানে যে ভাবে আছেন, সেখানেই থাকুন এই বাজারে কোনও কোনও রাজনৈতিক দল বলেছিল, আপনাদের নিখরচায় ফিরিয়ে আনতে হবে আর কয়েকজন অর্থনীতিবিদের প্রস্তাব ছিল— আপনাদের হাতে কিছু নগদ টাকাও গুঁজে দিতে কী স্পর্ধা! এ আবার হয় নাকি! আপনারা বোকার মতো দুমদাম সিদ্ধান্ত নিয়ে মরে-টরে যাচ্ছেন, তাই বাধ্য হয়ে সরকারকে কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে নইলে আবার মান থাকে না! তাই বলে আপনাদের স্রেফ বসিয়ে বসিয়ে খাইয়ে-দাইয়ে, হাতে নগদ টাকা ধরিয়ে দিয়ে আবার ট্রেনের টিকিট ‘ফ্রি’ করে দিয়ে বাড়ি পাঠানো কি সম্ভব, বলুন তো! এমনিতেই দেশের আর্থিক অবস্থা তো কহতব্য নয়! সেই আর্থিক অবস্থা সামাল দিতে মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে সুরাপ্রেমীরা চোঁ-চোঁ করে বোতলের মদস্তর যত নীচে নামাচ্ছেন, সাঁ-সাঁ করে উঠছে অর্থনীতির পারদ এ যেন সেই রাঙাজবা-কম্পিটিশন! কিন্তু আপনারা ঠিক কোন কাজে লাগবেন, বলতে পারেন? হ্যাঁ, সামনে যদি ভোট-টোট থাকত, তা-ও একটা কথা ছিল তখন ব্যাপারটা গণতান্ত্রিক অধিকার হত
|
সানস্ক্রিন মাখলেই ব্রণ হয়? বিকল্প হিসাবে বরং খেতে পারেন চেনা কয়েকটি খাবার
|
বাইজুসে ছাঁটাই হতে পারে ৩৫০০
|
পুজোর আগে সুখবর! বিশেষ গয়নার প্রদর্শনী, সাধ্যের মধ্যেই মিলবে অলঙ্কার
|
আতিক আহমেদ হত্যা নিয়ে ‘মারাত্মক’ অভিযোগ মায়াবতীর, যোগীর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার
|
politics
|
ছেলের পর গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই। শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশে কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে তার ছেলে ১৯ বছর বয়সি আসাদ আহমেদ নিহত হওয়ার মাত্র একদিন পরে এই ঘটনা ঘটল। টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গিয়েছে, আতিক আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় কমপক্ষে দু’জন ব্যক্তি পিস্তল উঁচিয়ে তাদের ওপর পরপর গুলি চালায়। এর উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার রাতে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফকে খুনের পর উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রয়াগরাজ জেলায়, যেখানে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে এবং আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আতিক আহমেদ ও আশরাফকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তারা। ঘটনার জেরে প্রয়াগরাজে ১৭ জন পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতিক এবং তার পরিবারের সদস্যরা বারবার আদালতের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিলেন। তারা হুমকির সম্মুখীন বলে আদালতের কাছে অভিযোগও করেছিলেন। আতিকদের অভিযোগ ছিল যে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আতিক উমেশ পাল হত্যা মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন নিজের সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। গত মাসে উমেশ পাল হত্যা মামলায় আতিক-সহ দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আতিকের ভাই আশরফকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে। আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় এবং ‘মিডিয়া বাইট’ দেওয়ার সময় তিনজন সাংবাদিক পরিচয়ে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়াগরাজ পুলিশ কমিশনার রমিত শর্মাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে “ঘটনার জেরে একজন সাংবাদিকও পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এবং একজন কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন,”। প্রয়াগরাজ পুলিশ জানিয়েছে তিন আততায়ী মিডিয়াকর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফের উপর গুলি চালায়। ঘটনার পরই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকে বিষয়টি্র তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আতিক আহমেদ ও আশরাফ হত্যা নিয়ে মায়াবতীর প্রথম প্রতিক্রিয়া, কী বললেন জানেন? আতিক আহমেদ ও আশরাফ হত্যা নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী। রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আতিক আহমেদ ও আশরাফ আহমেদ হত্যার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী। এ নিয়ে সরকারকেই নিশানা করেছেন তিনি। 1. गुजरात जेल से अतीक अहमद व बरेली जेल से लाए गए उनके भाई अशरफ की प्रयागराज में कल रात पुलिस हिरासत में ही खुलेआम गोली मारकर हुई हत्या, उमेश पाल जघन्य हत्याकाण्ड की तरह ही, यूपी सरकार की कानून-व्यवस्था व उसकी कार्यप्रणाली पर अनेकों गंभीर प्रश्नचिन्ह खड़े करती है। এক টুইট বার্তায় মায়াবতী বলেছেন- “পুলিশের সামনেই আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ কে হত্যার ঘটনা থেকেই এটা প্রমাণ হয়েছে উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন নেই। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে”। এর পাশাপাশি তিনি সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই ঘটনার তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। এর সঙ্গেই তিনি বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশে এখন “আইনের শাসন” এর পরিবর্তে ‘এনকাউন্টার রাজ্যে’ পরিণত হয়েছে। এর আগে, সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও যোগী সরকারকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন- “রাজ্যে অপরাধ চরমে পৌঁছেছে এবং অপরাধীদের মনোবল তুঙ্গে। পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে যখন প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে কাউকে হত্যা করা হয়, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়। জনমনে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলেই আমার ধারণা”। আতিক ও তার ভাইকে খুনের ঘটনায় এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন “গতকালের এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সম্পূর্ণরূপে মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। এই গোটা ঘটনার পিছনে যোগী সরকারের ভূমিকা রয়েছে। ওয়াইসি বলেছেন, “উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার বন্দুকের জোরে সরকার চালাচ্ছে। বিজেপি সরকার আইনে বিশ্বাস করে না। গতকাল যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা ছিল সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র”। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Atiq ahmed murder raises serious question on law and order in up mayawati
|
ঘটনার পরই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকে বিষয়টি্র তদন্তের নির্দেশ দেন ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আতিক আহমেদ ও আশরাফ হত্যা নিয়ে মায়াবতীর প্রথম প্রতিক্রিয়া, কী বললেন জানেন? আতিক আহমেদ ও আশরাফ হত্যা নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আতিক আহমেদ ও আশরাফ আহমেদ হত্যার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী এ নিয়ে সরকারকেই নিশানা করেছেন তিনি 1. गुजरात जेल से अतीक अहमद व बरेली जेल से लाए गए उनके भाई अशरफ की प्रयागराज में कल रात पुलिस हिरासत में ही खुलेआम गोली मारकर हुई हत्या, उमेश पाल जघन्य हत्याकाण्ड की तरह ही, यूपी सरकार की कानून-व्यवस्था व उसकी कार्यप्रणाली पर अनेकों गंभीर प्रश्नचिन्ह खड़े करती है এক টুইট বার্তায় মায়াবতী বলেছেন- “পুলিশের সামনেই আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ কে হত্যার ঘটনা থেকেই এটা প্রমাণ হয়েছে উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন নেই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে” এর পাশাপাশি তিনি সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই ঘটনার তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন এর সঙ্গেই তিনি বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশে এখন “আইনের শাসন” এর পরিবর্তে ‘এনকাউন্টার রাজ্যে’ পরিণত হয়েছে এর আগে, সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও যোগী সরকারকে একহাত নিয়েছেন তিনি বলেছিলেন- “রাজ্যে অপরাধ চরমে পৌঁছেছে এবং অপরাধীদের মনোবল তুঙ্গে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে যখন প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে কাউকে হত্যা করা হয়, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয় জনমনে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলেই আমার ধারণা”
|
মহিলাদের ওপর হিংসার ঘটনায় শীর্ষে যোগী রাজ্য
|
ম্যারাডোনাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ৭
|
‘দলবদলু’দের গুরুদায়িত্ব! টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখতে ঘুঁটি সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু বিজেপির
|
বিরোধী ঐক্যে জোরালো বার্তা, খড়গে, রাহুলের সঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ বৈঠক শরদ পাওয়ারের
|
politics
|
পাখির চোখ ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন জারি রেখেছে বিরোধী জোট। লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত বিরোধী দলকে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় নিযুক্ত প্রধান বিরোধী নেতাদের বৈঠকের ধারাবাহিকতা অব্যাহয় রয়েছে। এর মাঝেই বিরোধী ঐক্যকে বিরাট বার্তা দিয়ে NCP সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। দিল্লিতে খাড়গের বাসভবনে এই বৈঠক হয়। এদিনের বৈঠকের পরে, খড়গে টুইট করে বলেছেন, “একসঙ্গে শক্তিশালী বিরোধীজোট গড়ার উজ্জ্বল এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্যেই আজ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার দেখা করেছেন। ভবিষ্যতের এবিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।” সূত্রের খবর প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ। মল্লিকার্জুন খড়গে এবং শরদ পাওয়ার জি বলেছেন যে বিরোধীদের একত্রিত করার একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা সব দলই এই প্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” “শরদ পাওয়ার আমাদের পথ দেখিয়েছেন” খড়গে এদিন বলেন, “আমি খুশি যে শারদ পাওয়ার মুম্বই থেকে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণে আমাদের পথ দেখিয়েছেন। গতকাল আমি এবং রাহুল গান্ধী নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদবের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি আমরা দেশে ঐক্য বজায় রাখব। আজ দেশে যেসব ঘটনা ঘটছে, দেশকে বাঁচাতে, গণতন্ত্র বাঁচাতে, সংবিধান রক্ষা করতে, চাকরি, মূদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে সরকারি সংস্থার অপব্যবহারের মতো একাধিক ইস্যুতে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত।” ‘সব বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলব’ এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার এদিন বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রধান বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বিরোধী জোটের বিষয়ে আলোচনা করা হবে – সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অথবা অরবিন্দ কেজরিওয়াল! আদানি ও বিরোধী ঐক্য নিয়ে শরদ পাওয়ারের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন নীতিশ কুমার এর আগে বুধবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও দিল্লিতে মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। নীতীশ কুমার আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া-মার্কসবাদী (সিপিআই-এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গেও দেখা করেছেন। বৈঠকে আরও বেশি সংখ্যক বিরোধী দলকে এক মঞ্চে আনার পাশাপাশি দেশের স্বার্থে বিরোধী জোটকে আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাওয়ারের বক্তব্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয় শারদ পাওয়ার সম্প্রতি আদানি ইস্যুতে জেপিসি তদন্ত প্রসঙ্গে বিরোধী শিবিরের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করেন। পাওয়ার বলেছিলেন যে জেপিসির পরিবর্তে, সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত একটি কমিটির উচিত বিষয়টির তদন্ত করা। তার বক্তব্যকে ঘিরে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পাওয়ার বলেছিলেন যে “এনসিপি আদানি ইস্যুতে জেপিসি তদন্তের দাবির সঙ্গে বিরোধীদের দাবির সঙ্গে একমত নয়, তবে বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে দল ঐক্যবদ্ধভাবে ভাবে কাজ করবে”। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Opp unity moves pawar talks with kharge rahul nitish meets left aap leaders
|
দিল্লিতে খাড়গের বাসভবনে এই বৈঠক হয় এদিনের বৈঠকের পরে, খড়গে টুইট করে বলেছেন, “একসঙ্গে শক্তিশালী বিরোধীজোট গড়ার উজ্জ্বল এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্যেই আজ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার দেখা করেছেন ভবিষ্যতের এবিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন” সূত্রের খবর প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে এই বৈঠক বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ মল্লিকার্জুন খড়গে এবং শরদ পাওয়ার জি বলেছেন যে বিরোধীদের একত্রিত করার একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আমরা সব দলই এই প্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” “শরদ পাওয়ার আমাদের পথ দেখিয়েছেন” খড়গে এদিন বলেন, “আমি খুশি যে শারদ পাওয়ার মুম্বই থেকে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণে আমাদের পথ দেখিয়েছেন
|
বিরোধী ঐক্যে বিরাট বার্তা, আজই রাহুল-খাড়গের সঙ্গে বৈঠক নীতীশ কুমারের
|
বিরোধী ঐক্যে বিরাট বার্তা, আজই রাহুল-খাড়গের সঙ্গে বৈঠক নীতীশ কুমারের
|
তামিমের জন্য ২৪ ঘণ্টা পর কলম ধরেছিলেন শাকিব, সতীর্থদের আবেগই কি ফেরাল তাঁকে?
|
আলু খাওয়া মানেই কি শরীরের জন্য ক্ষতিকর? রস করে খেলে কী সুফল মেলে?
|
lifestyle
|
পাতলা মাছের ঝোল কিংবা কষা মাংস— রান্নায় আলু না থাকলে মন যেন ভরতে চায় না। ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপের সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা আবার আলু পাতে নেন না। আলু খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল না মন্দ— তা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আলু মানেই শরীরের পক্ষে খারাপ, এই ধারণা একেবারে ভুল। সব কিছুর মতো আলুরও কিছু ভাল এবং মন্দ গুণ রয়েছে। আলু খেলে ডায়াবিটিসের মাত্রা বাড়া, ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়— এমন কিছু ধারণা প্রচলিত রয়েছে। তবে এগুলি ছাড়াও আলুর কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও আলু দারুণ উপকারী। তবে রান্নায় আলু না খেয়ে বরং কাঁচা আলুর রস খেতে পারেন। অনেক বেশি উপকার পাবেন। ১) আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি, পটাশিয়াম, আয়রন এবং কপার। রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়ামও। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যা কমায়। যে কোনও রকমের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রোজ খালি পেটে এই রস খেলেই হল। ২) প্রদাহ কমানোর ক্ষমতাও রয়েছে আলুর রসে। ফলে হাড়ের ব্যথাও কমে। ব্যথার জায়গায় এক টুকরো আলু কেটে লাগালেও অনেক সময় আরাম মেলে। ৩) গ্যাস, অম্বলের সমস্যা নিয়ে ভোগেন না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রোজের জীবনে গ্যাস, অম্বল, বুকজ্বালার সমস্যা লেগেই রয়েছে। তবে এমন সমস্যা হলে অনেকেই ভরসা রাখেন ওষুধের উপরে। তবে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন আলুর রসের উপর। ৪) ক্যানসারের আশঙ্কাও কমাতে পারে আলুর রস। এতে ‘গ্লাইকোক্যালয়েড’ নামে একটি উপাদান আছে। তাতে টিউমর নিয়ন্ত্রণ করার গুণ রয়েছে। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় আলুর এই গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছ।
|
তবে রান্নায় আলু না খেয়ে বরং কাঁচা আলুর রস খেতে পারেন অনেক বেশি উপকার পাবেন ১) আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি, পটাশিয়াম, আয়রন এবং কপার রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়ামও এতে উপস্থিত ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যা কমায় যে কোনও রকমের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে রোজ খালি পেটে এই রস খেলেই হল ২) প্রদাহ কমানোর ক্ষমতাও রয়েছে আলুর রসে ফলে হাড়ের ব্যথাও কমে
|
মেদ জমার ভয় আলু খান না? ওজন ঝরানোর ডায়েটে কী ভাবে আলু রাখলে বাড়বে না ভুঁড়ি?
|
বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য ‘দ্বিগুণ’ সুবিধে দিচ্ছে জিও
|
সৌদির প্রস্তাব, মেসির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ
|
দার্জিলিঙে সাড়া ফেলে শুরু বাগিচা শ্রমিক সম্মেলন
|
national
|
ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তা পৌঁছে দিয়েই শুরু হলো দু’দিনের অল ইন্ডিয়া প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কাস ফেডারেশন (এআইপিডব্লিউএফ)’র দশম সম্মেলন। বৃহস্পতিবার সকালে অল ইন্ডিয়া প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কাস ফেডারেশনের মিছিলে হাজির হয়েছিলেন বাগিচা শ্রমিকেরা। দার্জিলিঙ হেরিটেজ রেল স্টেশন থেকেই মিছিল শুরু হয়। গোটা দার্জিলিঙ শহর লাল রঙে সেজে উঠেছে বাগিচা শ্রমিক সংগঠন ও সিআইটিইউ’র লাল পতাকায়। গোটা ভারতের প্রতিনিধিরা সমবেত হয়েছিলেন দার্জিলিঙের হেরিটেজ রেলওয়ে স্টেশনের সামনে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগান থেকে শ্রমিক প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তরাই ও ডুয়ার্সের একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বহু বাগিচা শ্রমিক বাসে গাড়িতে চেপে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ভারতবর্ষের চা, কফি, সিঙ্কোনা, রবার সহ সমস্ত বাগিচা শ্রমিকদের ইউনিয়ন সমূহ নিয়ে গঠিত অল ইন্ডিয়া প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কাস ফেডারেশন। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন সিআইটিইউ সর্বভারতীয় সভানেত্রী কে হেমলতা, সিআইটিইউ সাধারণ সম্পাদক তপন সেন, সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সম্পাদক অনাদি সাহু, সংগঠনের নেতা এআর সিন্ধু, কৃষকসভার নেতা কৃষ্ণ প্রসাদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান সিপিআই(এম) নেতা কে বি ওয়াতার, চা শ্রমিক নেতা জিয়াউল আলম, গৌতম ঘোষ ও সুদীপ দত্ত। এছাড়াও ছিলেন শ্রমিক সঙ্ঘের লক্ষ্মণ প্রধান, দার্জিলিঙ তরাই ডুয়ার্স চিয়াকামান মজদুর ইউনিয়নের সুনীল রায়, হামরো পার্টি শ্রমিক সংগঠনের নেতা ডি কে গুরুঙ প্রমুখ।। জিমখানা ক্লাবে মিছিলকে স্বাগত জানান অভ্যর্থনা কমিটির পক্ষে সমন পাঠক, অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান ডম্বর শিবকোটি। তপন সেন বলেন, সারা দেশের বাগিচা শ্রমিকদের লড়াই আন্দোলনের বহু পুরানো সাক্ষী বহন করে চলেছে দার্জিলিঙ। সংগঠনের প্রথম সম্মেলন এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ৫০ বছর পরে এখানেই সংগঠনের দশম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়াও জিএনএলএফ, সিপিআরএম, গোর্খালিগ ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধি, দার্জিলিঙ পুরসভার চেয়ারম্যান রীতেশ পোর্টেল ও হামরো পার্টির অধ্যক্ষ অজয় এডওয়ার্ডও সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
|
এছাড়াও ছিলেন শ্রমিক সঙ্ঘের লক্ষ্মণ প্রধান, দার্জিলিঙ তরাই ডুয়ার্স চিয়াকামান মজদুর ইউনিয়নের সুনীল রায়, হামরো পার্টি শ্রমিক সংগঠনের নেতা ডি কে গুরুঙ প্রমুখ জিমখানা ক্লাবে মিছিলকে স্বাগত জানান অভ্যর্থনা কমিটির পক্ষে সমন পাঠক, অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান ডম্বর শিবকোটি তপন সেন বলেন, সারা দেশের বাগিচা শ্রমিকদের লড়াই আন্দোলনের বহু পুরানো সাক্ষী বহন করে চলেছে দার্জিলিঙ সংগঠনের প্রথম সম্মেলন এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ৫০ বছর পরে এখানেই সংগঠনের দশম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে
|
সর্বভারতীয় বাগিচা শ্রমিক সম্মেলনে সেজে উঠেছে দার্জিলিঙ
|
ব্রিকস সম্মেলনে যাচ্ছেন না পুতিন
|
ATM কার্ডের পিন জেনারেট করতে গিয়ে প্রতারকের পাল্লায়! লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন ব্যক্তি
|
করোনামুক্ত খালেদা জিয়া
|
politics
|
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জার্নালকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, বেগম জিয়ার করোনা নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু উনার ফুসফুস থেকে তিন ব্যাগ ফ্লুইড বের করা হয়েছে। কিন্তু করোনা ভালো হলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, এজন্য পরিবার ও দল উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চাচ্ছেন। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। পরে গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত সোমাবার শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয় পরে গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় গত সোমাবার শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়
|
খালেদা জিয়া করোনামুক্ত : ফখরুল
|
করোনাকে পাড়াছাড়া করা চাই
|
হ্যামের সহায়তায় বাড়ি ফিরলেন দুইজন
|
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬৮
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালে ৭২ জন আরোহী নিয়ে একটি প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে দেশটির কাস্কি জেলার পোখারায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আরোহীদের মধ্যে ৬৮ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিল। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নেপালের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, নেপালের পোখারায় ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরুলা বলেছেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল। স্থানীয় টেলিভিশনে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে এবং উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয়দের বিমানটির ধ্বংসাবশেষের চারপাশে জড়ো হতেও দেখা যায়। এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল এক টুইট বার্তায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় সরকারি সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়দের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল স্থানীয় টেলিভিশনে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে এবং উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয়দের বিমানটির ধ্বংসাবশেষের চারপাশে জড়ো হতেও দেখা যায় এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল এক টুইট বার্তায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় সরকারি সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়দের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন
|
নেপালে প্লেন বিধ্বস্ত, ১৬ লাশ উদ্ধার
|
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিমান দুর্ঘটনায় হত ৬
|
অ্যাডিনো নিয়ে নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের
|
কলকাতায় ঠিক কত কোভিড? ডিসেম্বরের হিসাবে কেন্দ্রে-রাজ্যে সংখ্যার বিশাল ফারাক
|
kolkata
|
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা মোকাবিলায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না কেন্দ্র। দেশ জুড়ে সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি এবং ওমিক্রন ঘিরে উদ্বেগের আবহে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের ওই চিঠিতে ডিসেম্বরে কলকাতায় করোনা সংক্রমণের যে দাবি করা হয়েছে, তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের ফারাক রয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে পাঠানো চিঠিতে রাজেশের দাবি, ডিসেম্বরের ১ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে কলকাতায় ৭,২৫৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, ওই সময় সীমার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৭২৪। ডিসেম্বরের ৪ সপ্তাহের পরিসংখ্যান পৃথক ভাবে দেখলেও কেন্দ্রের দাবি এবং রাজ্যের পরিসংখ্যানে গরমিল লক্ষ করা যাচ্ছে। যদিও কোনও নির্দিষ্ট তারিখের সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান দেয় তার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরের দিন সকালে রাজ্যওয়াড়ি সংক্রমণের তালিকা প্রকাশ করে। ফলে এ ক্ষেত্রে তারিখ সংক্রান্ত বিভ্রাটের সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু সেই হিসাব ধরলে আক্রান্তের সংখ্যার ফারাকটা আরও বেশি। রাজ্যের পরিসংখ্যান বলছে, ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ১,১৯১ জন, ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বর ১,২৪৮ জন, ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর ১,২২৭ জন এবং ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ১,৩৯৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। অর্থাৎ, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০৬৪। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি, তা আদতে ৭,২৫৬! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব চিঠিতে জানিয়েছেন, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সেখানে শৈথিল্যের কোনও অবকাশ নেই। সংক্রমণ ঠেকাতে ছ’দফা পদক্ষেপেরও সুপারিশ করেছেন তিনি। তাতে বলা হয়েছে, নিয়মিত করোনা পরীক্ষা, সংক্রমিতদের চিহ্নিতকরণ এবং বিচ্ছিন্নবাস ও নিভৃতবাসে পাঠানো, সংক্রমণের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিধি মেনে ‘গণ্ডিবদ্ধ এলাকা’ এবং ‘বাফার এলাকা’ ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন, টিকাকরণের গতি বাড়ানো এবং কঠোর ভাবে কোভিড-বিধি মেনে চলার কথা।
|
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা মোকাবিলায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না কেন্দ্র দেশ জুড়ে সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি এবং ওমিক্রন ঘিরে উদ্বেগের আবহে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের ওই চিঠিতে ডিসেম্বরে কলকাতায় করোনা সংক্রমণের যে দাবি করা হয়েছে, তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের ফারাক রয়েছে
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে পাঠানো চিঠিতে রাজেশের দাবি, ডিসেম্বরের ১ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে কলকাতায় ৭,২৫৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, ওই সময় সীমার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৭২৪
|
কী, কত বনাম কেন, কী ভাবে
|
বর্ষপূর্তিতে কত ডেটা বিনামূল্যে দিচ্ছে জিও?
|
বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কোলে বসে একরত্তি, পরনে হাফপ্যান্ট, এই অভিনেতাকে চিনতে পারছেন?
|
ডাক্তারি থেকে অভিনয়, কেমন জীবন ছিল ‘মেড ইন হেভেন ২’-এর রূপান্তরকামী মেহেরের?
|
entertainment
|
কর্নাটকের প্রথম রূপান্তরকামী মহিলা চিকিৎসক। চিকিৎসাক্ষেত্র থেকে সরাসরি অভিনয়জগতে আত্মপ্রকাশ করতে দেখা গেল ত্রিনেত্রা হালদার গুম্মারাজুকে। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মেড ইন হেভেন’ ওয়েব সিরিজ়ের দ্বিতীয় পর্বে মেহের চরিত্রে অভিনয় করে সেই নামেই অধিকাংশ জায়গায় পরিচিতি পাচ্ছেন ত্রিনেত্রা।
|
চিকিৎসাক্ষেত্র থেকে সরাসরি অভিনয়জগতে আত্মপ্রকাশ করতে দেখা গেল ত্রিনেত্রা হালদার গুম্মারাজুকে
|
বলিউডে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মেহজাবিন
|
জীবনে প্রথম বার নায়িকা হলেন ষাটে! মাকে দেখে ফ্যাশন ছেড়ে অভিনয়ে মন দেন মাসাবাও
|
উত্তর প্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় নিহত ১১
|
বেরিয়ে থাকা অঙ্গ শরীরে ঢুকিয়ে নতুন জীবন
|
kolkata
|
শরীরের বাইরে বেরিয়ে থাকা মাংসের থলির মধ্যেই ছিল যকৃৎ, পাকস্থলী এবং অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। জন্মগত সেই সমস্যা নিয়েই দিন কাটছিল চোদ্দো বছরের কিশোরীর। অবশেষে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভিতরে ঢুকিয়ে তাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দিল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। নদিয়ার বাসিন্দা হাফিজুল শেখের মেয়ে অসীমা খাতুনের ছোট থেকেই পেটের বাইরে একটি মাংসের থলি ঝুলে থাকত। কাপড় দিয়ে সেটিকে পিঠের সঙ্গে বেঁধে সব কাজ করত সে। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে থলিটির আয়তন। সেই সঙ্গে মাঝেমধ্যে পেটের প্রবল যন্ত্রণায় কষ্ট পেত অসীমা। সমস্যা বাড়তে থাকায় সম্প্রতি মেয়েকে এনআরএসে ভর্তি করেন হাফিজুল। হাসপাতালের শল্য বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক উৎপল দে জানান, পরীক্ষা করে বোঝা যায়, মেয়েটি ‘এগজ়োমফেলস মেজর’ রোগে আক্রান্ত। মাংসের থলির আকার প্রায় ১০ সেন্টিমিটার। সিটি স্ক্যানে দেখা যায়, ওই থলির ভিতরে যকৃৎ, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র এবং পিত্তাশয় রয়েছে। সম্প্রতি তিন ঘণ্টা ধরে আস্ত্রোপচার করেন উৎপলবাবু, সোমদেব শীল, রিয়া আগরওয়াল এবং অ্যানাস্থেটিস্ট অর্চনা রায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পেটের প্রাচীর তিনটি মাংসপেশি দিয়ে তৈরি। তার প্রথমটিকে কেটে ওই সমস্ত অঙ্গ পেটের ভিতরে ঢোকানো হয়। তার পরে সেই পেশি দিয়েই নতুন করে পেটের উপরের অংশ তৈরি করা হয়। উৎপলবাবু জানাচ্ছেন, মায়ের গর্ভে ভ্রূণের শরীরের বাইরেই যকৃৎ, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র-সহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি হয়। পেটের উপরের অংশ বা প্রাচীর তৈরির সময়ে সেগুলি ভিতরে ঢুকে যায়। কিন্তু ওই কিশোরীর ক্ষেত্রে কোনও ভাবে তা হয়নি।
|
নদিয়ার বাসিন্দা হাফিজুল শেখের মেয়ে অসীমা খাতুনের ছোট থেকেই পেটের বাইরে একটি মাংসের থলি ঝুলে থাকত কাপড় দিয়ে সেটিকে পিঠের সঙ্গে বেঁধে সব কাজ করত সে কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে থলিটির আয়তন সেই সঙ্গে মাঝেমধ্যে পেটের প্রবল যন্ত্রণায় কষ্ট পেত অসীমা সমস্যা বাড়তে থাকায় সম্প্রতি মেয়েকে এনআরএসে ভর্তি করেন হাফিজুল হাসপাতালের শল্য বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক উৎপল দে জানান, পরীক্ষা করে বোঝা যায়, মেয়েটি ‘এগজ়োমফেলস মেজর’ রোগে আক্রান্ত
|
ফের মরণোত্তর অঙ্গদানে জীবন পেলেন দুই রোগী
|
পুজোয় চাই নতুন ভাবনা
|
মানুষ হয়ে ওঠার তাগিদ
|
তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে, সকালে কলকাতার আকাশে দেখা যাবে কুয়াশা
|
kolkata
|
সামনেই শীতের মরসুম। বাঙালির লেপ-কম্বল আলমারি থেকে বার করার দিন। পরের সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শীত জাঁকিয়ে পড়তে চলছে বলে আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। তার একটু আঁচ পাওয়া গেল শুক্রবার সকালেও। শুক্র সকালে কলকাতার আকাশ ঢেকে ছিল কুয়াশায়। বেশ একটু শীত শীত ভাব অনুভব করেছেন কলকাতাবাসী। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৮.১ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে কম। আগামী কয়েক দিনও কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম থাকবে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা। তবে তাপমাত্রায় বিশাল কোনও রদবদল হবে না বলেও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও পারদ থাকবে নিম্নমুখী। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নীচে থাকবে। পুরুলিয়া, বীরভূম-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীত শীত ভাব বেশি অনুভূত হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামছে। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭-১৮ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।
|
বেশ একটু শীত শীত ভাব অনুভব করেছেন কলকাতাবাসী শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৮.১ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে কম আগামী কয়েক দিনও কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম থাকবে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা তবে তাপমাত্রায় বিশাল কোনও রদবদল হবে না বলেও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও পারদ থাকবে নিম্নমুখী
|
নিম্নচাপে পারদ ঊর্ধ্বমুখী, কবে কমবে কলকাতার তাপমাত্রা? পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
|
তাপমাত্রা কমলো কলকাতার
|
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
|
অ্যালবুমিনের গুরুত্ব
|
lifestyle
|
ছোট থেকেই অ্যালবুমিন কথাটির সঙ্গে কম-বেশি পরিচিত আমরা সবাই। ডিমের সাদা অংশে থাকে অ্যালবুমিন, যা শরীরের অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু অ্যালবুমিন কী এবং তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে না অনেকেরই। পুষ্টিবিদ কোয়েল পালচৌধুরীর কথায়, শরীরে অ্যালবুমিনের ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটলে কী সমস্যা হয় তা জেনে রাখা প্রয়োজন সকলের। তাতে অনেক গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা এড়ানো যায় গোড়াতেই। অ্যালবুমিন কী? মানবশরীরের অপরিহার্য প্রোটিন উপাদান অ্যালবুমিন, শরীরের কোষগুলিকে সুস্থ রাখতে, রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যালবুমিন পাওয়া যায় রক্তে। শরীরে রক্ত বা অন্য যে কোনও তরল, ওষুধ ইত্যাদিকে এক কোষ থেকে অন্য কোষে পরিবহনে সাহায্য করে অ্যালবুমিন। সাধারণ ভাবে অ্যালবুমিন জলে মিশে যেতে পারে। তবে তাপ পেলে তা জমাট বেঁধে যায়। কোয়েলের মতে, মানুষের শরীরে অ্যালবুমিনের চাহিদা মেটানো সহজ। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন থাকে। তা ছাড়া, দুধ থেকেও শরীরের প্রয়োজনীয় অ্যালবুমিন পাওয়া যায়। তবে ভিগানদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সামান্য কঠিন। এ ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় হল অ্যালবুমিনের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেও ‘হিউম্যান অ্যালবুমিন’ সাপ্লিমেন্টসের জোগান থাকে। তবে, পুষ্টিবিদ কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিন্তু বাজারচলতি অ্যালবুমিন সাপ্লিমেন্টস নেওয়া একেবারেইউচিত নয়। অ্যালবুমিনের ভাল-মন্দ একজন সুস্থ মানুষের রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৩.৪ থেকে ৫.৪ গ্রাম অ্যালবুমিন থাকা উচিত। শরীরে অ্যালবুমিনের পরিমাণ এর চেয়ে বেশি বা কম হওয়া ক্ষতিকর। অ্যালবুমিন শরীরে কোলয়েড অসমোটিক চাপ বজায় রাখে, যা অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। বিলিরুবিন, এনজ়াইম, হরমোন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ওষুধ ইত্যাদির বিপাকে সাহায্য করে অ্যালবুমিন। এক কথায়, এটি শরীরের নিজস্ব ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ার অন্যতম উপাদান। শরীরে অ্যালবুমিনের মাত্রার হ্রাস-বৃদ্ধি, কিডনি ও যকৃতে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধার সম্ভাবনাকেই নির্দেশ করে। অ্যালবুমিনের ভারসাম্যের অভাবে হাত-পা ফুলেও যেতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কোয়েল জানালেন, অ্যালবুমিন নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক রকমের ভ্রান্ত ধারণা থাকে। অ্যালবুমিনের মাত্রা কমে যাওয়াকে অনেকেই অপুষ্টির লক্ষণ বলে মনে করেন। আদতে অ্যালবুমিন কমার অর্থ শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হওয়া। সুতরাং, সাপ্লিমেন্টস নয়, রোজকার খাবারের মাধ্যমেই শরীরে এই চাহিদা পূরণ করা দরকার।
|
ছোট থেকেই অ্যালবুমিন কথাটির সঙ্গে কম-বেশি পরিচিত আমরা সবাই ডিমের সাদা অংশে থাকে অ্যালবুমিন, যা শরীরের অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় উপাদান কিন্তু অ্যালবুমিন কী এবং তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে না অনেকেরই পুষ্টিবিদ কোয়েল পালচৌধুরীর কথায়, শরীরে অ্যালবুমিনের ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটলে কী সমস্যা হয় তা জেনে রাখা প্রয়োজন সকলের তাতে অনেক গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা এড়ানো যায় গোড়াতেই অ্যালবুমিন কী? মানবশরীরের অপরিহার্য প্রোটিন উপাদান অ্যালবুমিন, শরীরের কোষগুলিকে সুস্থ রাখতে, রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে সাহায্য করে অ্যালবুমিন পাওয়া যায় রক্তে শরীরে রক্ত বা অন্য যে কোনও তরল, ওষুধ ইত্যাদিকে এক কোষ থেকে অন্য কোষে পরিবহনে সাহায্য করে অ্যালবুমিন সাধারণ ভাবে অ্যালবুমিন জলে মিশে যেতে পারে তবে তাপ পেলে তা জমাট বেঁধে যায়
|
সম্পাদক সমীপেষু: এলেবেলে স্কুলশিক্ষা
|
শ্রীলংকা সিরিজে খেলবেন সাকিব
|
উধাও ‘এটিকে হটাও’ প্রতিবাদ, মোহন-জনতা মেতেছে শুধু আইএসএল ট্রফি জেতা নিয়ে
|
প্রথম ভাষণে যা বললেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক। দায়িত্ব নিয়েই পূর্বসূরি লিজ ট্রাসের ভুল সংশোধনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ঋষি সুনাক। এরপর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দেন কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা। পূর্বসূরি লিজ ট্রাসের প্রতি সম্মান জানিয়ে ঋষি সুনাক বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চাওয়া ভুল নয়। এটি একটি মহৎ উদ্দেশ্য। সেটি করতে গিয়ে কিছু ভুল করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি। তবুও সেগুলো ভুলই। এসব সংশোধন করতে আমি বদ্ধপরিকর। নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শুধু কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমি আপনাদের জন্য দিনরাত কাজ করব। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অনেক কঠিন পরিস্থিতি চলছে। তবে চাপের কাছে কখনোই মাথানত করব না। আমি দেশকে ভবিষ্যতের পথে নেতৃত্ব দিতে এবং আপনাদের চাহিদাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান দিতে প্রস্তুত। এসময় যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতিও সম্মান জানান ঋষি সুনাক। বরিসের উদারতার কথা সবসময় মনে রাখবেন বলে উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে ঋষি সুনাককে হারিয়ে বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন লিজ ট্রাস। তবে মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তিনি। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
কিন্তু এগুলো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি তবুও সেগুলো ভুলই এসব সংশোধন করতে আমি বদ্ধপরিকর নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শুধু কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী আমি আপনাদের জন্য দিনরাত কাজ করব করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অনেক কঠিন পরিস্থিতি চলছে তবে চাপের কাছে কখনোই মাথানত করব না
|
ঋষির প্রধানমন্ত্রিত্ব নতুন ইতিহাস গড়লেও তাঁর সামনে এখন এক কঠিন যাত্রাপথ
|
ক্রিকেটারদের নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
|
ডায়মন্ড হারবারের কোথাও অবাধ ছাপ্পা, রাতেই লুঠ বাক্স
|
‘জেতাই লক্ষ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদ গুরুত্বপূর্ণ নয়,পরবর্তীতে কী হবে কে জানে’! গেহলট গুগলিতেও পাইলটের ঝোড়ো ব্যাটিং
|
politics
|
‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, নির্বাচনে জেতা গুরুত্বপূর্ণ, আমি নিজেও জানি না পরবর্তীতে কী হবে’, মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের বিরুদ্ধে এভাবেই নিজের প্রতিবাদ জারি রাখলেন শচীন পাইলট। ‘মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ আমাকে ছাড়ে না!’ সামনেই রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এমন মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন অশোক গেহলট। চতুর্থবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নে গেহলট বলেছেন ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চাই, কিন্তু এই পদ আমাকে ছাড়ছে না এবং সম্ভবত ছাড়বেও না’। তিনি বলেছিলেন যে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আমাকে বারবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাচ্ছেন নিশ্চয় তার কোনও কারণ রয়েছে’। গেহলটের এমন দাবির পালটা এবার আসরে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে রাজস্থানের মানুষ আবারও তাদের আশীর্বাদের হাত কংগ্রেসের মাথায় রাখবেন এবং কংগ্রেস পুনরায় ভোটে জয়ী হবে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, নির্বাচনে জেতা গুরুত্বপূর্ণ, আমি নিজেও জানি না পরবর্তীতে কী হবে’। রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচার জোরদার হয়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপি দুটি করে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এমন প্রশ্নে পাইলট বলেন, প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে নির্বাচনে জেতা। শচীন পাইলটের সঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সম্পর্ক তিক্ত। গেহলট তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে হারানোর মত মারাত্মক অভিযোগও এনেছিলেন। পাশাপাশি তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেও কটাক্ষ করেছেন। শচীন পাইলট বলেছেন , “মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধ ভুলে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। আমাদের সকলকে এখন একসঙ্গে কাজ করতে হবে”। পাইলট বলেন, “আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দগুলি পিছনে ফেলে রাজস্থানের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে। তাঁরা আমাদের কাছ থেকে অনেক বেশি’ই আশা করেন। “ শচীন পাইলট পুরোপুরি নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। সরকার গঠিত হলে তাকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রশ্নে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে নির্বাচনে জেতা আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আগে নির্বাচনে জেতা নিশ্চিত করি তারপর দেখব কী হয়। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি নির্বাচনে পুরোপুরি বিভ্রান্ত। বসুন্ধরা রাজেকে তার নিজের দলে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করেন পাইলট। কংগ্রেস এখন পর্যন্ত দুটি তালিকা প্রকাশ করেছে। শনিবার প্রকাশিত প্রথম তালিকায় ৩৩ জন এবং রবিবার প্রকাশিত দ্বিতীয় তালিকায় ৪৩ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ কংগ্রেস এখন পর্যন্ত ২০০টির মধ্যে ৭৬ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Election result is our first focus sachin pilot
|
রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচার জোরদার হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি দুটি করে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এমন প্রশ্নে পাইলট বলেন, প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে নির্বাচনে জেতা শচীন পাইলটের সঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সম্পর্ক তিক্ত গেহলট তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে হারানোর মত মারাত্মক অভিযোগও এনেছিলেন পাশাপাশি তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেও কটাক্ষ করেছেন শচীন পাইলট বলেছেন , “মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধ ভুলে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন আমাদের সকলকে এখন একসঙ্গে কাজ করতে হবে” পাইলট বলেন, “আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দগুলি পিছনে ফেলে রাজস্থানের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে
|
গেহলট বেঁকে বসেছেন, তাই কি কংগ্রেস সভাপতি পদে হাইকমান্ডের বাজি ডিগ্গি রাজা?
|
লালকেল্লা থেকে স্বপ্নের বেসাতি মোদির, দেশবাসী মোহিত হবে কি?
|
‘অনেক দিন একটা কথা বলব ভাবছিলাম…’ দলকে জিতিয়ে জমিয়ে রাখা কোন কথা বললেন কোহলি?
|
পুরভবনে বৈঠক, ডেঙ্গি সামলাতে কলকাতায় চালু হবে ‘ফিভার ক্যাম্প’
|
kolkata
|
ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে কলকাতা পুরসভার কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে শহরের ২৫টি ওয়ার্ড। তাই আজ, মঙ্গলবার থেকে ‘ফিভার ক্যাম্প’ চালু করা হচ্ছে ওই সমস্ত ওয়ার্ডে। শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ যে হারে বাড়ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সোমবার পুরভবনে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ প্রমুখ। বৈঠক শেষে মেয়র জানান, শহরের ২০-২৫টি ওয়ার্ড বেশি রকম ডেঙ্গিপ্রবণ। অন্যান্য ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ছড়ালেও এই সমস্ত ওয়ার্ডে প্রকোপ তুলনায় বেশি। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২৫টি ওয়ার্ডেই ফিভার ক্যাম্প চালু হচ্ছে। মেয়রের কথায়, ‘‘এই সমস্ত ক্যাম্প আগামী কয়েক দিন চালু থাকবে। এ ছাড়া, শহরের চারটি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাই ডেঙ্গি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।’’ ওই চার হাসপাতাল হল: বেলেঘাটা আইডি, এম আর বাঙুর, এসএসকেএম এবং স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন। মেয়র জানান, শিশুদের মধ্যেও ডেঙ্গি বাড়তে থাকায় বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বি সি রায় শিশু হাসপাতালে কিছু শয্যা শুধু ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশুদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এর পাশাপাশি, বেলেঘাটা আইডি ও এম আর বাঙুর হাসপাতালে যথাক্রমে ৮০টি ও ৬০টি করে শয্যা বরাদ্দ থাকবে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য। সেই সঙ্গে ওই দুই হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য ১০টি করে আইসিসিইউ শয্যাও রাখা থাকছে। মেয়র জানান, ডেঙ্গিবাহী মশা কোথায় কোথায় জন্মাচ্ছে, তা খুঁজে বার করতে ড্রোনের মাধ্যমেও চলবে নজরদারি। ফাঁকা বাড়ি, বন্ধ কারখানা থেকে শুরু করে শহরের কোথাও মশার লার্ভা মিললে ড্রোনের মাধ্যমেই মশার তেল স্প্রে করা হবে। স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘‘বেসরকারি হাসপাতাল বা ল্যাবরেটরিতে ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তা খুব দ্রুত স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভাকে জানাতে হবে। অন্যথায় ওই সমস্ত বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ স্বাস্থ্যসচিব জানান, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারি আইন রয়েছে। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র। মেয়রের দাবি, এ পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গিতে মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, সেগুলি হল: এক নম্বর ওয়ার্ডের কাশীপুর লকগেট, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের চেতলা হাট রোড, ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কার্ল মার্ক্স সরণি, ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুর কলোনি, নিউ আলিপুরের বিভিন্ন ব্লক, ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালীঘাট রোড, কালী লেন, ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাওয়ালি মণ্ডল রোড, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পূর্বাচল রোড, ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজডাঙা স্কুল রোড, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ স্মৃতি কলোনি, ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জিপাড়া রোড, ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এস এন রায় রোড এবং ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের বামাচরণ রায় রোড, বিবি রোড ইত্যাদি। এ ছাড়াও পরিবহণ দফতরের অফিস, ডিপো থেকে শুরু করে পুরনো কারখানায় মশার লার্ভা মিলেছে বলে জানান মেয়র। আজ, মঙ্গলবার থেকে বাজারে বাজারে ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রচার শুরু করবে পুরসভা। অটোয় স্পিকার লাগিয়ে প্রচার ছাড়াও হ্যান্ড মাইকে চলবে বার্তা দেওয়া। মেয়র বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে, জ্বর কমে যাওয়ার পরে ডেঙ্গি মারাত্মক আকার নিচ্ছে। এটা হালকা ভাবে নিলে চলবে না। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষায় নজর দিতে হবে।’’
|
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ প্রমুখ বৈঠক শেষে মেয়র জানান, শহরের ২০-২৫টি ওয়ার্ড বেশি রকম ডেঙ্গিপ্রবণ অন্যান্য ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ছড়ালেও এই সমস্ত ওয়ার্ডে প্রকোপ তুলনায় বেশি পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২৫টি ওয়ার্ডেই ফিভার ক্যাম্প চালু হচ্ছে মেয়রের কথায়, ‘‘এই সমস্ত ক্যাম্প আগামী কয়েক দিন চালু থাকবে এ ছাড়া, শহরের চারটি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাই ডেঙ্গি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে’’ ওই চার হাসপাতাল হল: বেলেঘাটা আইডি, এম আর বাঙুর, এসএসকেএম এবং স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন মেয়র জানান, শিশুদের মধ্যেও ডেঙ্গি বাড়তে থাকায় বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বি সি রায় শিশু হাসপাতালে কিছু শয্যা শুধু ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশুদের জন্য বরাদ্দ থাকবে এর পাশাপাশি, বেলেঘাটা আইডি ও এম আর বাঙুর হাসপাতালে যথাক্রমে ৮০টি ও ৬০টি করে শয্যা বরাদ্দ থাকবে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য সেই সঙ্গে ওই দুই হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য ১০টি করে আইসিসিইউ শয্যাও রাখা থাকছে
|
ডেঙ্গির চিকিৎসায় ফের প্রশিক্ষণ স্বাস্থ্য ভবনের
|
রবিবার কোন উইকেটে সামলাতে হবে কলকাতাকে, জানেনই না হার্দিকের দলের ব্যাটার
|
মোদী মুখেই ভরসা রাজ্য বিজেপির, মেগা রোড’শো ঘিরে উপচে পড়ল ভিড়
|
শুভমনে মোহিত গুজরাত! ফাইনালে ধোনির চেন্নাইয়ের সামনে হার্দিক, রশিদরা, স্বপ্নভঙ্গ রোহিতদের
|
sports
|
আইপিএলের ফাইনালে উঠতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হত। শুক্রবার সেই ম্যাচের শুরুটাই দুর্দান্ত করল গুজরাত টাইটান্স। শুভমন গিলের শতরান তাদের বড় রান তুলতে সাহায্য করে। কথায় আছে, সকালটাই বুঝিয়ে দেয়, দিনটা কেমন যাবে। হার্দিক পাণ্ড্যরাও বুঝিয়ে গিয়েছিলেন ম্যাচটা তাদের দিকেই যাচ্ছে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলল গুজরাতের বোলাররা। মুম্বইকে ৬২ রানে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে গুজরাত। টানা দু’বার। শুক্রবার আমদাবাদে বিকেল থেকে বৃষ্টি। টসই করা গেল না সন্ধে ৭টার সময়। ৪৫ মিনিট পিছিয়ে দেওয়া হয় টস। খেলা শুরু হয় রাত ৮টায়। শুভমন এবং ঋদ্ধিমান সাহা ওপেন করতে নেমে প্রথম ছ’ওভারে শেষ ভাবে বড় শট খেলতে পারেননি। শুভমন ইনিংসের মাঝে বলেন, “নতুন বলটা খেলতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। তবে দু’ওভার পর থেকেই বল ভাল ভাবে ব্যাটে আসছিল।” সাময়িক অসুবিধা কাটাতে যদিও বেশি সময় নেননি শুভমন। ১৬ বলে ১৮ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হন। পীযূষ চাওলা গুজরাতের ওপেনিং জুটি ভাঙেন। এর মাঝে শুভমনের ক্যাচ ফেলেন টিম ডেভিড। পীযূষের বলেই স্টাম্পের সুযোগ ফস্কান ঈশান কিশন। দু’বার জীবন ফিরে পাওয়া শুভমন সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগালেন। ৩২ বলে ৫০ রানে পৌঁছে যান তরুণ ওপেনার। এর পর ঝড় তুললেন তিনি। ৫০ থেকে ১০০ রানে পৌঁছাতে নিলেন মাত্র ১৭টি বল। গত ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া আকাশ মাধোয়াল এই ম্যাচ ভুলে যেতে চাইবেন। শুভমনের সামনে তাঁকে বার বার অসহায় লাগল। ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে গেলেন আকাশ। শুভমনের উইকেটটিও তিনি নেন। কিন্তু ৬০ বলে ১২৯ রান করে ডেভিডের হাতে যখন ক্যাচ দিলেন শুভমন, গুজরাতের স্কোরবোর্ডে তখন ১৯২ রান। শুভমন যখন ১০টি চার এবং সাতটি ছক্কা দিয়ে নিজের ইনিংস সাজাচ্ছেন, উল্টো দিকে সাই সুদর্শন তখন সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। চাপ মুক্ত ভাবে শুভমনকে স্ট্রাইক দিচ্ছেন, কখনও আবার বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন। ৩১ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। ১৩৮ রানের জুটি গড়েন শুভমন এবং সুদর্শন। 𝙂𝙄𝙇𝙇𝙞𝙖𝙣𝙩! 👏👏Stand and applaud the Shubman Gill SHOW 🫡🫡#TATAIPL | #Qualifier2 | #GTvMI | @ShubmanGill pic.twitter.com/ADHi0e6Ur1 দর্শনীয় ইনিংস খেলে শুভমন ফেরার পর মুম্বইয়ের লক্ষ্য ছিল বড় রান তোলা। তাই সুদর্শনকে তুলে নিয়ে রশিদ খানকে নামিয়ে দেয় তারা। দু’টি বল খেলা আফগান অধিনায়ক পাঁচ রান করেন। অধিনায়ক হার্দিক করেন ১৩ বলে ২৮ রান। তিনি দু’টি ছক্কা এবং দু’টি চার মারেন। ২৩৩ রান তোলে গুজরাত। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের ম্যাচে যা চাও আরও বাড়িয়ে দেয় রোহিতদের। টস জিতেছিলেন রোহিত। মনে করেছিলেন রানের লক্ষ্য দেখে তাড়া করবেন। নিজেদের হাতে রাখবেন ম্যাচের রাশ। বৃষ্টি পড়ায় সেই সময় তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হয়েছিল। কিন্তু শুভমনের দাপটে সেই সব আশা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে যোগ হয় ঈশানের চোট। মাঠে সতীর্থ ক্রিস জর্ডনকে বাহবা জানাতে গিয়ে তাঁর কনুইয়ে আঘাত লাগে ঈশানের। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। ব্যাট করতেও নামতে পারেননি। তাঁর জায়গায় মুম্বই নামায় বিষ্ণু বিনোদকে। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নেহাল ওয়াদেরা। তাঁরা কেউই বড় রান করতে পারেননি। এর মাঝে কনুইয়ে চোট লাগে ক্যামেরন গ্রিনের। তিনি প্রথমে উঠে গেলেও পরে আবার ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তাতেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। মুম্বইয়ের হয়ে রান তাড়া করার কাজটা করেন তিলক এবং সূর্যকুমার। তিলক ১৪ বলে ৪৩ রান করেন। সূর্য করেন ৩৮ বলে ৬১ রান। জিততে হলে এই দু’জনের এক জনকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হত। সেটাই পারলেন না তাঁরা। কখনও রশিদ খান, কখনও জস লিটল মুম্বইয়ের জুটি ভেঙে দিলেন। আর শেষের কাজটা করলেন মোহিত শর্মা। তাঁকে প্রথম দিকে বলই করাননি হার্দিক। ডেথ ওভারের জন্য রেখে দিয়েছিলেন মোহিতকে। সত্যিই মৃত্যু ফাঁদ পাতলেন তিনি। ২.২ বলে পাঁচ উইকেট নিলেন মোহিত। দিলেন ১০ রান। শুভমন যেটা শুরু করেছিলে, মোহিত সেটাই শেষ করলেন। ফাইনালে পৌঁছে গেল গুজরাত। সামনে এ বার ধোনির চেন্নাই। রবিবার সেই লড়াই দেখার জন্য ভিড় হবে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে।
|
শুভমন যখন ১০টি চার এবং সাতটি ছক্কা দিয়ে নিজের ইনিংস সাজাচ্ছেন, উল্টো দিকে সাই সুদর্শন তখন সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন চাপ মুক্ত ভাবে শুভমনকে স্ট্রাইক দিচ্ছেন, কখনও আবার বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন ৩১ বলে ৪৩ রান করেন তিনি ১৩৮ রানের জুটি গড়েন শুভমন এবং সুদর্শন 𝙂𝙄𝙇𝙇𝙞𝙖𝙣𝙩! 👏👏Stand and applaud the Shubman Gill SHOW 🫡🫡#TATAIPL | #Qualifier2 | #GTvMI | @ShubmanGill pic.twitter.com/ADHi0e6Ur1 দর্শনীয় ইনিংস খেলে শুভমন ফেরার পর মুম্বইয়ের লক্ষ্য ছিল বড় রান তোলা তাই সুদর্শনকে তুলে নিয়ে রশিদ খানকে নামিয়ে দেয় তারা দু’টি বল খেলা আফগান অধিনায়ক পাঁচ রান করেন অধিনায়ক হার্দিক করেন ১৩ বলে ২৮ রান তিনি দু’টি ছক্কা এবং দু’টি চার মারেন ২৩৩ রান তোলে গুজরাত ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের ম্যাচে যা চাও আরও বাড়িয়ে দেয় রোহিতদের টস জিতেছিলেন রোহিত মনে করেছিলেন রানের লক্ষ্য দেখে তাড়া করবেন নিজেদের হাতে রাখবেন ম্যাচের রাশ বৃষ্টি পড়ায় সেই সময় তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হয়েছিল কিন্তু শুভমনের দাপটে সেই সব আশা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায় সেই সঙ্গে যোগ হয় ঈশানের চোট মাঠে সতীর্থ ক্রিস জর্ডনকে বাহবা জানাতে গিয়ে তাঁর কনুইয়ে আঘাত লাগে ঈশানের সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান ব্যাট করতেও নামতে পারেননি তাঁর জায়গায় মুম্বই নামায় বিষ্ণু বিনোদকে রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নেহাল ওয়াদেরা তাঁরা কেউই বড় রান করতে পারেননি এর মাঝে কনুইয়ে চোট লাগে ক্যামেরন গ্রিনের তিনি প্রথমে উঠে গেলেও পরে আবার ব্যাট করতে নেমেছিলেন
|
কেকেআরের থেকে হার্দিকের গুজরাত অনেক ভাল! বোধনের এক দিন আগে বিতর্কে প্রাক্তন নাইট
|
মণিপুর মনে করাচ্ছে সেই গুজরাটকে, তাই কী পালাচ্ছেন মোদী? প্রশ্ন ইয়েচুরির
|
একদিনে সংক্রমণে শীর্ষে জাপান, মৃত্যুতে ব্রাজিল
|
মহানগরের শ্রমজীবীরা
|
state
|
বেহালার বাবু নতুন একটা চাকরিতে জয়েন করেছে। গত তিন বছরের মধ্যে এটা ওর চার নম্বর চাকরি। প্রথমে ছিল সেলসের কাজ, দোকানে দোকানে ঘুরতে হতো সারাদিন। ধরা বাঁধা মাস মাইনে ছিল না, যত মাল বেচতে পারবে সেই মতো কমিশন সিস্টেম। কোনও মাসে ছয়-সাড়ে ছয়, কোনও মাসে হাজার সাতেক। লকডাউনের ধাক্কায় সে কাজটা গিয়েছিল। কয়েক মাস বেকার থাকার পর জুটেছিল আরেকটা কাজ, সেটা একটা বেসরকারি বিমা কোম্পানিতে। সেখানেও দিনে প্রায় চোদ্দ ঘণ্টা খাটুনি, মাসে সাত হাজার। মেরেকেটে তিন মাস মতো ছিল সে চাকরি, সেটাও হারালো একদিন। তারপর সে ঢুকেছিল আরেকটি কোম্পানিতে, অ্যাকাউন্টসের কাজে। এই নভেম্বরে সেখান থেকেও ছাঁটাই। তিন বছরে তিনবার ছাঁটাইয়ের পর চার নম্বর চাকরিতে জয়েন করেছে সে। তবে এটাও যে কতদিন থাকবে, বলা মুশকিল। বাবু একা নয়। বেহালা থেকে বেলগাছিয়া— ছড়িয়ে রয়েছে এরকম লক্ষ ছেলেমেয়ে। কারো কোনও স্থায়ী কাজ নেই। কাজের ঘণ্টার বাপ-মা নেই। বেধড়ক্কা খাটুনি, মজুরি যৎসামান্য। আর হবে নাই বা কেন? বাজারে কত বেকার বলুন তো! সরকারি অফিস, কাছারি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, ফায়ারব্রিগেড, রেল, ব্যাঙ্ক, বিমায়, এখানে ওখানে কত পদ ফাঁকা! নিয়োগ নেই। চাকরি নেই। গ্রামে গঞ্জে পাড়ায় পাড়ায় পিলপিল করছে বেকার ছেলেমেয়েরা। এদেরকে দিয়ে যত কম মজুরিতে সম্ভব খাটিয়ে নেওয়াই যায়। একটা ঘটনার কথা বলি! নতুন যে কাজটায় ঢুকেছে বাবু সেইখানে মালিক বলেছে, দিনে ৯ ঘণ্টা ডিউটি, ছুটিছাটা নেই, মাসে ৮ হাজার দেব।’’ তোতলাতে তোতলাতে বাবু মালিককে শুধিয়েছিল, ‘‘এত কম মাইনেতে এতটা খাটুনি কি পোষাবে? বলুন?’’ হাত নেড়ে মালিকটি বলেছে, ‘‘না পোষালে ফুটে যাও। বাইরে কত লোকে কাজ খুঁজছে, জানো? ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হবে না আমাদের!’’ গল্পটা হলো এই! ওখানে মোদী, এখানে দিদির আমলে এত যে বেকারত্ব বেড়েছে বাজারে, এইটাই মালিকপক্ষের সামনে হাজির করেছে সুবর্ণ সুযোগ। কম মজুরিতে বেশি খাটিয়ে নেওয়ার। আরও, আরও, আরও বেশি মুনাফা লোটার। পরিস্থিতিটা এরকম বলেই অভাবী মানুষও বাধ্য হচ্ছেন যেমন তেমন কাজে ঢুকে যেতে। কেউ সেলসে, কেউ শপিং মলে, কেউ কোনও নার্সিংহোমে, কল সেন্টারে, ক্যাফেতে, রেস্টুরেন্টে, কেউ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে, কেউ ট্রান্সপোর্ট লাইনে বা অন্য কোথাও। শহরের বেকার তরুণরা দলে দলে ভিড়ে যাচ্ছে সুইগি, জোমাটো, ব্লিংকিট, ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো ডেলিভারি চেইনে। যেমন প্রশান্ত, মানিকতলার। বেঙ্গল কেমিক্যালসের ঠিকা শ্রমিক ছিল সে, ছাঁটাই হয়েছে। এখন সুইগির জামা পরে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছায়। নিজেরই অভিজ্ঞতায় বুঝেছে, এ এক অন্য লেভেলের শোষণের জাঁতাকল। এমনকি, ‘শ্রমিক’-এর স্বীকৃতিটুকু যেখানে মেলে না। কোম্পানি ডাকে ‘পার্টনার’ নামে; আর যেহেতু ‘পার্টনার’ তাই ব্যবসায় ইনভেস্টও করতে হয় তাকে। বাইক, বাইকের তেল, মোবিল, মেনটেনেন্স, মোবাইল রিচার্জ সবই তার খরচা। সাথে হাড় ভাঙা খাটুনি। সব খরচখরচার টাকা দিয়ে, যেটুকু ইনকাম, তাতে পড়তায় পোষায় না। এরও উপরে আছে একতরফা আইডি ব্লকিংয়ের সমস্যা। অর্থাৎ কাস্টমার খারাপ রেটিং দিলে কোম্পানি তৎক্ষণাৎ আইডি ব্লক করে দেয়, তখন কাজ বন্ধ। এও আদতে ছাঁটাই। তাছাড়া সময়ে খাবার পৌঁছতে গিয়ে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে দেখার কেউ নেই। না কোম্পানি, না সরকার— ক্ষতিপূরণ দেয় না কেউই। এই রকমই নানান রকম কাজ, নানান রকম শোষণ। যেমন কাজই হোক না কেন, যা মাইনে মিলবে তাতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এই দুর্মূল্যের বাজারে তো নয়ই। ফলে একজন শ্রমজীবী মানুষকে এখন একদিনে দুটো, এমনকি তিনটে আয়ের রাস্তা খুঁজতে হচ্ছে। দিনে কর্পোরেশনের হেলথ সেন্টারে অস্থায়ী শ্রমিক সন্ধেবেলা পাড়ার মোড়ে রোল-চাউমিনের দোকান দিচ্ছেন। দিনের বেলা ফুটপাতে হকারি করছেন, রাতে কোনও বিল্ডিংয়ের বাইরে টুলে বসে পড়ছেন সিকিউরিটি গার্ডের পোশাকে। সকালে কোনও বেসরকারি অফিসে যাচ্ছেন, সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার সময় কোনও অ্যাপে লগ-ইন করে তিন চার ট্রিপ বাইক চালিয়ে নিচ্ছেন। সারাদিন হয়তো এর-ওর-তার বাড়িতে ফাইফরমাশ খেটে দিচ্ছেন, সন্ধেবেলা অটো চালাচ্ছেন কয়েক ঘণ্টা, তারই সাথে হয়তো জমি বাড়ির দালালিও করছেন। এক কথায়- খুঁটে খাচ্ছেন। কাজের কোনও নিরাপত্তা নেই। আজ আছে, কাল থাকবে কিনা বলা মুশকিল। বাজারে যত রকমের কাজ আছে এখন, সবই করানো হচ্ছে অস্থায়ী শ্রমিকদের দিয়ে। ঠিকা এজেন্সিগুলি সিকিউরিটি গার্ড থেকে লিফটম্যান, হাউস কিপিংয়ের লোক, ক্যান্টিন কর্মী, ক্লার্ক, এমনকি ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েট, টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ারও সরবরাহ করছে। পদ অনুযায়ী কারো মাইনে ৩-৬ হাজার, কারো ৬-৯ মতো। অল্প কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সামান্য বেশি। তবে যতই হোক না কেন, সেই একই কাজ একজন স্থায়ী কর্মীকে দিয়ে করালে যত দিতে হত, তার অর্ধেকেরও অনেক কম তো বটেই। শুধু বেসরকারি কোম্পানিগুলিই নয়, আজ সরকারি সংস্থাগুলিরও প্রায় সব ধরনের কাজই করানো হচ্ছে অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে। আজকের তারিখে শুধু কলকাতা কর্পোরেশনেই প্রায় ১৫০০০ অস্থায়ী ও একশো দিনের কর্মী কর্মরত। অস্থায়ী কর্মীদের কেউ ঠিকা কোম্পানির অধীন, কেউবা সরাসরি কর্পোরেশনের অধীন ক্যাজুয়াল শ্রমিক। কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের ক্যাজুয়াল কর্মীরা কাজ করছেন গত ১৫-১৬ বছর ধরে। এখনও স্থায়ী করা গেল না তাঁদের? অথচ এই বিভাগেই তো গাদা গাদা পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। স্থায়ীকরণ তো ছেড়েই দিন, মাসিক কোনও নির্দিষ্ট বেতনও নেই এঁদের। দৈনিক রোজের হিসাবে আয়। ‘নো ওয়ার্ক নো পে’। কর্পোরেশনের ক্যালেন্ডারে লাল কালি দেওয়া ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়। ছুটি তো মেলেই না, এমনকি, ছুটির দিনের মাইনেও জোটে না বছরের পর বছর। স্বাস্থ্য বিভাগের মতোই ড্রেনেজ, কনজারভেন্সি কিংবা কর্পোরেশনের ওয়ার্কশপ— সব বিভাগেই হাজার হাজার ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করছেন; কেউ ১০ বছর, কেউ ১৫ বা তারও বেশি। কর্পোরেশনের বাইরেও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, অফিস, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালের অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের হালত একই। সর্বত্রই আজ স্থায়ী কর্মচারীর চেয়ে এরকম কর্মচারীর সংখ্যাই বেশি। কোথাও কোথাও দ্বিগুণ। এঁদের স্থায়ীকরণের বালাই তো নেই-ই, সমকাজে স্থায়ী কর্মীদের সমান মজুরিও নেই। নেই স্থায়ী কর্মীদের সমান ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধেও। প্রভিডেন্ড ফান্ড, ইএসআই নেই অধিকাংশ জায়গায়। যেকটি জায়গায় প্রভিডেন্ড ফান্ডের অধিকার লড়াই করে অর্জন করা গেছে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে, কর্মচারীর ভাগের টাকা জমা পড়লেও মালিকের দেয় অর্থ নিয়মমাফিক জমা পড়ে না। বহু লড়াইয়ের পরে দীর্ঘ ১১ বছর পরে এই বছর রাজ্য সরকার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছে মাত্র ১০%। রাজ্যের (তৎকালীন) শ্রমমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত, আজ চার মাস কেটে গেলেও, সরকারেরই দপ্তরগুলিতে লাগু করা হলো না। খোদ কলকাতা কর্পোরেশনও বর্ধিত ন্যূনতম মজুরি দেওয়া চালু করেনি এখনও। এমনই হাজার অনিয়ম, হাজার অন্যায়। প্রতিমাসে নিয়মমতো বেতন পান সব অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারী? পান না। ‘এই মাসে কবে বেতন হবে’, ভাবতে ভাবতেই তো কেটে যায় পুরো মাস। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেতন হয় মাসের শেষ সপ্তাহে, অনেক ক্ষেত্রে তাও হয় না। জানুয়ারির মাইনে হয় ফেব্রুয়ারির শেষে। কোথাও কোথাও একসাথে দু-তিন মাসের। একেই তো ওই ক’টা টাকা মাইনে, সেটাও যদি এমন অনিশ্চিত হয়! এমন উদ্বেগে আর অনিশ্চয়তায় বেঁচে থাকা যায়? মুখ বুজে সয়ে যাওয়া যায়? যেতে পারে? উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামোর রিমা হেলা, হুগলীর তাজমিরা বিবিরা তো চিরটাকাল মুখ বুজেই সইছিলেন সবকিছু। সমস্ত শোষণ, বঞ্চনা। বহু ক্ষোভ ছিল বুকে, সেই সব বুকেই চেপে রেখেছিলেন। মুখ ফুটে বলেননি কখনো। কিন্তু কাঁহাতক? একদিন বাঁধ ভাঙল সহ্যের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি ছাত্র হস্টেলে কর্মরত রিমা, তাজমিরার মতন শতাধিক অস্থায়ী শ্রমিক সরাসরি নেমে এলেন পথে। অত্যাচারী ঠিকাদারের সাথে মুখোমুখি সংঘাতের পথে। ইউনিয়নের লাল ঝান্ডা হাতেই। মিছিলে হাঁটলেন, স্লোগান তুললেন, অবস্থানে বসে রইলেন, উপাচার্যকে ঘেরাও করলেন, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে থানাতেও গেলেন, মামলাও লড়লেন আদালতে, ধর্মঘটও করলেন নায্য দাবিতে। এবং দাবি আদায়ও করলেন ধাপে ধাপে। মোদ্দা কথাটা হলো, শোষণ বঞ্চনা যেমন রয়েছে, মহানগরের শ্রমজীবীদের জীবনে তেমনই লড়াইও আছে। ভরপুর আছে। আমাদের রাজ্যের সরকার, দেশের সরকার, মায় দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশেরই সরকার এমন নীতিতে চলছে যার ফলে পরিস্থিতিটা অসহনীয় হয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষের কাছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের ঠিকা ও অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীরা যেমন লড়াই চালাচ্ছেন, তেমনই ধারাবাহিক লড়াই লড়ছেন এই কলকাতারই হকাররাও। লাইসেন্সের দাবিতে, জোরজবরদস্তি উচ্ছেদের সম্ভাবনা রুখে দিতে। তৃণমূলের মাতব্বরদের নিয়ে বানানো অবৈধ ভেন্ডিং কমিটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় ভেন্ডিং আইন মোতাবেক কমিটি বানানোর দাবিতে। লড়ছেন নির্মাণ শিল্পের শ্রমিকরাও সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকেরা যেসকল অধিকার অর্জন করেছিলেন, ছলে বলে কৌশলে সেই সবই কেড়ে নিচ্ছে সরকার। এমনকি নির্মাণ কর্মী কল্যাণ পর্ষদের ১৬০০ কোটি টাকার তহবিলও আত্মসাৎ করেছে মমতা সরকার। শ্রমিকদের তিলে তিলে জমানো এই টাকা খেলা, মেলা, ক্লাবে ক্লাবে অনুদানে খরচ হচ্ছে। পরিবহণ শ্রমিকদের, বিড়ি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কবচগুলিও লোপাট হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিআইটিইউ অনুমোদিত ইউনিয়নগুলি লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে অবিরাম লড়ে যাচ্ছেন আশা-মিড ডে মিল সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মীরা। দোকান সংস্থার কর্মচারিরা, সিকিউরিটি ও আনুযঙ্গিক পরিষেবার কর্মীরা, বেকারি থেকে হোসিয়ারি শিল্পের শ্রমিকেরা নিজ নিজ লড়াই লড়ছেন ইউনিয়নের পতাকাতলে। এমনকি ডেলিভারি শ্রমিকরাও গড়েছেন নিজস্ব ইউনিয়ন, সিআইটিইউ অনুমোদিত। কলকাতায় সে ইউনিয়নের ধারাবাহিক আন্দোলনের চাপে, এই তো গত সপ্তাহেই, বেঙ্গালুরু থেকে ছুটে আসতে বাধ্য হয়েছেন সুইগির দুই হোমড়া চোমড়া আধিকারিক। বসতে বাধ্য হয়েছেন শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে। কিলোমিটার পিছু পে আউট বাড়ানোর, আয়ের মিনিমাম গ্যারান্টি (এমজি) দেওয়ার, একতরফা ব্লকিং বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন অবিলম্বে। লড়াই আছে বলেই না এগুলো সম্ভব হচ্ছে! লড়াই রাখতে হবে, চালিয়ে যেতেই হবে। আরও জোরদার। পাশাপাশি এটাও সত্যি যে ক্ষেত্রভিত্তিক এই টুকরো টাকরা লড়াইগুলোকে জুড়ে-জুড়ে বড় আন্দোলন না গড়তে পারলে শ্রমিকশ্রেণির প্রত্যাঘাত হানার ক্ষমতা বাড়ানো যাবে না। আর সেটা বাড়াতেই হবে। সেই প্রয়োজনবোধ থেকেই সিআইটিইউ কলকাতা জেলা কমিটি কলকাতার শ্রমজীবী মানুষের কাছে আবেদন করেছে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামার। ন্যূনতম মজুরি, অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমমজুরি, অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে শ্রমমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়রের কাছে ডেপুটেশন ৮ ডিসেম্বর। কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে অবস্থান। দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা। পড়ে পড়ে আর কতদিন মার খাব আমরা, বলুন তো! পালটা আঘাত ফিরিয়ে তো দিতেই হবে।
|
বহু লড়াইয়ের পরে দীর্ঘ ১১ বছর পরে এই বছর রাজ্য সরকার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছে মাত্র ১০% রাজ্যের (তৎকালীন) শ্রমমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত, আজ চার মাস কেটে গেলেও, সরকারেরই দপ্তরগুলিতে লাগু করা হলো না খোদ কলকাতা কর্পোরেশনও বর্ধিত ন্যূনতম মজুরি দেওয়া চালু করেনি এখনও এমনই হাজার অনিয়ম, হাজার অন্যায় প্রতিমাসে নিয়মমতো বেতন পান সব অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারী? পান না ‘এই মাসে কবে বেতন হবে’, ভাবতে ভাবতেই তো কেটে যায় পুরো মাস অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেতন হয় মাসের শেষ সপ্তাহে, অনেক ক্ষেত্রে তাও হয় না জানুয়ারির মাইনে হয় ফেব্রুয়ারির শেষে কোথাও কোথাও একসাথে দু-তিন মাসের একেই তো ওই ক’টা টাকা মাইনে, সেটাও যদি এমন অনিশ্চিত হয়! এমন উদ্বেগে আর অনিশ্চয়তায় বেঁচে থাকা যায়? মুখ বুজে সয়ে যাওয়া যায়? যেতে পারে? উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামোর রিমা হেলা, হুগলীর তাজমিরা বিবিরা তো চিরটাকাল মুখ বুজেই সইছিলেন সবকিছু সমস্ত শোষণ, বঞ্চনা বহু ক্ষোভ ছিল বুকে, সেই সব বুকেই চেপে রেখেছিলেন মুখ ফুটে বলেননি কখনো কিন্তু কাঁহাতক? একদিন বাঁধ ভাঙল সহ্যের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি ছাত্র হস্টেলে কর্মরত রিমা, তাজমিরার মতন শতাধিক অস্থায়ী শ্রমিক সরাসরি নেমে এলেন পথে অত্যাচারী ঠিকাদারের সাথে মুখোমুখি সংঘাতের পথে ইউনিয়নের লাল ঝান্ডা হাতেই মিছিলে হাঁটলেন, স্লোগান তুললেন, অবস্থানে বসে রইলেন, উপাচার্যকে ঘেরাও করলেন, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে থানাতেও গেলেন, মামলাও লড়লেন আদালতে, ধর্মঘটও করলেন নায্য দাবিতে এবং দাবি আদায়ও করলেন ধাপে ধাপে মোদ্দা কথাটা হলো, শোষণ বঞ্চনা যেমন রয়েছে, মহানগরের শ্রমজীবীদের জীবনে তেমনই লড়াইও আছে ভরপুর আছে আমাদের রাজ্যের সরকার, দেশের সরকার, মায় দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশেরই সরকার এমন নীতিতে চলছে যার ফলে পরিস্থিতিটা অসহনীয় হয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষের কাছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ঠিকা ও অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীরা যেমন লড়াই চালাচ্ছেন, তেমনই ধারাবাহিক লড়াই লড়ছেন এই কলকাতারই হকাররাও লাইসেন্সের দাবিতে, জোরজবরদস্তি উচ্ছেদের সম্ভাবনা রুখে দিতে তৃণমূলের মাতব্বরদের নিয়ে বানানো অবৈধ ভেন্ডিং কমিটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় ভেন্ডিং আইন মোতাবেক কমিটি বানানোর দাবিতে লড়ছেন নির্মাণ শিল্পের শ্রমিকরাও সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকেরা যেসকল অধিকার অর্জন করেছিলেন, ছলে বলে কৌশলে সেই সবই কেড়ে নিচ্ছে সরকার এমনকি নির্মাণ কর্মী কল্যাণ পর্ষদের ১৬০০ কোটি টাকার তহবিলও আত্মসাৎ করেছে মমতা সরকার শ্রমিকদের তিলে তিলে জমানো এই টাকা খেলা, মেলা, ক্লাবে ক্লাবে অনুদানে খরচ হচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকদের, বিড়ি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কবচগুলিও লোপাট হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিআইটিইউ অনুমোদিত ইউনিয়নগুলি লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে অবিরাম লড়ে যাচ্ছেন আশা-মিড ডে মিল সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মীরা দোকান সংস্থার কর্মচারিরা, সিকিউরিটি ও আনুযঙ্গিক পরিষেবার কর্মীরা, বেকারি থেকে হোসিয়ারি শিল্পের শ্রমিকেরা নিজ নিজ লড়াই লড়ছেন ইউনিয়নের পতাকাতলে এমনকি ডেলিভারি শ্রমিকরাও গড়েছেন নিজস্ব ইউনিয়ন, সিআইটিইউ অনুমোদিত কলকাতায় সে ইউনিয়নের ধারাবাহিক আন্দোলনের চাপে, এই তো গত সপ্তাহেই, বেঙ্গালুরু থেকে ছুটে আসতে বাধ্য হয়েছেন সুইগির দুই হোমড়া চোমড়া আধিকারিক বসতে বাধ্য হয়েছেন শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে কিলোমিটার পিছু পে আউট বাড়ানোর, আয়ের মিনিমাম গ্যারান্টি (এমজি) দেওয়ার, একতরফা ব্লকিং বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন অবিলম্বে লড়াই আছে বলেই না এগুলো সম্ভব হচ্ছে! লড়াই রাখতে হবে, চালিয়ে যেতেই হবে আরও জোরদার পাশাপাশি এটাও সত্যি যে ক্ষেত্রভিত্তিক এই টুকরো টাকরা লড়াইগুলোকে জুড়ে-জুড়ে বড় আন্দোলন না গড়তে পারলে শ্রমিকশ্রেণির প্রত্যাঘাত হানার ক্ষমতা বাড়ানো যাবে না আর সেটা বাড়াতেই হবে সেই প্রয়োজনবোধ থেকেই সিআইটিইউ কলকাতা জেলা কমিটি কলকাতার শ্রমজীবী মানুষের কাছে আবেদন করেছে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামার ন্যূনতম মজুরি, অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমমজুরি, অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে শ্রমমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়রের কাছে ডেপুটেশন ৮ ডিসেম্বর
|
শ্রমজীবীর স্রোত দেখবে রাজধানী
|
অ্যাডিনোর দাপট, মহানগরে ৭ দিনে দুই শিশুর মৃত্যু
|
বৃষ্টিভেজা ময়দানে কলকাতা লিগে জিতল মহমেডান, চার গোল অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারের
|
Bhagwant Man: বৃহস্পতিবার বিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর, অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন কেজরিওয়াল!
|
national
|
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। সূত্রের খবর, মানের বিয়ের ভেন্যু, চণ্ডীগড়ের মুখ্যমন্ত্রী আবাস। পাত্রী গুরপ্রীত কৌর। পেশায় চিকিৎসক। মানের প্রাক্তন লোকসভা কেন্দ্র সঙ্গরুরের চিকিৎসক তিনি। তাঁর সঙ্গেই আগামিকাল গাঁটছড়া বাঁধবেন ৪৮ বছরের ভগবন্ত মান। আরও পড়ুন : BJP: তারস্বরে মাইক বাজিয়ে বিজেপির সভা, পণ্ড স্কুলের পরীক্ষা! মানলেন সুকান্ত সূত্রের খবর, বিবাহ অনুষ্ঠান হবে একেবারে অনাড়ম্বর। হাতে গোনা আত্মীয়স্বজন উপস্থিত থাকবেন। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গুরপ্রীত-এর সঙ্গে এই বিয়ে মানের দ্বিতীয় বিয়ে। বছর ছয় আগে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। মানের প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং দুই সন্তান এই মুহূর্তে আমেরিকায় থাকেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনীতির কারণেই মানের প্রথম বিবাহে ইতি ঘটেছিল। আপ নেতা মান, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচন জেতার পর থেকেই রাজনীতিতে আরও জোর দেন। এতদিন পর্যন্ত পাঞ্জাবে টিমটিম করে জ্বলছিল কংগ্রেসের প্রদীপ। গত বিধানসভা ভোটে আপের কাছে নিজেদের গড় হারায় হাত শিবির। আপ ক্ষমতায় আসার পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন ভগবন্ত মান। এবার ফের বসতে চলেছেন বিয়ের পিঁড়িতে।
|
সূত্রের খবর, মানের বিয়ের ভেন্যু, চণ্ডীগড়ের মুখ্যমন্ত্রী আবাস পাত্রী গুরপ্রীত কৌর পেশায় চিকিৎসক মানের প্রাক্তন লোকসভা কেন্দ্র সঙ্গরুরের চিকিৎসক তিনি তাঁর সঙ্গেই আগামিকাল গাঁটছড়া বাঁধবেন ৪৮ বছরের ভগবন্ত মান আরও পড়ুন : BJP: তারস্বরে মাইক বাজিয়ে বিজেপির সভা, পণ্ড স্কুলের পরীক্ষা! মানলেন সুকান্ত সূত্রের খবর, বিবাহ অনুষ্ঠান হবে একেবারে অনাড়ম্বর
|
‘নাটের গুরু’ কেজরিওয়ালই…! বিরাট দাবি বিজেপির, রাজধানী জুড়ে হৈ-হৈ কাণ্ড
|
নাসিরের অনুরোধ
|
‘বাইরের দেশের কথায় র্যাবে সংস্কারের প্রশ্নই আসে না’
|
ধোঁকাবাজির অভিযোগ ওঠায় এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির ব্যবসা টালমাটাল
|
national
|
ছবির উৎস, Getty Images গৌতম আদানি নিউইয়র্ক-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গের একটি গবেষণা রিপোর্টে মি. আদানির বিরুদ্ধে “কর্পোরেট জগতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজির” অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, আদানি গ্রুপ হিসাবের খাতায় জালিয়াতি করে শেয়ার বাজারে ধোঁকাবাজি করেছে। এমন কথাও ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আদানি গ্রুপের ঘাড়ে প্রচুর ঋণ রয়েছে যা এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ভিত্তিকে নড়বড়ে করে তুলেছে। হিনডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে মরিশাস এবং ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে বিভিন্ন কোম্পানিতে আদানি গ্রুপের মালিকানা থাকার ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছে। মঙ্গলবার রিপোর্টটি প্রকাশের সাথে সাথে শেয়ার বাজারে তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বুধবার একদিনের লেনদেনে আদানি গ্রুপ তাদের বাজার মূল্য থেকে ১১০০ কোটি ডলার খুইয়ে ফেলে। এই রিপোর্ট এমন সময় প্রকাশ করা হয় যখন আদানি গ্রুপ শেয়ার বাজারে প্রচুর সংখ্যায় শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছিল। শুক্রবার এই গ্রুপের ২৪০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার ছাড়ার কথা। ছবির উৎস, Getty Images আহমেদাবাদে আদানি গ্রুপের কর্পোরেট অফিস আদানি গ্রুপ এখন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানিকে একহাত নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে। আদানি গ্রুপ বলছে, হিনডেনবার্গের রিপোর্ট “বিদ্বেষমূলক” এবং ভুল তথ্যে ভরা। তারা বলেছে, মার্কিন এই কোম্পানির বিরুদ্ধে তারা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করার কথা বিবেচনা করছে। আদানি গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। ভোগ্যপণ্য ছাড়াও তাদের ব্যবসা ও বিনিয়োগ জ্বালানি, বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর এবং অবকাঠামো নির্মাণের মত বড় বড় খাতে বিস্তৃত। ফোবস সাময়িকীর মতে, আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি এখন এশিয়ার এক নম্বর ধনী, এবং বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তার অবস্থান চার নম্বরে। আদানি গ্রুপ দাবি করেছে, তারা সব ধরণের আইন অনুসরণ করে ব্যবসা করে। গ্রুপের প্রধান আইন কর্মকর্তা যতিন জালুনধোয়ালা বলেছেন, “(হিনডেনবার্গের) এই রিপোর্ট প্রকাশের পর ভারতের শেয়ার বাজারে যে টালমাটাল অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা খুবই উদ্বেগের বিষয়। এর ফলে ভারতীয় নাগরিকরা অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক চাপে পড়েছেন। “মি. জালুনধোয়ালা অভিযোগ করেছেন, আদানি গ্রুপের শেয়ারের দরপতনের অশুভ উদ্দেশ্য নিয়েই এই রিপোর্টে 'প্রমাণ ছাড়া' বিভিন্ন তথ্য এবং অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, হিনডেনবার্গ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই একাজ করেছে। তবে বৃহস্পতিবার হিনডেনবার্গ তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, যেসব গুরুতর বিষয় তাদের রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে আদানি গ্রুপ কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দেয়নি। হিনডেনবার্গ বলেছে, তাদের রিপোর্ট সঠিক এবং আদানি গ্রুপ মামলা করতে চাইলে তারা মোকাবেলা করবে। ছবির উৎস, Getty Images নরেন্দ্র মোদীর সাথে গৌতম আদানি। বিরোধী দলগুলো প্রায়ই অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে গৌতম আদানি ব্যবসায় অনেক অনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে। আদানি গ্রুপকে নিয়ে জালিয়াতির এসব অভিযোগে ওঠার পর ভারতে তার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। বিরোধী দলগুলো প্রায়ই অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে গৌতম আদানি ব্যবসায় অনেক অনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে। তাদের কেউ কেউ এখন মুখ খুলতে হতে শুরু করেছেন। শিব সেনা দলের নেতা এবং পার্লামেন্ট সদস্য প্রিয়ংকা চতুর্বেদী টুইট করেছেন, “বিস্তারিত গবেষণা রিপোর্টটি জনসমক্ষে প্রকাশ হওয়ার পর সরকারের উচিৎ এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত দেখা।“ দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিবিদ কে. টি. রামারাও দাবি করেছেন, আদানি গ্রুপের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড তদন্ত করতে হবে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারতের শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি তেমনটা করবে সে সম্ভাবনা এখন নেই বললেই চলে। “ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড কেবল তখনই ব্যবস্থা নেয় যখন কোনও তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাঠানো হয়। কিন্তু আদানির ব্যাপারে তেমনটি এখনো হয়নি,” বলেন ভারতের শেয়ার বাজার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনগভার্ন রিসার্চের প্রধান শ্রীরাম সুব্রামনিয়াম। ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে বিবিসি যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও সাড়া পায়নি। শুক্রবার বাজারে ২৪০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার ছাড়ার কথ ছিল আদানি গ্রুপের। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন অনেক বিনিয়োগকারী এখন সতর্ক অবস্থানে থাকতে পারেন। তবে মার্কিন এই গবেষণা রিপোর্টের প্রভাব শুধু আদানি গ্রুপ নয়, তার বাইরেও গিয়ে পড়তে পারে। ব্লুমবার্গের কলামিস্ট অ্যান্ডি মুখার্জি বলেছেন,“আদানি ছাড়াও সামগ্রিকভাবে ভারতের শেয়ার বাজারের বিশ্বস্ততা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।“ তার মতে, এর অন্যতম কারণ কারণ হলো ভারতের শেয়ার বাজার এখনও একদিকে আর্থিক ব্যবস্থার বৈশ্বিকীকরন এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের ভেতরে পড়ে হিমশিম খাচ্ছে। মি. মুখার্জি লিখেছেন, “জঞ্জাল দূর করার জন্য ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কি রাস্তায় মানুষের ক্ষোভের জন্য অপেক্ষা করবে?”
|
আদানি গ্রুপ দাবি করেছে, তারা সব ধরণের আইন অনুসরণ করে ব্যবসা করে গ্রুপের প্রধান আইন কর্মকর্তা যতিন জালুনধোয়ালা বলেছেন, “(হিনডেনবার্গের) এই রিপোর্ট প্রকাশের পর ভারতের শেয়ার বাজারে যে টালমাটাল অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা খুবই উদ্বেগের বিষয় এর ফলে ভারতীয় নাগরিকরা অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক চাপে পড়েছেন “মি. জালুনধোয়ালা অভিযোগ করেছেন, আদানি গ্রুপের শেয়ারের দরপতনের অশুভ উদ্দেশ্য নিয়েই এই রিপোর্টে 'প্রমাণ ছাড়া' বিভিন্ন তথ্য এবং অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে তিনি বলেন, হিনডেনবার্গ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই একাজ করেছে তবে বৃহস্পতিবার হিনডেনবার্গ তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, যেসব গুরুতর বিষয় তাদের রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে আদানি গ্রুপ কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দেয়নি হিনডেনবার্গ বলেছে, তাদের রিপোর্ট সঠিক এবং আদানি গ্রুপ মামলা করতে চাইলে তারা মোকাবেলা করবে ছবির উৎস, Getty Images নরেন্দ্র মোদীর সাথে গৌতম আদানি বিরোধী দলগুলো প্রায়ই অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে গৌতম আদানি ব্যবসায় অনেক অনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে আদানি গ্রুপকে নিয়ে জালিয়াতির এসব অভিযোগে ওঠার পর ভারতে তার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বিরোধী দলগুলো প্রায়ই অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে গৌতম আদানি ব্যবসায় অনেক অনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে তাদের কেউ কেউ এখন মুখ খুলতে হতে শুরু করেছেন শিব সেনা দলের নেতা এবং পার্লামেন্ট সদস্য প্রিয়ংকা চতুর্বেদী টুইট করেছেন, “বিস্তারিত গবেষণা রিপোর্টটি জনসমক্ষে প্রকাশ হওয়ার পর সরকারের উচিৎ এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত দেখা
|
ভুয়ো বিদেশি বিনিয়োগকারী দেখিয়ে শেয়ারে বিপুল কারচুপি আদানির, দাবি নতুন রিপোর্টে
|
গৌতম আদানি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী
|
কলকাতায় মহিলার রহস্যমৃত্যু! ঘর থেকে উদ্ধার দেহ, মৃতার পুরুষসঙ্গী উধাও
|
ছেলেদের ব্যর্থতার মাঝে মুখরক্ষা মেয়েদের, কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল
|
sports
|
ছেলেদের দল আইএসএলে একের পর এক হতাশা দিয়ে চলেছে। সমর্থকদের আস্থাও হারিয়ে ফেলেছে অনেকটাই। এর মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের মেয়েদের দল কিছুটা হলেও মুখরক্ষা করল। কন্যাশ্রী কাপ জিতল তারা। শনিবার ফাইনালে শ্রীভূমি এফসি-কে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। এক মাত্র গোল সুলঞ্জনা রাউলের। সেমিফাইনালে মহমেডান স্পোর্টিংকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়ে নিঃশব্দে খেলে গিয়েছে তারা। প্রতি ম্যাচেই উপহার দিয়েছে দাপুটে পারফরম্যান্স। কিন্তু মহিলা দলের প্রতি সমর্থকরা সে ভাবে উৎসাহী ছিলেন না। দিনের শেষে মহিলা দলের হাত ধরেই কিছুটা হলেও মান রাখল ইস্টবেঙ্গল। শনিবারের ম্যাচে একটি গোল হলেও একাধিক সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান অনেকটাই বাড়তে পারত। তবে গোল খায়নি সুজাতা করের দল। প্রতিযোগিতায় এটি ইস্টবেঙ্গলের সপ্তম ক্লিন শিট। প্রতিযোগিতার সেরা প্রতিভাবান ফুটবলার হয়েছে সুলঞ্জনা। ম্যাচের পর ট্রফি উৎসর্গ করে গোটা দলকে। তবে আলাদা করে কোনও গোলকে বেছে নিতে পারেনি। কোচ সুজাতা বলেছেন, “এক দিনে কেউ চ্যাম্পিয়ন হয় না। ৪০ দিন আমাদের শিবির হয়েছে। প্রতিদিন উন্নতি করেছি। দলের মধ্যে একতা এবং সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক আমাদের সাফল্য পেতে সাহায্য করেছে।”
|
দিনের শেষে মহিলা দলের হাত ধরেই কিছুটা হলেও মান রাখল ইস্টবেঙ্গল শনিবারের ম্যাচে একটি গোল হলেও একাধিক সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান অনেকটাই বাড়তে পারত তবে গোল খায়নি সুজাতা করের দল প্রতিযোগিতায় এটি ইস্টবেঙ্গলের সপ্তম ক্লিন শিট প্রতিযোগিতার সেরা প্রতিভাবান ফুটবলার হয়েছে সুলঞ্জনা ম্যাচের পর ট্রফি উৎসর্গ করে গোটা দলকে তবে আলাদা করে কোনও গোলকে বেছে নিতে পারেনি
|
ফুটবলের পর ক্রিকেটেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলার নারীরা
|
লুকাস, জর্ডান ইস্টবেঙ্গলে
|
বাধ্যতামূলক ভোটদান গণতন্ত্রের নীতি বিরুদ্ধ, দাবি মোদী সরকারের মন্ত্রীর
|
চিঠি আদান-প্রদান আজ ইতিহাস
|
editorial
|
সেই দিন আর নেই, যখন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল ডাকব্যবস্থা। গ্রামবাংলা থেকে শহরের আনাচে কানাচে খাকি উর্দি পরা পোস্টম্যান সাইকেল চড়ে পিঠে ব্যাগ ভর্তি চিঠিপত্র ঝুলিয়ে নির্দিষ্ট বাড়ির ঠিকানায় গিয়ে হাঁক পাড়ত- ‘‘চিঠি আছে গো।’’ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকা গৃহকর্তা তখন পত্রদাতার লেখনীর সুন্দর প্রতিফলন ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ এই চিঠির মাধ্যমে জানত পারত পত্রলেখকের আবেগের অনুরণন, আনন্দের হাতছানি ও দুঃখের বিষাদগাথা। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটি কবিতার অংশ এবিষয়ে প্রসাঙ্গিক। তিনি লিখেছেন- ‘‘কত চিঠি লেখে লোকে, কত সুখে, প্রেমে, আবেগে স্মৃতিতে, কত দুঃখ ও শোকে।’’ কিন্তু আজকের দিনে অর্ন্তজালের ব্যাপক প্রসার ও ইমেল, মেসেঞ্জার, হোয়্যাটঅ্যাপ প্রভৃতি সোশ্যাল সাইটের সহজলভ্যতা ও জনপ্রিয়তা ‘চিঠি’ নামক যোগাযোগ ব্যবস্থা মাধ্যমের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। বর্তমান প্রজন্মের কাছে চিঠি লেখার মাধ্যমে যোগাযোগ বিষয়টি আস্তে আস্তে গুরুত্ব হারাচ্ছে। কেন না তাদের কাছ চিঠি লেখার জন্য ধৈর্য্য ও সময়ের অভাব হয়ে গিয়েছে। অনেকই আবার মনে করেন কী দরকার বর্তমান প্রযুক্তি ছেড়ে অতীতের দিকে ঝুঁকে সময় ব্যয় করা, তাছাড়াও পত্রদাতাদের মন বুঝে আজকের পোস্ট অফিসগুলি চিঠি পত্রের বিলির কাজ থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। এখন ডাকঘরগুলিতে যা চিঠি আসে তার সিংহভাগটাই দফতরিক, মানে চিঠি যা সেগুলি স্কুল কলেজ বা অফিসের কোনও দরকারি চিঠি। তাই গ্রাম থেকে শহরের আজ যতগুলি ডাকঘর আছে সেখানে চিঠি পত্রের আদান-প্রদান কাজটা ক্রমশ গৌণ হয়ে আসছে। ডাকঘরগুলি বেশিরভাগ সময় ব্যবহৃত হচ্ছে মানুষের অর্থ সঞ্চয়ের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে। তাই বর্তমানে গ্রামীণ ডাকঘরগুলিকে ব্যাঙ্কের ক্ষুদ্র সংস্করন বললে খুব একটা অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু আমরা যদি অতীত ফিরে চাই, তাহলে দেখতে পাব আজকের মেসেঞ্জার, ইমেল ইত্যাদির অবর্তমানে এই চিঠিই ছিল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। অতীতে সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের পর্যালোচনা জন্য আজও গবেষকরা পুরাতন চিঠির ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীতে কে কখন কাকে প্রথম চিঠি লিখেছে সে বিষয়ে তথ্য আজও অজানা। তবে বহু বছর আগে মেসোপটেমিয়ার সুমেরিয়ান অঞ্চলে মানুষ ছবি এঁকে মনের ভাব প্রকাশ করত। যেমন আকাশের তারা দিয়ে বোঝানো হত রাত, কিংবা তীর ও ধনুকের ছবি দিয়ে বোঝানো হত যুদ্ধের বর্ণনাকে। ছবির মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশের এই মাধ্যমের নাম ছিল পিক্টোগ্রাম (pictrogram)। এই পিক্টোগ্রামকে বলা হয় চিঠির বিবর্তিত রুপ। উপমহাদেশীয় প্রাচীন ইতিহাস অনুসারে জানা যায় পূর্বে একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় সংবাদ আদান প্রদানের জন্য পাঠানো হত কাসিদ বা ডাকবাহক। তবে দূরবর্তী অঞ্চলে খবর পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হত পায়রা বা কবুতর। এরজন্য পায়রাকে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। পায়রার পায়ে বেঁধে দেওয়া ছোট সংবাদের চিরকুট, যা পৌঁছে যেত নির্দিষ্ট গন্তব্যে। সম্রাট চেঙ্গিজ খাঁ তাঁর অধিকৃত রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতেন এই কবুতরের মাধ্যমে। তারপর যত দিন এগিয়েছে ডাক ব্যবস্থায় এসেছে নতুন সংযোজন। দিল্লির প্রথম সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবকের শাসনকালে ডাক ব্যবস্থায় যুক্ত হয় ঘোড়ার ব্যবহার। পর্যটক ইবন বতুতার বিবরণী থেকে জানা যায় সেই সময়ে দুইভাবে ডাক ব্যবস্থার প্রচলন ছিল। এক পায়ে হেঁটে সাধারন ডাক বিলিবণ্টন ও অন্যটি হল জরুরি অবস্থায় যেমন কোনও বহিরাগতদের আক্রমণের সংবাদ অথবা যুদ্ধের জয়-পরাজয়ের সংবাদ প্রেরণ করা হত ঘোড়ার ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে। শেরশাহর শাসনকালে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ঘটে। তিনি ডাক ব্যবস্থার সুবিধার্থে নির্মাণ করেছিলেন সোনারগাঁও থেকে সিন্ধু প্রদেশ পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তা। শুধুমাত্র ইতিহাসের দিকে তাকালে চিঠির গুরুত্বকে বোঝা অসম্ভব। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চিঠি ছিল উল্লেখযোগ্য সম্পদ। বাংলা সাহিত্যে চিঠিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে একের পর এক পত্রসাহিত্য। কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প ‘স্ত্রীর পত্র’ পুরোটাই চিঠির আকারে গল্প। আবার তাঁর লেখা অন্য একটি ছোট গল্প ‘পোস্টমাস্টার’ গল্পে আমরা দেখতে পাই অজ পাড়া গাঁয়ের পোস্ট অফিসের সঙ্গে জড়িয়ে নানা ঘটনাচিত্র। আবার কোনও সাহিত্যিকের রচনায় উপজীব্য হয়ে উঠেছে ডাক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে প্রান্তিক মানুষগুলির জীবন-জীবিকা। এক্ষেত্রে তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের ‘ডাকহরকরা’ ছোটগল্পে আমরা খুঁজে পাই এক নিষ্ঠাবান ও দায়িত্ববান ডাকহরকরা ও তার দুশ্চরিত্র ছেলের গল্প। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘রানার’ কবিতায় উঠে এসেছে এক কল্পিত রানারের রাত-দিনের সংগ্রামের চিত্র। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে গ্রামবাংলার বুক থেকে চিরবিদায় নিয়েছে ডাকহরকরা জীবিকা। এই প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির সঙ্গে চিঠির এক বিকল্প ব্যবস্থা টেলিগ্রাফ আজ ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। গ্রাহাম বেলের টেলিফোন আসার আগে টেফিগ্রাফ বেশ রমরমিয়ে চলত। তখনকার দিনে লোকমুখে প্রায় শোনা যেত ‘টরে- টক্কা টরে’। এই টেলিগ্রাম ব্যবস্থা পুরোটাই নির্ভর করত মোস কোর্ডের ওপর। টেলিগ্রাফিস্ট যিনি হতেন। তাকে রীতিমতো মোর্স কোড নিয়ে পড়াশুনা করত হত। তখনকার বহু তরুণদের কাছে এই পেশা ছিল লোভনীয়। বহুজন এই পেশায় আসার আগ্রহ দেখাত। অল্প কথায়, দ্রুত খবর পাঠানোর জন্য ‘টেলিগ্রাম’ পরিষেবা ছিল অদ্বিতীয়। কলকাতায় ১৯১৩ সালে এখনকার ডালহৌসিতে প্রথম তৈরি হয় ‘ক্যালকাটা টেলিগ্রাফ’ অফিস। দুঃখের বিষয় এই যে দূরভাষ আসার ফলে ও বিশ্বায়নের যুগে টেলিগ্রাম পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে গত ১৫ জুলাই, ২০১৩ সালে। কিন্তু ডিজিটালের যুগে টেলিফোনও আজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সঙ্কটে। যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রুচি ও অভ্যাসের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ আজ চিঠির চেয়ে দ্রুতগতির ইমেল, মেসেঞ্জার চিঠি লিখতে বেশি অভ্যস্ত। যা কিছু চিঠিপত্রের আদান প্রদান হয় তা শুধুমাত্র ‘আকাশবাণী’র কিছু জনপ্রিয় বেতার অনুষ্ঠানের সৌজন্যে। আর আছে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর জন্য চিঠি লেখার নিবিড় অনুশীলন। ‘শ্রীচরণেষু’, ‘পূজনীয়’, ‘শ্রদ্ধেয়’ ‘ইতি’র মতো শব্দগুলি ব্যবহার চিরতরে হারিয়ে যাবে। কাউকে আর বলতে শোনা যাবে না ‘বাড়ি ফিরে চিঠি পাঠিও।’ গ্রামের দিকে গেলে দেখতে পাই ডাকঘরগুলি আস্তে আস্তে রূপান্তরিত হচ্ছে পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কে। চিঠির গুরুত্ব চিরতরে হারিয়ে যাবে। চিঠি থাকবে শুধু ইতিহাসের পাতায়। লেখক বিশ্বভারতীর সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, মতামত নিজস্ব এই বিভাগে লেখা পাঠান নীচের ইমেল-এ [email protected]। অনুগ্রহ করে সঙ্গে ফোন নম্বর জানাবেন। অন্য কোনও পত্রিকা, পোর্টালে পাঠানো লেখা অনুগ্রহ করে পাঠাবেন না।
|
তখনকার দিনে লোকমুখে প্রায় শোনা যেত ‘টরে- টক্কা টরে’ এই টেলিগ্রাম ব্যবস্থা পুরোটাই নির্ভর করত মোস কোর্ডের ওপর টেলিগ্রাফিস্ট যিনি হতেন তাকে রীতিমতো মোর্স কোড নিয়ে পড়াশুনা করত হত তখনকার বহু তরুণদের কাছে এই পেশা ছিল লোভনীয় বহুজন এই পেশায় আসার আগ্রহ দেখাত অল্প কথায়, দ্রুত খবর পাঠানোর জন্য ‘টেলিগ্রাম’ পরিষেবা ছিল অদ্বিতীয় কলকাতায় ১৯১৩ সালে এখনকার ডালহৌসিতে প্রথম তৈরি হয় ‘ক্যালকাটা টেলিগ্রাফ’ অফিস দুঃখের বিষয় এই যে দূরভাষ আসার ফলে ও বিশ্বায়নের যুগে টেলিগ্রাম পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে গত ১৫ জুলাই, ২০১৩ সালে কিন্তু ডিজিটালের যুগে টেলিফোনও আজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সঙ্কটে যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রুচি ও অভ্যাসের পরিবর্তন এসেছে মানুষ আজ চিঠির চেয়ে দ্রুতগতির ইমেল, মেসেঞ্জার চিঠি লিখতে বেশি অভ্যস্ত যা কিছু চিঠিপত্রের আদান প্রদান হয় তা শুধুমাত্র ‘আকাশবাণী’র কিছু জনপ্রিয় বেতার অনুষ্ঠানের সৌজন্যে আর আছে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর জন্য চিঠি লেখার নিবিড় অনুশীলন ‘শ্রীচরণেষু’, ‘পূজনীয়’, ‘শ্রদ্ধেয়’ ‘ইতি’র মতো শব্দগুলি ব্যবহার চিরতরে হারিয়ে যাবে কাউকে আর বলতে শোনা যাবে না ‘বাড়ি ফিরে চিঠি পাঠিও’ গ্রামের দিকে গেলে দেখতে পাই ডাকঘরগুলি আস্তে আস্তে রূপান্তরিত হচ্ছে পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কে চিঠির গুরুত্ব চিরতরে হারিয়ে যাবে চিঠি থাকবে শুধু ইতিহাসের পাতায় লেখক বিশ্বভারতীর সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, মতামত নিজস্ব এই বিভাগে লেখা পাঠান নীচের ইমেল-এ [email protected] অনুগ্রহ করে সঙ্গে ফোন নম্বর জানাবেন অন্য কোনও পত্রিকা, পোর্টালে পাঠানো লেখা অনুগ্রহ করে পাঠাবেন না
|
ইতিহাসের নামে অপপ্রচার
|
‘শেখ মুজিব ও জিয়া শ্রদ্ধেয় নেতা’
|
পদযাত্রায় গ্রামের নামচা
|
'শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো'
|
international
|
স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘শেষ বল’ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট পুনর্বহালেরও নির্দেশ দেন বিচারপতিদের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। এ রায়ের পরই প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এমন বার্তা দিলেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘শুক্রবার ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকেছি। সংসদীয় দলের সঙ্গেও বসবো। সন্ধ্যায় আমি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবো। সবসময় দেশবাসীর পাশে আছি।পাকিস্তানের হয়ে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো।’ গত রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী জোটের তরফে পেশ হওয়া অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির কথা থাকলেও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি তা খারিজ করে দেন। তিনি জানান, বিদেশি শক্তির প্ররোচনায় আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী এবং তা দেশের কল্যাণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পাকিস্তানের সংবিধানের ৫ নম্বর ধারা মেনে এ নিয়ে কোনো ভোট করাতে পারবেন না তিনি। এর পরেই ইমরান খানের সুপারিশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সেদিন রাতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেন বিরোধীরা। সোমবার থেকে শুনানি শুরু হয়। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন বিচারপতি মুনীব আখতার, বিচারপতি আইজাজুল আহসান, বিচারপতি মাজহার আলম ও বিচারপতি জামাল খান মন্দোখেল। রায় ঘোষণাকালে পাকিস্তানি পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কায়সারকে আগামী শনিবার (৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম/এম.এম
|
স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘শেষ বল’ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট একই সঙ্গে পার্লামেন্ট পুনর্বহালেরও নির্দেশ দেন বিচারপতিদের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায়ের পরই প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এমন বার্তা দিলেন ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘শুক্রবার ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকেছি সংসদীয় দলের সঙ্গেও বসবো সন্ধ্যায় আমি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবো
|
ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে কুস্তিগিরদের সমর্থনে মহাপঞ্চায়েত থেকে হুঁশিয়ারি
|
এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ টেট
|
জন্মদিনে শহরে নেই জ্যাসমিন, বিশেষ দিনটি কোথায় পালন করেছেন অভিনেত্রী?
|
ফিলিপাইনে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ আজ
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিপাইনের বিদায়ী নেতা রদ্রিগো দুতার্তের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দেশটির পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিচ্ছেন তিনি। মার্কোস জুনিয়র ওরফে বং বং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রব্রেদোকে হারাতে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার এই জয়ের মাধ্যমে মার্কোস রাজনৈতিক পরিবারের চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন ঘটে, যা ১৯৮৬ সালে বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়ে সারা দুতের্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে ম্যানিলার ন্যাশনাল মিউজিয়ামে শপথ নেবেন মার্কোস জুনিয়র। শতাধিক দেশি ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এতে অংশ নেবেন এবং ফিলিপাইনের রাজধানীজুড়ে প্রায় ১৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে ম্যানিলার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, কর ফাঁকির জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট কার্যভার গ্রহণের অযোগ্য হবেন না। ৬৪ বছর বয়সী এই নেতা এমন একটি সময়ে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন যখন ফিলিপাইন এখনও এক বছরের দীর্ঘ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টায় রয়েছে। দেশটির আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণে জর্জরিত। সমালোচকরা বলছেন, মার্কোস জুনিয়রের নীতি সংস্কারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং নিত্যপণ্যের দাম ঠেকাতে তার ব্যাপক প্রতিশ্রুতির বিষয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ আবার দুতার্তের মেয়াদের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য মার্কোস জুনিয়রের দিকে তাকিয়ে আছেন। তবে মার্কোস জুনিয়রের ক্ষমতা গ্রহণের একদিন আগে ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা জানান, তারা অনুসন্ধানী সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট র্যাপলার বন্ধ করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। ফিলিপাইনের কয়েকটি মিডিয়া আউটলেটের মধ্যে র্যাপলার একটি, যা রদ্রিগো দুতের্তের সরকারের সমালোচনা করে। মার্কোস জুনিয়রের অভিষেকের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক গৌরব পুনরুদ্ধার করার জন্য মার্কোসেদের এক দশকের দীর্ঘ সংগ্রামের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। তার বাবা ফার্দিনান্দ ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার শাসনামলে সামরিক আইন জারি করা, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি এবং দারিদ্র্যতা বেড়ে যাওয়ায় ঘটনা ঘটে। সেই শাসন ১৯৮৬ সালে শেষ হয়েছিল, যখন একটি গণঅভ্যুত্থানে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল এবং ২৮ বছর বয়সী বংবংসহ মার্কোস পরিবার হাওয়াইয়ের উদ্দেশে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। মার্কোস জুনিয়র ১৯৯১ সালে ফিলিপাইনে ফিরে এসেছিলেন, তখন থেকেই তিনি তার পিতার শাসনামলকে সমৃদ্ধির 'সুবর্ণ সময়' হিসেবে চিত্রিত করতে চেয়েছিলেন। সূত্র : বিবিসি এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
শতাধিক দেশি ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এতে অংশ নেবেন এবং ফিলিপাইনের রাজধানীজুড়ে প্রায় ১৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক দিন আগে ম্যানিলার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, কর ফাঁকির জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট কার্যভার গ্রহণের অযোগ্য হবেন না ৬৪ বছর বয়সী এই নেতা এমন একটি সময়ে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন যখন ফিলিপাইন এখনও এক বছরের দীর্ঘ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টায় রয়েছে দেশটির আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণে জর্জরিত সমালোচকরা বলছেন, মার্কোস জুনিয়রের নীতি সংস্কারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং নিত্যপণ্যের দাম ঠেকাতে তার ব্যাপক প্রতিশ্রুতির বিষয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে কেউ কেউ আবার দুতার্তের মেয়াদের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য মার্কোস জুনিয়রের দিকে তাকিয়ে আছেন তবে মার্কোস জুনিয়রের ক্ষমতা গ্রহণের একদিন আগে ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা জানান, তারা অনুসন্ধানী সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট র্যাপলার বন্ধ করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন
|
শপথ নিলেন নতুন রাজ্যপাল
|
পেটের জ্বালা, তাই ওঁরা আজ এই লাইনে
|
ওয়াগনার ইউক্রেনে এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়, বলছে যুক্তরাষ্ট্র
|
আলিয়া, মাধুকরী হও নয়নমোহিনী, স্বপ্নের কাছাকাছি…
|
editorial
|
অরিঞ্জয় বোস: তার খোঁপায় তারার ফুল দেওয়াই যেত। কিন্তু সে যে এলো চুলেই এল, এল হৃদয়-পুরে। এল শ্রাবণের বুকে বহ্নি-পতঙ্গের মতো। মদির চাউনি তার যেন বরষাপীড়িত ফুল। পর্দার রূপকথায় সেই রূপ-রানিকে দেখে আমাদের বিবশ লাগল। আমরা হারিয়ে গেলাম, প্রেম-পীরিতের খরস্রোতা ঘূর্ণিতে। দিন শেষে বাঙালি তো, প্রেম ছাড়া যে পেটের ভাত হজম হয় না! আমাদের আগের প্রজন্ম, অর্থাৎ নব্বইয়ে যাদের ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, তারা টোল-ট্যাক্স দিয়ে এসেছে প্রীতি জিন্টাকে। ওই টোল খুলেই খোদ খান সাহেব আদায় করে নিয়েছেন তাঁর অগণিত প্রেমিকার দিল-নজরানা। খানদান এখন থাক, চলুক নায়িকা-সংবাদ। ঐশ্বর্য তখনও বচ্চন হননি, নিস্পাপ রাই সুন্দরী। তাঁর ধ্রুপদী সৌন্দর্যে নয়ের প্রজন্ম ফেলত আফসোসের নিশ্বাস, অসহায় বলত ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। ছিলেন আর কাজল। স্বপ্নসুন্দরী নন। শুধু অভিনয় স্বপ্নের মতো। ওই স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ, পর্দা আর বাস্তবের অমন অবাধ মেলামেশা, আর কার অভিনয়েই বা ধরা পড়ত! অভিনয়ের মোনালিসা হাসি তিনি, নিজস্ব সৌন্দর্যে যে ভাস্বর হলে আনমনে কখন যেন ‘সূরয হুয়া মধ্যম, চাঁদ ঢলনে লাগা’। সে এক দিন ছিল বটে! মাল্টিপ্লেক্স, আই ম্যাক্স পূর্ববর্তী দিন। তখনও গানে সুর ছিল, ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শোয়ের কলার তোলা ছিল, ফুলের মালা দিয়ে শাহরুখ-সলমনের ছবি-বরণ ছিল, ছিল পার্কে নোঙর ফেলে প্রেমিকার হাত ধরা, ঐশ্বর্য বা প্রীতি, যা কিছু কল্পনা করে নেওয়া। সময়ের সেই মৌতাত কালের নিয়মে কবে বিদায় নিয়েছে। আবছা হয়েছে হলের ‘গুরু’ ‘গুরু’ হাঁক, ধূসর হয়েছে নায়িকা নামক গোপন প্রেয়সীর সঙ্গে স্বপ্ন-অভিসার। শেষে সেই বেরঙিন দিনকালে, এক বড় বেখাপ্পা সময়ে বসন্ত-বাতাস হয়ে এলেন আলিয়া। ডাল-ভাত-আলুসেদ্ধর পান্তাভাত জীবনে পিষ্ট হওয়া বাঙালি আবার প্রেমে পড়ল। শুরু হল তার উচাটন, আলিয়া নামের এক উশখুশে অভিসারিনীর হাত ধরে। করণের ক্লাসের সেই বোকাসোকা মেয়ে, যে রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী, বছরের পর বছর বলিউডের ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’। যে সমস্ত বোকামিকে বোকা বানিয়ে দিতে পারে তার অভিনয়ে, পাগলপারা বিহ্বলতায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় ভালবাসার আটলান্টিকে। মিম-শেয়ার করা দর্শক একাকী অন্ধকারে যার মন-চেরা চাহনির সামনে হৃদয় চিরে হাত কামড়ায়, ইশ কী ভুলটাই না করেছিলাম! কেন নতজানু হইনি আরও আগে! আসলে আলিয়ার নেশা ততক্ষণে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে সবাইকে, মিষ্টি মহুয়ার মতো। নিটোল সে টোল, সাথী সৌন্দর্যের নায়াগ্রা, আর যুতসই ঈশ্বরপ্রদত্ত অভিনয়। প্রতি অভিব্যক্তিতে প্রাণের সঞ্চার। আলিয়া যেন এক অবয়বে তিন রূপ। কাজল-ঐশ্বর্য-প্রীতি। সময়ের সেই অমোঘ প্রাপ্তি, যাঁকে দেখলে অজান্তেই ঠোঁট থেকে ‘আলি-ওয়াহ’ বেরিয়ে আসে। দেখতে গেলে, আধমরা আমজীবনে একজন আলিয়া ভাটের বড় প্রয়োজন আছে। যিনি পর্দার পৃথিবীতে অন্তত তিন ঘণ্টার জন্য ফকিরকেও এক প্রেম-দুর্গের বেতাজ বাদশা বানিয়ে দিতে পারেন। যিনি পারেন থোড়-বড়ি-খাড়া, খাড়া-বড়ি-থোড়ের কালশিটে জীবনে আশার উত্তুরে হাওয়ার ঝাপটা দিতে। আর ওই দু’চোখ? যেথা বয় আবেদনের তিস্তা নদী? দৃষ্টির আকুতি দিয়ে যদি মানুষ খুন করা যেত, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সিরিয়াল কিলারের নাম আলিয়া ভাট হতো নিঃসন্দেহে। ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহানি’তে শেষ বিকেলের সূর্যাস্তের মতো তাঁর অবাধ্য আঁচলের ঢলে পড়া, লো-কাট ব্লাউজের নিষিদ্ধ হেঁয়ালি, তন্বী কটিদেশের ক্রমাগত সাবধানবাণী- বারবার হৃদয়কে বোঝায়, যাহা দেখিলে, জন্মজন্মান্তরেও ভুলিবে না। হায় রে! ভুলিতে কেই-বা চায়! মানুষের পৃথিবীতে আলিয়া যেন সেই অনিবার্য আলেয়া। যাকে ছোঁয়া যায় না বলেই, বিবিক্ষু ঈর্ষা কেঁদে মরে শুধু স্পর্শ-কাতরতায়। এই ধ্বস্ত, বিরক্ত, ক্লিন্ন সময়ে আপনি আলেয়ার আলো হয়েই না হয় থাকুন আলিয়া। আর আমরা খুঁজে পাই সেই চোখ, যার দিকে তাকিয়ে অন্তত একবার বিদ্রোহী হওয়া যায়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখা যায়। নয়নমোহিনী হে, তুমি মাধুকরী চাও, অকাতর দিব, শুধু এক শর্তের বিনিময়ে।
স্বপ্নের বিনিময়ে! Highlights
|
আলিয়া যেন এক অবয়বে তিন রূপ কাজল-ঐশ্বর্য-প্রীতি সময়ের সেই অমোঘ প্রাপ্তি, যাঁকে দেখলে অজান্তেই ঠোঁট থেকে ‘আলি-ওয়াহ’ বেরিয়ে আসে দেখতে গেলে, আধমরা আমজীবনে একজন আলিয়া ভাটের বড় প্রয়োজন আছে যিনি পর্দার পৃথিবীতে অন্তত তিন ঘণ্টার জন্য ফকিরকেও এক প্রেম-দুর্গের বেতাজ বাদশা বানিয়ে দিতে পারেন যিনি পারেন থোড়-বড়ি-খাড়া, খাড়া-বড়ি-থোড়ের কালশিটে জীবনে আশার উত্তুরে হাওয়ার ঝাপটা দিতে আর ওই দু’চোখ? যেথা বয় আবেদনের তিস্তা নদী? দৃষ্টির আকুতি দিয়ে যদি মানুষ খুন করা যেত, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সিরিয়াল কিলারের নাম আলিয়া ভাট হতো নিঃসন্দেহে ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহানি’তে শেষ বিকেলের সূর্যাস্তের মতো তাঁর অবাধ্য আঁচলের ঢলে পড়া, লো-কাট ব্লাউজের নিষিদ্ধ হেঁয়ালি, তন্বী কটিদেশের ক্রমাগত সাবধানবাণী- বারবার হৃদয়কে বোঝায়, যাহা দেখিলে, জন্মজন্মান্তরেও ভুলিবে না হায় রে! ভুলিতে কেই-বা চায়! মানুষের পৃথিবীতে আলিয়া যেন সেই অনিবার্য আলেয়া যাকে ছোঁয়া যায় না বলেই, বিবিক্ষু ঈর্ষা কেঁদে মরে শুধু স্পর্শ-কাতরতায় এই ধ্বস্ত, বিরক্ত, ক্লিন্ন সময়ে আপনি আলেয়ার আলো হয়েই না হয় থাকুন আলিয়া আর আমরা খুঁজে পাই সেই চোখ, যার দিকে তাকিয়ে অন্তত একবার বিদ্রোহী হওয়া যায়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখা যায় নয়নমোহিনী হে, তুমি মাধুকরী চাও, অকাতর দিব, শুধু এক শর্তের বিনিময়ে
স্বপ্নের বিনিময়ে! Highlights
|
অমৃতমুরতিমতী
|
ম্যাচ জিতে হার্দিকের মুখে বার বার জাডেজার নাম, রাহুল এলেন নমো নমো করে
|
স্যুপ খাওয়ানো হল বুদ্ধদেবকে, বিকেলে দেওয়া হতে পারে আমের রস
|
তৃণমূলের মতো ভেঙেছে বিজেপি’র সাজানো ‘গড়’
|
state
|
বিজন বিশ্বাস: কৃষ্ণনগর তফসিলি জাতির মানুষ ৩০%-র বেশি। হিন্দু প্রায় ৭৩%। সীমান্ত এলাকা অনেকটা। এখানে বাংলাদেশ করিমপুরের মতো অনেক জায়গায় বাড়ির পাশে — হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। সেই নদীয়া সম্পর্কে বিজেপি এবং তৃণমূলের বোঝাপড়া বলতে এটিই। মিডিয়াও এই জনবিন্যাসের অঙ্ককে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। তারই ভিত্তিতে এবং গত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে নদীয়াকে ‘বিজেপি-র গড়’ বলে প্রচার যত্নে সাজানো হয়েছিল।কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন তা ভেঙে দিল। সেই লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নতুন প্রজন্ম। কোথাও তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। কোথাও প্রচারের প্রধান মাধ্যম। সন্ত্রাস ভাঙতে তাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন অভিজ্ঞদের সঙ্গে।যেমন আইশমালি। বিশ বছর বাদে রানাঘাটের আইশমালি পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) জয়ী হয়েছে। তৃণমূল আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্লকের ২৫ আসনের ১২টি জিতেছে সিপিআই(এম)। তেহট্ট-২ ব্লকের পলাশীপাড়া পঞ্চায়েতের ৬৪ নম্বর বুথে ১৯৮৩ সালের পর এই প্রথম জয়ী হয়েছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী অনুসূয়া মণ্ডল। সন্ত্রাসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গ্রামের ওই গৃহবধূ ৮৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন। ধারাবাহিক সন্ত্রাস কবলিত কালিগঞ্জ ব্লকের মিরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটের দিন নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছিল শাসক দল। সব বুথ দখল করেছিল তৃণমূল। ব্যাপক সন্ত্রাসের জেরে অনেক সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থককে বাড়ি পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছিল। কিন্তু ৫৬, ৫৭ ,৫৮ তিনটি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। তার পরেও সেখানে ৬টি আসন লাভ করেছে সিপিআই(এম)। পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বুথ দখল করেও তৃণমূল পেয়েছে ১২টি আসন। গত নির্বাচনের দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যায় জেলার উওরাংশে তৃণমূলের জয় বেশি হলেও দক্ষিণাংশের বিভিন্ন ব্লক তথা বিধানসভা এলাকায় বিজেপি’র প্রতি সমর্থন বেড়েছিল। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে বিজেপি’র শক্তি বেশি বলে যে এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করেছিল মিডিয়া, সেই চাকদহ, হরিণঘাটা, কল্যাণী কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাটে বিজেপি’র প্রতি মানুষের সমর্থন কমেছে। তেমনি নদীয়ার উত্তরাংশের কালিগঞ্জ, করিমপুর ১ ও ২ তেহট্ট, নাকাশিপাড়া, কৃষ্ণনগর ১ ও ২ ব্লক সমূহে তৃণমূলের জনসমর্থন কমেছে। তৃণমূলের প্রতি মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন স্পষ্ট। সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করে চাকদহ, কল্যাণী, তেহট্ট, রানাঘাট, কালিগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় বিরোধীশূন্য ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালায় শাসক তৃণমূল। নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে শুরু করে মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব, এমনকি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য, হাইকোর্টের নির্দেশে সারা রাজ্যের মতো এই জেলাতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত ব্যবহার না করে শাসক দল সন্ত্রাসের সব রকমের পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে। তেহট্ট ১ ব্লকের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫০ ও ১৫১ নং বুথ এলাকায় পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সিপিআই(এম)-র প্রচার মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাতে দেখা গেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দলকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তাঁদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি ইট- পাটকেল ছোঁড়া হয়। আহত হন আইসি সহ একাধিক পুলিশ কর্মী। ঘটনার সব সত্যতা জানা সত্ত্বেও পুলিশ পার্টি নেতা, ওই কেন্দ্রের প্রার্থী সামাদ শেখ সহ ৫৮ জন ও তৎসহ আরও ২০০ জনকে যুক্ত করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করে। ঘটনায় ৭ জন সিপিআই(এম) কর্মী, সমর্থক গ্রেপ্তারও হন। এমনই মিথ্যা মামলায় পরিকল্পিতভাবে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে, কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ১৭৮ নং বুথের পার্টিসদস্য বাপি বিশ্বাস ও একযোগে বিজেপি’র বুথ সভাপতি ইন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে অস্ত্র আইন ধারায় গ্রেপ্তার করেও ভোটের দিন তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তার পরও ঐ ১৫১ নং বুথের সিপিআই(এম) প্রার্থী সামাদ শেখ ৬৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই শ্যামনগর পঞ্চায়েতে গতবার সিপিআই(এম) জিতেছিল ১৬টির মধ্যে ৩টি আসনে। এবার জয়ী হয়েছে ৮টা আসনে। এবার মোট আসন ২০টি। তৃণমূল জিততে পেরেছে ৪টিতে। বাকি বিজেপি। শুধু শ্যামনগরই নয়, বেতাই-১, বেতাই-২, ছিটকা, নাটনা, পাথরঘাটা ১ ও ২-এর মতো এমন পঞ্চায়েত এবং বুথের সংখ্যাচিত্রের অনেক উদাহরণ। পুনর্নির্বাচনের দিনও ৪টে বুথ দখল করে ছাপ্পা চালায় তৃণমূলীরা। সিপিআই(এম) কর্মীরা ১১২ নং বুথকে রক্ষা করেন, মানুষের ভোট প্রয়োগের অধিকারকে সুরক্ষিত করে তারা। গণনা শেষে দেখা গেল সেই ১১২ নং সহ এই পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) ১০ টি বুথে জয়ী হয়েছে। সারা রাজ্যের মতো এই জেলাতেও প্রাণ হারিয়েছে ২ জন। চাপড়ার কল্যাণদহ গ্রামের ১৪৮ নং বুথের সামনে বেলা ১০ টার সময় খুন হন হামজার আলি হালসানা নামে এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূলী। নির্বাচনের দিন ভোট শুরু হওয়ার আগেই সশস্ত্র তৃণমূল বাহিনীর নৃশংস আক্রমণের শিকার হয়ে রক্তাক্ত জখম হন কৃষ্ণনগর এক ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দবাস এর ৬-৭ জন সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থক এজেন্টরা। আক্রমণের হাত থেকে বাদ যাননি ৬০ বছরের প্রবীণ সিপিআই(এম) প্রার্থীর শ্বশুর শুকুর আলি শেখ। পরবর্তীতে তিনি প্রাণ হারান। নাকাশিপাড়া থানার তেঁতুলবেড়িয়া তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ২ জন। এই ব্লকেরই পেটো ডাঙ্গায় সাজ্জাদ মণ্ডল নামে সিপিআইএম কর্মী এক যুবককে গুলিবিদ্ধ করে তৃণমূলীরা।এত সত্ত্বেও নির্বাচনের ফলাফলে যেখানে যেখানে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন, সেখানে সেখানেই সিপিআই(এম)’র পক্ষে মানুষের সমর্থনের সংখ্যা বেড়েছে। ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল যেমন মানুষের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে শান্তিপুর, তেহট্ট-১ ব্লকের ক্ষমতা থেকে তেমনি বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যুত করার তালিকাও দীর্ঘ। জেলার ১৭ ব্লকের ৫৪৯টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে ৩৬৬টিতে তৃণমূল, ১২৩টি’তে বিজেপি, ৩৫টি আসনে সিপিআইএম, ৭টিতে কংগ্রেস ও ২০টিতে নির্দল প্রার্থী জয়ী হওয়াটাও এই সময়ে তাৎপর্যপূর্ণ।
|
সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করে চাকদহ, কল্যাণী, তেহট্ট, রানাঘাট, কালিগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় বিরোধীশূন্য ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালায় শাসক তৃণমূল নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে শুরু করে মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব, এমনকি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য, হাইকোর্টের নির্দেশে সারা রাজ্যের মতো এই জেলাতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত ব্যবহার না করে শাসক দল সন্ত্রাসের সব রকমের পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে তেহট্ট ১ ব্লকের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫০ ও ১৫১ নং বুথ এলাকায় পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সিপিআই(এম)-র প্রচার মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাতে দেখা গেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দলকে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তাঁদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি ইট- পাটকেল ছোঁড়া হয় আহত হন আইসি সহ একাধিক পুলিশ কর্মী ঘটনার সব সত্যতা জানা সত্ত্বেও পুলিশ পার্টি নেতা, ওই কেন্দ্রের প্রার্থী সামাদ শেখ সহ ৫৮ জন ও তৎসহ আরও ২০০ জনকে যুক্ত করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করে ঘটনায় ৭ জন সিপিআই(এম) কর্মী, সমর্থক গ্রেপ্তারও হন এমনই মিথ্যা মামলায় পরিকল্পিতভাবে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে, কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ১৭৮ নং বুথের পার্টিসদস্য বাপি বিশ্বাস ও একযোগে বিজেপি’র বুথ সভাপতি ইন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে অস্ত্র আইন ধারায় গ্রেপ্তার করেও ভোটের দিন তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় তার পরও ঐ ১৫১ নং বুথের সিপিআই(এম) প্রার্থী সামাদ শেখ ৬৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন এই শ্যামনগর পঞ্চায়েতে গতবার সিপিআই(এম) জিতেছিল ১৬টির মধ্যে ৩টি আসনে এবার জয়ী হয়েছে ৮টা আসনে এবার মোট আসন ২০টি তৃণমূল জিততে পেরেছে ৪টিতে বাকি বিজেপি শুধু শ্যামনগরই নয়, বেতাই-১, বেতাই-২, ছিটকা, নাটনা, পাথরঘাটা ১ ও ২-এর মতো এমন পঞ্চায়েত এবং বুথের সংখ্যাচিত্রের অনেক উদাহরণ পুনর্নির্বাচনের দিনও ৪টে বুথ দখল করে ছাপ্পা চালায় তৃণমূলীরা সিপিআই(এম) কর্মীরা ১১২ নং বুথকে রক্ষা করেন, মানুষের ভোট প্রয়োগের অধিকারকে সুরক্ষিত করে তারা গণনা শেষে দেখা গেল সেই ১১২ নং সহ এই পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) ১০ টি বুথে জয়ী হয়েছে সারা রাজ্যের মতো এই জেলাতেও প্রাণ হারিয়েছে ২ জন চাপড়ার কল্যাণদহ গ্রামের ১৪৮ নং বুথের সামনে বেলা ১০ টার সময় খুন হন হামজার আলি হালসানা নামে এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূলী
|
ভাঙছে তো ভাঙছেই, পড়শি রাজ্যের তৃণমূল যেন এরাজ্যের বিজেপি
|
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার তৃণমূল যুব নেতা
|
ভগবান থেকে সোভিয়েত-চিন, বামেদের দৃষ্টিকোণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ শীর্ষ বামনেত্রীর
|
‘মরে গেলে দায়িত্ব নেব’, চিকিৎসায় না, মারে অসুস্থ চাকরিপ্রার্থী সম্পর্কে বললেন পুলিশ কর্তা
|
state
|
মরে গেলে তখন আমরা দায়িত্ব নেব, বুধবার আহত চাকরিপ্রার্থীরা চিকিৎসার কাতর আবেদন জানালে এই উত্তরই দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক। নৃশংসতার নতুন উদাহরণ কলকাতা পুলিশের! বুধবার পুলিশের নৃশংস অত্যাচারের পর হেয়ার ষ্ট্রিট থানায় নিয়ে আসা হয় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। থানায় এক চাকরিপ্রার্থীর বমি করা, অসুস্থ হয়ে পড়ার পর গুরুতর আশঙ্কা নিয়ে প্রার্থীরা হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য কাতর আরজি জানাতে গেলে প্রত্যুত্তরে হেয়ার ষ্ট্রিট থানার এক পুলিশ অফিসারকে ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে, ‘‘ও মরে গেলে আমরা দায়িত্ব নেব।’’ তখন প্রার্থীরা বলেন, ‘‘বলছেন দায়িত্ব নেবেন?’’ ফের পুলিশকে বলতে শোনা গেলে, ‘‘আমি কথা দিচ্ছি।’’(ভিডিও’র সত্যতা গণশক্তি যাচাই করেনি)‘‘মরে গেলে আমরা দায়িত্ব নেব’’ বলতে শোনা গেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার অ্যাডিশনাল ওসি সচিন মণ্ডলকে। বর্তমানে হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসি ছুটিতে থাকায় তিনি ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসাবে কাজ করছেন। থানার মধ্যে, থানার বাইরে টেট প্রার্থীদের উপর অত্যাচারের এমন একাধিক অমানবিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। গতকাল টেট প্রার্থীদের আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার নাম করে অরুণিমা পালের হাত কামড়ে দেওয়া অভিযুক্ত কনস্টেবল ইভা থাপার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে, হাতে কামড় খাওয়া প্রার্থী অরুণিমা পালকে একদিন লকআপে রেখে দেওয়া হয়। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি পুলিশ। অরুণিমা পালকে চিকিৎসা না করে কনস্টেবল ইভা থাপাকে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বর্তমানে কনস্টেবল ইভা থাপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। প্রার্থী অরুণিমা পালকে কামড় দেওয়ার আগে প্রকাশ্যে আসা এক ভিডিও’তে দেখা গেছে, দু’জন সহযোদ্ধা প্রার্থীর সঙ্গে রাস্তার এককোণে অরুণিমা পাল দাঁড়িয়ে ছিলেন। কনস্টেবল ইভা থাপাকে দেখা গেছে, হঠাৎই সপাটে গালে থাপ্পড় মেরে অরুণিমা পালের সালোয়ারের কলার ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে কালো রঙের পোশাক পরা আরেক মহিলা কনস্টেবলও হাত লাগিয়েছেন অরুণিমা পালকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে। প্রিজন ভ্যানের সামনে আসতেই কনস্টেবল ইভা থাপা কামড় দেয় অরুণিমা পালের বাঁ হাতে। গোল চাক্তির মতো হাতে কামড়ে দাগ রয়ে যায়। এরপর অরুণিমা পাল সহ মোট ৩০জনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। আক্রান্ত প্রার্থী অরুণিমা পাল সহ মোট ৩০জনকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁদেরই বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হয়। এদিন চাকরি প্রার্থীদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করিয়ে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। তাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে আদালত কক্ষ। চাকরি প্রার্থী অরুণিমা পালকে কামড়ানো হয়েছে বলে এদিন পুলিশ স্বীকার করে নিয়ে দাবি করে, অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মীর হাতেও কামড়ানো হয়েছে। মামলার শুনানিতে আন্দোলনকারীদের পক্ষের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘পুলিশ যাঁদের হেপাজতে নিতে চাইছেন, তাঁরা কি মাওবাদী?’’ সরকারি আইনজীবীর পালটা যুক্তি, শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশের কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন বলেই পুলিশ তাঁদের আটকেছে।শুনানি চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ইয়াসিন রহমান এবং অমিত হালদার কটাক্ষ করে বলেন, পুলিশ যাঁকে কামড়েছে, তিনি লক-আপে। অথচ, যিনি কামড়েছেন, তিনি হাসপাতালে ভর্তি। ইয়াসিন রহমান প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সরকার চাকরি দিতে পারছে না। দুর্নীতি করে সকলে জেলে রয়েছেন। তারপরেও পুলিশ বলছে, চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠনকে খুঁজে বার করতে হবে? চাকরিপ্রার্থীরা কি মাওবাদী? কোন যুক্তিতে তাঁদের পুলিশ হেপাজত চাওয়া হচ্ছে? চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ হেপাজত দেওয়া হলে সমাজের প্রতি অবিচার হবে।’’ পুলিশ হেপাজতের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল বলেই পুলিশকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। পুলিশের যা কর্তব্য, পুলিশ তা-ই করেছে। শিক্ষকেরা শিক্ষকদের মতো আচরণ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নিয়মভঙ্গ হয়েছে।’’পুলিশের এই দাবি অবশ্য মানতে রাজি নন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, আন্দোলনকারীরা হিংসাত্মক হয়ে উঠলে, তাঁদের হাতে লাঠি থাকত। তাঁদের কাছ থেকে কি সে রকম কোনও লাঠি পাওয়া গিয়েছে? অমিত হালদার বলেন, ‘‘কামড়াচ্ছে তো পুলিশ! রক্ষকই ভক্ষক হয়ে গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। পুলিশই আক্রমণাত্মক হয়ে লাঠিচার্জ করেছে। চাকরিপ্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা তাঁদের জামিনের আবেদন করছি।’’ দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক শৌনক মুখোপাধ্যায় ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে গতকাল পুলিশের নারকীয় অত্যাচারের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে বলে অরুণিমা পালের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় অরুণিমা পালের পরিবার। আতঙ্কিত সত্তরোর্ধ্ব অরুণিমা পালের মা অলোকা পাল এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ‘‘আমার মেয়ে পুলিশের কামড়ে জখম, তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলো না। সে তো অপরাধী বা দুষ্কৃতী নয়। ন্যায্য দাবিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে গিয়েছিল। এরকম ঘটনা আমার জীবদ্দশাতে কখনো শুনিনি।’’ যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির দেওয়ার দাবি জানিয়ে অলোকা পাল সংবাদ মাধ্যমের সহায়তায় মানবাধিকার কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজের সকলের কাছে পুলিশের এই আচরণের বিরোধিতার আবেদন জানিয়েছেন। পুলিশের অত্যাচারের বিভিন্ন ভিডিও এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এক ভিডিওতে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা চাকরি প্রার্থী সাবির আহমেদকে বলতে শোনা যাচ্ছে, পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে পর পর প্রিজন ভ্যানের সামনে তিন-তিনবার তাঁকে আছাড় দিয়েছে। তাঁর হাত পুলিশ কেটে দিয়েছে। হাতে ক্ষতের ছবিও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। একাধিক সংগঠন সহ সিআইটিইউ’র পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখার্জি ও সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশের এই বর্বরোচিত আক্রমণের নিন্দা করে জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগ করে দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
|
এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই কিন্তু নিয়মভঙ্গ হয়েছে’’পুলিশের এই দাবি অবশ্য মানতে রাজি নন চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, আন্দোলনকারীরা হিংসাত্মক হয়ে উঠলে, তাঁদের হাতে লাঠি থাকত তাঁদের কাছ থেকে কি সে রকম কোনও লাঠি পাওয়া গিয়েছে? অমিত হালদার বলেন, ‘‘কামড়াচ্ছে তো পুলিশ! রক্ষকই ভক্ষক হয়ে গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল পুলিশই আক্রমণাত্মক হয়ে লাঠিচার্জ করেছে চাকরিপ্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন আমরা তাঁদের জামিনের আবেদন করছি’’ দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক শৌনক মুখোপাধ্যায় ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন এদিকে গতকাল পুলিশের নারকীয় অত্যাচারের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে বলে অরুণিমা পালের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে নিরাপত্তাহীনতায় অরুণিমা পালের পরিবার আতঙ্কিত সত্তরোর্ধ্ব অরুণিমা পালের মা অলোকা পাল এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ‘‘আমার মেয়ে পুলিশের কামড়ে জখম, তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলো না সে তো অপরাধী বা দুষ্কৃতী নয় ন্যায্য দাবিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে গিয়েছিল এরকম ঘটনা আমার জীবদ্দশাতে কখনো শুনিনি’’ যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির দেওয়ার দাবি জানিয়ে অলোকা পাল সংবাদ মাধ্যমের সহায়তায় মানবাধিকার কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজের সকলের কাছে পুলিশের এই আচরণের বিরোধিতার আবেদন জানিয়েছেন পুলিশের অত্যাচারের বিভিন্ন ভিডিও এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা এক ভিডিওতে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা চাকরি প্রার্থী সাবির আহমেদকে বলতে শোনা যাচ্ছে, পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে পর পর প্রিজন ভ্যানের সামনে তিন-তিনবার তাঁকে আছাড় দিয়েছে
|
‘মরতে যখন হবে, আজই মৃত্যু দিন’ ‘আমার চাকরি কে করছে দিদি?’
|
পালাতে অস্বীকার করায় খুন কিশোরীকে, দাবি প্রেমিকের
|
দূরে ঠেলে দেওয়ার নামই কাছে টেনে নেওয়া, মা কি কেবলই দ্বন্দ্ব? বলছেন ঋদ্ধি সেন
|
ইউক্রেনে ভাঙল জলাধার, ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক লক্ষ মানুষ
|
international
|
রাতের অন্ধকারে ইউক্রেনে ভেঙে গেল আস্ত জলাধার। ইউক্রেন এবং রাশিয়া- দুই পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে বাঁধ ভাঙার জন্য। যদিও নদী বাঁধ ভাঙার ফলে দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অংশে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। মঙ্গলবার রাত থেকেই খবর রটে যায়, দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনের খারসন প্রদেশের নোভা কাকোভকা জলাধারের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এবং তারফলে প্রবল বেগে ড্নিপার নদীর জল দুই কূল প্লাবিত করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙা বাঁধের ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে সামাজিক মাধ্যম জুড়ে। এবং তারপরেই বিপর্যয়ের আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নোভা কাকোভকা জলাধারের জল ব্যবহার করেই জাপোরোঝিয়া পরমাণু চুল্লির পরমাণু জ্বালানী ঠান্ডা করা হয়। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে সেই জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। এর পাশাপাশি হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ ইউক্রেনে অবস্থিত খারসন শহরের প্রায় গোটাটাই প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে এই জলাধারের জল প্রকল্প থেকেই দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনের কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়। বাঁধ ভাঙার ফলে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। একইসঙ্গে রয়েছে প্রাণহানীর আশঙ্কাও। খারসন প্রদেশে ড্নিপার নদীর পশ্চিম তটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রাশিয়ার হাতে। পূর্ব তট নিয়ন্ত্রণ করে ইউক্রেন। পূর্ব তটেই রয়েছে খারসন সহ একাধিক জনবহুল শহর। ইতিমধ্যেই খারসনের বহু বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু করেছে ইউক্রেন। ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। খারসনের পাশাপাশি নোভা কাকোভকা শহরও পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে ড্নিপারের জলে। অপরদিকে পশ্চিম তটে বড় শহর না থাকলেও রয়েছে বেশ কিছু ছোট গ্রাম। সেই গ্রামগুলি থেকে আগেই সাধারণ মানুষকে সরিয়ে সামরিক রক্ষণ ব্যূহ তৈরি করে রেখেছিল রাশিয়া। কাটা হয়েছিল বহু ট্রেঞ্চ বা আত্মরক্ষার জন্য তৈরি সুরঙ্গ। হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সেই ট্রেঞ্চগুলিও প্লাবিত হয়েছে। যদিও রাশিয়ার দাবি, কোনও ট্রেঞ্চ থেকেই পালায়নি রুশ সেনা। ইউক্রেনের দাবি, তাঁদের প্রতি আক্রমণ ঠেকাতেই বাঁধ ভেঙে দিয়ে বিপুল এলাকা প্লাবিত করেছে রাশিয়া। অপরদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইম্স সহ একাধিক পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে রুশপন্থী ব্লগারদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই নোভা কাকোভকা জলাধার ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছিল ইউক্রেন। স্বাভাবিক ভাবে মঙ্গলবারের কীর্তির দাবিদার তাঁরাই। প্রসঙ্গত, নোভা কাকোভকা জলাধারের জলে প্লাবিত হয়ে খেরসন শহরে আটকে পড়ার আশঙ্কা থেকেই ২০২২ সালের নভেম্বরে খেরসন শহর থেকে পিছু হঠে রাশিয়া। সেই ঘটনাকে নিজেদের সামরিক শক্তির জয় হিসেবেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল ইউক্রেন। অপরদিকে রুশ জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনের দাবি ছিল, সেনাবাহিনীকে অনর্থক ঝুঁকি পূর্ণ পরিস্থিতিতে আটকে রাখার কোনও মানে হয় না। রুশ ব্লগাররা বলছেন, এদিনের ঘটনা থেকেই সুরোভিকিনের দূরদর্শিতা প্রমাণিত হয়েছে।
|
একইসঙ্গে এই জলাধারের জল প্রকল্প থেকেই দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনের কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয় বাঁধ ভাঙার ফলে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে একইসঙ্গে রয়েছে প্রাণহানীর আশঙ্কাও খারসন প্রদেশে ড্নিপার নদীর পশ্চিম তটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রাশিয়ার হাতে পূর্ব তট নিয়ন্ত্রণ করে ইউক্রেন পূর্ব তটেই রয়েছে খারসন সহ একাধিক জনবহুল শহর ইতিমধ্যেই খারসনের বহু বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু করেছে ইউক্রেন ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর খারসনের পাশাপাশি নোভা কাকোভকা শহরও পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে ড্নিপারের জলে অপরদিকে পশ্চিম তটে বড় শহর না থাকলেও রয়েছে বেশ কিছু ছোট গ্রাম সেই গ্রামগুলি থেকে আগেই সাধারণ মানুষকে সরিয়ে সামরিক রক্ষণ ব্যূহ তৈরি করে রেখেছিল রাশিয়া
|
দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত ইউক্রেনে
|
ইউক্রেনের যুদ্ধের ক্ষতি কি শুধু দুটো দেশের মানুষেরই?
|
বিজেপিকে ঠেকাতে ‘একের বিরুদ্ধে এক’ ফর্মুলার প্রয়োগ চাইছেন বিরোধীরা
|
রাশিয়া-চীনের আপত্তিতে হলো না যৌথ ঘোষণা
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন থেকে নিঃশর্ত সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তৈরি করা যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার আপত্তি আর তাতে চীনের সমর্থন, যে কারণে যৌথ ঘোষণা ছাড়াই শেষ হলো জি–২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন। বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দুই দিনের এই সম্মেলন শেষ হয়েছে। এর আগে বেঙ্গালুরুতে এই গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনের মতো একই হাল হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনেও। যৌথ বিবৃতির বদলে গৃহীত হলো এক ‘আউটকাম ডকুমেন্ট’। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম এই সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ পরস্পর সাক্ষাৎ করেন। বৃহস্পতিবার সম্মেলনের ফাঁকে এই সাক্ষাতের ফল সম্পর্কে দুই দেশের কূটনীতিকেরা বিশেষ কিছু বলতে চাননি। যদিও দুই তরফেই সাক্ষাতের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করা হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দুই পক্ষে এটাই ছিল প্রথম কথা। দুজনের বাক্যালাপ হয় ১০ মিনিটের মতো। এই সাক্ষাৎ পূর্বনির্ধারিত ছিল না। দিল্লি আসার আগে ব্লিঙ্কেনও জানিয়েছিলেন, সাক্ষাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, সম্মেলনে এসে ব্লিঙ্কেনই লাভরভের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এই সাক্ষাতের পেছনে ভারতের হাত আছে কি না, সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কোনো মন্তব্য করেননি। সম্মেলনের সাইডলাইনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিং গাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়শঙ্করও। দ্বিপক্ষীয় বিষয়, বিশেষ করে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের কথা হয়েছে বলে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দুই দিনের এই সম্মেলন শেষ হয়েছে এর আগে বেঙ্গালুরুতে এই গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনের মতো একই হাল হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনেও যৌথ বিবৃতির বদলে গৃহীত হলো এক ‘আউটকাম ডকুমেন্ট’ তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম এই সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ পরস্পর সাক্ষাৎ করেন বৃহস্পতিবার সম্মেলনের ফাঁকে এই সাক্ষাতের ফল সম্পর্কে দুই দেশের কূটনীতিকেরা বিশেষ কিছু বলতে চাননি
|
তৃতীয় পক্ষ নয়, রাজনৈতিক সমাধানের আর্জি রাশিয়ার
|
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দু:খিত হলেও মেনে নেয়ার ঘোষণা ইমরানের
|
ভোটের ভবিষ্যৎ
|
শেষ যাত্রায় ঐন্দ্রিলা শর্মা, শেষ বার দেখতে হাসপাতালে অনুরাগীদের ভিড়
|
entertainment
|
১৯ দিনের লড়াইয়ের পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। রবিবার হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর মরদেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে কুঁদঘাটের বাড়িতে। ঐন্দ্রিলাকে শেষ বার দেখতে হাসপাতালে অনুরাগীদের ভিড়।
|
১৯ দিনের লড়াইয়ের পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা
|
বিদায় ঐন্দ্রিলা, পঞ্চভূতে বিলীন অভিনেত্রীর নশ্বর দেহ, চোখের জলে ভাসছেন স্বজন থেকে অনুরাগীরা
|
হাসপাতালে অনীক দত্ত
|
রাশিয়াকে সরাসরি প্ররোচনা, বিশাল সামরিক মহড়ার পথে ন্যাটো
|
‘নিখুঁত’ নাকের অস্ত্রোপচারের ৩ লক্ষ টাকার জন্য সদ্যোজাতকে বিক্রি! ধৃত অভিযুক্ত মা
|
lifestyle
|
নিজের নাক ‘নিখুঁত’ করার জন্য অস্ত্রোপচারের খরচ জোগাড়ে পাঁচ দিনের সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠল রাশিয়ার এক যুবতীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে সম্প্রতি ওই যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, যে দম্পতির কাছে শিশুসন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদেরও গ্রেফতার করেছে রাশিয়ার পুলিশ। মে মাসের শেষ দিকের এই ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসতেই নেটমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ৩৩ বছরের ওই যুবতীর নাম-পরিচয় অবশ্য প্রকাশ করেনি রাশিয়ার পুলিশ। তাদের দাবি, ‘খুঁতহীন’ নাক পেতে ৩,৫৮১ ডলার দিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে চেয়েছিলেন ওই তরুণী। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ২,৮৬,১৬৩ টাকা। ওই অর্থের জন্যই তাঁর সন্তানকে স্থানীয় এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন যুবতীটি। শিশুপাচারের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ এপ্রিল কাসপিয়স্ক শহরের একটি হাসপাতালে প্রসব করেন ওই যুবতী। এর পর স্থানীয় এক দম্পতির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, ওই দম্পতির কাছে সদ্যোজাতকে ৩,২০০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ২,৫৫,৯৫৮ টাকা) বিক্রি করতে রাজি হয়ে যান তিনি। দম্পতিকে শিশুর জন্মের শংসাপত্র তুলে দিয়ে তার যাবতীয় অধিকার ছেড়ে দেন তিনি। সে সময় কিছু অর্থ পেয়েছিলেন তিনি। সম্পাহখানেকের মধ্যে গত ২৬ মে বাকি টাকাও হাতে পেয়ে যান যুবতী। গোটা ঘটনাটি গোপন সূত্রে জানার পর যুবতীকে পাকড়াও করে রাশিয়ার পুলিশ। সেই সঙ্গে, আইনত দত্তক নেওয়া ওই দম্পতিকেও গ্রেফতার করেছে তারা। টাকা দিয়ে শিশু কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই দম্পতি। গ্রেফতারির পর তাঁদের দাবি, শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ার জন্যই নাকে অস্ত্রোপচার করাতে চেয়েছিলেন ওই যুবতী। সে কারণেই ওই যুবতীকে অর্থ দিয়েছেন তাঁরা। ঘটনার পর নানা ডামাডোলে প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তবে ওই শিশুটির দেখভাল কারা করছে, তা জানা যায়নি।
|
দম্পতিকে শিশুর জন্মের শংসাপত্র তুলে দিয়ে তার যাবতীয় অধিকার ছেড়ে দেন তিনি সে সময় কিছু অর্থ পেয়েছিলেন তিনি সম্পাহখানেকের মধ্যে গত ২৬ মে বাকি টাকাও হাতে পেয়ে যান যুবতী গোটা ঘটনাটি গোপন সূত্রে জানার পর যুবতীকে পাকড়াও করে রাশিয়ার পুলিশ সেই সঙ্গে, আইনত দত্তক নেওয়া ওই দম্পতিকেও গ্রেফতার করেছে তারা টাকা দিয়ে শিশু কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই দম্পতি গ্রেফতারির পর তাঁদের দাবি, শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ার জন্যই নাকে অস্ত্রোপচার করাতে চেয়েছিলেন ওই যুবতী সে কারণেই ওই যুবতীকে অর্থ দিয়েছেন তাঁরা
|
দুধের শিশুকে তিন বার আছাড় মারলেন স্বামী, পুলিশে অভিযোগ দায়ের অভিনেত্রীর
|
শারিরীক অসুবিধার জন্য ‘বাড়ির’ কাছে জিজ্ঞাসাবাদ চায় ম্যাথু
|
নিয়োগ থেকে বদলি সবেতেই দুর্নীতির ছায়া
|
শি-র নেতৃত্বে শক্ত হল অতি-জাতীয়তাবাদ ও কর্তৃত্ববাদের গাঁটছড়া
|
editorial
|
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ২০তম জাতীয় কংগ্রেস কিছু দিন আগে শেষ হয়েছে। প্রত্যাশিত ভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বী ও সমালোচকদের অপসারিত করে প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং চিনের অবিসংবাদিত ও সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি চিনকে বিশ্বের প্রধান শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশ ও জাতির সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মাটিতে মার্ক্সবাদের সত্যকে সর্বসমক্ষে প্রতিষ্ঠিত করাই চিনের অন্যতম রাজনৈতিক লক্ষ্য। এর জন্য চাই কেন্দ্রীভূত নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। শি-র ক্ষমতা যত একচেটিয়া হবে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সে দেশের ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা তত বাড়বে। চিনের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা যখন সে দেশের ভাবনা ও রণনীতিকে আরও আগ্রাসী করতে বদ্ধপরিকর, তখন বিশ্বের পক্ষে নিঃসন্দেহে তা অশনিসঙ্কেত বহন করে। অধিবেশনে গৃহীত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল, মতাদর্শের বিশুদ্ধতা ও আত্ম-নির্ভরতা। শি-র মতে, আজকের অনিশ্চিত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় চিন সমৃদ্ধি ও আধিপত্য ধরে রাখতে পারবে, যদি অভ্যন্তরীণ সমস্ত দ্বন্দ্বের দ্রুত অবসান ঘটে। তার জন্য চাই দৃঢ় সঙ্কল্প আর আত্মত্যাগ। শি চিনের রাজনীতি ও সামাজিক জীবনে মার্ক্সবাদের অপরিসীম গুরুত্বকে স্মরণ করেছেন। এই দিক থেকে বিচার করলে, অধিবেশনে শি-র ভাষণ ও পরবর্তী কালে প্রকাশিত প্রতিবেদন সে দেশের মার্ক্সবাদের এক নতুন অধ্যায়ের জন্ম দিল বলে অনেকে দাবি করেছেন। কিন্তু, শি তাঁর পূর্বসূরিদের মতোই চিনের নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে এই মার্ক্সবাদের সঙ্গে একাত্ম করে দেখেছেন। অর্থাৎ, শ্রেণি ও জাতীয়তাবাদের পারস্পরিক স্বার্থের মধ্যে বিরোধের কোনও সম্ভাবনা এখানে পাওয়া যাবে না। দেং, যাঁকে চিনের অর্থনৈতিক উত্থানের জনক হিসাবে গণ্য করা হয়, ১৯৮১ সালে সিসিপি সম্মেলনে মার্ক্সবাদী মতাদর্শের গুরুত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তাঁর মত ছিল, যান্ত্রিক তত্ত্ব পরিহার করে বাস্তবের দাবিকে মেনে নতুন চিনের নির্মাণে মনোযোগ দেওয়া। তাঁর উত্তরসূরি জিয়াং জেমিন এবং হু জিনতাও তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ, চিনের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বাজারের ভূমিকা দ্রুত প্রসারিত করেন এবং এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন, যা আমেরিকার নেতৃত্বে গঠিত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় চিনের পূর্ণ অংশগ্রহণের পথ খুলে দেয়। উদারনৈতিক বিশ্ব-অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে চিন বিস্ময়কর দ্রুততায় অভূতপূর্ব সাফল্যের মুখ দেখেছিল। শি বাস্তববাদী। অ-মতাদর্শী শাসনের বদলে মার্ক্সবাদী জাতীয়তাবাদের একটি নতুন রূপ গড়ে তুলেছেন, যা এখন চিনের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বৈদেশিক নীতির ধারক ও বাহক। এই ভাবে, শি রাজনীতিকে মাওয়ের পথে, অর্থনীতিকে পশ্চিমি বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষে এবং বিদেশনীতিকে অতি-জাতীয়তাবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। চিনের ২০তম জাতীয় কংগ্রেস অধিবেশনটি সাফল্য এবং সম্ভাব্য বিপদের এক মিশ্র আখ্যান। আশানুরূপ ভাবেই, চিনের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতায় পশ্চিমি প্রতিপক্ষের সঙ্গে বেড়ে চলা ব্যবধান বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। শি গত পাঁচ বছরে পার্টির সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, যার মধ্যে ‘মধ্যম সমৃদ্ধ সমাজ’ গড়ে তোলা, শূন্য-কোভিড নীতির মাধ্যমে সমস্ত জনগণকে রক্ষা করা, হংকং-এ রাজনৈতিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, তাইওয়ানের প্রকৃত স্বাধীনতা প্রাপ্তি এবং ‘চিনের মর্যাদা এবং মূল স্বার্থ’ রক্ষার জন্য ‘লড়াইয়ের মনোভাব’ গ্রহণ করা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। পার্টিকে ‘লড়াইয়ের মনোভাব’ গ্রহণ করার জন্য শি-র আবেদন ইঙ্গিত দেয় যে, চিনের ‘জাতীয় পুনর্জাগরণ’-এর পথ মসৃণ নয় এবং এর জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ, বেজিংকে ‘কৌশলগত সুযোগ, ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ’ নিতে হবে, আর, স্বাভাবিক ভাবেই, প্রস্তুত থাকতে হবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। স্বাভাবিক ভাবে, বেজিং আরও আক্রমণাত্মক রণনীতি নেবে, যার ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অস্থিরতা ও সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়বে। আজকের চিন যে ভিন্ন পথের পথিক, তা স্পষ্ট। প্রথমত, দেং শিয়াওপিং, জিয়াং জেমিন এবং হু জিনতাও কমিউনিস্ট পার্টিকে নতুন প্রবণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াতে চেয়েছিলেন। তাঁরা দেশের আর্থিক উন্নতির স্বার্থে ব্যবসায়ী এবং পেশাদারদের উত্থানকে সমর্থন করেছিলেন। বিপরীতে, পার্টির মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে মানানসই বাস্তবতাকে পরিবর্তনের পক্ষে আপসহীন সওয়াল করেছেন শি। দ্বিতীয়ত, শি-র পূর্বসূরিরা আর্থিক বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এবং অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিছু নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু শি মতাদর্শ ও আনুগত্যকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তৃতীয়ত, চিনা কমিউনিস্ট পার্টি ব্যতীত অন্য যে কোনও সামাজিক গোষ্ঠী প্রগতিশীল শক্তি হতে পারে, এই ধারণাকে শি সম্পূর্ণ রূপে পরিত্যাগ করেছেন। ১৯৯০-এর দশকে, দলীয় কর্মকর্তা এবং শিক্ষাবিদরা ‘ছোট সরকার, বড় সমাজ’ ধারণাটি নিয়ে বেশ খোলাখুলি আলোচনা করতেন। এটি পশ্চিমি সুশীল সমাজের ধারণা না হলেও, কিছু মিল ছিল। শি-র নেতৃত্বে এটা আর সম্ভব নয়। পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এমন কোনও সামাজিক শক্তি চিনের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ও সম্পূর্ণ বর্জনীয়। ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে, চিনের প্রধান উদ্দেশ্য হল আমেরিকার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা কার্যকর ভাবে হ্রাস করা। এটি বিশেষত চিনের প্রতিবেশী, মূলত, ইন্দো-প্যাসিফিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অতীতে চিন বিভিন্ন দিকে দ্রুত অগ্রগতি করতে চেয়েছিল। কিন্তু, আজকের চিন আত্মবিশ্বাসী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অত্যাবশ্যক উন্নত প্রযুক্তি আমদানির ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার এবং ক্ষমতা থেকে সে বঞ্চিত হচ্ছে পশ্চিমি ষড়যন্ত্রের কারণে। আমেরিকার নাম না করে, শি ঘোষণা করেছেন যে, চিন ‘কখনও জোরপূর্বক শক্তির কাছে নতিস্বীকার করবে না’। চিনের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে, পার্টি কংগ্রেস জানিয়েছে যে, বেজিং-এর লক্ষ্য হল: ২০৩৫ সালের মধ্যে চিনকে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত করা, মাথাপিছু আয়কে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত করা এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক করা। গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের শততম বার্ষিকীতে, মোট জাতীয় শক্তি এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবের ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা। কিন্তু, সামরিক, ভূরাজনৈতিক জটিলতা ও অভ্যন্তরীণ আদর্শগত বিবাদের দাবি অর্থনীতির ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে কঠিন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। শি-র ভাষণ ও প্রতিবেদনে এর ইঙ্গিত স্পষ্ট। প্রতিবেদনে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার মান এবং স্তর উন্নত করা যে চিনের প্রধান উদ্দেশ্য, তা ধরা পড়েছে। কিন্তু, উন্মুক্ত ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি এই আপাত সমর্থন চিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের উপায়মাত্র। উল্লেখযোগ্য ভাবে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে— যেখানে চিন বিপুল পরিমােণ অর্থ ও জনশক্তি বিনিয়োগ করছে। প্রথম দু’টি অতি মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে হাই-টেক সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোপ্রসেসর ইত্যাদি বিক্রির উপর আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে। চিনের অভূতপূর্ব উত্থান অর্থনৈতিক বাস্তববাদী চিন্তায় নির্মিত। কিন্তু আজকের চিন সেখান থেকে সরে এসেছে। এ ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিকতার চাপ অনস্বীকার্য হলেও চিনের আদর্শগত কঠোরতা ও উগ্র জাত্যভিমান এই পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের দ্বন্দ্ব আজ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। অতিমারি-বিধ্বস্ত ও বিশ্বব্যাপী মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে চিনের সামনে বিকল্প পথ সীমিত। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে আছে চিনের বিনিয়োগ। দেশের বহু চর্চিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নানা সমস্যাদীর্ণ। এই সময়ে, শি প্রবর্তিত আগ্রাসী মনোভাব চিনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি রুদ্ধ করতে পারে বলে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের দাবি। ভারত অবশ্য আগামী কয়েক বছরে চিনের রোষের প্রধান লক্ষ্য হতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতার পাশাপাশি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হবে। এর পাশাপাশি, পশ্চিমি প্রযুক্তির প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করেও দু’-দেশের তিক্ততা বাড়বে। তা ছাড়া, বিশ্ব ভূরাজনীতির প্রবণতা ভারত ও চিনের মধ্যে চাপা উত্তেজনার সর্বপ্রধান কারণ। রাশিয়া ও পশ্চিমি দেশ সমূহকে কেন্দ্র করে যে ভূরাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ দিন ভারতের পক্ষে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা দুরূহ হবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিচারে, সে ক্ষেত্রে ভারতের সামনে নিজেকে যে কোনও সামরিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
|
শি-র নেতৃত্বে এটা আর সম্ভব নয় পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এমন কোনও সামাজিক শক্তি চিনের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ও সম্পূর্ণ বর্জনীয় ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে, চিনের প্রধান উদ্দেশ্য হল আমেরিকার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা কার্যকর ভাবে হ্রাস করা এটি বিশেষত চিনের প্রতিবেশী, মূলত, ইন্দো-প্যাসিফিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অতীতে চিন বিভিন্ন দিকে দ্রুত অগ্রগতি করতে চেয়েছিল কিন্তু, আজকের চিন আত্মবিশ্বাসী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অত্যাবশ্যক উন্নত প্রযুক্তি আমদানির ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার এবং ক্ষমতা থেকে সে বঞ্চিত হচ্ছে পশ্চিমি ষড়যন্ত্রের কারণে আমেরিকার নাম না করে, শি ঘোষণা করেছেন যে, চিন ‘কখনও জোরপূর্বক শক্তির কাছে নতিস্বীকার করবে না’ চিনের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে, পার্টি কংগ্রেস জানিয়েছে যে, বেজিং-এর লক্ষ্য হল: ২০৩৫ সালের মধ্যে চিনকে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত করা, মাথাপিছু আয়কে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত করা এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক করা গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের শততম বার্ষিকীতে, মোট জাতীয় শক্তি এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবের ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা কিন্তু, সামরিক, ভূরাজনৈতিক জটিলতা ও অভ্যন্তরীণ আদর্শগত বিবাদের দাবি অর্থনীতির ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে কঠিন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে শি-র ভাষণ ও প্রতিবেদনে এর ইঙ্গিত স্পষ্ট প্রতিবেদনে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার মান এবং স্তর উন্নত করা যে চিনের প্রধান উদ্দেশ্য, তা ধরা পড়েছে কিন্তু, উন্মুক্ত ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি এই আপাত সমর্থন চিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের উপায়মাত্র উল্লেখযোগ্য ভাবে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে— যেখানে চিন বিপুল পরিমােণ অর্থ ও জনশক্তি বিনিয়োগ করছে প্রথম দু’টি অতি মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে হাই-টেক সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোপ্রসেসর ইত্যাদি বিক্রির উপর আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে চিনের অভূতপূর্ব উত্থান অর্থনৈতিক বাস্তববাদী চিন্তায় নির্মিত কিন্তু আজকের চিন সেখান থেকে সরে এসেছে এ ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিকতার চাপ অনস্বীকার্য হলেও চিনের আদর্শগত কঠোরতা ও উগ্র জাত্যভিমান এই পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের দ্বন্দ্ব আজ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে অতিমারি-বিধ্বস্ত ও বিশ্বব্যাপী মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে চিনের সামনে বিকল্প পথ সীমিত সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে আছে চিনের বিনিয়োগ দেশের বহু চর্চিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নানা সমস্যাদীর্ণ
|
চিনের একনায়কত্ব ও সভ্যতার সংকট
|
ছেলেরা কী করবে, ঠিক করে রেখেছেন ববি, ক্যামেরা থেকে কেন দূরে রাখেন তাঁদের?
|
ভারতে বাস দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু ২৬ জনের
|
১৭ আগস্ট বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ
|
politics
|
স্টাফ রিপোর্টার: ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সংঘটিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আগামী ১৭ আগস্ট আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। বুধবার (১০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অপপ্রচার-গুজবের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তার দোসদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালিত হবে। এদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের জেলা-মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সকল নেতাকর্মীকে এই কর্মসূচি পালনের সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
এতে বলা হয়, অপপ্রচার-গুজবের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তার দোসদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালিত হবে
|
নোয়াখালীতে আ.লীগের কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ, আটক ১৮
|
কর্মী ছাঁটাই করবে ম্যাকিন্সে
|
এবার Netflix-এর সাবস্ক্রিপশন নিতে গুনতে হবে বাড়তি টাকা! কী জানাল সংস্থা?
|
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই সাংমার দলের, ত্রিশঙ্কুর শঙ্কা কাটাতে শাহর কাছে দরবার
|
politics
|
তাঁর দল ন্যাশনাল পিপল’স পার্টি (এনপিপি) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ৬০ সদস্যের মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে কনরাড সাংমার দল পেয়েছে ২৬ আসন। কিন্তু, সরকার গড়তে আরও পাঁচ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার। মেঘালয়ের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড এই পরিস্থিতিতে বিজেপির দ্বারস্থ হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি ফোনে সমর্থন চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। একথা টুইটবার্তায় জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। Thank you the people of Meghalaya for your support and blessings to BJP. I applaud @BJP4Meghalaya for their hard work to expand BJP’s footprints in the state.BJP under PM @narendramodi Ji will leave no stone unturned in serving the people and creating a bright future for them. ভোট পরবর্তী ফলাফলের প্রায় যাবতীয় সমীক্ষা ব্যর্থ করে মেঘালয়ে এবার কোনও রাজনৈতিক দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ৩১ আসন পায়নি। তবে, কনরাডের দল এনপিপি একক বৃহত্তম দলের স্থান পেয়েছে। কনরাড নিজে জিতেছেন দক্ষিণ তুরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। প্রত্যাশা জাগিয়ে ছোট আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (ইউডিপি) ১১ আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে দৌড় শেষ করেছে। আরও পড়ুন- মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম রায়, নির্দেশের গুরুত্বটা কী? কংগ্রেস জিতেছে পাঁচটি আসনে। তবে, মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান তথা শিলঙের সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পলা নিজে হেরে গেছেন। তিনি পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের সুতঙ্গা সাইপুং বিধানসভা কেন্দ্রে এনপিপির শান্তা মেরি শীলার কাছে ১,৮২৮ ভোটে পরাস্ত হয়েছেন। কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসও পেয়েছে পাঁচটি আসন। বিজেপি জিতেছে দুটি আসনে। এই দুটি আসনে জিতেই অবশ্য খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওই দুই আসনে জেতানোর জন্য মেঘালয়বাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এবার মেঘালয়ে ভালো ফলের আশা করেছিল। মেঘালয়ে দলের নেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বে সরকার গঠনের আশা ছিল জোড়াফুল শিবিরের। তবে, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মজার ব্যাপার হল, যে দলগুলোর পাঁচ জন করে বিধায়ক রয়েছে, যাদের সমর্থন পেলে তাঁর সরকারের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-পাওয়ার সমস্যা কেটে যায়, সেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কারও কাছেই সমর্থন চেয়ে আবেদন জানাননি কনরাড। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Conrad sangma falls short of majority and dials amit shah for bjp support to form govt
|
কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসও পেয়েছে পাঁচটি আসন বিজেপি জিতেছে দুটি আসনে এই দুটি আসনে জিতেই অবশ্য খুশি বিজেপি নেতৃত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওই দুই আসনে জেতানোর জন্য মেঘালয়বাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস এবার মেঘালয়ে ভালো ফলের আশা করেছিল মেঘালয়ে দলের নেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বে সরকার গঠনের আশা ছিল জোড়াফুল শিবিরের তবে, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি
|
দিলীপ-শুভেন্দু বিতর্কের মধ্যেই শহরে আসছেন শাহ, শুক্রবার রাতে করতে পারেন বৈঠক
|
শঙ্কিত নীরবতা
|
বয়ঃসন্ধির মুখে দাঁড়িয়ে আপনার সন্তান কি এই সব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে?
|
পুজোর মুখে স্বস্তি তৃণমূলের, সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সম্পত্তি মামলায় ইডিকে পার্টি করার হাই কোর্টের নির্দেশ
|
kolkata
|
তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্পত্তি বৃদ্ধিতে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। পুজোর আগে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সেই দলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)কে যুক্ত করার। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বর্ণকমল সাহা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ইডিকে পার্টি করার হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিল। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্পত্তি মামলায় অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়েই স্পষ্ট, বিজেপির কুৎসার চক্রান্ত ব্যর্থ হল।’’ পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই মামলা দায়ের করার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। ঠিক সময় সমস্ত কিছুর উপর থেকে পর্দা উঠবে। সত্য প্রতারিত হতে পারে, কিন্তু পরাজিত হয় না।’’ প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ১৯ জন নেতার সম্পত্তি কী হারে বেড়েছে, তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই মামলায় ইডিকেও পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বর্ণকমল সাহা-সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতা। সেই মামলাতেই হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। হাই কোর্টে তৃণমূলের যে ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, শিউলি সাহার মতো মন্ত্রী বিধায়ক। পাশাপাশি, প্রাক্তন মন্ত্রী অমিত মিত্র, বর্তমান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের নামও রয়েছে। রয়েছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়ে আইনজীবী শামিম আহমেদ দাবি করেছিলেন, গত ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এঁদের সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আর্জি জানান, পাঁচ বছরে এঁদের সম্পত্তি কী ভাবে এত বাড়ল, তা খতিয়ে দেখুক ইডি। এর প্রেক্ষিতে ইডিকে ওই মামলায় একটি পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের প্রদান বিচারপতির বেঞ্চ। অন্য দিকে, এই মামলার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমরা। তাঁদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট মামলায় শুধু তৃণমূল নয়, সিপিএম এবং বিজেপির বেশ কয়েক জন নেতারও নাম রয়েছে। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কেবল তৃণমূলের নেতাদের নামই প্রচার করছে বিরোধীরা।
|
’’ প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ১৯ জন নেতার সম্পত্তি কী হারে বেড়েছে, তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল সম্প্রতি সেই মামলায় ইডিকেও পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বর্ণকমল সাহা-সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতা সেই মামলাতেই হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টে তৃণমূলের যে ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, শিউলি সাহার মতো মন্ত্রী বিধায়ক পাশাপাশি, প্রাক্তন মন্ত্রী অমিত মিত্র, বর্তমান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের নামও রয়েছে রয়েছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়ে আইনজীবী শামিম আহমেদ দাবি করেছিলেন, গত ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এঁদের সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে
|
আবাসের টাকা নেওয়া পাকা বাড়ির মালিকরা প্রার্থী তৃণমূলের
|
মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ হাই কোর্টের
|
কাজের দাবিতে পদযাত্রা সন্দেশখালিতে
|
সাসপেন্স বাড়ছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে, বড় খেলার ছক বিজেপির, অন্ধকারে অনেক শীর্ষ নেতাও
|
politics
|
২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে, বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার প্রমাণ করেছেন যে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের চমকে দেওয়ার জন্য তাদের কাছে সবসময় নতুন কার্ড রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, দল এবং সরকার G20 শীর্ষ সম্মেলনকে সফল করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিল যা আসন্ন নির্বাচনে হাইলাইট করা যেতে পারে এবং লোকসভা নির্বাচনের আখ্যান সেট করতে ব্যবহৃত হয়। শীর্ষ সম্মেলনের দৌড়ে, রাজনৈতিক বক্তৃতা বিজেপি দ্বারা সেট করা বর্ণনা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। ক্ষমতাসীন দল নিশ্চিত করেছে যে মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া স্পেস-এ সমস্ত আলোচনা সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন সম্পর্কে ছিল যা সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী X-তে একটি দুই লাইনের পোস্টে ঘোষণা করেছিলেন। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের অধিবেশনের। প্রথমে, একযোগে নির্বাচনের বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং তারপরে জল্পনা ছিল যে এজেন্ডাটি স্থায়ীভাবে ইন্ডিয়া থেকে ভারতে দেশের নাম পরিবর্তন করা হবে কারণ পরবর্তীটি প্রদর্শিত হয়েছিল। G20 শীর্ষ সম্মেলনের সময় সরকারী আমন্ত্রণপত্র এবং নাম বোর্ডেও তা প্রতিফলিত হয়। Special Session of Parliament (13th Session of 17th Lok Sabha and 261st Session of Rajya Sabha) is being called from 18th to 22nd September having 5 sittings. Amid Amrit Kaal looking forward to have fruitful discussions and debate in Parliament.ಸಂಸತ್ತಿನ ವಿಶೇಷ ಅಧಿವೇಶನವನ್ನು… pic.twitter.com/k5J2PA1wv2 কিন্তু বিশেষ অধিবেশনের উদ্দেশ্য এখনও অজানা এবং বিজেপির চেনাশোনাগুলি এজেন্ডা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা নিয়ে জর্জরিত৷ যদিও বিজেপি নেতাদের একাংশ বলছেন যে সরকার সাম্প্রতিক সাফল্যের গল্পগুলি যেমন G20 শীর্ষ সম্মেলন এবং চন্দ্রযান-৩ চন্দ্র অবতরণ তুলে ধরার সুযোগ ব্যবহার করতে পারে, অন্যরা বলছেন যে একটি “বড় টিকিট পদক্ষেপ হবে যা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে” ” জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব, ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া, বহু প্রতীক্ষিত মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করা বা “এক দেশ, এক নির্বাচন” করার দিকে একটি পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে দলের নেতারা স্বীকার করেছেন, সংসদে কী হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা তাঁদের নেই। বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক আনন্দিত ছিলেন কারণ এই বিষয়গুলি জনসাধারণের বক্তৃতায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল, বিরোধী ভারত জোটের এজেন্ডা বা দল বা সরকার যে বিষয়গুলি মোকাবিলা করতে অপ্রীতিকর বলে মনে করতে পারে সেগুলিকে ছাপিয়েছিল, মণিপুরের হিংসা-সহ যেখানে বিক্ষোভকারীরা কার্ফু ভাঙার চেষ্টা করেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে গত সপ্তাহে। এখন যেহেতু G20 শীর্ষ সম্মেলন সাফল্যের নোটে শেষ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে “বিশ্ব গুরু” হিসাবে তার ভাবমূর্তিকে আরও শক্তিশালী করার মঞ্চ তৈরি করেছে, বিজেপি এখন একজন শক্তিশালী এবং নির্ণায়ক নেতা হিসাবে তার জনপ্রিয়তার বার্তাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইবে। ভারত আরও উচ্চতায়। এখনও পর্যন্ত, জওহরলাল নেহেরুই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি তার দলকে সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয় জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসন্তোষ সম্বোধন যদিও G20 শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) এবং বিজেপির একটি অংশের মধ্যে স্পষ্টভাবে অসন্তোষের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, বর্তমান দলের নেতৃত্বের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে, সূত্র বলছে যে পরবর্তীতে উত্থাপিত প্রধান উদ্বেগগুলিকে মোকাবেলা করার জন্য পদক্ষেপগুলি শুরু করেছে র্যাঙ্ক এবং ফাইল এবং সমর্থন বেস। এই মাসের শুরুর দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০০ টাকা কমানোর একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। গ্রাউন্ড রিপোর্ট এবং সমীক্ষাগুলি প্রকাশ করেছে যে মূল্যবৃদ্ধি মহিলা ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে – ভোটারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের উপর বিজেপি তার দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। আসন্ন রাজ্য নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে – এবং দলের কৌশলবিদরা চেয়েছিলেন সরকার সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। সূত্রগুলি আরও ইঙ্গিত করে যে সরকার বৃদ্ধিকে উত্সাহিত করতে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করতে সরকারি সম্পত্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ ঘোষণা করবে, যার ফলে প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম থাকবে। খাদ্যশস্য সংরক্ষণের সুবিধা তৈরির জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান থেকে শুরু করে শ্রমশক্তিকে প্রসারিত করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে, সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করার জন্য সুদের হার ব্যবহার বন্ধ করার এবং এর পরিবর্তে সরবরাহের পার্শ্ব ফ্যাক্টরগুলি পরিচালনা করার দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দলীয় সূত্রের মতে, মোদী বিজেপি ক্যাডার এবং নেতাদের মধ্যে যে নতুন শক্তি সঞ্চার করেছেন তা পার্টিতে পাশ্বর্ীয় প্রবেশের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন নিয়ে অসন্তোষ কিছুটা প্রশমিত করতে পারে। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী ফ্রন্ট ভারতকেও অসম্মান করতে চাইবে বিজেপি। উদয়নিধি স্টালিনের সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য – ইন্ডিয়া ডোটের বড় শরিক ডিএমকে-এর একজন শীর্ষ নেতা – ইতিমধ্যেই বিজেপিকে বিরোধী জোটকে হিন্দু-বিরোধী হিসাবে আঁকতে যথেষ্ট গোলাবারুদ দিয়েছে৷ ক্ষয়ক্ষতি অনুধাবন করে, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে), এবং আম আদমি পার্টি ইতিমধ্যেই ডিএমকে নেতা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে যিনি সনাতন ধর্মকে “করোনাভাইরাস, ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু” এর সাথে তুলনা করেছেন এবং এই জাতীয় কথা বলেছেন বিরোধিতা করা উচিত নয় কিন্তু ধ্বংস করা উচিত। বিজেপি চায় না বিরোধীরা উদয়নিধির ব্যাখ্যা দিয়ে বিতর্ক মিটিয়ে ফেলুক এবং এটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার সমস্ত সংস্থান ব্যবহার করবে, এক প্রবীণ বিজেপি নেতার মতে। রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী তার মন্তব্য সম্পর্কে স্ট্যালিন বলেন, “আমি সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করেছিলাম কিন্তু মানুষের উপাসনার অধিকারের বিরোধিতা করিনি। আমি কখনই গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করিনি এবং তারা (বিজেপি) আমার মন্তব্যকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে। আমি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলিনি, শুধু ধর্মের মধ্যে বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলিনি।” কিন্তু বিরোধী নেতারা স্বীকার করেছেন যে ক্ষতি হয়েছে এবং “বিজেপিকে তার বার্তাগুলিকে প্রসারিত করতে হবে আবেগকে চাবুক করার জন্য কোনও মন্তব্যকে মোচড় দিয়ে” ইস্যুটি ভোটারদের মধ্যে অনুরণিত হবে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য সমতল খেলার মাঠ তৈরি করার বিষয়ে বিরোধীদের যে আশাবাদ প্রদান করে তা হল মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনের ভবিষ্যদ্বাণী করা প্রবণতা। শাসক দল এবং বিরোধী উভয় পক্ষের গ্রাউন্ড রিপোর্ট এবং জরিপগুলি এই রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তত তিনটিতে একটি ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে, কোন পক্ষেরই স্পষ্ট প্রান্ত নেই। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Bjp pm modi special parliament session ieart import
|
খাদ্যশস্য সংরক্ষণের সুবিধা তৈরির জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান থেকে শুরু করে শ্রমশক্তিকে প্রসারিত করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে, সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করার জন্য সুদের হার ব্যবহার বন্ধ করার এবং এর পরিবর্তে সরবরাহের পার্শ্ব ফ্যাক্টরগুলি পরিচালনা করার দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন দলীয় সূত্রের মতে, মোদী বিজেপি ক্যাডার এবং নেতাদের মধ্যে যে নতুন শক্তি সঞ্চার করেছেন তা পার্টিতে পাশ্বর্ীয় প্রবেশের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন নিয়ে অসন্তোষ কিছুটা প্রশমিত করতে পারে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী ফ্রন্ট ভারতকেও অসম্মান করতে চাইবে বিজেপি উদয়নিধি স্টালিনের সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য – ইন্ডিয়া ডোটের বড় শরিক ডিএমকে-এর একজন শীর্ষ নেতা – ইতিমধ্যেই বিজেপিকে বিরোধী জোটকে হিন্দু-বিরোধী হিসাবে আঁকতে যথেষ্ট গোলাবারুদ দিয়েছে৷ ক্ষয়ক্ষতি অনুধাবন করে, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে), এবং আম আদমি পার্টি ইতিমধ্যেই ডিএমকে নেতা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে যিনি সনাতন ধর্মকে “করোনাভাইরাস, ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু” এর সাথে তুলনা করেছেন এবং এই জাতীয় কথা বলেছেন বিরোধিতা করা উচিত নয় কিন্তু ধ্বংস করা উচিত বিজেপি চায় না বিরোধীরা উদয়নিধির ব্যাখ্যা দিয়ে বিতর্ক মিটিয়ে ফেলুক এবং এটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার সমস্ত সংস্থান ব্যবহার করবে, এক প্রবীণ বিজেপি নেতার মতে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী তার মন্তব্য সম্পর্কে স্ট্যালিন বলেন, “আমি সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করেছিলাম কিন্তু মানুষের উপাসনার অধিকারের বিরোধিতা করিনি আমি কখনই গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করিনি এবং তারা (বিজেপি) আমার মন্তব্যকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে আমি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলিনি, শুধু ধর্মের মধ্যে বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলিনি” কিন্তু বিরোধী নেতারা স্বীকার করেছেন যে ক্ষতি হয়েছে এবং “বিজেপিকে তার বার্তাগুলিকে প্রসারিত করতে হবে আবেগকে চাবুক করার জন্য কোনও মন্তব্যকে মোচড় দিয়ে” ইস্যুটি ভোটারদের মধ্যে অনুরণিত হবে
|
গোলমাল পাকালো বিজেপি, মুলতুবি লোকসভা
|
অন্ধকারে দেশ, সংসদের বিশেষ অধিবেশন কেন? মোদীর চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন সনিয়ার
|
ফ্রান্সে মে দিবসের সমাবেশে সংঘর্ষ, ১০৮ পুলিশ সদস্য আহত
|
ব্রিটিশ নিরাপত্তার জালে আটক রাশিয়ার তিন সন্দেহভাজন গুপ্তচর
|
international
|
ছবির উৎস, BBC/LINKEDIN/BISER ব্রিটেনে রাশিয়ার পক্ষ হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং একটি বড় মাপের নিরাপত্তা তদন্তের পর এদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে বলে বিবিসি জানতে পেরেছে। আসামীরা সবাই বুলগেরিয়ার নাগরিক এবং গত ফেব্রুয়ারি মাসে আটক করার পর থেকে তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে "অযৌক্তিক অভিপ্রায়ে" ব্যবহারের জন্য পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং অভিযোগ করা হয়েছে যে সেগুলো জাল ছিল জেনেও তারা এসব দলিল তাদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছে, এই তিনজন রুশ গুপ্তচর সংস্থার পক্ষ হয়ে কাজ করতেন। তাদরে কাছ থেকে যেসব কাগজ-পত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, গ্রীস এবং চেক প্রজাতন্ত্রের পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য নথি। ব্রিটেনের সরকারি গোপনীয়তা আইনের আওতায় অপরাধের সন্দেহে ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে ছিলেন এই তিনজন। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, যাদের কাজ ব্রিটেনে বিদেশি গুপ্তচরদের খুঁজে বের করা, তার গোয়েন্দারা এদের আটক করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে এরা হলেন: নরফোকের গ্রেট ইয়ারমাথ থেকে আটক অরলিন রুসেভ (৪৫), উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যারো এলাকা থেকে আটক বিজার জাম্বাজভ (৪১) এবং হ্যারোর একই ঠিকানার ক্যাট্রিন ইভানোভা (৩১)। এদের এখনও পুলিশের হেফাজতে রাখা হবে এবং পরে কোনো এক তারিখে এদের ওল্ড বেইলির আদালতে হাজির করা হবে। এই তিন জন বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন এবং শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার বাড়িতে বসবাস করেছেন। মি. রুসেভ এক সময় রাশিয়ার সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন করেছেন। তিনি ২০০৯ সালে ব্রিটেনে আসেন এবং তিন বছর ধরে আর্থিক খাতে প্রযুক্তিগত ভূমিকায় কাজ করেন। তার অনলাইন লিঙ্কডইন প্রোফাইলে বলা হয়েছে, পরবর্তীকালে তিনি সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্সের সাথে জড়িত একটি ব্যবসার মালিক ছিলেন, যে প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল যোগাযোগ কিংবা ইলেকট্রনিক সিগন্যালে আড়ি পাতা। ছবির উৎস, Facebook মি. জাম্বাজভ এবং মিজ ইভানোভাকে তাদের প্রতিবেশীরা দম্পতি হিসাবে বর্ণনা করেছেন মি. রুসেভ, যার সাম্প্রতিক ঠিকানা গ্রেট ইয়ারমাউথের একটি সমুদ্রতীরবর্তী গেস্টহাউস, তিনি আরও বলেছেন যে তিনি একসময় বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন। মি. জাম্বাজভ এবং মিজ ইভানোভাকে তাদের হ্যারোর বাড়ির প্রাক্তন প্রতিবেশীরা দম্পতি হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মি. জাম্বাজভকে বর্ণনা করা হয়েছে হাসপাতালের ড্রাইভার হিসাবে, আর মিজ ইভানোভা তার অনলাইন লিঙ্কডইন প্রোফাইলে নিজেকে একটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ব্যবসায় ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই দু’জন প্রায় এক দশক আগে ব্রিটেনে আসেন এবং প্রবাসী বুলগেরিয়ানদের "ব্রিটিশ সমাজের সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি"-এর সাথে পরিচয় ঘটানোর জন্য তারা একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে ওল্ড বেইলি আদালতে এই তিন আসামীর বিচার হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তারা এখনও অভিযোগ স্বীকার করে কোন বক্তব্য দেননি। ব্রিটেনের সন্ত্রাস-বিরোধী পুলিশ সম্প্রতি বিশেষভাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে সন্দেহজনক হুমকি এবং গুপ্তচরবৃত্তির তদন্তে তাদের অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে বলে বক্তব্য দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ব্রিটেনে রুশ গুপ্তচর তৎপরতার সাথে জড়িত কতগুলি ঘটনার পর এ নিয়ে তাদের উদ্বেগ বেড়েছে। দু’হাজার আঠারো সালে দু’জন রুশ আততায়ী রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থার একজন প্রাক্তন ডাবল-এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়াকে ব্রিটেনের সালসবারি এলাকায় মারাত্মক নার্ভ গ্যাস নোভিচক ব্যবহার করে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়। এর আগে ২০০৬ সালে সাবেক রুশ-গোয়েন্দা কর্মকর্তা অ্যালেকজান্ডার লিটভিনেনকো রুশ সরকারের অধীন ঘাতকদের বিষ প্রয়োগের পর লন্ডনে নিহত হন।
|
মি. জাম্বাজভ এবং মিজ ইভানোভাকে তাদের হ্যারোর বাড়ির প্রাক্তন প্রতিবেশীরা দম্পতি হিসাবে বর্ণনা করেছেন মি. জাম্বাজভকে বর্ণনা করা হয়েছে হাসপাতালের ড্রাইভার হিসাবে, আর মিজ ইভানোভা তার অনলাইন লিঙ্কডইন প্রোফাইলে নিজেকে একটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ব্যবসায় ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে বর্ণনা করেছেন এই দু’জন প্রায় এক দশক আগে ব্রিটেনে আসেন এবং প্রবাসী বুলগেরিয়ানদের "ব্রিটিশ সমাজের সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি"-এর সাথে পরিচয় ঘটানোর জন্য তারা একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন আগামী বছর জানুয়ারি মাসে ওল্ড বেইলি আদালতে এই তিন আসামীর বিচার হওয়ার কথা রয়েছে তবে তারা এখনও অভিযোগ স্বীকার করে কোন বক্তব্য দেননি ব্রিটেনের সন্ত্রাস-বিরোধী পুলিশ সম্প্রতি বিশেষভাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে সন্দেহজনক হুমকি এবং গুপ্তচরবৃত্তির তদন্তে তাদের অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে বলে বক্তব্য দিয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ব্রিটেনে রুশ গুপ্তচর তৎপরতার সাথে জড়িত কতগুলি ঘটনার পর এ নিয়ে তাদের উদ্বেগ বেড়েছে দু’হাজার আঠারো সালে দু’জন রুশ আততায়ী রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থার একজন প্রাক্তন ডাবল-এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়াকে ব্রিটেনের সালসবারি এলাকায় মারাত্মক নার্ভ গ্যাস নোভিচক ব্যবহার করে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়
|
তিন দিনের মাথায় ভবানীপুরে জোড়া খুনের কিনারা, গ্রেফতার তিন, চলছে মূল চক্রীর খোঁজ
|
চাকরি প্রার্থীদের মিছিল আটকাতে ডিভিসন বেঞ্চে রাজ্য
|
কোন কোন হিট গানে বিয়েতে নাচবেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা? তালিকা প্রকাশ্যে
|
দক্ষিণ দমদমে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ
|
kolkata
|
শ্রীভূমি, লেক টাউন-সহ দশটি ওয়ার্ডে করোনার প্রকোপ খানিকটা কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। তবে পুরসভার রাজারহাট-গোপালপুর সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলিতে বাড়ছে সংক্রমণ। ফলে সব মিলিয়ে পুর এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা কমেনি। পুরসভা সূত্রের খবর, রবিবার ১৩৭ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন নতুন করে। সোমবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬১। এর মধ্যে পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের ১০৭ জন এবং বাকি ১০টি ওয়ার্ডের ৫৪ জন রয়েছেন। তবে আক্রান্তেরা বেশির ভাগই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। উপসর্গযুক্ত, মৃদু উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীন ওই ব্যক্তিরা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুরসভা। সোমবার দক্ষিণ দমদমের রবীন্দ্র ভবনে সেফ হোমে দু’জন ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। গত ৫ জানুয়ারি কলকাতায় দমদমের দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার পুরসভা জানায়, ওই দুই ব্যক্তির এক জনের বয়স ছিল ৮৩ বছর, অন্য জনের ৫৮। তাঁরা অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে করোনার উপসর্গ মেলে। ৫ জানুয়ারি তাঁদের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বিষয়টি জানতে পারে পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আগের তুলনায় মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়লেও সর্বত্র এখনও দূরত্ব-বিধি বজায় থাকছে না। ইতিমধ্যেই সপ্তাহে তিন দিন করে বাজার বন্ধ রাখার কাজ শুরু করেছে পুরসভা। বাজার বন্ধ করে চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, যে সব দিনে বাজার খোলা থাকছে, সেই সব দিনে নাগরিকদের মধ্যে বিধি ভাঙার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দূরত্ব-বিধির তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জানান, সপ্তাহে তিন দিন বাজার বন্ধ থাকছে। ফলে যে দিন বাজার খুলছে, সেই দিন ভিড়ের আশঙ্কা থাকছে। তবে রবিবার তেমন ভিড় লক্ষ করা যায়নি। বাসিন্দারা সহযোগিতা করলে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের কাজে আরও গতি আসবে বলে জানান তিনি। এলাকায় মাইকিং করে সচেতনতার প্রচার ছাড়াও ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ।
|
উপসর্গযুক্ত, মৃদু উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীন ওই ব্যক্তিরা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুরসভা সোমবার দক্ষিণ দমদমের রবীন্দ্র ভবনে সেফ হোমে দু’জন ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন গত ৫ জানুয়ারি কলকাতায় দমদমের দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে সোমবার পুরসভা জানায়, ওই দুই ব্যক্তির এক জনের বয়স ছিল ৮৩ বছর, অন্য জনের ৫৮ তাঁরা অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেখানে করোনার উপসর্গ মেলে ৫ জানুয়ারি তাঁদের মৃত্যু হয় স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বিষয়টি জানতে পারে পুরসভা পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আগের তুলনায় মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়লেও সর্বত্র এখনও দূরত্ব-বিধি বজায় থাকছে না
|
বেড়েই চলেছে সংক্রমণ-মৃত্যু
|
বেড়েই চলেছে সংক্রমণ-মৃত্যু
|
কঠিন শরীরচর্চা নয়, হলুদ খেয়েই ১২ কেজি ওজন কমিয়েছেন শেহনাজ়! কী ভাবে ব্যবহার করবেন হলুদ?
|
মুম্বাইয়ে বহুতল ভবনে আগুন, ৭ জনের প্রাণহানী
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে অন্তত সাতজনের প্রাণহানী হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে মুম্বাইয়ের টার্গো এলাকায় ২০তলা ভবনটির উপরের অংশ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুম্বাইয়ের টার্ডিও’র গোয়ালি ট্যাঙ্ক এলাকায় গান্ধী হাসপাতালের বিপরীত পাশের ওই ভবনের ১৮ তলায় আগুন লাগে। মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরী পাডনেকর বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেন, হাসপাতালে যাদের ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ছয়জন বয়স্ক লোকের অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনও ব্যাপক ধোঁয়া উড়ছে। আটকে পড়া সব মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।’ উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, দগ্ধ ও আহতদের পার্শ্ববর্তী তিনটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে নয়ার হাসপাতালে ৫ জন, কাস্তুর্বা হাসপাতালে একজন এবং ভাটিয়া হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এক টুইটে এ ঘটনায় প্রশাসনের গাফেলতির সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রীতি গান্ধী। তিনি অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ টুইটারে দিয়েছেন। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
শনিবার সকালে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে মুম্বাইয়ের টার্গো এলাকায় ২০তলা ভবনটির উপরের অংশ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় মুম্বাইয়ের টার্ডিও’র গোয়ালি ট্যাঙ্ক এলাকায় গান্ধী হাসপাতালের বিপরীত পাশের ওই ভবনের ১৮ তলায় আগুন লাগে মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরী পাডনেকর বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেন, হাসপাতালে যাদের ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ছয়জন বয়স্ক লোকের অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন হচ্ছে
|
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’ তাণ্ডবে মুম্বাইয়ে ৭ জনের মৃত্যু
|
চীনে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন
|
বিদেশে পাঠানো টাকা ফেরাতে বিদেশ সফর মুখ্যমন্ত্রীর: সেলিম
|
শুধু বিশেষ দিনে নয়, সারা বছরই ঠাকুরঘরে থাকুক উৎসবের ছোঁয়া, কেমন করে সাজাবেন?
|
lifestyle
|
বেশির ভাগ হিন্দু বাঙালি বাড়িতে পুজো-পার্বণের চল আজও কম নয়। জাঁকজমক করে লক্ষ্মী, সরস্বতীর আরাধনা ছাড়াও নিত্যদিনের পুজোপাঠও বেশ ঘটা করেই হয় অনেক পরিবারে। অনেক বাড়িতেই আলাদা ঠাকুরঘর রয়েছে। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের অনেকটা সময় কাটে ঠাকুরঘরেই। বাড়ির অন্য ঘরগুলির মতো এই ঘরটিও সাজিয়েগুছিয়ে রাখা জরুরি। শুধু উৎসব-পার্বণে নয়, সারা বছরই ঠাকুরঘরের সাজে থাক উৎসবের ছোঁয়া। কেমন করে সাজাবেন বাড়ির এই বিশেষ স্থানটি? আলো ঠাকুরঘর সাজাতে পারেন আলো দিয়ে। তবে শোয়ার ঘরে যে ধরনের আলো থাকবে, ঠাকুরঘরে সেই একই ধরনের জিনিস রাখলে চলবে না। ঠাকুরঘর সাজানোর জন্য আলাদা ধরনের আলো কিনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন অনলাইন সাইটে একটু খুঁজলেই সেগুলি পেয়ে যাবেন। মেঝের সাজ ঠাকুরঘর শুধু আলোয় মুড়লে চলবে না। ঘরের মেঝেরও চাই বিশেষ সাজ। ঠাকুরঘরের মেঝেতে সুন্দর কার্পেট বিছিয়ে দিতে পারেন। তবে সেই কার্পেটের রং খুব চ়ড়া না হওয়াই শ্রেয়। এ ছা়ড়া বাজারে প্লাস্টিকের স্টিকার আলপনা পাওয়া যায়। অনেক বাড়িতেই পুজোর সময় এ ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয়। সারা বছরই যদি পুজোর ঘরের মেঝেতে এই আলপনা থাকে, মন্দ হয় না। রঙিন পর্দা সুন্দর পর্দা ঘরের ভোল বদলে দিতে পারে। ঠাকুরঘরেও কিন্তু রঙিন নকশাদার পর্দা টাঙাতে পারেন। ঠাকুরের সিংহাসনের পিছনে যদি পর্দা টাঙাতে পারেন, বেশ ভাল দেখাবে।
|
ঘরের মেঝেরও চাই বিশেষ সাজ ঠাকুরঘরের মেঝেতে সুন্দর কার্পেট বিছিয়ে দিতে পারেন তবে সেই কার্পেটের রং খুব চ়ড়া না হওয়াই শ্রেয় এ ছা়ড়া বাজারে প্লাস্টিকের স্টিকার আলপনা পাওয়া যায় অনেক বাড়িতেই পুজোর সময় এ ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় সারা বছরই যদি পুজোর ঘরের মেঝেতে এই আলপনা থাকে, মন্দ হয় না রঙিন পর্দা সুন্দর পর্দা ঘরের ভোল বদলে দিতে পারে
|
ঠাকুর দেখতে কবে যাবেন? ভিড় এড়িয়ে মহালয়ার আগেই দেখুন, ‘স্পেশাল ২৬’ মণ্ডপে আসছেন উমা
|
মনে করিয়ে দিলেন তাঁরা
|
আ.লীগ নেতা ডাবলুর ভিডিও কেলেঙ্কারির ঘটনায় বহিষ্কার চেয়ে চিঠি
|
বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে সুনীলের গোল, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হেরে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল
|
sports
|
এ বারের আইএসএলে প্রথম হার ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম দু’টি ম্যাচে অপরাজিত থাকলেও বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে তাদের মাঠে গিয়ে হারতে হল লাল-হলুদকে। সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের। তবে জোর করে পেনাল্টি পাইয়ে দেওয়া হল বেঙ্গালুরুকে। সেই গোলেই সমতা ফেরান সুনীল। যদিও একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ১৫ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নাওরেম মহেশ সিংহ। বলটি পেয়েছিলেন নন্দকুমার। তিনি পাস বাড়িয়ে দেন মহেশকে। দু’জন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই গোল বেশি ক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ১৯ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে সুনীলকে ফাউল করায় পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়। সুনীল নিজেই পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে লাল-হলুদের কোনও ফুটবলার স্পর্শ করেননি। কিন্তু পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। সেখান থেকে গোল করেন সুনীল। লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখেন সিংহ ঠিক দিকে ঝাঁপ দিলেও বলের নাগাল পাননি। ২৯ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ফ্রি কিক থেকে মারা বল বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক আটকে দেওয়ার পর ফিরতি বলে শট মেরে জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন নন্দ। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় গোল বাতিল হয়। ফ্রি কিকের সময় নন্দ ভুল জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই গোল পেল না ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলেই। দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ৫৫ মিনিটের মাথায় মহেশ পাস বাড়িয়েছিলেন নন্দকুমারের উদ্দেশে। গোলের ঠিকানা লেখা ক্রস করেছিলেন মহেশ। কিন্তু নন্দ সেই বল ধরে গোলপোস্টের মাথার উপর দিয়ে তুলে দেন। ফাঁকা গোল পেয়ে গিয়েছিলেন প্রায়। তার পরেও বাইরে মারেন তিনি। সেই ভুল ইস্টবেঙ্গলকে ভোগাল। ৭২ মিনিটে বাইসাইকেল কিকে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন জাভি হার্নান্দেজ। এটিকে মোহনবাগানে খেলে যাওয়া ফুটবলারের সেই গোলেই হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। লিগে পাঁচ নম্বরে রয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রতের দল। এ বারের লিগে প্রথম জয় পেল বেঙ্গালুরু। তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে সুনীলেরা আট নম্বরে। লিগ শীর্ষে রয়েছে মোহনবাগান।
|
এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল কিন্তু সেই গোল বেশি ক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা ১৯ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে সুনীলকে ফাউল করায় পেনাল্টি দেন রেফারি কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় সুনীল নিজেই পড়ে গিয়েছিলেন তাঁকে লাল-হলুদের কোনও ফুটবলার স্পর্শ করেননি কিন্তু পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে সেখান থেকে গোল করেন সুনীল লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখেন সিংহ ঠিক দিকে ঝাঁপ দিলেও বলের নাগাল পাননি ২৯ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ফ্রি কিক থেকে মারা বল বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক আটকে দেওয়ার পর ফিরতি বলে শট মেরে জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন নন্দ কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় গোল বাতিল হয় ফ্রি কিকের সময় নন্দ ভুল জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই গোল পেল না ইস্টবেঙ্গল
|
আবার এগিয়ে গিয়ে গোল হজম, সুপার কাপ থেকে বিদায় ইস্টবেঙ্গলের
|
লুকাস, জর্ডান ইস্টবেঙ্গলে
|
গুজরাতের সেই বোলারের পাশে দাঁড়াল কলকাতা, কী বার্তা দিলেন নাইটরা?
|
মণিপুরে বাড়ছে উত্তেজনা, ফের ৩ জনের মৃত্যু
|
international
|
স্টাফ রিপোর্টারঃউত্তেজনা থামছেই না ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরে। মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ আগস্ট) গভীর রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় নতুন করে সহিংসতা শুরু হলে এই ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। এই সহিংসতার ঘটনায় কুকি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরেও অগ্নি সংযোগ ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। নতুন করে এই সহিংসতার কথা জানিয়েছে বিষ্ণুপুর জেলার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা নাগাদ বাফার জোন পেরিয়ে কিছু মানুষ মেইতি এলাকায় প্রবেশ করে। এরপরই তাদের ওপর গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের বাবা ও ছেলেও রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতারা সেই সময় তাদের বাড়ি পাহারা দিচ্ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজ্যের রাজধানী ইমফলে এক পুলিশ কর্মকর্তা গুলিতে নিহত হন। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরে অন্তত দুটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়ে স্বয়ংক্রিয় বন্দুকসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষুব্ধরা হেইনগাং এবং সিংজামেই থানা থেকেও অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের চেষ্টা করেছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//আই //
|
এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এই সহিংসতার ঘটনায় কুকি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরেও অগ্নি সংযোগ ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে নতুন করে এই সহিংসতার কথা জানিয়েছে বিষ্ণুপুর জেলার পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা নাগাদ বাফার জোন পেরিয়ে কিছু মানুষ মেইতি এলাকায় প্রবেশ করে এরপরই তাদের ওপর গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়
|
হিংসা চলছেই, মণিপুরের গ্রামে খুন আরও ৩
|
ভুল রাজনীতির মাসুল
|
ফের ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামে ডোনাল্ড ট্রাম্প, উঠল সাসপেনশন, বড় ঘোষণা মেটার
|
সামনে পঞ্চায়েত ভোট, গ্রামীণ সড়ক যোজনায় অর্থবরাদ্দ কেন্দ্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা? সেলিম
|
state
|
দুর্নীতির অভিযোগে বন্ধ থাকা প্রকল্পের দরজা খুলে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি আর্থিক বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা (পিএমজিএসওয়াই) প্রকল্পে ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। ১৪৪টি রাস্তার কাজের জন্য চলতি আর্থিক বছরে এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। ৮৫৭ কিমি রাস্তা নির্মাণে এই টাকা খরচ হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বরাদ্দ করেছে। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ৩ প্রকল্পের অধীনে ৬০০০ কিমি রাস্তা নির্মাণ করতে পারবে। গোটা প্রকল্পে খরচ হবে ৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা রাজ্যের হাতে এল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে এই প্রথম গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পের অনুমোদন সহ অর্থ বরাদ্দকে রাজ্য সরকার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের এক শীর্ষকর্তার কথায়,‘গত এপ্রিল থেকে রাজ্যে গ্রামোন্নয়নে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ হয়ে আছে। গ্রামীণ সড়ক যোজনার অনুমোদন আসার অর্থ বাকি দুই প্রকল্পেও জট খুলতে চলছে।’ ফলে ১০০দিনের কাজের টাকা নিয়েও আশাবাদী রাজ্য সরকার। গ্রামীণ রাস্তায় অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান,‘সত্যের জয় হচ্ছে। সব কিছু বন্ধ করে রাখা ছিল। প্রথম কিস্তির রাস্তার অনুমোদন এল। দেওয়া তো অন্তত শুরু হলো। বাকি প্রকল্পের টাকা আসবে এটা আশা করি।’ ভোটের মুখে রাস্তায় বরাদ্দ প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,‘আসলে কেন্দ্র ও রাজ্য মেকি যুদ্ধ করছে। আমরা জানতাম ভোট এগিয়ে আসলেই টাকা পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু দুর্নীতি যেটা হয়েছে, সেটা বন্ধের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো? আসলে কেন্দ্রীয় সরকার দুর্নীতিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে কোথায়?’ বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবের কাছে রাস্তায় বরাদ্দের অনুমোদনের চিঠি এসে পৌঁছেছে। চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের তরফে চলতি আর্থিক বছরের(২০২২-২৩) প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা(৩) প্রকল্পে রাস্তার প্রস্তাব গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে এসেছে। গত ২৮ মে রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাব নিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন এমপাওয়ার্ড কমিটি বিচার বিবেচনা করে। রাজ্য সরকারও কেন্দ্রের শর্ত পালন করা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা(৩) প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ের জন্য অনুমোদন দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে চিঠিতে।ঘটনা হলো, চলতি আর্থিক বছরে ১০০দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের কোনও টাকা কেন্দ্রীয় সরকার এরাজ্যে বরাদ্দ করেনি। অথচ এই তিন প্রকল্পই গ্রামের মানুষের স্বার্থে অত্যন্ত জরুরি। প্রকল্প বন্ধ হওয়ার অভিঘাত কতটা তা গত মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে সরকারি কর্মসূচিতে গিয়ে টের পেয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী পাড়াতে মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময়ই গ্রামের মহিলারা জানিয়ে দেন, গ্রামে কাজ নেই, বাড়িঘর নেই। আগামী দু’থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যে শুরু করেছে শাসক দল। জেলা সফরে সরকারি সভা থেকে দলীয় কর্মসূচিতে মমতা ব্যানার্জি পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির কথা বলছেন। দু’দিন আগেই জঙ্গলমহলে গিয়ে ১০০ দিনের টাকা বন্ধ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তারমধ্যেই গ্রামীণ রাস্তার প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা চলে এল। ১০০দিনের কাজের মতোই গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পেও দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের টিম। রাস্তার কাজে দুর্নীতির সঙ্গে প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছিল কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল। কেন্দ্রের শর্ত মেনে ফের রাজ্যে বাংলা সড়ক যোজনা নাম পরিবর্তন করে রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। শেষবার কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলের রাজ্য সফরের আগে বাংলা সড়ক যোজনার সব সাইনবোর্ড পালটে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের শর্ত মেনে মুছে দেয় বাংলা সড়ক যোজনার সাইনবোর্ড। তারপরই প্রথম কিস্তির টাকা রাজ্য পাঠালো কেন্দ্র।
|
বাকি ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ৩ প্রকল্পের অধীনে ৬০০০ কিমি রাস্তা নির্মাণ করতে পারবে গোটা প্রকল্পে খরচ হবে ৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা রাজ্যের হাতে এল পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে এই প্রথম গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পের অনুমোদন সহ অর্থ বরাদ্দকে রাজ্য সরকার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের এক শীর্ষকর্তার কথায়,‘গত এপ্রিল থেকে রাজ্যে গ্রামোন্নয়নে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ হয়ে আছে গ্রামীণ সড়ক যোজনার অনুমোদন আসার অর্থ বাকি দুই প্রকল্পেও জট খুলতে চলছে’ ফলে ১০০দিনের কাজের টাকা নিয়েও আশাবাদী রাজ্য সরকার গ্রামীণ রাস্তায় অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান,‘সত্যের জয় হচ্ছে সব কিছু বন্ধ করে রাখা ছিল প্রথম কিস্তির রাস্তার অনুমোদন এল দেওয়া তো অন্তত শুরু হলো বাকি প্রকল্পের টাকা আসবে এটা আশা করি’ ভোটের মুখে রাস্তায় বরাদ্দ প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,‘আসলে কেন্দ্র ও রাজ্য মেকি যুদ্ধ করছে
|
লক্ষ্য পঞ্চায়েত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরণায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী রেগার কাজের শ্বেতপত্র দাবি সেলিমের
|
প্রয়োজনীয়, কিন্তু নিষ্ঠুর ব্যবস্থা
|
‘টেস্ট ম্যাচের উইকেট!’ ‘ঘরের মাঠের’ ২২ গজ দেখে কেন বিস্মিত জাডেজা?
|
প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে দুনিয়া জয়ের স্বপ্ন ব্রজ কিশোর-রোমির চোখে
|
kolkata
|
ছবি: অচ্যুৎ রায় সারা বিশ্বে স্টিফেন হকিংকে চেনেন না এরকম মানুষ হয়তো আছেন। ৯০% শরীরিক প্রতিবন্ধকতাও কখনই তার পড়াশুনার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারেনি। শরীর কোনোও ভাবেই তার মস্তিস্ককে আটকাতে পারেনি। স্টিফেন হকিং অবশ্যই বহু মানুষের অনুপ্রেরণা। বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবন্ধী সম্মিলনীতে স্টিফেন হকিং স্মারক সম্মান পেলেন মহম্মদ আলম রহমান। ৯০ শতাংশ সেরিব্রাল পালসির শিকার মহম্মদ রহমান পা দিয়ে লেখেন। ওই ভাবেই পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন। ভবিষ্যতে আরও পড়াশুনো করতে চান রহমান। কে বলতে পারে একদিন এই ছেলেই হয়তো গবেষক, বিজ্ঞানী বা দার্শণিক হতে পারে। শিক্ষা জগতে এক উজ্জল নাম হতে পারে মহম্মদ আলম রহমান। তবে শুধু মহম্মদ আলম রহমানই নয় ব্রজ কিশোর মন্ডল কানে শুনতে পান না কোনও শব্দ। মেশিনের সাহায্যে অত্যন্ত ক্ষীণ আওয়াজ পৌছায় তার কানে। এক্ষেত্রেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বুদ্ধিমত্তাকে হার মানাতে পারেনি। ডাক্তারী প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তির্ণ হয়েছেন ব্রজ কিশোর। ভবিষ্যতে বড় চিকিৎসক হতে চান ব্রজ কিশোর। রিমো সাহা নিম্নাঙ্গ অস্থি প্রতিবন্ধী। হাটতে পারেন না। দিন দিন শরীরের নিম্নাঙ্গের নার্ভ শুকিয়ে যাচ্ছে। তাতে কি ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটলিনা চ্যানেল ও নর্থ চ্যানেল সাতরে পার করে ফেলেছেন কবেই। ভবিষ্যতে আরও বড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেবেন তিনি। শুধু রিমো, ব্রজ কিশোর বা মহম্মদ আলিই শুধু নয়, এই তালিকা দীর্ঘ। শনিবার ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে রানি রাসমণি রোডে প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর অনুষ্ঠান হয়। সেখানে প্রতিবন্ধী ও বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হয় এই সংগঠন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধী অধিকার আইন-২০১৬ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দপ্তরে কার্যকরী করার আহ্বান জানান হয় এই মঞ্চ থেকে। এছাড়াও তাদের দাবি সমস্ত প্রতিবন্ধীদের বিপিএল তালিকাভুক্ত করতে হবে। আইন অণুযায়ী প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ আদালত গড়তে হবে। এছাড়াও আরও দাবি সরকারের সামনে রেখেছে তারা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, অভিনেতা পরাণ বন্দোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক কান্তি গাঙ্গুলী।
|
ভবিষ্যতে আরও পড়াশুনো করতে চান রহমান কে বলতে পারে একদিন এই ছেলেই হয়তো গবেষক, বিজ্ঞানী বা দার্শণিক হতে পারে শিক্ষা জগতে এক উজ্জল নাম হতে পারে মহম্মদ আলম রহমান তবে শুধু মহম্মদ আলম রহমানই নয় ব্রজ কিশোর মন্ডল কানে শুনতে পান না কোনও শব্দ মেশিনের সাহায্যে অত্যন্ত ক্ষীণ আওয়াজ পৌছায় তার কানে এক্ষেত্রেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বুদ্ধিমত্তাকে হার মানাতে পারেনি ডাক্তারী প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তির্ণ হয়েছেন ব্রজ কিশোর ভবিষ্যতে বড় চিকিৎসক হতে চান ব্রজ কিশোর রিমো সাহা নিম্নাঙ্গ অস্থি প্রতিবন্ধী হাটতে পারেন না
|
হারের লজ্জা ভুলতে জয়ের মিশনে নামছে বাংলাদেশ
|
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েই তৃণমূলে বিজেপি প্রার্থী
|
মা-মেয়ে-অয়নের ত্রিকোণ প্রেম কি ছিল? বাস্তবে এমন ঘটনা কিন্তু রয়েছে ভূরি ভূরি
|
সেরা রিচার্জ প্ল্যান আনল Jio, পিছিয়ে নেই Airtel-Vodafone-idea জেনে নিন সেরা অফার
|
technology
|
কম খরচে সেরা পরিষেবা, এক নজরে দেখে নিন জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া টেলিকম কোম্পানির কয়েকটি সেরা প্ল্যান। জিওর (Jio) ৪১৯ টাকার প্ল্যান জিওর এই ৪১৯ টাকার প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ২৮ দিনের। এই প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা পাওয়া যাবে। সুতরাং ৪১৯ টাকার এই প্ল্যানে ইউজাররা ২৮ দিনে মোট ৮৪ জিবি ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও ৪১৯ টাকার এই প্ল্যানে যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএসের সুবিধা পাওয়া যাবে। জিও’র ৬০১ টাকার প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ২৮ দিনের। এই প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা পাওয়া যাবে। সুতরাং ৬০১ টাকার এই প্ল্যানে ইউজাররা ২৮ দিনে মোট ৮৪ জিবি ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে এবং এই প্ল্যানে অতিরিক্ত ৬ জিবি ডেটা পাওয়া যাবে। এছাড়াও ৬০১ টাকার এই প্ল্যানে যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএসের সুবিধা পাওয়া যাবে। এই প্ল্যানে ওটিটি (OTT) প্ল্যাটফর্ম ডিজনিপ্লাস হটস্টার ভিআইপি (Disney+ Hotstar VIP) এবং জিও অ্যাপসের সাবস্ক্রিপশন পাওয়া যাবে। এয়ারটেলের (Airtel) ৬৯৯ টাকার প্ল্যান এয়ারটেলের এই ৬৯৯ টাকার প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ২৮ দিনের। এই প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা পাওয়া যাবে। সুতরাং ৬৯৯ টাকার এই প্ল্যানে ইউজাররা ২৮ দিনে মোট ৮৪ জিবি ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও ৬৯৯ টাকার এই প্ল্যানে যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএসের (SMS) সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও এই প্ল্যানে অ্যামাজন প্রাইম মেম্বারশিপের সুবিধা পাওয়া যাবে। এয়ারটেলের (Airtel) ৫৯৯ টাকার প্ল্যান এয়ারটেলের এই ৫৯৯ টাকার প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ২৮ দিনের। এই প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা পাওয়া যাবে। সুতরাং ৫৯৯ টাকার এই প্ল্যানে ইউজাররা ২৮ দিনে মোট ৮৪ জিবি ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও ৫৯৯ টাকার এই প্ল্যানে যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএসের (SMS) সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও এই প্ল্যানে ডিজনিপ্লাস হটস্টার মোবাইল এবং প্রাইম ভিডিওর সুবিধা পাওয়া যাবে। ভোডাফোন আইডিয়ার ৬৯৯ টাকার প্ল্যান ভোডাফোন আইডিয়ার এই ৬৯৯ টাকার প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ৫৪ দিনের। এই প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা পাওয়া যাবে। সুতরাং ৬৯৯ টাকার এই প্ল্যানে ইউজাররা ৫৪ দিনে মোট ১৬২ জিবি ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও ৬৯৯ টাকার এই প্ল্যানে যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএসের সুবিধা পাওয়া যাবে। ভোডাফোন আইডিয়ার (Vodafone Idea) ৯০১ টাকার প্ল্যান ভোডাফোন আইডিয়ার ৯০১ টাকার প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা পাওয়া যাবে। এছাড়াও ৯০১ টাকার এই প্ল্যানে যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএসের (SMS) সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও ১ বছরের ডিজনিপ্লাস হটস্টার মোবাইলের সুবিধা পাওয়া যাবে। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Jio airtel vi best prepaid plans
|
এছাড়াও এই প্ল্যানে ডিজনিপ্লাস হটস্টার মোবাইল এবং প্রাইম ভিডিওর সুবিধা পাওয়া যাবে ভোডাফোন আইডিয়ার ৬৯৯ টাকার প্ল্যান ভোডাফোন আইডিয়ার এই ৬৯৯ টাকার প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ৫৪ দিনের এই প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা পাওয়া যাবে সুতরাং ৬৯৯ টাকার এই প্ল্যানে ইউজাররা ৫৪ দিনে মোট ১৬২ জিবি ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে এছাড়াও ৬৯৯ টাকার এই প্ল্যানে যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএসের সুবিধা পাওয়া যাবে ভোডাফোন আইডিয়ার (Vodafone Idea) ৯০১ টাকার প্ল্যান ভোডাফোন আইডিয়ার ৯০১ টাকার প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা পাওয়া যাবে এছাড়াও ৯০১ টাকার এই প্ল্যানে যে কোনও নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএসের (SMS) সুবিধা পাওয়া যাবে এছাড়াও ১ বছরের ডিজনিপ্লাস হটস্টার মোবাইলের সুবিধা পাওয়া যাবে Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Jio airtel vi best prepaid plans
|
Reliance Jio নিয়ে এল একজোড়া নতুন রিচার্জ প্ল্যান, থাকছে এই আকর্ষণীয় পরিষেবা
|
অধিক ডেটার সঙ্গে চাই আনলিমিটেড কল? Airtel, Jio এবং Vi নিয়ে এল নয়া রিচার্জ অফার
|
ইজরায়েল থেকে ফিরলেন এরাজ্যের ৫৩
|
WhatsApp-এর নয়া আপডেট, একাধিক স্মার্ট ফোনে ব্যবহার করা যাবে একটিই অ্যাকাউন্ট
|
technology
|
আমরা দেখেছি হোয়াটসঅ্যাপ গত মাসে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্ট ফিচার সামনে এনেছে যা ইউজারদের তাদের ফোনে সক্রিয় ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন ছাড়াই চারটি পিসি এবং একটি স্মার্টফোন থেকে তাদের WhatsApp অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার সুযোগ দেয়। WABetaInfo রিপোর্ট অনুসারে জানা গেছে যে WhatsApp শীঘ্রই একটি বৈশিষ্ট্য সামনে আনতে চলেছে যা তাদের প্রাইমারি WhatsApp নম্বরের জন্য অন্য একটি স্মার্টফোনকে লিঙ্ক করার অনুমতি দেবে। অ্যান্ড্রয়েড 2.22.10.13-এর জন্য WhatsApp বিটাতে বৈশিষ্ট্যটি দেখা গেছে, এইভাবে স্মার্টফোনে WhatsApp মাল্টি-ডিভাইসের ফিচার বাড়িয়ে চলেছে। এটি মেসেজিং অ্যাপের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফিচার। এই নতুন ফিচারের সপক্ষে একটি স্ক্রিনশটও সামনে এসেছে, যাতে একাধিক ফোনে একই অ্যাকাউন্ট খোলার বিকল্প দেখা যায়। বলা হচ্ছে, নতুন আপডেটের পর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ডিভাইসটিকে ‘কম্প্যানিয়ন’ হিসাবে রেজিস্টার করার একটি বিকল্প পাবেন, যেটিতে ক্লিক করে আপনি অন্যান্য ফোনেও একই অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হবেন। সেক্ষেত্রে অন্য ফোনে একই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রাইমারি হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে একটি কিউআর (QR) কোড স্ক্যান করতে হবে। এতে, পরে ইউজাররা প্রাইমারি ফোন ছাড়া অন্য ফোন বা ট্যাবলেটে সেই অ্যাকাউন্টে লগইন করার সুযোগ পাবেন। যদিও এই ফিচারটি কবে সামনে আসতে চলেছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব সম্প্রতি নতুন এই ফিচার নিয়ে হাজির হতে চলেছে WhatsApp Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Whatsapp could soon allow you to use one account on multiple phones
|
এতে, পরে ইউজাররা প্রাইমারি ফোন ছাড়া অন্য ফোন বা ট্যাবলেটে সেই অ্যাকাউন্টে লগইন করার সুযোগ পাবেন যদিও এই ফিচারটি কবে সামনে আসতে চলেছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি তবে আশা করা হচ্ছে খুব সম্প্রতি নতুন এই ফিচার নিয়ে হাজির হতে চলেছে WhatsApp Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Whatsapp could soon allow you to use one account on multiple phones
|
WhatsApp নিয়ে এসেছে নয়া ফিচার, এক ক্লিকেই কলে কানেক্ট হয়ে যান!
|
নয়া আপডেট পিছোচ্ছে whatsapp-এর, নতিস্বীকার সংস্থার
|
শ্যুটিং চলাকালীন আহত অমিতাভ বচন
|
বুধবার সুনীলদের বিরুদ্ধে ম্যাচ, নামার আগে ছেত্রীর বেঙ্গালুরুতেই মজে ইস্টবেঙ্গল কোচ
|
sports
|
যে ক্লাবকে আই লিগ, আইএসএল জিতিয়েছেন, যে ক্লাবের তিনি অনেক সুখ-দুঃখের সঙ্গী, সেই বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে এ বার ডাগআউটে বসতে চলেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। আগামী বুধবার ইস্টবেঙ্গল খেলবে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে। তার আগে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে একইসঙ্গে বেশ আবেগপ্রবণ এবং উত্তেজিত লাগল তাঁকে। পাশাপাশি সতর্ক করে দিলেন, চলতি মরসুমে প্রথম বার রাজ্যের বাইরে খেলতে নামছে দল। তাই সতর্ক থাকতে হবে। গত মরসুমের ফাইনালে উঠেছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচেই সুনীল ছেত্রীদের হারিয়েছিল লাল-হলুদ। সেই প্রসঙ্গ ধরে শুরুতেই কুয়াদ্রাত বললেন, “বেঙ্গালুরু গত মরসুমে তিনটে ফাইনাল খেলেছে। ডুরান্ড কাপে জিতেছে এবং আইএসএল ও সুপার কাপে হেরেছে। দারুণ দল ওরা। নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগোয়। একটা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হতে চলেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তা ছাড়া, দর্শকভর্তি স্টেডিয়ামে খেলে ওরা। কঠিন লড়াইয়ের জন্যে আমরা তৈরি।” গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বেঙ্গালুরু পাবে না নাওরেম রোশন সিংহ এবং সুরেশ সিংহকে। তাঁরা নির্বাসিত। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে সেটা সুবিধার কি না এই প্রশ্নের জবাবে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “একদমই নয়। কোনও ফুটবলারের বদলে আর একজনকে খেলালে তার সামনে সুযোগ এসে যায় নিজেকে প্রমাণ করার। আমরা তো ১১ জনের বিরুদ্ধে ১১ জন খেলি। ওরা দুটো ম্যাচে হেরেছে। কিন্তু নিজেদের সমর্থকদের সামনে প্রমাণ করার তাগিদও রয়েছে। তাই নিজেদের সেরাটা দিতেই ওরা নামবে।” ডুরান্ড কাপ এবং আইএসএল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ঘরের মাঠেই খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। এই প্রথম তারা রাজ্যের বাইরে পাড়ি দিচ্ছে। সে কারণে কিছুটা সতর্ক কুয়াদ্রাত। একই সঙ্গে তাঁর বিশ্বাস, ইস্টবেঙ্গল যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, তাতে সফল হবেনই। কুয়াদ্রাত বলেছেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত আটটা ম্যাচই কলকাতায় খেলেছি। এখনই আমাদের ফলাফল লাগবে এমন নয়। কারণ আমরা একটা প্রোজেক্ট ধরে ধরে এগোচ্ছি। তাতে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে।” আরও একটি দিকের কথা তুলে ধরেছেন কুয়াদ্রাত। বলেছেন, “ইস্টবেঙ্গলের তিনজন ফুটবলার জাতীয় দলে খেলতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের পর থেকে কবে হয়েছে এটা? তা ছাড়া, অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলে গোলকিপার প্রভসুখন। অনূর্ধ্ব-১৭ দলেও ২-৩ জন ফুটবলার রয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় যে ক্লাব ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। আমরা ডুরান্ডের ফাইনালে উঠেছি। আইএসএলে প্রথম দুটো ম্যাচে চার পয়েন্ট পেয়েছি, যা ক্লাবের সবচেয়ে ভাল শুরু। তাই অপেক্ষা করতেই হবে।”
|
সেই প্রসঙ্গ ধরে শুরুতেই কুয়াদ্রাত বললেন, “বেঙ্গালুরু গত মরসুমে তিনটে ফাইনাল খেলেছে ডুরান্ড কাপে জিতেছে এবং আইএসএল ও সুপার কাপে হেরেছে দারুণ দল ওরা নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগোয় একটা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হতে চলেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই তা ছাড়া, দর্শকভর্তি স্টেডিয়ামে খেলে ওরা কঠিন লড়াইয়ের জন্যে আমরা তৈরি” গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বেঙ্গালুরু পাবে না নাওরেম রোশন সিংহ এবং সুরেশ সিংহকে তাঁরা নির্বাসিত ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে সেটা সুবিধার কি না এই প্রশ্নের জবাবে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “একদমই নয় কোনও ফুটবলারের বদলে আর একজনকে খেলালে তার সামনে সুযোগ এসে যায় নিজেকে প্রমাণ করার আমরা তো ১১ জনের বিরুদ্ধে ১১ জন খেলি ওরা দুটো ম্যাচে হেরেছে
|
সুপার কাপে মোহনবাগানের বিদায় হলেও এখনও আশা আছে ইস্টবেঙ্গলের, কী করতে হবে শেষ চারে যেতে?
|
লুকাস, জর্ডান ইস্টবেঙ্গলে
|
কাছে এসেও হাতছাড়া, মাত্র ৬ রানের জন্য রেকর্ড গড়তে পারল না লখনউ
|
আদালতে বাতিল চাকরি, নির্দেশিকা পায়নি বিধায়ক-কন্যার স্কুল
|
state
|
অভিজিৎ বসু শুক্রবার ৮৪২ জন গ্রুপ-সি শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইজির পাশাপাশি রয়েছেন মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক উষা রাণী মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডল।শুক্রবার হাই কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে তারা কোন ভাবে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিনতার চাকরি বাতিলের কোন সরকারি নির্দেশিকা আসেনি।এই প্রসঙ্গে নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা রুপালী দে কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আদালতের রায়ের বিষয় সংবাদমধ্যম থেকে জেনেছি। এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন নির্দেশিকা আসেনি।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘আত্মীয়ের বিয়ের জন্য চলতি সপ্তাহে ছুটি নিয়েছে বিনতা মণ্ডল। কিন্তু শুক্রবার সরকারি নির্দেশিকার জন্য স্কুলে আসেন।’’ শনিবার স্কুলে আসেননি বিনতা মণ্ডল। ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষাকর্মীর কাজে যোগ দেন বিনতা। মা উষা মণ্ডলকে সাথে নিয়ে প্রথম দিন কাজে যোগ দেন তিনি। স্কুলে গিয়ে নিজের বিধায়ক পরিচয় গোপন করেননি উষা মণ্ডল। গণশক্তির প্রতিনিধি এই কথা জানিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুপালী দে।রুপালী দে বলেন, ‘‘পর্ষদের নিয়োগ পত্র নিয়েই কাজে যোগ দেয় বিনতা। তারপর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে ওর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলি ডিআই অফিসে পাঠাই। সেখানে সব কিছু জমা পড়ার পর বেতন চালু হয়।’’ তৃণমূল বিধায়কের মেয়ে কি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল? তা জানা নেই প্রধান শিক্ষিকার। এই বিষয় তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘পর্ষদের নিয়োগ পত্র নিয়ে এলে কাজে যোগ দিতে পারা যায়। স্কুলে যোগ দেওয়ার পর কোন অনিয়ম হয়নি। নিয়োগের আগে কিছু হয়ে থাকলে তা আমাদের জানা নেই।’’
|
মা উষা মণ্ডলকে সাথে নিয়ে প্রথম দিন কাজে যোগ দেন তিনি স্কুলে গিয়ে নিজের বিধায়ক পরিচয় গোপন করেননি উষা মণ্ডল গণশক্তির প্রতিনিধি এই কথা জানিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুপালী দেরুপালী দে বলেন, ‘‘পর্ষদের নিয়োগ পত্র নিয়েই কাজে যোগ দেয় বিনতা তারপর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে ওর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলি ডিআই অফিসে পাঠাই সেখানে সব কিছু জমা পড়ার পর বেতন চালু হয়’’ তৃণমূল বিধায়কের মেয়ে কি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল? তা জানা নেই প্রধান শিক্ষিকার
|
চাকরি বাতিলের তালিকায় মন্ত্রী কন্যার নাম
|
আদালতের নির্দেশ মেনে মিছিল করলেন চাকরি প্রার্থীরা
|
আদানিদের কাছে জনতার সম্পদ বন্ধক রাখছে দু’দলই: সেলিম
|
একে অপরের ভাষা জানেন না, গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করেই চার হাত এক যুগলের
|
lifestyle
|
দু’জনের মাঝে ভৌগোলিক ব্যবধান পাঁচ হাজার মাইলেরও বেশি। কিন্তু শুধু ভৌগোলিক ব্যবধানই নয়, রয়েছে আরও একটি বাধা— ভাষা। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হারবিজ ও কাজাখস্তানের ম্যাডিনা বুঝতেন না একে অপরের ভাষা। কথোপকথন হত গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে। আর সেই প্রতিবন্ধকতা জয় করেই পরিণয়-বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দু’জন। ২০১৮ সালে বন্ধুদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ম্যাডিনা। সেখানেই ম্যাথুর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। প্রথম দেখাতে যদিও প্রেমে পড়েননি। কিন্তু বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল দু’জনের। ম্যাডিনা দেশে ফেরার পরেও চলতে থাকে মেসেজ চালাচালি। ম্যাডিনা ইংরেজি জানতেন না, ম্যাথুও বুঝতেন না ম্যাডিনার মাতৃভাষা কাজাখ। কাজেই গুগলের অনুবাদ-প্রযুক্তি ছাড়া গতি ছিল না। কিন্তু তাতে কাছাকাছি আসা আটকে থাকেনি, বন্ধুত্ব গড়ায় ভালবাসায়। প্রতি তিন-চার মাস অন্তর দেখা করতে শুরু করেন তাঁরা। সমস্যা বেড়ে যায় কোভিডের সময়। দেখা করা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। দীর্ঘ লকডাউনের শেষে ২০২১ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পান ম্যাডিনা। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে দু’সপ্তাহ নিভৃতবাসে থাকতে বাধ্য হন তিনি। এই গোটা সময়ে তাঁর হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন ম্যাথু। এর পরেই গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। অবশেষে ২০২২–এর জুন মাসে বিয়ে করেন তাঁরা। ম্যাডিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ বার পাকাপাকি ভাবে অস্ট্রেলিয়াতেই থাকবেন তিনি। তবে প্রেমের সময়ে বড় বন্ধু হয়ে দেখা দিলেও আর গুগল ট্রান্সলেটরের ভরসায় থাকতে চাইছেন না দু’জনের কেউই। অল্প অল্প করে একে অপরের ভাষা শিখতে শুরু করেছেন তাঁরা।
|
দেখা করা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় দীর্ঘ লকডাউনের শেষে ২০২১ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পান ম্যাডিনা অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে দু’সপ্তাহ নিভৃতবাসে থাকতে বাধ্য হন তিনি এই গোটা সময়ে তাঁর হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন ম্যাথু এর পরেই গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা অবশেষে ২০২২–এর জুন মাসে বিয়ে করেন তাঁরা ম্যাডিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ বার পাকাপাকি ভাবে অস্ট্রেলিয়াতেই থাকবেন তিনি তবে প্রেমের সময়ে বড় বন্ধু হয়ে দেখা দিলেও আর গুগল ট্রান্সলেটরের ভরসায় থাকতে চাইছেন না দু’জনের কেউই
|
থ্যানোসের এক তুড়িতে উড়ল গুগল, দুই তুড়িতে ব্যাক
|
একাধিক বিউটি ক্যামেরা অ্যাপ মুছে দিল গুগল
|
ব্যস্ততার মাঝে পুরনো স্মৃতিই তাঁর ভাল থাকার অক্সিজেন, বাদলা দিনে উপলব্ধি ঋদ্ধি সেনের
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.