Dataset Viewer
query
stringlengths 5
185
| positives
listlengths 1
14
| negatives
listlengths 0
19
|
---|---|---|
চেঙ্গিস খান কোন বংশের রাজা ছিলেন ? | [
{
"docid": "59523#1",
"text": "কুবলাই খান ছিলেন তলুই ও সরঘাঘতানি বেকির দ্বিতীয় পুত্র। তাঁর পিতামহ ছিলেন চেঙ্গিস খান। ১২৬০ খ্রিস্টাব্দে কুবলাই খান তাঁর বড় ভাই মংকু খানের স্থলাভিষিক্ত হন। কুবলাই খানের আরেক ভাই হালাকু খান পারস্য জয় করেন এবং সেখানে ইলখানাত নামে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।",
"title": "কুবলাই খান"
},
{
"docid": "58671#13",
"text": "সর্বোচ্চ, আরো যথাযথোভাবে রাজকীয় উপাধি খাগান (“খানদের খান”) খান হিসাবে পরিচিত সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত শাসকগণের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত : জেংগিস খান (তার নাম ছিল তেমুজিন, জেংগিস খান হলো এক অনন্য উপাধি যার অর্থ পুরোপুরি জানা যায় না) যিনি মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেন, এবং তার উত্তরাধিকারীগণ, প্রধানতঃ পৌত্র কুবলাই খান, যিনি চীনের ইয়ুয়ান রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। জেঙ্গিস খানের বংশের প্রধান শাখাটির শাসক বংশধরগণ মহান খান হিসাবে উল্লিখিত হন। \nখানদের খান উপাধিটি অন্যান্য উপাধির সাথে উসমানীয় সুলতানগণ এবং গোল্ডেন হোর্ড ও তা হতে উদ্ভূত রাজ্যগুলোর শাসকেরা ব্যবহার করতেন। খান সেলজুক তুর্কী রাজবংশও ব্যবহার করতো একাধিক ট্রাইব, ক্ল্যান বা জাতির প্রধানের পদবী হিসাবে, যিনি পদমর্যাদায় আতাবেগের নিম্নপর্যায়ের। জুরচেন এবং মাঞ্চু শাসকেরাও খান (মাঞ্চুতে হান) ব্যবহার করতেন, যেমন- নুরচেন, গেংগিয়েন হান নামে পরিচিত ছিলেন। গক্তুর্ক, আভার এবং খাযারের শাসকগণ স্বতন্ত্র জাতিদের শাসক হিসাবে আরও উচ্চ পদবী কাঘান ব্যবহার করতেন।",
"title": "খান"
},
{
"docid": "3287#0",
"text": "চেঙ্গিজ খান (মঙ্গোলীয়: আ-ধ্ব-ব: [], ), (১১৬২–আগস্ট ১৮, ১২২৭) প্রধান মঙ্গোল রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা বা মহান খান, ইতিহাসেও তিনি অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি। জন্মসূত্রে তার নাম ছিল তেমুজিন (মঙ্গোলীয়: Тэмүжин )। তিনি মঙ্গোল গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করে মঙ্গোল সাম্রাজ্যের (Екэ Монгол Улус; ১২০৬ - ১৩৬৮) গোড়াপত্তন করেন। নিকট ইতিহাসে এটিই ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সম্রাজ্য। তিনি মঙ্গোলিয়ার বোরজিগিন বংশে জন্ম নিয়েছিলেন। এক সাধারণ গোত্রপতি থেকে নিজ নেতৃত্বগুণে বিশাল সেনাবাহিনী তৈরি করেন।যদিও বিশ্বের কিছু অঞ্চলে চেঙ্গিজ খান অতি নির্মম ও রক্তপিপাসু বিজেতা হিসেবে চিহ্নিত তথাপি মঙ্গোলিয়ায় তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে সম্মানিত ও সকলের ভালোবাসার পাত্র। তাকে মঙ্গোল জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। একজন খান হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে চেঙ্গিজ পূর্ব ও মধ্য এশিয়ার অনেকগুলো যাযাবর জাতিগোষ্ঠীকে একটি সাধারণ সামাজিক পরিচয়ের অধীনে একত্রিত করেন। এই সামাজিক পরিচয়টি ছিল মঙ্গোল।",
"title": "চেঙ্গিজ খান"
}
] | [
{
"docid": "523096#0",
"text": "ওগেদাই খান(মঙ্গোলীয়: ᠦᠭᠦᠳᠡᠢ; চীনা: 窩闊台: ৭ নভেম্বর ১১৮৬ – ১১ ডিসেম্বর ১২৪১) ছিলেন চেঙ্গিস খানের তৃতীয় ছেলে এবং মঙ্গোল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় খাগান। চেঙ্গিস খানের পর তিনি খাগান হন। তার পিতার সাম্রাজ্য বিস্তার অভিযান তিনি এগিয়ে নিয়ে যান। চেঙ্গিস খানের প্রথমদিককার অন্য ছেলেদের মত তিনিও চীন, ইরান ও মধ্য এশিয়া জয়ে অংশ নিয়েছেন।",
"title": "ওগেদাই খান"
},
{
"docid": "296930#45",
"text": "মঙ্গোলদের নেতাদেরকে \"খান\" নামে ডাকা হত। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে তেমুজিন খান নামের মঙ্গোল নেতা সমস্ত মঙ্গোল গোত্রগুলি এক পতাকার নিচে নিয়ে আসেন। তাঁর নাম দেওয়া হয় চেঙ্গিস খান, অর্থাৎ “সবার প্রভু”। সারা জীবন ধরে অসংখ্য সমরাভিযানশেষে চেঙ্গিস খান শেষ পর্যন্ত পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল থেকে পশ্চিমে ইউরোপের দানিউব নদী পর্যন্ত এক সুবিশাল সাম্রাজ্য গঠন করেন, যার মধ্যে বিরাট পারস্য সাম্রাজ্যও ছিল এক অংশমাত্র। ১২১১ সালে চেঙ্গিস খান চীন আক্রমণ করেন এবং ১২১৫ সালের মধ্যে মঙ্গোলদের হাতে চীনের তৎকালীন রাজধানী বেইজিংয়ের পতন ঘটে। ১২১৭ সালে মঙ্গোলরা চীন ও কোরিয়া নিয়ন্ত্রণ করত। কারাকোরুম শহরে (বর্তমানে মঙ্গোলিয়াতে অবস্থিত) তাদের রাজধানী ছিল । ১২১৯ সালে মঙ্গোলরা পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়ে খোয়ারিজম সাম্রাজ্য (পারস্য ও তুরস্ক) আক্রমণ করে। ১২২৪ সালে তারা রাশিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি আক্রমণ করে। চেঙ্গিস খান যুদ্ধক্ষেত্রে নির্মম হলেও তার সাম্রাজ্যে শান্তি বজায় রাখেন এবং শক্ত হাতে কিন্তু ন্যায়বিচারের সাথে শাসন করেন। তার সময়ে বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
},
{
"docid": "520846#0",
"text": "বুরখান খাল্ডুন (সিরিলিক ভাষায়: Бурхан Халдун) উত্তর-পূর্ব মঙ্গোলিয়ার খেন্টাই অঞ্চলের একটি খেন্টাই পর্বত। পর্বতটিকে বা এই স্থানকে চেঙ্গিস খানের জন্মস্থান বলে ধারণা করা হয় এবং এখানেই তাঁর সমাধিস্থল অবস্থিত। এই স্থানে অন্য একজন বিখ্যাত বীর সাবুতাইয়ের জন্মস্থান। পর্বতটি ১৯৯২ সালে প্ৰতিষ্ঠিত এলাকাটি খান খেন্টাই কঠোরভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলের একটি অংশ। যদিও চেঙ্গিস খানের পূৰ্বেও পর্বতটিকে পবিত্ৰ মনে করা হত, চেঙ্গিস খান এই পর্বতটিকে মঙ্গোলিয়ার সবথেকে পবিত্ৰ পৰ্বত আখ্যা দেয়ার পর এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। ৪ জুলাই ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে এই পৰ্বতকে \"মহান বুরখান খাল্ডুন পৰ্বত এবং চারপাশের পবিত্ৰ পরিবেশ\" উপাধিতে ঘোষণা করে। ১৯৫৫ সালে পর্বতটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা করা হয় এবং সেই সাথে পর্বতটিকে রাষ্ট্ৰীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই স্থানের অনন্য জৈববৈচিত্র্য মধ্য এশিয়া প্রান্তের উদ্ভিদজগতের সাথে মিশ্রিত। এমনকি ৫০ প্ৰজাতির প্রানী এবং ২৫৩ প্ৰজাতির পাখি নিয়ে অনন্য।",
"title": "বুরখান খাল্ডুন"
},
{
"docid": "521760#0",
"text": "তোলুই খান, (ধ্রুপদি মঙ্গোলীয়: , , ) (১১৯২-১২৩২) ছিলেন চেঙ্গিস খানের চতুর্থ ছেলে। ১২২৭ সালে চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পর মঙ্গোলিয়ায় তিনি তার বাবার উত্তরাধিকারী হন। ওগেদাই খান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় খাগান হওয়ার পূর্বে তিনি প্রশাসন পরিচালনা করেছেন। এর পূর্বে মঙ্গোলদের অভিযানে অংশ নিয়েছেন। মঙ্গোলিয়া ও ইলখানাতের সম্রাটদের অধিকাংশের তিনি সরাসরি পূর্বপুরুষ।",
"title": "তোলুই খান"
},
{
"docid": "485009#34",
"text": "Jurchen ছিলেন ঝিন বংশের প্রতিষ্ঠাতা যিনি মঙ্গলদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর মঙ্গলরা দক্ষিণ সং রাজ্যের দিকে অগ্রসর হয় এবং এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এটাই ছিল প্রথম যুদ্ধ যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই যুদ্ধের পরবর্তী সময়কে বলা হয় Pax Mongolica, এ সময় মার্কো পোলো ও অন্যান্য ইউরোপীয় পরিব্রাজকরা চীন ভ্রমণ করেন এবং চীন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ইউরোপে পৌছায়। ইউয়ান শাসনামলে, মঙ্গলদেরকে দুইটি অংশে ভাগ করা হয়, একটি অংশ স্তেপে থেকে যায় এবং আর একটি অংশ চৈনিক রীতিনীতি গ্রহন করে। চেঙ্গিস খানের পৌত্র কুবলাই খান ইউয়ান বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। ইউয়ান শাসনামলে সর্ব প্রথম বেইজিং থেকে সমগ্র চীন সম্রাজ্য পরিচালিত হয়। এর আগে ঝিন সম্রাটদের রাজধানী ছিল বেইজিং। কিন্তু তারা সমগ্র চীনের শাসক ছিলেন না।\nমঙ্গলদের আগ্রাসনের পূর্বে চীনের জনসংখ্যা ছিল ১২০ মিলিয়ন। ১২৭৯ সালে যুদ্ধ শেষ হবার পর চীনের জনসংখ্যা ছিল ৬০ মিলিয়নের মত। Frederick W. Mote এর মতে যুদ্ধ জনসংখ্যার এই ব্যাপক হ্রাসের একমাত্কার করান ছিল না। পূর্বে জনসংখ্যার গণনা সঠিক ছিল না বলে তিনি মনে করেন।",
"title": "চীনের ইতিহাস"
},
{
"docid": "521809#0",
"text": "চাগতাই খানাত (মঙ্গোলীয়: \"Tsagadaina Khaanat Ulus/Цагаадайн Хаант Улс\") ছিল মধ্যযুগের একটি মঙ্গোল খানাত। চেঙ্গিস খানের দ্বিতীয় পুত্র চাগতাই খান ছিলেন এই খানাতের প্রথম শাসক। পরবর্তীতে তার বংশধররা রাজ্য শাসন করেছেন। প্রথমে এটি মঙ্গোল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ১২৫৯ সালের পর মঙ্গোল সাম্রাজ্যের ভাঙনের সময় এটি স্বাধীন হয়। ১৩০৪ সালে চাগতাই খানাত ইউয়ান রাজবংশের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়। ১৪শ শতাব্দীর মধ্যভাগে চাগতাই খানাত ভেঙে পশ্চিম চাগতাই খানাত ও মোগলিস্তান খানাতে বিভক্ত হয়। ১৩শ শতাব্দীতে খানাত আমু দরিয়া থেকে আলতাই পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।",
"title": "চাগতাই খানাত"
},
{
"docid": "296930#46",
"text": "১২২৭ সালে চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পরেও মঙ্গোলরা আক্রমণ অব্যাহত রাখে। ১২২৯ সালে চেঙ্গিস খানের এক পুত্রসন্তান ওগাদাই খান মঙ্গোলদের নেতা হন। চেঙ্গিস খানের আরেক সন্তান বাতু খান এবং সুবোতাই খানের নেতৃত্বে ১২৩৭ সালে মঙ্গোল বাহিনী উত্তর রাশিয়া দখলের জন্য আক্রমণ করে। তাদের সেনাবাহিনীর নাম ছিল “স্বর্ণালী দঙ্গল”। ইউরোপে মঙ্গোলদের দ্রুতি ও হিংস্রতার কথা ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিটি মঙ্গোল সেনা পাঁচটি ঘোড়া নিয়ে চলাচল করত এবং প্রত্যেকে তীরন্দাজি ও বর্শা নিক্ষেপে অত্যন্ত দক্ষ ছিল। ঘোড়সওয়ারী হয়ে তারা কেবল পা দিয়ে ঘোড়াদের নিয়ন্ত্রণ করত, এবং খালি দুই হাত তীর ছোঁড়া বা বর্শা নিক্ষেপের কাজে লাগাত। যুদ্ধের সময় তারা ছিল ক্ষমাহীন, নিষ্ঠুর যোদ্ধা। তারা গোটা শহরের সবাইকে সদলবলে হত্যা করে তাদের সম্পদ লুন্ঠন করে অন্য শহর আক্রমণ করতে যেত। ১২৪১ সালে মঙ্গোলদের নেতা ওগাদাই খানের মৃত্যুর সংবাদ পশ্চিমে এসে পৌঁছালে ইউরোপে অগ্রসরমান মঙ্গোলবাহিনী আবার এশিয়াতে ফেরত যায়, ফলে ইউরোপ পরিত্রাণ পায়।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
}
] |
অপারেশন জ্যাকপটের কর্নেল কে ছিলেন ? | [
{
"docid": "41437#2",
"text": "মার্চের শুরুর দিকে পাকিস্তানি সাবমেরিন পি এন এস ম্যাংরো ফ্রান্সের তুলন সাবমেরিন ডকইয়ার্ডে যায় পাকিস্তানি সাবমেরিনারদের প্রশিক্ষন দেয়ার জন্য। সেই ৪১ জন সাবমেরিনারদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন বাঙালি অফিসার। তারা আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে ২৫ মার্চের গণহত্যার কথা শুনে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে ৮ জন ৩০ মার্চ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৯ এপ্রিল ১৯৭১ তারা দিল্লিতে এসে পৌছান। এখানে তাদের নাম উল্লেখ করা হলোঃ-তারপর উক্ত ৮জনের সাথে আরো কয়েকজনকে একত্র করে ২০ জনের একটি গেরিলা দল গঠন করে তাদের ভারতে বিশেষ ট্রেনিং দেয়া হয়। তারপর তারা দেশে আসলে তাদের সাথে কর্নেল ওসমানীর দেখা করানো হয়। তখন ওসমানী নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।",
"title": "অপারেশন জ্যাকপট"
}
] | [
{
"docid": "464627#3",
"text": "ওবিই ব্রিগেডিয়ার জন ভন ব্রুস জার্ভিস-রীড ছিলেন অপ্স (বি) এর মূল প্রধান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ১৯৩৩ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যাণ্ট হিসেবে রয়েল ইঞ্জিনিয়ার্সে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে তিনি কর্ণেল পদে আসীন থাকাকালীন ছলাকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। তার প্রধান কাজ ছিল অপারেশন ককেড এর পরিকল্পনা করা। অপারেশনের জটিলতা এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পদের অভাবের কারণে এটা সাফল্যের মুখ দেখেনি। তখনও প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হয় নি, সেই সময় মিত্র অভিযানমূলক বাহিনীর সর্বোচ্চ সদরদপ্তরের সবথেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লেফটেন্যাণ্ট জেনারেল ফ্রেডরিক ই. মর্গান কর্ণেল ডুডলের এ ফোর্সকে একটি \"ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী\" হিসেবে বিবেচনা করতেন যা তিনি তার অধীনে গড়ে তুলতেন না।",
"title": "অপ্স (বি)-এর কর্মচারিবৃন্দের তালিকা"
},
{
"docid": "41437#0",
"text": "অপারেশন জ্যাকপট বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন। এটি ছিল একটি আত্মঘাতী অপারেশন। এ অপারেশন ১৯৭১-এর ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়। ১০নং সেক্টরের অধীনে ট্রেনিং প্রাপ্ত নৌ কমান্ডো যোদ্ধাদের অসীম সাহসিকতার নিদর্শন এই অপারেশন জ্যাকপট। এই গেরিলা অপারেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকগুলো অস্ত্র ও রসদবাহী জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজগুলোর মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্যকারী অনেকগুলো বিদেশি জাহাজও থাকায় এই অপারেশন বাংলাদেশের যুদ্ধ এবং যোদ্ধাদেরকে সারা বিশ্বে পরিচিতি পাইয়ে দেয়।সারা বিশ্ব বুঝতে পারে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই লড়ছে।",
"title": "অপারেশন জ্যাকপট"
},
{
"docid": "353461#3",
"text": "মতিউর রহমানের প্রথম গেরিলা ত ৎপরতা অপারেশন জ্যাকপটের মাধ্যমে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ১৫-১৬ আগস্ট মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ পাওয়া নৌ-কমান্ডোরা পূর্ব পাকিস্তানের সমুদ্রবন্দর ও প্রধান প্রধান নদী বন্দরে একযোগে যে অপারেশন করেন, সেটিই ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে খ্যাত। এ অপারেশনের বিশালতা ও ক্ষয়ক্ষতি এত ব্যাপক ছিল যে তা পাকিস্তানসহ বিশ্বকে হতভম্ব করে দেয়। পৃথিবীর প্রায় সব প্রচারমাধ্যম এ ঘটনা ফলাও করে প্রচার করে। অপারেশনের চূড়ান্ত তারিখ ছিল ১৫ আগস্ট, পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে। মতিউর রহমান অংশ নেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি ফেরিঘাট আক্রমণে। এ অপারেশনে তাঁরা অংশ নেন মোট নয়জন। তাঁদের দলনেতা ছিলেন শাহজাহান সিদ্দিকী (বীর বিক্রম)। সহ-দলনেতা তিনি। আগস্ট মাসের ১১-১২ তারিখে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা বাংলাদেশে আসেন। অপারেশনের ধার্য করা দিন ১৫ আগস্ট দাউদকান্দি এলাকায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়। তাঁদের গাইড অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে কারণে অপারেশন স্থগিত রাখতে হয়। পরদিন ১৬ আগস্ট মধ্যরাতে তাঁরা সফলতার সঙ্গে দাউদকান্দি ফেরিঘাটের ফেরি ও পন্টুনে লিমপেট মাইন লাগান। এ কাজে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মতিউর রহমান। ফেরিঘাটে প্রহরায় ছিল পাকিস্তানি সেনা ও তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকাররা। তারা একটুও টের পায়নি। মাইন লাগানোর পর মুক্তিযোদ্ধারা দ্রুত চলে যান নিরাপদ অবস্থানে। রাত দুইটা ৪৫ মিনিটে চারদিক প্রকম্পিত করে নয়টি লিমপেট মাইন একের পর এক বিস্ফোরিত হয়। মাইন বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও পাকিস্তানিদের অবিরাম গুলিবর্ষণে ২৫ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। দু-তিন দিন পর নৌ-কমান্ডোরা ভারতের আগরতলায় চলে যান। পরবর্তী সময়ে মতিউর রহমান বরিশাল বন্দর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি অপারেশন করেন। এর মধ্যে বরিশালের অপারেশন ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তিনিই ছিলেন দলনেতা। ২৫-২৬ অক্টোবর সফলতার সঙ্গে এ অপারেশন সম্পন্ন করেন। তিনটি জাহাজ লিমপেট মাইনের সাহায্যে তাঁরা ডুবিয়ে দেন।",
"title": "মতিউর রহমান (বীর উত্তম)"
},
{
"docid": "8845#7",
"text": "অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার দায়িত্ব পান ৪র্থ কোরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট-জেনারেল টিক্কা খান, তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এর জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয় ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে এবং 'অপারেশন সার্চলাইট' ২৫ মার্চ রাত ১২টার পরে টিক্কা খানের নির্দেশেই মূলত শুরু হয়। অপারেশন সার্চলাইট সামরিক অভিযানের ফলশ্রুতিতে বাঙালিরা সেনাবাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনী নামের একটি বাহিনী গঠন করে যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ইয়াহিয়া এপ্রিলের শুরুর দিকে মেজর-জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজীকে (যিনি লাহোরে ১০ম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়কত্ব করছিলেন) লেফটেন্যান্ট-জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে ইস্টার্ন কমান্ড কার্যালয়ে টিক্কার স্থলে তাকে অধিনায়ক নিযুক্ত করেন তবে টিক্কা গভর্নরের দায়িত্বে থেকে যান এবং সেপ্টেম্বরে পশ্চিম পাকিস্তানে বদলী হন।",
"title": "ইয়াহিয়া খান"
},
{
"docid": "490763#2",
"text": "১৮২৪ সালে তাকে বার্মা প্রেরণ করা হয় এবং সেখানে প্রথম ইঙ্গ-বার্মিজ যুদ্ধের তিনটি অভিযানে অংশগ্রহণ নেন। এরপর দুই দশকের বেশি সময় তিনি পুরকৌশলে নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি পদোন্নতি পেয়ে ১৮৩০ সালে মেজর, ১৮৩৪ সালে লেফটেন্যান্ট-কর্নেল এবং ১৮৪৪ সালে কর্নেল হন। ১৮৪৮ সালে মুলতান অবরোধের পরিকল্পনার সময় তাকে পাঞ্জাবে পাঠানো হয়। তাকে প্রধান প্রকৌশলী নিযুক্ত করা হয় এবং তিনি দুর্গের পতনের জন্য পরিচালিত অপারেশনে নেতৃত্ব দেন। এরপর তিনি এরপর হিউ গফের অধীনে কাজ করেন। গুজরাটের যুদ্ধে তিনি গোলন্দাজদের পরিচালনা করেছেন। গফ নিজের প্রেরিত বার্তায় চিপের নাম উল্লেখ করেছেন। চিপকে সি.বি. এবং রাণীর এইড-ডি-ক্যাম্প প্রদান করা হয়।",
"title": "জন চিপ"
},
{
"docid": "571114#1",
"text": "কর্নেল কৃষ্ণকান্ত পুরী ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন বহিষ্কৃত অফিসার যিনি ভারত-চীন যুদ্ধকালীন এক অসফল অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার কোর্ট মার্শাল হয়, নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে ব্যর্থ হয়ে হতাশ জীবন যাপন করছিলেন একাকী। তার ও তার বাকি সাথীদের ব্যার্থতার দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে একদিন আত্মহত্যা করতে মনস্থির করেন কিন্তু এসময় তার কাছে এসে সাহায্য চায় সন্ধ্যা নাম্নী এক তরুনী যার পিতাকে জাগিরা নামক এক দস্যু নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দেবদুর্গ গ্রাম জাগিরার কবলে। সে সেখানকার অধিবাসীদের ওপর জোরজুলুম চালায়। সন্ধ্যার পিতা ফরেস্ট অফিসার সুন্দর রাজন এর বিরোধীতা করলে তাকে হত্যা করে জাগিরা। গ্রামের মানুষরা কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। গ্রামের একমাত্র প্রতিবাদী মুখিয়াকেও হত্যা করে দস্যুরা। কর্নেল পুরী মনে করেন এই নতুন মিশন তাকে প্রতিষ্ঠা এনে দেবে ও মিথ্যা অপবাদের কলংক মুছতে সহায়ক হবে। তিনি তার দলের বাকি সাথীদের ডেকে আনেন নতুন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্যে। এদের মধ্যে রগচটা কর্নেল কৃষন পুরী, ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত মেজর গুরুং, মাতাল মেজর জন, ব্যবসায়ী মেজর কূলভূষন, মেজর সরফরাজ ও মৃত এক সাথীর পুত্র উদিত সমেত সকলেই এসে হাজির হয়। তারা দেবদূর্গ গ্রামে এলে জগিরার দলের সাথে প্রথম যুদ্ধে বোঝা যায় দু তিনজন বাদে প্রায় সকলেই যুদ্ধ করার মতো অবস্থায় নেই। তারা বয়েসের ভারে, রোগে ও অনভ্যাসে অসহায়। মেজর গুরুং তাদের আবার ট্রেনিং করার ব্যবস্থা করেন। গ্রামের সকল মানুষের সাথে তারা সুসম্পর্ক গড়ে তোলে, স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। অসৎ পুলিশ অফিসার বারুদ তাদের গ্রেপ্তার করতে আসে গ্রামে গোলাগুলি চালানোর জন্যে। তার চক্রান্তে কৃষ্ণকান্ত ও তার দলবল জগীরার কবলে পড়লেও সন্ধ্যার সাহায্যে মুক্তি পায় এবং সরফরাজ তাড়া করে জগীরাকে ধরে ফেলে। ইনস্পেকটর বারুদের সাহায্যে জগীরা আবার ছাড়া পায় এবং সরফরাজকে অসহায় অবস্থায় পেয়ে হত্যা করে। এই খবর পেয়ে কৃষ্ণকান্ত ও বাকি সাথীরা বারুদকে হত্যা করেন ও সকলে মিলে জগীরার দলকে আক্রমন করেন। শেষ যুদ্ধে সাথীদের অনেকেই মারা যান। জগীরাকে তার নিজের ঘাঁটিতেই খুন করেন গুরুং, কর্নেল কৃষ্ণকান্ত, কৃষন পুরী ও উদিত। এই ঘটনায় গোটা দেবদূর্গ আতংকমুক্ত হয় ও রাজ্যপাল (যিনি অতীতে সেনাকর্তা হিসেবে, কৃষ্ণকান্ত ও সহ অফিসারদের বরখাস্ত করেছিলেন) জীবিত সেনাদের পুরষ্কৃত করেন ও হৃত সম্মান ফিরিয়ে দেন।",
"title": "চায়না গেট"
},
{
"docid": "41437#5",
"text": "নৌ-কমান্ডোদের ঐ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় নেভাল অফিসার কমানডার এম.এন.সামানত, ও ট্রেনিং দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন লেঃ কমান্ডার জি এম মার্টিস, এবং আরও ভারতীয় ২০ জন প্রশিক্ষক তারা হলেনন লেঃ দাস, লেঃ ভি.পি. কফিল। প্রশিক্ষকদের মধ্যে ফ্রান্স থেকে পালিয়ে আসা ৮ জন সাব-মেরিনার ছাড়াও আরো ছিলেন ভারতীয় নৌ-বাহিনীর লিডিং সি,মান কে.সিং, লিডিং সি,মান গুপ্ত, এল সিং, মারাঠি নানা বুজ এবং সমীর কুমার দাশসহ আরো কয়েকজন।",
"title": "অপারেশন জ্যাকপট"
},
{
"docid": "28517#6",
"text": "পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ৫ম প্যারাট্রুপারের কর্নেল ও কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়াজী ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান। কাশ্মির ও শিয়ালকোটের অপারেশনে তিনি ১৪তম প্যারাট্রুপার ডিভিশন, ৫০তম এয়ারবর্ন ডিভশনের নেতৃত্ব দেন। চাভিন্দার যুদ্ধে তিনি অংশ নেন। যুদ্ধের পর নিয়াজী করাচি ও লাহোরের সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান এবং করাচির ৫২তম মেকানাইজড ডিভশনের জিওসি নিযুক্ত হন। ১৯৭০ সালে নিয়াজী ৫০তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সাল নাগাদ তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ লাভ করেন।",
"title": "আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী"
},
{
"docid": "41437#3",
"text": "ওসমানীর সিদ্ধান্তে নৌ-কমান্ডো সেক্টর খোলার পর বাছাইকৃত গেরিলাদের ট্রেনিং দেয়ার উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক পলাশীর স্মৃতিসৌধের পাশে ভাগীরথী নদীর তীরে ২৩ মে ১৯৭১ তারিখে একটি গোপন ট্রেনিং ক্যাম্প খোলা হয়। এই ট্রেনিং ক্যাম্পের সাংকেতিক নাম দেয়া হয় সি-২ পি (C-2 P)। এখানে ট্রেনিং দেয়ার উদ্দেশ্যে অন্যান্য সেক্টরসমূহের বিভিন্ন শিবির থেকে মে মাসের শুরুর দিকে প্রায় ৩০০ জন বাছাইকৃত যোদ্ধা সংগ্রহ করা হয়। ট্রেনিং ক্যাম্পে এদের কি ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে সে বিষয়টি এতই গোপনীয় ছিল যে, সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যেও শুধুমাত্র যার এলাকায় অপারেশন চালানো হবে তিনি ব্যতীত আর কেউ এই সম্পর্কে জানতেন না।",
"title": "অপারেশন জ্যাকপট"
}
] |
কত সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয় ? | [
{
"docid": "25926#0",
"text": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (সংক্ষেপে তৃণমূল কংগ্রেস; পূর্বনাম পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস) ভারতের একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভেঙে এই দল প্রতিষ্ঠিত হল। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।",
"title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস"
},
{
"docid": "112270#0",
"text": "সর্বভারতীয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ হল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস বিভাজিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই এই ছাত্র সংগঠনটি গঠিত হয়। সংগঠনটির সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। বর্তমানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র সংগঠন এবং পশ্চিমবঙ্গের বহু মহাবিদ্যালয়ে (কলেজ) অনুষ্ঠিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সংগঠনটি জয়লাভ করেছে।",
"title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ"
},
{
"docid": "25926#3",
"text": "১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৭টি আসন জয় করে। ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূল কংগ্রেস ৮টি আসনে জয়ী হয়। ২০০০ সালে তৃণমূল কলকাতা পৌরসংস্থায় ক্ষমতায় আসে। ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ৬০টি আসনে জয়লাভ করে। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করে। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে লড়ে ৩০টি আসনে জেতে।\n২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধে লড়ে ২০টি আসনে জেতে।",
"title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস"
}
] | [
{
"docid": "25926#11",
"text": "২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে ২১১টি আসনে জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) সরকার গঠন করে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে পুনরায় শপথ পাঠ করেন।",
"title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস"
},
{
"docid": "25926#1",
"text": "২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম-শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর সঙ্গে যৌথভাবে ২২৭টি আসনে জয়লাভ করে (এককভাবে ১৮৪টি আসনে) সরকার গঠন করে। এইসময় ভারতের শাসক সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট বা ইউপিএ-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দল ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, ২০১২ সালে ইউপিএ থেকে বেরিয়ে আসে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাব211 টি আসনে জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) পুনরায় সরকার গঠন করে।",
"title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস"
},
{
"docid": "25926#2",
"text": "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দল হিসেবে 'তৃণমূল কংগ্রেস' প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় নতুন দলটি ভারতের নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত হয়। কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসকে \"জোড়া ঘাসফুল\" প্রতীক দেয়। ১৯৯৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়।",
"title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস"
},
{
"docid": "25926#8",
"text": "২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে ২২৭টি আসনে (এককভাবে ১৮৪টি আসনে) জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) সরকার গঠন করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণ করেন।",
"title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস"
},
{
"docid": "509176#1",
"text": "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটায়। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল শ্লোগান ছিল ‘পরিবর্তন’। এই পরিবর্তনের অর্থ ছিল রাজ্যের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের পরিবর্তন। তার সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের আগামী পাঁচ বছরের শাসনে প্রধানত রাজ্যের নগরাঞ্চলের অধিবাসীদের অনেকে সরকারের আনীত পরিবর্তনগুলি নিয়ে কিছু অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাছাড়া কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ভোট একত্রিত করতে চাইছেন।",
"title": "পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১১"
},
{
"docid": "509176#3",
"text": "পশ্চিমবঙ্গের এই বিধানসভা নির্বাচনটি ১৮ই এপ্রিল থেকে ১০ই মে-র মধ্যে ছয় দফায় আয়োজিত হয়।\n১৮ই মার্চ, ২০১১ তারিখে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সমগ্র প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে। ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল ও সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক নিয়ে গঠিত বামফ্রন্টও নিজস্ব প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে৷ কেন্দ্রে শাসক দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসও ৬৫ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে।পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুর নির্বাচনে জয়লাভ করেন ও অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ির মহানাগরিক হন।২০১৬ সালের ১৩ই মে ভারতের অন্য চারটি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ফল ঘোষিত হয়।",
"title": "পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১১"
},
{
"docid": "25926#12",
"text": "২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ভারতের নির্বাচন কমিশন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে একটি জাতীয় দল হিসেবে ঘোষণা করে। কারণ, উক্ত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচটি আলাদা আলাদা রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও অসম) থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।",
"title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস"
}
] |
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধীর জন্ম ভারতবর্ষের কোথায় হয় ? | [
{
"docid": "33592#4",
"text": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালে পোরবন্দরের হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দেওয়ান (প্রধান মন্ত্রী)। মা পুতলিবা করমচাঁদের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পুতলিবা প্রনামী বৈষ্ণব গোষ্ঠীর ছিলেন। করমচাঁদের প্রথম দুই স্ত্রীর প্রত্যেকেই একটি করে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। অজানা কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল (এরকম শোনা যায় যে সন্তান জন্ম দেবার সময়ে তারা মারা যান)। ধার্মিক মায়ের সাথে এবং গুজরাটের জৈন প্রভাবিত পরিবেশে থেকে গান্ধী ছোটবেলা থেকেই জীবের প্রতি অহিংসা, নিরামিষ ভোজন, আত্মশুদ্ধির জন্য উপবাসে থাকা, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ইত্যাদি বিষয় শিখতে শুরু করেন। তিনি জন্মেছিলেন হিন্দু \"বৈশ্য\" গোত্রে যা ছিল ব্যবসায়ী গোত্র।\n১৮৮৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধী তার বাবা মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে (কাস্তুবাই নামেও পরিচিত ছিলেন) বিয়ে করেন। তাদের চার পুত্র সন্তান জন্মায় যাদের নাম হরিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৮৮) মনিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৯২) রামদাস গান্ধী (জন্ম ১৮৯৭) এবং দেবদাস গান্ধী (জন্ম ১৯০০) সালে। মহাত্মা গান্ধী তাঁর ছোটবেলায় পোরবন্দর ও রাজকোটের ছাত্রজীবনে মাঝারি মানের ছাত্র ছিলেন। কোন রকমে গুজরাটের ভবনগরের সামালদাস কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলেজেও সুখী ছিলেন না কারণ তার পরিবারের ইচ্ছা ছিল তাকে ব্যারিস্টার করা।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
}
] | [
{
"docid": "33592#0",
"text": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ( \"মোহান্দাস্ কারাম্চান্দ্ গান্ধী\") বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
},
{
"docid": "33592#27",
"text": "গান্ধী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার সারা জীবন ধরে হিন্দু ধর্মের চর্চা করেন। হিন্দু ধর্ম থেকেই তিনি তাঁর অধিকাংশ আদর্শ গ্রহণ করেন। একজন সাধারণ হিন্দু হিসেবে তিনি সকল ধর্মকে সমানভাবে বিবেচনা করতেন এবং তাঁকে এই ধারণা থেকে বিচ্যুত করার সব প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন। তিনি ব্রহ্মবাদে আগ্রহী ছিলেন এবং সব বড় ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। হিন্দুবাদ সম্পর্কে তিনি নিচের উক্তিটি করেন:\nগান্ধী গুজরাটি ভাষায় \"ভগবত গীতা\"র উপর ধারাভাষ্য লেখেন। গুজরাটি পাণ্ডুলিপিটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন মহাদেব দাসী। তিনি একটি অতিরিক্ত সূচনা এবং ধারাভাষ্য যোগ করেন। এটি গান্ধীর একটি ভূমিকাসহ প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে।\nগান্ধী বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি ধর্মের মূলে আছে সত্য ও প্রেম (করুণা, অহিংসা এবং সোনালী শাসন)। তিনি একজন ক্লান্তিহীন সমাজ সংস্কারক ছিলেন এবং সব ধর্মের ভণ্ডামী, অপকর্ম ও অন্ধবিশ্বাসের বিপক্ষে ছিলেন। ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন:\nপরবর্তী জীবনে তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তিনি হিন্দু কি না তিনি বলেন,\nরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গান্ধীর ভিতরে পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা স্বত্ত্বেও তাঁরা একাধিকবার নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই বিতর্কগুলি সে সময়কার জনপ্রিয়তম দুই ভারতীয়ের ভিতরে দার্শনিক মতভেদকে প্রমাণ করে। ১৫ জানুয়ারি, ১৯৩৪ সালে বিহারে একটি ভূমিকম্প আঘাত করে এবং এটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কারণ হয়। গান্ধী বলেন, এটি হবার কারণ হল উঁচুশ্রেণীর হিন্দুদের অস্পৃশ্যদের তাদের প্রাসাদে ঢুকতে না দেবার পাপের ফল। রবীন্দ্রনাথ গান্ধীর এই মন্তব্যের ব্যাপক বিরোধিতা করে বলেন, ভূমিকম্প কেবল প্রাকৃতিক কারণেই সংঘটিত হতে পারে, অস্পৃশ্যতার চর্চা যতই বেমানান হোক না কেন।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
},
{
"docid": "62670#0",
"text": "সত্যাগ্রহ (সংস্কৃত: सत्याग्रह) মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (যিনি \"মহাত্মা\" গান্ধী নামেও পরিচিত) প্রতিষ্ঠিত একটি দর্শন এবং অহিংস প্রতিরোধের অনুশীলন। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী সত্যাগ্রহের চর্চা করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। তাঁর এই তত্ত্ব নেলসন ম্যান্ডেলার আপার্টহাইট এবং গণঅধিকার আন্দোলনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্টিন লুথার কিং ও জেমস বেভেলের কর্মসূচি সহ সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য আন্দোলনে প্রভাব ফেলে। যারা সত্যাগ্রহের চর্চা করেন তাঁদের সত্যাগ্রহী বলা হয়।",
"title": "সত্যাগ্রহ"
},
{
"docid": "33592#34",
"text": "গান্ধীর জন্মদিন অক্টোবর ২ ভারতের জাতীয় ছুটি, গান্ধী জয়ন্তী হিসাবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গান্ধীর জন্মদিনকে বিশ্ব অহিংস দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী বহুত্ববাদী ভারতীয় সমাজে সৌভ্রাতৃত্বপূর্ন সহাবস্থান আদর্শের বিশিষ্ট প্রবক্তা।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
},
{
"docid": "33592#1",
"text": "গান্ধী ভারতে এবং বিশ্ব জুড়ে \"মহাত্মা\" (\"মহান আত্মা\") এবং \"বাপু\" (\"বাবা\") নামে পরিচিত। ভারত সরকারীভাবে তাঁর সম্মানার্থে তাকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা করেছে । ২রা অক্টোবর তাঁর জন্মদিন ভারতে গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ই জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২রা অক্টোবর-কে \"আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস\" হিসেবে ঘোষণা করা। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ এ দিবস পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করে।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
},
{
"docid": "33592#6",
"text": "গান্ধীজি দাদা আব্দুল্লা এন্ড সন্সের আইনজীবী হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। দক্ষিণ আফ্রিকা গান্ধীর জীবনকে নাটকীয়ভাবে পরবর্তন করে দেয়। এখানে তিনি ভারতীয় ও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সাধারণভাবে প্রচলিত বৈষম্যের শিকার হন। একদিন ডারবানের আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট তার পাগড়ি সরিয়ে ফেলতে বলেন। গান্ধী তা অগ্রাহ্য করেন এবং আদালত কক্ষ থেকে ক্ষোভে বেরিয়ে পড়েন। তাকে পিটার ম্যারিজবার্গের একটি ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামড়া থেকে তৃতীয় শ্রেণীর কামড়ায় যেতে বাধ্য করা হয়, প্রথম শ্রেণীর বৈধ টিকিট থাকা স্বত্ত্বেও। স্টেজকোচে ভ্রমণের সময় একজন চালক তাকে প্রহার করে কারণ তিনি এক ইউরোপীয় যাত্রীকে জায়গা করে দেয়ার জন্য ফুট বোর্ডে চড়তে রাজি হননি। যাত্রাপথে তাকে আরও কষ্ট করতে হয় এবং অনেক হোটেল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এই ঘটনাগুলোকে তার পরবর্তী সামাজিক কার্যকলাপের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ, কুসংস্কার এবং অবিচার লক্ষ করে গান্ধী তার জনগণের মর্যাদা এবং অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠেন।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
},
{
"docid": "33592#30",
"text": "গান্ধী ছিলেন বহুমূখী লেখক, সম্পাদক। দশক ধরে তিনি সম্পাদনা করেছেন গুজরাটী, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা হরিজন। কেবল ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীন ইন্ডিয়ান অপিনিয়ন ও দেশে ফেরার পর ইয়ং ইন্ডিয়া। তাছাড়া তার হাতেই সম্পাদিত হতো গুজরাটী ভাষার মাসিকপত্র নবজীবন যা পরে হিন্দি ভাষায়ও প্রকাশিত হতো। গান্ধী পত্র-পত্রিকায় প্রচুর চিঠি লিখতেন। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন পত্রিকায় তার চিঠি প্রকাশিত হতো।\nগান্ধীর বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তার আত্মজীবনী, সত্যের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার গল্প (The Story of My Experiments with Truth), দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রাম নিয়ে “দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যাগ্রহ (Satyagraha in South Africa), স্বাধীকার বিষয়ে মেনিফেস্টো “হিন্দি স্বরাজ” (Hind Swaraj or Indian Home Rule) ও গুজরাটী ভাষায় জন রাসকিন-এর Unto This Last । শেষোক্তটি গান্ধীর অর্থনৈতিক কর্মসূচী হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া নিরামিষভোজন, আহার ও স্বাস্থ্য, ধর্ম, সমাজ সংসখবর ইত্যাদি বিষয়েও তিনি প্রচুর লেখালেখি করেছেন। গান্ধী মূলত লিখতেন গুজরাটী ভাষায়। তবে, তাঁর বই-এর হিন্দি ও ইংরেজি অনুবাদ তিনি দেথে দিতেন। \n১৯৬০ এর-এর দশকে ভারত সরকার গান্ধীর রচনাবলী (The Collected Works of Mahatma Gandhi) প্রকাশ করে। প্রায় শতাধিক খন্ডে প্রকাশিত এই রচনাবলীতে প্রায় ৫০,০০০ পাতা আছে। ২০০০ সালে এর একটি পুনমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হলে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। গান্ধীর অনুসারীরা অভিযোগ করে যে, রাজনেতিক উদ্দ্যেশে সেখানে পরিবর্তন করা হয়েছে।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
},
{
"docid": "33592#35",
"text": "দক্ষিণ আফ্রিকায় লেখা গান্ধীর কিছু নিবন্ধ বিতর্কিত। পূণর্মুদ্রিত “দি কালেকটেড ওয়ার্কস অফ মহাত্মা গান্ধী” (ভলিউম ৮, পৃষ্ঠা.১২০) এ গান্ধী “ইণ্ডিয়ান ওপিনিয়ন” প্রবন্ধে ১৯০৮ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার সময় সম্পর্কে বলেন, অনেক স্থানীয় কয়েদী পশুত্ব থেকে কেবল একধাপ উপরে এবং প্রায়ই নিজেদের ভিতরে বিবাদ ও হানাহানি করত”। একই সংকলনের (ভলিউম ২, পৃষ্ঠা.৭৪)তে, গান্ধীর ২৬ সেপ্টেম্বর১৮৯৬ সালে দেয়া একটি ভাষণের উল্লেখ করা হয় যেখানে তিনি কাফির বলেন, যাদের পেশা শিকার করা এবং একমাত্র লক্ষ্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক গবাদি পশু জমিয়ে বউ ক্রয় করা। কাফির শব্দটিকে বর্তমানে আক্রমণাত্মক শব্দ হিসেবে বলা হয়। এমন সব উক্তির জন্য গান্ধীর বিরুদ্ধে বর্ণবাদের কিছু অভিযোগ উঠেছে।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
},
{
"docid": "33592#21",
"text": "গান্ধীর ইচ্ছানুযায়ী, তার দেহভস্ম বিম্বের বেশ কয়েকটি প্রধান নদী যেমন: নীলনদ, ভোলগা, টেমস প্রভৃতিতে ডুবানো হয়। সামান্য অংশ ডঃ ভি এম নোলের (পুণের একজন সাংবাদিক ও প্রকাশক) পক্ষ থেকে পরমহংস যোগানন্দকে পৌছে দেয়া হয়। এরপর তার দেহভস্ম সেলফ রিয়ালাইজেশন ফেলোশিপ লেক স্রাইনের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ব শান্তি সৌধে একটি হাজার বছরের পুরনো চৈনিক পাথরের পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।",
"title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী"
}
] |
রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম কবে হয় ? | [
{
"docid": "414711#0",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট ভারতীয় হিন্দু ধর্মগুরু। তিনি নিজের জীবন সম্পর্কে কিছু লিখে যাননি। তাঁর শিষ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের রচনা থেকে তাঁর জীবন ও শিক্ষার কথা জানা যায়। রামকৃষ্ণের নথিবদ্ধ শিক্ষা মূলত তাঁর জীবনের শেষ চার বছরের উক্তি থেকে জানা যায়।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা"
},
{
"docid": "4051#3",
"text": "পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায় অবস্থিত কামারপুকুর গ্রামে ১৮৩৬ সালে এক দরিদ্র ধর্মনিষ্ঠ রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম হয়। তিনি পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মা চন্দ্রমণি দেবীর চতুর্থ ও শেষ সন্তান। কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মের পূর্বে তাঁর পিতামাতার সম্মুখে বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। সন্তানসম্ভবা চন্দ্রমণি দেবী দেখেছিলেন শিবলিঙ্গ থেকে নির্গত একটি জ্যোতি তাঁর গর্ভে প্রবেশ করছে। তাঁর জন্মের অব্যবহিত পূর্বে গয়ায় তীর্থভ্রমণে গিয়ে ক্ষুদিরাম গদাধর বিষ্ণুকে স্বপ্নে দর্শন করেন। সেই কারণে তিনি নবজাতকের নাম রাখেন গদাধর।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#0",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৩৬ – ১৬ই আগস্ট, ১৮৮৬; পূর্বাশ্রমের নাম গদাধর চট্টোপাধ্যায়) ঊনবিংশ শতকের এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তাঁর প্রচারিত ধর্মীয় চিন্তাধারায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁরা উভয়েই বঙ্গীয় নবজাগরণের এবং ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর হিন্দু নবজাগরণের অন্যতম পুরোধাব্যক্তিত্ব। তাঁর শিষ্যসমাজে, এমনকি তাঁর আধুনিক ভক্তসমাজেও তিনি ঈশ্বরের অবতাররূপে পূজিত হন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "502421#0",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬-১৮৮৬) ছিলেন ১৯শ শতাব্দীর এক বিশিষ্ট বাঙালি হিন্দু ধর্মগুরু ও জনপ্রিয় লোকশিক্ষক। তিনি সরল গ্রাম্য বাংলা ভাষায় উপমা ও নীতিগর্ভ কাহিনির মাধ্যমে ধর্মোপদেশ দান করতেন। তাঁর প্রধান শিক্ষা ছিল ঈশ্বরলাভই মানবজীবনের পরম উদ্দেশ্য, ‘কাম-কাঞ্চন’ ত্যাগ, সর্বধর্ম-সমন্বয় ও ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’। রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিক্ষার মূল উপজীব্যই ছিল একেশ্বরবাদ এবং সকল ধর্মমতের সত্যতা উপলব্ধি ও সমন্বয়।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিক্ষা"
},
{
"docid": "249790#6",
"text": "তাঁরা ছিলেন সমসাময়িক, কিন্তু দেশের দুই রাজ্যে। একজন বাংলায়, অন্য জন সুদূর মহারাষ্ট্রে। \nবাংলার রামকৃষ্ণ পরমহংস জন্মেছিলেন ১৮৩৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। অন্য দিকে, সাঁই বাবার জন্মতারিখ নিয়ে দোলাচল থাকলেও, অনেকের মতে তিনি জন্মেছিলেন ১৮৩৫ সালের সেপ্টেম্বরে।\nঠাকুর রামকৃষ্ণ নিজে কালী ভক্ত হলেও, তাঁর কাছে সব ধর্মই ছিল সমান। একই ভাবে, সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন সাঁই বাবাও। \nতাঁদের দর্শনেই যে শুধু মিল ছিল, তা নয়। অবাক হতে হয় এক তথ্য জানলে যে, ঠাকুর ও সাঁই বাবার মৃত্যুতেও ছিল এক অদ্ভূত যোগসূত্র। কোথাও লিপিবদ্ধ না থাকলেও, কথিত যে, ১৮৮৬ সালের অগস্ট মাস নাগাদ সাঁই বাবা সমাধিস্থ হন তিন দিনের জন্য। \nজানা যায়, ওই একই সময়ে, বাংলায় তখন মৃত্যুশয্যায় ছিলেন ঠাকুর। এবং তিন দিন পরে সাঁই বাবা নিজের দেহে ফিরে এলে, ঠাকুর চলে যান নশ্বর দেহ ছেড়ে।\nকথিত, সাঁই বাবা ফিরে এসে বলেন যে, তিনি তো চিরদিনের জন্যই ‘আল্লা’র কাছে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে, তাঁর বন্ধু শ্রীরামকৃষ্ণও যেতে চান ভগবানের কাছে। তাই তিনি ফিরে আসেন ধরাধামে।\nপ্রসঙ্গত, এমনও শোনা যায় যে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ নাকি সাঁই বাবা সম্পর্কে বলতেন যে, এমনই এক ফকির এসেছেন পৃথিবীতে, যাঁকে হিন্দুরা পুজো করে ঈশ্বর হিসেবে আর মুসলমানরা করে পীর হিসেবে।",
"title": "শিরডি সাই বাবা"
}
] | [
{
"docid": "536241#1",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমগ্র জীবনকাহিনীটিই \"শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্\" ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ছবির শুরুতে দেখানো হয়েছে তদনীন্তন ব্রিটিশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির হুগলি জেলার অন্তঃপাতী কামারপুকুর গ্রামে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের (রামকৃষ্ণ পরমহংসের পূর্বাশ্রমের নাম) জন্ম। এরপর আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ও ভাবতন্ময়তা, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করে রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ প্রভৃতি অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা দেখে ধর্মশিক্ষা, যৌবনে কলকাতায় এসে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরহিত্য গ্রহণ এবং কিছুকাল পরেই পৌরোহিত্য ছেড়ে সাধনায় মনোনিবেশ ও সিদ্ধিলাভের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।",
"title": "শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্"
},
{
"docid": "4051#44",
"text": "\"ও রামকৃষ্ণ মিশন\"\nরামকৃষ্ণ পরমহংসের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন হল স্বামী বিবেকানন্দের স্থাপন করা প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলির একটি। এটি স্থাপিত হয়েছে ১৮৯৭ সালে। স্বাস্থ্যরক্ষা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ত্রাণকার্য, গ্রাম ব্যবস্থাপনা, আদিবাসী কল্যাণ, প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে রামকৃষ্ণ মিশন একাধিক শাখাকেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যকলাপ ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণ আন্দোলনের একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ হিসেবে গণ্য হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসের নামাঙ্কিত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯২৩ সালে স্বামী অভেদানন্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ (বেদান্ত সোসাইটি)। ১৯২৯ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের কয়েক জন বিক্ষুব্ধ সদস্য স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ সারদা মঠ। ১৯৭৬ সালে স্বামী নিত্যানন্দ স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। ১৯৫৯ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভগিনী সংগঠন হিসেবে স্থাপিত হয় শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশন। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় ও বঙ্গীয় নবজাগরণে রামকৃষ্ণ পরমহংসকে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মনে করা হয়। ম্যাক্স মুলার, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, শ্রীঅরবিন্দ ও লিও টলস্টয় মানবসমাজে রামকৃষ্ণ পরমহংসের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। ফ্রাঞ্জ ডোরাক (১৮৬২–১৯২৭) ও ফিলিপ গ্লাসের শিল্পকর্মে রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রভাব দেখা যায়।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#1",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গের এক দরিদ্র বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরোহিত্য গ্রহণের পর বঙ্গীয় তথা ভারতীয় শক্তিবাদের প্রভাবে তিনি কালীর আরাধনা শুরু করেন। তাঁর প্রথম গুরু তন্ত্র ও বৈষ্ণবীয় ভক্তিতত্ত্বজ্ঞা এক সাধিকা। পরবর্তীকালে অদ্বৈত বেদান্ত মতে সাধনা করে নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেন রামকৃষ্ণ। অন্যান্য ধর্মীয় মতে, বিশেষত ইসলাম ও খ্রিস্টীয় মতে সাধনা তাঁকে “যত মত, তত পথ” উপলব্ধির জগতে উন্নীত করে। পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক গ্রামীণ উপভাষায় ছোটো ছোটো গল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত তাঁর ধর্মীয় শিক্ষা সাধারণ জনমানসে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে অশিক্ষিত হলেও রামকৃষ্ণ বাঙালি বিদ্বজ্জন সমাজ ও শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের সম্ভ্রম অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে পাশ্চাত্যশিক্ষায় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের নিকট তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দু পুনর্জাগরণের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তৎসঙ্গে সংগঠিত করেন একদল অনুগামী, যাঁরা ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণের প্রয়াণের পর সন্ন্যাস গ্রহণ করে তাঁর কাজ চালিয়ে যান। এঁদেরই নেতা ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "138302#10",
"text": "ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রামকৃষ্ণ পরমহংসকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতার শ্যামপুকুরের ৫৫ নং শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে এনে রাখা হয়। এই বাড়িটি শ্যামপুকুর বাটী নামে পরিচিত। পরে তাঁকে এই বাড়ি থেকে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর প্রয়াণ ঘটেছিল। বর্তমানে রামকৃষ্ণ মিশন এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করেছেন। এই বাড়িতে তাঁর ব্যবহৃত কিছু জিনিস ও কয়েকটি চিত্র রাখা আছে। অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে রয়েছে সেই ক্যামেরার কয়েকটি অংশ, যেটি দিয়ে প্রথম রামকৃষ্ণ পরমহংসের ছবি তোলা হয়েছিল।",
"title": "শ্যামপুকুর"
},
{
"docid": "414711#1",
"text": "ব্রাহ্ম ধর্মগুরু কেশবচন্দ্র সেনের \"পরমহংসদেবের উক্তি\" (১৮৭৮) রামকৃষ্ণ-বিষয়ক সর্বপ্রথম বই বলে জানা যায়। কেশবচন্দ্র তাঁর ধর্মীয় সম্প্রদায় নববিধান ব্রাহ্মসমাজের পত্রিকায় রামকৃষ্ণের শিক্ষা প্রকাশ করতেন। এর ফলে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজ ও ভারতে বসবাসকারী ইউরোপীয়দের কাছে রামকৃষ্ণের নাম পরিচিত হয়ে ওঠে। এরপর প্রকাশিত হয় সুরেশচন্দ্র দত্তের \"পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের উক্তি\" (১৮৮৪)।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা"
}
] |
ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণ কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "486957#0",
"text": "আর. কে. নারায়ণ (১০ অক্টোবর, ১৯০৬ – ১৩ মে, ২০০১) ছিলেন একজন ভারতীয় লেখক। কাল্পনিক দক্ষিণ ভারতীয় শহর মালগুডির পটভূমিকায় লেখা তাঁর রচনাগুলির জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। তাঁর পুরো নামটি হল রাসীপুরম কৃষ্ণস্বামী আইয়ার নারায়ণস্বামী। ইংরেজি ভাষায় ভারতীয় সাহিত্যের প্রথম যুগের তিন জন পুরোধা ব্যক্তিত্বের অন্যতম ছিলেন নারায়ণ (অন্য দুজন ছিলেন মুল্ক রাজ আনন্দ ও রাজা রাও)। তাঁরাই এই সাহিত্যকে বিশ্বে সুপরিচিত করে তুলেছিলেন।",
"title": "আর. কে. নারায়ণ"
}
] | [
{
"docid": "9426#0",
"text": "নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮ - ৬ নভেম্বর, ১৯৭০) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক । জন্ম অবিভক্ত বাংলার (অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত) অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে। তিন খণ্ডে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস \"উপনিবেশ\" (১৯৪২, ১৯৪৫, ১৯৪৬) পাঠকসমাজে সমাদৃত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প সংকলন \"বীতংস\" (১৯৪৫), \"দুঃশাসন\" (১৯৪৫), \"ভোগবতী\" (১৯৪৭) এবং উল্লেখযোগ্য উপন্যাস \"বৈজ্ঞানিক\" (১৯৪৭), \"শিলালিপি\" (১৯৪৯), \"লালমাটি\" (১৯৫১), \"সম্রাট ও শ্রেষ্ঠী\" (১৯৫৫), \"পদসঞ্চার\" (১৯৫৪)। \"সাহিত্যে ছোটগল্প\" তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ। ছোটদের জন্য তাঁর সৃষ্ট কাল্পনিক চরিত্র টেনিদা খুবই জনপ্রিয় । তাঁর লেখা কিছু উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হল - ইতিহাস, নক্রচরিত, হাড়, বীতংস, রেকর্ড, টোপ, আদাব, প্রভৃতি।",
"title": "নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়"
},
{
"docid": "486957#3",
"text": "নারায়ণের লেখক জীবন ষাট বছরেরও বেশি সময় জুড়ে পরিব্যাপ্ত। তিনি একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এগুলির মধ্যে রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচারের এসি বেনসন মেডেল, ভারতের তৃতীয় ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা যথাক্রমে পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ উল্লেখযোগ্য। তিনি ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হয়েছিলেন।\nআর. কে. নারায়ণ ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ (অধুনা চেন্নাই) শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সেই বিদ্যালয়ে নারায়ণও কিছুদিন পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর বাবার বদলির চাকরির সূত্রে নারায়ণ তাঁর ছেলেবেলায় একটি অংশ তাঁর দিদিমা পার্বতীর যত্নে কাটিয়েছিলেন। এই সময় তাঁর বন্ধু ও খেলার সঙ্গী ছিল একটি ময়ূর ও একটি দোষ্টু বাঁদর।",
"title": "আর. কে. নারায়ণ"
},
{
"docid": "500423#0",
"text": "প্রাভজোৎ কউর একজন বিখ্যাত পাঞ্জাবি লেখক এবং কবি। তিনি ৬ জুলাই ১৯২৪ সালে তৎকালিন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া শাসিত গুজরাটে জন্মগ্রহন করেন।তিনি তার কবিতার সংগ্রহ পাব্বি এর জন্য ১৯৬৪ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে পদ্মশ্রী এওয়ার্ড লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে অর্জন করে লা রোজ ডে ফ্রান্স। আমেরিকা এর কবিতা সোসাইটির তাঁকে ডিস্টিংগুইশড অর্ডার অব পোয়েট্রি এ ভুষিত করেছে।",
"title": "প্রভজ্যোৎ কউর"
},
{
"docid": "246836#1",
"text": "উপেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও সুশীলা সুন্দরী চৌধুরানীর ৮ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় নীরদ চৌধুরী তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশের) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ এবং কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন। এফএ পরীক্ষা পাশ করে তিনি কলকাতার রিপন কলেজে (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) অন্যতম বাঙালি লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একত্রে ভর্তি হন। এরপর নীরদ কলকাতার অন্যতম খ্যাতিমান স্কটিশ চার্চ কলেজে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্কটিস চার্চ কলেজের ছাত্র হিসেবে তিনি ইতিহাসে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মেধা তালিকায় নিজের স্থান করে নেন। স্কটিশ চার্চ কলেজের সেমিনারে ভারতবর্ষের অতিপরিচিত ব্যক্তিত্ব ও ইতিহাসবেত্তা প্রফেসর কালিদাস নাগের সাথে অংশগ্রহণ করেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি হলেও ১৯২০-এর অনুষ্ঠিত এম. এ. পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন নি। এখানেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি। ইতোমধ্যে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে \"Objective Methods in History\" শিরোনামে একটি তাত্ত্বিক প্রবন্ধ রচনা করেন|",
"title": "নীরদচন্দ্র চৌধুরী"
},
{
"docid": "486957#4",
"text": "নারায়ণের দিদিমা তাঁর ডাকণাম রেখেছিলেন ‘কুঞ্জাপ্পা’। তাঁর পরিবারের সকলে তাঁকে এই নামেই ডাকতেন। দিদিমার কাছে তিনি পাটিগণিত, পুরাণ, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করেছিলেন। নারায়ণের ছোটো ভাই আর. কে. লক্ষ্মণ বলেছিলেন যে, তাঁর পরিবারের সকলে প্রধানত ইংরেজিতেই কথাবার্তা চালাতেন। নারায়ণ ও তাঁর ভাইবোনেদের ব্যাকরণগত ভুলগুলি সম্পর্কে তাঁরা উন্নাসিক ছিলেন। দিদিমার কাছে থাকার সময় নারায়ণ একাধিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে পুরসওয়ালকমের লুথারান মিশন স্কুল, সি. আর. সি. হাইস্কুল ও ক্রিস্টিয়ান কলেজ হাইস্কুল। নারায়ণ ছিলেন একজন উৎসাহী পাঠক। প্রথম জীবনে তিনি চার্লস ডিকেন্স পি. জি. উডহাউস, আর্থার কোনান ডয়েল ও টমাস হার্ডির রচনা থেকে অণুপ্রেরণা লাভ করেছিলেন। বারো বছর বয়সে নারায়ণ স্বাধীনতার দাবিতে একটি পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। এই জন্য তাঁর মামা তাঁকে বকেন। কারণ, তাঁর পরিবার ছিল অরাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী এবং তাঁরা সব সরকারকেই দোষ্ট মনে করতেন।",
"title": "আর. কে. নারায়ণ"
},
{
"docid": "487074#0",
"text": "দ্য মহাভারত (ইংরেজি: The Mahabharata) হল ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণের লেখা একটি পুরাণভিত্তিক গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি \"মহাভারত\" নামক হিন্দু মহাকাব্যের সংক্ষেপিত গদ্যানুবাদ। ১৯৭৮ সালে লন্ডনের হেইনিম্যান থেকে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। আর. কে. নারায়ণ হিন্দু পুরাণের উপাখ্যানগুলি পুনর্কথনের যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেই উদ্যোগের তৃতীয় গ্রন্থ এটি। উল্লেখ্য, প্রথম দুটি গ্রন্থ ছিল \"গডস্, ডেমনস্ অ্যান্ড আদার্স\" ও \"দ্য রামায়ণ\"। ১৯৯৫ সালে এই তিনটি গ্রন্থকে একত্রে \"দি ইন্ডিয়ান এপিকস রিটোল্ড\" শিরোনামে প্রকাশিত হয়।",
"title": "দ্য মহাভারত (আর. কে. নারায়ণ)"
},
{
"docid": "591646#1",
"text": "অধুনা বাংলাদেশ এর বগুড়া জেলায় এক সম্পন্ন পরিবারে জন্মগ্রহন করেন নারায়ণ সান্যাল। তার পিতা ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জেলা সমিতির প্রধান নেতা। সরোজিনী নায়ডু, বিধানচন্দ্র রায় প্রমুখেরা তাদের বাড়িতে আসতেন। ফলত রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৯৪০ সালে দেশভাগের আগেই তার পরিবার ভারতে চলে আসে। শিক্ষা সম্পন্ন করার পর ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার চাকরিতে যোগ দেন নারায়ন সান্যাল।",
"title": "নারায়ণ সান্যাল (মাওবাদী)"
},
{
"docid": "488799#0",
"text": "গডস্, ডেমনস্ অ্যান্ড আদার্স (ইংরেজি: Gods, Demons and Others) হল ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণের লেখা একটি ছোটোগল্পের সংকলন। এই বইটির গল্পগুলি ভারতের ইতিহাস, হিন্দু পুরাণ এবং \"রামায়ণ\" ও \"মহাভারত\" নামক দুই মহাকাব্য থেকে গৃহীত হয়েছে। এই বইতে নারায়ণ প্রাচীন কিংবদন্তিগুলির গুরুত্ব ও প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গিটি তুলে ধরেন।",
"title": "গডস্, ডেমন্স অ্যান্ড আদার্স"
},
{
"docid": "9273#0",
"text": "প্রফুল্ল রায় একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি অবিভক্ত ভারতের পূর্ব বাংলার (অধুনা বাংলাদেশ) ঢাকা জেলায়, বিক্রমপুরের আটপাড়া গ্রামে ১১ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন, স্বাধীনতার পর ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে চলে আসেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস 'পূর্ব পার্বতী' (১৯৫৭)। উপন্যাস রচনার জন্য তিনি সারা জীবন অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। 'সিন্ধুপারের পাখি'র জন্য ১৯৫৮ তে পেয়েছেন পুরস্কার, 'ক্রান্তিকাল' এর জন্য ২০০৩ এ অকাদেমি পুরস্কার।",
"title": "প্রফুল্ল রায়"
}
] |
অর্থনীতির জনক কাকে বলা হয় ? | [
{
"docid": "1218#2",
"text": "উৎপাদন ও বণ্টন আলোচনার দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও অর্থনীতির জনক হিসেবে কথিত অ্যাডাম স্মিথ কর্তৃক ১৭৭৬ খ্রীস্টাব্দে রচিত গ্রন্থ 'An Enquary into the Nature and Causes of the Wealth of Nations' নামীয় গ্রন্থে অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান আখ্যায়িত করে বলেন,'Economics is Science of wealth'। তাঁর সংজ্ঞার মূল বিষয়বস্তু হল সম্পদ উৎপাদন ও ভোগ।",
"title": "অর্থনীতি"
},
{
"docid": "1405#0",
"text": "অ্যাডাম স্মিথ () (১৭২৩-১৭৯০) আধুনিক অর্থশাস্ত্রের জনক হিসেবে পরিচিত৷ তিনি ১৭৭৬ সালে \"An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations\" নামক গ্রন্থ লিখে অর্থনীতির মূল বিষয়গুলি সম্পর্কে ধারণা দেন৷",
"title": "অ্যাডাম স্মিথ"
}
] | [
{
"docid": "332145#0",
"text": "জনকল্যাণ অর্থনীতি হল অর্থনীতির এমন একটি শাখা যা ব্যষ্টিক অর্থনীতির পদ্ধতিসমূহ ব্যবহার করে একটি অর্থনীতির উৎপাদনের ফ্যাক্টরগুলো সঠিকভাবে সমাজের মানুষের উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে কি না তা নিরূপণ করে। এটি সাধারণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাম্যাবস্থা বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়। জনকল্যাণ অর্থনীতিতে একটি সমাজের কতটুকু উন্নয়ন হল তা মাপতে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপগুলো আর্থিক এককে পরিমাপ করা হয় কারণ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান হল সমাজেরই একটি অংশ এবং তাদের সমস্টিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পুরো সমাজের কার্যকলাপকেই প্রতিফলিত করে। তাই সামাজিক উন্নয়ন বলতে সমাজের সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেই গণ্য করা হয় অপদিকে যদি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বিবেচনায় আনা হয় তবে তাকে সামাজিক উন্নয়ন না বলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক উন্নয়ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।",
"title": "জনকল্যাণ অর্থনীতি"
},
{
"docid": "393847#0",
"text": "জনক হল মিথিলার রাজাদের কৌলিক উপাধি । মিথিলার রাজা জনকের প্রকৃত নাম সীরধ্বজ । এঁর ভ্রাতার নাম কুশধ্বজ । এঁরা রাজা হ্রস্বরোমার পুত্র । \nজনক একদিন যজ্ঞভূমি কর্ষণ কালে লাঙলের রেখায় এক সুন্দরী শিশু কন্যা পান । লাঙলের রেখার অন্য নাম সীতা তাই তিনি সেই কন্যার নাম সীতা রাখেন । সীতা বিবাহযোগ্যা হলে জনক স্থির করেন তাঁর কন্যা বীর্যশুল্কা হবে । সাংকাস্যার রাজা সুধন্বা সীতাকে প্রার্থনা করেন কিন্তু জনক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে মিথিলা অবরোধ করেন । জনক তাঁকে যুদ্ধে পরাস্ত করে আপন ভ্রাতা কুশধ্বজকে সেই রাজ্য দেন । জনকের পণ ছিল যে ব্যক্তি হরধনুতে জ্যা রোপণ করে তা ভঙ্গ করতে পারবে তাকেই কন্যাদান করবেন । রাম এই শর্ত পূরণ করে সীতাকে পত্নী হিসেবে লাভ করেন । জনকের অপর কন্যা ঊর্মিলার সাথে লক্ষ্মণের ও কুশধ্বজের দুই কন্যা মাণ্ডবী ও শ্রুতকীর্তির সাথে যথাক্রমে ভরত ও শত্রুঘ্নের বিবাহ হয় ।",
"title": "জনক (রামায়ণের চরিত্র)"
},
{
"docid": "651113#19",
"text": "\"জ্ঞাতব্য বিষয় \": জনগণনার নথিতে কোনো ব্যক্তিকে কৃষক বলা হয়, যদি সেই ব্যক্তি নিজের/সরকারের/প্রতিষ্ঠানের জমিতে চাষ/তদারকি করে। যখন কোনো ব্যক্তি অন্যের জমিতে নগদ অথবা একই রকম অথবা অংশভাগের বিনিময়ে কাজ করে তাকে কৃষি শ্রমিক বলে। কোনো শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয় যদি এক বা পরিবারের একাধিক ব্যক্তি গ্রামের মধ্যে কাজ করে এবং সেটা শিল্প আইন মোতাবেক নথিভুক্ত শিল্প না-হয়। অন্যান্য শ্রমিক বলতে বোঝায় যারা কৃষক, কৃষি শ্রমিক এবং কুটির শিল্প ছাড়া অন্যান্য অর্থনৈতিক কাজকর্মে যুক্ত। এই সব কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত: খনির কাজ, গাছ লাগানো, পরিবহন এবং বিভিন্ন কার্যালয়ে কাজ, যারা ব্যবসা ও বাণিজ্যে যুক্ত, শিক্ষক, মনোরঞ্জনের শিল্পী এবং এই ধরনের নানা কাজ।",
"title": "মহম্মদ বাজার (সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক)"
},
{
"docid": "1218#40",
"text": "১৮ শতকের একদল চিন্তাবিদ ও লেখক আয় এবং উৎপাদনের চক্রাকার প্রবাহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক চিন্তাধারার উন্নয়ন ঘটান। অ্যাডাম স্মীথ তাদের প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে ভুল বলে ব্যাখ্যা করেন যদিও সেগুলো এখনও অর্থনীতিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের মতে, একমাত্র কৃষি উৎপাদনই খরচের বেশি মুনাফা বয়ে আনতে পারে; সুতরাং কৃষির ওপরই সম্পদের বিষয়টি নির্ভরশীল। তাই, তারা উৎপাদন বৃদ্ধি ও শুল্ক আরোপ মতবাদে বিশ্বাসী বাণিজ্যবাদীদের বিরোধিতা করেন। তারা কর সংগ্রহের প্রশাসনিক ব্যয়বহূল ব্যবস্থা থেকে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পরামর্শ দেন। সমসাময়িক অর্থনীতিবিদগণ ভূমি কর-এর প্রকারভেদকে রাজস্ব করের গঠনমূলক উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন। বাণিজ্যবাদীদের বাণিজ্য নীতির প্রতিক্রিয়ায় লেইসেজ-ফেয়ার নীতি সমর্থন করেন, যাকে অর্থনীতিতে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ বলে গণ্য করা হয়।",
"title": "অর্থনীতি"
},
{
"docid": "1218#38",
"text": "প্রাচীন অর্থনীতিতে চিন্তাধারা মেসোপটেমিয়া, গ্রিক, রোমাক, ভারতীয়, চৈনিক, পারস্য এবং আরব সভ্যতার সমসাময়িক। অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনার প্রাচিন লেখকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন অ্যারিস্টটল, চানক্য, কিন সি হুয়াং, টমাস একুইনাস, ইবনে খালদুন প্রমুখ। জোসেফ সুম্পেটার ১৪শ শতক থেকে ১৭শ শতকের মধ্যে সময়কালকালের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের বিবেচনা করেছেন \"আগত অন্যান্য পক্ষের চাইতে বেশী নিকস্থ বৈজ্ঞানিক অর্থনীতির প্রতিষ্ঠাতা\" হিসেবে যেমন প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে আর্থিক, সুদের হার এবং মূল্যতত্ত্ব উদ্ভাবন। ইবনে খালদুনের আল মুকাদ্দিমাহ আবিষ্কারের পরে সুম্পেটার ইবনে খালদুনকে আধুনিক অর্থনীতির সবচাইতে নিকটস্থ বিশেষজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে তাঁর অনেকগুলো অর্থনৈতিক তত্ত্ব অদ্যাবধি ইউরোপে অপরিচিত।",
"title": "অর্থনীতি"
},
{
"docid": "1218#65",
"text": "জন স্টুয়ার্ট মিল বা লিওন ওয়ালার্স এর মত কিছু অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করেন যে, সম্পদ উৎপাদনকে ইহার বণ্টনের সহিৎ আবদ্ধ করা যায়না। “ফলিত অর্থনীতি” এর প্রাথমিক ক্ষেত্রে যা পরবর্তীতে “সামাজিক অর্থনীতি” নামে পরিচিত হয়েছে এবং এতে ক্ষমতা ও রাজনীতি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে আলোচনা করা হয়েছে। অর্থনীতি একটি সামাজিক বিজ্ঞান হিসেবে কোন সরকার বা অন্য সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। কখনও কখনও উচ্চপদস্থ নীতি নির্ধারক বা ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে যারা অর্থনৈতিক তত্ত্বের ধারণা অধিক ব্যবহারকারী এবং নীতিগত এজেন্ডা ও মূল্য প্রক্রিয়ার বাহক হিসেবে পরিচিত এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কিত বিষয় উল্লেখকে সীমিত করেনা। অর্থনৈতিক তত্ত্বের সহিৎ নিবিড় সম্পর্ক ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট চর্চা হচ্ছে একটি যৌক্তিক প্রতিফলন যা অর্থনীতির অধিকাংশ সরল মূলনীতির ছায়া অথবা বিপরীত আকৃতির এবং তা কখনও কখনও বিশেষ সামাজিক এজেন্ডা ও মূল্য পদ্ধতিকে বিভ্রান্তি করে। \nস্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়ের মত একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারী বিবৃতি বা সামষ্টিক অর্থনীতির মূলনীতি (আর্থিক নীতি ও রাজস্ব নীতি) হচ্ছে যুক্তি এবং সমালোচনার প্রতিফলন।",
"title": "অর্থনীতি"
},
{
"docid": "8599#1",
"text": "চাণক্য (; ) বা কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত (খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০-২৮৩ অব্দ) একজন প্রাচীন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক ও রাজ-উপদেষ্টা এবং \"অর্থশাস্ত্র\" নামক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক বিখ্যাত গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন। চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রাচীন ভারতের একজন দিকপাল ছিলেন এবং তাঁর তত্ত্বগুলি চিরায়ত অর্থনীতির বিকাশ লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য চাণক্যকে \"ভারতের মেকিয়াভেলি\" বলা হয়। চাণক্যের রচনা গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসনের শেষ দিকে অবলুপ্ত হয় এবং ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে পুনরাবিষ্কৃত হয়। প্রাচীন তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতির অধ্যাপক চাণক্য পরবর্তীকালে মৌর্য্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের উত্থানে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন। চাণক্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য ও তাঁর পুত্র বিন্দুসারের রাজ-উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।",
"title": "চাণক্য"
},
{
"docid": "1218#64",
"text": "অর্থনীতির সংজ্ঞার সমালোচনায় বলা হয়েছে ইহা অতি নিম্ন বস্তুগত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, একজন ডাক্তার বা নৃত্য শিল্পীর সেবা ইহাতে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। একটি শ্রমতত্ত্বে অবস্তুগত সেবার পারিশ্রমিকের যোগফলে সম্পূর্ন এড়িয়ে যায় যা অসম্পূর্ন। কল্যানকে সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করা যায়না, কারণ ধনী ও গরিবের কাছে অর্থের প্রান্তিক গুরুত্ত্ব ভিন্ন ( যেমন ১০০ টাকা গরিবের কাছে ধনীর চাইতে অনেক বেশি গুরুত্ত্বপূর্ন)। তারপরও এ্যালকোহল এবং ধূমপানের মত পণ্যের উৎপাদন ও বণ্টন কার্যক্রম মানব কল্যাণে সাহায্য করেনা কিন্তু এইসব অপর্যাপ্ত পণ্য প্রাকৃতিক ভাবে মানুষের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পুরন করে।\nমার্ক্সীয় অর্থনীতিতে এখনও কল্যাণ সংজ্ঞার উপর আলকপাত করা হয়। ইহা ছাড়াও আদর্শবাদী অর্থনীতি শুরুতে কিছু সমালোচনায় যুক্তি দেওয়া হয় যে, বর্তমান অর্থনৈতিক চর্চা কল্যাণ পরিমাপে যথোপযুক্ত নয়, কিন্তু একমাত্র মুদ্রাবাদীদের কল্যাণের অপর্যাপ্ত সাফল্য রয়েছে। \nনব্য-বুনিয়াদী অর্থনীতিতে চলমান নিয়ন্ত্রনে দুস্প্রাপ্যতার উপর আলোকপাত করা হয় যা বেশির ভাগ প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি বিভাগে প্রচলিত করা হয়। সম্প্রতি বছর গুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি, উন্নয়ন অর্থনীতি উদ্বৃত্ত অর্থনীতি সহ ইহা বিভিন্ন সময়ে সমালোচিত হচ্ছে।",
"title": "অর্থনীতি"
}
] |
গায়িকা ভেনিসা অ্যানা হাডজেন্সের দ্বিতীয় অ্যালবামটির নাম কী ? | [
{
"docid": "363097#0",
"text": "ভেনিসা অ্যানা হাডজেন্স () (জন্ম: ডিসেম্বর ১৪, ১৯৮৮) একজন মার্কিন অভিনেত্রী এবং গায়িকা। তিনি বাজিয়ে অভিক্ষিপ্তাবস্থায় বেড়ে উঠেছেন। তিনি ডিজনি চ্যানেলের জন্যে বিভিন্ন চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ধারাবাহিকে উপস্থিত হয়েছেন। ২০০৩ সালে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"থার্টিন\"-এর মাধ্যমে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এটি একটি কিশোর নাট্য যেখানে হাডজেন্স একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। \"হাই স্কুল মিউজিক্যাল\" ট্রিলজি মুক্তির পর তিনি মূলধারার সাফল্য অর্জন করেন, এবং সহ-অভিনেতা জাক এফরনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ধারাবাহিকে উপস্থিতি তাকে পরিবারের নাম তৈরি করতে সাহায্য করেছে। চলচ্চিত্রের গান সবসময়ই বিশ্বব্যাপী তালিকাভুক্ত ছিলো। তার \"ব্রেকিং ফ্রি\" গান -এর সেরা ১০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। হাডজেন্সের আত্মপ্রকাশ অ্যালবাম \"ভি\" মুক্তি পায় সেপ্টেম্বর ২৬, ২০০৬ সালে, তালিকায় যার অবস্থান ছিলো ২৪ নম্বরে এবং পরবর্তীতে হয়। তার দ্বিতীয় অ্যালবাম, \"আইডেন্টফিাইড\", জুলাই ১, ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়।",
"title": "ভেনিসা হাডজেন্স"
}
] | [
{
"docid": "363097#7",
"text": "সেপ্টেম্বর ৬, ২০০৭ সালে হাডজেন্সের কিছু আলোকচিত্র অনলাইনে চলে আসে, যার একটিতে ল্যানজারি অঙ্গবিন্যাস রয়েছে এবং অন্যটিতে তার নগ্নতা প্রদর্শিত হয়েছে। তার প্রচারবিদের কাছ থেকে একটি বিবৃতিতে জানা যায় চিত্রসমূহ ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করা হয়েছিলো এবং সেগুলো ইন্টারনেটে মুক্তি পাওয়া দুঃখজনক ছিলো বলে তিনি দাবি করেন। হাডজেন্স পরবর্তীকালে এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে বলেন, তিনি এই \"পরিস্থিতির উপর বিব্রত\" এবং \"[ঐসব] চিত্র গ্রহণের\" বিষয়ে তিনি আফসোস প্রকাশ করেন। হাডজেন্স পরবর্তীকালে এই কেলেঙ্কারি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তা অস্বীকার করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। \"ওকে!\" ঠিক আছে! পত্রিকা অনুমান করে এই চিত্রের ফলে তিনি\"হাই স্কুল মিউজিক্যাল ৩\" থেকে বাদ পড়বেন বলে সন্দেহ। কিন্তু দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি এটা অস্বীকার করে, বলে, \"ভেনিসা স্পষ্টত তার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আমরা আশা করি তিনি এ থেকে মূল্যবান পাঠ শিখেছেন।\"",
"title": "ভেনিসা হাডজেন্স"
},
{
"docid": "363097#4",
"text": "নভেম্বর ২০১১ সালে, হাডজেন্স তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেন যে তিনি সেলিনা গোমেজ এবং জেমস ফ্রাঙ্কোর সাথে অভিনয় করছেন \"স্প্রিং ব্রেকার্স\" চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রটি চার কলেজ-বয়সী তরুণীকে কেন্দ্র করে, যেখানে তারা তাদের বসন্ত অবকাশের অর্থ যোগাড় করার জন্য একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ ডাকাতি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মার্চ ২০১৩ সালে, এবং সাধারণত ইতিবাচক সমালোচনা অর্জন করে। চলচ্চিত্রে পরিপক্ক থিম, যেমন মাদক ব্যবহার, উসৃঙ্খল যৌনাচার, এবং সহিংস্রতা তুলে ধরা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, হাডজেন্স পরবর্তীকালে ডাবস্টেপ অনুপ্রেরিত গান \"$$$এক্স\" মুক্তি দেন, যেটির সঙ্গীত ভিডিও এই চলচ্চিত্রের ক্লিপ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। গানটি ওয়াইএলএ থেকে অতিথি শিল্পী বৈশিষ্টায়িত করেছে, এবং যা রক মাফিয়া কর্তৃক প্রযোজিত হয়েছে।",
"title": "ভেনিসা হাডজেন্স"
},
{
"docid": "468221#6",
"text": "স্মিথ স্টেলা হাডজেন্স এর সাথে সম্পর্কে ছিলেন, যে অভিনেত্রী ও গায়িকা “ভেনিসা হাডজেন্স” এর ছোট বোন, এবং সে “স্টারি রুম” গান এ অসংখ্য বার তাঁর নাম উল্লেখ করেছে।",
"title": "জাদেন স্মিথ"
},
{
"docid": "363097#8",
"text": "আগস্ট ২০০৯ সালে, হাডজেন্সের আরও কিছু অনাবৃতপ্রায় চিত্রাবলি ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে তার প্রতিনিধিদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি, যদিও তার আইনজীবীরা ইন্টারনেট থেকে ছবি অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ২০০৯-এর শেষে, হাডজেন্স \"www.moejackson.com\"-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে মোবাইল ফোনে গৃহিত তার নগ্ন \"আত্ম-প্রতিকৃতি অলোকচিত্র\" পোস্টিংয়ের জন্যে। হাডজেন্স পরবর্তীকালে, \"অলিউর\" পত্রিকার অক্টোবর সংখ্যায় তার কর্মজীবনে এই ছবির প্রভাব বিষয়ে মন্তব্য করেন, \"যখনই কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি কী চলচ্চিত্রে নগ্নতা প্রকাশ করতে চাই কিনা, যদি বলি আমি এর সাথে স্বাচ্ছন্দ্য নই। তারা বলেন, 'বুলশিট, ইতোমধ্যেইতো করেছেন।' এটা আরও লজ্জাজনক করে তোলে, কারণ ওগুলো একটি ব্যক্তিগত বিষয় ছিল। এটা মাতলামি, যে কেউই আমার মতো মাতাল হতে পারেন। অন্তত কিছু লোক আমার ভুল থেকে শেখার সুযোগ পাবেন।\" \"ইউএস সাপ্তাহিকের\", মতে, আরও কিছু আলোকচিত্র মার্চ ১৫, ২০১১ সালে ইন্টারনেটে মুক্তি পায়।",
"title": "ভেনিসা হাডজেন্স"
},
{
"docid": "575322#2",
"text": "গ্রান্দের দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম, \"মাই এ্যাভরিথিং\" (২০১৪), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় প্রথম স্থানে আত্নপ্রকাশ করে এবং অন্যান্য ২৪টি দেশে এটি সেরা দশে অবস্থান করে। অ্যালবামটির একটি একক গান \"প্রবলেম\" এবং অ্যালবামটির আরো কিছু গানের মাধ্যমে, তিনি ৩৪ সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে ছিলেন \"বিলবোর্ড\" হট ১০০ এর সেরা দশে এবং ২০১৪-এ কোন শিল্পীর সেরা দশে অবস্থান করা একক গানের সংখ্যার দিক থেকে তিনি শীর্ষস্থানে ছিলেন। ২০১৫-এ গ্রান্দে \"মাই এ্যাভরিথিং\" প্রচার করেন তার প্রথম বিশ্ব ভ্রমন দ্য হানিমুন ট্যুর এর সঙ্গে, অতিথি হিসেবে অভিনয় করেন ফক্স এর হাস্যরস ভৌতিক টেলিভিশন ধারাবাহিক , \"স্ক্রিম কুইনস\" এ এবং প্রকাশ করেন একটি হলিডে ইপি, \"ক্রিসমাস এন্ড চিল\"। ২০১৬-এ, তিনি তার তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবামের আত্নপ্রকাশ করেন, , \"ডেনজারাস উইম্যান\", এবং অ্যালবামটি থেকে কিছু গান। অ্যালবামটির ডেনজারাস উইম্যান শিরোনামের একক গানটি \"বিলবোর্ড\" হট ১০০ তালিকায় দশম স্থানে অবস্থান করে , যা গ্রান্দেকে তৈরি করে ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যার কিনা প্রথম তিনটি অ্যালবামেরই একক গান তালিকার শীর্ষ দশে অবস্থান করে। অ্যালবামটি \"বিলবোর্ড\" ২০০ এর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করে। জানুয়ারি ২০১৭ এর হিসেবে, গ্রান্দের গানের ভিডিও গুলো অনলাইনে সাত বিলিয়ন বারের থেকেও বেশি বার দেখা হয়েছে।",
"title": "আরিয়ানা গ্রান্দে"
},
{
"docid": "609438#0",
"text": "রেজিনা এনকার্নাসিয়ন আনসং ভেলাস্কেজ, (; জন্ম: ২২ এপ্রিল, ১৯৭০) হলেন একজন ফিলিপিনো গায়িকা, অভিনেত্রী এবং রেকর্ড প্রযোজক। তিনি তার স্টেজ নাম রেজিন ভেলাস্কেজ-এর জন্য অধিক পরিচিত। ১৯৮০-এর দশকে তিনি \"আং বাগং কামপাইয়ন\" এবং ১৯৮৯ সালে এশিয়া প্যাসিফিক সিঙ্গিং কনটেস্ট উভয় প্রতিযোগিতা জয়লাভ করে সকলের মাঝে অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ফিলিপাইন দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ভেলাস্কেজ তার নিজের নামে তার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন, সেই অ্যালবাম থেকে \"কুং মীবাবলিক কো লং\" গানটির মাধ্যমে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। উক্ত অ্যালবামটি ফিলিপাইনের তৎকালীন দুটি সেরা একক সংগীত অ্যালবামে পরিণত হয় এবং এটি বাণিজ্যিকভাবে সফল অ্যালবামগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠে, যা তাকে একজন সক্ষম \"ওপিএম শিল্পী\" হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করতে সাহায্য করেছে।",
"title": "রেজিন ভেলাস্কেজ"
},
{
"docid": "363097#2",
"text": "হাডজেন্স স্যালিনাস, ক্যালিফোর্নিয়া এলাকায় জন্ম নেন, এবং ওরেগন থেকে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় ওয়েস্ট কোস্টে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করেন। তার মা, জিনা (née Guangco), উত্তরাধিকারসূত্রে একটি অফিসে কাজ করেন, এবং তার বাবা, গ্রেগরি হাডজেন্স, একজন দমকলকর্মী ছিলেন। তার একটি ছোট বোন রয়েছে, স্টেলা হাডজেন্স, তিনিও একজন অভিনেত্রী। ছেলেবেলা থেকে তিনি একজন রোমান ক্যাথলিক হিসেবে বেড়ে উঠেন। তার বাবা, একজন আইরিশ এবং নেটিভ আমেরিকান বংশদ্ভুত, এবং মা একজন ম্যানিলা, ফিলিপাইনীয়, অথ্যাৎ ফিলিপিনো চীনা-স্প্যানিশ বংশদ্ভুত। তার দাদী-নানীরা সকলেই সঙ্গীত বিষয়ে জ্ঞ্যাত ছিলেন।",
"title": "ভেনিসা হাডজেন্স"
},
{
"docid": "363097#6",
"text": "হাডজেন্স \"হাই স্কুল মিউজিক্যালের\" সহ-তারকা জাক এফরনের সঙ্গে সম্পর্কে শুরু করেন ২০০৫ সালে। পরবর্তীকালে প্রচারমাধ্যমের নিয়মিত লক্ষ্য হয়ে ওঠেন তারা, এবং \"বিবিসি\" হাডজেন্সকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে \"হাউসহোল্ড নেম\" বলে পূর্বাভাস ব্যাক্ত করে। ডিসেম্বর ২০১০ সালে, হঠাৎ তাদের সম্পর্কের পরিণতি ঘটে। হাডজেন্স অভিনেত্রী অ্যাশলে তিসডেলের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যার সঙ্গে তিনি \"হাই স্কুল মিউজিক্যাল\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় পরিচিত হন।",
"title": "ভেনিসা হাডজেন্স"
},
{
"docid": "363097#1",
"text": "তার অ্যালবাম \"হাই স্কুল মিউজিকাল\" মুক্তির পর থেকে হাডজেন্স অভিনয়ের উপর জোড় দেন। ২০০৯ সালে, তিনি \"ব্যান্ডস্লাম\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছেন। তিনি ডোয়াইন জনসন এবং জোশ হাচারসনের পাশাপাশি \"\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর সেলিনা গোমেজের সাথে অভিনয় করেন \"স্প্রিং ব্রেকার্স\" (২০১৩) চলচ্চিত্রে। এছাড়াও তিনি রবার্ট রদ্রিগেজ পরিচালিত \"ম্যাচেট কিলস\" চলচ্চিত্রে কাজ করেন।",
"title": "ভেনিসা হাডজেন্স"
}
] |
দ্য লাঞ্চবক্স চলচ্চিত্রটির নির্মাতা কে ? | [
{
"docid": "551087#6",
"text": "ইত্যবসরে নাশিকের পথে যেতে যেতে সজনের মন বদলায়, আবার মুম্বাইয়ে ফিরে আসে ইলার খোঁজে - শেষবার যাকে দেখা গেছে মেয়ের স্কুল থেকে ফেরার অপেক্ষায় - সজন ডাব্বাওয়ালার সাহায্য নেয় যে প্রতিদিন পৌঁছে দিত সেই লাঞ্চবক্সটি।রিতেশ বাটরা এর আগে নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"দ্য মর্নিং রিচুয়াল\", \"গরীব নওয়াজ কি ট্রাক্সি\", \"ক্যাফে রেগুলার\" ও \"কায়রো\"। এবার তিনি মুম্বাইয়ের বিখ্যাত লাঞ্চবক্স ডেলিভারি ব্যবস্থার দক্ষ ডাব্বাওয়ালাদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য গবেষণা শুরু করেন। তবে ২০০৭ সালে তাদের সাথে এক সপ্তাহ কাটানোর পর তিনি অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যক্তিগত গল্প জানতে পারেন যেগুলো তারা বাসার বাইরে দাঁড়ানোর সময় শুনে ফেলে। এই আইডিয়া থেকে তার চলচ্চিত্র তৈরির কথা মাথায় আসে এবং প্রামাণ্যচিত্র বানাবার বদলে তিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেন। যথাসময়ে চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করে শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্ট, ডার মোশন পিকচাল্স, ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কল্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনএফডিসি, ভারত), আরওএইচ ফিল্মস (জার্মানি), এএসএপি ফিল্মস (ফ্রান্স) এবং যুক্তরাষ্ট্রে লিডিয়া ডীন পিলচারের সাইন মোজাইক, যিনি এর আগে প্রযোজনা করেছেন \"দ্য ট্যালেন্টেড মি. রিপলি\" (১৯৯৯) এবং \"দ্য নেমসেক\" (২০০৭); আর জার্মানির ম্যাচ ফ্যাক্টরি চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক সেলস এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।",
"title": "দ্য লাঞ্চবক্স"
},
{
"docid": "551087#0",
"text": "দ্য লাঞ্চবক্স ২০১৩ সালের একটি ভারতীয় রোমান্টিক চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছেন রিতেশ বাটরা এবং প্রযোজনায় গুণীত মোঙ্গা, অনুরাগ কাশ্যপ ও অরুণ রঙ্গচারী। ডার, ইউটিভি, ধর্ম প্রোডাকশনস, শিক্ষা এন্টারটেইনমেন্ট, এনএফডিসি সহ আরো কয়েকটি স্টুডিও যৌথভাবে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান খান, নিমরাত কাউর এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক সমালোচকদের সপ্তাহে প্রদর্শিত হয় এবং পরবর্তীতে তা ক্রিটিকস উইক ভিউয়ারস চয়েস পুরস্কার তথা গ্র্যান্ড রেল ডি'অর জিতে নেয়। এটি ২০১৩ সালের টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হয়। ভারতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হয় সেবছর ২০ সেপ্টেম্বরে। বক্স অফিসে এটি সাফল্য লাভ করে।",
"title": "দ্য লাঞ্চবক্স"
},
{
"docid": "551087#8",
"text": "ইরফান খান চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য এবং তার চরিত্রটির ধারণাটি পছন্দ করেন, যে কিনা কথা বলে কম কিন্তু বলে চিঠিতে। বাটরার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো দেখে এবং কয়েকবার মিটিংয়ের পর তিনি কাজ করতে রাজি হন। বাটরা অনেকদিন থেকেই নওয়াজউদ্দিনের সাথে কাজ করতে চাচ্ছিলেন চলচ্চিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য। প্রধান নারী চরিত্রটির জন্য বেশ কয়েকটি অডাশন হয় এবং শেষমেশ নিমরাত কাউর নির্বাচিত হন। মুম্বাই থিয়েটারে কাউরের ব্যাপক অভিজ্ঞতা ছিল এবং \"পেডলার্স\"-এর মতো চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। এছাড়া চলচ্চিত্রটির জন্য গবেষণা করতে গিয়ে যে ডাব্বাওয়ালাদের সাথে পরিচালকের বন্ধুত্ব হয়েছিলো তারাও কয়েকটি গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেন।",
"title": "দ্য লাঞ্চবক্স"
},
{
"docid": "551087#9",
"text": "চলচ্চিত্রটির শুটিং করা হয় ২০১২ সালে মুম্বাইয়ে ₹২২০ মিলিয়ন রুপির বাজেটে। ফিল্মিংয়ের পূর্বে অভিনেতারা ছয় মাস রিহার্সাল করেছেন। আরি অ্যালেক্সা ফিল্ম ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবিটি শুট করা হয়। অনেক দৃশ্যই টুকরো টুকরো করে করা হয় যেন শেষ মুহূর্তে লোকেশন বদলালেও অসুবিধা না হয়। রিতেশ বাটরার জানান যে, ট্রেনের দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়েছে কেবল একটিমাত্র কম্পার্টমেন্টে এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রকৃত যাত্রীদেরও ছবিতে রাখা হয়েছে।",
"title": "দ্য লাঞ্চবক্স"
},
{
"docid": "551820#0",
"text": "রিতেশ বাটরা (জন্ম ১২ জুন ১৯৭৯) বাফটা পুরস্কার (ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস) মনোনীত একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক-লেখক। বাটরা তার প্রথম চলচ্চিত্র \"দ্য লাঞ্চবক্স\"-এর জন্যই বেশি পরিচিত, যেটাতে অভিনয় করেছিলেন ইরফান খান, নিম্রত কৌর এবং নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী। এটি ২০১৩ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং রেল ডি'অর (গ্র্যান্ড গোল্ডেন রেল) পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়াও বাটরা ২০১৪ সালে টরোন্টো ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার জেতেন। আমেরিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ায় \"দ্য লাঞ্চবক্স\" ছিল ২০১৪ সালের সর্বোচ্চ আয় করা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র (২৫ মিলিয়ন USD/১৮০ কোটি INR)।",
"title": "রিতেশ বাটরা"
},
{
"docid": "551820#4",
"text": "\"দ্য লাঞ্চবক্স\" কান ক্রিটিকস উইকে প্রদর্শিত হয় এবং জিতে নেয় সম্মানজনক রেল ডি'অর (গ্র্যান্ড গোল্ডেন রেল)। সনি পিকচার্স ক্লাসিকস ছধিটির উত্তর আমেরিকার স্বত্ব কিনে নেয়। \"দ্য লাঞ্চবক্স\" ৩৩ঠি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে এবং ২৫টি পুরস্কার জিতেছে। ২০১৪ সালে বাটরা তার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পোয়েটিক লাইসেন্স মোশন পিকচার্স খুলেছেন এবং এখন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের স্লেট উন্নয়নে কাজ করছেন।\"দ্য লাঞ্চবক্স\", ২০১৩",
"title": "রিতেশ বাটরা"
}
] | [
{
"docid": "551087#11",
"text": "২০১৩-র ১৯ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক সমালোচক সপ্তাহে চলচ্চিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী হয় যেখানে এটি ইতিবাচক রিভিউ পায় এবং দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে একে অভ্যর্থনা জানান। পাশাপাশি এটি গ্র্যান্ড রেল ডি'অর নামে পরিচিত ক্রিটিকস উইক ভিউর\nয়ার্স চয়েস পুরস্কার জিতে নেয়। \"ভ্যারাইটি\" ম্যাগাজিনে এটিকে বলা হয় \"শিক্ষানবিশ পরিচালক-চিত্রনাট্যকার রিতেশ বাটরার উল্লেখযোগ্য অভিষেক\", \"\"মনসুন ওয়েডিং\" ছবির সমন্বিত আবেদনময়তা\" সৃষ্টির জন্য, আর তাতে ইরফান খান এবং নিমরাত কাউরের অভিনয়েরও প্রশংসা করা হয়।",
"title": "দ্য লাঞ্চবক্স"
},
{
"docid": "551087#19",
"text": "\"সানডে গার্জিয়ান\"-এর তৃষা গুপ্ত লিখেছেন \"দ্য লাঞ্চবক্স একটি ছোট্ট মনোরম চলচ্চিত্র। তবে এটা কেবল বক্সটি নিয়েই এগিয়ে চলে যা হয়তো উৎসবের দর্শকদের কাছে আবেদন পৌঁছাতে পারবে: উদ্ভট এশীয় শহুরেজীবন (মুম্বাই ট্রেন, ডাব্বা সরবরাহ), ভারতীয় ঘরে রান্না, রোমান্স। যথেষ্ট পরিমাণ স্বতন্ত্র হবার পরিবর্তে এটা স্থানীয় রঙ মেখে নিয়েছে।\" শিকাগো রিডারের জন্যে একটু কম ইতিবাচক রিভিউতে জে আর জোনস নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও ভারতী আচরেকারের চরিত্রদ্বয় শাইখ এবং মিসেস দেশপান্ডের দিকে ইঙ্গিত করে চলচ্চিত্রটিকে একটি গিমিক বলেছেন এবং এতে \"গা-জ্বালানো হাস্যরসের\" অতিরঞ্জনের সমালোচনা করেছেন।",
"title": "দ্য লাঞ্চবক্স"
},
{
"docid": "551087#18",
"text": "রেডিফ ডটকমের রাজা সেন ছবিটির আরো প্রশংসা করেন, আরেকটি নিটোল ৫/৫ স্কোর দিয়ে এবং বলেছেন, \"বাটরা, \"দ্য লাঞ্চবক্স\"-এর গব্পটিও যার লেখা, তার চমৎকার অভিনেতাদেরকে উপস্থিত কাজ করার বিস্ময়কর সুযোগ দিয়েছেন, নিজে পুরোটা সময় ছিলেন শহরের খুঁটিনাটি চিত্রায়ণে, খাবার-বহনকারীরা এবং সমাজের নানা বৈষম্য যেগুলোতে মুম্বাই ঠাসা।\" ইয়ুথ টাইমসের আদিত্য গ্রোভার একে ৪/৫ তারকা দেন এবং বলেন যে, \"আপনে যদি সত্যিকার চলমান সিনেমা দখার মুডে থাকেন, তবে \"দ্য লাঞ্চবক্স\" উপাদেয় এবং তৃপ্তিকর। থিয়েটার থেকে বেরুনোর পরেও বহুকাল এই লাঞ্চবক্সের স্বাদ আপনার মুখে লেখে থাকবে। চলুন দেখতে!\nদি এশিয়ান এজের সুপর্ণা শর্মা এটিকে ৫ এর মধ্যে ৪ রেটিং দিয়েছেন এবং বলেছেন: \"\"দ্য লাঞ্চবক্স\" একটি মৃদুমন্দ স্পন্দিত এক মধুর-করুণ গল্প, একাকীত্বের ও ভালোবাসার। ছবিটিতে তিনজন নারী আছে তিনটি বিয়েতে, যার মধ্যে দুজন অসুস্থ। তৃতীয়জন প্রায় শেষ বয়সে, কেবল শেষকৃত্যটুকুই যেন বাকি। দদুজন পুরুষ আছে ছবিটিতে — একজন যে পুরো জীবন পার করেছে, এখন নীরবে পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে; অন্যজন জীবন শুরু করতে উৎসাহী। যে বিষয়টি একইসাথে মর্মান্তিক ও স্বস্তিদায়ক, তা হলো যা ছবিটি আমাদের দেখায় — জীবনে ফিরে আসার জন্য আত্মার বেশি কিছু লাগে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, একটু আশাই যথেষ্ট।\"",
"title": "দ্য লাঞ্চবক্স"
},
{
"docid": "551087#2",
"text": "সজন ফার্নান্দেস (ইরফান খান) একজন বিপত্নীক যে একাউন্টেন্ট হিসেবে কিছুদিনের মধ্যে অবসর নেবে। ইলা (নিমরাত কাউর) এক তরুণী স্ত্রী যে তার স্বামীর (নকুল ভাইদ) মনোযোগ পেতে চায় এবং বিভিন্নভাবে তাদের দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে; যেমন তার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করে। কিন্তু তার স্বামীর জন্য পাঠানো লাঞ্চবক্স (ডাব্বা) মুম্বাইয়ের \"ডাব্বাওয়ালাদের\" ভুলে চলে যায় সজনের কাছে। ইলা পরে ভুল বুঝতে পেরে ওপরতলার আন্টির (ভারতী আচরেকার - শুধু কন্ঠ) বুদ্ধিমতো সজনকে একটি চিঠি লেখে এবং পরদিন স্বামীর প্রিয় খাবার রেঁধে লাঞ্চবক্সে চিঠিসহ পাঠিয়ে দেয়।",
"title": "দ্য লাঞ্চবক্স"
}
] |
বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাবার নাম কী ? | [
{
"docid": "5531#0",
"text": "জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম ও শৈশবে তাঁর ডাক নাম ছিলো কমল। তাঁর পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর তাঁর পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাবুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।",
"title": "জিয়াউর রহমান"
}
] | [
{
"docid": "545474#1",
"text": "মু. জিয়াউর রহমান ৭ ডিসেম্বর, ১৯৫২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাস্থ রহনপুর পৌরসভার শেখপাড়া এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন। তাঁর পিতার নাম রিয়াজউদ্দিন অাহমদ এবং মাতা নুরজাহান বেগম। তাঁর স্ত্রী কাশমেরী রহমান একজন গৃহিণী। মোঃ জিয়াউর রহমান এর মোট ৩ সন্তান, তাঁদের নাম সানজিদা রহমান (জেমি); ফাহমিদা রহমান(জুলি); রাজীব অাহমদ জয়।",
"title": "জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিবিদ)"
},
{
"docid": "1551#2",
"text": "তার স্বামী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। তার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাইদ ইস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। আরাফাত রহমান একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।",
"title": "খালেদা জিয়া"
},
{
"docid": "2374#0",
"text": "তারেক রহমান (জন্মঃ ২০ নভেম্বর ১৯৬৪ ঢাকা, বাংলাদেশ) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি সাধারনতঃ \"তারেক জিয়া\" নামে পরিচিত; যার শেষাংশটি এসেছে তার পিতা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম থেকে।",
"title": "তারেক রহমান"
},
{
"docid": "396129#1",
"text": "জিয়ার জন্ম জানুয়ারি ৭, ১৯৭৫ সালে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে জন্ম এবং বেড়ে উঠা ঢাকার নবাবপুরে। তাঁর পিতার নাম আব্দুর রহমান এবং মায়ের নাম মুর্শিদা রহমান। জিয়া সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে মাধ্যমিক, নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। জিয়ার স্ত্রীর নাম \"জলি আহমেদ\", তাদের একমাত্র কন্যা হলেন \"সারিকা রেশ রহমান\"।",
"title": "জিয়াউর রহমান জিয়া"
},
{
"docid": "306492#0",
"text": "মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (জন্ম: ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের ক্রিকেটার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলাররূপে দলে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডাকনাম \"জনি\" হিসেবে মাঝেমাঝে স্কোরশীটে তাকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ২০০৩/০৪ মৌসুমে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। এছাড়াও, ২০০৬/০৭ মৌসুমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি একাদশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাডেমী দলে অংশগ্রহণ করেছেন।",
"title": "জিয়াউর রহমান (ক্রিকেটার)"
},
{
"docid": "545474#3",
"text": "জিয়াউর রহমান ছাত্রাবস্থায় রাজনিতি সূত্রপাত হয় স্থানীয় অাওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাসনুর হাত ধরে। ২০০৯ সালে অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে অাওয়ামী লীগ এর হয়ে চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ অাসনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময় তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।",
"title": "জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিবিদ)"
},
{
"docid": "80810#1",
"text": "১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মেহের আলী মিঞা ছিলেন একজন আইনজীবী, তৎকালীন ময়মনসিংহের লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা বোর্ডের সদস্য। তাঁর স্ত্রী আইভি রহমানও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জিল্লুর রহমান তাঁর সহধর্মিনী ও মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী আইভি রহমানকে হারান। পারিবারিক জীবনে তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নামে এক পুত্র এবং তানিয়া ও ময়না নামে দুই কন্যা সন্তানের জনক।",
"title": "জিল্লুর রহমান"
},
{
"docid": "626934#1",
"text": "জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টসহ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে বিএনপি সরকারের সময়ে বেশ কিছু দাতব্য সংস্থা চালু করা হয়। বিএনপি সরকারের (১৯৯১-১৯৯৬) আমলে সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় “প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল” নামে একটি হিসাব চালু করা হয়। ১৯৯১ সালের ৯ই জুন একাউন্টটিতে এক সৌদি দাতার কাছ থেকে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে ৪,৪৪,৮১,২১৬ টাকা বিদেশী অনুদান আসে। পরবর্তী দুই বছরে এই অনুদানের অর্থ কোনো এতিমখানায় দান করা হয়নি। দুই বছর পর, ১৯৯৩ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমানের দুই ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান এবং তাদের ফুপাতো ভাই মমিনুর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। ট্রাস্ট গঠনের পর অনুদানটি দুই ভাগ করে ট্রাস্টের বগুড়া এবং বাগেরহাট শাখার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।",
"title": "জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা"
},
{
"docid": "34128#0",
"text": "মশিউর রহমান (জুলাই ৯, ১৯২৪ - মার্চ ১২, ১৯৭৯) যিনি যাদু মিয়া নামে পরিচিত, বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন। । তিনি মাওলানা ভাসানীর শিষ্য ছিলেন এবং ১৯৭৬-এ তাঁর মৃত্যুর পর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি হন। ছাত্র জীবনে তিনি অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। তবে তেভাগা আন্দোলনের সময় তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পাকিস্তান হওয়ার পর আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়, তিনি এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অতঃপর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠিত হয় এবং ১৯৭৯ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এ রাজনৈতিক দলের একজন জাতীয় নেতা হিসাবে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন।",
"title": "মশিউর রহমান"
}
] |
End of preview. Expand
in Data Studio
README.md exists but content is empty.
- Downloads last month
- 8