query
stringlengths 5
185
| positives
listlengths 1
14
| negatives
listlengths 0
19
|
---|---|---|
অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রথম কত সালে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হন ? | [
{
"docid": "25931#2",
"text": "ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৯৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ এক বছরের জন্য অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বে সরকার গঠন করে। পরবর্তী নির্বাচনে এনডিএ আবার অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বেই সরকার গঠন করেছিল। এই সরকার পূর্ণ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। এটিই ছিল ভারতের প্রথম পূর্ণ সময়ের অ-কংগ্রেসি সরকার। ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে এনডিএ অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয়। এরপর দশ বছর বিজেপি ছিল ভারতের প্রধান বিরোধী দল। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে গুজরাতের দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি পুনরায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়। সেই থেকে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে এনডিএ সরকার ভারতে ক্ষমতাসীন রয়েছে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের হিসেব অনুসারে, ভারতের ১৩টি রাজ্যে এনডিএ-নেতৃত্বাধীন সরকার রয়েছে।",
"title": "ভারতীয় জনতা পার্টি"
},
{
"docid": "73891#0",
"text": "অটল বিহারী বাজপেয়ী (হিন্দি: अटल बिहारी वाजपायी \"আটাল্ বিহারী ভ়াজ্পাঈ\", আ-ধ্ব-ব: [əʈəl bɪhaːɾiː ʋaːdʒpaiː]২৫ ডিসেম্বর১৯২৪-১৬ আগস্ট ২০১৮) ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (১০ম) , ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হন মাত্র ১৩ দিনের জন্য এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী। ভারতীয় জনতা পার্টি এর নেতা হিসেবে এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর বাইরে থেকে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি একদম পূর্ণ মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৬আগস্ট, ২০১৮ দিল্লীর এইমসে বিকেল ৫:০৫ মিনিটে তিনি বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যান। \n2014 সালে মোদি সরকার তার জন্মদিন অর্থাৎ 25 এ ডিসেম্বর সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করে। 2015 সালে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয়। 1998 এ ক্ষমতায় এসে তেরো মাস সরকার টিকে থাকার পর 1999 এর এপ্রিল মাসে জয়ললিতা অটলজির সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে মাত্র একভোটের ব্যবধানে আস্তাভোটে তাঁর সরকার পড়ে যায়।",
"title": "অটল বিহারী বাজপেয়ী"
}
] | [
{
"docid": "25931#20",
"text": "২০০৪ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই সাধারণ নির্বাচনের ডাক দেন। এই নির্বাচনে এনডিএ-র প্রচার অভিযানের ভিত্তি ছিল ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’ শ্লোগানটি। এই শ্লোগানটির মাধ্যমে বিজেপি দাবি করে দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক রূপান্তরের কৃতিত্ব বাজপেয়ী সরকারের। কিন্তু এই নির্বাচনে এনডিএ অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয়। এনডিএ এই নির্বাচনে ১৮৬টি আসন লাভ করে। অন্যদিকে কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলি পায় ২২২টি আসন। মনমোহন সিং সংযুক্ত প্রগতিশীল জোটের নেতা হিসেবে অটলবিহারী বাজপেয়ীর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। এনডিএ-র পরাজয়ের কারণ ছিল গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারা। বিজেপির বিবাদ-সৃষ্টিকারী নীতিগুলিও এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল।",
"title": "ভারতীয় জনতা পার্টি"
},
{
"docid": "80023#14",
"text": "১৯৬৪ সালের ২৭ মে জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পরও কাশ্মীর সমস্যা অমীমাংসিতই থেকে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে তাসখন্দ চুক্তি সাক্ষরের অব্যবহিত পরেই লালবাহাদুর শাস্ত্রী প্রয়াত হন। এরপরই তদনীন্তন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তথা নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি দক্ষিণপন্থী নেতা মোরারজি দেশাইকে পরাজিত করেছিলেন। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও খাদ্যসমস্যার কারণে ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের জনসমর্থন কিছুটা কমে এলেও এই দলই নির্বাচনে জয়লাভ করে। ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় টাকার অবমূল্যায়ন ঘটান। এর ফলে ভারতের ব্যবসাবাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাঁর আমলে রাজনৈতিক বিরোধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।",
"title": "ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস"
},
{
"docid": "25931#17",
"text": "১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর এআইএডিএমকে-র সমর্থন ছাড়াই এনডিএ জোট সংসদে ৩০৩টি আসন লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জোটে বিজেপির একক সাংসদ সংখ্যা ছিল ১৮৩। অটলবিহারী বাজপেয়ী তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। লালকৃষ্ণ আডবাণী হন উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই এনডিএ সরকারটি ছিল পাঁচ বছরের পূর্ণ দৈর্ঘ্যের সরকার। এনডিএ জোট সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয় এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নব্য-উদারপন্থা গ্রহণ করে।",
"title": "ভারতীয় জনতা পার্টি"
},
{
"docid": "25931#15",
"text": "সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে ইস্যু করে বিজেপি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে লোকসভায় ১৬১টি আসন জিতে বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু লোকসভায় আস্থা ভোটে জয় লাভ করতে না পেরে ১৩ দিনের মধ্যে সরকারের পতন হয়।",
"title": "ভারতীয় জনতা পার্টি"
},
{
"docid": "6720#5",
"text": "১৯৬৬ সালে প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বচিত হন৷ ১৯৭১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ইন্দিরা গান্ধী দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ একটানা ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইন্দিরা গান্ধী৷ এই পর্যায়ে রাজন্য ভাতা বিলোপ, ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচী রূপায়ন করেন৷ ১৯৭১এ তৃৃতীয় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত তার বলিষ্ঠ নেতৃৃত্বে জয়লাভ করে৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷ ১৯৭৫ সালে তিনি দেশে শান্তি এবং শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ জরুরি আইন জারী করেন৷ এ জন্য সমালোচিত হন ইন্দিরা গান্ধী৷ এরপর ১৯৮০ সালে চতুর্থবারের মত নির্বাচনে বিজয়ী হন ইন্দিরা গান্ধী, হন প্রধান মন্ত্রী৷ ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনা হানা দেয় ( operation Blue star )। তার খেসারত ইন্দিরা গান্ধী দেন সে বছরই ৩১শে অক্টোবর৷ তাঁর নিজের দেহরক্ষীরাই তাঁর জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়৷",
"title": "ইন্দিরা গান্ধী"
},
{
"docid": "25931#10",
"text": "নবগঠিত বিজেপি কার্যত জনসংঘের থেকে আলাদা দল হলেও, বিজেপির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন পূর্বতন জনসংঘের সদস্য। এমনকি জনসংঘের সদস্য অটলবিহারী বাজপেয়ী বিজেপির প্রথম সভাপতি হয়েছিলেন। ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহা লিখেছেন, ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকটিতে ভারতে অনেকগুলি হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল। বিজেপি গোড়ার দিকে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য জনসংঘের হিন্দু জাতীয়তাবাদী অবস্থান সম্পর্কে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে এবং জনতা পার্টি ও গান্ধীবাদী সমাজতন্ত্রের সঙ্গে এই দলের যোগসূত্রটির দিকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করে। এই পদ্ধতিটি সফল হয়নি। ১৯৮৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি লোকসভায় মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল। এই নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সংঘটিত ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বিরাট জনসমর্থন লাভে সক্ষম হয়। ফলে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা কমে যায় এবং কংগ্রেস ৪০৩টি আসনে জয়লাভ করে।",
"title": "ভারতীয় জনতা পার্টি"
},
{
"docid": "70798#14",
"text": "১৫ই অগাস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার দিন, নব্য গঠিত কংগ্রেস শাসিত সরকার আম্বেদকরকে জাতির প্রথম আইন মন্ত্রী পদ পদার্পণ করেন, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ২৯ই অগাস্ট, আম্বেদকরকে সংবিধান খসড়া সমিতির সভাপতি করা হয়, যা ভারতের নতুন মুক্ত সংবিধান রচনায় বিধানসভা কর্তৃক আরোপিত হয়। আম্বেদকর তাঁর সহপাঠীদের ও সমকালীন পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই কাজে আম্বেদকর প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মে সঙ্ঘের-চর্চা নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে অধিক পড়াশোনাই অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিলো। ব্যালটের দ্বারা ভোট প্রদান, তর্ক-বিতর্কের ও অগ্রবর্তী নীতিমালা, করণীয় বিষয়সূচী, সভা-সমিতি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সমূহের ব্যবহার ইত্যাদি সংঘ চর্চা দ্বারা সমন্বয় সাধিত হয়। সংঘ চর্চা প্রাচীন ভারতের কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক উপজাতিগোষ্ঠী যেমন শাক্যবংশ (Shakyas) ও লিচ্ছবিররা (Lichchavis) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। অতঃপর আম্বেদকর যদিও তাঁর সাংবিধানিক অবয়ব তৈরিতে পশ্চিমা প্রণালীর ব্যবহার করেন, বস্তুত এর অনুপ্রেরণা ছিলো ভারতীয়, বাস্তবিকপক্ষে উপজাতীয়।গ্রানভিলে অস্টিন আম্বেদকর কর্তৃক প্রণীত ভারতীয় সংবিধান খসড়াকে বর্ণনা দেন এভাবে “একনিষ্ঠ ও সর্বোত্তম সামাজিক নথি পত্র।”... 'অধিকাংশ ভারতের সাংবিধানিক শর্ত সরাসরি সামাজিক বিপ্লবের সমর্থনে উপনীত হয়েছে অথবা প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিপ্লবকে পরিপুষ্ট করার চেষ্টা। ' আম্বেদকর কর্তৃক লিখিত ভারতের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ও সুরক্ষা সর্বাধিক সাধারণ জনসাধারণের প্রতি প্রদান করা হয়েছে যেমন ধর্মীয় স্বাধীনতা, অস্পৃশ্যতা বিলোপ এবং সব ধরনের বৈষম্য বিধিবহির্ভূত করেন। আম্বেদকর নারীদের অধিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারের জন্য যুক্তি প্রদর্শন করেন। তিনি এতে বিধানসভার সমর্থন অর্জন করে সিডিউল কাস্টেসভুক্ত নারী সদস্যদের বা সিডিউল উপজাতীয়দের জন্য বেসরকারি খাতে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় কর্মক্ষেত্রে চাকরির বিধান প্রদান করে নির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা করেন, যা একটি সম্মতিসূচক পদক্ষেপ। ভারতের আইন প্রণেতারা আশা করেন এর মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক বিভাজন দূর হবে ও ভারতীয় অস্পৃশ্যরা সুযোগ-সুবিধা পাবে, যা ছিলো বস্তুত দৃষ্টিগোচরহীন যেমনটি যখন দরকার ঠিক তখনের মতো।১৯৪৯ সালের ২৬ই নভেম্বর গণ-পরিষদ কর্তৃক সংবিধানটি গৃহীত হয়। আম্বেদকর ১৯৫১ সালে হিন্দু কোড বিল খসড়াটি সংসদের আস্তাবলে (stalling in parliament) রাখার কারণে মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা পৈতৃক সম্পত্তি, বিবাহ ও অর্থনীতি আইনের আওতায় লিঙ্গ সমতাকে ব্যাখ্যা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নেহেরু, মন্ত্রীসভা ও অনেক কংগ্রেস নেতারা ইহাকে সমর্থন জানালেও বেশিরভাগ সাংসদ এর সমালোচনা করেন। আম্বেদকর স্বাধীনভাবে ১৯৫২'র নির্বাচনে লোকসভার হয়ে সাংসদে নিন্মপদে (lower house of parliament) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, কিন্তু হেরে যান। তাঁকে পরে রাজ্যসভার উচ্চ পদস্থ সাংসদ পদে সমাসীন করা হয় ১৯৫২ সালের মার্চ মাসে এবং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি এই সদস্যপদে বহাল ছিলেন।",
"title": "ভীমরাও রামজি আম্বেডকর"
},
{
"docid": "257473#1",
"text": "২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, পাঁচজন বন্দুকধারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে চড়ে ভারতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে। হামলার ঠিক চল্লিশ মিনিট আগে রাজ্যসভা ও লোকসভা উভয়ই মুলতুবি হয়ে গিয়েছিল। তবে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হারীন পাঠক সংসদ ভবনের মধ্যেই ছিলেন (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ও তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন)। বন্দুকধারীরা গাড়ি নিয়ে সোজা তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি কৃষণ কান্তের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন (কৃষণ কান্ত সেই সময় সংসদ ভবনের মধ্যে ছিলেন)। তারপর গাড়ি থেকে বেরিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। উপ-রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী ও নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পালটা গুলি চালায়। তারপর সংসদ চত্বরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহিলা কনস্টেবল কমলেশ কুমারী প্রথম জঙ্গি স্কোয়াডটির আত্মগোপনের স্থানটি চিহ্নিত করেন। সুইসাইড ভেস্ট পরিহিত এক জঙ্গিকে গুলি করা হলে ভেস্টটি বিস্ফোরিত হয়। অপর চার বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের গুলিতে পাঁচ জন পুলিশকর্মী, একজন সংসদ নিরাপত্তা কর্মী ও একজন মালী নিহত হন। আহত হন মোট ১৮ জন। তবে মন্ত্রী বা সাংসদেরা কেউ হতাহত হননি।",
"title": "ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলা, ২০০১"
},
{
"docid": "642085#0",
"text": "মুপ্পাভারাপু ভেংকাইয়া নাইডু (জন্ম ১ জুলাই ১৯৪৯) ভারতের ১৩তম উপরাষ্ট্রপতি। তিনি মোদী কেবিনেটে আবাস ও শহরের দরিদ্রতা উন্নয়ন মন্ত্রী, নগরীয় উন্নয়ন মন্ত্রী ও তথ্য ও সম্প্রচারণ মন্ত্রী হিসাবে পরিষেবায় নিযুক্ত ছিলেন। ২০০২ সালের থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ হিসাবে কার্যকরী ছিলেন। এর আগে তিনি অটল বিহারী বাজপায়ীর কেবিনেটে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন।\n২০১৭ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থিত প্রার্থী হন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্টের গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে পরাজিত করে ভারতের ১৩ তম উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন।\n২০১৭ সালের ১১ আগষ্ট তারিখে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি রূপে শপথ গ্রহণ করান।",
"title": "ভেংকাইয়া নাইডু"
}
] |
ইউরোপের দক্ষিণে কোন মহাসাগর অবস্থিত ? | [
{
"docid": "1109#1",
"text": "ইউরোপের উত্তরে উত্তর মহাসাগর, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্বে কৃষ্ণ সাগর ও সংযুক্ত জলপথ রয়েছে। যদিও ইউরোপের সীমানার ধারণা ধ্রুপদী সভ্যতায় পাওয়া যায়, তা বিধিবহির্ভূত; যেহেতু প্রাথমিকভাবে ভূ-প্রাকৃতিক শব্দ \"মহাদেশ\"-এ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত।",
"title": "ইউরোপ"
}
] | [
{
"docid": "3563#1",
"text": "স্পেনের উত্তর সীমানাতে আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বাহু বিস্কায়া উপসাগর অবস্থিত। উত্তর-পূর্ব সীমানায় পিরিনীয় পর্বতমালা স্পেনের সাথে ফ্রান্স এবং অতিক্ষুদ্র রাষ্ট্র অ্যান্ডোরার একটি প্রাকৃতিক সীমানা গঠন করেছে। পূর্ব দিকে ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর এবং পশ্চিমে পর্তুগাল ও আটলান্টিক মহাসাগর স্পেনের বাকী সীমানা নির্ধারণ করেছে। স্পেনের সর্বদক্ষিণ বিন্দুটি মরক্কোর দিকে মুখ করে অবস্থিত এবং দেশ দুইটি সরু জিব্রাল্টার প্রণালী দ্বারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন; স্পেন তাই ইউরোপের সাথে আফ্রিকার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। এছাড়া আটলান্টিক মহাসাগরের লাস কানারিয়াস দ্বীপপুঞ্জ এবং ভূমধ্যসাগরের বালেয়ারীয় দ্বীপপুঞ্জগুলিও স্পেনের শাসনাধীন। এছাড়া মরক্কোতে সেউতা এবং মেলিইয়া নামের দুইটি ছিটমহল স্পেন পরিচালনা করে। উত্তর আফ্রিকার উপকূলের কাছে অবস্থিত পেনিয়ন দে বেলেস দে লা গোমেরা নামক দ্বীপ, আলহুসেমাস ও চাফারিনাস দ্বীপপুঞ্জগুলিও স্পেনের অধিকারে পড়েছে। ব্রিটিশদের অধীনে অবস্থিত জিব্রাল্টার স্পেনের মূল ভূখণ্ডের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তসীমায় অবস্থিত।",
"title": "স্পেন"
},
{
"docid": "1109#46",
"text": "ইউরোপীয় উপদ্বীপ ইউরেশীয় ভূখণ্ডের পশ্চিমা পঞ্চমাংশ গঠন করে। এটা অন্য যে কোনো মহাদেশ বা উপমহাদেশের চেয়ে ভূখণ্ডের তুলনায় উপকূলের উচ্চ অনুপাত রয়েছে। এর সমুদ্র সীমা উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, এবং দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর, কৃষ্ণ, এবং কাস্পিয়ান সমুদ্র। ইউরোপের ভূমিতে অপেক্ষাকৃত ছোট এলাকার মধ্যে বেশি তারতম্য দেখা যায়। দক্ষিণাঞ্চল বেশি পর্বতময়, অন্যদিকে উত্তরে যেতে যেতে উঁচু আল্পস, পিরেনে, এবং কার্পেথীয় থেকে ভূখণ্ড নিচু হতে থাকে, উঁচু পাহাড়ি ভূমির মধ্য দিয়ে পূর্বে বিশাল, বিস্তৃত, কম উত্তর সমতলে। এই বর্ধিত নিম্নভূমি বড় ইউরোপীয় সমভূমি হিসাবে পরিচিত, এবং এর মূল উত্তর জার্মান সমভূমিতে অবস্থিত। গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড দ্বীপের পশ্চিম অংশ থেকে শুরু হয়ে উঁচু একটা চাপ উত্তর-পশ্চিম সমুদ্রতীর বরাবর বিদ্যমান, এবং তা নরওয়ের পর্বতময়, সমুদ্রের খাঁড়ি কাটা বরাবর চলতে থাকে।",
"title": "ইউরোপ"
},
{
"docid": "359505#1",
"text": "ইউরোপের তিনটি উপদ্বীপের মধ্যে (ইতালি, বলকান ও \"ইবেরিয়া\") এটি সর্বাপেক্ষা পশ্চিমে অবস্থিত। এর সীমানা হল, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্বে ভূমধ্যসাগর এবং উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণপশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। উত্তরপূর্বে পিরেনিজ পর্বতমালা উপদ্বীপকে বাকি ইউরোপ থেকে পৃথক করে রেখেছে। উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্ত আফ্রিকার উত্তরপশ্চিম উপকূলের খুবই নিকটবর্তী এবং জিব্রাল্টার প্রণালী দ্বারা পৃথক হয়ে আছে।",
"title": "ইবেরীয় উপদ্বীপ"
},
{
"docid": "593574#6",
"text": "টেথিস সাগর ছিল তার পূর্বসুরী পুরাতন টেথিস বা প্যালিওটেথিস-এর মতোই সুপ্রাচীন একক মহাদেশ প্যানজিয়ার পূর্বদিকে অবস্থিত একটি তুলনামূলক অগভীর ত্রিভূজাকৃতি উপসাগরীয় সমুদ্র। তবে আকারে ছিল তা মহাসাগরের মতোই বিশাল। এর উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে অবস্থান করত এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, প্রভৃতি আজকের পৃথিবীর মহাদেশীয় ভূভাগগুলি। তবে দক্ষিণ ভারতীয় উপমহাদেশ তখন এশীয় ভূভাগের অংশ হিসেবে এই মহাসাগরের উত্তর তীরে নয়, বরং তার দক্ষিণ তীর সংলগ্ন অংশেই অবস্থান করত। মহাদেশগুলির তীরভূমি সংলগ্ন অংশে এই মহাসাগরের তলদেশও ছিল অগভীর ও প্রায় সমতল। বিশেষত আজকের ইউরোপ মহাদেশের যে অংশগুলি সে' সময় এর তীরবর্তী ছিল, সে' সমস্ত অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।.",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "290463#0",
"text": "বাল্টিক সাগর ইউরোপের উত্তরাংশে অবস্থিত। এর চারদিকে স্ক্যান্ডিনেভীয় উপদ্বীপ, ইউরোপ মহাদেশের মূল ভূখণ্ড এবং ডেনমার্কের দ্বীপসমূহ অবস্থিত। পূর্বে এটি উত্তর মহাসাগরের সাথে যুক্ত। কৃত্রিম শ্বেত সাগর খালের মাধ্যমে এটি শ্বেত সাগরের সাথে যুক্ত। বাল্টিক সাগরের কতগুলো বাহু রয়েছে যেগুলোকে উপসাগরে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। উত্তরে অবস্থিত বথনিয়া উপসাগর, উত্তর-পূর্বে ফিনল্যান্ড উপসাগর ও পূর্বে রিগা উপসাগর অবস্থিত।",
"title": "বাল্টিক সাগর"
},
{
"docid": "16823#0",
"text": "আয়ারল্যান্ড উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। মহাসাগরের কারণে দ্বীপটির পশ্চিম তটরেখা অমসৃণ; এই উপকূলে অনেক ছোট দ্বীপ, উপদ্বীপ ও উপসাগর আছে। আয়ারল্যান্ডের কেন্দ্রে রয়েছে নিম্ন সমভূমি আর এর চারদিক ঘিরে রেখেছে উপকূলীয় পাহাড়। ১০৪১ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট কারাউনটুয়োহিল সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এছাড়াও আছে কিছু বড় বড় হ্রদ। আয়ারল্যান্ডের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত শ্যানন নদী দ্বীপটিকে দুইভাগে ভাগ করেছে। ২৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পড়েছে। আয়ারল্যান্ড দক্ষিণে আইরিশ সাগরের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে থেকে এবং কেল্টীয় সাগরের মাধ্যমে মূল ইউরোপীয় ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন।",
"title": "আয়ারল্যান্ডের ভূগোল"
},
{
"docid": "64197#0",
"text": "উত্তর সাগর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি প্রান্তীয়, ভূভাগীয় সাগর, যেটি ইউরোপীয় মহীসোপানের উপর অবস্থিত। সাগরটির পূর্বে নরওয়ে ও ডেনমার্ক, পশ্চিমে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড, এবং দক্ষিণে জার্মানি, নেদারল্যান্ড্স, বেলজিয়াম ও ফ্রান্স। সাগরটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৯৭০ মাইল ও পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ৫৬০ মাইল দীর্ঘ এবং এর আয়তন প্রায় ৫,৭৫,০০০ বর্গকিমি। উত্তর সাগর ঐতিহাসিকভাবে জার্মান মহাসমুদ্র বা জার্মানীয় সাগর নামেও পরিচিত ছিল। লাতিন ভাষায় এর নাম \"Mare Germanicum\" (\"মারে গের্মানিকুম\")।",
"title": "উত্তর সাগর"
},
{
"docid": "1108#1",
"text": "এশিয়ার সীমানা সাংস্কৃতিকভাবে নির্ধারিত হয়, যেহেতু ইউরোপের সাথে এর কোনো স্পষ্ট ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা নেই, যা এক অবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডের গঠন যাকে একসঙ্গে ইউরেশিয়া বলা হয়। এশিয়ার সবচেয়ে সাধারণভাবে স্বীকৃত সীমানা হলো সুয়েজ খাল, ইউরাল নদী, এবং ইউরাল পর্বতমালার পূর্বে, এবং ককেশাস পর্বতমালা এবং কাস্পিয়ান ও কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণে। এটা পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং উত্তরে উত্তর মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। ইউরাল পর্বতমালা, ইউরাল নদী, কাস্পিয়ান সাগর, কৃষ্ণসাগর এবং ভূমধ্যসাগর দ্বারা এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশ দুটি পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন। এছাড়া লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল এশিয়া মহাদেশকে আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সংকীর্ণ বেরিং প্রণালী একে উত্তর আমেরিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে। উল্লেখ্য, বেরিং প্রণালীর একদিকে অবস্থান করছে এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত রাশিয়ার উলেনা এবং অপর পাশে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অন্তর্গত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা। এই প্রণালীটির সংকীর্ণতম অংশটি মাত্র ৮২ কি•মি• চওড়া, অর্থাৎ বেরিং প্রণালীর এই অংশ হতে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দূরত্ব মাত্র ৮২ কি•মি•।",
"title": "এশিয়া"
}
] |
গণিতবিদ আর্যভট্টের জন্ম কোথায় হয় ? | [
{
"docid": "35310#1",
"text": "আর্যভট্টের কাজ থেকে তাঁর জন্মসাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেলেও তাঁর জন্মস্থান নিয়ে সুবিশেষ কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আর্যভট্টের অন্যতম ভাষ্যকার প্রথম ভাস্করের ভাষ্য অণুযায়ী তাঁর জন্ম হয়েছিল অশ্মকা নামের একটি জায়গায়। প্রাচীন বৌদ্ধ এবং হিন্দু রীতিতে এই জায়গাটিকে নর্মদা এবং গোদাবরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে দক্ষিণ গুজরাট এবং উত্তর মহারাষ্ট্রের আশেপাশের একটি জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।",
"title": "আর্যভট্ট"
}
] | [
{
"docid": "35310#0",
"text": "আর্যভট্ট (দেবনগরী: आर्यभट) (৪৭৬ – ৫৫০) প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গণিতবিদদের মধ্যে একজন। ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম তার নামে \"আর্যভট্ট\" রাখা হয়।",
"title": "আর্যভট্ট"
},
{
"docid": "35310#3",
"text": "প্রাচীন ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে আর্যভট্টের হাত ধরেই ক্লাসিকাল যুগ (কিংবা স্বর্ণযুগ) শুরু হয়। গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আর্যভট্টের বিভিন্ন কাজ মূলত দুটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মাঝে ‘আর্যভট্টীয়’ একটি, যেটি উদ্ধার করা গিয়েছে। এটি রচিত চার খণ্ডে, মোট ১১৮টি স্তোত্রে। অন্য যে কাজটি সম্পর্কে জানা যায় সেটি হল ‘আর্য-সিদ্ধান্ত’। আর্য-সিদ্ধান্তের কোন পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত এবং প্রথম ভাস্করের কাজে এটির উল্লেখ মেলে। আর্যভট্ট গ্রন্থ রচনা করেছেন পদবাচ্যের আকারে। \nমাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্যভট্ট এই গ্রন্থটি সংকলন করেন। এ চারটি অধ্যায় দশগীতিকা, গণিতপাদ, কালক্রিয়াপদ ও গোলপাদ। দশগীতিকা, কালক্রিয়া ও গোলপাদ অধ্যায়ে গোলীয় ত্রিকোণমিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী রয়েছে। অন্যদিকে গণিত পাদে আছে পাটীগণিত, বীজগণিত, সমতল ত্রিকোণমিতি, দ্বিঘাত সমীকরণ, প্রথম n সংখ্যক স্বাভাবিক সংখ্যার ঘাতবিশিষ্ট পদ সমূহের বর্গ ও ঘনের সমষ্টি এবং একটি সাইন অণুপাতের সারণি রয়েছ। তাছাড়া এই অধ্যায়ে সে সময়কার জনপ্রিয় জ্যোতিষচর্চার প্রয়োজনীয় ৩৩টি গাণিতিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। গণিতপাদে আর্যভট্ট পাই-এর মান তথা বৃত্তের পরিধির সঙ্গে এর ব্যাসের মান ৩.১৪১৬ হিসাবে চিহ্নিত করেন। তিনি ভারতবর্ষে শূন্যের প্রচলন করেন।",
"title": "আর্যভট্ট"
},
{
"docid": "41669#0",
"text": "এমিল আর্টিন () (৩রা মার্চ, ১৮৯৮ - ২০শে ডিসেম্বর, ১৯৬২) অস্ট্রীয় গণিতবিদ। ভিয়েনায় তাঁর জন্ম হয়। তিনি ভিয়েনা, লাইপ্ৎসিশ ও গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তিনি হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি নাৎসি জার্মানি ত্যাগ করে আমেরিকায় পাড়ি জমান এবং সেখানে নটরডেম, ইন্ডিয়ানা ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি জার্মানিতে ফিরে যান এবং হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।",
"title": "এমিল আর্টিন"
},
{
"docid": "83871#0",
"text": "আর্যভট্ট ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি প্রাচীন ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আর্যভট্টের নামাঙ্কিত। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ এপ্রিল তারিখে কাপুস্টিন ইয়ার থেকে কসমস-৩এম লঞ্চ ভেহিকলের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক উৎক্ষেপিত হয় এই যানটি। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) মহাকাশবিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণার কাজ চালানোর জন্য এই উপগ্রহটি নির্মাণ করেন। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আর্যভট্ট পুনরায় প্রবেশ করে।",
"title": "আর্যভট্ট (উপগ্রহ)"
},
{
"docid": "41677#0",
"text": "আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড () (১৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৬১ র্যাম্সগেট, কেন্ট, ইংল্যান্ড – ৩০শে ডিসেম্বর, ১৯৪৭ ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র) ইংরেজ বংশোদ্ভূত গণিতবিদ ও পরবর্তীকালে দার্শনিক। তিনি বীজগণিত, যুক্তিবিজ্ঞান, গণিতের ভিত্তি, বিজ্ঞানের দর্শন, পদার্থবিজ্ঞান, অধিবিদ্যা ও শিক্ষার ওপর লেখেন। বারট্রান্ড রাসেলের সাথে মিলে তিনি সুবিশাল \"প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেম্যাটিকা\" রচনা করেন।",
"title": "আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড"
},
{
"docid": "1398#0",
"text": "আলবার্ট আইনস্টাইন () (মার্চ ১৪, ১৮৭৯ - এপ্রিল ১৮, ১৯৫৫) জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "35310#2",
"text": "কিছু তথ্যমতে জানা যায় যে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য কুসুমপুরায় গিয়েছিলেন। তিনি কুসুমপুরায়ই বসবাস করতেন, তার ভাষ্যকার প্রথম ভাস্কর এই স্থানকে পাটালিপুত্র নগরী অভিহিত করেছেন। তিনি কুসুমপুরের আর্যভ নামে খ্যাত ছিলেন। তাঁর কাজের অধিকাংশই তিনি করেছিলেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেই তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষাশেষে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। কেউ কেউ বলেছেন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবেও আর্যভট্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন।",
"title": "আর্যভট্ট"
},
{
"docid": "41652#0",
"text": "আইজাক ব্যারো () (১৬৩০—৪ই মে, ১৬৭৭) ইংরেজ গণিতবিদ যিনি স্পর্শক নির্ণয়ের একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন ও ১৬৭০ সালে তা প্রকাশ করেন। তাঁর এই পদ্ধতি বর্তমান অন্তরকলনবিদ্যায় ব্যবহৃত হয়। তিনিই সম্ভবত প্রথম ব্যক্তি যিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, স্পর্শক নির্ণয় করা এবং বক্ররেখার নিচের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা- এই দুইটি বিপরীত প্রক্রিয়া। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর তার পরামর্শে আইজাক নিউটন ঐ পদে আসীন হন। তিনি ছিলেন প্রথম লুকাসিয়ান অধ্যাপক।",
"title": "আইজাক ব্যারো"
},
{
"docid": "1398#4",
"text": "তিনি বলেছেন\"ধর্ম ছাড়া যে বিজ্ঞান সেটা হল পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া যে ধর্ম সেটা হল অন্ধ\"। আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের (ঊনবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল-এর মৃত্যুর বছর) ১৪ মার্চ উল্ম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে মিউনিখে। আইনস্টাইনের বাবা-মা ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ মধ্যবিত্ত ইহুদি। বাবা হেরমান আইনস্টাইন মূলত পাখির পালকের বেড তৈরি ও বাজারজাত করতেন। পরবর্তীতে তিনি মিউনিখে একটি তড়িৎ যন্ত্র নির্মাণ কারখানা স্থাপন করে মোটামুটি সফলতা পান। এই কোম্পানির নাম ছিল \"Elektrotechnische Fabrik J. Einstein & Cie\" যা মিউনিখের Oktoberfest-কে প্রথম বিদ্যুতায়িত করে এবং Schwabing-কে প্রথম বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। তার মা পলিন কখ পরিবারের অভ্যন্তরীণ সব দায়িত্ব পালন করতেন। তার এক বোন ছিল যার নাম মাজা। আইনস্টাইনের জন্মের দুই বছর পর তার জন্ম হয়। ছোটবেলায় দুইটি জিনিস তার মনে অপার বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল। প্রথমত পাঁচ বছর বয়সে একটি কম্পাস হাতে পান এবং তার ব্যবহার দেখে বিস্মিত হন। অদৃশ্য শক্তির কারণে কিভাবে কম্পাসের কাঁটা দিক পরিবর্তন করছে ? তখন থেকে আজীবন অদৃশ্য শক্তির প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। এরপর ১২ বছর বয়সে তিনি জ্যামিতির একটি বইয়ের সাথে পরিচিত হন। এই বইটি অধ্যয়ন করে এত মজা পেয়েছিলেন যে একে আজীবন \"পবিত্র ছোট্ট জ্যামিতির বই\" বলে সম্বোধন করেছেন। আসলে বইটি ছিল ইউক্লিডের এলিমেন্ট্স। তার প্রথম স্কুল ছিল ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুল। বাকপটুতা না থাকলেও তিনি এলিমেন্টারি স্কুলের সেরা মেধাবী ছাত্র ছিলেন।\n১২ বছর বয়সে আইনস্টাইন হঠাৎ বেশ ধার্মিক হয়ে উঠেছিলেন। স্রষ্টারগুণকীর্তণ করে বিভিন্ন গান ও পঙক্তি আয়ত্ত করেছিলেন স্কুলে। তার কথা বলার ক্ষমতা খুব একটা ছিল না, তথাপি স্কুলে বেশ ভালো ফলাফল করেছিলেন। কিন্তু বিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়ার পর থেকে তার ধর্মীয় চেতনা কমে যেতে থাকে। কারণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সাথে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরোধ লেগে যাচ্ছিলো। আর বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলো ছিল নিশ্চিতরূপে প্রমাণিত। এহেন অবস্থায় তৎকালীন ইহুদি নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায়তনের কর্তৃপক্ষ তার উপর বিশেষ সন্তুষ্ট ছিল না। মা'র আগ্রহে মাত্র ৬ বছর বয়সে আইনস্টাইন বেহালা হাতে নেন। বেহালা বাজানো খুব একটা পছন্দ করতে পারেন নি, তাই তখন তা ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি মোৎসার্টের বেহালার সুরের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি এ সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিজে নিজে তৈরি করে অন্যদের দেখাতেন। এ সময় থেকেই গণিতের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ও মেধার পরিচয় পাওয়া যায়।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
}
] |
নোমান ইবনে সাবিত ইবনে যুতা ইবনে মারযুবান কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "311727#0",
"text": "নোমান ইবনে সাবিত ইবনে যুতা ইবনে মারযুবান (৬৯৯ — ৭৬৭ CE / ৮০ — ১৪৮ AH)(), উপনাম ইমাম আবু হানিফা নামেই অত্যধিক পরিচিত, ছিলেন ফিকহশাস্ত্রের একজন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ এবং হিজরী প্রথম শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ইসলামী ফিকহের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও পরিচিত চারটি সুন্নি মাযহাবের একটি “হানাফি মাযহাব”-এর প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।",
"title": "আবু হানিফা"
}
] | [
{
"docid": "407596#0",
"text": "হাসসান ইবনে সাবিত (আরবি: حسان بن ثابت ) (মৃত্যু ৬৭৪) ছিলেন একজন আরব কবি এবং একজন সাহাবা। তিনি ইয়াসরিবে (মদিনা) জন্মগ্রহণ করেন এবং বনু খাজরাজ গোত্রের সদস্য ছিলেন। ইসলামের ঐতিহ্যগত ইতিহাস অনুসার, তিনি ছিলেন মুহাম্মদ (সা.) এর সভাকবি।\nতিনি বহুল প্রচারিত নাত \"আস-সুবুহু বাদা মিন তালা'আতিহি\" এর মূল রচয়িতা।",
"title": "হাসসান ইবনে সাবিত"
},
{
"docid": "381933#1",
"text": "ইবনে বাজা বর্তমান স্পেনের আরাগণের জারাগোজায় ১০৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১১৩৮ সালে মরক্কোর ফেজে মৃত্যুবরণ করেন। জারাগোজার আলমোরাভি গভর্নর আবু বকর ইবনে ইবরাহিম ইবনে তিফিলউইতের উজির হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কবিতায় লিখেছেন। তিনি কবি আল তুতিলির সাথে কবিতার প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন। প্রায় ২০ বছর যাবত তিনি মরক্কোর আলমোরাভি সুলতান ইউসুফ ইবনে তাশুফিনের ভাই ইয়াহিয়া ইবনে ইউসুফ ইবনে তাশুফিনের উজির হিসেবে কাজ করেন। ইবনে বাজা \"কিতাবুল নাবাত\" নামক উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের রচয়িতা। এতে উদ্ভিদের লিঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তার শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন সেভিলের চিকিৎসক আবু জাফর ইবনে হারুন আল তুরজালি।",
"title": "ইবনে বাজা"
},
{
"docid": "400658#0",
"text": "তুমাদির বিনতে আমর ইবনে হারিস ইবনে শারিদ আল সুলামিয়া () (সাধারণত আল খানসা বলে পরিচিত) () ছিলেন ৭ম শতাব্দীর একজন আরব কবি। তিনি নজদ অঞ্চলে (বর্তমান সৌদি আরবের মধ্যাঞ্চল) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুহাম্মদ (সা) এর সমসাময়িক ছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।",
"title": "আল খানসা"
},
{
"docid": "58619#0",
"text": "গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি ( (; , ; জ. মে ৩১ ১০৪৮ - মৃ. ডিসেম্বর ৪, ১১৩১) একজন ইরানের কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করার পর যুবা বয়সে তিনি সমরখন্দে চলে যান এবং সেখানে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এর পর বুখারায় নিজেকে মধ্যযুগের একজন প্রধান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ “Treatise on Demonstration of Problems of Algebra“ গ্রন্থে তিনি ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধানের একটি পদ্ধতি বর্ণনা করেন। এই পদ্ধতিতে একটি পরাবৃত্তকে বৃত্তের ছেদক বানিয়ে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান করা হয়।\nওমর ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারেও তার অবদান রয়েছে।",
"title": "ওমর খৈয়াম"
},
{
"docid": "546496#37",
"text": "দ্বিতীয় প্রভাবশালী অনুলিপিটি ছিল উবাই ইবনে কাবের। তিনি মদিনায় খাযরায গোত্রে জন্ম নেন। \"বাইয়াতে আকাবা\"য় যারা ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি তাদর একজন। মুহাম্মদ (সাঃ) যাদের কোরআন লেখার দায়ীত্ব প্রদান করেন তিনি তাদের অন্যতম। তিনি ছিলেন নবী (সাঃ) এর ব্যাক্তিগত লেখক। যে চার জন সাহাবী \nথেকে মুহাম্মদ (সাঃ) কোরআন শিখার কথা বলেন তিনি তাদের একজন। ( সহীহ বুখারী খন্ড ৫ পৃ ৯৬)। নবী (সাঃ) মৃত্যুর সময় যে ২৫ জন সাহাবী কোরআন সম্পূর্ণ মুখস্থ জানতেন তিনি তাদের একজন। তিনি বিশেষ ভাবে দন্ডবিধি আয়াত সম্পর্কে জানতেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে , মুহাম্মদের জীবদ্দশায় তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের চেয়েও বড় কুরআন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি যথাক্রমে আবু বকর, ওমর ও উসমান (রাঃ) এর সময় তদের পরামর্শক ছিলেন। ৬৪৯ সালে তার মৃত্যু হয়।",
"title": "কুরআনের ইতিহাস"
},
{
"docid": "549954#1",
"text": "হযরত উবাই (রা) মদিনায় (পূর্ব ইয়াসরিব) বনু খাজরাজ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আকাবা শপথের সময় ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি। মদিনা হিজরতের পূর্বে তিনি একজন আনসার হয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন ব্যস্তাও বদর যুদ্ধসহ অন্যান্ন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ন।",
"title": "উবাই ইবনে কাব"
},
{
"docid": "349581#0",
"text": "কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (); () ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা:) এবং খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ এর সন্তান। তিনি তার দ্বিতীয় জন্মদিনের আগে ৬০৫ খ্রিস্টাব্দ মারা যান এবং তিনি সৌদি আরবের মক্কার জান্নাতুল মওলা কবরস্থান সমাহিত আছেন। তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর প্রথম সন্তান। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপনাম বা কুনিয়া ছিল আ’বুল কাসিম। নবুওয়াতের পূর্বে কাসিম জন্মগ্রহণ করেন এবং বাল্যকালে মক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। যুবায়ের ইবনে বাক্কা সনদসহ বণর্না করেন যে, বিবি খাদিজা (রা)-এর গর্ভে কাসিম জন্মগ্রহণ করেন এবং চলাফিরা করতে পারেন এমন বয়স পযর্ন্ত জীবিত ছিলেন। কাতাদা এই মত সমর্থন করেন। ইবনে সাদ, মুহাম্মাদ ইবনে জুবায়র ইবনে মুতঈম প্রমুখ বলেন যে কাসিম দুই বৎসর বয়সে মারা যান। ইবনে মাজা ও অন্যান্যসূত্রে প্রকাশ কাসিমের মৃত্যুর পর খাদিজা (রাঃ) বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি দুগ্ধবতী জননী, কাসিমকে যদি আল্লাহতা’আলা দুগ্ধপান শেষ করা পযর্ন্ত জীবিত রাখতেন তবে কতই না ভাল হত।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, “জান্নাতেই তাহার দুগ্ধপান শেষ হবে।” র্পূববর্তী মনীষীরা কাসিমকে সাহাবীদের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত করেননি। ইমাম বুখারী (র) তাঁহার তারীখুল আওসাত গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, কাসিম ইসলাম র্পূব যুগেই মারা যান।",
"title": "কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ"
},
{
"docid": "311727#1",
"text": "উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের রাজত্বকালে ইমাম আবু হানিফা ইরাকের কুফা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ছয় বছর বয়সে আবদুল মালিক মৃত্যুবরণ করেন। ষোল বছর বয়সে তিনি পিতার সাথে হজ্জে গিয়েছিলেন তার পিতা সাবিত বিন যুতা কাবুল, আফগানিস্তানের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার পিতার বয়স যখন ৪০ বছর তখন আবু হানিফা জন্মগ্রহণ করেন। বংশধরের দিক থেকে তাকে অ-আরবীয় বলে ধরা হয়ে থাকে কারণ তার দাদার নামের শেষে যুতা। প্রখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদ খতীবে বাগদাদী আবু হানিফার নাতি ইসমাইল বিন হামাদের বক্তব্য থেকে আবু হানিফার বংশ ব্যাখা দেন। অন্য আরেক ইতিহাসবিদ হামাদ আবু হানিফাকে পারসিক বংশ্বদ্ভূত বলে দাবি করেন। আবু হানিফার বংশ নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য মত হলো তিনি কাবুলের পারসিক বংশদ্ভূত।",
"title": "আবু হানিফা"
},
{
"docid": "350489#0",
"text": "বিলাল ইবনে রাবাহ (রাঃ) ছিলেন নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর একজন ঘনিষ্ঠ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাঙ্গ সাহাবী। তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং আবিসিনিয় বা হাবাশী (বর্তমান ইথিওপিয়া) বংশোদ্ভুত ছিলেন। তিনি ছিলেন মক্কার কুরাইশ নেতা উমাইয়া ইবনে খালফ-এর ক্রীতদাস। ইসলাম গ্রহণের কারণে তিনি তার মনিব দ্বারা নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতিত হন। পরবর্তীতে আবু বকর(রাঃ) তাকে ক্রয় করেন দ্বাসত্ব ও অত্যাচার থেকে মুক্ত করেন| হিজরতের পর মদীনায় থাকাকালীন অবস্থায় তিনিই সর্বপ্রথম আযান দেয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। নবী মুহাম্মদ(সাঃ) এর সঙ্গী হিসেবে প্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী হওয়ার অগ্রিম সুসংবাদও তিঁনি নিজ জীবদ্দশাতেই নবী মুহাম্মদ(সাঃ) এর কাছ থেকে পেয়েছিলেন। \nবিলাল ইবনে রাবাহ ৫৮০ খ্রিস্টাব্দে হেজাজের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রাবাহ ছিলেন একজন আরব দাস এবং তার মাতা হামামাহ ছিলেন একজন প্রাক্তন আবিসিনিয় রাজকুমারী, যাকে আমুল-ফিল এর ঘটনার সময় আটক করে দাসী করে রাখা হয়। দাস হিসেবে জন্মানোয়, বিলাল (রা:) কেও তার মনিব উমাইয়া ইবন খালাফ এর জন্য কাজ করতে হয়। কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন বলে বিলাল (রা:) একজন ভাল দাস হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং তার কাছেই আরবের পুতুলগুলোর ঘরের চাবি থাকতো। কিন্তু বর্ণবাদ এবং আরবের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে সেসময় তিনি সমাজের উচুস্তরে যেতে পারেননি।",
"title": "বিলাল ইবনে রাবাহ"
}
] |
২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত লাস্ট স্টোরিস চলচ্চিত্রে রাধিকা আপ্টের অভিনীত চরিত্রটির নাম কি ছিল ? | [
{
"docid": "661862#1",
"text": "কালিন্দি (রাধিকা আপ্টে) একজন কলেজ শিক্ষক, যিনি তেজস নামে তারই একজন শিক্ষার্থীর সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরের সকালে তিনি নিজেকে প্রবোধ দেন যে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না, কিন্তু তিনি শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্কের প্রতি জোর দেন। কয়েকটি দৃশ্যে তাকে সাক্ষাৎকারের মত পর্দার বাইরে কারও সাথে কথা বলতে দেখা যায়। এই দৃশ্যের মাঝে মাঝে তাকে বলতে দেখা যায় যে তিনি মিহির নামে একজনের স্ত্রী, যিনি তার থেকে ১২ বছরের বড়। তার নিজের প্রেম ও অসংখ্য স্বল্পকালীন সম্পর্কের ভিত্তিতে তিনি তার যৌনতা প্রকাশ করতে চান। তিনি তার সহকর্মী নীরজের (রণদীপ ঝা) সাথে ডেটিং করতে শুরু করেন, কিন্তু নীরজের একবিবাহে বিশ্বাস ও তার যৌনতার ব্যাপারে আনাড়িপনার জন্য তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। যখন কালিন্দি বুঝতে পারে তেজস তার সহপাঠী নাতাশার (হৃদি খখর) সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তেজস তা তীব্রভাবে অস্বীকার করে। কালিন্দি তার স্বীকারোক্তি পাওয়ার জন্য দুজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তেজসের কক্ষেও প্রবেশ করে। অবশেষে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে কালিন্দি তেজসকে জানান যে তিনি তার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন এবং নাতাশার সাথে তার সম্পর্কের জন্য তাকে শুভকামনা জানান। তেজস তাকে বলে সে তার স্নেহানুভূতি সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিল এবং তার জন্য নাতাশাকে ছাড়তে রাজি হয়। কালিন্দি তাকে জানান যে তিনি বিবাহিত এবং তেজসকে অভিভূত করে চলে যান।",
"title": "লাস্ট স্টোরিস"
}
] | [
{
"docid": "661862#0",
"text": "লাস্ট স্টোরিস () ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় চলচ্চিত্র যেটিতে চারজন পরিচালক অনুরাগ কশ্যাপ, জয়া আখতার, দিবাকর ব্যানার্জী এবং করণ জোহর তাদের চারটি কাহিনী পেশ করেন। চলচ্চিত্রটি সহ-প্রযোজনা করেছিলেন রনি স্ক্রুওয়ালা এবং অভিনয়ে ছিলেন কিয়ারা আদভানি, রাধিকা আপ্টে, ভূমি পেড়নেকর, মনীষা কৈরালা, ভিকি কুশল, নিল ভুপালাম, নেহা ধুপিয়া, সঞ্জয় কাপুর, জয়দ্বীপ আহলাওয়াত এবং আকাশ তুষার।",
"title": "লাস্ট স্টোরিস"
},
{
"docid": "255934#1",
"text": "চলচ্চিত্রটির কাহিনী নেওয়া হচ্ছে টিম পাওয়ারের উপন্যাস \"অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস\" থেকে। এই পর্বে ফাউন্টেইন অব ইয়ুথের সন্ধানে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো (জনি ডেপ) অ্যাঞ্জেলিকা’র (পেনেলোপে ক্রুজ) সাথে যোগ দেন। তাঁদের সাথে ফাউন্টেইন অব ইয়ুথের সন্ধানের আরও যোগ দেয় জলদস্যু ব্ল্যাকবিয়ার্ড (ইয়ান ম্যাকশেন), এবং তাঁদের পিছু নেয় ক্যাপ্টেন বারবোসা (জিওফ্রে রাশ)। চলচ্চিত্রটি পরিবেশিত হয় ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের সৌজন্য। ১৮ ও ২০ মে ২০১১-এর চলচ্চিত্রটি যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে, ও বিশ্বব্যাপী মুক্তি লাভ করে। ডিজনি ডিজিটাল থ্রি-ডি ও আইম্যাক্স থ্রিডি ফরম্যাটের পাশাপাশি প্রচলিত দ্বিমাত্রিক আইম্যাক্স ফরম্যাটেও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।",
"title": "পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস"
},
{
"docid": "67983#0",
"text": "দ্য সিক্স্থ সেন্স ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন মনস্তাত্ত্বিক হরর চলচ্চিত্র। একাডেমি পুরস্কার মনোনয়নপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি রচনা এবং পরিচালনা করেছেন মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক এম নাইট শ্যামালান। ব্রুস উইলিস অভিনিত এই চিত্রে প্রধান পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছে হেইলি জোল অজমেন্ট (কোল)। কোল নামে একটি ছেলে বন্ধু মহল এবং স্বাভাবিক সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তার কিছু মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার কারণে। সে দাবী করে \"আমি মৃত মানুষ দেখতে পাই\"। এই ছেলেটিকে ঘিরেই এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে যাতে ব্রুস উইলিস একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় অভিনয় করে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শ্যামালান চলচ্চিত্র সমাজে একজন লেখক ও পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান।",
"title": "দ্য সিক্সথ সেন্স"
},
{
"docid": "580595#3",
"text": "এন্টারটেইনমেন্ট উইকলিতে প্রথমে প্রকাশিত হয় মেরি জেন ওয়াটসন ও গোয়েন স্টেসি দুটি চরিত্রই থাকবে, পরে দ্য র্যাপ ওয়েবসাইটে বলা হয় শুধু গোয়েন স্টেসি থাকবে। ২০১০ সালের আগস্টে দ্য হলিউড রিপোর্টার-এ প্রকাশিত তালিকায় নাম আসা শিল্পীরা হলেন লিলি কলিন্স, অফেলিয়া লভিবন্ড, ইমোজেন পুটস, টেরেসা পালমার, এমা রবার্টস, ও মেরি এলিজাবেথ উইনস্টেড। ২০১০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের তালিকায় এদের সাথে এমা স্টোন ও মিয়া ওয়াসিকভস্কার নাম যুক্ত হয় এবং পরে আরো যুক্ত হয় ডায়ানা অ্যাগ্রন, জর্জিনা হেইগ ও ডমিনিক ম্যাকএলিগটদের নাম। ২০১০ সালে ৫ অক্টোবর এমা স্টোনকে চূড়ান্ত পছন্দ হিসেবে নির্বাচন করা হয়।",
"title": "দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান (২০১২-এর চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "631938#3",
"text": "২০১৮ সালে, তিনি মার্কিন জনপ্রিয় কমিক বই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মার্ভেল কমিকস-এর মালিকানা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্ভেল স্টুডিওস দ্বারা প্রযোজিত প্রতিষ্ঠান যার একটি এজেন্সি, মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স-এর মার্কিন কল্পবিজ্ঞান দৃশ্যকাব্যের চলচ্চিত্র ব্লাক প্যান্থার-এ সহকারী অভিনেত্রীর ভূমিকায় শুরি হিসেবে অভিনয় করেছেন, চলচ্চিত্রটিতে তিনি শিরোনামিক ভূমিকা, এছাড়াও চলচ্চিত্রটির মূল ভূমিকা \"ব্লাক প্যান্থার\"-এর, বোন হিসেবে অভিনয় করেছেন, যেখানে মূল শিরোনামিক ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মার্কিন অভিনেতা চাদউইক বোসম্যান। জনপ্রিয় মার্কিন চলচ্চিত্র ধারাবাহিক \"এভেন্জার্স\" এর আসন্ন মুক্তি পেতে যাওয়া ধারাবাহিক \"\"-চলচ্চিত্রটিতেও তিনি একই ভূমিকায় অভিনয় করবেন, যেটি ২০১৮ সালেই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি, মার্কিন ঔপন্যাসিক আর্নেস্ট ক্রাইন-এর ২০১১ সালের কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস \"রেডি প্লেয়ার ওয়ান\" অবলম্বনে তৈরী এর চলচ্চিত্র সংস্করণ \"রেডি প্লেয়ার ওয়ান\" এ \"রেব\" ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যেটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ, এবং এই চলচ্চিত্রটিও একই বছর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।",
"title": "লেটিটিয়া রাইট"
},
{
"docid": "110326#4",
"text": "চলচ্চিত্রটির কাহিনী নেওয়া হচ্ছে টিম পাওয়ারের উপন্যাস \"অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস\" থেকে। এই পর্বে ফাউন্টেইন অফ ইয়ুথের সন্ধানে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো (জনি ডেপ) অ্যাঞ্জেলিকা’র (পেনেলোপে ক্রুজ) সাথে যোগ দেন। তাঁদের সাথে ফাউন্টেইন অফ ইয়ুথের সন্ধানের আরও যোগ দেয় জলদস্যু ব্ল্যাকবিয়ার্ড (ইয়ান ম্যাকশেন), এবং তাঁদের পিছু নেয় ক্যাপ্টেন বারবোসা (জিওফ্রে রাশ)। চলচ্চিত্রটি পরিবেশিত হয় ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের সৌজন্য। ১৮ ও ২০ মে ২০১১-এর চলচ্চিত্রটি যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে, ও বিশ্বব্যাপী মুক্তি লাভ করে। ডিজনি ডিজিটাল থ্রি-ডি ও আইম্যাক্স থ্রিডি ফরম্যাটের পাশাপাশি প্রচলিত দ্বিমাত্রিক আইম্যাক্স ফরম্যাটেও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।",
"title": "পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান (ধারাবাহিক চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "646241#0",
"text": "নিকোলা অ্যানি পেল্টজ (জন্ম জানুয়ারী ৯, ১৯৯৫) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তার অভিনয়ে সাফল্যমন্ডিত চরিত্রটি আসে যযখন তিনি ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রণ এবং রোমাঞ্চকর কাহিনী সমৃদ্ধ মার্কিন চলচ্চিত্র \"দ্য লাস্ট এয়্যারবেন্ডার\" চলচ্চিত্রে ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পযন্ত তিনি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এএন্ডই-এ প্রচারিত অধীরতামূলক দৃশ্যকাব্যের ধারাবাহিক \"বেইট'স মোটেল\"-এ ব্রেডলি মার্টিন হিসেবে সহ-অভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি জনপ্রিয় মার্কিন চলচ্চিত্র ধারাবাহিক ট্রান্সফরমার্স-এর চতুর্থ চলচ্চিত্র ধারাবাহিক \"\"-এ টেসা ইয়েগার ভূমিকায় অভিনয় করেন।",
"title": "নিকোলা পেল্টজ"
},
{
"docid": "553414#4",
"text": "\"ওয়ান লাইফ টু লিভ\" ধারাবাহিকে স্কট প্রথমে পাঁচটি পর্বে অভিনয় করেন। পরে সর্বমোট ১৩৭টি পর্বে তিনি ফিরে আসেন। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে স্কট অভিনীত অলিভার ফিশের চরিত্রটিকে কাইল লিউইস (ব্রেট ক্লেওয়েল অভিনীত) নামে অপর এক পুরুষের সঙ্গে প্রণয় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। প্যাট্রিসিয়া মসেরি নামে এক অভিনেত্রী এই ধারাবাহিকে ১৯৯৫ সাল থেকে পরপর বিভিন্ন পর্বে অভিনয় করছিলেন। কিন্তু গল্পের সঙ্গে চরিত্রটির সম্পর্ক নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে ধর্মীয় আপত্তি উঠতে শুরু করলে তাঁকে এই ধারাবাহিক থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপরই এই ধারাবাহিকের গল্পটি অধিকতর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করে।",
"title": "স্কট ইভানস (অভিনেতা)"
},
{
"docid": "686165#2",
"text": "২০০৯ সালে, সেন্টিনিও পারিবারিক দৃশ্যকাব্যের চলচ্চিত্র \"দ্য গোল্ড রিট্রিভার্স\"-এ জস পেটার্স হিসেবে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও তিনি জনপ্রিয় মার্কিন শিশুতোষ চ্যানেল ডিজনি চ্যানেল-এ প্রচারিত জনপ্রিয় হাস্যরস ধারাবাহিক সমূহ \"আস্টিন এন্ড অ্যালি\" এবং \"শেইক ইট অাপ\"-এ ছোট ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সেন্টিনিও পরবর্তীকালে, ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ডিজনি চ্যানেলের রোসান্টিক এবং হাস্যরস দৃশ্যকাব্যের চলচ্চিত্র \"হাউ ট্যু বিল্ড এ্য বেটার বয়-এ জেইডেন স্টার্ক হিসেবে পার্শ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একই বছরে তিনি, ডিজনি চ্যানেল জন্য নির্মিত হাস্যরস দৃশ্যকাব্যের ছোট পর্দার টেলিছবি \"গ্রোয়িং আপ এন্ড ডাউন\"-এ বেন ইস্টম্যান ভূমিকায়। অভিনয় করেন, কিন্তু টেলিছবির প্রকল্পটি পরবর্তীতে ধারাবাহিকটি দ্বারা বেছে নেয়া হয়নি। ২০১৫ সালে, মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রীফর্ম-এর জনপ্রিয় ধারাবাহিক \"দ্য ফোস্টার্স\"-এর মূল চরিত্র জিসাস অ্যাডামস ফোস্টারের চরিত্রটিতে অভিনয় করার জন্য দাইত্ব পান।",
"title": "নোয়াহ সেন্টিনিও"
}
] |
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ? | [
{
"docid": "478606#2",
"text": "ট্রাম্প জুন ১৬, ২০১৫ তারিখে রিপাবলিকান পার্টির অধীনে ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। ট্রাম্প তাঁর পূর্বের প্রচারণা কর্মকান্ড দিয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জনসমর্থন অর্জনে সক্ষম হন। জুলাই ২০১৫ থেকে রিপাবলিকান পার্টির জনমত নির্বাচনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে পছন্দের দিক থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রথম সারিতে অবস্থান করছেন। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ৩০৬টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্প"
},
{
"docid": "626693#0",
"text": "ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার সফলতার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে শপথ গ্রহণ করেন। ট্রাম্প একজন রিপাবলিকান প্রার্থী ছিলেন। তিনি পেশায় নিউ ইয়র্ক এর একজন ব্যবসায়ী এবং টেলিভিশন রিয়ালিটি অনুষ্ঠানের একজন ব্যক্তি ছিলেন। নির্বাচনের সময় তিনি হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে জয় লাভ করেন।\nট্রাম্প নিউ ইয়র্ক শহরের স্থানীয় বাসিন্দা ফ্রেড ট্রাম্পের ছেলে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে নিজের কর্মজীবন হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর পিতার যথেষ্ট অনুপ্রেরণা ছিল। ট্রাম্প পেন্সিল্ভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধীন হোয়ারটন স্কুলে অধ্যয়নের সময় তাঁর পিতার 'এলিজাবেথ ট্রাম্প এন্ড সান' প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন। ১৯৭১ সালে ট্রাম্প তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে \"দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশ্যান\" রাখেন। ট্রাম্প বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল স্টেট ব্যবসা এবং মিডিয়া তারকাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব।\nট্রাম্প জুন ১৬, ২০১৫ তারিখে রিপাবলিকান পার্টির অধীনে ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। ট্রাম্প তাঁর পূর্বের প্রচারণা কর্মকান্ড দিয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জনসমর্থন অর্জনে সক্ষম হন। জুলাই ২০১৫ থেকে রিপাবলিকান পার্টির জনমত নির্বাচনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে পছন্দের দিক থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রথম সারিতে অবস্থান করছেন। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ৩০৬টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্ব"
},
{
"docid": "478606#12",
"text": "সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেন, \"যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দেশের প্রতিনিধিরা উপলব্ধি করতে পারছে আসলেই কি হচ্ছে, ততদিন অব্দি মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে\"। তাঁর এই ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তেও সমালোচনা কুড়িয়েছিল। তাঁর এই বক্তব্যে প্রতিবাদে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস্, সৌদি রাজপুত্র আল-ওয়ালিদ বিন তালাল এবং কানাডার বিদেশ মন্ত্রী স্টিফেনি ডিয়ন এবং পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির সভাপতি রেইন্স প্রিবাস, রিপাবলিকান হাউস স্পিকার পল রায়ান, রিপাবলিকান সিনেট ম্যাজোরিটি নেতা মিচ ম্যাককোনেল প্রমুখ আরো অন্যান্য নেতারা নিন্দা জানিয়েছিল। যুক্তরাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি পেটিশ্যানের আয়োজন করা হয় যেখানে ৫,৪০,০০০ মানুষ সেখানে স্বাক্ষর করেন। খোদ ট্রাম্পের দল রিপাবলিক পার্টির অনেক সদস্যরা এই বলে ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছিল যে, মুসলিমদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবনা রিপাবলিকান পার্টির রক্ষণশীল মূল্যবোধ, মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সু-প্রাচীন অভিবাসী ঐতিহ্য নীতির পরিপন্থী। ট্রাম্পের সমালোচকরা তাঁর বিরোধিতা করে কিছু জিনিস নির্দিষ্ট করে বলেছেন যে, তাঁর প্রস্তাবনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম জোটভূক্ত দেশগুলোকে নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং তাঁর এই বক্তব্য বরং আইসিসকে সহায়তা করতে পারে মুসলিম বিশ্বাসকে পুঁজি করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের অপপ্রচার চালানোর জন্য।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্প"
},
{
"docid": "626693#8",
"text": "সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেন, \"যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দেশের প্রতিনিধিরা উপলব্ধি করতে পারছে আসলেই কি হচ্ছে, ততদিন অব্দি মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে\"। তাঁর এই ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তেও সমালোচনা কুড়িয়েছিল। তাঁর এই বক্তব্যে প্রতিবাদে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস্, সৌদি রাজপুত্র আল-ওয়ালিদ বিন তালাল এবং কানাডার বিদেশ মন্ত্রী স্টিফেনি ডিয়ন এবং পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির সভাপতি রেইন্স প্রিবাস, রিপাবলিকান হাউস স্পিকার পল রায়ান, রিপাবলিকান সিনেট ম্যাজোরিটি নেতা মিচ ম্যাককোনেল প্রমুখ আরো অন্যান্য নেতারা নিন্দা জানিয়েছিল। যুক্তরাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি পেটিশ্যানের আয়োজন করা হয় যেখানে ৫,৪০,০০০ মানুষ সেখানে স্বাক্ষর করেন। খোদ ট্রাম্পের দল রিপাবলিক পার্টির অনেক সদস্যরা এই বলে ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছিল যে, মুসলিমদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবনা রিপাবলিকান পার্টির রক্ষণশীল মূল্যবোধ, মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সু-প্রাচীন অভিবাসী ঐতিহ্য নীতির পরিপন্থী। ট্রাম্পের সমালোচকরা তাঁর বিরোধিতা করে কিছু জিনিস নির্দিষ্ট করে বলেছেন যে, তাঁর প্রস্তাবনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম জোটভূক্ত দেশগুলোকে নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং তাঁর এই বক্তব্য বরং আইসিসকে সহায়তা করতে পারে মুসলিম বিশ্বাসকে পুঁজি করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের অপপ্রচার চালানোর জন্য।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্ব"
},
{
"docid": "478606#7",
"text": "ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী রাজনীতি তাঁকে তাঁর শ্রমিক-শ্রেণীর সমর্থকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছিল। তাঁর প্রস্তাবিত নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে রাজ্যসমূহ নিয়ে তাঁর বিবৃতি তাঁকে জনমত বিচারে রিপাবলিকান ফ্রন্ট-রানারে তাঁকে এগিয়ে রেখেছে। তাঁর কিছু বক্তব্য বেশ কিছু রাজনীতিবিদ এবং মূলধারার সংবাদ-মাধ্যম কর্তৃক বিতর্কিত বলে বিবেচিত হয়েছিল। রাজনৈতিক শুদ্ধতা (পলিটিক্যাল কারেক্টন্যাস) থেকে নিবৃত্তিই হলো তাঁর প্রচারকার্যের মূল বিষয়। ট্রাম্পের বেশিরভাগ বক্তব্যই হলো অভিবাসন এবং সীমান্ত রক্ষা, অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকান সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ এবং অবৈধ মুসলিম অভিবাসীদের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে। অধিকাংশ অবৈধ অভিবাসীরা মেক্সিকান-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে বলে তাঁর অভিমত। রিপাবলিক পার্টিতে তাঁর প্রার্থীতা নিয়ে অনেক বিরোধিতা ও মতবিরোধ থাকলেও ট্রাম্পের মনোনয়ন প্রার্থীতা সফল হয়েছে মূলত ব্যাপক মিডিয়া কাভারেজে ও প্রচারের দরুন। তিনি বেশ অনেকবার উদ্ধত এবং বিতর্কিতমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন যা মূলত তাঁর শ্রমিক-শ্রেণীর সমর্থকদের আকর্ষিত করেছিল। ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁকে \"বিভেদ সৃষ্টিকারী\", \"দায়িত্বজ্ঞানহীন\" এবং \"উৎপীড়ক\" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্প"
},
{
"docid": "626693#3",
"text": "ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী রাজনীতি তাঁকে তাঁর শ্রমিক-শ্রেণীর সমর্থকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছিল। তাঁর প্রস্তাবিত নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে রাজ্যসমূহ নিয়ে তাঁর বিবৃতি তাঁকে জনমত বিচারে রিপাবলিকান ফ্রন্ট-রানারে তাঁকে এগিয়ে রেখেছে। তাঁর কিছু বক্তব্য বেশ কিছু রাজনীতিবিদ এবং মূলধারার সংবাদ-মাধ্যম কর্তৃক বিতর্কিত বলে বিবেচিত হয়েছিল। রাজনৈতিক শুদ্ধতা (পলিটিক্যাল কারেক্টন্যাস) থেকে নিবৃত্তিই হলো তাঁর প্রচারকার্যের মূল বিষয়। ট্রাম্পের বেশিরভাগ বক্তব্যই হলো অভিবাসন এবং সীমান্ত রক্ষা, অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকান সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ এবং অবৈধ মুসলিম অভিবাসীদের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে। অধিকাংশ অবৈধ অভিবাসীরা মেক্সিকান-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে বলে তাঁর অভিমত। রিপাবলিক পার্টিতে তাঁর প্রার্থীতা নিয়ে অনেক বিরোধিতা ও মতবিরোধ থাকলেও ট্রাম্পের মনোনয়ন প্রার্থীতা সফল হয়েছে মূলত ব্যাপক মিডিয়া কাভারেজে ও প্রচারের দরুন। তিনি বেশ অনেকবার উদ্ধত এবং বিতর্কিতমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন যা মূলত তাঁর শ্রমিক-শ্রেণীর সমর্থকদের আকর্ষিত করেছিল। ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁকে \"বিভেদ সৃষ্টিকারী\", \"দায়িত্বজ্ঞানহীন\" এবং \"উৎপীড়ক\" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্ব"
},
{
"docid": "508288#1",
"text": "এ পর্যন্ত ১৯ জন প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে আছেন রিপাবলিকান দল থেকে প্রথম নির্বাচিত হওয়া ১৬ তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি অ্যাব্রাহাম লিংকন যিনি ১৮৬১ সাল থেকে ১৮৬৫ সালে আততায়ীর হাতে খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োজিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান দল থেকে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে বর্তমানে আসীন আছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন।",
"title": "রিপাবলিকান পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)"
}
] | [
{
"docid": "478606#0",
"text": "ডোনাল্ড ট্রাম্প, সিনিয়র (জন্ম: জুন ১৪, ১৯৪৬) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম রাষ্ট্রপতি। তিনি এছাড়াও একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব, লেখক হিসেবে আলোচিত। তিনি দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশ্যানের পরিচালক এবং ট্রাম্প এন্টারটেইনম্যান্ট রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্প"
},
{
"docid": "626693#27",
"text": "মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেয়ার এক বছর পূর্তি হচ্ছে শনিবার৷ এই এক বছরে নেয়া তাঁর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷\nবহুজাতিকের চেয়ে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ তাই ‘ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ’ (টিপিপি) আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে টিটিপ চুক্তির আলোচনা বন্ধ রেখেছেন৷ ‘নর্থ অ্যামেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ বা নাফটা চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়ে মেক্সিকো ও ক্যানাডাকে চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে পুনরায় আলোচনায় বসতেও বাধ্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷\nশেয়ার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্রাম্পের প্রথম বছরটা ভালো ছিল৷ ট্রাম্পের জয়ের পরদিন ‘ডাও জোনস ইনডেক্স’ ছিল ১৮,৫৮৯৷ সেটি মধ্য জানুয়ারিতে এসে হয়েছে ২৫,৮০০৷ গত এক বছরে বেকারের সংখ্যাও কমেছে৷ বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৮ থেকে কমে ৪ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে৷ তবে ট্রাম্পের অন্যতম সাফল্য হচ্ছে কর সংস্কার৷ গতমাসেই তিনি সেটা করেছেন৷ ফলে কর্পোরেট কর ৩৫ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে৷",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্ব"
},
{
"docid": "478606#6",
"text": "ট্রাম্প স্ব-বিরোধী পন্থায় বিভিন্ন সময়ে তাঁর রাজনৈতিক বিষয়ক পাণ্ডিত্য এবং অবস্থান বর্ণনা করেছেন। পলিটিকো ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন \"সারগ্রাহী, তাৎক্ষণিক উদ্ভাবনকারী এবং প্রায়শ স্ব-বিরোধী\" হিসেবে। ট্রাম্প পূর্বে তাঁর রাজনৈতিক দলকে তালিকাভুক্ত ও সম্মিলিত করেছেন রিপাবলিকান পার্টি, ইনডিপেন্ডেস পার্টি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্প"
},
{
"docid": "626693#7",
"text": "ধর্ম নিয়ে ট্রাম্পের বহু দৃঢ় বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য রয়েছে। সন্ত্রাস এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে একাত্ম করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এমনকি বেন কার্সন এবং টেড ক্রুজের খ্রীষ্ট ধর্মে তাদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এছাড়াও তিনি যুদ্ধরত মার্কিন সেনা সদস্যদের দেখাশোনা, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে সুদৃঢ়করণ এবং বাণিজ্যিক চুক্তিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকদের অনুকূলে আনার বিষয় নিয়েও বক্তব্য রেখেছিলেন।",
"title": "ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্ব"
}
] |
মুনড্রাম পিরাই চলচ্চিত্রটি ১৯৮২ সালের কত তারিখে মুক্তি পায় ? | [
{
"docid": "528364#2",
"text": "\"মুনড্রাম পিরাই\" ১৯৮২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী মুক্তি পেয়েছিল এবং পজিটিভ ক্রিটিকাল রিসেপশন পেয়েছিল। চলচ্চিত্রটি ব্যাপকভাবে ব্যবসা-সফল হয়েছিল এবং মাদ্রাজের (বর্তমানে চেন্নাই) এর 'সত্যম থিয়েটার' এ ৩৭৯ দিন ও অন্যান্য থিয়েটারে ২০০ দিন চলেছিল। দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জিতে ছিল মুনড্রাম পিরাই, একটি সেরা অভিনেতা (কামাল হাসান) এবং আরেকটি সেরা সিনেমাটোগ্রাফী (বলু মহেন্দ্র)। এটি বলুকে ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারও এনে দিয়েছিল সেরা পরিচালক হিসেবে এবং পাঁচটি 'তামিলনাড়ু স্টেট চলচ্চিত্র পুরষ্কার' জিতেছিল এই চলচ্চিত্রটিঃ বেস্ট ফিল্ম (থার্ড প্রাইজ), বেস্ট অভিনেতা (কামাল হাসান) এবং বেস্ট অভিনেত্রী (শ্রীদেবী)। চলচ্চিত্রটি তেলুগু ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল এবং নাম দেওয়া হয়েছিল \"বসন্ত কোকিলা\" । মহেন্দ্র পরে চলচ্চিত্রটিকে হিন্দি ভাষায় পুনঃনির্মাণ করেন এবং তার নাম দিয়েছিলেন \"সাদমা\", যেটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৩ সালে এবং ওখানেও কামাল এবং শ্রীদেবী একই ধরণের চরিত্রে ছিলেন।",
"title": "মুনড্রাম পিরাই"
}
] | [
{
"docid": "528364#0",
"text": "মুনড্রাম পিরাই ১৯৮২ সালের একটি তামিল চলচ্চিত্র যেটি রচনা ও পরিচালনা করেছিলেন বলু মহেন্দ্র। চলচ্চিত্রটির মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন কামাল হাসান এবং শ্রীদেবী, এছাড়াও সহ-অভিনেতা হিসেবে সিল্ক স্মিতা, পূর্ণম বিশ্বনাথান এবং ওয়াই জি মহেন্দ্রন ছিলেন। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন ইলাইয়ারাজা আর গীতিকার ছিলেন কন্নদাস, ভৈরামুথু এবং গঙ্গই অমরন। এই চলচ্চিত্রটি কন্নদাসের লেখা শেষ গান বহন করে, কন্নদাস ১৯৮১ সালে মারা যান।",
"title": "মুনড্রাম পিরাই"
},
{
"docid": "528364#9",
"text": "চলচ্চিত্রটি যখন নির্মাণ করা হবে বলে ভাবা হচ্ছিলো তখন এটির প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা বলাবলি করছিলেন যে একজন তরুণ আরেকজন মানসিক রোগী তরুণীর প্রেমে পড়ে, এরকম কাহিনী দিয়ে চলচ্চিত্র বানালে ভালো ব্যবসা করতে পারবেনা। চলচ্চিত্রটির শুরু এবং শেষ দিকে 'ভায়োলিন মিউজিক' ব্যবহার করা হয়েছিলো। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে পরিচালক বলু মহেন্দ্র বলেন যে, 'পোনমেনি উরুগুদে' (কামাল এবং স্মিতাকে নিয়ে চিত্রিত) গানটি অপ্রয়োজনীয় ছিলো, তিনি গানটি সিনেমায় রাখতে চাননি কিন্তু সিল্ক স্মিতাকে একটু আলাদাভাবে প্রকাশ করার জন্য গানটিকে চলচ্চিত্রে ঢুকান। চলচ্চিত্রটির পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছিলো ।\nমুনড্রাম পিরাই চলচ্চিত্রে একটি তরুণীকে দেখানো হয় যে একটি দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাচ্চাদের মত আচরণ করা শুরু করে। অবদমিত যৌনতা এই চলচ্চিত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমনটি বলু মহেন্দ্রর পূর্ববর্তী চলচ্চিত্র \"মুদু পানি\" (১৯৮০) এর মূল বিষয়বস্তুও অবদমিত যৌনতাকে ঘিরেই ছিলো। তাছাড়া এই চলচ্চিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুই মূল চরিত্রের মধ্যে যৌন দুশ্চিন্তা থাকে এবং সেটা সমাধিত হয়না। চলচ্চিত্র সমালোচক কে. জেশী মুনড্রাম পিরাইকে শারীরিক এবং মানসিক অক্ষমতা দেখানো হয় এমন অন্যান্য তামিল চলচ্চিত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন যেমন \"সেতু\" (১৯৯৯), \"পিতামাগান\" (২০০৩), \"পেরাড়াগান\" (২০০৪), \"চন্দ্রমুখী\" (২০০৫), \"আন্নিয়ান\" (২০০৫) এবং সুরিয়া অভিনীত \"গজিনী\" (২০০৫)। পরিচালক বলুকে ভাগ্যলক্ষ্মী চরিত্রটির রেট্রোগ্রেড এ্যামনেশিয়া সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন কাহিনীকে ঠিকমত ফুটিয়ে তোলার জন্য ওটির প্রয়োজন তিনি অনুভব করেছেন।\nতামিল চলচ্চিত্র সমালোচক ভরদ্বাজ রঙ্গন কামাল হাসানের চরিত্র চিনু সম্বন্ধে বলেন যে, \"চিনু বিজির জন্য কত কষ্ট করে, তাকে অনেক আদর যত্ন করে, এত ভালো জেনেও চিনুকে শেষমেশ খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হয় যে এত ভালোবাসা দিয়েও শেষে বিজির দ্বারা পরিচয় পায়না'। ভরদ্বাজের একটি বই 'চলচ্চিত্রের দেয়ালের পিছে' তে তিনি কামালের অভিনয়ের প্রশংসা করেন এবং বলেন তার মত অভিনেতা ভারতে খুব কমই দেখা গিয়েছে।",
"title": "মুনড্রাম পিরাই"
},
{
"docid": "646606#0",
"text": "সাদমা হচ্ছে ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র যেটি তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের পরিচালক বলু মহেন্দ্র পরিচালনা করেন আর এটি বলু'র নিজেরই পূর্বের বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল চলচ্চিত্র মুনড্রাম পিরাই এর পুনর্নির্মাণ ছিলো। চলচ্চিত্রটিতে তামিল চলচ্চিত্রের মতই মুখ্য ভূমিকায় কামাল হাসান এবং শ্রীদেবীকে নেওয়া হয় এবং শ্রীদেবী তার 'মুনড্রাম পিরাই' এর মতই নেহালতা নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।",
"title": "সাদমা"
},
{
"docid": "528364#8",
"text": "\"মুনড্রাম পিরাই\" চলচ্চিত্রটির শুটিং তামিলনাড়ু প্রদেশের 'উটি' এর কাছে কেট্টি এলাকায় হয়েছিলো। এছাড়া ব্যাঙ্গালোরেও (কর্ণাটক) শুটিং হয়েছিলো। চলচ্চিত্রটি শেষ করতে মোট ৩০ দিন সময় লেগেছিলো।ঐ সময় মহেন্দ্রকে ট্রেন ভাড়া করতে কোনো বেগ পেতে হয়নি এবং বেশি টাকাও দিতে হয়নি; তিনি কামাল হাসান এবং শ্রীদেবীর কেট্টি যাওয়ার জন্য একটি ট্রেন ভাড়া করেছিলেন, এবং আরেকটি ট্রেন তাকে ভাড়া করতে হয়েছিলো শেষের সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ধারণের জন্য এবং ওটি 'কেট্টি রেলওয়ে স্টেশন'এ ধারণ করা হয়। এই শেষ দৃশ্যের শুটিং এর সময় বৃষ্টি হচ্ছিল, স্ক্রিপ্টে যদিও বৃষ্টির কথা বলা ছিলোনা তাও মহেন্দ্র সিনেমার শুটিং চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং কাজ শেষ করেছিলেন বৃষ্টির মধ্যেই। সিনেমা নির্মাণ কাজ শেষে অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার কণ্ঠ অনুরাধা নামের একজন ডাবিং করে দেন কারণ স্মিতা তামিল ভাষা জানতেননা। মহেন্দ্র অনুরাধাকে স্মিতার চরিত্র কি রকম তা ঠিকমত বুঝিয়ে দিয়ে তাকে তারপরে ডাবিং করতে বলেন।",
"title": "মুনড্রাম পিরাই"
},
{
"docid": "380195#5",
"text": "১৯৮৩ সালে \"সাদমা\" চলচ্চিত্রটি দিয়ে শ্রীদেবী সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন। এটি তার অভিনীত তামিল চলচ্চিত্র \"মুনড্রাম পিরাই\" চলচ্চিত্রের বলিউডি পুনর্নির্মাণ। \"সাদমা\" চলচ্চিত্রটি আইডিভার করা \"১০ অবশ্য দৃশ্য চলচ্চিত্র যা ব্লকবাস্টার হয় নি\" তালিকায় স্থান করে নেয়। পরের বছর তার অভিনীত \"তোহফা\" মুক্তি পায় এবং ১৯৮৪ সালের অন্যতম হিট চলচ্চিত্রের তকমা লাভ করে। এই চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিন তাকে তাদের প্রচ্ছদে \"প্রশ্নাতীতভাবে ১ নম্বর\" বলে অভিহিত করে।",
"title": "শ্রীদেবী"
},
{
"docid": "580186#1",
"text": "চলচ্চিত্রটি ৫ মে ২০০০ তারিখে মুক্তি পায়, পজিটিভ রিভিউ পেয়ে এবং মুক্তির পর বক্স অফিস সফলতা পায়। চলচ্চিত্রটিকে তেলুগু ভাষায় অনুবাদ করে 'প্রিয়ুরালু পিলিচিন্ডি' নামে মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে কান্ডুকোন্ডেইন কান্ডুকোন্ডেইন প্রদর্শিত হয়। গায়ক শঙ্কর মহাদেবন 'এন্না সোল্লা পোগিরায়' গানের জন্য 'শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' লাভ করেন।\nসামরিক বাহিনীর মেজর বালা (মামুট্টি) একটি যুদ্ধ করেন এবং গ্রেনেড দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বাম পা হারান। সৌমিয়া (তাবু) এবং মীনাক্ষী \"মিনু\" (ঐশ্বর্য রাই) পদ্মা (শ্রীবিদ্যা) এর কন্যা যারা তামিলনাড়ুর কালাইকুড়ির চেট্টিয়ার ম্যানশনে নানা চন্দ্রশেখর (উন্নীকৃষ্ণন নাম্বুদিরি), গৃহপরিচারিকা চেল্লাতা (এস এন লক্ষ্মী) এবং ছোটো বোন কমলার (শামিলী) সাথে থাকে। সৌমিয়া একটি স্কুল অধ্যক্ষ এবং মিনা ক্লাসিক তামিল কবিতা, সঙ্গীত এবং নাচ সম্পর্কে উৎসাহী। মেজর বালা মিনুকে ভালোবাসে, কিন্তু মিনু শ্রীকান্ত (আব্বাস) কে ভালোবাসে। মনোহর (অজিত কুমার) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক মিনুর বাড়িতে আসে চলচ্চিত্র শুটিং এর জন্য। সৌমিয়া ও মনোহর একে অপরের প্রেমে পড়ে যায় কিন্তু তাদের মধ্যে একটা সমস্যা তৈরি হয় সিনেমার কাহিনীর পরে মনোহর সৌমিয়ার মন জয়ের চেষ্টা করে।",
"title": "কান্ডুকোন্ডেইন কান্ডুকোন্ডেইন"
},
{
"docid": "456749#3",
"text": "প্রায় ১০০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই এক রীলের কমেডি মুক্তি পেয়েছিল জুলাই ২৯, ১৯১০ সালে। এই চলচ্চিত্রের বৃহত্তর মুক্তি ঘটেছিল, কিন্তু একই নামের অন্য চলচ্চিত্র মুক্তি দিয়েছিল সোসিয়েটা এনোনিমা এমব্রোসিও। এমব্রোসিওর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল নভেম্বর ১৬, ১৯১০ সালে, কিন্তু কিছু কিছু থিয়েটারের বিজ্ঞাপনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সময় দ্ব্যর্থযুক্ত। জানা যায়, থানহাউসার এবং এমব্রোসিওদের চলচ্চিত্র মাঝে মাঝে এক সাথে প্রদর্শিত হতো, ম্যারিল্যান্ড থিয়েটারের এক বিজ্ঞাপনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের থেকে প্রধানত ইতিবাচক সমালোচনা অর্জন করে। \"দ্য মর্নিং টেলিগ্রাফ\" জানায়, হোটেলের বিজ্ঞাপনের জন্য গল্পটিতে ছিল চমৎকার এক পন্থা, কিন্তু তারা দৃশ্য ধারনের ক্ষেত্রে আলোকচিত্রীর ত্রুটিপূর্ণ উদ্যোগ এবং যার ফলাফল মৎসকন্যার ত্রুটিপূর্ণ চিত্র। \"দ্য মুভিং পিকচার ওয়ার্ল্ড\"-এর মতে, কিছু বিশদ বিবরণ আর সংক্ষিপ্ত সারাংশ বাদ দিলে চলচ্চিত্রটি ছিল আসলেই একটি কার্যকরী প্রযোজনা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা প্রকাশ করে \"দ্য নিউ ইয়র্ক ড্রামাটিক মিরর\" তাদের মূল্যায়ন ছিল নিরপেক্ষ, এই প্রযোজনার অনেকগুলো ভুলের একটি তালিকা প্রকাশ করে যেখানে এ্যাকশনের ধারাবাহিকতার সমস্যার উপর বেশি আলোকপাত করা হয়েছে।",
"title": "দ্য মারমেইড (১৯১০-এর চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "89577#1",
"text": "এই চলচ্চিত্রটির চলচ্চিত্রায়ণ শুরু হয় ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী সিনেমাহলে মুক্তি পায় এটি। এর পরদিনই ছিল উপন্যাসটির প্রকাশের চতুর্থ বর্ষপূর্তি। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সর্বত্রই এই ষষ্ঠ চলচ্চিত্রটি একই সঙ্গে নিয়মিত প্রেক্ষাগৃহ ও আইম্যাক্স থ্রি-ডি আকারে মুক্তিলাভ করে। যুক্তরাষ্ট্রে \"ট্রান্সফর্মার: রিভেঞ্জ অফ দ্য ফলেন\" চলচ্চিত্রের প্রদর্শন সংক্রান্ত একটি জটিলতার কারণে আইম্যাক্স সংস্করণটি দুই সপ্তাহ পরে মুক্তি পায়।",
"title": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স (চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "639575#1",
"text": "চলচ্চিত্রটি ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায়। ৪০তম একাডেমি পুরস্কারে হেপবার্ন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং শ্রেষ্ঠ লেখনী (মৌলিক চিত্রনাট্য) বিভাগে, এবং ২২তম বাফটা পুরস্কারে ট্রেসি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও হেপবার্ন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া চলচ্চিত্রটি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তিনটি বিভাগে দাভিদ দি দোনাতেল্লো পুরস্কার লাভ করে। ২০১৭ সালে \"সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, বা নান্দনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ\" বিবেচনায় লাইব্রেরি অব কংগ্রেস চলচ্চিত্রটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচিত করে।চলচ্চিত্রটি ১৯৬৮ সালের ১লা জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৯৮৭ সালের ১২ই ডিসেম্বরে ছবিটি মুক্তির মূল তারিখের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ছবিটি ভিএইচএস ফরম্যাটে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০০১ সালের ২২শে মে ছবিটি ডিভিডি ফরম্যাটে মুক্তি দেওয়া হয়।",
"title": "গেজ হুজ কামিং টু ডিনার"
}
] |
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক মোট কতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ? | [
{
"docid": "333289#2",
"text": "বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করে। পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচিত্রগুলি যথাক্রমে দুই দুয়ারী (২০০০), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) এবং কি যাদু করিলা (২০০৮)।",
"title": "রিয়াজ গৃহীত পুরস্কার এবং মনোনয়ন তালিকা"
},
{
"docid": "137895#20",
"text": "২০০৮ সালে রিয়াজ অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র বেশ আলোচিত ছিল। এর মধ্যে নবীন চলচ্চিত্রকার মুরাদ পারভেজ নির্মাণ করেন \"চন্দ্রগ্রহণ\"। ষাটের দশকের পটভূমিতে নির্মিত হয় ছবিটি। এটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ মোট সাতটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। এটিতে রিয়াজ \"কাসু\" এবং সোহানা সাবা ফালানি চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রখ্যাত নারী চলচ্চিত্রকার \"নার্গিস আক্তার\" নির্মাণ করেন এইচআইভি/এইডস সম্পর্কিত জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণমূলক চলচ্চিত্র মেঘের কোলে রোদ। মালয়শিয়ার মনোরম পরিবেশে চলচ্চিত্রটি চিত্রায়ন করা হয়। চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীসহ (পপি) মোট পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। এরপর রিয়াজ আরও একটি ব্যক্তিগত সাফল্য লাভ করেন কি যাদু করিলা ছবিতে নিখুঁত অভিনয়ের কল্যাণে। চন্দন চৌধুরী পরিচালিত এ ছবিতে রিয়াজের বিপরীতে ছিলেন পপি। রিয়াজ তৃতীয়বারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কারে ভূষিত হন।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "137895#43",
"text": "রিয়াজ তাঁর সুঅভিনয়ের জন্য দীর্ঘ অভিনয় জীবনে পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত একমাত্র রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে তিনি তিনবার এই পুরস্কার লাভ করেন। এবং মেরিল-প্রথম আলো পূরস্কার-এ দুইবার সমালোচকদের রায়ে সহ সর্বমোট সাত'বার সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "137895#1",
"text": "বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করে। পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলি যথাক্রমে দুই দুয়ারী (২০০০), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) এবং কি যাদু করিলা (২০০৮)। রিয়াজ অভিনীত \"লোভে পাপ পাপে মৃত্যু\" ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মুক্তি লাভ করে। তার অভিনীত সাম্প্রতিকতম চলচ্চিত্রগুলো হল \"সুইটহার্ট\" ও \"কৃষ্ণপক্ষ\" (২০১৬)। নানা মাধ্যম ও কাজে সক্রিয় অভিনেতা রিয়াজ চ্যানেল আইয়ের \"হ্যান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান\" প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় মৌসুমে প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।",
"title": "রিয়াজ"
}
] | [
{
"docid": "333289#0",
"text": "রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক যিনি সাধারনভাবে রিয়াজ নামে পরিচিত (জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৭২) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে \"বাংলার নায়ক\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত \"প্রাণের চেয়ে প্রিয়\" চলচ্চিত্রে রিয়াজ অভিনয় করেন\nযা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং রিয়াজকে জনসাধারনের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলে। তিনি বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত পরিচালকের চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকার এর ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট নামে একটি ইংরেজী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউড অভিনেত্রী সুশমিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন।",
"title": "রিয়াজ গৃহীত পুরস্কার এবং মনোনয়ন তালিকা"
},
{
"docid": "352567#0",
"text": "রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক, অতি পরিচিতি রিয়াজ (; জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৭২) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলার নায়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। যদিও প্রথম চলচ্চিত্রটি তাঁকে প্রশন্ত সুনাম প্রদান করেনি। ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত \"প্রাণের চেয়ে প্রিয়\" চলচ্চিত্রটি অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে এবং রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন।",
"title": "রিয়াজ অভিনীত নাটকের তালিকা"
},
{
"docid": "331540#0",
"text": "রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রিয় পরিচিতি রিয়াজ (; জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৭২) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলার নায়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। যদিও প্রথম চলচ্চিত্রটি তাঁকে প্রশন্ত সুনাম প্রদান করেনি। ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত \"প্রাণের চেয়ে প্রিয়\" চলচ্চিত্রটি অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে এবং রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন। তিনি বাংলাদেশের অনেক গুনী পরিচালকের সাথে কাজ করে অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকার এর ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট নামে একটি ইংরেজী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী সুশমিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন।",
"title": "রিয়াজ অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা"
},
{
"docid": "137895#0",
"text": "রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক (জন্ম: ২৬ অক্টোবর ১৯৭২, যিনি রিয়াজ নামেই বেশি পরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে \"বাংলার নায়ক\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৯৭ সালে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত \"প্রাণের চেয়ে প্রিয়\" চলচ্চিত্রে রিয়াজ অভিনয় করেন যা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং একইসঙ্গে রিয়াজকে জনসাধারণের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলে। তিনি বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত পরিচালকের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকারের \"ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট\" নামে একটি ইংরেজী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "137895#19",
"text": "২০০৭ সালে মুক্তি পায় জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর জনপ্রিয় উপন্যাস দারুচিনি দ্বীপ অবলম্বনে নির্মিত বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র \"দারুচিনি দ্বীপ\"। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা তৌকির আহমেদ। এ ছবিতে রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার (২০০৬) জাকিয়া বারী মম। রিয়াজ এতে শুভ্র চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি এ চলচ্চিত্র অভিনয় করে আবারো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। জনপ্রিয় বাংলাদেশী সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক-এর 'একজন সঙ্গে ছিল' উপন্যাস অবলম্বনে একই শিরোনামে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র \"একজন সঙ্গে ছিল\"। এটিতে রিয়াজের সাথে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন শওকত জামিল।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "272548#0",
"text": "গিয়াস উদ্দিন সেলিম হলেন একজন বাংলাদেশী নাট্যকার, নাট্যনির্মাতা ও চলচ্চিত্রকার। \"মনপুরা\" (২০০৯) ও \"স্বপ্নজাল\" (২০১৮) সেলিম পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। তিনি দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করেছেন: একবার \"মনপুরা\"র জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার পুরস্কার এবং আরেকবার \"আধিয়ার\" (২০০৩) চলচ্চিত্রের কাহিনীর জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে \"মনপুরা\" ৩৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।",
"title": "গিয়াস উদ্দিন সেলিম"
},
{
"docid": "491958#0",
"text": "পুরস্কার ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার শিশুতোষ চলচ্চিত্র। সৈয়দ শামসুল হকের কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন সি বি জামান। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন, শাকিল, বুলবুল আহমেদ, জয়শ্রী কবির প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি ১৯৮৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি পুরস্কার অর্জন করে। জাতীয় পুরস্কার পাবার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের 'গোয়া চলচ্চিত্র উৎসব', 'দিল্লী আন্তর্জাতিক উৎসব' ও রাশিয়ার 'তাশখান্দ চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রদর্শন করা হয়।পুরস্কার চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সত্য সাহা। গীত রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খন্দকার ফারুক আহমেদ, সাবিনা ইয়াসমিন, সামিনা চৌধুরী, আবিদা সুলতানা।",
"title": "পুরস্কার (চলচ্চিত্র)"
}
] |
ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী তাপসী পান্নুর প্রথম কোন পরিচালকের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ? | [
{
"docid": "455895#3",
"text": "তাপসী ২০১০ সালে চলচ্চিত্রে তার অভষেক ঘটান কে. রাঘবেন্দ্র রায় পরিচালিত \"ঝুম্মান্দি নাদাম\" রোমান্টিক মিউজিকাল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন এক যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ধনকুবের কন্যার চরিত্রে, যিনি ঐতিহ্যগত তেলুগু সঙ্গীতের উপর গবেষণা করতে ভারত আসেন। এটি মুক্তির পূর্বেই তাপসী আরও তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করার আমন্ত্রণ পান। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ধানুষের বিপরীতে \"আদুকালাম\" (২০১১), তামিল চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটায়। সেখানে তিনি এক অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি এক গ্রামীণ ছেলের প্রেমে পড়েন। চলচ্চিত্রটি, ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার অনুষ্ঠানে ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জেতে। তার চরিত্র সম্পর্কে সাইফাই নামে এক পর্যালোচক ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বিষ্ণু মঞ্চুর বিপরীতে \"ভাস্তাডু না রাজু\" (২০১১) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পে প্রত্যাবর্তন করেন। পরবর্তীতে তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটান, মাম্মুথি এবং নাদিয়া মইড়ুর বিপরীতে \"ডাবল্স\" (২০১১) চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। \"রিড্ডিফ\"-এর পরেশ সি পালিশা তার চরিত্র সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেন।\nতাপসী তার পরবর্তী মুক্তিপ্রাপ্ত \"মি. পারফেক্ট\" (২০১১) চলচ্চিত্রে একটি স্বল্প চরিত্রে অভিনয় করেন। যেখানে, তিনি প্রভাস ও কাজল আগারওয়ালের বিপরীতে অভিনয় করেন এবং চলচ্চিত্রটি মাঝারি সাফল্য লাভ করে। তিনি রবি তেজা ও কাজল আগারওয়ালের বিপরীতে \"বীরা\" (২০১১) উচ্চ বাজেটের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা সমালোচকদের নিকট থেকে মঝারি পর্যালোচনা অর্জন করেন। এরপর তিনি তার দ্বিতীয় তামিল চলচ্চিত্র \"ভানন্ডান ভেন্ড্রনে\" উপস্থিত হন যা মিশ্র সমালোচনা লাভ করে এবং বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায় নি। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র কৃষাণ ভামসি পরিচালিত \"মগুধু\", যেখানে তিনি এক ঐতিহ্যগত তেলুগু মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন গোপিচাঁদের বিপরীতে এবং তার চরিত্রের জন্য সমালোচকদের নিকট থেকে মন্তব্য লাভ করতে সমর্থ হন। তিনি তামিল-তেলুগু দ্বিভাষী \"গুন্ডেলো গোদারি\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, যার তামিল নাম \"মারান্থেন মান্নাথনে\"। তিনি এছাড়াও সিদ্ধার্থ, ঋষি কাপুর, দিবেন্দু শার্মা এবং আলি জাফরের সঙ্গে \"চাশমি বাদুর\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউড চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটান। চলচ্চিত্রটি ১৯৮১ সালের একই নামের চলচ্চিত্রের পুননির্মান। তাপসী হলিউড বিজ্ঞান কল্পকাহিনী \"রিড্ডিকের\" তামিল, তেলুগু এবং হিন্দি ভাষার সংস্করণে অভিনেত্রী কাতী সাকফের কণ্ঠ প্রদানের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন, কিন্তু তার পূর্বচুক্তির জন্য তা ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে, তিনি \"আরাম্বাম\" নামে বড় বাজেটের চলচ্চিত্রে অজিত কুমার ও আরিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ এডিসন পুরস্কার অনুষ্ঠানে সর্বাধিক অত্যুৎসাহী সঞ্চালক-নারী পুরস্কারে ভূষিত হন।",
"title": "তাপসী পান্নু"
},
{
"docid": "455895#1",
"text": "মডেলিংয়ে সীমিত ভূমিকা রাখার পর, রাঘবেন্দ্র রাও পরিচালিত ২০১০ সালের \"ঝুম্মান্ডি নাডাম\" তেলুগু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটান তাপসী। এরপর তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন যেমন, \"আদুকালাম\", \"ভাস্তাধু না রাজু\" এবং \"মি. পারফেক্ট\"। তার তামিল \"আদুকালাম\" চলচ্চিত্র ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। তিনি এছাড়াও একটি মালয়ালম চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এবং তিনটি তেলুগু এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হন। \"আরম্ভাম\" (২০১৩) তামিল চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ এডিসন পুরস্কার অনুষ্ঠানে সর্বাধিক অত্যুৎসাহী সঞ্চালক-নারী পুরস্কার জেতেন। ২০১৫ সালে, তিনি সামালোচকীয় এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল \"বেবি\" চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালে, তিনি \"পিংক\" চলচ্চিত্রে একটি প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১৭ সালে, প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন \"নাম শাবানা\" চলচ্চিত্রে যা ২০১৫ সালের \"বেবি\" চলচ্চিত্রের প্রিকুএল। ২০১৭ সালে তিনি \"দ্য গাজি অ্যাটাক\" যুদ্ধ চলচ্চিত্র এবং \"জুড়ওয়া ২\" কমেডি চলচ্চিত্রে কাজ করেন।",
"title": "তাপসী পান্নু"
},
{
"docid": "656603#0",
"text": "তাপসী পান্নু ২০১০ সালে চলচ্চিত্রে তার অভষেক ঘটান কে. রাঘবেন্দ্র রায় পরিচালিত \"ঝুম্মান্দি নাদাম\" রোমান্টিক মিউজিকাল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন এক যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ধনকুবের কন্যার চরিত্রে, যিনি ঐতিহ্যগত তেলুগু সঙ্গীতের উপর গবেষণা করতে ভারত আসেন। এটি মুক্তির পূর্বেই তাপসী আরও তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করার আমন্ত্রণ পান। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ধানুষের বিপরীতে \"আদুকালাম\" (২০১১), তামিল চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটায়। সেখানে তিনি এক অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি এক গ্রামীণ ছেলের প্রেমে পড়েন। চলচ্চিত্রটি, ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার অনুষ্ঠানে ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জেতে। তার চরিত্র সম্পর্কে সাইফাই নামে এক পর্যালোচক ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বিষ্ণু মঞ্চুর বিপরীতে \"ভাস্তাডু না রাজু\" (২০১১) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পে প্রত্যাবর্তন করেন। পরবর্তীতে তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটান, মাম্মুথি এবং নাদিয়া মইড়ুর বিপরীতে \"ডাবল্স\" (২০১১) চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। \"রিড্ডিফ\"-এর পরেশ সি পালিশা তার চরিত্র সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেন।",
"title": "তাপসী পান্নু অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা"
}
] | [
{
"docid": "455895#0",
"text": "তাপসী পান্নু (জন্ম: ১ আগস্ট ১৯৮৭) একজন ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী, যিনি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং বলিউড চলচ্চিত্রশিল্পে কাজ করেছেন। তাপসী একজন সফটওয়্যার পেশাজীবী হিসেবে কাজ করতেন, এবং অভিনেত্রী হবার পূর্বে মডেলিং কর্মজীবনে জড়িত ছিলেন। তার মডেলিং কর্মজীবনে তিনি কিছুসংখ্যক বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন, এবং ২০০৮ সালে \"প্যান্টালুন ফেমিনা মিস ফ্রেশ ফেস\" ও \"সাফি ফেমিনা মিস বিউটিফুল স্কিন\" খেতাব লাভ করেন।",
"title": "তাপসী পান্নু"
},
{
"docid": "455895#5",
"text": "\"বেবি\" চলচ্চিত্রের পর, তাপসী সুজিত সরকারের \"পিংক\" চলচ্চিত্রে, এবং অভিষিক্ত পরিচালক সংকল্পের দ্বিভাষিক \"গাজী\", সাবমেরিন চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি এছাড়াও প্রকাশ রাজের \"তড়কা\" চলচ্চিত্রে কাজ করছেন, যেটি রাজ পরিচালিত প্রথম হিন্দি চলচচিত্র। পরবর্তীতে তিনি \"নাম শাবানা\" চলচ্চিত্রে শিরোনাম চরিত্রে অভিনয় করেন, যা মূলত \"বেবি\" চলচ্চিত্রের একটি স্পিন-অফ হিসেবে নির্মিত। পরবর্তীতে, তাপসী ডেভিড ধবন–পরিচালিত \"জুড়ওয়া ২\" চলচ্চিত্রে কাজ করেন।",
"title": "তাপসী পান্নু"
},
{
"docid": "656603#1",
"text": "তাপসী তার পরবর্তী মুক্তিপ্রাপ্ত \"মি. পারফেক্ট\" (২০১১) চলচ্চিত্রে একটি স্বল্প চরিত্রে অভিনয় করেন। যেখানে, তিনি প্রভাস ও কাজল আগারওয়ালের বিপরীতে অভিনয় করেন এবং চলচ্চিত্রটি মাঝারি সাফল্য লাভ করে। তিনি রবি তেজা ও কাজল আগারওয়ালের বিপরীতে \"বীরা\" (২০১১) উচ্চ বাজেটের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা সমালোচকদের নিকট থেকে মঝারি পর্যালোচনা অর্জন করেন। এরপর তিনি তার দ্বিতীয় তামিল চলচ্চিত্র \"ভানন্ডান ভেন্ড্রনে\" উপস্থিত হন যা মিশ্র সমালোচনা লাভ করে এবং বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায় নি। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র কৃষাণ ভামসি পরিচালিত \"মগুধু\", যেখানে তিনি এক ঐতিহ্যগত তেলুগু মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন গোপিচাঁদের বিপরীতে এবং তার চরিত্রের জন্য সমালোচকদের নিকট থেকে মন্তব্য লাভ করতে সমর্থ হন। তিনি তামিল-তেলুগু দ্বিভাষী \"গুন্ডেলো গোদারি\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, যার তামিল নাম \"মারান্থেন মান্নাথনে\"। তিনি এছাড়াও সিদ্ধার্থ, ঋষি কাপুর, দিবেন্দু শার্মা এবং আলি জাফরের সঙ্গে \"চাশমি বাদুর\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউড চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটান। চলচ্চিত্রটি ১৯৮১ সালের একই নামের চলচ্চিত্রের পুননির্মান। তাপসী হলিউড বিজ্ঞান কল্পকাহিনী \"রিড্ডিকের\" তামিল, তেলুগু এবং হিন্দি ভাষার সংস্করণে অভিনেত্রী কাতী সাকফের কণ্ঠ প্রদানের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন, কিন্তু তার পূর্বচুক্তির জন্য তা ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে, তিনি \"আরাম্বাম\" নামে বড় বাজেটের চলচ্চিত্রে অজিত কুমার ও আরিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ এডিসন পুরস্কার অনুষ্ঠানে সর্বাধিক অত্যুৎসাহী সঞ্চালক-নারী পুরস্কারে ভূষিত হন।",
"title": "তাপসী পান্নু অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা"
},
{
"docid": "422798#0",
"text": "শিল্পা শেঠী কুন্দ্রা (জন্মঃ জুন ৮, ১৯৭৫) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেল। ১৯৯৩ সালের শাহরুখ খানের বিপরীতে বাজিগর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেকের পর থেকে প্রায় ৪০ টি বলিউড, তামিল, তেলেগু এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শিল্পা প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ১৯৯৪ সালের আগ ছবিতে। এছাড়াও তিনি \"ধাড়কান\" (২০০০) এবং \"রিস্তে\" (২০০২) চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয় নৌপুন্য প্রদর্শন করেন। ২০০৪ সালের \"ফির মিলিঙ্গে\" চলচ্চিত্রে একজন এইডস রোগী হিসেবে অভিনয় করে তিনি অনেক পুরস্কার লাভ করেন। তার ছোট বোন শমিতা শেঠীও একজন বলিউড চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করছেন।",
"title": "শিল্পা শেঠী"
},
{
"docid": "9183#9",
"text": "পথের পাঁচালী চলচ্চিত্র নির্মাণ হওয়ার আগেই কানু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা ছিলেন। সত্যজিতের বন্ধু-পত্নী করুণা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভারতীয় গণনাট্য সংঘের একজন অপেশাদার অভিনেত্রী ছিলেন। দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করার পূর্বে উমা দাশগুপ্ত কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। অপুর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সত্যজিৎ পাঁচ থেকে সাত বছরের শিশুর সন্ধানে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন, কিন্তু কোন বিজ্ঞাপনের মারফত আসা কোন ছেলেকেই তাঁর পছন্দ হয়নি, কিন্তু সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া রায় তাঁদের বাড়ির নিকটে সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একটি ছেলেকে লক্ষ্য করেন এবং অবশেষে অপুর চরিত্রে তাঁকেই পছন্দ করা হয়। ইন্দির ঠাকরুণের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ কলকাতার নিষিদ্ধ পল্লী থেকে চুনীবালা দেবী নামক একজন পুরাতন নাট্যাভিনেত্রীকে খুঁজে বের করেন। অন্যান্য বিভিন্ন অনুল্লেখ্য চরিত্রে বড়াল গ্রামের বাসিন্দারা অভিনয় করেন।",
"title": "পথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "656603#2",
"text": "কোন চলচ্চিত্র মুক্তি ব্যতীত পরবর্তী এক বছর পর, ২০১৫ সালে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে নিরাজ পান্ডে পরিচালিত \"বেবি\" চলচ্চিত্রে তিনি উপস্থিত হন। পরবর্তীতে তার দুইটি তামিল চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। যার একটি হল ভৌতিক কমেডি চলচ্চিত্র \"মুনি ৩\", যেখানে তিনি রাঘব লরেন্সের বিপরীতে অভিনয় করেন। অন্যটি হল ঐশ্বরিয়া আর ধনুষের \"ভাই রাজা ভাই\", যেখানে তিনি একটি বিশেষ চরিত্রে উপস্থিত হয়ছিলেন। তার আসন্ন চলচ্চিত্রের মধ্য রয়েছে অমিত সাদের বিপরীতে হিন্দি চলচ্চিত্র \"রানিং শাদি.কম\" এবং অমিত রায়ের \"আগ্রা কা ডাবরা\" এবং একটি সিলভারগাভন পরিচালিত একটি তামিল চলচ্চিত্র।",
"title": "তাপসী পান্নু অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা"
},
{
"docid": "502315#5",
"text": "পোস্ট বক্স ৯৯৯-এ সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। উল্লেখ্য যে, এ চলচ্চিত্রটি সুনীল দত্তের অভিষেক চলচ্চিত্র ছিল। ১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ধর্মপুত্র চলচ্চিত্রে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এরপর থেকে ১১৬টি হিন্দি চলচ্চিত্রে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ৬১টিতে একক নায়ক, ৫৫টিতে বহুনায়কের অংশগ্রহণ এবং ২১টিতে পার্শ্ব অভিনেতা ও ৭টি চলচ্চিত্রে বিশেয দৃশ্যে হাজির হন।",
"title": "শশী কাপুর"
}
] |
শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের নাম কী ? | [
{
"docid": "115412#0",
"text": "গুরু গ্রন্থ সাহিব বা সাম্মানিক উপাধি সহ শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব জি (পাঞ্জাবি: ਸ਼੍ਰੀ ਗੁਰੂ ਗ੍ਰੰਥ ਸਾਹਿਬ ਜੀ, \"স্রি গুরু গ্রান্থ্ সাহিব্ জি\" ), বা আদি গ্রন্থ শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই গ্রন্থখানি শিখদের সর্বশেষ গুরু। \"গুরু গ্রন্থ সাহিব\" ১৪৩০টি অঙ্গে বিভক্ত, যেগুলি ১৪৬৯ থেকে ১৭০৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিখ গুরু কর্তৃক রচিত ও সংকলিত হয়। এটি একটি শবদ বা স্তোত্র সংকলন। এর মূল উপজীব্য ঈশ্বরের গুণকীর্তন এবং ঈশ্বরের নাম জপ করার কারণ ব্যাখ্যা।",
"title": "গুরু গ্রন্থ সাহিব"
},
{
"docid": "369720#17",
"text": "শিখধর্মের প্রধান বক্তব্য হল \"ওয়াহেগুরু\" অর্থাৎ সর্বব্যাপী ঈশ্বরের প্রতীক \"এক ওঙ্কার\"-এর প্রতিভূ \"ওয়াহেগুরু\"-তে বিশ্বাস। এই ধর্ম ঈশ্বরের নাম ও বাণীর নিয়মবদ্ধ ও ব্যক্তিগত ধ্যানের মাধ্যমে মোক্ষলাভের কথা বলে। শিখধর্মের একটি বিশিষ্টতা হল এই যে, এই ধর্মে ঈশ্বরের অবতারতত্ত্ব স্বীকৃত নয়। বরং শিখেরা মনে করেন ঈশ্বরই এই ব্রহ্মাণ্ডের স্বরূপ। শিখেরা দশ জন শিখ গুরুর উপদেশ ও \"গুরু গ্রন্থ সাহিব\" নামক পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অনুশাসন মেনে চলেন। উক্ত ধর্মগ্রন্থে দশ শিখ গুরুর ছয় জনের বাণী এবং নানান আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। গুরু গোবিন্দ সিংহ এই গ্রন্থটিকে দশম গুরু বা খালসা পন্থের সর্বশেষ গুরু বলে ঘোষণা করে যান। পাঞ্জাবের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে শিখধর্মের ঐতিহ্য ও শিক্ষা ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। শিখধর্মের অনুগামীরা \"শিখ\" (অর্থাৎ, \"শিষ্য\") নামে পরিচিত। সারা বিশ্বে শিখেদের সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লক্ষের কাছাকাছি। শিখরা মূলত পাঞ্জাব ও ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বাস করেন। অধুনা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশেও ভারত বিভাগের পূর্বে লক্ষাধিক শিখ বসবাস করতেন।",
"title": "বিভিন্ন ধর্ম"
},
{
"docid": "9989#0",
"text": "শিখধর্ম (; , \"\",I (স্থানীয় নাম \"শিখী\"); সংস্কৃত ‘শিষ্য’ বা ‘শিক্ষা’ থেকে উৎপন্ন।|group=note}}) হল একটি সর্বেশ্বরবাদী ভারতীয় ধর্ম। খ্রিস্টীয় ১৫শ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশের পাঞ্জাব অঞ্চলে গুরু নানক এই ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীকালে শিখ গুরুগণ কর্তৃক এই ধর্ম প্রসার লাভ করে শিখদের ১১জন মানব গুরু ছিলেন , যাদের সর্বপ্রথম হলেন গুরু নানক । শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব যা শিখ গুরুদের রচনার সংকলন । প্রথম পাঁচ জন শিখ গুরু তা সংকলন করেছিলেন। শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। এই ধর্মের অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যটি বিশ্বের একমাত্র শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চল।",
"title": "শিখধর্ম"
},
{
"docid": "115412#1",
"text": "দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহ (১৬৬৬-১৭০৮) পবিত্র ধর্মগ্রন্থ \"আদি গ্রন্থ\"-কে তাঁর উত্তরসূরি ঘোষণা করেন এবং এটিকে \"গুরু গ্রন্থ সাহিব\" সম্মানে ভূষিত করেন। সেই থেকে এই গ্রন্থই দশ গুরুর শিক্ষার প্রতিনিধিরূপে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেয়ে আসছে। শিখধর্মের উপাসনার ক্ষেত্রে প্রার্থনার সহায়ক বা সূত্র হিসেবে এই গ্রন্থের স্থান সর্বাগ্রগণ্য।",
"title": "গুরু গ্রন্থ সাহিব"
},
{
"docid": "115405#1",
"text": "শিখদের আদর্শ ও দৈনন্দিন জীবনে গুরু গোবিন্দ সিংহের জীবন ও শিক্ষার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তাঁর খালসা প্রবর্তন শিখ ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি মুঘল ও শিবালিক পার্বত্য অঞ্চলের মুঘল সহকারী রাজাদের সঙ্গে কুড়িটি আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। গুরু গোবিন্দই শেষ মানব শিখ গুরু। ১৭০৮ সালের ৭ অক্টোবর তিনি শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবকে শিখদের পরবর্তী এবং চিরস্থায়ী গুরু ঘোষণা করেন। তার চার ছেলে ছিল: অজিত সিংহ, জুহর সিংহ, জোরাওয়ার সিংহ, ফতেহ সিংহ।",
"title": "গুরু গোবিন্দ সিংহ"
},
{
"docid": "115417#1",
"text": "হরমন্দির সাহিবে শিখধর্মের চিরন্তন গুরু শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব সর্বদা বিরাজমান। এই কারণে এই স্থান শিখদের নিকট পবিত্র। সকল পেশা ও সকল ধর্মের নারীপুরুষ যাতে ঈশ্বরকে সমভাবে উপাসনার সুযোগ পান, সেই কারণে এই মন্দির নির্মিত হয়। গুরু গ্রন্থ সাহিব শিখধর্মের পবিত্রতম ধর্মগ্রন্থ। ১৭০৮ সালের ৭ অক্টোবর নান্দেদে দশম গুরু গোবিন্দ সিংহ এই গ্রন্থকে শিখদের চিরন্তন গুরু ও শিখধর্মের নেতা ঘোষণা করে যান।",
"title": "হরমন্দির সাহিব"
}
] | [
{
"docid": "5920#17",
"text": "হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হল ঋগ্বেদ। ভাষাতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায় যে ১৭০০ থেকে ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থের রচনা। ঋগ্বেদে রুদ্র নামে এক দেবতার উল্লেখ রয়েছে। রুদ্র নামটি আজও শিবের অপর নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঋগ্বেদে (২।৩৩) তাঁকে \"মরুৎগণের পিতা\" বলে উল্লেখ করা হয়েছে; মরুৎগণ হলেন ঝঞ্ঝার দেবতাদের একটি গোষ্ঠী। এছাড়াও ঋগ্বেদ ও যজুর্বেদে প্রাপ্ত রুদ্রম্ স্তোত্রটিতে রুদ্রকে নানা ক্ষেত্রে শিব নামে বন্দনা করা হয়েছে; এই স্তোত্রটি হিন্দুদের নিকট একটি অতি পবিত্র স্তোত্র। তবে \"শিব\" শব্দটি ইন্দ্র, মিত্র ও অগ্নির বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহৃত হত।",
"title": "শিব"
},
{
"docid": "369720#16",
"text": "শিখধর্ম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম। খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এই ধর্ম প্রবর্তিত হয়। এই ধর্মের মূল ভিত্তি গুরু নানক দেব ও তাঁর উত্তরসূরি দশ জন শিখ গুরুর (পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব এঁদের মধ্যে দশম জন বলে বিবেচিত হন) ধর্মোপদেশ। শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। শিখ ধর্মমত ও দর্শন \"গুরমত\" (অর্থাৎ, \"গুরুর উপদেশ\") নামেও পরিচিত। \"শিখধর্ম\" কথাটির উৎস নিহিত রয়েছে \"শিখ\" শব্দটির মধ্যে; যেটি সংস্কৃত মূলশব্দ \"শিষ্য\" বা \"শিক্ষা\" থেকে আগত।",
"title": "বিভিন্ন ধর্ম"
},
{
"docid": "9989#10",
"text": "শিখদের ধর্মানুশীলনের একটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হল ঈশ্বরের পবিত্র নাম স্মরণ। \"নাম জপো\" (পবিত্র নাম জপ) বা \"নাম সিমরণ\" (নাম জপের মাধ্যমে পবিত্র নাম স্মরণ) পদ্ধতিতে ঈশ্বরের নাম স্মরণ করা হয়। ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ে ঈশ্বরের নাম বা বীজ অক্ষর সোচ্চারে জপ করার প্রথা থাকলেও, গুরু নানক ব্যক্তিগতভাবে নাম জপের পক্ষপাতী ছিলেন। গুরু নানকের আদর্শ ছিল নামের প্রতি ব্যক্তিসত্ত্বার পূর্ণ অভিপ্রকাশ ও ধর্মের পূর্ণ প্রকাশ। গুরু নানকের মতে, \"নাম সিমরন\" সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে করলে পাঁচটি স্তর পার হয়ে “ঈশ্বরের দিকে ও ঈশ্বরের মধ্যে অগ্রসর হওয়া যায়।” স্মরণের সর্বশেষ পর্যায়টি হল \"সচ খণ্ড\" (সত্যের রাজত্ব)। এখানেই ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মিলন ঘটে।",
"title": "শিখধর্ম"
},
{
"docid": "252004#2",
"text": "আবিষ্কৃত পুঁথিটিতে ৫০টি চর্যায় মোট ২৪ জন সিদ্ধাচার্যের নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন: লুই, কুক্কুরী, বিরুআ, গুণ্ডরী, চাটিল, ভুসুকু, কাহ্ন, কাম্বলাম্বর, ডোম্বী, শান্তি, মহিত্তা, বীণা, সরহ, শবর, আজদেব, ঢেণ্ঢণ, দারিক, ভাদে, তাড়ক, কঙ্কণ, জঅনন্দি, ধাম, তান্তী পা, লাড়ীডোম্বী। এঁদের মধ্যে লাড়ীডোম্বীর পদটি পাওয়া যায়নি। ২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক পদগুলি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিতে না থাকলেও ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী আবিষ্কৃত তিব্বতি অনুবাদে এগুলির রচয়িতার নাম উল্লিখিত হয়েছে যথাক্রমে কাহ্ন, তান্তী পা ও কুক্কুরী। এই নামগুলির অধিকাংশই তাঁদের ছদ্মনাম এবং ভনিতার শেষে তাঁরা নামের সঙ্গে 'পা' (কম্বলাম্বরের বংশজ। তিনি প্রথম জীবনে বিষ্ণুনগরের রাজা ছিলেন। তাঁর জীবৎকাল নয় শতকের শেষভাগ। তিনি দারিক পার শিষ্য ছিলেন বলে অনুমান করা হয়।",
"title": "চর্যাপদের কবিগণ"
}
] |
গঙ্গা নদীর একটি শাখানদীর নাম কী ? | [
{
"docid": "562188#1",
"text": "নিম্নে বাংলাদেশের কিছু প্রধান নদ-নদীর একটি তালিকা দেওয়া হইল:বাংলাদেশের ভৌগোলিক কাঠামোর অনেকাংশেই গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ দ্বারা বেষ্টিত, কিন্তু \"গঙ্গা\" নামের পরিবর্তে বাংলাদেশে প্রবাহিত বড় নদীর প্রধান শাখানদীর নামে পরিচিত। যেমন ভারত থেকে প্রবাহিত হয়ে আসা গঙ্গার প্রধান প্রণালী হয়ে উঠে পদ্মা নদী। একইভাবে, নিচে তার সঙ্গমস্থলে থেকে তিস্তা নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ এর প্রধান প্রণালী যমুনা নদী হিসাবে পরিচিত।",
"title": "বাংলার নদীর তালিকা"
},
{
"docid": "657391#1",
"text": "উত্তরাখন্ডের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থযাত্রার ভ্রমণকারী পর্যটকদের জন্য অলকানন্দা নদীটির উৎপত্তি বিশেষ আগ্রহের স্থান। তিব্বতের সীমান্তের ভারতীয় অংশে দক্ষিণ হিমালয় অঞ্চলে অলকানন্দা হিসাবে গঙ্গা দেখা যায়। সতোপন্থ হিমবাহে অলকানন্দার উত্স থেকে ছয় কিলোমিটার উঁচুতে এর স্নাউটের কাছে ৪৩৫০ মিটার উচ্চতায় ত্রিভূজাকৃতি সতোপন্থ হ্রদ আছে এবং এর নামকরণ করা হয় হিন্দু দেবতাত্রয়ী ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের নামে। উত্তরাখণ্ডের উত্তরাঞ্চলীয় পাহাড়ী অঞ্চলে উদ্গত অলকানন্দার সাথে যুক্ত পাঁচ প্রধান উপনদী ক্রমানুসারে ধৌলিগঙ্গা, নন্দকিনী, পিন্ডার, মন্দাকিনী ও ভাগীরথী। দেবপ্রয়াগের শেষ উপনদীতে মিলিত হওয়ার পর নদীটি গঙ্গা নামে পরিচিত। ভাগীরথীর চেয়ে গঙ্গার প্রবাহে অলকানন্দা একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অবদান রাখে।",
"title": "অলকানন্দা নদী"
},
{
"docid": "76648#26",
"text": "গঙ্গা ভারতের তথা পশ্চিমবঙ্গের সর্ব প্রধান নদী । গঙ্গা নদী হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ নামে তুষার গুহা থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রথমে উত্তরপ্রদেশ এবং পরে বিহারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাজমহল পাহাড়ের কাছে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে কিছুদুর প্রবাহিত হয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার মিঠিপুরের কাছে ভাগীরথী ও পদ্মা নামে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে । গঙ্গার একটি শাখা ভাগীরথী-হুগলী নামে দক্ষিণ দিকে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে, আর প্রধান শাখাটি পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে । পশ্চিমবঙ্গে ভাগীরথী–হুগলী নদীই গঙ্গা নামে পরিচিত । মুর্শিদাবাদ থেকে নবদ্বীপ শহর পর্যন্ত এই নদীর নাম ভাগীরথী এবং নবদ্বীপ থেকে মোহানা পর্যন্ত এই নদীর নাম হুগলী নদী । হুগলী নদীর দক্ষিণাংশে জোয়ার ভাঁটার প্রভাব দেখা যায় । অতিরিক্ত জল এনে কলকাতা বন্দরকে বাঁচানোর জন্য গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মিত হয়েছে ।",
"title": "পশ্চিমবঙ্গের ভূগোল"
},
{
"docid": "3365#2",
"text": "হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় (মানাকোসা ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন) বাংলাদেশে প্রবেশ করে, এখান থেকে নদীটি পদ্মা নাম ধারণ করেছে। গঙ্গার অন্য শাখাটি ভাগীরথী নামে ভারতে হুগলীর দিকে প্রবাহিত হয়। উৎপত্তিস্থল হতে ২২০০ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মিলিত প্রবাহ পদ্মা নামে আরো পূর্ব দিকে চাঁদপুর জেলায় মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। সবশেষে পদ্মা-মেঘনার মিলিত প্রবাহ মেঘনা নাম ধারণ করে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়।",
"title": "পদ্মা নদী"
}
] | [
{
"docid": "283856#2",
"text": "গঙ্গোত্রী গঙ্গা নদীর উৎসস্থল। তাই এখানে দেবী গঙ্গার একটি মন্দির আছে। গঙ্গোত্রী ছোট চার ধাম তীর্থ-চতুষ্টয়ের একটি। এখানে গঙ্গা নদীর নাম ভাগীরথী নদী। গঙ্গোত্রী থেকে দেবপ্রয়াগ পর্যন্ত গঙ্গা ভাগীরথী নামে প্রবাহিত। তারপর অলকানন্দা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে গঙ্গা নাম ধারণ করেছে। গঙ্গোত্রীর নিকট গোমুখে গঙ্গার উৎস। এটি গঙ্গোত্রী শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে গঙ্গোত্রী হিমবাহের উপর অবস্থিত।\nহিন্দু পুরাণ অনুসারে, রাজা ভগীরথের পূর্বপুরুষের পাপস্খালনের জন্য দেবী গঙ্গা এইখানে নদীরূপে অবতীর্ণ হন। তাঁর অবতরণের আগে ভগীরথ এখানে অনেকদিন তপস্যা করেছিলেন।",
"title": "গঙ্গোত্রী"
},
{
"docid": "74100#0",
"text": "হুগলি নদী বা ভাগীরথী-হুগলী পশ্চিমবঙ্গে নদীর একটি শাখানদী। পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০ কিলোমিটার। মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা বাঁধ থেকে একটি খালের আকারে নদীটি উৎসারিত হয়েছে। হুগলি জেলার হুগলি-চুঁচুড়া শহরটি (পূর্বনাম হুগলি) এই নদীর তীরে অবস্থিত। হুগলি নামটির উৎস অজ্ঞাত, তাই জানা যায় না যে নদী না শহর কোনটির নামকরণ আগে হয়েছিল।\nভগীরথী নামটি পৌরাণিক। কিংবদন্তী অনুযায়ী, রাজা ভগীরথ মর্ত্যলোকে গঙ্গা নদীর পথপ্রদর্শক ছিলেন বলে গঙ্গার অপর নাম ভাগীরথী। হুগলি নামটি অপেক্ষাকৃত অর্বাচীন। ইংরেজ আমলেই সর্বপ্রথম ভাগীরথীর দক্ষিণভাগের প্রবাহকে হুগলি নামে অভিহিত হয়।",
"title": "হুগলী নদী"
},
{
"docid": "69777#11",
"text": "পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায়, যমুনা এককালে ঘগ্গর নদীর উপনদী ছিল। প্রাচীনযুগে এই ঘগ্গর নদীটি বৈদিক সরস্বতী নদী নামে অভিহিত হত। সরস্বতী, সিন্ধু ও তার পাঁচটি উপনদী একত্রে \"সপ্তসিন্ধু\" নামে পরিচিত ছিল। উত্তর ভারতের একটি ভূআন্দোলনের ফলে যমুনা তার খাত পরিবর্তন করে গঙ্গার উপনদীতে পরিণত হয়। মনে করা হয়, এরপরই সরস্বতী নদীটি শুকিয়ে যায়। এতে সিন্ধু সভ্যতার একাধিক জনবসতির পতন ঘটে এবং থর মরুভূমির উদ্ভব ঘটে। ঘগ্গর-হাকরা নদীটিতে বর্তমানে কেবল বর্ষাকালেই জল থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই গঙ্গা-যমুনা নদী অববাহিকা ও দোয়াব অঞ্চল একটি ঐতিহ্যবাহী ক্ষমতাকেন্দ্র বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। চালুক্য রাজ বিনয়াদিত্যের রাজত্বকাল পর্যন্ত প্রাচীন ভারতের একাধিক বৃহৎ সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল এই অঞ্চল। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য: মগধ (৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মৌর্য সাম্রাজ্য (৩২১-১৮৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), শূঙ্গ সাম্রাজ্য (১৮৫-৭৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), কুষাণ সাম্রাজ্য (খ্রিষ্টীয় প্রথম-তৃতীয় শতাব্দী) ও গুপ্ত সাম্রাজ্য (২৮০-৫৫০ খ্রিষ্টাব্দ)। এই সাম্রাজ্যগুলির কয়েকটির রাজধানী ছিল মথুরা অথবা পাটলিপুত্র শহরে। এই সকল সাম্রাজ্য গঙ্গা ও যমুনা নদীর তীরেই বিকাশলাভ করে। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনকালে (৩৭৫-৪১৫ খ্রিষ্টাব্দ) গঙ্গা ও যমুনার মূর্তি সমগ্র গুপ্ত সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দাক্ষিণাত্যেও চালুক্য ও রাষ্ট্রকূটদের (৭৫৩-৯৮২ খ্রিষ্টাব্দ) নির্মিত মন্দির ও রাজকীয় সিলমোহরে গঙ্গা ও যমুনার ছবি পাওয়া যায়। তারও আগে চোল সাম্রাজ্যের স্থাপত্য নকশায় স্থান পেয়েছিল এই দুই নদী। রাষ্ট্রকূট রাজা তৃতীয় গোবিন্দ ইলোরার কৈলাশ মন্দির চত্বরে পাথর কেটে তিন নদীদেবী গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর নামে তিনটি মন্দির নির্মাণ করেন।",
"title": "যমুনা নদী (ভারত)"
},
{
"docid": "96158#0",
"text": "গঙ্গা নদীর শুশুক () (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Platanista gangetica gangetica\") হচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ, ও নেপালে প্রাপ্ত স্বাদু জলের শুশুক বা ডলফিনের একটি প্রজাতি। এই শুশুকপ্রজাতি প্রাথমিকভাবে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদী ও বাংলাদেশ ও নেপালে প্রবাহিত তাদের শাখানদীগুলোতে দেখা যায়। বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে গঙ্গা নদী শুশুকের অস্তিত্ব খুব কম হলেও মাঝে মাঝে তা দেখা যায়। ভারত সরকার গঙ্গা নদী শুশুককে জাতীয় জলচর প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।",
"title": "গঙ্গা নদী শুশুক"
},
{
"docid": "75237#5",
"text": "অষ্টাদশ শতাব্দীতে আদিগঙ্গা আদি কলকাতার অন্যতম বসতি গোবিন্দপুর গ্রামের দক্ষিণ সীমা নির্দেশ করত। এই জন্য সেই সময় এই নদীর নামকরণ হয় \"গোবিন্দপুর খাঁড়ি\"। এডওয়ার্ড সারম্যান খননকাজ চালিয়ে এটির সংস্কার করেন বলে কিছুকালের জন্য এর নাম হয় \"সারম্যানের নালা\"। ১৭১৭ সালের দিল্লিতে কোম্পানি দৌত্যের সময় সারম্যান ছিলেন দূতদলের নেতা। ১৭৭৩ সালে কর্নেল উইলিয়াম টালি নালাটিকে আরও গভীর করে সার্কুলার খালের সঙ্গে যুক্ত করেন। তারপর এর নাম হয় \"টালির নালা\"। ১৭৭৫ সালে কর্নেল টালি আদিগঙ্গার সঙ্গে বিদ্যাধরী নদীর যোগ স্থাপন করেন।",
"title": "আদিগঙ্গা"
},
{
"docid": "269813#3",
"text": "কিন্তু পলি ভরার আগে হলদিগাঁয়ের মাটিতে রচিত হয় মর্মন্তুদ এক দৃশ্য। যে দৃশ্যের রচনাকার একজন মা। বুড়ি যার নাম। হাফেজ ও কাদের দুই মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করতে করতে শত্রুপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় বুড়ির ঘরে। পাকসেনারাও বাড়িতে আসে। দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষায় একজন মা, মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে তার নিজের সন্তানকে তুলে দেয় পাকসেনাদের বন্দুকের নলের মুখে। সন্তানের নাম রইস। মায়ের নাম বুড়ি। যার প্রতীতি এ রকম: ‘ওরা এখন হাজার হাজার কলীমের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছে। ওরা হলদীগাঁর স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে লড়ছে। ওরা আচমকা ফেটে যাওয়া শিমুলের উজ্জ্বল ধবধবে তুলো। বুড়ি এখন ইচ্ছে করলেই শুধু রইসের মা হতে পারে না। বুড়ি এখন শুধু রইসের একলার মা নয়।’ হাঙর নদী গ্রেনেড তখন মহাকাব্যের আখ্যান হয়ে ওঠে। বুড়ি হয়ে যায় ইতিহাস-কন্যা। আর হলদিগাঁ, বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।",
"title": "হাঙর নদী গ্রেনেড"
}
] |
পদার্থবিজ্ঞানের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের উদ্ভাবক কে ? | [
{
"docid": "1398#0",
"text": "আলবার্ট আইনস্টাইন () (মার্চ ১৪, ১৮৭৯ - এপ্রিল ১৮, ১৯৫৫) জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "561604#1",
"text": "আইনস্টাইন পরবর্তীতে বললেন, সাধারন আপেক্ষিকতা সূত্র প্রদানের কারন ছিল তার দেয়া বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এর নিষ্ক্রিয় বেগের পক্ষপাতিত্ব। তাই,১৯০৭ সালে পেটেন্ট অফিসে কাজ করার সময়েই আইনস্টাইন তার \"পছন্দসই চিন্তা\" টা পেয়ে যান। তিনি দেখলেন, বাস্তবতার নীতিকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রেও ব্যাখ্যা করা যাবে।\nকাজেই ১৯০৭ সালে তিনি বিশেষ আপেক্ষিকতায় ত্বরনের বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখেন। তিনি বললেন, মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ সত্যিই নিষ্ক্রিয়, এবং সেখানে বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্রগুলো খাটবে। সেই যুক্তিকে সাম্যতার নীতি বলা হয়। একই আর্টিকেলে তিনি মহাকর্ষীয় কাল প্রসারণ এর কথাও বলেন।\n১৯১১ সালে তিনি তার এই আর্টিকেলের সাথে আরেকটু যোগ করে আরেকটি আর্টিকেল লিখেন। তিনি ভাবলেন, সমভাবে ত্বরিত একটি বক্স মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে নেই, এবং দেখলেন বক্সটি অপরিবর্তনীয় মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রেও একই থাকে। তিনি সেখানে তার বিশেষ আপেক্ষিকতা ব্যবহার করে দেখলেন বক্সটি ত্বরিত অবস্থায় থাকলে বক্সের উপরে বক্সের নিচ অপেক্ষা সময় দ্রুত যাচ্ছে। তিনি বললেন কাল, মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে বস্তুর অবস্থাননির্ভর হয়, এবং কালের পার্থক্য প্রথম অনুমানের মহাকর্ষীয় ক্ষমতার সমানুপাতিক।\nভারী বস্তুর আলোর পথবিচ্যুতিরও পূর্বাভাষ পাওয়া যায়। যদিও পূর্বাভাষটি অশোধিত ছিল, তবুও সেটি দ্বারা মাপা যায় যে সেই পথবিচ্যুতি অশুন্য। জার্মান জ্যোতির্বিদ এরউইন ফিনলে-ফ্রেউনলিক পুরো পৃথিবীতে আইনস্টাইনের দাবী ছড়িয়ে দিলেন। এর ফলে জ্যোতির্বিদরা সূর্যগ্রহণ এর ফলে আলোর পথবিচ্যুতি পর্যবেক্ষণ করতে চাইলেন। এবং এটি আইনস্টাইনকে একটা সুযোগ দিল গানার নর্ডস্টোর্ম এর মহাকর্ষের স্কেলার তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করানোর। কিন্তু তিনি যে সত্যিকার মান দেন তা অনেক ক্ষুদ্র, ২ এর ফ্যাক্টর। কিন্তু তা আলোর প্রায় সমান বেগে চলমান বস্তুর ক্ষেত্রে ভালভাবে কাজ করেনি। যখন আইনস্টাইন তার সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব শেষ করলেন, তিনি সেই ভুল সংশোধন করলেন এবং সঠিক মান দিলেন। \nআইনস্টাইনের মহাকর্ষ নিয়ে আরেকটি চিন্তামূলক পরীক্ষণ ছিল ঘূর্ণায়মান চাকতির পরীক্ষা (এরেনফেস্ট প্যারাডক্স এর একটি বিকল্প)। তিনি ভাবলেন একজন দর্শক একটি টার্নটেবিলে পরীক্ষা করছে। তিনি বুঝলেন যে সেই দর্শক π এর মান ইউক্লিডীয় জ্যামিতির চেয়ে ভিন্ন মান পাবে। এর কারণ হল বৃত্তের ব্যাসার্ধ একটি অসংকুচিত রুলার দিয়ে মাপা হবে, কিন্তু বিশেষ আপেক্ষিকতা অনুযায়ী পরিধি একটু লম্বা মনে হবে কারণ রুলার টি সংকুচিত মনে হবে। যদিও আইনস্টাইন বিশ্বাস করতেন পদার্থবিদ্যার সকল সূত্র স্থান সংক্রান্ত, যা স্থান সংক্রান্ত ক্ষেত্র দ্বারা বর্ণিত। এ থেকে তিনি এ সিদ্ধান্তে আসলেন যে স্থানকাল আসলে স্থানের মধ্যে বাকানো। এর ফলে তিনি রিমেনীয় জ্যামিতি পড়া শুরু করলেন এবং সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে এর মাধ্যমে প্রকাশ করলেন।",
"title": "সাধারণ আপেক্ষিকতার ইতিহাস"
},
{
"docid": "35306#2",
"text": "১৯১৫ সালে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব উপস্থাপনের পর থেকেই মূলত ভৌত বিশ্বতত্ত্ব একটি পর্যবেক্ষণযোগ্য এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালাবিশিষ্ট বিজ্ঞান হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় পদার্থবিদরা সম্পূর্ণ স্থির একটি মহাবিশ্বের ধারণা পোষণ করতেন যার কোন শুরু বা শেষ নেই। আইনস্টাইন তার তত্ত্ব একটি বিশ্বতাত্ত্বিক ধ্রুবক যোগ করে দিয়েছিলেন যেন তা স্থির মহাবিশ্ব তত্ত্বের সাথে মিলে যায়। কিন্তু সেই তথাকথিত \"আইনস্টাইন মহাবিশ্ব\" স্বভাবিক কারণেই ছিল অস্থিতিশীল। সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব মানলে মহাবিশ্বকে হয় প্রসারিত হতে হবো নয়তো সংকুচিত হতে হবে। সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের এই সমাধানটি প্রথম দেন বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্রিডম্যান যার সমীকরণ ফ্রিডম্যান-Lemaître-রবার্টসন-ওয়াকার মহাবিশ্বের ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং এই মহাবিশ্ব প্রসারিত বা সংকুচিত হতে পারে।",
"title": "ভৌত বিশ্বতত্ত্ব"
},
{
"docid": "68192#4",
"text": "তখন থেকে অনেক পদার্থবিজ্ঞানীই নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি আপেক্ষিকতাভিত্তিক তত্ত্ব আবিষ্কারের চেষ্টা করতে থাকেন যাদের মধ্য স্বয়ং\nআইনস্টাইনও ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আইনস্টাইনই সফলতা অর্জন করেন, তার তত্ত্বটিই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সত্য প্রমাণিত হয়। প্রতিষ্ঠা পায় সাধারণ আপেক্ষিকতা। এই তত্ত্বের মূল বুঝতে হলে ১৯০৭ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত আইনস্টাইনের চিন্তার স্রোতের সাথে পরিচিত হতে হবে। তিনি চিন্তা শুরু করেছিলেন মুক্তভাবে পতনশীল একজন পর্যবেক্ষক (সমতুল্যতা নীতি) নিয়ে, আর শেষ করলেন এসে মহাকর্ষের সম্পূর্ণ জ্যামিতিক তত্ত্বে।",
"title": "সাধারণ আপেক্ষিকতার ভূমিকা"
},
{
"docid": "271218#9",
"text": "১৯১৬ সালে পল এরেনফেস্ট-এর সাথে একসাথে কাজ করে যে সিটার প্রস্তাব করেন যে একটি চতুর্মাত্রিক স্থান-কাল ব্যবস্থা সাধারণ আপেক্ষিকতার উপর ভিত্তি করে নির্মীত বিশ্বতাত্ত্বিক মডেলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। ১৯১৬-১৭ সালে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের প্রভাব বিষয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। তিনি পদার্থের অনুপস্থিতিতে আইনস্টাইনের ক্ষেত্র সমীকরণের সমাধান নির্ণয় করেন। আর্নস্ট মাখ ঘোষিত একটি নীতি ছিল- স্থানীয় জড় প্রসঙ্গ কাঠামো মহাবিশ্বের বৃহৎ স্কেলের ভর বণ্টন দ্বারা নির্ণীত হয়। ডে সিটার প্রশ্ন করলেন, \"যদি টেস্ট বডি ছাড়া আর কোন পদার্থের অস্তিত্ব না থাকে তাহলে টেস্ট বডির কি জড়তা থাকে?\"",
"title": "উইলেম ডে সিটার"
},
{
"docid": "66521#2",
"text": "বিশেষ আপেক্ষিকতা স্থানকালের কাঠামোর একটি তত্ত্ব। এটি আলবার্ট আইনস্টাইন প্রথম ১৯০৫ সালে \"On the Electrodynamics of Moving Bodies\" নামক গবেষণা পত্রে প্রকাশ করেন। বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদ দুইটি উপপাদ্যর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত, যার সাথে সনাতন বলবিজ্ঞানের বৈপূরত্ব আছে। \n১) সমবেগে চলমান সকল পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মাবলী অভিন্ন (আপেক্ষিকতাবাদের মূলনীতি)।\n২) শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ সমস্ত পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে একই এবং তা আলোর উৎসের ও পর্যবেক্ষকের গতির সাথে নিরপেক্ষ । \nসামগ্রিকভাবে এই তত্ত্ব ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল সনাতন বলবিজ্ঞানের চেয়ে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। মাইকেলসন-মোরলী পরীক্ষাটি বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদের দ্বিতীয় উপপাদ্য সমর্থন করে, তাছাড়া এই তত্ত্ব অনেক বিস্ময়কর ফলাফলেরও ব্যাখ্যা দেয়।\nযেমন একজন পর্যবেক্ষকের পরিমাপে দুইটি ঘটনা তাৎক্ষনিক ঘটলেও অন্য একজন পর্যবেক্ষকের পরিমাপে তা নাও হতে পারে, যদি তারা একজন অপর জনের সাপেক্ষে গতিশীল হয়।\nসময় প্রসারণ : একজন চলন্ত পর্যবেক্ষকেরের ঘড়ি, স্থীর পর্যবেক্ষকেরের ঘড়ির চেয়ে ধীরেধীরে টিক্ পরিমাপ করে।\nদৈর্ঘ্য সঙ্কোচন: বস্তুর গতির দিকে তার দৈর্ঘ্য সঙ্কোচন ঘটে বলে পর্যবেক্ষকের কাছে পরিমিত হয়। \nভর-শক্তির সাম্যতা: E = mc (শক্তির পরিমাণ = বস্তুর ভর × আলোর বেগের বর্গ), শক্তি এবং ভর সমতুল্য এবং পারস্পরিক পরিবতনযোগ্য।",
"title": "আপেক্ষিকতা তত্ত্ব"
},
{
"docid": "1398#1",
"text": "আইনস্টাইন পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর গবেষণা করেছেন এবং নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে তার অবদান অনেক। সবচেয়ে বিখ্যাত আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব বলবিজ্ঞান ও তড়িচ্চৌম্বকত্বকে একীভূত করেছিল এবং আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব অসম গতির ক্ষেত্রে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রয়োগের মাধ্যমে একটি নতুন মহাকর্ষ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তার অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে আপেক্ষিকতাভিত্তিক বিশ্বতত্ত্ব, কৈশিক ক্রিয়া, ক্রান্তিক উপলবৎ বর্ণময়তা, পরিসাংখ্যিক বলবিজ্ঞানের চিরায়ত সমস্যাসমূহ ও কোয়ান্টাম তত্ত্বে তাদের প্রয়োগ, অণুর ব্রাউনীয় গতির একটি ব্যাখ্যা, আণবিক ক্রান্তিকের সম্ভ্যাব্যতা, এক-আণবিক গ্যাসের কোয়ান্টাম তত্ত্ব, নিম্ন বিকরণ ঘনত্বে আলোর তাপীয় ধর্ম (যা ফোটন তত্ত্বের ভিত্তি রচনা করেছিল), বিকিরণের একটি তত্ত্ব যার মধ্যে উদ্দীপিত নিঃসরণের বিষয়টিও ছিল, একটি একীভূত ক্ষেত্র তত্ত্বের প্রথম ধারণা এবং পদার্থবিজ্ঞানের জ্যামিতিকীকরণ।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
}
] | [
{
"docid": "10349#5",
"text": "এই সফলতা সত্ত্বেও, এখনও অনেক সমস্যা আছে যা সমাধান করা হবে। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে গভীরতম সমস্যা হল কোয়ান্টাম মাধ্যাকর্ষণ সমস্যা।আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বটি ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানের কাঠামোর মধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে, অন্য মৌলিক বাহিনীগুলি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কাঠামোর মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মূলনীতির সাথে সাধারণ আপেক্ষিকতার সমন্বয় করার জন্য মাধ্যাকর্ষণের একটি কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রয়োজন, কিন্তু যখন গুরুত্ত্বের প্রয়োগে কোয়ান্টাম তত্ত্বের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকরণ প্রয়োগ করা হয় তখন সমস্যাগুলি দেখা দেয়। কোয়ান্টাম মাধ্যাকর্ষণের ধারাবাহিক তত্ত্বের বিকাশের সমস্যা ছাড়াও পারমাণবিক নিউক্লিয়াস, কালো গর্ত এবং প্রথম মহাবিশ্বের পদার্থবিজ্ঞানের অন্যান্য মৌলিক সমস্যা রয়েছে।",
"title": "স্ট্রিং তত্ত্ব"
},
{
"docid": "561604#8",
"text": "সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের পরিবর্তনের অনেক চেষ্টা করা হয়। সবচেয়ে বিখ্যাতটি হল ব্রানস-ডিক তত্ত্ব (একে স্কেলার-টেনসর তত্ত্বও বলা হয়), এবং রোজেনের বাইমেট্রিক তত্ত্ব। দুটি তত্ত্বই আপেক্ষিকতার ক্ষেত্রতত্ত্ব বদলানোর কথা বলেছিল, এবং দুটি তত্ত্বই বাইপোলার মহাকর্ষীয় বিকিরণের কথা বলে। ফলে যখন বাইনারী পালসার পাওয়া গেল, রোজেনের তত্ত্ব খণ্ডিত হল। ব্রান্স-ডিকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।\nসাধারণ আপেক্ষিকতা আবার কোয়ান্টাম মেকানিক্স, যা পদার্থের কণা তরঙ্গ দৈত্বতার বর্ণনা দেয়,এবং ক্ষুদ্র বস্তুর মহাকর্ষীয় আকর্ষণ মানেনা, এর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। এখন বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন কিভাবে এই দুটি তত্ত্বকে একত্রিত করা যায়। আর সে তত্ত্বকে কোয়ান্টাম গ্রাভিটি বলে, উদাহরণস্বরুপ স্ট্রিং থিওরী ও লুপ কোয়ান্টাম গ্রাভিটি।",
"title": "সাধারণ আপেক্ষিকতার ইতিহাস"
},
{
"docid": "637197#4",
"text": "বিভিন্ন তাত্ত্বিক রসায়নবিদরা ১৯৭০ এর আগ পর্যন্ত ডিরাকের বিবৃতি মেনে নেয়, যতদিন না পর্যন্ত ভারী বস্তুতে আপেক্ষিক প্রভাব বুঝা যাচ্ছিল। স্রোডিঞ্জারের ১৯২৬ সালের রিপোর্টে আপেক্ষিকতা আমলে না নিয়েই স্রোডিঞ্জার সমীকরন তৈরী হয়। আণবিক বর্ণালী বর্ণনা করার জন্যে স্রোডিঞ্জারের সমীকরনে আপেক্ষিকতা আনা হয়, কিন্তু এই উন্নতি রসায়নবিদদের ঠিক লাগেনি। যেহেতু আণবিক বর্ণালী লাইন পদার্থবিদ্যার অন্তর্গত ছিল, রসায়নে এর পরিচিতি অনেক স্বল্প ছিল। অনেক রসায়নবিদরাই আপেক্ষিক কোয়ান্টাম রসায়ন এর সাথে অপরিচিত ছিল, এবং তাদের নজর ছিল হালকা বস্তুর দিকে, বিশেষত জৈব রসায়ন এর জন্যে।",
"title": "আপেক্ষিক কোয়ান্টাম রসায়ন"
},
{
"docid": "68999#2",
"text": "একটি আলাদা তত্ত্ব হিসেবে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের আবির্ভাবের পূর্বে পদার্থবিজ্ঞানে যে গণিত ব্যবহৃত হত, তা ছিল মূলত অন্তরক জ্যামিতি এবং আংশিক অন্তরক সমীকরণসমূহ। এছাড়া পরিসংখ্যানিক বলবিজ্ঞানে সম্ভাবনা তত্ত্ব ব্যবহৃত হত। অন্তরক জ্যামিতি ও আংশিক অন্তরক সমীকরণে জ্যামিতিক স্বজ্ঞা নিঃসন্দেহে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করত। আপেক্ষিকতার তত্ত্বগুলি সম্পূর্ণভাবে জ্যামিতিক ধারণার আশ্রয় নিয়েই সূত্রায়িত করা হয়েছিল। মোটামুটি ১৮৯৫ ও ১৯১৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের ব্যাপারগুলি নিয়ে বিজ্ঞানীরা চিন্তাভাবনা শুরু করেন। ১৯২৫ সালে কোয়ান্টাম তত্ত্বের আবির্ভাবের ১০-১৫ বছর আগেও পদার্থবিজ্ঞানীরা চিরায়ত বলবিজ্ঞানের মধ্যে থেকেই, বিশেষত একই ধরনের গাণিতিক সংঘটন ব্যবহার করে, ঘটনাগুলি ব্যাখ্যার চেষ্টা চালান। এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পরিশীলিত উদাহরণ হল সমারফেল্ড-উইলসন-ইশিওয়ারা কোয়ান্টায়ন নিয়ম। এই নিয়মটি সম্পূর্ণভাবে চিরায়ত দশা জগতে সূত্রায়িত করা হয়েছিল।",
"title": "কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের গাণিতিক সূত্রায়ন"
}
] |
উত্তর কোরিয়ার মোট আয়তন কত ? | [
{
"docid": "10284#0",
"text": "উত্তর কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র যা কোরীয় উপদ্বীপের উত্তর অর্ধাংশ নিয়ে গঠিত। এর সরকারি নাম গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া (কোরীয় ভাষায় 조선민주주의인민공화국 \"চোসন্ মিন্জুজুই্যই ইন্মিন্ কোংহুয়াগুক্\")। উত্তর কোরিয়ার উত্তরে গণচীন, উত্তর-পূর্বে রাশিয়া, পূর্বে জাপান সাগর, দক্ষিণে দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমে পীত সাগর অবস্থিত। দেশটির আয়তন ১,২০,৫৩৮ বর্গকিলোমিটার। উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রটি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে সোভিয়েত সামরিক বাহিনী কোরীয় উপদ্বীপের উপরের অর্ধাংশ নিয়ন্ত্রণ করেছিল। ১৯৫০-এর দশকের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে এটি সমাজতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহরের নাম পিয়ং ইয়াং। উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া মধ্যবর্তী অবস্থিত কোরীয় সেনামুক্ত অঞ্চল ও প্রাবর অঞ্চল। আম্নোক নদী এবং তুমান নদী উত্তর কোরিয়া এবং গণচীন এর মধ্যবর্তী সীমান্তে অবস্থিত। তুমান নদী একটি অংশ একেবারে উত্তর-পূর্ব অংশে রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে।",
"title": "উত্তর কোরিয়া"
},
{
"docid": "10284#7",
"text": "উত্তর কোরিয়া এশিয়া মহাদেশের কোরীয় উপদ্বীপের উত্তরাংশে অবস্থিত রাষ্ট্র। এর আয়তন ১২০,৫৪০ বর্গ কিঃমিঃ। উত্তরে চীন ও রাশিয়ার সাথে এবং দক্ষিণে দক্ষিণ কোরিয়ার কোরীয় বেসামরিক অঞ্চল এর সাথে এর সীমান্ত। উত্তর কোরিয়া হচ্ছে শীতষ্ণ-বলয়। এখানে গ্রীষ্ণকালে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হ্য় এবং শীতকালে উগ্র ঠান্ডা। উত্তর কোরিয়ার ৮০% এলাকা পর্বত ও উচ্চভূমি নিয়ে গঠিত। পূর্ব দিকের উপকূলীয় সমভূমিগুলি অত্যন্ত সরু, তবে পশ্চিমে পীত উপসাগরের উপকূলীয় সমভূমিগুলি প্রশস্ত; এগুলিতেই দেশের বেশির ভাগ লোক বাস করে। বেশির ভাগ নদী পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে পীত উপসাগরে পড়েছে। চীন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তুলনায় উত্তর কোরিয়াতে ভূমিকম্পের প্রকোপ কম। এখানে অনেক উষ্ণ প্রস্রবণ দেখতে পাওয়া যায়।",
"title": "উত্তর কোরিয়া"
}
] | [
{
"docid": "637775#4",
"text": "২০০৬ সালে উত্তর কোরিয়ার প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার পর থেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কয়েকটি সংশোধনী পাস করার মাধ্যমে ডিপিআরের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সীমাবদ্ধতা। তা সত্ত্বেও, উত্তর কোরিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন ২০১৬ সালে আনুমানিক ৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা গত ১৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ- চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্যের অব্যাহত অগ্রগতিই এর পেছনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে।",
"title": "২০১৭-১৮ উত্তর কোরিয়া সংকট"
},
{
"docid": "10284#9",
"text": "উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যা সংগঠন একেবারে সরল। সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে কোরীয় সম্প্রদায়, আরো আছে জাপানি, প্রবাসী চীনা ইত্যাদি। কোরীয় কেন্দ্রীয় গণমাধ্যম ১৬ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রিপোর্ট অণুসারে, ২০০৮ সালের ১০ই জানুয়ারি উত্তর কোরিয়ার মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটি ৪০লক্ষের বেশি।",
"title": "উত্তর কোরিয়া"
},
{
"docid": "455534#10",
"text": "উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার সংবাদ খুব দ্রুত দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাবে ফেলে। ২৫শে, পরীক্ষার দিন প্রধান শেয়ার সূচক ৪% নেমে যায় এবং মার্কিন ডলারের তুলনায় কোরিয়ান ওনের ১% দর পতন ঘটে। ২২শে মে জাপানী ইয়েন প্রতি ডলারে ৯৪.৭৮ থেকে ৯৫.১০ হয়। কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা পারমানবিক যুদ্ধে রূপ নেয়ার আশঙ্কায় রাশিয়া বেশকিছু নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উত্তর কোরিয়াও মে মাসের ২৯ তারিখে দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ঊপকূলের নিকটবর্তী অবস্থানরত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌজাহাজ আক্রমণের হুমকি দেয়। \nজাপান এই ঘটনার রেশ ধরে নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে। প্রয়োজনবোধে পারমানবিক শক্তির ব্যবহার এবং এ সংক্রান্ত প্রচলিত ট্যাবু নিয়ে আলোচনা বিতর্কের উত্থাপন করে। মার্কিন সহকারী সচিব জিম স্টেইনবার্গ এবং উত্তর কোরিয়ায় নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন দূত স্টিফেন বসওর্থ ২০০৯ সালের জুনের ১ তারিখে একটি প্রতিনিধি দল এশিয়ায় আঞ্চলিক শক্তির সাথে একটি আলোচনায় বসে। বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিনিধি দলে সন্ত্রাস ও অর্থনৈতিক ইন্টেলিজেন্সের ট্রেজারি আন্ডার-সেক্রেটারি স্টুয়ার্ট লেভি এবং জয়েন্ট চীফ অব স্টাফসের(JCS) এডমিরাল জেমস উইনফেল্ড উপস্থিত ছিলেন।",
"title": "২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা"
},
{
"docid": "338320#1",
"text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপ একই সাধারণ রাজনৈতিক আদর্শে প্রতিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু ১৯৫৩ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কোরীয় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। উত্তরে গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া ও দক্ষিণে কোরিয়া প্রজান্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।\nএই উপদ্বীপটির উত্তরে অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার সাথে চীন ও রাশিয়ার সাথে সীমান্ত রয়েছে। দুই রাষ্ট্র মিলিয়ে কোরীয় উপদ্বীপের মোট আয়তন ২,২০,৮৪৭ বর্গ কিলোমিটার (৮৫,২৭০ বর্গ মাইল)। কোরীয় উপদ্বীপটি উত্তর কোরিয়ায় \"চেসোন পান্ডো\" (; হাঞ্জা: 朝鮮半島) ও দক্ষিণ কোরিয়ায় \"হান বান্ডো\" (; হাঞ্জা: 韓半島) নামে পরিচিত।• Location of The Korean Peninsula",
"title": "কোরীয় উপদ্বীপ"
},
{
"docid": "602795#0",
"text": "উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনিক বিভাগ তিনটি স্তরে ক্রমানয়ে গঠিত হয়। এই বিভাগগুলি ২০০২ সালে গঠন করা হয়। অনেক ইউনিট বা বিভাগ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক বিভাগের সমতুল্য। দেশটিতে রয়েছে সর্বোচ্চ স্তরে নয়টি প্রদেশ, দুটি সরাসরি শাসিত শহর এবং তিনটি বিশেষ প্রশাসনিক বিভাগ। দ্বিতীয় স্তরের বিভাগ শহরগুলি, কাউন্টিসমূহ, ওয়ার্ড এবং জেলাগুলি। এইগুলি আবার তৃতীয় স্তরের সংস্থায় বিভক্ত: শহর, এলাকা, গ্রাম এবং শ্রমিকের জেলা।",
"title": "উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনিক বিভাগ"
},
{
"docid": "455534#5",
"text": "পারমানবিক পরীক্ষাটির উৎপাদের ব্যাপারে নিশ্চিত ধারণা না পেলেও বিশ্লেষকরা এটি একটি সফল পরীক্ষা বলেই মেনে নিয়েছেন। মার্কিন ইন্টেলিজেন্স কম্যুনিটি ধারণা করেছে যে উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষাটির খুব সম্ভবত \"কয়েক কিলোটন\" উৎপাদ তৈরিতে সক্ষম হয়। পরীক্ষাটি ২০০৬ সালের বিস্ফোরন অপেক্ষা কিছুটা বড় ছিল বলে প্রিপারেটরি কমিশন ( CTBTO) থেকে জানানো হয়। ২৩টি ভূমিকম্প কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, প্রিপারেটরি কমিশন ২০০৬ সালের বিস্ফোরনে ৪.১ মাত্রার ভূকম্পনে ০.৮ কিলোটন উৎপাদের সাথে তুলনা করে ২০০৯ সালের এই বিস্ফোরণটিতে ৪.৫২ মাত্রার ভূকম্পন ঘটে এবং বিস্ফোরিত উৎপাদ ২.৪ কিলোটনের মত হয় বলে ধারণা করে। \nরাশিয়া এই বিস্ফোরনের উৎআদ লক্ষনীয়ভাবে ১০ থেকে ২০ কিলোটন বলে প্রকাশ করে। যা প্রায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সংঘটিত ট্রিনিটি এবং ফ্যাট ম্যান বোম বিস্ফোরনের সমান। ২০০৬ সালের পরীক্ষার পরেও রাশিয়া তা ৫ থেকে ১০ কিলোটন বলে প্রচার করে যদিও অন্যান্য সূত্র মতে তা ০.৫ থেকে ০.৯ কিলোটনেই সীমাবদ্ধ ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, লি সাং-হি, যথেষ্ট তথ্যের অভাব থাকলেও এতে সম্ভবত ১ থেকে ২০ কিলোটনের মত উৎপাদ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন।",
"title": "২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা"
},
{
"docid": "631540#26",
"text": "৪) কোরীয়ার উলচি ফ্রিডম গার্ডিয়ান এক্সারসাইসঃ ২১ থেকে ৩১ অগাস্ট দক্ষিণ কোরীয়ার উলচি ফ্রিডম গার্ডিয়ান এক্সারসাইসে ১৭৫০০ সৈন্য সহ যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহন: ১৯৭৬ সাল থেকে দক্ষিণ কোরীয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌথ সামরিক মহড়া নিয়মিত আয়োজন করে আসছে। বিভিন্ন সময় এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও ২০০৮ সাল থে এটি উলচি ফ্রিডম গার্ডিয়ান নামে পরিচিত হয়ে আসছে। ২০১৭ সালের এ মহড়ায় যুক্তরষ্ট্রের ১৭৫০০ সেনা সহ দক্ষিণ কোরীয়ার ৫০০০০ সৈন্য এতে অংশ নেয়। উত্তর কোরীয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পাল্টা জবাব হিসেবে একে বলা হচ্ছে।",
"title": "উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সংকট ২০১৭-২০১৮"
}
] |
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সদর শহর কোনটি ? | [
{
"docid": "3727#0",
"text": "বীরভূম জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এই জেলার সদর দফতর সিউড়ি শহরে অবস্থিত। রামপুরহাট ও বোলপুর এই জেলার অপর দুই প্রধান শহর।",
"title": "বীরভূম জেলা"
},
{
"docid": "3727#18",
"text": "বীরভূম জেলা তিনটি মহকুমায় বিভক্ত: সিউড়ি সদর, বোলপুর ও রামপুরহাট। সিউড়ি বীরভূমের জেলাসদর। জেলায় মোট ২৩টি থানা, ১৯টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ৬টি পুরসভা ও ১৬৯টি গ্রামপঞ্চায়েত রয়েছে। পুরসভা এলাকা ছাড়াও প্রত্যেকটি মহকুমা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে বিভক্ত; যেগুলি আবার গ্রামীণ অঞ্চল ও সেন্সাস টাউনে বিভক্ত। সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলে সাতটি নগরাঞ্চল দেখা যায়: ছয়টি পুরসভা ও একটি সেন্সাস টাউন। ২০০০ সালে পৌরসভার মর্যাদা পাওয়া নলহাটি এই জেলার সাম্প্রতিকতম শহর।",
"title": "বীরভূম জেলা"
}
] | [
{
"docid": "3727#20",
"text": "দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, হাঁসন, নলহাটি ও মুরারই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অংশ। বিশিষ্ট চলচ্চিত্রাভিনেত্রী শতাব্দী রায় ২০০৯ সালে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে বোলপুর, নানুর, লাভপুর ও সাঁইথিয়া বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বর্ধমান জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রও এই সংসদীয় কেন্দ্রের অন্তর্গত। লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের দীর্ঘকালের সাংসদ ছিলেন।",
"title": "বীরভূম জেলা"
},
{
"docid": "3727#3",
"text": "অন্যদিকে বীরভূম জেলা কয়েকটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও কেন্দ্র। হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান তথা সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ বীরভূম জেলায় অবস্থিত। এই জেলার ফুল্লরা, বক্রেশ্বর, কঙ্কালীতলা, সাঁইথিয়া, ও নলহাটি হিন্দুধর্মের পবিত্র ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম। চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রধান পার্ষদ নিত্যানন্দের জন্ম হয়েছিল বীরভূম জেলার একচক্রা গ্রামে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এই জেলার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সুসমৃদ্ধ এই জেলায় একাধিক উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ও জয়দেব কেন্দুলির বাউল মেলা সেগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।",
"title": "বীরভূম জেলা"
},
{
"docid": "83790#0",
"text": "বক্রেশ্বর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমার একটি শহর। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এই শহরের নিকটবর্তী।",
"title": "বক্রেশ্বর"
},
{
"docid": "3727#7",
"text": "বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশ অতীতে \"বজ্জভূমি\" বা \"বজ্রভূমি\" নামে পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলটি ছিল এক ঊষর তরঙ্গায়িত উচ্চভূমি। কিন্তু জেলার পূর্বাংশ অপেক্ষাকৃত উর্বরতর। রাঢ় অঞ্চলের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই অংশটিই গাঙ্গেয় সমভূমিতে বিলীন হয়েছে। রাঢ়ের একটি অংশও বজ্জভূমির অন্তর্গত ছিল; অবশিষ্ট রাঢ়কে বজ্জভূমি থেকে পৃথক করার উদ্দেশ্যে সুহ্ম নামে অভিহিত করা হত। বীরভূম জেলার একমাত্র পাহাড়, মামা ভাগ্নে পাহাড় দুবরাজপুর শহরের সন্নিকটে অবস্থিত। বর্তমানে এটি একটি সুপরিচিত পর্যটন স্থল।",
"title": "বীরভূম জেলা"
},
{
"docid": "3727#15",
"text": "১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে বীরভূম নামক প্রশাসনিক জেলাটির জন্ম হয়। তার আগে এটি মুর্শিদাবাদ জেলার অংশ ছিল। ১৭৮৭ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত \"District Beerbhoom\" ছিল বর্তমান বীরভূমের তুলনায় আকারে অনেক বড়ো একটি জেলা। ১৭৯৩ সাল পর্যন্ত \"Bishenpore\" (বর্তমানে বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া জেলা) এই জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের আগে পর্যন্ত সাঁওতাল পরগনাও এই জেলার অন্তর্গত ছিল। অর্থাৎ, সেই সময় পশ্চিমে এই জেলার বিস্তৃতি ছিল দেওঘর পর্যন্ত। ১৮৫৫-৫৬ সালে অবিভক্ত বীরভূমের পশ্চিমাঞ্চলে সংগঠিত সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণে এই আদিবাসী-অধ্যুষিত পশ্চিমাঞ্চলটিকে জেলা থেকে বাদ দেওয়ার আশু প্রয়োজন অনুভূত হয়। তাই বিদ্রোহ দমনের পর কর্তৃপক্ষ জেলাটিকেও ভাগ করে দেন। আজও বীরভূমে এই বিদ্রোহের দুই নায়ক সিধু ও কানুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।",
"title": "বীরভূম জেলা"
},
{
"docid": "3510#0",
"text": "বর্ধমান () পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাসদর পশ্চিমবঙ্গের মহানগর ও একটি প্রাচীন শহর।পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর৷ বর্ধমান বিভাগের বিভাগীয় সদর ও বর্ধমান জেলার সদর উত্তর ও সদর দক্ষিণ মহকুমাদুটির মহকুমা-সদরও বর্ধমানে অবস্থিত। রাঢ় অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে দামোদর নদের তীরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ মিটার উচ্চতায় বর্ধমান শহরটি অবস্থিত। বর্ধমান পুরসভা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একাধিক বিভাগ এই শহরের প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত। একাধিক ঐতিহাসিক মন্দির ও স্মারকের উপস্থিতির কারণে বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র।",
"title": "বর্ধমান"
},
{
"docid": "3727#6",
"text": "কর্কটক্রান্তি রেখার উপর ২৩° ৩২' ৩০\" ও ২৪° ৩৫' ০\" উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭° ৫' ৪৫\" ও ৮৮° ১' ৪০\" পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত বীরভূম জেলার মোট আয়তন ৪৫৪৫ বর্গকিলোমিটার। ত্রিকোণাকার এই জেলার নিম্নস্থ বাহুটি সৃজন করেছে অজয় নদ এবং এর শীর্ষবিন্দু স্থাপিত হয়েছে উত্তরে। উক্ত নদ বর্ধমান ও বীরভূম জেলার সীমানাও নির্ধারণ করেছে। ঝাড়খণ্ড রাজ্য জেলার পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রসারিত। পূর্বদিকে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমান জেলার কিয়দংশ। ভৌগোলিক বিচারে এই অঞ্চল ছোটোনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত; যার ঢাল পূর্বদিকে ক্রমশ নেমে এসে পললসমৃদ্ধ গাঙ্গেয় সমতলভূমিতে এসে মিশেছে।",
"title": "বীরভূম জেলা"
},
{
"docid": "651113#1",
"text": "বীরভূম জেলা অবস্থানগতভাবে অতীতের রাঢ় অঞ্চলগুলোর একটা অংশ। এই জেলার পশ্চিম অংশটা হল বাস্তবিকভাবে ছোটো নাগপুর মালভূমি অঞ্চলের একটা বর্ধিতাংশ। এই অঞ্চলের মাটি প্রধানত আলগা ধরনের লালাভ ল্যাটেরাইট প্রকৃতির, যে মাটির উর্বরা শক্তি কম। পূর্ব দিকে অজয়, বক্রেশ্বর, ময়ূরাক্ষি এবং ব্রাহ্মণী নদনদীগুলোর বন্যাপ্রবণ বিস্তীর্ণ অববাহিকা আছে, যেখানকার মাটি নরম ও পাললিক। পুরো জেলার মাত্র ৩.৫ শতাংশ ভূমিতে বনাঞ্চল আছে। যদিও জেলার মধ্যে কয়লাক্ষেত্র দেখা যায় এবং ২,০১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বক্রেশ্বর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে, তথাপি বীরভূম জেলার অর্থনৈতিক অবস্থা প্রধানত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে মূলত পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভিত্তিক ভূমি সংস্কার চলতে থাকে। ভূমি সংস্কারের সময় জমির ঊর্ধ্বসীমার ওপরের বাড়তি জমি দখল করা হয়েছিল এবং সেই জমি চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। বীরভূম জেলায় ২০১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ১৯,৯৬৮ হেক্টর আবাদী কৃষি জমি ১৬১,৫১৫ জন সুবিধেভোগী চাষির মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। যাই হোক, 'অপারেশন বর্গা' প্রকল্পে ৩৮ শতাংশের বেশি জমি গ্রাহকের অবস্থা ছিল প্রান্তিক অথবা ১ একরের কম জমিভোগী। বীরভূম জেলায় সকল কর্মীযূথের মধ্যে কৃষি শ্রমিকের অনুপাত হল ৪৫.৯ শতাংশ, যেটা পশ্চিমবঙ্গের সকল জেলার মধ্যে সর্বাধিক। বীরভূম হচ্ছে সংস্কৃতিতে উন্নত জেলা, যে জলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যেমন জয়দেব কেন্দুলি এবং চণ্ডিদাস নানুর; এখানে ঘরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন; যার সঙ্গে দু-দুজন নোবেল বিজেতার অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অমর্ত্য সেন।",
"title": "মহম্মদ বাজার (সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক)"
},
{
"docid": "3727#2",
"text": "বীরভূমকে বলা হয় \"রাঙামাটির দেশ\"। এই জেলার ভূসংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় একটু আলাদা। ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত জেলার পশ্চিমাঞ্চল ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই এলাকাটি ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।",
"title": "বীরভূম জেলা"
}
] |
হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদ কোন ভাষায় রচিত ? | [
{
"docid": "370400#2",
"text": "বেদ ( সংস্কৃত: , জ্ঞান ) হল প্রাচীন ভারতে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি । বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদ সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং প্রাচীনতম হিন্দু ধর্মগ্রন্থ । বেদকে \"অপৌরুষেয়\" (\"মানুষের দ্বারা রচিত নয়\") মনে করা হয় । হিন্দুরা বিশ্বাস করে , বেদ প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বর কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে । তাই বেদের অপর নাম শ্রুতি (\"ʼযা শোনা হয়েছে\"ʼ)। অন্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় \"স্মৃতি(হিন্দুধর্ম)। স্মৃতি\" (\"ʼযা মনে রাখা হয়েছেʼ\") । হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে , বেদ সর্বোচ্চ উপাস্য ঈশ্বর ব্রহ্ম কর্তৃক প্রকাশিত । বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা শ্রুতি \"সংহিতা\" নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের যজ্ঞ অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত ॐ",
"title": "ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "355079#2",
"text": "বৈদিক যুগে রচিত ধর্মগ্রন্থগুলি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। এগুলি প্রধানত চারটি বৈদিক সংহিতা। তবে ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও কয়েকটি প্রাচীন উপনিষদ্ (বৃহদারণ্যক, ছান্দোগ্য) এই যুগে রচিত বলে মনে করা হয়। বেদের অনুষ্ঠানপদ্ধতি লিপিবদ্ধ করা আছে। ১৬ বা ১৭ জন শ্রৌত ও বৈদিক পুরোহিত মিলে এই অনুষ্ঠান সম্পাদনা করতেন। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, ঋগ্বেদের স্ত্রোত্রগুলি এবং অন্যান্য বৈদিক স্তোত্রগুলি ঋষিদের কাছে দিব্য উপায়ে প্রকাশিত হয়েছিল। তাই এই ঋষিদের ওইসব স্তোত্রের \"মন্ত্রদ্রষ্টা\" (যিনি মন্ত্র দেখেন বা শোনেন) মনে করা হয়; রচয়িতা মনে করা হয় না। বেদকে অপৌরুষেয় মনে করা হয়। কারণ, হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, কোনো মানুষ বেদ রচনা করেননি। তাছাড়া বেদকে অপরিবর্তনশীলও মনে করা হয়।\nআগুন বা নদনদীর পূজা, ইন্দ্র প্রমুখ দেবতার পূজা, মন্ত্রপাঠ ও যজ্ঞ ছিল বৈদিক সমাজে প্রধান উপাসনার পদ্ধতি। পুরোহিতেরা ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের জন্য ক্রিয়াকাণ্ড অনুষ্ঠান করতেন। মানুষ দেবতার কাছ থেকে অধিক সন্তান, বৃষ্টিপাত, গবাদি পশু, দীর্ঘায়ু ও মৃত্যুর পর স্বর্গ কামনা করত। আধুনিক হিন্দুধর্মেও পুরোহিতরা বৈদিক স্তোত্র পাঠ করে উন্নতি, ধনসম্পত্তি ও সর্বসাধারণের কল্যাণ প্রার্থনা করেন। তবে বৈদিক দেবদেবীদের গুরুত্ব কমে পৌরাণিক দেবদেবীদের গুরুত্ব আধুনিক হিন্দুধর্মে বেড়ে গিয়েছে।",
"title": "ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্ম"
},
{
"docid": "42564#0",
"text": "বেদ (; সংস্কৃত: \"\", \"জ্ঞান\") হল প্রাচীন ভারতে লিপিবদ্ধ তত্ত্বজ্ঞান-সংক্রান্ত একাধিক গ্রন্থের একটি বৃহৎ সংকলন। বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদই সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং সনাতনধর্মের সর্বপ্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। সনাতনরা বেদকে \"অপৌরুষেয়\" (\"পুরুষ\" দ্বারা কৃত নয়, অলৌকিক) এবং \"নৈর্বক্তিক ও রচয়িতা-শূন্য\" (যা নিরাকার নির্গুণ ঈশ্বর-সম্বন্ধীয় এবং যার কোনও রচয়িতা নেই) মনে করেন।",
"title": "বেদ"
}
] | [
{
"docid": "423453#16",
"text": "বেদী সূত্র (হুইনেং কর্তৃক রচিত বলে কথিত) বুদ্ধবচন অনুসারে রচিত। এটি সেই সামান্য কয়েকটি গ্রন্থের একটি যেটি বুদ্ধকথিত না হলেও “সূত্র” বলে চিহ্নিত। মনে রাখা দরকার, এই বইটি অনূদিত। মূল চীনা ভাষায় “সূত্র” শব্দটিকে অনুবাদ করা হয়েছে “জীং”(經) বলে। তবে এই “জীং” শব্দটি অন্যান্য ধ্রুপদি গ্রন্থের নামেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বেদী সূত্রে লেখক একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। এতে দেখা যায়, তিনি কিভাবে জেন অধিপতি হয়েছেন এবং সেই সঙ্গে তিনি জেন তত্ত্ব ও অনুশীলনের কথাও লিখেছেন। জেন ও চ্যান শাখার ভিত্তি জেন শিক্ষকদের অনানুশাসনিক জীবনী ও উপদেশ গ্রন্থাবলি। এগুলির উদাহরণ, \"ব্লু ক্লিফ রেকর্ড\"।",
"title": "বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "330282#0",
"text": "যজুর্বেদ (সংস্কৃত: यजुर्वेद, \"\", \"যজুস্\" বা \"গদ্য মন্ত্র\" ও \"বেদ\" বা \"জ্ঞান\" থেকে) হল গদ্য মন্ত্রসমূহের বেদ। যজুর্বেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। যজ্ঞের আগুনে পুরোহিতের আহুতি দেওয়ার ও ব্যক্তিবিশেষের পালনীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলির পদ্ধতি এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। যজুর্বেদ হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের একটি ভাগ। ঠিক কোন শতাব্দীতে যজুর্বেদ সংকলিত হয়েছিল, তা জানা যায় না। তবে গবেষকদের মতে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দ নাগাদ, অর্থাৎ সামবেদ ও অথর্ববেদ সংকলনের সমসাময়িক কালে এই বেদও সংকলিত হয়।",
"title": "যজুর্বেদ"
},
{
"docid": "81565#9",
"text": "হিন্দুধর্মের আদিতম ধর্মগ্রন্থ চার বেদ – ঋক্, সাম, যজুঃ ও অথর্ব। এগুলির মধ্যে ঋগ্বেদ প্রাচীনতম। ১৫০০ থেকে ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থগুলি রচিত হয়। পল্লব ও গুপ্তযুগ পর্যন্ত এগুলি গুরুশিষ্য পরম্পরায় মৌখিক প্রথার মাধ্যমে প্রচলিত ছিল। এর পর থেকে মৌখিক প্রথার সঙ্গে সঙ্গে লিপিবদ্ধ করার প্রথাও চালু হয়।",
"title": "হিন্দুধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "427677#0",
"text": "পঞ্চম বেদ ধারণাটির মাধ্যমে এমন একটি ধর্মগ্রন্থকে বোঝায় যেটি চারটি আনুশাসনিক বেদের অন্তর্গত না হলেও গুরুত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে বেদের সমতুল্য। বেদ-উত্তর যুগে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থকে পঞ্চম বেদ বলে দাবি করা হয়। হিন্দুধর্মে এই ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলিকে বেদের নিত্যতা ও সার্বভৌমত্বের সমতুল্য জ্ঞান করা হয়। এই ধারণাটি প্রাচীন। উপনিষদে প্রথম এই ধারণার উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে আধুনিক সংস্কৃত ও অ-সংস্কৃত ভাষায় রচিত একাধিক গ্রন্থকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।",
"title": "পঞ্চম বেদ"
},
{
"docid": "481621#1",
"text": "হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলির দুটি ঐতিহাসিক শ্রেণীবিন্যাস হল: ‘শ্রুতি’ (যা শোনা হয়েছে) ও স্মৃতি (যা মনে রাখা হয়েছে)। শ্রতিশাস্ত্রগুলি সর্বোচ্চ প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ। এগুলি সেই প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ যেগুলিকে ‘অপৌরুষেয়’ (স্বয়ং ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত) মনে করা হয়। এগুলিই হিন্দুধর্মের কেন্দ্রীয় ধর্মগ্রন্থ। সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও মুখ্য উপনিষদ্ সহ সমগ্র বেদ শ্রুতিশাস্ত্রের অন্তর্গত। শ্রুতিশাস্ত্রের বধ্যে উপনিষদ্ এককভাবে হিন্দুধর্মে বিশেষ প্রভাবশালী। এই অংশকে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ মনে করা হয়। উপনিষদের কেন্দ্রীয় ভাবনাটি এখনও বিভিন্ন দার্শনিক শাখা ও ধর্মীয় প্রথার উপর বিশেষ প্রভাবশালী।",
"title": "হিন্দু ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "42564#7",
"text": "সামবেদ (সংস্কৃত: सामवेद) (\"সামন্\" বা গান ও \"বেদ\" বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।",
"title": "বেদ"
},
{
"docid": "427677#5",
"text": "পঞ্চম বেদ রূপে গণ্য অন্যান্য গ্রন্থগুলির মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি আয়ুর্বেদ।\nস্থানীয় ভাষায় লেখা একাধিক ধর্মগ্রন্থকে বেদের সমতুল্য মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৭শ শতাব্দীতে অবধি ভাষায় রচিত রামায়ণ রামচরিতমানস কাব্যটিকে ভক্তেরা পঞ্চম বেদ বা হিন্দি বেদ মর্যাদা দেন। তাঁরা মনে করেন, কলিযুগে এই গ্রন্থ বেদের সমতুল্য বা বেদ অপেক্ষা মহত্তর।",
"title": "পঞ্চম বেদ"
}
] |
টাইটানিক জাহাজ দুর্ঘটনায় মোট কত জনের মৃত্যু হয় ? | [
{
"docid": "93626#0",
"text": "আরএমএস টাইটানিকের নিমজ্জনের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রথম সমুদ্রযাত্রার চার দিনের প্রথম দিন ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল রাত থেকে ১৫ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ঘটনা ঘটেছে। সে সময়ের বৃহত্তম যাত্রীবাহী পরিষেবা, \"টাইটানিক\" জাহাজে আনুমানিক ২,২২৪ মানুষ ছিল যখন এটি ২৩:৪০ (জাহাজের সময়)। ১৫ এপ্রিল, সোমবার ০২:২০ (০৫:১৮ জিএমটি) পর্যন্ত দুই ঘন্টা চল্লিশ মিনিট সময় ধরে এই ডুবে যাওয়ার ঘটনার ফলে ১,৫০০ বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে, যা ইতিহাসে শান্তিকালীন সময়ে প্রানঘাতী সামুদ্রিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে।",
"title": "আরএমএস টাইটানিকের নিমজ্জন"
}
] | [
{
"docid": "42930#2",
"text": "১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের\nউদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। সে সময়\nটাইটানিকে মোট যাত্রী ছিল ২২০০ জন এবং কয়েকশ\nকর্মী। শুরুতেই মাত্র চার ফুটের জন্য ‘এসএসসিটি অব নিউইয়র্ক’ জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সমর্থ হয়। ৭৭ নটিক্যাল মাইল এগিয়ে শেরবুর্গ থেকে ২৭৪ জন যাত্রী তুলে নেয়। ১১ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টায় আয়ারল্যান্ডের কর্ক পোতাশ্রয় থেকে জাহাজে ওঠেন ১১৩ জন তৃতীয় শ্রেণীর এবং সাতজন দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রী। বৃটেন থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাওয়া খুবই বিপজ্জনক ছিল।\nছোটোখাটো জাহাজের পক্ষে বলা চলে জীবন\nবাজি রেখে যাত্রা করা। কেননা হঠাৎ সামুদ্রিক ঝড়-\nজলোচ্ছ্বাসে পড়ার আশঙ্কা সবসময়ই ছিল। তারপরও এত\nসংখ্যক যাত্রী সমুদ্রের রোমাঞ্চকর এই ভ্রমণ উপভোগ করার\nজন্য টাইটানিকের যাত্রী হয়েছিল। টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির ভাড়া ছিল ৩১০০ ডলার। আর তৃতীয় শ্রেণির\nভাড়া ছিল ৩২ ডলার।",
"title": "আরএমএস টাইটানিক"
},
{
"docid": "93626#13",
"text": "মাএ দুটি লাইফবোট আবার উদ্ধার কাজে ফিরে এসেছিল। এর মধ্যে লাইফবোট-৪ পাঁচজন যাত্রীকে উদ্ধার করেছিল যার মধ্যে দুজন পরবর্তিতে মারা যায়। একঘণ্টার মধ্যে লাইফবোট-১৪ ফিরে আসে এবং আরো ৪ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে যাদের একজন পরে মারা যায়। সকাল ০৪:১০ এর দিকে Carpathia জাহাজটি এসে পৌছায় এবং বেঁচে থাকাদের উদ্ধার করা শুরু করে\n। সকাল ০৮:৩০ মিনিটে জাহাজটি নিউ ইয়র্কের দিকে রওনা দেয়।\nযারা বেঁচে গিয়েছিল তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকা:\n২২২৩ জন যাত্রীর মধ্যে বেঁচে গিয়েছিল মাত্র ৭০৬ জন এবং অকালে প্রান হারিয়েছিলেন প্রায় ১৫১৭ জন। বেশির ভাগ লোকই মারা গিয়েছিল প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে কারণ তখন সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রী ফারেন হাইট বা মাইনাস ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় মানুষ সাধারণত ১৫ এরও কম সময়ে মারা যায়।.",
"title": "আরএমএস টাইটানিকের নিমজ্জন"
},
{
"docid": "93626#6",
"text": "টাইটানিক প্রায় ৬৪ টি লাইফবোট বহন করতে সক্ষম ছিল যা প্রায় ৪০০০ লোক বহন করতে পারতো। কিন্তু তখনকার ব্রিটিশ নীতিমালা অনুসারে ১০০০০ হাজার টনের চেয়ে বেশি ভারী জাহাজকে কমপক্ষে ১৬টি লাইফবোট নিতে হতো। তাই টাইটানিক আইনগতভাবে যত লাইফবোর্ড নেয়া দরকার তারচেয়ে বেশি ২০টি লাইফবোর্ড নিয়ে যাত্রা করেছিল যা টাইটানিকের মোট যাত্রীর ৩৩% বা মাত্র ১১৭৮ জন যাত্রী বহন করতে পারতো।",
"title": "আরএমএস টাইটানিকের নিমজ্জন"
},
{
"docid": "93626#9",
"text": "জাহাজটি সর্বোচ্চ চারটি পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্ট নিয়ে ভেসে থাকতে পারতো কিন্তু পানিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৫ টি কম্পার্টমেন্ট । এ পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্টগুলো ওজনের কারণেই জাহাজটির সামনের দিক আস্তে আস্তে পানিতে নিমজ্জিত হতে থাকে। এ আকস্মিকতায় ক্যাপ্টেন স্মিথ মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে আসেন এবং জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন। ১৫ তারিখ মধ্যরাত্রির দিকে লাইফবোটগুলো নামানো শুরু হয়।\nটাইটানিক বিভিন্ন দিকে জরুরী বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিল। যেসকল সিপগুলো সাড়া দিয়েছিল তার অন্যতম হল মাউন্ট ট্যাম্পল, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং টাইটানিকের সহোদর অলেম্পিক। সবচেয়ে নিকটে অবস্থিত জাহাজটি টাইটানিকের প্রায় ৯৩ কি.মি. দূরে ছিল। সেখান থেকে টাইটানিক পর্যন্ত পৌছাতে জাহাজটির সময় লাগতো প্রায় ৪ ঘণ্টা। কেইপ রেইসের,নিউফাউন্ডল্যান্ডের ওয়ার্লেস স্টেশনটিই একমাত্র ভূমিভিত্তিক ওয়ার্লেস স্টেশন যেটি টাইটানিকের বিপদ সংকেত পেয়েছিল।",
"title": "আরএমএস টাইটানিকের নিমজ্জন"
},
{
"docid": "644120#0",
"text": "আর এম এস টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলের প্রায় ৩৭০ মাইল (৬০০ কিমি) দূরে প্রায় ১২,৫০০ ফুট গভীর সমুদ্রের নীচে। জাহাজটি দু টুকরো হয়ে পড়ে আছে সেখানে। অনেক আঘাত খাওয়া সত্ত্বেও জাহাজটির অগ্রভাগের ধ্বংসাবশেষ এখনও স্পষ্ট প্রতিভাত হয়, সেখানকার সাজ সরঞ্জাম, কাঠামো এখনও বোঝা যায়। তুলনামূলক ভাবে জাহাজটির পশ্চাৎভাগের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। সেটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।জাহাজটি ডুবে যাবার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় হাজার হাজার বস্তু ডুবে গিয়েছিল, ফলে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ভগ্নাবশেষের চারপাশে একটা ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়ে আছে আজও। যাত্রীদের এবং ক্রুদের মৃতদেহগুলিও সমুদ্রের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, কিন্তু কালের নিয়মে আজ সে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।",
"title": "টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ"
},
{
"docid": "93626#14",
"text": "টাইটানিক দূর্ঘটানায় অসংখ্যা পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জন কারীকে হারিয়েছিল। বিশেষ করে তৃতীয় শ্রেণীর ক্ষেত্রে, তারা সবই হারিয়েছিল। হ্যামশায়ার ক্রোনিকল পত্রিকার মতে টাইটানিক দূর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সাউদাম্পটনের অধিবাসীরা। এ পত্রিকাটির মত্যে টাইটানিক দূর্ঘটনায় সাউদাম্পটনের প্রায় ১০০০ পরিবার সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যার মধ্যে ৫০০ পরিবার কমপক্ষে নিজেদের পরিবারের একজনকে হারিয়েছিল\n। এ দূর্গতদের সাহায্যের জন্য অনেক চ্যারিটিও তখন গড়ে উঠেছিল।",
"title": "আরএমএস টাইটানিকের নিমজ্জন"
},
{
"docid": "644120#1",
"text": "আরএমএস টাইটানিক একটি ব্রিটিশ যাত্রীবাহী বৃহদাকার সামুদ্রিক জাহাজ ছিল যা ১৫ এপ্রিল, ১৯১২ সালে জাহাজটির প্রথম সমুদ্রযাত্রায় সাউথহ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথে হিমশৈলের (আইসবার্গের) সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এটি ঐ সময়ের সবচেয়ে বৃহৎ আধুনিক ও বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল। জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক অভিযান চালানো হয়েছিল সমুদ্রের গভীরে জাহাজটাকে খোঁজার জন্য। কিন্তু সবই ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে French Research Institute for Exploitation of the Sea বা IFREMER এর গবেষক জাঁ লুই মিশেল ও Woods Hole Oceanographic Institution এর গবেষক রবার্ট বলারড এর যৌথ ফরাসী-আমেরিকান অভিযানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায। এরপর বহু সমুদ্র গবেষকের নজর পড়ে ও একেরপর এক অভিযান চলতে থাকে। সেইসব অভিযানে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেক মুল্যবান জিনিস খুঁজে আনা হয় ও তা দুনিয়ার কাছে প্রদর্শিত হয়।\nটাইটানিকের ডুবে যাবার পর বহু বছর ধরে বহু অর্থ ব্যয় করে, বহু অসম্ভব সব পরিকল্পনা গ্রহণ করেও তাকে সমুদ্রের গভীর গর্ভ থেকে তুলে আনা যায়নি। বর্তমানে তা জলের তলাতেই ইউনেস্কোর উদ্যোগে সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।",
"title": "টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ"
},
{
"docid": "93626#3",
"text": "২ এপ্রিল ১৯১২ পরিষেবায় প্রবেশের সময়, রয়েল মেইল শিপ (আরএমএস) \"টাইটানিক\" তিনটি অলিম্পিক শ্রেণীর সমুদ্র যাত্রীবাহী ভগিনী জাহাজের মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ ছিল। এটি এবং তিনি এবং তার বোন, , ক্যুনার্ডেের গ্রস রেজিস্টার টনেজের হিসাবে পূর্ববর্তী রেকর্ড ধারক এবং থেকে প্রায় দেড় গুণ বেশি ওজনের ছিলো এবং প্রায় ফুটের কাছাকাছি দীর্ঘের ছিল। \"টাইটানিক\" গতি এবং আরামের মধ্যে ৩,৫৪৭ মানুষ বহন করতে পারে, এবং এবং একটি এযাবৎ কালের সবচেয়ে অভূতপূর্ব মাপে নির্মিত হয়েছিল। এর রেসিপ্রোকেটিং ইঞ্জিন তৎকালীন নির্মিত বৃহত্তম ইঞ্জিন ছিল, যা উঁচু এবং জ্বালানি হিসেবে প্রতিদিন সিলিন্ডারে কয়লা ব্যবহৃত হতো।\nপানি থেকে জাহাজটির ডেকের উচ্চতা ছিল ৫৯ ফিট(১৮মিটার)। এতে চার সিলিন্ডারের দুটি রিসিপ্রোকল ইঞ্জিন (এক ধরনের পিস্টন ইঞ্জিন), ট্রিপল এক্সপ্যানশান স্টীম ইঞ্জিন এবং তিনটি প্রোপেলারকে চালানের জন্য একটি লো প্রেসার টারবাইন ছিল। এর ২৯টি বয়লার সক্রিয় রাখার জন্য ছিল ১৫৯ টি কয়লা পোড়ানো চুলো, যা সর্বোচ্চ ২৩ নট (৪৩কি.মি./ঘণ্টা) গতিতে জাহাজটিকে চালাতে পারতো।",
"title": "আরএমএস টাইটানিকের নিমজ্জন"
},
{
"docid": "341116#2",
"text": "২০১০ সালের মধ্যে ৫৩টি জাহাজ ছিনতাই হয় এবং মোট ৮জন ক্রু মৃত্যুবরণ করে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের অধুনিক জাহাজ ছিনতাই করে ফলে তারা পূর্বের তুলনায় আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে জলদস্যুতা পরিচালনা করে থাকে যদিও আন্তর্জাতিক সম্মিলিত টাস্ক ফোর্সের অভিযানের কারণে এখন জলদস্যুতা এ অঞ্চলে অনেকটাই কমে আসছে। এই পাতাটিতে সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত জাহাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে।",
"title": "সোমালিয়ার জলদস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত জাহাজের তালিকা"
}
] |
কে প্রথম টেথিস সাগরের নামকরণ করেন ? | [
{
"docid": "593574#2",
"text": "প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্রের দেবী টেথিসের নামে এই প্রাচীন মহাসাগরের নাম দেওয়া হয় \"টেথিস\"। অস্ট্রীয় ভূতত্ত্ববিদ এডুয়ার্ড সুয়েস ১৮৯৩ সালে এই নামকরণ করেন।",
"title": "টেথিস সাগর"
}
] | [
{
"docid": "593574#5",
"text": "১৯৬০'এর দশকে ভূত্বকীয় পাত বা \"প্লেট টেকটনিক\" তত্ত্ব বিজ্ঞানীমহলে প্রতিষ্ঠিত হলে বোঝা যায়, এডুয়ার্ড সুয়েস যাকে স্থলবেষ্টিত সাগর বলে বর্ণনা করেছেন, সেই টেথিস আসলে ছিল একটি মহাসাগর। কেন ও কীভাবে এই মহাসাগর পরবর্তীকালে বিলুপ্ত হল তারও এর ফলে একটি ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব হয়। স্মিথ (১৯৭১), ডিউই, পিটম্যান, বোন্যাঁ (১৯৭৩), লাউবশার ও বেরনুলি (১৯৭৩), বেজু-দুভাল, দেকুর, পিঞ্চন (১৯৭৭), প্রমুখ ভূ-বিজ্ঞানীরা আজ মনে করেন, টেথিস ছিল একটি সামুদ্রিক পাত যা ভূত্বকীয় পাতের চলনের দরুন মহাদেশীয় পাতের তলায় প্রবেশ (\"subduct\") করেছে।",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "593574#3",
"text": "১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রীয় পুরাজীববিদ্ মেলখিওর নয়মাইর (\"Melchior Neumayr\") মেসোজোয়িক যুগের সামুদ্রিক পলিস্তর ও তাদের বিন্যাস পরীক্ষা করতে গিয়ে প্রথম \"ৎসেন্ট্রালেস মিটলমেয়ার\" (\"Zentrales Mittelmeer\") বা কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরের ধারণার পত্তন করেন ও বলেন এই সাগর যদিও খুব চওড়া ছিল না, কিন্তু জুরাসিক যুগে সম্ভবত তা পূর্বপশ্চিমে আজকের হিমালয় পর্বতমালা থেকে সুদূর পশ্চিম গোলার্ধের ক্যারিবীয় অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তাঁকে অনুসরণ করেই ১৮৯৩ সালে এডুয়ার্ড সুয়েস তাঁর চার খণ্ডে প্রকাশিত \"Das Antlitz der Erde\" (\"পৃথিবীর মুখ\") গ্রন্থে দেখান যে লরেশিয়া ও দক্ষিণদিকে আজকের একাধিক মহাদেশ একত্রিত হয়ে যে গন্ডোয়ানা অতিমহাদেশ গঠন করেছিল - তাদের মধ্যে একটি স্থলবেষ্টিত সাগরের অস্তিত্ব ছিল। এর একদা অস্তিত্বের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তিনি এই গ্রন্থে আফ্রিকা ও আল্পস পর্বতে প্রাপ্ত বিভিন্ন জীবাশ্মের তালিকা পেশ করেন।",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "593574#4",
"text": "বিংশ শতাব্দীর প্রথম কয়েক দশকে উলিখ (১৯১১), ডিনার (১৯২৫), দাক (১৯২৬), প্রমুখ ভূতত্ত্ববিদরা মতপ্রকাশ করেন যে, টেথিস সাগর বাস্তবে ছিল দুই অতিকায় মহাদেশের মধ্যে আবদ্ধ এক অগভীর জলাভূমিসদৃশ সমুদ্র মাত্র। প্যালিওজোয়িক মহাযুগের শেষের দিকে এর অস্তিত্ব বজায় ছিল, কিন্তু এরপর দক্ষিণে গন্ডোয়ানা থেকে ভেঙে বেরনো মহাদেশীয় পাতগুলির উত্তরমুখী চলনের ফলে এর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়। যাইহোক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ভূতত্ত্ববিদরা টেথিসকে একটি ত্রিভূজাকৃতি মহাসাগর বলে বর্ণনা করতে শুরু করেন, যার খোলা ও চওড়া মুখটি পুবদিকে অবস্থিত।",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "593574#7",
"text": "আজ থেকে প্রায় ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে \"পুরাতন টেথিস\" মহাসাগরের দক্ষিণ উপকূলে একটি নূতন মহাসাগর তৈরি হতে শুরু করে। সে'সময়ের একক মহাদেশ প্যানজিয়ার দক্ষিণপূর্ব অংশের (গন্ডোয়ানা) উত্তর উপকূলের একটি ফালির মতো অংশ (কিমেরীয় ভূভাগ) মূল মহাদেশ থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে ধীরে ধীরে উত্তরে সরে আসতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয় পূর্ববর্তী পার্মিয়ান যুগেই। এর ফলে এই কিমেরিয়া অংশের দক্ষিণে যে নূতন সাগরের উদ্ভব ঘটে তাই হল টেথিস সাগর। পুরাতন টেথিসের বিপরীতে একে অনেক সময় \"নব্য টেথিস সাগর\" নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। পরবর্তী ৬ কোটি বছর ধরে কিমেরীয় ভূভাগ যত উত্তরের দিকে সরে আসতে থাকে ততই \"পুরাতন টেথিস\" প্যানজিয়ার উত্তর অংশ (অর্থাৎ লরেশিয়া) ও কিমেরিয়ার মধ্যে সংকুচিত হয়ে আসতে থাকে ও কিমেরিয়ার দক্ষিণ প্রান্তে \"নব্য টেথিস সাগর\" প্রসারিত হয়ে উঠতে থাকে। ট্রায়াসিক যুগের শেষ ও জুরাসিক যুগের শুরুর দিকে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ২০ কোটি বছর আগে শেষপর্যন্ত কিমেরীয় ভূভাগ এসে উত্তর প্যানজিয়ার সাথে মিলে যায়। ফলে \"পুরাতন টেথিসের\" সম্পূর্ণ অবলুপ্তি ঘটে ও \"নব্য টেথিসের\" গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নূতন এই টেথিস মহাসাগর পুরাতন মহাসাগরটির প্রায় সমগ্র অংশটিই অধিকার করে বিরাজ করতে শুরু করে।",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "593574#0",
"text": "টেথিস সাগর (প্রাচীন গ্রিক - \"Τηθύς\") হল একটি অধুনালুপ্ত প্রাচীন মহাসাগর। মেসোজোয়িক মহাযুগের (মোটামুটি ২৫.২২ কোটি - ৭.২১ কোটি বছর আগে) প্রায় বেশিরভাগ সময় জুড়েই দুই প্রাচীন অতিমহাদেশ লরেশিয়া ও গন্ডোয়ানার মধ্যবর্তী অংশে এই মহাসাগরটি অবস্থান করত। ক্রিটেশিয়াস যুগ (মোটামুটি ১৪.৫ কোটি - ৭.২১ কোটি বছর আগে) ও তৎপরবর্তী সময়ে ঐ দুই অতিমহাদেশ পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয়ে এসে অংশত জুড়ে গেলে এই মহাসাগরের অবলুপ্তি ঘটে ও পরিবর্তে অতলান্তিক ও ভারত মহাসাগরের সৃষ্টি হয়। বর্তমান ভূমধ্যসাগরের পূর্ব অংশ, কৃষ্ণসাগর, ক্যাস্পিয়ান সাগর, আরল সাগর প্রভৃতি এই প্রাচীন মহাসাগরের পশ্চিম অংশের অবশেষ মাত্র।",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "593574#10",
"text": "ক্রিটেশিয়াস যুগে (১৪.৫ কোটি - ৭.২১ কোটি বছর আগে) আজ থেকে প্রায় ১০ কোটি বছর আগে দক্ষিণের অতিমহাদেশ গন্ডোয়ানার ভাঙন শুরু হয় এবং তার থেকে ভেঙে বেরিয়ে আফ্রিকা ও দক্ষিণ ভারতীয় উপমহাদেশ ক্রমশ উত্তরে সরে আসতে থাকে। ফলে টেথিস সাগরের সংকোচন শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে আজ থেকে ১.৫ কোটি বছর আগে মায়োসিন উপযুগের (২.৩ কোটি - ৭২ লক্ষ বছর আগে) মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। আফ্রিকা ও দক্ষিণ ভারতের এই ক্রমাগত উত্তরমুখী চলনের ফলে সংকুচিত হতে থাকা টেথিস সাগরের তলদেশের পলিস্তর থেকে এই সময় আল্পস পর্বতমালা, কার্পেথীয় পর্বতমালা, তোরোস পর্বতমালা, হিমালয় পর্বতমালা প্রভৃতি একের পর এক সুউচ্চ নবীন ভঙ্গিল পর্বতমালার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সমগ্র প্যালিওজিন যুগ (৬.৬ কোটি - ২.৩ কোটি বছর আগে) জুড়ে সমুদ্রের জলস্তর ক্রমাগত নামতে থাকে। এর ফলে টেথিস সাগরের পশ্চিম অংশ পূর্ব অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও দুই'এর মাঝে আজকের মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অলিগোসিন উপযুগেও (৩.৩৯ কোটি - ২.৩ কোটি বছর আগে) মধ্য ও দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের এক বড় অংশ জুড়ে টেথিস সাগরের একটি অংশ অবস্থান করত; একে সাধারণত প্যারাটেথিস নামে অভিহিত করা হয়। তবে জেগে ওঠা আল্পস, কার্পেথীয়, এলবুর্জ, প্রভৃতি নতুন নতুন পর্বতমালা ও জেগে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যের দরুণ এই প্যারাটেথিস মূল টেথিস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরবর্তী মায়োসিন উপযুগে এই প্যারাটেথিস ধীরে ধীরে অন্তর্হিত হয় ও আজকের ভূমধ্যসাগর এবং কৃষ্ণ সাগর, কাস্পিয়ান সাগর, আরল সাগর, প্রভৃতি মূলত স্থলবেষ্টিত কিছু জলভাগে পরিণত হয়।",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "593574#9",
"text": "এরপরে জুরাসিক যুগে (২০.১৩ কোটি - ১৫.২১ কোটি বছর আগে) মূলত দু'টি ঘটনা ঘটে। একদিকে সমুদ্রের জলস্তর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে টেথিস সাগরের পশ্চিম অংশে একটি বড় অগভীর সমুদ্রের সৃষ্টি হয়। আজকের ইউরোপের এক উল্লেখযোগ্য অংশ এই অগভীর সমুদ্রের অন্তর্ভূক্ত ছিল। অন্যদিকে আজ থেকে প্রায় ১৫ কোটি বছর আগে এককমহাদেশ প্যানজিয়ার ভাঙন শুরু হয় ও লরেশিয়া ও গন্ডোয়ানা পরস্পরের থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করে। এরফলে টেথিস সাগরের পশ্চিম অংশ ক্রমাগত প্রসারিত হতে শুরু করে। আজকের ভূমধ্যসাগর থেকে পশ্চিমে ক্যারিবীয় সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আটলান্টিক মহাসাগরের অংশটি সেই টেথিস সাগরেরই পশ্চিম অংশের অবশেষ। তবে যেহেতু উত্তর- ও দক্ষিণ আমেরিকা তখনও লরেশিয়া বা গন্ডোয়ানা থেকে পৃথক হয়নি, তাই তখনও পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরের বাকি অংশের সৃষ্টি হয়নি। টেথিস সাগরের এই সর্বাধিক বিস্তৃতির কালে এই মহাসাগর পূর্ব থেকে পশ্চিমে এক অবিচ্ছিন্ন মহাসাগর হিসেবে প্রায় গোটা পৃথিবীকে ঘিরেই অবস্থান করত। উত্তরদক্ষিণে সে'সময় তার বিস্তৃতি ছিল মোটামুটি নিরক্ষরেখা থেকে ৩০° উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত।",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "593574#6",
"text": "টেথিস সাগর ছিল তার পূর্বসুরী পুরাতন টেথিস বা প্যালিওটেথিস-এর মতোই সুপ্রাচীন একক মহাদেশ প্যানজিয়ার পূর্বদিকে অবস্থিত একটি তুলনামূলক অগভীর ত্রিভূজাকৃতি উপসাগরীয় সমুদ্র। তবে আকারে ছিল তা মহাসাগরের মতোই বিশাল। এর উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে অবস্থান করত এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, প্রভৃতি আজকের পৃথিবীর মহাদেশীয় ভূভাগগুলি। তবে দক্ষিণ ভারতীয় উপমহাদেশ তখন এশীয় ভূভাগের অংশ হিসেবে এই মহাসাগরের উত্তর তীরে নয়, বরং তার দক্ষিণ তীর সংলগ্ন অংশেই অবস্থান করত। মহাদেশগুলির তীরভূমি সংলগ্ন অংশে এই মহাসাগরের তলদেশও ছিল অগভীর ও প্রায় সমতল। বিশেষত আজকের ইউরোপ মহাদেশের যে অংশগুলি সে' সময় এর তীরবর্তী ছিল, সে' সমস্ত অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।.",
"title": "টেথিস সাগর"
},
{
"docid": "593574#14",
"text": "বিশেষত পুরাজীববিদ্যার ক্ষেত্রে টেথিস সাগরের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই অধুনালুপ্ত প্রাচীন মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের সামুদ্রিক পাললিক শিলাস্তর পরীক্ষা করেই এখনও পর্যন্ত এক দীর্ঘ সময়ের সামুদ্রিক, অগভীর জলাশয় ও নদীমোহনা অঞ্চলের বৈচিত্রপূর্ণ প্রাণী ও উদ্ভিদজীবনের হদিশ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আজকের কাশ্মীর ও উত্তরপশ্চিম হিমালয় অঞ্চল থেকে কিমেরীয় ভূভাগের দক্ষিণে টেথিস মহাসাগরের গন্ডোয়ানা সংলগ্ন দক্ষিণ উপকূলের বহু পাললিক শিলাস্তর আবিষ্কৃত হয়েছে; অন্যদিকে জার্মানির বায়ার্ন অঞ্চলের জোলনহোফেন চূণাপাথরের স্তর পরীক্ষা করে আবিস্কৃত হয়েছে প্রাচীনতম পাখি বিখ্যাত আর্কিওপ্টেরিক্স বা \"উরফোগেল\"-এর জীবাশ্ম; এই অঞ্চল ছিল বাস্তবে টেথিস সাগর সংলগ্ন একটি অগভীর লেগুন, যার তলদেশের কাদাই বর্তমানে ঐ চূণাপাথরের স্তরে পরিণত হয়েছে।",
"title": "টেথিস সাগর"
}
] |
ফুটবল বিশ্বকাপ মোট কত বছর অন্তর হয় ? | [
{
"docid": "5216#0",
"text": "ফিফা বিশ্বকাপ () (ফুটবল বিশ্বকাপ, সকার বিশ্বকাপ, অথবা শুধু বিশ্বকাপ নামেও পরিচিত) একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যেখানে ফিফা ( — উচ্চারণ: \"ফেদেরাসিওঁ অ্যাঁতের্নাসিওনাল্ দ্য ফুৎবল্ আসোসিয়াসিওঁ\", অর্থাৎ \"আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা\") সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি।",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "68352#1",
"text": "পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবলের অনুরূপভাবে এটিও প্রতি চার বছর অন্তর এই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতা নামের প্রথম বিশ্বকাপটি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের প্রতিযোগিতায় জাপান পেনাল্টি শ্যুট আউটে জয়ী হয়ে ট্রফি লাভ করে। বর্তমানে প্রতি আসরের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৬টি দল খেলে থাকে।",
"title": "ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "292434#2",
"text": "প্রতি চার বছর অন্তর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতারূপে পুরুষদের ফিবা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এটি ফিবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৪ সাল থেকে ফিবা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্যে বাস্কেটবল ক্রীড়ার উদ্ভাবক জেমস নাইস্মিথকে সম্মান জানিয়ে নাইস্মিথ ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। ফিবা প্রমিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপও চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু তা পৃথক দেশে।",
"title": "আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা"
}
] | [
{
"docid": "666717#0",
"text": "ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ হলো অনূর্ধ্ব-২০ পুরুষ খেলোয়াড়দের জন্য ফিফা কর্তৃক আয়োজিত একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা।১৯৭৭ সালে তিউনিসিয়ায় প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়।প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি \"ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ\" নামে পরিচিত ছিলো\n১৯৭৭ সালে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটির এখন পর্যন্ত ২১ টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র ২০ বছরের কম বয়সীরাই খেলতে পারবে।সবচেয়ে সফল দল আর্জেন্টিনা ছয়টি শিরোপা অর্জন করেছে।পাঁচটি শিরোপা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ব্রাজিল।সার্বিয়া ও পর্তুগালের দুইটি করে শিরোপা আছে।ঘানা,জার্মানি,ফ্রান্স,রাশিয়া(সোভিয়েত ইউনিয়ন হিসেবে),স্পেন ও ইংল্যান্ড একবার করে শিরোপা জিতেছে।",
"title": "ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "363292#0",
"text": "১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ () হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ষোড়শতম আসর। ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে বিশ্বের প্রধান ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ১০ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্বকাপের এই আসরটির আয়োজক দেশ হচ্ছে ফ্রান্স। ১৯৯৬ সালের মার্চ মাস থেকে এই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য ৩২টি দল নির্বাচনের লক্ষ্যে ফিফার বাছাইপর্ব শুরু হয় যা ১৯৯৭ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হয়। এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২৪টি থেকে বাড়িয়ে ৩২ দলে পরিণত করা হয়। এই বিশ্বকাপে মোট ১০টি স্টেডিয়ামে ৬৪টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।",
"title": "১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "302707#0",
"text": "ওএফসি নেশন্স কাপ () আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতাবিশেষ যা ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্যভূক্ত দেশসমূহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতাটি ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতি দুই বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হতো। ১৯৯৬ সালের পূর্বে আরো দুটি প্রতিযোগিতা \"ওশেনিয়া নেশন্স কাপ\" নামে অনিয়মিতভাবে হয়েছিল। ২০০৬ সালে কোন প্রতিযোগিতা হয়নি। ২০০৮ সালের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্যতা নির্ধারণী প্রতিযোগিতারূপে ওএফসি অঞ্চল থেকে ২০০৯ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে প্রতিনিধিত্ব করার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও, ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ড অল হুয়াইটস প্লে-অফ খেলায় বিজয়ী হয়ে সবাইকে আশ্চর্যান্বিত করেছিল।",
"title": "ওএফসি নেশন্স কাপ"
},
{
"docid": "92829#0",
"text": "২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ () হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ঊনিশতম আসর। ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে বিশ্বের প্রধান ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের ১১ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্বকাপের এই আসরটির আয়োজক দেশ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য ৩২টি দল নির্বাচনের লক্ষ্যে ফিফার ছয়টি মহাদেশীয় কনফেডারশনগুলোতে বাছাইপর্ব শুরু হয়। এই বাছাইপর্বে ফিফার মোট ২০৮টি সদস্য দেশের জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের মধ্যে ২০৪টি দল অংশ নেয়। জার্মানিতে ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপাধারী ইতালি এই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই শুরু করে। এই বিশ্বকাপের সর্বশেষ ড্র অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ৪ ডিসেম্বর, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে।",
"title": "২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "296763#0",
"text": "ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জাতীয় দলগুলোর একটি সংযুক্ত ফুটবল টুর্নামেন্ট যেটি ফিফার ব্যবস্থাপনায় প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে ছয়টি মহাদেশীয় প্রতিযোগীতার চ্যাম্পিয়ন দল; যথা: উয়েফা, কনমেবল, কনকাকাফ, সিএএফ, এএফসি, ওএফসি চ্যাম্পিয়ন দল এবং বিশ্বকাপ জয়ী দল ও স্বাগতিক দেশ; অর্থ্যাৎ মোট ৮টি দল। ২০০৫ সাল থেকে এই প্রতিযোগীতাটি পরবর্তী বছর যে দেশে ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।\nসর্বপ্রথম ১৯৯২ সালে এটি কিং ফাহাদ কাপ টুর্নামেন্ট নামে সৌদী আরবে শুরু হয়।",
"title": "ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ"
},
{
"docid": "517208#0",
"text": "ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ মহিলা বিশ্বকাপ (পূর্বে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ মহিলা বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ নামে পরিচিত ছিল) হল একটি মহিলাদের আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল প্রতিযোগিতা, যা ফিফা কর্তৃক প্রতি দুই বছর পরপর জাতীয় অনূর্ধ্ব ২০ মহিলা ফুটবল দলসমূহের জন্য আয়োজিত হয়। প্রতিযোগিতাটি ২০০২ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ নামে শুরু হয়েছিল এবং তখন বয়স সীমা ছিল অনূর্ধ্ব ১৯ বছর। ২০০৬ সালে বয়স সীমা ২০ এ উন্নিত করা হয় এবং ২০০৮ সালে ফিফার অন্যান্য প্রতিযোগিতার মত এর নামও ফিফা বিশ্বকাপ করা হয়।",
"title": "ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ মহিলা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "660167#0",
"text": "২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ একটি বৈশ্বিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা ২০১৮ সালের ১৪ই জুন হতে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। ৩২টি দেশের জাতীয় দল এই প্রতিযোগিতায় ৮টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলছে। গ্রুপ পর্বে মোট ৪৮টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতি গ্রুপ বিজয়ী ও রানার আপ দল ১৬ দলের পর্বে অংশগ্রহণ করবে। এরপরে ক্রমান্বয়ে ৪টি কোয়ার্টার ফাইনাল, ২টি সেমিফাইনাল এবং সর্বশেষে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো শহরের লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনালের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।",
"title": "২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের খেলাসমূহের তালিকা"
},
{
"docid": "363830#0",
"text": "২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ একটি বৈশ্বিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা ১২ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে। ৩২টি দেশের জাতীয় দল এই প্রতিযোগিতায় ৮টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে। গ্রুপ পর্বে মোট ৪৮ টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতি গ্রুপ বিজয়ী ও রানার আপ দল ১৬ দলের পর্বে অংশগ্রহণ করবে। এরপরে ক্রমান্বয়ে ৪টি কোয়ার্টার ফাইনাল, ২টি সেমিফাইনাল এবং শেষ পর্যন্ত ফাইনালের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।.",
"title": "২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের খেলাসমূহের তালিকা"
}
] |
বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরার বাবার নাম কী ? | [
{
"docid": "586855#1",
"text": "জোহরা তৎকালীন বৃহত্তর বগুড়া জেলার জয়পুরহাটে এক সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন একজন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। জোহরা জয়পুরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। সেই সময় থেকে তিনি সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন, পাশাপাশি অভিনয়ও করতেন জোহরা সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন ১৯৬৩ সালে হাবীবুর রহমান সাথীর নিকট। তিনি ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তার নিকট সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি মিথুন দে'র নিকট সঙ্গীতের তালিন নেন। এছাড়া তিনি নগেন ঘোষ এবং রফিকুল আলমের কাছে গানের তালিম নেন। গান শেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, \"আমার বাবা বা আমার গুরুরা, ওস্তাদ হাবীবুর রহমান, নগেন ঘোষ ও রফিকুল আলম, কেউ আমাকে বলে নি যে বড় শিল্পী হতে হবে, বরং তারা আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে সঠিকভাবে গান করতে হয়।\"",
"title": "ফাতেমা তুজ জোহরা"
}
] | [
{
"docid": "586855#0",
"text": "ফাতেমা তুজ জোহরা একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। তিনি নজরুলগীতি ও আধুনিক গান করে থাকেন। তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনা এবং উপস্থাপনা করেন। এছাড়া তিনি একটি কবিতার বই, দুটি ছড়ার বই, একটি উপন্যাস, একটি গল্প ও কলাম সংকলন এবং নজরুলের গান নিয়ে একটি সঙ্গীতের বই প্রকাশ করেছেন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন।",
"title": "ফাতেমা তুজ জোহরা"
},
{
"docid": "586855#7",
"text": "জোহরার মেয়ে নাজিয়া বিশকাত তমা একজন সঙ্গীতশিল্পী। জোহরা রম্য ও ব্যঙ্গাত্মক গল্প পছন্দ করেন। তার প্রিয় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী এবং সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।",
"title": "ফাতেমা তুজ জোহরা"
},
{
"docid": "9924#6",
"text": "আব্দুল জব্বারের প্রথম স্ত্রী গীতিকার শাহীন জব্বার যার গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আব্দুল জব্বার, সুবীর নন্দী, ফাতেমা তুজ জোহরার মত জনপ্রিয় বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পীরা। তাদের সন্তান মিথুন জব্বারও একজন সঙ্গীতশিল্পী। জব্বারের দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া জব্বার মিতা যিনি ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।",
"title": "আব্দুল জব্বার"
},
{
"docid": "586855#3",
"text": "২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চ্যানেল আইয়ে জোহরা ও তার মেয়ে তমা একসাথে একটি সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং নজরুলগীতি পরিবেশন করেন। পরের দিন সকালে মোহনা টিভির সরাসরি প্রচারিত সঙ্গীতানুষ্ঠানে, দুপুরে একুশে টেলিভিশনের \"একুশে দুপুর\" অনুষ্ঠানে, বিকালে এনটিভিতে সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নজরুলসঙ্গীত পরিবেশন করেন।",
"title": "ফাতেমা তুজ জোহরা"
},
{
"docid": "505524#0",
"text": "রুমা গুহঠাকুরতা () একজন বাঙালি অভিনেতা ও গায়ক । ১৯৩৪ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। মা সতী দেবী ছিলেন সেই যুগের বিখ্যাত গায়িকা। বাবা সত্যেন ঘোষ (Monti Ghosh) । মা সতী দেবী, আলমোড়ায় উদয় শংকর কালচার সেন্টারের মিউজিক এন্সম্বলের সদস্য ছিলেন ও পরে মুম্বাইয়ে পৃথ্বী থিয়েটারে মিউজিক ডিরেকটার ( দেশের প্রথম মহিলা সংগীত পরিচালক) হন তাই রুমার ছেলেবেলা কেটেছে আলমোড়া ও মুম্বাইয়ে। সতী দেবীর পিসতুতো ভাই হলেন বরেণ্য চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায় ও বিজয়া রায় হলেন আপন ছোটবোন। ১৯৫২ সালে কিশোর কুমারকে বিবাহ করেন ও তাদের পুত্র সুগায়ক অমিত কুমার। ১৯৫৮ সালে তার দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ হয় এবং ১৯৬০ সালে অরূপ গুহঠাকুরতা কে বিবাহ করেন । তিনি ১৯৫৮ সালে Calcutta Youth Choir প্রতিষ্ঠা করেন । সত্যজিৎ রায় পরিচালিত 'অভিযান' (১৯৬২) ও 'গণশত্রু' (১৯৮৮) তে রুমা দেবী অভিনয় করেছেন। 'তিনকন্যা'র 'মণিহারা'য় (১৯৬১) অভিনেত্রী কণিকা মজুমদারের লিপে 'বাজে করুণ সুরে' গানটি রুমা দেবীর গাওয়া।",
"title": "রুমা গুহঠাকুরতা"
},
{
"docid": "570832#1",
"text": "ফাহ্মিদা ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক এবং মা সাজেদা খাতুন। তাঁর বোন সনজীদা খাতুন ও ছোট বোন মাহমুদা খাতুন দুজনেই রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী, বড় ভাই কাজী আনোয়ার হোসেন বিখ্যাত 'মাসুদ রানা' সিরিজের লেখক ও ছোট ভাই কাজী মাহবুব হোসেন। ফাহ্মিদা শৈশবে নাচ শিখতেন। পরে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন। তিনি নিজ বাড়িতেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন। তিনি ওস্তাদ মুনির হোসেনের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং বড় বোন সনজীদা খাতুন, কলিম শরাফী ও আবদুল আহাদের কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালিম নেন।",
"title": "ফাহ্মিদা খাতুন"
},
{
"docid": "586855#4",
"text": "২০১৬ সালের ২৭ মে নজরুলের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জোহরা কুমিল্লা টাউন হলে আয়োজিত নজরুল উৎসবের শেষ দিনে ১৫টি নজরুলগীতি পরিবেশন করেন। তার পরিবেশিত উল্লেখযোগ্য গানগুলো হল \"পাষাণে ভাঙ্গালে ঘুম\", \"বসন্ত মুখরি রাগ\", \"সবার কথা কইলে এবার নিজের কথা কও\", \"মোর প্রথম মনের মুকুল\", \"দূর দ্বীপবাসিনী\", এবং \"মোর প্রিয়া হবে এসো রানী\"। ২০১৭ সালের ২৪ মে তিনি এবং আরেক নজরুলগীতি শিল্পী নাশিদ কামাল বাংলাভিশনে প্রচারিত সরাসরি কনসার্ট \"মিউজিক ক্লাব\" অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন। নজরুলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তানিয়া হোসেন। পরের দিন সকালে একুশে টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি শেষ তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশালে সরকারিভাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরের দিন ২৬ মে সকালে এনটিভিতে একটি সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে এবং বৈশাখী টিভিতে পারিহার উপস্থাপনায় সেলিব্রেটি টকশো \"আলাপ\"-এ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন।",
"title": "ফাতেমা তুজ জোহরা"
},
{
"docid": "636407#1",
"text": "ফৌজিয়া ইয়াসমিনের বাবা ছিলেন লুতফর রহমান, যিনি ব্রিটিশ ভারতের সাবেক প্রাদেশিক সিভিল সার্ভিসের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁর মা মৌলুদা খাতুন ছিলেন একজন কণ্ঠশিল্পী, যিনি সুরকার \"ওস্তাদ\" কাদের বক্সের নিকট হতে সঙ্গীত শিক্ষাগ্রহন করেন। ফৌজিয়া ইয়াসমিন তাঁর পাঁচ বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তাঁর অন্য তিন বোন ফরিদা ইয়াসমিন, নীলুফার ইয়াসমিন, এবং সাবিনা ইয়াসমিনও বাংলাদেশে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৭১ সাল হতে ১৯৯৯ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকাস্থ টিএন্ডটি কলেজে শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত ছিলেন।",
"title": "ফৌজিয়া ইয়াসমিন"
},
{
"docid": "4970#0",
"text": "ফেরদৌসী মজুমদার প্রতাপশালী বাংলাদেশী অভিনেত্রী। স্বাধীনতা উত্তরকালে টিভি ও মঞ্চে সমান সফলতার সাথে অভিনয় করে আসছেন। ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তকে 'হুরমতি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিপুল প্রশংসা লাভ করেন।\nফেরদৌসী মজুমদারের জন্ম বরিশালে হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকাতে।তাঁর বাবা খান বাহাদুর আব্দুল হালিম চৌধুরী ছিলেন ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর ভাইবোন ছিল মোট ১৪ জন যাদের মধ্যে ৮ জন ভাই এবং ৬ জন বোন।সবচেয়ে বড় ভাই কবীর চৌধুরী এবং মেজ ভাই শহীদ মুনীর চৌধুরী।‘দারুল আফিয়া’ নামের বাড়িতে তাঁর শৈশব কেটেছে।তাঁদের পৈতিক নিবাস ছিল নোয়াখালীতে। ফেরদৌসী মজুমদারের পরিবার ছিল খুব রক্ষণশীল।বাড়িতে সাংস্কৃতিক চর্চা ছিল নিষিদ্ধ।তাঁর লেখাপড়া শুরু হয় নারী শিক্ষা মন্দির স্কুল থেকে।এই স্কুলে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ার পর তিনি ভর্তি হন মুসলিম গার্লস স্কুলে যেখান থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর ইডেন কলেজে ভর্তি হন।তিনি ছোটবেলায় খেলাধুলা করতে পছন্দ করতেন এবং একবার ৯৬৬ বার স্কিপিং করে ক্রিস্টালের বাটি পেয়েছিলেন যদিও ফিট হয়ে গিয়েছিলেন তখন। তিনি ছোটবেলা থেকেই মানুষকে ভেঙ্গাতে পারতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাড়িতে ফিরতে সন্ধ্যা হওয়াতে তাঁর বাবা তাঁকে চটি দিয়ে পিটিয়েছিলেন।",
"title": "ফেরদৌসী মজুমদার"
}
] |
বাংলাদেশী লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের পিতার নাম কী ? | [
{
"docid": "5210#2",
"text": "জাফর ইকবালের জন্ম, ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর তারিখে সিলেটে। তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমদের পুলিশের চাকরির সুবাদে তার ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল বাবুল। পিতা লেখালেখির চর্চা করতেন এবং পরিবারের এই সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়ায় জাফর ইকবাল খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। এটিকেই তিনি তার সহজ ভাষায় লিখতে পারার গুণের কারণ বলে মনে করেন। তিনি তার প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখেন সাত বছর বয়সে। ১৯৭১ সালের ৫ মে পাকিস্তানী আর্মি এক নদীর ধারে তার দেশপ্রেমিক পিতাকে গুলি করে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া জাফর ইকবালকে পিতার কবর খুঁড়ে তার মাকে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি বিশ্বাস করাতে হয়েছিল",
"title": "মুহম্মদ জাফর ইকবাল"
}
] | [
{
"docid": "635821#0",
"text": "মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান। ২০১৮ সালের ৩রা মার্চ বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবটিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে তাঁর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাকে আক্রমণ করে।৩ মার্চ ২০১৮ রোজ শনিবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) উৎসবের রোবটিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কয়েকজন হুলুস্থুল শুরু করে। সে সময় একজন অধ্যাপকের মাথায় হামলা চালায়। হামলার পরপর জাফর ইকবালকে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার ক্ষত স্থান পরিষ্কার করে সেখানে সেলাই দেওয়া হয়। তাঁর মাথায় চারটি আঘাত করা হয়। এগুলো রডের আঘাত বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া তার বাঁ হাত ও পিঠে ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে। জাফর ইকবালের মাথায় ২৬টি সেলাই ও বাম হাতে ছয়টি এবং পিঠের বাম পাশে আরও ছয়টি সেলাই অর্থাৎ ৩৮ টি সেলাই পড়েছে।",
"title": "মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ"
},
{
"docid": "5210#0",
"text": "মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন।",
"title": "মুহম্মদ জাফর ইকবাল"
},
{
"docid": "488292#46",
"text": "মুহম্মদ জাফর ইকবাল সিলেট শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের গুণী সাহিত্যিক। সাহিত্যাঙ্গনে তার লেখা শিশু-কিশোরদের জন্যই বেশি। এছাড়াও অসংখ্য সায়েন্স ফিকশনের রচয়িতা তিনি। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান চলার সময় মুহম্মদ জাফর ইকবাল এক আক্রমণে ছুরিকাহত হয়েছিলেন। অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথায়, কাঁধে এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত লেগেছিল। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রীকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে একটি ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের নামে মোবাইলে ফোনে বার্তা পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।",
"title": "বাংলাদেশে ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণ"
},
{
"docid": "635821#2",
"text": "বিভিন্ন পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুসারে লেখক জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীর নাম ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শেখপাড়ার বাসিন্দা। তিনি এই শেখপাড়ার কাঁচা মঞ্জিলের স্বত্বাধিকারী হাফিজ আতিকুর রহমানের ছেলে। তাঁর মূল বাড়ি সুনামগঞ্জের মূল বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কালিয়ারকাপন গ্রামে। তিনি সিলেটের মঈন কম্পিউটার নামক একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। এলাকাবাসী ও টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) সূত্র মতে, হামলাকারী ফয়জুর দিরাই ধল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে। এরপর সিলেটে একটি মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষা দেয়। মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করার পর সে আর পড়ালেখা করেনি। তবে কোন মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছে এ সম্পর্কে কেউ জানে না। ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পার্শ্ববর্তী টুকেরবাজার এলাকার শাহ খুররুম মখলিছিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন বলে জানা গেছে। সিটিটিসি আরো জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ফয়জুল পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিল। শেখপাড়ায় জমি কিনে ফয়জুলের বাবা আধা পাকা বাড়ি করেন। শনিবার হামলার পরপরই শেখপাড়ার বাসাটি তালাবদ্ধ করে ফয়জুলের পরিবারের সদস্যরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন। এই অভিযানে হামলাকারীর মামা ফজলুর রহমানকে আটক করা হয় এবং হামলাকারীর বাবা মাওলানা আতিকুর রহমানের বাড়ি থেকে বইপত্র ও সিডি জব্দ করা হয়। আটককৃত ফজলুর রহমান ফজলু সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি জমি বিক্রির ব্যবসার সাথে জড়িত। হামলার পরদিন রোববার রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে হামলাকারী ফয়জুল হাসানের বাবা হাফিজ আতিকুর রহমান ও মা মিনারা বেগমকে আটক করে পুলিশ",
"title": "মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ"
},
{
"docid": "635821#19",
"text": "এগিয়ে চলো নামক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ডেস্কে হামলার কারণের সমালোচনা করে সোলায়মান নামক রাজাকার, প্রতারক ও প্রশ্নফাসকারী তিনজন মানুষের নাম আলাদা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়। প্রশ্ন তুলা হয়, এখন এদের নামে সমালোচনা কী ধর্ম অবমাননা হবে কিনা। সেখানে বলা হয়, হামলার কারণ এই নাম নয়, বরং জাফর ইকবালের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আর মৌলবাদের বিপক্ষে উচ্চকিত কন্ঠই এই ধরনের হামলাকে উষ্কে দেওয়ার মুখ্য কারণ।লেখকের বড় ভাইয়ের পুত্র এবং নাট্যকার নুহাশ হুমায়ুন প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সকল যন্ত্রণা বা সংঘাত বা মৃত্যু বা যাই আসুক না কেন; তার পরিবার সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা অব্যহত রাখবে।",
"title": "মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ"
},
{
"docid": "5210#3",
"text": "বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ তার বড় ভাই এবং রম্য ম্যাগাজিন উন্মাদের সম্পাদক ও কার্টুনিস্ট, সাহিত্যিক আহসান হাবীব তার ছোট ভাই। কন্যা ইয়েশিম ইকবাল তার কিশোর উপন্যাস \"আমার বন্ধু রাশেদ\" ইংরেজিতে রূপান্তর করেছেন \"Rashed, my friend\" নামে ।",
"title": "মুহম্মদ জাফর ইকবাল"
},
{
"docid": "635821#16",
"text": "তৎকালীন সময়ে এবিষয়টা নিয়ে অনেকে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরীন তার ফেসবুক পাতায় তার মত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে আশঙ্কা করেন। তিনি আরো বলেন যে, উক্ত বইটি কোনো ইসলামিক ইতিহাস নয়; নিছকই বাচ্চাদের জন্য লিখিত গল্প। যার সাথে ইসলামিক নবীর কোনো সংযোগ নেই। এমন অনেকের নাম আছে, যাদের নাম সোলায়মান; তাহলে কী এখন তাদের নামের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করা হবে কিনা এমনটা তিনি জানতে চান।\nঅনেক সাধারণ মানুষ নিজেদের মত সমালোচনাও করেছেন, প্রশ্ন তুলেছেন, সোলায়মান নামে তো অনেক খারাপ মানুষ আছে বা এই বইয়েতো ইসলাম বিদ্বেষী কিছু নাই, তাহলে কেন এত উষ্কানী মুলক বক্তব্য করা হচ্ছে তবে এ সংক্রান্ত উষ্কানী মুলক বক্তব্যের মূল সমালোচনা শুরু হয়; জাফর ইকবালকে হত্যার জন্য দায়ী তার বই ফয়জুরের এই অজুহাত দিবার পরে।",
"title": "মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ"
},
{
"docid": "34729#1",
"text": "ইকবাল-এর পিতামহ শেখ রফিক কাশ্মির হতে শিয়ালকোটে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। শেখ রফিক কাশ্মিরী শাল তৈরি এবং ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর দু’জন পুত্র ছিলেন শেখ গোলাম কাদির এবং শেখ নুর মোহাম্মদ। শেখ নুর মোহাম্মদ ছিলেন ইকবালের পিতা। তিনি ছিলেন শিয়ালকোটের নামকরা দর্জি। শেখ নুর মোহাম্মদ কেবল পেশাগত দিক দিয়ে নয়, চিন্তাধারা এবং জীবন যাপনে ছিলেন ইসলামের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত-প্রাণ। সুফি সঙ্গীদের কাছে তাঁর প্রচণ্ড সম্মান ছিল। তাঁর স্ত্রী, মোহাম্মদ ইকবালের মা ইমাম বিবিও ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা। এই দম্পতি তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ইসলাম ধর্মের প্রতি গভীর অনুভূতির জন্ম দিয়েছিলেন।",
"title": "আল্লামা ইকবাল"
},
{
"docid": "635821#15",
"text": "বই প্রকাশের পরপরই একশ্রেণির মহল বইয়ের নাম নিয়ে ফেসবুক, ও অনলাইন পোর্টাল জুড়ে লেখকের বই নিষিদ্ধ করার জন্য দাবী তুলে। বিভিন্ন ধর্মীয় মিডিয়ায় একে স্লো পয়জনিং বলে আখ্যায়িত করা হয়। বলা হয়, লেখক এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে সোলায়মান নবীকে ব্যঙ্গ করেছেন। ধর্ম ভিত্তিক লেখালেখি করে এরকম অনেক কবি সাহিত্যিক লেখককে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে। ইউটিউবে , , শিরোনামে অনেকে অধ্যাপককে আক্রমণ করে ভিডিও বানাতে থাকেন। ধর্মীয় অনলাইন পোর্টাল গুলোতে জাফর ইকবালকে ব্যঙ্গ করে অনেকে গল্প প্রবন্ধ লিখতে থাকেন।",
"title": "মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী আক্রমণ"
}
] |
জমজম কুয়া কে নির্মাণ করেন ? | [
{
"docid": "391717#0",
"text": "জমজম কুয়া () হল মক্কায় মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি কুয়া। এটি কাবা থেকে ২০ মি (৬৬ ফুট) দূরে অবস্থিত। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, নবী ইবরাহিম (আ) তার স্ত্রী হাজেরা (আ) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ) কে মরুভূমিতে রেখে আসার পর জিবরাঈল (আ) এর পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়।\nমসজিদুল হারামে আগত লোকেরা এখান থেকে পানি পান করে।",
"title": "জমজম কূপ"
},
{
"docid": "391717#1",
"text": "ইসলামের ইতিহাসে জমজম কুপের উৎপত্তি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। নবী ইবরাহিম (আ) তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরা (আ) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ) কে আল্লাহর আদেশে মক্কার বিরান মরুভূমিতে রেখে আসেন। তার রেখে যাওয়া খাদ্য পানীয় শেষ হয়ে গেলে হাজেরা (আ) পানির সন্ধানে পার্শ্ববর্তী সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার ছোটাছুটি করেছিলেন। এসময় জিবরাঈল (আ) এর পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারা বেরিয়ে আসে। ফিরে এসে এই দৃশ্য দেখে হাজেরা (আ) পাথর দিয়ে পানির ধারা আবদ্ধ করলে তা কুপের রূপ নেয়। এসময় হাজেরা (আ) উদগত পানির ধারাকে \"জমজম\" তথা \"থামো\" বলায় এর নাম জমজম হয়েছে। পরবর্তীতে নবী ইবরাহিম (আ) এর পাশে কাবা পুনঃনির্মাণ করেন। পূর্বে আদম (আ) এর সময় এটি নির্মিত হলেও পরবর্তীকালে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মুসলিমরা নামাজ পড়ার সময় কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। জমজম কুয়া কাবা থেকে প্রায় ২০ মি (৬৬ ফুট) দূরে।",
"title": "জমজম কূপ"
}
] | [
{
"docid": "391717#2",
"text": "জমজম কুয়া বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়। প্রথম থেকে এটি বালি ও পাথর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে খলিফা আল মনসুরের সময় ৭৭১ (১৫৪/১৫৫ AH) সালে এর উপর গম্বুজ এবং মার্বেল টাইলস বসানো হয়। পরবর্তীতে খলিফা আল মাহদি এটি আরো সংস্কার করেন। সর্বশেষ ২০১৭-২০১৮ সালে সৌদি বাদশাহ সংস্কার করেন । বর্তমানে কুয়া কাবা চত্বরে দেখা যায় না। এটি ভূগর্ভস্থ অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং এখানে থেকে পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলন করা হয়। মসজিদুল হারামের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করা হয়।",
"title": "জমজম কূপ"
},
{
"docid": "77219#7",
"text": "২০০০ সালে নির্মাণ করেন \"জখম\", \"কষ্ট\", \"ঝড়\", \"ধাওয়া\", ও \"বর্তমান\"। পরের বছর নির্মাণ করেন \"ক্রোধ\", \"আব্বাজান\", \"পাঞ্জা\", \"তান্ডবলীলা\"। ২০০২ সালে তিনি রচনা, প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন \"ইতিহাস\"। এই ছবিতে অভিষেক হয় তার পুত্র কাজী মারুফের এবং চিত্রনায়িকা রত্নার। এই ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে এবং তার পুত্র মারুফ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া কাজী হায়াৎ শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার জন্য এবং কাজী মারুফ শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। পরের বছর তিনি আবার তার পুত্র মারুফকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"অন্ধকার\" এবং মান্নাকে নিয়ে \"মিনিস্টার\"।",
"title": "কাজী হায়াৎ"
},
{
"docid": "391717#3",
"text": "বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ জমজমের পূর্ব ও দক্ষিণে পানি পান করানোর জন্য দুটি স্থান নির্মাণ করেন। দক্ষিণ দিকে ৬টি এবং পূর্বদিকে ৩টি ট্যাপ লাগানো হয়। বর্তমানে কাবা ঘরের ২০ মিটার দূরে অবস্থিত এই কূপটি থেকে পাম্পের সাহায্যে প্রতিদিন ২০ লক্ষাধিক ব্যারেল পানি উত্তলিত হয়। এই কূপের পানি বণ্টনের জন্য ১৪০৩ হিজরিতে সৌদি বাদশাহের এক রাজকীয় ফরমান অনুযায়ী হজ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইউনিফাইড ‘জামাজেমা দফতর’ গঠিত হয়। এই দফতরে একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্টসহ মোট ১১ জন সদস্য ও ৫ শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। বাদশাহ আব্দুল্লাহ জমজম পানি কমপ্লেক্সটি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ৭০০ মিলিয়ন রিয়াল ব্যয়ে মক্কাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা প্রতিদিন ২০০,০০০ বোতল পানি সরবরাহ করতে পারে।",
"title": "জমজম কূপ"
},
{
"docid": "573425#3",
"text": "হামিদুজ্জামান ১৯৭০ সালে ঢাকা আর্ট কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। চিত্রশিল্পী আব্দুর রাজ্জাক এই বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গীর নির্মাণের সময় আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ৭১ স্মরণে ব্রোঞ্জের 'দরজা' নির্মাণ করেন। এই ভাস্কর্যটি প্রদর্শনীর জন্য তিনি সেবছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কারে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।",
"title": "হামিদুজ্জামান খান"
},
{
"docid": "453997#1",
"text": "১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে এই কমপ্লেক্সের নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে জাদুঘর চালু করা হয়। আবদুল লতিফ জাসিম কানু এর উদ্বোধন করেন। কুরআন ও অন্যান্য দুর্লভ বইয়ের মূল্যবান পাণ্ডুলিপি রক্ষার জন্য এটি নির্মিত হয়। একটি আঞ্চলিক ম্যাগাজিনের মতে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে এই উদ্যোগ অভাবনীয়। \nজাদুঘরের মূলে রয়েছে কানুর ব্যক্তিগত কুরআনের পাণ্ডুলিপি সংকলন ও ইসলামি শিল্পের নিদর্শন। তাকে একজন আগ্রহী সংগ্রাহক বলা হয়ে থাকে। তার সংগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে তিনি তার সংগ্রহে থাকা দুর্লভ পাণ্ডুলিপির প্রতি দায়িত্ব অনুভব করেন বলা হয়। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরে তিনি তার সংগ্রহ দান করেন। এধরনের জাদুঘরের মধ্যে এটি প্রথম।",
"title": "বাইত আল কুরআন"
},
{
"docid": "573425#5",
"text": "তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে, যেমন ১৯৮১ সালে সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে 'হামলা', ২০০১ সালে ঢাকা সেনানিবাসে 'বিজয় কথন', ২০০৪ সালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসে 'মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য' ও ময়মনসিংহে ময়মনসিংহ সেনানিবাসে 'বিজয়গাঁথা' ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। ২০০৩ সালে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতীয় ভাস্কর্য উদ্যানে ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। তিনি ২০০৫ সালে ঢাকার ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে 'ইলিশ মাছ', ২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রে 'শান্তির পায়রা', ২০০৯ সালে বারিধারায় 'পাখি' ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। এছাড়া তিনি ২০০৫ সালে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে এবং ২০০৬ সালে আগারগাওয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে 'আর্টিয়াম' ঝুলন্ত ভাস্কর্যও নির্মাণ করেছেন।",
"title": "হামিদুজ্জামান খান"
},
{
"docid": "405721#0",
"text": "কুছ তুম কাহো কুছ হাম কাহে হল ২০০২ সালের বলিউড রোমান্টিক চলচ্চিত্র; যেটি পরিচালনা করেছেন রবি শর্মা শংকর। চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারদিন খান এবং রিচা পাল্লোড়। এটি বিশ্বব্যাপী ২০০২ সালের ২৮ জুনে মুক্তি পায় এবং সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়। চলচ্চিত্রটি দুইজন প্রেমিক-প্রেমিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে যাতে তাদের পরিবারের পূর্বের শত্রুতা এবং বিদ্বেষের কারনে ভালবাসা শুরু করতে পারছেননা। চলচ্চিত্রটির তেলেগু ছবি \"কালিসুন্দাররাম রা\" এর কাহিনিসূত্র অবলম্বনে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে এবং উইলিয়াম শেক্সপীয়ারের ক্লাসিক্যাল গল্প অবলম্বনে নির্মিত \"রোমিও এন্ড জুলিয়েট \" এর সাথে মিল রয়েছে।চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে তেমন ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করতে পারিনী এবং এটি এভারেজ ব্যবসা করেছে বলে ঘােষণা করা হয়।",
"title": "কুছ তুম কাহো কুছ হাম কাহে"
},
{
"docid": "79876#3",
"text": "ডি জি লোটাস ফিল্ম কোম্পানী স্থাপন করেছিলেন হায়দ্রাবাদ শহরে। সেখানে নিজামের সহযোগিতায় একটি ফিল্ম স্টুডিও আর দুটি সিনেমা হাউসও স্থাপন করেন। ১৯২৪ সালে, বম্বে শহরে তৈরি \"রাজিয়া বেগম\" ছবির পরিবেশকদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। এ ছবিতে এক মুসলিম রাজকুমারী আর এক হিন্দুর যুবকের প্রেমের গল্প ছিল। নিজাম এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডি জি কে হায়দ্রাবাদ ছাড়ার আদেশ দেন।",
"title": "ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়"
}
] |
বিশ্বের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার নাম কী ? | [
{
"docid": "625491#5",
"text": "প্রথম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রথম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ছিল নর্ডিক মোবাইল টেলিফোন (এনএমটি) সিস্টেম, যা একযোগে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেনে ১৯৮১ সালে চালু হয়। এনএমটি হল প্রথম মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক যা আন্তর্জাতিক রোমিং করতে সক্ষম হয়। সুইডিশ তড়িৎ প্রকৌশলী অস্ট মাকিতালো (Öst Mäkitalo) ১৯৬৬ সালে এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই কাজ শুরু করেন, এবং তিনি এনএমটি সিস্টেমের জনক হিসেবে বিবেচিত হন এবং কেউ কেউ তাকে সেলুলার সিস্টেমের জনকও বলে।",
"title": "মোবাইল টেলিফোনি"
},
{
"docid": "625491#4",
"text": "১৯৯৭ সালে বেল ল্যাবরেটরি প্রথম সেলুলার রেডিও টেলিফোন নেটওয়ার্ক প্রস্তাব করে। কল সুইচিং অবকাঠামো দ্বারা সমর্থিত অধিক্রমণকারী ছোট সেল সাইটের উন্নয়ন ছিল এর প্রাথমিক উদ্ভাবন। যা কিনা ব্যবহারকারীকে এক সেল সাইট থেকে অন্য সেল সাইটে যাওয়ার সময় কল ড্রপ থেকে রক্ষা করে। ১৯৫৬ সালে প্রথমে সুইডেনে এমটিএ সিস্টেম চালু হয়। মোবাইল টেলিফোনি উন্নয়নের প্রচেষ্টা শুরুর দিকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েঃ একসঙ্গে কয়েকটি তুলনামূলক কম উপলব্ধ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা এবং ব্যবহারকারীকে তাদের কলগুলি বাদ না দিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার অনুমতি প্রদান করা। উভয় সমস্যাগুলি বেল ল্যাবসের কর্মচারী আমোস জোয়েলের দ্বারা সমাধান করা হয়েছিল এবং ১৯৭০ সালে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য একটি পেটেন্ট নিবন্ধন করা হয়েছিল। \nপরে এটিটি এর ভাঙ্গন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে, এএমপিএস প্রযুক্তি স্থানীয় টেলকোসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিলো। প্রথম বাণিজ্যিক ব্যবস্থা অক্টোবর ১৯৮৩ সালে শিকাগোতে চালু হয়। মটোরোলা দ্বারা ডিজাইন করা একটি ব্যবস্থা ১৯৮২ সালের গ্রীষ্মকাল থেকে ওয়াশিংটন ডি.সি. / বল্টিমোর এলাকায় পরিচালিত হয় এবং পরের বছর থেকে পরিপূর্ণ ভাবে জনসাধারণকে সেবা দেয়া শুরু করে। ১৯৭৮ সালে এনটিটি দ্বারা জাপানের প্রথম বাণিজ্যিক রেডিও টেলিফোনি পরিষেবাটি চালু করা হয়।",
"title": "মোবাইল টেলিফোনি"
}
] | [
{
"docid": "12009#1",
"text": "মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ১ কেজি (২।২ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন। মোবাইল ফোনের প্রথম বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে, ফোনটির নাম ছিল মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স (DynaTAC 8000x)। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়নের বেশী হয়ে গেছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে।",
"title": "মোবাইল ফোন"
},
{
"docid": "112212#1",
"text": "১৬ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের মার্জড কোম্পানির অপারেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টরের প্রথম বিলটি কার্যকর হয়। রবি এবং এয়ারটেলের বিনিময়ের পর, বর্তমানে বিযুক্ত কোম্পানিটি রবি আজিয়াটা লিমিটেড নামে পরিচিত। সফলভাবে বিলটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর, রবি বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। একত্রিত কোম্পানী দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক কভারেজ আছে।",
"title": "রবি (মোবাইল ফোন কোম্পানি)"
},
{
"docid": "625491#3",
"text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের বছর পাবলিক মোবাইল ফোন সিস্টেম প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু এর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সংঘাত শুরুর পূর্বেই শুরু হয়েছিলো। ১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি এলাকার সেইন্ট লুইসে প্রথম মোবাইল ফোন সিস্টেম উন্মুক্ত হয়। তবে অন্যান্য দেশ শুরু করে পরবর্তী দশকে যুক্তরাজ্য ১৯৫৮ সালে সাউথ ল্যাংকাশায়ার রেডিওফোন হিসেবে 'সিস্টেম-১' ম্যানুয়াল রেডিওটেলিফোন সার্ভিস শুরু করে। এই সময় হ্যান্ডসেট পরিচিতি ব্যবহার করে এক জন অপারেটরের মাধ্যমে এক ফোন অপর সাধারণ ফোন হ্যান্ডসেটে কল দেয়া হত। ফোনটি একটি যানে বিশাল বাক্সের মধ্যে ভালভ ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী সজ্জিত অবস্থায় রাখা হত। যুক্তরাজ্যের বেশীরভাগ এলাকা সংযুক্ত করতে আগের চেয়ে উন্নত ম্যানুয়াল সার্ভিস (সিস্টেম-৩) বর্ধিত করা করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ১৯৮১ সালের 'সিস্টেম-৪' চালুর আগ পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা শুরু হয়নি। নন-সেলুলার হওয়া সত্ত্বেও জার্মানভিত্তিক প্রযুক্তি বি-নেটজ যুক্তরাজ্যে খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত স্কটল্যান্ডে বন্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এর কার্যক্রম চালু ছিল। ১৯৮৫ সালের দুটি সেলুলার সিস্টেম- দ্য ব্রিটিশ টেলিকম/সেক্যুরিকর কলনেট সার্ভিস এবং রিক্যাল/মিলকম/বারক্লেস 'ভোডাফোন' (ভয়েস+ডেটা+ফোন) সার্ভিস দ্বারা এটি তুলে দেয়া হয়। এই সেলুলার সিস্টেমগুলো যুক্তরাষ্টের এডভ্যান্সড মোবাইল ফোন সিস্টেম (এএমপিএস) এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এর রূপান্তরিত প্রযুক্তি টোটাল এক্সেস কমিউনিকেশন সিস্টেম (টিএসিএস) নামে পরিচিত।",
"title": "মোবাইল টেলিফোনি"
},
{
"docid": "10675#1",
"text": "পৃথিবীর প্রথম জাতীয় সম্প্রচার প্রতিষ্টান হচ্ছে \"ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন\"। ১৯২২ সালের ১৮ অক্টোবর \"ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কোম্পানি লিমিটেড\" নামে ইহা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক ভাবে ৬টি ব্রিটিশ কোম্পানি মিলিত হয়ে এই লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। এই ছয়টি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হল: মার্কোনী, রেডিও কমিউনিকেশন কোম্পানি, মেট্রোপলিটন-ভিকার্স (মেট্রোভিক), জেনারেল ইলেকট্রিক, ওয়েষ্টার্ণ ইলেকট্রিক ও ব্রিটিশ থমসন-হউষ্টন (বিটিএইচ)। ১৯২২ সালের ১৪ নভেম্বর লন্ডনের মার্কোনী হাউসের \"২এলও\" ষ্টেশন থেকে প্রথম অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়।",
"title": "ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন"
},
{
"docid": "545427#27",
"text": "বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগ উপগ্রহ, ইন্টেলস্যাট ১ এবং এর ডাকনাম \"আর্লি বার্ড\", অক্টোবর ১৯৬৫ সালের ৬ই এপ্রিল ভূস্থির কক্ষপথে উত্থাপন করা হয়। অক্টোবর ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে স্যাটেলাইট টেলিভিশনের প্রথম জাতীয় নেটওয়ার্ক, অরবিটার তৈরি করা হয় এবং এটি অতি উপবৃত্তাকার মোলনিয়া স্যাটেলাইট ব্যবহার নীতির উপর ভিত্তি করে করা হয় যাতে স্যাটেলাইট হতে টেলিভিশন সংকেত পুনঃ সম্প্রচার ও স্থল ডাউনলিঙ্ক স্টেশনে প্রেরণ করা হয়। উত্তর আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট টেলিভিশন সম্প্রচার ব্যবস্থা চালু করতে কানাডার ভূস্থির কক্ষপথের স্যাটেলাইট অনিক ১ স্যাটেলাইট, ৯ই নভেম্বর ১৯৭২ সালে উত্থাপন করা হয়। এটিএস -6, ছিল বিশ্বের প্রথম পরীক্ষামূলক শিক্ষাবিষয়ক ও ডাইরেক্ট ব্রডকাস্ট স্যাটেলাইট (ডিবিএস) স্যাটেলাইট, যা মে ৩০, ১৯৭৪ এ প্রেরিত হয়। এটি ৮৬০ মেগাহার্টজের ওয়াইডব্যান্ড এফএম মডুলেশন ব্যবহার করে সম্প্রচার করত এবং দুইটি শব্দের চ্যানেল ছিল। এটি যদিওবা ভারতীয় উপমহাদেশের সম্প্রচারের জন্য ছিল কিন্তু গবেষকেরা পশ্চিম ইউরোপে থেকেও এর সংকেত গ্রহণ করতে পারত বাড়িতে নির্মিত সরঞ্জামের মাধ্যমে যা ইতিমধ্যে ব্যবহৃত ইউএইচএফ টেলিভিশন ডিজাইন কৌশলের সমান ছিল।",
"title": "স্যাটেলাইট টেলিভিশন"
},
{
"docid": "300299#1",
"text": "২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর অসলো এবং স্টকহোম এ টেলিয়াসোনেরা বিশ্বে প্রথমবারের মত এলটিই সেবা সাধারণ জনগণের জন্য চালু করে। এলটিই জিএসএম/ইউএমটিএস এবং সিডিএমএ নেটওয়ার্ক পরিচালকদের জন্য একটি সাধারণ আপগ্রেড হিসেবে চিহ্নিত। উত্তর আমেরিকায় ২০১০ সালে প্রথম বৃহৎ আকারে এলটিই নেটওয়ার্ক চালু করে সিডিএমএ ভিত্তিক ভেরাইজন ওয়্যারলেস এবং জাপানের অউ বাই কেডিডিএল এলটিইতে স্থানান্তরিত হবে বলে ঘোষণা দেয়। আর তাই এলটিইকে বিশ্বজনীন সত্যিকারের একটি মোবাইল ফোন আদর্শ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহৃত হওয়ায় সকল দেশের এলটিই সুবিধা গ্রহণ করার জন্য একাধিক-ব্যান্ড ভিত্তিক ফোনের প্রয়োজন হবে।",
"title": "এলটিই"
},
{
"docid": "625491#7",
"text": "প্রথম মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ করতে এবং তার বিহীন ইমেইল করতে ১৯৯৬ সালে নোকিয়া কমিউনিকেটর মুক্ত হয় এবং স্মার্টফোন নামে একটি নতুন ধরনের বহুমুখী ডিভাইস তৈরি করা হয়। জাপানে ১৯৯৯ সালে প্রথম মোবাইল ইন্টারনেট সেবা আই-মোড সার্ভিসের অধীনে এনটিটি ডোকোমো দ্বারা চালু হয়। ব্যক্তিগত কম্পিউটারের পরিবর্তে ২০০৭ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে ৭৯৮ মিলিয়ন লোক ইন্টারনেট বা সমমানের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা যেমন ওয়াপ এবং আই-মোড অ্যাক্সেস ব্যবহার করে।",
"title": "মোবাইল টেলিফোনি"
},
{
"docid": "296930#88",
"text": "১৯৫৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাশূন্যে বিশ্বের সর্বপ্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপ করে, যার নাম ছিল স্পুতনিক ১। উপগ্রহটি ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে ৯৬ মিনিটে একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করত এবং একটি বেতার সংকেত প্রেরণ করতে থাকে যা বিশ্বের সর্বত্র গৃহীত হয়। এরপরে স্পুতনিক ২ নামক উপগ্রহে করে লাইকা নামের কুকুরটি প্রথম প্রাণী হিসেবে মহাশূন্যে ভ্রমণ করে; মহাকাশযানটি পৃথিবীতে ফেরত আসতে পারেনি, ফলে মহাশূন্যেই লাইকার মৃত্যু ঘটে। ঠিক তার পরের বছরই ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ এক্সপ্লোরার ১ উৎক্ষেপন করে। দুই পক্ষই মহাকাশ বিজ্ঞানের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত মহাশূন্য অনুসন্ধান উপগ্রহ লুনা ২ চাঁদে অবতরণ করে। ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম মানুষ পরিবহনকারী মহাকাশযান ভোস্তক ১ আকাশে উৎক্ষেপ করে। সোভিয়েত ইউরি গ্যাগারিন প্রথম নভোচারী হিসেবে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন; তিনি ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ভোস্তক মহাকাশযানে বসে প্রায় ৮৯ মিনিট ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেন। ১৯৬৩ সালে ভালেন্তিনা তেরেস্কোভা প্রথম নারী হিসেবে মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন। ১৯৬৫ সালে রুশ নভোচারী আলেক্সি লেওনভ প্রথম নভোচারী হিসেবে মহাশূন্যে পদচারণা করেন।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
}
] |
ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ কোন বংশের সন্তান ছিলেন ? | [
{
"docid": "5830#2",
"text": "ইবনে সৌদ ১৮৭৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মধ্য আরবের নজদ অঞ্চলের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্রের শেষ শাসক আবদুর রহমান বিন ফয়সাল ছিলেন তার বাবা। আল সৌদ তথা তার পরিবার মধ্য আরবে পূর্বের ১৩০ বছর ধরে শক্তিশালী ছিল। তারা ওয়াহাবি মতাদর্শের সমর্থক ছিলেন। সৌদিরা আরব উপদ্বীপের অনেকাংশ জয় করে প্রথম সৌদি রাষ্ট্র গঠন করেছিল। পরে ১৯ শতকের প্রথমদিকে উসমানীয় শাসনাধীন মিশরের হাতে তা ধ্বংস হয়ে যায়। ইবনে সৌদের মা সারাহ আল সুদাইরি ছিলেন সুদাইরি গোত্রের সদস্য",
"title": "আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ"
},
{
"docid": "414806#1",
"text": "১৯০৬ সালের ১৪ এপ্রিল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার বাবার তৃতীয় সন্তান। তার মা তারফা বিনতে আবদুল্লাহ বিন আবদুল লতিফ আল শাইখ। ১৯০২ সালে রিয়াদ জয়ের পর আবদুল আজিজ তাকে বিয়ে করেন। ফয়সালের মা ছিলেন আল আশ শাইখ পরিবারের সদস্য যা মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাবের বংশধর। ফয়সালের নানা আবদুল্লাহ বিন আবদুল লতিফ ছিলেন আবদুল আজিজের অন্যতম ধর্মীয় শিক্ষক ও উপদেষ্টা।",
"title": "ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ"
}
] | [
{
"docid": "414806#16",
"text": "ক্ষমতায় আসার পর ফয়সাল একটি ভাষণে বলেন, “আমি আপনাদের কাছে নিবেদন করছি, ভাইয়েরা, আমাকে ভাই ও সেবক হিসেবে আমার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন। ‘মহিমা’ (ম্যাজেস্টি) শুধু আল্লাহর জন্য সংরক্ষিত এবং 'মুকুট' হল আসমান ও জমিনের মুকুট।\" বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ রাজকীয় পদবির ব্যবহার শুরু করেছিলেন। ফয়সাল সেগুলোর বিস্তার ঘটান। বাদশাহ আবদুল আজিজের সরাসরি বংশধরদেরকে \"হিজ রয়েল হাইনেস\" ও আবদুল আজিজের ভাই বা সেরূপ সম্পর্কিত হলে তাদের \"হিজ হাইনেস\" বলে সম্বোধন করার নিয়ম ছিল। আল সৌদের অন্য কোনো শাখার সদস্য হলে \"হিজ এক্সিলেন্সি\" বলার রীতি ছিল।",
"title": "ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ"
},
{
"docid": "414806#9",
"text": "ফয়সালের বড় ভাই সৌদ বিন আবদুল আজিজ বাদশাহ হওয়ার পর ফয়সালকে যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাদশাহ সৌদ ব্যয়বহুল কাজে হাত দিয়েছিলেন যার মধ্যে ছিল রাজধানী রিয়াদে প্রান্তে বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ নির্মাণ। মিশরের দিক থেকেও সৌদ হুমকি অনুভব করছিলেন। জামাল আবদেল নাসের ১৯৫২ সালে মিশরের রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করেছিলেন। মিশরে পালিয়ে যাওয়া তালাল বিন আবদুল আজিজ ও তালালের প্রভাবিত প্রিন্সদেরকে নাসের ব্যবহার করতে সক্ষম ছিলেন। সৌদের ব্যয়বহুল নীতির কারণে ও বৈদেশিক নীতির ব্যাপারে তার অসফলতার জন্য রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য ও উলামারা ফয়সালকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য সৌদের উপর চাপ দেন। এই নতুন অবস্থানে ফয়সাল অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যয় কমিয়ে আনেন। অর্থনীতিতে তার এই পদক্ষেপ তার আমলের গুরুত্বপূর্ণ ছাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে।",
"title": "ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ"
},
{
"docid": "415749#0",
"text": "আবদুর রহমান বিন ফয়সাল আল সৌদ (১৮৫০–১৯২৮) ( / ALA-LC: \"‘Abd ar Raḥman bin Fayṣal\") ছিলেন দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্রের শেষ শাসক। তিনি ফয়সাল বিন তুর্কির ছেলে এবং আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের বাবা।",
"title": "আবদুর রহমান বিন ফয়সাল"
},
{
"docid": "528196#2",
"text": "তার আল জাওহারা বিনতে মুসাইদ আল জিলুওয়ি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ আল জিলুওয়ি গোত্রের সদস্য। আল সৌদ পরিবারের সাথে এই গোত্রের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল। বাদশাহ খালিদ বিন আবদুল আজিজ ছিলেন তার আপন ভাই। তার বোন আল আনুদের সাথে আবদুল আজিজের ভাই সাদ বিন আবদুর রহমানের ছেলেদের বিয়ে হয়। প্রথমে তার সাথে সৌদ বিন সাদের বিয়ে হয়েছিল। সৌদ মারা যাওয়ার পর সাদের আরেক ছেলে ফাহাদ বিন সাদের সাথে তার বিয়ে হয়।",
"title": "মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ"
},
{
"docid": "606006#1",
"text": "আবদুল আজিজ আল আশখ শেখ সৌদি আরবের পরিবারের সদস্য আল আশ-শেখ। তিনি ওয়াহাবীবাদ প্রতিষ্ঠার বংশধর, মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাব নাজদী।\n১৯৯৯ সালের জুন মাসে তিনি আবদুল আজিজ ইবনে বাযের নেতৃত্বে রাজা ফাহদকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি নিযুক্ত করেন। \nগ্র্যান্ড মুফতি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে একটি ফতোয়া জারি করেছেন যে আত্মঘাতী বোমা হামলা \"বড় অপরাধ\" এবং বোমা হামলাকারিরা \"ফাঁসির অপরাধী যারা তাদের কর্মের দ্বারা জাহান্নামে নিজেদেরকে নিয়ে যায়\" । শেখ আত্মঘাতী বোমাবাজদের উদ্দেশ্য করে বলেন\"তারা মনের লুণ্ঠিত ... যারা নিজেদেরকে শুধুমাত্র নিজেদের এবং সমাজ ধ্বংস করার জন্য (সরঞ্জাম হিসাবে) ব্যবহার করে।\" \nআগস্ট ২০১৪ এর শেষের দিকে, তিনি ইসলামিক স্টেট অফ (আইএস) এবং লেভান্ট ও আল-কায়দার নিন্দা জানিয়ে বলেন, \"চরমপন্থী ও জঙ্গি চিন্তাধারা এবং সন্ত্রাসবাদ যা পৃথিবীতে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তার করে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে, ইসলামের এরা কোনও অংশ নয়, বরং ইসলামের এক নম্বর শত্রু, এবং মুসলমানরাই তাদের প্রথম শিকার \"।\n২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মিনা দুর্যোগ বিপর্যয়ের ১ দিন পর, যে ঘটনায় কমপক্ষে ১,৩৯৯ বিদেশী (অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অনুযায়ী) মুসলমান নিহত হওয়ার পর, শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখ প্রকাশ্যে বলেন, ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন নায়েফ (যিনি দেশেরও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মক্কা নিরাপত্তাপ্রধান),\"এই ঘটনার জন্য তিনি দায়ী নন\", এবং \"যেগুলি মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তার জন্য আপনি তাদের জন্য দায়ী নন। ভাগ্য ও ভাগ্যঈ শুধু অনিবার্য।\" তাঁর কথা অনুযায়ী, সৌদি আরবের জনসাধারণের সম্ভাব্য সমালোচনা থেকে গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ বিন নায়েফকে রক্ষা করেছেন, যা পরবর্তিতে ৮০০ মৃত্যুর চেয়ে কম সংখ্যক মিনা ট্রাজেডি জন্য সরকারি মৃত্যু সংখ্যা নির্ধারণ করার পথ করে দেয়।\nজানুয়ারী ২০১৬ এ, একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়, (যেখানে তিনি দৈনন্দিন ধর্মীয় বিষয়ে দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে ফতোয়া দেন), আইন জারি করেন যে ইসলামে দাবা নিষিদ্ধ ছিল কারণ এটি জুয়া খেলা, যা সময় এবং অর্থের অপচয় এবং যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে, এ খেলোয়াড়দের মধ্যে থাকে ঘৃণা এবং শত্রুতা।",
"title": "আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শাইখ"
},
{
"docid": "414806#0",
"text": "ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ( \"\"; ১৪ এপ্রিল ১৯০৬ – ২৫ মার্চ ১৯৭৫) ছিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ। তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই দায়িত্বপালন করেছেন। বাদশাহ হিসেবে তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং আধুনিকীকরণ ও সংস্কারে সফল হন। তার বৈদেশিক নীতির মূল দিক ছিল প্যান ইসলামিজম, কমিউনিজম বিরোধিতা, ফিলিস্তিনি দাবির সমর্থন। তিনি দেশের আমলাতন্ত্রকে সফলভাবে সংহত করেন। সৌদিদের মধ্যে তার শাসন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। ১৯৭৫ সালে তার ভাইপো ফয়সাল বিন মুসাইদের হাতে তিনি নিহত হন।",
"title": "ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ"
},
{
"docid": "523263#0",
"text": "মুহাম্মদ বিন নায়েফ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (; জন্মঃ ৩০ জানুয়ারি ১৯৫৯) ছিলেন সৌদি আরবের সাবেক যুবরাজ, প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ তাকে যুবরাজ মনোনীত করেন। তিনি বাদশাহ সালমানের ভাইয়ের ছেলে। সাবেক বাদশাহ আবদুল আজিজের নাতিদের মধ্যে তিনি প্রথম যুবরাজ হন। ২০১৭ সালের ২১ জুন তাকে যুবরাজের পদ থেকে অপসারণ করা হয় এবং তার স্থলে মুহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ মনোনীত করা হয়। একই সাথে রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে তাকে সব পদ থেকে অপসারণ করা হয়।",
"title": "মুহাম্মদ বিন নায়েফ"
},
{
"docid": "528196#3",
"text": "১৯২০ দশকের মধ্যভাগে মুহাম্মদ ও ফয়সালকে ইখওয়ানের দায়িত্ব দেয়া হয়। বড় ভাই ও চাচাত ভাইদের সাথে মুহাম্মদ সৌদি আরব গঠনের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৩৪ সালে আবদুল আজিজ তার বাহিনীকে ইয়েমেন হামলার নির্দেশ দেন। এরপর সাদ বিন আবদুর রহমানের ছেলে ফয়সাল বিন সাদ বাকিমের দিকে অগ্রসর হন এবং আবদুল আজিজের আরেক ভাই মুহাম্মদ বিন আবদুর রহমানের ছেলে খালিদ বিন মুহাম্মদ নাজরান ও সাআদার দিকে রওয়ানা হন। বাদশাহর ছেলে ফয়সাল তিহামা উপকূলে বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ নজদ থেকে সৌদ বিন আবদুল আজিজের সহায়তায় প্রেরিত হন।",
"title": "মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ"
}
] |
শিখধর্মের প্রথম শিখ গুরুর নাম কী ? | [
{
"docid": "369720#16",
"text": "শিখধর্ম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম। খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এই ধর্ম প্রবর্তিত হয়। এই ধর্মের মূল ভিত্তি গুরু নানক দেব ও তাঁর উত্তরসূরি দশ জন শিখ গুরুর (পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব এঁদের মধ্যে দশম জন বলে বিবেচিত হন) ধর্মোপদেশ। শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। শিখ ধর্মমত ও দর্শন \"গুরমত\" (অর্থাৎ, \"গুরুর উপদেশ\") নামেও পরিচিত। \"শিখধর্ম\" কথাটির উৎস নিহিত রয়েছে \"শিখ\" শব্দটির মধ্যে; যেটি সংস্কৃত মূলশব্দ \"শিষ্য\" বা \"শিক্ষা\" থেকে আগত।",
"title": "বিভিন্ন ধর্ম"
},
{
"docid": "9989#1",
"text": "শিখধর্মের অনুগামীদের ‘শিখ’ (অর্থাৎ, ‘শিষ্য’) বলা হয়। দেবিন্দর সিং চাহালের মতে, “‘শিখী’ শব্দটি (সাধরণভাবে গুরুমত নামে পরিচিত) থেকে আধুনিক ‘শিখধর্ম’ শব্দটি এসেছে।” ‘গুরুমত’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ‘গুরুর প্রজ্ঞা’।\nসেওয়া সিং কলসি মতে, “শিখধর্মের কেন্দ্রীয় শিক্ষা হল ঈশ্বরের একত্বের তত্ত্বে বিশ্বাস।” শিখধর্ম অনুসারে, আধ্যাত্মিক জীবন ও ধর্মনিরপেক্ষ জীবনকে এক করতে হয়। প্রথম শিখ গুরু নানক সকল মানুষের একত্ব এবং ভাগ করে নেওয়ার গুরুত্ব বোঝাতে লঙ্গর প্রথার প্রবর্তন করেন। শিখরা মনে করেন, “সকল ধর্মমত সমভাবে সঠিক এবং নিজ নিজ মতাবলম্বীদের আলোকিত করতে সক্ষম।” ‘বন্দ চক্কো’ বা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুরু নানক সকল মানুষকে সৎ পথে জীবন ধারণ করতে, কুপথ পরিহার করতে এবং ‘নাম জপন’ বা ঈশ্বরের পবিত্র নাম স্মরণের গুরুত্বের শিক্ষা দেন। গুরু নানক কেবলমাত্র ধ্যানীর জীবন অপেক্ষা “সত্য, বিশ্বাস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ সক্রিয়, সৃজনশীল ও ব্যবহারিক জীবনে”র উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ৬ষ্ঠ শিখ গুরু হরগোবিন্দ পরস্পর-সহায়ক রাজনৈতিক/সমসাময়িক (‘মিরি’) ও আধ্যাত্মিক (‘পিরি’) জগৎ প্রতিষ্ঠা করেন।",
"title": "শিখধর্ম"
},
{
"docid": "9989#0",
"text": "শিখধর্ম (; , \"\",I (স্থানীয় নাম \"শিখী\"); সংস্কৃত ‘শিষ্য’ বা ‘শিক্ষা’ থেকে উৎপন্ন।|group=note}}) হল একটি সর্বেশ্বরবাদী ভারতীয় ধর্ম। খ্রিস্টীয় ১৫শ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশের পাঞ্জাব অঞ্চলে গুরু নানক এই ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীকালে শিখ গুরুগণ কর্তৃক এই ধর্ম প্রসার লাভ করে শিখদের ১১জন মানব গুরু ছিলেন , যাদের সর্বপ্রথম হলেন গুরু নানক । শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব যা শিখ গুরুদের রচনার সংকলন । প্রথম পাঁচ জন শিখ গুরু তা সংকলন করেছিলেন। শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। এই ধর্মের অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যটি বিশ্বের একমাত্র শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চল।",
"title": "শিখধর্ম"
},
{
"docid": "9989#14",
"text": "সংস্কৃত ভাষায় ‘গুরু’ শব্দের অর্থ শিক্ষক, সহায়ক বা উপদেশদাতা। ১৪৬৯ থেকে ১৭০৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দশ জন নির্দিষ্ট শিখ গুরু শিখধর্মের প্রথা ও দর্শন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রত্যেক গুরু পূর্বতন শুরুর শিক্ষার সঙ্গে নতুন কথা যোগ করেন এবং সেগুলি কার্যে পরিণত করেন। এর ফলে শিখধর্মের জন্ম হয়। গুরু নানক ছিলেন শিখধর্মের প্রথম গুরু এবং তিনি তাঁর এক শিষ্যকে উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেছিলেন। গুরু গোবিন্দ সিং সর্বশেষ মানব গুরু। মৃত্যুর পূর্বে তিনি গুরু গ্রন্থ সাহিবকে শিখদের সর্বশেষ এবং চিরকালীন গুরু ঘোষণা করে যান।",
"title": "শিখধর্ম"
}
] | [
{
"docid": "369720#17",
"text": "শিখধর্মের প্রধান বক্তব্য হল \"ওয়াহেগুরু\" অর্থাৎ সর্বব্যাপী ঈশ্বরের প্রতীক \"এক ওঙ্কার\"-এর প্রতিভূ \"ওয়াহেগুরু\"-তে বিশ্বাস। এই ধর্ম ঈশ্বরের নাম ও বাণীর নিয়মবদ্ধ ও ব্যক্তিগত ধ্যানের মাধ্যমে মোক্ষলাভের কথা বলে। শিখধর্মের একটি বিশিষ্টতা হল এই যে, এই ধর্মে ঈশ্বরের অবতারতত্ত্ব স্বীকৃত নয়। বরং শিখেরা মনে করেন ঈশ্বরই এই ব্রহ্মাণ্ডের স্বরূপ। শিখেরা দশ জন শিখ গুরুর উপদেশ ও \"গুরু গ্রন্থ সাহিব\" নামক পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অনুশাসন মেনে চলেন। উক্ত ধর্মগ্রন্থে দশ শিখ গুরুর ছয় জনের বাণী এবং নানান আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। গুরু গোবিন্দ সিংহ এই গ্রন্থটিকে দশম গুরু বা খালসা পন্থের সর্বশেষ গুরু বলে ঘোষণা করে যান। পাঞ্জাবের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে শিখধর্মের ঐতিহ্য ও শিক্ষা ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। শিখধর্মের অনুগামীরা \"শিখ\" (অর্থাৎ, \"শিষ্য\") নামে পরিচিত। সারা বিশ্বে শিখেদের সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লক্ষের কাছাকাছি। শিখরা মূলত পাঞ্জাব ও ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বাস করেন। অধুনা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশেও ভারত বিভাগের পূর্বে লক্ষাধিক শিখ বসবাস করতেন।",
"title": "বিভিন্ন ধর্ম"
},
{
"docid": "115412#0",
"text": "গুরু গ্রন্থ সাহিব বা সাম্মানিক উপাধি সহ শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব জি (পাঞ্জাবি: ਸ਼੍ਰੀ ਗੁਰੂ ਗ੍ਰੰਥ ਸਾਹਿਬ ਜੀ, \"স্রি গুরু গ্রান্থ্ সাহিব্ জি\" ), বা আদি গ্রন্থ শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই গ্রন্থখানি শিখদের সর্বশেষ গুরু। \"গুরু গ্রন্থ সাহিব\" ১৪৩০টি অঙ্গে বিভক্ত, যেগুলি ১৪৬৯ থেকে ১৭০৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিখ গুরু কর্তৃক রচিত ও সংকলিত হয়। এটি একটি শবদ বা স্তোত্র সংকলন। এর মূল উপজীব্য ঈশ্বরের গুণকীর্তন এবং ঈশ্বরের নাম জপ করার কারণ ব্যাখ্যা।",
"title": "গুরু গ্রন্থ সাহিব"
},
{
"docid": "9989#4",
"text": "শিখধর্ম একটি সর্বেশ্বরবাদী (কোনো কোনো দিক থেকে) এবং প্রকাশিত ধর্ম। শিখধর্মে ‘ঈশ্বর’ ধারণা হল “ওয়াহিগুরু” – যা নিরাকার, অনন্ত ও দৃষ্টির অগম্য (অর্থাৎ, যা চর্মচক্ষে দেখা যায় না): ‘নিরঙ্কর’, ‘অকাল’ ও ‘অলখ’। শিখ ধর্মশাস্ত্রের শুরুর অক্ষরটি হল ‘১’ – যা ‘ঈশ্বরে’র বিশ্বজনীনতার প্রতীক। শিখ শাস্ত্রমতে, ‘ঈশ্বর’ হলেন সর্বব্যাপী ও সর্বশক্তিমান। তাঁকে ‘ইক ওঙ্কার’ শব্দের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। শিখরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টির পূর্বের শুধুমাত্র ‘ঈশ্বর’ই ছিলেন এবং তাঁর ‘হুকুমে’ (ইচ্ছা বা আদেশ) ছিল। ঈশ্বরের যখন ইচ্ছা হল তখন সমস্ত মহাবিশ্ব সৃষ্টি হল। শুরু থেকেই ঈশ্বর মায়া বা মানুষের সত্যতার ধারণা প্রতি ‘আকর্ষণ বা আসক্তি’ নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন।",
"title": "শিখধর্ম"
},
{
"docid": "9989#16",
"text": "গুরু অমর দাসের উত্তরসূরি ও জামাতা গুরু রাম দাস অমৃতসর শহরটি স্থাপন করেন। এই শহরেই হরমন্দির সাহিব অবস্থিত এবং এটি শিখদের কাছে পবিত্রতম শহর হিসেবে পরিচিত। গুরু অর্জন শিখদের সংগঠিত করতে শুরু করলে মুঘল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বন্দী করে। মুঘল বাহিনী অত্যাচার করে গুরু অর্জনকে হত্যা করলে, তাঁর উত্তরসূরিরা শিখ সম্প্রদায়ে একটি সামরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলে মুঘল বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।\nশিখ গুরুরা শিখধর্মে এমন এক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন যাতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিখ সম্প্রদায় প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হয়। ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দ অকাল তখত (\"সময়াতীত ঈশ্বরের সিংহাসন\") ধারণার জন্ম দেন। হরমন্দির সাহিবের উল্টোদিকে অবস্থিত এই অকাল তখত হল শিখধর্মের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সংস্থা। \"সরবত খালসা\" বা খালসা পন্থের একটি প্রতিনিধিসভা বৈশাখী বা হোলা মোহাল্লা উপলক্ষে অকাল তখতে ঐতিহাসিকভাবে সমবেত হন এবং সমগ্র শিখ জাতিকে প্রভাবিত করছে এমন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন হয়, তখন সেই সম্পর্কে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। \"গুরমতা\" (অর্থাৎ, ‘গুরুর ইচ্ছা’) হল সরবত খালসার আদেশনামা। এটি গুরু গ্রন্থ সাহিবের উপস্থিতিতে দেওয়া হয়। শিখধর্মের মৌলিক নীতিগুলিকে স্পর্শ করছে, এমন বিষয়েই গুরমতা আদেশনামা দেওয়া যায় এবং এটি সকল শিখ জাতির উপর প্রযোজ্য হয়। গুরমতাকে অনেক সময় \"হুকুমনামা\"ও বলা হয়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে হুকুমনামা বলতে গুরু গ্রন্থ সাহিবের একটি স্তোত্রকে বোঝায়। উক্ত স্তোত্রটি শিখ জাতির প্রতি একটি আদেশ।",
"title": "শিখধর্ম"
},
{
"docid": "338509#0",
"text": "গৌড়পাদ (খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দী) বা শ্রীগৌড়পাদাচার্য ছিলেন বৈদিক দর্শনের অদ্বৈত বেদান্ত শাখার প্রথম যুগের গুরুদের অন্যতম। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, তিনি ছিলেন আদি শঙ্করের পরমগুরু (গুরুর গুরু)। তিনি বৈদিক দর্শন শাখার অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। অপর প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, তিনি শ্রীগৌড়পাদাচার্য মঠের প্রতিষ্ঠাতা তথা \"মাণ্ডুক্য কারিকা\"-র সংকলক।\nকথিত আছে, গৌড়পাদ ছিলেন আদি শঙ্করের গুরু গোবিন্দ ভাগবতপাদের গুরু। আদি শঙ্কর নিজেই এই তথ্যটি স্বীকার করেছেন এবং গৌড়পাদ যে তাঁর গুরুর গুরু ছিলেন, সেই ব্যাপারে নানা উদ্ধৃতির উল্লেখ করেছেন। আদি শঙ্কর অষ্টম শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব হলে তাই অনুমিত হয় গৌড়পাদ খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব ছিলেন।",
"title": "গৌড়পাদ"
},
{
"docid": "115412#1",
"text": "দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহ (১৬৬৬-১৭০৮) পবিত্র ধর্মগ্রন্থ \"আদি গ্রন্থ\"-কে তাঁর উত্তরসূরি ঘোষণা করেন এবং এটিকে \"গুরু গ্রন্থ সাহিব\" সম্মানে ভূষিত করেন। সেই থেকে এই গ্রন্থই দশ গুরুর শিক্ষার প্রতিনিধিরূপে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেয়ে আসছে। শিখধর্মের উপাসনার ক্ষেত্রে প্রার্থনার সহায়ক বা সূত্র হিসেবে এই গ্রন্থের স্থান সর্বাগ্রগণ্য।",
"title": "গুরু গ্রন্থ সাহিব"
}
] |
সিরিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি কে ? | [
{
"docid": "16395#3",
"text": "সিরিয়ার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হাফিয আল-আসাদ পাঁচ বার গনভোট বিজয়ের মাধ্যমে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখেন। তার ছেলে ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদও ২০০০ সালের এক গনভোটে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি পদে বহাল হন। রাষ্ট্রপতি ও তার মূল সহযোগীরাই, বিশেষত সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা, সিরিয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতির মূল সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে থাকেন।সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এই সংখ্যা জাতিসংঘ ঘোষিত সংখ্যার দ্বিগুণ। এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪৫ শতাংশ সিরীয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।সিরিয়া যুদ্ধে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সিরিয়ান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (এসসিপিআর)’ একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের বিভীষিকায় পড়ে সিরিয়ার জাতীয় সম্পদ ও অবকাঠামো প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার লোক। দেড় বছর আগে পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে জাতিসংঘ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল এটি তার প্রায় দ্বিগুণ। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সংখ্যা আড়াই লাখ।\nপ্রতিবেদন অনুযায়ী, সাকল্যে সিরিয়ার জনগণের সাড়ে ১১ শতাংশই নিহত বা আহত হয়েছে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত স্বৈরাচারবিরোধী তথাকথিত গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ার সিরিয়াতেও এসে লাগে ২০১১ সালে। ওই বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছরে এই জোয়ারের সুফল না মিললেও এই সময়ে হতাহত হয়েছে বিরাটসংখ্যক জনগোষ্ঠী।\nপ্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে আহত ব্যক্তির সংখ্যা বলা হয়েছে ১৯ লাখ। যুদ্ধ শুরুর আগে ২০১০ সালে সিরিয়ার মানুষের গড় আয়ু যেখানে ছিল ৭০ বছর, সেটাই ২০১৫ সালে নেমে দাঁড়ায় ৫৫ বছর ৪ মাসে। দেশটির অর্থনীতির সার্বিক ক্ষতির পরিমাণও নিতান্ত কম নয়, আনুমানিক ২৫ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।এসসিপিআরের মতে, নিহত ৪ লাখ ৭০ হাজার লোকের মধ্যে প্রায় ৪ লাখই মারা গেছে যুদ্ধের প্রত্যক্ষ সহিংসতার শিকার হয়ে। বাকি ৭০ হাজার মারা গেছে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের ঘাটতিতে, সংক্রামক ব্যাধিতে, খাবার ও পানির অভাবে।\nসিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ২০১০ সালে শুরু হওয়া আরব বসন্তের বিপ্লবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। সিরিয়ান সেনার একটি কঠোর ব্যবস্থার দ্বারা অনুসৃত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের একটি চেইন হিসেবে ২০১১ সালে শুরু হয়। জুলাই ২০১১ সালে , সেনাবাহিনীর দলত্যাগীরা ফ্রি সিরিয়ান সেনা গঠনের ঘোষণা করেন এবং যুদ্ধ ইউনিট গঠন শুরু হয়। এই বিরোধিতা সুন্নি মুসলমানদের দ্বারা প্রভাবিত হয়, যেখানে নেতৃস্থানীয়রা আলাউয়ি।",
"title": "সিরিয়া"
},
{
"docid": "91484#0",
"text": "হাফেজ আল-আসাদ (আরবিঃ حافظ الأسد , \"হাফিজ আল-আসাদ\") প্রায় তিন দশক যাবত সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন। হাফেজ এমন এক সময় সিরিয়ার হাল ধরেন যখন দেশটির প্রশাসন অভ্যুত্থান, পাল্টা-অভ্যুত্থানে জর্জরিত ছিল। হাফেজ রাষ্ট্রপতিত্ব গ্রহণের পর সিরিয়ায় সামরিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। সিরিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদ হাফেজ আল-আসাদের পুত্র যিনি ২০০০ সালে পিতার মৃত্যুর পর সর্বসম্মত ভাবে দেশটির দায়িত্ম গ্রহণ করেন।",
"title": "হাফেজ আল-আসাদ"
}
] | [
{
"docid": "6630#0",
"text": "জন ফিট্জেরাল্ড কেনেডি বা জন এফ. কেনেডি (ইংরেজি: John Fitzgerald Kennedy, বা John F. Kennedy) (মে ২৯, ১৯১৭ – নভেম্বর ২২, ১৯৬৩) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি। তিনি JFK নামেও পরিচিত। তিনি ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৩ সালে নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।\nদিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে Motor Torpedo Boat PT-109 এর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তার পিতা, জোসেফ পি. কেনেডি, সিনিয়র, এর উৎসাহ আর সহযোগিতায় তিনি রাজনীতিতে আসেন এবং U.S. House of Representatives এর Massachusetts's 11th congressional district এ ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত ডেমক্রেটদের প্রতিনিধিত্ব করেন। পরবর্তিতে তিনি সিনেটে ১৯৫৩ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত ডেমক্রেটদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৬০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তৎকালিন উপ-রাষ্ট্রপতি এবং রিপাবলিকান প্রাথী রিচার্ড নিক্সনকে পরাজিত করেন। তিনি থিওডর রুজভেল্ডের পর আমেরিকার দিতীয় কনিষ্টতম রাষ্ট্রপতি, বিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি, এবং সর্বকনিষ্ট নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। কেনেডি প্রথম ও একমাত্র ক্যাথলিক এবং প্রথম আইরিশ আমেরিকান রাষ্ট্রপতি। কেনেডি একমাত্র আমেরিকান রাষ্ট্রপতি যিনি পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন।\n১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর কেনেডি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। লি হার্ভি অসওয়াল্ডকে এই ঘটনার জন্য অভি্যুক্ত করা হয়। কিন্তু তার বিচার হয়নি কারণ দুইদিন পরেই জ্যাক রুবি নামক একজনের গুলিতে হার্ভি নিহত হয়। এফবিআই, ওয়ারেন কমিশন এবং হাউস সিলেক্ট কমিটি তদন্ত অনুসারে অসওয়াল্ডই ছিল কেনেডির আততায়ী।",
"title": "জন ফিট্জেরাল্ড কেনেডি"
},
{
"docid": "303187#0",
"text": "জন ফোর্বস কেরি (জন্মঃ ডিসেম্বর ১১, ১৯৪৩) একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদ যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের সিনেটর(১৯৮৫-২০১৩) এবং সেনেটে বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনের জন্য মোনোনীত হন। তবে ওই সময় তিনি জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছে হেরে যান।",
"title": "জন কেরি"
},
{
"docid": "319832#0",
"text": "খিলরাজ রেগমি, ওজিডিবি, ওটিএসপি, (; জন্ম: ৩১ মে, ১৯৪৯) পাল্পা জেলায় জন্মগ্রহণকারী নেপালের বর্তমান মন্ত্রী পরিষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। মার্চ, ২০১৩ সাল থেকে তিনি সমঝোতামূলক প্রার্থী হিসেবে নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো রাজী হওয়ায় স্বলমেয়াদীভিত্তিতে মন্ত্রীপরিষদের সভাপতি হিসেবে নির্বাচন তত্ত্বাবধান ও তদারকীর জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়। অতঃপর ১৪ মার্চ, ২০১৩ তারিখে প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদব তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান।",
"title": "খিল রাজ রেগমি"
},
{
"docid": "453734#0",
"text": "জোকো \"জোকোউয়ি\" উইদোদো (জাভানীয়: \"Jåkå Widådå\"; পুরনো-জাভানীয়: \"Jaka Widada\"; জন্ম ২১ জুন ১৯৬১) হলেন ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি। ২০১২ থেকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ইনি জাকার্তার গভর্নর এবং ২০০৫ থেকে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সুরাকার্তার মেয়র ছিলেন। রাজনৈতিক অভিজাত বা সেনাবাহিনীর অফিসার বৃত্তের বাইরে থেকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি হওয়া তিনি প্রথম ব্যক্তি।",
"title": "জোকো উইদোদো"
},
{
"docid": "648052#0",
"text": "মুন জে ইন (; ; জন্ম ২৪শে জানুয়ারি ১৯৫৩) দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ২০১৭ সালে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি পার্ক গুন হে'র পতনের পর মুন জে ইন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় লাভ করেন।",
"title": "মুন জে ইন"
},
{
"docid": "302982#0",
"text": "উহুরু মুইগাই কেনিয়াত্তা (; জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৬১) নাইরোবিতে জন্মগ্রহণকারী কেনিয়ার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি কেনিয়ার চতুর্থ রাষ্ট্রপতি হিসেবে বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছেন। এর পূর্বে তিনি কেনিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গাটুন্ডু সাউথ কন্সটিটুয়েন্সি থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও, কেনিয়া আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন বা কানু'র সভাপতি ছিলেন।",
"title": "উহুরু কেনিয়াত্তা"
},
{
"docid": "108663#0",
"text": "হু জিনতাও (জন্ম: ২১ ডিসেম্বর ১৯৪২) একজন চীনা রাজনীতিবিদ ও বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একচ্ছত্র নেতা। তিনি একাধারে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার (সিপিসি) মহাসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতি ও দেশটির কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি যথাক্রমে ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সাল থেকে এই পদগুলোতে আসীন রয়েছেন। শীর্ষ এই পদগুলোতে জিনতাও চীনের চতুর্থ প্রজন্মের নেতা হিসেবে তার উত্তরসূরী জিয়াং জেমিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।",
"title": "হু জিনতাও"
},
{
"docid": "250500#0",
"text": "ডালিয়া গ্রিবাউস্কাইটে (লিথুয়ানীয় ভাষায় উচ্চারণ dɐˈlʲɛ ɡʲrʲiːbɐʊsˈkɐ̂ˑɪtʲeː) (জন্মঃ ১ মার্চ, ১৯৫৬) লিথুয়ানিয়ার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি। তিনি ১২ জুলাই, ২০০৯ইং তারিখে লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন। পূর্বে তিনি ঐ দেশের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক উপ-মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কমিশনার হিসেবে অর্থ পরিকল্পনা ও বাজেটের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লিথুয়ানিয়ার প্রথম মহিলা রাষ্ট্র প্রধান ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট ঐ দেশটির \"লৌহ মানবী\" হিসেবে দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিত ব্যক্তিত্ব।",
"title": "ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট"
},
{
"docid": "335168#0",
"text": "সৈয়দ আলী হোসেনী খামেনেয়ী (; জন্ম: ১৭ জুলাই ১৯৩৯) হলেন ইরানের বর্তমান (২য়) সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং ইরানের ৮ কোটি শিয়া মুসলমানের আধ্যাত্মিক নেতা। ১৩ অক্টোবর ১৯৮১ থেকে ৩ আগস্ট ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি ইরানের ৩য় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ফোর্বস সাময়িকী ২০১২ সালে তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ২১ জনের মধ্যে স্থান দেয়।",
"title": "আলি খামেনেই"
}
] |
মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন রচিত হতে মোট কয় বছর সময় লাগে ? | [
{
"docid": "4763#1",
"text": "মুসলমানদের বিশ্বাসমতে আল্লাহ ফেরেশতা জিব্রাইল এর মাধ্যমে ইসলামিক নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর কাছে মৌখিকভাবে কুরআনের আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন, দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। কুরআনের প্রথম আয়াত অবতীর্ণ হয় ৬০৯ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর যখন মুহাম্মাদের বয়স ৪০ বছর এবং অবতরণ শেষ হয় মুহাম্মাদের তিরোধানের বছর অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকেন কুরআন হচ্ছে মুহাম্মাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক ঘটনা যা তার নবুয়তের প্রমাণস্বরূপ এবং ঐশ্বরিক বার্তা প্রেরণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায় যা আদম থেকে শুরু হয়ে মুহাম্মাদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তবে সুফিবাদের অনুসারীরা বিশ্বাস করে থাকেন মুহাম্মাদের সকল কর্মকান্ডে উম্মতের কাছে বোধগম্য করে তোলার জন্যই কুরআন অবতীর্ণ করা হয়। কুরআনের আয়াতসমূহে কুরআন শব্দটি ৭০ বার এসেছে।",
"title": "কুরআন"
},
{
"docid": "4763#2",
"text": "ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআনকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল:",
"title": "কুরআন"
},
{
"docid": "546496#15",
"text": "ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে , কুরআন মুহাম্মদের উপর নাজিল হয়েছিল । তার চল্লিশ বছর বয়সে , ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে রমজান মাসের এক রাতে এটি শুরু হয়েছিল । ফেরেশতা জিব্রাইলের মাধ্যমে প্রাপ্ত আয়াত বা আল্লাহ্র বানী মানবজাতির নিকট পৌঁছে দেয়া ও লিপিবদ্ধ করার দায়ীত্ব তিনি পেয়েছিলেন। মুসলমান পণ্ডিতেরা বিশ্বাস করেন যে মুহাম্মদ একজন নিরক্ষর ব্যক্তি ছিলেন যেমনটা কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে ।\n\"\"যারা সেই নিরক্ষর রাসূলের অনুসরণ করে চলে যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জীল কিতাবে লিখিত পায়...\" কুরআন ৭:১৫৭ \nইমাম বুখারী (র) এর হাদীস গ্রন্থে উম্মুল মুমিনুন হয়রত আয়িশা (রা) হতে বর্ণিত আছে, যখন প্রথম কুরআন নাযিল হয় ফেরেশতা জিব্রাঈল নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট সাক্ষাত করেন এবং পাঠ করতে বলেন। নবী মুহাম্মদ (সা:) বলেন, \"মা আনা বিক্বারিউ\"। যার অর্থ বেশ কতটি হতে পারে। যেমন, 'আমি পড়তে পারি না' বা আমি কী পাঠ/আবৃত্তি করব? অথবা 'আমি তো পড়তে/অধ্যায়ন করতে জানি না। তিন বার এমন প্রশ্ন-উত্তর হল দু'জনের মাঝে। এর পর চতুর্থ বার জিব্রাঈল নবী মুহাম্মদকে(স) সমস্ত শক্তি দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলেন, তারপর ছেড়ে দিলেন। এরপর আবার বললেন, \"পাঠ করুন আপনার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে! পাঠ করুন আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালুর নামে, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না\" এরপর মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট ধারাবাহিক ভাবে দীর্ঘ ২৩ বছর সময়ে মানব জীবনের প্রয়োজন অনুযায়ী পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়। যা ৬৩২ খ্রীস্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়।\"",
"title": "কুরআনের ইতিহাস"
},
{
"docid": "558197#3",
"text": "মহানবী মুহাম্মাদ (সা) এর বয়স যখন চল্লিশ বছর, তখন থেকে কুরআন অবতরণ শুরু হয়। এটি ছিল ৬১০ খ্রিস্টাব্দ। এরপর সুদীর্ঘ প্রায় ২২ বছর যাবৎ এর অবতরণ অব্যাহত থাকে এবং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। অবতরণের বিভিন্ন পর্যায়ে যখনই কুরআন নাজিল হতো, মুহাম্মাদ (সা) এবং তার অনুসারীবৃন্দ তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। প্রাথমিকভাবে, কুরআনের নাজিলকৃত অংশে মুখস্থকরণের মাধ্যমে তা সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে, লিখনীর মাধ্যমে তা হিফাজতের ব্যবস্থা করা হয়। সংরক্ষণ ও নির্ভুলতার ক্ষেত্রে কোনো প্রামাণ্য দলিল যখন শুরু থেকেই লিপিবদ্ধ করা হয়, তখন তার গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। লোকমুখে প্রচারিত ইতিহাস, গল্প খুব সহজেই বিকৃত হয়ে যেতে পারে; কিন্তু লিখিত কোন দলিলের ক্ষেত্রে তা হওয়া সম্ভবপর নয়।",
"title": "কুরআনের সমালোচনা ও খণ্ডন"
},
{
"docid": "546496#1",
"text": "মুসলমানদের বিশ্বাস ও ইসলামী গবেষকদের তথ্য মতে, কুরআর নাযিল ৬১০ খ্রীস্টাব্দে শুরু হয়, যখন ফেরেশতা জিব্রাঈল (Arabic: جبريل, \"Jibrīl\" or جبرائيل, \"Jibrāʾīl\") মক্কা নগরীর হেরা পর্বতে, সর্ব প্রথম কোরআনের সূরা আলাক্ব এর প্রথম পাঁচটি আয়াত নবী মুহাম্মাদকে পাঠ করান। আর এই ধারাবাহীকতা ৬৩২ খ্রীস্টব্দে তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়। আমরা আজ যে কোরআন গ্রন্থাকারে দেখতে পাই, সেটি সংকল করেছেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু(৬৪৪ থেকে ৬৫৬)। তিনি আমিরুল মু'মিনিন বা বিশ্বাসীদের নেতা হিসাবে তাঁর খিলাফতের (ইসলামিক সরকারের) সময় হুুযায়ফা ইবনে ইয়েমেনি (রা:) এর পরামর্শে এ দায়িত্ব পালন করেন। যার জন্য তাকে আজও জামিউল কুরআন বা কুরআন সংকলনকারি বলা হয়। আর পুরো বিশ্বে তাঁর সময়ে লিপিবদ্ধ করা কুরআন প্রচলিত রয়েছে। অধ্যাপক ফ্রান্সিস এডওয়ার্ড পিটার্স এর ভাষ্যমতে, \"কুরআন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, পক্ষপাত এড়াতে অত্যন্ত রক্ষণশীলতা ও সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।\"",
"title": "কুরআনের ইতিহাস"
}
] | [
{
"docid": "8289#9",
"text": "অনুবাদক হিসেবে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি কুরআনের অনুবাদের কাজ শুরু করেন। তিনি পর্যায়ক্রমে মোট ১২ টি খন্ডে এই অনুবাদকর্ম সমাপ্ত করেন। 'তাপসমালা'র দুটো খন্ড বের হওয়ার পর ১৮৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর কুরআনের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়। প্রথম খন্ড প্রকাশের সময় গিরিশচন্দ্র অনুবাদকের নাম গোপন রাখেন। কারণ তৎকালীন সময়ে কাজটি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। মুসলিম সমাজে এর প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সে সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণাই ছিলনা। গ্রন্থটিতে শুধুমাত্র প্রকাশক গিরিশচন্দ্র সেন এবং মুদ্রক তারিণীচরণ বিশ্বাসের নাম ছিল। ৩২ পৃষ্ঠার এই খন্ডের মূল্য ছিল মাত্র চারআনা। কিন্তু গিরিশচন্দ্রের আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হলো। মুসলমান আলেমসমাজ এই মহৎকর্ম সম্পাদন করার জন্য এই অজ্ঞাতনামা অনুবাদকের প্রশংসা করে ব্রাহ্মসমাজের নিকট পত্র প্রেরণ করেন। তাঁদের প্রশংসাপূর্ণ পত্রের অংশবিশেষ নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ",
"title": "গিরিশ চন্দ্র সেন"
},
{
"docid": "624561#2",
"text": "ধ্রুপদী আরবি, যা কুরআনের আরবি নামেও পরিচিত, কুরআনে এবং ৭ম থেকে ৯ম শতাব্দীর উমাইয়া খিলাফত ও আব্বাসীয় খিলাফতের সময়কার অসংখ্য সাহিত্য গ্রন্থে ব্যবহৃত ভাষা।\nঅনেক মুসলমান কুরআনকে তার মূল ভাষায় পাঠ করার জন্য ধ্রুপদী আরবি অধ্যয়ন করেন।\nএটা লক্ষ্যনীয় যে ইসলামি যুগের শুরুর দিকে লিখিত ধ্রুপদী আরবিতে মৌলিক পরিবর্তন আসে।\nআবু আল-আসওয়াদ আল-দুয়ালী, আল-খলিল ইবনে আহমদ আল-ফারাহীদী এবং অন্যান্য পণ্ডিতগণ এই সময় একই রকম দেখতে বর্ণের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য বিন্দু ব্যবহার এবং উচ্চারণ চিহ্নিত করার জন্য ধ্বনিনির্দেশক তাশকীল ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন।\nধ্রুপদী আরবি প্রাচীন যুগে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং আফ্রিকার অন্তরীপে লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা ছিল।",
"title": "আধুনিক প্রমিত আরবি"
},
{
"docid": "332933#3",
"text": "তিনি সারা জীবনে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিনশো গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থগুলোর মাঝে অন্যতম হলো ফিকহ বিষয়ক গ্রন্থ \"বেহেশতী জেওর\" (স্বর্গের অলংকার)। যা ভারত উপমহাদেশের সাধারণ মুসলমানদের মাঝে বহুল পঠিত। এছাড়া তাঁর রচিত কুরআন শরীফের উর্দু তরজমার গ্রন্থ \"বয়ানুল কুরআন\" (কুরআনের ব্যাখ্যা) সুপরিচিত। তিনি জাতির কল্যাণের জন্য তাঁর সকল গ্রন্থের স্বত্ব উন্মুক্ত রেখেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের তালিকা:",
"title": "আশরাফ আলী থানভী"
},
{
"docid": "546496#21",
"text": "কুরআন যেহেতু অন্য কোন গ্রন্থের মত এক সাথে অবতীর্ণ হয় নি, তাই এর প্রতিটি পরিচ্ছেদ, অধ্যায় সুসংবদ্ধ ছিল না। তাই এর সংরক্ষণ করা সময়ের দাবী হয়ে দাড়ায়। কুরআন সংকলন কখন শেষ হয় এটা নিয়ে মুসলিম অমুসলিম পণ্ডিতগণের মাঝে মতবিরোধ দেখা যায়। কিছু সংখ্যক বিশ্বাস করে যে নবী মুহাম্মদ (স) তাঁর মৃত্যুর পূর্বেই কুুরআর সংকলন করেন। আবার কিছু সংখ্যক বিশ্বাস করে, অালি অথবা আবু বকর (রা) কুরআন সংকলন করেন।\nনবী মুহাম্মদ এর সময় কুরআনের আয়াত, সূরা পরিবর্তনের সম্ভাবনা ছিল। আর তাই তিঁনি সেই সময় কুরআন মুখস্ত করা ও অধ্যয়ন করার পদ্ধতি সাহাবিদের শিক্ষা দিতেন। যদিও সাহাবিগণ কুরআন সংকলন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নবি (সাঃ) তাদের অনুমতি দেন নি। কারণ কুরআনের হুকুম বাতিল হতে পারত। তারপরও ইচ্ছা করলে যে কেউ সংকলন করতে পারতেন। তারপর মক্কা ছিল সেই সময়ে বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী । কিন্তু অধিকাংশ জনগণ লিখতে পারত না। তা সত্ত্বেও নবী (স) জায়েদ ইবনে সাবিত ও উবাই ইবনে কাব (রা) সহ অন্তত ৪৮ জনের নাম পাওয়া যায় যারা কুরআনের আয়াত লিখার দায়িত্বে ছিলেন,যারা কাগজ ছাড়াও খেজুরের ডাল, গাছের পাতা,বাঁশের টুকরা এবং চতুষ্পদ জন্তুর হাড্ডির উপর কোরআন লিখে রাখতেন। এভাবে নবী (সাঃ) তত্ত্বাবধানে কোরআনের একটি কপি প্রস্তুত হয়ে যায় যদিও তা পুস্তিকা রূপে বা গ্রন্থিত আকারে ছিল না। তাছাড়াও সাহাবাদের কারো কারো কাছে ব্যক্তিগত ভাবে কোআনের সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি ছিল। যেমন ইবনে ওমর বলেন, নবী কোরআন নিয়ে কোরআনের কপি নিয়ে) শত্রু এলাকা ভ্রমন করতে নিষেধ করেন। (বুখারী খন্ড ১ পৃ ৪১৯)।",
"title": "কুরআনের ইতিহাস"
},
{
"docid": "705257#2",
"text": "ইসলামী ধর্মতত্ত্ব অনুসারে, কুরআন এর আবির্ভাব খুব নির্দিষ্টভাবে আরবি ভাষাতেই হয়েছে, এবং তাই কুরআনীয় আরবিতেই এর পাঠ করা উচিৎ। অন্য ভাষায় এটি অনুদিত হলে তা মানুষ দ্বারা রচিত হবে, এবং এরফলে মুসলিমদের মতে মূল আরবিতে লেখা গ্রন্থে যে পবিত্রতা ও অনন্যতা থাকে সেটা অনুদিত গ্রন্থে আর থাকবে না, কেননা এই অনুবাদগুলোতে সূক্ষ্মভাবে অর্থের পরিবর্তন ঘটে, তাই কুরআন এর অনুবাদকে অনুবাদ না বলে প্রায়ই \"ব্যাখ্যা\" বা \"অর্থের অনুবাদ\" বলা হয় (এই \"অর্থ\" বলতে কুরআন এর বিভিন্ন আয়াতের বিভিন্ন অর্থের সমাহারকে বোঝানো হয় যেখানে এই আলাদা আলাদা অর্থগুলো একে অপরের থেকে ভিন্ন হতে পারে, এবং অনুবাদগুলোর ক্ষেত্রে এই স্বীকারোক্তির উল্লেখ থাকে যে, এই তথাকঠিত অনুবাদ একটি সাম্ভাব্য ব্যাখ্যা মাত্র, এবং এটিকে মূল কুরআন এর পূর্ণাঙ্গ সমতুল্য হিসেবে দাবি করা হচ্ছে না)। যেমন পিকথাল তার অনুবাদকে \"দ্য কোরান\" (কুরআন) না লিখে \"দ্য মিনিং অফ দ্য গ্লোরিয়াস কোরান\" (মহার কুরআন এর অর্থ) লিখেছিলেন।",
"title": "কুরআন অনুবাদ"
}
] |
উসমানীয় সাম্রাজ্য কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
{
"docid": "710705#0",
"text": "অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম উসমানের দ্বারা। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ যখন কনস্টান্টিনোপল জয় করেন তখন রাষ্ট্রটি একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। ১৬শ শতাব্দীতে সুলতান প্রথম সেলিম এর কাছে আব্বাসীয় খলিফা কর্তিক ইসলামী খেলাফত হস্তান্তর করা হয় শুরু হয় উসমানীয় খেলাফতএবং তার পরে তার ছেলে সুলতান প্রথম সুলাইমানের অধীনে সাম্রাজ্যটি সমৃদ্ধির চূড়ায় পৌছেছিল, তখন এর সীমানা ছিল পূর্বে পারস্য উপসাগর থেকে ইউরোপের বলকান অঞ্চল, উত্তরপূর্বেহাঙ্গেরি, উত্তর কৃষ্ণ সাগর রাশিয়া,ককেসাস, পশ্চিমে ইরান,মধ্যপ্রাচ্য ইরাক সিরিয়া ফিলিস্তিন লেবানন জর্ডান মক্কা মদিনা এবং দক্ষিণে মিশর থেকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত। এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির ও ব্রিটিশদের মিত্র আরব জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহীদের কাছে পরাজয়ের মাধ্যমে। ১৯২২ সালে তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলে গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি অটোমান সাম্রাজ্য ও ইসলামী খেলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা করে।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাস"
},
{
"docid": "10823#0",
"text": "উসমানীয় সাম্রাজ্য (, আধুনিক তুর্কি: ), ঐতিহাসিকভাবে তুর্কি সাম্রাজ্য বা তুরস্ক বলে পরিচিত, ছিল একটি ইসলামি সাম্রাজ্য। ১২৯৯ সালে অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রথম উসমান উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়ার দ্বায়িত্ব পান সেলযুক সাম্রাজ্য কতৃক। প্রথম দিকে সেলযুক সাম্রাজ্যের প্রতি অনুগত থাকলেও সেলজুক সাম্রাজ্যের ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।\nএবং ধীরে ধীরে একটি বৃহত সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন এবং প্রথম উসমানের মাতা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক শাহজাদা নুমান এর মেয়ে অর্থাৎ আর্তুগুলের স্ত্রী প্রথম মুরাদ কর্তৃক বলকান জয়ের মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের কনস্টান্টিনোপল জয় করার মাধ্যমে উসমানীয়রা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করে।\n১৫২৬ সালে হাঙ্গেরি জয়ের পর ইউরোপের বলকান অঞ্চল সমূহ নিয়ে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে।\n১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহবিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল। ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "559126#38",
"text": "১০ শতকের আব্বাসীয় খিলাফতের পরে উসমানীয়রা সর্বপ্রথম পুরো এলাকা একজন শাসকের অধীনে নেয় এবং ৪০০ বছর শাসন করে, ইরানের সাফাভিদ ও আফসারিদের তৈরি সংক্ষিপ্ত বিচ্ছেদ সত্ত্বেও। বিশ্বের ইতিহাসে উসমানীয় সাম্রাজ্য ছিল সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে বিস্তৃত ও দীর্ঘস্থায়ী সাম্রাজ্য। এতে পূর্বের রোমান সাম্রাজ্যের পুরোটা ছিল এবং বাইজেন্টাইনরা ধরে রাখতে পারে নি এমন এলাকাও। ১৩০০ তে উসমানীয় সাম্রাজ্যের জন্ম এবং টিকেছিল ১ম বিশ্ব যুদ্ধ পর্যন্ত।",
"title": "মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস"
}
] | [
{
"docid": "10823#57",
"text": "১৯০৯ সালের জুন থেকে ১৯১১ সালের জুলাইয়ের মধ্যে উসমানীয় বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়। উসমানীয় সাম্রাজ্য তার নিজস্ব পাইলট ও প্লেন তৈরি শুরু করে। ১৯১২ সালের ৩ জুলাই এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে সাম্রাজ্যের ফ্লাইট অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হত। এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠার ফলে নতুন অনেকে বাহিনীতে তালিকভুক্ত হয় এবং নৌ ও বিমানবাহিনী নতুন পাইলট লাভ করে। ১৯১৪ সালের জুনে নতুন সামরিক একাডেমি, নেভাল এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া থমকে যায়। যুদ্ধে উসমানীয় বিমানবাহিনী পশ্চিমে গালিসিয়া থেকে পূর্বে ককেসাস ও দক্ষিণে ইয়েমেনে অনেক যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নিয়েছে।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "10823#28",
"text": "সার্বিয়ান বিপ্লব (১৮০৪-১৮১৫) বলকান অঞ্চলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভেতর জাতীয়তাবাদের উত্থানের সূচনা ঘটায়। ১৮২১ সালে উসমানীয় গ্রীসে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। মলডাভিয়ায় সৃষ্ট একটি বিদ্রোহের পর করিন্থ উপসাগরের উত্তর অংশসহ উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম কোনো অংশ স্বাধীন হয়। ১৯ শতকের মধ্যভাগ নাগাদ উসমানীয় সাম্রাজ্যকে ইউরোপের রুগ্ন ব্যক্তি বলে ইউরোপীয়রা অবিহিত করতে থাকে।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "10823#54",
"text": "১৯শ শতাব্দীতে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আধুনিকায়ন শুরু হয়। ১৮২৬ সালে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ জানিসারি দলকে বিলুপ্ত করেন এবং আধুনিক উসমানীয় সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। তাদেরকে নিজাম-ই জেদিদ নাম দেয়া হয়। সেনাবাহিনীতে দক্ষ বিদেশিদের নিয়োগ দেয়া হয় এবং অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে পাঠানো হয়। তরুণ তুর্কি আন্দোলন শুরু হওয়ার সময় এসব তরুণ ও নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অফিসাররা তাদের শিক্ষা সমাপ্ত করে ফিরে আসছিলেন।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "364752#0",
"text": "উসমানীয় সাম্রাজ্যের সংসদ (, \"Genel Parlamento\") ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্যে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রচেষ্টা। এটি ছিল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ যা উচ্চকক্ষ (সিনেট, মজলিস ই আয়ান) ও নিম্নকক্ষ (চেম্বার অব ডেপুটি, মজলিস ই মেবুসান) নামক ভাগে বিভক্ত ছিল। ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথমবার গঠিত হয় এবং ১৮৭৬ পর্যন্ত তা বহাল থাকে। এসময় দ্বিতীয় আবদুল হামিদ সংসদ বিলুপ্ত করেন। দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগে তা কিছু সংস্কারের মাধ্যমে পুনরায় যাত্রা শুরু করে এবং মিত্রপক্ষের ইস্তানবুল অধিকারের সময় ধরে ১৯২২ এ সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত তা বজায় ছিল। এর উত্তরাধিকারী হিসেবে সাবেক উসমানীয় আইনসভার সদস্যদের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি গঠিত হয়।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্যের সংসদ"
},
{
"docid": "10823#45",
"text": "সর্বপ্রথম সুলতান প্রথম মুরাদ মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদ খলিফা দাবি করেন। এর মাধ্যমে উসমানীয় খিলাফতের সূচনা হয়। উসমানীয় সুলতান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় অভিভাবক ছিলেন। তবে সুলতান সব ক্ষেত্রে সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন না। উসমানীয় দরবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ছিল রাজকীয় হারেম। এটি ভালিদ সুলতান কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালিদ সুলতান রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপে অংশ নিতেন। এমন একটি সময়কে \"মহিলা সালতানাত\" বলা হয়। পূর্ববর্তী সুলতানের সন্তানদের থেকে নতুন সুলতান নির্বাচন করা হত। প্রাসাদের স্কুলের কঠোর শিক্ষাক্রম মেধাবী উত্তরাধিকারীদের শিক্ষাদান করার জন্য তৈরী হয়েছিল। এছাড়াও এখানে ভবিষ্যত প্রশাসকদের শিক্ষাদান করার জন্য প্রাসাদের স্কুল ব্যবহৃত হত। এই স্কুল একটি ধারার উপর সবসময় পরিচালিত হয়নি। মুসলিমদের জন্য মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়। এছাড়া ছিল খ্রিষ্টানদের জন্য \"এন্ডেরুন\" নামক আবাসিক স্কুল। এতে আট থেকে বিশ বছরের মধ্যবর্তী বার্ষিক ৩,০০০ জন খ্রিষ্টান বালককে শিক্ষাদান করা হত। রুমেলিয়া ও বলকান অঞ্চলের বিভিন্ন তাদের নিয়ে আসা হত।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "10823#55",
"text": "ইউরোপে সাম্রাজ্যের বিস্তারে উসমানীয় নৌবাহিনী বড় ভূমিকা রেখেছিল। উত্তর আফ্রিকা জয়ের মাধ্যমে এর সূচনা হয়। ১৮২১ সালে গ্রীস ও ১৮৩০ সালে আলজেরিয়া হারানোর মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলে নৌবাহিনীর প্রভাব কমা শুরু হয়। সুলতান আবদুল আজিজ শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনের প্রচেষ্টা চালান। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পর বৃহত্তম নৌবহর গড়ে তোলা হয়। ১৮৮৬ সালে ইংল্যান্ডের বেরোর জাহাজ নির্মাণস্থল উসমানীয় সাম্রাজ্যের জন্য প্রথম সাবমেরিন তৈরি করে।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "10823#77",
"text": "কিছু গোষ্ঠীকে ইসলাম পরিপন্থি মনে করা হত। এদের মধ্যে ছিল দ্রুজ, ইসমাইলি, আলেভি ও আলাউয়ি সম্প্রদায়। ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের চেয়ে তাদের অবস্থান নিচে ছিল। ১৫১৪ সালে সুলতান প্রথম সেলিম আনাতোলিয়ায় আলেভিদের হত্যার জন্য \"ভয়ানক\" নামে পরিচিত হয়ে উঠেন।, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে নজিরবিহীনভাবে ও দ্রুততার সাথে সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ করেন এবং মিশরের মামলুক সালতানাতের সমগ্র অঞ্চল জয় করে নেন। উসমানীয়রা ১৪শ শতাব্দী থেকে খিলাফতের দাবি করে আসছিল। এসকল জয়ের মাধ্যমে তিনি উসমানীয়দের খিলাফতের দাবিকে আরও সংহত করেন। সাম্রাজ্যের বাকি সময় জুড়ে খিলাফত উসমানীয়দের হাতে ছিল এবং ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি খিলাফত বিলুপ্ত করে এবং শেষ খলিফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে ফ্রান্সে নির্বাসনে পাঠায়।",
"title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য"
}
] |
বিশ্বের প্রথম সফটওয়্যার কোম্পানী কোনটি ? | [
{
"docid": "137951#1",
"text": "\"সফটওয়্যার\" শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৫৩ সালে, তবে ১৯৬০ সালের পর থেকে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হয়। এর পূর্বে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম তৈরীর কাজ করতে হতো ক্রেতার অথবা UNIVAC এবং আইবিএম নির্দিষ্ট এর মত নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। কম্পিউটার ইউজেস কোম্পানি হল প্রথম বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যেখানে কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং সেবা প্রদান করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫৫ সালে। ১৯৬০ এর প্রথমদিকে সফটওয়্যার প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়। আর এর কিছুদিন আগে থেকেই সর্বসাধারণের মধ্যে কম্পিউটার বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে তাদের চাহিদা অনুযায়ি বিভিন্ন ধরনের সফরওয়্যারের প্রয়োজন হতে থাকে। এই সময় তৈরী হওয়া সফটওয়্যার সমূহের বেশ কিছু লেখা হয়েছিল নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মাধ্যমে। এর থেকে আবার বেশকিছু বিনামূল্যে দেয়া হয়েছিল ঐ নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠান থেকে। আবার কম্পিউটার ইউজেস কোম্পানি(১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত) এর মত বিভিনন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও বেশ কিছু সফটওয়্যার তৈরী করিয়ে নেয়া হয়। এই সময়ই কম্পিউটার প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ যন্ত্রাংশের সাথে অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রোগ্রামিং এনভাইরোনমেন্ট যুক্ত করে দিতে থাকে।",
"title": "সফটওয়্যার কোম্পানি"
}
] | [
{
"docid": "562417#2",
"text": "১৯৮৮ সালে ভিয়েনা ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার পর প্রাগের ম্যাথম্যাটিক্যাল মেশিন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক পাভেল বাওদিস একটি প্রোগ্রাম লেখার জন্য মনস্থির করেন যেটি সফলভাবে তা অপসারণ করতে সক্ষম হবে। পরবর্তীতে তিনি প্রোগ্রামটি তার সহকর্মী এডুয়ার্ড কুচিরার সাথে ভাগ করেন এবং পরবর্তীতে সে বছরে দুইজন মিলে এলউইল (ALWIL) সফটওয়্যার শুরু করেন যেদি প্রথম অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস অবমুক্ত করে। চেকোস্লোভাকিয়ায় সে সময়ে কোম্পানি গঠনে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে, এলউইল সফটওয়্যার সমবায় কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কিন্তু ভেলভেট বিপ্লবে মুক্ত বাজারে প্রবর্তন করার সুযোগ করে দেয়। ১৯৯১ সালে বাওদিস এবং কুচিরা এলউইল সফটওয়্যারকে যৌথ-অংশীদারিত্ব কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করতে সক্ষম হন।",
"title": "অ্যাভাস্ট সফটওয়্যার"
},
{
"docid": "562417#0",
"text": "অ্যাভাস্ট সফটওয়্যার হল একটি চেক ভিত্তিক নিরাপত্তা সফটওয়্যার কোম্পানি যেটির প্রধান কার্যালয় চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে অবস্থিত। এটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার তৈরি এবং ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক সেবা প্রদান করে থাকে। ১৯৮৮ সালে এটি পাভেল বাওদিস এবং এডুয়ার্ড কুচিরা কর্তৃক সমবায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ২০১০ সাল থেকে এটি বেসরকারী কোম্পানি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। অ্যাভাস্ট, অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ্লিকেশনের বিশ্ব বাজারের বৃহত্তম অংশ জুড়ে রয়েছে এবং এটির প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ভোক্তা এবং কর্পোরেট বাজারে এনড্রয়েড, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, আইওএস এবং ম্যাকওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যাভাস্ট সিকিউরলাইন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) এর মত ব্যাপক বিন্যাসের নিরাপত্তা ভিত্তিক পণ্য তৈরি করা।",
"title": "অ্যাভাস্ট সফটওয়্যার"
},
{
"docid": "1542#41",
"text": "১৯৮০ দশকে পুরো বিশ্বে, সেমিকন্ডাক্টর বিক্রয়কারীদের মধ্যে প্রথম দশজনের একজন ছিল। ১৯৯১ সালে, ইন্টেল চিপ প্রস্তুতকারক হিসেবে আয়ের দিক থেকে সবচেয়ে বড় কোম্পানী ছিল এবং তখন থেকেই তার অবস্থান ধরে রাখে। অন্য শীর্ষ সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানী হল এএমডি, স্যামস্যাঙ, টেক্সাস ইস্ট্রুমেন্টস, তোসিবা এবং এসটিমাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স।",
"title": "ইন্টেল কর্পোরেশন"
},
{
"docid": "428144#2",
"text": "রিভ সিস্টেমস-এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে ঢাকায়। খিলগাঁও এলাকার একটি ছোট গ্যারেজে ৬ জন কর্মী নিয়ে এটি যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে এর অফিস খিলগাঁও থেকে মধ্য বাড্ডা স্থানান্তর করা হয়, পাশাপাশি বনশ্রীতে স্থাপন করা হয় সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। আইপি কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য সফটওয়্যার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে পরবর্তীতে রিভ সিস্টেমস বৈশ্বিকভাবে ভিওআইপি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বৃহৎ সমাধানদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। ২০০৫-এ কোম্পানিটি সর্বপ্রথম ‘আইটেল বিলিং’ নামে সম্পুর্ণ অটোম্যাটেড বিলিং সলিউশন সফটওয়্যার অবমুক্ত করে।",
"title": "রিভ সিস্টেমস"
},
{
"docid": "90599#1",
"text": "\"ওয়াইন\" প্রোজেক্টের যাত্রা শুরু ১৯৯৩ সালে যখন মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন, আইবিএম সহ অন্যান্য কোম্পানীগুলো তাদের সিস্টেমে উইন্ডোজের সফটওয়্যারগুলো চালানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে থাকে। এ ব্যাপারে প্রথম উদ্দ্যোগটা আসে সান মাইক্রোসিস্টেম এর পক্ষ থেকে। তাদের অধিগ্রহনকৃত কোম্পানী Praxsys Technologies ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে Wabi নামে এমন একটি সফটওয়্যার তৈরি করে যা সোলারিস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের সীমিত আকারে উইন্ডোজ সফটওয়্যার চালাতে দেয়।",
"title": "ওয়াইন (সফটওয়্যার)"
},
{
"docid": "83663#5",
"text": "১৯৭৭ সালে বিল জয় নামের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন এর প্রথম সংস্করন(১বিএসডি) তৈরি করে। যদিও ১বিএসডি কোন পূর্ণাঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম ছিল না। এটি ইউনিক্সের ষষ্ঠ সংস্করণ এর একটি বর্ধিত অংশ হিসাবে ব্যবহার করা যেত। একটি প্যাসকেল কম্পাইলার এবং জয়-এর ex লাইন এডিটর ছিল ১বিএসডি এর মূল অংশ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও পরবর্তীকালে বার্কলের সফটওয়্য়রটির প্রতি আগ্রহী হয়।",
"title": "বার্কলে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন"
},
{
"docid": "427347#5",
"text": "১৯৯১ সালে তিনি সুইজারল্যান্ড চলে যান। ১৯৯৪ সালে যখন তিনি কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন, তখন কোম্পানিটি বিশ্বের ৬ষ্ঠ বৃহৎ ব্যক্তিগত কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি ছিল অটোক্যাড বিক্রয়ের মাধ্যমে। সেই সময়কালে ওয়াকার প্রায় $৪৫ মিলিয়ন ডলারের মালিক ছিলেন ।",
"title": "জন ওয়াকার"
},
{
"docid": "41885#12",
"text": "মাইক্রোসফট ওপেন নেটওয়ার্কিং ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ২৩ মার্চ ২০১১ সালে শুরু করে।অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতা কোম্পানি গুগল, এইচপি নেটওয়ার্কিং, ইয়াহু, ভেরাইজন, ডয়চে টেলিকম এবং ১৭ অন্যান্য কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত ছিল। অলাভজনক সংস্থা সফ্টওয়্যার সংজ্ঞায়িত নেটওয়ার্ক নামক একটি নতুন মেঘ কম্পিউটিং উদ্যোগের জন্য সহায়তা প্রদান জন্য নিবদ্ধ হয়।এই পদক্ষেপ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, বেতার নেটওয়ার্ক, তথ্য কেন্দ্র এবং অন্যান্য নেটওয়ার্কিং এলাকায় সহজ সফটওয়্যার পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুনত্ব দ্রুততা।",
"title": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন"
},
{
"docid": "6672#18",
"text": "সংশোধিত দ্বিতীয় প্রজন্মের নেক্সটকিউবও ১৯৯০ সালে অবমুক্ত হয়। জবস এটিকে প্রথম ইন্টারপার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে ঘোষণা করেন। এটিতে ছিল নেক্সটমেইল নামক মাল্টিমিডিয়া ইমেইল প্রযুক্তি। নেক্সটকিউবের মাধ্যমে ইমেইলের সাথে প্রথমবারের মত ভয়েস, চিত্র, গ্রাফিক্স এবং ভিডিও চিত্র আদান প্রদানের সুবিধা চালু হয়। জবস সাংবাদিকদের বলন, “ইন্টারপার্সোনাল কম্পিউটার মানুষের যোগাযোগ এবং দলীয় কাজকর্মে বিপ্লব বয়ে আনবে।” ১৯৯৪ সালে কোম্পানি থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে তাদের ১.০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জিত হয়েছে। ১৯৯৬ সালে নেক্সট সফটওয়্যার ইনকপোরেটেড অবমুক্ত করে ওয়েবঅবজক্টস, যা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্টের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক। ১৯৯৭ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক নেক্সট অধিগ্রহনের পর ওয়েবঅবজেক্টস ব্যবহৃত হয় অ্যাপল স্টোর, মোবাইলমি সেবা, এবং আইটিউনস স্টোর তৈরি এবং পরিচালনায়।",
"title": "স্টিভ জবস"
}
] |
বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কোথায় হয় ? | [
{
"docid": "137527#1",
"text": "বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৮৫ সালে ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কালিমাটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ ও স্কুল থেকে ১৯০০ সালে এনট্রান্স পাস করেন। একই বছর তিনি নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে কাঞ্চনমালা দেবীকে বিয়ে করেন। বন্দোপাধ্যায় ১৯০৩ সালে এফ.এ পাস করেন। এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ ভর্তি হন। ১৯০৭ সালে ইতিহাসে অর্নাস ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯১১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এম.এ পাস করেন।",
"title": "রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়"
}
] | [
{
"docid": "137527#0",
"text": "রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (এপ্রিল ১২, ১৮৮৫ - মে ২৩, ১৯৩০) ভারতের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ। তিনি \"আর.ডি ব্যানার্জি\" নামে অধিক পরিচিত। ১৯১১ সালে তিনি ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণে যোগ দেন। ১৯২২ সালে তিনি হরপ্পা সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র মহেঞ্জোদাড়ো পুনরাবিষ্কার করেন। ১৯২৬ সালে তিনি অবসরগ্রহণ করেন।",
"title": "রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়"
},
{
"docid": "8424#0",
"text": "স্যার রোনাল্ড রস (মে ১৩, ১৮৫৭ – সেপ্টেম্বর ১৬, ১৯৩২) একজন স্কটিশ চিকিৎসক ছিলেন।\n১৮৫৭ সালে কুমায়ুনের আলমোড়াতে, যা বর্তমানে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অবস্থিত।ম্যালেরিয়া নিয়ে তার গবেষণার জন্য ১৯০২ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। তিনিই প্রথম দেখান কি করে ম্যালেরিয়া ছড়ায়। তাঁর ভারতীয় সহ-গবেষক পাণিহাটি-নিবাসী ডাক্তার কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কর্মের জন্য ব্রিটেনের সম্রাট এডোয়ার্ড স্বর্ণপদকে ভূষিত করেন ।",
"title": "রোনাল্ড রস"
},
{
"docid": "59618#0",
"text": "মহাস্থবির শীলভদ্র (৫২৯-৬৫৪) বৌদ্ধশাস্ত্রের একজন শাস্ত্রজ্ঞ - দার্শনিক ছিলেন। তিনি নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন। \nমহাস্থবির শীলভদ্র ৫২৯ সালে সমতট রাজ্যভুক্ত বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্গত কুমিল্লা জেলার চান্দিনার কৈলাইন গ্রামে এক ব্রাহ্মন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি অধ্যয়নপ্রিয় ছিলেন। জ্ঞান-অন্বেষণে ধর্মীয় গুরুর সন্ধানে তিনি তৎকালীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য ও স্থান পরিভ্রমণ করেন। একসময় তিনি মগধের নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করেন। এখানে তিনি মহাবিহারের অধ্যক্ষ আচার্য ধর্মপালের অধীনে শিক্ষালাভ করেন। তাঁর কাছেই তিনি বৌদ্ধধর্মের সাথে পরিচিতি লাভ করেন। এভাবে তিনি বৌদ্ধধর্মের শাস্ত্রীয় বিষয়ে অনেক জ্ঞান লাভ করেন।",
"title": "শীলভদ্র"
},
{
"docid": "7467#1",
"text": "রণদাপ্রসাদ সাহা ১৮৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকা জেলার উপকন্ঠ সাভারের কাছুর গ্রামে মাতুলালয়ে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ সাহা পোদ্দার এবং মাতার নাম কুমুদিনী দেবী। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল টাঙ্গাইল জেলার মীর্জাপুরে। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত তিনি মীর্জাপুর বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। তার পিতা অত্যন্ত দরিদ্র ছিলেন। তার বয়স যখন সাত বছর, তখন তার মাতা সন্তান প্রসবকালে ধনুষ্টংকারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার পিতা দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বিমাতার আশ্রয়ে বহু দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে ও অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে রণদা'র শৈশবকাল অতিবাহিত হয়।",
"title": "রণদাপ্রসাদ সাহা"
},
{
"docid": "465576#6",
"text": "১৯৮২–৮৪ খ্রিঃ ভারতের ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের পশ্চিমাঞ্চলীয় পুরাজীববিদ্যা বিভাগে কর্মরত ভূতাত্ত্বিক সুরেশ শ্রীবাস্তব রাহিওলি থেকে বহুসংখ্যক জীবাশ্ম নমুনা সংগ্রহ করেন এবং সমগ্র অঞ্চলটির পুঙ্খানুপুঙ্খ মানচিত্র প্রস্তুত করেন। এর পর জয়পুরের পুরাজীববিদ্যা বিভাগে সেগুলি শনাক্তকরণের জন্য প্রেরিত হয়। এস. সি. পন্থের তত্ত্বাবধানে ইউ. বি. মাথুর ও সুরেশ শ্রীবাস্তব নমুনাগুলির মস্তিষ্কের গহ্বর, পৃষ্ঠীয় ও পুচ্ছদেশীয় কশেরুকা, ত্রিকাস্থি, উরুর হাড়, হাতের উপরের হাড়, পায়ের হাড় প্রভৃতি যথাযথভাবে পরিষ্কার করেন ও এগুলির ভিত্তিতে একাধিক গবেষণাপত্র লেখেন। এর পর ১৯৯৪–৯৫ খ্রিঃ পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি সমঝোতাপত্র সই হওয়ার আগে পর্যন্ত কাজ ঢিমেতালে এগোয়।",
"title": "রাজাসরাস"
},
{
"docid": "10688#2",
"text": "প্রথম চণ্ডীদাস হিসেবে পদাবলীর চণ্ডীদাসকে ধারণা করা হয় যিনি আনুমানিক ১৪ শতকে বীরভূম জেলায় (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ) জন্ম নেন; তিনি চৈতন্য-পূর্ব বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলী রচয়িতা হিসেবে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন। কারও কারও মতে, তিনিই মধ্যযুগীয় বাংলা কবিতার অন্যতম নিদর্শন \"শ্রীকৃষ্ণকীর্তন\" রচনা করেন। তবে ড. মিহির চৌধুরী কামিল্যা ভাষাতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণের সাহায্যে প্রমাণ করেছেন, ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ রচয়িতা বড়ুচণ্ডীদাস বাঁকুড়া জেলার সদর মহকুমাস্থ ছাতনার অধিবাসী ছিলেন। এই কাব্যে কবি নিজেকে \"অনন্ত বড়ু চন্ডীদাস\" হিসাবে ভণিতা দিয়েছেন। তাঁর আসল নাম অনন্ত, কৌলিক উপাধি \"বড়ু\", এবং গুরুপ্রদত্ত নাম \"চণ্ডীদাস\"। তিনি বাসলী/বাশুলী দেবীর উপাসক ছিলেন (বীরভূমের নানুরে এই দেবীর মন্দির আছে)। \"বড়ু\" শব্দটি \"বটু\" বা \"বাড়ুজ্যে\" (বন্দ্যোপাধ্যায়) শব্দের অপভ্রংশ বলে মনে করা হয়।",
"title": "চণ্ডীদাস"
},
{
"docid": "515786#0",
"text": "কালিদাস কর্মকার বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা চিত্রশিল্পী যিনি নিরীক্ষাধর্মীতার জন্য বিখ্যাত। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত ফরিদপুরে তাঁর জন্ম হয়। শৈশবেই তিনি আঁকতে শুরু করেন। স্কুল জীবন শেষে ঢাকা ইনস্টিটিউট অব আর্টস থেকে তিনি ১৯৬৩-৬৪ খ্রিস্টাব্দে চিত্রকলায় আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীকালে কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট থেকে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান নিয়ে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইয়োরোপীয় আধুনিকতার ঘরানার শিল্পী।",
"title": "কালিদাস কর্মকার"
},
{
"docid": "28834#0",
"text": "লিসা র্যান্ডল () (জন্ম ১৮ই জুন, ১৯৬২) হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক। পদার্থবিজ্ঞানে তার হাতেখড়ি নিউ ইয়র্ক শহরের স্টাইভসন্ট হাই স্কুলে পড়ার সময়। ন্যাশনাল ওয়েস্টিংহাউস সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ-এ তিনি যুগ্মভাবে প্রথম স্থান লাভ করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক (১৯৮৩) ও পিএইচডি (১৯৮৭) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট বার্ক্লির প্রেসিডেন্ট্স ফেলো, লরেন্স বার্ক্লি ল্যাবরেটরির পোস্ট-ডক্টোরাল ফেলো ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র ফেলো ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি এমআইটি-তে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন ও ১৯৯৭ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে টেনিউর পান। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় ও এমআইটি-তে যুগ্মভাবে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। ২০০১ সালে তিনি হার্ভার্ডে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।",
"title": "লিসা র্যান্ডল"
},
{
"docid": "296002#0",
"text": "স্বামী শিবানন্দ (৮ সেপ্টেম্বর,১৮৮৭ - ১৪ জুলাই,১৯৬৩) একজন হিন্দু আধ্যাত্মিক গুরু এবং যোগ ও বেদান্তের প্রবক্তা ছিলেন। শিবানন্দ তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলার পাট্টামাডাই এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করেন এবং সন্ন্যাসজীবন গ্রহণের পূর্বে মালয়ে একজন চিকিৎসক হিসেবে সেবা দান করেন। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় ঋষিকেশের মুনিকিরেতিতে অতিবাহিত করেন।১৯৩৬ সালে,তিনি দ্য ডিভাইন লাইফ সোসাইটি এবং ১৯৪৮ সালে,যোগ-বেদান্ত ফরেস্ট একাডেমী (ডিএলএস)প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি যোগব্যায়ামের ওপর ২০০টি বই,বেদান্ত ও বিভিন্ন বিষয়ে লেখা লিখেছেন।ঋষিকেশ থেকে ৩ কিলোমিটার(১.৯ মাইল)সিভানন্দনগরে গঙ্গার তীরে,তিনি ডিএলএস এর সদর দপ্তর শিভানন্দ আশ্রম স্থাপন করেন।\nশিভানন্দ যোগ, তাঁর শিষ্য বিষ্ণুদেবন্দের দ্বারা প্রচারিত যোগব্যায়াম,এখন শিভানন্দ যোগ্য বেদান্ত কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে বিশ্বের অনেক অংশে ছড়িয়ে পরেছে।এই কেন্দ্রগুলি শিভানন্দের আশ্রমগুলির অনুমোদিত নয়,যা দি ডিভাইন লাইফ সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত।",
"title": "শিবানন্দ সরস্বতী"
}
] |
ডুবুরি বা ডুবালু পাখির বৈজ্ঞানিক নাম কী ? | [
{
"docid": "273581#0",
"text": "ডুবুরি বা ডুবালু ( বা Dabchick; বৈজ্ঞানিক নাম:\"Tachybaptus ruficollis\") ট্যাশিব্যাপটাস () গণের পোডিসিপেডিডি () গোত্রের অন্তর্গত একটি ছোট আকৃতির জলজ পাখি। এদের সাঁতার কাটা আর ডুব দেবার অস্বাভাবিক দক্ষতা থাকার কারণে নাম হয়েছে ডুবুরি। বিশাল এলাকা জুড়ে ডুবুরির আবাস হলেও এদের সংখ্যা কম এবং দিন দিন সংখ্যা কমেই যাচ্ছে। সারা দুনিয়ায় ৩ কোটি ১৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় ৬ লাখ ১০ হাজার থেকে ৩৫ লাখ ডুবুরি রয়েছে।",
"title": "ডুবুরি (পাখি)"
}
] | [
{
"docid": "403259#0",
"text": "অ্যালোট্রা ডুবুরি (), (দ্বিপদ নাম: \"Tachybaptus rufolavatus\"), হচ্ছে একটি is an বিলুপ্ত পাখির প্রজাতি। এটি ছিল মাদাগাস্কার দ্বীপের অ্যালোট্রা হ্রদের স্থানীয় প্রজাতি ছিল।",
"title": "অ্যালোট্রা ডুবুরি"
},
{
"docid": "330321#0",
"text": "রাঙ্গামুড়ি (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Netta rufina\") বা লালঝুটি ভুতিহাঁস Anatidae (অ্যানাটিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Netta\" (নেটা) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির ডুবুরি হাঁস। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। রাঙ্গামুড়ির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ \"লাল হাঁস\" (গ্রিক: \"netta\" = হাঁস; লাতিন: \"rufina\" = লাল)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।",
"title": "রাঙ্গামুড়ি"
},
{
"docid": "112587#0",
"text": "হলদে পাখি (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Oriolus xanthornus\") () বা কালোমাথা বেনেবউ Oriolidae (ওরিওলিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Oriolus\" (ওরিওলাস) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির হলুদ বৃক্ষচর পাখি। এরা কুটুম পাখি নামেও পরিচিত। হলদে পাখির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ \"হলুদ সোনাবউ\" (লাতিন: \"oryolus\" = সোনাবউ; গ্রিক: \"xanthos\" = হলুদ, \"ornis\" = পাখি)। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪৩ লক্ষ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা বাড়ছে না কমছে সেব্যাপারে বিশেষ কিছু জানা যায় নি; তবে এরা একদম আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।",
"title": "হলদে পাখি"
},
{
"docid": "286872#0",
"text": "নীলডানা পাতা বুলবুলি (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Chloropsis cochinchinensis\") (), নীলডানা হরবোলা বা সবুজ বুলবুলি Chloropseidae (ক্লোরোপসিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Chloropsis\" (ক্লোরোপসিস) গণের এক প্রজাতির সবুজ বৃক্ষচারী পাখি। নামে \"বুলবুলি\" হলেও এরা আসলে বুলবুল গোত্রের পাখি নয়। \"হরবোলা\" হওয়ার কারণ এরা বিভিন্ন পাখি ও প্রাণীর ডাক চমৎকার নকল করতে পারে। নীলডানা পাতা বুলবুলির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ \"কোচীন-চীনের সবুজ পাখি\" (গ্রিক: \"kholoros\" = সবুজ, \"opsis\" = চেহারা; লাতিন \"cochinchinensis\" = কোচীন-চীনের, ভিয়েতনামের পূর্ব নাম)। দক্ষিণ এশিয়ার পূর্ব প্রান্ত থেকে ইন্দোনেশিয়ার জাভা পর্যন্ত এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের বিস্তৃতি। বিগত কয়েক বছরে এদের সংখ্যা কমছে, তবে আশঙ্কাজনক হারে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।",
"title": "নীলডানা পাতা বুলবুলি"
},
{
"docid": "303158#0",
"text": "মেটেবুক ঝিল্লি (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Gallirallus striatus\") বা পাটকিলেমাথা রেইল Rallidae (রেলিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Gallirallus\" (গ্যালিরেলাস) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির ডোরাকাটা জলচর পাখি। বাংলাদেশের খুলনা-বাগেরহাট অঞ্চলে এদের নাম ঢেউর পাখি। মেটেবুক ঝিল্লির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ \"ডোরাকাটা মুরগিঝিল্লি\" (লাতিন: \"gallus\" = মুরগি, \"rallus\" = ঝিল্লি, \"striatus\" = ডোরাকাটা)। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ৪৮ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।",
"title": "মেটেবুক ঝিল্লি"
},
{
"docid": "282506#0",
"text": "ধলাগলা লেজনাচানি (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Rhipidura albicollis\") (), সাদাগলা লেজনাচানি, ধলাগলা ছাতিঘুরুনি বা চাক দোয়েল Rhipiduridae (রিপিডুরিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Rhipidura\" (রিপিডুরা) গণের এক প্রজাতির ছোট ছটফটে পাখি। ধলাগলা লেজনাচানির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ \"সাদাগলার পাখা-লেজ\" (গ্রিক \"rhipis\" = পাখা, \"oura\" = লেজ; ল্যাটিন \"albus\" = সাদা, \"collis\" = গলার)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ৫৪ লাখ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছে নি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত নয়।",
"title": "ধলাগলা লেজনাচানি"
},
{
"docid": "273581#1",
"text": "ডুবুরি ছোট গলা ও চোখা ছোট ঠোঁটবিশিষ্ট জলজ পাখি। দেখতে ক্ষুদে হাঁসের ছানার মত। দেহ অনেকটাই ডিম্বাকৃতির, গভীর পানিতে ডুব দেওয়ার উপযোগী। এর দৈর্ঘ্য ২৩ থেকে ২৯ সেন্টিমিটার। ডানার বিস্তার ৪০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম। শীতকালে এদের একরকম আর অন্যান্য সময়ে সম্পূর্ণ অন্যরকম মনে হয়। স্ত্রী ও পুরুষ ডুবুরী দেখতে একই রকম।",
"title": "ডুবুরি (পাখি)"
},
{
"docid": "283256#0",
"text": "ধলাটুপি পায়রা (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Columba punicea\") () বা গোলাপি কবুতর Columbidae (কলাম্বিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Columba\" (কলাম্বা) গণের এক প্রজাতির বুনো পায়রা। ধলাটুপি পায়রার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ \"বেগুনি পায়রা\" (ল্যাটিন: \"columba\" = পায়রা, \"puniceus\" = বেগুনি)। সারা পৃথিবীতে প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এদের আবাস। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে সংকটাপন্ন বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। পৃথিবীতে আনুমানিক ৩৫০০-১৫,০০০টি ধলাটুপি পায়রা রয়েছে। এদের মধ্যে আনুমানিক ২৫০০-১০,০০০টি পূর্ণবয়স্ক পায়রা। ধলাটুপি পায়রা একপ্রজাতিক, অর্থাৎ এদের কোন উপপ্রজাতি নেই।",
"title": "ধলাটুপি পায়রা"
},
{
"docid": "319353#0",
"text": "জালালি কবুতর (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Columba livia\"), জালালী কৈতর বা গোলা পায়রা Columbidae (কলাম্বিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Columba\" (কলাম্বা) গণের অন্তর্গত অতি পরিচিত একটি পাখি। ইংরেজিতে এরা \"রক ডাভ\" বা \"রক পিজিয়ন\" নামে পরিচিত। সব ধরনের রেসিং কবুতর, ফ্যান্সি কবুতর ও বুনো কবুতরের পূর্বপুরুষ মনে করা হয় এ প্রজাতিটিকে। পাখিটির আদি আবাস ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় হলেও অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বড় বড় শহর ও গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।",
"title": "জালালি কবুতর"
}
] |
অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা কে ? | [
{
"docid": "6672#0",
"text": "স্টিভ জবস (পুরোনাম: স্টিভেন পল জবস) () (জন্ম ফেব্রুয়ারি ২৪, ১৯৫৫, মৃত্যু ৫ অক্টোবর ২০১১) যুক্তরাষ্ট্রের একজন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক। তাকে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়। তিনি স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন -এর সাথে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে \"অ্যাপল কম্পিউটার\" প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি \"পিক্সার এ্যানিমেশন স্টুডিওস\"-এরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ১৯৮৫ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের \"বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের\" সদস্যদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের থেকে পদত্যাগ করেন এবং নেক্সট কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার নেক্সট কম্পিউটারকে কিনে নিলে তিনি অ্যাপলে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯৫ সালে \"টয় স্টোরি\" নামের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "4201#1",
"text": "এপ্রিল ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েন ওজনিয়াকের অ্যাপল ১ ব্যক্তিগত কম্পিউটার ডেভেলপ ও বিক্রির জন্যে অ্যাপল গঠন করেন। জানুয়ারি ১৯৭৭ সালে এটি \"অ্যাপল কম্পিউটার, ইংক\" হিসেবে ইনকর্পোরেটেড হয়। কিছু বছরের মধ্যেই, জব ও ওজনিয়াক কম্পিউটার ডিজাইনের একজন কর্মী নিয়োগ দেন। ১৯৮০ সালে অ্যাপল আকস্মিক অর্থনৈতিক সফলতার জন্যে আইপিও-এর ঘোষণা দেয়। আর পরের কিছু বছর, অ্যাপল ইনোভেটিভ গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসসহ নতুন কিছু কম্পিউটার বের করলো, যেমন— ১৯৮৪ সালের ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার। অ্যাপলের বিপণন বিজ্ঞাপনগুলোও বেশ প্রশংসা কুড়োয়। যাইহোক, পণ্যের উচ্চমূল্য, ও সীমাবদ্ধ সফটওয়্যার সমস্যার সৃষ্টি করে, সাথে সমস্যার সৃষ্টি করে নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষমতার লড়াই। ১৯৮৫ সালে ওজনিয়াক অ্যাপল থেকে সরে দাঁড়ায় ও জব অন্য কিছু কর্মচারীসহ চাকরি ছেড়ে দেয় ও নিজের কোম্পানি নেক্সট গঠন করে।",
"title": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড"
},
{
"docid": "4201#5",
"text": "এপ্রিল ১, ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক, রোনাল্ড ওয়েন মিলে অ্যাপল গঠন করেন। কোম্পানির প্রথম পণ্য অ্যাপল ১ ছিলো ওজনিয়াকের একার হাতে বানানো কম্পিউটার এবং হোমব্রু কম্পিউটার ক্লাবেই প্রথম জনসম্মখে আনা হয়। অ্যাপল ১ মাদারবোর্ড (সাথে সিপিইউ, র্যাম, এবং বেসিক টেক্সটুয়াল-ভিডিও চিপ) হিসাবে বিক্রি করা হয়, যেটাকে এখন পিসি বলতে যআ বুঝায় তার চেয়ে অনেক কমই বলা যায়।\nঅ্যাপল ১ ১৯৭৬ সাল থেকে বিক্রি-বাট্টা হওয়া শুরু হলো এবং বাজার-দর ছিলো $৬৬৬.৬৬।",
"title": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড"
}
] | [
{
"docid": "4201#15",
"text": "১৯৮৫ সালে, জবস ও তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন স্কুলির মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অ্যাপল বোর্ড অব ডিরেক্টর স্কুলিজে জবসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বললেন। তার বদলে জবসকে তার অবস্থান থেকে বিতারিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু বোর্ড অব ডিরেক্টর স্কুলির পক্ষ নিলেন ও ব্যবস্থাপনা থেকে জবসকে বিতাড়িত করলেন। এই বছরই জবস অ্যাপল থেকে অবসর নেন ও নেক্সট ইনকর্পোরেটেড গঠন করেন। ওজনিয়াকও ১৯৮৫ সালে অন্য ভেঞ্চার কিনে নিতে অ্যাপল ছেড়ে যান, বলেন যে, “গত পাঁচ বছর ধরে কোম্পনিটি ভুল পথে যাচ্ছে।”",
"title": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড"
},
{
"docid": "4201#6",
"text": "ওয়েন ছাড়া, যে কয়েক সপ্তাহান্তে তার শেয়ার $৮০০ ডলারে জবস ও ওজনিয়াকের কাছে তার শেয়ার বিক্রি করে দেয়, অ্যাপল কম্পিউটার, ইনকর্পোরেটেড জানুয়ারি ৩, ১৯৭৭ সালে ইনকর্পোরেটেড করা হয়, মাল্টিমিলনিয়ার মাইক মারকুলা ইনকর্পোরেশনের সময় প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক দক্ষতা প্রদান ও ২,৫০,০০০ ডলার অর্থায়ন করে। প্রথম পাঁচ বছরে আয় প্রতি চারমাসে দ্বিগুণান্বিত হওয়ার মাধ্যমে ব্যাখ্যামূলকভাবে বাড়ছিলো। সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ ও ১৯৮০ এর মধ্যে বাৎসরিক বিক্রি $৭,৭৫,০০০ থেকে বেড়ে দাঁড়ালো $১১৮ মিলিয়ন, বাৎসরিক বৃদ্ধি হার ছিলো ৫৩৩%।\nওয়েন ছাড়া, যে কয়েক সপ্তাহান্তে তার শেয়ার $৮০০ ডলারে জবস ও ওজনিয়াকের কাছে তার শেয়ার বিক্রি করে দেয়, অ্যাপল কম্পিউটার, ইনকর্পোরেটেড জানুয়ারি ৩, ১৯৭৭ সালে ইনকর্পোরেটেড করা হয়, মাল্টিমিলনিয়ার মাইক মারকুলা ইনকর্পোরেশনের সময় প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক দক্ষতা প্রদান ও ২,৫০,০০০ ডলার অর্থায়ন করে। প্রথম পাঁচ বছরে আয় প্রতি চারমাসে দ্বিগুণান্বিত হওয়ার মাধ্যমে ব্যাখ্যামূলকভাবে বাড়ছিলো। সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ ও ১৯৮০ এর মধ্যে বাৎসরিক বিক্রি $৭,৭৫,০০০ থেকে বেড়ে দাঁড়ালো $১১৮ মিলিয়ন, বাৎসরিক বৃদ্ধি হার ছিলো ৫৩৩%।",
"title": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড"
},
{
"docid": "4201#3",
"text": "আরও কিছু নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের চাকরি ছাড়তে লাগলেন। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গিল এমেলিও নেক্সট ক্রয় করে স্টিভ জবসকে ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত এটা চলতেই থাকলো। জব আসার অই কোম্পানিতে তার নেতৃত্ব ফিরে পান ও কিছুদিন পরেই কোম্পানির নতুন সিইওতে পরিণত হন। অ্যাপলের পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্যে তিনি একটি প্রক্রিয়া হাতে নেন, যার মধ্যে ছিলো ২০০১ সালের মধ্যে অ্যাপলের নিজস্ব রিটেল স্টোর খোলা, অনেকগুলো সফটওয়্যার কোম্পানি অধিগ্রহণ করে একটি পোর্টফলিও তৈরি করা, এবং তাদের কম্পিউটারের কিছু হার্ডওয়্যারে পরিবর্তন আনা। এ প্রক্রিয়ার কারণে অ্যাপল আবার সফলতার দেখা ফেলো। জানুয়ারি ২০০৭ সালে, জবস ঘোষণা দেন যে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের প্রতি তাদের আগ্রহ প্রকাশ করতে অ্যাপল কম্পিউটার, ইনকর্পোরেটেড পালটে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড হবে বলে ঘোষণা দেন। একইসাথে তিনি আইফোনের ঘোষণা দেন, যেটি বেশ প্রশংসা অর্জন করে ও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সফলতার দেখা পায়। স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে আগস্ট ২০১১ সালে জবস প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন এবং টিম কুক হন নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার দুমাস পরে, জবস মারা যান।",
"title": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড"
},
{
"docid": "329630#0",
"text": "টিমথি ডোনাল্ড কুক বা টিম কুক হলেন একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী ও অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কুক ১৯৯৮ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অপারেশনে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করেন। তিনি অ্যাপলের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সেলসে নির্বাহি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন এবং স্টিভ জবসের প্রধান নির্বাহি থাকাকালে তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্টিভের মৃত্যুর পর টিম কুক অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর আগে স্টিভ জবস অসুস্থ থাকাকালীল সময়ে কুক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহি হিসেবে কাজ করেছে।",
"title": "টিম কুক"
},
{
"docid": "4201#0",
"text": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড () একটি বিখ্যাত আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যেটি কনজুমার ইলেকট্রিক, কম্পিউটার সফটওয়্যার, এবং অনলাইন সেবা ডিজাইন, ডেভলপ ও বিক্রি করে। কোম্পানিটির হার্ডওয়্যার পণ্যের মধ্যে আইফোন স্মার্টফোন, আইপ্যাড ট্যাবলেট কম্পিউটার, ম্যাক ব্যক্তিগত কম্পিউটার, আইপড বহনযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ার, অ্যাপল ওয়াচ স্মার্টওয়াচ, ও অ্যাপল টিভি ডিজিটাল মিডিয়া প্লেয়ার রয়েছে। অ্যাপলের সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে ম্যাক ওএস এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, আইটিউন্স মিডিয়া প্লেয়ার, সাফারি ওয়েব ব্রাউজার, এবং আইলাইফ ও আইওয়ার্ক সৃজনশীল ও প্রোডাক্টিভিটি স্যুট, সাথে সাথে রয়েছে প্রফেশনাল এপ্লিকেশন— ফাইনাল কাট প্রো, লজিক প্রো, এবং এক্সকোড। তাদের অনলাইন সেবার মধ্যে রয়েছে আইটিউন্স স্টোর, আইওএস অ্যাপ স্টোর এবং ম্যাক অ্যাপ স্টোর, অ্যাপল মিউজিক ও আইক্লাউড।",
"title": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড"
},
{
"docid": "251920#4",
"text": "অ্যানড্রয়েড ইনকর্পোরেট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০৩ সালের অক্টোবরে পালো আল্টো, ক্যালিফোর্নিয়ায়, প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি রুবিন (ডেন্জারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা), রিচ মাইনার(ওয়াইল্ডফায়ার কমউনিকেশনস, ইনকর্পোরেটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা), নিক সিয়ারস (টি-মোবাইলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট) নিক সিয়ারস (টি-মোবাইলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট)এবং ক্রিস হোয়াইট (ওয়েবটিভি’র ডিজাইন এবং ইন্টারফেস প্রধান)। যেহেতু তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ছিলেন তাই অ্যানড্রয়েডের কার্যক্রম চলতো অনেকটা গোপনে। প্রতিষ্ঠান থেকে এটা বলা হত যে তারা শুধু মোবাইলের একটি সফটওয়্যারের উপর কাজ করছেন। কোম্পানির প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিলো ডিজিটাল ক্যামেরার জন্য একটি উন্নত মানের অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা। যদিও পরে তারা বুঝতে পারেন ডিভাইসটির বাজার তত বড় নয়। তাই কোম্পানিটি মনোযোগ দেয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর উপর। উদ্দেশ্য ছিলো এটি সিমবিয়ান এবং মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ মোবাইল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলোর সাথে পাল্লা দেবে। অ্যানড্রয়েড ইনকর্পোরেটেড লুকিয়ে পরিচালনা করা হত, কিন্তু সবাইকে বলতো তারা মোবাইল সফটওয়্যারের উপর কাজ করছে। একই বছরে রুবিনের টাকা ফুরিয়ে যায়। স্টিভ পার্লম্যান, রুবিনের কাছের বন্ধু, তার জন্য ১০,০০০ ডলার নগদ একটি খামে রেখে দেয় এবং কোম্পানির ঝুঁকি নিতে অস্বীকার করে।",
"title": "অ্যানড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম)"
},
{
"docid": "262459#0",
"text": "ডেল ইনকর্পোরেটেড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি কর্পোরেশন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাস-এর রাউন্ড রকে এর সদরদপ্তর অবস্থিত। ১৯৮৪ সালের ৪ নভেম্বর ডেল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেল। তিনি ডেল ইনকর্পোরেটেড-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। ছোটবেলায় জমানো ১ হাজার ডলার মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন তিনি। ১৯৮৪-এ কম্পিউটার উৎপাদনের লাইসেন্স গ্রহণ করে তিনি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন নিজের প্রতিষ্ঠানেই। এই প্রতিষ্ঠানটি পারসোন্যাল কম্পিউটার (ডেস্কটপ ও নোটবুক), সার্ভার কম্পিউটার, ডাটা স্টোরেজ ডিভাইস (ইকুয়ালজিক), নেটওয়ার্ক সুইচ প্রভৃতি প্রস্তুত করে থাকে। মাত্র দুই যুগে \"ডেল\" পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় কম্পিউটার ব্র্যান্ড-এ উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহৎ এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে (২০১২) ১,০৩,৩০০-এরও বেশি লোক কর্মরত। ই-মার্কেটিং-এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেল পণ্যের ব্যাপক বিক্রি হয়ে থাকে। চীন ও মালয়েশিয়া সহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ডেল-এর কারখানা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে অ্যালিয়েনওয়্যারকে কিনে নেয়।",
"title": "ডেল"
},
{
"docid": "711128#0",
"text": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড একটি বহুজাতিক আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানি যেটি ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স বিক্রি করে যেগুলো চুরি করা অথবা ক্রয় করা ডিজাইনের হলেও নিজস্ব সৃষ্টি বলে দাবী করে তারা। অ্যাপলের সমালোচনা-এর মধ্যে রয়েছে অনৈতিক ব্যবসায় পদ্ধতি যথা– অপ্রতিযোগী আচরণ, বেপরোয়া মামলা, এবং সন্দেহজনক কর কার্যপদ্ধতি, নামমাত্র মজুরিতে শ্রমিকদের দ্বারা উৎপাদন পদ্ধতি, অপর্যাপ্ত ডাটা নিরাপত্তা ও বিভ্রান্তিকর ওয়ারেন্টির মত ক্রেতা সেবা ইশু, এবং পরিবেশ বিপর্যয়। সাথে সাথে এটিযুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি প্রোগ্রামের সাথে কথিত সহযোগ, প্রিজমের জন্যেও এটি সমালোচিত।",
"title": "অ্যাপলের সমালোচনা"
}
] |
প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার জহির রায়হান কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "4584#2",
"text": "জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি তার পরিবারের সাথে কলকাতা হতে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্থানান্তরিত হন। তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে দু'বার বিয়ে করেন: ১৯৬১ সালে সুমিতা দেবীকে এবং ১৯৬৬ সালে তিনি সুচন্দাকে বিয়ে করেন, দুজনেই ছিলেন সে সময়কার বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।",
"title": "জহির রায়হান"
},
{
"docid": "4584#0",
"text": "জহির রায়হান (১৯ আগস্ট ১৯৩৫ - ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের গল্প শাখায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৭৭ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক এবং সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। চলচ্চিত্রে তার সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৭৫ সালে ১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।",
"title": "জহির রায়হান"
}
] | [
{
"docid": "71038#19",
"text": "ষাটের দশকেই কীর্তিমান পরিচালক হিসেবে আবির্ভূত হন খান আতাউর রহমান (১৯২৯-১৯৯৭)। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে কেবল পরিচালক নন, অভিনেতা, কাহিনীকার, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার হিসেবে খ্যাতিমান।১৯৫৬ সালে ঢাকায় ফিরে এ.জে কারদারের জাগো হুয়া সাভেরা চলচ্চিত্রে প্রখ্যাত অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্রের সঙ্গে প্রধান চরিত্রে রূপদান করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি অনেক দিনের চেনা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালক হিসেব আবির্ভূত হন। তাঁর পরিচালিত রাজ সন্ন্যাসী, আবার তোরা মানুষ হ, সুজন সখী, দিন যায় কথা থাকে, ছুটির ঘণ্টা (১৯৮০), এখনও অনেক রাত প্রভৃতি চলচ্চিত্র বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃত-স্বরূপ তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও পাকিস্তান, মস্কো এবং তাসখন্দ চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার লাভ করে।",
"title": "বাংলাদেশের চলচ্চিত্র"
},
{
"docid": "137895#17",
"text": "২০০৫ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হান এর কালজয়ী উপন্যাস \"হাজার বছর ধরে\" অবলম্বনে একই শিরোনাম নির্মিত হয় \"হাজার বছর ধরে\"। ছবিটি পরিচালনা করেন জহির রায়হানের সহধর্মিনী এক সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। \nরিয়াজ এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক হিসাবে নিয়েছিলেন শুধুমাত্র ১০১ টাকা। রিয়াজ উপন্যাসের \"মন্টু\" চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছে আলোচিত হন এবং জিতে নেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "138416#0",
"text": "হাজার বছর ধরে এটি ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হান এর কালজয়ী উপন্যাস \"হাজার বছর ধরে\" অবলম্বনে একই শিরোনাম নির্মিত হয় এটি। সরকারি অনুদানের এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন জহির রায়হানের সহধর্মিনী এক সময়ের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। ছবিতে প্রধান দুটি চরিত্র \"মন্ত\" ও \"টুনি\"র ভুমিকায় অভিনয় করেছেন রিয়াজ ও নবাগত শারমিন যোহা শশী। এছাড়াও শাহনূর, এটিএম শামসুজ্জামান, সুচন্দা, নাজমা আনোয়ার সহ আরো অনেকে অভিনয় করেছেন।",
"title": "হাজার বছর ধরে (চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "4584#3",
"text": "জহির রায়হান বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তার সাহিত্যিক ও সাংবাদিক জীবন শুরু হয়। ১৯৫০ সালে তিনি \"যুগের আলো\" পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি \"খাপছাড়া\", \"যান্ত্রিক\", \"সিনেমা\" ইত্যাদি পত্রিকাতেও কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি সম্পাদক হিসেবে \"প্রবাহ\" পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ \"সূর্যগ্রহণ\" প্রকাশিত হয়। চলচ্চিত্র জগতে তার পদার্পণ ঘটে ১৯৫৭ সালে, \"জাগো হুয়া সাভেরা\" ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে। তিনি সালাউদ্দীনের ছবি \"যে নদী মরুপথে\"তেও সহকারী হিসেবে কাজ করেন। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম তাকে \"এ দেশ তোমার আমার\" এ কাজ করার আমন্ত্রণ জানান; জহির এ ছবির নামসঙ্গীত রচনা করেছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি রূপালী জগতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন \"কখনো আসেনি\" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ১৯৬৪ সালে তিনি পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র \"সঙ্গম\" নির্মাণ করেন (উর্দু ভাষার ছবি) এবং পরের বছর তার প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র \"বাহানা\" মুক্তি দেন।\nজহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ২১শে ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আমতলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র \"জীবন থেকে নেওয়া\"তে। তিনি ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। কলকাতায় তার নির্মিত চলচ্চিত্র \"জীবন থেকে নেওয়া\"র বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয় এবং চলচ্চিত্রটি দেখে সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ ভূয়সী প্রশংসা করেন। সে সময়ে তিনি চরম অর্থনৈতিক দৈন্যের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ তিনি মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন।",
"title": "জহির রায়হান"
},
{
"docid": "716540#0",
"text": "আশীষ কুমার লোহ (১০ অক্টোবর ১৯৩৭ - ৪ নভেম্বর ১৯৯৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার, লেখক, অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা। ছোট গল্পকার হিসাবেও তিনি সুনাম অর্জন করেন। তিনি \"পরিণীতা\" (১৯৮৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।লোহ ১৯৩৭ সালের ১০ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের গোল্লা জয়পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষে তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে ম্যাট্রিক পাস করে তিনি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।\nকলেজে ছাত্র থাকাকালীন তিনি কৌতুক ও নাটকে অভিনয়ের দিকে ঝুঁকে পরেন। কলেজের বার্ষিক নাটক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অভিনয় ও কৌতুক এবং স্থানীয় টাউন হল মঞ্চে নিয়মিত নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।\nআনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৫৫ সালে আইএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকায় চলে যান এবং ঢাকার বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে অভিনয় ও কৌতুক প্রদর্শন করে ঢাকায় খ্যাতি অর্জন করেন। এই সময় তিনি বেতার ও টেলিভিশনে অভিনয় শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।",
"title": "আশীষ কুমার লোহ"
},
{
"docid": "475550#0",
"text": "চিত্রা সিনহা একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী প্রযোজক। তার অভিনয় জীবনের অভিষেক হয় কলকাতায় চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজেন তরফদার এর হাত ধরে। ১৯৬০ সালে এহতেশাম পরিচালিত \"রাজধানীর বুকে\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পদার্পন করেন। এই ছবিতে রহমানের সাথে জুটি বদ্ধ হয়ে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। স্বল্প অভিনয় জীবনে তিনি মাত্র নয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চিত্র পরিচালক কাজী জহির এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরে তিনি চিত্রা জহির নাম ধারণ করেন ও এ নামেই পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বর্তমানে চিত্রা ফিল্মস প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। ষাটের দশক থেকে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজনা করা হয়।",
"title": "চিত্রা সিনহা"
},
{
"docid": "475134#0",
"text": "কাজী খালেক (১৯১৫ - ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭০) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা ছিলেন। বেতার, টেলিভিশন, মঞ্চ নাটকের একজন শক্তিমান অভিনেতা এবং নির্দেশক ছিলেন তিনি। ঢাকার চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। ১৯৫৮ সালে ফতেহ লোহানী পরিচালিত \"আসিয়া\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রে পদার্পন করেন। এর আগে তিনি কলকাতার চলচ্চিত্রে স্বপন কুমার নাম নিয়ে কিছুকাল অভিনয় করেন। ঢাকায় তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র এজে কারদার পরিচালিত \"\"জাগো হুয়া সাভেরা\"\"। অভিনয় জীবনে তিনি মোট ২৮ টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে \"তোমার আমার\", \"সূর্যস্নান\", \"সোনার কাজল\", \"ধারাপাত\", \"নদী ও নারী\", \"ভাওয়াল সন্ন্যাসী\", \"চাওয়া পাওয়া\", \"নয়নতারা\", \"নতুন দিগন্ত\", \"এতটুকু আশা\", \"বাল্যবন্ধু\", \"অবাঞ্চিত\" ও \"যে আগুনে পুড়ি\"।",
"title": "কাজী খালেক"
},
{
"docid": "105179#0",
"text": "শাহাবুদ্দীন নাগরী (জন্ম অক্টোবর ৬, ১৯৫৫) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক। তিনি একজন আধুনিক রোম্যান্টিক কবি যিনি ১৯৭০ দশকের কবি হিসেবে চিহ্নিত। তিনি শিশুসাহিত্যিক হিসেবে সমধিক সমাদৃত। তাঁর রচিত ছড়া ১৯৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। একই সঙ্গে তিনি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, সুরকার, গায়ক এবং নাট্যকার হিসেবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯৯০-এর দশকে পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখে বৃহত্তর পাঠকগোষ্ঠীর কাছে সমাদর লাভ করেন। তিনি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছেন। জীবিকাসূত্রে তিনি সরকারী চাকুরীজীবি। ২০০৮-এ কোলকাতায় অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর \"এক খণ্ড জমি\" প্রদর্শিত হয়। দীর্ঘকাল শিশু সাহিত্যিক হিসাবে প্রখ্যাত হলেও একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে তিনি প্রধানত কবি এবং গায়ক এই দুই পরিচয়ে খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন। \n১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ই অক্টোবর তাঁর জন্ম হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবনগরে। তিনি পিতা মহম্মদ সাবিরউদ্দিন এবং মাতা সায়েমা খাতুনের জ্যেষ্ঠ্য সন্তান। পরিণয়সূত্রে তিনি ডা: এ, এন, মাকসুদার জীবনসঙ্গী। তাঁর জন্ম দেশের উত্তরাঞ্চলে হলেও তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম এবং ঢাকা শহরের বাসিন্দা। নাজনীন হাই স্কুল, তেজগাঁও, ঢাকা থেকে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। অত:পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। ঐ বিশ্ববিদ্যারয় থেকে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের সময় তাঁর বিষয় ছিল কীটতত্ত্ব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিশেষ কৃতিত্বের স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।",
"title": "শাহাবুদ্দীন নাগরী"
},
{
"docid": "298034#0",
"text": "রাজ চক্রবর্তী (; জন্ম: ১৯৭৫) ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের একজন পরিচালক ও অভিনেতা। এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। তিনি পশ্চিম বাংলার হালিশহর-এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কাঁচরাপাড়ায় অবস্থিত পলিটেক্নিক স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তিনি বাংলা সিনেমার অন্যতম সেরা ও সফল পরিচালক। তার পরিচালিত এবং মুক্তিপ্রাপ্ত সাতটি ছবিই \"ব্লকবাস্টার\" আখ্যা পায়। এর আগে তিনি বিভিন্ন ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে ধারাবাহিকের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি জি বাংলায় সম্প্রচারিত বিখ্যাত হাসির রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল-এর পরিচালক ছিলেন। মীরাক্কেল বিখ্যাত উপস্থাপক মীর-এর উপস্থাপনায় সম্প্রচারিত হয়। রাজ জি বাংলায় সম্প্রচারিত নাচের রিয়েলিটি শো ডান্স বাংলা ডান্স-এরও পরিচালক ছিলেন। তখন ডান্স বাংলা ডান্স অরিত্র দত্ত বণিক ও তাথৈ দেব-এর উপস্থাপনায় সম্প্রচারিত হত। বর্তমানে এর পরিচালনার দায়িত্বে আছেন পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। মাঝে তিনি স্টার জলসার জন্য নির্মিত \"আই লাফ ইউ\" এর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি প্রায় ১৮টি টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। তবে তার সবচেয়ে বড় সাফল্য মীরাক্কেল।",
"title": "রাজ চক্রবর্তী"
}
] |
উইকিলিকসের ওয়েবসাইট কত সালে লেখা হয়েছিল ? | [
{
"docid": "138716#5",
"text": "উইকিলিকসের ওয়েবসাইট ৪ অক্টোবর ২০০৬ সালে নিবন্ধিত হয়। উইকিলিকস ইন্টারনেটে প্রথম তথ্য প্রদর্শন করে ডিসেম্বর ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠানটি দাবী করছে যে, চীনা ভিন্নামতাবলম্বী ছাড়াও সাংবাদিক, গণিতবিদ এবং প্রযুক্তিবিদ হিসেবে যারা যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছে তারাই উইকিলিকস্ সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সঠিকভাবে কাউকেই চিহ্নিত করা যায়নি। তবে ওয়েবসাইটে জুলিয়ান এ্যাসেঞ্জ ও সহকর্মীদেরকে উপস্থাপন করা হয়। এ্যাসেঞ্জ নিজেকে উইকিলিকসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দাবী করেন। দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ্যাসেঞ্জকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে লেখা হয়। ওয়্যার্ড ম্যাগাজিনের তথ্য মতে জানা যায়, একজন স্বেচ্ছাসেবীর মতে “এ্যাসেঞ্জের ভূমিকা হচ্ছে - প্রতিষ্ঠানটির হৃদয় ও আত্মা হিসেবে যাতে তিনি একজন প্রতিষ্ঠাতা, দার্শনিক, মুখপাত্র, সঠিক বিনিময়কারী, উদ্যোক্তা, অর্থলগ্নীকারী এবং এক কথায় সবকিছু।” জুন, ২০০৯ সালে ১,২০০ এরও বেশি নিবন্ধনকারী স্বেচ্ছাসেবী ছিল এবং উপদেষ্টা পরিষদে এ্যাসেঞ্জ-সহ ফিলিপ এডামস্, ওয়াং ড্যান, সি.জে. হিঙ্ক, বেন লরি, আশি ন্যামগিয়াল খামসিতসাং, জিয়াও কিয়াং, চিকো হুয়াইটেকার এবং ওয়াং ইয়োকাই ছিলেন। বর্ণিত তালিকা মোতাবেক মাদার জোনস ম্যাগাজিন ২০১০ সালে খামসিতসাংয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান উইকিলিকসের পক্ষ থেকে একটি ইমেইল পেলে উপদেস্টার পদে যেতে অস্বীকৃতি জানান।",
"title": "উইকিলিকস"
},
{
"docid": "138716#0",
"text": "উইকিলিকস(ইংরেজি: \"WikiLeaks\") একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রচার মাধ্যম সংস্থা যা দোষ্প্রাপ্য দলিল অপ্রকাশিত সূত্র ও মাধ্যম থেকে প্রকাশ করে। ২০০৬ সালে এটির ওয়েবসাইট দ্য সানশাইন প্রেস কর্তৃক তৈরী হয়ে অদ্যাবধি পরিচালিত হচ্ছে। পরিচালনার এক বৎসরের মধ্যেই সাইটটি দাবী করে যে তাদের ডাটাবেজে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি ডকুমেন্টস বা দলিল রক্ষিত আছে এবং প্রতিদিনই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।.",
"title": "উইকিলিকস"
}
] | [
{
"docid": "464100#2",
"text": "প্রথম সংখ্যার তারিখ ছিল নভেম্বর ১৯৩৬, মুল কাহিনী ছিল কোল এর পাগল বৈজ্ঞানিককে নিয়ে লেখা \"দ্য ম্যাড ম্যান\"। দ্বিতীয় সংখ্যাতে কোল এর আরেকটি লেখা ছিল \"মিসেস হকার'স উইল\" শিরোনামে। মূলত কোল রেডিও শোর জন্য একটি পর্ব লিখেছিলেন, যা ছিল পত্রিকার জন্য লেখা লরেন্স ডি স্মিথ এর পাণ্ডুলিপির রূপান্তর। উভয় সংখ্যার,বাকি সব কাহিনী ছিল \"পিয়ারসন ম্যাগাজিনে\"র আমেরিকান সংস্করনের পুনঃপ্রকাশ। এর মধ্যে ওয়ারডন অ্যালান কার্টিস এর \"দ্য মনস্টার অব লেক লামিট্রি\", ১৮৯৯ সালে; উইলিয়াম হ্যামিলটন অসবর্ন এর \"দ্য ফাউন্টেন অব ইয়থ\", এবং জন সি. হেউড এর \"ফ্যান্টম অব দ্য লিঙ্কস\" দুটিই ১৯০৬ সালে, এবং জর্জ ডাল্টন এর \"দ্য ডেথ ট্র্যাপ\", ১৯০৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। রিপ্রিন্ট গল্পগুলো ছিল ভাল মানের, মাইক অ্যাসলের মতে, এগুলোতে প্রায়ই বিজ্ঞান কল্প কাহিনীর থিম থাকত : কার্টিসের গল্পে ছিল মানুষের মস্তিষ্ক প্রাগৈতিহাসিক দানবের শরীরে প্রতিস্থাপনের কাহিনী। বিষয়বস্তু অপেক্ষাকৃত উচ্চ মানের হওয়া সত্ত্বেও, গল্পগুলোতে অ্যাকশনের কমতি থাকার কারণে সেই সময়ের সাধারণ পাল্প পত্রিকা পাঠকদের সন্তুষ্ট করার জন্য যথেষ্ট ছিল না.",
"title": "দ্য উইচ’স টেলস"
},
{
"docid": "138716#2",
"text": "উইকিলিকস বহু খেতাব অর্জন করেছে। তন্মধ্যে, ২০০৮ সালে ইকোনোমিস্ট ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে ‘নিউ মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড অন্যতম। জুন, ২০০৯ সালে উইকিলিকস এবং জুলিয়ান এ্যাসেঞ্জ এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক ইউকে মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড (নিউ মিডিয়া ক্যাটাগরীতে) পায় ২০০৮ সালে প্রকাশিত “কেনিয়া: রক্তের কান্না = অতিরিক্ত বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নৈরাজ্য” নিবন্ধ রচনা করে যার বিষয়বস্তু ছিল - কেনিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক কেনিয়া পুলিশের হত্যাযজ্ঞ। মে, ২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক ডেইলী নিউজ কর্তৃক শীর্ষস্থান প্রদান করে যাতে বলা হয়েছে ‘সংবাদকে পুরোপুরি পরিবর্তন করতে উইকিলিকসের মতো ওয়েবসাইটই যথেষ্ট’।",
"title": "উইকিলিকস"
},
{
"docid": "10706#6",
"text": "পৃথিবীর বৃহত্তম সাধারণ-আগ্রহের বাণিজ্যিক প্রকাশনা সংস্থা ‘র্যান্ডম হাউস’ কর্তৃক প্রকাশিত মূল ইংরেজি ‘থ্রী ইনভেস্টিগেটরস (১৯৬৪-১৯৮৭)’ সিরিজে ৪৩ টি বই প্রকাশিত হয়েছিল যার মধ্যে ১০টি লেখেন রবার্ট আর্থার, ১৩টি লেখেন উইলিয়াম আর্ডেন যার আসল নাম ছিল মাইকেল কলিন্স, ২টি লেখেন নিক ওয়েস্ট, ১৫টি লেখেন এম ভি ক্যারি বা ম্যারি ভার্জিনিয়া ক্যারি এবং ৩টি লেখেন মার্ক ব্র্যান্ডেল। এই বইগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। একটি জার্মান-দক্ষিণ আফ্রিকান চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থা দুটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন- ‘দা থ্রী ইনভেস্টিগেটরস এন্ড দা সিক্রেট অফ স্কেলেটন আইল্যান্ড (২০০৭)’ এবং ‘দা থ্রী ইনভেস্টিগেটরস এন্ড দা সিক্রেট অফ টেরর ক্যাসল (২০০৯)’, যা ব্যপক জনপ্রিয় হয়। চলচ্চিত্র দুটির কাহিনী বই এর থেকে অনেকটা আলাদা এবং আধুনিক সময় এর পটভূমিতে চিত্রিত যেখানে জুপ, পীট এবং বব এর কাছে ‘জিপিএস’, ‘সেলফোন’ এর মত প্রযুক্তি রয়েছে।\nপরবর্তিতে ‘দা থ্রী ইনভেস্টিগেটরস ক্রাইম বাস্টার্স (১৯৮৯-১৯৯০)’ নামে একটি সিরিজে ১১টি বই প্রকাশিত হয় যার মধ্যে একটি করে লেখেন উইলিয়াম আর্ডেন এবং মার্ক ব্র্যান্ডেল। ক্রাইম বাস্টার্সের অন্যান্য লেখকরা হচ্ছেন- মেগান এবং এইচ উইলিয়াম স্টাইন, জি এইচ স্টোন, উইলিয়াম ম্যাক কে এবং পিটার লের্যাঞ্জিস।",
"title": "তিন গোয়েন্দা"
},
{
"docid": "461484#3",
"text": "জিলিংস পরবর্তীতে উইলিয়াম হ্যানিম্যানের অধীন কোম্পানি দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়ারক, ১৯৩৭ সালে \"টেলস অব ওয়ান্ডার\" নামে একটি পাল্প কল্পবিজ্ঞান ম্যাগাজিন প্রকাশে প্রভাবিত হন। এটির সাফল্য নিউনেসকে তাদের আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে অনুপ্রানিত করে, এবং ১৯৩৮ সালে \"ফ্যান্টাসি\" প্রকাশিত হয়, যাতে শুধু বর্ষ উল্লেখ করা থাকত, পরবর্তী সংখ্যা ছয় মাস পর এবং তৃতীয় বা শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল জুন ১৯৩৯ সালে এবং যথারীতি শুধু বর্ষ উল্লেখ করে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হলে স্পৃগ একজন বৈমানিক হিসেবে নাম লেখান, যদিও চতুর্থ সংখ্যা প্রস্তুত করা হয়েছিল, যুদ্ধের কারনে কাগজের সংভাগ বা রেশনিং শুরু হলে, নিউনেস ম্যাগাজিনটি বন্ধ করে দেবার সীদ্ধান্ত নেয়।",
"title": "ফ্যান্টাসি (১৯৩৮-এর ম্যাগাজিন)"
},
{
"docid": "138716#7",
"text": "১৯৭১ সালে ড্যানিয়েল এলসবার্গের পেন্টাগণ পেপার ফাঁস হয়ে যাবার ফলেই এই প্রকল্পটি দাঁড় করানো হয়। যুক্তরাস্টে কিছু দলিল ফাঁস হয়ে গেলেও তা বৈধভাবে রক্ষা করা হয়। যুক্তরাস্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট আইনজারী করে যে সংবিধান নিশ্চয়তা দেয় রাজনৈতিক অস্বচ্ছতা বিষয়ে প্রকাশ করার ব্যাপারে। সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হুয়াইটলী স্ট্রাইবার উইকিলিকসের প্রকল্প সম্বন্ধে বলেন যে, “সরকারী তথ্য ফাঁস করা হলো কারাগারে যাওয়া, কিন্তু কারাবাস হলো সংক্ষিপ্ত ও নিরাপদ। কিন্তু অন্যান্য দেশে তাহলো দীর্ঘমেয়াদী কারাবাস অথবা কখনোবা মৃত্যুদণ্ড, যেমন: চীন, আফ্রিকার কয়েকটি দেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ উল্লেখযোগ্য।” \n২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর উইকিলিকস ঘোষণা করে যে, অপর্যাপ্ত তহবিল এবং নতুন তথ্যের অভাবে তাদের ওয়েবসাইটের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তারা আরো জানায়, ব্যয়ভার নির্বাহ ও পরিচালনাযোগ্য অর্থ আসলেই তারা পূর্ণোদ্যমে কাজ চালিয়ে যাবে। ৬ জানুয়ারী, ২০১০ তারিখে তহবিলে অর্থের যোগান হলে উইকিলিকস ঘোষণা করে যে, ন্যূনতম অর্থের সংস্থান হয়েছে এবং তারা কাজ চালাবে।",
"title": "উইকিলিকস"
},
{
"docid": "704400#0",
"text": "দ্য কেমব্রিজ হিস্ট্রি অফ ইংলিশ অ্যান্ড আমেরিকান লিটারেচার (ইংরেজি: \"The Cambridge History of English and American Literature\") হল ১৯০৭ থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে ১৮টি খণ্ডে প্রকাশিত একটি সাহিত্য সমালোচনা-বিষয়ক বিশ্বকোষ। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের ১৭১ জন অগ্রণী গবেষক ও চিন্তাবিদের একটি আন্তর্জাতিক প্যানেল কর্তৃক গ্রন্থটি রচিত ও সম্পাদিত হয়। ৩০৩টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত এই বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা এগারো হাজারেরও বেশি। ইংরেজি সাহিত্য-সংক্রান্ত অধ্যায়গুলি শুরু হয়েছে প্রাচীন ইংরেজি কাব্যসাহিত্য থেকে এবং সমাপ্ত হয়েছে ভিক্টোরীয় সাহিত্যে। অপর দিকে আমেরিকান সাহিত্য-সংক্রান্ত অধ্যায়গুলির ব্যাপ্তি ঔপনিবেশক ও বিপ্লবের যুগ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত।",
"title": "দ্য কেমব্রিজ হিস্ট্রি অফ ইংলিশ অ্যান্ড আমেরিকান লিটারেচার"
},
{
"docid": "138716#9",
"text": "১৮ মে, ২০১০ তারিখে উইকিলিকস জানায় যে তাদের ওয়েবসাইট ও সংগ্রহশালা নিরাপদে আছে এবং তাদের লক্ষ্যে অগ্রসর হবে।",
"title": "উইকিলিকস"
},
{
"docid": "434584#13",
"text": "খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিয়ে ১৯৮০ সালে ‘টাইম টু ডিক্লেয়ার’ শিরোনামে বিবিসি’র ক্রীড়া সাংবাদিক প্যাট মার্ফি’র সাথে যৌথভাবে আত্মজীবনী লেখেন। গ্রন্থে তিনি প্রথমবারের মতো বিবৃত করেন যে, ‘১৯৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাদ দেয়ায় তিনি সন্তুষ্টি লাভ করেছিলেন। সফর পরিচালিত হলে ব্যাপক জনরোষে বেশ ক্ষয়-ক্ষতি হতো।’ ২০০৪ সালে পিটার অবর্ন নামীয় এক সাংবাদিক ‘ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা: ক্রিকেট অ্যান্ড কন্সপাইরেসি’ শিরোনামে জীবনী গ্রন্থ লেখেন। ঐ গ্রন্থটি বর্ষসেরা উইলিয়াম হিল স্পোর্টস বুক পুরস্কার লাভ করে।",
"title": "ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা"
}
] |
বি-কোষ থেকে ক্ষরিত অ্যান্টিবডি বা প্রতিরক্ষিকাগুলি রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে কি দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে ? | [
{
"docid": "7476#8",
"text": "বি-কোষগুলি অভিযোজনশীল অনাক্রম্যতন্ত্রের অংশ। বি-কোষ এবং অ্যান্টিবডি বা প্রতিবস্তুগুলি একত্রে অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির একটি সম্পাদন করে থাকে: তারা দেহে অনুপ্রবেশকারী কোনও প্রতি-উদ্দীপককে শনাক্ত করে ও বিপুল সংখ্যক প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন উৎপাদন করে। প্রতিবস্তুগুলির ভৌত রূপ দুই ধরনের হয়। রক্তে দ্রাব্য প্রতিবস্তুগুলি বি-কোষ থেকে ক্ষরিত হয়ে রক্ত ও কলারসের মাধ্যমে দেহের সর্বত্র চষে বেড়িয়ে ঐ প্রতি-উদ্দীপকটির সমস্ত চিহ্ন দেহ থেকে মুছে ফেলে।",
"title": "অ্যান্টিবডি"
},
{
"docid": "7476#4",
"text": "বি-কোষ থেকে ক্ষরিত অ্যান্টিবডি বা প্রতিবস্তুগুলি রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং যে প্রতি-উদ্দীপকটি অনাক্রম্যতন্ত্রের প্রতিক্রিয়ার মূল উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেছিল, সেটির অভিন্ন রূপবিশিষ্ট অন্য সমস্ত প্রতি-উদ্দীপককে আক্রমণ করে ও ধ্বংস করে।",
"title": "অ্যান্টিবডি"
}
] | [
{
"docid": "7476#2",
"text": "দেহের এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীগুলিকে ধ্বংস করার জন্য দেহের অনাক্রম্যতন্ত্র বেশ কিছু পদ্ধতির সহায়তা গ্রহণ করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া হল অ্যান্টিবডি বা প্রতিবস্তু সংশ্লেষণ বা উৎপাদন। রক্তের “বি” লসিকাকোষ (বি লিম্ফোসাইট) নামক এক বিশেষ ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা এসব প্রতিবস্তু উৎপাদন করে। এদেরকে বি-কোষ নামেও ডাকা হয়। যখন কোন প্রতি-উদ্দীপক বি-কোষের পৃষ্ঠের সাথে আবদ্ধ হয়, তখন বি-কোষটি উদ্দীপ্ত হয়ে পরিপক্কতা লাভ করে ও এক গুচ্ছ অভিন্নরূপী কোষে বিভক্ত হয়ে যায়, যাদেরকে \"ক্লোন\" বলা হয়। এই পরিপক্ক বি-কোষগুলি (যাদেরকে রক্তরস কোষ বা প্নাজমা কোষ নামেও ডাকা হয়) থেকে রক্তপ্রবাহে ও লসিকাতন্ত্রে লক্ষ লক্ষ প্রতিবস্তু ক্ষরিত হয়।",
"title": "অ্যান্টিবডি"
},
{
"docid": "7476#9",
"text": "প্রতিবস্তুর আরেকটি রূপ ক্ষরিত হয় না, বরং বি-কোষের কোষপ্রাচীরের সাথে আবদ্ধ থাকে। এগুলিকে প্রতি-উদ্দীপক গ্রাহক (অ্যান্টিজেন রিসেপ্টর) বা বি-কোষ গ্রাহক (বি-সেল রিসেপ্টর) বলে। বি-কোষগুলি এই প্রতি-উদ্দীপক গ্রাহকগুলির মাধ্যমে প্রতি-উদ্দীপকগুলিকে শনাক্ত করে। বি-কোষগুলি সমন্বিতভাবে প্রতি-উদ্দীপকের প্রায় অসীম সংখ্যক প্রকারভেদ শনাক্ত করতে সক্ষম। কিন্তু একটিমাত্র বি-কোষ এককভাবে কেবলমাত্র এক ধরনের প্রতি-উদ্দীপকের সাথেই আবদ্ধ হতে পারে। কোনও নির্দিষ্ট বি-কোষের পৃষ্ঠে প্রাপ্ত সমস্ত প্রতি-উদ্দীপক গ্রাহক অভিন্নরূপী হয়, আর ভিন্ন ভিন্ন বি-কোষের প্রতি-উদ্দীপক গ্রাহকগুলিও ভিন্ন ভিন্ন হয়।",
"title": "অ্যান্টিবডি"
},
{
"docid": "7476#7",
"text": "আবার প্রতিবস্তুগুলি যখন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস জাতীয় জীবাণুর পৃষ্ঠদেশের সাথে আবদ্ধ হয়, তখন এগুলি তিনটি উপায়ে এই ক্ষতিকর বস্তুগুলিকে প্রশমন ও ধ্বংস করতে পারে। প্রথমত, কিছু অ্যান্টিবডি বা প্রতিবস্তু দেহে অনুপ্রবেশকারী জীবাণুর সাথে সরাসরি আবদ্ধ হয় এবং এগুলিকে হয় নিশ্চল করে ফেলে অথবা এগুলিকে দেহকোষে অনুপ্রবেশে বাধা দেয়। দ্বিতীয়ত, প্রতিবস্তুগুলি বহিরাগত জীবাণুগুলির পৃষ্ঠতলকে দুর্বল করে এবং রক্তস্থিত অন্যান্য প্রোটিন (সামগ্রিকভাবে কমপ্লিমেন্ট নামে ডাকা হয়) দ্বারা এদের ধ্বংসকরণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এক্ষেত্রে প্রতিবস্তু দিয়ে আবৃত প্রতি-উদ্দীপকগুলি রক্তে অবস্থিত কমপ্লিমেন্ট নামক প্রোটিন-শৃঙ্খলের সাথে একধরনের রাসায়নিক শৃঙ্খল বিক্রিয়ায় অংশ নিতে বাধ্য হয়। এই কমপ্লিমেন্ট বিক্রিয়াটি অনুপ্রবেশকারী জীবাণুটির বিদারণ (লাইসিস) ঘটায়। তৃতীয় আরেকটি ক্ষেত্রে উপরোক্ত শৃঙ্খল বিক্রিয়াটি জীবাণুঘাতী অবস্করক (স্ক্যাভেঞ্জার) কোষগুলিকে আকৃষ্ট করে, যেগুলি অনুপ্রবেশকারী জীবাণুটিকে খেয়ে হজম করে ফেলে (ফ্যাগোসাইটোস প্রক্রিয়া)।",
"title": "অ্যান্টিবডি"
},
{
"docid": "673704#2",
"text": "রক্তে দুই ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা আছে, যেগুলি ভক্ষককোষের ভূমিকা পালন করে। একটি হল নিউট্রোফিলিক শ্বেতকণিকা (মাইক্রোফাজ বা ক্ষুদ্রভক্ষক) এবং মনোসাইট (ম্যাক্রোফাজ বা বৃহৎভক্ষক)। নিউট্রোফিলিস কণিকাগুলি এক জাতীয় ক্ষুদ্র, দানাদার শ্বেতকণিকা। এই ক্ষুদ্রভক্ষকগুলি রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে দেহের সর্বত্র সঞ্চালিত হয়। দেহকে আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়া যে রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে, সেগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ক্ষুদ্রভক্ষকগুলি খুব দ্রুত ক্ষতস্থানে বা সংক্রমণস্থলে আবির্ভূত হয় এবং রক্তনালীর প্রাচীর ভেদ করে বহিরাগত আক্রমণকারীদের কাছে পৌঁছে সেগুলি ভক্ষণ করে ।",
"title": "ভক্ষককোষ"
},
{
"docid": "673846#1",
"text": "অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়াতে মূল ভূমিকা পালনকারী কোষগুলি হল টি-কোষ ও বি-কোষ (এক ধরনের লসিকাকোষ) এবং বৃহৎ ভক্ষককোষ বা ম্যাক্রোফাজ (এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা)। এই কোষগুলি লিম্ফোকাইন বা লসিকাপদার্থ নিঃসরণ করে যা অন্যান্য কোষের কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করে। বি-কোষগুলি পরিপক্কতা লাভ করে অ্যান্টিবডি বা প্রতিবস্তু (ইমিউনোগ্লোবিন) উৎপাদন করে যা প্রতি-উদ্দীপকগুলির উপর ক্রিয়াশীল হয়। একই সময়ে বৃহৎ ভক্ষককোষগুলি প্রতি-উদ্দীপকগুলিকে বিশ্লেষণ করে অনাক্রম্যতাকারক একক তৈরি করে যেগুলি বি-লসিকাকোষগুলিকে বহুসংখ্যক প্রতিবস্তু বা অ্যান্টিবডি-ক্ষরণকারী প্লাজমা কোষে রূপান্তরিত হতে উদ্দীপ্ত করে। এছাড়া এগুলি টি-কোষগুলিকে লসিকাপদার্থ নিঃসরণে উদ্দীপ্ত করে।",
"title": "অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়া"
},
{
"docid": "673704#6",
"text": "ভক্ষণ প্রক্রিয়াটি কতটুকু সফল হবে, তা বহিরাগত পদার্থের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। সাধারণত বহিরাগত কণাগুলিকে রক্তের প্রোটিনগুলি আবৃত করে ফেলে এবং এর ফলে ভক্ষককোষগুলি আকৃষ্ট হয়ে এগুলির সাথে আবদ্ধ হয় এবং এগুলিকে ভক্ষণ করে। যদি সক্রিয় ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবাণু দেহকে আক্রমণ করে তাহলে এগুলিকে ফাঁদে ফেলে নিশ্চল না করলে কিংবা অ্যান্টিবডি বা প্রতিবস্তু নামক বিশেষ ধরনের প্রোটিন দ্বারা আবৃত না হলে এগুলি ভক্ষককোষগুলি খেতে পারে না। এত কিছুর পরেও যদি জীবাণুগুলি ভক্ষণ করা না যায়, তাহলে এগুলি দেহের সর্বত্র ভক্ষককোষগুলির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।",
"title": "ভক্ষককোষ"
},
{
"docid": "7476#11",
"text": "একবার সক্রিয় হলে হলে বি-কোষগুলি বিভাজিত হয়ে বিশেষ ধরনের কিছু কোষগুচ্ছ উৎপন্ন করে যাদের নাম প্লাজমা কোষ বা রক্তরসকোষ। এই কোষগুলিই হল অ্যান্টিবডি বা প্রতিবস্তু তৈরির কারখানা। এছাড়া বি-কোষগুলি আরও কিছু স্মৃতি বি-কোষের জন্ম দেয় যেগুলি দেহে অনেক দিন বেঁচে থাকে এবং একই প্রতি-উদ্দীপক দেহে প্রবেশ করলে সেগুলিকে স্মরণ করতে পারে যাতে বি-কোষগুলি ভবিষ্যৎ বেশি দ্রুত এগুলির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বি-কোষকে পূর্ণরূপে সক্রিয় করতে বি-কোষের সাথে সহায়ক টি-কোষের আন্তঃক্রিয়ার প্রয়োজন হয়।",
"title": "অ্যান্টিবডি"
},
{
"docid": "41474#3",
"text": "রক্ত দান করার সময় গ্রহীতার রক্তে দাতার রক্ত মেশবার সময় গ্রুপ গ্রহনযোগ্য (কম্প্যাটিবল্ বা ম্যাচিং) হবে না যদি গ্রহীতার রক্তরসে অবস্থিত অ্যান্টিবডি দাতার কোষের উপরস্থ অ্যান্টিজেনকে চিনতে পারে, পারলে গ্রহীতার অ্যান্টিবডির আক্রমণে দাতার রক্তকোষগুলি তাল পাকিয়ে জমাট (হিম-অ্যাগ্লুটিনেশন) বেঁধে যাবে বা ফেটে নষ্ট (হিমো-লাইসিস) হয়ে যাবে। দাতার রক্তের অ্যান্টিবডি ততটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ সাধারণতঃ দাতার অ্যান্টিবডি গ্রহীতার রক্তরসে মিশে গেলে দাতার অ্যান্টিবডির ঘনত্ব গ্রহীতার কোষেগুলির অতটা ক্ষতি করতে সক্ষম হয়না। দাতার কোষগুলি \"প্যাকড সেল\" হিসাবে দিলে রক্ত রস এমনিতেই কম দেওয়া হচ্ছে। তবে খুব বেশি পরিমাণ দাতার প্লাজমা (রক্তরস) দিতে হলে কিন্তু প্লাসমার গ্রহণযোগ্যতাও দেখতে হবে, এবং ক্ষেত্রে দাতার অ্যান্টিবডি আর গ্রহীতার অ্যান্টীজেনের মধ্যে মিল থাকলে চলবে না। সাধারণতঃ কোনো নীরোগ ব্যক্তির নিজের রক্তকোষে যে অ্যান্টিজেন থাকে তার বিরুদ্ধে অ্যান্টীবডি তৈরি হয় না। এ বি ও সিস্টেমের বেলায় নীরোগ ব্যক্তির নিজের রক্তকোষে যে অ্যান্টীজেন থাকে না তার বিরুদ্ধে অ্যান্টীবডি আগে থেকেই থাকে (দুর্বোধ্য কারণে) এবং সেই অ্যাণ্টীজেন ধারী কোষকে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ করে, আর এইচ সিস্টেমের বেলায় অ্যান্টীজেনধারী দাতা কোষ-কে একবার দেখলে তার পরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং তাই প্রথমবার তেমন অসুবিধা হয় না, কিন্তু পরে (দ্বিতীয়বার) একই রকম দাতা কোষকে দেখলে তখন অসুবিধা করে।",
"title": "রক্তগ্রুপ"
}
] |
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক কবে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ? | [
{
"docid": "137895#1",
"text": "বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করে। পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলি যথাক্রমে দুই দুয়ারী (২০০০), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) এবং কি যাদু করিলা (২০০৮)। রিয়াজ অভিনীত \"লোভে পাপ পাপে মৃত্যু\" ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মুক্তি লাভ করে। তার অভিনীত সাম্প্রতিকতম চলচ্চিত্রগুলো হল \"সুইটহার্ট\" ও \"কৃষ্ণপক্ষ\" (২০১৬)। নানা মাধ্যম ও কাজে সক্রিয় অভিনেতা রিয়াজ চ্যানেল আইয়ের \"হ্যান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান\" প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় মৌসুমে প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "137895#20",
"text": "২০০৮ সালে রিয়াজ অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র বেশ আলোচিত ছিল। এর মধ্যে নবীন চলচ্চিত্রকার মুরাদ পারভেজ নির্মাণ করেন \"চন্দ্রগ্রহণ\"। ষাটের দশকের পটভূমিতে নির্মিত হয় ছবিটি। এটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ মোট সাতটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। এটিতে রিয়াজ \"কাসু\" এবং সোহানা সাবা ফালানি চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রখ্যাত নারী চলচ্চিত্রকার \"নার্গিস আক্তার\" নির্মাণ করেন এইচআইভি/এইডস সম্পর্কিত জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণমূলক চলচ্চিত্র মেঘের কোলে রোদ। মালয়শিয়ার মনোরম পরিবেশে চলচ্চিত্রটি চিত্রায়ন করা হয়। চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীসহ (পপি) মোট পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। এরপর রিয়াজ আরও একটি ব্যক্তিগত সাফল্য লাভ করেন কি যাদু করিলা ছবিতে নিখুঁত অভিনয়ের কল্যাণে। চন্দন চৌধুরী পরিচালিত এ ছবিতে রিয়াজের বিপরীতে ছিলেন পপি। রিয়াজ তৃতীয়বারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কারে ভূষিত হন।",
"title": "রিয়াজ"
}
] | [
{
"docid": "333289#0",
"text": "রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক যিনি সাধারনভাবে রিয়াজ নামে পরিচিত (জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৭২) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে \"বাংলার নায়ক\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত \"প্রাণের চেয়ে প্রিয়\" চলচ্চিত্রে রিয়াজ অভিনয় করেন\nযা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং রিয়াজকে জনসাধারনের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলে। তিনি বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত পরিচালকের চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকার এর ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট নামে একটি ইংরেজী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউড অভিনেত্রী সুশমিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন।",
"title": "রিয়াজ গৃহীত পুরস্কার এবং মনোনয়ন তালিকা"
},
{
"docid": "352567#0",
"text": "রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক, অতি পরিচিতি রিয়াজ (; জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৭২) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলার নায়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। যদিও প্রথম চলচ্চিত্রটি তাঁকে প্রশন্ত সুনাম প্রদান করেনি। ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত \"প্রাণের চেয়ে প্রিয়\" চলচ্চিত্রটি অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে এবং রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন।",
"title": "রিয়াজ অভিনীত নাটকের তালিকা"
},
{
"docid": "137895#19",
"text": "২০০৭ সালে মুক্তি পায় জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর জনপ্রিয় উপন্যাস দারুচিনি দ্বীপ অবলম্বনে নির্মিত বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র \"দারুচিনি দ্বীপ\"। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা তৌকির আহমেদ। এ ছবিতে রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার (২০০৬) জাকিয়া বারী মম। রিয়াজ এতে শুভ্র চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি এ চলচ্চিত্র অভিনয় করে আবারো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। জনপ্রিয় বাংলাদেশী সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক-এর 'একজন সঙ্গে ছিল' উপন্যাস অবলম্বনে একই শিরোনামে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র \"একজন সঙ্গে ছিল\"। এটিতে রিয়াজের সাথে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন শওকত জামিল।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "68235#2",
"text": "১৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দেবিকা রাণীকে প্রথম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের ইতিহাসে অভিনেতা পৃথ্বীরাজ কপূর একমাত্র মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপক ছিলেন। তাঁর পুত্র রাজ কপূর ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ১৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে পিতার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন ও ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে ৩৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে\nনিজেও এই পুরস্কার লাভ করেন। বোম্মিরেড্ডি নরসিংহ রেড্ডি (১৯৭৪) ও বোম্মিরেড্ডি নাগি রেড্ডি (১৯৮৬); রাজ কপূর (১৯৮৭) ও শশী কপূর (২০১৪); এবং বলদেব রাজ চোপড়া (১৯৯৮) ও যশ চোপড়া (২০০১) এই তিন জোড়া ভাই ও লতা মঙ্গেশকর (১৯৮৯) ও আশা ভোঁসলে (২০০০) এই দুই বোন এই পুরস্কার লাভ করেন।",
"title": "দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার"
},
{
"docid": "331540#0",
"text": "রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রিয় পরিচিতি রিয়াজ (; জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৭২) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলার নায়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। যদিও প্রথম চলচ্চিত্রটি তাঁকে প্রশন্ত সুনাম প্রদান করেনি। ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত \"প্রাণের চেয়ে প্রিয়\" চলচ্চিত্রটি অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে এবং রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন। তিনি বাংলাদেশের অনেক গুনী পরিচালকের সাথে কাজ করে অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকার এর ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট নামে একটি ইংরেজী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী সুশমিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন।",
"title": "রিয়াজ অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা"
},
{
"docid": "137895#0",
"text": "রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক (জন্ম: ২৬ অক্টোবর ১৯৭২, যিনি রিয়াজ নামেই বেশি পরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৯৫ সালে \"বাংলার নায়ক\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৯৭ সালে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত \"প্রাণের চেয়ে প্রিয়\" চলচ্চিত্রে রিয়াজ অভিনয় করেন যা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং একইসঙ্গে রিয়াজকে জনসাধারণের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলে। তিনি বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত পরিচালকের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকারের \"ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট\" নামে একটি ইংরেজী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "504184#2",
"text": "আবু সাইয়ীদ ১৯৮৮ সালে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"আবর্তন\" নির্মাণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৯২ সালে তিনি নির্মাণ করেন আরেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"ধূসর যাত্রা\"। এই চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে তিনি দ্বিতীয়বারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০০ সালে তিনি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। সাহিত্যিক সেলিম আল দীনের কাহিনী ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটির নাম কিত্তনখোলা। এই চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ফরিদুর রেজা সাগরের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং সেলিম আল দীনের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন শঙ্খনাদ। চলচ্চিত্রটি ২০০৫ সালে ফ্রিবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং গ্রান্ড প্রিক্স পুরস্কার অর্জন করে। ২০০৬ সালে জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত \"জনম জনম\" উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন নিরন্তর। চলচ্চিত্রটি ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং পরিচালক আবু সাইয়ীদ বিশেষ জুরি পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া একই বছর চলচ্চিত্রটি কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং তিনি গোল্ডেন ক্রো পীজেন্ট ও ফিপ্রেসি পুরস্কার রজন করেন। ২০০৭ সালে একটি ক্ষুদ্র কমিউনিটিকে ঘিরে গড়ে ওঠা গল্প নিয়ে নির্মাণ করেন বাঁশি। পরের বছর ২০০৮ সালে মহাভারতের একটি ঘটনার ভিত্তিতে নির্মাণ করেন রূপান্তর। ২০১০ সালে বাংলাদেশের ধর্ম, জঙ্গীবাদ, রাজনীতি নিয়ে নির্মাণ করেন অপেক্ষা। ২০১৬ সালে নিজের রচিত কাহিনী নিয়ে নির্মাণ করেন \"ড্রেসিং টেবিল\"। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এবং তার নিজের প্রযোজিত এই ছায়াছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুহুল ও শিলা।",
"title": "আবু সাইয়ীদ"
},
{
"docid": "491958#0",
"text": "পুরস্কার ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার শিশুতোষ চলচ্চিত্র। সৈয়দ শামসুল হকের কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন সি বি জামান। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন, শাকিল, বুলবুল আহমেদ, জয়শ্রী কবির প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি ১৯৮৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি পুরস্কার অর্জন করে। জাতীয় পুরস্কার পাবার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের 'গোয়া চলচ্চিত্র উৎসব', 'দিল্লী আন্তর্জাতিক উৎসব' ও রাশিয়ার 'তাশখান্দ চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রদর্শন করা হয়।পুরস্কার চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সত্য সাহা। গীত রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খন্দকার ফারুক আহমেদ, সাবিনা ইয়াসমিন, সামিনা চৌধুরী, আবিদা সুলতানা।",
"title": "পুরস্কার (চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "2139#16",
"text": "১৯৯২ সালে হুমায়ূন আহমেদ রচিত \"শঙ্খনীল কারাগার\" উপন্যাস অবলম্বনে মোস্তাফিজুর রহমান \"একই নামের\" চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ছবিটি নির্মাণের জন্য পরিচালক বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান পান এবং আহমেদ চিত্রনাট্য লেখার সম্মানী হিসেবে ১০,০০০ টাকা পান। মুক্তির পর চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে ছবিটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে, কিন্তু শাকুর মজিদ কাহিনী, কাহিনীর সময়কাল, সেট ও পোশাকে গড়মিল খুঁজে পান। তবে \"শঙ্খনীল কারাগার\" শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ চারটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে এবং আহমেদ শ্রেষ্ঠ কাহিনীকারের পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে \"আগুনের পরশমণি\" চলচ্চিত্র দিয়ে তাঁর পরিচালনায় অভিষেক হয়। এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি ২৫,০০০ টাকা সরকারি অনুদান পান। তিনি মূলত তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু চলচ্চিত্রকার আনিস সাবেতের অকাল মৃত্যুর খবর শোনার পর চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হন। চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকতার চাকরি থেকে অব্যহতি দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চমৎকার গল্প ও দুর্দান্ত নির্মাণশৈলী দিয়ে তিনি দর্শকের মন জয় করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক কবীর আনোয়ার বলেন, \"এতোবড় মাপের ছবি বাংলাদেশে আগে কখনো হয় নি, জানি না সামনে কেউ আসবেন কিনা এরকম ছবি বানানোর মেধা নিয়ে।\" চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ আটটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে এবং আহমেদ শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও সংলাপ রচয়িতা বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তার উপন্যাস \"কবি\"। এতে তিনজন কবির গল্প বিবৃত হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে \"ছোটদের কাগজ\" পত্রিকায় \"কালো জাদুকর\" উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে থাকেন। পার্ল পাবলিকেশন্স ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলায় বইটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে।",
"title": "হুমায়ূন আহমেদ"
}
] |
আরবি লিপির কোন দিক থেকে কোন দিকে লেখা হয় ? | [
{
"docid": "62133#5",
"text": "আরবি লিপি ডান থেকে বাম দিকে লেখা হয়। এবং লিপিটি পেঁচিয়ে এক বর্ণ আরেক বর্ণের সাথে সংযুক্ত করে লিখতে হয়। তবে ⟨و ز ر ذ د ا⟩ - এই ছয়টি বর্ণ এককভাবে বসে। ফলে এই বর্ণবিশিষ্ট শব্দের ক্ষেত্রে ফাঁক দেখা যায়। এই ছয়টি বর্ণ ছাড়া বাকী সমস্ত বর্ণ চার রকমের রূপ ধারণ করতে পারে: আদ্য, মধ্য, অন্ত্য এবং বিচ্ছিন্ন। এই রূপগুলিতে অনেক সময় বর্ণটির মূল রূপের অনেক বৈশিষ্ট্য বাদ যায়। এছাড়া অনেক সময় একাধিক লিপির সমন্বয়ে যুক্তলিপি ব্যবহার করা হয়।",
"title": "আরবি লিপি"
},
{
"docid": "12076#7",
"text": "আরবি লিপি ডান থেকে বাম দিকে লেখা হয়। ২৯টি বর্ণ বা হরফের এই লিপিতে কেবল ব্যঞ্জন ও দীর্ঘ স্বরধ্বনি নির্দেশ করা হয়। আরবিতে বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর বলে কিছু নেই। আরবি লিপি এক অক্ষরের সাথে আরেক অক্ষর পেঁচিয়ে লেখা হয়। প্রতিটি বর্ণের একাধিক রূপ আছে, যে রূপগুলি বর্ণটি শব্দের শুরুতে, মাঝে, শেষে নাকি আলাদাভাবে অবস্থিত, তার উপর নির্ভর করে। কতগুলি বর্ণ একই মূল রূপের উপর ভিত্তি করে লেখা হয় এবং বিন্দুর সংখ্যা দিয়ে একে অপরের থেকে পৃথক করা হয়।",
"title": "আরবি ভাষা"
},
{
"docid": "260967#2",
"text": "পারসিক-আরবি লিপিতে বাক্যগুলো একত্রিতভাবে লেকা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিটি অক্ষর একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে। কম্পিউটারে লেখার ক্ষেত্রেও এই বৈশিষ্ঠটি অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে। যার ফলে কম্পিউটারে যখন পারসিক-আরবি লিপিতে কিছু লেখা হয় তখন অক্ষরগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে লেখা হতে থাকে। অসম্পৃক্তভাবে লেখাগুলো সাধারণত গ্রহণ করা হয় না। পারসিক-আরবি লিপি এবং আরবি লিপিতে শব্দগুলো লেখা হয় ডান থেকে বাম দিকে এবং নম্বরগুলো লেখা হয়ে থাকে বাম থেকে ডান দিকে।",
"title": "ফার্সি লিপি"
},
{
"docid": "62133#0",
"text": "আরবি লিপি ( \"আল্-আব্জাদীয়াহ্ আল্-ʻআরবীয়াহ্\" বা \"আল্-হুরুফ্ আল্-ʻআরবীয়াহ্\") ২৮টি বর্ণ নিয়ে গঠিত একটি লিখন পদ্ধতি যা আরবি ও কুর্দি ভাষা লিখতে ব্যবহার করা হয়। এদের মধ্যে প্রতিটি বর্ণের একটি বিচ্ছিন্ন রূপ, আদ্য রূপ, মধ্য রূপ ও অন্ত্য রূপ হয়। আরবি লিপি ডান থেকে বাম দিকে লেখা হয়। আরবি লিপি কখনো কখনো সোমালি ও মালাগাসি ভাষাও লিখতে ব্যবহার করা হয়।",
"title": "আরবি লিপি"
}
] | [
{
"docid": "631131#26",
"text": "প্রথমদিকে উর্দু লেখার জন্য কোনো নির্দিষ্ট কোড পৃষ্ঠা কম্পিউটারে বরাদ্দ ছিলোনা। ১৯৯০ সালের দিকে আইবিএম কোড পেজ ৮৬৮ দ্বারা উর্দু প্রকাশ করা হতো। এরপরে উইন্ডোজ-১২৫৬ এবং ম্যাকআরবি এনকোডিং দ্বারা উর্দু প্রকাশিত হতো। তবে এই পদ্ধতিও ৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ব্যবহার হতো। ইউনিকোডে উর্দুকে আরবির ব্লকে দেখানো হয়েছে। পার্সো-অ্যারাবিক স্ক্রিপ্ট কোড ফর ইনফরমেশন ইন্টারচার্জ নামক একটি ভারতভিত্তিক কোড পৃষ্ঠা দ্বারাও উর্দু লেখা হয়। পাকিস্তানে উর্দু জাবতা তখতি নামক একটি ৮ বিট কোড পৃষ্ঠা ব্যবহার করা হয় যা পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্মিত হয়েছে। এই পৃষ্ঠার মোটামুটি উর্দুর সকল চরিত্র এবং বিশেষ চিহ্নসমূহ আছে। যদিও এই ডিজাইনটি লাতিন লিপির সমান্তরাল না।\nআরবি থেকে আসা অন্যান্য লিপির মতো উর্দু ইউনিকোডের 0600–06FF রেঞ্জ ব্যবহার করে। কিছু বর্ণ আলাদা হলেও ইউনিকোড রেঞ্জে একই রকম দেখা যায়(বা একই পরিচয় ব্যবহার করে), পরন্তু এদের এনকোডিং ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে জন শেক্সপিয়রের লেখা \"A Dictionary, Hindustani & English\" এ \" (ভারত) শব্দটি যুক্ত করেছেন। শব্দকোষটির ইলেক্ট্রনিক প্রিন্টে লিখে অনুসন্ধান করলে কোনো শব্দ পাওয়া যায়না, অপরদিকে লিখাতে শব্দার্থ পাওয়া যায়। এর কারণ হলো উর্দুর দো চশমি হে (U+06BE) এর মধ্যমরূপ যা মহাপ্রাণ ধ্বনির জন্য ব্যবহার করা হয় তা আরবি লিপির হা (U+0647) এর মধ্যমরূপের চেহারার সাথে হুবহু মিলে যায়। আরবি হা অক্ষরটি সাধারণ \"হ\" [/h/] উচ্চারণে ব্যবহার হয়। অপরদিকে উর্দুতে একই উচ্চারণের জন্য গোল হে বা ছোট হে (U+06C1) ব্যবহার করা হয়।",
"title": "উর্দু লিপি"
},
{
"docid": "71472#36",
"text": "বহু আফ্রিকান ভাষা যেমন হাউসা, সোয়াহিলি, বাম্বারা, ইত্যাদি লেখার জন্য আরবি লিপি ব্যবহার করা হত। কিন্তু আরবি লিপি আফ্রিকান ভাষাগুলি লেখায় প্রকাশের জন্য তেমন উপযোগী নয়। আরবি ভাষাতে মাত্র তিনটি স্বরধ্বনি আছে, যথা আ, ই এবং উ। কিন্তু সোয়াহিলি ভাষাতে আ, এ, ই, ও, উ---এই পাঁচটি স্বরধ্বনি আছে। এছাড়াও সোয়াহিলি ব্যঞ্জন প, গ, চ, এবং ভ-এর কোন অস্তিত্ব আরবি ভাষাতে নেই। খ্রিস্টান মিশনারি এবং ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের আগমনের পর আরবি লিপির পরিবর্তে রোমান লিপিতে ভাষাগুলি লেখার চল হয়।",
"title": "আফ্রিকার ভাষা"
},
{
"docid": "62133#2",
"text": "আরবি লিপির উৎপত্তি আরামীয় লিপি থেকে। আরামীয় লিপি খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতক থেকেই প্রচলিত ছিল। কিন্তু এতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা আরবি ভাষার তুলনায় ছিল কম। তাই একই আরামীয় বর্ণ আরবি ভাষার একাধিক বর্ণ নির্দেশে ব্যবহার করা হত। এই দ্ব্যর্থতা দূর করার জন্য ৭ম শতক থেকে বর্ণগুলির নিচে বা উপরে বিভিন্ন অতিরিক্ত চিহ্ন ব্যবহার করা শুরু হয়। এই চিহ্নগুলিই আরবিকে স্বতন্ত্র লিপি হিসেবে অন্যান্য লিপি থেকে পৃথক করেছে। এছাড়া পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ পঠন নিশ্চিত করার জন্য আরও কিছু চিহ্ন আরবি লিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের মধ্যে হ্রস্ব স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনদ্বিত্ব নির্দেশকারী চিহ্নগুলি অন্যতম।",
"title": "আরবি লিপি"
},
{
"docid": "637498#19",
"text": "\"আ, ই, ঈ\"-এর স্বরচিহ্নগুলি সেই ব্যঞ্জনবর্ণের ডানদিকে যুক্ত হয় যেই ব্যঞ্জনবর্ণটি এদের সাহায্যে উচ্চারিত হচ্ছে। \"এ, দীর্ঘ এ, ঐ\"-এর স্বর-চিহ্নগুলি ব্যঞ্জনবর্ণের বামদিকে যুক্ত হয়। \"ও\" এবং \"দীর্ঘ ও\"-এর স্বরচিহ্নের দুইটি ভাগ: প্রথম অংশটি ব্যঞ্জনবর্ণের বামদিকে যুক্ত হয় ও দ্বিতীয় অংশটি সেই ব্যঞ্জনবর্ণেরই ডানদিকে যুক্ত হয়। সংশোধিত লিখনবিধিতে \"উ, ঊ, ঋ\"-এর স্বরচিহ্নটি সাধারণভাবে ব্যঞ্জনবর্ণটির ডানদিকে যুক্ত হয়, যদিও ঐতিহ্যগত লিখনবিধিতে এই স্বরচিহ্নগুলি মাঝেমধ্যেই ব্যঞ্জনবর্ণ-স্বরবর্ণ অক্ষর তৈরী করত।\nস্বরধ্বনির স্থিতিকাল লক্ষ্য করা জরুরি যেহেতু এটি ব্যবহার করা যাবে কিছু শব্দকে আলাদা করতে যেগুলি নতুবা এক ধরণের হবে। উদাহরণস্বরূপ, /kalam/ (কলম্)-এর অর্থ \"মৃন্ময় পাত্র\" কিন্তু /ka:lam/ (কালম্)-এর অর্থ \"কাল\" (\"সময়\") অথবা \"ঋতু\"।",
"title": "মালয়ালম লিপি"
},
{
"docid": "546496#58",
"text": "বিংশ শতাব্দীতে সানার অনুলিপি আবিষ্কৃত হয় । কার্বন পরীক্ষার মাধ্যমে এটি ৬৩২-৬৭১ খ্রিষ্টাব্দের বলে নির্ধারণ করা গেছে । এর প্রতি পাতার উপরের অংশে এক ধরনের লিপি এবং নীচের অংশে ভিন্ন ধরনের লিপি দেখা যায়। উপরের অংশের আয়াত এবং ক্রমবিন্যাস হুবহু বর্তমানের প্রমিত কুরআনের অনুরুপ। নীচের অংশের লিপিতে সুরার ক্রমবিন্যাসে পার্থক্য রয়েছে। আর যে ভিন্নতা রয়েছে, যেমন শব্দ ও বাক্যাংশ, তার বেশিরভাগই প্রমিত কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যা। নীচের অংশের লিপি প্রমিত, আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ, উবাই ইবনে কাবের অনুলিপি থেকে ভিন্ন। অনেক পন্ডিত মনে করেন, নীচের অংশের লিপি হয়ত কোন সাহাবীর ব্যক্তিগত পান্ডুলিপির অনুলিপি।",
"title": "কুরআনের ইতিহাস"
},
{
"docid": "78963#1",
"text": "আরবি লিপির সবচেয়ে প্রবহমান (fluid) হস্তলিপিশৈলীগুলির মধ্যে নাস্তালিক অন্যতম। লিপিটিতে খাড়া দাগগুলি ছোট এবং অনুভূমিক দাগগুলি দীর্ঘ। \"কালাম\" নামের সরু করে ছাঁটা বাঁশের কঞ্চি ও \"দাভাত\" নামের কালি দিয়ে এটি লেখা হয় । কালামের মুখ সাধারণত কালি শোষণের সুবিধার্থে একটু চেরা থাকে।",
"title": "নাস্তালিক লিপি"
}
] |
ইসলামে কি নারীদের বহুবিবাহ বৈধ ? | [
{
"docid": "387890#0",
"text": "ইসলামিক বিবাহের আইনমতে, সুন্নি এবং শিয়া পুরুষরা বহুবিবাহ করতে পারে। এর ফলে পুরুষরা একইসাথে সর্বোচ্চ চারটা সহ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারবে। তবে বিপরীত ক্রমে একই নারী একাধিক স্বামী রাখতে পারবেন না।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
},
{
"docid": "402417#0",
"text": "বিবাহের আরবী শব্দ হলো নিকাহ। নিকাহ এর শাব্দিক অর্থ হলো, একত্রিত হওয়া, নারী পুরুষ মিলিত হওয়া। পারিভাষিক অর্থে নিকাহ বা বিবাহ বলা হয়। ইসলামী শরীয়াহ আইন অনুযায়ী, বিবাহ হল একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে নিষ্পন্ন বৈধ বন্ধন ও সামাজিক চুক্তি । ইসলামে বিবাহ হল একটি সুন্নাহ বা মুহাম্মাদ (সাঃ)এর আদর্শ এবং ইসলামে বিবাহ করার জন্য অত্যন্ত জোরালোভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ইসলামে সন্ন্যাসজীবন এবং কৌমার্যেরও কঠোর বিরোধিতা করা হয়েছে। একজন ব্যক্তি তখনই বিবাহের বয়সী হবে, যখন সে মানসিক, দৈহিক ও আর্থিকভাবে বৈবাহিক জীবন নির্বাহ করতে সমর্থ হবে । বিশেষ শর্তসাপেক্ষে পুরুষের বহুবিবাহের জন্য ইসলামে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে নারীর বহুবিবাহের ক্ষেত্রে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ।",
"title": "ইসলামি বৈবাহিক আইনশাস্ত্র"
},
{
"docid": "387890#21",
"text": "মুসলিম সমাজে বহুবিবাহের উপর নারীবাদের প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। এটা বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন সংস্কৃতি ইসলামের সাথে কিভাবে মিথস্ক্রিয়া করে তার উপর নির্ভর করে। যেমন, ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামী আন্দোলনের পর নারী অধিকার পরিবর্তিত হয়। এই আন্দোলনের পর পরিবার সুরক্ষা আইনকে (Family Protection Law) তুলে দেয়া হয়, যা নারীকে কিছু ক্ষমতা দান করেছিল এবং বহুবিবাহের উপর ন্যুনতম প্রতিবন্ধকতা আরোপ করেছিল। তখন মুসলিম নারীদেরকে তাদের মূলধারার ভূমিকায় ফিরে আসতে উৎসাহিত করা হয়। এই অধিকার হারানোর ব্যাপারটি ইরানের মুসলিম নারীবাদীদেরকে বোধ করায় যে নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য তারা সরকারের উপর নির্ভর করতে পারে না। এর ফলে ব্যক্তিগত মর্যাদার আইনগুলো (personal status laws) তৈরি হয় যার মধ্যে বহুবিবাহ সহ বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের মত অনেক বিষয় পড়ে। এই আইনটি ১৯৮৬ সালে পাস করা হয়, আর এই আইনটি \"১৯৭৫ সালের পরিবার সুরক্ষা আইনকে কার্যকরীভাবে পুনর্বহাল করতে সক্ষম হয়, যেখানে একজন স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার লাভ করে, যদি তার স্বামী তার অনুমতি না নিয়ে আরেকটি বিয়ে করে, অথবা যদি ... তার স্বামী তার সাথে সঠিক ও ন্যায্যভাবে ব্যবহার না করে।\" এটি ইরানের মুসলিম নারীদেরকে বহুবিবাহের বিরুদ্ধে কিছু আইনগত সুরক্ষা দান করে, কিন্তু এই আইনের প্রয়োগ এখনও আদালতের ব্যাখ্যার উপর নির্ভরশীল। মুসলিম নারীদের আন্দোলন ইরানে আরও বেশি ক্ষমতা অর্জন করতে শুরু করে যখন অনেক মুসলিম নারী বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গিতে কুর'আন পড়তে শুরু করে। এই নতুন পণ্ডিতগণ ইসলামের ব্যাখ্যা নিয়ে যুক্তিতর্কে যেতে পারতেন যাতে নারীরা নির্যাতনের শিকার না হয়ে ক্ষমতায়িত হয়। এছাড়াও তারা এসোসিয়েশন অফ মুসলিম উইমেন এন্ড জয়নাব নামক প্রতিষ্ঠানেরও পরিচালনা করে। অনেক মুসলিম নারী জালাসেহতে যান যেখানে তারা তাদের ধর্মগ্রন্থ এবং নিরাপদ পরিবেশ নিয়ে মুক্তভাবে আলোচনা করতে পারেন। সুতরাং ইরানের আন্দোলনের ফলে বহুবিবাহের মত অনেক পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধ ইরানে প্রচলিত হলেও, শেষ পর্যন্ত নারীরা অধিক অধিকার অর্জন করতে উৎসাহিত হয়, এবং ধর্মগ্রন্থসমূহ পড়ে আরও বেশি আস্থা অর্জন করে।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
}
] | [
{
"docid": "387890#7",
"text": "ইসলামের উত্থানের পুর্বে, আরবীয় উপদ্বীপে পুরুষ এবং নারী উভয়ই বহুবিবাহে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। তবে একজন পুরুষ একজন নারীর সাথে সারাজীবন বিবাহ বন্ধনে ছিলেন, এমনটাও বিরল ছিল না। লেইলা আহমেদ তার গবেষনামুলক কাজ \"ইসলামে নারী এবং লিঙ্গ\" তে বলেন \"মুহম্মদের জন্মের সমসাময়িক কালে বিবাহ তে মার্তৃপ্রথা নিয়ম কাজ করত। মেয়েরা মায়ের সাথে থাকত, স্বামীই মেয়ের ঘরে থাকত, সহবাস করত এবং সন্তান মার্তৃবংশের নামেই পরিচিত হত। ছেলে এবং মেয়ে যেই বহুগামিতা বা বহুবিবাহ করুক না কেন, উভয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ থাকত।\"",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
},
{
"docid": "387890#24",
"text": "মালয়েশিয়ায় বহুবিবাহকে এমনভাবে বিবেচনা করা হয় যা জনসাধারণের সামনে আলোচনা করা হয় না, কিন্তু সম্প্রতি এটি জনসাধারণের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। নতুন ইসলামী পরিবার আইন (Islamic family law) আসবার পর এটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যে আইনে পুরুষের বহুবিবাহ চর্চার সুবিধা দান করা হয়েছে। এটি ইসলামী চরমপন্থী গোষ্ঠী, যারা দেশটির ইসলামিক এফেয়ারস অধিদপ্তর থেকে শরিয়াহ আইন পরিচালনা করে, তাদের সাথে দেশটির পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মুসলিম নারীবাদীদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করে, যেখানে এই মুসলিম নারীবাদীরা বলছেন, প্রথমোক্ত দলের দেয়া কোরানের ব্যাখ্যাগুলো পক্ষপাতিত্বমূলক, আর এর কারণেই নারী ও শিশুর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন তৈরি করা হয়েছে। আইনটির বিরুদ্ধে প্রচার খুব জনপ্রিয় হয়, কিন্তু আইনটি তবুও পাস করে। মালয়েশিয়ার মুসলিম নারীদের প্রতিষ্ঠানগুলো আইনটি তুলে না নেয়া অবধি এর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছেন।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
},
{
"docid": "387890#19",
"text": "দুজন শীর্ষস্থানীয় মুসলিম পণ্ডিত যারা ধর্মগ্রন্থের পুনর্ব্যাখ্যার মাধ্যমে নারীর অধিকার বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেছেন তারা হলেন আমিনা ওয়াদুদ এবং আসমা বারলাস। এই দুজন নারীর মতেই ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা লৈঙ্গিক সমতা প্রচার করে। তাদের মতে লিঙ্গ বৈষম্যের মূল কারণ সামাজিক চর্চাসমূহ, ইসলাম নয়। ওয়াদুদ বলেন, কুর'আন তিনটি ক্ষেত্রে ববুবিবাহের অনুমতি দেয়: যদি স্বামী যৌন-সন্তুষ্ট না হন এবং এরজন্য তিনি অন্য সম্পর্ক বা পতিতার কাছে না গিয়ে আরেকজন স্ত্রীর কাছে যেতে পারেন, যদি প্রথম স্ত্রী সন্তান ধারণে অক্ষম হয় বা অন্য কোন মায়ের তার সন্তান সহ দেখভালের প্রয়োজন হয়, এবং/অথবা স্বামী মুসলিম সমাজের অন্য কোন নারীর ভরন পোষণের জন্য অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট সক্ষম হন। ওয়াদুদের মতে, কুর'আন যেরকম বহুবিবাহ সমর্থন করে, তা হচ্ছে \"ন্যায়, যেখানে ন্যায় এর সাথে আচরণ করা হয়, ন্যায় এর সাথে অর্থ ব্যবহার করা হয়, অনাথদের সাথে ন্যায় বিচার করা হয়, এবং স্ত্রীদের সাথেও ন্যায় বিচার করা হয়।\" বারলাস, যিনি এর কয়েক বছর পর তার তাত্ত্বিক গবেষণা প্রকাশ করেন, তিনিও একই যুক্তি দেখান। উভয় নারীবাদী পণ্ডিতই ৪:৩ আয়াতে বহুবিবাহ সম্পর্কিত ইসলামী তত্ত্বের উৎস্য সম্পর্কে বলেন। কুর'আনের এই আয়াতটি নারীকে শোষণ করার জন্য বহুবিবাহের বিধান দেবার জন্য দেয়া হয় নি, বরং নারীর যত্ন নিশ্চিত করতেই এটি দেয়া হয়।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
},
{
"docid": "387890#22",
"text": "মিশর, জর্ডান এবং মরক্কোতেও ইসলামের বহুবিবাহের চর্চাকে বাঁধাগ্রস্ত করা হয়। মিশরের ব্যক্তিগত মর্যাদা আইনসমূহ (personal status laws) ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে অনেক পরিবর্তনের সম্মুখীন হয় কিন্ত পরিশেষে তারা নারীদের প্রতি খুবই নিয়ন্ত্রণমূলক হয় এবং বহুবিবাহের সীমাবদ্ধতাকে সংকুচিত করে। এর ফলে মিশরের নারীবাদীগণ আন্দোলন করে এবং তারা একটি নতুন বিবাহ চুক্তি তৈরি করে (২০০০ সালে অনুমোদিত), যেখানে নারী বিবাহবিচ্ছেদ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছু অধিকার অর্জন করে। জর্ডানে ২০০১ সালে আরও বেশি সফলতা আসে যখন সেখানে নাগরিক মর্যাদা আইন সংশোধিত হয়। এর ফলে স্বামীর পুনরায় বিবাহ করবার পূর্বে তার স্ত্রীর সম্মতির প্রয়োজন পড়ে। এই পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব হয়েছিল দেশটিতে নারী অধিকার সংক্রান্ত আরও কিছু প্রগতিশীল সিদ্ধান্ত নেবার সাথে সাথে, যার ফলে দেশটিতে নারীদের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পায়। মরক্কোতেও মুসলিম নারীবাদী গোষ্ঠী আন্দোলন করে এবং এর ফলে সেখানে বহুবিবাহ কঠিন হয়ে যায়।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
},
{
"docid": "387890#18",
"text": "যদিও অনেক দিন ধরেই এই ধর্মের সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে নারী অধিকার অগ্রভাগেই ছিল, তবুও মুসলিম নারীবাদ একটি সম্পূর্ণ নতুন আন্দোলন। এর সূত্রপাত হয় যখন মুসলিম নারীগণ অনুধাবন করেন, তারা তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোকে (যেগুলো মুসলিম সমাজ ও নৈতিকতা নির্ধারণ করে) পুনরায় পাঠ করে (পুনর্ব্যাখ্যা) সমাজে তাদের ভূমিকার পরিবর্তন করতে পারে। এই পুনর্ব্যাখ্যার দিকে যাওয়া ইসলামে নতুন চর্চা নয়। পুরুষ ইসলামিক পণ্ডিতগণ মুহম্মদের মৃত্যুর পর থেকেই এটি করে আসছেন, কিন্তু কখনও কোন নারীকে এমন কিছু করতে দেখা যায় নি। এবারই প্রথম যখন নারীরা কোরান ও হাদিসকে বিশ্লেষণী উপায়ে পড়া যায় তা শেখা শুরু করে। তাদের নতুন ধর্মীয় জ্ঞান তাদেরকে তাদের বিশ্বাস সম্পর্কে শিখতে এবং ধর্মগ্রন্থের শিক্ষিত ব্যাখ্যাকার হবার দিকে ধাবিত করে। এই ইসলামী নারীবাদী পণ্ডিতদের অনেকেই অনুধাবন করা শুরু করে যে ইসলাম এবং ইসলামী সমাজের পিতৃতান্ত্রিক চর্চাসমূহের মধ্যে কোন বন্ধন নেই। যেমন, এই নারীবাদীরা মুহম্মদের জীবন সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে শুরু করে এবং যুক্তি দেখায় যে তিনি নারীদের সাথে সেই সময় অনেক প্রগতিশীল উপায়ে ব্যবহার করতেন। মুহম্মদ তার ধর্মীয় চর্চায় তার সকল স্ত্রীকেই অন্তর্ভূক্ত করেন এবং তাদেরকে তিনি এতটাই সম্মান করতেন যে তাদের দুঃখ এবং উপদেশ আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতেন। এমনকি তারা যুদ্ধেও তার সাথে অংশগ্রহণ করেন। মুসলিম নারীবাদীদের কথা অনুসারে, ইসলামে বহুবিবাহের উদ্দেশ্য ছিল ইসলামপূর্ব যুগে যে বহুবিবাহের প্রথা প্রচলিত ছিল তা হ্রাস করা। সেসময় বিজয়ী শাসকগণের অনেক বড় আকারের হারেম থাকত, আর সেখানে নারীকে কোনরকম সম্মান দেয়া হত না, যেখানে ইসলাম সেই স্ত্রীর সংখ্যা কমিয়ে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নিয়ে আসে যা একজন স্বামীর জন্য প্রয়োজন হতে পারে ও যেখানে স্বামীকে তার প্রত্যেক স্ত্রীর সাথেই সমানভাবে আচরণ করতে হবে। এই নারীবাদীগণ সেই ধারণাতেই জোড় দেন যে, কেবল যেসব পুরুষ তাদের স্ত্রীদেরকে সমান ভালোবাসা এবং সমানভাবে ভরন পোষণের সক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন কেবল তাদেরকেই একাধিক স্ত্রীর অনুমোদন দেয়া হবে। তারা এও বলেন যে, ইসলামে বহুবিবাহের চর্চা শুরুর কারণ ছিল পিতৃহীন বা অনাথ শিশুর দেখাশোনা ও যত্ন নেবার উদ্দেশ্যে। তাই সেসময় বহুবিবাহ পরহিতকারী ও সম্মানজনক উদ্দেশ্যে বহুবিবাহের বিধান দেয়া হয়েছিল। ইসলামী নারীবাদীগণ বলেন, \"প্রাচীন দুনিয়ায় লিঙ্গ বৈষম্য বলে কিছু ছিল না, এবং খ্রিষ্ঠীয় ও ইহুদি ধর্মগ্রন্থে নারীদেরকে যেভাবে দেখা হয়েছে ইসলামী ধর্মগ্রন্থে নারীরা তার থেকে খুব একটা ভিন্ন অবস্থানে নেই\" - এই কথাগুলোর ইসলাম সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানের অভাব থেকে প্রসূত।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
},
{
"docid": "387890#6",
"text": "ইসলামে বিবাহের প্রকৃতি নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে আরও বৃহত্তর কোরানীয় আলোচনায় বহুবিবাহ সম্পর্কিত কোরানের আয়াতগুলোকে অন্তর্ভূক্ত করলে এদেরকে বুঝতে সহজ হয়। কোরানে [৪:২১- \"তোমরা কিরূপে তা গ্রহণ করতে পার, অথচ তোমাদের একজন অন্য জনের কাছে গমন এবং নারীরা তোমাদের কাছে থেকে সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে।\"] বিবাহকে মিথাক হিসেবে বলা হয়েছে যাকে স্বামী ও স্ত্রী এর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি পবিত্র বন্ধন হিসেবে মনে করা হয়, আর কোরানের সুরা নিসা এর আয়াত নং ২১ দ্বারা এটি প্রতিষ্ঠিত। আবার এখানে বিবাহ পবিত্র বন্ধনের থেকেও বেশি কিছু। সুরা রুম এর ২১ নং আয়াতে বলা হয়েছে, \"আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে।\" কোরান অনুসারে ভালোবাসা ও দয়া বিবাহের অন্যতম অংশ। যদিও কোরানে নারী ও পুরুষের ভিন্ন লৈঙ্গিক ভূমিকার কথা লেখা আছে (স্বামীকে প্রায়ই দাতা হিসেবে দেখা যায়), সুরা বাকারা এর দুই নং আয়াতে দেখা যায়, \"তারা (তোমাদের স্ত্রীগণ) তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ।)\" তাই এটা পরিষ্কার হয় যে, ইসলামে বহুবিবাহ সম্পর্কে ধর্মগ্রন্থের ভিত্তিতে সুরা নিসা এর আয়াত নং ৩ ছাড়াও আরও অধিক আলোচনা রয়েছে।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
},
{
"docid": "387890#13",
"text": "প্রথম মুসলিম দেশ তুরস্ক ১৯২৬ সালে পুরুষের বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞা কোনো ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ধর্ম নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। এরপর ১৯৫৬ সালে তিউনিশিয়া বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে। তুরস্কের মত তিউনিসিয়া ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নয় বরং দুইটি ধর্মীয় কারণে নিষিদ্ধ করেছে। প্রথমত, কুরান পুরুষের বহুবিবাহের চর্চাকে সীমিত করেছে এবং এই চর্চাকে সমর্থন করে না, যা সময়ের সাথে সাথে বিলোপ করা কুরানের পরিষ্কার অভিপ্রেত ছিল। দ্বিতীয়ত, কুরানে বলা হয়েছে, সমস্ত স্ত্রীর সকল চাহিদা সমান ভাবে পুরণ করা, যা অসম্ভব। একারণেই একে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ১৯৭৮ সালে ইসরায়েল বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
},
{
"docid": "387890#20",
"text": "ইসলামী দুনিয়ায় আরেকরকম নারীবাদ আছে যা স্বাধীন বা রাষ্ট্রীয় নারীবাদ। এই আন্দোলনের পেছনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে \"ইসলামী আইনগত এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কোন সংস্কার সম্ভব নয় যেখানে ক্ষমতা কাঠামো চূড়ান্ত মাত্রায় পুরুষ শাসিত এবং এটি সংবিধান দ্বারা সমর্থিত, যে সংবিধানটি কেবল পুরুষ দ্বারা নির্মিত ধর্মীয় ব্যবস্থা যা রাষ্ট্রকে পরিচালিত করে।\" তারা এও বলেন যে, ইসলাম নারীদের একটি পরিস্কার ভূমিকাকে সমর্থন করে এবং বাঁচিয়ে রাখে যা নারীকে একটি প্রান্তিক স্তরে মূল্যায়িত করে। এই মুসলিম নারীবাদীগণ বলেন ধর্মগ্রন্থের পুনর্ব্যাখ্যা দিয়ে নারীর অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন করা যাবে না, আর সম্ভবত নারীর অধিকার বৃদ্ধির একটি মাত্র উপায় হচ্ছে ইসলামের গণ্ডিত বাইরে গিয়ে কাজ করা। তাই তাদের মতে বর্তমানে প্রচলিত বহুবিবাহ প্রথার পরিবর্তন আনতে চাইলে কেবল কুর'আন-হাদিস আসলেই এই চর্চাকে সমর্থন করে কিনা বা করলে কতখানি করে তা নির্ণয় করে এগুলোর পুনর্ব্যাখ্যা দেয়াই যথেষ্ট হবে না, তার পরিবর্তে এর জন্য রাজনৈতিক ও আইনব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।",
"title": "ইসলামে বহুবিবাহ"
}
] |
বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম ল্যাঙ্গুয়েজটি কবে থেকে চালু হয় ? | [
{
"docid": "628657#19",
"text": "পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রাম-চালিত কম্পিউটার ছিল জেড থ্রি যা ১৯৪১ সালে কোনরাড যুসে তৈরী করেন। ১৯৯৮ সালে অধ্যাপক রাউল রোহাস প্রমান করেন যে এই নীতিগতভাবে যন্ত্রটি ট্যুরিং কম্প্লিট।. এরপর কোনরাড যুসে এস২ নামক গণনাকারী যন্ত্র যা প্রথম (প্রসেস কন্ট্রোল যন্ত্র ও বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার ব্যবসার প্রতিষ্ঠা করেন যা বিশ্বের প্রথম বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদিত কম্পিউটার জেড ফোর তৈরী করে। এছাড়াও তিনি প্রথম হাই-লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা প্লানক্যালকুল্ তৈরি করেছিলেন।",
"title": "কম্পিউটার বিজ্ঞানের ইতিহাস"
},
{
"docid": "628657#20",
"text": "এরপর ১৯৪৮ সালে আসে দুনিয়ার প্রথম স্টোরড্-প্রোগ্রাম কম্পিউটার যা মেমরিতে স্টোর করা প্রোগ্রাম বা নির্দেশাবলী নির্বাহ করতে পারতো। ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়্যাল সোসাইটি কম্পিউটার মেশিন ল্যাবরেটরী-এর প্রতিষ্ঠাতা ম্যাক্স নিউম্যানের অনুপ্রেরণায় ফ্রেডেরিক উইলিয়ামস, টম কিলবার্ন ও জিওফ টুটিল এই তিনজন গবেষক ট্যুরিং মেশিনের কার্যনীতির উপর ভিত্তি করে ম্যাঞ্চেস্টার এসএসইএম বা ম্যাঞ্চেস্টার বেবি(ডাকনাম)নামক এই কম্পিউটারটি তৈরী করা হয়।",
"title": "কম্পিউটার বিজ্ঞানের ইতিহাস"
},
{
"docid": "137951#1",
"text": "\"সফটওয়্যার\" শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৫৩ সালে, তবে ১৯৬০ সালের পর থেকে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হয়। এর পূর্বে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম তৈরীর কাজ করতে হতো ক্রেতার অথবা UNIVAC এবং আইবিএম নির্দিষ্ট এর মত নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। কম্পিউটার ইউজেস কোম্পানি হল প্রথম বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যেখানে কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং সেবা প্রদান করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫৫ সালে। ১৯৬০ এর প্রথমদিকে সফটওয়্যার প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়। আর এর কিছুদিন আগে থেকেই সর্বসাধারণের মধ্যে কম্পিউটার বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে তাদের চাহিদা অনুযায়ি বিভিন্ন ধরনের সফরওয়্যারের প্রয়োজন হতে থাকে। এই সময় তৈরী হওয়া সফটওয়্যার সমূহের বেশ কিছু লেখা হয়েছিল নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মাধ্যমে। এর থেকে আবার বেশকিছু বিনামূল্যে দেয়া হয়েছিল ঐ নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠান থেকে। আবার কম্পিউটার ইউজেস কোম্পানি(১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত) এর মত বিভিনন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও বেশ কিছু সফটওয়্যার তৈরী করিয়ে নেয়া হয়। এই সময়ই কম্পিউটার প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ যন্ত্রাংশের সাথে অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রোগ্রামিং এনভাইরোনমেন্ট যুক্ত করে দিতে থাকে।",
"title": "সফটওয়্যার কোম্পানি"
}
] | [
{
"docid": "3502#5",
"text": "কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি ও আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC)। সে সঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক রকম অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামের ভাষা, অগণিত ব্যবহারিক প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এরসাথে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ও পরিসেবার। কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত হয়েছে অসংখ্য প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক কালে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) বা আইটি (IT) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট অংশ দখল করেছে এবং কর্মসংস্থান হয়ে পড়েছে অনেকাংশেই কম্পিউটার নির্ভর।",
"title": "কম্পিউটার"
},
{
"docid": "543659#5",
"text": "২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের যোগাযোগ সংস্থার গোপন হেডকোয়ার্টার থেকে তাদের প্রথম টুইট হিসেবে \"হ্যালো, ওয়ার্ল্ড!\" প্রোগ্রামটি ব্যবহার করেছিল।\n\"দ্যা সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ\" নামক একটি বইয়ে উদাহরণ হিসেবে \"হ্যালো, ওয়ার্ল্ড!\" প্রোগ্রামটি ব্যবহার করা হয়েছিল।তার প্রভাবেই ছোট ছোট টেস্ট প্রোগ্রাম দ্বারা কম্পিউটার পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে \"হ্যালো, ওয়ার্ল্ড!\" প্রোগ্রামটি ব্যবহারের প্রচলন চলে আসছে। বইটিতে প্রকাশিত \"হ্যালো, ওয়ার্ল্ড!\" প্রোগ্রামটি \"codice_1\" (বিস্ময়বোধক চিহ্ন ব্যতীত) লিখাটি প্রকাশ করে। ১৯৭৪ সালে ব্রায়ান কার্নিংটন বেল ল্যাবরেটরীর আভ্যন্তরীণ স্মারকলিপি থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে এই কোডটি পান। কোডটি হচ্ছে -",
"title": ""হ্যালো, ওয়ার্ল্ড!" প্রোগ্রাম"
},
{
"docid": "12024#5",
"text": "ইতালীয় ইঞ্জিনিয়ার পিয়ের জর্জিয়ো পেরোটো একটি ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটার আবিষ্কার করেন যার নাম প্রোগ্রাম ১০১ এবং এটিই প্রথম বাণিজ্যিক ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটার যা ইতালীয় কোম্পানি অলিভেট্টি উৎপাদন করেন। প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৬২ সালে। ১৯৬৪ সালে এটি ছাড়া হয় নিউ ইয়র্ক বিশ্ব মেলায়, দাম ছিল $৩২০০ এবং ভলিউম হারে উৎপাদন হয় ১৯৬৫ সালে। প্রোগ্রামা ১০১ আসার পূর্বে কম্পিউটার ছিল একেকটা ট্রাকের সমান এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞরাই ব্যবহার করত। কিন্তু প্রোগ্রামার আকার ছিল একটি টাইপরাইটারের সমান যা সবার ব্যবহার করতে পারত।",
"title": "ব্যক্তিগত কম্পিউটার"
},
{
"docid": "4361#2",
"text": "হিউলেট-প্যাকার্ডের প্রস্তুতকৃত প্রথম কম্পিউটার ছিল এইচপি ২১১৬এ। তারা ১৯৬৬ সালে এটি তৈরি করে। ১৯৭২ সালে এইচপি ৩০০০ নামক ক্ষুদ্র কম্পিউটার প্রস্তুত করে যা ব্যবসায়িক কাজে এখনও ব্যবহৃত হয়। ১৯৭৬ সালে কোম্পানির একজন প্রকৌশলী, স্টিফেন ভোজনিয়াক একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার 'র নমুনা তৈরি করে তা পেশ করেন। হিউলেট-প্যাকার্ড সমস্ত সত্ব ত্যাগ করে ভোজনিয়াকে যে কোন পরিকল্পনার অধিকার দান করে। ভোজনিয়াক পরবর্তীতে স্টিভ জবস'র সাথে মিলে অ্যাপ্ল ইনকর্পোরেটেড নামক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮০ সালে প্রথম ডেস্কটপ কম্পিউটার এইচপি-৮৫ তৈরি করে। কিন্তু আইবিএম কম্পিউটারের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়ায় তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আইবিএম কম্পিউটারের সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম এমন একটি কম্পিউটার বাজারজাত করে যা এইচপি-১৫০ নামে পরিচিত। কিন্তু তাও বাজার হারায়। হিউলেট-প্যাকার্ডের প্রস্তুতকৃত প্রথম সফল উৎপাদন সামগ্রী ছিল একটি প্রিন্টার। প্রিন্টারটি এইচপি লেসারজেট নামে পরিচিত যা ১৯৮৪ সালে বাজারজাত করা হয়। কিন্তু এর পরপরই হিউলেট-প্যাকার্ড অন্যান্য কোম্পানি যেমন সান মাইক্রোসিস্টেম্স, সিলিকন গ্রাফিক্স ও অ্যাপোলো কম্পিউটার'র কারণে বাজার হারাতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৯ সালে হিউলেট-প্যাকার্ড অ্যাপোলো কোম্পানিকে কিনে নেয়। ১৯৯০ সালের পর হিউলেট-প্যাকার্ডকে প্রচুর রাজস্ব হারাতে হয় এবং ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দেয়। এ অবস্থা থেকে কোম্পানির উত্তরণের জন্য \"প্যাকার্ড\" অবসর ত্যাগ করে আবার ব্যবস্থাপনায় ফিরে আসেন। তার চালনায় কোম্পানি আবার গতিশীলতা লাভ করে এবং স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার সামগ্রী বাজারজাত করে আবার জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরই সাথে হিউলেট-প্যাকার্ড বিশ্বের শীর্ষ তিন ব্যক্তিগত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে আসে। ১৯৯৩ সালে কোম্পানি যখন সম্পূর্ণ ঘুরে দাড়াতে সক্ষম হয় তখন প্যাকার্ড অবসর নেন।\nহিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানি ব্যবসার জগতে একটি নতুন ধারার জন্ম দেয়। সহযোগিতা ও সাধারণ স্বার্থই এ ধারার মূলমণ্ত্র। হিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানিতে কর্মরত সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে শেয়ারগ্রাহকদের মতই কোম্পানির অংশ মনে করা হয়। তারা সবাই কোম্পানির স্বার্থর সাথে সমান ভাবে জড়িত বলে ধরা হয়। এ ধরণের মানসিকতার কারণে হিউলেট প্যাকার্ড সমাজের নারী ও সংখ্যালঘুদের কাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়।",
"title": "হিউলেট-প্যাকার্ড"
},
{
"docid": "6672#18",
"text": "সংশোধিত দ্বিতীয় প্রজন্মের নেক্সটকিউবও ১৯৯০ সালে অবমুক্ত হয়। জবস এটিকে প্রথম ইন্টারপার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে ঘোষণা করেন। এটিতে ছিল নেক্সটমেইল নামক মাল্টিমিডিয়া ইমেইল প্রযুক্তি। নেক্সটকিউবের মাধ্যমে ইমেইলের সাথে প্রথমবারের মত ভয়েস, চিত্র, গ্রাফিক্স এবং ভিডিও চিত্র আদান প্রদানের সুবিধা চালু হয়। জবস সাংবাদিকদের বলন, “ইন্টারপার্সোনাল কম্পিউটার মানুষের যোগাযোগ এবং দলীয় কাজকর্মে বিপ্লব বয়ে আনবে।” ১৯৯৪ সালে কোম্পানি থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে তাদের ১.০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জিত হয়েছে। ১৯৯৬ সালে নেক্সট সফটওয়্যার ইনকপোরেটেড অবমুক্ত করে ওয়েবঅবজক্টস, যা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্টের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক। ১৯৯৭ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক নেক্সট অধিগ্রহনের পর ওয়েবঅবজেক্টস ব্যবহৃত হয় অ্যাপল স্টোর, মোবাইলমি সেবা, এবং আইটিউনস স্টোর তৈরি এবং পরিচালনায়।",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "307482#1",
"text": "সান ডিয়েগোতে অবস্থিত ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জ্যোতিষ গণনাকারী সংস্থা যার প্রধান নীল মিকেলসেন সর্বপ্রথম কমপিউটার ভিত্তিক পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন ১৯৭৬ সালে যার নাম ছিল \"দি আমেরিকান এফিমেরিস\"। যখন জ্যোতিষীগণ ও শৌখিন জ্যোতিষীগণ জ্যোতিষ সফটওয়্যার কিনতে লাগলো তখন জ্যোতিষ সফটওয়্যার নিজেরা ব্যবহার বা নিজেরাই তৈরী করতে সক্ষম হলো তত দিনে কম্পিউটার সহজলভ্য হয়ে উঠলো। জ্যোতিষী এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামার মাইকেল এলরিওয়াইন গোড়ার দিকে ১৯৭০ দশকের মধ্যে সাধারণ জনসাধারণের জন্য সহজলভ্য মাইক্রোকম্পিউটারের জন্য জ্যোতির্বিদ্যা সফটওয়্যার তৈরীর সাথে জড়িত ছিল। ১৯৭৮ সালে, এলরিওয়াইন যিনি ম্যাট্রিক্স সফটওয়্যার তৈরী করেছিলেন, এবং ১৯৮০ সালে তিনি তাদের নিজের সম্পূর্ণ জ্যোতির্বিদ্যা প্রোগ্রাম করতে মাইক্রোকম্পিউটারের মালিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত আলগোরিদিম এবং তথ্য দিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। \nপ্রথমে, জ্যোতিষশাস্ত্র সফটওয়্যার এর ব্যবহারের ব্যপারে আমেরিকান জ্যোতিষীগণ ছিল তীব্র বিরোধী। এটি আরও দক্ষ ও লাভজনক যেমন সফটওয়্যার হতে পারে তত এর গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে। মাত্র কয়েক শত নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে জ্যোতিষশাস্ত্র কম্পিউটার তৈরী হয়েছিল। যা 1981 সালে ন্যান্সি রেগান এর জ্যোতিষী এ দ্বারা ব্যবহৃত হয়। জ্যোতিষ প্রোগ্রাম সাধারণত শহর ও শহরগুলির জন্য দ্রাঘিমা, অক্ষাংশে, এবং সময় অঞ্চল রীতি ইতিহাস পর্যালোচনা করে তার হিসাব বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে বের করে। \nকম্পিউটার জ্যোতিষশাস্ত্র প্রোগ্রাম আজ সাধারণত, সঠিক গ্রহের অবস্থান গণনা করা প্রদর্শন ও গ্রাফিক চার্ট মধ্যে জ্যোতির্বিদ্যা গ্লিফের চিহ্ন ব্যবহার করে এই অবস্থানের মুদ্রণ, ব্যক্তিগত 'তথ্য ডাটাবেস ফাইল থেকে সংরক্ষণ এবং উদ্ধার, তাদের মধ্যে জ্যোতির্বিদ্যা দিক থেকে এটি বিভিন্ন চার্টের গ্রহের অবস্থানের তুলনা (সামঞ্জস্যের জন্য উদাহরণ), একটি লেখচিত্র জন্য ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তারিখগুলি নিরূপণ, এবং সংরক্ষিত চার্ট ডাটাবেস গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিছু কিছু সফটওয়্যার রঙিন ভৌগোলিক মানচিত্র এর সাহায্যে গ্রহসমূহের অবস্থান জাতকের জন্ম সময় অনুযায়ি উপস্থাপন করে (যাকে জ্যোতিষ মানচিত্র বলে)। অনেক ব্যাপক মুদ্রিত রিপোর্ট এর মধ্যে একটি লেখচিত্র বিভিন্ন উপাদান সমন্বয় বিষয়ে ব্যাখ্যামূলক বর্ণনা যুক্ত করা।",
"title": "জ্যোতিষশাস্ত্র সফটওয়্যার"
},
{
"docid": "6857#1",
"text": "শুরুর দিকে একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের কাজ মানুষই করত। \n১৯৪০ সালের সেপ্টেম্বরে জর্জ স্তিবলিৎজ প্রথম একটি দূরসঞ্চার যন্ত্র ব্যবহার করেন নিউ হ্যাম্পস্যার এর ডর্টমাউথ কলেজ থেকে নিউইয়র্কে তাঁর জটিল সংখ্যা গননার যন্ত্রের মধ্যে সংযোগস্থাপনের জন্যে। ১৯৬৪ সালে ডর্টমাউথ এক বিশাল কম্পিউটার ব্যবস্থার বিতরিত ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সময় বিভক্তিকরন ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে। ওই একই সালে জেনারেল ইলেক্ট্রিক ও বেল ল্যাবরেটরির সাহায্যপ্রাপ্ত কিছু গবেষক একটি পিডিপি-৮ কম্পিউটারকে ব্যবহার করেন টেলিফোন সংযোগকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন করার জন্য। ১৯৬৯ সালে লস এঞ্জেলস এর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ডের এস আর আই, সান্তা বারবারার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও উতা বিশ্ববিদ্যালয় আরপানেট এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ৫০ কেবিপিএস (কিলোবিট প্রতি সেকেন্ডে) গতিতে সংযোগ স্থাপন করে।",
"title": "কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং"
}
] |
আইনস্টাইন কত সালে নোবেল পুরুস্কার পান ? | [
{
"docid": "1398#0",
"text": "আলবার্ট আইনস্টাইন () (মার্চ ১৪, ১৮৭৯ - এপ্রিল ১৮, ১৯৫৫) জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
}
] | [
{
"docid": "5223#3",
"text": "১৯৩৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উদ্ভাবনের বিশাল এই গবেষণাগারের সাতটি উদ্ভাবন ও আবিষ্কার নোবেল পুরস্কার লাভ করে। ১৯৩৭ সালে গবেষক কিনটন ডেভিসন পদার্থের তরঙ্গ প্রকৃতির ওপর গবেষণার জন্য প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন, ১৯৭৭ সালে কাচ ও চুম্বকের বৈদ্যুতিক কাঠামো তত্ত্বের জন্য, ১৯৭৮ সালে মহাবিশ্বের তরঙ্গ প্রকৃতির গবেষণার জন্য, ১৯৯৭ সালে লেজার গবেষণায়, ১৯৯৮ সালে কোয়ান্টাম হল এফেক্টের জন্য ও সর্বশেষ ২০০৯ সালে অর্ধপরিবাহকের ‘চার্জড কাপল্ড ডিভাইস’ উদ্ভাবনের জন্য বেল ল্যাবরেটরির গবেষকেরা নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।",
"title": "বেল ল্যাবরেটরিজ"
},
{
"docid": "34082#2",
"text": "রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে জার্মানীর রিচার্ড কুন (১৯৩৮) এবং এডলফ বুটেনান্ড (১৯৩৯) নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেন নাই। পরবর্তীতে তারা পদক এবং সনদ পান কিন্তু কোন টাকা পান নাই। ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার ১৯৫৮ ও ১৯৮০ সালে রসায়নে এবং জন বার্ডেন ১৯৫৬ ও ১৯৮০ সালে পদার্থে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। এই দুই বিজ্ঞানীই একই বিষয়ে দুইবার করে নোবেল পান। অন্যদিকে মেরি ক্যুরি (পদার্থে ১৯০৩, রসায়নে ১৯১১) এবং লিনাস পাউলিং (রসায়ন ১৯৫৪, শান্তি ১৯৬২) দুইবার করে নোবেল পুরস্কার পান।",
"title": "রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের তালিকা"
},
{
"docid": "300389#3",
"text": "১৫ নভেম্বর, ১৯৪৫ তারিখে বিজ্ঞানবিষয়ক রয়্যাল সুইডীশ একাডেমী ঘোষণা করে যে, ১৯৪৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কারের জন্যে অটো হানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তবে কিছু ইতিহাসবিদ দেখিয়েছেন যে নিউক্লিয়ার ফিশন সৃষ্টিতে অনবদ্য অংশগ্রহণের জন্যে সহযোগী লিজ মেইটনারকেও নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা উচিত ছিল। কিন্তু ফার্ম হলে অবস্থানকালীন সময়ে এ বিষয়টি জানতেন না। তাকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল এবং নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে স্বাগতঃ টেলিগ্রাম পাঠানোর ব্যবস্থা ছিল না। ডেইলি টেলিগ্রাফ সংবাদপত্র মারফত তিনি পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জানতে পারেন। ১৮ নভেম্বর তারিখে তাঁর সহকর্মী অন্যান্য জার্মান বিজ্ঞানীরা বক্তৃতা, হাসি-ঠাট্টা-তামাশা এবং গীতবাদ্য গেয়ে এ পুরস্কারকে উদযাপিত করে। ৪ ডিসেম্বর তারিখে হান ছাড়া পান এবং নোবেল কমিটিকে ধন্যবাদজ্ঞাপনপূর্বক চিঠি লিখে পুরস্কার গ্রহণের জন্যে তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিত না থাকার সম্ভাবনাও ব্যক্ত করেন। কিন্তু তাঁকে আটককারী কর্মকর্তাগণ ফার্ম হল ত্যাগে বাধা-নিষেধ আরোপ করলে তিনি নোবেল উৎসবে যেতে পারেননি।",
"title": "অটো হান"
},
{
"docid": "1398#2",
"text": "১৯৩৩ সালে এডলফ হিটলার জার্মানিতে ক্ষমতায় আসেন, সে সময় তিনি বার্লিন একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। ইহুদী হওয়ার কারণে আইনস্টাইন সে সময় দেশত্যাগ করে আমিরেকায় চলে আসেন এবং আর জার্মানিতে ফিরে যান নি। আমেরিকাতেই তিনি থিতু হোন এবং ১৯৪০ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পান।\nদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে আগে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি জার্মানী \"ভিন্ন ধরনের অসম্ভব শক্তিশালী বোমা বানাতে পারে\" মর্মে সতর্কতা উচ্চারণ করে আমেরিকাকেও একই ধরনের গবেষণা শুরুর তাগিদ দেন। তাঁর এই চিঠির মাধ্যমেই ম্যানহাটন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়। আইনস্টাইন মিত্রবাহিনীকে সমর্থন করলেও পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছিলেন। পরে ব্রিটিশ দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের সঙ্গে মিলে আণবিক বোমার বিপদের কথা তুলে ধরে রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার[] রচনা করেন। ১৯৫৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "4306#10",
"text": "বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান, বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন, বোসনের উপর গবেষণা করে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন Carlo Rubbia এবং Simon van der Meer, ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে David M. Lee, Douglas D. Osheroff, Robert C. Richardson, ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে Martinus J. G. Veltman ও Gerardus 't Hooft, ২০০১ খ্রিস্টাব্দে Eric Allin Cornell, Carl Edwin Wieman এবং Wolfgang Ketterle) নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোসকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, \"for the achievement of Bose-Einstein condensation in dilute gases of alkali atoms, and for early fundamental studies of the properties of the condensates\"",
"title": "সত্যেন্দ্রনাথ বসু"
},
{
"docid": "62109#0",
"text": "আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স (আগস্ট ৮, ১৯০১ - আগস্ট ২৭ , ১৯৫৮) একজন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি সাইক্লোট্রন উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন, এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফলাফল লাভের জন্য বিখ্যাত। পবর্তীতে ম্যানহাটন প্রকল্পে কাজ করার সময় তিনি ইউরেনিয়াম সমাণু পৃথকীকরণে সফলতা অর্জন করেন। বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। সেখানে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের অধাপক ছিলেন। ১৯৩৯ সালে তাকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পদান করা হয়। ১০৩ নম্বর রাসায়নিক মৌল লরেনসিয়াম তার নামানুসারেই নামাঙ্কিত হয়েছে। এছাড়া তিনিই পথম ব্যক্তি যিনি সিলভানাস থেয়ার মেডেল পান।",
"title": "আর্নেস্ট লরেন্স"
},
{
"docid": "5772#17",
"text": "তাঁর বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি একটি নতুন উচ্চতায় চলে \nগিয়েছিল এবং যাবতীয় বিরোধিতা প্রত্যাখ্যান করে ১৯১১ সালে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার দেয়ার মাধ্যমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সাইন্স তাঁকে \nদ্বিতীয়বারের মত সম্মানিত করে। \"রেডিয়াম ও \nপোলনিয়াম আবিষ্কার, রেডিয়াম পৃথকীকরণ এবং এইরকম অসাধারণ উপাদানের \nপ্রকৃতি ও এদের যৌগের উপর গবেষণার মাধ্যমে রসায়নশাস্ত্রের উন্নয়ন \nঘটানোর স্বীকৃতিস্বরূপ\" তাঁকে এই সম্মাননা দেয়া হয়। তিনি দুইটি নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী প্রথম নারী এবং শুধুমাত্র \nতিনি ও লিনাস পলিং একাধিক ক্ষেত্রে নোবেল পুরষ্কার \nপেয়েছেন। ঔপন্যাসিক হেনরিক সিএঙ্কিভিজের নেতৃত্বে একটি পোলিশ প্রতিনিধি দল তাঁকে পোল্যান্ডে ফিরে এসে নিজ দেশে গবেষণা \nকার্যক্রম চালাতে অনুরোধ করে। ক্যুরির দ্বিতীয়ও \nনোবেল পুরস্কার অর্জন তাঁকে ফরাসি সরকারকে রেডিয়াম ইন্সটিটিউট তৈরিতে \nসহযোগিতা করতে রাজি করাতে সক্ষম করে তোলে; যেখানে রসায়ন, পদার্থ ও \nমেডিসিনের উপর গবেষণা হত। ১৯১১ সালে নোবেল পুরষ্কার \nঅর্জনের কিছু সময় পরেই হতাশা এবং বৃক্কে অসুস্থতা জনিত কারণে \nতাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯১২ সালের \nঅধিকাংশ সময়ই তিনি জনসম্মুখে আসা থেকে বিরত ছিলেন তবে তাঁর বান্ধবী ও \nসহকর্মী পদার্থবিদ হারথা আয়রটনের সাথে কিছু সময় \nইংল্যান্ডে অতিবাহিত করেছেন। \n১৪ মাস বিরতির পর অবশেষে ডিসেম্বর মাসে তিনি গবেষণাগারে ফিরে আসেন।\n১৯১২ সালে ওয়ার্স সাইন্টিফিক সোসাইটি তাঁকে \nওয়ার্সতে একটি নতুন গবেষণাগারের পরিচালকের পদে আসীন হওয়ার প্রস্তাব \nদেয়। কিন্তু রেডিয়াম ইন্সটিটিউটের উন্নয়ন যা শেষ হতে ১৯১৪ সালের আগস্ট \nপর্যন্ত সময় লেগেছিল এবং রু পিয়েরে-ক্যুরি নামে একটি নতুন সড়ক তৈরির \nপরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকায় তিনি ঐ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ১৯১৩ সালে পোল্যান্ড \nভ্রমণে আসেন এবং ওয়ার্স তাঁকে স্বাগতম জানায় কিন্তু রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ \nতাঁর ভ্রমণকে অবহেলার চোখে দেখে। একটি যুদ্ধ আসন্ন \nছিল বিধায় অধিকাংশ গবেষককে ফরাসি সৈন্যে অন্তর্ভুক্ত করায় \nরেডিয়াম ইন্সটিটিউটের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটে। ১৯১৯ সালে এর কার্যক্রম \nপুরোদমে চালু হয়।",
"title": "মারি ক্যুরি"
},
{
"docid": "300330#4",
"text": "১৯২৬ সালে \"অ্যারোজস্মিথ\" নামীয় গ্রন্থের জন্য পুলিৎজার পুরস্কারে ভূষিত হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।\n১৯৩০ সালে লুইস সিনক্লেয়ার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সুইডিশ একাডেমীতে স্মারক বক্তৃতায় তিনি \"ব্যাবিট\" উপন্যাসের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। তিনি থিওডোর ড্রেইজার, উইলা ক্যাথার, আর্নেস্ট হেমিংওয়েসহ অন্যান্য লেখকদেরকে স্মরণ করেন। পাশাপাশি বলেন, 'আমেরিকায় শুধুমাত্র পাঠক নয়, আমরাও সাহিত্যচর্চা করতে ভয় পাই যা প্রত্যেক আমেরিকানের জন্যে গৌরব বয়ে আনে না। আমাদের ভাগ্যের পার্শ্বে গৌরবেরও ত্রুটি রয়েছে। আজ আমেরিকা বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বিতর্কিত, সর্বাপেক্ষা হতাশাগ্রস্ত জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।' এছাড়াও তিনি আমেরিকার সাহিত্য প্রতিষ্ঠারও সমালোচনা করার জন্যে জন্যে আমন্ত্রণ জানান। তিনি আরও বলেন, 'আমাদের আমেরিকার অধ্যাপকগণ এ ধরনের সাহিত্যকে পছন্দ করেন, নিষ্কলুষ, শীতল, বিশুদ্ধ ও অত্যন্ত নির্জীব রাখতে ভালবাসেন।'",
"title": "সিনক্লেয়ার লুইস"
},
{
"docid": "1398#14",
"text": "১৯০৬ সালে পেটেন্ট অফিস আইনস্টাইনকে টেকনিক্যাল পরীক্ষকের পদে উন্নীত করে। কিন্তু তিনি তখনও পড়াশোনার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯০৮ সালে বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের privatdozent হিসেবে যোগ দেন। ১৯১০ সালে তিনি ক্রান্তীয় অনচ্ছতা বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র লিখেন। এতে পরিবেশে একক অণু কর্তৃক বিচ্ছুরিত আলোর ক্রমপুঞ্জিত প্রভাব বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। এর মাধ্যমেই আকাশ কেন নীল দেখায় তার রহস্য উন্মোচিত হয়। ১৯০৯ সালে আরও দুটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। প্রথমটিতে তিনি বলেন, ম্যাক্স প্লাংকের শক্তি-কোয়ান্টার অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ভরবেগ থাকতে হবে এবং তা একটি স্বাধীন বিন্দুবৎ কণার মত আচরণ করবে। এই গবেষণাপত্রেই ফোটন ধারণাটির জন্ম হয়। অবশ্য ফোটন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন গিলবার্ট এন লুইস ১৯২৬ সালে। তবে আইনস্টাইনের গবেষণায়ই ফোটনের প্রকৃত অর্থ বোঝা যায় এবং এর ফলে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানে তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা বিষয়ক ধারণার উৎপত্তি ঘটে। তার অন্য গবেষণাপত্রের নাম ছিল \"Über die Entwicklung unserer Anschauungen über das Wesen und die Konstitution der Strahlung\" (বিকিরণের গাঠনিক রূপ এবং আবশ্যকীয়তা সম্বন্ধে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন) যা আলোর কোয়ান্টায়ন বিষয়ে রচিত হয়।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
}
] |
ফেসবুকের বর্তমান চেয়ারম্যান কে ? | [
{
"docid": "78041#6",
"text": "প্রধান পরিচালনার কর্মীবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ক্রিস কক্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট), শেরিল স্যান্ডবার্গ (প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা), মার্ক জাকারবার্গ (চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা)। ২০১১ সালের এপ্রিল অনুযায়ী, ফেসবুকের প্রায় ২,০০০ জন কর্মচারী রয়েছে এবং তাদের দপ্তর রয়েছে ১৫টি দেশে।",
"title": "ফেসবুক"
}
] | [
{
"docid": "348393#0",
"text": "শেরিল কারা স্যান্ডবার্গ (/ˈsændbərɡ, bərɡ/) (জন্ম ২৮শে আগস্ট, ১৯৬৯) একজন আমেরিকান মহিলা ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালের আগস্ট অনুযায়ী তিনি ফেসবুকের প্রধান অপারেটিং অফিসার। ২০১২ সালের জুনে তিনি পরিচালনা বোর্ডের বিদ্যমান সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে প্রথম নারী সদস্য হিসেবে ফেসবুক বোর্ডে যোগদান করেন। ফেসবুকের আগে তিনি অনলাইন সেলস এন্ড অপারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি গুগলের সহপ্রতিষ্ঠান গুগল অর্গানাইজেশনের সাথেও জড়িত ছিলেন। গুগলের পূর্বে তিনি ইউনাইটেড স্টেটস সেক্রেটারি অফ ট্রেজারিতে প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ২০১২ সালে তিনি টাইমস ম্যাগাজিনের মতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের মধ্যে তালিকাভুক্ত হন। জানুয়ারী, ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী তার সম্পত্তির পরিমাণ ১ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারেরও বেশি। তার প্রধান অর্থের উৎস হল ফেসবুক ও অন্যান্য কোম্পানির শেয়ার।",
"title": "শেরিল কারা স্যান্ডবার্গ"
},
{
"docid": "315333#18",
"text": "পাকিস্তানের সাবেক জনপ্রিয় ব্যাটসম্যান জহির আব্বাস বর্তমান ও ১২শ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁকে ২৫ জুন, ২০১৫ তারিখে এ পদে মনোনয়ন দেয়া হয়। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসি’র সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামালের স্থলাভিষিক্ত হন। কিন্তু আইসিসি’র বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক ও অনিয়মতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালনার অভিযোগ উত্থাপন করে মোস্তফা কামাল এপ্রিল, ২০১৫ সালে পদত্যাগ করেন। উল্লেখ্যে যে, ২৬ মে, ২০১৪ তারিখে ১১শ সভাপতি হিসেবে তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি ও আইসিসি’র সাবেক সভাপতি অ্যালান আইজ্যাকের স্থলাভিষিক্ত হন। এছাড়াও, সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ডেভ রিচার্ডসন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য রয়েছে।",
"title": "আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল"
},
{
"docid": "6630#0",
"text": "জন ফিট্জেরাল্ড কেনেডি বা জন এফ. কেনেডি (ইংরেজি: John Fitzgerald Kennedy, বা John F. Kennedy) (মে ২৯, ১৯১৭ – নভেম্বর ২২, ১৯৬৩) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি। তিনি JFK নামেও পরিচিত। তিনি ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৩ সালে নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।\nদিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে Motor Torpedo Boat PT-109 এর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তার পিতা, জোসেফ পি. কেনেডি, সিনিয়র, এর উৎসাহ আর সহযোগিতায় তিনি রাজনীতিতে আসেন এবং U.S. House of Representatives এর Massachusetts's 11th congressional district এ ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত ডেমক্রেটদের প্রতিনিধিত্ব করেন। পরবর্তিতে তিনি সিনেটে ১৯৫৩ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত ডেমক্রেটদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৬০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তৎকালিন উপ-রাষ্ট্রপতি এবং রিপাবলিকান প্রাথী রিচার্ড নিক্সনকে পরাজিত করেন। তিনি থিওডর রুজভেল্ডের পর আমেরিকার দিতীয় কনিষ্টতম রাষ্ট্রপতি, বিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি, এবং সর্বকনিষ্ট নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। কেনেডি প্রথম ও একমাত্র ক্যাথলিক এবং প্রথম আইরিশ আমেরিকান রাষ্ট্রপতি। কেনেডি একমাত্র আমেরিকান রাষ্ট্রপতি যিনি পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন।\n১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর কেনেডি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। লি হার্ভি অসওয়াল্ডকে এই ঘটনার জন্য অভি্যুক্ত করা হয়। কিন্তু তার বিচার হয়নি কারণ দুইদিন পরেই জ্যাক রুবি নামক একজনের গুলিতে হার্ভি নিহত হয়। এফবিআই, ওয়ারেন কমিশন এবং হাউস সিলেক্ট কমিটি তদন্ত অনুসারে অসওয়াল্ডই ছিল কেনেডির আততায়ী।",
"title": "জন ফিট্জেরাল্ড কেনেডি"
},
{
"docid": "78041#10",
"text": "২০১১ সালের শুরুর দিকে ফেসবুক ঘোষণা করে তাদের নতুন মূল অফিস সান মাইক্রোসিস্টেমের ক্যাম্পাস ম্যানলো পার্কে সরানোর পরিকল্পনার কথা। আমেরিকা এবং কানাডার বাইরে সকল ব্যবহারকারীর ফেসবুকের আইরিস অধীনস্থ কোম্পানি \"ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লি.\" সাথে চুক্তিবদ্ধ। এর ফলে যারা ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ফেসবুক ব্যবহার করেন তাদের জন্য কোন আমেরিকান কর ফেসবুককে দিতে হয় না। ফেসবুক দ্বৈত আইরিশ সমঝোতা ব্যবহার করছে যার ফলে আন্তজার্তিক আয়ের উপর তাদের ২-৩% করর্পোরেশ কর দিতে হচ্ছে।",
"title": "ফেসবুক"
},
{
"docid": "700048#0",
"text": "কার্ট স্টিভেন এঙ্গেল (জন্ম ডিসেম্বর ৯, ১৯৬৮) আমেরিকার একজন পেশাদার কুস্তিগীর, অভিনেতা সাবেক অ্যামেচার কুস্তিগীর। বর্তমানে সে ডাব্লিউডাব্লিউইর সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে যেখানে সে র ব্র্যান্ডের অনস্ক্রিন জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি ফ্রিস্টাইল রেসলিং এ ১৯৯৫ ওয়ার্ল্ড রেসলিং চ্যাম্পিয়নশীপ এ গোল্ড মেডেল জয় করেন। এরপর ফ্রিস্টাইল রেসলিং এ ১৯৯৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক এ গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। সে ওই চার জনের মধ্যে একজন যারা অ্যামেচার রেসলিং এ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছে (জুনিয়র ন্যাশনালস, এনসিএএ, ওয়ার্ল্ড রেসলিং চ্যাম্পিয়নশীপ এবং অলিম্পিক)। ২০১৬ সালে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তার অ্যামেচার রেসলিং অর্জনের জন্য।",
"title": "কার্ট এঙ্গেল"
},
{
"docid": "262072#1",
"text": "বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সুইস-ইতালীয় বংশোদ্ভূত জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ফিফা কংগ্রেসের এক্সট্রাঅর্ডিনারী অধিবেশনে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়। তাঁকে নির্বাচিত করার পূর্বে ক্যামেরুনের ইসা হায়াতু ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ৮ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে সাবেক সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারকে বহিষ্কার করা হয় ও ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে ফুটবল-সম্পর্কীয় সকল ধরণের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের বিষয়েও তাঁকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।",
"title": "ফিফা সভাপতি"
},
{
"docid": "78041#43",
"text": "জুলাই ২০১৪ সালে সাকিরা প্রথম প্রসিদ্ধ ব্যক্তি হন যার পাতা ১০০ মিলিয়ন লাইক পার করে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো ছিলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যার লাইক ১০০ মিলিয়নে পৌ্ছায়। এরপরই আছেন্ রিহানা (৯৮ মিলিয়ন) এবং এমিনেম (৮৯ মিলিয়ন)। মার্ক জাকারবার্গ অভিনন্দনসূচক বার্তা রাখেন তাদের ওয়ালে।\nফেসবুকের প্রধান প্রতিযোগীর মধ্যে আছে চীনে কিউজোন এবং রেনরেন; ব্রাজিলে অরকুট (২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধের আগ পর্যন্ত); দক্ষিণ কোরিয়ায় সাইওয়ার্ল্ড; রাশিয়া, বেলারুস, কাজাকস্থান, কিরগিস্থান, মালডোবা, ইউক্রেন, উজবেকিস্থানে ভিকে এবং অডনক্লাসনিকি; ড্রাগিয়েম.এলভি লাটভিয়ায়; ইরানে ক্লুব; ভিয়েতনামে জিং এবং জাপানে মিক্সি।",
"title": "ফেসবুক"
},
{
"docid": "309075#0",
"text": "মাইকেল জেমস হেসন (; জন্ম: ৩০ অক্টোবর, ১৯৭৪) ওতাগোর ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান প্রধান কোচ। এরপূর্বে তিনি কেনিয়া এবং ওতাগো দলের কোচ ছিলেন। এছাড়াও তিনি আর্জেন্টিনা জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০ জুলাই, ২০১২ তারিখে নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হন মাইক হেসন। এরপর দলের ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর পর্যন্ত তার মেয়াদ বর্ধিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়োগের পূর্বে কেনিয়ার ক্রিকেট কোচের দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তাজনিত কারণে পদত্যাগ করেন। অদ্যাবধি আধুনিক যুগে নিউজিল্যান্ডের কোচ হিসেবে তাঁর কোচের পরিসংখ্যান অন্য যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় কোচের তুলনায় সবচেয়ে খারাপ।",
"title": "মাইক হেসন"
},
{
"docid": "652675#0",
"text": "কে ব্যান্ড হচ্ছে বেতার তরঙ্গের ২০ থেকে ৪০ গি.হা. (সমতুল্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যে 1.5 এবং 0.75 সেমি) অংশের বর্তমানে অব্যবহৃত স্নায়ুযদ্ধ সময়কালীন সংজ্ঞা।ন্যাটো যৌথ সামরিক/বেসামরিক সরকারি ফ্রিকোয়েন্সি চুক্তিতে (এনজেএফএ) অনুযায়ী ফ্রিকোয়েন্সি বন্টনের এবং বরাদ্দকরণের মাধ্যমে এর প্রচলন রয়েছে।\nতবে সামরিক রেডিও স্পেকট্রাম চিহ্নিত করার জন্য, যেমন জন্য সংকটকালীন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার কার্যক্রম বা সামরিক অপারেশন এর ব্যবহার এখনো অবব্যহত আছে।",
"title": "কে ব্যান্ড (ব্যান্ড)"
}
] |
প্রথম বছর কোন দল অ্যাশেজ বা দি অ্যাশেজ সিরিজ জয় করে ? | [
{
"docid": "708207#2",
"text": "১৮৮২ সালে পরাজিত হবার পর দ্বি-পক্ষীয় সিরিজটির পরবর্তী আটটি সিরিজে ইংল্যান্ড দল বিজয়ী হয়। তন্মধ্যে, ২২ টেস্টে অংশ নিয়ে দলটি মাত্র চারটিতে পরাজিত হয়েছিল। ১৮৯১-৯২ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দল। ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া সফরে আসে। এ সিরিজটি বডিলাইন সিরিজ নামে পরিচিতি পায়। মূলতঃ স্বাগতিক দলের ব্যাটিং প্রতিভা ডন ব্র্যাডম্যানকে মোকাবেলার্থেই তারা শরীর লক্ষ্য করে বোলিং কৌশল উদ্ভাবনে অগ্রসর হয়। এ সময় ইংরেজ বোলারেরা ব্যাটসম্যানদেরকে উদ্দেশ্য করে বল লেগ সাইডের দিকে খেলে ও কাছাকাছি এলাকায় ফিল্ডারের বৃত্তাকারে দণ্ডায়মান থাকে। ইংল্যান্ড ঐ সিরিজে জয়ী হয়। তবে, এ কৌশল অবলম্বনের ফলে ক্রিকেটের আইন পরিবর্তন করতে হয়। এরপর অস্ট্রেলিয়া দল ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিংয়ের বদান্যতায় পরবর্তী সিরিজেই অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করে। পরবর্তী উনিশ বছরে ছয়টি সিরিজে এ ধারা বহমান থাকে। এ সময়কালেই অস্ট্রেলিয়া দল সুপরিচিত ১৯৪৮ সালের অ্যাশেজ সিরিজ খেলার জন্যে ইংল্যান্ড গমন করেছিল। পুরো সফরেই দলটি অপরাজিত অবস্থায় থাকে। ফলশ্রুতিতে, দলটি ‘অপরাজেয়’ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। পাঁচ টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে সফরকারীরা জয়ী হয়। কাউন্টি দল ও প্রতিনিধিত্বকারী দলের বিপক্ষে নির্ধারিত ২৯টি খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল জয় পায় কিংবা ড্র করেছিল।",
"title": "অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা"
},
{
"docid": "314267#3",
"text": "অ্যাশেজ সিরিজের নামকরণ হয়েছে বিদ্রুপাত্মকভাবে, শোকের প্রতীকিরূপে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল ১৮৮২ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভ। ৪র্থ ইনিংসে ফ্রেড স্পফোর্থের অবিস্মরণীয় ক্রীড়ানৈপুণ্যে ইংল্যান্ড মাত্র ৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রায়ও পৌঁছুতে পারেনি। এতে স্পফোর্থ ৪৪ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট লাভ করেছিলেন। ফলে, ইংল্যান্ড তার নিজ ভূমিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সিরিজে ঐ মাঠে প্রথমবারের মতো ১–০ ব্যবধানে হেরে যায়। ফলে লন্ডনের প্রধান সংবাদপত্র দ্য স্পোর্টিং টাইমস্ তাদের প্রতিবেদনে ইংরেজ ক্রিকেট নিয়ে বিদ্রুপাত্মকভাবে বিখ্যাত উক্তি মুদ্রিত করে:\nইংরেজ গণমাধ্যমগুলো ১৮৮২-৮৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পরবর্তী ইংরেজ দলের সফরে \"অ্যাশেজ পুণরুদ্ধারে যাত্রা শুরু ...\" উল্লেখ করে। ঐ সফরে মেলবোর্নের একদল নারী ইংল্যান্ড অধিনায়ক আইভো ব্লাইকে ছোট্ট ভস্ম স্তুপাকারে প্রদান করে। পাত্রে রক্ষিত ছাই হিসেবে ক্রিকেটের অন্যতম উপকরণ বেইলের ভস্ম ছিল। এভাবেই বিখ্যাত অ্যাশেজ সিরিজের সূত্রপাত ঘটে যাতে কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজই অন্তর্ভুক্ত থাকে। যে দল সিরিজ জয় করে তারা অ্যাশেজ ট্রফিটি লাভ করে। দুই দলের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ নিয়ে গঠিত এ প্রতিযোগিতাটিকে ঘিরে অদ্যাবধি ক্রীড়া বিশ্বে ব্যাপক আগ্রহ-কৌতূহলের সৃষ্টি করে আসছে।",
"title": "দি অ্যাশেজ"
}
] | [
{
"docid": "314267#6",
"text": "অ্যাশেজ অধিকারের জন্য একটি দলকে অবশ্যই সিরিজ বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। সিরিজ ড্র হলে পূর্বেকার অ্যাশেজ অধিকারী দলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মার্চ, ২০১৪ পর্যন্ত ৬৮টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছে যাতে অস্ট্রেলিয়া ৩২ এবং ইংল্যান্ড ৩১ সিরিজ জয় করেছে। বাকী ৫ সিরিজ ড্র হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ১৯৩৮, ১৯৬২-৬৩, ১৯৬৫-৬৬ এবং ১৯৬৮ মৌসুমে ও ইংল্যান্ড ১ বার মাত্র ১৯৭২ সালে অ্যাশেজ নিজেদের দখলে রাখে। অ্যাশেজ টেস্টের জয়-পরাজয়ের অনুপাত হচ্ছে (২০৩-১৪ সিরিজসহ এ পর্যন্ত) অস্ট্রেলিয়া ১২৮, ইংল্যান্ড ১০৩ জয়, ৮৮ ড্র।",
"title": "দি অ্যাশেজ"
},
{
"docid": "573100#0",
"text": "১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ () দীর্ঘদিনের ক্রিকেটীয় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১০ জুন, ১৯৪৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজে উভয় দল পাঁচ টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কোন টেস্টেই অস্ট্রেলিয়া পরাজিত হয়নি ও দৃশ্যতঃ শক্তিশালী দল ছিল। দলটির অধিনায়ক ডন ব্র্যাডম্যান প্রকাশ্যে এ সফরেও তাঁদের অপরাজিত থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ১২টি গুরুত্বপূর্ণ খেলার ১০টিতে জয় পায়। তন্মধ্যে, আটটিতেই ইনিংসের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল। অধিকন্তু, ইংল্যান্ড দলে লেন হাটন, ডেনিস কম্পটন ও অ্যালেক বেডসারের ন্যায় বেশ কয়েকজন প্রতিভাধর খেলোয়াড়ের উপস্থিতি ছিল। তাস্বত্ত্বেও সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ ব্যবধানে জয় পায়, তৃতীয় টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়। ফলশ্রুতিতে তাঁরা অ্যাশেজ নিজেদের অনুকূলে রাখে। পুরো সফরেই অস্ট্রেলীয়রা অপরাজিত অবস্থায় থাকে ও \"অপরাজিত\" বা \"অজেয়\" দলরূপে আখ্যায়িত হয়।",
"title": "১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ"
},
{
"docid": "314267#5",
"text": "১৮৮২ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার অবিস্মরণীয় বিজয়ের পর ব্লাই ইংল্যান্ড দলের নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। সেখানে তিনি অ্যাশেজ পুণরুদ্ধারের কথা বলেন। সাধারণের মাঝেও এ সিরিজকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছিল। একসময় মনে করা হচ্ছিল যে অ্যাশেজ পাত্রটি বোধহয় ইংল্যান্ডে চলে যাবে। অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টে বিজয়ী হলেও ইংল্যান্ড পরবর্তী দুই টেস্টে বিজয়ী হয়। তৃতীয় টেস্ট শেষে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে জয়ী হওয়ায় অ্যাশেজ বিজয়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চতুর্থ খেলায় \"একীভূত অস্ট্রেলীয় একাদশ\" ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামে। দলটিকে পূর্বেকার তিন খেলায় অংশগ্রহণকারী মূল একাদশের চেয়েও অধিকতর শক্তিশালীরূপে বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু, এ খেলাটিকে সচরাচর ১৮৮২-৮৩ সিরিজের খেলা হিসেবে গণ্য করা হয় না। এটিকে টেস্ট হিসেবে গণ্য করা হলেও তা ছিল নামেমাত্র। খেলাটি অস্ট্রেলিয়াকে বিজয়ের স্বাদ প্রদান করেছিল।",
"title": "দি অ্যাশেজ"
},
{
"docid": "573100#2",
"text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া ১১ টেস্টে অংশ নেয় ও সবগুলোক্ষেত্রেই অপরাজিত অবস্থায় থাকে। ১৯৪৬ সালের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ইনিংসে ব্যবধানে পরাজিত করে। পরবর্তীতে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে পাঁচ-টেস্টে গড়া সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ এবং এরপরের মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জয় পায়। ইংল্যান্ড সফরের পূর্বেই অস্ট্রেলিয়া দলকে সত্যিকার অর্থেই শক্তিশালী দলরূপে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ব্র্যাডম্যান পাঁচ-মাসের সফরে তাঁর অসম্ভব অর্জন হিসেবে অপরাজিত থাকার কথা জনসমক্ষে ঘোষণা করেন। প্রথম টেস্টের পূর্বে অস্ট্রেলিয়া দল ১২টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে দশটিতে জয় পায় ও দুইটিতে ড্র করে। জয়ী হওয়া আটটি খেলায় তাঁরা ইনিংস ব্যবধানে ও অপর একটিতে আট উইকেটে বিজয়ী হয়। ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ড্র হওয়া একটি খেলার প্রথম-দিনের পুরো সময়ই বৃষ্টির কবলে পড়ে।",
"title": "১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ"
},
{
"docid": "708207#3",
"text": "৩৩০টি টেস্টে অংশ নিয়ে ১৩৪ টেস্টে জয় ইংল্যান্ডের তুলনায় অস্ট্রেলিয়া দল এগিয়ে রয়েছে। ঐ তুলনায় ইংল্যান্ড দল ১০৬ টেস্টে জয় পায় ও বাদ-বাকী খেলাগুলো ড্রয়ে পরিণত হয়। এছাড়াও, সিরিজ জয়ের দিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৩৩টিতে জয়ী হয়। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দল ৩২টিতে জয়ী হয়েছে। পাঁচটি সিরিজ ড্রয়ের দিকে গড়ায়। তন্মধ্যে, অ্যাশেজ লাভের ফলে চারবার সিরিজ ড্র করে অস্ট্রেলিয়া দল ট্রফি অক্ষুণ্ন রাখে। একবার সিরিজ ড্র করে ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব রাখতে সক্ষম হয়। মাত্র তিনবার একটি দল সিরিজের সবকটি টেস্টে জয় পেয়ে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে। ১৯২০-২১, ২০০৬-০৭ ও ২০১৩-১৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দল এ সাফল্য পায়। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল বিরাট ব্যবধানে সিরিজে জয় পায়। সেবার তারা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বাগতিকদেরকে ৫-১ ব্যবধানে পরাভূত করেছিল। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া - উভয় দলই ধারাবাহিকভাবে আটবার সিরিজ জয় করে। ইংল্যান্ড দল ১৮৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৮৯০ এবং অস্ট্রেলিয়া দল ১৯৮৯ থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত একাধারে সিরিজ জয় করেছিল। ১৮৮২ সাল থেকে স্বল্পসংখ্যায় টেস্ট সিরিজ আয়োজন করা হয় যা অ্যাশেজ সিরিজরে অন্তর্ভূক্ত নয়। সেগুলো হচ্ছে ১৯৭৬-৭৭, ১৯৭৯-৮০, ১৯৮০ ও ১৯৮৭-৮৮। ঐ সিরিজগুলো এ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।",
"title": "অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা"
},
{
"docid": "632723#14",
"text": "১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র হলে সফরকারী দল অ্যাশেজ নিজেদের করায়ত্ত্ব রাখে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের প্রথম টেস্টে দলটি ১৫৯ রানে স্বাগতিক দলকে পরাজিত করেছিল। স্নো তাঁর অভিষেক অ্যাশেজ সিরিজে ৪/৯৪ পেয়েছিলেন। খেলায় ইংল্যান্ড কেবলমাত্র একজন স্পিনারকে খেলায় যা পিচের উপযুক্ত ছিল। লর্ডসে পরের টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ৭৮ রানে অল-আউট হয়। স্নো ১/১৪ পান। ফলো-অনের কবলে পড়লেও বৃষ্টির কারণে ড্রয়ে পরিণত হয়। ২৭টি ধারাবাহিক টেস্টে ইংল্যান্ড কোন খেলায় পরাজিত হয়নি। তন্মধ্যে, স্নো ২২ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।",
"title": "জন স্নো"
},
{
"docid": "708207#1",
"text": "১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে ও ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে নামে। তবে, অ্যাশেজের উত্থান ঘটেছে ১৮৮২ সালে। অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ডে একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিল। ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল পরাজয়বরণ করে। ফলশ্রুতিতে, দ্য স্পোর্টিং টাইমস বিদ্রুপাত্মক শোকসংবাদ প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয় যে, ইংরেজ ক্রিকেটের মৃত্যু ঘটেছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, এর দেহ সমাহিত করা হবে ও ছাই অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। সম্মানীয় ইভো ব্লাই এ পরিভাষাটি গ্রহণ করেন। পরবর্তী মৌসুমের শীতকালে তাঁর নেতৃত্বে ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে ও উল্লেখিত অ্যাশেজ নিজ দেশে নিয়ে আসেন।",
"title": "অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা"
},
{
"docid": "708207#0",
"text": "অ্যাশেজ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের মধ্যকার টেস্ট সিরিজবিশেষ। এ সিরিজ আয়োজনে ভিন্নতার চিত্র চোখে পড়ে। একটি টেস্ট থেকে শুরু করে সাতটি টেস্ট নিয়ে সিরিজ আয়োজন করা হয়েছে। তবে, ১৯৯৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে পাঁচটি টেস্ট নিয়ে সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম ক্রীড়া ক্রিকেটে প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে আয়োজন করা হয় ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর ইতিহাস ১৮৮২ সাল থেকে অদ্যাবধি বহমান। সচরাচর যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি দুই বছরে আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া দল বর্তমান অ্যাশেজ ট্রফির ধারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। দলটি পার্থে অনুষ্ঠিত ২০১৭-১৮ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের মাধ্যমে নিজেদের হাতে করায়ত্ত্ব করে রেখেছে।",
"title": "অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা"
}
] |
হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের তৃতীয় ভাগের নাম কী ? | [
{
"docid": "42564#4",
"text": "বর্তমানে বেদকে ব্যাবহারিক ও গাঠণিক এ দু'পদ্ধতির বিভাজনে বিভাজিত অবস্থায় পাওয়া যায় । উভয় পদ্ধতিতেই বেদ চার ভাগে বিভক্ত । \nব্যাবহারিক বিভাজনগুলো যথাক্রমে ঋক , সাম , যজু ও অথর্ব । বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা শ্রুতি \"সংহিতা\" নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের যজ্ঞ অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত:",
"title": "বেদ"
}
] | [
{
"docid": "370400#2",
"text": "বেদ ( সংস্কৃত: , জ্ঞান ) হল প্রাচীন ভারতে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি । বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদ সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং প্রাচীনতম হিন্দু ধর্মগ্রন্থ । বেদকে \"অপৌরুষেয়\" (\"মানুষের দ্বারা রচিত নয়\") মনে করা হয় । হিন্দুরা বিশ্বাস করে , বেদ প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বর কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে । তাই বেদের অপর নাম শ্রুতি (\"ʼযা শোনা হয়েছে\"ʼ)। অন্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় \"স্মৃতি(হিন্দুধর্ম)। স্মৃতি\" (\"ʼযা মনে রাখা হয়েছেʼ\") । হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে , বেদ সর্বোচ্চ উপাস্য ঈশ্বর ব্রহ্ম কর্তৃক প্রকাশিত । বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা শ্রুতি \"সংহিতা\" নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের যজ্ঞ অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত ॐ",
"title": "ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "330282#0",
"text": "যজুর্বেদ (সংস্কৃত: यजुर्वेद, \"\", \"যজুস্\" বা \"গদ্য মন্ত্র\" ও \"বেদ\" বা \"জ্ঞান\" থেকে) হল গদ্য মন্ত্রসমূহের বেদ। যজুর্বেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। যজ্ঞের আগুনে পুরোহিতের আহুতি দেওয়ার ও ব্যক্তিবিশেষের পালনীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলির পদ্ধতি এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। যজুর্বেদ হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের একটি ভাগ। ঠিক কোন শতাব্দীতে যজুর্বেদ সংকলিত হয়েছিল, তা জানা যায় না। তবে গবেষকদের মতে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দ নাগাদ, অর্থাৎ সামবেদ ও অথর্ববেদ সংকলনের সমসাময়িক কালে এই বেদও সংকলিত হয়।",
"title": "যজুর্বেদ"
},
{
"docid": "42564#7",
"text": "সামবেদ (সংস্কৃত: सामवेद) (\"সামন্\" বা গান ও \"বেদ\" বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।",
"title": "বেদ"
},
{
"docid": "480289#0",
"text": "সামবেদ (সংস্কৃত: सामवेद) (\"সামন্\" বা গান ও \"বেদ\" বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।",
"title": "সামবেদ"
},
{
"docid": "481621#1",
"text": "হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলির দুটি ঐতিহাসিক শ্রেণীবিন্যাস হল: ‘শ্রুতি’ (যা শোনা হয়েছে) ও স্মৃতি (যা মনে রাখা হয়েছে)। শ্রতিশাস্ত্রগুলি সর্বোচ্চ প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ। এগুলি সেই প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ যেগুলিকে ‘অপৌরুষেয়’ (স্বয়ং ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত) মনে করা হয়। এগুলিই হিন্দুধর্মের কেন্দ্রীয় ধর্মগ্রন্থ। সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও মুখ্য উপনিষদ্ সহ সমগ্র বেদ শ্রুতিশাস্ত্রের অন্তর্গত। শ্রুতিশাস্ত্রের বধ্যে উপনিষদ্ এককভাবে হিন্দুধর্মে বিশেষ প্রভাবশালী। এই অংশকে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ মনে করা হয়। উপনিষদের কেন্দ্রীয় ভাবনাটি এখনও বিভিন্ন দার্শনিক শাখা ও ধর্মীয় প্রথার উপর বিশেষ প্রভাবশালী।",
"title": "হিন্দু ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "1568#36",
"text": "বেদ চার ভাগে বিভক্ত (ঋক, সাম, যজু এবং অথর্ব)। \"ঋগ্বেদ\" হল সর্বপ্রথম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বেদ। প্রত্যেক বেদ আবার চার ভাগে বিভক্ত: প্রাথমিক ভাগ, মূল বেদ, সংহিতা বর্তমান, যাতে পবিত্র মন্ত্র রয়েছে। অন্য তিনটি অংশ সাধারণত গদ্য আকারে গঠিত ত্রিস্তর আলোচনা সমাহার এবং সংহিতা থেকে বয়সে সামান্য পরবর্তীকালের বলে বিশ্বাস করা হয়। এগুলি হল: ব্রাহ্মণ, আরণ্যক এবং উপনিষদ্। প্রথম দুটি অংশকে পরবর্তীকালে কর্মকাণ্ড (আনুষ্ঠানিক অংশ) বলা হয়েছে, যেখানে শেষের দুইটি অংশ নিয়ে জ্ঞানকান্ড (শিক্ষামূলক অংশ) গঠিত। যেখানে বেদ ধর্মানুষ্ঠানের উপর কেন্দ্রীভূত, সেখানে উপনিষদ আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি ও দার্শনিক শিক্ষার উপর অধিশ্রিত, এবং ব্রহ্ম ও জন্মান্তর বিষয়ে আলোচিত।",
"title": "হিন্দুধর্ম"
},
{
"docid": "1568#5",
"text": "হিন্দুধর্মের শাস্ত্রগ্রন্থের সংখ্যা প্রচুর। হিন্দুশাস্ত্র শ্রুতি ও স্মৃতি নামে দুই ভাগে বিভক্ত। এই গ্রন্থগুলিতে ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও পুরাণ আলোচিত হয়েছে এবং ধর্মানুশীলন সংক্রান্ত নানা তথ্য বিবৃত হয়েছে। এই গ্রন্থগুলির মধ্যে \"বেদ\" সর্বপ্রাচীন, সর্বপ্রধান ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলি হল \"উপনিষদ্\", \"পুরাণ\", ও ভারতীয় মহাকাব্য \"রামায়ণ\" ও \"মহাভারত\"। \"ভগবদ্গীতা\" নামে পরিচিত মহাভারতের কৃষ্ণ-কথিত একটি অংশ বিশেষ গুরুত্বসম্পন্ন ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেয়ে থাকে।",
"title": "হিন্দুধর্ম"
},
{
"docid": "477878#0",
"text": "অথর্ববেদ (সংস্কৃত: अथर्ववेद, \"অথর্বণ\" ও \"বেদ\" শব্দের সমষ্টি) হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের চতুর্থ ভাগ। ‘অথর্ববেদ’ শব্দটি সংস্কৃত \"অথর্বণ\" (দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রণালী) ও \"বেদ\" (জ্ঞান) শব্দদু-টির সমষ্টি। অথর্ববেদ বৈদিক সাহিত্যের পরবর্তীকালীন সংযোজন।",
"title": "অথর্ববেদ"
},
{
"docid": "1568#39",
"text": "শ্রুতি ছাড়া অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিকে সামগ্রিকভাবে স্মৃতি (যে বিষয় স্মরণ করা হইয়াছে) বলা হয়। স্মৃতির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মহাকাব্যগুলি, যা মহাভারত এবং রামায়ণ ইত্যাদিতে নিহিত রয়েছে। ভগবদ্গীতা মহাভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং হিন্দুধর্মের একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এতে একটি মহান যুদ্ধ প্রাক্কালে রাজকুমার অর্জুনকে বলা, একজন বিষ্ণু অবতার, শ্রীকৃষ্ণ থেকে প্রাপ্ত দার্শনিক শিক্ষা রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ দ্বারা কথিত, ভগবদ্গীতা, বেদের সারাংশ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে কখনও কখনও গীতোপনিষদ্ বলে উল্লেখিত, ভগবদ্গীতা, ঔপনিষদি্ক তত্ত্বের কারণে, বিভাগ হিসাবে, প্রায় শ্রুতির মধ্যেই ধরা হয়। স্মৃতির অন্তর্গত পুরাণ, যা বিভিন্ন অবিস্মরণীয় আখ্যায়িকা দ্বারা হিন্দু ধারণা চিত্রিত করে। এর অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য গ্রন্থগুলি হল দেবীমাহাত্ম্যম্, তন্ত্র, যোগসুত্র, তিরুমন্ত্রম্, শিবসূত্র এবং হিন্দু আগম। মনুস্মৃতি হল একটি প্রচলিত নীতিগ্রন্থ, যা সামাজিক স্তরবিন্যাসের উপর নিবন্ধিত সামাজিক নিয়মাবলী, যা পরে ভারতীয় বর্ণাশ্রম তৈরি করতে সমাজকে সাহায্য করেছে।",
"title": "হিন্দুধর্ম"
},
{
"docid": "427677#0",
"text": "পঞ্চম বেদ ধারণাটির মাধ্যমে এমন একটি ধর্মগ্রন্থকে বোঝায় যেটি চারটি আনুশাসনিক বেদের অন্তর্গত না হলেও গুরুত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে বেদের সমতুল্য। বেদ-উত্তর যুগে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থকে পঞ্চম বেদ বলে দাবি করা হয়। হিন্দুধর্মে এই ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলিকে বেদের নিত্যতা ও সার্বভৌমত্বের সমতুল্য জ্ঞান করা হয়। এই ধারণাটি প্রাচীন। উপনিষদে প্রথম এই ধারণার উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে আধুনিক সংস্কৃত ও অ-সংস্কৃত ভাষায় রচিত একাধিক গ্রন্থকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।",
"title": "পঞ্চম বেদ"
}
] |
আবদুল্লাহ বিন আল-হুসাইন কত সালে মক্কার আমির হন ? | [
{
"docid": "283098#0",
"text": "আবদুল্লাহ বিন আল-হুসাইন (ফেব্রুয়ারি ১৮৮২ – ২০ জুলাই ১৯৫১) (আরবি : عبد الله الأول بن الحسين) মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হুসাইন বিন আলী ও তার প্রথম স্ত্রী আবদিয়া বিনতে আবদুল্লাহর দ্বিতীয় পুত্র। তিনি ইস্তানবুল, তুরস্ক ও হেজাজে শিক্ষালাভ করেন। আবদুল্লাহ ১৯০৯ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত মক্কার প্রতিনিধি হিসেবে উসমানীয় সংসদের দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন। ১৯১৬ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা টি ই লরেন্সের সাথে তিনি কাজ করেন। উসমানীয়দের বিরুদ্ধে সংঘটিত আরব বিদ্রোহে তিনি অন্যতম স্থপতি ও পরিকল্পক। ১৯২১ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিনি ট্রান্সজর্ডানের শাসক ছিলেন যা থেকে পরবর্তীতে জর্ডানের জন্ম হয়। ১৯২১ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটিশ মেন্ডেটের অধীনে আমির হন। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫১ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি জর্ডানের স্বাধীন বাদশাহ হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন।",
"title": "প্রথম আবদুল্লাহ, জর্ডান"
}
] | [
{
"docid": "268334#0",
"text": "সাইয়্যিদ হুসাইন বিন আলী (১৮৫৪ - ৪ জুন, ১৯৩১)(আরবি حسین بن علی) ১৯০৮ সাল থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত মক্কার শরীফ ও আমির ছিলেন। পরবর্তীতে নিজেকে মক্কার বাদশাহ ঘোষণা করার পর তিনি আন্তর্জাতিক সমর্থন পান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯১৬ সালে তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সূচনা করেন। ১৯২৪ সালে উসমানীয় খিলাফত বিলুপ্ত হলে তিনি নিজেকে মুসলিমদের খলিফা ঘোষণা করেন। ১৯২৪ সাল পর্যন্ত তিনি হেজাজে শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের কাছে পরাজিত হওয়ার পর তিনি তার রাজত্ব ও অন্যান্য জাগতিক উপাধি তার জ্যেষ্ঠ পুত্র আলীকে প্রদান করেন।",
"title": "হুসাইন বিন আলি, মক্কার শরিফ"
},
{
"docid": "400621#3",
"text": "হুসাইন বিন আলির সময় শরিফাত সমাপ্ত হয়। ১৯১৬ সালের আরব বিদ্রোহের সময় তিনি উসমানীয় শাসনের বিদ্রোহ করেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পরাজয় ও সাম্রাজ্যের বিলুপ্তির পর তিনি নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। ব্রিটিশরা তার দুই পুত্র ফয়সাল ও আবদুল্লাহকে যথাক্রমে ইরাক ও ট্রান্সজর্ডান আমিরাতের ক্ষমতায় বসায়। ১৯২৪ সালে হুসাইন নজদের আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের ক্রমবর্ধমান হামলার সম্মুখীন হন। তিনি তার জাগতিক উপাধিগুলো তার পুত্র আলি বিন হুসাইনকে সমর্পণ করেন। আলি বিন হুসাইন ছিলেন শেষ শরিফ। ১৯২৫ সালের শেষদিকে ইবনে সৌদ হেজাজ জয় করে নেন এবং হাশিমিদের বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে মক্কা ও মদিনা আল সৌদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে।",
"title": "মক্কার শরিফ"
},
{
"docid": "317193#21",
"text": "৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে আবদুল্লাহ ইবনুল জুবায়ের মক্কার উদ্দেশ্যে মদিনা ত্যাগ করেন। ইয়াজিদের বিপক্ষে হুসাইনের অবস্থানের কথা শুনে কুফার জনগণ হুসাইনের কাছে তাদের সমর্থন নেয়ার জন্য আবেদন জানায়। হুসাইন তার চাচাত ভাই মুসলিম বিন আকিলকে এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাঠান। এ খবর ইয়াজিদের কাছে পৌছলে তিনি বসরার শাসক উবায়দুল্লাহ বিন জিয়াদকে কুফার জনগণকে হুসাইনের নেতৃত্বে সমবেত হওয়া থেকে নিবৃত্ত করার দায়িত্ব দেন। উবায়দুল্লাহ বিন জিয়াদ মুসলিম বিন আকিলের পাশে থাকে জনতাকে প্রতিহত করতে সক্ষম এবং তাকে গ্রেপ্তার করেন। উবায়দুল্লাহ বিন জিয়াদের উপর হুসাইনকে প্রতিহত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শুনে মুসলিম বিন আকিল তাকে অনুরোধ করেন যাতে হুসাইনকে কুফায় না আসার ব্যাপারে জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়। তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং উবায়দুল্লাহ বিন জিয়াদ মুসলিম বিন আকিলকে হত্যা করেন। আবদুল্লাহ ইবনুল জুবায়ের আমৃত্যু মক্কায় থেকে যান। হুসাইন সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি তার পরিবারসহ কুফায় যাবেন। সমর্থনের অভাবের বিষয়ে তার এসময় জানা ছিল না। হুসাইন ও তার পরিবারকে ইয়াজিদের সেনাবাহিনী রুখে দেয়। এসময় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন আমরু বিন সাদ, শামার বিন জিয়ালজোশান ও হুসাইন বিন তামিম। তারা হুসাইন ও তার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সাথে লড়াই করে হত্যা করে। হুসাইনের দলে ২০০ জন মানুষ ছিল যাদের অধিকাংশ ছিল নারী। এদের মধ্যে হুসাইনের বোন, স্ত্রী, মেয়ে ও তাদের সন্তানরা ছিল। নারী ও শিশুদেরকে যুদ্ধবন্ধী হিসেবে দামেস্কে ইয়াজিদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। হুসাইনের মৃত্যু ও তার পরিবারের বন্দী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে জনগণের সমর্থন তার দিক থেকে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের বন্দী করে রাখা হয়। এরপর তাদের মদিনা ফিরে যেতে দেয়া হয়। বেঁচে যাওয়া একমাত্র পুরুষ সদস্য ছিলেন আলি ইবনে হুসাইন জয়নুল আবেদিন। অসুস্থতার কারণে কাফেলা আক্রান্ত হওয়ার সময় তিনি লড়াই করতে পারেননি।",
"title": "উমাইয়া খিলাফত"
},
{
"docid": "435549#3",
"text": "পিতা ঈসা বিন সালমান আল খলিফার মৃত্যুর পরে ১৯৯৯ সালের ৬ ই মার্চ হামাদ বাহরাইনের আমির নিযুক্ত হন। আমির হিসাবে হামাদ বাহরাইনে বহু রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধন করেন । \nএর মধ্যে রয়েছে সকল রাজবন্ধিদের মুক্তি প্রদান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালত বিলুপ্তি এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিয়ক ১৯৭৪ সালে জারী করা নির্বাহী আদেশ বাতিল করা। এর পাশাপাশি তিনি বহু রাজ্যবিতাড়িত বাহরাইনি নাগরীককে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেন। তিনি নিজেকে ২০০২ সালে বাদশাহ ঘোষণা করেন। তার বাস্তবায়ন করা ব্যাপক নির্বাহীকর্তৃত্ত্বের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ প্রদান, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বদান, উচ্চ বিচারিক আদালতের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন, এবং নির্বাচিত নিম্ন কক্ষের সদস্যদের উপর উচ্চ কক্ষের সংসদ সদস্যগের নিয়োগদান।",
"title": "হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা"
},
{
"docid": "415749#2",
"text": "১৮৮৭ সালে সৌদ বিন ফয়সালের ছেলেরা আবদুল্লাহকে বন্দী করতে সক্ষম হন। হাইলের আল রশিদ আমিররা আবদুর রহমানে বিনিময়ে আবদুল্লাহর মুক্তি আদায় করতে সমর্থ হন। আবদুল্লাহকে হাইল নিয়ে যাওয়া হয় এবং একজন রশিদি আমির তাকে রিয়াদ শাসনের জন্য নিয়োগ দেন। ১৮৮৭ সালে একটি বিদ্রোহে আবদুর রহমানের উত্থান হয়। তিনি রিয়াদ দখল করেন। তবে সীমানা বৃদ্ধির জন্য তার চেষ্টা বিপর্যয় নিয়ে আসে। ১৮৮৯ সালে আবদুর রহমান আল সৌদের অবিসংবাদিত নেতা হলে তিনি পুনরায় রিয়াদ দখল করে নেন। শেষপর্যন্ত সৌদি বাহিনী মুলায়দার যুদ্ধে পরাজিত হলে দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্রের পতন ঘটে এবং আবদুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।",
"title": "আবদুর রহমান বিন ফয়সাল"
},
{
"docid": "315406#7",
"text": "এই ঘোষণার পর আরব গোপন সংগঠন আল-ফাতাত ও আল-আহাদের প্রতিনিধিরা হুসাইন বিন আলীর সাথে সাক্ষাতের জন্য ১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে মক্কায় আসেন। উসমানীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব গ্রহণ করার জন্য তারা তাকে প্রভাবিত করে। এসময় তার জ্যেষ্ঠ পুত্র আলী বিন হুসাইন তার স্থলে শরিফি পরিবারের মোতালিব শাখার প্রধান আলি হায়দারকে মক্কার শরিফ হিসেবে বসানোর তুর্কি পরিকল্পনা জানতে পারেন। হুসাইন তার পুত্র ফয়সালকে কনস্টান্টিনোপলে গিয়ে উজিরে আজমের সাথে সাক্ষাৎ করার আদেশ দেন। সেই সাথে দামেস্কে গোপন সংগঠনের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে বিদ্রোহের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বলেন। ২৬ মার্চ তিনি তাদের সাথে মিলিত হন। মাসব্যপী আলোচনার পর ফয়সাল বিদ্রোহের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন এবং বৃহৎ কোনো শক্তির সাহায্য ছাড়া বিদ্রোহ সফল হবে না বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হন। এপ্রিলে কনস্টান্টিনোপল পৌছান। তিনি দেখেন যে তুর্কিরা আরবদের কর্তৃক জিহাদ ঘোষণাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে তখন ফয়সাল হেজাজে তার পরিবারের অবস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন।",
"title": "দামেস্ক প্রটোকল"
},
{
"docid": "268334#4",
"text": "নিজেকে হেজাজের বাদশাহ ঘোষণা করার সাথে সাথে হুসাইন নিজেকে আরবদের বাদশাহ (মালিক বিলাদ-আল-আরব) ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা ইবনে সৌদের সাথে তার সংঘাতকে বৃদ্ধি করে। ধর্মীয় দিক থেকে ভিন্ন মতাদর্শের জন্য বিশ্বযুদ্ধের আগেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ১৯১০ সালে হুসাইন ওয়াহাবি বিরোধী উসমানীয়দের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ তুরস্কের গ্রান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলী কর্তৃক তুর্কি খিলাফত বিলুপ্ত হওয়ার দুইদিন পর হুসাইন ট্রান্সজর্ডানের শুনাহতে তার পুত্র আবদুল্লাহর শীতকালীন ক্যাম্পে নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং দ্রুত সৌদিরা তাকে আরব থেকে বিতাড়িত করে। সৌদিদের খিলাফতে আগ্রহ ছিল না। সৌদ ১৯২৪ সালে হুসাইনকে পরাজিত করেন। হুসাইন খলিফা পদবী বজায় রাখেন এবং ট্রান্সজর্ডানে বাস করতে থাকেন।",
"title": "হুসাইন বিন আলি, মক্কার শরিফ"
},
{
"docid": "268334#2",
"text": "১৯১৬ সালের আগে হুসাইন বিন আলী আরব জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া না গেলেও উসমানীয় সাম্রাজ্যে তুর্কি জাতীয়তাবাদ যা ১৯০৮ সালের তরুণ তুর্কি বিপ্লবের সময় সর্বোচ্চ সীমায় পৌছায়, তা হাশিমীদেরকে অসন্তুষ্ট করে এবং ফলশ্রুতিতে উসমানীয় বিপ্লবীদের সাথে তাদের দ্বন্দ্বের সূচনা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে হুসাইন উসমানীয়দের সাথে মিত্রতা বজায় রাখলেও তার পুত্র আবদুল্লাহর পরামর্শে গোপনে ব্রিটিশদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যান। আবদুল্লাহ ১৯১৪ সালে উসমানীয় সংসদে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিশ্বাস করতেন যে ক্রমান্বয়ে জাতীয়তাবাদী হয়ে উঠা উসমানীয় প্রশাসন থেকে আলাদা হওয়া উচিত। উসমানীয় সরকার যুদ্ধ শেষে হুসাইনকে পদচ্যুত করার পরিকল্পনা করে যা হাশিমী-ব্রিটিশ মিত্রতাকে পোক্ত করে তোলে। ব্রিটিশ যুদ্ধমন্ত্রী লর্ড কিচনার মিত্রশক্তিকে সাহায্য করার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। ১৯১৫ সালে হুসাইন এই সুযোগ গ্রহণ করেন এবং হেজাজ ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য এলাকা নিয়ে একটি আরব জাতি সেই সাথে আরব খিলাফতের দাবি তোলেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার হেনরি ম্যাকমাহন তা গ্রহণ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে সাহায্যের জন্য কুয়েত, এডেন ও সিরিয়ার উপকূলে রাজকীয় গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ব্যতিত মিশর থেকে পারস্য পর্যন্ত আরব সাম্রাজ্য প্রদানের মাধ্যমে তাকে পুরষ্কৃত করা হবে। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পর দুই পক্ষ স্পষ্ট শর্তে পৌছতে সক্ষম না হওয়ায় (যার মধ্যে ফিলিস্তিন বিষয়টিও ছিল) হুসাইন অধৈর্য হয়ে পড়েন এবং ১৯১৬ সালে আরব বিদ্রোহের সূচনা করেন।",
"title": "হুসাইন বিন আলি, মক্কার শরিফ"
},
{
"docid": "266313#4",
"text": "১৯০৬ সালে আলী মক্কার প্রশাসক আমীর আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদ পাশার কন্যা নাফিসা খানুমকে বিয়ে করেন। তাদের এক পুত্র ও চার কন্যা ছিল।",
"title": "আলী বিন হুসাইন"
}
] |
বাংলাদেশের উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গের নাম কী ? | [
{
"docid": "442966#0",
"text": "তাজিংডং (বিজয় নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি পর্বতশৃঙ্গ। সরকারিভাবে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বান্দরবন জেলার রুমা উপজেলার সাইচল পর্বতসারিতে অবস্থিত। সরকারী হিসেবে তাজিংডং পর্বতের উচ্চতা ১,২৮০ মিটার (৪১৯৮.৪ ফুট) । পূর্বে কেওক্রাডংকে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মনে করা হত, আধুনিক গবেষণায় এই তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারী গবেষণায় সাকা হাফং পর্বতকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দাবী করা হয়, তবে এটি এখনও সরকারি স্বীকৃত নয়।",
"title": "তাজিংডং"
},
{
"docid": "3373#3",
"text": "১৮৫২ সালের আগে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পৃথিবীর সৰ্বোচ্চ শৃঙ্গ বলে ধারণা করা হত।কিন্তু ১৮৪৯ সালে ভারতের বৃহৎ ত্রিকোণমিত্রিক জরীপে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল যে পিক XV বলে পরিচিত মাউন্ট এভারেস্টই হচ্ছে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ। আরো কিছু পুনঃনিরীক্ষণ করার পর ১৮৫৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় যে কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ।",
"title": "কাঞ্চনজঙ্ঘা"
},
{
"docid": "7001#0",
"text": "কেওক্রাডং (ইংরেজী: Keokradong) নামে সুপরিচিত, বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবানে অবস্থিত। এক সময় এটিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ধরা হত। তবে আধুনিক গবেষণায় এই তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সাকা হাফং।",
"title": "কেওক্রাডং"
}
] | [
{
"docid": "272429#5",
"text": "বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে ওয়াসফিয়া সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন। ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চল দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার (ওশেনিয়া) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তনেজ পিরামিড জয়ের মধ্য দিয়ে সাতটি পর্বত জয়ের কাজটি সম্পন্ন করেন তিনি। বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০১১ সালে ওয়াসফিয়া তাঁর সেভেন সামিট অভিযান শুরু করেন। ১৬ হাজার ২৪ ফুট উচ্চতার কারস্তনেজ পিরামিডের স্থানীয় নাম পুনাক জায়া। সেভেন সামিটের অংশ হিসেবে ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে ধরা হয় এটিকে। এটি ছিল সেভেন সামিটের ৭ নম্বর চূড়া জয়।",
"title": "ওয়াসফিয়া নাজরীন"
},
{
"docid": "260169#0",
"text": "নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী শিখর হিমালয় পর্বতমালার একটি পর্বতশৃঙ্গের নাম। এই পর্বত শৃঙ্গটির প্রচলিত নাম চেকিগো। এই পর্বতশৃঙ্গটি নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে ২০,৫২৮ ফুট (৬২৫৭ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ অক্টোবর এই পর্বত শৃঙ্গটি প্রথম বিজিত হয়।",
"title": "নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী শিখর"
},
{
"docid": "506667#0",
"text": "আভালাঞ্চ শৃঙ্গ ২ হলো ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত ৬,৪৪৩ মিটার উচ্চ একটি পর্বতশৃঙ্গ। কালিন্দী গিরিপথের দক্ষিণে এর অবস্থান। \nকালিন্দী হিমবাহ এবং আরওয়া হিমবাহের উত্তর দক্ষিণের স্তূপ পর্বত বরাবর আভালাঞ্চ শৃঙ্গ ২ অবস্থিত। আভালাঞ্চ শৃঙ্গ ১ এবং আভালাঞ্চ শৃঙ্গ ২ এর মধ্যে এটি উচ্চতম। এটির উচ্চতা ৬,৪৪৩ মিটার। এর উত্তর দিকে ঘাসতোলি উপত্যকা এবং দক্ষিণ পশ্চিমে চৌখাম্বা পর্বত অবস্থিত।",
"title": "আভালাঞ্চ শৃঙ্গ ২"
},
{
"docid": "13617#0",
"text": "গাশারব্রুম ১ (লুকানো শৃঙ্গ হিসেবে ও পরিচিত অথবা কে৫) পাকিস্তানে ৩য় এবং পৃথিবীতে ১১তম উচ্চতম শৃঙ্গ।\nএর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৮০৮০ মিটার (২৬,৫০৯ ফুট)।\nএটি হিমালয়ের কারাকোরাম নামক অঞ্চলে অবস্থিত।\nজুলাই ৫ ১৯৫৮ সালে সর্বপ্রথম একদল আমেরিকান\nঅভিযাত্রী এর শীর্ষে আরোহণ করেন।",
"title": "গাশারব্রুম ১"
},
{
"docid": "7001#1",
"text": "কেওক্রাডং বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। অর্থাৎ বান্দরবানেরও দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। একসময় যখন একে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মনে করা হতো তখন এর উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ১,২৩০ মিটার। কিন্তু অধুনা রাশিয়া কর্তৃক পরিচালিত এসআরটিএম উপাত্ত এবং জিপিএস গণনা থেকে দেখা গেছে এর উচ্চতা ১,০০০ মিটারের বেশি নয়। শৃঙ্গের শীর্ষে সেনাবাহিনী কর্তৃক উৎকীর্ণ যে ফলক দেখা যায় তাতে এর উচ্চতা লেখা হয়েছে ৩,১৭২ ফুট। জিপিএস সমীক্ষায় উচ্চতা পাওয়া গেছে ৯৭৪ মিটার (৩,১৯৬ ফুট)। এই পরিমাপটি রুশীয় পরিমাপের সাথে খাপ খায়। এসআরটিএম উপাত্ত এবং মানচিত্রের মাধ্যমে এই পরিমাপ করা হয়েছে। অবশ্য বর্তমানে রুশীয় এসআরটিএম উপাত্ত এবং ইউএসজিএস-এর মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে কিওক্রাডাং-এর প্রকৃত অবস্থান এটি নয় (উপরে উল্লেখিত ভৌগোলিক স্থানাংকে নয়)। তারা এ স্থান থেকে আরও উত্তরে কেওক্রাডাং এর অবস্থান শনাক্ত করেছেন এবং এর উচ্চতা ৮৮৩ মিটার পরিমাপ করেছেন।",
"title": "কেওক্রাডং"
},
{
"docid": "16408#2",
"text": "বাংলাদেশের উচ্চতম স্থান দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এর মোডক পর্বত, যার উচ্চতা ১,০৫২ মিটার (৩,৪৫১ ফুট)। বঙ্গোপসাগর উপকূলে অনেকটা অংশ জুড়ে সুন্দরবন অবস্থিত, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এখানে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল বাঘ, চিত্রল হরিন সহ নানা ধরনের প্রাণীর বাস। ১৯৯৭ সালে এই এলাকাকে বিলুপ্তির সম্মুখীন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। \nবাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে ৬টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে-গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। বছরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৫০০-২৫০০মি.মি./৬০-১০০ইঞ্চি; পূর্ব সীমান্তে এই মাত্রা ৩৭৫০ মি.মি./১৫০ইঞ্চির বেশি। বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ২৫ সেলসিয়াস। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি অতিক্রম করেছে। এখানকার আবহাওয়াতে নিরক্ষিয় প্রভাব দেখা যায়। নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্ম কাল চলে। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্নিঝড়, টর্নেডো, ও জলোচ্ছাস প্রায় প্রতিবছরই বাংলাদেশে আঘাত হানে।",
"title": "বাংলাদেশের ভূগোল"
},
{
"docid": "322562#1",
"text": "টেরাম কাংরি তথা সিয়াচেন মুজতাঘ পর্বতশ্রেণীর সর্বোচ্চ শিখর হল টেরাম কাংরি- ১ (উচ্চতা - ৭৪৬২ মিটার ) । এই শৃঙ্গটি চীন ও সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চলের সীমান্তে অবস্থিত। এর উত্তর-পূর্ব দিকে চীন দ্বারা অধিকৃত অঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ভারত দ্বারা অধিকৃত সিয়াচেন হিমবাহ। ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দের ১০ই আগস্ট কাতায়ামার নেতৃত্বে এক জাপানি পর্বতারোহী দল এই শৃঙ্গটি প্রথম আরোহণ করেন। এই দলটি পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে অনুমতিপত্র জোগাড় করে বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম হয়ে প্রথমে টেরাম কাংরি- ২ পর্বতের দক্ষিণ পশ্চিম শৈলশিরা ধরে আরোহণ করে টেরাম কাংরি- ১ পর্বতের পূর্ব শৈলশিরার পথ ধরে শৃনে আরোহণ করেন।",
"title": "টেরাম কাংরি"
},
{
"docid": "464431#6",
"text": "যদিও সার্ভে পর্বতশৃঙ্গগুলির নামকরণ স্থানীয় নামে রাখতে ইচ্ছুক ছিল, কিন্তু ওয়াহ বলেন যে, তিনি ১৫ নং শৃঙ্গের কোন স্থানীয় নাম খুঁজে পাননি। বিদেশীদের জন্যে তিব্বত ও নেপাল উন্মুক্ত না থাকায় তার স্থানীয় নামের অণুসন্ধান বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু এই পর্বতের বেশ কয়েকটি স্থানীয় নাম ছিল, যেমন দার্জিলিং অঞ্চলে প্রচলিত \"দেওধুঙ্গা\" বা পবিত্র পর্বত, তিব্বতে প্রচলিত \"চোমোলাংমা\" ইত্যাদি। ওয়াহ এই যুক্তি উত্থাপন করেন যে, অনেকগুলি স্থানীয় নাম থাকায় যে কোন একটি নামকে রাখা ঠিক হবে না, সেই কারণে তিনি তাঁর পূর্বসূরী সার্ভেয়র জেনারেল জর্জ এভারেস্টের নামে এই শৃঙ্গের নামকরণের সুপারিশ করেন। জর্জ স্বয়ং তাঁর নাম ব্যবহারের বিরোধী ছিলেন এবং তিনি রয়্যাল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটিকে জানান যে, এভারেস্ট নামটি হিন্দিতে লেখা যায় না ও ভারতীয়রা উচ্চারণ করতে পারেন না। এতৎসত্ত্বেও বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাঁর নামানুসারে রাখা হয় মাউন্ট এভারেস্ট।",
"title": "অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ"
}
] |
হিন্দু ধর্ম কি একটি বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম ? | [
{
"docid": "446792#2",
"text": "বর্তমান পৃথিবীতে অনেকগুলো বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্মের চর্চা চলমান রয়েছে, উদাহরণস্বরূপঃ হিন্দু ধর্ম, শিন্তবাদ, চীনা লৌকিক ধর্ম, থেলেমা, উয়িক্কা, দ্রুদবাদ, তাওবাদ, আস্ত্রু এবং ক্যান্ডম্বলে।",
"title": "বহু-ঈশ্বরবাদ"
},
{
"docid": "354685#2",
"text": "অপরদিকে, হিন্দুধর্ম ঈশ্বরকে একেশ্বরবাদ, বহু-ঈশ্বরবাদ, অবতারবাদ, নাস্তিক্যবাদ প্রভৃতি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে।\nতবে হিন্দু মূল ধর্ম গ্রন্থগুলোতে (বেদ, উপনিষদে) একেশ্বরবাদ এর কথাই বলা হয়েছে",
"title": "হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক"
},
{
"docid": "569773#8",
"text": "হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর সম্পর্কিত মতবাদ একেশ্বরবাদ, বহু-ঈশ্বরবাদ, এক-ঈশ্বরবাদ, নিমিত্তপদনেশ্বরবাদ, সর্বেশ্বরবাদ ও অদ্বৈতবাদে ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে হিন্দুধর্মের প্রাচীন বেদ গ্রন্থে শ্বরদের দেব ও দেবী বলে উল্লেখ রয়েছে। এই নাম গুলোর অর্থ হল স্বর্গীয় এবং এমন সবকিছু যা ভালো।",
"title": "শ্বর"
}
] | [
{
"docid": "552342#1",
"text": "শৈবধর্মে ঈশ্বর হচ্ছেন মহাদেব, যিনি তার ভক্তদের কাছে কখনো মহেশ্বর বা কখনো পরমেশ্বর বলে পূজনীয়। বৈষ্ণবধর্মে ঈশ্বর বিষ্ণুর সাথে সমার্থক। আবার ভক্তিবাদে ঈশ্বর হিন্দুধর্মের বহু দেব-দেবীর মধ্যে ভক্তের দ্বারা নির্বাচিত, যিনি এক বা একাধিক হতে পারে। আর্য সমাজ বা ব্রাহ্ম সমাজের মতো আধুনিক ধর্মশাখাগুলির ক্ষেত্রে ঈশ্বর নিরাকার অদ্বিতীয়, পরমপিতা। যোগশাখায় ঈশ্বর ইষ্টদেবতা বা আদর্শস্থানীয়, প্রকারান্তরে গুরু হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। সনাতন ধর্মের যোগ দর্শনে ঈশ্বরকে ব্যক্তি ঈশ্বর বা আধ্যাত্মিক ভাবে তাকে ডাকা হয়, তার সাধনা করা হয়। অদ্বৈত বেদান্তে ঈশ্বর এক অদ্বৈতবাদী সত্তা, যিনি জড়ের সাথে জীবের সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম।",
"title": "হিন্দুধর্মে ঈশ্বর শব্দের প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা"
},
{
"docid": "446792#0",
"text": "বহু-ঈশ্বরবাদ বা বহুদেবতাবাদ () অর্থ একাধিক ঈশ্বর বা দেবতায় বিশ্বাস। কোন ব্যক্তি বহু-ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী হলে তাকে বহু-ঈশ্বরবাদী এবং যে সকল ধর্ম বহু-ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী শে সকল ধর্মকে \"বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম\" বলা হয়।",
"title": "বহু-ঈশ্বরবাদ"
},
{
"docid": "354685#0",
"text": "হিন্দু–মুসলিম সম্পর্ক অনুসন্ধান ও গবেষণা শুরু হয় ৭ম শতকের প্রথম দিকে, ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামিক প্রভাব বিস্তারের সূচনা লগ্ন থেকে। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম ধর্মের দুটি হলো হিন্দুধর্ম এবং ইসলাম ধর্ম। হিন্দুধর্ম, ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দু মানুষের জীবনের সামাজিক-ধর্মীয় উপায়। ইসলাম ধর্ম যথাযথভাবে একেশ্বরবাদী ধর্ম যেখানে সর্বোচ্চ উপাস্য হলেন আল্লাহ (আরবি: الله : দেখুন ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর)। সর্বশেষ ইসলামী নবী মুহাম্মাদ (সাঃ), যিনি কুরআনের মাধ্যমে মুসলমানদের ইসলামী রীতি-নীতি শিক্ষা দেন।",
"title": "হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক"
},
{
"docid": "369720#10",
"text": "হিন্দুধর্ম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম ধর্মবিশ্বাস। হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ স্বীয় ধর্মমতকে সনাতন ধর্ম () নামেও অভিহিত করেন। হিন্দুধর্মের সাধারণ \"ধরনগুলির\" মধ্যে লৌকিক হিন্দুধর্ম ও বৈদিক হিন্দুধর্ম থেকে বৈষ্ণবধর্মের অনুরূপ ভক্তিবাদী ধারার মতো একাধিক জটিল মতবাদগুলির সমন্বয়ের এক প্রচেষ্টা লক্ষিত হয়। যোগ, কর্মযোগ ধারণা, ও হিন্দু বিবাহের মতো বিষয়গুলিও হিন্দুধর্মের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।",
"title": "বিভিন্ন ধর্ম"
},
{
"docid": "354685#6",
"text": "অন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্মের মতই ইসলাম ধর্মও ফেরেশতার অস্তিত্বে বিশ্বাসী যারা হলেন আল্লাহর সৃষ্ট স্বর্গীয় দূত। এপরদিকে হিন্দুধর্মেও স্বর্গীয় দুত রয়েছে যাদের দেবতা বা দেবী বলা হয়। এরা দুই ভাগে বিভক্ত। এক শ্রেণী হল ঈশ্বরের অংশ আর অপর শ্রেণী হল ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট। হিন্দুধর্মে স্বর্গীয় দূতদের পূজা করা হয়, যা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর ব্যতীত কোন কিছুর উপাসনা করা নিষিদ্ধ। অপরদিকে হিন্দু ধর্মে দেবদূতদের পূজাকে আধ্যাত্মিক সাধনার অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলাম ধর্মে ইবলিশ হল জ্বিন প্রজাতি হতে জন্ম নেয়া, মানুষের মনে কুমন্ত্রণা প্রদানকারী শয়তান শ্রেণীর নেতা। ইসলামে শয়তানের অস্তিত্বে বিশ্বাসের মতই হিন্দুধর্মেও অসুরে বিশ্বাস করা হয়| হিন্দুধর্মে একাধিক অসুর রয়েছে কিন্তু তারা কোন নেতৃস্থানীয় অসুরে বিশ্বাস করে না।",
"title": "হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক"
},
{
"docid": "256926#3",
"text": "প্রাচীনতম ধর্ম হিসেবে হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের দেব-দেবীর উপর বিশ্বাসের পাশাপাশি খাঁটি একেশ্বরবাদী ধ্যান-ধারণাও বিদ্যমান রয়েছে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে যেহেতু বেশীরভাগ হিন্দু জনগোষ্ঠীই দেবতাদের পূজা করে থাকেন তাই বাহ্যিক দৃষ্টিকোণে অন্যান্য ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনেকেরই ধারণা যে হিন্দু ধর্ম হয়তোবা এটি বহু ঈশ্বরবাদী ধর্ম। এ প্রসঙ্গে মাক্স মুলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, \nলন্ডনের ইস্ট ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরীতে প্রাচীন সংস্কৃত সংগ্রহ অনুধাবনের উদ্দেশ্যে প্যারিস থেকে বিলেত চলে আসেন তিনি ১৮৪৬ সালের জুন মাসে। সৃষ্টিশীল লেখনী হিসেবে তাঁর 'জার্মান লাভ' উপন্যাসটি ঐসময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতিবিদ হিসেবে তিনি ব্রিটেনে কর্মজীবন গড়ে তোলেন। এরফলে তিনি ব্রিটিশশাসিত ভারতের শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে অন্যতম বুদ্ধিজীবী ও ভাষ্যকার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হন। এ নেতৃত্বগুণের ফলেই তিনি ব্রিটিশ এবং ভারতের বুদ্ধজীবী সম্প্রদায় বিশেষ করে ব্রাহ্মসমাজের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করেছিলেন। এখানে থাকার সময়েই প্রখ্যাত সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত হোরেস হেম্যান উইলসন প্রমুখের চেষ্টায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মাক্স মুলার সম্পাদিত ঋগ্বেদ প্রকাশের যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহণ করতে রাজী হয়। এবং সায়নাচার্যের ভাষ্য সহযোগে ঋগ্বেদের একখানি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি মুদ্রণের ব্যবস্থা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মুদ্রণালয়ে হবার ফলে তিনি ১৮৪৮ সালের মে মাসে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে চলে আসেন। অতঃপর আমৃত্যু অক্সফোর্ড নগরেই বসবাস করতে থাকেন।",
"title": "মাক্স মুলার"
},
{
"docid": "1568#11",
"text": "সংজ্ঞা বা ‘হিন্দুইজম’ বা হিন্দুধর্ম শব্দটির দ্বারা কি বোঝায় তা এই কারণেই বলা সম্ভব নয় যে এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। হিন্দুধর্মে, বা কারো কারো ভাষ্য অনুযায়ী হিন্দুধর্মসমূহে মোক্ষলাভের প্রণালীটি এক এক সম্প্রদায়ের নিকট এক এক প্রকার। বৈদিক ধর্মের যে রূপগুলি পরিলক্ষিত হয়, তা হিন্দুধর্মের বিকল্প নয় - বরং তার প্রাচীনতম রূপ। তাই পশ্চিমা প্রাচ্যবিদদের লেখায় বৈদিক ধর্ম, ব্রাহ্মণ্যবাদ ও হিন্দুধর্মের মধ্যে যে প্রভেদ দেখানো হয়ে থাকে তারও বিশেষ যুক্তি নেই। কেউ কেউ মনে করেন, হিন্দুধর্মে কোনো “অনুশাসনের আকারে নিবদ্ধ কোনো একক ধর্মীয় বিশ্বাস” প্রচলিত নেই। এই জন্য ইসলামের বিরাট সংগঠনের পাশে এটিকে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ধর্মব্যবস্থা বলে অভিহিত করা হয়। আবার কেউ কেউ ইহুদি ধর্মের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ একাত্মতার কথাও বলে থাকেন।",
"title": "হিন্দুধর্ম"
},
{
"docid": "1568#22",
"text": "একেশ্বরবাদ, বহুদেববাদ, সর্বেশ্বরময়বাদ, অদ্বৈতবাদ, নাস্তিক্যবাদ – সকল প্রকার বিশ্বাসের সমাহার দেখা যায় হিন্দুধর্মে। তাই হিন্দুধর্মে ঈশ্বরধারণাটি অত্যন্ত জটিল। এই ধারণা মূলত নির্দিষ্ট কোনো ঐতিহ্য অথবা দর্শনের উপর নির্ভরশীল। কখনও কখনও হিন্দুধর্মকে হেনোথেইস্টিক ধর্ম (অর্থাৎ, বহু দেবতা অস্তিত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ধর্মব্যবস্থা) বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এধরনের বর্গীকরণ অতিসরলীকরণের নামান্তর।",
"title": "হিন্দুধর্ম"
}
] |
ইয়ারমুকের যুদ্ধে কার জয় হয় ? | [
{
"docid": "105022#2",
"text": "উমর খলিফা হওয়ার পর খালিদকে সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ করেন। তবে এরপরও খালিদ আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে একজন কার্যকর নেতা হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। তার নেতৃত্বে মুসলিমরা ৬৩৪ সালে দামেস্ক জয় করে। ৬৩৬ সালে ইয়ারমুকের যুদ্ধে মুসলিমরা গুরুত্বপূর্ণ বিজয় অর্জন করে। এর ফলে বিলাদ আল-শাম (লেভান্ট) জয়ের পথ উন্মুক্ত হয়ে যায়। \n৬৩৮ সালে খালিদ তার সামরিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান।",
"title": "খালিদ বিন ওয়ালিদ"
},
{
"docid": "370332#2",
"text": "শহর থেকে বার মাইল দূরে বর্তমান \"মাহরুবার\" নিকটে অরনটিস নদীর উপর লোহার একটি সেতু অবস্থিত ছিল। রাশিদুন সেনাবাহিনী ও বাইজেন্টাইন গেরিসনের মধ্যে এখানে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধ বড় আকারের ছিল তবে এর বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়নি। খালিদ বিন ওয়ালিদ তার মোবাইল গার্ডদের নিয়ে ইয়ারমুকের যুদ্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাইজেন্টাইনরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পরাজিত হয়। মুসলিমদের সিরিয়া বিজয়ের সময় আজনাদয়ান ও ইয়ারমুকের যুদ্ধ বাদে এখানে বাইজেন্টাইন পক্ষে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর রাশিদুন সেনারা এন্টিওকের দিকে যাত্রা করে ও এর অপর অবরোধ আরোপ করে। ৬৩৭ সালের ৩০ অক্টোবর শহর আত্মসমর্পণ করে। চুক্তি মোতাবেক বাইজেন্টাইন সৈনিকদেরকে শান্তিতে শহর পরিত্যাগ করার অনুমতি দেয়া হয়।",
"title": "লোহা সেতুর যুদ্ধ"
},
{
"docid": "42636#8",
"text": "ইয়ারমুকের যুদ্ধ ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে [[রাশিদুন খিলাফত]] ও [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের]] মধ্যে সংঘটিত হয়। ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে [[ইয়ারমুক নদী|ইয়ারমুক নদীর]] তীরে ছয় দিনব্যপী এই যুদ্ধ সংঘটিত হযয়েছিল। বর্তমানে এই নদী [[সিরিয়া]], [[জর্ডান]] ও [[ইসরায়েল|ইসরায়েলের]] মধ্য দিয়ে প্রবহমান এবং তা গ্যালিলি সাগরের পূর্বেদিকে অবস্থিত। এই যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয়ের ফলে সিরিয়ায় [[বাইজেন্টাইন শাসন|বাইজেন্টাইন শাসনের]] অবসান ঘটে। এই যুদ্ধে যুবাইর রোমান বাহিনীর মধ্যভাগে আক্রমণ করেন এবং সৈন্যদের ব্যুহ ভেদ করে অপর প্রান্তে চলে যান। কিন্তু অন্যান্য সহযোদ্ধারা তাকে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয় ও তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। তবে তার দুঃসাহসী আক্রমণের ফলে রোমানরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।",
"title": "যুবাইর ইবনুল আওয়াম"
},
{
"docid": "457697#26",
"text": "দ্বিতীয় পর্যায়: বাইজেন্টাইন বাহিনী মুসলিমদের ডান ভাগের উপর জোর দিচ্ছে বুঝতে পেরে খালিদ বিন ওয়ালিদ মোবাইল গার্ড ও ডান ভাগের অশ্বারোহীদের নিয়ে আক্রমণ চালান। তিনি বাইজেন্টাইনদের মধ্যবাম ভাগের ডান অংশের উপর হামলা চালান এবং মুসলিম মধ্যডান ভাগের রিজার্ভ অশ্বারোহীরা মধ্যবাম ভাগের বাম অংশের উপর হামলা চালায়। এদিকে তিনি মুসলিম ডান ভাগের অশ্বারোহীদেরকে বাইজেন্টাইনদের বাম ভাগের উপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এই লড়াই শীঘ্রই রক্তস্নাত অবস্থার সৃষ্টি করে। দুই পক্ষের অনেকে নিহত হয়। খালিদের সময়মত আক্রমণের ফলে সেদিনও মুসলিমদের অবস্থা সুরক্ষিত থাকে এবং সন্ধ্যা নাগাদ বাইজেন্টাইনরা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়কার তাদের মূল অবস্থানে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।",
"title": "ইয়ারমুকের যুদ্ধ"
}
] | [
{
"docid": "457697#10",
"text": "যুদ্ধক্ষেত্রটি বর্তমানে গোলান মালভূমির দক্ষিণপূর্বে সিরিয়ার হাওরান অঞ্চলে অবস্থিত। এই উচ্চভূমি অঞ্চলটি গ্যালিলি সাগরের পূর্ব দিকে সিরিয়া, জর্ডান ও ইসরায়েলের সীমান্তে রয়েছে। ইয়ারমুক নদীর উত্তরদিকে সমতল ভূমিতে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর পশ্চিম অংশ ওয়াদি-উর-রুক্কাদ নামক গভীর গিরিসংকট দেয়া ঘেরা। এই জলধারার তীর খাড়া পাড় বেষ্টিত যার উচ্চতা –। উত্তরে জাবিয়া সড়ক এবং পূর্বে আজরা পাহাড় অবস্থিত। তবে এই পাহাড়গুলো মূল যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে রয়েছে। কৌশলগতভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে উচু \"তেল আল জুমা\" একমাত্র লক্ষণীয় স্থান। মুসলিমরা এখানে জড়ো হয়। এখান থেকে ইয়ারমুক সমভূমির দৃশ্য ভালভাবে দেখা যেত। ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধক্ষেত্রের পশ্চিমের গিরিখাত মাত্র কয়েকটি স্থান দিয়ে প্রবেশযোগ্য ছিল। এখানে পারাপারের জন্য \"আইন দাকারের\" কাছে রোমান সেতু (\"জিসর-উর-রুক্কাদ\") ছিল। ইয়ারমুকের সমতল ভূমিতে দুই বাহিনীর টিকে থাকার মত পানির সরবরাহ যথেষ্ট ছিল। অশ্বারোহীদের জন্য স্থানটি উৎকৃষ্ট ছিল।",
"title": "ইয়ারমুকের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "457697#32",
"text": "প্রথম পর্যায়: বাইজেন্টাইন বাহিনীর সামনের অংশে আক্রমণের জন্য খালিদ নির্দেশ দেন এবং অশ্বারোহীদের নিয়ে তিনি বাম অংশের দিকে এগিয়ে যান। তাদের কিছু অংশ বাম অংশের অশ্বারোহীদের সাথে লড়াই করে এবং অবশিষ্টরা বাম অংশের পদাতিকদের উপর হামলা চালায়। ইতিমধ্যে মুসলিমদের ডান অংশ সামনে থেকে হামলা চালিয়েছিল। এই দুইটি হামলার ফলে বাইজেন্টাইনদের বাম অংশ পিছিয়ে যায় এবং বাইজেন্টাইনদের মধ্যবাম অংশে গিয়ে তাকে বিশৃঙ্খল করে ফেলে। বাকি মুসলিম অশ্বারোহীরা এরপর বাইজেন্টাইনদের বাম অংশের অশ্বারোহীদের পেছনের অংশে হামলা চালায়। এসময় বাইজেন্টাইনদের সামনেও মুসলিম অশ্বারোহীরা ছিল। তাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রের উত্তরদিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।\nএরপর মুসলিমদের ডান অংশের পদাতিকরা বাইজেন্টাইনদের মধ্যবাম অংশের বাম পাশে এবং মুসলিমদের মধ্যডান অংশ সামনের দিক থেকে আক্রমণ করে।",
"title": "ইয়ারমুকের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "457697#39",
"text": "হেরাক্লিয়াস ট্রু ক্রস ও জেরুজালেমে রক্ষিত অন্যান্য আরো স্মৃতিচিহ্নসহ সিরিয়া ত্যাগ করেন। এগুলো পার্থিয়া অফ জেরুজালেম গোপনে জাহাজে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। বলা হয় যে সম্রাটের পানির ভয় ছিল। তাই বসফরাস পার হওয়ার জন্য পন্টুন সেতু তৈরী করা হয়েছিল। সিরিয়া ত্যাগ করার পর হেরাক্লিয়াস আনাতোলিয়া ও মিশর রক্ষার জন্য তার বাকি বাহিনীকে সংগঠিত করা শুরু করেন। ৬৩৮-৩৯ খ্রিষ্টাব্দে বাইজেন্টাইন আর্মেনিয়া মুসলিমদের হাতে আসে। এরপর তারসুস শহরের পূর্ব দিকের দুর্গগুলো খালি করার নির্দেশ দিয়ে হেরাক্লিয়াস মধ্য আনাতোলিয়ায় একটি বাফার অঞ্চল প্রতিষ্টা করেন।\n৬৩৯-৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিমরা মিশর জয় করে। ইয়ারমুকের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর ডান অংশের কমান্ডার আমর ইবনুল আস এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।",
"title": "ইয়ারমুকের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "457697#19",
"text": "৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট যুদ্ধ শুরু হয়। ভোরে এক মাইলের কম দূরত্বে দুই বাহিনী মুখোমুখি হয়। বাইজেন্টাইন বাহিনীর ডান ভাগের একজন কমান্ডার জর্জ যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মুসলিমদের নিকটে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং মুসলিম পক্ষে যুদ্ধ করে নিহত হন বলে মুসলিম বিবরণগুলোতে উল্লেখ রয়েছে। মুসলিম মুবারিজুনদের সাথে দ্বন্দ্ব্বযুদ্ধের জন্য বাইজেন্টাইন বাহিনীর দ্বন্দ্ব্বযোদ্ধাদের প্রেরণের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়। মুবারিজুনরা ছিল বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত তলোয়ার ও বর্শাধারী সৈনিক। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের কমান্ডারদের হত্যা করে প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দেয়া তাদের দায়িত্ব ছিল। দ্বন্দ্ব্বযুদ্ধে কয়েকজন কমান্ডার নিহত হওয়ার পর দুপুরে ভাহান তার পদাতিক বাহিনীর এক তৃতীয়াংশকে পাঠান যাতে মুসলিম বাহিনীর শক্তি ও কৌশল জানা সম্ভব হয়। সৈন্যসংখ্যা ও উন্নত অস্ত্রের কারণে তারা মুসলিম সেনা বিন্যাসের দুর্বল স্থানগুলো ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়। তবে বাইজেন্টাইন আক্রমণে লক্ষ্যের অভাব ছিল। রাজকীয় বাহিনীর অধিকাংশ সৈনিক মুসলিমদের বিরুদ্ধে সফল হতে পারেনি। কিছু ক্ষেত্রে তীব্র হলেও লড়াই মধ্যমরকমভাবে চলছিল। ভাহান রিজার্ভ হিসেবে রাখা তার দুই-তৃতীয়াংশ পদাতিকদের যুদ্ধে পাঠাননি। সূর্যাস্তের পর দুই বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে নিজ নিজ ক্যাম্পে ফিরে আসে।",
"title": "ইয়ারমুকের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "457697#27",
"text": "১৮ আগস্ট অর্থাৎ চতুর্থ দিন ফলাফল নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে।\nপ্রথম পর্যায়: ভাহান আগের দিন মুসলিমদের ডান ভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারায় যুদ্ধপরিকল্পনা অণুযায়ী কাজ করার চিন্তা করেন।\nকানাটির স্লাভদের দুইটি বাহিনীকে মুসলিমদের ডান ও মধ্যডান অংশের উপর আক্রমণ চালান। আর্মেনীয় ও জাবালার নেতৃত্বাধীন খ্রিষ্টান আরবরা এক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করে। মুসলিমদের এই অংশ পুনরায় পিছিয়ে পড়ে।\nখালিদ পুনরায় তার মোবাইল গার্ডদের নিয়ে উপস্থিত হন। তিনি পুরো যুদ্ধক্ষেত্রজুড়ে হামলার আশঙ্কা করেছিলেন তাই সতর্কতা হিসেবে আবু উবাইদা ও ইয়াজিদকে যথাক্রমে মধ্যবাম ও বাম অংশের দায়িত্ব দেন এবং স্ব স্ব স্থানের সম্মুখে থাকা বাইজেন্টাইন বাহিনীকে আক্রমণের দায়িত্ব দেন। এই হামলার ফলে বাইজেন্টাইন বাহিনীর অগ্রযাত্রা প্রতিহত করা সম্ভব হয়।",
"title": "ইয়ারমুকের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "457697#2",
"text": "শেষ বাইজেন্টাইন-সাসানীয় যুদ্ধ চলার সময় ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে হেরাক্লিয়াস বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন। সাসানীয়রা ৬১১ খ্রিষ্টাব্দে মেসোপটেমিয়া জয় করে নেয় এবং আনাতোলিয়ায় প্রবেশ করে কাইসারিয়া মাজাকা দখল করে। ৬১২ খ্রিষ্টাব্দে হেরাক্লিয়াস আনাতোলিয়া থেকে পার্সিয়ানদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হন। কিন্তু তার পরের বছর ৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে সিরিয়ায় পার্সিয়ানদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলে পরাজিত হন। পরের এক দশকে পার্সিয়ানরা ফিলিস্তিন ও মিশর জয় করতে সক্ষম হয়। এদিকে হেরাক্লিয়াস পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নেন এবং নিজ সেনাবাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত করেন। নয় বছর পর ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে হেরাক্লিয়াস তার অভিযান শুরু করেন। ককেসাস ও আর্মেনিয়ায় পার্সিয়ান ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার পর ৬২৭ খ্রিষ্টাব্দে হেরাক্লিয়াস মেসোপটেমিয়ায় পার্সিয়ানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। এসময় তার নিনেভেহর যুদ্ধে বিজয়ের ফলে পার্সিয়ান রাজধানী তিসফুনের উপর হুমকি তৈরী হয়। এসকল পরাজয়ের কারণে দ্বিতীয় খসরু তার পুত্র দ্বিতীয় কাভাদের অভ্যুত্থানে পদচ্যুত ও নিহত হন। কাভাদ অধিকৃত সকল বাইজেন্টাইন এলাকা ফিরিয়ে দিতে সম্মত হন। হেরাক্লিয়াস ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে ট্রু ক্রসকে জেরুজালেমে পুনস্থাপন করেন।",
"title": "ইয়ারমুকের যুদ্ধ"
}
] |
বৌদ্ধধর্ম মোট কয়টি প্রধান মতবাদে বিভক্ত ? | [
{
"docid": "9156#0",
"text": "বৌদ্ধ ধর্ম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। অনুসারীদের সংখ্যায় বৌদ্ধধর্ম বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্ধের পরিনির্বাণের পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ। শ্রীলংকা, ভারত, ভুটান, নেপাল, লাওস, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, চীন, জাপান, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে। বাংলাদেশের উপজাতীদের বৃহত্তর অংশ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত।",
"title": "বৌদ্ধ ধর্ম"
},
{
"docid": "489378#1",
"text": "বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে বৌদ্ধ সমাজ দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। এই শাখাদুটি ছিল মহাসাংঘিক ও স্থবিরবাদ। এই দুই শাখাই সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে এবং অসংখ্য উপশাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। আধুনিক কালে, বৌদ্ধধর্মের দুটি প্রধান শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এদুটি হল শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় থেরবাদ এবং হিমালয় ও পূর্ব এশিয়ায় মহাযান।",
"title": "ভারতে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "369720#14",
"text": "বৌদ্ধ ধর্ম বা ধর্ম (পালি ভাষায় ধম্ম) গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্বের পরিনির্বাণের পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে। আক্ষরিক অর্থে \"বুদ্ধ\" বলতে একজন জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী, জাগরিত মানুষকে বোঝায়। উপাসনার মাধ্যমে উদ্ভাসিত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং পরম জ্ঞানকে বোধি বলা হয় (যে অশ্বত্থ গাছের নিচে তপস্যা করতে করতে বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন তার নাম এখন বোধি বৃক্ষ)। সেই অর্থে যে কোনও মানুষই বোধপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত এবং জাগরিত হতে পারে। সিদ্ধার্থ গৌতম এইকালের এমনই একজন \"বুদ্ধ\"। আর যে ব্যক্তি এই বোধি জ্ঞান লাভ বা ধারন করেন তাকে বলা হয় বোধিসত্ত্ব। বোধিসত্ত্ব জন্মের সর্বশেষ জন্ম হল বুদ্ধত্ব লাভের জন্য জন্ম। জাতকে, বুদ্ধ বোধিসত্ত্ব হিসেবে ৫৪৮ (মতান্তরে ৫৪৯) বার বিভিন্ন কূলে (বংশে) জন্ম নেবার আগে উল্লেখ আছে। তিনি তার আগের জন্মগুলোতে প্রচুর ভালো বা পুণ্যের কাজ করেছিলেন বিধায় সর্বশেষ জন্মে বুদ্ধ হবার জন্য জন্ম গ্রহণ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের ফলে তিনি এই দুঃখময় পৃথিবীতে আর জন্ম নেবেন না, এটাই ছিলো তাঁর শেষ জন্ম। পরবর্তী বুদ্ধ জন্ম না নেওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে তাঁর শাসন চলবে।",
"title": "বিভিন্ন ধর্ম"
}
] | [
{
"docid": "423453#39",
"text": "এই বিশালাকার জটিল বইটির বিভিন্ন অংশ রয়েছে। এর মধ্যে দশভূমিকা সূত্র ও গণ্ডব্যূহ সূত্র উল্লেখযোগ্য। এটি তিনটি সংস্করণে পাওয়া যায় – দুটি চীনা ও একটি তিব্বতি। নতুন সূত্রগুলি এগুলির ফাঁকে ফাঁকে যুক্ত হয়েছে। মনে করা হয়, গণ্ডব্যূহ সূত্র থেকে এমন একটি সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয় যার বিশেষত্ব ছিল বিরোচন এবং এই বিরোচন থেকেই মহাবিরোচন-অভিসম্বোধি তন্ত্রের জন্ম হয়। এই তন্ত্রটি শিঙ্গোন বৌদ্ধধর্মের দুটি প্রধান ধর্মগ্রন্থের একটি বলে বিবেচিত হয় এবং চর্যা শ্রেণীর তন্ত্র হিসেবে তিব্বতি আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থগুলির অন্তর্ভুক্ত হয়। অবতংসক সূত্র কেগোন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগ্রন্থে পরিণত হয়। এই মতবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতবাদটি হল সকম ধারণার ব্যাখ্যা।\nএই সূত্রগুলি মুখ্যত ‘বিজ্ঞপ্তি-মাত্র’ বা ‘কেবলমাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক’ মতবাদ শিক্ষা দেয়। এগুলি যোগাচার সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত। \"সন্ধিনির্মোচন সূত্র\" (খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক) এই শ্রেণীর প্রাচীনতম বিদ্যমান সূত্র। গেলুগপা কর্তৃপক্ষের মতে এটিই এই শাখার একমাত্র সূত্র। এই সূত্রটি বুদ্ধের শিক্ষাকে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছে। একেই বলা হয়েছে ‘ধর্মচক্রের তিন আবর্তন’। প্রথম আবর্তনে এটি শ্রাবকদের \"আগম\" বর্ণনা করে। দ্বিতীয় আবর্তনে এটি \"প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র\" সহ নিম্ন মহাযান সূত্রগুলি বর্ণনা করেছে। এবং সবশেষে এই সূত্রের অনুরূপ সূত্রগুলিকে তৃতীয় আবর্তনভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এই শ্রেণীবিভাগে প্রথম দুটি আবর্তবনকে সাময়িক বলা হয়েছে এবন সর্বশেষ শ্রেণীটিকে চরম সত্য বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এটির অধিক ব্যাখ্যা প্রয়োজন নেই (‘নিতর্থ’)।",
"title": "বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "425920#23",
"text": "এ. কে. ওয়ার্ডারের মতে, ‘স্পষ্টতই’ মহাযান শিক্ষা বৌদ্ধধর্মের মহাসাংঘিক শাখা থেকে এসেছে। ওয়ার্ডার মনে করেন, “মহাযানের উদ্ভব দক্ষিণ ভারতে। নিশ্চিতভাবে অন্ধ্র অঞ্চলে এই মতবাদ জন্ম নিয়েছিল।” অ্যান্টনি বারবার ও শ্রীপদ্ম বলেছেন, “বৌদ্ধ দর্শনের ঐতিহাসিকগণ দীর্ঘকাল যাবৎ জানেন যে, নাগার্জুন, দিগনাগ, চণ্ডকীর্তি, আর্যদেব ও ভববিবেক প্রমুখ মহাযান বৌদ্ধ দর্শনের প্রধান প্রধান দার্শনিকগণ আন্ধ্র অঞ্চলের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে বসবাসকালে তাঁদের মতবাদ প্রকাশ করেছিলেন।”",
"title": "মহাসাংঘিক"
},
{
"docid": "380849#1",
"text": "বৌদ্ধধর্মের ক্রমবিকাশের ধারাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতক থেকে খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের পূর্ব পর্যন্ত সাড়ে পাচঁশ বছর প্রথম অধ্যায়; খ্রিস্টীয় প্রথম থেকে সপ্তম শতক পর্যন্ত দ্বিতীয় অধ্যায় এবং অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত তৃতীয় অধ্যায়। প্রথম অধ্যায়ের বৌদ্ধধর্ম ছিল পূর্ণাঙ্গ থেরবাদ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে মহাযান বৌদ্ধ দর্শনের উদ্ভব হয়। এ সময় সংস্কৃতসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত পালি ত্রিপিটকের খন্ডিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এতে মূল ত্রিপিটকে বর্ণিত বিনয়ের চিরাচরিত কঠোর নিয়মাবলি বহুলাংশে শিথিল করা হয়। এ শিথিলকৃত ধারার বিনয়-অনুসারিগণ বা মহাযানপন্থিগণ থেরবাদকে রক্ষণশীল বৌদ্ধধর্ম, স্থবিরবাদ নামে আখ্যায়িত করেন। দ্বিবিধ ধারার এ বৌদ্ধ মতাদর্শে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। অনিত্য-দুঃখ-অনাত্ম, চতুরার্য সত্য, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ এবং শীল-সমাধি-প্রজ্ঞার অনুশীলনে পরম শান্তি ‘নির্বাণ’ লাভের সাধনা থেরবাদ ও মহাযান উভয় মতবাদেই অনুসৃত হয়। শুধু আচার-অনুষ্ঠানের দিক থেকে এ দুই মতবাদে কিছুটা বৈসাদৃশ্য রয়েছে।",
"title": "থেরবাদ"
},
{
"docid": "501830#8",
"text": "প্রথাগত বিশ্বাস অনুসারে, জৈনধর্মের মূল মতবাদ \"পূর্ব\" নামক শাস্ত্রে লিখিত ছিল। মোট চোদ্দোটি \"পূর্ব\" শাস্ত্রের অস্তিত্ব ছিল। জৈনদের বিশ্বাস, এই \"পূর্ব\" শাস্ত্রগুলির উৎস প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথ। মহাবীরের মৃত্যুর দুই শতাব্দী পরে একটি দ্বাদশবর্ষব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সেই সময় মগধের শাসক ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং জৈন সমাজের প্রধান ছিলেন ভদ্রবাহু। ভদ্রবাহু তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দক্ষিণে কর্ণাটক অঞ্চলে চলে যান। স্থূলভদ্র নামে অপর এক জৈন প্রধান মগধে থেকে যান। এই সময় জৈন মতবাদ সম্পর্কে জ্ঞান হারিয়ে যাচ্ছিল। তখন পাটলীপুত্রে এক সভার আয়োজন করা হয় এবং সেই সভায় \"অঙ্গ\" নামে পরিচিত ১১টি শাস্ত্র রচনা করা হয়। স্থূলভদ্রের অনুগামীরা দ্বাদশ অঙ্গ \"দিট্ঠিবায়\" গ্রন্থে চোদ্দোটি \"পূর্ব\" শাস্ত্রের অবশিষ্টাংশ সংকলিত করেন। দিগম্বর সম্প্রদায় স্থূলভদ্র কর্তৃক সংকলিত জৈন আগমের প্রামাণিকতা অস্বীকার করে। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, ইন্দ্রভূতি গৌতমের পর ২৩শ শিক্ষক ধরাসেনের সময় মাত্র একটি \"অঙ্গ\" শাস্ত্রের জ্ঞান ছিল। এটি ছিল মহাবীরের নির্বাণের ৬৮৩ বছর পরে। ধরাসেনের শিষ্য পুষ্পদন্ত ও ভূতবলীর সময়কালে তাও হারিয়ে যায়।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "94999#10",
"text": "বৈষ্ণবধর্মাবলম্বীগণ চারটি প্রধান উপশাখায় বিভক্ত। এই উপশাখাগুলিকে বলা হয় সম্প্রদায়। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের আদর্শ কোনো নির্দিষ্ট বৈদিক চরিত্র। জীবাত্মা ও পরমাত্মা (বিষ্ণু বা কৃষ্ণ) সম্পর্কে এই চার সম্পর্কের মতের সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। যদিও অধিকাংশ বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল মতবাদ একই প্রকারের।\nবৈষ্ণবদের মধ্যে কপালে তিলক অঙ্কণ করার রীতি রয়েছে। কেউ কেউ দৈনিক উপাসনার অঙ্গ হিসেবে তিলক আঁকেন, কেউ কেউ তিলক কাটেন বিশেষ অনুষ্ঠান বা উৎসব উপলক্ষে। বিভিন্ন বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলির নিজস্ব তিলক অঙ্কণশৈলী রয়েছে। এগুলি সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তের প্রতীক। সাধারণত তিলকের আকার ইংরেজি Y অক্ষরটির মতো। দুই বা ততোধিক লম্বরেখা এবং নাকের উপর অপর একটি রেখা বিশিষ্ট এই তিলক বিষ্ণুর পদ ও পদ্মের প্রতীক।",
"title": "বৈষ্ণবধর্ম"
},
{
"docid": "1568#13",
"text": "হিন্দুধর্ম আজ একাধিক শাখায় বিভক্ত। অতীতে এই ধর্ম ছয়টি দর্শনে বিভক্ত ছিল। বর্তমানে এগুলির মধ্যে কেবল বেদান্ত ও যোগেরই অস্তিত্ব আছে। আধুনিক হিন্দুধর্মের প্রধান বিভাগগুলি হল বৈষ্ণবধর্ম, শৈবধর্ম, স্মার্তবাদ ও শাক্তধর্ম। এছাড়াও একাধিক ছোটো বিভাগ বা উপবিভাগ লক্ষিত হয়, যাদের অনেকগুলিই পরস্পরের সঙ্গে অংশত আবৃত। তবে আজকের হিন্দুরা মোটামুটিভাবে পূর্বোক্ত চারটি প্রধান শাখার কোনো না কোনো একটির সদস্য।",
"title": "হিন্দুধর্ম"
},
{
"docid": "1568#36",
"text": "বেদ চার ভাগে বিভক্ত (ঋক, সাম, যজু এবং অথর্ব)। \"ঋগ্বেদ\" হল সর্বপ্রথম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বেদ। প্রত্যেক বেদ আবার চার ভাগে বিভক্ত: প্রাথমিক ভাগ, মূল বেদ, সংহিতা বর্তমান, যাতে পবিত্র মন্ত্র রয়েছে। অন্য তিনটি অংশ সাধারণত গদ্য আকারে গঠিত ত্রিস্তর আলোচনা সমাহার এবং সংহিতা থেকে বয়সে সামান্য পরবর্তীকালের বলে বিশ্বাস করা হয়। এগুলি হল: ব্রাহ্মণ, আরণ্যক এবং উপনিষদ্। প্রথম দুটি অংশকে পরবর্তীকালে কর্মকাণ্ড (আনুষ্ঠানিক অংশ) বলা হয়েছে, যেখানে শেষের দুইটি অংশ নিয়ে জ্ঞানকান্ড (শিক্ষামূলক অংশ) গঠিত। যেখানে বেদ ধর্মানুষ্ঠানের উপর কেন্দ্রীভূত, সেখানে উপনিষদ আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি ও দার্শনিক শিক্ষার উপর অধিশ্রিত, এবং ব্রহ্ম ও জন্মান্তর বিষয়ে আলোচিত।",
"title": "হিন্দুধর্ম"
}
] |
চীনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি কে ? | [
{
"docid": "267795#0",
"text": "শি জিনপিং (জন্ম: ১৫ জুন, ১৯৫৩) গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একজন উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বর্তমানে একাধারে চীনের রাষ্ট্রপতি, চীনের রাষ্ট্রীয় কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যান, কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার মহাসচিব এবং কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যান।",
"title": "শি জিনপিং"
},
{
"docid": "267795#11",
"text": "সাংহাই কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক পদে নিয়োগের মধ্য দিয়েই এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে শি জিনপিং চীনের পঞ্চম প্রজন্মের নেতৃত্বের অংশ হতে যাচ্ছেন। ২০০৭ সালের অক্টোবরে সিপিসির ১৭তম কংগ্রেসে ৯-সদস্য বিশিষ্ট পলিটব্যুরো কার্যকরী কমিটিতে তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এটি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। জিনপিং পলিটব্যুরোতে লি কেকিয়াঙ্গের উপরে স্থান লাভ করেন এবং এর মধ্য দিয়ে এটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়- শি জিনপিঙ্গই হতে যাচ্ছেন চীনের পরবর্তী প্যারামাউন্ট লিডার বা ‘একচ্ছত্র নেতা’। একই সময়ে জিনপিং কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের প্রধান নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালের মার্চে সিপিসির ১১তম জাতীয় গণসম্মেলনে জিনপিং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষিত হলে ‘একচ্ছত্র নেতা’ হওয়ার ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়। ধারণা করা হয়ে থাকে, জিনপিঙ্গের উজ্জ্বল সম্ভাবনার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে তার সাথে বর্তমান রাষ্ট্রপতি হু জিনতাও ও উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার পূর্বসূরী জেং কিংহঙ্গের, অর্থাৎ চীনা রাজনীতির বহুমুখী নেতৃত্বের সুসম্পর্ক।",
"title": "শি জিনপিং"
},
{
"docid": "421872#2",
"text": "২০১২ সালে, চীনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি হু জিনতাও, ব্রিক্স রাষ্ট্রসমূহকে উন্নয়নশীল দেশের প্রবর্তক এবং বিশ্ব শান্তির জন্য একটি শক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন। কিছু বিশ্লেষক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অস্থায়িত্ব, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের মাধ্যমে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ, এবং ভারত ও স্থানিক বিষয়ে চীনের বিরোধ প্রসঙ্গে সঙ্ঘটির সম্ভাব্য ভাঙ্গন এবং দুর্বলতার দিকসমূহ তুলে ধরেছেন।",
"title": "ব্রিক্স"
}
] | [
{
"docid": "108663#0",
"text": "হু জিনতাও (জন্ম: ২১ ডিসেম্বর ১৯৪২) একজন চীনা রাজনীতিবিদ ও বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একচ্ছত্র নেতা। তিনি একাধারে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার (সিপিসি) মহাসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতি ও দেশটির কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি যথাক্রমে ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সাল থেকে এই পদগুলোতে আসীন রয়েছেন। শীর্ষ এই পদগুলোতে জিনতাও চীনের চতুর্থ প্রজন্মের নেতা হিসেবে তার উত্তরসূরী জিয়াং জেমিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।",
"title": "হু জিনতাও"
},
{
"docid": "527457#5",
"text": "রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ২০১৬ সালের ২৮ থেকে ৩০শে মার্চ রাষ্ট্রপতি জেমানের আমন্ত্রণে চেক প্রজাতন্ত্র সফর করেন। এই প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কোনো রাষ্ট্রপতি চেক প্রজাতন্ত্র সফর করেন। তারা দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ের ব্যাপারে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রপতিরা দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারত্বমূলক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।",
"title": "চেক প্রজাতন্ত্র–চীন সম্পর্ক"
},
{
"docid": "690248#2",
"text": "চীনের রাষ্ট্রপতি নামেমাত্র রাষ্ট্রের প্রধান। চীনের প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারপ্রধান, যিনি চারজন ভাইস প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রনালয় ও কমিশন প্রধান দ্বারা গঠিত স্টেট কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করেন। একদলীয় রাষ্ট্র হিসেবে কম্যুনিস্ট পার্টি অব চায়নার সাধারণ সম্পাদকের হাতেই থাকে প্রকৃত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব।",
"title": "গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাজনীতি"
},
{
"docid": "267856#11",
"text": "লি কেকিয়াংকে সিপিসির আগামী মহাসচিব হিসেবে হু জিনতাওর একজন সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে ধারণা করা হয়। সরকারী পদে তাকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওর সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে ধারণা করা হয়। ২০০৮ সালের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে জ্যেষ্ঠ উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার ফলে কেকিয়াঙ্গের দ্বিতীয় সম্ভাবনাটি জোরদার হয়। বলা হয়ে থাকে দ্বিতীয় এই পদোন্নতিটি ইতোমধ্যেই পেয়ে যাওয়াতে সিপিসির মহাসচিব পদে কেকিয়াঙ্গের চেয়ে অপর সিপিসি নেতা শি জিনপিং, যিনি বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের উপ-রাষ্ট্রপতি, তার বেশি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।",
"title": "লি কেকিয়াং"
},
{
"docid": "267856#0",
"text": "লি কেকিয়াং (জন্ম: ১ জুলাই, ১৯৫৫) একজন চীনা রাজনীতিবিদ, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের একজন নির্বাহী উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না (সিপিসি)-র পলিটব্যুরো কার্যকরী কমিটির সপ্তম শীর্ষ সদস্য। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও’র শীর্ষ সহযোগী হিসেবে কেকিয়াঙ্গের দায়িত্বসমূহের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মূল্য নিয়ন্ত্রণ, অর্থায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও ব্যাষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা।",
"title": "লি কেকিয়াং"
},
{
"docid": "660333#0",
"text": "চিয়াং চিং-কুও (২৭ এপ্রিল ১৯১০ - ১৩ জানুয়ারী ১৯৮৮) তাইওয়ান ভাষায় একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। চিয়াং কাই-শেক্স পুত্র, তিনি তাইওয়ান রিপাবলিক অফ চায়না সরকারের বহু পদে ছিলেন। তিনি ১৯২৭ থেকে ৭৮ এর মধ্যে চীনের প্রজাতন্ত্রের প্রিমিয়ার হিসেবে কাজ করার জন্য তার পিতাকে সফল করেন এবং ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চীনের প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ১৯৮৮ সালে তার মৃত্যুর পর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।",
"title": "চিয়াং চিং-কুও"
},
{
"docid": "108747#0",
"text": "সান ইয়াত সেন চীন দেশের নেতা ছিলেন। তিনি সেদেশের মানচু রাজবংশের অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়ে ছিলেন। তিনি বিদেশে থাকা অবস্থায় মানচু রাজবংশের পতন হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি হন। তিনি প্রজাতন্ত্রী চীনের প্রথম রাষ্ট্রপতি।",
"title": "সান ইয়াত-সেন"
}
] |
যিশু খ্রিস্টের মৃত্যু দিবস কবে ? | [
{
"docid": "1351#0",
"text": "যিশু (৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ?-৩০ খ্রিস্টাব্দ?) ছিলেন একজন ইহুদি ধর্মপ্রচারক, যিনি খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য হন। তিনি নাসরতের যিশু নামেও অভিহিত হন। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি 'খ্রিস্ট' থেকে খ্রিস্টধর্মের নামকরণ করা হয়েছে। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন, যিশু ইশ্বরের পুত্র এবং বাইবেলের পুরাতন নিয়মে পূর্বব্যক্ত মসিহ যার আগমন নতুন নিয়মে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।",
"title": "যিশু"
},
{
"docid": "634828#0",
"text": "যিশু খ্রিস্ট, ইসলাম ধর্মমতে যাকে ঈসা নবী বলে আখ্যায়িত করা হয়, খ্রিস্টানদের মতে তার ক্রুসবিদ্ধকরণের ঘটনাটি ঘটেছিল খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, আনুমানিক ৩০-৩৩ সালের মধ্যে। তাঁর এই ক্রুশবিদ্ধের ঘটনার সবথেকে ভাল বিবরণ পাওয়া যায় খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল-এর নূতন নিয়মের প্রথম চারটি বইতে যা সুসমাচার নামে পরিচিত। যিশু খ্রিস্টের এই ক্রুশবিদ্ধকরণের ঘটনাটি প্রাচীন অনেক উৎস মোতাবেক একটি প্রতিষ্ঠিত ঘটনা এবং অন্য ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন উৎস দ্বারা স্বীকৃত। তবে ইসলাম ধর্মমত অনুযায়ী যীশু বা ঈসাকে হত্যাও করা হয় নি, শূলেও চড়ানো হয়নি। ইতিহাসবিদগণ এই বিষয়ে সম্পূর্নভাবে একমত হতে পারেনি যে সেখানে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল।\nবাইবেলে উল্লেখিত সুসমাচার অনুযায়ী যিশুকে খ্রিস্ট বলা হয়, তাঁকে তৎকালীন রাজা পিলাতের আইনসভা কর্তৃক অন্যায়ভাবে ধরে এনে অপমান করা হয় এবং পরে রাজা পিলাতের কাছে পাঠানো হলে সে প্রথমে চাবুক মারার আদেশ এবং পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ক্রুশে দেবার আদেশ দেয় এবং অবশেষে রোমীয়রা তাঁকে ক্রুশে দেয়। ক্রুশবিদ্ধ করার আগে যিশু খ্রিস্টের শরীর থেকে তার কাপড় খুলে নিয়ে তাকে চাবুকের আঘাত করা হয় এবং পিত্ত মেশানো আঙ্গুর রস খেতে দেওয়া হয়। এবং যিশুর সাহাবী মথির লেখা সুসমাচার অনুযায়ী পরে তাকে দুইজন দন্ডপ্রাপ্ত দস্যুর মাঝে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয় এবং তার ক্রুশের উপর বিদ্রুপ করে লিখে দেওয়া হয় \" INRI \" অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় \" এই ব্যক্তি যিশু, ইহূদীদের রাজা \" যার উল্লেখ তাঁর সাহাবী ইউহোন্না যাকে যোহন বলা হয় তার লেখা সুসমাচারে পাওয়া যায়। ইউহোন্না আরো উল্লেখ করেছেন যে যিশুকে ক্রুশে দেবার পর সৈন্যরা তাঁর জামাকাপড় লটারী করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। চারটি সুসমাচারের মধ্যে ইউহোন্না বা যোহনের লেখা সুসমাচারে উল্লেখ আছে যে, যিশুকে ক্রুশে দেবার পর একজন সৈন্য তার দেহে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে নিশ্চিত হন যে তিঁনি মারা গেছেন কিনা। বাইবেল অনুসারে যিশু খ্রিস্ট ক্রুশেবিদ্ধ থাকা অবস্থায় সাতটি বাণী দেন এবং তার জীবদ্দশায় তিঁনি অনেক অলৌকিক কাজ করেন।",
"title": "যিশুর ক্রুসবিদ্ধকরণ"
}
] | [
{
"docid": "18363#0",
"text": "বড়দিন বা ক্রিসমাস একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা যায় না। আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্মতারিখ ধরা হয়। অন্যমতে একটি ঐতিহাসিক রোমান উৎসব অথবা উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ অয়নান্ত দিবসের অনুষঙ্গেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশুর জন্মজয়ন্তী পালনের প্রথাটির সূত্রপাত হয়। বড়দিন বড়দিনের ছুটির কেন্দ্রীয় দিন এবং খ্রিষ্টধর্মে বারো দিনব্যাপী খ্রিষ্টমাসটাইড অনুষ্ঠানের সূচনাদিবস।\nপ্রকৃতিগতভাবে একটি খ্রিষ্টীয় ধর্মানুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও, একাধিক অ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও মহাসমারোহে বড়দিন উৎসব পালন করে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎসবের আয়োজনে প্রাক-খ্রিষ্টীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ভাবনার সমাবেশও দেখা যায়। উপহার প্রদান, সংগীত, বড়দিনের কার্ড বিনিময়, গির্জায় ধর্মোপাসনা, ভোজ, এবং বড়দিনের বৃক্ষ, আলোকসজ্জা, মালা, মিসলটো, যিশুর জন্মদৃশ্য, এবং হলি সমন্বিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার প্রদর্শনী আধুনিককালে বড়দিন উৎসব উদযাপনের অঙ্গ। কোনো কোনো দেশে ফাদার খ্রিষ্টমাস (উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডে সান্টাক্লজ) কর্তৃক ছোটোদের জন্য বড়দিনে উপহার আনার উপকথাটি বেশ জনপ্রিয়।",
"title": "বড়দিন"
},
{
"docid": "92138#36",
"text": "ইউনাইটেড কিংডম ও আয়ারল্যান্ড-এ , ইস্টের সানডে(২৭শে মার্চ, ২০০৯)-র ঠিক তিন সপ্তাহ আগে, লেন্ট-এর চতুর্থ রবিবার মাদারিং সানডে পালিত হয়.খুব সম্ভবত ষোড়শ শতকের বছরে একবার নিজের মাদার চার্চ বা প্রধান গির্জায় যাওয়ার খ্রিস্টীয় রেওয়াজ থেকেই এর উত্পত্তি. এর মূল তাত্পর্য হল যে মায়েরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে মিলিত হবেন.অনেক ঐতিহাসিক -এর মতে যুবতী শিক্ষানবিশ-দের এবং অন্য যুবতীদের তাদের মালিকরা কাজ থেকে অব্যহতি দিত তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য। \nধর্মনিরিপেক্ষিকরণের ফলে এখন এই দিনটি মূলত মায়ের প্রতি সম্মান জানানোর দিন যদিও বহু গির্জা এটিকে এখনও সেই ঐত্তিহাসিক ভাবে দেখতেই পছন্দ করে যেখানে থাকে যিশু খ্রিস্ট -এর মা মেরি ও \"মাদার চার্চ\"-এর মত ঐতিহ্যবাহী রীতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।",
"title": "মাতৃ দিবস"
},
{
"docid": "2656#2",
"text": "মধ্যপ্রাচ্যের (বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্রের উত্তরভাগে অবস্থিত) ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের নাসরত শহর থেকে আগত ইহুদি বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা যিশুখ্রিস্টের জীবন ও শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে ধর্মটির উৎপত্তি হয়। ঐতিহাসিকভাবে নাসরতের যিশু খ্রিস্টীয় ১ম শতকের প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের প্রদেশ যিহূদিয়াতে (ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন অঞ্চলের পার্বত্য দক্ষিণাংশ) বসবাসকারী একজন ধর্মপ্রচারক ও নৈতিক শিক্ষক ছিলেন। যিশুর পালক বাবা যোসেফ ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। কিন্তু যিশুর অনুসারীরা অর্থাৎ খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করেন যে যিশু স্বয়ং ঈশ্বরের একমাত্র সন্তান। খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থগুলিতে বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী তিনি দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে পারতেন, এমনকি মৃত মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন। এসব অলৌকিক ঘটনা সম্পাদনের প্রেক্ষিতে যিশুকে ইহুদিদের রাজা হিসেবে দাবী করা হয়। এই উপাধি ব্যবহার ও নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে দাবী করার দোষে জেরুসালেমের ইহুদি নেতাদের নির্দেশে যিশুকে জেরুসালেমে গ্রেপ্তার করা হয়। ইহুদিদের সর্বোচ্চ আদালতে তাঁর বিচার হয় ও ইহুদিরা যিহূদিয়ার স্থানীয় রোমান প্রশাসক পোন্তিউস পীলাতকে অনুরোধ করে যেন যিশুকে মৃত্যদণ্ড দান করা হয়। পীলাত প্রথমে যিশুকে নিরপরাধ গণ্য করলেও পরবর্তীতে যাজকদের প্ররোচণায় উন্মত্ত ইহুদি জনতার ইচ্ছাপূরণ করতে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করান।",
"title": "খ্রিস্ট ধর্ম"
},
{
"docid": "61582#0",
"text": "ত্রাণকর্তা যিশুখ্রিস্ট (, স্থানীয় ভাষায়: ) ব্রাজিলের, রিউ দি জানেইরুতে যিশু খ্রিস্টের একটি মূর্তি যা বিশ্বের বৃহত্তম আর্ট ডেকো মূর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূর্তিটি তার স্তম্ভের ভিত্তি ছাড়া, লম্বা এবং তার দুই পাশে প্রসারিত এক একটি হাতের দৈর্ঘ্য । এটি তিজুকা ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কে শহরকে আড়াল করে রাখা ৭০০ মি (২২৯৬ ফুট) উচ্চতার কর্কোভাদো পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। ব্রাজিলীয় খ্রিস্টধর্মের একটি প্রতীক যা রিউ দি জানেইরু এবং ব্রাজিলের জন্য একটি প্রতিমায় পরিণত হয়েছে। এটি ভিতরে ইস্পাতশলাকা জল ব্যবহার করে দৃঢ়ীভূত কংক্রিট ও সোয়াপস্টোন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এবং একে একজন ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি ১৯২২ এবং ১৯৩১ মধ্যে নির্মিত করেছিল। এটি বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি।",
"title": "ত্রাণকর্তা যিশুখ্রিস্ট (মূর্তি)"
},
{
"docid": "2656#0",
"text": "খ্রিস্টধর্ম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম, যা মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের ধর্মপ্রচারক নাসরতের যিশুর জীবন ও শিক্ষার উপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে উৎপত্তি লাভ করে। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি \"খ্রিস্ট\" অনুযায়ী এই ধর্মকে খ্রিস্টধর্ম এবং এর অনুসারীদের খ্রিস্টান বলা হয়। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থসমগ্রের নাম বাইবেল। খ্রিস্টানেরা এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে; তারা আরও বিশ্বাস করে যে যিশু ইশ্বরের পুত্র ও মানব জাতির ত্রাতা যার আগমন বাইবেলের পুরাতন নিয়ম অংশে পূর্বব্যক্ত হয়েছিল এবং নূতন নিয়ম অংশে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। খ্রিস্টধর্ম একটি অব্রাহামীয় ধর্ম, কেননা বাইবেলের পুরাতন নিয়মে উল্লিখিত প্রাচীন ইসরায়েলীয় জাতির পিতৃপুরুষ অব্রাহাম যে এক ঈশ্বরের উপাসনা করতেন, খ্রিস্টানরা সেই ঈশ্বরেরই উপাসনা করে।",
"title": "খ্রিস্ট ধর্ম"
},
{
"docid": "1351#2",
"text": "খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বে যিশুর একটি “স্বতন্ত্র গুরুত্ব” রয়েছে। খ্রিস্টীয় মতবাদের অন্তর্ভুক্ত বিশ্বাসগুলির মধ্যে রয়েছে পবিত্র আত্মার প্রভাবে যিশুর গর্ভে প্রবেশ এবং মেরি নাম্নী এক কুমারীর গর্ভে জন্ম, যিশুর বিভিন্ন অলৌকিক কার্য সম্পাদন, চার্চ প্রতিষ্ঠা, প্রতিকার বিধানার্থে আত্মত্যাগ স্বরূপ ক্রুশারোহণে মৃত্যু, মৃত অবস্থা থেকে পুনর্জীবন লাভ, সশরীরে স্বর্গে আরোহণ, এবং ভবিষ্যতে তাঁর পুনরাগমনে বিশ্বাস। অধিকাংশ খ্রিস্টানই বিশ্বাস করেন, যে যিশু ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের পুনর্মিলন ঘটানোর শক্তি রাখেন। নাইসিন ধর্মমত অনুসারে, যিশু মৃতদের বিচার করবেন। এই বিচারকার্য সম্পাদিত হবে হয় তাদের শারীরিক পুনর্জীবন লাভের আগে অথবা পরে। এই ঘটনাটি খ্রিস্টীয় শেষবিচারবাদে যিশুর দ্বিতীয় আগমনের সঙ্গে যুক্ত। যদিও কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, ত্রাণকর্তা রূপে যিশুর ভূমিকা মৃত্যুপরবর্তী জীবনের তুলনায় অনেকাংশেই জীবনবাদমূলক বা সমাজমূলক। অল্প কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ধর্মতত্ত্ববিদ বলেছেন যে, যিশু একটি বিশ্বজনীন পুনর্মিলন ঘটাবেন। খ্রিস্টানদের অধিকাংশই যিশুকে ত্রয়ীর তিন জন ব্যক্তির দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব ঈশ্বরপুত্রের অবতার রূপে পূজা করেন। খ্রিস্টানদের একটি সংখ্যালঘু অংশ সম্পূর্ণত বা অংশত ত্রয়ীবাদকে অশাস্ত্রীয় বলে প্রত্যাখ্যান করে।",
"title": "যিশু"
},
{
"docid": "631681#3",
"text": "ইস্টার্ন অর্থডক্স চার্চের খ্রিস্টান এবং ওরিয়েন্টাল অর্ধপরিষদ চার্চ একই সময়ে যিশুর আবির্ভাব অনুষ্ঠান পালন করে, কখনও কখনও একে \"আবির্ভাব\" বলা হয় কিন্তু এটি \"\"জন্মদিনের ফাস্ট\"\" নামেও পরিচিত, যা ক্রিসমাসের ৪০ দিন আগে শুরু হয়। কিছু ইস্টার্ন অর্থডক্স ( খ্রিস্টানরা (উদাঃ গ্রীক এবং সিরিয়ান) ডিসেম্বর ২৫ তারিখে ক্রিসমাস উদযাপন করে,অন্যান্য অর্থডক্স (যেমন, কপ্ট, ইথিওপিয়ান, জর্জিয়ান এবং রাশিয়ানরা) ৭ জানুয়ারী (গ্রেগরিয়ান) (কক্সক ২৯ টা কপটিক ক্যালেন্ডারে) ক্রিসমাস উদযাপন করে কারন তারা গ্রীগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে।",
"title": "যিশুর জন্ম"
},
{
"docid": "35516#0",
"text": "খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯ অব্দ বলতে যিশু খ্রিস্টের জন্মের ৩৯৯ বছর পূর্বের সময়কে নির্দেশ করে; যেটি মধ্যযুগের প্রথম দিকের সময়কালে ইউরোপে বছরের নামকরণ করা রহিত করার পরবর্তী সময় হতে ব্যবহৃৎ হয়ে আসছে। প্রাক-জুলিয়ান রোমান বর্ষ-পঞ্জিকা অনুসারে এই বছরটি Year of the Tribunate of Augurinus, Longus, Priscus, Cicurinus, Rufus and Philo হিসাবে পরিচিত।",
"title": "খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯"
}
] |
তানিয়া আহমেদ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী ? | [
{
"docid": "642530#5",
"text": "২০০৪ সালে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত \"শ্যামল ছায়া\" চলচ্চিত্র দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পলায়নরত এক নৌকায় নারী ডাক্তার রাত্রি চরিত্রে তার অভিনয় বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বেও সামাদৃত হয়। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তিনি \"৬৯\", \"বেলাভূমি\", \"শ্রীকান্ত\", \"আমাদের আনন্দবাড়ি\", \"ঘুণপোকা\", ও \"সুখনগর অ্যাপার্টমেন্ট\" নাটকে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে তিনি সাইফুল ইসলাম মান্নু পরিচালিত \"সাপলুডু\" টেলিভিশন ধারাবাহিকে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত \"মেড ইন বাংলাদেশ\" (২০০৭), হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত \"নয় নম্বর বিপদ সংকেত\" (২০০৭) চলচ্চিত্র, ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"বিশ্বরণ্যের নদী\"-তে কাজ করেন।",
"title": "তানিয়া আহমেদ"
}
] | [
{
"docid": "642530#8",
"text": "২০১৪ সালে তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শুরুতে চলচ্চিত্রটির নাম রাখা হয় \"গুড মর্নিং লন্ডন\"। পরে তা \"ভালোবাসা এমনই হয়\" নামে পরিবর্তন করা হয়। এটি বাবা ও মেয়ের দ্বন্দ্বের গল্প। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, ইরফান সাজ্জাদ, তারিক আনাম খান, মীর সাব্বির। চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তি পায়। ২০১৫ সালে তিনি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে প্রচারিত রায়হান খানের \"সুপারস্টার\", ও এনটিভিতে প্রচারিত হিমেল আশরাফের \"একদিন ছুটি হবে\" টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেন। ঈদুল আযহায় বাংলাভিশন চ্যানেলে প্রচারিত \"সিকান্দার বক্স এখন নিজ গ্রামে\" মিনি ধারাবাহিকে নাম চরিত্রের বড় বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন।",
"title": "তানিয়া আহমেদ"
},
{
"docid": "347704#2",
"text": "মিলন অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র \"হাজার বছর ধরে\" (২০০৫)। এতে তিনি নৌকার মাঝি করিম শেখ চরিত্রে অভিনয় করেন। ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান রচিত \"একই নামের\" উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেন রায়হানের সহধর্মিনী সুচন্দা। ২০০৬ সালে তিনি \"জয়িতা\", \"প্রজাপতিকাল\", \"হাটকুড়া\", \"মধুময়রা\", \"অতঃপর\" টেলিভিশন চলচ্চিত্রের অভিনয় করেন। \"মধুময়রা\" নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি ৯ম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সমালোচক শাখায় সেরা টিভি অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালে এনটিভিতে প্রচারিত হয় তার অভিনীত টেলিভিশন ধারাবাহিক \"১১১ এ নেলসন নাম্বার\"। একটি ডর্মিটরির রুম নিয়ে গল্পটি আবর্তিত হয়। চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ প্রযোজিত ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেন নাঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। এরপর তাকে সাদিক আহমেদ পরিচালিত তারকা সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র \"দ্য লাস্ট ঠাকুর\" সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়।",
"title": "আনিসুর রহমান মিলন"
},
{
"docid": "349309#3",
"text": "১৯৮৬ সালে 'নতুন মুখের সন্ধানে' প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র \"চেতনা\"। ছবিটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। একক নায়ক হিসেবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন মনোয়ার খোকনের \"জ্যোতি\" চলচ্চিত্রে। এই দশকে তিনি শেষ ঠিকানা, জিদ্দী, আবিদ হাসান বাদলের \"বিদ্রোহী প্রেমিক\" (১৯৯৬) ও \"তুমি শুধু তুমি\" (১৯৯৭), রাজ্জাকের \"বাবা কেন চাকর\" (১৯৯৭), শিল্পী চক্রবর্তীর \"রঙিন উজান ভাটি\" (১৯৯৭), মোতালেব হোসেনের \"ভালবাসার ঘর\" (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।",
"title": "অমিত হাসান"
},
{
"docid": "646951#2",
"text": "১৯৭৬ সালের ডিসেম্বর মাসে টিনা অভিনেতা দেব আনন্দ এর প্রযোজনা এবং পরিচালনা করা চলচ্চিত্র 'দেছ পারদেছ' এ অভিনয়ের সুযোগ পান, চলচ্চিত্রটি ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায়, এটিই ছিলো টিনা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। টিনা অভিনীত গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র হচ্ছে 'লুটমার' (১৯৮০), 'মান পাছান্দ' (১৯৮০), 'কারয্' (১৯৮০), 'বাতো বাতো মেঁ' (১৯৭৯), 'ফিফটি ফিফটি' (১৯৮১), 'রকি' (১৯৮১), 'ছউতেন' (১৯৮৩), 'বেওয়াফাই' (১৯৮৫), 'ইয়ে ভাদা রাহা' (১৯৮২), 'ইনসাফ ম্যাঁ কারুঙ্গা' (১৯৮৫), 'আলাগ আলাগ' (১৯৮৫) এবং 'আধিকার' (১৯৮৬)।",
"title": "টিনা মুনিম"
},
{
"docid": "526154#1",
"text": "আহমেদ শরীফ বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম। তার অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’। সুভাষ দত্ত পরিচালিত এ ছবিতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন আহমেদ শরীফ। তবে খলনায়ক হিসেবে ১৯৭৬ সালে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর পরিচালনায় ‘বন্দুক’ ছবিতে। এ ছবিটি সুপারডুপার হিট হয়। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি আহমেদ শরীফ টেলিভিশনের জন্য কিছু নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। ২০০১ সালে প্রথম নির্মাণ করেন টেলিফিল্ম ‘ক্ষণিক বসন্ত’। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য তিনি নির্মাণ করেন নাটক ‘ফুল ফুটে ফুল ঝরে’। দীর্ঘ আট বছর পর নাদের খানের প্রযোজনা ও রচনায় হাস্যরসাত্মক গল্পের এ নাটকের নাম ‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই’।, পারিবারিক জীবনে তার একটি মেয়ে আছে। আহমেদ শরীফ বর্তমানে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরে থাকেন।",
"title": "আহমেদ শরীফ"
},
{
"docid": "642530#9",
"text": "তানিয়া ২০১৬ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে মেহের আফরোজ শাওন নির্মিত \"কৃষ্ণপক্ষ\" চলচ্চিত্রে জেবা চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৭ সালে এস আই টুটুলের গীত, সুর ও সঙ্গীতে \"বন্ধু\" ও \"পুড়ে যাবি\" গান দুটির ভিডিও পরিচালনা করেন। এপ্রিল মাসে কক্সবাজার ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গান দুটির চিত্রায়ন হয়।",
"title": "তানিয়া আহমেদ"
},
{
"docid": "4969#5",
"text": "খান আতা ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানি পরিচালক আখতার জং কারদার পরিচালিত উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র \"জাগো হুয়া সাভেরা\"তে মূল ভূমিকাতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্র। এ ছায়াছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্র জগতে তিনি আনিস নামটি ব্যবহার করতেন। একই বছরে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র \"এ দেশ তোমার আমার\"। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। ১৯৬০ সালে জহির রায়হানের সাথে গড়ে তোলেন লিটল সিনে সার্কেল। এতে পরের বছরগুলোতে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। অভিনেতা হিসেবে তিনি কাজ করেছেন \"কখনো আসেনি\", \"যে নদী মরুপথে\", \"সোনার কাজল\", \"জীবন থেকে নেয়া\", \"সুজন সখী\" এর মতো সফল চলচ্চিত্রে।",
"title": "খান আতাউর রহমান"
},
{
"docid": "469388#8",
"text": "২০০১ সালে তিনি পরিচালনা করেন \"কঠিন বাস্তব\"। রিয়াজ, আমিন খান ও কেয়া অভিনীত ছায়াছবিটি এই বছর হিট সিনেমার তালিকায় নাম লেখায়। এটি চিত্রনায়িকা কেয়ার প্রথম চলচ্চিত্র। একই বছর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ করেন মনে পড়ে তোমাকে। এতে প্রথমবারের মত বাংলাদেশী ও বাংলা ছায়াছবিতে অভিনয় করেন কলকাতার অভিনেত্রী রিয়া সেন। ২০০৩ সালে পরিচালনা করেন \"বিগ বস\"। এই চলচ্চিত্রের একটি গানের কথাও লিখেছেন তিনি। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় আমিন খান অভিনীত \"জীবনের গ্যারান্টি নাই\" ও \"ভন্ড নেতা\" এবং মান্না ও মৌসুমী অভিনীত \"ভাইয়ের শত্রু ভাই\"। ২০০৯ সালে ডিপজল ও রেসিকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"কাজের লোক\"। ছায়াছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং তিনি জনতার নিঃস্বার্থ পারসোনালিটি অ্যাওয়ার্ডে সেরা পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর রিয়াজ ও শাবনূর জুটিকে নিয়ে নির্মাণ করেন রোমান্টিক ঘরানার \"তুমি আমার স্বামী\"। ২০১০ সালে সঙ্গীতশিল্পী এসডি রুবেল ও শাবনূরকে নিয়ে নির্মাণ করেন 'এভাবেই ভালোবাসা হয়\"। এছাড়া ডিপজল ও রেসীকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"রিকশাওয়ালার ছেলে\" ও \"মায়ের চোখ\"।",
"title": "মনতাজুর রহমান আকবর"
},
{
"docid": "571517#3",
"text": "দিলারা জামানের কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। তার প্রথম টেলিভিশনে অভিনয় করেন ১৯৬৬ সালে \"ত্রিধরা\" নাটকে। এই নাটকে তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী লিলি চৌধুরী। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক \"সকাল সন্ধ্যা\"। ১৯৯৩ সালে তিনি মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"চাকা\"-এ অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র \"আগুনের পরশমণি\"। ২০০৮ সালে তিনি মুরাদ পারভেজ পরিচালিত \"চন্দ্রগ্রহণ\" চলচ্চিত্রে ময়রা মাসী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি একই চলচ্চিত্রের তার সহশিল্পী চম্পার সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।",
"title": "দিলারা জামান"
}
] |
সুযশ 'চাংকি' পান্ডের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী ? | [
{
"docid": "348546#1",
"text": "পান্ডে ১৯৮৭ সালে বলিউড চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন, তার অভিনীত প্রথম সিনেমা হল নিলাম কোঠারীর বিপরীতে \"আগ হি আগ\" (Aag Hi Aag)। পান্ডে সকলের নজরে আসেন মুন্না’র (অনিল কাপুর) বন্ধু হিসেবে সহ-অভিনেতা হিসেবে ১৯৮৮ সালের চলচ্চিত্র \"তেজাব\" (Tezaab) সিনেমায় অভিনয়ে মাধ্যমে, যা সে বছরের বৃহৎ ব্লকবাস্টার ছিল। এটা ছিল পান্ডের প্রথম বৃহৎ কাজ যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার সহ-অভিনেতা হিসেবে মনোনয়নলাভ করেন।",
"title": "চাংকি পান্ডে"
}
] | [
{
"docid": "348546#0",
"text": "সুযশ 'চাংকি' পান্ডে (ইংরেজী: Suyash 'Chunky' Pandey) (জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, যিনি বলিউডের অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাকে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ৮০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায় এবং \"তেজাব\" (Tezaab) সিনেমায় সহ-অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ের জন্য একবার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। ১৯৮৭-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি হিন্দি সিনেমায় প্রধান অভিনেতার ভূমিকায় অভিনয় করতেন কিন্তু তার অধিকাংশ সফল সিনেমায় অভিনয় করেন ১৯৮৭-১৯৯২ সাল পর্যন্ত। তিনি অনিল কাপুর, সানি দেওল এবং গোবিন্দর মত নায়কদের সাথে সহ-অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্রধান অভিনেতা হিসেবে তার অশিকাংশ সিনেমা সফলতা লাভ করে নি, ফলে তার বলিউডে তার চাহিদা কমে যায়। চাংকি পান্ডে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং তার অভিনীত অধিকাংশ সিনেমা বাংলাদেশে সফলতা লাভ করে। চাংকি পান্ডে ২০০৩ সালে পুনরায় বলিউড চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে ফিরে আসেন। এরপর তিনি প্রধানত হাস্যরসাত্মক সহ-অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেন।",
"title": "চাংকি পান্ডে"
},
{
"docid": "348546#3",
"text": "প্রধান অভিনেতা হিসেবে তার অভিনীত অধিকাংশ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া জাগাতে পারে নি। ফলে, পান্ডে রাজেশ খান্না, গোবিন্দা, সঞ্জয় দত্ত, সানি দেউল এবং জীতেন্দ্রর মত নায়কের সাথে সহ-অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেন। এই ধরনের চলচ্চিত্রে মধ্যে \"পাপ কি দুনিয়া\" (Paap Ki Duniya) (১৯৮৮), \"খাত্রোন কি খিলাড়ি (Khatron Ke Khiladi) (১৯৮৮), \"জাহিরিলা (Zahreelay) (১৯৯০), \"রুপিয়া দাস কারো (Rupaye Dus Karod), \"বিশ্বমাতা\" (Vishwatma) (১৯৯২), \"লুটেরা\" (Lootere) (১৯৯৩) এবং \"আখেন্\" (Aankhen) (১৯৯৩) উল্লেখযোগ্য।",
"title": "চাংকি পান্ডে"
},
{
"docid": "348546#4",
"text": "১৯৯৩ সালে, তিনি ডেভিড ধাওয়ান পরিচালিত ব্লকবাস্টার \"আখেন্\" (Aankhen) (১৯৯৩) সিনেমায় গোবিন্দার সাথে দ্বিতীয় প্রধান অভিনেতার ভূমিকায় অভিনয় করেন। \"আখেন্\" ১৯৯৩ বৃহৎ বক্স-অফিস সিনেমা ছিল। দূর্ভাগ্যক্রমে, এই সিনেমার সফলতার অংশীদার হন গোবিন্দ এবং কাদের খান এবং পান্ডে এই চলচ্চিত্রে বিরাট সাফল্যের সুবিধা পান নি।\n৯০’র দশকে বিভিন্ন বলিউডে তরুন অভিনেতা যেমনঃ আমির খান, সালমান খান, রাহুল রায় এবং শাহরুখ খান এর মত নায়কদের নতুনপ্রবাহ শুরু হয়। তারা তখনকার রোমান্টিক অভিনেতার ভূমিকায় অভিনয় করতে শুরু করে এবং অন্যদিকে তখন অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠী, অজয় দেগবন “অ্যাকশন নায়ক ক্যারিয়ার অতিমন্দা এবং বিচ্ছেদের হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করে। ফলে পান্ডে তার অভিনয় জীবনে কঠিনতম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।",
"title": "চাংকি পান্ডে"
},
{
"docid": "348546#2",
"text": "এরপর পান্ডেকে ১৯৮০র দশকের শেষদিক হতে ১৯৯০র দশকের বিভিন্ন গড় সফল সিনেমায় দেখা যায়, এর মধ্যে তার সফলতার শীর্ষ অর্জন করেন ১৯৮৭-১৯৯১ সালের চলচ্চিত্রসমূহে। তার এবং নিলামের জুটি অনেক প্রশংসা লাভ করে এবং এই জুটির পাচটি হিট চলচ্চিত্রে মধ্যে আগ হি আগ (Aag Hi Aag) (১৯৮৭), পাপ কি দুনিয়া (Paap Ki Duniya) (১৯৮৮), খাত্রোন কি খিলাড়ি (Khatron Ke Khiladi) (১৯৮৮), ঘার কি চিরাগ (Ghar Ka Chiraag) (১৯৮৯), মিট্টি অর সোনা (Mitti Aur Sona) (১৯৮৯)। কিন্তু এই জুটির ১৯৯০ সালের পরবর্তীকালে অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র সফল হয় নি।",
"title": "চাংকি পান্ডে"
},
{
"docid": "647411#0",
"text": "রকি হচ্ছে ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র যেটি ছিলো বলিউডের অন্যতম লিডিং অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত'র জীবনের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র যদিও ১৯৭১ সালে 'রেশমা অর শেরা' নামের চলচ্চিত্রে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে কিছুক্ষণের জন্য অভিনয় করেছিলেন কিন্তু এই \"রকি\" ছিলো তাঁর জীবনের প্রথম কর্ম যেটা তাকে বলিউডে ঢুকিয়ে দেয়। চলচ্চিত্রটি তাঁর পিতা সুনীল দত্ত পরিচালনা করেছিলেন, সঞ্জয় এর সঙ্গে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন টিনা মুনিম। চলচ্চিত্রটির আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন রীনা রায়, আমজাদ খান, শক্তি কাপুর, রাখী এবং অরুণা ইরানী। অরুণা এই চলচ্চিত্রের জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে ফিল্মফেয়ার নমিনেশন পেয়েছিলেন যেটি ছিলো চলচ্চিত্রটির জন্য একমাত্র নমিনেশন।",
"title": "রকি (১৯৮১-এর চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "11499#7",
"text": "জিন্টা কুন্দন শাহের \"ক্যায়া কেহনা\" ছবিতে তার কর্মজীবনের প্রথম শুটিং শুরু করেন। ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে যায় এবং তা ২০০০ সালে মুক্তি পায়। তার অপর একটি চলচ্চিত্র \"সোলজার\"-এর মুক্তিও পিছিয়ে গেলে \"দিল সে..\"-ই হয়ে ওঠে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র। ছবিটিতে তিনি শাহরুখ খান ও মনীষা কৈরালার সাথে অভিনয় করেন। ছবিতে তাকে দিল্লির এক মধ্যবিত্ত তরুণী ও শাহরুখ খানের চরিত্রের বাগদত্তা হিসেবে দেখা যায়। ছবিটি কোন নবাগতের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল, কারণ ছবিতে তার উপস্থিতি ছিল মাত্র ২০ মিনিট। তা সত্ত্বেও তিনি তার কাজ দিয়ে সকলের দৃষ্টি কাড়েন। শাহরুখ খানের সাথে একটি দৃশ্যে জিন্টা তাকে জিজ্ঞেস করেন, \"তুমি কি কুমার\", এই দৃশ্যটি আলোচিত হয় এবং তিনি তার অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে মনোনীত হন। তিনি তার প্রথম কেন্দ্রীয় ভূমিকায় কাজ করেন মারপিঠধর্মী-নাট্য চলচ্চিত্র \"সোলজার\" (১৯৯৮)-এ। ববি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করা এই ছবিটি সে বছরের অন্যতম বাণিজ্যিক হিট চলচ্চিত্র ছিল। তিনি এই দুটি কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।",
"title": "প্রীতি জিনতা"
},
{
"docid": "247213#1",
"text": "৯০-এর দশকের শুরুতে মূলত গৎবাঁধা ছবি ও একই নায়ক-নায়িকা দেখতে দেখতে বাংলাদেশের জন সাধারণ মারাত্নক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।এমন সময়ে ‘চাঁদনী’ নামক চলচ্চিত্রের মুক্তি ছিল তাদের জন্য স্বস্তির।প্রবীণ পরিচালক এহতেশাম অনেক ঝুঁকি নিয়ে ছবিটি তৈরি করেন এবং সফল হন।এই ছবিটি সুপারহিট হয়, যা পালটে দেয় তখনকার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গতিধারা। শাবনাজ ও নাঈম জুটির প্রথম ছবি এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’। কয়েক বছরের চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে তাঁরা জুটি হয়ে অভিনয় করেন বিশটির মতো ছবিতে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘জিদ’, ‘লাভ’, ‘চোখে চোখে’, ‘অনুতপ্ত’, ‘বিষের বাঁশি’,‘সোনিয়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’ ও ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’।",
"title": "শাবনাজ"
},
{
"docid": "667531#5",
"text": "সোয়াঙ্ক ১৯৯২ সালে হাস্যরসাত্মক ভীতিপ্রদ \"বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার\" চলচ্চিত্র দিয়ে হলিউডে পদার্পণ করেন। এতে তিনি একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে তিনি ডিরেক্ট-টু-ভিডিও নাট্যধর্মী \"কোয়ায়েট ডেজ ইন হলিউড\" ছবিতে চ্যাড লোয়ের সাথে অভিনয় করেন। লোকে তিনি পরবর্তীকালে বিয়ে করেন। তার প্রথম মুখ্য চরিত্র ভূমিকা ছিল \"দ্য কারাতে কিড\" চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের চতুর্থ কিস্তি \"দ্য নেক্সট কারাতে কিড\" (১৯৯৪)। এতে তিনি তার জিমন্যাস্টিকস শিক্ষা কাজে লাগান এবং প্যাট মোরিটার সাথে জুটি বাঁধেন। ১৯৯৪ সালে তিনি নাট্যধর্মী \"ক্রাইজ আনহার্ড: দ্য ডোনা ইয়াকলিচ স্টোরি\" ছবিতে ডোনা (জ্যাকলিন স্মিথ) কর্তৃক রক্ষা পাওয়া লাঞ্ছিত সৎ-মেয়ে চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৫ সালে তাকে ব্রিটিশ অভিনেতা ব্রুস পেইনের সাথে \"কাউন্টারফেইট\" ছবিতে দেখা যায়। পরের বছর তিনি টেলিভিশন চলচ্চিত্র \"টেরর ইন দ্য ফ্যামিলি\"-এ একজন মানসিক পীড়াগ্রস্থ কিশোরী চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সোয়াঙ্ক \"বেভারলি হিলস, ৯০২১০\" ধারাবাহিকে কার্লি রেনল্ডস নামে একজন একক মা চরিত্রে অভিনয় করেন। শুরুতে তার চরিত্রটি দুই বছর ব্যাপী চলবে একরম বলা হলেও পরে দেখা যায় ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে ১৬টি পর্বের পর তার চরিত্রটি শেষ হয়ে আসে। সোয়াঙ্ক পরবর্তীকালে বলেন তিনি এই ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়ার পর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এই ভেবে যে তিনি ৯০২১০-এর কাজের জন্য যোগ্য নন, তিনি কোন কিছুর জন্যই যোগ্য নন।",
"title": "হিলারি সোয়াঙ্ক"
},
{
"docid": "527905#0",
"text": "ইতি শ্রীকান্ত (ইংরেজি নাম: Your Truly, Srikanta) অঞ্জন দাস পরিচালিত ২০০৪ সালের বাংলা পিরিয়ড ড্রামা চলচ্চিত্র। ছবিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর উপন্যাস \"শ্রীকান্ত\"(১৯১৭) অবলম্বনে নির্মিত। এটি ছিল সোহা আলি খান-এর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র। অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে, অপরাজিতা ঘোষ দাস ও প্রধান চরিত্রে আদিল হুসেইন-এরও এটি প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র। হুসেনের কন্ঠ বাংলায় ডাবিং করেন সুজন মুখোপাধ্যায়। চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালে আই. এফ. এফ. আই-এ ভারতীয় প্যানোরামা বিভাগের একটি অংশ ছিল। ভারতের ৫২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ, অভীক মুখোপাধ্যায় শ্রেষ্ঠ অডিওগ্রাফির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি জিতে নেন। অঞ্জন দাস শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে আনন্দলোক পুরস্কার পান।",
"title": "ইতি শ্রীকান্ত"
}
] |
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
{
"docid": "12134#2",
"text": "১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দলটির নেতাকর্মীরা ফিরে আসার অনুমতি পান এবং ১৯৭৯ সালের মে মাসে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো শরিয়া ভিত্তিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দেশসমূহে লক্ষ করা যায়। জামায়াতের বিরুদ্ধে হিন্দু ও বৌদ্ধ এবং আহমদিয়া মুসলিমদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণের অভিযোগ করা হয়ে থাকে।",
"title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী"
},
{
"docid": "12134#4",
"text": "সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট লাহোরের ইসলামীয়া পার্কে সামাজিক-রাজনৈতিক ইসলামী আন্দোলনের অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ নামে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। জামায়াত ভারতের মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল। জামায়াত ১৯৪৬ সালের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল মুসলিম লীগকে সমর্থন করেনি।",
"title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী"
}
] | [
{
"docid": "12134#14",
"text": "১৯৭১ সালের পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াত ও এর আওতায় পড়ে। ১৯৭৬ সালের আগস্টে জিয়াউর রহমান সরকার সকল ধরণের রাজনৈতিক দলের রাজনীতি উন্মুক্ত করে রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ ঘোষণা করেন। এ সময় ইসলামীক ডেমোক্রেটিক পার্টি নামক একটি দলের সাথে জামায়াতে ইসলামী যুক্ত ছিল। পরে গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরে এলে ১৯৭৯ সালের মে মাসে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ গঠিত হয়। এসময় এর ভারপ্রাপ্ত আমীরের পদ লাভ করেন আব্বাস আলী খান। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে এটি ৩০০ আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন লাভ করে।পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে গঠিত চার দলীয় ঐক্যজোটের অন্যতম শরিক হিসেবে সরকার গঠনে ভূমিকা পালন করে। এরপর ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২ টি আসন লাভ করে।",
"title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী"
},
{
"docid": "17022#1",
"text": "১৯৭১ এর পূর্বে জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংস্থার নাম ছিল \"ইসলামী ছাত্রসংঘ\"। ১৯৭৭ সালে পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তারা \"বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির\" নামে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মীর কাশেম আলী এবং প্রতিষ্ঠাকালিন দলটির সদস্য ছিলো মাত্র ছয় জন। সংগঠনের নীতি অনুসারে এদের কার্যক্রম পাচঁটি দফার উপর প্রতিষ্ঠিত।",
"title": "বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির"
},
{
"docid": "320352#1",
"text": "সুদমুক্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের মানুষের বহু পুরনো প্রত্যাশা। বিশ শতকের ষাটের দশকে মিসরের মিটগামারে প্রথম সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলে বাংলাদেশেও এরূপ একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সক্রিয় হয়। ১৯৭৪ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক বা আইডিবির চার্টার স্বাক্ষর করে। ১৯৭৬ সালে প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তানায়ক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীমের নেতৃত্বে ঢাকায় ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরো প্রতিষ্ঠিত হয়।",
"title": "ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড"
},
{
"docid": "12134#9",
"text": "১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করে। জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ প্রভৃতি বাহিনী গড়ে তোলে। এরা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে কাজ করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে এই দলের সদস্যরা হত্যা, ধর্ষন, লুটপাট, সংখ্যালঘু নির্যাতন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা, ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যকান্ডে জড়িত থাকা সহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমানিত হয়েছে এবং এসব অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকর্মীকে মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে ।",
"title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী"
},
{
"docid": "12134#0",
"text": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যার পূর্বনাম ছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়া আইন বাস্তবায়ন এই দলের উদ্দেশ্য। এই দলের অনুসারীগণ ইসলাম তথা কুরআন-সুন্নাহ মেনে চলেন। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন সম্পর্কিত একটি রুলের রায়ে এই সংগঠনের নিবন্ধন অবৈধ এবং একে নির্বাচনে অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষণা করে।",
"title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী"
},
{
"docid": "12134#6",
"text": "পাকিস্তান সৃাষ্টির পর জামায়াতে ইসলামী মূলত ভারত ও পাকিস্তান দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের শাখা থেকে সৃষ্টি হয়। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান প্রণিত মুসলিম পরিবার আইন অধ্যাদেশের বিরোধিতা করার কারণে ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর কর্মকান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মওদুদী সহ ৬০ জন জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ১৩ জন জামায়াত নেতা ছিলেন। অধ্যাপক গোলাম আযম তাদের একজন। ঐ বছর অক্টোবরেই আবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।",
"title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী"
},
{
"docid": "12134#17",
"text": "জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর গঠনতন্ত্র অনুসারে, কোরানে বর্নিত আল্লাহর আইন অনুসারে সমগ্র রাষ্ট্রে পরিপূর্ণ ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করা। ইসলামকে বিভক্তির হাত থেকে রক্ষা করে সমগ্র রাষ্ট্রে সম্পূর্ণরূপে কায়েম করিবার জন্য চেষ্টা ও সাধনা করা এবং আল্লাহর নির্দেশিত অবশ্য পালনীয় কর্তব্যসমূহ যেমন নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত ইত্যাদি পালনে নাগরিকদের সচেতন করা। এসবের মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সর্বপ্রকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক হুমকি এবং বিশৃংখলা হইতে রক্ষা করিবার চেষ্টা করা। দায়িত্বশীল নাগরিক এবং চরিত্রবান ও যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে শোষনহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করে জনসাধারণের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন করা এবং বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সংগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।",
"title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী"
},
{
"docid": "320352#4",
"text": "১৯৮২ সালে নভেম্বর মাসে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে যৌথ উদ্যোগে একটি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আইডিবির অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্ত্তত করার ব্যাপারে ‘ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরো’ (আইইআরবি) এবং বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক সমিতি (বিবা) অগ্রণী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বহুমাত্রিক চেষ্টার ফলস্বরূপ ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড নামে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৮৩ সালের ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড নামে বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ব্যাংকের প্রস্ত্ততিমূলক কাজ করা হয় এবং এ নামেই তখন পর্যন্ত ব্যাংকের সাইনবোর্ড ও প্রচার-পুস্তিকা ব্যবহার করা হয়। আলহাজ্ব মফিজুর রহমান ২৯ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। এরপর ৩০ মার্চ থেকে এ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকের মনোগ্রাম তৈরি করেন শিল্পী ও ক্যালিগ্রাফার সবিহউল আলম। এক্ষেত্রে ১৯জন বাংলাদেশি ব্যক্তিত্ব, ৪টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এবং আইডিবিসহ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের ১১টি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থা এবং সৌদি আরবের দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তারূপে এগিয়ে আসেন।",
"title": "ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড"
}
] |
নবী হযরত মুহাম্মদের মায়ের নাম কী ? | [
{
"docid": "42546#1",
"text": "ইসলামের হাদিস অনুসারে মোহাম্মদের জন্মের পূর্বে তার মাতা আমিনা স্বপ্নযোগে আশ্চর্যজনক বেশ কয়েকটি ঘটনা দেখেন। এছাড়া তাঁর জন্মের সময়ও কিছু অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ বিভিন্ন হাদিস সূত্রে পাওয়া যায়। জন্মের পর নবীর দাদা আবদুল মোত্তালেবকে সংবাদ দেয়া হয় এবং তিনি নবজাতককে দেখে যারপরনাই খুশি হন। উল্লেখ্য নবীর জন্মের আগেই তার পিতা আবদুল্লাহ মারা যান। আবদুল মোত্তালেব নবজাতকের নাম রাখেন মোহাম্মদ যে নাম তত্কালীন আরবে খুব একটা প্রচলিত ছিলনা। আরবীতে এই শব্দের অর্থ প্রশংসিত। পরবর্তীকালে নবীর আরেকটি নামের উল্লেখ পাওয়া যায় যা তাঁর মাতা রাখেন আর তা হল আহমাদ - এই শব্দের অর্থ প্রশংসাকারী। আরবের নিয়ম অনুযায়ী জন্মের সপ্তম দিনে মোহাম্মদের (সাঃ) খৎনা করানো হয়।",
"title": "মুহাম্মাদের বংশধারা"
},
{
"docid": "403956#0",
"text": "হালিমা বিনতে আবি যুয়ায়েব বা হালিমা সাদিয়া ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর দুধমা| আট দিন বয়সে তিনি মুহাম্মদের দায়িত্ব নেন, এবং দুই বছরের কিছু অধিক সময় পর্যন্ত তাকে মদীনায় নিজ বাড়িতে লালন পালন করে তার মা আমিনার কাছে ফিরিয়ে দেন| মুহাম্মদ (সাঃ) নবুয়াত লাভের অব্যবহিত পরই তিনি এবং তার স্বামী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন| অষ্টম হিজরি সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন|",
"title": "হালিমা বিনতে আবি যুয়ায়েব (হালিমা সাদিয়া)"
}
] | [
{
"docid": "296930#48",
"text": "হযরত মুহাম্মদ আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরব উপদ্বীপের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। মুহাম্মদের আগে আরব গোত্র বা জাতিগুলি ঐক্যবদ্ধ ছিল না। তারা ভিন্ন ভিন্ন দেবদেবী বা শ্বরের উপাসনা করত। মুহাম্মদ ছিলেন মক্কায় বসবাসকারী একজন রাখাল ও ব্যবসায়ী। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে এসে তিনি ফেরেশতা জিব্রাইলের সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং অবহিত হন যে তাঁকে আল্লাহ বা ঈশ্বরের নবী তথা বার্তাবাহকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে তিনি এক আল্লাহ বা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আনার ব্যাপারে ধর্মীয় প্রচারণা চালানো শুরু করেন। এই ধর্মের নাম দেওয়া হয় ইসলাম, যার ভাবানুবাদ দাঁড়ায় “(আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি) আনুগত্য”।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
},
{
"docid": "112811#0",
"text": "ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (; ; উচ্চারণ ; c. ৬০৫ বা ৬১৫ –৬৩২) ছিলেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী খাদিজার কন্যা। তিনি মুসলিম নর-নারীর কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে সন্মানিত। মক্কায় কোরাইশদের দ্বারা তাঁর পিতার উপর নিযার্তন ও দুর্দশার সময় ফাতিমা সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন। মদিনায় হিজরতের পর তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর চাচাত ভাই আলি ইবন আবি তালিব সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের চারটি সন্তান হয়। তাঁর পিতার মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং মদিনার জান্নাতুল বাকিতে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর কবরের প্রকৃত অবস্থান জানা যায় নি। অধিকাংশ শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, প্রথম খিলাফতের বিপক্ষে হযরত আলিকে রক্ষার সময় তিনি আহত হন এবং যার পরিণতিতে তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটে।",
"title": "ফাতিমা"
},
{
"docid": "42603#0",
"text": "মুহাম্মদ (৫৭০ - ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ) ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে মুসলমানদের মাঝে গণ্য। নবী মুহাম্মাদ তার জীবনে যে সকল মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মুসলমানগণ তাদেরকে উম্মাহাতুল মুমিনীন অর্থাৎ মুসলমানদের মাতা হিসেবে অভিহিত করেন। কোরানে ও সেটি উল্লেখিত হয়েছে। :তিনি আরবীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সেনানায়ক হিসেবেও সফলতা লাভ করেছেন। ইতিহাসে তাকে রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি এবং ইসলামের প্রবর্তক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যৌবনে তিনি মূলত ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২৫ বছর বয়সে তাঁর সাথে আরবের তৎকালীন বিশিষ্ট ধনী এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের বৈবাহিক জীবন প্রায় ২৪ বছর স্থায়ী হয়। এরপর খাদিজা মৃত্যুবরণ করেন। খাদিজার জীবদ্দশায় তিনি আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। মুসলিম জীবনীকারদের বর্ণনামতে, খাদিজার মৃত্যুর পর নবী আরও ১০ জন (মতান্তরে ১২ জন) স্ত্রী গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তার স্ত্রীর সংখ্যা সর্বমোট ১১ জন (মতান্তরে ১৩ জন)। ইসলামে এককালীনভাবে চারটির অধিক বিয়ে নিষিদ্ধ হলেও কুরআনের সূরা আহযাবের ৫০-৫২ আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মাদ চারটির অধিক বিয়ের অনুমতিপ্রাপ্ত ছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে শুধুমাত্র আয়েশা ছিলেন কুমারী। বাকি সব স্ত্রী ছিলেন বিধবা । মুহাম্মাদের জীবনকে প্রধান দুইটি অংশে ভাগ করা হয়: মক্কী জীবন এবং মাদানী জীবন। মক্কী জীবনে তিনি দুইজনকে বিয়ে করেন। তার বাকি সবগুলো বিয়েই ছিলো মাদানী জীবনে তথা হিজরতের পরে। মুহাম্মদের বৈবাহিক জীবনে তালাক ছিল না। এ কারণে কুরআনে তালাক সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রয়েছে।",
"title": "মুহাম্মাদের বৈবাহিক জীবন"
},
{
"docid": "36166#0",
"text": "আবু লাহাব (আরবি:أبو لهب)) এর আসল নাম ছিল আব্দুল আব্দুল উজ্জাই ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম। জন্মের সময় তার রক্তবর্ণ গাল ও সুন্দর মুখয়বয়ব দেখে তার বাবা তার নাম দিয়েছিলেন আবু লাহাব বা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের বাবা। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আপন চাচা ছিলেন। মুহাম্মদ(সাঃ) জন্মের পর থেকেই চাচা আবু লাহাবের প্রিয়পাত্র ছিলেন।কিন্তু নবুয়াত প্রকাষ করার পর থেকেই তিনি নবীজীর(সাঃ) বিরূদ্ধে চলে যান। সাফা পাহাড়ের উপর থেকে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যখন সমবেত লোকজনকে এক আল্লাহর ইবাদত করার আহবান জানিয়েছিলেন তখন সেখানে আবু লাহাব তাকে সবার আগে তিরস্কার ও ভৎসনা করেছিলেন| ইসলাম ধর্ম ও মুহাম্মদের বিরোধিতার কারণে তিনি ইসলামের শত্রু পরিগণিত হয়েছিলেন। তার স্ত্রী উম্মে জামিল নবী মুহাম্মদের চলার পথে কাটা বিছিয়ে রাখতেন| পরবর্তীতে অবতীর্ণ সূরা লাহাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ও স্ত্রীর দুর্ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত শাস্তির বিবরণী প্রদান করা হয়|",
"title": "আবু লাহাব"
},
{
"docid": "33640#0",
"text": "হযরত মূসা (আঃ) (ইংরেজি: Moses, হিব্রু: מֹשֶׁה, \"Mošə\" \"Mōšeh\"; আরবি: موسى, \"Mūsa\"; Ge'ez: ሙሴ \"Musse\") ইহুদি, খ্রিস্ট, এবং ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত রাসুল বা ঈশ্বরের বার্তাবাহক। তিনি মোজেস নামেও পরিচিত ছিলেন। কোরআনে মুসা (আঃ) নাম অন্য নবীদের তুলনায় বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে মুসা (আঃ) ১২০ বছর বেচে ছিলেন। হযরত মুসা (আঃ) এর সম্প্রদায়ের নাম ছিল বনী-ইসরাঈল। বলা হয়, তার মুজিযাসমূহ বিগত অন্যান্য নবী-রসূলগণের তুলনায় সংখ্যায় বেশী, প্রকাশের বলিষ্ঠতার দিক দিয়েও অধিক।",
"title": "মূসা"
},
{
"docid": "543658#3",
"text": "মুহাম্মদ (সঃ), ইসলাম ধর্মের শেষ নবী ও রাসূল, এর ওফাতের পর মুসলিম সাম্রাজ্য মুহাম্মদের উত্তারাধিকারী নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে পৃথক হয়ে পড়ে। হযরত আলীর হত্যাকান্ডের পিছনে এটি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল। বানি সাইদার মজলিশ আবু বকরকে খলিফা হিসেবে নির্বাচিত করেন। খেলাফত নিয়ে বিভিন্নমত রয়েছে। কেউ মনে করেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) খেলাফতের জন্য কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করে যাননি।আরেকটি মতানুসারে গদীরখুমের ভাষণে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) হযরত আলীকে তার উত্তারাধিকারী (আধ্যাত্বিক প্রতিনিধি) হিসেবে মনোনীত করেন। পরেরটি শীয়াদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। কারণ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এরশাদ করেন,\nআমি যার মওলা আলীও তার মওলা।\nতিনি আরো এরশাদ করেন \nআমি জ্ঞানের শহর, আলী ঐ শহরের দরজা।\nআবু বকরের মৃত্যুর পর উমর খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬৪ বছর বয়সে উমর এক আততায়ির হাতে মুত্যুবরণ করেন। উমরের মুত্যুর পর আলী, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর চাচাত ভাই এবং জামাতা, এবং উসমান খেলাফতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। উসমান একটি নির্বাচক পরিষদের ভোটে খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন। ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে উসমানের হত্যাকান্ডের পর হযরত আলী খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন।",
"title": "আলী হত্যাকাণ্ড"
},
{
"docid": "3169#0",
"text": "মুহাম্মাদ (২৯ আগস্ট ৫৭০ - ৮ জুন ৬৩২; আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : \"মুহাম্মেদ\"), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম () হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী, (), তথা \"বার্তাবাহক\" (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তাঁর এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তাঁর জীবনের অন্যতম সফলতা।",
"title": "মুহাম্মাদ"
},
{
"docid": "8854#0",
"text": "ইব্রাহিম বা ইব্রাহীম, সম্মানার্থে হযরত ইব্রাহিম (আ.) (, ) তোরাহ অনুসারে আব্রাহাম () (আনুমানিক জন্ম: ১৯০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১৮৬১ খৃষ্ট পূর্বাব্দে জন্ম – মৃত্যু: ১৮১৪ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১৭১৬ খৃষ্ট পূর্বাব্দ), ইসলাম ধর্মের একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী ও রাসূল। পবিত্র কুরআনে তাঁর নামে একটি সূরাও রয়েছে। পুরো কুরআনে অনেকবার তাঁর নাম উল্লেখিত হয়েছে। ইসলাম ধর্মমতে, তিনি মুসলিম জাতির পিতা। ইসলাম ছাড়াও, ইহুদি ও খ্রিস্টধর্মেও ইব্রাহিম শ্রদ্ধাস্পদ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। এজন্য ইবরাহিমকে সেমেটিক ধর্মগুলোর জনকও বলা হয়ে থাকে। কা'বুল আহবার-এর মতে তিনি ১৯৫ বছর জীবিত ছিলেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি তার দৃঢ় বিশ্বাসের এর ফলে সৃষ্টিকর্তা তাকে সর্বকালের সকল জাতির নেতা বানানোর প্রতিজ্ঞা করেন। ইসলামে তার কার্যক্রম কে স্মরণ করে ঈদুল আযহা পালিত হয়। ইব্রাহিম ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল ইসলামে কুরবানি ও হজ্জের বিধান চালু করেন যা বর্তমানের মুসলিমদের দ্বারাও পালিত হয়।",
"title": "ইব্রাহিম"
}
] |
ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের ঠিক পরের যুগের নাম কী ? | [
{
"docid": "413410#0",
"text": "ক্যাম্ব্রিয়ান হল প্যালিওজোয়িক মহাযুগের প্রথম যুগ। এর স্থায়ীত্ব ছিল থেকে কোটি বছর আগে পর্যন্ত এবং এর পরবর্তী যুগের নাম অর্ডোভিশিয়ান। এর সূচনাকাল, সমাপ্তিকাল এবং উপবিভাগ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো নির্দেশিকা এখনও তৈরি করা যায়নি। অ্যাডাম সেজউইক প্রথম \"ক্যাম্ব্রিয়ান সিরিজ\" নাম দিয়ে যুগটিকে চিহ্নিত করেন। এই নামকরণের কারণ হল ওয়েল্স অঞ্চল থেকে ব্রিটেনে অবস্থিত এই যুগের পাথর প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, আর ওয়েল্সের লাতিন নাম \"ক্যাম্ব্রিয়া\"। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের পাথরের স্তরের স্বাতন্ত্র্য হল এর মধ্যস্থিত লাগাশ্টেটা পলিসঞ্চয়ের মাত্রাধিক্য। এই ধরণের পলিঘটিত পাথরে সুসংরক্ষিত জীবাশ্ম থাকে, যাতে জীবদেহের কঠিন খোলক প্রভৃতি অংশের সাথে সাথে অপেক্ষাকৃত নরম দেহাংশেরও সংরক্ষিত নমুনা পাওয়া যায়। এর ফলে ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের জীবন সম্পর্কে মানুষের গবেষণার সুযোগ ও তা থেকে লব্ধ জ্ঞানের পরিমাণ পরবর্তী কোনো কোনো যুগের তুলনায় বেশি।",
"title": "ক্যাম্ব্রিয়ান"
},
{
"docid": "428123#0",
"text": "অর্ডোভিশিয়ান হল পুরাজীব মহাযুগের দ্বিতীয় যুগ। এর সময়সীমা ছিল থেকে কোটি বছর আগে পর্যন্ত। এর পূর্ববর্তী যুগ ক্যাম্ব্রিয়ান এবং পরবর্তী যুগ সিলুরিয়ান। ১৮৭৯ খ্রিঃ বিজ্ঞানী অ্যাডাম সেজউইক এবং রডারিক মার্চিসন এই সময়কালের পাথরগুলিকে যথাক্রমে ক্যাম্ব্রিয়ান ও সিলুরিয়ান যুগের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করলে বিবাদের সূচনা হয়। এই বিবাদ নিরসনের জন্য অন্যতম কেল্টীয় উপজাতি \"অর্ডোভিশি\"-দের নামানুসারে চার্লস ল্যাপওয়ার্থ নতুন একটি ভূতাত্ত্বিক যুগের ধারণা দেন। ল্যাপওয়ার্থ বুঝেছিলেন, বিতর্কিত পাথরের স্তরে প্রাপ্ত জীবাশ্মগুলি পূর্বোক্ত দুই যুগের কোনোটার সাথেই পুরোপুরি খাপ খায় না। যুক্তরাজ্যে চটজলদি অর্ডোভিশিয়ান যুগের স্বীকৃতি না মিললেও অবশিষ্ট বিশ্ব অবিলম্বেই এই ধারণা স্বীকার করে নেয়। ১৯৬০ খ্রিঃ অর্ডোভিশিয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। সে'বছর আন্তর্জাতিক ভূতত্ত্ব কংগ্রেস এটিকে পুরাজীব মহাযুগের অন্যতম যুগ হিসেবে নথিভুক্ত করে।",
"title": "অর্ডোভিশিয়ান"
},
{
"docid": "639605#5",
"text": "প্যালিওজোয়িক পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটা সময় ছিল যখন জটিল জীবনের রূপ উদ্ভুত হয়েছিল যারা স্থলে প্রথম অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাস নিয়েছিল এবং তখন পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল অগ্রবর্তী জীবগণ বৈচিত্র্যপূর্ণ হতে থাকে। প্যালিওজোয়িক মহাযুগে ছয়টি যুগ রয়েছে: ক্যাম্ব্রিয়ান, অর্ডোভিশিয়ান, সিলুরিয়ান, ডেভোনিয়ান, কার্বনিফেরাস এবং পার্মিয়ান। \nক্যাম্ব্রিয়ান প্যালিওজোয়িক মহাযুগের অন্তর্গত প্রথম যুগ এবং ব্যাপ্তিকাল হল ৫৪.১ কোটি বছর পূর্ব হতে ৪৮.৫ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ বিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৃদ্ধির চিহ্ন রেখে গেছে যা ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ ঘটনা নামে পরিচিত এবং এই সময় পৃথিবীর ইতিহাসে কোন একটি যুগে সর্বোচ্চ সংখ্যায় জীব উদ্ভুত হয়। শৈবালের মত উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং এই যুগে সর্বত্র প্রাধান্য বিস্তারকারী প্রাণী ছিল ট্রাইলোবাইটের মত সাঁজোয়াযুক্ত আর্থোপোড। প্রায় সকল সামুদ্রিক পর্বের প্রাণী এই যুগে সৃষ্টি হয়েছিল। এই সময় সুপারমহাদেশ প্যানোটিয়া ভাঙতে শুরু করে এবং যার বেশির ভাগ অংশ পরবর্তীতে সংযুক্ত হয়ে গন্ডোয়ানা মহাদেশ সৃষ্টি করেছিল।",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
},
{
"docid": "413410#5",
"text": "ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের পূর্ববর্তী যুগ ইডিয়াকারান এবং পরবর্তী যুগ অর্ডোভিশিয়ান। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ চারটে উপযুগ বা সিরিজ এবং দশটা অধোযুগ বা পর্যায়ে বিভক্ত। ২০১৫ খ্রিঃ আরম্ভ পর্যন্ত মাত্র দু'টো সিরিজ আর পাঁচটা পর্যায়ের নামকরণ হয়েছে আর জিএসএসপি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।",
"title": "ক্যাম্ব্রিয়ান"
}
] | [
{
"docid": "413410#1",
"text": "ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে পৃথিবীর জীবগোষ্ঠীর আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। ক্যাম্ব্রিয়ানের পূর্ববর্তী প্রায় সমস্ত জীবই ছিল আণুবীক্ষণিক, এককোশী ও সরল; ব্যতিক্রম বলতে কেবল প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান প্রাণী চার্নিয়ার নাম করা যায়। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের আরম্ভের ঠিক আগের কয়েক কোটি বছরে জটিল বহুকোশী জীবেরা অপেক্ষাকৃত বৃদ্ধি পায়, কিন্তু দেহে খনিজের আস্তরণযুক্ত - ও সেইসূত্রে জীবাশ্মীভবনের উপযুক্ত - প্রাণীকুলের যথাযথ সমৃদ্ধি শুরু হয় ক্যাম্ব্রিয়ানের সাথেই। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে সংঘটিত বিভিন্ন প্রকার জীবের এই অতি দ্রুত বিবর্তনের ঘটনাকে ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ বলা হয়। এই সময়ই জীবজগতের অধিকাংশ বর্তমান পর্বের উদ্ভব হয়েছিল। জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাসের ফলে বোঝা গেছে ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণের সময় সমস্ত বহুকোশী প্রাণী একটি সাধারণ পূর্বসূরী প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছিল: এই প্রজাতিটি হল ফ্ল্যাজেলা নামক বিশেষ প্রকার উপবৃদ্ধিযুক্ত প্রোটিস্ট, যাদের বর্তমান জ্ঞাতি কোয়ানোফ্ল্যাজেলেট-রা।",
"title": "ক্যাম্ব্রিয়ান"
},
{
"docid": "637273#5",
"text": "ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৫৪১ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ৪৮৫ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের অন্তর্ভুক্ত প্যালিওজোয়িক মহাযুগের প্রথম যুগ ছিল। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ বিবর্তনের ক্ষেত্রে আকস্মিক বৃদ্ধির চিহ্ন রেখে গেসে যা ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ নামে পরিচিত এবং এই ঘটনায় পৃথিবীর ইতিহাসে কোন একটি যুগে সর্বোচ্চ সংখ্যায় জীব উদ্ভুত হয়। শৈবালের মত জীব সৃষ্টি হয় কিন্তু এই যুগে সর্বত্র বিস্তৃত প্রাণী ছিল ট্রাইলোবাইটের মত সৃষ্ট আর্থোপোড। প্রায় সকল সামুদ্রিক পর্বের প্রাণী এই যুগে সৃষ্টি হয়েছিল। এই সময় সুপারমহাদেশ প্যানোটিয়া ভাঙতে শুরু করে এবং যার বেশির ভাগ অংশ পরবর্তীতে গন্ডোয়ানা মহাদেশ সৃষ্টি করেছিল।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "374295#0",
"text": "প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান বলতে পৃথিবীর ইতিহাসে সাম্প্রতিক ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের আগেকার দীর্ঘস্থায়ী একটি কাল কে বোঝায়, যা ভূতাত্ত্বিক সময় অনুসারে নিজস্ব একাধিক অধিযুগে বিভক্ত। আজ থেকে প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্মের মাধ্যমে প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান কালের আরম্ভ, এবং প্রায় ৫২ কোটি বছর আগে প্রথম খোলকবিশিষ্ট বহুকোষী প্রাণীদের আবির্ভাব ও ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ তথা ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের সূচনার মাধ্যমে এর সমাপ্তি। প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ানকে প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান বলা হয় কারণ এই কাল এসেছিল ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের আগে, আর ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের এহেন নামকরণের কারণ এই সময়কার পাথর প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ওয়েল্স্ থেকে, আর ওয়েলসের ধ্রুপদী নাম ক্যাম্ব্রিয়া। পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত পেরিয়ে আসা মোট সময়ের প্রায় ৮৮% জুড়ে আছে প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান।",
"title": "প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান"
},
{
"docid": "413410#11",
"text": "সম্প্রতি ক্যাম্ব্রিয়ানের সূচনাকালের অপেক্ষাকৃত নির্ভুল তারিখ হিসেবে আজ থেকে ৫৪·২ কোটি± ·০৩ কোটি বছর সময়কালটিকে তুলে ধরা হয়েছে। ঐ সময় একটি বিলুপ্তি ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। এই তারিখ গণনাপদ্ধতির যুক্তিটি পুরাজীববিদ্যায় অবরোহী যুক্তিবাদের ব্যবহারের এক চমৎকার দৃষ্টান্ত। ঠিক প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান ও ক্যাম্ব্রিয়ানের সীমাস্থিত পাথরে কার্বন আইসোটোপের আকস্মিক হ্রাস লক্ষ্য করা যায়। এই হ্রাসের মাত্রা এতই ব্যাপক যে এর মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী এই দুই যুগের সীমারেখা চিহ্নিতকরণের কাজ করা হয়। ওমান থেকে প্রাপ্ত পাথরে এই হ্রাসের মাত্রা সবচেয়ে স্পষ্ট ও নিখুঁতভাবে বোঝা যায়। আমথর (২০০৩) দেখান যে একটি বিলুপ্তি ঘটনার সাথে কার্বন আইসোটোপের হ্রাসের ঘটনাটি সমাপতিত হয়; ঠিক সেই সময়ই প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান থেকে প্রাপ্ত অনেকগুলি জীবাশ্মের আকস্মিক অন্তর্ধান ঘটে। ওমান থেকে প্রাপ্ত পাথরে সেইসঙ্গে আগ্নেয় ছাইয়ের একটি স্তরেরও দেখা মেলে। এই ছাই থেকে প্রাপ্ত জারকন কেলাসের বয়স নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা গেছে: ৫৪·২ ± ০·০৩ কোটি বছর (দস্তার সাপেক্ষে ইউরেনিয়ামের বিভাজনের হার বিচার করে)। এই অপেক্ষাকৃত নিখুঁত সময় গণনার ফলে সাইবেরিয়া ও নামিবিয়া থেকে প্রাপ্ত নমুনাগুলোরও বয়স সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া গেছে।",
"title": "ক্যাম্ব্রিয়ান"
},
{
"docid": "413410#9",
"text": "সাধারণত ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের সময়সীমা আজ থেকে ৫৪ কোটি ১০ লক্ষ বছর আগে থেকে আরম্ভ করে ৪৮ কোটি ৫৪ লক্ষ বছর আগে পর্যন্ত গণ্য করা হয়। ট্রাইলোবাইট এবং অভিনব আকৃতিবিশিষ্ট আর্কিওসায়াথা (আক্ষরিক অর্থ: \"প্রাচীন পেয়ালা\") গোত্রের প্রাণীদের আবির্ভাবের সময়কেই ক্যাম্ব্রিয়ানের সূচনাকাল ধরা হয়। আর্কিওসায়াথাদের মনে করা হিয় স্পঞ্জ-দের আদিমতম বংশধর, এবং প্রথম বহুকোশী প্রাচীর-নির্মাতা প্রাণীগোষ্ঠী।",
"title": "ক্যাম্ব্রিয়ান"
},
{
"docid": "413410#13",
"text": "ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে পূর্ববর্তী মারিওনান তুষারগোলক পৃথিবীর সময়কার হিমবাহগুলো প্রায় সমস্তই গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা ছিল বেশি। ফলে মহাদেশসমূহের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চল অগভীর ও উষ্ণ সমুদ্রে পরিণত হয়েছিল, যেখানে প্রাণের বিকাশের বিশেষ সুবিধে হওয়ার কথা। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ চলাকালীন সময়ের সাথে সাথে সমুদ্রতলের ওঠানামার প্রমাণ পাওয়া যায়, যা থেকে বোঝা যায় একাধিক তুষার যুগ এই সময় এসেছিল, আর তার সাথে সাথে দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে তুষারাবরণের ক্রমবিস্তার ও ক্রমসঙ্কোচন ঘটেছিল।",
"title": "ক্যাম্ব্রিয়ান"
}
] |
গঙ্গার জল বণ্টনকে কেন্দ্র ক'রে বাংলাদেশ ও ভারত রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যে প্রথম চুক্তি কোথায় স্বাক্ষরিত হয় ? | [
{
"docid": "112997#1",
"text": "যদিও ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নতুন দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ. ডি. দেবেগৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ একটি সামগ্রিক বৈদেশিক চুক্তি সাক্ষর করেন। এই চুক্তিটি ছিল বাংলাদেশকে ন্যূনতম জলসরাবরাহের গ্যারান্টি সহ ৩০ বছরের জলবণ্টন চুক্তি। উল্লেখ্য, গঙ্গার নিম্ন অববাহিকায় বাংলাদেশের অধিকার স্বীকৃত।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#9",
"text": "১৯৯৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হলে দুই দেশের বৈদেশিক সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর উভয় দেশের নেতৃত্ব নতুন দিল্লিতে মিলিত হয়ে একটি ৩০ বছরের সামগ্রিক চুক্তি সাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ফারাক্কা থেকে দুই দেশের মধ্যে জল বণ্টন করা হতে থাকে। পূর্ববর্তী ৪০ বছরের গড় মাত্রা অনুযায়ী ভারত গঙ্গার জলের ভাগ পেতে থাকে। যে কোনো সংকটের সময় বাংলাদেশকে ৩৫,০০০ কিউসেক জল সরবরাহ করার গ্যারান্টিও দেওয়া হয়।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#4",
"text": "১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান একটি বহুব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী, সহযোগিতা ও শান্তিচুক্তি সাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী জলসম্পদ বণ্টন, সেচ, বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণের মতো সাধারণ বিষয়গুলির জন্য একটি যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "6468#6",
"text": "ভারতকে পানি অপসারণে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়ে, বাংলাদেশ এই বিষয়টি জাতিসংঘে উপস্থাপন করে। ২৬ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ভারতকে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সুরাহার করার নির্দেশ দিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। কয়েকবার বৈঠকের পর উভয় দেশ ৫ নভেম্বর ১৯৭৭ সালে একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ও ভারত পরবর্তি পাঁচ বছরের (১৯৭৮-৮২) জন্য শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি ভাগ করে নেবে। ১৯৮২ এর অক্টোবরে উভয় দেশ ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে পানি বন্টনের একটি চুক্তি করে। নভেম্বর ১৯৮৫ সালে আরও তিন (১৯৮৬-৮৮) বছরের জন্য পানি বন্টনের চুক্তি হয়। কিন্তু একটি দীর্ঘ চুক্তির অভাবে বাংলাদেশ তার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য গঙ্গার পানি ব্যবহারে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারেনি। কোনো চুক্তি না থাকায় ১৯৮৯ সালের শুষ্ক মৌসুম থেকে ভারত একতরফা প্রচুর পরিমাণ পানি গঙ্গা থেকে সরিয়ে নেয়, ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশর নদ-নদীতে পানি প্রবাহের চরম অবনতি ঘটে। ১৯৯২ সালের মে মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ভারত বাংলাদেশকে সমান পরিমাণ পানি দেবার ব্যাপারে সম্ভাব্য সকল কিছু করবে। ফলে এরপর দুই দেশের মধ্যে কোন মন্ত্রী বা সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়নি। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রীজ অঞ্চলে মাত্র ২৬১ কিউসেক পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়, যেখানে ফারাক্কা-পূর্ব সময়ে একই অঞ্চলে ১৯৮০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হত। ১৯৯৩ সালের মে মাসে যখন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীরা আবার মিলিত হন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশেকে দেওয়া তার কথা রাখতে ব্যর্থ হন। অবশেষে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা \"গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি\" সই করেন।",
"title": "ফারাক্কা বাঁধ"
}
] | [
{
"docid": "112997#8",
"text": "১৯৮২ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের তদনীন্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ভারতের সঙ্গে দুই বছরের জলবণ্টন নিয়ে একটি মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (মউ) সাক্ষর করেন। ১৯৮৫ সালের ২২ নভেম্বর আরও একটি মউ সাক্ষরিত হয়। তবে প্রবাহিত জলের পরিমাপ বৃদ্ধি নিয়ে কোনো চুক্তি সাক্ষরিত হয়নি। ভারতও চুক্তি সম্প্রসারিত করতে অস্বীকার করে। ১৯৯৩ সালের শুখা মরশুমে বাংলাদেশের দিকে জলপ্রবাহ পূর্বের ৩৪,৫০০ কিউসেকের বদলে কমিয়ে ১০,০০০ কিউসেক করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ সভা এবং সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশনে (সার্ক) বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করতে চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও বিশেষ ফল হয় না।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#11",
"text": "১৯৯৬ সালের চুক্তি বাংলাদেশ-ভারত বৈদেশিক সম্পর্কের দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন হ্রাস করে। তবে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে। বিএনপি ভারত-বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত। তবে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি এই চুক্তি ভঙ্গ করেনি। বিএনপি সহ বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল অভিযোগ করে যে, ভারত অনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে কম জল সরবরাহ করে বঞ্চিত করছে। অপর দিকে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জলবণ্টনের ফলে অনেক সময়ই কলকাতা বন্দর ও ফারাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর মতো জল পাওয়া যায় না।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#10",
"text": "গঙ্গার জলের দীর্ঘকালীন বণ্টনব্যবস্থা ও অন্যান্য সাধারণ নদীগুলি ক্ষেত্রে একই রকমের জলবণ্টন ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্যও উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে ভারতের গঙ্গার জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং গঙ্গার নিম্ন অববাহিকায় বাংলাদেশের অধিকার সহ জলের সমান ভাগ পাওয়ার অধিকার – দুইই প্রতিষ্ঠিত হয়। উভয় রাষ্ট্রই জলসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সুনিশ্চিত করার কথা বলে। এই চুক্তির ফলে কুষ্ঠিয়া ও গড়াই-মধুমতী নদীর উপর বাঁধ ও সেচপ্রকল্প পারমিট পায়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে জল সরবরাহ এবং বঙ্গোপসাগরের লবনাক্ত জলের প্রকোপ থেকে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে রক্ষা করা।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#0",
"text": "গঙ্গার জল বণ্টন বাংলাদেশ ও ভারত রাষ্ট্রদ্বয়ের বৈদেশিক সম্পর্কের একটি দীর্ঘকালীন ইস্যু। এই ইস্যুটি উত্তর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর জলসম্পদের সঠিক বণ্টন ও উন্নয়ন সম্পর্কিত। সুদীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে গঙ্গার জল বণ্টন নিয়ে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হয়েছে। একাধিক বৈদেশিক চুক্তি ও আলোচনা সত্ত্বেও এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হয়নি।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "6468#5",
"text": "১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গঙ্গার জল বন্টন নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা শুরু করে।১৯৭৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতি দেন। এই সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয় যে, উভয় দেশ একটি চুক্তিতে আসার আগে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করবে না। যদিও বাঁধের একটি অংশ পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে দশ (২১ এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ২১ মে ১৯৭৫) দিনের জন্য ভারতকে গঙ্গা হতে ৩১০-৪৫০ কিউসেক পানি অপসারণ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ভারত ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত গঙ্গা নদী হতে ১১৩০ কিউসেক পানি অপসারণ করে পশ্চিমবঙ্গের ভাগরথি-হুগলি নদীতে প্রবাহিত করে।",
"title": "ফারাক্কা বাঁধ"
},
{
"docid": "112997#7",
"text": "১৯৭৭ সালে ভারতের তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই ও বাংলাদেশের তদনীন্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনকালে দুদেশের বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। উক্ত দুই নেতা সেই বছর একটি পাঁচ বছরের জলবণ্টন চুক্তি সাক্ষর করেন। কিন্তু ১৯৮২ সালে সেই চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর পুনর্নবীকরণ করা হয়নি।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
}
] |
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কে ? | [
{
"docid": "10991#1",
"text": "হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক। পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ'।",
"title": "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ"
},
{
"docid": "433876#1",
"text": "আলী আশরাফ ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি মোট ১০ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ২ বার, আওয়ামী লীগের হয়ে ৮ বার নির্বাচন করেন। স্বতন্ত্র হিসেবে ১ বার ও আওয়ামী লীগ থেকে ৩ বার জয়ী হন। ২০০০ সালে কিছুদিন ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদকও ছিলেন।",
"title": "আলী আশরাফ"
},
{
"docid": "9722#6",
"text": "১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের (বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৪৮-এর ১১ এবং ১৩ মার্চ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ধর্মঘট-কর্মসূচী ও বৈঠক করেন৷ ২৪ মার্চ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারাসহ তিনি বৈঠক করেন৷ তিনি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। ছিলেন সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ঢাকা জেলা আওয়ামী মুসলিম লীগের (১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় আওয়ামী লীগ) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪-এর নির্বাচনে তিনি যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত করে পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে যে সর্বদলীয় নেতৃসম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ছয়দফা দাবি উত্থাপন করেন, সেই সম্মেলনে শেখ মুজিবের সাথে তিনিও যোগদান করেন। সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে তাজউদ্দীন ছিলেন অন্যতম সদস্য। এই বছরের ৮ মে তিনি দেশরক্ষা আইনে গ্রেফতার হন। ১৯৬৮ সালে জেলে থাকা অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুণঃনির্বাচিত হন। ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতে জেল থেকে মুক্তি পান। ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এই বছরের সাধারণ নির্বাচনের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।",
"title": "তাজউদ্দীন আহমদ"
},
{
"docid": "260629#2",
"text": "আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা - মাওলানা ভাসানী\nআওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক - শামসুল হক\nআওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক- শেক মুজিবুর রহমান",
"title": "আওয়ামী মুসলিম লীগ"
},
{
"docid": "61126#0",
"text": "শামসুল হক (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮ - মৃত্যু: ১৯৬৫) একজন বাঙালি রাজনীতবিদ যাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বিভাগ-পূর্ব ভারতবর্ষে এবং যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের পূর্বসূরী আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তিনি পাকিস্তানের গণ পরিষদের সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৫০ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় বাংলা ভাষার পক্ষে সংগ্রাম করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগের প্রথম এবং তৃতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পূর্ব পাকিস্থানের সরকার বিরোধী রাজনীতিতে তিনি ছিলেন প্রথম সারির নেতা। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে কারামুক্তির পর ঘরোয়া ষড়যন্ত্রের পরিণতিতে আওয়ামী লীগ তাঁকে বহিষ্কার করে ; যার ফলশ্রুতিতে তিনি চিরকালের জন্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এই বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতার নাম ক্রমশ: বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার, তাঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি, নিখৌঁজ হওয়া এবং অকাল মৃত্যুর রহস্য দীর্ঘকাল ধরে উন্মোচিত হয় নি। ১৯৬৪ সালে শামছুল হক হঠাৎ করেই নিখোঁজ হন এবং ১৯৬৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ইন্তেকাল করেন। শামসুল হক গবেষণা পরিষদ অনেক খুঁজে মৃত্যুর ৪২ বছর পর ২০০৭ সালে কালিহাতি উপজেলার কদিম হামজানিতে মরহুমের কবর আবিস্কার করে।",
"title": "শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)"
},
{
"docid": "265899#3",
"text": "কাজী মাহবুব আওয়ামী লীগ তথা আওয়ামী মুসলিম লীগ-এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ৩০ জানুয়ারি ১৯৫২ যখন, \"সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মীপরিষদ\" প্রতিষ্ঠিত হয়, কাজী মাহবুবকে সেটার আহ্বায়ক হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারীর আমতলা সভায় কাজী মাহবুব উপস্থিত ছিলেন এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সমাবেশে যোগদান করেন। পরে, তিনি গ্রেফতার হন এবং এক বছর কারাগারে অতিবাহিত করেন।",
"title": "কাজী গোলাম মাহবুব"
},
{
"docid": "69360#21",
"text": "২৩ জুন ১৯৪৯ : পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত উন্নাসিক দৃষ্টিভঙ্গী, বিভিন্ন ন্যায্য দাবী দাওয়া পূরনে অস্বীকৃতি এবং ভাষার ক্ষেত্রে মুসলিম লীগ সরকারের নীতির বিরোধিতায় মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক (টাঙ্গাইল), শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক নিযুক্ত হন। একই সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানেও পীর মানকি শরীফ এর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই দুই দল একীভূত হয়ে পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এর আহবায়ক নিযুক্ত হন। ভাসানী ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ৮ বছর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ভাষা আন্দোলনসহ পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেন। পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানী রাজনৈতিক নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আওয়ামী মুসলিম লীগ ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রাজপথের আন্দোলন সংগঠনের পাশাপাশি পার্লামেন্টেও রাষ্ট্রভাষা ভাষার দাবীতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে। ,",
"title": "বাংলা ভাষা আন্দোলনের কালপঞ্জি"
}
] | [
{
"docid": "675501#4",
"text": "তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দল প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরমধ্যে গণতান্ত্রিক যুবলীগ, পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ও কচিকাঁচা মেলা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এছাড়াও দৈনিক ইত্তেফাক ও সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।",
"title": "এম এ ওয়াদুদ"
},
{
"docid": "613690#5",
"text": "এম.এ হান্নান চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বিরোধী আন্দোলনে তিনি অংশ নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৭০ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।",
"title": "এম. এ. হান্নান"
},
{
"docid": "274116#5",
"text": "তিনি মুসলিম ছাত্রলীগ, পরে এমএন রায়ের ‘র্যাডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’ সদস্য হন। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে পঞ্চাশের দশকে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) প্রাদেশিক কমিটির সদস্য হন। তৎকালীন পাক-চীন মৈত্রী সমিতি এবং পাক-সোভিয়েত মৈত্রী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও সদস্যও ছিলেন তিনি। এছাড়া সাবেক পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন ও পূর্ব পাকিস্তান প্রেসক্লাবেরও তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পরে তিনি নেপথ্যে থেকে আওয়ামী লীগ ও বামপন্থীদের মধ্যে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্যে ঐক্যমোর্চা গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।",
"title": "জহুর হোসেন চৌধুরী"
},
{
"docid": "80810#3",
"text": "জিল্লুর রহমান ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বৃহত্তর ময়মনিসংহ জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৫৬ সালে কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়াও জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ বিভিন্ন সময়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৬২ সালে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন গণ-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জিল্লুর রহমান প্রথম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি আবারো ১৯৭৪, ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৭২ সালে তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণয়নে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ '৭৩, '৮৬, '৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ (সংসদীয় আসন ১৬৭, কুলিয়ারচর-ভৈরব) থেকে জিল্লুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। '৯৬-এর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় (এলজিআরডি) এর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে যখন শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন তারপর থেকেই জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।",
"title": "জিল্লুর রহমান"
}
] |
'খান একাডেমী'র প্রতিষ্ঠাতা সালমান আমিন খানের বাবার নাম কী ? | [
{
"docid": "262105#1",
"text": "সালমান খানের দাদাবাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। তাঁর বাবা ডা. ফখরুল আমিন খান চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর দাদা আব্দুল ওয়াহাব খান ছিলেন মুসলিম লীগের নেতা এবং পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার (১৯৫৫-৫৮)। সালমানের বাবা অভিবাসী হয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরে সালমানের জন্ম (১৯৭৬) এবং বেড়ে ওঠা। ১৯৯১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বাবাকে হারান।",
"title": "সালমান খান (শিক্ষক)"
}
] | [
{
"docid": "262105#0",
"text": "সালমান আমিন খান (জন্ম: ১১ই অক্টোবর ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ) একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন শিক্ষক, গবেষক, উদ্যোক্তা এবং 'খান একাডেমী'র প্রতিষ্ঠাতা। খান একাডেমী একটি উন্মুক্ত অনলাইনভিত্তিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষাবিদ নিজ বাসার ছোট অফিস থেকে যাত্রা শুরু করে, বিস্তৃত ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়সমূহ, বিশেষত গণিত ও বিজ্ঞানের উপর ৬,৫০০ এর অধিক ভিডিও তৈরি করেছেন।\n২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত, ইউটিউব এ খান একাডেমীর চ্যানেলটি ২,৪১৫,৪০৬ এর অধিক গ্রাহককে আকৃষ্ট করেছে এবং ভিডিও গুলো ৬৯৬ মিলিয়নের অধিক বার দেখা হয়। ২০১২ সালে মার্কিন পত্রিকা টাইম এর জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির বার্ষিক তালিকার একটি উল্লেখযোগ্য নাম, খান একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা, সালমান আমিন খান। ফোর্বস ম্যাগাজিন তাদের প্রচ্ছদে জনাব খানকে তুলে ধরে \"$১ ট্রিলিয়ন সুযোগ\" নামক প্রবন্ধের মাধ্যমে।",
"title": "সালমান খান (শিক্ষক)"
},
{
"docid": "640542#1",
"text": "রফিকউল্লাহ খান ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ শে জানুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলার চর গোবিন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম এ কে এম সাইফুল ইসলাম খান। তিনি ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও হোমিও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও চিকিৎসক। মা নূরুন্নাহার ফিরোজা খানম ছিলেন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখক। তাঁরা দুজনেই সাহিত্যচর্চা করতেন।নূরুন্নাহার ফিরোজা খানমের ‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’ (২০১৫) এক শিক্ষানুরাগী গ্রামীণ সংগ্রামী নারীর অনবদ্য জীবনকথা। পশ্চিম মানিকগঞ্জের অজ পাড়াগাঁয় নারী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে ১৯৪৬ সালে দুজনে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ‘গোলে-মনির জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়’। নয় ভাই-বোনের মধ্যে রফিকউল্লাহ খান তৃতীয়।",
"title": "রফিকউল্লাহ্ খান"
},
{
"docid": "2889#1",
"text": "আজম খান ১৯৫০ সালে আজিমপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম \"মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন খান\", মা \"জোবেদা খাতুন\"। সেখানে তারা ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারে থাকতেন। তার বাবা ছিলেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্ট। ব্যক্তিগতভাবে হোমিওপ্যাথির চিকিত্সক ছিলেন। তার তিন ভাই ও এক বোন ছিল। বড় ভাই \"সাইদ খান\" (সরকারি চাকরিজীবী), মেজো ভাই \" আলম খান\" (সুরকার), ছোট ভাই \"লিয়াকত আলী খান\" (মুক্তিযোদ্ধা) এবং ছোট বোন \"শামীমা আক্তার খানম\"। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে বেবিতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি বানান। এরপর থেকে সেখানে বসতি তাদের। সেখানে তিনি কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে এসে ভর্তি হন। তারপর ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭০ সালে টি অ্যান্ড টি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। মুক্তিযুদ্ধের পর পড়ালেখায় আর অগ্রসর হতে পারেননি।",
"title": "আজম খান"
},
{
"docid": "4969#1",
"text": "খান আতা মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম জিয়ারত হোসেন খান, মায়ের নাম যোহরা খাতুন। তার মা তাকে আদর করে ডাকতেন \"তারা\"। তার মায়ের পরিবার ছিলেন মাজারের খাদিম তথা তত্ত্বাবধায়ক। ধর্মীয় উরসে তার মামা নানারকম আধ্যাত্মিক সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। ১৯৩৭ সালে ঢাকা জিলা সঙ্গীত প্রতিযোগীতায় খান আতা প্রথম স্থান দখল করেন। তিনি তখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।",
"title": "খান আতাউর রহমান"
},
{
"docid": "297598#1",
"text": "আলম খান ১৯৪৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আফতাব উদ্দিন খান ছিলেন সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্ট এর এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ও মা জোবেদা খানম ছিলেন গৃহিণী। তার মা জোবেদা খানম ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার দরবারের এক শিল্পীর বংশধর। সিরাজগঞ্জে কয়েক বছর থাকার পর বাবার চাকরি সুবাদে কলকাতায় চলে যান। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বাবার সাথে ফিরে আসেন ঢাকায়। তারপর ঢাকাতেই স্থায়ী হন এবং সিদ্ধেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকেই মেট্রিক পাস করেন। স্কুলে থাকাকালীন তার গানের প্রতি ঝোঁক সৃষ্টি হয়। বাবা আফতাব উদ্দিন প্রথমে অনাগ্রহ দেখালেও মায়ের উৎসাহে গানের চর্চা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে তার বাবাই তাকে ওস্তাদ ননী চ্যাটার্জীর কাছে গানের তালিমের জন্য নিয়ে যান। পাঁচ ভাই তিন বোনের মধ্যে আলম খান মেজো। বাংলাদেশের প্রখ্যাত পপ সঙ্গীত শিল্পী আজম খান ছিলেন তার ছোট ভাই।",
"title": "আলম খান"
},
{
"docid": "269391#0",
"text": "খান একাডেমি () একটি মার্কিন অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০৬ সালে ইহা প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত সালমান খান এটি প্রতিষ্ঠা করেন। \"সকলের জন্য, সব জায়গায় বিনামূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষাদান\" স্লোগানে এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে। একাডেমির নিজের ওয়েবসাইট ও ইউটিউবের মাধ্যমে ৩১০০ বেশি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও টিউটোরিয়াল নির্মাণ করে খান একাডেমি। এর সবকিছু বিশ্বজুড়ে যে কেউর জন্য মুক্তভাবে উপলব্ধ। ওয়েবসাইটের প্রধান ভাষা হল ইংরেজি, কিন্তু এর বিষয়বস্তু বাংলাসহ অন্যান্য ভাষায় পাওয়া যায়। ২ মার্চ ২০১৬ তারিখে ঢাকায় খান একাডেমির বাংলা সংস্করণ উদ্বোধন করা হয়। ওয়েবসাইট এবং এর বিষয়বস্তু প্রধানত ইংরেজিতে সরবরাহ করা হয়, তবে স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, ইতালীয়, রাশিয়ান, তুর্কি, ফ্রেঞ্চ, বাংলা এবং হিন্দি সহ অন্যান্য ভাষায়ও পাওয়া যায়।",
"title": "খান একাডেমি"
},
{
"docid": "105061#1",
"text": "১৯৭৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আয়ান আলি খান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা উস্তাদ আমজাদ আলি খান একজন বিশিষ্ট সরোদ-বাদক এবং মা শুভলক্ষ্মী বড়ুয়া খান একজন শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী। তাঁর জন্মনাম ছিল বঙ্গাশ। তিনি তিনি বঙ্গাশ সংগীত ঘরানার অন্তত পঞ্চম প্রজন্ম। দাবি করা হয় যে, এই ঘরানাই সরোদ বাদ্যযন্ত্রটি আবিষ্কার করেছিল। আয়ান ও তাঁর দাদা আমানকে ছেলেবেলা থেকে সংগীত শিক্ষা দেন তাঁদের বাবা। তারপর তাঁরা তাঁদের বাবার সঙ্গে কনসার্ট ট্যুরে সরোদ বাদ্যযন্ত্রে সংগীত পরিবেশন শুরু করেন।",
"title": "আয়ান আলি খান"
},
{
"docid": "34256#1",
"text": "এনায়েতুল্লাহ্ খান ২৫ মে ১৯৩৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবের স্পিকার বিচারপতি আবদুল জব্বার খান। তার ভাই-বোনদের মধ্যে সাংবাদিক সাদেক খান, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন এবং বিএনপি সরকারের সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী (অষ্টম জাতীয় সংসদ) বেগম সেলিনা রহমান, ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ এর প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান।\nতিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক। ছাত্রজীবনে তিনি আনন্দমোহন কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা হলের (বর্তমানে শহিদুল্লাহ হল) ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৭-৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি চীন, উত্তর কোরিয়া, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমারের রাষ্ট্রদুতের (১৯৮৪-৮৯) দায়িত্ব পালন।\nএনায়েতুল্লাহ খান ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান অবজারভার সংবাদপত্রে কাব-রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি সাপ্তাহিক হলি ডে' প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি হলি ডে' এর সম্পাদক হন। জুন ২০০৩ নাগাদ তিনি ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত বাংলাদেশ টাইমস্ এর সম্পাদক ছিলেন। সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখার জন্য তাকে একুশে পদক দেওয়া হয়।\nদেশের সুশীল সমাজের সক্রিয় প্রতিনিধি এবং একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক কর্মী হিসেবে এনায়েতুল্লাহ খান ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর বুদ্ধজীবী নিধন তথ্য-অনুসন্ধান কমিটির অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এই কমিটি ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে (ডিসেম্বর ১৪) সংঘটিত বুদ্ধজীবী হত্যার তদন্ত করে। তিনি সিভিল লিবার্টি ও লিগাল এইড কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারের শিকার রাজনৈতিক কর্মীদের সাহায্য করেন। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ কমিটি ও ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের (১৯৭৩-৭৬) ও ঢাকা ক্লাবের (১৯৮৪-৮৫) সভাপতি ছিলেন। ২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর এনায়েতুল্লাহ খান ৬৬ বছর বয়সে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।",
"title": "এনায়েতুল্লাহ্ খান"
},
{
"docid": "359991#2",
"text": "সোহেল খান জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান খান এবং লিপিলেখক সেলিম খান এর সন্তান। তিনি সীমা সচদেবকে বিয়ে করেন এবং এই দম্পতির নির্বান খান ও ইয়োহন নামের ২টি সন্তান রয়েছে। তিনি ১৯৯৭ সালে এ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র \"অজার\"-এ একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশেমর মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। উক্ত চলচ্চিত্রে তার ভাই সালমান খান এবং সঞ্জয় কাপুর অভিনয় করেছিলেন। এরপর তিনি ১৯৯৮ সালের ব্যাবসাসফল চলচ্চিত্র \"প্যায়ার কিয়া তো ডারনা ক্যা\" তে সালমান খান এবং আরবাজ খান উভয় ভাইকে সাথে নিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন এবং এর কম ধারবাহিকতার সাফল্য নিয়ে জি.এস. ইন্টারটেইন্টমেন্ট এর ব্যানারে \"হ্যালো ব্রাদার\" (১৯৯৯) নির্মাণ করেন।",
"title": "সোহেল খান"
}
] |
বর্তমানে আফগানিস্তানের সরকারি নাম কী ? | [
{
"docid": "481022#0",
"text": "আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (, '; , ') ছিল ১৯৭৮ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান একটি রাষ্ট্র। ১৯৮৭ সালে রাষ্ট্রের নাম বদলে আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্র রাখা হয়। এই সময় আফগানিস্তান পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপিএ) শাসন করেছে। সাওর বিপ্লবের মাধ্যমে এই দল ক্ষমতায় আসে। এই বিপ্লবে মুহাম্মদ দাউদ খানের সরকার উৎখাত হয়। দাউদের পর নূর মুহাম্মদ তারাকি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান হন। তারাকি ও হাফিজউল্লাহ আমিন তাদের শাসনামলে বেশ কিছু সংস্কার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে নারী অধিকার, শিক্ষা ও ভূমি সংস্কার। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর শীঘ্রই তারাকি ও আমিনের নেতৃত্বাধীন খালকপন্থি এবং বাবরাক কারমালের নেতৃত্বাধীন পারচামপন্থিদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব্ব শুরু হয়। খালকপন্থিরা এতে জয়ী হয় পারচামপন্থিরা দল থেকে বহিষ্কৃত হয়। অধিকাংশ উল্লেখযোগ্য পারচাম নেতারা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পূর্বাঞ্চলীয় ব্লকে পালিয়ে যান।",
"title": "আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র"
},
{
"docid": "1163#0",
"text": "আফগানিস্তান, যার সরকারি নাম আফগানিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্র (: \"দে আফ্গ়ানিস্তান্ ইস্লামি জোম্হোরিয়াৎ\"; \"জোম্হুরীয়ে এস্লমীয়ে অ্যাফ্গ়নেস্তন্\" আ-ধ্ব-ব: [dʒomhuːɾije eslɒːmije æfɣɒːnestɒːn]) দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। রাষ্ট্রটি ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যস্থলে একটি ভূ-বেষ্টিত মালভূমির উপর অবস্থিত। আফগানিস্তানকে অনেক সময় দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হিসেবেও গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের পূর্বে ও দক্ষিণে পাকিস্তান , পশ্চিমে ইরান, উত্তরে তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান এবং উত্তর-পূর্বে গণচীন। আফগানিস্তান শব্দটির অর্থ \"আফগান (তথা পশতুন) জাতির দেশ\"। আফগানিস্তান একটি রুক্ষ এলাকা - দেশটির অধিকাংশ এলাকা পর্বত ও মরুভূমি আবৃত। পর্বত উপত্যকাগুলি আর উত্তরের সমভূমিতেই কেবল গাছপালার দেখা মেলে। এখানকার গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক এবং শীতকালে এখানে প্রচণ্ড শীত পড়ে। কাবুল দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।",
"title": "আফগানিস্তান"
}
] | [
{
"docid": "348308#1",
"text": "বর্তমান রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই ডিসেম্বর ৭, ২০০৪ সালে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। আফগানিস্তানের জাতীয় সংসদ আফগানিস্তানের বিধানসভা। বর্তমান দ্বিক্ষ বিশিষ্ঠ এই বিধানসভাটি ২০০৫ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর নির্বাচিত হয়। আইনসভা তৈরির জন্য সর্বোচ্চ আদালতের সদস্যরা রাষ্ট্রপতি দ্বারা নির্বাচিত হন। নতুন বিচারবিভাগ ও সংসদ, উভয়ে মিলে দেশটিতে একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্ঠা চালাচ্ছে যা এখন পর্যন্ত দেশটিতে ঘটেনি। এছাড়াও এই প্রক্রিয়াটি ২০০৪ সালে শুরু হওয়ায় অপেক্ষাকৃত নতুন, কারণ দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর সাথে যুদ্ধ করার পরই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। জাতিসংঘ, অন্যান্য সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা দেশটিতে গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।",
"title": "আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা"
},
{
"docid": "481369#1",
"text": "বুরহানউদ্দিন রব্বানী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তালেবানরা ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করার পর আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত প্রতিষ্ঠা করে। নর্দার্ন অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত সামরিক বাহিনী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই বাহিনী তালেবানের প্রতিপক্ষ ছিল। ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান ইসলামি রাষ্ট্র জাতিসংঘে আফগানিস্তানের প্রতিনিধি ছিল। এরপর \"আফগানিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্র\" প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আমেরিকা ও ন্যাটোর সহায়তায় আফগান অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।",
"title": "আফগানিস্তান ইসলামি রাষ্ট্র"
},
{
"docid": "348308#0",
"text": "এই পাতাটি আফগানিস্তানের অ-রাজসিক রাষ্ট্র প্রধানদের একটি তালিকা। আফগানিস্তান ১৯৭৩ থেকে ১৯৯২ এবং ২০০১ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সবিরাম প্রজাতন্ত্র ছিল। অন্যান্য সময়ে দেশটি বিভিন্ন সম্রাট, আমির, বাদশাহ ও (১৯৯০-এর দশকে) ইসলামী ধর্মশাসনের অধীন ছিল। আফগানিস্তানের বর্তমান সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি সামরিক বাহিনী ও অপেক্ষাকৃত দূর্বল জাতীয় সংসদের অন্যান্য বিধানিক কার্যক্রমের প্রধান। যদিও অাফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল ও এর প্রদেশের প্রশাসনিক ক্ষমতা বিতর্কিত।",
"title": "আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা"
},
{
"docid": "1163#50",
"text": "আফগানিস্তানের মুদ্রার নাম আফগানি। ১০০ পুলে ১ আফগানি। আফগানির বিনিময় হার বহুবার ওঠা নামা করেছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত মূদ্রাস্ফীতি আফগানির ক্রয়ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত করে দেয়, এবং তালেবান শাসনামলেও এই ধারা বজায় ছিল। যুদ্ধজনিত মুদ্রাস্ফীতির কারণে আফগানির মূল্য এত কমে যায় যে সরকার নতুন অধিক মূল্যের আফগানি আবার ইস্যু করেন। ২০০২ সালের শেষে এসে আফগানির মূল্য স্থিতিশীল হয় এবং ২০০৭ সালে ১ মার্কিন ডলারে প্রায় ৫০ নতুন আফগানি পাওয়া যেত।",
"title": "আফগানিস্তান"
},
{
"docid": "702543#0",
"text": "আফগানিস্তানে আফগানিস্তান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন ( \"ডা আফগানিস্তান জারান্দোই তোলেনাহ\", সাধারণত সংক্ষিপ্ত করে বলা হয় \"জারান্দোই\"), আনুষ্ঠানিকভাবে একটি রাজকীয় ফরমান জারি করে, ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৮০ সালে রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েলের দ্বিতীয় পোস্টিং আফগানিস্তানে হয়েছিল। ১৯৩২ সাল থেকে আফগানিস্তান বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্য ছিল। ১৯৪৭ সালে আফগান সরকার স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন ভেঙ্গে দেয়। আফগান স্কাউটিংটি আবার ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চলেছিল এবং স্কাউট আন্দোলনের বিশ্ব সংগঠনের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছিল।",
"title": "আফগানিস্তান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন"
},
{
"docid": "609024#0",
"text": "আফগানিস্তান যুদ্ধ ১৯৭৮ সালের ২৭ এপ্রিল সাউর বিপ্লব নামে পরিচিত একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পিডিপিএ কর্তৃক ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে আরম্ভ হয়। ক্ষমতা লাভের পরপরই আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চলে পিডিপিএ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দেয়। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে চলমান গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে আফগান যুদ্ধ (১৯৭৯–১৯৮৯) শুরু হয়। মুজাহিদিন নামে পরিচিত প্রতিরোধ যোদ্ধারা সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কিছু মুজাহিদ দল পাকিস্তানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব থেকে সহায়তা লাভ করে। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সোভিয়েতরা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। তিন বছর পর ১৯৯২ সালে কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে সোভিয়েত-সমর্থিত আফগান কমিউনিস্ট সরকারের পতন ঘটে।\n১৯৯২ সালে আফগান রাজনৈতিক দলগুলো পেশোয়ারে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরের মাধ্যমে আফগানিস্তান ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিযুক্ত করে। আফগান নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার এই চুক্তির বিরোধী ছিলেন এবং তিনি পাকিস্তানি সহায়তায় কাবুলের ওপর বোমাবর্ষণ আরম্ভ করেন। তাছাড়া কাবুলের কিয়দংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকারী তিনটি মিলিশিয়া বাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। পাকিস্তান, ইরান, সৌদি আরব, ভারত ও উজবেকিস্তানের মতো স্থানীয় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যেকেই ভূকৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আফগানিস্তানের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য এসব মিলিশিয়ার কোনো একটিকে সমর্থন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় কাবুল এবং আরো কিছু বড় শহরে তীব্র যুদ্ধ হলেও সোভিয়েত ও কমিউনিস্ট আফগান সরকারের প্রচণ্ড বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত গ্রামাঞ্চল এসময় অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকে। ১৯৯৫ সালের প্রথমদিকে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমদ শাহ মাসুদ কাবুলে এসব মিলিশিয়ার অধিকাংশকেই পরাজিত করতে সক্ষম হন এবং রাজধানীতে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। এসময় তালিবানরা একটি নতুন শক্তি হিসেবে কাবুলকে হুমকির সম্মুখীন করে।\n১৯৯৪ সালে তালিবান প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহারে একটি নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণ-বহির্ভূত অনেকগুলো মধ্যাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দখল করে নেয়। ১৯৯৫ সালের প্রথমদিকে তারা কাবুলের বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের আক্রমণ চালায়, কিন্তু মাসুদের সৈন্যদের নিকট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় এবং অনেক বিশ্লেষক এটিকে সংগঠনটির সমাপ্তি হিসেবে ধারণা করেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালের মধ্যে তারা পাকিস্তানি গোলন্দাজ বাহিনীর বিপুল সহায়তা এবং সৌদি আরবের আর্থিক সহযোগিতায় পুনর্গঠিত হয়। ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে তারা কাবুলে ক্ষমতা দখল করে এবং আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠা করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সামরিক সহায়তা এবং হাজার হাজার আরব ও মধ্য এশীয় আল কায়েদা যোদ্ধার সমর্থনপুষ্ট তালিবান আমিরাতের বিরুদ্ধে একটি সামরিক-রাজনৈতিক প্রতিরোধ শক্তি হিসেবে মাসুদের নেতৃত্বে সংযুক্ত ইসলামি ফ্রন্ট (নর্দার্ন অ্যালায়েন্স) গঠিত হয়।\n২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর ন্যাটো আফগানিস্তান আক্রমণ করে। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল আল কায়েদাকে পরাজিত করা, তালিবানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ এবং আফগানিস্তানে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সৃষ্টি। এসব উদ্দেশ্যের কিছু পূরণ হলেও আফগানিস্তানে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন হস্তক্ষেপ একটি প্রলম্বিত যুদ্ধরূপে এখন পর্যন্ত চলমান।",
"title": "আফগানিস্তান যুদ্ধ (১৯৭৮–বর্তমান)"
},
{
"docid": "95613#0",
"text": "মিললি সুরোদ (পশতু: ملي سرود - \"জাতীয় সঙ্গীত\") আফগানিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত। এইটি সরকারি ভাবে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল মে ২০০৬ তে। আফগানিস্তানের সংবিধানের কুড়ি নিবন্ধ অনুসারে আফগানিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের ভাষা পশতু হতে হবে এবং \"আল্লাহ্ মহান\" এই কথা এবং আফগানিস্তানের সমস্ত উপজাতিদের উল্লেখ থাকতে হবে। এই গানের কথা লিখেছেন আব্দুল বারী জাহানী এবং সুর দিয়েছেন বাবরাক ওয়াসসা।",
"title": "মিললি সুরোদ"
},
{
"docid": "382275#0",
"text": "আশরাফ গণি আহমদজাই (, ; জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৯) আফগানিস্তানের বর্তমান রাষ্ট্রপতি। ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে জয়লাভ করে। আশরাফ গণি এর পূর্বে আফগান সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন। কুচিজের গ্র্যান্ড কাউন্সিল চিফটেইন হাশমত গণি আহমদজাই তাঁর ভাই।",
"title": "আশরাফ গনি"
}
] |
শেখ মুজিবুর রহমান কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন ? | [
{
"docid": "867#13",
"text": "সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি মুজিবের বাসায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আওয়ামী লীগকে পুণরায় সংহত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই বৈঠকের প্রস্তাবের ভিত্তিতে শেখ মুজিব তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মহাসচিব ও মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১১ মার্চ একটি সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় যার মাধ্যমে মুজিব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধকল্পে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সেনাশাসক আইয়ুব খানের বেসিক ডেমোক্রেসিস প্ল্যান, সামরিক শাসন এবং এক-ইউনিট পদ্ধতির বিরোধী নেতাদের মধ্যে অগ্রগামী ছিলেন শেখ মুজিব। এই পদ্ধতি অনুযায়ী ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার পরিকল্পনা করা হয় এবং প্রদেশগুলোকে একত্রে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কাজ করতে গিয়ে, মুজিব আইয়ুব বিরোধী দল প্রার্থী ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন করেন। যথারীতি নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পূর্বে তাকে আটক করা হয়। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহীতা এবং আপত্তিকর প্রস্তাব পেশের অভিযোগে অভিযুক্ত করে এক বছরের কারদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। অবশ্য উচ্চ আদালতের এক রায়ে তার আগেই তিনি মুক্তি পেয়ে যান। এ সময় সামরিক বাহিনীর গণহত্যা আর বাঙালিদের চাহিদা পূরণে সামরিক শাসকদের ঔদাসীন্য পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।",
"title": "শেখ মুজিবুর রহমান"
},
{
"docid": "867#0",
"text": "শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বাঙালীর অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেন। প্রাচীন বাঙ্গালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের জাতির জনক বা জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি বঙ্গবন্ধু। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।",
"title": "শেখ মুজিবুর রহমান"
},
{
"docid": "867#4",
"text": "মুজিবের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। এ বছর স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন তদানীন্তন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি র মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং পরবর্তিতে বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী। তিনি স্কুলের ছাদ সংস্কারের দাবীর উপর ভিত্তি করে একটি দল নিয়ে তাদের কাছে যান যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজেই। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। সেখানে তিনি এক বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৪২ সনে এনট্র্যান্স পাশ করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজটি তখন বেশ নামকরা ছিল। এই কলেজ থেকে সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং অগ্রণী কাশ্মিরী বংশদ্ভুত বাঙালি মুসলিম নেতা হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন।এখানে তার ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন। ১৯৪৩ সনে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।",
"title": "শেখ মুজিবুর রহমান"
}
] | [
{
"docid": "34061#4",
"text": "১৯৭৩ সালে শাহ আজিজুর রহমানকে শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি দেন । বিএনপি গঠনের পূর্বে ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট নামক একটি দল গঠিত হয়। এই দলে তৎকালীন মুসলিম লীগের একটি অংশ নিয়ে শাহ আজিজুর রহমান যোগদান করেন। এই জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জিয়াউর রহমান ৩ জুন , ১৯৭৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। পরে জাতীয়টাবাদী ফ্রন্ট এবং আরো কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠিত হলে তিনি এই দলে বেশ প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হন। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। শাহ আজিজুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশে বিএনপি সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। জিয়ার মৃত্যুর পর বিচারপতি আবদুস সাত্তার প্রেসিডেন্ট হলে শাহ আজিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর পদে অসীন থাকেন। ১৯৮২ সালে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করে শাহ আজিজুর রহমানকে পদচ্যূত করেন।",
"title": "শাহ আজিজুর রহমান"
},
{
"docid": "80727#4",
"text": "মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টে ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের (বর্তমান ইসলামী ছাত্র শিবির) সাথে যুক্ত হন। পরপর তিন বছর (১৯৬৬-৬৯) তিনি পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । এরপর দুইবার তিনি গোটা পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান জামায়াতে ইসলামী এবং এর অনেক সদস্যকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন কারণ দলটি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনীকে সমর্থন দিয়েছিল। এ সময় মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং দলের আরো কয়েকজন প্রধান নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।",
"title": "মতিউর রহমান নিজামী"
},
{
"docid": "867#37",
"text": "বাকশাল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ৪টি বাদে সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হয়। দলটি প্রত্যন্ত জনসাধারণ, কৃষক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের বিবেচিত করে রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। দলটি বৃহৎ সমাজতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে। সরকারি বাহিনীর সাথে সমর্থকদের নিয়ে গঠিত জাতীয় রক্ষী বাহিনীর সহায়তায় মুজিব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করেন এবং সারাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। রক্ষী বাহিনী এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও রাজনৈতিক হত্যার অভিযোগ ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারীরা মুজিবের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন এবং তাঁর কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারবিরোধী বলে গণ্য করেন। মুজিবের বিরোধীরা অসন্তোষ ও সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে ওঠে।কিন্তু তার এই নীতির ফলে অবস্থা কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং দুর্নীতি,কালোবাজারী এবং অবৈধ মজুদদারি অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যায়।",
"title": "শেখ মুজিবুর রহমান"
},
{
"docid": "657444#1",
"text": "বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সৈয়দ ফারুক রহমানের নেতৃত্বে কতিপয় অসন্তুষ্ট ও উচ্চাভিলাষী জুনিয়র অফিসারদের সংঘটিত অভ্যুত্থানে নিহত হন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি ও মুজিবনগর সরকারপ্রধান (বাংলাদেশী প্রবাসী সরকার) ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পর তিনি রক্ষীবাহিনী নামক একটি বিশেষ বাহিনী ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে একদলীয় গণতন্ত্র প্রথা চালু করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের সমাদৃত হয়নি। খন্দকার মোশতাক আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রীসভার বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ১৫ই আগস্ট অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত অফিসারদের সমর্থন করেন এবং নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।.",
"title": "৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ বাংলাদেশের সামরিক অভ্যুত্থান"
},
{
"docid": "607802#2",
"text": "কে জি মুস্তফা কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনার সূত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পরিচিত হন এবং অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সেই সুবাদেই মূলত: তিনি রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হন। ১৯৪৮ সালে বামপন্থীদের উদ্যোগে শত পুলিশি বাধা-বিপত্তির মুখে গোপনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগ গঠিত হয়। গাজীউল হক, আবদুল মতিন, অলি আহাদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, রাজশাহীর আতাউর রহমান, আমিনুল ইসলাম বাদশা প্রমুখের সাথে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগ গঠনের প্রস্তুতিপর্বে তিনিও অংশগ্রহণ করেন।\nবাংলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন।",
"title": "কে জি মুস্তফা"
},
{
"docid": "61126#5",
"text": "নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানে পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী হন খাজা নাজিমুদ্দিন আর প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাংগঠনিক কমিটির দুই প্রধান সদস্য হলেন নুরুল আমীন ও ইউসুফ আলি চৌধুরী (ওরফে মোহন মিঞা) । তারা মুসলিম লীগকে তাদের পকেট প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেন। এর প্রতিবিধানের জন্যে ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে ১৫০ নং মোগলটুলির অফিসে শামসুল হক, কামরুদ্দীন আহমদ, শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ এক কর্মী সম্মেলন আহ্ববান করেন। পরে আতাউর রহমান খান, শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, মিসেস আনোয়ারা খাতুন, খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর সমবায়ে গঠিত এক প্রতিনিধি দল মাওলানা আকরম খানের সাথে দেখা করেন মুসলিম লীগে সভ্য হবার রশিদ বই পাবার জন্যে; কিন্তু কোন লাভ হয় না। আতাউর রহমান খান ও আনোয়ারা খাতুন একই উদ্দেশ্যে করাচী গিয়ে মুসলিম লীগ সংগঠক চৌধুরী খালেকুজ্জামানের সাথেও দেখা করেন কিন্তু কোন লাভ হয় না। ফলে কর্মীরা নতুন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভব করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন হতে ২৪ জুন ঢাকা রোজ গার্ডেনে মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে মুসলিম লীগ কর্মী সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানে মুসলিম লীগের বিরোধী রাজনৈতিক দল পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। মাওলানা ভাসানী ছিলেন এই দলের সভাপতি। শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে \"আওয়ামী মুসলিম লীগ\" নামটি থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আত্মপ্রকাশ করে।",
"title": "শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)"
},
{
"docid": "448611#2",
"text": "আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার তিক্ত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দুই দশক ধরে জাতিকে প্রভাবিত করছে যদিও তাদের রাজনৈতিক অবস্থান খুব একটা অভিন্ন নয়। দুটি দলই নারী কর্তৃক পরিচালিত এবং তারা দুজনই নিহত নেতার প্রতিনিধিত্ব করেন। আওয়ামী লীগের প্রধান হলেন শেখ হাসিনা যিনি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা; ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির জনক ও তিনি ১৯৭৫ সালে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকে হত্যা করা হয়। খালেদা জিয়া, বিএনপির প্রধান; তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন; ১৯৮১ সালে তাকে হত্যা করা হয়।",
"title": "২০০৬-০৮ বাংলাদেশী রাজনৈতিক সংকট"
}
] |
রোমান সাম্রাজ্যের সর্বশেষ সম্রাট কে ? | [
{
"docid": "301773#0",
"text": "নিরো (ল্যাটিন: Nero Claudius Caesar Augustus Germanicus; জন্ম: ১৫ ডিসেম্বর, ৩৭ খ্রিষ্ট-পূর্ব - মৃত্যু: ৯ জুন, ৬৮ খ্রিষ্টাব্দ) ৫৪ থেকে ৬৮ সময়কালে রোমান সাম্রাজ্যের পঞ্চম এবং জুলিও-ক্লডিয়ান রাজতন্ত্রের সর্বশেষ রোমান সম্রাট ছিলেন।",
"title": "নিরো"
},
{
"docid": "264662#3",
"text": "শেষ পুণ্য রোমান সম্রাট ছিলেন ফ্রান্সিস ২, যিনি ১৮০৬ সালে নেপোলীয় যুদ্ধের সময় সম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। এর আগে ১৫১২ সালে বর্তমান জার্মানির কোলোনে অনুষ্ঠিত একটি রাজকীয় ডায়েটে (অঞ্চলসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা) সম্রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল \"জার্মান জাতিসমূহের পুণ্য রোমান সম্রাজ্য\" (জার্মান: Heiliges Römisches Reich Deutscher Nation)।",
"title": "পবিত্র রোম সাম্রাজ্য"
}
] | [
{
"docid": "1546#1",
"text": "রোমান প্রজাতন্ত্র প্রায় ১৪০০ বছর ধরে প্রচলিত ছিল। এর প্রথম দুই শতক রাজনৈতিক সুস্থরতা এবং সমৃদ্ধির কারণে এদের “রোমান শান্তি”র যুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়। অক্টেভিয়ানের বিজয়ের পর রোমান সাম্রাজ্যের পরিসর নাটকীয়ভাবে সম্প্রসারিত হয়। ৪১ সালে কেলিগুলার হত্যার পর সিনেটে পুনরায় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে প্রেইটোরিয়ান দেহরক্ষী বাহিনী ক্লডিয়াসকে সম্রাট ঘোষণা করে। ক্লডিয়াসের নেতৃত্বে রোমানরা ব্রিটানিয়াকে নিজ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত করে। অক্টেভিয়ানের পর এটাই ছিল সর্ববৃহৎ রাজ্য বিস্তারের ঘটনা। ক্লডিয়াসের পরবর্তী সম্রাট নীরো ৬৮ সালে আত্মহত্যা করার পর পুনরায় রাজনৈতিক অস্থিরতার উদ্ভব হয়। গৃহযুদ্ধ এবং বিদ্রোহের (ইহুদী-রোমান যুদ্ধ) সময় চারজন সেনাধ্যক্ষক সম্রাট ঘোষণা করা হয়। ৬৯ সালে ভেসপাসিয়ানে বিজয় লাভ করে এবং ফ্লেভিয়ান রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করে। তার পুত্র পরবর্তী সম্রাট টাইটাসে রোমের বিখ্যাত কলোসিয়াম নির্মাণ করে। টাইটাসের অল্প সময়ের রাজত্যের পর তার ভাই ডমিটিয়ান রোমান সিংহাসনে আরোহণ করে এবং দীর্ঘকাল রাজত্বের পর হত্যার বলি হয়। এরপর সিনেট পাঁচজন সম্রাটকে বাছাই করে। এর দ্বিতীয় সম্রাট ট্রাজানের শাসনামলে রোমান সাম্রাজ্য সর্বোচ্চ শিখরে উন্নীত হয়।",
"title": "রোমান সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "1546#2",
"text": "কমডাসের রাজত্বকালে অস্থিরতা আর পতনোন্মুখ গতি পুনরায় আরম্ভ হয় এবং ১৯২ সালে তাকে হত্যা করা হয়, পঞ্চম সম্রাটের শাসনামলে। এরপর সেপ্টিমাস সেভেরাস সম্রাট হয়। ২৩৫ সালে আলেকজান্ডার সেভেরাসের হত্যার পর রোমান রাজনৈতিক ক্ষেত্ৰে প্রবল অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং রোমান সিনেটে মাত্র ৫০ বছরের ভিতর ২৬ জন লোককে সম্রাট ঘোষণা করে। ডিয়ক্লেটিয়ানের শাসনকালে দেশ চার ভাগে ভাগ করে প্রত্যেকটি অংশে একজন নির্দিষ্ট শাসনকর্তা নিয়োগ করা হয় যার ফলস্বরূপ দেশে পুনরায় সুস্থিরতা আসলেও প্ৰথম কনষ্টেণ্টাইন এর শাসনকালে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে এর অবসান ঘটে, এবং সকল প্রতিদ্বন্দীকে পরাভূত করে তিনি একছত্র সম্রাট হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। কনস্টেন্টাইন রোমান রাজধানী বাইজেন্টাইনে স্থানান্তর করেন এবং তার সন্মানার্থে কনষ্টাণ্টিনপল হিসেবে জায়গাটির নতুন নামাকরণ করা হয়। নগরীর পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এটি ছিল প্রাচ্যের রাজধানী। তিনি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পর রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে এটা গৃহীত হয়। সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চল(বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য) বিশ্বের এক অগ্রণী শক্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। সংযুক্ত রোমান সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট প্রথম থিয়ডসিয়াসের মৃত্যুর পর ক্ষমতার অপব্যবহার, গৃহযুদ্ধ, বহিরাগত আগ্রাসন, অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা ইত্যাদি কারণে রোমান সাম্রাজ্যের আধিপত্য ক্ৰমশ হ্রাস পায় বলে মনে করা হয়। \nরোমান সাম্রাজ্য অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে সেই সময়কার সবথেকে শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধিশালী সাম্রাজ্যসমূহের অন্যতম ছিল। এটি ছিল প্রাচীন কালের এবং পৃথিবীর বৃহত্তম সাম্রাজ্যসমূহের একটি। ট্রাজানের সময়কালে এর আয়তন ছিল ৫০ লাখ বর্গ কিলোমিটার , যা ২১ শতকের ৪৮ টি জাতিগোষ্ঠীর সম পর্যায়ের। এবং প্রায় ৭ কোটি লোকের বসবাস ছিল যা তৎকালীন বিশ্ব জনসংখ্যার ২১% ধারণ করছিল। রোমান সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি এবং স্থায়ীত্বই লেটিন এবং গ্রীক ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, আবিষ্কার, স্থাপত্য, দর্শন, আইন এবং সরকার গঠনের বিস্তৃতি এবং স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করেছিল।",
"title": "রোমান সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "299084#0",
"text": "মহান কন্সট্যান্টাইন (; ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২৭২২২ মে, ৩৩৭), যিনি প্রথম কন্সট্যান্টাইন বা সেইন্ট কন্সট্যান্টাইন নামেও পরিচিত, ছিলেন ৩০৭ হতে ৩৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত একজন রোমান সম্রাট। খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করা প্রথম রোমান সম্রাট হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। কন্সট্যান্টাইন ও তার সহ-সম্রাট লিসিনিয়াস ৩১৩ সালে \"এডিক্ট অব মিলান\" জারি করেন যার মাধ্যমে সাম্রাজের সর্বত্র সকল ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা ঘোষণা করা হয়।",
"title": "মহান কন্সট্যান্টাইন"
},
{
"docid": "264662#0",
"text": "পবিত্র রোম সাম্রাজ্য (ইংরেজি: Holy Roman Empire, জার্মান: Heiliges Römisches Reich) মধ্য ইউরোপে ৯৬২ থেকে ১৮০৬ সাল পর্যন্ত অস্তিত্বশীল ছিল। এর শাসনকর্তা ছিলেন \"পুণ্য রোমান সম্রাট\" বা হলি রোমান সম্রাট। মধ্যযুগ এবং আদি-আধুনিক যুগে সম্রাজ্যের রূপ বেশ পরিবর্তিত হয়, সম্রাটদের ক্ষমতা কমতে থাকে এবং বাড়তে থাকে রাজপুত্র বা প্রিন্সদের ক্ষমতা। শেষ শতকে এসে একে কেবল কিছু সার্বভৌম অঞ্চলের জোট ছাড়া আর কিছু বলা যেতো না।",
"title": "পবিত্র রোম সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "123704#0",
"text": "দ্বিতীয় নিকোলাস বা Nikolai II ( \"Nikolay Vtoroy\"; 1868 – 17 July 1918) ছিলেন রাশিয়ার সর্বশেষ সম্রাট। তিনি ১ নভেম্বর ১৮৮৪ থেকে ১৫ মার্চ ১৯১৭ পর্যন্ত শাসন করেন। তার শাসনকালের সমাপ্তির মাধ্যমে তৎকালিন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি রাশিয়ার সাম্রাজ্যের পতন হয়। খোদিঙ্কা ট্রাজেডি, সেমেটিক-বিরোধী অভিযান, ব্লাডি সানডে (১৯০৫), ১৯০৫ সালে বিপ্লবীদের দমন ও বিভিন্ন সময় রাজকীয় সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের শাস্তী প্রদান এবং রুশ-জাপান যুদ্ধ সূচনার দায়ে তার রাজনৈতিক শত্রুরা তাকে নিকোলাস দ্যা ব্লাডি নামে অভিহিত করত।",
"title": "দ্বিতীয় নিকোলাস (রুশ সম্রাট)"
},
{
"docid": "399466#4",
"text": "পবিত্র রোমান সম্রাট শার্লেমাইনের আমলে (রাজত্বকাল ৭৬৮ - ৮১৪ খ্রিঃ) আমরা প্রথম জার্মানির একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ইহুদির নাম পৃথক ভাবে জানতে পারি। সে' সময়ের আখেন শহরের অন্যতম নাম করা ইহুদি ব্যবসায়ী 'ইশাক'কে সম্রাট শার্লেমাইন আরও দু'জন অভিজাত জার্মান নাগরিকের সাথে বাগদাদে খলিফা হারুন অল রশিদের কাছে ৭৯৭ - ৮০২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর দূত হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন। শার্লেমাইনের দূতেদের হয়ে অনুবাদ করা ও তাদের গাইড হিসেবে কাজ করা ছিল তার দায়িত্ব। ৮০২ খ্রিস্টাব্দে ইশাক বাগদাদ থেকে খলিফার উপহার একটি হাতি নিয়ে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী আই লা শাপেল বা আখেনে ফিরে আসে ও সম্রাটের হাতে সেই উপহার তুলে দেয়। এতদ্সত্ত্বেও শার্লেমাইনের রাজত্বকাল ইহুদিদের জীবনে বাস্তবে দ্বিমুখী প্রভাববিস্তার করে বলে মনে করা হয়ে থাকে। একদিকে তিনি যেমন কূটনীতির ক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করেন, অন্যদিকে তাঁর রাজত্বকালে সুবৃহৎ সাম্রাজ্যকে ধরে রাখার প্রয়োজনে গির্জাকেও আরও বেশি পরিমানে ব্যবহার করা শুরু হয়। গির্জার আইন রাষ্ট্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেনে নিতে শুরু করলে ধার দেওয়ার ব্যবসা সংখ্যাগুরু খ্রিস্টীয় জনগণের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বিবেচিত হতে শুরু করে। ফলে মহাজনী কারবার একচেটিয়াভাবে ইহুদিদের করায়ত্ত্ব হয়ে পড়ে। দেশের বেশিরভাগ মানুষের সাথে ইহুদিদের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও শীঘ্রই এর প্রভাব পড়তে শুরু করে। ব্যবহারিক প্রয়োজনে মানুষ তাদের খোঁজ করলেও, তাদের কারবারের প্রতি একই সাথে একধরনের অশ্রদ্ধার মনোভাবও প্রশ্রয় পেতে থাকে। পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের পরবর্তী শাসক সম্রাট প্রথম লুইসের আমলে ৮২৫ খ্রিস্টাব্দে ইহুদিদের যেমন একদিকে বেশ কিছু বিশেষ সুবিধে দেওয়া হয়, অন্যদিকে বোহেমিয়া ও স্পেনের মধ্যে তাদের দ্বারা পরিচালিত দাসব্যবসাকেও বেশ কিছু নিয়মনীতির প্রচলন করে রাষ্ট্রীয় নজরদারির মধ্যে আনা হয়। সম্রাট কর্তৃক ইহুদিদের এইসব বিশেষ অধিকারের স্বীকৃতি লিয়ঁর আর্চবিশপ আজোবেয়ারকে এতটাই ক্ষিপ্ত করে তোলে যে তিনি তাদের \"filii diaboli\" বা 'শয়তানের বংশধর' বলে আক্রমণ করেন।",
"title": "জার্মান সাম্রাজ্যে ইহুদিরা"
},
{
"docid": "321558#1",
"text": "১১ জুলাই ১৩৪৭ সালে যুবরাজ নির্বাচকরা চার্লসকে রোমানদের রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে তার বিরোদ্ধে ছিলেন সম্রাট চতুর্থ লুইস। ২৬ নভেম্বর ১৩৪৬ সালে বোনে তিনি রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। তার বিরোধীর মৃত্যুর পর তিনি পুনরায় ১৭ জুন ১৩৪৯ সালে নির্বাচিত হন এবং ২৫ জুলাই রোমানদের সিংহাসন লাভ করেন। ১৩৫৫ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি ইতালির রাজা হন এবং ৫ এপ্রিল পবিত্র রোমান সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন। ৪ জুন ১৩৬৫ সালে বুরগুন্ডির রাজ্যাভিষেকের মধ্য দিয়ে তিনি পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সকল রাজ্যের শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন।",
"title": "চতুর্থ চার্লস, পবিত্র রোমান সম্রাট"
},
{
"docid": "321558#0",
"text": "চতুর্থ চার্লস (, , ; ১৪ই মে ১৩১৬ – ২৯শে নভেম্বর ১৩৭৮) ছিলেন হাউজ অফ লুক্সেমবার্গ থেকে বোহেমিয়ার দ্বিতীয় রাজা এবং বোহেমিয়ার প্রথম রাজা যিনি পবিত্র রোমান সম্রাটে পরিনত হন। তিনি ওয়েনচেসলাস হিসেবে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন বোহেমিয়ার রাজা জনের জ্যেষ্ঠ পুত্র, তার পিতা ২৬ আগস্ট ১৩৪৬ সালে ক্রেসির যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন। চার্লস বংশপরম্পরায় তার পিতার কাছ থেকে বোহেমিয়ার রাজ্য পেয়েছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর ১৩৪৭ সালে তিনি বোহেমিয়ার রাজা খেতাব অর্জন করেন।",
"title": "চতুর্থ চার্লস, পবিত্র রোমান সম্রাট"
}
] |
মোহাম্মদ রফি প্রথম কোন হিন্দি চলচ্চিত্রে গান গেয়েছিলেন ? | [
{
"docid": "251020#7",
"text": "১৯৪৪ সালে মোহাম্মদ রফি বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) চলে আসেন। তাঁর শ্যালক সেখানে তাঁকে ভেন্দী বাজারের মতো ব্যস্ততম এলাকায় দশ ফুট বাই দশ ফুট কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করেন। সেখানে তানভীর নাকভী নামীয় একজন কবি - আবদুর রশীদ কারদার, মেহবুব খান এবং অভিনেতা-পরিচালক নাজিরের মতো চলচ্চিত্র পরিচালকের সাথে রফিকে পরিচয় করে দেন। শ্যাম সুন্দর তখন মুম্বাইয়ে অবস্থান করছিলেন। তিনি রফিকে আবারো জিএম দুররানী'র সাথে দ্বৈত সঙ্গীতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। শ্যাম সুন্দরের \"গাঁও কি গোরী\" চলচ্চিত্রের \"আজি দিল হো কাবু মে তো দিলদার কি এ্যায়সী তাঈসী\" গানের মাধ্যমে মোহাম্মদ রফি হিন্দী চলচ্চিত্রে প্রথম গান রেকর্ড করেন।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#9",
"text": "১৯৪৯ সালে নওশাদ (চাদনী রাত, দিল্লাগী, দুলারী); শ্যাম সুন্দর (বাজার); হুসনলাল ভগতরামের (মীনা বাজার) প্রমূখ সঙ্গীত পরিচালকদের নির্দেশনায় একক সঙ্গীতে অংশ নেন। নওশাদের নির্দেশনায় শ্যাম কুমার, আলাউদ্দীন এবং অন্যান্যদের সঙ্গে রফি'র প্রথম গান ছিল ১৯৪৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত \"পেহলে আপ\" ছবির \"হিন্দুস্তান কি হাম হ্যায়\" গানটি। এভাবেই তিনি হিন্দি ভাষায় তার প্রথম গান রেকর্ড করেন। এছাড়াও রফি দু'টি হিন্দী ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৪৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত \"লায়লা মজনু\" চলচ্চিত্রের \"তেরা জ্বালা জিস নে দেখা\" গানের দৃশ্যে অতিথি শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#14",
"text": "নওশাদের পিতার কাছ থেকে একটি সুপারিশ পত্র এনে মোহাম্মদ রফি তাঁকে দেখান।\n১৯৪৪ সালে \"পেহলে আপ\" ছবিতে নওশাদের নির্দেশনায় রফি তার প্রথম গান হিসেবে \"\"হিন্দুস্তান কে হাম হে\"\" গান। ১৯৪৬ সালে দ্বৈত সঙ্গীতরূপে \"আনমল ঘড়ি\"তে গান রেকর্ড করেন। মোহাম্মদ রফি'র পূর্বে নওশাদের প্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তালাত মাহমুদ। একদিন রেকর্ডিং চলাকালীন সময়ে তালাত মাহমুদকে ধুমপানরত অবস্থায় দেখতে পান নওশাদ। এতে তিনি তাঁর প্রতি ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হন ও রাগ করেন। ফলে \"বৈজু বাওরা\" ছবির সকল গানেই মোহাম্মদ রফিকে অন্তর্ভুক্ত করেন নওশাদ। নওশাদের সাহচর্য্যে রফি নিজেকে হিন্দী সিনেমার ভুবনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও কিংবদন্তি নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বৈজু বাওরা (১৯৫২) ছবির গান হিসেবে - \"ও দুনিয়া কে রাখওয়ালে\" এবং \"মন তারপাত হরি দর্শন কো আজ\" রফি'র কণ্ঠকে অবিসংবাদিত তারকা খ্যাতি এনে দেয়। নওশাদের দিক-নির্দেশনায় সর্বমোট ১৪৯টি সঙ্গীত পরিবেশন করেন রফি। তন্মধ্যে তার \"সলো\" বা একক সঙ্গীত ছিল ৮১টি।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
}
] | [
{
"docid": "251020#29",
"text": "১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে রফি শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সঙ্গীত জগতে নিজের স্থান পুণরায় দখলে রাখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি ঊষা খান্না'র গীত রচনায় \"হাওয়াস\" ছবিতে তেরী \"গালিওন মে না রাখেঙ্গে কদম আজ কে বাদ\" গান গেয়ে ফিল্ম ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে সেরা গায়কের পুরস্কার পান। ১৯৭৭ সালে \"হাম কিসি সে কাম নেহি\" শিরোনামের হিন্দী চলচ্চিত্রে আর. ডি. বর্মনের (রাহুল দেব বর্মন) সঙ্গীত রচনায় \"ক্যায়া হুয়া তেরা ওয়াদা\" গানের জন্য ভারতের জাতীয় পদক এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#23",
"text": "১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বলিউডে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য গায়কদের তুলনায় রফিকেই দেখা গিয়েছিল সবচেয়ে বেশী।\nএছাড়াও, হিন্দী ছবিতে তিনি অনেক খ্যাতনামা চলচ্চিত্র তারকার জন্যে গান গেয়েছেন। ১৯৬৫ সালে সঙ্গীত কলায় অসামান্য অবদান রাখায় ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে। ১৯৬০ এর দশকে মৌরিতাস ভ্রমণের সময় তিনি ক্রিয়োল ভাষায় একটি গান গেয়েছিলেন। এছাড়াও, রফি দু'টি ইংরেজী এ্যালবামের গানে অংশ নেন। তাদের মধ্যে একটি হলো পপ হিটস্।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#21",
"text": "নায়ার তার চলচ্চিত্রের জন্য অধিকাংশ গানেই আশা ভোঁসলে এবং মোহাম্মদ রফিকে অংশগ্রহণ করিয়েছেন। \"নয়া দৌঁড়\" (১৯৫৭), \"তুমসা নাহিন দেখা\" (১৯৫৭) এবং \"কাশ্মীর কি কালী\" (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে নায়ার-রফি দু'জনের সঙ্গীতে অংশগ্রহণ ছিল বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। নায়ারের সঙ্গীত পরিচালনায় রফি সর্বমোট ১৯৭টি গান করেছেন। তন্মধ্যে ৫৬টি গান ছিল একক সঙ্গীতের।\n১৯৫৭ সালে নয়া দৌড় চলচ্চিত্রে তিনি আশা ভোঁসলের সাথে জুটি বেধে \"উড়ে জাব জাব জুলফে তেরি\",\"মাংগকে সাথ তুমহারা\" ও \"সাথি হাত বাড়ানা\" গানগুলো যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। রফি'র কণ্ঠে \"তুমসা নাহিন দেখা\" চলচ্চিত্রে \"জাওয়ানিয়ান ইয়ে মাস্ত মাস্ত\" এবং সূচনা সঙ্গীত হিসেবে \"ইউ তো হামনে লাখ হাসি দেখে হ্যায়\" গানটিও অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এছাড়াও, \"কাশ্মীর কি কালী\" ছবিতে \"তারিফ\" করুন কিয়া উসকি জিসনে তুমহে বানায়া\" গানটিও সমধিক জনপ্রিয় ছিল।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#16",
"text": "রফি তার প্রথম ফিল্মফেয়ার পদক পান \"চৌদভীন কা চাঁদ\" (১৯৬০) ছবির সঙ্গীত পরিচালক ও গীতিকার রবি কর্তৃক লিখিত সূচনা সঙ্গীতের জন্য। ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত \"নীল কমল\" ছবিতে \"বাবুল কি দোয়ায়েন লেটি জা\" গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। মোহাম্মদ রফি যখন গানটি রেকর্ডিং করেন তখন সেসময় তিনি বেশ আবেগাপ্লুত হয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন বা বিবিসিতে সাক্ষাৎকারের সময় এ বিষয়ে প্রসঙ্গান্তরে কথাটি তুলে ধরেছিলেন। রবি এবং রফি'র গীত ও সুরে অন্যান্য অনেক গান রয়েছে - \"চায়না টাউন\" (১৯৬২), \"কাজল\" (১৯৬৫) এবং \"দো বদন\" (১৯৬৬) চলচ্চিত্রসমূহে।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#18",
"text": "ইয়াহু! চাহে কোই মুঝে জাংলী কাহে গানটি ছিল একমাত্র গান যাতে দ্রুতলয়ের অর্কেষ্ট্রা ঘরাণার গান করেছেন রফি। কিশোর কুমারের পরিবর্তে রফিকে \"সারারাত\" ছবিতে আজব হ্যায় দাস্তান তেরী ইয়ে জিন্দেগী গানে অন্তর্ভুক্ত করেন শঙ্কর জয়কিষাণ। মোহাম্মদ রফি তাঁর সঙ্গীত নির্দেশনা ও পরিচালনায় সর্বমোট ৩৪১টি গান গেয়েছিলেন। তন্মধ্যে ২১৬টি গানই ছিল একক সঙ্গীতের।\"বসন্ত বাহার, প্রফেসর, জাংলী, সুরজ, ব্রহ্মচারী, এ্যান ইভ্নিং ইন প্যারিস, দিল তেরা দিওয়ানা, ইয়াকিন, প্রিন্স, লাভ ইন টোকিও, বেটি বেটে, দিল এক মন্দির, দিল আপনা আউর প্রীত পারাই, গবন\" এবং \"জব পেয়ার কিসি সে হোতা হে\" ছবিগুলোতে তার গান রয়েছে।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#17",
"text": "হিন্দী চলচ্চিত্র শিল্পে মোহাম্মদ রফি এবং সঙ্গীত পরিচালক শঙ্কর জয়কিষাণের মধ্যে চমৎকার ও গভীর সু-সম্পর্ক বিরাজমান ছিল। জয়কিষাণের সঙ্গীত পরিচালনা ও নির্দেশনায় রফি বেশ কিছু ছবির গানে কণ্ঠ দেন যা শাম্মী কাপুর এবং রাজেন্দ্র কুমারের ঠোঁটে দেখা যায়। রফি'র ৬টি ফিল্মফেয়ার পদক প্রাপ্তির মধ্যে ৩টিই ছিল শঙ্কর জয়কিষাণের সঙ্গীত নির্দেশনা ও পরিচালনায়। \"তেরি পিয়ারী পিয়ারী সুরত কো\", \"বাহারো ফুল বর্ষাও\" এবং \"দিল কি ঝরোখে মে\"'র মতো অবিস্মরণীয় গানগুলো তাকে ঐ পদকগুলো প্রাপ্তিতে সহায়তা করেছিল।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#22",
"text": "অত্যন্ত জনপ্রিয় দুই গীতিকার লক্ষ্মীকান্ত-পিয়ারেলাল জুটিও মোহাম্মদ রফিকে তাদের সৃষ্ট গানে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলেন। এ জুটির সঙ্গীত পরিচালনায় প্রথম ছবি হিসেবে ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত \"পরশমণি\" চলচ্চিত্রের গানে মোহাম্মদ রফি অংশ নেন। রফি এবং লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল জুটি যৌথভাবে ১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত \"দোস্তি\" চলচ্চিত্রের \"চাহুঙ্গা মে তুঝে সাঁঝ সাভেরে\" গানের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এ জুটির সাথে ৩৬৯টি গানে অংশগ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ রফি। তন্মধ্যে ১৮৬টি গানই ছিল একক সঙ্গীতের।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
},
{
"docid": "251020#5",
"text": "১৩ বছর বয়সে রফি লাহোরের প্রথিতযশা শিল্পী কে. এল. সাইগলের সাথে জীবনের প্রথম দর্শক-শ্রোতাদের মুখোমুখি হয়ে কনসার্টে গান পরিবেশন করেন। ১৯৪১ সালে শ্যাম সুন্দরের নির্দেশনায় লাহোরে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে নিজেকে অভিষেক ঘটান। পাঞ্জাবী ভাষায় নির্মিত \"গুল বালুচ\" (১৯৪৪ সালে মুক্তি পায়) চলচ্চিত্রে জিনাত বেগমের সঙ্গে দ্বৈত সঙ্গীত \"সোনিয়ে নি, হেরিয়ে নি\" গানটি গান। একই বছরে মোহাম্মদ রফি অল ইন্ডিয়া রেডিও'র লাহোর সম্প্রচার কেন্দ্রে গান পরিবেশনের জন্য আমন্ত্রণ পান।",
"title": "মোহাম্মদ রফি"
}
] |
কত সালে সুন্দরবন অঞ্চলকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ? | [
{
"docid": "80801#0",
"text": "সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি জাতীয় উদ্যান, ব্যাঘ্র প্রকল্প ও বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ। বৃহত্তর সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অববাহিকার সমুদ্রমুখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত । ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। বঙ্গোপসাগরের ৭৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত জোয়ার এখানে সবসময়ই দেখতে পাওয়া যায়। ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনের বর্তমান ভারতীয় অংশটির সংরক্ষণের কাজ আরম্ভ হয়। ১৯৭৩ সালে মূল এলাকাটি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৭৭ সালে ২,৫৮,৫০০ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১৩৩,০০০ হেক্টর মূল এলাকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মর্যাদা পায়। ১৯৮৪ সালের ৪ মে’তে এটি জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৮৭ সালে (ix) এবং (x) শ্রেণীতে প্রাকৃতিক সম্পত্তি হিসাবে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়। এখানকার সজনেখালিতে, লুথিয়ান দ্বীপে ও হ্যালিডে দ্বীপে বর্তমানে আরও তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। এছাড়া, পাথরপ্রতিমার কাছে ভরতপুর কুমির প্রকল্প এবং সজনেখালিতে পাখিরালয় রয়েছে। ১৯৮৯ সালে সুন্দরবনের এই ভারতীয় অংশকে \"বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ\" ঘোষণা করা হয়।",
"title": "সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান"
},
{
"docid": "80801#11",
"text": "সুন্দরবনের উপর প্রথম বন ব্যবস্থাপনা বিভাগের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৯ সালে। সুন্দরবনের একটি বড় অংশকে সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয় ১৮৭৫-৭৬ সালে। পরবর্তী বছরের মধ্যেই বাকি অংশও সংরক্ষিত বনভূমির স্বীকৃতি পায়। এর ফলে দূরবর্তী বেসামরিক জেলা প্রশাসনের কর্তৃত্ব থেকে তা চলে যায় বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে ১৮৭৯ সালে বন ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক একক হিসেবে বন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সদর দপ্তর ছিল খুলনায়। সুন্দরবনের জন্য ১৮৯৩-৯৮ সময়কালে প্রথম বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণীত হয়।\n১৯১১ সালে সুন্দরবনকে \"ট্র্যাক্ট আফ ওয়াস্ট ল্যান্ড\" হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়, যা না তো কখনো জরিপ করা হয়েছে আর না তো কোনদিন শুমারির অধীনে এসেছে। তখন হুগলী নদীর মোহনা থেকে মেঘনা নদীর মোহনা পর্যন্ত প্রায় ১৬৫ মাইল (২৬৬ কি.মি.) এলাকা জুড়ে এর সীমানা নির্ধারিত হয়। একই সাথে চব্বিশ পরগনা , খুলনা ও বাকেরগঞ্জ এই তিনটি জেলা অনুযায়ী এর আন্তঃসীমা নির্ধারণ করা হয়। জলাধারসহ পুরো এলাকার আয়তন হিসেব করা হয় ৬,৫২৬ বর্গমাইল (১৬,৯০২ কি.মি)। জলাবহুল সুন্দর বন ছিল বাঘ ও অন্যান্য বন্য জন্তুতে পরিপূর্ণ। ফলে জরিপ করার প্রচেষ্টা খুব একটা সফল হতে পারেনি। সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে খুব সম্ভবত এর প্রধান বিশেষ গাছ সুন্দরীর (\"Heritiera fomes\") নাম থেকেই। এ থেকে পাওয়া শক্ত কাঠ নৌকা, আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। সুন্দরবন সর্বত্রই নদী, খাল, ও খাঁড়ি দ্বারা বিভক্ত, যাদের মধ্যে কয়েকটি স্টিমার ও স্থানীয় নৌকা উভয়ের চলাচল উপযোগী নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হত কলকাতা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মধ্যে যোগাযোগের জন্য।",
"title": "সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান"
},
{
"docid": "80801#10",
"text": "১৮৭৮ সালে সমগ্র সুন্দরবন এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয় এবং ১৮৭৯ সালে সমগ্র সুন্দরবনের দায় দায়িত্ব বন বিভাগের উপর ন্যস্ত করা হয়। সুন্দরবনের প্রথম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নাম এম. ইউ. গ্রীন। তিনি ১৮৮৪ সালে সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পড়ে।",
"title": "সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান"
}
] | [
{
"docid": "2898#4",
"text": "সুন্দরবনের উপর প্রথম বন ব্যবস্থাপনা বিভাগের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৯ সালে। ১৯৬৫ সালের বন আইন (ধারা ৮) মোতাবেক, সুন্দরবনের একটি বড় অংশকে সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয় ১৮৭৫-৭৬ সালে। পরবর্তী বছরের মধ্যেই বাকি অংশও সংরক্ষিত বনভূমির স্বীকৃতি পায়। এর ফলে দূরবর্তী বেসামরিক জেলা প্রশাসনের কর্তৃত্ব থেকে তা চলে যায় বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে ১৮৭৯ সালে বন ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক একক হিসেবে বন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সদর দপ্তর ছিল খুলনায়। সুন্দরবনের জন্য ১৮৯৩-৯৮ সময়কালে প্রথম বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণিত হয়।\n১৯১১ সালে সুন্দরবনকে ট্র্যাক্ট আফ ওয়াস্ট ল্যান্ড হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়, যা না তো কখনো জরিপ করা হয়েছে আর না তো কোনদিন শুমারীর অধীনে এসেছে। তখন হুগলী নদীর মোহনা থেকে মেঘনা নদীর মোহনা পর্যন্ত প্রায় ১৬৫ মাইল (২৬৬ কি.মি.) এলাকা জুড়ে এর সীমানা নির্ধারিত হয়। একই সাথে চব্বিশ পরগনা , খুলনা ও বাকেরগঞ্জ এই তিনটি জেলা অনুযায়ী এর আন্তঃসীমা নির্ধারণ করা হয়। জলাধারসহ পুরো এলাকার আয়তন হিসেব করা হয় ৬,৫২৬ বর্গমাইল (১৬,৯০২ কি.মি)। জলবহুল সুন্দর বন ছিল বাঘ ও অন্যান্য বন্য জন্তুতে পরিপূর্ণ। ফলে জরিপ করার প্রচেষ্টা খুব একটা সফল হতে পারেনি। সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে খুব সম্ভবত এর প্রধান বিশেষ গাছ সুন্দরীর (\"Heritiera fomes\") নাম থেকেই। এ থেকে পাওয়া শক্ত কাঠ নৌকা, আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। সুন্দরবন সর্বত্রই নদী, খাল, ও খাঁড়ি দ্বারা বিভক্ত, যাদের মধ্যে কয়েকটি স্টিমার ও স্থানীয় নৌকা উভয়ের চলাচল উপযোগী নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হত কলকাতা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মধ্যে যোগাযোগের জন্য।",
"title": "সুন্দরবন"
},
{
"docid": "528415#0",
"text": "সুন্দরবন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জাতীয় উদ্যান, ব্যাঘ্র প্রকল্প ও বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ। বৃহত্তর সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অববাহিকার সমুদ্রমূখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং\nবাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত । ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের প্রায় ৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে[২]। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিরূপের অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সূচিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে যথাক্রমে সুন্দরবন ও সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান নামে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ছোট ছোট দ্বীপ । বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপ সহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। জরিপ মোতাবেক ৫০০ বাঘ ও ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১শে মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।",
"title": "সুন্দরবন জীবমণ্ডল সংরক্ষণ"
},
{
"docid": "2898#3",
"text": "অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনের আয়তন বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ ছিল। বনের উপর মানুষের অধিক চাপ ক্রমান্বয়ে এর আয়তন সংকুচিত করেছে। ১৮২৮ সালে বৃটিশ সরকার সুন্দরবনের স্বত্ত্বাধীকার অর্জন করে। এল. টি হজেয ১৮২৯ সালে সুন্দরবনের প্রথম জরীপ কার্য পরিচালনা করেন। ১৮৭৮ সালে সমগ্র সুন্দরবন এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয় এবং ১৮৭৯ সালে সমগ্র সুন্দরবনের দায় দায়িত্ব বন বিভাগের উপর ন্যস্ত করা হয়। সুন্দরবনের প্রথম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নাম এম. ইউ. গ্রীন। তিনি ১৮৮৪ সালে সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পড়ে। যা বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৪.২% এবং সমগ্র বনভূমির প্রায় ৪৪%।",
"title": "সুন্দরবন"
},
{
"docid": "582190#0",
"text": "সুন্দরবন রেজিমেন্ট নামে পরিচিত\nরেজিমেন্টটির কার্যক্রম ১৯৭৯ সালে \"বিএনসিসি\" গঠনের প্রথম থেকেই শুরু হয়। সুন্দরবন রেজিমেন্টের নামকরণ করা হয় বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের নামে। খুলনা, বাগেরহাট, শিটখড়ি, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখাল, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সুন্দরবন রেজিমেন্টের ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রমের সূচনা হয়। সুন্দরবন রেজিমেন্টের শুরুর সময় থেকেই এই পদ্ধতির সূচনা। এই রেজিমেন্টটি পাঁচটি ব্যাটালিয়নের মধ্যে সংগঠিত।",
"title": "সুন্দরবন রেজিমেন্ট"
},
{
"docid": "528415#1",
"text": "\"সুন্দোরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ\" ৪২৬৪ বর্গ মাইল বা ৬ হাজার ৮৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত।এই এলাকার মধ্যে বন ভূমি ছারাও বন ভূমির পার্শবর্তী এলাকাও রয়েছে।এই এলাকা গুলি আগে এই বন ভূমির অন্তর্গত ছিল।",
"title": "সুন্দরবন জীবমণ্ডল সংরক্ষণ"
},
{
"docid": "3718#14",
"text": "উত্তর ২৪টি পরগনা ও দক্ষিণ ২৪টি পরগনা জেলার প্রায় পুরোটাই পলিগঠিত সমভূমি, উত্তর থেকে দক্ষিণে সামান্য ঢালু। ১৮৩০ সালে ড্যাম্পিয়ার ও হজেস নামে দুই জন সার্ভে অফিসার সুন্দরবনের ব-দ্বীপ অঞ্চলের উত্তর সীমা নির্ধারণ করেন। এই রেখার নাম হয় ড্যাম্পিয়ার-হজেস রেখা। এর দক্ষিণে সুন্দরবনের কর্দমাক্ত সিক্ত বনাঞ্চল \"বাদাবন\" নামে পরিচিত।এই বাদাবন (Mangrove forest) রয়াল বেঙ্গল টাইগারের বাসভূমি। গরাণ, গেঁওয়া, সুঁদরি, গর্জন, হেতাঁল, গোলপাতা, \nকেওড়া, ধোন্দল, পশুর, বাইন, কাদড়া, ওড়া, আমুড়, হদো, বেলাসুন্দরী, গিলে, বাকঝাকা ইত্যাদি সুন্দরবনের গাছপালা। এছাড়া, শিঙ্গড়া, ভাদাল, গড়ে, খলসী, হিঙ্গে, গোলদাদ, হোগলা ইত্যাদি আগাছা এবং নানাবিধ বনৌষধি পাওয়া যায়।",
"title": "দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা"
},
{
"docid": "412882#0",
"text": "ময়ূরঝর্ণা এলিফ্যান্ট রিজার্ভ হল পূর্ব ভারতের একমাত্র এলিফ্যান্ট রিজার্ভ। এটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত। এই এলিফ্যান্ট রিজার্ভের আয়তন ৪১৪.০৬ বর্গ কিলোমিটার এবং সংলগ্ন ১৪৩৬ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলকে এই রিজার্ভের ‘প্রভাবিত অঞ্চল’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই রিজার্ভের হাতির সংখ্যা ১৯৮৭ সালে ছিল ৪৭। ২০১০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ১১৮। ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটিকে একটি রিজার্ভ ঘোষণা করে।",
"title": "ময়ূরঝর্ণা এলিফ্যান্ট রিজার্ভ"
}
] |
তৃণমূল রাজনীতিবিদ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "8761#0",
"text": "মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (১২ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬) ছিলেন বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে “মজলুম জননেতা” হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়ও তিনি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি মাওপন্থী কম্যুনিস্ট, তথা বামধারার রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর অনুসারীদের অনেকে এজন্য তাঁকে \"লাল মওলানা\" নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের 'ওয়ালাকুমুসসালাম' বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।",
"title": "আবদুল হামিদ খান ভাসানী"
},
{
"docid": "485335#2",
"text": "[মওলানা ভাসানী কলেজ] উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়া ড্রিগ্রী কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে।মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (১২ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬) ছিলেন বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে “মজলুম জননেতা” হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশীরভাগ সময় মাওপন্থী কম্যুনিস্ট তথা বামধারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর অনুসারীদের অনেকে এজন্য তাঁকে \"লাল মওলানা\" নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের 'ওয়ালাকুমুসসালাম' বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।",
"title": "মওলানা ভাসানী কলেজ"
},
{
"docid": "8761#1",
"text": "মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া পল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী শারাফত আলী। হাজী শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলীর পরিবারে ৪ টি সন্তানের জন্ম হয়। একটি মেয়ে ও তিনটি ছেলে। মোঃ আব্দুল হামিদ খান সবার ছোট। তাঁর ডাক নাম ছিল চেগা মিয়া। ছেলে-মেয়ে বেশ ছোট থাকা অবস্থায় হাজী শারাফত আলী মারা যান। কিছুদিন পর এক মহামারীতে বেগম শারাফত ও দুই ছেলে মারা যায়। বেঁচে থাকেন ছোট শিশু আব্দুল হামিদ খান।",
"title": "আবদুল হামিদ খান ভাসানী"
}
] | [
{
"docid": "261040#1",
"text": "১৯৫৭ সালের ৬-১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষার স্যান্টো ও সিয়েটা চুক্তি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ প্রশ্নে দলের ডানপন্থী পাতি বর্জোয়া নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দীর পক্ষাবলম্বন করেন এবং বামপন্থী অংশ মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি এবং পূর্ব-পাকিস্তানের সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলেন। ফলে আওয়ামী লীগ আদর্শিক কারণে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ঐ বছর ১৮ মার্চ মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগের বামপন্থী এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবিদার অংশের উদ্যোগে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ২৪-২৫ জুলাই গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠিত হয়। ন্যাপের সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সম্পাদক নির্বাচিত হন পশ্চিম পাকিস্তানের মাহমুদুল হক ওসমানী। ন্যাপের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পূর্ববাংলা থেকে হাজী মুহাম্মদ দানেশ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, মহিউদ্দিন আহমদ, মশিউর রহমান (যাদু মিয়া), পীর হাবিবুর রহমান, এস.এ আহাদ, আবদুল মতিন, আবদুল হক, আতাউর রহমান এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ছিলেন ওয়ালি খান, আবদুল মজিদ সিন্ধী, মিয়া ইফতেখার প্রমুখ।",
"title": "ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি"
},
{
"docid": "8761#3",
"text": "১৯৩১-এ সন্তোষের কাগমারীতে, ১৯৩২-এ সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলায় ও ১৯৩৩-এ গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন। ১৯৩৭-এ মওলানা ভাসানী কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগদান করেন। সেই সময়ে আসামে 'লাইন প্রথা' চালু হলে এই নিপীড়নমূলক প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন। এসময় তিনি \"আসাম চাষী মজুর সমিতি\" গঠন করেন এবং ধুবরী, গোয়ালপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৯৪০ সালে শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের সঙ্গে মুসলিম লীগের লাহোর সম্মেলনে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে মাওলানা ভাসানী আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫-৪৬ সালে আসাম জুড়ে বাঙালিদের বিরুদ্ধে \"বাঙ্গাল খেদাও\" আন্দোলন শুরু হলে ব্যাপক দাঙ্গা দেখা দেয়। এসময় বাঙালিদের রক্ষার জন্য ভাসানী বারপেটা, গৌহাটিসহ আসামের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ান। পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে গ্রেফতার হন। ১৯৪৮-এ মুক্তি পান। এরপর তিনি টাঙ্গাইলের সন্তোষে ফিরে আসেন। ১৯৪৮ সালের প্রথম দিকে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মার্চ ব্যবস্থাপক সভার কার্যাবলি বাংলায় পরিচালনা করার জন্য স্পিকারের কাছে দাবি জানান এবং এই দাবি নিয়ে পীড়াপীড়ি করেন। ১৯ মার্চ বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে বলেন, যেসব কর কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ববঙ্গ প্রদেশ থেকে সংগ্রহ করে তার শতকরা ৭৫% প্রদেশকে দিতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ব্রিটিশ আমলে বঙ্গপ্রদেশ জুটেক্স ও সেলসট্যাক্স রাজস্ব হিসেবে আদায় করত এবং এই করের ভাগ কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হতো না। পাকিস্তান সৃষ্টির পর কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ববঙ্গ সরকারের হাত থেকে এই কর ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরাই আদায় করতে থাকে যার ফলে পূর্ববঙ্গ সরকার আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এই সময় পূর্ববঙ্গ সরকারের বার্ষিক বাজেট ছিল মাত্র ৩৬ কোটি টাকা। যাই হোক, মুসলিম লীগ দলের সদস্য হয়েও সরকারের সমালোচনা করায় মুসলিম লীগের ক্ষমতাসীন সদস্যরা মওলানা ভাসানীর ওপর অখুশী হয় এবং তার নির্বাচনে ত্রুটি ছিল এই অজুহাত দেখিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে এবং মওলানা ভাসানীকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। পরিশেষে মওলানা ভাসানী ব্যবস্থাপক সভার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতদসত্ত্বেও পূর্ববঙ্গের তৎকালীন গভর্নর এক নির্বাহী আদেশ বলে মওলানা ভাসানীর নির্বাচন বাতিল করেন। বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের জনবিরোধী কার্যকলাপের ফলে মওলানা ভাসানী ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন ঢাকার টিকাটুলিতে রোজ গার্ডেনে মুসলিম লীগ কর্মী সম্মেলন আহ্বান করেন। ২৩ জুন ওই কর্মিসম্মেলন অণুষ্ঠিত হয়। সারাদেশ থেকে প্রায় ৩০০ কর্মী সম্মেলনে যোগদান করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আতাউর রহমান খান। মওলানা ভাসানী ছিলেন প্রধান অতিথি। ২৩ জুন পূর্ববঙ্গের প্রথম বিরোধী রাজনৈতিক দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। মওলানা ভাসানী সর্বসম্মতিক্রমে এই দলের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শামসুল হক। ২৪ জুন আরমানীটোলা ময়দানে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম জনসভা অণুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের মধ্যভাগে পূর্ববঙ্গে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ১১ অক্টোবর আরমানীটোলা ময়দানে আওয়ামী মুসলিম লীগের একটি জনসভা অণুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় খাদ্য সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য পূর্ববঙ্গ মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবী করা হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মওলানা ভাসানী ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ভূখা মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ১৯৪৯-এর ১৪ অক্টোবর গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবরণ করেন।",
"title": "আবদুল হামিদ খান ভাসানী"
},
{
"docid": "265560#3",
"text": "মুসলিম লীগের আবুল হাশিম-সোহরাওয়ার্দী গ্রুপ নেতৃবৃন্দ মুসলিম লীগের অন্যায় কাজগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার লক্ষ্যেই এখানে কর্মী শিবির গড়ে তুলেছিলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৪৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলখানা থেকে ছাড়া পেয়ে ঢাকা এলে তার সঙ্গে শওকত আলীর আলোচনা হয়। শওকত আলী মওলানাকে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরকেন্দ্রিক রাজনৈতিক তৎপরতার কথা জানান। এসময় মওলানা ভাসানী আলী আমজাদ খানের বাসায় অবস্থান করছিলেন। শওকত আলীর সঙ্গে তার প্রাথমিক আলোচনা সেখানেই হয়। এই আলোচনার সূত্র ধরে নতুন দল গঠনের জন্য একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন শওকত আলী। সেজন্যে ১৫০ নম্বর মোগলটুলিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মওলানা ভাসানী সেই বৈঠকে যোগদান করেন। এসময় খোন্দকার আবদুল হামিদের সঙ্গে পরামর্শ করে শওকত আলীর উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, ইয়ার মুহম্মদ খানকে সম্পাদক করে অন্যদেরসহ একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়।",
"title": "শওকত আলী (রাজনীতিবিদ)"
},
{
"docid": "8761#11",
"text": "মওলানা ভাসানী ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭২-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক হক-কথা প্রকাশ করেন। \"বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীচুক্তি\"র বিরোধিতা করলেও মুজিব সরকারের জাতীয়করণ নীতি এবং ১৯৭২-এর সংবিধানের এর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। ১৯৭৩ সালে খাদ্যের দাবিতে ঢাকায় ১৫-২২ মে অনশন ধর্মঘট পালন করেন। ১৯৭৪-এর ৮ এপ্রিল \"হুকুমতে রাব্বানিয়া\" সমিতি গঠন করেন। একই বছর জুন মাসে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করলে টাঙ্গাইলের সন্তোষে গৃহবন্দি হন। ১৯৭৬-এর ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লং মার্চে নেতৃত্ব দেন। একই বছর ২ অক্টোবর \"খোদাই খিদমতগার\" নামে নতুন আর একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।",
"title": "আবদুল হামিদ খান ভাসানী"
},
{
"docid": "8761#12",
"text": "১৯২৫ সালে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জমিদার শামসুদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর মেয়ে আলেমা খাতুনকে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিয়ে করেন \"হামিদা খানম ভাসানী\" কে (পীর মা হিসেবে ভুরুঙ্গামারীতে খ্যাত) কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে (বর্তমানে এই গ্রামটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ভাসানী নগর হিসেবে) এটি সীমান্ত ঘেষা একটি অজপাড়াগাঁ।",
"title": "আবদুল হামিদ খান ভাসানী"
},
{
"docid": "8761#5",
"text": "১৯৫৬তে পাকিস্তান গণপরিষদে যে খসড়া শাসনতন্ত্র বিল পেশ করা হয় তাতে পাকিস্তানকে ইসলামিক রিপাবলিক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল,তখন মাওলানা ভাসানী পল্টনের জনসভায় তার বিরোধিতা করে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছিলেন৷\nকাগমারী সম্মেলনে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অণুষ্ঠিত হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি ডক্টর কাজী মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে অণুষ্ঠানটি আরম্ভ হয়। এই সভায় মওলানা ভাসানীও বক্তৃতা করেন। বক্তৃতায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তিনি বলেন, পূর্ববাংলা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শাসকদের দ্বারা শোষিত হতে থাকলে পূর্ববঙ্গবাসী তাদের সালামু ওআলায়কুম জানাতে বাধ্য হবে। এছাড়া কাগমারী সম্মেলনে ভাসানী পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী সোহ্রাওয়ার্দী সেই দাবি প্রত্যাখান করলে ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। একই বছর ২৫ জুলাই তার নেতৃত্বে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে 'ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি' (ন্যাপ) গঠিত হয়। ন্যাপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভাসানী প্রকাশ্যে বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং এর পর থেকে সবসময় বাম ধারার রাজনীতির সাথেই সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ১৯৫৭-র ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারি হলে আইয়ুব খান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সকল রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১২ অক্টোবর মাওলানা ভাসানীকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকায় ৪ বছর ১০ মাস কারারুদ্ধ থাকেন।",
"title": "আবদুল হামিদ খান ভাসানী"
},
{
"docid": "8761#7",
"text": "১৯৭০ সালের ৬-৮ আগস্ট বন্যা সমস্যা সমাধানের দাবিতে অনশন পালন করেন। অতঃপর সাধারণ নির্বচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১২ নভেম্বর (১৯৭০) পূর্ব পাকিস্তানে প্রলয়ঙ্কারী ঘুর্ণিঝড় হলে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ব্যবস্থায় অংশ নেয়ার জন্য ন্যাপ প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন ময়দানে এক জনসভায় 'স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান' দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৭১ এর মার্চ মাসে শেখ মুজিবুর রহমানের অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রদান করেন এবং ১৮ জানুয়ারি ১৯৭১ পল্টন ময়দানে অণুষ্ঠিত জনসভায় স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানের জন্য তার প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত যান এবং মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। ২৫ মার্চ রাতে মওলানা ভাসানী সন্তোষে তার গৃহে অবস্থান করছিলেন। তিনি পাকিস্তান বাহিনীর দৃষ্টি এড়িযে টাঙ্গাইল ছেড়ে তার পিতৃভূমি সিরাজগঞ্জে চলে যান। পাকিস্তান বাহিনী তার সন্তোষের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। মওলানা ভাসানী মোজাফ্ফর ন্যাপ নেতা সাইফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে নৌকাযোগে ভারত সীমানা অভিমুখে রওনা হন। অবশেষে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মইনুল হক চৌধুরীর সাহায্যে মওলানা ভাসানী ও সাইফুল ইসলাম ১৫/১৬ এপ্রিল পূর্ববঙ্গ অতিক্রম করে আসামের ফুলবাড়ী নামক স্থানে উপস্থিত হন। পরে তাদের হলদীগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হয়। এরপর মওলানা ভাসানী ও সাইফুল ইসলামকে প্লেনে করে কলকাতায় পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং পার্ক স্ট্রিটের কোহিনুর প্যালেসের ৫তলার একটি ফ্ল্যাট তাদের অবস্থানের জন্য দেয়া হয়। ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে মওলানা ভাসানী একটি বিবৃতি প্রদান করেন যা ভারতীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া মাওলানা ভাসানী চীনের নেতা মাও সে তুং, চৌ এন লাই এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে তার বার্তা পাঠিয়ে তাদের অবহিত করেন যে পূর্ববঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাপকহারে গণহত্যা চালাচ্ছে। সেজন্য তিনি প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে অণুরোধ করেন এই মর্মে যে, তিনি যেন পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ না করেন। উপরন্তু মওলানা ভাসানী প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল মাওলানা ভাসানী সোভিয়েত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাছে পাকিস্তান বাংলাদেশের জনগণের ওপর যে বর্বরোচিত অত্যাচার চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অণুরোধ করেন। ৩১ মে মাওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ দখলদার বাহিনীর সঙ্গে জীবনমরণ সংগ্রামে লিপ্ত। তারা মাতৃভূমি রক্ষার জন্য বদ্ধপরিকর। তারা এই সংগ্রামে জয়লাভ করবেই। ৭ জুন মওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের সব অঞ্চল আজ দশ লাখ বাঙালির রক্তে স্নাত এবং এই রক্তস্নানের মধ্য দিয়েই বাংলার স্বাধীনতা আসবে।",
"title": "আবদুল হামিদ খান ভাসানী"
}
] |
ইরাকের জাতীয় সংসদের বর্তমান আসনসংখ্যা কত ? | [
{
"docid": "8243#2",
"text": "ইরাকের জাতীয় সংসদের আসনসংখ্যা ২৭৫। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে এর জন্য জাতীয় নির্বাচন অণুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত সরকার ২০০৬-২০১০ সালের জন্য ক্ষমতায় থাকবে।",
"title": "ইরাক"
}
] | [
{
"docid": "527439#0",
"text": "ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ ( \"Majles-e Showrā-ye Eslāmī\") হচ্ছে ইরানের একটি আইনসভা। এটি ইরানের সংসদ বা ইরানের মজলিস ) বা পিপলস হাউস (خانه ملت) নামেও পরিচিত যা ইরানের জাতীয় বিধানিক বা আইন প্রনয়ণকারী স্বতন্ত্র সংগঠন। সংসদে বর্তমানে ২৯০ জন প্রতিনিধি রয়েছে, যা ২০০০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর, পূর্ববর্তী ২৭২ টি সংগ্রহীত আসন থেকে পরিবর্তন করা হয়েছে। সবচেয়ে সাম্প্রতিক নির্বাচন হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সালের দিকে এবং নতুন সংসদ উদ্বোধন করা হয়েছে ২৪ মে, ২০১৬ সালে।",
"title": "ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ"
},
{
"docid": "618990#10",
"text": "জাতীয় ইরান আমেরিকান পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট তৃতা পারসি এর মতে, বর্তমান আন্দোলনে অংশ নেয়া আন্দোলনকারীরা ২০০৯ সালের আন্দোলনকারীদের চেয়ে ভিন্ন। পারসির মতে, বর্তমান আন্দোলনকারীরা রাজনৈতিক দল ইরান রিফর্মিস্ট (যারা ইরান নতুন করে গঠনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ), তাদের বিপক্ষে থাকা জনতা। যারা ইরানের নতুন গঠনের পক্ষে তারা এই আন্দোলনে বিস্মিত এবং বর্তমান আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে না। সাংবাদিক, সম্পাদক ও রাজনীতি বিশ্লেষক ব্রেট স্টিফেন্স লিখেছেন, \"সত্যিকারের গণতান্ত্রিকমননার জনতা নিজ সম্প্রদায়ের লোকেদের ভয়ে ভীত থাকে না।\" ইন্টারনেটের বাধা ও আন্দোলনকারী জনগণের প্রতি আসা সহিংস আঘাতের ভিত্তিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। তার মতে, খামেনেই ২০১৩ সালের হিসাব মতে প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সাম্রাজ্যের দীর্ঘকালীন শাসক আর এই আন্দোলনের অন্যতম কারণ তার পদচ্যুতির দাবী। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, সরকার কর্তৃক প্রকাশিত সম্ভাব্য বাজেট ঘোষনায় ইরানের সাধারণ জনগণের জন্য আরোপিত ভর্তুকী বাতিল করে আয়াতুল্লাহ ফাউন্ডেশন ও রেভলিউশনারী গার্ড (ইরান সামরিক বাহিনীর একটি দল) এর প্রতি বাজেট বাড়ানো হয়েছে। যা সমগ্র দেশ জুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার করে এবং অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ #pashimanam (আমরা আমাদের [রুহানীর পক্ষে] ভোটের জন্য অনুতপ্ত) ভাইরাল হয়। \nএই আন্দোলনের পরপরই সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পূর্বে খামেনেই ইংরেজি শিক্ষা ইরানে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।",
"title": "২০১৭-২০১৮ ইরান আন্দোলন"
},
{
"docid": "527439#2",
"text": "১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর ইরান ব্যবস্থাপক সভা বিলুপ্ত করা হয় এবং কার্যকরভাবে গার্ডিয়ান কাউন্সিল দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়,আর এইভাবে ইরানের আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হয়। ১৯৮৯ সালে সংবিধান পুনর্বিবেচনা করে সংস্কারণ ও সংশোধন করা হয়,এবং জাতীয় পরামর্শদায়ক সমাবেশ হয়ে ওঠে ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশে।\nইরানী বিপ্লবের পর থেকে ইরান সংসদের ছয় জন চেয়ারম্যান ছিল। আকবর হাশেমি রাফসানজানি ছিল প্রথম চেয়ারম্যান, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। এরপর মেহেদি কারবি (১৯৮৯ থেকে ১৯৯২), আলী আকবর নাতেগ নূরী (১৯৯২ থেকে ২০০০), মেহেদী কারবি (২০০০ থেকে ২০০৪), গোলাম-আলী হাদ্দাদ-আদেল (২০০৪ থেকে ২০০৮) এবং আলী লারিজানি ২০০৮ থেকে।\nসংসদের ইতিহাস ধরে, \"বিশিষ্টদের জন্য একটি ডিবেটিং সভাগৃহ\" থেকে \"শাহের সরকারি পদাধিকারীর জন্য একটি ক্লাব\" এ সংসদ বিবর্তিত হয়েছে বলা হয়।",
"title": "ইসলামী পরামর্শদায়ক সমাবেশ"
},
{
"docid": "665852#3",
"text": "ইউরোপীয় সংসদের বর্তমান সভাপতি হলেন আন্তোনিও তাহানি। ২০১৪ সালে নির্বাচনশেষে ইউরোপীয় সংসদের সর্ববৃহৎ দুইটি দল হল ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি এবং প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স অফ সোশালিস্টস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস। ইউরোপীয় সংসদটি কার্যক্রম তিনটি ভিন্ন শহরে পরিচালিত হয়। এগুলি হলে বেলজিয়ামের রাজধানী শহর ব্রাসেলস, লুক্সেমবুর্গ শহর এবং ফ্রান্সের স্ত্রাসবুর শহর। লুক্সেমবুর্গ শহরে সংসদের প্রশাসনিক কার্যালয়গুলি অবস্থিত। অন্যদিকে সমগ্র সংসদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনগুলি ব্রাসেলস ও স্ত্রাসবুর শহরে অনুষ্ঠিত হয়। সংসদীয় সমিতির সভাগুলি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয়।",
"title": "ইউরোপীয় সংসদ"
},
{
"docid": "701713#4",
"text": "১৯৯০ সালে একীকরণের পর, ৩০১ আসনবিশিষ্ট একটি হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উত্তরাঞ্চলের দল জেনারেল পিপলস কংগ্রেস (জিপিসি) ৩০১টি আসনের মধ্যে ১২৩টি আসন জয়লাভ করেছিল এবং আল ইসলাহ ৬২টি এবং ওয়াইএসপি ৫৬টি আসনে জয়লাভ করে। ওয়াইএসপি পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের সংসদীয় নির্বাচন বর্জন করে, যার মধ্যে জিপিসি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৯৯ সালে প্রথম প্রত্যক্ষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীরা তখনই জনসাধারণের ভোটে অগ্রসর হতে পারতেন যদি তারা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর ৩০টিরও বেশি ভোট পেতেন।",
"title": "ইয়েমেনের নির্বাচনব্যবস্থা"
},
{
"docid": "651163#10",
"text": "নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৭৩৩ ও সতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ১২৮ জন। সব মিলিয়ে মোট প্রার্থী সংখ্যা ১৮৬১ জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ১৬টি দলের প্রার্থীদের কয়েকজন নৌকা প্রতীকে ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অধিকাংশ দল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে। তবে মহাজোটে থাকলেও এরশাদের জাতীয় পার্টি নিজেদের লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ছাড়া নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিকল্পধারার, তরিকত ফেডারেশন ১টি করে আসনে, জাসদ ৩টি আসনে ও ওয়ার্কার্স পার্টি ৫টি আসনে। অন্যদিকে বিএনপি ছাড়া ধানের শীষ প্রতীকে, গণফোরাম ৭টি আসনে, জেএসডি ৪টি আসনে, খেলাফত মজলিস ২টি আসনে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও এলডিপি ৪টি করে আসনে, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম ৩টি আসনে এবং বিজেপি ও কল্যাণ পার্টি ১টি করে আসনে নির্বাচন করে।",
"title": "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮"
},
{
"docid": "8243#1",
"text": "ইরাকের রাজনীতি একটি ফেডারেল সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় অণুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান। নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে, আর আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার ও ইরাকের জাতীয় সংসদ উভয়ের হাতে ন্যস্ত। একটি গণভোটের পর ২০০৫ সালের ১৫ই অক্টোবর দেশটির সবচেয়ে নতুন সংবিধান পাস হয়।",
"title": "ইরাক"
},
{
"docid": "15844#85",
"text": "এরশাদ সংসদ ভেঙে দেন এবং ১৯৮৮ সালের মার্চ মাসে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেন। \nসব প্রধান বিরোধী দল এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে এবং দাবী করে যে সরকার স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচন অায়োজন করতে অসমর্থ হয়েছে। ক্ষমতাসীন [[জাতীয় পার্টি (এরশাদ)|জাতীয় পার্টি]] ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৫১ টি আসন লাভ করে। ১৯৮৮ সালের জুন মাসে সংসদ সহস্রাধিক বিল পাস করে, একটি বিতর্কিত সংশোধনীতে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম এবং ঢাকার বাইরের শহরগুলিতে উচ্চ আদালতের বেঞ্চ গঠন করতে বিধান জারি হয়। যদিও ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে বজায় থাকে, তবে ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণের বিধান সুপ্রীম কোর্টের রায় কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়।",
"title": "বাংলাদেশের ইতিহাস"
},
{
"docid": "521182#1",
"text": "ইরাক হল মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র। ইরাকের মোট আয়তন ৪,৩৮,৩১৭ বর্গ কিলোমিটার। ২০১৬ সালের উপাত্ত অনুযায়ী এর জনসংখ্যা ৩৪,৩৫৬,১০৬। জাতিগতভাবে ইরাকের অধিকাংশই হচ্ছে আরবদের (৭৫-৮০%), কুর্দিদের (১৫-২০%) এবং বাকি (৫%) অন্য জাতি দ্বারা অনুসৃত। ৯৯% মুসলিম, ০.৮% খ্রিস্টান এবং বাকি অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অন্তর্গত। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের ৩৭ম বৃহত্তম দেশ। বিশ্বের সামগ্রিক জনসংখ্যার ০.৪৯% ইরাকের অধিবাসী। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৮৭ জন। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.৩০% (২০০৫ সালের হিসাব)। ইরাকে নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০১। এখানকার পুরুষ ও মহিলাদের গড় আয়ু ৬৯.৪০ বছর।",
"title": "ইরাকের জনপরিসংখ্যান"
}
] |
মিশরের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদ মুরসি ইসা আল-আইয়াত কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "276628#0",
"text": "মুহাম্মাদ মুরসি ইসা আল-আইয়াত (, , জন্মঃ ২০ অগাস্ট, ১৯৫১) একজন মিশরীয় রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী এবং মিশরের বর্তমান ও পঞ্চম রাষ্ট্রপতি।।",
"title": "মুহাম্মাদ মুরসি"
}
] | [
{
"docid": "457382#4",
"text": "মুহাম্মদ ইবনে ঈসা আত-তিরমিজি আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের শাসনামলে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার জন্মসাল হিসেবে ২০৯ হিজরি (৮২৪/৮২৫ খ্রিষ্টাব্দ) উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে আয-যাহাবি বলেছেন যে আত-তিরমিজি ২১০ হিজরির (৮২৫/৮২৬ খ্রিষ্টাব্দ) কাছাকাছি সময়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাই কিছু সূত্রে তার জন্মসাল ২১০ হিজরি উল্লেখিত হয়েছে। কিছু সূত্র মোতাবেক তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তবে অন্যদের মতে তার জন্মস্থান তিরমিজ। এটি বর্তমানে উজবেকিস্তানের দক্ষিণে অবস্থিত। এ বিষয়ে তিরমিজ বিষয়ক মতটি সবচেয়ে শক্ত। বিশেষত তিনি তিরমিজের একটি উপশহর বুগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, একারণে তার \"নিসবাত\" হিসেবে \"আত-তিরমিজি\" ও \"আল-বুগি\" এসেছে।",
"title": "মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা আত-তিরমিজি"
},
{
"docid": "280506#0",
"text": "ফিল্ড মার্শাল মোহামেদ হুসেইন তানতায়ুই সোলাইমান (, ; (জন্মঃ ৩১ অক্টোবর, ১৯৩৫) একজন মিশরীয় সামরিক ও রাষ্ট্রনেতা। তিনি মিশরের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং সুপ্রিম কাউন্সিল অফ দ্য আর্মড ফোর্সেস বা স্কাফের চেয়ারম্যান। তিনি ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তারিখে হোসনি মুবারাকের ক্ষমতাচ্যুতি থেকে ৩০ জুন, ২০১২ তারিখে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদ মুরসির দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত মিশরের অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তানতায়ুই ১৯৯১ সাল থেকে মিশরের প্রতিরক্ষা ও সামরিক উৎপাদন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জানুয়ারি ২০১১ তে হোসনি মুবারাক তানতায়ুইকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলে এই পদেও তিনি একমাস দায়িত্ব পালন করেন।",
"title": "মোহামেদ হুসেইন তানতায়ুই"
},
{
"docid": "704916#0",
"text": "মুহাম্মদ আসরারুল হক কাসেমি (১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২—৭ ডিসেম্বর ২০১৮) ছিলেন ভারতের বিহার প্রদেশের একজন আলেম, রাজনীতিবিদ, কলাম লেখক, এবং কিশানগঞ্জ আসনের একজন সংসদ সদস্য। এছাড়াও জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ এর প্রাদেশিক সভাপতি, অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সহ-সভাপতি, দারুল উলুম দেওবন্দের শুরা সদস্য এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এরও সদস্য ছিলেন।\nসীমাঁচল এর অনগ্রসর অঞ্চলের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য তিনি 'অল ইন্ডিয়া মিল্লি ও তালিমি ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠা করেন। সাথে সাথে কিশানগঞ্জের বিশাল জায়গাজুড়ে আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির শাখাও প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বেশিরভাগ সময় ভারতের উর্দু পত্রিকাগুলোতে সাপ্তাহিক কলাম লেখতেন।",
"title": "আসরারুল হক কাসেমি"
},
{
"docid": "674167#0",
"text": "এয়ার চীফ মার্শাল পারভেজ মেহেদী কোরেশী (উর্দু: پرویز مهدی قریشی; জ. ১ অক্টোবর ১৯৪৩), নিশান-ই-ইমতিয়াজ (মিলিটারি), সিতারা-ই-বাসালাত, সাধারণভাবে পিকিউ মেহেদী নামে পরিচিত, একজন অবসরপ্রাপ্ত চার-তারকা বিমান বাহিনী কর্মকর্তা এবং সাবেক লড়াকু বৈমানিক যিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ৮ম প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যে পদে নিয়োগ পান ১৯৯৭ সালে এবং ২০০০ সালে অবসরপ্রাপ্ত হন। এয়ার চীফ মার্শাল মেহেদী পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের বন্ধু ছিলেন।\n১৯৪৩ সালের ১ই অক্টোবর এক দরিদ্র চাষা পরিবারে মেহেদী জন্ম নেন পাঞ্জাব প্রদেশে। একটা গ্রাম্য উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কোনো রকমে ম্যাট্রিক পাশ করে ১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে চাকরী পেয়ে যান মেহেদী, ক্যাডেট হিসেবে তিনি প্রথমে কাকুলস্থিত পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমীতে যোগ দেন, ওখানে তিনি পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন যিনি সেনাবাহিনীতে কমিশনের জন্য পড়ছিলেন। আব্দুল আজিজ মীর্জা নামের আরো একজন ছিলেন যিনি মেহেদীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিণত হন তবে ইনি নৌবাহিনীতে কমিশনের জন্য অধ্যায়নরত ছিলেন।",
"title": "পারভেজ মেহেদী কোরেশী"
},
{
"docid": "276628#8",
"text": "ব্রাদারহুডের এক দলত্যাগী জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ সত্ত্বেও মুহাম্মাদ মুরসি ২৩ মে, ২০১২ এর নির্বাচনে ২৫.৫ শতাংশ ভোট পান, যা ছিল সর্বোচ্চ। প্রথম পর্বের পর মুহাম্মাদ মুরসি এবং আহমেদ শফিক দ্বিতীয় পর্বের চূড়ান্ত ভোটাভুটির জন্য মনোনীত হন। দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনের আগে মুহাম্মাদ মুরসি মিশরের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহমেদ শফিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহবান জানান। মুরসির রাজনৈতিক দল আহমেদ শফিককে, যিনি সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান যিনি হোসনি মুবারাকের অধীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ম পালন করেন, ক্ষমতাচ্যুত মুবারাকের রক্ষাকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রচার করে, শফিক নির্বাচিত হলে মিশরের ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসন নতুন জীবন পাবে।",
"title": "মুহাম্মাদ মুরসি"
},
{
"docid": "71262#0",
"text": "আবু আইয়ুব আল মাসরি ( , ' ; অর্থ: \"আইয়ুবের পিতা মিসরী\") (১৯৬৮ – ১৮ই এপ্রিল ২০১০), তিনি আবু হামযা আল-মুহাজির ( '; অর্থ: \"হিজরতকারী হামযার পিতা\") হিসেবেও পরিচিত। ()(তার নাম সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যের জন্য দেখুন: নাম।) তিনি ইরাক বিদ্রোহের সময় আল কায়েদা ইরাক শাখার সর্বাধিনায়ক ছিলেন। তিনি ২০০৬ ঈসায়ী সনের জুন মাসে আবু মুসআব আল-যারকাউয়ির মৃত্যুর পর নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯-১০ সালে দাউলাতুল ইসলামি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৮ই এপ্রিল ২০১০ ঈসায়ী সনে একটি বিমান হামলায় নিহত হন।",
"title": "আবু আইয়ুব আল-মাসরি"
},
{
"docid": "561505#19",
"text": "মিশরে রাষ্ট্রপতি হল সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক। সরকারের একজন সদস্য, সাধারণত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলেন মিশরীয় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এই দায়িত্ব এখন সেদকি সোভির উপর অর্পিত। তিনিই একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি যুদ্ধ ঘোষণার অধিকার রাখত। জুন ২০১২ সালে, মুহাম্মাদ মুরসির নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সকল সামরিক বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি। এবং ১৯৭৩ সালেরআরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সকল পরিকল্পনা এবং যুদ্ধ চলাকালীন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কমান্ডারদের সরাসরি নির্দেশনা প্রদানে সর্বাধিনায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। আনোয়ার সাদাত প্রায়ই তাঁর সামরিক পোশাক পরিধান করতেন, তবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারক এই প্রথা পরিত্যাগ করেন।",
"title": "সর্বাধিনায়ক"
},
{
"docid": "415560#0",
"text": "মুহাম্মদ নজিব (, ; ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯০১ – ২৮ আগস্ট ১৯৮৪) ছিলেন মিশরের প্রথম রাষ্ট্রপতি। ১৯৫৩ সালের ১৮ জুন মিশর একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হওয়ার পর ১৯৫৪ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। নজিব ও জামাল আবদেল নাসের মিশরীয় বিপ্লবের প্রাথমিক নেতা ছিলেন। এই বিপ্লবের ফলে মিশর ও সুদানে মুহাম্মদ আলি রাজবংশের অবসান হয়। নাসেরের সাথে মতপার্থক্যের ফলে তাকে চাপের মুখে পদত্যাগ করতে হয়। পরের ১৮ বছর তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাত তাকে মুক্তি দেন।",
"title": "মুহাম্মদ নজিব"
},
{
"docid": "474411#0",
"text": "মুহাম্মদ আলি পাশা আল-মাসউদ ইবনে আগা (; / ALA-LC: \"Muḥammad ‘Alī Bāshā\"; আলবেনীয়: Mehmet Ali Pasha; তুর্কি: Kavalalı Mehmet Ali Paşa; ৪ মার্চ ১৭৬৯ – ২ আগস্ট ১৮৪৯) ছিলেন উসমানীয় সেনাবাহিনীর একজন উসমানীয় আলবেনীয় কমান্ডার। তিনি পাশা পদে পদোন্নতি লাভ করেছিলেন এবং নিজেকে মিশর ও সুদানের খেদিভ ঘোষণা করেছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি জাতীয়তাবাদি না হলেও সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার সংস্কারের ফলে তাকে আধুনিক মিশরের স্থপতি বিবেচনা করা হয়। মিশরের বাইরে তিনি লেভান্টও শাসন করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত মুহাম্মদ আলি রাজবংশ ১৯৫২ সালের বিপ্লবের আগ পর্যন্ত মিশর শাসন করেছে।",
"title": "মুহাম্মদ আলি পাশা"
}
] |
ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস কোন ঠাকুরের সাধনা করতেন ? | [
{
"docid": "4051#18",
"text": "১৮৬৪ সালে দেবীপ্রতিমায় মাতৃভাব আরোপ করে শ্রীরামকৃষ্ণ বাৎসল্যভাবের সাধনা করেন। এই সময় তিনি ‘রামলালা’ অর্থাৎ বালক রামচন্দ্রের একটি ধাতুমূর্তি পূজা করতেন। পরে তিনি বলেছিলেন, এই সময় তাঁর হৃদয় মাতৃভাবে পূর্ণ হত। তাঁর মধ্যে নারীর ভাব ফুটে উঠত এমনকি তাঁর কথাবার্তা ও হাবভাবও মেয়েলি আকার নিত। শ্রীরামকৃষ্ণ আরও বলেছেন যে এই সময় তিনি ধাতুমূর্তিতেই জীবন্ত বালক রামচন্দ্রকে চাক্ষুষ করতেন।\nপরবর্তীকালে গোপিনী রাধার ভাব আরোপ করে কৃষ্ণের প্রেমিকরূপে মধুর ভাব সাধনা করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। এই প্রেম উপলব্ধি করার জন্য তিনি দীর্ঘকাল নারীর বেশে নিজেকে বৃন্দাবনের গোপিনী কল্পনা করেছিলেন। এই সাধনার অন্তে তাঁর সবিকল্প সমাধি হয় – তিনি কৃষ্ণের সাথে আধ্যাত্মিক মিলনে মিলিত হন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#1",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গের এক দরিদ্র বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরোহিত্য গ্রহণের পর বঙ্গীয় তথা ভারতীয় শক্তিবাদের প্রভাবে তিনি কালীর আরাধনা শুরু করেন। তাঁর প্রথম গুরু তন্ত্র ও বৈষ্ণবীয় ভক্তিতত্ত্বজ্ঞা এক সাধিকা। পরবর্তীকালে অদ্বৈত বেদান্ত মতে সাধনা করে নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেন রামকৃষ্ণ। অন্যান্য ধর্মীয় মতে, বিশেষত ইসলাম ও খ্রিস্টীয় মতে সাধনা তাঁকে “যত মত, তত পথ” উপলব্ধির জগতে উন্নীত করে। পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক গ্রামীণ উপভাষায় ছোটো ছোটো গল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত তাঁর ধর্মীয় শিক্ষা সাধারণ জনমানসে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে অশিক্ষিত হলেও রামকৃষ্ণ বাঙালি বিদ্বজ্জন সমাজ ও শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের সম্ভ্রম অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে পাশ্চাত্যশিক্ষায় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের নিকট তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দু পুনর্জাগরণের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তৎসঙ্গে সংগঠিত করেন একদল অনুগামী, যাঁরা ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণের প্রয়াণের পর সন্ন্যাস গ্রহণ করে তাঁর কাজ চালিয়ে যান। এঁদেরই নেতা ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
}
] | [
{
"docid": "4051#45",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর \"পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের প্রতি\" কবিতাটি লিখেছিলেন:বহু সাধকের বহু সাধনার ধারা,\nধেয়ানে তোমার মিলিত হয়েছে তারা;\nতোমার জীবনে অসীমের লীলাপথে\nনূতন তীর্থ রূপ নিল এ জগতে;\nদেশ বিদেশের প্রণাম আনিল টানি\nসেথায় আমার প্রণতি দিলাম আনি।।রামকৃষ্ণ মিশন আয়োজিত রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রধান অতিথি। এই অনুষ্ঠানে তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের অবদান সম্পর্কে নিজের উচ্চ ধারণার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৩৭ সালে রামকৃষ্ণ মিশন কলকাতায় বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্মশতবর্ষ উৎসবও চলছিল। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, \"তাঁর ব্যক্তিত্বের বিশালতা বোঝা যায় আপাত-বিরোধী সাধনপদ্ধতিগুলির অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে। আর তাঁর মনের সরলতা পুরোহিত ও যাজকশ্রেণীর আড়ম্বর ও পাণ্ডিত্যকে চিরকালের জন্য ম্লান করে দিয়েছে।\"",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#35",
"text": "১৮৭৯ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নিজের প্রধান শিষ্যদের সঙ্গে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সাক্ষাৎ হয়। এঁদের অনেকেই ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত। কেউ আবার ছিলেন একান্তই নাস্তিক; নিছক কৌতূহলের বশেই তাঁরা শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ এঁদের সকলের মধ্যেই গভীর প্রভাব বিস্তার করে এবং এঁরা সকলেও তাঁর অনুরাগী ভক্তে পরিণত হন। প্রবল যুক্তিবাদী সুরেন্দ্রনাথ মিত্র তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন, তাঁর ‘কান মলে’ দেওয়ার জন্য; কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের একনিষ্ঠ ভক্তে পরিণত হন। তাঁর অননুকরণীয় ধর্মপ্রচারের ভঙ্গি অনেক সংশয়বাদী ব্যক্তির মনেও দৃঢ় প্রত্যয়ের উন্মেষ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4050#17",
"text": "১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের গলার ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে প্রথমে উত্তর কলকাতায় শ্যামপুকুর ও পরে কাশীপুরের একটি বাগানবাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। এই সময় নরেন্দ্রনাথসহ রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের অন্যান্য শিষ্যগণ তার সেবা-যত্ন করেন। এই সময়ও নরেন্দ্রনাথের ধর্মশিক্ষা চলতে থাকে। কাশীপুরে নরেন্দ্রনাথ \"নির্বিকল্প\" সমাধি লাভ করেন। নরেন্দ্রনাথ ও অন্যান্য কয়েকজন শিষ্য এই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের কাছ থেকে সন্ন্যাস ও গৈরিক বস্ত্র লাভ করেন। এভাবে রামকৃষ্ণ শিষ্যমণ্ডলীতে প্রথম সন্ন্যাসী সংঘ স্থাপিত হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব নরেন্দ্রনাথকে শিক্ষা দেন মানব সেবাই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সাধনা। তিনি নরেন্দ্রনাথকে তার অন্যান্য সন্ন্যাসী শিষ্যদের দেখভাল করতেও বলেন এবং তাকেই সন্ন্যাসী সংঘের নেতা নির্বাচিত করেন। কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণের অবতারত্ব নিয়ে বিবেকানন্দের মনে সন্দেহের উদ্রেক হলে শ্রীরামকৃষ্ণ দেব ঘোষণা করেছিলেন, \"যে রাম, যে কৃষ্ণ, সে-ই ইদানীং এ শরীরে রামকৃষ্ণ... \" ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অগাস্ট শেষরাত্রে কাশীপুরেই রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব প্রয়াত হন।",
"title": "স্বামী বিবেকানন্দ"
},
{
"docid": "4050#13",
"text": "১৮৮১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে এফএ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় রামচন্দ্র দত্ত একবার নরেন্দ্রনাথকে সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবকে ধর্মোপদেশ দানের জন্য নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই সাক্ষাৎকারে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব তরুণ নরেন্দ্রনাথকে একটি গান গাইতে বলেন। পরে নরেন্দ্রনাথের সঙ্গীতপ্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব তাঁকে দক্ষিণেশ্বরে নিমন্ত্রণ করেন। যদিও রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বা নরেন্দ্রনাথ কেউই এই সাক্ষাতকে পরবর্তীকালে তাদের প্রথম সাক্ষাত হিসেবে গুরুত্ব দেননি। এমনকি তারা এই সাক্ষাতের কথা উল্লেখও করতেন না।",
"title": "স্বামী বিবেকানন্দ"
},
{
"docid": "4051#46",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংসের ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় অভিজ্ঞতা ও তাঁর সাধনা, বিশেষত তন্ত্র ও মধুর ভাব সাধনা বিশিষ্ট দার্শনিক তথা বিদ্বজ্জন কর্তৃক পর্যালোচিত হয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি, যা চিকিৎসাশাস্ত্রের লক্ষণ অনুসারে মৃত্যুবৎ, তাও বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক ও গবেষকের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে। রোম্যাঁ রোলাঁ, সুধীর কক্কর, নরসিংহ শীল, জেফরি কৃপাল, অ্যালান রোনাল্ড, ডক্টর জিন ওপেনশ, সোমনাথ ভট্টাচার্য, কেলি অ্যান রাব ও জে এস হলে প্রমুখ পণ্ডিতগণ এই সব ক্ষেত্রে মনোবিশ্লেষণমূলক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অবশ্য এই ব্যাখ্যা অনেকক্ষেত্রেই বিতর্কিত। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও ধর্মমত, যা রামকৃষ্ণ মিশনের সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলনের মূলভিত্তি, তার পর্যালোচনা করেছেন লিও শ্নাইডারম্যান, ওয়াল্টার জি নিভাল, সাইরাস আর প্যাঙ্গবর্ন ও অমিয় পি সেন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#24",
"text": "১৮৬৬ সালে সুফিমতে সাধনাকারী হিন্দু গুরু গোবিন্দ রায়ের কাছে ইসলাম ধর্মতত্ত্ব শিক্ষা করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তিনি বলেছেন,\n১৮৭৩ সালের শেষভাগ নাগাদ শম্ভুচরণ মল্লিক তাঁকে বাইবেল পাঠ করে শোনালে তিনি খ্রিস্টীয় মতে সাধনা শুরু করেন। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, এই সময় তাঁর চিত্ত খ্রিস্টীয় ভাবে পূর্ণ হয়েছিল এবং তিনি কালীঘরে যাওয়া বন্ধ করেছিলেন। একদিন মেরিমাতার কোলে যিশু খ্রিস্টের চিত্রে তিনি জীবন্ত যিশুর দিব্যদর্শন লাভ করেছিলেন। তাঁর ঘরে হিন্দু দেবদেবীদের সঙ্গে পিতরকে ত্রাণরত যিশুর একটি চিত্র ছিল, সেটিতে তিনি প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় ধূপারতি করতেন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#7",
"text": "১৮৫৫ সালে কলকাতার অস্পৃশ্য কৈবর্ত সমাজের এক ধনী জমিদারপত্নী রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করলে রামকুমার সেই মন্দিরে প্রধান পুরোহিতের পদ গ্রহণ করেন। নিম্নবর্ণীয়া এক নারীর প্রতিষ্ঠিত মন্দির হওয়া সত্ত্বেও সামান্য অনুরোধেই গদাধর সেই মন্দিরে চলে আসেন। তিনি ও তাঁর ভাগনে হৃদয়রাম রামকুমারের সহকারী হিসাবে প্রতিমার সাজসজ্জার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৮৫৬ সালে রামকুমারের মৃত্যু হলে গদাধর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মন্দিরে উত্তর-পশ্চিম আঙিনায় তাঁকে একটি ছোটো ঘর দেওয়া হয়। এই ঘরেই তিনি অতিবাহিত করেন তাঁর অবশিষ্ট জীবন। অনুমিত হয়, রাণী রাসমণির জামাতা মথুরামোহন বিশ্বাস, যিনি মথুরবাবু নামে পরিচিত ছিলেন, তিনিই গদাধরকে রামকৃষ্ণ নামটি দিয়েছিলেন। অন্য মতে, এই নামটি তাঁর অন্যতম গুরু তোতাপুরীর দেওয়া।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "114556#16",
"text": "ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস প্রায়শই রামপ্রসাদী গান গাইতেন। রামপ্রসাদ ছিলেন তাঁর প্রিয় কবি। তাঁর গাওয়া রামপ্রসাদীগুলি \"শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত\" গ্রন্থে মুদ্রিত হয়েছে। এই গ্রন্থে লেখা আছে, \"\"...তিনি (রামকৃষ্ণ) ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত করতেন কমলাকান্ত ও রামপ্রসাদের লেখা দিব্যজননীর লীলাসঙ্গীত গেয়ে। এই আনন্দময় গানগুলি ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ ভাবের বর্ণনাকারী... \"\" পরমহংস যোগানন্দও রামপ্রসাদ ও তাঁর ভক্তিগীতির গুণগ্রাহী ছিলেন। তিনিও প্রায়ই এই গানগুলি গাইতেন। ভগিনী নিবেদিতা রামপ্রসাদ সেনের সঙ্গে ইংরেজ কবি উইলিয়াম ব্লেকের তুলনা করেন।",
"title": "রামপ্রসাদ সেন"
}
] |
কলকাতা মেট্রো প্রথম কবে থেকে চালু হয় ? | [
{
"docid": "115566#1",
"text": "কলকাতা মেট্রো ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক (দিল্লি মেট্রোর পরে)। ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর কলকাতা মেট্রোর প্রথম অংশটি চালু হয়। বর্তমানে এই মেট্রোর দৈর্ঘ্য ২২.৩ কিলোমিটার। উত্তর-দক্ষিণ করিডোর বা দমদম-কবি সুভাষ লাইন বর্তমানে এই মেট্রোর একমাত্র চালু লাইন। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো, জোকা-বিবাদীবাগ (ভায়া বেহালা ও মাঝেরহাট) লাইন, দমদম-দক্ষিণেশ্বর সম্প্রসারিত লাইন, দমদম-বরানগর-ব্যারাকপুর লাইন, দমদম-বারাসত লাইন ও নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর লাইনের কাজ বর্তমানে নির্মাণাধীন।",
"title": "কলকাতা মেট্রোর স্টেশনগুলির তালিকা"
},
{
"docid": "517791#0",
"text": "কলকাতা মেট্রো লাইন ১ হল কলকাতা মেট্রো রেল এর একটি লাইন।এটি ১৯৮৪ সালে চালু হয়।এটি ভারত তথা ভারতীয় উপমহাদেশর প্রথম ও এশিয়ার পঞ্চম ভূগর্ভস্থ মেট্রো পথ।এই মেট্রো লাইনটির দৈর্ঘ্য ২৭.৩৯ কিলোমিটার।প্রতিদিন এই পথে গড়ে ৭,০০,০০০ জন (৭ লক্ষ) চলাচল করেন। ২০১৮ সালের দূর্গা পুজর অষ্টমিতে ৯ লক্ষ যাত্রী বহন করেছিল যা এই মেট্রো পথের সর্বকালীন রেকর্ড।\nএই মেট্রো পথের উত্তরের অংশের এখনও সম্প্রসারন চলছে।নোয়াপাড়ার পর বরানগর ও দক্ষিনেশ্বর এই মেট্রো পথে যুক্ত করার কাজ চলছে।এই নির্মীয়মাণ অংশের দৈর্ঘ্য ৪.৫ কিলোমিটার।",
"title": "কলকাতা মেট্রো লাইন ১"
},
{
"docid": "11473#1",
"text": "১৯৮৪ সালে চালু হওয়া কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবা (দ্বিতীয় মেট্রো পরিষেবা দিল্লি মেট্রো চালু হয় ২০০২ সালে)। এটি ভারতীয় রেলের অধীনস্থ এবং ভারতীয় রেলের একটি ক্ষেত্রীয় রেলওয়ের মর্যাদা ভোগ করে।",
"title": "কলকাতা মেট্রো"
}
] | [
{
"docid": "2730#59",
"text": "ভারতীয় রেলের সপ্তদশ ক্ষেত্র কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবা। হুগলি নদীর সমান্তরাল ২৮.১৪ কিলোমিটার পথে শহরের উত্তরে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু আছে। এই লাইনটির (কলকাতা মেট্রো লাইন ১) পাশাপাশি হাওড়ার রামরাজাতলা থেকে বিধাননগর সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো লাইনের কাজ চলছে। এই লাইনটি হুগলি নদীর তলায় সুড়ঙ্গ পথে হাওড়া ও কলকাতা শহরদুটির মধ্যে রেল-যোগাযোগ স্থাপন করবে। ২০১০ সালে ভারত সরকারের রেল মন্ত্রক আরও কয়েকটি নতুন মেট্রো লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এগুলি হল:\nএছাড়া যাত্রীসাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার জন্য লাইন ১-এও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেক চালু করা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় সিগনালিং ব্যবস্থা, স্বচালিত সিঁড়ি, আধুনিক টোকেন ও ফ্লিপগেট পদ্ধতিতে ভাড়া নেওয়াও শুরু হয়েছে।\nকলকাতা মেট্রোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল: কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া), মহানায়ক উত্তমকুমার (টালিগঞ্জ), কালীঘাট, রবীন্দ্র সদন, এসপ্ল্যানেড, সেন্ট্রাল, মহাত্মা গান্ধী রোড, শ্যামবাজার, দমদম ও নোয়াপাড়া।",
"title": "কলকাতা"
},
{
"docid": "11473#2",
"text": "বর্তমান মেট্রো লাইনটি উত্তরে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) পর্যন্ত প্রসারিত। এই পথটির দৈর্ঘ্য ২৭.২২ কিলোমিটার। মোট স্টেশনের সংখ্যা ২৩। ভূগর্ভস্থ ও উড়াল – উভয় প্রকার ট্র্যাকেই ট্রেন চলাচল করে। বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর একাধিক সম্প্রসারণ প্রকল্প ও নতুন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্যারিস মেট্রোর মতো কলকাতা মেট্রোতেও দেশের বিভিন্ন মণীষী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে স্টেশনের নামকরণ করা হয়ে থাকে। পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলের মেট্রো ভবনে কলকাতা মেট্রোর সদর কার্যালয় অবস্থিত।",
"title": "কলকাতা মেট্রো"
},
{
"docid": "498837#4",
"text": "কলকাতা মেট্রো হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও এশিয়ার পঞ্চম মেট্রো।বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর মোট দৈর্ঘ্য ২৮.১৪ কিলোমিটার ও এর স্টেশন সংখ্যা ২৫ টি।এটি প্রতিদিন সারে ৬ লক্ষ যাত্রি পরিবহন করে।কবি সুভাস থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করে ।এছাড়া ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বা কলকাতা মেট্রো লাইন ২ এর নির্মাণ চলছে ।২০১৮ সালে লাইন ২ চালু হয়ে যাবে।\nনেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল কলকাতার এক মাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।এই বিমানবন্দর দ্বারা কলকাতার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন শহর ও বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।বিমানবন্দরটি ২০১৫ সালো মোট ১২.৪ মিলিওন যাত্রি পরিবহন করেছে।এটি দেশের পঞ্চম বৃহত্তম বিমানবন্দর।বিমানবন্দরটি থেকে প্রধান শহর মুম্বাই,দিল্লি,চেন্নাই,ব্যাঙ্গালোর,হায়দ্রাবাদ,পুনে,আহমেদাবাদ এ নিয়মিত বিমান চলাচল করে।বিমানবন্দরটি থেকে দেশের বাইরে মধ্যপাচ্যের দুবাই,রিয়াদ পূর্ব এশিয়ার কুনমিং,হংকং ও গুয়াংঝাও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুর,ব্যাঙ্কক,কুয়ালাম্পুর,ইয়াঙ্গুন প্রভৃতি শহরের সঙ্গে বিমান যোগ রয়েছে।এছাড়া কলকাতার বেহালায় একটি বিমান বন্দর রয়েছে।এটি যাত্রি পরিবহনে ব্যবহিত হয়না তবে এখানে বিমান চালানোর প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।",
"title": "কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থা"
},
{
"docid": "477281#3",
"text": "কিন্তু কিছু কারণে প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়েছিল। এই বিলম্বিত প্রধানত হয়েছিল ভূমি অধিগ্রহণ, বস্তি স্থানান্তর এবং রুট পরিবর্তনের ফলে উৎপন্ন সমস্যাগুলির কারণে। পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো করিডর মূলত ২০১২ সাল নাগাদ চালু হওয়ার কথা ছিল, তবে পরবর্তীতে এটি ২০১৫ সালের মধ্যে চালু করার কথা বলা হয়। কিন্তু ওই সময়ে প্রকল্প শেষ কর্তে নির্মান সংস্থা ব্যর্থ হয়। প্রকল্পটি এখন চারটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম পর্যায়ে সেক্টর -৫ থেকে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের জুনে লাইনটি চালুর জন্য কাজ শুরু হয়। কিন্তু সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় এই পথে প্রথম মুট্রো রেল ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চালু করা হবে বলে ঘোষনা করা হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের দ্বিতীয় অংশে ফুলবাগান পর্যন্ত মেট্রো চালু হবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শিয়ালদহ পর্যন্ত কার্যক্রম চলু হবে প্রথম ধাপের তৃতীয় অংশ হিসাবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বা দ্বিতীয় ধাপে যা গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো রেল যাত্রা করবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে।লাইন ২ প্রথমে লাইন ১-এর সঙ্গে সেন্ট্রাল স্টেশনে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত হয় লাইন ১ ও লাইন ২ এসপ্ল্যানেডে যুক্ত হবে। এর ফলে লাইন ২-এর দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নির্মাণ খরচ ৬০০ কোটি টাকা (₹) বৃদ্ধি পায়।",
"title": "কলকাতা মেট্রো লাইন ২"
},
{
"docid": "11473#4",
"text": "প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ১৯৭৭-৭৮ সালে অর্থের জোগান বন্ধ থাকা, ভূগর্ভস্থ পরিষেবাগুলির স্থানান্তরণ, আদালতের নানা স্থগিতাদেশ, কাঁচামালের অনিয়মিত সরবরাহ ইত্যাদি কারণে প্রকল্প রূপায়ণে অযথা দেরি হতে থাকে। অবশেষে তদানীন্তন রেলমন্ত্রী আবু বারকাত আতাউর গণী খান চৌধুরীর বিশেষ উদ্যোগ, কর্মদক্ষতা, ও কূটনৈতিক দূরদৃষ্টির ফলে প্রকল্পের কাজে দ্রুততা আসে, এবং ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এসপ্ল্যানেড-ভবানীপুর (নেতাজি ভবন) ৩.৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যবিশিষ্ট রুটে ভারতের প্রথম তথা এশিয়ার পঞ্চম মেট্রো পরিষেবা কলকাতা মেট্রোর উদ্বোধন করেন। ওই বছরই ১২ নভেম্বর চালু হয় দমদম-বেলগাছিয়া ২.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যবিশিষ্ট রুটটিও। উল্লেখ্য, এটিই কলকাতা মেট্রোর দীর্ঘতম স্টেশন দূরত্ব। ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল টালিগঞ্জ অবধি মেট্রো সম্পসারিত হলে এসপ্ল্যানেড থেকে টালিগঞ্জ অবধি ১১টি স্টেশন নিয়ে ৯.৭৯ কিলোমিটার পথের কাজ সম্পূর্ণ হয়।",
"title": "কলকাতা মেট্রো"
},
{
"docid": "477281#1",
"text": "মহাপরিকল্পনাটি ১৯৭১ সালের নির্বাচিত পথকে কলকাতা মেট্রো লাইন ২-এর জন্য নির্বাচিত করে। ভারতের প্রথম মেট্রো এবং দিল্লি মেট্রো নেটওয়ার্কের সাফল্যের অভিজ্ঞতা পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো করিডরয়ের অনুমোদন দেয় যা হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনকে হুগলি নদীর নীচে দিয়ে সুড়ঙ্গ পথে উপনগরী শহর সল্ট লেকের সাথে সংযুক্ত করবে। জানুয়ারী ২০০৪ সালে, \"প্যাসিফিক কনসালটেন্ট ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ\" লাইন জন্য একটি সম্ভাব্যতা গবেষণা পরিচালনা করে। এর পর সংস্থাটি হুগলি নদীর নীচে রাস্তা ও সুড়ঙ্গ নির্মাণের প্রস্তাব করে।",
"title": "কলকাতা মেট্রো লাইন ২"
},
{
"docid": "494516#7",
"text": "কলকাতা মেট্রো রেলপথ হচ্ছে আই.আর.-এর সবচেয়ে নতুন রেলওয়ে জোন যা ২৮ কিলোমিটার পথ দৈর্ঘ্যের একটি কর্মক্ষম কলকাতা শহরের মেট্রো রেল সংযোগের সাথে, ১৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেল পরিসেবা প্রদান করে। ২০১০ সালের হিসাবে কলকাতায় আনুমানিক ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রো রেলপথ নির্মান চলছে।কলকাতা মেট্রো রেলের থেকে বলা হয়েছে ২০১৮ সালের জুন মাসে চারটি ভিন্ন রুটে মোট ২৩ কিমি মেট্রো রেল চালু হবে।",
"title": "পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি"
}
] |
বাংলাদেশের ঢাকাই মসলিন কাপড় বুননের জন্য কত কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হত ? | [
{
"docid": "63851#0",
"text": "মসলিন বিশেষ এক প্রকার তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুতকৃত সূতা দিয়ে বয়ন করা এক প্রকারের অতি সূক্ষ্ম কাপড়বিশেষ। এটি ঢাকাই মসলিন নামেও সুবিদিত। ফুটি কার্পাস নামক তুলা থেকে প্রস্তুত অতি চিকন সুতা দিয়ে মসলিন তৈরি করা হত। চড়কা দিয়ে কাটা, হাতে বোনা মসলিনের জন্য সর্বনিম্ন ৩০০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হত যার ফলে মসলিন হত কাচের মত স্বচ্ছ। এই মসলিন রাজকীয় পোশাক নির্মাণে ব্যবহার করা হত। মসলিন প্রায় ২৮ রকম হয়ে হত যার মধ্যে জামদানী এখনও ব্যাপক আকারে প্রচলিত। নানা কারণে আঠারো শতকের শেষার্ধে বাংলায় মসলিন বয়ন বন্ধ হয়ে যায়।",
"title": "মসলিন"
}
] | [
{
"docid": "63851#8",
"text": "মসলিনের একমাত্র এই নামটিই বাংলায়। সাধারণত গলাবন্ধ রুমাল হিসেবে এর ব্যবহার হত। এ জাতীয় মসলিনও ২০ গজ লম্বা আর ১ গজ চওড়া হত।\nএ জাতীয় মসলিনের নাম থেকে ধারণা করা হয় সম্ভবত শুধু জামা তৈরিতে এ মসলিন ব্যবহৃত হতো কারণ 'বদন' মানে \"শরীর\"। এর বুনন ঘন হত না। এগুলো ২৪ গজ লম্বা আর দেড় গজ চওড়া হত, ওজন হত ৩০ তোলা।\nফার্সি শব্দ সর-বন্ধ মানে হল \"মাথা বাঁধা\"। প্রাচীন বাংলা উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা মাথায় পাগড়ি বাঁধতেন, যাতে ব্যবহৃত হত সার-বন্ধ। লম্বায় ২০-২৪ গজ আর চওড়ায় আধা থেকে এক গজ হতো; ওজন হতো ৩০ তোলা।\nডোরা কাটা মসলিন 'ডোরিয়া' বলে পরিচিত ছিল। লম্বায় ১০-১২ গজ আর চওড়ায় ১ গজ হত। শিশুদের জামা তৈরি করে দেয়া হত ডোরিয়া দিয়ে।\nজামদানি কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের পরিধেয় বস্ত্র। প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি বাঙ্গালি নারীদের অতি পরিচিত। মসলিনের উপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। জামদানি বলতে সাধারণত শাড়িকেই বোঝান হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশি ওড়না, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল, পর্দা প্রভৃতিও তৈরি করা হত। ১৭০০ শতাব্দীতে জামদানি দিয়ে নকশাওয়ালা শেরওয়ানির প্রচলন ছিল। এ ছাড়া, মুঘল নেপালের আঞ্চলিক পোশাক রাঙ্গার জন্যও জামদানি কাপড় ব্যবহৃত হত। তবে আগেকার যুগে 'জামদানী' বলতে বোঝানো হতো নকশা-করা মসলিনকে।",
"title": "মসলিন"
},
{
"docid": "5713#6",
"text": "ঢাকাই মসলিনের স্বর্ণযুগ বলা হয় মুঘল আমলকে। এ সময় দেশে-বিদেশে মসলিন, জামদানির চাহিদা বাড়তে থাকে এবং শিল্পেরও ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। আঠারো শতকে ইংরেজ দলিল থেকে জানা যায় \"মলমল খাস\" ও \"সরকার-ই-আলি\" নামের মসলিন সংগ্রহ করার জন্য দারোগা-ই-মলমল পদবীর উচ্চ পর্যায়ের রাজ কর্মচারী নিযুক্ত ছিলেন। প্রতিটি তাঁতখানায় একটি দপ্তর ছিল এবং এখানে দক্ষ তাঁতি, নারদিয়া, রিপুকার প্রভৃতি কারীগরদের নিবন্ধন করে রাখা হত। দারোগার প্রধান কাজ ছিল মসলিন ও জামদানি তৈরির বিভিন্ন পদক্ষেপে লক্ষ্য রাখা। তৎকালীন সময়ে ঢাকা থেকে প্রায় একলক্ষ টাকা মূল্যমানের মলমল-খাস মোঘল দরবারে রপ্তানি করা হত।",
"title": "জামদানি"
},
{
"docid": "307068#8",
"text": "ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয় ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবিতে ঢাকায় জড়ো হওয়া মানুষদের হটিয়ে দিতে পুলিশ স্টান্ট গ্রেনেড, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এই সহিংসতার কারণে মতিঝিল এলাকার ব্যাংক, বিমা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শত শত কর্মী রোববার নিজ নিজ অফিসে রাত কাটাতে বাধ্য হন। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, ব্লাসফেমি আইনের দাবিতে আন্দোলনরত কট্টরপন্থী মুসলমানদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ঢাকায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ঐদিন বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ড ছিল ব্যাপক ধ্বংসাত্মক। শক্তি প্রয়োগ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর আর কিছু করার ছিল না। সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ লিখেছে, ঢাকায় ইসলামি মৌলবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন।",
"title": "হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ"
},
{
"docid": "5713#9",
"text": "উনিশ শতকের মাঝামাঝি জামদানি ও মসলিনের এক হিসেব থেকে দেখা যায় সাদা জমিনে ফুল করা কাজের ৫০,০০০ টাকার জামদানি দিল্লী, লক্ষ্মৌ নেপাল, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি এলাকার নবাবরা ব্যবহার করতেন। এই শিল্প সংকুচিত এবং পরে বিলুপ্ত হওয়ার পেছনে কিছু কারণ ছিল, যার মধ্যে প্রধান কারণ ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব। এর ফলে বস্ত্রশিল্পে যন্ত্রের আগমন ঘটে এবং কম মূল্যে ছাপার কাপড় উৎপাদন শুরু হয়। এছাড়া দেশী সূতার চেয়ে তখন বিলেতি সূতার দাম কন ছিল। তৎকালীন মোঘল সম্রাট ও তাদের রাজ কর্মচারীরা এ শিল্পের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন। ফলে ধীরে ধীরে মসলিন ও জামদানি শিল্প কালের গহ্বরে হারিয়ে যায়।\nবাংলাদেশ স্বাধীনতা পাবার পরে ঢাকার ডেমরায় জামদানি পল্লীর তাঁতিদের আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়। তবে মেধা ও পারিশ্রমিকের অভাবের কারণে তাঁতীরা আর এ পেশায় আসতে চাইছেন না। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার অচল তাঁতগুলো প্রাচীন গৌরবগাঁথার নীরব সাক্ষী হয়ে রয়েছে। কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়িরও একই দশা। বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে জামদানি পল্লী স্থাপিত হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জামদানির চাহিদা এখনও রয়েছে। বর্তমান বাজারে জামদানির উচ্চমূল্য ও বিপুল চাহিদার কারণে বাংলাদেশের এই শিল্পে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। জামদানির পুনরুজ্জীবনের পথে প্রধান অন্তরায় হলো দক্ষ ও আগ্রহী তাঁতশিল্পীর অভাব। এই শ্রম নিবিড় হস্তশিল্পে উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত না করা গেলে তাঁতিরা আগ্রহী হবে না। জামদানি শাড়ির আগের সব বিখ্যাত ও অবিস্মরণীয় নকশা ও বুননের অনেকগুলোই বর্তমানে বিলুপ্ত। নবীন কারিগররা অধিকাংশ নকশা সম্পর্কে অবহিত নয়। আদি জামদানির নকশা ও বুনন কৌশল নতুন প্রজন্মের কাছে স্থানান্তর একটি চ্যালেঞ্জ। \nজামদানী শাড়ী অনেক প্রকার হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে জামদানী শাড়ীর উপাদান অনুযায়ী এটি দুই প্রকার।",
"title": "জামদানি"
},
{
"docid": "14631#3",
"text": "যায়যায়দিন মিডিয়াপ্লেক্স ঢাকার তেজগাঁও বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত। কমপ্লেক্সটি দুটি দালান নিয়ে গঠিত। দক্ষিণের দালানটি তিনতলা বিশিষ্ট। এর নিচতলায় প্রকাশনা শাখা, বাণিজ্যিক বিভাগ, বিপনন বিভাগ ও অভ্যর্থনা ডেস্ক অবস্থিত। দ্বিতীয় তলা সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত। গোলটেবিল বৈঠকের জন্য \"ক্লিনটন রুম\" ব্যবহৃত হয়। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ. বিউটেনিস এই কক্ষের উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজনের জন্য রয়েছে \"মাহাথির রুম\"। \"মনরো স্টুডিও\" পত্রিকার ফটোস্টুডিও ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান ধারনের জন্য ব্যবহৃত হয়। \"হিচকক হল\" হচ্ছে একটি ৪০ আসনের মুভি থিয়েটার। এর পরে আছে \"পিকাসো গ্যালারি\" এবং \"চে ক্যাফে\"। এখানে যায়যায়দিনের জনপ্রিয় কলাম \"চে ক্যাফেতে দশ মিনিট\" আয়োজন করা হয়।",
"title": "যায়যায়দিন"
},
{
"docid": "1099#25",
"text": "স্কুটার, ট্যাক্সি এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন যানবাহনগুলো শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরকার দুই স্ট্রোক ইঞ্জিন বিশিষ্ট অটো রিকশার প্রতিস্থাপন করে \"সবুজ অটোরিকশা\" চালু করেছে যা \"সিএনজি অটোরিকশার\" বা \"বেবি-ট্যাক্সি\" নামে পরিচিত এগুলোতে পরিবেশ বান্ধব সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। ঢাকা রাস্তা চলাচলকারী ট্যাক্সিগুলো দুই ধরনের হয়। হলুদ ট্যাক্সিগুলো কিছুটা উচ্চ মান সম্পন্ন হয়ে থাকে যদিও এটি ব্যয়বহুল। এই ট্যাক্সিগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত; টয়োটা করোলা এর, টয়োটা প্রিমিও এর এবং টয়োটা এলিয়ন মডেলের গাড়িগুলো ট্যক্সি হিসাবে ব্যবহার করা হয় এখানে। ২০১৩ সালে এই সেবাটি প্রথমে ২০০-২৫০০ টি ট্যক্সি নিয়ে শুরু করা হয়েছিলো। সরকার ১,৫০০সিসি ক্ষমতা বিশিষ্ট ইঞ্জিনের আরও ৫,০০০ নতুন ট্যাক্সি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ধরনের ট্যাক্সির সংখ্যা ১৮,০০০ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।",
"title": "ঢাকা"
},
{
"docid": "268441#9",
"text": "বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত পুরাতন হাইকোর্ট ভবনকে আদালত হিসেবে প্রস্তুত করে একে ট্রাইব্যুনালের বিচারালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়।\n৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারিখে ট্রাইব্যুনাল যুদ্বাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লাকে ৩টি মামলায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২টি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। এই রায় কিছু মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবীতে ওইদিনই ছাত্র, শিক্ষক সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার মানুষ জড় হতে থাকে ঢাকার শাহবাগ চত্বরে। শাহবাগের এই প্রতিবাদ অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন অংশে। শাহবাগসহ সারা বাংলাদেশেই 'যুদ্ধাপরাধী'র ফাঁসির দাবীতে গঠিত হয় গনজাগরণ মঞ্চ।কিন্তু শাহবাগে আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে রয়েছে নাস্তিক ব্লগাররা, এই অভিযোগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম নামক একটি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে শাহবাগ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে দৈনিক ইনকিলাব ও এর পরপরই দৈনিক আমার দেশ ধারাবাহিক আকারে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে দাবী করা হয় যে ব্লগার রাজীব মুসলমানদের শেষ নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে কটুক্তি করেছে । এর পরপর হেফাজতে ইসলাম তাদের ১৩ দফা দাবী এবং এরকম কটূক্তিকারীদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। এ সময়ই শাহবাগ আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়।",
"title": "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ)"
},
{
"docid": "63851#3",
"text": "মসলিনের পার্থক্য করা হত সূক্ষ্মতা, বুননশৈলী আর নকশার পার্থক্যে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রকার মসলিনের আলাদা আলাদা নাম হয়ে যায়।\n'মলবুস খাস' মানেই হলো \"খাস বস্ত্র\" বা আসল কাপড়। এ জাতীয় মসলিন সবচেয়ে সেরা আর এগুলো তৈরি হত সম্রাটদের জন্য।\nআঠারো শতকের শেষদিকে মলবুস খাসের মতো আরেক প্রকারের উঁচুমানের মসলিন তৈরি হত, যার নাম 'মলমল খাস'। এগুলো লম্বায় ১০ গজ, প্রস্থে ১ গজ, আর ওজন হত ৬-৭ তোলা। ছোট্ট একটা আংটির মধ্যে দিয়ে এ কাপড় নাড়াচাড়া করা যেত। এগুলো সাধারণত রপ্তানি করা হত।\nএ মসলিনও মলবুস খাসের মতোই উঁচুমানের ছিল। বাংলার নবাব বা সুবাদারদের জন্য তৈরি হত এই মসলিন। সরকার-ই-আলা নামের জায়গা থেকে পাওয়া খাজনা দিয়ে এর দাম শোধ করা হত বলে এর এরকম নামকরণ। লম্বায় হত ১০ গজ, চওড়ায় ১ গজ আর ওজন হত প্রায় ১০ তোলা।",
"title": "মসলিন"
},
{
"docid": "491477#4",
"text": "ঢাকার লালবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ তৎসংলগ্ন অন্যান্য ভবনগুলোতে মুসলিমরা লুটপাট চালায় এবং অগ্নি সংযোগ করে।মন্দিরের পুরোহিত এবং আরও দশটি হিন্দু পরিবারের উপর চালানো হয় বর্বর পৈশাচিক নির্যাতন।চার ঘণ্টা জুড়ে বাধাহীন ভাবে এই নিষ্ঠুরতা চলতে থাকে। লালবাগের একটি দুর্গা মন্দির, পুস্পরাজ সাহা লেনের গিরিগোবর্ধন জিউ মন্দির, হরনাথ ঘোষ লেনের রঘুনাথ জিউ আখড়া,কামরাঙ্গিচর শ্মশান সহ অসংখ্য হিন্দু উপাসনালয় লুটপাট ও ধ্বংস করে মুসলিমরা। লালবাগে এবং হরনাথ ঘোষ লেনের কমপক্ষে ৫০টি হিন্দু বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট করে দুর্বিত্ত মুসলিমরা।",
"title": "১৯৯০-এর বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা"
}
] |
শ্রীলঙ্কা কোন মহাদেশের অন্তর্গত ? | [
{
"docid": "697023#1",
"text": "শ্রীলঙ্কা – দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত ভারতীয় উপমহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে, ভারত মহাসাগরের উত্তরপ্রান্তের একটি দ্বীপ দেশ। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত দেশটি 'সিলন' (/sɨˈlɒnˌ seɪ-ˌ siː-/) নামে পরিচিত ছিল, পরে এর নাম পরিবর্তন করে “শ্রীলঙ্কা” রাখা হয়। শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিমে ভারতের সাথে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মালদ্বীপের সাথে সমুদ্র সীমানা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার ৩,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নথিভুক্ত ইতিহাস রয়েছে, কিন্তু দেশটির প্রাক-ঐতিহাসিক মানব বসতি অন্তত ১২৫,০০০ বছর ধরে বিদ্যমান ছিল বলে ধারণা করা হয়, যা একটি অনন্য বিষয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রাচীন সিল্ক রোড থেকে এটির ভৌগোলিক অবস্থান এবং গভীর সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য শ্রীলঙ্কা কৌশলগত গুরুত্ব বহন করেছিল। শ্রীলঙ্কা একটি প্রজাতন্ত্র এবং রাষ্ট্রপতি দ্বারা শাসিত একক রাষ্ট্র। দেশটির রাজধানী শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে, যা বৃহত্তম শহর কলম্বোর একটি শহরতলি। এটি চা, কফি, রত্নপাথর, নারকেল, রাবার এবং স্থানীয় দারুচিনির জন্য পৃথিবীর বিখ্যাত স্থান। এদেশের প্রায় সব খাবারে নারকেলের কোন না কোন উপাদান পাওয়া যায়। দ্বীপটি ক্রান্তীয় বন এবং জীববৈচিত্র্যের এক অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্যের লীলাভূমি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে শ্রীলঙ্কার নাম পৃথিবী জুড়ে খ্যাত। এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় হল ”সিংহলী”। ”তামিল” সম্প্রদায় দেশের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচিত। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সম্প্রদায় হল মূর, বার্ঘের, কাফির, মালয়।",
"title": "শ্রীলঙ্কার রূপরেখা"
},
{
"docid": "4282#0",
"text": "শ্রীলংকা\nশ্রীলঙ্কা (, \"শ্রী লাংকাবা\", , \"ইলাংগাই\") দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এর সরকারি নাম গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী শ্রীলঙ্কা। ১৯৭২ সালের আগে এই দ্বীপ সিলন নামেও পরিচিত ছিল। এর প্রশাসনিক রাজধানীর নাম শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে। এর প্রধান শহর কলম্বো। ভারতের দক্ষিণ উপকূল হতে ৩১ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। ২ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে ১৪% এর অধিক লোকজনের দৈনিক আয় ১.২৫ মার্কিন ডলারের নীচে। প্রাচীনকাল থেকেই শ্রীলঙ্কা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। সিংহলি সম্প্রদায় এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। উত্তর-পূর্ব দিকের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে তামিল সম্প্রদায় দেশের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে মূর, বার্ঘের, কাফির, মালয় ঊল্লেখযোগ্য।\nশ্রীলঙ্কা চা, কফি, নারিকেল, রাবার উৎপাদন ও রফতানিতে বিখ্যাত। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংবলিত সমুদ্রসৈকত, ভূদৃশ্য তদুপরী সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শ্রীলঙ্কাকে সারা পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে।\nপৃথিবীতে শ্রীলংকা একমাত্র অমুসলিম দেশ দেখানে রেডিও ও টেলিভিশনে পাঁচ ওয়াক্ত আযান দেয়া হয়।",
"title": "শ্রীলঙ্কা"
}
] | [
{
"docid": "4282#3",
"text": "শ্রীলঙ্কা ইন্ডিয়ান প্লেটের উপর অবস্থিত যা পূর্বে ভারত-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের অংশ ছিল। শ্রীলঙ্কা ভারতমহাসাগরের উপর, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। শ্রীলঙ্কাকে ভারতীয় উপমহাদেশের মূলভূমি অংশ থেকে পৃথক করা হয় মান্নার উপসাগরীয় অঞ্চল এবং পল স্ট্রেট দ্বারা। হিন্দু পৌরানিক কাহিনী অনুযায়ী রামের শাসন আমলে ভারতের মূল ভূমি থেকে রাম সেতু নামে একটি সংযোগ ছিল। ব্রিটিশ উপনিবেশের বর্ণনাকারীদের মতে ১৪৮০ সালের ঝড়ে ধ্বংস হবার আগে ইহা একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ছিল। কেবল দক্ষিণ দিকের বেড়ে ওঠা পর্বতমালা ছাড়া দ্বীপটির বেশির ভাগ উপকূলীয় সমতল ভূমি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫২৪ মিটার(৮২৮০ ফিট) উঁচু পিদুরুতালাগালা শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ বিন্দু। শ্রীলংকায় ১০৩ টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘতম হল মহাভেলি নদী যা ৩৩৫ কিলোমিটার (২08 মাইল) বিস্তৃত।",
"title": "শ্রীলঙ্কা"
},
{
"docid": "697496#1",
"text": "শ্রীলংকা দক্ষিণ উপমহাদেশের গোন্ডোয়ানার অংশ ছিল যেটির মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, ভারত ও আন্টার্কটিকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৪০ মিলিয়ন বছর আগে গোন্ডোয়ানা ভাঙতে শুরু করল।শ্রীলঙ্কা ভারতীয় প্লেটটির উপর অবস্থিত যার সাথে ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষ হয়ে হিমালয়ের সৃষ্টি হয়েছে। শ্রীলঙ্কা মূলত মাদাগাস্কারের নিকটস্থ ডেকানের (Deccan) অংশ। দ্বিপটি গত ৭০,০০০ বছরে কমপক্ষে ১৭ বার ভারতের সাথে যুক্ত ছিল।শ্রীলংকা ও দক্ষিণ ভারতে লরিস দেখা যায় যা মাদাগাস্কারের পাওয়া লেমুরের সাথে সম্পর্কিত। ভারতের সাথে সংযোগের কারনে বিভিন্ন প্রজাতির সাথে মিল পাওয়া যায় যেমন মিঠা জলের মাছ, বিলুপ্ত শ্রীলঙ্কান গৌর (Gaur) এবং সিংহ।",
"title": "শ্রীলঙ্কার পরিবেশ"
},
{
"docid": "18248#2",
"text": "সিলোন (অধুনা শ্রীলঙ্কা) ১৭৯৫ থেকে ১৭৯৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারপর এটি ভারত থেকে পৃথক হয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি পৃথক ক্রাউন কলোনি ঘোষিত হয়। ১৮২৬-৮৬ সালের মধ্যে ব্রিটিশরা ধীরে ধীরে ব্রহ্মদেশকে (অধুনা মায়ানমার) ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত ব্রহ্মদেশ ছিল ব্রিটিশ ভারতীয় প্রশাসনের দ্বারা শাসিত অঞ্চল। তারপর থেকে ব্রহ্মদেশ পৃথকভাবে শাসিত হতে থাকে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রহ্মদেশ এবং ওই বছরই ৪ ফেব্রুয়ারি সিলোন স্বাধীনতা পায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পাকিস্তান দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। ভারত থেকে সিলোন ও ব্রহ্মদেশের বিভাজন বা পাকিস্তানের বিভাজন ভারত বিভাজনের অন্তর্গত নয়।",
"title": "ভারত বিভাজন"
},
{
"docid": "1107#5",
"text": "অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের কোন স্থায়ি অধিবাসী নেই এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর পূর্ব পর্য্যন্ত কোন মানুষ এই স্থানকে দেখেছিলেন বলে কোন প্রমাণ নেই। এতৎসত্ত্বেও প্রথম শতাব্দী থেকেই একটি বিশ্বাস প্রচলিত ছিল যে, পৃথিবীর দক্ষিণে \"টেরা অস্ট্রালিস\" নামক এক বিশাল মহাদেশ উপস্থিত থাকতে পারে। টলেমি মনে করতেন যে, ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা নিয়ে গঠিত তৎকালীন যুগে পরিচিত পৃথিবীর ভূমিসমষ্টির সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য এই মহাদেশ দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এমনকি সপ্তদেশ শতাব্দীর শেষার্ধে অভিযাত্রীরা দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর যখন জানা যায়, এই দুইটি মহাদেশ প্রবাদ হিসেবে প্রচলিত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অংশ নয়, তখনও ভৌগোলিকরা বাস্তবের থেকে দ্বিগুণ আকারের মহাদেশের অস্তিত্বের কথা বিশ্বাস করতেন।",
"title": "অ্যান্টার্কটিকা"
},
{
"docid": "1121#1",
"text": "দ্বীপসমূহকে পার্শ্ববর্তী মহাদেশের অন্তর্গত হিসেবে ধরা হয়। এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন ভূ-রাজনৈতিক অঞ্চল ওশেনিয়া সৃষ্টি করা হয়েছে।",
"title": "মহাদেশ"
},
{
"docid": "317360#2",
"text": "১৯৯৬ বিশ্বকাপে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পায়। প্রতিযোগিতার কোন খেলা আয়োজনের পূর্বেই বিতর্ক তুঙ্গে পৌঁছে। অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল জানুয়ারি, ১৯৯৬ সালে তামিল টাইগার্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমাবর্ষণের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ দল দু’টোর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদানের ঘোষণা দেয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষও দেশটি নিরাপদ বলে ঘোষণা দেয়। ব্যাপক আলোচনা হওয়া স্বত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত খেলায় অংশ নেয়নি। ফলে, আইসিসি উভয় খেলায় শ্রীলঙ্কা দলকে বিজয়ী ঘোষণা দেয় ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে দলটি কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।",
"title": "১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "342837#1",
"text": "ইংরেজিতে উপমহাদেশ বলতে মূলতঃ ভারতীয় উপমহাদেশকে বুঝানো হয়ে থাকে। সাধারণতঃ, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ভারত উপমহাদেশ গঠিত। এ অঞ্চলে হিমালয় পর্বতমালা রয়েছে। এছাড়াও, ভূ-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পৃথক করেছে। গোবি মরুভূমি, পামির মালভূমি, বৃষ্টিস্নাত বনাঞ্চল, পাহাড়-পর্বত, সাগর-উপসাগর-মহাসাগরও এ অঞ্চলে বিদ্যমান। অজস্র ভাষা, গোত্র, ধর্ম রয়েছে যা পৃথিবীর অন্য যে কোন মহাদেশের প্রায় অনুরূপ।",
"title": "উপমহাদেশ"
},
{
"docid": "312076#0",
"text": "\"অস্ট্রালেশিয়া একটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভৌগোলিক অঞ্চল। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিউ গিনি ও তৎসংলগ্ন কিছু প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে অস্ট্রালেশিয়া\"' (Australasia) অঞ্চলটি গঠিত। অঞ্চলটি ওশেনিয়া মহাদেশের অন্তর্গত। শব্দটি সর্বপ্রথম ১৭৫৬ সালে শার্ল দি ব্রসি কর্তৃক ব্যবহৃত হয়; তার \"Histoire des navigations aux terres australes\" নামক বইয়ে। শব্দটির আক্ষরিক অর্থ \"এশিয়ার দক্ষিণ প্রান্ত\" (লাতিন: \"অস্ট্রাল\" = দক্ষিণ প্রান্ত)। অস্ট্রালেশিয়া, পলিনেশিয়া ও মাইক্রোনেশিয়া হতে পৃথক। এটি ভারতের সাথে একই ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের উপর অবস্থিত।",
"title": "অস্ট্রেলেশিয়া"
}
] |
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যুদিন কবে ? | [
{
"docid": "1398#0",
"text": "আলবার্ট আইনস্টাইন () (মার্চ ১৪, ১৮৭৯ - এপ্রিল ১৮, ১৯৫৫) জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
}
] | [
{
"docid": "1398#13",
"text": "চারটি গবেষণাপত্র বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত এবং এগুলোর কারণেই ১৯০৫ সালকে আইনস্টাইনের জীবনের \"চমৎকার বছর\" হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য সে সময় তার গবেষণাপত্রের অনেকগুলো তত্ত্বই প্রমাণিত হয়নি এবং অনেক বিজ্ঞানীর কয়েকটি আবষ্কারকে ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দেন। যেমন আলোর কোয়ান্টা বিষয়ে তার মতবাদ অনেক বছর ধরে বিতর্কিত ছিল। ২৬ বছর বয়সে আইনস্টাইন জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার উপদেষ্টা ছিলেন পরীক্ষণমূলক পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আলফ্রেড ক্লাইনার। তার পিএইডি অভিসন্দর্ভের নাম ছিল, \"আ নিউ ডিটারমিনেশন অফ মলিক্যুলার ডাইমেনশন্স\" তথা আণবিক মাত্রা বিষয়ে একটি নতুন নিরুপণ।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "281431#6",
"text": "আলবার্ট আইনস্টাইনকে বিংশ শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞানী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। স্টিফেন হকিং বিশ্বতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। এছাড়াও, লুই পাস্তুর, রেনে ডেসকার্টেস, থমাস ইয়াং, হারম্যান ভন হেলমোল্টজ, আইজ্যাক নিউটন, গটফ্রিড লিবনিজ, জোসেফ ফোরিয়ার, জন ভন নিউম্যান, এলান টুরিং, আন্দ্রে শাখারভ, আলেক্সান্দার খিনচিন, আন্দ্রেই মার্কভ, নর্বাট ওয়াইনাস, গ্যালিলিও গ্যালিলি, অলিভার ওয়েন্ডেল হোমস, উইলিয়াম হার্ভে, সান্টিয়াগো র্যামন ওয়াই ক্যাজাল, ভিলহেল্ম কনরাড রন্টগেন, আলফ্রেড নোবেল প্রমূখ ব্যক্তিত্ব স্ব-স্ব ক্ষেত্রে মূল্যবান অবদান রেখে বিজ্ঞানী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।",
"title": "বিজ্ঞানী"
},
{
"docid": "1398#11",
"text": "আইনস্টাইন ১৯০৩ সালের ৬ জানুয়ারি মিলেভা মেরিককে বিয়ে করেন। তাদের সম্পর্কটি শুধুমাত্র আবেগকেন্দ্রিক ছিলনা, তাতে যথেষ্ট পরিমাণ বুদ্ধিবৃত্তিক অংশীদারিত্বের উপাদান মিশে ছিল। তাই পরবর্তীকালে তিনি মিলেভা সম্বন্ধে বলেছলেন, \"মিলেভা এমন এক সৃষ্টি যে আমার সমান এবং আমার মতই শক্তিশালী ও স্বাধীন\"। এরিক তার গবেষণাকর্মে কি ভূমিকা রেখেছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অবশ্য অধিকাংশ ইতিহাসবিদই মনে করেন আইনস্টাইনের গবেষণাকর্মে মেরিকের বড় কোন ভূমিকা ছিলনা। ১৯০৪ সালের ১৪ মে আলবার্ট এবং মিলেভার প্রথম পুত্রসন্তান হ্যান্স আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম হয়। তাদের দ্বিতীয় পুত্র এদুয়ার্দ আইনস্টাইনের জন্ম হয় ১৯১০ সালের ২৮ জুলাই।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "1398#10",
"text": "সাধারণ বিশেষজ্ঞ এবং ইতিহাসবিদরা মনে করেন পেটেন্ট অফিসের দিনগুলিতে আইনস্টাইনের মেধার অপচয় হয়েছে। কারণ পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে তার আগ্রহের সাথে এই চাকরির কোন সংযোগ ছিলনা এবং এ সময়ে তিনি অনেক এগিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু বিজ্ঞান ইতিহাসবিদ পিটার গ্যালিসন এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তার মতে, সেখানে অবস্থানকালীন কাজকর্মের সাথে আইনস্টাইনের পরবর্তী জীবনের আগ্রহের বিষয়গুলোর যোগসূত্র রয়েছে। যেমন, পেটেন্ট অফিসে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তিনি বৈদ্যুতিক সংকেতের সঞ্চালন এবং সময়ের বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক সামঞ্জস্য বিধান বিষয়ে কিছু গবেষণা করেছিলেন। তখন সঙ্কালিক সময় বিষয়ক চিন্তাধারায় দুটি প্রধান কৌশলগত সমস্যা ছিল। এই সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করতে গিয়েই সে সময়ে তিনি আলোর প্রকৃতি এবং স্থান ও কালের মধ্যে মৌলিক যোগসূত্র বুঝতে পেরেছিলেন।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "1398#4",
"text": "তিনি বলেছেন\"ধর্ম ছাড়া যে বিজ্ঞান সেটা হল পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া যে ধর্ম সেটা হল অন্ধ\"। আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের (ঊনবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল-এর মৃত্যুর বছর) ১৪ মার্চ উল্ম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে মিউনিখে। আইনস্টাইনের বাবা-মা ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ মধ্যবিত্ত ইহুদি। বাবা হেরমান আইনস্টাইন মূলত পাখির পালকের বেড তৈরি ও বাজারজাত করতেন। পরবর্তীতে তিনি মিউনিখে একটি তড়িৎ যন্ত্র নির্মাণ কারখানা স্থাপন করে মোটামুটি সফলতা পান। এই কোম্পানির নাম ছিল \"Elektrotechnische Fabrik J. Einstein & Cie\" যা মিউনিখের Oktoberfest-কে প্রথম বিদ্যুতায়িত করে এবং Schwabing-কে প্রথম বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। তার মা পলিন কখ পরিবারের অভ্যন্তরীণ সব দায়িত্ব পালন করতেন। তার এক বোন ছিল যার নাম মাজা। আইনস্টাইনের জন্মের দুই বছর পর তার জন্ম হয়। ছোটবেলায় দুইটি জিনিস তার মনে অপার বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল। প্রথমত পাঁচ বছর বয়সে একটি কম্পাস হাতে পান এবং তার ব্যবহার দেখে বিস্মিত হন। অদৃশ্য শক্তির কারণে কিভাবে কম্পাসের কাঁটা দিক পরিবর্তন করছে ? তখন থেকে আজীবন অদৃশ্য শক্তির প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। এরপর ১২ বছর বয়সে তিনি জ্যামিতির একটি বইয়ের সাথে পরিচিত হন। এই বইটি অধ্যয়ন করে এত মজা পেয়েছিলেন যে একে আজীবন \"পবিত্র ছোট্ট জ্যামিতির বই\" বলে সম্বোধন করেছেন। আসলে বইটি ছিল ইউক্লিডের এলিমেন্ট্স। তার প্রথম স্কুল ছিল ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুল। বাকপটুতা না থাকলেও তিনি এলিমেন্টারি স্কুলের সেরা মেধাবী ছাত্র ছিলেন।\n১২ বছর বয়সে আইনস্টাইন হঠাৎ বেশ ধার্মিক হয়ে উঠেছিলেন। স্রষ্টারগুণকীর্তণ করে বিভিন্ন গান ও পঙক্তি আয়ত্ত করেছিলেন স্কুলে। তার কথা বলার ক্ষমতা খুব একটা ছিল না, তথাপি স্কুলে বেশ ভালো ফলাফল করেছিলেন। কিন্তু বিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়ার পর থেকে তার ধর্মীয় চেতনা কমে যেতে থাকে। কারণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সাথে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরোধ লেগে যাচ্ছিলো। আর বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলো ছিল নিশ্চিতরূপে প্রমাণিত। এহেন অবস্থায় তৎকালীন ইহুদি নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায়তনের কর্তৃপক্ষ তার উপর বিশেষ সন্তুষ্ট ছিল না। মা'র আগ্রহে মাত্র ৬ বছর বয়সে আইনস্টাইন বেহালা হাতে নেন। বেহালা বাজানো খুব একটা পছন্দ করতে পারেন নি, তাই তখন তা ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি মোৎসার্টের বেহালার সুরের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি এ সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিজে নিজে তৈরি করে অন্যদের দেখাতেন। এ সময় থেকেই গণিতের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ও মেধার পরিচয় পাওয়া যায়।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "1398#6",
"text": "আইনস্টাইনের বয়স যখন ১৫ তখন তার বাবা প্রতিনিয়ত ব্যবসায় ক্ষতির শিকার হতে থাকেন। এ সময় তার কোম্পানি মিউনিখ শহরের বিরাট অংশকে বিদ্যুতায়িত করার মত একটি লাভজনক চুক্তি স্থাপনে ব্যর্থ হয়। অগত্যা হেরমান সপরিবারে ইতালির মিলানে পাড়ি জমান। সেখানে এক আত্মীয়ের সাথে কাজ শুরু করেন। মিলানের পর কয়েক মাস তারা পাভিয়া-তে থাকেন। সে সময়েই আইনস্টাইন জীবনের প্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র লিখেন যার নাম \"চৌম্বক ক্ষেত্রে ইথারের অবস্থা সংক্রান্ত অনুসন্ধান\" (The Investigation of the State of Aether in Magnetic Fields)। বাবা তাকে মিউনিখের একটি বোর্ডিং হাউজে রেখে গিয়েছিলেন পড়াশোনা শেষ করার জন্য। একা একা তার জীবন দুঃসহ হয়ে উঠে। একে স্কুলের একঘেয়ে পড়াশোনা তার উপর ১৬ বছর বয়স হয়ে যাওয়ায় সামরিক দায়িত্ব পালনের চাপ তাকে হাপিয়ে তোলে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাত্র ৬ মাস পরেই তাই মিউনিখ ছেড়ে পাভিয়াতে তার বাবা-মার কাছে চলে যান। হঠাৎ একদিন দরজায় আলবার্ট উপস্থিত দেখে তারা বেশ বিস্মিত হয়েছিলেন। তার উপর স্কুলের চাপের বিষয়টি বাবা-মা বুঝতে পারেন। ইতালিতে তাকে কোন স্কুলে ভর্তি করাননি তারা। তাই মুক্ত জীবন কাটাতে থাকেন আইনস্টাইন। তার যোগ্যতা খুব একটা আশাব্যঞ্জক বলে কারও মনে হয়নি। ডাক্তারের চিকিৎসাপত্রের অজুহাত দেখিয়ে তিনি স্কুল থেকে চলে এসেছিলেন।\nএসময় আইনস্টাইনের একটি সুযোগ আসে। তিনি সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত Eidgenössische Polytechnische Schule (সুইজ ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুল, ১৯০৯ সালে একে বিবর্ধিত করে পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়া হয়েছিল এবং ১৯১১ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল Eidgenössische Technische Hochschule তথা সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা ইটিএইচ জুরিখ) নামক প্রতিষ্ঠানে ভর্তির একটি সুযোগ পান। সেখানে কেবল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেই তাকে নিয়ে নেয়ার কথা জানানো হয়। যদিও তার হাই স্কুল বা সমমানের কোন ডিগ্রি ছিলনা। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। ফলাফল দিলে দেখা যায়, তিনি পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে ভাল করেছেন, কিন্তু অকৃতকার্য হয়েছেন ফরাসি ভাষা, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানে। গণিতে অনেক ভাল করার জন্য তাকে পলিটেকনিকে ভর্তি করে নেয়া হয় এক শর্তে, তাকে সাধারণ স্কুলের পর্যায়গুলো অতিক্রম করে আসতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। তিনি সুইজারল্যান্ডের আরাইতে জস্ট উইন্টেলার কর্তৃক পরিচালিত একটি বিশেষ ধরনের স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৮৯৬ সালে সেখান থেকে স্নাতক হন। সেখানে তিনি মূলত ম্যাক্সওয়েলের তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। একই সময়ে সামরিক দায়িত্ব পালন এড়ানোর জন্য তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জার্মান নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন, এ ব্যাপারে তার বাবার স্মতি ছিল। এরপর প্রায় ৫ বছর তিনি কোন দেশেরই নাগরিক ছিলেননা। ১৯০১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব লাভ করেন যা তিনি কখনই ত্যাগ করেননি।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "1398#2",
"text": "১৯৩৩ সালে এডলফ হিটলার জার্মানিতে ক্ষমতায় আসেন, সে সময় তিনি বার্লিন একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। ইহুদী হওয়ার কারণে আইনস্টাইন সে সময় দেশত্যাগ করে আমিরেকায় চলে আসেন এবং আর জার্মানিতে ফিরে যান নি। আমেরিকাতেই তিনি থিতু হোন এবং ১৯৪০ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পান।\nদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে আগে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি জার্মানী \"ভিন্ন ধরনের অসম্ভব শক্তিশালী বোমা বানাতে পারে\" মর্মে সতর্কতা উচ্চারণ করে আমেরিকাকেও একই ধরনের গবেষণা শুরুর তাগিদ দেন। তাঁর এই চিঠির মাধ্যমেই ম্যানহাটন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়। আইনস্টাইন মিত্রবাহিনীকে সমর্থন করলেও পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছিলেন। পরে ব্রিটিশ দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের সঙ্গে মিলে আণবিক বোমার বিপদের কথা তুলে ধরে রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার[] রচনা করেন। ১৯৫৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "1398#5",
"text": "লুইটপোল্ড জিমনেসিয়ামে প্রুশীয় ধরনের শিক্ষা ও আচারের প্রতি তিনি উদাসীন হয়ে যান, তাল মেলাতেও পেরে উঠেন নি। সেই শিক্ষা সৃজনশীলতা ও মৌলিকত্ব নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। এক শিক্ষক অবশ্য আইনস্টাইনকে বলেই বসেছিলেন যে তাকে দিয়ে মহৎ কিছু হবে না। সেই সময়ে তার উপর \"মাক্স টালমুড\" নামক চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক ছাত্রের বিশেষ প্রভাব পড়েছিল। তাদের বাসায় মাঝে মাঝেই সে নিমন্ত্রণ খেতে যেতো। এভাবে এক সময় আইনস্টাইনের অঘোষিত প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। টালমুড তাকে উচ্চতর গণিত ও দর্শন বিষয়ে দীক্ষা দিত। ১৬ বছর বয়সে তিনি এক বিশেষ বিষয়ে মনোযোগী হয়ে উঠেন। এর আগে টালমুড তাকে \"অ্যারন বার্নস্টাইন\" লিখিত শিশু বিজ্ঞান সিরিজের (Naturwissenschaftliche Volksbucher, ১৮৬৭-৬৮) সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। এই বইয়ে লেখক বিদ্যুতের সাথে ভ্রমণ তথা একটি টেলিগ্রাফ তারের ভিতর দিয়ে চলাচলের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। আইনস্টাইন তখন নিজেকে প্রশ্ন করেন, এভাবে যদি আলোর সাথে ভ্রমণ করা যেত তাহলে কি ঘটত? এই প্রশ্নটি পরবর্তী ১০ বছর তার মনে ঘুরপাক খেতে থাকে। তিনি ভেবে দেখেন, আলোর সাথে একই গতিতে ভ্রমণ করলে আলোকে স্থির দেখা যাবে, ঠিক যেন জমাটবদ্ধ তরঙ্গ। আলো যেহেতু তরঙ্গ দিয়ে গঠিত সেহেতু তখন স্থির আলোক তরঙ্গের দেখা দিবে। কিন্তু স্থির আলোক তরঙ্গ কখনও দেখা যায়নি বা দেখা সম্ভব নয়। এখানেই একটি হেয়ালির জন্ম হয় যা তাকে ভাবিয়ে তোলে। টালমুডই তাকে ইউক্লিডের এলিমেন্টস এবং ইমানুয়েল কান্টের ক্রিটিক অফ পিউর রিজন বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। এলিমেন্ট্স পড়ে আইনস্টাইন অবরোহী কারণ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া জানতে পারেন। স্কুল পর্যায়ে ইউক্লিডীয় জ্যামিতি আয়ত্ত করার পর তিনি ক্যালকুলাসের প্রতি মনোযোগী হন। আইনস্টাইনের বাবা চেয়েছিলেন ছেলে তড়িৎ প্রকৌশলী হবে, কিন্তু তিনি বিশুদ্ধ জ্ঞানের প্রতিই আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।\nতিনি একজন মহান বিজ্ঞানী।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "1398#14",
"text": "১৯০৬ সালে পেটেন্ট অফিস আইনস্টাইনকে টেকনিক্যাল পরীক্ষকের পদে উন্নীত করে। কিন্তু তিনি তখনও পড়াশোনার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯০৮ সালে বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের privatdozent হিসেবে যোগ দেন। ১৯১০ সালে তিনি ক্রান্তীয় অনচ্ছতা বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র লিখেন। এতে পরিবেশে একক অণু কর্তৃক বিচ্ছুরিত আলোর ক্রমপুঞ্জিত প্রভাব বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। এর মাধ্যমেই আকাশ কেন নীল দেখায় তার রহস্য উন্মোচিত হয়। ১৯০৯ সালে আরও দুটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। প্রথমটিতে তিনি বলেন, ম্যাক্স প্লাংকের শক্তি-কোয়ান্টার অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ভরবেগ থাকতে হবে এবং তা একটি স্বাধীন বিন্দুবৎ কণার মত আচরণ করবে। এই গবেষণাপত্রেই ফোটন ধারণাটির জন্ম হয়। অবশ্য ফোটন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন গিলবার্ট এন লুইস ১৯২৬ সালে। তবে আইনস্টাইনের গবেষণায়ই ফোটনের প্রকৃত অর্থ বোঝা যায় এবং এর ফলে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানে তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা বিষয়ক ধারণার উৎপত্তি ঘটে। তার অন্য গবেষণাপত্রের নাম ছিল \"Über die Entwicklung unserer Anschauungen über das Wesen und die Konstitution der Strahlung\" (বিকিরণের গাঠনিক রূপ এবং আবশ্যকীয়তা সম্বন্ধে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন) যা আলোর কোয়ান্টায়ন বিষয়ে রচিত হয়।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
}
] |
বাংলা ভাষার জন্ম কোন ভাষা থেকে ? | [
{
"docid": "608#3",
"text": "খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়কালে মাগধী প্রাকৃত ও পালির মতো পূর্ব মধ্য ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ থেকে বাংলা ও অন্যান্য পূর্ব ইন্দো-আর্য ভাষাগুলির উদ্ভব ঘটে। এই অঞ্চলে কথ্য ভাষা প্রথম সহস্রাব্দে মাগধী প্রাকৃত বা অর্ধমাগধী ভাষায় বিবর্তিত হয়। খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর শুরুতে উত্তর ভারতের অন্যান্য প্রাকৃত ভাষার মতোই মাগধী প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ ভাষাগুলির উদ্ভব ঘটে। পূর্বী অপভ্রংশ বা অবহট্ঠ নামক পূর্ব উপমহাদেশের স্থানীয় অপভ্রংশ ভাষাগুলি ধীরে ধীরে আঞ্চলিক কথ্য ভাষায় বিবর্তিত হয়, যা মূলতঃ ওড়িয়া ভাষা, বাংলা-অসমীয়া ও বিহারী ভাষাসমূহের জন্ম দেয়। কোনো কোনো ভাষাবিদ ৫০০ খ্রিস্টাব্দে এই তিন ভাষার জন্ম বলে মনে করলেও এই ভাষাটি তখন পর্যন্ত কোনো সুস্থির রূপ ধারণ করেনি; সে সময় এর বিভিন্ন লিখিত ও ঔপভাষিক রূপ পাশাপাশি বিদ্যমান ছিল। যেমন, ধারণা করা হয়, আনুমানিক ষষ্ঠ শতাব্দীতে মাগধী অপভ্রংশ থেকে অবহট্ঠের উদ্ভব ঘটে, যা প্রাক-বাংলা ভাষাগুলির সঙ্গে কিছু সময় ধরে সহাবস্থান করছিল।",
"title": "বাংলা ভাষা"
}
] | [
{
"docid": "608#5",
"text": "ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে নদিয়া অঞ্চলে প্রচলিত পশ্চিম-মধ্য বাংলা কথ্য ভাষার ওপর ভিত্তি করে আধুনিক বাংলা সাহিত্য গড়ে ওঠে। বিভিন্ন আঞ্চলিক কথ্য বাংলা ভাষা ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত ভাষার মধে অনেকখানি পার্থক্য রয়েছে। আধুনিক বাংলা শব্দভাণ্ডারে মাগধী প্রাকৃত, পালি, সংস্কৃত, ফার্সি, আরবি ভাষা এবং অস্ট্রোএশিয়াটিক ভাষাসমূহ সহ অন্যান্য ভাষা পরিবারের শব্দ স্থান পেয়েছে।\nবাংলা ভাষার ইতিহাসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:",
"title": "বাংলা ভাষা"
},
{
"docid": "1589#25",
"text": "বাংলা শব্দতত্ত্ব সম্পর্কে তরুণ বয়স থেকেই যে রবীন্দ্রনাথের আগ্রহ ছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর শব্দতত্ত্ব (১৩৪২) গ্রন্থে সংকলিত ভাষাবিষয়ক প্রবন্ধগুলিতে। আর বাংলা ভাষা সম্পর্কে তাঁর ধারণার পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর বাংলাভাষা পরিচয় (১৯৩৮) গ্রন্থে। এতে তিনি বাংলা ভাষার চলিত রূপের পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কারণ তাঁর কাছে ভাষা হচ্ছে সচল সমাজমনের নিত্য প্রবহমান অভিব্যক্তি; আর এই অভিব্যক্তি সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ে চলিত ভাষায়। চলিত বাংলা রূপের পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি একাধিকবার বলেছেন, বাংলা হচ্ছে ভঙ্গিপ্রধান ভাষা এবং এই ভঙ্গির পরিচয়ই তিনি ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব এই তিন দিক থেকে উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছেন।",
"title": "বাংলা ব্যাকরণ"
},
{
"docid": "418489#2",
"text": "উনিশ শতকে বাংলা গদ্যের প্রসারকালে সাধু ভাষার দুটি রূপ দেখা গিয়েছিল : বিদ্যাসাগরী ও বঙ্কিমী। প্রথমটিতে খ্যাত ছিলেন বাংলা গদ্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং সেই সঙ্গে অক্ষয়কুমার দত্ত। তাঁদের ভাষা বিশুদ্ধ সংস্কৃত শব্দবহুল, যাতে অসংস্কৃত শব্দ পরিহারের প্রয়াস দেখা যায়। কিন্তু দ্বিতীয় রূপের প্রধান পুরুষ বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষা সংস্কৃত শব্দবহুল হলেও তা অপেক্ষাকৃত সহজ এবং সে ভাষায় অসংস্কৃত শব্দের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল না। বঙ্কিমী সাধু ভাষায়ই হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, দীনেশচন্দ্র সেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মীর মশাররফ হোসেন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ সাহিত্যিকের গ্রন্থাবলি রচিত হয়; এছাড়া সমসাময়িক সাহিত্যেও কমবেশি এ ভাষা ব্যবহূত হয়েছে। এভাবে এক সময় সাধু ভাষা বাংলার আদর্শ লেখ্য ভাষা হয়ে ওঠে। সমগ্র বঙ্গদেশে তখন গদ্য-লেখায় ও চিঠি-পত্রাদিতে প্রায়শ এই ভাষা ব্যবহূত হতো; সরকারি কাজকর্ম, বিশেষত আইন-সংশিষ্ট দস্তাবেজে এর প্রয়োগ ছিল সর্বাধিক। বর্তমানে দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং সাহিত্যে এ ভাষার প্রয়োগ নেই বললেই চলে।",
"title": "সাধু ভাষা"
},
{
"docid": "608#6",
"text": "অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্বে, বাংলা ব্যাকরণ রচনার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৭৩৪ থেকে ১৭৪২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভাওয়াল জমিদারীতে কর্মরত অবস্থায় পর্তুগিজ খ্রিস্টান পুরোহিত ও ধর্মপ্রচারক ম্যানুয়েল দ্য আসুম্পসাও সর্বপ্রথম \"ভোকাবোলারিও এম ইডিওমা বেঙ্গালা, এ পোর্তুগুয়েজ ডিভিডিডো এম দুয়াস পার্তেস\" \"()\" নামক বাংলা ভাষার অভিধান ও ব্যাকরণ রচনা করেন। ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড নামক এক ইংরেজ ব্যাকরণবিদ আ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ (\"\") নামক গ্রন্থে একটি আধুনিক বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন, যেখানে ছাপাখানার বাংলা হরফ প্রথম ব্যবহৃত হয়। বাঙালি সমাজসংস্কারক রাজা রামমোহন রায় ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে \"গ্র্যামার অফ্ দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ্\" \"()\" নামক একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন।",
"title": "বাংলা ভাষা"
},
{
"docid": "110881#0",
"text": "ব্রজবুলি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বা উপভাষা। ব্রজবুলি মূলত এক ধরনের কৃত্রিম মিশ্রভাষা। মৈথিলি ও বাংলার মিশ্রিত রূপ হলো ব্রজবুলি ভাষা। মিথিলার কবি বিদ্যাপতি (আনু. ১৩৭৪-১৪৬০) এর উদ্ভাবক। তাঁর পদের ভাব ও ভাষার অনুসরণে বাংলা, উড়িষ্যা ও আসামে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ব্রজবুলি ভাষার সৃষ্টি হয়। পদগুলিতে রাধাকৃষ্ণের ব্রজলীলা বর্ণিত হওয়ায় এর নাম হয়েছে ব্রজবুলি অর্থাৎ ব্রজ অঞ্চলের ভাষা। অবশ্য এই পদগুলি তখন ব্রজধামে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল বলেও একে ব্রজবুলি বলা হতো। এর উৎপত্তি বিদ্যাপতির হাতে হলেও পরিপুষ্টি হয়েছে বাঙালি কবিদের হাতে। উল্লেখ, প্রাচীন ভারতবর্ষের ব্রজভূমি (অধুনা উত্তর প্রদেশ) অঞ্চলে ব্রজভাষা নামের একটি ভাষা রয়েছে। ধারণা করা হয় বৃন্দাবনের রাধাকৃষ্ণ সম্ভবত সে ভাষায়ই কথা বলতেন।",
"title": "ব্রজবুলি"
},
{
"docid": "608#0",
"text": "বাংলা ভাষা (; ) দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গ অঞ্চলের মানুষের স্থানীয় ভাষা, এই অঞ্চলটি বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত। এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, অসম রাজ্যের বরাক উপত্যকা এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জেও বাংলা ভাষাতে কথা বলা হয়। এই ভাষার লিপি হল বাংলা লিপি। এই অঞ্চলের প্রায় বাইশ কোটি স্থানীয় মানুষের ও পৃথিবীর মোট ৩০ কোটি মানুষের ভাষা হওয়ায়, এই ভাষা বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত, এবং ভারতের জাতীয় স্তোত্র এই ভাষাতেই রচিত এবং তা থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় এই ভাষার গুরুত্ব বোঝা যায়।",
"title": "বাংলা ভাষা"
},
{
"docid": "608#4",
"text": "চৈতন্য মহাপ্রভুর যুগে ও বাংলার নবজাগরণের সময় বাংলা সাহিত্য সংস্কৃত ভাষা দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিল। সংস্কৃত থেকে যে সমস্ত শব্দ বাংলা ভাষায় যোগ করা হয়, তাঁদের উচ্চারণ অন্যান্য বাংলা রীতি মেনে পরিবর্তিত হলেও সংস্কৃত বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়। বাংলা ভাষার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করেন বাংলার মুসলিম শাসকগোষ্ঠী। ফার্সির পাশাপাশি বাংলাও বাংলার সালতানাতের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃত ছিলো এবং ব্যাপক হারে ব্যবহার হতো। এছাড়াও প্রোটো বাংলা ছিলো পাল এবং সেন সাম্রাজ্যের প্রধান ভাষা।",
"title": "বাংলা ভাষা"
},
{
"docid": "81236#3",
"text": "বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ঐতিহ্য হাজার বছরের বেশি পুরনো। ৭ম শতাব্দীতে লেখা বৌদ্ধ দোহার সঙ্কলন চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। মধ্যযুগে বাংলা ভাষায় কাব্য, লোকগীতি, ও পালাগানের প্রচলন ঘটে। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে বাংলা কাব্য ও গদ্যসাহিত্যের ব্যাপক বিকাশ ঘটে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাঢ় বাংলার তথা বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ বাংলা ভাষায় সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলার লোক সাহিত্যও সমৃদ্ধ; মৈমনসিংহ গীতিকায় এর পরিচয় পাওয়া যায়। ষাটের দশকে পশ্চিমবঙ্গের হাংরি আন্দোলন , শ্রুতি, শাস্ত্রবিরোধী ও নিমসাহিত্য আন্দোলনগুলি বাংলা সাহিত্যকে একটি নূতন বাঁকবদল এনে দিয়েছিল ।",
"title": "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি"
},
{
"docid": "67694#7",
"text": "১৯৪৭ সালে পূর্বপাকিস্তান নামকরাষ্ট্র জন্মাবার পর শিশুরাষ্ট্রে ভাষা সংকট দেখা দেয়। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে জিন্নাহর দাম্ভিক ঘোষণা পূর্ববঙ্গবাসীদের মর্মাহত করে। যার পরিণতি ১৯৫২ সালে রক্তাক্ত মহান ভাষা আন্দোলন। অনেক রক্তের বিনিময়ে ১৯৫৬ সালে পশ্চিমা শাসকরা উর্দুর সঙ্গে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। সেদিন পূর্ববঙ্গের বাঙালিরা ভাষার প্রশ্নে ছিল উত্তপ্ত ও উদ্বেলিত। বাংলা অক্ষর, ভাষা ও ব্যাকরণকে সহজ করার জন্য বাঙালিরা ২টি সংস্থার জন্ম দেয়। বাংলা ভাষা পরিকল্পনায় এদুটো প্রতিষ্ঠানই মুখ্য ভূমিকা রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাবোর্ড, টেকস্টবুক বোর্ড তখনও গৌণ। এসব প্রতিষ্ঠান নিজনিজ ক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো পরিভাষা প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। বাংলা একাডেমি (১৯৫৭) ও বাংলা উন্নয়ন বোর্ড (১৯৬৩)। এদেশে পরিভাষা সম্পর্কিত চিন্তার সূত্রপাত হয়। মুহম্মদ আব্দুল হাই-এর ‘আমাদের পরিভাষা সমস্যায় সংস্কৃতের স্থান’ (১৯৬১) এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘আমাদের পরিভাষা সমস্যা’ (১৯৬২) প্রবন্ধ দুটি পরিভাষার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে পরিভাষা প্রণয়নে ৩ জন মনীষীর নাম স্মরণযোগ্য। যেমন : আব্দুল হাই, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সৈয়দ আলী আহসান।\nআন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক প্রবর্তিত \"পরিভাষা প্রণয়ন নীতিমালা \" অনুসারে পরিভাষার ৫ বৈশিষ্ট্য বা গুণ থাকা আবশ্যক।",
"title": "পরিভাষা"
}
] |
গঙ্গার জল বণ্টনকে কেন্দ্র ক'রে বাংলাদেশ ও ভারত রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যে প্রথম কোন সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ? | [
{
"docid": "112997#1",
"text": "যদিও ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নতুন দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ. ডি. দেবেগৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ একটি সামগ্রিক বৈদেশিক চুক্তি সাক্ষর করেন। এই চুক্তিটি ছিল বাংলাদেশকে ন্যূনতম জলসরাবরাহের গ্যারান্টি সহ ৩০ বছরের জলবণ্টন চুক্তি। উল্লেখ্য, গঙ্গার নিম্ন অববাহিকায় বাংলাদেশের অধিকার স্বীকৃত।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#8",
"text": "১৯৮২ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের তদনীন্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ভারতের সঙ্গে দুই বছরের জলবণ্টন নিয়ে একটি মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (মউ) সাক্ষর করেন। ১৯৮৫ সালের ২২ নভেম্বর আরও একটি মউ সাক্ষরিত হয়। তবে প্রবাহিত জলের পরিমাপ বৃদ্ধি নিয়ে কোনো চুক্তি সাক্ষরিত হয়নি। ভারতও চুক্তি সম্প্রসারিত করতে অস্বীকার করে। ১৯৯৩ সালের শুখা মরশুমে বাংলাদেশের দিকে জলপ্রবাহ পূর্বের ৩৪,৫০০ কিউসেকের বদলে কমিয়ে ১০,০০০ কিউসেক করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ সভা এবং সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশনে (সার্ক) বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করতে চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও বিশেষ ফল হয় না।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "6468#6",
"text": "ভারতকে পানি অপসারণে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়ে, বাংলাদেশ এই বিষয়টি জাতিসংঘে উপস্থাপন করে। ২৬ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ভারতকে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সুরাহার করার নির্দেশ দিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। কয়েকবার বৈঠকের পর উভয় দেশ ৫ নভেম্বর ১৯৭৭ সালে একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ও ভারত পরবর্তি পাঁচ বছরের (১৯৭৮-৮২) জন্য শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি ভাগ করে নেবে। ১৯৮২ এর অক্টোবরে উভয় দেশ ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে পানি বন্টনের একটি চুক্তি করে। নভেম্বর ১৯৮৫ সালে আরও তিন (১৯৮৬-৮৮) বছরের জন্য পানি বন্টনের চুক্তি হয়। কিন্তু একটি দীর্ঘ চুক্তির অভাবে বাংলাদেশ তার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য গঙ্গার পানি ব্যবহারে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারেনি। কোনো চুক্তি না থাকায় ১৯৮৯ সালের শুষ্ক মৌসুম থেকে ভারত একতরফা প্রচুর পরিমাণ পানি গঙ্গা থেকে সরিয়ে নেয়, ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশর নদ-নদীতে পানি প্রবাহের চরম অবনতি ঘটে। ১৯৯২ সালের মে মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ভারত বাংলাদেশকে সমান পরিমাণ পানি দেবার ব্যাপারে সম্ভাব্য সকল কিছু করবে। ফলে এরপর দুই দেশের মধ্যে কোন মন্ত্রী বা সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়নি। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রীজ অঞ্চলে মাত্র ২৬১ কিউসেক পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়, যেখানে ফারাক্কা-পূর্ব সময়ে একই অঞ্চলে ১৯৮০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হত। ১৯৯৩ সালের মে মাসে যখন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীরা আবার মিলিত হন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশেকে দেওয়া তার কথা রাখতে ব্যর্থ হন। অবশেষে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা \"গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি\" সই করেন।",
"title": "ফারাক্কা বাঁধ"
}
] | [
{
"docid": "112997#11",
"text": "১৯৯৬ সালের চুক্তি বাংলাদেশ-ভারত বৈদেশিক সম্পর্কের দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন হ্রাস করে। তবে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে। বিএনপি ভারত-বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত। তবে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি এই চুক্তি ভঙ্গ করেনি। বিএনপি সহ বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল অভিযোগ করে যে, ভারত অনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে কম জল সরবরাহ করে বঞ্চিত করছে। অপর দিকে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জলবণ্টনের ফলে অনেক সময়ই কলকাতা বন্দর ও ফারাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর মতো জল পাওয়া যায় না।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#9",
"text": "১৯৯৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হলে দুই দেশের বৈদেশিক সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর উভয় দেশের নেতৃত্ব নতুন দিল্লিতে মিলিত হয়ে একটি ৩০ বছরের সামগ্রিক চুক্তি সাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ফারাক্কা থেকে দুই দেশের মধ্যে জল বণ্টন করা হতে থাকে। পূর্ববর্তী ৪০ বছরের গড় মাত্রা অনুযায়ী ভারত গঙ্গার জলের ভাগ পেতে থাকে। যে কোনো সংকটের সময় বাংলাদেশকে ৩৫,০০০ কিউসেক জল সরবরাহ করার গ্যারান্টিও দেওয়া হয়।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#10",
"text": "গঙ্গার জলের দীর্ঘকালীন বণ্টনব্যবস্থা ও অন্যান্য সাধারণ নদীগুলি ক্ষেত্রে একই রকমের জলবণ্টন ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্যও উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে ভারতের গঙ্গার জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং গঙ্গার নিম্ন অববাহিকায় বাংলাদেশের অধিকার সহ জলের সমান ভাগ পাওয়ার অধিকার – দুইই প্রতিষ্ঠিত হয়। উভয় রাষ্ট্রই জলসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সুনিশ্চিত করার কথা বলে। এই চুক্তির ফলে কুষ্ঠিয়া ও গড়াই-মধুমতী নদীর উপর বাঁধ ও সেচপ্রকল্প পারমিট পায়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে জল সরবরাহ এবং বঙ্গোপসাগরের লবনাক্ত জলের প্রকোপ থেকে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে রক্ষা করা।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#0",
"text": "গঙ্গার জল বণ্টন বাংলাদেশ ও ভারত রাষ্ট্রদ্বয়ের বৈদেশিক সম্পর্কের একটি দীর্ঘকালীন ইস্যু। এই ইস্যুটি উত্তর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর জলসম্পদের সঠিক বণ্টন ও উন্নয়ন সম্পর্কিত। সুদীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে গঙ্গার জল বণ্টন নিয়ে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হয়েছে। একাধিক বৈদেশিক চুক্তি ও আলোচনা সত্ত্বেও এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হয়নি।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "112997#4",
"text": "১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান একটি বহুব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী, সহযোগিতা ও শান্তিচুক্তি সাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী জলসম্পদ বণ্টন, সেচ, বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণের মতো সাধারণ বিষয়গুলির জন্য একটি যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
},
{
"docid": "6468#5",
"text": "১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গঙ্গার জল বন্টন নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা শুরু করে।১৯৭৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতি দেন। এই সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয় যে, উভয় দেশ একটি চুক্তিতে আসার আগে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করবে না। যদিও বাঁধের একটি অংশ পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে দশ (২১ এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ২১ মে ১৯৭৫) দিনের জন্য ভারতকে গঙ্গা হতে ৩১০-৪৫০ কিউসেক পানি অপসারণ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ভারত ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত গঙ্গা নদী হতে ১১৩০ কিউসেক পানি অপসারণ করে পশ্চিমবঙ্গের ভাগরথি-হুগলি নদীতে প্রবাহিত করে।",
"title": "ফারাক্কা বাঁধ"
},
{
"docid": "112997#7",
"text": "১৯৭৭ সালে ভারতের তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই ও বাংলাদেশের তদনীন্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনকালে দুদেশের বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। উক্ত দুই নেতা সেই বছর একটি পাঁচ বছরের জলবণ্টন চুক্তি সাক্ষর করেন। কিন্তু ১৯৮২ সালে সেই চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর পুনর্নবীকরণ করা হয়নি।",
"title": "গঙ্গার জল বণ্টন"
}
] |
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ইমরান খান অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী ? | [
{
"docid": "344680#1",
"text": "বয়ঃপ্রাপ্তির পর ২০০৮ সালে ইমরান প্রথম অভিনয় করেন রোম্যান্টিক কমেডি \"জানে তু... ইয়া জানে না\" ছবিতে। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং সমালোচকদের প্রশংসাও অর্জন করে। এই ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু তাঁর অভিনীত পরবর্তী দু’টি ছবি ব্যর্থ হলে গণমাধ্যম তাঁকে অযোগ্য বলে বিবেচনা করে এবং \"একটিমাত্র ছবির বিস্ময়\" আখ্যা দেয়। এরপর তিনি \"আই হেট লাভ স্টোরিজ\" (২০১০), \"দিল্লি বেলি\" (২০১১) ও \"মেরে ব্রাদার কি দুলহান\" (২০১১) প্রভৃতি বাণিজ্যিকভাবে সফল কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। শেষোক্ত ছবিটিই ছিল তাঁর সর্বশেষ বাণিজ্যসফল চলচ্চিত্র। এরপর তাঁর অভিনীত ছবিগুলি একে একে বক্স-অফিসে সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়।",
"title": "ইমরান খান (ভারতীয় অভিনেতা)"
}
] | [
{
"docid": "344680#0",
"text": "ইমরান খান (; জন্মকালীন নাম: ইমরান পাল; জন্ম: ১৩ জানুয়ারি, ১৯৮৩) হলেন একজন সদ্য বিদায়ী ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ইমরান খান হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি অভিনেতা আমির খান ও পরিচালক-প্রযোজক মনসুর খানের ভাগনে এবং পরিচালক-পরিচালক নাসির হুসেনের দৌহিত্র। \"কয়ামত সে কয়ামত তক\" (১৯৮৮) ও \"জো জিতা ওহি সিকন্দর\" (১৯৯২) ছবিতে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন।",
"title": "ইমরান খান (ভারতীয় অভিনেতা)"
},
{
"docid": "4969#5",
"text": "খান আতা ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানি পরিচালক আখতার জং কারদার পরিচালিত উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র \"জাগো হুয়া সাভেরা\"তে মূল ভূমিকাতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্র। এ ছায়াছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্র জগতে তিনি আনিস নামটি ব্যবহার করতেন। একই বছরে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র \"এ দেশ তোমার আমার\"। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। ১৯৬০ সালে জহির রায়হানের সাথে গড়ে তোলেন লিটল সিনে সার্কেল। এতে পরের বছরগুলোতে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। অভিনেতা হিসেবে তিনি কাজ করেছেন \"কখনো আসেনি\", \"যে নদী মরুপথে\", \"সোনার কাজল\", \"জীবন থেকে নেয়া\", \"সুজন সখী\" এর মতো সফল চলচ্চিত্রে।",
"title": "খান আতাউর রহমান"
},
{
"docid": "344680#8",
"text": "২০১১ সালে, খান \"অভিনয় দেও\" এর ইংরেজি ভাষায় তাঁর ভূমিকার জন্য ইতিবাচক রিভিউ অর্জন করেন ব্লাক কমেডী \"দিল্লী বেল্লী\" চলচ্চিত্রের জন। তিনি তাসি চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা আসে এবং বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করে বিশ্বব্যাপি . মিড ডে রিভিউয়ে বলেন \"স্বস্তিদায়করূপে ভাল\" চলচ্চিত্রে বলে আখ্যা দেন। এবং দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া এর নিখান কাজমি খানের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে অভিহিত করেন। খান বলেন, \"এটা আমি সবসময় করতে চেয়েছিলাম ছবি যে ধরনের হোক এবং এটি হিন্দি সিনেমার আগে শেষ করা হয়েছে যে খুব বেশি পার্থক্য নাই। পরের বছরে খান অভিনয় করেন আলী আব্বাস জাফর এর রোমান্টিক কমেডী চলচ্ছিত্র \"মেরে ব্রাদার কি দুলহান\"। ছবিটি মিশ্র রিভিউ অর্জন করে কিন্তু দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে আয় করে । উক্ক ছবিতে খান কুশ অগ্নিহোত্রী চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি তার ভাই এর নববধূ প্রেমে পড়ে।",
"title": "ইমরান খান (ভারতীয় অভিনেতা)"
},
{
"docid": "469388#8",
"text": "২০০১ সালে তিনি পরিচালনা করেন \"কঠিন বাস্তব\"। রিয়াজ, আমিন খান ও কেয়া অভিনীত ছায়াছবিটি এই বছর হিট সিনেমার তালিকায় নাম লেখায়। এটি চিত্রনায়িকা কেয়ার প্রথম চলচ্চিত্র। একই বছর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ করেন মনে পড়ে তোমাকে। এতে প্রথমবারের মত বাংলাদেশী ও বাংলা ছায়াছবিতে অভিনয় করেন কলকাতার অভিনেত্রী রিয়া সেন। ২০০৩ সালে পরিচালনা করেন \"বিগ বস\"। এই চলচ্চিত্রের একটি গানের কথাও লিখেছেন তিনি। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় আমিন খান অভিনীত \"জীবনের গ্যারান্টি নাই\" ও \"ভন্ড নেতা\" এবং মান্না ও মৌসুমী অভিনীত \"ভাইয়ের শত্রু ভাই\"। ২০০৯ সালে ডিপজল ও রেসিকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"কাজের লোক\"। ছায়াছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং তিনি জনতার নিঃস্বার্থ পারসোনালিটি অ্যাওয়ার্ডে সেরা পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর রিয়াজ ও শাবনূর জুটিকে নিয়ে নির্মাণ করেন রোমান্টিক ঘরানার \"তুমি আমার স্বামী\"। ২০১০ সালে সঙ্গীতশিল্পী এসডি রুবেল ও শাবনূরকে নিয়ে নির্মাণ করেন 'এভাবেই ভালোবাসা হয়\"। এছাড়া ডিপজল ও রেসীকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"রিকশাওয়ালার ছেলে\" ও \"মায়ের চোখ\"।",
"title": "মনতাজুর রহমান আকবর"
},
{
"docid": "12148#0",
"text": "সালমান খান (; উচ্চারণ: ; ) একজন জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।\nসালমান খান বলিউড এর সবচেয়ে বড় সুপারস্টার,তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন \"বিবি হো তো এহসি\" চলচ্চিত্রে একটি গৌণ ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৮৮-তে। তাঁর অভিনীত প্রথম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র \"ম্যায়নে পিয়ার কিয়া\" ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায়; এজন্যে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ নবাগতার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর নব্বইয়ের দশকে তিনি বলিউডে বেশ কিছু ব্যবসা সফল হিন্দি চলচ্চিত্র উপহার দেন, যেমন সাজন (১৯৯১), হাম আপকে হ্যায় কৌন..! (১৯৯৪), করন অর্জুন (১৯৯৫), জুড়ওয়া (১৯৯৭), পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া (১৯৯৮) বিবি নং. ১ (১৯৯৯)। বলিউডের সবচেয়ে বেশি ব্যাবসাসফল সিনেমা তার দখলে।",
"title": "সালমান খান"
},
{
"docid": "344680#6",
"text": "\"কয়ামত সে কয়ামত তক\" (১৯৮৮) ও \"জো জিতা ওহি সিকন্দর\" (১৯৯২) ছবি দু’টিতে ইমরান শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। দু’টি ছবিতেই তিনি আমির খান অভিনীত চরিত্রটির বাল্যাবস্থার রূপ দেন।",
"title": "ইমরান খান (ভারতীয় অভিনেতা)"
},
{
"docid": "344680#3",
"text": "ইমরান খানের প্রকৃত নাম ছিল ইমরান পাল। ১৯৮৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন, উইসকনসিনে তাঁর জন্ম। ইমরানের বাবা অনিল পাল যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ইয়াহু সংস্থায় কর্মরত একজন সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং মা নাজহাত খান একজন মনস্তত্ত্ববিদ। অনিল পাল বাঙালি ও ইংরেজ বংশোদ্ভূত এক হিন্দু। অন্যদিকে নাজহাত খান চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মুসলমান। তিনি পরিচালক-প্রযোজক নাসির হুসেনের কন্যা, পরিচালক-প্রযোজক মনসুর খানের বোন এবং অভিনেতা আমির খানের জ্ঞাতি-ভগিনী।",
"title": "ইমরান খান (ভারতীয় অভিনেতা)"
},
{
"docid": "469388#7",
"text": "আকবর পূর্ণ পরিচালক হিসাবে প্রথম পরিচালনা করেন \"টাকার পাহাড়\"। এটি ডিপজল অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। কিন্তু ছায়াছবিটি ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। তাঁর পরিচালিত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র \"ন্যায় যুদ্ধ\"। চলচ্চিত্রটি ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও সুচরিতা। পরের বছর জনপ্রিয় জুটি ইলিয়াস কাঞ্চন ও দিতিকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"চাকর\"। অভিনেতা মান্নাকে নিয়ে তার প্রথম চলচ্চিত্র \"প্রেম দিওয়ানা\" (১৯৯৩)। এতে মান্নার বিপরীতে অভিনয় করেন চম্পা। ছবিটি ব্যবসাসফল হলে এই জুটিকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"ডিসকো ডান্সার\" (১৯৯৪), \"বশিরা\" (১৯৯৫), \"বাবার আদেশ\" (১৯৯৫) ও \"খলনায়ক\" (১৯৯৬)।\n১৯৯৭ সালে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার পরিচালিত \"কুলি\"। এই ছায়াছবির মাধ্যমে অভিষেক হয় চিত্রনায়িকা পপির। পরবর্তীতে আকবর পপিকে নিয়ে নির্মাণ করেন \"কে আমার বাবা\" (১৯৯৯), \"ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী\" (২০০১), ও লেডি অ্যাকশন ছায়াছবি \"বস্তির রানী সুরিয়া\" (২০০৪)। ১৯৯৮ সালে মান্না অভিনীত \"শান্ত কেন মাস্তান\" ব্যবসাসফল হয়। একই বছর তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ করেন মনের মত মন। এতে অভিনয় করেন বাংলাদেশের আমিন খান এবং ভারতের মোহিনী ও ভিক্টর ব্যানার্জি। ছায়াছবিটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যে ওড়িয়া ভাষায় রাজা রানী নামে মুক্তি পায়।",
"title": "মনতাজুর রহমান আকবর"
},
{
"docid": "432741#0",
"text": "ইনাম আহমেদ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯২২ - ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৩) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা ছিলেন। এছাড়া তিনি কাজ করেছেন টেলিভিশনে ও বেতারে। ১৯৪৩ সালে কলকাতার চলচ্চিত্র \"সমাধান\" এ অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনেতা হিসেবে অভিষেক ঘটে। ১৯৫৬ সালে আব্দুল জব্বার খান নির্মিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বাংলা ও সবাক চলচ্চিত্র \"মুখ ও মুখোশ\" চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ষাটের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত চলচ্চিত্রে নিয়মিত ছিলেন। এসময় তিনি অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে \"মুখ ও মুখোশ\" (১৯৫৬), \"হারানো দিন\" (১৯৬১), \"সূর্যস্নান\" (১৯৬২), \"সোনার কাজল\" (১৯৬২), \"চান্দা\" (১৯৬২), \"জোয়ার এলো\" (১৯৬২), \"সুতরাং\" (১৯৬৪), \"মেঘ ভাঙ্গা রোদ\" (১৯৬৪), \"কাজল\" (১৯৬৫), \"রূপবান\" (১৯৬৫), \"ভাওয়াল সন্ন্যাসী\" (১৯৬৬), \"পাতাল পুরীর রাজকন্যা\" (১৯৬৯), \"নীল আকাশের নীচে\" (১৯৬৯), \"টাকা আনা পাই\" (১৯৭০) ও \"শুভদা\" (১৯৮৬) উল্লেখযোগ্য।",
"title": "ইনাম আহমেদ"
}
] |
গ্নু অপারেটিং সিস্টেম কে তৈরি করেন ? | [
{
"docid": "247470#2",
"text": "রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের এই পরিকল্পনার কথা net.unix-wizards এবং net.usoft নিউজগ্রুপে জানান ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে। সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের কাজ শুরু হয় ৫ জানুয়ারি ১৯৮৪ সালে। এর আগে তিনি এমআইটির আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাব থেকে অবসর গ্রহণ করেন। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকার কারণে গ্নু সফটওয়্যারের ডেভলপমেন্ট বা বিনামূল্যে বিতরণের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে অথবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সফটওয়্যারগুলোর মালিকানার দাবি উত্থাপন হতে পারে। রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু নামটি নির্বাচন করেছেন বিভিন্ন শব্দের খেলা এবং \"দ্য গঞ্জ\" নামের একটি গান থেকে।\nএ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল সম্পূর্ণরূপে ফ্রি সফটওয়্যারের সমন্বয়ে একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা। স্টলম্যান চেয়েছিলেন কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা যেন \"স্বাধীন\" থাকতে পারেন, যেমনটা ছিলেন ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে। সে সময় সফটওয়্যার ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যবহৃত সফটওয়্যারের সোর্স কোড নিয়ে স্টাডি, অন্য যে কারও সাথে শেয়ার করা, সফটওয়্যারে যে কোনো ধরনের পরিবর্তন করার স্বাধীনতা পেতেন। এমনকি পরিবর্তীত সফটওয়্যারসমূহ পুনরায় প্রকাশ করার ব্যাপারেও কোনো বাধা ছিল না ব্যবহারকারীদের। গ্নু ইশতেহারে মার্চ ১৯৮৫ সালে এই দর্শনটি উল্লেখ করা হয়েছিল।",
"title": "গ্নু"
},
{
"docid": "248599#7",
"text": "১৯৮৩ সালে রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু প্রকল্প চালু করেন। সোর্স কোড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে না এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর উদ্দেশ্য থেকেই এই প্রকল্পটি শুরু করা হয়। একটি অপ্রশলিত প্রিন্টার কনফিগার করতে না পারার পরই তিনি এই ধরনের কাজে উদ্বুদ্ধ হন, এর কনফিগার করতে না পারার কারণ ছিল যে অপারেটিং সিস্টেমের সোর্স কোড সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। ১৯৮৫ সালে রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে গ্নু প্রকল্পের একটি রূপরেখা বর্ণনা করা হয়ছিল এবং সেখানে মুক্ত সফটওয়্যারের গুরুত্বও উল্লেখ করা হয়। আরও একটি বিষয় রিচার্ড স্টলম্যানকে গ্নু প্রকল্প এবং গ্নু ইশতেহার প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করেছিল আর সেটি হল স্টলম্যান এবং সিম্বোলিকস ইনকর্পোরেটেডের চুক্তিভঙ্গ।",
"title": "মুক্ত সফটওয়্যারের ইতিহাস"
},
{
"docid": "2819#1",
"text": "স্টলম্যান সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে সম্পূর্ণ ফ্রি সফটওয়্যারে নির্মিত একটি ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করার জন্যে গ্নু প্রকল্প চালু করেন। এটার সাথে সাথে তিনি ফ্রি সফটওয়্যার আন্দোলনেরও সূচনা করেন। তিনি গ্নু প্রকল্পের প্রধান স্থপতি এবং সংগঠক ছিলেন এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত গ্নু সফটওয়্যারের অনেকগুলো তিনি ডেভেলপ করেছিলেন, যার মধ্যে গ্নু কম্পাইলার কালেকশন, গ্নু ডিবাগার, এবং গ্নু ইম্যাকস টেক্সট এডিটর রয়েছে। অক্টোবর ১৯৮৫ সালে তিনি ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন গঠন করেন।",
"title": "রিচার্ড স্টলম্যান"
}
] | [
{
"docid": "2324#0",
"text": "লিনাক্স বা গ্নু/লিনাক্স বলতে লিনাক্স কার্নেলের সাথে বিশেষত গ্নু ও অন্যান্য উপাদানের সংমিশ্রণে প্যাকেজ করা অপারেটিং সিস্টেম গুচ্ছকে বুঝায়। সাধারণত, ডেস্কটপ ও সার্ভার দুধরনের ব্যবহারের জন্যেই লিনাক্স, ডিস্ট্রিবিউশন বা ডিস্ট্রো নামের একটি ফর্মে প্যাকেজড থাকে। একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনের ডিফাইনিং কম্পোনেন্ট হচ্ছে লিনাক্স কার্নেল, যেটি একটি অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল এবং লিনুস তোরভাল্দ্স প্রথম সেপ্টেম্বর ১৭, ১৯৯১ তারিখে প্রকাশ করেন। অনেক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনই লিনাক্স শব্দটি তাদের অপারেটিং সিস্টেমের নামের সাথে ব্যবহার করে এবং ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন গ্নু/লিনাক্স শব্দটি এ অপারেটিং সিস্টেম পরিবারকে বুঝাতেই ব্যবহার করে।",
"title": "লিনাক্স"
},
{
"docid": "249160#8",
"text": "গ্নু প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল একটি ফ্রি সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা। ১৯৯২ এর মধ্যমে গ্নু প্রকল্পের অধিনে অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান প্রধান অংশগুলো তৈরী সম্পন্ন হয়েছিল। এবং কার্নেল গ্নু হার্ড এর কাজ চলছিল। ১৯৯১ সালে লিনুস তোরভাল্দ্স পৃথকভাবে লিনাক্স কার্নেল তৈরী করেন, যার মাধ্যমে এই শেষ শূন্যস্থানটিও পূরণ হয়ে যায়। লিনাক্স ০.১২ সংস্করণটি ১৯৯২ সালে জিপিএল লাইসেন্সের অধিনে প্রকাশ করা হয়েছিল। গ্নু এবং লিনাক্স এর সমন্বয়ে সর্বপ্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ ফ্রি সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ করা হয়। যদিও লিনাক্স গ্নু প্রকল্পের অংশ নয়, কিন্তু এটির ডেভলপমেন্টের কাজে GCC এবং আরও কিছু গ্নু প্রোগ্রামিং টুল ব্যবহার করা হয়েছে।",
"title": "গ্নু প্রকল্প"
},
{
"docid": "2324#8",
"text": "১৯৮৩ সালে রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন। গ্নু প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পুরোপুরি বিনামূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। ৯০-এর দশকের শুরুর দিকেই গ্নু এই অপারেটিং সিস্টেমের প্রায় সমস্ত দরকারি উপাদানগুলো বানাতে বা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন কোড লাইব্রেরি, কম্পাইলার, টেক্সট সম্পাদক (টেক্সট এডিটর), একটি ইউনিক্স-সদৃশ খোলস (শেল), এবং আরও অন্যান্য সফটওয়্যার। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তখনও বাকি ছিল, আর তা হল কার্নেল - অপারেটিং সিস্টেমটির নিম্নতম স্তরের উপাদান বা ভিত্তি।",
"title": "লিনাক্স"
},
{
"docid": "247470#3",
"text": "রিচার্ড স্টলম্যানের আইটিএসে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল এবং এটিই তাকে একটি পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম তৈরীতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আইটিএসে ছিল অ্যাসেমব্লি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা পিডিপি-১০ কম্পিউটার স্থাপত্যের উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়েছিল, তবে এই ডিভাইসটির ডেভলপমেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অপারেটিং সিস্টেমটির ব্যবহারও কমে আসছিল। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গ্নু ইউনিক্সের সমপর্যায়ের একটি অপারেটিং সিস্টেম হিসবে তৈরী করা হবে। সে সময় ইউনিক্স একটি জনপ্রিয় \nমালিকানাধিন অপারেটিং সিস্টেম ছিল। ইউনিক্সের ডিজাইন প্রমাণ করেছে যে এটি কার্যকর, একই সাথে এটি মডিউলার ছিল, ফলে এর অংশগুলি বিভিন্ন সংযোজন করার সুযোগ ছিল।",
"title": "গ্নু"
},
{
"docid": "249160#1",
"text": "এই উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে গ্নু প্রকল্পের মাধ্যমে GNU (\"GNU\" is a recursive acronym that stands for \"GNU's Not Unix\") নামের একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর কাজ শুরু করা হয়। একটি ফ্রি অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর লক্ষ পূরণের সর্বশেষ অংশটি সম্পন্ন হয় ১৯৯২ সালে। গ্নু সিস্টেমের কার্নেল তৈরীর কাজ চলাকালীন সময়ে,\nলিনাক্স কার্নেল নামের একটি অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল গ্নু জিপিএল ২য় সংস্করণ লাইসেন্সের অধিনে প্রকাশ করা হয়।",
"title": "গ্নু প্রকল্প"
},
{
"docid": "2819#15",
"text": "১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয় গ্নু প্রকল্পের ইশতেহার । এই ইশতেহারে গ্নু প্রকল্পের বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরার পাশপাশি জানানো হয় ইউনিক্স-সদৃশ একটি মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কথা। ইউনিক্সের মতো হলেও এই অপারেটিং সিস্টেমের সোর্স কোড বিতরণ ও পরিবর্তন করা যাবে। এছাড়াও মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে সে বছরের ৪ অক্টোবর গঠন করেন ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। মুক্ত সফটওয়্যারের বিতরণ এবং রূপান্তর যেন কপিরাইটের হুমকির মুখে না পড়ে সেজন্য স্টলম্যান এক নতুন ধারণার জন্ম দেন, যার নাম ‘কপিলেফট’। কপিলেফটের ফলে একটি সফটওয়্যার স্বাধীনভাবে ব্যবহার করা ছাড়াও ব্যবহারকারী এর পরিবর্তন করতে পারবেন, এমনকি এই সফটওয়্যারকে রূপান্তর করে একটি নতুন সফটওয়্যারও তৈরি করা যাবে। এজন্য কারো অনুমতি নিতে হবে না। স্টলম্যানের মতে কপিরাইটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়, আর অন্যদিকে কপিলেফট ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা বজায় রাখতে সদা সচেষ্ট। তবে এর মূল উন্নয়নকারীর অবদান যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সেজন্য কিছু শর্তও থাকে। ১৯৮৯ সালে তার প্রথম প্রোগ্রাম থেকে স্বাধীন গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স মুক্তি পায়। তারপরই, গ্নু ব্যবস্থার অধিকাংশ অংশ সম্পন্ন হয়েছে।\nনব্বই দশকের শুরু। গ্নু অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত হবার অপেক্ষায়। তবে এর একটি বড় অংশ তখনও বাকী, আর সেই অংশটি হলো অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল। সেই কাজটিকে সহজ করে দেন ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিনুস তোরভাল্দস। ইউনিক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম \"মিনিক্স\" নিয়ে শখের বশে কাজ করতে করতে ১৯৯১ সালের মার্চ মাসে লিনুস তৈরি করে ফেলেন একটি অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল। ফলে গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল হিসেবে একেই বেছে নেয়া হয়, জন্ম নেয় মুক্ত সফটওয়্যার যুদ্ধের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র- \"লিনাক্স\"। লিনুসের নামানুসারেই এর নামকরণ করা হয়। ফলে অনেকেই ধারণা করে বসেন লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের পুরোটাই বোধহয় লিনুসের তৈরি করা। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে লিনাক্স হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল। লিনাক্স আসার পরপরই মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন একটি নতুন মাত্রা পায়। উন্মুক্ত সোর্সকোড ভিত্তিক এই অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং প্রোগ্রামারদের সামনে নতুন দ্বার উন্মোচন করে।",
"title": "রিচার্ড স্টলম্যান"
},
{
"docid": "248599#13",
"text": "এই সময় পর্যন্ত গ্নু প্রকল্পের একটি মাত্র অপূর্ণতা ছিল, আর সেটি হল একটি মুক্ত সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল। তোরভালদসের কার্নেলটি ডেভলপমেন্টের ফলে এই অংশটিও সম্পন্ন হয়ে যায়। আর এভাবেই প্রায় সম্পন্ন গ্নু অপারেটিং সিস্টেম এবং লিনাক্স কার্নেলের সমন্বয়ে প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা হয়, যাদের বলা হয় গ্নু/লিনাক্স।",
"title": "মুক্ত সফটওয়্যারের ইতিহাস"
},
{
"docid": "43145#5",
"text": "এরপরে অনেকগুলো লোক এ প্রকল্পের কোডে অবদান রাখেন। প্রথমদিকে মিনিক্স কম্যুনিটি লিনাক্স কার্নেলে তাদের কোড ও ধারণা রাখেন। সেসময়ে গ্নু প্রকল্প এমন কিছু উপাদান সৃষ্টি করেছিলো যা একটি\nফ্রি অপারেটিং সিস্টেমের জন্যে প্রয়োজন, কিন্তু তাদের নিজস্ব কার্নেল গ্নু হার্ডও ছিলো অপূর্ণ ও অনুপস্থিত। বিএসডি অপারেটিং সিস্টেম তখনও নিজেদের আইনি দায় থেকে মুক্ত করতে পারেনি । পূর্ববর্তী সংস্করণসমূহের সীমাবদ্ধ কার্যকারিতা সত্তেও লিনাক্স দ্রুত উন্নয়নকারী ও ব্যবহারকারী অর্জন করে।",
"title": "লিনাক্স কার্নেল"
}
] |
উপনিষদ্-এর অপর নাম কী ? | [
{
"docid": "59525#0",
"text": "উপনিষদ () হিন্দুধর্মের এক বিশেষ ধরনের ধর্মগ্রন্থের সমষ্টি । এই বইগুলিতে হিন্দুধর্মের তাত্ত্বিক ভিত্তিটি আলোচিত হয়েছে । উপনিষদের অপর নাম \"বেদান্ত\" । ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, উপনিষদ্গুলিতে সর্বোচ্চ সত্য স্রষ্টা বা ব্রহ্মের প্রকৃতি এবং মানুষের মোক্ষ বা আধ্যাত্মিক মুক্তি লাভের উপায় বর্ণিত হয়েছে । উপনিষদ্গুলি মূলত \"বেদ\"-পরবর্তী \"ব্রাহ্মণ\" ও \"আরণ্যক\" অংশের শেষ অংশে পাওয়া যায় । এগুলি প্রাচীনকালে গুরু-শিষ্য পরম্পরায় মুখে মুখে প্রচলিত ছিল।",
"title": "উপনিষদ্"
}
] | [
{
"docid": "628647#29",
"text": "আদি শঙ্করাচার্য কেনোপনিষদের উপর দু'টি ভাষ্য রচনা করেছিলেন। একটির নাম \"কেনোপনিষদ্ পদভাষ্য\" এবং অন্যটির নাম \"কেনোপনিষদ্ বাক্যভাষ্য\"। কেনোপনিষদের তৃতীয় খণ্ডের আলোচনায় তিনি আত্ম-ব্রহ্মের সাথে ঈশ্বর-পরমেশ্বরকে সমগণ্য করেন। এই সমীকরণটিই শংকরের বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ভাষ্যের ৩-৭-৩ ও ৪-৪-১৫ পংক্তিতে, ছান্দোগ্য উপনিষদ্ ভাষ্যের ১-১-১ ও ৫-১৮-১ পংক্তিতে, এবং কঠ উপনিষদ্ ভাষ্যের ১১-২-১৩ ছত্রে।",
"title": "কেনোপনিষদ্"
},
{
"docid": "59525#22",
"text": "সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের মতে, রচয়িতার নাম নিয়ে এমন কোনো দাবি তথ্যনিষ্ঠ নয়। তিনি এই নামগুলিকে কাল্পনিক চরিত্র মনে করতেন। যেমন ছান্দোগ্য উপনিষদের রচয়িতা শ্বেতকেতুর নাম কোনো বইতেই পাওয়া যায় না। তাঁর অপর কোনো বইও নেই।\nউপনিষদ্ রচনার সঠিক তারিখ নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। এক এক জন গবেষক বেদ ও উপনিষদের রচনাকাল সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। কোনো কোনো গবেষকের মতে, \"বৃহদারণ্যক\" ও \"ছান্দোগ্য\" সবচেয়ে পুরনো উপনিষদ্। এদুটি প্রাক্-বৌদ্ধ যুগে রচিত। অন্যদিকে \"তৈত্তিরীয়, ঐতরেয়\" ও \"কৌষিতকী\" উপনিষদে বৌদ্ধ প্রভাব রয়েছে। তাই এগুলি খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর পরবর্তীকালের রচনা বলেই অনুমান করা হয়। অন্যান্য মুখ্য উপনিষদ্গুলি খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের শেষ ভাগে লেখা।",
"title": "উপনিষদ্"
},
{
"docid": "545294#12",
"text": "তাঁর শতাধিক নামের মধ্যে অন্যতম উমা ও অপর্ণা। তিনি \"গৌরী\" নামেও পরিচিত। অন্যান্য দেবীরা তাঁর অংশ থেকে জাত, বা তাঁর অবতার। কয়েকটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে দাক্ষায়ণীকে উমা বলা হলেও, রামায়ণে পার্বতীকেই উমা বলা হয়েছে। \"হরিবংশে\" পার্বতীকে প্রথমে \"অপর্ণা\" বলে, পরে \"উমা\" বলা হয়েছে। অপর্ণা শব্দের অর্থ, যিনি ঘোর তপস্যা করেছেন। পার্বতীর মা মেনকা তাঁর তপস্যা দেখে বলেছিলেন, \"উ মা\" (আর না)। সেই থেকে পার্বতীর অপর নাম উমা। অন্যদিকে পার্বতী একসঙ্গে \"গৌরী\" (গৌরবর্ণা দেবী) এবং \"কালী\" বা \"শ্যামা\" (কৃষ্ণবর্ণা দেবী) নামে অভিহিত হন। কারণ, তিনি শান্ত স্ত্রী উমা। কিন্তু বিপদের সময় ভয়ংকরী কালী দেবীতে রূপান্তরিত হন। এই দুই পরস্পর বিপরীত রূপ পার্বতীর দুই রকম প্রকৃতির কথা নির্দেশ করে। আবার \"কামাক্ষ্মী\" রূপে তিনি ভক্তির দেবী।",
"title": "দেবী"
},
{
"docid": "326545#3",
"text": "পার্বতীর সবচেয়ে বেশি পরিচিত দুটি নাম হল উমা ও অপর্ণা। কয়েকটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে দাক্ষায়ণীকে উমা বলা হলেও, রামায়ণে পার্বতীকেই উমা বলা হয়েছে। \"হরিবংশ\"-এ পার্বতীকে প্রথমে \"অপর্ণা\" বলে, পরে \"উমা\" বলা হয়েছে। অপর্ণা শব্দের অর্থ, যিনি ঘোর তপস্যা করেছেন। পার্বতীর মা মেনকা তাঁর তপস্যা দেখে বলেছিলেন, \"উ মা\" (আর না)। সেই থেকে পার্বতীর অপর নাম উমা।\nঅন্যদিকে পার্বতী একসঙ্গে \"গৌরী\" (গৌরবর্ণা দেবী) এবং \"কালী\" বা \"শ্যামা\" (কৃষ্ণবর্ণা দেবী) নামে অভিহিত হন। কারণ, তিনি শান্ত স্ত্রী উমা। কিন্তু বিপদের সময় ভয়ংকরী কালী দেবীতে রূপান্তরিত হন। এই দুই পরস্পর বিপরীত রূপ পার্বতীর দুই রকম প্রকৃতির কথা নির্দেশ করে। আবার \"কামাক্ষ্মী\" রূপে তিনি ভক্তির দেবী।",
"title": "পার্বতী"
},
{
"docid": "59525#21",
"text": "উপনিষদ্ রচয়িতা হিসেবে একাধিক ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। প্রাচীন উপনিষদ্গুলিতে যাজ্ঞবল্ক্য ও উদ্দালক আরুণির কথা পাওয়া যায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লেখকেরা হলেন শ্বেতকেতু, শাণ্ডিল্য, ঐতরেয়, পিপ্পলাদ ও সনৎকুমার। মহিলাদের মধ্যে যাজ্ঞবল্ক্যের স্ত্রী মৈত্রেয়ী ও গার্গীর নাম উল্লেখযোগ্য।",
"title": "উপনিষদ্"
},
{
"docid": "59525#19",
"text": "নতুন উপনিষদের অনেকগুলি মধ্য ও প্রাক-আধুনিক যুগে রচিত। ১৯২৬ সাল পর্যন্ত নতুন উপনিষদ্গুলি আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৬৫৬ সালে রচিত \"মুক্তিকা\" উপনিষদে ১০৮টি প্রধান উপনিষদের নাম আছে। এই উপনিষদটি নিজেকেও প্রধান উপনিষদের তালিকাভুক্ত করেছে। যদিও উপনিষদ্ নামধারী একাধিক বইয়ের রচনাকাল বিংশ শতাব্দী। এগুলির মধ্যে অনেকগুলির সঙ্গে আবার বৈদিক দর্শনের কোনো যোগই নেই। নতুন উপনিষদ্গুলি মুখ্য উপনিষদ্গুলিকে অনুকরণ করে লেখা।",
"title": "উপনিষদ্"
},
{
"docid": "499132#1",
"text": "এই উপনিষদ্টি সম্ভবত ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে রচিত হয়। খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগুরু চৈতন্য মহাপ্রভু এটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এই ছোটো গ্রন্থটিতে দুটি মাত্র শ্লোক আছে। এগুলিকে বলা হয় ‘মহামন্ত্র’। মন্ত্রে ‘হরে’ বা দেবী রাধার নাম আটবার উচ্চারিত হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর দুই হিন্দু দেবতা কৃষ্ণ ও রামের নাম চারবার করে উচ্চারিত হয়েছে। এই গ্রন্থের মতে, এই মন্ত্রটি সজোরে উচ্চারণ করলে কলিযুগের সকল কুপ্রভাব কেটে যায়।\nহিন্দু বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, চার যুগের মধ্যে বর্তমান যুগটি হল কলিযুগ বা কলি (সংস্কৃত:कलि)। ‘সন্তরণ’ শব্দের অর্থ ‘সাঁতার কাটা’। গ্রন্থটির নামের অর্থ তাই, যে জ্ঞানের দ্বারা বর্তমান যুগকে সাঁতরে পার হওয়া যায়।\nএই গ্রন্থটি একটি বৈষ্ণব উপনিষদ্। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে এই গ্রন্থের রচনা সম্পূর্ণ হয়। ‘মহামন্ত্র’ নামে পরিচিত দুটি শ্লোক নিয়ে এই উপনিষদ্টি গঠিত। \"কলিসন্তরণোপনিষদ্\" হল আধুনিক যুগে রচিত একমাত্র গ্রন্থ যাতে কোনও বহুপ্রচলিত মন্ত্র রয়েছে। খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে ভক্তি আন্দোলনের নেতা চৈতন্য মহাপ্রভু এই উপনিষদ্টি জনপ্রিয় করে তোলেন।",
"title": "কলিসন্তরণোপনিষদ্"
},
{
"docid": "342587#11",
"text": "রাণাডে বলেছেন যে, \"ঈশোপনিষদ্\" ও \"কেনোপনিষদ্\" কালপঞ্জি অনুসারে দ্বিতীয় গোষ্ঠীর উপনিষদ্। এদুটি প্রথম গোষ্ঠীর উপনিষদ্ \"বৃহদারণ্যকোপনিষদ্\" ও \"ছান্দোগ্যোপনিষদ্\" গ্রন্থদুটির পরে এবং \"তৈত্তিরীয়োপনিষদ্\", \"ঐতরেয়োপনিষদ্\", \"কৌষিতক্যুপনিষদ্\", \"কঠোপনিষদ্\", \"মুণ্ডকোপনিষদ্\", \"শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদ্\", \"প্রশ্নোপনিষদ্\", \"মাণ্ডুক্যোপনিষদ্\" ও \"মৈত্রয়নীয়োপনিষদ্\" গ্রন্থগুলির আগে রচিত হয়।",
"title": "ঈশোপনিষদ্"
},
{
"docid": "477878#4",
"text": "অথর্ববেদের প্রাচীনতম নামটি এই বেদেই (১০। ৭। ২০) উল্লিখিত হয়েছে। এটি হল ‘অথর্বাঙ্গিরসঃ’। দুই জন বৈদিক ঋষি অথর্বণ ও আঙ্গিরসের নামানুসারে এই নামটি এসেছে। এই বেদের প্রত্যেকটি শাখার নিজস্ব নাম রয়েছে। যেমন ‘শৌনকীয় সংহিতা’। এর অর্থ ‘শৌনকের সংকলিত গ্রন্থ’। ‘অথর্বণ’ ও ‘আঙ্গিরস’ নাম দু-টি সম্পর্কে মরিস ব্লুমফিল্ড বলেছেন, এই নামদুটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থের দ্যোতক। প্রথম নামটি মাঙ্গলিক। অন্যদিকে দ্বিতীয় নামটি প্রতিকূল জাদুবিদ্যার অর্থবাচক। কালক্রমে ইতিবাচক মাঙ্গলিক দিকটি অধিকতর সমাদর লাভ করে এবং ‘অথর্ববেদ’ নামটিই প্রচলিত হয়। জর্জ ব্রাউনের মতে, পরবর্তী নাম ‘আঙ্গিরস’ অগ্নি ও বৈদিক পুরোহিতদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সম্ভবত এটির সঙ্গে নিপ্পুরের একটি আরামিক গ্রন্থে প্রাপ্ত প্রোটো-ইন্দো ইউরোপীয় ‘আঙ্গিরোস’-এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে।",
"title": "অথর্ববেদ"
},
{
"docid": "114357#0",
"text": "চামুণ্ডা (সংস্কৃত: , ') হলেন একজন হিন্দু দেবী। তিনি সপ্ত মাতৃকার অন্যতম। তাঁর অপর নাম চামুণ্ডী, চামুণ্ডেশ্বরী ও চর্চিকা। দেবী দুর্গার তন্ত্রে উল্লিখিত চৌষট্টি বা চুরাশি জন সহচরী বা যোগিনীর অন্যতম হলেন চামুণ্ডা। চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে হত্যা করে তিনি ‘চামুণ্ডা’ নামে পরিচিত হন। চামুণ্ডাকে দেবী কালীর অপর রূপ মনে করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পার্বতী, চণ্ডী বা দুর্গাকেও চামুণ্ডা বলা হয়। কথিত আছে, চামুণ্ডার আবাসস্থল হল শ্মশানভূমি বা ডুমুর গাছ। আনুষ্ঠানিকভাবে পশুবলি দিয়ে ও মদ নিবেদন করে এই দেবীর পূজা করা হয়। প্রাচীনকালে চামুণ্ডার পূজায় নরবলিও দেওয়া হত। চামুণ্ডা প্রকৃতপক্ষে একজন আদিবাসী দেবী ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁকে হিন্দুধর্মে গ্রহণ করা হয় এবং তারও পরে চামুণ্ডা হিন্দু দেবমণ্ডলীতে স্থান পান। জৈনধর্মেও চামুণ্ডার পূজা প্রচলিত আছে। তবে জৈনরা মদ ও মাংসের পরিবর্তে নিরামিষ নৈবেদ্য নিবেদন করে তাঁর পূজা করেন।",
"title": "চামুণ্ডা"
}
] |
বাংলাদেশের মডেল, অভিনেত্রী এবং লেখিকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীমের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী ? | [
{
"docid": "114121#0",
"text": "বিদ্যা সিনহা সাহা মীম (জন্ম: ১০ নভেম্বর, ১৯৯২) বাংলাদেশের একজন মডেল, অভিনেত্রী এবং লেখিকা। \"লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৭\" প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম-স্থান লাভ করেন। একই বছরে হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত \"আমার আছে জল\" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচিত্রে অভিষেক হয়। \"জোনাকির আলো\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মৌসুমীর সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।",
"title": "বিদ্যা সিনহা সাহা মীম"
}
] | [
{
"docid": "114121#5",
"text": "২০১৫ সালের ঈদুল ফিতরে মীমের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি \"পদ্ম পাতার জল\" মুক্তি পায়। ছবিটি কম সংখ্যক হলে মুক্তি পেলেও ভালো ব্যবসা করেছে। তাছাড়া মীম যৌথ প্রযোজনার ছায়াছবি \"ব্ল্যাক\"-এ অভিনয় করেছেন। ছবিটি ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর ভারতে ও ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রায় ২০০টি হলে মুক্তি পায়। রাজা চন্দ পরিচালিত এই ছায়াছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক সোহম চক্রবর্তী। ২০১৬ সালে ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পায় মীম অভিনীত \"সুইটহার্ট\"। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেন শাহীন-সুমন পরিচালক জুটির ওয়াজেদ আলী সুমন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন বাপ্পি চৌধুরী এবং একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেন রিয়াজ। ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন আরটিভিতে প্রচারিত হয় টেলিছবি \"সেই মেয়েটি\"। মিজানুর রহমান আরিয়ান নির্মিত টেলিছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন তাহসান রহমান খান। বছরের শেষে মুক্তি পায় অনন্য মামুন পরিচালিত \"আমি তোমার হতে চাই\"। এই ছবিতেও তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাপ্পি চৌধুরী।",
"title": "বিদ্যা সিনহা সাহা মীম"
},
{
"docid": "114121#4",
"text": "২০১৩ সালে মিজানুর রহমান আরিয়ানের অপরাধধর্মী \"ট্রাম্প কার্ড\" নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটি ঈদুল ফিতরে আরটিভিতে প্রচারিত হয়। এরই অনুবর্তী পর্ব \"ট্রাম্প কার্ড ২\" একই বছর ঈদুল আযহায় আরটিভিতে প্রচারিত হয়। এরপর লম্বা বিরতি নিয়ে ২০১৪ সালে পহেলা বৈশাখে খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত \"জোনাকির আলো\" মুক্তি পায়। ত্রিভুজ প্রেমের গল্পে তার বিপরীতে অভিনয় করেন মামনুন হাসান ইমন ও কল্যাণ কোরাইয়া। ছায়াছবিটি ব্যবসায়িক সফলতার মুখ না দেখলেও তার গ্ল্যামার প্রশংসিত হয়। এই চলচ্চিত্রে সমাজকর্মী 'কবিতা' চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মৌসুমীর সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর মুক্তি পায় তার পরবর্তী ছায়াছবি মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত \"তারকাঁটা\"। এতে তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেন আরিফিন শুভ ও মৌসুমী। ছবিটি সম্পর্কে পরবর্তীকালে মীম বলেন যে এই ছবিটি তার না করাই ভালো ছিল এবং কারণ হিসেবে বলেন, \"এই ছবির গল্প শুনেছি একরকম, শুটিং শেষ করে দেখেছি আরেক রকম।\"",
"title": "বিদ্যা সিনহা সাহা মীম"
},
{
"docid": "114121#6",
"text": "২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পায় তানিয়া আহমেদের পরিচালনায় \"ভালোবাসা এমনই হয়\"। প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ইরফান সাজ্জাদ। ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবসে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয় নাট্য নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নার \"তোমার পিছু পিছু\"। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন তাহসান রহমান খান। ২০১৮ সালে তাকে মনতাজুর রহমান আকবরের \"দুলাভাই জিন্দাবাদ\", সৈকত নাসিরের \"পাষাণ\" ও \"সুলতান দ্য সেভিয়ার\" চলচ্চিত্রে দেখা যায়। এছাড়া নির্মাণাধীন রয়েছে তারেক শিকদারের \"দাগ\", ও তেলেগু নায়ক অরিন্দমের বিপরীতে \"রকি\"।",
"title": "বিদ্যা সিনহা সাহা মীম"
},
{
"docid": "642530#8",
"text": "২০১৪ সালে তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শুরুতে চলচ্চিত্রটির নাম রাখা হয় \"গুড মর্নিং লন্ডন\"। পরে তা \"ভালোবাসা এমনই হয়\" নামে পরিবর্তন করা হয়। এটি বাবা ও মেয়ের দ্বন্দ্বের গল্প। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, ইরফান সাজ্জাদ, তারিক আনাম খান, মীর সাব্বির। চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তি পায়। ২০১৫ সালে তিনি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে প্রচারিত রায়হান খানের \"সুপারস্টার\", ও এনটিভিতে প্রচারিত হিমেল আশরাফের \"একদিন ছুটি হবে\" টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেন। ঈদুল আযহায় বাংলাভিশন চ্যানেলে প্রচারিত \"সিকান্দার বক্স এখন নিজ গ্রামে\" মিনি ধারাবাহিকে নাম চরিত্রের বড় বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন।",
"title": "তানিয়া আহমেদ"
},
{
"docid": "114121#1",
"text": "মীম বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় ১০ নভেম্বর, ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতিকা। মিমের বাবা বিরেন্দ্র নাথ সাহা একজন শিক্ষক এবং মা ছবি সাহা একজন গৃহিনী। বাবা সরকারি কলেজের শিক্ষক হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বড় হয়েছেন মিম। বাবার চাকরীসুত্রে ভোলা জেলা এবং কুমিল্লায় ছিলেন বেশ কিছু সময়। কিন্তুু তার কাছে তার প্রিয় জেলা হল তার জন্মস্থান রাজশাহী জেলা। মীমের ছোট একটি বোন আছে যার নাম প্রজ্ঞা সিনহা সাহা মমি। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় এসেছিলেন মা-বাবার অনুপ্রেরণায়।",
"title": "বিদ্যা সিনহা সাহা মীম"
},
{
"docid": "468100#5",
"text": "২০১০ সালে তিনি 'ঈদ আনন্দ ডট কম' নামক বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন। ঈদুল ফিতরে বিটিভিতে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়। এতে তাকে বাংলাদেশী এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহীমের সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায়। এ বছর তিনি \"লাবণ্য ও বনলতা\" নাটকে অভিনয় করেন। আকরাম খান পরিচালিত এই নাটকে তার বিপরীতে প্রথমবারের মত অভিনয় করেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। এতে মুরাদ জীবনানন্দ দাশ ও মীম বনলতা সেন চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১১ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত চলচ্চিত্র \"আমার বন্ধু রাশেদ\"। কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেন মোরশেদুল ইসলাম। ২০১২ সালে নরেন্দ্রনাথ মিত্র রচিত \"বিকল্প\" গল্প অবলম্বনে নির্মিত \"বৃষ্টির দিন\" নাটকে কাজ করেন। এটি পরিচালনা করেন তুহিন অবন্ত। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন মীম। ২০১৪ সালে তিনি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নির্মিত \"খুঁজে বেড়াই তারে\" নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটি পরিচালনা করেন আকরাম খান এবং প্রচারিত হয় দেশ টিভিতে। এ বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত \"সংগ্রাম\" চলচ্চিত্র। মনসুর আলী পরিচালিত এই ছবিতে তাকে প্রধান খল চরিত্র পাকিস্তানী মেজর ইফতেখার চরিত্রে দেখা যায়। একই বছর তিনি গাজী টিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক \"শোধ\"-এ খল চরিত্রে অভিনয় করেন।",
"title": "আরমান পারভেজ মুরাদ"
},
{
"docid": "507891#0",
"text": "জোনাকির আলো ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার নাট্য চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন খালিদ মাহমুদ মিঠু। ত্রিভুজ প্রেমের এই গল্পে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, মামনুন হাসান ইমন, কল্যাণ কোরাইয়া। এছাড়া বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত। চলচ্চিত্রটি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাইব্যাকা ও ফ্লোরিডা এবং ভারতের দিল্লী ও জয়পুর চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ১২তম এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব-এ দর্শকদের পছন্দে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে। ২০১৪ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর রোমানিয়ার ব্রার্সভ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ রোমানিয়ান সাবটাইটেলসহ প্রদর্শিত হয় এবং পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর ডিসেম্বর মাসে দিল্লী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে 'অ্যাক্রস দ্য বর্ডার' পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়া ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে বিদ্যা সিনহা সাহা মীম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং কনক চাঁপা চাকমা শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জার জন্য পুরস্কার অর্জন করেন।",
"title": "জোনাকির আলো"
},
{
"docid": "137895#26",
"text": "দীর্ঘ দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০১৬ সালে আবারো চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ফিরেন রিয়াজ। \"সুইটহার্ট\" নামের এই চলচ্চিত্রের একটি বিশেষ চরিত্র রিচার্ড বাড়ই ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। ওয়াজেদ আলী সুমনের পরিচালনায় এই চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করবেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম এবং বাপ্পি চৌধুরী। একই বছরে ২৬ ফেব্রুয়ারি তার অভিনীত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে মেহের আফরোজ শাওন পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি \"কৃষ্ণপক্ষ\" ছবিটি সারাদেশে মুক্তি পায়। এতে তিনি মুহিব চরিত্রে অভিনয় করেন এবং তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। এই ছবি চলাকালীন ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তার হার্টে রিং পরানোর পর তিনি সুস্থ হয়ে বাকি কাজ শেষ করেন।",
"title": "রিয়াজ"
},
{
"docid": "475550#0",
"text": "চিত্রা সিনহা একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী প্রযোজক। তার অভিনয় জীবনের অভিষেক হয় কলকাতায় চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজেন তরফদার এর হাত ধরে। ১৯৬০ সালে এহতেশাম পরিচালিত \"রাজধানীর বুকে\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পদার্পন করেন। এই ছবিতে রহমানের সাথে জুটি বদ্ধ হয়ে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। স্বল্প অভিনয় জীবনে তিনি মাত্র নয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চিত্র পরিচালক কাজী জহির এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরে তিনি চিত্রা জহির নাম ধারণ করেন ও এ নামেই পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বর্তমানে চিত্রা ফিল্মস প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। ষাটের দশক থেকে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজনা করা হয়।",
"title": "চিত্রা সিনহা"
}
] |
চেঙ্গিস খান কি একজন সেনাপতি ছিলেন ? | [
{
"docid": "296930#45",
"text": "মঙ্গোলদের নেতাদেরকে \"খান\" নামে ডাকা হত। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে তেমুজিন খান নামের মঙ্গোল নেতা সমস্ত মঙ্গোল গোত্রগুলি এক পতাকার নিচে নিয়ে আসেন। তাঁর নাম দেওয়া হয় চেঙ্গিস খান, অর্থাৎ “সবার প্রভু”। সারা জীবন ধরে অসংখ্য সমরাভিযানশেষে চেঙ্গিস খান শেষ পর্যন্ত পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল থেকে পশ্চিমে ইউরোপের দানিউব নদী পর্যন্ত এক সুবিশাল সাম্রাজ্য গঠন করেন, যার মধ্যে বিরাট পারস্য সাম্রাজ্যও ছিল এক অংশমাত্র। ১২১১ সালে চেঙ্গিস খান চীন আক্রমণ করেন এবং ১২১৫ সালের মধ্যে মঙ্গোলদের হাতে চীনের তৎকালীন রাজধানী বেইজিংয়ের পতন ঘটে। ১২১৭ সালে মঙ্গোলরা চীন ও কোরিয়া নিয়ন্ত্রণ করত। কারাকোরুম শহরে (বর্তমানে মঙ্গোলিয়াতে অবস্থিত) তাদের রাজধানী ছিল । ১২১৯ সালে মঙ্গোলরা পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়ে খোয়ারিজম সাম্রাজ্য (পারস্য ও তুরস্ক) আক্রমণ করে। ১২২৪ সালে তারা রাশিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি আক্রমণ করে। চেঙ্গিস খান যুদ্ধক্ষেত্রে নির্মম হলেও তার সাম্রাজ্যে শান্তি বজায় রাখেন এবং শক্ত হাতে কিন্তু ন্যায়বিচারের সাথে শাসন করেন। তার সময়ে বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
},
{
"docid": "3287#0",
"text": "চেঙ্গিজ খান (মঙ্গোলীয়: আ-ধ্ব-ব: [], ), (১১৬২–আগস্ট ১৮, ১২২৭) প্রধান মঙ্গোল রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা বা মহান খান, ইতিহাসেও তিনি অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি। জন্মসূত্রে তার নাম ছিল তেমুজিন (মঙ্গোলীয়: Тэмүжин )। তিনি মঙ্গোল গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করে মঙ্গোল সাম্রাজ্যের (Екэ Монгол Улус; ১২০৬ - ১৩৬৮) গোড়াপত্তন করেন। নিকট ইতিহাসে এটিই ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সম্রাজ্য। তিনি মঙ্গোলিয়ার বোরজিগিন বংশে জন্ম নিয়েছিলেন। এক সাধারণ গোত্রপতি থেকে নিজ নেতৃত্বগুণে বিশাল সেনাবাহিনী তৈরি করেন।যদিও বিশ্বের কিছু অঞ্চলে চেঙ্গিজ খান অতি নির্মম ও রক্তপিপাসু বিজেতা হিসেবে চিহ্নিত তথাপি মঙ্গোলিয়ায় তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে সম্মানিত ও সকলের ভালোবাসার পাত্র। তাকে মঙ্গোল জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। একজন খান হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে চেঙ্গিজ পূর্ব ও মধ্য এশিয়ার অনেকগুলো যাযাবর জাতিগোষ্ঠীকে একটি সাধারণ সামাজিক পরিচয়ের অধীনে একত্রিত করেন। এই সামাজিক পরিচয়টি ছিল মঙ্গোল।",
"title": "চেঙ্গিজ খান"
},
{
"docid": "575602#4",
"text": "১৩ শতকের মঙ্গোল সাম্রাজ্যের নেতা চেঙ্গিস খান এতটা সূক্ষ্ম কৌশল ব্যবহার করতেন না। আক্রমণের পূর্বে শত্রুর ইচ্ছাকে পরাজিত করা এবং একটি সম্মতিসূচক বন্দোবস্তে পৌঁছানোকে প্রকৃত যুদ্ধের চেয়ে শ্রেয়তর ভাবা হত। মঙ্গোল সেনাপতিগণ খানের কাছে শত্রুদের বশ্যতা দাবী করতেন, এবং তারা পরাজয় অস্বীকার করলে প্রাথমিকভাবে দখল করা গ্রামসমূহে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিতেন। যদি তারা বশ্যতা স্বীকার না করে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে মঙ্গোলরা তাদের হুমকিকে বাস্তবায়িত করতেন এবং গ্রামগুলোতে গণহত্যা ঘটাতেন। এই গণহত্যার কথা পাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ত তখন সেখানে জনমনে অনিরাপত্তার জন্ম হত, আর এর ফলে মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ প্রতিরোধের আর কোন সম্ভাবনা থাকত না।",
"title": "মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধবিগ্রহ"
}
] | [
{
"docid": "520474#2",
"text": "হালাকু খান ছিলেন চেঙ্গিস খানের অন্যতম পুত্র তোলুইয়ের সন্তান। তার মা সোরগাগতানি বেকি ছিলেন একজন প্রভাবশালী কেরাইত শাহজাদি। সোরগাগতানি ছিলেন একজন নেস্টরিয়ান খ্রিষ্টান। হালাকু খানের স্ত্রী দকুজ খাতুন এবং তার ঘনিষ্ট বন্ধু ও সেনাপতি কিতবুকাও খ্রিষ্টান ছিলেন। মৃত্যুর আগমুহূর্তে হালাকু খান বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে জানা যায়। কয়য়ে বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ থেকে বৌদ্ধধর্মে তার আগ্রহের প্রমাণ পাওয়া যায়।",
"title": "হালাকু খান"
},
{
"docid": "521760#4",
"text": "তোলুইয়ের উচ্চ সামরিক দক্ষতা ছিল এবং তিনি একজন সফল সেনাপতি ছিলেন। তবে তার বাবা চেঙ্গিস খান রাজনৈতিকভাবে অধিক সক্ষম ওগেদাই খানকে নিজের উত্তরসূরি মনোনীত করেছিলেন।",
"title": "তোলুই খান"
},
{
"docid": "523096#0",
"text": "ওগেদাই খান(মঙ্গোলীয়: ᠦᠭᠦᠳᠡᠢ; চীনা: 窩闊台: ৭ নভেম্বর ১১৮৬ – ১১ ডিসেম্বর ১২৪১) ছিলেন চেঙ্গিস খানের তৃতীয় ছেলে এবং মঙ্গোল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় খাগান। চেঙ্গিস খানের পর তিনি খাগান হন। তার পিতার সাম্রাজ্য বিস্তার অভিযান তিনি এগিয়ে নিয়ে যান। চেঙ্গিস খানের প্রথমদিককার অন্য ছেলেদের মত তিনিও চীন, ইরান ও মধ্য এশিয়া জয়ে অংশ নিয়েছেন।",
"title": "ওগেদাই খান"
},
{
"docid": "584690#1",
"text": "মধ্য এশিয়ায় মোঙ্গল আক্রমণ এবং খাওয়ারেজমীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর সেনাপতি জেবে ও সুবুতাইয়ের নেতৃত্বে একটি মোঙ্গল বাহিনী ইরাক-ই-আজমের দিকে অগ্রসর হয়। জেবে ককেশাস হয়ে মূল বাহিনীতে প্রত্যাবর্তনের আগে কয়েক বছর তাঁর বিজয়াভিযান চালিয়ে যাওয়ার জন্য মোঙ্গল সম্রাট চেঙ্গিস খানের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেন। চেঙ্গিসের উত্তরের অপেক্ষায় থাকাকালে সেনাপতিদ্বয় জর্জিয়া আক্রমণ করেন এবং রাজ্যটির রাজাকে হত্যা করেন। চেঙ্গিস তাঁদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন। এরপর তাঁরা ককেশাসের উপজাতিদের একটি সম্মিলিত জোটকে পরাজিত করেন এবং তারপর কিউমানদের পরাজিত করেন। কিউমানদের খান তাঁর জামাতা গ্যালিসিয়া-ভোলহিনিয়ার মাস্তিস্লাভ দ্য বোল্ডের দরবারে আশ্রয় নেন এবং মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করতে রাজি করান। মাস্তিস্লাভ দ্য বোল্ড মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন রুশ রাজ্যের সমন্বয়ে একটি মিত্রজোট গঠন করে।",
"title": "কালকা নদীর যুদ্ধ"
},
{
"docid": "520846#0",
"text": "বুরখান খাল্ডুন (সিরিলিক ভাষায়: Бурхан Халдун) উত্তর-পূর্ব মঙ্গোলিয়ার খেন্টাই অঞ্চলের একটি খেন্টাই পর্বত। পর্বতটিকে বা এই স্থানকে চেঙ্গিস খানের জন্মস্থান বলে ধারণা করা হয় এবং এখানেই তাঁর সমাধিস্থল অবস্থিত। এই স্থানে অন্য একজন বিখ্যাত বীর সাবুতাইয়ের জন্মস্থান। পর্বতটি ১৯৯২ সালে প্ৰতিষ্ঠিত এলাকাটি খান খেন্টাই কঠোরভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলের একটি অংশ। যদিও চেঙ্গিস খানের পূৰ্বেও পর্বতটিকে পবিত্ৰ মনে করা হত, চেঙ্গিস খান এই পর্বতটিকে মঙ্গোলিয়ার সবথেকে পবিত্ৰ পৰ্বত আখ্যা দেয়ার পর এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। ৪ জুলাই ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে এই পৰ্বতকে \"মহান বুরখান খাল্ডুন পৰ্বত এবং চারপাশের পবিত্ৰ পরিবেশ\" উপাধিতে ঘোষণা করে। ১৯৫৫ সালে পর্বতটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা করা হয় এবং সেই সাথে পর্বতটিকে রাষ্ট্ৰীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই স্থানের অনন্য জৈববৈচিত্র্য মধ্য এশিয়া প্রান্তের উদ্ভিদজগতের সাথে মিশ্রিত। এমনকি ৫০ প্ৰজাতির প্রানী এবং ২৫৩ প্ৰজাতির পাখি নিয়ে অনন্য।",
"title": "বুরখান খাল্ডুন"
},
{
"docid": "296930#46",
"text": "১২২৭ সালে চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পরেও মঙ্গোলরা আক্রমণ অব্যাহত রাখে। ১২২৯ সালে চেঙ্গিস খানের এক পুত্রসন্তান ওগাদাই খান মঙ্গোলদের নেতা হন। চেঙ্গিস খানের আরেক সন্তান বাতু খান এবং সুবোতাই খানের নেতৃত্বে ১২৩৭ সালে মঙ্গোল বাহিনী উত্তর রাশিয়া দখলের জন্য আক্রমণ করে। তাদের সেনাবাহিনীর নাম ছিল “স্বর্ণালী দঙ্গল”। ইউরোপে মঙ্গোলদের দ্রুতি ও হিংস্রতার কথা ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিটি মঙ্গোল সেনা পাঁচটি ঘোড়া নিয়ে চলাচল করত এবং প্রত্যেকে তীরন্দাজি ও বর্শা নিক্ষেপে অত্যন্ত দক্ষ ছিল। ঘোড়সওয়ারী হয়ে তারা কেবল পা দিয়ে ঘোড়াদের নিয়ন্ত্রণ করত, এবং খালি দুই হাত তীর ছোঁড়া বা বর্শা নিক্ষেপের কাজে লাগাত। যুদ্ধের সময় তারা ছিল ক্ষমাহীন, নিষ্ঠুর যোদ্ধা। তারা গোটা শহরের সবাইকে সদলবলে হত্যা করে তাদের সম্পদ লুন্ঠন করে অন্য শহর আক্রমণ করতে যেত। ১২৪১ সালে মঙ্গোলদের নেতা ওগাদাই খানের মৃত্যুর সংবাদ পশ্চিমে এসে পৌঁছালে ইউরোপে অগ্রসরমান মঙ্গোলবাহিনী আবার এশিয়াতে ফেরত যায়, ফলে ইউরোপ পরিত্রাণ পায়।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
},
{
"docid": "336602#0",
"text": "চিয়াং কাই-শেক (৩১ অক্টোবর, ১৮৮৭ – ৫ এপ্রিল, ১৯৭৫) বিংশ শতাব্দীর একজন চীনা সামরিক ও রাজনৈতিক নেতা। প্রমিত চীনা ভাষায় তিনি জিয়াং জিয়েশি বা জিয়াং ঝংঝেং নামেও পরিচিত। সান ইয়াৎ-সেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী চিয়াং ছিলেন চীনা জাতীয়তাবাদী দল ও কুওমিঙটাং (কেএমটি) দলের একজন প্রভাবশালী সদস্য। তিনি কুওমিঙটাঙের হোয়ামপোয়া সামরিক অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট ছিলেন। ১৯২৫ সালে সানের মৃত্যু হলে তিনি সে পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯২৬ সালে চিয়াং সমগ্র চীনকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যে উত্তর অভিযান পরিচালনা করেন এবং অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে পরো চীনের অঘোষিত নেতায় পরিণত হন তিনি ১৯২৮ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় সামরিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধে (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চীনা রণাঙ্গন) তিনি চীনকে নেতৃত্ব দেন এবং সমগ্র চীনের একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তিনি সান ইয়াৎ-সেনের সমাজতান্ত্রিক আদর্শ থেকে দূরে সরে গিয়ে সামাজিক রক্ষণশীলতা ও রাজনৈতিক একনায়কতন্ত্রের উপর জোর দেন। এছাড়া পশ্চিমা গণতন্ত্রকে ত্যাগ করে ঐতিহ্যগত চীনা সংস্কৃতিকে তুলে ধরার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।",
"title": "চিয়াং কাই-শেক"
}
] |
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা কবে হয় ? | [
{
"docid": "260629#0",
"text": "আওয়ামী মুসলিম লীগ () একটি রাজনৈতিক দল যা ব্রিটিশ ভারত বিভক্তিক্রমে পাকিস্তান জন্মের দুই বৎসর পর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই সময় ঢাকা পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তানের অংশ ছিল। মুসলিমে লীগ-এরই একটি অংশ নিয়ে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সামসুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী মুসলিম লীগ পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বাংলা বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই রাজনৈতিক দলটি খুব দ্রুত পূর্ব পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা অর্জনে সমর্থন হয়। ঘটনাক্রমে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সংগ্রামে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ পক্ষে একটি সক্রিয় সংগঠন হিসাবে নেতৃত্বে দিতে থাকে। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়। দলের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ নির্ধারণ করা হয়।। কিন্তু কি কারণে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয় তা স্পষ্ট করে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় যে- মুসলিম শব্দটি থাকায় সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ থাকায় এ সিদ্ধান্ত। প্রকৃতপক্ষে অনেকেই মনে করেন, রাজনৈতিক বিরোধ থেকে এটি করা হয়। নতুবা মাওলা ভাসানীও পরে গঠিত আওয়ামীলীগে থাকতেন। এমনকি বতর্মানে তার জন্ম কিংবা মৃত্যু বার্ষিকীও পালন করেন না এদলটি। যদিও অনেক নেতার বেলায় তার উল্টোটা করা হয়।",
"title": "আওয়ামী মুসলিম লীগ"
},
{
"docid": "15844#62",
"text": "পাকিস্তানী প্রভাব ও স্বৈর দৃষ্টিভঙ্গীর বিরূদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ ছিল [[মাওলানা ভাসানী|মাওলানা ভাসানীর]] নেতৃত্বে [[আওয়ামী মুসলিম লীগ|আওয়ামী মুসলিম লীগের]] প্রতিষ্ঠা। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের যুক্তফ্রন্ট নিবার্চনে বিজয় এবং ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক জেনারেল আইয়ুব খানকে পরাজিত করার লক্ষ্য নিয়ে [[সম্মিলিত বিরোধী দল]] বা 'কপ'-প্রতিষ্ঠা ছিল পাকিস্তানী সামরিক শাসনের বিরূদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বমূলক আন্দলোনের মাইলফলক। পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকারের প্রশ্ন ১৯৫০-এর মধ্যভাগ থেকে উচ্চারিত হতে থাকে।",
"title": "বাংলাদেশের ইতিহাস"
},
{
"docid": "261040#0",
"text": "ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বা ন্যাপ ভাসানী বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগ (যা পরবর্তীকলে আওয়ামী লীগ নামে পরিচিত) ত্যাগ করে ১৯৫৭ সালে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে এটি পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান সংগঠনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিল।",
"title": "ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি"
},
{
"docid": "10991#0",
"text": "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ () বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটির নামাকরণ করা হয় \"বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ\"।",
"title": "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ"
},
{
"docid": "10991#1",
"text": "হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক। পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ'।",
"title": "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ"
},
{
"docid": "424747#3",
"text": "বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রোজ গার্ডেন প্যালেস-এর ঐতিহাসিক সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ভবনেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন হয়েছিল। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই বাড়িতেই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমান আওয়ামী লীগ) গঠনের পরিকল্পনা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কারাবন্দী ছিলেন। \nহোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেম এর নেতৃত্বাধীন তত্কালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কে এম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ” প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয় এবং নাম রাখা হয় “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ”। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন রোজ গার্ডেনে \nপ্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সহ-সভাপতি হন আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। কোষাধ্যক্ষ হন ইয়ার মোহাম্মদ খান। এ সময় শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। অন্যদিকে পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। এর সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিব। উল্লেখ্য, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ছিল তত্কালীন পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল।",
"title": "রোজ গার্ডেন"
},
{
"docid": "69360#21",
"text": "২৩ জুন ১৯৪৯ : পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত উন্নাসিক দৃষ্টিভঙ্গী, বিভিন্ন ন্যায্য দাবী দাওয়া পূরনে অস্বীকৃতি এবং ভাষার ক্ষেত্রে মুসলিম লীগ সরকারের নীতির বিরোধিতায় মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক (টাঙ্গাইল), শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক নিযুক্ত হন। একই সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানেও পীর মানকি শরীফ এর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই দুই দল একীভূত হয়ে পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এর আহবায়ক নিযুক্ত হন। ভাসানী ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ৮ বছর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ভাষা আন্দোলনসহ পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেন। পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানী রাজনৈতিক নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আওয়ামী মুসলিম লীগ ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রাজপথের আন্দোলন সংগঠনের পাশাপাশি পার্লামেন্টেও রাষ্ট্রভাষা ভাষার দাবীতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে। ,",
"title": "বাংলা ভাষা আন্দোলনের কালপঞ্জি"
}
] | [
{
"docid": "429109#3",
"text": "দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর সম্পাদনায় সাপ্তাহিক বাংলার বাণী পত্রিকা দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তিনি ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। যুগপৎ তিনি তেজগাঁ আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৭৩ সালের ২৩ আগস্ট তিনি সাপ্তাহিক সিনেমা পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৭৪ সালের ৭ জুন তাঁর সম্পাদনায় দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস প্রকাশিত হয়। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি এর সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনোনীত হন। তাঁর রচিত গল্পের সংকলন বৃত্ত ১৯৬৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন।",
"title": "শেখ ফজলুল হক মনি"
},
{
"docid": "448611#2",
"text": "আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার তিক্ত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দুই দশক ধরে জাতিকে প্রভাবিত করছে যদিও তাদের রাজনৈতিক অবস্থান খুব একটা অভিন্ন নয়। দুটি দলই নারী কর্তৃক পরিচালিত এবং তারা দুজনই নিহত নেতার প্রতিনিধিত্ব করেন। আওয়ামী লীগের প্রধান হলেন শেখ হাসিনা যিনি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা; ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির জনক ও তিনি ১৯৭৫ সালে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকে হত্যা করা হয়। খালেদা জিয়া, বিএনপির প্রধান; তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন; ১৯৮১ সালে তাকে হত্যা করা হয়।",
"title": "২০০৬-০৮ বাংলাদেশী রাজনৈতিক সংকট"
},
{
"docid": "306420#0",
"text": "বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ () বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন যা ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। সংক্ষেপে যুবলীগ নামে সংগঠনটি বহুল প্রচলিত। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব অঙ্গসংগঠন। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। ২০১২ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান পদে ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ হারুনুর রশিদ নির্বাচিত হন।",
"title": "যুবলীগ"
}
] |
কীবোর্ডে সাধারণত মোট কতগুলি বোতাম থাকে ? | [
{
"docid": "312407#1",
"text": "কী-বোর্ডে ৮৪ থেকে ১০১টি বা কোন কোন কী-বোর্ডে ১০২টি কী আছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কী-বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়।",
"title": "কম্পিউটার কীবোর্ড"
},
{
"docid": "711842#0",
"text": "কম্পিউটার কীবোর্ড তাদের ব্যবহার করা সুইচ প্রযুক্তির ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়।বর্ণানুক্রমিক কীবোর্ডগুলোর সাধারণত ৮০ থেকে ১১০টি টেকসই সুইচ থাকে, প্রতিটির জন্যে একটি করে। সুইচ প্রযুক্তি নির্বাচন কী প্রতিস্পন্দন (কী রেসপন্স, কী যে চাপা হয়ে তার ইতিবাচক ফিডব্যাক) ও প্রাক গমনকে (প্রি ট্র্যাভেল, কী ঠিকভাবে চাপার জন্যে প্রয়োজনীয় দূরত্ব) প্রভাবিত করে। নতুনতর কীবোর্ড মডেলগুলো সাশ্রয়ের জন্যে বিভিন্ন প্রযুক্তির মিশ্রিত রূপ ব্যবহার করে।",
"title": "কীবোর্ড প্রযুক্তি"
}
] | [
{
"docid": "80937#20",
"text": "উদর হচ্ছে পতঙ্গের সবচাইতে বড় ট্যাগমা যা সাধারণত ১১ থেকে ১২ টি খন্ড নিয়ে গঠিত এবং মস্তক ও ধড়ের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম স্ক্লেরোটিনযুক্ত। উদরের প্রতিটি খন্ডকে স্ক্লেরোটিনময় টার্গাম ও স্টার্নাম দিয়ে চিত্রিত করা হয়। টার্গা একে অপরের থেকে এবং পাশের স্টার্নাম বা প্লিউরা থেকে ঝিল্লীর মাধ্যমে আলাদা করা যায়। স্পাইরাকল অবস্থান করে প্লিউরা অঞ্চলে। কিছু পতঙ্গ পার্শ্বীয় অঞ্চলে স্ক্লেরাইট বহন করে যেগুলোকে লেটেরোটার্গাইট বলে। অঙ্কীয় স্ক্লেরাইটগুলোকে মাঝেমধ্যে লেটেরোস্টার্নাইট বলা হয়। ভ্রুণীয় অথবা এর পরবর্তী দশায় অনেক আদিম পতঙ্গে ১১ টি উদরীয় খন্ড উপস্থিত থাকে। আধুনিক পতঙ্গগুলোতে উদরীয় খন্ডের সংখ্যা হ্রাস পাবার প্রবণতা পরিলক্ষিত হলেও এমব্রায়োজেনেসিসের সময় আদিম সেই ১১ টি খন্ড বজায় থাকে। উদরীয় খন্ডের সংখ্যার মধ্যে ভিন্নতা উল্লেখ করার মতো। এপ্টেরিগোটাকে যদি টেরিগোটার আদিম পরিকল্পনা হিসেবে ধরে নেয়া হয় তাহলে এক্ষেত্রেও ধাঁধাঁয় পরে যেতে হয়ঃ প্রোটুরাতে যেমন ১২ টি খন্ড, কলেম্বোলাতে আছে ৬ টি। অর্থোপ্টেরার গোত্র অ্যাক্রিডিডাতে রয়েছে ১১ টি খন্ড, এবং জোরাপ্টেরার জীবাশ্ম নমুনায় পাওয়া গেছে ১০ খন্ডবিশিষ্ট উদর।",
"title": "কীট"
},
{
"docid": "545427#5",
"text": "একটি আদর্শ স্যাটেলাইটে প্রায় ৩২টি কাইজু ব্যান্ড বা ২৪ টি সি-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার থাকে, আর এর থেকেও বেশি থাকে কাইজু/সি হাইব্রিড স্যাটেলাইটে। আদর্শ ট্রান্সপন্ডারের ব্যান্ডউইথ হয়ে থাকে ২৭ থেকে ৫০ মেগাহার্টজের। প্রতিটি ভূস্থির কক্ষপথে থাকা সি-ব্যান্ড স্যাটেলাইটকে একটি অপরটির থেকে দ্রাঘিমা রেখা বরাবর ২° দূরে রাখতে হয় যাতে করে সংকেতের বাধাবিঘ্ন না হয়; কাইজু জন্য দূরত্বটা প্রয়োজন ১°। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৩৬০/২ = ১৮০টি ভূস্থির কক্ষপথে থাকা সি-ব্যান্ড স্যাটেলাইট বা ৩৬০/১ = ৩৬০টি ভূস্থির কক্ষপথে থাকা কাইজু-ব্যান্ড স্যাটেলাইট স্থাপন সম্ভব। সি-ব্যান্ড সম্প্রচার টেরিস্টরিয়াল সংকেতের জন্য বাধাগ্রস্ত হয় অপরদিকে কাইজু ব্যান্ড বৃষ্টির জন্য বাধাগ্রস্ত হয় (আসলে এই ফ্রিকোয়েন্সির মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ শোষনের জন্য পানি একটি ভাল মাধ্যম)। বজ্রপাতে সক্ষম মেঘমালার বরফ কুচি দ্বারা এটি আরো ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।",
"title": "স্যাটেলাইট টেলিভিশন"
},
{
"docid": "509976#0",
"text": "৬ নং ক্রোমোজোম হল মানবদেহে বিদ্যমান ২৩ জোড়া ক্রোমোসমের একটি। মানুষের সাধারণত ক্রোমোসমে দুই সেট থাকে। ৬ নং ক্রোমোসমে ১৭০ মিলিয়ন ভিত্তি জোড়া (যা ডিএনএ তৈরীর মূল উপাদান) থাকে, যা কোষে অবস্থিত মোট ডিএনএ-এর ৫.৫ থেকে ৬.০%। এটা ধারণ করে মেজর হিসটোকমপ্যাটিবিলিটি কমপ্লেক্স, যা আবার ধারণ করে একশয়ের অধিক জীন। এর সাথে ইমিউন প্রতিক্রিয়া এর সম্পর্ক আছে এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন-এ এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।",
"title": "৬ নং ক্রোমোজোম (মানবদেহ)"
},
{
"docid": "711842#2",
"text": "ফটোকপি মেশিন বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মত যন্ত্রপাতিতে ফ্ল্যাট-প্যানেল মেমব্রেন কীবোর্ডের দেখা পাওয়া যায়। একটি সাধারণ ডিজাইন যা তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত। শীর্ষ স্তরে সামনে ছাপানো লেবেল ও পেছনে পরিবাহী ডোরা রয়েছে। এর নিচে আছে একটা ব্যবধান স্তর, যা সামনের পেছনের স্তরকে আলাদা করে রাখে যাতে সাধারণভাবে কোন বৈদ্যুতিক আদানপ্রদান না ঘটে। পেছনের স্তরে উল্লম্বভাবে সামনের লেয়ারের দিকে ছাপানো পরিবাহী ডোরা রাখে। যখন একসাথে থাকে, এ ডোরাগুলো একটি গ্রিড গঠন করে। যখন ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট অবস্থানে চাপে, আঙ্গুল শীর্ষ স্তর ব্যবধানকারী স্তরের মধ্য দিয়ে নিচে নিয়ে যায় যা গ্রিডের ইন্টারসেকশবে একটি সার্কিট বন্ধ করে দেয়। এটা কম্পিউটার অথবা কীবোর্ড নিয়ন্ত্রণ প্রসেসরকে ইঙ্গিত করে যে নির্দিষ্ট বাটন চাপা হয়েছে।",
"title": "কীবোর্ড প্রযুক্তি"
},
{
"docid": "455036#6",
"text": "দ্রুততম টেক্সট বার্তা পাঠানোর গিনেস বিশ্ব রেকর্ড-এর রেকর্ড কে ভাঙতে পারে তা দেখার জন্য একটি পার্শ্ব প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। রেকর্ডটি পর্তুগালের পেদ্রো মাতিয়াস ভাঙ্গেন। তিনি ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে ২৬৪ বর্ণের টেক্সট বার্তা টাইপ করেন। সাংখ্যিক কিবোর্ডে প্রতি মিনিটে ৩০৬ বার বোতাম চেপে সবচেয়ে বেশিবার বোতাম চাপার রেকর্ড গড়ে ইন্দোনেশিয়া, অপরদিকে QWERTY কিবোর্ডে ৩৫৭ বার চেপে এ রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।",
"title": "এলজি মোবাইল বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "545178#6",
"text": "ব্যবহার এবং বরাদ্দকরণের সুবিধার্থে, আইটিইউ রেডিও স্পেকট্রামকে ১২ টি ব্যান্ডে ভাগ করেছে। প্রতিটা তরঙ্গদৈর্ঘই শুরু হয় ১০ মিটারের (10n) ঘাত হিসেবে, যার ফ্রিকোয়েন্সি (কম্পনমান) থাকে 3×108-n হার্টজ। প্রতিটা তরঙ্গদৈর্ঘই এক এক দশক বা দশগুন করে বৃদ্ধি পায়। প্রতিটা ফ্রিকোয়েন্সিরই একটি চলিত নাম আছে। উদাহরণস্বরূপ: হাই ফ্রিকোয়েন্সি (HF) বলে অভিহিত করা হয় ১০০ থেকে ১০ মিটার তরঙ্গদৈর্ঘকে যার ফ্রিকোয়েন্সি হল ৩ মেগা থেকে ৩০ মেগাহার্জ। কেবলমাত্র চিন্হিতকরণের সুবিধার্থে আইটিইউ থেকে একটি চলতি নাম দেয়া হয়েছে, যার সাথে আসলে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের কোন সম্পর্ক নাই। ব্যবহার কিংবা বরাদ্দকরণের সুবিধার্থে আইটিইউ আবার প্রতিটা ব্যান্ডকে অসংখ্য উপ-ব্যান্ডে ভাগ করেছে। \nআইটিইউ রেডিও রেগুলেশনের আর্টিকেল ২ এর সেকশন ২.১ বিভাগে সকল রেডিও ব্যান্ডের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, \"বেতার বর্ণালীকে নিম্নোক্ত ৯ ব্যান্ডে ভাগ করা হবে, যার প্রত্যেকটিকে নিম্নোক্ত টেবিলে প্রদর্শিত ছকে একটি পূর্ণসংখ্যা দিয়ে চিন্হিত করা হবে।\".",
"title": "বেতার বর্ণালী"
},
{
"docid": "477776#2",
"text": "পূর্নাঙ্গ স্ত্রী পোকা একটি একটি করে এক সাথে প্রায় ৫০০ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। ডিমগুলো ডালের নরম অংশ, পাতার মধ্যশিরা এবং পত্রাক্ষে আটকে থাকে। ডিমগুলো লম্বা শসার আকৃতির এবং এক প্রান্তে দুটি লোম থাকে। গ্রীষ্মকালে ৫-১০ দিন ও শীতকালে ১১-২৭ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে নিম্ফ বের হয়। এরা দেখতে অনেকটা মাকড়সার মতো হয়। নিম্ফ অবস্থায় এগুলো চলাফেরা করতে পারে। নিম্ফের দেহ ৪.৫ মিমি. লম্বা। নিম্ফ প্রথমে ফ্যাকাশে হলুদ বর্নের দেখায়। ধীরে ধীরে এগুলো সবুজাফ-হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পর পর পাঁচ বার খোলস ত্যাগ করার পর নিম্ফ পূর্ণবয়স্ক কীটপতঙ্গে পরিণত হয়। বাংলাদেশে চায়ের গান্ধিপোকা বছরে প্রায় ১৮ বার বংশবিস্তার করে।",
"title": "হেলোপেলটিস"
},
{
"docid": "471058#11",
"text": "টেকরাডারের গ্যারেথ বিভিস স্মার্টফোনটিকে পাঁচ তারকার মধ্যে চারটি প্রধান করে।তিনি বলেন যারা মোবাইলটি দ্বারা আপগ্রেড হবে তাদের টাইপিং এ অসুবিধা থে পারে ছোট কি-বোর্ড এর কারনে,বিভিস বলেন তিনি এটির সলিড বুইল্ড কোয়ালিটি,দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি,স্কিন কোয়ালিটি, নতুন অপটিকাল ট্র্যাকপেড পছন্দ করেন।এরপরও তিনি বলেন ডিভাইসটি আগেকার ব্ল্যাকবেরি গুলোর মত সেকেলে মনে হয় এটির ব্যহিক ও সফটওয়্যার ফিচার গুলোর আরো উন্নত হওয়া প্রয়োজন। এনগ্যাজেট থেকে লরা জুন বলেন যে \"পুরো প্যাকেজের ছোট, আরও মসৃণ ফর্ম ফ্যাক্টর হওয়ায় ডিভাইস হাতে নিতে চমৎকার লাগে গ্যারেথ বিভিস এর মতের বিরোধ করে তিনি বলেন নতুন কি-বোর্ড এ টাইপ করতে মজা লাগে কিন্তু তিনি স্বীকার করেন আমাদের মধ্যে অনেকেই সামান্য বাধাপেতে পারেন।",
"title": "ব্লাকবেরি বোল্ড ৯৭০০"
},
{
"docid": "10183#4",
"text": "কিবোর্ডে কার্সর মুভমেন্ট কি থাকে ৪টি। এগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে কার্সর মুভমেন্ট করা হয়, অনেকটা মাউসের মত।",
"title": "কিবোর্ড"
}
] |
করতোয়া নদীর উৎপত্তি স্থল কোথায় ? | [
{
"docid": "494748#1",
"text": "করতোয়া নিম্ন নদীটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নে প্রবহমান দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই নদী ক্রমান্বয়ে মিঠাপুকুর, নবাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলায় পৌঁছেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বগুড়া জেলার উক্ত উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নদীতে নিপতিত হয়েছে।",
"title": "করতোয়া নিম্ন নদী"
},
{
"docid": "65622#1",
"text": "করতোয়া নদী বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার ভোজনপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং দিনাজপুর সদর উপজেলার সরকারপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে আত্রাই নদীতে পতিত হয়েছে।",
"title": "করতোয়া নদী"
},
{
"docid": "65622#2",
"text": "করতোয়া নদী প্রধানত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্তর্গত একটি ছোট নদী যা একসময় একটি বড় ও পবিত্র নদী ছিল। এর একটি গতিপথ, বর্তমানে যেটির নাম করতোয়া নিম্ন নদী, বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় দিয়ে (যা পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ও প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন নগরীর রাজধানী) প্রবাহমান। করতোয়া মাহাত্ম্য এর অতীত ঐতিহ্যের প্রমাণ করে। মহাভারতে বলা আছে যে, তিনদিন উপবাসের পর করতোয়া নদীতে ভ্রমণ করা অশ্বমেধা (ঘোড়া বলিদান) এর সমান পূণ্যের সমান। আরেকটি প্রাচীন শহর শ্রাবস্তী, খুব সম্ভবত মহাস্থানগড়ের উত্তরে করতোয়ার পাড়ে অবস্থিত ছিল। অবশ্য শ্রাবস্তীর সম্ভাব্য অবস্থান নিয়ে বিতর্ক আছে।",
"title": "করতোয়া নদী"
}
] | [
{
"docid": "65622#6",
"text": "টেকটোনিক অসহনশীলতার কারণে করতোয়া নদী চারটি আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। উত্তরের অংশটি যার নাম দিনাজপুর-করতোয়া হল আত্রাই নদীর প্রধান উত্স। এটির উত্পন্ন হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বৈকণ্ঠপুরের একটি জলাধার থেকে এবং মাটির নিচের স্ট্রিম থেকেও পানি গ্রহণ করে। খানসামা উপজেলাতে এটি নাম বদলে আত্রাই হয়ে যায়। দ্বিতীয় শাখার ক্ষেত্রে, দিনাজপুর-করতোয়া খানসামার উত্তরে রংপুর-করতোয়ার সাথে মিশে যায়, অবশ্য এই গতিপথে বর্তমানে খুব সামান্য পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়। রংপুর-করতোয়ার উপরের অংশ জলপাইগুড়ি জেলায় উত্পন্ন হয়েছে এবং এটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত দিওনাই-যমুনেশ্বরী নামে পরিচিত। তৃতীয় শাখা, যমুনেশ্বরী-করতোয়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বের দিকে প্রবাহিত হয় এবং প্রধান গতিপথটি কাটাখালি হয়ে বাঙালি নদীতে গিয়ে পড়ে। প্রাক্তন নদীর একটি অংশ শিবগঞ্জ উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং এর বেশির ভাগ অংশ বর্তমানে প্রায় সারাবছর শুষ্ক থাকে। এটি কার্যকরভাবে রংপুর-করতোয়াকে বগুড়া-করতোয়া থেকে পৃথক করে, এবং বগুড়ার দক্ষিণ দিকে থেকে প্রবাহিত হয়ে বাঙালির সাথে মিশে ফুলঝুর নদী নামে হুরাসাগরে গিয়ে পড়ে। চতুর্থ অংশ পাবনা-করতোয়া হান্দিয়াল নিকটবর্তী একটি মৃত নদীগর্ভ। অন্যান্য অনেক চ্যানেলও পুরাতন করতোয়ার অংশ হিসেবে বিবেচিত।.",
"title": "করতোয়া নদী"
},
{
"docid": "494748#0",
"text": "করতোয়া নদী বা করতোয়া নিম্ন নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৪৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বন্যাপ্রবণ নদীটির প্রবাহের প্রকৃতি বারোমাসি এবং নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা \"পাউবো\" কর্তৃক করতোয়া (নীলফামারী) নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ১৪।",
"title": "করতোয়া নিম্ন নদী"
},
{
"docid": "65622#7",
"text": "প্রাচীনকালে তিস্তা জলপাইগুড়ির দক্ষিণ থেকে তিনটি গতিপথে প্রবাহিত হত, যার পূর্বে করতোয়া, পশ্চিমে পূণর্ভবা এবং কেন্দ্রে আত্রাই। এই তিনটি গতিপথ খুব সম্ভবত নদীটির নাম গঠন করে “ত্রিরস্তা” যা পরবর্তীকালে সংক্ষিপ্ত ও পরিবর্তিত হয়ে তিস্তা নাম ধারণ করে। তিনটি নদীর মধ্যে পুণর্ভবা মহানন্দার সাথে মিলিত হয়। আত্রাই একটি বৃহত্ পানিপরিবেষ্টিত অঞ্চল চলন বিলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে করতোয়ার সাথে মিলিত হয় এবং জাফরগঞ্জের নিকটে পদ্মার সাথে মিলিত হয়। ১৭৮৭ সালের ধ্বংসাত্মক বন্যার পর তিস্তা এর পুরনো গতিপথ বর্জন করে ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়।",
"title": "করতোয়া নদী"
},
{
"docid": "494756#1",
"text": "কাটাখালী নদীটি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এলাকায় প্রবহমান করতোয়া নদী (নীলফামারী) হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা একই জেলার একই উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নদীতে নিপতিত হয়েছে। বর্ষাকালে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। সেসময় নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা যায়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে নদীটির পানির প্রবাহ হ্রাস পায়।",
"title": "কাটাখালী নদী (গাইবান্ধা)"
},
{
"docid": "65622#8",
"text": "সিয়ার-আল-মুতাক্কিরিন এ লিপিবদ্ধ হয় যে, করতোয়া গঙ্গার তিনগুণ ছিল যখন বখতিয়ার খিলজি ১১১৫ সালে বাংলার উত্তরাঞ্চল দখল করেন। ভেন ডেন ব্রুকের ১৬৬০ সালে তৈরি বাংলার মানচিত্র অনুসারে করতোয়াকে একটি বৃহত্ গতিপথ হিসেবে দেখানো হয়। রেনেল ১৭৬৪ ও ১৭৭৭ সালের মধ্যে একটি জরিপ চালান ও বাংলার প্রাচীনতম মানচিত্রগুলোর একটি তৈরি করেন। এই মানচিত্রগুলোতে তিস্তা উত্তর বাংলার বেশ কিছু শাখা পুণর্ভবা, আত্রাই, করতোয়া ইত্যাদির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই সকল শাখাগুলো মহানন্দার নিম্নপ্রান্তে সম্মিলিত হয়, যা বর্তমানে বাংলার সর্বপশ্চিমের একটি নদী এবং হুরসাগর নাম নিয়ে চূড়ান্তে গঙ্গায় বর্তমান গোয়ালন্দের কাছে পতিত হয়। হুরসাগর নদীটি এখনো বড়ালের সাথে, যা গঙ্গা, আত্রাই, যমুনা বা যমুনেশ্বরীর পরিত্যক্ত একটি শাখা, একত্রিত হয়ে বর্তমানে গঙ্গার পরিবর্তে প্রধান যমুনায় পতিত হয়। এ স্থানটি গোয়ালন্দতে পদ্মার সাথে যমুনার মিলনের কয়েক মাইল উপরে অবস্থিত।",
"title": "করতোয়া নদী"
},
{
"docid": "478976#1",
"text": "আখিরা-মাচ্চা নদীটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোরাগাছ ইউনিয়ন এলাকার বিলাঞ্চল হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদী পীরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা অতিক্রম করে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ঘোড়াঘাট পৌরসভা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে করতোয়া, নীলফামারী, নদীতে নিপতিত হয়েছে। ভাটিতে নদীটি মাচ্চা নামে পরিচিত। মৌসুমি প্রকৃতির এই নদীতে শুকনো মৌসুমে পানির প্রবাহ থাকে না, নদীটি অনেকটা শুকিয়ে যায়। সে সময় নদীর কোলজুড়ে চাষাবাদ করা হয়। তবে বর্ষাকালে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। সে সময় নদীর দুকূল উপচে তীরবর্তী এলাকায় বন্যার পানি প্রবাহিত হয়।",
"title": "আখিরা-মাচ্চা নদী"
},
{
"docid": "18450#3",
"text": "হালদা নদীতে পতিত দুপাশের উপনদীগুলো প্রশস্ততার বিচারে সাধারণত নদীর পর্য্যায়ে পড়েনা। বেশিরভাগ ঝোড়া, ছড়া, খাল কিংবা ঝর্ণা জাতীয়। তবে মানিকছড়ি, ধুরুং এবং সর্তা যথেষ্ট প্রশস্ত। পূর্বদিক হতে যেসব খাল হালদার সাথে মিলিত হয়েছে তার উৎপত্তি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে। পশ্চিম দিক হতে আসা খালগুলোর উতপত্তি স্থল সীতাকুণ্ড পাহাড়। দুই পাহাড়ের মাঝখানে হালদা নদী প্রবাহিত হয়েছে উত্তর দিক হতে দক্ষিণ দিকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে উৎপন্ন খালগুলো হচ্ছে মানিকছড়ি, ধুরুং, তেলপারই, সর্তা, কাগতিয়া এবং ডোমখালী খাল। সীতাকুন্ড পাহাড়ী রেঞ্জ হতে উৎপন্ন হওয়া খালগুলোর মাঝে আছে গজারিয়া,ফটিকছড়ি,হারুয়ালছড়ি, বারমাসিয়া, মন্দাকিনী, বোয়ালিয়া এবং পোড়া কপালী খাল।",
"title": "হালদা নদী"
}
] |
জৈনধর্মের উদ্ভব প্রথম কবে হয় ? | [
{
"docid": "501830#1",
"text": "জৈনধর্মের উৎসটি স্পষ্ট নয়। পাশ্চাত্য গবেষক হেলমুথ ফন গ্ল্যাসেন্যাপ লিখেছেন, খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের ১ম শতাব্দীটিই জৈনধর্মের উৎসকালের সর্বাধিক সময়সীমা বলে ধরা যেতে পারে। তিনি প্রথম বাইশ জন তীর্থঙ্করকে পৌরাণিক চরিত্র বলে উল্লেখ করেছেন।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
}
] | [
{
"docid": "501830#0",
"text": "জৈনধর্ম হল ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন ধর্ম। জৈনরা চব্বিশ জন তীর্থঙ্করের জীবনীর মধ্য দিয়ে তাঁদের ইতিহাসের রূপরেখা অঙ্কন করেন। জৈন বিশ্বাস অনুসারে, বর্তমান কালচক্রার্ধের (অবসর্পিণী যুগ) প্রথম তীর্থঙ্কর ছিলেন ঋষভনাথ। সর্বশেষ দুই তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ (২৩শ তীর্থঙ্কর, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৮৭২-৭৭২ অব্দ) ও মহাবীর (২৪শ তীর্থঙ্কর, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯-৫২৭ অব্দ) ছিলেন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। ২২শ তীর্থঙ্কর নেমিনাথ সম্পর্কে সীমিত ঐতিহাসিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি ছিলেন কৃষ্ণের জ্ঞাতিভ্রাতা। জৈনধর্ম হল চিরস্থায়িত্বের দর্শন। জৈনরা বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের ধর্ম হল একটি চিরস্থায়ী ধর্ম। হেইনরিক জিমারের মতে, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় বা চতুর্থ সহস্রাব্দেও জৈনধর্মের অস্তিত্ব ছিল। সিন্ধু উপত্যকায় পরবর্তী প্রস্তরযুগীয় একাধিক বৃহদাকার শহরের ধ্বংসস্তুপ থেকে প্রাপ্ত প্রত্নসামগ্রীগুলি পর্যবেক্ষণ করে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "501830#8",
"text": "প্রথাগত বিশ্বাস অনুসারে, জৈনধর্মের মূল মতবাদ \"পূর্ব\" নামক শাস্ত্রে লিখিত ছিল। মোট চোদ্দোটি \"পূর্ব\" শাস্ত্রের অস্তিত্ব ছিল। জৈনদের বিশ্বাস, এই \"পূর্ব\" শাস্ত্রগুলির উৎস প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথ। মহাবীরের মৃত্যুর দুই শতাব্দী পরে একটি দ্বাদশবর্ষব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সেই সময় মগধের শাসক ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং জৈন সমাজের প্রধান ছিলেন ভদ্রবাহু। ভদ্রবাহু তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দক্ষিণে কর্ণাটক অঞ্চলে চলে যান। স্থূলভদ্র নামে অপর এক জৈন প্রধান মগধে থেকে যান। এই সময় জৈন মতবাদ সম্পর্কে জ্ঞান হারিয়ে যাচ্ছিল। তখন পাটলীপুত্রে এক সভার আয়োজন করা হয় এবং সেই সভায় \"অঙ্গ\" নামে পরিচিত ১১টি শাস্ত্র রচনা করা হয়। স্থূলভদ্রের অনুগামীরা দ্বাদশ অঙ্গ \"দিট্ঠিবায়\" গ্রন্থে চোদ্দোটি \"পূর্ব\" শাস্ত্রের অবশিষ্টাংশ সংকলিত করেন। দিগম্বর সম্প্রদায় স্থূলভদ্র কর্তৃক সংকলিত জৈন আগমের প্রামাণিকতা অস্বীকার করে। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, ইন্দ্রভূতি গৌতমের পর ২৩শ শিক্ষক ধরাসেনের সময় মাত্র একটি \"অঙ্গ\" শাস্ত্রের জ্ঞান ছিল। এটি ছিল মহাবীরের নির্বাণের ৬৮৩ বছর পরে। ধরাসেনের শিষ্য পুষ্পদন্ত ও ভূতবলীর সময়কালে তাও হারিয়ে যায়।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "501830#19",
"text": "৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে জৈন শাস্ত্র রচনার জন্য বল্লভী সভার আয়োজন করা হয়। দিগম্বর সম্প্রদায় এই শাস্ত্রগুলিকে অপ্রামাণিক বলে প্রত্যাখ্যান করে। জৈন সন্ন্যাসী সিলুঙ্গ সূরি যাদব রাজবংশের রাজা বনরাজকে (৭২০-৭৮০ খ্রিস্টাব্দ) লালনপালন করেছিলেন। চালুক্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা মূলরাজ নিজে জৈন না হলেও একটি জৈন মন্দির নির্মাণ করান। ভীমের (১০২২-১০৬৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজত্বকালে বিমল নামে এক জৈন গৃহস্থ আবু পর্বতের চূড়ায় অনেকগুলি মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। জৈন সন্ন্যাসী হেমচন্দ্র (জন্ম১০৮৮ খ্রিস্টাব্দ) আট বছর বয়সে সন্ন্যাসী দেবচন্দ্র কর্তৃক দীক্ষিত হন। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। গুজরাতে জৈনধর্মের প্রসারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। হেমচন্দ্র সোলাঙ্কি রাজবংশের রাজা কুমারপালকে জৈনধর্মে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। যদিও কুমারপালের ভ্রাতুষ্পুত্র তথা উত্তরাধিকারী অজয়পাল ছিলেন শৈব। তিনি জৈনদের দমন করেন।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "501830#16",
"text": "চন্দ্রগুপ্তের পৌত্র অশোক (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩-২৩২ অব্দ) বৌদ্ধ আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। অশোকের শিলালিপিগুলিতে জৈনদের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই শিলালিপিগুলিতে ‘ধম্মমহামাত্য’দের (সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত ধর্মপ্রচারক) কর্তব্য বর্ণিত আছে। একটি শিলালিপিতে রয়েছে:\nকথিত আছে, অশোকের পৌত্র সম্প্রতি (খ্রিস্টপূর্ব ২২৪-২১৫ অব্দ) সুহস্তী নামক এক জৈন সন্ন্যাসী কর্তৃক জৈনধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তিনি উজ্জয়িনীতে বাস করতেন। মনে করা হয়, তিনি অনেক জৈন মন্দির স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীকালে যে সকল মন্দিরের উৎস বিস্মৃত হয়েছিল, সেগুলিকে তাঁর নির্মিত মন্দির বলে উল্লেখ করা হত।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "501830#29",
"text": "১৮৪৮ সালে আমেদাবাদে শেঠ হট্ঠিসিংহ ১৫শ তীর্থঙ্কর ধর্মনাথের একটি মন্দির নির্মাণ করান। ব্রিটিশ যুগেও ভারতে জৈনদের সংখ্যা কমতে থাকে। জৈন গৃহস্থরা হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত হতে থাকেন। যাঁরা ধর্মান্তরিত হননি, তাঁরাও হিন্দুধর্মের অনুষ্ঠান পালন করতে থাকেন এবং হিন্দু দেবদেবীদের পূজা জৈনধর্মে গৃহীত হয়। জৈন সন্ন্যাসী সম্প্রদায় এতে বিপদ সংকেত দেখেন এবং জৈনধর্ম পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করেন। শ্বেতাম্বর তপ গচ্ছের বিজয়ানন্দ সূরি (১৮৩৭-১৮৯৭) এবং বিজয় ধর্ম সূরি (১৮৬৮-১৯২২) ব্রিটিশ শাসনে জৈনধর্ম প্রচারে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "501830#4",
"text": "খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে জৈনধর্মের সর্বাধিক প্রভাবশালী প্রচারক ছিলেন মহাবীর। জৈনদের মতে, তিনি বর্তমান কালচক্রার্ধের (অবসর্পিণী যুগ) ২৪শ তথা সর্বশেষ তীর্থঙ্কর। মহাবীরকে অনেক সময় ভুলবশত জৈনধর্মের প্রবর্তক মনে করা হয়। প্রকৃতপক্ষে জৈনধর্ম তাঁর আগে থেকেই প্রচলিত ছিল এবং তিনি গোড়া থেকেই এই ধর্মের অনুগামী ছিলেন।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "501830#14",
"text": "জৈনধর্মের ইতিহাস সংক্রান্ত যে তথ্যগুলি পাওয়া যায় সেগুলি অনিশ্চিত ও খণ্ডিত। জৈনদের মতে রাজা বিম্বিসার (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৫৮-৪৯১ অব্দ), অজাতশত্রু (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৯২-৪৬০ অব্দ) ও হর্যঙ্ক রাজবংশের উদয়ন জৈনধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। নন্দ সাম্রাজ্যেও (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪২৪-৩২১ অব্দ) জৈনধর্ম প্রসার লাভ করেছিল।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "354486#5",
"text": "ধ্রুপদি সাংখ্য দর্শনগ্রন্থ সাংখ্যকারিকায় উল্লিখিত ও সংকলিত ধারণাগুলি বেদ, উপনিষদ্ ও ভগবদ্গীতাতেও দেখা যায়। দ্বৈতবাদের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে সংকলিত ঋগ্বেদে। ঋগ্বেদের ইন্দ্র-বৃত্র উপাখ্যানে এই দ্বৈতবাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। দসর্পদানব বৃত্র সৃষ্টিশক্তিকে বদ্ধ করে রেখেছিল। দেবতাদের রাজা ইন্দ্র সেই শক্তিকে মুক্ত করার জন্য বৃত্রকে হত্যা করেন। ভারতীয় ধর্ম ও দর্শন বিশেষজ্ঞ গেরাল্ড জেমস লারসন মনে করেন এই উপাখ্যানে দ্বিমুখী দ্বৈতবাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, \nঋগ্বেদের নাসদীয় সূক্তে সৎ ও অসতের মধ্যে যে দ্বৈতবাদ আরোপ করা হয়েছে, তা অনেকটা সাংখ্যের ব্যক্ত-অব্যক্ত দ্বৈতবাদের অনুরূপ। পুরুষসূক্ত সম্ভবত সাংখ্য দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রচিত হয়েছিল। এর মধ্যে পুরুষের প্রথম ধারণাটি দেখা যায় - যেখানে পুরুষ এক বিশ্বজনীন সত্ত্বা এবং যার থেকে বিশ্বের উৎপত্তি। অথর্ববেদের একাধিক স্তোত্রে পুরুষের উল্লেখ পাওয়া যায়। সাংখ্য দর্শনের বুদ্ধি বা মহতের ধারণাটি ঋগ্বেদ ও শ্বেতাশ্বেতর উপনিষদে উল্লিখিত হিরণ্যগর্ভ ধারণার অনুরূপ।\nপ্রাচীনতম মুখ্য উপনিষদগুলিতে (রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব ৯০০-৬০০ অব্দ) ধ্রুপদি সাংখ্য দর্শনের কিছু কিছু নিদর্শন পাওয়া যায়। সাংখ্য দর্শনের অহংকার ধারণার প্রতিধ্বনি শোনা যায় বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ও ছান্দোগ্য উপনিষদের অহংকার ধারণায়। সৎকার্যবাদ বা সাংখ্য কারণতত্ত্বের উল্লেখ পাওয়া যায় ষষ্ঠ অধ্যায়ের শ্লোকে যেখানে সৎ-স্বরূপের প্রাধান্য কথিত হয়েছে এবং তা থেকে সৃষ্টির বিবরণ দেওয়া হয়েছে। সৃষ্টির ক্ষেত্রে তিন গুণের প্রভাবের যে উল্লেখ ছান্দোগ্য ও শ্বেতাশ্বেতরে পাওয়া যায়, তাও সাংখ্য প্রভাবিত। উপনিষদের দুই ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য ও উদ্দালক আরুণি শুদ্ধচৈতন্যকে মানুষের গভীরতম সারবস্তু বলে উল্লেখ করেছেন। সম্ভবত এর থেকেই সাংখ্যের পুরুষ ধারণার উৎপত্তি। সাংখ্যের তত্ত্বগণনার উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় উপনিষদ্, ঐতরেয় উপনিষদ্ ও বৃহদারণ্যক উপনিষদের যাজ্ঞবল্ক্য-মৈত্রেয়ী সংলাপে।\nখ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে উত্তর ভারতে বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের উদ্ভব হয়। সম্ভবত এই দুই ধর্মমত ও সাংখ্য দর্শনের আদি উপশাখাগুলি পরস্পরকে প্রভাবিত করেছিল। বৌদ্ধধর্ম ও সাংখ্যের মধ্যে সাদৃশ্য দেখা যায় উভয় মতে দুঃখের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপের বিষয়ে। যদিও বৌদ্ধধর্মে যেমন দুঃখবাদ একটি কেন্দ্রীয় ধারণা, সাংখ্যে তা নয়। তাই মনে করা হয়, সাংখ্য দুঃখবাদ গ্রহণ করেছে বৌদ্ধধর্ম থেকে। অন্যদিকে জৈন ধর্মমতের জীবাত্মার বহুত্ববাদ সম্ভবত সাংখ্যের বহুবিধ পুরুষ ধারণাকে প্রভাবিত করেছিল। যদিও ভারততত্ত্ববিদ হারমান জাকোবি বলেছেন, সাংখ্য বহু পুরুষের ধারণা জৈনধর্মের জীব ধারণা থেকে উৎসারিত এ কথা মনে করার যথেষ্ট কারণ নেই। সম্ভবত বৈদিক ও অবৈদিক বহু প্রাচীন দর্শনের জীব ধারণা দ্বারা সাংখ্য প্রভাবিত হয়েছিল।",
"title": "সাংখ্য"
},
{
"docid": "501830#2",
"text": "ড. বিলাস এ. সাংভি, চম্পৎ রাই জৈন, অধ্যাপক জর্জ বুলার, হারমান জেকবি, ড. হরনেল, পণ্ডিত সুখলাল সাংভি, অধ্যাপক বিদ্যালঙ্কার ও অন্যান্যরা বিশ্বাস করেন যে, জৈনধর্মই ভারতের প্রাচীনতম বিদিত ধর্মবিশ্বাস এবং সিন্ধু উপত্যকায় এই ধর্মের ব্যাপক প্রচলন ছিল। তাঁদের মতে, হরপ্পায় খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত ‘কায়োৎসর্গ’ ভঙ্গিমার নগ্ন পুরুষমূর্তি, ‘পদ্মাসন’ ভঙ্গিমায় উপবিষ্ট মূর্তি, সর্পমস্তক মূর্তি এবং ঋষভনাথের বৃষ প্রতীক জৈনধর্মের পরিচায়ক।",
"title": "জৈনধর্মের ইতিহাস"
}
] |
সিরিয়ার ঐতিহাসিক শহর আলেপ্পোর বর্তমান জনসংখ্যা কত ? | [
{
"docid": "336847#0",
"text": "আলেপ্পো ( / ALA-LC: \"\") সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর এবং আলেপ্পো মুহাফাযার (সিরিয়ার প্রদেশ) রাজধানী। এটি সিরিয়র উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এবং রাজধানী দামেস্ক থেকে ৩১০ কিলোমিটার দরে অবস্থিত। আলেপ্পোর জনসংখ্যা ২১৩২০০, এটি পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যেও অন্যতম বড় শহর। শতব্দীকাল ধরে আলেপ্পো সিরিয়ার সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এবং ইস্তানবুল ও কায়রোর পরে উসমানীয় সাম্রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ছিল।",
"title": "আলেপ্পো"
}
] | [
{
"docid": "641674#0",
"text": "আলেপ্পোর প্রাচীন শহর সিরিয়ার আলেপ্পোয় ঐতিহাসিক শহরের কেন্দ্র। সিরীয় গৃহযুদ্ধের পূর্বে, ১২শ থেকে ১৬শ শতাব্দীর মধ্যে প্রাচীন শহরের অন্যান্য জেলাগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন হয় নি। ক্রমাগত বহিরাক্রমণের শিকার ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য সিরিয়ার আবাসস্থলগুলো নির্মিত হতে হয়েছিল কারাগারের মত। জেলাগুলো ছিল সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন। প্রতিটি জেলা ছিল বাসিন্দাদের ধর্মীয় ও জাতিগত বৈশিষ্ট্যসূচক।",
"title": "আলেপ্পোর প্রাচীন শহর"
},
{
"docid": "336847#1",
"text": "আলেপ্পো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর। প্রায় ষষ্ঠ খ্রিস্টপূর্ব থেকে মানুষ আলেপ্পোতে বসবাস করছে। সিরিয়ার তেল-আস-সাওদা এবং তেল-আল-আনসারি শহরে খননকাজের মাধ্যমে জানা গেছে যে, আলেপ্পোতে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে মানুষ বসবাস করছে। তখনকার সময়ে আলেপ্পো বাণিজ্যিক ও সামরিক ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন করেছিল। আলেপ্পোর এমন দীর্ঘ ইতিহাসের কারণ এর ভৌগোলিক অবস্থান- ভূমধ্যসাগর ও মেসোপটেমিয়া এই দুইজায়গার মাঝে যা বৈদেশিক বাণিজ্যের সহায়ক। এছাড়া সিল্ক রোডের শেষ প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে আলেপ্পোর উন্নতি হয়। এই সিল্ক রোড মধ্য এশিয়া এবং মেসোপটেমিয়ার মধ্যে দিয়ে চলে গেছে। ১৮৬৯ সালে যখন সুয়েজ খাল উদবোধন করা হয় তখন পণ্য আদান-প্রদান সমুদ্র দিয়ে নেয়া শুরু হয় এবং এর ফলে ক্রমান্বয়ে আলেপ্পোর গুরুত্ব কমতে থাকে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে আলেপ্পোর উত্তরের একটি অঞ্চল তুরস্কের কাছে সমর্পন করা হয়। এছাড়া ইরাকের মসুল শহরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ রেললাইনও তুরস্কের কাছে সমর্পন করা হয়। ১৯৪০ সালে আলেপ্পো তার সমুদ্র এবং তুরস্কের সাথে সরসরি যোগাযোগ হারায়। বিগত কয়েক দশকে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সিরিয়ার পৃথকীকরণের ফলে এ অবসথার আরো অবনতি হয়। কিন্তু এর ফলে প্রাচীন আলেপ্পো এবং এর মধ্যযুগীয় স্থাপত্য-ঐতিহ্য অনেকাংশে অক্ষত থাকে। সম্প্রতি আলেপ্পোকে ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী উপাধিতে ভূষিত করা হয়।",
"title": "আলেপ্পো"
},
{
"docid": "336847#8",
"text": "আলেপ্পো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু ও পাথর উৎপাদন কেন্দ্র। এখানকার বার্ষিক প্রক্রিয়াকৃত স্বর্ণ উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৮.৫ টন যা সমগ্র সিরিয়ার উৎপাদিত স্বর্ণের ৪০ শতাংশেরও অধিক। আলেপ্পোর শিল্প নগর শেখ নাজার সিরিয়ার এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ। আলেপ্পোর উত্তর-পূর্বে এটি ৪৪১২ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ২০১০ সালে এখানে ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক বিনিয়োগ হয়। সরকার এখানে আরও হোটেল, প্রদর্শনী কেন্দ্র ও অন্যান্য সুবিধা সংবলিত স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। শহরের পুরনো অংশে কারু ও লোক শিল্পজাত পণ্য পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় বিখ্যাত আলেপ্পো সাবান পৃথিবীর প্রথম কঠিন সাবান।",
"title": "আলেপ্পো"
},
{
"docid": "641674#10",
"text": "প্রাচীন ব্যাবিলনীয় যুগে আলেপ্পোর নাম পাওয়া যায় হালাব (হালবা) প্রথমবারের মত। আলেপ্পো ছিল সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ইয়ামহাদ অঞ্চলের আমোরাইট রাজবংশের রাজধানী। ইয়ামহাদ অঙ্গরাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০-১৬০০ অব্দ), পরিচিত ছিল হালাবের ভূমি হিসেবে যা তৎকালে নিকট পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।",
"title": "আলেপ্পোর প্রাচীন শহর"
},
{
"docid": "641674#3",
"text": "সিরীয় আরব আর্মি এবং জাভাত আল নুসরার বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যকার লড়াইয়ে এ প্রাচীন শহরের আল-মদিনা বাজারের অনেক অংশ এবং অন্যান্য মধ্যযুগীয় ভবনগুলো ধ্বংস হয় এবং কোথাও কোথাও পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। আলেপ্পোর এ লড়াই সংঘটিত হয় বিদ্রোহী বাহিনীর মাধ্যমে ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে সেপ্টেম্বরে। ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে, ইসলামিক ফ্রন্টের বিরোধী দল দাবি করে, বিচার প্রাসাদ, কার্লটন হোটেল এবং প্রাচীন সিটি কাউন্সিল ভবনসহ বিভিন্ন প্রধান ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসের জন্য সিরীয় আর্মিকে দায়ী করে। কারণ, তারা এগুলোকে সুরক্ষিত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিল।",
"title": "আলেপ্পোর প্রাচীন শহর"
},
{
"docid": "336847#13",
"text": "আলেপ্পোর সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা হল ফুটবল। আলেপ্পোতে অনেক ফুটবল ক্লাব রয়েছে। এদের মধ্যে আল-ইত্তিহাদ আলেপ্পো এবং হুরিয়া এফসি সিরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল লীগে খেলে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফুটবল ক্লাব হল আল-ইয়ারমোক এসসি আলেপ্পো, জালা এফসি এবং অরুবা এসসি আলেপ্পো। বাস্কেটবল আলেপ্পোর অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। সিরিয়ার শীর্ষ ১২টি পুরুষদের বাস্কেটবল ক্লাবের মধ্যে ৪টি আলেপ্পোর। এছাড়া আলেপ্পোর ৫টি মহিলা বাস্কেটবল ক্লাব রয়েছে। আলেপ্পোতে ফুটবল, বাস্কেটবল ছাড়াও টেনিস, হ্যান্ডবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস এবং সাঁতারের ক্লাব রয়েছে।",
"title": "আলেপ্পো"
},
{
"docid": "336847#9",
"text": "আলেপ্পো সিরিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম ক্রমবর্ধমান নগর। সিরিয়ার গ্রামাঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষ আলেপ্পোতে আসছে অধিক উন্নত জীবিকার সন্ধানে। ফলে আলেপ্পোতে বাসস্থানের চাহিদাও বেড়ে গেছে। তাই আলেপ্পোতে অনেক আবাসিক ভবন ও স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে। আলেপ্পোর বড় দুইটি নির্মাণ প্রকল্প হচ্ছেঃ প্রাচীন শহর পুনঃসংস্কার এবং কিউইক নদীর প্রবাহ পুনরায় খুলে দেয়া।",
"title": "আলেপ্পো"
},
{
"docid": "336847#11",
"text": "আলেপ্পো রেলওয়ে স্টেশন সিরিয়ার সাথে উসমানীয় সাম্রাজ্য যুক্তকারী অন্যতম প্রধান রেল স্টেশন ছিল। এই রেললাইন তুরস্কের আঙ্কারাকে সিরিয়ার সাথে যুক্ত করেছে। সপ্তাহে দুইদিন আঙ্কারা থেকে দামেস্ক হয়ে এই পথে ট্রেন চলে। ঐতিহাসিক কারণে আলেপ্পোতে সিরীয় জাতীয় রেলওয়ের সদর দপ্তর অবস্থিত। তবে ট্রেনের গতি কম হওয়ায় বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ সড়কপথে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে চলাচল করে।\nআলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহরটির প্রধান বিমানবন্দর। এছাড়া এই বিমানবন্দর সিরিয়ান আরব এয়ারলাইন্সের দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বিমানবন্দরের বিংশ শতকের শুরুর দিকে নির্মিত হয়। ১৯৯০ এর দশকে এটির সংস্কার কাজ করা হয় এবং একটি নতুন টার্মিনাল নির্মিত হয়। ঐ অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রমের কারণে ২০১৩ সালের শুরু পর্যন্ত বিমানবন্দরটি বন্ধ ছিল।",
"title": "আলেপ্পো"
},
{
"docid": "336847#3",
"text": "আলেপ্পো ভূমধ্যসাগর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৩৮০ মিটার। সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্ত থেকে ৪৫ কিলোমিটার এর দূরত্ব। আলেপ্পোর উত্তরে এবং পশ্চিমে আবাদী জমি রয়েছে। এসব জমিতে জলপাই এর চাষ হয়। আলেপ্পোর পূর্বে সিরীয় মরুভূমি অবস্থিত।\nকিউইক নদীড় তীরে আলেপ্পো শহর গড়ে ওঠে। এই নদী আলেপ্পোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শহরের দক্ষিণ দিকে চলে গেছে। তবে আলেপ্পোর প্রাচীন অংশ নদীর বাম পাশে অবস্থিত। এটি আগে আটটি পর্বত দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। পর্বতগুলো হল তেল-আস-সাউদা, তেল-সাইসা, তেল-আস-সেফত্, তেল-আল-ইয়াসমিন, তেল-আল-আনসারি, আল-জাইলুম, বাহ্সিতা। এছাড়া পুরনো শহরটি একটি দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। দেয়ালটি পরব্ররতিতে ভেঙে ফেলা হয়। এই দেয়ালে নয়টি প্রবেশপথ ছিল।",
"title": "আলেপ্পো"
}
] |
মসজিদ আল হারামের কোথায় অবস্থিত ? | [
{
"docid": "356942#0",
"text": "মসজিদ আল-হারাম () ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান যা কাবাকে ঘিরে অবস্থিত। সৌদি আরবের মক্কা শহরে এর অবস্থান। মুসলিমরা নামাজের সময় কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। হজ্জ ও উমরার জন্যও মসজিদুল হারামে যেতে হয়।",
"title": "মসজিদ আল-হারাম"
}
] | [
{
"docid": "76228#0",
"text": "মসজিদুল আকসা () (আল-আকসা মসজিদ বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত) ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ।জেরুজালেমের পুরনো শহরে এটি অবস্থিত। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলো সহ এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। এছাড়াও স্থানটি \"টেম্পল মাউন্ট\" বলে পরিচত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ইসলামের বর্ণনা অণুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাহমিয়ার মতে , আসলে সুলাইমান এর তৈরি সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটির নামই হল মসজিদুল আল-আকসা ।মুহাদ্দিসগণ (হাদিস বিষয়ে পণ্ডিত) এই বিষয়ে একমত যে সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটিই ইসলামের নবী সুলাইমান (আঃ) তৈরি করেছিলেন যা পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল । মুসলমানরা বিশ্বাস করে , নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা (আঃ) (খ্রিস্টধর্মে যিশু) সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা (প্রার্থনার দিক)। হিজরতের পর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে কাবা নতুন কিবলা হয়। বর্তমানে \"আল-আকসা\" মসজিদ বলতে বোঝাায় কিবলি মসজিদ , মারওয়ানি মসজিদ ও বুরাক মসজিদ (৩টির) এর সমন্বয় যা \"হারাম আল শরীফ\" এর চার দেয়াল এর মধ্যেই অবস্থিত।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#12",
"text": "\"হারাম এলাকা জেরুজালেমের পূর্ব অংশে অবস্থিত; এবং (এই মহল্লার) বাজারের মধ্যে দিয়ে গিয়ে একটি বৃহৎ ও সুন্দর ফটক দিয়ে আপনি এই এলাকায় প্রবেশ করবেন... এই ফটক পার হওয়ার পর আপনি দুটি বৃহৎ স্তম্ভের সারির (রিওয়াক) ডানে থাকবেন যেগুলোর প্রত্যেকটিতে নয় ও বিশটি মার্বেল স্তম্ভ আছে, যেগুলোর শীর্ষ ও ভিত্তি রঙ্গিন মার্বেলের, এবং সংযুক্তিগুলো সীসার। স্তম্ভের শীর্ষে আর্চ উত্থিত যা চুন বা সিমেন্ট ছাড়া পাথরে নির্মিত, এবং প্রতিটি আর্চ পাঁচ বা ছয়টির বেশি পাথরের ব্লক দ্বারা তৈরী নয়। এই স্তম্ভসারিগুলো মাকসুরাহ নিয়ে যায়\"।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#36",
"text": "ইসলামে আল-আকসা মসজিদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা বিশ্বাস করে যে ,এটি পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ যা মসজিদুল হারামের পরে নির্মিত হয়। কুরআনে মিরাজের ঘটনা উল্লেখ করার সময় এই স্থানের নাম নেয়া হয়েছে।রাশিদুন খিলাফত এর পরেও ইসলামি পণ্ডিতরা একে ঐতিহ্যগতভাবে \"আল-ইসরা \" বলে উল্লেখ করত (যেহেতু সূরা বনী ইসরাঈল (রাত্রির যাত্রা) এ এটিকে উল্লেখ করা হয়েছে) । এই সুনির্দিষ্ট আয়াতটি ইসলামে \"আল-আকসা\" এর গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছে । এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে \" পবিত্র ও মহিমময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রাতারাতি ভ্রমণ করিয়েছেন (মক্কার) মাসজিদুল হারাম হতে (ফিলিস্তীনের) মাসজিদুল আকসায় \"। এই আয়াতটির অনুবাদ ও ব্যাখ্যায় প্রায় সব পণ্ডিতই সুনির্দিষ্টভাবে \"আল-আকসা\" ও \"মসজিদ আল-হারাম\" উল্লেখ করেছেন এবং বর্ণিত \"আল- আকসা\" টি যে \"জেরুজালেমে \" অবস্থিত \"আল-আকসা\" টিই তা নিশ্চিত করেছেন (ড. মুজিবুর রহমান ,মহসিন খান,আব্দুল হামিদ ফাইজী ও অধ্যাপক মোজাম্মেল হকের বঙ্গানুবাদেও তাই )।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "354910#0",
"text": "১৯৭৯ সালের নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে ইসলামী চরমপন্থীরা সৌদি আরবের, মক্কা শহরে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদ আল-হারাম দখল করে, যা ছিল মূলত সউদ রাজ পরিবাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে যে, 'মাহাদি'র হিসেবে তাদের নেতা চলে এসেছে এবং মুসলমানরা তাকে মেনে চলবে।",
"title": "মসজিদ আল-হারাম অবরোধ"
},
{
"docid": "376984#0",
"text": "হারাম আল শরিফ (\"টেম্পল মাউন্ট\" বলেও পরিচিত) হল জেরুজালেমের পুরনো শহরের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলোর অন্যতম। কয়েক হাজার বছর ধরে এটি ধর্মীয় স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইসলাম, খ্রিষ্টান, ইহুদি ও রোমান ধর্ম এর ব্যবহার হয়েছে। স্থানটিতে আল আকসা মসজিদ, কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। বাইজেন্টাইন ও ইসলামি শাসনের প্রথমদিকের দেয়াল পাহাড়ের পার্শ্বদেশ ঘেষে অবস্থিত। চারটি ফটকের সাহায্যে এখানে প্রবেশ করা যায়। এগুলো ইসরায়েলি পুলিশ কর্তৃক প্রহরাধীন থাকে।",
"title": "হারাম আল-শরিফ"
},
{
"docid": "460324#46",
"text": "আল-আজহার বিশ্বজুড়ে সুন্নিদের ভেতর মর্যাদা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। সুন্নিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় মুসলিম বিশ্বের আল-আজহারের প্রভাব রয়েছে। মিশরের বাইরেও আল-আজহার তার ধর্মীয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। উপসাগরীয় যুদ্ধের পূর্বে সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ ইসলামের দুইটি প্রধান মসজিদ মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী সৌদি আরবে অবস্থিত হওয়ায় বিদেশি সৈনিকদের দেশে অবস্থানের অণুমতি দেয়া সঠিক হবে কিনা তা জানতে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির পরিবর্তে আল-আজহারের কাছে ফতোয়া চেয়েছিলেন। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে নিকোলা সার্কোজি ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ফ্রান্সের বিদ্যালয়গুলোতে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব না পড়ার অণুমতি দেয়ার জন্য ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অফ দ্য মুসলিম ফেইথের পরিবর্তে আল-আজহারের কাছে অণুরোধ করেছিলেন। আল-আজহার থেকে এই অণুরোধের অণুকূলে সিদ্ধান্ত এসেছিল। এই সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।",
"title": "আল-আজহার মসজিদ"
},
{
"docid": "356942#21",
"text": "জমজম কুয়া মসজিদুল হারামের মধ্যে অবস্থিত। পূর্বে মাতাফের উপর জমজমের অংশ ছিল। পরে তা ভূগর্ভস্থ করে ফেলা হয় এবং পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়। সহীহ হাদীসে আছে জিবরাঈল (আ) এর পায়ের আঘাতে জমজম সৃষ্টি হয়েছিল।",
"title": "মসজিদ আল-হারাম"
},
{
"docid": "356942#1",
"text": "ভেতরের ও বাইরের নামাজের স্থান মিলে মসজিদের বর্তমান কাঠামো প্রায় জুড়ে অবস্থিত। মসজিদ সার্বক্ষণিক খোলা থাকে। হজ্জের সময় এখানে উপস্থিত হওয়া মানুষের জমায়েত পৃথিবীর বৃহত্তম মানব সমাবেশের অন্যতম।",
"title": "মসজিদ আল-হারাম"
},
{
"docid": "356942#18",
"text": "হাজরে আসওয়াদ কাবার পূর্ব কোণে অবস্থিত কালো রঙের পাথর। তাওয়াফের শুরুতে এই পাথর চুমু দিতে হয়। তবে ভিড় বা অন্য কোনো কারণে সামনে যাওয়া সম্ভব না হলে হাতের ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করা নিয়ম",
"title": "মসজিদ আল-হারাম"
}
] |
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম কী ? | [
{
"docid": "13900#0",
"text": "উমর ইবনুল খাত্তাব (, জন্ম ৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দমৃত্যু ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং প্রধান সাহাবিদের অন্যতম। আবু বকরের মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নেন। উমর ইসলামী আইনের একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ ছিলেন। ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে তাকে \"আল ফারুক\" (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি দেওয়া হয়। \"আমিরুল মুমিনিন\" উপাধিটি সর্বপ্রথম তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসে তাকে প্রথম উমর হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। নামের মিল থাকার কারণে পরবর্তী কালের উমাইয়া খলিফা উমর ইবনে আবদুল আজিজকে দ্বিতীয় উমর হিসেবে সম্বোধন করা হয়। সাহাবিদের মর্যাদার ক্ষেত্রে সুন্নিদের কাছে আবু বকরের পর উমরের অবস্থান। শিয়া সম্প্রদায় উমরের এই অবস্থান স্বীকার করে না।",
"title": "উমর ইবনুল খাত্তাব"
}
] | [
{
"docid": "34286#0",
"text": "উমর ইবনে আবদুল আজিজ ( জন্ম : ২ নভেম্বর ৬৮২, ২৬ সফর ৬৩ হিজরি; মৃত্যু : ৩১ জানুয়ারি ৭২০, ১৬ রজব ১০১ হিজরি) ()উমাইয়া বংশীয় একজন শাসক। উমাইয়া বংশীয় অন্যান্য শাসকদের মতো তাকেও মুসলিম জাহানের খলিফা হিসেবে গণ্য করা হয়। খুলাফায়ে রাশেদিন এর চার খলিফার সাথে তুলনা করতে গিয়ে অনেকে তাকে ইসলামের পঞ্চম খলিফা বলে থাকেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় উমর নামে পরিচিত ছিলেন।",
"title": "উমর ইবনে আবদুল আজিজ"
},
{
"docid": "13899#0",
"text": "আলি ইবনে আবু তালিব (; ; ৬০০ – ৬৬১) ইসলামের চতুর্থ ও খুলাফায়ে রাশেদিন-এর শেষ খলিফা। তিনি ছিলেন আবু তালিবের পুত্র। তার মাতার নাম ফাতিমা বিনতে আসাদ । আলি কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। শিশু বয়স থেকেই তিনি ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে লালিত-পালিত হন। ইসলামের ইতিহাসে তিনি পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি নবী মুহাম্মদ(সাঃ)এর সাথে নামাজ আদায় করতেন। বালকদের মধ্যে এবং পুরুষদের তিনি সর্ব প্রথম নবুয়তের ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বদর যুদ্ধে বিশেষ বীরত্বের জন্য মুহাম্মদ(সাঃ) তাকে \"জুলফিকার\" নামক তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। খাইবারের সুরক্ষিত কামুস দুর্গ জয় করলে মহানবী তাকে \"আসাদুল্লাহ\" বা আল্লাহর সিংহ উপাধি দেন। তিনি খুলাফায়ে রাশেদিন-এর একজন।",
"title": "আলী ইবনে আবু তালিব"
},
{
"docid": "3169#0",
"text": "মুহাম্মাদ (২৯ আগস্ট ৫৭০ - ৮ জুন ৬৩২; আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : \"মুহাম্মেদ\"), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম () হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী, (), তথা \"বার্তাবাহক\" (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তাঁর এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তাঁর জীবনের অন্যতম সফলতা।",
"title": "মুহাম্মাদ"
},
{
"docid": "13902#0",
"text": "আবু বকর () (২৭ অক্টোবর ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দ – ২৩ আগস্ট ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন মুহাম্মদ (সা) এর একজন প্রধান সাহাবি, ইসলামের প্রথম খলিফা এবং প্রথম মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণের সম্মান তাকে দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর শ্বশুর ছিলেন। রাসুল মুহাম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলিমদের নেতৃত্ব দেন। মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি অতুলনীয় বিশ্বাসের জন্য তাকে “সিদ্দিক” বা বিশ্বস্ত উপাধি প্রদান করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোন হাদিস পাওয়া যায়নি। হাদিসে অন্য তিনজনকে সিদ্দীক উপাধীকরণ করা হয়েছে। মিরাজের ঘটনা এক ব্যক্তির নিকট শুনে বিশ্বাস করেছিলেন। তাই তাকে আবু বকর সিদ্দিক নামেও সম্বোধন করা হয়।",
"title": "আবু বকর"
},
{
"docid": "297097#0",
"text": "হাসান ইবন আলী (; ৪ঠা মার্চ ৬২৫ / ১৫ রমজান ৩ হিজরী - ৯ বা ৩০ মার্চ ৬৭০ / ৭ সফর বা ২৮ সফর ৫০ হিজরী; ৪৭ বছর বয়স) হলেন ইসলামের একজন অতি গুরুত্বপূর্ন চরিত্র। তিনি ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী ও নবী কন্যা ফাতিমা-এর পুত্র; এবং নবী মুহাম্মদ-এর দৌহিত্র। তারা বাবার মৃত্যুর পর তিনি রাষ্ট্রের প্রধান বা খলিফা হিসাবে অধিষ্ঠিত হন, মদিনা থেকে অবসরের এবং মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে চুক্তিতে যাবার আগে পর্যন্ত। সুন্নী এবং শিয়া উভয় সম্প্রদায়ই হাসানকে শহীদ হিসেবে সম্মান করে। তিনি আহলে-আল-কিসার ৫ জনের অন্যতম এবং আহলে-আল-বাইতেরও সদস্য। তাকে শিয়াগণ দ্বিতীয় ইমাম হিসেবে মান্য করে।",
"title": "হাসান ইবনে আলী"
},
{
"docid": "435549#0",
"text": "হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা যার পূর্ণ নাম হামাদ বিন ঈসা বিন সালমান আল খলিফা (Arabic: حمد بن عيسى بن سلمان آل خليفة Ḥamad bin ʿĪsā bin Salmān ʾĀl Ḫalīfah; জন্ম: জানুয়ারী ২৪, ১৯৫০খৃঃ) হলেন ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০০২ খৃঃ হতে নিযুক্ত বাহরাইনের প্রথম বাদশাহ। তার পূর্বে মার্চ ৬, ১৯৯৯ খৃঃ হতে ক্ষমতায় ছিলেন বাহরাইনের দ্বিতীয় আমির। তিনি সেখানকার প্রথম আমির ঈসা বিন সালমান আল খলিফার পুত্র। দেশটিতে ১৭৮৩ সাল হতে আল খলিফা রাজ পরিবারের শাসন প্রচলিত রয়েছে।",
"title": "হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা"
},
{
"docid": "8854#0",
"text": "ইব্রাহিম বা ইব্রাহীম, সম্মানার্থে হযরত ইব্রাহিম (আ.) (, ) তোরাহ অনুসারে আব্রাহাম () (আনুমানিক জন্ম: ১৯০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১৮৬১ খৃষ্ট পূর্বাব্দে জন্ম – মৃত্যু: ১৮১৪ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১৭১৬ খৃষ্ট পূর্বাব্দ), ইসলাম ধর্মের একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী ও রাসূল। পবিত্র কুরআনে তাঁর নামে একটি সূরাও রয়েছে। পুরো কুরআনে অনেকবার তাঁর নাম উল্লেখিত হয়েছে। ইসলাম ধর্মমতে, তিনি মুসলিম জাতির পিতা। ইসলাম ছাড়াও, ইহুদি ও খ্রিস্টধর্মেও ইব্রাহিম শ্রদ্ধাস্পদ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। এজন্য ইবরাহিমকে সেমেটিক ধর্মগুলোর জনকও বলা হয়ে থাকে। কা'বুল আহবার-এর মতে তিনি ১৯৫ বছর জীবিত ছিলেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি তার দৃঢ় বিশ্বাসের এর ফলে সৃষ্টিকর্তা তাকে সর্বকালের সকল জাতির নেতা বানানোর প্রতিজ্ঞা করেন। ইসলামে তার কার্যক্রম কে স্মরণ করে ঈদুল আযহা পালিত হয়। ইব্রাহিম ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল ইসলামে কুরবানি ও হজ্জের বিধান চালু করেন যা বর্তমানের মুসলিমদের দ্বারাও পালিত হয়।",
"title": "ইব্রাহিম"
},
{
"docid": "317198#37",
"text": "ইরাকের বাইরের স্বাধীন প্রদেশগুলো ধীরে ধীরে বংশগত শাসকদের আওতায় চলে আসে। এসব স্থানে খলিফার অবস্থান ছিল আনুষ্ঠানিক। মাহমুদ গজনভি বহুল প্রচলিত “আমির” পদবীর স্থলে “সুলতান” পদবী ধারণ করেন। ১১ শতকে খলিফার অবস্থান আরো হ্রাস পায় যখন কিছু মুসলিম শাসক জুমার খুতবায় তার নাম উল্লেখ করার প্রথা থেকে সরে আসেন ও নিজেদের নামে মুদ্রা জারি করেন।\nকায়রোর ফাতেমীয়রা মুসলিম বিশ্বের কর্তৃত্বের ব্যাপারে আব্বাসীয়দের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন। বাগদাদ আব্বাসীয় খলিফাদের কেন্দ্র হলেও সেখানকার শিয়াদের মধ্যে ফাতেমীয়রা কিছু সমর্থন লাভ করে। ফাতেমীয়দের পতাকা ছিল সবুজ ও আব্বাসীয়দের পতাকা ছিল কালো। ফাতেমীয়দের সাথে এই প্রতিদ্বন্দ্ব্বীতা ১২ শতকে সমাপ্তি ঘটে।",
"title": "আব্বাসীয় খিলাফত"
},
{
"docid": "534057#0",
"text": "ইমরুল কায়েস হলেন ৬ষ্ঠ শতকের আরবি ভাষার উল্লেখযোগ্য ও শ্রেষ্ঠ কবি। তার পুরো নাম হল ইমরুল কায়েস বিন হুযর আল কিন্দি। তার পিতার নাম হুযর ইবনে আল-হারিছ এবং মাতার নাম ফাতিমা বিন্তে রাবিয়াহ আল-তাগলিবি। তিনি আরবের নাজদ এলাকায় ৬ষ্ঠ শতকের প্রথম দিকে জন্মগ্রহন করেন এবং প্রাথমিক জীবন রাজকীয়ভাবে যাপন করেন। তিনি বাল্যকাল এ কবিতা রচনা শুরু করলে তার পিতা তাকে বাড়ি থেকে বহিস্কার করে দেন। তারপর তিনি বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়ে মদ্যপায়ী জীবন শুরু করেন। তার প্রেমিকার নাম ছিল উনাইযা। \nএই মহান কবি ৫৪০ খ্রীঃ মৃত্যু বরণ করেন।\nকিনদাহ বংশের আদি আবাসস্থল ছিলো দক্ষিণ আরবে, সেখান থেকে তারা উত্তরে অগ্রসর হয়ে ৪র্থ অথবা ৫ম শতাব্দির দিকে নাযদে বসবাস শুরু করে। ৫ম শতাব্দির দিকে তারা ইয়েমেনের রাজাকে তাদের জন্য একজন রাজা নির্বাচনের আরজি জানায়, এবং হূযর আকিল আল-মুরার প্রথম কিনদাহ রাজা নির্বাচিত হয়। হূযর আকিল আল-মুরারের পরবর্তী রাজা ছিলো তার পুত্র আমর, তার পরবর্তীতে তার পুত্র আল-হারিছ, যিনি ছিলেন কিনদাহ রাজাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। আল-হারিছের পুত্রদের মধ্যে একজন হূযর। আর হূযর ছিলেন ইমরুল কায়েসের পিতা।",
"title": "ইমরুল কায়েস (কবি)"
}
] |
হিন্দু শাস্ত্র মতে শিবের বাহন কে ? | [
{
"docid": "5920#19",
"text": "হিন্দু দেবমণ্ডলী একজন প্রধান দেবতারূপে শিবের উত্থানের পশ্চাতে কার্যকরী ছিল অগ্নি, ইন্দ্র, প্রজাপতি, বায়ু প্রমুখ বৈদিক দেবতাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক।\nরুদ্রের সঙ্গে অগ্নির সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বৈদিক সাহিত্যে অগ্নি ও রুদ্রের পারস্পরিক অঙ্গীভবন রুদ্রের রুদ্র-শিব রূপে বিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। \"নিরুক্তি\" নামক প্রাচীন ব্যুৎপত্তিতত্ত্ববিষয়ক একটি গ্রন্থে এই অঙ্গীভবনের বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। এই গ্রন্থে লেখা আছে, \"অগ্নিকে রুদ্র নামেও অভিহিত করা হয়\"। দুই দেবতার পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। স্টেল ক্র্যামরিকের মতে:\nThe fire myth of plays on the whole gamut of fire, valuing all its potentialities and phases, from conflagration to illumination.\n\"শতরুদ্রীয়\" স্তবে \"সসিপঞ্জর\" (\"সোনালি লাল রঙের শিখার মতো আভাযুক্ত\") ও \"তিবষীমতি\" (\"জ্বলন্ত শিখা\") বিশেষণদুটি রুদ্র ও অগ্নির সমরূপত্ব নির্দেশ করছে। অগ্নিকে ষাঁড়ের রূপে কল্পনা করা হয়ে থাকে, এবং শিবের বাহনও হল নন্দী নামে একটি ষাঁড়। ষাঁড়ের মতো অগ্নিরও শিং কল্পনা করা হয়ে থাকে। মধ্যযুগীয় ভাস্কর্যে অগ্নি ও ভৈরব শিব – উভয়েরই বিশেষত্ব হল অগ্নিশিখার ন্যায় মুক্ত কেশরাশি।",
"title": "শিব"
},
{
"docid": "508756#0",
"text": "নন্দী() হিন্দু দেবতা শিবের বাহন। তবে তিনি শিবের বাহন হয়েছেন পরে। প্রথমে তিনি ছিলেন এক স্বতন্ত্র দেবতা। পশুপতির পাশাপাশি তাঁরও পুজো হত। এক সময় তিনি হলেন শিবের দুই দ্বাররক্ষীর এক জন, অন্য জন মহাকাল। এই কারণেই অনেক শিবমন্দিরের সামনে নন্দীর মূর্তি থাকে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে। তবে সে মূর্তি সচরাচর বৃষ বা ষাঁড়ের। যদিও পুরাণে নন্দীর এই রূপটি বিরল। কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, মহাদেবের এই প্রধান অনুচরটি করালদর্শন, বামন, বিকটাকার, মুণ্ডিতমস্তক, ক্ষুদ্রবাহু, মহাবল। ষণ্ডরাজকে পাওয়া যায় মন্দির-ভাস্কর্যে, অষ্টম শতাব্দী থেকে। কী ভাবে নন্দী এই রূপ প্রাপ্ত হলেন, সে বিষয়ে কোনও স্থির মত নেই।",
"title": "নন্দি (ষাঁড়)"
},
{
"docid": "366461#1",
"text": "হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দেবতারা অসুরদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রদোষকালে শিবের কাছে গিয়েছিলেন। এক ত্রয়োদশী তিথিতে তাঁরা কৈলাশ পর্বতে যান। শিবের বাহন নন্দী তাঁদের সহায়তা করেন। শিব অসুর বধ করে দেবতাদের সাহায্য করেন। সেই থেকে মন্দিরে ত্রয়োদশীতে নন্দী-সহ শিবের পূজার রীতি চালু হয়।",
"title": "প্রদোষ"
}
] | [
{
"docid": "486779#3",
"text": "হেরম্বগণেশের বাহন সিংহ। সিংহবাহন হেরম্বগণেশের রাজকীয় সত্ত্বা ও দুর্ধর্ষ প্রকৃতির প্রতীক। কথিত আছে, এই বাহনটি তাঁর মা পার্বতীর বাহন। পার্বতীর থেকেই তিনি এই বাহনটি পেয়েছেন। সিংহ বাহন হলেও, কোনো কোনো মূর্তিতে গণেশের নিজস্ব বাহন মুষিককেও (ইঁদুর) সঙ্গে দেখা যায়। ১১শ-১৩শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে ওড়িশায় নির্মিত একটি মূর্তিতে হেরম্বগণেশের আসনের পাশে একটি ইঁদুর দেখা যায়। নেপালের ভক্তপুরে নির্মিত একটি মূর্তিতে দেখা যায়, হেরম্বগণেশ দুটি ইঁদুরের উপর দাঁড়িয়ে আছেন। নেপালে হেরম্বগণেশকে সাধারণত সিংহ ও ইঁদুরের সঙ্গে দেখা যায়।",
"title": "হেরম্বগণেশ"
},
{
"docid": "18628#30",
"text": "গণেশের বাহন মূষিক বা ইঁদুর। ইঁদুর মায়া ও অষ্টপাশ ছেদনের প্রতীক। ব্রহ্মর্ষি শ্রীসত্যদেবের ভাষায়, \nলক্ষ্মী শ্রী, সমৃদ্ধি, বিকাশ ও অভ্যুদয়ের প্রতীক। শুধু ধনৈশ্বর্যই নয়, লক্ষ্মী চরিত্রধনেরও প্রতীক। স্বামী নির্মলানন্দের ভাষায়, \nমহানামব্রত ব্রহ্মচারী অন্যদিকে সমুদ্রমন্থনে সমুদ্ভূতা দেবী লক্ষ্মীর মূর্তিতত্ত্বের অপর এক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, \nলক্ষ্মীর বাহন পেচক বা প্যাঁচা। রূপে ও গুণে অতুলনীয় এই দেবীর এমন কিম্ভূত বাহন কেন, সে নিয়ে বেশ কয়েকটি মত প্রচলিত। প্রথমেই স্মরণে রাখা কর্তব্য, হিন্দু শাস্ত্রে কোথাও পেচককে লক্ষ্মীর বাহনের মর্যাদা দান করা হয়নি। এই বিশ্বাস একান্তই বাঙালি লোকবিশ্বাস।",
"title": "দুর্গাপূজা"
},
{
"docid": "331921#0",
"text": "হরিহর হল হিন্দু দেবতা বিষ্ণু (হরি) ও শিবের (হর) একটি মিশ্র রূপ। এই রূপটি শঙ্করনারায়ণ (\"শঙ্কর\" মানে শিব, এবং \"নারায়ণ\" নামে বিষ্ণু) নামেও পরিচিত। বৈষ্ণব ও শৈব ধর্মাবলম্বীরা এই রূপটিকে সর্বোচ্চ ঈশ্বরের একটি রূপ হিসেবে পূজা করেন। একই পরমেশ্বরের দুটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সহাবস্থান বোঝাতেও হিন্দু দর্শনে \"হরিহর\" কথাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, বিষ্ণু ও শিবের স্বরূপ (বৈদিক ও পৌরাণিক ধর্মশাস্ত্রের বর্ণনা অনুসারে) এবং তাদের ভিন্ন বা অভিন্ন অবস্থা হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন শাখায় একটি বিতর্কের বিষয়।\nহিন্দুধর্মের বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি বিষ্ণু ও শিবকে ঘিরে একাধিক কিংবদন্তি ও প্রথার জন্ম দিয়েছে। কোনো কোনো সম্প্রদায়ের মতে শুধু বিষ্ণুই (ও তাঁর অবতারসমূহ) সর্বোচ্চ ঈশ্বর। আবার কোনো কোনো সম্প্রদায় শিবকে (তাঁর বিভিন্ন রূপভেদ সহ) সর্বোচ্চ ঈশ্বর মনে করে। কোনো কোনো সম্প্রদায়ের মতে শিব ও বিষ্ণু একই ঈশ্বরের দুটি ভিন্ন রূপ এবং উভয়েই পরমেশ্বর। আবার কোনো কোনো সম্প্রদায় পরমেশ্বরকে নিরাকার (অদ্বৈত) মনে করে। তাঁরা বিষ্ণু ও শিবকে নিরাকার ব্রহ্মের দুটি ভিন্ন রূপ মনে করেন।",
"title": "হরিহর (দেবতা)"
},
{
"docid": "428148#20",
"text": "মূলত রুদ্র থেকে শিব হয়ে ওঠার এই রূপান্তর পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে স্পষ্ট। কারণ, সে সময় ভক্তের কাছ থেকে ঈশ্বরের অঞ্জলি গ্রহণের দ্বি-অর্থক ধারণা তৈরী হয়। আসলে গোঁড়া বৈদিক যাগযজ্ঞ ও তার আহুতি থেকে রুদ্রকে বাদ দেওয়া হয়, তাই ভগবানের এই রূপটির প্রয়োজন হয় ভক্তদের নিবেদন আদায় করার, তাই শিবকে ‘উচ্ছিষ্ট’ (যাকে কেউ গ্রহণ করেনি) নিবেদন নিতে দেখা যায়। হিন্দু পুরাণে এই প্রসঙ্গটির পরোক্ষ বা রূপকীয় উপস্থাপনা দেখা যায়, শিব ও তার শ্বশুর দক্ষের সংঘর্ষের মাধ্যমে। ব্রহ্মার মানসপুত্র দক্ষ তার আয়োজন করা মহাযজ্ঞে শিবকে আমন্ত্রণ করে না, তাই ক্রুদ্ধ সতী (দক্ষের কন্যা ও শিবের পত্নী) অভিযোগ জানাতে দক্ষের কাছে হাজির হন। তবুও দক্ষ শিবের নিন্দা করেন, এবং সতী ভয়ানক অপমানিত হয়ে নীচ দক্ষের কন্যা হয়ে থাকার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় মনে করেন ও তৎক্ষণাৎ প্রাণত্যাগ করেন। শিব পত্নীবিয়োগের যন্ত্রণায় ও ক্ষোভে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন এবং দক্ষের মাথা কেটে সেখানে ছাগলের মাথা জুড়ে দেন, উল্লেখ্য, ছাগল বলিতে ব্যবহৃত হয়।",
"title": "হিন্দু পুরাণ"
},
{
"docid": "366461#0",
"text": "প্রদোষ বা প্রদোষম্ হল হিন্দু দেবতা শিবের একটি বিশেষ পূজানুষ্ঠান। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি মাসের শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এটিকে প্রদোষ ব্রত বলা হয়। হিন্দুরা সূর্যাস্তের আগের ও পরের দেড় ঘণ্টা সময়কে বিশেষ পবিত্র মনে করেন। প্রদোষ ব্রতে সারা দিন উপবাস করে ওই বিশেষ সময়ে শিবের পূজা করা হয়। পূজক রুদ্রাক্ষ ও বিভূতি ধারণ করে অভিষেক, চন্দন, বিল্বপত্র, ধূপ, দীপ ও নৈবেদ্য দিয়ে শিবের পূজা করেন।\nপঞ্জিকায় \"প্রদোষ\" কথাটি একটি বিশেষ তিথির নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রদোষ কল্প ও দোশার পুত্র। তাঁর নীশিত ও ব্যুষ্ঠ নামে দুই ভাই ছিল। এই তিনটি নামের অর্থ যথাক্রমে রাত্রির সূচনা, মধ্যভাগ ও অন্ত। প্রত্যেক পক্ষের দ্বাদশীর শেষ ও ত্রয়োদশীর সূচনার অংশটিকে \"প্রদোষ\" বলা হয়। দক্ষিণ ভারতের সব শিবমন্দিরে প্রদোষে শিবের বাহন নন্দীর পূজা হয়। এই সময় নন্দীর পিঠে আরোহী শিব-পার্বতীর উৎসব মূর্তিগুলি নিয়ে মন্দির চত্বরে শোভাযাত্রা বের হয়।",
"title": "প্রদোষ"
},
{
"docid": "475006#0",
"text": "হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পী। তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত। বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা তাঁর মাতা এবং অষ্টম বসু প্রভাস তাঁর পিতা। বিশ্বকর্মার বাহন হাতি।",
"title": "বিশ্বকর্মা"
},
{
"docid": "339284#1",
"text": "হিন্দুদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, প্রাচীনকালে বাণ নামে এক অসুর প্রতিদিন শিবলিঙ্গ নির্মাণ করে পূজা করতেন। এইভাবে দীর্ঘদিন শিবপূজার ফলে শিব তাঁকে দর্শন দিয়ে একটি বর দিতে চান। বাণ বলেন, প্রতিদিন তাঁকে শিবলিঙ্গ নির্মাণ করতে বেশ কষ্ট পেতে হয়। তাই বর হিসেবে তিনি উত্তম লক্ষণযুক্ত শিবলিঙ্গ চান। শিব চোদ্দো কোটি শিবলিঙ্গ নির্মাণ করে বাণকে দেন। বাণ সেগুলি পেয়ে মনে ভাবেন, এগুলি পূজায় যখন বিশেষ ফল পাওয়া যায়, তখন এগুলি সর্বসাধারণের কল্যাণের কাজেই ব্যবহার করা উচিত। এই ভেবে তিনি তিন কোটি লিঙ্গ কালিকাগর্তে, তিন কোটি লিঙ্গ শ্রীশৈলে, এক কোটি কন্যাশ্রমে, এক কোটি মহেশ্বর ক্ষেত্রে এবং অবশিষ্ট লিঙ্গগুলি বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে স্থাপন করেন। বাণ নামক অসুরের দ্বারা পূজিত বলে (মতান্তরে শিবের অপর নাম বাণ বলে) এই লিঙ্গগুলি বাণলিঙ্গ বা বাণেশ্বর শিবলিঙ্গ নামে পরিচিত হল।\nনর্মদা নদীর অপর নাম \"রেবা\" শব্দটি এসেছে সংস্কৃত \"রেব\" শব্দ থেকে, যার অর্থ পাথুরে নদীগর্ভ। এই নদীর গর্ভে যে বাণলিঙ্গ পাওয়া যায় তার উল্লেখ আছে রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ, টলেমির রচনা ও \"পেরিপ্লাস\" গ্রন্থে। \"বায়ু পুরাণ\" ও \"স্কন্দ পুরাণ\"-এর রেবা খণ্ড অধ্যায়ে নর্মদা নদীর জন্ম ও গুরুত্বের বর্ণনা পাওয়া যায়। কথিত আছে, নর্মদা নদী শিবের অঙ্গ থেকে উৎসারিত। \"নর্মদা\" শব্দের অর্থ আলোকদাত্রী। তাঁকে \"শঙ্করী\"ও (শিবের কন্যা অর্থে) বলা হয়।",
"title": "বাণলিঙ্গ"
},
{
"docid": "3299#0",
"text": "গরুড় (সংস্কৃত: गरुड) বা গরুৎমান হিন্দু ও বৌদ্ধ পুরাণে উল্লিখিত একটি বৃহদাকার পৌরাণিক পাখি বা পক্ষীতুল্য জীব। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, গরুড় বিষ্ণুর বাহন। তিনি ঋষি কশ্যপ ও বিনতার পুত্র; তাঁর ভাই অরুণ সূর্যের বাহন। গরুড় শব্দের অর্থ \"বাক্যের ডানা\"। তিনি বৈদিক জ্ঞানের প্রতীক। গরুড় কখনো মুক্তডানা ঈগলের মত, কখনো ঈগলমানবের মত বর্ণনা করা হয়েছে। গরুড় সাপদের শত্রু।",
"title": "গরুড়"
}
] |
ব্রাহ্মসমাজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
{
"docid": "397256#0",
"text": "'ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত' রাজা রামমোহন রায় ১৮২৯ সালে একেশ্বরবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে 'ব্রাহ্মসমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন। বেদান্ত ছিল তাঁর ধর্ম সাধনার মূল ভিত্তি। ১৮৩৪ সালে তাঁর মৃত্যুর পর দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।এই দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ব্রাহ্মসমাজই পরবর্তীকালে 'আদি ব্রাহ্মসমাজ ' নামে পরিচিত হয়।\n১৮৫৮ সালে তরুণ কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিলে এই একেশ্বরবাদী আন্দোলন বৃহত্তর আকার লাভ করে। কিন্তু দেবেন্দ্রনাথের সামাজিক রক্ষণশীলতার প্রশ্নে একমত না হলে নিজে ' ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ' (১৮৬৬) গঠন করেন এবং তখন থেকে দেবেন্দ্রনাথের নেতৃত্বাধীন ব্রাহ্মসমাজ 'আদি ব্রাহ্মসমাজ' নামে পরিচিতি লাভ করে।\nএকেশ্বরবাদী হলেও দেবেন্দ্রনাথ মনে করতেন যে, ব্রাহ্মধর্ম হিন্দু ধর্মই , বরং হিন্দু ধর্মের বিশুদ্ধতম রূপ । তিনি মূর্তিপূজা ব্যতীত হিন্দু ধর্মের জাতিভেদ বা অপর কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাজি ছিলেন না। রামমোহন রায়ের আদর্শেই তিনি ও তার অনুগামীরা ধর্মীয় সংস্কারে ব্রতী হন।",
"title": "আদি ব্রাহ্মসমাজ"
},
{
"docid": "333254#1",
"text": "আগস্ট ১৮২৮ সালে হিন্দুধর্ম সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর পর দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর দায়িত্ব নেন। নিরাকার এক ঈশ্বরবাদী ব্রাহ্মমত উন্মুক্ত ছিল সব ধর্মের লোকের জন্য। তাদের মূল উদ্দেশ্যে ছিল সমাজ থেকে ধর্মীয় গোঁড়ামি, মাত্রারিতিক্ত অপচয়, পৌত্তলিকতা, যৌতুক প্রথা, বিধবা বিবাহ, নারী শিক্ষা প্রভৃতি দূর করা। নতুন এই মতাদর্শে আকৃষ্ট হয়ে ঢাকার অনেক যুবক এই মতে দীক্ষিত হন। এজন্য অনেকে পরিবার-পরিজন পর্যন্ত তাদের ত্যাগ করেন। যে উৎসাহ উদ্দিপনায় যুবকরা এই ধর্মমতে দীক্ষিত হয় পৌড়ে তারাই আবার ফিরে যান রক্ষণশীল হিন্দু সমাজে। সার্বজনীন ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা থাকলেও ক্রমেই এটি হিন্দু ধর্মের একটি শাখা হিসেবে পরিণত হয়। ঢাকার শিক্ষা, সংবাদপত্রসহ বহু সমাজসেবামূলক কাজে ব্রাহ্মসমাজের অবদান উল্লেখযোগ্য। ঢাকার পাটুয়াটুলি, আরমানিটোলা ও নিমতলি কুঠির বিধানপল্লীতে ছিল তাদের উপাসনালয়।",
"title": "ব্রাহ্ম সমাজ মন্দির, ঢাকা"
},
{
"docid": "33115#0",
"text": "ব্রাহ্মসমাজ বা ব্রাহ্মসভা ১৯ শতকে স্থাপিত এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন যা বাংলার পূনর্জাগরণের পুরোধা হিসেবে পরিচিত। কলকাতায় আগস্ট ২০, ১৮২৮ সালে হিন্দুধর্ম সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩) ও তার বন্ধুবর্গ মিলে এক সার্বজনীন উপাসনার মাধ্যমে ব্রাহ্মসমাজ শুরু করেন। তাঁদের উপাস্য ছিল \"নিরাকার ব্রহ্ম\", তাই থেকেই নিজেদের ধর্মের নাম রাখেন ব্রাহ্ম।",
"title": "ব্রাহ্মসমাজ"
}
] | [
{
"docid": "33115#3",
"text": "=ব্রাহ্ম সমাজের বিভাজন=\nকি ভাবে আদি ব্রাহ্ম সমাজের উদ্ভব?\n১৮৫৮ সালে তরুণ কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিলে এই একেশ্বরবাদী আন্দোলন বৃহত্তর আকার লাভ করে। কিন্তু দেবেন্দ্রনাথের সামাজিক রক্ষণশীলতার প্রশ্নে একমত না হলে নিজে ' ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ' (১৮৬৬) গঠন করেন এবং তখন থেকে দেবেন্দ্রনাথের নেতৃত্বাধীন ব্রাহ্মসমাজ 'আদি ব্রাহ্মসমাজ' নামে পরিচিতি লাভ করে।",
"title": "ব্রাহ্মসমাজ"
},
{
"docid": "73420#2",
"text": "রামমোহন রায় হিন্দুধর্মের ভিতর থেকেই উক্ত ধর্মকে সংস্কার করতে উদ্যোগী হলেও তাঁর উত্তরসূরি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৫০ সালে বেদের অভ্রান্ততা ও অপৌরুষেত্ব অস্বীকার করেন। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মসমাজ মূলধারার হিন্দুধর্ম থেকে বেরিয়ে আসে। দেবেন্দ্রনাথ কিছু হিন্দু রীতিনীতি রক্ষা করেছিলেন বটে, কিন্তু ব্রাহ্মদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের ফলে ব্রাহ্মসমাজ ভেঙে যায় এবং ১৮৭৮ সালে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।",
"title": "ব্রাহ্মধর্ম"
},
{
"docid": "72957#0",
"text": "তত্ত্ববোধিনী সভা হল ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সমিতি। রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পর ব্রাহ্ম সমাজ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়লে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর একে পুনরুজ্জীবিত করেন এবং এর প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৩৯ সালের ৬ অক্টোবর \"তত্ত্বরঞ্জিনী সভা\" প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ এই সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে সভার নতুন নামকরণ করেন তত্ত্ববোধিনী সভা। সকল হিন্দুশাস্ত্রের নিগূঢ তত্ত্ব এবং বেদান্ত-প্রতিপাদ্য ব্রহ্মবিদ্যার প্রচার ছিল এ মুখ্য উদ্দেশ্য। ১৮৪২ সালে তত্ত্ববোধিনী সভা ও ব্রাহ্মসমাজ সমম্বিত হয় এবং তত্ত্ববোধিনী সভা ব্রাহ্মসমাজ পরিচালনা ও ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এ সভা তখন ভারতীয় জনগণকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষা দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে।",
"title": "তত্ত্ববোধিনী সভা"
},
{
"docid": "615713#2",
"text": "১৯৬৭ সালে সমাজকল্যাণ, উন্নয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনী এ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসের প্রলয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই প্রতিষ্ঠানটি খ্রিস্টান ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থা (কোর) নামে পুনর্গঠিত হয়। কোর ১৯৭১ সালের ১৩ জানুয়ারি জাতীয় সংস্থার রূপ লাভ করে এবং ১৯৭২ সালের ১৩ জুলাই দি সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ অনুযায়ী নিবন্ধন গ্রহণ করে। ১৯৭৬ সালে এটি ‘কারিতাস বাংলাদেশ’ নাম ধারণ করে। কারিতাস এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক ১৯৮১ সালের ২২ এপ্রিল নিবন্ধিত হয়, যার নম্বর ০০৯। কারিতাস-এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, দিনাজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতে কারিতাস-এর সাতটি আঞ্চলিক বা ধর্মপ্রদেশীয় কার্যালয় আছে। বৃহত্তর সিলেট এলাকায় এর একটি এরিয়া অফিস রয়েছে।",
"title": "কারিতাস"
},
{
"docid": "574420#2",
"text": "১৮৪৭ সালে ব্রজসুন্দর ব্রাহ্মধর্ম গ্রহন করেছিলেন। ঢাকা ব্রাহ্মসমাজ গঠন তার কৃতিত্ব। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা পাঠ করার পর ব্রাহ্মধর্ম সম্পর্কে আগ্রহ জন্মায়। তরুনদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তার, প্রগতিশীল কাজকর্মে উৎসাহ প্রদান করতেন তিনি। বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে বিধবা বিবাহ প্রচলন হলে তিনি নিজের খরচে সেই সংবাদ ছাপিয়ে বিলি বন্টন করতেন। নিজ বাড়িতে রামকুমার বসু, ভগবানচন্দ্র বসু (জগদীশ চন্দ্র বসুর পিতা)র সাহায্যে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। \"ঢাকা প্রকাশ\" নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা (ঢাকা শহরের প্রথম সংবাদপত্র) তার ছাপাখানা থেকেই বের হতো। কার্যসূত্রে তাকে কুমিল্লায় বদলি হতে হলে তিনি আরমানিটোলায় একটি বাড়ি ক্রয় করেন তার অবর্তমানে ব্রাহ্মসমাজের কাজকর্ম চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। ১৮৬৩ সালে ব্রজসুন্দর, দীননাথ সেনের সহায়তায় ঢাকায় ব্রাহ্ম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। আরমানিটোলায় ব্রাহ্ম সমাজ অফিসের সামনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর্থিক অসুবিধার কারণে স্কুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন শিক্ষানুরাগী জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী। স্কুলটির নামকরণ করা হয় জগন্নাথ স্কুল। উনিশ শতকের সেই স্কুলই পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজ এবং বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আকারে বিস্তার লাভ করেছে। বহুবিবাহ রোধ, মদ্যপান, দুর্নীতি নিবারণ, স্ত্রী শিক্ষা বিস্তার ইত্যাদি কাজে তার বিশেষ অবদান আছে। বাংলাদেশে তরুন সমাজের মধ্যে ব্রাহ্মধর্মকে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন ব্রজসুন্দর। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কাজে সন্তুষ্ট হন ও তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক তৈরী হয়। ব্রজসুন্দরের তৃতীয়া কন্যা উমাসুন্দরীর সাথে ঠাকুর জমিদারীর দেওয়ান প্রসন্ন কুমার বিশ্বাসের বিবাহ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। ঠাকুরবাড়ির নিয়ম মেনে ব্রাহ্মধর্ম মতে এই বিবাহ হয়।",
"title": "ব্রজসুন্দর মিত্র"
},
{
"docid": "82240#2",
"text": "১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে কলম্বোয় প্রতিষ্ঠিত হয় মহাবোধি সোসাইটি। কিন্তু এর পরের বছরেই অর্থাৎ ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে সংগঠনটির মূল কার্যালয় কলম্বো থেকে স্থানান্তরিত হয় কলকাতায়। সেইসময় মহাবোধি সোসাইটির মুখ্য উদ্দেশ্যই ছিল বুদ্ধগয়ায় অবস্থিত মহাবোধি মন্দিরের পুনরুদ্ধার করা। এই কার্য সম্পাদন করার লক্ষ্যে ধর্মপাল আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং বহু শতাব্দী ধরে মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রক ব্রাহ্মণ পুরোহিতগণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এইভাবে সুদীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে অনাগরিক ধর্মপাল তাঁর লক্ষ্যে সফল হন এবং মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণাধিকার লাভ করেন।",
"title": "মহাবোধি সোসাইটি"
},
{
"docid": "523733#2",
"text": "বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের উৎসাহে ব্রাহ্মসমাজে যোগদান করেন। ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের কাজে তিনি ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন। ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গেও তিনি কাজ করেন। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রহ্মসমাজের আচার্য হন। তাঁর উদ্যোগে শান্তিপুর, ময়মনসিংহ, গয়া প্রভৃতি অঞ্চলে ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়।",
"title": "বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী"
}
] |
পাকিস্তানি মুসলিম জাতীয়তাবাদী চৌধুরী রহমত আলি কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "314790#0",
"text": "চৌধুরী রহমত আলি (উর্দু : چودھری رحمت علی) (১৬ নভেম্বর ১৮৯৫ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১) ছিলেন একজন পাকিস্তানি মুসলিম জাতীয়তাবাদী। তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির প্রবক্তাদের অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিমদের পৃথক আবাসভূমির জন্য “পাকিস্তান” শব্দটি তার সৃষ্টি। তাকে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের স্থপতি হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত পুস্তিকা \"নাউ অর নেভার; আর উই টু লিভ অর পেরিশ ফরএভার?\" এর লেখক হিসেবে তিনি খ্যাত। এটি পাকিস্তান ঘোষণা বলেও পরিচিত। পুস্তিকাটি নিম্নোক্তভাবে শুরু হয়ঃ",
"title": "চৌধুরী রহমত আলি"
}
] | [
{
"docid": "314790#2",
"text": "চৌধুরী রহমত আলি তৎকালীন ভারতের পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার অন্তর্গত বালাচৌর শহরে একটি মুসলিম গুরজার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমান নাওয়ানশহর জেলা)। ১৯১৮ সালে তিনি লাহোরের ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি লাহোরের আইচসন কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য ভর্তি হন। ১৯৩০ সালে তিনি ইংল্যান্ড চলে যান ও ১৯৩১ সালে ক্যামব্রিজে ইমানুয়েল কলেজে যোগ দেন। ১৯৩৩ সালে তিনি “নাউ অর নেভার” পুস্তিকাটি প্রকাশ করেন। এতে সর্বপ্রথম ‘’পাকিস্তান’’ শব্দটির উল্লেখ করা হয়। ১৯৩৩ সালে তিনি ইংল্যান্ডে পাকিস্তান জাতীয় আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৩ সালে পরবর্তীতে তিনি বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন ও ১৯৪০ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি লন্ডনের মিডল টেম্পলে যোগ দেন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তিনি বিভিন্ন পুস্তিকায় প্রকাশ করেন। ভারত বিভাগের ফলে ঘটিত গণহত্যা ও ব্যাপক দেশান্তর তাকে ব্যথিত করে তোলে। দুই দেশের মধ্যে বন্টনকৃত এলাকা নিয়ে তার অসন্তোষ ছিল। তিনি একে বিশৃঙ্খলার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।",
"title": "চৌধুরী রহমত আলি"
},
{
"docid": "508897#1",
"text": "পিতা তৈয়ব আলী ও মাতা রাবেয়া বেগমের দ্বিতীয় সন্তান মীর কাসেম আলী ১৯৫২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাসেম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আধা-সামরিক বাহিনী আলবদরের তৃতীয় প্রধান নেতা যারা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সমর্থন করেছিলো ও তাদের হয়ে গণহত্যা, লুণ্ঠনসহ মানবতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত ছিল। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর প্রধান অর্থ জোগানদাতা ছিলেন। দলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল।",
"title": "মীর কাসেম আলী"
},
{
"docid": "636129#1",
"text": "১৮৫৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত রংপুরের পায়রাবন্দ জমিদার বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জহিরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের এবং মাতা রাহাতুন্নেছা সাবেরা চৌধুরানী। তার ছোটবোন ছিলেন বেগম রোকেয়া। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে বড় হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই কঠোর পর্দাপ্রথার মধ্যে বড় হন তিনি। শিক্ষা ছিল কুরআন পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভাইদের থেকে শুনে শুনে তিনি পারস্য কবিতা মুখস্ত করে ফেলতেন। ছোটবেলায় পুঁথি পড়তে গিয়ে বাড়িতে ধরাও পড়েছেন তিনি। নিজের চেষ্টায় ইংরেজি ও বাংলা শিখেছিলেন। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার জমিদার আবদুল হালীম খান গজনবীর সাথে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে সম্পন্ন হয়। ২৩ বছর বয়সে তিনি বিধবা হন। তখন তিনি দুই পুত্রের জননী।",
"title": "করিমুন্নেসা খানম চৌধুরানী"
},
{
"docid": "308693#0",
"text": "ভাষাবীর ,মুক্তিযোদ্ধা কবি শহীদুল্লাহ সাহিত্যরত্ন (১৯২৩-২০০৫ ইং) সালের কুমিল্লার শহরতলী চান্দপুরে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ।পিতা মরহুম মৌলভী মকসূদ আহমদ একজন সরকারি আমলা ছিলেন ।মাতা মরহুমা মরিয়ম বিবি ও নাজির বাড়ীর একমাত্র মেয়ে ।\nমৃত্যু কালে তিনি ৫ কন্যা, ৫ পুত্র সন্তান রেখে যান। উনার নাতি চার জনই বাংলাদেশের খ্যাতিমান ক্রিকেটার । নাতি গণ হলেন, নাসিরুল আলম নাহিদ,রেজাউল করিম নাঈম,রাজিন সালেহ আলম(জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক)ও রিজভি আলম সায়েম।",
"title": "শহীদুল্লাহ (কবি)"
},
{
"docid": "704778#1",
"text": "আমীর খসরু ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব মাহমুদুন্নবী চৌধুরী ও মাতার নাম মেহেরুন্নেসা বেগম চৌধুরী। মাহমুদুন্নবী চৌধুরী ১৯৫৪ সালের পূর্ব পাকিস্তানের আইনপরিষদ নির্বাচনে ডবলমুরিং-সীতাকুন্ড আসন থেকে জয়লাভ করেন এবং যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করলে তিনি প্রথমে গণযোগাযোগ মন্ত্রী ও পরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব লাভ করেন। আমীর খসরুর দাদার নাম খাদেম আলী চৌধুরী এবং দাদির নাম আলফুন নেছা।",
"title": "আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী"
},
{
"docid": "489129#0",
"text": "মেহের আলী শাহ (জন্ম: ১ রমজান ১২৭৫ হিজরী/১৪ এপ্রিল ১৮৫৯, গুলরা শরীফ, মৃত্যু: মে ১৯৩৭)) পাকিস্তানের একজন্ উল্লেখযোগ্য সুফি। তিনি ১৮৫৯ সালে পাকিস্তানের গুলরা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চিশতিয়া তরিকার সুফি ছিলেন। হানাফি আলেম হিসেবে তিনি আবদুল হক দেহলভীর অবস্থান সমর্থন করেছেন এবং আহমদিয়া-বিরোধী আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন। তিনি অনেক গ্রন্থ লিখেছেন, এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মির্যা গোলাম আহমদের আহমদীয়া মুসলিম আন্দোলনের সমালোচনা করে রচিত সমালোচনামূলক গ্রন্থ \"সাইফ এ চিশতিয়া\" (\"চিশতিয়া তরিকার তরবারি\")।",
"title": "মেহের আলী শাহ"
},
{
"docid": "306045#1",
"text": "মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সাতক্ষীরা সদর থানার বুলারাটি গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা আহমাদ আলী (১৮৮৩-১৯৭৬) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একজন খ্যাতনামা আহলেহাদীছ আলেম ছিলেন। তাঁর বড় ভাই আব্দুল্লাহিল বাকী ছিলেন মুসলিম লীগের বিশিষ্ট নেতা। যিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । তাঁর বংশ পরিক্রমা- আসাদুল্লাহ আল-গালিব বিন আহমাদ আলী বিন মুনশী যীনাতুল্লাহ বিন আলহাজ্জ যমীরুদ্দীন বিন রফী মাহমূহ বিন আব্দুল হালীম বিন উযির আলী মণ্ডল বিন সৈয়দ নযীর আলী আল-মাগরেবী। তাঁর উর্ধ্বতন ৭ম পুরুষ সৈয়দ নাযীর আলী আল-মাগরেবী (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে মরক্কো থেকে এদেশে আগমণ করেন এবং পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলাধীন বারাসাত মহকুমায় বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। \nব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪ সন্তানের জনক।১৯৭৯ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর শ্বশুর ছিলেন প্রাক্তন সরকারী কর্মকর্তা (তৎকালীন সার্কেল অফিসার/ উপজেলা নির্বাহী অফিসার) জনাব আকবার আলী (মৃ. ১৯৮৬ইং)। সহধর্মীনী তাহেরুন্নেছা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। তিনি বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহতাবুদ্দীন (মৃ. ১৯৮০ইং)-এর নাতনী এবং খান বাহাদুর মোবারক আলী (খান বাহাদুর আহছানউল্লাহর ভ্রাতা)-এর প্রোপৌত্রী।",
"title": "আসাদুল্লাহ আল-গালিব"
},
{
"docid": "435109#0",
"text": "শেখ মোহাম্মদ হিসাম কাব্বানী (জন্ম: ১৩ সফর ১৩৬৩ হিঃ / ২৮ জানুয়ারি ১৯৪৫ খৃঃ) হলেন একজন প্রসিদ্ধ লেবানিজ্ বংশদ্ভূত আমেরীকান মুসলিম সূফি। কাব্বানী মৌলবাদী সন্ত্রাস প্রতিরোধের মাধ্যমে বিশ্বে একটি স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করতে আফগানিস্থান হতে ইংল্যান্ড পর্যন্ত বিশ্বের নানান মুসলিম নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানে ভূমীকা রেখেছেন। মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার কন্ঠস্বর কিছু আমেরিকান মুসলমানদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করে। রয়েল ইসলামী স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার হতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিমের ২০১২ সালে প্রকাশিত তালিকায় তার নামটি স্থান পায়।",
"title": "হিসাম কাব্বানী"
},
{
"docid": "360569#0",
"text": "শাইখ মুহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম (জন্ম:১লা মার্চ, ১৯৬০) হলেন একজন মুসলিম স্কলার, বক্তা এবং ইস্ট লন্ডন মসজিদের বর্তমান ইমাম ও খতীব। তিনি হচ্চেন ইউরোপের সবচেয়ে বিখ্যাত স্কলারদের মধ্যে একজন, এবং বিশ্বের ওলামারা তাহাকে শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ এশিয়ান আলেম হিসাবে মনে করেন।\nতিঁনি যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ মুসলিমদের সবচেয়ে বড় জামায়েতকে সেবা প্রদান করেন। \nমুহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তরুণ বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্বপরিবারে সৌদি আরব এ চলে যান। এরপর তিনি ফ্রান্সের ইউরোপিয়ান কলেজ অব ইসলামিক স্টাডিজ থেকে এবং পরে ওয়েলসে আরবি ও শরিয়াহ বিষয়ের উপর পড়াশোনা করেন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের শিক্ষকদের কাছেও তিনি বেশ কিছুদিন শিক্ষালাভ করেন, এর মধ্যে জর্ডানের শাইখ আহমদ হাওয়া, যার সান্নিধ্যে থেকে তিনি শাফেঈ ফিকহ্ অধ্যয়ন করেন এবং সিরিয়ার শাইখ মুনির আল-জাওয়াদ আল-তিউনিসি যার সান্নিধ্যে থেকে তিঁনি আরবি ব্যাকরণ অধ্যয়ন করেন। এরপর স্বপরিবারে যুক্তরাজ্যে চলে আসার পর তিনি লন্ডন মুসলিম সেন্টারের খতীব হন। তিনি ২০০৮ সালে স্টিফেন রিচার্ড হাউজের দ্য ফার্স্ট মেড এওয়ার হন এবং ২০১০ সালে তিনি এর প্যাট্রন হন। আব্দুল কাইয়ুম ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমামস এ্যান্ড রাব্বিস এর একজন সদস্য, যেটি জোসেফ ইন্টারফেইথ(আন্তঃধর্ম) ফাউন্ডেশনের একটি রেজিস্টার্ড অপারেটিং নাম। এছাড়াও তিনি ব্যাপক আলোচিত ডিক্লারেশন অব ইস্তাম্বুল নামক পরিবেশবাদী ঘোষণাপত্রের একজন স্বাক্ষরকর্তা হিসেবে।\nশাইখ মুহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম বর্তমানে তাঁর স্ত্রী শাইখা লায়লা বেগম ও সন্তানসহ লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে বসবাস করছেন।\nবর্তমানে তিঁনি শাইখ আকরাম নাদভির সঙ্গে হাদিস এবং ইসলামিক সাইন্সের উপর স্টাডি করছেন।",
"title": "মুহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম"
}
] |
ড্রিউ ব্লিথ ব্যারিমোরের প্রযোজক সংস্থার নাম কী ? | [
{
"docid": "86170#2",
"text": "১৯৯৫ সালে, তিনি ও তাঁর সঙ্গী ন্যান্সি জুভোনেন ফ্লাওয়ার ফিল্মস নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের গোঁড়াপত্তন করেন, যার সর্বপ্রথম প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি ছিলো ব্যারিমুরের নেভার বিন কিস্ড। এরপর ফ্লওয়ার ফিল্মস প্রযোজনা চালিয়ে যেতে থাকে ব্যারিমুরের চলচ্চিত্র \"চার্লিস অ্যাঞ্জেলস\", \"ফিফটি ফার্স্ট ডেটস্\", এবং \"মিউজিক অ্যান্ড লিরিক্স\", এবং সেই সাথে কাল্ট চলচ্চিত্র \"ডানি ডার্কো\"-এর মাধ্যমে। ব্যারিমুরের সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র \"হি ইজ জাস্ট নট দ্যাট ইনটু ইউ\", \"বেভারলি হিলস চিহুয়াহুয়া\", এবং \"এভরিবডি’স ফাইন\"। হলিউড ওয়াক অফ ফেম-এ তারকা হিসেবে তার নাম আছে। ২০০৭ সালে \"পিপল\" ম্যাগাজিনের সবচেয়ে সুন্দর ১০০ ইশ্যুর প্রচ্ছদে ব্যারিমুরের ছবি ছাপা হয়।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
}
] | [
{
"docid": "86170#0",
"text": "ড্রিউ ব্লিথ ব্যারিমোর () (জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫) একজন মার্কিন অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি ব্যারিমোর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ আমেরিকান অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয় যখন তাঁর বয়স মাত্র এগারো মাস। ব্যারিমোরের পর্দায় অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে, \"অলটার্ড স্টেটস\"-এর মাধ্যমে। ১৯৮০ সালে \"অলর্টাড স্টেটস\"-এ অভিষেকের পথ ধরে তিনি আবির্ভূত হন তাঁর সাড়াজাগানো চরিত্র \"ই.টি. দ্য এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল\"-তে। এর মাধ্যমে অল্প সময়েই তিনি হলিউডে সবচেয়ে পরিচিত শিশু অভিনেত্রী রুপে আবির্ভূত হন, এবং নিজেকে প্রধানত বিভিন্ন কমিক চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেত্রী রুপে প্রতিষ্ঠিত করতে থাকেন।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "718205#4",
"text": "১৯২৪ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে মেট্রো পিকচার্সে লুইস বি. মেয়ারের সাথে ব্যারিমোরের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি মেট্রো পিকচার্সে কয়েকটি নির্বাক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে কিছু সংরক্ষিত রয়েছে ও বাকিগুলো হারিয়ে গেছে। ১৯২৩ সালে ব্যারিমোর ও ফেনউইক \"দি ইটার্নাল সিটি\" চলচ্চিত্রের চিত্রায়নের জন্য ইতালির রোমে যান, পাশাপাশি তারা তাদের মধুচন্দ্রিমাও সম্পন্ন করেন। ১৯২৪ সালে তিনি গ্রিফিথের \"আমেরিকা\" চলচ্চিত্রে কাজ করেন। একই বছর তিনি ব্রিটিশ প্রযোজক-পরিচালক হার্বার্ট উইলকক্সের ইঙ্গ-জার্মান যৌথ প্রযোজনার \"ডেকামেরোন নাইটস\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে জার্মানি যান। ছবিটি বার্লিনের বাইরে ইউএফএ’র বাবেলসবের্গ স্টুডিওজে চিত্রায়িত হয়।",
"title": "লিওনেল ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "659007#2",
"text": "অভিনেতা জন ও লিওনেল ব্যারিমোর তার ভাই, অভিনেতা জন ড্রিউ ব্যারিমোর তার ভাইপো এবং অভিনেত্রী ড্রিউ ব্যারিমোর তার ভাইপোর কন্যা। এছাড়া তিনি অভিনেত্রী ও মঞ্চ ব্যবস্থাপক লুইস লেন ড্রিউয়ের (মিসেস জন ড্রিউ নামে পরিচিত) নাতনী এবং ব্রডওয়ে ম্যাটিনি আইডল জন ড্রিউ জুনিয়র ও ভিটাগ্রাফ স্টুডিওজের মঞ্চ ও পর্দা তারকা সিডনি ড্রিউয়ের ভাইঝি।",
"title": "ইথেল ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "718205#2",
"text": "ব্যারিমোর ১৯০৯ সালে বায়োগ্রাফ স্টুডিওজে যোগদান করেন এবং ১৯১১ সালে ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ পরিচালিত চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি \"দ্য ব্যাটল\" (১৯১১), \"দ্য নিউ ইয়র্ক হ্যাট\" (১৯১২), \"ফ্রেন্ডস\" ও \"থ্রি ফ্রেন্ডস\" (১৯১৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯১৫ সালে তিনি লিলিয়ান রাসেলের বিপরীতে \"ওয়াইল্ডফায়ার\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি বায়োগ্রাফের চলচ্চিত্রে লেখনী ও পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেন। তার পরিচালিত শেষ নির্বাক চলচ্চিত্র হল \"লাইফ্স হুয়ার্পুল\" (১৯১৭), এতে তার বোন ইথেল ব্যারিমোর শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছিলেন। তিনি গ্রিফিথের ষাটটির অধিক নির্বাক চলচ্চিত্রে কাজ করেন।",
"title": "লিওনেল ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "86170#1",
"text": "ব্যারিমোর ১৯৯০ সালে নিজের আত্মজীবনী লেখেন, যার নাম ছিলো \"লিটল গার্ল লস্ট\"। ব্যবসায়িকভাবে অসফল কিছু চলচ্চিত্র, যেমন: \"পয়জন আইভি\", \"ব্যাড গার্লস\", \"বয়েজ অন দ্য সাইড\", এবং \"এভরিওয়ান সেজ আই লাভ ইউ\"-এ অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যারিমোর সফলভাবে তাঁর শিশু তারকা ইমেজ থেকে বেরিয়ে প্রাপ্তবয়ষ্ক তারকার ইমেজ প্রাপ্ত হন। সেই সাথে তিনি দ্য ওয়েডিং সিঙ্গার এবং এরিক বানার বিপরীতে নাট্য চলচ্চিত্র \"লাকি ইউ\"-এর মতো রোমান্টিক কমেডিধর্মী চলচ্চিত্রেও অভিনয়শৈলী দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "86170#5",
"text": "ব্যারিমোর ১৯৭৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের কালভার সিটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জন ড্রিউ ব্যারিমোর ছিলেন একজন আমেরিকান অভিনেতা এবং মা অভিনেত্রী ইডিকো জেইড ব্যারিমোর (জন্মসূত্রে: মার্কো)-এর জন্ম হয়েছিলো পশ্চিম জার্মানির ব্রান্নেবার্গ-এ। তাঁর জন্মের পর তাঁর বাবা-মার বিচ্ছেদ ঘটে।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "86170#7",
"text": "ব্যারিমোরকে, তাঁর কিশোরী বয়সের শেষ দিকে পয়জন আইভি (১৯৯২) চলচ্চিত্রে একটি নতুন রূপে দেখা যায়। এখানে তিনি একটি বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন, শয়তান, ও কামুক কিশোরী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র হিসেবে ব্যর্থ হয় কিন্তু ভিডিও ও ডিশে জনপ্রিয়তা পায়। একই বছরে, তাঁর সতেরো বছর বয়সে ইন্টারভিউ ম্যাগাজিনের জুলাইয়ের সংখ্যায় তিনি নগ্ন ভঙ্গিমায় উপস্থিত হন। এই ভঙ্গিতে তাঁর সাথে ছিলেন জেমি ওয়াল্টারস (পরবর্তীতে তাঁর বাগদত্তা)। ঐ সংখ্যার ভিতরের পাতাগুলোতেও ব্যারিমুরের নগ্ন ভঙ্গিমার ছবি প্রকাশিত হয়। ১৯৯৩ সালে ব্যারিমুর তাঁর চলচ্চিত্র গানক্রেইজির জন্য গোল্ডেন গ্লোবের জন্য মনোনীত হন। স্টিভেন স্পিলবার্গ, যিনি ব্যারিমুরের শিশু অবস্থায় অভিনীত ই.টি. দ্য এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছিলেন; ব্যারিমুরকে তাঁর বিশতম জন্মদিনে একটা কিল্ট (এক প্রকার স্কার্ট সদৃশ বস্ত্র) উপহার দিয়েছিলেন এবং সাথে একটি চিরকুট, যাতে লেখা ছিলো “নিজেকে ঢেকে রাখো”। এর সাথে তিনি প্লেবয় ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ব্যারিমুরের কিছু ছবিও দিয়েছিলেন, কিন্তু ছবিগুলো অনাবৃত দেহের ছিলো না বরং সম্পূর্ণ পোশাক পরিহিত অবস্থার। কারণ তিনি তাঁর আর্ট বিভাগের সহায়তায় ছবিগুলোর বিশেষ বিশেষ স্থানে পোশাক জুড়ে দিয়েছিলেন। এই সময়গুলোতে ব্যারিমুর পাঁচটি চলচ্চিত্রে নগ্নদৃশ্যে উপস্থিত হন। ১৯৯৫ সালে তাঁর জন্মদিনে, জন্মদিন উৎযাপনের জন্য তিনি দ্য লেট শো উইথ ডেভিড লেটারম্যান -এ নগ্নদৃশ্যে অভিনয় করেন। এখানে দেখা যায় যে, ব্যারিমুর ডেভিড লেটারম্যানের টেবিলে উঠে তাঁর স্তনযুগল লেটারম্যানের কাছে উন্মুক্ত করছেন। সেসময় ক্যামেরা ব্যারিমুরের পেছন দিকে ছিলো। এ বছরে ধারাবাহিক গেস?-এও মডেল হিসেবে তাঁকে দেখা যায়। তিনি ১৯৯২-এ ব্রেস্ট রিডাকশন সার্জারি (স্তনযুগল ছোটো করতে যে শল্যচিকিৎসা করা হয়) করান, এবং এ বিষয়ে বলেন:\nব্যারিমুর ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পানশালা মালিক জেরেমি থমাসের সাথে বিবাহিতা ছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে ছিলো রম্য অভিনেতা টম গ্রীনের সাথে (৭ জুলাই, ২০০১-১৫ অক্টোবর, ২০০২)। ২০০১ সালে তাঁর সাথে গ্রীনের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০০২ সালে একটি কনসার্টে দেখা হওয়ার পর তিনি স্ট্রোকসের ড্রামবাদক ফ্যাব্রিজিও মোরেত্তির সাথে প্রেম শুরু করেন। পাঁচ বছর স্থায়ী এ সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে ২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি। সাম্প্রতিককালে তিনি প্রেম করেছেন জাস্টিন লং-এর সাথে, যদিও তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ব্যাপারটা তাঁরা ২০০৮-এর জুলাইতে নিশ্চিত করেছেন।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "534488#0",
"text": "পয়জন আইভি ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন নাট্য-থ্রিলার ধর্মী চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন ক্যাট শিয়া। মেলিসা গোডার্ডের কাহিনীতে ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ছবিটির প্রযোজক অ্যান্ডি রুবেন ও পরিচালক ক্যাট শিয়া। এতে নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন ড্রিউ ব্যারিমোর, এবং অন্যান্য প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সারা গিলবার্ট, টম স্কেরিট, চেরিল ল্যাড এবং একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।",
"title": "পয়জন আইভি (১৯৯২-এর চলচ্চিত্র)"
},
{
"docid": "86170#3",
"text": "ব্যারিমোর জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (WFP) ক্ষুধাবিরোধী অ্যাম্বাসেডর (Ambassador Against Hunger) নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন; এবং এরপর থেকে তিনি এই কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত এক মিলিয়ন ডলার বা সাত কোটি টাকারও বেশি অর্থ অনুদান দিয়েছেন। ২০০৭ সালে তিনি গুচির নতুন গহনাদ্রব্যাদির প্রসাধনী ও মুখের জন্য নতুন প্রচ্ছদনায়িকা ও মুখপাত্র হিসেবে মনোনীত হন।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
}
] |
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কততম মুখ্যমন্ত্রী ? | [
{
"docid": "69759#1",
"text": "পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের অষ্টম তথা প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে ২০ মে তিনি মুখ্যমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, ভূমি ও ভূমিসংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, পর্বতাঞ্চল বিষয়ক, কৃষি, বিদ্যুৎ, কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার, সংখ্যালঘু কল্যাণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগেরও ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী।",
"title": "পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী"
}
] | [
{
"docid": "73878#0",
"text": "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (জন্ম ৫ জানুয়ারি, ১৯৫৫) পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা-সভানেত্রী। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, ভূমি ও ভূমিসংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, পর্বতাঞ্চল বিষয়ক, কৃষি, বিদ্যুৎ, কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার, সংখ্যালঘু কল্যাণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগেরও ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাগ্মী রাজনীতিবিদ। তিনি তাঁর অনুগামীদের কাছে \"দিদি\" নামে পরিচিত। ২০১১ সালে তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিল। এই সরকার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় গণতান্ত্রিক উপায়ে রাজত্বকারী কমিউনিস্ট সরকার ছিল। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তিনি দুই বার রেল, এক বার কয়লা মন্ত্রকের এবং এক বার মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব, ক্রীড়া, নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের জমি বলপূর্বক অধিগ্রহণ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছিলেন।",
"title": "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়"
},
{
"docid": "250965#0",
"text": "মণীশ গুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী তথা যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২৪ বছরের বিধায়ক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ১৬,৬৮৪ ভোটে পরাজিত করে ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। মণীশ গুপ্ত একজন প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ছিলেন।",
"title": "মণীশ গুপ্ত"
},
{
"docid": "69759#0",
"text": "পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সরকার প্রধান। তিনি রাজ্য ক্যাবিনেটের মুখ্যমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নেতা। ভারতের সংবিধান অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ করেন।",
"title": "পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী"
},
{
"docid": "443328#0",
"text": "ত্রিপুরা হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি রাজ্য এবং রাজ্যের সরকার প্রধান হচ্ছেন একজন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৩ সাল থেকে ত্রিপুরায় মোট ৯জন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। প্রথম জন হচ্ছেন শচীন্দ্র লাল সিং এবং তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার ১৯৯৮ সালের মার্চ মাস থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির একজন পলিটব্যুরো সদস্য।",
"title": "ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীগণের তালিকা"
},
{
"docid": "82167#0",
"text": "অশোক শঙ্কররাও চহ্বাণ (মরাঠি : अशोक चव्हाण) (জন্ম- ২৮ অক্টোবর ১৯৫৮) হলেন বিশিষ্ট ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসের পর মহারাষ্ট্রের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিলাসরাও দেশমুখ পদত্যাগ করেন এবং অশোক চহ্বাণ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে ইনি তাঁর দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর ৮ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ করেন।",
"title": "অশোক চহ্বাণ"
},
{
"docid": "586341#0",
"text": "শিবরাজ সিংহ চৌহান (জন্ম: ৫ মার্চ, ১৯৫৯) ভারতের কেন্দ্রীয় রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ১৮ তম এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। ২৯ নভেম্বর, ২০০৫ তারিখে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে বাবুলাল গৌরকে বদলি করেন। ভারতীয় জনতা পার্টির একজন নেতা হিসেবে তিনি তাঁর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাঁর মধ্যপ্রদেশের জনতা পাটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭২ সালে ১৩ বছর বয়েসী জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘে যোগ দেন। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য, ১৯৯১ সাল থেকে লোকসভাতে বিদীশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বর্তমানে তিনি মধ্যপ্রদেশে সিহোরে জেলার একটি তপসিল স্থান বুধনী আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। \n২০০৭ সালে, তিনি লড়লী লক্ষ্মী যোজনা, কন্যাদন পরিকল্পনা এবং জননী নিরাপত্তা যোজনা নামে পরিচিত স্কিম চালু করেন, যা রাজ্যগুলিতে মহিলা শ্লীলতাহানির প্রতিরোধের উপর জোর দেয়। \"মেধাবী বিদ্যালয়ের পরিকল্পনা\" এবং \"মেধাবী ছাত্র যুগ\" ৭৫% ভোপাল ১২ শ্রনী বোর্ড এবং ৮৫% সিবিএসই দিল্লি ।",
"title": "শিবরাজ সিংহ চৌহান"
},
{
"docid": "462297#0",
"text": "মনোহর গোপালকৃষ্ণা প্রভু পার্রীকর (জন্মঃ ১৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫) হলেন ভারতের একজন রজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনী ক্ষেত্র থেকে রাজ্যসভার সদস্য এবং তিনি গোয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭৮ সালে মুম্বাইয়ের ভারতীয় প্রৌদ্যোগিকী সংস্থান থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন; তিনিই ভারতের প্রথম আই.আই.টি. উত্তীর্ণ মুখ্যমন্ত্রী। ২০০১ সালে ভা.প্রৌ.স, মুম্বাই তাকে 'বিশিষ্ট প্রাক্তন ছাত্র' উপাধি প্রদান করে।",
"title": "মনোহর পার্রীকর"
},
{
"docid": "463327#0",
"text": "নিতিশ কুমার (জন্ম ১ মার্চ ১৯৫১, বখতিয়ারপুর, বিহার) ২০০৫ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল আছেন। তিনি জনতা দল (সংযুক্ত ) দলের একজন বরিষ্ঠ নেতা ও বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।",
"title": "নিতিশ কুমার"
},
{
"docid": "2963#16",
"text": "উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল রাজ্যের আনুষ্ঠানিক প্রধান। ভারত সরকারের পরামর্শক্রমে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁকে পাঁচ বছরের মেয়াদে নিযুক্ত করেন। উত্তরাখণ্ডের বর্তমান রাজ্যপালের নাম কৃষ্ণকান্ত পাল। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রকৃতি কার্যনির্বাহী ক্ষমতা ভোগ করেন। তিনি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী দল বা জোটের প্রধান। উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। বিধানসভার সদস্যদের বলা হয় বিধায়ক। বিধায়কদের মধ্যে থেকে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। অধ্যক্ষ বিধানসভার পৌরোহিত্য করেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে উপাধ্যক্ষ সভায় পৌরোহিত্য করেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাজ্যপাল ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের নির্বাচিত করেন। উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রিসভা বিধানসভার কাছে নিজেদের কাজের জন্য দায়বদ্ধ থাকে। উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা এককেন্দ্রিক। এই সভার সদস্য সংখ্যা ৭০। স্থানীয় স্তরের সরকার ব্যবস্থা গ্রামীণ স্তরে পঞ্চায়েত ও শহরাঞ্চলে পৌরসভা নামে পরিচিত। রাজ্য সরকার ও সকল স্থানীয় সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। উত্তরাখণ্ড থেকে ভারতীয় সংসদের লোকসভায় ৫টি ও রাজ্যসভায় ৩টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের সর্বোচ্চ আদালত উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট নৈনিতাল শহরে অবস্থিত। এই আদালত ছাড়াও রাজ্যে নিম্নস্তরের আদালতও রয়েছে। রাজ্যের বর্তমান মুখ্য বিচারপতি হলেন বিচারপতি কে. এম. জোসেফ।",
"title": "উত্তরাখণ্ড"
}
] |
নিয়ন কি এক ধরণের নিষ্ক্রিয় গ্যাস ? | [
{
"docid": "10300#0",
"text": "নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলতে পর্যায় সারণীর ১৮তম শ্রেণীর মৌলগুলোকে বোঝায়। কখনওবা একে অষ্টম শ্রেণী, হিলিয়াম পরিবার বা নিয়ন পরিবার নামে ডাকা হয়। ইংরেজীতে সচরাচর Gas হিসাবে অভিহিত। এই শ্রেণীতে অবস্থিত গ্যাসগুলো রাসায়নিকভাবে খুবই নিষ্ক্রিয়, কারণ এদের পরমাণুর সর্ববহিরস্থ কক্ষপথে ইলেকট্রনের সংখ্যা পরমাণুর সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার সমান অর্থাৎ ৮টি। ইতিমধ্যে সুস্থিত ইলেক্ট্রণসমূহ অন্য কোন মৌলের সাথে সহজে বিক্রিয়া করতে চায় না। সাধারণ অবস্থায় এগুলো বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং এক পরমাণুক গ্যাস। উপরন্তু এগুলোর স্ফুটনাংক ও গলনাংক খুবই কাছাকাছি। আলোকসজ্জা, ওয়েল্ডিং এবং মহাশূন্য প্রযুক্তিতে এই গ্যাসগুলোর প্রভূত ব্যবহার রয়েছে। নিষ্ক্রিয় গ্যাসের সংখ্যা সাত। এগুলো হল: হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন, ক্রিপ্টন, জেনন, র্যাডন এবং ইউনুনোকটিয়াম।",
"title": "নিষ্ক্রিয় গ্যাস"
},
{
"docid": "636817#4",
"text": "নিয়ন হল একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস, রাসায়নিক উপাদান এবং নিশ্চল গ্যাস যেটি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি ক্ষুদ্রতর উপাদান। এটি ১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম র্যামস এবং মরিস ডব্লিও ট্রাভের্স দ্বারা আবিষ্কৃত হয়। যখন র্যামস এবং ট্রাভার্স বায়ুমণ্ডল থেকে বিশুদ্ধ নিয়ন প্রাপ্তিতে সফলতা লাভ করেছিলেন, তখন তারা \"ইলেকট্রিক্যাল গ্যাস-ডিসচার্জ টিউব\" ব্যবহার করে এর বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসন্ধান করেন যেটি আজকের নিয়ন সাইনগুলির জন্য ব্যবহৃত টিউবের অনুরূপ। ট্রাভার্স পরবর্তীতে লিখেন, \"টিউব হতে নির্গত রক্তিম দীপ্ত বর্ণচ্ছটাটি তার নিজের গল্প শোনায় এবং সেটি ছিল কখনো ভুলে না যাওয়ার মতো দৃশ্য\"। গ্যাস ডিসচার্জ (বা \"গিসলার\" টিউব) থেকে নির্গত আলোর রং পরীক্ষা করার পদ্ধতিটি সেসময় বেশ সুপরিচিত ছিল, যেহেতু গ্যাস ডিসচার্জ দ্বারা নির্গত আলোর রং (\"বর্ণালী লাইন\") মূলত, একপ্রকার ছাপ যা ভিতরে গ্যাসকে সনাক্ত করে।",
"title": "নিয়ন আলো"
}
] | [
{
"docid": "636817#0",
"text": "নিয়ন আলো হল উজ্জ্বলভাবে প্রদীপ্ত, বৈদ্যুতিক গ্লাস টিউব বা বাল্বের সমন্বয়ে গঠিত বাতি যেগুলোতে বিরল নিয়ন বা অন্য গ্যাসসমূহ প্রবেশ করানো থাকে। নিয়ন আলোসমূহ এক ধরণের কোল্ড ক্যাথোড গ্যাস ডিসচার্জ লাইট। নিয়ন টিউব হল একটি বদ্ধ গ্লাস নল যেটিতে বেশ কয়েকটি গ্যাসসমূহকে কম চাপে পূর্ণ করা থাকে এবং যার প্রতিটি প্রান্তে একটি ধাতব ইলেকট্রোড থাকে। ইলেকট্রোডের জন্য প্রয়োগ করা উচ্চ শক্তিশালী কয়েক হাজার ভোল্ট টিউবটির গ্যাসকে আয়নিত করে, যার ফলে এটি রঙিন আলো ছড়িয়ে দেয়। আলোর রং নির্ভর করে টিউবের গ্যাসের উপর। নিয়ন লাইটের নাম নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়নের নামানুসারে রাখা হয় যেটি জনপ্রিয় কমলা আলো প্রদান করে, আবার অন্যান্য গ্যাস এবং রাসায়নিকসমূহ দিয়ে অন্যান্য রং সৃষ্টি করা যায় যেমন, হাইড্রোজেন (লাল), হিলিয়াম (হলুদ), কার্বন ডাই অক্সাইড (সাদা), এবং পারদ (নীল)। নিয়ন টিউবগুলিকে যেকোন শৈল্পিক আকৃতির আকৃতিতে তৈরি করা যায় এবং তা হতে পারে কোন অক্ষর বা ছবি। তাদেরকে প্রধানত বিজ্ঞাপনের জন্য চমকপ্রদ, নানা রং এর প্রদীপ্ত চিহ্নসমূহ তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হত যাদেরকে নিয়ন সাইন বলা হত এবং তা ১৯২০ থেকে ১৯৫০ এর দশকে জনপ্রিয় ছিল।",
"title": "নিয়ন আলো"
},
{
"docid": "10300#4",
"text": "হিলিয়াম, নিয়ম, আর্গন, ক্রিপটন, জেনন ও র্যাডন-এরা সকলেই বর্ণহীন ও গন্ধহীন গ্যাস। এদের তরলীকরণ বেশ কষ্ট সাপেক্ষ। এরা পানিতে সামান্য পরিমাণে দ্রবণীয় ( ( 293 k-এ L-এ 8-40 mL)। পারমাণবিক ভর বৃদ্ধির সাথে পানিতে এদের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায়। \nনিষ্ক্রিয় গ্যাস পরমাণুসমূহের মধ্যে শুধুমাত্র ভৌত শক্তি (যেমন Van der Waals’ forces) থাকতে পারে বলে এদের স্ফুটনাঙ্ক ও গলনাঙ্ক অতিশয় কম। এদের মধ্যে তথা সমস্ত জ্ঞাত মৌলসমূহের মধ্যে হিলিয়ামের গলনাংক ও স্ফুটনাঙ্ক সবচেয়ে কম। গ্যাসসমূহের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের গলনাংক ও স্ফুটনাঙ্ক তাদের পারমাণবিক ভর বৃদ্ধির সাথে বৃদ্ধি পায়। \nঅন্যান্য শ্রেণীর মৌলের তুলনার নিষ্ক্রিয় গ্যাস মৌলের আয়নীকরণ বিভব (ionisation potential) অনেক বেশি। পারমাণবিক ভর বৃন্ধির সাথে গ্যাস মৌলসমূহের আয়নীকরণ বিভব হ্রাস পায়। এদের ইলেকট্রন আসক্তি (electron affinity) শূন্যের কাছাকাছি। এরা সকলেই এক পরমাণুক। আপেক্ষিক তাপের অনুপাত Y=Cp/Cu=১.৬৭(স্থূলতা)।",
"title": "নিষ্ক্রিয় গ্যাস"
},
{
"docid": "636817#6",
"text": "এই নিয়ন টিউবগুলো তাদের সমসাময়িক আকারে ছিল। নিয়ন বাতিতে ব্যবহৃত কাঁচের পাইপের জন্য বাইরের ব্যাসের সীমা হল 9 to 25 mm; এর মধ্যে এবং মানসম্মত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, টিউবে লম্বায় হতে পারে। ভিতরের গ্যাসের চাপ ৩-২০ টর (০.৪-৩ কেপিএ) পরিসরের মধ্যে রয়েছে, যা পাইপের আংশিক ভ্যাকুয়ামের সাথে সম্পর্কিত। ক্লড আরও দুটি প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করেন যা নিয়ন ও অন্য গ্যাস স্রাবের টিউবগুলির কার্যকরী জীবনকে ছোট করে দিত, এবং কার্যকরভাবে একটি নিয়ন আলোকসজ্জা শিল্পের জন্ম দেন। ১৯১৫ সালে ক্লডের কাছে গ্যাস স্রাবের জন্য ইলেকট্রোড ডিজাইন আচ্ছাদন করার জন্য একটি মার্কিন পেটেন্ট জারি করা হয়; এই পেটেন্টটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৩০ সালের প্রথম দিকে তার কোম্পানি \"ক্লড নিয়ন লাইটস\"কে নিয়ন সাইনসমূহের উপর একচেটিয়াভাবে ব্যবসা করার ভিত্তি করে দেয়।",
"title": "নিয়ন আলো"
},
{
"docid": "4423#0",
"text": "আর্গণ (রাসায়নিক সংকেত:Ar, পারমাণবিক সংখ্যা ১৮) একটি মৌলিক পদার্থ। এটি এক প্রকারের নিস্ক্রিয় গ্যাস । বাতাসে প্রাচুর্য্যতার দিক থেকে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ (০.৯৩৪%) গ্যাস। বাতাসে এটি জলীয় বাষ্পের তুলনায় দ্বিগুণ, কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ২৩ গুণ এবং নিয়নের তুলনায় ৫০০ গুণএরও বেশি পরিমানে থাকে।",
"title": "আর্গন"
},
{
"docid": "636817#7",
"text": "ক্লডের পেটেন্টগুলি আর্গন এবং পারদ বাষ্পের মতো গ্যাসের, নিয়ন দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন রং তৈরি করার ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেয়। ১৯২০-এর দশকে ফ্লোরোসেন্ট গ্লাস এবং আবরণকে আরও উন্নত এবং আর্গন গ্যাস বা আর্গন-নিয়ন মিশ্রণের সাথে টিউবগুলির প্রভাব আরও বিস্তৃত করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল; সাধারণত, ফ্লোরোসেন্ট আবরণ আর্গন/পারদ-বাষ্প মিশ্রণে ব্যবহৃত হয়, যেগুলো অতিবেগুনি রশ্মি নির্গত করে যা ফ্লোরোসেন্ট আবরণকে সক্রিয় করে। ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত, নিয়ন টিউব লাইটসমূহের সমন্বয় থেকে উৎপন্ন রং, কিছু সাধারণ অভ্যন্তরীণ আলো অ্যাপ্লিকেশনের জন্য সন্তোষজনক হয়ে ওঠে এবং ইউরোপে কিছু সাফল্য অর্জন করে, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যর্থ হয়। ১৯৫০ এর দশক থেকে রঙিন টেলিভিশনের জন্য ফসফারের উন্নয়ন, নিয়ন টিউব লাইটের জন্য প্রায় ১০০ টি নতুন রং তৈরি করেছে।",
"title": "নিয়ন আলো"
},
{
"docid": "636817#5",
"text": "নিয়ন আবিষ্কার করার সাথে সাথেই নিয়ন টিউবকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং নূতনত্ব হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। যাইহোক, বিশুদ্ধ নিয়ন গ্যাসের অপ্রতুলতা মুর নল সমূহের সাথে সাথে বৈদ্যুতিক গ্যাস-স্রাব আলোর প্রায়োগিক ব্যবহার্যতাকে বাধা দেয়, যেগুলোতে সাধারণ নাইট্রোজেন বা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে ব্যবহার করা হত এবং ১৯০০ সালের প্রথম দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু বাণিজ্যিক সাফল্য উপভোগ করে। ১৯০২ সালের পর ফ্রান্সের জর্জ ক্লড এর কোম্পানী এয়ার লিকুইয়েড বাষ্প তরলীকরণ ব্যবসার উপজাত হিসেবে নিয়ন শিল্পের উৎপাদন বাড়ানো শুরু করে। ১৯১০ সালের ৩-১৮ ডিসেম্বরে ক্লড প্যারিস মোটর শোতে দুটি বড় ( লম্বা), উজ্জ্বল লাল নিয়ন টিউব প্রদর্শন করেন।",
"title": "নিয়ন আলো"
},
{
"docid": "636817#2",
"text": "১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম রেমজি এবং মরিস ডব্লিউ ট্র্যাভেস নিয়ন আবিষ্কার করেন। বায়ুমণ্ডল থেকে বিশুদ্ধ নিয়ন পাওয়ার পরে, তারা একটি \"ইলেকট্রিক্যাল গ্যাস-ডিসচার্জ\" টিউব ব্যবহার করে তার বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসন্ধান করেন যা আজকের নিয়নের লক্ষণগুলির জন্য ব্যবহৃত টিউবের অনুরূপ। জর্জ ক্লড, ফরাসি প্রকৌশলী ও উদ্ভাবক, ১৯১০ সালের ডিসেম্বর মাসের ৩-১৮ তারিখ পর্যন্ত প্যারিস মোটর শোতে আধুনিক রূপে নিয়ন টিউব লাইটিংটি উপস্থাপন করেন। ক্লড যাকে কখনও কখনও ফ্রান্সের \"এডিসন\" বলা হয়, নতুন প্রযুক্তির উপর তার প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য ছিল, যা ১৯২০-১৯৪০ সালের মধ্যে চিহ্ন এবং প্রদর্শনীর জন্য খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। নিয়ন আলো সেই যুগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রপঞ্চ ছিল; ১৯৪০ সালের মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতিটি শহরের কেন্দ্রস্থল নিয়ন সাইন সমূহের মাধ্যমে উজ্জ্বল ছিল এবং নিউ ইয়র্ক সিটির টাইমস স্কোয়ারটি নিয়নের বেহিসাবি ব্যবহারের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে। নিয়ন সাইনগুলি নকশা এবং নির্মাণ করার জন্য সারা বিশ্বে ২০০০টি দোকান ছিল.। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ন সাইনের বিজ্ঞাপনের জনপ্রিয়তা, নিগূঢ়তা এবং মাত্রা হ্রাস পায়, তবে জাপান, ইরান এবং অন্যান্য কিছু দেশে এর ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন অব্যাহত থাকে। সাম্প্রতিক কয়েক দশক ধরে স্থপতি ও শিল্পী, এছাড়াও সাইন ডিজাইনাররা, নিয়ন টিউব লাইটটিংকে তাদের কর্মের একটি অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।",
"title": "নিয়ন আলো"
},
{
"docid": "619698#2",
"text": "[[নাইট্রোজেন]] ৭৮.০৯%, [[অক্সিজেন]] ২০.৯৫%, [[আর্গন]] ০.৯৩%, [[কার্বন ডাই অক্সাইড]] ০.০৩% এবং সামান্য পরিমাণে [[নিয়ন]], [[হিলিয়াম]], [[মিথেন]], [[ক্রিপটন]], [[হাইড্রোজেন]], [[জেনন]] এবং [[ওজোন]]। ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব উচ্চমাত্রায় পরিবর্তনশীল। এর সৃষ্টি ও ধ্বংস উভয়ই হয়ে থাকে অতি বেগুনী রশ্মি এবং অবলোহিত বিকিরণের (অবলোহিত বিকিরণ) শোষণের দ্বারা। এই গ্যাসের অধিকাংশই অধিক উচ্চতায় পাওয়া যায়। আবহবিদ্যায় এই গ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এটি সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি ও অবলোহিত বিকিরণ [[শোষণ]] করে। বায়ুর [[কার্বন ডাই অক্সাইড]] [[গ্যাস]] অবলোহিত বিকিরণের মাধ্যমে [[পৃথিবী]] থেকে তাপক্ষয়ের প্রক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। বিশ্বব্যাপী [[জীবাশ্ম জ্বালানি]] (যেমন, [[কয়লা]] ও [[খনিজ তৈল]])-র ব্যাপক দহন বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্মাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ১২% বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে উল্লিখিত সময়ে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১.১°সে বৃদ্ধি পেয়েছে।",
"title": "বায়ু"
}
] |
সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রীর নাম কি ছিল ? | [
{
"docid": "4392#9",
"text": "প্রায় বিশ বছরের মধ্যে সুভাষ চন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি তাঁর প্রথম প্রেম এমিলি শেঙ্কল-এর সঙ্গে পরিচিত হন ভিয়েনাতে। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন।",
"title": "সুভাষচন্দ্র বসু"
}
] | [
{
"docid": "269721#2",
"text": "তার পিতার নাম শিশির কুমার বসু, যিনি একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তার মায়ের নাম কৃষ্ণা বসু, যিনি একজন ইংরেজীর অধ্যাপক, লেখক ও রাজনীতিবিদ। কৃষ্ণা বসু যিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ছিলেন, তিনি শর্মিলা বসুর বই নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার পিতামহ শরৎ চন্দ্র বসু একজন ব্যারিস্টার ও প্রখ্যাত জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন। তার পিতামহের ভাই ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি অ্যালেন রসলিং নামে এক ব্রিটিশ ভদ্রলোক'কে বিবাহ করেছেন যিনি টাটা গোষ্ঠীর অন্যতম ডিরেক্টর। তাদের তিন পুত্র।",
"title": "শর্মিলা বসু"
},
{
"docid": "4392#6",
"text": "১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি, বর্তমান ওডিশা রাজ্যের কটক শহরে (ওডিয়া বাজার) জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন কটক-প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে নবম। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র একটি কটকের ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন; বর্তমানে এই স্কুলটির নাম স্টুয়ার্ট স্কুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে সাম্মানিকসহ বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।",
"title": "সুভাষচন্দ্র বসু"
},
{
"docid": "248860#1",
"text": "প্রতিভা বসু অবিভক্ত বাংলার (অধুনা বাংলাদেশের) ঢাকা শহরের অদূরে বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবার নাম আশুতোষ সোম ও মায়ের নাম সরযূবালা সোম। বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে বিবাহের আগে তিনি রাণু সোম নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে মীনাক্ষী দত্ত ও দময়ন্তী বসু সিং এবং এক ছেলে শুদ্ধশীল বসু। শুদ্ধশীল বসু মাত্র ৪২ বছর বয়সে মারা যান। প্রতিভা বসুর দৌহিত্রী কঙ্কাবতী দত্তও একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। প্রতিভা বসু পশুপ্রেমী ছিলেন।",
"title": "প্রতিভা বসু"
},
{
"docid": "364141#6",
"text": "বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা ১৯৩৭ সনের ২৪ নভেম্বর যোরহাটের সুগায়িকা প্রিয়বালা বরুয়াকে বিবাহ করেছিলেন। বিবাহের কিছুদিন পর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রিয়বালা বরুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। পত্নি বিয়োগের পর তিনি নিরুপমা দেবির সানিধ্যে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি নিরুপমা দেবির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহ করেন নাই। ১৯৫১ সনে বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা নলবারি বেলশরের নবিনচন্দ্র মেধীর কন্যা কনকলতা মেধীকে বিবাহ করেন। তিনি দুইটি পুত্র সন্তান পৃথ্বীরাজ রাভা (থুন থুন) ও হেমরাজ রাভা (মুন মুন) জন্ম দেন। ১৯৬২ সনে কনকলতা মেধীর মৃত্যুর পর বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা গোসাইগাও অঞ্চলের অন্তর্গত বিন্নাখাটা গ্রামের মোহিনিবালা বসুমতারীকে বিবাহ করেন। মোহিনিবালা রাভা একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন । পুত্র সন্তানের নাম মেন্ডেলা রাভা কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কন্যা সন্তান জন্মের কিছুক্ষন পরে মারা যায়।",
"title": "বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা"
},
{
"docid": "9271#14",
"text": "১৮৮৬ সালে ২৩ বছরের উপেন্দ্রকিশোরের সঙ্গে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম পক্ষের কন্যা বিধুমুখীর বিবাহ হয়, এবং তখনকার কলকাতার কর্নওয়ালিস স্ট্রীটের ব্রাহ্ম সমাজের মন্দিরের বিপরীতে লাহাদের বাড়ির দোতলায় কয়েকটি ঘর ভাড়া নিয়ে উপেন্দ্রকিশোরেরর সংসার জীবন শুরু হয়। উপেন্দ্রকিশোরের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলেরা হলেন সুকুমার, সুবিনয় ও সুবিমল, এবং মেয়েরা হলেন সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা। প্রত্যেকেই শিশু সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। জ্যেষ্ঠা কন্যা সুখলতা রাও ও জ্যেষ্ঠ পুত্র সুকুমার রায় উল্লেখযোগ্য।",
"title": "উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী"
},
{
"docid": "70505#1",
"text": "সরলা রায় বিখ্যাত ব্রাহ্ম সমাজ সংস্কারক দুর্গামোহন দাশের কন্যা ছিলেন। তাঁর ভ্রাতার নাম ছিল সতীশ রঞ্জন দাশ এবং ভগিনীর নাম ছিল অবলা বসু। অবলা বসু কলকাতা শহরে অবস্থিত বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় এবং বেথুন স্কুলের প্রথম ছাত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা শহরে অবস্থিত প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রথম ভারতীয় অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার রায়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহ সম্পন্ন হয়। স্বামীর সঙ্গে ঢাকা শহরে বাস করার সময় তিনি একটি মহিলাদের বিদ্যালয় স্থাপন করেন। কলকাতা শহরে তিনি অভিজাত পরিবারের মহিলাদের নৃত্যনাট্যে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুপ্রেরণা যোগান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অনুরোধে \"মায়ার খেলা\" নামক নৃত্যনাট্য রচনা করেন এবং বেথুন স্কুলে এই নাটক প্রথম মঞ্চস্থ করা হয়। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা শহরে গোখলে মেমোরিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ের প্রথম সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মার্গারেট কুজিনস প্রতিষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া উইমেনস কনফারেন্সের একজন নেতৃস্থানীয়া সদস্যাও ছিলেন। স্মাজকর্মী চারুলতা মুখোপাধ্যায় তাঁর একমাত্র কন্যা ছিলেন।",
"title": "সরলা রায়"
},
{
"docid": "245334#1",
"text": "১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ সেপ্টেম্বর সুচিত্রা মিত্রের জন্ম। তাঁর পিতা রামায়ণ-অনুবাদক কবি কৃত্তিবাস ওঝা’র উত্তর পুরুষ সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় (১৮৮৪-১৯৬৬) ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক; মায়ের নাম সুবর্ণলতা দেবী। পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান সুচিত্রা মিত্রের জন্ম হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের ডিহিরী জংশন লাইনে শালবন ঘেরা গুঝাণ্টি নামে একটি রেলস্টেশনের কাছে, ট্রেনের কামরায়। তাঁদের পৈতৃক নিবাস ছিল উত্তর কলকাতার হাতিবাগান অঞ্চলে। কলকাতার বেথুন কলেজিয়েট স্কুলে তিনি লেখাপড়া করেছেন। স্কুল বসার আগে প্রার্থনা সংগীতের মতো করে গাওয়া হতো রবীন্দ্রনাথের গান। এখানে পড়ার সময় গানের চর্চা শুরু হয় দুই শিক্ষক অমিতা সেন এবং অনাদিকুমার দস্তিদারের কাছে। বিদ্যান্বেষী সুচিত্রা মিত্র পরবর্তীকালে পড়াশোনা করেছেন স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।",
"title": "সুচিত্রা মিত্র"
},
{
"docid": "580640#1",
"text": "বিভাবতী বসু গান্ধীবাদী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ১৯২১ খৃষ্টাব্দে গান্ধীজির বিদেশী দ্রব্য বর্জন আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। চরকা কেটে, খদ্দরের কাপড় তৈরি করে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করতেন। তার স্বামী শরৎ বসু ও দেবর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বহু গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় রাজনৈতিক কাজের সাথী ছিলেন তিনি। বাড়ির পুরুষদের অনুপস্থিতিতে পুলিশ তাদের উডবার্ন রোডের বাড়ি তল্লাশি করতে এলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। ১৯৩৩ সালে অসুস্থ সুভাষচন্দ্রকে সরকার বিদেশে পাঠাবার ব্যবস্থা করলে তিনিই সমস্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৪১ সালে নেতাজী অন্তর্ধানে যাওয়ার ব্যাপারেও যুক্ত ছিলেন তিনি। সুভাষচন্দ্র তাকে মেজোবৌদি বলে সম্বোধন করতেন। বিদেশ থেকে বিভাবতী দেবীকে একাধিক পত্র লেখেন সুভাষ। ১৯৫০ সালে স্বামী শরৎচন্দ্রের মৃত্যুর পর প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িত হন।",
"title": "বিভাবতী বসু"
},
{
"docid": "64074#18",
"text": "জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত জীবন সুখের হয় নি। ১৮৬৮ সালের ৫ জুলাই কাদম্বিনী নামে একটি কিশোরীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়; ঠাকুরবাড়িতে নববধূর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় কাদম্বরী দেবী (১৮৫৯-১৮৮৪)। ইনি দেবর রবীন্দ্রনাথের সমবয়সী ছিলেন এবং স্বামীর এই কনিষ্ঠ ভ্রাতাটিকে এত স্নেহ করতেন যে কবি সারা জীবন তাঁর অজস্র প্রসঙ্গে তাঁর উল্লেখ করেছেন। যোগ্য স্বামীর পতিব্রতা সহধর্মিনী হয়ে উঠেছিলেন কাদম্বরী; তাদের গৃহে গুনীসমাগম নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। এই মহিলাকে সরণ করে স্বামীর বন্ধু কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী তাঁর সাধের আসন কাব্যের নামকরণ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই বৌঠানকে উৎসর্গ করেছিলেন একাধিক গ্রন্থ এবং তাঁকে স্মরণে রেখে রচনা করেছেন বহু গান।",
"title": "জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর"
},
{
"docid": "42892#6",
"text": "রাজশেখর বসু মৃণালীনি দেবীকে বিবাহ করেন। বসু দম্পতির এক কন্যা ছিল। তাঁর মেয়ের জামাই খুব অল্প বয়সে অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে; শোকে কাতর হয়ে মেয়েও একই দিনে মারা যায়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর স্ত্রী মৃণালীনি দেবীও লোকান্তরিত হন। পরবর্তী ১৮ বছর স্ত্রীবিহীন একাকী জীবনে রচিত হয় তাঁর অমূল্য সাহিত্যকর্মসমূহ। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ-দূর্দশার কথা তাঁর লেখনিতে পাওয়া যায়নি। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তিনি লেখালেখি চালিয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ২৭শে এপ্রিল দ্বিতীয় দফা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর জীবনাবসান হয়।",
"title": "রাজশেখর বসু"
}
] |
তমালিকা কর্মকার অভিনীত সর্বপ্রথম নাটকটির নাম কি ছিল ? | [
{
"docid": "549638#2",
"text": "তমালিকার অভিনয় শুরুটা মঞ্চ থেকেই, যখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। ১৯৯২ সালে আরণ্যক নাট্যদল প্রযোজিত মামুনুর রশীদের লেখা ও আজিজুল হাকিম নির্দেশিত নাটক \"পাথর\" এর মাধ্যমে তার মঞ্চাভিনয় শুরু। এরপর আরণ্যক দলের অন্যতম নাটক \"ইবলিস\", \"জয়জয়ন্তী\", \"খেলা খেলা\", \"ওরা কদম আলী\", \"প্রাকৃতজন কথা\", \"রাঢ়াঙ\", \"বিদ্যাসাগর\" এবং ময়ূর সিংহাসনে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে থিয়েটার অঙ্গনে বেশ জনপ্রিয়তা পান।",
"title": "তমালিকা কর্মকার"
}
] | [
{
"docid": "549638#0",
"text": "তমালিকা কর্মকার একজন বাংলাদেশী মডেল এবং নাট্য অভিনেত্রী। রাঢ়াঙ নাটকের শ্যামলী, ময়ূর সিংহাসন-এর কৃষ্ণা এবং বিদ্যাসাগর-এর রাধা চরিত্রগুলোর জন্য তিনি বিশেষ ভাবে পরিচিত। তিনি একই সাথে কোরিওগ্রাফার এবং প্রশিক্ষক। তিনি রাঢ়াঙ এর ১৭৫ টি মঞ্চাভিনয় করেছেন। মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে সমানভাবে পদচারণা রয়েছে তাঁর। তার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয় \"অন্য জীবন\" এর মাধ্যমে। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রসমূহ হল \"এই ঘর এই সংসার\" (১৯৯৬), \"কিত্তনখোলা\" (২০০০), ও \"ঘেটুপুত্র কমলা\" (২০১২)। \"কিত্তনখোলা\" ছবিতে অভিনয়ের জন্য তমালিকা ২০০২ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।",
"title": "তমালিকা কর্মকার"
},
{
"docid": "549638#1",
"text": "তমালিকা কর্মকারের জন্ম ২ জুলাই ১৯৭০ সালে খুলনায়। জন্মের ৮ মাস পরে তিনি তার পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন। তিনি ১৯৭৮ - ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিটিভি তে প্রচারিত ফুলকুঁড়ি তে গল্প বলা এবং ছবি আঁকায় অংশ নিয়েছেন। তমালিকা কর্মকারের মাত্র ৩ বছর বয়সে তার অভিনয় জীবনের শুরু হয়। নাট্যকার গোলাম মোস্তফার কাছে তার অভিনয় জীবনের শুরু হয়। সাধারন নৃত্যে গহর জামিল, কথ্যকে নিকুঞ্জ বিহারি পাল এবং ছায়ানটে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত এর চর্চা শুরু করেন।",
"title": "তমালিকা কর্মকার"
},
{
"docid": "549638#5",
"text": "শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীদের জন্য সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার; যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অংশ হিসাবে ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর দেওয়া হয়। তমালিকা কর্মকার \"কিত্তনখোলা\" (২০০০) ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০০২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার\nমঞ্চ, টিভি এবং চলচ্চিত্রাঙ্গনে অবদান রাখার জন্য ২০১৩ সালের ২১ জুনে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকা সম্মাননা\n২ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে তামালিকা কর্মকারকে মেগা স্টার্ট ম্যাগাজিন অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টের মেগা স্টার্ট মিউজিক অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট অভিনয় এবং থিয়েটারের পারফরমেন্সে অসাধারণ কৃতিত্ব এর জন্য মেগা স্টার্ট মিউজিক অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। \n\"কেরালা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ফেস্টিভাল\" (ITFOK) \"ভারতবর্ষের কেরালা রাজ্যের ত্রিসূর শহরে প্রতিবছর প্রতি বছর অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক থিয়েটার উত্সব। এই উৎসব \"কেরালা সংগীত নাটক একাডেমী\" এবং কেরালার সরকার সংস্কৃতি বিভাগ দ্বারা পরিচালিত বা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালে প্রথম এই উৎসব শুরু হয়। এটি তামিলকা কর্মকারকে কেরালা ২০০৮ এর আন্তর্জাতিক থিয়েটার ফেস্টিভাল নামে একটি স্মারক হিসেবে প্রদান করে।\nবাংলাদেশ টেলিভিশন দর্শক ফোরাম (টিডিএফবিডি) বাংলাদেশের দর্শকদের ভোটিং দ্বারা বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য কমিউনিটি। এটি বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের তাদের কর্মের উপর পুরষ্কার প্রদান করে। তমালিকা কর্মকার ২০০৫ সালে সেরা অভিনেত্রীকে ক্যাটাগরিতে তাকে এই পুরুস্কারে ভূষিত করে।\n\"একতা পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড\" \"একতা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন\" দ্বারা প্রতি বছর প্রদান করা হয়। প্রতিবছর তারা সমগ্র দেশে সেরা শিল্পীদের সম্মানিত করার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ২০০৪ সালে তমালিকা কর্মকারকে নাটকে সেরা অভিনেত্রী হিসাবে এই পুরস্কার প্রদান করেন।\nতমালিকা ২০১০ সালে ডিপিএল মিডিয়া সিটি শোবিজ সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার পুরস্কার অর্জন করেন। এই পুরস্কারটি ঢাকা সাংস্কৃতিক রিপোটার ইউনিটি দ্বারা প্রদান করা হয়। \n২০০২ সালে, তমালিকা কর্মকার বাংলা টেলিফিল্ম কুরুক্ষেত্রে তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য \"একতা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা\" সম্মাননা লাভ করেন।\n১৯৮২ সালে তমালিকা কর্মকার বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুঁড়ি তে গল্প বলা ক্যাটাগরিতে সেরা শিশু শিল্পী পুরস্কার অর্জন করেন। এই পুরস্কারের মাধ্যমেই তার শিল্পিক জীবনের আরম্ভ হয়। \n১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের অভিনয়ের জন্য ১৯৮৯ সালে তামলিকা কর্মকার রেসিয়েড আন্তর্জাতিক পেন-পল ক্লাব পুরস্কার লাভ করেন।\nতিনি আরণ্যক নাট্যদল এর ৫০তম স্টেজ শোতে আরণ্যক নাট্যদল অ্যাওয়ার্ড নামক সম্মানজনক পদক জিতেছেন। আরণ্যক নাট্যদল বাংলাদেশের একটি বিশিষ্ট থিয়েটার গ্রুপ।\nতমালিকা কর্মকার তাদের ৩২ বছর পূর্তিতে বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠি পুরস্কার পেয়েছেন। বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠি বাংলাদেশে একটি পুরানো থিয়েটার এবং পারফরম্যান্স গ্রুপ।\n২০০৪ সালে ঢাকা থিয়েটারে তমালিকা কর্মকার ফাওজিয়া ইয়াসমিন শিবলি পদক পান, যা শিমিল আল দিনা জন্ম উৎসবে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য প্রদান করা হয়।\nউত্তর আমেরিকার বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমিতি থেকে প্রাপ্ত সম্মানসূচক পুরস্কার।",
"title": "তমালিকা কর্মকার"
},
{
"docid": "549638#3",
"text": "তমালিকার প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় \"অন্য জীবন\" এর মাধ্যমে। তবে সফলভাবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা করে ১৯৯৬ সালে \"এই ঘর এই সংসার\" ছবিতে চিত্রনায়ক আলী রাজের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে। তার বিশেষ কিছু কাজের মধ্যে ২০০০ সালে \"কিত্তনখোলা\" চলচ্চিত্রে বেদের মেয়ে ডালিমন চরিত্র এবং ২০১২ সালের \"ঘেটুপুত্র কমলা\"য় কমলার মা চরিত্র অন্যতম। ১৯৯৬ সালে তিনি লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর অত্যন্ত জনপ্রিয় নাটক \"কোথাও কেউ নেই\" তে অভিনয় করেছেন এবং এর মাধ্যমেই তিনি সবচেয়ে আলচিত হোন। এছাড়াও 'নাট্যযুদ্ধ' নামের একটি রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তিনি সিওল, দক্ষিণ কোরিয়াতে আন্তর্জাতিক \"থিয়েটার ফেস্টিভাল\" অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ সরকারের \"শিল্পকলা একাডেমী\" এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যান। ২০১৩ সালে, তিনি \"এনওয়াইএস এসেম্বলি\" স্বীকৃতি লাভ করেন।",
"title": "তমালিকা কর্মকার"
},
{
"docid": "10822#12",
"text": "বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মধ্যে, এনটিভিতে সর্বপ্রথম, মিসির আলিকে নিয়ে একটি নাটক তৈরি হয়। নাটকটি তৈরি করেছিলেন নির্মাতা অনিমেষ আইচ। নাটকটির নাম ছিলো \"\"বৃহন্নলা\"\", যা ছিলো, মিসির আলি-কেন্দ্রিক উপন্যাস \"\"বৃহন্নলা\"\"র নাট্যরূপ। নাটকটিতে মিসির আলি'র ভূমিকায় অভিনয় করেন, তরুণ অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুত। পরবর্তিতে অনিমেশ আইচ, মিসির আলির, \"\"নিষাদ\"\" উপন্যাসটিকে নিয়ে \"\"নিষাদ\"\" নামে নাট্যরূপ দিয়েছিলেন, যা ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে এনটিভিতে প্রচারিত হয়েছিলো। 'নিষাদ'-এ মিসির আলির চরিত্রে অভিনয় করেন প্রখ্যাত অভিনেতা শাহরিয়ার শূভ।",
"title": "মিসির আলি"
},
{
"docid": "530494#7",
"text": "১৯৪৮ সাল থেকে কামিনি কৌশল ভারতের তৎকালীন নামকরা ও সেরা অভিনেতা অশোক কুমার, রাজ কাপুর, দেব আনন্দ, ও দিলীপ কুমারদের বিপরীতে অভিনয় করেন। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত অশোক কুমার ছাড়া বাকিদের বিপরীতে তার প্রধান নারী চরিত্রে তার নাম পর্দায় প্রথমে দেখানো হত। দিলীপ কুমারের বিপরীতে তার অভিনীত \"শহীদ\", \"পাগরী\", \"নাদীয়া কে পার\", \"শবনম\" ও \"আরজু\" বক্স অফিসে হিটের তকমা লাভ করে। ১৯৪৭ সালে করা \"দো ভাই\" চলচ্চিত্রে গীতা রায়ের গলায় \"মেরা সুন্দর সাপনা\" গান তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। গানটি এক শটে সম্পন্ন করা হয়। পরের বছর ১৯৪৮ সালে তিনি বোম্বে টকিজের প্রযোজনায় দেব আনন্দের বিপরীতে হালকা রোমান্টিক \"জিদ্দি\" ছবিতে জুটিবদ্ধ হন। পরের বছর তারা দ্বিতীয়বারের মত \"নমুনা\" ছবিতে জুটিবদ্ধ হন। দেব-সুরাইয়া জুটির ত্রিভুজ প্রেমের \"শায়ের\" ছবিতে তিনি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে অভিনয় করেন। রাজ কাপুরের পরিচালনায় অভিষেক \"আগ\" ছবিতে তিনি রাজের তিনি নায়িকার একজনের ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন; বাকি দুইজন ছিলেন নার্গিস ও নিগার। এছাড়া রাজ কাপুরের বিপরীতে তিনি \"জেল যাত্রা\" ছবিতে অভিনয় করেন।",
"title": "কামিনি কৌশল"
},
{
"docid": "69209#2",
"text": "তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম \"তওবা\"। কিন্তু প্রথম মুক্তি পায় \"পাগলি\"। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত \"কাসেম মালার প্রেম\" সিনেমায় একক নায়ক হিসেবে প্রথম সুযোগ পান। \"কাসেম মালার প্রেম\" সিনেমার দারুন ব্যবসায়িক সাফল্যের কারনে, মান্না ঘুরে দাড়ানোর সুযোগ পান। তাকে নিয়ে পরিচালকেরা আগ্রহ দেখাতে শুরু করেন। এরপর কাজী হায়াত পরিচালিত \"দাঙ্গা\" ও \"ত্রাস\" সিনেমার কারনে, তাঁর একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সহজ হয়ে যায়।",
"title": "মান্না"
},
{
"docid": "9187#3",
"text": "সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-এর সর্বপ্রথম কাজ প্রখ্যাত চলচিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার ছবিতে যা ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। তিনি এর আগে রেডিয়োর ঘোষক ছিলেন এবং মঞ্চে ছোটো চরিত্রে অভিনয় করতেন। ধীরে ধীরে তিনি সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি সত্যজিৎ রায় নির্মিত বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে আবির্ভূত হন। তার অভিনীত কিছু কিছু চরিত্র দেখে ধারণা করা হয় যে তাকে মাথায় রেখেই গল্প বা চিত্রনাট্টগুলো লেখা হয়। তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলোর ভিতরে সবথেকে জনপ্রিয় হল ফেলুদা। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় সোনার কেল্লা এবং জয় বাবা ফেলুনাথ ছবিতে ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। প্রথমে ফেলুদা চরিত্রে তার চেয়েও ভালো কাউকে নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তার অভিনীত ফেলুদার প্রথম ছবি সোনার কেল্লা বের হওয়ার পর সত্যজিৎ রায় স্বীকার করেন যে, তার চেয়ে ভালো আর কেউ ছবিটি করতে পারতনা।এই তালিকাটি অসম্পূর্ণ",
"title": "সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়"
},
{
"docid": "346667#8",
"text": "১৯৭৭ সালে তিনি তেলেগু ভাষার “চিলাকাম্মা চিপ্পিন্দি” সিনেমায় সর্বপ্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও রজনীকান্ত সমসময় কে. বলচান্দকে তার উপদেষ্টা হিসেবে মানতেন, কিন্তু তার মুখটি সবার কাছে পরিচিত করান এস.পি.মুথুরমন। মুথুরমন তাকে “ভুবনা ওরু কেলভিক্কুরি” (১৯৭৭) সিনেমায় ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগদানের মাধ্যেম একটি পরীক্ষা চালান। এই সিনেমায় তিনি চলচ্চিত্রে প্রথম অংশে একজন ব্যর্থ প্রেমিক এবং দ্বিতীয় অংশে তিনি ন্যক হিসেবে অভিনয় করেন। এই সিনেমার সফলতা ১৯৯০র দশক পর্যন্ত তাকে আরো ২৪ সিনেমার প্রস্তাব আস্তে সাহায্য করে। এসময়কার সিনেমাগুলোতে তিনি সাধারণত সহ-অভিনেতার চরিত্রে তার মধ্যে কয়েকটিতে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। “গায়িত্রী” সিনেমায় তিনি একজন পর্ণোগ্রাফার, যে কিনা তার স্ত্রী অজান্তে তাদের একসাথে কাটানো মূহুর্তগুলো রেকর্ড করে। আবার অন্যদিকে, “গালাতে সামসারা” সিনেমায় তিনি একজন বিবাহিত পুরুষ, যে একজন ক্লাবের নর্তকীর সাথে প্রেম করে। ঐ বছরের মুক্তিপ্রাপ্ত ১৫ টি সিনেমার মধ্যে সবগুলোই, তার আগের বছরের তুলনায় অনেক উন্নত ছিল।",
"title": "রজনীকান্ত"
}
] |
বিবর্তনের সাথে কি জিনের কোনো সম্পর্ক আছে ? | [
{
"docid": "555662#12",
"text": "শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র লেখক ব্রুস লাহন এবং তার সহকর্মীরা প্রস্তাব করেন যে মানব মস্তিষ্কের আকার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দিষ্ট জিন আছে। মস্তিষ্কের বিবর্তনে এই জিন গুলো ভূমিকা চালিয়ে যাচ্ছে যা অর্থপ্রকাশ করে যে মস্তিষ্ক অভিব্যক্ত অব্যাহত রেখেছে। গবেষকরা গবেষণা শুরু করেন ২১৪ টি জিন নির্ধারণ করে যারা মস্তিষ্কের উন্নয়নে জড়িত ছিল। এই জিনগুলো নেয়া হয়েছিল মানুষ, মেকাকুস, এবং ইঁদুর থেকে। লাহন এবং অন্যান্য গবেষকরা ডিএনএ সিকোয়েন্স প্রোটিন পরিবর্তন সৃষ্টিকারী পয়েন্ট নোট করেন। তারপর এই ডিএনএ পরিবর্তন গুলো সেই সময়ের মাপে দেয়া হয় যেই সময়ে তাদের এই পরিবর্তন ঘটে। তথ্য দেখায় যে মানব মস্তিষ্কের জিন অন্য প্রজাতির তুলনায় অনেক দ্রুত বিবর্তিত হয়। একবার এই জিনোমিক প্রমাণ অর্জিত হয়েছিল, লাহন এবং তার দল নির্দিষ্ট জিন বা জিনগুলো যা অনুমতি দেয় বা এমনকি এই দ্রুত বিবর্তনকে নিয়ন্ত্রিত করে তাদের খুজে বের করার সিদ্ধান্ত নেয়। মানব মস্তিষ্কের বিকাশে দুটি জিন খুঁজে পাওয়া যায় যারা আকার নিয়ন্ত্রণ করে। এই হীন গুলো হল মাইক্রো সেফালিন এবং অস্বাভাবিক স্পিন্ডল এর মত মাইক্রোসেফালি(এএসপিএম)। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে নির্বাচন চাপের অধীনে এই উভয় জিন উল্লেখযোগ্য ডিএনএ ক্রম পরিবর্তন দেখিয়েছে। লাহনের পূর্বের গবেষণায় দেখা গেছে মাইক্রোসেফালিন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে দ্রুত বিবর্তনের প্রাইমেট বংশের সাথে যা শেষ পর্যন্ত হোমো স্যাপিয়েন্সের উত্থান করে। মানুষের উত্থানের পরে মাইক্রোসেফালিন হয়তো কটি ধীর বিবর্তন হার প্রদর্শন করছে। বিপরীতভাবে এএসপিএম মানুষের বিবর্তন পরবর্তী বছরগুলোতে দেখিয়েছে তার সবচেয়ে দ্রুত বিবর্তন একবার যখন শিম্পাঞ্জি এবং মানুষের মধ্যে বিপথগমন ঘটেছে ।",
"title": "মস্তিষ্কের বিবর্তন"
},
{
"docid": "1365#44",
"text": "যেহেতু সিকুয়েন্স অপসারী হয় এবং বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয় , সিকুয়েন্সের এই পরিবর্তন [[আণবিক ঘড়ি]] হিসেবে ব্যবহার করে তাদের মধ্যে বিবর্তনগত দূরত্ব পরিমাপ করা যায়। জিনগত তুলনাই ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে সম্পর্কতা চরিত্রায়িত করার সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। এটি প্রায়শই ত্রুটিপূর্ণ ফিনোটাইপিক তুলনার একটি উৎকৃষ্ট প্রতিস্থাপন। প্রজাতির মধ্যে বিবর্তনগত দূরত্বের ভিত্তিতে [[বিবর্তন বৃক্ষ]] তৈরি করা হয় - এই বৃক্ষ [[সাধারণ বংশক্রমাগম|সাধারণ বংশক্রমাগমের]] প্রতিনিধিত্ব করে এবং সময়ের সাথে প্রজাতির অপসারিতার পরিমাপ করে, যদিও এরা সম্বন্ধহীন প্রজাতির মধ্যে জিনেটিক বস্তুর আদান-প্রদান দেখাতে পারে না (যা [[সমান্তরাল জিন বদল]] নামে পরিচিত এবং ব্যাকটেরিয়াতে অহরহ ঘটে থাকে)।",
"title": "জিনতত্ত্ব"
},
{
"docid": "66903#1",
"text": "বিবর্তনের ভিত্তি হচ্ছে বংশপরম্পরায় জিনের সঞ্চারণ। যা একটি জীবের বংশগতভাবে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য দায়ী, তা-ই জিন। এই জিনগুলোর বিভিন্নতার কারণে একটি জীবগোষ্ঠীর বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে বংশগত বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য বা প্রকরণ সৃষ্টি হয়। বিবর্তন মূলত দুটি বিপরীত নিয়ামকের ফল : একটি প্রক্রিয়ায় ক্রমাগতভাবে নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয়, আর অন্যটির প্রভাবে এই প্রকরণগুলোর কোনো কোনোটির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং কোনো কোনোটির সংখ্যা হ্রাস পায়। নতুন প্রকরণ উৎপন্ন হয় দুটি প্রধান উপায়ে : ১. জিনগত মিউটেশন বা পরিব্যপ্তির মাধ্যমে এবং ২. বিভিন্ন জীবগোষ্ঠী বা প্রজাতির মধ্যে জিনের স্থানান্তরের মাধ্যমে। \"জিনেটিক রিকম্বিনেশনের\" মাধ্যমেও নতুন বৈশিষ্ট্যসূচক জিন তৈরি হয় যা জীবগোষ্ঠীর মধ্যকার প্রকরণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।",
"title": "বিবর্তন"
},
{
"docid": "364725#20",
"text": "১৯৩০ ও ১৯৪০ এর দিকে আণবিক জিনতত্ত্বের সাথে ডারউইনিয়ান বিবর্তনের সংযোগ ঘটিয়ে নতুন তত্ত্ব প্রদান করা হয়, যা আধুনিক বিবর্তনিক সংশ্লেষণ নামে পরিচিত। জুলিয়ান হাক্সলি এই পদটি প্রথম ব্যবহারক করেন। এর পরপরই বিবর্তনবিজ্ঞানীগণ এই ধারণার পরিবর্ধন করেন। যেমন জর্জ সি. উইলিয়ামস বিবর্তনের জিন-কেন্দ্রিক দৃশ্য উপস্থাপন করেন। তিনি জিনের বিবর্তনিক ধারণা উপস্থান করে জিনকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের একক হিসেবে আখ্যায়িত করে তাঁর সংজ্ঞায় বলেন, \"যা যথাযথ কম্পাঙ্কে পৃথক করে এবং সংমিশ্রিত করে।\" এই দৃষ্টি থেকে আণবিক জিন একক হিসেবে \"ট্রান্সক্রাইব\" করে এবং বিবর্তিক জিন \"উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত\" হয়। বিবর্তনে জিনের কেন্দ্রিকতা সম্পর্কিত ধারণা আরো জনপ্রিয়তা পায় রিচার্ড ডকিন্সের মাধ্যমে।",
"title": "জিন"
}
] | [
{
"docid": "555662#13",
"text": "প্রতিটি জিন সিকোয়েন্স নির্দিষ্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে গিয়েছে যা পূর্বপুরুষের আত্মীয় থেকে মানুষের বিবর্তন ঘটায়। এই পরিবর্তন নির্ধারণ করার জন্য লাহন এবং তার সহকর্মীরা একাধিক স্তন্যপায়ী থেকে ডিএনএ সিকোয়েন্স ব্যবহার করেন এবং তারপর তুলনা মানুষের সঙ্গে বিপরীত ক্রমে করেন। নিম্নলিখিত এই ধাপে গবেষকরা পরিসংখ্যানগতভাবে বিশ্লেষণ করেন প্রাইমেট এবং মানুষের ডিএনএ এর মধ্যে পার্থক্য এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে পার্থক্য ছিল প্রাকৃতিক নির্বাচনের কারণে। এই জিনের ডিএনএ সিকোয়েন্সে পরিবর্তন সঞ্চিতভাবে একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা এবং উচ্চ উপযোগিতা সৃষ্টি করে অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর সাথে। এই তুলনামূলক সুবিধা একটি বড় মস্তিষ্কের আকারের সঙ্গে মিলিত হয় যা পরিণামে মানুষের মনকে একটি উচ্চ জ্ঞানীয় সচেতনতা দান করে।",
"title": "মস্তিষ্কের বিবর্তন"
},
{
"docid": "1525#56",
"text": "মানুষের পরিবর্তন খুব অসঙ্গতিপূর্ণ: অধিকাংশ জিন একসঙ্গে ক্লাস্টার করেন না এবং একসঙ্গে উত্তরাধিকারসূত্রে উত্তীর্ণ হয় না । স্কিন এবং চুলের রঙ উচ্চতা, ওজন বা অ্যাথলেটিক ক্ষমতার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। ভৌগোলিক উপাত্তের মাধ্যমে মানব প্রজাতি একই ধরণের বৈষম্যমূলক ভাগ করে নেয় না। স্কিনের রঙ অক্ষাংশের সাথে পরিবর্তিত হয় এবং কিছু লোক লম্বা হয় অথবা তাদের বাদামী চুল থাকে। একটি জনসংখ্যার মধ্যে বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি পরিসংখ্যানগত সম্পর্ক আছে, কিন্তু বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ বা একসাথে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যায় না। এইভাবে, জিনগুলি যা উপকারী শারীরিক বৈশিষ্ট্যের জন্য কোন কোড দরকার বলে দেয়- যেমন ত্বকের রঙ, চুলের রঙ বা উচ্চতা- মানব বংশের একটি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তা জিনগত অনুভূতির সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায় পাওয়া যায় এমন ডার্ক-স্কিন জনসংখ্যা একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত নয়। এমনকি একই অঞ্চলেও, শারীরিক ফেনোটাইপ জিনগত অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত নয়: অন্ধকার-ত্বক বিশিষ্ট ইথিওপিয়ানরা হালকা ত্বক বিশিষ্ট আর্মেনীয়দের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত অন্ধকার-চামড়ার বান্টু জনবসতির তুলনায়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার (আন্দামানিজ) পিগমি জনসংখ্যার আফ্রিকান পিগমি জনগোষ্ঠীর অনুরূপ শারীরিক বৈশিষ্ট্য যেমন ছোট আকারের, গাঢ় চামড়া, এবং কোঁকড়া চুলের অনুরূপ তবে এই জনগোষ্ঠীর সাথে জেনেটিক্যালি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত নয়। জেনেটিক বৈশিষ্ঠ্যগুলি শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলির উপর প্রভাব ফেলে (যেমন ত্বকের রঙ) - জেনেটিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলো মূলত অর্থহীন - তারা শত কোটি নিউক্লিওটাইডগুলি একজন ব্যক্তির ডিএনএতে অন্তর্ভুক্ত করে। একই রূপের সাথে মানুষের বংশবৃদ্ধি দ্বারা একে অপরকে একত্রে আবদ্ধ করা হয় না এবং একটি নির্দিষ্ট বংশের মধ্যে কেবলমাত্র একই বৈশিষ্ট্যের জটিল বৈশিষ্ট্যগুলি অন্তর্ভুক্ত নয়।",
"title": "মানুষ"
},
{
"docid": "502392#57",
"text": "\"'প্রসঙ্গতঃ আমাদের শরীরের কোন অংশ কেমন হবে থেকে শুরু করে গায়ের রং কেমন হবে নির্ধারণ করে আমাদের শরীরের DNA এ তে অবস্থিত জীন। তাই এখানে নতুন তথ্য বলতে বুঝানো হয়েছে, জীনে অবস্থিত তথ্যের সংযোজনকেই'\"\nআরেকটা আপত্তি সৃষ্টিবাদীরা করে তা হল বিবর্তনের পরিচালনাকারী mutation কখনোই নতুন information(তথ্যের) জন্ম দিতে পারে না।সৃজনবাদী যেমন William A. Dembski, Werner Gitt, এবং Lee Spetner রা এই ইস্যুতে information theory ব্যবহার করলেন বিবর্তনবাদকে নস্যাৎ করতে। Dembski বলেন জীবন প্রদর্শন করে specified complexity(সুনির্দিষ্ট জটিলতার) এবং বিবর্তন একজন intelligent agent ছাড়া কোনোভাবেই উত্তরাধিকারের জীনে সেইসব নতুন তথ্যের জন্ম দিতে পারে না যেসব তথ্য সুনির্দিষ্ট জটিল অঙ্গ গঠন করে।",
"title": "বিবর্তন বিরোধিতা"
},
{
"docid": "66903#25",
"text": "বিবর্তনের কোন সুনির্দিষ্ট্য লক্ষ্য নেই। 'বিপরীতমুখীন' কিংবা 'পশ্চাৎ বিবর্তন' (backward evolution or de-evolution) বলেও কোন জিনিস নেই; একইভাবে নেই 'সম্মুখ বিবর্তন'-এর মত কোন জিনিসও। অর্থাৎ বিবর্তন কোন নির্দিষ্ট দিকে চালিত হয় না। এমনকি প্রাকৃতিক নির্বাচনও সবসময় জীবজগতকে উন্নত করে না। কেননা কোন একটা পরিবেশের সাপেক্ষে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে একটা জীবগোষ্ঠী ঐ পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হয় ঠিকই, কিন্তু ভিন্ন পরিবেশে সেই অভিযোজিত বৈশিষ্ট্যগুলোই আবার ঐ জীবগোষ্ঠীর অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।",
"title": "বিবর্তন"
},
{
"docid": "502392#58",
"text": "এইদাবী পুরোপুরিই বৈজ্ঞানিকদের সম্প্রদায় দ্বারা বাতিল করা হয়। বিবর্তনের দ্বারা নতুন নতুন তথ্য প্রতিনিয়তই তৈরী হচ্ছে, যখন জীনের ডুপ্লিকেশন বা আদর্শ মিউটেশন ঘটছে। নাটকীয় নতুন উদাহরণ আছেঃ একেবারেই স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব ঘটেছে মিউটেশনের দ্বারা, যা সাম্প্রতিক বছরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বিবর্তনের ফলে nylon-eating bacteria তৈরী করেছে নতুন enzymes যার ফলে পদার্থকে আরো দক্ষতার সাহায্যে সে পরিপাক করতে পারে, এই এনজাইম আগে ছিল না। প্রকৃতপক্ষে একটা জীব পরিবেশের সাথে সংগতি রেখে পরিবর্তিত হবে, এখানে আলাদা কোনো সত্তার প্রয়োজন নেই।মুলত একটা সুনির্দিষ্ট পরিবেশে একটা জীব নিজেকে টিকিয়ে রাখতে কিভাবে সার্ভাইভ করে সেই তথ্যই জীনোমে গঠিত হয়, এখানে তথ্যের সৃষ্টি হয়না, বরং তথ্য সংগৃহীত হয় পরিবেশ থেকে নিজস্ব উপায়ে। মিউটেশনের ফলে অভিযোজিত জীব যদি পরিবেশের সাথে টিকে থাকতে পারে, তাহলে স্বাভাবিক ভাবে বংশবিস্তার করে,অথবা বিলুপ্ত হয়ে যায়।",
"title": "বিবর্তন বিরোধিতা"
},
{
"docid": "502392#8",
"text": "বিবর্তন শব্দটা এমনই যে, তাকে নিয়েই অস্পষ্টতা তৈরী হয়। জীববিজ্ঞানের ভাষায়: জীবের বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে জীনগত পরিবর্তনই বিবর্তন। কিন্তু এই শব্দটার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন অর্থ আছে, বিবর্তনের শাব্দিক অর্থ পরিবর্তন ধরে নিয়ে একে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়, যেমন: সামাজিক বিবর্তন to stellar এবং মহাজাগতিক বিবর্তন। এর সবকিছুই জীববিজ্ঞানের বিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত নয়।যদি জীববিজ্ঞানের বিবর্তনের মুল শর্তগুলোর সাথে অন্য বৈবর্তনিক প্রকৃয়ার সংঘ্র্ষ হয়, তখন ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে।যেমন অনেকেই মনে করে থাকেন বিবর্তনের সাথে abiogenesis অথবা Big Bang এর সম্পর্ক আছে। তাই তারা বিবর্তনের সাথে উক্ত বিষয়গুলোকে মিলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিবর্তন এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয় না।",
"title": "বিবর্তন বিরোধিতা"
}
] |
আজটেক সাম্রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল ? | [
{
"docid": "492332#0",
"text": "মেক্সিকো-তেনোচতিৎলান (, ) প্রাচীন আজটেক আলতেপেতল (নগর-রাষ্ট্র) ও রাজধানী ছিল। সচরাচর স্থানটি তেনোচতিৎলান () নামে পরিচিতি পেয়ে আসছে। বর্তমানে এটি মেক্সিকো উপত্যকার টেক্সকোকো হ্রদ এলাকায় অবস্থিত। ২০ জুন, ১৩২৫ তারিখে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পঞ্চদশ শতকে বিস্তৃতভাবে গড়ে উঠা আজটেক সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে ১৫২১ সালে স্পেনীয়রা এটি দখল করে নেয়।",
"title": "তেনোচতিৎলান"
},
{
"docid": "69960#2",
"text": "ধীরে ধীরে আজটেকদের সংখ্যা বাড়তে থাকে; ছোট্ট গ্রাম থেকে টেনোচতিৎলান একটি বড় শহরে পরিণত হয়। আজটেকরা শক্তিশালী সেনাবাহিনীও গঠন করে। রাজধানী টেনোচতিৎলানই ছিল এ অঞ্চলের সকল ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। ঔ সময় প্রায় ২০ লক্ষ অধিবাসি নিয়ে টেনোচতিৎলান শহর ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরগুলোর মধ্যে একটি।",
"title": "আজটেক সাম্রাজ্য"
}
] | [
{
"docid": "69960#0",
"text": "আজটেক সাম্রাজ্য () (১৪২৫-১৫২১) ছিল সমসাময়িককালের মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও ক্ষমতাধারী শক্তি। আদিবাসি আমেরিকানদের এই সাম্রাজ্য পশ্চিমে মেক্সিকো উপত্যকা থেকে পূর্বে মেক্সিকো উপসাগর এবং দক্ষিণে বর্তমান গুয়াতেমালা পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। ১৫২১ সালে স্পেনের নাবিক হার্মান্দো কোর্টেস মেক্সিকো স্পেনীয়রা দখল করে নিলে এই সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।",
"title": "আজটেক সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "69960#1",
"text": "আজটেক জাতি ছিল সুসংহত, কৃষিপ্রধান ও ধর্মনিয়ন্ত্রিত। ১৩ শতকের প্রথম দিকে এরা উত্তর দিক থেকে এসে মেক্সিকো উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। মেক্সিকো উপত্যকা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে এসে তারা প্রথমে বেশ কয়েকটি স্বাধীন নগররাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে। এইসব ছোট ছোট নগররাষ্ট্রগুলি ছিল মূলত রাজতান্ত্রিক। এই অঞ্চলে আজটেক জাতির লোকেরা আসার আগে থেকেই যে সব শহর ও বসতি ছিল, ধীরে ধীরে তারাও আজটেক সংস্কৃতির সাথে একাত্ম হয়ে যায়।",
"title": "আজটেক সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "69960#4",
"text": "কৃষিকাজ ছিল আজটেক অর্থনীতির প্রধান চালিকা। মেক্সিকো উপত্যকার এ অববাহিকা ছিল পাঁচটি হ্রদের সংযোগস্থলে। তাই অতি উর্বর ও চাষ উপযোগী হলেও যথেষ্ট পরিমাণ জমি এখানে ছিল না। আজটেকরা পাহাড়ের ঢাল কেটে সেখানে চাষাবাদ শুরু করে। জমির সর্বো্চ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে তারা পানিসেচ ও সার দেয়া শুরু করে। তাদের সবচেয়ে বড় কৌশল ছিল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ। তারা খাগড়া বুঁনে বিশাল আস্তরন তৈরি করে ও তার উপর মাটি স্তূপ করে এ কৃত্রিম দ্বীপ বানাতো। পরে এগুলো তারা হ্রদের পানিতে ছেড়ে দিত। এ কৃত্রিম দ্বীপে তারা শস্য, শাক-সবজি ইত্যাদি চাষ করতে সমর্থ হয়।",
"title": "আজটেক সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "69960#14",
"text": "স্প্যানিশ বিপুল পরিমাণ স্বর্নের খোঁজ পেয়ে এ অঞ্চল থেকে স্পেনে পাঠানো শুরু করে। শান্তিপূর্ণ অবস্থা স্বত্বেও হার্নান কোর্টেস বিশ্বাস করত আজটেকরা এ অঞ্চল থেকে একসময় বিতাড়িত করবে। তাই সাবধানতা হিসেবে তারা আজটেক সম্রাট দ্বিতীয় মন্টেজুমাকে গ্রেফতার করে এবং স্প্যানিশ রাজার বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য করে। প্রায় ছয় মাস পর, এক ধর্মীয় সমাবেশে ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ আজটেক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। ফলশ্রুতিতে আজটেক সৈন্যবাহিনী স্প্যানিশদের টেনোচতিৎলান শহর থেকে বের করে দেয়ার জন্য লড়াই শুরু করে। তারা শহরের সেতুগুলো ধ্বংস করে ও স্প্যানিশদের বিতাড়িত করে হ্রদের দিকে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত স্বর্ণের ভারে স্প্যানিশ বাহিনীর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ লোক পানিতে ডুবে মারা যায়।",
"title": "আজটেক সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "69960#11",
"text": "আজটেক সম্যাজ্য সূচনা হবার অনেক আগে থেকেই মেক্সিকো উপত্যকা ছিল পূর্নাঙ্গ সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র। উর্বর অববাহিকার এই উপত্যকা ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪০০ মি উচ্চতায় এবং পাঁচটি হ্রদের সংযোগস্থলে। ১০০ থেকে ৬০০ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলে টিওটিহুকানরা (Teotihuacán) শাসন করে। টিওটিহুকানদের পতনের পর টলটেক (Toltec) জাতি উত্তরাঞ্চল থেকে এসে মধ্য মেক্সিতোতে বসবাস শুরু করে। এ জাতি দশম ও একাদশ শতাব্দিতে ব্যাপক উন্নতি অর্জন করতে সমর্থ হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দিতে নাহুতলভাষি (Nahuatl) মিত্রবাহিনী তাদের আক্রমণ করে এবং মেক্সিকো উপত্যকা দখল করে নেয়। এ মিত্রবাহিনীর নেতৃত্বে ছিল মেক্সিকা জনগোষ্ঠী। নাহুতলভাষি এ জনগোষ্ঠীই পরবর্তীকালে আজটেক নামে পরিচিতি পায়।",
"title": "আজটেক সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "69960#7",
"text": "আজটেক সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে আজটেক দিনপঞ্জি বা আজটেক ক্যালেন্ডার। এ দিনপঞ্জি ছিল একটি সুবিশাল পাথরের উপর খোদাই করা যার ভর ২২ মেট্রিক টন এবং ব্যাস ৩.৭ মিটার (১২ ফুট)। এ দিনপঞ্জি দিয়ে তারা পুরা মহাবিশ্বের প্রতীক হিসেবে চিন্তা করত, যার কেন্দ্রে ছিল সূর্য। সূর্যের চারপাশে বিভিন্ন দিন ও বিভিন্ন স্বর্গ চক্রাকারে সাজানো।",
"title": "আজটেক সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "69960#13",
"text": "১৫১৯ সালে ভ্রমণকারি হার্নান কোর্টেস প্রায় ৫০০ জনের এক স্প্যানিশ বাহিনী নিয়ে স্বর্নের সন্ধানে এ অঞ্চলে এসে পৌছায়। কোর্টেস আজটেকদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্লাক্সালান জাতির সাথে আঁতাত করে টেনোচতিৎলান প্রবেশ করার পরিকল্পনা করে। ট্লাক্সালান জাতির প্রায় ৪০০০ লোক স্প্যানিশ বাহিনীর সাথে যোগ দেয়। আজটেক বাহিনীর তুলনায় এ সংখ্যা ছিল নগণ্য। ৮ই নভেম্বর ১৫১৯ সালে আজটেক সম্রাট দ্বিতীয় মন্টেজুমা স্প্যানিশদের অভিপ্রায় জানার জন্য তাদেরকে আক্রমণ না করে অণুপ্রবেশ করার সুযোগ দেয়।",
"title": "আজটেক সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "544919#0",
"text": "আশুর (আক্কাদীয়; সিরিও: 'আশুর; : Āshūr; אַשּׁוּר আসসুর, : Āshūr, কুর্দি আসুর) কালা আত শেরকাত নামেও পরিচিত, প্রাচীন আশারীয় শহর, প্রাচীন আসিরিয় সাম্রাজ্য ( ২০২৫-১৭৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), মধ্য অ্যাসিরিয় সাম্রাজ্য (১৩৬৫-১০৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এবং নব্য-আসিরিয় সাম্রাজ্যের (৯১১-৬০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) রাজধানী ছিলো। শহরটির ধ্বংসাবশেষ দজলা নদীর পশ্চিম পাড়ে, ছোট যাব নদীর উজানে, আধুনিক দিনের ইরাকে স্পষ্ট করে বলতে গেলে সালাহউদ্দিন প্রদেশের আল-শিরকাত জেলায় অবস্থিত।",
"title": "আশুর"
}
] |
ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগে কি কোনো প্রাণীর জন্ম হয়েছিল ? | [
{
"docid": "639605#0",
"text": "ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগ হল ভূতাত্ত্বিক সময়ের কালক্রমের অন্তর্গত বর্তমান ভূতাত্ত্বিক অধিযুগ এবং এমন একটি সময় যখন প্রচুর পরিমাণে প্রাণী এবং উদ্ভিদ জীবন অস্তিত্ব লাভ করেছিল। এটা ৫৪.১ কোটি বছর পূর্ব হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করে এবং এটা ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছিল যখন বিচিত্র ধরণের শক্ত-খোলসযুক্ত প্রাণী সৃষ্টি হয়েছিল। এর নাম উদ্ভুত হয়েছিল প্রাচীন গ্রিক শব্দ (phanerós- ফ্যানারোজ) এবং (zōḗ- জোয়) থেকে যাদের অর্থ দৃশ্যমান জীবন এবং যেহেতু এটা বিশ্বাস করা হত যে জীবনের সূচনা হয়েছিল ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ হতে যা এই অধিযুগের অন্তর্ভুক্ত প্রথম যুগ ছিল। ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের পূর্বের সময়কে প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান কাল বলা হত যা বর্তমানে হেডিয়ান, আর্কিয়ান এবং প্রোটেরোজোয়িক অধিযুগে বিভক্ত হয়েছে।",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
},
{
"docid": "639605#1",
"text": "ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের ব্যাপ্তিকাল শুরু হয়েছিল প্রাণীজগতের অনেক পর্বের দ্রুত উত্থানের মাধ্যমে; এসকল পর্বের বিভিন্ন বিচিত্র গঠনের বিবর্তনের মাধ্যমে; জটিল উদ্ভিদ প্রজাতির সৃষ্টি এবং উন্নতির মাধ্যমে; মাছের বিবর্তনের মাধ্যমে; কীট-পতঙ্গ এবং টেট্রাপডের সৃষ্টির মাধ্যমে এবং আধুনিক প্রাণীকুলের উন্নতির মাধ্যমে। আদিম ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগে স্থলে উদ্ভিদ জীবনের সূচনা হয়েছিল। এই সময়কালে, টেকটোনিক বল মহাদেশগুলিকে স্থানান্তরিত করেছিল এবং একক ভূখণ্ডে একীভূত করেছিল যা প্যানজিয়া (সর্বাপেক্ষা সাম্প্রতিক সুপারমহাদেশ) নামে পরিচিত যা পরবর্তীতে বর্তমান মহাদেশীয় ভূখণ্ডে পৃথক হয়ে যায়।",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
}
] | [
{
"docid": "637273#5",
"text": "ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৫৪১ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ৪৮৫ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের অন্তর্ভুক্ত প্যালিওজোয়িক মহাযুগের প্রথম যুগ ছিল। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ বিবর্তনের ক্ষেত্রে আকস্মিক বৃদ্ধির চিহ্ন রেখে গেসে যা ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ নামে পরিচিত এবং এই ঘটনায় পৃথিবীর ইতিহাসে কোন একটি যুগে সর্বোচ্চ সংখ্যায় জীব উদ্ভুত হয়। শৈবালের মত জীব সৃষ্টি হয় কিন্তু এই যুগে সর্বত্র বিস্তৃত প্রাণী ছিল ট্রাইলোবাইটের মত সৃষ্ট আর্থোপোড। প্রায় সকল সামুদ্রিক পর্বের প্রাণী এই যুগে সৃষ্টি হয়েছিল। এই সময় সুপারমহাদেশ প্যানোটিয়া ভাঙতে শুরু করে এবং যার বেশির ভাগ অংশ পরবর্তীতে গন্ডোয়ানা মহাদেশ সৃষ্টি করেছিল।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "639605#2",
"text": "প্রোটেরোজোয়িক-ফ্যানারোজোয়িক সীমানার অবস্থান হল ৫৪.১ কোটি বছর পূর্বে। ১৯ শতকে প্রথম সহজলভ্য প্রাণীর (মেটাজোয়ান) জীবাশ্ম আবিষ্কারের সময় থেকে সীমানা স্থাপিত হয়েছিল কিন্তু ১৯৫০ এর দশকে এইসব জীবাশ্মের পদ্ধতিগত গবেষণার মাধ্যমে আদিম প্রোটেরোজোয়িক মহাযুগের কয়েকশত শ্রেণীর (পর্ব) মেটাজোয়াকে শনাক্ত করা হয়েছিল। অধিকাংশ ভূতত্ত্ববিদ এবং জীবাশ্মবিদ প্রোটেরোজোয়িক-ফ্যানারোজোয়িক সীমানা স্থাপন করেছিল ক্লাসিক কোন বিন্দুতে যখন প্রথম ট্রাইলোবাইট এবং প্রাচীর সৃষ্টিকারী জীব (আরকিওসায়াথা) যথা প্রবাল ও অন্যান্য জীব সৃষ্টি হয়েছিল; যখন গর্তসৃষ্টিকারী জটিল শিকারী প্রাণী \"Treptichnus pedum\" সৃষ্টি হয়েছিল অথবা যখন প্রথম ক্ষুদ্র, পৃথক সাঁজোয়াযুক্ত প্রাণীর শ্রেণী সৃষ্টি হয়েছিল যা ‘ক্ষুদ্র খোলসযুক্ত প্রাণীকুল’ নামে পরিচিত। কয়েক মিলিয়ন বছরের ব্যবধানে একে অপরের মধ্যে তিনটি বিভক্তকারী বিন্দু রয়েছে।",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
},
{
"docid": "639605#28",
"text": "কোয়াটার্নারি যুগের ব্যাপ্তি পঁচিশ লক্ষ আশি হাজার বছর পূর্ব হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত এবং এটি [[ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের]] সর্বাপেক্ষা সংক্ষিপ্ত ভূতাত্ত্বিক যুগ। এই যুগের বৈশিষ্ট্য হল আধুনিক প্রাণীর উদ্ভব এবং জলবায়ুর নাটকীয় পরিবর্তন। এটা দুইটি উপযুগে বিভক্ত: প্লেইস্টোসিন এবং হলোসিন। \n[[File:Ice age fauna of northern Spain - Mauricio Antón.jpg|thumb|প্লেইস্টোসিন উপযুগের প্রাণীকুল ([[ম্যামথ]], [[গুহার সিংহ]], [[রোমশ গণ্ডার]], [[বল্গাহরিণ]], [[ঘোড়া]])]]",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
},
{
"docid": "637273#0",
"text": "প্যালিওজোয়িক (অথবা প্যালেওজোয়িক) মহাযুগ (; গ্রীক শব্দ palaios- প্যালিওস (παλαιός), “প্রাচীন” এবং zoe- জোয় (ζωή), “জীবন” থেকে এসেছে, অর্থ “প্রাচীন জীবন” ) এবং এটি ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের তিনটি ভূতাত্ত্বিক মহাযুগের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রারম্ভিক মহাযুগ। এটি ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ মহাযুগ যার ব্যাপ্তি ছিল ৫৪১ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ২৫১.৯০২ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি ছয়টি ভূতাত্ত্বিক যুগে বিভক্ত (প্রাচীনতম হতে নবীনতম): ক্যাম্ব্রিয়ান, অর্ডোভিশিয়ান, সিলুরিয়ান, ডেভোনিয়ান, কার্বনিফেরাস এবং পার্মিয়ান। প্যালিওজোয়িক মহাযুগ প্রোটেরোজোয়িক অধিযুগের নিওপ্রোটেরোজোয়িক মহাযুগের পরে আসে যেটা আবার মেসোজোয়িক মহাযুগের পরে আসে।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "639605#31",
"text": "[[File:Phanerozoic Biodiversity.svg|300px|thumb|ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগে, [[জীববৈচিত্র্য]] একঘেয়ে ছিল না বরং একদম শূণ্যের কাছাকাছি হতে কয়েক হাজার গণ পর্যন্ত জীববৈচিত্র্য সামাঞ্জস্যপূর্ণ বৃদ্ধি বজায় রাখে।]]\nএটা বলা যায় যে, ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগে জীববৈচিত্র্যের পরস্পরের সাথে সম্পর্ক [[এক্সপোনেনশিয়াল]] ও [[লজিস্টিক]] মডেলের (ঐতিহ্যগতভাবে [[পপুলেশন বায়োলজিতে]] ব্যবহৃত হত কিন্তু বিস্তরভাবে জীববৈচিত্র্যের [[জীবাশ্ম|জীবাশ্মে]] ব্যবহৃত হয়) তুলনায় [[অধিবৃত্তীয়]] মডেলের (ব্যাপকভাবে [[জনসংখ্যাতত্ত্ব]] ও [[ম্যাক্রোসোশিওলজিতে]] ব্যবহৃত হয়) মাধ্যমে বেশি ভালভাবে প্রদর্শিত হয়। পরবর্তী মডেলটি এটা প্রকাশ করে যে বৈচিত্র্যের পরিবর্তন প্রথম ক্রমের [[ধনাত্নক ফিডব্যাক]] (যত পূর্বপুরুষ, তত উত্তরপুরুষ) অথবা [[ঋণাত্নক ফিডব্যাক]] যা সম্পদের সীমাবদ্ধতা হতে উত্থিত হয় অথবা উভয়ের দ্বারা পরিচালিত হয়। অধিবৃত্তীয় মডেল দ্বিতীয় ক্রমের ধনাত্নক ফিডব্যাক প্রদর্শন করে। দ্বিতীয় ক্রমের ধনাত্নক ফিডব্যাক হতে [[জনসংখ্যা]] বৃদ্ধির অধিবৃত্তীয় প্যাটার্ন উত্থিত হয় এবং এটি জনসংখ্যার পরিমাণ ও প্রযুক্তিগত বৃদ্ধির হারের মিথস্ক্রিয়ার কারণে ঘটে। ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধির প্রকৃতি গোত্রের বৈচিত্র্য এবং গঠনের জটিলতার মধ্যবর্তী ফিডব্যাকের দ্বারা এককভাবে নির্নীত হতে পারে। এটা প্রস্তাব করা যে, জীববৈচিত্র্যের বক্ররেখাচিত্র ও মানব জনসংখ্যার সম্ভাব্য সাদৃশ্য উভয়ই বৃত্তাকার ও এলোমেলো গতিবিদ্যার অন্তর্গত অধিবৃত্তীয় গঠনের উপর উপরিপাতনের ফলে উদ্ভুত হয়। \n[[বিষয়শ্রেণী:ফ্যানারোজোয়িক|ফ্যানারোজোয়িক]]\n[[বিষয়শ্রেণী:ভূতাত্ত্বিক সময়]]\n[[বিষয়শ্রেণী:পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস]]",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
},
{
"docid": "639605#6",
"text": "অর্ডোভিশিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল হল ৪৮.৫ কোটি বছর পূর্ব হতে ৪৪ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত। অর্ডোভিশিয়ান পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটা সময় ছিল যখন আদিম মাছ, সেফালোপড (শামুক জাতীয় প্রাণী) এবং প্রবালের মত অনেক প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছিল যেগুলি বর্তমান সময়েও প্রভাব বিস্তার করছে। সবথেকে প্রচলিত গঠনের প্রাণীর মধ্যে ছিল ট্রাইলোবাইট, শামুক এবং খোলসযুক্ত মাছ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে বলা যায় শূণ্য গন্ডোয়ানা মহাদেশের উপকূলে বসবাস করার জন্যে প্রথম আর্থোপোডা পর্বের প্রাণীরা গিয়েছিল। অর্ডোভিশিয়ান যুগের শেষের দিকে গন্ডোয়ানা বিষুবরেখা হতে দক্ষিণ মেরুতে স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং লউরেনশিয়া বাল্টিকার সাথে সংঘর্ষ করেছিল যার ফলে ইয়াপিটাস মহাসাগর শুকিয়ে গিয়েছিল। গন্ডোয়ানার হিমবাহের ফলশ্রুতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ব্যাপকভাবে নেমে যায় এবং এর উপকূলে প্রতিষ্ঠিত প্রানীজগত ধ্বংস হয়ে যায়। হিমবাহের ফলে স্নোবল আর্থ সৃষ্টি হয় যা অর্ডোভিশিয়ান-সিলুরিয়ান বিলুপ্তির ঘটনা ঘটায় এবং এর ফলে ৬০% সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং ২৫% প্রাণীর গোত্র বিলুপ্ত হয়ে যায়। একে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ব্যাপক বিলুপ্তির ঘটনা এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী বিলুপ্তির ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
},
{
"docid": "634692#10",
"text": "কোয়াটার্নারি যুগের ব্যাপ্তি ২.৫৮ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত এবং এটি ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের সর্বাপেক্ষা সংক্ষিপ্ত ভূতাত্ত্বিক যুগ। এই যুগের বৈশিষ্ট্য হল আধুনিক প্রাণীর উদ্ভব এবং জলবায়ুর নাটকীয় পরিবর্তন। এটা দুইটি উপযুগে বিভক্ত: প্লেইস্টোসিন এবং হলোসিন। \nপ্লেইস্টোসিন উপযুগের ব্যাপ্তি ২.৫৮ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ১১৭০০ বছর পূর্ব পর্যন্ত। মধ্য ইওসিনে শুরু হওয়া প্রবণতার ফলস্বরূপ সৃষ্ট বরফ যুগ দ্বারা এই উপযুগটি চিহ্নিত হয়েছিল। পর্বতময় এলাকার ৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের দক্ষিণে অবস্থিত আগাম বরফ ক্যাপের দ্বারা কমপক্ষে ৪টি পৃথক গ্লাসিয়াসন যুগ চিহ্নিত হয়েছে। ইতিমধ্যে আফ্রিকা ব্যাপক শুষ্কপ্রবণতার মুখোমুখি হয় যার ফলশ্রুতিতে সাহারা, নামিব এবং কালাহারি মরুভূমির সৃষ্টি হয়। অনেক প্রাণী সৃষ্টি হয় এবং এদের মধ্যে ম্যামথ, দৈত্যাকার স্থলজ স্লথ, ভয়ানক নেকড়ে, বাঁকা দন্তযুক্ত বিড়াল এবং বিখ্যাত \"Homo sapiens\" অন্তর্ভুক্ত ছিল। আফ্রিকার অন্যতম ভয়াবহ খরার সমাপ্তি চিহ্নিত হয় ১০০০০ বছর পূর্বে এবং এর ফলে আদিম মানব প্রজাতির ঘটা শুরু হয়। যখন প্লেইস্টোসিন উপযুগের সমাপ্তি ঘটে তখন নিয়ানডারথালস এর মত কিছু হোমিনিড প্রজাতিসহ পৃথিবীর প্রাণিজগতের ব্যাপক বিলুপ্তি ঘটে। সকল মহাদেশই আক্রান্ত হয়েছিল কিন্তু আফ্রিকা অল্প পরিমাণে আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও এটা জলহস্তির মত কিছু বড় আকারের প্রাণীদের বসবাস বজায় রেখেছিল।",
"title": "সিনোজোয়িক"
},
{
"docid": "374295#0",
"text": "প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান বলতে পৃথিবীর ইতিহাসে সাম্প্রতিক ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের আগেকার দীর্ঘস্থায়ী একটি কাল কে বোঝায়, যা ভূতাত্ত্বিক সময় অনুসারে নিজস্ব একাধিক অধিযুগে বিভক্ত। আজ থেকে প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্মের মাধ্যমে প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান কালের আরম্ভ, এবং প্রায় ৫২ কোটি বছর আগে প্রথম খোলকবিশিষ্ট বহুকোষী প্রাণীদের আবির্ভাব ও ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ তথা ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের সূচনার মাধ্যমে এর সমাপ্তি। প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ানকে প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান বলা হয় কারণ এই কাল এসেছিল ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের আগে, আর ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের এহেন নামকরণের কারণ এই সময়কার পাথর প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ওয়েল্স্ থেকে, আর ওয়েলসের ধ্রুপদী নাম ক্যাম্ব্রিয়া। পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত পেরিয়ে আসা মোট সময়ের প্রায় ৮৮% জুড়ে আছে প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান।",
"title": "প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান"
},
{
"docid": "637273#13",
"text": "আদিম ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের জলবায়ু সহনীয় ছিল, কিন্তু ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধির কারণে ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের শেষের দিকে জলবায়ু উষ্ণ হতে থাকে। কিন্তু এই প্রবণতা বজায় রাখার জন্যে গন্ডোয়ানা দক্ষিণে সরে যায় যাতে অর্ডোভিশিয়ান যুগে পশ্চিম গন্ডোয়ানার (আফ্রিকা এবং উত্তর আমেরিকা) বেশির ভাগ অংশই দক্ষিণ মেরুতে অবস্থান করতে পারে। আদিম পালিওজোয়িক জলবায়ু দৃঢ়ভাবে অঞ্চলভিত্তিক ছিল এবং এর ফলস্বরূপ বলা যায় \"জলবায়ু\" উষ্ণ হচ্ছিল কিন্তু ঐ সময়ে অধিকাংশ জীবের বসবাসের জায়গা - মহাদেশীয় নিজস্ব সামুদ্রিক পরিবেশ দ্বারা ধীরে ধীরে শীতল হতে থাকে। যদিও বাল্টিকা (উত্তর ইউরোপ এবং রাশিয়া) এবং লউরেনশিয়া (পূর্ব উত্তর আমেরিকা এবং গ্রিনল্যান্ড) গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থান করছিল, তবুও চীন এবং অস্ট্রেলিয়া পানি দ্বারা বেষ্টিত ছিল এবং কিছুটা নাতিশীতোষ্ণ ছিল। আকস্মিক এবং সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যাপক মারাত্নক অন্ত্য অর্ডোভিশিয়ান বরফযুগের দ্বারা আদিম পালিওজোয়িকের সমাপ্তি ঘটে। এই শীতল অবস্থা ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগে দ্বিতীয় বৃহত্তর এবং ব্যাপক বিলুপ্তির ঘটনা ঘটায়। সময়ের সাথে সাথে পালিওজোয়িক মহাযুগে উষ্ণ আবহাওয়ার স্থানান্তর ঘটে।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
}
] |
সর্বপ্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ? | [
{
"docid": "14608#0",
"text": "১৯৩০ ফিফা বিশ্বকাপ ছিল প্রথম অনুষ্ঠিত কোন ফুটবল বিশ্বকাপ। জুলাই ১৩ থেকে জুলাই ৩০ পর্যন্ত এটি উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়। ফিফা ১৯২৯ সালের বার্সেলোনা সেমিনারে উরুগুয়েকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয় কেননা সেবছর উরুগুয়ের স্বাধীনতার শতবর্ষে পা দিয়েছিল এবং উরুগুয়ে ফুটবল দল সফল ভাবে ১৯২৮ গ্রীষ্ম অলিম্পিকে ফুটবল শিরোপা জিতেছিল।",
"title": "১৯৩০ ফিফা বিশ্বকাপ"
}
] | [
{
"docid": "295572#0",
"text": "১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপ () সুইডেনে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ৬ষ্ঠ আসর যা ১৯৫৮ সালের ৮ থেকে ২৯ জুন তারিখ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা আকারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চূড়ান্ত খেলায় স্বাগতিক সুইডেনকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে পরাভূত করে ব্রাজিল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ বিজয়ী হয়।",
"title": "১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "295533#0",
"text": "ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ () বিশ্বের ছয়টি মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা থেকে শিরোপাধারী ক্লাবগুলোর ফুটবল প্রতিযোগিতাবিশেষ। জানুয়ারি, ২০০০ সালে প্রথম ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুই মহাদেশ নিয়ে ১৯৬০ সালে বার্ষিকাকারে প্রবর্তিত ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের আদলে এ প্রতিযোগিতার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। নতুন এ প্রতিযোগিতা প্রবর্তনের পূর্ব পর্যন্ত ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপাধারী দলগুলো বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা পেয়েছে। ২০০৫ সালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের স্থলাভিষিক্ত হয় এবং☂২০০৬ সাল থেকে এটি বর্তমান নামে অদ্যাবধি প্রচলিত রয়েছে।",
"title": "ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "5216#5",
"text": "বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা হয়েছিল ১৮৭২ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে। প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল ১৮৮৪ সালে শুরু হওয়া ব্রিটিশ হোম চ্যাম্পিয়নশিপ। এ সময়ে গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের বাইরে ফুটবল খেলা বলতে গেলে অনুষ্ঠিতই হত না। সেই শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এটিকে ১৯০০, ১৯০৪ ও ১৯০৬ সালের অলিম্পিকে প্রদর্শনী খেলা হিসেবে রাখা হয় তবে এর জন্য কোন পুরস্কার বরাদ্দ ছিল না। ১৯০৮ সালের অলিম্পিকে ফুটবল প্রথম আনুষ্ঠানিক খেলার মর্যাদা পায়। এফএ’র পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রতিযোগিতা ছিল অপেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য এবং এটিকে প্রতিযোগিতার চেয়ে প্রদর্শনী হিসেবেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হত। ১৯০৮ ও ১৯১২ দু’টি অলিম্পিকেই গ্রেট ব্রিটেন (যাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিল ইংল্যান্ড জাতীয় অপেশাদার ফুটবল দল) জয়লাভ করে।",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "111227#1",
"text": "১৯৩০ সালে ফ্রান্স প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয়। সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ছিলো অংশ নেওয়া চারটি ইউরোপীয় দলের একটি। ১৯৯৮ সালে দলটি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে। সেবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশও ছিলো ফ্রান্স। ফাইনালে তারা ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড হচ্ছে ইউরোপে একবার করে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করা দল। এছাড়া ফ্রান্স দুইবার উয়েফা ইউরোপীয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছেন। প্রথমটি ছিলো ১৯৮৪ সালে। সেবার ব্যলন ডি’অর জেতা ফরাসি ফুটবলার মিশেল প্লাতিনি ফ্রান্সের এই জয়ে ভূমিকা রাখেন। আর এর পরেরটি ফ্রান্স জেতে তিনবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া জিনেদিন জিদানের নৈপুণ্যে। পরবর্তীতে ফ্রান্স ফিফা কনফেডারেশন্স কাপও জয়লাভ করে। এর ফলে ফ্রান্স দ্বিতীয় দল হিসেবে ফিফা আয়োজিত তিনটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল প্রতিযোগীতার শিরোপা অর্জনকারী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই তিনটি প্রতিযোগিতা হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ, ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ, ও গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবল। ফ্রান্স ছাড়া আরে যে দলটি এই তিনটি শিরোপা জয় করার গৌরব অর্জন করেছে, সেটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা।",
"title": "ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "5216#8",
"text": "১৯১৪ সালে, ফিফা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত ফুটবল প্রতিযোগিতাকে \"অপেশাদার বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ\" হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয় এবং এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এর ফলে ১৯২০ সালের গ্রীষ্ম অলিম্পিকে বিশ্বের প্রথম আন্তমহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় মিশর (প্রথম খেলায় নকড আউট হয়) ও তেরটি ইউরোপীয়ান দল। এতে বেলজিয়াম স্বর্ণপদক জিতে নেয়। উরুগুয়ে ১৯২৪ ও ১৯২৮ সালের অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ লাভ করে। ১৯২৮ সালে ফিফা অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে নিজস্ব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৩০ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পা দেয়া দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে (১৯২৪ সাল থেকে ফিফার পেশাদার যুগ শুরু করে) ফিফা তাদের ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করে।",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "656331#0",
"text": "আর্জেন্টিনা বনাম ইংল্যান্ড ১৯৮৬ সালের ২২শে জুন মেক্সিকো শহরের এস্তাদিও আসতেকা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড-এর জাতীয় ফুটবল দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। খেলাটি আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সংঘটিত ফকল্যান্ড যুদ্ধের চার বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ম্যাচটি আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড ফুটবল দ্বৈরথে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। এটি এমন এক ম্যাচ ছিল যে ম্যাচে ফুটবল ইতিহাসের দুটি বিখ্যাত গোল হয়েছিল; দুটি গোলই করেছিলেন দিয়েগো মারাদোনা।",
"title": "আর্জেন্টিনা বনাম ইংল্যান্ড (১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপ)"
},
{
"docid": "360554#0",
"text": "১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপ ১৭ জুন থেকে ১৭ জুলাই, ১৯৯৪ তারিখ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হয়। ফিফা বিশ্বকাপের এ আসরটি ছিল ১৫তম। ৪ জুলাই, ১৯৮৮ তারিখে বিশ্ব ফুটবলের প্রধান পরিচালনাকারী সংস্থা ফিফা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগতিক দেশের মর্যাদা দেয়। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় ইতালিকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে পরাজিত করে ব্রাজিল দল প্রথম দেশ হিসেবে চারটি বিশ্বকাপের শিরোপা লাভ করে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম অতিরিক্ত সময়ে ০-০ গোলে ড্র থাকায় ৩-২ ব্যবধানে শিরোপা নির্ধারণ করা হয়। মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি আল গোর ব্রাজিল [[অধিনায়ক (ফুটবল)|অধিনায়ক [[দুঙ্গা|দুঙ্গা’র]] হাতে মর্যাদাপূর্ণ ট্রফি তুলে দেন। ব্রাজিল দল শিরোপাটি আড়াই মাস পূর্বে প্রয়াত [[ফর্মুলা ওয়ান]] চ্যাম্পিয়ন [[এয়ার্তো সেনা|এয়ার্তো সেনাকে]] উৎসর্গ করে। বুলগেরিয়ার স্টইচকভ ও রাশিয়ার সালেঙ্কোকে যৌথভাবে ৬ গোল করায় [[ফিফা বিশ্বকাপ পুরস্কার|গোল্ডেন বুট]] পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় [[রোমারিও|রোমারিওকে]] ৫ গোল করায় [[ফিফা বিশ্বকাপ পুরস্কার#গোল্ডেন বল|গোল্ডেন বল]] উপহার দেয়া হয়।",
"title": "১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "363292#0",
"text": "১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ () হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ষোড়শতম আসর। ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে বিশ্বের প্রধান ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ১০ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্বকাপের এই আসরটির আয়োজক দেশ হচ্ছে ফ্রান্স। ১৯৯৬ সালের মার্চ মাস থেকে এই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য ৩২টি দল নির্বাচনের লক্ষ্যে ফিফার বাছাইপর্ব শুরু হয় যা ১৯৯৭ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হয়। এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২৪টি থেকে বাড়িয়ে ৩২ দলে পরিণত করা হয়। এই বিশ্বকাপে মোট ১০টি স্টেডিয়ামে ৬৪টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।",
"title": "১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "14608#3",
"text": "১৯১৪ সালে , ফিফা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ফুটবলকে \"অপেশাদার বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ\" হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয় এবং এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এর ফলে ১৯২০ সালের গ্রীষ্ম অলিম্পিকে বিশ্বের প্রথম আন্তমহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় মিশর ( প্রথম খেলায় নকড আউট হয়) ও তেরটি ইউরোপীয়ান দল। এতে স্বর্ণ জিতে বেলজিয়াম। উরুগুয়ে ১৯২৪ ও ১৯২৮ সালের অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ লাভ করে। ১৯২৮ সালে অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে নিজস্ব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৩০ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পা দেয়া দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে (১৯২৪ সাল থেকে ফিফা পেশাদার খেলা শুরু করে) ফিফা তাদের ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করে।",
"title": "১৯৩০ ফিফা বিশ্বকাপ"
}
] |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কত সালে হয়েছিল ? | [
{
"docid": "713832#1",
"text": "১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর হিটলারের নাজি জার্মানি উদ্ভাবিত ‘ব্লিজক্রিগ’ নামক এক অভূতপূর্ব রণকৌশলে পোল্যান্ড জয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর সারা বিশ্ব অক্ষশক্তি বনাম মিত্রবাহিনীতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় আর ক্রমশ এ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। যুদ্ধ চলতে থাকে জলে, স্থলে, সাগরে এবং সমুদ্রতলদেশেও। রোমহর্ষক আর রক্তক্ষয়ী সব যুদ্ধে ইতিহাসের পাতা ভারী হতে থাকে।",
"title": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (বই)"
},
{
"docid": "6317#0",
"text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ () মানবসভ্যতার ইতিহাসে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। এই মহাসমরকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ বলে ধরা হয়, যাতে ৩০টি দেশের সব মিলিয়ে ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ খুব দ্রুত একটি সামগ্রিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং সামরিক ও বেসামরিক সম্পদের মধ্যে কোনরকম পার্থক্য না করে তাদের পূর্ণ অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করে। এছাড়া বেসামরিক জনগণের উপর চালানো নির্বিচার গণহত্যা, হলোকস্ট (হিটলার কর্তৃক ইহুদীদের উপর চালানো গণহত্যা), পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ প্রভৃতি ঘটনায় কুখ্যাত এই যুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এসব পরিসংখ্যান এটাই প্রমাণ করে যে এটাই পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম যুদ্ধ।",
"title": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ"
},
{
"docid": "632390#16",
"text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ডে রাশিয়ান এবং জার্মান সেনাবাহিনীর আক্রমণের সাথে। ব্রিটিশ আমল থেকে পোল্যান্ডে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নেতৃত্বে জার্মানির যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট বিইএফ পাঠানো হয়েছিল এবং ১৯৪০ সালের মে মাসে ডানকির্ক থেকে দ্রুতগতিতে জার্মান বাহিনী নিম্ন দেশ এবং ফ্রান্স জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।",
"title": "ব্রিটিশ সেনাবাহিনী"
},
{
"docid": "13517#1",
"text": "১৯৩৯ সালের আগস্ট মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে স্তালিন জার্মানির একনায়ক হিটলারের সাথে একটি আগ্রাসন-বিরোধী সন্ধিচুক্তিতে সই করেন, যাতে দুই পক্ষ একে অপরকে আক্রমণ না করার শপথ নেয় এবং জার্মান ও সোভিয়েত প্রভাব বলয়ের অন্তর্বর্তী অঞ্চলগুলি একে অপরের মধ্যে ভাগ করে নিতে সম্মত হয়। কিন্তু হিটলার চুক্তি ভঙ্গ করেন এবং ১৯৪১ সালের জুন মাসে জার্মান সেনাবাহিনী সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে। যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েতদের সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং জার্মানদের বিরুদ্ধে এই তিন মিত্রশক্তি মিলে একটি কোয়ালিশন গঠন করে। কিন্তু এই কোয়ালিশনের মিত্রদের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ ও অবিশ্বাসের অভাব ছিল না। সোভিয়েত পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে তিন শক্তির মধ্যে সোভিয়েতরাই সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছে। ১৯৪৪ সালে জার্মানদের পরাজয় যখন অবধারিত, তখন যুদ্ধ-পরবর্তীকালে এই কোয়ালিশনের সদস্যদের সম্পর্ক কেমন হবে তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে।",
"title": "স্নায়ুযুদ্ধের উৎস"
}
] | [
{
"docid": "713832#0",
"text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১ম খন্ড) ডেল এইচ খান সম্পাদিত যুদ্ধ বিষয়ক সংকলন বই যা নালন্দা প্রকাশনী থেকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়। বইটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধা আর প্রত্যক্ষদর্শীদের লেখা সত্য ঘটনার অনুবাদ, অনুবাদের সাথে প্রাসঙ্গিক ঐতিহাসিক ছবি ও সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভিত্তিতে রচিত পাদটীকা দিয়ে মোট দুই খন্ডে সাজানো হয়েছে।",
"title": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (বই)"
},
{
"docid": "7601#0",
"text": "প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (WWI বা WW1), এছাড়াও বিশ্বযুদ্ধ-১, বা গ্রেট ওয়ার হিসাবে পরিচিত, একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ যা ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই ইউরোপে শুরু হয় এবং ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ৬০ মিলিয়ন ইউরোপীয়সহ আরো ৭০ মিলিয়ন সামরিক বাহিনীর সদস্য ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম এই যুদ্ধে একত্রিত হয়। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের একটি এবং এর ফলে পরবর্তী সময়ে এর সাথে যুক্ত দেশগুলোর রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন হয়। অনেক দেশে এটা বিপ্লবেরও সূচনা করে।",
"title": "প্রথম বিশ্বযুদ্ধ"
},
{
"docid": "246894#5",
"text": "কল অফ ডিউটিঃ ওয়ার্ল্ড এ্যাট ওয়ার সিরিজের পঞ্চম গেম। গেমটির নির্মাতা ট্রেয়ার্ক এবং প্রকাশক অ্যাকটিভিশন। \"কল অফ ডিউটিঃ ওয়ার্ল্ড এ্যাট ওয়ার\"-এর মাধ্যমে কল অফ ডিউটি সিরিজ পুনরায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অনুপ্রবেশ করে। গেমটি ৯ই জুন, ২০০৮ সালে মুক্তি পায়। গেমটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাপানের পেলিলিউ, রাশিয়া, জার্মানি ইত্যাদি অঞ্চলের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থা তুলে ধরে। গেমটি বাজারে মোটামুটি সাফল্য অর্জন করে। পূর্বের পর্বে অর্থাৎ \"কল অফ ডিউটিঃ মডার্ন ওয়ারফেয়ার\"-এর সফলতাকে সদ্ব্যবহার না করার জন্য \"কল অফ ডিউটিঃ ওয়ার্ল্ড এ্যাট ওয়ার\"-কে গেইম বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন বিদ্ধ করে। \"কল অফ ডিউটিঃওয়ার্ল্ড এ্যাট ওয়ার\" পিসি, উইই, এক্সবক্স ৩৬০ কোনসোলস এবং নিনটেন্ডো ডিএস হ্যান্ডহোল্ড করা হয় ১১ই নভেম্বর, ২০০৮ সালে উত্তর আমেরিকাতে এবং ইউরোপে ১৪ই নভেম্বর, ২০০৮ সালে। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত কল অফ ডিউটিঃ ওয়ার্ল্ড এ্যাট ওয়ারের ১১ মিলিয়ন কপি বিক্রয় হয়েছে।",
"title": "কল অব ডিউটি (সিরিজ)"
},
{
"docid": "8378#63",
"text": "বিশ্বযুদ্ধের কারণে মোট তিনটি অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা সম্ভব হয় নি এগুলো হল ১৯১৬, ১৯৪০ এবং ১৯৪৪। ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪০ ও ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অলিম্পিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। ২০০৮ সালে বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনের দিনে রাশিয়া ও জর্জিয়ার যুদ্ধ শুরু হলেও অলিম্পিক অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকে। উল্লেখ্য, যে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ উপস্থিত ছিলেন এবং চীনা প্রধানমন্ত্রী হু জিন্তাও এর সভাপতিত্বে মধ্যান্যভোজে এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।",
"title": "অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা"
},
{
"docid": "246640#1",
"text": "প্রলয়কারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় ১৯৪৫ সালে। বিশ্বযুদ্ধ অবসানের সঙ্গে সঙ্গে পাক-ভারত উপমহাদেশে শুরু হয় এক নতুন সংগ্রাম। সে সংগ্রাম পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো সংগ্রাম- সে দাবী দেশের আজাদীর, মানুষের বেঁচে থাকবার। সে সংগ্রাম যখন দেশের প্রতি গ্রামে, প্রতিটি গৃহে ছড়িয়ে পড়ে সেই ১৯৪৭ সালে এই গল্পের শুরু- পূর্ব বাংলার অসংখ্য গ্রামের মাঝে একটি গ্রাম কাপাশ তলিতে। সে গ্রামের পরোপকারী জমিদার বিপত্নীক খান বাহাদুর আব্দুল আজিজ আজ মৃত্যুশয্যায়। জমিদার মৃত্যুকালে জমিদারীসহ তার একমাত্র মেয়ে শাহানাকে তুলে দেন ছোট ভাইয়ের হাতে। শাহানাও তার বাবার মতো পরোপকারী। গ্রামের সংগ্রামী বীর সন্তান হারুনের সাথে ভাললাগা থেকে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওরা দুজনে মিলে সবসময় যে কোন সংকটে গ্রাম ও গ্রামের মানুষের পাশে থাকতে চায়। বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামে পানি প্রবেশ করতে থাকে। হারুন গ্রামের সবাইকে একত্রিত করে নতুন বাঁধ দিতে চাইলে- শাহানার চাচা জমিদার ও তার খাস চামচা কানুলাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে বাঁধের কাজে বাধা দেয়।",
"title": "এ দেশ তোমার আমার"
},
{
"docid": "35420#0",
"text": "১০ই মে ১৯৪০ একসাথে চারটি দেশ [ফ্রান্স,বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ড,লুক্সেমবার্গ]আক্রমণ করে ভুয়া যুদ্ধের ইতি টানল জার্মানী ।\nঐদিন জার্মান প্যারাশ্যুটিস্টরা নেদারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি দখল করে নিল । একই দিনে বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষার কেন্দ্র এবেন এমেল দুর্গ ও আলবার্ট খালের সেতুর ওপর অবতরন করলো গ্লাইডাররা [যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম ]। ফরাসিরা ভেবেছিল আক্রমণ আসবে ফ্রান্স জার্মানী সীমান্তের রণরেখা ম্যাগিনোট লাইনের ওপর ।অথবা বেলজিয়ামের ভিতর দিয়ে আমুর হয়ে।তারা ভেবেছিল জার্মানীর প্যানজার বাহিনী আরদেনের জঙ্গল ভেদ করে আসতে পারবে না ।\n১৪ই মে নেদারল্যান্ডের পতন ঘটলো ।রাণী উইলহেলমিনা লন্ডনে নির্বাসিত সরকারের দপ্তর বসালেন ।\nবেলজিয়ামের রণরেখা পীল লাইনের পতন হবার পর মিত্রবাহিনী্ অ্যান্টওয়ার্প নামুর লাইনে থেকে লড়ছিল কিন্ত ১৪ই মে আরদেন থেকে জার্মান বাহিনী বেরিয়ে এসে প্রবল বেগে এগোতে থাকায় তাদের ফ্রান্সে ডেকে নেয়া হলো ।\nফ্রান্সে দিশেহারা মিত্র সেনাদের দুভাগ করে ঘিরে ফেলল শত্রু ।একদল আটকা পড়ল ডানকার্কে ।ইওরোপ থেকে ফরাসি ও BEF [british expiditionary force] সেনা প্রত্যাহারের একমাত্র বন্দর তখন ডানকার্ক ।জার্মানরা পৌছাঁবার আগে তড়িঘড়ি পশ্চাদপসরণ শুরু হলো ।২৬শে মে থেকে ৪ঠা জুন ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর ছত্রছায়ায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইতিহাসের বৃহত্তম সেনা অপসারণের কাজ শেষ হলো ।তবে ফেলে আসতে হলো বেশীরভাগ যন্ত্রাদি ।এরমাঝে ২৭শে মে বেলজিয়ামের পতন হলো ।\n৫ই জুন জার্মানী somme থেকে নতুন করে আক্রমণ শুরু করল । ৯ই জুন aisne এর পতন ঘটল । মাগিনোট রেখা ফেলে রেখে তারা সুইস সীমান্তের দিকে চলে গেল ।\n১০ই জুন ইতালিও যুদ্ধ ঘোষণা করল ।তবে তারা আক্রমণ শুরু করে ২০শে জুন থেকে ।\nফরাসি সরকার প্রথমে তুর ও পরে বোর্দোতে সরে গেল ।\n১৪ই জুন প্যারিসের পতন ঘটল ।\n১৬ই জুন প্রধানমণ্ত্রী রেনো পদত্যাগ করলেন ও তার বদলে এলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নায়ক পেত্যাঁ ।\n২২শে জুন জার্মান-ফরাসি এবং ২৪শে জুন জার্মান-ইতালীয় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।\nএদিকে শার্ল দো গল লন্ডন থেকে ফরাসিদের প্রতি প্রতিরোধের আবেদন জানাতে থাকেন ।অল্প কিছু ফরাসি উপনিবেশ তাতে যোগদান করে ।\nফ্রান্সের বেশিরভাগ এলাকা জার্মানী নিয়ে নেয় ।অল্প কিছু জায়গা জুড়ে পেঁত্যা একটি নিরপেক্ষ কিন্তু জার্মানীর প্রভাবাধীন সরকার গঠন করেন ।এটি ভিশি ফ্রান্স নামে পরিচিত হয় ।\nফরাসি নৌ ও বিমান বাহিনীর হাতবদল না হলেও তাদের নিরপেক্ষ রাখা হয় ।\nকিন্তু ফরাসি নৌ বহর একসময় জার্মানীর হাতে চলে যেতে পারে এই আশঙ্কায় ৩রা জুলাই ব্রিটেন নামমাত্র বাধায় ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রাধহীন বন্দরে থাকা জাহাজগুলি দখল করে নিল ।তবে আলজেরীয় বন্দরের জাহাজগুলি বাধা দিল ও গোলাগুলি হলো ।ফলে পরদিন পেত্যাঁর সরকার ব্রিটেনের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করল ।",
"title": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ফ্রান্সের সামরিক ইতিহাস"
}
] |
বাংলার পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ? | [
{
"docid": "4720#5",
"text": "শশাঙ্কের রাজ্যের পতনের পর বাংলা অঞ্চলে নৈরাজ্য দেখা দেয়। এই সময় এই অঞ্চলে কোনও কেন্দ্রীয় শাসক ছিলেন না। ক্ষুদ্র গোষ্ঠীপতিরা নিরন্তর নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। সমসাময়িক গ্রন্থে এই অবস্থাটিকে ‘মাৎস্যন্যায়’ (অর্থাৎ বড়ো মাছ যেমন ছোটো মাছকে খেয়ে ফেলে, সেই রকম অবস্থা) বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই সময়েই গোপাল প্রথম পাল রাজা হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন। খালিমপুর তাম্রলিপি থেকে অনুমিত হয়, বাংলা অঞ্চলের ‘প্রকৃতি’ (জনসাধারণ) তাঁকে রাজা নির্বাচিত করেছিল। প্রায় ৮০০ বছর পরে তারানাথও লিখেছেন যে, বাংলার জনসাধারণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁকে নির্বাচিত করেছিল। যদিও এই ঘটনাটি কিংবদন্তির আকারে প্রচলিত এবং ঐতিহাসিকভাবে নির্ভরযোগ্য তথ্য নয়। এই কিংবদন্তি অনুসারে, নৈরাজ্যের এক যুগের পর জনসাধারণ পরপর একাধিক রাজাকে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সকলকেই নির্বাচনের পরের রাতেই এক নাগ রানি ভক্ষণ করেন। গোপাল সেই নাগ রানিকে হত্যা করতে সমর্থ হন এবং সিংহাসনে আসীন থাকতে সমর্থ হন। ঐতিহাসিক প্রমাণ নির্দেশ করে যে, গোপাল প্রত্যক্ষভাবে জনসাধারণ কর্তৃক নির্বাচিত হননি। একদল সামন্ত গোষ্ঠীপতি তাঁকে নির্বাচিত করেন। এই ধরনের নির্বাচন বাংলা অঞ্চলের সমসাময়িক সমাজে খুবই সাধারণ ঘটনা ছিল।",
"title": "পাল সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "63731#9",
"text": "মাৎস্যন্যায়ের সময় বাংলার বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য বাংলার মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে গোপাল নামক এক সামন্তরাজাকে বাংলার রাজা হিসেবে গ্রহন করেন ।গোপালই হলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ।পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন [[ধর্মপাল]] (রাজত্বকাল ৭৭৫-৮১০ খ্রীষ্টাব্দ) এবং [[দেবপাল]] (রাজত্বকাল ৮১০-৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ) । পাল বংশের স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ৪০০ বছর।পাল বংশের অন্য উল্ল্যেখ যোগ্য রাজা ছিলেন নারায়ণপাল ৮৬০-৯১৫ , মহীপাল ৯৭৮-১০৩০, রামপাল। এই আমলে শিল্প কলায় বাংলা শিখরে উঠে । কিন্তু এই সময় বহু ব্রহ্মণ বৌদ্ধ অত্যাচারে বাংলা ত্যাগ করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে চলে যায় ।",
"title": "বাংলার ইতিহাস"
},
{
"docid": "247486#0",
"text": "গোপাল (জন্ম: - ৭৭০ মৃত্যু) ছিলেন বাংলার পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ৭৫০ থেকে ৭৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। পাল রাজাদের নামের শেষে \"পাল\" শব্দাংশটির অর্থ \"রক্ষাকর্তা\"। তাঁদের সঠিক জাতি-পরিচয় জানা যায় নি।",
"title": "প্রথম গোপাল"
}
] | [
{
"docid": "657128#5",
"text": "সেন রাজবংশ কিঞ্চিদধিক একশ বছর (১০৯৭-১২২৫ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলা শাসন করে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে একাদশ শতাব্দীর অন্তিমলগ্নে পাল রাজবংশের অবসান ঘটিয়ে সেনদের উত্থান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ অধ্যায়। বাংলার পাল রাজবংশের রাজা দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে বারেন্দ্র 'সামন্তচক্রের' বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেন পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করেন এবং অবশেষে বাংলার পাল রাজবংশের রাজা মদনপালের রাজত্বকালে স্বাধীন সত্ত্বার বিকাশ ঘটান। বাংলায় সেন শাসনের বিশেষ তাৎপর্য এই যে, সেনগণই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলার ওপর তাদের নিরঙ্কুশ শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বাংলার সেন বংশীয় রাজাদের মধ্যে বিজয় সেন, বল্লাল সেন, ও লক্ষ্মণ সেন বিশিষ্ট স্থান অধিকার করছেন।",
"title": "বৈদ্য"
},
{
"docid": "5526#0",
"text": "সেন রাজবংশ কিঞ্চিদধিক একশ বছর (১০৯৭-১২২৫ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলা শাসন করে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে একাদশ শতাব্দীর অন্তিমলগ্নে পাল রাজবংশের অবসান ঘটিয়ে সেনদের উত্থান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ অধ্যায়। বাংলার পাল রাজবংশের রাজা দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে বারেন্দ্র 'সামন্তচক্রের' বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেন পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করেন এবং অবশেষে বাংলার পাল রাজবংশের রাজা মদনপালের রাজত্বকালে স্বাধীন সত্ত্বার বিকাশ ঘটান। বাংলায় সেন শাসনের বিশেষ তাৎপর্য এই যে, সেনগণই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলার ওপর তাদের নিরঙ্কুশ শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বাংলার সেন বংশীয় রাজাদের মধ্যে বিজয় সেন, বল্লাল সেন, ও লক্ষ্মণ সেন বিশিষ্ট স্থান অধিকার করছেন।",
"title": "সেন রাজবংশ"
},
{
"docid": "313618#1",
"text": "ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ ছিলেন স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই বাংলার সার্বভৌম ‘সুলতান’। তাঁর রাজধানী ছিল ঢাকার অদূরস্থ ঐতিহাসিক নগর সোনারগাঁয়ে। বাংলার প্রশাসনে এমন এক সময়ে এই যুগসৃষ্টিকারী পরিবর্তন সূচিত হয় যখন নব্য মামলুক শাসনের অবসানের পর সমগ্র বাংলা দিল্লির তুগলক সুলতানের করায়ত্ত ছিল।",
"title": "ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ"
},
{
"docid": "42898#5",
"text": "মৌর্য সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে উঠেছিল। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এই সাম্রাজ্য অশোকের রাজত্বকালে দক্ষিণ এশিয়া, পারস্য, আফগানিস্তান অবধি বিস্তার লাভ করেছিল। পরবর্তীকালে শক্তিশালী গুপ্ত সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে ওঠে যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশে এবং পারস্য এবং আফগানিস্তানের কিছু অংশে বিস্তার লাভ করেছিল। বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক যিনি ৬০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে রাজত্ব করেছিলেন।\nপ্রথম বৌদ্ধ পাল রাজা প্রথম গোপাল ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গৌড়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন ধর্মপাল (রাজত্বকাল ৭৭৫-৮১০ খ্রিস্টাব্দ) এবং দেবপাল (রাজত্বকাল ৮১০-৮৫০ খ্রিস্টাব্দ)।",
"title": "বঙ্গ"
},
{
"docid": "19211#5",
"text": "আদিমল্ল ছিলেন মল্ল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। এই রাজবংশের সূচনা সম্পর্কে একটি কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর ভারতের এক রাজপুত্র পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তীর্থ করতে যাচ্ছিলেন। তিনি কোতুলপুর থেকে ৮.৪ কিলোমিটার (৫.২ মাইল) দূরে লাউগ্রামের গভীর অরণ্যে তাঁবু ফেলেন। সেখানেই তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে এক ব্রাহ্মণের তত্ত্বাবধানে রেখে যান। রাজার স্ত্রী এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন এবং তাঁরা লাউগ্রামেই থেকে যান। সাত বছর বয়সে ছেলেটি রাখালের কাজ শুরু করে। তবে অল্প বয়স থেকে তার মধ্যে নেতাসুলভ ভাব লক্ষিত হতে দেখা যায়। সে যোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষিত হয়। মাত্র পনেরো বছর বয়সেই সে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মল্লযোদ্ধা হয়ে ওঠে। এই কারণে সে \"আদিমল্ল\" (আদি বা অদ্বিতীয় মল্লযোদ্ধা) নামে পরিচিত হয়। বড়ো হয়ে আদিমল্ল লাউগ্রাম থেকে ১২.৮ কিলোমিটার (৮ মাইল) দূরে অবস্থিত জয়পুরের নিকটস্থ পদমপুরের রাজার কাছ থেকে লাউগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের আধিপত্য অর্জন করেন। এই কাহিনির সত্যতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলেও, বিষ্ণুপুরের রাজাদের সঙ্গে ক্ষত্রিয় বংশের সংযোগ নিয়ে এই রকম একাধিক কাহিনি মল্লভূমে প্রচলিত ছিল। আদিমল্ল ৩৩ বছর লাউগ্রাম শাসন করেন এবং বাগদি রাজা নামে অভিহিত হন। তাঁর পুত্র জয়মল্ল রাজা হয়ে পদমপুর আক্রমণ করে দুর্গ অধিকার করেন। জয়মল্ল তাঁর রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটিয়ে বিষ্ণুপুরে রাজধানী সরিয়ে আনেন। পরবর্তী রাজারাও রাজ্যবিস্তারে মন দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন চতুর্থ রাজা কালুমল্ল, ষষ্ঠ রাজা কাউমল্ল ও সপ্তম রাজা ঝাউমল্ল। অষ্টম রাজা সুরমল্ল উত্তর মেদিনীপুরের বাগড়ির রাজাকে পরাজিত করেছিলেন। তাঁর পরে আরও ৪০ জন বিষ্ণুপুর শাসন করেন। এঁরা সকলেই মল্ল বা মল্লবনিনাথ নামে পরিচিত ছিলেন। এই রাজাদের পারিবারিক নথি থেকে জানা যায়, এঁরা বিদেশি শাসনের অধীনতাপাশ থেকে মুক্ত ছিলেন।",
"title": "বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া"
},
{
"docid": "63731#6",
"text": "মৌর্য সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে উঠেছিল । মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন [[চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য]] । এই সাম্রাজ্য [[অশোক|অশোকের]] রাজত্বকালে দক্ষিণ এশিয়া, [[পারস্য]], [[আফগানিস্তান]] অবধি বিস্তার লাভ করেছিল । পরবর্তীকালে শক্তিশালী [[গুপ্ত সাম্রাজ্য]] মগধেই গড়ে ওঠে যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশে এবং পারস্য এবং আফগানিস্তানের কিছু অংশে বিস্তার লাভ করেছিল ।",
"title": "বাংলার ইতিহাস"
},
{
"docid": "4720#3",
"text": "খ্রিস্টীয় ১২শ শতাব্দীতে হিন্দু সেন রাজবংশের পুনরুত্থানের ফলে পাল সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। সেই সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বশেষ প্রধান বৌদ্ধ সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে। বাংলার ইতিহাসে পাল যুগকে অন্যতম সুবর্ণযুগ মনে করা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে কয়েক শতাব্দীব্যাপী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে পাল সম্রাটরা বাংলায় স্থিতাবস্থা ও সমৃদ্ধি আনয়ন করেছিলেন। পূর্বতন বঙ্গীয় সভ্যতাকে তাঁরা উন্নত করে তোলেন। সেই সঙ্গে শিল্পকলা ও স্থাপত্যের ক্ষেত্রে অসামান্য কীর্তি রেখে যান। তাঁরা বাংলা ভাষার ভিত্তি রচনা করেছিলেন। বাংলার প্রথম সাহিত্যকীর্তি \"চর্যাপদ\" পাল যুগেই রচিত হয়েছিল। আজও তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে পাল উত্তরাধিকার প্রতিফলিত হয়।",
"title": "পাল সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "26202#0",
"text": "দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ (৫ নভেম্বর ১৮৭০ - ১৬ জুন ১৯২৫) হলেন একজন বাঙালি আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি \"স্বরাজ্য পার্টি\"-র প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সময়ের অন্যতম বৃহৎ অঙ্কের আয় অর্জনকারী উকিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর সম্পদ অকাতরে সাহায্যপ্রার্থীদের কাছে বিলিয়ে দিয়ে বাংলার ইতিহাসে দানবীর হিসাবে সুপরিচিত হয়ে আছেন।",
"title": "চিত্তরঞ্জন দাশ"
}
] |
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত প্রথম নাটকের নাম কী ? | [
{
"docid": "2042#9",
"text": "মধুসূদন দত্ত নাট্যকার হিসেবেই প্রথম বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে পদার্পণ করেন। রামনারায়ণ তর্করত্ন বিরচিত 'রত্নাবলী' নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি বাংলা নাট্যসাহিত্যে উপযুক্ত নাটকের অভাব বোধ করেন। এই অভাব পূরণের লক্ষ্য নিয়েই তিনি নাটক লেখায় আগ্রহী হয়েছিলেন। ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি রচনা করেন ‘শর্মিষ্ঠা' নাটক। এটিই প্রকৃত অর্থে বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক নাটক। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রচনা করেন দুটি প্রহসন, যথা: 'একেই কি বলে সভ্যতা' এবং 'বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ' এবং পূর্ণাঙ্গ 'পদ্মাবতী' নাটক। পদ্মাবতী নাটকেই তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অমিত্রাক্ষরে লেখেন 'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য। এরপর একে একে রচিত হয় 'মেঘনাদ বধ কাব্য' (১৮৬১) নামে মহাকাব্য, 'ব্রজাঙ্গনা' কাব্য (১৮৬১), 'কৃষ্ণকুমারী' নাটক (১৮৬১), 'বীরাঙ্গনা' কাব্য (১৮৬২), চতুর্দশপদী কবিতা (১৮৬৬)।",
"title": "মাইকেল মধুসূদন দত্ত"
},
{
"docid": "2042#13",
"text": "মাইকেল মধুসূদনের নাট্যচর্চার কাল ও রচিত নাটকের সংখ্যা দুইই সীমিত। ১৮৫৯ থেকে ১৮৬১ - এই তিন বছর তিনি নাট্যচর্চা করেন। এই সময়ে তাঁর রচিত নাটকগুলি হল : \"শর্মিষ্ঠা\" (১৮৫৯), \"একেই কি বলে সভ্যতা\" (১৮৬০), \"বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ\" (১৮৬০), \"পদ্মাবতী\" (১৮৬০), \"কৃষ্ণকুমারী\" (১৮৬১)। এছাড়া মৃত্যুর পূর্বে \"মায়াকানন\" (১৮৭৪) নামে একটি অসমাপ্ত নাটক।",
"title": "মাইকেল মধুসূদন দত্ত"
}
] | [
{
"docid": "346822#0",
"text": "কৃষ্ণকুমারী (১৮৬১), মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বা্ংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক।\nনাটকটির কাহিনি উইলিয়াম টডের 'রাজস্থান' নামক গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত হয়েছে। এই নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো: কৃষ্ণকুমারী,মদনিকা,বিলাসবতী, ভীমসিংহ, জগৎসিংহ,মানসিংহ,ধনদাস প্রমুখ। নাটকটি ১৮৬০ সালে রচিত হলেও প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে। মাইকেল মধুসূদন দত্তের কৃষ্ণকুমারী নাটকে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন কৃষ্ণকুমারী নিজে। নাটকে কাহিনী প্রবাহিত হয় মদনিকা এবং ধনদাস চরিত্রের মাধ্যমে।নাটকের মূল বিষয়বস্তু হল কৃষ্ণকুমারীর নিজের জীবন বিসর্জন।কৃষ্ণকুমারী রূপে গুণে অনন্য। তার একটি চিত্রপট দেখে জগৎসিংহ তাকে বিবাহ করার জন্য ব্যাকুল হয়েপড়ে।ধনদাসের মাধ্যমে ভীমসিংহের কাছে রাজা জগৎসিংহ কৃষ্ণার বিবাহের পয়গাম পাঠান।ধনদাস এই নাটকে একটি হীন চরিত্র সে টাকার জন্য সব করতে পারে। নাটকের মদনিকা চরিত্র হল বিলাসবতীর সখী। ধনদাস হল জগৎসিংহের নারী সংগ্রহকা।",
"title": "কৃষ্ণকুমারী"
},
{
"docid": "2042#14",
"text": "\"শর্মিষ্ঠা\" একটি পৌরাণিক নাটক। রচনাকাল ১৮৫৯। এটিই আধুনিক পাশ্চাত্য শৈলীতে রচিত প্রথম বাংলা নাটক। নাটকের আখ্যানবস্তু মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত রাজা যযাতি, শর্মিষ্ঠা ও দেবযানীর ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী থেকে গৃহীত। অবশ্য পাশ্চাত্য নাট্যশৈলীতে লিখলেও, মাইকেল এই নাটকে সংস্কৃত শৈলীকে সম্পূর্ণ বর্জন করেন নি। এই নাটকের কাব্য ও অলংকার-বহুল দীর্ঘ সংলাপ, ঘটনার বর্ণনাত্মক রীতি, প্রবেশক, নটী, বিদুষক প্রভৃতির ব্যবহার সংস্কৃত শৈলীর অনুরূপ। আবার ইংরেজি সাহিত্যের রোম্যান্টিক ধারার প্রভাবও এই নাটকে স্পষ্ট। প্রথম রচনা হিসেবে ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও, সেই যুগের ইংরেজি-শিক্ষিত পাঠকসমাজে এই নাটকটি খুবই সমাদৃত হয়। বেলগাছিয়া রঙ্গমঞ্চে সাফল্যের সঙ্গে নাটকটি অভিনীতও হয়।",
"title": "মাইকেল মধুসূদন দত্ত"
},
{
"docid": "249012#2",
"text": "বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট রচনার কৃতিত্ব মাইকেল মধুসূদন দত্তের, সনেট কে বাংলায় চতুর্দশপদী নাম মহাকবি মাইকেল মধুসূদনই দিয়েছিলেন। বাংলা সনেট (চতুর্দশপদী) এর সার্থক স্রষ্টা কবি মধুসূদন দত্ত ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালেই ইতালির কবি পেত্রার্কের সনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম বাংলা সনেটের দিগন্ত উন্মোচন করেন। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে কবির চতুর্দশপদী কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলিতে কবি চিত্তের ব্যকুলতা, স্বদেশ প্রেমিকতা ও আবেগ ধ্বনিত হয়েছে।",
"title": "চতুর্দশপদী"
},
{
"docid": "2042#12",
"text": "বাংলা নাটকে মাইকেল মধুসূদনের আবির্ভাব আকস্মিক। ১৮৫২ সালে তারাচরণ শিকদার, জে. সি. গুপ্ত ও রামনারায়ণ তর্করত্নের হাত ধরে বাংলায় শৌখিন রঙ্গমঞ্চে নাট্য মঞ্চায়ন শুরু হয়। এই সময় লেখা নাটকগুলির গুণগত মান খুব ভালো ছিল না। ১৮৫৮ সালে পাইকপাড়ার জমিদার ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ ও প্রতাপচন্দ্র সিংহের পৃষ্ঠপোষকতায় কলকাতার বেলগাছিয়া নাট্যমঞ্চে রামনারায়ণ তর্করত্নের \"রত্নাবলী\" নাটকটি অভিনীত হয়। শিল্পগুণবিবর্জিত এই সাধারণ নাটকটির জন্য জমিদারদের বিপুল অর্থব্যয় ও উৎসাহ দেখে মধুসূদনের শিক্ষিত মন ব্যথিত হয়ে ওঠে। এরপর তিনি নিজেই নাট্যরচনায় ব্রতী হন। রামনারায়ণ তর্করত্নের সংস্কৃত নাট্যশৈলীর প্রথা ভেঙে তিনি পাশ্চাত্য শৈলীর অনুসরণে প্রথম আধুনিক বাংলা নাটক রচনা করেন।",
"title": "মাইকেল মধুসূদন দত্ত"
},
{
"docid": "2042#15",
"text": "\"শর্মিষ্ঠা\"র পরে ১৮৬০ সালে মাইকেল রচনা করেন \"একেই কি বলে সভ্যতা\" ও \"বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ\" নামে দুটি প্রহসন। এই প্রহসন দুটি তাঁর দুটি শ্রেষ্ঠ নাট্যরচনা। প্রথম নাটকটির বিষয় ছিল ইংরেজি শিক্ষিত নব্য বাবু সম্প্রদায়ের উচ্ছৃঙ্খলতা ও দ্বিতীয়টির বিষয় ছিল সনাতনপন্থী সমাজপতিদের নৈতিক চরিত্রের অধঃপতন। এই নাটকে মাইকেলের পর্যবেক্ষণ শক্তি, সমাজবাস্তবতাবোধ ও কাহিনী, চরিত্র ও সংলাপ রচনায় কুশলতা বিশেষ প্রশংসা লাভ করে। কিন্তু নাটকের বিষয়বস্তু নব্য ও সনাতনপন্থী উভয় সমাজকেই বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। তাই বেলগাছিয়া রঙ্গমঞ্চে নাটকটি অভিনীত হওয়ার কথা থাকলেও, শেষপর্যন্ত তা হয় নি। এতে মাইকেল খুবই হতাশ হয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে প্রহসন রচনা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।",
"title": "মাইকেল মধুসূদন দত্ত"
},
{
"docid": "2042#2",
"text": "মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত \"মেঘনাদবধ কাব্য\" নামক মহাকাব্য। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি হলো \"দ্য ক্যাপটিভ লেডি\", \"শর্মিষ্ঠা\", \"কৃষ্ণকুমারী (নাটক)\", \"পদ্মাবতী (নাটক)\", \"বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ\", \"একেই কি বলে সভ্যতা\", \"তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য\", \"বীরাঙ্গনা কাব্য\", \"ব্রজাঙ্গনা কাব্য\", \"চতুর্দশপদী কবিতাবলী\", \"হেকটর বধ\" ইত্যাদি। মাইকেলের ব্যক্তিগত জীবন ছিল নাটকীয় এবং বেদনাঘন। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতায় মৃত্যু হয় এই মহাকবির।",
"title": "মাইকেল মধুসূদন দত্ত"
},
{
"docid": "76579#5",
"text": "দীনবন্ধু মিত্রের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ নাটক নীলদর্পণ বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ পরিচিত নাটক। স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজব্যবস্থার সঙ্গে এই নাটকের যোগাযোগ অত্যন্ত গভীর। এই নাটকটি তিনি রচনা করেছিলেন নীলকর-বিষধর-দংশন-কাতর-প্রজানিকর-ক্ষেমঙ্করেণ-কেনচিৎ-পথিক ছদ্মনামে। যদিও এই নাটকই তাঁকে খ্যাতি ও সম্মানের চূড়ান্ত শীর্ষে উন্নীত করে। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায়,\nমনে করা হয়ে থাকে, \"নীলদর্পণ\" নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে আধুনিক গবেষকগণ এই বিষয়ে একমত নন। এই অনুবাদ \"Nil Durpan, or The Indigo Planting Mirror\" নামে প্রকাশ করেছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ। এই অনুবাদ প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে দেশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং জেমস লঙের জরিমানা ও কারাদণ্ড হয়। জরিমানার টাকা আদালতেই দিয়ে দেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটিই প্রথম বাংলা নাটক যা ইংরেজিতে অনূদিত হয়।",
"title": "দীনবন্ধু মিত্র"
},
{
"docid": "430944#2",
"text": "১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর সময়ে মিত্রবাহিনী কলেজে ঘাঁটি স্থাপন করে । এই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ হাটবাড়ীয়ার জমিদারের কাঁচারী বাড়ীতে (বর্তমান ফায়ার ব্রিগিড অফিস) কলেজ টিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এবং সেখানে ক্লাস শুরু করা হয় । ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হলে পুনরায় কলেজটিকে পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে আনা হয়। আর ঐ সময় কলেজের প্রথম নামটি পরিবর্তন করে যশোরের শ্রেষ্ঠ সন্তান মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে নামকরণ করা হয় সরকারী মাইকেল মধুসূদন কলেজ বা এম. এম. কলেজ,যশোর নামে ।",
"title": "সরকারী এম. এম. কলেজ"
}
] |
ড্রিউ ব্লিথ ব্যারিমোর বাবার নাম কী ? | [
{
"docid": "86170#5",
"text": "ব্যারিমোর ১৯৭৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের কালভার সিটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জন ড্রিউ ব্যারিমোর ছিলেন একজন আমেরিকান অভিনেতা এবং মা অভিনেত্রী ইডিকো জেইড ব্যারিমোর (জন্মসূত্রে: মার্কো)-এর জন্ম হয়েছিলো পশ্চিম জার্মানির ব্রান্নেবার্গ-এ। তাঁর জন্মের পর তাঁর বাবা-মার বিচ্ছেদ ঘটে।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "659007#2",
"text": "অভিনেতা জন ও লিওনেল ব্যারিমোর তার ভাই, অভিনেতা জন ড্রিউ ব্যারিমোর তার ভাইপো এবং অভিনেত্রী ড্রিউ ব্যারিমোর তার ভাইপোর কন্যা। এছাড়া তিনি অভিনেত্রী ও মঞ্চ ব্যবস্থাপক লুইস লেন ড্রিউয়ের (মিসেস জন ড্রিউ নামে পরিচিত) নাতনী এবং ব্রডওয়ে ম্যাটিনি আইডল জন ড্রিউ জুনিয়র ও ভিটাগ্রাফ স্টুডিওজের মঞ্চ ও পর্দা তারকা সিডনি ড্রিউয়ের ভাইঝি।",
"title": "ইথেল ব্যারিমোর"
}
] | [
{
"docid": "86170#0",
"text": "ড্রিউ ব্লিথ ব্যারিমোর () (জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫) একজন মার্কিন অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি ব্যারিমোর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ আমেরিকান অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয় যখন তাঁর বয়স মাত্র এগারো মাস। ব্যারিমোরের পর্দায় অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে, \"অলটার্ড স্টেটস\"-এর মাধ্যমে। ১৯৮০ সালে \"অলর্টাড স্টেটস\"-এ অভিষেকের পথ ধরে তিনি আবির্ভূত হন তাঁর সাড়াজাগানো চরিত্র \"ই.টি. দ্য এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল\"-তে। এর মাধ্যমে অল্প সময়েই তিনি হলিউডে সবচেয়ে পরিচিত শিশু অভিনেত্রী রুপে আবির্ভূত হন, এবং নিজেকে প্রধানত বিভিন্ন কমিক চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেত্রী রুপে প্রতিষ্ঠিত করতে থাকেন।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "86170#1",
"text": "ব্যারিমোর ১৯৯০ সালে নিজের আত্মজীবনী লেখেন, যার নাম ছিলো \"লিটল গার্ল লস্ট\"। ব্যবসায়িকভাবে অসফল কিছু চলচ্চিত্র, যেমন: \"পয়জন আইভি\", \"ব্যাড গার্লস\", \"বয়েজ অন দ্য সাইড\", এবং \"এভরিওয়ান সেজ আই লাভ ইউ\"-এ অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যারিমোর সফলভাবে তাঁর শিশু তারকা ইমেজ থেকে বেরিয়ে প্রাপ্তবয়ষ্ক তারকার ইমেজ প্রাপ্ত হন। সেই সাথে তিনি দ্য ওয়েডিং সিঙ্গার এবং এরিক বানার বিপরীতে নাট্য চলচ্চিত্র \"লাকি ইউ\"-এর মতো রোমান্টিক কমেডিধর্মী চলচ্চিত্রেও অভিনয়শৈলী দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "64158#15",
"text": "\"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\" এ রাউলিং ডাম্বলডোরের পূর্ববর্তী জীবন ও মৃত্যুর রহস্য প্রকাশ করেন। এই বইয়ের মাধ্যমে জানা যায় যে, অ্যালবাসের বাবা মা ছিলেন পার্সিভাল ও কেন্ড্রা ডাম্বলডোর। অ্যারিয়ানা ও অ্যাবেরফোর্থ নামে তার দুই ভাইবোনও ছিল। অ্যারিয়ানা যখন ছয় বছর বয়স ছিল, তখন কয়েকজন মাগল ছেলে তাকে আক্রমণ করে। এর ফলশ্রুতিতে, সে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং তার জাদুক্ষমতা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পার্সিভাল মগল ছেলেগুলোর উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে গ্রেফতার হয় এবং আজকাবানে মারা যায়। এরপর ডাম্বলডোর পরিবার গড্রিক্স হলোতে চলে আসে। সেখানে, অ্যারিয়ানার নিয়ন্ত্রণহীন জাদুর বিস্ফোরণে একটি দূর্ঘটনা ঘটে, এতে কেন্ড্রা মারা যায়। ফলে, অ্যালবাস হয়ে যান পরিবারের কর্তা এবং তার ভাইবোনদের দেখাশোনার দায়িত্বও তার উপর বর্তায়।",
"title": "অ্যালবাস ডাম্বলডোর"
},
{
"docid": "668177#4",
"text": "অব্রে ড্রেইক গ্রাহামের জন্ম হয়েছিলো, ১৯৮৬ সালের ২৪ অক্টোবর, কানাডার অন্টারিও রাজ্যের টরন্টো শহরে। তার বাবা, ডেনিস গ্রাহাম ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যের মেম্পিস শহর থেকে আগত একজন আফ্রিকান মার্কিন, এবং তিনি মার্কিন কান্ট্রি গায়ক এবং গীতিকার জেরি লি লুইস-এর সাথে একজন ড্রাম বাদক, এবং গান পরিবেশক হিসেবেও কাজ করেছেন। ড্রেইকের মা, সেন্ড্রা \"সেন্ডি\" গ্রাহাম (বিবাহ পূর্ব নাম শের), হলেন একজন আশকেনাজি কানাডীয় ইহুদি, যিনি একজন ইংরেজীর শিক্ষক এবং একজন ফুল চাষী হিসেবেও কাজ করেছেন। তার পিতা-মাতা প্রথমবারের মত মিলিত হয়, টরন্টো শহরের \"ক্লু ব্লুনোট\"-এ ডেনিসের সঙ্গীত পরিবেশনার পর, যেখানেই তিনি প্রথম বারের মত সেন্ড্রার সাথে মিথস্ক্রিত হন, এবং তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তরুন বয়সে, ড্রেইক একটি ইহুদি দিবা স্কুলে পড়াশোনা করেন, এবং একটি বার মিটজভাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলো। এছাড়াও তিনি কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব-এর অধিকারী।",
"title": "ড্রেইক"
},
{
"docid": "109465#2",
"text": "ক্রিস্টি ব্রিংকলির জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের মনেরো শহরে। তাঁর মায়ের নাম মার্জোরি হাডসন ও বাবার নাম হার্বার্ট হাডসন। মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদের পর ব্রিংকলির মা ক্যালিফোর্নিয়া চলে যান, এবং সেখানে তিনি বিয়ে করেন টেলিভিশন অভিনেতা ডন ব্রিংকলিকে। ক্রিস্টি তাঁর সৎ বাবার নামের শেষাংশই তাঁর সাথে ব্যবহার করেন। ব্রিংকলি পড়াশোনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালিসেডে অবস্থিত প্যালিসেড হাই স্কুলে। সেখান থেকে ১৯৭২ সালে তিনি তাঁর স্নাতক সম্পন্ন করেন। এই সময়গুলোতে তাঁর পরিবার লস অ্যাঞ্জেলসের ব্রেন্টউডে। ব্রিংকলি লিসি ফ্রসঁ দা ল অ্যাঞ্জেলসেও পড়াশোনা করেছেন এবং ১৯৭৩ সালে সেখান থেকেই তিনি শিল্পকলা বিষয়ে পড়াশোনার জন্য প্যারিসে চলে যান।",
"title": "ক্রিস্টি ব্রিংকলি"
},
{
"docid": "427230#3",
"text": "১৯৭৫ সালের ৫ জানুয়ারি ফিলাডেলফিয়ায় ব্র্যাডলি কুপার জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ছেলেবেলা কেটেছিল নিকটবর্তী জেনকিনটাউন ও রিডাল কমিউনিটিতে। কুপারের মা গ্লোরিয়া কুপার (প্রাকবিবাহ নাম গ্লোরিয়া ক্যাম্পানো) স্থানীয় এনবিসি অ্যাফিলিয়েটের হয়ে কাজ করতেন। বাবা চার্লস কুপার মেরিল লিঞ্চের স্টকব্রোকার হিসেবে কাজ করতেন। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর মৃত্যু ঘটে। তিনি ছিলেন আইরিশ বংশোদ্ভূত। অন্যদিকে গ্লোরিয়ার পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ইতালীয় (অ্যাব্রুজো ও নেপলসের অধিবাসী)। ব্র্যাডলি কুপারের এক দিদিও বর্তমান। তাঁর নাম হলি। ব্র্যাডলি কুপার রোমান ক্যাথলিক শিক্ষায় বড়ো হয়েছিলেন। জন্মের অনতিবিলম্বেই তিনি কানে কোলেস্টেটোমায় আক্রান্ত হন এবং ছেলেবেলায় ডাইভিং শিখতে শুরু করেই নিজের কানের পর্দা ফাটিয়ে ফেলেন।",
"title": "ব্র্যাডলি কুপার"
},
{
"docid": "659007#1",
"text": "ইথেল মে ব্লিদ ১৮৭৯ সালের ১৫ই আগস্ট পেন্সিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরিস ব্যারিমোর (জন্মনাম: হারবার্ট ব্লিদ) ছিলেন একজন একজন অভিনেতা এবং তার মাতা জর্জিয়ানা ড্রিউ ছিলেন একজন অভিনেত্রী। তার জন্মের চার মাস পূর্বে টেক্সাসের ওল্ড ওয়েস্ট এনকাউন্টার নামে খ্যাত এক দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিলেন। তার পিতার প্রিয় চরিত্র উইলিয়াম মেকপিস থেকারির \"দ্য নিউকামস\"-এর ইথেল চরিত্রের নামানুসারে তার নাম রাখা হয়েছিল।",
"title": "ইথেল ব্যারিমোর"
},
{
"docid": "86170#2",
"text": "১৯৯৫ সালে, তিনি ও তাঁর সঙ্গী ন্যান্সি জুভোনেন ফ্লাওয়ার ফিল্মস নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের গোঁড়াপত্তন করেন, যার সর্বপ্রথম প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি ছিলো ব্যারিমুরের নেভার বিন কিস্ড। এরপর ফ্লওয়ার ফিল্মস প্রযোজনা চালিয়ে যেতে থাকে ব্যারিমুরের চলচ্চিত্র \"চার্লিস অ্যাঞ্জেলস\", \"ফিফটি ফার্স্ট ডেটস্\", এবং \"মিউজিক অ্যান্ড লিরিক্স\", এবং সেই সাথে কাল্ট চলচ্চিত্র \"ডানি ডার্কো\"-এর মাধ্যমে। ব্যারিমুরের সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র \"হি ইজ জাস্ট নট দ্যাট ইনটু ইউ\", \"বেভারলি হিলস চিহুয়াহুয়া\", এবং \"এভরিবডি’স ফাইন\"। হলিউড ওয়াক অফ ফেম-এ তারকা হিসেবে তার নাম আছে। ২০০৭ সালে \"পিপল\" ম্যাগাজিনের সবচেয়ে সুন্দর ১০০ ইশ্যুর প্রচ্ছদে ব্যারিমুরের ছবি ছাপা হয়।",
"title": "ড্রিউ ব্যারিমোর"
}
] |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.