query
stringlengths 5
185
| positives
listlengths 1
14
| negatives
listlengths 0
19
|
---|---|---|
সত্যেন্দ্রনাথ বসু কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "4306#1",
"text": "১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ১ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার গোয়া বাগান অঞ্চলে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের পাশে ২২ নম্বর ঈশ্বর মিত্র লেনে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম। তাঁর পরিবারের আদি নিবাস ২৪ পরগণার কাঁড়োপাড়ার সন্নিকটে বড়োজাগুলিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা সুরেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন পূর্ব ভারতীয় রেলওয়ের হিসাবরক্ষক এবং মাতা আমোদিনী দেবী ছিলেন আলিপুরের খ্যাতনামা ব্যবহারজীবী মতিলাল রায়চৌধুরীর কন্যা। সত্যেন্দ্রানাথ বসু সাত ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়।etastfzse",
"title": "সত্যেন্দ্রনাথ বসু"
},
{
"docid": "4392#6",
"text": "১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি, বর্তমান ওডিশা রাজ্যের কটক শহরে (ওডিয়া বাজার) জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন কটক-প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে নবম। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র একটি কটকের ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন; বর্তমানে এই স্কুলটির নাম স্টুয়ার্ট স্কুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে সাম্মানিকসহ বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।",
"title": "সুভাষচন্দ্র বসু"
},
{
"docid": "4306#0",
"text": "সত্যেন্দ্রনাথ বসু (১ জানুয়ারি ১৮৯৪ – ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল গাণিতিক পদার্থবিদ্যা। সত্যেন্দ্রনাথ বসু আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান প্রদান করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে বিবেচিত হয়। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী সত্যেন্দ্রনাথ কর্মজীবনে সংযুক্ত ছিলেন বৃহত্তর বাংলার তিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন কলকাতা, ঢাকা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। সান্নিধ্য পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মাদাম কুরী প্রমুখ মণীষীর। আবার অনুশীলন সমিতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগও রাখতেন দেশব্রতী সত্যেন্দ্রনাথ। কলকাতায় জাত সত্যেন্দ্রনাথ শুধুমাত্র বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রবল সমর্থকই ছিলেন না, সারা জীবন ধরে তিনি বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার ধারাটিকেও পুষ্ট করে গেছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর অমর উক্তি, “যাঁরা বলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা হয় না, তাঁরা হয় বাংলা জানেন না, নয় বিজ্ঞান বোঝেন না।” বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রসারের উদ্দেশ্যে \"বিজ্ঞান পরিচয়\" নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশ করেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন নিরলস, কর্মঠ ও মানবদরদী মণীষী। বিজ্ঞানের পাশাপাশি সঙ্গীত ও সাহিত্যেও ছিল তাঁর আন্তরিক আগ্রহ ও বিশেষ প্রীতি। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে নিজের \"বিশ্বপরিচয়\" বিজ্ঞানগ্রন্থ, অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁর \"জাপানে ভ্রমণরচনা\" ও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর \"অর্কেস্ট্রা\" কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।",
"title": "সত্যেন্দ্রনাথ বসু"
},
{
"docid": "469454#0",
"text": "সত্যেন্দ্রনাথ বসু, () (৩০ জুলাই ১৮৮২ - ২২ নভেম্বর, ১৯০৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। আলিপুর বোমা মামলার রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাইকে গুলি করে হত্যা করার জন্য ২৩ নভেম্বর, ১৯০৮ সনে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর প্রেসিডেন্সি জেলে ফাঁসি হয়।",
"title": "সত্যেন্দ্রনাথ বসু (বিপ্লবী)"
}
] | [
{
"docid": "260034#1",
"text": "বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার জয়সিদ্ধি গ্রামে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী দেবেন্দ্র মোহন বসু জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহিনী মোহন বসু। রেংলার আনন্দ মোহন বসু তার সহোদর কাকা। বাল্যকালে পিতৃবিয়োগ ঘটলে মাতুল বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর সান্নিধ্যে ভারতে বসবাস করেন। শৈশবে দেবেন্দ্রমোহনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল একটি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে। বালিকা বিদ্যালয় হলেও এতে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত পর্যন্ত সহশিক্ষা চালু ছিল। এরপর তিনি আনন্দমোহন বসু প্রতিষ্ঠিত সিটি স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং এ স্কুল থেকেই এন্ট্রান্স পাশ করেছেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। এসময় তিনি অভিভাবক হিসেবে পেলেন বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসুকে। এন্ট্রান্স পাশ ক'রে দেবেন্দ্রমোহন প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর দ্রুত জীবিকা অর্জ্জনের তাগিদে ভর্তি হলেন শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, প্রকৌশলী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। এ সময় তিনি ছাত্রবাসে অবস্থান করতেন। কিছুদিন পর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁকে বাড়ী ফরেঁ আসতে হয় ; আর তার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফিরে যাওয়া হয় নি। এসময় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরামর্শ দিলেন মামা জগদীশচন্দ্রের মত পদার্থবিজ্ঞান পড়তে। দেবেন্দ্রমোহন পুনরায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হলেন পদার্থবিদ্যা আর ভূতত্ত্ব নিয়ে। যথাসময়ে প্রথম শ্রেণী সহ বিএসসি পাস করলেন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে এমএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হলেন;- জগদীশচন্দ্র বসু তখন বায়োফিজিক্স ও প্ল্যান্ট ফিজিওলজি নিয়ে গবেষণা করছেন। দেবেন্দ্রমোহন যোগ দিলেন জগদীশচন্দ্রের রিসার্চ গ্রুপে শিক্ষানবিশ গবেষক হিসেবে [3]। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন ইংল্যান্ডে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হলেন। এখানে তিনি ক্যাভেনডিশ ল্যাবে স্যার জে জে থমসন ও চার্লস উইলসনের সাথে কাজ করার সুযোগ লাভ করলেন। ১৯০৮ থেকে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবে কাজ করেছেন দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন লন্ডনের রয়েল কলেজ অব সায়েন্সে ভর্তি হলেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকেই ডিপ্লোমা ও প্রথম শ্রেণীর অনার্স সহ বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।",
"title": "দেবেন্দ্র মোহন বসু"
},
{
"docid": "4306#11",
"text": "১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে সত্যেন বসু ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থ বিজ্ঞান শাখার সভাপতি এবং ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি লন্ডনের রয়েল সোসাইটির ফেলো হন। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক পদে মনোনীত করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে দেশিকোত্তম এবং ভারত সরকার পদ্মবিভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে \"সত্যেন বসু অধ্যাপক (Bose Professor)\" পদ রয়েছে। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা শহরে তাঁর নামে সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র নামক গবেষণাকেন্দ্র স্থাপিত হয়।",
"title": "সত্যেন্দ্রনাথ বসু"
},
{
"docid": "249429#1",
"text": "বিপাশা বসু ১৯৭৯ সালের ৭ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দুই বোন আছে - বিদিশা ও বিজয়েতা। তন্মধ্যে বিদিশার পরেই বিপাশার অবস্থান। নয়াদিল্লিতে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীকালে তিনি তার বাবা-মায়ের সাথে কলকাতায় ফিরে আসেন।\nএকান্ত সাক্ষাৎকারে বিপাশা বলেন যে, তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও মডেলিং এবং অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন একান্তই আকস্মিকভাবে।\nভবন'স গঙ্গাবাক্স কানোরিয়া বিদ্যামন্দিরে বিপাশা বিজ্ঞান নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরবর্তীকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটি কলেজে বাণিজ্য বিভাগে অধ্যয়ন করেন। কলকাতা থাকাকালে তিনি সাময়িক পেশা হিসেবে মডেলিং এবং র্যাম্প শো-তে অংশ নেন।\n১৯৯৬ সালে কলকাতায় বিখ্যাত মডেল মেহের জেসিয়া'র সাথে পরিচিত হন। জেসিয়া বিপাশাকে গোদ্রেজ সিন্থল সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এতে বিপাশা বসু অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।",
"title": "বিপাশা বসু"
},
{
"docid": "4281#2",
"text": "ক্ষুদিরাম বসু ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ত্রৈলোক্যনাথ বসু ছিলেন নাড়াজোলের তহসিলদার। তাঁর মার নাম লক্ষ্মীপ্রিয় দেবী। তিন কন্যার পর তিনি তাঁর মায়ের চতুর্থ সন্তান। তাঁর দুই পুত্র অকালে মৃত্যুবরণ করেন। অপর পুত্রের মৃত্যুর আশঙ্কায় তিনি তখনকার সমাজের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর পুত্রকে তার বড়ো দিদির কাছে তিন মুঠো খুদের (চালের খুদ) বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। খুদের বিনিময়ে কেনা হয়েছিল বলে শিশুটির নাম পরবর্তীকালে ক্ষুদিরাম রাখা হয়।\nক্ষুদিরামের বয়স যখন মাত্র ছ-বছর তখন তিনি তাঁর মাকে হারান। এক বছর পর তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। তখন তাঁর বড়ো দিদি অপরূপা তাঁকে দাসপুর থানার এক গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। অপরূপার স্বামী অমৃতলাল রায় ক্ষুদিরামকে তমলুকের হ্যামিল্টন হাই স্কুলএ ভরতি করে দেন।\n১৯০২ এবং ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রী অরবিন্দ এবং সিস্টার-নিবেদিতা মেদিনীপুর ভ্রমণ করেন। তাঁরা স্বাধীনতার জন্যে জনসমক্ষে ধারাবাহিক বক্তব্য রাখেন এবং বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গোপন অধিবেশন করেন, তখন কিশোর ছাত্র ক্ষুদিরাম এই সমস্ত বিপ্লবী আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।\nস্পষ্টভাবেই তিনি \"অনুশীলন সমিতি\"তে যোগদান করেন এবং কলকাতায় বারীন্দ্র কুমার ঘোষের কর্মতৎপরতার সংস্পর্শে আসেন। তিনি ১৫ বছর বয়সেই অনুশীলন সমিতির একজন স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠেন এবং ভারতে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী পুস্তিকা বিতরণের অপরাধে গ্রেপ্তার হন। ১৬ বছর বয়সে ক্ষুদিরাম থানার কাছে বোমা মজুত করতে থাকেন এবং সরকারি আধিকারিকদেরকে আক্রমণের লক্ষ্য স্থির করেন।",
"title": "ক্ষুদিরাম বসু"
},
{
"docid": "469454#1",
"text": "তিনি ছিলেন মনিষী রাজনারায়ণ বসুর ভ্রাতুষ্পুত্র। তাঁর পিতার নাম অভয়চরণ বসু। তিনি মেদিনীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।",
"title": "সত্যেন্দ্রনাথ বসু (বিপ্লবী)"
},
{
"docid": "434202#0",
"text": "দেবকী বসু () (১৮৯৮ - ১৯৭১ ), যিনি দেবকী কুমার বসু নামেও পরিচিত, বাংলা চলচ্চিত্রের শীর্ষ পরিচালক, লেখক, অভিনেতা ছিলেন। তিনি ২৫ নভেম্বর, ১৮৯৮ সালে আকালপৌষ, বর্ধমান, বাংলা, ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ১৭ নভেম্বর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে মারা যান। তিনি ভারতীয় সিনেমায় শব্দ এবং সঙ্গীতের উদ্ভাবনী ব্যবহারের জন্য সুপরিচিত। তিনি প্রথমে ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলীর ব্রিটিশ ডমিনিয়ন ফিল্মসের অধীনে কাজ শুরু করেন এবং পরে প্রমথেশ বরুয়ার বরুয়া ফিল্মস এবং সবশেষে ১৯৩২ সালে তিনি নিউ থিয়েটার্স -এ যোগ দেন। তিনি ১৯৪৫ সালে নিজের প্রযোজনা সংস্থা খোলেন, যার নাম দেবকী প্রোডাকশন্স।",
"title": "দেবকী বসু"
}
] |
দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন চলচ্চিত্রটির নির্মাতা কে ? | [
{
"docid": "396793#0",
"text": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন ১৯৯৪ সালের মার্কিন মহাকাব্যিক নাট্য চলচ্চিত্র। ফ্র্যাংক ড্যারাবন্ট পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন টিম রবিন্স, মরগান ফ্রিম্যান, বব গান্টন, উইলিয়াম সেডলার, ক্ল্যান্সি ব্রাউন, গিল বেলোস, জেমস হুইটমোর প্রমুখ। মিলিয়ন ভোটের (১০-এর মধ্যে ৯.৩) উপর ভিত্তি করে আইএমডিবি’র ‘‘টপ ২৫০’’’ চলচ্চিত্রের মধ্য এটি #১ নম্বরে রয়েছে এবং সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত।",
"title": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন"
}
] | [
{
"docid": "396793#1",
"text": "স্টিফেন কিং রচিত রিটা হেওর্থ অ্যান্ড শশাঙ্ক রিডেম্পশন উপন্যাসের অভিযোজনে এই চলচ্চিত্রে অন্ডি ডুফরেস্ন নামে একজন ব্যাংকারের গল্প বলা হয়, যিনি তার প্রেমিকা এবং স্ত্রীকে খুনের কারণে শশাঙ্ক স্টেট প্রিজনে সাজা ভোগ করেন। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তিনি এলিস বয়েড ‘‘রেড’’ রিডিংয়ের সাথে বন্ধুত্ব করেন।",
"title": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন"
},
{
"docid": "396793#11",
"text": "চলচ্চিত্রটি ১৯৯৪ সালে ৬৭তম একাডেমি পুরস্কারে সাতটি বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে, যা স্টিফেন কিংয়ের কাজ অবলম্বনে নির্মিত কোন চলচ্চিত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ, কিন্তু কোন বিভাগে পুরস্কার লাভ করে নি। এছাড়া ছবিটি ৫২তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে দুটি মনোনয়ন লাভ করে; রবিন্স ও ফ্রিম্যান স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারে প্রধান অভিনেতার ভূমিকায় অনন্য অভিনয়ের পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন; ড্যারাবন্ট ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকা পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে; এবং চিত্রগ্রাহক রজার ডিকিন্স আমেরিকান সোসাইটি অব সিনেম্যাটোগ্রাফার্স পুরস্কারে চিত্রগ্রহণে অনন্য অবদানের জন্য পুরস্কার লাভ করেন।",
"title": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন"
},
{
"docid": "396793#10",
"text": "স্টিফেন কিং \"দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন\"কে তার নিজের কাজ অবলম্বনে নির্মিত অন্যতম প্রিয় চলচ্চিত্র বলে উল্লেখ করেন। দার্শনিক আলেকজান্ডার হুক বলেন এই চলচ্চিত্র জঁ-পল সার্ত্র্'র অস্তিত্ববাদ ধারণাকে সমকালীন অন্য যে কোন ছবি থেকে অধিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।",
"title": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন"
},
{
"docid": "396793#8",
"text": "চল্লিশ বছর জেল খেটে রেড প্যারোলে মুক্তি পায়। জেলের বাইরের জীবনে অভ্যস্ত হবার চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু আশঙ্কা হয় যে সে টিকতে পারবে না। তখন অ্যান্ডিকে দেয়া কথা মনে পড়ে, রেড বাক্সটনে যায়; সেখানে পায় অ্যান্ডির চিঠি, জিহুয়াতানেজোতে যাবার আমন্ত্রণ এবং টিকিটের টাকা। রেড প্যারোল ভেঙে চলে যায় টেক্সাসের ফোর্ট হ্যানকক দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে মেক্সিকোতে; স্বীকার করে, এতোদিনে সে আশা ফিরে পেয়েছে। অ্যান্ডিকে সে পায় জিহুয়াতানেজোর এক সমুদ্রসৈকতে এবং দুই বন্ধু শেষপর্যন্ত একত্র হয়।\"দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন\" বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয় এবং পর্যালোচনা ভিত্তিক ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোস-এ ৬৬টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ছবিটির স্কোর ৯১% এবং গড় রেটিং ১০ এ ৮.২। ওয়েবসাইটির সমালোচনামূলক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, \"\"দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন\" সংবেদনশীল পরিচালনা ও সুন্দর অভিনয়পূর্ণ উন্নত এবং গভীরভারে সন্তুষ্টি প্রদানকারী জেল নাট্য।\" অপর একটি পর্যালোচনা ভিত্তিক ওয়েবসাইট মেটাক্রিটিক-এ ১৯ জন সমালোচকের পর্যালোচনার ভিত্তিতে ছবিটির স্কোর ১০০ এ ৮০, যা মূলত \"ইতিবাচক পর্যালোচনা\" নির্দেশ করে।",
"title": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন"
},
{
"docid": "396793#2",
"text": "বক্স অফিসে ফ্লপের (বাজেট তুলতে পারে মাত্র) মাধ্যমে শুরু করার পর, চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন মনোনয়ন, পুরষ্কার এবং সমালোচকদের নিকট থেকে অভিনয়, গল্প, এবং বাস্তববাদী আচরণের জন্যে চমৎকার সব পর্যালোচনা অর্জন করে। এটি ক্যাবল টেলিভিশন, ভিএইচএস, ডিভিডি এবং ব্লু-রে সংস্করণে বেশ সাফল্য পায়। চলচ্চিত্রটি আমেরিকান ফিল্ম ইনিস্টিটিউটের ১০০ বছরের…১০০ চলচ্চিত্র ১০ম বর্ষিকী সংস্করণে অর্ন্তভূক্ত হয়।",
"title": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন"
},
{
"docid": "396793#3",
"text": "১৯৪৭ সালে পোর্টল্যান্ড, মাইনে ব্যাংকার অ্যান্ডি ডুফরেস্ন তার পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিককে খুন করার দায়ে পরপর দুবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়। শশাঙ্ক স্টেট পেনিটেনশিয়ারি কারাগারে তার বন্দীজীবনে বন্ধু হয়ে ওঠে সহবন্দী যাবজ্জীবন-দন্ডপ্রাপ্ত এলিস \"রেড\" রিডিং। রেড জেলে বিভিন্ন নিষিদ্ধ/বেআইনী জিনিস বন্দীদের কাছে পাচার করতো; একবার অ্যান্ডিকে সে একটা রকহ্যামার এবং আরেকবার অভিনেত্রী রিটা হেওয়ার্থের একটা বিরাট পোস্টার এনে দিয়েছিল। জেলের লন্ড্রিতে কাজ করার সময় অ্যান্ডিকে প্রায়ই বগস ও তার দল \"সিস্টার\"-এর গুন্ডারা নিপীড়ন করতো।",
"title": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন"
},
{
"docid": "68157#0",
"text": "দ্য সিম্পসন্স একটি মার্কিন এনিমেশনকৃত সিচুয়েশন কমেডি (সিটকম)। ম্যাট গোরিং নির্মিত চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে ফক্স ব্রডক্যাস্টিং কোম্পানি। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলের অধিবাসীদের স্বাভাবিক জীবনধারা নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কাহিনী রচিত হয়েছে। \"স্প্রিংফিল্ড\" নামক কাল্পনিক শহরে এর চিত্রায়ন করা হয়েছে। মানুষের মানসিক ও বাস্তবিক অবস্থা, মার্কিন সংস্কৃতি এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের বিভিন্ন দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে এতে। এই ছবির আপু নাহাসাপিমাপেটিলন চরিত্রটি বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রের মধ্যে রয়েছে হোমার সিম্পসন, মার্জ সিম্পসন, বার্ট সিম্পসন, লিসা সিম্পসন, ম্যাগী সিম্পসন, ন্যালসন, মিস্টার বার্নস, মওই, সাইডসো বব, গ্রেম্পা আব্রাহাম সিম্পসন, প্রিন্সিপাল স্কিনার, মিলহাওস, ক্রাস্টি ইত্যাদি।",
"title": "দ্য সিম্পসন্স"
},
{
"docid": "396793#9",
"text": "\"এন্টারটেইনমেন্ট উয়িকলি\"র পর্যালোচক ওয়েন গ্লেইবারম্যান ছবিটির দৃশ্য নির্বাচনের প্রশংসা করে লিখেন, \"জলা-অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং ভেজা দৃশ্যগুলোতে সুবাসিত ভাব রয়েছে\" যা ছবিটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। মরগ্যান ফ্রিম্যানের অভিনয় এবং বাগ্নিতা প্রশংসা করেন, এবং তিনি মনে করেন \"সংহত ভালো মানুষ ও নব্য-গ্যারি কুপার চরিত্রে টিম রবিন্স তার অ্যান্ডি চরিত্র দিয়ে দর্শককে ধরে রাখতে ব্যর্থ হন।",
"title": "দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন"
},
{
"docid": "517909#0",
"text": "শার্লক হোমস: আ গেম অব শ্যাডোস ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অ্যাকশন-রহস্য ধাঁচের চলচ্চিত্র। এটি Arthur Conan Doyle সৃষ্ট শার্লক হোমস চরিত্রের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন গাই রিচি এবং প্রযোজনা করেছেন জোয়েল সিলভার, লিওনেল উইগ্রাম, সুজান ডাউনি ও ড্যান লিন। চলচ্চিত্রটির রচয়িতা হলেন Mulroney ও কাইরন Mulroney। এটি ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া \"শার্লক হোমস\" এর একটি সিকুয়্যাল চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রে শার্লক হোমস চরিত্রে অভিনয় করেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এবং ড. জন ওয়াটসন চরিত্রে জ্যুড ল। ছবিটি ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায়।",
"title": "শার্লক হোমস: আ গেম অব শ্যাডোস"
}
] |
লেসবিয়ান শব্দের বাংলা পরিভাষা কী ? | [
{
"docid": "72190#7",
"text": "বর্তমানে হোমোসেক্সুয়াল শব্দটি বিদ্বৎসমাজে এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হলেও ‘গে’ এবং ‘লেসবিয়ান’ শব্দদুটি অধিক জনপ্রিয়। গে শব্দটির দ্বারা পুরুষ সমকামীদের বোঝানো হয় এবং নারী সমকামীদেরকে বোঝানো হয় লেসবিয়ান শব্দটির দ্বারা। পশ্চিমে ‘গে’ শব্দটি সমকামী অর্থে প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় সম্ভবত ১৯২০ সালে। তবে সে সময় এটির ব্যবহার একেবারেই সমকামীদের নিজস্ব গোত্রভুক্ত ছিলো। মুদ্রিত প্রকাশনায় শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে। লিসা বেন নামে এক হলিউড সেক্রেটারী ‘Vice Versa: America’s Gayest Magazine’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশের সময় সমকামিতার প্রতিশব্দ হিসেবে ‘গে’ শব্দটি ব্যবহার করেন। আর ‘লেসবিয়ান’ শব্দটি এসেছে গ্রিস দেশের ‘লেসবো’ নামক দ্বীপমালা থেকে। কথিত আছে, খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে স্যাফো নামে সেখানকার এক কবি/শিক্ষিকা মেয়েদের সমকামী যৌন জীবন নিয়ে কাব্য রচনা করে ‘কবিতা উৎসব’ পালন করতেন। এইভাবে প্রথম দিকে লেসবিয়ান বলতে ‘লেসবো দ্বীপের অধিবাসী’ বোঝালেও, পরবর্তীতে নারীর সমকামিতার সাথে এটি যুক্ত হয়ে যায়।",
"title": "সমকামিতা"
}
] | [
{
"docid": "638491#14",
"text": "দক্ষিণ-পশ্চিম এনাটোলিয়াতে আদি লুসিয়ার অধিবাসীরা লুসিয়ান (\"লুসিয়ান এ\" বলা হয়, মালিয়ান কে \"লুসিয়ান বি\" বলা হয়) ভাষায় কথা বলত। এটি প্রমাণিত হয়, ১৭২ টি লিপি থেকে, যা প্রধানত পাথরের ছিল, প্রায় ১৫০ টি স্মৃতিস্তম্ভ থেকে এবং ৩২টি সরকারী দলিলপত্র থেকে। তাদের লিখন পদ্ধতি ছিল লুসিয়ান বর্ণমালা, যা লুসিয়ানরা গ্রিক বর্ণমালা সংশোধন করে তৈরি করে। লিখিত শব্দের পাশাপাশি লুসিয়ান নামের ২০০ টি বা তারও বেশি ধাতব মুদ্রা ছিল। লিখনি গুলো থেকে দ্যাখা যায়, তাদের মধ্যে কিছু দ্বিভাষিক ছিল লুসিয়ান এবং গ্রিক এবং কেউ কেউ ত্রিভাষীক ছিল, লুসিয়ান, গ্রিক এবং আরামাইক। সবচেয়ে বড় লেখাটি, জান্তাস স্টেলে, যা ছিল প্রায় ২50 টি লাইনের, মূলত গ্রীক এবং লুসিয়ান এই দুটি ভাষার মিলিত রচনা বিবেচিত হয়; তবে অন্য একটি শ্লোক শনাক্ত করা হয়েছে, যা লুসিয়ানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাষার, এটিকে \"লুসিয়ান বি\" বা মালিয়ান ভাষা বলে বিবেচনা করা হয়, যা স্টেলে ত্রিভাষীতে অনুবাদ করা। প্রথম দিকে কয়েনটি প্রায় ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের; তবে, লেখা ব্যবস্থার জন্য তার উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দরকার ছিল।",
"title": "আনাতোলীয় ভাষা"
},
{
"docid": "6523#5",
"text": "\"লিবিয়া\" একটি আদিবাসী (অর্থাৎ বর্বর) শব্দ, যার উদ্ভব হয়েছে আদি মিশরীয় লেখনী , \"R'bw\" (= \"লিবু\") থেকে, যা দ্বারা নীল নদের পশ্চিমে বসবাসকারী বর্বর জাতির একটি গোত্রের লোকদের বোঝানো হয়। গ্রিক ভাষায় এই শব্দটি পরিনত হয় \"লিবিয়া\" নামে। প্রাচীণ গ্রীসএ উত্তর আফ্রিকা ও মিশর, এমনকি কখনো কখনো আফ্রিকা মহাদেশের সম্পূর্ণ এলাকাকেই লিবিয়া বলে অভিহিত করা হত।",
"title": "লিবিয়া"
},
{
"docid": "559536#7",
"text": "সাধারণত, লেসবিয়নদের \"বাচ এবং ফেম\" এই দুই ধরনের ছকে ফেলা হয়। পুরুষালি ধরনের পোশাকপরিচ্ছদ বাচ লেসবিয়ানদের স্টাইল। \"ডাইক\" বলেও এরা পরিচিত যদিও এই শব্দটি লেসবিয়ান সম্প্রদায় অপমানজনক হিসেবেই গন্য করে। লেসবিয়ান সম্প্রদায়ে বাচদেরকে শক্ত সমর্থ এবং বাইরের সমাজে স্পষ্টভাষী হিসেবে গণ্য করা হয়। অভিনেত্রী পোর্শিয়া দে রসি ২০০৫ সালে লেসবিয়ান হিসেবে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে লেসবিয়ানদের নিয়ে সাধারন যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল তা পাল্টাতে অবিস্মরনীয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি তার একাধিক ইন্টারভিউতে বলেছেন, লেসবিয়ানদের নিয়ে গতানুগতিক চিন্তাধারা নিজ সম্প্রদায়েও প্রচলিত আছে। তাই অনেক লেসবিয়ানই সেভাবে আচরন না করলে বা সেভাবে পোশাক না পড়লে এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায় থেকে প্রত্যাখিত হওয়ার ভয়ে থাকেন।",
"title": "সমকামী সম্পর্কে গতানুগতিক চিন্তাধারা"
},
{
"docid": "473549#0",
"text": "লিথুয়ানীয় (lietuvių kalba) লিথুয়ানিয়ার অফিসিয়াল রাষ্ট্রীয় ভাষা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। লিথুয়ানিয়াতে স্থানীয় প্রায় ২.৯ মিলিয়ন এবং বিদেশে ২,০০,০০০ জন লিথুয়ানীয় ভাষাভাষী রয়েছে। লিথুয়ানীয় হল একটি বাল্টিক ভাষা, লাটভিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, যা আংশিকভাবে পারস্পরিক বোধগম্যরূপ। একে লাতিন বর্ণমালায় লেখা হয়। লিথুয়ানীয় ভাষাকে প্রায়ই সর্বাধিক রক্ষণশীল জীবন্ত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বলা হয়। প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় ধারণকারী অনেক বৈশিষ্ট্য এখন অন্যান্য ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলোর মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে।",
"title": "লিথুয়ানীয় ভাষা"
},
{
"docid": "1589#2",
"text": "মনোএল ভাওয়ালের একটি গির্জায় ধর্মযাজকের দায়িত্ব পালনকালে ১৭৩৪-৪২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে Vocabolario em idioma Bengalla, e Potuguez dividido em duas partes শীর্ষক গ্রন্থটি রচনা করেন। গ্রন্থটি দুটি অংশে বিভক্ত: প্রথম অংশ বাংলা ব্যাকরণের একটি সংক্ষিপ্তসার এবং দ্বিতীয় অংশ বাংলা-পর্তুগিজ ও পর্তুগিজ-বাংলা শব্দাভিধান। গ্রন্থটি পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দে রোমান হরফে মুদ্রিত হয়। এর কাঠামোগত আদর্শ গৃহীত হয়েছে লাতিন ব্যাকরণ থেকে, তাই এতে বর্ণিত হয়েছে লাতিন ভাষার ধাঁচে। আর এতে শুধু রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বই আলোচিত হয়েছে, ধ্বনিতত্ত্ব সম্পর্কে কোনো আলোচনা নেই।",
"title": "বাংলা ব্যাকরণ"
},
{
"docid": "554526#10",
"text": "\"লিঙ্গ\" শব্দটি অস্ট্রো-এশিয়াটিক জগতে সর্বব্যাপী ব্যবহৃত হলেও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষায় ব্যবহার দেখা যায় না। চক্রবর্তী আরো বলেছেন যখন এই শব্দ দুটি সংস্কৃতে প্রবেশ করে তখন আরো একটি শব্দ \"লিঙ্গুলা\"র (লেজ) সংগে প্রবেশ করে যাদের মূল \"ল্যাং বা লং\"। যদি ফোনেটিক নৈকট্যতার উপর ভিত্তি করে এই তিনটি শব্দ লিঙ্গ ~ লিঙ্গালা ~ ল্যাঙ্গুলা'র পারষ্পরিক সম্পর্ক গ্রহন করা হয় তবু এদের শব্দার্থিক বিবর্তন চেনা খুব কঠিন নয় - কারণ মানুষের সৃষ্টি ধারা অব্যহত রাখতে ফ্যালাস বা পুরুষ জনন তন্ত্রের ব্যবহার এবং পৃথিবীর উর্বরতা বাড়াতে ল্যাঙ্গুলার মত যন্ত্র/উপকরণ ব্যবহার করে তৃণভোজীদের জীবনকে সমর্থন করে একে অন্যের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতীকী সমান্তরাল বয়ে আনে। বিভিন্ন সিন্ধু সভ্যতার সাইটে পাথরের লিঙ্গ পাওয়া গেছে যার দৈর্ঘ্য ক্ষুদ্র থেকে তিন ফুট পর্যন্ত। এরা স্টেটাইট, বেলেপাথর এবং পোড়ামাটির তৈরী। এদের কিছু কিছু খুবই প্রাকৃতিক। তাম্র যুগ থেকে ভারতে লিঙ্গ পূজা প্রচলিত এবং ধর্মভিত্তিক ঐন্দ্রজালিক শেষকৃত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলো।",
"title": "লিঙ্গমূর্তি"
},
{
"docid": "547304#6",
"text": "প্রথম লিভুনীয় ভাষার শব্দ হেনরির লিভোনিয়ান ক্রনিকলে লিপিবদ্ধ করা আছে। লিভুনীয় ভাষা সম্পর্কে প্রথম লিখিত সূত্র ১৬দশ শতাব্দীতে প্রথম আবির্ভুত হয়। লিভুনীয় ভাষার কবিতাসংগ্রহ \"মেরিনার্স স্যাক্রেড সংগ্স এন্ড প্র্যায়েরস\" () লাত্ভিয় ভাষাতে জানিস্ প্রিন্টস্ (Jānis Prints) অনুবাদ করেন এবং তার পুত্র জানিস্ জুনিয়র (Jānis Jr.) ১৮৪৫ সালে প্রকাশ করেন। প্রথম লিভুনীয় ভাষার বই হল গসপেল অফ ম্যাথু (Gospel of Matthew), যা ১৮৬৩ সালে পূর্ব এবং পশ্চিম কোরল্যান্ড উপভাষায় প্রকাশিত হয়। এটি নিক পলম্যান দ্বারা পূর্ব করোনিয়ান ভাষাতে এবং জানিস্ প্রিন্টস্ ও পিটারিস্ (Peteris) দ্বারা পশ্চিম করোনিয়ান ভাষাতে অনুবাদ করা হয়। মোট ২৫০ কপি বিক্রি হয়। লিভুনীয়রা প্রতিটি উপভাষার শুধু একটি করে কপি পেয়েছে। দ্বিতীয় লিভুনীয় বই একই গসপেল অফ ম্যাথু সেন্ট পিটার্সবার্গে 1880 সালে প্রকাশিত, কেবল লাত্ভিয় এবং জার্মান বানানে।",
"title": "লিভোনীয় ভাষা"
},
{
"docid": "1589#36",
"text": "পর্তুগিজ ধর্মযাজক মানোএল দ্য আসসুম্পসাঁউ (Manoel da Assumpcam) বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন। ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগালের লিসবন শহর থেকে রোমান হরফে মুদ্রিত তাঁর লেখা \"Vocabolario em idioma Bengalla, e Portuguez dividido em duas partes\" শীর্ষক গ্রন্থটির প্রথমার্ধে রয়েছে একটি সংক্ষিপ্ত, খন্ডিত ও অপরিকল্পিত বাংলা ব্যাকরণ। এর দ্বিতীয়াংশে রয়েছে বাংলা-পর্তুগিজ ও পর্তুগিজ-বাংলা শব্দাভিধান। মানোএল ভাওয়ালের একটি গির্জায় ধর্মযাজকের দায়িত্ব পালনের সময় নিজের ও ভবিষ্যৎ ধর্মযাজকদের প্রয়োজনে এই ব্যাকরণ রচনা করেন; বাংলা ভাষার বিকাশ ঘটানো তাঁর লক্ষ্য ছিল না। লাতিন ভাষার ধাঁচে লেখা এই ব্যাকরণটিতে শুধু রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব আলোচিত হযেছে, কিন্তু ধ্বনিতত্ত্ব নিয়ে কোনো আলোচনা করা হয় নি। এছাড়া পুরো আঠারো ও উনিশ শতকে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকায় এই গ্রন্থটি বাঙালি ও বাংলা ভাষার কোনো উপকারেও আসেনি তখন।",
"title": "বাংলা ব্যাকরণ"
},
{
"docid": "638491#8",
"text": "লুইয়ান এবং লুভিক ইংরেজি শব্দ যার অন্যান্য অর্থ আছে, কিন্তু বর্তমানে লুইয়ান এবং লুভিকই সকলের পছন্দ। আগে লুইক শব্দটি আগে লুইয়ান এবং তার নিকটতম আত্মীয়দের জন্য প্রস্তাবিত ছিল, পণ্ডিতরা \"লুইক ভাষাসমূহকে\" লুইয়ান ভাষাসমূহ অর্থে ব্যাবহার করত। উদাহরণস্বরূপ, সিলভিয়া লুরঘি এর লুইয়ান শাখা একটি মূল ভাষার সঙ্গে শুরু হয় তিনি \"লুইয়ান গ্রুপ\", যা কমন লুইয়ান বা প্রোটো-লুইয়ান্সের যুক্তিযুক্ত। তার থেকে বের হয় আরও ৩টি ভাষা, তার মতে, মিলিয়ান, প্রোটো-লুউয়ান এবং লিসিয়ান, প্রোটো-লুউয়ান শাখায় ক্যুনিফর্ম এবং হিয়ারোগলিফিক লুভিয়ান রয়েছে।",
"title": "আনাতোলীয় ভাষা"
}
] |
মুহাম্মদ দাউদ খান কত সালে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি হন ? | [
{
"docid": "521739#0",
"text": "মুহাম্মদ দাউদ খান (১৮ জুলাই ১৯০৯ – ২৮ এপ্রিল ১৯৭৮) ছিলেন আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালন করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাদশাহ মুহাম্মদ জহির শাহকে উৎখাতের মাধ্যমে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করেন এবং আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭৮ সালে পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তানের (পিডিপিএ) নেতৃত্বে সংঘটিত সাওর বিপ্লবের সময় নিহত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন।",
"title": "মুহাম্মদ দাউদ খান"
},
{
"docid": "481022#3",
"text": "মুহাম্মদ দাউদ খান ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে সংঘটিত সাওর বিপ্লবের ফলে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হুন। খালক গ্রুপের হাফিজউল্লাহ আমিন ছিলেন অভ্যুত্থানের প্রধান পরিকল্পনাকারী। খালকপন্থিদের প্রধান নূর মুহাম্মদ তারাকি বিপ্লবী কাউন্সিলের প্রেসিডিয়ামের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীপরিষদের চেয়ারম্যান হন। পাশাপাশি তিনি পিডিপিএর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিবের পদেও বহাল থাকেন। তার অধীনে পারচামপন্থি বাবরাক কারমাল বিপ্লবী কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীপরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান, আমিন মন্ত্রীপরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুহাম্মদ আসলাম ওয়াতানজার মন্ত্রীপরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন। কারমাল, আমিন ও ওয়াতানজারকে মন্ত্রীপরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার এই সিদ্ধান্ত অস্থিতিশীল হিসেবে দেখা দেয়। এর ফলে সরকারের ভেতরে তিনটি পৃথক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে। খালকপন্থিদেরকে আমিনের নিকট, পারচামপন্থিদেরকে কারমালের নিকট এবং সামরিক অফিসারদেরকে (তারা পারচামপন্থি ছিলেন) ওয়াতানজারের নিকট জবাবদিহি করতে হত।",
"title": "আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র"
},
{
"docid": "521739#6",
"text": "১৯৭৩ সালের ১৭ জুলাই দাউদ খান একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জহির শাহকে উৎখাত করেন। তিনি আফগানিস্তানকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন এবং রাষ্ট্রপতি হন। জহির শাহর সংবিধানে উল্লেখিত নির্বাচিত সদস্যদের বদলে মনোনীত লয়া জিরগার ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন প্রণীত হয়েছিল তবে তা রাজনৈতিকভাবে সফল হয়নি।",
"title": "মুহাম্মদ দাউদ খান"
}
] | [
{
"docid": "495613#4",
"text": "মুহাম্মদ জহির শাহ ১৯৩৩ সালে সিংহাসনে বসেন। তার চাচাত ভাই মুহাম্মদ দাউদ খান ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাদশাহর সমর্থক ছিলেন না। ১৯৭০ এর দশকে দাউদ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করেন। ১৯৭৩ সালে বাদশাহ চিকিৎসার জন্য ইতালি যান। এসময় দাউদের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানে জহির শাহ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়। দাউদ খান নতুন সরকার গঠন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে জহির শাহ ইতালিতে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে থাকেন।",
"title": "সাওর বিপ্লব"
},
{
"docid": "462501#2",
"text": "দশ মাস পরে আমানউল্লাহ খানের যুদ্ধমন্ত্রী মুহাম্মদ নাদির ভারত থেকে নির্বাসন ত্যাগ করে আফগানিস্তান ফিরে আসেন। তার ব্রিটিশ সমর্থিত বাহিনী কাবুল দখল করে নেয়। এরপর হাবিবউল্লাহ কালাকানিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।\nমুহাম্মদ নাদির এরপর শাসনভার লাভ করেন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে তাকে বাদশাহ ঘোষণা করা হয়। তিনি আমানউল্লাহ খানের অনেক সংস্কার বন্ধ করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র মুহাম্মদ জহির শাহ আফগানিস্তানের বাদশাহ হন।\nমুহাম্মদ জহির শাহ ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে তার চাচাত ভাই মুহাম্মদ দাউদ খান কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হন। দাউদ খান রাজতন্ত্রের বদলে প্রজাতন্ত্র স্থাপন করেছিলেন। জহির শাহর সময় আফগানিস্তানের সাথে অন্যান্য দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। এদের মধ্যে রয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।",
"title": "আফগানিস্তান রাজ্য"
},
{
"docid": "521739#2",
"text": "১৯৩৯ সালে দাউদ খান লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত হন। ১৯৪৬ সালে তিনি কাবুল আর্মি কর্পসের কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ফ্রান্সে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ১৯৫১ সালে তিনি জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কাবুলে আফগান সশস্ত্র বাহিনীর কেন্দ্রীয় কর্পসের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।",
"title": "মুহাম্মদ দাউদ খান"
},
{
"docid": "702013#0",
"text": "কর্ণেল আব্দুল কাদির (১৯৪৪ – ২২শে এপ্রিল ২০১৪) হেরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নে একজন পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষিত হন। ১৯৭৩ সালে তিনি অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন। এই অভ্যুত্থানের ফলে মহম্মদ দাউদ খানের রাষ্ট্রপতিত্বে তৈরী হয় আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্র। ১৯৭৮ সালে, তিনি আফগান এয়ার ফোর্স স্কোয়াড্রনের নেতা ছিলেন, যারা সাওর বিপ্লবের সময় রেডিও-টিভি স্টেশন আক্রমণ করেছিল। যখন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব আফগানিস্তান (পিডিপিএ) ক্ষমতায় আসে, তিনি তিন দিনের জন্য দেশের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি ঘোষণা করেন।",
"title": "আব্দুল কাদির"
},
{
"docid": "608783#5",
"text": "১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বাদশাহ মুহম্মদ জহির শাহ আফগানিস্তান শাসন করেন। তাঁর চাচাতো ভাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহম্মদ দাউদ খান ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এসময় মার্ক্সবাদী পিডিপিএ-এর শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। ১৯৬৭ সালে পিডিপিএ নূর মুহম্মদ তারাকী ও হাফিজুল্লাহ আমিনের নেতৃত্বাধীন খালক (জনতা) এবং বাবরাক কারমালের নেতৃত্বাধীন পারচাম (পতাকা) নামক দুইটি উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।\nজহির শাহের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা সৃষ্টির অভিযোগ উঠলে ১৯৭৩ সালের ১৭ জুলাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দাউদ এই সুযোগে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। দাউদ আফগানিস্তানে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটান এবং তাঁর শাসন আফগান জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, কিন্তু পিডিপিএ-এর সমর্থকদের নিতট দাউদের শাসন জনপ্রিয় ছিল না।\nদাউদের সরকার কর্তৃক পিডিপিএ সদস্যদের ওপর চালানো নিপীড়ন এবং পিডিপিএ-এর একজন প্রথম সারির নেতা মীর আকবর খাইবারের রহস্যজনক মৃত্যু পিডিপিএ-র উভয় উপদলকে দাউদের সরকারের চরম বিরোধী করে তোলে। খাইবারে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার পর কাবুলে দাউদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণবিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর ফলে আফগান কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন পিডিপিএ নেতাকে গ্রেপ্তার করে।\n১৯৭৮ সালের ২৭ এপ্রিল পিডিপিএ-এর প্রতি সহানুভূতিশীল আফগান সেনাবাহিনীর সদস্যরা দাউদের সরকারকে উৎখাত করে এবং দাউদ সপরিবারে নিহত হন। পিডিপিএ-এর মহাসচিব নূর মুহম্মদ তারাকী নবগঠিত আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের বিপ্লবী পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।",
"title": "সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধ"
},
{
"docid": "521739#1",
"text": "দাউদ খান ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই আফগানিস্তানের রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুহাম্মদ আজিজ খান ও মা খুরশিদ বেগম। তার বাবা জার্মানিতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করার সময় ১৯৩৩ সালে বার্লিনে নিহত হন। এরপর তিনি ও তার ভাই নাইম খান তাদের চাচা হাশিম খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। দাউদ খান ফ্রান্সে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৩৪-৩৫ ও ১৯৩৮-৩৯ সাল সময়কালে তিনি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের এ গভর্নর ছিলেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি কান্দাহার প্রদেশের গভর্নর ছিলেন।",
"title": "মুহাম্মদ দাউদ খান"
},
{
"docid": "520522#0",
"text": "মুহাম্মদ নজিবউল্লাহ আহমেদজাই (; ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ – ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬) ছিলেন আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির পদে ছিলেন। তিনি সাধারণভাবে নজিবউল্লাহ বা ড. নজিব নামে পরিচিত। তিনি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে তিনি পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তানের (পিডিপিএ) বিভিন্ন দায়িত্বপালন করেছেন। হাফিজউল্লাহ আমিনের শাসনামলে তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইরানে প্রেরণ করে নির্বাসিত করা হয়। সোভিয়েত হস্তক্ষেপের পর তিনি আফগানিস্তানে ফিরে আসেন। বাবরাক কারমালের শাসনামলে তিনি গোয়েন্দা সংস্থার (\"খাদামাতে আয়েতলাতে দাওলাতি\", সংক্ষেপে খাদ) প্রধান হন। তিনি পিডিপিএর পারচাম গ্রুপের সদস্য ছিলেন।",
"title": "মুহাম্মদ নজিবউল্লাহ"
}
] |
বাংলা লিপির উদ্ভব কোন লিপি থেকে হয় ? | [
{
"docid": "178766#2",
"text": "অনেক পন্ডিত মনে করেন, প্রাচীন ফিনিশীয় লিপি থেকে সৃষ্টি হয়েছে ব্রাহ্মীলিপির। কিন্তু সিন্ধুর মহেনজোদারো এবং পাঞ্জাবের হরপ্পা সভ্যতা আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে পন্ডিতদের এ ধারণা পাল্টে গেছে। তাঁরা এখন মনে করেন, বিদেশী লিপির প্রভাব থাকলেও প্রাচীন ভারতবাসীরা নিজেরাই স্বধীনভাবে লিপি আবিষ্কার করেছে এবং সিন্ধূলিপি ব্রাহ্মীলিপির পূ্বসূরি। অবশ্য মহেনজোদারো ও হরপ্পার লিপি এখনও কেউ\nপড়ে উঠতে পারেন নি। ঋগ্বেদে একধিকবার অক্ষর কথাটির উল্লেখ আছে এবং ঐতরেয় ব্রাহ্মণেও অক্ষর শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। খ্রিষ্টের জন্মের পাঁচশ বছর আগে থেকে ৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রাচীন ভারতবর্ষে ব্রাহ্মীলিপি চালু ছিল। এ লিপির প্রথম বিবর্তন লক্ষ্য করা যায় অশো্কলিপি বা মৌর্যলিপিতে এর পরের স্তর পাওয়া যায় কুষানলিপি। প্রথম থেকে তৃ্তীয় খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কুষান রাজাদের আমলে এ লিপির প্রচলন ছিল বলে এ লিপির এই নামকরণ হয়েছে। এরপর ব্রাহ্মীলিপিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি উত্তরী আর একটি হল দক্ষিণী। উত্তরীর মধ্যে আছে গুপ্তলিপি(চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত প্রচারিত)। গুপ্তলিপি থেকে সৃষ্টি হয়ছে কুটিল লিপি(ষষ্ঠ থেকে নবম শতাব্দী পর্যন্ত প্রচারিত)। কুটীল লিপি থেকে উদ্ভব হয়েছে নাগরিক লিপির। প্রাচীন নাগরী বা উত্তর ভারতীয় কুটীল লিপির পূর্ব শাখা থেকে উৎপত্তি হয়েছে বংলা লিপি বা অক্ষরের। দশম শতাব্দীর শেষ ভাগে মূল বংলা বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে বলে জানা যায়। কম্বোজের রাজা নয়পালদেবের \"ইর্দার দানপত্রে\" এবং প্রথম মহীপালের \"বাণগড়ের দানপত্রে\" সর্বপ্রথম আদি বাংলা বর্ণমালা দেখতে পাওয়া যায়। বাংলা অক্ষর দুই রকম- স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ। অ, আ, ই, ঈ ইত্যাদি এগারোটি স্বরবর্ণ এবং ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি ঊনচল্লিশটি ব্যঞ্জনবর্ণ। বংলা ভাষায় মোট অক্ষরের সংখ্যা ৫০। এদের বলা হয় বর্ণমালা।",
"title": "অক্ষর (সিলেবল)"
},
{
"docid": "77680#1",
"text": "লিপিটি সম্ভবত হরপ্পান সভ্যতার পরিণত পর্যায়ে ব্যবহৃত হত। প্রাচীন হরপ্পাতে ব্যবহৃত কিছু প্রতীক থেকে সম্ভবত এর উদ্ভব হয়েছিল। আলেকজান্ডার কানিংহাম ১৮৭৩ সালে প্রথম হরপ্পা লিপিতে লেখা একটি পাথরের সীলমোহরের স্কেচ প্রকাশ করেন। এর পর আরও প্রায় ৪০০০ প্রতীকবিশিষ্ট প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে; যেগুলির কিছু কিছু মেসোপটেমিয়াতেও পাওয়া গেছে। কোন কোন লিপিবিশারদ মনে করেন লিপিটি ভারতের ব্রাহ্মী লিপির পূর্বসূরী। কিন্তু বেশির ভাগ লিপিবিশেষজ্ঞ এর সাথে একমত নন; তাদের মতে ব্রাহ্মী লিপি আরামীয় লিপি থেকে এসেছে।",
"title": "সিন্ধু লিপি"
},
{
"docid": "2024#0",
"text": "বাংলা লিপি হল একটি লিখন পদ্ধতি যেটা ব্যবহৃত করা হয় বাংলা, মণিপুরি, ককবরক, অসমীয়া ভাষায়। বাংলা লিপির গঠন তুলনামূলকভাবে কম আয়তাকার ও বেশি সর্পিল। বাংলা লিপিটি সিদ্ধং লিপি থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হয়। অনুরূপ হিসাবে অসমিয়াকে মনে করা হলেও অসমীয়া লিপির উৎপত্তি বাংলা লিপি উৎপত্তির অন্তত আড়াইশ বছর পর। যে ভিন্নতা (বাংলা র; অসমীয়া ৰ ) আধুনিক বাংলা ও অসমীয়া ভাষায় দেখা সেটি ১৮ শতকের আগে ছিল না। পরবর্তিতে নিচে ফোঁটা দেওয়া র বাংলায় ব্যবহৃত হয়। বাংলা লিপি বিশ্বের ৫ম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লিখন পদ্ধতি।",
"title": "বাংলা লিপি"
}
] | [
{
"docid": "14893#3",
"text": "ভারতবর্ষের ব্রাহ্মীলিপির পেছনেও ফিনিশীয় লিপির প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়। তবে প্রাচীন ভারতীয়রা সম্ভবত স্বাধীনভাবেই নিজেদের লিপি উদ্ভাবন করেছিল। ভারতবর্ষের হরপ্পা ও মহেনজোদারো সভ্যতার লিপিগুলির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে ৩৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে ব্রাহ্মীলিপি প্রচলিত ছিল। এরপর অশোক লিপি বা মৌর্য লিপিতে এর বিবর্তন শুরু হয়। এর পরের ধাপে আসে কুষাণ লিপি; এগুলি কুষাণ রাজাদের আমলে প্রচলিত ছিল। এরপর ব্রাহ্মীলিপিটি উত্তরী ও দক্ষিণী - এই দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। উত্তরী লিপিগুলির মধ্যে গুপ্তলিপি প্রধান; এটি চতুর্থ ও ৫ম শতাব্দীতে প্রচলিত ছিল। গুপ্তলিপি থেকে আবির্ভাব হয় কুটিল লিপির; এটি ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শতক পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। কুটিল লিপি থেকে উদ্ভব হয় নাগরী লিপির। প্রাচীন নাগরী লিপির পূর্ব শাখা থেকে ১০ম শতকের শেষভাগে এসে উৎপত্তি হয়েছে বাংলা লিপির। কম্বোজের রাজা নয়পালদেবের ইর্দার দানপত্রে এবং প্রথম মহীপালের বাণগড়ের দানপত্রে সর্বপ্রথম আদি বাংলা বর্ণমালা দেখতে পাওয়া যায়।",
"title": "লিখন পদ্ধতি"
},
{
"docid": "2024#1",
"text": "বাংলা লিপি এবং তার অক্ষর-হরফের উৎস বা উৎপত্তি কীভাবে হল, তা এখনো অজানা, কিন্তু গবেষণাসহ মনে করা হয় যে বাংলা লিপির ব্যবহার খ্রিস্টাব্দ একাদশ শতক থেকে প্রচলিত। বাংলা লিপির ব্যবহার প্রায়ই মধ্যযুগীয় ভারতের পূর্বাঞ্চলে এবং তারপর পাল সাম্রাজ্যের মধ্যে ব্যবহার ছিল। পরে বিশেষভাবে বাংলার অঞ্চলে ব্যবহার করা অব্যাহত ছিল। পরে বাংলা লিপিটিকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বের অধীনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দ্বারা আধুনিক বাংলা লিপিতে প্রমিত করা হয়েছিল। বর্তমান দিনে বাংলা লিপিটি বাংলাদেশ ও ভারতে সরকারী লিপির পদমর্যাদা স্থানে আছে, এবং বাংলার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে যুক্ত আছে।",
"title": "বাংলা লিপি"
},
{
"docid": "422279#0",
"text": "ব্রাহ্মী লিপি পরিবার হল কয়েকটি লিখন পদ্ধতির সমষ্টি, যেগুলি প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এগুলির প্রত্যেকটিই শব্দীয় বর্ণমালা লিপি। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া (পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বাদে), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য ও পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে এই লিপিগুলি প্রচলিত। এদের প্রত্যেকেই প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মী লিপি থেকে সৃষ্ট হয়েছে। এই লিপিমালাগুলি কতকগুলি ভাষা-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ভাষায় ব্যবহৃত হয়। যথা – ইন্দো-ইওরোপীয়, দ্রাবিড়ীয়, তিব্বতি-বর্মী, মঙ্গোলীয়, অস্ট্রো-এশিয়াটিক, অস্ট্রোনেশীয় প্রভৃতি। এই লিপিগুলি জাপানের ‘কানা’ লিপির আভিধানিক বর্ণানুক্রমেরও উৎস হিসেবে পরিচিত।",
"title": "ব্রাহ্মী লিপি পরিবার"
},
{
"docid": "675159#8",
"text": "সীলমোহর লিপিটিও পরে বিবর্তিত হয় এবং বিভিন্ন লিখনশৈলীর জন্ম দেয়, যেগুলি আজও বেঁচে আছে। প্রথম যে লিখনশৈলীটির উদ্ভব ঘটে, সেটি হল করণিক লিখনশৈলী। ছিন রাজবংশের শাসনামলে দৈনন্দিন ব্যবহারের উপযোগী একটি লিখিত রূপ সৃষ্টি করতে গিয়ে এই লিখনশৈলীটির উদ্ভব ঘটে। সাধারণভাবে করণিক লিপির অক্ষরগুলি দেখতে সীলমোহর লিপির তুলনায় একটু “চ্যাপ্টা” হয়, অন্যদিকে সীলমোহর লিপির অক্ষরগুলি লম্বায় বেশি কিন্তু কম চওড়া হয়ে থাকে। সীলমোহর লিপির সাথে তুলনা করলে করণিক লিপির অক্ষরগুলি চোখে পড়ার মত আয়তাকার। এর পরবর্তী ধাপে চলন্ত লিপি বা অর্ধ-টানা-লেখা লিপিতে অক্ষরগুলি মোটামুটি আলাদা করে লেখা হলেও একেকটি অক্ষরের ভেতরের উপাদানগুলি একটানে জড়িয়ে লেখা শুরু হয়। অর্ধ-টানা-লেখা লিপিটি শেষ পর্যন্ত পূর্ণ টানা লিপিতে বিবর্তিত হয়, যার আরেক নাম তৃণ লিপি; এই লিপিতে অক্ষরগুলিকে তাদের আদি ঐতিহ্যবাহী রূপের সাথে মেলানোই দুষ্কর। তৃণলিপি দেখতে মনে হতে পারে কোন নিয়ম কানুন ছাড়াই এর অক্ষরগুলিকে লেখা হয়েছে। এটা সত্যি যে এই লিপির লেখকদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা অনেক সময় অক্ষরগুলির সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করতেন, যা রীতিতে পরিণত হয়।",
"title": "চীনা লিখন পদ্ধতি"
},
{
"docid": "422279#1",
"text": "পূর্বেই বলা হয়েছে, এই পরিবারের লিপিগুলি প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপির বংশধর। মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রিস্টপূর্ব ৩ শতক) ব্রাহ্মী লিপির প্রকৃষ্ট ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়, যা ঐ সময় রাজ্যের শাসন সংক্রান্ত নিয়ম-নির্দেশ লিপিবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হত। অশোকের স্তম্ভ লেখমালাগুলিতে ব্রাহ্মী লিপির প্রকৃষ্ট নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। ব্রাহ্মীর সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য উদাহরণটি হল খ্রিস্টপূর্ব ৪ শতকে লিখিত একটি স্তম্ভলিপি। উত্তর ভারতীয় ব্রাহ্মী থেকে গুপ্ত যুগে ‘গুপ্ত লিপি’র উদ্ভব হয়েছিল, যেটি মধ্যযুগে আরও নানা শাখায় বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – সিদ্ধং, শারদা ও নাগরী লিপি।",
"title": "ব্রাহ্মী লিপি পরিবার"
},
{
"docid": "12127#1",
"text": "অসমীয়া ভাষা বাংলা লিপির একটি সামান্য পরিবর্তিত সংস্করণে লেখা হয়। লিপিটির নাম অসমীয়া লিপি। বাংলা লিপির মতই এতে ১১টি স্বরবর্ণ আছে, তবে ব্যঞ্জনবর্ণ ও অন্যান্য চিহ্ন আছে ৫৪টি। গুপ্ত লিপি থেকে বিবর্তিত হয়ে লিপিটির উৎপত্তি। অসমে প্রাচীনকাল থেকেই লেখালেখির চর্চা আছে। মধ্যযুগে এখানকার রাজাদের আদেশনামা, ভূমি প্রদানপত্র, এবং তাম্রফলকে অসমীয়া লেখা দেখতে পাওয়া যায়। পূর্বে সাঁচি গাছের বাকলে অসমের একটি নিজস্ব লিপিতে ধর্মীয় গ্রন্থ ও কাহিনী লিখিত হত। \"হেমকোষ\" নামের অভিধানে অসমীয়া শব্দের যে সংস্কৃতভিত্তিক বানান ব্যবহৃত হয়েছিল, সেগুলিই এখন প্রমিত বানানে পরিণত হয়েছে।",
"title": "অসমীয়া ভাষা"
},
{
"docid": "2024#13",
"text": "বাংলা লিপিতে বর্তমানে ১১টি স্বরবর্ণ অক্ষর আছে যা ৭টি প্রধান স্বর উচ্চারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই সাতটিকে মৌলিক স্বরবর্ণ বলে ৷নিম্নে আধুনিক বাংলা স্বরবর্ণের তালিকা ও উচ্চারন প্রণালী দেখানো হল। এই ১১টি স্বরবর্ণ ছাড়াও \"ৠ\", \"ঌ\" এবং \"ৡ\" এই তিনটি স্বরবর্ণ পূর্বে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এদের ব্যবহার করা হয় না, এবং \"অ\" হচ্ছে সম্পূর্ণ ভাবে স্বতন্ত্র স্বরবর্ণ এবং পুরো বাংলা লিপির পূর্বনির্ধারিত সহজাত স্বরবর্ণ, তাই তার বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্ন নেই।কোনো স্বরবর্ণ দ্বারা পৃথক না থাকলে সর্বাধিক চারটি ব্যঞ্জনবর্ণ পরস্পর যুক্ত হয়ে যুক্তাক্ষর তৈরী করতে পারে। সাধারণতঃ প্রথম ব্যঞ্জনবর্ণ যুক্তাক্ষরের ওপরের দিকে বা বাম দিকে দেখা যায়। যুক্তাক্ষরে অনেক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যঞ্জনবর্ণ সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে মূল ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে তার কোনো সাদৃশ্য থাকে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাধারণ অবস্থায় ব্যঞ্জনবর্ণের যা উচ্চারণ, যুক্তাক্ষরে ব্যবহৃত হলে তার উচ্চারণের পরিবর্তন হয়ে যায়। যেমন \"জ\" এবং \"ঞ\" এর মিলনের ফলে তৈরী \"জ্ঞ\" যুক্তাক্ষরের উচ্চারণ \"জ্ন\" না হয়ে হয় \"গ্গ\"।কিছু উদাহরণ: স+ত +র=স্ত্র, ম+প+র=ম্প্র, জ+জ+ব=জ্জ্ব, ক্ষ+ম=ক্ষ্ম",
"title": "বাংলা লিপি"
}
] |
কলিকাতা পৌরসংস্থা কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
{
"docid": "2730#11",
"text": "স্বাধীনতার পর ১৯৫১ ও ১৯৫৬ সালে কর্পোরেশন আইন সংশোধন করা হয়। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শেষবার এই আইন সংশোধন করেন। সংশোধিত নতুন আইন কার্যকর হয় ১৯৮৪ সালে। ১৯৯২ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৭৪তম সংশোধনী বিল পাস হলে কলকাতা পৌরসংস্থা সামাজিক ন্যায় ও আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষমতা পায়। ২০০১ সালে কলকাতার ইংরেজি নাম ‘ক্যালকাটা’ বদলে ‘কলকাতা’ করা হলে ‘কলিকাতা পৌরসংস্থা’ নামের পরিবর্তে ‘কলকাতা পৌরসংস্থা’ নামটি চালু হয়।",
"title": "কলকাতা"
},
{
"docid": "76161#1",
"text": "ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৯২২ সালে গণতান্ত্রিক সায়ত্ত্বশাসন সংস্থা হিসেবে কলকাতা পৌরসংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ ও ১৯৫৬ সালে দুই বার কর্পোরেশন আইন সংশোধন করা হয়েছিল। বর্তমান পৌরসংস্থাটি ১৯৮০ সালের সংশোধিত পৌর আইনের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পৌরসংস্থার বর্তমান মহানাগরিক।",
"title": "কলকাতা পৌরসংস্থা"
}
] | [
{
"docid": "2730#9",
"text": "১৮৮৩ সালে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেন। এটিই ছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সম্মেলন। এরপর ধীরে ধীরে কলকাতা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। বিশেষত বিপ্লবী সংগঠনগুলির অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয় কলকাতা শহর। ১৯০৫ সালে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে কলকাতায় ব্যাপক গণবিক্ষোভ ও ব্রিটিশ দ্রব্য বয়কট (স্বদেশী আন্দোলন) শুরু হয়। এই সব গণআন্দোলনের তীব্রতা এবং দেশের পূর্বভাগে অবস্থিত কলকাতা থেকে দেশ শাসনের প্রশাসনিক অসুবিধার কারণে ১৯১১ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯২৩ সালে ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্টের অধীনে কলকাতার স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন কর্তৃপক্ষ কলকাতা পৌরসংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৪ সালে এই পৌরসংস্থার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। পরবর্তীকালে সুভাষচন্দ্র বসু, বিধানচন্দ্র রায়, আবুল কাশেম ফজলুল হক প্রমুখ বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই পদ অলংকৃত করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপানি সেনাবাহিনী একাধিকবার কলকাতা শহর ও বন্দরে বোমা নিক্ষেপ করেছিল। কলকাতায় জাপানি বোমাবর্ষণের প্রথম ও শেষ ঘটনাটি ঘটে যথাক্রমে ১৯৪২ সালের ২০ ডিসেম্বর এবং ১৯৪৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর। যুদ্ধের সময় কলকাতায় পঞ্চাশের মন্বন্তরে লক্ষাধিক মানুষ অনাহারে মারা যান। এই মন্বন্তরের কারণ ছিল সামরিক তাণ্ডব, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ১৯৪৬ সালে পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের দাবিতে এক ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কলকাতায় চার হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ভারত বিভাগের সময়ও বহু মানুষ সাম্প্রদায়িকতার শিকার হন। দেশভাগের পর বহুসংখ্যক মুসলমান পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান এবং সেই দেশের লক্ষ লক্ষ হিন্দু কলকাতায় চলে আসেন। এর ফলে শহরের জনপরিসংখ্যানে একটি বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়।",
"title": "কলকাতা"
},
{
"docid": "76161#0",
"text": "কলকাতা পৌরসংস্থা (ইংরেজি: Kolkata Municipal Corporation, \"কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন\"; (পুরনো নাম: কলিকাতা পৌরসংস্থা; ইংরেজি: Calcutta Municipal Corporation, \"ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন\") হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা শহরের স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসন সংস্থা। এটি একটি বিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা। কলকাতা শহরের ১৮৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলের পুর পরিষেবা দেওয়া ও নগরাঞ্চলের উন্নয়ন কলকাতা পৌরসংস্থার প্রাথমিক দায়িত্ব। পুরসভার নেতৃত্ব দেন মহানাগরিক (মেয়র)।",
"title": "কলকাতা পৌরসংস্থা"
},
{
"docid": "76161#2",
"text": "‘কর্পোরেশন অব ক্যালকাটা’-র প্রথম প্রতীক জনসমক্ষে আসে ১৮৯৬ সালে। এই প্রতীকে দেখা যায় সাপ ঠোঁটে দুই পাখি কাঁধে রাজমুকুট বহন করছে। স্বাধীনতার পর ১৯৬১ সালে এই ব্রিটিশ প্রবর্তিত প্রতীকটি পরিবর্তিত করে ফেলা হয়। এই সময়ই প্রতিষ্ঠিত নতুন ‘ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন’।",
"title": "কলকাতা পৌরসংস্থা"
},
{
"docid": "2737#3",
"text": "সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার কবে কলিকাতা গ্রামের জমিদারি লাভ করেন, তা সঠিক জানা যায় না। শোনা যায়, ১৬০৮ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের জ্ঞাতিভাই রাজা মানসিংহের কাছ থেকে এক বিশাল ভূসম্পত্তি লাভ করেছিলেন। তবে অন্য মতে, এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা কেবলমাত্র রাজা মানসিংহের প্রশংসাই অর্জন করেছিলেন, কোনো সম্পত্তি লাভ করেননি। এই কারণে ঠিক কতদিন সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা কলিকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের জমিদারি সত্ত্ব ভোগ করেন, তা জানা যায় না। তবে ১৬৯৮ সালের পূর্বাবধি তাঁরাই এই অঞ্চলের জমিদার ছিলেন এবং মুঘল সম্রাটের কাছ থেকে কিছু সুযোগসুবিধাও পেতেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় এই অঞ্চলের জমিদারি হস্তান্তর করেন, করেছিলেন মুঘল রাজদরবারের চাপে।",
"title": "কলিকাতা (গ্রাম)"
},
{
"docid": "2737#2",
"text": "১৬৯০ সালের ২৪ অগস্ট ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলা সদর কার্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে জব চার্নক নামে এক ইংরেজ বণিক সুতানুটিতে উপস্থিত হন। কলিকাতা গ্রামে স্থানীয় লোকেদের বসতি না থাকায়, এই গ্রামটি ইংরেজরা সহজেই দখল করে নিতে পারে। ১৬৯৬ সালে কোনোরূপ আইনি অধিকার ব্যতিরেকেই বর্তমান জিপিও অঞ্চলে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৬৯৮ সালের ১০ নভেম্বর জব চার্নকের জামাতা ও উত্তরাধিকারী চার্লস আয়ার এই অঞ্চলের পূর্বতন জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের কাছ থেকে কলিকাতা ও তৎসংলগ্ন তিনটি গ্রামের জমিদারি ক্রয় করলে এই অঞ্চলের উপর কোম্পানির আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দিন থেকেই কলকাতায় ব্রিটিশ শাসনের সূত্রপাত ঘটে। উল্লেখ্য, আওরঙ্গজেবের অধীনে মুঘল সাম্রাজ্য তখনও শক্তিশালী ছিল।",
"title": "কলিকাতা (গ্রাম)"
},
{
"docid": "70086#3",
"text": "ডঃ রাধাগোবিন্দ কর ভারতে ফিরে আসলে কলিকাতায় একটি জাতীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান তৈরীর উদ্দেশ্যে তিনি একটি বৈঠক আহ্বান করেন । ঐ সালের ১৮ অক্টোবর ডঃ মহেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, ডঃ অক্ষয় কুমার দত্ত, ডঃ বিপিন বিহারী মৈত্র, ডঃ এম্. এল. দে, ডঃ বি. জি ব্যানার্জী এবং ডঃ কুন্দন ভট্টাচার্য্যের মত কলিকাতার বিখ্যাত চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে ঐ বৈঠকে ব্রিটিশ শাসকদের অধীনে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পৃথক একটি মেডিক্যাল স্কুল স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত থেকে ১৬১, বৈঠকখানা বাজার রোডে ক্যালকাটা স্কুল অব মেডিসিন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শীঘ্রই ১১৭, বৌবাজার স্ট্রীটে স্থানান্তরিত হয়। ডঃ রাধাগোবিন্দ কর প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দের আগস্ট মাসে এই স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল রাখা হয় এবং ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে ডঃ রাধাগোবিন্দ কর ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯০৪ খৃষ্টাব্দে ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল এবং অপর একটি বেসরকারী চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জেন্স অব বেঙ্গল একত্রীভূত হয়ে দ্য ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জেন্স অব বেঙ্গল তৈরী হয় যাকে ১৯১৬ খৃষ্টাব্দের ৫ই জুলাই বেলগাছিয়া মেডিক্যাল কলেজ নামে উদ্বোধন করা হয়। ডঃ রাধাগোবিন্দ কর এর প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে এই কলেজ তাঁর নামানুসারে রাধাগোবিন্দ কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (আর.জি.কর) নামে পরিচিত।",
"title": "রাধাগোবিন্দ কর"
},
{
"docid": "72593#0",
"text": "কলিকাতা স্কুল-বুক সোসাইটি বা ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি(Calcutta School Book Society) শিক্ষাবিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান, যা ১৮১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার ও দেশীয় পণ্ডিতদের উদ্যোগে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক রচনা ও প্রকাশ করে সেগুলি মক্তব-মাদ্রাসা-পাঠশালার মতো দেশীয় বিদ্যালয়গুলিতে সরবরাহ করা। সোসাইটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিষদের ২৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন ইউরোপীয় ও আটজন দেশীয় এবং দুজন সেক্রেটারির মধ্যে একজন ইউরোপীয় ও একজন দেশীয়। দেশীয়দের মধ্যে ছিলেন মৌলভি আমিনুল্লাহ, মৌলভি করম হোসাইন, মৌলভি আবদুল ওয়াহিদ, মৌলভি আবদুল হামিদ, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, তারিণীচরণ মিত্র, রাধাকান্ত দেব ও রামকমল সেন। আমিনুল্লাহ ছিলেন কলকাতা মাদ্রাসার শিক্ষক; করম হোসাইন, মৃত্যুঞ্জয় ও তারিণীচরণ ছিলেন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের শিক্ষক এবং রাধাকান্ত ছিলেন কলকাতার নব্যধনী ও সমাজপতি। এফ আর্ভিং ও তারিণীচরণ সোসাইটির সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।",
"title": "ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি"
},
{
"docid": "312972#1",
"text": "১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে যুক্তরাজ্যর এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করে ডঃ রাধাগোবিন্দ কর ভারতে ফিরে আসলে কলিকাতায় একটি জাতীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান তৈরীর উদ্দেশ্যে তিনি একটি বৈঠক আহ্বান করেন । ঐ সালের ১৮ অক্টোবর ডঃ মহেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, ডঃ অক্ষয় কুমার দত্ত, ডঃ বিপিন বিহারী মৈত্র, ডঃ এম. এল. দে, ডঃ বি. জি ব্যানার্জী এবং ডঃ কুন্দন ভট্টাচার্য্যের মত কলিকাতার বিখ্যাত চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে ঐ বৈঠকে ব্রিটিশ শাসকদের অধীনে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পৃথক একটি মেডিক্যাল স্কুল স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত থেকে ১৬১, বৈঠকখানা বাজার রোডে ক্যালকাটা স্কুল অব মেডিসিন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শীঘ্রই ১১৭, বৌবাজার স্ট্রীটে স্থানান্তরিত হয়। ডঃ জগবন্ধু বসু এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম সভাপতি এবং ডঃ রাধাগোবিন্দ কর প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হন। পঠনপাঠনের জন্য সরকারী ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলের চিকিৎসা পাঠ্যক্রম গৃহীত হয়। বাংলা ভাষাকে শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে স্থির করা হয়। এবং পঠন পাঠনের সময়কাল নির্ধারিত হয় ৩ বছর। ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দের আগস্ট মাসে এই স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল রাখা হয় এবং ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে ডঃ লাল মাধব মুখার্জী ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং ডঃ রাধাগোবিন্দ কর সম্পাদক নির্বাচিত হন।",
"title": "ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল"
},
{
"docid": "76161#8",
"text": "স্বাধীনতার পর ১৯৫১ ও ১৯৫৬ সালে কর্পোরেশন আইন সংশোধন করা হয়। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শেষবার এই আইন সংশোধন করেন ও এই সংশোধনী কার্যকর হয় ১৯৮৪ সালে। ১৯৯২ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৭৪তম সংশোধনী বলে পশ্চিমবঙ্গের আইনসভা সামাজিক ন্যায় ও আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষমতা দান করে কলকাতা পৌরসংস্থাকে। ২০০১ সালে কলকাতা শহরের ইংরেজি নাম ‘ক্যালকাটা’ বদলে ‘কলকাতা’ করা হলে, পৌরসংস্থাও নাম পরিবর্তন করে ‘কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন’ নামে পরিচিত হয়।",
"title": "কলকাতা পৌরসংস্থা"
}
] |
মহাস্থানগড় প্রত্নস্থলটি কবে আবিষ্কৃত হয় ? | [
{
"docid": "4565#6",
"text": "মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত ও উদঘাটন করার ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তির অবদান রয়েছে। ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সিস বুকানন হ্যামিলটন প্রথম মহাস্থানগড়ের অবস্থান চিহ্নিত করেন। ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেক্সান্ডার কানিংহাম প্রথম এই প্রাচীন ঐতিহাসিক নগরীকে পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানীরূপে চিহ্নিত করেন। অনেক পর্যটক ও পন্ডিত ব্যক্তি, বিশেষত সি. জে. ও’ডোনেল, ই. ভি. ওয়েস্টম্যাকট ও হেনরী বেভারীজ এই শহরতলি এলাকাটি পরিদর্শন করেন এবং তাঁদের প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করেন। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে সন্ধান মেলে ব্রাহ্মী লিপির। সেই লিপিতে পুণ্ড্রনগরের প্রাদেশিক শাসক সম্রাট অশোক দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষকে রাজভান্ডার থেকে খাদ্যশস্য ও অর্থ সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন। এসব তথ্য উপাত্ত থেকে প্রসিদ্ধ এই নগরীর প্রাচীনতমের প্রমাণ মেলে।",
"title": "মহাস্থানগড়"
}
] | [
{
"docid": "4565#17",
"text": "ষষ্ঠ যুগ: এ যুগটি নগরের পূর্ব দিকে খোদার পাথর ভিটা, মানকালীর কুন্ড ধাপ, পরশুরামের প্রাসাদ ও বৈরাগীর ভিটার ন্যায় কয়েকটি বিক্ষিপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ দ্বারা পাল যুগের পরিচয় বহন করে। এ পর্যায়টি ছিল সবচেয়ে সমৃদ্ধ এবং এ যুগে নগরের বাইরে বহুসংখ্যক বৌদ্ধ ইমারত নির্মিত হয়েছিল।\nসপ্তম যুগ: মানকালীর কুন্ডে পূর্ববর্তী যুগের ধ্বংসাবশেষের উপর স্থাপিত ১৫ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের ধ্বংসাবশেষ, ফররুখসিয়ার কর্তৃক নির্মিত এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের ধ্বংসাবশেষ এবং চীনা সেলাডন ও এ যুগের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত চকচকে মাটির পাত্রের ন্যায় অপরাপর প্রত্ননিদর্শন দ্বারা মুসলিম যুগের পরিচয় বহন করে। নগরের অভ্যন্তরভাগে বৈরাগীর ভিটা, খোদার পাথর ভিটা, মানকালীর ঢিবি, পরশুরামের প্রাসাদ ঢিবি ও জিয়ৎ কুণ্ড প্রভৃতি প্রত্নস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব প্রত্নস্থল ছাড়াও ১৯৮৮-৯১ সালে খননকার্যের ফলে নগরটির তিনটি প্রবেশদ্বার, উত্তর ও পূর্ব দিকের রক্ষা-প্রাচীরের উল্লেখযোগ্য অংশ এবং মাযার এলাকার নিকটে একটি মন্দির-স্থাপনা উন্মোচিত হয়েছে।",
"title": "মহাস্থানগড়"
},
{
"docid": "4565#10",
"text": "প্রধান অখননকৃত ঢিবি\nমহাস্থানগড়ের প্রথাগত প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কে. এন. দীক্ষিত এর তত্ত্বাবধানে ১৯২৮-২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম শুরু করা হয়। তখন জাহাজঘাটার আশেপাশে মুনির ঘোন আর বৈরাগীর ভিটা পরিদর্শন করা হয়। বৈরাগীর ভিটা আর গোবিন্দ ভিটায় ১৯৩৪-৩৬ খ্রিষ্টাব্দে খননের কাজ স্থগিত করা হয়। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে সন্ধান মেলে ব্রাহ্মী লিপির। সেই লিপিতে পুণ্ড্রনগরের প্রাদেশিক শাসক সম্রাট অশোক দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষকে রাজভান্ডার থেকে খাদ্যশস্য ও অর্থ সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে মাজার, পরশুরামের প্রাসাদ, মানকালীর ধাপ, জিয়ৎ কুণ্ড ও উত্তরপাশের প্রাচীরের নিকটে খননকাজ চালানো হয়। পূর্ব ও উত্তরপাশের রক্ষাপ্রাচীরে পরবর্তীধাপের খননকাজ বিক্ষিপ্তভাবে চালানো হয় যদিও তখনও চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।",
"title": "মহাস্থানগড়"
},
{
"docid": "4565#43",
"text": "মহাস্থানগড় জাদুঘরের ঠিক সামনেই গোবিন্দ ভিটা অবস্থিত। গোবিন্দ ভিটা শব্দের অর্থ গোবিন্দ (হিন্দু দেবতা) তথা বিষ্ণুর আবাস। এ ভিটা একটি খননকৃত প্রত্নস্থল, ১৯২৮-২৯ সালে খনন করে গোবিন্দ ভিটায় দূর্গ প্রাসাদ এলাকার বাইরে উত্তর দিকে অবস্থিত। কিন্তু বৈষ্ণব ধর্মের কোনো নিদর্শন এ স্থানে পাওয়া যায়নি। তবুও প্রত্নস্থলটি স্থানীয়ভাবে গোবিন্দ ভিটা নামে পরিচিত।",
"title": "মহাস্থানগড়"
},
{
"docid": "4565#44",
"text": "পরশুরামের প্রাসাদ ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের সীমানা প্রাচীর বেষ্টনীর ভিতরে যেসব প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। স্থানীয়ভাবে এটি তথাকথিত হিন্দু নৃপতি পশুরামের প্যালেস নামে পরিচিত।",
"title": "মহাস্থানগড়"
},
{
"docid": "4565#15",
"text": "চতুর্থ যুগ: এ সময়ে কুষাণ-গুপ্ত যুগের নিদর্শনাদি উন্মোচিত হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ কুষাণ মৃৎপাত্রের টুকরা এবং সমসাময়িক কালের সুনির্দিষ্ট শৈল্পিক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত প্রচুর পোড়ামাটির ফলকচিত্র এ যুগের আবিষ্কৃত প্রত্নসম্পদ। মৃৎপাত্রের প্রধান ধরন হলো খোদাই করা নকশাসহ হাতলওয়ালা রান্নার পাত্র, পিরিচ, গামলা, পিচকারি এবং ঢাকনি। উপরের এবং নিচের স্তরের তুলনায় স্থাপত্যিক ধ্বংসাবশেষ এ অংশে কম। স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে আছে ভাঙ্গা ইটের টুকরা। অন্যান্য সাংস্কৃতিক সামগ্রী হলো পোড়ামাটির গুটিকা বা পুঁতি, গামলা, পাথর এবং কাঁচের গুটিকা বা পুঁতি, কাঁচের চুড়ি এবং পোড়ামাটির সিলমোহর।",
"title": "মহাস্থানগড়"
},
{
"docid": "483079#0",
"text": "মহাস্থানগড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ১৯৬৭ সালে করতোয়া নদীর কিনারা ও মহাস্থানগড়ের টিলা সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। মহাস্থানগড়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে উদ্যেগ নেয়া হয় প্রত্নতাত্ত্বিক এই জাদুঘর এর। পরে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সেটি দেখাশোনা করার উদ্যগ নেয়।",
"title": "প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, মহাস্থান"
},
{
"docid": "511956#1",
"text": "মহাস্থানগড়ের ভেতর যে সমস্ত প্রাচীন সভ্যতার নির্দশন পাওয়া যায় তার মধ্যে মানকালী কুন্ড ঢিবি উল্লেখযোগ্য। এটি মহাস্থানগড়ের মজা পুকুরের পূর্ব পারে অবস্থিত। ১৯৬৫-৬৬ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্বাবধানে এখানে খননকাজ শরু হয় ও শেষ পর্যন্ত সুলতানী আমলের একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষসহ বেশ কিছু ছোট ছোট প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু আবিষ্কার করা হয়।",
"title": "মানকালীর ঢিবি"
},
{
"docid": "4565#11",
"text": "এসব উৎখননের প্রাথমিক প্রতিবেদন ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। প্রায় দু’দশক পর ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে খননকাজ পুনরায় শুরু করা হয় এবং ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই খননকাজ চলতে থাকে। এ সময় খননকাজ মাজারের নিকটবর্তী এলাকা এবং উত্তর ও পূর্ব দিকের রক্ষা-প্রাচীর সংলগ্ন অংশে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এ পর্যায়ে সম্পন্ন কাজের পরিমাণ এলাকাটির বিশালত্বের তুলনায় খুবই নগণ্য ছিল। এ স্থানটির ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক অনুক্রম এখনও অজ্ঞাত। এ প্রত্নস্থল ও অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস পুনর্গঠন এবং প্রাচীন নগরটির সংগঠন সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য একটা ব্যাপক অনুসন্ধান কাজ পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘকাল ধরে অনুভূত হচ্ছিল। ফলে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির (১৯৯২) অধীনে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে বাংলাদেশী ও ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিকবিদগণ একটি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করে। তখন থেকে পূর্ব দিকের প্রতিরক্ষা প্রাচীরের মধ্যভাগ সন্নিহিত স্থানে প্রতিবছর প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন কাজ পরিচালিত হতে থাকে। ইতঃপূর্বে সুরক্ষিত নগরের বাইরে ভাসুবিহার, বিহার ধাপ, মঙ্গলকোট ও গোদাইবাড়ির ন্যায় কয়েকটি স্থানেও বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক খননকার্য পরিচালিত হয়েছে। নগরটিতে উৎখননকালে কয়েকটি স্থানে প্রত্নস্থলের মূল মাটি পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফ্রান্স-বাংলাদেশ মিশন কর্তৃক পরিচালিত সাম্প্রতিক উৎখনন ১৮টি নির্মাণ স্তর উন্মোচন করেছে। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি (ফ্রান্স-বাংলাদেশ উদ্যোগসহ) বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত উৎখননের ফলে নিম্নবর্ণিত সাংস্কৃতিক অনুক্রম উদ্ঘাটিত হয়েছে।",
"title": "মহাস্থানগড়"
},
{
"docid": "116890#1",
"text": "ডিহরে বাংলার অন্যতম প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নস্থলটি আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রায় ১২০০-১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ক্যালকোলিথিক জনগোষ্ঠী এইখানে দ্বারকেশ্বরের উত্তর তীরে বসতি স্থাপন করে। খ্রিষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে ডিহর শৈবধর্মের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়।",
"title": "ডিহর"
},
{
"docid": "496163#2",
"text": "মহাস্থানগড় দুর্গ নগরীর প্রাচীরের অদূরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত গোবিন্দ ভিটা নামক একটি অসমতল ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চালিয়ে ২০০/১২৫’ পরিমাপের একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। এখানে প্রাপ্ত বিভিন্ন হস্তান্তরযোগ্য প্রত্ননিদর্শণ, ইটের মাপ ব্যবহৃত মসল্লা, স্থাপত্যিক বির্নাস ইত্যাদির ভিত্তিতে অনুমিত হয় যে, মন্দিরটি খ্রীষ্ঠীয় আনুমানিক সাত শতকে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটিতে একাধিকবার পুনঃনির্মানের নিদর্শণ লক্ষ্য করা যায়। খ্রিস্টীয় ১২শ-১৩শ শতকে রচিত সংস্কৃতি গ্রন্থ ‘‘করতোয়া মহাত্ন্য’’ এ মন্দিরটির কথা উল্লেখ রয়েছে। এটি গোবিন্দ বা বিষ্ণু মন্দির নামে পরিচিত হলেও এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যাইনি যার ওপর ভিত্তি করে এটিকে বৈষ্ণব মন্দির বলা যেতে পারে।",
"title": "গোবিন্দ ভিটা"
}
] |
অলিম্পিকে ম্যারাথন দূরপাল্লার দৌড় প্রতিযোগিতা কবে থেকে চালু হয় ? | [
{
"docid": "272117#5",
"text": "ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়ায় ম্যারাথন দৌড়কে ক্রীড়াবিষয়রূপে অংশগ্রহণের বিষয়টি প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হয়। উদ্যোক্তা এবং সংগঠকগণ এ বৃহৎ জনপ্রিয় ক্রীড়াকে প্রাচীন গ্রীসের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মাইকেল ব্রিল ম্যারাথন দৌড়কে এথেন্সে ১৮৯৬ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আধুনিক অলিম্পিক গেমসের ক্রীড়াসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করতে সচেষ্ট হন।",
"title": "ম্যারাথন"
},
{
"docid": "272117#6",
"text": "মাইকেল ব্রিলের এ পরিকল্পনাটি গ্রীকদের পাশাপাশি আধুনিক অলিম্পিকের জনক পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ বেশ সমর্থন করেন। এর প্রেক্ষাপটে গ্রীস ১০ মার্চ, ১৮৯৬ সালে অলিম্পিক ম্যারাথনে দৌড়বিদ মনোনয়নের জন্য প্যান হেলেনিক গেমস ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে চেরিলাউস ভ্যাসিলাকোস নামীয় গ্রীক ক্রীড়াবিদ ৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট সময় নিয়ে জয়ী হন। এ দৌড়টিই ছিল বিশ্বের প্রথম ম্যারাথন দৌড়। ১৮৯৬ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম অলিম্পিক ম্যারাথন ক্রীড়া ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্পাইরিডন স্পাইরোজ লুইস নামীয় গ্রীক পানিবাহক ২ ঘন্টা ৫৮ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। তখন ম্যারাথন দৌড়ের ব্যাপ্তি ছিল ২৫ মাইল।\nমহিলাদের অংশগ্রহণে ম্যারাথন ক্রীড়া অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসে। এ দৌড়ে আমেরিকার জোয়ান বেনোইট নাম্নী দৌড়বিদ ২ ঘন্টা ২৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় নিয়ে জয়ী হন।",
"title": "ম্যারাথন"
}
] | [
{
"docid": "264039#3",
"text": "প্রথাগত গভীর রাতের পরিবর্তে প্রতিযোগিতা শুরু হয় ভোরবেলা। প্রথম ১০কিমি মোট আটজনের একটি দল এগিয়ে ছিল। সেটা ২০কিমির মাথায় ৫জনে এসে ঠেকে। এঁরা হলেন এরিথ্রীয় ইয়োনাস কিফল, ইথিয়পীয় দেরিবা মার্গা, কেনীয় মার্টিন লেল ও স্যামি ওয়াঞ্জিরু, এবং মরোক্কোর জাওয়াদ ঘারিব। পরের ১০কিমি দেরিবা মার্গা গতি বাড়িয়ে দেন, ফলে লেল ও কিফল পিছিয়ে পড়েন। ৩০কিমির মাথায়, স্যামি ওয়াঞ্জিরু দেরিবা মার্গাকে আক্রমণ করেন। আস্তে আস্তে মার্গা পিছিয়ে পড়তে থাকেন ও পদক জয়ের দৌড় থেকে ছিটকে যান। স্যামি ওয়াঞ্জিরু ঘারিবের থেকেও তাঁর প্রাধান্য ও দূরত্ব বজায় রেখে যান। যদিও ঘারিব আস্তে আস্তে ব্যবধান কমিয়ে আনেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২:০৬:৩২ সময়ে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন ওয়াঞ্জিরু। ঘারিব পান রূপো আর শেগে কেবেডে অনেক লড়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।",
"title": "২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে দৌড়বাজী – পুরুষদের ম্যারাথন"
},
{
"docid": "272117#9",
"text": "অলিম্পিকে ম্যারাথনের ন্যায় দূরপাল্লার দৌড় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে প্রমিলা ক্রীড়াবিদগণ এতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। তাস্বত্ত্বেও অল্প কিছুসংখ্যক নারী ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু আনুষ্ঠানিক ফলাফলে তাঁরা অন্তর্ভুক্ত হননি। মারী-লুইস লেদ্রু হচ্ছেন প্রথম নারী যিনি ম্যারাথনে প্রথম অংশগ্রহণ করেন। প্রথম নারী হিসেবে ভায়োলেট পিয়ের্সি ম্যারাথনে আনুষ্ঠানিকভাবে সময়ে যুক্ত করা হয়।",
"title": "ম্যারাথন"
},
{
"docid": "257609#1",
"text": "খোলা জলে সাঁতার কৌশলগত ভাবে, প্রথাগত সাঁতারের থেকে অনেকটাই আলাদা। বরং এর সাথে প্রতিযোগিতামূলক সাইক্লিং বা ম্যারাথন দৌড় বা জল পোলোর অনেক সাযুজ্য আছে। এটি অলিম্পিকের সেই সব স্বল্প সংখ্যক ক্রীড়া গুলির একটি, যাতে, প্রতিযোগিতা চলাকালীন কোচের ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিযোগিতা চলাকালীন কোচেরা চারবার তাঁদের প্রতিযোগীকে ভাসমান পন্টুন থেকে জল খাওয়ানোর সুযোগ পান। কিন্তু এই সময় কোচ যদি জলে পড়ে যান তাহলে তাঁর প্রতিযোগী সঙ্গে সঙ্গে অপসৃত হবেন।",
"title": "২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সাঁতার – পুরুষদের ম্যারাথন ১০ কিলোমিটার"
},
{
"docid": "257636#1",
"text": "খোলা জলে সাঁতার কৌশলগত ভাবে, প্রথাগত সাঁতারের থেকে অনেকটাই আলাদা। বরং এর সাথে প্রতিযোগিতামূলক সাইক্লিং বা ম্যারাথন দৌড় বা জল পোলোর অনেক সাযুজ্য আছে। এটি অলিম্পিকের সেই সব স্বল্প সংখ্যক ক্রীড়া গুলির একটি, যাতে, প্রতিযোগিতা চলাকালীন কোচের ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিযোগিতা চলাকালীন কোচেরা চারবার তাঁদের প্রতিযোগীকে ভাসমান পন্টুন থেকে জল খাওয়ানোর সুযোগ পান। কিন্তু এই সময় কোচ যদি জলে পড়ে যান তাহলে তাঁর প্রতিযোগী সঙ্গে সঙ্গে অপসৃত হবেন।",
"title": "২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সাঁতার – মহিলাদের ম্যারাথন ১০ কিলোমিটার"
},
{
"docid": "258785#3",
"text": "ফাইনালে পিস্তল ছোঁড়ার মুহূর্তে আমেরিকান দৌড়বীর টোরি এডওয়ার্ডস নড়ে ওঠেন, এবং সম্ভবতঃ মনে করেছিলেন আবার প্রতিযোগিতা শুরু হবে; কিন্তু, তা না হওয়ায় তিনি সবশেষে প্রতিযোগিতা শেষ করেন। প্রতিযোগিতার শেষে, যুক্তরাষ্ট্র দলের পক্ষ থেকে এডওয়ার্ডসের ভুল শুরুর কারণ দেখিয়ে পুনর্বার দৌড়ের অনুরোধ করা হয়, কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় ও ফলাফল একই থাকে। এডওয়ার্ডসের বিবৃতি সত্বেও, প্রকৃতপক্ষে তাঁর প্রতিক্রিয়ার সময় ০.১৭৯ সেকেন্ড দ্রুততম না হলেও আটজন প্রতিযোগিনীর মধ্যে ধীরতমও ছিল না। হয়ত, তিনি যখন নড়ে ওঠেন তখন তিনি পায়ের কাছের ব্লকগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণ চাপ দেননি যাতে অ্যালার্ম বেজে ওঠে, বা হয়তো, তাঁর শরীরের উপরের অংশই শুধু নড়ে ওঠে; পা ছিল স্থির।",
"title": "২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে দৌড়বাজী – মহিলাদের ১০০ মিটার"
},
{
"docid": "435757#2",
"text": "১৯৫২ সালে স্বল্পদূরত্বের প্রতিযোগিতামূলক হন্টনের পর পুরুষদের দৌড়বাজীতে আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। একমাত্র ব্যতিক্রম ১৯৭৬ সালের অলিম্পিকে দূরপাল্লার প্রতিযোগিতামূলক হন্টন বাতিল করা হয়। তাই সে বছরে IAAF পৃথকভাবে ৫০ কিমি হাঁটার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে। ফলে আবার ১৯৮০ সালের অলিম্পিকে এই বিভাগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এই দূরপাল্লার প্রতিযোগিতামূলক হন্টন একমাত্র প্রতিযোগিতা যা মহিলাদের বিভাগে নেই। এছাড়া পুরুষদের ডেকাথলন ও ১১০ মিটার বাধাদৌড়ের পরিবর্তে মহিলাদের জন্য যথাক্রমে হেপ্টাথলন ও ১০০ মিটার বাধাদৌড় বিভাগ দুটি আছে।",
"title": "গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে দৌড়বাজী"
},
{
"docid": "272117#7",
"text": "আধুনিক অলিম্পিক গেমসের ক্রীড়াসূচীতে সূচনালগ্ন থেকেই ম্যারাথন নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এটি দৌড় প্রতিযোগিতার সর্বশেষ ক্রীড়া বিষয় হিসেবে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সমাপ্তি ঘটে। ২০০৪ সালের অলিম্পিক গেমসে প্রথা অনুযায়ী ম্যারাথন শহর থেকে এথেন্সের প্যানাথিনাইকো স্টেডিয়ামে এসে ম্যারাথন দৌড় শেষ হয়। উল্লেখ্য, প্যানাথিনাইকো স্টেডিয়ামে ১৮৯৬ সালের অলিম্পিক ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।",
"title": "ম্যারাথন"
},
{
"docid": "272117#0",
"text": "ম্যারাথন () দূরপাল্লার দৌড় খেলাবিশেষ। দাপ্তরিকভাবে এ দৌড়ের দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২.১৯৫ কিলোমিটার বা ২৬ মাইল ৩৮৫ গজ। সচরাচর খেলা পরিচালনায় রাস্তা ব্যবহার করা হয় বিধায় এটি \"রোড রেস\" বা \"রাস্তায় দৌড় খেলা\" নামে পরিচিত। প্রাচীন গ্রীক সৈনিক ফেইডিপ্পিডেস কর্তৃক ম্যারাথনের যুদ্ধ জয়ের সংবাদ বহন করে দৌড়ে এথেন্স নগরে নিয়ে এসেছিলেন। ম্যারাথনের যুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতেই এ দৌড়ের নামকরণ করা হয় \"ম্যারাথন দৌড়\"।",
"title": "ম্যারাথন"
},
{
"docid": "264758#2",
"text": "পূর্ববর্তী গোটা বছরটাই চোট-আঘাতের সমস্যায় জর্জরিত থেকেও বিশ্বরেকর্ডধারিনী যুক্তরাজ্যের পাওলা র্যাডক্লিফ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিন্তু শীঘ্রই পায়ে খিঁচুনি তাঁকে থামতে বাধ্য করে। ব্যায়াম করে কিছুটা উপশম হলে তিনি আবার দৌড় শুরু করেন ও ২৩তম হয়ে ২:৩২:৩৮ সময়ে দৌড় শেষ করেন।",
"title": "২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে দৌড়বাজী – মহিলাদের ম্যারাথন"
}
] |
আলেকজান্ডার কোন দেশের রাজা ছিলেন ? | [
{
"docid": "34848#0",
"text": "ম্যাসিডনের তৃতীয় আলেকজান্ডার (২৩ অথবা ২৯ জুলাই ৩৫৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১০ অথবা ১১ জুন ৩২৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), যিনি মহান আলেকজান্ডার (, \"আলেক্সান্দ্রোস হো মেগাস\"; ) নামে জগদ্বিখ্যাত, ছিলেন ম্যাসিডন নামক প্রাচীন গ্রিক রাজ্য শাসনকারী আর্গিয়াদ রাজবংশের একজন রাজা। ৩৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পেল্লা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করে আলেকজান্ডার মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তার পিতা দ্বিতীয় ফিলিপের স্থলাভিষিক্ত হন। তার শাসনকালের অধিকাংশ সময় তিনি উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়া জুড়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন এবং ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তিনি মিশর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারত পর্য্যন্ত প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম একটি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "34848#9",
"text": "সমরাভিযান থেকে ফিরে এসে ফিলিপ তাঁর সেনাপতি আত্তালোসের ভ্রাতুষ্পুত্রী ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকেকে বিবাহ করেন। ক্লিওপাত্রার যে কোন সন্তান পিতা-মাতা উভয় দিক থেকেই ম্যাসিডোনিয় হওয়ায় এই বিবাহের ফলে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে আলেকজান্ডারের অবস্থান কিছুটা অসুরক্ষিত হয়ে পড়ে, কারণ আলেকজান্ডার পিতার দিক থেকে ম্যাসিডোনিয় হলেও মাতার দিক থেকে এপাইরাসীয় ছিলেন। বিবাহের সময় মদ্যপ অবস্থায় আত্তালোস ফিলিপ ও ক্লিওপাত্রার মিলনের ফলে একজন বৈধ উত্তরাধিকারীর কথা উল্লেখ করলে দৃশ্যতঃ ক্ষুব্ধ আলেকজান্ডার তাঁর মাথায় পানপাত্র ছুঁড়ে মারেন, কিন্তু মদ্যপ ফিলিপ আত্তালোসের পক্ষ গ্রহণ করলে আলেকজান্ডার দোদোনা শহরে তাঁর মাতুল এপাইরাসের রাজা প্রথম আলেকজান্ডারের নিকট তাঁর মাতা অলিম্পিয়াসকে রেখে ইলিরিয়ার রাজার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেন; যদিও কয়েকমাস পূর্বে আলেকজান্ডার ইলিরিয়াকে একটি যুদ্ধে পরাজিত করেন, তবুও ইলিরিয়ায় তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। যাই হোক, ফিলিপ রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে প্রশিক্ষিত পুত্রকে ত্যাজ্য করতে কখনোই রাজী ছিলেন না, ফলে দেমারাতোস নামক পারিবারিক বন্ধুর মধ্যস্থতায় ছয় মাস পরে আলেকজান্ডার ম্যাসিডনে ফিরে যান।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "34848#3",
"text": "আলেকজান্ডার ৩৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক মাস হেকাতোম্বাইওনের ষষ্ঠ দিনে বা ২০শে জুলাই ম্যাসিডন রাজ্যের পেল্লা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ম্যাসিডনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ ও তাঁর চতুর্থ স্ত্রী অলিম্পিয়াসের পুত্র ছিলেন। দ্বিতীয় ফিলিপের সাত বা আটজন পত্নী থাকলেও আলেকজান্ডারের জন্মদাত্রী হওয়ার কারণে অলিম্পিয়াস ফিলিপের প্রধানা পত্নী ছিলেন।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "34848#28",
"text": "ম্যাসিডনের রাজা আলেকজান্ডারের ভারতবর্ষ আক্রমণ ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পারস্য বিজয়ে পর শুরু হয় তার ভারত আগ্রাসন। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩১ অব্দে তিনি পারস্য সাম্রাজ্য আক্রমণ করেন। সে সময় সিন্ধুনদ পারস্য সাম্রাজ্যের সীমানা ছিল। আলেকজান্ডারের ভারতবর্ষ আক্রমণের প্রাক্কালে উত্তর-পশ্চিম ভারত পরস্পরবিরোধী অনেকগুলো রাজ্যে বিভক্ত ছিল। তাদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বহিরাক্রমণ ঠেকানো সম্ভবপর ছিল না। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৮ অব্দের মধ্যে সমগ্র পারস্য এবং আফগানিস্তান আলেকজান্ডারের দখলে আসে। অত:পর আলেকজান্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে ভারত অভিমুখে অগ্রসর হন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে তিনি ভারত নাম ভূখণ্ডে পদার্পণ করেন। আলেকজান্ডার পুষ্কলাবতীর রাজা অষ্টককে পরাভূত করেন, অশ্বক জাতিও তার নিকট পরাভূত হয়, তক্ষশীলার রাজা তার নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে, ঝিলাম রাজ পুরু বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাভব মানতে বাধ্য হন। অত:পর আরেকজান্ডার রাভি নদীর উপকূলবর্তী রাজ্যসমূহ দখল করেন এবং বিপাশা নদী পর্যন্ত অগ্রসর হন। এই স্থলে তার রণক্লান্ত সেনাবাহিনী দেশে প্রত্যাবর্তনে উণ্মুখ হয়ে পড়লে আলেকজাণ্ডার ভারত অভিযান বন্ধ করে গ্রিসে প্রত্যাবর্তন শুরু করেন। প্রত্যাবর্তনের পথে তিনি বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাব অধিগত করেন, ঝিলাম ও সিন্ধু নদের অন্তবর্তী সকল রাজ্য তার অধিগত হয়। ভারত ভূখণ্ডে আরেকজাণ্ডার প্রায় ১৯ মাস অবস্থান করেছিলেন। তিনি ভারত ত্যাগের পর প্রায় দুই বৎসরকাল তার বিজিত অঞ্চলসমূহে গ্রিক শাসন বজায় ছিল। ভারত থেকে প্রত্যাবর্তনের কিছুদিন পর খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে ব্যবিলনে তার অকাল মৃত্যু হয়। অন্যদিকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের নেতৃত্বে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা পাঞ্জাবে গ্রিক শাসনের অবসান ত্বরান্বিত করে।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
}
] | [
{
"docid": "437416#1",
"text": "দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আর্গিয়াদ রাজবংশের রাজা তৃতীয় আমুনতাস ও তাঁর পত্নী প্রথম ইউরিদিকের পুত্র ছিলেন। ৩৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পিতার মৃত্যুর পর যুবক দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ম্যাসিডনের সিংহাসনলাভ করেন। শাসনভার গ্রহণ করেই তাঁকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ইলিরিয়দের আক্রমণ ও পূর্বদিক থেকে পাউসানিয়াস নামক সিংহাসনের দাবীদারের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়। পাউসানিয়াস ম্যাসিডনের বেশ কিছু শহর দখল করে রাজধানী পেল্লা আক্রমণের চেষ্টা শুরু করলে, দ্বিতীয় আলেকজান্ডার এথেন্সের সেনাপতি ইফিক্রাতিসের সহায়তায় তাঁকে পরাজিত করেন।",
"title": "ম্যাসিডনের দ্বিতীয় আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "437416#0",
"text": "দ্বিতীয় আলেকজান্ডার () আর্গিয়াদ রাজবংশের রাজা ছিলেন, যিনি ৩৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ হতে ৩৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্য্যন্ত ম্যাসিডন শাসন করেন।",
"title": "ম্যাসিডনের দ্বিতীয় আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "423459#0",
"text": "রাজা পুরুষোত্তম বা পুরু ( গ্রিকঃ Πῶρος - Pôros ) ছিলেন পৌরবের রাজা । এই প্রাচীন ভারতীয় রাজ্য ঝিলাম ( বিতস্তা ) ও চেনাব ( চন্দ্রভাগা ) নদীদ্বয়ের মধ্যে অবস্থিত ছিল । যা আধুনিক পাঞ্জাব, পাকিস্তান এবং বিপাশা নদীর অববাহিকার অন্তর্ভুক্ত । রাজা পুরুষোত্তম ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মহামতি আলেকজান্ডারের সাথে বিতস্তার তীরে ( আধুনিক পাঞ্জাবের মং ) যুদ্ধ করেন এবং পরাজিত হন । এরপর তিনি আলেকজান্ডারের অধীনে সামন্ত রাজা রূপে রাজত্ব করেন ।",
"title": "রাজা পুরুষোত্তম"
},
{
"docid": "296930#39",
"text": "এরপরে শক্তির ভারসাম্য গ্রিসের দিকে হেলে পড়ে। ৩৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ম্যাসিডোনিয়ার যুদ্ধবাজ রাজা ২য় ফিলিপ কায়েরোনেয়ার যুদ্ধে বিজয়ী হলে সমগ্র গ্রিস তাঁর নিয়ন্ত্রণে আসে। ৩৩৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফিলিপকে হত্যা করা হলে তাঁর পুত্র আলেকজান্ডার মাত্র ২০ বছর বয়সে (জন্ম ৩৫৬ খ্রিপূ.) ক্ষমতায় আরোহণ করেন। কিন্তু এর পর মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে আলেকজান্ডার প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যটি দখল করতে সক্ষম হন। একই সাথে তিনি বহু দূরে গ্রিক ও পারসিক সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেন। ৩৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার তার সেনাবাহিনী নিয়ে পারস্য আক্রমণ করেন। তিনি শুধু পারসিকদের রাজ্য দখলই করতে চাননি, গ্রিক রাজকোষের অভাবও মোচন করতে চেয়েছিলেন। ৩৩৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি পারস্যের রাজা ৩য় দারিউসের বিশাল সেনাবাহিনীকে ইস্সুসের যুদ্ধে পরাজিত করেন। ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার মিশর দখল করেন। ৩৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ গাউগামেলার যুদ্ধে পারসিকদের শেষবারের মত পরাজিত করে সমগ্র পারস্য সাম্রাজ্য অধিকারে নিয়ে এর রাজায় পরিণত হন। পারসিকদের তীরন্দাজ ও ঘোড়সওয়ারী যোদ্ধারা খুবই দক্ষ হলেও আলেকজান্ডারের রণকৌশলের কারণে তারা পরাজিত হয়। আলেকজান্ডার পারস্যের রাজধানী পার্সেপোলিস দখল করার পর এর অসাধারণ রাজপ্রাসাদটি ধূলায় মিশিয়ে দেন। তবে ক্ষমতায় আসার পর তিনি গ্রিক ও পারসিক জাতিদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করতে তাঁর সরকার ও মন্ত্রীসভায় পারসিকদের জায়গা দেন। তিনি পারসিক পোশাক পরিধান শুরু করেন এবং রোখসানা নামের একজন পারসিক রাজকন্যাকে বিয়ে করেন। এর পর তিনি ভারত দখলের উদ্দেশ্যে পূর্ব দিকে রওনা দেন এবং ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারতে পৌঁছান। সেখানে ভারতের রাজা পুরুর সাথে হিসাসপেস নদীর তীরের যুদ্ধে পুরুকে পরাজিত করেন। এটিই ছিল তার শেষ সমরাভিযান। তার ক্লান্ত সেনাবাহিনী সামনে অগ্রসর হতে অস্বীকৃতি জানায় এবং আলেকজান্ডার ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্যাবিলনে ফেরত যেতে বাধ্য হন। সেখানে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ৩২ বছর বয়সেই মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পরে শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের মধ্যে তাঁর সাম্রাজ্যটি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়া হয়।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
},
{
"docid": "437912#1",
"text": "ক্লিওপাত্রা দ্বিতীয় ফিলিপের সেনাপতি আত্তালোসের ভ্রাতুষ্পুত্রী ছিলেন। দ্বিতীয় ফিলিপ সম্ভবতঃ ৩৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নিজের ৪৫ বছর বয়সে তখন মাত্র ষোড়শী এই কন্যাকে বিবাহ করেন ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকের যে কোন সন্তান পিতা-মাতা উভয় দিক থেকেই ম্যাসিডোনিয় হওয়ায় এই বিবাহের ফলে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে আলেকজান্ডারের অবস্থান কিছুটা অসুরক্ষিত হয়ে পড়ে, কারণ তিনি পিতার দিক থেকে ম্যাসিডোনিয় হলেও মাতার দিক থেকে এপাইরাসীয় ছিলেন। বিবাহের সময় মদ্যপ অবস্থায় আত্তালোস ফিলিপ ও ক্লিওপাত্রার মিলনের ফলে একজন বৈধ উত্তরাধিকারীর কথা উল্লেখ করলে দৃশ্যতঃ ক্ষুব্ধ আলেকজান্ডার তাঁর মাথায় পানপাত্র ছুঁড়ে মারেন, কিন্তু মদ্যপ ফিলিপ আত্তালোসের পক্ষ গ্রহণ করলে ক্ষুব্ধ আলেকজান্ডার তাঁর মায়ের সাথে রাজ্য হতে চলে যান ও তাঁর মামা এপাইরাসরাজ প্রথম আলেকজান্ডারের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটলে মাস ছয়েক পর তাঁরা আবার ম্যাসিডনে ফিরে আসেন। ফিলিপ ও ক্লিওপাত্রার ইউরোপা নামক এক কন্যা ও কারানোস নামক এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। তবে এই নিয়ে বিতর্ক আছে। এফ স্টেয়েলিন প্রমুখ ঐতিহাসিকদের দাবি, ক্লিওপাত্রার একটিই মাত্র সন্তান ছিল, সদ্যজাত কন্যা ইউরোপা। কারানোস বলে আলেকজান্ডারের যে সৎভাই'এর উল্লেখ পাওয়া যায় তার সাথে ক্লিওপাত্রার সম্পর্ক ছিল না। প্রাচীন গ্রিক ঐতিহাসিক সাতিরোসের সাক্ষ্য এই মতই সমর্থন করে; রোমান ঐতিহাসিক জাস্তিনাসও শুধুমাত্র এক কন্যার হত্যারই উল্লেখ করেছেন। ক্লিওপাত্রা বিবাহের পর ইউরিদিকে নাম গ্রহণ করেন। ৩৩৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্বিতীয় ফিলিপের মৃত্যুর পর তাঁর অপর পত্নী অলিম্পিয়াস ইউরোপা ও কারানোসকে হত্যা করলে ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকে আত্মহত্যা করেন।",
"title": "ম্যাসিডনের ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকে"
},
{
"docid": "584145#4",
"text": "আলাউদ্দিন খলজি খুব উচ্চাকাঙক্ষী ছিলেন । গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের মতো তিনিও বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখতেন । কিন্তু কাজি আলা-উল-মূলকের পরামর্শে তিনি এই অসম্ভব পরিকল্পনা ত্যাগ করে সারা ভারত জুড়ে এক বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপনের নীতি গ্রহন করেছিলেন । বিশ্বজয়ের পরিকল্পনা ত্যাগ করলেও তিনি তাঁর মুদ্রায় নিজেকে ‘দ্বিতীয় আলেকজান্ডার’ হিসাবে উল্লেখ করতেন । ভারতে সাম্রাজ্য স্থাপনের পাশাপাশি তিনি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে মোঙ্গল আক্রমণের হাত থেকেও ভারতকে রক্ষা করেন । প্রথমে তিনি ভারতের গুজরাটের রাজা কর্ণদেব, রণ-থম্ভোরের রাজপুত নেতা হামির দেব , মেবারের রাজা রতন সিং ও মালবের অধিপতি মহ্লক দেবকে পরাজিত করেন । এরপর তিনি মালিক কাফুরের নেতৃত্বে দক্ষিণ ভারতে অভিযান প্রেরণ করেন । কাফুর দেবগিরির রাজা রামচন্দ্র, বরঙ্গলের কাকতীয়রাজ প্রতাপ রুদ্র, দোরসমুদ্রের হোয়্সলরাজ তৃতীয় বল্লালকে পরাজিত করবার পর ভাতৃবিরোধের সুযোগ নিয়ে পান্ড্য রাজ্য অধিকার করেন । এরপর তিনি নাকি রামেশ্বর পর্যন্ত অগ্রসর হন । আলাউদ্দিন খলজি অবশ্য দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি সরাসরি সাম্রাজ্যভুক্ত না করে সেখানকার রাজাদের মৌখিক আনুগত্য ও করদানের প্রতিশ্রুতি নিয়েই করদ রাজ্যে (কর ডাকে স্বীকৃত) পরিণত করেন । বিজেতা হিসাবে আলাউদ্দিন খলজি ছিলেন দিল্লির সুলতানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । স্যার উলসলে হেগের মতে, তাঁর রাজত্বের সঙ্গে সঙ্গেই সুলতানি সাম্রাজ্যবাদের সুত্রপাত হয় । তাঁর আমলেই প্রথম দক্ষিণ ভারতে সুলতানি সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটে । বিজেতা হিসাবে অনেকে তাঁকে আকবরের সঙ্গে তুলনা করেন। আলাউদ্দিনের দৃঢ়ত ও তার অসম সাহসিকতাপূর্ণ যুদ্ধকৌশলের কারনে তিনি ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছেন।",
"title": "আলাউদ্দিন খিলজি"
}
] |
বর্তমানে টুথব্রাশ বা দাঁতের ব্রাশ কি দিয়ে তৈরি করা হয় ? | [
{
"docid": "257398#1",
"text": "সময়ের ব্যবধানে ও আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে টুথব্রাশ সাধারণতঃ কৃত্রিম তন্তু বা সিনথেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরী করা হয়। প্রাচীনকালে পশুর পশম দিয়ে টুথব্রাশ তৈরী করা হতো। এখনও পশম দিয়ে তৈরী টুথব্রাশের ব্যবহার বিশ্বের কিছু অংশে দেখা যায়।",
"title": "টুথব্রাশ"
},
{
"docid": "257398#8",
"text": "চিবানো টুথব্রাশ দেখতে ক্ষুদ্র আকৃতির প্লাস্টিক বা কৃত্রিম বস্তুর ছাঁচ দিয়ে তৈরী এক ধরণের টুথব্রাশ। এরজন্যে কোন প্রকার জল বা পানির প্রয়োজন পড়ে না। এটি দেখতে খুবই ছোট প্রকৃতির হলেও গলাধঃকরণ করা যায় না। এটি ভিজানোর দরকার নেই। বাথরুম যন্ত্রপাতি বিক্রয়ে নিযুক্ত দোকানগুলোয় এ ধরণের টুথব্রাশ পাওয়া যায়। চিবানো টুথব্রাশে বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি মিশ্রণ হিসেবে মিন্ট বা বাবলগামের মতো উপকরণ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু একবার ব্যবহারের পরই এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায় বা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।",
"title": "টুথব্রাশ"
}
] | [
{
"docid": "257398#0",
"text": "টুথব্রাশ বা \"দাঁতের ব্রাশ\" হচ্ছে মুখে ব্যবহৃত এক ধরণের উপকরণ। এর সাহায্যে দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার করা হয়। সম্মুখের অংশে শক্ত করে থরে থরে সাজানো তন্তু রাখা আছে। হাতলে অল্প নড়াচড়ার মাধ্যমে মুখের অভ্যন্তরে আনাচে-কানাচে তন্তুগুলো প্রবেশ করে দাঁতকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বর্তমানে ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট প্রচলিত আছে। টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ একে-অপরের পরিপূরক। এ দু'য়ের মিলিত প্রচেষ্টায় টুথব্রাশিংকে কার্যক্রমকে স্বার্থক ও কার্যকরী করে তোলে। টুথব্রাশ যে-কোন দোকান বা শপিং মলে পাওয়া যায়। টুথব্রাশ বিভিন্ন রংয়ের, আকার-আকৃতির হয়ে থাকে।",
"title": "টুথব্রাশ"
},
{
"docid": "7631#2",
"text": "বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই দাঁত ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট দাঁতের এনামেল পরিচর্যা ও পরিষ্কারের জন্য টুথব্রাশের প্রচলন রয়েছে। এর মাধ্যমে দাঁতে অবস্থানরত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ও খাদ্যকণাকে দূরীভূত করে। কিন্তু শক্ত ক্ষুদ্র বা কুঁচি প্রকৃতির তন্তু দিয়ে তৈরী টুথব্রাশের ঘর্ষণে দন্ত এনামেল নষ্ট হয়ে যায় এবং দাঁতের মাড়িকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে ব্যবহারকারী যন্ত্রণাদায়ক, অসস্তিকর কিংবা বিরক্তিকর অনুভূতিতে আক্রান্ত হতে পারে। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়া ও কুসংস্কারে আবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থায় এখনও টুথব্রাশের প্রচলন নেই। তবে এর বিপরীতে তাদেরকে বিকল্প জিনিসপত্রাদি যেমনঃ কাঠি ইত্যাদি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার রাখা বাধ্যতামূলক।",
"title": "দন্ত এনামেল"
},
{
"docid": "257398#10",
"text": "অধিকাংশ দন্তবিশারদ বা ডেন্টিস্টগণ শক্ত প্রকৃতির টুথব্রাশের পরিবর্তে নরম ও নমনীয় প্রকৃতির টুথব্রাশ ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা, শক্ত ক্ষুদ্র বা কুঁচি প্রকৃতির তন্তু দিয়ে তৈরী টুথব্রাশের ঘর্ষণে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায় এবং দাঁতের মাড়িকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ব্যক্তির মনে যন্ত্রণাদায়ক, অসস্তিকর কিংবা বিরক্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়।",
"title": "টুথব্রাশ"
},
{
"docid": "257398#2",
"text": "নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ঘোড়ার চুল দিয়ে তৈরী টুথব্রাশের সাহায্যে দাঁত পরিষ্কার রাখতেন বলে জানা যায়। তবে আধুনিক সভ্য সমাজে টুথব্রাশ প্রচলনের অনেক পূর্ব থেকেই বহুবিধ উপায়ে মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা তথা দাঁতের পরিচর্যা করা হতো। সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন গবেষকদের কাছে টুথব্রাশের পূর্ব-পুরুষ হিসেবে বিভিন্ন উপকরণের বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তন্মধ্যে - লাঠি চিবানো, গাছের চিকন ডাল, পাখির পালক, পশুর হাড় এমনকি প্রাণীদেহের আত্মরক্ষামূলক ধারালো কাঁটা অন্যতম। তৎকালে এগুলোর সাহায্যে টুথব্রাশের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।",
"title": "টুথব্রাশ"
},
{
"docid": "257398#6",
"text": "মুখের সুস্থতা অনেকাংশেই মুখ পরিষ্কার রাখা সংক্রান্ত নিয়মিত চর্চার উপর নির্ভর করে। মুখ পরিষ্কার রাখার ফলে দাঁতের ক্ষয়রোগ, গিংগিভিটিজ, পিরিওডন্টাল রোগ, হ্যালিটোসিস বা মুখের দুর্গন্ধ এবং অন্যান্য দন্তজনিত সমস্যা থেকে ব্যক্তি রক্ষা পায়। পেশাদারী এবং ব্যক্তিগত - উভয় পর্যায়েই এ ধরণের সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতনভাবে দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি নিয়মিত দন্তচিকিৎসকের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের ক্যালকুলাস বা টারটার এবং দাঁতে অবস্থানরত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূরীভূত হয়। পেশাদারীভাবে দাঁতের পরিষ্কারের জন্য টুথ স্কেলিং করা হয়। এ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতির প্রয়োগ দেখা যায়।",
"title": "টুথব্রাশ"
},
{
"docid": "257398#5",
"text": "সাধারণতঃ নিম গাছের ডাল বা শাখার ক্ষুদ্র অংশ কেটে নিয়ে এক পাশে সামান্য চিবিয়ে ছিবড়া বানিয়ে নিম-দাঁতন তৈরি করে তা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা হয়। শহরাঞ্চলে টুথব্রাশের আগমন ও ব্যাপক প্রচলনের ফলে দাঁতনের ব্যবহার কমে গেলেও গ্রামাঞ্চলে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।",
"title": "টুথব্রাশ"
},
{
"docid": "550998#20",
"text": "২০১২ সালের মে মাসে, টোকিও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট থেকে গবেষকদের একটি দল ইলেক্ট্রনিক্স চিঠিপত্রে প্রকাশিত করে যে তারা বেতার ডেটা ট্রান্সমিশন এর জন্য একটি নতুন টি-রে ব্যবহার করেছে এবং তারা ভবিষ্যতে ডেটা ট্রান্সমিশন জন্য ব্যান্ডউইডথ হিসেবে একে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তাব রাখেন। এই দলের ধারণাকৃত যন্ত্রটি একটি অনুনাদিত টানেলিং ডায়োড (আরটিডি), নেতিবাচক প্রতিরোধের দোলক ব্যবহার করে টেরাহার্জ ব্যান্ডের তরঙ্গ উৎপাদন করে। এই আরটিডি দিয়ে গবেষকরা ৫৪২ গিগাহারজের একটি সংকেত প্রেরণ করতে পারে, প্রতি সেকেন্ডে ৩ গিগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার রেটে। এটি ডাটা ট্রান্সমিশনের পূর্ববর্তী নভেম্বরের হারের দ্বিগুণ। এই গবেষণায় প্রস্তাব করা হয় যে ওয়াই-ফাই সিস্টেম ব্যবহার প্রায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট) পর্যন্ত এই সিস্টেম বিস্তৃত হবে, কিন্তু ১০০ গিগাবিট / সেকেন্ড ডাটা ট্রান্সমিশন অনুমতি দিতে পারে।",
"title": "টেরাহার্জ বিকিরণ"
},
{
"docid": "645619#4",
"text": "ঘরে শুভ্রকরণ পদ্ধতিগুলি হল গল, চিউইং মোম, রিনিস, টুথপেষ্ট, পেইন্ট-অন ছায়াছবি, এবং শুভ্রকরণ স্ট্রিপ। অধিকাংশ ওভার-দ্য-কাউন্টার পদ্ধতিগুলি কার্বামাইড পারক্সাইড বা হাইড্রোজেন পারক্সাইড ব্যবহার করে। প্লাসেবো'র তুলনায় এই ধরনের পণ্যগুলি ডায়াবেটিসকে সাদা করে তুলতে পারে এমন কিছু প্রমাণ থাকলেও, প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলির বেশিরভাগটি স্বল্পমেয়াদী এবং উত্পাদকদের দ্বারা পরিচালিত বা পরিচালিত গবেষণা হিসাবে পক্ষপাতের একটি উচ্চ ঝুঁকির বিষয়। এই পণ্যগুলির কার্যকারিতা বা সম্ভাব্য ঝুঁকির কোন দীর্ঘমেয়াদি প্রমাণ নেই। এই ধরনের পণ্যগুলির স্বল্পমেয়াদী দক্ষতার কোনও পার্থক্য পার্থক্য সক্রিয় উপাদানের ঘনত্বের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়।",
"title": "দাঁত শুভ্রকরণ"
}
] |
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যু সাল কত ? | [
{
"docid": "7736#0",
"text": "আওরঙ্গজেব (), \"আল-সুলতান আল-আজম ওয়াল খাকান আল-মুকাররম আবুল মুজাফফর মুহি উদ-দিন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বাহাদুর আলমগীর I, বাদশা গাজী\", প্রথম আলমগীর নামেও পরিচিত (), (হিন্দি: अबुल मुज़फ़्फ़र मुहिउद्दीन मुहम्मद औरंगज़ेब आलमगीर) (নভেম্বর ৩, ১৬১৮ – মার্চ ৩, ১৭০৭) ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৪৯ বছর মুঘল সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন। তিনি ছিলেন বাবর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গীর এবং শাহ জাহানের পরে ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট। তিনি সম্রাট শাহজাহানের পুত্র। \nমুঘল সম্রাট হিসেবে আওরঙ্গজেবের শাসনামল বিভিন্ন যুদ্ধের মাধ্যমে সাম্রাজ্যের সীমানা বহুদূর বিস্তার করেন। তার আমলে দক্ষিণাঞ্চলে ৪ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনি ১৫৮ মিলিয়ন প্রজাকে শাসন করতেন। তার সময় মুঘল সাম্রাজ্যের বাৎসরিক করের পরিমাণ ছিল ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। যা তার সমসাময়িক চতুর্দশ লুইয়ের আমলে ফ্রান্সের বাৎসরিক কর এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ছিল। তার শাসনামলে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে গড়ে উঠেছিল। যার পরিমাণ ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলার, ১৭০০ সালে সমগ্র পৃথিবীর জি ডি পি এর এক চতুর্থাংশ।",
"title": "আওরঙ্গজেব"
},
{
"docid": "506053#1",
"text": "আওরঙ্গজেব (১৬১৮-১৭০৭) ছিলেন ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট। ১৭০৭ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতক ধরে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ স্থান জুড়ে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। আওরঙ্গজেবের ইচ্ছা অণুযায়ী তাকে তার \"আধ্যাত্মিক গুরু\" শেখ জইনুদ্ধিনের দরগাহের নিকট দাফন করা হয়। তাঁর প্রপিতামহ সম্রাট আকবর ৫০ বছর দিল্লী শাসন করেছিলেন।",
"title": "আওরঙ্গজেবের সমাধিসৌধ"
}
] | [
{
"docid": "33117#8",
"text": "বৃদ্ধ সম্রাট অসুস্থ হবার পর তার বড় ছেলে দারা শিকোহ উত্তরাধিকারী হন। সিংহাসন নিয়ে শাহজাহানের ছেলেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অন্যান্যদের পরাজিত করে শেষপর্যন্ত আওরঙ্গজেব জয়ী হন। দারা শিকোহকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মারাত্মক অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব বিস্তার করায় আওরঙ্গজেব শাহজাহানকে গৃহবন্দী করেন। আওরঙ্গজেবের সময় মুঘল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অনেক বৃদ্ধি পায়। তিনি প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াকে মুঘল সাম্রাজ্যের সরাসরি অধীনে নিয়ে আসেন। ১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন।",
"title": "মুঘল সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "7462#4",
"text": "এরপর অনেক বীরত্বগাথাঁ রচিত হয়। সর্বশেষ ১৫৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুর হতে ১২ মাইল দূরে ঈসা খাঁ,মাসুম খাঁ কাবুলীর সম্মিলিত বাহিনী দুর্জন সিংহকে (মানসিংহের ছেলে) বাধা দিলে দুর্জন সিংহ বহু মুঘল সৈন্যসহ নিহত হন। অনেকে বন্দী হন।কিন্তু সুচতুর ঈসা খাঁ মুঘলদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা উচিত বলে মনে করে আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নেন। তিনি বন্দীদের মুক্তি দেন এবং মানসিংহের সাথে আগ্রায় গিয়ে সম্রাট আকবরের সাথে সাক্ষাত করেন।সম্রাট এ বীর পুরুষকে দেওয়ান ও মসনদ-ই-আলা উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৫৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর মৃত্যু হয়।",
"title": "বারো ভুঁইয়া"
},
{
"docid": "7736#11",
"text": "শাহজাহানের চার পুত্রই বিভন্ন প্রদেশের সুবাহদার হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। সম্রাট সর্বদা তার জ্যেষ্ঠ্য পুত্র দারা শিকোকে অধিক প্রাধান্য দিতেন। অপর তিন ভ্রাতা এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন এবং নিজেদের মধ্যে দারার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। মুঘল সাম্রাজ্যে এমন কোন পূর্বাধিকার ছিল না যে সম্রাটের মৃত্যু হলে তার জ্যেষ্ঠ্য পুত্র সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হবেন। সিংহাসনের দাবিদারদের মধ্যে যুদ্ধ এবং মৃত্যু, পিতাকে সিংহাসনচ্যূত করে ক্ষমতা দখল করা প্রভৃতি ঘটনার মধ্য দিয়ে মুঘল সাম্রাজ্যের ক্ষমতার পালা বদল ঘটত। মূলত সামরিক শক্তির বলেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হত। শাহজাহানের চার পুত্রই শাসক হিসাবে যোগ্য ছিলেন। কিন্তু মূল ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুধুমাত্র দারাশিকো এবং আওরঙ্গজেবের মধ্যে সিমীত ছিল। কারন ক্ষমতার আড়ালে থাকা অনেক রাজকর্মচারী এবং অন্যান্য প্রভাবশালীদের সমর্থন এই দুইজনের পেছনে বেশি ছিল। \nআদর্শগত দিক দিয়েও তাদের মধ্যে যথেষ্ট মতপার্থক্য ছিল। দারাশিকো ছিলেন সম্রাট আকবর এর মত ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাসী। অপরদিকে আওরঙ্গজেব ছিলেন একজন কট্টর মুসলিম। সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের আনুগত্য দারাশিকো এবং আওরঙ্গজেবের আদর্শ ও নীতির উপরে নির্ভর করেনি বরং অনেকটা তাদের নিজ স্বার্থ, রাজপরিবারের নৈকট্য এবং এই দুজনের নেতৃত্ব ও প্রতিভার উপর নির্ভর করেছিল। এই দুই শাহাজাদার বিভক্তি শাহী প্রশাসনের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরী করতে পারেনি। তবে শাহী পরিবারের সদস্যরা দুই জনের সমর্থনে বিভক্ত হয়ে পরেছিল। মুঘল শাহাজাদী জাহানারা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দারাশিকোর মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও তিনি আওরঙ্গজেবকেই সমর্থন করতেন।",
"title": "আওরঙ্গজেব"
},
{
"docid": "61839#0",
"text": "মুহাম্মদ আজম শাহ (১৬৫৩ - ১৭০৭) স্বল্প সময়ের জন্য মুঘল সম্রাট ছিলেন। সম্ভবত তার রাজত্যকাল ছিল ফেব্রুয়ারি ১৭০৭ থেকে জুন ১৭০৭ এর মধ্যে। তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের স্ত্রীর দিলরাস বানু বেগমের ঘরের পুত্র ছিলেন। সে সূত্রে তিনি ছিলেন সুলতান মুহাম্মদ আকবরের আপন ভাই। তার ভাইয়ের মত আজম শাহও দারাহ শিকোহের এক কন্যাকে বিয়ে করেন(১৬৬৮)।",
"title": "মুহাম্মদ আজম শাহ"
},
{
"docid": "426585#0",
"text": "সাদাত আলি খান (, ) (জন্ম. আনুমানিক ১৬৮০ – মৃত্যু ১৯ মার্চ ১৭৩৯) ১৭২২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৭৩৯ সাল পর্যন্ত আওধের সুবেদার নবাব ছিলেন। পঁচিশ বছর বয়সে তিনি তার পিতা মুহাম্মদ নাসিরের সাথে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শেষ যুদ্ধাভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। দক্ষিণাত্যে মারাঠাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হয়। যুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে \"খান বাহাদুর\" উপাধি দেয়া হয়।",
"title": "প্রথম সাদাত আলি খান"
},
{
"docid": "7736#58",
"text": "১৬৮৯ সালে মুঘল সেনারা সম্ভাজিকে গ্রেফতার করে হত্যা করে। তার উত্তরাধিকারী ছত্রপতি রাজারাম এবং তার বিধবা পত্নী তারাবাঈ ভিন্ন ভিন্ন যুদ্ধে মুঘলদের মোকাবেলা করেছিল। ১৬৮৯-১৭০৭ সালের মধ্যে বিবদমান অঞ্চল গুলোর নিয়ন্ত্রণ বিচ্ছিন্ন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকবার হাত বদল হয়। মারাঠাদের কোন কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা না থাকায় আওরঙ্গজেবকে প্রতি ইঞ্চি জমির জন্য যুদ্ধ করতে হয়েছিল। এর ফলে মুঘলদের প্রচুর জনবল এবং অর্থ খরচ হয়। অপরদিকে আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র সুলতান মোহাম্মদ আকবর মুঘল দরবার পরিত্যাগ করে আরো কিছু মসনবদারদের সাথে নিয়ে দাক্ষিণাত্যের মুসলিম বিদ্রোহীদের সাথে যোগদান করেন। প্রতিউত্তরে আওরঙ্গজেব তার রাজধানী আওরঙ্গাবাদ এ নিয়ে যান এবং দাক্ষিণাত্যের অভিযানের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে আকবর আরো দক্ষিনে গিয়ে সম্ভাজির আশ্রয় প্রার্থী হন। এরপর তিনি পারস্য পলায়ন করেন তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আওরঙ্গজেব আরও পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে মারাঠা অধিকৃত অঞ্চলের সাতারা দখল করে নেন। কিন্তু মারাঠারাও মুঘলদের এলাকা দখল করতে থাকে। এসব এলাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তামিলনাড়ুর মালওয়া, হায়দ্রাবাদ এবং জিনজি। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আওরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেও আওরঙ্গজেব স্থায়ী কোনো সুবিধা করতে পারেনি। এভাবে আওরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের বিদ্রোহ দমন করার জন্য পরিচালিত যুদ্ধে এক পঞ্চমাংশ সামরিক শক্তিকে হারিয়েছিলেন। রাজধানী উত্তর ভারত থেকে বহুদূর অগ্রসর হয়ে দাক্ষিণাত্যে মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় ৮৮ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তার মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক।",
"title": "আওরঙ্গজেব"
},
{
"docid": "17681#0",
"text": "সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফর বা ২য় বাহাদুর শাহ্ (অক্টোবর ২৪, ১৭৭৫ - নভেম্বর ৭, ১৮৬২) মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট। সিপাহী বিপ্লবের শেষে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসকেরা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ও রেঙ্গুনে নির্বাসনে পাঠায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। \nতাঁর পূর্ণ নাম আবুল মুজাফ্ফার সিরাজুদ্দীন মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ গাজী। তিনি ২৪ অক্টোবর ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে (২৭ শাবান ১১৮৯ হিজরি)দিল্লির লালকেল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় আকবর শাহ (১৮০৬-৩৭ খ্রি:) ও সম্রাজ্ঞী লাল বাঈর দ্বিতীয় পুত্র। তার ঊর্ধ্বতন বংশ তালিকা বিশতম স্তরে গিয়ে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দীন মুহাম্মদ বাবুরের সাথে মিলেছে। \nপিতার মৃত্যুর পর বাহাদুর শাহ (দ্বিতীয়) ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। প্রকৃতপক্ষে পিতামহ সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম (১৭৫৯-১৮০৬ খ্রি:) এবং পিতা সম্রাট দ্বিতীয় আকবর শাহ উভয়ের মতো দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পেনশনভোগী ছিলেন। তিনি বার্ষিক ১ লাখ টাকা ভাতা পেতেন। পিতার মতো বাহাদুর শাহ নিজের ও মুঘল খান্দানের ভরণপোষণে ভাতা বৃদ্ধির জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু \"বাদশাহ\" উপাধি ত্যাগ এবং লালকেল্লার বাইরে সাধারণ নাগরিকের মতো জীবনযাপনের শর্তে তিনি রাজি হননি। এ ছাড়া সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনয়ন নিয়েও ইংরেজদের সঙ্গে সম্রাটের মনোমালিন্য হয়। সম্রাটের ক্ষমতা ও মর্যাদা খর্ব করতে নানা উদ্যোগ নেয় কোম্পানি। ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও সম্পদ সব কিছু হারিয়ে সম্রাট প্রাসাদের চার দেয়ালের অভ্যন্তরে জীবন কাটাতে বাধ্য হলেন। এ সময় অমর্যাদার মনোবেদনা ভুলে থাকার জন্য তিনি গজল ও মুশায়েরায় নিমগ্ন থাকতেন ; লালকেল্লায় সাহিত্যের আসর বসিয়ে সময় কাটাতেন। তিনি নিজেও কবিতা লিখতেন। জীবনের কষ্ট ও বিষাদ তাঁর কবিতার মূল বিষয়। বাহাতাঁর কবিতার ছত্রে ছত্রে দু:খ ও বিষাদের সাথে দেশ ও জাতির পরাধীনতার কথা বিধৃত। একটি কবিদায় আছেঃ \"উমর দরাজ মাঙ্গঁকে লায়েথে চার দিন দো আরজুমে কাট গয়ে, দো ইন্তেজার মেঁ।\" যার অর্থ \"চার দিনের জন্য আয়ু নিয়ে এসেছিলাম। দু’টি কাটল প্রত্যাশায় আর দু’টি অপেক্ষায়।\" \nবাহাদুর শাহ সিংহাসনে আরোহণের ২০ বছর পর সূত্রপাত হয় ঐতিহাসিক সিপাহি বিদ্রোহের। পলাশী যুদ্ধের পর ১০০ বছর কেটে গেছে তত দিনে। ছলেবলে কৌশলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সমগ্র ভারতবর্ষ দখল করে নিয়েছে। দেশবাসীর সাথে সৈন্য বিভাগের লোকদের ওপরও চলছে জুলুম, বঞ্চনা ও নির্যাতন। একের পর এক দেশীয় রাজ্য ইংরেজ অধিকারে নিয়ে যাওয়া, লাখেরাজ ও দেবোত্তর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, কারাগারে হিন্দু-মুসলমান সিপাহিদের জন্য একই খাবারের ব্যবস্খা, ঘিয়ের মধ্যে চর্বি ও আটার মধ্যে হাড়গুঁড়োর সংমিশ্রণ, গরু ও শূকরের চর্বি মিশ্রিত কার্তুজ বিতরণ ইত্যাদি ভারতবর্ষের জনমনে কিংবা সৈনিকদের মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ভারতীয় সিপাহিদের মধ্যে ধূমায়িত বিক্ষোভ ও অস্খিরতার প্রথম বহি:প্রকাশ ঘটে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের দমদম সেনাছাউনিতে। সিপাহিরা ইংরেজ অফিসারকে জানায়, এনফিল্ড রাইফেলের জন্য যে কার্তুজ তৈরি হয়, তাতে গরু ও শূকরের চর্বি মেশানো থাকে এবং এতে তাদের ধর্ম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সিপাহিদের বুঝিয়ে শান্ত করে। কিন্তু খবরটি একে একে বিভিন্ন সেনাছাউনিতে পৌঁছে যায় এবং তা সিপাহিদের মধ্যে বিদ্রোহের রূপ ধারণ করে। প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে পশ্চিমবঙ্গের সহতস বহরমপুর সেনাছাউনিতে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি। ১৯ নম্বর পদাতিক বাহিনীর সিপাহিরা কার্তুজ নিতে অস্বীকার করে, রাতে অস্ত্রাগারের দরজা ভেঙে পুরনো মাসকেট বন্দুক ও কার্তুজ সংগ্রহ করে। তারা ভীষণ উত্তেজিত অবস্খায় ছিল। পরিস্খিতি সামাল দিতে সিপাহিদের নিরস্ত্র ও বরখাস্ত করা হয়। এই সংবাদও দ্রুত পৌঁছে যায় বিভিন্ন সেনানিবাসে। ২৯ মার্চ রোববার ব্যারাকপুরের দেশীয় সিপাহিরা বিদ্রোহ করে। মঙ্গল পান্ডে নামের সিপাহি গুলি চালিয়ে ইংরেজ সার্জেন্টকে হত্যা করে। বিচারে মঙ্গল পান্ডে তাকে সহায়তার অভিযোগে জমাদার ঈশ্বরী পান্ডেকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় তাদের ফাঁসি দেয়া হয়। এর পরিণতিতে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভারতের উত্তর থেকে মধ্যপ্রদেশ এবং জলপাইগুড়ি থেকে পূর্ববাংলার দক্ষিণ-পূর্ব কোণের চট্টগ্রাম পর্যন্ত। ৯ মে উত্তর প্রদেশের মিরাটের সিপাহিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন দিল্লির পথে অগ্রসর হন। ১১ মে সিপাহিরা দিল্লি অধিকার করে বহু ইংরেজকে হত্যা ও বিতাড়ন করেন। দেশপ্রেমিক সিপাহিরা এ দিন লালকেল্লায় প্রবেশ করে নামেমাত্র মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরকে ভারতের স্বাধীন সম্রাট বলে ঘোষণা করেন। সিপাহিরা সম্রাটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে শপথ নেন। এ দিন গভীর রাতে লালকেল্লায় একুশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে ৮২ বছরের বৃদ্ধ সম্রাটকে দেওয়ান-ই খানোস এ সম্মান জানানো হয়।",
"title": "বাহাদুর শাহ জাফর"
},
{
"docid": "7736#5",
"text": "১৬৩৬ সালে আওরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হন। তৃতীয় মুর্তজা শাহের পুত্র নিজাম শাহি আহমদনগরের মুঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নিযুক্ত জায়গীরকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজ্য বিস্তার শুরু করে। ১৬৩৬ সালে আওরঙ্গজেব নিজাম শাহী বংশের পতন ঘটান। ১৬৩৭ সালে আরঙ্গজেব সাফাবিদ শাহজাদি দিলরাস বানু বেগমকে বিয়ে করেন। মৃত্যুর পরে তিনি রাবিয়া উদ দুরানি নামে পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি আওরঙ্গজেবের অত্যন্ত প্রিয় পাত্রী এবং সর্ব সময় এর সঙ্গী ছিলেন। হীরা বাই নামে একজন দাসীর প্রতিও তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। খুব অল্প বয়সে তার মৃত্যুতে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে উদয়পুরী বাই নামে একজন উপপত্নীর রূপে তিনি অত্যন্ত মুগ্ধ ছিলেন। পরে তাকে দারাশিকো'র সহচরী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। একই বছর ১৬৩৭ সালে, আওরঙ্গজেবকে একটি ছোট্ট রাজপুত রাজ্য, বাগলানাকে মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। সে দায়িত্ব তিনি খুব সহজেই পালন করেছিলেন",
"title": "আওরঙ্গজেব"
}
] |
কে প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন ? | [
{
"docid": "1270#16",
"text": "১৮৫৭ সালে আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেন। অবশ্য এর আগে ১৮৪৯ সামে অ্যান্টোনিও মেউচ্চি একটি যন্ত্র আবিষাক্র করেন যার মাধ্যমে লাইনের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিকভাবে কন্ঠ প্রেরণ করা যেত। এই যন্ত্রটি শব্দবৈদ্যুতিক প্রভাবের উপর নির্ভর করত। কিন্তু এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা অসম্ভব ছিল কারণ ব্যবহারকারীকে গ্রাহক যন্ত্রটি মুখে ঢুকিয়ে কথা শুনতে হত।",
"title": "টেলিযোগাযোগ"
},
{
"docid": "10188#1",
"text": "১৮৭৬ সালে মার্কিন উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে মুখের কথা পাঠানোর যন্ত্রের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটেন্ট বা সরকারি সনদ লাভ করেন। এর ২০ বছরের মধ্যে টমাস ওয়াটসন, এমিল বার্লিনার, টমাস আলভা এডিসন ও অন্যান্যদের গবেষণার ফলশ্রুতিতে টেলিফোন যন্ত্রের নকশা এমন একটি স্থিতিশীল রূপ নেয় যা পরবর্তী প্রায় এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মৌলিকভাবে অপরিবর্তিত থাকে। ১৯৪৭ সালে ট্রানজিস্টরের আবির্ভাবের পর ধাতব তার ও ভারী ওজনের যন্ত্রপাতির পরিবর্তে হালকা ওজনের ও ঘনবিন্যস্ত বর্তনীসমৃদ্ধ টেলিফোন তৈরি করা শুরু হয়। ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিতে উন্নতির সাথে সাথে আরও বেশ কিছু \"বুদ্ধিমান\" বৈশিষ্ট্য টেলিফোনে যুক্ত হয়। যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃসংযোগ স্থাপন করা, টেলিফোনে ডাকদাতার নম্বর শনাক্তকরণ, টেলিফোনে ডাকদাতাকে অপেক্ষা করানো, টেলিফোনের ডাক নতুন কাউকে হস্তান্তর করা, তারহীন সম্প্রচার, দৃশ্যমান উপাত্ত পর্দা, ইত্যাদি। এই সবগুলি বৈশিষ্ট্যই টেলিফোনের মূল নকশার কোন পরিবর্তন আনেনি, বরং সম্পূরক ভূমিকা পালন করেছে। শুরুর দিকে টেলিফোনের তার ব্যবস্থা ব্যবহার করেই ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে হত।\nউদ্ভাবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একটি তারভিত্তিক টেলিফোন যন্ত্র মূলত সাতটি যন্ত্রাংশ নিয়ে গঠিত: শক্তির উৎস, সুইচ আংটা (বৈদ্যুতিক সংযোগস্থাপক ও বিচ্ছিন্নকারক), নম্বর প্রবিষ্টকারক, ঘণ্টাবাদক, প্রেরক, গ্রাহক এবং একটি পার্শ্বস্বররোধী বর্তনী।",
"title": "টেলিফোন"
},
{
"docid": "5223#1",
"text": "মার্কিন উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন উদ্ভাবনের জন্য ১৮৮০ সালে ফরাসি সরকারের ‘ভোল্টা পুরস্কার’ লাভ করেন। এই পুরস্কারের জন্য গ্রাহাম বেল ১০ হাজার মার্কিন ডলার লাভ করেন। প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটনে ‘ভোল্টা ল্যাবরেটরি’ স্থাপন করেন। ১৮৮৪ সালে ভোল্টা ল্যাবরেটরি সবচেয়ে পুরোনো টেলিফোন সেবা কোম্পানি ‘আমেরিকান বেল টেলিফোন’ স্থাপন করে। ভোল্টা ল্যাবরেটরি ১৮৮৭ সালে ‘ভোল্টা ব্যুরো’ নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯২৫ সালে ভোল্টা ব্যুরো পরিবর্তিত হয়ে ‘বেল ল্যাবরেটরি ইনকরপোরেশন’ নাম ধারণ করে। সম্মিলিতভাবে ‘ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ ও ‘আমেরিকান টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ কোম্পানি’ বিশ শতকের সবচেয়ে আধুনিক এই গবেষণাগার স্থাপন করে।",
"title": "বেল ল্যাবরেটরিজ"
},
{
"docid": "7703#0",
"text": "আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল (৩রা মার্চ, ১৮৪৭ - ২রা আগস্ট, ১৯২২) প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক হিসেবে তিনি সবচেয়ে পরিচিত। তাকে \"বোবাদের পিতা\" তথা \"দ্য ফাদার অফ দ্য ডিফ\" নামে ডাকা হতো। তার বাবা, দাদা এবং ভাই সবাই একক অভিনয় ও বক্তৃতার কাজে জড়িত ছিলেন এবং তার মা ও স্ত্রী উভয়েই ছিলেন বোবা। এ কারণেই বোবাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তিনি অনেক গবেষণা করেছেন। টেলিফোন উদ্ভাবনের আগে থেকেই তিনি শ্রবণ ও কথন সংশ্লিষ্ট গবেষণা নিয়োজিত ছিলেন। ১৮৭৬ সালে তাকেই টেলিফোনের প্রথম মার্কিন পেটেন্টের সম্মানে ভূষিত করা হয়।",
"title": "আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল"
}
] | [
{
"docid": "119874#0",
"text": "টমাস আউগুস্তুস ওয়াটসন () (১৮ই জানুয়ারি, ১৮৫৪ - ১৩ই ডিসেম্বর, ১৯৩৪) ছিলেন একজন আমেরিকান যিনি আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের সহায়ক ছিলেন এবং ১৮৭৬ সালের টেলিফোন আবিষ্কারের অন্যতম প্রবর্তক হিসেবে সীকৃত। তিনি অতি পরিচিত কারণ তার নাম টেলিফোনের প্রথম শব্দ হিসেবে উচ্চারিত করা হয়। গ্রাহাম বেলের গবেষণাগারের নোট বই অনুসারে, গ্রাহাম বেল তার নতুন আবিষ্কার দিয়ে প্রথম শব্দ বলেছিলেন, \"মিস্টার ওয়াটসন, এদিকে আসুন - আপনাকে আমি দেখতে চাই\"।",
"title": "টমাস আউগুস্তুস ওয়াটসন"
},
{
"docid": "18053#3",
"text": "যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অপটিক্যাল কনসেপ্ট প্রথম আবিস্কার করেন ফরাসি বিজ্ঞানী Claude Chappe কর্তৃক ১৭৯০ সালে আবিস্কৃত অপটিক্যাল টেলিগ্রাফ। এই পদ্ধতিতে মনুষ্য অপারেটর এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে বার্তা পাঠাতো। কিন্তু পরে ইলেক্ট্রিক টেলিগ্রাফ আসায় এই পদ্ধতি অকেজো হয়ে যায়। পরবর্তীতে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৮০ সালে অপটিক্যাল টেলিফোন সিস্টেম আবিস্কার করেন যা ফটোফোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। তিনি বাতাসে আলোক সিগণ্যাল পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন কিন্তু আবহাওয়া আলোকে যথার্থভাবে ট্রান্সমিট করতে পারতো না। ফলে তাঁর এই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। \nবর্তমান ফাইবারে যে আলোর পূর্ণ আভ্যন্তরীন প্রতিফলন হয়, তা আবিস্কার করেন সুইস পদার্থবিদ Daniel Collodon ও ফরাসি পদার্থবিদ Jacones Babinet ১৮৪০ সালে। এই ধারণা নিয়ে ১৯২০ সালে Henrich Lamm এবং Munich নামের এক ছাত্র টেলিভিশনের ইমেজ বা ছবি স্বচ্ছ কাঁচদণ্ডের মধ্য দিয়ে পাঠাতে সমর্থ হন। কিন্তু তাদের আবিস্কৃত ইমেজ কোয়ালিটি খুব একটা ভাল ছিল না। \nএতদিন পর্যন্ত যেভাবে ট্রান্সমিশন করা হতো, তার সবই ছিল আনক্লাডিং। সেই কারণে বেশিরভাগ আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় সিগণ্যাল দূর্বল হতো। পরবর্তিতে আমেরিকান পদার্থবিদ Brian O'Brien সর্বপ্রথম ক্লাডিং অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারে সমর্থ হন।",
"title": "অপটিক্যাল ফাইবার"
},
{
"docid": "3096#1",
"text": "লার্স ম্যাগনাস এরিকসন তার তরুণ বয়সে একজন যন্ত্রপাতি তৈরী্কারক হিসেবে টেলিফোনের সাথে সংশ্লিষ্ট হন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন যেটা আরেকটি সুইডিশ কোম্পানি টেলিগ্রাফভারটেক এর জন্য টেলিগ্রাফ তৈরি করত। ১৮৭৬ সালে ৩০ বছর বয়সে কার্ল যোহান এন্ডারসন নামক বন্ধুর সহায়তায় তিনি টেলিগ্রাফ যন্ত্র সারাই এর কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৮ সালে এরিকসন নিজেদের তৈরি টেলিকমিউনিকেশন (টেলি যোগাযোগ) যন্ত্র বাজারজাত শুরু করে। ১৮৭৮ সালে স্থানীয় টেলিফোন আমদানিকারক নুমা পিটারসন এরিকসনকে বিখ্যাত বেল টেলিফোন কোম্পানীর তৈরি কিছু যন্ত্র পরির্ধন করার কাজ দেয়। এর মাধ্যমে তিনি বেল এবং পরবর্তিতে জার্মানীর সিমেন্স কোম্পানীর টেলিকমিউনিকেশন যন্ত্রের সাথে পরিচিত হন। এরিকসন এদের নকশার উন্নয়ন করে নিজের তৈরি টেলিফোন প্রস্তুত করেন ১৮৭৯ সালে।",
"title": "এরিকসন"
},
{
"docid": "407886#0",
"text": "ড. এরনা স্নেইডার হুভার (; ১৯ জুন, ১৯২৬ - ) যুক্তরাষ্ট্রের গণিতবিদ। তিনি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত টেলিফোন সুইচ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। বিভিন্ন রিপোর্টের মতানুসারে এই আবিষ্কার আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এটি ব্যস্ত নেটওয়ার্কগুলোকে পরিচালনায় নতুন মাত্রা নিয়ে আসে। অধিক বার্তা আদান-প্রদানের সময়ে কল ড্রপ ও সিগন্যাল ব্যস্ত থাকার ঝামেলা এড়াতে এটি বিশেষভাবে সহায়তা করে। তিনি ৩২ বছরেরও অধিক সময় ধরে বেল পরীক্ষাগারে কাজ করেন। তিনি কম্পিউটার প্রযুক্তি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। কম্পিউটার সফটওয়্যারের প্রথমদিকের একটি পেটেন্ট তাঁর নামাঙ্কিত। ২০০৮ সালে তিনি ন্যাশনাল ইনভেন্টরস হল অব ফ্রেমের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।.",
"title": "এরনা স্নেইডার হুভার"
},
{
"docid": "1270#18",
"text": "১৮৩২ সালে জেমস লিন্ডসে শ্রেনীকক্ষে তার ছাত্রদের সামনে তারবিহীন টেলিগ্রাফ সংযোগ উপস্থাপন করেন। ১৮৫৪ সালে তিনি পানিকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ডান্ডি থেকে উঢ্যাভেন পরযন্ত দুই মাইল দূরত্বে তার বিহীন সংযোগ স্থপন করে দেখান। ১৮৯৩ সালে ফ্রাঙ্কলিন ইন্সটিটিউটে এক বক্তৃতায় নিকোলা টেসলা উদাহারণসহ তারবিহীন টেলিগ্রাফি প্রযুক্তির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন। ভ্যাকুয়াম টিউব আবিষ্কারের পুর্বে বেতার ব্যবস্থায় যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হত সে সব উপকরণ ব্যবহার করেই তিনি এ উদাহারণ উপস্থাপন করেন। ১৯০০ সালে রেগিনাল্ড ফেসেন্ডেন প্রথম তার ছাড়া মানুষের কন্ঠস্বর প্রেরণ করতে সক্ষম হন। ১৯০১ সালে গুগলিয়েলমো মার্কনি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে তার বিহীন সংযোগ স্থাপন করেন, যা তাকে ১৯০৯ সালে নোবেল পুরস্কার এনে দেয় (তিনি কার্ল ব্রাউন এর এর সাথে যুগ্মভাবে এ পুরস্কার পান) ।",
"title": "টেলিযোগাযোগ"
},
{
"docid": "65516#6",
"text": "জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বেতার উৎস চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহৃত প্রথম বেতার এন্টেনা তৈরি করেছিলেন কার্ল গাথ জান্স্কি। বেল টেলিফোন গবেষণাগারে কর্মরত এই প্রকৌশলী ১৯৩১ সালে এ ধরনের একটি এন্টেনা তৈরি করেন। জান্স্কির দায়িত্ব ছিল বেতার টেলিফোন সার্ভিসে ব্যাঘাত ঘটায় এমন ধরনের স্থির তরঙ্গের উৎসকে চিহ্নিত করা। তার এন্টেনাটি ২০.৫ মেগাহার্জে এবং ১৪.৬ মিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যে স্বল্প তরঙ্গের বেতার সংকেত গ্রহণের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছিল। একটি ঘূর্ণনক্ষম টেবিলের উপর স্থাপন করার কারণে একে যেকোন দিকে প্রয়োজনমত ঘোরানো যেত। তাই এই যন্ত্রটির নাম হয়ে গিয়েছিল \"জানস্কি'স মেরি-গো-রাউন্ড\"। এর ব্যাস ছিল আনুমানিক ১০০ ফুট (৩০ মিটার) এবং দৈর্ঘ্য ছিল ২০ ফুট (৬ মিটার)। চারটি ফোর্ডের মডেল-টি টায়ারের মাধ্যমে একে যেকোন দিকে ঘোরানো যেত। এভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গৃহীত ব্যতিচার হয়ে আসা স্থির বেতার উৎসের দিক নির্ধারণ করা যেত। অ্যান্টেনার একপাশে একটি অ্যানালগ কাগজ-কলমের ব্যভস্থা ছিল যার মাধ্যমে উপাত্ত জমা করে রাখা যেত। কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন দিক থেকে বেতার সংকেত ধারণ এবং সংগ্রহ করে রাখার পর জান্স্কি সেগুলোকে তিনটি স্থির তরঙ্গে বিভক্ত করেন:",
"title": "বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র"
}
] |
শাহজালালের মায়ের নাম কি ছিল ? | [
{
"docid": "564269#1",
"text": "শাহজালাল আহম্মদের জন্ম নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার ওমুরুখা ইউনিয়নের হরিণকাটা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আলতাফ আলী এবং মায়ের নাম জমিলা খাতুন। তাঁর স্ত্রীর নাম সাফিয়া খাতুন।",
"title": "শাহজালাল আহম্মদ"
}
] | [
{
"docid": "9950#0",
"text": "শাহজালাল (, সিলেটি:ꠡꠣꠢ ꠎꠣꠟꠣꠟ; ১২৭১ – ১৩৪১) ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ। তাঁর পুরো নাম শেখ শাহ জালাল কুনিয়াত মুজাররদ। ৭০৩ হিজরী মোতাবেক ১৩০৩ ইংরেজী সালে ৩২ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে অধুনা বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। সিলেট আগমনের সময়কাল নিয়ে যদিও বিভিন্ন অভিমত রয়েছে, তদুপরি শাহ জালালের সমাধির খাদিমগণের প্রাপ্ত ফার্সি ভাষার একটি ফলক-লিপি থেকে উল্লেখিত সন-তারিখই সঠিক বলে ধরা হয়। পারসী ভাষায় লিখিত ফলক-লিপি বর্তমানে ঢাকা যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। সিলেটে তাঁর মাধ্যমেই ইসলামের বহুল প্রচার ঘটে সিলেট বিজয়ের পরে শাহ জালালের সঙ্গী-অনুসারীদের মধ্য হতে অনেক পীর-দরবেশ এবং তাদের পরে তাঁদের বংশধরগণ সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসবাস করেন। শাহজালালের সফরসঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে সিলেটেই কবর দেয়া হয়।",
"title": "শাহ জালাল"
},
{
"docid": "283910#0",
"text": "জালাল আল-দৌলা মালিক-বেগ (মালিক শাহ) (ফার্সি : ملكشاه, আধুনিক তুর্কি : Melikşah) ১০৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মকালে তার নাম ছিলো জালাল আল-দৌলা মালিক বেগ, ১০৭২ সালে তিনি তার পিতা সেলজুক সুলতান আল্প আরসালানের উত্তরাধীকারী হন। এবং মালিক শাহ উপাধি গ্রহন করেন। ১০৯২ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় আসীন ছিলেন। তার শাসনকালে সেলযুক সাম্রাজ্য অর্ধ-পৃথিবী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো।",
"title": "প্রথম মালিক শাহ"
},
{
"docid": "292887#1",
"text": "শাহজালাল (জন্ম তুরস্ক ৬৭১ হিঃ ১২৭১ইং- মৃত্যু; ৭৪০ হিঃ ১৩৪১ ইং) ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ। তাঁর পুরো নাম শায়খ শাহ জালাল কুনিয়াত মুজাররদ। ৭০৩ হিজরী মোতাবেক ১৩০৩ ইংরেজী সালে ৩২ বত্সর বয়সে ইসলাম ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে অধুনা বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।",
"title": "বাংলাদেশে ইসলাম"
},
{
"docid": "9950#2",
"text": "হযরত শাহ জালালের রওজায় প্রাপ্ত ফলক-লিপি সুহেলি ইয়্যামনি অনুসারে, শাহ জালাল ৩২ বছর বয়সে ৭০৩ হিজরী মোতাবেক ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেট আগমন করেন। সুহেলি ইয়্যামনিতে উল্লেখিত তথ্য হতে জানা যায় যে, ৬৭১ হিজরী (১২৭১ খ্রিস্টাব্দে) শাহজালাল জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর জন্মভূমি ছিল প্রাচীন আরবে আযমের হেজাজ ভূমির তৎকালীন প্রদেশ \"ইয়্যামন দেশের\" \"কুনিয়া\" নামক শহর। শাহ জালাল যখন তিন মাসের শিশুবালক, তখনই তাঁর মাতার মৃত্যু হয়।",
"title": "শাহ জালাল"
},
{
"docid": "252748#1",
"text": "শিতালং শাহ বা সুফি শিতালং শাহ । শিতালং ফারসী শব্দ ইহার অর্থ পায়ের গোঁড়ালির গোল হাড় । এর জন্ম ১৮০৬ সালের মে মাসে ।[১২০৭-১২৯৬বাংলা] দেশবিভাগ-পূর্ব সিলেটের অন্তর্গত করিমগঞ্জ মহকুমায় বদরপুর থানার খিত্তাশিলচর গ্রামে। শিতালং শাহ তাঁর মুর্শিদ প্রদত্ত ফকিরী নাম। প্রকৃত নাম মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ জাঁহাবখস, মাতার নাম সুরতজান বিবি। জনশ্রুতি মোতাবেক জাহাবখস ছিলেন ঢাকার নবাব বংশের লোক। বাণিজ্য উপলক্ষে তিনি এ অঞ্চলে আসেন। নৌকা ডুবিতে তার বাণিজ্য দ্রব্য বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে তিনি খিত্তাশিলচরের জমিদার মীর মাহমুদের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহন করেন। মীর মাহমুদ জাহাবখসের গুণে মুগ্ধ হয়ে তার সঙ্গে কন্যা সুরতজান বিবির বিয়ে দেন। কিছু দিন পরেই তাদের ঘরে শিতালং শাহের জন্ম হয়। পরবর্তি কালে জমিদার মীর মাহমুদ তার জামাতকে তারিণীপুরে বেশ কিছু ভুসম্পত্তি দান করেন। ফলে তিনি এখানেই বসতি স্থাপন করে পরিবারিক জীবন যাপন শুরু করেন। জাহাবখসের কনিষ্ঠ পুত্রের অধঃস্থন বংশধর আজও তারিণীপুরে বসবাস করছেন বলে জানা যায়।",
"title": "শিতালং শাহ"
},
{
"docid": "615757#2",
"text": "বর্তমান সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের একটি প্রাচীন জনপদ। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর পর জয়ন্তীয়া, লাউড় ও গৌড় নামে তিনটি স্বতন্ত্র রাজ্যে বিভক্ত ছিল। দশম শতাব্দিতে এ অঞ্চলের কিছু অংশ বিক্রমপুরের চন্দ্রবংশীয় রাজাদের দ্বারা শাসিত হয় বলে জানা যায়। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বঙ্গবিজয়ের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চল মুসলমানদের দ্বারা অধিকৃত হয়। শাহজালাল ও তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার আগমন কাল পর্যন্ত ছোট বড় আরো কয়েকটি রাজ্যে সিলেট বিভক্ত ছিল। তখনকার সময়ে সিলেটের গৌড় রাজ্য (বর্তমান সিলেট জেলা) সৈন্য সামন্ত সহ সর্ব দিক দিয়ে শক্তিশালী ছিল। রাজা গৌবিন্দ ছিলো এর শাসক। গৌড়ের রাজা বিধায় গৌড় গোবিন্দ নামে অভিহিত হত। গোবিন্দের রাজ্য জড়িবটি ও জাদুটোনার জন্য বিখ্যাত ছিল। রাজা গৌড়-গোবিন্দ ছিল একজন অত্যাচারী রাজা। গৌড় রাজ্যের অধিবাসী বুরহান উদ্দীন নামক জনৈক মুসলমান নিজ ছেলের জন্মোত্সব উপলক্ষে গরু জবাই করে গৌড়ের হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দের কাছে অপরাধী সাব্যস্ত হন। এ কারণে, গোবিন্দ বুরহান উদ্দীনের শিশু ছেলেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। বুরহান উদ্দিন বাংলার তৎকালীন রাজা শামস উদ্দীন ফিরুজ শাহের নিকট গিয়ে এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করলে রাজা তাঁর ভাগিনেয় সিকান্দর গাজীকে প্রকাণ্ড সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে সিলেটের গৌড় রাজ্যে প্রেরণ করেন। শাহী সৈন্য যখন ব্রহ্মপুত্র নদী পার হতে চেষ্টা করে তখনই রাজা গোবিন্দ ভৌতিক শক্তির সাহায্যে মুসলিম সৈন্যের উপর অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করে সমস্ত চেষ্টাকে বিফল করে ফেলে। গোবিন্দের ঐন্দ্রজালিক শক্তির প্রভাবে সিকান্দর গাজীর প্রতিহত ও বিফল মনোরথের সংবাদ দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজীর নিকট পৌঁছলে সম্রাট এ সংবাদে মর্মাহত হন। পরবর্তিতে বাংলা রাজা শামস উদ্দীন ফিরুজ শাহের দিল্লীর সম্রাটের আলাউদ্দীন খিলজীর মাধ্যম আধ্যাতিক শক্তিসম্পন্ন মোসলমান সৈন্য প্রেরণ ধারা গৌড় গোবিন্দকে শায়েস্তা করা এবং সিলেট বিজয় নিশ্চিত হন। এরই প্রেক্ষিতে সম্রাটের আলাউদ্দীন খিলজী সৈয়দ নাসির উদ্দীনকে সিপাহসালার সনদ প্রদানের মাধ্যে সিকান্দর গাজীর কাছে প্রেরণ করেন। এদিকে গাজী বুরহান উদ্দীন তখন দিল্লীতে অবস্থান করছিলেন। এসময় শাহজালালও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে দিল্লীতে অবস্থান করছিলেন। ঐতিহাসিক তথ্য মতে, দিল্লীতেই বুরহান উদ্দীনের সাথে শাহ জালালের সাক্ষাৎ হয় এবং এখানেই বুরহান উদ্দীন নিজের দুঃখময় কাহিনী তাঁর নিকট বর্ণনা করেন। শাহ জালাল দিল্লী হতে বুরহান উদ্দীন সহ ২৪০ জন সঙ্গীসহচর নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্য রওয়ানা হলেন। সাতগাঁও এসে ত্রিবেণীর নিকট দিল্লীর সম্রাট প্রেরিত অগ্রবাহিনী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনের সাথে মিলিত হন। সৈয়দ নাসির উদ্দীন শাহ জালাল সম্পর্কে অবগত হয়ে তদীয় শিষ্যত্ব গ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। পথে পথে শাহ জালালের শিষ্য বর্ধিত হতে লাগল। বিহার প্রদেশে আসার পর আরো কয়েকজন ধর্মযোদ্ধা অনুষঙ্গী হলেন। যাদের মধ্যে হিসাম উদ্দীন, আবু মোজাফর উল্লেখযোগ্য। এবাভেই সিলেট পৌছা পর্যন্ত শাহজালালের সঙ্গী ৩৬০ জনে পরিণত হয়। \nহযরত শাহজালাল ছিলেন একজন বিখ্যাত সুফি দরবেশ। তাঁর রওজা হতে প্রাপ্ত ফলক-লিপি সুহেলি ইয়্যামনি অনুসারে ৬৭১ হিজরী মোতাবেক ১২৭১ খ্রিস্টাব্দে শাহ জালাল জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর পিতার নাম ছিল মাহমুদ। তিনি ছিলেন মক্কার প্রশিদ্ধ কোরায়েশ বংশের লোক। আর মাতা তাঁর মা ছিলেন সৈয়দ বংশের। শাহ জালালের জন্মস্থান ছিল হেজাজ ভূমির দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তের ইয়েমেন প্রদেশের কুনিয়া নামক শহর। শাহ জালাল যখন তিন মাসের শিশুবালক, তখনই তাঁর মাতার মৃত্যু হয় এবং পাঁচ বৎসর বয়স কালে তিনি পিতা হারা হন। শিশু শাহজালালকে প্রতিপালন করেন মামা সৈয়দ আহমদ কবীর। তিনিই শাহজালাল বয়ঃপ্রাপ্তির পর তাঁর ধর্ম জীবনের গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলেনেন। কিছু দিনের মধ্যেই ধর্মগুরু বিভিন্ন কাজে তাঁর প্রিয় শিষ্য শাহজালাল সিদ্ধিলাভের পরিমান বুঝতে পারেন। তারপর মামা শাহজালালকে পূর্বদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। শাহজালাল তাঁর পীরের কথা অনুযায়ী হাজী ইউসুফ ও হাজী খলিলসহ আরো কিছু সঙ্গী সাথি নিয়ে পুর্বাদেশ (সিলেট) অভিমুখে সফর যাত্রা শুরু করেন।",
"title": "শাহজালালের সফরসঙ্গী"
},
{
"docid": "435527#2",
"text": "পাকিস্তানের শিশু শাহিদা ( হারশালি মালহোত্রা) র নাম রাখা হয়েছিল বিখ্যাত ক্রিকেটার সাইদ আফ্রিদির নামানুসারে। কিন্তু শাহিদা বোবা। তাকে সুস্থ করতে তাকে নিয়ে তার মা ভারতে আসেন এবং ফেরার পথে ট্রেন থেকে হারিয়ে যায় শাহিদা। নিষ্ঠাবান হিন্দু ব্রাহ্মণ পবন কুমার চতুর্বেদী (সালমান খান) তাকে আশ্রয় দেয়। তার নতুন নাম হয় মুন্নি। মুন্নি বা শাহিদা কথা না বলতে পারার জন্যে পবন অনেক চেষ্টা করেও তার মা বাবার সন্ধান পায়না। ঘটনাপরম্পরায় পবন জানতে পারে যে মুন্নি মুসলিম ও পাকিস্তানি। অসহায় মুন্নি তার কোনো ঠিকানা বলতে পারেনি। শিশুর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মানবতার খাতিরে মুন্নিকে নিয়ে পাকিস্তান যাত্রা করে পবন। অবশ্যই বিনা ভিসা-পাসপোর্টে। রাজস্থান সীমান্তে মাটির তলার সুড়ঙ্গ দিয়ে তাদের পার করে দেয় বুওলী নামের এক লোক। তারা আশ্রয় নেয় মসজিদের মৌলানা সাহেবের কাছে। তিনি পুলিশের নজর এড়িয়ে নিরাপদে পার করে দেন পবনদের। বহু বিপদ ও ঝামেলার মধ্যেও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের সহযোগীতা পায় পবন। এক ফ্রিলান্স সাংবাদিক চাঁদ নওয়াবের (নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী) সাহায্যে পবন খুঁজে পায় মুন্নির ঠিকানা। কিন্তু পাকিস্তানি পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে পবনকে গ্রেপ্তার করতে। তাদের ধারনা হয় সে ভারতীয় গুপ্তচর। পাকিস্তানি পুলিশের অন্যতম কর্তা হামিদ খান (রাজেশ শর্মা) কিন্তু বুঝতে পারেন পবন নিছকই সাধারণ ভারতীয় যে বাচ্চা মুন্নিকে নিয়ে এসেছিল মা- বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে। তিনি পাক গোয়েন্দা সংস্থার অন্যায় হুকুম তামিল না করে পবনকে মুক্ত করে দেন ও নারওয়ার সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার জন্যে সাহায্য করেন। ইতিমধ্যে সাংবাদিক চাঁদ নওয়াবের করা পবনের কীর্তির ভিডিও ক্লিপিং সারা পাকিস্তানে ছড়িয়ে যায়। সীমান্তে তাকে বিদায় জানাতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। নো ম্যানস ল্যান্ডে পবন আর মুন্নি ওরফে শাহিদা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে।অ্যালবামটির সাউন্ডট্র্যাকের সুর করেছেন প্রীতম এবং লিখেছেন ময়ূর পুরি, অমিতাভ ভট্টাচার্য, নীলেশ মিশ্র ও কসুর মনির।",
"title": "বজরঙ্গি ভাইজান"
},
{
"docid": "7735#0",
"text": "শাহবুদ্দিন মুহাম্মদ শাহ জাহান (আরও ডাকা হয় \"শাহ জাহান\", \"শাজাহান\" বলে। ফার্সি: شاه جهان), ( জানুয়ারি ৫, ১৫৯২ – জানুয়ারি ২২, ১৬৬৬) মুঘল সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন যিনি ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারত উপমহাদেশ শাসন করেছেন। শাহ জাহান নামটি এসেছে ফার্সি ভাষা থেকে যার অর্থ \"পৃথিবীর রাজা\"। তিনি ছিলেন বাবর, হুমায়ুন, আকবর, এবং জাহাঙ্গীরের পরে পঞ্চম মুঘল সম্রাট।",
"title": "শাহ জাহান"
},
{
"docid": "615757#1",
"text": "শ্রীহট্টে ইসলাম জ্যোতি, মুফতি আজহারুদ্দীন সিদ্দিকির গ্রন্থ অনুসারে শাহজালালের সফরসঙ্গীদের নাম নিম্নরুপ ঃ-",
"title": "শাহজালালের সফরসঙ্গী"
}
] |
সর্বপ্রথম পুরুষদের জাতীয় ফুটবল ফিফা বিশ্বকাপে কোন দল বিশ্বকাপ জিতেছিল ? | [
{
"docid": "5216#10",
"text": "প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচ একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় যাতে অংশ নেয় ফ্রান্স ও মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়াম। ফ্রান্স ৪-১ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৩-০ ব্যবধানে এতে জয়ী হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম গোল করেন ফ্রান্সের লুসিয়েন লরেন্ত। ফাইনালে ৯৩,০০০ দর্শকের সামনে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব লাভ করে।",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপ"
}
] | [
{
"docid": "111227#1",
"text": "১৯৩০ সালে ফ্রান্স প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয়। সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ছিলো অংশ নেওয়া চারটি ইউরোপীয় দলের একটি। ১৯৯৮ সালে দলটি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে। সেবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশও ছিলো ফ্রান্স। ফাইনালে তারা ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড হচ্ছে ইউরোপে একবার করে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করা দল। এছাড়া ফ্রান্স দুইবার উয়েফা ইউরোপীয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছেন। প্রথমটি ছিলো ১৯৮৪ সালে। সেবার ব্যলন ডি’অর জেতা ফরাসি ফুটবলার মিশেল প্লাতিনি ফ্রান্সের এই জয়ে ভূমিকা রাখেন। আর এর পরেরটি ফ্রান্স জেতে তিনবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া জিনেদিন জিদানের নৈপুণ্যে। পরবর্তীতে ফ্রান্স ফিফা কনফেডারেশন্স কাপও জয়লাভ করে। এর ফলে ফ্রান্স দ্বিতীয় দল হিসেবে ফিফা আয়োজিত তিনটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল প্রতিযোগীতার শিরোপা অর্জনকারী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই তিনটি প্রতিযোগিতা হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ, ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ, ও গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবল। ফ্রান্স ছাড়া আরে যে দলটি এই তিনটি শিরোপা জয় করার গৌরব অর্জন করেছে, সেটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা।",
"title": "ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "112089#2",
"text": "ফিফা বিশ্বকাপে দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য আসে ১৯৩০ সালে, এর প্রথমবারের মতো অংশ নেওয়া বিশ্বকাপে। সেবার দলটি তৃতীয় স্থান অধিকার করে। তার পর দলটি ১৯৯৫ সালে কোপা আমেরিকা ফুটবল প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে। এছাড়াও দলটি ২০০২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল]] পর্যন্ত খেলেছে। ২০০৯ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে দলটি রানার্স-আপ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। এখন পর্যন্ত দলটি ১০ বারের মধ্যে মোট ৪ বার উত্তর আমেরিকার আঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্ট কনকাসেফ গোল্ড কাপ শিরোপা অর্জন করেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ।",
"title": "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল"
},
{
"docid": "252897#7",
"text": "যখন এ পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়, জার্মানির জাতীয় ফুটবল দল শীর্ষস্থানে অভিষিক্ত হয়। দলটি তাদের পূর্ববর্তী সময়কালে একচ্ছত্র প্রাধান্য বজায় রেখেছিল। তন্মধ্যে তারা ৩টি ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ও একটিতে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হয়। ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দলটি ১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী হয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে আসীন হয়। দলটি ৯টি খেলার মধ্যে ১টিতে পরাজিত ও বাকীগুলোতে জয়ী হয়। প্রতিপক্ষের জালে ২০টি গোল করে ও মাত্র ৪টি গোল হজম করে। ইতালির জাতীয় ফুটবল দল বিশ্বকাপের সফলতায় অল্প সময়ের জন্য শীর্ষস্থানে আসে। এরপরই পুণরায় জার্মানি শীর্ষস্থানে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।",
"title": "ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"
},
{
"docid": "111168#1",
"text": "২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আগে দলটি কোনো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি, কিন্তু দলটি পাঁচবার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের মূল পর্বে অংশ নিয়েছে। সেখানেও জাতীয় দলগুলোর মাঝে প্রতিযোগিতা করেই দলটি অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেছে। দলটি চারবার আফ্রিকান নেশন্স কাপ জয় করেছে। (১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৭৮, ও ১৯৮২)। এই প্রতিযোগীতার আসরে ঘানাই দ্বিতীয় সফলতম দল। আফ্রিকান নেশন্স কাপের সর্বাধিক শিরোপাধারী দলটি হচ্ছে মিশর। ঘানা জাতীয় দলের অলিম্পিক দল ১৯৯২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পদক ব্রোঞ্জ পদক জয় করে। এটি কোনো আফ্রিকান দলের সর্বপ্রথম অলিম্পিকে কোনো পদক জয়ের ঘটনা।",
"title": "ঘানা জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "111232#0",
"text": "উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়ের প্রতিনিধি। এখন পর্যন্ত দলটি দুইবার ফিফা বিশ্বকাপ জয় করেছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম শিরোপাটি উরুগুয়ের দখলে। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের এই ফাইনালে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে। দলটি তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে ১৯৩০ সালে। সেবার তারা স্বাগতিক ব্রাজিলকে ফাইনালে ২-১ গোলে পরাজিত করে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও উরুগুয়ে সফল একটি দল। তারা দুইবার (১৯২৪ ও ১৯২৮) গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক জয় করে। ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই তারা এ দুটি স্বর্ণপদক জয় করে। উরুগুয়ে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সফল একটি দল। এখন পর্যন্ত দলটি ১৮টি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উঁচু মর্যাদা বিশিষ্ট টাইটেল অর্জন করেছে। এর মধ্যে আছে ২ বার ফিফা বিশ্বকাপ, ২ বার অলিম্পিক গেমস, ও ১৪টি কোপা আমেরিকা শিরোপা।",
"title": "উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "111016#2",
"text": "আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় অন্যতম সফল দল তিনটির মধ্যে জার্মানি একটি। এখন পর্যন্ত দলটি চারবার ফিফা বিশ্বকাপ শিরোপা ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জয় করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্থিতিশীল ও ঠান্ডা মাথার দল হিসেবে ধরা হয়। চারবার করে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি দলটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লীগের তিনবার ও বিশ্বকাপ ফুটবলে চারবার রানার্স-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সেই সাথে তাঁরা চারবার বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলো। ১৯৭৬ সালে পূর্ব জার্মানি অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয় করে। ফুটবল ইতিহাসে জার্মানি-ই একমাত্র দেশ যারা পুরুষ ও নারী উভয় ফুটবল বিশ্বকাপে শিরোপা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।",
"title": "জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "606270#5",
"text": "হংকং ফিফা বিশ্বকাপে খেলার জন্য কখনোই যোগ্যতা অর্জন করতে সমর্থ হয়নি। তবে, ১৯৮৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের সময় তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় জয়টি তারা অর্জন করতে পেরেছিল। ১৯৮৫ সালের ১ মে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হংকংয়ের প্রথম চূড়ান্ত রাউন্ডের ম্যাচে তারা চীন জাতীয় ফুটবল দলের মুখোমুখি হয়, যেখানে হংকংয়েইয়েরুক্ত প্রতিযোগিতায় অগ্রসর হয়ে যাওয়ার জন্য জয়ের প্রয়োজন ছিল এবং চীনের কেবল একটি ড্রয়ের প্রয়োজন ছিল। কোচ কুওক কাই মিংয়ের নেতৃত্বে হংকং, চেউং চী তাক এবং কু কাম ফাইয়ের করা গোলের মাধ্যমে, ২–১-এ একটি অসাধারণ জয়ের দেখা পায়, যার ফলে হংকং জাতীয় ফুটবল দল উক্ত ম্যাচে জয়লাভ করার সাথে সাথে নকআউট পর্বের দিকে অগ্রসর হয়ে যায়, যেখানে তারা পরবর্তীতে জাপান জাতীয় ফুটবল দলের কাছে হেরে যায়।",
"title": "হংকং জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "111062#0",
"text": "পর্তুগালের জাতীয় ফুটবল দল হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের প্রতিনিধি। দলটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হচ্ছে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন ()। ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে দলটি ৪র্থ অবস্থান অর্জন করে। ১৯৬৬ সালে দলটি সর্বপ্রথম বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেবার দলটি সেমি ফাইনাল পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়েছিলো, এবং ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে তাঁরা ঐ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় অবস্থানে থেকে ঐ বিশ্বকাপ শেষ করে পর্তুগাল। পর্তুগালের খেলোয়াড় ইউসেবিও সেবার টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৬ ও ২০০২ সালে পর্তুগাল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলো। দুই বারেই দলটি প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নেয়।",
"title": "পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "365099#1",
"text": "২১১টি পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দল তাদের জাতীয় ফুটবল সংস্থা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ও ফিফা কর্তৃক অনুমোদিত। তন্মধ্যে ১২টি জাতীয় ফুটবল দল ফিফা অনুমোদিত মহাদেশীয় কনফেডারেশনের সদস্য কিংবা সহযোগী সদস্য হলেও ফিফা’র সদস্য নয়। ফিফার সদস্যরা ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারে ও একে-অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যা আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক খেলার মর্যাদা পায়। এ ফলাফল পরবর্তী চার বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে ও জাতীয় দলগুলোর নিজস্ব শক্তিমত্তার তুলনা কল্পে ফিফা কর্তৃক প্রকাশিত মাসিক ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তুলে ধরা হয়। যে সকল জাতীয় দল কনফেডারেশনের পূর্ণাঙ্গ কিংবা সহযোগী সদস্য হলেও ফিফার সদস্যবিহীন অবস্থায় কনফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু ঐ খেলাগুলো পরিপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক স্তরের নয়।",
"title": "পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলের তালিকা"
},
{
"docid": "659278#6",
"text": "পেরু পাঁচবার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে আমন্ত্রিত হয়ে পেরুভীয় দল খেলে। এরপর ১৯৫৮ সাল থেকে প্রত্যেক প্রতিযোগিতায় বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৭০, ১৯৭৮, ১৯৮২ ও ২০১৮ সালে চারবার চূড়ান্ত আসরে খেলে। বিশ্বকাপের সর্বকালের রেকর্ড অনুযায়ী ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাছাইপর্বে অংশ নিয়ে ৪২ জয়, ৩৬ ড্র ও ৬৯ খেলায় পরাজিত হয়। চূড়ান্ত পর্বে দলটি চার খেলায় জয় পায়, তিনটিতে ড্র করে ও নয়টিতে পরাজয়বরণ করে। ১৯ গোল করে ও ৩২ গোল খায়। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে প্রবর্তিত ফিফা ফেয়ার প্লে ট্রফি জয়ে সক্ষমতা দেখায় পেরু দল। একমাত্র দল হিসেবে তারা কোন হলুদ কিংবা লাল কার্ড পায়নি।",
"title": "পেরু জাতীয় ফুটবল দল"
}
] |
লেনোভো কোম্পানির সদর দপ্তর কোথায় ? | [
{
"docid": "309578#0",
"text": "লেনোভো গ্রুপ লিমিটেড একটি চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এর সদর দপ্তর বেইজিং এবং নর্থ ক্যারোলাইনায়। এটি পার্সোনাল কম্পিউটার, ট্যাবলেট কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ওয়ার্কস্টেশন, সার্ভার, ইলেক্ট্রনিক স্টোরেজ ডিভাইস এবং স্মার্ট টেলিভিশন বিক্রয় করে। বিক্রির হিসাবে ২০১২ সালে লেনোভো ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কম্পিউটার বিক্রেতা। পৃথিবীর ৬০টি দেশে এর কার্যক্রম আছে এবং ১৬০টি দেশে পণ্য বিক্রয় করে।",
"title": "লেনোভো"
}
] | [
{
"docid": "561880#0",
"text": "লোরেয়াল () একটি ফরাসি প্রসাধনী নির্মাণকারী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর ফ্রান্সের ও-দো-সেন জেলার ক্লিশি শহরে অবস্থিত।। প্যারিস শহরেও এর একটি দপ্তর আছে। লোরেয়াল বিশ্বের বৃহত্তম প্রসাধন সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। চুলের রঙ, ত্বকের যত্ন, সৌররশ্মি থেকে রক্ষা, মুখসজ্জা, সুগন্ধী এবং চুলের যত্নের জন্য এটি বিভিন্ন সামগ্রী বানিয়ে থাকে। ত্বকবিজ্ঞান, বিষবিজ্ঞান, কলা প্রকৌশল, এবং জীব-ঔষধবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণাক্ষেত্রগুলিতে প্রতিষ্ঠানটি সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি ন্যানোপ্রযুক্তি বিষয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্যাটেন্টের অধিকারী। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ইউরো স্টক্স ৫০ নামক শেয়ার বাজার সূচকে নিবন্ধিত আছে।",
"title": "লোরেয়াল"
},
{
"docid": "265523#1",
"text": "বোয়িং কোম্পানির কর্পোরেট সদর দপ্তরটি শিকাগোতে অবস্থিত। কোম্পানির পরিচালনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী ডেনিস মুয়েলেনবুর্গ করেন। বোয়িং পাঁচটি প্রাথমিক বিভাগে সংগঠিত হয়: বোয়িং বাণিজ্যিক বিমানবন্দর (বিসিএ); বোয়িং ডিফেন্স, স্পেস অ্যান্ড সিকিউরিটি (বিডিএস); প্রকৌশল, অপারেশন এবং প্রযুক্তি; বোয়িং ক্যাপিটাল; এবং বোয়িং শেয়ার্ড সার্ভিসেস গ্রুপ। ২০১৩ সালে বোয়িং ফরচিনি ম্যাগাজিন \"ফরচুন ৫০০\" তালিকাতে (২০১৭), 61 তম স্থান দখল করে ২4 তম স্থান, 94.6 বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে এবং \"বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত কোম্পানি \"তালিকা (২০১৮)।",
"title": "বোয়িং"
},
{
"docid": "509202#0",
"text": "আলটিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউএফসি) হলো আমেরিকার মিশ্র মার্শাল আর্টসের কোম্পানি। এর মূল প্রতিষ্ঠান হলো ডাব্লিউএমই-এমজি। ইউএফসির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস, নেভাডায় অবস্থিত। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিশ্র মার্শাল আর্টসের কোম্পানি, যেখানে বিশ্বের সব স্বনাম ধন্য মিশ্র মার্শাল আর্টিস্টরা খেলে। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে-এ হলেও এর বিভিন্ন অনুষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়। এই কোম্পানির খেলোয়াড়রা ১০টি বিভাগে বিভক্ত এবং এর খেলা মিশ্র মার্শাল আর্টসের নিয়ম অনুসারে সম্পাদিত হয়। ইউএফসি আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি খেলার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই কোম্পানির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হলেন ডানা ওয়াইট।",
"title": "ইউএফসি"
},
{
"docid": "610317#0",
"text": "লিওঁ (; স্থানীয় অন্য উচ্চারণ: লিইওঁ) হলো ফ্রান্সের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। এটি ফ্রান্সের পূর্বকেন্দ্রীয় অঞ্চলে রোনে ও সাওনে নদীর সংগমস্থলে অবস্থিত।প্যারিস শহর থেকে এটি ৪৭০ কিমি (২৯২ মাইল) দূরে দক্ষিণে, মার্সেই শহর থেকে ৩২০ কিঃমিঃ (১৯৯মাইল) দূরে উত্তরে এবং সেন্ত এতিয়েন থেকে ৫৫ কিঃমিঃ (৩৪মাইল) দূরে পূর্বে অবস্থিত। লিওঁ শহরের বাসিন্দাদের লিওনাইস বলা হয়।",
"title": "লিওঁ"
},
{
"docid": "583771#7",
"text": "সেপ্টেম্বর, ১৯৪২ সালে পার্তিসান আন্দোলনের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় সদর দফতরে ১০১তম লং-রেঞ্জ এয়ার রেজিমেন্টকে হস্তান্তর করা হয়। এ ইউনিটটি ১,৮৫০-এর অধিক আক্রমণ পরিচালনা করে, ১,৫০০ টন অস্ত্র ফেলে ও শতশত রেডিও নিয়ন্ত্রিত সরঞ্জাম ফেলে, মুদ্রিত মাধ্যম, চলচ্চিত্র ক্যামেরা ও পড়ার বিষয় সরবরাহ করে। ২,৫০০ আহত পার্তিসান ও গৃহহীন অনাথদেরকে উদ্ধার করে। তবে, দূর্বলমানের আকাশযান পরিচালনা ও শত্রুবিমানের কাছ থেকে লি-২ ও তাঁদের ক্রু ক্রমাগত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছিল। গ্রিজোদুবোভা'র উদ্যোগে মার্চ, ১৯৪৩ সালে দাইপারের ডানদিকের তীরে উন্নত বিমানচালনা নির্মাণকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সেখানে দিবালোকে এক ডজন বিমান অবতরণে সক্ষম হয়। ২৭ মে, ১৯৪৪ তারিখে লেনিনগ্রাদ অবমুক্তকরণে অংশ নেয়ায় তাঁর রেজিমেন্টকে সম্মানসূচক ক্রাসনোসেলস্কি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ সময়ে তাঁকে মস্কোয় ফিরিয়ে আনা হয়। জুন, ১৯৪৪ সালে তিনি প্রায় ২০০ আক্রমণ পরিচালনা করেন। দুই মাস পর ৩০ আগস্ট এ রেজিমেন্টকে রেড ব্যানার আদেশনামা পুরস্কার প্রদান করা হয় ও পরবর্তীতে সম্মানসূচক গার্ডস দেয়া হয়।",
"title": "ভ্যালেন্তিনা গ্রিজোদুবোভা"
},
{
"docid": "249468#4",
"text": "লিনাক্স নিউ মিডিয়ার প্রধান কার্যালয় মিউনিখ, জার্মানিতে অবস্থিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রতিষ্ঠানের অধিনে \"লিনাক্স নিউ মিডিয়া ইউএসএ\" নামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অফিসটি Lawrence, Kansas এ অবস্থিত। এই কোম্পানিটির আরও যেসকল প্রকাশনা রয়েছে সেগুলো হল, লিনাক্স প্রো ম্যাগাজিন, লিনাক্স ম্যাগাজিন, লিনাক্স-ম্যাগাজিন, লিনাক্সইউজার, জার্মানী ভাষা, জার্মানী ভাষায় ইজিলিনক্স, লিনাক্স কমিউনিটি , লিনাক্স ম্যাগাজিন ব্রাসিল, লিনাক্স ম্যাগাজিন স্পেন এবং লিনাক্স ম্যাগাজিন পোল্যান্ড।",
"title": "উবুন্টু ইউজার"
},
{
"docid": "15441#2",
"text": "ভেনিজুয়েলীয় অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্র এই শহর। তবে মূল মেট্রোপলিটান অঞ্চলে কিছু শিল্প থাকলেও অর্থনীতির মূল ভিত্তি এখানে বিভিন্ন ধরণের পরিষেবাকেন্দ্রিক। বিভিন্ন ধরণের ব্যাঙ্ক, শপিং মল ও বিভিন্ন কোম্পানির সদর দপ্তর এখানে অবস্থিত। কারাকাস স্টক এক্সচেঞ্জ ও পেট্রোলেওস দে ভেনিজুয়েলার (পিডিভিএসএ) সদর দপ্তরও এখানেই অবস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পেট্রোলেওস দে ভেনিজুয়েলা ভেনিজুয়েলার সবচেয়ে বড় কোম্পানি। এছাড়াও বহু রেস্তোরাঁ, শপিং সেন্টার, সংগ্রহশালা শোভিত এই শহর ভেনিজুয়েলার সংস্কৃতির এক প্রধান কেন্দ্রও। লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু উচ্চতম বাড়ি এই শহরে অবস্থিত।",
"title": "কারাকাস"
},
{
"docid": "320148#1",
"text": "জাতিসংঘের তিনটি অতিরিক্ত, সহায়ক ও আঞ্চলিক সদর দপ্তর রয়েছে। এগুলো জেনেভা, ভিয়েনা ও নাইরোবিতে অবস্থিত। এই দপ্তরগুলো জাতিসংঘকে তার নির্দেশনা প্রতিনিধিত্বকরণে, কূটনৈতিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ও কিছু অতিরাষ্ট্রিক সুবিধা লাভে সাহায্য করে। তবে নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তর কেবল জাতিসংঘের প্রধান ছয়টি অঙ্গসংগঠন ধারণ করে। এছাড়া জাতিসংঘের পনেরোটি বিশেষায়িত সংস্থার দপ্তরগুলো নিউ ইয়র্কের বাহিরে অন্যান্য দেশে অবস্থিত।",
"title": "জাতিসংঘ সদর দপ্তর"
},
{
"docid": "327555#0",
"text": "লকহীড মার্টিন () একটি মার্কিন অ্যারোস্পেস, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা কোম্পানি। ১৯৯৫ সালের মার্চে লকহীড কর্পোরেশন ও মার্টিন ম্যারিয়েট্টা কোম্পানির সংযুক্তির মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ম্যারিল্যান্ডে। এতে ১১৬০০০ মানুষ কাজ করে। লকহীড মার্টিন বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহৎ অস্ত্র বিক্রেতা। এটি পাঁচটি অংশের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে।",
"title": "লকহীড মার্টিন"
}
] |
আলবেনিয়ার রাজধানী কোথায় ? | [
{
"docid": "1164#1",
"text": "তিরানা আলবেনিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।",
"title": "আলবেনিয়া"
},
{
"docid": "16279#0",
"text": "তিরানা (আলবেনীয় ভাষায়: Tiranë \"অথবা আঞ্চলিক ভাষায়\" তিরানাকে তিরনাও \"বলে\") আলবেনিয়ার প্রজাতন্ত্রের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। এইটি সোজম্যান পাশার মধ্যে ১৬১৪তে গঠন করা হয়েছিল এবং ১৯২০তে আলবেনিয়ার রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল।",
"title": "তিরানা"
}
] | [
{
"docid": "1164#35",
"text": "জানুয়ারী ২০১০-এর উপাত্ত অণুযায়ী আলবেনিয়ার জনসংখ্যা ৩১,৯৫,০০০। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৫৪৬%। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে \nজনবসতির ঘনত্ব ১১১ জন।মাত্র ৩৫ লক্ষ লোকের দেশ আলবেনিয়ায় শতকরা ৯৫% শতাংশ লোক আলবেনীয় ভাষার কোন উপভাষায় (তোস্ক বা ঘেগ) কথা বলে থাকে। আলবেনীয়ার বাকী জনগণ সবচেয়ে বেশী যে ভাষায় কথা বলে, তা হল গ্রিক। এছাড়া ম্যাসিডোনীয় ভাষা ও সার্বো-ক্রোটীয় ভাষাতেও স্বল্পসংখ্যক লোক কথা বলেন। \nযাদের মাতৃভাষা আলবেনীয়, তারা মূলত দুইটি উপভাষার একটিতে কথা বলেন। এগুলি হল উত্তরের ঘেগ আলবেনীয় এবং দক্ষিণের তোস্ক আলবেনীয়। তোস্ক আলবেনীয় উপভাষা উপর ভিত্তি করে আদর্শ আলবেনীয় ভাষা গঠিত হয়েছে। আলবেনিয়ার বাইরে ম্যাসিডোনিয়া ও কসোভোতেও আলবেনীয় ভাষার প্রচলন আছে। ১৯৯০-এর দশকে যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধের সময় প্রায় ৫ লক্ষ আলবেনীয়ভাষী কসোভোবাসী আলবেনিয়াতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নেন। আলবেনিয়ার গণমাধ্যমের ভাষা আলবেনীয়। তবে রেডিও তিরানা আটটি ভাষায় প্রোগ্রাম সম্প্রচার করে। এছাড়া অনেক আলবেনীয় স্যাটেলাইটের সাহায্যে ইতালীয় ও গ্রিক টিভির অণুষ্ঠান দেখে থাকেন।",
"title": "আলবেনিয়া"
},
{
"docid": "609070#1",
"text": "জাপানের রাজধানী টোকিওতে আলবেনিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। কিন্তু আলবেনিয়াতে জাপানের কোন দূতাবাস নেই। ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত জাপানের দূতাবাসের নিকট, আলবেনিয়া সম্পর্কিত সকল কূটনৈতিক দায়িত্ব এবং অন্যান্য কার্যক্রমের দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে এবং এই দূতাবাসের মাধ্যমেই জাপান আলবেনিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে। তবে বর্তমানে আলবেনিয়ায়, জাপানের একটি অনারারি কনস্যুলেট রয়েছে। আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় এই অনারারি কনস্যুলেটটি অবস্থিত।",
"title": "আলবেনিয়া-জাপান সম্পর্ক"
},
{
"docid": "15872#1",
"text": "বর্তমান আলবেনীয়রা সম্ভবত ইলিরীয় জাতির লোকদের বংশধর। দক্ষিণ বলকান অঞ্চলে গ্রিক, রোমান ও স্লাভ জাতির লোকেরা অভিবাসন করার অনেক আগে থেকেই ইলিরীয় জাতির লোকেরা বাস করত। খ্রিস্টপূর্ব ৭ম ও ৬ষ্ঠ শতকে গ্রিকেরা আলবেনিয়ার উপকূলে অনেকগুলি বসতি স্থাপন করে; এগুলির মধ্যে ছিল এপিদামনুস (বর্তমান দুররেস) এবং আপোল্লোনিয়া (বর্তমান ভ্লোরে)। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতক নাগাদ এই বসতিগুলির পতন হতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এগুলি বিলীন হয়ে যায়। গ্রিকেরা চলে যাবার পর এই এলাকায় আদিকাল থেকে বসবাসকারী ইলিরীয় সমাজের বিবর্তন ঘটে এবং এতে জটিলতর রাজনৈতিক সংগঠন যেমন ফেডারেশন, রাজ্য, ইত্যাদির আবির্ভাব ঘটে। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইলিরীয় রাজ্যটি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম ও ২য় শতকের মধ্যবর্তী সময়ে টিকে ছিল।",
"title": "আলবেনিয়ার ইতিহাস"
},
{
"docid": "1164#0",
"text": "আলবেনিয়া (আলবেনীয় ভাষায় Shqipëri \"শ্চিপারি\") দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। এটি বলকান উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এ দেশটি পশ্চিম দিক থেকে আর্দ্রিয়াটিক এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে আইওনিয়ান সাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। ২৮ হাজার ৭৪৮ বর্গকিলোমিটারের আলবেনিয়াতে উপকূল রয়েছে ৩৬২ কিলোমিটারের। দুই সাগরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এই দেশটির ৭০ শতাংশ ভূমিই খুব বন্ধুর। দেশটির সর্বোচ্চ স্থান দিবারের কোরাব সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৭৫৩ মিটার ওপরে অবস্থিত। আলবেনিয় জাতির পিতা ইস্কান্দর বে \nআলবেনিয়া ইতিহাসে বহুবার পূর্বের ইতালীয় শক্তি ও পশ্চিমের বলকান শক্তির কাছে নত হয়েছে। ১৫শ শতকে আলবেনিয়া গ্রীস অধীনে আসে এবং ১৯১২ সালের আগ পর্যন্ত স্বাধীনতা লাভ করতে পারেনি। ১৯৪৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এটি একটি সাম্যবাদী রাষ্ট্র ছিল। ১৯৯১ সালে দেশটি গণতন্ত্র ও বাজার অর্থনীতি ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে রূপান্তর শুরু করে।",
"title": "আলবেনিয়া"
},
{
"docid": "1164#3",
"text": "বর্তমান আলবেনীয়রা সম্ভবত ইলিরীয় জাতির লোকদের বংশধর। দক্ষিণ বলকান অঞ্চলে গ্রিক, রোমান ও স্লাভ জাতির লোকেরা অভিবাসন করার অনেক আগে থেকেই ইলিরীয় জাতির লোকেরা বাস করত। খ্রিস্টপূর্ব ৭ম ও ৬ষ্ঠ শতকে গ্রিকেরা আলবেনিয়ার উপকূলে অনেকগুলি বসতি স্থাপন করে; এগুলির মধ্যে ছিল এপিদামনুস (বর্তমান দুররেস) এবং আপোল্লোনিয়া (বর্তমান ভ্লোরে)। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতক নাগাদ এই বসতিগুলির পতন হতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এগুলি বিলীন হয়ে যায়। গ্রিকেরা চলে যাবার পর এই এলাকায় আদিকাল থেকে বসবাসকারী ইলিরীয় সমাজের বিবর্তন ঘটে এবং এতে জটিলতর রাজনৈতিক সংগঠন যেমন ফেডারেশন, রাজ্য, ইত্যাদির আবির্ভাব ঘটে। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইলিরীয় রাজ্যটি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম ও ২য় শতকের মধ্যবর্তী সময়ে টিকে ছিল।",
"title": "আলবেনিয়া"
},
{
"docid": "604129#6",
"text": "ককেশীয় আলবেনিয়ার উভয় রাজধানী: কাবালক (এছাড়াও কাবালক, খাবলা, খাজার, আজকের ক্বাবালা) এবং পার্থভ (বর্তমান বার্ডা নামে পরিচিত) ঐতিহাসিক উডি অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। তারা কাস্পিয়ান সাগরের বাম তীর থেকে ককেশীয় পাহাড়, ও কুরা নদীর ডান তীর পর্যন্ত প্রশস্ত অঞ্চল দখল করে। এই অঞ্চলের একটি এলাকা \"উটিক\" নামে নামকরণ করা হয়েছে। ভাষাবিদ উলফগ্যাং স্কুলেজের মতে; আরবগণ ককেশীয় আলবেনিয়া জয় করার পর উডি জাতির জনসংখ্যা ও তাদের অঞ্চলের আয়তন ধীরে ধীরে কমেতে থাকে।",
"title": "উডি জাতি"
},
{
"docid": "336847#0",
"text": "আলেপ্পো ( / ALA-LC: \"\") সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর এবং আলেপ্পো মুহাফাযার (সিরিয়ার প্রদেশ) রাজধানী। এটি সিরিয়র উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এবং রাজধানী দামেস্ক থেকে ৩১০ কিলোমিটার দরে অবস্থিত। আলেপ্পোর জনসংখ্যা ২১৩২০০, এটি পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যেও অন্যতম বড় শহর। শতব্দীকাল ধরে আলেপ্পো সিরিয়ার সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এবং ইস্তানবুল ও কায়রোর পরে উসমানীয় সাম্রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ছিল।",
"title": "আলেপ্পো"
},
{
"docid": "1165#0",
"text": "আলজেরিয়া উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত রাষ্ট্র। আলজেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র (সুদানের পরেই)। দেশটির নয়-দশমাংশ জুড়ে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত। ভূমধ্যসাগরের তীরে উপকূলীয় সমভূমি রয়েছে। আলজেরিয়ার প্রায় সব মানুষ দেশটির উত্তরাঞ্চলে উপকূলের কাছে বাস করে। ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত আলজিয়ার্স দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। আলজেরিয়ার আরবি নাম আলজাজাইর (অর্থাৎ দ্বীপসমূহ); নামটি রাজধানীর তীর সংলগ্ন দ্বীপগুলিকে নির্দেশ করছে।",
"title": "আলজেরিয়া"
},
{
"docid": "1170#0",
"text": "আর্মেনিয়া (পূর্ব আর্মেনীয় ভাষায় Հայաստան \"হায়াস্তান্\") পশ্চিম এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। জর্জিয়া ও আজারবাইজানের সাথে এটি দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে কৃষ্ণ সাগর ও কাস্পিয়ান সাগরের স্থলযোজকের উপর অবস্থিত। ইয়েরেভান দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। আর্মেনীয় জাতি। জাতিগত আর্মেনীয়রা নিজেদের \"হায়\" (Հայ) বলে ডাকে এবং আর্মেনিয়ার ৯০% লোক হায় জাতির লোক। ১৯২২ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯১ সালে এটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯৫ সালে দেশটির প্রথম সোভিয়েত-পরবর্তী সংবিধান পাশ হয়।",
"title": "আর্মেনিয়া"
},
{
"docid": "111912#0",
"text": "আবিজান বা আবিজঁ (; আ-ধ্ব-ব: [abidʒɑ̃]) পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র কোত দিভোয়ার বা আইভরি কোস্টের বৃহত্তম শহর, বন্দর ও প্রাক্তন রাজধানী শহর। আবিজান শহরটি দেশের দক্ষিণ প্রান্তে, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত। শহরটির একটি বন্দর আছে, তবে এটি একটি সমুদ্রচরের মাধ্যমে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে পৃথক। ভ্রিদি খালের মাধ্যমে বন্দরটি সাগরের সাথে সংযুক্ত। বন্দরটির সুবাদে আবিজান পশ্চিম আফ্রিকার বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান একটি কেন্দ্র। এখান থেকে কোকো, কফি, কাঠ, কলা, আনারস ও মাছ রপ্তানির জন্য জাহাজে ওঠানো হয়। এছাড়া শহরটিতে বিয়ার নামক মদ, সাবান, দেশলাই ও মোটরযান নির্মাণ কারখানা আছে।",
"title": "আবিজান"
}
] |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ? | [
{
"docid": "392229#0",
"text": "ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি সংক্ষেপে DUDS (ডি.ইউ.ডি.এস.), বাংলাদেশের বিতর্ক আন্দোলনে সংযুক্ত একটি সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পূর্ণাংগ তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত এই সংগঠনটি বিতর্ককে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে চলেছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট কর্তৃক অর্থায়িত। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কের কেন্দ্রীয় সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কের চর্চা শুরু হয় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ারও আগে থেকে। পরবর্তীতে সত্তুরের দশকে বিতর্ক সাংগঠনিক রূপ পেতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় প্রগতিশীল শিক্ষকদের হাত ধরে তৈরি হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি। গণতন্ত্রের উত্থানের পর, নব্বই এর দশকের শুরু থেকে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। \nপ্রতিবছর ‘প্রতিবাক’ ও ‘প্রত্যুষ’ নামে ডিইউডিএস বার্ষিক প্রকাশনা প্রকাশ করে এবং বিতার্কিকদের মধ্যে বিতরণ করে। জাতীয় বিতর্ক উৎসবের স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিশেষ প্রকাশনাও থাকে।",
"title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি"
},
{
"docid": "683122#0",
"text": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ' নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে পূর্বনাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ' গ্রহণ করা হয়। ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদকে বাংলাদেশের অনুসংসদ বলা হয়। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার হল এই ছাত্র সংসদ। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই বাংলাদেশের সামগ্রিক ইতিহাসে গৌরবময় ভূমিকা রাখে এই ছাত্র সংসদ। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ৭১-এর স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে স্বৈরাচার ও সামরিকতন্ত্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে সাহায্য করেছে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ সংক্ষেপে ডাকসু নামেও পরিচিত।",
"title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ"
}
] | [
{
"docid": "2321#0",
"text": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে ঢাবি) ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়; যা বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষত্ব হলো বাংলাদেশ স্বাধীন করতে এর বিশেষ অবদান ছিল। যেখানে দেশের সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ অবদান রেখেছিল।",
"title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়"
},
{
"docid": "2321#5",
"text": "তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ডিগ্রি ক্লাসে অধ্যয়নরত ছাত্রদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শুধু ছাত্র নয়, শিক্ষক এবং লাইব্রেরির বই ও অন্যান্য উপকরণ দিয়েও এই দুটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে। এই সহযোগিতা দানের কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি হলের নামকরণ করা হয় ঢাকা হল (বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল) ও জগন্নাথ হল।",
"title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়"
},
{
"docid": "15593#0",
"text": "ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর বাংলাদেশের একটি প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। দেশে ক্রমবর্ধমান আধুনিক প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয় পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ কৌশলে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী প্রদান করে আসছে।",
"title": "ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"
},
{
"docid": "2321#1",
"text": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি পদক লাভ করেছেন। এছাড়াও, এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এশিয়াউইকের পক্ষ থেকে শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নেয়। এটি এশিয়ার সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪তম। এখানে প্রায় ৩৮,০০০ ছাত্র-ছাত্রী এবং ১,৮০৫ জন শিক্ষক রয়েছে৷",
"title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়"
},
{
"docid": "2321#14",
"text": "বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলো হল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(জাসদ),বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংঘ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির]], জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ইত্যাদি। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে প্রপদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টুরিস্ট সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আই টি সোসাইটি (DUITS), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটি, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, বাংলাদেশ ওপেন সায়েন্স অর্গানাইজেশন, বাঁধন, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন ইত্যাদি। তাছাড়াও মধুর ক্যান্টিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাফেটেরিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত।",
"title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়"
},
{
"docid": "63805#36",
"text": "১৯২১ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যক্ট ১৯২০” দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক চরিত্র বদলে যায় এবং পূর্ব বাংলার কলেজগুলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় এখন মঞ্জুরি প্রদানের ক্ষমতা লাভ করে আগে যা ঢাকা শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। “The east Bengal education ordinance” এর বলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত ৫৫টি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী কলেজের মঞ্জুরি প্রদান ও তত্ত্বাবধানের কর্তৃত্ব লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যার ফলে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, একাডেমিক কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টি ও কোর্ট পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করতে হয়, প্রথম শ্রেণীর কলেজ প্রিন্সিপালদের অর্ন্তভুক্ত করার জন্য। \n১৯৬১ সালে পাকিস্তানের সামরিক সরকারের আজ্ঞাবহ পূর্ব পাকিস্তান সরকার “ঢাকা ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১” দ্বারা “ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যক্ট ১৯২০” বাতিল করে। নতুন অর্ডিন্যান্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের গনতান্ত্রিক ও স্বায়ত্তশাসিত চরিত্রের পরিবর্তন করা হয়, কোর্ট বাতিল করা হয়, একাডেমিক কাউন্সিলকে মনোনীত সংস্থায় রুপান্তর করা হয়, নির্বাচিত ডিন এবং উপাচার্যের নিযুক্তি প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। এ সময় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের নাম সিন্ডিকেট এবং তা পদাধিকার বলে ও চ্যান্সেলর মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ নির্বাহী পরিষদ হয়ে যায়। এই সময় থেকেই উপাচার্যের নিয়োগ কোর্টের পরিবর্তে সরকার দ্বারা করবার ব্যবস্থা করা হয়। \n““ঢাকা ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১” এর সম্পর্কে শিক্ষকদের ক্ষোভ ছিল। ষাটের দশকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনের জন্য আন্দোলন হয়েছে। স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, অধ্যাপক খান সরওয়ার মোর্শেদ শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া উপস্থাপন করেন। খসড়াটি প্রায় অপরিবর্তীত অবস্থায় ‘The Dacca University order 1973’ নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের পরামর্শ ক্রমে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অধ্যাদেশ জারি করেন। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এই আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। \n১৯৭৩ এর অর্ডিন্যান্স চালু হওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ নীল, সাদা ও গোলাপী এই তিন রঙের প্যানেলে বিভক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বীকৃত পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান, এই সমিতির কর্মকর্তারাও প্রতি বছর নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের সাথে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৩-এর ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করা হয় এবং প্রবীণ শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ এনামুল হককে তার চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়।",
"title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস"
},
{
"docid": "63805#5",
"text": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শুরু থেকেই সুপরিকল্পিত ভাবে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হয়। অধুনালিপ্ত পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের রাজধানীর জন্য ঐতিহাসিক বাগ-এ-পাতশাহীতে গড়ে উঠেছিলো রমনীয় \"রমনা\"। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মনোলোভা দৃশ্যাবলী একদিকে যেমন ছিলো প্রগতিশীলতার ধারক, তেমনি তারুণ্যের উন্মত্ততাকে যেনো হাতছানি দিয়েছিলো এক উদাত্ত আহবানে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করে তার পূর্ব পাশে অবস্থিত ঢাকা হল (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল), লিটন হল, কার্জন হল, বিজ্ঞান ভবন সমূহ, ঢাকা হল এর পূর্ব পাশে বিরাট দীঘি, অপর পাশে ফজলুল হক মুসলিম হল। বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে প্রধান প্রবেশ পথ ছিলো ঢাকা হল (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল)- এর দিক থেকে, মাঠে ঢুকতেই ডানে জিমনেসিয়াম আর বামে একটি পুকুর; বিশ্ববিদ্যালয় মাঠটি ত্রিকোণাকৃতি এবং তাতে দুটি ফুটবল গ্রাউন্ড ছিলো। মাঠের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব তিনদিক দিয়েই বৃক্ষশোভিত রাজপথ প্রসারিত; বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণদিকের রাস্তাটি ইউকেলিপটাস শোভিত, যে রাস্তাটি মুসলিম হল পর্যন্ত সম্প্রসারিত এবং মুসলিম হলের সামনে শিরিষ বা রেইনট্রি জাতীয় বৃক্ষ শোভিত; পুরাতন রেললাইনের সঙ্গে সমান্তরাল সাবেক পূর্ববাংলা ও আসাম সরকারের সেক্রেটারিয়েট ভবন, সামনে ইউকেলিপটাস শোভিত প্রশস্ত রাজপথ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ময়দান। ঐ সেক্রেটারিয়েট ভবনের দোতলায় প্রথমে মুসলিম হল এবং একতলায় বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিভাগ বিশেষত কলা অনুষদের বিভাগ এবং ক্লাশরুম প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় এ বিশাল ভবনটির পূর্বাংশ ব্যতীত সবটুকুই সামরিক হাসপাতালে এবং দেশবিভাগের পূর্বে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তর দিকে প্রবাহিত রাজপথের পাশে ছিলো দুটি কি তিনটি বিরাট লাল ইটের দোতলা বাংলো, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরাই বাস করতেন। এ বাংলোগুলোর পেছনে রমনা রেসকোর্সের দিকে মুখ করে বর্ধমান হাউস ও তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক নিবাস। দেশবিভাগের পরে যা হয়েছিলো, পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী প্রথমে খাজা নাজিমউদ্দিন এবং পরে নূরুল আমীনের বাসভবন। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে \"যুক্তফ্রন্টের\" জয়লাভের পর ১৯৫৭ সালে একুশ দফার এক দফা অনুযায়ী বর্ধমান হাউস বাংলা একডেমিতে রূপান্তরিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের ভেতরে সে কালে একটি পুকুর (উত্তর পূর্বকোণে) ছাড়াও একটি জঙ্গলাকীর্ণ পুরাতন কবরস্থান ছিলো, যা এখন নেই।",
"title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস"
},
{
"docid": "249002#3",
"text": "নিম্নোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ নিজস্ব ক্যাম্পাসের পরিবর্তে সারা দেশব্যাপী তাদের অনুমোদিত কলেজসমূহের মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত করে থাকে। দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কার্যালয় ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত। ১৯৯২ সালে, বাংলাদেশে সর্বস্তরের শিক্ষাকে দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সকল স্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারাদেশে স্নাতকোত্তর ( ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, বাঙলা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বাদে। ঢাকার এই সাতটি কলেজ এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে) পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হল ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা বাংলাদেশের অধিভুক্ত প্রথম আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। মূলত মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার আধুকায়ন ও যুগোপযুগি করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করা হয়েছে।",
"title": "বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকা"
}
] |
চিন সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ? | [
{
"docid": "522078#0",
"text": "চিন সাম্রাজ্য (; ) সাম্রাজ্যবাদী চীনের প্রথম সাম্রাজ্য, যা খ্রিস্টপূর্ব ২২১ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২০৬ অব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। চিন রাজ্যের নামে এই সাম্রাজ্যের নামকরণ করা হয়, যা বর্তমানে গানসু ও শানসি নামে পরিচিত। কিন সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট চিন শি হুয়াং সাত যুদ্ধরত রাজ্য থেকে কিন রাজ্য জয় করে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে যুদ্ধরত রাজ্য কালে শাং ইয়াং আইনসর্বস্বতা ধারণার প্রবর্তন করার ফলে কিন সাম্রাজ্যের ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি ও শেষের দিকে, চিন কয়েকটি বিজয় লাভ করে সারা চীনের উপর নিয়ন্ত্রন লাভ করে, যার মধ্যে ছিল দুর্বল ঝাও সাম্রাজ্য ও সাত যুদ্ধরত রাজ্যের বাকি ছয় রাজ্যের বিরুদ্ধে বিজয়। এই সময়ে কিন তার রাজনৈতিক ক্ষমতা ও দৃঢ় অর্থনীতি দিয়ে সমগ্র চীনকে একত্রিত করে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলে।",
"title": "কিন সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "523444#0",
"text": "সুই সম্রাট ওয়েন (隋文帝; ২১ জুলাই, ৫৪১ – ১৩ আগস্ট, ৬০৪) ছিলেন চীনের সুই সাম্রাজ্যের (৫৮১ – ৬১৮) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সম্রাট। তার পারিবারিক নাম ছিল ইয়াং জিয়ান, সিয়ানবেই নাম পালিউরু জিয়ান, এবং ডাকনাম নালুওইয়ান। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন এবং তার সাম্রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য কাজ করেন। জিন সাম্রাজ্য সময়কালের পর চীনকে পুনরায় একত্রিত করার জন্য তাকে চীনের ইতিহাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ শাসক বলে অভিহিত করা হয়। তার শাসনামলে চীনের মহাপ্রাচীর বর্ধিতকরণের কাজ করা হয় এবং গ্র্যান্ড খাল খনন করা হয়।",
"title": "সুই সম্রাট ওয়েন"
},
{
"docid": "522530#2",
"text": "চিন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে চীনের তিন রাজ্য সময়কালের শক্তিশালী রাজ্য কাও ওয়েইয়ের প্রসিদ্ধ বংশ সিমা পরিবার। ২৪৯ সালের গাওপিং সমাধির ঘটনার পরে দক্ষতার সাথে কাও ওয়েইয়ের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রন করে প্রসিদ্ধি লাভ করে। সিমা ঝাও আরও কিছু বিদ্রোহ দমনে রাজপরিবারকে সহায়তা করেন। তিনি ২৬৩ সালে লিউ শানকে বন্দী করে শুকে মুক্ত করেন এবং পরের বছর ঝং হুই বিদ্রোহ দমন করেন। তার সিংহাসনে আরোহণ করার আশা অপূর্ণ রয়ে যায় এবং মৃত্যুর আগে তিনি ঝাও সাম্রাজ্য প্রদত্ত যুবরাজ পদবি লাভ করেন। সিমা ঝাওয়ের পুত্র সিমা ইয়ান ২৬৫ সালে শেষ ওয়েই সম্রাট কাও হুয়ানকে সিংহাসন ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। সিমা ইয়ান তাকে যুবরাজ উপাধি প্রদান করেন এবং তার রাজকীয় সমাধির অনুমতি দেন। ফলে সিমা ইয়ান হন চিন সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট।",
"title": "চিন সাম্রাজ্য (২৬৫–৪২০)"
}
] | [
{
"docid": "485009#2",
"text": "বহু রাজ্য ও যুদ্ধবাজ নেতাদের শাসনামলে চৈনিক রাজবংশগুলো চীনের একটি অংশ শাসন করত। যার সীমানা বর্তমান জিংজিয়ান এবং তিব্বত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ২২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কিন শি হুয়াং বিভিন্ন যুদ্ধরত রাজ্যগুলোকে একত্রিত করে কীন বংশের একটি ক্ষুদ্র “সাম্রাজ্য” (হুয়াংডি) প্রতিষ্ঠা করে, চৈনিক সম্রাজ্যের ইতিহাসে শুরু করেন। পরবর্তী রাজবংশগুলো একটি জনপ্রশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল যা ক্রমে তৎকালিন চীনের বিশাল এলাকায় চৈনিক সম্রাটের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে। চীনের সর্বশেষ সাম্রাজ্য ছিল কিং সাম্রাজ্য (১৬৪৪ থেকে ১৯১২), যার উচ্ছেদের পর ১৯১২ সালে রিপাবলিক অব চায়না, এবং ১৯৪৯ সালে গনপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠিত হয়।",
"title": "চীনের ইতিহাস"
},
{
"docid": "522530#0",
"text": "চিন সাম্রাজ্য ( and ) চীনের একটি সাম্রাজ্য, যা ২৬৫ – ৪২০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। সিমা ঝাওয়ের পুত্র সিমা ইয়ান এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তিন রাজ্য যুগের (২২০ - ২৮০ সাল) বিদ্বস্ত পরিস্থিতির পর এই সাম্রাজ্য সমগ্র চীনকে আবার একত্রিত করে।",
"title": "চিন সাম্রাজ্য (২৬৫–৪২০)"
},
{
"docid": "527450#2",
"text": "চীনের প্রথম সামন্ততান্ত্রিক সাম্রাজ্য ছিল কিন সাম্রাজ্য। চীনের প্রথম সম্রাট হিসেবে পরিচিত কিন শি হুয়াং ঝাও সাম্রাজ্য সময়ের সাত যুদ্ধরত রাজ্য বিজয় করে সমগ্র চীনকে একত্রিত করেন এবং এই সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন। এই সময়ে প্রথম সম্রাট বিভিন্ন যাযাবর সম্প্রদায়ের আক্রমণ থেকে চীনের নিরাপত্তা জন্য চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সাম্রাজ্য হান সাম্রাজ্যকে চীনের অন্যতম শক্তিশালী সাম্রাজ্য হিসেবে ধরা হয়। এসময়ে চীন সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছালে হান সময়কালকে চীনের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলে অভিহিত করা হয়। এই সাম্রাজ্য সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে সিন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হলে সাম্রাজ্যটি পশ্চিম ও পূর্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়। দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষের দিকে পূর্ব হান সাম্রাজ্যের অধিপত্য কমতে থাকে এবং চীন পুনরায় বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত হওয়া শুরু করে। এই সময়ে চীন ওয়েই, শু ও য়ু এই তিনটি রাজ্যে বিভক্ত হয়, যা পরবর্তীতে জিন সাম্রাজ্য সময়ে পুনরায় একত্রিত হয়।",
"title": "চীনের সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "519789#0",
"text": "সিয়া সাম্রাজ্য (; আনু. খ্রিষ্টপূর্ব ২০৭০ অব্দ – আনু. খ্রিষ্টপূর্ব ১৬০০ অব্দ) চীনের ইতিহাসে প্রথম সার্বভৌম সাম্রাজ্য। খ্রিষ্টপূর্ব একবিংশ অব্দ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ষোড়শ অব্দ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর ১৪টি প্রজন্মের ১৭ জন সম্রাট রাজত্ব করেছিল। বর্তমান চীনের সানসি প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও হোনান প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল ছিল এই সাম্রাজ্যের ব্যপ্তি। \"ব্যাম্বু অ্যানালস\", \"ক্ল্যাসিকস অব হিস্ট্রি\", \"ইতিহাসের আলেখ্য\" গ্রন্থে চীনের এই সাম্রাজ্যের উল্লেখ রয়েছে। কিংবদন্তী অনুসারে, ইয়ু দ্য গ্রেট সিয়া সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সম্রাট সুনের পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।",
"title": "সিয়া সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "485009#18",
"text": "চীন তখন হান, ওয়েই, চাও, ছি, ছু এবং ইয়ান এই ছয়টি রাজ্যে বিভক্ত ছিল। রাজা কিন শি হুয়াং এই ছয়টি রাজ্যকে একত্রিত করে কিন সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন। ইতিহাসে তিনি প্রথম চৈনিক সম্রাট (始皇帝) হিসেবে পরিচিত। দুর্ধর্ষ তাতার জাতির (মঙ্গল জাতি) হাত থেকে চীনকে রক্ষা করার জন্য তিনি সমগ্র চীনের উত্তর সীমান্ত জুড়ে প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। যা চীনের মহাপ্রাচীর নামে পরিচিত। যদিও বর্তমানে সেই প্রাচীরের সামান্য কিছু অংশের অস্তিত্ব আছে। কিন সি হুয়াং তার প্রধানমন্ত্রী লী সিংকে সাথে নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার করন। এছাড়া শি হুয়াং এর অবদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা, একক আইন ও ধারা প্রনয়ন, লেখ্য ভাষার প্রবর্তন, এবং মুদ্রার প্রচলন।",
"title": "চীনের ইতিহাস"
},
{
"docid": "522796#0",
"text": "জিন য়ুডি, (; ২৩৬ – ১৬ মে, ২৯০) ছিলেন চীনের জিন সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট। তার পারিবারিক নাম সিমা ইয়ান () ও সম্মানসূচক নাম আনশি (安世)। তিনি সিমা য়ির নাতী এবং সিমা ঝাওয়ের পুত্র। ২৬৫ সালে তিনি চাও ওয়েই রাজ্যে শেষ রাজা চাও হুয়াইকে তার কাছে সিংহাসন ত্যাগ করতে বাধ্য করেন এবং জিন সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন। তিনি ২৬৫ থেকে ২৯০ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন এবং ২৮০ সালে পূর্ব য়ু বিজয়ের পর সমগ্র চীনের সম্রাট হন।",
"title": "জিন য়ুডি"
},
{
"docid": "520523#0",
"text": "মহান ইউ (, আনু. খ্রিষ্টপূর্ব ২২০০ অব্দ – খ্রিষ্টপূর্ব ২১০১ অব্দ) ছিলেন প্রাচীন চীনের সিয়া সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট। তিনি সে সময়ে চীনের মহাপ্লাবন নিয়ন্ত্রনের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। ইউ চীনের অন্যতম একজন শাসক যার নামের পাশে 'দ্য গ্রেট' পদবী দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।",
"title": "মহান ইউ"
}
] |
প্রজাতন্ত্রী তুরস্কের রাজধানী কোথায় ? | [
{
"docid": "16430#0",
"text": "তুরস্ক (; ), সরকারী নাম প্রজাতন্ত্রী তুরস্ক (Turkish: ), পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। তুরস্কের প্রায় পুরোটাই এশীয় অংশে, পর্বতময় আনাতোলিয়া (তুর্কি: Antalya \"আন্তালিয়া\") বা এশিয়া মাইনর উপদ্বীপে পড়েছে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়াতেই অবস্থিত। তুরস্কের বাকী অংশের নাম পূর্ব বা তুর্কীয় থ্রাস এবং এটি ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উর্বর উঁচু নিচু টিলাপাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুল অবস্থিত। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জলপথ এশীয় ও ইউরোপীয় তুরস্ককে পৃথক করেছে --- মার্মারা সাগর, এবং বসফরাস প্রণালী ও দার্দানেল প্রণালী। এই তিনটি জলপথ একত্রে কৃষ্ণ সাগর থেকে এজীয় সাগরে যাবার একমাত্র পথ তৈরি করেছে।",
"title": "তুরস্ক"
},
{
"docid": "694250#1",
"text": "২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর তুরস্কের ৯৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ১৭ জন আমন্ত্রিত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের নিয়ে এই বিমানবন্দরটি উদ্বোধন করেন। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানী আঙ্কারার উদ্দেশ্যে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি বিমান \"টিকে২১২৪\" উড়ানের মাধ্যমে এই বিমানবন্দর হতে সর্বপ্রথম বিমান উড়ান দেয়। ১লা নভেম্বর ২০১৮ থেকে প্রতিদিন ৫টি রুটে বিমান চলাচল শুরু করে; রুট ৫টি হলো আঙ্কারা, আন্তালিয়া, বাকু, এরকান ও ইজমির। তার মধ্যে ৩টি অভ্যন্তরীণ আর বাকি ২টি আন্তর্জাতিক রুটে তুর্কি সাইপ্রাসের এরকান বিমানবন্দর এবং আজারবাইজানের বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল করে। ৫টি বিমান রুটের উড়ানই টার্কিশ এয়ারলাইনস পরিচালনা করে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত ও-৭ মোটরওয়ে ব্যবহার করে আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকে সব সরঞ্জাম নতুন বিমানবন্দরে সরিয়ে আনা হবে।",
"title": "ইস্তানবুল বিমানবন্দর"
}
] | [
{
"docid": "18206#0",
"text": "ইস্তানবুল (তুর্কি ভাষায় İstanbul \"ইস্তান্বুল্\") তুরস্কের অন্যতম প্রধান শহর। এর পুরোনো নাম কন্সটান্টিনোপল। এছাড়া এটি বাইজান্টিয়াম পরিচিত ছিল। এটি পূর্বে উস্মানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। ১৪৫৩ সালে এটি তৎকালীন উস্মানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হয়। এটি তুরস্কের সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির কেন্দ্রস্থল। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত এখানেই ছিল তুরস্কের রাজধানী। এটি তুরস্কের বৃহত্তম শহর যার জনসংখ্যা ১২.৮ মিলিয়ন। ইস্তানবুলের আয়তন ৫.৩৪৩ বর্গ কিলোমিটার (২,০৬৩বর্গ মাইল) । ইস্তানবুল একটি আন্তর্মহাদেশীয় শহর, এর এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা এশিয়ায় বসবাস করলেও এইটি ইউরোপর বাণিজ্যিক এবং ঐতিহাসিক কেন্দ্র।",
"title": "ইস্তানবুল"
},
{
"docid": "699530#10",
"text": "৩২৪ খ্রিস্টাব্দে মহান কন্সট্যান্টাইন বাইজেন্টিয়ামকে রোমান সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন নতুন রোম। ৩৯৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম থিওডোসিয়াসের মৃত্যুর পর এবং রোমান সাম্রাজ্য তার দুই পুত্রের মধ্যে বিভক্ত হয়ে গেলে, এই নগরীর নাম পরিবর্তন করে কনস্টান্টিনোপল রাখা হয় এবং নগরীটিকে পূর্ব রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী করা হয়। এটিকেই পরবর্তীকালে ইতিহাসবেত্তা বাইজেন্টীয় সাম্রাজ্য নামে অভিহিত করেন। এই সাম্রাজ্যই বর্তমান তুরস্কের অঞ্চলসমূহকে মধ্যযুগের শেষ সময় পর্যন্ত শাসন করে। বাকি অঞ্চলসমূহ সাসানীয় সাম্রাজ্যের অধিগত রয়ে যায়।",
"title": "তুরস্কের ইতিহাস"
},
{
"docid": "699530#0",
"text": "তুরস্কের ইতিহাস হল বর্তমান সময়ের তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের অঞ্চলসমূহের ইতিহাস, তথা আনাতোলিয়া (তুরস্কের এশীয় অংশ) এবং পূর্ব থ্রেসের (তুরস্কের ইউরোপীয় অংশ) ইতিহাস। উসমানীয় সাম্রাজ্য সময়কাল থেকে তুর্কি জাতির ইতিহাসে পরিবর্তন দেখা দেয় এবং বর্তমান সময়ের তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের অঞ্চল, বিশেষ করে আনাতোলিয়া ও থ্রেসের ইতিহাসে পার্থক্য দেখা যায়।",
"title": "তুরস্কের ইতিহাস"
},
{
"docid": "16430#15",
"text": "তুরস্কের রাজনীতি একটি বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। তুরস্কে ৫৫০ আসনের একটি সংসদ আছে, যার সদস্যরা ৫ বছরের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গঠন করে এবং সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতিকে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত করেন। রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপতি এবং বিনালি ইলদিরিম দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তুরস্কের সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনে ধর্মনিরপেক্ষতাকে জোর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।",
"title": "তুরস্ক"
},
{
"docid": "2426#6",
"text": "১৮৩৭-এ স্যাম হাউস্টন রাজধানী হাউস্টনে সরিয়ে নেয়ার পূর্বে ১৮৩৬ সালে পাঁচটি জায়গা টেক্সাসের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয় যার মধ্যে প্রথম ছিল ভেলাস্কো (বর্তমান ফ্রিপোর্ট)। এছড়াও ছিল ব্রাজোসের তীরবর্তী ওয়াশিংটন, হ্যারিসবার্গ, গ্যালভেস্টন, এবং কলাম্বিয়া (বর্তমান পশ্চিম কলাম্বিয়া)। ১৮৩৯ সালে রাজধানী নতুন শহর অস্টিনে সরিয়ে নেয়া হয়।",
"title": "প্রজাতন্ত্রী টেক্সাস"
},
{
"docid": "289328#17",
"text": "তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের ফলে তুরস্কে গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি গঠিত হয়। ১৯২৩ সালের ২৪ জুলাই লুসানের চুক্তিতে জাতির স্বাধীনতা ও সীমানা বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা লাভ করা হয়। ন্যাশনাল এসেম্বলি ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর তুরস্ককে প্রজাতন্ত্র ও আঙ্কারাকে এর রাজধানী ঘোষণা করে। ফলে প্রায় ৭০০ বছর পর উসমানীয় সাম্রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয়। তবে সুলতান এই আন্দোলন দমন করতে ইচ্ছুক ছিলেন এবং শাইখুল ইসলামের মাধ্যমে ফতোয়া জারি করেন যাতে তা অনৈসলামিক ঘোষণা করা হয়। তবে জাতীয়তাবাদিরা ধীরে ধীরে গতি পায় এবং ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করে। হুমকি দূর করার জন্য সুলতান নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজি হন। এতে জাতীয়তাবাদিরা জয়ী হয়।",
"title": "উসমানীয় খিলাফত"
},
{
"docid": "16430#16",
"text": "প্রশাসনিক সুবিধার্থে তুরস্ককে ৮১টি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়েছে। সব বিভাগ আবার সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত। তবে এই সাতটি অঞ্চল কোনো প্রশাসনিক বিভাজন নয়। প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি করে জেলায় বিভক্ত। তুরস্কে মোট জেলা আছে ৯২৩টি। প্রতিটি প্রদেশের নামই সেই প্রদেশের রাজধানীর নাম। আর প্রতিটি প্রাদেশিক রাজধানী সংশ্লিষ্ট প্রদেশের কেন্দ্রীয় জেলা। সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুল। এটি হচ্ছে তুরস্কের বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু। তুর্কি জনগণের প্রায় ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ লোক শহরে বসবাস করে।",
"title": "তুরস্ক"
},
{
"docid": "16430#7",
"text": "১৯২৩ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের তুর্কিভাষী এলাকা আনাতোলিয়া ও পূর্ব থ্রাস নিয়ে মুস্তাফা কেমাল (পরবর্তীতে কেমাল আতাতুর্ক)-এর নেতৃত্বে আধুনিক তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৩৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আতাতুর্ক তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি একটি শক্তিশালী, আধুনিক ইউরোপীয় রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্কের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার সরকারের মূলনীতিগুলি কেমালবাদ নামে পরিচিত এবং এগুলি পরবর্তী সমস্ত তুরস্ক সরকারের জন্য নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করেছে। আতাতুর্কের একটি বিতর্কিত মূলনীতি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। কেমালের কট্টর অনুসারীরা মনে করেন ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে ধর্মের স্থান নেই এবং রাজনৈতিক দলগুলির ধর্মীয় ইস্যু এড়িয়ে চলা উচিত।",
"title": "তুরস্ক"
}
] |
আলেকজান্ডারের মৃত্যু হয় কোথায় ? | [
{
"docid": "34848#2",
"text": "\"পৃথিবীর শেষপ্রান্তে\" পৌছনোর স্পৃহায় তিনি ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারত অভিযান শুরু করেন, কিন্তু তাঁর সেনাবাহিনীর দাবীর কারণে ফিরে যেতে বাধ্য হন। ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্যাবিলন শহরে তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর সেনাপতি ও উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গৃহযুদ্ধে তাঁর অধিকৃত সাম্রাজ্য বহু খন্ডে ভেঙে যায়।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "34848#38",
"text": "আলেকজান্ডার ৩২৩ খ্রিষ্টপূর্ব জুন মাসের ১১ অথবা ১২ তারিখে ব্যাবিলনে দ্বিতীয় নেবুচাদনেজারের প্রাসাদে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৩২ বছর।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
}
] | [
{
"docid": "611533#15",
"text": "১৬ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে ৮২ বছর বয়সে জ্যামাইকার অরেঞ্জ গ্রোভ এলাকায় তাঁর দেহাবসান ঘটে। তাঁর মৃত্যুর মাত্র চার সপ্তাহ পূর্বে তদ্বীয় পত্নী বারবারা’র মৃত্যু হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান ছিল।",
"title": "জেরি আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "468049#2",
"text": "পহেলা নভেম্বর ২০০৬, লিটভিনেঙ্কো হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন সপ্তাহ পরে, তার মৃত্যু হয় মারণ-ঘাতী পোলোনিয়াম-২১০ এর তেজস্ক্রিয়া জনিত জটিলতায় সর্বপ্রথম শিকার হয়ে। এফএসবি এর অনৈতিকতার বিরুদ্ধে লিটভিনেঙ্কোর অভিযোগসমূহ এবং তার অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুর পিছনে ভ্লাদিমির পুতিনের যুক্ত থাকার জনসম্মুখে আসা প্রমাণসমূহ, বিশ্বব্যাপী প্রচারমাধ্যমের নজর কেড়ে নিয়েছিল।",
"title": "আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোর বিষপ্রয়োগ"
},
{
"docid": "34848#26",
"text": "আলেকজান্ডারকে হত্যার ব্যাপারে একটি ষড়যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়, যে কারণে ফিলোতাস নামক তাঁর এক সেনানায়ককে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে রুখতে হাইগমতান অঞ্চলে রাজকোষের দায়িত্বে থাকা ফিলোতাসের পিতা পার্মেনিয়নকেও আলেকজান্ডারের আদেশে হত্যা করা হয়। এরপর মরকন্দ অঞ্চলে মদ্যপ অবস্থায় বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে, আলেকজান্ডার স্বহস্তে তাঁর সেনানায়ক ক্লেইতোসকে হত্যা করেন, ঘটনাক্রমে যিনি গ্রানিকাসের যুদ্ধে আলেকজান্ডারের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "72970#0",
"text": "আলেকজান্ডার ডাফ (জন্ম: ১৫ এপ্রিল,১৮০৬ - মৃত্যু: ১২ ফেব্রুয়ারি,১৮৭৮) প্রেসবাইটেরিয়ান যাজকগোষ্ঠীর অনুসারী স্কটল্যান্ডের নাগরিক। ঔপনিবেশিক ভারত সরকারের শিক্ষামূলক এবং সামাজিক নীতিমালা বিষয়ে তাঁর ব্যাপক প্রভাব ছিল। খ্রিষ্টধর্ম প্রচার সঙ্ঘ ‘কমিটি অব দি জেনারেল অ্যাসেম্বলি অব দি চার্চ অব স্কটল্যান্ড অন ফরেন মিশনস’ আলেকজান্ডার ডাফকে প্রথম ধর্মপ্রচারক হিসেবে বাংলায় প্রেরণ করে।",
"title": "আলেকজান্ডার ডাফ"
},
{
"docid": "34848#0",
"text": "ম্যাসিডনের তৃতীয় আলেকজান্ডার (২৩ অথবা ২৯ জুলাই ৩৫৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১০ অথবা ১১ জুন ৩২৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), যিনি মহান আলেকজান্ডার (, \"আলেক্সান্দ্রোস হো মেগাস\"; ) নামে জগদ্বিখ্যাত, ছিলেন ম্যাসিডন নামক প্রাচীন গ্রিক রাজ্য শাসনকারী আর্গিয়াদ রাজবংশের একজন রাজা। ৩৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পেল্লা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করে আলেকজান্ডার মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তার পিতা দ্বিতীয় ফিলিপের স্থলাভিষিক্ত হন। তার শাসনকালের অধিকাংশ সময় তিনি উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়া জুড়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন এবং ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তিনি মিশর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারত পর্য্যন্ত প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম একটি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "34848#12",
"text": "আলেকজান্ডার সিংহাসনলাভ করেই তাঁর সম্ভাব্য শত্রুদের সরিয়ে দিতে শুরু করেন। তিনি প্রথমেই ম্যাসিডনের পূর্বতন রাজা চতুর্থ আমুনতাসকে হত্যা করেন। দ্বিতীয় ফিলিপকে হত্যার অভিযোগে হেরোমেনেস ও আরহাবিয়াস নামক দুইজন সম্ভ্রান্ত ম্যাসিডোনীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আলেকজান্ডারের মাতা অলিম্পিয়াস তাঁর সতীন ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকের দুই সন্তান ইউরোপা ও কারানোসকে হত্যা করলে, ক্লিওপাত্রা ইউরিদিকে সম্ভবতঃ আত্মহত্যা করেন। আলেকজান্ডার এশিয়া মাইনর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতি আত্তালোসকেও হত্যার নির্দেশ দেন। আত্তালোস দ্বারা পূর্বের অপমানের প্রতিশোধের কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। মানসিক ভাবে প্রতিবন্ধীতে পরিণত হওয়ায় আলেকজান্ডার আররিদাইওসের কোন ক্ষতি না করেই ছেড়ে দেন।",
"title": "মহান আলেকজান্ডার"
},
{
"docid": "8442#11",
"text": "১৮৭৫ সালের ৪ আগস্ট তিনি কোপেনহেগেনের কাছে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যাংকার মরিৎজ মেলচিয়র এবং তার স্ত্রীর বাড়ি রোলিগ্রেডে (আক্ষরিকভাবে: প্রশান্ততা) মারা যান। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে, এন্ডারসন তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সঙ্গীত সম্পর্কে একটি সুরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন: \"আমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যারা আসবে তাদের বেশির ভাগই হবে শিশুরা, তাই তাদের ছোট পদক্ষেপের মত গানে বিটেও সময় নিবেন।\" তাঁর মরদেহ কোপেনহেগেনের নওর্র্রো এলাকার কলিন্স পরিবারের পারিবারিক সমাধি অ্যাসিসটেন্স কির্কেগারে সমাহিত করা হয়। তবে ১৯১৪ সালে আরেকটি সমাধিতে (বর্তমানে \"ফ্রেডেরিক্সবার্গস অলদর কির্কেগার\" নামে পরিচিত) এন্ডারসনের সমাধির পাথরটি স্থানান্তরিত হয়, যেখানে ছোট কোলিন পরিবারের সদস্যদের সমাহিত করা হয়। একটি সময় পর্যন্ত, তার, এডওয়ার্ড কলিন এবং হেনরিয়েত্তা কলিনের কবর অচিহ্নিত ছিল। বর্তমানে কলিন দম্পতির নাম উল্লেখ ছাড়াই এইচ.সি. এন্ডারসনের সমাধি চিহ্নিত দ্বিতীয় আরেকটি পাথর নির্মিত হয়েছে, তবে তিনটি সমাধিই এখনও একই প্লটে রয়েছে।",
"title": "হান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসন"
},
{
"docid": "72035#34",
"text": "১৯১৩ সালের ৭ই নভেম্বর ওয়ালেম গ্রামে নিজের বাড়িতে (ওল্ড অর্চার্ড নামের বাড়িটি এক দশক আগে তিনি নিজেই নির্মাণ করেছিলেন) মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। সংবাদপত্রে তার মৃত্যুর খবর ফলাও করে ছাপা হয়। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তাকে বলে, \"the last of the giants belonging to that wonderful group of intellectuals that included, among others, Darwin, Huxley, Spencer, Lyell, and Owen, whose daring investigations revolutionised and evolutionised the thought of the century.\" (বঙ্গানুবাদ: \"এই শতাব্দীর চিন্তাধারাকে বুদ্ধিজীবীদের যে অনন্যসাধারণ গোষ্ঠীটি বিপ্লব ও বিবর্তনে প্লাবিত করেছেন, যে গোষ্ঠীতে অন্যদের মাঝে ছিলেন ডারউইন, হাক্সলি, স্পেন্সার, লায়েল এবং ওয়েন, সেই গোষ্ঠীর শেষ মহামানব\") একই পত্রিকার একই সংখ্যায় আরেকজন লিখেন, \"No apology need to be made for the few literary or scientific follies of the author of that great book on the 'Malay Archipelago'.\" (বঙ্গানুবাদ: \"মালয় দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে লেখা সেই চমৎকার বইটির লেখকের কিছু সাহিত্যিক ও বৈজ্ঞানিক ত্রুটির জন্য কোন ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন নেই।\")",
"title": "আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস"
}
] |
নোয়াখালী দাঙ্গা কি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছিল ? | [
{
"docid": "370596#3",
"text": "যখন কলকাতায় দাঙ্গা চলতে থাকে তখন নোয়াখালীতে কোন সহিংসতা হয়নি। যদিও তখন থেকেই আবহাওয়া গরম হতে শুরু করে। কলকাতা দাঙ্গার এক সপ্তাহের মধ্যে এবং নোয়াখালীতে দাঙ্গার ছয় সপ্তাহ পূর্বে কলকাতায় অবস্থিত ইস্টার্ন কম্যান্ড হেডকোয়ার্টার এমন কিছু রিপোর্ট হাতে পায় যেখানে বলা হয়েছিল চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর গ্রাম এলাকায় মুসলিমরা উত্তেজিত অবস্থায় আছে এবং গ্রামের মুসলিমেরা হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানোর লক্ষ্যে নানা ধরেনর ছড়া, পালা, জারিগান, ছন্দবদ্ধ স্লোগান তৈরি করেছে যেগুলো বিভিন্ন হাট-বাজারে গান গেয়ে ও আবৃত্তি করে প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি মসজিদ গুলোতে জাতিবিদ্বেষ মূলক বিভিন্ন ছড়া,প্রবচন তৈরি করে প্রচার শুরু করা হয়।এছাড়া বিভিন্ন বক্তৃতা,সমাবেশে উস্কানি ছড়িয়ে হত্যাযজ্ঞের মঞ্চ প্রস্তুত করতে শুরু করে গোলাম সরোয়ার ও তার অনুসারীরা। বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল প্রচুর খালবিল-নদী অধ্যুষিত থাকায় এটি অত্যন্ত প্রত্যন্ত এক এলাকা ছিল।দাঙ্গা শুরু হলে পরিকল্পিত ভাবে গ্রামের খাল গুলোর বাঁশের সাকো ভেঙ্গে ফেলা হয় ও রাস্তা খুঁড়ে চলাচল অযোগ্য করা হয় এবং মুসলিম মাঝিরা হিন্দু যাত্রীদের তাদের নৌকায় পারাপারে অস্বীকৃতি জানায়।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#25",
"text": "মুসলিম দাঙ্গাকারিদের হাতে নোয়াখালীর হিন্দুদের অসহায়ত্বের সংবাদ জানার পরে হিন্দু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ লাহিড়ী দ্রুত চাঁদপুরে চলে আসেন।ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নির্মল চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, পণ্ডিত নরেন্দ্রনাথ দাস আরও সাহায্য কর্মীদের নিয়ে কুমিল্লা ও দাঙ্গা পীড়িত অঞ্চলে প্রবেশ করেন। অবশ্য তাদের নিরাপত্তার জন্য সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিল।দুর্গত,খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান হারিয়ে ধ্বংসপ্রায় হিন্দুদের জন্য একটি উড়জাহাজে করে চাল,চিঁড়া,রুটি,দুধ,বিস্কুট,বার্লি এবং ওষুধ প্রেরণ করা হয়।অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী ট্রেনে করে পাঠানো হয়। ভাগ্যগুনে বেঁচে যাওয়া কিন্তু আত্মবিশ্বাস হারা যে সকল হিন্দু পূর্ববঙ্গের সরকারের উপর আস্থা হারিয়ে পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতে বিশেষ করে কলকাতায় চলে এসেছিল তাদের জন্য কলকাতা শহর ও শহরের বাইরে ৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এদেরকে সাহায্যের জন্য অনেক উদার ব্যক্তিবর্গ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় এই ফান্ডের হিসাব,সংগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণের জন্য কলকাতার একটি বেসরকারি হিসাবরক্ষক সংস্থা M/S. P.K.Mitter & Co কে নিয়োগ দেন। \nমহত্মা গান্ধী দাঙ্গা পীড়িত এলাকায় শান্তি স্থাপন করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। তিনি নিজে এবং আরও কিছু ভলেণ্টিয়ার নিয়ে যে সব এলাকায় গণহত্যা চালানো হয় সেগুলো পরিদর্শন করেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করেন।\nডাঃ বিধান চন্দ্র রায় ১৮ অক্টোবরে ব্যক্তিগত ভাবে মহত্মা গান্ধীর সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি গান্ধীজীকে হিন্দু গনহত্যা বিশেষ করে হিন্দু মেয়েদেরকে লাগামহীন ধর্ষণ সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে বলেন।বিকেলের প্রার্থনা সভাতে গান্ধীজী নোয়াখালীর বর্বরোচিত হিন্দু নিধন সম্পর্কে কিছু কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘যদি ভারতের অর্ধেক মানুষ পক্ষাঘাতগ্রস্থ থাকে তাহলে ভারত কোনদিন মুক্তির স্বাদ পাবে না’।তিনি মনে করতেন ভারতের মেয়েদের মুক্তির জন্য তাদের অস্ত্র শিক্ষা নেয়া উচিত। ১৯ অক্টোবর গান্ধীজী নোয়াখালী যাত্রার সিদ্ধান্ত নেন। নোয়াখালী যাত্রার আগে ডঃ অমিয় চক্রবর্তী কলকাতার নিকটে সোদপুরের অভয় আশ্রমে গান্ধীজীর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।সাক্ষাৎকার গ্রহনের পর ডঃ অমিয় চক্রবর্তী বিবৃতি দিয়ে বলেন,এই মুহূর্তের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধর্ষিত ও অপহরিত হিন্দু মেয়েদের উদ্ধার করা। কারণ জোরপূর্বক ধর্মান্তকরনের পরে তাদের কে মুসলিমরা বোরকা দিয়ে আবদ্ধ করে রাখবে এবং আইন রক্ষাকারী বাহিনী আর তাদেরকে চিহ্নিত করতে পারবে না।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#6",
"text": "খুব দ্রুত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। গোলাম সরোয়ার হুসেনির বক্তব্যের পর রামগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন বাজারের হিন্দু দোকান মুসলিমরা লুট করে। মুসলিমরা নোয়াখালী বারের সভাপতি এবং হিন্দু মহাসভার নেতা সুরেন্দ্রনাথ বসু এবং রাজন্দ্রলাল চৌধুরীর বসত-বাড়ি আক্রমণ করে।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
}
] | [
{
"docid": "370596#2",
"text": "হিন্দুদের উপর এই গণহত্যার শুরু হয়েছিল ১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবর কোজাগরি লক্ষ্মী পূজার দিন এবং প্রায় চার সপ্তাহ ধরে অব্যাহত ছিল। এতে প্রায় কমপক্ষে ৫০,০০০ হিন্দু হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এছাড়া অনেক হিন্দু নারী ধর্ষণের শিকার হন এবং হাজার হাজার হিন্দু নারী-পুরুষদের জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। প্রায় ৫,০০০ থেকে ৭,৫০০ বেঁচে থাকা হতভাগ্যকে কুমিল্লা, চাঁদপুর, আগরতলা ও অন্যান্য জায়গার অস্থায়ী আশ্রয় শিবির গুলোতে আশ্রয় দেয়া হয়। এছাড়া প্রায় ৫০,০০০ হিন্দু আক্রান্ত এলাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে। কিছু এলাকায় হিন্দুদেরকে স্থানীয় মুসলিম নেতাদের অনুমতি নিয়ে চলা ফেরা করতে হত। জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিতদের কাছ থেকে জোর করে লিখিত রাখা হয়েছিল যেখানে লেখা ছিল তারা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছে। তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে বা ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হত এবং যখন কোন আনুষ্ঠানিক পরিদর্শক দল পরিদর্শনে আসত তখন তাদেরকে ওই নির্দিষ্ট বাড়িতে যাবার অনুমতি দেয়া হত। হিন্দুদেরকে ওই সময় মুসলিম লীগকে চাঁদা দিতে হত যাকে বলা হত জিজিয়া (যা একসময় ভারতবর্ষে প্রচলিত ছিল। মুসলিম শাসন আমলে হিন্দুরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তৎকালিন শাসকদের জিজিয়া নামক বাড়তি প্রদান করত।)\nবঙ্গীয় আইন সভার নোয়াখালী থেকে একমাত্র হিন্দু প্রতিনিধি হারান চন্দ্র ঘোষ চৌধুরী এই দাঙ্গাকে হিন্দুদের প্রতি মুসলিমদের প্রচণ্ড আক্রোশের প্রকাশ বলে বর্ণনা করেন। বাংলার সাবেক অর্থ মন্ত্রী ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নোয়াখালী দাঙ্গাকে একটি সাধারণ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে দেখানোর বিতর্ককে প্রত্যাখান করেন। তিনি এ ঘটনাকে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সংখ্যাগুরু মুসলিমদের সুপরিকল্পিত এবং সুসংঘটিত আক্রমণ বলে বর্ণনা করেন। ৪ নভেম্বর,১৯৪৬ তারিখে ভারত ও বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) আন্ডার সেক্রেটারি আর্থার হেন্ডারসন হাউস অব কমেন্সে উল্লেখ করেন,নোয়াখালী আর ত্রিপুরাজেলার(কুমিল্লা,চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমন্বয়ে ছিল ত্রিপুরা জেলা) মৃতের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় সম্ভব হয়নি।এই দুই জেলায় কয়েক হাজার বাড়ি লুট হয়েছে,শুধুমাত্র ত্রিপুরাতেই ৯,৮৯৫ টি ধর্মান্তকরনের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে;নোয়াখালীতে যার সংখ্যা অগনিত। এছাড়া হাজার হাজার হিন্দু নারীদের অপহরণ করা হয়েছে। \nমহত্মা গান্ধী নোয়াখালীতে ক্যাম্প করেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নোয়াখালী ও এর আশেপাশের এলাকা গুলো ঘুরে দেখেন। যদিও এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কংগ্রেস সভাপতি আচার্য্য কৃপালনির স্ত্রী সুচেতা কৃপালনি নোয়াখালিতে নারী উদ্ধার করতে যান। বেঁচে যাওয়া হিন্দুদের আত্মবিশ্বাস চিরতরে নষ্ট হয়ে যায় এবং তারা কোন দিন তাদের নিজেদের গ্রামে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেনি। এর মধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্ব ভারত বিভাগ মেনে নেন যার ফলে শান্তি মিশন এবং আক্রান্তদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিত্যক্ত হয়। বেশির ভাগ বেঁচে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা তাদের বাড়ি-ঘর ফেলে পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামে চলে আসে।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#0",
"text": "নোয়াখালী দাঙ্গা (নোয়াখালী গনহত্যা, বা, নোয়াখালী হত্যাযজ্ঞ নামেও পরিচিত) হচ্ছে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত স্বাধীন হওয়ার এক বছর পূর্বে, ১৯৪৬ সালের অক্টোবর-নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পূর্ববঙ্গের (বর্তমানে বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলায় স্থানীয়দের দ্বারা সংঘটিত ধারাবাহিক গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, হিন্দুদের জোরপূর্বক ধর্মান্তর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এতে নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ, বেগমগঞ্জ, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, ছাগলনাইয়া ও সন্দ্বীপ থানা এবং ত্রিপুরা জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর, লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম থানার অধীনে সর্বমোট প্রায় ২০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#4",
"text": "১৯৪৬ সালের ২৯ আগস্ট ছিল ঈদ-উল-ফিতরের; মুসলিমদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। সেদিন থেকেই নোয়াখালীর মানুষের মনে আশঙ্কা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল।পরিকল্পিত ভাবে একটি গুজব ছড়িয়ে দেয়া হল যে,হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায় অস্ত্র হাতে জড় হচ্ছে।ফেনী নদীতে মাছ ধরার সময় কিছু হিন্দু জেলে ও মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একজন মারা যায় আর আরও দুজন মারত্মক আহত হয়।মুসলিমরা মারণাস্ত্র নিয়ে চর উড়িয়াতে নয় জন হিন্দু জেলেকে আক্রমণ করে। তাদের বেশির ভাগ মারাত্মক জখম হয়। সাত জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রামগঞ্জ থানার আওতাধীন বাবুপুর গ্রামের কংগ্রেস নেতার পুত্র দেবীপ্রসন্ন গুহকে মুসলিমরা হত্যা করে। দেবীপ্রসন্নের আরেক ভাই এবং তাদের কর্মচারীকে মারাত্মক ভাবে আহত করে তারা।দেবীপ্রসন্নের বাড়ির সামনে থাকা কংগ্রেস অফিস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। জামালপুরের কাছে মনপুরার চন্দ্রকুমার কর্মকারকে ও ঘোষবাগের হোটেল কর্মচারী যামিনী দে কে হত্যা করা হয়। চর পার্বতীর তাজুমিয়ার হাটে দেবীসিংহপুরের অশু সেনকে নৃশংস ভাবে পেটানো হয়। বাঁশপাড়ার রাজকুমার চৌধুরীকে তার বাড়িতে যাবার পথে মারাত্মক ভাবে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রাখা হয়।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#28",
"text": "গান্ধীজী তার নোয়াখালী মিশন অর্ধ সমাপ্ত রেখেই বাংলার মুসলিম লীগ নেতাদের অনুরোধে ১৯৪৭ সালের ২ মার্চ বিহারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। নোয়াখালী ছাড়ার একমাসেরও বেশি সময় পরে গান্ধীজী একজন কংগ্রেস কর্মীর কাছ থেকে একটি টেলিগ্রাম পান যেখানে বলা হয়েছিল,দাঙ্গা পীড়িত অঞ্চলে হিন্দুদেরকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে।গান্ধীজী অত্যন্ত দুঃখের সাথে মন্তব্য করেন, নোয়াখালীর অবস্থা এমনই দুর্বিষহ যে হিন্দুদের কে নোয়াখালী ছাড়তে হবে অথবা ধ্বংস হয়ে যেতে হবে।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#31",
"text": "অক্টোবর মাসে এসে নোয়াখালীতে হিন্দু গনহত্যা এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরনের মত ঘৃণ্য বর্বরতা মুসলিমরা বন্ধ করলেও অন্য আরও উপায়ে আর্ত হিন্দু জন গোষ্ঠীর উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালানো তারা বন্ধ করেনি। এমনকি গান্ধীজীর নোয়াখালীতে অবস্থানকালেও তারা সমান বেগে নির্যাতন করে গিয়েছে।গান্ধীজীর নোয়াখালী ত্যাগের এক সপ্তাহ পরে ৯ মার্চে এ.ভি. থ্যাকার মুম্বাইতে ফিরে গিয়েছিলেন। তিনি তখনকার নোয়াখালী ও ত্রিপুরার(বর্তমানের কুমিল্লা) চরম অরাজকতা সম্পর্কে চাঁদপুর থেকে লিখেছিলেন।এমনকি দাঙ্গা সংগঠনের পরে পাঁচ মাস অতিক্রন্ত হয়ে গেলেও সেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার নুন্যতম কোন লক্ষণ ছিল না। বরং দাঙ্গা পীড়িত এলাকা থেকে কিছু অস্থায়ী পুলিশ স্টেশন তুলে নিয়ে পরোক্ষ ভাবে দাঙ্গাকারীদের পুনরায় অরাজকতা সৃষ্টির উৎসাহই দেয়া হয়েছিল। ১৯ মার্চে মুসলিমরা বিভিন্ন জায়গাতে গোপন মিটিং করে এবং কোনভাবে টিকে থাকা হিন্দুদেরকে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করে।এরই মাঝে ২৩ সেপ্টেম্বর,১৯৪৭ সালে দাঙ্গার খল নায়ক গোলাম সরোয়ার রামগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন সোনাপুরে বিশাল জনসভার জন্য মুসলিমদেরকে আহ্বান করে। তারা সেদিনকে ‘পাকিস্তান দিবস’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেদিন এলাকা জুড়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট ডাকা হয়। হাজার হাজার মুসলিম বিভিন্ন গ্রাম থেকে সমাবেশস্থলে এসে জমা হতে পারে এজন্য গ্রামের বিভিন্ন হাটবাজারে ২০ মার্চে ঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়।মুসলিম সমাবেশের সংবাদ পেয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হিন্দুরা পুনরায় দাঙ্গার আশঙ্কায় তাদের ঘর-বাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। চৌমুহনী রেল স্টেশন হাজার হাজার হিন্দু নর-নারীতে পূর্ণ হয়ে ওঠে নিমেষের মধ্যে। গান্ধীজীর শান্তি মিশনের কর্মীরা পুলিশে জেলা সুপারিনটেণ্ডেট,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন মন্ত্রী আব্দুল গোফরানকে এই জনসভার অনুমতি না দেবার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু জেলা পুলিশ সুপারিনটেণ্ডেট এই অনুরোধ গ্রাহ্য না করে বিবৃতি দেন এই জনসভা হবে এবং পুলিশ নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সাহায্য কর্মীরা এ বিষয়টি গান্ধীজী এবং হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কে জানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং জেলা পুলিশ সুপারিনটেণ্ডেট নিকটে একটি আদেশ প্রেরনের ব্যবস্থা করেন যেখানে ২২ মার্চে পাবলিক প্লেসে সকল প্রকার জনসভা,মিছিল, স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়।কিন্তু ব্যক্তিগত স্থান যেমন মাদ্রাসা,মসজিদে জনসভার অনুমতি দেয়া হয়। রামগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেহান আলী মতামত দেন,জনসভা হবে মসজিদ সংলগ্ন আমতলি মাঠে। ফলে সরকারী নির্দেশের লঙ্ঘন হবে না। মুসলিম লীগের নেতারা যে কোন মুল্যে এই জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়। মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ এরশাদ এবং মুজিবর রহমান জনসভায় মন্ত্রী আব্দুল গোফরানকে একজন বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করে। ২৩ মার্চ প্রায় ৪০০০-৫০০০ মুসলিম রামগঞ্জ থেকে কাজীরখিল পর্যন্ত মিছিল করতে করতে আসে এবং পুনরায় রামগঞ্জে ফিরে যায়। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং এভাবেই সমাবেশ স্থলে প্রবেশ করে। ওই সমাবেশে বক্তব্য দেবার সময়ে ইউনুস মিয়াঁ পণ্ডিত নামে একজন বক্তা হিন্দু সমাজের তীব্র সমালোচনা করে। সমালোচনায় সে হিন্দুদের ছুতমার্গ,পর্দা প্রথা না করা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ্গার করে এবং হিন্দুদের সাথে সকল প্রকার সামাজিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক বর্জনের আহ্বান করে।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#14",
"text": "দাঙ্গা কবলিত গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে হিন্দুদেরকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার মত ঘৃণ্য পাশবিকতায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে মুসলিমরা।হিন্দু পুরুষদেরকে মাথায় টুপি এবং মুখে দাঁড়ি রাখা বাধ্যতামুলক করা হয়। মহিলাদের হাতের শাঁখা ভেঙ্গে ফেলে এবং কপালের সিঁদুর মুছে দেয় মুসলিমরা। তাদেরকে কলেমা পড়ে ইসলামে ধর্মান্তকরন করা হয়। সেখানে হিন্দু মহিলাদের মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে মুসলিম লীগের গুণ্ডারা পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়ে হাতের শাঁখা ভেঙ্গে তাদের স্বামী ও পুত্র ও শিশু কন্যাদের হত্যা করে ওই হিন্দু মহিলাদের জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে বিয়ে করত। মুসলিমরা তাদের বাড়ি টহল দেয়া শুরু করে এবং গ্রামের মৌলবিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইসলামিক শিক্ষা নিতে বাধ্য করতে থাকে। হিন্দু পুরুষদেরকে মুসলিমরা জোর করে মসজিদে নিয়ে নামাজ পড়াত। হিন্দুদেরকে জোর করে গরুর মাংস খেতে বাধ্য করা হয় কারণ হিন্দুধর্মানুসারে গরু তাদের কাছে পবিত্র প্রাণী বিধায় এর মাংস তারা খায় না। হিন্দু মেয়ে এবং মহিলাদের মুসলিমরা জোর করে বিয়ে করে।ধর্মান্তরিত হিন্দুদের আরবী নামে নতুন নামকরণ করা হয়। মুসলিম নেতারা উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের নামের টাইটেল যেমন চৌধুরী, ঠাকুর প্রভৃতি নামের শেষে যুক্ত করতে অনুমতি দেয়।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#7",
"text": "১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন। নোয়াখালীর হিন্দুরা বাড়িতে পূজার আয়োজনে ব্যস্ত। অন্যদিকে মুসলিম লীগ নেতা-কর্মীরা প্রচার করে যে, শিখ সম্প্রদায় দিয়ারা শরীফ আক্রমণ করেছে। গুজবের ফলে আশে পাশের এলাকার মুসলিমরা দলে দলে দিয়ারা শরিফে জড় হয়। গোলাম সরোয়ার হুসেনি সমবেত মুসলিমদেরকে সাহাপুর বাজার আক্রমণ করতে নির্দেশ দেয়। কাশেম নামের আরেকজন মুসলিম লীগ নেতাও তার নিজস্ব বাহিনী নিয়ে সাহাপুর বাজারে পোঁছায়, যাদেরকে কাশেমের ফৌজ বলা হত।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
},
{
"docid": "370596#21",
"text": "১৬ অক্টোবরে কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী নোয়াখালীতে হিন্দুদের উপর চলতে থাকা পাশবিক গণ হত্যা,ধর্ষণ,জোরপূর্বক ধর্মান্তকরনের কথা স্বীকার করেন।তিনি আরও বলেন এই দাঙ্গার সুত্রপাত কিভাবে সে ব্যপারে তার কোন ধারণা নেই।তিনি এই মর্মে বিবৃতি দেন যে,খাল-বিল সমূহের নাব্যতা কম থাকায়,ব্রিজ-সাকো গুলো ভেঙ্গে ফেলায় এবং রাস্তা গুলো আটকে রাখায় সেখানে সৈন্য পাঠানো ছিল দুরহ ব্যপার।তিনি বলেন সৈন্য পাঠানোর পরিবর্তে সেখানে ছাপানো প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে, রেডিওতে সতর্কবার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। ১৮ অক্টোবর বাংলার গভর্নর ফেড্রিক ব্যুরোস, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী এবং বাংলার পুলিশের মহাপরিদর্শক প্লেনে করে আকাশ পথে দাঙ্গা উপদ্রুত ফেনী জেলার কিছু অংশ ঘুরে দেখেন। এরপরে বাংলার প্রাদেশিক সরকার নোয়াখালী ও ত্রিপুরা জেলার করুন অবস্থা মূল্যায়নের জন্য একটি পরিদর্শক দল পাঠায়। এই পরিদর্শক দলে ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদ্য নিয়োগ পাওয়া ভারপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল,বঙ্গীয় প্রাদেশিক সরকারের শ্রমমন্ত্রী শামসুদ্দিন আহমেদ,বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম,ফজলুর রহমান,হামিদুল হক চৌধুরী,মোয়াজ্জেম হোসেন,এ. মানিক, বি. ওয়াহেদুজ্জামান। \n১৯ অক্টোবর মহত্মা গান্ধীর পরামর্শে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি জীবাত্মারাম ভগবানদাস কৃপালিনী,অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম,খনি ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শরৎচন্দ্র বসু,বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সভাপতি সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ,সুচেতা কৃপালিনী, মেজর জেনারেল এ.সি. চট্টোপাধ্যায়, কুমার দেবেন্দ্র লাল খাঁ এবং আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক আকাশ পথে চট্টগ্রামে যান। এসময় তারা কুমিল্লাতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করেন যেখানে হাজার হাজার নির্যাতিত হিন্দু তাদের উপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন।বাংলার গভর্নর ফেড্রিক ব্যুরোস পরিদর্শক দলকে বলেন,প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর নির্দেশে দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।তিনি হাজার হাজার হিন্দু মহিলাদের ঘৃণ্যভাবে ধর্ষিত ও নিগৃহীত হবার প্রসঙ্গে বলেন,হিন্দু মহিলারা প্রকৃতিগত ভাবেই মুসলিম মহিলাদের তুলানায় বেশি সুন্দর।",
"title": "নোয়াখালী দাঙ্গা"
}
] |
হেরোডোটাস কোন দেশের নাগরিক ছিলেন ? | [
{
"docid": "3172#0",
"text": "হেরোডোটাস বা হিরোডোটাস (, প্রাচীন গ্রিক ভাষায় \"হ্যারোদোতোস্\") একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক, যিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন হালিকারনাসাস, কারিয়-তে (বর্তমান দিনের বোদরাম, তুরষ্ক)। তিনি ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দি্র মানুষ (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৪ – আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪২৫)। রোমান আইনবিদ, ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক সিসেরো তাঁকে \"ইতিহাসের জনক\" হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, কেননা তিনিই প্রথম পদ্ধতিগতভাবে ঐতিহাসিক উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলোর সূক্ষ্মতা নিরূপণে উদ্যমী উদ্যোগ নিয়েছিলেন, এবং সেগুলোকে সঠিক ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যায় বিন্যস্ত করেছিলেন। অন্যদিকে, প্লুটার্ক তাঁকে 'মিথ্যার জনক' বলেছেন। \"দ্য হিস্টোরিস\"(The Histories) বইটি তার অমর সৃষ্টিকর্ম।",
"title": "হিরোডোটাস"
},
{
"docid": "77045#7",
"text": "ঐতিহাসিক হেরোডোটাস ও ডিওডোরাস সিকিউলাস এবং ভূগোলবিদ পসানিয়াস ও স্ট্র্যাবো গ্রিক বিশ্ব পরিভ্রমণ করে তাঁদের শোনা অসংখ্য স্থানীয় পুরাকথা লিপিবদ্ধ করেন। এগুলির অনেকগুলিই অল্পজ্ঞাত পাঠান্তর। বিশেষত হেরোডোটাস বিভিন্ন প্রথাসমূহের উৎস সন্ধান করেন এবং প্রাচ্য ও গ্রিসের ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক মূলের পার্থক্যটি আবিষ্কার করেন।",
"title": "গ্রিক পুরাণ"
},
{
"docid": "371450#4",
"text": "গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতকে তার লেখায় লাতকে আফ্রোদিতির সমতুল্য বলে উল্লেখ করেছেন। \nহেরোডোটাসের মতানুসারে প্রাচীন আরবগণ দুইজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করতঃ They believe in no other gods except Dionysus and the Heavenly Aphrodite; and they say that they wear their hair as Dionysus does his, cutting it round the head and shaving the temples. They call Dionysus, \"Orotalt\"; and Aphrodite, \"Alilat\".",
"title": "লাত"
}
] | [
{
"docid": "1108#11",
"text": "হেরোডোটাস এশিয়ার প্রথম মহাদেশীয় ব্যবহার করেছেন (প্রায় ৪৪০ খ্রিস্টপূর্ব), তিনি তা উদ্ভাবন করেন সেই কারণে নয়, বরং তার \" ইতিহাস\" প্রাচীনতম পাওয়া গদ্য, যা তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে। তিনি সতর্কতার সাথে এটিকে সংজ্ঞায়িত করেন, পূর্ববর্তী ভূগোলবিদদের উল্লেখ করে যাদের লেখা তিনি পড়েছিলেন, কিন্তু যার কাজ এখন হারিয়ে গেছে। এর দ্বারা আনাতোলিয়া ও পারস্য সাম্রাজ্যকে বোঝান, গ্রিস ও মিশরের বিপরীতে। হেরোডোটাস আরোও বলেন, তিনি বিভ্রান্তবোধ করেন যে কেন তিন জন নারীর নামে \"ভূভাগের নামকরণ করা হবে\" ইউরোপা, এশিয়া, এবং লিবইয়া, আফ্রিকাকে নির্দেশ করে), অধিকাংশ গ্রিক মনে করেন দেবতা প্রমিথিউসের স্ত্রীর নামে (অর্থাৎ হেসিওয়ান, Hesione) এশিয়ার নামকরণ করা হয়, কিন্তু লিডিয়ানরা মনে করে, কট্যাসের (Cotys) ছেলে এশিজের (Asies) নামে এর নামকরণ করা হয়। গ্রিক পুরাণে, \"এশিয়া\" (\"Ἀσία\") বা \"এশিয়\" (Asie) (\"Ἀσίη\") নাইম্ফ বা লিডিয়ার দেবী তিতান-এর নাম।",
"title": "এশিয়া"
},
{
"docid": "306089#3",
"text": "২০০৮ সাল পর্যন্ত কার্তেস রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। এমনকি, নিবন্ধিত ভোটারও ছিলেন না তিনি। ২০০৯ সালে মধ্য-ডানপন্থী কলোরাডো পার্টিতে যোগ দেন। এর কারণ হিসেবে তিনি লাতিন আমেরিকার রাজনীতিকে মোকাবেলা করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি নিজেকে যোগ্য রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করেন ও ১৯৮৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত সামরিক জান্তা আলফ্রেদো স্ত্রোয়েসনারের আশীর্বাদপুষ্ট দলের ইতিহাসের সাথে তুলনা না করার জন্যও নতুন প্রজন্মকে জানান। মূলত তাঁর অর্থনৈতিক সক্ষমতাই দলের প্রার্থীরূপে ২০১৩ সালে প্যারাগুয়ের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হতে সাহায্য করেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি ৪৫.৮০ শতাংশ ভোট পান।",
"title": "হোরাসিও কার্তেস"
},
{
"docid": "472467#10",
"text": "মিশরে এবিষয়ক কোন দার্শনিক নথি নেই, তবে হেরোডোটাস মিশরের নারী এবং এথেন্সের নারীদের ভূমিকা সম্পর্কিত একটি তুলনামূলক আলোচনা করেন। তিনি পর্যবেক্ষণ করেন যে মিশরীয় নারীরা বাজারে উপস্থিত হন এবং বাণিজ্যে নিযুক্ত হন। প্রাচীন মিশরে একজন মধ্যবিত্ত নারী স্থানীয় বিচারকার্যে অংশগ্রহণ করতে পারতেন, স্থাবর সম্পত্তি লেনদেনে যুক্ত হতে পারতেন, এবং উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পত্তি গ্রহণ করতে ও সম্পত্তি দান করতে পারতেন। নারীরা একইসাথে ঋণগ্রহণ এবং আইনি নথিসমূহে সাক্ষর দিতে পারতেন।",
"title": "পিতৃতন্ত্র"
},
{
"docid": "65109#1",
"text": "নিকট প্রাচ্যের এই জাতিগুলোর ইতিহাস রচনায় প্রথম হাত দিয়েছিলেন হিরোডটাস যাকে ইতিহাসের জনক বলা হয়। পশ্চিম এশিয়া মাইনরের অন্যান্য গ্রিক অধিবাসীদের মত হিরোডটাসও বৃহঃ পারস্য সাম্রাজ্যের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। তখন গ্রিক-রোমান ও পারস্য সাম্রাজ্যের মধ্যে অনেক ভাবেই মিথস্ক্রিয়া ঘটতে দেখা গেছে। হিরোডটাসের পারস্য সাম্রাজ্যের কিছু অংশে নিরাপত্তার সাথে ভ্রমণের সুযোগও হয়েছিল। পারস্যের ইতিহাস কতটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন তিনি তার প্রমাণ পাওয়া যায় হেকাটিউস (Hecateus) সম্বন্ধে বলা একটি গল্প থেকে। সেখান থেকে জানা যায়, হেকাটিউস থেবিস-এর মিশরীয় ধর্মপ্রচারকদেরকে আশ্বস্ত করেছিল যে সে তার বংশের উর্ধ্বতন ১৬ পুরুষ পর্যন্ত নাম বলতে পারে। এর বিপরীতে মিশরীয়রা তাকে দেখায়, সেখানকার প্রধান পুরোহিতদের পূর্বসূরী ৩৪৫ প্রজন্মের নাম তাদের কাছে লিপিবদ্ধ আছে। এভাবে হিরোডটাসই প্রথম তার ভৌগোলিক অনুসন্ধানগুলোকে ঐতিহাসিক সত্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। গ্রিকরা পারস্যের বর্বর জাতি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল এবং তারা প্রতিরোধও গড়ে তুলেছিল। এগুলোকে কেন্দ্র কর গড়ে উঠা পুরাণ ও মহাকাব্যের একটি ভূমিকা খুঁজে পাওয়া যায় হিরোডটাসের রচনার মধ্যে। এট ছিল পারস্য ও গ্রিক-রোমান জগতের যুদ্ধের ইতিহাস।",
"title": "ইতিহাস লিখনধারার ইতিহাস"
},
{
"docid": "544407#9",
"text": "হিরোডোটাসকে (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৪ – আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪২৫) ইতিহাসের জনক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। তিনি '\"দ্য হিস্টোরিস\"' বইটি লিখেছেন। তবে, তার সমসাময়িক থুসিডাইডিসকে (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০ - আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪০০) কৃতিত্ব দেওয়া হয় যে তিনি প্রথম সুগঠিত ঐতিহাসিক পদ্ধতির সঙ্গে তার কাজ '\"পিলোপনেশিয়ান যুদ্ধের ইতিহাস\"' বইটি লেখেন। থুসিডাইডিস, হেরোডোটাসের অন্যত্র, মানুষের পছন্দ এবং কর্মের পণ্য হিসেবে ইতিহাসকে দেখত,মনে করত ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপের ফলে ইতিহাসে প্রভাব পরেনা এবং কারণ ও প্রভাবকে চর্চা করত।",
"title": "লিপিবদ্ধ ইতিহাস"
},
{
"docid": "607575#7",
"text": "তবে এই শহরের উল্লেখ আমরা শুধুমাত্র নানা উপকথা ও পুরাণেই পাই না, বিভিন্ন ঐতিহাসিক লেখাপত্র ও ফলকেও এর নামোল্লেখ চোখে পড়ে। গ্রিক ঐতিহাসিক \"হেরোডোটাসের\" \"ইতিহাস\" (\"History\") -এর উল্লেখ আগেই করা হয়েছে। কিন্তু এখানে যা উল্লেখ্য, তা হল হেরোডোটাসের দাবি অনুযায়ী প্যারিস ও হেলেনের এখানে আগমন ও পরবর্তী ঘটনার অনুসন্ধানকল্পে তিনি নিজেও এখানে আসেন ও মেমফিসের পুরোহিতদের সাক্ষাতকার নেন। সেখানেও তিনি সমসাময়িক একটি শহর হিসেবেই হেরাক্লিওনের উল্লেখ করেন ও বলেন যে এই সমুদ্র তীরবর্তী শহরে হেরাক্লিসের একটি মন্দির ছিল। এছাড়া আরও দুই প্রাচীন গ্রিক ঐতিহাসিক দেওদোরাস (১.১৯.৪) ও স্ট্রাবোর (১৭.১.১৬) লেখাতেও আমরা এই বন্দর-শহরের উল্লেখ পাই।",
"title": "হেরাক্লিয়ন"
},
{
"docid": "469434#4",
"text": "এরিসন হুরটাউলত ডোমিনিকার হয়ে পুরুষদের ৪০০ মিটার ড্যাশে অংশগ্রহণ করেন।বেইজিং-এ, ডোমিনিকার হয়ে শুধুমাত্র হুরটাউলতই ছিলেন এই ইভেন্টের অংশগ্রহণকারী। তিনি মাতাওন নামক, নিউ ইয়র্ক এর একটি নিউ জার্সি শহরতলি জন্মগ্রহণ করেছেন, এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছিলেন। তার পিতা-মাতার জন্মভূমি দ্বারা তাকে দেওয়া স্থান গ্রহণের আগে হুরটাউলত প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক দলের জন্য চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন। বেইজিং প্রতিযোগিতার সময়ে হুরটাউলতের বয়স ছিল ২৩, এবং পূর্বে কোন অলিম্পিক গেমস অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা ছিল না। ১৭ আগস্ট নির্বাচনি রাউন্ডে, ডোমিনিকান আমেরিকান এই ক্রীড়াবিদ চতুর্থ হিটে অংশ নেন।৪৬.১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে চতুর্থ স্থানে রেস শেষ করেন। তিনি উরুগুয়ের আন্দ্রেস বায়রন সিলভা (৪৬.৩২ সেকেন্ড) এর উপরে থাকলেও জ্যামাইকার রিকার্ডো চেম্বারস (৪৫.২২ সেকেন্ড) চেয়ে পিছিয়ে থাকেন। হুরটাউলতের হিটের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিলেন, গ্রেট ব্রিটেনের মার্টিন রনি (৪৫.০০ সেকেন্ড) ও অস্ট্রেলিয়ার শন ওরঅয়ে।সামগ্রিকভাবে, তিনি ইভেন্টে ৫৫ ক্রীড়াবিদের মধ্যে ৩৪তম স্থান লাভ করেন। হুরটাউলত পরবর্তি রউন্ডে এগোতে পারেননি।",
"title": "২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ডোমিনিকা"
}
] |
ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকায় মোট কয়টি রঙের ব্যবহার করা হয়েছে ? | [
{
"docid": "43142#15",
"text": "নিচে বিভিন্ন বর্ণ মডেল অনুসারে ভারতীয় পতাকার সম্ভাব্য রংগুলির বর্ণনা দেওয়া হল। গেরুয়া, সাদা, সবুজ ও নীল – এই চারটি রং পতাকায় ব্যবহৃত হয়েছে। এটিকে ; ডাই রং ও সমসংখ্যা অনুযায়ী ( নোটেশন) অনুযায়ী বিভক্ত করা হল।",
"title": "ভারতের জাতীয় পতাকা"
}
] | [
{
"docid": "2025#7",
"text": "আবার পতাকার রঙের ব্যবহারে আঞ্চলিক পছন্দ লক্ষ্যনীয়। যেমন, স্লাভ অঞ্চলের দেশগুলির পতাকায় লাল, সাদা ও নীল রং বেশি ব্যবহার হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্র, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, এবং ক্রোয়েশিয়া এই ধারার উদাহরণ। এছাড়াও পশ্চিমী বিশ্বেও এই তিনটি রঙের আধিক্য দেখা যায়; যেমন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, হল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। আফ্রিকার দেশগুলি আবার লাল, হলুদ আর সবুজ রং বেশি পছন্দ করে। যেমন, ক্যামেরুন, মালি ও সেনেগাল। আবার আরব দেশগুলির পছন্দ কালো, সাদা ও লাল রং। যেমন, মিশর, ইরাক ও ইয়েমেন।",
"title": "জাতীয় পতাকা"
},
{
"docid": "110336#1",
"text": "আবার পতাকার রঙের ব্যবহারে আঞ্চলিক পছন্দ লক্ষ্যনীয়। যেমন, স্লাভ অঞ্চলের দেশগুলির পতাকায় লাল, সাদা ও নীল রং বেশি ব্যবহার হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্র, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, এবং ক্রোয়েশিয়া এই ধারার উদাহরণ। এছাড়াও পশ্চিমী বিশ্বেও এই তিনটি রঙের আধিক্য দেখা যায়; যেমন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, হল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। আফ্রিকার দেশগুলি আবার লাল, হলুদ আর সবুজ রং বেশি পছন্দ করে। যেমন, ক্যামেরুন, মালি ও সেনেগাল। আবার আরব দেশগুলির পছন্দ কালো, সাদা ও লাল রং। যেমন, মিশর, ইরাক ও ইয়েমেন।",
"title": "অনুরূপ পতাকার সংগ্রহালয়"
},
{
"docid": "43142#11",
"text": "এই সব দাবির প্রেক্ষাপটে সমস্যা সমাধানের লক্ষে ১৯৩১ সালের ২ এপ্রিল কংগ্রেস কর্মসমিতি একটি সাত সদস্যের পতাকা সমিতি গঠন করে। \"পতাকায় ব্যবহৃত তিনটি রং নিয়ে আপত্তি আছে; কারণ এই রংগুলি সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে চিহ্নিত\" – এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাস হয়। কিন্তু এই সকল অপ্রাতিষ্ঠিনিক আলাপ-আলোচনার ফলস্রুতিটি হয় অভাবনীয়। পতাকায় একটিমাত্র রং হলদেটে কমলা রাখা হয় এবং উপরের দণ্ডের দিকে চরকার চিত্র খচিত হয়। পতাকা সমিতি এই পতাকাটির প্রস্তাব রাখলেও, সমগ্র প্রকল্পে সাম্প্রদায়িক ভাবধারার প্রতিফলন ঘটেছে মনে করে, কংগ্রেস এই পতাকা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে।",
"title": "ভারতের জাতীয় পতাকা"
},
{
"docid": "642148#5",
"text": "ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা \"মর্যাদা, আনুগত্য ও সম্মান\" (\"dignity, loyalty and respect\") সহকারে হওয়া উচিত। \"প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০\" (\"The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950\") অনুসারে জারি করা \"ভারতীয় পতাকা বিধি – ২০০২\" (\"Flag Code of India – 2002\") পতাকার প্রদর্শনী ও ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারী বিধিত বলা হয়েছে যে, জাতীয় পতাকা কখনো মাটি বা জলকে স্পর্শ করবে না; একে টেবিলক্লথ হিসাবে বা কোনো প্লেটফর্মের সামনে আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না; জাতীয় পতাকায় কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আটকানো যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, ইউনিফর্ম বা সাজপোশাক হিসাবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা ইউনিফর্ম হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করে। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসাবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়া, গাড়ির কভার বা ডিঙিত মেরুবা রুমাল জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কন করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উল্টো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো পানীয়তে ডুবিয়ে বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপরির বাইরে অন্য কোনো বস্তু তাতে বাঁধা বা পতাকাটিতে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ।",
"title": "ভারতীয় পতাকাবিধি"
},
{
"docid": "665134#0",
"text": "ভারতী ব্রেইল ( ), বা ভারতীয় ব্রেইল (হিন্দি: \"\" \"ইন্ডিয়ান ব্রেইল\"), হচ্ছে ভারতের ভাষাসমূহ লেখার জন্য একটি ব্রেইল পদ্ধতি। ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার পর, ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভিন্নভিন্ন ভাসার জন্য এগারোটি ব্রেইল লিখন পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। ১৯৫১ সালে ভারতী ব্রেইল নামে একটি জাতীয় মান গ্রহণ করা হয়, যা শ্রীলঙ্কা, নেপাল, এবং বাংলাদেশে ব্যবহার হয়ে আসছে। ভারত এবং নেপালে নেপালি ভাষার উচ্চারণে, এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কায় তামিল ভাষার উচ্চারণে কিছুটা তারতম্য রয়েছে। কয়েকটা বর্ণে তারতম্য সহ ভারত এবং বাংলাদেশে বাংলা ব্রেইলের মধ্যে অনেকটা তফাৎ বিদ্যমান।\nভারতীয় লিপির জন্য প্রধানত নিচের চার্ট প্রযোজ্য। যে বর্ণগুলো রোমানীকরন হয় না, তা বন্ধনীর মাধ্যমে দেখানো হল।",
"title": "ভারতী ব্রেইল"
},
{
"docid": "621436#0",
"text": "ভারতীয় ৫০০ টাকা ব্যাঙ্কনোট (₹ ৫০০) ভারতীয় টাকার একটি মূল্য। বর্তমান ₹ ৫০০ টাকায নোট, ১০ নভেম্বর, ২০১৬ থেকে প্রচলিত হওয়া, মহাত্মা গান্ধী নতুন সিরিজের একটি অংশ। অক্টোবর ১৯৯৭ এবং নভেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে প্রচলিত মহাত্মা গান্ধী সিরিজের ব্যাঙ্কনোটগুলি ৮ নভেম্বর, ২০১৬ সালে বন্ধ করা হয়। ১৩ জুন, ২০১৭ তারিখে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক শীঘ্রই নতুন ₹ ৫০০ নোট বাজারে ছাড়ে, কিন্তু পুরাতন বেশী আইনি দরপত্র চলতে থাকবে। নকশাটি মহাত্মা গান্ধী (নিউ) সিরিজের বর্তমান নোটের অনুরূপ, ব্যতীত অন্য কোনও ইনসেট 'এ' নিয়ে আসবে না।\nমুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রচলিত ব্যাঙ্ক নোট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অক্টোবর ১৯৮৭ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক) দ্বারা ৫০০ টাকার নোটভুক্তি করা হয়। নোটটিতে প্রধানত ভারতের প্রতীক অশোক স্তম্বের পরিবর্তে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি ব্যবহারা হয়। এই নকশার জনপ্রিয়তার ফলে অন্যান্য ভারতীয় নোটের নকশার শেষ প্রান্তে এবং প্রথম মহাত্মা গান্ধীর সিরিজ নোটগুলির প্রবর্তন ঘটে।",
"title": "ভারতীয় ৫০০ টাকার নোট"
},
{
"docid": "82918#2",
"text": "ভারতে কেএফআর লাইনেই সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল তিনটি নবতম ২-৬-২ সাইড ট্যাঙ্ক একে১৬ লোকোমোটিভের একটি। ইংল্যান্ডের স্ট্যাফোর্ডের দ্য ক্যাসল ইঞ্জিন ওয়ার্কস ১৯১৬ সালের নভেম্বরে এই লোকোমোটিভ নির্মাণ করেছিলেন। ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেগুলি কেএফআর-এর পরিষেবায় নিযুক্ত হয়। ‘একে’ (AK) বলতে বোঝাত ‘আহমেদপুর-কাটোয়া’। এই ইঞ্জিনগুলি ‘ডেল্টা ক্লাস’ ইঞ্জিন নামেও পরিচিত ছিল। কারণ সবার আগে ইজিপ্সিয়ান ডেল্টা রেলওয়ে এদের অর্ডার দেয়। যদিও ভারতেই এগুলি অধিক সাফল্য লাভ করেছিল। এই সাফল্যের কারণে পরবর্তী বছরগুলিতে এইরকম আরও অনেক লোকোমোটিভ অর্ডার দেওয়া হয়। শেষ অর্ডারটি দেওয়া হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। ১৯১৬ সালে ব্যাগনাল লোকোমোটিভের তৈরি করা এমন একটি ইঞ্জিন আজও যুক্তরাজ্যের ফিলিস রাম্পটন ট্রাস্ট-এ সংরক্ষিত আছে।.",
"title": "কালীঘাট ফলতা রেলওয়ে"
},
{
"docid": "16565#17",
"text": "ভারতের পুরনো ট্যাক্সিগুলির অধিকাংশই প্রিমিয়ার পদ্মিনী বা হিন্দুস্তান অ্যাম্বাস্যাডার গাড়ি। সাম্প্রতিককালে, মারুতি এস্টিম, মারুতি ওমনি, মহিন্দ্রা লোগান, টাটা ইন্ডিকা ও টাটা ইন্ডিগোর মতো গাড়িও ট্যাক্সি অপারেটরদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ট্যাক্সির রং রাজ্যভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের অধিকাংশ ট্যাক্সিই হলুদ-কালো রঙের। আবার পশ্চিমবঙ্গের ট্যাক্সি শুধুমাত্র হলুদ রঙের হয়ে থাকে। ব্যক্তিগত ট্যাক্সি অপারেটরদের কোনো নির্দিষ্ট রঙের গাড়ি ব্যবহার করতে হয় না। তবে তাদের গাড়িকে বাণিজ্যিক যান হিসেবে সরকারিভাবে নথিবদ্ধ করতে হয়।",
"title": "ভারতের পরিবহন ব্যবস্থা"
},
{
"docid": "43142#21",
"text": "বোনার পর পতাকার উপাদানগুলি বিএসআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিনির্দেশ অনুযায়ী পরীক্ষার পর যদি উপাদানগুলি উত্তীর্ণ হয়, তবেই সেগুলিকে ফ্যাক্টরিতে ফেরত পাঠানো হয়। তারপর নির্ধারিত রঙে এগুলিকে ব্লিচ ও ডাই করা হয়। কেন্দ্রের অশোকচক্রটি হয় স্ক্রিন প্রিন্ট, অথবা স্টেনসিল বা যথাযথ বয়নের মাধ্যমে খচিত করা হয়। অশোকচক্র অত্যন্ত সযত্নে পতাকায় আঁকা হয়, যাতে পতাকার দুই দিক থেকেই সেটি দেখা যেতে পারে। বিএসআই তারপর রং পরীক্ষা করে; এবং তারপরেই পতাকা বিক্রি করা যায়।",
"title": "ভারতের জাতীয় পতাকা"
}
] |
মুন্ডা উপজাতির লোকেরা কোন ভাষায় কথা বলে ? | [
{
"docid": "108927#4",
"text": "মুন্ডা শব্দটি সংস্কৃতি থেকে উৎপত্তি হয়েছে যার প্রকৃত অর্থ গ্রাম প্রধান। মুন্ডারা মান্দারি ভাষায় কথা বলে। মুন্ডারা কোথাও কোথাও কোল নামে পরিচিত। মুন্ডা ভাষাভূক্ত বিভিন্ন উপভাষা উত্তর ও মধ্য ভারতে ব্যবহৃত হয় এবং ২০ টি ভাষাভাষির লোকেরা এ ভাষায় কথা বলে। এ সকল ভাষার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাঁওতালী ভাষা, যা রোমান, দেবনাগরী বাংলা এবং উড়িয়ান লিপিতে লেখা। মুন্ডা ভাষায় চার মিলিয়ন জনগোষ্ঠী কথা বলে যার একক নাম খেড়োয়াড়ী ভাষা।",
"title": "মুন্ডা"
},
{
"docid": "108927#0",
"text": "মুন্ডা, দক্ষিণ এশিয়ার একটি বড় উপজাতি। ভারতের ঝাড়খণ্ড ও ছত্রিশগড় রাজ্যের ছোটনাগপুর অঞ্চল, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে এঁদের বাস। এছাড়া, বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলেও এঁরা বাস করেন। মুন্ডা জনগোষ্ঠী যে ভাষায় কথা বলে, তার নাম মুন্ডারি। এটি অস্ট্রো- এশিয়াটিক ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত।",
"title": "মুন্ডা"
},
{
"docid": "427259#0",
"text": "মুন্ডারী হচ্ছে মুন্ডা উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর ভাষা। এটি অস্ট্রো-এশীয় ভাষা পরিবারের অন্তঃর্গত। মুন্ডারী ভাষা এবং সাঁওতালি ভাষার মধ্যে মিল প্রত্যক্ষ করা যায়। বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের মুন্ডা উপজাতীগণ এই ভাষায় কথা বলে। রোহিদাস সিং নাগ মুন্ডারি ভাষা লেখার জন্য মুন্ডারি বানী লিপি উদ্ভাবণ করেছেন।",
"title": "মুন্ডারি ভাষা"
},
{
"docid": "108927#15",
"text": "মুন্ডারা ফুলনাগরী ভাষায় কথা বলতো। শিক্ষার ক্ষেত্রে মুন্ডাদের পিছিয়ে পরার কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ অপ্রতুল স্কুল ব্যবস্থা এবং তাদের নিজস্ব পারিবারিক ও ভাষাগত চর্চার নিরুৎসাহ প্রদান। তবে বর্তমানে মুন্ডারা বিভিন্ন এনজিও এবং সমাজ পতিদের মাধ্যমে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে আরম্ভ করেছে।",
"title": "মুন্ডা"
}
] | [
{
"docid": "108927#1",
"text": "বাংলাদেশে মুন্ডাদের আগমন ও তাদের বসতি বিন্যাসের প্রকৃত তথ্য এ যাবতকালে উৎঘাটিত না হলেও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং উৎখননের ভিত্তিতে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত বিহারে ও রাঁচিতে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে মোটামুটিভাবে তাদের আদি বসতি বিন্যাসের সময়কাল এবং স্থান নিরূপণ করা সম্ভব। সম্ভবত ২০০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে এবং তার পরবর্তীকালে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি মুন্ডা সম্প্রদায়ভূক্ত বিশেষ সংস্কৃতির অধিকারী মানব গোষ্ঠী নব্যপ্রস্তর সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, মুন্ডা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী বিদেশী প্রভাব বলয় থেকে মুক্ত একটি বিচ্ছিন্ন মানব গোষ্ঠীর কৃষি ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার সূত্র ধরেই তাদের গোষ্ঠী চিন্তা প্রসারিত হয়।",
"title": "মুন্ডা"
},
{
"docid": "77838#0",
"text": "হো ভাষা, বিহার হো বা লংকা কোল নামেও পরিচিত, অস্ট্রো-এশীয় ভাষাপরিবারের একটি মুন্ডা ভাষা, যা প্রধানত ভারতে ও বাংলাদেশে প্রচলিত। প্রায় ১০ লক্ষ লোক ভাষাটিতে কথা বলে। ভাষাটি দেবনাগরী বা বরং ক্ষিতি লিপিতে লেখা হয়। হো জাতির লোকেরা এই ভাষাতে কথা বলে।",
"title": "হো ভাষা"
},
{
"docid": "88978#1",
"text": "যেসব সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলি এই দুই প্রধান গোষ্ঠীর আওতায় পড়ে না তারা প্রধানত অস্ট্রো-এশিয়াটিক ও টিবেটো-বার্মান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। আন্দামানি (সেন্টিনেল, ওঙ্গে, জারোয়া, ও গ্রেট আন্দামানি) ও মধ্য নেপালের কুসুন্দা , শ্রীলঙ্কার ভেড্ডা, মধ্যভারতের কাল্টো (নিহালি) উপজাতির মানুষেরা বিচ্ছিন্ন ভাষায় কথা বলে। এদের সংখ্যা ৫০০০ জনের মতো। পাকিস্তানের হুঞ্জা উপত্যকার জনগোষ্ঠীও স্বতন্ত্র। তারা বুরুশাস্কি নামে একটি বিচ্ছিন্ন ভাষায় কথা বলে।",
"title": "দক্ষিণ এশীয় জনগোষ্ঠী"
},
{
"docid": "665987#14",
"text": "বাংলা ভাষাকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে এদেশে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল । সেই ভাষা আন্দোলনে শহীদ হয়- সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত আরও অনেকে । তাহারা বাংলাভাষাকে টিকিয়ে রেখে গেছেন এদেশের মানুষকে বাংলা ভাষায় কথা বলার সুবিধার্থে । আমরা বাংলাদেশে জম্মেছি তাই মাতৃভাষা বাংলাতে কথা বলি, তারই ধারাবাহিকতায় মোহনপুর ইউনিয়নের সকল পেশাজীবি শ্রেণীর লোকজন মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলে। বাংলা ছাড়া অন্য কোন ভাষার লোকজন এই ইউনিয়নে নাই। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজী এবং আরবী ভাষা শিখানো হয়। এই ইউনিয়নের লোকজন সংস্কৃতিমনা যদিও এখানে জাতীয় কোন শিল্পী নাই । এই ইউনিয়নে ২টি সংগীত বিদ্যালয় আছে । সেখানে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের গান শেখানো হয়। ইহাছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন- জাতীয় দিবস, বৈশাখী মেলা, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা ও শহীদ দিবস । এই সব দিবসে দেশের গান, জারী গান, বাউল গান, নজরুল গীতি, রবিন্দ্র সংগীত, ভাটিয়ালী, ইসলামিক গান সহ বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের সম্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাবিত করে থাকে্ । বর্ষা মৌসুমে নৌকা প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।",
"title": "মোহনপুর ইউনিয়ন, উল্লাপাড়া"
},
{
"docid": "427281#2",
"text": "সদরি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী বাংলা, হিন্দী এবং ওড়িয়া ভাষায়ও কথা বলে। মাতৃভাষার পাশাপাশি ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, ছত্রিশগড়, উত্তর বঙ্গ, আসাম, আন্দামান ও নিকোবর এর বিভিন্ন অংশের মুন্ডা ও খারিয়া জনগোষ্ঠী সদরি ভাষায় কথা বলে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চাকমা, ককবরক, মারমা, সাঁওতালি, সদরি, মান্ডেইলি ভাষায় বই ছাপায়।\"",
"title": "সদরি ভাষা"
},
{
"docid": "108927#3",
"text": "জাতিতাত্ত্বিক দিক থেকে ছোট নাগপুরের বৃহত্তর দ্রাবিড় উপজাতি হিসাবে উল্লেখ করা হলেও প্রাকৃতিক অর্থে বাংলাদেশের মৌলভী বাজার অঞ্চলের যে সমস্ত মুন্ডাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তাতে বিষয়টি বিশেষ করে তাদের দৈহিক কাঠামোগত বিন্যাস, পরিবেশ, ভৌগোলিক অবস্থান এবং জেনেটিক ডেরিফের কারণে দ্রাবিড় উপজাতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মী মনে হয়।",
"title": "মুন্ডা"
}
] |
মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের মোট আয়াত সংখ্যা কত ? | [
{
"docid": "4763#2",
"text": "ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআনকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল:",
"title": "কুরআন"
},
{
"docid": "4763#6",
"text": "কুরআনে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের (আয়াত আরবি শব্দ, এর সাহিত্যিক অর্থ \"নিদর্শন\") সংখ্যা প্রায় ৬,২৩৬ (মতান্তরে ৬৩৪৮টি অথবা ৬৬৬৬টি)। প্রত্যেকটি সূরার একটি নাম রয়েছে। নামকরণ বিভিন্ন উপায়ে করা হয়েছে; তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত কোনো শব্দকেই নাম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এমন নামও পাওয়া যায় যা সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হয় নি যেমন সূরা ফাতিহা। ফাতিহা শব্দটি এ সূরার কোথাও নেই। সূরাগুলোর একটি সুনির্দিষ্ট সজ্জা রয়েছে। সজ্জাকরণ তাদের অবতরণের ধারাবাহিকতা অনুসারে করা হয় নি। বরং দেখা যায় অনেকটা বড় থেকে ছোট সূরা অনুযায়ী সাজানো। অবশ্য একথাও পুরোপুরি সঠিক নয়। সজ্জার প্রকৃত কারণ কারও জানা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বড় সূরাও ছোট সূরার পরে এসেছে। তবে একটি সূরা বা তার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ধারাবাহিকতার সাথেই অবতীর্ণ হয়েছিল বলে মুসলমানদের ধারণা। কুর’আনের সজ্জাটি মানুষের মুখস্থকরণের সুবিধার সৃষ্টি করেছে।",
"title": "কুরআন"
}
] | [
{
"docid": "112082#0",
"text": "আল কাহফ (আরবি ভাষায়: الكهف) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৮ তম সূরার আয়াত সংখ্যা ১১০ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১১ টি। আল কাহফ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরায় কোরাইশদের তিনটি প্রশ্নের কথা এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই সূরায় হযরত মুসা (আঃ) এবং হযরত খিযির (আঃ) এর ঘটনাটিও বর্ণনা করা হয়েছে।",
"title": "সূরা আল-কাহফ"
},
{
"docid": "112053#0",
"text": "বনী-ইসরাঈল বা সূরা ইসরা (আরবি ভাষায়: سورة الإسراء) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৭ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১১১ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১২ টি। বনী-ইসরাঈল সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মেরাজের কথা, পিতা-মাতার ও আত্মীয়-স্বজনের হক, এতীমদের সম্পর্কে, ওয়াদা করার সম্পর্কে, নামায সম্পর্কে, রূহু সম্পর্কে কুরাইশদের প্রশ্ন, বলা হয়েছে।",
"title": "সূরা বনী-ইসরাঈল"
},
{
"docid": "64215#0",
"text": "সূরা আল কাফিরুন () মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৯ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৬ টি। রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) সূরা কাফিরুন এবং সূরা এখলাস ফজরের সুন্নতে এবং মাগরিব পরবর্তী সুন্নতে এ দু'টি সূরা অধিক পরিমাণে পাঠ করতেন।\nএই সূরাটি সকল মুসলিমদের জন্যে উদাহরণ যে, কোন পরিস্থিতিতেই তারা শত্রুর সাথে আপসে যাবে না যা ইসলাম সমর্থন করেনা এবং এমন পরিস্থিতিতে তারা এই সূরার উপদেশ অনুসরণ করবে যা তাদের (অবিশ্বাসীদের) সম্পূর্ণভাবে হতাশ করবে।",
"title": "সূরা কাফিরুন"
},
{
"docid": "111756#0",
"text": "সূরা ইউনুস (আরবি ভাষায়: سورة يونس) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের দশম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১০৯ টি। এই সূরাটিতে কোরাআন পাক ও ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যাবলী-\nতওহীদ, রিসালাত, আখিরাত ইত্যাদি বিষয়ের যথার্থতা বিশ্বচরাচর এবং তার মধ্যকার পরিবর্তন-পরিবর্তনশীল ঘটনাবলীর মাধ্যমে প্রমাণ দেখিয়ে ভালো করে বোদগম্য করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাথে সাথে কিছু উপদেশমূলক, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং কাহিনীর অবতারণা করে সে সমস্ত লোকদেরকে সতর্ক করা হয়েছে যারা আল্লাহ্ তাআলার এ সব প্রকাশ্য নিদর্শনসমূহের উপর একটু চিন্তা করে না।",
"title": "সূরা ইউনুস"
},
{
"docid": "112962#0",
"text": "সূরা আল আনআম (আরবি ভাষায়: سورة الأنعام, \"অর্থ পশু\") মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৬ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১৬৫টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ২০টি। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাতে আল্লাহর একত্ববাদ, পূণরুত্থান, জান্নাত এবং জাহান্নাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।",
"title": "সূরা আল-আনআম"
},
{
"docid": "64217#0",
"text": "সূরা আল মাউন মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৭ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৭ টি। এ সূরায় কাফের ও মুনাফেকদের কপিয় দুষ্কর্ম উল্লেখ করে তজ্জন্য জাহান্নামের শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে। এ সূরায় এমন সব নামাযীদেরকে ধ্বংসের বার্তা শুনানো হয়েছে যারা নিজেদের নামাযে গাফলতি করে এবং লোক দেখানো নামায পড়ে।",
"title": "সূরা আল-মাউন"
},
{
"docid": "113544#0",
"text": "ইউসুফ (আরবি ভাষায়: يسوف) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১২তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১১১ এবং এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১২। সূরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। যদিও অন্যান্য নবীদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন সূরাতে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু শুধু ইউসুফ (আঃ)-এর ঘটনা কোরআনের সূরা ইউসুফে সম্পূর্ণ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্ব-ইতিহাস এবং অতীত অভিজ্ঞতার মধ্যে মানুষের ভবিষ্যত জীবনের জন্যে বিরাট শিক্ষা নিহিত থাকে। এসব শিক্ষার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া মানুষের মন ও মস্তিষ্কের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার চাইতে গভীরতর হয়। এ কারণেই গোটা মানব জ়াতির জন্যে সর্বশেষ নির্দেশনামা হিসেবে প্রেরিত কোরআন পাকে সমগ্র বিশ্বের জাতিসমূহের ইতিহাসের নির্বাচিত অধ্যায়সমূহ সন্নিবেশিত করে দেয়া হয়েছে, যা মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যত সংশোধনের জন্যে কার্যকর ব্যবস্থাপত্র।",
"title": "সূরা ইউসুফ"
},
{
"docid": "435460#0",
"text": "সূরা আল জাসিয়াহ (আরবি ভাষায়: الجاثية) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৪৫ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৩৭ এবং এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৪। সূরা আল জাসিয়াহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।এই সূরাটির ২৮ নং আয়াতের وَتَرَى كُلَّ أُمَّةٍ جَاثِيَةً বাক্যাংশ থেকে جَاثِيَةً অংশটি অনুসারে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الجاثية (‘জাসিয়াহ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।",
"title": "সূরা আল-জাসিয়াহ"
}
] |
জে. কে. রাউলিং-এর পুরো নাম কী ? | [
{
"docid": "59474#2",
"text": "১৯৬৫ সালের ৩১ জুলাই ইংল্যান্ডের গ্লুসেস্টারশায়ারের ইয়েটে শহরে জন্মগ্রহণ করেন জে.কে. রাউলিং। তার বাবার নাম পিটার এবং মায়ের নাম অ্যানি। তার বাবা ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এবং মা ছিলেন গবেষণাগারের টেকনিশিয়ান। রাউলিং এর পুরো নাম জোয়ান ক্যাথলিন রাউলিং। রাউলিং এর ছোট আরও এক বোন রয়েছে। ছোটবেলাটা কাটে গ্রাম্য পরিবেশে।",
"title": "জে কে রাউলিং"
}
] | [
{
"docid": "59474#0",
"text": "জোয়ানে \"জো\" রাউলিং ওবিই (জন্ম: জুলাই ৩১ ১৯৬৫) একজন সফলতম ইংরেজ কল্পকাহিনী লেখিকা যিনি জে. কে. রাউলিং ছদ্ম নামে লেখালেখি করেন। রাউলিং জনপ্রিয় কল্পকাহিনী \"হ্যারি পটার\" সিরিজের রচয়িতা, যা তাঁকে বিশ্বজুড়ে সম্মান ও জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। এ সাহিত্য কর্মের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার জিতেছেন। সারা বিশ্বে \"হ্যারি পটার\" সিরিজের ৪০০ মিলিয়নেরও অধিক কপি বিক্রি হয়েছে।",
"title": "জে কে রাউলিং"
},
{
"docid": "59474#4",
"text": "১৯৯০ সালে জে.কে. রাউলিং এর মাথায় আসে ‘হ্যারি পটার’ গল্পের ধারণা। একদিন তিনি ম্যানচেষ্টার থেকে লন্ডনে যাচ্ছিলেন পাতাল ট্রেনে চড়ে। ট্রেনটিতে যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় ছিল। সব মিলিয়ে অস্বস্তিকর এক অবস্থা বিরাজ করছে পুরো ট্রেনজুড়ে। এই ট্রেনেই দীর্ঘ ৪ ঘন্টা অতিবাহিত করতে হয়েছে জে.কে. রাউলিংকে। এই অবস্থাতেই তিনি চিন্তা করছিলেন নতুন কোনো একটি লেখা নিয়ে। হঠাৎই তার স্বপ্নের মনের জানালায় কড়া নাড়ে এক এতিম ছেলে। যেই ছেলেটি পালিত হচ্ছে তার এক ফুফু ও ফুফার কাছে। যারা দুজনই খুব নিচুমনের অধিকারী। ছেলেটি শত অন্যায় অত্যাচার সহ্য করলেও সে জানে না যে, তার মধ্যে রয়েছে এক মায়াবী জাদুকরী ক্ষমতা। একই সাথে তিনি তার মনের ক্যানভাসে একে ফেলেন সেই এতিম ছেলেটির মুখাবয়ব। মোটা ফ্রেমের চশমা পরিচিত কালো চুলের হ্যারিকে নিয়ে ওই সময় থেকেই লেখা শুরু করেন জে.কে. রাউলিং। অবশেষে ১৯৯৫ সালে শেষ করেন হ্যারি পটার সিরিজের ১ম গল্পটি। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সাতটি বইয়ের প্রথম ছয়টি বই সারা পৃথিবীতে ৩২৫ মিলিয়ন কপিরও বেশী বিক্রী হয়েছে এবং ৬৪টিরও অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।",
"title": "জে কে রাউলিং"
},
{
"docid": "59474#6",
"text": "হ্যারি পটার সিরিজের গল্প লেখার পর সারা বিশ্বজুড়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন রাউলিং। মাঝেমধ্যে ছদ্মনামেও লেখেন তিনি। ‘রবার্ট গালব্রেইথ’ ছদ্মনামে তিনি ‘কুকোস কলিং’ নামের একটি বই লেখেন ২০১৩ সালে। তার এই বইটি যখন প্রকাশিত হয় তখন খুব বেশি কপি বিক্রি হয় নি। কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশ পেয়ে যায় যে, এই বইটি রাউলিং এর লেখা। ব্যাস রাতারাতি কয়েক শত থেকে ১.৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় একই বই। বুঝতেই পারছেন জে.কে. রাউলিং মানেই বইয়ের ব্র্যান্ড।",
"title": "জে কে রাউলিং"
},
{
"docid": "6025#9",
"text": "যদিও রাউলিং এর মতে \"হ্যারি পটার\" লেখার সময় কোন নির্দিষ্ট বয়সের পাঠকের কথা তার মাথায় ছিল না, প্রকাশকেরা প্রথমে বইটিকে ১১ বছর বয়সী পাঠকের উপযোগী হিসেবে ধরে নেন। বইটি প্রকাশের কালে অন্যান্য লেখিকাদের মত জোয়ানে রাউলিং কে প্রকাশকরা আরো লিঙ্গ-নিরপেক্ষ কোন ছদ্মনাম ব্যবহার করতে বলেন যাতে এই বয়সী ছেলেরা আকৃষ্ট হয় কারণ ছেলেরা সাধারণত নারী লেখকদের বই কিনতে আগ্রহী হয় না। তিনি তার জে. কে. রাউলিং নামটি নির্বাচন করেন (জোয়ান ক্যাথলীন রাউলিং)। ক্যাথলিন তার দাদী/নানীর নাম।",
"title": "হ্যারি পটার"
},
{
"docid": "297861#0",
"text": "জন গ্রিফিথ জ্যাক লন্ডন (; জন্ম: ১২ জানুয়ারি, ১৮৭৬ - মৃত্যু: ২২ নভেম্বর, ১৯১৬\") মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত আমেরিকান লেখক। তাঁর প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেনে। কিন্তু সর্বসমক্ষে তিনি জ্যাক লন্ডন হিসেবেই পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস করলেও জীবনের অনেকগুলো দিন হাওয়াই ও আলাস্কায় অতিবাহিত করেছেন। \"দ্য কল অব দি ওয়াইল্ড\", \"হোয়াইট ফ্যাঙ\", দ্য রোড, দি আয়রন হীল, দ্য সী উল্ফ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ। তন্মধ্যে, দ্য কল অব দি ওয়াইল্ড বইটি তাঁকে ভীষণ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এতে \"বাক\" নামের একটি কুকুরকে আলাস্কায় বরফের উপর দিয়ে গাড়ী চালনার জন্যে আনা হয়। ১৮৯০-এর দশকে কানাডার ক্লনডিকে সোনার খনি আবিষ্কারের সময়কালে এ বইটি প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি কুকুর ও নেকড়ে নিয়ে আরো কয়েকটি বই রচনা করেছেন।",
"title": "জ্যাক লন্ডন"
},
{
"docid": "107698#16",
"text": "বইটির নাম প্রকাশের কিছুকাল পূর্বে জে কে রাউলিং ঘোষণা করেন যে তিনি তার বইয়ের জন্য তিনটি নাম বিবেচনা করছেন। চূড়ান্ত নাম \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলী হ্যালোস\" ২১ ডিসেম্বর রাউলিংয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।পরবর্তীকালে একটি লাইভ চ্যাটে জিজ্ঞাসা করা হলে, রাউলিং বলেন, অন্য যে দুইটি নাম তিনি বিবেচনা করেছিলেন সেগুলো হল \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য এল্ডার ওয়ান্ড\" এবং \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য পিভারেল কোয়েস্ট\"।",
"title": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস"
},
{
"docid": "324270#0",
"text": "জন রেকহাম (২৭ ডিসেম্বর ১৬৮২ - ১৮ নভেম্বর ১৭২০) ছিলেন একজন কিউবান-ইংরেজ জলদস্যু ক্যাপ্টেন যিনি বাহামা ও কিউবায় ১৮-শতকের দিকে বিচরন করতেন। তিনি ক্যালিকো জ্যাক নামেই বেশি পরিচিত। এছাড়াও ঐতিহাসিক নথিপত্রে তাকে \"রেকাম\" বা \"রেকুম\" নামে উচ্চারন করা হত এবং তাকে প্রায়ই \"জ্যাক রেকহাম\" নামে ডাকা হত। তার ডাকনাম ক্যালিকো এসেছে একধরনের সাদা সুতি কাপড় থেকে; এ ধরনের কাপড় তিনি প্রায়ই পরিধান করতেন এবং তখনকার সময় জ্যাককে সংক্ষিপ্তকারে জন নামে সম্বোধন করা হত।",
"title": "ক্যালিকো জ্যাক"
},
{
"docid": "59888#0",
"text": "জোসেফ রুডইয়ার্ড কিপলিং (; জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর, ১৮৬৫ - মৃত্যু: ১৮ জানুয়ারি, ১৯৩৬) একজন ইংরেজ লেখক, কবি এবং সাহিত্যিক ছিলেন যিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত তার অসাধারণ শিশু সাহিত্যের জন্য সুখ্যাতি লাভ করেন। তাঁর অমর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে শিশু সাহিত্য দ্য জাঙ্গল বুক, জাস্ট টু স্টরিস, পাক অফ পুক্স হিল, কিম; উপন্যাস কিম; কবিতা \"ম্যান্ডালে\", \"গুঙ্গা ডিন\" ইত্যাদি। এছাড়াও ১৮৯৫ সালে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় কবিতা ইফ - রচনা করেন। ছোটগল্প রচনার আধুনিক শিল্প নির্দেশনার একজন অন্যতম উদ্ভাবক হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। তবে সব দিক দিয়ে তার শিশু সাহিত্যগুলোই সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এগুলোকে শিশু সাহিত্যের ইতিহাসে একেকটি অনন্য রচনা হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। জেমস জয়েস একবার মত প্রকাশ করেছিলেন যে, 'ঊনবিংশ শতাব্দীর তিন ক্ষণজন্মা লেখক তলস্তয়, কিপলিং এবং দ্য'আনুনজিও; তাদের প্রকৃতি প্রদত্ত মেধা ছিল সবচেয়ে বেশি, কিন্তু তারা কেউই তাদের এই উপহারের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেননি।' তিনি আরও বলেন, 'এই তিনজনেরই ধর্ম ও দেশপ্রেম সম্পর্কে অর্ধ-ফ্যানাটিক ধারণা ছিল।'",
"title": "রুডইয়ার্ড কিপলিং"
},
{
"docid": "356380#0",
"text": "ল্যারি এলিসন (জন্ম আগস্ট ১৭, ১৯৪৪) তার পুরো নাম লরেন্স জোসেফ এলিসন। তবে প্রযুক্তি বিশ্ব তাকে একনামে চেনে ল্যারি এলিসন হিসেবেই। তিনি ওরাকল কর্পোরেশনের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। ১৯৪৪ সালের ১৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করা ল্যারি তার শিক্ষাজীবনে ছিলেন অত্যন্ত অমনোযোগী। বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত সফলভাবে তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে পড়ার সময়ে তিনি প্রথম পরিচিত হন কম্পিউটার ডিজাইনের সাথে। ১৯৬৪ সালে তিনি স্থায়ীভাবে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে আসেন। সত্তরের দশকে তিনি এমডাল কর্পোরেশনের কাজ শুরু করেন। এখানে তার একটি কাজ ছিল সিআইএ’র জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি উৎসাহী হয়ে ওঠেন ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করতে। ১৯৭৭ সালে তিনি গড়ে তোলেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিজ। পরে ১৯৭৯ সালে এরই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ওরাকল। দুই সন্তানের জনক ৬৯ বছর বয়স্ক ল্যারি এলিসনের সম্পদের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার উডসাইডে।",
"title": "ল্যারি এলিসন"
}
] |
লাগে রাহো মুন্না ভাই হিন্দি চলচ্চিত্রে সঞ্জয় দত্তের বিপরীতে কোন অভিনেত্রী অভিনয় করেন ? | [
{
"docid": "294376#8",
"text": "২০০৫ সালে, প্রদীপ সরকার পরিচালিত সঙ্গীত নাট্য \"পরিণীতা\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটান বিদ্যা। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করার পূর্বে তাকে ছয় মাসবাপী দীর্ঘ মহড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। চলচ্চিত্রটি বাঙালি লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত \"একই নামের\" উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়। ছবিতে আদর্শবাদী নারী ললিতা (বিদ্যা) ও পূঁজিবাদী ব্যবসায়ী পুত্র সঙ্গীতঙ্গ শেখরের (সাইফ আলী খান) মধ্যকার সম্পর্কের গল্প বর্ণিত হয়। এ চলচ্চিত্রে বিদ্যার অভিনয় সমালোচকদের সন্তুষ্ট করে; \"ভ্যারাইটি\" সাময়িকীর ডিরেক এলে লিখেন, \"তামিল বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী বালানের ললিতা চরিত্রটি মন ও আত্মার প্রতিচ্ছবি।\" \"পরিণীতা\"র জন্য বছরের শেষে আয়োজিত ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি শ্রেষ্ঠ নারী অভিষেক পুরস্কার লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়োন লাভ করেন। পরবর্তী বছর বিদ্যাকে রাজকুমার হিরানী পরিচালিত \"লাগে রাহো মুন্না ভাই\" রম্য চলচ্চিত্রে সঞ্জয় দত্তের বিপরীতে দেখা যায়। চলচ্চিত্রে তিনি জাহ্নবি নামে এক রেডিও জকির চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রে পারদর্শী হতে তিনি এক বেতার দম্পতির সাথে সাক্ষাত করেন এবং কিছুকাল তাদের কাজ পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে এ বিষয়ে পারদর্শীতা অর্জন করেন। পরবর্তীতে তার অভিনয় সমাদৃত হয় এবং চলচ্চিত্রটি ব্লকবাস্টার হিটের পাশাপাশি প্রায় ১.১৯ বিলিয়ন (ইউএস$ ১৮ মিলিয়ন) রুপীর ব্যবসা করে।",
"title": "বিদ্যা বালান"
},
{
"docid": "294376#23",
"text": "\"পরিণীতা\" এবং \"লাগে রাহো মুন্না ভাই\" চলচ্চিত্রের সাফল্যের পরবর্তীতে, বিদ্যার অভিনীত চলচ্চিত্রের চরিত্রসমূহ সমালোচনামূলক বিশ্লেষনের বিষয় হয়ে উঠেছে। ভির সঙ্গভী উল্লেখ করেন, \"হেই বেবি\" ও \"কিসমত কানেকশন\" চলচ্চিত্র দুইটি ছিল \"অদ্ভুত চলচ্চিত্র [...] যেখানে তিনি (বিদ্যা) যা নন তাই প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন।\" বিদ্যা তার কর্মজীবনের এই সতন্ত্র অবস্থার বর্ণনা করেন \"পরিশ্রমেই সাফল্য ঘটে\" বলে। তার চলচ্চিত্র নির্বাচন সমালোচিত হওয়ায়, বিদ্যা প্রচলিত রীতি অনুযায়ী চরিত্র নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। গণমাধ্যমে সদস্যরা পরবর্তীকালে তার পছন্দ \"সাহসী\" হিসেবে উল্লেখ করেন।",
"title": "বিদ্যা বালান"
}
] | [
{
"docid": "63507#0",
"text": "লাগে রাহো মুন্না ভাই (বাংলা: লেগে থাক মুন্না ভাই) একটি ভারতীয় মিউজিক্যাল কমেডি ছায়াছবি যার পরিচালক রাজকুমার হিরানি \nএবং প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া। এটি বলিউডের জনপ্রিয় মুন্না ভাই সিরিজের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। সঞ্জয় দত্ত চলচ্চিত্রে মুন্না ভাই চরিত্রে রুপদান করেন। মুন্না ভাই হল মুম্বাইয়ের একজন আণ্ডারগ্রাউণ্ড ডন যে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ অনুসরণ করতে শুরু করে। গান্ধীর প্রতিকৃতির অনুকরণে মুন্না ভাই তার ভাষ্যমতে গান্ধীগিরির (সত্যাগ্রহ, অহিংস নীতি এবং সত্য) চর্চা আরম্ভ করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা করে। তার সহচর, \"সার্কিট\" চরিত্রে অভিনয় করেন আরশাদ ওয়ার্সী।",
"title": "লাগে রাহো মুন্না ভাই"
},
{
"docid": "577243#6",
"text": "২০০৬ সালে \"মুন্না ভাই এমবিবিএস\" (২০০৩) এর অনুবর্তী পর্ব \"লাগে রাহো মুন্না ভাই\" প্রযোজনা করেন এবং অভিজাত জোশি ও রাজকুমার হিরানীর সাথে যৌথভাবে কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনা করেন। এটি পরিচালনা করেন হিরানী। ছবিটি হিতকর বিনোদন প্রদানকারী শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের মনোনয়ন লাভ করে। চোপড়া শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে অভিজাত জোশি ও হিরানীর সাথে যৌথভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, জি সিনে পুরস্কার ও আইফা পুরস্কার লাভ করেন ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং হিরানীর সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালে তার রচনা, প্রযোজনা ও পরিচালনায় মুক্তি পায় \"\"। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন। ছবিটি সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতীয় নিবেদন হিসেবে একাডেমি পুরস্কারে প্রেরণ করা হয়।",
"title": "বিধু বিনোদ চোপড়া"
},
{
"docid": "63507#3",
"text": "‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’ এর ডিভিডি (পরিবেশন করে ইরোস এণ্টারটেইনমেণ্ট) মুক্তি পায় ১৩ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে। বোনাস ডিভিডিতে আছে ৫-খণ্ডে ৯৮ মিনিটের একটি ডকুমেণ্টারি, যা চলচ্চিত্র তৈরির ঘটনা, অভিনেতা এবং কর্মীদের সাক্ষাৎকার এবং গান ও নাচের মুদ্রার তৈরির ঘটনা বর্ণনা করেছে। এটিতে আরও রয়েছে একটি বিশেষ ফিচার মুন্না মিটস বাপু (মুন্নার মুখোমুখি বাপু)। ডিভিডি টাইমসের মতে, কেউ কেউ ডিভিডিটির শব্দগত ও দৃশ্যগত দুর্বলতার সমালোচনা করেছে।",
"title": "লাগে রাহো মুন্না ভাই"
},
{
"docid": "626855#12",
"text": "বাবা দিবসে, নির্মাতারা চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় টিজার মুক্তি দেন, অভিনয়ে একটি ক্লিপে দত্ত এবং তার পিতার মাঝে বাবা-ছেলের সম্পর্ক কাপুর এবং রাওয়াল চেষ্টা করেছেন। ক্লিপটি হ্যাশট্যাগ \"#JaaduKiJhappi\" (একটি কোলাকুলির জাদু)-এর সাথে উৎসাহিত করা হয়েছে, \"মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস\"-এ সঞ্জয় দ্বারা বিখ্যাত হওয়া একটি লাইন। চলচ্চিত্রের তৃতীয় টিজারটি ২২ জুনে মুক্তি দেওয়া হয় যাতে কাপুরকে দত্তের চরিত্রে মুন্না ভাই হিসেবে উপস্থিত করা হয়। কাপুরও ফক্স স্টার স্টুডিওসের টুইটারে অংশগ্রহণ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি দুর্লভ উপস্থিতি এবং ভক্তদের সাথে একটি সরাসরি টুইট অধিবেশনে জড়িত এবং বাবা দিবস উপলক্ষে তার নিজের শৈশবের ব্যক্তিগত ছবি ভাগ করার দ্বারা চলচ্চিত্রের প্রচারণা করেন।",
"title": "সঞ্জু"
},
{
"docid": "63507#2",
"text": "ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করে বলেন, (গান্ধীর ডাকনাম \"বাপু\" ব্যবহার করে) ‘ ছবিটি সত্য ও মানবতাবাদের শক্তির ক্ষেত্রে বাপুর বার্তাকে ধারণ করেছে।‘ ছবিটি বোদ্ধা মহলে ভালভাবে গ্রহণীয় হয় ২০০৭ কান চলচ্চিত্র উৎসবে \"ব্লকবাস্টার\" হিসেবে ঘোষিত হয়। এটি জাতিসংঘে প্রকাশিত প্রথম হিন্দি ছবি।\nপ্রধান অভিনেতা মুন্না ভাই (সঞ্জয় দত্ত), গান্ধীর একটি প্রতিকৃতির সাথে যোগাযোগ করে এবং গান্ধীর আদর্শের মূলনীতিগুলো শেখে। তার সতীর্থ সার্কিট (আরশাদ ওয়ার্সী) তাকে সাহায্য করে। তারা দু’জনেই বোম্বাইয়া হিন্দিতে কথা বলে, যা মুম্বাই শহরের মৌখিক ভাষা। \nমুন্না রেডিও জকি জাহ্নবীর কণ্ঠের প্রেমে পড়ে যায়। মুন্না তার সাথে সাক্ষাৎ করতে একটি পরিকল্পনা আঁটে যখন জাহ্নবী মহাত্মা গান্ধীর জীবন ও আদর্শ নিয়ে ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে একটি প্রতিযোগিতার ঘোষণা করে। সার্কিট মুন্নাকে প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করতে সাহায্য করার জন্য একদল অধ্যাপককে অপহরণ করে এবং তারপর উৎকোচ প্রদান করে। জয়ী হিসেবে মুন্না জাহ্নবীর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের সুযোগ পায় এবং সেখানে সে নিজেকে একজন ইতিহাসের অধ্যাপক এবং গান্ধী বিশেষগ্ঞ হিসেবে পরিচয় দেয়। এর ধারাবাহিকতায় জাহ্নবী মুন্নাকে তার বাড়িতে প্রবীণ নাগরিকদের সামনে গান্ধীকে নিয়ে একটি বক্তৃতা দিতে বলে। ভাষণের জন্য প্রস্তুতি নিতে মুন্না গান্ধীর জীবন ও কর্মের উপর ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করে।\nরাজারাম (একটি গান যা গান্ধীর স্মরণে গাওয়া হয়) গায় তখনি গান্ধীর প্রতিকৃতি হাজির হয়। গান্ধীর সাহায্য নিয়ে মুন্না জাহ্নবীকে সন্তুষ্ট করতে সমর্থ হয় এবং গান্ধীবাদের (বিশেষত অহিংস নীত এবং সত্যাগ্রহ) ভিত্তিতে নতুন জীবন শুরু করে যা তার সংস্পর্শে আশা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। মুন্না জাহ্নবীর সাথে সহ উপস্থাপনায় একটি রেডিও অনুষ্ঠান শুরু করে যার মাধ্যমে সে গান্ধীর অনুপ্রেরণা দর্শকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় এবং দর্শকদের গান্ধীগিরি চর্চায় সাহায্য করার মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।\nবেশ কিছু সাবপ্লট গান্ধীগিরির শক্তিকে চিত্রায়িত করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লাকি সিং (বোমান ইরানি) এবং তার কন্যা সিমরান (দিয়া মির্জা]])র কাহিনী। লাকি একজন নীতিহীন ব্যবসায়ী যিনি সার্কিট এবং মুন্না ভাইকে নিয়োগ করেন তার জন্য আণ্ডার ওয়ার্ল্ড কাজ করার জন্য। তার কন্যা সিমরান শক্তিশালী ব্যবসায়ী খুরানা (কুলভুশান খারবাণ্দা) পুত্র সানির (অভিষেক বচ্চন) বাগদত্তা। খুরানা কুসংস্কারে বিশ্বাসী এবং কার্যাবলী একজন জ্যোতির্বিদ বাটুক মহারাজ (সৌরভ শুক্লা) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মহারাজের নিউমারোলজি ভিত্তিতে খুরানার নামের সাথে একটি অতিরিক্ত ক যুক্ত হয় এবং এই সিদ্ধান্ত প্রণীত হয় যে \"Second Innings House সিমরান ও লাকি সেকেণ্ড ইনিংস হোম অসৎ উদ্দেশ্যে দখল করার পর, মুন্না ভাই একটি ‘অহিংস” আন্দোলন শুরু করে যার নাম \"Get Well Soon, Lucky\" (লাকি, দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো)। মুন্না ভাই তার রেডিও অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের লাকিকে ফুল পাঠাতে বলে যেন সে “অসুস্থতার অসুখ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে পারে। মুন্না, সার্কিট, জাহ্নবী এবং “সেকেণ্ড ইনিংস হোম” এর প্রবীণ নাগরিকরা লাকির বাড়ির সামনে শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করে। এর মাঝেই মুন্না জাহ্নবীকে তার সত্যিকারের পরিচয় দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। দুঃখ পেয়ে জাহ্নবী মুন্নার সাথে বিচ্ছেদ ঘটায়। মুন্না আরেকটি বিপদের মুখে পড়ে যখন লাকি কুটবুদ্ধি করে জনগণের সামনে গান্ধীর সাথে মুন্নার আলোচনা প্রকাশ করে দেয় (যা শ্রোতাদের মধ্যে থাকা একজন মনোবিদের কাছে মুন্নার মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে, গান্ধীর প্রতিকৃতি এই চলচ্চিত্রের শেষে এই সমাপ্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে)। মুন্না এই ঘটনাগুলোতে হতাশ হয়ে পড়লেও গান্ধীগিরি চালিয়ে যায়, এবং শেষপর্যন্ত এই পন্থা লাকিকে বদলে দেয়, জাহ্নবীকে ফিরিয়ে দেয় এবং সিমরানের বিয়ের সমস্যা সমাধান করে। এছাড়াও অন্যান্য সাবপ্লটের মধ্যে আছে ভিক্টর ডি’সুয়োজা (জিমি সেরগিল) এর গল্প, যে তার বাবার (পরিক্সাট সাহনি) টাকা স্টক মার্কেটে খোয়া দিয়ে, ট্যাক্সি চালিয়ে তা ফিরিয়ে দেবার প্রতিজ্ঞা করে। আরেকটি গল্পে দেখা যায় একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যিনি তার পেনশন ভাতা থেকে বঞ্চিত হন, তার সকল সম্পত্তি পেনশন অফিসের দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে দান করেন। \nএই ভাবে গান্ধীর আদর্শ সত্যাগ্রহ এবং অহিংস নীতির নিত্তনৈমিত্তিক জীবনে প্রয়োগ (এবং এর মাধ্যমে গান্ধীর “অনুপ্রেরণা” ফিরিয়ে আনা) চলচ্চিত্রটির প্রধান থিমে পরিণত হয়। এছাড়াও এস্ট্রোলজি এবং নিউমারোলজির প্রভাবের বিরুদ্ধে সামাজিক বিচার[কে মুখোমুখি দাঁড় করায়।",
"title": "লাগে রাহো মুন্না ভাই"
},
{
"docid": "63507#1",
"text": "ভারতের সংস্কৃতিতে \"লাগে রাহো মুন্না ভাই\" ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং মুন্না ভাইয়ের উল্লেখিত \"গান্ধীগিরি\"র মাধ্যমে গান্ধীবাদের জনপ্রিয় করে। সমালোচকদের মতে, ছবিটি মানুষের মনকে প্রভাবিত করেছে এবং এর ফলশ্রুতিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু প্রতিবাদ সংঘটিত হয়েছে। “সে সকল প্রজন্মের জন্য যারা গান্ধী হত্যার পরে জন্মগ্রহণ করেছে, মুন্না ভাই পুরোনো গান্ধীবাদ এবং ‘গান্ধীয়ান’ রহস্য ফিরিয়ে এনেছে। জনপ্রিয় শব্দ “গান্ধীগিরি”, শব্দভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে।",
"title": "লাগে রাহো মুন্না ভাই"
},
{
"docid": "682533#1",
"text": "এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে কাজ করে ভারতীয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তার পিতা সুনীল দত্ত এই সিনেমায় মুন্না ভাইয়ের( সঞ্জয় দত্তের) বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন।",
"title": "মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস."
},
{
"docid": "393187#0",
"text": "রাজকুমার হিরানী (; জন্ম: ২০ নভেম্বর, ১৯৬২) ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রাপ্ত হিন্দি ছবির পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং ফিল্ম এটির। তিনি মুন্না ভাই এমবিবিএস (২০০৩), লাগে রাহো মুন্না ভাই (২০০৬), থ্রি ইডিয়টস (২০০৯) ও পিকে (২০১৪) এর জন্য ব্যাপক পরিচিত।",
"title": "রাজকুমার হিরানী"
}
] |
প্যালিওজোয়িক মহাযুগের দ্বিতীয় যুগটির নাম কী ? | [
{
"docid": "413410#0",
"text": "ক্যাম্ব্রিয়ান হল প্যালিওজোয়িক মহাযুগের প্রথম যুগ। এর স্থায়ীত্ব ছিল থেকে কোটি বছর আগে পর্যন্ত এবং এর পরবর্তী যুগের নাম অর্ডোভিশিয়ান। এর সূচনাকাল, সমাপ্তিকাল এবং উপবিভাগ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো নির্দেশিকা এখনও তৈরি করা যায়নি। অ্যাডাম সেজউইক প্রথম \"ক্যাম্ব্রিয়ান সিরিজ\" নাম দিয়ে যুগটিকে চিহ্নিত করেন। এই নামকরণের কারণ হল ওয়েল্স অঞ্চল থেকে ব্রিটেনে অবস্থিত এই যুগের পাথর প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, আর ওয়েল্সের লাতিন নাম \"ক্যাম্ব্রিয়া\"। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের পাথরের স্তরের স্বাতন্ত্র্য হল এর মধ্যস্থিত লাগাশ্টেটা পলিসঞ্চয়ের মাত্রাধিক্য। এই ধরণের পলিঘটিত পাথরে সুসংরক্ষিত জীবাশ্ম থাকে, যাতে জীবদেহের কঠিন খোলক প্রভৃতি অংশের সাথে সাথে অপেক্ষাকৃত নরম দেহাংশেরও সংরক্ষিত নমুনা পাওয়া যায়। এর ফলে ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের জীবন সম্পর্কে মানুষের গবেষণার সুযোগ ও তা থেকে লব্ধ জ্ঞানের পরিমাণ পরবর্তী কোনো কোনো যুগের তুলনায় বেশি।",
"title": "ক্যাম্ব্রিয়ান"
},
{
"docid": "637273#0",
"text": "প্যালিওজোয়িক (অথবা প্যালেওজোয়িক) মহাযুগ (; গ্রীক শব্দ palaios- প্যালিওস (παλαιός), “প্রাচীন” এবং zoe- জোয় (ζωή), “জীবন” থেকে এসেছে, অর্থ “প্রাচীন জীবন” ) এবং এটি ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের তিনটি ভূতাত্ত্বিক মহাযুগের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রারম্ভিক মহাযুগ। এটি ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ মহাযুগ যার ব্যাপ্তি ছিল ৫৪১ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ২৫১.৯০২ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি ছয়টি ভূতাত্ত্বিক যুগে বিভক্ত (প্রাচীনতম হতে নবীনতম): ক্যাম্ব্রিয়ান, অর্ডোভিশিয়ান, সিলুরিয়ান, ডেভোনিয়ান, কার্বনিফেরাস এবং পার্মিয়ান। প্যালিওজোয়িক মহাযুগ প্রোটেরোজোয়িক অধিযুগের নিওপ্রোটেরোজোয়িক মহাযুগের পরে আসে যেটা আবার মেসোজোয়িক মহাযুগের পরে আসে।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "639605#5",
"text": "প্যালিওজোয়িক পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটা সময় ছিল যখন জটিল জীবনের রূপ উদ্ভুত হয়েছিল যারা স্থলে প্রথম অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাস নিয়েছিল এবং তখন পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল অগ্রবর্তী জীবগণ বৈচিত্র্যপূর্ণ হতে থাকে। প্যালিওজোয়িক মহাযুগে ছয়টি যুগ রয়েছে: ক্যাম্ব্রিয়ান, অর্ডোভিশিয়ান, সিলুরিয়ান, ডেভোনিয়ান, কার্বনিফেরাস এবং পার্মিয়ান। \nক্যাম্ব্রিয়ান প্যালিওজোয়িক মহাযুগের অন্তর্গত প্রথম যুগ এবং ব্যাপ্তিকাল হল ৫৪.১ কোটি বছর পূর্ব হতে ৪৮.৫ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ বিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৃদ্ধির চিহ্ন রেখে গেছে যা ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ ঘটনা নামে পরিচিত এবং এই সময় পৃথিবীর ইতিহাসে কোন একটি যুগে সর্বোচ্চ সংখ্যায় জীব উদ্ভুত হয়। শৈবালের মত উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং এই যুগে সর্বত্র প্রাধান্য বিস্তারকারী প্রাণী ছিল ট্রাইলোবাইটের মত সাঁজোয়াযুক্ত আর্থোপোড। প্রায় সকল সামুদ্রিক পর্বের প্রাণী এই যুগে সৃষ্টি হয়েছিল। এই সময় সুপারমহাদেশ প্যানোটিয়া ভাঙতে শুরু করে এবং যার বেশির ভাগ অংশ পরবর্তীতে সংযুক্ত হয়ে গন্ডোয়ানা মহাদেশ সৃষ্টি করেছিল।",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
},
{
"docid": "637273#4",
"text": "প্যালিওজোয়িক মহাযুগে ছয়টি যুগ অন্তর্ভুক্ত: ক্যাম্ব্রিয়ান, অর্ডোভিশিয়ান, সিলুরিয়ান, ডেভোনিয়ান, কার্বনিফেরাস (বিকল্পভাবে মিসিসিপিয়ান যুগ এবং পেনিসিলভানিয়ান যুগে বিভক্ত) এবং পার্মিয়ান।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
}
] | [
{
"docid": "637273#1",
"text": "প্যালিওজোয়িক মহাযুগ ছিল ভূতাত্ত্বিক, জলবায়ু-সংক্রান্ত এবং বিবর্তনীয় নাটকীয় পরিবর্তনের সময়কাল। পৃথিবীর ইতিহাসে ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ জীবনের সর্বাধিক দ্রুত এবং ব্যাপক বৈচিত্র্যের সাক্ষী ছিল যা ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরন নামে পরিচিত এবং এই সময় অধিকাংশ আধুনিক পর্ব আবির্ভূত হয়েছিল। মাছ, আর্থ্রোপোড, উভচর, অ্যানাপসিড, সিন্যাপসিড, ইউরিয়াপসিড এবং ডায়াপসিডসহ আরও অন্যান্য পর্ব প্যালিওজোয়িক মহাযুগে উদ্ভুত হয়েছিল। মহাসাগরে জীবনের সূচনা হয়েছিল যা পরে স্থলে স্থানান্তরিত হয় এবং অন্ত্য প্যালিওজোয়িক মহাযুগে পৃথিবীতে নানা ধরণের জীব আধিপত্য বিস্তার করে। আদিম উদ্ভিদের মাধ্যমে সৃষ্ট বৃহৎ বনভুমি দ্বারা মহাদেশগুলি ঢেকে যায় এবং এর ফলে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার পূর্বাঞ্চলের অনেক ভূগর্ভস্থ কয়লার স্তর গঠিত হয়। এই মহাযুগের শেষের দিকে বৃহৎ এবং অপরিণত ডায়াপসিড আধিপত্য বিস্তার করে এবং প্রথম আধুনিক উদ্ভিদ প্রজাতি (কনিফার) আবির্ভূত হয়।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "637273#3",
"text": "প্যালিওজোয়িক মহাযুগের শুরু ও সমাপ্তি ঘটে সুপারমহাদেশের বিস্তৃতির মাধ্যমে এবং এই সময় মহাদেশীয় সীমানা সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন পর্বতমালার সৃষ্টি হয় এবং অগভীর সমুদ্রের মধ্যে বন্যা এবং জলস্রোতের সৃষ্টি হয়। এর শুরুতে সুপারমহাদেশ প্যানোটিয়া ভেঙ্গে যায়। প্যালিওজলবায়ু সংক্রান্ত গবেষণা এবং হিমবাহের চিহ্ন ইঙ্গিত করে যে আদিম প্যালিওজোয়িক মহাযুগে মধ্য আফ্রিকা খুব সম্ভবত মেরু অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। আদিম প্যালিওজোয়িক মহাযুগে, বৃহৎ মহাদেশ গন্ডোয়ানা (৫১০ মিলিয়ন বছর পূর্বে) গঠিত হয়েছিল এবং গঠিত হচ্ছিল। মধ্য প্যালিওজোয়িক মহাযুগে উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের সংঘর্ষের ফলে আকাডিয়ান-ক্যালেডোনিয়ানের উত্তোলন উদ্ভুত হয়েছিল এবং পূর্ব অস্ট্রেলিয়াতেও একটি সবডাকশন প্লেট উত্তোলিত হয়েছিল। অন্ত্য প্যালিওজোয়িক মহাযুগে, মহাদেশীয় সংঘর্ষ সুপারমহাদেশ প্যানজিয়া গঠন করেছিল এবং কিছু বৃহৎ পর্বতমালা সৃষ্টি করেছিল যাদের মধ্যে অ্যাপালেচিয়ান পর্বতমালা, উরাল পর্বতমালা এবং তাসমানিয়ার পর্বতমালা অন্তর্ভুক্ত ছিল।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "634692#3",
"text": "সিনোজোয়িক মহাযুগ তিনটি যুগে বিভক্ত: প্যালিওজিন, নিওজিন এবং কোয়াটার্নারি এবং সাতটি উপযুগে বিভক্ত প্যালিওসিন, ইওসিন, অলিগোসিন, মায়োসিন, প্লাইওসিন, প্লেইস্টোসিন এবং হলোসিন। কোয়াটার্নারি যুগটি ২০০৯ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক স্তরবিদ্যা কমিশন দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়, যা পূর্বে টারশিয়ারী যুগ নামে পরিচিত ছিল এবং ২০০৪ সালে সিনোজোয়িক মহাযুগকে এর পুর্ববর্তী মহাযুগ যেমন প্যালিওজোয়িক এবং মেসোজোয়িক মহাযুগে বিভক্ত করা প্রয়োজন পড়ার কারণে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হয়ে যায়। সিনোজোয়িক মহাযুগের উপযুগগুলির সাধারণ ব্যবহার প্যালিওনটোলজিস্টদের (জীবাশ্মবিদ) অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার অপেক্ষাকৃত সঠিক বিন্যাস এবং শ্রেণী তৈরী করতে সাহায্য করে যা অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। এই মহাযুগের তথ্যজ্ঞান অন্য যেকোন মহাযুগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি কারণ এই সময় নব্য এবং অধিক সংরক্ষনশীল শিলা সৃষ্টি হয়েছিল।",
"title": "সিনোজোয়িক"
},
{
"docid": "637273#5",
"text": "ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৫৪১ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ৪৮৫ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি ফ্যানারোজোয়িক অধিযুগের অন্তর্ভুক্ত প্যালিওজোয়িক মহাযুগের প্রথম যুগ ছিল। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ বিবর্তনের ক্ষেত্রে আকস্মিক বৃদ্ধির চিহ্ন রেখে গেসে যা ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ নামে পরিচিত এবং এই ঘটনায় পৃথিবীর ইতিহাসে কোন একটি যুগে সর্বোচ্চ সংখ্যায় জীব উদ্ভুত হয়। শৈবালের মত জীব সৃষ্টি হয় কিন্তু এই যুগে সর্বত্র বিস্তৃত প্রাণী ছিল ট্রাইলোবাইটের মত সৃষ্ট আর্থোপোড। প্রায় সকল সামুদ্রিক পর্বের প্রাণী এই যুগে সৃষ্টি হয়েছিল। এই সময় সুপারমহাদেশ প্যানোটিয়া ভাঙতে শুরু করে এবং যার বেশির ভাগ অংশ পরবর্তীতে গন্ডোয়ানা মহাদেশ সৃষ্টি করেছিল।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "637273#10",
"text": "পার্মিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল ২৯৯ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ২৫২ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি প্যালিওজোয়িক মহাযুগের সর্বশেষ যুগ ছিল। এই যুগের শুরুতে, সকল মহাদেশ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে সুপারমহাদেশ প্যানজিয়া গঠন করে যা প্যানথালাসা নামক মহাসাগর দ্বারা আবৃত ছিল। এই সময় স্থলজ মাটি খুব শুষ্ক ছিল এবং ঋতুগুলিও খুব রুক্ষ ছিল কারণ প্যানজিয়ার অভ্যন্তরের জলবায়ু এর বৃহৎ পানির উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত না। নতুন শুষ্ক জলবায়ুতে ডায়াপসিড এবং সিন্যাপসিড উদ্ভুত হয়। ডিমেট্রডন এবং ইডাফোসরাসের মত প্রাণীগুলি নতুন মহাদেশে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। প্রথম কনিফার উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং স্থলজ জমিতে আধিপত্য বিস্তার করে। পার্মিয়ান যুগের শেষের দিকে প্যানজিয়া আরও অধিক শুষ্ক হয়ে যায়। এর অভ্যন্তরে মরুভূমি সৃষ্টি হয় এবং স্কুটোসরাস এবং গোরগনোপসিডের মত নতুন প্রজাতি দ্বারা এটা পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর তারা পৃথিবীর আরও ৯৫% প্রজাতির সাথে সাথে আকস্মিক বিপর্যয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় যা “দ্যা গ্রেট ডায়িং” নামে পরিচিত এবং তৃতীয় (ক্রমিক অনুসারে) এবং সর্বাধিক বিধ্বংসী বিলুপ্তির ঘটনা ছিল।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "639605#10",
"text": "পার্মিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল হল ৩০ কোটি বছর পূর্ব হতে ২৫ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি প্যালিওজোয়িক মহাযুগের সর্বশেষ যুগ ছিল। এই যুগের শুরুতে, সকল মহাদেশ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে সুপারমহাদেশ প্যানজিয়া গঠন করে যা প্যানথালাসা নামক মহাসাগর দ্বারা আবৃত ছিল। এই সময় পৃথিবী খুব শুষ্ক ছিল এবং ঋতুগুলিও খুব রুক্ষ ছিল কারণ প্যানজিয়ার অভ্যন্তরের জলবায়ু এর বৃহৎ পানির উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো না। নতুন শুষ্ক জলবায়ুতে ডায়াপসিড এবং সিন্যাপসিড উদ্ভুত হয়। ডিমেট্রডন এবং ইডাফোসরাসের মত প্রাণীগুলি নতুন মহাদেশে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। প্রথম কনিফার উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং স্থলজ জমিতে আধিপত্য করে। পার্মিয়ান যুগের শেষের দিকে স্কুটোসরাস এবং গোরগনোপসিড দ্বারা শূণ্য মরুভূমি পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর তারা পৃথিবীর আরও ৯৫% প্রজাতির সাথে সাথে আকস্মিক বিপর্যয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় যা “দ্য গ্রেট ডায়িং” নামে পরিচিত এবং এটি তৃতীয় (ক্রমিক অনুসারে) এবং সবাধিক বিধ্বংসী বিলুপ্তির ঘটনা ছিল।",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
}
] |
সমকামিতা শব্দটির ইংরেজি পরিভাষা কী ? | [
{
"docid": "72190#7",
"text": "বর্তমানে হোমোসেক্সুয়াল শব্দটি বিদ্বৎসমাজে এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হলেও ‘গে’ এবং ‘লেসবিয়ান’ শব্দদুটি অধিক জনপ্রিয়। গে শব্দটির দ্বারা পুরুষ সমকামীদের বোঝানো হয় এবং নারী সমকামীদেরকে বোঝানো হয় লেসবিয়ান শব্দটির দ্বারা। পশ্চিমে ‘গে’ শব্দটি সমকামী অর্থে প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় সম্ভবত ১৯২০ সালে। তবে সে সময় এটির ব্যবহার একেবারেই সমকামীদের নিজস্ব গোত্রভুক্ত ছিলো। মুদ্রিত প্রকাশনায় শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে। লিসা বেন নামে এক হলিউড সেক্রেটারী ‘Vice Versa: America’s Gayest Magazine’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশের সময় সমকামিতার প্রতিশব্দ হিসেবে ‘গে’ শব্দটি ব্যবহার করেন। আর ‘লেসবিয়ান’ শব্দটি এসেছে গ্রিস দেশের ‘লেসবো’ নামক দ্বীপমালা থেকে। কথিত আছে, খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে স্যাফো নামে সেখানকার এক কবি/শিক্ষিকা মেয়েদের সমকামী যৌন জীবন নিয়ে কাব্য রচনা করে ‘কবিতা উৎসব’ পালন করতেন। এইভাবে প্রথম দিকে লেসবিয়ান বলতে ‘লেসবো দ্বীপের অধিবাসী’ বোঝালেও, পরবর্তীতে নারীর সমকামিতার সাথে এটি যুক্ত হয়ে যায়।",
"title": "সমকামিতা"
},
{
"docid": "72190#5",
"text": "সমকামিতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হোমোসেক্সুয়ালিটি তৈরি হয়েছে গ্রিক ‘হোমো’ এবং ল্যাটিন ‘সেক্সাস’ শব্দের সমন্বয়ে। গ্রিক ভাষায় ‘হোমো’ বলতে বোঝায় সমধর্মী বা একই ধরণের। আর ‘সেক্সাস’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে যৌনতা।।",
"title": "সমকামিতা"
},
{
"docid": "72190#6",
"text": "১৮৬৯ সালে কার্ল মারিয়া কার্টবেরি সডোমি আইনকে তিরষ্কার করে ইংরেজিতে প্রথম ‘হোমোসেক্সুয়াল’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে জীববিজ্ঞানী গুস্তভ জেগার এবং রিচার্ড ফ্রেইহার ভন ক্রাফট ইবিং ১৮৮০’র দশকে তাঁদের \"সাইকোপ্যাথিয়া সেক্সুয়ালিস\" গ্রন্থে হেটারোসক্সুয়াল ও হোমোসেক্সুয়াল শব্দ দুটো দ্বারা যৌন পরিচয়কে দুই ভাগে বিভক্ত করেন, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী যৌন পরিচয়ের শ্রেণীবিভাজন হিসেবে ব্যাপক পরিসরে গৃহীত হয়।",
"title": "সমকামিতা"
},
{
"docid": "660684#0",
"text": "সমকামিতা (হোমোসেক্সুয়ালিটি) বা সমপ্রেমিতা বলতে সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি \"রোমান্টিক আকর্ষণ, যৌন আকর্ষণ অথবা যৌন আচরণ\"কে বোঝায়। যৌন অভিমুখীতা হিসেবে সমকামিতা বলতে বোঝায় মূলত সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি \"আবেগীয়, রোমান্টিক ও/বা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী কাঠামোবিন্যাস\"। এই ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিচিতি, এই ধরনের আচরণ এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কোনো সম্প্রদায়কেও এই শব্দটি দ্বারা নির্দেশ করা হয়।\"",
"title": "সমকামী উভকামী ও রুপান্তরকামীদের ২০০২ সালে অধিকার"
},
{
"docid": "659883#0",
"text": "সমকামিতা (হোমোসেক্সুয়ালিটি) বা সমপ্রেমিতা বলতে সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি \"রোমান্টিক আকর্ষণ, যৌন আকর্ষণ অথবা যৌন আচরণ\"কে বোঝায়। যৌন অভিমুখীতা হিসেবে সমকামিতা বলতে বোঝায় মূলত সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি \"আবেগীয়, রোমান্টিক ও/বা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী কাঠামোবিন্যাস\"। এই ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিচিতি, এই ধরনের আচরণ এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কোনো সম্প্রদায়কেও এই শব্দটি (সমকামিতা) দ্বারা নির্দেশ করা হয়।\"",
"title": "সমকামী উভকামী ও রুপান্তরকামীদের ২০১৫ সালে অধিকার"
},
{
"docid": "660591#0",
"text": "সমকামিতা (হোমোসেক্সুয়ালিটি) বা সমপ্রেমিতা বলতে সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি \"রোমান্টিক আকর্ষণ, যৌন আকর্ষণ অথবা যৌন আচরণ\"কে বোঝায়। যৌন অভিমুখীতা হিসেবে সমকামিতা বলতে বোঝায় মূলত সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি \"আবেগীয়, রোমান্টিক ও/বা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী কাঠামোবিন্যাস\"। এই ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিচিতি, এই ধরনের আচরণ এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কোনো সম্প্রদায়কেও এই শব্দটি দ্বারা নির্দেশ করা হয়।\"",
"title": "সমকামী উভকামী ও রুপান্তরকামীদের ২০০১ সালে অধিকার"
},
{
"docid": "72190#0",
"text": "সমকামিতা (ইংরেজি: \"Homosexuality\", হোমোসেক্সুয়ালিটি) বা সমপ্রেম বলতে সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি \"রোমান্টিক আকর্ষণ, যৌন আকর্ষণ অথবা যৌন আচরণ\"কে বোঝায়। যৌন অভিমুখীতা হিসেবে সমকামিতা বলতে বোঝায় মূলত সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি \"আবেগীয়, রোমান্টিক ও/বা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী কাঠামোবিন্যাস\"। এই ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিচিতি, এই ধরনের আচরণ এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কোনো সম্প্রদায়কেও এই শব্দটি দ্বারা নির্দেশ করা হয়।\"",
"title": "সমকামিতা"
}
] | [
{
"docid": "637433#31",
"text": "\"সমকামিতা\" শব্দটি উদ্ভাবিত হয়েছিল উনিশ শতকে। এরপর একই শতকে এর বিপরীত শব্দ \"বিষমকামিতা\" শব্দটির উদ্ভব হয়। বিশ শতকে যৌন পরিচয় নির্ধারণে উভকামিতা শব্দটি উদ্ভব হয়। একই সাথে যারা সঙ্গমে আকৃষ্ট নয়, তাদের পরিচয় দানের জন্যও কোনো শব্দ উদ্ভবের প্রয়োজন ছিল। ইতিহাসের পাতায় যৌনতা শুধুমাত্র দুইটি ভিন্ন লিঙ্গে সীমাবদ্ধ ছিল না, তা সমলিঙ্গেও সম্প্রসারিত ছিল। কিন্তু ঐতিহাসিক ঘটনাকে বুঝতে অথবা দেখতে গেলে আধুনিক ধারণা অথবা আধুনিক যৌনতার ধারণায় দেখতে গেলে, তা সম্প্রসারিত দৃষ্টির আলোয় ও সাহিত্যভিত্তিক সংজ্ঞার আলোকে দেখতে হবে।",
"title": "সমকামিতার ইতিহাস"
},
{
"docid": "72190#4",
"text": "বাংলা সমকামিতা শব্দটির গঠন সংস্কৃত-সঞ্জাত। সংস্কৃত শব্দ ‘সম’-এর অন্যতম অর্থ সমান অথবা অনুরূপ এবং ‘কাম’ শব্দের অন্যতম অর্থ যৌন চাহিদা, রতিক্রিয়া তথা যৌন তৃপ্তি। অতঃপর এই দুই শব্দের সংযোগে উৎপন্ন সমকামিতা শব্দ দ্বারা অনুরূপ বা সমান বা একই লিঙ্গের মানুষের (বা প্রাণীর ক্ষেত্রে অন্য প্রাণীর) প্রতি যৌন আকর্ষণকে বোঝায়।",
"title": "সমকামিতা"
},
{
"docid": "471033#32",
"text": "এক ধরনের শব্দ ইউরানিয়ান, উনিশ শতকের তৃতীয় লিঙ্গের একটি ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল- মূলত \" মহিলা মানসিকতার কিন্তু পুরুষের গঠন\" সে পুরুষের প্রতি যৌন আকর্ষণের জন্য লালায়িত হত। এর সংজ্ঞাটি পরে সমকামী বৈচিত্র্যময় নারীদের এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি যৌন প্রকারের বিষয়ে ধরা হয়েছে। এটি জার্মান শব্দ Urning এর একটি ইংরেজি অভিযোজন বলে মনে করা হয়, যা প্রথম কর্মী কার্ল হেনরিখ Ulrichs (১৮২৫-৯৫) দ্বারা প্রকাশিত পাঁচটি বুকলেট (১৮৬৪-৬৫) একটি সিরিজ যার টাইটেল ছিল Forschungen über das Räthsel der mannmännlichen Liebe (\" রিসার্চ ইনটু দ্য রিডল ম্যান-ম্যান লাভ\")। উল্লিখিত শব্দটি \"সমকামী\" শব্দটির প্রথম সর্বজনীন ব্যবহারের আগে তার পরিভাষা তৈরি করে, যা ১৮৬৯ সালে কার্ল-মারিয়া কার্টবিনি (১৮২৪-৮২) দ্বারা বেনামে প্রকাশিত একটি পুস্তিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল। ইউরানিয়ান (উরিং) শব্দটি গ্রিক দেবী আফ্রোদিতি উরানিয়া থেকে উদ্ভূত হয়েছিল যাকে ইউরেনাসের অণ্ডকোষ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল; এটি Aphrodite Dionea (ডায়নিং) heterosexuality প্রতিনিধিত্ব করেন। সমকামী কর্মী আন্না রুইলিং ১৯০৪ সালের বক্তৃতায় শব্দটি ব্যবহার করেছেন, \"সমকামীদের আন্দোলন সমকামী মতামত সমাধান করার জন্য কি করে?\"",
"title": "তৃতীয় লিঙ্গ"
}
] |
মসজিদুল আকসা কবে তৈরি হয় ? | [
{
"docid": "76228#4",
"text": "ইসলামের নবী ইব্রাহিম (আঃ) (আব্রাহাম) জেরুসালেমেও একটি উপাসনার স্থান প্রতিষ্ঠা করছিলেন ।কাবা নির্মাণের চল্লিশ বছর পর (খ্রিষ্টপূর্ব ২১৭০) তিনি এটিকে আরও সম্প্রসারণ করেন যা পরবর্তীতে \"বাইতুল মুকাদ্দাস\" নামে পরিচিত হয়। মসজিদে হারামের তুলনায় দূরতম উপাসনার স্থান হওয়ায় , ইব্রাহিম (আঃ) এটিকে \"মাসজিদুল আকসা’ বলেও উল্লেখ করতেন। তার পুত্র ইসহাক (আঃ) ও এখানে ইবাদত করতেন তবে তিনিও তার পিতার মত কাবাতে হজ করতে গিয়েছিলেন । পরবর্তীতে ইসহাক (আঃ) এর দ্বিতীয় পুত্র ইয়াকুব (আঃ) এই অঞ্চলের এক আল্লাহতে বিশ্বাসীদের জন্য উপাসনার স্থান হিসাবে এটিকে বর্ধিত করেছিলেন ।পরবর্তিতে সুলায়মান (আঃ) এই উপাসনার স্থানটির স্থাপত্য (সেকেন্ড টেম্পল) তৈরি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন (খ্রিষ্টপূর্ব ১০০৪) । মুসলমানরা বিশ্বাস করে এই কাজে তিনি জ্বীনদেরকে নিয়োগ করেছিলেন । এবং আল্লাহ তায়ালা \"গলিত তামার ঝরণা\" প্রবাহিত করেছিলেন । এরপর ব্যবিলনের সম্রাট দ্বিতীয় নেবুচ্যাডনেজার ; সুলায়মান (আঃ) এর তৈরি স্থাপত্যগুলি ধ্বংস করেন (খ্রিষ্টপূর্ব ৫৮৬)।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
}
] | [
{
"docid": "76228#0",
"text": "মসজিদুল আকসা () (আল-আকসা মসজিদ বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত) ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ।জেরুজালেমের পুরনো শহরে এটি অবস্থিত। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলো সহ এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। এছাড়াও স্থানটি \"টেম্পল মাউন্ট\" বলে পরিচত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ইসলামের বর্ণনা অণুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাহমিয়ার মতে , আসলে সুলাইমান এর তৈরি সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটির নামই হল মসজিদুল আল-আকসা ।মুহাদ্দিসগণ (হাদিস বিষয়ে পণ্ডিত) এই বিষয়ে একমত যে সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটিই ইসলামের নবী সুলাইমান (আঃ) তৈরি করেছিলেন যা পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল । মুসলমানরা বিশ্বাস করে , নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা (আঃ) (খ্রিস্টধর্মে যিশু) সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা (প্রার্থনার দিক)। হিজরতের পর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে কাবা নতুন কিবলা হয়। বর্তমানে \"আল-আকসা\" মসজিদ বলতে বোঝাায় কিবলি মসজিদ , মারওয়ানি মসজিদ ও বুরাক মসজিদ (৩টির) এর সমন্বয় যা \"হারাম আল শরীফ\" এর চার দেয়াল এর মধ্যেই অবস্থিত।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#16",
"text": "১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে বিশ শতকের প্রথম সংস্কার সাধিত হয়। এসময় জেরুজালেমের গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ আমিন আল-হুসাইনির অধীন সুপ্রিম মুসলিম কাউন্সিল তুর্কি স্থপতি মিমার কামালউদ্দিন বেকে মসজিদুল আকসা ও এর পরিপার্শ্বের স্থাপনাগুলো সংস্কারের জন্য দায়িত্ব দেয়। এছাড়াও কাউন্সিল ব্রিটিশ স্থপতি, মিশরীয় প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সংস্কারে অবদান ও তদারকির দায়িত্ব দিয়েছিল। এই সংস্কারের মধ্যে ছিল মসজিদের প্রাচীন উমাইয়া ভিত্তি মজবুত করা, ভেতরের কলাম মজবুত করা, নতুন বীম যুক্তকরণ, একটি মঞ্চ নির্মাণ, আর্চ এবং মূল গম্বুজের ভেতরের অংশ সংরক্ষণ, দক্ষিণ দেয়াল পুনর্নির্মাণ এবং কেন্দ্রীয় সারির কাঠগুলো কংক্রিটের স্ল্যাব দ্বারা প্রতিস্থাপন। এসময় প্লাস্টারে ঢাকা পড়ে যাওয়া ফাতেমীয় আমলের মোজাইক ও খোদিত লিপি ফিরিয়ে আনা হয়। আর্চগুলো স্বর্ণ এবং সবুজ ছোপযুক্ত জিপসাম দ্বারা সৌন্দর্যমন্ডিত করা হয় এবং কাঠের বীমগুলো পিতল দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। কিছু স্টেইন্ড গ্লাসের জানালা তাদের আব্বাসীয় ও ফাতেমীয় নকশা অপরিবর্তিত রেখে নতুন করা হয়। ১৯২৭ ও ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ভূমিকম্পে মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তবে ১৯৩৮ ও ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তা সারিয়ে তোলা হয়।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#36",
"text": "ইসলামে আল-আকসা মসজিদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা বিশ্বাস করে যে ,এটি পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ যা মসজিদুল হারামের পরে নির্মিত হয়। কুরআনে মিরাজের ঘটনা উল্লেখ করার সময় এই স্থানের নাম নেয়া হয়েছে।রাশিদুন খিলাফত এর পরেও ইসলামি পণ্ডিতরা একে ঐতিহ্যগতভাবে \"আল-ইসরা \" বলে উল্লেখ করত (যেহেতু সূরা বনী ইসরাঈল (রাত্রির যাত্রা) এ এটিকে উল্লেখ করা হয়েছে) । এই সুনির্দিষ্ট আয়াতটি ইসলামে \"আল-আকসা\" এর গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছে । এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে \" পবিত্র ও মহিমময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রাতারাতি ভ্রমণ করিয়েছেন (মক্কার) মাসজিদুল হারাম হতে (ফিলিস্তীনের) মাসজিদুল আকসায় \"। এই আয়াতটির অনুবাদ ও ব্যাখ্যায় প্রায় সব পণ্ডিতই সুনির্দিষ্টভাবে \"আল-আকসা\" ও \"মসজিদ আল-হারাম\" উল্লেখ করেছেন এবং বর্ণিত \"আল- আকসা\" টি যে \"জেরুজালেমে \" অবস্থিত \"আল-আকসা\" টিই তা নিশ্চিত করেছেন (ড. মুজিবুর রহমান ,মহসিন খান,আব্দুল হামিদ ফাইজী ও অধ্যাপক মোজাম্মেল হকের বঙ্গানুবাদেও তাই )।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#14",
"text": "সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে আইয়ুবীয়রা জেরুজালেম জয় করার পর মসজিদুল আকসায় কয়েকটি সংস্কার সাধিত হয়। জুমার নামাজের জন্য মসজিদকে প্রস্তুতের নিমিত্তে জেরুজালেম জয়ের এক সপ্তাহের মধে ক্রুসেডারদের স্থাপন করা টয়লেট ও শস্যের গুদাম সরিয়ে ফেলা হয়।, মেঝে দামি কার্পেটে আচ্ছাদিত করা হয়, এবং ভেতরের অংশ গোলাপজল এবং সুগণ্ধি দিয়ে সুগণ্ধযুক্ত করা হয়। সালাহউদ্দিনের পূর্বসূরি জেনগি সুলতান নুরউদ্দিন জেনগি ১১৬৮-৬৯ খ্রিষ্টাব্দে হাতির দাঁত ও কাঠ দিয়ে একটি মিম্বর নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন যা তার মৃত্যুর পর নির্মাণ সমাপ্ত হয়। নুরউদ্দিনের মিম্বরটি সালাহউদ্দিন মসজিদে স্থাপন করেন। দামেস্কের আইয়ুবী সুলতান আল-মুয়াজ্জাম ১২১৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনটি ফটকসহ উত্তরের বারান্দা নির্মাণ করেন। ১৩৪৫ খ্রিষ্টাব্দে আল-কামিল শামানের অধীনে মামলুকরা পূর্ব দিকে আরো দুটি সারি ও ফটক যুক্ত করে।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#10",
"text": "৭৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিকম্পে মসজিদুল আকসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর চার বছর পর আস-সাফাহ উমাইয়াদের উৎখাত করে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন। দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর ৭৫৩ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদ পুনর্নির্মাণের জন্য তার সংকল্প ব্যক্ত করেন এবং ৭৭১ খ্রিষ্টাব্দে তা সমাপ্ত হয়। ৭৭৪ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় একটি ভূমিকম্পের ফলে আল মনসুরের সংস্কারের সময়ের দক্ষিণ অংশ বাদে অনেক অংশ ধ্বংস হয়। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে তার উত্তরসুরি খলিফা আল-মাহদি এর পুনর্নির্মাণ করেন। তিনি দৈর্ঘ্য কমিয়ে প্রস্থ বৃদ্ধি করেন। আল-মাহদির সংস্কার এ বিষয়ে প্রথম লিখিত বিবরণ বলে জানা যায় যা কাজের বর্ণনা প্রদান করে। ৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জেরুজালেমে জন্ম নেয়া আরব ভূগোলবিদ শামসউদ্দিন আল-মুকাদ্দাসি লিখেছেন যে এসময় মসজিদে পনেরটি দরজা ও মুসল্লিদের ধারণের জন্য উত্তর দক্ষিণ বরাবর পনেরটি সারি ছিল।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#44",
"text": "ইসলামে আল-আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রথম দিকে মুসলমানরা এই স্থানকে কিবলা (দিক) হিসেবে ব্যবহার করত।হিজরতের পরে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ায় এর পরিবর্তে কাবা নতুন কিবলা হয়। মসজিদ আল কিবলাতাইনে নামাজের সময় এই আয়াত নাজিল হয়। এরপর থেকে কাবা কিবলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রথম দিকের মুফাসসিরদের (কুরআনের ব্যাখ্যাকারী) মতে , ৬৩৮ সালে জেরুজালেম বিজয়ের পর উমর ( রাঃ ) প্রবেশের সময় কাব আল আহবারের থেকে পরামর্শ নিয়েছিলেন (মসজিদ তৈরির জন্য সবচেয়ে উত্তম জায়গা কোনটি হতে পারে ?)। তিনি ছিলেন একজন ইহুদী থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত ব্যক্তি যিনি মদিনা থেকে তার সাথে এসেছিলেন । তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এটি কুব্বাত আস-সাখরার (\"ডোম অব দ্য রক\") পেছনে হওয়া উচিৎ \"... এর ফলে গোটা জেরুজালেম আপনার সামনে থাকবে \"। উমর প্রত্যুত্তর দিলেন , \" তোমার মত ইহুদীবাদের সাথে মিলে গেছে !\" । এই কথোপকথনের পরপরই উমর একটি স্থান পরিষ্কার করতে শুরু করলেন । যেটি আবর্জনা ও রাবিশে পরিপূর্ণ ছিল । তিনি তার জোব্বাটি ব্যবহার করলেন এবং অন্য সাহাবারা তাকে অনুকরণ করল যতক্ষণ না জায়গাটি পরিষ্কার হয়েছিল । উমর এরপর সেই স্থানে নামাজ পড়লেন যেখানে নবী (সাঃ) মেরাজের পূর্বে নামাজ পড়েছিলেন বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকে । বর্ণনা অনুসারে উমর সেই স্থানটিকে মসজিদ হিসেবে পুনঃনির্মাণ করেছিলেন । যেহেতু দাউদ (আঃ) ও সুলাইমান (আঃ) এর প্রার্থনার স্থান হিসেবে পূর্ব থেকেই এটি একটি পবিত্র উপাসনার স্থান ,তাই উমর স্থাপনাটির দক্ষিণস্থ কোনে এটি নির্মাণ করেন। যাতে কুব্বাত আস-সাখরা (\"ডোম অব দ্য রক\" ) মসজিদটি ও ক্বাবার মধ্যস্থানে না পড়ে যায় এবং মুসলমানরা নামাজের সময় একমাত্র মক্কার দিকেই মুখ করতে পারে । \nজেরুজালেম ইসলামে অন্যতম পবিত্র স্থান। কুরআনের অনেক আয়াতই জেরুজালেমকে নির্দেশ করেছে যার কথা একদম শুরুর দিকের ইসলামি পণ্ডিতরাও বলেছেন । \"জেরুজালেম \" এর কথা হাদিসেও অনেকবার উল্লেখ করা হয়েছে ।এখানে অবস্থিত মসজিদুল আকসা ইসলামে তৃতীয় সম্মানিত মসজিদ ; এবং একথা মধ্যযুগের অনেক লিপিতেও উল্লেখ করা হয়েছে । নবী (সাঃ) বলেছেন \"একজন লোক ঘরে নামাজ পড়লে একটি নেকি পান, তিনি ওয়াক্তিয়া মসজিদে পড়লে ২৫ গুণ, জুমা মসজিদে পড়লে ৫০০ গুণ, মসজিদে আকসায় পড়লে ৫০ হাজার গুণ, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে পড়লে ৫০ হাজার গুণ এবং মসজিদুল হারাম বা কাবার ঘরে পড়লে এক লাখ গুণ সওয়াব পাবেন। (ইবনে মাজা, মিশকাত) । ধর্মীয় কারণে যে তিনটি স্থানে সফরের কথা মুহাম্মদ (সা) বলেছেন এই স্থান তন্মধ্যে অন্যতম। বাকি দুটি স্থান হল মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশান (ওআইসি) , ইসলামে তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে আল-আকসা মসজিদকে বোঝায় (এবং এর উপর আরবদের সার্বভৌম কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি করে )।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#8",
"text": "বর্তমান স্থাপনাটি উমাইয়া যুগের। দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব প্রথম এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। কয়েকজন মুসলিম পন্ডিত যেমন মুজিরউদ্দিন আল-উলাইমি, জালালউদ্দিন সুয়ুতি ও শামসউদ্দিন আল-মুকাদ্দাসি বলেন যে খলিফা আবদুল মালিক ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদ পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন। সেসাথে তিনি কুব্বাত আস সাখরা নির্মাণ করেন। আবদুল মালিক মসজিদের কেন্দ্রীয় অক্ষ প্রায় পশ্চিমে সরিয়ে আনেন যা হারাম আল শরিফ নিয়ে তার সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ ছিল। পুরনো অক্ষ একটি মিহরাব দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যা \"উমরের মিহরাব\" বলে পরিচিত। কুব্বাত আস সাখরার উপর গুরুত্ব দিয়ে আবদুল মালিক তার স্থপতিদের দ্বারা নতুন মসজিদকে সাখরার সাথে এক সারিতে আনেন।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#34",
"text": "মসজিদের প্রধান অজুর স্থান \"আল-কাস\" (কাপ) নামে পরিচিত। এটি মসজিদের উত্তরে মসজিদ ও কুব্বাত আস সাখরার মধ্যে অবস্থিত। মুসল্লিরা এখানে অজু করেন। ৭০৯ খ্রিষ্টাব্দে উমাইয়ারা এটি নির্মাণ করে। কিন্তু ১৩২৭-২৮ খ্রিষ্টাব্দে গভর্নর তানকিজ এটি আরো বড় করেন। একসময় এর জন্য পানি বেথলেহেমের কাছে সুলাইমানের সেতু থেকে সরবরাহ করা হলেও বর্তমানে জেরুজালেমের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। ২০শ শতাব্দীতে আল-কাসে কল ও পাথরের তৈরি বসার স্থান স্থাপন করা হয়।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
},
{
"docid": "76228#35",
"text": "কাসিম পাশার ফোয়ারা ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় আমলে নির্মিত হয়। এটি মসজিদের উত্তরে কুব্বাত আস সাখরার প্লাটফর্মে অবস্থিত। এটি মুসল্লিদের অজু ও খাবার পানি সরবরাহ করত। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এর ব্যবহার ছিল। বর্তমানে এটি স্মৃতিমূলক স্থাপনা হিসেবে রয়েছে।",
"title": "আল-আকসা মসজিদ"
}
] |
ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্ট কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "35310#0",
"text": "আর্যভট্ট (দেবনগরী: आर्यभट) (৪৭৬ – ৫৫০) প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গণিতবিদদের মধ্যে একজন। ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম তার নামে \"আর্যভট্ট\" রাখা হয়।",
"title": "আর্যভট্ট"
}
] | [
{
"docid": "35310#3",
"text": "প্রাচীন ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে আর্যভট্টের হাত ধরেই ক্লাসিকাল যুগ (কিংবা স্বর্ণযুগ) শুরু হয়। গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আর্যভট্টের বিভিন্ন কাজ মূলত দুটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মাঝে ‘আর্যভট্টীয়’ একটি, যেটি উদ্ধার করা গিয়েছে। এটি রচিত চার খণ্ডে, মোট ১১৮টি স্তোত্রে। অন্য যে কাজটি সম্পর্কে জানা যায় সেটি হল ‘আর্য-সিদ্ধান্ত’। আর্য-সিদ্ধান্তের কোন পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত এবং প্রথম ভাস্করের কাজে এটির উল্লেখ মেলে। আর্যভট্ট গ্রন্থ রচনা করেছেন পদবাচ্যের আকারে। \nমাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্যভট্ট এই গ্রন্থটি সংকলন করেন। এ চারটি অধ্যায় দশগীতিকা, গণিতপাদ, কালক্রিয়াপদ ও গোলপাদ। দশগীতিকা, কালক্রিয়া ও গোলপাদ অধ্যায়ে গোলীয় ত্রিকোণমিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী রয়েছে। অন্যদিকে গণিত পাদে আছে পাটীগণিত, বীজগণিত, সমতল ত্রিকোণমিতি, দ্বিঘাত সমীকরণ, প্রথম n সংখ্যক স্বাভাবিক সংখ্যার ঘাতবিশিষ্ট পদ সমূহের বর্গ ও ঘনের সমষ্টি এবং একটি সাইন অণুপাতের সারণি রয়েছ। তাছাড়া এই অধ্যায়ে সে সময়কার জনপ্রিয় জ্যোতিষচর্চার প্রয়োজনীয় ৩৩টি গাণিতিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। গণিতপাদে আর্যভট্ট পাই-এর মান তথা বৃত্তের পরিধির সঙ্গে এর ব্যাসের মান ৩.১৪১৬ হিসাবে চিহ্নিত করেন। তিনি ভারতবর্ষে শূন্যের প্রচলন করেন।",
"title": "আর্যভট্ট"
},
{
"docid": "451454#1",
"text": "ক্যাম্পবেল আয়্যারল্যান্ডের রোমেলটন প্রদেশে ১৯৩০ সালে জন্ম গ্রহণ করন। তিনি তাঁর পিতা আর জে ক্যাম্পবেল এর তৃতীয় সন্তান। তিনি ১৯৫২ সালে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজ থেকে প্রাণীবিদ্যায় ১ম শ্রেনীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসন থেকে স্নাতোকত্তর ডিগ্রি অর্জন করন।",
"title": "উইলিয়াম সি. ক্যাম্পবেল (বিজ্ঞানী)"
},
{
"docid": "658812#3",
"text": "\"সাইন\" একটি ইংরেজি শব্দ। ইংরেজি “সাইন” যে ত্রিকোণমিতিক ধারণাটিকে নির্দেশ করে, সেই ধারণাটির আদি উৎপত্তি ঘটে প্রাচীন ভারতবর্ষে। প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্ট এর নাম দিয়েছিলেন “জ্যা-অর্ধ”। আর্যভট্ট প্রায়শই এটিকে সংক্ষেপে “জ্যা” বা “জিওয়া” নামে লিখতেন। যখন আরবেরা হিন্দু গণিতশাস্ত্রের গ্রন্থগুলি আরবিতে অনুবাদ করছিল, তখন এই সংস্কৃত “জ্যা” পরিভাষাটি আরবিতে “জিবা” নামক একটি অর্থহীন শব্দ দিয়ে অনুবাদ করা হয়। কিন্তু আরবিতে স্বরবর্ণ লেখার নিয়ম না থাকাই পরবর্তী আরব লেখকেরা এটিকে ভুলে “জিব” বা “জাইব” নামে লেখা শুরু করেন, যার অর্থ “স্তন” বা “বক্ষ”। এর বহু পরে ১২শ শতকে স্পেনের রাজা ৬ষ্ঠ আলফোনসোর আমলে তোলেদো শহরের মহাবিশপের তত্ত্বাবধানে আরবিতে লেখা গাণিতিক গ্রন্থগুলি লাতিনে অনুবাদের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে, ১১৪৫ সালে চেস্টারের রবার্ট নামক একজন ইংরেজ অনুবাদক আরবি গণিতবিদ আল খোয়ারিজমির \"আল জবর আল মুকাবিলা\" নামক গণিত গ্রন্থটি অনুবাদ করতে গিয়ে “জিব” শব্দটির দেখা পান। তিনি শব্দটির সংস্কৃত ব্যুৎপত্তি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তিনিও আরব লেখকদের মত শব্দটিকে আরবি “বক্ষ” বা “স্তন” হিসেবে গণ্য করেন এবং এর লাতিন অনুবাদ করেন “সিনুস” (লাতিন শব্দ যার অর্থ \"বক্ষ\" বা \"স্তন\")। সেখান থেকেই পরবর্তীতে ইংরেজি “সাইন” শব্দটি এসেছে।",
"title": "সাইন"
},
{
"docid": "468461#3",
"text": "র্যাফল্ড ১৭৩৩ সালে ডনচেস্টারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৭৪৮ সাল থেকে ১৭৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন পরিবারের গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন, যার মধ্যেচেশায়ারের আরলে হলের ওয়ার বারোনেটসের পরিবার রয়েছে। এখানেই তাঁর ভাবি-স্বামী আরলে হলের প্রধান মালী জন র্যাফর্ডের এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। ১৭৬৩ সালে এই যুগল ম্যানচেস্টারে চলে যান, যেখানে এলিজাবেথ একটি কনফেকশনারি দোকান খোলেন এবং জন বিভিন্ন দোকানে ফুল এবং বীজ বিক্রয় করা শুরু করেন। তাদের ১৬ টি সন্তান ছিল, যাদের সবাই মেয়ে। রান্নার বই লেখার পাশাপাশি, তিনি ধাত্রীবিদ্যা নিয়ে লেখালেখি করেছেন এবং ম্যানচেস্টারে একটি জন্ম নিবন্ধন অফিস খোলেন। ১৭৭৩ সালে সে বইটির কপিরাইট ১৪০০ পাউন্ডের বিনিময়ে প্রকাশকের কাছে বেচে দেন।",
"title": "দি এক্সপেরিয়েন্সড ইংলিশ হাউজকিপার"
},
{
"docid": "41677#0",
"text": "আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড () (১৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৬১ র্যাম্সগেট, কেন্ট, ইংল্যান্ড – ৩০শে ডিসেম্বর, ১৯৪৭ ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র) ইংরেজ বংশোদ্ভূত গণিতবিদ ও পরবর্তীকালে দার্শনিক। তিনি বীজগণিত, যুক্তিবিজ্ঞান, গণিতের ভিত্তি, বিজ্ঞানের দর্শন, পদার্থবিজ্ঞান, অধিবিদ্যা ও শিক্ষার ওপর লেখেন। বারট্রান্ড রাসেলের সাথে মিলে তিনি সুবিশাল \"প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেম্যাটিকা\" রচনা করেন।",
"title": "আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড"
},
{
"docid": "1398#4",
"text": "তিনি বলেছেন\"ধর্ম ছাড়া যে বিজ্ঞান সেটা হল পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া যে ধর্ম সেটা হল অন্ধ\"। আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের (ঊনবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল-এর মৃত্যুর বছর) ১৪ মার্চ উল্ম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে মিউনিখে। আইনস্টাইনের বাবা-মা ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ মধ্যবিত্ত ইহুদি। বাবা হেরমান আইনস্টাইন মূলত পাখির পালকের বেড তৈরি ও বাজারজাত করতেন। পরবর্তীতে তিনি মিউনিখে একটি তড়িৎ যন্ত্র নির্মাণ কারখানা স্থাপন করে মোটামুটি সফলতা পান। এই কোম্পানির নাম ছিল \"Elektrotechnische Fabrik J. Einstein & Cie\" যা মিউনিখের Oktoberfest-কে প্রথম বিদ্যুতায়িত করে এবং Schwabing-কে প্রথম বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। তার মা পলিন কখ পরিবারের অভ্যন্তরীণ সব দায়িত্ব পালন করতেন। তার এক বোন ছিল যার নাম মাজা। আইনস্টাইনের জন্মের দুই বছর পর তার জন্ম হয়। ছোটবেলায় দুইটি জিনিস তার মনে অপার বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল। প্রথমত পাঁচ বছর বয়সে একটি কম্পাস হাতে পান এবং তার ব্যবহার দেখে বিস্মিত হন। অদৃশ্য শক্তির কারণে কিভাবে কম্পাসের কাঁটা দিক পরিবর্তন করছে ? তখন থেকে আজীবন অদৃশ্য শক্তির প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। এরপর ১২ বছর বয়সে তিনি জ্যামিতির একটি বইয়ের সাথে পরিচিত হন। এই বইটি অধ্যয়ন করে এত মজা পেয়েছিলেন যে একে আজীবন \"পবিত্র ছোট্ট জ্যামিতির বই\" বলে সম্বোধন করেছেন। আসলে বইটি ছিল ইউক্লিডের এলিমেন্ট্স। তার প্রথম স্কুল ছিল ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুল। বাকপটুতা না থাকলেও তিনি এলিমেন্টারি স্কুলের সেরা মেধাবী ছাত্র ছিলেন।\n১২ বছর বয়সে আইনস্টাইন হঠাৎ বেশ ধার্মিক হয়ে উঠেছিলেন। স্রষ্টারগুণকীর্তণ করে বিভিন্ন গান ও পঙক্তি আয়ত্ত করেছিলেন স্কুলে। তার কথা বলার ক্ষমতা খুব একটা ছিল না, তথাপি স্কুলে বেশ ভালো ফলাফল করেছিলেন। কিন্তু বিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়ার পর থেকে তার ধর্মীয় চেতনা কমে যেতে থাকে। কারণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সাথে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরোধ লেগে যাচ্ছিলো। আর বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলো ছিল নিশ্চিতরূপে প্রমাণিত। এহেন অবস্থায় তৎকালীন ইহুদি নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায়তনের কর্তৃপক্ষ তার উপর বিশেষ সন্তুষ্ট ছিল না। মা'র আগ্রহে মাত্র ৬ বছর বয়সে আইনস্টাইন বেহালা হাতে নেন। বেহালা বাজানো খুব একটা পছন্দ করতে পারেন নি, তাই তখন তা ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি মোৎসার্টের বেহালার সুরের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি এ সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিজে নিজে তৈরি করে অন্যদের দেখাতেন। এ সময় থেকেই গণিতের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ও মেধার পরিচয় পাওয়া যায়।",
"title": "আলবার্ট আইনস্টাইন"
},
{
"docid": "301911#0",
"text": "আলেসান্দ্রো গিউসিপ্পে এন্টনিও আনাস্তাসিও ভোল্টা (; জন্ম: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৭৪৫ - মৃত্যু: ৫ মার্চ, ১৮২৭) ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে বিদ্যুৎ শক্তি উদ্ভাবনে পথিকৃৎ ছিলেন। অষ্টাদশ শতকে প্রথম ব্যাটারী বা বিদ্যুৎ কোষ আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি চীরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। তিনি কোমোয় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকার এক সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ১৭৭৪ সালে কোমো'র রয়্যাল স্কুলে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এর পরের বছর তিনি ইলেক্ট্রোফোরাস আবিষ্কার করেন যা থেকে তিনি স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর নামানুসারে এসআই একক পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক বিভবের এককের নাম রাখা হয়েছে ভোল্ট (সঙ্কেত V)।",
"title": "আলেসান্দ্রো ভোল্টা"
},
{
"docid": "555506#1",
"text": "কেসি অ্যাফ্লেক ১৯৭৫ সালের ১২ আগস্ট ফালমাউথ, ম্যাসাচুসেট্স এ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা টিমথি বায়ার্স অ্যাফ্লেক এবং মাতা ক্রিস্টোফার অ্যানি (বোল্ডট)। তার উপনাম \"অ্যাফ্লেক\" একটি স্কটিশ উপনাম। তার পূর্বপুরুষদের অনেকে ইংরেজ, আইরিশ, এবং সুইস। তার মা র্যাডক্লিফ কলেজ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন এবং একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। তার বাবা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কাজ করতেন, যেমন অটো মেকানিক, কাঠমিস্ত্রী, বুকি, ইলেক্ট্রিশিয়ান, বারটেন্ডার ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাররক্ষক। ১৯৬০ সালের মাঝামাঝিতে তিনি থিয়েটার কোম্পানি অফ বোস্টন এর মঞ্চ ব্যবস্থাপক, পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন।",
"title": "কেসি অ্যাফ্লেক"
},
{
"docid": "83871#0",
"text": "আর্যভট্ট ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি প্রাচীন ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আর্যভট্টের নামাঙ্কিত। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ এপ্রিল তারিখে কাপুস্টিন ইয়ার থেকে কসমস-৩এম লঞ্চ ভেহিকলের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক উৎক্ষেপিত হয় এই যানটি। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) মহাকাশবিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণার কাজ চালানোর জন্য এই উপগ্রহটি নির্মাণ করেন। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আর্যভট্ট পুনরায় প্রবেশ করে।",
"title": "আর্যভট্ট (উপগ্রহ)"
}
] |
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি কোন শহরে অবস্থিত ? | [
{
"docid": "453787#0",
"text": "ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (, ) নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দুরে কাঠমান্ডু উপত্যকায় অবস্থিত। এটি নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ১৯৪৯ সাল থেকে একটি বিমানঘাঁটি হিসেবে কাজ করেছে। এটি রাজা মহেন্দ্র ১৯৫৫ সালে উদ্বোধন করেন এবং ১৯৬৪ সালে বর্তমান নামে পরিচিত হয়। শুরুতে এটি ঘাসের রানওয়ে ছিল, ১৯৫৭ সালে কংক্রিটের আস্তারন স্থাপন করা হয় এবং বেশ কয়েকবার সম্প্রসারণ করা হয়। ত্রিভুবনে প্রথম জেট বিমান নামে ১৯৬৭ সালে এবং জেট বিমান নিয়মিত পরিচালনা শুরু হয় ১৯৭২ সালে।",
"title": "ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর"
},
{
"docid": "638291#0",
"text": "নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এছাড়া নেপালে অনেকগুলো অন্তর্দেশীয় বিমানবন্দর আছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি রাজধানীর কেন্দ্র থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কাঠমান্ডু উপত্যকায় অবস্থিত। সমুদ্র সমতল থেকে এর উচ্চতা ১,৩৩৮ মিটার এবং এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার।",
"title": "নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনাগুলো"
}
] | [
{
"docid": "638291#10",
"text": "১৯৯২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৬৮ এর একটি এয়ার বাস বিমান করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ত্রিভুবনের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের নির্দেশ অনুযায়ী কাঠমান্ডু থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘রোমিও’ নামক পয়েন্ট থেকে প্লেনটির ১৫ হাজার ফুট থেকে শুরু করে সাতটি ধাপে ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসার কথা ছিল।",
"title": "নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনাগুলো"
},
{
"docid": "638291#2",
"text": "ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ২১১ বাংলাদেশের ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা বিমানের একটি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট হিসেবে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। ১২ মার্চ ২০১৮ সালে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে (ইউটিসি +৫:৪৫) একটি বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজে করে ফ্লাইটটি চালানোর সময় তা নেপালে অবতরণ করার সময় বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটিতে মোট ৭১ জন আরোহী ছিল। যার মধ্যে ৫১ জন নিহত হয় ও ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়। প্রাথমিক কারণ হিসেবে বিমানটি গুরুতরভাবে আগুনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মনে করা হচ্ছে।",
"title": "নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনাগুলো"
},
{
"docid": "638291#7",
"text": "২০১০ সালের আগস্টের ২৪ তারিখে নেপালের স্থানীয় অগ্নি এয়ারের ফ্লাইট ১০১ এর ডর্নিয়ার ২২৮ প্লেনটি ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল পর্যটন শহর লুকলার উদ্দেশ্যে। এতে ১১ জন যাত্রী এবং ৩ জন ক্রু ছিল। যাত্রা শুরুর ২০ মিনিটের মাথায়ই ক্রুরা কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ করে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানায় এবং ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে ত্রিভুবন বিমানবন্দর প্লেনটিকে সেখানে অবতরণের অনুমতি না দিয়ে সিমারা নামক অন্য একটি বিমানবন্দরে অবতরণের পরামর্শ দেয়।",
"title": "নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনাগুলো"
},
{
"docid": "453787#1",
"text": "এই বিমান বন্দরে একটি অভ্যন্তরীণ এবং একটি আন্তজাতিক টার্মিনাল আছে। বর্তমানে, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের পায় ৩০টি আন্তর্জাতিক বিমানপরিসেবা নেপালকে সংযুক্ত করেছে এবং কয়েকটি নেপাল এয়ারলাইন্সের হাব হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০১ সালে, নেপাল এয়ারলাইন্স তাদের ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং লন্ডন ফ্লাইট স্থগিত করে, যার ফলে ইউরোপের সাথে নেপালের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। সম্প্রতি, টার্কিশ এয়ারলাইন্স ইস্তানবুল থেকে কাঠমান্ডু সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে এবং এর মাধ্যমে নেপালের সাথে ইউরোপ মহাদেশের সরাসরি যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।",
"title": "ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর"
},
{
"docid": "638291#4",
"text": "২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর নেপালের অাভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সিতা এয়ার ফ্লাইট ৬০১ ত্রিভুবন বিমানবন্দর ছেড়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান লুকলার তেনজিং-হিলারী বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রা শুরুর পরপরই পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ করেন এই বলে যে, তিনি প্লেনটিতে অস্বাভাবিকত্ব অনুভব করছেন। তিনি ত্রিভুবনে ফিরে আসার অনুমতি চান।",
"title": "নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনাগুলো"
},
{
"docid": "638291#9",
"text": "১৯৯৯ সালের ৭ জুলাই জার্মানির লুফথান্সা কার্গো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৮৫৩৩ এর একটি বোয়িং ৭২৭ প্লেন ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। প্লেনটিতে মোট ২১ টন কার্গো ছিল, যার অধিকাংশই ছিল উলের কার্পেট। গন্তব্যস্থল ছিল ভারতের দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যাত্রা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায়ই প্লেনটি কাঠমান্ডু থেকে ১১ কিলোমিটার দূরের একটি পাহাড়ের গায়ে বিধ্বস্ত হয় এবং এর ৫ ক্রুর সকলে নিহত হয়। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ক্রুদের অনভিজ্ঞতাকে দায়ী করা হয়।",
"title": "নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনাগুলো"
},
{
"docid": "638291#6",
"text": "নেপালের বুদ্ধ এয়ার ফ্লাইট ১০৩ হচ্ছে দর্শনার্থীদেরকে প্লেনে করে হিমালয় দেখানোর একটি বিশেষ ফ্লাইট। ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ জন যাত্রী নিয়ে হিমালয় দর্শন শেষে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ফেরার সময় ফ্লাইটটির বিচক্র্যাফট ১৯০০ ডি প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। প্রচণ্ড কুয়াশা এবং বৃষ্টিপাতের কারণে দৃষ্টিসীমা হ্রাস পাওয়ায় প্লেনটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এটি কাঠমান্ডু থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোদাভরি এলাকায় কোতদাদা নামের একটি পাহাড়ের গায়ে আছড়ে পড়ে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এটি একটি বাড়ির ছাদেও আঘাত করে। প্লেনটির ১৯ জন আরোহীর সকলেই ঘটনাস্থলে নিহত হয়।",
"title": "নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনাগুলো"
},
{
"docid": "453787#10",
"text": "হিমালয় পর্বতমালার কারণে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি দেশ নেপাল। তাই প্রতিদিন প্রচুর যাত্রীও আসা-যাওয়া করেন এখানে। পর্বত ছাড়াও প্রায়ই ঘন কুয়াশা ঘিরে ফেলে ত্রিভুবন বিমানবন্দরকে। এ কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিপত্তিতে পড়তে হয় পাইলটদের। কিন্তু বিমান সংস্থাগুলো লাভের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ এই বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে।",
"title": "ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর"
}
] |
মৌলিক উপাদানসমূহ গ্রন্থটি কবে রচিত হয় ? | [
{
"docid": "62336#0",
"text": "মৌলিক উপাদানসমূহ (গ্রিক ভাষায়: , ) হল প্রাচীন গ্রিক গণিতবিদ ইউক্লিড রচিত ১৩ খণ্ডবিশিষ্ট একটি গাণিতিক ও জ্যামিতিক গ্রন্থসমগ্র । এটি আলেক্সানড্রিয়ায় প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ সালে রচিত। এতে রয়েছে সংজ্ঞা, স্বতঃসিদ্ধ, সূত্র ও অনুসিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন প্রস্তাবনার গাণিতিক প্রমাণ। এই ১৩টি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ইউক্লিডিয় জ্যামিতি এবং সংখ্যাতত্ত্বের প্রাচীন গ্রিক সংস্করণ। \"মৌলক উপাদানসমূহ\" বর্তমান সময় পর্যন্ত টিকে থাকা গণিতের প্রাচীনতম নিদর্শন, এবং যুক্তিবিদ্যা ও আধুনিক বিজ্ঞানের বিকাশের অন্যতম প্রধান সহায়ক। ইউক্লিডের \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" বইটি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল পাঠ্যপুস্তক। ছাপাখানা আবিষ্কারের পর সর্বপ্রথম মূদ্রিত হওয়া বইগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম, এবং ১০০০ এরও বেশিসংখ্যকবার মুদ্রিত হবার জন্য মুদ্রণ সংখ্যার দিক থেকে বাইবেলের পরে দ্বিতীয়। বইটি প্রায় \n২০০০ বছর ধরে জ্যামিতির শিক্ষায় মূল্য পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বহু শতাব্দী ধরে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীতে কোয়াড্রিভিয়াম অন্তর্ভুক্ত হয়, তখন \"মৌলিক উপাদানসমূহ\"-এর অন্তত একটি অংশের পাঠ সকল ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল। বিংশ শতকের আগ পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষিত সম্প্রদায়ই এ বইটি পড়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
},
{
"docid": "62336#1",
"text": "ইউক্লিড ছিলেন একজন হেলেনিস্টিক গণিতবিদ যিনি আলেক্সানড্রিয়া থেকে \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" রচনা করেন খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ শতকের কাছাকাছি সময়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" মূলত অন্যান্য গণিতবিদ কর্তৃক প্রমাণিত সূত্রের সংকলন যাতে ইউক্লিডের কিছু মৌলিক কাজও রয়েছে। প্রোক্লাস, যিনি ইউক্লিডের বেশ কিছু শতাব্দী পরবর্তী একজন গ্রিক গণিতবিদ ছিলেন, \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" সম্পর্কে তার মন্তব্যে বলেছেন, ইউক্লিড যিনি \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" একত্রিত করেছেন, তিনি ইউডক্সাসের অনেক উপপাদ্য সংগ্রহ করেছেন, থিয়েইটেটাসের অনেকগুলো ত্রুটিমূক্ত করেছেন, এবং অনেক অলঙ্ঘনীয় বর্ণনা দিয়েছেন তার বয়:র্জেষ্ঠরা দূর্বলভাবে প্রমাণ করেছেন।",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
}
] | [
{
"docid": "62336#3",
"text": "গ্রিক গ্রন্থের কপি সংরক্ষিত আছে, ভ্যাটিকান লাইব্রেরি এবং অক্সফোর্ডএর বডলিয়ান লাইব্রেরিতে। \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" থেকে সরাসরি গৃহীত লিপিসমূহ এবং অন্যান্য গাণিতিক সূত্রসমূহ যা বইটি লেখার সময়ে প্রচলিত ছিল তা এজন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন বিশ্লেষণ পাওয়া যায় জে. এল. হাইবার্গ ও স্যার টমাস লিটল হিথএর সংস্করণের লিপিতে। স্কলিয়া বা মূললিপির ব্যাখ্যাসমূহও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বাড়তি অংশসমূহ, যেগুলো প্রায়শই মূল রচনা থেকে তাদের স্বাতন্ত্র্য্য প্রকাশ করে, বহুবছর ধরে সংযোজিত হয়েছে কোন জটিল জিনিস ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তা থেকে। এর কিছু অংশ গুরুত্বপূর্ণ হলেও অনেক অংশেরই কোন গুরুত্ব নেই।",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
},
{
"docid": "62336#4",
"text": "\"মৌলিক উপাদানসমূহ\"কে এখনো গণিতশাস্ত্রে যুক্তিবিদ্যা প্রয়োগ করার জন্য বিশেষায়িত করা হয় এবং ঐতিহাসিকভাবে এটি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। বইটির প্রভাব সম্পর্কে জোর দিয়ে কিছু বলা কঠিন। বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি, নিকোলাস কোপারনিকাস, জোহানেস কেপলার এবং বিশেষভাবে আইজাক নিউটন সবাই \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং বইটি থেকে লব্ধ জ্ঞান তাদের কাজে প্রয়োগ করেন। গণিতবিদ বার্ট্রান্ড রাসেল, আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড এবং দার্শনিক বারুচ স্পিনোজাও তাদের নিজস্ব \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" তৈরি করবার প্রচেষ্টা চালান ডিডাকটিভ স্ট্রাকচার স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করে। তারা তাদের নিজস্ব ক্ষেত্রসমূহে এই প্রয়াস চালান। আজও প্রাথমিক পর্যায়ের গণিত পাঠ্যবইসমূহে \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" বা এলিমেন্টস শব্দটি শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয় (উদাহরণ এলিমেন্টস অফ ইনফরমেশন থিউরি)।",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
},
{
"docid": "62336#5",
"text": "\"মৌলিক উপাদানসমূহ\"-এর সাফল্যের মূল কারণ ইউক্লিডের কাছে থাকা গাণিতিক বিদ্যার যৌক্তিক বর্ণনা। এর অনেক অংশ তার নিজস্ব না হলেও ব্যাখ্যাগুলো তিনি নিজেই দিয়েছিলেন। পুরো \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" জুড়ে ইউক্লিডের সিস্টেমেটিক উন্নতি এবং কয়েকটি স্বতঃসিদ্ধ থেকে গভীর ফলাফল অর্জনে তার ধারাবাহিকতার জন্য এটি প্রায় ২০০০ বছরজুড়ে পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" আধুনিক জ্যামিতির বইগুলোকেও প্রভাবিত করেছে। স্বতঃসিদ্ধ থেকে বইটির যৌক্তিক অগ্রগামিতা এবং এর নিখুঁত প্রমাণ গণিতের মাইলফলক হিসেবে গণ্য হয়।",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
},
{
"docid": "62336#10",
"text": "বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা পাবার পরও \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" যুক্তিযুক্ত সমালোচনার শিকার হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, বর্ণিত টার্মগুলোকে পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা প্রদত্ত সংজ্ঞা দিয়ে সম্ভব নয়। প্রথম ব ইয়ের প্রথম কনস্ট্রাকশনে, ইউক্লিড একটি প্রিমাইস ব্যবহার করেন যা প্রমাণ করা বা স্বতঃসিদ্ধরুপে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এটি হল: দুটি বৃত্ত যা পরস্পর থেকে তাদের ব্যাসার্ধের সমান দুরত্বে অবস্থিত তারা দুটি বিন্দুতে পরস্পর ছেদ করবে। চতুর্থ কনস্ট্রাকশনে তিনি ত্রিভুজের স্থানান্তর ব্যবহার করে প্রমাণ করেন যে যদি দুটি বাহু এবং \nতাদের কোণ সমান হয়, তবে তারা সমপাতিত হবে। তিনি স্থানান্তরীকরণকে সংগ্ঞায়িত অথবা স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করেননি। নন-ইউক্লিডিয় জ্যামিতি ১৯ শতকের সমসাময়িক গণিতবিদদের আকর্ষিত করে। অগ্রণী গণিতবিদ রিচার্ড ডেডেকিণ্ড এবং ডেভিড হিলবার্ট \"মৌলিক উপাদানসমূহ\"-এর স্বতঃসিদ্ধসমূহকে পুনর্গঠন করার চেষ্টা করেন। তারা ইউক্লিডিয় জ্যামিতিকে পরিপূর্ণতা প্রদানের জন্য ধারাবাহিকতা এবং সমপাতনের দুটি স্বীকার্য প্রদান করেন।অনুবাদ",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
},
{
"docid": "62336#6",
"text": "\"মৌলিক উপাদানসমূহ\" প্রধানত জ্যামিতি নিয়ে কাজ করলেও এর কিছু ফলাফল বর্তমানে সংখ্যাতত্ত্বের আওতায় পড়েছে। ইউক্লিড খুব সম্ভবত জ্যামিতির ব্যাপারগুলো সংখ্যাতত্ত্বে ব্যাখ্যা করেছিলেন কেননা তিনি পাটিগণিতের ধারণার ক্ষেত্রে বিশেষ উন্নতি করতে পারেননি। ইউক্লিডের যে কোন প্রমাণের নির্মাণের জন্য এমন কোন প্রমাণ প্রয়োজন যা বাস্তব।",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
},
{
"docid": "62336#11",
"text": "তিনটি অবস্থা যাতে ত্রিভুজ সমূহ সমান হয় (অর্থাৎ তারা সমান স্থান দখল করে)\nসম্পর্কযুক্ত\nগণিতবিদ এবং ডব্লিউ ডব্লিউ রোজ বোল সমালোচনাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা চালান এবং উল্লেখ করেন, বাস্তবতা হল দু’হাজার বছর ধরে \"মৌলিক উপাদানসমূহ\" পাঠ্যবই ছিল এবং তা একটি দৃঢ় ধারণার জন্ম দেয় যে এটি সে উদ্দেশ্য পূরণের উপযুক্ত নয়।\nComplete and fragmentary manuscripts of versions of Euclid's \"Elements\" :",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
},
{
"docid": "62336#9",
"text": "ইউক্লিডের শেষ পাঁচটি স্বীকার্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বহুল আলোচিত সমান্তরাল স্বীকার্য অন্যান্য স্বীকার্য থেকে কম নিশ্চিত। ইউক্লিড নিজেও এটিকে \"মৌলিক উপাদানসমূহ\"-র অন্যান্য অংশে অল্প ব্যবহৃত হয়েছে। অন্যান্য স্বীকার্যসমূহ থেকে এটি প্রমাণ করা সম্ভব বলে অনেক জ্যামিতিবিদ মত দিলেও এর প্রমাণের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে দেখানো হয়েছে যে এমন কোন প্রমাণ থাকা সম্ভব নয়, একজন নন-ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতি কনস্ট্রাকট করতে পারেন যখন ইউক্লিডিয় জ্যামিতির পতন ঘটে। এই কারণে গণিতবিদেরা বলেন যে, প্যারালাল পস্টুলেট অন্যান্য স্বীকার্য থেকে স্বাধীন।নন-ইউক্লিডিয় জ্যামিতিতে সমান্তরাল স্বীকার্যের দুটি বিকল্প আছে: হয় হাইপারবোলিক জ্যামিতি (যা লোবাচেভস্কিয়ান জ্যামিতি নামেও পরিচিত) বা একলিপটিক জ্যামিতি (রিইমাননিয়ান জ্যামিতি)র সরলরেখায় না থাকা একটি বিন্দু থেকে অসীম সংখ্যক \nসমান্তরাল রেখা অঙ্কন করা যাবে। অন্যান্য জ্যামিতি যুক্তিগতভাবে ধারবাহিক এবং তা বিগ্ঞনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, যার ব্যাপক প্রয়োগ বিগ্ঞান ও দর্শনের বিভিন্ন শাখায় দেখা যায়। আইনস্টাইনের সাধারণ অপেক্ষবাদ সূত্র প্রদর্শন করে যে, আমরা যে স্থানে বাস করি তা নন-ইউক্লিডিয় এবং সেজন্যই এতে একটি মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্র রয়েছে।",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
},
{
"docid": "62336#8",
"text": "স্বীকার্যসমূহসাধারণ ধারণা:এই মৌলিক স্বীকার্যসমূহ গঠনমূলক জ্যামিতি সম্পর্কে ইউক্লিড এবং তার সমসাময়িক গ্রিক ও হেলেনিস্টিক গণিতবিদদের ধারণার প্রতিফলন প্রকাশ করে। প্রথম তিনি কনস্ট্রাকশনের জন্য একটি কম্পাস এবং একটি দাগহীন স্কেল (রুলার) প্রয়োজন। দাগাঙ্কিত স্কেল যা নিউসিস কনস্ট্রাকশনএ ব্যবহৃত হয় তা ইউক্লিডের কনস্ট্রাকশন বহির্ভূত।",
"title": "মৌলিক উপাদানসমূহ (ইউক্লিড)"
}
] |
চীনা বৌদ্ধধর্মে "তারা বা আর্যতারা" নামক নারী বোধিসত্ত্ব কি নামে পরিচিত ? | [
{
"docid": "426188#0",
"text": "তারা (, ; Tib. སྒྲོལ་མ, Drolma) বা আর্যতারা হলেন মহাযান বৌদ্ধধর্মের একজন নারী বোধিসত্ত্ব, যিনি বজ্রযান বৌদ্ধধর্মে একজন নারী বুদ্ধের মর্যাদা পান। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে তাঁকে জেতসুন দোলমা (তিব্বতি ভাষা:\"rje btsun sgrol ma\") বলা হয়। তিনি \"নির্বাণ-জননী\" হিসেবে পরিচিত। তারা কাজ ও কীর্তির গুণাবলির সাফল্যের প্রতিনিধি। জাপানে তিনি \"তারা বোসাতসু\" (多羅菩薩) নামে পরিচিত। চীনা বৌদ্ধধর্মে তিনি \"দৌলাও পূসা\" নামে (多羅菩薩) স্বল্প-পরিচিত।",
"title": "তারা (বৌদ্ধধর্ম)"
}
] | [
{
"docid": "426188#11",
"text": "একাধিক কাহিনিতে বোধিসত্ত্ব রূপে তারার উৎসের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি গল্পে বিশেষ ভাবে বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে নারীদের আগ্রহের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। ২১শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নারীবাদ গবেষকদের আলোচনার বিষয়ও হয়ে উঠেছে এটি।\nএই গল্পে বলা হয়েছে, এক তরুণী রাজকুমারী ভিন্ন এক লক্ষ লক্ষ বছর আগেকার ভিন্ন এক জগতে বাস করতেন। তাঁর নাম ছিল ইয়েশে দাওয়া। এই নামের মানে হল ‘প্রাগৈতিহাসিক চেতনা’। অনেক যুগ ধরে তিনি তোন্যো দ্রুপা নামে পরিচিত সেই জগতের বুদ্ধের পূজা করেন। এই বুদ্ধ তাঁকে বোধিচিত্ত বা এক বোধিসত্ত্বের হৃদয়-মানস সম্পর্কে কিছু বিশেষ উপদেশ দেন। এরপর কিছু ভিক্ষু তাঁর কাছে এসে বলেন, তাঁর বোধিলাভের স্তর অনুসারে এরপর তাঁকে প্রার্থনা করতে হবে যেন তিনি পুরুষ রূপে জন্মগ্রহণ করেন। তবেই তাঁর ভবিষৎ অগ্রগতি সম্ভব হবে। তখন রাজকুমারী ভিক্ষুদের বলেন, বোধির দৃষ্টিকোণ থেকে এমন কোনো শর্ত নেই। কেবলমাত্র ‘দুর্বল মনস্ক জগৎবাসীরাই’ লিঙ্গকে বোধিলাভের পথে বাধা মনে করে। তিনি ব্যথিত চিত্তে লক্ষ্য করেন যে, নারীরূপা সত্ত্বাগুলির উন্নতির জন্য খুব কম লোকই কাজ করতে আগ্রহী। তাই তিনি সংসার ধ্বংসের আগে এক নারী বোধিসত্ত্ব রূপে জন্মগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। তারপর তিনি একটি প্রাসাদে কয়েক লক্ষ বছর ধরে ধ্যান করেন এবং এই অনুশীলনের শক্তিতে লক্ষ লক্ষ সত্ত্বা দুঃখ থেকে মুক্ত হয়। এর ফলে তোন্যো দ্রুপা তাঁকে বলেন যে এরপর থেকে তিনি তারা দেবীর রূপে আগামী জগৎগুলিতে সর্বোচ্চ বোধির প্রতিনিধিত্ব করবেন।",
"title": "তারা (বৌদ্ধধর্ম)"
},
{
"docid": "426188#4",
"text": "কোনো কোনো বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও হিন্দুধর্মে তারার মন্ত্র একই: ওঁ তারে তুত্তারে তুরে স্বাহা। তিব্বতি প্রথা অনুসারে তিব্বতি ও বৌদ্ধরা এটিকে উচ্চারণ করে “ওঁ তারে তু তারে তুরে সোহা”।\nতিব্বতি বৌদ্ধধর্মে তারা হলেন দয়া ও কার্যের একজন বোধিসত্ত্ব। তিনি হলেন অবলোকিতেশ্বরের নারী মূর্তি। কোনো কোনো সৃষ্টি উপাখ্যান অনুসারে তিনি অবলোকিতেশ্বরের চোখের জল থেকে উৎপন্ন হয়েছেন:",
"title": "তারা (বৌদ্ধধর্ম)"
},
{
"docid": "426188#17",
"text": "তারার নারীসুলভ আদর্শগুলির অন্যতম হল তিনি ডাকিনীদের সঙ্গে লীলা করেন।জন ব্লোফেল্ড তাঁর \"বোধিসত্ত্ব অফ কমপ্যাসন\" গ্রন্থে লিখেছেন, তারাকে প্রায়ই ষোলো বছরের কন্যারূপে দেখানো হয়। ধর্মের অনুশীলনকারীরা যখন গভীরভাবে নিজেদের ধর্মপথে নিয়ে যান, তখন তারা তাঁদের মধ্যে আবির্ভূত হন। তিব্বতি উপাখ্যানে দেখা যায়, তারা আত্ম-অহমিকা দেখে হাসেন। যারা নারীশক্তিকে অবহেলা করে, তাদের জীবনে তিনি নানা বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করেন। থিনলে নোরবু \"ম্যাজিক ড্যান্স: দ্য ডিসপ্লে অফ দ্য সেলফ-নেচার অফ দ্য ফাইভ উইসডম ডাকিনীজ\" বইতে বলেছেন, এটি একধরনের ‘লীলামানস’। তারার ক্ষেত্রে বলা হয়, তাঁর লীলামানস সেই সব ব্যক্তিদের মনকে মুক্ত করে, যাঁদের মন দ্বৈতবাদী বৈষম্যের দ্বারা গভীরভাবে বদ্ধ থাকে। মুক্তমনস্কতা ও গ্রহণেচ্ছু হৃদয় দেখলে তিনি খুশি হন। এই ধরনের মানুষকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই আশীর্বাদ করেন। সেই আশীর্বাদে সেই হৃদয় উন্মুক্ত হয় এবং তাঁর শক্তি এঁদের আধ্যাত্মিক উন্নতির সহায়ক হয়।",
"title": "তারা (বৌদ্ধধর্ম)"
},
{
"docid": "426188#19",
"text": "পদ্মসম্ভবের সময় থেকে তারা তান্ত্রিক দেব যোগের কেন্দ্র। পদ্মসম্ভব ইয়েশে সোগ্যালকে রক্ততারার অনুশীলন পদ্ধতি দিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে বলেন, এটিকে ধনসম্পত্তির মতো গোপন রাখতে। ২০শ শতাব্দীতে আপোং তেরতন নামে এক বিশিষ্ট ন্যিংমা লামা এটিকে প্রথম পুনরুদ্ধার করেন। বৌদ্ধ বিশ্বাস অনুসারে, এই লামাই সক্যপ শাখার বর্তমান প্রধান সক্য তিরজিন রূপে পুনরায় জন্মগ্রহণ করেছেন। আংপং তেরতনকে চিনতেন এমন এক ভিক্ষু এই পদ্ধতি সক্য তিরজিনকে দেন এবং তিনিই এটি চাগদুদ তুলকু রিংপোচকে দেন, যিনি এটি তাঁর পাশ্চাত্যের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকাশ করেন।",
"title": "তারা (বৌদ্ধধর্ম)"
},
{
"docid": "426188#21",
"text": "বর্তমানে তারা অনুশীলন হয় একজন ইষ্টদেবতা (থাগ দাম, য়িদাম) হিসেবে। অনুশীলনকারীরা তাঁকে বুদ্ধ জ্ঞানের এক প্রত্যক্ষ মূর্তি হিসেবে দেখেন। জন ব্লোফেল্ড তাঁর \"দ্য তান্ত্রিক মিস্টিজম অফ টিবেট\" গ্রন্থে লিখেছেন:\nযে সকল সাধনে তারাকে য়িদম বা ধ্যানদেবী হিসেবে দেখানো হয়েছে সেগুলি হয় বিস্তারিত নয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এগুলির অধিকাংশের শুরুতে তাঁর স্তব রয়েছে। এই স্তবে তাঁকে আবাহন করা হয়েছে এবং তাঁর শরণ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর তাঁর মন্ত্র পাঠ করা হয়েছে। এরপর সাধনের ফলে প্রাপ্ত বোধি উৎসর্গ করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর অতিরিক্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রার্থনা বা সাধনের সূত্রপাত যে লামা করেছিলেন, তাঁর দীর্ঘজীবনের প্রার্থনা করা হয়েছে। অনেক তারা সাধনকে বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের জগতের প্রারম্ভিক ধর্মানুশীলন হিসেবে দেখা হয়। যদিও এই দেবীকে আবাহনের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহন করা হয়েছে তা বৌদ্ধধর্মের সকল শাখারই সূক্ষ্ম শিক্ষা। দুটি উদাহরণ হল জাবটিক দ্রোলচক ও চিমে পাকমে ন্যিংটিক।",
"title": "তারা (বৌদ্ধধর্ম)"
},
{
"docid": "426188#15",
"text": "তারা একাধিক নারীসুলভ আদর্শের প্রতীক। তিনি দয়া ও সহানুভূতির মা। তিনিই সূত্র অর্থাৎ, বিশ্বের নারীমূর্তি। তিনি স্নেহ ও সহানুভূতির জন্মদাত্রী এবং জন্মমৃত্যুর চক্রের কারণ খারাপ কর্মের হাত থেকে মুক্তিদাত্রী। সৃষ্টিশক্তিকে তিনি সৃষ্টি করেন, নাড়াচাড়া করেন এবং তার প্রতি হাস্য করেন। শিশুর প্রতি মায়ের যেমন স্নেহ, সকল সত্ত্বার প্রতি তারার তেমনই স্নেহ। হারিত তারার মূর্তিতে তিনি সাংসারিক বিশ্বের সকল দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সাহায্য করেন এবং সেই ধরনের পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেন। শ্বেততারার রূপে তিনি মাতৃস্নেহ প্রকাশ করেন এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে আহত সত্ত্বাদের আরোগ্যলাভে সাহায্য করেন। রক্ততারার রূপে সৃষ্ট বস্তুর নির্বাচনী ক্ষমতার শিক্ষা দেন এবং শেখান কিভাবে সাধারণ কামনাবাসনাকে দয়া ও প্রেমে রূপান্তরিত করতে হয়। নীলতারা বা একজটীর রূপে তিনি ন্যিংমা শাখার একজন রক্ষাকর্ত্রী। এই রূপে তিনি ভয়ংকরী ও ক্রোধী এক নারীশক্তি। ধর্মক্ষেত্রে বাধাসমূহকে ধ্বংস করতে, সৌভাগ্য আনয়নে এবং শীঘ্র আধ্যাত্মিক জাগরণের জন্য তাঁকে আবাহন করা হয়।",
"title": "তারা (বৌদ্ধধর্ম)"
},
{
"docid": "634579#36",
"text": "চিনা বৌদ্ধভিক্ষুরা ঐতিহ্যাগতভাবে এবং প্রাচীন বিশ্বাস অনুসারে চিনা মার্শাল আর্ট বা কুং-ফুর সঙ্গে যুক্ত এবং ভিক্ষুরা প্রায়শই দেখা যায় মার্শাল আর্ট ছবির চরিত্র হিসেবে অভিনয় করছেন। এই সংযোগের উৎপত্তি রয়েছে শাওলিন মঠে। বোধিধর্ম নামক বৌদ্ধভিক্ষু, চিনদেশে জেন বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তন করেন বলে মনে করা হয় এবং এও দাবী করা হয় যে তিনি দেশে প্রথম কালারিপাত্তু (যা পরবর্তীকালে কুং-ফু নামে পরিচিত) চালু করেন। শেষের দাবীটি যদিও বহু বিতর্কিত উৎস থেকে পাওয়া যায় (বোধিধর্ম, মার্শাল আর্ট এবং বিতর্কিত ভারতীয় যোগাযোগ দেখুন)। চিনা বৌদ্ধভিক্ষুদের আরো একটি বৈশিষ্ট্য হল যে তাঁরা তাঁদের মাথার চামড়া, আঙুল অথবা পুরোবাহুর সামনের দিকের চামড়ার অংশ ধূপকাঠির সাহায্যে পুড়িয়ে ফেলে অভিষেকের চিহ্ন এঁকে দেন।",
"title": "ভিক্ষু"
},
{
"docid": "426188#18",
"text": "নারীসুলভ এই গুণগুলি পরবর্তীকালে ভারতীয় মহাযান বৌদ্ধধর্মে অভিব্যক্ত হয় এবং তিব্বতে বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের উন্মেষের সময় তারা, দাকিনী, প্রজ্ঞাপারমিতা ও অন্যান্য স্থানীয় ও বিশেষ দেবীর মধ্যে প্রকাশিত হয়। তারার পূজা শুরু হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রার্থনা, স্তোত্র ও মন্ত্র যুক্ত হয়। এগুলির উৎস ভক্তিমূলক চাহিদা। তারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মগুরুরা একাধিক সাধন বা তান্ত্রিক ধ্যান অনুশীলন পদ্ধতি রচনা করেন। তাঁকে পূজার দুটি উপায়ের জন্ম হয়। সাধারণ মানুষ ও সাধারণ অনুশীলনকারী একটি উপায়ে জাগতিক জীবনের দুঃখমোচনের জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন। অন্য উপায়টিতে তিনি তান্ত্রিক দেবী। এই উপায়ে তান্ত্রিক যোগী ও সন্ন্যাসীরা তাঁর গুণাবলি নিজেদের মদ্যে জাগরিত করার জন্য, তাঁর মাধ্যমে তাঁর গুণাবলির সূত্রে পৌঁছাতে, বোধিপ্রাপ্ত হতে, বোধিপ্রাপ্ত দয়া ও বোধিপ্রাপ্ত মন পেতে তাঁর সাধনা করেন।",
"title": "তারা (বৌদ্ধধর্ম)"
},
{
"docid": "543784#0",
"text": "হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণে, তারা (, , আক্ষরিক অর্থে \"তারকা\";) হলেন কিষ্কিন্ধ্যার রাণী ও বানররাজ বালীর সহধর্মিনী। বিধবা হবার পর তিনি বালীর ভাই সুগ্রীবের পাটরাণী হন। রামায়ণে, বানরবৈদ্য সুষেণের কন্যা হিসেবে তারাকে চিত্রিত করা হয়েছে।\nপরবর্তী আকরগ্রন্থসমূহে, ক্ষীরসমুদ্র মন্থনের ফলে অপ্সরারূপে (স্বর্গীয় যুবতী) তাঁর জন্ম হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। তিনি বালীকে বিবাহ করেন ও অঙ্গদ নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এক দৈত্যের সাথে যুদ্ধে বালীকে সম্ভাব্য মৃত অনুমান করে সুগ্রীব রাজসিংহাসনে আরোহণ করেন ও তারাকে নিজ অধিকারভুক্ত করেন। তবে, বালী ফিরে এসে তাঁর ভাইকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে নির্বাসনে পাঠান ও তারাকে পুনরায় লাভ করেন।",
"title": "তারা (রামায়ণ)"
}
] |
সৃষ্টিকর্তা আর ঈশ্বর কি এক ? | [
{
"docid": "1366#0",
"text": "ঈশ্বর () হল জাগতিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থানকারী কোন অস্তিত্ব । অনেকের মতে , এই মহাবিশ্বের জীব ও জড় সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রক আছে মনে করা হয় । এ অস্তিত্বে বিশ্বাসীগণ ঈশ্বরের উপাসনা করে , তাদেরকে আস্তিক বলা হয় । আর অনেকে এ ধারণাকে অস্বীকার করে , এদেরকে বলা হয় নাস্তিক ।",
"title": "ঈশ্বর"
},
{
"docid": "552342#8",
"text": "ডেসমারিস এ প্রসঙ্গে বলেছেন যোগসূত্রে ঈশ্বর একটি আধ্যাত্মিক ধারণা। এই দর্শনে কোথাও দেবতার নাম নেওয়া হয় নি, কোনও আচার-মন্ত্রের উল্লেখ হয়নি,নেওয়া হয় নি কোনো প্রার্থনার স্থানের নাম(কোনো মন্দির, মসজিদ যেখানে সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করা হয়)। যোগ দর্শন নিয়ে বলতে গিয়ে হুইচার বলেন, এই দর্শনে ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা নন। তিনি আরো বলেন এই দর্শনে ঈশ্বর হচ্ছেন এক পরম ব্রহ্ম , যিনি এই বিশ্বজগৎকে নিয়ন্ত্রণ করেন। ম্যালিনার সাংখ্য দর্শন নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, এই দর্শনে ঈশ্বর না ত্রাণকর্তা, না সৃষ্টিকর্তা।",
"title": "হিন্দুধর্মে ঈশ্বর শব্দের প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা"
},
{
"docid": "569315#0",
"text": "সৃষ্টিকর্তা একটি বাংলা শব্দ (, - আল খালিক); যিনি সৃষ্টি করেন তাকেইই সৃষ্টিকর্তা বলা হয়। বিভিন্ন ধর্মের বিশ্বাসীরা যে মহান অস্তিত্ব সময়, স্থান, জীব, মহাকাশসহ সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন তাকে সৃষ্টিকর্তা বা স্র্রষ্টা নামে সম্বোধন করে। বিশ্বাসীরা এই মহাবিশ্বের জীব ও জড় সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রক আছে বলে বিশ্বাস করে; এদেরকে আস্তিক বলা হয়। আবার অনেকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, তাদের বলা হয় নাস্তিক।\nসৃষ্টিকর্তা একটি অধিক ব্যবহৃত বাংলা শব্দ যা মুলত বিধাতা,ভগবান, ঈশ্বর, ইলাহি, আল্লাহ প্রভৃতি বোঝাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ভাবা হয়, তিনি জাগতিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থানকারী কোন অস্তিত্ব।",
"title": "সৃষ্টিকর্তা"
},
{
"docid": "4771#13",
"text": "আসিরীয় খ্রিস্টানদের ভাষায়, ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার জন্য আরামাইক শব্দ হলো ', বা \"\"। খ্রিস্টান এবং ইহুদিরা সহ আব্রাহামীয় সকল ধর্মের আরবি-ভাষী লোকই, \"ঈশ্বর\"কে বুঝাতে \"আল্লাহ\" শব্দ ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান যুগের আরবি-ভাষী খ্রিস্টানদের ব্যবহারের জন্য ঈশ্বরকে ইঙ্গিত করতে \"আল্লাহ\" ব্যতীত উপযোগী অন্য কোনো শব্দই নেই। (এমনকি আরবি-বংশোদ্ভূত মাল্টাবাসী, যাদের অধিকাংশই রোমান ক্যাথলিক, ঈশ্বরকে বুঝাতে \"Alla\"(আল্লা) শব্দ ব্যবহার করে)। তবে আরব খ্রিস্টানরা অনেক সময়ই তাদের ত্রিত্ববাদ অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বুঝাতে ' () অর্থাৎ, \"পিতা ঈশ্বর\", ঈসা বা কে বুঝাতে \"\" () অর্থাৎ, \"পুত্র ঈশ্বর, এবং \"জিবরাঈল\" বা \"গেব্রিল\"কে বুঝাতে\" () অর্থাৎ,\"পবিত্র আত্মা\" কথাগুলো ব্যবহার করে। (খ্রিস্টান ধর্ম-বিশ্বাস অণুযায়ী ঈশ্বরের ধারণার বিস্তারিতের জন্য দেখুন খ্রিস্টান ধর্মে ঈশ্বরের ধারণা)।",
"title": "আল্লাহ"
},
{
"docid": "17797#4",
"text": "বাহাইদের ধর্মীয় পুস্তকে ঈশ্বর হচ্ছেন একক, ব্যক্তিগত, অগম্য, সর্বজ্ঞ, সর্বব্যাপী, অক্ষয়, এবং অবিনশ্বর একটি স্বত্বা, যিনি বিশ্বভ্রহ্মাণ্ডের সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা। ঈশ্বরের ও মহাবিশ্বের উপস্থিতিকে চিরকালব্যাপী মনে করা হয়, যার কোনো সূচনা বা পরিণতি নেই। যদিও সরাসরিভাবে ঈশ্বরকে অনুভব করা সম্ভব নয়, তবে তাঁকে তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে স্বজ্ঞা দ্বারা অনুভব করা সম্ভব। আর এজন্য ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন, যা প্রকাশ পায় দূতগণের পরিভাষায় ঈশ্বরের সুস্পষ্টকরণের মাধ্যমে।",
"title": "বাহাই ধর্ম"
},
{
"docid": "61956#1",
"text": "হিন্দুধর্ম একটি ধর্ম হলেও একটি দর্শনও বটে। হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সাংখ্য, যোগ ও মীমাংসা শাখা তিনটি বেদ ও ব্রহ্মের ধারণাটিকে অস্বীকার না করেও বিশেষভাবে এক ব্যক্তি ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর বা সগুণ ঈশ্বরের ধারণাটিকে অস্বীকার করেছে। সাংখ্য ও যোগ দর্শনে চিরন্তন, স্বয়ম্ভু ও সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের ধারণাটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মীমাংসা দর্শনে বলা হয়েছে যে, বেদ কোনো একজন দেবতার দ্বারা রচিত হয়নি।",
"title": "নিরীশ্বরবাদ"
}
] | [
{
"docid": "28841#1",
"text": "ইসলাম ধর্মে আল্লাহ্ হলেন একটি নৈবর্তিক ধারণা, যা দ্বারা সমগ্র বিশ্ব জগতের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী সৃষ্টিকর্তা এবং প্রভুকে বুঝানো হয়। ইসলামের প্রধান ঐশী ধর্মগ্রন্থ কুরআনে স্রষ্টাকে আল্লাহ নামে ডাকা হয়েছে। \"আল্লাহ\" শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হল \"একক প্রতিপালক\" (নির্দিষ্টভাবে একক উপাস্য, উপাসনার যোগ্য একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা)\"। অন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্মের (ইহুদী ও খ্রিস্টান) মত ইসলামেও \"একক প্রতিপালক\" (আল্লাহ্) কে একমাত্র সর্বোচ্চ সত্তা, সর্বোচ্চ ও অসীম ক্ষমতার অধিকারী এবং অসীম পরিমাণ উত্তম গুণে গুণাণ্বিত বিশ্বজগতের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং মানুষের একমাত্র উপাসনাযোগ্য সত্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।। আল্লাহ শব্দটি আরবি ভাষায় লিঙ্গ পার্থক্যবিহীন। আরবি ভাষী খ্রিষ্টান ও ইহুদীরাও \"সুনির্দিষ্ট/একক ঈশ্বর\" বোঝাতে \"আল্লাহ\" শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন, আর \"ইলাহ্\" () শব্দটি আরবিতে যেকোন উপাস্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।",
"title": "ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর"
},
{
"docid": "555175#14",
"text": "ইহুদীধর্ম কঠোর একেশ্বরবাদের উপর ভিত্তি করে তৈরি। একটি দ্বৈত বা ত্রি-স্বত্তা হিসাবে ঈশ্বরের ধারণা ইহুদীধর্ম মতবিরোধী - এটা শিরক সদৃশ বলে মনে করা হয়। \"[ঈশ্বর], সবকিছুর মূল, এক। এর মানে এই নয় যে তিনি কোন শ্রেণির এক, অথবা কোন একটি প্রজাতির মত, বা একটি বস্তু যা অনেক উপাদান নিয়ে গঠিত, কিংবা একটি একক বস্তু যা অসীম বিভাজ্য। বরং, ঈশ্বর একটি ঐক্য যা অন্য কোন সম্ভাব্য ঐক্যের সদৃশ নয়।\" তাওরাত এ এরূপ উল্লেখ আছে: \"শোন বনি ইসরায়েল, প্রভু আমাদের ঈশ্বর, প্রভু এক\"। 6: 4 \nঈশ্বরকে অনন্ত, বিশ্বজগতের স্রষ্টা, আর নৈতিকতার উৎস হিসেবে ভাবা হয়। ঈশ্বরের ক্ষমতা রয়েছে জগতে হস্তক্ষেপ করার। ঈশ্বর শব্দটি এইভাবে একটি প্রকৃত সত্তাতাত্ত্বিক বাস্তবতা, নিছক মানুষের কল্পনাপ্রসূত নয়। মাইমোনাইডস এইরূপে ঈশ্বর বর্ণনা করেন: \"সব বুনিয়াদের মূল এবং জ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে এটা জানা যে একটি আদি স্বত্তা আছে যিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। স্বর্গ, পৃথিবী, এবং এদের মধ্যবর্তী যা কিছু আছে, সব সৃষ্টির মূলে রয়েছে তাঁর অস্তিত্বের সত্যতা।\"",
"title": "ইব্রাহিমীয় ধর্মে ঈশ্বর"
},
{
"docid": "546369#2",
"text": "(YHWH), এল (\"ঈশ্বর\"), এলোহিম (\"সর্ব শক্তিমান এক ঈশ্বর\"), এলোওয়াহ্ (\"সৃষ্টিকর্তা\"), এলোহাই অথবা এলোহেই (\"আমার ঈশ্বর\"), এল শাদাই (সর্বশক্তিমান ঈশ্বর) ও সাবিওথ (সর্ব-ক্ষমতাধর)। ঈশ্বরের বাকি নামগুলো নিছক বিশেষণ অথবা শিরোনামের বিভিন্ন দিক অনুযায়ী বিবেচিত বলে মনে করা হয়। খুমরা (বা ইহুদীয় বিধি-নিষেধ আইন) অনুযায়ী ইংরেজীতে ঈশ্বরের নাম \"God\" এর পরিবর্তে \"G-d\" (অর্থাৎ ইংরেজী বর্ণ O না লিখে O পরিবর্তে ড্যাশ) লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে করে গড নাম লিখা কোন কিছু যদি প্রিন্টও করা হয়, সেই গড লিখা প্রিন্টকৃত কাগজ যেন ভবিষ্যতে আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়ে ঈশ্বরের নাম অপবিত্র হয়ে না যায়, সে জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা।",
"title": "ইহুদীধর্মে ঈশ্বরের নাম"
},
{
"docid": "555175#10",
"text": "ইসলাম ধর্মে, ঈশ্বরকে মনে করা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ স্রষ্টা যিনিই বিশ্বজগতের প্রতিপালক এবং পরকালের বিচারক। ইসলাম কঠোরভাবে ঈশ্বরের একত্ববাদে (তাওহীদ) বিশ্বাসের উপর জোর রাখে। বলা হয় তিনি অনন্য (ওয়াহিদ) এবং এক (আহাদ), পরম দয়ালু এবং সর্বশক্তিমান। কুরআন অনুযায়ী ঈশ্বরের ৯৯টি নাম আছে (আল-আসমাউল হুসনা যার অর্থ: \"সৌন্দর্যমন্ডিত নামসমূহ\") যার প্রত্যেকটি ঈশ্বরের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের পরিচয় বহন করে। এই সকল নাম সর্বোৎকৃষ্ট এবং সমস্ত ব্যাপক ঐশ্বরিক আরবি নাম আল্লাহকে নির্দেশ করে। এই ৯৯টি নামের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রায় ব্যবহৃত নাম হল \"দয়াময়\" (আল-রহিম) এবং \"পরম দয়ালু\" (আল-রহমান)।",
"title": "ইব্রাহিমীয় ধর্মে ঈশ্বর"
},
{
"docid": "555175#7",
"text": "অধিকাংশ খ্রিস্টানের জন্যই, ঈশ্বর সম্পর্কে বিশ্বাস ত্রি-স্বত্তা মতবাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে, যাতে বলা হয় যে তিনজন ঈশ্বর একসঙ্গে একজন একক ঈশ্বর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই মতবাদ মূলত নিসিয়া কাউন্সিলে বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল এবং নিসিয়ান ধর্মমতে সন্নিবেশিত রয়েছে। ত্রি-স্বত্তা মতবাদ এ বিশ্বাসের উপর উপর জোর দেয় যে, ঈশ্বরের একটি ইচ্ছা আছে, এবং ঈশ্বরপুত্রের দুইটি ইচ্ছা আছে- ঐশ্বরিক এবং মানবিক, এবং এরা কখনোই পরস্পর সংঘাতী নয়, বরং হাইপোস্ট্যাটিক সংঘে মিলিত।",
"title": "ইব্রাহিমীয় ধর্মে ঈশ্বর"
}
] |
বাংলাদেশের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হামিদুর রহমান কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "4541#1",
"text": "মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তদানিন্তন যশোর জেলার (বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা) মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে। তাঁর পিতার নাম আক্কাস আলী মন্ডল এবং মায়ের নাম মোসাম্মাৎ কায়মুন্নেসা। শৈশবে তিনি খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরবর্তীকালে স্থানীয় নাইট স্কুলে সামান্য লেখাপড়া করেন।",
"title": "হামিদুর রহমান"
},
{
"docid": "4541#0",
"text": "মোহাম্মদ হামিদুর রহমান (২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ - ২৮ অক্টোবর ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম। মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমান সাত জন বীর শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।",
"title": "হামিদুর রহমান"
}
] | [
{
"docid": "2139#4",
"text": "হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার উপ-বিভাগীয় পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন। তাঁর বাবা সাহিত্যানুরাগী মানুষ ছিলেন। তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। গ্রন্থের নাম \"দ্বীপ নেভা যার ঘরে\"। তাঁর মা'র লেখালেখির অভ্যাস না থাকলেও শেষ জীবনে একটি আত্মজীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম \"জীবন যে রকম\"। পরিবারে সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়া ছিল। তাঁর অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের একজন শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক; সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা আহসান হাবীব রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট। তাঁর তিন বোন হলেন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ, ও রোকসানা আহমেদ।",
"title": "হুমায়ূন আহমেদ"
},
{
"docid": "283343#0",
"text": "শহীদ মোহাম্মদ আবু বকর (জন্ম: অজানা, মৃত্যু: ১৯৭১ ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।",
"title": "মোহাম্মদ আবু বকর"
},
{
"docid": "33193#1",
"text": "আহসান হাবী্ব ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহন করেন। পিতা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও (ইংরেজী: SDPO - Sub-Divisional Police Officer) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন।তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালিখি করতেন। বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। গ্রন্থের নাম 'দ্বীপ নেভা যার ঘরে'। তাঁর মায়ের লেখালিখির অভ্যাস না-থাকলেও একটি আত্ম জীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম 'জীবন যে রকম'। তাছাড়া তিনি 'বেগম' পত্রিকাসহ কিছু ডিটেকটিভ পত্রিকাতেও লিখালিখি করেছেন। আহসান হাবীব ছোটোবেলায় আটটি ভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তার ছেলেবেলার বেশিরভাগ সময়ই কাটে বগুড়া, চিটাগং, কুমিল্লা, পিরোজপুর, দিনাজপুর, মোহনগঞ্জ সহ আরও কিছু জায়গায়। তার ডাক নাম শাহীন। নাম ঠিক করার সময় বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদার নাম অনুসারে আহসান হাবীবের ভালো নাম রাখা হয়েছিল কুদরতে খোদা। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো ইবনে ফয়েজ মুহম্মদ আহসান হাবীব। পরে তা শুধু আহসান হাবীব হয়ে গেল!",
"title": "আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)"
},
{
"docid": "611353#2",
"text": "মরমী কবি পীর মোহাম্মদ শাহ ইসকন্দর মিয়া প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন কবি প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ওল্ডহ্যামে প্রবাসী বাঙ্গালীদের সংগঠিত করা বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত আদায়ে কাজ করেন। তখন লন্ডনে অবস্থানরত বিচারপতি আবুসাঈদ চৌধুরীর সাথে কাজ করেন। সুদুর ওল্ডহ্যাম থেকে লন্ডনে এসে প্রতিটি মিছল মিটিং-এ অংশ নেওয়া সহ আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে প্রতিটি সভা সমিতিতে তিনি পালন করেন অগ্রণী ভূমিকা। তিনি ছিলেন বঙ্গুবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক । বঙ্গুবন্ধুকে হৃদয় থেকে ভালবাসতেন । সেই ভালবাসার ছাপ রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসংখ গান ও কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে । \nবাংলাদেশে স্বাধীন করলেনমুজিবুর রহমান।দেশপ্রেমিক মানুষ সবেউড়াও, জয় বাংলার নিশান।\nগাইবো বাংলাদেশের গানবাংলাদেশের অপর নামশেখ মুজিবুর রহমান।\nতোমরা বাও বাও-রেবাংলাদেশে শেখ মুজিবের নাও রক্তে রাঙা সবুজ নিশান আকাশে উরাও”।",
"title": "শাহ মোহাম্মদ ইসকন্দর মিয়া"
},
{
"docid": "308693#0",
"text": "ভাষাবীর ,মুক্তিযোদ্ধা কবি শহীদুল্লাহ সাহিত্যরত্ন (১৯২৩-২০০৫ ইং) সালের কুমিল্লার শহরতলী চান্দপুরে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ।পিতা মরহুম মৌলভী মকসূদ আহমদ একজন সরকারি আমলা ছিলেন ।মাতা মরহুমা মরিয়ম বিবি ও নাজির বাড়ীর একমাত্র মেয়ে ।\nমৃত্যু কালে তিনি ৫ কন্যা, ৫ পুত্র সন্তান রেখে যান। উনার নাতি চার জনই বাংলাদেশের খ্যাতিমান ক্রিকেটার । নাতি গণ হলেন, নাসিরুল আলম নাহিদ,রেজাউল করিম নাঈম,রাজিন সালেহ আলম(জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক)ও রিজভি আলম সায়েম।",
"title": "শহীদুল্লাহ (কবি)"
},
{
"docid": "412876#1",
"text": "শহীদ আবদুল হামিদ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরি নদী বিধৌত তিনদিকে পাহাড় ঘেরা অপূর্ব সৌন্দর্যমন্ডিত উপত্যকাসম বমু বিলছড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি মুসলিম পরিবারে ১৯৫০ সালের ৪ মার্চ জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল ফাত্তাহ মাস্টার এবং মাতার নাম গুলফরাজ খাতুন। তিনি সম্মান শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। প্রথমে তাঁকে বিলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরাসরি দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। এরপর তিনি ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এসএসসি পাশ করার পর তিনি চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ এ ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে তিনি এইচএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে দশম স্থান লাভ করেন। এরপর তিনি একই কলেজে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি সম্মান চূড়ান্ত পরীক্ষার কয়েকটি পত্র দিতে পারেননি মুক্তি সংগ্রামে জড়িয়ে পড়াতে। পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গড় নিয়মে ফলাফল ঘোষণা করা হলে দেখা যায় তিনি প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন।",
"title": "আবদুল হামিদ"
},
{
"docid": "560115#0",
"text": "মোহাম্মদ আবুল হাসেম (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।\nআবুল হাসেমের জন্ম নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের সাহেলপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুল জব্বার এবং মায়ের নাম তরিকুন নেছা। তাঁর স্ত্রীর নাম শামীমা আক্তার। তাঁর তিন ছেলে, দুই মেয়ে।",
"title": "মোহাম্মদ আবুল হাসেম"
},
{
"docid": "709806#1",
"text": "মিজানুর রহমান সিনহা ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়ের ডহুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হামিদুর রহমান সিনহা ও মাতার নাম নূরজাহান সিনহা। হামিদুর রহমান বাংলাদেশের ঔষধ ব্যবসায়ের অন্যতম পথিকৃৎ ও শিল্পগোষ্ঠী একমি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। সিনহা শৈশবে কলকাতায় বেড়ে উঠেন। পরবর্তীতে নারায়নগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় স্নাতক সম্পন্ন করেন।",
"title": "মিজানুর রহমান সিনহা"
},
{
"docid": "305811#0",
"text": "শহীদ মশিউর রহমান (জন্ম: ১৯১৭ - মৃত্যু: ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র শহীদ সংসদ সদস্য।",
"title": "মশিউর রহমান (মুক্তিযোদ্ধা)"
}
] |
জিউস কি আকাশের দেবতা ছিলেন ? | [
{
"docid": "1334#0",
"text": "গ্রিক পুরাণে জিউস ( বা ; প্রাচীন গ্রিক: Ζεύς \"জ়্দেউ্যস্\", আধুনিক গ্রিক: Δίας, \"Dias\") হলেন \"দেবগণ ও মানবজাতির পিতা\"। হেসিয়ডের \"থিওজেনি\" অনুসারে, তিনি পরিবারের পিতার ন্যায় মাউন্ট অলিম্পাসের অলিম্পিয়ানদের শাসন করতেন। গ্রিক পুরাণে তিনি ছিলেন আকাশ ও বজ্রের দেবতা। গ্রিকদের বিশ্বাসে তিনি দেবরাজ। জিউস নিরন্তর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে পর্যবেক্ষণ করেন। পসেনিয়াস লিখেছেন, \"জিউস স্বর্গের রাজা, এই প্রবাদটি সকলেই জানেন।\" হেসিয়ডের \"থিওজেনি\" গ্রন্থের মতে, জিউস বিভিন্ন দেবতাদের মধ্যে তাঁদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেন। \"হোমারীয় স্তোত্রাবলি\"-তেও তাঁকে দেবতাদের প্রধান বলা হয়েছে। হেসিয়ডের \"থিওজেনি\" গ্রন্থে তাঁকে \"দেবগণ ও মানবজাতির পিতা\" বলেও অভিহিত করা হয়েছে। তাঁর প্রতীকগুলি হল বজ্র, ঈগল, ষাঁড় ও ওক। ইন্দো-ইউরোপীয় ঐতিহ্যের এই সকল নিদর্শনগুলি ছাড়াও, এই ধ্রুপদি \"মেঘ-সমাবেশকারী\" প্রাচীন নিকট প্রাচ্য থেকেও কিছু মূর্তিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছেন। এর উদাহরণ হল রাজদণ্ড। গ্রিক শিল্পীরা মূলত দুটি ভঙ্গিতে জিউসের মূর্তিগুলি নির্মাণ করেছেন: প্রথমত, দণ্ডায়মান অবস্থায় দ্রুত-অগ্রসর হওয়ার ভঙ্গিতে, যেখানে তিনি ডান হাতে বজ্র উঁচিয়ে থাকেন এবং দ্বিতীয়ত রাজসভায় উপবিষ্ট মূর্তিতে।",
"title": "জিউস"
},
{
"docid": "1334#7",
"text": "টাইটানদের সঙ্গে যুদ্ধের পর জিউস তাঁর দুই দাদা পসেইডন ও হেডিসের সঙ্গে বিশ্বচরাচর ভাগ করে নেন। জিউস হন আকাশের দেবতা, পসেইডন সমুদ্রের এবং হেডিস মৃতলোক বা পাতালের দেবতা হন। প্রাচীন পৃথিবী গাইয়াকে কেউ দাবি করতে পারেন না। তাই তিনি এই তিন জনেরই নিয়ন্ত্রণাধীন থাকেন। এই কারণেই পসেইডনকে \"ভূকম্প-সৃষ্টিকারী\" (ভূমিকম্পের দেবতা) বলা হয় এবং হেডিস মৃত মানুষদের উপর নিজ আধিপত্য কায়েম করেন। (পেনথাস দেখুন)",
"title": "জিউস"
}
] | [
{
"docid": "1334#2",
"text": "জিউস ক্রোনাস ও রেয়ার কনিষ্ঠ সন্তান। সর্বাধিক প্রচলিত মত অনুযায়ী, তিনি হেরাকে বিবাহ করেছিলেন। তবে ডোডোনার ওর্যাকল মতে, তাঁর স্ত্রী ছিলেন ডায়োনে: \"ইলিয়ড\" মহাকাব্যের বর্ণনা অনুযায়ী, তাঁর ঔরসে ডায়োনের গর্ভে আফ্রোদিতির জন্ম হয়। জিউস তাঁর কামলালসার জন্য প্রসিদ্ধ। এর ফলস্রুতিতে তাঁর অনেক দেবতা ও যোদ্ধা সন্তানের জন্ম হয়। এঁরা হলেন অ্যাথেনা, অ্যাপোলো ও আর্টেমিস, হার্মিস, পার্সেফোনি (ডিমিটারের গর্ভে), ডায়োনিসাস, পার্সেউস, হেরাক্লেস, হেলেন, মিনোস ও মিউজগণ (নিমোসিনের গর্ভে); জিউসের ঔরসে হেরার গর্ভে জন্ম হয় আরেস, হেবে ও হেফাস্টাসের।",
"title": "জিউস"
},
{
"docid": "563049#0",
"text": "গ্রিক পুরাণে, সেইক্স () ছিলেন ফসফোরাসের পুত্র এবং থেসালির রাজা। তার সাথে অ্যালকিওনের বিয়ে হয়েছিল। তারা একসঙ্গে সুখে দিনাতিপাত করছিলেন। কেউ কেউ তাদের জিউস আর হেরা বলে ডাকতে লাগল। এতে জিউস ক্ষুব্ধ হয়ে যান, তাই যখন সেইক্স সাগরে ছিলেন জিউস তার জাহাজের উপর বজ্রপাত ঘটান। সেইক্স ছায়ামূর্তি হয়ে অ্যালকিওনের কাছে আসেন নিজের নির্মম পরিণতির কথা শুনাতে, শোকে কাতর হয়ে অ্যালকিওনে সমুদ্রের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। এই দৃশ্য দেখে দেবতারা দয়াপরবশত তাদের দুইজনকে হ্যালসিওন পাখিতে পরিণত করে দেন। বলা হয় যে সমুদ্র যখন শান্ত হয় তখন হ্যালসিওন পাখিরা ঘর বাঁধে, কেননা তারা উভয়ই সমুদ্রে ডুবে মারা যায়।",
"title": "সেইক্স"
},
{
"docid": "562865#1",
"text": "জিউস লিডার প্রশংসক ছিলেন, তিনি লিডাকে মরাল রূপে আকর্ষিত করেছিলেন। তিনি মরাল হয়ে ঈগলের থেকে আশ্রয় খোঁজার ছলে লিডার বাহুতে লুটিয়ে পড়েন। যে রাতে জিউস লিডার সাথে মিলিত হন সেই রাতে তাইন্দারেউসও লিডার সাথে মিলিত হন, ফলে লিডা দুইটি ডিম প্রসব করেন। একটি থেকে হেলেন এবং ক্লাইমেনেস্ত্রা জন্ম নেন অপরটি থেকে জন্ম নেন ক্যাস্টর এবং পোলাক্স। এই চার জনের মধ্যে কে জিউসের সন্তান ার কে তাইন্দারেউসের সন্তান তা কোথাও পরিষ্কার ভাবে উল্লেখিত হয়নি। এমনকি কোন সন্তান মরণশীল বা অমর, মানুষ বা অর্ধ-দৈব টাও কোথাও বলা হয়নি। তবে কোন কোন জায়গায় ক্যাস্টর এবং পোলাক্সকে অমর বলা হয় আবার কোন কোন জায়গায় শুধু পোলাক্সকেই অমর বলা হয়। আবার এটাও সবসময় বলা হয় যে, হেলেন জিউসের কন্যা।",
"title": "লিডা (পুরাণ)"
},
{
"docid": "522028#0",
"text": "জেসি উডসন জেমস (৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৪৭ - এপ্রিল ৩, ১৮৮২) ছিলেন মিসৌরি রাজ্যের একজন আমেরিকান দস্যু, গেরিলা, গ্যাং নেতা, ব্যাংক ডাকাত, ট্রেন ডাকাত, এবং খুনী। তিনি জেমস ইয়ঙ্গার গ্যাং এর সবচেয়ে বিখ্যাত সদস্য ছিলেন। জেসি এবং তার বড় ভাই ফ্রাঙ্ক জেমস গৃহযুদ্ধের সময় কনফেডারেট গেরিলা বা ঝেপের আড়ালে লুকিয়ে থেকে ঝাপিয়ে পড়া যোদ্ধা ছিলেন। তাঁদের সেন্ট্রালিয়া ম্যাসাকার ইউনিয়নের সৈন্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। যুদ্ধের পর, আইন বহির্ভুত বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনীর সদস্য হিসেবে, তারা ব্যাংক, ডাক গাড়ী ছিনতাই এবং ট্রেন ছিনতাই করতো।\nজেমস ভাই ১৮৭৬ সালে যখন নর্থফিল্ড, মিনিসোটার একটি ব্যাংকে তাদের ডাকাতির চেষ্টার সময় গ্যাংয়ের অনেক সদস্যদের আটক বা হত্যা করা হয়। ১৮৬৬ থেকে তাদের নিজস্ব গ্যাং এর সদস্য হিসেবে জেসি জেমস সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে অপরাধ অব্যাহত রাখে। এই সময়ে তাদের গ্যাংয়ে নতুন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছিলো। কিন্তু সরকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের অধীন ছিল জেমস ইয়ঙ্গার গ্যাং। তখন তারঁ মাথার জন্য বড় পরিমানের পুরস্কার ঘোষনা করা হয়। ৩ এপ্রিল, ১৯৮২-এ জেসি জেমস রবার্ট ফোর্ডের গুলির আঘাতে নিহত হন। কিন্তু রবার্ট ফোর্ডই ছিলেন জেমস ইয়ঙ্গার বাহিনীর সদস্যা। তিনি বড় ধরনের পুরস্কারের লোভে জেসি জেমসের ঘরে প্রবেশ করে হঠাৎ জেসির মাথায় গুলি নিক্ষেপ করেন। তারঁ জীবিত দশায় তিনি সারাদেশে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। জেসিজেমস তার মৃত্যুর পর ওয়াইল্ড ওয়েস্টে একটি কাল্পনিক চিত্র হয়ে ওঠেন ।",
"title": "জেসি জেমস"
},
{
"docid": "30883#3",
"text": "গ্রীক পুরাণে কালপুরুষের সাথে বৃশ্চিকের উল্লেখ দেখা যায়। বৃশ্চিকের সাথে কালপুরুষের যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে বৃশ্চিকের কামড়ে কালপুরুষের মৃত্যু হয়। পরিশেষে দেবতা জিউস মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য কালপুরুষ ও বৃশ্চিককে আকাশে স্থান দেন।",
"title": "বৃশ্চিক (তারকামণ্ডল)"
},
{
"docid": "371052#0",
"text": "হাদাদ উত্তর সেমিটিক অঞ্চলে ঝড় এবং বৃষ্টির দেবতা ছিলেন। আশারীয়-ব্যবিলনীয় অঞ্চলে তিনি আদাদ নামে পরিচিত ছিলেন। হাদাদকে \"পিদার\", \"বাআল-জেফন\" অথবা শুধুমাত্র বাআল নামেও ডাকা হতো। যদিও বাআল নামে একাধিক ঈশ্বরকে সম্বোধন করা হত। হাদাদের বাহন হচ্ছে ষাঁড়। তাকে সবসময় দাঁড়িসহ কল্পণা করা হত। তার একহাতে সবসময় বজ্রাধার থাকতো। হাদাদকে ইন্দো-ইউরোপীয় নাসিতে হিট্টি দেবতা টেশুব, মিশরীর দেবতা সেত, গ্রীক দেবতা জিউস এবং রোমান দেবতা জুপিটার এর সাথে তুলনা করা হয়।",
"title": "হাদাদ"
},
{
"docid": "1334#9",
"text": "জিউস হেরার ভ্রাতা ও স্বামী। জিউসের ঔরসে হেরার গর্ভে আরেস, হেবে ও হেফাস্টাসের জন্ম হয়। যদিও কোনো কোনো মতে, হেরা একাকীই এই সকল সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। অন্য মতে, ইলিথিয়া ও এরিসও হেরার কন্যা। নিম্ফ ও বিভিন্ন পৌরাণিক নশ্বর রাজবংশীয় নারী ও বালকদের সঙ্গে জিউসের যৌনসম্পর্ক ও প্রণয়কাহিনি প্রসিদ্ধ। অলিম্পিয়ান পুরাণতত্ত্বের মতে, লেটো, ডিমিটার, ডায়োনে ও মাইয়ার সঙ্গেও জিউসের যৌন সম্পর্ক বজায় ছিল। জিউসের প্রণয়ী নশ্বরেরা হলেন সেমেল, আইয়ো, ইউরোপা ও লেডা। (বিস্তারিত বর্ণনার জন্য নিচে দেখুন)",
"title": "জিউস"
},
{
"docid": "78751#0",
"text": "গ্রিক পুরাণে, আস্ক্লেপিউস ছিলেন চিকিৎসাবিদ্যার দেবতা।\nআস্ক্লেপিউস ছিল সূর্যদেবতা আপোল্লো ও করোনিসের সন্তান।\nএপিওন।\nমাকাওন ও পোদালেইরিউস।\nইয়াসো, আগলাইয়া, পানাকেয়া ও হাইগিএইয়া।\nজিউস আস্ক্লেপিউসকে বজ্র নিক্ষেপ করে হত্যা করে কারণ সে মৃত লোকদের আবার জীবিত করে তুলতেন।",
"title": "আস্ক্লেপিউস"
}
] |
আর্থার রবার্ট মরিস কোন দলের বিরুদ্ধে তাঁর জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেন ? | [
{
"docid": "440774#4",
"text": "সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৫ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৪৬ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ৪৬.৪৮ গড়ে ৩,৫৩৩ রান তোলেন তিনি। ক্রিকেটের প্রতি প্রবল আগ্রহের কারণে বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। খুব দ্রুত নিজেকে দলের প্রধান সদস্য হিসেবে গড়ে তোলেন। নিজস্ব তৃতীয় টেস্টে সেঞ্চুরিসহ পরবর্তী টেস্টের উভয় ইনিংসে জোড়া শতক তোলেন। এরফলে অ্যাশেজ টেস্টে দ্বিতীয় অস্ট্রেলীয় হিসেবে এ রেকর্ড গড়েন। তাঁর এ সাফল্যের প্রেক্ষিতে মাত্র ১৮ মাস পর দল নির্বাচকমণ্ডলী তাঁকে অপরাজেয় দলের ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত করে। বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মরিস ১৯৪৮ সালে অপরাজিত থাকা অ্যাশেজ সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সফল অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তী ব্র্যাডম্যানের সাথে তিনিও ঐ সফরে তাঁর ১২ সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটি হাঁকিয়েছিলেন।",
"title": "আর্থার মরিস"
}
] | [
{
"docid": "440774#0",
"text": "আর্থার রবার্ট মরিস, এমবিই (; জন্ম: ১৯ জানুয়ারি, ১৯২২ - মৃত্যু: ২২ আগস্ট, ২০১৫) নিউ সাউথ ওয়েলসের বন্ডি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৫ মেয়াদে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, জাতীয় দলকে দুই টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। প্রথিতযশা ব্যাটসম্যান স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের নেতৃত্বাধীন ১৯৪৮ সালের ‘অপরাজেয় দলের’ অন্যতম সদস্য ছিলেন।",
"title": "আর্থার মরিস"
},
{
"docid": "440774#5",
"text": "১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে ডন ব্র্যাডম্যানের অপরাজেয় দলের সদস্য হিসেবে অন্যতম ভূমিকা গ্রহণের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। ঐ সফরের টেস্ট সিরিজে তিনটি সেঞ্চুরিসহ দলের শীর্ষ রান সংগ্রহকারী ছিলেন তিনি। তাঁর প্রাণান্তকর চেষ্টায় হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্টের পঞ্চম দিনে ৪০৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে অস্ট্রেলিয়া দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ সিরিজটি ব্র্যাডম্যানের বিদায়ী সিরিজ ছিল। ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর তিনি অস্ট্রেলিয়া দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালনসহ শীর্ষ ব্যাটসম্যান ছিলেন। ব্র্যাডম্যান পরবর্তী যুগে অস্ট্রেলিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রথম সিরিজে দু’টি সেঞ্চুরি করেন। ঐ সিরিজে তাঁর দল ৪-০ ব্যবধানে জয়ী হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে মরিস আরও নয়বার তিন অঙ্কের কোঠায় পৌঁছেন। তখন তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৬৫-এর ঊর্ধ্বে। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর খেলার মান কমতে থাকে ও অস্ট্রেলিয়া দল কঠিন সময় অতিক্রম করে। তাঁকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়নি ও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দল থেকে উপেক্ষিত হন।",
"title": "আর্থার মরিস"
},
{
"docid": "464914#3",
"text": "আলিমুদ্দিন ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং উক্ত ম্যাচে ১৯ রান সংগ্রহ করেন।। একই সিরিজের চতুর্থ টেস্টে পাকিস্তান ইংল্যান্ডকে ২৪ রানে পরাজিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জয় করে ইংল্যান্ডকে হারানো প্রথম স্বাগতিক দল হিসেবে রেকর্ড গড়ে। আলিমুদ্দিন উক্ত ম্যাচে মাত্র ১০ রান করেন। ১৯৫৪-৫৫ সালে, তিনি পাকিস্তানের প্রথম ঘরোয়া টেস্টে ভারতের বিরুদ্ধে খেলেন এবং সর্বোচ্চ রান অর্জন করে (৩৩২) নিজ হাতে সিরিজের সমাপ্তি টানেন; তিনি তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং পঞ্চম ম্যাচে তিনি ১০৩ রানে নটআউট থেকে করাচী জাতীয় স্টেডিয়ামে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেন। উক্ত গ্রাউন্ডে আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি।",
"title": "আলিমুদ্দিন (ক্রিকেটার)"
},
{
"docid": "433420#5",
"text": "পরবর্তী ছয় বছরেও টেটের অল-রাউন্ড নৈপুণ্য বজায় থাকে। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে মরিস টেট ইংল্যান্ডের বাইরে এক মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় এক হাজার বা ততোধিক রান এবং একশত বা ততোধিক উইকেট লাভের ন্যায় ডাবল লাভ করেছেন। ১৯২৬-২৭ মৌসুমে এমসিসি দলের সাথে ভারত ও সিলন গমন করে ১১৯৩ রান ও ১১৬ উইকেট পেয়েছিলেন। আর্থার জিলিগানের নেতৃত্বে দলটি ভারতে ২৬টি ও সিলনে চারটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিল। মরিস টেট, মরিস লেল্যান্ড, অ্যান্ডি স্যান্ডহাম, বব ওয়াট, আর্থার ডলফিন, জর্জ গিয়েরি, ইউয়ার্ট অ্যাস্টিল ও জর্জ ব্রাউনের ন্যায় খেলোয়াড়েরা দলের সদস্য ছিলেন।",
"title": "মরিস টেট"
},
{
"docid": "677319#5",
"text": "৩ জুলাই, ১৯৫৮ তারিখে হেডিংলিতে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অভিষেক ঘটে আর্থার মিল্টনের। ক্রিকেট ও রাগবি - উভয় স্তরের খেলায় পারদর্শী অপর দ্বৈত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় এম. জে. কে. স্মিথের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন তিনি। ঐ ইনিংসে তিনি অপরাজিত ১০৪ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। ডব্লিউ.জি. গ্রেসের পর গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক টেস্টেই ইংল্যান্ডের পক্ষে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, প্রথম ইংরেজ খেলোয়াড় হিসেবে পুরো টেস্টে ফিল্ডিং করেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিং করার পর ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্যাটিং করে অপরাজিত ছিলেন। এরপর নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিল্ডিং করতে নামেন। ঐ টেস্টে ইংরেজ দল ইনিংস ও ৭১ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।",
"title": "আর্থার মিল্টন"
},
{
"docid": "619421#8",
"text": "১৯২৩ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ১৯২৩ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। কাউন্টি দল ও প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন মরিস ফার্নান্দেজ। অর্ধেকেরও বেশী খেলায় অংশ নিয়ে প্রথম-শ্রেণীর প্রতিপক্ষীয় দলগুলোর বিপক্ষে তিনবার অর্ধ-শতকের কোঠা অতিক্রম করেছিলেন। তন্মধ্যে, নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ইনিংস ঘোষণাকালীন তিনি ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। পরের খেলায় ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রান করেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য অর্ধ-শতকের সন্ধান পাননি। ৪৯ রানে আউট হয়ে যান। সফরে নিজস্ব প্রথম সেঞ্চুরি করেন লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে। তিনি ১১০ রানে আউট হন।",
"title": "মরিস ফার্নান্দেজ"
},
{
"docid": "440774#6",
"text": "১৯৫১-৫২ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দেন। নিয়মিত অধিনায়ক লিন্ডসে হ্যাসেটের উরুতে টান পড়ায় তিনি এ দায়িত্ব পান। এছাড়াও, ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক টেস্টে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মরিস। সিডনিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে ইয়ান জনসন ও কিথ মিলারের আঘাতের কারণে মরিস দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু উভয় টেস্টেই তাঁর দল পরাজিত হয়েছিল।",
"title": "আর্থার মরিস"
},
{
"docid": "381178#2",
"text": "১৯৯৮ সালে সফরকারী ইংল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৬ রান সংগ্রহ করলেও কোন উইকেট পাননি তিনি। নাইরোবির দল আগা খান ক্লাবে হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের পূর্ব-মুহুর্তে জাতীয় দলের অধিনায়ক মনোনীত হন। শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে ৯৫ বলে ৮২ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। কিন্তু, ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে স্টিভ টিকোলো’র কাছে অধিনায়কত্ব হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। তাঁর চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্যে কেনিয়া দল সেমি-ফাইনালে উন্নীত হয়। পরের বছর লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর নিজস্ব সেরা ২০৭ রান সংগ্রহ করেন।",
"title": "মরিস ওদুম্বে"
},
{
"docid": "440774#3",
"text": "কৈশোরে রাগবি ইউনিয়নের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রতিও তাঁর প্রবল অনুরাগ ছিল। এরফলে বালকদের রাজ্যদলে উভয় ক্রীড়াতেই অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শুরুতে স্পিন বোলিংয়ের উপর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। ১৯৪০-৪১ মৌসুমে বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট অভিষেকে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করার বিরল কৃতিত্ব দেখান। পরবর্তীতে অবশ্য দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ভারতের নরি কন্ট্রাক্টর তাঁর উভয় ইনিংসে জোড়া শতক হাঁকান। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে ছেদ ঘটে। এ সময়ে তিনি অস্ট্রেলীয় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ লাভ করেন ও রাগবি ইউনিয়ন দলে খেলার জন্য নির্বাচিত হন।",
"title": "আর্থার মরিস"
}
] |
রামকৃষ্ণ পরমহংসের আসল নাম কি ছিল ? | [
{
"docid": "4051#3",
"text": "পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায় অবস্থিত কামারপুকুর গ্রামে ১৮৩৬ সালে এক দরিদ্র ধর্মনিষ্ঠ রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম হয়। তিনি পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মা চন্দ্রমণি দেবীর চতুর্থ ও শেষ সন্তান। কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মের পূর্বে তাঁর পিতামাতার সম্মুখে বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। সন্তানসম্ভবা চন্দ্রমণি দেবী দেখেছিলেন শিবলিঙ্গ থেকে নির্গত একটি জ্যোতি তাঁর গর্ভে প্রবেশ করছে। তাঁর জন্মের অব্যবহিত পূর্বে গয়ায় তীর্থভ্রমণে গিয়ে ক্ষুদিরাম গদাধর বিষ্ণুকে স্বপ্নে দর্শন করেন। সেই কারণে তিনি নবজাতকের নাম রাখেন গদাধর।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#0",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৩৬ – ১৬ই আগস্ট, ১৮৮৬; পূর্বাশ্রমের নাম গদাধর চট্টোপাধ্যায়) ঊনবিংশ শতকের এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তাঁর প্রচারিত ধর্মীয় চিন্তাধারায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁরা উভয়েই বঙ্গীয় নবজাগরণের এবং ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর হিন্দু নবজাগরণের অন্যতম পুরোধাব্যক্তিত্ব। তাঁর শিষ্যসমাজে, এমনকি তাঁর আধুনিক ভক্তসমাজেও তিনি ঈশ্বরের অবতাররূপে পূজিত হন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
}
] | [
{
"docid": "536241#1",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমগ্র জীবনকাহিনীটিই \"শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্\" ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ছবির শুরুতে দেখানো হয়েছে তদনীন্তন ব্রিটিশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির হুগলি জেলার অন্তঃপাতী কামারপুকুর গ্রামে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের (রামকৃষ্ণ পরমহংসের পূর্বাশ্রমের নাম) জন্ম। এরপর আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ও ভাবতন্ময়তা, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করে রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ প্রভৃতি অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা দেখে ধর্মশিক্ষা, যৌবনে কলকাতায় এসে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরহিত্য গ্রহণ এবং কিছুকাল পরেই পৌরোহিত্য ছেড়ে সাধনায় মনোনিবেশ ও সিদ্ধিলাভের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।",
"title": "শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্"
},
{
"docid": "4051#45",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর \"পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের প্রতি\" কবিতাটি লিখেছিলেন:বহু সাধকের বহু সাধনার ধারা,\nধেয়ানে তোমার মিলিত হয়েছে তারা;\nতোমার জীবনে অসীমের লীলাপথে\nনূতন তীর্থ রূপ নিল এ জগতে;\nদেশ বিদেশের প্রণাম আনিল টানি\nসেথায় আমার প্রণতি দিলাম আনি।।রামকৃষ্ণ মিশন আয়োজিত রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রধান অতিথি। এই অনুষ্ঠানে তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের অবদান সম্পর্কে নিজের উচ্চ ধারণার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৩৭ সালে রামকৃষ্ণ মিশন কলকাতায় বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্মশতবর্ষ উৎসবও চলছিল। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, \"তাঁর ব্যক্তিত্বের বিশালতা বোঝা যায় আপাত-বিরোধী সাধনপদ্ধতিগুলির অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে। আর তাঁর মনের সরলতা পুরোহিত ও যাজকশ্রেণীর আড়ম্বর ও পাণ্ডিত্যকে চিরকালের জন্য ম্লান করে দিয়েছে।\"",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#44",
"text": "\"ও রামকৃষ্ণ মিশন\"\nরামকৃষ্ণ পরমহংসের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন হল স্বামী বিবেকানন্দের স্থাপন করা প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলির একটি। এটি স্থাপিত হয়েছে ১৮৯৭ সালে। স্বাস্থ্যরক্ষা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ত্রাণকার্য, গ্রাম ব্যবস্থাপনা, আদিবাসী কল্যাণ, প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে রামকৃষ্ণ মিশন একাধিক শাখাকেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যকলাপ ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণ আন্দোলনের একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ হিসেবে গণ্য হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসের নামাঙ্কিত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯২৩ সালে স্বামী অভেদানন্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ (বেদান্ত সোসাইটি)। ১৯২৯ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের কয়েক জন বিক্ষুব্ধ সদস্য স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ সারদা মঠ। ১৯৭৬ সালে স্বামী নিত্যানন্দ স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। ১৯৫৯ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভগিনী সংগঠন হিসেবে স্থাপিত হয় শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশন। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় ও বঙ্গীয় নবজাগরণে রামকৃষ্ণ পরমহংসকে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মনে করা হয়। ম্যাক্স মুলার, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, শ্রীঅরবিন্দ ও লিও টলস্টয় মানবসমাজে রামকৃষ্ণ পরমহংসের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। ফ্রাঞ্জ ডোরাক (১৮৬২–১৯২৭) ও ফিলিপ গ্লাসের শিল্পকর্মে রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রভাব দেখা যায়।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "138302#10",
"text": "ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রামকৃষ্ণ পরমহংসকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতার শ্যামপুকুরের ৫৫ নং শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে এনে রাখা হয়। এই বাড়িটি শ্যামপুকুর বাটী নামে পরিচিত। পরে তাঁকে এই বাড়ি থেকে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর প্রয়াণ ঘটেছিল। বর্তমানে রামকৃষ্ণ মিশন এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করেছেন। এই বাড়িতে তাঁর ব্যবহৃত কিছু জিনিস ও কয়েকটি চিত্র রাখা আছে। অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে রয়েছে সেই ক্যামেরার কয়েকটি অংশ, যেটি দিয়ে প্রথম রামকৃষ্ণ পরমহংসের ছবি তোলা হয়েছিল।",
"title": "শ্যামপুকুর"
},
{
"docid": "4051#7",
"text": "১৮৫৫ সালে কলকাতার অস্পৃশ্য কৈবর্ত সমাজের এক ধনী জমিদারপত্নী রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করলে রামকুমার সেই মন্দিরে প্রধান পুরোহিতের পদ গ্রহণ করেন। নিম্নবর্ণীয়া এক নারীর প্রতিষ্ঠিত মন্দির হওয়া সত্ত্বেও সামান্য অনুরোধেই গদাধর সেই মন্দিরে চলে আসেন। তিনি ও তাঁর ভাগনে হৃদয়রাম রামকুমারের সহকারী হিসাবে প্রতিমার সাজসজ্জার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৮৫৬ সালে রামকুমারের মৃত্যু হলে গদাধর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মন্দিরে উত্তর-পশ্চিম আঙিনায় তাঁকে একটি ছোটো ঘর দেওয়া হয়। এই ঘরেই তিনি অতিবাহিত করেন তাঁর অবশিষ্ট জীবন। অনুমিত হয়, রাণী রাসমণির জামাতা মথুরামোহন বিশ্বাস, যিনি মথুরবাবু নামে পরিচিত ছিলেন, তিনিই গদাধরকে রামকৃষ্ণ নামটি দিয়েছিলেন। অন্য মতে, এই নামটি তাঁর অন্যতম গুরু তোতাপুরীর দেওয়া।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#13",
"text": "১৮৬১ সালে ভৈরবী ব্রাহ্মণী নামে গৈরিক বস্ত্র পরিহিতা এক যোগিনী দক্ষিণেশ্বরে উপস্থিত হন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল যোগেশ্বরী এবং বয়স ছিল চল্লিশের কাছাকাছি। দক্ষিণেশ্বরে আগমনের পূর্বে তাঁর জীবন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায় না। তবে তিনি ছিলেন শাস্ত্রজ্ঞা ও তন্ত্র ও বৈষ্ণব সাধনে সিদ্ধা।\nশ্রীরামকৃষ্ণ ভৈরবীর কাছে তাঁর ভাবতন্ময়তা ও দৈহিক পীড়ার বর্ণনা দিলেন। ভৈরবী তাঁকে এই বলে আশ্বস্ত করলেন যে তিনি পাগল হয়ে যাননি; বরং আধ্যাত্মিক ‘মহাভাব’ তাঁকে আশ্রয় করেছে। এই মহাভাবের বশেই তিনি দিব্যপ্রেমে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন ভক্তিশাস্ত্রের উদাহরণ দিয়ে তিনি দেখালেন রাধা ও চৈতন্য মহাপ্রভুরও একই ভাব উপস্থিত হয়েছিল। ভৈরবী তাঁর দৈহিক পীড়া অবসানের নিদানও দিলেন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "4051#1",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গের এক দরিদ্র বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরোহিত্য গ্রহণের পর বঙ্গীয় তথা ভারতীয় শক্তিবাদের প্রভাবে তিনি কালীর আরাধনা শুরু করেন। তাঁর প্রথম গুরু তন্ত্র ও বৈষ্ণবীয় ভক্তিতত্ত্বজ্ঞা এক সাধিকা। পরবর্তীকালে অদ্বৈত বেদান্ত মতে সাধনা করে নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেন রামকৃষ্ণ। অন্যান্য ধর্মীয় মতে, বিশেষত ইসলাম ও খ্রিস্টীয় মতে সাধনা তাঁকে “যত মত, তত পথ” উপলব্ধির জগতে উন্নীত করে। পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক গ্রামীণ উপভাষায় ছোটো ছোটো গল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত তাঁর ধর্মীয় শিক্ষা সাধারণ জনমানসে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে অশিক্ষিত হলেও রামকৃষ্ণ বাঙালি বিদ্বজ্জন সমাজ ও শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের সম্ভ্রম অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে পাশ্চাত্যশিক্ষায় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের নিকট তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দু পুনর্জাগরণের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তৎসঙ্গে সংগঠিত করেন একদল অনুগামী, যাঁরা ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণের প্রয়াণের পর সন্ন্যাস গ্রহণ করে তাঁর কাজ চালিয়ে যান। এঁদেরই নেতা ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "414711#1",
"text": "ব্রাহ্ম ধর্মগুরু কেশবচন্দ্র সেনের \"পরমহংসদেবের উক্তি\" (১৮৭৮) রামকৃষ্ণ-বিষয়ক সর্বপ্রথম বই বলে জানা যায়। কেশবচন্দ্র তাঁর ধর্মীয় সম্প্রদায় নববিধান ব্রাহ্মসমাজের পত্রিকায় রামকৃষ্ণের শিক্ষা প্রকাশ করতেন। এর ফলে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজ ও ভারতে বসবাসকারী ইউরোপীয়দের কাছে রামকৃষ্ণের নাম পরিচিত হয়ে ওঠে। এরপর প্রকাশিত হয় সুরেশচন্দ্র দত্তের \"পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের উক্তি\" (১৮৮৪)।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা"
}
] |
ডাইনোসরের অস্তিত্ব কি ২৫ কোটি বছর আগে পার্মিয়ান যুগে ছিল ? | [
{
"docid": "67687#9",
"text": "\"মূল নিবন্ধː ডাইনোসরের বিবর্তন\"\nপার্মিয়ান-ট্রায়াসিক অবলুপ্তি ঘটনায় পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের প্রায় ৯৫% ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কমবেশি ২ কোটি বছর পর মধ্য থেকে অন্ত্য ট্রায়াসিকে ডাইনোসরেরা তাদের আর্কোসর পূর্বপুরুষদের থেকে পৃথক হয়ে যায়। তেজস্ক্রিয়মিতিক তারিখ গণনার মাধ্যমে ২৩ কোটি ১৪ লক্ষ বছর আগেকার পাথরের স্তরে প্রাথমিক ডাইনোসর গণ \"ইওর্যাপ্টরের\" জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। পুরাজীববিদরা ধারণা করেন \"ইওর্যাপ্টর\" সমস্ত ডাইনোসরের সাধারণ পূর্বপুরুষের নিকট জ্ঞাতি। এই ধারণা সত্যি হলে বলা যেতে পারে যে প্রথম ডাইনোসরেরা ছিল আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট দ্বিপদ মাংসাশী প্রাণী। আর্জেন্টিনার মধ্য ট্রায়াসিক পাথরের স্তর থেকে \"মারাসুকাস\" এবং \"ল্যাগারপেটন\" নামক আদিম, ডাইনোসর-সদৃশ অর্নিথোডিরানদের আবিষ্কার এই ধারণার ভিত্তি দৃঢ় করে, কারণ এরাও ছিল ছোট, দ্বিপদ এবং মাংসভুক। \"নিয়াসাসরাসের\" জীবাশ্ম ইঙ্গিত করে ডাইনোসরেরা হয়তো ২৪ কোটি ৩০ লক্ষ বছর আগেই বিবর্তিত হয়েছিল, যদিও জীবাশ্মটির খুব অল্প অংশ উদ্ধার করা গেছে বলে এরা সত্যিই ডাইনোসর ছিল নাকি ডাইনোসরদের কোনো নিকটাত্মীয় সরীসৃপ ছিল তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না।",
"title": "ডাইনোসর"
}
] | [
{
"docid": "639605#10",
"text": "পার্মিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল হল ৩০ কোটি বছর পূর্ব হতে ২৫ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি প্যালিওজোয়িক মহাযুগের সর্বশেষ যুগ ছিল। এই যুগের শুরুতে, সকল মহাদেশ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে সুপারমহাদেশ প্যানজিয়া গঠন করে যা প্যানথালাসা নামক মহাসাগর দ্বারা আবৃত ছিল। এই সময় পৃথিবী খুব শুষ্ক ছিল এবং ঋতুগুলিও খুব রুক্ষ ছিল কারণ প্যানজিয়ার অভ্যন্তরের জলবায়ু এর বৃহৎ পানির উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো না। নতুন শুষ্ক জলবায়ুতে ডায়াপসিড এবং সিন্যাপসিড উদ্ভুত হয়। ডিমেট্রডন এবং ইডাফোসরাসের মত প্রাণীগুলি নতুন মহাদেশে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। প্রথম কনিফার উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং স্থলজ জমিতে আধিপত্য করে। পার্মিয়ান যুগের শেষের দিকে স্কুটোসরাস এবং গোরগনোপসিড দ্বারা শূণ্য মরুভূমি পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর তারা পৃথিবীর আরও ৯৫% প্রজাতির সাথে সাথে আকস্মিক বিপর্যয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় যা “দ্য গ্রেট ডায়িং” নামে পরিচিত এবং এটি তৃতীয় (ক্রমিক অনুসারে) এবং সবাধিক বিধ্বংসী বিলুপ্তির ঘটনা ছিল।",
"title": "ফ্যানারোজোয়িক"
},
{
"docid": "359333#19",
"text": "বিশালদেহী শাকাহারী এবং বিশালদেহী উদ্ভিদের বিবর্তনের মধ্যে কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে কি না তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যায়নি। ডাইনোসরদের রাজত্বকালের পুরোটা জুড়েই কনিফার অর্থাৎ পাইন জাতীয় ব্যক্তবীজীরা ছিল প্রধান উদ্ভিদগোষ্ঠী। তাদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ট্রায়াসিক যুগে আজ থেকে ১৯ কোটি বছর আগে স্থিতিশীল হয়। উদ্ভিদদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী ছিল সাইকাডদের, কিন্তু ১২ কোটি বছর আগে সদ্য বিবর্তিত সপুষ্পক উদ্ভিদেরা প্রভাবে তাদের ছাড়িয়ে যায়। ফার্নের প্রভাবও গোটা মধ্যজীব মহাযুগে কমবেশি অপরিবর্তিত ছিল। জুরাসিকের শেষভাগের অবলুপ্তি ঘটনায় সমস্ত শাকাহারী ডাইনোসরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।",
"title": "ডাইনোসরের বিবর্তন"
},
{
"docid": "67687#0",
"text": "ডাইনোসর বলতে জনপ্রিয় ধারণায় একটি অধুনা অবলুপ্ত, সাধারণত বৃহদাকার মেরুদণ্ডী প্রাণীগোষ্ঠীকে বোঝায়। এরা পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের প্রাগৈতিহাসিক অধিবাসী এবং বৈজ্ঞানিকদের অনুমান এই প্রভাবশালী প্রাণীরা প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে। প্রথম ডাইনোসরের বিবর্তন হয়েছিল আনুমানিক ২৩ কোটি বছর পূর্বে। ক্রিটেশিয়াস যুগের শেষে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর পূর্বে একটি বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডাইনোসরদের প্রভাবকে পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করে দেয়। তাদের একটি শ্রেণীই কেবল বর্তমান যুগ পর্যন্ত টিকে থাকতে পেরেছে বলে ধারণা করা হয়: শ্রেণীবিন্যাসবিদরা ধারণা করেন আধুনিক পাখিরা থেরোপড ডাইনোসরদের সরাসরি বংশধর; জীবাশ্ম দ্বারা প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে জুরাসিক যুগে সংঘটিত এই বিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া যায়।",
"title": "ডাইনোসর"
},
{
"docid": "67687#54",
"text": "কখনও কখনও ক্রিটেশিয়াস-প্যালিওজিন সীমার উপর থেকে উড়তে অক্ষম ডাইনোসরদের অবশেষ পাওয়া গেছে। ২০০১ খ্রিঃ পুরাজীববিদ জিয়েলেন্স্কি এবং বুদান নিউ মেক্সিকোর সান জুয়ান উপত্যকা থেকে প্রাপ্ত একটি হ্যাড্রোসরের একক পায়ের হাড়ের বর্ণনা দেন এবং এটিকে প্যালিওসিন ডাইনোসরদের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন। যে প্রস্তরক্ষেত্র থেকে হাড়টি পাওয়া গিয়েছিল তার জন্ম প্যালিওসিন উপযুগে, আনুমানিক ৬ কোটি ৪৫ লক্ষ বছর আগে। যদি ঐ হাড়টি আবহবিকারের ফলে ঐ পাথরের স্তরে এসে না আটকে গিয়ে থাকে, তাহলে ওটি প্রকৃতই ক্রিটেশিয়াস-প্যালিওজিন বিলুপ্তি ঘটনার প্রায় ৫ লক্ষ বছর পরে সিনোজোয়িক মহাযুগেও পৃথিবীতে ডাইনোসরদের অস্তিত্বের পক্ষে প্রমাণ দেয়। অন্যান্য প্রমাণের অন্তর্গত হল হেল ক্রিক প্রস্তরক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত ডাইনোসর অবশেষ যা ক্রিটেশিয়াস-প্যালিওজিন সীমার ১.৩ মিটার (৫১ ইঞ্চি) উপরে ( বছর পরে) অবস্থিত। চীন সমেত পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকেও অনুরূপ প্রমাণ মিলেছে। অনেক বিজ্ঞানী অবশ্য এই সমস্ত প্রমাণকে জালি বলে অস্বীকার করেছেন, তাঁদের মতে এগুলো পূর্ববর্তী পাথরের স্তর থেকে আবহবিকারের ফলে স্থানচ্যুত হয়ে পরবর্তী যুগের স্তরে আটকা পড়েছে। যদিও হাড়গুলোর বয়স নির্ণয়ের প্রত্যক্ষ পদ্ধতিতে পরবর্তী সময়কালেরই সমর্থন পাওয়া যায়; ইউরেনিয়াম-দস্তা (U-Pb) তারিখ গণনাপদ্ধতিতে এগুলোর বয়স নির্ণীত হয়েছে ঠিক ৬ কোটি ৪৮ লক্ষ ± ৯০ লক্ষ বছর। সঠিক হলেও অবশ্য এই সমস্ত প্রমাণ মহাবিলুপ্তির ঘটনার প্রাবল্যের খুব একটা তারতম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।",
"title": "ডাইনোসর"
},
{
"docid": "577390#3",
"text": "এ স্থানটি আবিষ্কারের ফলে ইতিহাস ও বিজ্ঞানে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। খড়ির পাহাড় যুগ বা ক্রেটাসিয়াস যুগের শেষে ও প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বছর আগেকার টারশিয়ারী যুগের শুরুতে ঘটে যাওয়া ঐ সময়ের চিত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়ায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটায়। এ তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় ডাইনোসরের জীববৈচিত্র্যের সংখ্যাগত দলিল পৃথিবীর অন্য যে-কোন স্থানের তুলনায় বেশীরূপে আখ্যায়িত হয়েছে। ২৯৩ প্রজাতির ডাইনোসরের পায়ের ছাপ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ স্থান আবিষ্কারের পূর্বে সর্ববৃহৎ ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে তুর্কমেনিস্তানের খোদা-পিল-আটা এবং পর্তুগাল, গ্রেট ব্রিটেন, স্পেন ও সুইজারল্যান্ডই ভূমিকা রাখতো। ঐগুলোর তুলনায় ক্যাল অর্কো বেশ কয়েকগুণ বড়। এছাড়াও কেবলমাত্র দুইটি প্রজাতির ২২০টি পদচিহ্ন বিশ্বের অন্যত্র পাওয়া গেছে।",
"title": "ক্যাল অর্কো"
},
{
"docid": "637273#10",
"text": "পার্মিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল ২৯৯ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ২৫২ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত এবং এটি প্যালিওজোয়িক মহাযুগের সর্বশেষ যুগ ছিল। এই যুগের শুরুতে, সকল মহাদেশ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে সুপারমহাদেশ প্যানজিয়া গঠন করে যা প্যানথালাসা নামক মহাসাগর দ্বারা আবৃত ছিল। এই সময় স্থলজ মাটি খুব শুষ্ক ছিল এবং ঋতুগুলিও খুব রুক্ষ ছিল কারণ প্যানজিয়ার অভ্যন্তরের জলবায়ু এর বৃহৎ পানির উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত না। নতুন শুষ্ক জলবায়ুতে ডায়াপসিড এবং সিন্যাপসিড উদ্ভুত হয়। ডিমেট্রডন এবং ইডাফোসরাসের মত প্রাণীগুলি নতুন মহাদেশে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। প্রথম কনিফার উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং স্থলজ জমিতে আধিপত্য বিস্তার করে। পার্মিয়ান যুগের শেষের দিকে প্যানজিয়া আরও অধিক শুষ্ক হয়ে যায়। এর অভ্যন্তরে মরুভূমি সৃষ্টি হয় এবং স্কুটোসরাস এবং গোরগনোপসিডের মত নতুন প্রজাতি দ্বারা এটা পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর তারা পৃথিবীর আরও ৯৫% প্রজাতির সাথে সাথে আকস্মিক বিপর্যয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় যা “দ্যা গ্রেট ডায়িং” নামে পরিচিত এবং তৃতীয় (ক্রমিক অনুসারে) এবং সর্বাধিক বিধ্বংসী বিলুপ্তির ঘটনা ছিল।",
"title": "প্যালিওজোয়িক"
},
{
"docid": "558899#1",
"text": "এই প্রজাতির ডাইনোসরেরা জুরাসিক যুগ এর শেষের দিকে বর্তমান উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে বাস করত। মরিসন ফরমেশন এর মধ্যভাগ থেকে উপরের দিকে পাওয়া সুলভ কিছু ডাইনোসর ফসিলের মধ্যে এটি অন্যতম। ১৫২-১৫৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে প্রাক-কিমারিজিয়ান যুগের ফসিল এগুলো। মরিসন ফরমেশন এমন এক স্থান-কালের সাক্ষী যেখানে রাজত্ব করত অ্যাপাটোসরাস, ব্যারোসরাস, ব্রাকিওসরাস, ব্রন্টোসরাস, ক্যামারাসরাস এর মত দৈত্যাকার সরোপড ডাইনোসরেরা।",
"title": "ডিপলোডোকাস"
},
{
"docid": "551891#0",
"text": "নাইজারসরাস হচ্ছে রেবাকিসৌরিডি গোত্রের ও সাউরোপোডা প্রজাতির এক ধরনের ডাইনোসর যেটির অস্তিত্ব ১১.৫ থেকে ১০.৫ কোটি বছর পূর্বে খড়িময় যুগে পৃথিবীতে বিদ্যমান ছিল। এই ডাইনোসরের ফসিল আবিষ্কৃত হয় মূলত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের গেডুফেআউয়া নামক মরুভূমি অঞ্চলে। এই ডাইনোসরের ফসিল নিয়ে বিশদ জানা যায় ১৯৭৬ সালে কিন্তু এর দেহের বাকি অবশিষ্টাংশ পাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে এই ডাইনোসরের প্রজাতিকে \"নাইজেসৌরাস ট্র্যাকিটি\" নামক বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করা। এই ডাইনোসরের প্রজাতিটির নামের আসল অর্থ হলো \"নাইজারের সরীসৃপ\" আর বৈজ্ঞানিক প্রদান করা হয় মূলত জীবাশ্র্মবিজ্ঞানী ফিলিপ টাকেটের নামানুসারে যিনি প্রথম এই প্রজাতির ডাইনোসরের হদিস পেয়েছিলেন।",
"title": "নাইজারসরাস"
},
{
"docid": "359333#13",
"text": "ক্রিটেশিয়াস যুগের সরোপডদের দু'টো শাখা ছিল; ডিপ্লোডোকয়ডিয়ারা রাজত্ব করেছিল ১২.১ থেকে ৬.৬ কোটি বছরের মধ্যে, আর টাইটানোসরিফর্মেরা ১৩.২ থেকে ৬.৬ কোটি বছরের মধ্যে। টাইটানোসরিফর্মদের অন্তর্গত অধোবিভাগগুলো হল টাইটানোসরিয়া, টাইটানোসরিডি এবং সল্টাসরিডি। ডিপ্লোডোকয়ডিয়া ও টাইটানোসরিফর্ম এই দু'টো শাখাই নিওসরোপোডা থেকে বিবর্তিত, যারা ১৬.৯ কোটি বছর আগে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে।",
"title": "ডাইনোসরের বিবর্তন"
}
] |
বর্তমান চট্টগ্রামের মোট এলাকা কত ? | [
{
"docid": "2683#1",
"text": "চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮৩ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা।",
"title": "চট্টগ্রাম জেলা"
}
] | [
{
"docid": "8895#2",
"text": "পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ১৫৫০ সালের দিকে প্রণীত বাংলার প্রথম মানচিত্রে বিদ্যমান ছিল। তবে এর প্রায় ৬০০ বছর আগে ৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এই অঞ্চল অধিকার করেন। ১২৪০ সালের দিকে ত্রিপুরার রাজা এই এলাকা দখল করেন। ১৫৭৫ সালে আরাকানের রাজা এই এলাকা পুনর্দখল করেন, এবং ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকারে রাখেন। মুঘল সাম্রাজ্য ১৬৬৬ হতে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত এলাকাটি সুবা বাংলার অধীনে শাসন করে। ১৭৬০ সালে ব্রিটিস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই এলাকা নিজেদের আয়ত্তে আনে। ১৮৬০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসাবে যুক্ত হয়। ব্রিটিশরা এই এলাকার নাম দেয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্ট্স বা পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি চট্টগ্রাম জেলার অংশ হিসাবে বাংলা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। ১৯৪৭ সালে এই এলাকা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি বাংলাদেশের জেলা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮০ এর দশকের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি জেলা -",
"title": "পার্বত্য চট্টগ্রাম"
},
{
"docid": "59850#1",
"text": "উদ্ধারকর্মীরা দিনভর তৎপরতা চালিয়ে যায় এবং মৃত ও আহতের সংখ্যা বেড়ে চলে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে হাটহাজারী, যেখানে তিনটি পরিবার চার মিটার মাটির নিচে চাপা পড়েছে। দোকান-পাট, বিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সূত্রমতে এলাকার কিছু যায়গায় কোমর পরিমাণ পানি জমে যায়। অনেক অধিবাসী বর্তমানে স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করে। বিশেষজ্ঞের মতে এটি চট্টগ্রামের ইতিহাসে ভয়াবহতম ভূমিধ্বস। চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ যা শহরের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ, তিন থেকে চার ফুট পানিতে আটকা পড়ে।",
"title": "২০০৭-এর চট্টগ্রামের ভূমিধ্বস"
},
{
"docid": "2683#11",
"text": "চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৫টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:\nচট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলি উপজেলাধীন কর্ণফুলি থানা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। বাকি ১৪টি উপজেলার প্রশাসনিক এলাকাসমূহ ১৬টি থানার অধীন। থানাগুলো হল:\nচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মোট ১৬টি মেট্রোপলিটন থানা রয়েছে। মেট্রোপলিটন থানাগুলো হল:\nচট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৫টি পৌরসভা রয়েছে। পৌরসভাগুলো হল:\nচট্টগ্রাম জেলার স্বাক্ষরতার হার ৫৮.৯০%। এ জেলায় রয়েছে:\nপাহাড়, নদী, সমুদ্র, অরণ্য, উপত্যকা প্রভৃতি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্যে এ জেলা অন্যান্য জেলা থেকে স্বতন্ত্র। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৩,১৯৪ মিলিমিটার।",
"title": "চট্টগ্রাম জেলা"
},
{
"docid": "38600#2",
"text": "ঢাকার আশপাশে এ চ্যানেলটির কভারেজ এরিয়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এর মধ্যে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত স্টেরিও সাউন্ড এবং ৩০ কিলোমিটার মনো সাউন্ড। মোট ১৫টি জেলা এবং ৭৬টি থানা রেডিও টুডের কভারেজ এলাকায় রয়েছে। এ এলাকায় মোট জনসংখ্যা দুই কোটি ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে রেডিও শ্রোতা রয়েছে মোট দুই কোটি তিন লাখ ৫১ হাজার ৯০৮ জন। রেডিও টুডের বর্তমান অনুষ্ঠানধারায় ইনফোটেইনমেন্টকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইনফরমেশন প্রদানের ক্ষেত্রে দুটি ধারা রয়েছে চ্যানেলটির। একটি লাইট ইনফরমেশন ও অন্যটি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স।\nবর্তমানে চট্টগ্রামের জুবিলী রোডকে কেন্দ্র করে ১০ কিলোমিটার এলাকা রেডিও টুডের সম্প্রচারের আওতায় এসেছে।",
"title": "রেডিও টুডে"
},
{
"docid": "8895#0",
"text": "পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকা, যা তিনটি জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত। চট্টগ্রাম বিভাগের এই এলাকা পাহাড় ও উপত্যকায় পূর্ণ বলে এর নামকরণ হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। দেশের একটা বিশাল অংশের বনভূমি এই অঞ্চল জুড়ে আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা প্রধান নদী হল কর্ণফুলী। এই নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাইতে গড়ে তোলা কাপ্তাই হ্রদে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।",
"title": "পার্বত্য চট্টগ্রাম"
},
{
"docid": "1100#21",
"text": "১৮৬৩ সালের ২২শে জুন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি'র যাত্রা শুরু। তবে এর প্রশাসন ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৮ জন কমিশনার সমন্বয়ে পরিষদ গঠন করা হয় ১৮৬৪ সালে। ঐসময়ে চট্টগ্রাম শহরের সাড়ে চার বর্গমাইল এলাকা মিউনিসিপ্যালিটির আওতাধীন ছিল। প্রথমে ৪টি ওয়ার্ড থাকলেও ১৯১১ সালে ৫টি ওয়ার্ড সৃষ্টি করা হয়। চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সিটি কর্পোরেশনে রুপান্তরিত হয়। বর্তমানে ওয়ার্ড সংখ্যা ৪১টি। চট্টগ্রাম শহর এলাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর অধীনস্থ। শহরবাসীদের সরাসরি ভোটে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ওয়ার্ড কমিশনারগণ নির্বাচিত হন। বর্তমানে এই শহরের মেয়র আ.জ.ম নাছির। শহরের আইন-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নিযুক্ত রয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর সদর দপ্তর দামপাড়ায় অবস্থিত। চট্টগ্রামের প্রধান আদালতের স্থান লালদীঘি ও কোতোয়ালী এলাকায় ঐতিহাসিক কোর্ট বিল্ডিং এ।\nচট্টগ্রামের মানুষ ভোজন রসিক হিসেবে পরিচিত। তারা যেমন নিজেরা খেতে পছন্দ করেন, তেমনি অতিথি আপ্যায়নেও সেরা। চট্টগ্রামের মেজবান হচ্ছে তার বড় উদাহরন। শুঁটকি মাছ, মধুভাত, বেলা বিস্কিট, \nবাকরখানি, লক্ষিশাক, কালো গরুর গোস্ত ভুনা, পেলন ডাল, মেজবানি মাংস, আফলাতুন হালুয়া, তাল পিঠা, নোনা ইলিশ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি খাদ্য।",
"title": "চট্টগ্রাম"
},
{
"docid": "645614#0",
"text": "চট্টগ্রাম তোরণ বা সিটি গেট, চট্টগ্রাম হল চট্টগ্রামের একটি নগর দ্বার। এটি নগরে প্রবেশের সময় প্রতিটি মানুষকে অভিবাদন জানায়। এই দ্বারের উত্তর দিকে রয়েছে সীতাকুন্ড উপজেলা এবং দক্ষিণ দিকে রয়েছে কর্ণেলহাট এলাকা। এই এলাকায় রয়েছে কিছু আবাসিক এলাকা। এবং পুলিশ প্রায়শই এখানে নগর থেকে বের হওয়ার সময় তল্লাশি চালায়। \nসম্প্রতি, এলাকাটির প্যানেল মেয়র এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন।",
"title": "চট্টগ্রাম তোরণ"
},
{
"docid": "1100#19",
"text": "চট্টগ্রাম শহর এলাকা ১৬টি থানার অধীনঃ চান্দগাঁও, বায়জীদ বোস্তামী, বন্দর, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, কর্ণফুলী, হালিশহর, খুলশী থানা এবং নবগঠিত চকবাজার, আকবরশাহ, সদরঘাট ও ইপিজেড ।",
"title": "চট্টগ্রাম"
},
{
"docid": "5565#1",
"text": "চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মোট আয়তন ১৬০.৯৯ বর্গ কিলোমিটার।\n২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মোট জনসংখ্যা ২০,৬৮,০৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১,৬৩,৬৭৬ জন এবং মহিলা ৯,০৪,৪০৬ জন।",
"title": "চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন"
},
{
"docid": "2683#18",
"text": "চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সর্বমোট রপ্তানী বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ সংঘটিত হয়। অন্যদিকে আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ হার ৮০ ভাগ। রাজস্ব আয়েও চট্টগ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৬০ ভাগ আসে চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে।\nবাংলাদেশের প্রথম রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল হিসাবে ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রামের হালিশহরে ৪৫৩ একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয় চট্টগ্রাম ইপিজেড। এটা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩.১০ কিলোমিটার এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে মাত্র ১.৩০ কিলোমিটার দুরত্বে হওয়ায় শিল্প পার্ক হিসাবে দ্রুত প্রসার লাভ করেছ। \nচট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের একমাত্র প্রাকৃতিক সমুদ্র বন্দর।\nচট্টগ্রাম জেলার শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:\nজেলার একমাত্র গ্যাস ফিল্ড সাঙ্গু ১৯৯৪ সালে আবিস্কৃত হয়। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কেয়ার্ন এনার্জির এই গ্যাস ফিল্ড নিয়ে চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে এ গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।\n১৯৬০ এর দশকে শংখ ও মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় তামাক চাষ শুরু হয়। বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানি (এখন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানী) রাঙ্গুনিয়াতে তামাক চাষের ব্যবস্থা করে এবং পরে লাভজনক হওয়ায় চাষীরা তা অব্যাহত রাখে।",
"title": "চট্টগ্রাম জেলা"
}
] |
পৃথিবীর মোট পানির কত শতাংশ বিশুদ্ধ পানি ? | [
{
"docid": "544438#8",
"text": "পপুলেশন ইনস্টিটিউটের সভাপতি লরেন্স স্মিথ বলেছেন, যদিও পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশ জুড়েই পানি রয়েছে, কিন্তু মোট পানিরাশির ৯৭ শতাংশই লবণাক্ত। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যে মিঠাপানির দরকার, তার পরিমাণ পৃথিবীর মোট পানিরাশির মাত্র ৩ শতাংশ। তাই স্মিথ বিশ্বাস করেন যে, জনসংখ্যাবহুল পৃথিবীতে পানি নিয়ে যে প্রতিযোগিতা চলছে, তা মানুষের অস্তিত্বের প্রতি অন্যতম প্রধান হুমকি। এমনকি সরু হয়ে আসা বরফ চাদর এবং প্রায় শুকিয়ে যাওয়া জলাধারগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ দাবী করতে গিয়ে একটি রহস্যময় তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তবুও ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ প্রতিনিয়ত নিরাপদ পানির নাগাল পাচ্ছে, অথচ অনেক আগেই এদের পানির অভাবে ভোগার কথা ছিল। ১৯৭০ সালে উন্নত বিশ্বে মাত্র ৩০% মানুষ নিরাপদ পানির নাগাল পেত, ১৯৯০ সালে এই অনুপাত এসে দাড়িয়েছে ৭১ শতাংশে, ২০০০ সালে বেড়ে হয়েছে ৭৯% এবং ২০০৪ সালে ৮৪ শতাংশে দাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে এই অনুপাত বেড়ে চলবে ক্রমাগত।",
"title": "পানি নিরাপত্তা"
},
{
"docid": "6083#1",
"text": "ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯% অংশ জুড়ে পানির অস্তিত্ব রয়েছে এবং পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জীবের জীবনধারণের জন্যই পানি একটি অত্যাবশ্যক পদার্থ। পৃথিবীতে প্রাপ্ত পানির ৯৬.৫% পাওয়া যায় মহাসাগরে, ১.৭% ভূগর্ভে, ১.৭% হিমশৈল ও তুষার হিসেবে, একটি ক্ষুদ্র অংশ অন্যান্য বড় জলাশয়ে এবং ০.০০১% বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত মেঘ, পানিীয় বাষ্প হিসেবে ও বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, ইত্যাদিরূপে। পৃথিবীর পানির মাত্র ২.৫% হল বিশুদ্ধ পানি এবং বাকি ৯৮.৮% হল ভূগর্ভস্থ পানি ও বরফ। বিশুদ্ধ পানির ০.৩%-এরও কম অংশ পাওয়া যায় নদীতে, হ্রদে ও বায়ুমণ্ডলে এবং তার চেয়েও ন্যূনতর অংশ পাওয়া যায় বিভিন্ন জীবের শরীর ও উৎপাদিত পণ্যে। পৃথিবীতে পানি প্রতিনিয়তই বাষ্পীভবন, ঘনীভবন, বাষ্পত্যাগ, ইত্যাদি বিশিষ্ট পানিচক্রের মাধ্যমে ঘূর্ণমান। বাষ্পীভবন ও বাষ্পত্যাগের কারণেই পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, ইত্যাদি ঘটে।",
"title": "পানি"
},
{
"docid": "288396#4",
"text": "পৃথিবীতে প্রাপ্ত সকল ধরনের পানির মধ্যে লবণাক্ত পানির পরিমাণই সর্বাধিক। মহাসাগর, সাগর এবং ভূ-গর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ প্রায় ৯৭ শতাংশ। মাত্র ২.৫% থেকে ২.৭৫% পানি সুপেয় পানির মর্যাদা পেয়েছে। তন্মধ্যে আবার ১.৭৫% থেকে ২% বরফ, তুষার, হিমবাহে বিদ্যমান রয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর এবং মাটিতে ০.৭% থেকে ০.৮% মিষ্ট পানি রয়েছে। এছাড়াও, ০.০১ শতাংশেরও কম হ্রদ, নদী, খাল-বিল, জলাভূমিতে আছে। স্বাদুপানির ৮৭ শতাংশ হ্রদগুলোতেই বিদ্যমান। তন্মধ্যে - ২৯% আফ্রিকার হ্রদ, ২৩% রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ এবং ১৪% বিশ্বের অন্যান্য হ্রদে রয়েছে। জলাশয়ের মাঝে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রক্ষার্থে নদ-নদীগুলোয় স্বল্প পরিমাণে সুপেয় পানি রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাজন নদী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও, বায়ুমণ্ডলে ০.০৪% সুপেয় পানি বাষ্পাকারে ভাসমান অবস্থায় আছে। বিশ্বের অধিকাংশ স্বাদু পানিই হিমায়িত অবস্থায় বরফপ্রাচীরে আছে। অনেক দেশের এলাকাই সুপেয় পানির অভাবে গুরুতর সমস্যা ভুগছে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টসহ মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে।",
"title": "স্বাদু পানি"
},
{
"docid": "81789#0",
"text": "পানি সম্পদ বা জল সম্পদ হল পানির সেই সমস্ত উৎসসমূহ যেগুলি মানুষের নিয়মিত ব্যবহারের জন্য অতিপ্রয়োজনীয়। কৃষি, শিল্প, গার্হস্থ্য ব্যবহার এবং পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণসহ মনুষ্যজীবনের সর্বক্ষেত্রেই পানির ব্যবহার অপরিহার্য। এবং এইসকল কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেটি অত্যাবশ্যক সেটি হল পরিশোধিত বিশুদ্ধ পানি। পৃথিবীতে লভ্য পানির প্রায় ৯৭.৫% হল লবণাক্ত এবং বাকি মাত্র ২.৫% বিশুদ্ধ। এই স্বল্পপরিমাণ শুদ্ধ পানির আবার দুই-তৃতীয়াংশই কঠিন অবস্থায় অর্থাৎ তুষার, হিমশৈল, ইত্যাদি রূপে বিদ্যমান। অবশিষ্ট তরল পানির অধিকাংশই ভূগর্ভস্থ এবং অতি অল্পপরিমাণ পানি ভূপৃষ্ঠস্থ জলাশয়ে লভ্য।",
"title": "পানি সম্পদ"
},
{
"docid": "1116#36",
"text": "পৃথিবীর মোট পানির প্রায় ৯৭.৫% হল লবণাক্ত; আর বাদবাকি ২.৫% হল মিঠা পানি। বেশিরভাগ মিঠা পানি, প্রায় ৬৮.৭%, উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসাবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে।",
"title": "পৃথিবী"
},
{
"docid": "547417#2",
"text": "পরিবেশের অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো পৃথিবীতে নিরাপদ পানির সংস্থানের নিঃশেষন। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত পানির শুধুমাত্র ২.৫% নিরাপদ, বাকিগুলো লবণাক্ত। সুপেয় পানির ৬৯% এন্টার্কটিকা এবং গ্রীনল্যান্ডে বরফ আকারে সঞ্চিত আছে। তাই সুপেয় পানির ২.৫% এর মাত্র ৩০% পান করার উপযুক্ত। সুপেয় পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ, কারণ পৃথিবীতে জীবনধারণের জন্য সবাই এর উপর নির্ভরশীল। পানি জীবমণ্ডলের সকল জীবের মধ্যে পুষ্টি ও রাসায়নিকের সঞ্চালন করে, উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জীবন রক্ষা করে এবং অবক্ষেপ পরিবহন ও সঞ্চয়নের মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠ গঠনে সহায়তা করে।",
"title": "পরিবেশগত অবনতি"
}
] | [
{
"docid": "6083#2",
"text": "মানব জাতি সহ অন্যান্য প্রাণীর জীবনধারণের জন্য সুপেয় পানি অপরিহার্য। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর প্রায় সকল প্রান্তেই সুপেয় পানির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তবুও প্রায় একশ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি ও প্রায় আড়াইশ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার থেকে বঞ্চিত। নিরাপদ পানির ব্যবহারের সাথে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনের সুস্পষ্ট পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। কয়েকজন পর্যবেক্ষক অনুমান করেছেন যে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকাংশেরও বেশি পানি সংক্রান্ত সঙ্কটের সম্মুখীন হবে। নভেম্বর, ২০০৯-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়েকটি উন্নয়নশীল অঞ্চলে যোগানের তুলনায় পানির চাহিদা ৫০% ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ পানি বহু রাসায়নিক পদার্থের দ্রাবক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন শিল্পে শীতলীকরণ এবং পরিবহণের কাজে সহায়তা করে। মানুষের ব্যবহৃত বিশুদ্ধ পানির প্রায় ৭০% ব্যবহৃত হয় কৃষিকার্যে।",
"title": "পানি"
},
{
"docid": "544438#6",
"text": "প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে পানির কমতি নেই। কিন্তু জাতিসংঘের বক্তব্য অনুযায়ী, মানব সম্প্রদায় এবং বাস্তুসংস্থানের জন্য ব্যবহার্য মিঠাপানির পরিমাণ মাত্র ২০০,০০০ ঘন কিলোমিটার; যা মোট মিঠাপানির পরিমাণের এক শতাংশেরও কম। যে সব পানি দূষিত নয় বা পানি দূষিতকারী রাসায়নিকে (যেমন নর্দমার ময়লা, বারবার ব্যবহারের কারণে পানিতে মিশে যাওয়া ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি) পূর্ণ নয় সেটাকেই বলা হয় ব্যবহারযোগ্য মিঠাপানি। শুধু গত শতাব্দীতেই পানি ব্যবহারের পরিমাণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। বিশেষত ২০২৫ সালের মধ্যে পানি-অপসারণের ঘটনা উন্নত বিশ্বে ৫০ শতাংশ এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়। উদাহরণ হিসেবে, আফ্রিকা মহাদেশে মিঠাপানির অনুলব্ধতা অচিরেই ৭৫ থেকে ২৫০ মিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে। ২০২৫ সালের মধ্যে আক্ষরিক অর্থেই পানির অভাবে পড়বে পৃথিবীর ১.৮ বিলিয়ন মানুষ, আর পানি নিয়ে টানাটানি শুরু হবে দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার মধ্যে।",
"title": "পানি নিরাপত্তা"
},
{
"docid": "640358#7",
"text": "ইতোমধ্যে পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠী দ্বারা জলাধারের ভূ-গর্ভস্থ পানি পান করা হয়ে গেছে। বিশ্বের জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান শহুরে এবং সমুদ্রতীরের কাছাকাছি অঞ্চলে হওয়ায় পুনঃব্যবহারের বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, যেখানে স্থানীয় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ সীমিত অথবা শুধুমাত্র বড় মূলধন ব্যয়ের সাথে উপলব্ধ। বর্জ্য পানির পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহৃত পানির ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি জমা থাকবে, যা পরিবেশ দূষণ হ্রাস এবং কার্বনের পরিমান কমাতে সাহায্য করে। পানির পুনঃব্যবহার পানির সরবরাহের একটি বিকল্প পথ হতে পারে।",
"title": "পুনর্ব্যবহৃত পানি"
},
{
"docid": "6083#8",
"text": "মানবদেহের আকারের সাপেক্ষে তাতে ৫৫%-৭৮% পানি থাকে। সক্রিয় থাকার জন্য এবং নিরুদন প্রতিরোধ করার জন্য মানবদেহের প্রতিদিন এক থেকে সাত লিটার পানির প্রয়োজন হয়। দেহের প্রয়োজনীয় পানির প্রকৃত পরিমাণ নির্ভর করে কাজকর্মের পরিমাণ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, ইত্যাদি নানা পরিস্থিতির উপর। শরীরে গ্রহণ করা পানির মোট পরিমাণের অধিকাংশই সরাসরি পানি পান করার পরিবর্তে আসে বিভিন্ন খাদ্য এবং অন্যান্য পানীয় থেকে। একজন স্বাস্থ্যবান মানুষের ঠিক কত পরিমাণ পানির দরকার তা সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা না গেলেও অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই মত প্রকাশ করেছেন যে শরীর সুস্থ রাখতে মোটামুটি প্রতিদিন ২ লিটার (৬ থেকে ৭ গ্লাস) পানির প্রয়োজন। ব্যায়াম অথবা গরম আবহাওয়া জনিত কারণে শরীর থেকে নির্গত হওয়া পানি বাদ দিয়ে চিকিৎসা শাস্ত্র সাধারণত একজন গড় পুরুষের জন্য ১ লিটার পানি অর্থাৎ অল্প পানি পান করার পক্ষে মত দেয়। যে সব ব্যক্তি সুস্থ কিডনির অধিকারী তাদের পক্ষে অতিরিক্তি পানি পান করা অসুবিধাজনক কিন্তু মূলতঃ ব্যায়াম করলে অথবা আর্দ্র আবহাওয়া থাকলে অল্প পরিমাণ পানি পান করা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। কোন ব্যক্তি ব্যায়াম করার সময় প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি পান করতে পারে কিন্তু তা পানির প্রতি অত্যধিক আসক্তি সৃষ্টি করতে পারে যা, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। একজন ব্যক্তির দৈনিক আট গ্লাস পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে যে ধারণা বহুল প্রচলিত, বিজ্ঞানে সম্ভবত তার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। একইভাবে দেহের ওজনহ্রাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে পানির উপকারিতা বিষয়ে যে ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে তাও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে খারিজ হয়ে গেছে।",
"title": "পানি"
}
] |
মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ কতদিন ধরে চলেছিল ? | [
{
"docid": "358359#0",
"text": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ একটি পৌরাণিক যুদ্ধ মহাভারতে যার বর্ণনা আছে। একই পরিবার উদ্ভূত পাণ্ডব ও কৌরব শিবিরের মধ্যে। এই যুদ্ধের বাণী হলো ধর্মের জয় ও অধর্মের বিনাশ। পাণ্ডবরা ন্যায়, কর্তব্য ও ধর্মের পক্ষ। অন্যদিকে কৌরবরা অন্যায়, জোর-জবরধস্তি ও অধর্মের পক্ষ। কথিত আছে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ - ৬০০ অব্দে বর্তমান ভারতের হরিয়ানায় এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১৮দিন।",
"title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ"
}
] | [
{
"docid": "4520#19",
"text": "মহাভারতের মূল বৃত্তান্ত হল চন্দ্রবংশীয় দুই পরিবার পাণ্ডব ও কৌরব তথা ধর্ম ও অধর্ম পক্ষের মধ্যে মহাসংঘর্ষ। পঞ্চপাণ্ডব ও শতকৌরবের মধ্যে ভূমির অধিকার সম্পর্কিত যে যুদ্ধ হয়, তা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই মহাযুদ্ধের সময়কাল সম্পর্কে বিভিন্ন ভারতীয় ও পশ্চিমী গবেষকদের মত বিভিন্ন। যথা – এছাড়াও মহাভারতে \"কৃপাচার্য\", \"ঘটোৎকচ\", \"দ্রুপদ\", \"বলরাম\", \"বিরাট\", \"শান্তনু\" এবং অসংখ্য প্রধান-অপ্রধান চরিত্র রয়েছে।",
"title": "মহাভারত"
},
{
"docid": "522411#0",
"text": "কাইদু-কুবলাই যুদ্ধ চাগাতাই খানাতের খান কাইদু এবং ইউয়ান রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কুবলাই খান ও কুবলাইয়ের উত্তরসূরি তিমুর খানের মধ্যে সংঘটিত হয়। ১২৬৮ থেকে ১৩০১ সাল পর্যন্ত কয়েক দশক এই সংঘাত চলেছিল। মঙ্গোল গৃহযুদ্ধের পর এই যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় এবং ফলশ্রুতিতে সাম্রাজ্যে ভাঙ্গন ধরে। ১২৯৪ সালে কুবলাই খানের মৃত্যুর সময় নাগাদ মঙ্গোল সাম্রাজ্য চারটি পৃথক খানাতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এগুলি হল: উত্তরপশ্চিমের গোল্ডেন হোর্ড, মধ্যভাগের চাগাতাই খানাত, দক্ষিণপশ্চিমের ইলখানাত এবং পূর্বে চীনের ইউয়ান রাজবংশ তিমুর খান পরবর্তীতে পশ্চিমের খানাতসমূহের সাথে শান্তি স্থাপন করলেও ১৩০৪ সালে কাইদুর মৃত্যুর পর চারটি খানাত পৃথকভাবে নিজেদের পরিচালিত করেছে।",
"title": "কাইদু-কুবলাই যুদ্ধ"
},
{
"docid": "4520#40",
"text": "কুরুরাষ্ট্রে সামন্তপঞ্চকে কুরুক্ষেত্র নামে এক পুণ্যক্ষেত্রে মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়। পাণ্ডব ও কৌরবদের উদ্যোগে সমস্ত আর্যাবর্তের রাজ্যসমূহ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। কৃষ্ণ তথা দ্বারকার সাহায্য প্রার্থনায় অর্জুন ও দুর্যোধন উভয়েই একই সময়ে দ্বারকায় যান। কিন্তু কৃষ্ণের ভ্রাতা বলরাম যুদ্ধে অংশ না নিয়ে তীর্থযাত্রার সিদ্ধান্ত নেন। আর কৃষ্ণ উভয় দলের আবেদন রক্ষাহেতু অস্ত্রধারণ না করার প্রতিজ্ঞা করে পাণ্ডবদের পরামর্শদাতা রূপে নিজে পাণ্ডবপক্ষে যোগ দেন এবং কৌরবপক্ষে দ্বারকার দুর্জয় নারায়ণী সেনা দান করেন। আপাতদৃষ্টিতে এতে কৌরবপক্ষই লাভবান হলেও স্বয়ং ধর্মরক্ষক ভগবান বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণ নিজে পাণ্ডবপক্ষে থাকায় তারাই লাভবান হয়।",
"title": "মহাভারত"
},
{
"docid": "358359#19",
"text": "যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথমে যুধামন্য চিত্রসেনকে হত্যা করেন। পরে ভীম নিষঙ্গিবীরদেরকে, অর্জুন কর্ণপুত্র বৃষসেনকে হত্যা করেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় মহাভারতের অন্যতম কর্ণার্জুন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রথমাবস্থায় কর্ণ কোনক্রমেই অর্জুনের উপর প্রাধান্য বিস্তার না করতে পেরে নাগাস্ত্র নিক্ষেপ করেন। এই অস্ত্রে অশ্বসেন যোগবলে প্রবেশ করলেও কৃষ্ণের সহায়তায় অর্জুন রক্ষা পান। তবে এই অস্ত্রের আঘাতে অর্জুনের মুকুট ধ্বংস হয়। এরপর অশ্বসেন নাগাস্ত্র থেকে মুক্ত হয়ে অর্জুনকে আক্রমণ করতে গেলে অর্জুনের অস্ত্রাঘাতে নিহত হন। এরপর অর্জুনের তীব্র আক্রমণে কর্ণ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে- অর্জুন তাঁকে অসুস্থ জ্ঞানে হত্যা করলেন না। কিন্তু কৃষ্ণের উত্সাহে তিনি পুনরায় কর্ণকে আক্রমণ করেন। কর্ণ সংজ্ঞালাভের পর আবার যুদ্ধ শুরু করেন। অবশেষে অর্জুন কর্ণকে হত্যা করেন অসহায় অবস্থায়। কর্নের রথচক্র মাটিতে গেঁথে যায়,তা তোলার সুযোগ দিতে চাইলেও কৃষ্ণ উপদেশ দেন কর্নকে হত্যা করতে। কর্ণের মৃত্যর পর কৌরব পক্ষের সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত হন শল্য। এরপর পুনরায় যুদ্ধ শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।",
"title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "358359#4",
"text": "দ্বিতীয় দিন কৌরব পক্ষে সেনাপতি ছিলেন ভীষ্ম। পাণ্ডব পক্ষে ছিলেন ধৃষ্টদ্যুম্ন। এই দিনের যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভীষ্ম-অর্জুনের যুদ্ধ। প্রবল যুদ্ধের পরও কেউ জয়ী হতে সক্ষম হলেন না। এদিন ভীম কলিঙ্গরাজ শ্রুতায়ু, তাঁর পুত্র শত্রুদেব ও কেতুমান, ভানুমান, সত্য, সত্যদেব ও বিপুল সংখ্যক কলিঙ্গ সৈন্য হত্যা করেন। এরপরে ভীষ্ম ও ভীমের যুদ্ধ হয়। এ ছাড়া এদিনে অভিমন্যু, ধৃষ্টদ্যুম্ন ও অর্জুন অশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। এই দিন কৌরব পক্ষে ভীষ্ম ছাড়া আর কেউ তেমন বীরত্ব প্রদর্শন করতে পারেন নি।",
"title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "358359#3",
"text": "প্রথম দিন কৌরব পক্ষে সেনাপতি ছিলেন ভীষ্ম। পাণ্ডব পক্ষে ছিলেন বিরাটরাজের পুত্র শ্বেত। এই দিনের যুদ্ধে পাণ্ডব পক্ষে ভীম ও কৌরব পক্ষে ভীষ্ম বীরত্ব প্রদর্শন করে পরস্পরের বহু সৈন্য হত্যা করেন। এই দিনের যুদ্ধে অর্জুন পুত্র অভিমন্যু অমিত বিক্রম প্রদর্শন করেন। ইনি একই সাথে ভীষ্ম, কৃতবর্মা, কৃপাচার্য ও শল্যের সাথে যুদ্ধ করেন। মদ্ররাজ শল্যের আক্রমণে বিরাটরাজের পুত্র উত্তর পরাজিত ও নিহত হন। এই মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বিরাটের অপর পুত্র শ্বেত ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য প্রবলভাবে যুদ্ধ শুরু করেন। অশেষ বীরত্ব প্রদর্শনের পর ভীষ্ম কর্তৃক ইনি নিহত হন।",
"title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "4520#11",
"text": "মহাভারতে গুপ্ত কিংবা মৌর্য সাম্রাজ্য (১০০০-৭০০ খ্রি.পূ.) অথবা জৈন বা বৌদ্ধ ধর্মের (৭০০-২০০ খ্রি.পূ.) কোনো উল্লেখ নেই। তাছাড়া শতপথ ব্রাহ্মণ (১১০০ খ্রি.পূ.) ও ছান্দোগ্য উপনিষদে (১০০০ খ্রি.পূ.) মহাভারতের কিছু প্রসঙ্গ পাওয়া যায়। অর্থাৎ মহাভারত ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের অনেক আগেই লেখা হয়েছিল।পাণিনি রচিত অষ্টাধ্যায়ীতে (৬০০-৪০০ খ্রি.পূ.) মহাভারতের কাহিনি ও কৃষ্ণার্জুনের কিছু প্রসঙ্গ রয়েছে। অতএব মহাভারত যে পাণিনির যুগের অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।প্রথম শতাব্দীতে ইউনানের রাজদূত ডিও ক্রাইজ়োস্টমের (\"Dio Chrysostom\") বর্ণনায় জানা যায়, তৎকালীন দক্ষিণ এশীয় লোকেদের কাছে এক লক্ষ শ্লোক যুক্ত একটি মহাগ্রন্থ ছিল, অর্থাৎ সেই সময়ও মহাভারতে এক লক্ষ শ্লোকই ছিল।",
"title": "মহাভারত"
},
{
"docid": "358359#6",
"text": "চতুর্থ দিন কৌরব পক্ষে সেনাপতি ছিলেন ভীষ্ম। পাণ্ডব পক্ষে ছিলেন ধৃষ্টদ্যুম্ন। এই দিনে ধৃষ্টদ্যুম্ন শল্যপুত্র সাংযমনিধিকে হত্যা করেন। ভীমের অসীম বীরত্ব প্রদর্শনের কারণে কৌরব সৈন্যের একাংশ পলায়ন করে। পরে ভীষ্ম ভীমের গতিকে রোধ করতে সক্ষম হন। এরপর ভীমের সাথে দুর্যোধনের যুদ্ধ হয়। দুর্যোধনের শরাঘাতে ভীম সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে ভীম পুনরায় আক্রমণ করলে শল্য আহত হয়ে রণক্ষেত্র পরিত্যাগ করেন। এরপর ধৃতরাষ্ট্রের ১৪ জন পুত্র একসাথে আক্রমণ করলে- ভীম জলসন্ধ, সুষেণ, উগ্র, অশ্ব, কেতু, বীরবাহু, ভীম ও ভীমরথকে হত্যা করেন। ধৃতরাষ্ট্রের অন্যান্য পুত্ররা পরে পালিয়ে যায়।",
"title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ"
},
{
"docid": "79744#6",
"text": "হারি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের হয় ১৯৬৪ সালে এবং তা চলে ৩৫ মাস, অর্থাৎ ১৯৬৭ পর্যন্ত । ১২০বি এবং ২৯৪ ধারা তুলে নিয়ে কেবল ২৯২ ধারায় চার্যশীট দেয়া হয় মলয় রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে তাঁর \"প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার\" কবিতাটির জন্য ; বাদবাকি সবাইকে রেহাই দেয়া হয় । নিম্ন আদালতে সাজা হলেও, তিনি উচ্চ আদালতে মামলা জিতে যান । কিন্তু মোকদ্দমাটির কারণে তাঁদের খ্যাতি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। সুবিমল বসাকের হিন্দি ভাষায় দখল থাকায় ভারতের অন্যান্য ভাষার সংবাদপত্র ও পত্রিকায় তাঁদের রচনা ও কাজকর্ম নিয়ে প্রচুর বিতর্ক তাঁদের প্রচারের আলোয় নিয়ে আসে। হাংরি আন্দোলনকারীরা তা-ই চাইছিলেন। পশ্চিম বাংলার ট্যাবলয়েডগুলোতে তাঁদের নিয়ে রসালো সংবাদ, এমনকি জনতা (৯.১০.৬৪), দৈনিক যুগান্তর(৭.৮.১৯৬৪ সুফী), আনন্দবাজার( ৮.৯.৬৪ চন্ডী লাহিড়ী) ও স্টেতসম্যান (২০.১২.৬৪ রবি) পত্রিকায় দেবী রায় ও মলয় রায়চৌধুরীর কার্টুন প্রকাশিত হয়েছিল । দৈনিক যুগান্তর-ই তিন দিন প্রধান সম্পাদকীয় (১৯.৭.৬৪, ৭.৯.৬৪, ১৫.৪.৬৫) লিখেছিলেন কবি কৃষ্ণ ধর। আমেরিকার \"টাইম\" পত্রিকায় ( নভেমবর ১৯৬৪) তাঁদের ফোটো এবং সংবাদ প্রকাশিত হবার ফলে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার পত্রপত্রিকা তাঁদের সংবাদ ও রচনা প্রকাশ করার জন্য কলকাতায় প্রতিনিধি পাঠায় । ভারতবর্ষে তাঁরা সমর্থন পেয়ে যান প্রতিষ্ঠিত লেখকদের। সাময়িক দুর্ভোগ হলেও হাংরি মকদ্দমা তাঁদের সাপে বর হয় । অনিল করনজাই ললিতকলা একাডেমীর পুরস্কার পান। অমেরিকা ও ইউরোপে বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন বিশেষ হাংরি আন্দোলন সংখ্যা প্রকাশ করেছিল যা ওই বয়সের কবিলেখকদের জন্য নিঃসন্দেহে আকল্পনীয়। কলকাতায় এই ধরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল: \"ইহা কি বেহুদা পাগলামি?\" (দর্পণ, ১.৫.৬৪), \"দেবদূতেরা কি ভয়ংকর\" চতুষ্পর্ণা (পৌষ, ১৩৭০), \"সাহিত্যে বিটলেমি কী এবং কেন?\" (অমৃত, শ্রাবণ ৮, ১৩৭১), \"হা-ঘরে সম্প্রদায়\" (১.১০.৬৪), \"কাব্যচর্চার নামে বিকৃত যৌনলালসা\" (জনতা, ৪.৯.৬৪), \"পুলিশি বেটন কি শিল্প বিচার করবে?\" (দর্পণ, ২৭.১১.৬৪), \"Erotic Lives & Loves of Hungry Generation\" (Blitz, 19.9.64), \"Middlebrows Thrive on New Kind of Writing\" (The Statesman, 30.12.64), \" Not By Poetry Alone\" (NOW, 20.11.64)।",
"title": "হাংরি আন্দোলন"
}
] |
বছরের কোন দিনটিকে বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলন দিবস হিসেবে পালন করা হয় ? | [
{
"docid": "608#7",
"text": "১৯৫১–৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগণের প্রবল ভাষা সচেতনতার ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা আন্দোলন নামক একটি ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই আন্দোলনে পাকিস্তান সরকারের নিকট বাংলা ভাষার সরকারি স্বীকৃতি দাবি করা হয়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহু ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন দিবস পালিত হয়। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা প্রদান করে।",
"title": "বাংলা ভাষা"
},
{
"docid": "2973#4",
"text": "১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ দিন প্রত্যুষে সর্বস্তরের মানুষ খালি পায়ে প্রভাতফেরীতে অংশগ্রহণ করে এবং শহীদ মিনারে গিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সারাদিন মানুষ শোকের চিহ্নস্বরূপ কালো ব্যাজ ধারণ করে। এছাড়া আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি তর্পণ করা হয় এবং ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দিনটি কখনো জাতীয় শোক দিবস, কখনোবা জাতীয় শহীদ দিবস হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। ২০০১ সাল থেকে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে। বাংলাদেশে এদিনে সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দিবসের তাৎপর্য্য তুলে ধরা হয়। দৈনিক সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয় পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে। বাংলাদেশ সরকার বাংলা ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একুশে পদক প্রদান করে।",
"title": "বাংলা ভাষা আন্দোলন"
},
{
"docid": "263371#0",
"text": "ভাষা আন্দোলন দিবস, শহীদ দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে পালিত একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫২ সালে তদানীন্তন পূর্ব বাংলায় আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার লক্ষ্যে যারা শহীদ হয় তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য এই জাতীয় দিবসটি পালন করা হয়।",
"title": "ভাষা আন্দোলন দিবস"
},
{
"docid": "2973#39",
"text": "বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনে বাংলা ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব বিদ্যমান। বাঙালির মধ্যে বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপলক্ষ উদযাপন ও ভাষার উন্নয়নের কাজ করার মানসিকতা তৈরিতে এ আন্দোলনের যথেষ্ট ভূমিকা আছে। বাংলাদেশে ২১ ফেব্রুয়ারি ‘মাতৃভাষা দিবস’ বা ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে, এবং একই সাথে একটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসটি আরো নানাভাবে উদযাপিত হয় যার মধ্যে আছে, মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদযাপন, যা একুশে বইমেলা নামে সমধিক পরিচিত। এছাড়াও ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের ত্যাগের সম্মানে এ মাসেই ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক ‘একুশে পদক’। মানুষের ভেতর একুশের আবেগ পৌঁছে দিতে একুশের ঘটনা ও চেতনা নিয়ে রচিত হয়েছে বিভিন্ন প্রকার দেশাত্মবোধক গান, নাটক, কবিতা ও চলচ্চিত্র। তন্মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত ও আলতাফ মাহমুদ সুরারোপিত \"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো\" গানটি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকেই বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রভাব সূচিত হয়ে আসছে। রচনাগুলোর মধ্যে আছে - শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক কবর; কবি শামসুর রাহমান রচিত কবিতা \"বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা\" এবং \"ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯\"; জহির রায়হান রচিত উপন্যাস \"একুশে ফেব্রুয়ারি\"; বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান রচিত \"আর্তনাদ\" উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে জহির রায়হান পরিচালিত চলচ্চিত্র \"জীবন থেকে নেয়া\"।",
"title": "বাংলা ভাষা আন্দোলন"
},
{
"docid": "2973#33",
"text": "কেন্দ্রীয় সর্বদলীয় কর্মপরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারি স্মরণে \"শহীদ দিবস\" পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ মজিবুর রহমানও দিবসটি পালনে সম্মত হন। ১৯৫৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা শান্তিপূর্ণভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের উদ্দেশ্যে প্রশাসনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ভাষা আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে সারা দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস পালিত হয়। অধিকাংশ অফিস, ব্যাংক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মানুষ প্রভাতফেরীতে যোগ দেন। হাজার হাজার মানুষ শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আসে এবং মিছিল করে প্রাঙ্গন ত্যাগ করে। সহিংসতা রোধের জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়। প্রায় লক্ষ লোকের উপস্থিতিতে আরমানিটোলায় বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে এক-দফা দাবি জানানো হয়, ভাষার দাবির পাশাপাশি মাওলানা ভাসানীসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি উত্থাপন করা হয়। রেলওয়ের কর্মচারীরা ছাত্রদের দাবির সাথে একমত হয়ে ধর্মঘট পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রাবাসের ছাত্ররা শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। অন্যদিকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ফজলুর রহমান বলেন যে, বাংলাকে যারা রাষ্ট্রভাষা করতে চায় তারা দেশদ্রোহী। তাঁর এ বক্তব্যে জনগণ হতাশ হয়ে তাঁকে কালো ব্যাজ দেখায়। সাধারণ মানুষের মাঝে \"রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই\" লেখা সম্বলিত স্মারক ব্যাজ বিলি করা হয়। ভাষা সংগ্রাম কমিটি দিবসটি পালন উপলক্ষে সমাবেশ আহ্বান করে। আন্দোলনকে আরো বেগবান করার জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনের মূল অনুপ্রেরণাদায়ী অমর সঙ্গীত \"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো...\" ঐ বছর কবিতা আকারে লিফলেটে প্রকাশিত হয়। ১৯৫৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাদে কালো পতাকা উত্তোলনের সময় পুলিশ কিছু ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে।",
"title": "বাংলা ভাষা আন্দোলন"
},
{
"docid": "15844#65",
"text": "এই হত্যাকাণ্ডের পরে সারা দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ ও অান্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই অান্দোলনের নেতৃত্বে ছিল [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | আওয়ামী মুসলিম লীগ]] যার পরবর্তীতে নামকরণ করা হয় [[আওয়ামী লীগ]]। কয়েক বৎসর ব্যাপী সংঘর্ষ চলার পর, কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে পরাজয় স্বীকার করে এবং ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, ইউনেস্কো, ২১ ফেব্রুয়ারিকে অানুষ্ঠানিকভাবে [[আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস]] হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশে ২১ ফেব্রুয়ারী [[ভাষা আন্দোলন দিবস]], একটি জাতীয় দিবস হিসাবে পরিগণিত হয়। [[কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার|শহীদ মিনার]] স্মৃতিস্তম্ভটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে আন্দোলন ও তার শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়।",
"title": "বাংলাদেশের ইতিহাস"
},
{
"docid": "608#2",
"text": "১৯৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তানে সংগঠিত বাংলা ভাষা আন্দোলন এই ভাষার সাথে বাঙালি অস্তিত্বের যোগসূত্র স্থাপন করেছিল। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী ছাত্র ও আন্দোলনকারীরা মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলা ও লেখাপড়ার অধিকারের দাবীতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। মাতৃভাষার জন্য তাঁদের বলিদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।",
"title": "বাংলা ভাষা"
}
] | [
{
"docid": "35768#0",
"text": "বিজয় দিবস বাংলাদেশে বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়। প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়। ২২ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারীভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। এ উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। ১৬ই ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির প্রধান মাননীয় রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রচুরসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকেন।",
"title": "বিজয় দিবস (বাংলাদেশ)"
},
{
"docid": "115700#6",
"text": "বিশ্বের কোনো এক দেশে প্রারম্ভের পর, দিবসটির প্রতিপাদ্যগত সৌন্দর্য্যে বা ফলপ্রদতায় আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশেও চালু হওয়া দিবসগুলোকে বৈশ্বিক দিবস, বিশ্ব দিবস বা আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের জন্মবার্ষিকীতে সারা বিশ্বব্যাপী অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দিবসটি পালিত হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো আলতোর মানবতাবাদী সম্প্রদায় ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম এই দিবসটি পালন শুরু করে, এবং এরপর দিবসটি প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে।\nস্কাউটিং আন্দোলনের প্রবক্তা ব্যাডেন পাওয়েল ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁরই হাত ধরে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে স্কাউটিং আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। তাই এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী স্কাউট দিবস হিসেবে পালিত হয়।",
"title": "বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ"
},
{
"docid": "360107#6",
"text": "এই ঘটনার পর অসম সরকার বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারী ভাষা হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।\nপ্রতি বছর বরাক উপত্যকাসহ ভারতের বিভিন্নপ্রান্তে ১৯ মে কে \"বাংলা ভাষা শহীদ দিবস\" হিসেবে পালন করা হয়।",
"title": "বাংলা ভাষা আন্দোলন (বরাক উপত্যকা)"
}
] |
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর বাবার নাম কী ছিল ? | [
{
"docid": "306093#1",
"text": "নওয়াব ফয়জুন্নেসার জন্ম কুমিল্লা জেলার হোমনাবাদ পরগনার (বর্তমানে লাকসামের) অন্তর্গত পশ্চিমগাঁয়ে । তিনি ১৮৩৪ সালে জন্মগ্রহন করেন । তাঁর বাবার নাম আহমেদ আলী চৌধুরী , বাবা জমিদার আর মা-আরাফান্নেসা চৌধুরাণী ।",
"title": "নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী"
}
] | [
{
"docid": "306093#8",
"text": "নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা নওয়াব। তিনি সমাজ সংস্কারের অংশ হিসেবে মেয়েদের শিক্ষার প্রতি জোর প্রচেষ্টা করেন । ১৮৭৩ সালে ('বেগম রোকেয়া'র জন্মের সাত বছর পূর্বেই) নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে তিনি মেয়েদের জন্য কুমিল্লায় একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। উপমহাদেশের বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত মেয়েদের প্রাচীন স্কুলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।",
"title": "নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী"
},
{
"docid": "306093#0",
"text": "নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা নওয়াব। তিনি অনেকটা নিজের অদম্য ইচ্ছার কারনে শিক্ষিত হন। শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও সেবাব্রতে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে বিরল ।",
"title": "নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী"
},
{
"docid": "306093#2",
"text": "তিনি তাঁর বাবার প্রথম কন্যাসন্তান। সে সময় জমিদার বংশের সন্তান হিসেবে বেশ আরাম-আয়েশের মধ্য দিয়ে তিনি বেড়ে ওঠেন। মোগল রাজত্বের উত্তরসূরী এই মহীয়সী নারীর দুই ভাই( এয়াকুব আলী চৌধুরী এবং ইউসুফ আলী চৌধুরী) আর দু’বোন (লতিফুন্নেসা চৌধুরাণী এবং আমিরুন্নেসা চৌধুরাণী) ছিল । \nছোটবেলা থেকে লেখাপড়ায় তাঁর প্রচুর আগ্রহ দেখে তার বাবা তার জন্য একজন গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করেন। তিনি কঠোর নিয়মানুবর্তিতা পালন করে তাঁর জ্ঞানস্পৃহাকে আরো উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে তোলেন। গৃহশিক্ষকের সাহায্যে ফয়জুন্নেসা খুব দ্রুতই কয়েকটি ভাষার উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন । বাংলা, আরবি, ফার্সি ও সংস্কৃত এ চারটি ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ সহ ফয়জুন্নেসার এ প্রতিভা স্ফুরণে তাঁর শিক্ষক তাজউদ্দিনের অবদান অতুলনীয়।",
"title": "নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী"
},
{
"docid": "264402#1",
"text": "ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, খুলনায় নানার বাড়িতে। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মায়ের নাম রওশন হাসিনা। বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর নানা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম কংগ্রেস করতেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের শাসনকালে স্পিকার হয়েছিলেন তিনি। ১৯৫২ সালে তার নানা সুপ্রিম কোর্টে কাজ করার জন্য ঢাকা চলে আসেন। প্রিয়ভাষিণীও নানার পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় আসেন। ভর্তি হন টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে। পরবর্তীতে নানা মিন্টু রোডের বাসায় চলে এলে প্রিয়ভাষিণী ভর্তি হন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলে। তখন শহীদ জাহানারা ইমাম ছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তিনি খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।",
"title": "ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী"
},
{
"docid": "636129#1",
"text": "১৮৫৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত রংপুরের পায়রাবন্দ জমিদার বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জহিরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের এবং মাতা রাহাতুন্নেছা সাবেরা চৌধুরানী। তার ছোটবোন ছিলেন বেগম রোকেয়া। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে বড় হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই কঠোর পর্দাপ্রথার মধ্যে বড় হন তিনি। শিক্ষা ছিল কুরআন পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভাইদের থেকে শুনে শুনে তিনি পারস্য কবিতা মুখস্ত করে ফেলতেন। ছোটবেলায় পুঁথি পড়তে গিয়ে বাড়িতে ধরাও পড়েছেন তিনি। নিজের চেষ্টায় ইংরেজি ও বাংলা শিখেছিলেন। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার জমিদার আবদুল হালীম খান গজনবীর সাথে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে সম্পন্ন হয়। ২৩ বছর বয়সে তিনি বিধবা হন। তখন তিনি দুই পুত্রের জননী।",
"title": "করিমুন্নেসা খানম চৌধুরানী"
},
{
"docid": "431860#0",
"text": "বনানী চৌধুরী (, জন্ম: ১৯২৪, মৃত্যু: জানুয়ারি ৫,১৯৯৫) বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম মুসলিম অভিনেত্রী। তৎকালীন সমাজে মুসলিম নারীদের বাড়ির বাইরে প্রবেশে ছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু শত বাধা পেরিয়ে তিনি গড়েছেন এক দৃষ্টান্ত এবং সহজ করে দিয়েছেন তাঁর পরবর্তী মুসলিম অভিনেত্রীদের চলচ্চিত্রে অংশেগ্রহণের পথ। \nবাংলা চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী বনানী চৌধুরী ১৯২৪ সালের মে মাসে জন্মগ্রহণ করেন বনগাঁ তে। বনানী চৌধুরীর পিতার নাম আফসার উদ্দিন। বনগাঁ ছিল তাঁর বাবার কর্মস্থল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের পৈতিক নিবাস ছিল বৃহত্তর যশোর জেলার শ্রীপুর থানার সোনাতনদি গ্রাম। যা বর্তমানে মাগুরা জেলাতে অবস্থিত। \nপ্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলাস্থ সাগরদিঘী গ্রামের একটি স্কুলে। অল্প বয়সে তাঁর বিয়ে হয় এবং পরে তিনি স্বামীর উৎসাহেই পড়ালেখা চালিয়ে যান। ১৯৪১ সালে তিনি ম্যাট্টিক পাস করেন। এবং পরে আই. এ. ও তারপর বি. এ. পাস করেন।",
"title": "বনানী চৌধুরী"
},
{
"docid": "5590#1",
"text": "ব্রাহ্ম সংস্কারক ব্রজকিশোর বসুর কন্যা কাদম্বিনীর জন্ম হয় ১৮ই জুলাই ১৮৬১ তে বিহারের ভাগলপুরে । তাঁর মূল বাড়ি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালের চাঁদসি তে। তাঁর বাবা ভাগলপুর স্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন। ব্রজকিশোর বসু অভয়চরণ মল্লিকের সাথে ভাগলপুরে মহিলাদের অধিকারের আন্দোলন করেছিলেন। তাঁরা মহিলাদের সংগঠন ভাগলপুর মহিলা সমিতি স্থাপন করেছিলেন ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে । এই ঘটনা ছিল ভারতে প্রথম। কাদম্বিনী তাঁর পড়াশোনা আরম্ভ করেন বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয়ে । এরপর বেথুন স্কুলে পড়ার সময়ে তিনি ১৯৭৮ সালে প্রথম মহিলা হিসাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাস করেন । তাঁর দ্বারাই প্রভাবিত হয়ে বেথুন কলেজ প্রথম এফ.এ (ফার্স্ট আর্টস) এবং তারপর অন্যান্য স্নাতক শ্রেণি আরম্ভ করে। কাদম্বিনী এবং চন্দ্রমুখী বসু বেথুন কলেজের প্রথম গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে। তাঁরা বি.এ পাস করেছিলেন। তাঁরা ছিলেন ভারতে এবং সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট।",
"title": "কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়"
},
{
"docid": "408030#0",
"text": "সুরেখা যাদব বা সুরেখা শঙ্কর যাদব (জন্মঃ ১৯৬৫ মহারাষ্ট্র) ভারত রেলওয়ের প্রথম ট্রেন চালক এবং একইসঙ্গে এশিয়ার প্রথম ট্রেনচালক।। এপ্রিল ২০০০ সালে ভারতের তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারটি শহরে ট্রেন চালু করেন, তখন সুরেখা যাদব মধ্যমাঞ্চল রেলের মহিলাদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালান। ২০১১ সালের ৮ মার্চ তার কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যেদিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তিনি এশিয়ার প্রথম মহিলা ট্রেন চালক হিসাবে পুনে থেকে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস পর্যন্ত কঠিন কিন্তু নাটকীয় ভৌগলিক স্থান দিয়ে \"ডেকান কুইন\" ট্রেন পরিচালনা করেন, যেখানে তাকে মুম্বইয়ের মেয়র শ্রদ্ধা যাদব অভ্যর্থনা জানান। তার স্বপ্ন সত্য হয় যখন তিনি মধ্যাঞ্চলের মর্যাদাপূর্ণ ট্রেনগুলির একটি পরিচালনা করেন, যেটি একজন মহিলার নামে; মুম্বই-পুণে প্রবাসি সংঘ তার ট্রেন চালনা সমর্থন করে।",
"title": "সুরেখা যাদব"
},
{
"docid": "306093#9",
"text": "দেশে বিদেশে শিক্ষার প্রচারে তার অবদান অনস্বীকার্য। নওয়াব ফয়জুন্নেসা (পশ্চিমগাঁয়ে) একটি অবৈতনিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার ছাত্রদের অন্য একটি ছাত্রাবাসও ছিল।মাদ্রাসার ভালো ফলাফলে উৎসাহিত হয়ে পরবর্তিকালে তাঁর (ফয়জুন্নেসার) বংশধরগণ ১৯৪৩ খ্রীঃ এটিকে উচ্চ মাধ্যমিক ইসলামিক কলেজে রূপান্তরিত করেন। ১৯৬৫ খ্রীঃ কলেজটি একটি ডিগ্রী কলেজে রূপান্তরিত হয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা ডিগ্রী কলেজ নামে আখ্যায়িত হয়। ১৯৮২ খ্রীঃ এ কলেজটির সরকারিকরণ হয় এবং নাম হয় \"নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ\" । তাছাড়া তিনি আর তার কন্যা বদরুন্নেসা পশ্চিমগাঁওয়ে \"নওয়াব ফয়জুন্নেসা ও বদরুন্নেসা উচ্চবিদ্যালয়' প্রতিষ্ঠা করেন।\nমেয়েদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য তিনি সব সময় উৎসাহিত করতেন। তিনি মেয়েদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা করেছিলেন। তার জমিদারির আয় থেকে মেয়েদের জন্য নির্মিত এ হোস্টেলের সব খরচ বহন করা হতো। মেয়েদের জন্য মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন । \nতিনি পবিত্র মক্কা শরিফে 'মাদ্রাসা-ই-সওলাতিয়া ও ফোরকানিয়া সহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পরিমানে সহায়তা করেন।",
"title": "নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী"
}
] |
সৈয়দ আলী হোসেনী খামেনেয়ী কবে জন্মগ্রহণ করেন ? | [
{
"docid": "335168#2",
"text": "আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী খামেনেয়ী ১৯৩৯ সালের ১৫ জুলাই মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খামেনেয়ী ‘সৈয়দ’ খেতাব ধারণ করেন যা সরাসরি বংশানুক্রমে সুন্নি ইসলামের চতুর্থ খলিফা ও শিয়া ইসলামের প্রথম ইমাম আলী ইবনে আবু তালিব হতে পাওয়া। খামেনেয়ীর পূর্বপুরুষদের বেশিরভাগই বর্তমান ইরানের তাফরেজ থেকে আগত এবং তাঁরা দেশান্তরিত হয়ে তাবরিজ শহরে বসবাস শুরু করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ জওয়াদ খামেনেয়ী এবং মাতার নাম খাদিজা মিরদামাদী। মা-বাবার আট সন্তানের মধ্যে খামেনেয়ী দ্বিতীয়, এর মধ্যে তার দুই ভাই-ই ধর্মগুরু। তাঁর ছোট ভাই হাদী খামেনেয়ী একটি ইরানি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও ধর্মগুরু।",
"title": "আলি খামেনেই"
},
{
"docid": "335168#0",
"text": "সৈয়দ আলী হোসেনী খামেনেয়ী (; জন্ম: ১৭ জুলাই ১৯৩৯) হলেন ইরানের বর্তমান (২য়) সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং ইরানের ৮ কোটি শিয়া মুসলমানের আধ্যাত্মিক নেতা। ১৩ অক্টোবর ১৯৮১ থেকে ৩ আগস্ট ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি ইরানের ৩য় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ফোর্বস সাময়িকী ২০১২ সালে তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ২১ জনের মধ্যে স্থান দেয়।",
"title": "আলি খামেনেই"
}
] | [
{
"docid": "335168#24",
"text": "২০০০ সালের ১৫-ই ডিসেম্বর সৈয়দ আলী হোসেনী খামেনেয়ী বলেন, “ক্ষতিকর টিউমার রাষ্ট্রকে (ইসরায়েল) এই অঞ্চল থেকে অপসারণ করা উচিত।” ওই অনুষ্ঠানেই তিনি একটি প্রস্তাব পেশ করে বলেন “ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ফিরে আসা উচিত এবং মুসলমান, খৃষ্টান ও ইহুদীরা (অভিবাসী ইহুদী ব্যতীত) ঠিক করে তাদের নিজেদের জন্য একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।” \"",
"title": "আলি খামেনেই"
},
{
"docid": "335168#3",
"text": "প্রথম বয়সে খামেনেয়ী তাঁর গুরুগণ, যেমন: শেখ হাশেম কজভিনি এবং আয়াতুল্লাহ মিলানির কাছে ধর্মশিক্ষায় দীক্ষিত হন। ১৯৫৭ সালে মাশহাদ ত্যাগ করে তিনি বর্তমান ইরাকের শহর নাজাফের উদ্দেশে রওনা হন। কিছু দিন নাজাফে থাকার পর তিনি কোম শহরে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ইসলামি সামরিক একাডেমিতে ধর্মতত্ত্ব শেখেন। এই সময় তাঁর সতীর্থ ছিলেন রুহুল্লাহ খোমেনী। এরপরে তিনি ১৯৬৩ সালে ইসলামী কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং এর জন্য তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। আলী খামেনেয়ী সোভিয়েত ইউনিয়নের পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন, যদিও এই বিষয়ে তাঁর ওয়েবসাইটে কোনও কিছুর উল্লেখ নেই।",
"title": "আলি খামেনেই"
},
{
"docid": "624802#1",
"text": "বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের, দেওভান্ডার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী ও মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান।",
"title": "সৈয়দ মাহমুদ হোসেন"
},
{
"docid": "483109#1",
"text": "সৈয়দ এমদাদ আলী ১২৮২ বঙ্গাব্দের ১ আশ্বিন (১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দ) ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের খিলগাঁও গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বিক্রমপুরের দামপাড়া তার পৈতৃক নিবাস ছিল।",
"title": "সৈয়দ এমদাদ আলী"
},
{
"docid": "535004#0",
"text": "হযরত গাউসে সানী সৈয়দ শাহ জাকির আলী আল কাদেরী আল বাগদাদী (জন্ম: ১৬৯৯ – ওফাত:১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দ) ইরাকের কাদেরীয়া সূফি ত্বরিকার একজন প্রসিদ্ধ সূফি সাধক। তিনি ইরাকের বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার বংশানুক্রম হযরত বড়পীর শায়েখ মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানীর বংশ হয়ে হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর বংশের সাথে গিয়ে মিলিত হয়েছে। তিনি হযরত বড়পীর শায়েখ মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানীর ১৭তম বংশধর।",
"title": "সৈয়দ শাহ জাকির আলী"
},
{
"docid": "252471#1",
"text": "সৈয়দ মোস্তফা কামালের জন্ম ২৫ শে জানুয়ারি ১৯৪৩ ইংরেজি সনে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মসাজান গ্রামে। তাঁর পিতা সৈয়দ মসদ্দর আলী, মাতা সৈয়দা খোদেজা খাতুন। হযরত শাহ জালালের সঙ্গী-অনুসারী তরফ বিজয়ী সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীনের বংশধর তিনি। কথিত আছে, সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীনের বংশে অনেক কীর্তিমান পুরুষদের জন্ম হয়। যাঁদের মধ্যে বাংলা সাহিত্য বিষয়ে পরিচিত: সৈয়দ মুসা, মধ্যযুগের মহাকবি সৈয়দ সুলতান, ঐতিহাসিক সৈয়দ মুজতবা আলী, সৈয়দ মোস্তফা আলী, সৈয়দ মুর্তাজা আলী সৈয়দ মোস্তফা কামাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য",
"title": "সৈয়দ মোস্তফা কামাল"
},
{
"docid": "335168#6",
"text": "সৈয়দ আলী খামেনেয়ী ইরানী বিপ্লব চলাকালীন সময়ে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনীর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা এবং বিপ্লবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি খোমেনীর নেতৃত্বে রাজা মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিযানে অংশ নেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি বহুবার গ্রেফতার হন। ১৯৭৮ সালে তিনি বিদেশে আশ্রয় নেন।",
"title": "আলি খামেনেই"
},
{
"docid": "431612#1",
"text": "সৈয়দ মহসিন আলী ১৯৪৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ আশরাফ আলী এবং মাতা আছকিরুন্নেছা খানম। ছাত্রলীগের একজন সদস্য হিসেবে মহসিন আলী ছাত্রজীবনেই আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৭১ এর ২৩ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মহকুমা/জেলা রেডক্রিসেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন।\nপরবর্তীতে তিনি মৌলভীবাজার চেম্বারের সভাপতি এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বও পালন করেন।",
"title": "সৈয়দ মহসিন আলী"
}
] |
মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সর্বপ্রথম কোন মার্কিন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন ? | [
{
"docid": "656101#0",
"text": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। ১৯৮২ সালে \"লুকিন’ টু গেট আউট\" চলচ্চিত্রে শিশু অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক হয়। এতে তিনি তার পিতা জন ভইটের সাথে অভিনয় করেন। ১১ বছর পর স্বল্প বাজেটের \"সাইবর্গ ২\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হয়। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র \"হ্যাকারস\" বক্স অফিসে সফল না হলেও সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়। \"জর্জ ওয়ালেস\" (১৯৯৭) টিভি চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি সফল হন এবং সেরা টিভি পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন এবং মিনি ধারাবাহিক বা টিভি চলচ্চিত্রে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারে মনোনীত হন। ১৯৯৮ সালে এইচবিও টেলিভিশনের \"জিয়া\" টিভি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা টিভি অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেন।",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলির চলচ্চিত্র তালিকা"
},
{
"docid": "92186#1",
"text": "১৯৮২ সালে \"লুকিন’ টু গেট আউট\" চলচ্চিত্রে বাবা জন ভইটের সাথে একটি শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে জোলির আবির্ভাব হয়। তবে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর অভিষেক ঘটে স্বল্প বাজেটের ছবি \"সাইবর্গ ২\" (১৯৯৩)-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। তাঁর অভিনীত প্রথম বড় মাপের ছবি \"হ্যাকারস\" (১৯৯৫)। এ ছবিতে তিনি নামভূমিকায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে তাঁকে \"জর্জ ওয়ালেস\" (১৯৯৭) ও \"জিয়া\" (১৯৯৮)-এর মতো সমালোচক-নন্দিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। নাট্য চলচ্চিত্র \"গার্ল, ইন্টারাপ্টেড\" (১৯৯৯)-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ভিডিও গেম নায়িকা লারা ক্রফ্ট চরিত্র নিয়ে \"\" (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয় তাঁর তারকাখ্যাতি আরও বাড়িয়ে দেয়। মূলত এরপর থেকেই জোলি হলিউডের অন্যতম ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক-প্রাপ্ত একজন অভিনেত্রী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তাঁর চলচ্চিত্র-জীবনের সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক সাফল্য যে দুটি চলচ্চিত্র থেকে এসেছে সেগুলো হলো অ্যাকশন-কমেডিধর্মী \"মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ\" (২০০৫) এবং অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র \"কুং ফু পান্ডা\" (২০০৮)।",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
}
] | [
{
"docid": "92186#17",
"text": "২০০০ সালে, জোলি তাঁর জীবনের প্রথম গ্রীষ্মকালীন ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র \"গন ইন সিক্সটি সেকেন্ডস\"-এ অভিনয় করেন, যেখানে তাঁর চরিত্রটি ছিলো গাড়ি চোর নিকোলাস কেজের সাবেক প্রেমিকা সারা ‘সোয়ে’ ওয়েল্যান্ডের। ছবিতে জোলির ভূমিকা ও উপস্থিতি ছিলো খুবই অল্প এবং \"ওয়াশিংটন পোস্ট\" সমালোচনা করে লেখে, “এ ছবিতে সে যা কিছু করেছে তা হচ্ছে, যাওয়া-আসা, ঘুরে বেড়ানো, আর দাঁতগুলোকে ঘিরে থাকা তাঁর হৃষ্টপুষ্ট ঠোঁটযুগলকে উত্তেজনাকরভাবে নাড়ানো” পরবর্তীতে জোলি ব্যাখ্যা করে বলেন, লিসা রো-এর মতো একটি গুরুগম্ভীর চরিত্রে অভিনয়ের পর সেটা ছিলো অনেকটা স্বাগত উপস্থিতির মতো। এ চলচ্চিত্রটি ছিলো তখন পর্যন্ত জোলির অভিনীত সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। বিশ্বব্যাপী এটির আয় ছিলো ২৩.৭ কোটি মার্কিন ডলার।",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
},
{
"docid": "92186#0",
"text": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি (; জন্ম: অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভইট; ৪ জুন ১৯৭৫) একজন মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মানবহিতৌষী। তিনি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। চলচ্চিত্র জগতের বাইরে ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মানবতার প্রচার, এবং বিশেষ করে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার জন্য জোলি বিশেষভাবে সমাদৃত। একাধিকবার তিনি ‘বিশ্বের সেরা সুন্দরী’ নির্বাচিত হয়েছেন। রূপালী পর্দার অন্তরালে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন প্রায় সময়ই গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার লাভ করেছে।",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
},
{
"docid": "92186#15",
"text": "১৯৯৯ সালে জোলি মাইক নিউয়েল পরিচালিত কমেডি-ড্রামা চলচ্চিত্র \"পুশিং টিন\"-এ অভিনয় করেন। সেখানে তাঁর সহ-অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন জন কুস্যাক, বিলি বব থর্নটন, এবং কেট ব্লানচেট। জোলির চরিত্রটি ছিলো থর্নটনের আবেদনময়ী স্ত্রী’র। চলচ্চিত্রটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করে, বিশেষ করে জোলির চরিত্রটি সমালোচিত হয়। \"ওয়াশিংটন পোস্ট\" সমালোচনা করে লেখে, “ম্যারি (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি) লেখকের সম্পূর্ণ হাস্যকর এক সৃষ্টি। মেয়েটি মুক্ত আত্মার অধিকারী, যে কিনা মৃত জবাফুলের ওপর চোখের পানি ফেলে, গাদাখানেক ফিরোজা পাথরের আংটি পরে থাকে, রাসেল সারারাত বাড়ির বাইরে কাটালে একাকী বোধ করে।” এরপর তিনি ডেনজেল ওয়াশিংটনের সাথে জেফ্রি ডেভারের অপরাধ উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা চলচ্চিত্র \"দ্য বোন কালেক্টর\"-এ অভিনয় করেন। এখানে জোলির চরিত্রটি ছিলো অ্যামেলিয়া ডোনাঘি নামক এক পুলিশ কর্মকর্তার। ডোনাঘির বাবাও পুলিশে ছিলেন এবং তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। ওয়াশিংটনকে, জোলি, একজন সিরিয়াল কিলারকে অনুসরণ করতে সাহায্য করে। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১৫.১ কোটি মার্কিন ডলার আয় করলেও সমালোচকদের দৃষ্টিতে এটি সফল হতে পারেনি। \"ডিট্রয়েট ফ্রি প্রেস\" মন্তব্য করে, “জোলি সবসময়ের মতো এখানেও সুন্দর অভিনয় উপহার দেবার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে চরিত্রটি তাঁর ছিলো না।”",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
},
{
"docid": "92186#21",
"text": "অভিনেতা ইথান হকের সাথে জোলি ২০০৪ সালে রহস্য চলচ্চিত্র \"টেকিং লাইভস\"-এ অভিনয় করেন। এখানে জোলি ইলিয়ানা স্কট নামের একজন এফবিআই এজেন্ট রূপে অভিনয় করেন, এবং তাঁর কাজ ছিলো কানাডার মন্ট্রিলের অপরাধ বিভাগকে একজন ক্রমিক খুনি খুঁজে বের করতে সাহায্য করা। ছবিটি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসে, এবং \"দ্য হলিউড রিপোর্টার\" মন্তব্য করে, “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এটি নিশ্চিতভাবেই মনে আসে যে তিনি আগেও এধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এখানে তাঁর উত্তেজনা ও গ্ল্যামারের অতিরিক্ত বহিঃপ্রকাশ ছিলো খুবই গাঢ় ও চোখে লাগার মতো।” জোলি একই বছর ড্রিমওয়ার্কস প্রযোজিত চলচ্চিত্র \"শার্ক টেল\" (২০০৪)-এ লোলা চরিত্রে কণ্ঠদান করেন। \"শার্ক টেল\" হচ্ছে একটি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র এবং লোলা একটি অ্যাঞ্জেলফিশ। ঐ বছরই তিনি কেরি কনরানের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীভিত্তিক অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র \"স্কাই ক্যাপ্টেন এন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অফ টুমরো\"-এ কমান্ডার ফ্রান্সেসকা ‘ফ্র্যাঙ্কি’ কুক চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি সম্পূর্ণ ব্লুস্ক্রিনের সামনে তৈরি করা হয়। ২০০৪ সালে তাঁর অভিনীত শেষ চলচ্চিত্রটি হচ্ছে অলিভার স্টোনের তৈরি জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র \"আলেকজান্ডার\"। ছবিটির কাহিনী গড়ে উঠেছে সেনাপতি মহামতি আলেকজান্ডারের জীবনকে কেন্দ্র করে। এখানে জোলির অভিনীত চলচ্চিত্রটির নাম ছিলো অলিম্পাস। পরিচালক স্টোনের, আলেকজান্ডারের চরিত্রের উভকামী দিকটি নিচুভাবে উপস্থাপন করাটা স্থানীয় দর্শকরা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। ছবিটি স্থানীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িকভাবে সফলতা লাভে ব্যর্থ হয়, কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এটি ছিলো একটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এটি ১৬.৭ কোটি ডলার আয় করে।",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
},
{
"docid": "641244#3",
"text": "ফ্যানিং, ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রোমাঞ্চকর কাহিনী সমৃদ্ধ ওয়াল্ট ডিজনি-এর বিখ্যাত চলচ্চচিত্র \"মেইলফিসেন্ট-এ জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেত্রী এঞ্জেলিনা জোলি'র সাথে অভিনয় করেন, চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন জনপ্রিয় মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা রবার্ট স্টোর্মবার্গ। চলচ্চিত্রটিতে জোলি মেইলফিসেন্ট-নামক শিরোনামিক ভূমিকায় অভিনয় করেন, যখানে ফ্যানিং প্রিন্সেস অরোরা, দ্য স্লিপিং বিউটি ভূমিকায় অভিনয় করেন। একই বছর, তাকে মার্কিন স্বাধীন কল্পবিজ্ঞান দৃশ্যকাব্যের চলচ্চিত্র \"ইয়ং ওয়ান্স\" (২০১৪)-এ হাজির হতে দেখা যায় এছাড়াও তিনি, মার্কিন জাজ পিয়ানোবাদক জো অ্যালবানি-এর জীবনীমূলক দৃশ্যকাব্যের চলচ্চিত্র \"লো ডাউন\"-এ অভিনয় করেন, চলচ্চিত্রটিতে তিনি অ্যালবানির মেয়ে এ্যামি জো'র ভূমিকায় অভিনয় করেন, যার দৃষ্টিকোন থেকে গল্পটি বলা হয়েছিল।",
"title": "এলি ফ্যানিং"
},
{
"docid": "92186#10",
"text": "১৯৯৭ সালে জোলি লস অ্যাঞ্জেলেসের অপরাধজগতের ওপর ভিত্তি করে তৈরি রহস্যচলচ্চিত্র \"প্লেয়িং গড\"-এ ডেভিড ডুকভ্নি চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি সমালোচকদের দৃষ্টিতে মানসম্পন্ন ছিলো না, এবং রজার এবার্ট মন্তব্য করেন, “সাধারণত কঠিন ও আক্রমণাত্মক চরিত্রে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে অভিনয় করেন; অপরাধীর প্রেমিকা হিসেবে তাঁর অভিনয় সবসময়ই রমণীয়, এবং হয়তো তিনি তাই।” এরপর তিনি টেলিচলচ্চিত্র \"ট্রু উইমেন\"-এ অভিনয় করেন। এটি ছিলো একই নামের একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক নাটকের একটি অঙ্কের চলচ্চিত্ররূপ। নাটকটি ছিলো আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলের একটি অন্যতম জনপ্রিয় নাটক। আর এটির মূল ধারণাটি এসেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস-নিবাসী কথাসাহিত্যিক জেনিস উডস উইন্ডেলের লেখা একটি বই থেকে। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি সেবছর তাঁকে রোলিং স্টোনসের মিউজিক ভিডিও ‘এনিবডি সীন মাই বেবি?’-তেও দেখা যায়।",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
},
{
"docid": "92186#8",
"text": "জোলির ভাই জেমস হ্যাভেন যখন ইউএসসি স্কুল অফ সিনেম্যাটিক আর্টসের শিক্ষার্থী, তখন তাঁর পাঁচটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্রে জোলি অভিনয় করেন। যদিও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে জোলির পেশাজীবন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে; স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র \"সাইবর্গ ২\"-এ নাম ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিলো ক্যাসেলা ‘ক্যাশ’ রিজ, যে কিনা মানুষের কাছাকাছি একটি রোবট। রোবটটিকে এমনভাবে নকশা করা হয় যেন সে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরে নিয়ে যেতে প্রলুব্ধ করে, অতঃপর নিজেকে ধ্বংস করে ফেলে। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে জোলি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। একটি হচ্ছে স্বাধীন চলচ্চিত্র \"উইদাউট এভিডেন্স\", এবং অপরটি রহস্য চলচ্চিত্র \"হ্যাকারস\"। \"হ্যাকারস\"-এ তিনি কেট ‘এসিড বার্ন’ লিবি চরিত্রে পার্শ্বভূমিকায় অভিনয় করেন। এটি ছিলো জোলির অভিনয় জীবনের প্রথম হলিউড চলচ্চিত্র। এবং এখানেই জোলির সাথে পরবর্তীতে তাঁর প্রথম স্বামী জনি লি মিলারের পরিচয় হয়। চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে \"নিউ ইয়র্ক টাইমস\"-এর মন্তব্য ছিলো, “কেট (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি) আসলেই অসাধারণ। তাঁর সহঅভিনেতার চেয়েও তাঁর মুখখানি ছিলো নিষ্প্রতিভ, এবং এই বিরল নারী হ্যাকার যিনি কিনা অর্ধস্বচ্ছ টপস পরিহিত অবস্থায় মনোযোগের সাথে কিবোর্ড নিয়ে কাজে বসেন। তাঁর গুরুগম্ভীর আকর্ষণটুকুকে বাদ দিলে চরিত্রটির যা দরকার ছিলো তার সবই তাঁর মাঝে বিদ্যমান। মিজ জোলির ভঙ্গিমাটি ছিলো খুবই মিষ্টি, একেবারে তাঁর বাবা জন ভইটের নিষ্পাপ ভূমিকার মতো।” ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য না দেখাতে পারলেও, এর ভিডিওচিত্রটি মুক্তি পাবার পর এটি প্রশংসিত হয়।",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
},
{
"docid": "92186#16",
"text": "পরবর্তীতে জোলি \"গার্ল, ইন্টারাপ্টেড\" (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে লিসা রো চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবির কাহিনী ছিলো সুসানা কায়জেন নামক একজন মানসিক রোগীকে ঘিরে। চরিত্রটি নেওয়া হয়েছিলো কায়জেনের একই নামের স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ \"গার্ল, ইন্টারাপ্টেড\" থেকে। ছবিটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন উইনোনা রাইডার, এবং আশা করা হয়েছিলো এর মাধ্যমেই তিনি আবার ভালোভাবে অভিনয়ে ফিরে আসবেন, কিন্তু বাস্তবে এটি জোলির জন্য বর হয়ে আসে, এবং তিনি হলিউডে তাঁর শেষ আলোচিত সাফল্যটি লাভ করেন। এটির জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে, তৃতীয়বারের মতো গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দ্বিতীয়বারের মতো স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, এবং প্রথমবারের মতো একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এই চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় সম্পর্কে \"ভ্যারাইটি\" ম্যাগাজিনের মন্তব্য, “দৃঢ়তাপূর্ণ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসেবে জোলি অসাধারণ, কিন্তু এখানে জোলির অভিনয় ছিলো পুণর্বাসনকেন্দ্রের ডাক্তারদের চেয়েও অনেক বেশি যান্ত্রিক।”",
"title": "অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
}
] |
নালন্দা বৌদ্ধ মহাবিহার কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
{
"docid": "76111#48",
"text": "১৯৫১ সালে নালন্দা মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষের কাছে বিহার সরকার প্রাচীন মহাবিহারটির অনুকরণে পালি ও বৌদ্ধধর্ম শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে নব নালন্দা মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করে। ২০০৬ সালে এটি একটি পরিগণ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়।",
"title": "নালন্দা"
}
] | [
{
"docid": "76111#8",
"text": "নালন্দা মহাবিহারের নথিবদ্ধ ইতিহাসের সূচনা ঘটেছে গুপ্তযুগে। একটি সিলমোহর থেকে জানা যায় যে, এই মহাবিহারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শক্রাদিত্য নামে এক রাজা। হিউয়েন সাং ও অপর এক কোরীয় তীর্থযাত্রী উল্লেখ করেছেন যে, পর্যন্যবর্মণ এই স্থানে একটি সঙ্ঘারাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শক্রাদিত্য হলেন গুপ্ত সম্রাট প্রথম কুমারগুপ্ত (রাজত্বকাল আনুমানিক ৪১৫-৪৫৫)। নালন্দায় তাঁর মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে। তাঁর উত্তরসূরি বুদ্ধগুপ্ত, তথাগতগুপ্ত, বালাদিত্য ও বজ্র পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি মঠ ও মন্দির নির্মাণ করিয়ে নালন্দা মহাবিহারকে প্রসারিত ও পরিবর্ধিত করেন।",
"title": "নালন্দা"
},
{
"docid": "510125#0",
"text": "নব নালন্দা মহাবিহার ভারতের বিহার রাজ্যের নালন্দায় অবস্থিত। ১৯৫১ সালে রাজেন্দ্র প্রসাদের উদ্যোগে প্রাচীন উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র নালন্দা মহাবিহারের পুনরুজ্জীবন কল্পে এই মহাবিহারটি স্থাপিত হয়। ২০০৬ সালে এটি পরিগণ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়।",
"title": "নব নালন্দা মহাবিহার"
},
{
"docid": "76111#0",
"text": "নালন্দা (সংস্কৃত ও পালি: नालंदा; ; ) ছিল প্রাচীন ভারতের মগধ রাজ্যে (অধুনা ভারতের বিহার রাজ্য) অবস্থিত একটি খ্যাতনামা বৌদ্ধ মহাবিহার। এটি বিহারের রাজধানী পাটনা শহরের দক্ষিণপূর্বে এবং বিহার শরিফ শহরের কাছে অবস্থিত। খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দী থেকে আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নালন্দা মহাবিহার ছিল ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।",
"title": "নালন্দা"
},
{
"docid": "76111#20",
"text": "পালযুগে পূর্ব ভারতের পাঁচটি বৌদ্ধ উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র একটি রাষ্ট্র-পরিচালিত কার্যক্রম গঠন করেছিল। পণ্ডিতেরা সহজেই একটি শিক্ষাকেন্দ্র থেকে অপর শিক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে বিভিন্ন পদ অলংকৃত করতে পারতেন। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রতীকচিহ্ন ছিল। সেই প্রতীকচিহ্নের কেন্দ্রে একটি ধর্মচক্র (সারনাথের মৃগদাবে বুদ্ধের প্রথম ধর্মোপদেশ দান বা ‘ধর্মচক্র-প্রবর্তনে’র প্রতীক) এবং তার দুই পাশে দুটি হরিণের চিত্র অঙ্কিত থাকত। এই প্রতীকচিহ্নের নিচে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির নাম খোদিত থাকত। নালন্দার ক্ষেত্রে এই নামটি ছিল ‘শ্রী-নালন্দা-মহাবিহার-আর্য-ভিক্ষুসঙ্ঘস্য’ (অর্থাৎ, “নালন্দা মহাবিহারের সম্মানীয় ভিক্ষুদের সঙ্ঘ”)।",
"title": "নালন্দা"
},
{
"docid": "113895#5",
"text": "বেণীমাধব সংস্কৃত কলেজের আদর্শে পালি ভাষা ও সাহিত্য গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জুলাই ১, বুদ্ধিষ্ট টেম্পল রোডে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর ভবনে নালন্দা বিদ্যাভবন স্থাপন করেন। এই ভবনের উদবোধন করেন সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ধর্মাঙ্কুর বিহার লাগোয়া জমিতে ভিক্ষু ছাত্র ও তীর্থযাত্রীদের জন্য আর্য বিহার নামে এক নতুন ভবনের নির্মাণ করা হলে নালন্দা বিদ্যাভবন সেখানে স্থানান্তরিত হয়। বেণীমাধব সেখানে পড়াতেন এবং ঐ বিদ্যাভবনের নালন্দা নামক মুখপত্র প্রকাশ ও সম্পাদনা করতেন।",
"title": "বেণীমাধব বড়ুয়া"
},
{
"docid": "76111#18",
"text": "খ্রিস্টীয় ৮ম শতাব্দীতে উত্তর-পূর্ব ভারতে পাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। খ্রিস্টীয় ১২শ শতাব্দী পর্যন্ত পাল রাজারা এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। পাল রাজবংশ ছিল একটি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী রাজবংশ। তাঁদের রাজত্বকালে নালন্দায় অনুশীলিত মহাযান মতবাদের সঙ্গে বজ্রযান নামে পরিচিত মহাযান দর্শনের তন্ত্র-প্রভাবিত একটি মতবাদের মিশ্রণ ঘটে। নালন্দা মহাবিহার গুপ্তযুগের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহন করত এবং সেই উত্তরাধিকার ছিল বহু-প্রশংসিত। পাল সম্রাটরা একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন। তাঁদের শাসনকালে নালন্দার আদলে জগদ্দল, ওদন্তপুরী, সোমপুর ও বিক্রমশিলায় চারটি মহাবিহার গড়ে ওঠে। উল্লেখ্য, পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল নালন্দা থেকে মাত্র দূরে ওদন্তপুরী মহাবিহারটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।",
"title": "নালন্দা"
},
{
"docid": "76111#32",
"text": "তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের মহাযান ও বজ্রযান উভয় শাখারই একটি বড়ো অংশের উৎস হল নালন্দার শিক্ষক-পরম্পরা ও প্রথা-রীতিনীতি। খ্রিস্টীয় ৮ম শতাব্দীতে তিব্বতে বৌদ্ধধর্মের প্রচারে প্রধান ভূমিকা নেন নালন্দার বিশিষ্ট পণ্ডিত শান্তরক্ষিত। তিব্বতের রাজা খ্রি-স্রোং-দেউ-ৎসাং তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি সাম্যেতে একটি মঠও প্রতিষ্ঠা করেন। শান্তরক্ষিত ছিলেন সেই মঠের প্রথম অধ্যক্ষ। তিনি ও তাঁর শিষ্য কমলশীল দর্শনের প্রাথমিক শিক্ষাদান করেছিলেন। উল্লেখ্য, কমলশীলও ছিলেন নালন্দা মহাবিহারের পণ্ডিত। ৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে তিব্বতের রাজা নালন্দা মহাবিহার থেকে পদ্মসম্ভবকে আমন্ত্রণ জানান। তাঁকেই তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক মনে করা হয়।",
"title": "নালন্দা"
},
{
"docid": "76111#35",
"text": "প্রথাগত সূত্র থেকে জানা যায় যে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ ও ৫ম শতাব্দীতে মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ দুজনেই নালন্দায় এসেছিলেন। তাছাড়া নালন্দা হল বুদ্ধের অন্যতম বিখ্যাত শিষ্য সারিপুত্রের জন্ম ও নির্বাণলাভের স্থান।ভারত থেকে বৌদ্ধধর্মের অন্তর্ধানের সঙ্গে নালন্দা মহাবিহারের অবলুপ্তির একটি সম্পর্ক রয়েছে। খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে ভারতের বিভিন্ন স্থান পর্যটনের সময় হিউয়েন সাং লক্ষ্য করেছিলেন যে, বৌদ্ধধর্ম ধীরে ধীরে পতনের দিকে এগিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, তিনি নালন্দার পরিসমাপ্তির দুঃখজনক পূর্বাভাসও পেয়েছিলেন। সেই সময় বৌদ্ধধর্ম দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিল। কেবলমাত্র অধুনা বিহার ও বাংলা অঞ্চলের রাজারাই এই ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করছিলেন। পাল শাসনকালে বৌদ্ধধর্মের প্রথাগত মহাযান ও হীনযান সম্প্রদায়ে গোপন আচার-অনুষ্ঠান ও জাদুবিদ্যা-কেন্দ্রিক তান্ত্রিক ক্রিয়াকর্ম অন্তর্ভুক্ত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে বৈষ্ণব ও শৈব দার্শনিকদের আবির্ভাব এবং ১১শ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশের রাজ্যচ্যুতির ঘটনা থেকেই বোঝায় যায় যে, সেই সময় বৌদ্ধধর্মের উপর রাজনৈতিক, দার্শনিক ও নৈতিক আঘাত নেমে এসেছিল। কিন্তু সেই সময়ও ভারতের কয়েকটি বৌদ্ধ মঠের উত্থান বৌদ্ধধর্মের অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীতে মুসলমানেরা সেগুলি আক্রমণ করে। সেইটিই ছিল ভারতে বৌদ্ধধর্মের উপর শেষ আঘাত।",
"title": "নালন্দা"
},
{
"docid": "76111#40",
"text": "১৮শ শতাব্দীতে লিখিত \"পাগ সাম জোন জাং\" নামক গ্রন্থে আরেকটি তিব্বতি কিংবদন্তির কথা জানা যায়। এই কিংবদন্তি অনুসারে, মুদিত ভদ্র নামে এক বৌদ্ধ সাধু নালন্দার চৈত্য ও বিহারগুলি মেরামত করেন এবং তৎকালীন রাজার এক মন্ত্রী কুকুটসিদ্ধ সেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। আরেকটি গল্প অনুসারে, ভবনটির যখন উদ্বোধন করা হচ্ছিল, তখন দুই জন ক্রুদ্ধ তীর্থিক ভিক্ষুক (ব্রাহ্মণ) সেখানে উপস্থিত হন। কয়েকজন তরুণ শিক্ষানবিশ ভিক্ষু তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁদের গায়ে কাপড় কাচার জল ছিটিয়ে দেন। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সেই ভিক্ষুকেরা সূর্যকে প্রসন্ন করার জন্য বারো বছর তপস্যা করেন এবং তপস্যার শেষে একটি যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেন। যজ্ঞকুণ্ডের ‘জাগ্রত ভষ্ম’ তাঁরা বৌদ্ধ মন্দিরগুলির উপর ছিটিয়ে দেন। এতে নালন্দার গ্রন্থাগারে আগুন লেগে যায়। কিন্তু রত্নোদধির পবিত্র পুথিগুলির থেকে অলৌকিক উপায়ে জল নির্গত হয় এবং বহু পুথি রক্ষা পায়। সেই ভিক্ষুকেরা তাঁদের নিজেদের জ্বালা আগুনেই ভষ্ম হয়ে যান। এই ঘটনাটি কবে ঘটেছিল, তা সঠিক জানা যায় না। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ (যার মধ্যে পোড়া চালের একটি ছোটো ঢিপিও রয়েছে) জানা যায়, একাধিকবার নালন্দা চত্বরের কয়েকটি ভবনে বড়োসড়ো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। একটি শিলালিপি থেকে মহীপালের (রাজত্বকাল: ৯৮৮-১০৩৮ খ্রিস্টাব্দ) শাসনকালে নালন্দা মহাবিহারে একটি অগ্নিকাণ্ড এবং তারপরে মহাবিহারের পুনঃসংস্কারের কথা জানা যায়।",
"title": "নালন্দা"
}
] |
কত সালে চার্লস ডারউইনের অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ নামক বইটি প্রকাশিত হয় ? | [
{
"docid": "312041#0",
"text": "অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস (ইংরেজি: On the Origin of Species) ১৮৫৯ সালের ২৪ শে নভেম্বর লন্ডন থেকে প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ যার লেখক চার্লস ডারউইন। বইটির পুরো নাম \"On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life\" যার বাংলা করলে দাঁড়ায় \"প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবন সংগ্রামে আনুকূল্য প্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে\"। ১৮৭২ সালের ষষ্ঠ সংস্করণে বড় শিরোনামটি পরিবর্তন করে কেবল \"দি অরিজিন অফ স্পিসিস\" রাখা হয়েছিল। বইটির মাধ্যমে ডারউইন বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের সাথে \"প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন\" তত্ত্বের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এতে একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে সকল প্রজাতির উদ্ভবের পক্ষে প্রচুর প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। ডারউইন ১৮৩০-এর দশকে বিগ্ল জাহাজে করে বিশ্ব ভ্রমণের মাধ্যমে অর্জিত সকল অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন জীব প্রজাতির নমুনা এবং পরবর্তী গবেষণা, অন্যদের সাথে যোগাযোগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল ফলাফল এই বইয়ে একত্র করেন।",
"title": "অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস"
},
{
"docid": "617835#4",
"text": "১৮৫৯ সালে ডারউইনের \"অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ\" এর প্রকাশ বিবর্তনের উপর বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দেয়, এবং এটাকে একটি সম্মানিত শিক্ষার বিষয়ে পরিণত করে।",
"title": "সৃষ্টি–বিবর্তন বিতর্ক"
}
] | [
{
"docid": "72035#48",
"text": "১৮৬২ সালে ইংল্যান্ডে ফিরে আসার পর ওয়ালেস ডারউইনের সদ্য প্রকাশিত \"অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস\" গ্রন্থের সবচেয়ে একনিষ্ঠ সমর্থকদের একজনে পরিণত হন। ইউনিভার্সিটি অফ ডাবলিনের একজন ভূতত্ত্বের অধ্যাপক ডারউইনের \"অরিজিন\" গ্রন্থে বর্ণীত ঘড়ভূজীয় মধুমক্ষিকাদের প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বিবর্তিত হওয়ার বিষয়টির সমালোচনা করে একটি গবেষণাপত্র লিখেন। ১৮৬৩ সালে ওয়ালেস এই গবেষণাপত্রের যুক্তিগুলো খণ্ডন করে \"Remarks on the Rev. S. Haughton's Paper on the Bee's Cell, And on the Origin of Species\" নামে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন যা ডারউইনকে খুব সন্তুষ্ট করেছিল।",
"title": "আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস"
},
{
"docid": "385533#20",
"text": "\"অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস\"-এ ডারউইনের তত্ত্ব প্রকাশিত হওয়ার পর বইটির লেখক ওয়েনের কাছে একটি নোট পাঠান যেখানে এই তত্ত্ব সম্বন্ধে লেখা ছিল \"ব্যাপারটাকে ঘৃণ্য মনে হতে পারে\"।\nওয়েন দ্রুত সাড়া দিয়ে যথাযথ ভদ্রতা সহকারে লেখেন যে তিনি দীর্ঘকাল যাবৎ বিশ্বাস করেন \"উপস্থিত প্রভাবক\" সমূহের দ্বারাই প্রজাতির \"পরিকল্পিত\" অস্তিত্ব সম্ভব হয়েছে। এরপর ডারউইন ওয়েনের সাথে দীর্ঘ কথোপকথনে অংশগ্রহণ করেন এবং ওয়েন জানান যে ডারউইনের বইতেই \"প্রজাতির উৎপত্তির প্রক্রিয়া সম্বন্ধে আজ অবধি প্রকাশিত\" সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, যদিও তাঁর মনে এই সংশয় তখনও ছিল যে পরা-পরিব্যক্তির তত্ত্ব মানুষকে পাশবিক বলে চিহ্নিত করবে। সম্ভবত ডারউইন ওয়েনকে আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে তিনি গোটা ব্যাপারটাকে পূর্বনির্ধারিত কোনো 'নকশার' ফল হিসেবে দেখছেন। ওয়েন এই কথাকে \"সৃষ্টিকারী শক্তি\"র প্রতি তাঁদের দু'জনের সাধারণ বিশ্বাসের সূচক হিসেবে অনুবাদ করেন।",
"title": "রিচার্ড ওয়েন"
},
{
"docid": "312041#1",
"text": "বইটি বিজ্ঞান, দর্শন ও সাধারণভাবে জীবকূলের উৎপত্তির ইতিহাস বিষয়ে পূর্বতন সকল চিন্তাধারাকে পিছনে ফেলে নতুন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার গোড়াপত্তন করলেও, লক্ষ্যণীয় যে বইটির লেখক এতে প্রচণ্ড বিনয় ও সদালাপের পরিচয় দিয়েছেন। কারণ ডারউইন নিজে অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি মানুষের উপর কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভার চাপিয়ে না দিয়ে তাদেরকে খুব সাধারণ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। বইটির শুরুর বাক্য দুটি এই বিনয়ের পরিচয় দেয়- \"প্রকৃতিবিদ হিসেবে এইচ.এম.এস 'বিগ্ল'-এ কাজ করার সময় দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসকারী জীবকূলের বণ্টন এবং সেখানকার বর্তমান অধিবাসীদের সাথে অতীতের অধিবাসীদের সম্পর্ক বিষয়ক কিছু তথ্য আমাকে খুব প্রভাবিত করেছিল। আমার মনে হয়েছে, এই তথ্যগুলো প্রজাতির উৎপত্তি বিষয়ের উপর কিছু আলো ফেলতে পারে, আমাদের সেরা দার্শনিকদের একজন যে বিষয়টিকে বলেছিলেন সকল রহস্যের বড় রহস্য।\" এখানে ডারউইন যে দার্শনিকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি হলেন বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ জন হার্শেল; কেমব্রিজের ছাত্র থাকার সময় তিনি হার্শেলের প্রাকৃতিক দর্শনের ভক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু হার্শেল প্রজাতির জন্মে আধ্যাত্মিকতার প্রভাব আছে মনে করতেন। বলা যায়, ডারউইন হার্শেলের রহস্যানুভূতি নিজেও অনুভব করেছেন, কিন্তু রহস্যটির যে সমাধানে উপনীত হয়েছেন তা হার্শেলের তুলনায় অনেক আলাদা।",
"title": "অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস"
},
{
"docid": "261862#0",
"text": "ডেভিড কপারফিল্ড চার্লস ডিকেন্সের লেখা অষ্টম উপন্যাস। বইটির পুরো নাম দ্য পারসোনাল হিস্ট্রি, অ্যাডভেঞ্চার্স, এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড অবজার্ভেশন অফ ডেভিড কপারফিল্ড, দ্য ইয়াংগার অফ ব্লান্ডারস্টোন রুকারি (হুইচ হি নেভার মেন্ট টু পাবলিশ অন এনি অ্যাকাউন্ট)। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৫০ সালে। ডিকেন্সের অন্যান্য অনেক উপন্যাসের মতো এটিও বই আকারে প্রকাশের এক বছর আগে ধারাবাহিকভাবে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। উপন্যাসের অনেক ঘটনা ডিকেন্সের নিজের জীবন থেকে নেওয়া। তাই সম্ভবত এটিই তাঁর প্রধানতম আত্মজৈবনিক উপন্যাস। ১৮৬৭ সালের সংস্করনের মুখবন্ধে ডিকেন্স লেখেন, \"... অনেক স্নেহময় বাবা-মায়ের মতো, আমার হৃদয়ের গভীরেও একটি প্রিয় সন্তান রয়েছে, তার নাম ডেভিড কপারফিল্ড।\"",
"title": "ডেভিড কপারফিল্ড"
},
{
"docid": "385533#22",
"text": "অবশ্য হাক্সলির আক্রমণাত্মক মনোভাবের ফলও ফলতে শুরু করেছিল। ১৮৬০ খ্রিঃ এপ্রিল মাসে \"এডিনবরা রিভিউ\" পত্রিকায় \"অরিজিন\" বইটির উপর ওয়েনের লেখা কিন্তু লেখক-পরিচয়বিহীন একটি রিভিউ প্রকাশিত হয়। এখানে ওয়েন ক্রুদ্ধভাবে বইটির বিরুদ্ধে সৃষ্টিতত্ত্বের অবমাননার অভিযোগ আনেন; সেইসঙ্গে ডারউইন যে ওয়েনের \"সজীব উপাদানের পূর্বনির্ধারিত ক্রমপরিণতির নিরন্তর প্রক্রিয়াকে\" পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন সেই কারণেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া ডারউইনের \"শিষ্য\" হুকার ও হাক্সলিকেও একহাত নিয়ে বলেন তাঁদের কার্যকলাপ তাঁদের \"অদূরদর্শী আনুগত্যের\" পরিচায়ক, এবং আলোচনাধীন বইটি \"বিজ্ঞানের সেই রকম অপব্যবহারের দ্যোতক ... যার কবলে পড়ে একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে সাময়িকভাবে তাদের মর্যাদা জলাঞ্জলি দিয়েছিল\"। এখানে ওয়েন ফরাসি বিপ্লবের প্রসঙ্গ এনেছেন। ডারউইনের কাছে এই রিভিউ \"হিংসুক, চূড়ান্ত অসূয়াপ্রসূত, ধূর্ত, এবং ... ক্ষতিকারক\" রূপে প্রতিভাত হয় এবং পরবর্তীকালে তিনি বলেন, \"লন্ডনবাসীরা বলে যে আমার বই নিয়ে লোকে আলোচনা করে বলে ও (ওয়েন) নাকি হিংসায় পাগল হয়ে গেছে। ওয়েন আমায় যেরকম প্রবলভাবে ঘৃণা করে তেমনভাবে কারো দ্বারা ঘৃণিত হওয়া পীড়াদায়ক\"।",
"title": "রিচার্ড ওয়েন"
},
{
"docid": "72035#49",
"text": "ডারউইনের ধারণাসমূহের আরও বিস্তারিত একটি সমর্থন তিনি প্রকাশ করেছিলেন \"ক্রিয়েশন বাই ল\" নামে যা ১৮৬৭ সালে \"দ্য কোয়ার্টারলি জার্নাল অফ সায়েন্স\"-এ প্রকাশিত হয়। এটি ছিল অ্যার্গিলের ৮ম ডিউক জর্জ ক্যাম্পবেলের প্রাকৃতিক নির্বাচনকে খণ্ডন করে লেখা বই \"দ্য রেইন অফ ল\" এর একটি রিভিউ। ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভা শেষে ওয়ালেস ডারউইনকে অণুযোগ করে লিখেছিলেন, \"প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানেন এমন কোন প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিরোধীতাকারী অবশিষ্ট নেই, তাই আমরা যে ভাল আলোচনাগুলো আগে করতে পারতাম তা এখন আর সম্ভব নয়\"।",
"title": "আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস"
},
{
"docid": "71639#1",
"text": "১৮১৩ সালে ডঃ ওয়েল্স রয়েল সোসাইটিতে একটি গবেষণাপত্র পাঠ করেন যার শিরোনাম ছিল \"জনৈক শ্বেতকায় মহিলার চর্মের কিছু অংশ নিগ্রোসদৃশ\"। অবশ্য এই পত্রটি তখন প্রকাশিত হয়নি। ১৮১৮ সালে \"ডিও অ্যান্ড সিঙ্গল ভিশন\" সংক্রান্ত দুটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর ১৮১৩ সালের সেই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। চার্লস ডারউইন তার অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস গ্রন্থে ওয়েল্সের গবেষণার কথা উল্লেখ করেছেন। ডারউইন বলেছেন যে, ওয়েল্স বিবর্তনের উপায় হিসেবে প্রাকৃতিক নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অবশ্য ওয়েল্স কেবল মানবজাতির কয়েকটি চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রেই এটা প্রয়োগ করেছিলেন। নিগ্রো এবং মুলাটো গোত্রের মানুষেরা ক্রান্তীয় রোগের সংক্রমণ থেকে মুক্ত; এ কথা উল্লেখ করে তিনি তার প্রবন্ধে বলেছিলেন,",
"title": "উইলিয়াম চার্লস ওয়েলস"
},
{
"docid": "8442#9",
"text": "১৮৪৫ সাল ছিল এন্ডারসনের সবচেয়ে সফল বছর। এই বছরে চারটি রপকথার অনুবাদ প্রকাশিত হয়। \"দ্য লিটল মারমেইড\" সাময়িকী বেন্টলিস মিসেলানিতে প্রকাশিত হয় এবং এর পরপরই দ্বিতীয় সংকলন \"ওয়ান্ডারফুল স্টোরিজ ফর চিলড্রেন\" প্রকাশিত হয়। অন্য দুটি সংকলন, \"আ ডেনিশ স্টোরি বুক\" এবং \"ডেনিশ ফেয়ারি টেলস অ্যান্ড লিজেন্ডস\"ও গৃহীত হয়। লন্ডনের সাময়িকী অ্যাটেনজিমে ১৮৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত এক পর্যালোচনায় \"ওয়ান্ডারফুল স্টোরিজ\" সম্পর্কে বলা হয়, \"এটি এমন একটি বই যা বাস্তব ও রুপকথায় পরিপূর্ণ, বইটি নাতনিদের জন্য যেমন দাদাদের জন্য তার চেয়ে কম নয়, যারা একবার বইটি হাতে পেয়েছেন তারা কোন একটি শব্দ এড়িয়ে যেতে পারবে না।\"",
"title": "হান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসন"
}
] |
গণেশের ওপর নাম কি সিদ্ধিদাতা ? | [
{
"docid": "4520#4",
"text": "মহাভারতে বর্ণিত হয়েছে, মহর্ষি বেদব্যাস হিমালয়ের এক পবিত্র গুহায় তপস্যা করবার পর মহাভারতের সম্পূর্ণ ঘটনাটি স্মরণ করেন এবং মনে মনেই এর রচনা করেন। ব্যাসদেব চাইলেন এই মহান কাহিনি সিদ্ধিদাতা গণেশের দ্বারা লিপিবদ্ধ হোক। গণেশ লিখতে সম্মত হলেন, কিন্তু তিনি শর্ত করলেন যে, তিনি একবার লেখা শুরু করলে তার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাসদেবের আবৃত্তি একটিবারও থামতে পারবে না। তখন ব্যাসদেব বুদ্ধিমতো পাল্টা একটি শর্ত উপস্থাপনা করলেন – \"গণেশ যে শ্লোকটি লিখবেন, তার মর্মার্থ না বুঝে লিখতে পারবেন না\"। ভগবান গণেশ এই প্রস্তাব স্বীকার করলেন। এইভাবে ব্যাসদেব মাঝে মাঝে কিছু কঠিন শ্লোক রচনা করে ফেলতেন, যার ফলে গণেশকে শ্লোকটির অর্থ বুঝতে সময় লাগত এবং সেই অবসরে ব্যাসদেব তাঁর পরবর্তী নতুন শ্লোকগুলি ভেবে নিতে পারতেন। এইরূপে সম্পূর্ণ মহাভারত রচনা করতে প্রায় ৩ বৎসর লেগে যায়। ব্যাসদেব প্রথমে অধর্মের বিরুদ্ধে ধর্মের জয় সূচক উপাখ্যান যুক্ত ১০০০০০ শ্লোক সমন্বিত আদ্য জয় গ্রন্থ রচনা করেন। সর্বশেষে তিনি ষাট লক্ষ শ্লোক সমন্বিত অপর একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যে গ্রন্থের ৩০ লক্ষ শ্লোক দেবলোকে, ১৫ লক্ষ শ্লোক পিতৃলোকে, ১৪ লক্ষ রক্ষোযক্ষ লোকে স্থান পেয়েছে এবং অবশিষ্ট মাত্র ১ লক্ষ শ্লোক এই মনুষ্যলোকে ‘মহাভারত’ নামে সমাদৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে মহাভারতেই বর্ণিত হয়েছে :",
"title": "মহাভারত"
},
{
"docid": "9051#19",
"text": "অর্থাৎ, “যিনি খর্বাকৃতি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ ভ্রমরসমূহের দ্বারা যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাহার দন্ত দ্বারা নিজ দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা ও কামদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।” \nগণেশের প্রণামমন্ত্রেও দেখা যায় –",
"title": "গণেশ"
},
{
"docid": "90753#1",
"text": "সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা বিধেয়। সাধারণত এই দিনটি ২০ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাঝে কোনো এক দিন পড়ে। দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। \"ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থী মধ্যাহ্নব্যাপিনী পূর্বাবিদ্ধ\" – এই পূজার প্রশস্ত সময়। চতুর্থী দুই দিনে পড়লে পূর্বদিনে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নের সম্পূর্ণ সময়ে চতুর্থী বিদ্যমান হলেও পূর্বদিন মধ্যাহ্নে এক ঘটিকার (২৪ মিনিট) জন্যও যদি চতুর্থী বিদ্যমান থাকে তবে পূর্বদিনেই গণেশ পূজা হয়।",
"title": "গণেশ চতুর্থী"
}
] | [
{
"docid": "466393#4",
"text": "সিন্ধু ছিল মিথিলার রাজা চক্রপাণি ও তার স্ত্রী উগ্রার ছেলে। উগ্রা সৌরমন্ত্রের শক্তিতে গর্ভবতী হন কিন্তু ভ্রুণ থেকে বিকিরিত অত্যধিক তাপ সহ্য করতে না পেরে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেন। শীঘ্রই, পরিত্যাক্ত ভ্রুণ থেকে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় এবং সমুদ্র তাকে তার শোকার্ত বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়, যিনি তার নাম রাখেন সিন্ধু-অর্থাৎ সমুদ্র।\nপার্বতী লেনয়াড্রিতে (আরেকটি অষ্টবিনায়ক অঞ্চল, যেখানে পার্বতীর পুত্র হিসাবে গণেশের পূজা করা হয়) বার বছর \"সমগ্র মহাবিশ্বের ধারক\" গণেশের কঠোর ধ্যানে মগ্ন হন। তাঁর প্রায়শ্চিত্তে সন্তুষ্ট হয়ে, গণেশ তাঁকে বরদান করেন যে তিনি তার পুত্র হিসাবে জন্ম নিবেন। যথাসময়ে লেনয়াড্রিতে পার্বতীর গর্ভে গণেশের জন্ম হয় এবং শিব তার নাম রাখেন গণেশ। একদা ছোট্ট গণেশ একটি আমগাছ থেকে একটি ডিম পেড়ে আনেন,যা থেকে একটি ময়ূর বের হয়। গণেশ ময়ূরটিতে চড়েন এবং ময়ুরেশ্বর নামধারণ করেন।",
"title": "মোরগাঁও গণেশ মন্দির"
},
{
"docid": "9051#45",
"text": "বড় পুত্র গজমুখে চারি হাতে খান।\nসব গুণ সিদ্ধি খেতে বাপের সমান।।\nভিক্ষা মাগি খুদ কণা যা পান ঠাকুর।\nতাহার ইন্দুরে করে কাটুর-কুটুর।।শাক্ত পদাবলির আগমনী অংশে গণেশের চিত্রটি বাড়ির আদুরে সন্তানের ছবি। গণেশ-জননীরূপী দুর্গা বাঙালির বিশেষ প্রিয়। দাশরথি রায়ের গানে পাওয়া যায়ঃবসিলেন মা হেমবরণী, হেরম্বে ল’য়ে কোলে।\nহেরি গণেশ-জননী-রূপ, রাণী ভাসেন নয়ন-জলে।\nব্রহ্মাদি বালক যার, গিরি-বালিকা সেই তারা।\nপদতলে বালক ভানু, বালক চন্দ্রধরা। \nবালক ভানু জিনি তনু, বালক কোলে দোলে।।\nরাণী মনে ভাবেন- উমারে দেখি, কি উমার কুমারে দেখি,\nকোন্ রূপে সঁপিয়ে রাখি নয়নযুগলে।\nদাশরথি কহিছে, রাণী, দুই তুল্য দরশন\nহের, ব্রহ্মময়ী আর ঐ ব্রহ্ম-রূপ গজানন,\nব্রহ্ম-কোলে ব্রহ্ম-ছেলে বসেছে মা বলে।।",
"title": "গণেশ"
},
{
"docid": "483401#16",
"text": "সত্যযুগে গণেশকে ‘বিনায়ক’ রূপে প্রদর্শিত হয়েছে। বিনায়ক দশভূজ, বৃহদাকার, দানশীল ও সিংহবাহন। ত্রেতাযুগের গণেশ ‘ময়ূরেশ্বর’ রূপধারী। ময়ূরেশ্বর ষড়ভূজ, শ্বেতবর্ণ ও ময়ূরবাহন। দ্বাপর যুগে গণেশ ‘গজানন’ রূপ ধারণ করেছেন। গজানন চতুর্ভূজ, রক্তবর্ণ ও মুষিকবাহন। এই যুগে তিনি শিব ও পার্বতীর পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। কলিযুগে গণেশ ‘ধুম্রকেতু’। ধূম্রকেতু দ্বিভূজ, ধূম্রবর্ণ ও অশ্ববাহন। \"গণেশপুরাণ\" অনুসারে, কলিযুগে গণেশ বর্বর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ও দৈত্যদানব হত্যা করেন।",
"title": "গণেশ পুরাণ"
},
{
"docid": "76179#13",
"text": "গায়ত্রীর ধ্যানে আছে, তিনি সূর্যমণ্ডলের মধ্যস্থানে অবস্থানকারিনী, বিষ্ণু বা শিবরূপা, হংসস্থিতা বা গরুড়াসনা বা বৃষবাহনা। তিনি একাধারে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। হিন্দু বিধান অনুসারে, সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় গায়ত্রী ধ্যান করতে হয় এবং এই মন্ত্র ধ্যান বা পাঠে মুক্তি প্রাপ্ত হয় বলে এর নাম ‘গায়ত্রী’। বেদজ্ঞ আচার্যের কাছে এই মন্ত্রে দীক্ষিত হলে তাঁর পূণর্জন্ম হয় ও তিনি দ্বিজ নামে আখ্যাত হন। সেই কারণে দ্বিজ অর্থাৎ ব্রাহ্মণগণের উপাস্য। বৈদিক গায়ত্রী মন্ত্রে আদলেই অন্যান্য দেবতার গায়ত্রী রচিত হয়েছে, দ্রষ্টব্য গণেশ, কালী, গুহ্যকালী, নারায়ণ, রাধা প্রভৃতি ।",
"title": "গায়ত্রী মন্ত্র"
},
{
"docid": "488756#4",
"text": "কিংবদন্তি অনুসারে, পার্বতী গণেশকে সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর স্নানের সময় ব্যবহৃত চন্দন থেকে। তারপর তিনি গণেশে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি গণেশকে তাঁর স্নানের সময় দ্বাররক্ষী নিয়োগ করেন। শিব যখন গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন, তখন তাঁকে না চিনে গণেশ তাঁকে বাধা দেন। শিব ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর অনুগামী গণেদের আদেশ করেন, সেই বালককে সহবত শিক্ষা দিতে। মহাশক্তি পার্বতীর সন্তান বলে গণেশ ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী। তিনি গণেদের পরাজিত করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর মা যখন স্নান করবেন, তখন কেউই গৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না। দেবর্ষি নারদ ও সপ্তর্ষিগণ উদ্ভুত পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে সেই বালককে সন্তুষ্ট করতে আসেন। দেবরাজ ইন্দ্র ক্রুদ্ধ হয়ে দেবসেনাদের নিয়ে যুদ্ধ করতে আসেন। কিন্তু কিছুতেই গণেশকে টলানো বা পরাজিত করা যায় না। ফলে বিষয়টি শিব ও পার্বতীর মধ্যে বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।",
"title": "সংকষ্টী চতুর্থী"
},
{
"docid": "9051#2",
"text": "প্রাক-বৈদিক ও বৈদিক যুগের দেবতাদের মধ্যে গণেশের গুণাবলি বিদ্যমান ছিল। কিন্তু সেই গুণাবলি গণেশের উপর আরোপ করে পৃথক দেবতা রূপে তাঁর পূজা প্রথম প্রসার লাভ করে গুপ্তযুগে (খ্রিস্টীয় ৪র্থ ও ৫ম শতাব্দ)। খ্রিস্টীয় ৯ম শতাব্দীতে হিন্দুধর্মের অন্যতম শাখা স্মার্ত সম্প্রদায়ের পাঁচ জন প্রধান দেবতার তালিকায় গণেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া গাণপত্য নামে একটি পৃথক গণেশ-কেন্দ্রিক হিন্দু সম্প্রদায়েরও উদ্ভব ঘটে। এই সম্প্রদায়ে গণেশ সর্বোচ্চ ঈশ্বর রূপে পূজিত হন।আর তখন থেকেই অর্থাৎ ৯ম খ্রিষ্টীয় সাল থেকে সকল মূর্তি পূজার আগে গণেশের পূজা করা শুরু হয়। গণেশ-সংক্রান্ত প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলি হল \"গণেশপুরাণ\", \"মুদ্গলপুরাণ\" ও \"গণপতি অথর্বশীর্ষ\"।",
"title": "গণেশ"
},
{
"docid": "334965#4",
"text": "গণেশের ভ্রাতা হলেন কার্তিক। তবে দুজনের মধ্যে কে বড়ো তা নিয়েও মতভেদ আছে। উত্তর ভারতে সাধারণত কার্তিককে বড়ো ও গণেশকে ছোটো ভাই মনে করা হয়। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতে গণেশই জ্যেষ্ঠভ্রাতা। দেবতা হিসেবে গণেশের গুরুত্ব অর্জনের আগে, খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যুদ্ধদেবতা হিসেবে কার্তিক বিশেষ জনপ্রিয় ছিলেন। ৬০০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে উত্তর ভারতে কার্তিক পূজার গুরুত্ব কমে যায়। কার্তিক জনপ্রিয়তা হ্রাস ও গণেশের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি প্রায় সমসাময়িক ঘটনা। গণেশ ও কার্তিকের মধ্যে ভ্রাতৃসুলভ প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনেক গল্পও পুরাণে পাওয়া যায়। সম্ভবত সুদূর অতীতে গণেশ ও কার্তিক-পূজক সম্প্রদায় দুটির সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এই সব গল্পগুলির জন্ম দিয়েছিল।",
"title": "পুরাণে গণেশ"
}
] |
গাঁজা গাছ কি ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় ? | [
{
"docid": "401946#0",
"text": "গাঁজা, সাধারণত মারিজুয়ানা, গঞ্জিকা, গাঞ্জা, সিদ্ধি ইত্যাদি নামে পরিচিত; মূলত \"গাঁজা\" উদ্ভিদের এক ধরণের প্রস্তুতি যা সাইকোঅ্যাক্টিভ ড্রাগ এবং ঔষধ হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়। ফার্মাকোলজিক্যালি, গাঁজার প্রধান সাইকোঅ্যাক্টিভ উপাদান হল টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি); এটি উদ্ভিদের ৪৮৩টি পরিচিত যৌগের ১টি, এছাড়াও ৮৪টি অন্যান্য ক্যানাবিনোয়েড্স রয়েছে, যেমন ক্যানাবিডিওল (সিবিডি), ক্যানাবিনল (সিবিএন), টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিভারিন (টিএইচসিভি), এবং ক্যানাবিগেরো (সিবিজি)। গাঁজা সাধারণত ধূমপান, বাষ্পীকরণ, খাবারের মধ্যে মিশ্রণ, এবং নির্যাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।\nগাঁজা প্রায়ই এর সাইকোঅ্যাক্টিভ এবং শারীরবৃত্তীয় প্রভাবের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন একটি \"উচ্চ\" বা \"ভেলকা\" অনুভূতি হিসাবে, সাধারণ উপলব্ধি পরিবর্তন, রমরমা (উচ্চমানের মেজাজ), এবং এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। ধূমপানের মাধ্যমে সেবনে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রভাবগুলির সূচনা হয়, অন্যদিকে রান্না করে খাওয়া হলে প্রায় ৩০ থেকে ৬০ মিনিট এর প্রভাব উপলব্ধ করা যায়। উভয় ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পাঁচ-ছয় ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে। সম্ভাব্য স্বল্পমেয়াদী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি হ্রাস, মুখগহ্বরে শুষ্কতা, অনভিজ্ঞের মতোন আচরণ করা, চোখ লাল হওয়া, এবং প্যারানয়া (মস্তিষ্কবিকৃতিবিশেষ) বা উদ্বেগ অনুভূতি হওয়া। সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, মানসিক ক্ষমতা হ্রাস- যারা তের থেকে ঊনিশ বছর বয়সে সেবন শুরু করেছে, এবং শিশুদের মধ্যে আচরণগত সমস্যা দেখা দেয় যাদের মা গর্ভাবস্থায় গাঁজা সেবন করেন। গবেষণায় গাঁজা ব্যবহার এবং মানসিক রোগের ঝুঁকি বিষয়ে শক্তিশালী সম্পর্ক পাওয়া গেছে;, যদিও কর্যিকারণ এবং প্রভাব সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে।\nআধুনিককালে গাঁজা বিনোদনমূলক বা চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রাথমিককালে ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবেও খ্রিষ্টপূর্ব ৩ হাজার বছর পূর্বে এর ব্যবহার হত। ২০১৩ সালের হিসেবে, ১২৮ এবং ২৩২ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে গাঁজার ব্যবহার অনুমান করা যায় (বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ১৫ এবং ৬৫ বছরের মধ্যে ২.৭% থেকে ৪.৯%)। ২০১৫ সালের হিসেবে, ৪৬% মার্কিনী গ্যাঁজা ব্যবহার করে, যা ২০১৬ সালে ৫১% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১২% বিগত বছরের মধ্যে এর ব্যবহার করেছেন, এবং ৭.৩% বিগত মাসে এর ব্যবহার করেন। বিশ্বের এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উভয় ক্ষেত্রেই এটি সর্বাধিক ব্যবহৃত অবৈধ ড্রাগ।\nপ্রাথমিভাবে ৩য় সহস্রাব্দের বিসি থেকে গাঁজার ব্যবহার সম্পর্কে জানা যায়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে থেকে, গাঁজা আইনি সীমাবদ্ধতার বিষয় হয়ে ওঠে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই গাঁজার মালিকানা, ব্যবহার, এবং বিক্রয় অবৈধ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে মারিজুয়ানা বা গাঁজা মূলত চিকিৎসক-প্রস্তাবিত ভেষজ থেরাপি হিসাবে গাঁজা উদ্ভিদের ব্যবহার বোঝায়, যা ইতোমধ্যে কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, স্পেন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২টি রাজ্যে স্থান করে নিয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাঁজার ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনীকরণের জন্য সহায়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিনোদনমূলক বা চিকিৎসা সেবার জন্য গাঁজার বৈধকরণ করা হয়েছে।",
"title": "গাঁজা (ঔষধ)"
},
{
"docid": "77010#2",
"text": "গাঁজা শরীরের বিষ-ব্যথা সারায়। এ কথার বর্ণনা রয়েছে ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে। তবে এ কথাও সুবিদিত যে, গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানা গ্রহণ মানুষের স্মরণশক্তি হ্রাস করে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মনোবৈকল্য ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এখন গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানার ওপর গবেষণা করে জেনেছেন, এ সব মাদকদ্রব্য থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথানাশক ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব, যা মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। গবেষণাটি করেছে ফ্রান্সের বায়োমেডিকেল ইনস্টিটিউট। এর নেতৃত্ব দিয়েছে আইএনএসইআরএম। ফ্রান্সের গবেষকরা জানান, 'তারা ইঁদুরের মস্তিষ্কের যে অংশের কোষের নিউরনে গাঁজা বা মারিজুয়ানার মাদক ক্রিয়া করে তা ওষুধ প্রয়োগ করে নিষ্ক্রিয় করেন প্রথম। এর পর ওই ইঁদুরের শরীরে এসব মাদক প্রবেশ করিয়ে দেখা গেছে, তাতে ইঁদুরটি বেহুশ হয় না। বরং ওটির প্রাণচাঞ্চল্য ঠিকই থাকে। এ অভিজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যথানাশক হিসেবে গাঁজা বা মারিজুয়ানার ভালো গুণ মানুষের বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই গাঁজা ও মারিজুয়ানার নির্যাস থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এ ওষুধ প্রস্তুত হবে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ও আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, ভাং ও গঞ্জিকা সেবনে ফুসফুসের ক্ষতি তামাক পাতায় প্রস্তুত সিগারেট পানের চেয়ে কম।",
"title": "গাঁজা"
}
] | [
{
"docid": "436697#1",
"text": "এই উদ্ভিদ বিবিধ ব্যবহারের জন্য সুপরিচিত। এর মধ্যে কাগজ তৈরি সর্বাগ্রে উল্লেখ্য। শ্যামদেশে সাতশো বছরেরও বেশি এই গাছ অত্যন্ত টেকসই ও ঐতিহ্যবাহী খোই কাগজ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়া ভিয়েতনামে ঐতিহ্যবাহী কাঠের কাজে এই গাছের খসখসে পাতা কাঠ ঘষে মসৃণ করার কাজে শিরীষ কাগজের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়।\nআয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরির কাজেও এই গাছের ব্যাপক ব্যবহার আছে। বিশেষ করে দাঁতের ব্যথা, ডায়রিয়া, কুষ্ঠরোগ, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের ঔষধ তৈরিতে এই গাছ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই গাছের সরু ও কচি ডাল দাঁতন হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আধুনিক যুগেও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষাজনিত বিভিন্ন ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে এই গাছ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। শ্যামদেশে খুবই জনপ্রিয় কালচে-খয়েরি আয়ুর্বেদিক টুথপেস্ট তৈরিতেও এই গাছের বহুল ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।",
"title": "শ্যাওড়া"
},
{
"docid": "77010#0",
"text": "গাঁজা (, ) মূলত সপুষ্পক উদ্ভিদের গণ, যেখানে \"সাতিভা গাঁজা\", \"ইন্ডিকা গাঁজা\" এবং \"রুডের্লাইস গাঁজা\", এই তিনটি ভিন্ন প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার স্থানীয় প্রজাতি। \"গাঁজা\" দীর্ঘকাল ধরে বীজ ও বীজ তেল, ঔষধি উদ্দেশ্যে এবং একটি বিনোদনমূলক ড্রাগ হিসাবে শণ আঁশের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আঁশের উত্পাদন বৃদ্ধি নির্বাচন করতে বাণিজ্যিক শণ পণ্যসমূহ \"গাঁজা\" গাছ থেকে তৈরি করা হয়।",
"title": "গাঁজা"
},
{
"docid": "259473#7",
"text": "চুকাই গাছ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায় বলে ধারনা করা হয়। এই গাছের কান্ড থেকে ভাল মানের আঁশ পাওয়া যায়; তাই অনেক দেশে পাটের বিকল্প হিসেবে চুকাই গাছ চাষ করা হয়। \nএক সময় চুকাই গাছ কবিরাজী ওষুধ হিসেবে মূত্রবর্ধক, মৃদু কোষ্ঠ-নরমকারী, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো।",
"title": "চুকাই"
},
{
"docid": "562502#0",
"text": "ভেষজ উদ্ভিদ () হচ্ছে এমন গাছ যা সাধারণত খাদ্য, স্বাদবৃদ্ধি, ঔষধ অথবা সুগন্ধের জন্য ব্যবহৃত হয়। রান্না করতে এইসব ভেষজ উদ্ভিদ থেকে মশলা উৎপাদন করা হয়। সাধারণত গাছের সতেজ অথবা শুকনো পাতা আর ফুলেল অংশ এই কাজে ব্যবহার করা হয়। আর গাছের বীজ, ফল, বাকল, গোঁটা এবং শিকড় থেকে মশলা তৈরি হয়।",
"title": "ভেষজ উদ্ভিদ"
},
{
"docid": "401946#3",
"text": "কিফ ট্রাইকোম সমৃদ্ধ একধরণের গুঁড়া, যা গাঁজা গাছের ফুল ও পাতা থেকে সংগ্রহ করা যায় এবং একে গুঁড়া অবস্থায় সেবন বা হ্যাশিশ কেক উৎপাদনের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয়। \"কিফ\" শব্দটি চলিত আরবি \"\" থেকে এসেছে, যার অর্থ \"পরিতোষ\" বা \"সন্তুষ্টি\" বোঝায়।",
"title": "গাঁজা (ঔষধ)"
},
{
"docid": "88911#9",
"text": "পরিচর্যাঃ যে কোন সাফল্যের মূলেই রয়েছে সততা, সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিশ্রম। যে কোন ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিচর্যাটাই হচ্ছে প্রধান। ফসলের সঠিক পরিচর্যা যদি না করা হয়, সঠিক ভাবে সার ও ওষুধ যদি না দেয়া হয় তাহলে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রেও সফলকাম হওয়া যায় না। এইজন্য ফুলের চারা লাগানোর পর তার সঠিক পরিচর্যাটাই হচ্ছে মূল কাজ। চারা লাগানোর পর ৮/১০ দিন কোন কিছু করতে হয় না। এর পর যদি জমি শুকিয়ে যায় অর্থাৎ যদি মনে হয় মাটিতে পর্যাপ্ত রস নেই তাহলে সেচ দিতে হবে। সেচটা সাধারণত খুব ভোরে অথবা সন্ধার আগে দেয়া ভালো। কারণ এসময় প্রচন্ড রোদে জমির মাটি গরম থাকে। ঐ অবস্থায় জমিতে সেচ দিলে চারার খুব ক্ষতি হয়। এইজন্য জমির মাটি ঠান্ডা থাকা অবস্থায় সেচ দেয়া ভালো। ১৫/২০ দিন পর চারা মাটিতে লেগে যায়, একটু বড়ও হয়। তখন গাছে ওষুধ এবং সার দেয়া শুরু করতে হয়। শুধু \"ডায়াথেন এম-৪৫\" এবং \"রোভরাল\" এই দুই প্রকার ওষুধ দিলেই চলে। \nগাছকে তাড়াতাড়ি বৃদ্ধির জন্য \"থিওভিট \" ওষুধ দিতে হয়। ১০ লিটার পানিতে প্রতিটি ওষুধ ২ চা-চামচ করে মিশিয়ে সপ্রে করে দিতে হয়। \nএ সময় মাটিতে জো হলে এবং আগাছা বেশি হলে নিড়ানী দিয়ে শুধু গাছের গোড়া এবং কোদাল দিয়ে সমস্ত জমি কুপিয়ে দিতে হয়। তারপর প্রতি বিঘা জমিতে ২০ কেজি হারে ডিএমপি সার শুধু গাছের সারির মধ্য দিয়ে ছিটিয়ে দিয়ে সেচ দিতে হবে। \nসেচ দেয়ার দুই তিন দিন পর যে জায়গার চারাগুলো মারা গেছে সেই জায়গা পূরণ করতে হবে। যে চারাগুলো অতিরিক্ত থাকবে এবং প্রত্যেক সারিতে লক্ষ্য করতে হবে সেখানে চারার পরিমাণ বা ঘনত্ব বেশি সেই জায়গা থেকে চারপাশের মাটিসহ চারা তুলে খালি জায়গায় লাগিয়ে দিতে হবে। কাজটা করতে হবে বিকালে।",
"title": "গাঁদা"
}
] |
বর্তমানে মানালি শহরের মোট জনসংখ্যা কত ? | [
{
"docid": "92810#1",
"text": "মানালি শাসন ব্যবস্থার দিক থেকে কুল্লু জেলারই অন্তর্গত, এর জনসংখ্যা কম-বেশি ৩০,০০০. ছোট শহরটা প্রাচীন লাদাক বানিজ্য পথের শুরুতে এবং সেখান থেকে কারাকোরাম গিরিপথের উপর দিয়ে তারিম বেসিন-এর ইয়ারকন্দ আর খোটান পর্যন্ত এই পথ.",
"title": "মানালি, হিমাচল প্রদেশ"
},
{
"docid": "92810#4",
"text": "ভারতের লোক গণনার হিসেবে মানালির জনসংখ্যা ছিল 6,265.তার শতকরা 64 জন পুরুষ আর শতকরা 36 জন মহিলা.মানালির গড় সাক্ষরতার হার শতকরা 74, জাতীয় গড় 59.5 এর বেশি. পুরুষ সাক্ষরতা শতকরা 80 আর মহিলা সাক্ষরতা শতকরা 63. মানালির জনসংখ্যার শতকরা 9 ভাগ ছ'বছরের নিচে.",
"title": "মানালি, হিমাচল প্রদেশ"
}
] | [
{
"docid": "37743#2",
"text": "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে নামলি শহরের জনসংখ্যা হল ৮৪৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%।",
"title": "নামলি"
},
{
"docid": "11869#8",
"text": "২০০৫ সাল পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী নিকারাগুয়ার মোট অধিবাসীর সংখ্যা ৫১,৪২,০৯৮ জন (২০১৪ সালের জুলাই মাসে ৫৮,৪৮,৬৪১)। এঁদের মধ্যে মেস্তিজো, অর্থাৎ শ্বেতকায় ও স্থানীয় আমেরিন্ডিয়ানদের মিশ্রিত জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬৯.৭ শতাংশ, ১৭.৬ শতাংশ শ্বেতকায় (মূলত স্পেনীয় বংশোদ্ভূত) ও ৯.২ শতাংশ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও মানাগুয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। ২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী ক্যারিবীয় উপকূলের মোট বাসিন্দা মাত্র ৭ লক্ষ। আবার কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশই বাস করেন ক্যারিবীয় উপকূল অঞ্চলে। এর ফলে গোটা দেশের সাপেক্ষে সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও ক্যারিবীয় উপকূল অঞ্চলে কৃষ্ণাঙ্গরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ (৫৯ শতাংশ)। স্থানীয় আমেরিন্ডিয়ানদের সংখ্যা দেশে উল্লেখযোগ্যভাবেই কম, মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩.২ শতাংশ। এঁদের মধ্যে মেস্কিটো উপজাতি সংখ্যায় সর্বাধিক। এছাড়াও ছোট ছোট কতগুলি জনগোষ্ঠী রয়েছে, যেমন রামা, সুমো, প্রভৃতি। এঁদের বেশীরভাগেরই বসবাস অতলান্তিক উপকূলেই।\nমোট জনসংখ্যার ৫৭.৫ শতাংশই শহরের বাসিন্দা (হিসেব ২০১১ সালের)। দেশে মানুষের বেঁচে থাকার গড় বয়স ৭২.৭ বছর। প্রতি ১০০ জন মহিলা পিছু পুরুষ সংখ্যা ৯৬। শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০.৩৬। জন্মহার প্রতি হাজারে ১৮.৪১ ও মৃত্যুহার ৫.০৭। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৮ (২০০৮ সালের হিসেব অনুযায়ী), যা পশ্চিম গোলার্ধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের মধ্যে একটি। ২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪২.৭ জন।",
"title": "নিকারাগুয়া"
},
{
"docid": "37261#2",
"text": "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মাদিকেরী শহরের জনসংখ্যা হল ৩২,২৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%।",
"title": "মাদিকেরী"
},
{
"docid": "37041#1",
"text": "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে মাবিলায়ি শহরের জনসংখ্যা হল ১১,৯৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৭%, এবং নারী ৫৩%।",
"title": "মাবিলায়ি"
},
{
"docid": "36462#2",
"text": "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে নিরমালী শহরের জনসংখ্যা হল ১৬,১৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩%, এবং নারী ৪৭%।",
"title": "নিরমালী"
},
{
"docid": "95190#1",
"text": "২০১১ সালে আদমশুমারী অনুযায়ী এই শহরে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা ১,৬৪৯,৫১৯ জন। মন্ট্রিঅলের মহানগর এলাকার (জমির পরিমান ) জনসংখ্যা ছিলো ৩,৮২৪,২২১ এবং বর্তমানে ২০১৪ এ ধারণা করা হয় যে, কেন্দ্রীয় মহানগর এলাকায় ৪.১ মিলিয়ন লোক বাস করে।",
"title": "মন্ট্রিঅল"
},
{
"docid": "701144#0",
"text": "মান্দালয় ( বা ; ) মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং শেষ রাজকীয় রাজধানী (বার্মা)। ইরাওয়াদি নদীর পূর্ব তীরে ইয়াঙ্গুন শহরের ৭১৬ কিলোমিটার (৪৪৫ মাইল) উত্তরে অবস্থিত। শহরটির মোট জনসংখ্যা ১২,২৫,৫৫৩ জন (২০১৪ সালের আদমশুমারি)।",
"title": "মান্দালয়"
},
{
"docid": "36445#2",
"text": "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মানের শহরের জনসংখ্যা হল ২৬,৯১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩%, এবং নারী ৪৭%।",
"title": "মানের"
}
] |
হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের মোট কতগুলি কান্ড আছে ? | [
{
"docid": "9503#9",
"text": "গবেষকেরা মনে করেন, রামায়ণের প্রথম পর্ব \"আদিকাণ্ড\" ও শেষ পর্ব \"উত্তরকাণ্ড\" পরবর্তীকালের সংযোজন। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কাণ্ড পর্যন্ত মহাকাব্যটিই প্রাচীন অংশ। \"আদিকাণ্ড\" ও \"উত্তরকাণ্ড\"-এর লেখক বা লেখকবৃন্দ উত্তর ভারতের পূর্ব গাঙ্গেয় সমভূমি এবং ষোড়শ মহাজনপদের যুগের কোশল ও মগধ রাজ্যের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। কারণ উক্ত অংশে এই সকল অঞ্চল সম্পর্কে প্রদত্ত ভৌগোলিক ও ভূরাজনৈতিক তথ্য এই অঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। যদিও \"অরণ্যকাণ্ড\" থেকে রাক্ষসবধকারী নায়ক ও নানাপ্রকার পৌরাণিক জীবজন্তুর উপস্থিতিতে সহসাই এই উপাখ্যান কল্পকাহিনিমূলক হয়ে পড়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের ভৌগোলিক তথ্য এখানে অত্যন্ত অস্পষ্ট। লঙ্কা দ্বীপে ভৌগোলিক অবস্থানটিও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এই সকল তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ঐতিহাসিক এইচ. ডি. সঙ্কলিয়া খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীকে এই মহাকাব্যের রচনাকাল বলে উল্লেখ করেন। এ. এল. ব্যাসাম অবশ্য এই মত প্রকাশ করেছেন যে রাম সম্ভবত ছিলেন খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম অথবা সপ্তম শতাব্দীর এক ক্ষুদ্র গোষ্ঠীপতি।রামায়ণ সাতটি \"কাণ্ড\" বা খণ্ডে বিভক্ত। যথা: \"আদিকাণ্ড\" বা \"বালকাণ্ড\", \"অযোধ্যাকাণ্ড\", \"অরণ্যকাণ্ড\", \"কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড\", \"সুন্দরকাণ্ড\", \"লঙ্কাকাণ্ড\" বা \"যুদ্ধকাণ্ড\" ও \"উত্তরকাণ্ড\"। এই সপ্তকাণ্ডে রামের জীবনকথা কালানুক্রমিকভাবে বর্ণিত হয়েছে। \"আদিকাণ্ড\"-এ বর্ণিত হয়েছে রামের জন্ম, শৈশব ও সীতার সহিত বিবাহের কথা; \"অযোধ্যাকাণ্ড\"-এ বর্ণিত হয়েছে রামের রাজ্যাভিষেক প্রস্তুতি ও তাঁর বনগমনের কথা; তৃতীয় খণ্ড \"অরণ্যকাণ্ড\"-এ বর্ণিত হয়েছে রামের বনবাসের কথা ও রাবণ কর্তৃক সীতাহরণের বৃত্তান্ত; চতুর্থ খণ্ড \"কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড\"-এ বর্ণিত হয়েছে হনুমান ও রামের মিলন, রামের সহায়তায় বানররাজ বালী হত্যা এবং বালীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা সুগ্রীবের কিষ্কিন্ধ্যার রাজ্যাভিষেক; পঞ্চম খণ্ড \"সুন্দরকাণ্ড\"-এ বর্ণিত হয়েছে হনুমানের বীরত্বগাথা, তাঁর লঙ্কাগমন ও সীতার সহিত সাক্ষাতের কথা; রাম ও রাবণের যুদ্ধ বর্ণিত হয়েছে ষষ্ঠ খণ্ড \"লঙ্কাকাণ্ড\"-এ; সর্বশেষ খণ্ড \"উত্তরকাণ্ড\"-এর মূল উপজীব্য রাম ও সীতার পুত্র লব ও কুশের জন্মবৃত্তান্ত, তাঁদের রাজ্যাভিষেক ও রামের ধরিত্রী ত্যাগ।",
"title": "রামায়ণ"
},
{
"docid": "108915#5",
"text": "বাল্মীকি রচিত মূল রামায়ণে ২৪,০০০ শ্লোক ছিল। এই রামায়ণ ছয়টি (মতান্তরে সাতটি) কাণ্ড বা খণ্ডে বিভক্ত ছিল। রামায়ণের উপজীব্য অযোধ্যার রাজকুমার রামের জীবনকথা। খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ থেকে ১০০ অব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে এই মহাকাব্য রচিত হয়। এই মহাকাব্য মহাভারতের পূর্বসূরি।",
"title": "বাল্মীকি"
}
] | [
{
"docid": "92431#0",
"text": "মেঘনাদবধ কাব্য ১৯-শতকীয় বাঙালি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা একটি মহাকাব্য। এটি ১৮৬১ সালে দুই খণ্ডে বই আকারে প্রকাশিত হয়। কাব্যটি মোট নয়টি সর্গে বিভক্ত। \"মেঘনাদবধ কাব্য\" হিন্দু মহাকাব্য \"রামায়ণ\" অবলম্বনে রচিত, যদিও এর মধ্যে নানা বিদেশী মহাকাব্যের ছাপও সুস্পষ্ট।",
"title": "মেঘনাদবধ কাব্য"
},
{
"docid": "307674#3",
"text": "শাহনামা হচ্ছে প্রাচীন ইরানের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগাথা। এতে আছে ৯৯০টি অধ্যায়, ৬২টি কাহিনি। পুরো মহাকাব্যে ৬০ হাজার বার আছে অন্ত্যমিল। এটি হোমারের ইলিয়ড-এর চেয়ে সাত গুণ ও জার্মান মহাকাব্য নিবেলুঙগেনলিয়েড-এর (Nibelungenlied) চেয়ে ১২ গুণ বড়। ইংরেজিতে এ পর্যন্ত শাহনামার যতগুলো অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সবগুলোই প্রায় সংক্ষেপিত। ১৯২৫ সালে বিখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আর্থার অ্যান্ড এডমন্ড ব্রাদার্স পুরো শাহনামার একটি ইংরেজি অনুবাদ নয় খণ্ডে প্রকাশ করেছিলেন। সেই ইংরেজি অনুবাদের কোনো পুনর্মুদ্রণ এখন আর পাওয়া যায় না। এছাড়া রাশিয়া থেকেও এর অনুবাদ প্রকাশিত হয়।",
"title": "ফেরদৌসী"
},
{
"docid": "251352#0",
"text": "কালিকা পুরাণ (, ) (খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী) একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। অষ্টাদশ উপপুরাণের অন্যতম। প্রাপ্ত পাঠটিতে ৯৮টি অধ্যায় ও ৯০০০ শ্লোক রয়েছে। এটি কালী ও তাঁর কয়েকটি বিশেষ রূপের (যথা, গিরিজা, ভদ্রকালী ও মহামায়া) উদ্দেশ্যে রচিত একমাত্র গ্রন্থ। এই পুরাণে কামরূপ তীর্থের পর্বত ও নদনদী এবং কামাখ্যা মন্দিরের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। কালী, কামাখ্যা ও দুর্গা সহ বিভিন্ন দেবীর পূজাপদ্ধতি এই পুরাণে লিপিবদ্ধ আছে। সেই কারণে এটি হিন্দুধর্মের শাক্ত শাখার ধর্মগ্রন্থ। সম্ভবত এই গ্রন্থ কামরূপ (বর্তমান অসম) বা বঙ্গদেশে লিখিত হয়েছিল। এই পুরাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রগ্রন্থ। কারণ, অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের \"নিবন্ধ\" (স্মার্ত) লেখকগোষ্ঠী এটিকে শাক্তধর্মের একটি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বলে উল্লেখ করেছেন। এই পুরাণে বেশ কিছু পূর্বপ্রচলিত পৌরাণিক উপাখ্যানেরও উল্লেখ রয়েছে। এই পুরাণ সেই সব বিরল হিন্দু ধর্মগ্রন্থের একটি যেখানে \"হিন্দু\" শব্দটি পাওয়া যায়।",
"title": "কালিকা পুরাণ"
},
{
"docid": "396737#3",
"text": "নারদ পুরাণে উক্ত চারটি সংহিতার একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় পাওয়া যায়। ব্রাহ্মী সংহিতায় ৬০০০ শ্লোক ছিল। বর্তমানে কূর্মপুরাণের যে অংশটি পাওয়া যায়, তাতে ৪০০০ শ্লোক আছে। ভাগবতী সংহিতায় ৪০০০ শ্লোক ছিল। এই সংহিতা পাঁচ ভাগে বিভক্ত ছিল। তাই এট্টিকে পঞ্চপদী বলা হত। এই অংশে চার বর্ণের কর্মের উল্লেখ ছিল। সৌরী সংহিতায় ২০০০ শ্লোক ছিল। এটি ছয়টি পদে বিভক্ত ছিল। এই অংশে পাঁচ ধরনের জাদুবিদ্যার উল্লেখ ছিল। যথা - শান্তি, বশীকরণ, স্তম্ভন, বিদ্বেষণ, উচ্চাটন ও মারণ। বৈষ্ণবী সংহিতায় ৫০০০ শ্লোক ছিল। এটি চারটি পদে বিভক্ত ছিল এবং এটির মূল উপজীব্য বিষয় ছিল মোক্ষধর্ম।",
"title": "কূর্মপুরাণ"
},
{
"docid": "428148#3",
"text": "পরবর্তী বৈদিক যুগে সভ্যতার নানা উপাদানই সংস্কৃত মহাকাব্যগুলিতে সংরক্ষিত করা হয়েছে। স্বাভাবিক কথামালাগুলির পাশাপাশি একাধিক খণ্ডে বিভক্ত মহাকাব্যগুলিও ভারতীয় সমাজ, সভ্যতা, দর্শন, সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা ইত্যাদি সম্বন্ধীয় নানা তথ্যের ধারক হয়ে রয়েছে। \"রামায়ণ\" ও \"মহাভারত\" – এই দুটি হিন্দু মহাকাব্যই যথাক্রমে ভগবান্ বিষ্ণুর দুই অবতার – রাম ও কৃষ্ণের কাহিনি পরিবেশন করে। এই দুটি গ্রন্থই ‘ইতিহাস’ নামে পরিচিত। রামায়ণ ও মহাভারত উভয়কেই ধর্মের পথপ্রদর্শক এবং দর্শনতত্ত্ব ও নীতিকথার আধার হিসেবে গণ্য করা হয়। এই গ্রন্থ দুটি একাধিক অধ্যায়ে (কাণ্ড ও পর্ব) বিভক্ত এবং এতে অসংখ্য নীতিমূলক সংক্ষিপ্ত কাহিনি সংকলিত হয়েছে, যেখানে চরিত্রগুলি কাহিনির অন্তে হিন্দু নীতি ও আচরণবিধির সঠিক শিক্ষালাভ করে। এগুলির মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ হল মহাভারতের \"ভগবদ্গীতা\", যেখানে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সখা মহারথি অর্জুনকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ঠিক প্রাক্কালে ধর্মাচরণ ও জীবনকর্তব্যের বিশদ ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এই গ্রন্থটি হিন্দু দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে ও হিন্দুধর্মের প্রধান উপদেশমূলক গ্রন্থ হিসেবে খ্যাত হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহাভারত হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কাব্যগ্রন্থ, এতে প্রায় এক লক্ষ শ্লোক রয়েছে।",
"title": "হিন্দু পুরাণ"
},
{
"docid": "330282#2",
"text": "যজুর্বেদ সংহিতার আদি ও প্রাচীনতম অংশটিতে ১,৮৭৫টি শ্লোক রয়েছে। এগুলি ঋগ্বেদের শ্লোকগুলির ভিত্তিতে গ্রথিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ঋগ্বেদ থেকে স্বতন্ত্র। যজুর্বেদের মধ্যবর্তী অংশে রয়েছে বৈদিক সাহিত্যের দীর্ঘতম ব্রাহ্মণ শাস্ত্র শতপথ ব্রাহ্মণ। যজুর্বেদের নবীনতম অংশে রয়েছে একাধিক প্রধান উপনিষদ্। এগুলি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন শাখার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। এই উপনিষদ্গুলি হল বৃহদারণ্যক উপনিষদ্, ঈশ উপনিষদ্, তৈত্তিরীয় উপনিষদ্, কঠ উপনিষদ্, শ্বেতাশ্বেতর উপনিষদ্ ও মৈত্রী উপনিষদ্।",
"title": "যজুর্বেদ"
},
{
"docid": "256318#0",
"text": "হিন্দুধর্মে মানবজীবনের উদ্দেশ্য চারটি। এই চারটি উদ্দেশ্যই পুরুষার্থ নামে পরিচিত। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের জীবনধারণের উদ্দেশ্য এই চারটি পুরুষার্থ অর্জন করা। চারটি পুরুষার্থের নাম হল:\"ধর্মশাস্ত্র\" এবং \"রামায়ণ\" ও \"মহাভারত\" মহাকাব্যে প্রথম যথাযথ চতুর্বিধ পুরুষার্থ অর্জনের জন্য যথাযথভাবে জীবনযাপনের উপদেশ দেওয়া হয়। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে ধর্ম, অর্থ ও কাম মানুষের সহজে অর্জনযোগ্য তিনটি পুরুষার্থ; এগুলি ত্রিবর্গ নামে পরিচিত। এর থেকে মনে হয়, মোক্ষ অর্জন জীবনের শেষভাগের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। অন্যমতে, ত্রিবর্গ জীবনের গার্হস্থ্য আশ্রমের লক্ষ্য, এবং মোক্ষ সারাজীবনের লক্ষ্য। সাধারণত সন্ন্যাস আশ্রমে গিয়ে গৃহস্থ মোক্ষ অর্জনে প্রয়াসী হতেন। আর একটি মতে, ত্রিবর্গ সামাজিক লক্ষ্য, কিন্তু মোক্ষ ব্যক্তিগত লক্ষ্য। ত্রিবর্গ ধারণার সঙ্গে মোক্ষ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হয়ে পড়ে। তারপরই এই সমগ্র ধারণাটি চতুর্বর্গ নামে পরিচিত হয়।",
"title": "পুরুষার্থ"
},
{
"docid": "124709#1",
"text": "প্রত্যেকটি বেদের নিজস্ব \"ব্রাহ্মণ\" রয়েছে। ষোড়শ মহাজনপদের সমসাময়িককালে মোট কতগুলি \"ব্রাহ্মণ\" প্রচলিত ছিল তা জানা যায় না। মোট ১৯টি পূর্ণাকার \"ব্রাহ্মণ\" অদ্যাবধি বিদ্যমান: এগুলির মধ্যে দুটি ঋগ্বেদ, ছয়টি যজুর্বেদ, দশটি সামবেদ ও একটি অথর্ববেদের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও কয়েকটি সংরক্ষিত খণ্ডগ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়। ব্রাহ্মণগুলির আকার বিভিন্ন প্রকারের। শতপথ ব্রাহ্মণ \"সেক্রেড বুকস অফ দি ইস্ট\" গ্রন্থের পাঁচ খণ্ড জুড়ে বিধৃত হয়েছে; আবার বংশ ব্রাহ্মণের দৈর্ঘ্য মাত্র এক পৃষ্ঠা।",
"title": "ব্রাহ্মণ (হিন্দুশাস্ত্র)"
},
{
"docid": "4520#9",
"text": "মহাভারত কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ১৮টি অধ্যায় তথা ‘পর্ব’ ও ১০০টি ‘উপপর্ব’ রয়েছে।\nমহর্ষি বেদব্যাস কথিত মহাভারতের কাহিনি রচনা করতে সম্ভবত ৩ বৎসর কাল অতিবাহিত হয়েছিল, এর দ্বারা অনুমান করা যেতে পারে, ঐ সময় লিখন পদ্ধতি তেমন আধুনিক ছিল না, সে কালে প্রচলিত নানা বৈদিক সাহিত্যগুলোকে মুনিঋষিরা গুরু-শিষ্য পরম্পরা অনুসারে নিজেরা মৌখিক রূপে স্মরণ করে রাখতেন। সে সময় আর্য ভাষা সংস্কৃত ঋষিদের মান্য ভাষার মর্যাদা পেয়েছিল। এই রূপে সমগ্র বৈদিক সাহিত্য তথাকথিত গুরু-শিষ্য পরম্পরায় মৌখিক রূপে সংরক্ষিত থাকত। এরপর সময়ের সাথে সাথে বৈদিক যুগের পতন হয় এবং সেই প্রাচীন গুরু-শিষ্য পরম্পরায় স্মরণ করার রীতি লুপ্ত হয়, তখন সেই সমস্ত সাহিত্যগুলিকে লিখিত রূপে সংরক্ষণের রীতি প্রচলিত হয়। এই সময় ব্রাহ্মী লিপির মাধ্যমে লেখার প্রচলন ঘটে। বর্তমান পণ্ডিতগণের ধারণা যে, মহাভারত প্রাচীন অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছানো কয়েকটি ধাপের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। গবেষকদের মতে, মহাভারতের রচনাকাল ৩টি প্রারম্ভিক স্তরে বিভক্ত। এই ৩ স্তরের সময়কাল নিম্নরূপ :\nক. সর্বপ্রথমে ব্যাসদেব ১০০ পর্ব ও এক লাখ শ্লোক সমন্বিত 'জয়' গ্রন্থ রচনা করেন, যা পরবর্তী কালে মহাভারত নামে প্রসিদ্ধ হয়।",
"title": "মহাভারত"
}
] |
বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার কবে আবিষ্কৃত হয় ? | [
{
"docid": "628657#19",
"text": "পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রাম-চালিত কম্পিউটার ছিল জেড থ্রি যা ১৯৪১ সালে কোনরাড যুসে তৈরী করেন। ১৯৯৮ সালে অধ্যাপক রাউল রোহাস প্রমান করেন যে এই নীতিগতভাবে যন্ত্রটি ট্যুরিং কম্প্লিট।. এরপর কোনরাড যুসে এস২ নামক গণনাকারী যন্ত্র যা প্রথম (প্রসেস কন্ট্রোল যন্ত্র ও বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার ব্যবসার প্রতিষ্ঠা করেন যা বিশ্বের প্রথম বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদিত কম্পিউটার জেড ফোর তৈরী করে। এছাড়াও তিনি প্রথম হাই-লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা প্লানক্যালকুল্ তৈরি করেছিলেন।",
"title": "কম্পিউটার বিজ্ঞানের ইতিহাস"
},
{
"docid": "43839#0",
"text": "কনরাড ৎসুজে () (২২শে জুন, ১৯১০ – ১৮ই ডিসেম্বর, ১৯৯৫) ছিলেন একজন জার্মান প্রকৌশলী ও কম্পিউটিং অগ্রদূত। তাঁর সেরা অবদান হল ১৯৪১ সালে নির্মিত জেড৩ (Z3), বিশ্বের সর্বপ্রথম কার্যকরী টেপ-রক্ষিত-প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার। ১৯৯৮ সালে প্রমাণিত হয় যে জেডথ্রি টুরিং-সম্পূর্ণ। \nজেড৩-কে প্রথম কম্পিউটার হিসেবে দাবী করা হয়, যদিও এটি পরবর্তীকালের যন্ত্রগুলির মত সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের উপযোগী ছিল না।",
"title": "কনরাড ৎসুজে"
}
] | [
{
"docid": "3502#2",
"text": "প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালে মানুষ একসময় সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গননা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।",
"title": "কম্পিউটার"
},
{
"docid": "4361#2",
"text": "হিউলেট-প্যাকার্ডের প্রস্তুতকৃত প্রথম কম্পিউটার ছিল এইচপি ২১১৬এ। তারা ১৯৬৬ সালে এটি তৈরি করে। ১৯৭২ সালে এইচপি ৩০০০ নামক ক্ষুদ্র কম্পিউটার প্রস্তুত করে যা ব্যবসায়িক কাজে এখনও ব্যবহৃত হয়। ১৯৭৬ সালে কোম্পানির একজন প্রকৌশলী, স্টিফেন ভোজনিয়াক একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার 'র নমুনা তৈরি করে তা পেশ করেন। হিউলেট-প্যাকার্ড সমস্ত সত্ব ত্যাগ করে ভোজনিয়াকে যে কোন পরিকল্পনার অধিকার দান করে। ভোজনিয়াক পরবর্তীতে স্টিভ জবস'র সাথে মিলে অ্যাপ্ল ইনকর্পোরেটেড নামক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮০ সালে প্রথম ডেস্কটপ কম্পিউটার এইচপি-৮৫ তৈরি করে। কিন্তু আইবিএম কম্পিউটারের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়ায় তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আইবিএম কম্পিউটারের সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম এমন একটি কম্পিউটার বাজারজাত করে যা এইচপি-১৫০ নামে পরিচিত। কিন্তু তাও বাজার হারায়। হিউলেট-প্যাকার্ডের প্রস্তুতকৃত প্রথম সফল উৎপাদন সামগ্রী ছিল একটি প্রিন্টার। প্রিন্টারটি এইচপি লেসারজেট নামে পরিচিত যা ১৯৮৪ সালে বাজারজাত করা হয়। কিন্তু এর পরপরই হিউলেট-প্যাকার্ড অন্যান্য কোম্পানি যেমন সান মাইক্রোসিস্টেম্স, সিলিকন গ্রাফিক্স ও অ্যাপোলো কম্পিউটার'র কারণে বাজার হারাতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৯ সালে হিউলেট-প্যাকার্ড অ্যাপোলো কোম্পানিকে কিনে নেয়। ১৯৯০ সালের পর হিউলেট-প্যাকার্ডকে প্রচুর রাজস্ব হারাতে হয় এবং ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দেয়। এ অবস্থা থেকে কোম্পানির উত্তরণের জন্য \"প্যাকার্ড\" অবসর ত্যাগ করে আবার ব্যবস্থাপনায় ফিরে আসেন। তার চালনায় কোম্পানি আবার গতিশীলতা লাভ করে এবং স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার সামগ্রী বাজারজাত করে আবার জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরই সাথে হিউলেট-প্যাকার্ড বিশ্বের শীর্ষ তিন ব্যক্তিগত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে আসে। ১৯৯৩ সালে কোম্পানি যখন সম্পূর্ণ ঘুরে দাড়াতে সক্ষম হয় তখন প্যাকার্ড অবসর নেন।\nহিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানি ব্যবসার জগতে একটি নতুন ধারার জন্ম দেয়। সহযোগিতা ও সাধারণ স্বার্থই এ ধারার মূলমণ্ত্র। হিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানিতে কর্মরত সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে শেয়ারগ্রাহকদের মতই কোম্পানির অংশ মনে করা হয়। তারা সবাই কোম্পানির স্বার্থর সাথে সমান ভাবে জড়িত বলে ধরা হয়। এ ধরণের মানসিকতার কারণে হিউলেট প্যাকার্ড সমাজের নারী ও সংখ্যালঘুদের কাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়।",
"title": "হিউলেট-প্যাকার্ড"
},
{
"docid": "43839#2",
"text": "১৯৪৬ সালে প্রথম কম্পিউটার স্টার্ট-আপ কোম্পানি চালু করার কৃতিত্বও ৎসুজের। এই কোম্পানিটি বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটার তৈরি করে, যার নাম ছিল জেড৪ এবং ১৯৫০ সালে জুরিখের সুইস সরকারী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এটি লিজ নেয়।",
"title": "কনরাড ৎসুজে"
},
{
"docid": "628657#7",
"text": "১৮৩৭ খ্রীষ্টাব্দে চার্লস ব্যাবেজ একটি বিশ্লেষণধর্মী বা অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিন-এর খসড়া তৈরী করেন যার মূল সুবিধাগুলি ছিল - এক্সপ্যান্ডেবেল মেমরি (বিস্তারযোগ্য যান্ত্রিক স্মৃতিশক্তি), গাণিতিক হিসাব করার ক্ষমতা, যুক্তিনির্ভর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, লুপ ও কন্ডিশনাল ব্রাঞ্চিং(যা আধুনিক প্রোগ্রামিং ভাষাগুলিতে পাওয়া যায়) ইত্যাদি। এই যন্ত্রটিকে বিজ্ঞানীরা বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার বলে স্বীকার করে থাকেন এবং ট্যুরিংসমতুল্য বলেও মনে করা হয়।",
"title": "কম্পিউটার বিজ্ঞানের ইতিহাস"
},
{
"docid": "396667#1",
"text": "পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রিন্টার ছিল ১৯'শতকের চার্লস ব্যবেজ কর্তৃক আবিষ্কৃত ডিফারেন্স ইঞ্জিনের জন্য যন্ত্রটি। এই যন্ত্রটিতে লোহার রডে অক্ষর ছাপা থাকতো আর কাগজগুলো রডের নিচে রাখা হত। এভাবে ছাপার কাজ করা হত। প্রথম বাণিজ্যিক প্রিন্টারগুলো যেমন ইলেক্ট্রিক টাইপরাইটার এবং টেলিটাইপ মেশিন এই পদ্ধতিতে কাজ করত। দ্রুতগতির প্রিন্ট নেয়ার চাহিদা থেকে নতুন ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল, বিশেষ করে কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারের জন্য। ১৯৮০ দশকে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো যেমন ডেইজি হুইল পদ্ধতির মিল ছিল টাইপরাইটারের সাথে। লাইন প্রিন্টার একই ধরনের আউটপুট দিত কিন্তু আরেকটু দ্রুত গতিতে। ডট মেট্রিক্স পদ্ধতি যাতে লেখা এবং গ্রাফ বা ছবি একত্রে প্রিন্ট করা যেত, কিন্তু তা নিম্ন মানের হত। ব্লুপ্রিন্টের মত উচ্চ মানের গ্রাফিক্সের জন্য প্লটার ব্যবহার করা হত।",
"title": "প্রিন্টার"
},
{
"docid": "43830#1",
"text": "১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কম্পিউটার প্রকৌশল ডিগ্রি চালু করে। ২০০৪ সালের অক্টোবর অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭০টি এবিইটি স্বীকৃত কম্পিউটার প্রকৌশল কর্মসূচি রয়েছে। \nইউরোপে কম্পিউটার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করে বিভিন্ন সংস্থা যেগুলো ইকিউএএনআইই এর অংশ হিসেবে কাজ করে।\nপ্রকৌশলীদের পেশার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী বৃদ্ধির কারণে, যারা একই সাথে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ফার্মওয়্যার ডিজাইন এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির সব ধরণের কাজ পরিচালনা করতে পারে, তাদের জন্য বিশ্বের কিছু প্রতিষ্ঠান স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করে থাকে। কম্পিউটার প্রকৌশল এবং তড়িৎ প্রকৌশল উভয় কর্মসূচির পাঠ্যক্রমেই অ্যানালগ এবং ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইন রয়েছে। অধিকাংশ প্রকৌশলের নিয়ম অনুসারে, কম্পিউটার প্রকৌশলীদের জন্য সামান্য গণিত এবং বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।",
"title": "কম্পিউটার প্রকৌশল"
},
{
"docid": "12024#5",
"text": "ইতালীয় ইঞ্জিনিয়ার পিয়ের জর্জিয়ো পেরোটো একটি ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটার আবিষ্কার করেন যার নাম প্রোগ্রাম ১০১ এবং এটিই প্রথম বাণিজ্যিক ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটার যা ইতালীয় কোম্পানি অলিভেট্টি উৎপাদন করেন। প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৬২ সালে। ১৯৬৪ সালে এটি ছাড়া হয় নিউ ইয়র্ক বিশ্ব মেলায়, দাম ছিল $৩২০০ এবং ভলিউম হারে উৎপাদন হয় ১৯৬৫ সালে। প্রোগ্রামা ১০১ আসার পূর্বে কম্পিউটার ছিল একেকটা ট্রাকের সমান এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞরাই ব্যবহার করত। কিন্তু প্রোগ্রামার আকার ছিল একটি টাইপরাইটারের সমান যা সবার ব্যবহার করতে পারত।",
"title": "ব্যক্তিগত কম্পিউটার"
},
{
"docid": "248221#0",
"text": "আইআরসি আবিষ্কৃত হয় ১৯৮৮ সালে। ইন্টারনেট এক্সেস সাপোর্ট করে এমন প্রায় সকল কম্পিউটারের জন্য আইআরসি ক্লায়েন্ট রয়েছে। ২০০৯ সালে মে পর্যন্ত এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ১০০টি আইআরসি নেটওয়ার্কের, কয়েক হাজার চ্যানেলে, একই সময়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ সক্রিয় থাকে। বিশ্বব্যাপী আইআরসি সার্ভারের সংখ্যা গড়ে প্রায় ১,৫০০।",
"title": "ইন্টারনেট রিলে চ্যাট"
}
] |
থাইল্যান্ডের রাজধানীর নাম কী ? | [
{
"docid": "5929#0",
"text": "থাইল্যান্ড বা তাইল্যান্ড ( \"প্রাঠেট্ ঠাই\" অর্থাৎ \"তাই প্রদেশ\") দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এর সরকারি নাম তাইরাজ্য ( \"রাৎচা আনাচাক্ ঠাই\" অর্থাৎ \"তাই রাজ্য\")। এর বৃহত্তম শহর ও রাজধানীর নাম ব্যাংকক। থাইল্যান্ড একমাত্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাষ্ট্র যা যুদ্ধকালীন সময় ব্যতীত কখনও কোন ইউরোপীয় বা বিদেশী শক্তির নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ১৭৮২ সাল থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পরম রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৯৩২ সালে বিদ্রোহীরা একটি অভ্যুত্থান ঘটায় এবং দেশে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত থাইল্যান্ড বহু সামরিক ও বেসামরিক সরকারের অধীনে শাসিত হয়েছে। ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত দেশটি শ্যামদেশ (থাই: สยาม \"সায়াম্\") নামে পরিচিত ছিল। ঐ বছর এর নাম বদলে থাইল্যান্ড রাখা হয়। তবে ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে আবারও একে শ্যামদেশ নামে ডাকা হত। ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয়বারের মত থাইল্যান্ড নামটি গ্রহণ করা হয়।",
"title": "থাইল্যান্ড"
},
{
"docid": "5929#4",
"text": "১৭৬৭ সালে বর্মীদের হাতে আয়ুত্থাইয়ার পতনের পর কিছুকাল রাজা তাকসিনের (থাই: ตากสิน \"টাক্সিন্\") অধীনে থোনবুরি (থাই: ธนบุรี \"ঠোন্বুরি\", অর্থাৎ \"ধনপুর\") থাইল্যান্ডের রাজধানী ছিলো। ১৭৮২ সালে রাজা প্রথম রাম চাকরি সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ব্যাংকককে বেছে নেন।",
"title": "থাইল্যান্ড"
},
{
"docid": "6387#0",
"text": "ব্যাংকক থাইল্যান্ডের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। এটি ফেয়া নদীর পশ্চিম তীরে থাইল্যান্ড উপসাগরের কাছাকাছি অবস্থিত। ব্যাংকক একটি গতিশীল অর্থনীতি ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি প্রগতিশীল সম্প্রদায়ের সাথে, দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোর অন্যতম।",
"title": "ব্যাংকক"
}
] | [
{
"docid": "521156#0",
"text": "ভিয়েনতিয়েন (; ; , \"Viang chan\", ) হল লাওসের রাজধানী ও সর্ববৃহৎ শহর। শহরটি থাইল্যান্ড সীমান্তের নিকটে মেকং নদীর তীরে অবস্থিত। ভিয়েনতিয়েন প্রথম রাজধানীর মর্যাদা পায় ১৫৬৩ খৃষ্টাব্দে বর্মীয় শাসনামলে। ভিয়েনতিয়েন ফরাসি শাসনের সময়ও অঞ্চলের রাজধানী ছিল, এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণ এখন এটি লাওসের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুও বটে।",
"title": "ভিয়েনতিয়েন"
},
{
"docid": "5929#7",
"text": "থাইল্যান্ড একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৬-এর কু পর্যন্ত দেশটি একটি কার্যকর গণতন্ত্র হিসেবেই বিবেচিত হয়েছিল। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে একটি বহুদলীয়, মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। থাইল্যান্ডের সংবিধানে রাজাকে খুব কম ক্ষমতাই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি জাতীয় পরিচয় ও ঐক্যের প্রতীক। থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা হলেন রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ (থাই: ภูมิพลอดุลยเดช \"ফুমিফোন্ আটুন্য়াডেট্\"\")। তিনি ১৯৪৬ সালে থেকে এখানে রাজপদে অধিষ্ঠিত আছেন এবং জনগণের উপর তাঁর বিরাট প্রভাব রয়েছে। তিনি কখনও কখনও রাজনৈতিক সংকট মীমাংসায় এগিয়ে এসেছেন।",
"title": "থাইল্যান্ড"
},
{
"docid": "606175#0",
"text": "থাইল্যান্ডের বন্দর কর্তৃপক্ষ (পিএটি) (থাই: การ ท่าเรือ แห่ง ประเทศไทย; rtgs: কান থা রাউয়া হাং প্রপাত থাই) থাইল্যান্ডের একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা, যা থাইল্যান্ডের বন্দরগুলির নিয়ন্ত্রণ ও শাসনের জন্য গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লেম চাবান বন্দর এবং ব্যাংকক পোর্ট, দেশের দুই বৃহত্তম বন্দর। হকসেন পোর্টস থাইল্যান্ড এবং পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল সহ বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা বা গোষ্ঠীর সাথে মিলিত ভাবে \"থাইল্যান্ডের বন্দর কর্তৃপক্ষ\" থাইল্যান্ডের বন্দরগুলি পরিচালনা করে।",
"title": "থাইল্যান্ডের বন্দর কর্তৃপক্ষ"
},
{
"docid": "662004#0",
"text": "তাইয়ুয়ান ( , \"বিং\" (并), \"জিনইয়াং\" (晋阳) নামেও পরিচিত) হচ্ছে উত্তর চীনের শানশি প্রদেশের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর। এটি চীনের একটি প্রধান প্রস্তুতকারক এলাকা। ঐতিহাসিক কাল থেকে, তাইয়ুয়ান চীনের বহু রাজবংশের রাজধানী বা প্রাদেশিক রাজধানী ছিল, একারণে একে লংচেং (龙城, \"ড্রাগন নগর\") ডাকা হয়।",
"title": "তাইয়ুয়ান"
},
{
"docid": "2834#0",
"text": "চেন্নাই (তামিল: சென்னை) বা পূর্বতন (তামিল: மதறாஸ் \"মাড্রাস্\") ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের রাজধানী এবং দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম মেট্রোপলিটান শহর। এটি বঙ্গোপসাগরের করমন্ডল উপকূলে অবস্থিত। ৩৬৮ বছরের পুরনো এই শহরের জনসংখ্যা আনুমানিক ৬.৯১ মিলিয়ন (২০০৬); জনসংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর ৩৬তম বৃহত্তম মেট্রোপলিটান শহর।",
"title": "চেন্নাই"
},
{
"docid": "12272#1",
"text": "প্রবাসী অনেক তিব্বতীয় এই অঞ্চলকে গণচীনের একটি অংশ হিসেবে মানতে সম্মত নন। ১৯৫৯ সালে গণচীনের বিরুদ্ধে তিব্বতিদের স্বাধীকারের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়। তখন দলাই লামার নেতৃত্বে অসংখ্য তিব্বতি ভারত সরকারের আশ্রয় গ্রহণপূর্বক হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বসবাস আরম্ভ করেন। সেখানেই ভূতপূর্ব স্বাধীন তিব্বতের নির্বাসিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তিব্বতের রাজধানীর নাম লাসা।",
"title": "তিব্বত"
},
{
"docid": "5929#1",
"text": "থাইল্যান্ডের মধ্যভাগে রয়েছে একটি বিস্তীর্ণ উর্বর সমভূমি। এই সমভূমির মধ্য দিয়ে দেশের প্রধান নদী চাও ফ্রায়া এবং এর শাখানদী ও উপনদীগুলি প্রবাহিত হয়েছে। এই অঞ্চলে দেশের ধান ও অন্যান্য ফসলের অধিকাংশের আবাদ হয়। মধ্যভাগের সমভূমির পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব দিক ঘিরে রেখেছে পাহাড় ও মালভূমি। পশ্চিমের পর্বতশ্রেণী দক্ষিণ দিকে মালয় উপদ্বীপে প্রসারিত হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ব্যাংকক চাও ফ্রায়া নদীর মোহনায় থাইল্যান্ড উপসাগরের তীরে অবস্থিত।",
"title": "থাইল্যান্ড"
}
] |
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমটি কে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন ? | [
{
"docid": "2324#10",
"text": "প্রায় কাছাকাছি সময়ে, ১৯৯১ সালে, লিনুস তোরভাল্দ্স নামের এক ফিনীয় ছাত্র হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়-তে পাঠরত অবস্থায় শখের বশে আরেকটি কার্নেলের ওপর কাজ শুরু করেন। এই কার্নেলটিই পরে লিনাক্স কার্নেলে রূপ নেয়। লিনুস প্রথমদিকে মিনিক্স নামের একটি সরলীকৃত ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করেন। মিনিক্সের রচয়িতা ছিলেন এন্ড্রু টানেনবম, এক প্রখ্যাত অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন প্রশিক্ষক। তবে টানেনবম তাঁর মিনিক্স সিস্টেমের ওপর সরাসরি কাজ করে উন্নতিসাধনের অনুমতি দিতেন না। ফলে লিনুসকে মিনিক্সের সমতুল্য একটি সিস্টেম বানাতে হয়। লিনুস প্রথমে আইএ-৩২ এসেম্বলার ও সি-এর সাহায্যে একটি টার্মিনাল এমুলেটর রচনা করেন ও এটিকে কম্পাইল করে বাইনারি আকারে রূপান্তরিত করেন, যাতে এটি যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের বাইরে ফ্লপি ডিস্ক থেকে বুট করে চালানো যায়। টার্মিনাল এমুলেটরটিতে একসাথে দুইটি থ্রেড চলত। একটি থ্রেড ছিল সিরিয়াল পোর্ট থেকে ক্যারেক্টার পড়ার জন্য, আর অন্যটি ছিল পোর্টে ক্যারেক্টার পাঠানোর জন্য। যখন লিনুসের ডিস্ক থেকে ফাইল পড়া ও লেখার প্রয়োজন পড়ল, তখন তিনি এই এমুলেটরটির সাথে একটি সম্পূর্ণ ফাইলসিস্টেম হ্যান্ডলার যোগ করেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি এটিকে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম কার্নেলে রূপ দেন, যাতে এটিকে পজিক্স-অনুগামী সিস্টেমসমূহের ভিত্তিরূপে ব্যবহার করা যায়। লিনাক্স কার্নেলের প্রথম সংস্করণ (০.০.১) ইন্টারনেটে প্রকাশ পায় ১৯৯১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর। কিছুদিন পরেই ১৯৯১-এর অক্টোবরে এর দ্বিতীয় সংস্করণটি বের হয়। তখন থেকে সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার ডেভেলপার লিনাক্সের এই প্রজেক্টে অংশ নিয়েছেন। এরিক রেমন্ড-এর লেখা প্রবন্ধ The Cathedral and the Bazaar-এ লিনাক্স কার্নেলের (ও অন্যান্য সমজাতীয় সফটওয়্যারের) উন্নয়নপ্রক্রিয়ার মডেল সম্পর্কে আলচনা করা হয়েছে।",
"title": "লিনাক্স"
},
{
"docid": "43145#1",
"text": "নিজের ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্যে কোন প্রকার আন্তঃপ্ল্যাটফরম উদ্দেশ্য ছাড়াই লিনুস তোরভাল্দ্স কতৃক ১৯৯১ সালে প্রথম লিনাক্স কার্নেল নির্মিত হয়। কিন্তু সে সময় থেকে এটি বিশাল সংখ্যার কম্পিউটার স্থাপত্যকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছে, এ সংখ্যা যেকোন কার্নেল বা অপারেটিং সিস্টেম থেকে বেশি। ডেভলপার ও ব্যবহারকারীদের লিনাক্স কার্নেল আকর্ষণ করতে লাগলো, যারা পরবর্তীতে এটিকে অন্যান্য ফ্রি সফটওয়্যার প্রকল্পের, উল্লেখযোগ্যভাবে গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের, ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করেছে। লিনাক্স কার্নেল প্রায় ১,২০০ কোম্পানি থেকে ১২,০০০ ডেভলপারের অবদানে গড়ে উঠেছে।",
"title": "লিনাক্স কার্নেল"
}
] | [
{
"docid": "2324#0",
"text": "লিনাক্স বা গ্নু/লিনাক্স বলতে লিনাক্স কার্নেলের সাথে বিশেষত গ্নু ও অন্যান্য উপাদানের সংমিশ্রণে প্যাকেজ করা অপারেটিং সিস্টেম গুচ্ছকে বুঝায়। সাধারণত, ডেস্কটপ ও সার্ভার দুধরনের ব্যবহারের জন্যেই লিনাক্স, ডিস্ট্রিবিউশন বা ডিস্ট্রো নামের একটি ফর্মে প্যাকেজড থাকে। একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনের ডিফাইনিং কম্পোনেন্ট হচ্ছে লিনাক্স কার্নেল, যেটি একটি অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল এবং লিনুস তোরভাল্দ্স প্রথম সেপ্টেম্বর ১৭, ১৯৯১ তারিখে প্রকাশ করেন। অনেক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনই লিনাক্স শব্দটি তাদের অপারেটিং সিস্টেমের নামের সাথে ব্যবহার করে এবং ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন গ্নু/লিনাক্স শব্দটি এ অপারেটিং সিস্টেম পরিবারকে বুঝাতেই ব্যবহার করে।",
"title": "লিনাক্স"
},
{
"docid": "249160#8",
"text": "গ্নু প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল একটি ফ্রি সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা। ১৯৯২ এর মধ্যমে গ্নু প্রকল্পের অধিনে অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান প্রধান অংশগুলো তৈরী সম্পন্ন হয়েছিল। এবং কার্নেল গ্নু হার্ড এর কাজ চলছিল। ১৯৯১ সালে লিনুস তোরভাল্দ্স পৃথকভাবে লিনাক্স কার্নেল তৈরী করেন, যার মাধ্যমে এই শেষ শূন্যস্থানটিও পূরণ হয়ে যায়। লিনাক্স ০.১২ সংস্করণটি ১৯৯২ সালে জিপিএল লাইসেন্সের অধিনে প্রকাশ করা হয়েছিল। গ্নু এবং লিনাক্স এর সমন্বয়ে সর্বপ্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ ফ্রি সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ করা হয়। যদিও লিনাক্স গ্নু প্রকল্পের অংশ নয়, কিন্তু এটির ডেভলপমেন্টের কাজে GCC এবং আরও কিছু গ্নু প্রোগ্রামিং টুল ব্যবহার করা হয়েছে।",
"title": "গ্নু প্রকল্প"
},
{
"docid": "2324#11",
"text": "লিনাক্সের ০.০১ সংস্করণে লিনুস যথেষ্টসংখ্যক পজিক্স সিস্টেম কল বাস্তবায়ন করেন যাতে লিনাক্স গ্নুর ব্যাশ শেল চালাতে পারে। এই বুটস্ট্র্যাপিং প্রক্রিয়াটির বাস্তবায়ন লিনাক্সের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। প্রথমদিকে লিনাক্স সংস্থাপন (install), গঠন-প্রকৃতি নির্ধারণ (configure) ও সংকলন (compile) করার জন্য মিনিক্স-চালিত কম্পিউটারের প্রয়োজন হত। এছাড়া লিনাক্সের প্রাথমিক সংস্করণগুলোকে হার্ড ডিস্ক থেকে বুট করানোর জন্য অপর একটি অপারেটিং সিস্টেমের উপস্থিতির প্রয়োজন হত। তবে শীঘ্রই এ-সমস্যার সমাধান হিসেবে তৈরি করা হয় কিছু আত্মনির্ভরশীল বুটলোডার; এই বুটলোডারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিতটির নাম লিলো। এরপর লিনাক্স উপযোগিতার হিসেবে মিনিক্সকে দ্রুত ছাড়িয়ে যায়। লিনুস ও লিনাক্স কার্নেলের অন্যান্য প্রাথমিক ডেভেলপারেরা কার্নেলের পরিবর্তন সাধন করেন যাতে সেটি গ্নুর বিভিন্ন উপাদান ও ব্যবহারকারীদের জন্য লেখা প্রোগ্রামগুলোর সাথে কাজ করতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে লিনাক্স গঠন ও উপযোগিতার হিসেবে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমে রূপ নিতে থাকে।",
"title": "লিনাক্স"
},
{
"docid": "2324#8",
"text": "১৯৮৩ সালে রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন। গ্নু প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পুরোপুরি বিনামূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। ৯০-এর দশকের শুরুর দিকেই গ্নু এই অপারেটিং সিস্টেমের প্রায় সমস্ত দরকারি উপাদানগুলো বানাতে বা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন কোড লাইব্রেরি, কম্পাইলার, টেক্সট সম্পাদক (টেক্সট এডিটর), একটি ইউনিক্স-সদৃশ খোলস (শেল), এবং আরও অন্যান্য সফটওয়্যার। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তখনও বাকি ছিল, আর তা হল কার্নেল - অপারেটিং সিস্টেমটির নিম্নতম স্তরের উপাদান বা ভিত্তি।",
"title": "লিনাক্স"
},
{
"docid": "2324#42",
"text": "কম দাম ও উচ্চমানের কাস্টমাইজেশন সুবিধার কারনে গ্রথিত যন্ত্রগুলোতে লিনাক্স ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গুগল কর্তৃক উন্নয়নকৃত অ্যানড্রয়েড এধরনেরই একটি লিনাক্সভিত্তিক কাস্টোমাইজড অপারেটিং সিস্টেম যেটি এমুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। মুক্তসোর্স প্লাটফর্মে লিনাক্স ভিত্তিক পিডিএ এবং মুঠোফোন ২০০৭ সাল থেকে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে; উদাহরনস্বরুপ, নকিয়া এন৮১০, ওপেনমোকো নিও১৯৭৩ এবং মটোরোলার আরওকেআর এইট। এই ধারা অব্যাহত রেখে পাম (পরবর্তীতে এইচপি কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত) একটি লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম উন্নয়ন করে যেটির নাম হলো 'ওয়েবওএস' এবং যেটি পাম প্রি স্মার্টফোন সিরিজে ব্যবহৃত হয়। জনপ্রিয় টিভো ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার একটি কাস্টমাইজড লিনাক্স ব্যবহার করে, একইভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- সিসকো/লিংকসিস কর্তৃক বাজারজাত কৃত বিভিন্ন রাউটার ও নেটওয়ার্ক ফায়ারওয়ালেও এধরনের লিনাক্স সিস্টেম ব্যবহৃত হয়।\nকর্গ ওয়েসিস, কর্গ ক্রোনাস, ইয়ামাহা মোটিফ এক্সএফ/এক্সএস মিউজিক ওয়ার্কস্টেশন, ইয়ামাহা এস৯০এক্সএস/এস৭০এক্সএস, ইয়ামাহা এমওএক্স৬/এমওএক্স৮ সিন্থেসাইজার, ইয়ামাহা মোটিফ-র্যাক এক্সএফ টক জেনারেটর মডিউল এবং রোল্যান্ড আরডি-৭০০জিএক্স ডিজিটাল পিয়ানো লিনাক্স ব্যবহার করে। মঞ্চসজ্জায় ব্যবহৃত আলোক সিস্টেমেও লিনাক্স ব্যবহৃত হয়, যেমন- হোলহুগল কনসোল।",
"title": "লিনাক্স"
},
{
"docid": "2883#3",
"text": "লিনুসের কম্পিউটারে উৎসাহ শুরু হয় একটি কমোডর VIC-20 এর মাধ্যমে। VIC-20 এর পর তিনি একটি Sinclair QL কেনেন যেটিতে তিনি ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেন- বিশেষত এর অপারেটিং সিস্টেম। তিনি এই QL এর জন্য একটি অ্যাসেম্বলার এবং একটি টেক্সট এডিটর প্রোগ্রাম করেন এবং সেই সাথে কিছু গেমও। তিনি প্যাক ম্যান এর একটি ক্লোন কুল ম্যান এর প্রোগ্রাম করার জন্য পরিচিত। তিনি ১৯৯০ সালে ইন্টেল ৮০৩৮৬ প্রসেসর সংবলিত আইবিএম পিসি কেনেন এবং তার মিনিক্স কপি পাওয়ার আগে কয়েক সপ্তাহ প্রিন্স অব পারসিয়া খেলে কাটান যেটি তাকে পরবর্তীতে লিনাক্স নিয়ে কাজ শুরু করতে সাহায্য করেছিল। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ৮৬ ওপেন আর্কিটেকচারের লিনাক্স এবং ইউনিক্সের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড বাইনারী ফরম্যাট নির্ধারনের কাজে জড়িত ছিলেন।",
"title": "লিনুস তোরভাল্দ্স"
},
{
"docid": "138603#1",
"text": "কম্পিউটার আবিষ্কার এবং এর ব্যবহারের শুরুর দিকেই তথ্য তৈরী, সংরক্ষণ এবং খোঁজার কাজটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলো। সর্বপ্রথম ১৯৬০ সালে, বিখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী চার্লস বাকম্যান ডিবিএমএস তৈরী করেন। তিনি তখন জেনারেল ইলেট্রিকে কর্মরত ছিলেন। সেই ডিবিএমএসটির নাম দেয়া হয়েছিলো, ইন্টিগ্রেটেড ডাটা স্টোর(আইডিএস) । ষাটের দশকের শেষের দিকে আইবিএম ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামে একটি ডিবিএমএস তৈরী করে। এই সফটওয়্যারটিই, তথ্যকে শ্রেনীক্রম অনুসারে কিভাবে সাজানো যায় তার একটি ধারনা দিয়েছিলো, যা বর্তমানে হায়ারারকিকাল ডাটা মডেল নামে পরিচিত। ১৯৭০ সালে এটস্খার কড, তথ্যকে পরিবেশন করার নতুন একটা মডেলের প্রস্তাব দেন। তিনি তখন আইবিএম'র স্যান হোস গবেষণাগারে কর্মরত ছিলেন। এই ধারনাটিই রিলেশনাল ডাটা মডেল নামে পরিচিত। ডিবিএমসের ক্রমবিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু হয়, ইন্টারনেটের আবিষ্কার এবং এর বহুল ব্যবহারের পর থেকে। এখন ওয়েবসাইট ভিত্তিক ডাটাবেজকে উন্নত করার জন্য নানা ধরনের গবেষণা চলছে। ১৯৮০ সালে ড. কড রিলেশনাল ডাটাবেজ তৈরীর ১২ টি নীতি প্রস্তাব করেন।",
"title": "ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম"
},
{
"docid": "629314#7",
"text": "কানাডায় জেমস ইয়ং এবং স্কটল্যান্ডের আব্রাহাম পিনো গেসনারের পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পটি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।১৮৫৬ সালে ইংরেজি ধাতুবিদ আলেকজান্ডার পার্কেস সর্বপ্রথম প্লাস্টিক আবিষ্কার করে। তিনি পারসেসিন পেটেন্ট করেন, একটি সলিউল্টস যা বিভিন্ন দ্রাবক থেকে তৈরি করা হয়। এটি ১৮৬২ সালে লন্ডন আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে এ প্রদর্শিত করা হয়,। ১৮৮৫ সালে উইলিয়াম লিভার এবং তার ভাই জেমস ল্যাঙ্কাশায়ারের উদ্ভিজ্জ তেল থেকে সাবান উৎপাদন শুরু হয়েছিল, যা ল্যাঙ্কাশায়ারের একটি আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল যা উইলিয়াম হু ওয়াটসন আবিষ্কার করেছিলেন গ্লিসারিন ও উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করে।",
"title": "রাসায়নিক শিল্প"
},
{
"docid": "2324#41",
"text": "লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো দীর্ঘসময় ধরেই সার্ভার সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, এই ক্ষেত্রে তারা উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে অবদান রেখেছে, ২০০৬ সালে নেটক্রাফটের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ১০টির মধ্যে ৮টি নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট হোস্টিং কোম্পানী তাদের ওয়েব সার্ভারে লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করে থাকে। ২০০৮ এর জুন পর্যন্ত, ১০টির মধ্যে ৫টিতে লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন, ১০টির মধ্যে ৩টিতে ফ্রিবিএসডি এবং ১০টির মধ্যে ২টিতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ চলছে, ২০১০ এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, ১০টির মধ্যে ৬টিতে লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন, ১০টির মধ্যে ২টিতে ফ্রি-বিএসডি এবং ১০টির মধ্যে ১টিতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ চলছে।\nলিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো হলো ল্যাম্প সার্ভার-সফটওয়্যার সংমিশ্রনের (লিনাক্স, অ্যাপাচে, মাইএসকিউএল, পার্ল/পিএইচপি/পাইথন) প্রধান অনুষংগ যেটি সাম্প্রতিক সময়ে ডেভেলপারদের মাঝে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং যেটি ওয়েবসাইট হোস্টিংয়ের একটি কমন প্লাটফর্ম হিসাবে বর্তমানে সমাদৃত।\nলিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো মেইনফ্রেম কম্পিউটারের অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমগুলোর তুলনায় তাদের মূল্যমানের কারনে বিগত কয়েক দশক যাবত মেইনফ্রেম কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হিসাবেও জনপ্রিয়তা পেয়ে আসছে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে, বড় কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত আইবিএম মেইনফ্রেম কম্পিউটারভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স সার্ভার বিস্তৃত অর্থে বাজারজাতকরন ও বিক্রয়ের ঘোষণা দেয়।\nসুপারকম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হিসাবেও লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো সমাদৃত, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ সিস্টেমের মধ্যে ৪৫৯ টি (৯১.৮%) লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন দ্বারা চলে। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম সুপার-কম্পিউটার বলে পরিচিত আইবিএমের সিকুয়া এর অপারেটিং সিস্টেম হিসাবেও লিনাক্স ব্যবহৃত হবে যেটি ২০১১ সালে কার্যক্ষম হবে।",
"title": "লিনাক্স"
}
] |
আব্দুল লতিফ কত সালে সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ? | [
{
"docid": "710172#2",
"text": "তৃণমুল রাজনীতি থেকে উঠে আসা বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস স্থানীয় সরকারেও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। দুই বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পরে সিরাজগঞ্জ-৫ আসন থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে একই আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং ২১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে রহস্যজনক কারণে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হন। দলীয় বা সরকারের কোন দায়িত্ব না থাকলেও তিনি সকল দলীয় কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করে সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে সকৃয় ভুমিকা পালন করেছেন। টানা দ্বিতীয় মেয়াদের আওয়ামী লীগ সরকারের ৬ মাস পর তাকে জেলা পরিষদের প্রশাসকের পদে নিয়োগ দেয়া হলো।",
"title": "আব্দুল লতিফ বিশ্বাস"
}
] | [
{
"docid": "474489#1",
"text": "আব্দুল লতিফ ২০০৯ সালে দুই বছরের জন্য চিটাগাং চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি নির্বাচিত হন । তিনি চট্টগ্রাম শহরের, চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসন হতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসন ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হবার পর তিনি চিহ্নিত দেশবিরোধীদের সাথে জামাতে ইসলামী এর আয়োজনে প্রচারণা মূলক অণুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ইতিপূরবে উক্ত দলের সাথে তার শখ্যতার গুজব থাকলেও তা উল্লেখযোগ্য সুত্র দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি ২০০৯ সালে সংসদীয় স্থায়ী স্ট্যান্ডিং কমিটি নামে অভিহিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উপ-কমিটির \"আহ্বায়ক\" নিযুক্ত হন । এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এবং বিদ্যুৎ-জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, নৌ-পরিবহন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য।",
"title": "এম. আবদুল লতিফ"
},
{
"docid": "539307#1",
"text": "সিদ্দিকী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রথম ১৯৯৬ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালে ও তৃতীয়বার ২০১৪ সালে। তিনি ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।",
"title": "আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী"
},
{
"docid": "474489#0",
"text": "আব্দুল লতিফ সংক্ষেপে এম. এ লতিফ নামে ও পরিচিত, বাংলাদেশের একজন বিত্তশালী ও ব্যবসায়ী নেতা এবং সংসদ সদস্য ছাড়াও আরো বিভিন্ন সংসদীয় কার্যক্রমের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের সংসদীয় আসনে নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরপর দুই মেয়াদে দশ বছরেরর জন্য দায়িত্বভার পান। তার জন্ম চট্টগ্রামে এবং সেখানেই অজানা কারণে তাকে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের জন্য মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এর অব্যাবহিত কিছু সময়ের মাঝে বিভিন্ন অসদাচরণ ও খামখেয়ালি পূর্ণ কাজের জন্য তিনি প্রায়ই সংবাদপত্রের বিভিন্ন খবরে স্থান পেতে থাকেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের স্থিরচিত্রের বিকৃত রুপ কে নিজের প্রচারে যুক্ত করে সংবাদপত্রে উদ্ধৃত হন।",
"title": "এম. আবদুল লতিফ"
},
{
"docid": "702659#2",
"text": "আবুল হাসান চৌধুরী ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবশে করেন। প্রথমবারের মত টাংগাইল-১ (মধুপুর উপজেলা ও ধনবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত) আসন থেকে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে এ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করে এবং তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপ নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে তার দল সরকার গঠন করে এবং তিনি ১৯৯৬ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান এবং ৫ বছর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।",
"title": "আবুল হাসান চৌধুরী"
},
{
"docid": "265344#6",
"text": "তিনি ১৯৫৩ সালে নোয়াখালী সদর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬২-৬৪ সময়কালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ছিলেন এবং ১৯৭২ সালে এখানে থেকে পদত্যাগ করেন। উপরন্তু, মালেক উকিল ১৯৫৬, ১৯৬২ এবং ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা এবং সংযুক্ত প্রাদেশিক পরিষদ ও বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। ছয় দফা আন্দোলন সময় মালেক উকিলকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির নয়টি সদস্যদের একজন হিসাবে নির্বাচিত হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে লাহোরে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরে তাঁরা একসাথে করাচীতে ভ্রমণ যান। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নোয়াখালী থেকে সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে তিনি জাতীয় সংসদের স্পীকার নির্বাচিত হন।",
"title": "আব্দুল মালেক উকিল"
},
{
"docid": "710542#0",
"text": "আবদুল আজিজ একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য। আব্দুল আজিজ সিরাজগঞ্জ-৩ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।",
"title": "আব্দুল আজিজ"
},
{
"docid": "702075#7",
"text": "আবুল কালাম আজাদ ১৯৯১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩৮-জামালপুর-১, দেওয়ানগঞ্জ - বকশীগঞ্জ নির্বাচনি এলাকা থেকে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, সংসদীয় সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সংসদীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।",
"title": "আবুল কালাম আজাদ (জামালপুরের রাজনীতিবিদ)"
},
{
"docid": "634035#0",
"text": "মোঃ আব্দুল মজিদ খান (জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৪) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ২৪০ নং (হবিগঞ্জ-২) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন।সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।",
"title": "আব্দুল মজিদ খান"
},
{
"docid": "660570#0",
"text": "মো: আব্দুল কুদ্দুস (জন্ম: ৩০ অক্টোবর ১৯৪৬) বাংলাদেশের নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।",
"title": "আব্দুল কুদ্দুস (রাজনীতিবিদ)"
}
] |
ত্রিপুরার রাজধানী কোথায় ? | [
{
"docid": "24106#2",
"text": "উদয়পুর দক্ষিণ ত্রিপুরার অন্যতম প্রধান শহর। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে এর দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। ত্রিপুরার মহারাজাদের শাসনামলে উদয়পুর ত্রিপুরার রাজধানী ছিলো। পরে তা আগরতলাতে স্থানান্তরিত করা হয়। সে সময় এর নাম ছিল রাঙ্গামাটি। মহারাজার নামানুসারে এর আরেকটি নাম ছিলো রাধাকিশোরপুর।",
"title": "উদয়পুর (ত্রিপুরা)"
},
{
"docid": "571223#0",
"text": "ত্রিপুরা হল উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি ছোট রাজ্য। এটি দেশের তৃতীয় ছোট রাজ্য , এর আয়োতন এবং এর উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণে সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের (পূর্ব বঙ্গ) ।রাজ্যটির পূর্বে রয়েছে আসাম ও মিজরাম রাজ্য। ২০১১ জালের জনগননায় রাজ্যটির জনসংখ্যা ৩৬,৭১,৩২ জন যা দেশের মোট জনসংখ্যার ০.৩%। ত্রিপুরার অধিকাংশ বাসিন্দা বাঙালি ও তাদের ভাষা হল বাংলা।এই রাজ্যে ত্রিপুরি জাতির মানুষও রয়েছেন। টই রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলাতে একমাত্র পৌরসংস্থা রয়েছে এবং অন্য ১০ টি শহরে রয়েছে পৌরসভা।",
"title": "ত্রিপুরার নগর ও শহরের তালিকা"
},
{
"docid": "2962#2",
"text": "সুপ্রাচীন মহাকাব্য মহাভারতে এবং পুরাণে ত্রিপুরা নামটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এরপর ১৪শ শতকে রচিত রাজমালাতেও ত্রিপুরার উল্লেখ পাওয়া গেছে। এটি ছিল ত্রিপুরার মাণিক্য রাজবংশের কাহিনী। মাণিক্য রাজবংশ ১৯৪৭ সালে ত্রিপুরা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পূর্বাবধি অঞ্চলটি ধারাবাহিকভাবে শাসন করে। কথিত আছে প্রায় ২৫০০ বছর ধরে ১৮৬জন রাজা এই অঞ্চলটি শাসন করেছেন। ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে ত্রিপুরা ছিল একটি স্বাধীন করদ রাজ্য। দক্ষিণ ত্রিপুরায় অবস্থিত উদয়পুর ছিল ভূতপূর্ব স্বাধীন রাজতান্ত্রিক ত্রিপুরার রাজধানী। খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতকে মহারাজ কৃষ্ণ মাণিক্য পুরাতন আগরতলায় রাজধানী স্থানান্তরিত করেন এবং পরবর্তীকালে খ্রিস্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে রাজধানী অধুনা আগরতলায় স্থানান্তরিত হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীকে ত্রিপুরার আধুনিক যুগের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে কারণ এই সময় মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর দেববর্মা ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার অনুকরণে তাঁর প্রশাসনকে পুনর্গঠিত করেন এবং বিভিন্ন সংস্কার সাধন করেন।",
"title": "ত্রিপুরা"
},
{
"docid": "590095#6",
"text": "ফুটবল এবং ক্রিকেট রাজ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। রাজ্যটির রাজধানী আগরতলা, তার নিজস্ব ক্লাব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অনেক স্থানীয় ক্লাব একটি লীগ এবং নক আউট ফরম্যাটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ত্রিপুরা রণজি ট্রফির একটি পূর্ব রাজ্য দল হিসেবে অংশগ্রহণ করে, ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। রাজ্যটিও ভারতীয় জাতীয় খেলা এবং নর্থ ইস্টরনা প্রতিযোগীতার নিয়মিত অংশগ্রহণকারী। ত্রিপুরায় জিমন্যাস্টিকস এবং সাঁতার মধ্যে কয়েকটি জাতীয় সফল খেলোয়াড় রয়েছেন, কিন্তু অ্যাথলেটিক্স, ক্রিকেট, ফুটবল এবং গৃহমধ্যস্থ খেলা রাজ্যটি তেমন কোনো অগ্রগতি করতে পাড়েনি।",
"title": "ত্রিপুরার সংস্কৃতি"
},
{
"docid": "2962#0",
"text": "ত্রিপুরা উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যের আয়তন ১০,৪৯১.৬৯ বর্গকিলোমিটার, এবং এটি ভারতের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য । ত্রিপুরা উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কর্তৃক বেষ্টিত; রাজ্যের পূর্বভাগে ভারতের অপর দুই রাজ্য অসম ও মিজোরাম অবস্থিত। এই রাজ্যের রাজধানী আগরতলা। রাজ্যের সরকারি ভাষা বাংলা ও ককবরক। বাংলার সুলতানী আমলে ত্রিপুরা ছিল বাংলার একটি করদ রাজ্য, যা ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনতামুলক মিত্র রাজ্য হিসাবেই ছিল । ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরা অন্তর্ভুক্তি চুক্তি অনুসারে এই রাজ্য সদ্যস্বাধীনতাপ্রাপ্ত ভারতীয় অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসনকালে এই রাজ্য পার্বত্য ত্রিপুরা (Hill Tippera) নামে পরিচিতি ছিল। সাক্ষরতায় এই রাজ্য দেশে তৃতীয় স্থান অধিকারী।",
"title": "ত্রিপুরা"
},
{
"docid": "674922#2",
"text": "ত্রিপুরা রাজ্যের রাজারা তাদের রাজ্যের নাম \"মানিক্য\" রাখেন এবং ১৪ তম শতাব্দীতে দক্ষিণ ত্রিপুরা গোমতি নদীর তীরে উদয়পুর (পূর্বে রাঙ্গামাটি) তাদের রাজধানী স্থানান্তর করে। এটি তাদের সবচেয়ে মহিমান্বিত সময় ছিল এবং তাদের ক্ষমতা এবং খ্যাতি মোগলদের দ্বারাও স্বীকৃত হয়, যারা উত্তর ভারতে তাদের সমসাময়িক ছিল।\nআধুনিক যুগে মোগলরা রাজত্বের আধিপত্য শুরু করে এবং ব্রিটিশদের কাছে মোগলরা পরাজিত হবার পর ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয় এবং ব্রিটিশ ভারত প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে, ব্রিটিশ ভারত সরকারের তাদের প্রশাসনে মহারাজাকে সাহায্য করার জন্য একজন কর্মী নিযুক্ত করে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের রাজধানীটি ১৯ শতকের প্রথম দিকে পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলাতে স্থানান্তরিত হয়।",
"title": "ত্রিপুরার ইতিহাস"
},
{
"docid": "714584#0",
"text": "ত্রিপুরা সুন্দরি মন্দিরটি দেবী ত্রিপুরা সুন্দরির একটি হিন্দু মন্দির, স্থানীয়ভাবে এটি দেবী ত্রিপুরেশ্বরী নামে পরিচিত। মন্দিরটি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে প্রাচীন শহর উদয়পুরে অবস্থিত এবং আগরতলা থেকে ট্রেন ও রাস্তা দ্বারা এখানে পৌঁছানো যায়। এটি দেশের এই অংশের পবিত্রতম হিন্দু মন্দিরগুলির মধ্যায়ে অন্যতম। ;মাতাবাড়ি নামে জনপ্রিয়, মন্দিরটি একটি ছোট পাহাড়ের উপরে স্থাপিত হয়, যেহেতু একটি পাহাড়ের আকৃতি একটি কচ্ছপের কুঁচিতির অনুরূপ (কুরুমা) এবং এই আকৃতিটি কুরুমাপাখক্তি নামে পরিচিত একটি শক্তি মন্দিরের জন্য সম্ভাব্য পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়, এই কারণে \"কুরুমা পিঠ\" নামটি প্রদান করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণ যাজকদের দ্বারা দেবীকে সেবা দেওয়া হয়।",
"title": "ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির"
}
] | [
{
"docid": "2962#5",
"text": "২০০৪ সালে ত্রিপুরার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন নির্ধারিত হয়েছে বর্তমান মূল্যে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। ত্রিপুরার অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী এবং ত্রিপুরার জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশই কৃষির সাথে যুক্ত। পণ্যফসলের তুলনায় ত্রিপুরায় খাদ্যফসল উৎপাদনের পরিমাণই অধিক। ত্রিপুরায় উৎপন্ন প্রধান খাদ্যফসলগুলি হল ধান, তৈলবীজ, ডাল, আলু এবং আখ। চা ও রাবার হল রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যফসল। ত্রিপুরা হল \"ভারতীয় রাবার বোর্ড\" দ্বারা ঘোষিত দেশের দ্বিতীয় \"রাবার রাজধানী\" এবং এর স্থান কেরলের পরেই। ত্রিপুরার হস্তশিল্পও অত্যন্ত বিখ্যাত। ২০০০-২০০১ আর্থিক বছরে এ রাজ্যের মাথাপিছু আয় বর্তমান মূল্যে হল ১০,৯৩১ টাকা এবং স্থায়ী মূল্যে হল ৬,৮১৩ টাকা।",
"title": "ত্রিপুরা"
},
{
"docid": "2962#8",
"text": "ত্রিপুরার প্রধান রাজনৈতিক জোট ও দলগুলি হল ভারতীয় জনতা পার্টি, বামফ্রন্ট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। বর্তমানে ত্রিপুরা সরকারে ক্ষমতাসীন রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নেতৃত্বাধীন বিজেপি। ১৯৭৭ সালের পূর্বাবধি ত্রিপুরায় ক্ষমতাসীন ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ ত্রিপুরা সরকার পরিচালিত হয় বামফ্রন্টের নেতৃত্বাধীনে এবং ১৯৯৩ সাল থেকে আবার তারা ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ত্রিপুরা উপজাতি যুব সমিতির জোট সরকার পরিচালনা করে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত ত্রিপুরার \nবিধানসভা নির্বাচনে ৬০টি আসনের ৪৪টি তে জয়লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টি অধীন এন.ডি.এ. জোট ক্ষমতাসীন হয় অপরদিকে সিপিআই(এম) পায় মাত্র ১৬টি আসন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর ৫৫টি আসনে জামানত জব্দ হয়।",
"title": "ত্রিপুরা"
},
{
"docid": "443328#0",
"text": "ত্রিপুরা হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি রাজ্য এবং রাজ্যের সরকার প্রধান হচ্ছেন একজন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৩ সাল থেকে ত্রিপুরায় মোট ৯জন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। প্রথম জন হচ্ছেন শচীন্দ্র লাল সিং এবং তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার ১৯৯৮ সালের মার্চ মাস থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির একজন পলিটব্যুরো সদস্য।",
"title": "ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীগণের তালিকা"
}
] |
সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন ? | [
{
"docid": "5630#0",
"text": "সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল এর সূচনা হয় ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়। ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের শিকার হয়ে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে।এটি ছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র গণসংগ্রাম। তাদের এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় সিধু, কানু, চাঁদ প্রমুখ। 1793 সালে লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের ফলে তাদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল। তাই সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা সোচ্চার হয়েছিল।",
"title": "সাঁওতাল বিদ্রোহ"
},
{
"docid": "5630#14",
"text": "৪. সিদু-কানুর বোন ফুলমনির লাশ উদ্ধার করা হয় রেললাইনের ধার থেকে। শোনা যায়, ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের পর ব্রিটিশ সেপাইরা তাকে হত্যা করে সেখানে ফেলে যায়। এই ফুলমনিকে নিয়ে আদিবাসী সাঁওতালদের গান রয়েছে। বিদ্রোহের পরবর্তীকালে ভাগলপুর ও বীরভূমের কিছু অংশ নিয়ে ৫, ৫০০ বর্গ মাইল জুড়ে এবং প্রথমে দেওঘর ও পরে দুমকায় প্রধান কার্যালয় নির্দিষ্ট করে সাঁওতাল পরগণা জেলা গঠিত হয়, সেটি বিদ্রোহ প্রশমনের পর প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট পরিবর্তন। এই পরগণাকে অনিয়ন্ত্রিত (নন- রেগুলেটেড) একটি জেলা ঘোষণা করা হয়।সাঁওতাল জাতির ইতিহাসে সিধো-কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল যুদ্ধই ছিলো সর্বাধিক বৃহত্তম এবং গৌরবের বিষয়। তাদের এই বিদ্রোহই ভারতবর্ষে স্বাধীনতার বীজ বপন করে গিয়েছিল। এই যুদ্ধের ফলাফল হলো এই যে, ইংরেজ সরকার সাঁওতালদের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের ব্যবস্থা করলেন। ম্যাজিট্রেট এডন সাহেব সাঁওতালদের আবেদন শুনলেন। যুদ্ধের পরে সাঁওতালদের সমস্যা বিবেচনা করে আদিবাসী সাঁওতালদের জন্য একটি জেলা বরাদ্দ করা হলো। এই জেলার নাম হলো ডুমকা। এটাই সাঁওতাল পরগনা নামে পরিচিত। এখানে সাঁওতাল মানঝি্, পরানিক, পরগনা জেলার শাসন পরিচালনার জন্য দারোগা, পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারি কমকর্তা-কর্মচারী ক্ষমতা প্রাপ্ত হলো। সাঁওতালদের বিচার সালিশ তাদের আইনে করার জন্য সরকার ক্ষমতা প্রদান করলেন। খাজনা, কর প্রভৃতি তাদের হাতে অর্পণ করা হলো। তারা জেলা প্রশাসক বা ডিসির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হতে থাকলো। ১৮৮৫ সালে বেঙ্গল টেনান্সি এ্যাক্ট অনুযায়ী আদিবাসীরা তাদের জমি সরকারী অনুমতি ছাড়া বিক্রি করতে পারতো না। এই আইন এখন পর্যন্ত কার্যকর আছে।",
"title": "সাঁওতাল বিদ্রোহ"
},
{
"docid": "73100#12",
"text": "১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সাঁওতাল বিদ্রোহ শুরু হয় । ক্রমবর্ধমান সরকারি খাজনার চাপ, জমিদার, জোতদার ও মহাজনদের শোষনের ফলে তারা খুব অসুবিধার মধ্যে পড়েছিল । সাঁওতালরা সংঘবদ্ধ ও সশস্ত্র হয়ে বহু দারোগা ও মহাজনদের হত্যা করেছিল । তাদের দমন করতে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী আসে এবং সাঁওতালদের হাতে বহু ব্রিটিশ সেনা প্রান হারায় । এই বিদ্রোহের নেতা সিধু ও কানুকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে মারা হয়েছিল । পনেরো থেকে পঁচিশ হাজার সাঁওতাল এই বিদ্রোহে মারা যায় । এই সাঁওতাল বিদ্রোহের খবর কলকাতায় পৌছোনোর পর ইউরোপীয় সংবাদপত্রগুলি সরকারকে কঠোরভাবে এই বিদ্রোহ দমন করার পক্ষে রায় দিয়েছিল । কিন্তু হরিশ্চন্দ্র এই মত দেন যে কঠোর শোষনের ফলেই সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়েছে । তিনি উপদ্রুত অঞ্চলে সামরিক শাসন জারিরও তীব্র বিরোধিতা করেন । হিন্দু পেট্রিয়ট ছাড়া সেসময় কোনো সংবাদপত্রই সাঁওতাল বিদ্রোহীদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখায়নি । কিন্তু একমাত্র হরিশ্চন্দ্র তাদের প্রতি সহানুভূতি এবং সরকারের কড়া সমালোচনা করে সাহসের পরিচয় দেন ।",
"title": "হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়"
}
] | [
{
"docid": "542358#3",
"text": "১৮ মে ১৯৬৭ তারিখে, জঙ্গল সাঁওতাল কৃষক পরিষদের সদস্য ছিলেন। কৃষক পরিষদ তখন বর্গাচাষিদের মাঝে জমি সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পুনরায় বিতরণ করার সিদ্ধান্তে অংশ নিচ্ছিল। ২৩ মে, এক ভাগচাষি যখন তার বরাদ্দকৃত জমি চাষ করার প্রয়াস চালায়, সেই কৃষককে জমিদারের লাঠিয়ালরা আক্রমণ করে পেটায়। পরের দিন, যখন পরিদর্শক সোনম ওয়াংডির নেতৃত্বে একদল পুলিশ কিছু কৃষক নেতাদের গ্রেফতার করতে আসে তখন জঙ্গল সাঁওতাল গোষ্ঠীর তীর ও ধনুকের মাধ্যমে অতর্কিত আক্রমণ করেন। এতে সোনম ওয়াংডি মারা যায় এবং সহিংস নকশাল আন্দোলন আরম্ভ হয়। নবগঠিত কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী -লেনিনবাদী) গঠিত হলে জংগল সাঁওতাল তাতে যোগ দেন। যদিও পার্টির গৃহীত খতম লাইনে মতবিরোধ দেখা দেয় তার সাথে। চা শ্রমিক আন্দোলনে ছিলেন। পশ্চিম দিনাজপুর এলাকায় বীরেন কিসকু ছদ্মনামে কাজ করতেন কৃষকদের মধ্যে। এসময় পুলিশ তাকে জংগল সাঁওতাল বলে চিনে ফেলে ও তার সাত বছর কারাবাস হয়।",
"title": "জঙ্গল সাঁওতাল"
},
{
"docid": "3726#16",
"text": "জনচর্চিত আন্দোলনগুলির মধ্যে জিতু সাঁওতালের নেতৃত্বে ১৯৩২ সনে ঘটে যাওয়া আন্দোলনটি গুরুত্বপুর্ণ৷ তনিকা সরকারের মতো ঐতিহাসিকদের মতে এটি ছিলো মালদহে বসবাসরত উপজাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্বের সংগ্রাম৷ সাঁওতাল ও তাদের জমিদার এ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয় মূলত ১৯১০ সনে৷ \nযেহেতু বরেন্দ্র ভূমি অঞ্চলটি কৃৃষিভিত্তিক ও কৃৃষিতে যথেষ্ট উৎকৃৃষ্ট তাই সেখানকার জমিদাররা সাধারণের ওপর করের পরিমাণ বাড়াতে শুরু করে৷ ফলে সাঁওতাল জনজাতির লোকেদের পরিপুর্ণ জীবনযাপনে বাধা হয়ে উঠতে থাকে এই করের বোঝা এবং জমিদারদের আড়ম্বর দিন দিন বাড়তে থাকে৷ এভাবে জমিদারদের ওপর সাধারণের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে৷ ক্ষোভ মাত্রা অতিক্রম করে যখন বুলবুলচণ্ডীর জমিদার করের পরিমান বৃৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়৷\nফলস্বরূপ, হবিবপুরের কোচকান্দাহার গ্রামের জিতু সাঁওতালের নেতৃত্বে সমস্ত সাঁওতালরা একত্রিত হতে থাকে৷ ১৯২৬ সনে সাঁওতালরা হিন্দুধর্মে দীক্ষিত হতে থাকে ও জিতু সাঁওতালের নেতৃৃত্বে 'জিতু সন্যাসীদল' গঠন করে৷ ১৯২৮ সনে দলটি শিখরপুরে সঞ্চিত সমস্ত মজুত শস্য লুঠ করে এবং এমন অাারো লুঠের খবর আসতে থাকে৷ পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ সুপিরের সহযোগিতায় ১৯৩২ সনে জিতু সহ তার ৬০ অনুগামীকে কারারুদ্ধ করা হয়৷",
"title": "মালদহ জেলা"
},
{
"docid": "5630#3",
"text": "১. ১৮৫৫ খ্রি. ৩০শে জুন প্রায় ত্রিশ হাজার সাঁওতাল কৃষকের বীরভূমের ভগনাডিহি থেকে সমতলভূমির উপর দিয়ে কলিকাতাভিমুখে পদযাত্রা- ভারতের ইতিহাসে এটাই প্রথম গণ পদযাত্রা।",
"title": "সাঁওতাল বিদ্রোহ"
},
{
"docid": "435369#0",
"text": "কলিয়ান হরাম () (ঊনবিংশ শতাব্দী) ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাসের লিপিকার এবং সাঁওতালদের গুরু ছিলেন। তিনি তাঁর \"হরকোরেন মারে হাপরাম্বো রিয়াক কথা\" শীর্ষক একটি রচনায় সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিবৃত্ত রেখে গেছেন। এই ইতিবৃত্তে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু ও কানুর সংগ্রাম-ধ্বনি, যথাঃ \"রাজা-মহারাজাদের খতম করো\", \"দিকুদের (বাঙালি মহাজনদের) গঙ্গা পার করে দাও\", \"আমাদের নিজেদের হাতে শাসন চাই\" প্রভৃতি লিপিবদ্ধ আছে।",
"title": "কলিয়ান হরাম"
},
{
"docid": "336377#1",
"text": "প্রচণ্ড ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ থেকে একীকৃত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) বা সংক্ষেপে সিপিএন (মাওবাদী)কে সাম্যবাদী বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। আসন্ন গৃহযুদ্ধকালীন সময়ে, ১৭,০০০ নেপালি মারা যান। অবশেষে ২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সিপিএন (মাওবাদী) শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। আগস্ট ২০০৮-এ নেপালের সংবিধান সভা প্রচণ্ডকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল রোকমানাগুড় কাটোয়ালকে বরখাস্তের চেষ্টা করার পর প্রেসিডেন্ট রাম বরন যাদব তাঁর এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করলে তিনি ৪ মে ২০০৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন।",
"title": "পুষ্পকমল দাহাল"
},
{
"docid": "529583#1",
"text": "ভাগলপুরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে যে 'খেরওয়াড় বিদ্রোহ' হয় তার নেতা ও ভারতের প্রথম সাঁওতাল বিদ্রোহের শহীদ। ১৭৮১-৮৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জমি লুঠ ও বলপূর্বক খাজনা আদায়ের নির্মম পন্থা অবলম্বন করে তার বিরুদ্ধে গরীব সাঁওতালদের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভের সূচনা হয় তাকে গণ বিদ্রোহের আকার দেন তিলকা। তাকে বাবা তিলকা মাঝি বলা হতো। এই দীর্ঘ আন্দোলনে বহু সাঁওতাল শহীদ হন। ১৭৮৪ জানুয়ারি মাসে ভাগলপুরের ইংরেজ কালেক্টর অগাস্ট ক্লিভল্যান্ড তিলকা মাঝির হাতে মারা গেলে তিলকপুরের জঙ্গলে ইংরেজ সেনাবাহিনী তিলকা ও তার সাথীদের ঘেরাও করে। এই সংগ্রামে আহত অবস্থায় তিলকা মাঝি ধরা পড়েন।",
"title": "তিলকা মাঝি"
},
{
"docid": "435376#1",
"text": "এছাড়াও কলিয়ান হরাম ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাসের লিপিকার এবং সাঁওতালদের গুরু। তিনি তাঁর \"হরকোরেন মারে হাপরাম্বো রিয়াক কথা\" শীর্ষক একটি রচনায় সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিবৃত্ত রেখে গেছেন। এই ইতিবৃত্তে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু ও কানুর সংগ্রাম-ধ্বনি, যথাঃ \"রাজা-মহারাজাদের খতম করো\", \"দিকুদের (বাঙালি মহাজনদের) গঙ্গা পার করে দাও\", \"আমাদের নিজেদের হাতে শাসন চাই\" প্রভৃতি লিপিবদ্ধ আছে।",
"title": "সিধু কানু"
}
] |
খিলজি বংশের প্রতিষ্ঠা কবে হয় ? | [
{
"docid": "584145#1",
"text": "আলাউদ্দিন খিলজি ছিলেন খিলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দিন খিলজির ভাতিজা এবং জামাতা। বীরভূমদেরকে পরাজিত করে জালালুদ্দিন খিলজি যখন দিল্লি দখল করে নেন। তখন আলাউদ্দিন খিলজিকে আমির-ই-তুজুখ বা উদযাপন মন্ত্রী পদ দেওয়া হয়। ১২৯১ সালে জালালুদ্দিন খিলজি তার ভাতিজা আলাউদ্দিন খিলজির হাতে কারা্(কানপুরের নিকটবর্তী এক এলাকা)নামক অঞ্চলের শাসনভার তুলে দেন। ১২৯৬ সালে আলাউদ্দিন খিলজি বসিলা অবরোধ করে জালালুদ্দিন খিলজির কাছে থেকে আবাধ(উত্তর-প্রদেশ) দখল করে সেটা শাসন করা শুরু করেন। ১২৯৬ সালে দেভাগিরি অবরোধ করেন এবং জালালুদ্দিনের বিপুল পরিমানের সম্পদ দখল করে নেন।জালালুদ্দিন খিলজিকে হত্যা করে, তিনি দিল্লিতে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে জালালুদ্দিনের ছেলের কাছ থেকে মুলতান দখল করে নেন।",
"title": "আলাউদ্দিন খিলজি"
},
{
"docid": "378221#1",
"text": "খলজি বা খিলজী রাজবংশ হল মধ্য যুগের মুসলিম রাজবংশ যারা ১২৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের বিশাল অংশ শাসন করত। জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজী এর প্রতিষ্ঠাতা । খিলজী শাসনামল অবিশ্বাস ,হিংস্রতা এবং দক্ষিণ ভারতে তাদের শক্ত অভিযানের জন্য খ্যাত হলেও ,খিলজী শাসনামল মূলত ভারতে হওয়া বারবার বর্বর মোঙ্গল অভিযান রুখে দেওয়ার জন্য সুপরিচিত।\nখিলজী রা মূলত তুরক আফগান জাতি গোষ্ঠীর যারা মূলত তুর্কি এবং যারা দিল্লিতে আসার আগে আফগানিস্তান বসবাস করত। জালালুদ্দিন খিলজীর পূর্বসূরীরা হেলমান্দ এবং লামঘান এ ২০০ বছরের ও অধিক সময় ধরে বসবাস করত।",
"title": "খিলজি রাজবংশ"
},
{
"docid": "378221#2",
"text": "তবে খিলজী দের তুর্কি জাতিগোষঠীর থেকে আলাদা ভাবা হত।বরং তারা স্থানীয় আফগানদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তাদের সাথেই মিশে গিয়েছিল এবং তাদের সংস্কৃতিকে নিজের করে নিয়েছিল।দিল্লি দরবারে তারা আফগান হিসেবেই পরিচিত ছিল\nখিলজী রা ছিল দিল্লির মামলুক রাজবংশের সামন্ত এবং দিল্লির সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন এর অধীন । বলবনের উত্তরাধিকারীদের ১২৮৯-১২৯০ সালে হত্যা করা হয় এবং এর পরপরই মামলুকদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে কোন্দল শুরু হয়ে যায়। এই কোন্দলের মধ্যে জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজীর নেতৃত্বে বিদ্রোহ সংগঠিত হয় এবং মামলুকদের বংশের শেষ উত্তরাধিকারী ১৭ বছর বয়সী মুইজ উদ দিন কাইকোবাদ কে হত্যা করেন।",
"title": "খিলজি রাজবংশ"
},
{
"docid": "641325#1",
"text": "জালালউদ্দিন খলজি ১২৯০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সিংহাসনে বসেন। তিনিই ছিলেন খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা। মোঙ্গল নেতা হালাকু প্রচন্ডভাবে জালালউদ্দিন খলজিকে বিরক্ত করেন। জালালউদ্দিন খলজি প্রায় ৪০০০ মোঙ্গলকে দিল্লির আশেপাশে বসবাস করার অনুমতি দিয়েছিলেন । অবশ্য তারা মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তরিত হবেন এই শর্তে। জালালউদ্দিন খলজির প্রিয় পাত্র ছিলেন তাঁর ভাইপো আলাউদ্দিন খলজি। ১২৯৬ খ্রিস্টাব্দে আলাউদ্দিন খলজি এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে জালালউদ্দিন খলজিকে নিহত করেন।,",
"title": "জালালউদ্দিন খিলজি"
},
{
"docid": "72160#10",
"text": "১২৯০-১৩২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত খলজি বংশ ক্ষমতায় বহাল থাকে ।খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা জালালউদ্দিন খলজি । তিনি দাস বংশের সুলতান কায়কোবাদ ও তার শিশু পুত্র কায়ুমাসকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন ।",
"title": "দিল্লি সালতানাত"
}
] | [
{
"docid": "378221#0",
"text": "খিলজি রাজবংশ (; Hindi: सलतनत ख़िलजी) ছিল তুর্কি বংশোদ্ভুত মুসলিম রাজবংশ। ১২৯০ থেকে ১৩২০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই রাজবংশ দক্ষিণ এশিয়ার বিরাট অংশ শাসন করে। জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজি এই রাজবংশের পত্তন করেন। এটি দিল্লি সালতানাত শাসনকারী দ্বিতীয় রাজবংশ। আলাউদ্দিন খিলজির সময় খিলজিরা সফলভাবে মোঙ্গল আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়।",
"title": "খিলজি রাজবংশ"
},
{
"docid": "584145#0",
"text": "আলা-উদ্দিন-খিলজি(শাসন কালঃ১২৯৬-১৩১৬)তিনি ছিলেন খিলজি বংসের ২য় শক্তিশালী শাসক। যিনি দিল্লিতে বসে ভারতীয় উপমহাদেশে খিলজি শাসন পরিচালনা করেছেন।তিনি চেয়েছিলেন ভারতীয় ইতিহাসেও একজন আলেকজেন্ডারের মতো শক্তিশালী কারো কথা উল্লেখ করা থাকুক। তাই তিনি নিজেকেই ২য় আলেকজেন্ডার (আলেকজেন্ডারে-সানি) হিসেবে পরিণত করার জন্যে চেষ্টা চালিয়ে যান।তাই তিনি নিজের মুদ্রায় এবং জুম্মাহের খুতবার আগের বয়ানে নিজের কৃতিত্ব বর্ণনার আদেশ দেন।",
"title": "আলাউদ্দিন খিলজি"
},
{
"docid": "15844#29",
"text": "মাহমুদ শাহের পর তার পুত্র রুকুনউদ্দীন কায়কাউস বাংলার সিংহাসনে অাসীন হন। রুকুনউদ্দীন কায়কাউসের সময় দিল্লীর সুলতান ছিলেন [[আলাউদ্দিন খিলজি|অালাউদ্দীন খিলজী]]। ১৩০১ সালে অালাউদ্দীন খিলজী বাংলা অাক্রমণ করেন। যুদ্ধে কায়কাউস পরাজিত ও নিহত হন। খিলজী কায়কাউসের ভাই ফিরোজ শাহকে তার গভর্নর হিসেবে বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেন। [[ফিরোজ শাহ]] একজান খ্যাতিমান বিজেতা ছিলেন। তিনি খিলজীর নির্দেশে [[পূর্ব বঙ্গ|পূর্ববঙ্গ]] অাক্রমণ করেন এবং [[দেব রাজবংশ|দেব বংশকে]] সমূলে উৎখাত করেন। এর ফলে পূর্ববঙ্গ চিরস্থায়ী ভাবে মুসলিন শাসনাধীনে চলে অাসে। তার সময়েই বিখ্যাত অাউলিয়া [[শাহ জালাল]] বঙ্গদেশে অাগমন করেছিলেন এবং সিলেট জয় করেছিলেন। অালাউদ্দীন খিলজীর মৃত্যুর পরে তিনি স্বাধীনতা অর্জন করেন এবং কিছুদিন স্বাধীনভাবে রাজকার্য করার পর মৃত্যুবরণ করেন।",
"title": "বাংলাদেশের ইতিহাস"
},
{
"docid": "641325#0",
"text": "১২৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের মৃত্যুর হয়। তারপর তাঁর উত্তরাধিকারীদের হত্যা করে প্রধান সেনাপতি জালালউদ্দিন খলজি ১২৯০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সুলতান হন। জালালউদ্দিন খলজির(জন্ম: অজানা--মৃত্যু: ২০ জুলাই, ১২৯৬) দিল্লি দখলের সঙ্গে সঙ্গে দাস বংশের [Slave dynasty] অবসান ঘটে ও খলজি বংশের [Khalji dynasty] সূচনা হয়।",
"title": "জালালউদ্দিন খিলজি"
},
{
"docid": "378221#7",
"text": "আলাউদ্দিন খিলজী ছিলেন জালাল উদ্দিন খিলজীর ভাইপো এবং জামাতা । যিনি হিন্দু রাজ্য মহারাষ্ট্রের রাজধানী দেবগীরি তে হামলা চালান এবং বিপুল পরিমাণ সম্পদ ভান্ডার লুট করেন। এরপর ১২৯৬ সালে তিনি দিল্লি আসেন এবং নিজ চাচা ও শ্বশুর জালাল উদ্দিন খিলজী কে হত্যা করেন এবং নিজে সুলতান হিসেবে দিল্লীর মসনদে বসেন।",
"title": "খিলজি রাজবংশ"
}
] |
ব্যাঙ কোন শ্রেণীর প্রাণী ? | [
{
"docid": "61832#0",
"text": "উভচর হল এ্যামফিবিয়া শ্রেণীর ectothermic, টেট্রাপড মেরুদন্ডি প্রাণী। আধুনিক উভচরেরা হল লিসামফিবিয়া। তারা বিভিন্ন ধরনের বসবাস অভ্যাস গড়ে তুলেছে, বেশিরভাগ প্রজাতিই মাটি, fossorial, arboreal বা স্বাদু পানির জলজ প্রাণী। উভচরেরা সাধারণত পানিতে লার্ভা হিসেবে জীবন শুরু করে কিন্তু কিছু প্রজাতি আচরণগত অভিযোজন করে এই ব্যবস্থাটি এড়িয়ে যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে লার্ভা অবস্থায় পানিতে শ্বাস নেবার সক্ষমতা থেকে বড় হতে হতে শারীরিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস কাজ চালানোর সক্ষমতা অর্জন করে। উভচরেরা তাদের ত্বককে দ্বিতীয় শ্বসন সহায়ক বর্হিরাঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করে এবং কিছু মাটির সালামান্ডার এবং ব্যাঙ শুধুমাত্র তাদের চামড়ার উপর নির্ভর করে কারন তাদের কোন ফুসফুস নেই। তারা বাহ্যত টিকটিকির সাথে মিলে কিন্তু সরীসৃপের স্তন্যপায়ী ও পাখির মত ভূমিতে বংশবৃদ্ধি করে তাদের পানির প্রয়োজন হয় না। এদের জটিল বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়া ও বিশেষ ত্বকের জন্য বাস্তব্যবিদ্যা নির্দেশক রয়েছে। তাছাড়া গত কয়েক দশকে সারা পৃথিবীতে উভচর প্রাণীর অনেক প্রজাতি সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমেছে।",
"title": "উভচর প্রাণী"
},
{
"docid": "12235#0",
"text": "ব্যাঙ উভচর (অ্যাম্ফিবিয়ান) শ্রেণীর অ্যানিউরা (লেজহীন, অ্যান=নাই, ইউরো=লেজ) বর্গের মেরুদণ্ডী প্রাণী। এদের লাফ (দেহের আয়তনের তুলনায় বিশ্বরেকর্ড) ও বর্ষাকালে (প্রজনন ঋতু) ঘ্যাঙর্ ঘ্যাঙ্ ডাক (প্রণয় সম্ভাষণ) বিখ্যাত।",
"title": "ব্যাঙ"
}
] | [
{
"docid": "291328#1",
"text": "কুনোব্যাং এমন একটি প্রাণী যা একটানা ছয় মাস ঘুমাতে পারে। এরা সাধারণত রাতের বেলা বের হয়। দিনের বেলা ঘরের কোনে অথবা দেয়ালের ফাঁকা জায়গা অথবা মাটির গর্তে বাস করে। তাই এদের কুনো ব্যাঙ বলা হয়। এরা মেরুদন্ডী প্রাণী। এরা সাধারণত পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করে। এদের গায়ে আচিলের মত ছোট ছোট অনেক দাগ থাকে। এর সাহায্যে এদের সহজেই চেনা যায়। শীতকালে এরা শীত নিদ্রায় চলে যায়।ওজন কত?",
"title": "কুনো ব্যাঙ"
},
{
"docid": "587547#0",
"text": "বুফিস পলিয়ানি \"(\"English: \"Boophis pauliani)\" মেন্টেলিডে গোত্রের ব্যাঙের একটি প্রজাতি। এই প্রজাতিকে মাদাগাস্কারের বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল মূলত উপট্রোপিক বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নভূমি বনাঞ্চল, নদী, মৎস্যচাষের আবাসস্থল, আবাদি জমি, চারণভূমি এবং ব্যাপকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত প্রাক্তন বনভূমিতে। বর্তমানে এদের আবাসস্থল হুমকির মুখে।",
"title": "বুফিস পলিয়ানী"
},
{
"docid": "113334#0",
"text": "সবুজ ব্যাঙ () জলজ ব্যাঙের একটি প্রজাতি যা ভারতীয় ও শ্রীলংকান উপদ্বীপে পাওয়া যায়। কাছ থেকে দেখে বোঝা যায়, সত্যিই অসাধারণ সুন্দর এই সবুজ ব্যাঙ। এর দেহের উপরিভাগের রং পাতাসবুজ। এর পিঠের শিরা, ডানার কাছটার রং সবুজে হলুদ। ছোট ব্যাঙের রং হালকা সবুজ। বয়স্ক ব্যাঙের পিঠের দিক থেকে শুরু করে পেছন ও পা গাঢ় সবুজ। এর পেটের দিকটা সবুজাভ অথবা লালচে হলুদ রঙের। এই ব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম \"Euphlyctis hexadactylus\"। নাকের ডগা থেকে পশ্চাদ্দেশ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১৩০ সে.মি.। সোনা ব্যাঙের (১৬০ সে.মি.) চেয়ে সামান্য ছোট। সবুজ ব্যাঙের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর খাদ্যাভ্যাস।",
"title": "সবুজ ব্যাঙ"
},
{
"docid": "291326#0",
"text": "চামড়াঝোলা ব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Pterorana khare\") () বা দেশি উড়ুক্কু ব্যাঙ Ranidae (রানিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Pterorana\" (টোরোরানা) গণের একমাত্র প্রজাতি। ভারত ও বাংলাদেশ এদের আবাসস্থল। বিজ্ঞানী কিয়াসেতো এবং খের ১৯৮৬ সালে এই প্রজাতির প্রথম বর্ণনা করেন। সেজন্য ইংরেজিতে প্রজাতিটিকে কখনও কখনও Khare’s Stream Frog নামে ডাকা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নামের প্রজাতি অংশটিও এসেছে খেরে'র নাম থেকে। অত্যন্ত দুর্লভ এ ব্যাঙের সংখ্যা ক্রমে আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Vulnerable বা সংকটাপন্ন বলে ঘোষণা করেছে।",
"title": "চামড়াঝোলা ব্যাঙ"
},
{
"docid": "94758#0",
"text": "কাঁকড়াভুক ব্যাঙ বা ম্যানগ্রোভ ব্যাঙ বাংলাদেশের প্রাপ্ত ব্যাঙের একটি প্রজাতি। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল ২ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত।",
"title": "কাঁকড়াভুক ব্যাঙ"
},
{
"docid": "359111#0",
"text": "কোলা ব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Hoplobatrachus tigerinus\") (ইংরেজি: Bull frog বা Indian bull frog) বড় আকারের একটি অতি পরিচিত ব্যাঙ যা বাংলাদেশের সবর্ত্রই দেখা যায়। এটি সোনা বাঙ বা ভাউয়া ব্যাঙ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, নেপাল ও আফগানিস্তানে এই ব্যাঙ দেখতে পাওয়া যায়। এটি Dicroglossidae পরিবারের Hoplobatrachus গণের অর্ন্তগত।",
"title": "কোলা ব্যাঙ"
},
{
"docid": "291328#0",
"text": "কুনোব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম: \"Bufo melanostictus\", সম্প্রতি নামকরণ হয়েছে \"Duttaphrynus melanostictus\") () Bufonidae (বুফোনিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত \"Bufo\" (বুফো) গণের এক প্রজাতির অতি পরিচিত একটি ব্যাঙ। ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিকাংশ দেশে প্রজাতিটি দেখা যায়। বাড়ির আনাচেকানাচে সর্বত্রই এদের দেখা যায়।",
"title": "কুনো ব্যাঙ"
},
{
"docid": "61832#4",
"text": "ব্যাঙের বাইরে অন্যান্য উভচরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রজাতি আছে সালামান্ডার নামের প্রাণীর। এদের প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৫৫৬। এই শ্রেণীর উভচরদের দেহ সরু ও লম্বা এবং লেজযুক্ত।",
"title": "উভচর প্রাণী"
}
] |
মানবদেহে রক্তের গড় তাপমাত্রা কত ? | [
{
"docid": "553185#47",
"text": "মানুষ ও পশুর ভ্যাকুয়াম উন্মুক্ত হলে কয়েক সেকেন্ড পরে চেতনা হারাবে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে হায়পক্সিয়া মারা যায়। কিন্তু উপসর্গ সাধারণভাবে মিডিয়া এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতির মধ্যে যেমন চিত্রিত করা হয়েছে প্রায় অতটা স্পষ্ট নয়। চাপ হ্রাস তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় যার জন্য রক্ত ও শরীরের অন্যান্য তরল ফুটে উঠবে। কিন্তু শিরাগুলোর নমনীয় চাপ নিশ্চিত করে যে, এই স্ফুটনাঙ্ক ৩৭ ° সে- এর অভ্যন্তরীণ শরীরের তাপমাত্রার উপরে থাকে। যদিও রক্ত ফুটতে হবে না, শারীরিক তরলের গ্যাস বুদবুদ গঠনে চাপ কমে,যা ইবুলিজম নামে পরিচিত, এখনও একটি উদ্বেগের বিষয়। গ্যাস দেহকে তার স্বাভাবিক মাপের দুইগুন ফোলাতে পারে এবং ধীর গতির রক্ত সঞ্চালন করে, কিন্তু টিস্যু নমনীয় এবং যথেষ্ট ছিদ্রময় যা ফেটে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। ফ্লাইট স্যুট দ্বারা ফোলা এবং ইবুলিজম দমানো যেতে পারে। ক্রু উচ্চতাজনিত সুরক্ষা Suit নামে শাটল মহাকাশচারী একটি লাগানো নমনীয় পোশাক পরে যা যা ২ kPa (১৫ টর) এর কম চাপে ইবুলিজম বাধা দেয়। দ্রুত উত্তপ্ততা ত্বক ঠান্ডা করবে, , জমাট অবস্থা তৈরি করে, বিশেষ করে মুখের মধ্যে, কিন্তু এটা একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি নয়।",
"title": "শূন্যস্থান"
},
{
"docid": "7593#0",
"text": "রক্ত () হল উচ্চশ্রেণীর প্রাণিদেহের এক প্রকার কোষবহুল, বহু জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত সামান্য লবণাক্ত, আঠালো, ক্ষারধর্মী ও লালবর্ণের ঘন তরল পদার্থ যা হৃৎপিন্ড, ধমনী, শিরা ও কৈশিক জালিকার মধ্য দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হয়। রক্ত একধরণের তরল যোজক কলা। \nরক্ত প্রধানত দেহে অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পরিবাহিত করে। রক্ত হল আমাদেরে দেহের জ্বালানি স্বরূপ। মানবদেহে শতকরা ৮ ভাগ রক্ত থাকে (গড়ে মানবদেহে ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে)। রক্তের PH সামান্য ক্ষারীয় অর্থাৎ ৭.২ - ৭.৪।\nমানুষের রক্তের তাপমাত্রা ৩৬ - ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (গড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড)।",
"title": "রক্ত"
}
] | [
{
"docid": "6532#8",
"text": "একজন সুস্থ মানুষের জন্য মুখে ৩৩.২-৩৮.২ সে., পায়ুপথে ৩৪.৪-৩৭.৮ সে.,কান পর্দায় ৩৫.৪-৩৭.৮ সে. এবং বগলে ৩৫.৫-৩৭.০ সে. ই হল স্বাভাবিক তাপমাত্রা । দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন বয়স, লিঙ্গ, সময় ,পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা, কাজের মাত্রা ইত্যাদি। তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানেই জ্বর নয়। একজন সুস্থ লোক যখন ব্যায়াম করে তখন তার দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে কিন্তু তা জ্বর হিসেবে গণ্য হবে না যেহেতু তার মস্তিষ্কে নিয়ন্তিত নির্দিষ্ট সূচক (set point) স্বাভাবিক। অন্য দিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও কারও জন্য জ্বর হিসেবে গণ্য হতে পারে। যেমনঃ অসুস্থ রোগীর (যে দেহের তাপ উৎপাদনে দুর্বল) ৩৭.৩ সে. ই জ্বর হিসেবে গণ্য হবে।",
"title": "জ্বর"
},
{
"docid": "6083#8",
"text": "মানবদেহের আকারের সাপেক্ষে তাতে ৫৫%-৭৮% পানি থাকে। সক্রিয় থাকার জন্য এবং নিরুদন প্রতিরোধ করার জন্য মানবদেহের প্রতিদিন এক থেকে সাত লিটার পানির প্রয়োজন হয়। দেহের প্রয়োজনীয় পানির প্রকৃত পরিমাণ নির্ভর করে কাজকর্মের পরিমাণ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, ইত্যাদি নানা পরিস্থিতির উপর। শরীরে গ্রহণ করা পানির মোট পরিমাণের অধিকাংশই সরাসরি পানি পান করার পরিবর্তে আসে বিভিন্ন খাদ্য এবং অন্যান্য পানীয় থেকে। একজন স্বাস্থ্যবান মানুষের ঠিক কত পরিমাণ পানির দরকার তা সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা না গেলেও অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই মত প্রকাশ করেছেন যে শরীর সুস্থ রাখতে মোটামুটি প্রতিদিন ২ লিটার (৬ থেকে ৭ গ্লাস) পানির প্রয়োজন। ব্যায়াম অথবা গরম আবহাওয়া জনিত কারণে শরীর থেকে নির্গত হওয়া পানি বাদ দিয়ে চিকিৎসা শাস্ত্র সাধারণত একজন গড় পুরুষের জন্য ১ লিটার পানি অর্থাৎ অল্প পানি পান করার পক্ষে মত দেয়। যে সব ব্যক্তি সুস্থ কিডনির অধিকারী তাদের পক্ষে অতিরিক্তি পানি পান করা অসুবিধাজনক কিন্তু মূলতঃ ব্যায়াম করলে অথবা আর্দ্র আবহাওয়া থাকলে অল্প পরিমাণ পানি পান করা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। কোন ব্যক্তি ব্যায়াম করার সময় প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি পান করতে পারে কিন্তু তা পানির প্রতি অত্যধিক আসক্তি সৃষ্টি করতে পারে যা, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। একজন ব্যক্তির দৈনিক আট গ্লাস পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে যে ধারণা বহুল প্রচলিত, বিজ্ঞানে সম্ভবত তার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। একইভাবে দেহের ওজনহ্রাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে পানির উপকারিতা বিষয়ে যে ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে তাও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে খারিজ হয়ে গেছে।",
"title": "পানি"
},
{
"docid": "7593#5",
"text": "(খ) জৈব পদার্থ: রক্ত রসে মাত্র ৭.১%-৮.১% জৈব পদার্থ থাকে। এর মধ্যে অধিক পরিমাণে থাকে প্লাজমা প্রোটিন- গড়ে ৬-৮ গ্রাম/ডেসি লি.। প্লাজমা প্রোটিনগুলো হচ্ছে - অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন, ফিব্রিনোজেন। এছাড়াও অন্যান্য জৈব পদার্থগুলো হল: স্নেহ দ্রব্য (নিউট্রাল ফ্যাট, কোলেস্টেরল, ফসফোলিপিড, লেসিথিন ইত্যাদি), কার্বোহাইড্রেট (গ্লুকোজ), অপ্রোটিন নাইট্রোজেন দ্রব্য (অ্যামাইনো এসিড, ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিন, ক্রিয়েটিনিন, জ্যানথিন ইত্যাদি), রঞ্জক দ্রব্য (বিলিরুবিন, বিলিভার্ডিন), বিভিন্ন ধরণের এসিড (যেমন:- সাইট্রিক এসিড, ল্যাকটিক এসিড), হরমোন, ভিটামিন, এনজাইম, মিউসিন ও অ্যান্টিবডি।\nরক্তের প্লাজমার মধ্যে নির্দিষ্ট আকার ও গঠন বিশিষ্ট উপাদান বা রক্ত কোষসমূহকে রক্ত কণিকা বলে। রক্তে প্রায় তিন ধরণের কণিকা পাওয়া যায়। যথা:\nহৃদপিন্ডের সংকোচন-প্রসারণের কারণে মানুষের ধমনী ও শিরায় রক্তের চাপ সৃষ্টি হয়। \nহৃদপিন্ডের সংকোচন এর ফলে যে চাপ অনুভূত হয় তাকে সিস্টোলিক চাপ বলে।হৃদপিন্ডের প্রসারণের ফলে যে চাপ অনুভূত হয় তাকে ডায়াস্টোলিক চাপ বলে।\nমানুষের শরীরে ৮০/১২০ হলো \"আদর্শ রক্তচাপ\", ৮০/১৩০ হলো \"সবচেয়ে অনুকূল রক্তচাপ\" এবং ৮৫/১৪০ হলো \"সর্বোচ্চ রক্তচাপ\"।",
"title": "রক্ত"
},
{
"docid": "6278#8",
"text": "বুধ গ্রহের পৃষ্ঠতলের গড় তাপমাত্রা হচ্ছে ৪৫২ কেলভিন (৩৫৩.৯°ফারেনহাইট, ১৭৮.৯°সেলসিয়াস)। তবে এই মান স্থানভেদে ৯০ কেলভিন থেকে ৭০০ কেলভিনের মধ্যে উঠানামা করে। দেখা যাচ্ছে বুধ পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৬১০ কেলভিন পর্যন্ত উঠানামা করে যেখানে পৃথিবীতে পৃষ্ঠের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৮০ কে পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে। এর মূল কারণ বুধের কোন বায়ুমণ্ডল নেই। পৃথিবীর তুলনায় বুধ পৃষ্ঠে সূর্য রশ্মির তীব্রতা ৬.৫ গুণ বেশী। তবে এই সমানুপাতিক সম্পর্কের মধ্যে একটি সৌর ধ্রুবক রয়েছে যার মান ৯.১৩ কিলোওয়াট/বর্গমি.।\nবুধ পৃষ্ঠের এত উচ্চ তাপমাত্রা দেখে মনে হতে পারে এতে বরফ থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও হলেও এটি সত্যি যে, বৃধ গ্রহে বরফ থাকতে পারে। মেরুর নিকটে অবস্থিত কিছু গভীর খাদের সমতলে সূর্য রশ্মি কখনও সরাসরি পৌঁছায় না। এতে সেখানকার তাপমাত্রা সবসময়ই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার চেয়ে কম থাকে। এতে বরফের সৃষ্টি হয়। পানি থেকে সৃষ্ট বরফ রাডারের সঙ্কেতগুলোকে তীব্রভাবে প্রতিফলিত করে। এ কারণে বুধে বরফের অস্তিত্ব রাডার সঙ্কেতের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যায়। বুধ গ্রহের মেরুর সন্নিকটে অবস্থিত বরফ খণ্ড পৃথিবী থেকে প্রেরিত রাডার সংকেতকে প্রতিফলিত করেছে। এই প্রতিফলনের কারণ বরফ ছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে এটি বরফ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। বিশ্বাস করা হয় বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলগুলোতে আবরণের পুরুত্ব মাত্র কয়েক মিটার এবং এই আচ্ছাদনে ১০ – ১০ কেজির মত বরফ রয়েছে। পৃথিবীর ও মঙ্গলের সাথে এর তুলনা করা যেতে পারে। পৃথিবীর এন্টার্কটিকায় বরফের পরিমাণ ৪ কেজি এবং মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে বরফের পরিমাণ প্রায় ১০ কেজি। বুধ গ্রহে বরফের উৎপত্তির কারণ সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি, তবে দুইটি সম্ভাবনা সবচেয়ে প্রকট: প্রথমত, গ্রহের অভ্যন্তরভাগ থেকে পানির outgassing এবং দ্বিতীয়ত, ধূমকেতুর সাথে সংঘর্ষের ফলে জমা হওয়া বস্তু।",
"title": "বুধ গ্রহ"
},
{
"docid": "249732#1",
"text": "সাধারনভাবে, যদি কোনও একজনের হৃদ-সংকোচন বা সিস্টোলিক রক্ত চাপ উভয় বাহুতে ১৪০ মি.মি পারদ অথবা উপরে থাকে (চাপের একটি একক) কিংবা হৃদ-প্রসারণ বা ডায়াস্টলিক চাপ ৯০ মি.মি পারদ অথবা উপরে থাকে,তাহলে তার উচ্চ রক্ত চাপ বলা যেতে পারে। একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের হিসেবে ১৩৯/৮৯ টর রক্ত চাপ থেকে ১২০/৮০ টর সংজ্ঞায়িত করেছে \"প্রিহাইপারটেনশন\"। প্রিহাইপারটেনশন একটি রোগ নয়, কিন্তু আশঙ্কা করে যে একটি ব্যক্তির উচ্চরক্তচাপে বিকশিত করার একটি যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ডায়াবেটিস মেলিটাস অথবা কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, ১৩০/৮০ টরের অধিক রক্তচাপকে ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত এবং এর দ্রুত চিকিৎসা হওয়া উচিত।",
"title": "উচ্চ রক্তচাপ"
},
{
"docid": "348542#0",
"text": "রক্তরস হল রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি হালকা হলুদাভ তরল যা সাধারণত দেহের বিভিন্ন প্রকার রক্তকোষ ধারণ করে। মানব দেহের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগই হল রক্তরস। রক্তরস মূলত কোষপর্দার বাইরের রক্তগহ্বরের মধ্যকার তরল পদার্থ। এর ৯৫ শতাংশ হল জল এবং ৬-৮% শতাংশ বিভিন্নপ্রকার প্রোটিন (অ্যালবুমিন, গ্লোবুলিন, ফাইব্রিনোজেন), গ্লুকোজ, ক্লোটিং উপাদান, ইলেক্টোপ্লেট (Na, Ca, Mg, HCO, Cl, ইত্যাদি), হরমোন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (রক্তরস বিপাকীয় সংবহনতন্ত্রের মূল মাধ্যম)। রক্তরস মানবদেহের আমিষ সংরক্ষণের কাজও করে থাকে। এটি রক্তগহ্বরের অভিস্রবণ প্রক্রিয়া অটুট রাখে যাতে রক্তে বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট যথানুপাতে বিদ্যমান থাকে এবং মানবদেহ বিজাণু সংক্রমণ ও বিবিধ রক্তবৈকল্য থেকে মুক্ত থাকে।",
"title": "রক্তরস"
},
{
"docid": "469202#1",
"text": "পরিণত অবস্থায়, মানবদেহের কোষের সংখ্যা থাকে গড়ে প্রায় ৩৭.২ ট্রিলিয়ন। এই সংখ্যাটিকে মানবদেহের অন্যতম উপাত্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং পরবর্তী ধাপের অন্যান্য হিসেবনিকেশের সূচনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেহের সকল অঙ্গের এবং সকল প্রকারের কোষের সংখ্যাকে যোগ করে এই সংখ্যাটি নির্ণয় করা হয়েছে। মানব বেশ কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত যাদের মধ্যে অন্যতম হল কার্বন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস।",
"title": "মানব দেহ"
},
{
"docid": "43181#2",
"text": "বুধ গ্রহের পৃষ্ঠতলের গড় তাপমাত্রা হচ্ছে ৪৫২ কেলভিন (৩৫৩.৯°ফারেনহাইট, ১৭৮.৯°সেলসিয়াস)। তবে এই মান স্থানভেদে ৯০ কেলভিন থেকে ৭০০ কেলভিনের মধ্যে উঠানামা করে। দেখা যাচ্ছে বুধ পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৬১০ কেলভিন পর্যন্ত উঠানামা করে যেখানে পৃথিবীতে পৃষ্ঠের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৮০ কে পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে। এর মূল কারণ বুধের কোন বায়ুমণ্ডল নেই। পৃথিবীর তুলনায় বুধ পৃষ্ঠে সূর্য রশ্মির তীব্রতা ৬.৫ গুণ বেশী। তবে এই সমানুপাতিক সম্পর্কের মধ্যে একটি সৌর ধ্রুবক রয়েছে যার মান ৯.১৩ কিলোওয়াট/বর্গমি.।\nবুধ পৃষ্ঠের এত উচ্চ তাপমাত্রা দেখে মনে হতে পারে এতে বরফ থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও হলেও এটি সত্যি যে, বৃধ গ্রহে বরফ থাকতে পারে। মেরুর নিকটে অবস্থিত কিছু গভীর খাদের সমতলে সূর্য রশ্মি কখনও সরাসরি পৌঁছায় না। এতে সেখানকার তাপমাত্রা সবসময়ই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার চেয়ে কম থাকে। এতে বরফের সৃষ্টি হয়। পানি থেকে সৃষ্ট বরফ রাডারের সংকেতগুলোকে তীব্রভাবে প্রতিফলিত করে। এ কারণে বুধে বরফের অস্তিত্ব রাডার সংকেতের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যায়। বুধ গ্রহের মেরুর সন্নিকটে অবস্থিত বরফ খণ্ড পৃথিবী থেকে প্রেরিত রাডার সংকেতকে প্রতিফলিত করেছে। এই প্রতিফলনের কারণ বরফ ছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে এটি বরফ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। বিশ্বাস করা হয় বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলগুলোতে আবরণের পুরুত্ব মাত্র কয়েক মিটার এবং এই আচ্ছাদনে ১০ – ১০ কেজির মত বরফ রয়েছে। পৃথিবীর ও মঙ্গলের সাথে এর তুলনা করা যেতে পারে। পৃথিবীর এন্টার্কটিকায় বরফের পরিমাণ ৪ কেজি এবং মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে বরফের পরিমাণ প্রায় ১০ কেজি। বুধ গ্রহে বরফের উৎপত্তির কারণ সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি, তবে দুইটি সম্ভাবনা সবচেয়ে প্রকট: প্রথমত, গ্রহের অভ্যন্তরভাগ থেকে পানির outgassing এবং দ্বিতীয়ত, ধূমকেতুর সাথে সংঘর্ষের ফলে জমা হওয়া বস্তু।",
"title": "বুধ গ্রহের ভূ-তত্ত্ব"
}
] |
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কোনটি ? | [
{
"docid": "822#68",
"text": "বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু বা কাবাডি। এই খেলার মতোই বাংলাদেশের অধিকাংশ নিজস্ব খেলাই উপকরণহীন কিংবা উপকরণের বাহুল্যবর্জিত। উপকরণবহুল খুব কম খেলাই বাংলাদেশের নিজস্ব খেলা। উপকরণহীন খেলার মধ্যে \"এক্কাদোক্কা\", \"দাড়িয়াবান্দা\", \"গোল্লাছুট\", \"কানামাছি\", \"বরফ-পানি\", \"বউচি\", \"ছোঁয়াছুঁয়ি\" ইত্যাদি খেলা উল্লেখযোগ্য। উপকরণের বাহুল্যবর্জিত বা সীমিত সহজলভ্য উপকরণের খেলার মধ্যে \"ডাঙ্গুলি\", \"সাতচাড়া\", \"রাম-সাম-যদু-মধু\" বা \"চোর-ডাকাত-পুলিশ\", \"মার্বেল খেলা\", \"রিং খেলা\" ইত্যাদির নাম করা যায়। \"সাঁতার\", বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায় ছাড়া, সাধারণ্যের কাছে আলাদা ক্রীড়া হিসেবে তেমন একটা মর্যাদা পায় না, যেহেতু বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবশ্যকীয়ভাবে সাঁতার শিখতে হয়। গৃহস্থালী খেলার মধ্যে \"লুডু\", \"সাপলুডু\", \"দাবা\" বেশ প্রচলিত। এছাড়া \"ক্রিকেট\" ও \"ফুটবলের\" মতো বিভিন্ন বিদেশী খেলাও এদেশে বেশ জনপ্রিয়।",
"title": "বাংলাদেশ"
},
{
"docid": "415163#15",
"text": "কাবাডি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। বর্তমানে কাবাডি আন্তর্জাতিক ভাবেও খেলা হয়। এই খেলা সাধারণত কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সব ধরনের ছেলেরা খেলে থাকে। সাধারণত বিশেষ উৎসব বা পালা-পার্বনে বেশ আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়েছে। পূর্বে কেবল মাত্র গ্রামে এই কাবাডি খেলার প্রচলন দেখা গেলেও বর্তমানে সব জায়গায় কাবাডি খেলা প্রচলিত হয়েছে।\n১৯৭৮ নালে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ও বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় প্রথম এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে আস্তে আস্তে কাবাডি খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠে।কুতকুত গ্রামীন কিশোরী-তরুণীদের অন্যতম প্রধান খেলা। উঠানে শস্য শুকাতে দেবার ফাঁকে কিংবা বিকালের নরম আলোয় গৃহের আঙ্গিনায় কৈশর পেরোনো তরুণীরা কুতকুত খেলায় মেতে ওঠে। বর্ষার পরের নরম মাটিতে মাটির ভাঙ্গা তৈজসপত্রের অংশ দিয়ে দাগ কেটে কুতকুতের জন্য ঘর বানানো হয়। বাংলার গ্রামীণ মেয়েরা যে কোনো ঋতুতেই এই খেলা খেলে থাকে। কুতকুত খেলায় ঘর বেচাকেনার বিষয়টি বাণিজ্যের প্রতি গ্রামীণ নারীদের সচেতনতাকে তুলে ধরে।",
"title": "বাংলাদেশের খেলাধুলা"
},
{
"docid": "5525#0",
"text": "'কাবাডি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। বর্তমানে কাবাডি আন্তর্জাতিক ভাবেও খেলা হয়। এই খেলা সাধারণত কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সব ধরনের ছেলেরা খেলে থাকে। সাধারণত বিশেষ উৎসব বা পালা-পার্বনে বেশ আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়েছে। পূর্বে কেবল মাত্র গ্রামে এই কাবাডি খেলার প্রচলন দেখা গেলেও বর্তমানে সব জায়গায় কাবাডি খেলা প্রচলিত হয়েছে।\n১৯৭৮ নালে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ও বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় প্রথম এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে আস্তে আস্তে কাবাডি খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠে।",
"title": "কাবাডি"
},
{
"docid": "305766#0",
"text": "বাংলাদেশ কাবাডি দল আন্তর্জাতিক কাবাডি খেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী দল। কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। বাংলাদেশ কাবাডি দল ২০০৬ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক পায়। ১৯৮০ সালে, প্রথম এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ রানার্স-আপ হয়। পরের এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ আবারো রানার্স-আপ হয়।",
"title": "বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দল"
},
{
"docid": "415163#89",
"text": "বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হাডুডুর মতোই সকল অঞ্চলের আরেকটি জনপ্রিয় খেলা দাড়িয়াবান্ধা। কেবল অল্প বয়েসি ছেলে-মেয়েরাই নয় এতে অংশ নিতে পারে বড়রাও। ছক বাধা ঘর দাড়িয়াবান্ধার আসল বৈশিষ্ট্য। খেলা হয় দুটি দলের মধ্যে। প্রত্যেক দলে ৫/৬ থেকে শুরু করে ৮/৯ জন পর্যন্ত খেলোয়াড় থাকে। খেলা শুরুর আগেই মাটির উপর দাগ কেটে ঘরের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। খেলায় ঘরের সীমানার বাধ্যবাধকতা থাকায়, দ্রুত দৌড়ের চেয়ে কৌশল ও প্যাঁচের কসরত জানতে হয় বেশি।",
"title": "বাংলাদেশের খেলাধুলা"
}
] | [
{
"docid": "16514#7",
"text": "ক্রিকেট ও ফুটবল বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম খেলা। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ফুটবল জনপ্রিয় হলেও ২০০০ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট ক্রিকেট খেলার মর্যাদা লাভ করার পর থেকে ক্রিকেট বাংলাদেশীদের কাছে খুবই প্রিয় খেলা হয়ে উঠে। কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা, যা গ্রামাঞ্চলে খুব বেশি প্রচলিত। অন্যান্য খেলার মধ্যে হকি, হ্যান্ডবল, সাঁতার এবং দাবা উল্লেখযোগ্য। এযাবৎ ৫ জন বাংলাদেশী - নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান, রিফাত বিন সাত্তার, আবদুল্লাহ আল রাকিব ও এনামুল হোসেন রাজীব - দাবার আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাব লাভ করেছেন।",
"title": "বাংলাদেশের সংস্কৃতি"
},
{
"docid": "1099#42",
"text": "ক্রিকেট এবং ফুটবল ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এই খেলাগুলো শুধুমাত্র ঢাকাতেই নয়, বরং পুরো বাংলাদেশেই এই খেলাগুলোর জনপ্রিয়তা রয়েছে। মোহামেডান এবং আবাহনী ঢাকার দুটি বিখ্যাত ক্লাব যারা ফুটবল এমন ক্রিকেটে নিয়মিত সাফল্য অর্জন করে আসছে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট জাতীয় ক্রিকেট লীগে ঢাকার দল হিসাবে ঢাকা মেন্ট্রোপলিটন ক্রিকেট দল অংশ নিয়ে থাকে। এছাড়া ঘরোয়া টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট লীগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ খেলায় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস দল অংশ নিয়ে থাকে।\nসারা বাংলাদেশের খেলাধুলার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) (সাবেক ঢাকা স্টেডিয়াম) ও এর আশেপাশের এলাকা। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি হলেও ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, হকি, হ্যান্ডবলসহ আরো অনেক খেলা ঢাকায় নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।",
"title": "ঢাকা"
},
{
"docid": "415163#61",
"text": "বাঘ ছাগল খেলা, গ্রামীন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা সাধারনত শিশুরা খেলে থাকে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ছেলে ও মেয়ে উভয়ই এ খেলা খেলে থাকে। এই খেলাটি কোন কোন জায়গায় অ্যাঙ্গা অ্যাঙ্গা খেলা নামেও পরিচিত।",
"title": "বাংলাদেশের খেলাধুলা"
},
{
"docid": "415163#35",
"text": "দাড়িয়াবান্ধা বাংলাদেশের গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে একটি পরিচিত খেলা। এ দেশের সর্বত্র স্থানীয় নিয়ম কানুন অনুযায়ী এ খেলা হয়ে থাকে। জাতীয় রিক্রিয়েশন এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের জন্য এ খেলার গ্রহণ যোগ্য আইন কানুন প্রণয়ন করেছে। প্রায় সব এলাকার শিশুরাই এ খেলাটি খেলতে পছন্দ করে। ছেলে, মেয়ে, এমনকি বড়দেরও এ খেলায় অংশ নিতে দেখা যায়।",
"title": "বাংলাদেশের খেলাধুলা"
},
{
"docid": "415163#64",
"text": "বাংলাদেশের গ্রামীন কিশোর ছেলেদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলা মার্বেল। কোন কোন অঞ্চলে মার্বেল খেলাকে বিঘত খেলাও বলে। সম্ভবত অভিভাবকদের নিষেধাজ্ঞাই এই খেলার প্রতি কিশোরদের অদম্য আকর্ষণ সৃষ্টি করে। এই খেলার নিষ্পত্তি হয় অন্যের মার্বেল খেলে জিতে নিজের করে নেবার মাধ্যমে।",
"title": "বাংলাদেশের খেলাধুলা"
}
] |
ইসলাম কি একটি আরবী শব্দ ? | [
{
"docid": "1570#1",
"text": "ইসলাম শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م শব্দটি হতে; যার দু'টি অর্থঃ ১. শান্তি ২. আত্মসমর্পণ করা। সংক্ষেপে, \"ইসলাম\" হলো শান্তি (প্রতিষ্ঠা)'র উদ্দেশ্যে এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর (আল্লাহ)-এর কাছে আত্মসমর্পণ করা।",
"title": "ইসলাম"
},
{
"docid": "545440#1",
"text": "ইসলাম () শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ।\nবলা হয় ইসলাম হলো শান্তি (প্রতিষ্ঠা)'র উদ্দেশ্যে এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর (আল্লাহ)-এর কাছে আত্মসমর্পণ করা।",
"title": "ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম"
},
{
"docid": "369720#2",
"text": "ইসলাম (আরবি ভাষায়: الإسلام আল্-ইসলাম্) একটি একেশ্বরবাদী এবং আব্রাহামিক ধর্ম । কুরআন দ্বারা পরিচালিত; যা এমন এক কিতাব যাকে এর অনুসারীরা ( আরবি : الله আল্লাহ ) বানী বলে মনে করে এবং ইসলামের প্রধান নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর প্রদত্ত শিক্ষা পদ্ধতি,জীবনাদর্শও (বলা হয় সুন্নাহ এবং হাদিস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে ) এর ভিত্তি । ইসলামের অনুসারীরা মুহাম্মদ (সঃ) কে শেষ নবী বলে মনে করে। \"ইসলাম\" শব্দের অর্থ \"আত্মসমর্পণ\", বা একক স্রষ্টার নিকট নিজেকে সমর্পন। অনেকের ধারণা যে মুহাম্মদ (সঃ) হলেন এই ধর্মের প্রবর্তক। তবে মুসলমানদের মতে, তিনি এই ধর্মের প্রবর্তক নন বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত রাসূল (পয়গম্বর)। খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম পুনঃপ্রচার করেন। কুরআন ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়। কুরআন আল্লাহর বাণী এবং তার কর্তৃক মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট প্রেরিত বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। তাদের বিশ্বাস অনুসারে মুহাম্মদ (সঃ) শেষ নবী। হাদিসে প্রাপ্ত তাঁর নির্দেশিত কাজ ও শিক্ষার ভিত্তিতে কুরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়।",
"title": "বিভিন্ন ধর্ম"
}
] | [
{
"docid": "609730#4",
"text": "ইমাম একটি আরবি শব্দ অর্থ \"নেতা\"। উদাহরণস্বরূপ একটি দেশের শাসক ইমাম বলা যেতে পারে। তবে শব্দটি ইসলামিক ঐতিহ্য, বিশেষত শিয়া বিশ্বাসে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ রয়েছে। সুন্নি বিশ্বাসে, শব্দটির ব্যবহার চারটি সুন্নি মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা পণ্ডিতদের জন্য বা ধর্মীয় আইনশাস্ত্রের স্কুলগুলির (ফিক্হ) জন্য ব্যবহৃত হয়।\nআল-আজহার মসজিদ এবং আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের \"প্রধান ইমাম\" বা \"ইমামের ইমাম\" (আরবী: الإمام الأكبر) একটি মর্যাদাকর সুন্নি ইসলাম শিরোনাম এবং মিশরের একটি বিখ্যাত সরকারি শিরোনাম। এটি কিছু মুসলিম দ্বারা ইসলামী আইনশাস্ত্রের জন্য সুন্নি ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃত্বকে নির্দেশ করে, বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক আশআরী ও মাতুরিদি ঐতিহ্যের অনুসারীদের উপর ইমামের প্রভাব একটি বড় প্রভাব রাখে, অথচ আতিয়ার ও সালাফিদের রক্ষাকর্মীরা তাদের নেতাদের খুঁজে বের করে। আরব উপদ্বীপে ইমাম এর ধারণা কোরআন থেকে উদ্ভূত। হজরত ইবরাহীমকে সফল আত্মত্যাগের পর ইমাম হিসাবে উন্নীত করা হয়। বিচারের দিনে প্রত্যেক ব্যক্তি তার ইমামকে ডাকবে। এবং একটি ইমামই মুবীন যিনি পবিত্র গ্রন্থের শিক্ষা অনুযায়ী সমগ্র মহাবিশ্বের অন্তর্ভুক্ত। আল হাক্কি মিজান মিজানি সুফি আদেশের গ্র্যান্ড ইমামের জন্য শিরোনাম হল নোবল ইমপেরিয়াল শেখ।",
"title": "ইসলামি ধর্মীয় নেতা"
},
{
"docid": "4771#0",
"text": "আল্লাহ্ () একটি আরবি শব্দ, ইসলাম ধর্মানুযায়ী যার দ্বারা \"বিশ্বজগতের একমাত্র স্রষ্টা এবং প্রতিপালকের নাম\" বোঝায়। \"আল্লাহ\" শব্দটি প্রধানতঃ মুসলমানরাই ব্যবহার করে থাকেন। মূলতঃ “আল্লাহ্” নামটি ইসলাম ধর্মে বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তার সাধারণভাবে বহুল-ব্যবহৃত নাম; এটি ছাড়াও মুসলমানরা তাকে আরো কিছু নামে সম্বোধন করে থাকে যেমন খোদা। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনে আল্লাহর নিরানব্বইটি নামের কথা উল্লেখ আছে; তার মধ্যে কয়েকটি হল: সৃষ্টিকর্তা, ক্ষমাকারী, দয়ালু, অতিদয়ালু, বিচারদিনের মালিক, খাদ্যদাতা, বিশ্বজগতের মালিক প্রভৃতি।",
"title": "আল্লাহ"
},
{
"docid": "4771#5",
"text": "ইসলাম-পূর্ব আরবে পৌত্তলিক আরবরা একশ্বরবাদী ছিল না; তারা আল্লাহকে একক এবং অদ্বিতীয় মনে করতো না, বরং তার সাথে সঙ্গী-সাথী, এবং পুত্র-কন্যার ধারণা সংযুক্ত করেছিলো, যা ইসলামী যুগে সমূলে উৎপাটন করা হয়। ইসলামে \"আল্লাহ\" শব্দটি দ্বারা এক, অদ্বিতীয় এবং অবিনশ্বর ঈশ্বরের দিকে ইঙ্গিত করা হয়, এবং সমস্ত স্বর্গীয় গুণবাচক নামকে সেই একক সত্তার নাম বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়।\nইসলামী ভাষ্যনুযায়ী, \"আল্লাহ\" এক, অদ্বিতীয়, সমস্ত-জগৎের-সৃষ্টিকর্তা, সর্বত্র বিরাজমান, একক অধীশ্বর। এই কারণে বর্তমান-যুগের আরব-খ্রিস্টানেরা মুসলিমদের থেকে পার্থক্য সৃষ্টি করতে \"\" (, \"God the Father\" (অর্থাৎ, \"ঈশ্বর-পিতা\") শব্দ ব্যবহার করে। \nএমনভাবে কুরআনে বর্ণিত আল্লাহ শব্দার্থ, এবং হিব্রু বাইবেলে বর্ণিত আল্লাহ শব্দের অর্থে মিল এবং অমিল দুই-ই আছে।",
"title": "আল্লাহ"
},
{
"docid": "370400#27",
"text": "কুরআন শরীফ (القرآن) মুসলমানদের নিকট পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।\n“কুরান” বা “কুরআন” শব্দটি আরবী শব্দ, এই শব্দের উতপত্তি ও অর্থ নিয়ে বিশেষজ্ঞ আলেমদের মাঝে মতপার্থক্য আছে। কারো কারো মতে কুরান শব্দটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অবতীর্ন কিতাবের “আলাম” বা নির্ধারিত নাম, যেমন তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর দ্বারা নির্ধারিত তিনটি পৃথক পৃথক কিতাব বুঝানো হয়ে থাকে, কুরান দ্বারাও ঠিক তেমনি একটি নির্ধারিত কিতাব বুঝানো হয়ে থাকে। এই হিসাবে শব্দটি –আরবী ব্যকরন রীতি অনুযায়ী- অন্য কোন উতস-শব্দ থেকে “মুশতাক” বা উদ্ভুত শব্দ নয়। ইমাম শাফী র. এর মত এটা। \nআবার অন্য আলেমের মত এই যে, কুরান শব্দটি তার উতস-শব্দ থেকে “মুশতাক” বা উদ্ভুত একটি শব্দ। যারা এই মত প্রকাশ করেন তারা আবার কুরানের উতস-মুল বা মুল শব্দ নির্ধারনে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রদান করেছেনঃ কারো মতে কুরান শব্দটি আরবী “কারান” থেকে উদ্ভুত যার অর্থ যুক্ত করা, যেহেতু কুরানে বিভিন্ন আয়াত, সুরা একে অপরের সাথে যুক্ত তাই একে “কুরান” বলা হয়ে থাকে। আবার কারো মতে মুল শব্দ “কারান” নয়, বরং মুল শব্দ হচ্ছে “করায়া” যার অর্থ পড়া, এখানে আরবী ভাষার রীতি অনুযায়ি পড়া দ্বারা পঠিত গ্রন্থ বা কিতাবকে বুঝানো হয়েছে । কুরানের এই শেষোক্ত অর্থই বেশী পরিচিত -অর্থাৎ কুরানের শাব্দিক অর্থ “পঠিত কিতাব”। “কুরান আল্লাহর কালাম, যা তার রাসুলের উপর অবতীর্ন হয়েছে, যার অনুরুপ কুরান পেশ করতে সবাই অক্ষম, যার তেলাওয়াত ইবাতাদ, যা “মুতাওয়াতির” বা অকাট্যভাবে বর্নিত, যা মুসহাফে লিখিত, যার শুরু হয়েছে সুরা ফাতিহা দিয়ে আর শেষ হয়েছে সুরা নাসের মাধ্যমে”। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের(সাঃ) নিকট অবতীর্ণ হয়। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি বা ৬,৬৬৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরয়ানের যে আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে তা হল:\nআরবি ব্যাকরণে \"কুরআন\" শব্দটি মাসদার তথা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি قرأ \"ক্বরা'আ\" ক্রিয়া পদ থেকে এসেছে যার অর্থ \"পাঠ করা\" বা \"আবৃত্তি করা\"। এই ক্রিয়াপদটিকেই কুরআন নামের মূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই শব্দটির মিটার বা \"মাসদার\" (الوزن) হচ্ছে غفران তথা \"গুফরান\"। এর অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত ভাব, অধ্যবসায় বা কর্ম সম্পাদনার মধ্যে একাগ্রতা। উদাহরণস্বরুপ, غفر নামক ক্রিয়ার অর্থ হচ্ছে \"ক্ষমা করা\"; কিন্তু এর আরেকটি মাসদার রয়েছে যার যা হলো غفران, এই মাসদারটি মূল অর্থের সাথে একত্রিত করলে দাঁড়ায় ক্ষমা করার কর্মে বিশেষ একাগ্রতা বা অতি তৎপর বা অতিরিক্ত ভাব। সেদিক থেকে কুরআন অর্থ কেবল পাঠ করা বা আবৃত্তি করা নয় বরং আরেকটি অর্থ হচ্ছে একাগ্র ভঙ্গীতে পাঠ বা আবৃত্তি করা। কুরআনের মধ্যেও এই অর্থেই কুরআন শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। কুরআনের সূরা আল-কিয়ামাহ্ (৭৫ নং সূরা) ১৮ নং আয়াতে এই শব্দটি উল্লেখিত আছে:",
"title": "ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "570366#1",
"text": "ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মবিশ্বাসমতে, একজন ব্যক্তিকে ইসলামে প্রবেশ করতে হলে কিছু মৌলিক বিষয়াদির প্রতি তাঁকে নিঃশর্ত বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। এ সকল বিষয় দ্বিধাহীন চিত্তে অন্তরে ধারণ ও মুখে স্বীকার করার মাধ্যমেই ব্যক্তি ইসলামে দীক্ষিত হতে পারেন এবং তাঁকে 'মুসলিম' নামে অভিহিত করা যায়। এ সকল বিশ্বাসকে ইসলামি পরিভাষায় 'আকাইদ' (বিশ্বাসমালা) বলা হয়। 'আকাইদ' একটি আরবি শব্দ, যা বহুবচনের রূপ। একবচনে শব্দটির রূপ দাঁড়ায় 'আকিদাহ' বা 'আকিদা'। ইসলাম ধর্ম শিক্ষা শাস্ত্রে একজন ব্যক্তিকে প্রাথমিক ও মুখ্যভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আকিদা বিষয়ক অধ্যায়সমূহের পাঠ দেয়া হয়ে থাকে।",
"title": "ইসলাম শিক্ষা"
},
{
"docid": "570366#5",
"text": "'তাওহীদ' আরবি শব্দ। এর অর্থ 'একত্ববাদ'। ইসলামধর্মে বিশ্বাস করা হয়, এই সুবিশাল বিশ্বজগতের একজন এবং কেবল মাত্র একজন স্রষ্টা বা প্রভু আছেন; তাই জগতের সমস্ত আরাধনা ও উপাসনার একমাত্র অধিকারী সেই একমাত্র মহান সত্তা; যিনি গুণে-মানে ও মর্যাদায় এক ও অনন্য; আর সেই মহীয়ান একমাত্র প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ তাআলা। এই বিশ্বাসকেই ইসলাম ধর্মে 'তাওহীদ' নামে অভিহিত করা হয়। ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক, ইসলাম ধর্মের সমস্ত বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের মূল ভিত্তি এই তাওহীদ। তাওহীদ ঈমানের মূল ভিত্তি। ইসলামের সকল ধর্মীয় ও জনকল্যাণমূলক কার্যাবলি তাওহীদকে ঘিরে আবর্তিত হয়। স্বভাবতই, ইসলাম শিক্ষা শাস্ত্রে তাওহীদ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অধীত হয়।",
"title": "ইসলাম শিক্ষা"
},
{
"docid": "28826#0",
"text": "সালব (صلب) একটি আরবি শব্দ যার অর্থ ক্রুশ বিদ্ধ করে প্রাণ বধ করা। ইসলাম ধর্ম অনুসারে এটি একটি অপরাধমূলক শাস্তি। এই ব্যবস্থায় অপরাধীর জীবিত বা মৃতদেহ কড়ি কাঠ বা গাছের গুঁড়ির সাথে ক্রুশবিদ্ধ করে প্রাণদন্ড দেয়া হয়। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে পারস্য, রোমান সহ আরো অনেক সভ্যতায় রাষ্ট্রদোহী ,বিদ্রোহী, ডাকাত এদের জন্য শাস্তি হিসেবে ক্রুশবিদ্ধকরণ প্রচলিত ছিল। পবিত্র কুরআনের ছয়টি স্থানে এই শাস্তির উল্লেখ আছে। দুইটি হাদীসে আছে যে হযরত মুহাম্মদ সাঃ ক্রুশে বিদ্ধ করে প্রাণ বধ কার্যকর করেন (আবু দাউদ)। তবে পরবর্তীতে তুর্কী এবং পারসিক রীতি তে সালব শব্দটি দ্বারা ফাঁসি দেয়া বুঝানো হোতো।",
"title": "সালব"
}
] |
আফগানিস্তানের মোট আয়তন কত ? | [
{
"docid": "16375#1",
"text": "আফগানিস্তানের উত্তর সীমানায় তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান; পূর্বে চীন এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর; দক্ষিণে পাকিস্তান এবং পশ্চিমে ইরান।\nদেশটির আয়তন ৬৫২,২২৫ বর্গ কিমি (২৫১,৮২৫ বর্গমাইল)। পূর্ব-পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১,২৪০ কিমি (৭৭০ মাইল); উত্তর-দক্ষিণে সর্বোচ্চ ১,০১৫ কিমি (৬৩০ মাইল)। উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম ও দক্ষিণের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি মূলত মরুভূমি ও পর্বতশ্রেণী। উত্তর-পূর্বে দেশটি ধীরে ধীরে উঁচু হয়ে হিমবাহ-আবৃত পশ্চিম হিমালয়ের হিন্দুকুশ পর্বতের সাথে মিশে গেছে। আমু দরিয়া নদী ও এর উপনদী পাঞ্জ দেশটির উত্তর সীমান্ত নির্ধারণ করেছে।",
"title": "আফগানিস্তানের ভূগোল"
},
{
"docid": "1163#23",
"text": "আফগানিস্তানের উত্তর সীমানায় তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান; পূর্বে চীন এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর; দক্ষিণে পাকিস্তান এবং পশ্চিমে ইরান।\nদেশটির আয়তন ৬৫২,২২৫ বর্গ কিমি (২৫১,৮২৫ বর্গমাইল)। পূর্ব-পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১,২৪০ কিমি (৭৭০ মাইল); উত্তর-দক্ষিণে সর্বোচ্চ ১,০১৫ কিমি (৬৩০ মাইল)। উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম ও দক্ষিণের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি মূলত মরুভূমি ও পর্বতশ্রেণী। উত্তর-পূর্বে দেশটি ধীরে ধীরে উঁচু হয়ে হিমবাহ-আবৃত পশ্চিম হিমালয়ের হিন্দুকুশ পর্বতের সাথে মিশে গেছে। আমু দরিয়া নদী ও এর উপনদী পাঞ্জ দেশটির উত্তর সীমান্ত নির্ধারণ করেছে।",
"title": "আফগানিস্তান"
},
{
"docid": "16375#0",
"text": "আফগানিস্তান এশিয়া মহাদেশের কেন্দ্রে, ইরানীয় মালভূমির ওপর অবস্থিত একটি দেশ। দেশটির আয়তন ৬৪৭,৫০০ বর্গকিলোমিটার। দেশটি স্থলবেষ্টিত ও পর্বতময়। হিন্দু কুশ পর্বতমালার অধিকাংশই এই দেশে অবস্থিত। দেশটিতে চারটি প্রধান নদী আছে: আমু দরিয়া, হারি রুদ, কাবুল নদী এবং হেলমন্দ নদী।",
"title": "আফগানিস্তানের ভূগোল"
}
] | [
{
"docid": "1163#35",
"text": "২০০৩ সালে আফগানিস্তানের মোট শ্রমিক সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষিকাজ বা পশুপালনের সাথে জড়িত। যুদ্ধের কারণে আরও অনেক ধরনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বেকারত্ব এবং দক্ষ শ্রমিক ও প্রশাসকের অভাব সবচেয়ে বড় সমস্যা।",
"title": "আফগানিস্তান"
},
{
"docid": "1163#49",
"text": "আফগানিস্তানের রপ্তানিকৃত দ্রব্যের মধ্যে শুকনা ফল ও বাদাম, হস্তনির্মিত কার্পেট, পশম, তুলা, চামড়া, ও নানা ধরনের মণিপাথর প্রধান। আফগানিস্তান বিদেশ থেকে খাদ্য, মোটর যান, পেট্রোলিয়াম, ও কাপড় আমদানি করে। সোভিয়েত রাশিয়া ১৯৭৯-এর সোভিয়েত আগ্রাসনের অনেক আগে থেকেই আফগানিস্তানের প্রধান বাণিজ্যবন্ধু ছিল। ১৯৮০-এর দশকে এই বন্ধুত্ব তীব্রতা পায়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলি, পাকিস্তান, ভারত, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি আফগান পণ্যের প্রধান ক্রেতায় পরিণত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের সাথে বাণিজ্য স্থগিত রেখেছিল। ২০০০ সালে আফগানিস্তানের মোট রপ্তানি ছিল ১২৫ মিলিয়ন ডলার এবং আমদানির মোট পরিমাণ ছিল ৫২৪ মিলিয়ন ডলার।",
"title": "আফগানিস্তান"
},
{
"docid": "1163#56",
"text": "আফগানিস্তানের জনগণ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীতে বিভক্ত। এই জাতিগুলির কতগুলি আবার আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলিতে বসবাস করে। পশতুন জাতি আফগানিস্তানের বৃহত্তম জাতি। তারা বহুদিন ধরে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় ছিল। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহারের পর তাজিক, উজবেক, হাজারা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগুলির একটি কোয়ালিশন সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে ১৯৯৬ সালে তালেবানেরা ক্ষমতা দখল করে পশতুন আধিপত্য পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে।",
"title": "আফগানিস্তান"
},
{
"docid": "453670#3",
"text": "কৃষিক্ষেত্রে ২৬% উজবেক কাজ করে এবং ২০১২ সালের তথ্য মোতাবেক মোট জিডিপি’র ১৮% ছিল। চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মোট আয়তনের ১০% বা ৪.৪ মিলিয়ন হেক্টর। বেকারত্বের হার খুবই কম। গ্রামাঞ্চলে এ হার ২০%। তুলা উৎপাদনকালীন সময়ে ছাত্র-শিক্ষক মাঠে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাংকনোট ছাপানোয় উজবেকিস্তানের তুলা ব্যবহার করা হয়। উজবেকিস্তানে শিশুশ্রম বিক্রয়ের কারণে তেস্কো, সিএন্ডএ, মার্কস এন্ড স্পেন্সার, গ্যাপ ও এইচএন্ডএম উজবেক তুলা ব্যবহার করে না। দেশের প্রধান রপ্তানী পণ্য হিসেবে রয়েছে স্বর্ণ ও তুলা।",
"title": "উজবেকিস্তানের অর্থনীতি"
},
{
"docid": "1163#42",
"text": "২০০৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা (United States Geological Survey বা USGS) প্রাক্কলন করে যে উত্তর আফগানিস্তানে গড়ে ২৯০ শত কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত খনিজ তেল, ১৫.৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ৫৬ কোটি ব্যারেল প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রাপ্ত তরল আছে।",
"title": "আফগানিস্তান"
},
{
"docid": "1163#46",
"text": "২০০৭ সালে চীনের ধাতুগলন গোষ্ঠী নামক সংস্থাকে ৩ শত কোটি টাকার বিনিময়ে ৩০ বছরের জন্য আইনাক তামার খনিটি ভাড়া দেওয়া হয়। এটি আফগানিস্তানের ইতিহাসে বৃহত্তম বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ ও বেসরকারী ব্যবসা প্রকল্প। ভারতের রাষ্ট্র-পরিচালিত ইস্পাত প্রশাসন কেন্দ্রীয় আফগানিস্তানের হাজিগাক গিরিপথে অবস্থিত বিশাল লৌহ আকরিকের খনিটি খননকাজের অধিকার অর্জন করে। আফগানিস্তানের সরকারী কর্মকর্তারা অনুমান করেন যে দেশটির ৩০% অব্যবহৃত খনিজ সম্পদের মূল্য কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। একজন কর্মকর্তার মতে খনিজ সম্পদ আফগান অর্থনীতির মেরুদণ্ডে পরিণত হবে।",
"title": "আফগানিস্তান"
},
{
"docid": "1163#55",
"text": "২০০৬ সালে আফগানিস্তানের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধরা হয় ২.৬৭%। আফগানিস্তানের শিশু মৃত্যুর হার বিশ্বে সর্বোচ্চ - ১০০০-এ ১৬০ টি শিশু জন্মেই মারা যায়। এখানে গড় আয়ুষ্কাল ৪৩ বছর। আফগানিস্তানের প্রায় ৭৭ শতাংশ লোক গ্রামে বসবাস করেন। শহরবাসীর অর্ধেক থাকেন রাজধানী কাবুলে।",
"title": "আফগানিস্তান"
}
] |
যুক্তরাষ্ট্রের একজন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক স্টিভ জবস কি অ্যাপল কোম্পানিটির সহ- প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ? | [
{
"docid": "6672#0",
"text": "স্টিভ জবস (পুরোনাম: স্টিভেন পল জবস) () (জন্ম ফেব্রুয়ারি ২৪, ১৯৫৫, মৃত্যু ৫ অক্টোবর ২০১১) যুক্তরাষ্ট্রের একজন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক। তাকে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়। তিনি স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন -এর সাথে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে \"অ্যাপল কম্পিউটার\" প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি \"পিক্সার এ্যানিমেশন স্টুডিওস\"-এরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ১৯৮৫ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের \"বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের\" সদস্যদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের থেকে পদত্যাগ করেন এবং নেক্সট কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার নেক্সট কম্পিউটারকে কিনে নিলে তিনি অ্যাপলে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯৫ সালে \"টয় স্টোরি\" নামের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "6672#23",
"text": "১৯৯৬ সালে, অ্যাপল নেক্সটকে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ক্রয়ের ঘোষণা দেয়। ১৯৯৬ সালের শেষ দিকে লেনদেন চূড়ান্ত হয়। এর মাধ্যমে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জবসের কোম্পানিটিতে প্রত্যাগমন ঘটে। ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে, অ্যাপলের তত্কালীন প্রধান নির্বাহী গিল আমেলিওকে উচ্ছেদ করা হলে জবস কার্যত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেপ্টেম্বরে তিনি অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহীর পদ পেয়ে যান। ১৯৯৮ সালের মার্চে, অ্যাপলকে পুনরায় লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করা প্রচেষ্টা হিসেবে জবস নিউটন, সাইবারডগ এবং ওপেনডকের মত কিছু প্রকল্প বন্ধ করে দেন। জবস ম্যাকিন্টস ক্লোনের লাইসেন্সকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনেন, তিনি এটিকে প্রস্তুতকারকদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল করে দেন।",
"title": "স্টিভ জবস"
}
] | [
{
"docid": "4201#3",
"text": "আরও কিছু নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের চাকরি ছাড়তে লাগলেন। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গিল এমেলিও নেক্সট ক্রয় করে স্টিভ জবসকে ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত এটা চলতেই থাকলো। জব আসার অই কোম্পানিতে তার নেতৃত্ব ফিরে পান ও কিছুদিন পরেই কোম্পানির নতুন সিইওতে পরিণত হন। অ্যাপলের পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্যে তিনি একটি প্রক্রিয়া হাতে নেন, যার মধ্যে ছিলো ২০০১ সালের মধ্যে অ্যাপলের নিজস্ব রিটেল স্টোর খোলা, অনেকগুলো সফটওয়্যার কোম্পানি অধিগ্রহণ করে একটি পোর্টফলিও তৈরি করা, এবং তাদের কম্পিউটারের কিছু হার্ডওয়্যারে পরিবর্তন আনা। এ প্রক্রিয়ার কারণে অ্যাপল আবার সফলতার দেখা ফেলো। জানুয়ারি ২০০৭ সালে, জবস ঘোষণা দেন যে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের প্রতি তাদের আগ্রহ প্রকাশ করতে অ্যাপল কম্পিউটার, ইনকর্পোরেটেড পালটে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড হবে বলে ঘোষণা দেন। একইসাথে তিনি আইফোনের ঘোষণা দেন, যেটি বেশ প্রশংসা অর্জন করে ও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সফলতার দেখা পায়। স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে আগস্ট ২০১১ সালে জবস প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন এবং টিম কুক হন নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার দুমাস পরে, জবস মারা যান।",
"title": "অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড"
},
{
"docid": "6672#17",
"text": "অ্যাপল থেকে পদত্যাগের পর ১৯৮৫ সালে ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে জবস প্রতিষ্ঠা করেন নেক্সট ইনকর্পোরেটেড (NeXt Inc.)। এক বছর পর তার অর্থ সংকট দেখা দেয়, তার কোন পণ্যও ছিলনা, ফলে তাকে বিনিয়োগকারীদের সরণাপন্ন হতে হয়। তিনি বিলিয়নিয়ার রস পেরটের মনোযোগ আকর্ষণ করেন, যিনি কোম্পানিতে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেন। নেক্সট ওয়ার্কস্টেশন অবমুক্ত হয় ১৯৯০ সালে, এর মূল্য ছিল ৯,৯৯৯ মার্কিন ডলার। অ্যপল লিসার মত নেক্সট ওয়ার্কস্টেশনও প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রবর্তী ছিল। শিক্ষাখাতের জন্য ডিজাইন করা হলেও, অধিক মূল্যের কারণে এটি বাজারে সুবিধা করতে পারেনি। জবস নেক্সটের পণ্য বাজারজাত করেন অর্থনৈতিক, গবেষণা এবং শিক্ষাখাতের জন্য। এতে ছিল নতুন ধরণের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, যার মধ্যে ম্যাখ কার্নেল, ডিজিটাল সিগনাল প্রসেসর চিপ এবং বিল্ট-ইন ইথারনেট পোর্ট উল্লেখযোগ্য। টিম বার্নার্স-লি সার্ন গবেষণা কেন্দ্রে একটি নেক্সট কম্পিউটারেঈ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবন করেছিলেন।",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "6672#18",
"text": "সংশোধিত দ্বিতীয় প্রজন্মের নেক্সটকিউবও ১৯৯০ সালে অবমুক্ত হয়। জবস এটিকে প্রথম ইন্টারপার্সোনাল কম্পিউটার হিসেবে ঘোষণা করেন। এটিতে ছিল নেক্সটমেইল নামক মাল্টিমিডিয়া ইমেইল প্রযুক্তি। নেক্সটকিউবের মাধ্যমে ইমেইলের সাথে প্রথমবারের মত ভয়েস, চিত্র, গ্রাফিক্স এবং ভিডিও চিত্র আদান প্রদানের সুবিধা চালু হয়। জবস সাংবাদিকদের বলন, “ইন্টারপার্সোনাল কম্পিউটার মানুষের যোগাযোগ এবং দলীয় কাজকর্মে বিপ্লব বয়ে আনবে।” ১৯৯৪ সালে কোম্পানি থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে তাদের ১.০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জিত হয়েছে। ১৯৯৬ সালে নেক্সট সফটওয়্যার ইনকপোরেটেড অবমুক্ত করে ওয়েবঅবজক্টস, যা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্টের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক। ১৯৯৭ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক নেক্সট অধিগ্রহনের পর ওয়েবঅবজেক্টস ব্যবহৃত হয় অ্যাপল স্টোর, মোবাইলমি সেবা, এবং আইটিউনস স্টোর তৈরি এবং পরিচালনায়।",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "6672#11",
"text": "১৯৭৬ সালে ওজনিয়াক একক প্রচেষ্টায় অ্যাপল ১ কম্পিউটার উদ্ভাবন করেন। ওজনিয়াক কম্পিউটারটি জবসকে দেখালে, জবস তা বিক্রয় করার পরামর্শ দেন। তখন তারা এটিকে বিক্রয়ের জন্য রোনাল্ড ওয়েনকে সাথে নিয়ে জবসের গ্যারেজে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েন অল্প কিছু দিন ছিলেন। অতঃপর তিনি জবস এবং ওজনিয়াককে ছেড়ে চলে যান। অবশ্য, তিনিও ছিলেন অ্যাপলের প্রাথমিক সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ইন্টেলের তত্কালীন অর্ধ-অবসরপ্রাপ্ত পণ্য বিপণন ব্যবস্থাপক মাইক মার্ককুলা তাদেরকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "6672#14",
"text": "পরের বছর, অ্যাপল “১৯৮৪” শিরোনামে একটি সুপার বোল টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করে। ১৯৮৪ সালের ২৪ জানুয়ারি, অ্যাপলের অংশীদারদের বার্ষিক সভায় জবস ব্যাপকভাবে উত্সাহী দর্শকদের সামনে ম্যাকিন্টশ উন্মোচন করেন।\nজবস একজন প্ররোচনামূলক এবং সহজাত দক্ষতা সম্পন্ন পরিচালক হওয়া সত্ত্বেও, সে সময়ের তার কিছু কর্মচারী তাকে মেজাজী হিসেবে দেখতেন। বাজারে সুবিধা করতে না পারায় জবসের সাথে স্কালীর কাজের সম্পর্কে অবনতি ঘটে, যা তাদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরিণত হয়। জবস মধ্যরাতেও সভা চালিয়ে যান, লম্বা ফ্যাক্স পাঠান এবং সকাল ৭টায় নতুন সভা আহবান করেন।",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "6672#12",
"text": "১৯৭৮ সালে, অ্যাপল মাইক স্কটকে প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৮৩ সালে, জবস পেপসি-কোলার জন স্কালীকে অ্যাপলের প্রধান নিবাহী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের জন্য প্রলুব্ধ করেন। জবস তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কি তোমার জীবনের বাকিটা সময় চিনির পানীয় বিক্রয় করে কাটাতে চাও, নাকি আমার সাথে এসে বিশ্বকে বদলে দিতে চাও?”",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "6672#24",
"text": "নেক্সটকে কিনে নেওয়ার ফলে, এর অনেক পণ্য অ্যাপলের পণ্যে পরিণত হয়, যেমন নেক্সটস্টেপ হয়ে যায় ম্যাক ওএস এক্স। জবসের নির্দেশনার অধীনে, আইম্যাক এবং অন্যান্য নতুন কিছু পণ্য প্রবর্তনের পর কোম্পানিটি উল্লেখযোগ্যভাবে বাজারে জায়গা করে নিতে শুরু করে। এরপর থেকে, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং শক্তিশালী বিপণন ব্যবস্থা অ্যাপলের জন্য খুব ভালোভাবেই কাজ করতে থাকে। ২০০০ সালে ম্যাকওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে জবস দাপ্তরিকভাবে তার পদ থেকে “অন্তবর্তীকালীন” শব্দটি উঠিয়ে দেন এবং অ্যাপলের স্থায়ী প্রধান নির্বাহীতে পরিণত হন। জবস সে সময় ঠাট্টা করে বলেন যে তিনি “আইসিইও” শিরোনামটি ব্যবহার করবেন।\nবহনযোগ্য মিউজিক প্লেয়ার আইপড, আইটিউনস ডিজিটাল মিউজিক সফটওয়ার এবং আইটিউনস স্টোর চালু করার মাধ্যমে কোম্পানিটি ভোক্তা ইলেক্ট্রনিক্স এবং সঙ্গীত বিপণন বাজারে হানা দেয়। ২০০৭ সালের ২৭ জুন, আইফোন অবমুক্ত করার মাধ্যমে অ্যাপল সেলুলার ফোন ব্যবসা শুরু করে। আইফোন হল স্পর্শকাতর পর্দা সমৃদ্ধ একটি সেল ফোন, যার মধ্যে একটি আইপডের বৈশিষ্ট্যসমূহও রয়েছে এবং নিজস্ব মোবাইল ব্রাউজারের মাধ্যমে, এটি মোবাইল ব্রাউজিং এর দৃশ্যপটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বয়ে আনে।",
"title": "স্টিভ জবস"
},
{
"docid": "255685#2",
"text": "আইফোন নির্মাণের জন্য অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড ২০০৫ সাল থেকে কাজ শুরু করে। এসময় সাবেক সিইও স্টিভ জবস অ্যাপলের ইঞ্জিনিয়ারদের টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। তিনি বিশেষজ্ঞদের ট্যাবলেট পিসি আর মোবাইল ফোনের মধ্যে পার্থক্যের দিকে নজর দিতে বিশেষ গুরুত্ব দেন। ৩০ মাসের চুক্তিতে অ্যাপল টেলিকম কোম্পানি এটিএ্যান্ডটি-এর সাথে যৌথভাবে আইফোন নির্মাণ শুরু করে। স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি সানফ্রান্সিসকোতে প্রথম আইফোন অবমুক্ত করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আইফোন বিক্রি শুরু হয় ২৯ জুন ২০০৭। আইফোনের বিক্রির জনপ্রিয়তা দেখে সংবাদ মাধ্যম আইফোনকে \"জেসাস ফোন\" নামে ডাকা শুরু করে। নভেম্বর ২০০৭ থেকে ইউকে, ফ্রান্স এবং জার্মানিতে আইফোন বিক্রি শুরু হয়।",
"title": "আইফোন"
}
] |
'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থটি প্রথম কত সালে প্রকাশিত হয় ? | [
{
"docid": "63946#0",
"text": "গীতাঞ্জলি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ। এই বইয়ে মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা সংকলিত হয়েছে। কবিতাগুলি ব্রাহ্ম-ভাবাপন্ন ভক্তিমূলক রচনা। এর বেশিরভাগ কবিতাতেই রবীন্দ্রনাথ নিজে সুরারোপ করেছিলেন। ১৯০৮-০৯ সালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই কবিতাগুলি প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯১০ সালে \"গীতাঞ্জলি\" কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। \n১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথের \"সং অফারিংস\" (ইংরেজি: Song Offerings) কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এতে \"গীতাঞ্জলি\" ও সমসাময়িক আরও কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের কবিতা রবীন্দ্রনাথ নিজে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। ১৯১৩ সালে ইংরেজি কাব্যগ্রন্থটির জন্য রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।",
"title": "গীতাঞ্জলি"
},
{
"docid": "1528#15",
"text": "ইতোমধ্যেই অবশ্য বাংলা ও বহির্বঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯০১ সালে \"\" ও ১৯০৬ সালে \"\" কাব্যগ্রন্থের পর ১৯১০ সালে তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ \"গীতাঞ্জলি\" প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে \"গীতাঞ্জলি\" (ইংরেজি অনুবাদ, ১৯১২) কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুইডিশ অ্যাকাডেমি রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে 'স্যার' উপাধি (নাইটহুড) দেয়।",
"title": "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর"
}
] | [
{
"docid": "177624#0",
"text": "সং অফারিংস (ইংরেজি ভাষা: Song Offerings) নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাঙ্গালী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরচিত \"গীতাঞ্জলি\" (ইংরেজি ভাষা: \"Gitanjali\") কাব্যগ্রন্থের ইংরেজী অনুবাদ। এটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম সংকলনগ্রন্থ যা ১৯১২ ক্রিস্টাব্দে লন্ডনে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর কবিতাগুলি পাশ্চাত্যে খুবই সমাদৃত হয়। অনূদিত গ্রন্থটি প্রচ্ছদে Gitanjali (Song Offerings) নামাঙ্কিত। তবে ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে বাংলা \"গীতাঞ্জলি'র\" একচ্ছত্র আধিপত্য নেই। রবীন্দ্রনাথ মূল \"গীতাঞ্জলি'র\" ১৫৭টি গান/কবিতা থেকে ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে (Song Offerings) মাত্র ৫১টি স্থান দিয়েছেন। বাকি ৫২টি বেছে নিয়েছেন \"গীতিমাল্য\", \"নৈবেদ্য\", \"খেয়া\", \"শিশু\", \"কল্পনা\", \"চৈতালি\", \"উৎসর্গ\", \"স্মরণ\" ও \"অচলায়তন\" থেকে। গীতিমাল্য থেকে ১৬টি, নৈবেদ্য থেকে ১৫টি, খেয়া থেকে ১১টি, শিশু থেকে ৩টি, কল্পনা থেকে ১টি, চৈতালি থেকে ১টি, উৎসর্গ থেকে ১টি, স্মরণ থেকে ১টি এবং অচলায়তন থেকে ১টি কবিতা/গান নিয়ে তিনি ইংরেজি গীতাঞ্জলির বিন্যাস করেছেন। অর্থাৎ ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে মূল বাংলা \"গীতাঞ্জলি\" সহ মোট ৯টি গ্রন্থের কবিতা বা গানের সমাবেশ রয়েছে।",
"title": "সং অফারিংস (ইংরেজি গীতাঞ্জলি)"
},
{
"docid": "63946#2",
"text": "১৯০৮ সালের পূজার ছুটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে গিয়েছিলেন। ছুটির পর ফিরে শান্তিনিকেতনে একটানা পাঁচ মাস ছিলেন। এই সময় তিনি তাঁর বিখ্যাত \"শান্তিনিকেতন\" প্রবন্ধ গ্রন্থটি রচনা করেন। পরের বছর বর্ষা ও শরৎ কালে তিনি কিছুদিন শিলাইদহে গিয়েছিলেন। ফিরে কিছুদিন কলকাতায় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কাটান। \"গীতাঞ্জলি\" কাব্যগ্রন্থের কবিতা ও গানগুলি শিলাইদহ, শান্তিনিকেতন ও কলকাতায় রচিত হয়। জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ এই সময় কঠোর নিরামিশাষী ছিলেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশ্রম পরিচালনার আদেশগুলি এই সময় তিনি কঠোরভাবে মেনে চলতেন। এমনকি অসুস্থতার সময় ডাক্তার আমিষ খাওয়ার পরামর্শ দিলেও, তিনি তা শোনেননি।",
"title": "গীতাঞ্জলি"
},
{
"docid": "177624#1",
"text": "১৯১২ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে রবীন্দ্রনাথের জাহাজযোগে লণ্ডন যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রার পূর্বে তিনি অর্শ রোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পদ্মা নদীতে নৌকায় বিশ্রাম নিতে শুরু করেন। এ সময় তিনি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ থেকে সহজ ইংরেজিতে অনুবাদ শুরু করেন। পরবর্তীতে গীতাঞ্জলি ৫২টি এবং গীতিমাল্য, নৈবেদ্য, খেয়া প্রভৃতি আরো নয়টি কাব্যগন্থ থেকে ৫১টি - সর্বমোট ১০৩টি কবিতার অনুবাদ নিয়ে একটি পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। এই পাণ্ডুলিপি সঙ্গে করে রবীন্দ্রনাথ ২৭ মে ১৯১২ বোম্বাই বন্দর থেকে বিলেত যাত্রা করেন। যাত্রকালে আরো কিছু কবিতা অনুবাদ করে সংযোজন করেন। তিনি লন্ডনে পৌঁছান ১৬ জুন। এ সময় উইলিয়াম রোটেনস্টাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এবং পাণ্ডুলিপিটি তাকে দেয়া হয়। তিনি টাইপ করিয়ে পাণ্ডুলিপিটি কবি ইয়েটস সহ আরো কয়েকজন কাব্যবোদ্ধাকে প্রদান করেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে লণ্ডনে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। \"সঙ্গ অফরিংস\"-এর ভূমিকা লিখেছিলেন স্বয়ং কবি ইয়েটস্। এ ভূমিকাটি ছিল একই সঙ্গে আন্তরিক ও যথেষ্ট প্রশস্তিতমূলক।",
"title": "সং অফারিংস (ইংরেজি গীতাঞ্জলি)"
},
{
"docid": "63946#6",
"text": "গীতাঞ্জলি: সং অফারিংস (ইংরেজি: \"Gitanjali - Song Offerings\") ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম সংকলনগ্রন্থ। এর কবিতাগুলি পাশ্চাত্যে খুবই সমাদৃত হয়। কিন্তু গ্রন্থদুটির নাম অভিন্ন হলেও ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে বাংলা \"গীতাঞ্জলি'র\" একচ্ছত্র আধিপত্য নেই। রবীন্দ্রনাথ বাংলা \"গীতাঞ্জলি'র\" ১৫৭টি গান/কবিতা থেকে ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে (Song Offerings) মাত্র ৫৩টি স্থান দিয়েছেন। বাকি ৫০টি বেছে নিয়েছেন \"গীতিমাল্য\", \"নৈবেদ্য\", \"খেয়া\", \"শিশু\", \"কল্পনা\", \"চৈতালি\", \"উৎসর্গ\", \"স্মরণ\" ও \"অচলায়তন\" থেকে। গীতিমাল্য থেকে ১৬টি, নৈবেদ্য থেকে ১৫টি, খেয়া থেকে ১১টি, শিশু থেকে ৩টি, কল্পনা থেকে ১টি, চৈতালি থেকে ১টি, উৎসর্গ থেকে ১টি, স্মরণ থেকে ১টি এবং অচলায়তন থেকে ১টি কবিতা/গান নিয়ে তিনি ইংরেজি গীতাঞ্জলির বিন্যাস করেছেন। অর্থাৎ ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে তিনি মোট ৯টি গ্রন্থের কবিতা বা গানের সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন।\n১৯১২ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে রবীন্দ্রনাথের জাহাজযোগে লণ্ডন যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রার পূর্বে তিনি অর্শ রোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পদ্মা নদীতে নৌকায় বিশ্রাম নিতে শুরু করেন। এ সময় তিনি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ থেকে সহজ ইংরেজিতে অনুবাদ শুরু করেন। পরবর্তীকালে গীতাঞ্জলি ৫৩টি এবং গীতিমাল্য, নৈবেদ্য, খেয়া প্রভৃতি আরো নয়টি কাব্যগন্থ থেকে ৫০টি - সর্বমোট ১০৩টি কবিতার অনুবাদ নিয়ে একটি পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। এই পাণ্ডুলিপি সঙ্গে করে রবীন্দ্রনাথ \n২৭ মে ১৯১২ বোম্বাই বন্দর থেকে বিলেত যাত্রা করেন। যাত্রকালে আরো কিছু কবিতা অনুবাদ করে সংযোজন করেন। তিনি লন্ডনে পৌঁছান ১৬ জুন। এ সময় উইলিয়াম রোটেনস্টাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এবং পাণ্ডুলিপিটি তাকে দেয়া হয়। তিনি টাইপ করিয়ে পাণ্ডুলিপিটি কবি ইয়েটস সহ আরো কয়েকজন কাব্যবোদ্ধাকে প্রদান করেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে লণ্ডনে ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। \"সঙ্গ অফরিংস\"-এর ভূমিকা লিখেছিলেন স্বয়ং কবি ইয়েটস্। এ ভূমিকাটি ছিল একই সঙ্গে আন্তরিক ও যথেষ্ট প্রশস্তিতমূলক।",
"title": "গীতাঞ্জলি"
},
{
"docid": "63946#8",
"text": "১৯১২ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণের মুদ্রণ সংখ্যা ছিল ৭৫০। মূল্য সাড়ে চার শিলিং। এবং আমেরিকায় সোয়া এক ডলার। এতে কবি ইয়েটস-এর ভূমিকা এবং রটেনস্টেইন অঙ্কিত কবির একটি পেন্সিল স্কেচ প্রতিকৃতি সংযোজন করা হয়। পরে ম্যাকমিলান কোম্পানী এই গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ একযোগে লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশ করে। মূল্য কমিয়ে রাখা হয় ইংল্যান্ডে সাড়ে চার শিলিং এবং আমেরিকায় সোয়া এক ডলার। উল্লেখ্য যে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে ম্যাকমিলান কোম্পানী কর্তৃক প্রকাশিত সংস্করণটিকে প্রামাণ্য ধরা হয়। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত \"দি রেমিনিসেন্স\" অনুবাদ গ্রন্থটির শেষে প্রদত্ত বিজ্ঞাপন থেকে দেখা যায় যে ততোদিনে \"স্যার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর\"-এর \"গীতাঞ্জলি\"-র সাঁইত্রিশ সহস্রতম মুদ্রণ বাজারে ছাড়া হয়েছে।",
"title": "গীতাঞ্জলি"
},
{
"docid": "509496#2",
"text": "১৯১৪ সালের \"প্রবাসী\" পত্রিকার অগ্রহায়ণ সংখ্যায় ‘গীতিগুচ্ছ’ শিরোনামে \"গীতালি\" কাব্যগ্রন্থের ২৪টি গান মুদ্রিত হয়। \"আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে\" গানটি ছিল এই প্রকাশিত ২৪টি গানের অন্যতম। ১৯১৪ সালে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের \"গীতালি\" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত হয় এই গানটি। এটি উক্ত কাব্যের ১৮ সংখ্যক কবিতা। ১৯১৫ সালে ব্রাহ্মসমাজের ৮৫তম মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় আসেন। ২৫ জানুয়ারি (১১ মাঘ) মহর্ষিভবনের সান্ধ্য উপাসনায় ‘সায়ংকালের উদ্বোধন’ ও ‘সন্ধ্যার উপদেশ’ ভাষণের মাঝে যে দশটি গান গাওয়া হয়, তার মধ্যে পঞ্চম গানটি ছিল \"আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে\"। ওই বছর \"তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা\"-য় ফাল্গুন সংখ্যাতেও গানটি প্রকাশিত হয়। ১৯১৬ সালের \"আনন্দ সঙ্গীত পত্রিকা\"-র আশ্বিন-কার্তিক সংখ্যায় এই গানটি প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রজীবনীকার প্রশান্তকুমার পাল লিখেছেন, “শেষ গানদুটির (\"মোর মরণে তোমার হবে জয়\" ও \"আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে\") স্বরলিপিকারের নাম উল্লেখিত হয়নি। সম্ভবত ইন্দিরা দেবীর করা।” তবে গানটির মুদ্রিত স্বরলিপিতে স্বরলিপিকার হিসেবে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লিখিত হয়েছে। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের কবিতা-সংকলন \"সঞ্চয়িতা\" গ্রন্থে এই গানটি ‘পরশমণি’ শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়।",
"title": "আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে"
},
{
"docid": "197384#0",
"text": "অগ্নিবীণা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে (অক্টোবর, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ) প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা আছে। কবিতাগুলি হচ্ছে - ‘প্রলয়োল্লাস (কবিতা)’, ‘বিদ্রোহী’, ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’, ‘আগমণী’, ‘ধূমকেতু’, কামাল পাশা’, ‘আনোয়ার ‘রণভেরী’, ‘শাত-ইল-আরব’, খেয়াপারের তরণী’, কোরবানী’ ও মোহররম’। এছাড়া গ্রন্থটির সর্বাগ্রে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে উৎসর্গ করে লেখা একটি উৎসর্গ কবিতাও আছে। ‘অগ্নি-বীণা’ প্রচ্ছদপটের পরিকল্পনা ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এঁকেছিলেন তরুণ চিত্রশিল্পী বীরেশ্বর সেন। বইটির তৎকালীন মূল্য ছিল ৩ টাকা। ৭ নং প্রতাপ চ্যাটার্জি লেন থেকে গ্রন্থকার কর্তৃক গ্রন্থটি মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। প্রাপ্তিস্থান হিসেবে গ্রন্থে লেখা ছিল: 'আর্য পাবলিশিং হাউস, কলেজ স্ট্রিট, মার্কেট (দোতলায়)'। গ্রন্থটি ছাপা হয় মেটকাফ প্রেস, ৭৯ নং বলরাম দে স্ট্রিট, কলিকাতা থেকে। দাম এক টাকা। গ্রন্থটির উৎসর্গ হচ্ছে- “বাঙলার অগ্নিযুগের আদি পুরোহিত সাগ্নিক বীর শ্রীবারীন্দ্রকুমার ঘোষ শ্রীশ্রীচরণারবিন্দেষু”। নিচে লেখা আছে “তোমার অগ্নি-পূজারী -হে- মহিমাম্বিত শিষ্য-কাজী নজরুল ইসলাম”। অরবিন্দ ঘোষের ভ্রাতা বারীন্দ্রকুমার ঘোষ বাংলা তথা ভারতের বিপ্লববাদী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ছিলেন। বিপ্লবে বিশ্বাসী নজরুল তাই নিজেকে বারীন্দ্রকুমারের ‘-হে-মহিমান্বিত শিষ্য’ বলে উল্লেখ করে তাঁকেই তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।",
"title": "অগ্নিবীণা (কাব্যগ্রন্থ)"
},
{
"docid": "2047#30",
"text": "জীবনানন্দের কাব্যগ্রন্থসমূহের প্রকাশকাল সম্পর্কে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের একাধিক পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। নিচে কেবল প্রথম প্রকাশনার বৎসর উল্লিখিত। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে। এর দীর্ঘ কাল পর ১৯৩৬-এ প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ধূসর পাণ্ডুলিপি। ইত্যবসরে কবির মনোজগতে যেমন পরিবর্তন হয়েছে তেমনি রচনাকৌশলও অর্জন করেছে সংহতি এবং পরিপক্বতা। তাঁর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ বনলতা সেন প্রকাশিত হয় ১৯৪২-এ। এটি \"কবিতাভবন সংস্করণ\" নামে অভিহিত। সিগনেট প্রেস \"বনলতা সেন\" প্রকাশ করে ১৯৫২-তে। \"বনলতা সেন\" কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহ সহ পরবর্তী কবিতাগ্রন্থ মহাপৃথিবী ১৯৪৪-এ প্রকাশিত। জীবনানন্দর জীবদ্দশায় সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮)। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর কিছু আগে প্রকাশিত হয় জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা।",
"title": "জীবনানন্দ দাশ"
}
] |
দেমেত্রিয়া ডেভন লোভাটোর প্রথম গানের অ্যালবামের নাম কী ? | [
{
"docid": "442415#0",
"text": "দেমেত্রিয়া ডেভন লোভাটো (; উচ্চারণ:; জন্ম: ২০ আগস্ট ১৯৯২) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা এবং গীতিকার। বার্নি এন্ড ফ্রেন্ডসের ৭ম এবং ৮ম আসরে শিশু অভিনেত্রী হিসেবে টেলিভিশনে অভিষেকের পর, ২০০৮ সালে ডিজনি চ্যানেলের টেলিভিশন চলচ্চিত্র ক্যাম্প রকে অভিনয় করার মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছেন। একই সময় লোভাটো তার অভিষেক গান দিস ইজ মি প্রকাশ করেন, যেটি বিলবোর্ড হট ১০০-এ সর্বোচ্চ ৯ নম্বর স্থান অধিকার করে। ক্যাম্প রক চলচ্চিত্রটির এবং এর সাউণ্ড-ট্রেকের সফলতার ফলে হলিউড রেকর্ডস লোভাটোর সাথে একটি রেকর্ডিং চুক্তি স্বাক্ষর করে। তার অভিষেক অ্যালবাম, ডোন্ট ফরগেট (২০০৮), আমেরিকার বিলবোর্ড ২০০-এর ২ নম্বর স্থানে অভিষেক করে। একই বছর, লোভাটো ডিজনি চ্যানেলের টেলিভিশন সিরিজ সনি উইথ এ চান্সে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং তার দ্বিতীয় বার্ষিক অ্যালবাম, হেয়ার উই গো অ্যাগেইন প্রকাশ করেন, যেটি \"বিলবোর্ড ২০০\"-এ শীর্ষ স্থান দখল করা তার প্রথম অ্যালবামে পরিণত হয়।",
"title": "ডেমি লোভাটো"
},
{
"docid": "442415#8",
"text": "লোভাটোর অভিষেক অ্যালবাম, ডোন্ট ফরগেট, ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়, এবং সাধারণত সমালোচকরা ইতিবাচক রিভিউ প্রদান করেছিলন। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলির মাইকেল স্লেজাক বলেন, \"ডেমি লোভটো হতে পারে তার ভক্তদের পরিতৃপ্ত করতে পেরেছেন কিন্তু তিনি ডোন্ট ফরগেটের মাধ্যমে কোনো রকার জয়লাভ করতে পারবেন না\"। উক্ত অ্যালবামটি বিলবোর্ড ২০০-এ ২ নম্বর স্থানে অভিষেক করে, প্রথম সপ্তাহে এই অ্যালবামটির ৮৯,০০০ কপি বিক্রি হয়েছিল। এর গানগুলোর মধ্যে ১০টি গানে সহযোগী-লেখক হিসেবে সাথে ছিল জোনাস ব্রাদার্স। \"ডোন্ট ফরগেট\" আমেরিকায় ৫০০,০০০ কপির বেশী বিক্রি হবার ফলে রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা (আরআইএএ) দ্বারা গোল্ড হিসেবে প্রত্যয়িত হয়েছিল। এর প্রধান গান, গেট ব্যাক, এর পপ রক শৈলীর জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছিল, এবং বিলবোর্ড হট ১০০-এ সর্বোচ্চ ৪৩ নম্বর স্থান অধিকার করেছিল। শুধু এই গানটি আমেরিকায় ৫৬০,০০০ কপির বেশী বিক্রি হয়েছিল। এই অ্যালবামের দ্বিতীয় গান, লা লা ল্যান্ড, এর শক্ত রক উপাদানের জন্য উদাহৃত হয়েছিল এবং \"বিলবোর্ড হট ১০০\"-এ সর্বোচ্চ ৫২ নম্বর স্থান অধিকার করেছিল। একই সাথে এই গানটি আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে শীর্ষ ৪০-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। উক্ত গানের চিত্রসঙ্গীতটি ব্রেন্ডন মালোয় এবং টিম উইলার পরিচালনা করেন।",
"title": "ডেমি লোভাটো"
}
] | [
{
"docid": "442415#15",
"text": "১১ জুনে, লোভাটো আইবুকসে \"ডেমি\" নামে একটি ই-বুক প্রকাশ করে। \"ডেমি\" অ্যালবামে তার প্রধান গান, হার্ট এটাক, বিলবোর্ড হট১০০-এ ১২ নম্বর স্থানে অভিষেক করে। এই গানটি প্রকাশের প্রথম সপ্তাহে ২১৫,০০০ কপির বেশী বিক্রিত হয়েছিল। এই গানটি পরিশেষে শীর্ষ ১০-এর মধ্যে অবস্থান করে (যেটি মার্কিন টপ ১০-এ লোভাটোর তৃতীয় উপস্থিতি)। এই গানটি একই সাথে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপেও সফলতা অর্জন করে। এই অ্যালবামের দ্বিতীয় গান, ম্যাড ইন দ্য ইউএসএ \"বিলবোর্ড হট ১০০\"-এর সর্বোচ্চ ৮০ নম্বর স্থান দখল করে। \"ডেমি\" অ্যালবামের তৃতীয় গান, নিয়ন লাইটস, \"বিলবোর্ড হট ১০০\"-এর সর্বোচ্চ ৩৬ নম্বর স্থান দখল করে এবং মার্কিন হট ডান্স ক্লাব সঙ্গীতে ১ নম্বর স্থান দখল করে। এই অ্যালবামের চতুর্থ গান; র্যালি ডোন্ট কেয়ারে লোভাটোর সাথে শের লয়েড গান পরিবেশন করেছেন, এই গানটি লোভাটোর তৃতীয় গান হিসেবে \"ইউএস ডান্স চার্ট\"-এ উপস্থিত হয়েছে এবং \"বিলবোর্ড হট ১০০\"-এর ৯৮ নম্বর স্থানে অভিষেক করে, অতঃপর সর্বোচ্চ ২৬ নম্বর স্থানে ক্রমবর্ধমান হয়েছে।",
"title": "ডেমি লোভাটো"
},
{
"docid": "442415#10",
"text": "লোভাটোর দ্বিতীয় অ্যালবাম, হেয়ার উই গো অ্যাগেইন, ২০০৯ সালে ২১ জুলাই প্রকাশিত হয়; তিনি একে বিশ্লেষণ করে এই বলে যে এটি জন মায়্যারের শাব্দ শৈলীর অনুরূপ। এই অ্যালবামটি সমালোচকদের কাছ থেকে অনুকূল রিভিউ গ্রহণ করে, সমালোচকরা এই গানের উপভোগ্য পপ-রক উপাদানকে উপলব্ধ করেন, অনেকটা ডোন্ট ফরগেটের রিভিউর মতোই। লোভাটোর প্রথম ১ নম্বর অ্যালবাম হিসেবে এই অ্যালবামটি \"বিলবোর্ড ২০০-এ অভিষেক করে, এই অ্যালবামটি প্রথম সপ্তাহে ১০৮,০০০ কপি বিক্রিত হয়। এই অ্যালবামটি প্রকাশের পূর্বে, তিনি \"গ্রীষ্ম ট্যুর ২০০৯\" নামক একটি সফর শুরু করেন। এই অ্যালবামের প্রধান গান, হেয়ার উই গো অ্যাগেইন বিলবোর্ড হট ১০০-এ প্রথমে সর্বোচ্চ ৫৯ নম্বর স্থান অধিকার করে এবং পরিশেষে এটি সর্বোচ্চ ১৫ নম্বর পর্যন্ত উঠে, এই গানটি লোভাটোর সর্বকালের সর্বোচ্চ স্থান অধিকারী গানে পরিণত হয়। অন্যদিকে কানাডিয়ান হট ১০০-এ এই গানটি সর্বোচ্চ ৬৮ নম্বর এবং নিউজিল্যান্ডে সর্বোচ্চ ৩৮ নম্বর স্থান দখল করে। এই অ্যালবামের দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ গান, রিমেম্বার ডিসেম্বর এর পূর্বসূরী গানগুলোর সফলতাকে অর্জন করতে সক্ষম হয়নি, কিন্তু এটি যুক্তরাজ্য সিঙ্গেলস চার্টে ৮০ নম্বর স্থান অধিকার করে।\nলোভাটো \"হেয়ার উই গো অ্যাগেইন\" অ্যালবামকে সমর্থন করার জন্য ৪০টি শহরে সরাসরি কনসার্ট করার মাধ্যমে তার প্রথম কনসার্টের সফর করেন। এই ট্যুরটি ২০০৯ সালে ২১ জুন শুরু হয় এবং ২১ আগস্ট শেষ হয়। এই ট্যুরের উদ্বোধনী গানে ডেভিড আরচুলেটা, কেএসএম এবং জর্ডান প্রুইট গান পরিবেশন করেন। এই ট্যুরের একসাথে গান পরিবেশন করার মাধ্যমে লোভাটো এবং আরচুলেটা ২০০৯ টিন চয়েস পুরস্কারে \"চয়েস মিউজিক ট্যুর\" পুরস্কার জয়লাভ করেন। ২০১০ সালে মার্চে, লোভাটো এবং জো জোন্স মেক এ ওয়েভ নামে ডিজনি ফ্রেন্ডস ফর চেঞ্জের জন্য দ্বিতীয় চ্যারিটি গান রেকর্ড করেন। একই বছর মে মাসে, গ্রে'স অ্যানাটমির ৬ষ্ঠ সিজনের \"শাইনি হ্যাপি পিউপল\" পর্বে একজন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত কিশোরীর চরিত্রে অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত হন। যদিও সমালোচকরা তাকে বহুমুখীভাবে প্রশংসা করেছেন, তারা লোভাটোর অভিনয়ে খুশী ছিলেন এবং মনে করেন যে তার উপস্থিতিটা দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরে একই বছরে, তিনি তার প্রথম আন্তর্জাতিক ট্যুরে শিরোনাম করেন, দক্ষিণ আমেরিকান ট্যুর, এবং জোনাস ব্রাদার্স লাইভ ইন কনসার্টে একজন অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।",
"title": "ডেমি লোভাটো"
},
{
"docid": "442415#24",
"text": "লোভাটোর তৃতীয় অ্যালবাম, আনব্রোকেনের উপর মন্তব্য করে রায়ান টেডার বলেন, \"ডেমির জল কণ্ঠস্বর আমাকে প্রবাহিত করে নিয়ে যায়! আমার তার কণ্ঠ সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না যে তার কণ্ঠ এতো ভালো হতে পারে। সে হচ্ছে আমার সাথে কাজ করা শিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গায়িকা। সোজাসুজি, এতো ভালো... আমি বলতে চাইতেছি যে, সে হচ্ছে কেলি ক্লার্কসনের লেবেলের গায়িকা। এবং কেলি একটি পাইপ স্থাপন করেছে।\" তিনি লোভাটোর চতুর্থ অ্যালবাম ডেমির একটি গান, নিয়ন লাইটে এক সাথে কাজ করা প্রসঙ্গে আরো মন্তব্য করেন এই বলে যে, \"লোভাটো, পপ সঙ্গীতে, সবচেয়ে বৃহত্তম পরিসরধারী গায়িকা। আমার সাথে কাজ করা সর্বোচ্চ পূর্ণ কণ্ঠ গায়িকা হতে পারে লোভাটো।\" \"অল্টার দ্য প্রেস\"-এর টামসিন উইলস ডেমিতে লোভাটোর কণ্ঠ সম্পর্কে বলেছেন, \"এটা দেখায় যে তার কণ্ঠটা কতটুকু শক্তিশালী এবং কতোগুলো শৈলী প্রকরণকে তিনি নিজেই সম্পূর্ণভাবে পূর্ণ করতে পারেন।\"",
"title": "ডেমি লোভাটো"
},
{
"docid": "442415#19",
"text": "লোভাটোর পঞ্চম অ্যালবাম, কনফিডেন্ট, ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়, এবং সাধারণত সঙ্গীত সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করে। এই অ্যালবামটি \"বিলবোর্ড ২০০\"-এ ২ নম্বর স্থানে অভিষেক করে এবং এটি এর প্রকাশের প্রথম সপ্তাহে ৯৮,০০০ কপি বিক্রিত হয়। এই অ্যালবামটি সৃষ্টি করার সময়, লোভাটো মন্তব্য করেন: \n২০১৬ সালের জুলাইয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২১১,০০০ কপির বেশী বিক্রিত হয়েছে এবং এই অ্যালবামটি আরআইএএ দ্বারা \"স্বর্ণ\" হিসেবে প্রত্যয়িত হয়েছ। ২০১৫ সালের মে মাসে, বিলবোর্ড প্রকাশ করে যে, \"শিল্পী-কেন্দ্রিক\" নতুন রেকর্ড লেবেল, সেফহাউস রেকর্ডসের সাথে লোভাটো সংযুক্ত রয়েছেন, যার সহ-মালিক হবেন তিনি। এই লেবেলটিতে লোভাটোর সাথে তার ম্যানেজার ফিল ম্যাকইন্টায়ার এবং নিক জোনাসের অংশীদারিত্ব রয়েছে, এবং এই লেবেলটি অন্য আরেকটি রেকর্ড লেবেল আইল্যান্ড রেকর্ডসের সাথে সহযোগী ব্যবস্থায় এক সাথে কাজ করার জন্য স্বাক্ষরিত হয়। \"কনফিডেন্ট\" এই নতুন উদ্যোগী লেনদেনের মাধ্যমেই প্রকাশ করার হয়েছিল। এই অ্যালবামটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বহু-লেবেল ভিত্তিক অ্যালবাম; তিনি পূর্বে \"জোনাস ব্রাদার্স\", একটি ইউএমজি / হলিউড / জোনাস ব্রাদার্সের অংশীদারিত্ব, যেটি বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।",
"title": "ডেমি লোভাটো"
},
{
"docid": "442415#14",
"text": "২০১৩ সালের ১০ মে লোভাটো তার চতুর্থ অ্যালবাম, ডেমি প্রকাশ করেন, তিনি এই অ্যালবামটি সিন্থপপ এবং বাবলগম পপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গান রেকর্ড করেছেন যা এই অ্যালবামের গানগুলোতে পরিলক্ষিত হয়। সমালোচকরা এই অ্যালবামটিকে সাধারণত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। যদিও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের জন কারমাইকেল এই অ্যালবামটিতে লোভাটোর মজার রুপান্তর লক্ষ্য করেছেন, এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি অনুযায়ী এই অ্যালবামটিতে কম পরিপক্ক প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। বিলবোর্ড ২০০-এ এই অ্যালবামটি ৩ নম্বর স্থানে অভিষেক করে, এটি এর প্রথম সপ্তাহে ১১০,০০০ কপিরও বেশী বিক্রিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে এটি লোভাটোর ক্যারিয়ারে প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে বেশী বিক্রিত অ্যালবামে পরিণত হয়। এই অ্যালবামটি আন্তর্জাতিকভাবেও সফলতা অর্জন করে, নিউজিল্যান্ড, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যর মতো দেশগুলোতে এই অ্যালবামটি শীর্ষ ১০-এর মধ্যে অবস্থান করেছিল, এবং এই অ্যালবামটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে \"স্বর্ণ\" হিসেবে প্রত্যয়িত হয়েছে।",
"title": "ডেমি লোভাটো"
},
{
"docid": "442415#13",
"text": "এই অ্যালবামের প্রধান গান, স্কাইস্ক্র্যাপার, এর স্ব মূল্য এবং বিশ্বাসের বার্তার জন্য সুপরিচিত হয়েছে। এই গানটি \"বিলবোর্ড ১০০\"-এর সর্বোচ্চ ১০ নম্বর স্থান অধিকার করে এবং এটিকে এর প্রকাশের প্রথম সপ্তাহে ১৭৬,০০০-ও বেশী বার ডাউনলোড করা হয়েছে, এর মাধ্যমে ২০১৩ সালে হার্ট এটাক প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত এই গানটি লোভাটোর সবচেয়ে বেশী বিক্রিত হওয়া গানে পরিণত হয়। এই গানটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত দিস ইজ মির পর (যেটি সর্বোচ্চ ৯ নম্বর স্থান অধিকার করেছিল) \"বিলবোর্ড ১০০\"-এ সর্বোচ্চ স্থান অধিকারী লোভাটোর দ্বিতীয় গান। একই সাথে এই গানটি হট ডিজিটাল গান চার্টে ২ নম্বর স্থানে অভিষেক করে। \"স্কাইস্ক্র্যাপার\" গানটি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ২০১২ এমটিভি ভিডিও মিউজিক পুরস্কারে \"সেরা বার্তাসহ ভিডিও পুরস্কার\" জয়লাভ করেন। এই অ্যালবামের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ গান, গিভ ইওর হার্ট এ ব্রেক, \"বিলবোর্ড ১০০-এ সর্বোচ্চ ১৬ নম্বর স্থান অধিকার করে, যেটি লোভাটোর চতুর্থ সর্বোচ্চ স্থান পাওয়া গানে পরিণত হয়। একই সাথে এই গানটি মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক টপ ৪০ চার্টে সর্বোচ্চ ১২ নম্বর স্থান, মার্কিন পপ সঙ্গীত চার্টে সর্বোচ্চ ১ নম্বর স্থান অর্জন কর এবং এর মাধ্যমে এই গানটি পপ সঙ্গীত চার্টের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ লাফ দিয়ে ১ নম্বর স্থান অর্জন করা গানে পরিণত হয়। ২০১৪ সালে এপ্রিলে, এই গানটি আরআইএএ দ্বারা ৩ বার প্ল্যাটিনাম দ্বারা প্রত্যয়িত হয়েছে; ২০১৪ সালের অক্টোবর অনুযায়ী, এই গানটির ২.১ মিলিয়ন ডিজিটাল কপি বিক্রিত হয়েছে।\nমে মাসে, তিনি দ্য এক্স ফ্যাক্টরের আমেরিকান সংস্করণের ২য় আসরের একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি এর জন্য ১ মিলিয়ন ডলারের বেতন পেয়েছেন। তিনি সেখানে ব্রিটনি স্পিয়ার্স, সাইমন কোয়েল এবং এল.এ. রিডের সাথে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন এটা ধারণা করা হয়েছিল যে, লোভাটোকে তরুণ দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য বিচারক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি সেখানে যুব প্রাপ্তবয়স্ক বিভাগের প্রতিযোগীদের পরামর্শ প্রদান করতেন, তার সর্বশেষ কাজ (সিসি ফ্রে) ৬ষ্ঠ স্থানে শেষ করে। আগস্ট মাসে মিনেসোটা রাজ্য উৎসবে, ২০১২ এমটিভি ভিডিও মিউজিক পুরস্কারের প্রাক-অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার পর লোভাটো ঘোষণা করেন যে, তিনি ডিসেম্বর মাস নাগাদ একটি গান প্রকাশ করতে পারেন। একই বছর ২৪ ডিসেম্বরে, স্যান্ডী হুক প্রাথমিক স্কুল শুটিংয়ে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে উৎসর্গ করে তার ইউটিউব চ্যানেলে তার গাওয়া গান এঞ্জেলস এমোং আসের ভিডিও প্রকাশ করেন। মার্চ মাসে, তিনি নিশ্চিত করে যে তিনি \"দ্য এক্স ফ্যাক্টর\"-এর ৩য় আসরে পুনরায় ফিরে আসছেন, যার জন্য তাকে পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ বেতন দেওয়া হয়।",
"title": "ডেমি লোভাটো"
},
{
"docid": "442415#23",
"text": "লোভাটো হচ্ছেন একজন সম্পূর্ণ সরু গীতধর্মী। তার ৪টি অষ্টকের কণ্ঠ্য পরিসীমা রয়েছে, ১ নোট এবং একটি সেমিটোন, বাঁশি নিবন্ধন এর অন্তর্ভুক্ত। ডিজিটাল স্পাইয়ের নিক লেভিনে লোভাটো প্রথম অ্যালবাম, ডোন্ট ফরগেটে তার কণ্ঠের উপর মন্তব্য করে বলেছেন, \"লোভাটো অবশ্যই জোনাসেসের থেকে একজন শক্তিশালী গায়িকা। আসলে, তার স্থূলকায় কণ্ঠ ক্রিয়াকলাপ ক্রমাগত চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠছে।\" আইডলেটরের বেকি ব্রেইন লোভাটো সম্পর্কে লিখেছেন, তার একটি ঘাতক কণ্ঠ রয়েছে এবং ভালো কিছুর জন্য এ-তালিকাভুক্ত উপাদান রয়েছে।\" দ্য হলিউড রিপোর্টারের সোফি স্কিলাচির মতে, \"লোভাটোর এমন একটি কণ্ঠ রয়েছে যা দ্বারা সে যেকোনো কঠোর সমালোচকের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে। এই শিল্পী আমি শুধুমাত্র মাঝেমাঝেই দেখতে পাই।\" লোভাটোর দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম, হেয়ার উই গো অ্যাগেইন সম্পর্কে দ্য বাফালো নিউজের জেফ মিয়ের্স লিখেছেন, \"তার অন্যান্য ডিজনির সহকর্মীদের মতো নয়, লোভাটো আসলেই খুব ভালো গান গাইতে পারেন... (এবং এটা) সতেজকারক। স্বাভাবিক ক্ষমতার কোন অভাবকে ঢেকে রাখার জন্য (তার স্বয়ংক্রিয় সুরের প্রয়োজন হয় না)।\"",
"title": "ডেমি লোভাটো"
},
{
"docid": "442415#21",
"text": "২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, লোভাটো \"বিয়ন্ড সাইলেন্স\" নামে একটি তথ্যচিত্রে কার্যনির্বাহী সৃষ্টিকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। উক্ত তথ্যচিত্রে ৩ জন ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত, যেসকল মানসিক রোগ দেখানো হয়েছে তার মধ্যে দ্বিপদসংক্রান্ত অসদাচরণ, স্কিটসোফ্রিনিয়া, বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১৭ সালের মার্চে মুক্তিপ্রাপ্ত চিট কোডসের গান নো প্রোমিসেসে কণ্ঠ দিয়েছেন, এবং একই সাথে তিনি এর চিত্রসঙ্গীতেও উপস্থিত হয়েছেন। অন্যদিকে ২০১৭ সালের জুনে মুক্তিপ্রাপ্ত, জ্যাক্স জোন্সের গান ইন্সট্রাকশনে স্টেফলন ডনের সাথে কণ্ঠ দিয়েছেন এবং তিনি এর চিত্রসঙ্গীতেও উপস্থিত হয়েছেন। ২০১৭ সালে, টাইমের বার্ষিক ১০০ সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষের মধ্যে লোভাটো অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৭ সালের ৫ মে, লোভাটো ইউটিউবে তার তথ্যচিত্র \"আই এম: ডেমি লোভাটো\" প্রকাশের ঘোষণা দেন। একই মাসের ৮ তারিখে, তিনি জাতিসংঘের উদ্যোগ \"গার্ল আপ\"কে সহযোগিতা করার জন্য খেলাধুলার পোশাকের প্রতিষ্ঠান ফ্যাবলেটিকসের সাথে সহযোগিতার ঘোষণা দেন। একই বছর ১১ জুলাই, লোভাটো তার ষষ্ঠ স্টুডিও অ্যালবামের প্রথম গান সরি নো সরি প্রকাশ করেন। ২৩ আগস্টে, তিনি তার ষষ্ঠ স্টুডিও অ্যালবাম টেল মি ইউ লাভ মি প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করেন। এই অ্যালবামটি ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশের কথা রয়েছে।",
"title": "ডেমি লোভাটো"
}
] |
ব্রহ্মপুত্র নদের মোট দৈর্ঘ্য কত ? | [
{
"docid": "3470#6",
"text": "বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক বৃহৎ নদী পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। তন্মধ্যে উত্তরদিক থেকে গঙ্গা, মেঘনা এবং ব্রহ্মপুত্র; দক্ষিণদিক থেকে মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, ইরাবতী এবং কাবেরী নদী উল্লেখযোগ্য। ৬৪ কিলোমিটারব্যাপী (৪০ মাইল) কৌম নদী সবচেয়ে ছোট নদী হিসেবে সরু খাল দিয়ে এবং ২,৯৪৮ কিলোমিটারব্যাপী (১,৮৩২ মাইল) বিশ্বের ২৮তম দীর্ঘ নদী হিসেবে ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশ, চীন, নেপাল ও ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর ব-দ্বীপকে ঘিরে গঠিত হয়েছে। মায়ানমারের (সাবেক বার্মা) ইরাওয়াদি (সংস্কৃত ইরাবতী) নদীও এ উপসাগরে মিলিত হয়েছে এবং একসময় গভীর ও ঘন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের সৃষ্টি করেছিল।",
"title": "বঙ্গোপসাগর"
},
{
"docid": "3359#2",
"text": "১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদীর তলদেশ উঠিত হবার কারনে এর দিক পরিবর্তিত হয়ে যায়।১৭৮৭ সালের আগে এটি ময়মনসিংহের উপর দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে বয়ে যেত।পরবর্তিতে এর নতুন শাখা নদীর সৃষ্টি হয়।যা যমুনা নামে পরিচিত।উৎপত্তিস্থলকে এর দৈর্ঘ্য ২৮৫০ কিলোমিটার। ব্রহ্মপুত্র নদীর সর্বাধিক প্রস্থ ১০৪২৬ মিটার (বাহাদুরাবাদ)। এটিই বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে। ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা হচ্ছে যমুনা। এক কালের প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র নদ বর্তমানে (২০১১) শীর্ণকায়।",
"title": "ব্রহ্মপুত্র নদ"
},
{
"docid": "528645#1",
"text": "ব্রহ্মপুত্র হল ভারত তথা অসমের এক প্রধান নদী। এই নদীকে \"লুইত\", \"বরলুইত\", \"চিরিলুইত\", \"লৌহিত্য\" ইত্যাদি নামেও জানা যায়। প্রায় ২৯০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রহ্মপুত্র এশিয়ার মধ্যে অন্যতম দীর্ঘ নদী। এই নদীর ওপরে চারটি সেতু আছে: শরাইঘাট সেতু, কলীয়াভোমোরা সেতু, নরনারায়ণ সেতু ও বগীবিল সেতুর নির্মাণ কার্য চলছে। এই নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম। অসমের সংস্কৃতি ও সভ্যতার সাথে ব্রহ্মপুত্র নদী অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত৷ সভ্যতা সদাই নদী-কেন্দ্রিক৷ প্রাগজ্যোতিষ-কামরূপ-অসমের সভ্যতাকে ব্রহ্মপুত্র কেন্দ্রিক সভ্যতা আখ্যা দেওয়া যায়। এই ব্রহ্মপুত্র নদীকে আশ্রয় করে নানা জাতি-উপজাতি অসমে এসে অসমের বুকে স্থায়ীভাবে বসবাস করে সমন্বয় ও সমাহার প্রক্রিয়ার সংযোগে অসমীয়া জাতি গঠন করেছে।",
"title": "আসামের পর্যটনস্থলসমূহের তালিকা"
}
] | [
{
"docid": "391466#1",
"text": "বংশী নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী। এর দৈর্ঘ্য মোট ২৩৮ কিলোমিটার। নদীটি জামালপুর জেলার শরীফপুর ইউনিয়ন অংশে প্রবাহিত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণে টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলা অতিক্রম করে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি সাভারের কর্ণতলী নদীর সাথে মিলে কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে আমিনবাজারে এসে তুরাগ নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। তুরাগ নদী আরো কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে মিশেছে বুড়িগঙ্গায়। বংশী নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৩৮ কিলোমিটার। এই নদী চারটি জেলা যথাক্রমে জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকা এবং ১০টি উপজেলা যথাক্রমে জামালপুর সদর, মধুপুর, ঘাটাইল, কালিহাতি, বাসাইল, মির্জাপুর, সখিপুর, কালিয়াকৈর, ধামরাই, সাভার এবং ৩২১টি মৌজার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।",
"title": "বংশী নদী"
},
{
"docid": "404231#1",
"text": "বন্য জলে ভাসমান গ্রীষ্মমন্ডলীর তুলনায় বড় এবং ভারী, এবং৬০০ থেকে ১২০০ কেজি (১৩০০ থেকে২৬০০ পাউন্ড) পর্যন্ত ওজনের। তিনটি বন্দী বন্য জলের ব্রাজিলের গড় ওজন ছিল 900 কেজি (২,০০০ পাউণ্ড)। [7] তাদের মাথা-টু-শরীরের দৈর্ঘ্য 240 থেকে 300 সেমি (94 থেকে 118 আউন্স) এবং 60 থেকে 100 সেমি (২4 থেকে 39 ইঞ্চি) লম্বা এবং 150 থেকে 190 সেন্টিমিটার (59 থেকে 75 ইঞ্চি) পর্যন্ত একটি কাঁধের উচ্চতা। উভয় লিঙ্গ বেসে ভারী এবং শিং বহন বহিরাগত প্রান্ত বরাবর ব্যাপকভাবে 2 মি (79 ইঞ্চি) পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, অন্য কোন জীবিত প্রাণীর শৃঙ্গ আকারের আকারের চেয়ে বেশি। তাদের ত্বকের রঙ হল কালো থেকে ধূসর কালো। মাপসই দীর্ঘ, মোটা এবং স্পার চুল haunches থেকে দীর্ঘ এবং সংকীর্ণ মাথা থেকে এগিয়ে নির্দেশিত হয়। কপালের উপর একটি গুড় আছে, এবং কান তুলনামূলকভাবে ছোট। পুচ্ছ এর টিপ ঝাড়া হয়; hooves বড় এবং splayed হয়। [8] তারা গুরুতর জীবন্ত বন্য বীবিত প্রজাতি হিসেবে গৌড়ের পাশে অবস্থান করে, উভয়ই সমান গড় না থাকলে সর্বাধিক ওজন না হলেও, যদিও তাদের স্টকিয়র, ছোটো-ছোটোখাটো ফ্রেম, বন্য জলের মায়াময় গহনের তুলনায় দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা কম হয়",
"title": "বুনো মোষ"
},
{
"docid": "466315#1",
"text": "পূর্নবয়স্ক গাবুন ভাইপারদের শরীর এবং লেজ মিলিয়ে গড় দৈর্ঘ্য হল ১২৫-১৫৫সেন্টিমিটার (৪-৫ ফুট)। সিয়েরা লিওনএ পাওয়া সর্ববৃহত নমুনাটির দৈর্ঘ্য ছিল ২০৫সেন্টিমিটার(৮১ইঞ্চি)। শরীরের দৈর্ঘ্যের সাপেক্ষে দাঁতের দৈর্ঘ্য দেখে এদের লিঙ্গ নির্ধারন করা যায়; পুরুষদের ক্ষেত্রে আনুমানিক ১২% এবং স্ত্রী গাবুন ভাইপারদের ক্ষেত্রে আনুমানিক ৬%। পূর্নবয়স্ক সাপগুলি বিশেষত স্ত্রী সাপেরা খুব ভারী এবং সুঠাম গঠনযুক্ত হয়। একটি গাবুন ভাইপারের উপর সমীক্ষায় নিম্নলিখিত তথ্যগুলি পাওয়া গেছেঃ-\n\"B. gabonica\"র বর্ননাক্রমে স্পাউলস ও অন্যান্যরা ২০০৪ সালে গাবুন ভাইপার সম্বন্ধে যে তথ্য প্রদান করেন, তাতে দেখা যায় যে এদের গড় দৈর্ঘ্য ৮০-১৩০সেন্টিমিটার (৩২-৫১.৫ইঞ্চি) এবং সর্বোচ্চ সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ১৭৫সেন্টিমিটার (৬৯.৩ইঞ্চি)। সমীক্ষায় তারা এও জানিয়েছেন যে এই প্রজাতির সাপগুলি দৈর্ধ্যে আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ওনারা ১.৮মিটার(৬ফুট) অথবা এমনকি ২মিটারের বেশী (৬.৫ ফুট) দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট গাবুন ভাইপারের কিছু নমুনার কথা বলেন, তবে এই তথ্যের সমর্থনে কোনো যুক্তিপূর্ন তথ্য প্রমান পাওয়া যায়নি একথাও স্বীকার করেছেন। ১৯৭৩সালে এই প্রজাতির একটি সাপ ধরা হয়েছিল যার সম্পূর্ন দৈর্ঘ্য ছিল ১.৮মিটার(৫.৯ফুট) এবং খালি পেটে ওজন ছিল ১১.৩কিলোগ্রাম (২৫পাউন্ড)। অতিবৃহৎ নমুনাগুলির সম্ভাব্য ওজন ২০কিলোগ্রাম(৪৪পাউন্ড) অবধি হতে পারে। এই কারণেই ডায়মন্ডব্যাক র্যাটলস্নেক ()এর উপস্থিতি ছাপিয়ে গাবুন ভাইপার বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভারী বিষধর সর্পের তকমা লাভ করেছে। যদিও ইষ্টার্ন ডায়মন্ডব্যাক র্যাটলস্নেক এর সাথে তুলনার তথ্যপ্রমান এখনো যাচাই করা হয়নি।",
"title": "গাবুন ভাইপার"
},
{
"docid": "556318#0",
"text": "মরা ব্রহ্মপুত্র নদী বা ব্রহ্মপুত্র নদী (নরসিংদী-মুন্সীগঞ্জ) বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা \"পাউবো\" কর্তৃক মরা ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৪১।",
"title": "মরা ব্রহ্মপুত্র নদী"
},
{
"docid": "398714#0",
"text": "সোবণশিরি নদী (; ) হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর বাহিনী উপনদী। এটি তিব্বত এবং ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও অসমে বয়েছে। সোবণশিরির দৈর্ঘ্য ২৭৫ মাইল, অববাহিকার কালি ১২,৬০০ বর্গমাইল। ব্রহ্মপুত্রের সর্ববৃহৎ উপনদী হচ্ছে সোবণশিরি। এটি ব্রহ্মপুত্রের জলরাশির ৭.৯২% জলের যোগান দেয়।\nচীন দেশের হিমালয় পর্বতমালা থেকে সোবণশিরি নদীর উৎপত্তি হয়েছে।\nসোবণশিরি নদী প্রথমে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে বয়ে ভারতে প্রবেশ করে অসম উপত্যকায় দক্ষিণ দিকে বয়েছে। অসমের লখিমপুর জেলায় সোবণশিরি নদী ব্রহ্মপুত্রের নদের সহিত মিলিত হয়েছে।",
"title": "সোবণশিরি নদী"
},
{
"docid": "460488#0",
"text": "পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গাইবান্ধা, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২০০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা \"পাউবো\" কর্তৃক পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৩৭।",
"title": "পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী"
},
{
"docid": "287344#4",
"text": "শত শত বছর ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ও পলি জমে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে বন্যার সময় ভাঙন ও পলি জমার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ৭২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র নদ প্রবাহিত হওয়ার সময় তার দু'পাশের পাহাড়ি এলাকার অসংখ্য অসংখ্য জলপ্রবাহের সাথে মিলিত হয়। এসব জলপ্রবাহ যে মাটি বয়ে নিয়ে আসে, তা ব্রহ্মপুত্র বয়ে নিয়ে চলে এবং ভাটির দিকে আসাম ও বাংলাদেশের সমতল এলাকায় এসে জমা হয়। বন্যার সময়ে সৃষ্ট অতিরিক্ত পানি বহনের জন্য ব্রহ্মপুত্রের যে শাখাগুলোর সৃষ্টি হয়, সেগুলো বন্যার পরে স্তিমিত হয়ে অসংখ্য ছোট-বড় বাঁওড় ও বিলের সৃষ্টি করে।",
"title": "কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ভূপ্রকৃতি"
},
{
"docid": "712598#0",
"text": "নতুন শরাইঘাট সেতু বা শরাইঘাটের দ্বিতীয় সেতু অসমের উত্তর ও দক্ষিণ পার সংযোগী একটি পথ সেতু। এই সেতুটি পুরানো শরাইঘাট সেতুর কাছে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপরে অবস্থিত। এটি ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পারের আমিনগাঁও এবং দক্ষিণপারের পাণ্ডুর মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে। এর নির্মানকার্য ২০০৭ সালে আরম্ভ হয়েছিল। এর মোট দৈর্ঘ্য ১,৪৯৩.৫৯ মিটার তথা মোট ব্যয় প্রায় ₹৪৭৫ কোটি।",
"title": "নতুন শরাইঘাট সেতু"
}
] |
বানা আল-আবেদের মায়ের নাম কী ? | [
{
"docid": "579399#2",
"text": "বানা আল-আবেদ এর একাউন্ট, @AlabedBana, তৈরী করা হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে। একাউন্ট খোলার ২ দিনেই ৭ বছর বয়সী বানা #HolocaustAleppo, #MassacreInAleppo, #StopAleppoMassacre এর মতো হ্যাশট্যাগ এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ কে উল্লেখ করে টুইট করেন। টুইটার পরবর্তীতে তাঁর একাউন্টে স্বীকৃতি প্রদান করে। বানার একাউন্টে প্রায় ৩,৭০,০০০ এর মতো অনুসারী রয়েছে এবং তাঁর একাউন্টটি মূলত তাঁর মা ফাতেমা কর্তৃক পরিচালিত। ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর বানার টুইটার একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু পরবর্তীতে ২ দিনের মধ্যে সে তাঁর একাউন্ট ফিরে পায় এবং তখন থেকে তাঁর টুইট প্রদান অব্যাহত রয়েছে।",
"title": "বানা আল-আবেদ"
},
{
"docid": "579399#3",
"text": "যুদ্ধের পূর্বে বানার মা ফাতেমা একজন ইংরেজী ভাষার শিক্ষিকা ছিলেন। বানা আল-আবেদও তাঁর মায়ের মতো শিক্ষিকা হতে চায় কিন্তু যুদ্ধের কারণে বানার স্কুল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বানার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তাঁর শহরে হ্যারি পটারের বই না পাওয়ার আক্ষেপে একটি টুইট করার পর জে কে রাউলিং নভেম্বর মাসে তাঁর জন্য হ্যারি পটারের একটি ই-বুক সংস্করণ উপহার হিসেবে প্রদান করে। সেই মাসেই এক বিমান হামলায় তাঁর পরিবারের ঘর ধ্বংস হয়ে যায় কিন্তু তাঁর পরিবার সেই সময় এটি নিশ্চিত করেছিলো যে, শুধু সামান্য আঘাত ছাড়া তারা ঐ হামলায় বেঁচে ফিরেছিলো।",
"title": "বানা আল-আবেদ"
}
] | [
{
"docid": "579399#0",
"text": "বানা আল-আবেদ () বিদ্রোহী শাসিত আলেপ্পো অঞ্চলের একজন সিরিয়ান মেয়ে শিশু যে তাঁর ইংরেজীভাষী মায়ের সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তাঁর শহর আলেপ্পোর যুদ্ধ নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ করে। তাঁর বেশির ভাগ টুইটেই বিমান হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষুধা, জনসাধারণের উৎখাত, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের মৃত্যু সম্ভাবনা, সুন্দর শৈশবের জন্য তাঁর স্পৃহা, আলেপ্পোর আল-বাব বিভাগ এবং সর্বোপরি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার মতো মানবিক দিকগুলো ফুটে উঠেছে। বানা কিছু টুইটার একাউন্টধারীদের ব্লকও করেছিল যাদের মধ্যে মার্কিন সাংবাদিক ম্যাক্স ব্লুম্যানথাল এর টুইটার একাউন্ট অন্যতম; এছাড়াও সমালোচনা-মিশ্রিত প্রশ্ন করার দরুণ বানা অন্যান্য একাউন্ট-ধারীদেরও ব্লক করে।",
"title": "বানা আল-আবেদ"
},
{
"docid": "579399#8",
"text": "অনেক পর্যবেক্ষকরা প্রশ্ন তুলেছিল, বানা যেসব বিষয় নিয়ে টুইট করে, সেসব বিষয়ের ব্যাপারে বানা আদৌ জ্ঞান রাখে কি না। এছাড়া ৭ বছর বয়সী বানা ইংরেজীতেও কথা বলে না। নিউ ইয়র্কার নামক একটি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক উল্লেখ করেছিলেন যে, \"ভিডিওর বিবৃতিগুলো এতোটাই মানসম্পন্ন দেখলে মনে হয় যেন, তাঁর মা-ই তাকে তার চিন্তা-ভাবনাগুলো ইংরেজীতে বলতে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে যে ভাষাটা সে শেখা আরম্ভ করেছে মাত্র।\"",
"title": "বানা আল-আবেদ"
},
{
"docid": "361722#1",
"text": "বিবি আমেনা বিন্তে ওহ্যাব এর সংখিপ্ত ইতিহাস:: আবদুল মোত্তালেব তাঁর পুত্র আবদুল্লাহর বিয়ের জন্য আমেনাকে মনোনীত করেন। আমিনার পিতার নাম ওহাব ইবনে আব্দ মানাফ এবং মাতা বারাহ বিনতে আব্দ আল উজ্জা ইবনে উথমান আব্দ আল দার। তিনি কুরাইশ উপজাতির মধ্যে বানু জোহরা এর বংশের সদস্য ছিলেন; যা ইব্রাহিম (আব্রাহাম) থেকে তার পুত্র ইসমাইল (ইসমায়েল) এর মাধ্যমে বংশদ্ভুত বলে দাবি করা হয়। তার পূর্বপুরুষ জুহরা ছিলেন কুসায় ইবনে কিলাব এর বড় ভাই যিনি আব্দ আল্লাহ আল মুত্তালিব এর পুর্বপুরুষ ছিলেন।",
"title": "আমিনা"
},
{
"docid": "579399#5",
"text": "সিরিয়ার সরকার বাহিনী কর্তৃক আলেপ্পো তে সফলভাবে হামলা চালানোর পর তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যস্থতায় উক্ত শহর থেকে বিদ্রোহী এবং জনসাধারণদের খালি করার জন্য যুদ্ধবিরতি হয়। যখন আলেপ্পো শহরে জনসাধারণদের সরিয়ে আনার কর্মকান্ড পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করছিলো না, তখন বানার মা ফাতেম তুরষ্কের বিদেশ মন্ত্রী মেভলুত চাভুশোগ্লু কে উল্লেখ করে একটি টুইট করেন এবং প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী তাদের এবং বাকি জনসাধারণদের বের করে আনার তুরষ্কের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। ২০১৬ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর সংবাদ মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হয়েছিলো যে, সিরিয়ার সরকার বাহিনীর আলেপ্পো দখলের পর ৩৫০ জন জনসাধারণ সমেত বানা আল-আবেদ এবং তাঁর পরিবার যুদ্ধ কবলিত আলেপ্পো থেকে ফিরে আসতে পেরেছে। ২১ শে ডিসেম্বর বানা এবং তাঁর পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তুরষ্কে বসবাসের অনুমতি লাভ করে এবং আন্তর্জাতিক প্রেসের উপস্থিতিতে বানা এবং তাঁর পরিবার তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ লাভ করে।",
"title": "বানা আল-আবেদ"
},
{
"docid": "579399#1",
"text": "২০১৭ সালের এপ্রিলে তৈরী হওয়া আমেনা শালাদি নামের একটি বিদ্রুপ-ধর্মী টুইটার একাউন্ট কিছু সাংবাদিকদের প্রচারণায় অল্প কিছু দিনেই পরিচিতি লাভ করে, যে একাউন্টটির উদ্দেশ্যই মূলত বানার কাজের সমালোচনা করা।",
"title": "বানা আল-আবেদ"
},
{
"docid": "6011#0",
"text": "ইবন আল নাফীস () (১২১৩ - ১২৮৮) একজন বিখ্যাত আরব বিজ্ঞানী ও চিকিৎসাবিদ ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম আলা আল-দিন আবু আল-হাসান আলী ইবন আবি-হাজম আল-কারশি আল-দিমাশকি। তিনি সিরিয়ার দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন এবং মিশরের কায়রোতে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।",
"title": "ইবনে আন নাফীস"
},
{
"docid": "579399#6",
"text": "সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের ইদলিবের খান শাইখুন শহরে জনসাধারণের উপর রাসায়নিক হামলার জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যখন আসাদ সরকারের শাইরাত এয়ারবেইসে ক্রুস মিসাইল হামলা চালিয়েছিল, সে হামলাকে সমর্থন জানিয়ে ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বানা একটি টুইট করেন।",
"title": "বানা আল-আবেদ"
},
{
"docid": "379034#1",
"text": "আসমা বিনতে আবি বকর ছিলেন প্রথম খলিফা আবু বকরের কন্যা। তার মার নাম কুতাইলা বিনতে আবদুল উজ্জা। তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আবি বকরের আপন বোন। আয়েশা ও উম্মে কুলসুম বিনতে আবি বকর তার সৎ বোন এবং আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর ও মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর তার সৎ ভাই ছিলেন। কিনানা গোত্রের দিক থেকে উম্মে রুমান বিনে আমির নামে তার এক সৎ মা ও আল তুফায়েল ইবনে আল হারিস আল আজদি নামে এক সৎ ভাই ছিল। ঐতিহাসিক ইবনে কাসির এবং ইবনে আকাসির এর মতে আসমা, আয়শা রাঃ থেকে ১০ বছরের বড় ছিলেন।",
"title": "আসমা বিনতে আবি বকর"
}
] |
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম কবে থেকে চালু হয় ? | [
{
"docid": "138603#1",
"text": "কম্পিউটার আবিষ্কার এবং এর ব্যবহারের শুরুর দিকেই তথ্য তৈরী, সংরক্ষণ এবং খোঁজার কাজটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলো। সর্বপ্রথম ১৯৬০ সালে, বিখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী চার্লস বাকম্যান ডিবিএমএস তৈরী করেন। তিনি তখন জেনারেল ইলেট্রিকে কর্মরত ছিলেন। সেই ডিবিএমএসটির নাম দেয়া হয়েছিলো, ইন্টিগ্রেটেড ডাটা স্টোর(আইডিএস) । ষাটের দশকের শেষের দিকে আইবিএম ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামে একটি ডিবিএমএস তৈরী করে। এই সফটওয়্যারটিই, তথ্যকে শ্রেনীক্রম অনুসারে কিভাবে সাজানো যায় তার একটি ধারনা দিয়েছিলো, যা বর্তমানে হায়ারারকিকাল ডাটা মডেল নামে পরিচিত। ১৯৭০ সালে এটস্খার কড, তথ্যকে পরিবেশন করার নতুন একটা মডেলের প্রস্তাব দেন। তিনি তখন আইবিএম'র স্যান হোস গবেষণাগারে কর্মরত ছিলেন। এই ধারনাটিই রিলেশনাল ডাটা মডেল নামে পরিচিত। ডিবিএমসের ক্রমবিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু হয়, ইন্টারনেটের আবিষ্কার এবং এর বহুল ব্যবহারের পর থেকে। এখন ওয়েবসাইট ভিত্তিক ডাটাবেজকে উন্নত করার জন্য নানা ধরনের গবেষণা চলছে। ১৯৮০ সালে ড. কড রিলেশনাল ডাটাবেজ তৈরীর ১২ টি নীতি প্রস্তাব করেন।",
"title": "ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম"
}
] | [
{
"docid": "569980#5",
"text": "কেনেথ (Kenneth ) এবং অলড্রিচ অ্যাস্টেল (Aldrich Estel) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের বেশ কয়েকটি যুগ চিহ্নিত করেছেন; এবং কম্পিউটিং টেকনোলজির উন্নয়ন ও বিবর্তনের ক্রমবিকাশের উপর ভিত্তি করে পর্যায়ক্রমে ৫ টি ক্ষেত্রে বর্ণনা করেছেন। সেগুলো হচ্ছে: ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম, ইনফরমেশন সিস্টেম, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট টার্মগুলো মাঝেমাঝেই দ্বিধা তৈরি করে। ইনফরমেশন সিস্টেম এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম হচ্ছে বৃহৎ শ্রেণী, এর অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং।ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবহার থেকে প্রাপ্ত কিছু সুবিধার কথা নীচে উল্লেখ করা হল:\nএকটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো সমাধান করার লক্ষ্যে একটি ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি করার জন্য যে কার্য সম্পন্ন করা হয় তাকে সিস্টেম উন্নয়ন বলা হয়।",
"title": "ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম"
},
{
"docid": "569980#0",
"text": "একটি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পরিচালনা পর্ষদকে ব্যবস্থাপনাগত কোন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা ও রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত প্রক্রিয়াজাত করাকে বলা হয় ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা সংক্ষেপে এমআইএস। এই টার্মটির সাথে সংযুক্ত অন্যান্য টার্মগুলো হচ্ছে, \"‘ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেম’\", \"‘ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম’\", \"‘এক্সপার্ট সিস্টেম’\", এবং \"‘এক্সিকিউটিভ ইনফরমেশন সিস্টেম’\"। এই টার্মটি প্রায়ই একাডেমিক ব্যবসায় শিক্ষায় ব্যবহৃত হয় এবং এই সংক্রান্ত অন্যান্য টার্ম, যেমনঃ \"‘ইনফরমেশন সিস্টেম’\", \"‘ইনফরমেশন টেকনোলজি’\", \"‘ইনফরমেটিক্স’\", \"‘ই-কমার্স’\", এবং \"‘কম্পিউটার সায়েন্স’\"এর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে;\nআর সে কারণেই এই এমআইএস টার্মটি উপরে উল্লেখিত এ জাতীয় অন্যান্য টার্মের সাথে মাঝেমাঝে অদলবদল হয়ে ব্যবহৃত হয়।",
"title": "ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম"
},
{
"docid": "540538#1",
"text": "এ ১৯৯৩-৯৪ সালে ডেভিড হিউজেস একটি নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণ করার জন্য মিনার্ভা নামের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেন । এই ডিজাইন সিস্টেমের প্রয়োজন ছিল একটি ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা সংরক্ষণ করবে কাজের তথ্য । ভবিষ্যতে বহনযোগ্যতা সক্রিয় করার জন্য , হিউজেস নির্বাচিত করেন মুলত এসকিউএল ইন্টারফেস আবেদন এবং ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট এর মদ্ধে, যে সময়ে কোন বিনামূল্যে বা সস্তা SQL ডাটাবেস ব্যবস্থাপনা ছিলনা যা দ্বারা তিনি তার কাজ করবেন । অতএব, তিনি একটি উন্নত অনুবাদ প্রোগ্রাম প্রদান করেন, যা একটি এসকিউএল ইন্টারফেস থেকে বিনামূল্যে Postgres DBMS (যা ব্যবহার করা হয়নি, এসকিউএল) ডেভেলপ করেন । এই পণ্য নামকরণ করা হয়, miniSQL বা mSQL নামে । সময়, এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, Postgres সঠিকভাবে রান হয়নি কম-নির্দিষ্টকরণ সিস্টেম চালানোর জন্য ব্যবহৃত মিনার্ভা তে , তাই এমএসকিউয়াল মধ্যে ডেভেলপ করা হয় একটি লাইটওয়েট ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম , একটি সীমিত উপসেট এ বাস্তবায়ন করেন , এসকিউএল স্ট্যান্ডার্ড, কিন্তু সম্পাদন করেন কেবল ন্যূনতমরূপে নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার এর উপরে ।",
"title": "এমএসকিউএল"
},
{
"docid": "569980#3",
"text": "ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজারদের মনোযোগের বিষয়, দায়িত্বের পরিমাণ ও কাজের পরিধি ভিন্নভিন্ন হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে থাকে; এর পরিধি শুরু হয় চিফ ইনফরমেশন অফিসার, চিফ টেকনোলজি অফিসার, আইটি ডিরেক্টর, এবং আইটি সিকিউরিটি ম্যানেজারের মাধ্যমে।\nচিফ ইনফরমেশন অফিসার বা প্রধান তথ্য কর্মকর্তাগণ একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ টেকনোলজি স্ট্রেটেজির দায়িত্বে থাকেন। \nমূলত, যখন কোন একটি প্রতিষ্ঠানে টেকনোলজি বা তথ্য সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হয় এবং সেই সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয় জন্য তখন তাঁরা একটি প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তা ও কর্ম পরিচালকের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।",
"title": "ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম"
},
{
"docid": "290631#0",
"text": "কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) হলো একটি কম্পিটার প্রোগ্রাম (ওয়েব) যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কন্টেন্ট (লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি) সম্পাদনা, প্রকাশ ও পরিবর্তন করা হয়। এই ধরণের সিস্টেমে সাধারণত আগেই কিছু প্রোসিডিওর বা ফাংশন লেখা থাকে যেগুলো পরিবর্তন করে কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। বিশাল ও জটিল কোড লেখার ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য সিএমএস তৈরি করা হয়েছে।",
"title": "কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম"
},
{
"docid": "569980#1",
"text": "ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম একাডেমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে মানুষ, টেকনোলজি, প্রতিষ্ঠান এবং এদের মধ্যকার সম্পর্ক বিবেচনা করে। এই সংজ্ঞায়নটি একদম উপযুক্তভাবে ব্যবসায় শিক্ষার কোর্স ‘এমআইএস’এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।\nঅনেক ব্যবসায় শিক্ষার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্সটিটিউশনে একাউন্টিং, ফিন্যান্স, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং বিভাগের মত ‘এমআইএস’ নামে আলাদা একটি বিভাগ থাকে এবং সেখান থেকে শিক্ষার্থীদেরকে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়।",
"title": "ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম"
},
{
"docid": "569980#6",
"text": "পরিবর্তন বা (Conversion) হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যায় মাধ্যমে পুরনো সিস্টেম বা পদ্ধতি পরিবর্তিত বা পরিবর্ধিত হয়ে নতুন সিস্টেম বা পদ্ধতিতে রূপ নেয়। এটি তিনটি পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়:",
"title": "ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম"
},
{
"docid": "569980#4",
"text": "একটি নতুন টেকনোলজি বা প্রযুক্তি কীভাবে তাঁদের প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করতে পারে সেটি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন চিফ টেকনোলজি অফিসারগণ। তাঁরা সাধারণত চিফ ইনফরমেশন অফিসার বা প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের দ্বারা ইস্যুকৃত পলিসি সুষ্ঠভাবে নির্বাহ করার জন্য সাহায়ক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সমাধান সুপারিশ করেন।.",
"title": "ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম"
},
{
"docid": "251920#7",
"text": "২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, ইনফরমেশন উইক প্রকাশ করে যে গুগল কিছু মোবাইল এপ্লিকেশনকে প্যাটেন্ট করে নিয়েছে।\n৫ই নভেম্বর, ২০০৭ সালে ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স সূচনা করে যাতে ছিল ব্রডকম কর্পোরেশন, গুগল, এইচটিসি, ইন্টেল, এলজি, মার্ভেল টেকনোলজি গ্রুপ, মটোরোলা, এনভিডিয়া, কোয়ালকম, স্যামস্যাং ইলেক্ট্রনিকস, স্প্রিন্ট নেক্সটেল, টি-মোবাইল এবং টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট। ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্সের উদ্দেশ্য হল মুক্ত ধরনের মোবাইল হ্যান্ডসেট প্লাটফর্ম তৈরী করা। একই দিনে, ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স তাদের প্রথম পণ্য অ্যানড্রয়েড ছাড়ে যা লিনাক্স কারনেল ২.৬.২৫ এর উপর ভিত্তি করে তৈরী। প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ছাড়া স্মার্টফোনটি ছিল এইচটিসি ড্রিম যা ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর ছাড়া হয়।\n৯ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে, আরো ১৪ জন নতুন সদস্য যোগ দেয় যাতে ছিল এআরএম হোল্ডিংস, এথিরস কমিউনিকেশনস, আসুসটেক কম্পিউটার ইনকর্পোরেট, জারমিন লিমিটেড, হাওয়াই টেকনোলজিস, প্যাকেটভিডিও, সফটব্যাংক, সনি এরিকসন, তোসিবা ককর্পোরেশন এবং ভোডাফোন গ্রুপ।",
"title": "অ্যানড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম)"
}
] |
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাবার নাম কী ? | [
{
"docid": "95896#1",
"text": "ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম তৎকালীন বাংলা প্রদেশের ত্রিপুরা জেলার (বর্তমানের বাংলাদেশ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রামরাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জগবন্ধু দত্ত ছিলেন কসবা ও নবীনগর মুন্সেফ আদালতের সেরেস্তাদার। ধীরেন্দ্রনাথ পড়াশোনা করেছেন নবীনগর হাই স্কুল, কুমিল্লা কলেজ, এবং কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। তিনি ১৯০৪ সালে নবীনগর হাই স্কুল হতে প্রবেশিকা, ১৯০৬ সালে কুমিল্লা কলেজ থেকে এফ.এ.; ১৯০৮ সালে কলকাতা রিপন কলেজ হতে বি.এ এবং ১৯১০ সালে একই কলেজ হতে বি.এল পরীক্ষা পাস করেন।।",
"title": "ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত"
}
] | [
{
"docid": "266252#1",
"text": "চিত্ত রঞ্জন দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত। শিলং-এর 'লাবান গভর্নমেন্ট হাইস্কুল' -এ দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন৷ পরবর্তীকালে বাবা চাকরি থেকে অবসর নিয়ে হবিগঞ্জে এসে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন৷ হবিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাই স্কুল থেকে ১৯৪৪ সালে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতার আশুতোষ কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়ে ছাত্রাবাসে থাকা শুরু করেন তিনি৷ পরবর্তীতে খুলনার দৌলতপুর কলেজের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হন৷ পরে এই কলেজ থেকেই বি.এস.সি পাশ করেন৷",
"title": "চিত্ত রঞ্জন দত্ত"
},
{
"docid": "95896#9",
"text": "কুমিল্লা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক, বিশিষ্ট সংসদ সদস্য ও আইনজীবী হিসেবে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে রাস্তার নামকরণ করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শহীদ খাজা নিজাম উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটি এখন থেকে \"শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সড়ক\" নামে পরিচিত।\n১৮ জুলাই ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর জগন্নাথ হলে তার নামে একটি ই-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মরণে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যলয়-এ ঐ বছরই ছাত্রদের জন্য \"শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল\" নামে একটি আবাসিক হল নির্মাণ করা হয়।\nপরবর্তীতে কুমিল্লা স্টেডিয়াম এর নামকরণ করা হয় \" ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম \"",
"title": "ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত"
},
{
"docid": "452013#2",
"text": "১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার এক ধনী পরিবারে নরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম হয়। তাঁর বাবা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন একজন আইনজীবী। তিনি প্রচুর আয় করলেও, আয়ের তুলনায় ব্যয় করতেন বেশি। ১৮৮৪ সালে নরেন্দ্রনাথ যখন এফ. এ. পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন বিশ্বনাথ দত্তের মৃত্যু হয়। বিশ্বনাথ দত্তের আকস্মিক মৃত্যুতে দত্ত পরিবার দেউলিয়া হয়ে যায়। ঋণদাতারা ঋণ শোধ করবার জন্য তাগাদা লাগাতে শুরু করে এবং আত্মীয়স্বজনেরা তাঁদের পৈতৃক ভিটে থেকে উৎখাত করার ভয় দেখাতে থাকেন। একদা স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান নরেন্দ্রনাথ কলেজের দরিদ্রতম ছাত্রদের একজনে পরিণত হন। তিনি ছিলেন বিশ্বনাথ দত্তের বড়ো ছেলে। তাই তাঁকেই পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। তিনি চাকরি জোগাড়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরিবারের ভরনপোষণের ব্যবস্থা করতেও তিনি ব্যর্থ হন। যেসব ধনী বন্ধু ও আত্মীয়েরা সহজেই তাঁদের সাহায্য করতে পারতেন, তাঁরা কেউই তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন না। নরেন্দ্রনাথ জীবনে প্রথম বার চরম দুরবস্থার সম্মুখীন হলেন।",
"title": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দের প্রার্থনা"
},
{
"docid": "4050#4",
"text": "বিবেকানন্দের পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত (ডাকনাম ছিল বীরেশ্বর বা বিলে এবং নরেন্দ্র বা নরেন)। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ১২ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি উৎসবের দিন উত্তর কলকাতার সিমলা অঞ্চলে ৩ নম্বর গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিটে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা বিশ্বনাথ দত্ত কলকাতা উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবি ছিলেন। বিবেকানন্দ একটি প্রথাগত বাঙালি কায়স্থ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন যেখানে তার নয় জন ভাই-বোন ছিল। তার মধ্যম ভাই মহেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও বিদেশ ভ্রমণে বিবেকানন্দের সঙ্গী। কনিষ্ঠ ভাই ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন বিশিষ্ট সাম্যবাদী নেতা ও গ্রন্থকার।",
"title": "স্বামী বিবেকানন্দ"
},
{
"docid": "666749#2",
"text": "নরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ১৮৮৪ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর বর্তমান কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার শ্রীকাইল গ্রামে। তাঁর পিতা কৃ্ষ্ণকুমার দত্ত আর মাতা শর্বানীসুন্দরী দেবী। কৃ্ষ্ণকুমার দত্ত ও মাতা শর্বানীসুন্দরী দেবী দম্পতির সন্তানেরা হলেন কামিনীকুমার দত্ত, সুরেন্দ্রনাথ দত্ত, নরেন্দ্রনাথ দত্ত ও দেবেন্দ্রনাথ দত্ত। নরেন্দ্রনাথ দত্তের ভাইদের সকলেই শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তাঁর জ্যেষ্ঠ ভাই কামিনীকুমার দত্ত(১৮৭৮-১৯৫৯) ছিলেন কংগ্রেস নেতা ও জাদরেল উকিল। তিনি পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারে আইনমন্ত্রী (১৯৫৬-৫৮)ছিলেন। কনিষ্ঠভাই দেবেন্দ্রনাথ দত্ত দেরাদুন থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে প্রথমে বন বিভাগের চাকরিতে নিয়োজিত হয়েছিলেন। পরে ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করে যশশ্বী হয়েছিলেন।মেজো ভাই সুরেন্দ্রনাথ দত্ত ব্যবসায়ে সহযোগী ছিলেন।",
"title": "ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত"
},
{
"docid": "95092#1",
"text": "দত্তাত্রেয় রামচন্দ্র বেন্দ্রের জন্ম কর্ণাটকের ধরওয়াড়ের একটি চিৎপবন ব্রাহ্মণ পরিবারে। তাঁর পিতামহ ছিলেন একজন \"দশগ্রন্থী\" (দশশাস্ত্রবিদ) ও ধ্রুপদি সংস্কৃত সাহিত্যে সুপণ্ডিত। দত্তাত্রেয়ের পিতাও ছিলেন এক সংস্কৃত পণ্ডিত। মাত্র বারো বছর বয়সে দত্তাত্রেয়ের পিতৃবিয়োগ হয়। তাঁর মা অম্বিকা একটি \"খানাবলি\" বা ভোজনালয়ে কাজ করে পরিবারের অন্নসংস্থান করতেন। মায়ের নামানুসারেই তিনি তাঁর \"অম্বিকাতনয়দত্ত\" ছদ্মনামটি গ্রহণ করেন। এই নামের অর্থ ছিল অম্বিকার পুত্র দত্ত। ধরওয়াড়েই তিনি তাঁর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৯১৩ সালে কাকার অর্থসাহায্যে পাস করেন ম্যাট্রিক পরীক্ষাও। এরপর উচ্চশিক্ষার্থে তিনি ভর্তি হন পুনের ফার্গুসন কলেজে। ডিগ্রি অর্জনের পর বেন্দ্রে ধরওয়াড়ে ফিরে আসেন এবং সেখানকার ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯১৯ সালে লক্ষ্মীবাই নাম্নী এক রমণীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ১৯৩৫ সালে তিনি এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।",
"title": "দত্তাত্রেয় রামচন্দ্র বেন্দ্রে"
},
{
"docid": "4050#3",
"text": "স্বামী বিবেকানন্দ উত্তর কলকাতার এক কায়স্থ দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দত্ত-পরিবারের আদি নিবাস ছিল অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার অন্তর্গত দত্ত-ডেরিয়াটোনা বা দত্ত-ডেরেটোনা গ্রাম। মুঘল শাসনকাল থেকেই দত্তরা উক্ত গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। গবেষকরা অনুমান করেন যে তারাই ছিলেন ওই গ্রামের জমিদার। অষ্টাদশ শতাব্দীতে দত্ত-পরিবারের সদস্য রামনিধি দত্ত তার পুত্র রামজীবন দত্ত ও পৌত্র রামসুন্দর দত্তকে নিয়ে গড়-গোবিন্দপুর গ্রামে (অধুনা কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম ও ময়দান অঞ্চল) চলে আসেন। ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু হলে উক্ত এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে দত্তরাও সুতানুটি গ্রামে (অধুনা উত্তর কলকাতা) চলে আসেন। এখানে প্রথমে তারা মধু রায়ের গলিতে একটি বাড়িতে বাস করতেন। ৩ নম্বর গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিটের যে বাড়িতে বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেই বাড়িটি নির্মাণ করেন রামসুন্দর দত্তের জ্যেষ্ঠ পুত্র রামমোহন দত্ত। রামমোহন দত্তের জ্যেষ্ঠ পুত্র দুর্গাপ্রসাদ দত্ত ছিলেন বিবেকানন্দের পিতামহ। তিনি সংস্কৃত ও ফারসি ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। ২৫ বছর বয়সে একমাত্র পুত্র বিশ্বনাথ দত্তের জন্মের পর তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করে গৃহত্যাগ করেন। বিশ্বনাথ দত্ত দুর্গাপ্রসাদের কনিষ্ঠ ভ্রাতা কালীপ্রসাদ কর্তৃক প্রতিপালিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাটর্নি। বিশ্বনাথ দত্ত বাংলা, ফারসি, আরবি, উর্দু, হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষা শিখেছিলেন। সাহিত্য, ইতিহাস ও ধর্মগ্রন্থ পাঠে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। ধর্ম বিষয়ে তিনি উদার ছিলেন। \"বাইবেল\" ও \"দেওয়ান-ই-হাফিজ\" ছিল তার প্রিয় বই। তিনি \"সুলোচনা\" (১৮৮০) ও \"শিষ্টাচার-পদ্ধতি\" (বাংলা ও হিন্দি ভাষায়, ১৮৮২) নামে দুইটি বই রচনা করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিধবাবিবাহ প্রথা প্রবর্তনের সমর্থনে তিনি প্রকাশ্যে মতপ্রকাশ করেছিলেন। দুর্গাপ্রসাদের সংসারত্যাগের পর কালীপ্রসাদের অমিতব্যয়িতায় দত্ত-পরিবারের আর্থিক সাচ্ছল্য নষ্ট হয়েছিল। কিন্তু অ্যাটর্নিরূপে বিশ্বনাথ দত্তের সুদূর-প্রসারিত খ্যাতি সেই সাচ্ছল্য কিয়দংশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। তার স্ত্রী ভুবনেশ্বরী দেবী ছিলেন সিমলার নন্দলাল বসুর মেয়ে। তিনি বিশেষ ভক্তিমতী নারী ছিলেন। তার প্রথম কয়েকটি সন্তানের মৃত্যু ও কন্যাসন্তানের জন্মের পর পুত্রসন্তান কামনায় তিনি তার এক কাশীবাসিনী আত্মীয়াকে দিয়ে কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে নিত্য পূজা দেওয়ার ব্যবস্থা করান। এরপরই স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম হওয়ায় তার বিশ্বাস হয় যে, তিনি শিবের কৃপায় পুত্রলাভ করেছেন। পিতার প্রগতিশীল ও যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও মায়ের ধর্মপ্রাণতা বিবেকানন্দের চিন্তা ও ব্যক্তিত্ব গঠনে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল।",
"title": "স্বামী বিবেকানন্দ"
},
{
"docid": "69639#1",
"text": "দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ কলকাতার দক্ষিণ ২৪টি পরগনা জেলার চাংড়িপোতা (বর্তমানে সুভাষগ্রাম) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। হরচন্দ্র ন্যায়রত্ন ভট্টাচার্য ছিলেন তার পিতা। দুই পুত্রের মধ্যে দ্বারকানাথ ছিলেন জ্যেষ্ঠ। কনিষ্ঠ শ্রীনাথ চক্রবর্তী। হরচন্দ্র ন্যায়রত্ন ছিলেন দাক্ষিণাত্য বৈদিক সমাজে একজন বিশিষ্ট স্মৃতিশাস্ত্রজ্ঞ ও বৈয়াকরণিক পন্ডিত। দ্বারকানাথ বাল্যকালে তাঁর পিতার কাছেই ব্যাকারণ শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। দ্বারকানাথের পিতা হরচন্দ্র ন্যায়রত্ন কলকাতায় টোল চতুষ্পাঠি করে অধ্যাপনা করতেন। এটাই ছিল তাঁর মূল জীবিকা। হরচন্দ্র ন্যায়রত্নের বহু কৃতী ছাত্রদের মধ্যে রামতনু লাহিড়ী ও ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত অন্যতম। ১৮৩১ সালে সংবাদ প্রভাকর পত্রিকা সম্পাদনার কাজে হরচন্দ্র ন্যায়রত্ন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে সাহায্য করতেন। দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের জন্ম সাল ১৮১৯ না ১৮২০ সালে তা নিয়ে মতভেদ আছে।",
"title": "দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ"
},
{
"docid": "66801#1",
"text": "শিবনারায়ণ দাসর পিতা সতীশচন্দ্র দাশ। তিনি কুমিল্লাতে আয়ূর্বেদ চিকিৎসা করতেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক হানাদাররা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিবনারায়ন দাশের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং এক সন্তান অর্ণব আদিত্য দাশ।\nশিবনারায়ণ দাস প্রথম ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। \n১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি \"জয়বাংলা\" বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারী ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।",
"title": "শিবনারায়ণ দাস"
}
] |
ইসলামের নবী মুহাম্মদের জন্ম কবে হয় ? | [
{
"docid": "3169#0",
"text": "মুহাম্মাদ (২৯ আগস্ট ৫৭০ - ৮ জুন ৬৩২; আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : \"মুহাম্মেদ\"), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম () হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী, (), তথা \"বার্তাবাহক\" (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তাঁর এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তাঁর জীবনের অন্যতম সফলতা।",
"title": "মুহাম্মাদ"
},
{
"docid": "296930#48",
"text": "হযরত মুহাম্মদ আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরব উপদ্বীপের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। মুহাম্মদের আগে আরব গোত্র বা জাতিগুলি ঐক্যবদ্ধ ছিল না। তারা ভিন্ন ভিন্ন দেবদেবী বা শ্বরের উপাসনা করত। মুহাম্মদ ছিলেন মক্কায় বসবাসকারী একজন রাখাল ও ব্যবসায়ী। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে এসে তিনি ফেরেশতা জিব্রাইলের সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং অবহিত হন যে তাঁকে আল্লাহ বা ঈশ্বরের নবী তথা বার্তাবাহকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে তিনি এক আল্লাহ বা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আনার ব্যাপারে ধর্মীয় প্রচারণা চালানো শুরু করেন। এই ধর্মের নাম দেওয়া হয় ইসলাম, যার ভাবানুবাদ দাঁড়ায় “(আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি) আনুগত্য”।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
},
{
"docid": "42603#0",
"text": "মুহাম্মদ (৫৭০ - ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ) ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে মুসলমানদের মাঝে গণ্য। নবী মুহাম্মাদ তার জীবনে যে সকল মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মুসলমানগণ তাদেরকে উম্মাহাতুল মুমিনীন অর্থাৎ মুসলমানদের মাতা হিসেবে অভিহিত করেন। কোরানে ও সেটি উল্লেখিত হয়েছে। :তিনি আরবীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সেনানায়ক হিসেবেও সফলতা লাভ করেছেন। ইতিহাসে তাকে রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি এবং ইসলামের প্রবর্তক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যৌবনে তিনি মূলত ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২৫ বছর বয়সে তাঁর সাথে আরবের তৎকালীন বিশিষ্ট ধনী এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের বৈবাহিক জীবন প্রায় ২৪ বছর স্থায়ী হয়। এরপর খাদিজা মৃত্যুবরণ করেন। খাদিজার জীবদ্দশায় তিনি আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। মুসলিম জীবনীকারদের বর্ণনামতে, খাদিজার মৃত্যুর পর নবী আরও ১০ জন (মতান্তরে ১২ জন) স্ত্রী গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তার স্ত্রীর সংখ্যা সর্বমোট ১১ জন (মতান্তরে ১৩ জন)। ইসলামে এককালীনভাবে চারটির অধিক বিয়ে নিষিদ্ধ হলেও কুরআনের সূরা আহযাবের ৫০-৫২ আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মাদ চারটির অধিক বিয়ের অনুমতিপ্রাপ্ত ছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে শুধুমাত্র আয়েশা ছিলেন কুমারী। বাকি সব স্ত্রী ছিলেন বিধবা । মুহাম্মাদের জীবনকে প্রধান দুইটি অংশে ভাগ করা হয়: মক্কী জীবন এবং মাদানী জীবন। মক্কী জীবনে তিনি দুইজনকে বিয়ে করেন। তার বাকি সবগুলো বিয়েই ছিলো মাদানী জীবনে তথা হিজরতের পরে। মুহাম্মদের বৈবাহিক জীবনে তালাক ছিল না। এ কারণে কুরআনে তালাক সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রয়েছে।",
"title": "মুহাম্মাদের বৈবাহিক জীবন"
},
{
"docid": "42546#0",
"text": "হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের তারিখ ছিল ১২ ই রবিউল আউয়াল, ইংরেজি সন মোতাবেক ৫৭০ খৃস্টাব্দে। প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট তার পুস্তকে ৫৭০ সনই ব্যবহার করেছেন। তবে নবীর প্রকৃত জন্মতারিখ বের করা বেশ কষ্টসাধ্য। এজন্যই এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। যেমন এক বর্ণনা মতে তাঁর জন্ম ৫৭১ সালের ২০ বা ২২ শে এপ্রিল। সাইয়েদ সোলাইমান নদভী, সালমান মনসুরপুরী এবং মোহাম্মদ পাশা ফালাকির গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তবে শেষোক্ত মতই ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেশী নির্ভরযোগ্য। যাই হোক, নবীর জন্মের বছরেই হস্তী যুদ্ধের ঘটনা ঘটে এবং সে সময় সম্রাট নরশেরওয়ার সিংহাসনে আরোহনের ৪০ বছর পূর্তি ছিল এ নিয়ে কারো মাঝে দ্বিমত নেই।",
"title": "মুহাম্মাদের বংশধারা"
}
] | [
{
"docid": "366000#4",
"text": "ইমাম মাহদী (আরবী: مهدي,পথ প্রদর্শক) হচ্ছে কেয়ামতের পুর্বে আগমনকারী মুসলমানদেরকে নেতৃত্ব দানকরী শাসক,[১] যিনি পৃথিবীতে সাত, নয় অথবা উনিশ বছর শাসন করবেন। তার কথা হাদিসের (ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদের বাণী) বহু জায়গায় বলা হয়েছে। তিনি মদিনায় জন্মগ্রহণ করবেন এবং তাকে দেখতে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ-এর মত লাগবে। যখন তার আগমনের সময় হবে তখন পৃথিবীতে অনেক নামধারী ইমাম মাহদির ছড়াছড়ি থাকবে। তার আগমন কিয়ামতের অন্যতম বড় আলামত।[২][৩][৪]",
"title": "ইসলামি পরকালবিদ্যা"
},
{
"docid": "449387#0",
"text": "ইসলামী নবী মুহাম্মদ-এর অলৌকিকতা হল কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা, যা ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী তার দ্বারা তার জীবদ্দশায় সংঘটিত হয়েছে। এই অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলো কুরআনের মধ্যে অথবা বেশিরভাগক্ষেত্রেই হাদিসে (ঐতিহ্যগতভাবে লিখিত মুহাম্মদের কর্মকাণ্ড ও আদর্শ) উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাম্মদ এর অলৌকিকতা, যেমন: প্রকৃতির উপর খাদ্য গুণ, জল উদ্ভাস, লুকানো জ্ঞান, ভাববাণী, নিরাময়, শাস্তি, এবং ক্ষমতা হিসাবে একটি বিস্তৃত পরিসর নিয়ে রয়েছে। ইতিহাসবিদ ডেনিস গ্রিলের মতে, \"কুরআন স্পষ্টতই মুহাম্মদের অলৌকিকতাগুলো ঢালাওভাবে বর্ণনা করে না, বরং চূড়ান্তভাবে সেই কোরআনকেই মুহাম্মদের প্রধান অলৌকিকতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।\" অভিযোগ আছে যে, \"কুরআন নিজেই মুহাম্মদের অলৌকিকত্বকে অস্বীকার করে।\" - যা খৃস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সাধারণ যুক্তি। তবে কুরআন ও প্রায় হাদিসেই বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতার কথা পেশ করা হয়, এবং হাদীস মুহাম্মদের অলৌকিকতার বিবরণী জানার জন্য অপরিহার্য।",
"title": "মুহাম্মাদের অলৌকিক ঘটনাসমূহ"
},
{
"docid": "403956#0",
"text": "হালিমা বিনতে আবি যুয়ায়েব বা হালিমা সাদিয়া ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর দুধমা| আট দিন বয়সে তিনি মুহাম্মদের দায়িত্ব নেন, এবং দুই বছরের কিছু অধিক সময় পর্যন্ত তাকে মদীনায় নিজ বাড়িতে লালন পালন করে তার মা আমিনার কাছে ফিরিয়ে দেন| মুহাম্মদ (সাঃ) নবুয়াত লাভের অব্যবহিত পরই তিনি এবং তার স্বামী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন| অষ্টম হিজরি সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন|",
"title": "হালিমা বিনতে আবি যুয়ায়েব (হালিমা সাদিয়া)"
},
{
"docid": "42546#1",
"text": "ইসলামের হাদিস অনুসারে মোহাম্মদের জন্মের পূর্বে তার মাতা আমিনা স্বপ্নযোগে আশ্চর্যজনক বেশ কয়েকটি ঘটনা দেখেন। এছাড়া তাঁর জন্মের সময়ও কিছু অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ বিভিন্ন হাদিস সূত্রে পাওয়া যায়। জন্মের পর নবীর দাদা আবদুল মোত্তালেবকে সংবাদ দেয়া হয় এবং তিনি নবজাতককে দেখে যারপরনাই খুশি হন। উল্লেখ্য নবীর জন্মের আগেই তার পিতা আবদুল্লাহ মারা যান। আবদুল মোত্তালেব নবজাতকের নাম রাখেন মোহাম্মদ যে নাম তত্কালীন আরবে খুব একটা প্রচলিত ছিলনা। আরবীতে এই শব্দের অর্থ প্রশংসিত। পরবর্তীকালে নবীর আরেকটি নামের উল্লেখ পাওয়া যায় যা তাঁর মাতা রাখেন আর তা হল আহমাদ - এই শব্দের অর্থ প্রশংসাকারী। আরবের নিয়ম অনুযায়ী জন্মের সপ্তম দিনে মোহাম্মদের (সাঃ) খৎনা করানো হয়।",
"title": "মুহাম্মাদের বংশধারা"
},
{
"docid": "637897#12",
"text": "ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদের (সা:) নবুওয়াত প্রকাশের একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা:) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুসালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহ'র সাক্ষাৎ লাভ করেন। এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল তার সফরসঙ্গী ছিলেন। কুরআন শরিফের সূরা বনী-ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে : \nপবিত্র কুরআনে ‘জেরুসালেম’ (আরবিতে কুদ্স বা বায়তুল মুকাদ্দাস) শহরটির নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, এটির আরবি অনুবাদ (\"আল কুদস\") দ্বারাও উল্লেখ করা হয়নি। যাইহোক, কুরআনের আয়াত (১৭:১) ইসলামী তাফসীরের (ভাষ্য) দ্বারা এই যাত্রার কথা উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, \"সর্বাধিক দূরবর্তী মসজিদ\" (আল-মসজিদ আল-আকসা) শব্দটি জেরুসালেমের পবিত্র স্থাপনাকে, উল্লেখ করে, যেখানে মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে তিনি অন্যান্য নবীদের (বিশেষ করে ইব্রাহিম, মূসা ও ঈসা) সাথে সাক্ষাত করেন।",
"title": "জেরুসালেমের ধর্মীয় গুরুত্ব"
},
{
"docid": "635369#0",
"text": "বাইবেলে মুহাম্মাদ একটি বিতর্ক, যেখানে ইসলামের প্রাথমিক যুগ হতে মুসলিমগণ দাবী করেন যে, তাদের নবী মুহাম্মাদের নবীত্ব সম্পর্কে বাইবেলে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে।\nমুসলমান লেখকেরা এই দৃষ্টিভঙ্গি আরো বিস্তৃত করেছেন এইভাবে যে, তারা বাইবেলে মুহাম্মদের ব্যাপারে তথ্যসূত্র সনাক্ত করেন। তারা খ্রিস্টানদের নূতন নিয়ম এবং ইহুদীদের তানাখ অর্থাৎ পুরাতন নিয়ম সহ উভয় বইয়েই তা সনাক্ত করেছেন বলে দাবী করেন। কোরআন এবং হাদীসের একাধিক জায়গায় মুহাম্মদের ব্যাপারে বাইবেলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। বার্নাবাসের বাইবেলে, মুহাম্মদের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্যভাবে বর্ণিত আছে। গবেষকেরা মধ্য যুগের শুরুর দিক থেকেই দাবী করে আসছেন যে, নবীর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী এই বইয়ে উল্লেখ আছে।",
"title": "বাইবেলে মুহাম্মাদ"
},
{
"docid": "364855#0",
"text": "আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, ( ), ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মদের (স) একজন সাহাবী বা সাথী। তিনি আবু আব্দুল্লাহনামেও পরিচিত ছিলেন।মুহাম্মদ (স) মক্কায় ইসলাম প্রচার শুরু করার পর প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি ৫৯৪ সালের দিকমক্কার তামিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন।",
"title": "আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ"
}
] |
অভ্র কিবোর্ডটি কবে প্রথম তৈরি হয় ? | [
{
"docid": "371895#7",
"text": "অভ্র কী-বোর্ড, মেহেদী হাসান খান কর্তৃক উন্নয়নকৃত, যা ২৬ মার্চ ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। এটিতে ফনেটিক ও ফিক্সড উভয় লেআউট সুবিধা রয়েছে। বিনামূল্যে ইউনিকোড/আনসি-ভিত্তিক অভ্র কীবোর্ডে বর্ননা, অভ্র ইজি, জাতীয়, অভ্র ফোনেটিক, মুনির এবং প্রভাত কিক্সড কীবোর্ড বিন্যাসের জন্য সমর্থন রয়েছে। প্লাস ইন হিসাবে ফিক্সড কীবোর্ড যোগ করা যায় এবং তা সরিয়েও ফেলা যায়। এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত বাংলা ইনপুট সিস্টেম।",
"title": "বাংলা ইনপুট পদ্ধতি"
},
{
"docid": "72889#1",
"text": "উইন্ডোজে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য ২০০৩ সালের ২৬শে মার্চ অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারটি আবির্ভূত হয়। এটার সাহায্যে বাংলা লিপি ব্যবহার করে এমন সব ভাষাতেই টাইপ করা যায়। এ ধরনের ভাষার মধ্যে অসমীয়া ভাষা অন্যতম। মেহদী হাসান খান নামে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্র ২০০৩ সালে অভ্র কীবোর্ড তৈরির কাজ শুরু করেন। তিনি এটি সর্বপ্রথম তৈরি করেছিলেন ভিজুয়াল বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে, পরবর্তীতে তিনি তা ডেলফিতে ভাষান্তর করেন। এই সফটওয়্যারটির লিনাক্স সংস্করণ লেখা হয়েছে সি++ প্রোগ্রামিং ভাষায়। পরবর্তীতে রিফাত-উন-নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা, ওমর ওসমান, সারিম খান এবং নিপুন হক এই সফটওয়্যারের উন্নয়নের সাথে যুক্ত হন।",
"title": "অভ্র কী-বোর্ড"
},
{
"docid": "386203#2",
"text": "মেহদী তার প্রথম বাংলা ফন্ট \"ইউনিবিজয়\" ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ও ভিজ্যুয়াল বেসিক উপর লেখেন। পরে তিনি অভ্র কী-বোর্ড ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়াই লেখেন। অভ্র সম্পূর্ণভাবে ইউনিকোড উপযোগী, যা ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম দ্বারা ২০০৩ সালের ১৪ জুন স্বীকৃত হয়। তিনি তার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান \"ওমিক্রনল্যাব\" প্রতিষ্ঠা করেন। অভ্র কী-বোর্ড প্রথম উন্মুক্ত করা হয় ২০০৩ সালে ২৬ মার্চ। ওমিক্রনল্যাব থেকে অভ্র উন্মুক্ত করা হয় ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর।",
"title": "মেহদী হাসান খান"
}
] | [
{
"docid": "72889#5",
"text": "অভ্রতে সাম্প্রতিকতম সংস্করণে যেসব বাংলা লেআউট পাওয়া যাবে,কম্পিউটারে বাংলা লেখার বাণিজ্যিক ক্লোজ সোর্স সফটওয়্যার বিজয় কিবোর্ড এর স্বত্বাধিকারী এবং ‘আনন্দ কম্পিউটার্স’ এর প্রধান নির্বাহী মোস্তাফা জব্বার ৪ঠা এপ্রিল ২০১০ তারিখে দৈনিক জনকন্ঠের একটি নিবন্ধে অভ্রর দিকে ইঙ্গিত করে দাবী করেন যে- হ্যাকাররা তার ‘বিজয়’ সফটওয়্যারটি চুরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি অভ্র কীবোর্ডকে পাইরেটেড সফটওয়্যার হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ইউএনডিপি হ্যাকারদের সহযোগিতা করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে ইউএনডিপি-র প্ররোচনাতেই জাতীয় তথ্যভান্ডার তৈরির কাজে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অভ্র কীবোর্ড ব্যবহার করেছে। মেহেদী হাসান খান জানান যে ক্লোজড সোর্স প্রোগ্রাম হ্যাক করা সম্ভব নয় বিধায় বিজয়ের সিস্টেম হ্যাক করা সম্ভব নয়। অপরদিকে, অভ্র'র পক্ষ থেকে মেহদী হাসান খান সকল নালিশ অস্বীকার করেন এবং অভিযোগ করেন যে, মোস্তাফা জব্বার বিভিন্ন পর্যায়ে ও গণমাধ্যমে তাদেরকে চোর বলেন এবং তাদের প্রতিবাদ সেখানে উপেক্ষিত হয়। কম্পিউটারে বাংলা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য উকিল নোটিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দিয়ে আক্রমণের হুমকি উপেক্ষা করে কাজ করা স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা। তিনি আরো বলেন যে নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রকল্পে বাণিজ্যিক বিজয়-এর পরিবর্তে বিনামূল্যের অভ্র ব্যবহার করাতে প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকসান হওয়ায় মোস্তাফা জব্বার এমন অভিযোগ করেছেন।",
"title": "অভ্র কী-বোর্ড"
},
{
"docid": "72889#2",
"text": "২০০৭ সালে 'অভ্র কীবোর্ড পোর্টেবল এডিশন' বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্যে উন্মুক্ত করা হয়। অভ্র কীবোর্ডের সাম্প্রতিকতম সংস্করণ ৫.৫.০ গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ এ প্রকাশিত হয়। সফটওয়্যারটির আগের সংস্করণের লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সমর্থিত সোর্সকোড আগে থেকেই মুক্ত ছিল এবং ২০১০ সালে উইন্ডোজে অভ্র কীবোর্ডের ৫ ভার্সনের সাথে এর সোর্স কোড মোজিলা পাবলিক লাইসেন্স এর আওতায় উন্মুক্ত করা হয়।",
"title": "অভ্র কী-বোর্ড"
},
{
"docid": "510201#0",
"text": "বিজয় কিবোর্ড হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস এবং লিনাক্স-এ গ্রাফিক্যাল লেআউট পরিবর্তক এবং ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার সফটওয়্যার। বিজয় এর প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে যা ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কী-বোর্ড আসার পূর্বপর্যন্ত বহুল ব্যাবহৃত হয়েছে। ইউনিকোড পরিপূর্ণভাবে প্রচলনের স্বার্থে বিজয় এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। প্রথম সংস্করণের সকল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে দ্বিতীয় সংস্করণে এমন কিছু নতুন বর্ণ যুক্ত করা হয় যা ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য প্রয়োজন হয়। প্রকৃতপক্ষে বিজয় এর দ্বিতীয় সংস্করণ সম্পূর্ণ প্রয়োগ করা হয়েছে বিজয় এর ইউনিকোড এবং গোল্ড সংস্করণে।",
"title": "বিজয় কিবোর্ড"
},
{
"docid": "72889#7",
"text": "১৬ জুন ২০১০ তারিখে ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অফিসে অনেক তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মেহদী হাসান খান ও মোস্তাফা জব্বারের মধ্যে একটি সমঝোতা হয় এই মর্মে, ২০ আগস্ট, ২০১০ এর মধ্যে, অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার থেকে ইউনিবিজয় লেআউট সরিয়ে নেওয়া হবে এবং কপিরাইট অফিস থেকে মেহদী হাসান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী, অভ্রর ৪.৫.৩ সংস্করণ থেকে ইউনিবিজয় কীবোর্ড বাদ দেওয়া হয়। মোস্তাফা জব্বার অভ্র কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।",
"title": "অভ্র কী-বোর্ড"
},
{
"docid": "72889#4",
"text": "২০০৭ সালে অভ্র কীবোর্ডের বহনযোগ্য সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। এতে অভ্র কীবোর্ড পূর্ণ সংস্করণের সমস্ত সুবিধা রয়েছে। এছাড়া কম্পিউটারে অ্যাডমিন অ্যাক্সেস নেই এমন কম্পিউটারে অভ্র কীবোর্ড চলাকালীন অবস্থায় অস্থায়ীভাবে বাংলা ফন্ট ইন্সটল করার জন্য রয়েছে \"ভার্চুয়াল বাংলা ফন্ট ইন্সটলার\" নামে একটি প্রোগ্রাম। পূর্ণ সংস্করণ থেকে এটি আকারেও অনেক ছোট।",
"title": "অভ্র কী-বোর্ড"
},
{
"docid": "510201#3",
"text": "১৬ জুন ২০১০ তারিখে ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অফিসে অনেক তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মেহদী হাসান খান ও মোস্তাফা জব্বারের মধ্যে একটি সমঝোতা হয় এই মর্মে, ২০১০ সালের ২০ আগস্টের মধ্যে, অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার থেকে ইউনিবিজয় লেআউট সরিয়ে নেওয়া হবে এবং কপিরাইট অফিস থেকে মেহদী হাসান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কপিরাইট লংঘনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, অভ্রর ৪.৫.৩ সংস্করণ থেকে ইউনিবিজয় কীবোর্ড বাদ দেওয়া হয়। তিনি অভ্র কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।",
"title": "বিজয় কিবোর্ড"
},
{
"docid": "626276#5",
"text": "১৮৫৭ সালে অস্কার রেজেন্ডার ৩০ টি নেগেটিভের বিভিন্ন অংশ একটি একক ইমেজ মধ্যে সংযুক্ত করে বিশ্বের প্রথম \"বিশেষ প্রভাব\" চলচ্চিত্র তৈরি করেন। এটি একটি কোলাজ সমন্বয় মুদ্রণ ছিল। ১৮৯৫ সালে অ্যালফ্রেড ক্লার্ক প্রথমবারের মতো বিশেষ আবহ দিয়ে গ্রহণযোগ্য গতিশীল ছবি তৈরী করেছিলেন। একটি চলচ্চিত্রে স্কটিশ রানী মেরির শিরঃচ্ছেদের দৃশ্য পুনরাবৃত্তি করতে, ক্লার্ক একজন অভিনেতাকে মেরির পোশাকে ব্লকটিতে বারবার যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জল্লাদ যখন মাথায় করে কুড়াল নিয়ে আসছিলো তখন ক্লার্ক ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছিল এবং সব অভিনেতা স্থির হয়ে গিয়েছিল। আর যিনি মেরির অভিনয় করছিলেন, তাকে সেট থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি অভিনেতার জায়গায় মেরির অনুরূপ একটি পুতুল স্থাপন করে নতুনভাবে চিত্রগ্রহণ শুরু করেন এবং পুতুলের মাথা কাটার জন্য জল্লাদকে তখন কুড়াল আনতে বলেন। এই ধরণের কৌশল এক শতাব্দী ধরে বিশেষ আবহ সৃজন শাসন করেছিল।",
"title": "বিশেষ আবহ"
}
] |
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মায়ের নাম কী ? | [
{
"docid": "4051#3",
"text": "পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায় অবস্থিত কামারপুকুর গ্রামে ১৮৩৬ সালে এক দরিদ্র ধর্মনিষ্ঠ রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম হয়। তিনি পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মা চন্দ্রমণি দেবীর চতুর্থ ও শেষ সন্তান। কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মের পূর্বে তাঁর পিতামাতার সম্মুখে বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। সন্তানসম্ভবা চন্দ্রমণি দেবী দেখেছিলেন শিবলিঙ্গ থেকে নির্গত একটি জ্যোতি তাঁর গর্ভে প্রবেশ করছে। তাঁর জন্মের অব্যবহিত পূর্বে গয়ায় তীর্থভ্রমণে গিয়ে ক্ষুদিরাম গদাধর বিষ্ণুকে স্বপ্নে দর্শন করেন। সেই কারণে তিনি নবজাতকের নাম রাখেন গদাধর।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
}
] | [
{
"docid": "414711#1",
"text": "ব্রাহ্ম ধর্মগুরু কেশবচন্দ্র সেনের \"পরমহংসদেবের উক্তি\" (১৮৭৮) রামকৃষ্ণ-বিষয়ক সর্বপ্রথম বই বলে জানা যায়। কেশবচন্দ্র তাঁর ধর্মীয় সম্প্রদায় নববিধান ব্রাহ্মসমাজের পত্রিকায় রামকৃষ্ণের শিক্ষা প্রকাশ করতেন। এর ফলে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজ ও ভারতে বসবাসকারী ইউরোপীয়দের কাছে রামকৃষ্ণের নাম পরিচিত হয়ে ওঠে। এরপর প্রকাশিত হয় সুরেশচন্দ্র দত্তের \"পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের উক্তি\" (১৮৮৪)।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা"
},
{
"docid": "657087#0",
"text": "স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ (৩০ জানুয়ারি ১৮৬৫ - ১০ জানুয়ারি ১৯১৫) শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সন্ন্যাসী শিষ্যবর্গের অন্যতম। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম ছিল সারদাপ্রসন্ন মিত্র। রামকৃষ্ণ মঠের বাংলা মাসিক পত্রিকা \"উদ্বোধন\" তাঁর উদ্যোগে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে স্বামী বিবেকানন্দের উৎসাহে ১৯০২ খ্রীষ্টাব্দে তিনি আমেরিকা গমন করেন এবং সান ফ্রান্সিসকো কেন্দ্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সান ফ্রান্সিসকোয় একটি নূতন ভবনের নির্মাণ (যা পরে \"হিন্দু মন্দির\" নামে খ্যাত হয়) তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহের একটি। ১৯১৫ খ্রীষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তিনি আততায়ীর ছোঁড়া বোমার আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন।",
"title": "ত্রিগুণাতীতানন্দ"
},
{
"docid": "414711#2",
"text": "রামচন্দ্র দত্তের \"শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবনবৃত্তান্ত\" (১৮৮০) হল রামকৃষ্ণ পরমহংসের সর্বপ্রথম রচিত জীবনী গ্রন্থগুলির একটি। ধর্ম-বিশেষজ্ঞ নরসিংহ শীল ও জেফরি কৃপালের মতে, রামচন্দ্র দত্ত রচিত বইটি রামকৃষ্ণ পরমহংসের সবচেয়ে কলঙ্কিত জীবনী। তাঁরা লিখেছেন, \"containing the lurid details of his \"sadhana\" as well as his quite suggestive encounters with his patron Mathur.\" তাঁরা ১৮৮৪ সালে স্বামী বিবেকানন্দের লেখা একটি চিঠির উল্লেখ করেছেন, যেখানে বিবেকানন্দ লিখেছেন, “...ইত্যাদি সম্পর্কে সব অসংলগ্ন অমার্জিত ধারণাগুলি এড়িয়ে যাবে... কারণ অন্যান্য দেশের লোকেরা এগুলিকে অমার্জিত মনে করে। ইংরেজি ভাষায় তাঁর (রামকৃষ্ণ) জীবনী সারা পৃথিবী পড়বে।” বিবেকানন্দ রামচন্দ্র দত্তের রচিত জীবনীর অনুবাদকে অমার্জিত বলেছেন। তাঁরা বলেছেন যে, স্বামী বিবেকানন্দ সম্ভবত রামচন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এবং রামকৃষ্ণ মিশন বইটির প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও এই ধরনের মামলার কোনো প্রমাণ নেই এবং স্বামী আত্মজ্ঞানানন্দ ও প্রব্রাজিকা ব্রজপ্রাণা ১৯৯৫ সালে লিখেছেন, রামচন্দ্র দত্তের লেখা বইটির ৯টি বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে। কৃপাল পরে অবশ্য রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃক বইটির প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে নিয়েছিলেন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা"
},
{
"docid": "614117#0",
"text": "রিচি পরগনাবাসী দাসবংশীয় বনমালী দাস ( নিত্যানন্দ প্রভু) অপুত্রক ছিলেন । তার পত্নী জাহ্নবীর সহিত শ্রীক্ষেত্র গমন করিয়া পুত্র কামনা করেন । শ্রীক্ষেত্র থেকে চলিয়া আসিলে জাহ্নবীর গর্ভ লক্ষন প্রকাশ পায় । সেই গর্ভে ১৫৭৬ সালে এবং বাংলা ৯৮৩ রামকৃষ্ণের জন্ম হয় । রামকৃষ্ণের বয়স যখন তিন বছর সেই সময় তাহার পিত্র বিয়োগ হয় । রামকৃষ্ণ পিতা কতৃর্ক পালিত হইয়া গ্রাম্য পাঠশালায় প্রবিষ্ট হন ও বাংলাভাষা শিক্ষা করিতে আরম্ভ করেন । রামকৃষ্ণের বুদ্ধি অতি চমৎকার , বুদ্ধির তীক্ষ্মতায় সকলে মোহিত হইয়া প্রশংসা করিত । যখন রামকৃষ্নের বয়স ত্রয়োদশ বছর তখন তার পিতা ইহলীলা সংবরন করেন । নিরাশ্রয রামকৃষ্ণ তখন গ্রামবাসী মাতুলের প্রতিপাল্য হইয়া উঠেন । \nযখন রামকৃষ্ন ষোড়শ বছরে পর্দাপন করেন তখন মাছুলিয়া আখড়াবাসী জগন্মোহনী সমপ্রদায়ী শান্ত গোসাঁই রিচিতে জণৈক শিষ্যগৃহে উপনীত হইয়া ছিলেন । শান্ত গোসাঁই পরম ধার্মিক ও সদাশয় ব্যক্তি ছিলেন । ইনি রিচি অবস্হিতিকালে ইহাকে দেখিয়া অনেকেই যাইত, তাহদের সহিত একদিন রামকৃষ্ণ গমন করিয়াছিলেন । বালক রামকৃষ্ণের সরল সুন্দর চেহারা শান্ত গোসাঁইর দৃষ্টি আকর্ষন করিল, তিনি ইহার পরিচয জিঞ্জাসিলে রামকৃষ্ণ নিজ পরিচয় দিয়া তদীয় আশ্রম ও কৃপাপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা করিলেন । রামকষ্ণের কথায় বিগলিত হইয়া তাকে মাছুলিয়ার আখড়াতে যাইতে বলিলেন । পিত্র মাত্রহীন রামকৃষ্ণ সংসারের অনিত্যতা নির্ম্মতায় সংসারের প্রতি সেই বয়সেই বীতশ্রদ্ধ হইয়া উঠিয়াছিলেন । রামকৃষ্ণ ৯৯৯ বাংলা মাছুলিয়ার আখড়াতে গিয়া শান্ত গোসাঁই হইতে ভেক আশ্রয় করিলেন । বেশ মধ্যে মাথায় টোপর বা টুপি ও খিলকা এবং তিলক এবং তিলক মালা ধারনের আদেশ পাইলেন । সন্ধ্যায় নির্ব্বান সঙ্গীত গাইয়া পরে“ সাধো এবং ব্রক্ষকি বাণী গুরু সত্য” জয় ধ্বনী করিতে উপদিষ্ট হইলেন । আমিষ বর্জন ও স্ত্রী সঙ্গত্যাগে বিশেষরূপে প্রতিঞ্জাবদ্ধ হইলেন । এরূপে রামকৃষ্ণ গুরুর উপদেশ অনুসারে সাধন ভজনে প্রবৃত্ত হইলেন এবং দ্বাদশ বছর (১০১১ বাংলা পর্যন্ত) এই স্হানে থাকিয়া ভজন করিলেন। এই সময় তিনি স্বয়ং সঙ্গীত রচনা করিয়া সাধন ভজন করিতেন,তৎকৃত দুটি নির্ব্বান সঙ্গীত এই,",
"title": "রামকৃষ্ণ গোসাঁই"
},
{
"docid": "4051#7",
"text": "১৮৫৫ সালে কলকাতার অস্পৃশ্য কৈবর্ত সমাজের এক ধনী জমিদারপত্নী রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করলে রামকুমার সেই মন্দিরে প্রধান পুরোহিতের পদ গ্রহণ করেন। নিম্নবর্ণীয়া এক নারীর প্রতিষ্ঠিত মন্দির হওয়া সত্ত্বেও সামান্য অনুরোধেই গদাধর সেই মন্দিরে চলে আসেন। তিনি ও তাঁর ভাগনে হৃদয়রাম রামকুমারের সহকারী হিসাবে প্রতিমার সাজসজ্জার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৮৫৬ সালে রামকুমারের মৃত্যু হলে গদাধর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মন্দিরে উত্তর-পশ্চিম আঙিনায় তাঁকে একটি ছোটো ঘর দেওয়া হয়। এই ঘরেই তিনি অতিবাহিত করেন তাঁর অবশিষ্ট জীবন। অনুমিত হয়, রাণী রাসমণির জামাতা মথুরামোহন বিশ্বাস, যিনি মথুরবাবু নামে পরিচিত ছিলেন, তিনিই গদাধরকে রামকৃষ্ণ নামটি দিয়েছিলেন। অন্য মতে, এই নামটি তাঁর অন্যতম গুরু তোতাপুরীর দেওয়া।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "256926#6",
"text": "\"প্রতাপচন্দ্র মজুমদার\" প্রথম ইংরেজিতে শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনী রচনা করেন ১৮৭৯ সালে। \"থেইস্টিক কোয়ার্টারলি রিভিউ\" পত্রিকায় প্রকাশিত \"দ্য হিন্দু সেইন্ট\" নামের রচনাটি তাঁর নজর কাড়ে। এর ফলেই তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। ফলশ্রুতিতে মানবতাবাদে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের অবদানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী অরবিন্দ, লিও তলস্তয় প্রমুখ চিন্তাবিদদের পাশাপাশি তিনিও। পরবর্তীকালে ১৮৯৮ সালে মুলার রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের উপর জীবনী গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন।",
"title": "মাক্স মুলার"
},
{
"docid": "414711#3",
"text": "১৮৮৭ সালে অক্ষয়কুমার সেন বাংলা পদ্যে \"শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ-পুঁথি\" নামে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জীবনী লেখেন। পরে তিনি \"পদ্যে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের উপদেশ\" ও \"শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ-মহিমা\" নামে দুটি বই লিখেছিলেন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা"
},
{
"docid": "4051#0",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৩৬ – ১৬ই আগস্ট, ১৮৮৬; পূর্বাশ্রমের নাম গদাধর চট্টোপাধ্যায়) ঊনবিংশ শতকের এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তাঁর প্রচারিত ধর্মীয় চিন্তাধারায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁরা উভয়েই বঙ্গীয় নবজাগরণের এবং ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর হিন্দু নবজাগরণের অন্যতম পুরোধাব্যক্তিত্ব। তাঁর শিষ্যসমাজে, এমনকি তাঁর আধুনিক ভক্তসমাজেও তিনি ঈশ্বরের অবতাররূপে পূজিত হন।",
"title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস"
},
{
"docid": "536241#1",
"text": "রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমগ্র জীবনকাহিনীটিই \"শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্\" ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ছবির শুরুতে দেখানো হয়েছে তদনীন্তন ব্রিটিশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির হুগলি জেলার অন্তঃপাতী কামারপুকুর গ্রামে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের (রামকৃষ্ণ পরমহংসের পূর্বাশ্রমের নাম) জন্ম। এরপর আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ও ভাবতন্ময়তা, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করে রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ প্রভৃতি অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা দেখে ধর্মশিক্ষা, যৌবনে কলকাতায় এসে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরহিত্য গ্রহণ এবং কিছুকাল পরেই পৌরোহিত্য ছেড়ে সাধনায় মনোনিবেশ ও সিদ্ধিলাভের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।",
"title": "শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্"
}
] |
ধূসর রঙটি কি একটি প্রাকৃতিক রং ? | [
{
"docid": "586929#19",
"text": "মুদ্রণকাজে ধূসর রঙ তৈরি করা হয় সিএমওয়াইকে রঙ মডেল অনুসারে, সায়ান, ম্যাজেন্টা, হলুদ ও কালো রঙ ব্যবহার করে। ধূসর বানানো হয় সাদা ও কালো ব্যবহার করে অথবা সমপরিমাণ সায়ান, ম্যাজেন্টা ও হলুদ রঙ মিশিয়ে। এ পদ্ধতিতে অধিকাংশ ধূসরই হয় খানিকটা উষ্ণ বা শীতল আবহের, আর মানুষের চোখ রঙের খুব সামান্য স্যাচুরেশনও ধরতে পারে। হলুদ, কমলা এবং লাল রঙ মিলে তৈরি করে উষ্ণ ধূসর; সবুজ, নীল ও বেগুনি মিলে হয় শীতল ধূসর। কোনো রঙ যোগ না করা হলে রঙটিকে বলে \"নিরপেক্ষ ধূসর\", \"অ্যাক্রোম্যাটিক ধূসর\" বা সহজভাবে শুধু \"ধূসর\"। যে চিত্রে কেবল কালো, সাদা ও ধূসর রঙ থাকে তাকে বলে মনোক্রোম (একবর্ণী), সাদা-কালো বা গ্রেস্কেল।\nএইচটিএমএল ও ক্যাসকেডিং স্টাইল শিট (CSS)-এ ধূসরের অনেকগুলো টোন নাম লিখে ব্যবহার করা যায়, আর ২৫৪টি প্রকৃত ধূসর রঙের জন্য আরজিবি মানের পৃথক পৃথক হেক্স ট্রিপলেট ব্যবহার করতে হবে। কোডিং ইংরেজিতে হওয়ায় ধূসরের ইংরেজি \"gray\" ব্যবহার করতে হবে। \"grey\" বানান ব্যবহার করা যাবে না কারণ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ট্রিডেন্ট ব্রাউজার ইঞ্জিন \"grey\" শব্দটা শনাক্ত করতে পারে না, একে \"green\" ভেবে নেয়। আরেকটি অসঙ্গতি হলো কম্পিউটারে \"gray\" রঙটি \"darkgray\"-র চেয়ে বেশি গাঢ়। সমস্যাটি হয়েছে এইচটিএমএল gray ও এক্স11 gray সাংঘর্ষিক হবার কারণে। এক্স11 gray এইচটিএমএলের \"silver\" (রুপালি) রঙের কাছাকাছি। \"slategray\" রঙতিনটি গ্রস্কেলে না থাকলেও সায়ান (নীলাভ সবুজ) রঙের দিকে স্যাচুরেটেড। যেহেতু ধূসরের স্যাচুরেটেড-না-হওয়া টোনসমূহের একটি সংখ্যা জোড় (256, কালো ও সাদা সহ), 8-বিট গ্রেস্কেলের মধ্যবিন্দুতে দুটি ধূসর টোন বিদ্যমান। \"gray\" রঙনামটি তাই হালকা শেডের জন্য প্রযোজ্য (128, অন্য নাম #808080)।",
"title": "ধূসর"
}
] | [
{
"docid": "586929#0",
"text": "ধূসর বা ছাই রঙ সাদা ও কালোর মধ্যবর্তী একটি রঙ। এটি একটি নিরপেক্ষ বা অ্যাক্রোম্যাটিক (নিবর্ণী) রঙ, আক্ষরিক অর্থে \"বর্ণহীন রঙ\"। ধূসর মেঘ-ঢাকা আকাশ, ছাই ও সীসার রঙ।",
"title": "ধূসর"
},
{
"docid": "586929#40",
"text": "প্যারাসাইকোলজিতে বিশ্বাসীরা বলে যে যারা হতাশার কারণে মানসিক অসুস্থতায় ভোগে তাদের ধূসর রঙের বলয় থাকে।আমেরিকা ও ইউরোপে ধূসর সবচেয়ে কম জনপ্রিয় রঙগুলোর একটি। এক ইউরোপীয় জরিপে কেবল ১ শতাংশ লোক ধূসরকে তাদের পছন্দের রঙ বলে এবং ১৩ শতাংশ সর্বনিম্ন পছন্দের রঙ মত দিয়েছিল; নারীদের ক্ষেত্রেও ফলাফল অনুরূপ। রঙবিষয়ক ঐতিহাসিক ইভা হেলারের মতে, \"ধূসর রঙটা এতো দুর্বল যে পুরুষালি নয়, আবার মেয়েলি হবার পক্ষেও ভীতিকর। এটা উষ্ণও না, শীতলও না, পদার্থও না অ-পদার্থও না। ধূসর দিয়ে কোনোকিছুই নিশ্চিতভাবে বোঝায় না।\"",
"title": "ধূসর"
},
{
"docid": "586929#22",
"text": "প্রাণী, পাখি ও মাছের মধ্যে ধূসর অনেক কমন একটা রঙ, তিমি থেকে ইঁদুর পর্যন্ত। এটা অনেকটা প্রাকৃতিক ক্যামোফ্লেজ যা তাদেরকে উপস্থিত পরিবেশের মধ্যে মিশে যেতে সহায়তা করে।\nমস্তিষ্ক গঠনকারী পদার্থকে কখনো কখনো ধূসর পদার্থ বা গ্রে ম্যাটার অথবা \"ছোট ছোট ধূসর কোষ\" বলা হয়, একারণে ইন্টেলেকচুয়াল কোনোকিছুর সাথে ধূসর রঙটি সম্পৃক্ত। তবে জীবিত মানুষের মস্তিষ্ক আসলে পিঙ্ক রঙের; মৃত্যুর পর এটা ধূসর রঙ ধারণ করে।",
"title": "ধূসর"
},
{
"docid": "586929#5",
"text": "সোনা ও ত্বকের রঙের পটভূমি হিসেবে ধূসর রঙ বেশ ভালো কাজ করে। রেমব্র্যান্টের আঁকা প্রতিকৃতি বা এল গ্রেকোর ছবিগুলোতে ধূসর পটভূমি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, ছবিতে ব্যক্তির চেহারা বা পোষাক হাইলাইট করার জন্য। রেমব্র্যান্টের প্যালেটে বেশিরভাগ রঙই ছিলো গাঢ় ম্লান ধরনের। তিনি ধূসর রঙে উষ্ণতা আনার জন্য কালো পিগমেন্টের (চারকোল বা পশুর হাড়ের ছাই হতে তৈরি) সাথে সীসা বা চুনের সাদা রঙ এবং সামান্য রেড লেক রঙ (কচিনিয়েল রঞ্জক বা ম্যাডার লতা হতে) মেশাতেন। মার্গারেতা ডি গীয়ারের প্রতিকৃতি (১৬৬১) আঁকার ক্ষেত্রে পটভূমির ধূসর দেয়ালের একাংশের রঙ করতে গিয়ে আইভরি ব্ল্যাক ও সীসা-সাদার সাথে কমলা, লাল ও হলুদ মেটে রঙের স্তরের ওপর গাঢ় বাদামির প্রলেপ দেন। এর ওপরে আবার নীল স্মল্ট, লাল ওকার ও ইয়োলো লেক রঙের চকচকে আস্তর দেন। ঐতিহাসিক ফিলিপ বলের মতে, রেমব্র্যান্ট এরকম সব উপাদান মিশিয়ে যে ধূসর রঙ তৈরি করেছিলেন তাতে \"অবিশ্বাস্য রকমের রঙময়তা প্রচ্ছন্নভাবে\" বিদ্যমান।\" উষ্ণ, গাঢ় এবং সমৃদ্ধ ধূসর ও বাদামি রঙগুলো ছবিতে মুখমণ্ডলে সোনালি আলো স্পষ্ট করেছে।",
"title": "ধূসর"
},
{
"docid": "586929#3",
"text": "প্রাচীন ও মধ্যযুগে ধূসর ছিল অরঞ্জিত উলের রঙ, সেকারণে চাষী ও গরিব লোকেরা এ রঙ বেশি পরতো। এছাড়া ফ্রান্সিসকান, সিস্টারশিয়ান ও কাপুচিনে সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরা তাদের নিরহঙ্কার ও দারিদ্র্যে বজায় রাখার ব্রতের প্রতীক হিসেবে ধূসর পোষাক পরিধান করে থাকে। ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এরকম ফ্রান্সিসকান সন্ন্যাসীরা \"গ্রে ফ্রেয়ারস\" (ধূসর ভিক্ষু) নামে পরিচিত ছিলেন; এখনো গ্রেট ব্রিটেনের বহু স্থানের সাথে এই নাম জড়িয়ে আছে।\nরেনেসাঁ এবং বারোকের সময়কালে ফ্যাশন ও শিল্পে ধূসর রঙ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অভিজাতদের সবচেয়ে পছন্দের রঙ হয়ে ওঠে কালো, বিশেষত ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনে; আর ধূসর ও সাদা ছিল এর সাথে সামঞ্জস্যতাপূর্ণ।",
"title": "ধূসর"
},
{
"docid": "586911#2",
"text": "রঙিন আলো (সংযোজী রঙ মডেল) মেশানোর সময় বর্ণালিগত ভারসাম্যপূর্ণ রঙ লাল, সবুজ ও নীলের (RGB) অ্যাক্রোম্যাটিক মিশ্রণ সবসময় সাদা, ধূসর বা কালো নয়। যখন রঙকণিকা (colorant) মেশানো হয়, যেমন তরল রঙের মধ্যে পিগমেন্ট মিশ্রণ, তখন এমন একটি রঙ উৎপন্ন হয় যার ক্রোমা বা স্যাচুরেশন বিক্রিয়ক রঙগুলোর চেয়ে কম এবং গাঢ়। ফলে মিশ্ররঙটি ধূসর বা প্রায়-কালো প্রভৃতি নিরপেক্ষ রঙের দিকে এগিয়ে যায়। উজ্জ্বলতা বা শক্তিস্তর কমবেশি করে আলোকে উজ্জ্বল বা অনুজ্জ্বল করা যায়; আর রঙের আলোকীয়তা (lightness) কমবেশি করা হয় তার সাথে সাদা, কালো বা পরিপূরক রঙ মিশিয়ে।",
"title": "সাদারূপ এবং ছায়ারূপ"
},
{
"docid": "586929#25",
"text": "খ্রিস্টান ধর্মে ধূসর হলো ছাইয়ের রঙ, তাই বাইবেলে সকাল ও অনুশোচনার প্রতীক, স্যাকক্লথ অ্যান্ড অ্যাশেজ বলে বর্ণিত। এটি লেন্টের সময় বা উপবাস ও প্রার্থনাকালে ব্যবহার করা যাবে। নিরহঙ্কার ও বিনয়ের রঙ হিশেবে অনেক সন্ন্যাসীরা ধূসর রঙের কাপড় পরেন, যেমন কাপুচিনে, ফ্রান্সিসকান ও ও সিস্টারশিয়ান। ব্রাজিলিয়ান ক্যাথলিক অ্যাপোস্টলিক চার্চের পাদ্রীরা ধূসর রঙের আলখেল্লা পরেন।",
"title": "ধূসর"
},
{
"docid": "248867#5",
"text": "কোন্ তিন ধরণের। আর এই তিন ধরণের কোন্ লাল (R), সবুজ (G) ও নীল (B) -এই তিনটি মৌলিক রং সনাক্ত করতে পারে। চোখের রেটিনায় এই তিন প্রকারের কোন্-এর যেকোন একটি, দুটি বা সবগুলির অনুপস্থিতি অথবা ত্রুটিই হলো বর্ণান্ধতার মূল কারণ। কোনো ব্যক্তির সবগুলো কোন্ই যদি ত্রুটিযুক্ত হয়, তাহলে তিনি সব রংকেই ধূসর দেখবেন। বর্ণান্ধতা এমনই মারাত্মক হয় যে, কোনো ব্যক্তি লাল রঙের রক্ত দেখলেও তা যে রক্ত, তা সনাক্ত করতে পারে না।\nবর্ণান্ধতা যদি কৈশোরেই নির্ণয় করা যায়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে তা সুস্থ করা সম্ভব হয়। জাপানে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সময় ছাত্রছাত্রীদের বর্ণদৃষ্টি নির্ণয় করা হয়ে থাকে।",
"title": "বর্ণান্ধতা"
},
{
"docid": "587934#10",
"text": "ডানপাশে দেখানো রঙটি মধ্যম ধূসর (medium gray) বা এক্স11 রঙনাম অনুসারে শুধু \"gray\" যা নিচে প্রদর্শিত HTML বা CSS ধূসরের চেয়ে হালকা। এক্স11তে রঙটির স্থানাঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে 190, যাতে 2-বিটের গ্রেস্কেল ডিসপ্লেতে এটিকে সাদা হিসেবে না দেখায়।",
"title": "ধূসরের বর্ণচ্ছটা"
},
{
"docid": "586929#31",
"text": "ইউনিফর্মের নকশা করেছিলেন জার্মান-আমেরিকান শিল্পী নিকোলা মার্শাল, মূল কনফেডারেট পতাকার নকশাও তারই করা। তিনি সমকালীন ফরাসী ও অস্ট্রেলীয় সামরিক উর্দির নকশার অনেকটা অনুসরণ করেছিলেন। ধূসর রঙটি তার ক্যামোফ্লেজ গুরুত্বের জন্য নির্বাচন করা হয়নি; বরং একারণে যে দক্ষিণাঞ্চলে বড়সড় রঞ্জক কারখানা ছিল না এবং ধূসর রঙ ছিল সস্তা ও সহজে প্রস্তুতযোগ্য। কোনো কোনো দলের পোষাক হতো ভালো মানের রঞ্জক দিয়ে, যেটা আসলে নিরেট নীলাভ-ধূসর; অন্যদের পোষাক হতো সুমাক বা লগউড-জাতীয় লতাগুল্ম-উদ্ভূত রঞ্জক হতে যা সূর্যালোকে মলিন হয়ে বাটারনাট স্কোয়াশ রঙ ধারণ করতো।",
"title": "ধূসর"
}
] |
গ্রিসের মিসিনিয়ান সভ্যতার ঠিক পরের সভ্যতার নাম কী ? | [
{
"docid": "544606#0",
"text": "গ্রীক অন্ধকার যুগ, হোমেরিক যুগ (মহাকবি হোমারের নামে নামকরণ করা হয়েছে) বা জ্যামিতিক যুগ (এসময়ের জ্যামিতিক শিল্পকলার বৈশিষ্ট অনুযায়ী নামকরণ করা হয়েছে) নামেও পরিচিত, গ্রীসের ইতিহাসের একটি যুগ, যা মিসিনিয়ান সভ্যতার শেষ দিকে খ্রিস্টপূর্ব ১১০০ অব্দ থেকে শুরু করে খ্রিস্টপূর্ব ৯ম শতাব্দীতে প্রাচীন গ্রীসের প্রথম নিদর্শন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।",
"title": "গ্রীক অন্ধকার যুগ"
}
] | [
{
"docid": "586528#7",
"text": "‘দি করোনার’ ডাকনামে গ্রেস পরিচিত ছিলেন। কেননা, তিনি গ্লুচেস্টারশায়ারের ক্ষুদ্রতর বিভাগে করোনার হিসেবে কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে চারবার বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন ও আঠারো সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। তাঁর প্রথম স্ত্রী অ্যানি ডেমারারা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের জ্যেষ্ঠা কন্যা অ্যানি মানসিক জড়তাগ্রস্ত ছিলেন। ১৮৮১ সালের মধ্যে এডিথ, ফ্লোরি, মিনা, সারাহ, অ্যালাইস ও সিবিল নাম্নী কমপক্ষে ছয় কন্যা এবং এডওয়ার্ড ও ফ্রান্সিস নামীয় দুই পুত্র জন্মগ্রহণ করে। ক্রিকেটার হেনরি উইলিসের পুত্র স্টকব্রোকার হেনরি উইলিসকে তাঁর কন্যা মিনা গারট্রুড গ্রেস বিয়ে করেন। ২০ মে, ১৯১১ তারিখে ৬৯ বছর বয়সে গ্লুচেস্টারশায়ারে ই. এম. গ্রেসের দেহাবসান ঘটে।",
"title": "ই. এম. গ্রেস"
},
{
"docid": "10706#15",
"text": "জর্জিনা পারকার, সংক্ষেপে তাকে সবাই ডাকে 'জিনা' বলে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী হ্যারিসন জোনাথন পারকারের (মূল চরিত্র- কোয়েন্টিন কিরিন) একমাত্র মেয়ে জিনা।প্রথমে জিনা রকি বীচে থাকত না, স্রেফ ছুটি কাটাতে এসে সে তিন গোয়েন্দার সাথে রহস্যোদঘাটনে জড়াত। পরবর্তীতে সে রকি বীচেই স্কুলে ভর্তি হয় (ছুটি গল্প দ্রষ্টব্য)। জিনা পোষা প্রাণীর প্রতি খুব মমতাশীল। 'রাফিয়ান' (মূল চরিত্র- টিমি) নামে তার একটি পোষা কুকুর আছে, যাকে আদর করে সংক্ষেপে 'রাফি' বলে ডাকা হয়- তিন গোয়েন্দার অনেকগুলো তদন্তে সাথে ছিলো রাফিয়ান। জিনা প্রায়ই নিজেকে ছেলেদের সমকক্ষ করে তুলতে ছেলেদের মতো করে ভাবে আর তখন নিজের নাম বলে 'জর্জ গোবেল'। মায়ের থেকে জিনা \" 'জর্জ গোবেল' \" নামে একটি দ্বীপের মালিক।এটির মালিক ছিল মূলত তার নানা।",
"title": "তিন গোয়েন্দা"
},
{
"docid": "544606#3",
"text": "মিসিনিয়ান সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ অব্দ থেকে ধ্বংস হতে থাকে। প্রত্নতত্ত্ব অনুযায়ী, খ্রিস্টপূর্ব ১১০০ অব্দ থেকে মিসিনিয়ার সুসংগঠিত সংস্কৃতির প্রাসাদ ও অন্যান্য বসতিসমূহ পরিত্যক্ত এবং ধ্বংস হতে থাকে। খ্রিস্টপূর্ব ১০৫০ অব্দের মধ্যে মিসিনিয়ান সংস্কৃতি মুছে যেতে থাকে এবং জনসংখ্যা ব্যাপক হারে কমতে থাকে। অনেকে মিসিনিয়ান সভ্যতার পতন ও ব্রোঞ্জ যুগ ধ্বংস হওয়ার পিছনে ডোরীয় এবং সামুদ্রিক মানুষদের আক্রমণ বা লোহার তৈরি সূক্ষ্ম ও দাড়ালো অস্ত্র আবিস্কারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে অন্যতম কারণ বলে বর্ণনা করেন।",
"title": "গ্রীক অন্ধকার যুগ"
},
{
"docid": "1367#1",
"text": "এজিয়ান সাগরের তীরে সুপ্রাচীন কালে ইউরোপের প্রথম উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল, বর্তমান আধুনিক ইউরোপকে এর ফসল বললে অত্যুক্তি হবে না। Minoan এবং Mycenean সভ্যতার উত্থানের ফলে গ্রিসের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বতন্ত্র জেলা এবং সরকার ও সমাজ কাঠামো বিশিষ্ট রাজ্যের সৃষ্টি হয়। এই রাজ্যগুলো স্পার্টা এবং এথেন্সের অধীনে একত্রিত হয়ে পার্সিয়ানদের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করেছিল। এথেন্সে গ্রিসের প্রথম সমৃদ্ধ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে এথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয় যার পরিণতি পেলোপোনেশীয় যুদ্ধ। এ সময় পার্সিয়ানদের হাতে স্পার্টার পতন হয়। এর পর মাত্র এক শতাব্দীর মধ্যে সকল গ্রিকরা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের নেতৃত্বে একত্রিত হয়ে পার্সীয়দের প্রতিহত করে। ১৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এখানে রোমান সম্রাজ্যের সূচনা হয়।",
"title": "গ্রিস"
},
{
"docid": "61674#12",
"text": "মার্কেসের জীবনে সাফল্য আর খ্যাতির পেছনে সবচেয়ে বেশি যাঁর অবদান, তিনি হলেন মিশরীয় বংশজাত কলম্বিয়ান তাঁর স্ত্রী মের্সেদেস বার্চা। কাছের লোকজন তাঁকে ডাকেন ‘গাবা’ নামে। মার্কেসের বয়স যখন মাত্র ১৪ বছর আর মের্সেদেসের বয়স ৮। তখনই তাদের প্রথম দেখা হয়। প্রথম দেখা হয়েছিল উত্তর কলম্বিয়ার মাগদালেনা তীরবর্তী ছোট শহর মাগানগেতে। সেই দেখাতেই প্রেম পড়ে যান; আর সেদিনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘এই বালিকাই একদিন আমার স্ত্রী হবে।’ ১৯৪৫ সালে তাঁকে নিয়ে কবিতাও লিখেছিলেন। সত্যিই সত্যি সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয় ১৯৫৮ সালে। দীর্ঘ দিনের প্রেমের পরিণত হয় বিয়ের বন্ধনে।",
"title": "গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস"
},
{
"docid": "6699#2",
"text": "মনরো ১৯২৬ সালের ১ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল নর্মা জেন মর্টেনসন। তিনি গ্লাডিস পার্ল বেকারের (প্রদত্ত নাম মনরো, ১৯০২-১৯৮৪) তৃতীয় সন্তান। গ্লাডিস কনসলিডেটেড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্ম নেগেটিভ কাটার হিসেবে কাজ করতেন। গ্লাডিস পনের বছর বয়সে তার চেয়ে নয় বছরের বড় জন নিউটন বেকারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রবার্ট (১৯১৭-১৯৩৩) এবং বার্নিস (জন্মঃ ১৯১৯)। ১৯২১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং বেকার তার সন্তানদের নিয়ে কেন্টাকি চলে যায়। মনরো তার ভাই বোনদের কথা জানতে পারে এবং তার বড় বোনের সাথে সাক্ষাৎ হয় তার ১২ বছর বয়সে। ১৯২৪ সালে গ্লাডিস তার দ্বিতীয় স্বামী মার্টিন এডওয়ার্ড মর্টেনসনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু মনরো যখন গ্লাডিসের পেটে তখন তা অন্য কারো সন্তান জানতে পেরে মার্টিন ১৯২৮ সালে তাকে তালাক দেন। মনরোর পিতার পরিচয় অজ্ঞাত এবং বেকারই তার উপনাম হিসেবে ব্যবহৃত হত।",
"title": "মেরিলিন মনরো"
},
{
"docid": "15880#6",
"text": "গ্রীসে আবির্ভূত হওয়া প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ক্রিটি দ্বীপের মিনোয়ান সভ্যতা যেটা ২৭০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৪৫০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল আর গ্রিক মূল ভুখন্ডের আদি হেলাডিক সভ্যতা যার স্থায়িত্বকাল ছিল ২৮০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ থেকে ২১০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। মিনোয়ানদের সম্পর্কে খুব কম খবরই পাওয়া যায়, তারা ছিল প্রোটো-ইন্দো ইউরোপীয় জাতের মানুষ, লিনিয়ার-এ (Linear A) নামের এক দূর্বোধ্য ভাষায় লেখতো যার অর্থ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তারা মূলত সামুদ্রিক বাণিজ্যে নিয়োজিত ছিল, নিজেদের দ্বীপের উর্বর প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করে উৎকর্ষ সাধন করেছিলেন, রপ্তানি দ্রব্যের মধ্যে মূলত ছিল কাঠ। রপ্তানি হত মূলত সাইপ্রাস সিরিয়া মিশর এবং এজিয়ান সাগরের দ্বীপগুলোতে।",
"title": "গ্রিসের ইতিহাস"
},
{
"docid": "15880#13",
"text": "বেশিরভাগ ঐতিহাসিক প্রাচীন গ্রীসকে আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার ভিত্তিভুমি বলে স্বীকার করেছেন। রোমান সভ্যতার উপর গ্রিক সংস্কৃতির প্রচন্ড রকম প্রভাব ছিল, যা ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আধুনিক পৃথিবীর ভাষা, রাজনীতি, শিক্ষা ব্যাবস্থা, দর্শন, শিল্পকলা এবং স্থাপত্যের উপর গ্রিক প্রাচীন যুগের প্রভাব অপরিসীম।",
"title": "গ্রিসের ইতিহাস"
},
{
"docid": "15880#9",
"text": "মাইসেনিয়ানরা ছিল যোদ্ধা, তাঁদের কবরে মৃতদেহের সাথে যুদ্ধের সরঞ্জাম সমাহিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। ১১০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে মাইসেনিয়ান সভ্যতা ধংস প্রাপ্ত হয়। কোন কোন গবেষক এর জন্য ডোরিয়ান নামের আরেকটি গোষ্টীর আক্রমণ করাকে দায়ী করে থাকে কিন্তু তার কোন উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মাইসেনিয়ান সভ্যতার পতনের পর গ্রিক একটা সাময়িক অন্ধকার যুগে প্রবেশ করে। এসময় গ্রীসের জনসংখ্যা এবং শিক্ষার হার আশঙ্খা জনক ভাবে হ্রুাস পায়।",
"title": "গ্রিসের ইতিহাস"
}
] |
জেরুজালেম বর্তমানে কোন দেশের অন্তর্গত ? | [
{
"docid": "328255#1",
"text": "প্রথাগতভাবে পুরনো শহরটি চারটি অসমান অংশে বিভক্ত। তবে বর্তমান অবস্থাটি ১৯ শতক থেকে চালু হয়েছে। বর্তমানে শহরটি মোটামোটিভাবে মুসলিম মহল্লা, খ্রিষ্টান মহল্লা, ইহুদি মহল্লা ও আর্মেনীয় মহল্লা নামক ভাগে বিভক্ত। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পুরনো শহরটি জর্ডান কর্তৃক অধিকৃত হয় এবং এর ইহুদি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হয়। ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধে টেম্পল মাউন্টের উপর দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি লড়াই হয়। এসময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমের বাকি অংশসহ পুরনো শহর দখল করে নেয় এবং পশ্চিম অংশের সাথে একীভূত করে পুরো এলাকাকে ইসরায়েলের অন্তর্গত করে নেয়া হয়। বর্তমানে পুরো এলাকাটি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে এবং তারা একে ইসরায়েলের জাতীয় রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। ২০১০ সালে জেরুজালেমের সর্বপ্রাচীন লেখার নমুনা পুরনো শহরের দেয়ালের বাইরে পাওয়া যায়। ১৯৮০ সালের জেরুজালেম আইন নামক আইন যেটিতে পূর্ব জেরুজালেমকে কার্যকরভাবে ইসরায়েলের অংশ ঘোষণা করা হয় তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব ৪৭৮ দ্বারা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে অধীকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের অংশ হিসেবে গণ্য করে।",
"title": "জেরুজালেমের পুরনো শহর"
},
{
"docid": "328255#4",
"text": "পুরনো শহরটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য ১৯৮০ সালে জর্ডান প্রস্তাব করে। ১৯৮১ সালে এটিকে তালিকাভুক্ত করা হয়। ১৯৮২ সালে জর্ডান একে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে গণ্য করার অনুরোধ জানায়। জর্ডানের এখতিয়ার নেই উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র এই অনুরোধের বিরোধিতা করে। সেসাথে এও উল্লেখ করে যে এক্ষেত্রে ইসরায়েলের সম্মতি প্রয়োজন কারণ তারা প্রত্যক্ষভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০১১ সালে ইউনেস্কো বিবৃতি দেয় যে তারা পূর্ব জেরুজালেমকে অধীকৃত ফিলিস্তিনি এলাকার অংশ বলে গণ্য করে এবং জেরুজালেমের অবস্থান স্থায়ী ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে।",
"title": "জেরুজালেমের পুরনো শহর"
},
{
"docid": "630784#12",
"text": "এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ ও ২০১৭ সালেও ইসরাইল তাদের অাক্রমণ চালিয়ে যায়।\nসম্প্রতি (২০১৭ সালের ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দেন।ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হলেও তাদের দাবিকৃত জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে কোনো রাষ্ট্রই স্বীকৃতি দেয়নি।কারণ জেরুজালেম মুসলিম ও ইহুদি তথা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য পবিত্র এক জায়গা। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছে।এদিকে ইসরাইল এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।",
"title": "ইজরায়েল–গাজা বিরোধ"
},
{
"docid": "627493#9",
"text": "ডিসেম্বর ৬, ২০১৭ তারিখে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমের স্বীকৃতি এবং মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরানো হবে বলে জানান। তার বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্ব জেরুসালেমকে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করেন নি, কিন্তু তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি জেরুসালেমের সীমানা নিয়ে বিরোধের সমাধান করেনি। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প স্পষ্টভাবে পুরাতন শহরের মধ্যে পবিত্র স্থাপনার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য তার সমর্থন বিবৃত করেন। ঘোষণার পর, ট্রাম্প চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যা অন্তত ছয় মাস ধরে এই পদক্ষেপকে বিলম্বিত করে দেয়। বাস্তবে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বেশ কয়েক বছর লাগতে পারে।",
"title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি"
},
{
"docid": "675871#1",
"text": "বর্তমানে পূর্ব জেরুসালেমের আইনি মর্যাদা, বিশেষ করে পুরাতন জেরুসালেম শহরের আইনি মর্যাদা এই বিবাদের প্রধান বিষয়বস্তু। এর বিপরীতে পশ্চিম জেরুসালেমে ইসরায়েলের অবস্থিতির ব্যাপারে সাধারণ ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে রাশিয়া সরকারিভাবে পশ্চিম জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে ১৯৮৮ সালে রাশিয়া পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তানের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে জেরুসালেমে একটি আন্তর্জাতিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সমর্থন জানালেও ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এসে মার্কিন সরকার সরকারিভাবে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দান করে। ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ের অংশীদারীমূলক রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমের মর্যাদার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই তাদের সমর্থন জ্ঞাপন করেছে।",
"title": "জেরুসালেমের মর্যাদা"
},
{
"docid": "675871#2",
"text": "জাতিসংঘের সিংহভাগ সদস্যরাষ্ট্র এবং বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সংস্থাই পূর্ব জেরুসালেমের উপরে ইসরায়েলের সার্বভৌম কর্তৃত্ব স্বীকার করে না। এর আগে ১৯৬৭ সালে সংঘটিত ছয় দিনের যুদ্ধশেষে পূর্ব জেরুসালেম এলাকাটি ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণে আসে। তারা ১৯৮০ সালে জেরুসালেম আইন নামক ইসরায়েলের ঘোষণাটিকেও স্বীকার করে না, যেখানে \"সম্পূর্ণ ও একীভূত\" জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। এর ফলশ্রুতিতে বেশির ভাগ রাষ্ট্রই ইসরায়েলে তাদের বৈদেশিক দূতাবাসগুলিকে জেরুসালেমের পরিবর্তে হয় তেল আভিভ বা তার শহরতলীতে স্থাপন করেছে। জাতিসংঘের অনেক সদস্যরাষ্ট্র সরকারিভাবে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের সাথে একমত যে প্রস্তাব অনুসারে জেরুসালেমকে একটি আন্তর্জাতিক নগরীর মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে (জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৮১(২) নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী)। ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ ব্যাপারে জাতিসংঘের নীতিই অনুসরণ করেছে; তারা জেরুসালেমকে \"কর্পাস সেপারাটাম\" (\"পৃথক দেহ\") অর্থাৎ জাতিসংঘের শাসনাধীন একটি আন্তর্জাতিক শহরের মর্যাদা দিতে বলেছে। কিন্তু জাতিসংঘ নিজেই আবার আপাত-স্ববিরোধী হয়ে পূর্ব জেরুসালেমকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মর্যাদা দিয়েছে। রাশিয়ার পাশাপাশি চীনও পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।",
"title": "জেরুসালেমের মর্যাদা"
}
] | [
{
"docid": "328255#7",
"text": "আর্মেনীয় মহল্লা (, Haygagan T'aġamas, , Ḩārat al-Arman) চারটি অংশের মধ্যে ক্ষুদ্রতম। আর্মেনীয়রাও ধর্মে খ্রিষ্টান হলেও এটি খ্রিষ্টান মহল্লা থেকে আলাদা। ক্ষুদ্র আকৃতি ও জনসংখ্যা সত্ত্বেও এই অংশে আর্মেনীয় ও তাদের পেট্রিয়ার্কেট স্বাধীনভাবে অবস্থান করছে এবং শহরে সবল অবস্থান ধরে রেখেছে। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর চারটি মহল্লাই জর্ডানের অধিকারে আসে। জর্ডানের আইন অনুযায়ী আর্মেনীয় ও অন্যান্য খ্রিষ্টানদেরকে ব্যক্তিগত খ্রিষ্টান স্কুলে বাইবেল ও কুরআনের জন্য সমান সময় দেয়া নিয়ম ছিল এবং এতে চার্চের সম্পদ বাড়ানোতে বাধা ছিল। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ এখানকার বাসিন্দাদের কাছে অলৌকিক ঘটনার কারণে স্বরণীয় হয়ে আছে। এসময় আর্মেনীয় মনাস্টেরিতে দুটি অবিস্ফোরিত বোমা পাওয়া যায়। বর্তমানে ৩,০০০ এরও বেশি আর্মেনীয় জেরুজালেমে বসবাস করে যাদের মধ্যে ৫০০ জন আর্মেনীয় মহল্লায় থাকে। সেমিনারিতে অধ্যয়নরত বা চার্চে কর্মরত কিছু ব্যক্তি সাময়িক বাসিন্দাও এখানে রয়েছে। পেট্রিয়ার্কেট এই মহল্লার জমির ও সেসাথে পশ্চিম জেরুজালেম ও অন্যান্য স্থানের মূল্যবান সম্পদের মালিকানা ভোগ করে। ১৯৭৫ সালে আর্মেনীয় মহল্লায় একটি ধর্মতাত্ত্বিক সেমিনারি স্থাপিত হয়। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েলী সরকার যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চার্চ বা যেকোনো ধর্মীয় স্থাপনা সংস্কারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়।",
"title": "জেরুজালেমের পুরনো শহর"
},
{
"docid": "296930#83",
"text": "২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে আরও অনেক ইহুদী ফিলিস্তিনে অভিবাসনে আগ্রহী হয়। যুক্তরাজ্য বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ফিলিস্তিনকে ভেঙে দুইটি রাষ্ট্র গঠন করা হবে যার একটি আরব এবং অন্যটি ইহুদী। জেরুজালেম একটি আন্তর্জাতিক শহরে পরিণত হবে, কেননা এটি ইহুদী, খ্রিস্টান ও মুসলমান সবার জন্যই একটি পবিত্র নগরী। ইহুদীরা জাতিসঙ্ঘের এই প্রস্তাবে রাজী হলেও আরবরা রাজী ছিল না। যুক্তরাজ্য ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে তার নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে নেয় এবং একই দিনে ইহুদী নেতা দাভিদ বেন গুরিয়ন (ইসরায়েলের ১ম প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনক) ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আরব রাষ্ট্রসমূহের সংগঠন আরব লীগ (সিরিয়া, লেবানন, ইরাক, ইরান, জর্দান ও মিশর) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ইসরায়েল খুব দ্রুত তাদের সম্মিলিত সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে এবং আগের চেয়ে বেশি ভূমি দখল করে নিতে সক্ষম হয়। জেরুজালেমের অংশবিশেষ জর্দানের দখলে আসে। ১৯৪৯ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘটে এবং এর ফলে ইসরায়েল ১৯৪৭ সালের প্রস্তাবে উল্লিখিত ইহুদী রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা লাভ করে। ১৯৬৭ সালে আরেকটি যুদ্ধে ইসরায়েল সমগ্র জেরুজালেম পুনরায় দখলে আনতে সক্ষম হয় এবং শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয়। আরব দেশগুলি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ইসরায়েলও যুদ্ধে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমি ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে সদিচ্ছা প্রকাশ করেনি।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
},
{
"docid": "328255#5",
"text": "মুসলিম মহল্লা (, Hārat al-Muslimīn) হল চারটি মহল্লার মধ্যে সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জনবহুল অংশ। এটি উত্তর পূর্ব কোণে অবস্থিত। পূর্বে সিংহ দরজা থেকে শুরু করে টেম্পল মাউন্টের উত্তর দেয়াল নিয়ে পশ্চিমে দামেস্ক পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। ২০০৫ সালে এখানে ২২,০০০ জন বসবাস করত। অন্য তিনটি মহল্লার মত মুসলিম মহল্লাতেও ১৯২৯ এর দাঙ্গার আগ পর্যন্ত মুসলিমদের পাশাপাশি ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা বসবাস করত। বর্তমানে এখানে বহু ইহুদি পরিবার বসবাস করে এবং এখানে কয়েকটি ইয়েশিভা রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হল আটেরেট কোহানিম।",
"title": "জেরুজালেমের পুরনো শহর"
},
{
"docid": "627493#36",
"text": "ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে ১৩ ই ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে, ৫০ টিরও বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করে এবং আল কুদস (আরবি ভাষায় \"জেরুসালেম\") ফ্রিডম নেভিগেশন ইস্তাম্বুল ঘোষণা অনুযায়ী \"পূর্ব জেরুসালেম হিসেবে স্বীকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র\" বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির জন্য আহ্বান জানায়। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পক্ষপাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে আর যোগ্য নয় এবং তাদেরকে \"ন্যায্য আলোচক\" হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। সম্মেলনে ইসরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, নিউইয়র্ক টাইমস এই ঘোষণাকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের জন্য \"এখন পর্যন্ত তীব্র প্রতিক্রিয়া\" হিসেবে অভিহিত করেছে।",
"title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি"
}
] |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
{
"docid": "2525#1",
"text": "ব্রিটিশ যুগে রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষাদীক্ষা উন্নয়নের জন্য ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী কলেজ৷ সে সময়ে রাজশাহী কলেজে আইন বিভাগসহ পোস্ট গ্রাজুয়েট শ্রেণী চালু করা হয়৷ কিন্ত এর কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায় এসব কার্যক্রম৷ সে সময়েই রাজশাহীতে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন অনুভূত হয়৷ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকার দেশের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে৷ রাজশাহীতে এ সময় স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়৷\nভাষা আন্দোলনের কিছুদিন আগ থেকেই মূলত রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়৷ ১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়ে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের ভুবন মোহন পার্কে ৷ প্রথম দাবি অবশ্য ওঠে রাজশাহী কলেজেই৷ ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গনে সমবেত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পাস করার দাবি তোলে৷",
"title": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়"
},
{
"docid": "2525#0",
"text": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার৷ \nপ্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷",
"title": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়"
},
{
"docid": "427103#0",
"text": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহতম বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ১০টি অনুষদের অধীনে ৫৭টি বিভাগ রয়েছে এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪১টি; যার মধ্যে সরকারি ১১টি ও বেসকারি ২৪টি। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে ৫টি।",
"title": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ও ইনস্টিটিউটসমূহ"
},
{
"docid": "427059#0",
"text": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহতম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ ২৩ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর এম আবদুস সোবহান।",
"title": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকা"
}
] | [
{
"docid": "316626#0",
"text": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ সংক্ষেপে রাকসু নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৎ, মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক ছাত্র নেতৃত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সালে রাকসু প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালের পর থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।",
"title": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ"
},
{
"docid": "2561#6",
"text": "কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত হয়ে কলেজে ১৮৮১ সালে এমএ কোর্স এবং ১৮৮৩ সালে থেকে স্নাতক ল কোর্স চালু হয়। কয়েক বছরের মধ্যেই রাজশাহী কলেজ থেকে আটজন ছাত্র এম.এ. এবং ষাটজন ছাত্র বি.এল. ডিগ্রী অর্জন করে। কিন্তু কলেজ এম.এ. এবং বি.এল. কোর্সর জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯০৯ সাল থেকে এম.এ. ও বি.এল. কোর্স স্থগিত রাখে। পূর্ব পাকিস্তানে রাজশাহী কলেজ প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ অধিভুক্ত হয় এবং পরে ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়। এই কলেজে আই.কম., বি.কম. (পাস) এবং বি.কম. (সম্মান) কোর্স যথাক্রমে ১৯৫২, ১৯৫৪ এবং ১৯৬১ সালে চালু হয়। ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হলে এর অধীনে এই কলেজে ১৯৯৪ সালে মাস্টার স্তরের কোর্স পুনরায় চালু হয়। ১৯৯৬ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোর্স বন্ধ থাকলেও এই অঞ্চলের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে পুনরায় চালু করা হয়। বর্তমানে রাজশাহী কলেজে ২২টি বিষয়ে সম্মান কোর্স এবং ২১টি বিষয়ে মাস্টার কোর্স চালু রয়েছে। কলেজের ২৪৯ শিক্ষকের মধ্যে ৫৬ নারী শিক্ষক রয়েছেন।",
"title": "রাজশাহী কলেজ"
},
{
"docid": "316455#1",
"text": "স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। পরবর্তীতে কলেজ শাখার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। প্রাথমিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়ার উত্তর অংশের আবাসিক ভবনে এবং টিনশেড ভবনে এর কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তীকালে কাজলা গেটের পাশে এর নিজস্ব ভবন তৈরি করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর মাধ্যমে এই স্কুলটি পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মাধ্যমে এই স্কুল পরিচালিত হয়।",
"title": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল"
},
{
"docid": "2561#1",
"text": "শিক্ষানগরী হিসেবে রাজশাহী মহানগরীর গোড়াপত্তন হয় ১৮২৮ সালে বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। প্রতিষ্ঠানটি তদানীন্তন পূর্ব বাংলায় আধুনিক শিক্ষার ইতিহাসে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছিল। মূলত ইংরেজি শিক্ষার প্রতিস্থাপনা ও প্রসারকল্পে সে সময় রাজশাহীতে কর্মরত ইংরেজ কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল। সেদিনের সে ক্ষুদ্র ‘বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল’ ১৮৩৬ সালে প্রাদেশিক সরকার জাতীয়করণ করলে এ স্কুলটি রাজশাহী জিলা (বা জেলা) স্কুল নামে পরিচিত (এই বিদ্যালয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল হিসাবে এখন পরিচিত)। সে স্কুলের ছাত্রদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ায় রাজশাহী অঞ্চলের অধিকাংশ বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৮৭৩ সালে জেলা স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের মর্যাদা দেয়া হয় এবং একই বছর ৫ জন হিন্দু ও ১ জন মুসলমান ছাত্রসহ মাত্র ছয় জন ছাত্র নিয়ে কলেজিয়েট স্কুলের সঙ্গে চালু হয় উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর সমমানের এফ. এ (ফার্স্ট আর্টস) কোর্স। ১৮৭৮ সালে এই কলেজকে প্রথম গ্রেড মর্যাদা দেয়া এবং “রাজশাহী কলেজ” নামে নামকরণ করার সাথে সাথে একে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত করে এখানে বি.এ. কোর্স চালু করা হলে উত্তরবঙ্গের সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী কলেজ। ১৮৮১ সালে এই কলেজে স্নাতকোত্তর শ্রেণীর উদ্বোধন করা হয় এবং ১৮৮৩ সালে যোগ হয় বি.এল কোর্স। ১৯০৯ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন আইনে কলেজ তার চাহিদা মেটাতে না পারলে মাস্টার্স কোর্স ও বি.এল. কোর্সের অধিভুক্তি বাতিল করা হয়।",
"title": "রাজশাহী কলেজ"
},
{
"docid": "2525#29",
"text": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরাম: ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিষয়ভিত্তিক উন্মুক্ত আলোচনা, সেমিনার আয়োজন, অফিস ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, বিতর্ক, উপস্থাপনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে।",
"title": "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়"
},
{
"docid": "684696#1",
"text": "রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম অস্থায়ী কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। শিক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সকল সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ বা ইনস্টিটিউটসমূহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্তকরণ এবং সঠিক ভাবে তার তদারকি করার লক্ষ নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।",
"title": "রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়"
}
] |
অলচিকি ভাষা কি সাঁওতালদের ভাষা ? | [
{
"docid": "12177#0",
"text": "সাঁওতালি ভাষা (অলচিকি: ; বাংলা লিপি: ) অস্ট্রো-এশীয় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত মুন্ডা উপপরিবারের একটি ভাষা, এবং হো এবং মুন্ডারি ভাষার সঙ্গে সম্পর্কিত।\nসাঁওতালিভাষী মানুষের সংখ্যা ভারতে প্রায় ৬৫ লক্ষ, বাংলাদেশে ২ লক্ষ ২৫ হাজার এবং নেপালে ৫০ হাজার। বেশির ভাগ সাঁওতালি ভাষাভাষী মানুষ ভারতের ঝাড়খণ্ড, আসাম, বিহার, ওড়িশা, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বাস করে।",
"title": "সাঁওতালি ভাষা"
},
{
"docid": "12177#1",
"text": "সাঁওতালি ভাষার নিজস্ব লিপি আছে, যার নাম অলচিকি লিপি (ᱚᱞ ᱪᱤᱠᱤ)। তবে বাংলা লিপি, ওড়িয়া লিপি, রোমান লিপি ও দেবনাগরীতেও এই ভাষার লিখন বহুল প্রচলিত।",
"title": "সাঁওতালি ভাষা"
},
{
"docid": "12177#5",
"text": "পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষা এবং ঝাড়খন্ডের সাঁওতালি সম্প্রদায়ে অলচিকি লিপিটি সার্বজনীন ভাবে গৃহীত হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে সাঁওতালি এখনও বাংলা লিপিতে লেখা হয়।",
"title": "সাঁওতালি ভাষা"
},
{
"docid": "514430#0",
"text": "অলচিকি বা অলসেমেট(ᱚᱞ ᱪᱤᱠᱤ) লিপি, (সাঁওতালি: \"অল\" 'লেখা', \"সেমেট\" 'পড়া') এছাড়া সাঁওতালি লিপি ও অল বর্ণমালা নামেও পরিচিত যা রঘুনাথ মুর্মূ ১৯২৫ সালে সাঁওতালি ভাষাকে লিখিত রূপ দেওয়ার জন্য উদ্ভবন করেন।",
"title": "অলচিকি লিপি"
}
] | [
{
"docid": "514430#1",
"text": "এর পূর্বে, সাঁওতালি ভাষা ল্যাটিন, দেবনাগরী ও বাংলা লিপিতে লেখা হত। যেহেতু সাঁওতালি ভাষা ইন্দো-আর্য ভাষা-পরিবারভুক্ত নয় (ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য অধিকাংশ ভাষার মতো), সেহেতু ভারতীয় লিপিসমূহে সাঁওতালি ভাষার জন্য কোন স্বনিম (Phonemes) বিদ্যমান নেই, বিশেষতঃ এর রুদ্ধ ব্যঞ্জন, এবং স্বরবর্ণগুলোর জন্য, যা ভারতীয় লিপিগুলো দ্বারা শুদ্ধভাবে লেখা খুবই মুশকিল। এসম্পর্কিত বিস্তারিত বিশ্লেষণ ব্যোমকেশ চক্রবর্তী তাঁর \"Comparative Study of Santali and Bengali\" বইতে আলোচনা করেন। তবে কোন কোনও মিশনারি বলেন ল্যাটিন লিপিতে, সাঁওতালির রুদ্ধ ব্যঞ্জন, অনুনাসিক ও বাচনভঙ্গি অনেকাংশে ভালো শোনায়। ব্রাহ্মী লিপি উদ্ভুত ভারতীয় বিভিন্ন লিপির মতো, অলচিকি আবুগিদা নয়। অলচিকি বর্ণমালাশ মোট ৩০টি অক্ষর আছে। অলচিকি ভারতীয় অন্যান্য লিপির মতো বাম থেকে ডানে লেখা হয়।",
"title": "অলচিকি লিপি"
},
{
"docid": "2894#3",
"text": "ভাষা এবং নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে সাঁওতালরা বাংলাদেশের অন্য অনেক নৃগোষ্ঠীর মত মঙ্গোলীয় গোত্রের নয়। এরা সাঁওতালী ভাষায় কথা বলে যে ভাষাটি অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। এদের মধ্যম গড়নের আকৃতির শরীর, ত্বকের গাঢ় রঙ, চ্যাপ্টা নাক, পুরু ঠোঁট এবং কোঁকড়ানো চুল তাদের অস্ট্রেশীয় নৃতাত্বিক উৎস নির্দেশ করে যে গোষ্ঠির মানুষ ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিল দ্রাবিড়দেরও আগে অস্ট্রেলিয়া এবং সন্নিহিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপমালা থেকে। দেহ কাঠামোর বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে সাঁওতালদেরকে বিশুদ্ধ প্রাক-দ্রাবিড়ীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধি বলে মনে করা হয়। তবে অস্ট্রেলীয় কৌমগুলোর সাথে সাঁওতালদের বেশ মিল লক্ষ করা যায় বলে তাদেরকে আদি অস্ট্রেলীয় বলা হয়। ধারণা করা হয় সুঁতার (Soontar) কথাটি থেকে সাঁওতাল শব্দের উদ্ভব। সুঁতার বাঙালিদের প্রদত্ত খেতাব।",
"title": "সাঁওতাল"
},
{
"docid": "2894#13",
"text": "২২ ডিসেম্বর, ২০০৩ সাল ভারতের সংবিধানের ৯২তম সংশোধনীর দ্বারা সাঁওতালি ভাষাসহ চারটি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে, ভারতের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। এই চারটি ভাষা হল – বোড়ো, ডোগরি, মৈথিলি ও সাঁওতালি। সারা পৃথিবীর সান্তালি ভাষী মানুষের জন্য এটা আনন্দের ও স্মরণীয় দিন।",
"title": "সাঁওতাল"
},
{
"docid": "12177#4",
"text": "অলচিকি লিপিটি ময়ুরভঞ্জ জেলার কবি রঘুনাথ মুর্মূ ১৯২৫ সালে সৃষ্টি করেন এবং প্রথমবার ১৯৩৯ সালে প্রচারিত করেন।",
"title": "সাঁওতালি ভাষা"
},
{
"docid": "12177#3",
"text": "ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত সাঁওতালি একটি মৌখিক ভাষা ছিল এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জ্ঞান সঞ্চারিত হত মুখে মুখে ।\nভারতীয় ভাষাগুলির অধ্যয়নে ইউরোপীয়দের আগ্রহের কারণে সাঁওতালি ভাষা লিপিবদ্ধ করার প্রথম প্রচেষ্টার সৃষ্টি হয়।\n১৮৬০-এর দশকের আগে ক্যাম্পবেল, স্ক্রেফসরুড এবং বোডিঙের মত ইউরোপীয় নৃতত্ববিদ, লোককাহিনীকার এবং ধর্মপ্রচারকরা সাঁওতালি ভাষা লেখার জন্য বাংলা এবং লাতিন লিপি ব্যবহার করতেন।\nতাদের প্রচেষ্টার ফল হল সাঁওতালি অভিধান এবং লোককাহিনীর বই এবং ভাষাটির রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব, ধ্বনিতাত্ত্বিক গঠন সম্পর্কে গবেষণা।",
"title": "সাঁওতালি ভাষা"
},
{
"docid": "3983#24",
"text": "বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভাষা বাংলাদেশের অনয যেকোন অঞ্চলের তুলনায় ভিন্ন। এই ভাষা স্বাতন্ত্র্য ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন নদী হচ্ছে ভাষাগত সীমানা। পূর্বদিকের ভাষা রাজবংশী ভাষার সঙ্গে মিল আর পশ্চিমে হিন্দি-উর্দু ভাষা প্রভাবিত। সাঁওতাল, ওরাও আদিবাসী এবং রাজবংশী, পলিয়া উপজাতি জনগোষ্ঠীর প্রাত্যহিক জীবনাচরণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংমিশ্রণ ভাষাগত পরিবেশকে করেছে বৈচিত্র্যময়। এছাড়া রয়েছে অত্র অঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চলীর কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে ভারতের মালদহ, পূর্ণিয়া ও বিহার অঞ্চলের সন্নিকটবর্তী প্রভাব। উপজেলার উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগূলোর মধযে রয়েছে ক্লাব ৩৪, নাট্যদল ৩, যাত্রাদল ১, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ৩২",
"title": "বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা"
}
] |
মায়ানমারের রাজধানী কোনটি ? | [
{
"docid": "456165#1",
"text": "২০০২ সালে পিনমানা শহরের কাছে, দেশের প্রাক্তন রাজধানী রেঙ্গুন বা ইয়াঙ্গুন থেকে ৩২০ কিলোমিটার উত্তরে নেপিডো শহরের নির্মাণকাজ শুরু হয়। মায়ানমার সরকার ২০০৫ সালে প্রথমে পিনমানা শহরে, পরে নেপিডো শহরে তার প্রধান কার্যালয়গুলি সরিয়ে নেয়। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে নেপিডোকে মায়ানমারের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়। শুরুর দিকে নেপিডোতে শুধু কিছু সরকারী ভবন, বিলাসবহুল হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও একটি বিমানবন্দর ছাড়া আর তেমন কিছুই ছিল না। এখানে মূলত সরকারী কর্মচারীরা বাস করতেন। তাদের পরিবার অবশ্য রেঙ্গুনেই বাস করত, কেননা নেপিডোতে বিপণী বিতান, রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য সেবা তেমন সুলভ ছিল না। তবে শহরে সার্বক্ষণিক অব্যাহতভাবে বিদ্যুৎসেবা পাওয়া যায়, যা মায়ানমারের অন্য শহরের জন্য বিরল। নেপিডোর বিমানবন্দরটি মূলত সামরিক বাহিনীদের সদস্যদের পরিবহনের কাজেই ব্যবহৃত হয়। শহরটি রেঙ্গুন থেকে সড়কপথে ও রেলপথে (পিনমানা হয়ে) সংযুক্ত। ২০১২ সালে শহরটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়।",
"title": "নেপিডো"
},
{
"docid": "456165#0",
"text": "নেপিডো ( \"নে পি ড\"; [nèpjìdɔ̀]; মায়ানমারের সরকারী বানান: Nay Pyi Taw) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মায়ানমারের রাজধানী শহর। \"নেপিডো\" শব্দের অর্থ \"রাজাদের আবাসভূমি\"। ২১শ শতকের শুরুর দিকে মায়ানমারের কেন্দ্রীয় সমভূমি অঞ্চলে দেশের নতুন প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে শহরটিকে প্রতিষ্ঠা ও নির্মাণ করা হয়।",
"title": "নেপিডো"
}
] | [
{
"docid": "8847#0",
"text": "মিয়ানমার বা মায়ানমার ( \"মিয়ামা\", আ-ধ্ব-ব: [mjəmà]); প্রাক্তন নাম ও কথ্যরূপ বর্মা বা বার্মা ( \"বামা\", আ-ধ্ব-ব: [bəmà]); প্রাচীন নাম ব্রহ্মদেশ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। মায়ানমারের আনুষ্ঠানিক নাম হল মায়ানমার প্রজাতন্ত্র ( [pjìdàʊɴzṵ θàɴməda̰ mjəmà nàɪɴŋàɴdɔ̀] \"পিডাওঁযু থাঁমাডা মিয়ামা নাইঁঙাঁড\")। মায়ানমারের রাজধানী নেপিডো (နေပြည်တော် [nèpjìdɔ̀] \"নেপিড\")। তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর ১৯৮৯ সালে সেখানকার সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে \"মিয়ানমার\" এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নাম হয় \"ইয়াঙ্গুন\"। তবে গণতান্ত্রিক দলগুলোর অনেক অনুসারীই এই নামকরণের বিপক্ষে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির জাতীয় সঙ্গীত ও নতুন জাতীয় পতাকা প্রবর্তন করা হয়।",
"title": "মিয়ানমার"
},
{
"docid": "453596#0",
"text": "ক্যান্ডি ( \"Maha nuwara\", উচ্চারণ ; , উচ্চারণ ) শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর। মধ্যপ্রদেশে এর অবস্থান। রাজধানী কলম্বোর পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এটি। শহরটি শ্রীলঙ্কার প্রাচীন রাজাদের সর্বশেষ রাজধানী ছিল। চা উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পাহাড়ের পাদদেশে এ শহরটি গড়ে উঠেছে। প্রশাসনিক ও ধর্মীয় কারণে এ শহরের সবিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ক্যান্ডি। বিশ্বের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত এ শহরে টুথ রেলিক (শ্রী দালাদা মালিগায়া) মন্দির রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা লাভ করেছে এটি।",
"title": "ক্যান্ডি (শ্রীলঙ্কা)"
},
{
"docid": "64875#0",
"text": "অটোয়া () কানাডার রাজধানী। জনসংখ্যার বিচারে অটোয়া দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম মহানগর আবার ওন্টারিও রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এবং ওন্টারিও প্রদেশের ২য় বৃহত্তম শহর।\nমেট্রোপলিটান এলাকাসহ এর লোকসংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ । অন্টারিও প্রদেশের পূর্বপ্রান্তে, অটোয়া নদীর দিকে মুখ করে উঁচু পাহাড়ের উপর ১৮২৬ সালে শহরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অটোয়া নদী ওন্টারিও ও কেবেক প্রদেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সীমান্ত গঠন করেছে। ১৮৫৮ সালে এটি কানাডার রাজধানীতে পরিণত হয়। কাঠ, মণ্ড ও কাগজ, প্রকৌশল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রকাশনা প্রধান শিল্প।",
"title": "অটোয়া"
},
{
"docid": "79770#5",
"text": "বেলুচিস্তানের উত্তর-পূর্ব কোণায় অবস্থিত কুয়েতা শহর প্রদেশটির রাজধানী; এটি বেলুচিস্তানের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনবহুল শহর। বেলুচিস্তানে প্রায় ১ কোটি লোকের বাস। এখানকার লোকেরা মূলত বেলুচি, ব্রাহুই, সিন্ধি, উর্দু এবং ফার্সি ভাষাতে কথা বলে। প্রদেশের বেশির ভাগ লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দিক থেকে প্রদেশটি পাকিস্তানের বাকী প্রদেশগুলির তুলনায় অনেক পিছিয়ে।",
"title": "বেলুচিস্তান (পাকিস্তান)"
},
{
"docid": "453613#0",
"text": "থাট্টা (; ) পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের থাট্টা জেলার একটি ঐতিহাসিক শহর। এটি বানভোর বিভাগের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পাবে। এ শহরটিতে প্রায় ২২০,০০০ লোক বসবাস করে। দেশের সর্ববৃহৎ স্বাদুপানির হ্রদ কিঞ্জরের কাছে এ শহরের অবস্থান। সিন্ধু নদের পশ্চিমাংশে ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী এলাকা এটি। থাট্টার প্রধান স্থাপনা হিসেবে রয়েছে মাকলিতে অবস্থিত সমাধিক্ষেত্র। ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এলাকা হিসেবে এটি তালিকাভূক্ত। এছাড়াও, উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হচ্ছে শাহজাহান মসজিদ যা ১৯৯৩ সাল থেকে এ তালিকায় পরীক্ষামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচীর ১০০ কিলোমিটার পূর্বে পার্শ্বে প্রাচীন এ শহরটি ছবিসদৃশ্য। ১৮৫৪ সালে এটিকে পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। তুলা ও সিল্কের লুঙ্গি বা সারঙ্গ এ অঞ্চলের প্রধান উৎপাদিত পণ্য। ইক্ষু প্রধান অর্থকরী ফসল। এছাড়াও, উটেরও প্রধান উৎপাদনক্ষেত্র এটি।",
"title": "থাট্টা (পাকিস্তান)"
},
{
"docid": "91159#0",
"text": "কন্সটান্টিন () উত্তর-পূর্ব আলজেরিয়ার একটি শহর এবং কন্সটান্টিন প্রদেশের রাজধানী। এটি চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য, পশম ও লিনেন কাপড়ের দ্রব্যের একটি উৎপাদন কেন্দ্র। শহরটি আলজিয়ার্স, তিউনিস, আন্নাবা, বিস্ক্রা ও স্কিক্দা শহরের সাথে এইসব দ্রব্য ও খাদ্যশস্য দিয়ে বাণিজ্য করে থাকে। স্কিক্দা কন্সটান্টিনের একটি ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর হিসেবে কাজ করে।",
"title": "কন্সটান্টিন"
},
{
"docid": "64819#0",
"text": "কোয়েটা (, , ) পাকিস্তানের একটি প্রধান শহর। এটি বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী। কোয়েটা পাকিস্তানের ফলের বাগান হিসাবে প্রসিদ্ধ। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য একসময়ে কোয়েটা খুদে প্যারিস হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল। শহরটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এই দুই দেশের বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে। কোয়েটা পাকিস্তানের সর্ব্বোচ্চ শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১৬৮০ মিটার বা ৫৫১০ ফুট। শহরটির আনুমানিক জনসংখ্যা বিশ লক্ষ।",
"title": "কোয়েটা"
},
{
"docid": "83364#2",
"text": "সাম্প্রতিককালে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো এশিয়াতেও পরিবেশগত ইস্যুগুলির মধ্যে বায়ুদূষণ অধিকতর প্রাধান্য লাভ করেছে। ভারতের রাজধানী দিল্লী বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরগুলির মধ্যে একটি। এছাড়াও কলকাতা, দিল্লী-সংলগ্ন এলাকা যেমন নয়ডা, গুরুগ্রাম প্রভৃতিতেও বায়ুদূষণ মাত্রাছাড়াভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মূলতঃ ক্ষিপ্রগতির নগরায়ণের ফলে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রগুলিতে সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া এবং রাজশাহী অঞ্চলের নগর এলাকাগুলিতে বায়ুদূষণের স্বাস্থ্যগত প্রতিক্রিয়া ঢাকার তুলনায় কম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শহর এলাকায় অনেক সময় এমন সব শিলা ও মৃত্তিকার উপর বাড়িঘর নির্মাণ করা হয় যাদের ভিত্তি থেকে তেজষ্ক্রিয় গ্যাস বিকীর্ণ হয়। দীর্ঘসময় এই গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। ভারত এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় বায়ুদূষণ এখনও তেমন কোন সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয় নি। কারণ এ সকল এলাকায় যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা যেমন কম, তেমনি শিল্প কারখানার সংখ্যাও অল্প। তবে ইটের ভাটা এবং রান্নার চুল্লি থেকে শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে বায়ুদূষণ ঘটছে। গ্রামাঞ্চলে কাঠ, কয়লা এবং বিভিন্ন ধরনের জৈববস্তু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফলে গ্রামাঞ্চলে প্রধান বায়ুদূষক হলো সম্ভবত কোন নির্দিষ্ট কণিকা উপাদানে গঠিত বস্তু এবং উদ্বায়ী জৈব যৌগ (Volatile Organic Compound-VOC)।",
"title": "বায়ু দূষণ"
},
{
"docid": "17902#0",
"text": "উলান বাটর বা উলান বাতার (মঙ্গোলীয়: Улаанбаатар, ᠤᠯᠠᠭᠠᠨᠪᠠᠭᠠᠲᠤᠷ আ-ধ্ব-ব [ʊɮɑnpɑːtʰɑ̆r] \"উল্বান্পাথার্\", অর্থাৎ \"লাল বীর\") (প্রাক্তন উর্গা বা নিসলেল খুরেরে) পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মঙ্গোলিয়ার রাজধানী ও প্রধান শহর। শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ১৩৫০ মিটার উচ্চতায় একটি ঝঞ্ঝাপীড়িত মালভূমির উপরে তুল নদীর তীরে অবস্থিত। মঙ্গোলীয় রাজপুত্রেরা এটিকে একটি মৌসুমী অভিবাসনমূলক আবাসস্থল হিসেবে পত্তন করেছিলেন। পরে ১৬৩৯ সালে দা খুরে মঠ নির্মাণের মাধ্যমে শহরটি বর্তমান অবস্থানে স্থায়ী হয়। এই ভবনটি তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের (মঙ্গোলরা যে ধর্মের অনুসারী) বোদগো-গেগেন তথা উচ্চ যাজকের বাসভবনে পরিণত হয় এবং আরও প্রায় ২০০ বছর এ কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তখনও এটি যাযাবর এক মঠের শহর হিসেবেই বিদ্যমান ছিল। রুশরা দা খুরে মঠটিকে উর্গা নামে ডাকত; তারা চীন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে এখানে একটি শহর গড়ে তোলে। ১৯১১ সালে বহির্দেশীয় মঙ্গোলিয়া নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করলে শহরটিকে নিসলেল খুরেরে (অর্থাৎ \"মঙ্গোলিয়ার রাজধানী\")। ১৯২১ সালে সোভিয়েত লাল বাহিনী এবং মঙ্গোলিয়ার বিপ্লবী নেতা দামদিনি স্যুবাতার শহরটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন। উলান বাতারের ধর্মীয় ভবনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯২৪ সালে মঙ্গোলিয়াকে একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে শহরটিকে উলান বাতার নাম দেওয়া হয়, যার অর্থ \"লাল নেতা\"।",
"title": "উলানবাটর"
}
] |
অলি আহাদ কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন ? | [
{
"docid": "11452#9",
"text": "মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে তিনি আধিপত্যবাদ বিরোধী অবস্হান গ্রহণ করেন ৷ মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনা বাস্তবায়নের জন্য শাসকদের উপর তিনি চাপ সৃষ্টি করেন ৷ তত্কালীন সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর নের্তৃত্ব দুঃশাসন বিরোধী এক তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন ৷ সরকার কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি করে সভা সমিতি বন্ধ করার প্রতিবাদে জনাব অলি আহাদ ২৮ জুন ১৯৭৪ তারিখে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ৷ বিচারপতি দেবেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ও বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ ৯ অক্টোবর ১৯৭৪ তারিখে ১৪৪ ধারা জারিকে অবৈধ ঘোষণা করেন ৷ কিন্তু ইতিমধ্যে ৩০ জুন ১৯৭৪ তারিখে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করে ৷ তিনি ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সৃষ্ট একদলীয় স্বৈরশাসন তথা বাকশালী ব্যবস্হার বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ান ৷ বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে পরিচালিত সকল সংগ্রামে অকুতোভয় এই লড়াকু জননায়ক আজীবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন । আশির দশকে সামরিক শাসন ব্যবস্হার বিরুদ্ধে আপোসহীন ভূমিকার কারণেও তিনি নিগৃহীত হন ৷ তাঁকে একাধিকবার গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রাখা হয় ৷ শুধু তাই নয়, তাঁর জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ইত্তেহাদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ৷ অলি আহাদ ডেমোক্র্যাটিক লীগ নামে একটি দল গঠন করেন। দলটি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় জোটের শরীক হয়।",
"title": "অলি আহাদ"
},
{
"docid": "33377#2",
"text": "১৯৭১ সালে অলি আহমদ কর্মরত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। এর অবস্থান ছিল চট্টগ্রামের ষোলশহরে। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে ভারতে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার পর নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে যুদ্ধ করেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্নেল পদে উন্নীত হয়ে অবসর নেন। পরে রাজনীতিতে যোগ দেন।\nবর্তমানে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বাংলাদেশ) এর প্রেসিডেন্ট।",
"title": "অলি আহমেদ"
}
] | [
{
"docid": "80943#2",
"text": "রাজনীতিতে আসা স্কুলে থাকা অবস্থায়। কুষ্টিয়া মুসলিম স্কুলে থাকা অবস্থাতে ঐ স্কুলের স্কুল ক্যাপ্টেন হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। কমরেড হক, কমরেড তোহার সান্নিধ্যে তিনি রাজনৈতিক হাতেখড়ি পান। এর পর তিনি বাংলাদেশের কম্যুনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সান্নিধ্যে আসেন এবং ভাসানীর একান্ত রাজনৈতিক সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাসানীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার সাথে ছিলেন। এছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় উন্মেষ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলেন আরো কয়েকজনের সাথে। তার মধ্যে মহসিন শস্ত্রপানি ছাড়াও অনেক কবি এবং বুদ্ধিজীবী তাতে অংশগ্রহণ করেন। চীন পন্থী চিন্তাধারার রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে তিনি এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে শ্রেনী সংগ্রামে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং এদেশীয় পাকিস্তানের চাটুকার বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়াতে কবীর চৌধুরীসহ এইরকম আরও পাকিস্তানের মতলব হাসিল কারিদের বিরুদ্ধে এক ধরনের জনমত তৈরিতে তখন কাজ করেন। তিনি ন্যাপ ভাসানির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।\nআবু সালেহ বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত ছড়াকার। ষাট দশক থেকে তার ছড়া বাংলাদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রাখে। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় একশত।",
"title": "আবু সালেহ"
},
{
"docid": "11452#4",
"text": "জনাব অলি আহাদ ছিলেন ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারিতে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলীম ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৫২ এর রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনে অন্যতম নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক৷১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের জন্য তিনি প্রথম কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন । ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. কম পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তত্কালীন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম, কম পড়ার সুযোগ না দিয়ে চিরতরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করে।",
"title": "অলি আহাদ"
},
{
"docid": "11452#8",
"text": "তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ৷ ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী রাজনৈতিক মেরুকরণের সময় তিনি মাওলানা ভাসানীর সাথে প্রগতিশীলদের পক্ষে যোগ দেন ৷ তিনি চিরদিন গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বপক্ষে সংগ্রাম করেন ৷ সাপ্তাহিক ইত্তেহাদ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন কালে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী জনমত গঠন করেন ৷ তাঁর রচিত 'জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫' নামক গ্রন্হটি এ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি ঐতিহাসিক প্রামাণ্য দলিল ৷",
"title": "অলি আহাদ"
},
{
"docid": "11452#1",
"text": "এছাড়া ১৯৪৭-১৯৭৫ সময়কালীন জাতীয় রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনের শেষ ভাগে তিনি ডেমোক্রাটিক লীগ নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এছাড়া জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতা সংবলিত গ্রন্থ \"জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-১৯৭৫\" এর প্রণেতা তিনি।",
"title": "অলি আহাদ"
},
{
"docid": "11452#6",
"text": "মার্চ ২৪ তারিখে রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল জিন্নাহ্র সাথে সাক্ষাৎ করেন ও বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন শামসুল হক, কামরুদ্দিন আহমেদ, আবুল কাশেম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, আজিজ আহমদ, অলি আহাদ, নঈমুদ্দিন আহমদ, শামসুল আলম এবং নজরুল ইসলাম।",
"title": "অলি আহাদ"
},
{
"docid": "265560#2",
"text": "১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৩ জুনের সম্মেলনের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শওকত আলী। তার উদ্যোগে ১৫০ নং মোগলটুলিস্থ শওকত আলীর বাসভবন এবং কর্মী শিবির অফিসকে ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার পর ২৩ জুনের কর্মী সম্মেলনে দলের ঘোষণা দেয়া হয়। শওকত আলীর অনুরোধে কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার কাজে ঢাকায় এলে তিনি শওকত আলীকে মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। শওকত আলী এ পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের নেতৃবৃন্দকে নতুন সংগঠন গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেন। এসময় কর্মী শিবিরের প্রধান নেতা ছিলেন শামসুল হক। কামরুদ্দীন আহমদ, শেখ মুজিবুর রহমান, মো. তোয়াহা, অলি আহাদ, তাজউদ্দীন আহমদ, আতাউর রহমান খান, আবদুল আউয়াল, মুহম্মদ আলমাস, শামসুজ্জোহা প্রমুখ কর্মী শিবির কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মতৎপরতায় বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন।",
"title": "শওকত আলী (রাজনীতিবিদ)"
},
{
"docid": "311911#0",
"text": "আল-আহাদ (, জামায়াত আল-আহাদ) ১৯৩১ সালে গঠিত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। মূলত উসমানীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ইরাকি অফিসাররা এটা গঠন করেন। এদের অধিকাংশই পরবর্তীতে আরব বিদ্রোহের সময় শরীফ হুসাইনের সেনাবাহিনী এবং ফয়সালের সিরিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শরীফ হুসাইনের পুত্র আবদুল্লাহকে রাজা ও অপর পুত্র প্রিন্স জাইদ তার ডেপুটি – এই কাঠামোর মধ্যে তারা ইরাকের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন। একই সাথে তারা ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যে ইউনিয়নের সমর্থক ছিলেন। পরবর্তীতে তারা ব্রিটেনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য পায়।",
"title": "আল-আহাদ"
},
{
"docid": "33377#4",
"text": "জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করলে তিনি সেনাবাহিনীতে তার চাকুরী ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দান করেন। তখন তার আরো ৯ বছর চাকুরী ছিল। এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রী হন। যমুনা সেতুর কাজ তার সময়েই শুরু হয়। দীর্ঘকাল বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকার পর ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ.কিউ,এম, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গঠন করেন। সম্প্রতি এলডিপি নেতৃবৃন্দ তাদের পূর্বের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতৃত্ত্বাধীন চোদ্দ দলীয় ঐক্য জোটের সাথে একত্রে আন্দোলন ও নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। অতি সম্প্রতি তিনি এ.কিউ,এম, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে মতবিরধের পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।",
"title": "অলি আহমেদ"
}
] |
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী মানুষদের কি বলা হয় ? | [
{
"docid": "1366#0",
"text": "ঈশ্বর () হল জাগতিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থানকারী কোন অস্তিত্ব । অনেকের মতে , এই মহাবিশ্বের জীব ও জড় সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রক আছে মনে করা হয় । এ অস্তিত্বে বিশ্বাসীগণ ঈশ্বরের উপাসনা করে , তাদেরকে আস্তিক বলা হয় । আর অনেকে এ ধারণাকে অস্বীকার করে , এদেরকে বলা হয় নাস্তিক ।",
"title": "ঈশ্বর"
},
{
"docid": "463481#1",
"text": "এই দর্শনগুলো এই অর্থে 'আস্তিক' যে এগুলি বেদে বিশ্বাস স্থাপন করে ও বেদকেই একমাত্র প্রামাণ্য বলে স্বীকার করে। এখানে আস্তিকতা অর্থে ঈশ্বরে বিশ্বাসের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। বস্তুত আস্তিক বলে পরিচিত এই ছ'টি দর্শনের অন্যতম সাংখ্য ও মীমাংসা জগতের স্রষ্টা হিসেবে ঈশ্বরের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না; বৈশেষিক দর্শনেও সরাসরি ঈশ্বর সম্পর্কিত কোনও কথা বলা নেই। আবার ন্যায় দর্শন যদিও ঈশ্বর ও আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাসী, এই দর্শনের মতে জগতেরও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। অর্থাৎ, বেদান্ত দর্শনে যে ঈশ্বর (সগুণ ব্রহ্ম) ও ব্রহ্মের (নির্গুণ) কথা বলা হয়েছে এবং ব্রহ্মই সত্য, জগত মিথ্যা বলে মতপ্রকাশ করা হয়েছে - আস্তিক বলে পরিচিত সমস্ত দর্শনগুলিই সে প্রশ্নে মোটেই একমত নয়।",
"title": "ষড়দর্শন"
}
] | [
{
"docid": "555175#6",
"text": "সর্বাধিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়গুলি বিশ্বাস করে যিশু একজন মানুষ হিসেবে ঈশ্বরের পুনর্বিভাব, যা ইহুদীধর্ম এবং ইসলাম থেকে খ্রীষ্টধর্মের প্রধান পার্থক্য। যদিও ব্যক্তিগত পরিত্রাণ সম্পর্কে ইহুদীধর্মে পরোক্ষভাবে বিবৃত করা হয়েছে, অনুগ্রহ ও সঠিক বিশ্বাসের জোরে ব্যক্তিগত পরিত্রাণের কথা খ্রিস্টানধর্মেই জোর দিয়ে বলা হয়েছে। তবে মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে মধ্যবর্তী কারো অস্তিত্বে বিশ্বাস নূহ আইনের সাথে বিরোধ করে এবং একেশ্বরবাদে অস্বীকার করে।",
"title": "ইব্রাহিমীয় ধর্মে ঈশ্বর"
},
{
"docid": "582623#3",
"text": "বিজ্ঞানীরা অনুসরণ করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যার মধ্যে তত্ত্ব যাচাইযোগ্য হতে হবে বাস্তবিক পরীক্ষা দ্বারা . এই ভিত্তিতে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব সংক্রান্ত , যার জন্য প্রমাণ করা যাবে না, পরীক্ষা definitionally মিথ্যা বাইরে আওতার আধুনিক বিজ্ঞান. এই ক্যাথলিক চার্চ বজায় রাখে যে জ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব হয়, \"প্রাকৃতিক আলো মানবিক কারণে\". Fideists স্বীকার করেন যে বিশ্বাস ঈশ্বরের অস্তিত্ব হতে পারে না, এক্তিয়ারভুক্ত বিক্ষোভের বা অপ্রমাণ, কিন্তু উপর অবস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট বিশ্বাসের একা. নাস্তিকতার দেখেছে আর্গুমেন্ট জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব হিসেবে অপর্যাপ্ত, ভুল বা কম ওজনের তুলনায় যুক্তির বিরুদ্ধে. অন্যান্য ধর্ম যেমন বৌদ্ধ, না, উদ্বেগের সঙ্গে নিজেদের দেবতা অস্তিত্ব সব সময়ে, যখন ধর্ম যেমন জৈন সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান, একটি স্রষ্টা, দেবতা.",
"title": "সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব"
},
{
"docid": "113250#2",
"text": "রিচার্ড ডকিন্স তাঁর ২০০৩ সালের বই “এ ডেভিলস চ্যাপলেইন” এ এই রুপকটি ব্যবহার করে ঈশ্বরের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে সংশয়বাদের সমালোচনা করেন। বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু বলতে পারে না। অতএব, একজন ধর্মীয় সংশয়বাদী বিশ্বাস করেন যে বিশ্বাস-অবিশ্বাস মানুষের ব্যক্তিগত রুচির ব্যাপার এবং দু’টোই সমপরিমাণ গুরুত্বের দাবিদার। ডকিন্স এখানেই এই রুপকের অবতারনা করেন: একজন সংশয়বাদী যদি বিশ্বাস-অবিশ্বাসকে একই পাল্লায় মাপতে চান, তবে তাকে চায়ের কেতলীতে বিশ্বাসকেও সমপরিমাণ সম্মান দেখাতে হবে কারণ এটির অস্তিত্ব ঈশ্বরের অস্তিত্বের থেকে কোনক্রমেই বেশি সম্ভাব্য নয়।",
"title": "রাসেলের চায়ের কেতলি"
},
{
"docid": "718258#2",
"text": "\"দ্য গড ডিলিউশন\" গ্রন্থে রিচার্ড ডকিন্স বলেন, \"ঈশ্বরের অস্তিত্ব অন্যান্য বৈজ্ঞানিক অনুকল্পের মতই একটি\"। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস এর অবস্থান নিয়ে দুটো চরমের দিকে (আস্তিক্যবাদ ও নাস্তিক্যবাদ) না গিয়ে এই দুই চরমের মাঝে একটি অনবরত বর্ণালি হিসেবে কল্পনা করেন যাকে ৭টি মাইলফলকের দ্বারা প্রকাশ করা যেতে পারে। তিনি এই বর্ণালীকে বলেন \"সম্ভাবনার বর্ণালী\" (Spectrum of probability) যেখানে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে কোন ব্যক্তি এই বর্ণালীতে নিজেদের অবস্থানকে ঠিক করেন। ডকিন্স এই সাতটি মাইলফলকের জন্য আলাদা আলাদাভাবে সংজ্ঞাগত বর্ণনাও দান করেছেন। এই মাইলফলকগুলো হল:ডকিন্স বলেন, বেশিরভাগ আস্তিক মানুষ তাদের সন্দেহের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মীয় বিশ্বাসকে শক্তভাবে আকড়ে থাকেন, এবং তাই নিজেদেরকে ১ নং অবস্থানেই ফেলেন। এদিকে বেশিরভাগ নাস্তিক নিজেদেরকে ৭ নং অবস্থানে ফেলেন না, কারণ প্রমাণের অভাবে নাস্তিক্যবাদের উদ্ভব হয় এবং প্রমাণের উপস্থিতি সবসময়ই চিন্তাশীল মানুষের চিন্তাকে পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। বিল মার এর নেয়া এক সাক্ষাতকারে ডকিন্স নিজেকে ৬ নং অবস্থানে ফেলেন বলে স্বীকার করেছিলেন। তবে পরবর্তিতে এনথোনি কেনি এর নেয়া এক সাক্ষাতকারে ডকিন্স প্রস্তাব করেন \"৬.৯\" নং অবস্থানই বেশি শুদ্ধ হবে।",
"title": "আস্তিকীয় সম্ভাবনার বর্ণালী"
},
{
"docid": "571045#11",
"text": "জাস্টিন এল. বেরেট তার \"হোয়াই উড এনিওয়ান বিলিভ ইন গড?\"(কেন কেও ঈশ্বরে বিশ্বাস করে) বইতে বলেছেন যে, ঈশ্বরে বিশ্বাস খুব সাধারণ একটা প্রাকৃতিক বিষয় কারণ এটা মানুষের মনস্তাত্বিক বিষয়, যা সকল মানুষের দ্বারা গঠিত হয়েছে। তিনি আমাদের মন কিভাবে গঠিত হয়েছে এবং কিভাবে তার উন্নয়ন ঘটেছে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন, তার মতে, আমাদের মন এভাবেই তৈরী হয়েছে, যাতে করে সর্বশক্তিমান, সবজান্তা, অমররণশীল এক মহান ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস রাখা যায়। তিনি মনের অন্যান্য বিশ্বাসের সাথে, ঈশ্বরে বিশ্বাসকে তুলনা করেন ও নাস্তিকতা সম্পর্কিত বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান নিয়ে তার অন্বেষণকে একটি অধ্যায় লিখেন। তিনি আরো বলেছেন, মানুষের মস্তিষ্কে প্রাথমিক ভাবে বিপদকে শনাক্ত করার জন্য একটি মানসিক সত্তা তৈরী হয়, যে সত্তা তাকে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে। একে তিনি হাইপারএকটিভ এজেন্সি ডিটেকশন ডিভাইস (HADD), বলে অভিহিত করেন। এই HADD নিজে স্পর্শকাতর হলেও টিকে থাকার লড়াইয়ে কিছু সুবিধা নিয়ে এসেছিল, তাঁর মতে কারো দ্বারা খুন হয়ে যাওয়ার থেকে কাল্পনিক কোনো সত্তাকে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এই ধরনের কাল্পনিক সত্তাই ভুত এবং আত্মায় বিশ্বাস করার মন মানসিকতা তৈরী করে।",
"title": "ধর্ম সম্পর্কিত বিবর্তনগত মনোবিজ্ঞান"
},
{
"docid": "507610#16",
"text": "ঈশ্বরবাদী বিশ্বাস প্রসঙ্গে স্টিফেন রবার্টস বলেন, “আমি [তর্কের খাতিরে] দাবি করছি যে আমরা উভয়ই নাস্তিক, আমি শুধু আপনার চেয়ে একজন কম ঈশ্বরে বিশ্বাস করি মাত্র। আপনি যখন এটা বোঝেনই যে কেন আপনি অন্য সব সম্ভাব্য ঈশ্বরদের [অস্তিত্ব] প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে এটাও [নিশ্চয়ই আপনি] বুঝবেন [যে] কেন আমি আপনার ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করি।”",
"title": "ধর্মের সমালোচনা"
},
{
"docid": "61957#12",
"text": "আঠারো শতকের পূর্বে ঈশ্বরের অস্তিত্ব পশ্চিমা সমাজে এতটাই স্বীকৃত ছিল যে, এমন কি প্রকৃত নাস্তিকতাই সেখানে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ বিষয়টিকে বলা হত \"জন্মগত বিশ্বাসী\"। এর মানে হলো মানুষ জন্মগত ভাবেই ঈশ্বরে বিশ্বাসী এবং নাস্তিকতা সেখানে সহজাতভাবেই প্রত্যাখাত একটি বিষয় ছিল।",
"title": "নাস্তিক্যবাদ"
},
{
"docid": "19083#27",
"text": "মানসিক প্রভাবগুলি উপকারী বা প্রতিকূল কিনা তা বিশ্বাসে প্রকৃতির সাথে পরিবর্তিত হয় বলে মনে হয়। দয়ালু ঈশ্বরকে বিশ্বাস এর মধ্যে সাধারণ উদ্বেগ, সামাজিক উদ্বেগ, paranoia, প্রবৃত্তি, এবং আবেশ যুক্ত থাকে । যদিও একটি শাস্ত্রীয় ঈশ্বরের বিশ্বাস সঙ্গে জড়িত । (একটি বিকল্প ব্যাখ্যা হল যে মানুষ তাদের মানসিক অবস্থা ও আবেগের সাথে মিলে যায় এমন বিশ্বাস খুঁজে বেড়ায় ।)",
"title": "সুখ"
},
{
"docid": "9918#7",
"text": "ঋগ্বেদ পৃথিবী এবং দেব-দেবীদের তৈরি হওয়ার ব্যাপারে একটি অজ্ঞেয়বাদী মতবাদ গ্রহণ করে। ঋগ্বেদের দশম অধ্যায়ের 'নাসাদিয়া শুক্তা' (সৃষ্টিতত্ত্ব) এ বলা হয়েছেঃ\nএরিস্টটল,\nএন্সলাম,\nআকুইনাস,\nএবং দেকার্ত যৌক্তিকভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে চেষ্টা করে যুক্তিগুলি উপস্থাপন করেন। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা অস্তিত্বহীনতার যেকোন সন্দেহাতীত প্রমাণ করানো অসম্ভব বলে ডেভিড হিউমের সন্দেহজনক অভিজ্ঞতাবিজ্ঞান, ইমানুয়েল কান্টের বিরোধাভাস, এবং সোরেন কেরেকগার্ডের অস্তিত্ববাদী দর্শন পরবর্তী অনেক দার্শনিক বিশ্বাসকে এই প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করার জন্য উপলব্ধি করায়।",
"title": "অজ্ঞেয়বাদ"
}
] |
ব্ল্যাকমেল শব্দটির উৎস কোন শব্দ থেকে ? | [
{
"docid": "551345#2",
"text": "বিভিন্ন ভাবে এই শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ব্রিটিশ ও স্কটিশ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা সীমান্ত ডাকাতদের হামলাসহ অন্যান্য হয়রানির হাত থেকে বাচতে যে রাজস্ব (আধুনিক শব্দ, সুরক্ষা চাঁদা) দিত তা থেকে। ব্ল্যাকমেল এর \"মেইল\" অংশটি এসেছে মধ্যযুগের ইংরেজি শব্দ \"MALE\" থেকে যার অর্থ \"রাজস্ব বা খাজনা\"। এই খাজনা সাধারণত কোন বস্তু বা শ্রমের মাধ্যমে দিতে হত [\"রেডিটাস নিগিরি (reditus nigri\"), বা \"ব্ল্যাকমেল\"]; এর বিপরীত শব্দ হচ্ছে \"ব্লাঞ্চে ফিরমেস\" (\"blanche firmes\") বা \"রেডিটাস এলবি\" (\"reditus albi\"), বা \"সাদা রাজস্ব\" (রূপা দ্বারা প্রদান করা)। অন্যভাবে, ম্যাককে(Mckay) এর মতে শব্দটি দুটি স্কট্স গ্যালিক শব্দ \"ব্লাথিইচ(blathaich)\" উচ্চারন হবে [মাজখানে থি(th)নিরব থাকবে] ব্লা-ইচ (রক্ষা করা)এবং ম্যাল(\"mal\")(রাজস্ব বা খাজনা) থেকে এসেছে। তিনি লক্ষ্য করেন যে এই খাজনা দেবার রীতি স্কটল্যান্ডের পার্বত্য অঞ্চলের পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। আইরিশ গেইলিক ভাষায়,সিওস ডুভ [\"cíos dubh] \"শব্দটি\", \"মানে \"কালো-রাজস্ব\" ব্যবহৃত হয়েছে।",
"title": "ব্ল্যাকমেইল"
}
] | [
{
"docid": "551345#1",
"text": "ব্ল্যাকমেলকে এক প্রকারের চাঁদাবাজিও বলা যেতে পারে। সাধারণতঃ শব্দ দুটি সমার্থক হলেও, চাঁদাবাজি ভবিষ্যতে ক্ষতি করার হুমকি দ্বারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়াকে বুঝায়। ব্ল্যাকমেল হচ্ছে হুমকি ব্যবহার করে আরেকজনকে বৈধ অধিকার থেকে বিরত রাখা এবং কুৎসাপূর্ণ চিঠি বা এমন চিঠি লেখা যা শান্তি ভঙ্গ করে এবং সেইসাথে ভীতিপ্রদর্শন করে অপরিশোধিত ঋণ আদায় করাকে বোঝায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু কিছু রাজ্যে অন্য অপরাধের মধ্যে পার্থক্য করা হয় এইভাবে যে ব্ল্যাকমেইলের লিখিত প্রমাণ থাকতে হবে।কিছু কিছু দেশের আইন অনুযায়ী, অনেক সময় ডাকাতি চলাকালিন সময়ও ব্লাকমেল করা হয়।এই ঘটনাটি ঘটে যখন একটি অপরাধী ডাকাতির অংশ হিসেবে কিছু ছিনিয়ে নেবার জন্য অন্য কারও প্রতি অবিলম্বে সহিংসতার হুমকি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কোন কিছু আদায় করার জন্য \"তোমার টাকা, বা তোমার জীবন\" এই সহিংস হুমকিটি একটি বেআইনী হুমকি।",
"title": "ব্ল্যাকমেইল"
},
{
"docid": "551345#0",
"text": "ব্ল্যাকমেল হচ্ছে একটি কাজ, প্রায়ই একটি অপরাধমূলক কাজ,যা হুমকি দিয়ে অন্যায়ভাবে কোন কিছু আদায় করা (সাধারণত টাকা বা সম্পত্তি) বা কোন চাহিদা পূরণ না করলে অন্যায়ভাবে ক্ষতি করাকে বোঝায়। সাধারণত এই অপরাধের সাথে যথেষ্ট সত্য বা মিথ্যা তথ্য সবার নিকট বা জনসম্মুখে প্রকাশ করে কোন ব্যক্তির, বা তার পরিবারের সদস্য, বা তার সহযোগীর শারীরিক ক্ষতি করার বা তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হুমকি দেবার কর্মকাণ্ড জড়িত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ায় এটি একটি সংবিধিবদ্ধ অপরাধ, এবং অন্য কোন অপরাধকে সহজতম উপায়ে বুঝাতে বা নির্দেশ করতে এটি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু ১৮৬৮ সালের পূর্বে ইংরেজি আইনে এর সংজ্ঞা লেখা ছিল না। ব্ল্যাকমেল শব্দটি দ্বারা আসলে স্কটল্যান্ড সীমান্তে ইংল্যান্ডের অধিবাসী কর্তৃক তাদের গোষ্ঠী প্রধান বা স্কটিশ ভূস্বামীদের খাজনা প্রধান করা বুঝাতো যা তারা স্কটিশ চোর বা ডাকাতের হাত থেকে সুরক্ষার বিনিময়ে দিয়ে থাকতো।",
"title": "ব্ল্যাকমেইল"
},
{
"docid": "64805#3",
"text": "\"বলকান\" শব্দটি অটোমান তুর্কীর বালকানের \"বনাবৃত পাহাড়ের একটি শৃঙ্খল\" থেকে এসেছে; এই শব্দের সম্পর্কিত কিছু শব্দও তুর্কি ভাষায় পাওয়া যায়। তুর্কী শব্দটির উৎপত্তি অস্পষ্ট; এটি সম্পর্কিত হতে পারে ফার্সি শব্দ \"বালক\" যার অর্থ \"কাদা\" এবং তুর্কি উপসর্গটি একটি, তুষারগোলক বনকে উল্লেখ করে বা ফার্সি শব্দ \"বালা-খানা\"-এর আর্থ হল \"বড় উচ্চ বাড়ী\"।\nমধ্যযুগের মাঝামাঝি সময়ে প্রাচীন ঐতিহ্য থেকে বলকান পর্বতমালাকে স্থানীয় থ্রিসিয়ান নামে নামকরণ করা হয় \"হেমাস\"। গ্রিক পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, থ্রিসিয়ান রাজা হেমাসকে জিউসের দ্বারা একটি পাহাড়ে রূপান্তরিত করা হয় এবং তার নামে রাখা হয়েছে পাহাড়ের নাম। এছাড়াও একটি বিপরীত নাম এই পাহাড়ের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ডি. ডিচভ মনে করেন যে হেমাস (Αἷμος) একটি থ্রিসিয়ান শব্দ 'সাইমন,' পর্বত 'থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তৃতীয় সম্ভাবনা হল \"হেমাস\" (Αἵμος) গ্রিক শব্দ \"হেমা\" (αἷμα) থেকে এসেছে যার অর্থ 'রক্ত'। কল্পকাহীনিতে বলা হয় এই নাম করণ হল জিউস এবং দৈত্য/টাইটান টাইফনের মধ্যে একটি যুদ্ধ সম্পর্কিত। জিউস একটি বজ্রধ্বনি বোল্ট দ্বারা ঝলসে টাইফনকে আহত করে এবং টাইফনের রক্ত ঝরে পরে পর্বতমালার উপর যা থেকে তারা পাহাড়ের নাম পেয়েছে।",
"title": "বলকান অঞ্চল"
},
{
"docid": "551345#19",
"text": "চুরি আইন ১৯৬৮ (Theft Act 1968) এর অনুচ্ছেদ ২১ এর প্রণয়নের পূর্বে, ব্ল্যাকমেল শব্দের কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। জোচ্চুরি আইন ১৯১৬ (\"Larceny Act 1916\") এর অনুচ্ছেদ ২৯ থেকে ৩১ এর আওতায় অপরাধকে সহজভাবে বর্ণিত করতে আইনজীবীদের দ্বারা এই শব্দটি ব্যবহিত হত, এবং সেই অপরাধগুলো সাধারণভাবে ব্লাকমেল নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ব্ল্যাকমেল শব্দটি আইনের কোনো জায়গায় উল্লেখিত ছিল না।",
"title": "ব্ল্যাকমেইল"
},
{
"docid": "96633#4",
"text": "এটা ভাবা হয় যে ইংরেজিতে স্লাম (বস্তি) শব্দটি ছিল ইতর শ্রেণির শব্দ। এর অর্থ ছিল 'কক্ষ'। আগে পূর্ব লন্ডনে নিম্নশ্রেণীর লোকেরা বাস করত। পরে তাদেরকে বোঝানোর জন্য ১৮৪৫ সালে 'ব্যাক স্লাম' (পেছনের কক্ষ। মূলত সেই নিম্নশ্রেণির লোকদের বোঝানো হতো) শব্দটি ব্যবহৃত হতো। অর্থাৎ \"ব্ল্যাক সাম\" শব্দের ভাবগত অর্থ ছিল \"পেছনের এলি। গরিব লোকেদের জায়গা\"। এভাবেই বস্তি শব্দটির প্রচলন শুরু হয়। এছাড়া বিশ্বের নানান দেশে বস্তিকে নানাভাবে ডাকা হয়। \nবস্তি সৃষ্টির নানাবিধ কারণ আছে। বিশেষ করে ভৌগোলিক অবস্থান, সমাজ, অর্থনীতি এই ব্যাপারগুলোর উপর বস্তি সৃষ্টি নির্ভর করে। সাধারণ ব্যাপারগুলোর মধ্যে অধিক হারে শহর মুখি হওয়া, নগর পরিকল্পনাবিদদের অব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য, অধিক বেকার সংখ্যা, অপরিকল্পিত অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং গৃহযুদ্ধ এই ব্যাপারগুলোর কারণেও বস্তি সৃষ্টি হতে পারে।",
"title": "বস্তি"
},
{
"docid": "89318#1",
"text": "নীলের ইংরেজি প্রতিশব্দ \"ব্লু\" শব্দটি প্রাচীন ফরাসি (ফ্রেঞ্চ) শব্দ \"bleu\" থেকে এসেছে যার এসেছে সম্ভবত আরো প্রাচীন উচ্চ জার্মান শব্দ \"blao\"(\"shining\") যার অর্থ উজ্জ্বল। \"bleu\" শব্দটি প্রাচীন ইংরেজি \"blaw\"কে প্রতিস্থাপিত করেছিল। এই শব্দগুলির উৎস প্রাচীন প্রোটো জার্মান \"blæwaz\" যা আদি নর্স শব্দ \"bla\", আইসল্যান্ডিক শব্দ \"blár\" এবং আধুনিক স্ক্যান্ডিনেভিয়ান \"blå\" শব্দেরও উৎস। এই শব্দগুলি অবশ্য নীল ছাড়া অন্য রংকেও বোঝাতে পারে। \"নীলচে ধূসর\" রঙের স্কটিশ প্রতিশব্দ \"blae\"। প্রাচীন গ্রিক ভাষায় নীলের উপযুক্ত প্রতিশব্দ ছিলনা, তাই গ্রিক কবি হোমার সমুদ্রের রংকে বলেছিলেন \"সূরার মত গাঢ়\"(\"wine dark\"), তবে \"kyanos\" (cyan বা আকাশী) শব্দটি ব্যবহৃত হত গাঢ় নীল প্রলেপনের ক্ষেত্রে।\nনীল অনেক সময় কষ্টের অনুভূতি বোঝাতে ব্যবহার হয়। \"বেদনার রঙ নীল\" বা ইংরেজি প্রবচন \"feeling blue\" এর উদাহরণ। বেদনার সঙ্গে নীলের সম্পর্কের পিছনে কারণ বোধহয় এই যে নীল বৃষ্টির সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং প্রাচীন গ্রিক পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে দেবরাজ জিউস বেদনার্ত হয়ে কাঁদলে বৃষ্টি হতো। প্রাচীন গ্রীসে \"Kyanos\" বলে গাঢ় নীল টাইলস বোঝানো হত, আধুনিক ইংরেজিতে যা নীলচে সবুজ বা আকাশী বেদনার সঙ্গে নীলের সম্পর্কের আরো একটি কারণ গভীর সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজগুলোর একটি রীতি। এই রীতি অনুসারে যদি যাত্রাকালে কোন জাহাজের ক্যাপ্টেন বা কর্মকর্তা মারা যান তবে নিজ বন্দরে ফেরার সময়ে জাহাজে একটি নীল পতাকা উড়ানো হত এবং জাহাজের হালের আগাগোড়া জুড়ে নীল একটি ফিতা বা পট্টি আঁকা হত।",
"title": "নীল"
},
{
"docid": "1185#6",
"text": "ব্রাজিলীয় পণ্ডিত জুসে আদেলিনু দা সিলভা আজেভেদুর স্বীকার্য অনুসারে ‘ব্রাজিল’ শব্দটির বুৎপত্তিস্থল আরও অনেক পুরোনো এবং এর উৎপত্তি হয়েছে মূলত কেল্টিক বা ফিনিসিয়ীয় থেকে। ফিনিসিয়ীরা কেল্টিক দ্বীপগুলোর খনি থেক প্রাপ্ত এক প্রকার খনিজ দ্রব্য থেকে উৎপন্ন লাল রঞ্জন ইবেরিয়া থেকে আয়ারল্যান্ডে রপ্তানি করতো। আয়ারল্যান্ডীয় পুরাণে হাই-ব্রাজিল নামে পশ্চিমে অবস্থিত একটি দ্বীপের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। টলকিনসহ কারও কারও মতে এই দ্বীপটির নাম থেকেই ‘ব্রাজিল’ শব্দটির উৎপত্তি। ষোড়শ শতকে বিভিন্ন পণ্ডিতগণও এই তত্ত্বটিকে সমর্থন করেছেন।",
"title": "ব্রাজিল"
},
{
"docid": "493192#5",
"text": "বারকরী সন্তকবি তুকারাম অবশ্য একটি ভিন্ন ব্যুৎপত্তিগত অর্থ করেছেন। তাঁর মতে, ‘বিট্ঠল’ শব্দটি ‘বিট্ঠ’ (অজ্ঞতা) ও ‘ল’ (যিনি গ্রহণ করেন) শব্দদুটির দ্বারা গঠিত। অর্থাৎ, ‘বিট্ঠল’ শব্দটির অর্থ ‘যিনি অজ্ঞ নিষ্পাপ মানুষকে গ্রহণ করেন’। ইতিহাসবিদ রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর আরেকটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন। তাঁর মতে, কন্নড় ভাষা ‘বিষ্ণু’ শব্দটির বিকৃত রূপ ‘বিট্ঠু’ মারাঠি ভাষায় গৃহীত হয়। সেই সঙ্গে –‘ল’ বা –‘ব’ (মারাঠি ভাষায় যার অর্থ ‘পিতা’) সম্মানার্থে যুক্ত করা হয়। এইভাবেই ‘বিট্ঠল’ বা ‘বিঠোবা’ শব্দটির উৎপত্তি হয়। উল্লেখ্য, খ্রিস্টীয় ৮ম শতাব্দী থেকেই মারাঠি ও কন্নড় জাতির মধ্যে সংস্কৃত ‘ষ্ণ’ যুক্তাক্ষরটির বিকৃত রূপ ‘ট্ঠ’ যুক্তাক্ষরটির ব্যবহার প্রচলিত হয়। সেই কারণে ‘বিষ্ণু’ শব্দটি হয়ে যায় ‘বিট্ঠু’।",
"title": "বিঠোবা"
},
{
"docid": "543696#13",
"text": "এলয় নামটি হিব্রু এলহিম শব্দের বহুবচন, বা ওল্ড টেস্টামেন্ট-এ ছোট দেবতা। মর্লক নামটি মলক নাটক থেকে নেওয়া হতে পারে, যার স্কটিশ অর্থ হল নীচ, অথবা দালমাতিয়ার মরলাচ্চি সম্প্রদায়কে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তী হাইপোথিসিসে দেখা যায় বলকান মরলাকরা পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের ভ্রমণকারী ও লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইয়োহান গটফ্রিট হের্ডার ও ইয়োহান ভোলফগাং ফন গ্যোটে এবং প্রায়ই বিভিন্ন লেখনীতে \"আদিম মানুষ\", \"পশ্চাৎপদ\", \"বর্বর\" হিসেবে তাদের সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যেত।",
"title": "দ্য টাইম মেশিন"
}
] |
তিতুমীর কত সালে মারা যান ? | [
{
"docid": "3294#0",
"text": "তিতুমীর, যাঁর প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী (জন্ম ২৭শে জানুয়ারি, ১৭৮২, ১৪ই মাঘ, ১১৮২ বঙ্গাব্দ, মৃত্যু ১৯শে নভেম্বর, ১৮৩১) ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী। তিনি ওয়াহাবী আন্দোলন এর সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরূদ্ধে সংগ্রাম ও তাঁর বিখ্যাত বাঁশের কেল্লার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ব্রিটিশ সেনাদের সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় এই বাঁশের কেল্লাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।",
"title": "তিতুমীর"
}
] | [
{
"docid": "4110#3",
"text": "দীর্ঘ সংগ্রামের পর একটা সময়ে এসে মানিক মিয়া কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তাঁর শরীর ভেঙ্গে পড়ে। এ অবস্থায় ১৯৬৯ সালে ২৬ মে এই ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়েই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে রাওয়ালপিন্ডি যান। সেখানেই ১৯৬৯ সালের ১ জুন রাতে তিনি মারা যান।",
"title": "তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া"
},
{
"docid": "321873#4",
"text": "আফগান পুলিশের মতে, সন্দেহভাজন তালিবান জঙ্গীরা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা সেপ্টেম্বর পাক্তিকা প্রদেশে তাঁর বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করে তার স্বামীকে বেঁধে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে প্রাদেশিক রাজধানী শারানা শহরের এক প্রান্তে এক মাদ্রাসার পাশে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর দেহে ২০টি গুলির ছিদ্র পাওয়া যায়। আফগান পুলিশের মতে তাঁকে সামাজিক কাজকর্ম ও তাঁর লিখিত বইয়ের জন্য অথবা শুধুমাত্র ভারতীয় হওয়ার জন্য খুন করা হয় যদিও তালিবানরা জানায় তাঁরা এই আক্রমণ করেননি। পরবর্তীকালে আফগানিস্তানের ইসলামি আন্দোলনের আত্মঘাতী দল নামক একটি তালিবানপন্থী জঙ্গীদল এই ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করে নেয়। মোল্লা নাজিবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন এই দলটির পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি জানান যে, তাঁরা সুস্মিতাকে ভারতীয় চর বলে সন্দেহ করতেন বলে হত্যা করেছেন। যদিও সুস্মিতার প্রতিবেশীদের মতে তাঁর মৃত্যুর জন্য বাড়ির বাইরে বোরখা না পরাও কারণ হতে পারে।",
"title": "সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়"
},
{
"docid": "3294#2",
"text": "১৮২২ সালে তিতুমীর মক্কায় হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে যান। তিনি সেখানে স্বাধীনতার অন্যতম পথপ্রদর্শক সৈয়দ আহমেদ শহীদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ও ওয়াহাবী মতবাদে অনুপ্রাণিত হন। সেখান থেকে এসে (১৮২৭) তিতুমীর তাঁর গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের সাথে নিয়ে জমিদার এবং ব্রিটিশ নীলকদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি এবং তাঁর অনুসারীরা তৎকালীন হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ধুতির বদলে 'তাহ্বান্দ' নামে এক ধরনের বস্ত্র পরিধান শুরু করেন। তিতুমীর হিন্দু জমিদার কৃষ্ণদেব রায় কর্তৃক মুসলমানদের উপর বৈষম্যমূলকভাবে আরোপিত 'দাঁড়ির খাজনা' এবং মসজিদের করের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীদের সাথে স্থানীয় জমিদার ও নীলকর সাহেবদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর হতে থাকে। আগেই তিতুমীর পালোয়ান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এবং পূর্বে জমিদারের লাঠিয়াল হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি তাঁর অনুসারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলেন।",
"title": "তিতুমীর"
},
{
"docid": "273663#9",
"text": "কয়েক বছর পূর্ব থেকেই মেহেদী হাসান ফুসফুসের প্রদাহে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবনতি হতে থাকে ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। সামাজিক ওয়েবসাইটগুলোতে গুজব রটে যায় যে ১৩ জানুয়ারি, ২০১২ সালে মারা গেছেন। কিন্তু তার সন্তান প্রচার মাধ্যমকে জানান যে তিনি জীবিত আছেন। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ও তাঁর পুত্র আসিফ মেহেদী বলেন,\nঐদিনই ১৩ জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২২ ঘটিকায় সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করেন। এর পূর্বে তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের বন্দর নগরী হিসেবে পরিচিত করাচীর আগা খান হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। সুদীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ ফুসফুস, বুক এবং মূত্রনালীর প্রদাহজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।",
"title": "মেহদী হাসান"
},
{
"docid": "622045#0",
"text": "ভগৎবীর তামাঙ (১ জুন, ১৮৫৯ - ১৯২৪) একজন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনকারী শহীদ। তিনি জাতিতে গোর্খা ছিলেন। জেলে বন্দী অবস্থায় মারা যান।\nভগৎবীর তামাঙ এর জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশ ভারতের দার্জিলিং জেলার গয়াবাড়ি চা বাগান এলাকায়। তার পিতার নাম আশিকদেও তামাঙ। গয়াবাড়িতে কর্মরত ছিলেন ভগৎবীর। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন বৃদ্ধ বয়েসে। চা বাগান কর্মী ও শ্রমিকদের সংগঠন গড়ে তোলেন তিনি। সরকারবিরোধী কার্যকলাপের জন্যে কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়ে তার অল্পকালের জেল হয়েছিল।\n১৯২৩ সালের আগস্ট মাসে পূনরায় গ্রেপ্তার হন ভগৎবীর তামাঙ এবং দার্জিলিং জেলেই মারা যান।",
"title": "ভগৎবীর তামাঙ"
},
{
"docid": "17967#7",
"text": "হুসাম রুমিকে মিনতি করতে লাগলেন আরো লিখার জন্য। রুমি তাঁর পরের বারটি বছর আনাতোলিয়ায় তাঁর সেরা কাজ “মসনবী” এর ছয়টি খন্ডের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। \n১২৭৩ সালের ডিসেম্বর এ রুমি অসুস্থবোধ করতে লাগলেন। তিনি তাঁর নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এবং অনেক জনপ্রিয় হওয়া একটি গজল রচনা করেন যার শুরু হয়ঃ\n১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩ সালে রুমি কোনিয়ায় মারা যান। তাঁকে তাঁর পিতার কাছে সমাহিত করা হয় এবং যেটি একটি চমকপ্রদ ঘর, \"“ইয়াসিল তুর্ব”\"(সবুজ সমাধি, قبه الخضراء; যা বর্তমানে মাওলানা মিউজিয়াম), তাঁর কবরের উপর দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর সমাধিফলকে লেখাঃ\nজর্জিয়ার রাণী গুরসু খাতুন ছিলেন রুমির উৎসাহদাতা এবং কাছের বন্ধু। তিনি কোনিয়াতে রুমির সমাধি নির্মানে তহবিল প্রদান করেন। ১৩ শতকের মাওলানা মিউজিয়াম সহ তাঁর মসজিদ, থাকার জায়গা, বিদ্যালয় এবং মৌলভি তরীকার অন্যান্য ব্যক্তিদের সমাধি দেখতে আজকেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিম-অমুসলিমরা ছুটে যান। জালাল উদ্দিন যিনি রুমি নামে পরিচিত, তিনি ছিলেন ইসলামের একজন দার্শনিক এবং মরমী। তাঁর উপদেশ সমর্থন করে ভালবাসার মাধ্যমে অসীম পরমতসহিষ্ণুতা, ইতিবাচক যুক্তি, ধার্মিকতা, দানশীলতা এবং সচেতনতা। তিনি এবং তাঁর শিষ্যদের কাছে সকল ধর্মই অধিক বা কম সত্য। মুসলিম, খৃষ্টান এবং ইহুদীকে একই দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন, তাঁর শান্তিপূর্ন এবং সহিষ্ণু শিক্ষাদান বা উপদেশ সকল ধর্মের মানুষের অন্তর স্পর্শ করেছে।",
"title": "জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি"
},
{
"docid": "575420#6",
"text": "তামা মারা যায় ২০১৫ সালের ২২ জুন হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে ওয়াকাইয়ামা অঞ্চলের একটি পশু হাসপাতালে ১৬ বিড়ালবর্ষে যেটি মানুষের সাথে ৮০ বছরের সমান। তার মৃত্যুতে হাজার হাজার ভক্ত সমগ্র জাপান থেকে আসে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে। তাকে শিন্তৌ-ধরণের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেয়া হয় স্টেশনে এবং মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয় \"‘অনন্ত অপরিশোধিত স্টেশনমাস্টার’\" নামে। তামাকে সমাহিত করা হয় কাছের একটি বিড়াল মন্দিরে \"‘তামা ডাইমোজিন’\"(たま大明神) নামে আগস্টের দিকে।",
"title": "তামা (বিড়াল)"
},
{
"docid": "445343#2",
"text": "ইসহাক হোসেন তালুকদার ২০১৪ সালের অক্টোবরে মারা যান। উপ-নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ম ম আমজাদ হোসেন মিলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুল ইসলাম মুন্নু মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন মুন্নুর মনোনয়রপত্র বাতিল ঘোষণা করলে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।",
"title": "সিরাজগঞ্জ-৩"
},
{
"docid": "34128#6",
"text": "মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ১৯৭৯-এ এক দুঘর্টনায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে তিনি গুরুতর রূপে আহত হন এবং বেশ কয়েকদিন অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকার পি, জি, হাসপাতা্লে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর ১২ মার্চ মারা যান। সবোর্ত্তম চিকিৎসার স্বার্থে তার জন্য ভারত এবং পাকিস্তান থেকে শ্রেষ্ঠ শল্য চিকিৎসকদের আনা হয়েছিল।",
"title": "মশিউর রহমান"
}
] |
ভারতবর্ষ কত সালে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | [
{
"docid": "69182#1",
"text": "১৮৫৮ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলই ছিল ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে। এই সময় দেশকে বিদেশি শাসকদের হাত থেকে মুক্ত করতে এক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত অধিরাজ্য ও পাকিস্তান অধিরাজ্যের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে এই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান গৃহীত হলে ভারতকে একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র রূপে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতা অর্জনের পরে ভারত শাসনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনের নীতি ও রূপরেখাগুলি এই সংবিধানে ঘোষিত হয়। সংবিধান কার্যকরী হওয়ার দিন থেকে ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির অধিরাজ্যের পরিবর্তে পূর্ণ সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয়।",
"title": "ভারতের সংবিধান"
},
{
"docid": "69036#0",
"text": "১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গ ভারতবর্ষ বিভক্তির একটি অংশ হিসেবে ধর্মের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত বঙ্গ প্রদেশ ভারত এবং পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বিভক্ত হয়। প্রধানত হিন্দু অধ্যুষিত \"পশ্চিম বাঙলা\" ভারত এবং মুসলিম অধ্যুষিত \"পূর্ব বাঙলা\" পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়। \"৩ জুন পরিকল্পনা\" বা \"মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা\" অনুসারে ১৯৪৭ সালের ১৪ এবং ১৫ অগাস্ট যথাক্রমে এবং পাকিস্তান এবং ভারতের নিকট এই নতুন ভাবে বিভক্ত বাঙলা প্রদেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে \"পূর্ব পাকিস্তান\" যা পাকিস্তানের প্রদেশ ছিল, তা ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।\nচুড়ান্ত ভাগ:",
"title": "বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭)"
}
] | [
{
"docid": "1135#1",
"text": "সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলাম এদেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। অতঃপর এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।",
"title": "ভারত"
},
{
"docid": "412392#0",
"text": "উসমানিস্তান চৌধুরী রহমত আলি কর্তৃক প্রস্তাবিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিকল্পনা। ব্রিটিশ ভারতের হায়দ্রাবাদ রাজ্য নিয়ে এই রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত ত্যাগের পূর্বে ভারতে স্বাধীন রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল। তবে স্বাধীনতার পর গঠিত নতুন ডমিনিয়ন পাকিস্তান ও ভারতের যেকোনো একটিতে তাদের যোগদানের সুযোগ দেয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোর স্বাধীন থাকার সুযোগ ছিল। হায়দ্রাবাদের নিজাম প্রথমে কোনো রাষ্ট্রে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি হায়দ্রাবাদকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন। তবে ভারত সরকার তার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। হায়দ্রাবাদ চতুর্দিক থেকে ভারত কর্তৃক আবদ্ধ ছিল এবং এর কোনো সমুদ্র সীমা ছিল না। তাই স্বাধীন হায়দ্রাবাদ ভারতের পক্ষে সুবিধাজনক ছিল না। ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হায়দ্রাবাদ আক্রমণ করে। নিজাম এই হামলা প্রতিহত করতে অক্ষম ছিলেন ফলে পরাজিত হন। তাই হায়দ্রাবাদকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া তাকে মেনে নিতে হয়। সাবেক এই দেশীয় রাজ্য ১৯৫৬ সালে পুনর্গঠিত হয়। বর্তমানে এর অংশগুলো ভারতের অঙ্গরাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, বোম্বে রাজ্য (পরে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট হিসেবে ভাগ হয়) এবং কর্ণাটকের মধ্যে বন্টিত রয়েছে।",
"title": "উসমানিস্তান"
},
{
"docid": "62543#1",
"text": "১৭৫৭ সালে ভারতবর্ষ চিরকালের জন্য ইংরেজ শাসনের অধীনে আসে। শাসনের এক পর্যায়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই ভারতের উদীয়মান ধনী এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠে। এই আকাঙ্ক্ষার সংহত রূপ প্রকাশ পায় ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। প্রথম দিকে এই রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ছিল ইংরেজ শাসনাধীনে থেকেই ন্যায়বিচার এবং স্বায়ত্তশাসন লাভ। কিন্তু ইংরেজ সরাকারের পক্ষ থেকে এ দাবী মেনে নেয়া হয়নি। ইংরেজদের যুক্তি ছিল ভারতবর্ষ অনুন্নত বিধায় স্বায়ত্তশাসনের উপযুক্ত নয়। কিন্তু ভারতে এ ধরণের চিন্তাধারার প্রসার ঘটতে থাকে। ধীরে ধীরে এদেশের অনেক স্থানেই রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়, এক সময় টেলিগ্রাফ তারও বসানো হয়। কিছু কিছু কল-কারখানাও স্থাপিত হয়, মূলত কাপড়ের কারখানা প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রভাবও এখানে পরিলক্ষিত হয়। ১৯০৫ সালে রাশিয়ার মতো বৃহৎ শক্তি ক্ষুদ্র এশীয় শক্তি জাপানের কাছে রুশ-জাপান যুদ্ধে পরাজিত হয়। একই সময়ে রাশিয়ায় স্বৈরাচারী জারের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। ধনতান্ত্রিক দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ায় এশিয়া এবং আফ্রিকার অনুন্নত দেশগুলো দখল করে নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নেয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরই ফল ছিল ১৯১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে জার্মানি ইংল্যান্ড তথা মিত্রবাহিনীর হাতে পরাস্ত হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীও অংশ নিয়েছিলো। ইংরেজ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যুদ্ধে অংশ নিলে পরাধীন দেশগুলোকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে। এই কথায় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদূত মহাত্মা গান্ধী সহ অনেকেই যুদ্ধে যোগ দেন এবং যুদ্ধে ভারতবাসীকে উৎসাহিত করেন।",
"title": "জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড"
},
{
"docid": "69182#5",
"text": "১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ভারতীয় স্বাধীনতা আইন কার্যকরী হয়। এই আইনবলে ব্রিটিশ ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি করা হয়। স্থির হয়, সংবিধান প্রবর্তন পর্যন্ত এই দুই রাষ্ট্র কমনওয়েলথ অফ নেশনসের দুটি অধিরাজ্যের মর্যাদা পাবে। এই আইনবলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে ভারত ও পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং উভয় রাষ্ট্রের উপর সংশ্লিষ্ট গণপরিষদের সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়া হয়। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সংবিধান প্রবর্তিত হলে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন প্রত্যাহৃত হয় এবং ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির অধিরাজ্যের বদলে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা অর্জন করে। ১৯৪৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের জাতীয় আইন দিবস হিসেবেও পরিচিত।",
"title": "ভারতের সংবিধান"
},
{
"docid": "566715#1",
"text": "ব্রিটিশ রাজ ভারতে ক্যাবিনেট মিশন ১৯৪৬ প্রেরন করলে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির এ সময়ে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আনুষ্ঠানিকভাবে অবিভক্ত বাংলাকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র করার এক পরিকল্পনা পেশ করেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসুও তাঁর সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক বাংলা প্রজাতন্ত্রের এক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ১৯৪৭ সালের ২৬শে এপ্রিল ইংরেজ বড়লাট মাউন্টব্যাটেনের সাথে এক সভায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উত্থাপন করেন অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা প্রস্তাব। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি তার এই পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন সৃষ্টির জন্য মাউন্টব্যাটেনের কাছ থেকে দুমাস সময় চেয়ে নেন। মাউন্টব্যাটেন তাকে জানান যে তিনি দেশ বিভাগের বিরুদ্ধে, তবে ঐক্যবদ্ধ ভারত না হলে ক্যাবিনেট মিশনের প্রস্তাবকেই তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। ঐদিনই কায়েদে আজম জিন্নাহর সাথে সাথে মাউন্টব্যাটেনের এক বৈঠক হয়। সে বৈঠকে তিনি জিন্নাহকে জানান সোহরাওয়ার্দি তাকে বলেছেন যে ভারত বা পাকিস্তান কারো সাথে যোগ দেবে না এই শর্তে অবিভক্ত বাংলা থাকা সম্ভব। জিন্নাহ ঐক্যবদ্ধ স্বাধীন বাংলার প্রস্তাব সমর্থন করেন।",
"title": "অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা"
},
{
"docid": "566715#9",
"text": "১৯৪৭-এর ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলি-র ঘোষণার পর ভারতের স্বাধীনতার বিষয়টি দৃশ্যত নিকটতর হয়ে ওঠায় এবং ওই ঘোষণার পর পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশকে বিভক্ত করার পক্ষে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে যুক্তিতর্কের আলোকে সোহরাওয়ার্দীসহ বাংলার অল্পসংখ্যক রাজনীতিক এক সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলা প্রদেশের সংহতি রক্ষার চিন্তা করেন। তারা বাংলাকে তার নিজস্ব সংবিধানসহ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। বাংলার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রদেশে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরও জোর দিয়ে উল্লেখ করেন যে, বাংলা বাঙালিদের ও এ বাংলা অবিভাজ্য। এ প্রদেশের একটি অংশ অন্যটির ওপর নির্ভরশীল, আর তাই এখানকার সকলেই এর প্রশাসনে অংশীদার হওয়ার অধিকারী। তিনি এ আশা পোষণ করেন যে, বাংলাকে এক গৌরবময় দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সেখানকার সকল শ্রেণীর মানুষ সম্প্রীতিতে বাস ও কাজ করতে দৃঢ়সংকল্প। সোহরাওয়ার্দী মনে করেন যে, যখন এ স্বাধীনতা অর্জিত হবে তখন বাংলায় শান্তি ও সমৃদ্ধির এক নবযুগের সূচনা হবে। আবুল হাশিম বাংলার কংগ্রেস ও মুসলিম নেতাদের প্রতি তাঁদের নিজেদের সমস্যা ব্রিটিশ প্রশাসনের আওতার বাইরে শান্তিপূর্ণ ও সুখকরভাবে নিষ্পত্তিতে সম্মিলিতভাবে প্রয়াসী হওয়ার আবেদন জানান। বাংলা প্রাদেশিক কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে শরৎ বসু অবিভক্ত বাংলার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন।",
"title": "অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা"
},
{
"docid": "822#1",
"text": "বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসানে, বঙ্গ (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) এবং ব্রিটিশ ভারত বিভাজন করা হয়েছিল। বিভাজনের পরে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল তখন পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যেটি নবগঠিত দেশ পাকিস্তানের পূর্ব অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পাকিস্তান অধিরাজ্যে থাকাকালীন ‘পূর্ব বাংলা’ থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এ নামটি পরিবর্তিত করা হয়েছিল। শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ঘটেছে দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ; এছাড়াও প্রলম্বিত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও পুনঃপৌনিক সামরিক অভ্যুত্থান এদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বারংবার ব্যাহত করেছে। গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার ধারাবাহিকতা আজ পর্যন্ত। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত দুই দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতি ও সমৃদ্ধি সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।",
"title": "বাংলাদেশ"
},
{
"docid": "80023#1",
"text": "১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় এবং একটি নতুন সংবিধান প্রবর্তিত হয়। এই সংবিধান অনুযায়ী ভারতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি ঘটে এবং অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। এই দেশের কৃষি ও শিল্পব্যবস্থা বিশেষ উন্নতি লাভ করে। বর্তমানে ভারতে এমন এক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যাকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মনে করা হয়। তবে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, জাতভিত্তিক দাঙ্গা, নকশালবাদ, জঙ্গিসন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাস (বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে) এখনও বড়ো সমস্যা বলে বিবেচিত হয়। কয়েকটি অঞ্চলের মালিকানাকে কেন্দ্র করে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ রয়েছে। ১৯৬২ সালে এই বিবাদ থেকে ভারত-চীন যুদ্ধের সূচনা ঘটে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত ১৯৪৭, ১৯৬৫, ১৯৭১ ও ১৯৯৯ সালে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।",
"title": "ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস"
},
{
"docid": "624672#17",
"text": "১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে গোলটেবিল বৈঠকের ব্যর্থতার পরে ব্রিটিশ সংসদ ভারত সরকার আইন ১৯৩৫ অনুমোদন করে, যা ব্রিটিশ ভারতে সমস্ত প্রদেশে স্বাধীন আইন পরিষদ স্থাপন অনুমোদন করে, একটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে যার মধ্যে ব্রিটিশ প্রদেশ এবং দেশীয় রাজ্যগুলি থাকবে এবং মুসলমান সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। স্বাধীন ভারতের ভবিষ্যত সংবিধান এই আইন থেকে অনেকটাই ধার নিয়েছিল। এই আইনটির মাধ্যমে একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ এবং একটি কার্যনির্বাহী শাখা গঠন করা হয় যা ব্রিটিশ সরকারের আওতায় থাকবে। যদিও জাতীয় সঙ্ঘ কখনই তৈরি হয়নি, প্রাদেশিক পরিষদগুলির জন্য দেশব্যাপী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৭ সালে। প্রাথমিকভাব দ্বিধায় থাকা সত্ত্বেও, কংগ্রেস নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং ব্রিটিশ ভারতের এগারোটি প্রদেশের সাতটি প্রদেশে জয়লাভ করে। এবং এই প্রদেশগুলিতে যথেষ্ট শক্তির সাথে কংগ্রেস সরকার গঠন করে। গ্রেট ব্রিটেনে, এই জয়গুলি পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতার ধারণাটির পক্ষে জোয়ার আনে।",
"title": "ব্রিটিশ রাজের ইতিহাস"
}
] |
দীনবন্ধু মিত্র রচিত "নীলদর্পন" নাটকটি কত সালে প্রকাশিত হয় ? | [
{
"docid": "76579#1",
"text": "দীনবন্ধু মিত্রের প্রথম প্রকাশিত নাটক \"নীলদর্পণ\" প্রকাশিত হয় ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে। এর পরে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় নাটক \"নবীন তপস্বিনী\"। দীনবন্ধুর দুটি উৎকৃষ্ট প্রহসন হল \"সধবার একাদশী\" ও \"বিয়ে পাগলা বুড়ো\"। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর অপর এক প্রহসন \"জামাই বারিক\" প্রকাশিত হয়। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর সর্বশেষ নাটক \"কমলে কামিনী\"। নাটক ছাড়াও দুখানি কাব্যগ্রন্থও দীনবন্ধু রচনা করেছিলেন – \"দ্বাদশ কবিতা\" (১৮৭২) ও \"সুরধুনী কাব্য\" (প্রথম ভাগ – ১৯৭১ ও দ্বিতীয় ভাগ – ১৮৭৬)",
"title": "দীনবন্ধু মিত্র"
},
{
"docid": "396761#1",
"text": "ইছামতি নদীকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাসে বিভূতিভূষণের জন্মস্থান বারাকপুর তথা নিশ্চিন্দিপুরের মোল্লাহাটি নীলকুঠির কথা বিধৃত হয়েছে। উনিশ শতকের নীলবিদ্রোহের পটভূমিতে সাধারণ মানুষের উত্থান-পতনের মর্মন্তুদ ইতিহাস ধরা পড়েছে এই রচনায়। এই মোল্লাহাটি নীলকুঠির অত্যাচারকে অবলম্বন করেই উনিশ শতকের মধ্যভাগে নীলদর্পণ (১৮৬০) নাটকটি রচনা করেন দীনবন্ধু মিত্র।",
"title": "ইছামতী (উপন্যাস)"
}
] | [
{
"docid": "76579#5",
"text": "দীনবন্ধু মিত্রের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ নাটক নীলদর্পণ বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ পরিচিত নাটক। স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজব্যবস্থার সঙ্গে এই নাটকের যোগাযোগ অত্যন্ত গভীর। এই নাটকটি তিনি রচনা করেছিলেন নীলকর-বিষধর-দংশন-কাতর-প্রজানিকর-ক্ষেমঙ্করেণ-কেনচিৎ-পথিক ছদ্মনামে। যদিও এই নাটকই তাঁকে খ্যাতি ও সম্মানের চূড়ান্ত শীর্ষে উন্নীত করে। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায়,\nমনে করা হয়ে থাকে, \"নীলদর্পণ\" নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে আধুনিক গবেষকগণ এই বিষয়ে একমত নন। এই অনুবাদ \"Nil Durpan, or The Indigo Planting Mirror\" নামে প্রকাশ করেছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ। এই অনুবাদ প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে দেশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং জেমস লঙের জরিমানা ও কারাদণ্ড হয়। জরিমানার টাকা আদালতেই দিয়ে দেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটিই প্রথম বাংলা নাটক যা ইংরেজিতে অনূদিত হয়।",
"title": "দীনবন্ধু মিত্র"
},
{
"docid": "76579#7",
"text": "\"নীলদর্পণ\" নাটকের ইংরেজি অনুবাদ ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রেরিত হয়। স্বদেশে ও বিদেশে নীলকরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। ফলে সরকার ইন্ডিগো কমিশন বা নীল কমিশন বসাতে বাধ্য হন। আইন করে নীলকরদের বর্বরতা বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পরবর্তীকালে এই নাটকের সঙ্গে হ্যারিয়েট স্টো-এর আঙ্কল টমস্ কেবিন গ্রন্থের তুলনা করেছিলেন। তা থেকেই বোঝা যায়, সেই সময়কার বাংলা সাহিত্য ও বাঙালির সমাজজীবনে এই নাটক কি গভীর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। সমাজের তৃণমূল স্তরের মানুষজনের জীবনকথা এমনই স্বার্থক ও গভীরভাবে নীলদর্পণ নাটকে প্রতিফলিত হয়েছে যে অনেকেই এই নাটককে বাংলার প্রথম গণনাটক হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আবার বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলে এই নাটকই প্রথম জাতির জীবনে জাতীয়তাবোধের সঞ্চার ঘটিয়েছিল।",
"title": "দীনবন্ধু মিত্র"
},
{
"docid": "76579#6",
"text": "\"নীলদর্পণ\" নাটকের মূল উপজীব্য বিষয় হল বাঙালি কৃষক ও ভদ্রলোক শ্রেণীর প্রতি নীলকর সাহেবদের অকথ্য অত্যাচারের কাহিনী। কিভাবে সম্পন্ন কৃষক গোলকমাধবের পরিবার নীলকর অত্যাচারে ধ্বংস হয়ে গেল এবং সাধুচরণের কন্যা ক্ষেত্রমণির মৃত্যু হল, তার এক মর্মস্পর্শী চিত্র অঙ্কিত হয়েছে এই নাটকে। তোরাপ চরিত্রটি এই নাটকের অত্যন্ত শক্তিশালী এক চরিত্র; বাংলা সাহিত্যে এর তুলনা খুব কমই আছে। এই নাটকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য আঞ্চলিক ভাষার সাবলীল প্রয়োগ। কর্মসূত্রে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় যে দক্ষতা দীনবন্ধু আয়ত্ত করেছিলেন, তারই এক ঝলক দেখা মেলে এই নাটকের জীবন্ত চরিত্রচিত্রণে।",
"title": "দীনবন্ধু মিত্র"
},
{
"docid": "18984#1",
"text": "স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজব্যবস্থার সঙ্গে এই নাটকের যোগাযোগ অত্যন্ত গভীর। এই নাটকটি তিনি রচনা করেছিলেন নীলকর-বিষধর-দংশন-কাতর-প্রজানিকর-ক্ষেমঙ্করেণ-কেনচিৎ-পথিক ছদ্মনামে। যদিও এই নাটকই তাঁকে খ্যাতি ও সম্মানের চূড়ান্ত শীর্ষে উন্নীত করে। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায়, নীলদর্পণ নাটক প্রকাশিত হলে এবং এর ইংরেজি অনুবাদ প্রচারিত হলে একদিনেই এ নাটক বাঙালিমহলে যতটা প্রশংসিত হয়েছিল, শ্বেতাঙ্গমহলে ঠিক ততটাই ঘৃণিত হয়েছিল। এই নাটক অবলম্বন করে বাঙালির স্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের সূচনা, এই নাটক সম্বন্ধে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ও রায়তদের মধ্যে মৈত্রীবন্ধন স্থাপিত হয়, এর মধ্যে দিয়েই শ্বেতাঙ্গ নীলকরদের বর্বর চরিত্র উদ্ঘাটিত হয়।” মনে করা হয়ে থাকে, নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে আধুনিক গবেষকগণ এই বিষয়ে একমত নন। এই অনুবাদ \"Nil Durpan, or The Indigo Planting Mirror\" নামে প্রকাশ করেছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ। এই অনুবাদ প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে দেশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং জেমস লঙের জরিমানা ও কারাদণ্ড হয়। জরিমানার টাকা আদালতেই দিয়ে দেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটিই প্রথম বাংলা নাটক যা ইংরেজিতে অনূদিত হয়। নীলদর্পণ নাটকের মূল উপজীব্য বিষয় হল বাঙালি কৃষক ও ভদ্রলোক শ্রেণীর প্রতি নীলকর সাহেবদের অকথ্য অত্যাচারের কাহিনী। কিভাবে সম্পন্ন কৃষক গোলকচন্দ্রের পরিবার নীলকর অত্যাচারে ধ্বংস হয়ে গেল এবং সাধুচরণের কন্যা ক্ষেত্রমণির মৃত্যু হল, তার এক মর্মস্পর্শী চিত্র অঙ্কিত হয়েছে এই নাটকে। তোরাপ চরিত্রটি এই নাটকের অত্যন্ত শক্তিশালী এক চরিত্র; বাংলা সাহিত্যে এর তুলনা খুব কমই আছে। এই নাটকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য আঞ্চলিক ভাষার সাবলীল প্রয়োগ। কর্মসূত্রে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় যে দক্ষতা দীনবন্ধু আয়ত্ত করেছিলেন, তারই এক ঝলক দেখা মেলে এই নাটকের জীবন্ত চরিত্রচিত্রণে।",
"title": "নীলদর্পণ"
},
{
"docid": "366963#19",
"text": "দীনবন্ধু মিত্র ১৮৫৯ সালে নীল বিদ্রোহ নিয়ে নীল দর্পণ নাটক রচনা করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন এবং এটি প্রকাশ করেন রেভারেন্ড জেমস লং। এটা ইংল্যান্ডে অনেক মনোযোগ আকৃষ্ট করে, যেখানে তাদের দেশের মানুষের বর্বরতার তারা স্তব্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এদেশে ব্রিটিশ সরকার পরিহাসমূলক বিচারের মাধ্যমে রেভারেন্ড লং- কে কারাদন্ড ও জরিমানার শাস্তি দেয়া হয়। কালীপ্রসন্ন সিংহ তার জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন।",
"title": "নীল বিদ্রোহ"
},
{
"docid": "76579#10",
"text": "দীনবন্ধু মিত্রের দ্বিতীয় রোম্যান্টিক নাটক \"কমলে-কামিনী\" তাঁর জীবনের শেষ নাট্যকীর্তিও বটে। এই নাটক রচনার অব্যবহিত পূর্বে কর্মসূত্রে দীনবন্ধু কাছাড়-মণিপুর অঞ্চলে কিছুদিন অতিবাহিত করেন। সেই অঞ্চলের পটভূমিকায় এক কাল্পনিক কাহিনির আধারে \"কমলে-কামিনী\" রচিত। কাছাড়ের রাজসিংহাসনে ব্রহ্মরাজের শ্যালক অধিষ্ঠিত হলে মণিপুররাজের সহিত ব্রহ্মরাজের যুদ্ধ আরম্ভ হয়। এই সময়ে মণিপুররাজ শিখণ্ডীবাহনের প্রেমে পড়েন ব্রহ্মরাজকুমারী রণকল্যানী। এই প্রেমকাহিনিই মূল নাটকের উপজীব্য। এই নাটকে এমন কিছু নাট্যদৃশ্য আছে যা মঞ্চে অভিনয় করা দুরূহ। আবার হাস্যরস সৃষ্টিতেও দীনবন্ধুর ব্যর্থতা এই নাটকের নাট্যরস অনেকাংশে ক্ষুণ্ণ করেছে।",
"title": "দীনবন্ধু মিত্র"
},
{
"docid": "91191#0",
"text": "সধবার একাদশী বাংলা গদ্য সাহিত্যের একটি আদি ও উতকৃষ্ট নিদর্শন। এটি একটি নাটক যা কি-না প্রহসন হিসেবে পরিগণিত। এর লেখক উনিশ শতকের বিশিষ্ট নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র। \nনাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। কর্মসূত্রে যখন তিনি ভারতের নদীয়া ও উড়িষ্যা এবং বাংলাদেশের ঢাকা এই ৩টি জেলার পোস্টাল বিভাগের ইন্সপেক্টিং পোস্ট মাস্টার হিসেবে নিযুক্ত তখন তিনি এ প্রহসনটি রচনা করেন। নাটকটি সর্বপ্রথম ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এটি প্রখম মঞ্চস্থ হয় কলকাতার বাগবাজার অ্যামেচার থিয়েটার দলের উদ্যোগে, ১৮৬৮ খৃস্টাব্দে।",
"title": "সধবার একাদশী"
},
{
"docid": "76579#9",
"text": "দীনবন্ধু মিত্রের দ্বিতীয় নাটক \"নবীন তপস্বিনী।\" এই নাটকে তাঁর সমসাময়িক মধুসূদনের প্রভাব বহুলাংশে চোখে পড়ে। যদিও এই নাটকের নাট্যবস্তু নেহাতই মামুলি – কতকটা রূপকথার তুল্য। রাজা রমণীমোহন মাতা ও দ্বিতীয়া পত্নীর প্ররোচনায় জ্যেষ্ঠা মহিষীকে পরিত্যাগ করলে গর্ভবতী রানি গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসিনীর জীবন অবলম্বন করেন। যথাকালে তাঁর বিজয় নামে এক পুত্রসন্তান জন্মে। বয়ঃপ্রাপ্ত হলে বিজয় সভাপণ্ডিত বিদ্যাভূষণের কন্যা কামিনীর প্রেমে পড়ে। এদিকে কামিনীর সহিত রাজা রমণীমোহনের বিবাহের তোড়জোড় চলছিল। ঘটনাচক্রে বিজয়ের পিতৃপরিচয় উন্মোচিত হল। রাজা জ্যেষ্ঠা মহিষীর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তাঁকে ঘরে ফিরিয়ে আনলেন। বিজয় ও কামিনীর শুভ পরিণয় সম্পন্ন হল। \"নবীন তপস্বিনী\" অত্যন্ত অপরিণত এক নাট্যরচনা। কাহিনির উপযুক্ত পরিবেশ রচনা করতে না পারায় সমগ্র বিষয়টিই এখানে কৃত্রিমতায় পর্যবসিত। এমনকি যার নামে এই নাটকের নামকরণ ‘নবীন তপস্বিনী’, সেই কামিনীর চরিত্রটি পর্যন্ত নাটকে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। দীর্ঘ ক্লান্তিকর বক্তৃতা ও মাঝে মাঝে পয়ার ও সংস্কৃত শ্লোকের ব্যবহার নাটকের গতি শ্লথ করেছে। একমাত্র জলধরের কৌতুকরস এই নাটকের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, যদিও এটি শেক্সপিয়রের হলফাস্টের অনুকরণের রচিত।",
"title": "দীনবন্ধু মিত্র"
}
] |
সেনবংশের প্রতিষ্ঠা কবে হয় ? | [
{
"docid": "657128#5",
"text": "সেন রাজবংশ কিঞ্চিদধিক একশ বছর (১০৯৭-১২২৫ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলা শাসন করে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে একাদশ শতাব্দীর অন্তিমলগ্নে পাল রাজবংশের অবসান ঘটিয়ে সেনদের উত্থান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ অধ্যায়। বাংলার পাল রাজবংশের রাজা দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে বারেন্দ্র 'সামন্তচক্রের' বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেন পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করেন এবং অবশেষে বাংলার পাল রাজবংশের রাজা মদনপালের রাজত্বকালে স্বাধীন সত্ত্বার বিকাশ ঘটান। বাংলায় সেন শাসনের বিশেষ তাৎপর্য এই যে, সেনগণই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলার ওপর তাদের নিরঙ্কুশ শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বাংলার সেন বংশীয় রাজাদের মধ্যে বিজয় সেন, বল্লাল সেন, ও লক্ষ্মণ সেন বিশিষ্ট স্থান অধিকার করছেন।",
"title": "বৈদ্য"
},
{
"docid": "5526#0",
"text": "সেন রাজবংশ কিঞ্চিদধিক একশ বছর (১০৯৭-১২২৫ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলা শাসন করে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে একাদশ শতাব্দীর অন্তিমলগ্নে পাল রাজবংশের অবসান ঘটিয়ে সেনদের উত্থান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ অধ্যায়। বাংলার পাল রাজবংশের রাজা দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে বারেন্দ্র 'সামন্তচক্রের' বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেন পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করেন এবং অবশেষে বাংলার পাল রাজবংশের রাজা মদনপালের রাজত্বকালে স্বাধীন সত্ত্বার বিকাশ ঘটান। বাংলায় সেন শাসনের বিশেষ তাৎপর্য এই যে, সেনগণই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলার ওপর তাদের নিরঙ্কুশ শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বাংলার সেন বংশীয় রাজাদের মধ্যে বিজয় সেন, বল্লাল সেন, ও লক্ষ্মণ সেন বিশিষ্ট স্থান অধিকার করছেন।",
"title": "সেন রাজবংশ"
},
{
"docid": "424466#0",
"text": "বিজয় সেন ছিলেন সেন রাজবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। তার পিতা হেমন্ত সেনের প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্র সেন রাজ্যকে তিনি পরাক্রমশালী সম্রাজ্যে পরিনত করেন। তিনি ১০৯৭ থেকে ১১৬০ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় রাজত্ব করেন। তার প্রতিষ্ঠিত সেন বংশ ১০০ বছর পর্যন্ত টিকে ছিল। বিজয় সেনের বংশধরগন দাক্ষিনাত্যের কর্ণাট থেকে এদেশে এসেছিলেন। তিনি সূর বংশীয় রাজকন্যা বিলাশদেবীকে বিয়ে করেছিলেন।",
"title": "বিজয় সেন"
},
{
"docid": "455215#14",
"text": "ইতিমধ্যে টুঙ্কু উমর জোহান আলম শাহ গেলার কেজেরুয়ান জুনজুনগান সেরদাং সালতানাত প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুতি নেন। টুঙ্কু উমর জোহান আলম শাহর প্রতি দুই বাতাক কারু শাসক রাজা উরুং সুনগাল ও রাজা উরুং সেনেমবাহর বলিষ্ঠ সমর্থনের ফলে এই সালতানাতের জন্ম হয়। অধিকন্তু তানজুং মারাওয়ার সেরদাং অঞ্চলের উচ্চ অংশ শাসনকারী রাজা উরুং বাতাক তিমুর ও আচেহর একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি কেজেরুয়ান লুমু সেরদাং প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। ১৭২৩ খ্রিষ্টাব্দে টুঙ্কু উমর জোহান আলম শাহ গেলার কেজেরুয়ান জুনজুনগান সেরদাং সালতানাতের প্রথম সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হন। টুঙ্কু পাংলিমা পাদেরাপের তৃতীয় পুত্র টুঙ্কু তাওয়ার কেজেরুয়ান সানতুন তার নিজ অঞ্চলকে সেরদাঙের সাথে যুক্ত করেন।",
"title": "দেলি সালতানাত"
}
] | [
{
"docid": "5526#7",
"text": "বাংলায় সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন সামন্ত সেন। তিনি বর্ধমান অঞ্চলে বাস করতেন। সামন্ত সেন অবশ্য রাজা উপাধি ধারণ করেননি। তাঁর পুত্র হেমন্ত সেন স্বাধীন সেন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে প্রথম ‘মহারাজা’ উপাধি ধারণ করেন।",
"title": "সেন রাজবংশ"
},
{
"docid": "15844#16",
"text": "[[সেন রাজবংশ|সেন রাজবংশের]] প্রতিষ্ঠাতা বিজয়সেন প্রাথমিক জীবনে পাল রাজাদের অধীনে দক্ষিণবঙ্গের এক সামন্তপ্রভু ছিলেন। পরে তিনি নিজ বাহুবলে সাম্রাজ্য বিস্তার করে পূর্ববঙ্গের [[বর্মণ রাজবংশ|বর্মণ রাজাদের]] পরাজিত করেন। তিনি উত্তরবঙ্গের এক যুদ্ধে পাল সম্রাট মদনপালকে পরাজিত করে রাজধানী [[গৌড়]] দখল করেন। তিনি ত্রিহুত (উত্তর বিহার) ও কামরূপও (পশ্চিম অাসাম) জয় করে নেন। তবে তিনি দক্ষিণ বিহার জয় করতে ব্যর্থ হন। পাল রাজাগণ এখানে গাহড়বাল সাম্রাজ্যের সহায়তায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে। বিজয়সেন [[শৈব ধর্ম|শৈব ধর্মের]] ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তার সময় কনৌজ, অযোধ্যা ও হরিদ্বার থেকে যেসমস্ত কায়স্থ এদেশে অাসেন তারাই মূলত বাঙালী কায়স্থদের অাদিপুরুষ।",
"title": "বাংলাদেশের ইতিহাস"
},
{
"docid": "365417#1",
"text": "মূলত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার করার ক্ষেত্রে, স্বাধীনতা সংগ্রামী-স্বাধীনতাকামী জনসাধারণের মত-বিনিময়ের মিলনস্থান এবং শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে জেএম সেন হল প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন ব্যারিস্টার ও কলকাতা শহরের মেয়র এবং জাতীয় কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট, দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত তাঁর পিতা যাত্রামোহন সেনের, যিনি পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন, স্মৃতিতে এই মিলনায়তনের নামকরণ করেন। ১৮৭৫ সালে, যাত্রামোহন সেন চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েসনের নামে একটি সংগঠন এবং ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠন করেন। এরপর কিছু বছর পর ১৯১৪ সালে মিলনায়তনের জন্য জমি এবং তিন হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। দু-বছর পর ১৯১৬ সালের ১৯ নভেম্বর শরৎচন্দ্র রায়বাহাদুর সেই স্থানে জেএম সেন হল নামে প্রথম টাউন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রায়বাহাদুর নবীনচন্দ্র দত্ত এই হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।",
"title": "জেএম সেন হল"
},
{
"docid": "66560#2",
"text": "১৮৭৬ সালেই এই প্রতিষ্ঠার পরিচালনার জন্য একটি বলিষ্ঠ পরিচালক সমিতি গঠিত হয়। এই সমিতিতে যোগ দিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কেশবচন্দ্র সেন প্রমুখ দেশ হিতৈষীরা। এছাড়া নিয়মিত পরামর্শ দান করে চলতেন গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা পদ চালু করা হলে প্রথম অধিকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্যারিমোহন মুখোপাধ্যায়। তার পর পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেছেন চিকিৎসক নীলরতন সরকার, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসু। ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠাত হলেও এই প্রতিষ্ঠানের মৌলিক গবেষণা কাজ শুরু হয় ১৯০৭ সালের দিকে। এই বছরই স্বল্প বয়স্ক বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। শিক্ষকতার অবসরে তিনি এখানে নিরলস গবেষণা চালিয়ে যেতেন। এখানে গবেষণা করেই ১৯২৮ সালে তিনি রমন ক্রিয়া আবিষ্কার করেন যা তাকে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়। ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত রমন এখানে কর্মরত ছিলেন। এ বছর কলকাতা ছেড়ে তিনি বেঙ্গালুরু চলে যান।",
"title": "ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স"
},
{
"docid": "42558#7",
"text": "দশম শতাব্দীতে পাল বংশের রাজত্ব যখন চলছে তখনই সেন বংশের উত্থান ঘটে। এই বংশের প্রতিষ্ঠা করেন বীরসেন বা আদিশূর। তিনি বিক্রমপুরে (বর্তমান রামপাল) রাজধানী স্থাপন করে সমতট এবং দক্ষিণ বঙ্গ শাসন করেন। তার প্রপৌত্র বিজয়সেন এতদ্ব্যতীত মদ্র, কলিঙ্গ, কামরুপ দখল করেন। তাই সে সময় ময়মনসিংহ বিজয়সেনের অধীনে ছিল; আর এখানকার ক্ষুদ্র পাল নৃপতি শাসিত অঞ্চলগুলো প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো। বিজয়সেনের পর তার পুত্র বল্লালসেন (১১৬০ - ১১৭৮) রামপালের সিংহাসনে সমাসীন হয়ে বঙ্গকে ৫ ভাগে ভাগ করেন: রাঢ়, বাগড়ি, বারেন্দ্র, মিথিলা এবং বঙ্গ। এই ভাগ থেকে জানা যায় তখন পশ্চিম ময়মনসিংহ বঙ্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে সেন রাজা কর্তৃক শাসিত হচ্ছিল। আর পূর্ব ময়মনসিংহ (ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব পার) কামরুপের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। তবে এ বিষয়ে দুইটি সন্দেহের অবকাশ রয়েছে:",
"title": "ময়মনসিংহের ইতিহাস"
},
{
"docid": "600783#0",
"text": "সতু সেন (৭ই জুন ১৯০২ সাল – ৭ই অগাষ্ট ১৯৭১ সাল) বিংশ শতাব্দীর তিনের দশকে বাংলা রঙ্গালয়ে মঞ্চ নির্মান ও আলোক প্রয়োগ কলার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের নিঃশংসয়ে অন্যতম পথিকৃত ছিলেন সতু সেন। বাংলার সাধারন রঙ্গালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৭২ সালে। সুদীর্ঘ ৫৯ বছর রঙ্গমঞ্চের মঞ্চরীতি ও আলোক সম্পাতের যে ব্যবস্থা ছিল, বিদেশ থেকে শিক্ষালাভ করে দেশে ফিরে এসে সতু সেন তার আমূল পরিবর্তন করেন। এর পাশাপাশি নাট্য নির্দেশক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলার সাধারন রঙ্গালয়ে প্রায় ৩৪ টি নাটকে শিল্প নির্দেশনা, আলোক সম্পাত কিংবা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছিলেন। সেই সঙ্গে ১৯৩৫ সাল থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে তিনি পরিচালনা করেন সাতটি বাংলা চলচ্চিত্র। তাঁর কর্ম জীবন শুরু হয়েছিল আমেরিকার ‘ল্যাবরেটারি থিয়েটার’এ ১৯২৫ সালে। আমেরিকার ‘কার্ণেগি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’তে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি না হয়ে তিনি ওই ইনস্টিটিউটেই নাটক ও নাট্যমঞ্চ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। তারপর ১৯২৬ সালে কার্ণেগি ইনস্টিটিউট ছেড়ে আমেরিকান ল্যাবরেটারি থিয়েটারে ভর্তি হন। রিচার্ড বলিস্লাভস্কির জুনিয়ার অ্যাপ্রেন্টিস আর নর্মান বেলগেড্ডেস-এর সহকারী হিসেবে মঞ্চ নাটকে কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯২৭ এ সহকারী টেকনিকাল পদে উন্নিত হন এবং ওই বছরেই সহকারী পরিচালকের পদ লাভ করেন। ১৯২৮ সালের প্রথম দিকে তিনি ল্যাব্রেটারি থিয়েটারের টেকনিকাল ডিরেক্টর হন। এরপর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেতা ক্রিশ্চিয়ান হেগেনের সঙ্গে উডস্টক হিলে উডস্টক প্লে হাউস নামে একটি নাট্যশালা গড়ে তোলেন। ১৯৩১ সালে তিনি ভারতে প্রত্যাবর্তন করেন। শিশির কুমার ভাদুড়ির সঙ্গে তিনি বাংলার রঙ্গালয়ে শিল্প নির্দেশনা ও আলোক সম্পাতের কাজ শুরু করেন। এরপর শুধু শিল্প নির্দেশনার গন্ডিতে আবদ্ধ থাকলেন না। একের পর এক মঞ্চ সফল নাটকের পরিচালক হিসেবে তাঁকে দেখা যেতে লাগলো। তাঁর পরিচালিত নাটকগুলোর মধ্যে ‘পথের সাথী(১৯৩৫)’, ‘দুই পুরুষ(১৯৩৯)’, ‘কামাল আতাতুর্ক’, ‘পথের দাবী(১৯৩৯)’ বিশেষ প্রশংসিত হয়েছিল। ১৯৩৩ সালে ‘রঙমহল’ থিয়েটারে ভারতের প্রথম ঘূর্নায়মান মঞ্চ নির্মান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এবং ‘মহানিশা’ নাটকটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাংলা তথা ভারতীয় নাটকের ইতিহাসে এক মাইল ফলক প্রতিষ্ঠা করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে ১৯৩৬ সালে ‘পন্ডিত মশাই’, ১৯৩৮-এ ‘চোখের বালি’ উল্লেখযোগ্যতার দাবি রাখে। ১৯৩১ থেকে ১৯৫৭ সালের মধ্যে তিনি রঙমহল, নাট্যনিকেতন, নাট্যভারতী, মিনার্ভা, স্টার, নিউ এম্পায়ার, করিন্থিয়ান প্রভৃতি রঙ্গমঞ্চে ধারাবাহিকভাবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যান। এরপর ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ তিনি পশ্চিমবঙ্গ সঙ্গীত নৃত্য নাটক অকাদেমীর অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি ন্যাশানাল স্কুল অব ড্রামা ও এশিয়ান থিয়েটারের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন।\n১৯০২ সালের ৭ই জুন তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার বরিশাল শহরে সতু সেনের জন্ম। তাঁর বাবা উপেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ছিলেন পেশায় দারোগা। মা রাইকামিনী সেনগুপ্ত ছিলেন একেবারেই নিপাট বাঙালী গৃহবধূ। ছাত্রাবস্থায় সতু সেন প্রথমে বরিশাল জিলা স্কুলে ক্লাশ এইট পর্যন্ত পড়াশনা করেন। পরবর্তীতে তাঁর বাবা কুমিল্লায় বদলি হয়ে যাবার পর তিনি কুমিল্লা জেলা স্কুলে ভর্তি হন আর সেখান থেকেই ১৯২০ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর ১৯২২-এ বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আই.এস.সি পাশ করে বারানসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে যান। ১৯২৫ সালে আমেরিকার কার্নে্গি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বৃত্তি পেয়ে বিদেশ যাত্রা করেন। ছোটবেলা থেকেই মঞ্চ নাটকের প্রতি এক অদম্য আকর্ষণ ছিল সতু সেনের। পাড়া গাঁয়ে মাচা বেঁধে নাটকে অভিনয় করতেন। কলকাতার কলেজে পড়তে এসে সেই আকর্ষণটা ভালোবাসায় রুপান্তরিত হয়েছিল। অভিনয় না করলেও নাটক দেখায় কোন খামতি ছিল না। আর নাটকের প্রতি সেই ভালোবাসাতেই তিনি সারাজীবন নিমজ্জিত ছিলেন।\n১৯২৫ সালে বারানসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়া শেষ করে বৃত্তি পেয়ে আমেরিকার কার্ণেগি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পড়ার জন্য বিদেশ পাড়ি দেন। আমেরিকার পথে প্যারিসে তাঁর সংগে পরিচয় হয় ভারত থেকে যাওয়া মস্কোর বাগেশ্বরী অধ্যাপক জনাব হাসান শহীদ সারোয়ার্দির। নাটক এবং নাট্যসাহিত্যর প্রতি অসীম আগ্রহ নিয়ে জনাব সারওয়ার্দি রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি পাশ্চাত্য দেশ ছুটে বেরিয়েছেন। এহেন মানুষটা যখন জানতে পারলেন নাটকের প্রতি সতু সেনের আগ্রহ এবং ভালোবাসার কথা তিনি কাল বিলম্ব না করে সদ্য পরিচিত এই বাঙালী ছাত্রটিকে নাটকের কলাকৌশল শেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে শুরু করলেন। তাঁরই প্রবল উৎসাহে এবং সাহায্যে সতু সেন কার্ণেগি ইনস্টিটিউটে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর উচ্চ শিক্ষা পরিত্যাগ করে নিউইয়র্কে বিশ্ববিখ্যাত নাট্যপরিচালক বরিস স্তানিস্লাভস্কির ছাত্র রিচার্ড বলিস্লাভস্কির অধীনে দি থিয়েটার আর্টস ইনস্টিটিউটে নাট্যপ্রয়োগকলা নিয়ে ভর্তি হন এবং আমেরিকান ল্যাবরেটারি থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন। যদিও থিয়েটার আর্টসে যোগদানের পুর্বে মাস আষ্টেক কার্ণেগি ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রনিক্সের পরিবর্তে নাট্য ও নাট্যমঞ্চ কারিগরি বিভাগে ভর্তি হন। এরপর থিয়েটার আর্টস ইনস্টিটিউটে সতু সেন নাট্যতত্ব ও প্রয়োগকলার পাশাপাশি মঞ্চ ও আলোক সম্পাত নিয়ে পড়াশনা শুরু করেন। আমেরিকান ল্যাবরেটারি থিয়েটারে কাজ শুরু করার মাস আটেকের মধ্যে ১৯২৬ এর জুন মাসে তাঁর কর্ম দক্ষতার জন্য বলিস্লাভস্কি সতু সেনকে তাঁর জুনিয়র অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে নিযুক্ত করেন। সেই সঙ্গে মঞ্চসজ্জা ও নির্মানে নর্মান বেলগেড্ডেস-এর সহকারী হয়ে একযোগে কাজ করতে থাকেন সতু সেন। ধীরে ধীরে নতুন ছাত্রছাত্রীদের হাতে কলমে কাজ শেখানোর অল্প বিস্তর দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়। এরপর অসম্ভব পরিশ্রমী এবং প্রতিভার অধিকারী সতু সেনকে আর পিছনে ফিরতে হয়নি। ১৯২৭ সালে ল্যাবরেটারি থিয়েটার কর্তৃপক্ষ তাঁর কর্ম দক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে অন্যতম সহকারী টেকনিকাল ডিরেক্টর পদে উন্নিত করে। আর ওই বছরেই সহকারী পরিচালকের পদও লাভ করেন। এর মাঝেও থেমে থাকেনি তার পড়াশনা। নর্মান বেলগেড্ডেস-এর তত্ত্বাবধানে অধ্যয়ন চলতে থাকে আলো প্রক্ষেপনের মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি, সেট নির্মানের ডাইমেনশন বোধ, নাটকের চরিত্র অনুযায়ী মঞ্চসজ্জার প্রয়োগ ইত্যাদি। এই সময়েই থিয়েটারে সহকারী পরিচালনার পাশে বলিস্লাভস্কির পরিচালনায় ‘মিকাডো’ চলচ্চিত্রেও সতু সেন সহকারী পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহন করেছিলেন। এরপর ১৯২৮ সালে তিনি সহকারী টেকনিকাল ডিরেকটার থেকে টেকনিকাল ডিরেকটার পদের দায়িত্ব গ্রহন করেন। বেশ কিছু মঞ্চ সফল প্রযোজনা যেমন আন্তন চেকভ-এর ত্রি সিস্টার্স, আঙ্কল ভানিয়া, লিও তলস্তয়ের রেজারেকশন, ওয়ার অ্যান্ড পিস, বেলজিয়ান নাট্যকার মরিস মেটারলিঙ্কের ব্লু বার্ড, ইংরেজ নাট্যকার শেক্সপিয়ারের মিড সামার নাইটস ড্রিম, এবং ফরাসী নাট্যকার জাঁ জাক বার্নার্ড-এর দি সালকি ফায়ার নাট্যপ্রযোজনাগুলোতে প্রয়োগ প্রধানের ভুমিকা পালন করেন। এছাড়া আমেরিকার রূপক ধর্মী নাট্যকার ইউজিন ও নীলের মার্কো মিলিয়নস-এ এবং মিগুয়েল সার্ভেন্টাসের রচিত দি প্রিন্টেড বাস্ক এবং দি জেলাস ওল্ড ম্যান নাটকের মঞ্চসজ্জা ও আলোক সম্পাত করেছিলেন। এরপর গৌতম বুদ্ধের জীবনী নিয়ে ১৮৭৯ সালে ইংরেজ কবি ও সাংবাদিক স্যার এডউইন আর্নল্ডের লেখা নাটক লাইট অব এশিয়া-র প্রযোজনায় যুগ্ম পরিচালকের দায়িত্ব সামলেছেন। শুধু লাইট অব এশিয়া-ই নয় আমেরিকার ব্রডওয়ে প্রযোজনা মিঃ মানিপেনী নাটকেও বলিস্লাভস্কির সঙ্গে যুগ্ম পরিচালনায় ছিলেন সতু সেন। তারপর জনৈক ফরাসী নাট্যকারের লা বুফ এ তে সালতুয়া নাটকটি একাধারে মঞ্চসজ্জা ও পরিচালনা করেন। তারপর পরিচালনা করেন সোফক্লিসের আন্তিগোনে নাটকটি। ১৯২৮ সালে সতু সেন এবং অভিনেতা ক্রিশ্চিয়ান হেগেন মিলিত ভাবে আমেরিকার উডস্টক হিলসে প্রতিষ্ঠা করেন উডস্টক প্লে হাউস। গরমের ছুটির সময় সপ্তাহে চার দিন নাট্যাভিনয় প্রযোজিত হত সেখানে।\n১৯২৯ সালে ল্যাব্রেটারি থিয়েটার থেকে এক বছরের ছুটি নিয়ে সতু সেন বেরিয়ে পড়েন ইউরোপ যাত্রায়। প্রথমে তিনি পৌঁছোন বার্লিনে। উদ্দেশ্য বিশ্ববিখ্যাত ম্যাক্স রাইনহার্ড থিয়েটার পরিদর্শন। বার্লিনে সেই উদ্দেশ্য সফল হওয়ার পর তিনি চলে যান প্যারিস। সেখানে জাক কোপোরের থিয়েটার দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। ১৯২৮, ২৯, ৩১ সালে তিনি মস্কো ভ্রমণ করেন। মস্কোর আর্ট থিয়েটার এবং বলশয় থিয়েটার দেখেছিলেন তিনি। ১৯২৯ সালে সুইটজারল্যান্ডে গিয়ে প্রবাদপ্রতীম নাট্যকার বরিস স্তানিস্লাভস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখন তিনি গভীরভাবে অসুস্থ। সতু সেন ব্রিটেন শহরে গিয়েছিলেন গ্ররডন ক্রেগের কাজ দেখতে। সেখানে শুধু মঞ্চ নাটকই নয় মহড়া দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর।\nসতু সেনের ঐকান্তিক আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় শিশির কুমার ভাদুড়ির আমেরিকা সফরের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তিনি প্রায় নিঃস্ব হয়ে যান এবং বন্ধু ক্রিশ্চিয়ান হেগেনের সহায়তায় ১৯৩১ সালে ভারতে প্রত্যাবর্তন করেন। কাজ শুরু করেন সেই শিশির কুমার ভাদুড়ির সঙ্গেই, রঙ্গমহল থিয়েটারে বিষ্ণুপ্রিয়া নাটকের শিল্প নির্দেশনার দায়িত্ব নিয়ে। মঞ্চ জীবনের আর এক নতুন অধ্যায়ের শুরু হয় সতু সেনের। ওই বছরের শেষভাগে তিনি নাট্যনিকেতনে পরিচালক এবং শিল্প নির্দেশক রূপে যোগদান করেন। সেখানে তাঁর প্রথম পরিচালিত নাটক শচীন সেনগুপ্তের রচিত ঝড়ের রাতে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, ইতিপূর্বে বাংলার মঞ্চ নাটকের কোন ধরা বাঁধা সময়সীমা ছিলনা। পাঁচ-ছ ঘন্টার আগে কোন নাটকের সমাপ্তি হতো না। ঝরের রাতে নাটক থেকে বাংলার সাধারন রঙ্গালয়ে তিনি মঞ্চ নাটককে বেঁধে দেন তিন ঘন্টার গন্ডীর মধ্যে। এ যাবৎকাল বাংলা নাটকে ফ্লাড লাইট আর স্পট ছাড়া আলকসম্পাত বলতে কিছুই ছিলনা। এই প্রথম তাঁর হাত ধরে বাংলা রঙ্গালয়ে মুড লাইটের প্রবর্তন ঘটে। বাংলার দর্শক সর্বপ্রথম দেখে মঞ্চের ওপর ঝড় জল আর বিদ্যুতের খেলা। এরপর ১৯৩১এর ডিসেম্বরে কাজী নজরুল ইসলাম-এর লেখা গীতিনাট্য আলেয়া মঞ্চস্থ হয় নাট্যনিকেতনে। বিদেশী অপেরার আঙ্গীকে সতু সেন এই গীতিনাট্যটিকে দর্শকের সামনে তুলে ধরেন। ১৯৩৩ সালে তিনি যগদান করেন রঙমহল থিয়েটারে। সিন্ধুগৌরব এবং পতিব্রতা নাটক দুটির পরিচালনার পর তিনি ঘূর্নায়মান মঞ্চ নির্মান করেন এবং সেই মঞ্চে প্রথম্বার অভিনীত হয় মহানীশা নাটকটি। এরপর রঙমহলের ঘূর্ণায়মান মঞ্চে পরপর অভিনীত হয় বাংলার মেয়ে (১৯৩৪), নন্দরাণীর সংসার (১৯৩৪), মহামায়ার চর (১৯৩৯), চরিত্রহীন (১৯৩৫), আশোক (১৯৩৩) প্রভৃতি নাটক। নবিন তুরস্কের জন্মদাতা ও মহান সঙ্গগ্রামী দেশপ্রেমিক কামাল পাশার কীর্তিগাঁথা নিয়ে শচীন সেনগুপ্ত লিখে ফেলেন কামাল আতাতুর্ক। বিপুল অর্থ ব্যয় ও আড়বম্বরে নিউ এম্পায়ারে নাটকটি মঞ্চস্থ করেন সতু সেন। ১৯৩৯ সালে তাঁর পরিচালনায় সিরাজদৌল্লা, মীরকাশেম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপ্ন্যাস অবলম্বনে পথের দাবী নাটক খুবই প্রশংসিত হয়। ১৯৪২ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন নাট্যভারতী রঙ্গমঞ্চে। মঞ্চস্থ হয় চন্দ্রশেখর, দুই পুরুষ, ধাত্রীপান্না। ১৯৫৭ সালে তাঁর পরিচালনায় শেষ প্রযজনা কর্ণ কুন্তী কৃষ্ণ মিনার্ভায় অভিনীত হয়।\n১৯৩৫ সাল থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে সতু সেন সাতটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। প্রথম ছবি মন্ত্রশক্তি। ১৯৩৬ সালে তাঁর পরিচালনায় পন্ডিত মশাই চলচ্চিত্রটি সর্ব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র রূপে সর্বজনের অভিনন্দন পেয়েছিল। ১৯৩৭ সালে ইন্সপেক্টর বা ধূমকেতু ছবিটিতে প্রথম একই ব্যক্তি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৩৮ সালে নির্মান করেন চলচ্চিত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস চোখের বালি। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় কবিগুরুর। চোখের বালি দেখে তিনি ভূয়সী প্রশংসা ও অভিনন্দন জানিয়েছিলেন সতু সেনকে। ওঁর পরিচালনায় শেষ ছবি স্বামি স্ত্রী। মুক্তি পায় ১৯৪০ সালে।",
"title": "সতু সেন"
}
] |
মির্জা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের পর কে মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাটের পদে বসেন ? | [
{
"docid": "33117#6",
"text": "বাবর মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন মধ্য এশিয়ার তুর্কো-মঙ্গোল বংশোদ্ভূত শাসক। বাবার দিক থেকে তিনি তৈমুর লং ও মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর ছিলেন। মধ্য এশিয়া থেকে বিতাড়িত হয়ে বাবর ভারতে ভাগ্য নির্মাণে নিয়োজিত হন। তিনি নিজেকে কাবুলের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং আফগানিস্তান থেকে খাইবার পাস হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পানিপথের যুদ্ধে বিজয়ের পর বাবরের সেনাবাহিনী উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা জয় করে নেয়। তবে শাসন পাকাপোক্ত করতে অনেক সময় লেগে যায়। অস্থিতিশীলতা তার ছেলে হুমায়ুনের সময়ও ছড়িয়ে পড়ে। হুমায়ুন দিগ্বিজয়ী সেনাপতি শেরশাহ কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারত থেকে পারস্যে পালিয়ে যান। হুমায়ুনের সাথে পারস্যের সাফাভিদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যে পারসীয় সাংস্কৃতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাফাভিদের সহায়তায় হুমায়ুন মুঘলদের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। কিছুকাল পর নিজস্ব গ্রন্থাগারে ঘটা এক দুর্ঘটনায় হুমায়ুনের মৃত্যু হলে তার ছেলে আকবর অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সিংহাসনে বসেন। আকবরের অভিভাবক বৈরাম খান ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি মজবুত করতে আকবরের সহায়তা করেছেন।",
"title": "মুঘল সাম্রাজ্য"
},
{
"docid": "7721#0",
"text": "মির্জা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর সাধারণত বাবর, বাবুর নামেই বেশি পরিচিত (ফেব্রুয়ারি ১৪, ১৪৮৩ - ডিসেম্বর ২৬, ১৫৩০) মধ্য এশিয়ার মুসলমান সম্রাট ছিলেন। তিনি ভারত উপমহাদেশে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট। তিনি তৈমুর লঙ্গ-এর সরাসরি বংশধর এবং মাতার দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর ছিলেন। তিনি মির্জা ওমর সাঈখ বেগ এর পুত্র, এবংতৈমুরী শাসক উলুগ বেগ এর প্রপৌত্র ছিলেন। তিনি পানিপথের প্রথম যুদ্ধে দিল্লীর লোদি রাজবংশের সুলতান ইবরাহিম লোদিকে পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র মির্জা হুমায়ুন সিংহাসনে আরোহণ করেন। পানি পথের যুদ্ধে তিনিই প্রথম কামানের ব্যবহার করেন। তার প্রখর রণকৌশলের কাছে হার মানে ইবরাহিম লোদি।",
"title": "বাবর"
},
{
"docid": "7715#1",
"text": "হুমায়ূন (শাসনকাল : ১৫৩০-১৫৫৬) ভারতবর্ষের দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট। প্রথম মোঘল সম্রাট জহিরউদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের চার ছেলে ছিল_ হুমায়ূন, কামরান, হিন্দাল ও আসকরি (বাবরের মোট সন্তান ছিল ১৮; অন্যরা শৈশবে ইন্তেকাল করেন)। বাবরের প্রথম ছেলে হুমায়ুন ১৫০৮ সালের ৬ মার্চ কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার মৃত্যুর তিনদিন পর হুমায়ূন ১৫৩০ সালের ২৯ ডিসেম্বর দিল্লীতে সিংহাসনে আরোহণ করেন। মারা যান ১৫৫৬ সালে। মাঝে ১৬ বছর ছিলেন সিংহাসনচ্যুত। ১৫৩৯সালের ২৬ জুন চৌসায় এবং পরের বছর কৌনজে শেরশাহের কাছে হেরে সিংহাসন হারান। সিংহাসনচ্যুত অবস্থাতেই ১৫৪২ সালে আকবর জন্মগ্রহণ করেন। ১৫৫৫ সালের ২২ জুন সেরহিন্দের যুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে তিনি পুনরায় সিংহাসন লাভ করেন। পরের বছরই তথা ১৫৫৬ সালের ২৪ জানুয়ারি মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য লাইব্রেরি থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। এ সময় তার অধিকৃত এলাকা ছিল সীমিত। তবে তিনি যদি অংশ বিশেষ হলেও সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে না পারতেন, তবে মোঘল ইতিহাস সৃষ্টি হতো কিনা তা নিয়ে যথেস্ট সংশয় আছে। হুমায়ূন ছিলেন মার্জিত আচরণের অধিকারী। দয়ালু হিসেবেও তার সুনাম ছিল। তার চরিত্রের একমাত্র ত্রুটি ছিল তিনি ছিলেন আফিমে আসক্ত। এই আসক্তি তাকে সেনানায়ক ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আপন মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি করেছিল।",
"title": "হুমায়ুন"
}
] | [
{
"docid": "9418#1",
"text": "মির্জা আবু তালিবের পূর্বপুরুষ ইরান থেকে আগত এবং মুঘল রাজপরিবারের সাথেও তার সম্পর্ক ছিল। মির্জার বাবা আবুল আসরাফ আসাফ বেগ [(আসাফ খান)-উপাধি] শায়েস্তা খাঁনের দাদা মির্জা গিয়াস বেগ ইতিমাদুদ্দৌলা দু’জনেই মুঘল সাম্রাজ্যের উজির বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাদশাহ শাহজাহান মির্জা আবু তালিব-কে শায়েস্তা খাঁ উপাধিতে ভূষিত করেন। এর কারণ ছিল মুঘল দরবারে তার পরিবারের অবদান ও স্বীকৃতি। শায়েস্তা খাঁ মুঘল সেনাবাহিনী ও দরবারে অনুশীলন গ্রহণ করেন এবং চাকরি করেন। ফলশ্রুতিতে তিনি ক্রমশ পদোন্নতি লাভ করতে থাকেন এবং একাধিক প্রদেশের গভর্নর হন। এছাড়াও তিনি একজন সফল সেনাপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। গোলকন্দার সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় তিনি যুবরাজ আওরঙ্গজেবের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।\nসাম্রাজ্যে অধিষ্ঠিত হবার পর সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে আরো পদোন্নতি দান করে আমির-উল-উমারা বা অভিজাতদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। আওরঙ্গজেবের আপন ভাই দারা শিকোর বিরুদ্ধে কর্মসূচীর অংশ হিসেবে তিনি তাকে এ পদবি দান করেন। ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে মীর জুমলার মৃত্যুর পর শায়েস্তা খাঁ বাংলার সুবাদার পদে নিযুক্ত হন।",
"title": "শায়েস্তা খাঁ"
},
{
"docid": "43014#4",
"text": "মুর্শিদকুলী খানের জামাতা সুজাউদ্দিন মুহাম্মদ খান ১৭২৭ থেকে ১৭৩৯ পর্যন্ত সুবাহ বাংলার নবাব হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে বাংলা শাসন করছিলেন। তাঁর সময়ে তাঁর পুত্র সরফরাজ খান ১৭৩৪ থেকে ১৭৪০ পর্যন্ত ঢাকার নায়েব নাজিম এবং ১৭৩৯ থেকে ১৭৪০ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের নবাবের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় (১৭৩৯-১৭৪০) ঢাকার নায়েব নাজিম হন আবুল ফাত্তাহ খান। প্রসঙ্গত, ১৭১৭ সালে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরের সময় থেকেই নবাবগণ মুর্শিদাবাদে অবস্থান করতেন আর বাংলাদেশের জন্য তখন থেকেই একজন নায়েব নাজিম নিযুক্ত করা হতো। ১৭৪০ থেকে ১৭৪৪ পর্যন্ত আলীবর্দী খানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা নওয়াজিশ মুহাম্মদ খান নায়েব নাজিম নিযুক্ত হন। তবে তিনি মুর্শিদাবাদে অবস্থান করে তাঁর সহকারী হোসেন কুলী খান এবং হোসাইন কুলীর সহকারী হোসেন উদ্দিন খানকে (১৭৪৪-১৭৫৪) ঢাকায় দায়িত্ব পালন করান। এ সময় থেকেই আলীবর্দীর ভ্রাতুষ্পুত্র শওকত্জংগ নওয়াজিস মুহাম্মদের বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের জের হিসেবে ঢাকায় হোসেন উদ্দিন খান এবং মুর্শিদাবাদে তদীয় চাচা নিহত হন। ঢাকায় হোসেন উদ্দিন খানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন আগা সাদেক এবং আগা বাখের। আগা বাখের ছিলেন বাখরগঞ্জের জমিদার এবং তাঁর পুত্র আগা সাদেক। হোসেন উদ্দিন খানের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আগা সাদেক মুর্শিদাবাদে হোসেন কুলী খান কর্তৃক বন্দী হন। সেখান থেকে ঢাকায় পালিয়ে এসে তিনি হোসেন কুলী খানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। অত্যন্ত সৎ এবং ধার্মিক হোসেন কুলী খানকে রাতের আঁধারে তাঁর প্রাসাদে প্রবেশ করে হত্যা করা হয়। সকাল বেলা ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে শহরের অধিবাসীগণ একত্রিত হয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে এবং আগা বাখের ও তদীয় পুত্রকে আক্রমণ করে। তারা নায়েব নাজিমের পদে নিয়োগের বিষয় বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করলে লোকেরা নায়েব নাজিম পদে নিয়োগের সনদ প্রদর্শনের দাবি করে।তা প্রদর্শন না করে তারা তরবারি ধারণ করে। এ অবস্থায় জনতার আক্রমণে আগা বাখের প্রাণ হারায় এবং আগা সাদেক মারাত্মকভাবে আহত হওয়া সত্ত্বেও পলায়ন করতে সক্ষম হয়।নোয়াজেশের পরমবন্ধু ছিলেন হোসেন কুলি খাঁ ও রাজবল্লভ। হোসেন কুলি খাঁ ছিলেন নোয়াজেশের ধনভান্ডারের দায়িত্বে। তাঁর হত্যাকান্ডে রাজবল্লভ কিছুটা ভীত হয়ে পড়েন। তখন তিনি অন্য ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা করেন। নোয়াজেশ নিঃসন্তান ছিলেন বলে তিনি সিরাজের ছোটভাই মির্জা মেহেদীকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করেছিলেন। মির্জা মেহেদী নোয়াজেশের জীবদ্দশাতেই মারা যান। কিন্তু তাঁর অল্পবয়স্ক পুত্র সন্তান ছিল। রাজবল্লভ তাকেই সিংহাসনে বসিয়ে ঘসেটি বেগমের নামে স্বয়ং বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাবি করার স্বপ্ন দেখছিলেন। এইরকম দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেই আলিবর্দি খাঁ ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।",
"title": "সিরাজউদ্দৌলা"
},
{
"docid": "18244#2",
"text": "১৭০৭ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্রদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এবং এ যুদ্ধে আজম শাহ পরাজিত ও নিহত হন। আজম শাহে এর মৃত্যুর পর তাঁর চাকরি চলে যায় এবং মির্জা মুহাম্মদ আলীর পরিবার দারুণ সমস্যার সম্মুখীন হয়। ১৭২০ সালে ভাগ্যান্বেষণে তিনি সপরিবারে বাংলায় চলে আসেন। তিনি বাংলার তৎকালীন নবাব মুর্শিদ কুলি খানের অধীনে চাকরির জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু মির্জা মুহম্মদ আলী মুর্শিদ কুলির জামাতা সুজাউদ্দিন খানের আত্মীয় ছিলেন এবং মুর্শিদ কুলি তাঁর জামাতার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। এজন্য তিনি মির্জা মুহম্মদ আলী কে গ্রহণ করেন নি।",
"title": "আলীবর্দী খান"
},
{
"docid": "614964#0",
"text": "মুনিম খান খান-ই-খানান মুঘল সম্রাট হুমায়ূন ও আকবর অধীনে একজন উচ্চপদস্থ সেনাপতি ছিলেন। তার উপাধী ছিলো\"খান-ই-খানান,\" ১৫৬০ সালে সম্রাট আকবর তাকে এই উপাধী দিয়ে উপাধি দিয়ে ওয়াকিল পদে নিয়োগ করেন। আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যায় তার আসল নাম ছিলো মির্জা মুনিম বেগ ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন। তিনি সম্রাট আকবরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিলেন। তারপর ১৫৬৪ সালে উজবেক বিদ্রোহ দমনের পর তিনি জৌনপুরের সুবাদার নিযুক্ত হন। পূর্বাঞ্চলের জেলাসমূহ তাঁর অধীনে ন্যস্ত করা হয়। ১৫৭৪-১৫৭৫ সালে তিনি বাংলা ও বিহারের সুবাদার ছিলেন। ১৫৭৪-৭৫ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর মনসবদরি প্রথা প্রবর্তন করে মুনিম খানকে তৎকালীন সর্বোচ্চ পাঁচ হাজারী মনসবদারের মর্যাদা প্রদান করেন।",
"title": "মুনিম খান"
},
{
"docid": "626483#0",
"text": "ঘঘরার যুদ্ধ সঙ্ঘটিত হয় ১৫২৯ সালে। এটি ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় একটি অন্যতম যুদ্ধ। এটি ১৫২৬ সালে সঙ্ঘটিত পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ও ১৫২৭ সালে সঙ্ঘটিত খানার যুদ্ধের পরে সঙ্ঘটিত হয়। এই যুদ্ধে সদ্য উত্থিত মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাট জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর-এর সৈন্যবাহিনী ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সাথে যোগদান করে।\nঅপরপক্ষে পূর্ব আফগানি কনফেডারেট বাহিনী সুলতান মাহমুদ লোদির নেতৃত্বে ও শাহী বাঙলা সুলতান নুসরাত শাহ-এর নেতৃত্বে সঙ্গিগঠিত করে।\nসুলতান মাহমুদ লোদি দিল্লির মসনদে বসার উচ্চাশা পোষণ করেছিলেন।আফগানি কনফেডারেট তাঁকে দিল্লি সালতানাতের যোগ্য উত্তরসূরি ঘোষণা করে ও রাজপুত কনফেডারেট তাঁকে সহায়তা করে।খানার যুদ্ধে পরাজয়ের পর তিনি পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তিনি গুজরাট-এ আশ্রয় নেন।পূর্বদিককার স্বজনদের সাথে যোগাযোগের প্রচেষ্টার পর তিনি তাদের সাথে অবশেষে যোগ দিতে সমর্থ হন।\nবাবর-এর চান্দেরী আক্রমণের কিছু সময় পরেই,বিহারের পাঠান সাম্রাজ্যের সম্রাট সুলতান মাহমুদ শাহ লোহানী মৃত্যুবরণ করেন।তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র সুলতান জালাল উদ-দীন লোহানী সিঙহাসনে বসেন।\nএটি ছিল একটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তিমূলক যুদ্ধ।অসংখ্য অদম্য আফগানি পশ্চিমে পুনরায় আফগানি শাসনের আশা ত্যাগ করে পরাজয় বরণ করে।",
"title": "ঘঘরার যুদ্ধ"
},
{
"docid": "8600#24",
"text": "অবশ্য এ পরিস্থিতিতে বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফর গালিবের সহায়তায় এগিয়ে আসেন৷ ১৮৫০ সালে তিনি গালিবকে 'নাজমুদ দৌলাহ দাবির উল-মুলক নিজাম জং' খেতাবে ভূষিত করে তাকে তৈমুরের বংশের ইতিহাস লিখার দায়িত্ব ন্যস্ত করেন বার্ষিক ছয়শ' রুপি ভাতায়৷ এতে গালিব মানসিকভাবে কিছুটা স্থিতিশীল হন৷ কিন্তু ইতিহাস রচনার কাজে যে পড়াশুনা ও ধৈর্য্যের প্রয়োজন গালিবের তা ছিল না এবং দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ছয় মাসে তিনি মোগল বংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের চাইতে বেশি আর অগ্রসর হতে পারেননি৷ তার আর্থিক অবস্থা ছিল নাজুক এবং তাকে মাসিক ভিত্তিতে ভাতা দেয়ার জন্যে বাহাদুর শাহকে লিখেন৷ বাহাদুর শাহ এতে অনুমোদন দেন, কিন্তু ১৮৫১ সালের মধ্যে সম্রাট হুমায়ুনের জীবনকাহিনীর চাইতে বেশি আর লিখতে পারেননি৷ অতএব, প্রকল্পটি ভেস্তে যায়৷ তিনি যতটুকু লিখেছিলেন তা 'মিহির-ই-নিমরোজ' নামে ১৮৫৪ সালে প্রকাশিত হয়৷",
"title": "মির্জা গালিব"
},
{
"docid": "460152#3",
"text": "মুহাম্মদ নাদির শাহ নিহত হওয়ার পর ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর ১৯ বছর বয়সে জহির শাহ বাদশাহ ঘোষিত হন। সিংহাসনে আরোহণের পর তাকে অলঙ্কারিক উপাধি হিসেবে \"\"যিনি আল্লাহর উপর ভরসা স্থাপন করেন, সত্য ধর্ম ইসলামের অনুসারী\"\" উপাধিতে ভূষিত করা হয়। প্রথম ত্রিশ বছর তিনি প্রত্যক্ষভাবে শাসন করেননি। এসময় তার চাচা মুহাম্মদ হাশিম খান ও শাহ মাহমুদ খানের উপর বেশিরভাগ ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল। এই সময়কালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে আফগানিস্তানের সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় আফগানিস্তান লীগ অফ নেশনসের সদস্য হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৩০ এর দশকের শেষের দিক নাগাদ জার্মানি, ইটালি ও জাপানসহ অনেক দেশের সাথে বৈদেশিক সহায়তা ও বাণিজ্য বিষয়ে সমঝোতা হয়।",
"title": "মুহাম্মদ জহির শাহ"
},
{
"docid": "605395#0",
"text": "কামরান মির্জা, মাঝেমধ্যে কামরান, নামেও ডাকা হয়, (১৫০৯ – ৫ (অথবা ৬) অক্টোবর ১৫৫৭) ছিলেন মুগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর এর দ্বিতীয় পুত্র এবং প্রথম মুগল সম্রাট। বাবরের স্ত্রী গোলরথ বেগমের সন্তান হিসেবে কামরান মির্জা কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাবরের বড় ছেলে হুমায়ূনের সৎভাই ছিলেন, যিনি মুগল সিংহাসনে অধিষ্ঠিত এবং উত্তরাধিকারী হন কিন্তু তিনি বাবরের তৃতীয় পুত্র আশরাফীর আপন ভাই ছিলেন।",
"title": "কামরান মির্জা"
}
] |
সর্বশেষ ফিফা বিশ্বকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় কোন দেশ জয়ী হয়েছিল ? | [
{
"docid": "5216#3",
"text": "সর্বশেষ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়ায়, ২০১৮ সালের ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে ৪-২ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়।",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপ"
}
] | [
{
"docid": "14608#5",
"text": "প্রথম বিশ্বকাপই হল একমাত্র বিশ্বকাপ যেখানে কোন বাছাইপর্ব ছিল না। ফিফার সহযোগী সকল দেশকেই অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানানো হয়েছিল। ১৯৩০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমন্ত্রণ গ্রহণের শেষ দিন ধার্য করা হয়। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, প্যারাগুয়ে, চিলি, বলিভিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সময়মত নিবন্ধন করলেও আটলান্টিকের অপর পারের কোন ইউরোপীয় দেশ নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন করেনি। আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়ার দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল ভ্রমণের কারনে খুব কম ইউরোপীয় দলই প্রতিযোগিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। উরুগুয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এফএ সেসময় ফিফার সদস্য ছিলনা) অংশগ্রহণের আবেদন জানিয়েছিল। ১৯২৯ সালের ১৮ নভেম্বর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কমিটি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়; প্রতিযোগিতা শুরুর দুইমাস আগে পর্যন্ত ইউরোপের কোন দেশ আনুষ্ঠানিক ভাবে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেয়নি। ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে ও উরুগুয়ের সরকার শেষ চেষ্টা হিসেবে অংশগ্রহণের বিনিময়ে ইউরোপীয় দলগুলির যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের প্রস্তাব দেন।",
"title": "১৯৩০ ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "293394#0",
"text": "ফিফা বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ () হচ্ছে ফিফার সদস্যভূক্ত দেশসমূহের মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট একটি দেশ কর্তৃক ফিফা বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। শুরুর দিকে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যে ফিফার কংগ্রেসে সভা আহ্বান করতে হতো। স্বাগতিক দেশ নির্ধারণে বেশ বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টিসহ দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইউরোপের মধ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের ভ্রমণও করতে হতো। ঐ সময়ে এ দু'টি মহাদেশই ফুটবলের প্রবল পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ছিল। ফিফা কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, উরুগুয়েতে বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসবে। উরুগুয়ে ব্যতীত ইতালি, সুইডেন, নেদারল্যান্ড এবং স্পেন - ইউরোপের এ চারটি দেশ নিলাম ডাক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিল।",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ"
},
{
"docid": "92829#2",
"text": "বিশ্বকাপের এই আসরের শিরোপাধারী দল হচ্ছে স্পেন। ফাইনালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্পেন তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে আসা নেদারল্যান্ডসকে ১–০ গোলে পরাজিত করে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ের খেলার শেষ দিকে স্পেন আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তার জয়সূচক গোলে নেদারল্যান্ডসকে পরাজিত করে। সেই সাথে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় স্পেন। স্বাগতিক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং গতবারের শিরোপাজয়ী দল ইতালি ও রানার্স-আপ ফ্রান্স গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পেরোতে ব্যর্থ হয়। এছাড়াও ফুটবলের মহারথী দল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ও জার্মানিও নকআউট পর্বেই বাদ পড়ে যায়। এই বিশ্বকাপের একমাত্র অপরাজিত দলটি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড যদিও তারা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল, কিন্তু গ্রুপ পর্বের কোনো খেলাতেই তারা পরাজিত হয়নি।",
"title": "২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "92829#0",
"text": "২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ () হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ঊনিশতম আসর। ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে বিশ্বের প্রধান ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের ১১ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্বকাপের এই আসরটির আয়োজক দেশ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য ৩২টি দল নির্বাচনের লক্ষ্যে ফিফার ছয়টি মহাদেশীয় কনফেডারশনগুলোতে বাছাইপর্ব শুরু হয়। এই বাছাইপর্বে ফিফার মোট ২০৮টি সদস্য দেশের জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের মধ্যে ২০৪টি দল অংশ নেয়। জার্মানিতে ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপাধারী ইতালি এই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই শুরু করে। এই বিশ্বকাপের সর্বশেষ ড্র অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ৪ ডিসেম্বর, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে।",
"title": "২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "111232#0",
"text": "উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়ের প্রতিনিধি। এখন পর্যন্ত দলটি দুইবার ফিফা বিশ্বকাপ জয় করেছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম শিরোপাটি উরুগুয়ের দখলে। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের এই ফাইনালে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে। দলটি তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে ১৯৩০ সালে। সেবার তারা স্বাগতিক ব্রাজিলকে ফাইনালে ২-১ গোলে পরাজিত করে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও উরুগুয়ে সফল একটি দল। তারা দুইবার (১৯২৪ ও ১৯২৮) গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক জয় করে। ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই তারা এ দুটি স্বর্ণপদক জয় করে। উরুগুয়ে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সফল একটি দল। এখন পর্যন্ত দলটি ১৮টি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উঁচু মর্যাদা বিশিষ্ট টাইটেল অর্জন করেছে। এর মধ্যে আছে ২ বার ফিফা বিশ্বকাপ, ২ বার অলিম্পিক গেমস, ও ১৪টি কোপা আমেরিকা শিরোপা।",
"title": "উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "293394#15",
"text": "নিলাম ডাক:\nআর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো এবং সুইডেন প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক দেশ হবার জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করে। সুয়েডীয় প্রতিনিধি দল অন্যান্য দেশসমূহের সাথে আলোচনা করে ১৯৫০ সালের ফিফা বিশ্বকাপে আয়োজিত ফিফা কংগ্রেসে তাদের দেশে প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ব্যক্ত করে। ২৩ জুন, ১৯৫০ সালে অন্য কোন দলের তরফে বাঁধা না পাওয়ায় সুইডেনকে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ"
},
{
"docid": "5216#34",
"text": "২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ কোন মহাদেশে বরাদ্দ দেয়া হয়নি; প্রকৃতপক্ষে পালাক্রমে বিভিন্ন মহাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের নীতি ২০১৪ সালের পর আর নাও থাকতে পারে। যে সব দেশ ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, মেক্সিকো, স্পেন, পর্তুগাল ও যুক্তরাষ্ট্র, আবার বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড ২০০০ উয়েফা ইউরোপীয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সফলভাবে যৌথ-আয়োজন করার পর বেনেলাক্স দেশ (বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ) যুগ্মভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০০৭ তারিখে বিশ্বকাপ বলেছেন যে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ উত্তম আমেরিকায় হওয়া উচিত এবং তিনটি দেশ আছে যারা স্বাগতিক হতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। অবশ্য এ সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ফিফার বিশ্বিকাপ আয়োজক নির্বাচনে আবর্তন নীতির উপর। ২০০৭ সালের এপ্রিলে ব্ল্যাটার আবার বলেন, \"এর অর্থ এই যে ২০১৪ সালের পর বিশ্বকাপ এশিয়ায় হবে।\"",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপ"
},
{
"docid": "293394#3",
"text": "একমাত্র মেক্সিকো, ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানি দুইবার করে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশের মর্যাদার অধিকারী হয়েছে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলও এর সাথে যু্ক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেক্সিকো সিটির এস্তাদিও অ্যাজটেকা হচ্ছে একমাত্র স্টেডিয়াম যেখানে দু'টি ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের পর রিও ডি জেনেইরোতে অবস্থিত মারকানা স্টেডিয়ামও এ গৌরবের অধিকারী হবে। এ স্টেডিয়ামটিতে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের উরুগুয়ে বনাম ব্রাজিলের মধ্যকার সর্বশেষ খেলাটি ভিন্নতর ক্রীড়া পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।",
"title": "ফিফা বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ"
},
{
"docid": "110970#0",
"text": "ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল () হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্বকারী ফুটবল দল। এই দলটিকে নিয়ন্ত্রণে করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। ১৯২৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা’র সদস্য হয়। এরপূর্বেই ১৯১৬ সাল থেকে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন কনমেবলের অন্যতম সদস্য দেশ। ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম দলটি হচ্ছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দলটি পাঁচবার (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২) বিশ্বকাপ জয় করেছে যা একটি রেকর্ড। ফুটবলের ব্যাপারে একটি সাধারণ উক্তি হচ্ছে: ‘’, অর্থাৎ, ‘\"ইংল্যান্ডের আবিষ্কার, আর ব্রাজিলের পরিপূর্ণতা দান\"’। ফিফা’র বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই দলটি শীর্ষস্থানে ছিল। এছাড়া এলো’র রেটিং অনুসারে ব্রাজিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ফুটবল জাতি। এখন পর্যন্ত ব্রাজিল-ই একমাত্র দল যারা বিশ্বকাপের সবগুলো আসরেই অংশগ্রহণ করেছে।",
"title": "ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল"
},
{
"docid": "701517#0",
"text": "২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপ হবে ২৫ তম ফিফা বিশ্বকাপ আসর, এই চতুর্বাষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ফিফা এর সদস্যভুক্ত জাতীয় দলগুলি পরস্পর প্রতিযোগিতা করবে।\nবিশ্বকাপের জন্য বিডিং প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। ২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য কিছু প্রাথমিক বিড প্রস্তাব করা হয়েছে। নিম্নলিখিত দেশগুলি বিডিংয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে:\n২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম বিড দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার জাতীগোষ্ঠী সমিতির সদস্যদের দ্বারা সমষ্টিগত দর হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১২ সালের জানুয়ারির দিকে একটি সমঝোতায় আসিয়ান বিডের ধারণাটি উত্থাপিত হয়েছিল, যখন সিঙ্গাপুরের সাবেক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জেইনউদ্দীন নর্ডিন এক বিবৃতিতে বলেন যে আসিয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে যে, দেশগুলি বিড করতে পারবেন না (যেটি জাতীয় সংস্থার উপরে রয়েছে)। ২০১৩ সালে, নর্ডিন এবং বিশেষ অলিম্পিকে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি, দাতুক মোহাম্মদ ফিসোল হাসান, আসিয়ানের যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের ধারণাটি স্মরণ করেছিলেন।",
"title": "২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপ"
}
] |
সামবেদে মোট কয়টি শাখা আছে ? | [
{
"docid": "42564#7",
"text": "সামবেদ (সংস্কৃত: सामवेद) (\"সামন্\" বা গান ও \"বেদ\" বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।",
"title": "বেদ"
}
] | [
{
"docid": "480289#10",
"text": "সামবেদে ১,৫৪৯টি একক মন্ত্র রয়েছে। এগুলির মধ্যে ৭৫টি বাদে বাকি সবকটিই ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। ঋগ্বেদের ৯ম ও ৮ম মণ্ডল থেকেই প্রধানত এই মন্ত্রগুলি গ্রহণ করা হয়েছে। কয়েকটি ঋগ্বৈদিক মন্ত্র সামবেদে একাধিকবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। গ্রিফিথের অনুবাদে পুনরাবৃত্তি সহ সামবেদ শাখার মোট মন্ত্রসংখ্যা ১,৮৭৫।",
"title": "সামবেদ"
},
{
"docid": "480289#7",
"text": "সামবেদ দুটি প্রধান খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডে চারটি ‘গান’ বা তান-সংকলন রয়েছে। দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে তিনটি ‘আর্চিক’ বা মন্ত্র-সংকলন। ‘গান’ খণ্ডের এক-একটি তানের সঙ্গে ‘আর্চিক’ খণ্ডের এক-একটি মন্ত্র সংযুক্ত। ‘গান’ সংকলনটি আবার ‘গ্রামগেয়’ ও ‘অরণ্যগেয়’—এই দুই পর্বে বিভক্ত। অন্যদিকে ‘আর্চিক’ খণ্ডটি ‘পূর্বাচিক’ ও ‘উত্তরার্চিক’—এই দুই পর্বে বিভক্ত। ‘পূর্বার্চিক’ নামক পর্বটিতে ৫৮৫টি একক মন্ত্র রয়েছে। এগুলি দেবতা অনুসারে বিন্যস্ত। অন্যদিকে ‘উত্তরার্চিক’ বিন্যস্ত হয়েছে ক্রিয়াকাণ্ড অনুসারে। ‘গ্রামগেয়’ পর্বটি সাধারণের জন্য। অন্যদিকে ‘অরণ্যগেয়’ পর্বটি অরণ্যের নির্জনতায় ব্যক্তিগত ধ্যানের জন্য। সাধারণভাবে, ‘পূর্বার্চিক’ সংকলনটি ‘গ্রাময়েগ-গান’ নির্ঘণ্টে বর্ণিত তানে গীত হত। \"পুষ্পসূত্র\" ইত্যাদি সংস্কৃত গ্রন্থে কিভাবে মন্ত্রের সঙ্গে মন্ত্র যুক্ত করা উচিত তার নিয়ম বর্ণিত হয়েছে।",
"title": "সামবেদ"
},
{
"docid": "480289#0",
"text": "সামবেদ (সংস্কৃত: सामवेद) (\"সামন্\" বা গান ও \"বেদ\" বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।",
"title": "সামবেদ"
},
{
"docid": "262724#6",
"text": "বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফাস্ট ফুড চেইন স্টোর হিসেবে ম্যাকডোনাল্ডসের ৬টি মহাদেশের ১১৯টি দেশে শাখা রয়েছে। ঐ দেশ ও অঙ্গরাজ্যগুলোতে তাদের মোট শাখার সংখ্যা ৩১,০০০-এরও বেশি। ৩১ জানুয়ারি, ১৯৯০ সালে ম্যাকডোনাল্ড’স কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার মস্কোতে তাদের একটি শাখা খোলে। প্রথম দিনেই ঐ শাখায় মোট বিক্রির পরিমাণ এখন পর্যন্ত তাদের সর্বোচ্চ। ম্যাকডোনাল্ডসের সবচেয়ে বড় রেস্তোরাঁটি রয়েছে চীনের বেইজিংয়ে।\nনব্বুইয়ের দশকে সবচেয়ে বেশী প্রাতিষ্ঠানিক শাখা খোলা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, বিশ্বের কোন না কোন স্থানে প্রতি ছয় ঘন্টায় একটি করে ম্যাকডোনাল্ডসের নূতন শাখা খোলা হয়েছিল।",
"title": "ম্যাকডোনাল্ড’স"
},
{
"docid": "480289#6",
"text": "আর. টি. এইচ. গ্রিফিথের মতে, সামবেদ সংহিতার তিনটি শাখা রয়েছে:",
"title": "সামবেদ"
},
{
"docid": "428598#3",
"text": "প্রত্যেক বেদের সঙ্গে যুক্ত শাখা-সংক্রান্ত তথ্যের প্রথাগত সূত্র হল চরণব্যূহ। এর দুটি সংস্করণ পাওয়া যায়। এগুলি মোটামুটি একই রকমের। একটি হল অথর্ববেদের ৪৯তম পরিশিষ্ট (যা শৌনকের লেখা বলে কথিত) এবং শুক্ল যজুর্বেদের পঞ্চম পরিশিষ্ট (যা কাত্যায়নের লেখা বলে পরিচিত)। এখানে বেশ কিছু শাখার উল্লেখ আছে যেগুলি অস্তিত্ব আগে ছিল এবং এই বইগুলি রচনার সময়ও ছিল। তবে বর্তমান যুগে অল্প কিছু সংখ্যক শাখারই অস্তিত্ব আছে।\nশৌনকের \"চরণব্যূহ\"-এ ঋগ্বেদের পাঁচটি শাখার তালিকা আছে। এগুলি হল: শাকল, বাষ্কল, অশ্বলায়ন, সংখ্যায়ন ও মাণ্ডুক্যায়ন। এগুলির মধ্যে শাকল ও বাষ্কল শাখাদুটিই এখন প্রচলিত আছে।",
"title": "শাখা (বেদ)"
},
{
"docid": "42885#5",
"text": "প্রতিটি শ্রেনী চারটি শাখা ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’-তে বিভক্ত। একেকটি শাখায় ছাত্রসংখ্যা মোটামুটি ভাবে ৬০ জনের মধ্যে রাখবার চেষ্টা করা হয়। শাখাগুলোর মাঝে ‘ক’ ও ‘খ’ প্রভাতী এবং ‘গ’ ও ‘ঘ’ দিবা শাখার অন্তর্ভুক্ত। নবম ও দশম শ্রেনীতে বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রদের জন্য পৃথক শাখা সংযোজন করা হয়ে থাকে যারা প্রভাতী শাখার অন্তর্ভুক্ত। পৃথক শাখা বাদে বাকি চারটি শাখাই বিজ্ঞান।",
"title": "গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা"
},
{
"docid": "42564#2",
"text": "বেদের সংখ্যা চার: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ। প্রত্যেকটি বেদ আবার চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত: সংহিতা (মন্ত্র ও আশীর্বচন), আরণ্যক (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম, যজ্ঞ ও প্রতীকী যজ্ঞ), ব্রাহ্মণ (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও যজ্ঞাদির উপর টীকা) ও উপনিষদ্ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান-সংক্রান্ত আলোচনা)। কোনও কোনও গবেষক উপাসনা (পূজা) নামে একটি পঞ্চম বিভাগের কথাও উল্লেখ করে থাকেন।",
"title": "বেদ"
}
] |
কাগজ তৈরির কারখানা প্রথম কোথায় তৈরী হয় ? | [
{
"docid": "640901#8",
"text": "আধুনিক কাগজ প্রস্তুত শিল্প শুরু হয় ইউরোপে ১৯ শতকের পুর্ব ভাগে। এর অন্যতম কারণ ছিল ফোর্ড্রিনিয়ার যন্ত্রের ক্রমবিকাশ। এই যন্ত্র একক শিটের পরিবর্তে ক্রমাগত কাগজের রোল তৈরী করতে পারত। এই যন্ত্র আকারে বড় ছিল। কিছু কিছু ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ ছিল। ১৮৮৪ সালে কানাডীয় চার্লস ফেনেরটি ও জার্মান এফ.জি.কেলার এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যেখানে মণ্ড তৈরীতে কাঠ ব্যবহার করা যাবে। এই নতুনত্ব ২০০০ বছর ধরে চলে আসা শুধুমাত্র ন্যাকড়া দিয়ে মণ্ড থেকে কাগজ তৈরীর যুগের অবসান ঘটিয়ে খবরের কাগজ তৈরীর সূচনা করল এবং তার ফলে বর্তমানে প্রায় সব কাগজই কাঠের মণ্ড থেকে তৈরী হয়।",
"title": "কাগজ তৈরি"
},
{
"docid": "640901#7",
"text": "ইউরোপে, কাগজের ছাচ তৈরীতে ধাতুর তার ব্যবহার করা হত। যেখানে জলছাপ ১৩০০ খ্রিষ্ঠাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। যখন হেম্প ও লাইনেন ন্যাকড়া মণ্ড তৈরীর প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হত। এরপর উৎস হিসেবে তুলা ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৫ শতকের পূর্ব পর্যন্ত বহনযোগ্য প্রিন্টিং মেশিন তৈরীর আগ পর্যন্ত কাগজ উৎপাদন ইউরোপে ততটা জনপ্রিয় ছিল না।",
"title": "কাগজ তৈরি"
}
] | [
{
"docid": "89013#3",
"text": "কাগজের প্রচলন চীন থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পরে মুসলিম বিশ্বের মাধ্যমে এবং ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মধ্যযুগের ইউরোপে কাগজের উৎপাদন শুরু হয়। যেখানে সর্বপ্রথম পানি-চালিত কাগজ উৎপাদনের কাগজকল ও কলকব্জা বা মেশিন আবিষ্কার ও নির্মাণ করা হয়।",
"title": "কাগজ"
},
{
"docid": "89013#4",
"text": "চিঠি, সংবাদপত্র ও বইয়ের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান শুরু হবার পর বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আশে, এবং এর সাশ্রয়ী উপাদান হিসেবে কাগজ তৈরি করা ঊনবিংশ শতাব্দীতে নতুন শিল্প রূপে আবির্ভূত হয়। ১৮৪৪ সালে, কানাডিয়ান উদ্ভাবক Charles Fenerty এবং জার্মান উদ্ভাবক F.G. Keller যৌথ ভাবে কাগজ তৈরির মূল উপাদান হিসেবে কাঠের মণ্ড তৈরি করার মেশিন ও প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন। এটা ছিল ২০০০ বছরের পুরনো ও প্রচলিত কাগজ উৎপাদন পক্রিয়ার সময়ের শেষ ও নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে নিউজপ্রিন্ট ও অন্যান্য প্রকার কাগজ উৎপাদন কালের শুরু।প্রাচীন ভারতে হিন্দু রাজত্বকালে লেখাপড়া তালপাতা, কলাপাতা, সুপারি ও নারিকেল গাছের খোসা ভূর্জত্বক এবং অন্যান্য পত্রে লিখিত হত। এই জন্যই চিঠিকে \"পত্র\" বলে এবং পন্ডিতদের ব্যবস্থাপত্রকে \"পাতি\" বলে। কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিখতে তাম্রফলকে অথবা অন্য ধাতুফলকে, কখনও কাষ্ঠ ফলকে অঙ্কিত করা হত। তখন কাগজকে আলেখ্য, পট এবং তুলট বলা হত; সেই কাগজে রাজা ও মহাজনদের খাতা এবং হিসাব প্রভৃতি লেখা হত। ভূটানে, নেপালে এবং অসমে যেরকম প্রাচীন কাগজের নমুনা দেখা গেছে তা বিদেশীয় কাগজ থেকে ভিন্ন।",
"title": "কাগজ"
},
{
"docid": "640901#5",
"text": "৮ম শতকে কাগজ প্রস্তুতি ছড়িয়ে পরেছিল মুসলিম বিশ্বে, যেখানে এই প্রক্রিয়া পরিশোধিত হয়েছে এবং তা ব্যাপকভাবে উৎপাদন করা হতে থাকে। উৎপাদন শুরু হয়সমরকন্দে, বাগদাদে, দামেস্কাসে, কায়রোতে, মরোক্কতে এবং এরপর মুসলিম স্পেইনে। মুসলিমরা এমন পদ্ধতি আবিষ্কার করে; যার ফলে কাগজের পাতলা শিট তৈরী করা যায়। এই নতুনত্ব কাগজকে শিল্পকলা থেকে কাগজ কারখানার সূচনা করে। ৮ম শতকে সমরকন্দ থেকেই কাগজের মণ্ড থেকেই কাগজ তৈরী করা হত। পূর্বের তথ্যসুত্র থেকে দেখা যায়; ইসলামিক স্বর্ণযুগ থেকেই কাগজের কারখানা এসেছে। ৯ম শতকে দামেস্কাসে আরবীয় ভূতাত্বিক দ্বারা এটি উদ্ধৃত হয়।",
"title": "কাগজ তৈরি"
},
{
"docid": "640901#3",
"text": "কাগজ তৈরীর যে কর্মযজ্ঞ তা দেখে সচেতন নাগরিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। কারণ কাগজ তৈরীতে অনেক রাসায়নিক ব্যবহার হয়; এছাড়াও সেলুলোজের জন্য প্রাথমিক উৎস হচ্ছে গাছের কাঠ, যার ফলে প্রচুর গাছ কাটা হয়। কাগজের কারখানায়, প্রচুর পানি ব্যবহার করার কারণে, সেই দূষিত পানি, পার্শ্ববর্তী নদী, নালায় ফেলা হয়, যা পরিবেশকে দূষন করে। তুলা থেকে প্রস্তুত কাগজের দাম গাছের কাঠ থেকে প্রস্তুত কাগজের দামের চেয়ে বেশি হওয়ায়; সেই কাগজের চাহিদা কম।",
"title": "কাগজ তৈরি"
},
{
"docid": "640901#4",
"text": "হেম্প কাগজ চীনে ৮ম খ্রিষ্ঠপূর্বে মোড়ানো ও প্যাড হিসেবে ব্যবহার হত। ৮ শতক পুর্বেই এই কাগজের উপর চাইনীজরা লিখত। হ্যান রাজত্বকালে (২০২ খ্রিষ্টপূর্ব-২২০ খ্রিষ্ঠাব্দ) ঐতিহ্যবাহী আবিষ্কারক কার্ল লুনকে এই কাগজের প্রস্তুকারক বলা হয়। তিনি তন্তুগাছ এবং অন্যান্য বাস্ট তন্ত মাছের আশ, পুরাতন ন্যাকড়া ও হেম্প বর্জ্য সহযোগে এটি প্রস্তুত করতেন। ৩য় শতকে কাগজ লেখার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ছড়িয়ে পরে। এবং ৬ষ্ঠ শতকে তা টয়লেট পেপার হিসেবে চীনে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ট্যাং রাজত্বকালে (৬১৮-৯০৭ খ্রিষ্ঠাব্দ) কাগজ ভাজ কর ও সেলাইয়ের মাধ্যমে চতুষ্কোনীয় চা-ব্যাগ হিসেবে তৈরী করা হয়। পরবর্তীতে সং রাজত্বে (৯৬০-১২৭৯ খ্রিষ্ঠাব্দে) কাগজের মুদ্রার প্রথম প্রচলন হয়।",
"title": "কাগজ তৈরি"
},
{
"docid": "552224#6",
"text": "প্রথম ডেস্কের পরিশোধীত রূপ ১৯ শতকে চিন্তা করা হয়েছিল, যেহেতু শিল্প বিপ্লবের প্রথম পর্যায়ের শেষের দিকে বাষ্প চালিত যন্ত্রপাতি সস্তা কাঠ-মণ্ড কাগজ তৈরি সম্ভব করেছিল। এটি চিন্তা ভিত্তিক কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করে দেয়। যেহেতু এরূপ অফিস কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে, নতুন বাষ্প চালিত কাঠের কাজের যন্ত্র ব্যবহার করে তাদের জন্য ডেস্কের বিশাল পরিমাণে উৎপাদন শুরু হয়। এটি ছিল ডেস্ক উৎপাদনের সর্বপ্রথম সুক্ষ বিভাজন। তারপর থেকে ভালো কাঠমিস্ত্রিরা স্বল্প পরিমাণে ধনীদের বাসা এবং অফিসের জন্য সুন্দর প্রকৃতির ডেস্ক তৈরি করে আসছেন যেখানে যন্ত্রপাতি দ্বারা গুচ্ছ আকারে সরঞ্জাম তৈরি করে বেশীরভাগ ডেস্ক দ্রুত সংযোগ দেয়া হয় অদক্ষ শ্রমিক দ্বারা। তাই শুধুমাত্র এর বয়স একটি পুরাকালের ডেস্কের শ্রেষ্ঠ অবদান বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করে না, যেহেতু একশো বছরেরও বেশি সময় আগে মানের মধ্যে বিভক্ত ঘটেছিল।",
"title": "ডেস্ক"
},
{
"docid": "73860#3",
"text": "হেমেন্দ্রকুমার এদেশে প্রথম রেকর্ড তৈরির কারখানা খুলেছিলেন। এই রেকর্ড ছিল ফনোগ্রামের সিলিন্ডার। ধর্মতলার মার্বেল হাউসে \"দ্য টকিং মেশিন হল\" নামে এই কারখানা তিনি খোলেন। পরে বৌবাজার স্ট্রীটের দেলখোস হাউসে এই কারখানা স্থানন্তরিত হয়। ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন শুরু হবার পরেই এইচ. বোসেস রেকর্ডের আত্মপ্রকাশ এবং বন্দেমাতরম গান সহ শুধু দেশাত্মবোধক গানই এতে প্রচার করা হয়েছিল। স্বদেশী গান প্রচারের জন্য তিনি তাঁর প্রধান শিল্পী হিসাবে পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে। তাঁর তৈরি রেকর্ডে লালচাঁদ বড়াল বহু গান দিয়েছিলেন। দ্য টকিং মেশিন হল - এ মেরামতি বিভাগও চালু করেছিলেন। প্যাথে ডিস্কে এইচ. বোসেস রেকর্ডসের প্রথম চালান কলকাতায় আসে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে।",
"title": "হেমেন্দ্রমোহন বসু"
},
{
"docid": "640901#14",
"text": "আধুনিক কাগজ কারখানা বিভিন্ন অংশে বিভক্ত এবং প্রত্যেকটা অংশই একে অপরের সাথে সংযুক্ত। মণ্ডকে এখানে পানির সাথে মিশ্রিতও নানা উপাদান সংযুক্ত করে পরিশোধিত করা হয়। ফোর্ড্রিনার মেশিনের হেড বক্স কাগজের কাইকে একটি চলমান যন্ত্রে ঢেলে দেয়, সেখান থেকে অভিকষর্জ টানে অথবা নীচে ভ্যাকুয়াম যন্ত্রের দরুণ পানি নিষ্কাশিত হয়ে যায়। এরপর সিক্ত কাগজের শিট চাপ দিয়ে শুষ্ক করা হয়। এরপর একে লম্বা রোল করে পাকানো হয়। এই রোলের ওজন কয়েক টন হতে পারে।",
"title": "কাগজ তৈরি"
},
{
"docid": "260721#1",
"text": "প্রথমদিক থেকে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ অব্দে মানুষ পাথরের মধ্যে গমের বীজ গুঁড়ো করে আটা তৈরি করতো। রোমানরাই সর্বপ্রথম বীজ থেকে ময়দা তৈরীর মিল কারখানা তৈরি করে। ১৮৭৯ সালে, শিল্পযুগের শুরুর দিকে লন্ডনে সর্বপ্রথম বাষ্পচালিত মিল বসানো হয়। ১৯৩৯ সালের দিকে কিছু ময়দায় লৌহ, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং রাইবোফ্লাভিন মেশানো শুরু করে। ১৯৯০ এর দিকে ফলিক এসিড যোগ করা শুরু হয়। \nএটি একটি শর্করা জাতীয় খাদ্য। লাল আটায় ক্যালরির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। অন্যদিকে আঁশের পরিমাণ বেশী। ফলে লাল আটার তৈরী রুটি একদিকে পুষ্টিকর অন্যদিকে স্বাস্থ্যসম্মত। আটার প্রধান ব্যবহার হলো আটা থেকে রুটি ও পরাটা তৈরী করা। বাংলাদেশের যেমন ভাত, ভারত ও পাকিস্তান ইত্যাদি বহু দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য আটার তৈরী রুটি। এছাড়া আটা দিয়ে নানা রকম পিঠা, বেগণি ইত্যাদি তৈরী করা হয়।",
"title": "আটা"
}
] |
মেরি টেরিজা বোজাঝিউ বা মাদার টেরিজা কত সালে প্রথম ভারতবর্ষে আসেন ? | [
{
"docid": "9190#0",
"text": "মেরি টেরিজা বোজাঝিউ (বাপ্তাইজিত: অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউ; আলবেনীয়: Anjezë Gonxhe Bojaxhiu; আগস্ট ২৬, ১৯১০ – সেপ্টেম্বর ৫, ১৯৯৭), যিনি মাদার টেরিজা বা তেরেসা নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন একজন আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক। টেরিজার জন্মস্থান অটোমান সাম্রাজ্যের আলবেনিয়া রাজ্যের স্কপিয়ে। আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সেখানেই কাটান। ১৯২৮ সালে তিনি আয়ারল্যান্ড হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচার অভিযানে আসেন। জীবনের বাকি অংশ তিনি ভারতেই থেকে যান।",
"title": "মাদার টেরিজা"
},
{
"docid": "9190#5",
"text": "অ্যাগনেস প্রথমে আয়ারল্যান্ডের রথফার্নহ্যামে লোরেটো অ্যাবেতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা করতে যান। কারণ এই ভাষাই ছিল ভারতে সিস্টার্স অফ লোরেটোর শিক্ষার মাধ্যম। ১৯২৯ সালে ভারতে এসে দার্জিলিঙে নবদীক্ষিত হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৩১ সালের ২৪ মে তিনি সন্ন্যাসিনী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ করেন। এই সময় তিনি ধর্মপ্রচারকদের পৃষ্ঠপোষক সন্ত Thérèse de Lisieux –এর নামানুসারে টেরিজা নাম গ্রহণ করেন। ১৯৩৭ সালের ১৪ মে পূর্ব কলকাতায় একটি লোরেটো কনভেন্ট স্কুলে পড়ানোর সময় তিনি চূড়ান্ত শপথ গ্রহণ করেন।",
"title": "মাদার টেরিজা"
}
] | [
{
"docid": "9190#3",
"text": "মেরি টেরিজা বোজাঝিউ একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব; মৃত্যুর আগে ও পরে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও একাধিক রাষ্ট্রের সরকার দ্বারা নন্দিত ও নিন্দিত হয়েছেন। জার্মেইন গ্রিয়ার টেরিজাকে 'ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী' হিসেবে সমালোচনা করেছেন। ক্রিস্টোফার হিচেন্স, মাইকেল প্যারেন্টি, অরূপ চট্টোপাধ্যায়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রভৃতি ব্যক্তি ও সংস্থা জন্মনিরোধক এবং গর্ভপাতের বিষয়ে তাঁর আপত্তি, দারিদ্র্যের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যে তাঁর বিশ্বাস ও মৃত্যুপথযাত্রীদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করার সমালোচনা করেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল জার্নালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসার নিম্নমানের সমালোচনা করা হয় এবং দানের অর্থের অস্বচ্ছ ব্যয়ের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।",
"title": "মাদার টেরিজা"
},
{
"docid": "710788#0",
"text": "একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে মেরি টেরিজা বোজাঝিউ'র জীবন ও কর্ম, যিনি মাদার টেরিজা বা তেরেসা নামে অধিক পরিচিত, তাঁর মৃত্যুর আগে ও পরে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও একাধিক রাষ্ট্রের সরকার দ্বারা নন্দিত ও নিন্দিত হয়েছে। তাঁর ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত দাতব্য ধর্মপ্রচারকদলের ক্রিয়াকলাপ অসংখ্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকরা দাতব্য ধর্মপ্রচারকদলের সেবার নিম্নমান, বলপূর্বক ধর্মান্তর ও মৃত্যুপথযাত্রীদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদানের নিন্দা জ্ঞাপন করেছে এবং তাদের সাথে উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের সম্পর্ক পেয়েছে। টেরিজা গণযোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ছিলেন। অনেক সমালোচক মনে করেন, ক্যাথলিক চার্চ খ্রিষ্টানধর্ম প্রচার ও সমালোচনার মোকাবেলা করতে তেরেসার ভাবমূর্তি ব্যবহার করেছে। বিশ্ববিখ্যাত চিন্তাবিদ জার্মেইন গ্রিয়ার টেরিজাকে 'ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী' বলে সমালোচনা করেছেন। অনেকে তাকে উন্মত্ত উগ্রবাদী, মৌলবাদী তথা ভণ্ড বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন যে তিনি নিজের ধর্মীয় আদর্শ তথা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে দুস্থবঞ্চিতদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।",
"title": "মাদার টেরিজার সমালোচনা"
},
{
"docid": "712603#0",
"text": "দ্য মিশনারি পজিশন: মাদার টেরিজা ইন থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস (ইংরেজি: \"The Missionary Position: Mother Teresa in Theory and Practice\"; বাংলা: ধর্মপ্রচারক অবস্থান: তত্ত্বে ও কর্মে মাদার টেরিজা) হল ব্রিটিশ-আমেরিকান সাংবাদিক ক্রিস্টোফার হিচেন্সকর্তৃক রচিত, ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। ১২৮ পৃষ্ঠার প্রবন্ধগ্রন্থটি ক্যাথলিক ধর্মপ্রচারক মেরি টেরিজা বোজাঝিউ-এর কর্ম ও দর্শনকে সমালোচনা করে রচিত।",
"title": "দ্য মিশনারি পজিশন: মাদার টেরিজা ইন থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস"
},
{
"docid": "9190#25",
"text": "একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে মেরি টেরিজা বোজাঝিউ'র জীবন ও কর্ম তাঁর মৃত্যুর আগে ও পরে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও একাধিক রাষ্ট্রের সরকার দ্বারা নন্দিত ও নিন্দিত হয়েছে। তাঁর ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত দাতব্য ধর্মপ্রচারকদলের ক্রিয়াকলাপ অসংখ্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকরা দাতব্য ধর্মপ্রচারকদলের সেবার নিম্নমান, বলপূর্বক ধর্মান্তর ও মৃত্যুপথযাত্রীদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদানের নিন্দা জ্ঞাপন করেছে এবং তাদের সাথে উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের সম্পর্ক পেয়েছে। টেরিজার সঙ্ঘের 'সবকিছুই ছিল খ্রিস্টান হবার শর্তে' – সে খাবার হোক বা শোবার জায়গা হোক। টেরিজা গণযোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ছিলেন। অনেক সমালোচক মনে করেন, ক্যাথলিক চার্চ খ্রিষ্টানধর্ম প্রচার ও সমালোচনার মোকাবেলা করতে তেরেসার ভাবমূর্তি ব্যবহার করেছে। বিশ্ববিখ্যাত চিন্তাবিদ জার্মেইন গ্রিয়ার টেরিজাকে 'ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী' বলে সমালোচনা করেছেন। অনেকে তাকে উন্মত্ত উগ্রবাদী, মৌলবাদী তথা ভণ্ড বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন যে তিনি নিজের ধর্মীয় আদর্শ তথা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে দুস্থবঞ্চিতদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।",
"title": "মাদার টেরিজা"
},
{
"docid": "712603#2",
"text": "হিচেন্স টেরিজা বোজাঝিউকে সমালোচনা করেছেন কয়েকবার । \"দ্য নেশন\"-এ ১৯৯২ সালে প্রকাশিত একটি কলামে হিচেন্স টেরিজার সমালোচনা করেন। ১৯৯৩ সালে একটি সাক্ষাৎকারে হিচেন্স বলেন, আমরা অন্যদের ধর্মবিশ্বাসকে কুসংস্কার বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি অথচ নিজেদের ধর্মবিশ্বাস ও সন্তদের সমালোচনা সাহস পাই না। ১৯৯৪ সালে তিনি একটি ব্রিটিশ চ্যানেলে তিনি \"হেল'স এঞ্জেল\" (নরকের দেবদূত) নামে প্রামাণ্য তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।",
"title": "দ্য মিশনারি পজিশন: মাদার টেরিজা ইন থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস"
},
{
"docid": "9190#4",
"text": "অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউ আলবেনীয় ভাষায় \"গঞ্জা\" শব্দের অর্থ \"গোলাপকুঁড়ি\") ১৯১০ সালের ২৬ অাগস্ট অটোম্যান সাম্রাজ্যের ইউস্কুবে (অধুনা ম্যাসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্রের রাজধানী স্কোপিয়ে) জন্মগ্রহণ করেন। তবে ২৬ অাগস্ট জন্ম হলেও তিনি ২৭ অাগস্ট তারিখটিকে তাঁর \"প্রকৃত জন্মদিন\" মনে করতেন; কারণ ওই তারিখেই তাঁর বাপ্তিস্ম সম্পন্ন হয়েছিল। তিনি ছিলেন নিকোলো ও দ্রানা বয়াজুর কনিষ্ঠ সন্তান। তাঁদের আদি নিবাস ছিল আলবেনিয়ার শ্কড্যর্ অঞ্চলে। তাঁর পিতা আলবেনিয়ার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯১৯ সালে মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ হয়। পিতার মৃত্যুর পর তাঁর মা তাঁকে রোমান ক্যাথলিক আদর্শে লালন-পালন করেন। জোয়ান গ্র্যাফ ক্লুকাস রচিত জীবনী থেকে জানা যায়, ছোট্টো অ্যাগনেস ধর্মপ্রচারকদের জীবন ও কাজকর্মের গল্প শুনতে বড়োই ভালবাসতেন। ১২ বছর বয়সেই তিনি ধর্মীয় সন্ন্যাস জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে যোগ দেন সিস্টার্স অফ লোরেটো সংস্থায়। মা আর দিদিদের সঙ্গে আর তার কোনোদিন দেখা হয়নি।",
"title": "মাদার টেরিজা"
},
{
"docid": "712603#4",
"text": "প্রথম অধ্যায়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত টেরিজার ভাবমূর্তি হিচেন্স আলোচনা করেন, বিশেষত ১৯৬৯ সালে বিবিসিতে প্রচারিত তথ্যচিত্র \"সামথিং ওয়ান্ডারফুল ফর গড\" যা টেরিজাকে পশ্চিমা গণমাধ্যমের পাদপ্রদীপে নিয়ে এসেছিল।\"সামথিং ওয়ান্ডারফুল ফর গড-\"এ নির্মাতা ম্যালকম ম্যাগারিজ দাবি করেন টেরিজার মৃত্যুপথযাত্রী আলয়ের অন্ধকার কক্ষও যে ক্যামেরা দেখা যাচ্ছে তা একটি অলৌকিক ঘটনা। হিচেন্স তথ্যচিত্রের চিত্রগ্রাহকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ম্যাগারিজ যা অলৌকিক ঘটনা বলে দাবি করেছেন তা বস্তুত সাম্প্রতিক ও উন্নত ক্যামেরার ব্যবহারের ফল। হিচেন্স আরও বলেন, কলকাতাকে যেভাবে দারিদ্র্যময় দেখিয়ে 'নরককুণ্ড' বলা হয়েছে তাও সঠিক নয়।",
"title": "দ্য মিশনারি পজিশন: মাদার টেরিজা ইন থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস"
},
{
"docid": "712437#2",
"text": "\"মাদার টেরিজা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি\" প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০০২ সালে \"মাদার টেরিজা: দ্য ফাইনাল ভার্ডিক্ট\" নামে; ২০১৬ সালে যা পরবর্তীতে \"মাদার টেরিজা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি\" শিরোনামে প্রকাশিত হয়। ম্যালকম ম্যাগারিজের প্রামাণ্যচিত্র \"সামথিং বিউটিফুল ফর গড\" (১৯৬৯) পরবর্তী পর্যায়ের টেরিজাকে নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রচারণাকে চট্টোপাধ্যায় অলীক গল্প বলে আখ্যায়িত করেছেন। চট্টোপাধ্যায়ের মতে, টেরিজাকৃত মানবসেবার দাবিগুলো অতিরঞ্জিত; টেরিজা কয়েকশো দুঃস্থ মানুষকে সেবা করলে তার নোবেল ভাষণে দশ হাজার মানুষকে সেবাদানের দাবি করেছেন। টেরিজা মুমূর্ষু অসংখ্য হিন্দু ও মুসলমানকে বলপূর্বক তাদের মৃত্যুশয্যায় খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তর করেছেন। নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার টেরিজা অনেক বড় বড় অনুদান পেয়েছেন যা তিনি তার সেবার মান উন্নতিকরণে ব্যয় করেননি। টেরিজার গর্ভপাতবিরোধিতার সমালোচনাও করেছেন চট্টোপাধ্যায়। বিশ্বের কুখ্যাত স্বৈরচারী একনায়ক, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ অনুদান গ্রহণের জন্যেও চট্টোপাধ্যায় টেরিজার সমালোচনা করেছেন। অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারত থেকে এখনো উপনিবেশী মানসিকতা দূর হয়নি, তাই সাধারণ মানুষ টেরিজার মতো সাদা মহিলাকে সমালোচনা করতে ভয় পায়।",
"title": "অরূপ চট্টোপাধ্যায়"
}
] |
সমরেশ বসু রচিত গঙ্গা বাংলা উপন্যাসের নায়ক কে ? | [
{
"docid": "61588#3",
"text": "\"গঙ্গা\" উপন্যাসের নায়ক তেঁতলে বিলাস (অর্থাৎ, তেঁতুলতলার বিলাস)। তার বাপ নিবারণ সাঁইদার ছিল দুঃসাহসী মালো মাছমারা। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিবারণ প্রাণ হারায়। বিলাস তখন মাতৃগর্ভে কিংবা সদ্যোজাত। বড় হয়ে বিলাসের চেহারাও হয় তার বাপের মতো সুদর্শন সুপুরুষ:",
"title": "গঙ্গা (উপন্যাস)"
},
{
"docid": "61588#11",
"text": "১৯৫৯ সালে রাজেন তরফদারের পরিচালনায় \"গঙ্গা\" চলচ্চিত্রায়িত হয়। এই ছবির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন নিবারণ রায় (বিলাস), রুমা গুহঠাকুরতা (হিমি), সন্ধ্যা রায় (গামলি পাঁচী), জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায় (পাঁচু) প্রমুখ। ১৫১ মিনিট দৈর্ঘের এই সাদাকালো ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সলিল চৌধুরী। ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা উচ্চ প্রশংসিত হলেও পরিচালক রাজেন তরফদার তাঁর কর্মজীবনে আর কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি।\nরাজেন তরফদার নির্মিত চলচ্চিত্র \"গঙ্গা\" মুক্তিপায় ১৯৬০ সালের ২৭ নভেম্বর। কলকাতার রাধা, পূর্ণ ও প্রাচী প্রেক্ষাগৃহে এটি রিলিজ করে। এরপর পরিচালক আরো সিনেমা নির্মাণ করেছেন। ১৯৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশে গিয়ে নির্মাণ করেন যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র \"পালংক\"। পরিচালকের প্রথম সিনেমা হলো \"অন্তরীক্ষ\" যেটি ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায়।",
"title": "গঙ্গা (উপন্যাস)"
}
] | [
{
"docid": "61588#0",
"text": "গঙ্গা সমরেশ বসু রচিত একটি ধ্রুপদী বাংলা উপন্যাস। ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত নদীকেন্দ্রিক এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয় দক্ষিণবঙ্গ, বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনা জেলার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের (মাছমারা) জীবনসংগ্রামের কাহিনি। এই উপন্যাসখানি লেখক তথা বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা বলে বিবেচিত হয়। দেশ পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ২৪টি বাংলা উপন্যাসের তালিকাতেও স্থান পায় \"গঙ্গা\"।",
"title": "গঙ্গা (উপন্যাস)"
},
{
"docid": "61588#10",
"text": "\"গঙ্গা\" উপন্যাসটি শুধু সমালোচক সমাজেই নয়, লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাহিত্যমহলেও সমাজেও যথেষ্ট প্রশংসিত হয়। উপন্যাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি-সমালোচক বিষ্ণু দে ও সমালোচক সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা সাহিত্যে অদ্বৈত মল্লবর্মণ রচিত \"তিতাস একটি নদীর নাম\" ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত \"পদ্মানদীর মাঝি\" এবং ইংরেজি সাহিত্যে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত \"দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি\" উপন্যাসের সঙ্গে এই উপন্যাসের তুলনা করা হয়। \"দেশ\" পত্রিকা বিশেষ শতাব্দীনির্মাতা সংখ্যায় (২৩ জানুয়ারি, ১৯৯৯) গঙ্গা উপন্যাসটিকে বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের ২৪টি শতাব্দীনির্মাতা উপন্যাসের অন্যতমের মর্যাদা দেয়।",
"title": "গঙ্গা (উপন্যাস)"
},
{
"docid": "61588#1",
"text": "\"গঙ্গা\" উপন্যাসটি রচনার পূর্বে সমরেশ বসু কয়েক বছর ধরে অধুনা উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে যাতায়াত করে ক্ষেত্রসমীক্ষা চালান। এই বিষয়ে তাঁকে সহায়তা করেন হালিশহর রামপ্রসাদ লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক নিমাইচাঁদ অধিকারী। নিমাইবাবুর স্মৃতিচারণা থেকে জানা যায়, এই সময় প্রায় তিন-চার বছর ধরে গঙ্গার তীরে মাছমারাদের সঙ্গে মেলামেশা করে তাদের জীবিকা, জীবন, সমাজ ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য নোট করে নেন। এমনকি তাদের নিজস্ব উপভাষা ও বিভিন্ন প্রকৌশলগত শব্দের (যেমন বাঁধা ছাঁদি, টানা ছাঁদি, কোণা জাল, খুঁটে জাল, সাংলো জাল ইত্যাদি) সঙ্গেও সম্যক পরিচিত হন। অবগত হন মাছ ধরার বিভিন্ন কৌশল ও সংস্কার সম্পর্কেও। এই সব মৎস্যজীবীদের ঋণ তিনি স্বীকার করেছিলেন গ্রন্থের মুখবন্ধে।",
"title": "গঙ্গা (উপন্যাস)"
},
{
"docid": "61588#2",
"text": "১৯৫৭ সালে \"জন্মভূমি\" পত্রিকার শারদ সংখ্যায় উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলে সমরেশ বসু এটিকে উৎসর্গ করেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে। পরে দীর্ঘকাল অমুদ্রিত থাকার পর ১৯৭৪ সালে লেখকের অনুমতিক্রমে মৌসুমী প্রকাশনী বিস্তারিত গ্রন্থপরিচয় ও গবেষণা-সমীক্ষণ সহ \"গঙ্গা\" উপন্যাসের একটি সমৃদ্ধ সংস্করণ প্রকাশ করে। বর্তমানে এই সংস্করণটিই পৃথক গ্রন্থাকারে বাজারে প্রাপ্ত হয়।",
"title": "গঙ্গা (উপন্যাস)"
},
{
"docid": "11461#0",
"text": "গণদেবতা বাংলা ভাষার অন্যতম কথাসাহিত্যিক তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় রচিত একটি বিখ্যাত ও জনপ্রিয় উপন্যাস । ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত মহাকাব্যিক পটভূমির এই উপন্যাসের বিষয়বন্তু বিভাগোত্তর ভারতবর্ষের সমাজ ব্যবস্থা এবং স্বাধীনতা আন্দোলন ও শিল্পায়নের পরিপ্রেক্ষিত গ্রামীণ সমাজের বিবর্তন। বিংশ শতাব্দীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাংলা উপন্যাসের একটি বলে বিবেচিত এই উপন্যাসটি বহুভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে এই উপন্যাসটিকে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তরুণ মজুমদার এই উপন্যাসের কাহিনী উপজীব্য করে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। উল্লেখ্য যে, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত \"পঞ্চগ্রাম\" উপন্যাসটিকে পরবর্তীকালে গণদেবতা'র অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।",
"title": "গণদেবতা"
},
{
"docid": "61588#8",
"text": "দক্ষিণবঙ্গের নদীনালা এবং মৎস্যজীবী মানুষের সুখদুঃখ জীবনযাপনের সংগ্রাম, প্রকৃতির কঠোরতা এবং সামাজিক জীবনের বৈষম্য নিয়ে স্থির, নিশ্চিত মধ্যবিত্ত জীবনের নিরাপত্তার এক বিপরীত আখ্যান। এর একদিকে আছে বাস্তব তথ্যের প্রতি নিষ্ঠা, অন্যদিকে আছে মৃত্যু ও অস্তিত্বের সংগ্রামের এক মানবিক উপলব্ধি। \"গঙ্গা\" সমরেশ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির অন্যতম।",
"title": "গঙ্গা (উপন্যাস)"
},
{
"docid": "690417#0",
"text": "গাভী বিত্তান্ত বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ ও লেখক আহমদ ছফা রচিত একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। \"গাভী বিত্তান্ত\" উপন্যাসে চিত্রায়িত হয়েছে একজন উপাচার্যের গোলামি আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির নোংরা কদর্য রূপ। \n১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন জৈবরসায়নের অধ্যাপক আবদুল মান্নান। ছাত্রদের গোলাগুলির মাঝখানে পড়লে ‘বিশেষ যোগ্যতায়’ নিয়োগ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের গর্ভবতী গাভিটি নিহত হয়। সত্য এ ঘটনাকে উপজীব্য ধরে রচিত \"গাভী বিত্তান্ত\" উপন্যাসের প্রকাশ হয় ১৯৯৫ সালে। উপন্যাসের অনেক চরিত্রই পাঠকদের তাই চেনা-পরিচিত মনে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না করেই এ উপন্যাসে ছফা বলেন,",
"title": "গাভী বিত্তান্ত"
},
{
"docid": "569244#0",
"text": "কসবি বাঙালি লেখক হরিশংকর জলদাস রচিত একটি বাংলা উপন্যাস। ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে বাংলাদেশের অবসর প্রকাশনী, ঢাকা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, পরবর্তীতে শুদ্ধস্বর প্রকাশনী থেকে এর একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্ট্র্যান্ড রোডের সাহেবপাড়া নামক স্খানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যেখানে গণিকালয়ে গড়ে ওঠেছে দেহজীবীদের জীবন-চরিত। উপন্যাসের মূল চরিত্র দেবযানী, সাহেবপাড়ার একজন নামি দেহজীবী। আপাতভাবে উপন্যাসটি সতেরটি অধ্যায়ে বিভক্ত।",
"title": "কসবি"
},
{
"docid": "482390#7",
"text": "উপন্যাস ১. চড়কাশেম (বুকওয়ার্ল্ড, ৫ হেস্টিংস স্ট্রিট, কোলকাতা, আশ্বিন ১৩৫৬) ‘চড়কাশেম’-এর বহিরেখা নির্দিষ্ট হয় সিগণেট প্রেসের মালিক দিলীপ গুপ্তের সম্মুখে যেদিন শ্রীগুপ্ত ‘মন্থন’ উপন্যাশখানা ছাপার জন্য কবুল করেন এবং অমরেন্দ্রকে সে-বাবদ দু’শ টাকা অগ্রিম দেন। অমরেন্দ্র বললেন, শ্রীগুপ্ত একান্ত হয়ে শুনলেন। ভূমিহীন একদল হিন্দুমুসলমান জেলেকৃষাণের অভিযান। রূপক কিন্তু ইতিহাস আশ্রয়ী। এ অন্ধকারের ইতিবৃত্ত নয়, জীবন্ত বলিষ্ঠ মানুষের সংগ্রামের কাহিনি। ওরা যুগযুগ ধরে বাঁচতে চায়, কিন্তু সে বাঁচার সংগ্রামে এ্যাটম বমের মত অন্তরায় সৃষ্টি করে দুর্ভিক্ষ। ওরা প্রতিবাদ করে বাঁচে। ছিয়াত্তর, তেরশ পঞ্চাশের মন্বন্তর নির্মূল করতে পারে না ওদের প্রাণকামনাকে। এই হলো ‘চড়কাশেম’-এর বক্তব্যের সারাৎসার। ১৯৪৯ সালে এটি লিখিত হয় (দীপংকর ঘোষ ৮)। সরোজ দত্ত ‘পরিচয়’তে লিখেছিলেন ‘চড়কাশেম’ পড়ে কোথায় যেন পুরো জনতা দাঙ্গা বিরোধী মনোভাবে জাগ্রত হয়েছিল। ‘চড়কাশেম’ ও ‘পদ্মদীঘির বেদেনী’ প্রকাশিত হওয়ার পরে সাহিত্যাঙ্গণে লেখক অমরেন্দ্রের যে মূল্যায়ন বহুমুখে উচ্চারিত হয় তার ভিত্তিতে বিজয় ব্যানার্জী এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইনফরমেশন গণ্থে ‘লিটারেচার ইন ১৯৫০’ এনিট্রতে নিচের কথাগুলো লেখেন: : But most powerful and objective type of fiction, and yet romantic, produced in the recent time in Bengali are those of Amarendra Ghosh. His outstanding works are ‘Charkashem’ and Padmadighir Bedidni’. His ‘Dakshiner Bil’ which is being published in Basumati has the qualities of an epic and yet different in treatment compared with the other two books.\n২. পদ্মদীঘির বেদেনী (বেঙ্গল পাবলিশার্স, ১৪ বঙ্কিম চাটুজ্যে স্ট্রীট, কোলকাতা, আশ্বিন ১৩৫৬) ১৯৪৮ সালে ‘পদ্মদীঘির বেদেনী’ কেবলমাত্র একটি অধ্যায় মাসিক ‘অগ্রণী’তে প্রকাশিত হলে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় অমরেন্দ্রকে বুকে জড়িয়ে ধরে স্বাগতম জানিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যে। বলেছিলেন ‘আপনার ‘পদ্মদীঘির বেদেনী’ পড়ে আশ্চর্য হলাম’। লেখক হাওয়া বদলে দেওঘরে থাকাকালীন নন্দলালের পিসিমার যে ¯েœহের ডাক পেয়েছিলেন ‘পদ্মদীঘির বেদেনী’র ময়নার মর্ম থেকে লেখক বের করেছেন সেই ¯েœহের ডাক। সন্তান ¯েœহে চিরবঞ্চিতা পূর্ণযুবতী বিধবা ময়না বয়সী ছেলে নয়নকে বুকে জড়িয়ে ধরে মন্ত্রজাগা দুর্যোগের রাত্রে ডাকছে ‘তুইতো হামার গোপাল আছিস’। এই ময়নার চরিত্রের মাধ্যমে লেখক তুলে ধরলেন- সন্যাস বড়, না সংসার বড়? উপন্যাসের নায়ক ভৈরব সংযম এবং ত্যাগের আদর্শ, নায়িকা ময়না ভোগের- মাতৃত্বের। লিখতে লিখতে নায়িকা ময়নাই বড় হয়ে উঠল। পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশিত হওয়ার পরে ‘চড়কাশেম’ ও ‘পদ্মদীঘির বেদেনী’র দুই কপি নিয়ে লেখক একদিন দুরুদুরু বুকে গেলেন ব্রিটিশ আমলের আইসিএস অন্নদাশঙ্করের বাড়ি। ‘চড়কাশেম’ পড়ে অন্নদাশঙ্করের স্ত্রী লীলা রায় অমরেন্দ্র সম্পর্কে বলেছিলেন- His return is an event in Bangla literature. ৩. দক্ষিণের বিল (১ম খ-: গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এ্যন্ড সন্স, ২০৩/১/১ কর্ণওয়লিস স্ট্রীট, কোলকাতা, ১৩৫৭; ২য় খ-: গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এ্যন্ড সন্স, আশ্বিন ১৩৬০; ৩য় খ-: অপ্রকাশিত) ‘দক্ষিণের বিল’ অমরেন্দ্রের লিখিত প্রথম উপন্যাস, তবে বই আকারে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস নয়। এ উপন্যাস কৃষক অমরেন্দ্রের প্রজন্ম পরম্পরার ইতিহাস এবং একই সাথে বাংলা সাহিত্যে দক্ষিণ বাংলার কাদা মাটি জলের মাটির-মানুষগুলোর প্রথম উপন্যাসীকৃত রূপ। ১৯৫১ সালে এই গ্রন্থ ছাপানোর জন্য গেলে স্বনামধন্য প্রকাশক বলেছিলেন- ‘এত মোটা এক নামে কি একখানা কেউ বই লেখে, যার আছে ন্যূনতম কমার্শিয়াল কা-জ্ঞান!’ (জবানবন্দী ৭)। উক্ত প্রকাশকের কেরানি আরো বলেছিলেন- ‘এবার থেকে ফর্মা হিসেব করে লিখবেন, নইলে প্রকাশে অসুবিধে। বারো চৌদ্দ ফর্মাই যখেষ্ট। সেই একই তো কথা, বেশি ফেনিয়ে লাভ কি!’ এ জ্ঞানবাণী শুনছিলেন আর অমরেন্দ্র উপলব্ধি করছিলেন জীবন কতো কান্নার ও করুণার। উপন্যাসের নায়ক বিপ্রপদ সেকালের প্রতিভূমূলক চরিত্র। নায়িকা কমলকামিনীও। লেখক তাঁর পিতা ও মাতাকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেই এ উপন্যাসের কম্পাস ঘুরিয়েছেন। এ উপন্যাস পড়লে উপলব্ধি হবে সেকালের ও একালের সমাজআদর্শে কত পার্থক্য। তখন মানুষ ছিল আদর্শবাদে বিশ্বাসী। এখন জীবনবাদে। ‘দক্ষিণের বিল’ কে আদর্শবাদ থেকে হিউম্যানিজমে পৌঁছানোর লক্ষ্যে- ‘সর্বকালের সবমানুষের শেষ ঠিকানা’য় পৌঁছানোর জন্য লেখকের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু প্রকাশক এভাবে আকারের কারণে তাঁকে আটকে দিলেন। এ উপন্যাস ১৯৪৮ থেকে মাসিক ‘বসুমতী’ পত্রিকায় বের হয়েছে। উল্লেখ্য ‘একটি স্মরণীয় রাত্রি’ উপন্যাসে প্রদত্ত অমরেন্দ্রের গ্রন্থ তালিকায় দক্ষিণের বিল ৩য় খ-ের উল্লেখ থাকলেও এই খ- আদৌ কখনো প্রকাশিত হয়েছে কিনা আমাদের কাছে এ মর্মে কোনো তথ্য নেই। ৪. ভাঙছে শুধু ভাঙছে (কমলা বুক ডিপো, ১৫ বঙ্কিম চাটুজ্যে স্ট্রিট, কোলকাতা, জ্যৈণ্ঠ ১৩৫৮) পূর্ববাংলার ভাঙনের উপকরণে তৈরী উপন্যাস ‘ভাঙছে শুধু ভাঙছে’। এ উপন্যাসে মুখোশ খুলে দেয়া হয়েছে পূর্ববাংলাকে ঘিরে গড়ে ওঠা তৎকালীন সমস্ত রাজনীতি ও অর্থনীতির। প্রথম বার লেখা শেষে লেখকের মনে হয়েছিল বেশ একটু শিথিল হয়ে গেছে ভিতরের বাঁধন। আবার শুরু করলেন লেখা। এবার পচিশ দিনে শেষ করলেন। ‘ভাঙছে শুধু ভাঙছে’তে একে একে আত্মাহুতি দিয়েছে ঊর্বশী, মাধবী, চাঁপা, ঊর্মিলা। দেশ বিভাগের দাউ দাউ শিখায় পুড়ে গেছে গ্রন্থ গীতা। মহীয়সী বুঢ়া আম্মা তা রুখতে পারেননি। শেষ হয়ে গেছে পূর্ব বাংলার ঐতিহ্য। হিন্দু মুসলমানের মিলিত সংস্কৃতি। এ. কে. ব্যানার্জি বলেছেন- ‘ভাঙছে শুধু ভাঙছে’ হচ্ছে সমকালের ঐতিহাসিক দলিল- more realistic । নিজে পার্টিশনের শিকার হয়ে কি করে যে অমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বই লিখলেন।’ একদা অচিন্ত্য্য্য্যকুমার ‘ভাঙছে শুধু ভাঙছে’র পা-ুলিপি পড়ে লেখককে দু’খানা সপ্রশংস চিঠি লিখেছিলেন। ৫. একটি সঙ্গীতের জন্ম কাহিনী (ডি.এম. লাইব্রেরি, ৪২ কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট, কোলকাতা, ১৯৫১) ১৯৫০ এর দিকে একদিন লেখকের ঘনিষ্ঠজন রমেশদার বন্ধু দীনেশ দা কথায় কথায় উচ্চারণ করলেন একটি শব্দগুচ্ছ ‘এ বার্থ অফ এ সঙ’। শব্দটা লেখকের মনে ধরল। নি¤œ বাঙলার ঢপ কীর্তন কবির পালা লেখকের ভিতরে ঢোল মৃদঙ্গ খোল মন্দিরা নিয়ে বেজে উঠল। লিখলেন ‘একটি সঙ্গীতের জন্ম কাহিনী’। কাহিনিতে করুণভাবে ফুটে উঠলো ঈশ্বরাশ্রয়ী সমাজে যারা পুণ্য নাম কীর্তন করে তারাই বঞ্চিত ও অপাংক্তেয় থাকে। ৬. বেআইনি জনতা (কমলা বুক ডিপো, ১৫ বঙ্কিম চাটুজ্যে স্ট্রিট, কোলকাতা, ১৩৫৮) যেমনটা ওপরে আলোচিত হয়েছে, এক মাড়োয়ারীর ফার্মের তেতলা থেকে দেখা এক ‘বেআইনি জনতা’র দৃশ্য থেকে এ উপন্যাসের জন্ম। তারা বে-আইনি জনতা কারণ তারা উদ্বাস্তু এবং তারা বাস্তুওয়ালাদের জীবনের জন্য উৎপাত। সমাজের আইনে এরা বে-আইনি হলেও প্রকৃতির আইনে এরা কতখানি মানুষ তা প্রদর্শনই উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু। সেই প্রদর্শনে এ উপন্যাসে যে বিদ্রƒপের ঝাঁঝ আছে অমরেন্দ্রের শিল্পকর্মে সেই ঝাঁঝ জন্ম নেয়ার পেছনে আছে আরেকটি কাহিনি রয়েছে। অমরেন্দ্র তাঁর গল্প-উপন্যাসের বিদগ্ধ মূল্যায়নের লক্ষে একসময় যাতায়াত শুরু করেছিলেন মোহিতলাল মজুমদারের দরবারে। মোহিতলালের যা স্বভাব, সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নিজের রচনারই আবৃত্তি আর নিজের প্রশস্তি। একদিন সাহস করে অমরেন্দ্র বললেন, রোজ আপনার লেখা শুনি, আমাদের লেখা শুনবেন না? একটু থতমত খেয়ে গেলেন মোহিতলাল। তিনি ছাড়া এখানে যে আর কেউ মাথা তুলে কোনো অধিকার দাবি করতে পারে তা তার জানা ছিলনা। বললেন, লেখা এনেছেন, বেশ তাড়াতাড়ি পড়–ন। অমরেন্দ্র ‘কসাই’ গল্পটি পড়লেন। মোহিতলাল বললেন, এমন গল্প কি কেউ লেখে? ছি! ছি! উল্লেখ্য গল্পের নায়ক কুট্টি শুধু মুসলমান নয়, একেবারে চাবুক খাওয়া নিচু তলার মানুষ। মাংসে বীতস্পৃহ, কিন্তু ভাগ্যদোষে কসাই। দিয়েছিল একখানা মাংসের দোকান অনেক ঘাম ঝরিয়ে, তাও ধূলিসাৎ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। ‘কষ্টিপাথরের মত কালো মোহিতলালের’ মূল্যায়নের কষ্টিপাথরে এ গল্প অতিমাত্রায় মুসলমানী, সুতরাং ছি! ছি! মোহিতলালের আঘাতে প্রতিজ্ঞা নিয়ে তাঁকে শিক্ষা প্রদানের মানসে ঝাঁঝসমৃদ্ধ এই গল্পটি ব্যবহৃত হলো ‘বেআইনি জনতা’র বীজ হিসেবে। ৭. কনকপুরের কবি (ডি.এম. লাইব্রেরি, ৪২ কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট, কোলকাতা, ১৩৬০) ‘কনকপুরের কবি’ বাস্তবধর্মী উপন্যাসের কাঠামোতে একখানা সাবজেক্টিভ ধারার রোমান্টিক উপন্যাস। ‘কিন্তু যাকে বলা হয় স্ত্রী-পাঠ্য আদৌ তা নয়’। রেশন স্টোরের ফার্স্ট গ্রেড আদিত্য চক্রবর্তীর ওপর স্টোরের ভার দিয়ে অমরেন্দ্র লিখেছিলেন এ উপন্যাস। কবি বিমলচন্দ্র ঘোষের একটি বিখ্যাত কবিতার নির্যাস রয়েছে এ উপন্যাসের আদিগন্ত জোড়া। রোমান্টিক হলেও সমগ্র সমাজের আদ্যোপান্ত কাহিনি মার্কসীয় দৃষ্টিতে বিশ্লেষিত। এক ফোঁটা চোখের জলও। প্রেম এখানে গৌণ- বঞ্চনা ও বৈষম্য হচ্ছে মুখ্য। প্রকাশক বিরাম মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন- ‘বইখানা তো হাফফিনিসড।. . . নায়ক কবির অনুভূতি এলো, সে ভাব বিপ্লব করলো- কর্মবিপ্লব ব্যতীত সার্থকতা এবং সংগতি রক্ষা হয় না যে!’ এই বললেন এবং উপন্যাসটি ছাপলেন না। অবশেষে শ্রী গোপালদাস মজুমদার উপন্যাসটি ছাপলেন। টেন পার্সেন্ট রয়াল্টিতে। অধ্যাপক কবি মাখনলাল মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন এটি অমরেন্দ্রের শ্রেষ্ঠ রচনা। এ বইটি সত্যেন সরকারকে উৎসর্গীকৃত যিনি অমরেন্দ্রকে ১৯৫৮ সালে ট্রপিকাল স্কুল অব মেডিসিনে ভর্তি করিয়েছিলেন। ৮. জোটের মহল (ডি.এম. লাইব্রেরি, ৪২ কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট, কোলকাতা, ১৩৬১) ‘জোটের মহল’এর নায়ক দিবাকর এক বিপ্লবী বিদ্রোহী নেতা। জোটের মহল এর বিদ্রোহিনী মুক্তা লেখকের দেখা একটি বলিষ্ঠ নারী চরিত্রের রূপ। ৯. মন্থন (নবভারতী, ৫ শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট, কোলকাতা, ১৯৫৪) ‘পদ্মদীঘির বেদেনী’র পরে লেখকের প্রয়াস মন্থন উপন্যাস। এ উপন্যাসের বক্তব্য- বৃটিশ থেকে স্বাধীনতায় হিন্দু মুসলমান জনসাধারণ কী পেল? ছোট উপন্যাস এক মাস দশ দিনেই লেখা শেষ হয়েছিল। যেমনটা পূর্বেই বলা হয়েছে, বিখ্যাত প্রকাশক দিলীপ গুপ্ত ‘মন্থন’ ছাপার জন্য লেখককে টাকা দিয়েও গ্রন্থটি ছাপেননি, কারণ এ বইয়ের বক্তব্য বাংলার মাটিকে ঘিরে এত সত্য যে তা বড় বড় রাজনীতিকদের বিশ্লেষিত বিশ্বপ্রেমের ধারণার অন্তরায় বোধ হয়েছে। লেখক অমরেন্দ্র দুঃখ করে বলেছেন- জাতির বুকে ছুরি পড়েছে, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে বাংলার মাটি, সব জেনে আমি মৃত্তিকার কবি কী করে বিশ্বপ্রেমের স্বপ্ন দেখি? ১০. অহল্যাকন্যা (এস ব্যানার্জি এ্যান্ড কোং, ৬ রমানাথ মজুমদার স্ট্রিট, কোলকাতা, ১৩৬২) ১১. কলেজ স্ট্রীটে অশ্রু (শ্রীগুরু লাইব্রেরি, ২০৪ কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট, কোলকাতা, ১৩৬৪) একদিন রামপরায়ণের আসরে বসে দীপ্তেন্দ্রকুমার সান্যাল একটা শব্দ উচ্চারণ করলেন- নছোল্লা। খানিকটা ককেট্রির শামিল অর্থবোধক পূর্ববাংলার শব্দ। ‘কলেজ স্ট্রীটে অশ্রু’র নায়িকা অশ্রু অমনি এলো নছোল্লার ভঙ্গি নিয়ে অমরেন্দ্রের কল্পলোকে। শিল্পী জীবনের লাঞ্ছনা নিয়ে এ উপন্যাস। হাসলেও জ্বলুনি এর স্টাইলে। কমলাকান্তের দপ্তর এবং বার্ণার্ড শ’ এর স্টাইল মডেল। লেখক প্রকাশক পাঠক- এই তিন রাজ্যের চিত্র এ উপন্যাস। ভেতরে আছে অমরেন্দ্রের ব্যক্তিগত জীবনে এক বড় শিল্পী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার মর্মান্তিক কোড়ার জখম ও রক্ত। ১৯৫৬ সালের পূজায় এটি বেরিয়েছিল গল্প আকারে। এরপরে উপন্যাসে রূপান্তরিত। ১২. ঠিকানা বদল (বাকসাহিত্য, ৩৩ কলেজ রো কোলকাতা, ১৩৬৪) ১৩. রোদন ভরা এ বসন্ত (ক্যালকাটা বুক ক্লাব, কোলকাতা, ১৯৫৮) নাটক ‘এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ’ মঞ্চায়িত হচ্ছে না দেখে লেখক নাটকটিকে রূপান্তর করলেন ‘রোদন ভরা এ বসন্ত’ উপন্যাসে।\n১৪. নাগিনীমুদ্রা (বিদ্যোদয় লাইব্রেরি, ৭২ মহাত্মা গান্ধী রোড, ১৩৬৬) ১৫. মন দেয়া নেয়া (সাহিত্য, ৯ শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট, ১৩৬৮ ) ১৬. মৃগসৌরভ (সারস্বত লাইব্রেরি, ২০৬ বিধান সরণি, কোলকাতা, ১৩৯৭) ১৭. একটি স্মরণীয় রাত্রি (দে’জ পাবলিশিং, ১৩ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কোলকাতা, ১৯৯১) [ড. হাজরা অবশ্য উল্লেখ করেছেন এ উপন্যাসের প্রকাশক ‘বাকসাহিত্য’ এবং প্রকাশকাল ১৯৯৬, তথ্যটি সম্ভবত সঠিক নয়] ‘জবানবন্দী’ থেকে জানা যায় এ উপন্যাসটি ১৯৫৫ সালে লেখা। এই উপন্যাস লেখার সময় প্রতি রাতে সত্যেন সরকার ইনসমনিয়ার রোগী অমরেন্দ্রকে সামলাতে আসতেন। এ উপন্যাসের নায়ক অনেকটাই সত্যেন সরকার।\nদে’জ পাবলিশিং কর্তৃক প্রকাশিত ‘একটি স্মরণীয় রাত্রি’ উপন্যাসের ইনার অংশে অমরেন্দ্রের বইয়ের তালিকায় নি¤œলিখিত ১৮ থেকে ২৩ নম্বরভুক্ত গ্রন্থগুলোর নাম রয়েছে। আমরা নিশ্চিত নই এগুলো কোন্ ধর্মী গ্রন্থ- উপন্যাস নাকি অন্য কিছু । এগুলো কখনো গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়েছিল কিনা তাও আমরা জানি না। ১৮. জি-হুজৌর ১৯. এপার ওপার ২০. অনাস্বাদিত চুম্বন ২১. অথচ সিঁড়িটা একদিন এমন ছিল না ২২. ধূসর রাগিনী ২৩. সমুদ্র পোত ২৪. ব্যাঙ্গাচি শুধু ব্যাঙ্গাচি (বাকেরগঞ্জ গেজেটিয়ারে এই নামে অমরেন্দ্রের একটি বই আছে বলে উল্লেখিত হয়েছে। আমরা অবশ্য অন্য কোথাও এই নামে অমরেন্দ্রের কোনো বইয়ের উল্লেখ দেখিনি।) দীপংকর ঘোষ তার ‘উপেক্ষিত অমরেন্দ্র ঘোষ, অবহেলিত চড়কাশেম’ শীর্ষক প্রবন্ধে নিচে ২৫ ও ২৬ নম্বরে লিখিত নামদুটোকে অমরেন্দ্রের গ্রন্থ বলে উল্লেখ করেছেন। আমরা এ দুটোরও কোনো সন্ধান পাইনি।\n২৫. রাজভোগ ২৬. বলেছিলেম এসো",
"title": "অমরেন্দ্র ঘোষ"
}
] |
ইরাকের বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম কী ? | [
{
"docid": "8243#3",
"text": "হায়দার-আল-আবাদি ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ফুয়াদ মাসুম দেশের রাষ্ট্রপতি।",
"title": "ইরাক"
}
] | [
{
"docid": "71504#0",
"text": "নুরি কামিল মুহাম্মাদ হাসান আল-মালিকি () (জন্ম: ২০শে জুন, ১৯৫০) ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং ইসলামিক দাওয়া পার্টর সেক্রেটারি জেনারেল। আল-মালিকি এবং তার সরকার ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিস্থাপন হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তার ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট কেবিনেট ইরাকের জাতীয় এসেম্বলির স্বীকৃতি লাভ করে ২০০৬ সালের ২০শে মে কার্যক্রম শুরু করেছে।",
"title": "নুরি আল-মালিকি"
},
{
"docid": "605835#0",
"text": "ইরাক-বেলারুশ সম্পর্ক, ইরাক ও বেলারুশ এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ-এ বেলারুশের কোন দূতাবাস নেই। তবে আরবিল শহরে দেশটির একটি কনস্যুলেট রয়েছে। বেলারুশের রাজধানী মিন্স্ক এ ইরাকের একটি দূতাবাস রয়েছে। বেলারুশে নিযুক্ত ইরাকের সর্বশেষ রাষ্ট্রদূত ছিলেন হায়দার হাদী। তিনি ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালে নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, এখন পর্যন্ত ইরাকি সরকার সেই পদে আর কাউকে নিয়োগ দেয় নি। ফলে বেলারুশে অবস্থিত ইরাকি দূতাবাসে বর্তমানে কোন রাষ্ট্রদূত নেই। উভয় দেশই জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এর সদস্য।",
"title": "ইরাক-বেলারুশ সম্পর্ক"
},
{
"docid": "71256#0",
"text": "ইসমাইল জুবাউরি ইরাকের ইসলামী সেনাবাহিনীর বর্তমান নেতা। আল-জায়িশ আল-ইসলামি ফিল-ইরাক নামে পরিচিত এই সেনাবাহিনীটি ইরাকের অন্যতম প্রধান অভ্যুত্থানকারী দল। এছাড়া জুবাউরি বাগদাদের দক্ষিণে অবস্থিত একটি খ্যাতিমান সুন্নি গোষ্ঠীর সদস্য। তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদেশী সামরিক বাহিনীকে যেভাবেই হোক ইরাক ত্যাগে বাধ্য করা। এজন্য সহিংস কোন পদ্ধতিও তাকে মাঝে মাঝে প্রয়োগ করতে দেখা যায়। তিনি একবার বলেছিলেন:",
"title": "ইসমাইল জুবাউরি"
},
{
"docid": "2657#3",
"text": "নিজেকে তিনি \"যুদ্ধ রাষ্ট্রপতি\" অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন। ইরাক যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে অনেকটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও ২০০৪ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। ইরাক যুদ্ধ বিষয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার স্বীকার হলেও তিনি প্রতিপক্ষ জন কেরির প্রচারণাকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে সক্ষম হন। এই নির্বাচনের পর বুশের কঠোর সমালোচনা হতে থাকে। ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পরপর যেখানে বুশের পক্ষে জনগণের অবস্থান ছিল শতকরা ৯০ ভাগ সেখানে ২০০৭ সালের জুন মাসের হিসাবে তা শতকরা ২৬ ভাগে নেমে এসেছে। বিগত ৩৫ বছরে কোন মার্কিন রাষ্ট্রপতির জন্য এটিই সর্বনিম্ন। এর আগে হ্যারি ট্রুম্যান এবং রিচার্ড নিক্সন এর চেয়ে কম স্কোর করেছিলেন।",
"title": "জর্জ ডব্লিউ. বুশ"
},
{
"docid": "8243#1",
"text": "ইরাকের রাজনীতি একটি ফেডারেল সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় অণুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান। নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে, আর আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার ও ইরাকের জাতীয় সংসদ উভয়ের হাতে ন্যস্ত। একটি গণভোটের পর ২০০৫ সালের ১৫ই অক্টোবর দেশটির সবচেয়ে নতুন সংবিধান পাস হয়।",
"title": "ইরাক"
},
{
"docid": "18689#0",
"text": "ইরাক ১৮টি প্রদেশে বিভক্ত। এগুলিকে ইরাকের প্রশাসনিক পরিভাষায় \"মুহাফাজাহ\" বলা হয়। এগুলি হল:ইরাকের বর্তমান প্রাদেশিকীকরণ ১৯৭৬ সালে সম্পন্ন হয়। প্রতিটি প্রদেশ অনেকগুলি কাদা বা জেলায় বিভক্ত। উত্তরের কিছু প্রদেশ নিয়ে বর্তমানে ইরাকে একটি স্বায়ত্বশাসিত এলাকা আছে যা ইরাকি কুর্দিস্তান নামে পরিচিত।",
"title": "ইরাকের প্রদেশসমূহ"
},
{
"docid": "367159#0",
"text": "ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আলী আল-বদরী আল-সামারাই () হলেন একজন জিহাদী নেতা যিনি আবু বকর আল-বাগদাদী () নামেই অধিক পরিচিত। পূর্বে তিনি ড. ইব্রাহিম ও আবু দুইয়া () নামে পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি খলিফা ইব্রাহিম () নামধারণ করে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেন এবং নিজেকে উক্ত রাষ্ট্রের খলিফা ঘোষণা দেন। তিনি পূর্বে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত (আইএসআইএল)-এর নেতা ছিলেন যা ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) নামেও পরিচিত।",
"title": "আবু বকর আল-বাগদাদী"
},
{
"docid": "335168#0",
"text": "সৈয়দ আলী হোসেনী খামেনেয়ী (; জন্ম: ১৭ জুলাই ১৯৩৯) হলেন ইরানের বর্তমান (২য়) সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং ইরানের ৮ কোটি শিয়া মুসলমানের আধ্যাত্মিক নেতা। ১৩ অক্টোবর ১৯৮১ থেকে ৩ আগস্ট ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি ইরানের ৩য় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ফোর্বস সাময়িকী ২০১২ সালে তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ২১ জনের মধ্যে স্থান দেয়।",
"title": "আলি খামেনেই"
},
{
"docid": "528270#2",
"text": "বর্তমান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ হলো ইরাকি যোগাযোগ ও মিডিয়া কমিশন, এবং সরকারি সম্প্রচারক হলো ইরাকি মিডিয়া নেটওয়ার্ক। ইরাকি মিডিয়া নেটওয়ার্ক বর্তমানে ইরাক প্রজাতন্ত্রের বেতার এবং সরকার সমর্থিত আল-ইরাকিয়া টিভি পরিচালনা করে। জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল আল-শারকিয়াসহ অনেক বেসরকারী টিভি চ্যানেলও সম্প্রচারিত হচ্ছে। ইরাকে ৯৭% এর বেশি বাড়িতে স্যাটেলাইট ডিশ সংযোগ আছে এবং ত্রিশটিরও বেশি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক আছে।",
"title": "ইরাকে টেলিযোগাযোগ"
},
{
"docid": "8243#4",
"text": "ইরাক বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা মেসোপটেমিয়ার জন্য সারা বিশ্বের বুকে গৌরবে মহীয়ান। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস (দজলা ও ফোরাত) নদীদ্বয়কে কেন্দ্র করে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ বছর আগে গড়ে ওঠে এ সভ্যতা। বর্তমান আরব বিশ্বের ইরান, কুয়েত, তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডান, কুয়েত প্রভৃতি দেশের অংশবিশেষ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাক্তন সুমেরীয়, অ্যাসেরীয়, ব্যাবিলনীয় ও ক্যালডীয় সভ্যতা বৃহত্তর মেসোপটেমীয় সভ্যতারই বিভিন্ন পর্যায়। তবে বিশ্বব্যাপী মেসোপটেমীয় সভ্যতার কারণে ইরাকের মহিমা বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় অনেকটাই ম্রিয়মাণ। কারণ একদিকে রয়েছে ইরাকের বর্তমান দুর্বল অর্থনৈতিক কাঠামো, অন্যদিকে আল কায়েদা, আইএস সহ নানা জঙ্গিবাদী ও পরাশক্তি সমর্থনপুষ্ট নানা সরকার বিদ্রোহী গেরিলাগোষ্ঠীর অভ্যুদ্যয়। নব্বইয়ের দশক থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতার মাধ্যমেই মূলত দেশটির রাজনৈতিক স্থবিরতা শুরু হয়। ১৯৯০ সালে সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন ইরাক কুয়েতে আগ্রাসন চালায় এবং কুয়েতকে ইরাকের ১৯তম প্রদেশ ঘোষণা করে। ইরাকের দখলদারি থেকে কুয়েতকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মার্কিন নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী ইরাকের বিরুদ্ধে ২রা আগস্ট ১৯৯০ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত 'অপারেশন ডেজার্ট স্ট্রম' নামক অপারেশন পরিচালনা করে। এটি প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ নামেও পরিচিত। এর প্রায় এক দশক পর ইরাকে মারাত্নক বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে এ কারণ দর্শিয়ে ইরাকে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করে মার্কিন ও ইংরেজ যৌথ বাহিনী। ইতিহাসে এ ঘটনা দ্বিতীয় উপসাগরীয় যুদ্ধ নামে পরিচির। এছাড়া মার্কিন বাহিনী ইরাকের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর 'অপারেশন রেড ডন' নামক আরেকটি অপারেশনও পরিচালনা করে। এভাবে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন অস্থিরতা ও যুদ্ধের কারণে ইরাকের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুর্দশা নেমে আসে। সাম্প্রতিকতম সময়ে আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেটস ইন ইরাক অ্যান্ড লেভান্তে) নামক সন্ত্রাসী সংগঠন ইরাকের ভূমিতে গঠিত হয় এবং মসুলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তোলে। এছাড়া দেশটির উত্তর সীমান্তবর্তী কুর্দিস্তান প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদ সমস্যাও ইরাকের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং দুর্বল সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থার কারণে বিশ্ব রাজনীতিতে দেশটির গুরুত্ব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।",
"title": "ইরাক"
}
] |
ক্রোমোজোম সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেন ? | [
{
"docid": "1304#1",
"text": "বিজ্ঞানী Strasburger (১৮৭৫) সর্বপ্রথম ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। ১৮৮৮ সালে বিজ্ঞানী ওয়ালডেয়ার (Waldeyer) কোষ বিভাজনের প্রোফেজ দশায় প্রাপ্ত দণ্ডাকার গঠনের ক্রোমাটিনের নাম দেন ক্রোমোজোম। ১৯৩৩ সালে বিজ্ঞানী বোভেরি (Bovery) প্রমাণ করেন যে ক্রোমোজোমই বংশগতির ধারক ও বাহক। ১৯৩৫ সালে বিজ্ঞানী হেইজ (Heitz) সর্বপ্রথম ক্রোমোজোমের গঠনের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। ১৯৬৬ সালে বিজ্ঞানী ডুপ্রো (Dupraw) ক্রোমোজোমের সূক্ষ্ম গঠন বর্ণনা করেন।",
"title": "ক্রোমোজোম"
},
{
"docid": "544772#1",
"text": "বংশগতির প্রধান উপাদান হল ক্রোমোজোম। বিজ্ঞানী স্ট্রাসবুরগার ১৮৭৫ সালে সর্বপ্রথম এটি আবিস্কার করেন। এটি কোষের নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওপ্লাজমে পাওয়া যায় এবং ক্রোমাটিন তন্তু দ্বারা গঠিত।প্রজাতির বৈশিস্ট্যভেদে ২-১৬০০ পর্যন্ত ক্রোমোজোম পাওয়া যায়। সাধারনত দৈর্ঘ্য ৩.৫ থেকে ৩০ মাইক্রন এবং প্রস্থ ০.২-২.০ মাইক্রন হয়ে থাকে (১ মাইক্রন=১/১০০০ মিমি)।ক্রোমোজোমের কাজ হল মাতা-পিতা থেকে জীন সন্তানসন্তুতিতে বহন করা।",
"title": "বংশগতি"
}
] | [
{
"docid": "686613#7",
"text": "১৯৫৬ সালের এপ্রিলে সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষজিনতত্ত্ববিদ জো হিন তিজো এবং এলবার্ট লেভান সর্বপ্রথম ডিপ্লয়েড মানব কোষে ৪৬টির বদলে ৪৮টি ক্রোমোজোমের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন।",
"title": "এক্সওয়াইওয়াই সিনড্রোম"
},
{
"docid": "510413#1",
"text": "১৯৯৯ সালে গবেষকগণ হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট এ কাজ শেষে ঘোষণা দেন, তারা ২২ নং ক্রোমোজোমের ভিত্তি জোড়ার বিন্যাস বুঝতে সফল হয়েছেন। ২২ নং ক্রোমোজোম মানবদেহের প্রথম ক্রোমোজোম যার বিন্যাস সম্পুর্ণভাবে আবিষ্কার করা গেছে।",
"title": "২২ নং ক্রোমোজোম (মানবদেহ)"
},
{
"docid": "4500#2",
"text": "ইলেকট্রন যে একটি উপআনবিক কণিকা তা সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী জে. জে. টমসন ১৮৯৭ সালে আবিষ্কার করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাভেন্ডিশ গবেষণাগারে ক্যাথোড রশ্মি নল নিয়ে গবেষণা করার সময় তিনি এই আবিষ্কার করেন। ক্যাথোড রশ্মি নল হল একটি সম্পূর্ণ বদ্ধ কাচের সিলিন্ডার যার মধ্যে দুইটি তড়িৎ ধারক (electrode) শুন্য স্থান দ্বারা পৃথ করা থাকে। যখন দুইটি তড়িৎ ধারকের মধ্যে বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করা হয় তখন ক্যাথোড রশ্মি উৎপন্ন হয় এবং এর ফলে নলের মধ্যে আভার সৃষ্টি হয়। উপর্যুপরী পরীক্ষার মাধ্যমে টমসন প্রমাণ করেন যে চৌম্বকত্বের সাহায্যে রশ্মি থেকে ঋণাত্মক আধান পৃথক করা যায় না; তবে তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা রশ্মিগুলোকে বিক্ষিপ্ত করা যায়। মূলত ইলেকট্রনের আবিষ্কার এবং এর অংশসমূহ সম্বন্ধে ধারণা লাভ করতে গিয়ে টমসনকে তিন তিনটি পরীক্ষা সম্পাদন করতে হয়েছিলো:",
"title": "ইলেকট্রন"
},
{
"docid": "348548#9",
"text": "১৬৫৮ সালে ওলন্দাজ প্রকৃতিবিদ জ্যান সোয়ামারডাম সর্বপ্রথম অণুবীক্ষণ যন্ত্রে লোহিত রক্তকণিকা পরিদর্শন করেন এবং ১৬৯৫ সালে অণুবীক্ষণ যন্ত্রবিদ ওলন্দাজ এনথনি ভন লিউয়েনহুক সর্বপ্রথম \"লাল দেহকোষ\" (তখন বলা হত)-এর চিত্র অঙ্কন করেন। ১৮৪২ সালের আগ পর্যন্ত কোন প্রকার রক্তকোষ আবিষ্কৃত হয়নি। সেই বছর ফরাসি চিকিৎসাবিদ আলফ্রেড দোনে অণুচক্রিকা আবিষ্কার করেন। পরবর্তী বছরই ফরাসি মেডিসিনের অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল আনড্রেল এবং ব্রিটিশ চিকিৎসাবিদ উইলিয়াম এডিসন কর্তৃক সহসা লোহিত রক্তকণিকা দর্শিত হয়। উভয়েই বিশ্বাস করতেন যে লোহিত এবং শ্বেত রক্তকণিকা হল রোগের রদ-বদল। এই আবিষ্কার রক্তবিদ্যা নামক চিকিৎসাজগতের নতুন এক শাখার জন্ম দেয়। যদিও কলা ও কোষের আবিষ্কার ঘটে যায়, তবুও ১৮৭৯ সালের আগ পর্যন্ত শারীরবিদ্যার রক্তকোষের বিষয়ে তেমন কোন জ্ঞান অর্জিত হয়না। পরবর্তীতে পল এহ্রলিচ (Paul Ehrlich) পার্থক্যমূলক পদ্ধতিতে রক্তকোষ গণনা বিষয়ক তাঁর নিজস্ব পদ্ধতি প্রকাশ করেন.",
"title": "রক্তকোষ"
},
{
"docid": "1363#10",
"text": "১৬১০ খ্রীষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে গ্যালিলিও সর্বপ্রথম সূর্যে কতগুলো কালো দাগ পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু ১৬১২ খ্রীষ্টাব্দের মে মাসের পূর্বে তিনি এ আবিষ্কারের কথা প্রকাশ করেন নি। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী টমাস হ্যারিয়ট, হল্যান্ডের জন ফ্যাব্রিসিয়াস ও জার্মানীতে শাইনার স্বাধীনভাবে সৌরকলঙ্ক পর্যবেক্ষণ করেন, এবং তাদের আবিষ্কারের কথা গ্যালিলিওর আগেই প্রকাশিত হয়। সেই জন্য সৌরকলঙ্ক আবিষ্কারের কৃতিত্ব হ্যারিয়ট, ফ্যাব্রিসিয়াস, শাইনার ও গ্যালিলিও প্রত্যেকেরই আংশিকভাবে প্রাপ্য।",
"title": "গ্যালিলিও গ্যালিলেই"
},
{
"docid": "350816#3",
"text": "১৮৪০ সালে জার্মান অর্থোপেডিক সার্জন জ্যাকব হেইন সর্বপ্রথম পোলিওমাইলিটিজ আবিষ্কার করেন। এর প্রধান উপাদান পোলিওভাইরাস জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত করেন কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার। হাজার হাজার পূর্বে কয়েকটি নির্ধারিত এলাকায় পোলিও বিরাজমান ছিল যা প্রাচীন চিত্রকর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। ঊনবিংশ শতকের শেষার্ধ্বে ইউরোপ ও পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে পোলিও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। বিংশ শতকে এসে এ রোগটিকে শিশুদের প্রধান ভয়ানক রোগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯১০ সালের মধ্যে বিশ্বে নাটকীয়ভাবে পোলিও আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে থাকে ও মহামারী নিয়মিতভাবে সংঘটিত হতো। বিশেষ করে শহরে গ্রীষ্মকালে এ রোগ দেখা দিতো বেশী। এ রোগে হাজারো শিশু ও কিশোরদেরকে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হতো। ফলে পোলিও টিকা আবিষ্কারের দিকে সকলেই ঝুকতে থাকেন। ১৯৫০-এর দশকে পোলিও টিকা আবিষ্কার হলে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারে একজন এসে দাঁড়ায়।",
"title": "পোলিও"
},
{
"docid": "18163#0",
"text": "বারবারা ম্যাক্লিন্টক ()(জুন ১৬, ১৯০২ - সেপ্টেম্বর ২, ১৯৯২) নোবেল বিজয়ী মার্কিন জীববিজ্ঞানী। তিনি ১৯৮৩ সালে শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সাতজন নারী বিজ্ঞানীর অন্যতম। তিনি সর্বপ্রথম অবস্থান পরিবর্তনে সক্ষম বংশগতির উপাদান আবিস্কার করেন। ইংরেজিতে একে ট্রান্সপোজেবল জেনেটিক এলিমেন্ট ()বলে। তিনি প্রথম ভুট্টা ক্রোমোসোমে এই উপাদান আবিস্কার করেন। পরবর্তিতে ব্যাক্টেরিয়া, ইস্ট সহ আরও অন্যান্য জীবে ট্রান্সপোজেবল জেনেটিক এলিমেন্ট বা জাম্পিং জিন (লম্ফনকারী জিন) আবিস্কার হয়।",
"title": "বারবারা ম্যাকলিন্টক"
},
{
"docid": "268224#2",
"text": "হোমো ইরেক্টাসের প্রথম জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৯১ ও ১৮৯২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ফরাসি বংশোদ্ভূত ওলন্দাজ সামরিক শল্যচিকিৎসক ওজেন দুবোয়া কর্তৃক। দুবোয়া আসলে মানুষের পূর্বপুরুষদের জীবাশ্ম আবিষ্কারের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই ইন্দোনেশিয়া গিয়েছিলেন। তার প্রথম আবিষ্কৃত জীবাশ্ম ছিল একটি খুলির ঊর্ধ্বাংশ (স্কাল-ক্যাপ), যা সোলো নদীর তীরে অবস্থিত ত্রিনিল নামক স্থানে পাওয়া যায়। এ কারণে জীবাশ্মটির নাম Trinil 2। এর কয়েক বছর পর একই জায়গা থেকে একটি ফিমার খুঁজে পান। খুলি ও ফিমার থেকে প্রমাণিত হয় যে, তারা দুই পায়ে হাঁটত। তবে প্রথমদিকে তিনি নিশ্চিত হতে পারেন নি এরা মানুষ কি-না, তাই নাম দিয়েছিলেন \"Pithecanthropus erectus\" অর্থাৎ \"সোজা হয়ে হাঁটতে সক্ষম নরবানর\"। এ নাম দেয়ার পেছনে মানুষের পূর্বপুরুষ বিষয়ে আর্নস্ট হেকেল'র অনুকল্প অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। তবে আবিষ্কারের প্রথম বছরগুলোতে এ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক ছিল এবং অনেকেই একে মানুষের পূর্বপুরুষ হিসেবে মেনে নেন নি।",
"title": "হোমো ইরেক্টাস"
}
] |
উইলিয়াম শেকসপিয়র কবে জন্মগ্রহণ করেছেন ? | [
{
"docid": "33512#0",
"text": "উইলিয়াম শেকসপিয়র (; ইংরেজি: William Shakespeare \"উইলিয়াম্ শেইক্স্পিয়ার্\") (ব্যাপ্টিজম ২৬ এপ্রিল, ১৫৬৪; মৃত্যু ২৩ এপ্রিল, ১৬১৬) ছিলেন একজন ইংরেজ কবি ও নাট্যকার। তাঁকে ইংরেজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং বিশ্বের একজন অগ্রণী নাট্যকার মনে করা হয়। তাঁকে ইংল্যান্ডের \"জাতীয় কবি\" এবং \"বার্ড অব অ্যাভন\" (অ্যাভনের চারণকবি) নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। তাঁর যে রচনাগুলি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক, ১৫৪টি সনেট, দুটি দীর্ঘ আখ্যানকবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা। কয়েকটি লেখা শেকসপিয়র অন্যান্য লেখকদের সঙ্গে যৌথভাবেও লিখেছিলেন। তাঁর নাটক প্রতিটি প্রধান জীবিত ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং অপর যে কোনো নাট্যকারের রচনার তুলনায় অধিকবার মঞ্চস্থ হয়েছে।",
"title": "উইলিয়াম শেকসপিয়র"
},
{
"docid": "33512#5",
"text": "উইলিয়াম শেকসপিয়রের পিতা জন শেকসপিয়র ছিলেন একজন সফল গ্লোভার ও অল্ড্যারম্যান। তাঁর আদি নিবাস ছিল স্নিটারফিল্ডে। শেকসপিয়রের মা মেরি আরডেন ছিলেন এক ধনী ভূম্যধিকারী কৃষক পরিবারের সন্তান। শেকসপিয়র জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্ট্র্যাটফোর্ড-আপঅন-অ্যাভনে। ১৫৬৪ সালের ২৬ এপ্রিল তাঁর ব্যাপ্টিজম সম্পন্ন হয়। তাঁর জন্মের সঠিক তারিখটি জানা যায় না। তবে ২৩ এপ্রিল অর্থাৎ, সেন্ট জর্জ’স ডে-এর দিনে তাঁর জন্মদিন পালন করার প্রথা রয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে এক গবেষক ভুল করে এই তারিখটিকে শেকসপিয়রের জন্মদিন বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরে তারিখটি জীবনীকারেদের কাছে বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করে। কারণ, শেকসপিয়র মারা গিয়েছিলেন ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল। তিনি তাঁর পিতামাতার আট সন্তানের মধ্যে তৃতীয় এবং জীবিত সন্তানদের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ।",
"title": "উইলিয়াম শেকসপিয়র"
}
] | [
{
"docid": "33512#1",
"text": "শেকসপিয়রের জন্ম ও বেড়ে ওঠা স্ট্যাটফোর্ড অন-অ্যাভনে। মাত্র আঠারো বছর বয়সে তিনি অ্যানি হ্যাথাওয়েকে বিবাহ করেন। অ্যানির গর্ভে শেকসপিয়রের তিনটি সন্তান হয়েছিল। এঁরা হলেন সুসান এবং হ্যামনেট ও জুডিথ নামে দুই যমজ। ১৫৮৫ থেকে ১৫৯২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি অভিনেতা ও নাট্যকার হিসেবে লন্ডনে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। লর্ড চেম্বারলেইন’স ম্যান নামে একটি নাট্যকোম্পানির তিনি ছিলেন সহ-সত্ত্বাধিকারী। এই কোম্পানিটিই পরবর্তীকালে কিং’স মেন নামে পরিচিত হয়। ১৬১৩ সালে তিনি নাট্যজগৎ থেকে সরে আসেন এবং স্ট্র্যাটফোর্ডে ফিরে যান। তিন বছর বাদে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। শেকসপিয়রের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে নথিভুক্ত তথ্য বিশেষ পাওয়া যায় না। তাঁর চেহারা, যৌনপ্রবৃত্তি, ধর্মবিশ্বাস, এমনকি তাঁর নামে প্রচলিত নাটকগুলি তাঁরই লেখা নাকি অন্যের রচনা তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে।",
"title": "উইলিয়াম শেকসপিয়র"
},
{
"docid": "94725#0",
"text": "উইলিয়াম শেকসপিয়রের যৌনতা একটি বহুবিতর্কিত বিষয়। জানা যায়, শেকসপিয়র জনৈকা অ্যানি হ্যাথাওয়েকে বিবাহ করেছিলেন এবং তাঁদের তিনটি সন্তানও হয়েছিল। কিন্তু গবেষকদের অণুমান, এর পাশাপাশি একাধিক নারীর সঙ্গে শেকসপিয়রের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। এমনকি পুরুষদের প্রতিও যৌন আকর্ষণ বোধ করতেন শেকসপিয়র। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনী সংক্রান্ত প্রত্যক্ষ ও নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের স্বল্পতার কারণে এই তত্ত্ব প্রকৃতিগতভাবে একান্তই আনুমানিক। কিছু পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ এবং তাঁর সনেটের ব্যাখ্যা থেকে কৃত সিদ্ধান্তই এই তত্ত্বের উৎস। পাঠক ও গবেষক মহলে শেকসপিয়রের একাধিক প্রণয়িনী থাকার বিষয়টি বহুচর্চিত। তেমনি শেকসপিয়রের যৌনচেতনায় অ-বিষমকামী উপাদান তাঁকে যে সাংস্কৃতিক বিশিষ্টতা দান করেছে তাও যথেষ্ট বিতর্কিত। যাই হোক, প্রচলিত ধারণা অণুযায়ী উইলিয়াম শেকসপিয়র ছিলেন উভকামী।",
"title": "উইলিয়াম শেকসপিয়রের যৌনতা"
},
{
"docid": "33512#8",
"text": "যমজ সন্তানের জন্মের পর শেকসপিয়রের পরবর্তী ঐতিহাসিক উল্লেখ পাওয়া যায় ১৫৯২ সালে লন্ডনের একটি মঞ্চদৃশ্যের বর্ণনায়। ১৫৮৫ থেকে ১৫৯২ পর্যন্ত বছরগুলিকে বিশেষজ্ঞেরা তাই শেকসপিয়রের জীবনের \"হারানো বছর\" বলে উল্লেখ করে থাকেন। জীবনীকারেরা নানা অপ্রামাণিক গল্পের ভিত্তিতে এই পর্বের এক একটি বিবরণ প্রস্তুত করেছেন। শেকসপিয়রের প্রথম জীবনীকার তথা নাট্যকার নিকোলাস রো স্ট্র্যাটফোর্ডের একটি কিংবদন্তির উল্লেখ করে বলেছেন, হরিণ রান্না করার অপরাধে বিচারের হাত থেকে বাঁচতে শহর ছেড়ে লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিলেন শেকসপিয়র। অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রচলিত আর একটি গল্প হল, শেকসপিয়র লন্ডনের থিয়েটার পৃষ্ঠপোষকদের ঘোড়ার রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নাট্যশালায় কাজ করতে শুরু করেন। জন অব্রে লিখেছেন শেকসপিয়র গ্রামের স্কুলশিক্ষকের চাকরি করতেন। বিংশ শতাব্দীর কয়েকজন গবেষকের মতে ল্যাঙ্কাশায়ারের আলেকজান্ডার হঘটন নামে এক ক্যাথলিক ভূস্বামী তাঁকে স্কুলশিক্ষক রূপে নিয়োগ করেছিলেন। এই ব্যক্তি তাঁর উইলে \"উইলিয়াম শেকশ্যাফট\" নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছিলেন। তবে এই সব গল্পের সমর্থনে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। এই সব গল্পই তাঁর মৃত্যুর পর প্রচলিত হয়েছিল। অন্যদিকে ল্যাঙ্কাশায়ার অঞ্চলে শেকশ্যাফট একটি সাধারণ নাম।",
"title": "উইলিয়াম শেকসপিয়র"
},
{
"docid": "447803#1",
"text": "তিনি ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা উইলিয়াম হেনরি সুলিভান শেক্সপিয়ার ও মা অ্যাানি ক্যারোলিন ডেভিডসন। তিনি পোর্টসমাউথ গ্রামার স্কুল ও কিং উইলিয়ামস কলেজে শিক্ষালাভ করেন। তিনি ১৮৯৬ সালের ১৯ আগস্ট রয়েল মিলিটারি কলেজ, স্যান্ডহার্স্টে যোগ দেন। ১৮৯৮ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হন। ১৮৯৯ সালে তিনি ডেভনশায়ার রেজিমেন্ট, ১৭তম বেঙ্গল ক্যাভালরিতে যোগ দেন।",
"title": "উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (অভিযাত্রী)"
},
{
"docid": "563192#2",
"text": "কেভিন স্পেসি ১৯৫৯ সালের ২৫ জুলাই সাউথ অরেঞ্জ, নিউ জার্সিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা ক্যাথলিন অ্যান (নুটসন, ৫ ডিসেম্বর, ১৯৩১ - ১৯ মার্চ, ২০০৩) ছিলেন একজন সচিব এবং পিতা থমাস জিওফ্রে ফাউলার (৪ জুন, ১৯২৪ - ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯২) ছিলেন একজন টেকনিক্যাল লেখক ও ডাটা কনসালট্যান্ট। তিন ভাইবোনের মধ্যে স্পেসি ছোট, তার বড় বোন জুলি এবং ভাই র্যান্ডি। তার পূর্বপুরুষগণ ইংরেজ, সুয়েডীয় ও ওয়েলশ ছিলেন। স্পেসির যখন চার বছর বয়স তখন তার পরিবার দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার চলে যায়। সেখানে তিনি নর্থরিজ মিলিটারি একাডেমি, কানোগা পার্ক হাই স্কুল, ও চ্যাট্সওর্থ হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন।",
"title": "কেভিন স্পেসি"
},
{
"docid": "94775#0",
"text": "ভেনাস অ্যান্ড অ্যাডোনিস উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত একটি আখ্যানকাব্য। ১৫৯২-৯৩ সালে রচিত এই কাব্যটির উপাখ্যানভাগ গৃহীত হয়েছে ওভিডের \"মেটামরফোসিস\" গ্রন্থের একটি পংক্তি থেকে। কাব্যটি অত্যন্ত জটিল এবং বিচিত্রদৃক। প্রেমের প্রকৃতির পরস্পরবিরোধী দিকগুলি ফুটিয়ে তোলার জন্য মুহুর্মুহু এই কাব্যের সুর ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে।",
"title": "ভেনাস অ্যান্ড অ্যাডোনিস (শেকসপিয়রের কবিতা)"
},
{
"docid": "451454#1",
"text": "ক্যাম্পবেল আয়্যারল্যান্ডের রোমেলটন প্রদেশে ১৯৩০ সালে জন্ম গ্রহণ করন। তিনি তাঁর পিতা আর জে ক্যাম্পবেল এর তৃতীয় সন্তান। তিনি ১৯৫২ সালে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজ থেকে প্রাণীবিদ্যায় ১ম শ্রেনীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসন থেকে স্নাতোকত্তর ডিগ্রি অর্জন করন।",
"title": "উইলিয়াম সি. ক্যাম্পবেল (বিজ্ঞানী)"
},
{
"docid": "654550#0",
"text": "জোসেফ আলবেরিক টোইস্লেটন-ওয়িকহ্যাম-ফাইঞ্জ (ইংরেজি: Joseph Alberic Twisleton-Wykeham-Fiennes, ; জন্ম: ২৭শে মে ১৯৭০) হলেন একজন ইংরেজ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি \"শেকসপিয়ার ইন লাভ\" (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে উইলিয়াম শেকসপিয়র চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। এই চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি \"এলিজাবেথ\" (১৯৯৮)-এ স্যার রবার্ট ডুডলি, \"এনিমি অ্যাট দ্য গেটস\" (২০০১)-এ কমিসার দানিলভ, এবং \"আমেরিকান হরর স্টোরি\" (২০১২-২০১৩) টিভি ধারাবাহিকের দ্বিতীয় মৌসুমে মঁসিয়ে টিমোথি হাওয়ার্ড ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি \"দ্য হ্যান্ডমেইড্স টেল\" টিভি ধারাবাহিকে কাজ করছেন।",
"title": "জোসেফ ফাইঞ্জ"
}
] |
বিশ্বের প্রথম রোবট নির্মাতার নাম কী ? | [
{
"docid": "626866#26",
"text": "জটিল আচরণের প্রথম ইলেকট্রনিক স্বায়ত্তশাসিত রোবটগুলি ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল ব্রিডল নিউরোলজিকাল ইন্সটিটিউটের উইলিয়াম গ্রে ওয়াল্টার দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে ছোট সংখ্যক মস্তিষ্ক কোষের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সংযোগগুলি খুব জটিল আচরণের সৃষ্টি করতে পারে - মূলতঃ কিভাবে মস্তিষ্ক কাজ করে তা কিভাবে গোপন করা হয়েছিল তা গোপন করে। এলমের এবং এলসি নামে তাঁর প্রথম রোবটগুলি ১৯৪৮ এবং১৯৪৯ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং তাদের আকৃতি এবং আন্দোলনের ধীর গতির কারণে প্রায়ই \"কচ্ছপ\" হিসেবে বর্ণনা করা হতো। তিন চাকার কচ্ছপ রোবটগুলি ফটোট্যাক্সিসের জন্য সক্ষম ছিল, যার ফলে তারা ব্যাটারি রিচার্জ করার সময় তাদের রিচার্জিং স্টেশনে পৌঁছতে পারে।",
"title": "রোবটের ইতিহাস"
}
] | [
{
"docid": "59720#3",
"text": "সারা বিশ্ব জুড়ে অনেক সংস্কৃতির পৌরাণিক কাহিনীতে স্বয়ংক্রিয় বস্তু সম্পর্কে ধারণা দেয়া আছে। প্রাচীন সভ্যতার শুরু থেকেই প্রাচীন সংস্কৃতির প্রকৌশলী এবং আবিষ্কারকগণ উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন চীন, প্রাচীন গ্রীস এবং টলেমিক মিশরের প্রকৌশলীরা স্বয়ংক্রিয় মেশিন নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন তারা অনেকটা ছিল প্রাণী ও মানুষের অনুরূপ। শুরুর দিকে স্বয়ংক্রিয় বস্তু সম্পর্কে প্রথম যে বিবরণটি পাওয়া যায় তাদের মধ্যে আর্কাইসের কৃত্রিম ঘুঘু, কৃত্রিম মোজি এবং Lu Ban পাখি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে কথা বলতে সক্ষম আলেকজান্দ্রিয়ার হিরো, washstand নামে বাইজেন্টিয়ামের ফিলো এবং মানব লি.জী অন্যতম।",
"title": "রোবট"
},
{
"docid": "626866#41",
"text": "কোম্পানির চলমান হুমায়ূন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১৯৯৮ সালে হন্ডা দ্বারা পি ৩ হিউমানোড রোবটটি প্রকাশিত হয়। 1999 সালে, সোনি এআইবিও, একটি রোবট কুকুর মানুষের সাথে আলাপচারিতার সক্ষম; জাপানে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম মডেল ২0 মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়। হন্ডা ২০০০ সালে তাদের humanoid প্রকল্পের সবচেয়ে উন্নত ফলাফল প্রকাশ, ASIMO নামে। আশিমো চালাতে, হাঁটতে, মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে, মুখ, পরিবেশ, কণ্ঠস্বর এবং মুখোমুখি চিনতে পারে এবং পরিবেশের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।সোনিও সনি ড্রিম রোবটগুলি প্রকাশ করে, বিনোদনের জন্য বিকাশে ক্ষুদ্র হুমায়ূন রোবট। অক্টোবর ২000 সালে, জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী বিশ্বের ৭৪২,৫০০ শিল্প রবোট ছিল, যাদের অর্ধেকেরও বেশি জাপানে ব্যবহৃত হচ্ছে।",
"title": "রোবটের ইতিহাস"
},
{
"docid": "626866#29",
"text": "প্রথম ডিজিটাল পরিচালিত এবং প্রোগ্রামযোগ্য রোবটটি ১৯৫৪ সালে জর্জ ডিভোল দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল এবং অবশেষে অ্যানিমেট নামে অভিহিত হয়েছিল। এটি পরে আধুনিক রোবোটিক্স শিল্পের ভিত্তি স্থাপন করে।দেভল সালে জেনারেল মোটরসকে প্রথম অ্যানিমিট বিক্রি করে এবং ১৯৬১ সালে টেন্টন, নিউ জার্সি একটি প্ল্যান্টে একটি ডাই কার্টসিং মেশিন থেকে উত্তপ্ত টুকরো ধাতু উত্তোলন এবং তাদের স্ট্যাকে ইনস্টল করা হয়। প্রথম ডিজিটাল চালিত প্রোগ্রামযোগ্য রোবোটিক আর্মের জন্য Devol এর পেটেন্ট আধুনিক রোবোটিক্স শিল্পের ভিত্তি প্রতিনিধিত্ব করে।",
"title": "রোবটের ইতিহাস"
},
{
"docid": "296930#88",
"text": "১৯৫৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাশূন্যে বিশ্বের সর্বপ্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপ করে, যার নাম ছিল স্পুতনিক ১। উপগ্রহটি ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে ৯৬ মিনিটে একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করত এবং একটি বেতার সংকেত প্রেরণ করতে থাকে যা বিশ্বের সর্বত্র গৃহীত হয়। এরপরে স্পুতনিক ২ নামক উপগ্রহে করে লাইকা নামের কুকুরটি প্রথম প্রাণী হিসেবে মহাশূন্যে ভ্রমণ করে; মহাকাশযানটি পৃথিবীতে ফেরত আসতে পারেনি, ফলে মহাশূন্যেই লাইকার মৃত্যু ঘটে। ঠিক তার পরের বছরই ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ এক্সপ্লোরার ১ উৎক্ষেপন করে। দুই পক্ষই মহাকাশ বিজ্ঞানের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত মহাশূন্য অনুসন্ধান উপগ্রহ লুনা ২ চাঁদে অবতরণ করে। ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম মানুষ পরিবহনকারী মহাকাশযান ভোস্তক ১ আকাশে উৎক্ষেপ করে। সোভিয়েত ইউরি গ্যাগারিন প্রথম নভোচারী হিসেবে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন; তিনি ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ভোস্তক মহাকাশযানে বসে প্রায় ৮৯ মিনিট ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেন। ১৯৬৩ সালে ভালেন্তিনা তেরেস্কোভা প্রথম নারী হিসেবে মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন। ১৯৬৫ সালে রুশ নভোচারী আলেক্সি লেওনভ প্রথম নভোচারী হিসেবে মহাশূন্যে পদচারণা করেন।",
"title": "বিশ্বের ইতিহাস"
},
{
"docid": "626866#14",
"text": "লিওনার্দো দ্য ভ্যানি (১৪২৫-১৫১৯) ১৪৯৫সালের মধ্যে একটি হুমায়ূন রোবটের প্রথম রেকর্ডকৃত নকশার মধ্যে একটি। এটি ১৯৫০-এর দশকে আবিষ্কৃত লিওনার্দোর নোটবুকগুলির মধ্যে একটি যান্ত্রিক নাইটের বাদ্যযন্ত্রের বিস্তারিত আঁকা রয়েছে, যা বসতে সক্ষম ছিল, তরঙ্গ তার অস্ত্র এবং তার মাথা এবং চোয়াল সরানো।নকশাটি সম্ভবত ভিতুভিয়ান ম্যানে লেখা তার শারীরিক গবেষণার উপর ভিত্তি করে হতে পারে কিন্তু তিনি রোবট নির্মাণের চেষ্টা করেছেন কি না (দেখুন: লিওনার্দোর রোবট দেখুন)। ১৫৩৩ সালে, জোহানস মুলার ভন কনিইসবার্গ একটি অটোমেট্রন ঈগল তৈরি করেন এবং লোহা তৈরি করেন; উভয় উড়ে যেতে পারে। জন দেও একটি কাঠের গুড়ি তৈরির জন্যও পরিচিত, উড়ন্ত উড়তে সক্ষম।",
"title": "রোবটের ইতিহাস"
},
{
"docid": "408030#0",
"text": "সুরেখা যাদব বা সুরেখা শঙ্কর যাদব (জন্মঃ ১৯৬৫ মহারাষ্ট্র) ভারত রেলওয়ের প্রথম ট্রেন চালক এবং একইসঙ্গে এশিয়ার প্রথম ট্রেনচালক।। এপ্রিল ২০০০ সালে ভারতের তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারটি শহরে ট্রেন চালু করেন, তখন সুরেখা যাদব মধ্যমাঞ্চল রেলের মহিলাদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালান। ২০১১ সালের ৮ মার্চ তার কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যেদিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তিনি এশিয়ার প্রথম মহিলা ট্রেন চালক হিসাবে পুনে থেকে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস পর্যন্ত কঠিন কিন্তু নাটকীয় ভৌগলিক স্থান দিয়ে \"ডেকান কুইন\" ট্রেন পরিচালনা করেন, যেখানে তাকে মুম্বইয়ের মেয়র শ্রদ্ধা যাদব অভ্যর্থনা জানান। তার স্বপ্ন সত্য হয় যখন তিনি মধ্যাঞ্চলের মর্যাদাপূর্ণ ট্রেনগুলির একটি পরিচালনা করেন, যেটি একজন মহিলার নামে; মুম্বই-পুণে প্রবাসি সংঘ তার ট্রেন চালনা সমর্থন করে।",
"title": "সুরেখা যাদব"
},
{
"docid": "626866#24",
"text": "ওয়েস্টিংহাউস ইলেকট্রিক কর্পোরেশনটি ১৯২৬ সালে টেলিভিসন তৈরি করেছিল; এটি একটি কার্ডবোর্ড cutout ছিল বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত যা ব্যবহারকারীদের চালু এবং বন্ধ করতে পারে। ১৯৩৯ সালে, এলিট্রো নামে পরিচিত হিউম্যনয়য়েড রোবট ওয়ার্ল্ডের ফেয়ারে উপস্থিত হয়।সাত ফুট লম্বা (২.১ মিটার) এবং ২৫ পাউন্ড (১২০ কেজি) ঝাঁকানো, এটি ভয়েস কমান্ডের সাহায্যে হাঁটতে পারে, প্রায় ৭০০ শব্দ (একটি ৭৮-রামপিএম রেকর্ড প্লেয়ারের সাহায্যে), সিগারেট ধোঁয়া, বেলুন উড়ে যাওয়া এবং মাথা ও অস্ত্র সরানো । শরীরের একটি ইস্পাত গিয়ার ক্যাম এবং মোটর কঙ্কাল একটি অ্যালুমিনিয়াম চামড়া দ্বারা আচ্ছাদিত । ১৯২৪ সালে, জাপানের প্রথম রোবট, গাকুটেনসোকু, জীববিজ্ঞানী মেকোতো দ্বারা ডিজাইন ও নির্মাণ করেন।",
"title": "রোবটের ইতিহাস"
},
{
"docid": "457784#0",
"text": "কিরোবো হচ্ছে জাপানের প্রথম রোবট অ্যাস্ট্রোনট যা তৈরি করেছিল টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় এবং টোমোটাকা তাকাশি যাতে তা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পৌঁছানোর জন্য জাপানের প্রথম প্রতিনিধি কইচি ওয়াকাতাকে সাহায্য করতে পারে। ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট জাক্সার এইচ-২ ট্রান্সফার বাহন কৌনোতরী-৪ এর সাহায্যে কিরোবো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পৌঁছায়। কৌনোতরী-৪ একটি মানববিহীন মহাকাশযান যা জিনিসপত্র স্থানান্তরের জন্য ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট জাপানের টানেগাশিমা মহাকাশ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। মিরাটা নামে কিরোবো এর একটি জমজ অর্থাৎ অনুরূপ বৈশিষ্ট্যের প্রস্তুত করা হয়। মিরাটা জরুরী প্রয়োজনে পৃথিবী থেকে মহাকাশে রওনা দিবে। \n\"কিরোবো\" শব্দটি নিজেই এসেছে \"kibō\" (希望,কিবো) থেকে যার জাপানি অর্থ ‘’আশা’’ এবং ‘’রোবো’’ (ロボ) ব্যবহার হয়েছে রোবটের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে",
"title": "কিরোবো"
},
{
"docid": "289787#0",
"text": "কিউরিওসিটি রোভার ২০১২ খ্রিস্টাব্দে মঙ্গল গ্রহে নাসার প্রেরিত চতুর্থ রোবটযান। মঙ্গল গবেষণার ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত (২০১২) নাসার বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। রোবটযানটির ওজন প্রায় ১ টন। এই প্রথম নাসা এত বেশি ওজনের যান কোনো গ্রহে সফলভাবে নামাতে সক্ষম হয়েছে। মিশনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গল গ্রহে এপর্যন্ত যত অনুসন্ধানী যান পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে ১ টন ওজনের এই কিউরিওসিটিই সবচেয়ে উন্নত। কিউরিওসিটি গ্রিনিচ মান সময় সোমবার ভোর পাঁচটা ৩২ মিনিটে মঙ্গল গ্রহের একটি পর্বতের জ্বালামুখের ভেতরে নামে এবং পরে মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে। কিউরিওসিটি পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে নয় মাস। এটি ২০১১ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে যাত্রা শুরু করে এবং ৫৭ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছায়। এ রোবটকে বলা হচ্ছে ‘পূর্ণাঙ্গ জৈব গবেষণাগার’।",
"title": "কিউরিওসিটি (রোভার)"
},
{
"docid": "626866#21",
"text": "প্রথম Humanoid রোবট একটি ট্রাম্পেট সঙ্গে একটি সৈনিক ছিল, ১৮১০ সালে ফ্রেডরিখ কাঊফমান দ্বারা ড্রেসডেন, জার্মানি। [উদ্ধৃতি প্রয়োজন] রোবট ন্যূনত্বম এপ্রিল ৩০, ১৯৫০ পর্যন্ত প্রদর্শন",
"title": "রোবটের ইতিহাস"
}
] |
এডওয়ার্ড ক্রিস্টোফার শিরানের প্রযোজিত প্রথম অ্যালবামের নাম কী ? | [
{
"docid": "587780#0",
"text": "এডওয়ার্ড ক্রিস্টোফার শিরান, (জন্ম ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৯১) একজন ব্রিটিশ গায়ক-গীতিকার, গিটারিষ্ট এবং রেকর্ড প্রযোজক। তার জন্ম ইংল্যান্ডের হ্যালিফাক্স শহরের ওয়েষ্ট ইয়র্কশ্যায়ার পৌরসভায়, এবং তিনি প্রতিপালিত হন ফ্রামলিংহ্যাম শহরের সুফল্ক নামক স্থানে। ২০০৯ সালে তার বয়স যখন ১৮, তখন তিনি গির্ডফোর্ড শহরের সোরে নামক স্থানের একাডেমী অব কন্টেমপোরারী মিউজিক গানের স্কুলে স্নাতকার্থী হিসেবে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের প্রথম দিকে, শিরান তার প্রথম কোন স্বাধীন কাজ , \"নাম্বার.৫ কলেবোরেশনস প্রজেক্ট\" প্রকাশ করেন. এসিলাম রেকর্স এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর, তিনি তার আত্বপ্রকাশকারী অ্যালবাম , \"+\" (\"প্লাস\" হিসেবেও বলা যায়) প্রকাশ করেন, যেটির প্রকাশ কাল ছিল ২০১১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর, এটি এখন পযন্ত যুক্তরাজ্যে ৭ বার প্লাটিনাম অ্যালবাম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই অ্যালবামটিতেই রয়েছে \"দ্য এ টিম\" নামক এককটি, যে এককটি দ্বারা তিনি সেরা গান হিসেবে, সেরা গানের কথার জন্য ইভর নোভেল্লো অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। ২০১২ সালের নভেম্বরে শিরান সেরা ব্রিটিশ পুরুষ সোলো গায়ক এবং সাফল্যমন্ডিত ব্রিটিশ কাজ হিসেবে ব্রিট অ্যাওয়ার্ডস জিতে নেন। \n২০১২ সাল থেকে বিদেশে শিরানের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাকে গায়িকা টেইলর সুইফ্ট এর ৪র্থ স্টুডিও অ্যালবাম \"রেড\" এ তাকে অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছিল। \"দ্য এ টিম\" গানটি বছরের সেরা গান হিসেবে ২০১৩ গ্রামি অ্যাওয়ার্ডস এ মনোনয়ন পেয়েছিল, তিনি সেখানে এই গানটি ইল্টন জনের সাথে পরিবেশন করেছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি তার অনেক সময়-ই উত্তর আমেরিকা অন্চলে টেইলর সুইফ্টের দ্য রেড ট্যুরে ব্যয় করেন। ২০১৪ সালে ২৩শে জুনে তিনি তার দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম, \"x\" ( \"মাল্টিপ্লাই\" হিসেবেও বলা যায়) প্রকাশ করেন। এবং এটি যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে তালিকা গুলোয় সবার উপরে উঠে আসে। ২০১৫ সালে, তার \"x\" অ্যালবামটি বছরের সেরা অ্যালবাম হিসেবে \"দ্য ব্রিট অ্যওয়ার্ডস\" পেয়ে যায়, এবং তিনি বছরের সেরা গীতিকার হিসেবে ইভর নভেল্লো অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। তার \"x\" অ্যালবামের \"থিংকিং আউট লাউড\" এককটি তাকে দুটি গ্রামি অ্যাওয়ার্ড জিততে সাহায্য করে, তিনি ২০১৬ অনুষ্ঠানে: বছরের সেরা গান এবং সেরা পপ সোলো পরিবেশন এর জন্য দুটি গ্রামি পুরষ্কার পেয়েছিলেন।\nশিরান তার ৩য় স্টুডিও অ্যালবাম, \"÷\" (\"ডিভাইড\" হিসেবেও বলা যায়)প্রকাশ করেন ২০১৭ সালের মার্চে। এই অ্যালবামটিও যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র সহ আরো অনেক দেশের সেরা অ্যালবামের তালিকা গুলোয় সবার শীর্ষে উঠে আসে। অ্যালবামটি থেকে আসা প্রথম দুটি একক \"সেইপ অব ইউ\" এবং \"কেসেল অন দ্য হিল\" তিনি অ্যালবামটি প্রকাশ করার আগেই কিছু কাল আগেই প্রকাশ করেছিলেন, একক দুটি ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে প্রকাশ করা হয় এবং কয়েকটি দেশে একক দুটো অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে, দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মানীর মত দেশ গুলো অন্যতম, দুটি একক-ই গানের সেরা তালিকায় ১ম এবং ২য় অবস্থানে উঠে আসে। তিনিই প্রথম কোন সংগীত শিল্পী যার দুটি গান একই সাপ্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সেরা ১০ গানের তালিকায় অাত্বপ্রকাশ করেছিল। ২০১৭ সালে ডেবরেটস তাদের করা, \"২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক প্রভাশালী ব্যক্তিদের তালিকা\"এ শিরানের নাম প্রকাশ করে।",
"title": "এড শিরান"
}
] | [
{
"docid": "587780#2",
"text": "২০০৪ সালে শিরান গান রেকর্ড করতর শুরু করেন, এবং স্বাধীনভাবে তার প্রথম সংগ্রহীত কাজ, \"স্পিনিং ম্যান\" প্রকাশ করেন। তার বয়স যখন ছিল ১৫ বছর, তখন থেকেই তিনি এবং তার সহকর্মী গায়ক পেসেন্জার,দুজন বন্ধু, তারা দুজন কেমব্রিজে একই স্থানে গান পরিবেশন করতেন। ২০০৮ সালে তিনি লন্ডনে চলে আসেন, এবং তিনি সেখানে তিনি অপেক্ষাকৃত ছোট মিলনস্থল গুলোতে গান গাইতে শুরু করেন। ২০০৮ সালে, তিনি আইটিভির একটি ধারাবাহিক, \"ব্রটানিয়া হাই\" এর জন্য পরীক্ষা দেন। নিজলপী ড্যুওর গিটার প্রকর্মীদের একজন হওয়ার পর, ২০০৮ সালে এপ্রিলে তিনি নরউইচে তাদের হয়ে শিরোসামকারী হিসেবে পরিবেশনা শুরু করেছিলেন।\nতিনি ২০০৯ সালে আরেকটি ইপি বা ছোট অ্যালবাম প্রকাশ করেন, যেটির নাম ছিল \"ইউ নিডেড মি\", এটি তিনি গায়ক জাষ্ট জেক এর সাথে সফরে যাওয়ার কিছু কাল আগেই প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এসেক্স গায়ক, লেড্রা চাপম্যানর সাথে কিছু সাহায্যকারী একক করেছেন, যাদের মধ্যে সেলো গ্রিনের \"ফাক ইউ\" গানটি অন্যতম। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে, শিরান এসবি.টিভির মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, এবং তা দেখে র্যাপার, এক্সট্রিম তাকে তার সাথে সফর করতে অামন্ত্রন জানান। একই মাসে তিনি তার \"লুস চেন্জ\" (ইপি)ও প্রকাশ করেছিলেন, যেটি সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত হয়েছিল, সেটিতে তার আত্বপ্রকাশকারী একক , \"দ্য এ টিম\" এককটিও ছিল। ২০০৯ সালের শরৎ এর সময়, শিরান ইংল্যান্ডের গিল্ডফোর্ড শহরের সরেয়তে একাডেমী অব কন্টেমপোরারী মিউজিক (এসিএম) নামক শিক্ষায়তনে একজন স্নাতকার্থী হিসেবে সঙ্গীত বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন,যদিও কলেজে তিনি কতদিন ছিলেন তা স্পষ্ট নয়।\nইন্টারনেটে ইউটিউবের মাধ্যমে শিরানকে অনেক বেশি মাত্রায় মানুষ দেখতে শুরু করে, এবং তার সাথে সাথে তার ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, যেসব প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি শিরানকে সবার সামনে তুলে ধরেছেন, তারা হলেন তখনকার ইংল্যান্ড ফুটবল দলের কেপ্টেন রিও ফারডিনান্ড, গায়ক এল্টন জন এবং দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা অন্যতম। ২০১০ সালে শিরান তার আরো দুটি ইপি প্রকাশ করেন, সেগুলো ছিল তার নিজেস্ব প্রকাশে, সেগুলো হল \"এড শিরান: লাইভ এট বেডফোর্ড\" এবং \"সংস আই রোট উইথ এমি\", দ্বিতীয় ইপি টি ছিল ভালবাসার গানের সমারহ! , যেগুলো তিনি ওয়েল্স শহরে গায়িকা এমি ওয়েডস এর সাথে রচনা করেছিলেন। \n২০১১ সালের ৮ই জানুয়ারীতে, শিরান তার আরেকটি স্বাধীন ইপি, \"নাম্বার.৫ কলাবোরেশনস প্রজেক্ট\" প্রকাশ করেন, এই ইপিটিতে তার সাহায্যকারী গায়ক/গায়িকার মধ্যে অয়াইলি, জেএমই, ডেভলিন, সওয়াই এবং গেট্টস অন্যতম। শিরান মূলধারার নজরে চলে আসতে সক্ষম হন, যখন কোন প্রচার-প্রচারনা অথবা কোন রেকর্ড লেবেল ছাড়াই আই টিউন্স এর তালিকায় সেরা ২ নম্বরে চলে আসেন, এবং তার ইপিটি প্রকাশের প্রথম সপ্তাহেই ৭০০০ এরও বেশি কপি বিক্রি হয়ে যায়। এর তিন মাস পর, শিরান তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে লন্ডনের ছোট শহর ক্যামডেন টাউন এর বারফ্লাই ক্লাবে একটি বিনামূল্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, তার অনুষ্ঠানে ১০০০ জনের বেশি মানুষ উপস্থিত হয়, শিরানকে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়েছিল যাতে সবাই তার অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছে নিশ্চিত হবার জন্য। এর মধ্যে অনুষ্ঠান স্থলের বাহিরের রাস্তায় একটি সরাসরি গান পরিবেশনাটিও অন্যতম ছিল, যখন মূল অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই মাসের শেষ ভাগে, শিরান এসিলাম রেকর্ডস এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।",
"title": "এড শিরান"
},
{
"docid": "504324#1",
"text": "২০০৯ সালে জিপ্সিহুক মুক্তির পর, প্রযোজক নয়াহ শাইন-এর সাথে তিনি তার প্রথম অ্যালবাম \"বেলস\" রেকর্ড করার জন্য নির্ধারিত হন। যাহোক, তিনি এই অ্যালবাম স্থগিত কারে স্ক্রিলেক্স নামে কাজ করা শুরু করেন এবং তিনি তার অফিসিয়াল পাতা মাইস্পেস-এ মাই নেম ইজ স্ক্রিলেক্স গানটি বিনামূল্যে বিতরণ করেন। পরবর্তীকালে, তিনি ২০১০ সালের শেষার্ধে স্ক্যেরি মনস্টার অ্যান্ড নাইস স্পিরিটস গানটি প্রকাশ করেন, এবং ২০১১ সালের মধ্যভাগে মোর মনস্টারস অ্যান্ড স্পিরিটস প্রকাশ করেন। দুইটি গান-ই মধ্যপন্থী বাণিজ্যিক ব্যবসায়ে সফলতা লাভ করে। ৩০ নভেম্বর ২০১১ সালে, তিনি ৫৪তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড-এ সর্বমোট ৫টি বিভাগে মনোনীত হন। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ নৃত্য / ইলেকট্রোনিকা অ্যালবাম, শ্রেষ্ঠ নৃত্য রেকর্ডিং এবং শ্রেষ্ঠ রিমিক্সড রেকর্ডিং, অ শাস্ত্রীয় বিভাগে তিনি পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন। অন্যদিকে, শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী এবং শ্রেষ্ঠ ছোট ফর্ম মিউজিক ভিডিও বিভাগে শুধু মনোনীত হয়েছিলেন। ৫ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, বিবিসি ঘোষণা করে যে স্ক্রিলেক্স ২০১২ এর শব্দের জন্য মনোনীত হয়েছেন। ১২ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, স্ক্রিলেক্স এমটিভি-এর ইলেকট্রনিক নাচ গানে বছরের শ্রেষ্ঠ শিল্পী নির্বাচিত হন। স্ক্রিলেক্স সর্বমোট ৮টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়লাভ করেছেন, এবং একজন ইলেকট্রনিক নাচ গান শিল্পী হিসেবে সবচেয়ে বেশি গ্র্যামি জয়ের বিশ্ব রেকর্ড ধরে রেখেছেন। স্ক্রিলেক্স ডিপলো-এর সাথে জ্যাক ইউ গ্রুপে এবং ডগ ব্লাড দলের সাথে বয়জ নইজ গ্রুপে কাজ করেছেন। স্ক্রিলেক্স দ্যা গামের সাথে এল চাপো নামে একটি গানেও কাজ করেছেন।",
"title": "স্ক্রিলেক্স"
},
{
"docid": "387249#0",
"text": "দ্য এন্ডলেস রিভার () ব্রিটিশ প্রোগ্রেসিভ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের পঞ্চদশ এবং সর্বশেষ স্টুডিও অ্যালবাম। ডেভিড গিলমোর, ইয়ুথ, অ্যান্ডি জ্যাকসন এবং ফিল মান্জানেরা প্রযোজিত, পার্লোফোন এবং কলম্বিয়া রেকর্ডস কর্তৃক এই অ্যালবামটি শুক্রবারের-মুক্তির দেশে ৭ নভেম্বর ২০১৪ সালে এবং ১০ নভেম্বর ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায়। কিবোর্ডবাদক এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রিচার্ড রাইটের মৃত্যুর পর এটি পিংক ফ্লয়েডের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম, যদিও তিনি অ্যালবামে মরণোত্তরভাবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন এবং ১৯৮৫ সালে রজার ওয়াটার্সের প্রস্থানের পর ডেভিড গিলমোরের নেতৃত্বাধীন তৃতীয় অ্যালবাম। এটি ইএমআই ক্রয় অনুসারে পার্লোফোন এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স রেকর্ডস কর্তৃক বিতরণকৃত প্রথম পিংক ফ্লয়েড অ্যালবাম।",
"title": "দ্য এন্ডলেস রিভার"
},
{
"docid": "115363#2",
"text": "২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন নাম ও লেবেলে নতুন অ্যালবাম বের হয় যার নাম নিউ আমেরিকান গোস্পেল। প্যাট্রিক কেনেডি ব্যান্ডের শুরুটাকে পেন্টেরা ব্যান্ডের সাথে তুলনা করেন। রোলিং স্টোন ব্যান্ডের কির্ক মিলার তাদের ৩য় স্টুডিও অ্যালবাম অ্যাজ দ্যা প্যালেসেস বার্নকে পাঁচে তিন দেন। ২০০৩ সালের এক নাম্বার অ্যালবাম হিসেবে অ্যালবামটিকে ভোট দেন রিভলভার ম্যাগাজিন ও মেটাল হ্যামার ম্যাগাজিন। প্রথম হেডব্যাঙ্গারস বল সফরে তারা একটি ডিভিডি রেকর্ড করে যাতে একটি তথ্যচিত্রও ছিল এবং টেরর ও হাবরিস নামের একটি ডিভিডি অ্যালবাম বের করে। এটি ৩১ নাম্বারে অভিষিক্ত হয় বিলবোর্ড টপ মিউজিক ভিডিও চার্টে।",
"title": "ল্যাম্ব অব গড (সঙ্গীতদল)"
},
{
"docid": "705971#1",
"text": "২০১৩ সালে লর্ড তার প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম \"পিওর হিরোয়িন\" মুক্তি দেন, যাতে \"রয়্যালস\"ও সংযুক্ত ছিল। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ান চার্টে এটি প্রথম স্থান অধিকার করে এবং অনেকগুলো দেশে সার্টিফিকেশন অর্জন করে। ঐ অ্যালবামের দ্বিতীয় গান হিসেবে \"টেনিস কোর্ট\" প্রকাশিত হয়, যা নিউজিল্যান্ড সিঙ্গেলস চার্টে শীর্ষস্থান অর্জন করে। ঐ অ্যালবামের তৃতীয় একক \"টিম\" নিউজিল্যান্ড, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে টপ টেন হিটের মর্যাদা লাভ করে। \"নো বেটার\" এবং \"গ্লোরি অ্যান্ড গ্লোর\" যথাক্রমে অ্যালবামের চতুর্থ ও পঞ্চম একক হিসেবে মুক্তি পায়।\n২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে লর্ড সাউন্ডট্রাক অ্যালবাম থেকে মুল একক হিসেবে \"দ্য হাঙ্গার গেম: মকিংজে-১\" চলচচ্চিত্রের জন্য \"ইয়েলো ফ্লিকার বিট\" গানটি প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লর্ড যুক্তরাষ্ট্রে ৬.৮ মিলিয়ন ট্র্যাক, এবং নভেম্বর ২০১৪ অনুযায়ী বিশ্বব্যপী ১৭ মিলিয়ন গান বিক্রি করেন।",
"title": "লর্ড ডিস্কোগ্রাফি"
},
{
"docid": "1220#12",
"text": "মরিসন ও ইএমআই প্রযোজক নরম্যান স্মিথ পিংক ফ্লয়েডের প্রথম রেকর্ডিং চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন, এবং চুক্তির অংশ হিসাবে, ব্যান্ডটি লন্ডনে ইএমআই স্টুডিওতে তাদের প্রথম অ্যালবাম রেকর্ড করতে সম্মত হয়। মেইসন এই সেশনটিকে সমস্যা মুক্ত ছিল বলে স্মরণ করেন। স্মিথ মতবিরোধ জানিয়ে উল্লেখ করেন, ব্যারেট সে সময়ে তার পরামর্শ এবং গঠনমূলক সমালোচনার অপ্রতিক্রিয়াশীল ছিলেন। ইএমআই-কলাম্বিয়া \"দ্য পাইপার অ্যাট দ্য গেটস্ অব ডউন\" মুক্তি দেয় আগস্ট ১৯৬৭ সালে। অ্যালবামটি ইউকে চার্টে ১৪ সপ্তাহ অতিক্রম করে ৬ নম্বরে অবস্থান নিয়েছিল। এক মাস পর, অ্যালবামটি টাওয়ার রেকর্ডস লেবেলের অধীনে মুক্তি পায়। একই সাথে পিংক ফ্লয়েড ইউফো ক্লাবে বৃহত্তর জনসাধারণকে আকর্ষণ করে চলেছে; যদিও, ব্যারেটের মানসিক ভাঙ্গন তখন গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করে। দলটি প্রাথমিকভাবে ভেবেছিল যে ব্যারেটের এই অনিয়মিত আচরণ একটি ক্ষণস্থায়ী পর্যায়ে এগুবে, তবে কেউ কেউ এ ব্যাপারে কম আশাবাদী ছিলেন, যাদের মধ্যে জেনার ও তার সহকারি অর্ন্তভূক্ত, জুন চাইল্ড, মন্তব্য করেন যে: \"আমি তাকে [ব্যারেটকে] ড্রেসিংরুমে খুঁজে পেয়েছি এবং সে তখন প্রায় নেই... এমন অবস্থা। ওয়াটার্স ও আমি তাকে টেনে তুলি, [এবং] মঞ্চের বাইরে নিয় যাই;... ব্যান্ড পুনরায় বাজাতে শুরু করে এবং সিড তখন শুধু সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। তার গলায় গিটার ছিল এবং তার বাহু ছাড়া অবস্থায় ছিল।\"",
"title": "পিংক ফ্লয়েড"
},
{
"docid": "425441#3",
"text": "কোহেনের প্রথম অ্যালবাম, \"সঙস অব লিওনার্ড কোহেন\" (১৯৬৭), ক্রমান্বয়ে \"সঙস ফ্রম আ রুম\" (১৯৬৯) (\"বার্ড অন দ্য ওয়ার\") এবং \"সঙস অব লাভ অ্যান্ড হেইট\" (১৯৭১) প্রকাশিত হয়। তার ১৯৭৭-এর রেকর্ড \"ডেথ অব অ্যা লেডিস' ম্যান\" ফিল স্পেক্টর কর্তৃক সহ-রচিত এবং প্রযোজিত হয়েছিন, যেখানে কোহেনের পূর্ববর্তী মৃদু শব্দ পরিবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়। ১৯৭৬ সালে কোহেন আরো প্রথাগত উপায়ে ফিরে আসেন \"রিসেন্ট সঙস\" অ্যালবামের সাথে, যেখানে জ্যাজ এবং ওরিয়েন্টাল ও ভূমধ্য প্রভাবের সঙ্গে তার শাব্দ শৈলীর মিশ্রন ঘটে। ১৯৮৪ সালে \"হালেলুইয়্যা\" ছিলো কোহেনের \"ভেরিয়াস পজিসন্স\" প্রথম স্টুডিও অ্যালবামে মুক্তি। ১৯৮৮ সালে \"আই'ম ইওর ম্যান\" অ্যলবামে কোহেনের সিন্থেসাইজ প্রযোজনায় ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টা গোচরে আসে যার প্রভাব তার জনপ্রিয় অ্যালবামসমূহে পাওয়া যায়। ১৯৯২ সালে কোহেন \"দ্য ফিউচার\" মুক্তি দেয়, যার অন্ধকারময় লিরিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার প্রতি ইঙ্গিত করে। কোহেন ২০০১ সালে \"টেন নিউ সঙস\" অ্যালবামের মাধ্যমে সঙ্গীতে ফিরে আসেন, যা কানাডা এবং ইউরোপে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করে। ২০০৬ সালে, কোহেন প্রযোজনা এবং সহ-রচনা করেন \"ব্লু এলার্ট\", জ্যাজ শানথ্যুজা এঞ্জানি টমাসের সঙ্গে সহযোগিতামূলকভাবে। ২০০৮-১৩ সালে বিশ্ব সফরের সাফল্যের পর, কোহেন ইতিবাচক পর্যালোচনার সাথে তার সমগ্র কর্মজীবনের সর্বোচ্চ চার্টিং অ্যালবাম \"ওল্ড আইডিয়াস\" মুক্তি দেয়। সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪ সালে, তার ৮০তম জন্মদিনের এক দিন পর, কোহেন পুনরায় ইতিবাচক পর্যালোচনার সাথে তার ১৩তম স্টুডিও অ্যালবাম \"পপুলার পুবলেম্স\" মুক্তি দেয়।",
"title": "লিওনার্ড কোহেন"
},
{
"docid": "9924#4",
"text": "১৯৭৮ সালে \"সারেং বৌ\" চলচ্চিত্রে আলম খানের সুরে \"ও..রে নীল দরিয়া\" গানটি দর্শকপ্রিয়তা পায়। ২০১৭ সালে এই সঙ্গীত শিল্পীর প্রথম মৌলিক গানের অ্যালবাম কোথায় আমার নীল দরিয়া মুক্তি পায়। অ্যালবামটির গীতিকার মোঃ আমিরুল ইসলাম, সুরকার গোলাম সারোয়ার। একই বছরে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা গানের অ্যালবামের কাজ শুরু করেন। গীতিকার আমিরুল ইসলাম রচিত \" বঙ্গবন্ধু দেখেছি তোমায় দেখেছি মুক্তিযুদ্ধ \" শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দেয়ার আগেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যালবামের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।",
"title": "আব্দুল জব্বার"
},
{
"docid": "683125#2",
"text": "তাদের দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম \"উই দ্য জেনারেশন\" ২০১৫ সালের ২রা অক্টোবর মুক্তি পায়। এড শিরান কর্তৃক রুডিমেন্টালকে \"ব্লাডস্ট্রিম\" গান লেখার কৃতিত্ব দেওয়া হয়, যা এড শিরানের দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম \"এক্স\" থেকে নেওয়া। ২৮ এপ্রিল ২০১৫ সালে রুডিমেন্টাল \"নেভার লেট ইউ গো\" নামে নতুন একটি গান প্রকাশ করে যা ছিল \"উই দ্য জেনারেশন\"-এর প্রধান একক গান।",
"title": "রুডিমেন্টাল ডিস্কোগ্রাফি"
}
] |
হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থের নাম কী ? | [
{
"docid": "81565#9",
"text": "হিন্দুধর্মের আদিতম ধর্মগ্রন্থ চার বেদ – ঋক্, সাম, যজুঃ ও অথর্ব। এগুলির মধ্যে ঋগ্বেদ প্রাচীনতম। ১৫০০ থেকে ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থগুলি রচিত হয়। পল্লব ও গুপ্তযুগ পর্যন্ত এগুলি গুরুশিষ্য পরম্পরায় মৌখিক প্রথার মাধ্যমে প্রচলিত ছিল। এর পর থেকে মৌখিক প্রথার সঙ্গে সঙ্গে লিপিবদ্ধ করার প্রথাও চালু হয়।",
"title": "হিন্দুধর্মের ইতিহাস"
},
{
"docid": "370400#2",
"text": "বেদ ( সংস্কৃত: , জ্ঞান ) হল প্রাচীন ভারতে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি । বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদ সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং প্রাচীনতম হিন্দু ধর্মগ্রন্থ । বেদকে \"অপৌরুষেয়\" (\"মানুষের দ্বারা রচিত নয়\") মনে করা হয় । হিন্দুরা বিশ্বাস করে , বেদ প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বর কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে । তাই বেদের অপর নাম শ্রুতি (\"ʼযা শোনা হয়েছে\"ʼ)। অন্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় \"স্মৃতি(হিন্দুধর্ম)। স্মৃতি\" (\"ʼযা মনে রাখা হয়েছেʼ\") । হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে , বেদ সর্বোচ্চ উপাস্য ঈশ্বর ব্রহ্ম কর্তৃক প্রকাশিত । বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা শ্রুতি \"সংহিতা\" নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের যজ্ঞ অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত ॐ",
"title": "ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "5920#17",
"text": "হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হল ঋগ্বেদ। ভাষাতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায় যে ১৭০০ থেকে ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থের রচনা। ঋগ্বেদে রুদ্র নামে এক দেবতার উল্লেখ রয়েছে। রুদ্র নামটি আজও শিবের অপর নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঋগ্বেদে (২।৩৩) তাঁকে \"মরুৎগণের পিতা\" বলে উল্লেখ করা হয়েছে; মরুৎগণ হলেন ঝঞ্ঝার দেবতাদের একটি গোষ্ঠী। এছাড়াও ঋগ্বেদ ও যজুর্বেদে প্রাপ্ত রুদ্রম্ স্তোত্রটিতে রুদ্রকে নানা ক্ষেত্রে শিব নামে বন্দনা করা হয়েছে; এই স্তোত্রটি হিন্দুদের নিকট একটি অতি পবিত্র স্তোত্র। তবে \"শিব\" শব্দটি ইন্দ্র, মিত্র ও অগ্নির বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহৃত হত।",
"title": "শিব"
}
] | [
{
"docid": "481621#1",
"text": "হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলির দুটি ঐতিহাসিক শ্রেণীবিন্যাস হল: ‘শ্রুতি’ (যা শোনা হয়েছে) ও স্মৃতি (যা মনে রাখা হয়েছে)। শ্রতিশাস্ত্রগুলি সর্বোচ্চ প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ। এগুলি সেই প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ যেগুলিকে ‘অপৌরুষেয়’ (স্বয়ং ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত) মনে করা হয়। এগুলিই হিন্দুধর্মের কেন্দ্রীয় ধর্মগ্রন্থ। সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও মুখ্য উপনিষদ্ সহ সমগ্র বেদ শ্রুতিশাস্ত্রের অন্তর্গত। শ্রুতিশাস্ত্রের বধ্যে উপনিষদ্ এককভাবে হিন্দুধর্মে বিশেষ প্রভাবশালী। এই অংশকে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ মনে করা হয়। উপনিষদের কেন্দ্রীয় ভাবনাটি এখনও বিভিন্ন দার্শনিক শাখা ও ধর্মীয় প্রথার উপর বিশেষ প্রভাবশালী।",
"title": "হিন্দু ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "342587#8",
"text": "স্টিফেন ফিলিপস প্রমুখ হিন্দুধর্ম বিশারদগণ আধুন গবেষকদের মতভেদের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, \"ঈশোপনিষদ্\" সম্ভবত প্রাচীনতম উপনিষদ্গুলির অন্যতম এবং খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের প্রথম ভাগে রচিত হয়। তাঁর মতে, এই গ্রন্থটি \"বৃহদারণ্যকোপনিষদ্\" ও \"ছান্দোগ্যোপনিষদ্\" গ্রন্থদ্বয়ের পরে এবং \"তৈত্তিরীয়োপনিষদ্\", \"ঐতরেয়োপনিষদ্\", \"কৌষিতক্যুপনিষদ্\", \"কেনোপনিষদ্\", \"কঠোপনিষদ্\", \"মুণ্ডকোপনিষদ্\", \"প্রশ্নোপনিষদ্\", \"শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদ্\" ও \"মৈত্রয়নীয়োপনিষদ্\" গ্রন্থের আগে তথা প্রাচীনতম বৌদ্ধ পালি ও জৈন ধর্মগ্রন্থগুলির আগে রচিত হয়।",
"title": "ঈশোপনিষদ্"
},
{
"docid": "423453#38",
"text": "এর প্রাচীনতম রূপটি রচিত হয়েছিল ১৫০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। বোধিসত্ত্ব বিমলকীর্তি ধর্মশিক্ষার উদ্দেশ্যে এক সাধারণ মানুষের রূপে জন্ম নেন। কেউ কেউ এই সূত্রটিকে সাধারণ ধর্মানুশীলনের গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন মনে করেন। মতবাদের দিক থেকে এটি প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্রের অনুরূপ। পূণ্যভূমি শাখাগুলির প্রভাবশালী ধারণা বুদ্ধক্ষেত্র এই সূত্রের উপজীব্য। চীন, জাপান ও কোরিয়া, যেখানে কনফুসীয় আদর্শের সঙ্গে এটি তুলনীয় সেখানে এই সূত্র বেশ জনপ্রিয়।\nপ্রাচীনতম মহাযানী ধর্মগ্রন্থগুলির মধ্যে সমাধি সূত্রগুলিতে ধ্যানের মাধ্যমে প্রাপ্ত চৈতন্যের চরম অবস্থার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে সম্ভবত প্রাচীন মহাযান মতবাদে ধ্যানের গুরুত্ব স্থাপিত হয়েছে। সমাধি সূত্রগুলির মধ্যে প্রত্যুৎপন্ন সূত্র ও সুরঙ্গম সমাধি সূত্র উল্লেখযোগ্য।\nত্রিস্কন্ধ সূত্র ও সুবর্ণপ্রভাস সূত্র দোষস্বীকারের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। সুবর্ণপ্রভাস সূত্র জাপানে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছে। সেখানে এই সূত্রের চক্রবর্তো সংক্রান্ত অধ্যায়গুলি জাপানি সম্প্রাটরা নিজেদের শাসনকে আইনসম্মত করার জন্য এবং সুশাসনের আদর্শ স্থাপন করার জন্য ব্যবহার করতেন।",
"title": "বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ"
},
{
"docid": "15847#13",
"text": "বৈদিক সংস্কৃতে মৌখিকভাবে রচিত হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বেদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আর্য সভ্যতাই ছিল বৈদিক যুগের ভিত্তি। বেদ বিশ্বের প্রাচীনতম প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির অন্যতম। এই গ্রন্থ মেসোপটেমিয়া ও প্রাচীন মিশরের ধর্মগ্রন্থগুলির সমসাময়িক। বৈদিক যুগের সময়কাল ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই সময়েই হিন্দুধর্ম ও প্রাচীন ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানের মূল ভিত্তিগুলি স্থাপিত হয়। গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সমগ্র উত্তর ভারতে বৈদিক সভ্যতাকে ছড়িয়ে দেয় আর্যরা। ভারতীয় উপমহাদেশে ইন্দো-আর্যভাষী উপজাতিগুলির অনুপ্রবেশের ফলে প্রাগৈতিহাসিক পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটে এবং বিদ্যমান স্থানীয় সভ্যতার উপরেই স্থাপিত হয় বৈদিক সভ্যতা। স্থানীয় বাসিন্দারা আর্যদের কাছে দস্যু নামে পরিচিত হয়।",
"title": "ভারতের ইতিহাস"
},
{
"docid": "251352#0",
"text": "কালিকা পুরাণ (, ) (খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী) একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। অষ্টাদশ উপপুরাণের অন্যতম। প্রাপ্ত পাঠটিতে ৯৮টি অধ্যায় ও ৯০০০ শ্লোক রয়েছে। এটি কালী ও তাঁর কয়েকটি বিশেষ রূপের (যথা, গিরিজা, ভদ্রকালী ও মহামায়া) উদ্দেশ্যে রচিত একমাত্র গ্রন্থ। এই পুরাণে কামরূপ তীর্থের পর্বত ও নদনদী এবং কামাখ্যা মন্দিরের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। কালী, কামাখ্যা ও দুর্গা সহ বিভিন্ন দেবীর পূজাপদ্ধতি এই পুরাণে লিপিবদ্ধ আছে। সেই কারণে এটি হিন্দুধর্মের শাক্ত শাখার ধর্মগ্রন্থ। সম্ভবত এই গ্রন্থ কামরূপ (বর্তমান অসম) বা বঙ্গদেশে লিখিত হয়েছিল। এই পুরাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রগ্রন্থ। কারণ, অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের \"নিবন্ধ\" (স্মার্ত) লেখকগোষ্ঠী এটিকে শাক্তধর্মের একটি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বলে উল্লেখ করেছেন। এই পুরাণে বেশ কিছু পূর্বপ্রচলিত পৌরাণিক উপাখ্যানেরও উল্লেখ রয়েছে। এই পুরাণ সেই সব বিরল হিন্দু ধর্মগ্রন্থের একটি যেখানে \"হিন্দু\" শব্দটি পাওয়া যায়।",
"title": "কালিকা পুরাণ"
},
{
"docid": "1568#5",
"text": "হিন্দুধর্মের শাস্ত্রগ্রন্থের সংখ্যা প্রচুর। হিন্দুশাস্ত্র শ্রুতি ও স্মৃতি নামে দুই ভাগে বিভক্ত। এই গ্রন্থগুলিতে ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও পুরাণ আলোচিত হয়েছে এবং ধর্মানুশীলন সংক্রান্ত নানা তথ্য বিবৃত হয়েছে। এই গ্রন্থগুলির মধ্যে \"বেদ\" সর্বপ্রাচীন, সর্বপ্রধান ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলি হল \"উপনিষদ্\", \"পুরাণ\", ও ভারতীয় মহাকাব্য \"রামায়ণ\" ও \"মহাভারত\"। \"ভগবদ্গীতা\" নামে পরিচিত মহাভারতের কৃষ্ণ-কথিত একটি অংশ বিশেষ গুরুত্বসম্পন্ন ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেয়ে থাকে।",
"title": "হিন্দুধর্ম"
},
{
"docid": "423453#12",
"text": "সাম্প্রতিককালে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারে প্রাচীনতম বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলি পাওয়া গিয়েছে। এগুলি পাওয়া গেছে উত্তর-মধ্য পাকিস্তানের (তক্ষশীলার কাছে রাজধানী ইসলামাবাদের ঠিক দক্ষিণ-পশ্চিমে) প্রাচীন গান্ধার সভ্যতার প্রত্নক্ষেত্রে। প্রথম শতাব্দীতে বার্চ বার্কে লিখিত এই রচনাংশগুলি গুরুত্বে মৃতসাগরীয় স্ক্রোলের সমতুল্য। ১৯৯৪ সালে এগুলি ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে দান করা হয়। এখন এগুলি নিয়ে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি যৌথ প্রকল্পে কাজ চলছে।",
"title": "বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ"
}
] |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.