query
stringlengths
5
185
positives
listlengths
1
14
negatives
listlengths
0
19
চেঙ্গিস খান কোন বংশের রাজা ছিলেন ?
[ { "docid": "59523#1", "text": "কুবলাই খান ছিলেন তলুই ও সরঘাঘতানি বেকির দ্বিতীয় পুত্র। তাঁর পিতামহ ছিলেন চেঙ্গিস খান। ১২৬০ খ্রিস্টাব্দে কুবলাই খান তাঁর বড় ভাই মংকু খানের স্থলাভিষিক্ত হন। কুবলাই খানের আরেক ভাই হালাকু খান পারস্য জয় করেন এবং সেখানে ইলখানাত নামে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।", "title": "কুবলাই খান" }, { "docid": "58671#13", "text": "সর্বোচ্চ, আরো যথাযথোভাবে রাজকীয় উপাধি খাগান (“খানদের খান”) খান হিসাবে পরিচিত সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত শাসকগণের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত : জেংগিস খান (তার নাম ছিল তেমুজিন, জেংগিস খান হলো এক অনন্য উপাধি যার অর্থ পুরোপুরি জানা যায় না) যিনি মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেন, এবং তার উত্তরাধিকারীগণ, প্রধানতঃ পৌত্র কুবলাই খান, যিনি চীনের ইয়ুয়ান রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। জেঙ্গিস খানের বংশের প্রধান শাখাটির শাসক বংশধরগণ মহান খান হিসাবে উল্লিখিত হন। \nখানদের খান উপাধিটি অন্যান্য উপাধির সাথে উসমানীয় সুলতানগণ এবং গোল্ডেন হোর্ড ও তা হতে উদ্ভূত রাজ্যগুলোর শাসকেরা ব্যবহার করতেন। খান সেলজুক তুর্কী রাজবংশও ব্যবহার করতো একাধিক ট্রাইব, ক্ল্যান বা জাতির প্রধানের পদবী হিসাবে, যিনি পদমর্যাদায় আতাবেগের নিম্নপর্যায়ের। জুরচেন এবং মাঞ্চু শাসকেরাও খান (মাঞ্চুতে হান) ব্যবহার করতেন, যেমন- নুরচেন, গেংগিয়েন হান নামে পরিচিত ছিলেন। গক্তুর্ক, আভার এবং খাযারের শাসকগণ স্বতন্ত্র জাতিদের শাসক হিসাবে আরও উচ্চ পদবী কাঘান ব্যবহার করতেন।", "title": "খান" }, { "docid": "3287#0", "text": "চেঙ্গিজ খান (মঙ্গোলীয়: আ-ধ্ব-ব: [], ), (১১৬২–আগস্ট ১৮, ১২২৭) প্রধান মঙ্গোল রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা বা মহান খান, ইতিহাসেও তিনি অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি। জন্মসূত্রে তার নাম ছিল তেমুজিন (মঙ্গোলীয়: Тэмүжин )। তিনি মঙ্গোল গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করে মঙ্গোল সাম্রাজ্যের (Екэ Монгол Улус; ১২০৬ - ১৩৬৮) গোড়াপত্তন করেন। নিকট ইতিহাসে এটিই ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সম্রাজ্য। তিনি মঙ্গোলিয়ার বোরজিগিন বংশে জন্ম নিয়েছিলেন। এক সাধারণ গোত্রপতি থেকে নিজ নেতৃত্বগুণে বিশাল সেনাবাহিনী তৈরি করেন।যদিও বিশ্বের কিছু অঞ্চলে চেঙ্গিজ খান অতি নির্মম ও রক্তপিপাসু বিজেতা হিসেবে চিহ্নিত তথাপি মঙ্গোলিয়ায় তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে সম্মানিত ও সকলের ভালোবাসার পাত্র। তাকে মঙ্গোল জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। একজন খান হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে চেঙ্গিজ পূর্ব ও মধ্য এশিয়ার অনেকগুলো যাযাবর জাতিগোষ্ঠীকে একটি সাধারণ সামাজিক পরিচয়ের অধীনে একত্রিত করেন। এই সামাজিক পরিচয়টি ছিল মঙ্গোল।", "title": "চেঙ্গিজ খান" } ]
[ { "docid": "523096#0", "text": "ওগেদাই খান(মঙ্গোলীয়: ᠦᠭᠦᠳᠡᠢ; চীনা: 窩闊台: ৭ নভেম্বর ১১৮৬ – ১১ ডিসেম্বর ১২৪১) ছিলেন চেঙ্গিস খানের তৃতীয় ছেলে এবং মঙ্গোল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় খাগান। চেঙ্গিস খানের পর তিনি খাগান হন। তার পিতার সাম্রাজ্য বিস্তার অভিযান তিনি এগিয়ে নিয়ে যান। চেঙ্গিস খানের প্রথমদিককার অন্য ছেলেদের মত তিনিও চীন, ইরান ও মধ্য এশিয়া জয়ে অংশ নিয়েছেন।", "title": "ওগেদাই খান" }, { "docid": "296930#45", "text": "মঙ্গোলদের নেতাদেরকে \"খান\" নামে ডাকা হত। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে তেমুজিন খান নামের মঙ্গোল নেতা সমস্ত মঙ্গোল গোত্রগুলি এক পতাকার নিচে নিয়ে আসেন। তাঁর নাম দেওয়া হয় চেঙ্গিস খান, অর্থাৎ “সবার প্রভু”। সারা জীবন ধরে অসংখ্য সমরাভিযানশেষে চেঙ্গিস খান শেষ পর্যন্ত পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল থেকে পশ্চিমে ইউরোপের দানিউব নদী পর্যন্ত এক সুবিশাল সাম্রাজ্য গঠন করেন, যার মধ্যে বিরাট পারস্য সাম্রাজ্যও ছিল এক অংশমাত্র। ১২১১ সালে চেঙ্গিস খান চীন আক্রমণ করেন এবং ১২১৫ সালের মধ্যে মঙ্গোলদের হাতে চীনের তৎকালীন রাজধানী বেইজিংয়ের পতন ঘটে। ১২১৭ সালে মঙ্গোলরা চীন ও কোরিয়া নিয়ন্ত্রণ করত। কারাকোরুম শহরে (বর্তমানে মঙ্গোলিয়াতে অবস্থিত) তাদের রাজধানী ছিল । ১২১৯ সালে মঙ্গোলরা পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়ে খোয়ারিজম সাম্রাজ্য (পারস্য ও তুরস্ক) আক্রমণ করে। ১২২৪ সালে তারা রাশিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি আক্রমণ করে। চেঙ্গিস খান যুদ্ধক্ষেত্রে নির্মম হলেও তার সাম্রাজ্যে শান্তি বজায় রাখেন এবং শক্ত হাতে কিন্তু ন্যায়বিচারের সাথে শাসন করেন। তার সময়ে বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে।", "title": "বিশ্বের ইতিহাস" }, { "docid": "520846#0", "text": "বুরখান খাল্ডুন (সিরিলিক ভাষায়: Бурхан Халдун) উত্তর-পূর্ব মঙ্গোলিয়ার খেন্টাই অঞ্চলের একটি খেন্টাই পর্বত। পর্বতটিকে বা এই স্থানকে চেঙ্গিস খানের জন্মস্থান বলে ধারণা করা হয় এবং এখানেই তাঁর সমাধিস্থল অবস্থিত। এই স্থানে অন্য একজন বিখ্যাত বীর সাবুতাইয়ের জন্মস্থান। পর্বতটি ১৯৯২ সালে প্ৰতিষ্ঠিত এলাকাটি খান খেন্টাই কঠোরভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলের একটি অংশ। যদিও চেঙ্গিস খানের পূৰ্বেও পর্বতটিকে পবিত্ৰ মনে করা হত, চেঙ্গিস খান এই পর্বতটিকে মঙ্গোলিয়ার সবথেকে পবিত্ৰ পৰ্বত আখ্যা দেয়ার পর এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। ৪ জুলাই ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে এই পৰ্বতকে \"মহান বুরখান খাল্ডুন পৰ্বত এবং চারপাশের পবিত্ৰ পরিবেশ\" উপাধিতে ঘোষণা করে। ১৯৫৫ সালে পর্বতটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা করা হয় এবং সেই সাথে পর্বতটিকে রাষ্ট্ৰীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই স্থানের অনন্য জৈববৈচিত্র্য মধ্য এশিয়া প্রান্তের উদ্ভিদজগতের সাথে মিশ্রিত। এমনকি ৫০ প্ৰজাতির প্রানী এবং ২৫৩ প্ৰজাতির পাখি নিয়ে অনন্য।", "title": "বুরখান খাল্ডুন" }, { "docid": "521760#0", "text": "তোলুই খান, (ধ্রুপদি মঙ্গোলীয়: , , ) (১১৯২-১২৩২) ছিলেন চেঙ্গিস খানের চতুর্থ ছেলে। ১২২৭ সালে চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পর মঙ্গোলিয়ায় তিনি তার বাবার উত্তরাধিকারী হন। ওগেদাই খান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় খাগান হওয়ার পূর্বে তিনি প্রশাসন পরিচালনা করেছেন। এর পূর্বে মঙ্গোলদের অভিযানে অংশ নিয়েছেন। মঙ্গোলিয়া ও ইলখানাতের সম্রাটদের অধিকাংশের তিনি সরাসরি পূর্বপুরুষ।", "title": "তোলুই খান" }, { "docid": "485009#34", "text": "Jurchen ছিলেন ঝিন বংশের প্রতিষ্ঠাতা যিনি মঙ্গলদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর মঙ্গলরা দক্ষিণ সং রাজ্যের দিকে অগ্রসর হয় এবং এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এটাই ছিল প্রথম যুদ্ধ যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই যুদ্ধের পরবর্তী সময়কে বলা হয় Pax Mongolica, এ সময় মার্কো পোলো ও অন্যান্য ইউরোপীয় পরিব্রাজকরা চীন ভ্রমণ করেন এবং চীন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ইউরোপে পৌছায়। ইউয়ান শাসনামলে, মঙ্গলদেরকে দুইটি অংশে ভাগ করা হয়, একটি অংশ স্তেপে থেকে যায় এবং আর একটি অংশ চৈনিক রীতিনীতি গ্রহন করে। চেঙ্গিস খানের পৌত্র কুবলাই খান ইউয়ান বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। ইউয়ান শাসনামলে সর্ব প্রথম বেইজিং থেকে সমগ্র চীন সম্রাজ্য পরিচালিত হয়। এর আগে ঝিন সম্রাটদের রাজধানী ছিল বেইজিং। কিন্তু তারা সমগ্র চীনের শাসক ছিলেন না।\nমঙ্গলদের আগ্রাসনের পূর্বে চীনের জনসংখ্যা ছিল ১২০ মিলিয়ন। ১২৭৯ সালে যুদ্ধ শেষ হবার পর চীনের জনসংখ্যা ছিল ৬০ মিলিয়নের মত। Frederick W. Mote এর মতে যুদ্ধ জনসংখ্যার এই ব্যাপক হ্রাসের একমাত্কার করান ছিল না। পূর্বে জনসংখ্যার গণনা সঠিক ছিল না বলে তিনি মনে করেন।", "title": "চীনের ইতিহাস" }, { "docid": "521809#0", "text": "চাগতাই খানাত (মঙ্গোলীয়: \"Tsagadaina Khaanat Ulus/Цагаадайн Хаант Улс\") ছিল মধ্যযুগের একটি মঙ্গোল খানাত। চেঙ্গিস খানের দ্বিতীয় পুত্র চাগতাই খান ছিলেন এই খানাতের প্রথম শাসক। পরবর্তীতে তার বংশধররা রাজ্য শাসন করেছেন। প্রথমে এটি মঙ্গোল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ১২৫৯ সালের পর মঙ্গোল সাম্রাজ্যের ভাঙনের সময় এটি স্বাধীন হয়। ১৩০৪ সালে চাগতাই খানাত ইউয়ান রাজবংশের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়। ১৪শ শতাব্দীর মধ্যভাগে চাগতাই খানাত ভেঙে পশ্চিম চাগতাই খানাত ও মোগলিস্তান খানাতে বিভক্ত হয়। ১৩শ শতাব্দীতে খানাত আমু দরিয়া থেকে আলতাই পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।", "title": "চাগতাই খানাত" }, { "docid": "296930#46", "text": "১২২৭ সালে চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পরেও মঙ্গোলরা আক্রমণ অব্যাহত রাখে। ১২২৯ সালে চেঙ্গিস খানের এক পুত্রসন্তান ওগাদাই খান মঙ্গোলদের নেতা হন। চেঙ্গিস খানের আরেক সন্তান বাতু খান এবং সুবোতাই খানের নেতৃত্বে ১২৩৭ সালে মঙ্গোল বাহিনী উত্তর রাশিয়া দখলের জন্য আক্রমণ করে। তাদের সেনাবাহিনীর নাম ছিল “স্বর্ণালী দঙ্গল”। ইউরোপে মঙ্গোলদের দ্রুতি ও হিংস্রতার কথা ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিটি মঙ্গোল সেনা পাঁচটি ঘোড়া নিয়ে চলাচল করত এবং প্রত্যেকে তীরন্দাজি ও বর্শা নিক্ষেপে অত্যন্ত দক্ষ ছিল। ঘোড়সওয়ারী হয়ে তারা কেবল পা দিয়ে ঘোড়াদের নিয়ন্ত্রণ করত, এবং খালি দুই হাত তীর ছোঁড়া বা বর্শা নিক্ষেপের কাজে লাগাত। যুদ্ধের সময় তারা ছিল ক্ষমাহীন, নিষ্ঠুর যোদ্ধা। তারা গোটা শহরের সবাইকে সদলবলে হত্যা করে তাদের সম্পদ লুন্ঠন করে অন্য শহর আক্রমণ করতে যেত। ১২৪১ সালে মঙ্গোলদের নেতা ওগাদাই খানের মৃত্যুর সংবাদ পশ্চিমে এসে পৌঁছালে ইউরোপে অগ্রসরমান মঙ্গোলবাহিনী আবার এশিয়াতে ফেরত যায়, ফলে ইউরোপ পরিত্রাণ পায়।", "title": "বিশ্বের ইতিহাস" } ]
অপারেশন জ্যাকপটের কর্নেল কে ছিলেন ?
[ { "docid": "41437#2", "text": "মার্চের শুরুর দিকে পাকিস্তানি সাবমেরিন পি এন এস ম্যাংরো ফ্রান্সের তুলন সাবমেরিন ডকইয়ার্ডে যায় পাকিস্তানি সাবমেরিনারদের প্রশিক্ষন দেয়ার জন্য। সেই ৪১ জন সাবমেরিনারদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন বাঙালি অফিসার। তারা আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে ২৫ মার্চের গণহত্যার কথা শুনে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে ৮ জন ৩০ মার্চ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৯ এপ্রিল ১৯৭১ তারা দিল্লিতে এসে পৌছান। এখানে তাদের নাম উল্লেখ করা হলোঃ-তারপর উক্ত ৮জনের সাথে আরো কয়েকজনকে একত্র করে ২০ জনের একটি গেরিলা দল গঠন করে তাদের ভারতে বিশেষ ট্রেনিং দেয়া হয়। তারপর তারা দেশে আসলে তাদের সাথে কর্নেল ওসমানীর দেখা করানো হয়। তখন ওসমানী নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।", "title": "অপারেশন জ্যাকপট" } ]
[ { "docid": "464627#3", "text": "ওবিই ব্রিগেডিয়ার জন ভন ব্রুস জার্ভিস-রীড ছিলেন অপ্স (বি) এর মূল প্রধান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ১৯৩৩ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যাণ্ট হিসেবে রয়েল ইঞ্জিনিয়ার্সে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে তিনি কর্ণেল পদে আসীন থাকাকালীন ছলাকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। তার প্রধান কাজ ছিল অপারেশন ককেড এর পরিকল্পনা করা। অপারেশনের জটিলতা এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পদের অভাবের কারণে এটা সাফল্যের মুখ দেখেনি। তখনও প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হয় নি, সেই সময় মিত্র অভিযানমূলক বাহিনীর সর্বোচ্চ সদরদপ্তরের সবথেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লেফটেন্যাণ্ট জেনারেল ফ্রেডরিক ই. মর্গান কর্ণেল ডুডলের এ ফোর্সকে একটি \"ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী\" হিসেবে বিবেচনা করতেন যা তিনি তার অধীনে গড়ে তুলতেন না।", "title": "অপ্স (বি)-এর কর্মচারিবৃন্দের তালিকা" }, { "docid": "41437#0", "text": "অপারেশন জ্যাকপট বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন। এটি ছিল একটি আত্মঘাতী অপারেশন। এ অপারেশন ১৯৭১-এর ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়। ১০নং সেক্টরের অধীনে ট্রেনিং প্রাপ্ত নৌ কমান্ডো যোদ্ধাদের অসীম সাহসিকতার নিদর্শন এই অপারেশন জ্যাকপট। এই গেরিলা অপারেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকগুলো অস্ত্র ও রসদবাহী জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজগুলোর মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্যকারী অনেকগুলো বিদেশি জাহাজও থাকায় এই অপারেশন বাংলাদেশের যুদ্ধ এবং যোদ্ধাদেরকে সারা বিশ্বে পরিচিতি পাইয়ে দেয়।সারা বিশ্ব বুঝতে পারে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই লড়ছে।", "title": "অপারেশন জ্যাকপট" }, { "docid": "353461#3", "text": "মতিউর রহমানের প্রথম গেরিলা ত ৎপরতা অপারেশন জ্যাকপটের মাধ্যমে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ১৫-১৬ আগস্ট মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ পাওয়া নৌ-কমান্ডোরা পূর্ব পাকিস্তানের সমুদ্রবন্দর ও প্রধান প্রধান নদী বন্দরে একযোগে যে অপারেশন করেন, সেটিই ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে খ্যাত। এ অপারেশনের বিশালতা ও ক্ষয়ক্ষতি এত ব্যাপক ছিল যে তা পাকিস্তানসহ বিশ্বকে হতভম্ব করে দেয়। পৃথিবীর প্রায় সব প্রচারমাধ্যম এ ঘটনা ফলাও করে প্রচার করে। অপারেশনের চূড়ান্ত তারিখ ছিল ১৫ আগস্ট, পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে। মতিউর রহমান অংশ নেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি ফেরিঘাট আক্রমণে। এ অপারেশনে তাঁরা অংশ নেন মোট নয়জন। তাঁদের দলনেতা ছিলেন শাহজাহান সিদ্দিকী (বীর বিক্রম)। সহ-দলনেতা তিনি। আগস্ট মাসের ১১-১২ তারিখে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা বাংলাদেশে আসেন। অপারেশনের ধার্য করা দিন ১৫ আগস্ট দাউদকান্দি এলাকায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়। তাঁদের গাইড অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে কারণে অপারেশন স্থগিত রাখতে হয়। পরদিন ১৬ আগস্ট মধ্যরাতে তাঁরা সফলতার সঙ্গে দাউদকান্দি ফেরিঘাটের ফেরি ও পন্টুনে লিমপেট মাইন লাগান। এ কাজে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মতিউর রহমান। ফেরিঘাটে প্রহরায় ছিল পাকিস্তানি সেনা ও তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকাররা। তারা একটুও টের পায়নি। মাইন লাগানোর পর মুক্তিযোদ্ধারা দ্রুত চলে যান নিরাপদ অবস্থানে। রাত দুইটা ৪৫ মিনিটে চারদিক প্রকম্পিত করে নয়টি লিমপেট মাইন একের পর এক বিস্ফোরিত হয়। মাইন বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও পাকিস্তানিদের অবিরাম গুলিবর্ষণে ২৫ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। দু-তিন দিন পর নৌ-কমান্ডোরা ভারতের আগরতলায় চলে যান। পরবর্তী সময়ে মতিউর রহমান বরিশাল বন্দর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি অপারেশন করেন। এর মধ্যে বরিশালের অপারেশন ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তিনিই ছিলেন দলনেতা। ২৫-২৬ অক্টোবর সফলতার সঙ্গে এ অপারেশন সম্পন্ন করেন। তিনটি জাহাজ লিমপেট মাইনের সাহায্যে তাঁরা ডুবিয়ে দেন।", "title": "মতিউর রহমান (বীর উত্তম)" }, { "docid": "8845#7", "text": "অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার দায়িত্ব পান ৪র্থ কোরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট-জেনারেল টিক্কা খান, তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এর জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয় ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে এবং 'অপারেশন সার্চলাইট' ২৫ মার্চ রাত ১২টার পরে টিক্কা খানের নির্দেশেই মূলত শুরু হয়। অপারেশন সার্চলাইট সামরিক অভিযানের ফলশ্রুতিতে বাঙালিরা সেনাবাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনী নামের একটি বাহিনী গঠন করে যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ইয়াহিয়া এপ্রিলের শুরুর দিকে মেজর-জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজীকে (যিনি লাহোরে ১০ম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়কত্ব করছিলেন) লেফটেন্যান্ট-জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে ইস্টার্ন কমান্ড কার্যালয়ে টিক্কার স্থলে তাকে অধিনায়ক নিযুক্ত করেন তবে টিক্কা গভর্নরের দায়িত্বে থেকে যান এবং সেপ্টেম্বরে পশ্চিম পাকিস্তানে বদলী হন।", "title": "ইয়াহিয়া খান" }, { "docid": "490763#2", "text": "১৮২৪ সালে তাকে বার্মা প্রেরণ করা হয় এবং সেখানে প্রথম ইঙ্গ-বার্মিজ যুদ্ধের তিনটি অভিযানে অংশগ্রহণ নেন। এরপর দুই দশকের বেশি সময় তিনি পুরকৌশলে নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি পদোন্নতি পেয়ে ১৮৩০ সালে মেজর, ১৮৩৪ সালে লেফটেন্যান্ট-কর্নেল এবং ১৮৪৪ সালে কর্নেল হন। ১৮৪৮ সালে মুলতান অবরোধের পরিকল্পনার সময় তাকে পাঞ্জাবে পাঠানো হয়। তাকে প্রধান প্রকৌশলী নিযুক্ত করা হয় এবং তিনি দুর্গের পতনের জন্য পরিচালিত অপারেশনে নেতৃত্ব দেন। এরপর তিনি এরপর হিউ গফের অধীনে কাজ করেন। গুজরাটের যুদ্ধে তিনি গোলন্দাজদের পরিচালনা করেছেন। গফ নিজের প্রেরিত বার্তায় চিপের নাম উল্লেখ করেছেন। চিপকে সি.বি. এবং রাণীর এইড-ডি-ক্যাম্প প্রদান করা হয়।", "title": "জন চিপ" }, { "docid": "571114#1", "text": "কর্নেল কৃষ্ণকান্ত পুরী ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন বহিষ্কৃত অফিসার যিনি ভারত-চীন যুদ্ধকালীন এক অসফল অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার কোর্ট মার্শাল হয়, নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে ব্যর্থ হয়ে হতাশ জীবন যাপন করছিলেন একাকী। তার ও তার বাকি সাথীদের ব্যার্থতার দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে একদিন আত্মহত্যা করতে মনস্থির করেন কিন্তু এসময় তার কাছে এসে সাহায্য চায় সন্ধ্যা নাম্নী এক তরুনী যার পিতাকে জাগিরা নামক এক দস্যু নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দেবদুর্গ গ্রাম জাগিরার কবলে। সে সেখানকার অধিবাসীদের ওপর জোরজুলুম চালায়। সন্ধ্যার পিতা ফরেস্ট অফিসার সুন্দর রাজন এর বিরোধীতা করলে তাকে হত্যা করে জাগিরা। গ্রামের মানুষরা কোনো প্রতিবাদ কর‍তে সাহস পায়না। গ্রামের একমাত্র প্রতিবাদী মুখিয়াকেও হত্যা করে দস্যুরা। কর্নেল পুরী মনে করেন এই নতুন মিশন তাকে প্রতিষ্ঠা এনে দেবে ও মিথ্যা অপবাদের কলংক মুছতে সহায়ক হবে। তিনি তার দলের বাকি সাথীদের ডেকে আনেন নতুন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্যে। এদের মধ্যে রগচটা কর্নেল কৃষন পুরী, ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত মেজর গুরুং, মাতাল মেজর জন, ব্যবসায়ী মেজর কূলভূষন, মেজর সরফরাজ ও মৃত এক সাথীর পুত্র উদিত সমেত সকলেই এসে হাজির হয়। তারা দেবদূর্গ গ্রামে এলে জগিরার দলের সাথে প্রথম যুদ্ধে বোঝা যায় দু তিনজন বাদে প্রায় সকলেই যুদ্ধ করার মতো অবস্থায় নেই। তারা বয়েসের ভারে, রোগে ও অনভ্যাসে অসহায়। মেজর গুরুং তাদের আবার ট্রেনিং করার ব্যবস্থা করেন। গ্রামের সকল মানুষের সাথে তারা সুসম্পর্ক গড়ে তোলে, স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। অসৎ পুলিশ অফিসার বারুদ তাদের গ্রেপ্তার করতে আসে গ্রামে গোলাগুলি চালানোর জন্যে। তার চক্রান্তে কৃষ্ণকান্ত ও তার দলবল জগীরার কবলে পড়লেও সন্ধ্যার সাহায্যে মুক্তি পায় এবং সরফরাজ তাড়া করে জগীরাকে ধরে ফেলে। ইনস্পেকটর বারুদের সাহায্যে জগীরা আবার ছাড়া পায় এবং সরফরাজকে অসহায় অবস্থায় পেয়ে হত্যা করে। এই খবর পেয়ে কৃষ্ণকান্ত ও বাকি সাথীরা বারুদকে হত্যা করেন ও সকলে মিলে জগীরার দলকে আক্রমন করেন। শেষ যুদ্ধে সাথীদের অনেকেই মারা যান। জগীরাকে তার নিজের ঘাঁটিতেই খুন করেন গুরুং, কর্নেল কৃষ্ণকান্ত, কৃষন পুরী ও উদিত। এই ঘটনায় গোটা দেবদূর্গ আতংকমুক্ত হয় ও রাজ্যপাল (যিনি অতীতে সেনাকর্তা হিসেবে, কৃষ্ণকান্ত ও সহ অফিসারদের বরখাস্ত করেছিলেন) জীবিত সেনাদের পুরষ্কৃত করেন ও হৃত সম্মান ফিরিয়ে দেন।", "title": "চায়না গেট" }, { "docid": "41437#5", "text": "নৌ-কমান্ডোদের ঐ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় নেভাল অফিসার কমানডার এম.এন.সামানত, ও ট্রেনিং দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন লেঃ কমান্ডার জি এম মার্টিস, এবং আরও ভারতীয় ২০ জন প্রশিক্ষক তারা হলেনন লেঃ দাস, লেঃ ভি.পি. কফিল। প্রশিক্ষকদের মধ্যে ফ্রান্স থেকে পালিয়ে আসা ৮ জন সাব-মেরিনার ছাড়াও আরো ছিলেন ভারতীয় নৌ-বাহিনীর লিডিং সি,মান কে.সিং, লিডিং সি,মান গুপ্ত, এল সিং, মারাঠি নানা বুজ এবং সমীর কুমার দাশসহ আরো কয়েকজন।", "title": "অপারেশন জ্যাকপট" }, { "docid": "28517#6", "text": "পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ৫ম প্যারাট্রুপারের কর্নেল ও কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়াজী ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান। কাশ্মির ও শিয়ালকোটের অপারেশনে তিনি ১৪তম প্যারাট্রুপার ডিভিশন, ৫০তম এয়ারবর্ন ডিভশনের নেতৃত্ব দেন। চাভিন্দার যুদ্ধে তিনি অংশ নেন। যুদ্ধের পর নিয়াজী করাচি ও লাহোরের সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান এবং করাচির ৫২তম মেকানাইজড ডিভশনের জিওসি নিযুক্ত হন। ১৯৭০ সালে নিয়াজী ৫০তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সাল নাগাদ তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ লাভ করেন।", "title": "আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী" }, { "docid": "41437#3", "text": "ওসমানীর সিদ্ধান্তে নৌ-কমান্ডো সেক্টর খোলার পর বাছাইকৃত গেরিলাদের ট্রেনিং দেয়ার উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক পলাশীর স্মৃতিসৌধের পাশে ভাগীরথী নদীর তীরে ২৩ মে ১৯৭১ তারিখে একটি গোপন ট্রেনিং ক্যাম্প খোলা হয়। এই ট্রেনিং ক্যাম্পের সাংকেতিক নাম দেয়া হয় সি-২ পি (C-2 P)। এখানে ট্রেনিং দেয়ার উদ্দেশ্যে অন্যান্য সেক্টরসমূহের বিভিন্ন শিবির থেকে মে মাসের শুরুর দিকে প্রায় ৩০০ জন বাছাইকৃত যোদ্ধা সংগ্রহ করা হয়। ট্রেনিং ক্যাম্পে এদের কি ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে সে বিষয়টি এতই গোপনীয় ছিল যে, সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যেও শুধুমাত্র যার এলাকায় অপারেশন চালানো হবে তিনি ব্যতীত আর কেউ এই সম্পর্কে জানতেন না।", "title": "অপারেশন জ্যাকপট" } ]
কত সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয় ?
[ { "docid": "25926#0", "text": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (সংক্ষেপে তৃণমূল কংগ্রেস; পূর্বনাম পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস) ভারতের একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভেঙে এই দল প্রতিষ্ঠিত হল। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।", "title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস" }, { "docid": "112270#0", "text": "সর্বভারতীয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ হল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস বিভাজিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই এই ছাত্র সংগঠনটি গঠিত হয়। সংগঠনটির সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। বর্তমানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র সংগঠন এবং পশ্চিমবঙ্গের বহু মহাবিদ্যালয়ে (কলেজ) অনুষ্ঠিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সংগঠনটি জয়লাভ করেছে।", "title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ" }, { "docid": "25926#3", "text": "১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৭টি আসন জয় করে। ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূল কংগ্রেস ৮টি আসনে জয়ী হয়। ২০০০ সালে তৃণমূল কলকাতা পৌরসংস্থায় ক্ষমতায় আসে। ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ৬০টি আসনে জয়লাভ করে। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করে। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে লড়ে ৩০টি আসনে জেতে।\n২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধে লড়ে ২০টি আসনে জেতে।", "title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস" } ]
[ { "docid": "25926#11", "text": "২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে ২১১টি আসনে জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) সরকার গঠন করে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে পুনরায় শপথ পাঠ করেন।", "title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস" }, { "docid": "25926#1", "text": "২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম-শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর সঙ্গে যৌথভাবে ২২৭টি আসনে জয়লাভ করে (এককভাবে ১৮৪টি আসনে) সরকার গঠন করে। এইসময় ভারতের শাসক সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট বা ইউপিএ-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দল ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, ২০১২ সালে ইউপিএ থেকে বেরিয়ে আসে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাব211 টি আসনে জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) পুনরায় সরকার গঠন করে।", "title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস" }, { "docid": "25926#2", "text": "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দল হিসেবে 'তৃণমূল কংগ্রেস' প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় নতুন দলটি ভারতের নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত হয়। কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসকে \"জোড়া ঘাসফুল\" প্রতীক দেয়। ১৯৯৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়।", "title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস" }, { "docid": "25926#8", "text": "২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে ২২৭টি আসনে (এককভাবে ১৮৪টি আসনে) জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) সরকার গঠন করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণ করেন।", "title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস" }, { "docid": "509176#1", "text": "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটায়। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল শ্লোগান ছিল ‘পরিবর্তন’। এই পরিবর্তনের অর্থ ছিল রাজ্যের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের পরিবর্তন। তার সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের আগামী পাঁচ বছরের শাসনে প্রধানত রাজ্যের নগরাঞ্চলের অধিবাসীদের অনেকে সরকারের আনীত পরিবর্তনগুলি নিয়ে কিছু অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাছাড়া কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ভোট একত্রিত করতে চাইছেন।", "title": "পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১১" }, { "docid": "509176#3", "text": "পশ্চিমবঙ্গের এই বিধানসভা নির্বাচনটি ১৮ই এপ্রিল থেকে ১০ই মে-র মধ্যে ছয় দফায় আয়োজিত হয়।\n১৮ই মার্চ, ২০১১ তারিখে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সমগ্র প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে। ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল ও সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক নিয়ে গঠিত বামফ্রন্টও নিজস্ব প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে৷ কেন্দ্রে শাসক দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসও ৬৫ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে।পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুর নির্বাচনে জয়লাভ করেন ও অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ির মহানাগরিক হন।২০১৬ সালের ১৩ই মে ভারতের অন্য চারটি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ফল ঘোষিত হয়।", "title": "পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১১" }, { "docid": "25926#12", "text": "২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ভারতের নির্বাচন কমিশন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে একটি জাতীয় দল হিসেবে ঘোষণা করে। কারণ, উক্ত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচটি আলাদা আলাদা রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও অসম) থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।", "title": "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস" } ]
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধীর জন্ম ভারতবর্ষের কোথায় হয় ?
[ { "docid": "33592#4", "text": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালে পোরবন্দরের হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দেওয়ান (প্রধান মন্ত্রী)। মা পুতলিবা করমচাঁদের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পুতলিবা প্রনামী বৈষ্ণব গোষ্ঠীর ছিলেন। করমচাঁদের প্রথম দুই স্ত্রীর প্রত্যেকেই একটি করে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। অজানা কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল (এরকম শোনা যায় যে সন্তান জন্ম দেবার সময়ে তারা মারা যান)। ধার্মিক মায়ের সাথে এবং গুজরাটের জৈন প্রভাবিত পরিবেশে থেকে গান্ধী ছোটবেলা থেকেই জীবের প্রতি অহিংসা, নিরামিষ ভোজন, আত্মশুদ্ধির জন্য উপবাসে থাকা, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ইত্যাদি বিষয় শিখতে শুরু করেন। তিনি জন্মেছিলেন হিন্দু \"বৈশ্য\" গোত্রে যা ছিল ব্যবসায়ী গোত্র।\n১৮৮৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধী তার বাবা মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে (কাস্তুবাই নামেও পরিচিত ছিলেন) বিয়ে করেন। তাদের চার পুত্র সন্তান জন্মায় যাদের নাম হরিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৮৮) মনিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৯২) রামদাস গান্ধী (জন্ম ১৮৯৭) এবং দেবদাস গান্ধী (জন্ম ১৯০০) সালে। মহাত্মা গান্ধী তাঁর ছোটবেলায় পোরবন্দর ও রাজকোটের ছাত্রজীবনে মাঝারি মানের ছাত্র ছিলেন। কোন রকমে গুজরাটের ভবনগরের সামালদাস কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলেজেও সুখী ছিলেন না কারণ তার পরিবারের ইচ্ছা ছিল তাকে ব্যারিস্টার করা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" } ]
[ { "docid": "33592#0", "text": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ( \"মোহান্‌দাস্‌ কারাম্‌চান্দ্‌ গান্ধী\") বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#27", "text": "গান্ধী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার সারা জীবন ধরে হিন্দু ধর্মের চর্চা করেন। হিন্দু ধর্ম থেকেই তিনি তাঁর অধিকাংশ আদর্শ গ্রহণ করেন। একজন সাধারণ হিন্দু হিসেবে তিনি সকল ধর্মকে সমানভাবে বিবেচনা করতেন এবং তাঁকে এই ধারণা থেকে বিচ্যুত করার সব প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন। তিনি ব্রহ্মবাদে আগ্রহী ছিলেন এবং সব বড় ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। হিন্দুবাদ সম্পর্কে তিনি নিচের উক্তিটি করেন:\nগান্ধী গুজরাটি ভাষায় \"ভগবত গীতা\"র উপর ধারাভাষ্য লেখেন। গুজরাটি পাণ্ডুলিপিটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন মহাদেব দাসী। তিনি একটি অতিরিক্ত সূচনা এবং ধারাভাষ্য যোগ করেন। এটি গান্ধীর একটি ভূমিকাসহ প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে।\nগান্ধী বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি ধর্মের মূলে আছে সত্য ও প্রেম (করুণা, অহিংসা এবং সোনালী শাসন)। তিনি একজন ক্লান্তিহীন সমাজ সংস্কারক ছিলেন এবং সব ধর্মের ভণ্ডামী, অপকর্ম ও অন্ধবিশ্বাসের বিপক্ষে ছিলেন। ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন:\nপরবর্তী জীবনে তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তিনি হিন্দু কি না তিনি বলেন,\nরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গান্ধীর ভিতরে পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা স্বত্ত্বেও তাঁরা একাধিকবার নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই বিতর্কগুলি সে সময়কার জনপ্রিয়তম দুই ভারতীয়ের ভিতরে দার্শনিক মতভেদকে প্রমাণ করে। ১৫ জানুয়ারি, ১৯৩৪ সালে বিহারে একটি ভূমিকম্প আঘাত করে এবং এটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কারণ হয়। গান্ধী বলেন, এটি হবার কারণ হল উঁচুশ্রেণীর হিন্দুদের অস্পৃশ্যদের তাদের প্রাসাদে ঢুকতে না দেবার পাপের ফল। রবীন্দ্রনাথ গান্ধীর এই মন্তব্যের ব্যাপক বিরোধিতা করে বলেন, ভূমিকম্প কেবল প্রাকৃতিক কারণেই সংঘটিত হতে পারে, অস্পৃশ্যতার চর্চা যতই বেমানান হোক না কেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "62670#0", "text": "সত্যাগ্রহ (সংস্কৃত: सत्याग्रह) মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (যিনি \"মহাত্মা\" গান্ধী নামেও পরিচিত) প্রতিষ্ঠিত একটি দর্শন এবং অহিংস প্রতিরোধের অনুশীলন। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী সত্যাগ্রহের চর্চা করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। তাঁর এই তত্ত্ব নেলসন ম্যান্ডেলার আপার্টহাইট এবং গণঅধিকার আন্দোলনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্টিন লুথার কিং ও জেমস বেভেলের কর্মসূচি সহ সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য আন্দোলনে প্রভাব ফেলে। যারা সত্যাগ্রহের চর্চা করেন তাঁদের সত্যাগ্রহী বলা হয়।", "title": "সত্যাগ্রহ" }, { "docid": "33592#34", "text": "গান্ধীর জন্মদিন অক্টোবর ২ ভারতের জাতীয় ছুটি, গান্ধী জয়ন্তী হিসাবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গান্ধীর জন্মদিনকে বিশ্ব অহিংস দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী বহুত্ববাদী ভারতীয় সমাজে সৌভ্রাতৃত্বপূর্ন সহাবস্থান আদর্শের বিশিষ্ট প্রবক্তা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#1", "text": "গান্ধী ভারতে এবং বিশ্ব জুড়ে \"মহাত্মা\" (\"মহান আত্মা\") এবং \"বাপু\" (\"বাবা\") নামে পরিচিত। ভারত সরকারীভাবে তাঁর সম্মানার্থে তাকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা করেছে । ২রা অক্টোবর তাঁর জন্মদিন ভারতে গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ই জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২রা অক্টোবর-কে \"আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস\" হিসেবে ঘোষণা করা। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ এ দিবস পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করে।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#6", "text": "গান্ধীজি দাদা আব্দুল্লা এন্ড সন্সের আইনজীবী হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। দক্ষিণ আফ্রিকা গান্ধীর জীবনকে নাটকীয়ভাবে পরবর্তন করে দেয়। এখানে তিনি ভারতীয় ও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সাধারণভাবে প্রচলিত বৈষম্যের শিকার হন। একদিন ডারবানের আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট তার পাগড়ি সরিয়ে ফেলতে বলেন। গান্ধী তা অগ্রাহ্য করেন এবং আদালত কক্ষ থেকে ক্ষোভে বেরিয়ে পড়েন। তাকে পিটার ম্যারিজবার্গের একটি ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামড়া থেকে তৃতীয় শ্রেণীর কামড়ায় যেতে বাধ্য করা হয়, প্রথম শ্রেণীর বৈধ টিকিট থাকা স্বত্ত্বেও। স্টেজকোচে ভ্রমণের সময় একজন চালক তাকে প্রহার করে কারণ তিনি এক ইউরোপীয় যাত্রীকে জায়গা করে দেয়ার জন্য ফুট বোর্ডে চড়তে রাজি হননি। যাত্রাপথে তাকে আরও কষ্ট করতে হয় এবং অনেক হোটেল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এই ঘটনাগুলোকে তার পরবর্তী সামাজিক কার্যকলাপের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ, কুসংস্কার এবং অবিচার লক্ষ করে গান্ধী তার জনগণের মর্যাদা এবং অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#30", "text": "গান্ধী ছিলেন বহুমূখী লেখক, সম্পাদক। দশক ধরে তিনি সম্পাদনা করেছেন গুজরাটী, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা হরিজন। কেবল ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীন ইন্ডিয়ান অপিনিয়ন ও দেশে ফেরার পর ইয়ং ইন্ডিয়া। তাছাড়া তার হাতেই সম্পাদিত হতো গুজরাটী ভাষার মাসিকপত্র নবজীবন যা পরে হিন্দি ভাষায়ও প্রকাশিত হতো। গান্ধী পত্র-পত্রিকায় প্রচুর চিঠি লিখতেন। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন পত্রিকায় তার চিঠি প্রকাশিত হতো।\nগান্ধীর বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তার আত্মজীবনী, সত্যের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার গল্প (The Story of My Experiments with Truth), দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রাম নিয়ে “দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যাগ্রহ (Satyagraha in South Africa), স্বাধীকার বিষয়ে মেনিফেস্টো “হিন্দি স্বরাজ” (Hind Swaraj or Indian Home Rule) ও গুজরাটী ভাষায় জন রাসকিন-এর Unto This Last । শেষোক্তটি গান্ধীর অর্থনৈতিক কর্মসূচী হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া নিরামিষভোজন, আহার ও স্বাস্থ্য, ধর্ম, সমাজ সংসখবর ইত্যাদি বিষয়েও তিনি প্রচুর লেখালেখি করেছেন। গান্ধী মূলত লিখতেন গুজরাটী ভাষায়। তবে, তাঁর বই-এর হিন্দি ও ইংরেজি অনুবাদ তিনি দেথে দিতেন। \n১৯৬০ এর-এর দশকে ভারত সরকার গান্ধীর রচনাবলী (The Collected Works of Mahatma Gandhi) প্রকাশ করে। প্রায় শতাধিক খন্ডে প্রকাশিত এই রচনাবলীতে প্রায় ৫০,০০০ পাতা আছে। ২০০০ সালে এর একটি পুনমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হলে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। গান্ধীর অনুসারীরা অভিযোগ করে যে, রাজনেতিক উদ্দ্যেশে সেখানে পরিবর্তন করা হয়েছে।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#35", "text": "দক্ষিণ আফ্রিকায় লেখা গান্ধীর কিছু নিবন্ধ বিতর্কিত। পূণর্মুদ্রিত “দি কালেকটেড ওয়ার্কস অফ মহাত্মা গান্ধী” (ভলিউম ৮, পৃষ্ঠা.১২০) এ গান্ধী “ইণ্ডিয়ান ওপিনিয়ন” প্রবন্ধে ১৯০৮ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার সময় সম্পর্কে বলেন, অনেক স্থানীয় কয়েদী পশুত্ব থেকে কেবল একধাপ উপরে এবং প্রায়ই নিজেদের ভিতরে বিবাদ ও হানাহানি করত”। একই সংকলনের (ভলিউম ২, পৃষ্ঠা.৭৪)তে, গান্ধীর ২৬ সেপ্টেম্বর১৮৯৬ সালে দেয়া একটি ভাষণের উল্লেখ করা হয় যেখানে তিনি কাফির বলেন, যাদের পেশা শিকার করা এবং একমাত্র লক্ষ্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক গবাদি পশু জমিয়ে বউ ক্রয় করা। কাফির শব্দটিকে বর্তমানে আক্রমণাত্মক শব্দ হিসেবে বলা হয়। এমন সব উক্তির জন্য গান্ধীর বিরুদ্ধে বর্ণবাদের কিছু অভিযোগ উঠেছে।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#21", "text": "গান্ধীর ইচ্ছানুযায়ী, তার দেহভস্ম বিম্বের বেশ কয়েকটি প্রধান নদী যেমন: নীলনদ, ভোলগা, টেমস প্রভৃতিতে ডুবানো হয়। সামান্য অংশ ডঃ ভি এম নোলের (পুণের একজন সাংবাদিক ও প্রকাশক) পক্ষ থেকে পরমহংস যোগানন্দকে পৌছে দেয়া হয়। এরপর তার দেহভস্ম সেলফ রিয়ালাইজেশন ফেলোশিপ লেক স্রাইনের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ব শান্তি সৌধে একটি হাজার বছরের পুরনো চৈনিক পাথরের পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" } ]
রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম কবে হয় ?
[ { "docid": "414711#0", "text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট ভারতীয় হিন্দু ধর্মগুরু। তিনি নিজের জীবন সম্পর্কে কিছু লিখে যাননি। তাঁর শিষ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের রচনা থেকে তাঁর জীবন ও শিক্ষার কথা জানা যায়। রামকৃষ্ণের নথিবদ্ধ শিক্ষা মূলত তাঁর জীবনের শেষ চার বছরের উক্তি থেকে জানা যায়।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা" }, { "docid": "4051#3", "text": "পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায় অবস্থিত কামারপুকুর গ্রামে ১৮৩৬ সালে এক দরিদ্র ধর্মনিষ্ঠ রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম হয়। তিনি পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মা চন্দ্রমণি দেবীর চতুর্থ ও শেষ সন্তান। কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মের পূর্বে তাঁর পিতামাতার সম্মুখে বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। সন্তানসম্ভবা চন্দ্রমণি দেবী দেখেছিলেন শিবলিঙ্গ থেকে নির্গত একটি জ্যোতি তাঁর গর্ভে প্রবেশ করছে। তাঁর জন্মের অব্যবহিত পূর্বে গয়ায় তীর্থভ্রমণে গিয়ে ক্ষুদিরাম গদাধর বিষ্ণুকে স্বপ্নে দর্শন করেন। সেই কারণে তিনি নবজাতকের নাম রাখেন গদাধর।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস" }, { "docid": "4051#0", "text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৩৬ – ১৬ই আগস্ট, ১৮৮৬; পূর্বাশ্রমের নাম গদাধর চট্টোপাধ্যায়) ঊনবিংশ শতকের এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তাঁর প্রচারিত ধর্মীয় চিন্তাধারায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁরা উভয়েই বঙ্গীয় নবজাগরণের এবং ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর হিন্দু নবজাগরণের অন্যতম পুরোধাব্যক্তিত্ব। তাঁর শিষ্যসমাজে, এমনকি তাঁর আধুনিক ভক্তসমাজেও তিনি ঈশ্বরের অবতাররূপে পূজিত হন।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস" }, { "docid": "502421#0", "text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬-১৮৮৬) ছিলেন ১৯শ শতাব্দীর এক বিশিষ্ট বাঙালি হিন্দু ধর্মগুরু ও জনপ্রিয় লোকশিক্ষক। তিনি সরল গ্রাম্য বাংলা ভাষায় উপমা ও নীতিগর্ভ কাহিনির মাধ্যমে ধর্মোপদেশ দান করতেন। তাঁর প্রধান শিক্ষা ছিল ঈশ্বরলাভই মানবজীবনের পরম উদ্দেশ্য, ‘কাম-কাঞ্চন’ ত্যাগ, সর্বধর্ম-সমন্বয় ও ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’। রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিক্ষার মূল উপজীব্যই ছিল একেশ্বরবাদ এবং সকল ধর্মমতের সত্যতা উপলব্ধি ও সমন্বয়।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিক্ষা" }, { "docid": "249790#6", "text": "তাঁরা ছিলেন সমসাময়িক, কিন্তু দেশের দুই রাজ্যে। একজন বাংলায়, অন্য জন সুদূর মহারাষ্ট্রে। \nবাংলার রামকৃষ্ণ পরমহংস জন্মেছিলেন ১৮৩৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। অন্য দিকে, সাঁই বাবার জন্মতারিখ নিয়ে দোলাচল থাকলেও, অনেকের মতে তিনি জন্মেছিলেন ১৮৩৫ সালের সেপ্টেম্বরে।\nঠাকুর রামকৃষ্ণ নিজে কালী ভক্ত হলেও, তাঁর কাছে সব ধর্মই ছিল সমান। একই ভাবে, সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন সাঁই বাবাও। \nতাঁদের দর্শনেই যে শুধু মিল ছিল, তা নয়। অবাক হতে হয় এক তথ্য জানলে যে, ঠাকুর ও সাঁই বাবার মৃত্যুতেও ছিল এক অদ্ভূত যোগসূত্র। কোথাও লিপিবদ্ধ না থাকলেও, কথিত যে, ১৮৮৬ সালের অগস্ট মাস নাগাদ সাঁই বাবা সমাধিস্থ হন তিন দিনের জন্য। \nজানা যায়, ওই একই সময়ে, বাংলায় তখন মৃত্যুশয্যায় ছিলেন ঠাকুর। এবং তিন দিন পরে সাঁই বাবা নিজের দেহে ফিরে এলে, ঠাকুর চলে যান নশ্বর দেহ ছেড়ে।\nকথিত, সাঁই বাবা ফিরে এসে বলেন যে, তিনি তো চিরদিনের জন্যই ‘আল্লা’র কাছে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে, তাঁর বন্ধু শ্রীরামকৃষ্ণও যেতে চান ভগবানের কাছে। তাই তিনি ফিরে আসেন ধরাধামে।\nপ্রসঙ্গত, এমনও শোনা যায় যে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ নাকি সাঁই বাবা সম্পর্কে বলতেন যে, এমনই এক ফকির এসেছেন পৃথিবীতে, যাঁকে হিন্দুরা পুজো করে ঈশ্বর হিসেবে আর মুসলমানরা করে পীর হিসেবে।", "title": "শিরডি সাই বাবা" } ]
[ { "docid": "536241#1", "text": "রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমগ্র জীবনকাহিনীটিই \"শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্‌\" ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ছবির শুরুতে দেখানো হয়েছে তদনীন্তন ব্রিটিশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির হুগলি জেলার অন্তঃপাতী কামারপুকুর গ্রামে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের (রামকৃষ্ণ পরমহংসের পূর্বাশ্রমের নাম) জন্ম। এরপর আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ও ভাবতন্ময়তা, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করে রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ প্রভৃতি অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা দেখে ধর্মশিক্ষা, যৌবনে কলকাতায় এসে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরহিত্য গ্রহণ এবং কিছুকাল পরেই পৌরোহিত্য ছেড়ে সাধনায় মনোনিবেশ ও সিদ্ধিলাভের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।", "title": "শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্‌" }, { "docid": "4051#44", "text": "\"ও রামকৃষ্ণ মিশন\"\nরামকৃষ্ণ পরমহংসের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন হল স্বামী বিবেকানন্দের স্থাপন করা প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলির একটি। এটি স্থাপিত হয়েছে ১৮৯৭ সালে। স্বাস্থ্যরক্ষা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ত্রাণকার্য, গ্রাম ব্যবস্থাপনা, আদিবাসী কল্যাণ, প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে রামকৃষ্ণ মিশন একাধিক শাখাকেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যকলাপ ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণ আন্দোলনের একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ হিসেবে গণ্য হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসের নামাঙ্কিত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯২৩ সালে স্বামী অভেদানন্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ (বেদান্ত সোসাইটি)। ১৯২৯ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের কয়েক জন বিক্ষুব্ধ সদস্য স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ সারদা মঠ। ১৯৭৬ সালে স্বামী নিত্যানন্দ স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। ১৯৫৯ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভগিনী সংগঠন হিসেবে স্থাপিত হয় শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশন। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় ও বঙ্গীয় নবজাগরণে রামকৃষ্ণ পরমহংসকে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মনে করা হয়। ম্যাক্স মুলার, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, শ্রীঅরবিন্দ ও লিও টলস্টয় মানবসমাজে রামকৃষ্ণ পরমহংসের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। ফ্রাঞ্জ ডোরাক (১৮৬২–১৯২৭) ও ফিলিপ গ্লাসের শিল্পকর্মে রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রভাব দেখা যায়।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস" }, { "docid": "4051#1", "text": "রামকৃষ্ণ পরমহংস গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গের এক দরিদ্র বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরোহিত্য গ্রহণের পর বঙ্গীয় তথা ভারতীয় শক্তিবাদের প্রভাবে তিনি কালীর আরাধনা শুরু করেন। তাঁর প্রথম গুরু তন্ত্র ও বৈষ্ণবীয় ভক্তিতত্ত্বজ্ঞা এক সাধিকা। পরবর্তীকালে অদ্বৈত বেদান্ত মতে সাধনা করে নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেন রামকৃষ্ণ। অন্যান্য ধর্মীয় মতে, বিশেষত ইসলাম ও খ্রিস্টীয় মতে সাধনা তাঁকে “যত মত, তত পথ” উপলব্ধির জগতে উন্নীত করে। পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক গ্রামীণ উপভাষায় ছোটো ছোটো গল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত তাঁর ধর্মীয় শিক্ষা সাধারণ জনমানসে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে অশিক্ষিত হলেও রামকৃষ্ণ বাঙালি বিদ্বজ্জন সমাজ ও শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের সম্ভ্রম অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে পাশ্চাত্যশিক্ষায় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের নিকট তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দু পুনর্জাগরণের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তৎসঙ্গে সংগঠিত করেন একদল অনুগামী, যাঁরা ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণের প্রয়াণের পর সন্ন্যাস গ্রহণ করে তাঁর কাজ চালিয়ে যান। এঁদেরই নেতা ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস" }, { "docid": "138302#10", "text": "ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রামকৃষ্ণ পরমহংসকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতার শ্যামপুকুরের ৫৫ নং শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে এনে রাখা হয়। এই বাড়িটি শ্যামপুকুর বাটী নামে পরিচিত। পরে তাঁকে এই বাড়ি থেকে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর প্রয়াণ ঘটেছিল। বর্তমানে রামকৃষ্ণ মিশন এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করেছেন। এই বাড়িতে তাঁর ব্যবহৃত কিছু জিনিস ও কয়েকটি চিত্র রাখা আছে। অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে রয়েছে সেই ক্যামেরার কয়েকটি অংশ, যেটি দিয়ে প্রথম রামকৃষ্ণ পরমহংসের ছবি তোলা হয়েছিল।", "title": "শ্যামপুকুর" }, { "docid": "414711#1", "text": "ব্রাহ্ম ধর্মগুরু কেশবচন্দ্র সেনের \"পরমহংসদেবের উক্তি\" (১৮৭৮) রামকৃষ্ণ-বিষয়ক সর্বপ্রথম বই বলে জানা যায়। কেশবচন্দ্র তাঁর ধর্মীয় সম্প্রদায় নববিধান ব্রাহ্মসমাজের পত্রিকায় রামকৃষ্ণের শিক্ষা প্রকাশ করতেন। এর ফলে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজ ও ভারতে বসবাসকারী ইউরোপীয়দের কাছে রামকৃষ্ণের নাম পরিচিত হয়ে ওঠে। এরপর প্রকাশিত হয় সুরেশচন্দ্র দত্তের \"পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের উক্তি\" (১৮৮৪)।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস-বিষয়ক গ্রন্থতালিকা" } ]
ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণ কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
[ { "docid": "486957#0", "text": "আর. কে. নারায়ণ (১০ অক্টোবর, ১৯০৬ – ১৩ মে, ২০০১) ছিলেন একজন ভারতীয় লেখক। কাল্পনিক দক্ষিণ ভারতীয় শহর মালগুডির পটভূমিকায় লেখা তাঁর রচনাগুলির জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। তাঁর পুরো নামটি হল রাসীপুরম কৃষ্ণস্বামী আইয়ার নারায়ণস্বামী। ইংরেজি ভাষায় ভারতীয় সাহিত্যের প্রথম যুগের তিন জন পুরোধা ব্যক্তিত্বের অন্যতম ছিলেন নারায়ণ (অন্য দুজন ছিলেন মুল্‌ক রাজ আনন্দ ও রাজা রাও)। তাঁরাই এই সাহিত্যকে বিশ্বে সুপরিচিত করে তুলেছিলেন।", "title": "আর. কে. নারায়ণ" } ]
[ { "docid": "9426#0", "text": "নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮ - ৬ নভেম্বর, ১৯৭০) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক । জন্ম অবিভক্ত বাংলার (অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত) অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে। তিন খণ্ডে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস \"উপনিবেশ\" (১৯৪২, ১৯৪৫, ১৯৪৬) পাঠকসমাজে সমাদৃত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প সংকলন \"বীতংস\" (১৯৪৫), \"দুঃশাসন\" (১৯৪৫), \"ভোগবতী\" (১৯৪৭) এবং উল্লেখযোগ্য উপন্যাস \"বৈজ্ঞানিক\" (১৯৪৭), \"শিলালিপি\" (১৯৪৯), \"লালমাটি\" (১৯৫১), \"সম্রাট ও শ্রেষ্ঠী\" (১৯৫৫), \"পদসঞ্চার\" (১৯৫৪)। \"সাহিত্যে ছোটগল্প\" তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ। ছোটদের জন্য তাঁর সৃষ্ট কাল্পনিক চরিত্র টেনিদা খুবই জনপ্রিয় । তাঁর লেখা কিছু উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হল - ইতিহাস, নক্রচরিত, হাড়, বীতংস, রেকর্ড, টোপ, আদাব, প্রভৃতি।", "title": "নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়" }, { "docid": "486957#3", "text": "নারায়ণের লেখক জীবন ষাট বছরেরও বেশি সময় জুড়ে পরিব্যাপ্ত। তিনি একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এগুলির মধ্যে রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচারের এসি বেনসন মেডেল, ভারতের তৃতীয় ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা যথাক্রমে পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ উল্লেখযোগ্য। তিনি ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হয়েছিলেন।\nআর. কে. নারায়ণ ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ (অধুনা চেন্নাই) শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সেই বিদ্যালয়ে নারায়ণও কিছুদিন পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর বাবার বদলির চাকরির সূত্রে নারায়ণ তাঁর ছেলেবেলায় একটি অংশ তাঁর দিদিমা পার্বতীর যত্নে কাটিয়েছিলেন। এই সময় তাঁর বন্ধু ও খেলার সঙ্গী ছিল একটি ময়ূর ও একটি দোষ্টু বাঁদর।", "title": "আর. কে. নারায়ণ" }, { "docid": "500423#0", "text": "প্রাভজোৎ কউর একজন বিখ্যাত পাঞ্জাবি লেখক এবং কবি। তিনি ৬ জুলাই ১৯২৪ সালে তৎকালিন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া শাসিত গুজরাটে জন্মগ্রহন করেন।তিনি তার কবিতার সংগ্রহ পাব্বি এর  জন্য ১৯৬৪ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে পদ্মশ্রী এওয়ার্ড লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে অর্জন করে লা রোজ ডে ফ্রান্স। আমেরিকা এর কবিতা সোসাইটির তাঁকে ডিস্টিংগুইশড অর্ডার অব পোয়েট্রি এ ভুষিত করেছে।", "title": "প্রভজ্যোৎ কউর" }, { "docid": "246836#1", "text": "উপেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও সুশীলা সুন্দরী চৌধুরানীর ৮ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় নীরদ চৌধুরী তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশের) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ এবং কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন। এফএ পরীক্ষা পাশ করে তিনি কলকাতার রিপন কলেজে (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) অন্যতম বাঙালি লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একত্রে ভর্তি হন। এরপর নীরদ কলকাতার অন্যতম খ্যাতিমান স্কটিশ চার্চ কলেজে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্কটিস চার্চ কলেজের ছাত্র হিসেবে তিনি ইতিহাসে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মেধা তালিকায় নিজের স্থান করে নেন। স্কটিশ চার্চ কলেজের সেমিনারে ভারতবর্ষের অতিপরিচিত ব্যক্তিত্ব ও ইতিহাসবেত্তা প্রফেসর কালিদাস নাগের সাথে অংশগ্রহণ করেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি হলেও ১৯২০-এর অনুষ্ঠিত এম. এ. পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন নি। এখানেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি। ইতোমধ্যে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে \"Objective Methods in History\" শিরোনামে একটি তাত্ত্বিক প্রবন্ধ রচনা করেন|", "title": "নীরদচন্দ্র চৌধুরী" }, { "docid": "486957#4", "text": "নারায়ণের দিদিমা তাঁর ডাকণাম রেখেছিলেন ‘কুঞ্জাপ্পা’। তাঁর পরিবারের সকলে তাঁকে এই নামেই ডাকতেন। দিদিমার কাছে তিনি পাটিগণিত, পুরাণ, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করেছিলেন। নারায়ণের ছোটো ভাই আর. কে. লক্ষ্মণ বলেছিলেন যে, তাঁর পরিবারের সকলে প্রধানত ইংরেজিতেই কথাবার্তা চালাতেন। নারায়ণ ও তাঁর ভাইবোনেদের ব্যাকরণগত ভুলগুলি সম্পর্কে তাঁরা উন্নাসিক ছিলেন। দিদিমার কাছে থাকার সময় নারায়ণ একাধিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে পুরসওয়ালকমের লুথারান মিশন স্কুল, সি. আর. সি. হাইস্কুল ও ক্রিস্টিয়ান কলেজ হাইস্কুল। নারায়ণ ছিলেন একজন উৎসাহী পাঠক। প্রথম জীবনে তিনি চার্লস ডিকেন্স পি. জি. উডহাউস, আর্থার কোনান ডয়েল ও টমাস হার্ডির রচনা থেকে অণুপ্রেরণা লাভ করেছিলেন। বারো বছর বয়সে নারায়ণ স্বাধীনতার দাবিতে একটি পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। এই জন্য তাঁর মামা তাঁকে বকেন। কারণ, তাঁর পরিবার ছিল অরাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী এবং তাঁরা সব সরকারকেই দোষ্ট মনে করতেন।", "title": "আর. কে. নারায়ণ" }, { "docid": "487074#0", "text": "দ্য মহাভারত (ইংরেজি: The Mahabharata) হল ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণের লেখা একটি পুরাণভিত্তিক গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি \"মহাভারত\" নামক হিন্দু মহাকাব্যের সংক্ষেপিত গদ্যানুবাদ। ১৯৭৮ সালে লন্ডনের হেইনিম্যান থেকে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। আর. কে. নারায়ণ হিন্দু পুরাণের উপাখ্যানগুলি পুনর্কথনের যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেই উদ্যোগের তৃতীয় গ্রন্থ এটি। উল্লেখ্য, প্রথম দুটি গ্রন্থ ছিল \"গডস্‌, ডেমনস্‌ অ্যান্ড আদার্স\" ও \"দ্য রামায়ণ\"। ১৯৯৫ সালে এই তিনটি গ্রন্থকে একত্রে \"দি ইন্ডিয়ান এপিকস রিটোল্ড\" শিরোনামে প্রকাশিত হয়।", "title": "দ্য মহাভারত (আর. কে. নারায়ণ)" }, { "docid": "591646#1", "text": "অধুনা বাংলাদেশ এর বগুড়া জেলায় এক সম্পন্ন পরিবারে জন্মগ্রহন করেন নারায়ণ সান্যাল। তার পিতা ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জেলা সমিতির প্রধান নেতা। সরোজিনী নায়ডু, বিধানচন্দ্র রায় প্রমুখেরা তাদের বাড়িতে আসতেন। ফলত রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৯৪০ সালে দেশভাগের আগেই তার পরিবার ভারতে চলে আসে। শিক্ষা সম্পন্ন করার পর ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার চাকরিতে যোগ দেন নারায়ন সান্যাল।", "title": "নারায়ণ সান্যাল (মাওবাদী)" }, { "docid": "488799#0", "text": "গডস্‌, ডেমনস্‌ অ্যান্ড আদার্স (ইংরেজি: Gods, Demons and Others) হল ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণের লেখা একটি ছোটোগল্পের সংকলন। এই বইটির গল্পগুলি ভারতের ইতিহাস, হিন্দু পুরাণ এবং \"রামায়ণ\" ও \"মহাভারত\" নামক দুই মহাকাব্য থেকে গৃহীত হয়েছে। এই বইতে নারায়ণ প্রাচীন কিংবদন্তিগুলির গুরুত্ব ও প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গিটি তুলে ধরেন।", "title": "গডস্‌, ডেমন্স অ্যান্ড আদার্স" }, { "docid": "9273#0", "text": "প্রফুল্ল রায় একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি অবিভক্ত ভারতের পূর্ব বাংলার (অধুনা বাংলাদেশ) ঢাকা জেলায়, বিক্রমপুরের আটপাড়া গ্রামে ১১ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন, স্বাধীনতার পর ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে চলে আসেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস 'পূর্ব পার্বতী' (১৯৫৭)। উপন্যাস রচনার জন্য তিনি সারা জীবন অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। 'সিন্ধুপারের পাখি'র জন্য ১৯৫৮ তে পেয়েছেন পুরস্কার, 'ক্রান্তিকাল' এর জন্য ২০০৩ এ অকাদেমি পুরস্কার।", "title": "প্রফুল্ল রায়" } ]
অর্থনীতির জনক কাকে বলা হয় ?
[ { "docid": "1218#2", "text": "উৎপাদন ও বণ্টন আলোচনার দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও অর্থনীতির জনক হিসেবে কথিত অ্যাডাম স্মিথ কর্তৃক ১৭৭৬ খ্রীস্টাব্দে রচিত গ্রন্থ 'An Enquary into the Nature and Causes of the Wealth of Nations' নামীয় গ্রন্থে অর্থনীতিকে ‌‌‌সম্পদের বিজ্ঞান‌ আখ্যায়িত করে বলেন,'Economics is Science of wealth'। তাঁর সংজ্ঞার মূল বিষয়বস্তু হল সম্পদ উৎপাদন ও ভোগ।", "title": "অর্থনীতি" }, { "docid": "1405#0", "text": "অ্যাডাম স্মিথ () (১৭২৩-১৭৯০) আধুনিক অর্থশাস্ত্রের জনক হিসেবে পরিচিত৷ তিনি ১৭৭৬ সালে \"An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations\" নামক গ্রন্থ লিখে অর্থনীতির মূল বিষয়গুলি সম্পর্কে ধারণা দেন৷", "title": "অ্যাডাম স্মিথ" } ]
[ { "docid": "332145#0", "text": "জনকল্যাণ অর্থনীতি হল অর্থনীতির এমন একটি শাখা যা ব্যষ্টিক অর্থনীতির পদ্ধতিসমূহ ব্যবহার করে একটি অর্থনীতির উৎপাদনের ফ্যাক্টরগুলো সঠিকভাবে সমাজের মানুষের উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে কি না তা নিরূপণ করে। এটি সাধারণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাম্যাবস্থা বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়। জনকল্যাণ অর্থনীতিতে একটি সমাজের কতটুকু উন্নয়ন হল তা মাপতে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপগুলো আর্থিক এককে পরিমাপ করা হয় কারণ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান হল সমাজেরই একটি অংশ এবং তাদের সমস্টিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পুরো সমাজের কার্যকলাপকেই প্রতিফলিত করে। তাই সামাজিক উন্নয়ন বলতে সমাজের সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেই গণ্য করা হয় অপদিকে যদি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বিবেচনায় আনা হয় তবে তাকে সামাজিক উন্নয়ন না বলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক উন্নয়ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।", "title": "জনকল্যাণ অর্থনীতি" }, { "docid": "393847#0", "text": "জনক হল মিথিলার রাজাদের কৌলিক উপাধি । মিথিলার রাজা জনকের প্রকৃত নাম সীরধ্বজ । এঁর ভ্রাতার নাম কুশধ্বজ । এঁরা রাজা হ্রস্বরোমার পুত্র । \nজনক একদিন যজ্ঞভূমি কর্ষণ কালে লাঙলের রেখায় এক সুন্দরী শিশু কন্যা পান । লাঙলের রেখার অন্য নাম সীতা তাই তিনি সেই কন্যার নাম সীতা রাখেন । সীতা বিবাহযোগ্যা হলে জনক স্থির করেন তাঁর কন্যা বীর্যশুল্কা হবে । সাংকাস্যার রাজা সুধন্বা সীতাকে প্রার্থনা করেন কিন্তু জনক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে মিথিলা অবরোধ করেন । জনক তাঁকে যুদ্ধে পরাস্ত করে আপন ভ্রাতা কুশধ্বজকে সেই রাজ্য দেন । জনকের পণ ছিল যে ব্যক্তি হরধনুতে জ্যা রোপণ করে তা ভঙ্গ করতে পারবে তাকেই কন্যাদান করবেন । রাম এই শর্ত পূরণ করে সীতাকে পত্নী হিসেবে লাভ করেন । জনকের অপর কন্যা ঊর্মিলার সাথে লক্ষ্মণের ও কুশধ্বজের দুই কন্যা মাণ্ডবী ও শ্রুতকীর্তির সাথে যথাক্রমে ভরত ও শত্রুঘ্নের বিবাহ হয় ।", "title": "জনক (রামায়ণের চরিত্র)" }, { "docid": "651113#19", "text": "\"জ্ঞাতব্য বিষয় \": জনগণনার নথিতে কোনো ব্যক্তিকে কৃষক বলা হয়, যদি সেই ব্যক্তি নিজের/সরকারের/প্রতিষ্ঠানের জমিতে চাষ/তদারকি করে। যখন কোনো ব্যক্তি অন্যের জমিতে নগদ অথবা একই রকম অথবা অংশভাগের বিনিময়ে কাজ করে তাকে কৃষি শ্রমিক বলে। কোনো শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয় যদি এক বা পরিবারের একাধিক ব্যক্তি গ্রামের মধ্যে কাজ করে এবং সেটা শিল্প আইন মোতাবেক নথিভুক্ত শিল্প না-হয়। অন্যান্য শ্রমিক বলতে বোঝায় যারা কৃষক, কৃষি শ্রমিক এবং কুটির শিল্প ছাড়া অন্যান্য অর্থনৈতিক কাজকর্মে যুক্ত। এই সব কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত: খনির কাজ, গাছ লাগানো, পরিবহন এবং বিভিন্ন কার্যালয়ে কাজ, যারা ব্যবসা ও বাণিজ্যে যুক্ত, শিক্ষক, মনোরঞ্জনের শিল্পী এবং এই ধরনের নানা কাজ।", "title": "মহম্মদ বাজার (সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক)" }, { "docid": "1218#40", "text": "১৮ শতকের একদল চিন্তাবিদ ও লেখক আয় এবং উৎপাদনের চক্রাকার প্রবাহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক চিন্তাধারার উন্নয়ন ঘটান। অ্যাডাম স্মীথ তাদের প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে ভুল বলে ব্যাখ্যা করেন যদিও সেগুলো এখনও অর্থনীতিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের মতে, একমাত্র কৃষি উৎপাদনই খরচের বেশি মুনাফা বয়ে আনতে পারে; সুতরাং কৃষির ওপরই সম্পদের বিষয়টি নির্ভরশীল। তাই, তারা উৎপাদন বৃদ্ধি ও শুল্ক আরোপ মতবাদে বিশ্বাসী বাণিজ্যবাদীদের বিরোধিতা করেন। তারা কর সংগ্রহের প্রশাসনিক ব্যয়বহূল ব্যবস্থা থেকে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পরামর্শ দেন। সমসাময়িক অর্থনীতিবিদগণ ভূমি কর-এর প্রকারভেদকে রাজস্ব করের গঠনমূলক উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন। বাণিজ্যবাদীদের বাণিজ্য নীতির প্রতিক্রিয়ায় লেইসেজ-ফেয়ার নীতি সমর্থন করেন, যাকে অর্থনীতিতে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ বলে গণ্য করা হয়।", "title": "অর্থনীতি" }, { "docid": "1218#38", "text": "প্রাচীন অর্থনীতিতে চিন্তাধারা মেসোপটেমিয়া, গ্রিক, রোমাক, ভারতীয়, চৈনিক, পারস্য এবং আরব সভ্যতার সমসাময়িক। অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনার প্রাচিন লেখকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন অ্যারিস্টটল, চানক্য, কিন সি হুয়াং, টমাস একুইনাস, ইবনে খালদুন প্রমুখ। জোসেফ সুম্পেটার ১৪শ শতক থেকে ১৭শ শতকের মধ্যে সময়কালকালের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের বিবেচনা করেছেন \"আগত অন্যান্য পক্ষের চাইতে বেশী নিকস্থ বৈজ্ঞানিক অর্থনীতির প্রতিষ্ঠাতা\" হিসেবে যেমন প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে আর্থিক, সুদের হার এবং মূল্যতত্ত্ব উদ্ভাবন। ইবনে খালদুনের আল মুকাদ্দিমাহ আবিষ্কারের পরে সুম্পেটার ইবনে খালদুনকে আধুনিক অর্থনীতির সবচাইতে নিকটস্থ বিশেষজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে তাঁর অনেকগুলো অর্থনৈতিক তত্ত্ব অদ্যাবধি ইউরোপে অপরিচিত।", "title": "অর্থনীতি" }, { "docid": "1218#65", "text": "জন স্টুয়ার্ট মিল বা লিওন ওয়ালার্স এর মত কিছু অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করেন যে, সম্পদ উৎপাদনকে ইহার বণ্টনের সহিৎ আবদ্ধ করা যায়না। “ফলিত অর্থনীতি” এর প্রাথমিক ক্ষেত্রে যা পরবর্তীতে “সামাজিক অর্থনীতি” নামে পরিচিত হয়েছে এবং এতে ক্ষমতা ও রাজনীতি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে আলোচনা করা হয়েছে। অর্থনীতি একটি সামাজিক বিজ্ঞান হিসেবে কোন সরকার বা অন্য সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। কখনও কখনও উচ্চপদস্থ নীতি নির্ধারক বা ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে যারা অর্থনৈতিক তত্ত্বের ধারণা অধিক ব্যবহারকারী এবং নীতিগত এজেন্ডা ও মূল্য প্রক্রিয়ার বাহক হিসেবে পরিচিত এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কিত বিষয় উল্লেখকে সীমিত করেনা। অর্থনৈতিক তত্ত্বের সহিৎ নিবিড় সম্পর্ক ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট চর্চা হচ্ছে একটি যৌক্তিক প্রতিফলন যা অর্থনীতির অধিকাংশ সরল মূলনীতির ছায়া অথবা বিপরীত আকৃতির এবং তা কখনও কখনও বিশেষ সামাজিক এজেন্ডা ও মূল্য পদ্ধতিকে বিভ্রান্তি করে। \nস্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়ের মত একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারী বিবৃতি বা সামষ্টিক অর্থনীতির মূলনীতি (আর্থিক নীতি ও রাজস্ব নীতি) হচ্ছে যুক্তি এবং সমালোচনার প্রতিফলন।", "title": "অর্থনীতি" }, { "docid": "8599#1", "text": "চাণক্য (; ) বা কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত (খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০-২৮৩ অব্দ) একজন প্রাচীন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক ও রাজ-উপদেষ্টা এবং \"অর্থশাস্ত্র\" নামক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক বিখ্যাত গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন। চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রাচীন ভারতের একজন দিকপাল ছিলেন এবং তাঁর তত্ত্বগুলি চিরায়ত অর্থনীতির বিকাশ লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য চাণক্যকে \"ভারতের মেকিয়াভেলি\" বলা হয়। চাণক্যের রচনা গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসনের শেষ দিকে অবলুপ্ত হয় এবং ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে পুনরাবিষ্কৃত হয়। প্রাচীন তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতির অধ্যাপক চাণক্য পরবর্তীকালে মৌর্য্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের উত্থানে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন। চাণক্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য ও তাঁর পুত্র বিন্দুসারের রাজ-উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।", "title": "চাণক্য" }, { "docid": "1218#64", "text": "অর্থনীতির সংজ্ঞার সমালোচনায় বলা হয়েছে ইহা অতি নিম্ন বস্তুগত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, একজন ডাক্তার বা নৃত্য শিল্পীর সেবা ইহাতে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। একটি শ্রমতত্ত্বে অবস্তুগত সেবার পারিশ্রমিকের যোগফলে সম্পূর্ন এড়িয়ে যায় যা অসম্পূর্ন। কল্যানকে সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করা যায়না, কারণ ধনী ও গরিবের কাছে অর্থের প্রান্তিক গুরুত্ত্ব ভিন্ন ( যেমন ১০০ টাকা গরিবের কাছে ধনীর চাইতে অনেক বেশি গুরুত্ত্বপূর্ন)। তারপরও এ্যালকোহল এবং ধূমপানের মত পণ্যের উৎপাদন ও বণ্টন কার্যক্রম মানব কল্যাণে সাহায্য করেনা কিন্তু এইসব অপর্যাপ্ত পণ্য প্রাকৃতিক ভাবে মানুষের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পুরন করে।\nমার্ক্সীয় অর্থনীতিতে এখনও কল্যাণ সংজ্ঞার উপর আলকপাত করা হয়। ইহা ছাড়াও আদর্শবাদী অর্থনীতি শুরুতে কিছু সমালোচনায় যুক্তি দেওয়া হয় যে, বর্তমান অর্থনৈতিক চর্চা কল্যাণ পরিমাপে যথোপযুক্ত নয়, কিন্তু একমাত্র মুদ্রাবাদীদের কল্যাণের অপর্যাপ্ত সাফল্য রয়েছে। \nনব্য-বুনিয়াদী অর্থনীতিতে চলমান নিয়ন্ত্রনে দুস্প্রাপ্যতার উপর আলোকপাত করা হয় যা বেশির ভাগ প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি বিভাগে প্রচলিত করা হয়। সম্প্রতি বছর গুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি, উন্নয়ন অর্থনীতি উদ্বৃত্ত অর্থনীতি সহ ইহা বিভিন্ন সময়ে সমালোচিত হচ্ছে।", "title": "অর্থনীতি" } ]
গায়িকা ভেনিসা অ্যানা হাডজেন্সের দ্বিতীয় অ্যালবামটির নাম কী ?
[ { "docid": "363097#0", "text": "ভেনিসা অ্যানা হাডজেন্স () (জন্ম: ডিসেম্বর ১৪, ১৯৮৮) একজন মার্কিন অভিনেত্রী এবং গায়িকা। তিনি বাজিয়ে অভিক্ষিপ্তাবস্থায় বেড়ে উঠেছেন। তিনি ডিজনি চ্যানেলের জন্যে বিভিন্ন চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ধারাবাহিকে উপস্থিত হয়েছেন। ২০০৩ সালে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"থার্টিন\"-এর মাধ্যমে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এটি একটি কিশোর নাট্য যেখানে হাডজেন্স একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। \"হাই স্কুল মিউজিক্যাল\" ট্রিলজি মুক্তির পর তিনি মূলধারার সাফল্য অর্জন করেন, এবং সহ-অভিনেতা জাক এফরনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ধারাবাহিকে উপস্থিতি তাকে পরিবারের নাম তৈরি করতে সাহায্য করেছে। চলচ্চিত্রের গান সবসময়ই বিশ্বব্যাপী তালিকাভুক্ত ছিলো। তার \"ব্রেকিং ফ্রি\" গান -এর সেরা ১০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। হাডজেন্সের আত্মপ্রকাশ অ্যালবাম \"ভি\" মুক্তি পায় সেপ্টেম্বর ২৬, ২০০৬ সালে, তালিকায় যার অবস্থান ছিলো ২৪ নম্বরে এবং পরবর্তীতে হয়। তার দ্বিতীয় অ্যালবাম, \"আইডেন্টফিাইড\", জুলাই ১, ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়।", "title": "ভেনিসা হাডজেন্স" } ]
[ { "docid": "363097#7", "text": "সেপ্টেম্বর ৬, ২০০৭ সালে হাডজেন্সের কিছু আলোকচিত্র অনলাইনে চলে আসে, যার একটিতে ল্যানজারি অঙ্গবিন্যাস রয়েছে এবং অন্যটিতে তার নগ্নতা প্রদর্শিত হয়েছে। তার প্রচারবিদের কাছ থেকে একটি বিবৃতিতে জানা যায় চিত্রসমূহ ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করা হয়েছিলো এবং সেগুলো ইন্টারনেটে মুক্তি পাওয়া দুঃখজনক ছিলো বলে তিনি দাবি করেন। হাডজেন্স পরবর্তীকালে এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে বলেন, তিনি এই \"পরিস্থিতির উপর বিব্রত\" এবং \"[ঐসব] চিত্র গ্রহণের\" বিষয়ে তিনি আফসোস প্রকাশ করেন। হাডজেন্স পরবর্তীকালে এই কেলেঙ্কারি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তা অস্বীকার করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। \"ওকে!\" ঠিক আছে! পত্রিকা অনুমান করে এই চিত্রের ফলে তিনি\"হাই স্কুল মিউজিক্যাল ৩\" থেকে বাদ পড়বেন বলে সন্দেহ। কিন্তু দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি এটা অস্বীকার করে, বলে, \"ভেনিসা স্পষ্টত তার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আমরা আশা করি তিনি এ থেকে মূল্যবান পাঠ শিখেছেন।\"", "title": "ভেনিসা হাডজেন্স" }, { "docid": "363097#4", "text": "নভেম্বর ২০১১ সালে, হাডজেন্স তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেন যে তিনি সেলিনা গোমেজ এবং জেমস ফ্রাঙ্কোর সাথে অভিনয় করছেন \"স্প্রিং ব্রেকার্স\" চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রটি চার কলেজ-বয়সী তরুণীকে কেন্দ্র করে, যেখানে তারা তাদের বসন্ত অবকাশের অর্থ যোগাড় করার জন্য একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ ডাকাতি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মার্চ ২০১৩ সালে, এবং সাধারণত ইতিবাচক সমালোচনা অর্জন করে। চলচ্চিত্রে পরিপক্ক থিম, যেমন মাদক ব্যবহার, উসৃঙ্খল যৌনাচার, এবং সহিংস্রতা তুলে ধরা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, হাডজেন্স পরবর্তীকালে ডাবস্টেপ অনুপ্রেরিত গান \"$$$এক্স\" মুক্তি দেন, যেটির সঙ্গীত ভিডিও এই চলচ্চিত্রের ক্লিপ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। গানটি ওয়াইএলএ থেকে অতিথি শিল্পী বৈশিষ্টায়িত করেছে, এবং যা রক মাফিয়া কর্তৃক প্রযোজিত হয়েছে।", "title": "ভেনিসা হাডজেন্স" }, { "docid": "468221#6", "text": "স্মিথ স্টেলা হাডজেন্স এর সাথে সম্পর্কে ছিলেন, যে অভিনেত্রী ও গায়িকা “ভেনিসা হাডজেন্স” এর ছোট বোন, এবং সে “স্টারি রুম” গান এ অসংখ্য বার তাঁর নাম উল্লেখ করেছে।", "title": "জাদেন স্মিথ" }, { "docid": "363097#8", "text": "আগস্ট ২০০৯ সালে, হাডজেন্সের আরও কিছু অনাবৃতপ্রায় চিত্রাবলি ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে তার প্রতিনিধিদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি, যদিও তার আইনজীবীরা ইন্টারনেট থেকে ছবি অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ২০০৯-এর শেষে, হাডজেন্স \"www.moejackson.com\"-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে মোবাইল ফোনে গৃহিত তার নগ্ন \"আত্ম-প্রতিকৃতি অলোকচিত্র\" পোস্টিংয়ের জন্যে। হাডজেন্স পরবর্তীকালে, \"অলিউর\" পত্রিকার অক্টোবর সংখ্যায় তার কর্মজীবনে এই ছবির প্রভাব বিষয়ে মন্তব্য করেন, \"যখনই কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি কী চলচ্চিত্রে নগ্নতা প্রকাশ করতে চাই কিনা, যদি বলি আমি এর সাথে স্বাচ্ছন্দ্য নই। তারা বলেন, 'বুলশিট, ইতোমধ্যেইতো করেছেন।' এটা আরও লজ্জাজনক করে তোলে, কারণ ওগুলো একটি ব্যক্তিগত বিষয় ছিল। এটা মাতলামি, যে কেউই আমার মতো মাতাল হতে পারেন। অন্তত কিছু লোক আমার ভুল থেকে শেখার সুযোগ পাবেন।\" \"ইউএস সাপ্তাহিকের\", মতে, আরও কিছু আলোকচিত্র মার্চ ১৫, ২০১১ সালে ইন্টারনেটে মুক্তি পায়।", "title": "ভেনিসা হাডজেন্স" }, { "docid": "575322#2", "text": "গ্রান্দের দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম, \"মাই এ্যাভরিথিং\" (২০১৪), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় প্রথম স্থানে আত্নপ্রকাশ করে এবং অন্যান্য ২৪টি দেশে এটি সেরা দশে অবস্থান করে। অ্যালবামটির একটি একক গান \"প্রবলেম\" এবং অ্যালবামটির আরো কিছু গানের মাধ্যমে, তিনি ৩৪ সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে ছিলেন \"বিলবোর্ড\" হট ১০০ এর সেরা দশে এবং ২০১৪-এ কোন শিল্পীর সেরা দশে অবস্থান করা একক গানের সংখ্যার দিক থেকে তিনি শীর্ষস্থানে ছিলেন। ২০১৫-এ গ্রান্দে \"মাই এ্যাভরিথিং\" প্রচার করেন তার প্রথম বিশ্ব ভ্রমন দ্য হানিমুন ট্যুর এর সঙ্গে, অতিথি হিসেবে অভিনয় করেন ফক্স এর হাস্যরস ভৌতিক টেলিভিশন ধারাবাহিক , \"স্ক্রিম কুইনস\" এ এবং প্রকাশ করেন একটি হলিডে ইপি, \"ক্রিসমাস এন্ড চিল\"। ২০১৬-এ, তিনি তার তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবামের আত্নপ্রকাশ করেন, , \"ডেনজারাস উইম্যান\", এবং অ্যালবামটি থেকে কিছু গান। অ্যালবামটির ডেনজারাস উইম্যান শিরোনামের একক গানটি \"বিলবোর্ড\" হট ১০০ তালিকায় দশম স্থানে অবস্থান করে , যা গ্রান্দেকে তৈরি করে ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যার কিনা প্রথম তিনটি অ্যালবামেরই একক গান তালিকার শীর্ষ দশে অবস্থান করে। অ্যালবামটি \"বিলবোর্ড\" ২০০ এর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করে। জানুয়ারি ২০১৭ এর হিসেবে, গ্রান্দের গানের ভিডিও গুলো অনলাইনে সাত বিলিয়ন বারের থেকেও বেশি বার দেখা হয়েছে।", "title": "আরিয়ানা গ্রান্দে" }, { "docid": "609438#0", "text": "রেজিনা এনকার্নাসিয়ন আনসং ভেলাস্কেজ, (; জন্ম: ২২ এপ্রিল, ১৯৭০) হলেন একজন ফিলিপিনো গায়িকা, অভিনেত্রী এবং রেকর্ড প্রযোজক। তিনি তার স্টেজ নাম রেজিন ভেলাস্কেজ-এর জন্য অধিক পরিচিত। ১৯৮০-এর দশকে তিনি \"আং বাগং কামপাইয়ন\" এবং ১৯৮৯ সালে এশিয়া প্যাসিফিক সিঙ্গিং কনটেস্ট উভয় প্রতিযোগিতা জয়লাভ করে সকলের মাঝে অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ফিলিপাইন দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ভেলাস্কেজ তার নিজের নামে তার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন, সেই অ্যালবাম থেকে \"কুং মীবাবলিক কো লং\" গানটির মাধ্যমে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। উক্ত অ্যালবামটি ফিলিপাইনের তৎকালীন দুটি সেরা একক সংগীত অ্যালবামে পরিণত হয় এবং এটি বাণিজ্যিকভাবে সফল অ্যালবামগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠে, যা তাকে একজন সক্ষম \"ওপিএম শিল্পী\" হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করতে সাহায্য করেছে।", "title": "রেজিন ভেলাস্কেজ" }, { "docid": "363097#2", "text": "হাডজেন্স স্যালিনাস, ক্যালিফোর্নিয়া এলাকায় জন্ম নেন, এবং ওরেগন থেকে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় ওয়েস্ট কোস্টে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করেন। তার মা, জিনা (née Guangco), উত্তরাধিকারসূত্রে একটি অফিসে কাজ করেন, এবং তার বাবা, গ্রেগরি হাডজেন্স, একজন দমকলকর্মী ছিলেন। তার একটি ছোট বোন রয়েছে, স্টেলা হাডজেন্স, তিনিও একজন অভিনেত্রী। ছেলেবেলা থেকে তিনি একজন রোমান ক্যাথলিক হিসেবে বেড়ে উঠেন। তার বাবা, একজন আইরিশ এবং নেটিভ আমেরিকান বংশদ্ভুত, এবং মা একজন ম্যানিলা, ফিলিপাইনীয়, অথ্যাৎ ফিলিপিনো চীনা-স্প্যানিশ বংশদ্ভুত। তার দাদী-নানীরা সকলেই সঙ্গীত বিষয়ে জ্ঞ্যাত ছিলেন।", "title": "ভেনিসা হাডজেন্স" }, { "docid": "363097#6", "text": "হাডজেন্স \"হাই স্কুল মিউজিক্যালের\" সহ-তারকা জাক এফরনের সঙ্গে সম্পর্কে শুরু করেন ২০০৫ সালে। পরবর্তীকালে প্রচারমাধ্যমের নিয়মিত লক্ষ্য হয়ে ওঠেন তারা, এবং \"বিবিসি\" হাডজেন্সকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে \"হাউসহোল্ড নেম\" বলে পূর্বাভাস ব্যাক্ত করে। ডিসেম্বর ২০১০ সালে, হঠাৎ তাদের সম্পর্কের পরিণতি ঘটে। হাডজেন্স অভিনেত্রী অ্যাশলে তিসডেলের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যার সঙ্গে তিনি \"হাই স্কুল মিউজিক্যাল\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় পরিচিত হন।", "title": "ভেনিসা হাডজেন্স" }, { "docid": "363097#1", "text": "তার অ্যালবাম \"হাই স্কুল মিউজিকাল\" মুক্তির পর থেকে হাডজেন্স অভিনয়ের উপর জোড় দেন। ২০০৯ সালে, তিনি \"ব্যান্ডস্লাম\" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছেন। তিনি ডোয়াইন জনসন এবং জোশ হাচারসনের পাশাপাশি \"\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর সেলিনা গোমেজের সাথে অভিনয় করেন \"স্প্রিং ব্রেকার্স\" (২০১৩) চলচ্চিত্রে। এছাড়াও তিনি রবার্ট রদ্রিগেজ পরিচালিত \"ম্যাচেট কিলস\" চলচ্চিত্রে কাজ করেন।", "title": "ভেনিসা হাডজেন্স" } ]
দ্য লাঞ্চবক্স চলচ্চিত্রটির নির্মাতা কে ?
[ { "docid": "551087#6", "text": "ইত্যবসরে নাশিকের পথে যেতে যেতে সজনের মন বদলায়, আবার মুম্বাইয়ে ফিরে আসে ইলার খোঁজে - শেষবার যাকে দেখা গেছে মেয়ের স্কুল থেকে ফেরার অপেক্ষায় - সজন ডাব্বাওয়ালার সাহায্য নেয় যে প্রতিদিন পৌঁছে দিত সেই লাঞ্চবক্সটি।রিতেশ বাটরা এর আগে নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র \"দ্য মর্নিং রিচুয়াল\", \"গরীব নওয়াজ কি ট্রাক্সি\", \"ক্যাফে রেগুলার\" ও \"কায়রো\"। এবার তিনি মুম্বাইয়ের বিখ্যাত লাঞ্চবক্স ডেলিভারি ব্যবস্থার দক্ষ ডাব্বাওয়ালাদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য গবেষণা শুরু করেন। তবে ২০০৭ সালে তাদের সাথে এক সপ্তাহ কাটানোর পর তিনি অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যক্তিগত গল্প জানতে পারেন যেগুলো তারা বাসার বাইরে দাঁড়ানোর সময় শুনে ফেলে। এই আইডিয়া থেকে তার চলচ্চিত্র তৈরির কথা মাথায় আসে এবং প্রামাণ্যচিত্র বানাবার বদলে তিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেন। যথাসময়ে চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করে শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্ট, ডার মোশন পিকচাল্স, ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কল্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনএফডিসি, ভারত), আরওএইচ ফিল্মস (জার্মানি), এএসএপি ফিল্মস (ফ্রান্স) এবং যুক্তরাষ্ট্রে লিডিয়া ডীন পিলচারের সাইন মোজাইক, যিনি এর আগে প্রযোজনা করেছেন \"দ্য ট্যালেন্টেড মি. রিপলি\" (১৯৯৯) এবং \"দ্য নেমসেক\" (২০০৭); আর জার্মানির ম্যাচ ফ্যাক্টরি চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক সেলস এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।", "title": "দ্য লাঞ্চবক্স" }, { "docid": "551087#0", "text": "দ্য লাঞ্চবক্স ২০১৩ সালের একটি ভারতীয় রোমান্টিক চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছেন রিতেশ বাটরা এবং প্রযোজনায় গুণীত মোঙ্গা, অনুরাগ কাশ্যপ ও অরুণ রঙ্গচারী। ডার, ইউটিভি, ধর্ম প্রোডাকশনস, শিক্ষা এন্টারটেইনমেন্ট, এনএফডিসি সহ আরো কয়েকটি স্টুডিও যৌথভাবে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান খান, নিমরাত কাউর এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক সমালোচকদের সপ্তাহে প্রদর্শিত হয় এবং পরবর্তীতে তা ক্রিটিকস উইক ভিউয়ারস চয়েস পুরস্কার তথা গ্র্যান্ড রেল ডি'অর জিতে নেয়। এটি ২০১৩ সালের টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হয়। ভারতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হয় সেবছর ২০ সেপ্টেম্বরে। বক্স অফিসে এটি সাফল্য লাভ করে।", "title": "দ্য লাঞ্চবক্স" }, { "docid": "551087#8", "text": "ইরফান খান চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য এবং তার চরিত্রটির ধারণাটি পছন্দ করেন, যে কিনা কথা বলে কম কিন্তু বলে চিঠিতে। বাটরার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো দেখে এবং কয়েকবার মিটিংয়ের পর তিনি কাজ করতে রাজি হন। বাটরা অনেকদিন থেকেই নওয়াজউদ্দিনের সাথে কাজ করতে চাচ্ছিলেন চলচ্চিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য। প্রধান নারী চরিত্রটির জন্য বেশ কয়েকটি অডাশন হয় এবং শেষমেশ নিমরাত কাউর নির্বাচিত হন। মুম্বাই থিয়েটারে কাউরের ব্যাপক অভিজ্ঞতা ছিল এবং \"পেডলার্স\"-এর মতো চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। এছাড়া চলচ্চিত্রটির জন্য গবেষণা করতে গিয়ে যে ডাব্বাওয়ালাদের সাথে পরিচালকের বন্ধুত্ব হয়েছিলো তারাও কয়েকটি গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেন।", "title": "দ্য লাঞ্চবক্স" }, { "docid": "551087#9", "text": "চলচ্চিত্রটির শুটিং করা হয় ২০১২ সালে মুম্বাইয়ে ₹২২০ মিলিয়ন রুপির বাজেটে। ফিল্মিংয়ের পূর্বে অভিনেতারা ছয় মাস রিহার্সাল করেছেন। আরি অ্যালেক্সা ফিল্ম ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবিটি শুট করা হয়। অনেক দৃশ্যই টুকরো টুকরো করে করা হয় যেন শেষ মুহূর্তে লোকেশন বদলালেও অসুবিধা না হয়। রিতেশ বাটরার জানান যে, ট্রেনের দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়েছে কেবল একটিমাত্র কম্পার্টমেন্টে এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রকৃত যাত্রীদেরও ছবিতে রাখা হয়েছে।", "title": "দ্য লাঞ্চবক্স" }, { "docid": "551820#0", "text": "রিতেশ বাটরা (জন্ম ১২ জুন ১৯৭৯) বাফটা পুরস্কার (ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস) মনোনীত একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক-লেখক। বাটরা তার প্রথম চলচ্চিত্র \"দ্য লাঞ্চবক্স\"-এর জন্যই বেশি পরিচিত, যেটাতে অভিনয় করেছিলেন ইরফান খান, নিম্রত কৌর এবং নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী। এটি ২০১৩ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং রেল ডি'অর (গ্র্যান্ড গোল্ডেন রেল) পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়াও বাটরা ২০১৪ সালে টরোন্টো ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার জেতেন। আমেরিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ায় \"দ্য লাঞ্চবক্স\" ছিল ২০১৪ সালের সর্বোচ্চ আয় করা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র (২৫ মিলিয়ন USD/১৮০ কোটি INR)।", "title": "রিতেশ বাটরা" }, { "docid": "551820#4", "text": "\"দ্য লাঞ্চবক্স\" কান ক্রিটিকস উইকে প্রদর্শিত হয় এবং জিতে নেয় সম্মানজনক রেল ডি'অর (গ্র্যান্ড গোল্ডেন রেল)। সনি পিকচার্স ক্লাসিকস ছধিটির উত্তর আমেরিকার স্বত্ব কিনে নেয়। \"দ্য লাঞ্চবক্স\" ৩৩ঠি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে এবং ২৫টি পুরস্কার জিতেছে। ২০১৪ সালে বাটরা তার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পোয়েটিক লাইসেন্স মোশন পিকচার্স খুলেছেন এবং এখন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের স্লেট উন্নয়নে কাজ করছেন।\"দ্য লাঞ্চবক্স\", ২০১৩", "title": "রিতেশ বাটরা" } ]
[ { "docid": "551087#11", "text": "২০১৩-র ১৯ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক সমালোচক সপ্তাহে চলচ্চিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী হয় যেখানে এটি ইতিবাচক রিভিউ পায় এবং দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে একে অভ্যর্থনা জানান। পাশাপাশি এটি গ্র্যান্ড রেল ডি'অর নামে পরিচিত ক্রিটিকস উইক ভিউর\nয়ার্স চয়েস পুরস্কার জিতে নেয়। \"ভ্যারাইটি\" ম্যাগাজিনে এটিকে বলা হয় \"শিক্ষানবিশ পরিচালক-চিত্রনাট্যকার রিতেশ বাটরার উল্লেখযোগ্য অভিষেক\", \"\"মনসুন ওয়েডিং\" ছবির সমন্বিত আবেদনময়তা\" সৃষ্টির জন্য, আর তাতে ইরফান খান এবং নিমরাত কাউরের অভিনয়েরও প্রশংসা করা হয়।", "title": "দ্য লাঞ্চবক্স" }, { "docid": "551087#19", "text": "\"সানডে গার্জিয়ান\"-এর তৃষা গুপ্ত লিখেছেন \"দ্য লাঞ্চবক্স একটি ছোট্ট মনোরম চলচ্চিত্র। তবে এটা কেবল বক্সটি নিয়েই এগিয়ে চলে যা হয়তো উৎসবের দর্শকদের কাছে আবেদন পৌঁছাতে পারবে: উদ্ভট এশীয় শহুরেজীবন (মুম্বাই ট্রেন, ডাব্বা সরবরাহ), ভারতীয় ঘরে রান্না, রোমান্স। যথেষ্ট পরিমাণ স্বতন্ত্র হবার পরিবর্তে এটা স্থানীয় রঙ মেখে নিয়েছে।\" শিকাগো রিডারের জন্যে একটু কম ইতিবাচক রিভিউতে জে আর জোনস নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও ভারতী আচরেকারের চরিত্রদ্বয় শাইখ এবং মিসেস দেশপান্ডের দিকে ইঙ্গিত করে চলচ্চিত্রটিকে একটি গিমিক বলেছেন এবং এতে \"গা-জ্বালানো হাস্যরসের\" অতিরঞ্জনের সমালোচনা করেছেন।", "title": "দ্য লাঞ্চবক্স" }, { "docid": "551087#18", "text": "রেডিফ ডটকমের রাজা সেন ছবিটির আরো প্রশংসা করেন, আরেকটি নিটোল ৫/৫ স্কোর দিয়ে এবং বলেছেন, \"বাটরা, \"দ্য লাঞ্চবক্স\"-এর গব্পটিও যার লেখা, তার চমৎকার অভিনেতাদেরকে উপস্থিত কাজ করার বিস্ময়কর সুযোগ দিয়েছেন, নিজে পুরোটা সময় ছিলেন শহরের খুঁটিনাটি চিত্রায়ণে, খাবার-বহনকারীরা এবং সমাজের নানা বৈষম্য যেগুলোতে মুম্বাই ঠাসা।\" ইয়ুথ টাইমসের আদিত্য গ্রোভার একে ৪/৫ তারকা দেন এবং বলেন যে, \"আপনে যদি সত্যিকার চলমান সিনেমা দখার মুডে থাকেন, তবে \"দ্য লাঞ্চবক্স\" উপাদেয় এবং তৃপ্তিকর। থিয়েটার থেকে বেরুনোর পরেও বহুকাল এই লাঞ্চবক্সের স্বাদ আপনার মুখে লেখে থাকবে। চলুন দেখতে!\nদি এশিয়ান এজের সুপর্ণা শর্মা এটিকে ৫ এর মধ্যে ৪ রেটিং দিয়েছেন এবং বলেছেন: \"\"দ্য লাঞ্চবক্স\" একটি মৃদুমন্দ স্পন্দিত এক মধুর-করুণ গল্প, একাকীত্বের ও ভালোবাসার। ছবিটিতে তিনজন নারী আছে তিনটি বিয়েতে, যার মধ্যে দুজন অসুস্থ। তৃতীয়জন প্রায় শেষ বয়সে, কেবল শেষকৃত্যটুকুই যেন বাকি। দদুজন পুরুষ আছে ছবিটিতে — একজন যে পুরো জীবন পার করেছে, এখন নীরবে পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে; অন্যজন জীবন শুরু করতে উৎসাহী। যে বিষয়টি একইসাথে মর্মান্তিক ও স্বস্তিদায়ক, তা হলো যা ছবিটি আমাদের দেখায় — জীবনে ফিরে আসার জন্য আত্মার বেশি কিছু লাগে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, একটু আশাই যথেষ্ট।\"", "title": "দ্য লাঞ্চবক্স" }, { "docid": "551087#2", "text": "সজন ফার্নান্দেস (ইরফান খান) একজন বিপত্নীক যে একাউন্টেন্ট হিসেবে কিছুদিনের মধ্যে অবসর নেবে। ইলা (নিমরাত কাউর) এক তরুণী স্ত্রী যে তার স্বামীর (নকুল ভাইদ) মনোযোগ পেতে চায় এবং বিভিন্নভাবে তাদের দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে; যেমন তার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করে। কিন্তু তার স্বামীর জন্য পাঠানো লাঞ্চবক্স (ডাব্বা) মুম্বাইয়ের \"ডাব্বাওয়ালাদের\" ভুলে চলে যায় সজনের কাছে। ইলা পরে ভুল বুঝতে পেরে ওপরতলার আন্টির (ভারতী আচরেকার - শুধু কন্ঠ) বুদ্ধিমতো সজনকে একটি চিঠি লেখে এবং পরদিন স্বামীর প্রিয় খাবার রেঁধে লাঞ্চবক্সে চিঠিসহ পাঠিয়ে দেয়।", "title": "দ্য লাঞ্চবক্স" } ]
বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাবার নাম কী ?
[ { "docid": "5531#0", "text": "জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম ও শৈশবে তাঁর ডাক নাম ছিলো কমল। তাঁর পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর তাঁর পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাবুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।", "title": "জিয়াউর রহমান" } ]
[ { "docid": "545474#1", "text": "মু. জিয়াউর রহমান ৭ ডিসেম্বর, ১৯৫২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাস্থ রহনপুর পৌরসভার শেখপাড়া এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন। তাঁর পিতার নাম রিয়াজউদ্দিন অাহমদ এবং মাতা নুরজাহান বেগম। তাঁর স্ত্রী কাশমেরী রহমান একজন গৃহিণী। মোঃ জিয়াউর রহমান এর মোট ৩ সন্তান, তাঁদের নাম সানজিদা রহমান (জেমি); ফাহমিদা রহমান(জুলি); রাজীব অাহমদ জয়।", "title": "জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিবিদ)" }, { "docid": "1551#2", "text": "তার স্বামী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। তার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাইদ ইস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। আরাফাত রহমান একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।", "title": "খালেদা জিয়া" }, { "docid": "2374#0", "text": "তারেক রহমান (জন্মঃ ২০ নভেম্বর ১৯৬৪ ঢাকা, বাংলাদেশ) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি সাধারনতঃ \"তারেক জিয়া\" নামে পরিচিত; যার শেষাংশটি এসেছে তার পিতা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম থেকে।", "title": "তারেক রহমান" }, { "docid": "396129#1", "text": "জিয়ার জন্ম জানুয়ারি ৭, ১৯৭৫ সালে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে জন্ম এবং বেড়ে উঠা ঢাকার নবাবপুরে। তাঁর পিতার নাম আব্দুর রহমান এবং মায়ের নাম মুর্শিদা রহমান। জিয়া সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে মাধ্যমিক, নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। জিয়ার স্ত্রীর নাম \"জলি আহমেদ\", তাদের একমাত্র কন্যা হলেন \"সারিকা রেশ রহমান\"।", "title": "জিয়াউর রহমান জিয়া" }, { "docid": "306492#0", "text": "মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (জন্ম: ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের ক্রিকেটার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলাররূপে দলে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডাকনাম \"জনি\" হিসেবে মাঝেমাঝে স্কোরশীটে তাকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ২০০৩/০৪ মৌসুমে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। এছাড়াও, ২০০৬/০৭ মৌসুমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি একাদশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাডেমী দলে অংশগ্রহণ করেছেন।", "title": "জিয়াউর রহমান (ক্রিকেটার)" }, { "docid": "545474#3", "text": "জিয়াউর রহমান ছাত্রাবস্থায় রাজনিতি সূত্রপাত হয় স্থানীয় অাওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাসনুর হাত ধরে। ২০০৯ সালে অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে অাওয়ামী লীগ এর হয়ে চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ অাসনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময় তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।", "title": "জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিবিদ)" }, { "docid": "80810#1", "text": "১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মেহের আলী মিঞা ছিলেন একজন আইনজীবী, তৎকালীন ময়মনসিংহের লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা বোর্ডের সদস্য। তাঁর স্ত্রী আইভি রহমানও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জিল্লুর রহমান তাঁর সহধর্মিনী ও মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী আইভি রহমানকে হারান। পারিবারিক জীবনে তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নামে এক পুত্র এবং তানিয়া ও ময়না নামে দুই কন্যা সন্তানের জনক।", "title": "জিল্লুর রহমান" }, { "docid": "626934#1", "text": "জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টসহ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে বিএনপি সরকারের সময়ে বেশ কিছু দাতব্য সংস্থা চালু করা হয়। বিএনপি সরকারের (১৯৯১-১৯৯৬) আমলে সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় “প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল” নামে একটি হিসাব চালু করা হয়। ১৯৯১ সালের ৯ই জুন একাউন্টটিতে এক সৌদি দাতার কাছ থেকে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে ৪,৪৪,৮১,২১৬ টাকা বিদেশী অনুদান আসে। পরবর্তী দুই বছরে এই অনুদানের অর্থ কোনো এতিমখানায় দান করা হয়নি। দুই বছর পর, ১৯৯৩ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমানের দুই ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান এবং তাদের ফুপাতো ভাই মমিনুর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। ট্রাস্ট গঠনের পর অনুদানটি দুই ভাগ করে ট্রাস্টের বগুড়া এবং বাগেরহাট শাখার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।", "title": "জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা" }, { "docid": "34128#0", "text": "মশিউর রহমান (জুলাই ৯, ১৯২৪ - মার্চ ১২, ১৯৭৯) যিনি যাদু মিয়া নামে পরিচিত, বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন। । তিনি মাওলানা ভাসানীর শিষ্য ছিলেন এবং ১৯৭৬-এ তাঁর মৃত্যুর পর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি হন। ছাত্র জীবনে তিনি অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। তবে তেভাগা আন্দোলনের সময় তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পাকিস্তান হওয়ার পর আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়, তিনি এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অতঃপর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠিত হয় এবং ১৯৭৯ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এ রাজনৈতিক দলের একজন জাতীয় নেতা হিসাবে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন।", "title": "মশিউর রহমান" } ]
পানীয় জলে আর্সেনিক থাকলে তা মানব দেহে কী ক্ষতি করে ?
[ { "docid": "115413#15", "text": "বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে, গাঙ্গেয় পললভূমির ভূগর্ভস্থ জলস্তর জনগণের জন্য পানি সরবরাহে ব্যবহূত হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে এ পানিতে আর্সেনিক দূষণ ঘটছে, যা লক্ষলক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশে আর্সেনিক দুষণীয় মাত্রায় পাওয়া গেছে এমন এলাকাসমূহ প্রধানত দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল (লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর) দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল (কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর) এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় অংশে (নবাবগঞ্জ) সীমাবদ্ধ, যা গঙ্গা ব-দ্বীপ সমভূমির অন্তর্ভুক্ত। ভূগর্ভস্থ জলস্তরের ১০০ মিটার উচ্চ স্তরের মধ্যে প্রধানত আর্সেনিকের কেন্দ্রীভবন ঘটে। ভূ-পৃষ্ঠের পানির স্রোতের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া শেষাবধি আর্সেনিক দূর করবে কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হতে হাজার হাজার অথবা দশ হাজার বৎসর সময়ের প্রয়োজন হবে। পশ্চিমবঙ্গেও একইরূপ ভূতাত্ত্বিক এবং জল ভূতাত্ত্বিক অবস্থায় আর্সেনিক দূষণ ঘটেছে। ভূ-পৃষ্ঠের পানিতে আর্সেনিক দূষণ মানবজাতির সম্মুখে নতুন কোন স্বাস্থ্যসমস্যা নয় এবং এটিকে সফলভাবে মোকাবেলা করা যেতে পারে। স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা যেমন আর্সেনিক পাওয়া গেছে এমন কূপ, নলকূপ চিহ্নিত করণ, দূষণমুক্ত ভূ-পৃষ্ঠের উপরের পানি ব্যবহার, বৃষ্টির পানি এবং বাড়িতে আর্সেনিক দূষণ মুক্তকরণ স্থাপনা নির্মাণের মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাদি যেমন দূষণহীন ভূগর্ভস্থ জলস্তরে কূপ স্থাপন, জনসমষ্টি ভিত্তিক আর্সেনিক দূষণ মুক্তকরণ স্থাপনা নির্মাণ এবং দূষণমুক্ত ভূ-পৃষ্ঠের উপরের পানির সরবরাহ প্রণালী গড়ে তোলার বিষয়টি বিবেচিত হতে পারে। এ সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী গবেষণার ক্ষেত্রে আর্সেনিক দূষণযুক্ত পানি দ্বারা সেচের বিষয়টি বিবেচ্য হওয়া উচিত। ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলন নিম্নতম পর্যায়ে রাখতে হবে এবং সংযোজিত ব্যবস্থায় ভূ-পৃষ্ঠের উপরের পানির ব্যবহার এবং ভূগর্ভস্থ পানি নিয়ে ভবিষ্যত পানি উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করতে হবে।", "title": "প্রাকৃতিক দুর্যোগ" }, { "docid": "113755#6", "text": "২০১০ খ্রিস্টাব্দে \"ল্যানসেট\" সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। পানিতে কী পরিমাণ আর্সেনিক আছে এবং একজন ব্যক্তি কতদিন যাবৎ এই পানি পান করছেন, তার উপর মৃত্যুঝুঁকি নির্ভর করে। আর্সেনিকের বিষক্রিয়া মৃত্যুর প্রধান কারণ না হলেও তা মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিনের মোট আর্সেনিক গ্রহণ ও প্রস্রাবে আর্সেনিকের পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। পানিতে আর্সেনিক বেশি থাকলে মৃত্যুঝুঁকিও বেশি। আড়াইহাজারে করা এ গবেষণায় দেখা গেছে, আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের কারণে সাধারণ রোগে গড়ে মৃত্যুঝুঁকি ২১%, এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে মৃত্যুঝুঁকি ২৪% বেড়েছে। দীর্ঘস্থায়ী রোগে মৃত্যুহার বৃদ্ধিতে আর্সেনিকের সম্পৃক্ততার ব্যাপারটি আগেও, যুক্তরাষ্ট্র, চিলি, আর্জেন্টিনা, তাইওয়ান এবং বাংলাদেশের মতলবে করা বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গিয়েছিলো। প্রতি লিটার পানিতে ১৫০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক পান করার ফলে ক্রনিক ডিজিজ, যথা ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়বেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি ৬৪% বেড়েছে। সাধারণ রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ে প্রায় সমপরিমাণে। গবেষকদের মত, আর্সেনিকযুক্ত পানি পান না করলে এই মৃত্যু কম হতো।", "title": "বাংলাদেশে আর্সেনিক সমস্যা" } ]
[ { "docid": "649153#5", "text": "আরেকটি সমস্যা হল অ্যালগি ব্লুম। যখন তাপমাত্রা, পুষ্টির সরবরাহ এবং উপলভ্য সূর্যালোক শেওলা বৃদ্ধির জন্য অনুকূল হয়, তখন শেওলা একটি এক্সপোনেনশিয়াল হারে বৃদ্ধি করে, অবশেষে পুষ্টিকর পদার্থ কমে যায় এবং মাছ মরতে থাকে। ক্ষয়প্রাপ্ত অতিরিক্ত শৈবাল বা অ্যালগি পুকুরের জলে সূর্য্যরশ্মির প্রবেশ আটকে দেওয়ায়, জলে অক্সিজেন কমে যাওয়ার ফলে জৈববস্তুটি অক্সিজেনকে নিঃশেষ করে দেয় কারণ এটি জৈব ও অজৈব সলিউশনের (যেমন অ্যামোনিয়াম আয়ন) সাথে দূষিত করে, যা (এবং প্রায়শই) মাছের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।", "title": "মৎস চাষ" }, { "docid": "113755#3", "text": "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী ১ লিটার পানিতে ১০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক থাকলে সেই পানি দূষিত। বাংলাদেশের মান অনুযায়ী ১ লিটার পানিতে ৫০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক থাকলে সেই পানিকে নিরাপদ পানি বলা হয় না।", "title": "বাংলাদেশে আর্সেনিক সমস্যা" }, { "docid": "624200#13", "text": "স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন পরিবেশ অপুষ্টিতে প্রভাব ফেলে। পানি সরবরাহের অপর্যাপ্ততা, সংক্রামক রোগের উপর স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশনের সরাসরি প্রভাব রয়েছে, যেমন ম্যালেরিয়া, পরজীবী রোগ, এবং schistosomiasis। মানুষ উভয় পানির অভাব এবং নিম্ন গুণমান পানীয় জলের সমস্যায় ভুগে। ভূ-গর্ভস্থ জলে প্রায়ই আর্সেনিকের ঘনত্ব পাওয়া যায়। ১৯৯৫-এ গ্রামীণ অঞ্চলে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ছিল কেবল ৩৫%।", "title": "বাংলাদেশে স্বাস্থ্য" }, { "docid": "113755#11", "text": "ভূতাত্ত্বিকভাবে সৃষ্ট দূষণ সম্পর্কে প্রথম তত্ত্বটি প্রস্তাব করে ভারতের পশ্চিম বাংলার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল। এই তত্ত্বানুযায়ী অতিমাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে ভূ-অভ্যন্তরে অক্সিজেন প্রবেশের ফলে পানিবাহী শিলাস্তরের আর্সেনিক পাইরাইট জারিত হয়ে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক তরল অবস্থায় যুক্ত হচ্ছে। পরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় এ তত্ত্বটির সমর্থনে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের একটি যৌথ গবেষক দল একটি বিকল্প তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তাঁদের মতে, প্রক্রিয়াটি বদ্বীপ পলল ও নদীবাহিত পলল সমভূমির পলি সঞ্চয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত। বিভিন্ন উৎস থেকে আর্সেনিকযুক্ত পলি বদ্বীপ ও পলল সমভূমি অঞ্চলে জমা হয়, যেখানে আর্সেনিকের বাহক হলো প্রধানত আয়রন অক্সিহাইড্রোক্সাইড নামের মনিক মিনারেল। পরবর্তিতে পলির সঙ্গে সঞ্চিত জৈব পদার্থ কর্তৃক অক্সিজেন আহরণের ফলে পানিবাহী শিলাস্তরে বিজারিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসময় বিজারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয়রন অক্সিহাইড্রোক্সাইডের মধ্যে সংযোজিত (absorbed) আর্সেনিক ও আয়রন, ভূগর্ভস্থ পানিতে তরল অবস্থায় মুক্ত হয়। অধিকতর বৈজ্ঞানিক ভিত্তির কারণে বর্তমানে এই তত্ত্বটি বেশি গ্রহণযোগ্য।", "title": "বাংলাদেশে আর্সেনিক সমস্যা" }, { "docid": "271251#7", "text": "আয়ুর্বেদে জীবনকে ভাবা হয় দেহ, অণুভূতি, মন এবং আত্মায় এর সমন্বয়। জীবিত মানব দেহ হল এই সব উপাদান যেমন তিন দোষ (ভাটা, পিত্ত এবং কফ), সাতটি প্রাথমিক টিস্যু (রস, রক্ত, মনসা, মেডা, অস্থি, মজ্জা এবং শুক্র)বা ধাতু, মল বা ঘাম- এসবের এক একত্রীভবন। দেহের বৃদ্ধি ও পচন পুরোটাই নির্ভর খাদ্যের উপর যা দোষ, ধাতু ও মল এ পরিবর্তিত হচ্ছে। হজম প্রক্রিয়া, শোষণ, পরিপাক প্রনালী ও খাদ্যের রাসায়নিক প্রক্রিয়ার উপর আমাদের স্বাস্থ্য ও ব্যাধি নির্ভর করে। আবার আমাদের শারীরিক সুস্থতার উপর মানসিক অবস্থা ও অগ্নির প্রভাবও আছে।", "title": "আয়ুর্বেদ" }, { "docid": "580775#4", "text": "দুষ্ট ভিনগ্রহী নাগম্যা আরও বেশি গ্রহ জয় করার জন্য গলেদের \"ব্রহ্মাণ্ড-বিখ্যাত\" \"মহাস্ত্র\"টির (এটাসেটামিক্সের জাদু পানীয়) গোপন কথা জানতে ও তা বাজেয়াপ্ত করতে চাইছিল। যদিও সেই অস্ত্রটি ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়ে টুন আগেই গল গ্রামে এসে উপস্থিত হয়। শেষে দেখা যায়, জাদু পানীয়টি ভিনগ্রহীদের অনেক পরিকল্পনার ক্ষতিসাধন করছে। নাগম্যা পরাজিত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। টুনও পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু যাবার আগে সে গ্রামবাসীদের স্মৃতি থেকে তাদের আগমনের ইতিবৃত্ত মুছে দিয়ে যায়। কারণ, জাদু পানীয় তার শারীরবৃত্তের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়ায় সে যখন সাময়িকভাবে বিশাল আকার ধারণ করেছিল, তখন তাকে যথেষ্ট বিব্রত হতে হয়।", "title": "অ্যাসটেরিক্স অ্যান্ড দ্য ফলিং স্কাই" }, { "docid": "6475#27", "text": "ক্রমিক অন্তঃমিথোজীবিত্ব তত্ত্ব অনুসারে, চলনশীল অবায়ুজীবী ব্যাক্টেরিয়া ও অম্ল ও গন্ধকযুক্ত আবহাওয়ায় বসবাসকারী ক্রেনার্কিয়ার সংযুক্তির ফলে সুকেন্দ্রিক কোষের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে অম্ল ও গন্ধক যুক্ত জলে বসবাসকারী জীবদের চলমান হতে সহায়তা করে। যে সমস্ত জীবের বিপাকীয় সরঞ্জাম নেই, অক্সিজেন তাদের পক্ষে ক্ষতিকর। এই সংযুক্তির ফলে আর্কিয়া ব্যাক্টেরিয়ার কোষে একটি বিজারক পরিবেশ সৃষ্টি করে যার ফলে সালফার ও অম্লের সালফেট বিজারিত হয়ে সালফাইড যৌগে পরিণত হয়। কম বায়ু যুক্ত পরিবেশে অক্সিজেন বিজারিত হয়ে জলে পরিণত হয় বলে ব্যাক্টেরিয়ার পক্ষে অক্সিজেন উপকারী রাসায়নিক উপাদান হিসেবে পরিণত হয়। অপরপক্ষে ব্যাক্টেরিয়া আর্কিয়ার চলমানতার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রন গ্রাহক সরবরাহ করে। ব্যাক্টেরিয়া ও আর্কিয়ার ডিএনএ সংযুক্ত হয়ে সুপকেন্দ্রিক কোষের জিনোম সৃষ্টি করে। আলফাপ্রোটিওব্যাক্টেরিয়া ও সায়ানোব্যাক্টেরিয়া অন্তঃমিথোজীবিত্বের ফলে এই সকল কোষে যুক্ত হয়ে যথাক্রমে মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্ট গঠন করে।", "title": "সুকেন্দ্রিক" }, { "docid": "8547#0", "text": "কলেরা একটি সংক্রামক রোগ যা পাশ্চাত্যে এশীয় কলেরা নামেই বেশি পরিচিত। ভিব্রিও কলেরী নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে যার প্রধান উপসর্গ মারাত্মক উদরাময় ndash; মুহূর্মহু প্রচুর জলের মত পাতলা পায়খানা, সঙ্গে পেটব্যথা, জলাভাবে শারীরিক দৌর্বল্য এবং চিকিৎসা না হলে শেষপর্যন্ত দেহে জলাভাবের ফলে মৃত্যু। মানব শরীরে সংক্রমণের প্রধান বাহক পানীয় জল অথবা খাদ্য। রোগটির প্রাকৃতিক রিজার্ভার আছে কিনা জানা নেই। রিজার্ভার বা ধারক হল কোন প্রাণীর দঙ্গল বা প্রাকৃতিক কোন স্থায়ী উৎস যা বীজানুটিকে ধারণ করে রাখে (কিন্তু জীবিত ধারকের ক্ষেত্রে- নিজেরা রোগে মারা পড়ে না)। এরা রোগটিকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হতে সাহায্য করতে পারে এবং রোগটি পৃথিবী থেকে দূর করার প্রধান অন্তরায় হয়ে পড়ে। অনেক দিন শরে মনে করা হয়ে এসেছে এর ধারক মানুষ নিজেই, কিন্তু কিছ তথ্য-প্রমাণ অনুযায়ী এর ধারক হতে পারে জলীয় পরিবেশ।", "title": "কলেরা" } ]
কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারটির সর্বপ্রথম মালিক কে ছিলেন ?
[ { "docid": "96891#1", "text": "১৮৩৬ সালে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি নামে প্রথম এই গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় এটি ছিল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন এই লাইব্রেরির প্রথম মালিক। ভারতের তদনীন্তন গভর্নর-জেনারেল লর্ড মেটকাফ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ লাইব্রেরির ৪,৬৭৫টি বই এই গ্রন্থাগারে দান করেছিলেন। এই দানের ফলেই গ্রন্থাগারের গোড়াপত্তন সম্ভব হয়েছিল। এই সময় বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষার বইই এই গ্রন্থাগারের জন্য ক্রয় করা হত। কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গ্রন্থাগারকে অর্থসাহায্য করতেন; সরকারের কাছ থেকেও অনুদান পাওয়া যেত। এই সময় এই গ্রন্থাগারে বহু দেশি ও বিদেশি দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সংগৃহীত হয়, যা আজও রক্ষিত আছে। ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরিই ছিল শহরের প্রথম নাগরিক পাঠাগার।", "title": "জাতীয় গ্রন্থাগার (ভারত)" } ]
[ { "docid": "431197#1", "text": "১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজের একুশ বছর বয়সী বাংলা বিভাগের ছাত্র সন্দীপ দত্ত ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগারে পত্র-পত্রিকা সন্ধান করতে গিয়ে সেগুলির প্রতি চূড়ান্ত অবহেলা ও সংরক্ষণের অভাব লক্ষ্য করেন। কলকাতার সবচেয়ে বড় গ্রন্থাগারে পত্র-পত্রিকার এই অবস্থা দেখে সন্দীপ দত্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুধুমাত্র পত্র পত্রিকার পঠন-পাঠন ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এই বছর ২৭ থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর, তিনি নিজের বাড়ীতে ৭৫০টি পত্র-পত্রিকা নিয়ে একটি প্রদর্শনী করেন। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বইমেলায় সন্দীপ দত্ত তাঁর পত্র-পত্রিকার সংগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জুন মাসে কলকাতার ১৮/এম টেমার লেনে তাঁর পৈতৃক বাড়ির একতলায় তিনি \"বাংলা সাময়িকপত্র পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র\" নামক একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ই মে গ্রন্থাগারটির সদস্যপদ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠানকে নথীভুক্ত করা হয় এবং নতুন নামকরণ করা হয় \"কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র\"। এই বছর (২০১৭) লাইব্রেরি চার দশক পূর্ণ করবে।", "title": "কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র" }, { "docid": "79389#4", "text": "১৯৭২ সালে নতুন দিল্লিতে আয়োজিত বিশ্ব বইমেলা ছিল কলকাতা বইমেলার আদি অণুপ্রেরণা। এরপর ১৯৭৪ সালে ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট (এনবিটি) কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে একটি জাতীয় বইমেলার আয়োজন করে। ১৯৬০-এর দশকে মুম্বইয়ের চার্চ গেট ময়দানে এনবিটি প্রথম জাতীয় বইমেলার আয়োজন করেছিল। এরপর দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাইতে জাতীয় বইমেলার আয়োজন করলেও কলকাতায় বইমেলার সাফল্য সম্পর্কে তাঁরা সন্দিহান ছিলেন। এই কারণে এনবিটি নিজ উদ্যোগে কলকাতায় জাতীয় বইমেলা আয়োজনের উৎসাহ দেখাননি। ইউ. এন. ধর অ্যান্ড সনস প্রকাশন সংস্থার সত্ত্বাধিকারী বিমল ধর এনবিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে অ্যাকাডেমি চত্বরে একটি ছোটোখাটো বইমেলার আয়োজন করেন। এই বইমেলায় বাংলা বই বিক্রির সাফল্যে কলকাতার পাঠক সম্পর্কে এনবিটির ধারণা পরিবর্তিত হয়। এরপরই কলকাতায় বার্ষিক বইমেলা আয়োজনের চিন্তাভাবনা শুরু হয়।", "title": "আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা" }, { "docid": "64586#2", "text": "বাঙালি মুসলমানের নিজস্ব সাহিত্য প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্দেশ্যেই ‘জাতীয় মঙ্গলে'র কবি ভোলার মোজাম্মেল হকের আহবানে ১৯১১ সনের ৪ মে কলকাতার ৯নং অ্যান্টনী বাগানে এই সমিতি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। \"করিম বক্স ব্রাদ্রার\" দপ্তরীখানার মালিক মৌলভী আব্দুর রহমানের বাসভবনে ছিল সেই অ্যান্টনী বাগান। তৎকালীন স্কুলসমূহের পরিদর্শক \"মৌলভী আব্দুল করিম\" বি.এ.-এর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, সাপ্তাহিক ‘দি মুসলমান'-এর সম্পাদক মৌলভী মুজিবুর রহমান, শেখ আব্দুর রহিম, মুনশী মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ, শান্তিপুরের কবি মোজাম্মেল হক, ‘কোহিনূর' সম্পাদক মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী প্রমুখ তৎকালীন বিশিষ্ট সাহিত্যিক-সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি' গঠিত হয় এবং মৌলভী আব্দুল করিম ও মৌলভী মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে নবগঠিত সমিতির যথাক্রমে প্রথম সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।", "title": "বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি" }, { "docid": "69509#0", "text": "দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি (ইংরেজি: The Asiatic Society) কলকাতার একটি অগ্রণী গবেষণা সংস্থা। ১৭৮৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ভারততত্ত্ববিদ স্যার উইলিয়াম জোনস ব্রিটিশ ভারতের তদানীন্তন রাজধানী কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের তদানীন্তন গভর্নর-জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন এই সংস্থার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ১৮০৮ সালে দক্ষিণ কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটি ভবনে সংস্থাটি স্থানান্তরিত হয়। ১৯৬৫ সালে এই ঐতিহাসিক ভবনটির পাশেই সোসাইটির দ্বিতীয় ভবনটির দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়। বর্তমানে সোসাইটির একটি নিজস্ব গ্রন্থাগার ও নিজস্ব সংগ্রহালয়ও রয়েছে। এই গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে অনেক প্রাচীন পুঁথি, বইপত্র, তাম্রসনদ, মুদ্রা, প্রতিকৃতি, ছবি ও আবক্ষ মূর্তি। উল্লেখ্য, কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি সমজাতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে প্রাচীনতম।", "title": "এশিয়াটিক সোসাইটি (কলকাতা)" }, { "docid": "543683#9", "text": "১৫ জানুয়ারি, ১৭৫৯ তারিখে প্রথম প্রদর্শনী গ্যালারী ও গবেষকদের জন্য পাঠকক্ষের ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়। ১৭৫৭ সালে রাজা দ্বিতীয় জর্জ দেশে প্রকাশিত প্রত্যেক গ্রন্থের একটি সংখ্যা এতে রাখার বিষয়ে অনুমোদন দেন। এরফলে মিউজিয়ামের গ্রন্থাগার অসীমভাবে বিস্তারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।\n১৮৫৬ সালে অ্যান্থনি পানিজ্জি ব্রিটিশ লাইব্রেরির প্রধান গ্রন্থাগারিকের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলে, গ্রন্থাগারের সংগ্রহশালা ২৩৫,০০০ থেকে ৫৪০,০০০-এ বৃদ্ধি পায় যা একে তৎকালীন সময়ে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম গ্রন্থাগারে রূপান্তর করে। এর জনপ্রিয় সার্কুলার পাঠ কক্ষ ১৮৫৭ সালে উদ্বোধন করা হয়। পানিজ্জি তাঁর সহকারীদের নিয়ে ১৮৪১ সালে প্রণীত ‘একানব্বই ক্যাটালগিং নিয়মের’ আওতায় নতুন তালিকা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। ঐ নিয়মগুলো পরবর্তীতে ১৯শ ও ২০শ শতাব্দীতে সৃষ্ট সকল ক্যাটালগ নিয়মের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এটি আইএসবিডি ও ডাবলিন কোরের ন্যায় ডিজিটাল ক্যাটালগিং উপাদানের ভিত্তিস্বরূপ।", "title": "জাতীয় গ্রন্থাগার" }, { "docid": "646362#8", "text": "১৮৫২ সালের ১৫ এপ্রিল, জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের প্রথম(এবং সম্ভবত এশিয়াতেও) বিনামূল্যে জনসাধারনের জন্যে গ্রন্থাগার খুলে দেন। উত্তরপাড়া পাবলিক লাইব্রেরি নামে পরিচিত এই গ্রন্থাগারটি মূলত জয়কৃষ্ণ মুখার্জ্জীর ব্যক্তিগত সংগ্রহ নিয়ে তৈরী হয়। ১৮৫১ সালের শেষদিক পর্যন্ত এটি শুধুমাত্র গবেষকদের জন্য খোলা থাকতো। জনসাধারণের শিক্ষার প্রসার এবং বাংলায় বৃত্তি প্রদান বৃদ্ধির জন্যে জয়কৃষ্ণ কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন। তার উপর দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রভাব এবং ১৮৫০ সালের ব্রিটেনে পাবলিক লাইব্রেরি অ্যাক্ট তাঁর এই ইচ্ছেকে আরো অনমনীয় করে তোলে। ১৮৫৪ সালের আগস্ট মাসে তিনি উত্তরপাড়াতে একটি পাবলিক লাইব্রেরির জন্য বর্ধমানের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। ৫০০০টাকা তিনি এই লাইব্রেরীতে দান করতে ইচ্ছুক ছিলেন। প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয় নি। জয়কৃষ্ণ তখন নিজেই পুরো লাইব্রেরীটির খরচ বহন করেন। হুগলি নদীর তীরে এই গ্রন্থাগারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮৫৬ সালে। ৮৫০০০ টাকা খরচ করে এক একর জমির উপরে লাইব্রেরীটি তৈরী হয়। প্রাথমিকভাবে ৭ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল।একজন গ্রন্থাগারিক, একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক, একজন ক্লার্ক, দুইজন মালি, এক ঝাড়ুদার এবং এক দারোয়ান। তিনি উত্তরপাড়ার নাগরিকদের একটি গ্রূপকে লাইব্রেরির দেখাশোনা করার কাজে নিয়োগ করেন।", "title": "উত্তরপাড়া পাবলিক লাইব্রেরী" }, { "docid": "79389#5", "text": "১৯৭৫ সালে কলকাতার চোদ্দোটি প্রকাশক ও পুস্তকবিক্রেতা সংস্থাকে নিয়ে বিমল ধরের উদ্যোগে গঠিত হয় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল কলকাতায় বার্ষিক বইমেলার আয়োজন। বিমল ধরের সঙ্গে ছিলেন এম. সি. সরকার অ্যান্ড সনস সংস্থার সুপ্রিয় সরকার, দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানির প্রবীর দাশগুপ্ত, সাংবাদিক অতীন রায়, জিজ্ঞাসা প্রকাশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশকুমার কুণ্ডা ও সুশীল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রথমে এই সংস্থার নাম ছিল ‘পাবলিশার্স গিল্ড’। কিন্তু গিল্ড সংবিধান তৈরি হওয়ার পর সংস্থার নাম বদলে রাখা হয় ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’। সুশীল মুখোপাধ্যায় গিল্ডের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালেই কলকাতা তথ্যকেন্দ্রে গিল্ড ‘ওয়ার্ল্ড অফ পেপার ব্যাকস’ নামে একটি বইসংক্রান্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এরপরই শুরু হয় কলকাতা বইমেলার চিন্তাভাবনা। সর্বভারতীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে কলকাতা বইমেলার পোশাকি নামকরণ হয় ‘কলিকাতা পুস্তকমেলা’ বা ইংরেজিতে ‘ক্যালকাটা বুক ফেয়ার’। ১৯৭৬ সালে প্রথম কলকাতা বইমেলার আয়োজন করা হয়।", "title": "আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা" }, { "docid": "64586#1", "text": "কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির প্রথম সম্পাদক ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এ সমিতি গঠনের পটভূমি সম্পর্কে তিনি বলেন:\n\"ইংরেজি ১৯১০ সালে আমি বি.এ. পাস করি। ঐ সময় কলকাতায় কয়েকটি উৎসাহী যুবকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, মৌলভী আহমদ আলী, মঈনুদ্দীন হুসায়ন প্রভৃতি। সকলের মধ্যে জ্বলন্ত উৎসাহী ছিলেন মৌলভী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। আমরা কয়েকজন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভ্য ছিলাম। সেখানে হিন্দু-মুসলমান কোন ভেদ না থাকলেও আমাদের সাহিত্যিক দারিদ্র্যের দরুন আমরা বড় লোকের ঘরে গরীব আত্মীয়ের মতন মন-মরা হয়ে তার সভায় যোগদান করতাম। আমাদের মনে হলো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে সম্বন্ধ বিচ্ছেদ না করেও আমাদের একটি নিজস্ব সাহিত্য-সমিতি থাকা উচিত।\"", "title": "বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি" }, { "docid": "543683#6", "text": "ইংল্যান্ডে স্যার রিচার্ড বেন্টলি’র রাজকীয় গ্রন্থাগার নির্মাণের প্রস্তাবনা ১৬৯৪ সালে প্রকাশিত হলে এ বিষয়ে আগ্রহীদের পুণরুজ্জীবন ঘটে। কনিংটনের সম্পদশালী পুরাতত্ত্ববিদ প্রথম ব্যারনেট স্যার রবার্ট কটন ঐ সময়ে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধ ব্যক্তিগত পাণ্ডুলিপির সংগ্রহগুলো জড়ো করেন ও কটন লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন। যাজকীয় প্রথা বিলোপনের পর যাজকদের গ্রন্থাগারে অনেক মূল্যহীন ও সুপ্রাচীন পাণ্ডুলিপি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চলে যায়। তাঁদের অনেকেই এ সকল পাণ্ডুলিপির গুরুত্ব সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিলেন। স্যার রবার্ট তাঁর বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে ঐ প্রাচীন দলিলপত্রাদি খুঁজে বের করেন, ক্রয় করেন ও সংরক্ষণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর নাতি জাতির গ্রন্থাগার হিসেবে প্রথম জাতীয় গ্রন্থাগারে দান করেন। এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্রিটিশ লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা পায়।", "title": "জাতীয় গ্রন্থাগার" } ]
আচেহ সালতানাতের প্রথম সুলতান কে ছিলেন ?
[ { "docid": "455215#1", "text": "আচেহর শাসক ১৫শ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইসলাম গ্রহণ করেন। আলি মুগায়াত শাহ আচেহ সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৫২০ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর সুমাত্রায় তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য অভিযান শুরু করেন। সুলতান ইসকান্দার মুদা তার অভিযানের মাধ্যমে আচেহর সীমানা বৃদ্ধি করেন। ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে দেলি পরাজিত হয় এবং আচেহর অন্তর্গত হয়। ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে ডাচদের হস্তক্ষেপের পরের বছর ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে সন্ধি হয় যা আচেহ ও সিয়াকের কাছ থেকে দেলির স্বাধীনতা স্বীকার করতে সহায়তা করে। এটি বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার অংশ। মেদানের ইতিহাসে সালতানাত প্রতীক হিসেবে টিকে রয়েছে।", "title": "দেলি সালতানাত" } ]
[ { "docid": "453826#5", "text": "আলাউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ ইবনে ফিরমান শাহ ১৫৮৯ থেকে ১৬০৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সুলতান ছিলেন। অভ্যন্তরীণ বিরোধ আরেকজন ক্ষমতাশালী সুলতানকে ১৬০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত উঠে আসতে বাধা প্রদান করে। এসময় ইসকান্দার মুদা ক্ষমতায় আসেন। তিনি সুমাত্রার অধিকাংশ এলাকায় সালতানাতের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মালয় উপদ্বীপের একটি টিন উৎপাদনকারী অঞ্চল পাহাং জয় করেন। তিনি জহরের সুলতানকে তার কর্তৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য করেন। তার শাসনামলে তিনি \"আদাত মেউকুতা আলাম\" (আদাত অর্থ \"প্রথা বা \"প্রথাগত নিয়ম\") নামক আইন প্রণয়ন করেন। ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মালাক্কার বিরুদ্ধে অভিযানের সময় তার শক্তিশালী নৌবহর ধ্বংস হয়। পর্তুগিজ বিবরণ অণুযায়ী পর্তুগিজ ও জহরের সম্মিলিত বাহিনী তার সব জাহাজ ১৯,০০০ সৈনিকসহ ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়। তবে আচেহর বাহিনী ধ্বংস হয়নি। সে বছর তারা কেদাহ জয় করে এবং এর অনেক নাগরিককে বন্দী করে আচেহ নিয়ে আসা হয়। সুলতানের জামাতা ও পাহাঙের সাবেক রাজপুত্র ইসকান্দার থানি তার উত্তরসুরি হন। তার শাসনামলে আচেহর অভ্যন্তরীণ অবস্থার উন্নতি ও ধর্মীয় ঐক্য দেখা যায়।", "title": "আচেহ সালতানাত" }, { "docid": "453839#0", "text": "ইসকান্দার মুদা (১৫৮৩? – ২৭ ডিসেম্বর ১৬৩৬) ছিলেন আচেহ সালতানাতের দ্বাদশ সুলতান। তার শাসনামলে আচেহর সীমানা সর্বো‌চ্চ পর্যায়ে পৌছায়। এছাড়াও এই রাজ্য পশ্চিম ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জ ও মালাক্কা প্রণালী অঞ্চলে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী হয়। \"ইসকান্দার মুদা\" নামের আক্ষরিক অর্থ \"তরুণ আলেক্সান্ডার\"। তার বিজয় অভিযানকে কখনো কখনো আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের সাথে তুলনা করা হত। বিজয় অভিযান ছাড়াও তার শাসনামলে আচেহ ইসলামি জ্ঞান ও বাণিজ্যের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে উঠে।", "title": "ইসকান্দার মুদা" }, { "docid": "455215#29", "text": "বিপ্লব ও স্বাধীনতার পরও সালতানাত টিকে রয়েছে। তবে এর কোনো রাজনৈতিক কর্তৃত্ব নেই। \"নতুন ধারার যুগ\" বলে পরিচিত যুগে প্রবেশের পর সুলতান আজমি পেরকাসা আলম আলহাজ ১৯৬৭ থেকে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সিংহাসনে ছিলেন। সুলতান ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে থেকে সুলতান ওতেমান মাহমুদ পেরকাসা আলম সুলতান হন। তিনি ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীতে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ছিলেন। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুলাই আচেহর মালিকুস সালেহ বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি মারা যান। ২২ জুলাই যুবরাজ সিংহাসনে বসেন এবং সুলতান মাহমুদ লামানজিজি পেরকাসা আলম উপাধিধারণ করেন।লাবুহান দেলি, লাংকাত, সুকা পিরিং, বুলুহ চিনা, দেনাই, সেরবাজাদি এবং সুমাত্রা দ্বীপের পূর্ব উপকূলের অন্যান্য কিছু অঞ্চল দেলি সালতানাতের অংশ। ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে আচেহ সালতানাত নিয়ন্ত্রণ পুনরায় লাভ করলে আচেহর নিয়ন্ত্রণে দেলি স্বাধীনতা ঘোষণা করে। রোকান থেকে দক্ষিণে তামিয়াঙের সীমান্ত পর্যন্ত এর সীমানা নির্ধারিত হয়।", "title": "দেলি সালতানাত" }, { "docid": "453826#9", "text": "১৬৯৯ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান বদরুল আলম শরিফ হাসিম জামালউদ্দিন ক্ষমতা লাভ করেন। তিনি প্রায় ৬০ বছর শাসন করেছিলেন। তার পর বেশ কয়েকজন অল্পকাল স্থায়ী শাসক শাসন করেছেন এবং ১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দে বুগিনি রাজবংশের সদস্য সুলতান আলাউদ্দিন আহমেদ শাহ ক্ষমতা লাভ করেন। ১৮শ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং ১৯শ শতাব্দীর শুরুর দিকে পেনাঙের প্রথম কাপিতান চিনা কোহ লে হুয়ান আচেহর ইংরেজি ও ফরাসি বলতে পারা সুলতান জওহরউল আলমের সাক্ষাত লাভ করেন। সুলতান কোহকে আচেহ থেকে গোলমরিচ গাছ সংগ্রহ করার এবং পেনাঙে গোলমরিচ চাষ শুরু করার অণুমতি দেন। পরবর্তীতে ১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দে আচেহর আঞ্চলিক প্রধানদের বিদ্রোহ দমনের কাজে কোহ সুলতানকে সাহায্য করেন।", "title": "আচেহ সালতানাত" }, { "docid": "453826#3", "text": "১৫শ শতাব্দীর মধ্যভাগে আচেহর শাসক ইসলাম গ্রহণ করেন। আলি মুগায়াত শাহ সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি উত্তর সুমাত্রায় তার নিয়ন্ত্রণ বিস্তারের জন্য ১৫২০ খ্রিষ্টাব্দে অভিযান চালান। তার বিজিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে দেলি, পেদির ও পাসাই। তিনি আরু আক্রমণ করেছিলেন। তার পুত্র আলাউদ্দিন আল-কাহার (মৃত্যু ১৫৭১) দক্ষিণে সুমাত্রায় রাজ্যবিস্তার করেন। তবে তিনি প্রণালী বরাবর বেশি সাফল্য পাননি যদিও তিনি জহর ও মালাক্কা উভয়ের উপর কয়েকবার আক্রমণ চালিয়েছিলেন। তার এসকল অভিযানে উসমানীয় সুলতান প্রথম সুলাইমান লোকবল ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের তরফ থেকে কুরতুগলু হিজির রেইসের নেতৃত্বে ১৫টি জাহাজ পাঠানো হয়।", "title": "আচেহ সালতানাত" }, { "docid": "606216#1", "text": "তিনি জন্মসূত্রে ছিলেন একজন কিপছাক। সেলজুক্ব সুলতান প্রথম মেহদির সাবেক উজির- কামাল দিন-আল সিমিরুমির ফ্রিডম্যান ছিলেন এবং পরে সুলতান মাস'উদ এর শাসনামলে (১১৩৪-১১৫২) তিনি আরানের সচিব পদে উপনীত হন। সেলজুক্ব রাজ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী সীমান্তবর্তী আমির, তিনি পাশ্ববর্তী জর্জিয়া রাজ্যের ঘন ঘন আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য বিরাট সেনাবাহিনীর সাহায্য লাভ করেন। এর ফলে ১১৪৬ সালে তিনি নিজেকে আজারবাইজানের স্বাধীন শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি দ্বিতীয় সুলতান তঘরুল (১১৩২-১১৩৩; মাসুদের ভাই এবং পূর্বপুরুষ)  এর বিধবা স্ত্রী-কে বিয়ে করেন যিনি তাঁকে উক্ত রাজবংশীয় বিবাদে ( ১১৫২ সালে যা মাসুদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়) হস্তক্ষেপের ব্যপারে অনুমতি দেয়। তিনি সফলতা লাভ করেন, ১১৬০ সালে, সুলায়মান শাহ এর পদচ্যুতি ঘটিয়ে তিনি তাঁর সৎ পুত্র আরস্লান বি. তঘরুল (১১৬০-১১৭৫) কে সুলতান পদে উপবিষ্ট করেন। আতাবেক এর খেতাব লাভ করে,  ইলদেনিয তখন সুলতানের প্রশাসকের প্রধান রক্ষাকর্তায় উপনীত হন।", "title": "এলদিগুয" }, { "docid": "455215#2", "text": "সুলতান ইসকান্দার মুদার শাসনামলে আচেহ সালতানাতের সমৃদ্ধির যুগের সাথে দেলি সালতানাতের ইতিহাসের সম্পর্ক রয়েছে। ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে আচেহ দারুস সালামের বিস্তার শুরু হয়। এসময় সুমাত্রার পূর্ব উপকূলের শহরগুলোতে আক্রমণ করা হয়। দেলির উপকূল ছয় সপ্তাহের মধ্যে দখল করে নেয়া হয়। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমদিকে আরু রাজ্য আত্মসমর্পণ করেছিল। পূর্ব সুমাত্রায় অবস্থিত আরু রাজ্যকে কিছু রচনা কর্মে যেমন দ্বিতীয় টুঙ্কু লোকমান সিনার বাসার শাহর লেখায় হারু রাজ্যও বলা হয়েছে। তিনি পূর্ব সুমাত্রার ইতিহাস নিয়ে নিয়মিত লিখে গেছেন।", "title": "দেলি সালতানাত" }, { "docid": "453826#10", "text": "১৮২০ এর দশকে আচেহ পৃথিবীতে গোলমরিচের সরবরাহের অর্ধেক উৎপাদন করত। সুলতান টুঙ্কু ইবরাহিম সালতানাতের নিয়ন্ত্রণ কিছু এলাকায় পুনপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন এবং \"গোলমরিচ রাজা\"দের উপর নিয়ন্ত্রণ পান। এরা সুলতানের অধীনস্থ ছিল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে লিপ্ত হত। তিনি তার ভাই মুহাম্মদ শাহর শাসনামলে ক্ষমতায় উঠে আসেন। ডাচরা যখন উত্তরে তাদের অবস্থান শক্ত করছিল তখন তিনি দক্ষিণে তার নিয়ন্ত্রণ গড়ে তোলেন।", "title": "আচেহ সালতানাত" }, { "docid": "449105#0", "text": "আলাউদ্দিন মাসুদ (শাসনকাল : ১২৪২ - ১২৪৬) ছিলেন দিল্লির মামলুক সালতানাতের সপ্তম সুলতান। তিনি রুকনউদ্দিন ফিরোজের পুত্র এবং রাজিয়া সুলতানার ভাইপো। তার পূর্বসূরি মুইজউদ্দিন বাহরাম নিহত হওয়ার পর অভিজাতরা তাকে পরবর্তী শাসক হিসেবে নির্বাচন করে। তবে তিনি অভিজাতদের দ্বারা বেশি নিয়ন্ত্রিত হতেন এবং সরকারে তার ক্ষমতা বেশি ছিল না। তার বিনোদনপ্রিয়তা ও মদ্যপানের কারণে অনেকে তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল। ১২৪৬ খ্রিষ্টাব্দে অভিজাতদের মধ্যে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং তাকে সরিয়ে শামসউদ্দিন ইলতুতমিশের নাতি নাসিরউদ্দিন মাহমুদকে সুলতানের পদে বসায়।", "title": "আলাউদ্দিন মাসুদ" }, { "docid": "449044#0", "text": "মুইজউদ্দিন বাহরাম (শাসনকাল:১২৪০-১২৪২) ছিলেন দিল্লির মামলুক সালতানাতের ষষ্ঠ সুলতান। তিনি সুলতান শামসউদ্দিন ইলতুতমিশের পুত্র এবং রাজিয়া সুলতানার ভাই। তাঁর বোন ভাটিণ্ডা থাকাকালে তিনি চিহালগনি বলে পরিচিত চল্লিশজন অভিজাত ব্যক্তির সমর্থনে নিজেকে সুলতান ঘোষণা করেন। রাজিয়া তার স্বামী ভাটিণ্ডার প্রধান মালিক আলতুনিয়ার সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা ধরা পড়েন এবং তাদের হত্যা করা হয়। তবে মুইজউদ্দিনের শাসনামলে তার সমর্থক নেতারা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে লিপ্ত হয়। বিশৃঙ্খল অবস্থায় তিনি তার সেনাবাহিনীর হাতে ১২৪২ খ্রিষ্টাব্দে নিহত হন। তার মৃত্যুর পর রুকনউদ্দিন ফিরোজের ছেলে আলাউদ্দিন মাসুদ তার উত্তরসুরি হন।", "title": "মুইজউদ্দিন বাহরাম" } ]
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন কবে ঘটে ?
[ { "docid": "349810#0", "text": "কনস্টান্টিনোপল বিজয় (, \"\"; )\nরাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর ভবিষ্যৎবাণী কনস্টান্টিনোপল বিজয়,১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সুলতান উসমানীয় সাম্রাজ্য সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ কর্তৃক শহরটি অধিকারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। পূর্বে এটি পূর্ব রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। শহর অধিকারের পূর্বে এটি জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবরোধের সম্মুখীন হয়। এরপর চূড়ান্তভাবে শহরটি উসমানীয়দের অধিকারে আসে। তারও পুর্বে মহান সেলযুক সুলতান আল্প আরসালান ও শহরটি জয় করেছিলেন কিন্তু এর দখল ধরে রাখতে পারেননি।", "title": "কনস্টান্টিনোপল বিজয়" }, { "docid": "632216#1", "text": "১২০৪ সালে চতুর্থ ক্রসেডদের দ্বারা বাইজেন্টাইনের রাজধানী কন্সটান্টিনপোল দখল হয় যা ছিলো পূর্ব-পশ্চিম খ্রিষ্টীয় বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। দুঃশাসন, পরস্পর বিভক্তি এবং বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যাওয়া বাইজেন্টাইন সম্রাজ্য ঐ সময়ই দুর্বল হয়ে পরেছিলো। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রুমের সেলজুক সুলতান পশিম এশিয়ার মাইনর অঞ্চলে অরাজকতা শুরু করে পরে নিকীয় সম্রাজ্য রোমান শাসনের অধিনে থাকে সেলজুক তুরকীদের তাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে । অবশেষে ১২৬১ সালে ল্যাটিন সম্রাজ্যের কাছ থেকে কন্সটান্টিপোল নিকীয় সম্রাজ্য পুনরায় উদ্ধার করে। তবে ইউরোপে বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের অবস্থা ছিলো অনিশ্চিত কেননা সেখানে প্রতিযোগী হিসেবে আরো ছিলো ইপিরাস, সাইবেরিয়া এবং দ্বিতীয় বুলগেরিয়ান সম্রাজ্য। সমন্বিত কারনে সুলতানের(এশিয়ায় বাইজেন্টাইনদের প্রধান শত্রু) শক্তি হ্রাস পাওয়ায় বাইজেন্টাইনরা এশিয়ার মাইনর অঞ্চল থেকে সৈন্য সরিয়ে নিজেদের কাছে নিয়ে আসতে থেকে। তবে রুম সুলতানের দুর্বলতা কোনো আশীর্বাদ নিয়ে আসে নি , কেননা গাজী নামক উচ্চ শ্রেনীর কর্মকর্তারা বাইজেন্টাইন্দের অর্থায়নে তাদের আশ্রয় দান করে। তবে বাইজেন্টাইন ও সেলজুকদের সাথে কিছু তুরকীদের আংশ গ্রহনে প্রথম উসমানের নেতৃত্বে নিকীয় এবং কন্সটেন্টিপোলেরা বড় রকম বিপদে পরে যায়। \nপ্রথম ৯০ বছরে উসমানীদের বাইজেন্টাইন সম্রাজ্য তেমন কিছুই করতে পারে নি এবং ১৩৮০ সাল থেকে ১৪৫৩ সালের মধ্যে ধীরে ধীরে উসমানী সম্রাজ্যের উদ্ভব হতে থাকে এবং বাইজেন্টাইন সম্রাজ্য অস্তমিত হতে থাকে ।", "title": "বাইজেন্টাইন-উসমানীয় যুদ্ধ" }, { "docid": "1109#24", "text": "গ্রিক ভাষী অধ্যুষিত পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য পশ্চিমে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এর রাজধানী ছিলো কনস্টান্টিনোপল। সম্রাট প্রথম জুথিনিয়ান কনস্টান্টিনোপললের প্রথম স্বর্ণযুগে শাসন করেন: তিনি আইনগত নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেন, হাজিয়া সোফিয়া নির্মাণ তহবিল দেন এবং রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের অধীনে খ্রিস্ট গির্জা আনেন। বেশিরভাগ সময়ের জন্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, এবং সামরিক বাহিনী ছিল। ১২০৪ সালে কনস্ট্যান্টিনোপোলের ধ্বংসসাধনে মারাত্মকভাবে দুর্বল, চতুর্থ ক্রুসেডের সময়, উসমানীয় সাম্রাজ্যের হাতে বাইজেন্টাইনের ১৪৫৩ সালে পতন ঘটে।", "title": "ইউরোপ" } ]
[ { "docid": "378909#3", "text": "মুসলিম বিজয় সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটায় এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিশাল এলাকা অধিকার করে নেয়। মুসলিমদের সাফল্যের কারণগুলো পুনরুদ্ধার করা কঠিন কারণ মূল উৎসগুলোর অল্প টিকে আছে। অধিকাংশ ইতিহাসবিদরা একমত যে সাসানীয় পারস্য ও বাইজেন্টাইন রোমান সাম্রাজ্য কয়েক দশক ধরে পারস্পরিক লড়াইয়ের কারণে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। ভিসিগথিক স্পেনের জলদি পতনের কারণ ব্যাখ্যা সহজসাধ্য।", "title": "মুসলিম বিজয়" }, { "docid": "493310#2", "text": "মধ্যযুগে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য শক্তিশালী থাকা সত্ত্বেও নবম কনস্টান্টাইন এবং দশম কনস্টান্টাইনের শাসনামলে সামরিক দুর্বলতার কারণে এর অবনতি শুরু হয়। প্রথম আইজ্যাকের দুই বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামলে সেনাবাহিনীর সংস্কারের ফলে পতন কিছুটা দীর্ঘা‌য়িত হয়। নবম কনস্টান্টাইনের শাসনামলে সেলজুক তুর্কিরা আর্মেনীয় রাজধানী আনি অধিকারের প্রচেষ্টা চালালে বাইজেন্টাইনরা সর্বপ্রথম সেলজুকদের সাথে জড়িয়ে পড়ে। কনস্টান্টাইন সেলজুকদের সাথে চুক্তি করেন এবং তা ১০৬৪ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল। এরপর তারা আনি অধিকার করে এবং ১০৬৭ সালে কায়সারিয়াসহ আর্মেনিয়ার বাকি অংশ অধিকার করে নেয়।", "title": "মালাজগির্দ‌ের যুদ্ধ" }, { "docid": "383865#2", "text": "প্রথম শতাব্দীতে বাইজেন্টাইনরা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয় এবং খোলা মাঠে যুদ্ধ এড়িয়ে চলে। তারা সুরক্ষিত দুর্গে অবস্থান নিত। ৭৪০ এর পর থেকে তারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। কিন্তু এসময়ও আব্বাসীয়রা এশিয়া মাইনরে বড় আকারের ও বিধ্বংসী আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করতে সক্ষম ছিল। ৮৬১ এর পর থেকে আব্বাসীয়দের পতন ও বিভাজন এবং মেসিডোনীয় রাজবংশের অধীনে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শক্তিবৃদ্ধির ফলে স্রোত উল্টো দিকে ঘুরে যায়। ৯২০ থেকে ৯৭৬ এর মোট পঞ্চাশ বছরের মধ্যে বাইজেন্টাইনরা মুসলিমদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয় এবং উত্তর সিরিয়া ও বৃহত্তর আর্মেনিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। বাইজেন্টাইন-আরব যুদ্ধের শেষ শতক ফাতেমীয়দের সাথে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত। কিন্তু ১০৬০ সালের পর সেলজুক তুর্কিদের আগমনের আগ পর্যন্ত সীমানা একইরকম ছিল।", "title": "আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধ" }, { "docid": "10823#5", "text": "প্রথম উসমানের মৃত্যুর পর উসমানীয় শাসন ভূমধ্যসাগরের পূর্বপ্রান্ত এবং বলকান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। উসমানের ছেলে প্রথম ওরহান ১৩২৪ সালে বুরসা জয় করেন এবং একে উসমানীয়দের নতুন রাজধানী করা হয়। বুরসার পতনের ফলে বাইজেন্টাইনরা উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারায়। ১৩৮৭ সালে ভেনিসিয়ানদের কাছ থেকে সেলোনিকা জয় করে নেয়া হয়। ১৩৮৯ সালে কসোভো জয় করার পর অত্র অঞ্চলে সার্বিয়ান শক্তির সমাপ্তি ঘটে ফলে ইউরোপের দিকে উসমানীয়দের অগ্রযাত্রা সহজ হয়। ১৩৯৬ সালে নিকোপোলিসের যুদ্ধকে মধ্যযুগের শেষ ব্যাপকভিত্তিক ক্রুসেড হিসেবে দেখা হয়। এই যুদ্ধে উসমানীয়রা জয়ী হয়েছিল।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য" }, { "docid": "383865#1", "text": "৬৩০ এর দশকে আরব উপদ্বীপ থেকে আরব মুসলিমদের অভিযানের ফলে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য তার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সিরিয়া ও মিশর মুসলিমদের কাছে হারায়। উমাইয়া খিলাফতের অধীনে পরবর্তী পঞ্চাশ বছর মুসলিমরা বাইজেন্টাইন অধীনস্থ এশিয়া মাইনরে অভিযান চালায়, দুইবার বাইজেন্টাইনদের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল হুমকির সম্মুখীন হয় এবং বাইজেন্টাইন অধিভুক্ত আফ্রিকা দখল করে নেয়। ৭১৮ সালে কনস্টান্টিনোপল অবরোধ ব্যর্থ হওয়ার পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়। এসময় এশিয়া মাইনরের পূর্বদিকে তোরোস পর্বতমালা একটি সীমানা হিসেবে পরিগণিত হয়। আব্বাসীয় খিলাফতের অধীনে দূত বিনিময় ও বিভিন্ন মেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক আরো স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু প্রায় বার্ষিক হামলা ও পাল্টা হামলার মাধ্যমে সংঘর্ষ লেগেই ছিল। দশম শতকে এসব হামলায় আব্বাসীয় সরকার বা স্থানীয় শাসক উভয়েই উৎসাহ দেয়।", "title": "আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধ" }, { "docid": "266893#6", "text": "আল্প আরসালানের এই বিজয় নিকট এশিয়ায় সেলজুক তুর্কি ও সুন্নি মুসলিমদের জন্য লাভজনক হয়ে উঠে। যদিও পরবর্তী চার শতাব্দী পর্যন্ত বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য টিকে ছিল এবং ক্রুসেডারদের কারণে মুসলিমরা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়, মানযিকার্টের যুদ্ধ আনাতোলিয়ায় তুর্কিদের অগ্রযাত্রার পক্ষে সহায়ক হয়ে উঠে। এডওয়ার্ড গিবনসহ অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তার মতে মানযিকার্টের পরাজয় হল পূর্বাঞ্চলীয় রোমান সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা। বাইযান্টাইনদের কাছ থেকে আনাতোলিয়া অধিকারের ঘটনা ক্রুসেডের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়।", "title": "আল্প আরসালান" }, { "docid": "317679#23", "text": "সাসানীয় সাম্রাজ্যে আক্রমণ করলে তারা আত্মসমর্পণ না করে লড়াই চালিয়ে যায় এবং হারানো এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। মুসলিমরা পুরো সাসানীয় সাম্রাজ্য দখল করে নেয়। সমগ্র সাম্রাজ্য মুসলিমদের হাতে আসে। তবে সাসানীয়দের মত না হয়ে বাইজেন্টাইনরা সিরিয়া হারানোর পর পশ্চিম আনাতোলিয়ায় পিছু হটে। ফলে তারা মিশর, উত্তর আফ্রিকা, সিসিলি দ্বীপপুঞ্জ, সাইপ্রাস, রোডস হাতছাড়া করে। তবে মুসলিমদের মধ্যে গৃহযুদ্ধের ফলে বিজয় অভিযান স্থগিত হয় এবং এর ফলে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য নিজেকে সামলে নেয়ার সুযোগ পায়।", "title": "রাশিদুন খিলাফত" }, { "docid": "170493#7", "text": "কনস্টান্টিনোপলের অবরোধ ১৪০২ সাল পর্যন্ত চলে। বায়েজীদ পূর্ব দিকে তিমুরি সাম্রাজ্যের সাথে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ার পর বাইজেন্টাইনরা অবরোধ থেকে নিস্কৃতি পায়। এসময় ইউরোপে উসমানীয় সাম্রাজ্য থ্রেস (কনস্টান্টিনোপল ব্যতীত), মেসিডোনিয়া, বুলগেরিয়া ও সার্বিয়ার অংশ জুড়ে ছিল। এশিয়ায় সাম্রাজ্য তোরোস পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বায়েজীদের সেনাবাহিনী মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হত এবং বায়েজীদ মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৪০০ সালে মধ্য এশিয়ার শাসক তৈমুর লং আনাতোলিয়ার উসমানীয়দের অধীনে বেয়লিকগুলোকে নিজের পক্ষে আনেন। ১৪০২ সালের ২০ জুলাই সংঘটিত আঙ্কারার যুদ্ধে উসমানীয়রা পরাজিত হয় এবং বায়েজীদ বন্দী হন। অনেক লেখকের মতে তৈমুর বায়েজীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। তবে তৈমুরের দরবারের লেখক ও ইতিহাসবিদের লেখা অনুযায়ী বায়েজীদের সাথে ভালো আচরণ করা হয়েছিল এবং তার মৃত্যুতে তৈমুর শোক পালন করেছিলেন। বায়েজীদের এক পুত্র মুস্তাফা চেলেবি তার সাথে বন্দী হন। তাকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত তিনি সমরকন্দে বন্দী ছিলেন।", "title": "প্রথম বায়েজীদ" } ]
কেনিয়ার রাজধানী কোনটি ?
[ { "docid": "3134#0", "text": "কেনিয়া পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ অভ নেশনসের সদস্য। কেনিয়া মালভূমি ও উঁচু পর্বতে পূর্ণ। এখানে বহু জাতির লোকের বাস। অতীতে এটি একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ১৯৬৩ সালে এটি স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৬৪ সাল থেকে এটি একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়। কেনিয়ার উত্তরে সুদান ও ইথিওপিয়া, পূর্বে সোমালিয়া ও ভারত মহাসাগর, দক্ষিণে তানজানিয়া এবং পশ্চিমে ভিক্টোরিয়া হ্রদ ও উগান্ডা। নাইরোবি কেনিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।", "title": "কেনিয়া" }, { "docid": "3134#6", "text": "দ্য রিপাবলিক অব কেনিয়া পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ। ভারত মহাসাগরের পাশে অবস্থিত কেনিয়ার সীমান্ত সোমালিয়া ঘিরে রেখেছে উত্তরপূর্ব দিক থেকে। এছাড়া ইথিওপিয়া রয়েছে উত্তরে, আর উগান্ডা ও সুদান আছে উত্তরপশ্চিম দিক ঘিরে। পশ্চিম দিকে রয়েছে লেক ভিক্টোরিয়া। আর তানজানিয়ার অবস্থান দণিপশ্চিমে। কেনিয়ার উল্লেখযোগ্য দিক এর বিশাল বনভূমি। এই বনভূমিতে রয়েছে হাজার হাজার প্রজাতির পশুপাখি। কেনিয়ার রাজধানী হচ্ছে নাইরোবি। ৫ লাখ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটারের দেশটির জনসংখ্যা খুব বেশি নয়। মাত্র ৪১ মিলিয়ন। তবে জনসংখ্যা কম হলেও কেনিয়াতে রয়েছে অন্তত চল্লিশটি পৃথক পৃথক আদিবাসী গোষ্ঠী। আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশিখর ‘মাউন্ড কেনিয়া’ থেকেই কেনিয়া নামটি নেয়া হয়েছে। কেনিয়া শব্দটি মূলত এসেছে কিরিনইয়াগা, কিরিনইয়া এবং কীনইয় শব্দ থেকে। ইংরেজিতে এগুলোর অর্থ হচ্ছে ‘গড’স রেস্টিং প্লেস’ বা প্রভুর বিশ্রাম নেয়ার জায়গা। কেনিয়ার আদিবাসীরা বিশ্বাস করতো এই পর্বত খুবই নিরাপদ এবং পবিত্র স্থান। প্রাগৈতিহাসিক যুগে ‘মাউন্ট কেনিয়া’র অগ্নুৎপাতের ফলে কেনিয়া সৃষ্টি হয়। আর তখন থেকেই এর মূল আদিবাসী কিকুইয়ুরা এ অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করে। ১৯ শতকে জার্মান শাসক লুদউইক কার্প কেনিয়ার বর্তমান নামকরণটি করেন।", "title": "কেনিয়া" } ]
[ { "docid": "453596#0", "text": "ক্যান্ডি ( \"Maha nuwara\", উচ্চারণ ; , উচ্চারণ ) শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর। মধ্যপ্রদেশে এর অবস্থান। রাজধানী কলম্বোর পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এটি। শহরটি শ্রীলঙ্কার প্রাচীন রাজাদের সর্বশেষ রাজধানী ছিল। চা উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পাহাড়ের পাদদেশে এ শহরটি গড়ে উঠেছে। প্রশাসনিক ও ধর্মীয় কারণে এ শহরের সবিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ক্যান্ডি। বিশ্বের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত এ শহরে টুথ রেলিক (শ্রী দালাদা মালিগায়া) মন্দির রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা লাভ করেছে এটি।", "title": "ক্যান্ডি (শ্রীলঙ্কা)" }, { "docid": "64875#0", "text": "অটোয়া () কানাডার রাজধানী। জনসংখ্যার বিচারে অটোয়া দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম মহানগর আবার ওন্টারিও রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এবং ওন্টারিও প্রদেশের ২য় বৃহত্তম শহর।\nমেট্রোপলিটান এলাকাসহ এর লোকসংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ । অন্টারিও প্রদেশের পূর্বপ্রান্তে, অটোয়া নদীর দিকে মুখ করে উঁচু পাহাড়ের উপর ১৮২৬ সালে শহরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অটোয়া নদী ওন্টারিও ও কেবেক প্রদেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সীমান্ত গঠন করেছে। ১৮৫৮ সালে এটি কানাডার রাজধানীতে পরিণত হয়। কাঠ, মণ্ড ও কাগজ, প্রকৌশল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রকাশনা প্রধান শিল্প।", "title": "অটোয়া" }, { "docid": "79770#5", "text": "বেলুচিস্তানের উত্তর-পূর্ব কোণায় অবস্থিত কুয়েতা শহর প্রদেশটির রাজধানী; এটি বেলুচিস্তানের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনবহুল শহর। বেলুচিস্তানে প্রায় ১ কোটি লোকের বাস। এখানকার লোকেরা মূলত বেলুচি, ব্রাহুই, সিন্ধি, উর্দু এবং ফার্সি ভাষাতে কথা বলে। প্রদেশের বেশির ভাগ লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দিক থেকে প্রদেশটি পাকিস্তানের বাকী প্রদেশগুলির তুলনায় অনেক পিছিয়ে।", "title": "বেলুচিস্তান (পাকিস্তান)" }, { "docid": "453613#0", "text": "থাট্টা (; ) পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের থাট্টা জেলার একটি ঐতিহাসিক শহর। এটি বানভোর বিভাগের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পাবে। এ শহরটিতে প্রায় ২২০,০০০ লোক বসবাস করে। দেশের সর্ববৃহৎ স্বাদুপানির হ্রদ কিঞ্জরের কাছে এ শহরের অবস্থান। সিন্ধু নদের পশ্চিমাংশে ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী এলাকা এটি। থাট্টার প্রধান স্থাপনা হিসেবে রয়েছে মাকলিতে অবস্থিত সমাধিক্ষেত্র। ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এলাকা হিসেবে এটি তালিকাভূক্ত। এছাড়াও, উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হচ্ছে শাহজাহান মসজিদ যা ১৯৯৩ সাল থেকে এ তালিকায় পরীক্ষামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচীর ১০০ কিলোমিটার পূর্বে পার্শ্বে প্রাচীন এ শহরটি ছবিসদৃশ্য। ১৮৫৪ সালে এটিকে পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। তুলা ও সিল্কের লুঙ্গি বা সারঙ্গ এ অঞ্চলের প্রধান উৎপাদিত পণ্য। ইক্ষু প্রধান অর্থকরী ফসল। এছাড়াও, উটেরও প্রধান উৎপাদনক্ষেত্র এটি।", "title": "থাট্টা (পাকিস্তান)" }, { "docid": "91159#0", "text": "কন্সটান্টিন () উত্তর-পূর্ব আলজেরিয়ার একটি শহর এবং কন্সটান্টিন প্রদেশের রাজধানী। এটি চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য, পশম ও লিনেন কাপড়ের দ্রব্যের একটি উৎপাদন কেন্দ্র। শহরটি আলজিয়ার্স, তিউনিস, আন্নাবা, বিস্‌ক্রা ও স্কিক্‌দা শহরের সাথে এইসব দ্রব্য ও খাদ্যশস্য দিয়ে বাণিজ্য করে থাকে। স্কিক্‌দা কন্সটান্টিনের একটি ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর হিসেবে কাজ করে।", "title": "কন্সটান্টিন" }, { "docid": "64819#0", "text": "কোয়েটা (, , ) পাকিস্তানের একটি প্রধান শহর। এটি বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী। কোয়েটা পাকিস্তানের ফলের বাগান হিসাবে প্রসিদ্ধ। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য একসময়ে কোয়েটা খুদে প্যারিস হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল। শহরটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এই দুই দেশের বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে। কোয়েটা পাকিস্তানের সর্ব্বোচ্চ শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১৬৮০ মিটার বা ৫৫১০ ফুট। শহরটির আনুমানিক জনসংখ্যা বিশ লক্ষ।", "title": "কোয়েটা" }, { "docid": "83364#2", "text": "সাম্প্রতিককালে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো এশিয়াতেও পরিবেশগত ইস্যুগুলির মধ্যে বায়ুদূষণ অধিকতর প্রাধান্য লাভ করেছে। ভারতের রাজধানী দিল্লী বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরগুলির মধ্যে একটি। এছাড়াও কলকাতা, দিল্লী-সংলগ্ন এলাকা যেমন নয়ডা, গুরুগ্রাম প্রভৃতিতেও বায়ুদূষণ মাত্রাছাড়াভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মূলতঃ ক্ষিপ্রগতির নগরায়ণের ফলে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রগুলিতে সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া এবং রাজশাহী অঞ্চলের নগর এলাকাগুলিতে বায়ুদূষণের স্বাস্থ্যগত প্রতিক্রিয়া ঢাকার তুলনায় কম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শহর এলাকায় অনেক সময় এমন সব শিলা ও মৃত্তিকার উপর বাড়িঘর নির্মাণ করা হয় যাদের ভিত্তি থেকে তেজষ্ক্রিয় গ্যাস বিকীর্ণ হয়। দীর্ঘসময় এই গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। ভারত এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় বায়ুদূষণ এখনও তেমন কোন সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয় নি। কারণ এ সকল এলাকায় যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা যেমন কম, তেমনি শিল্প কারখানার সংখ্যাও অল্প। তবে ইটের ভাটা এবং রান্নার চুল্লি থেকে শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে বায়ুদূষণ ঘটছে। গ্রামাঞ্চলে কাঠ, কয়লা এবং বিভিন্ন ধরনের জৈববস্তু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফলে গ্রামাঞ্চলে প্রধান বায়ুদূষক হলো সম্ভবত কোন নির্দিষ্ট কণিকা উপাদানে গঠিত বস্তু এবং উদ্বায়ী জৈব যৌগ (Volatile Organic Compound-VOC)।", "title": "বায়ু দূষণ" }, { "docid": "17902#0", "text": "উলান বাটর বা উলান বাতার (মঙ্গোলীয়: Улаанбаатар, ᠤᠯᠠᠭᠠᠨᠪᠠᠭᠠᠲᠤᠷ আ-ধ্ব-ব [ʊɮɑnpɑːtʰɑ̆r] \"উল্বান্‌পাথার্‌\", অর্থাৎ \"লাল বীর\") (প্রাক্তন উর্গা বা নিসলেল খুরেরে) পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মঙ্গোলিয়ার রাজধানী ও প্রধান শহর। শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ১৩৫০ মিটার উচ্চতায় একটি ঝঞ্ঝাপীড়িত মালভূমির উপরে তুল নদীর তীরে অবস্থিত। মঙ্গোলীয় রাজপুত্রেরা এটিকে একটি মৌসুমী অভিবাসনমূলক আবাসস্থল হিসেবে পত্তন করেছিলেন। পরে ১৬৩৯ সালে দা খুরে মঠ নির্মাণের মাধ্যমে শহরটি বর্তমান অবস্থানে স্থায়ী হয়। এই ভবনটি তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের (মঙ্গোলরা যে ধর্মের অনুসারী) বোদগো-গেগেন তথা উচ্চ যাজকের বাসভবনে পরিণত হয় এবং আরও প্রায় ২০০ বছর এ কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তখনও এটি যাযাবর এক মঠের শহর হিসেবেই বিদ্যমান ছিল। রুশরা দা খুরে মঠটিকে উর্গা নামে ডাকত; তারা চীন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে এখানে একটি শহর গড়ে তোলে। ১৯১১ সালে বহির্দেশীয় মঙ্গোলিয়া নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করলে শহরটিকে নিসলেল খুরেরে (অর্থাৎ \"মঙ্গোলিয়ার রাজধানী\")। ১৯২১ সালে সোভিয়েত লাল বাহিনী এবং মঙ্গোলিয়ার বিপ্লবী নেতা দামদিনি স্যুবাতার শহরটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন। উলান বাতারের ধর্মীয় ভবনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯২৪ সালে মঙ্গোলিয়াকে একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে শহরটিকে উলান বাতার নাম দেওয়া হয়, যার অর্থ \"লাল নেতা\"।", "title": "উলানবাটর" }, { "docid": "540367#0", "text": "কাবারট্টি হল ভারত এর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপ এর রাজধানী শহর। এটি ২০১১ সালুর জনগননায় সেন্সাস শহর হিসাবে প্রকাশ পেয়েছে। এই দ্বীপ শহরটির মোট আয়তন ৩.৯৩ বর্গ কিলোমিটারের মত। এখানে একটি সুন্দর সুমদ্র সৈকত রয়েছে। এই সৈকত গুলির কারনে এই শহরে প্রচুর পর্যটক আসে।দিল্লি থেকে এই শহরের দূরত্ব ২,০৫৬ কিমি। এখানে ভারতের দক্ষিণ নৌসেনা কম্যান্ড এর একটি নৌঘাটি রয়েছে।নৌঘাটিটি আইএনএস লক্ষদ্বীপ হিসাবে পরিচিত।", "title": "কাবারট্টি" } ]
আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের কততম দেশ ?
[ { "docid": "822#2", "text": "বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম যদিও আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৪তম; ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর নবম। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির প্রাক্কলিত (২০১৮) জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে জনবসতি ২৮৮৯ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫ জন)। রাজধানী ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ১.৪৪ কোটি এবং ঢাকা মহানগরীর জনঘনত্ব প্রতি বর্গমা্গইলে ১৯,৪৪৭ জন। দেশের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা; সাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশ।", "title": "বাংলাদেশ" } ]
[ { "docid": "645305#1", "text": "বাংলাদেশ এবং ভারত একটা ৪,১৫৬ কিমি (২,৫৮২ মাইল) লম্বা আন্তর্জাতিক সীমানাঅংশ ভাগ করে, এটা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম ভূমি সীমানা, যার মধ্যে আছে অসম ২৬২ কিমি (১৬৩ মাইল), ত্রিপুরা ৮৫৬ কিমি (২৭৫ মাইল), মিজোরাম ১৮০ কিমি (১১০ মাইল), মেঘালয়া ৪৪৩ কিমি (২৭৫ মাইল) এবং পশ্চিমবঙ্গ ২,২১৭ কিমি (১,৩৭৮ মাইল)। সীমানার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভাগগুলোর মধ্যে আছে মৈমনসিংহ, খুলনা, রাজশাহি, রংপুর, সিলেট এবং চট্টগ্রাম। দুটো রাষ্ট্রের মধ্যে কতগুলো থাম দিয়ে মার্কা করা আছে। সামান্য সীমা নির্ধারণ করা জায়গায় দু-দিক থেকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া আছে। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে ভারত এবং বাংলাদেশ দু-দেশের অনুমোদনসাপেক্ষে ভূমি পরিসীমা চুক্তি করে সীমানার সরলীকরণ করা হয়েছে।", "title": "বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত" }, { "docid": "822#31", "text": "দুর্নীতি হল বাংলাদেশের একটি চলমান সমস্যা, এছাড়াও দেশটি ২০০৫ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় পৃথিবীর তৎকালীন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান লাভ করে। ২০১১ এবং ২০১২ সালে দেশটি তালিকার অবস্থানে যথাক্রমে ১২০ এবং ১৪৪ তম স্থান লাভ করে, যেখানে কোন দেশ নম্বরের দিক থেকে যত উপরের দিকে যাবে ততই বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ হিসেবে গণ্য হবে। প্রধানত অতিরিক্ত ভোগবাদী মানসিকতা ও নৈতিক মুল্যবোধের অভাব ও অবমুল্যায়ন দুর্নীতির পেছনে দায়ী, পাশাপাশি দরিদ্রতাও ক্ষেত্রবিশেষে দুর্নীতির প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে সব শ্রেণির ব্যাক্তির ঘুষ গ্রহণের নজির রয়েছে। তবে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘুষ গ্রহণের নজির বেশি, যার কারণ স্ব‌ল্প সময়ের ব্যাবধানে জীবনযাত্রার মান মধ্যবিত্ত হতে বিলাসবহুল পর্যায়ে উন্নীতকরণের মানসিকতা। এছাড়াও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তগণ তাদের জীবনযাত্রা মান উন্নয়নে ঘুষ গ্রহণ করে।", "title": "বাংলাদেশ" }, { "docid": "17994#2", "text": "বাংলাদেশ বর্ধিত জনসংখ্যার অভিশাপ সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ধান উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বাংলাদেশের চাষাবাদের জমি সাধারণত ধান ও পাট চাষের জন্য ব্যবহৃত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা সত্ত্বেও মোট জনসংখ্যার ১০% থেকে ১৫% অপুষ্টির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি মূলত অনিশ্চিত মৌসুমী চক্র এবং নিয়মিত বন্যা ও খরার উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সঠিকভাবে গড়ে না ওঠায় দেশটির উন্নতি ব্যহত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনি রয়েছে এবং কয়লা, খনিজ তেল প্রভৃতির ছোটোখাটো খনি রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প-অবকাঠামো দুর্বল হলেও এখানে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অঢেল এবং মজুরিও সস্তা।", "title": "বাংলাদেশের অর্থনীতি" }, { "docid": "438938#2", "text": "ভৌগলিক অবস্থান, ভূতাত্তিক গঠন ও জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ছোট বড় প্রায় ২৩০ টি নদী বয়ে গেছে। মূলত এজন্যই অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় বাংলাদেশে বন্যার প্রকোপ বেশি।", "title": "বাংলাদেশে বন্যা" }, { "docid": "822#18", "text": "বাংলাদেশের উচ্চতম স্থান দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মোডক পর্বত, সমুদ্রতল থেকে যার উচ্চতা ১,০৫২ মিটার (৩,৪৫১ ফুট)। বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের অনেকটা অংশ জুড়ে সুন্দরবন অবস্থিত, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এখানে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল (টাইগার) বাঘ , চিত্রল হরিণ সহ নানা ধরনের প্রাণীর বাস। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই এলাকাকে বিলুপ্তির সম্মুখীন বলে ঘোষণা দেয়া হয়।\nবাংলাদেশ ৮টি প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত। এগুলো হল: ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, সিলেট এবং রংপুর। প্রতিটি বিভাগে রয়েছে একাধিক জেলা। বাংলাদেশের মোট জেলার সংখ্যা ৬৪টি। জেলার চেয়ে ক্ষুদ্রতর প্রশাসনিক অঞ্চলকে উপজেলা বা \"থানা\" বলা হয়। সারাদেশে ৪৯২টি উপজেলা (সর্বশেষ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা) রয়েছে। এই থানাগুলো ৪,৪৮৪টি ইউনিয়নে; ৫৯,৯৯০টি মৌজায় এবং ৮৭,৩১৯টি গ্রামে বিভক্ত। বিভাগ, জেলা ও থানা পর্যায়ের প্রশাসনে কোনো নির্বাচিত কর্মকর্তা নেই; সরকার নিযুক্ত প্রশাসকদের অধীনে এসব অঞ্চল পরিচালিত হয়ে থাকে। ইউনিয়ন বা পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি রয়েছে। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে মহিলাদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়।", "title": "বাংলাদেশ" }, { "docid": "543634#4", "text": "বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ চাল উৎপাদক দেশ। গম বাংলাদেশের চিরায়ত কোন ফসল নয় এবং ১৯৮০ এর শেষের দিক থেকে গ্রামীণ এলাকায় অল্প পরিসরে এর উৎপাদন শুরু হয়। \nষাট এবং সত্তরের দশকে এর চাহিদা বাড়তে থাকে কেননা সেসময় বৈদিশিক সাহায্যের অন্যতম উপকরণ ছিল গম। আশির দশকের প্রথমার্ধে দেশীয় গমের বাৎসরিক উৎপাদন ১ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যায় কিন্তু এর পরিমাণ ছিল মোট উৎপাদিত খাদ্যের ৭ থেকে ৯ শতাংশ মাত্র। ১৯৮৫ অর্থবছরে রেকর্ড ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। প্রায় অর্ধ শতাংশ গমের উৎপাদন ছিল সেচ সুবিধাযুক্ত জমিতে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গম চাষের জমির পরিমান অপরিবর্তিত থাকে যা কি না মোট চাষযোগ্য জমির ৬ শতাংশের কিছু কম।", "title": "বাংলাদেশে কৃষি" }, { "docid": "1185#0", "text": "সংযুক্ত প্রজাতন্ত্রী ব্রাজিল (, বা \"হেপুব্লিকা ফ়েদেরাচিভ়া দু ব্রাজ়িউ\" ), যা প্রচলিতভাবে ব্রাজিল (, বা \"ব্রাজিউ\") নামে পরিচিত, হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র। এছাড়াও জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ৮,৫১৪,৮৭৭ বর্গকিলোমিটার (৫,২৯০,৮৯৯ বর্গমাইল) আয়তনের এই দেশটিতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। এটি আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজভাষী দেশ, এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজভাষী রাষ্ট্র।", "title": "ব্রাজিল" }, { "docid": "17994#4", "text": "১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন দাতা দেশ থেকে ৩ হাজার কোটি বা ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ পেয়েছে যার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি ডলার খরচ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রধান দাতার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সৌদি আরব ও পশ্চিম ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ। বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবেই বিরাট বাণিজ্য বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণে এই মজুদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে এই মজুদের মূল্যমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি বা ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের ৪০তম বৃহত্তম মজুদ।", "title": "বাংলাদেশের অর্থনীতি" }, { "docid": "483257#0", "text": "বাংলাদেশ–ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক বলতে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বোঝায়। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ, যেখানে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এই দুটি দেশ জাতিসংঘ এবং আরও অনেক বহুজাতীয় সংগঠনের সদস্য, বিশেষত জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কমিটি, উন্নয়নশীল ৮ টি দেশ, নিরপেক্ষ আন্দোলন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং ইসলামী সমবায় সংস্থা ওআইসি এর সদস্য। জাকার্তায় বাংলাদেশের এবং ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।", "title": "ইন্দোনেশিয়া–বাংলাদেশ সম্পর্ক" } ]
জেরুসালেম শহরটি কত সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল ?
[ { "docid": "328255#0", "text": "জেরুজালেমের পুরনো শহর (, \"Ha'Ir Ha'Atiqah\", , \"al-Balda al-Qadimah\", , \"Hin K'aghak' \") হল আধুনিক জেরুজালেম শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ০.৯ বর্গ কিমি. (০.৩৫ বর্গ মাইল) আয়তন বিশিষ্ট দেয়ালঘেরা অঞ্চল। ১৮৬০ সালে মিশকেনট শানানিম নামক ইহুদি বসতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই অঞ্চলটি নিয়েই জেরুজালেম শহর গঠিত ছিল। পুরনো শহরটি ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থানের অবস্থানস্থল, যেমন মুসলিমদের কাছে ডোম অব দ্য রক ও আল-আকসা মসজিদ, ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট ও পশ্চিম দেয়াল এবং খ্রিষ্টানদের কাছে চার্চ অব দ্য হলি সেপালচার গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিগণিত হয়। ১৯৮১ সালে এই অঞ্চলটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।", "title": "জেরুজালেমের পুরনো শহর" } ]
[ { "docid": "328255#4", "text": "পুরনো শহরটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য ১৯৮০ সালে জর্ডান প্রস্তাব করে। ১৯৮১ সালে এটিকে তালিকাভুক্ত করা হয়। ১৯৮২ সালে জর্ডান একে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে গণ্য করার অনুরোধ জানায়। জর্ডানের এখতিয়ার নেই উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র এই অনুরোধের বিরোধিতা করে। সেসাথে এও উল্লেখ করে যে এক্ষেত্রে ইসরায়েলের সম্মতি প্রয়োজন কারণ তারা প্রত্যক্ষভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০১১ সালে ইউনেস্কো বিবৃতি দেয় যে তারা পূর্ব জেরুজালেমকে অধীকৃত ফিলিস্তিনি এলাকার অংশ বলে গণ্য করে এবং জেরুজালেমের অবস্থান স্থায়ী ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে।", "title": "জেরুজালেমের পুরনো শহর" }, { "docid": "572212#0", "text": "এটি গ্রিসের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের একটি তালিকা। আর্মেনিয়ায় ১৮টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান আছে। এর মধ্যে ১৬টি সাংস্কৃতিক ও ২টি সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বা মিশ্র স্থান। ৫টি স্থান দ্বীপে অবস্থিত, একটি দ্বীপ ও মূল ভূখণ্ডের মধ্যে বণ্টিত ও ১২টি পুরোপুরি মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত। বাসাইয়ে অ্যাপোলোর মন্দির প্রথম তালিকাভূক্ত হয় ১৯৮৬ সালে এবং ২০১৬ সালে অন্তর্ভুক্ত ফিলিপ্পি সর্বশেষ তালিকাভূক্ত স্থান। এছারাও ইউনেস্কোর সাম্ভাব্য ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় আরো ১৪টি স্থান আছে।", "title": "গ্রিসের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের তালিকা" }, { "docid": "332872#0", "text": "শুশথার ঐতিহাসিক হাইড্রোলিক সিস্টেম (ফার্সি: سازه‌های آبی شوشتر‎) একটি জটিল সেচ প্রণালী যা সাসসানিদ ইরা’র একটি দ্বীপ শহর এবং এটি ইরানের খুজেস্তান প্রদেশে অবস্থিত। ইউনেস্কো এটিকে ২০০৯ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভূক্ত করে, যা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ইরানের দশম স্থাপনা।", "title": "শুশথার ঐতিহাসিক হাইড্রোলিক সিস্টেম" }, { "docid": "461096#0", "text": "ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হল মানবসভ্যতার অভিন্ন এক ঐতিহ্য যা হতে পারে সাংস্কৃতিক বা প্রাকৃতিক কোন স্থান। এ প্রোগ্রামটি ১৯৭২ সালে ১৬ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত হয়েছিল। পাকিস্তান ১৯৭৬ সালের ২৩ জুলাই এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তখন থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানের ৬টি স্থানকে বিশ্ব এতিহ্যবাহী স্থানের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ১৮টি স্থান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।", "title": "পাকিস্তানের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের তালিকা" }, { "docid": "521076#20", "text": "মসজিদ কমপ্লেক্সটি পাঞ্জাবের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ সুরক্ষিত ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের সম্ভাব্য তালিকায় মসজিদের নাম যোগ করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে পাঞ্জাব সরকার মসজিদের সংরক্ষণ ও সংস্কার কাজ করে। ২০০৭ সালে আগা খান ট্রাস্ট ও পাঞ্জাব সরকার যৌথভাবে স্থাপনার সংস্কার কাজ করে। ২০০৯ সালে লাহোরের দেয়ালঘেরা শহরের সংস্কারের অংশ হিসেবে মসজিদে দুই বছর মেয়াদী একটি দীর্ঘ সার্ভে শুরু হয়। ২০১৫ সালে লাহোর ইউনিভার্সিটি অব মেনেজমেন্ট সায়েন্স এবং ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের যৌথ প্রচেষ্টায় মসজিদের ত্রিমাত্রিক ম্যাপিং করা হয়।", "title": "ওয়াজির খান মসজিদ" }, { "docid": "457486#23", "text": "১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে শর্ত ১, ২ ও ৩ এর ভিত্তিতে পাকিস্তান সরকার লাহোর দুর্গকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে অন্তর্ভু‌ক্তির জন্য মনোনীত করে। এর সাথে শালিমার উদ্যানকেও মনোনীত করা হয়। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম বৈঠকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কমিটি দুইটি স্থানকেই তালিকায় যুক্ত করে। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে এই দুই স্থানকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সংগঠনের কাছে চিঠি পাঠায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কারের জন্য সহায়তা চায়। কয়েকবছর ধরে সংস্কারের পর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে বিপন্ন তালিকা থেকে স্থান দুইটিকে বাদ দেয়া হয়।", "title": "লাহোর দুর্গ" }, { "docid": "332071#1", "text": "১৯৭২ সাল থেকে এই অঞ্চলটি সরকারীভাবে সংরক্ষণকাজ শুরু হয় দর্শনার্থের উদ্দেশ্যে। ২০০৮ সালে ইউনেস্কো মাদা’য়েন সালেহ –কে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানে তালিকাভুক্ত করে, যা সৌদি আরবের প্রথম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এই স্থানকে সুষমভাবে সংরক্ষণ করা হয়, বিশেষভাবে ১৩১ পাথর কেটে তৈরী সৌধ এবং এর আশপাশের সামনের দিকে সুসজ্জিত বিশাল অংশের সংরক্ষণের জন্য।", "title": "মাদা’য়েন সালেহ" }, { "docid": "17875#4", "text": "রোমের গ্লোবাল শহরের স্বীকৃতি আছে। ২০১১ সালে, রোম পৃথিবীর ১৮-তম সবচেয়ে বেশি ভ্রমণকারী শহর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাঝে ৩য়, এবং ইতালির সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ ছিলো। এর ঐতিহাসিক কেন্দ্র বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ইউনেস্কো দ্বারা তালিকাভুক্ত। সৌধ ও জাদুঘর যেমন ভ্যাটিকান জাদুঘর এবং কলোসিয়াম বিশ্বের সর্বাধিক দেখা পর্যটক গন্তব্যস্থলগুলির মধ্যে একটি। রোম ১৯৬০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজন করে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আসন রয়েছে।", "title": "রোম" }, { "docid": "570657#1", "text": "১৯৮৪ সালে আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে অবস্থিত বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির অষ্টম অধিবেশনে স্পেনের প্রথম স্থানটি তালিকাভুক্ত করা হয়। ওই অধিবেশনে পাঁচটি জায়গা তালিকাভুক্ত হয়। করদোবার মসজিদ-গির্জা, গ্রানাডার আলহাম্বরা ও জেনেরালাইফ, বুরজো গির্জা, মাদ্রিদে মঠ ও এসকোরিয়ালের স্থান এবং বার্সেলোনায় পার্ক গুয়েল, পালাউ গুয়েল ও কাসা মিলা।", "title": "স্পেনের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের তালিকা" } ]
আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল কোন দেশের নাগরিক ছিলেন ?
[ { "docid": "7703#1", "text": "পরবর্তী জীবনে বেল আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেন যার মধ্যে রয়েছে উড়ো নৌকা এবং বিমানচালনবিদ্যা। ১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বেল। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন যে টেলিফোন, সেটিকেই তিনি এক উটকো ঝামেলা জ্ঞান করতেন। এজন্যেই নিজের গবেষণা ও অধ্যয়ন কক্ষে কোন টেলিফোন রাখতেন না। বেল মারা যাওয়ার পর আমেরিকার সকল টেলিফোনে এক মিনিটের জন্য অবিরাম রিং বাজানো হয়। মার্কিন প্রশাসনের ভাষ্য মতে যে মহান ব্যক্তি মানুষে-মানুষে যোগাযোগের এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাকে উপযুক্ত সম্মান দেখানোর জন্যই এমনটি করা হয়েছে।\nআলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৪৭ সালের তেশরা মার্চ স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে জন্মগ্রহন করেন। এডিনবার্গের ১৬ চারলোটি স্ট্রিটের একটি বাড়িতে একটি পাথরের খোদাই থেকে জানা যায় যে এটিই তার পরিবারের আবাসস্থল এবং তার জন্মস্থান ছিল। গ্রাহাম বেলের দুইজন ভাই ছিলেন মেলভিল জেমস বেল এবং এডওয়ার্ড চার্লস বেল যাদের দুজনই পরবর্তীতে যক্ষ্মায় মারা যান। জন্মের সময় তার নাম ছিল আলেকজান্ডার বেল, তবে তার বয়স যখন দশ বছর তখন তিনি তার বাবার কাছে তার বড় দুই ভাইয়ের মধ্যনামের মত একটি মধ্যনামের জন্য আবদার করেন। তার এগারো তম জন্মদিনে তার বাবা আলেকজান্ডার মেলভিল বেল তারই এক কানাডিয়ান বন্ধুর নাম অণুশারে তার ছোট ছেলের মধ্য নাম রাখেন গ্রাহাম। এর পর থেকেই তার নাম হয় আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। তবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা এলেক নামেই ডাকত।\nশিশুকাল থেকেই আলেকজান্ডার প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে অত্যন্ত কৌতূহলি ছিলেন এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পরীক্ষানিরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন উদ্ভিদের নমুনা সংগ্রহ করতেন। ছোটবেলায় আলেকজান্ডারের সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিলেন বেন হের্ডম্যান। হের্ডম্যানের পরিবার আলেকজান্ডারের প্রতিবেশি ছিলো এবং একটি ময়দা মিল পরিচালনা করত। একবার আলেকজান্ডার প্রশ্ন করেছিলো যে ময়দা প্রস্তুত করতে হলে কি কি করতে হয়, এই প্রশ্নের জবাবে তাকে বলা হয়েছিলো যে পরিশ্রমসাধ্য এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গমের খোসা ছাড়িয়ে ময়দা প্রস্তুত করতে হয়। মাত্র ১২ বছর বয়সে পেরেকের ব্রাশ এবং ঘুর্ণায়মান প্যাডেলের সমন্বয়ে আলেকজান্ডার একটি গম পেষাই যন্ত্র তৈরী করেন যা ঐ মিলে অনেক বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই উদ্ভাবনের জন্য জন হের্ডম্যান আলেকজান্ডার এবং বেনকে নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করার গবেষণা করার জন্য একটি ওয়ার্কশপ উপহার দেয়।", "title": "আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল" } ]
[ { "docid": "7703#0", "text": "আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল (৩রা মার্চ, ১৮৪৭ - ২রা আগস্ট, ১৯২২) প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক হিসেবে তিনি সবচেয়ে পরিচিত। তাকে \"বোবাদের পিতা\" তথা \"দ্য ফাদার অফ দ্য ডিফ\" নামে ডাকা হতো। তার বাবা, দাদা এবং ভাই সবাই একক অভিনয় ও বক্তৃতার কাজে জড়িত ছিলেন এবং তার মা ও স্ত্রী উভয়েই ছিলেন বোবা। এ কারণেই বোবাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তিনি অনেক গবেষণা করেছেন। টেলিফোন উদ্ভাবনের আগে থেকেই তিনি শ্রবণ ও কথন সংশ্লিষ্ট গবেষণা নিয়োজিত ছিলেন। ১৮৭৬ সালে তাকেই টেলিফোনের প্রথম মার্কিন পেটেন্টের সম্মানে ভূষিত করা হয়।", "title": "আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল" }, { "docid": "696255#0", "text": "স্যার চার্লস আলফ্রেড বেল, () KCIE CMG (অক্টোবর ৩১, ১৮৭০ – মার্চ ৮, ১৯৪৫) ছিলেন ভুটান, সিকিম এবং তিব্বতের ব্রিটিশ রাজনৈতিক কর্মকর্তা। তিব্বত বিশেষজ্ঞ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি \"তিব্বতের ব্রিটিশ ভারতের রাষ্ট্রদূত\" হিসেবে কর্মরত ছিলেন।", "title": "চার্লস আলফ্রেড বেল" }, { "docid": "501896#0", "text": "আইইইই আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল পদক হলো \"যোগাযোগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের জন্য\" ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স কর্তৃক প্রদত্ত পদক। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের নামে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে এবং এটি ১৯৭৬ সাল থেকে প্রদান করা হচ্ছে ।", "title": "আইইইই আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল মেডেল" }, { "docid": "7703#2", "text": "জীবনের প্রথম দিক থেকেই আলেকজান্ডার সঙ্গীত এবং কলার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন যা তার মায়ের অণুপ্রেরনায় আরোও উদ্ভাসিত হয়েছিল। কোন প্রথাগত প্রশিক্ষন ছাড়াই অনেক অল্প বয়সেই তিনি একজন পিয়ানোবাদক হয়ে ওঠেন। শৈশবে তিনি মুখাভিনয় এবং বিভিন্ন প্রকারের শব্দ উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবারে আগত অতিথিদের মনোরঞ্জন করতেন। তার মায়ের ক্রমবর্ধমান বধীরতা (আলেকজান্ডারের মা মাত্র ১২ বছর বয়সে শ্রবণশক্তি হারাতে শুরু করেন) তাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। তার মায়ের সাথে কথোপোকথনের জন্য তিনি সাংকেতিক ভাষা রপ্ত করেন যাতে করে তিনি নীরব থেকেই মায়ের সাথে কথা বলতে পারেন। তার মায়ের বধিরতা নিয়ে কাজ করতে গিয়েই আলেকজান্ডার শব্দবিজ্ঞান নিয়ে পরাশুনা শুরু করেন। \nআলেকজান্ডারের পরিবার বহুকাল থেকেই বক্তৃতাকৌশল শিক্ষাদানের কাজ করে আসছিল। লন্ডনে তার দাদা আকেলজান্ডার বেল, ডাবলিনে তার চাচা এবং এডিনবার্গে তার বাবা সকলেই এই পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। এই বিষয়ের উপর আলেকজান্ডারের বাবার অনেক প্রকাশনা আছে যার কতগুলো আজকের যুগেও অনেক জনপ্রিয় বিশেষ করে ১৮৬৯০ সালে প্রকাশিত দ্যা স্ট্যান্ডার্ড এলোকিউশনিস্ট। দ্যা স্ট্যান্ডার্ড এলোকিউশনিস্ট এডিনবার্গে প্রকাশিত হয় ১৮৮৬ সালে এবং এর ১৬৮ টি ব্রিটিশ সংস্করন শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ১২ লাখ কপি বিক্রি হয়। কিভাবে বধির মানুষদের অপরের ঠোঁটের নরাচরা দেখে ভাব বোঝার প্রশিক্ষন দেওয়া যায় এই বইতে তার বিস্তারিত বিবরন ছিল। কিশোর আলেকজান্ডারকে এবং তার দুই ভাইকে তাদের বাবা এই পদ্ধতি রপ্ত করতে সাহায্য করেছিলেন। প্রশিক্ষনের ফলে আলেকজান্ডার এতটাই পারদরশি হয়ে উঠেছিলেন যে তিনি তার বাবার সাথে বিভিন্ন কর্মশালায় যেতেন এবং নিজেই পদ্ধতিগুলো প্রদর্শন করে দর্শকদের মুগ্ধ করতেন। ধীরে ধীরে তিনি এই কাজে এতটাই সক্ষম হয়ে উঠেছিলেন যে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং উচ্চারন জ্ঞান ছাড়াই ল্যাটিন, স্প্যানিশ, স্কটিশ, গেলিক কিংবা সংস্কৃত যেকোন ভাষাই সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারতেন।", "title": "আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল" }, { "docid": "5223#1", "text": "মার্কিন উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন উদ্ভাবনের জন্য ১৮৮০ সালে ফরাসি সরকারের ‘ভোল্টা পুরস্কার’ লাভ করেন। এই পুরস্কারের জন্য গ্রাহাম বেল ১০ হাজার মার্কিন ডলার লাভ করেন। প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটনে ‘ভোল্টা ল্যাবরেটরি’ স্থাপন করেন। ১৮৮৪ সালে ভোল্টা ল্যাবরেটরি সবচেয়ে পুরোনো টেলিফোন সেবা কোম্পানি ‘আমেরিকান বেল টেলিফোন’ স্থাপন করে। ভোল্টা ল্যাবরেটরি ১৮৮৭ সালে ‘ভোল্টা ব্যুরো’ নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯২৫ সালে ভোল্টা ব্যুরো পরিবর্তিত হয়ে ‘বেল ল্যাবরেটরি ইনকরপোরেশন’ নাম ধারণ করে। সম্মিলিতভাবে ‘ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ ও ‘আমেরিকান টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ কোম্পানি’ বিশ শতকের সবচেয়ে আধুনিক এই গবেষণাগার স্থাপন করে।", "title": "বেল ল্যাবরেটরিজ" }, { "docid": "7703#3", "text": "ভাইদের মত আলেকজান্ডারও ছোটবেলায় পরিবারে বাবার কাছ থেকেই শিক্ষা লাভ করে। যদিও খুব অল্প বয়সেই তাকে এডিনবার্গের রয়েল হাই স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখানে তিনি চার ক্লাস পর্যন্তই পড়াশোনা করেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সেই স্কুল ছেড়ে দেন। স্কুলে তার ফলাফল খুব একটা ভাল ছিল না এবং প্রায়শই স্কুল কামাই দেওয়ার প্রবনতা দেখা গিয়েছে। তার বাবার উচ্চাশা সত্ত্বেও স্কুলের পাঠ্যবিষয়গুলোর প্রতি আলেকজান্ডারের কোন আগ্রহই ছিল না বরং বিজ্ঞান এবং বিশেষ করে জীববিজ্ঞানে তার মারাত্বক আগ্রহ ছিল। স্কুল ত্যাগ করার পর আলেকজান্ডার তার দাদার সাথে বসবাস করার জন্য লন্ডনে গমন করেন। লন্ডনে তার দাদার সাথে থাকার সময় পরাশুনার প্রতি তার গভীর ভালবাসা জন্মায় এবং প্রায়শই তার দাদার সাথে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা এবং পরাশুনা করে তার ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যেত। দাদা আলেকজান্ডার বেল তার নাতিকে তারই শিক্ষানবিশ শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তাকে এই বিষয়ের প্রশিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই আলেকজান্ডার শিক্ষানবিশ শিক্ষক হিসেবে স্কটল্যান্ডের ওয়েস্টন হাউস একাডেমিতে যোগদান করেন। যদিও তখন তিনি ল্যাটিন এবং গ্রিক ভাষার ছাত্র ছিলেন, তিনি তার পরিচালিত প্রত্তেকটি ক্লাসের জন্য ১০ পাউন্ড করে পেতেন। এর পরের বছর তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন যেখানে তার বড় ভাইও পড়েছিলেন। ১৮৬৮ সালে স্বপরিবারে কানাডা চলে যাওয়ার আগে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেছিলেন।", "title": "আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল" }, { "docid": "528788#0", "text": "ভিক্টর আলেক্সান্ডার ব্রুস, ৯ম আর্ল অব এলগিন, ১৩শ আর্ল অব কিনকার্ডাইন, (১৬ মে ১৮৪৯১৮ জানুয়ারি ১৯১৭), ১৮৬৩ সাল পর্য়ন্ত লর্ড ব্রুস হিসাবে পরিচিত, একজন ডান পন্থী ব্রিটিশ উদারপন্থী রাজনীতিক। ১৮৯৪ থেকে ১৮৯৯ পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯০২-০৩ সালে তিনি আর্থার বেলফোর কর্তৃক বোয়ের যুদ্ধের তদন্তকারী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এলগিন কমিশন হল এধরনের প্রথম কমিশন যারা দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমন করে সরেজমিনে সেই যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী ব্যাক্তিদের কাছ থেকে মৌখিক প্রমান সংগ্রহ করেন। এই প্রয়াশ ছিল যুদ্ধে নিহত ব্যাক্তিদের জীবনের মূল্য বিবেচনায় তাদের আত্মীয় স্বজনের শোকের অনুভূতিকে সম্মান দিয়ে পরিচালিত প্রথম কোন সরকারী কার্য়ক্রম। সেসময় প্রথমবারের মতো যুদ্ধে নিহত সৈনিক ও অফিসারদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।", "title": "ভিক্টর ব্রুস" }, { "docid": "677455#0", "text": "বিলয় ব্রান্ডট (বরং হার্বার্ট এর্নস্ট কার্ল ফারাহম; ১৮ ডিসেম্বর ১৯১৩ - ৮ অক্টোবর, ১৯৯২) একজন জার্মান রাজনীতিক ছিলেন যিনি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানি এর নেতা ছিলেন (১৯৬৪ থেকে ১৯৮৭) এবং জার্মানির চ্যান্সেলর চ্যান্সেলর ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত জার্মানি (পশ্চিম জার্মানি)। ইইসি এর মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপের সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার জন্য ইইসি মাধ্যমে এবং ইইসি এর মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পুরস্কার লাভ করেন। পশ্চিম জার্মানি এবং ইস্টার্ন ইউরোপ এর দেশসমূহ। হে ওয়াস টি ফার্স্ট সোশ্যাল ডেমোক্রাট চ্যান্সেলর ১৯৩০ সাল থেকে", "title": "উইলি ব্র‌্যান্ট" }, { "docid": "605318#0", "text": "আলেকজান্ডার জন বেল (; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯০৬ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ১৯৮৫) কেপ প্রদেশের পূর্ব লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯২৯ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৬ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন স্যান্ডি বেল। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলাররূপে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি।", "title": "স্যান্ডি বেল" } ]
মুর্শিদাবাদ জেলা কয়টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ?
[ { "docid": "3728#5", "text": "মুর্শিদাবাদ জেলা পাঁচটি মহকুমা নিয়ে গঠিতঃ বহরমপুর, ডোমকল, লালবাগ, কান্দী ও জঙ্গীপুর। পৌরসভা এলাকা বাদে, প্রতিটি মহকুমায় একাধিক সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক রয়েছে যা আবার গ্রামীণ এলাকা এবং আদমশুমারি শহরে বিভক্ত।", "title": "মুর্শিদাবাদ জেলা" } ]
[ { "docid": "3728#0", "text": "মুর্শিদাবাদ জেলা পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার মধ্য দিয়ে ভাগীরথী নদী বয়ে গিয়ে জেলাকে দুভাগে ভাগ করেছে। নদীর পশ্চিমের অংশ রাঢ় ও পূর্বের অংশ বাঘিড়া নামে পরিচিত। ৫.৩১৪ বর্গ কিলোমিটার (২,০৬২ বর্গ মাইল) আয়তনের এলাকা এবং ৭১.০২ লক্ষ জনসংখ্যা থাকায় এটি একটি জনবহুল জেলা। মুর্শিদাবাদ ভারতের নবমতম (ভারতের ৬৪১টি জেলার মধ্যে) জনবহুল জেলা। এই জেলার সদর দপ্তর বহরমপুর শহরে অবস্থিত।", "title": "মুর্শিদাবাদ জেলা" }, { "docid": "2976#1", "text": "১৮২৯ সালে উত্তরবঙ্গের বিশাল অংশ নিয়ে একটি বিভাগ গঠিত হয়েছিল। সে সময় এর সদর দফতর ছিল ভারতের মুর্শিদাবাদ। ৮টি জেলা নিয়ে এই বিভাগটি গঠিত হয়েছিল। জেলাগুলো ছিলঃ মুর্শিদাবাদ, মালদাহ, জলপাইগুড়ি, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা ও রাজশাহী। কয়েক বছর পর বিভাগীয় সদর দপ্তর বর্তমান রাজশাহী শহরের রামপুর-বোয়ালিয়া মৌজায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮৮৮ সালে বিভাগীয় সদর দপ্তর ভারতের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৪৭ সালের পাক-ভারত বিভাজনের পর তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের বিভাগে পরিণত করা হয় রাজশাহীকে এবং এই বিভাগের সদর দফতর রাজশাহী শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো ছিলঃ কুষ্টিয়া, খুলনা, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, যশোর, রংপুর ও রাজশাহী। ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিভাগের খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর এবং ঢাকা বিভাগের বরিশাল জেলা কর্তন করে খুলনা বিভাগ গঠন করা হয়। ফলে রাজশাহী বিভাগের জেলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ এবং জেলগুলো ছিলঃ দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহী। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, ৫ টি জেলা নিয়ে রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে এই বিভাগের প্রতিটি জেলার মহকুমা জেলাতে পরিণত হয়। তখন এই বিভাগের মোট জেলার সংখ্যা ছিল ১৬টি। \nযে ৫ জেলাকে ভেঙে যে নতুন জেলাগুলো হয়ঃ", "title": "রাজশাহী বিভাগ" }, { "docid": "283107#2", "text": "মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লক আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: বাহাদুরপুর, কাপাসডাঙা, প্রসাদপুর, দহপাড়া, মুকুন্দবাগ, তেঁতুলিয়া, ডাঙাপাড়া ও নতুনগ্রাম। ব্লকটি মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ থানার অধীনস্থ। ব্লকের সদর হল মুর্শিদাবাদ।", "title": "লালবাগ মহকুমা" }, { "docid": "3728#11", "text": "মুর্শিদাবাদ পৌরসভা ও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভা এবং মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা- ১, ভগবানগোলা- ২, লালগোলা ও নবগ্রাম সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।", "title": "মুর্শিদাবাদ জেলা" }, { "docid": "3728#15", "text": "জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পৌরসভা এবং রঘুনাথগঞ্জ-১, রঘুনাথগঞ্জ- ২, সুতি- ১, সুতি-২, সামশেরগঞ্জ, সাগরদিঘী ও ফারাক্কা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।", "title": "মুর্শিদাবাদ জেলা" }, { "docid": "3722#28", "text": "রায়গঞ্জ মহকুমা জেলাটির দক্ষিণে অবস্থিত যা ৪ টি তহশিল বা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত৷\nতহশিলটি ১১৪ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বাঙালবাড়ি, চৈনগর, নওদা, বিষ্ণুপুর, হেমতাবাদ৷ সদরটি হেমতাবাদে অবস্থিত৷ \nতহশিলটি ২১১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - ছয়ঘড়া, গুলন্দর ১ ও ২, জয়হাট, পাতিরাজপুর, দুর্গাপুর, কাপাশিয়া, সুরুন ১ ও ২, দুর্লভপুর, ইটাহার, মারনাই৷ সদরটি ইটাহারে অবস্থিত৷ \nতহশিলটি ১৯১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - অনন্তপুর, ভাণ্ডার, ধানকৈল, মুস্তাফানগর, বরুণা, বোচাডাঙ্গা, মালগাঁও, রাধিকাপুর৷ সদরটি কালিয়াগঞ্জে অবস্থিত৷ \nতহশিলটি ২২০ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বাহিন, গৌরী, মাহিপুর, শীতগ্রাম, বরুয়া, ভিন্দোলে, জগদীশপুর, মারাইকুড়া, ভাতুন, কমলাবাড়ি ১ ও ২, শেরপুর, রামপুর মহারাজাহাট, বীরঘই৷ সদরটি রায়গঞ্জে অবস্থিত৷", "title": "উত্তর দিনাজপুর জেলা" }, { "docid": "3451#9", "text": "শাসনিক সুবিধার্থে মাদারীপুরের বৃহৎ পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি পৃথক মহকুমা গঠনের প্রয়াস ১৯১২ সাল হতেই নেয়া হয়েছিল। এর পরে পাকিস্তান সৃষ্টিও বাংলাদেশের অভ্যুদয় নতুন প্রশাসনিক দৃষ্টি ভঙ্গি গঠন করতে সহায়তা করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মাদারীপুরের পূর্বঞ্চল নিয়ে একটি নতুন মহকুমা গঠিত হবে। বিষয় নির্বাচনী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক, বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে এর নাম করণ হয় শরীয়তপুর এবং এর সদর দপ্তরের জন্য পালং থানা অঞ্চলকে বেছে নেয়া হয়। ১৯৭৭ সালের ১০ ই আগষ্ট রেডিওতে সরকার কর্তৃক মহকুমা গঠনের ঘোষণা দেয়া হয় এবং ঐ বছরের ৩রা নভেম্বর এ মহকুমার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপদেষ্টা জনাব আবদুল মোমেন খান। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব আমিনুর রহমান। এর পর রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোঃ এরশাদ সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের ফলে শরীয়তপুর মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। ৭ই মার্চ ১৯৮৩ সালে জেলা গঠনের ঘোষণা হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাশিম। বর্তমান শরীয়তপুর বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।", "title": "শরিয়তপুর জেলা" }, { "docid": "3726#29", "text": "১) চাঁচল মহকুমা\nচাঁচল মহকুমার অবস্থান জেলাটির উত্তর পশ্চিমে যা ৬ টি তহশিল বা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত৷\nতহশিলটি ১০০ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৮ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - অলিহণ্ডা, চাঁচল, খরবা, মকদমপুর, ভগবানপুর, কালীগ্রাম, মহানন্দাপুর, মোতিহারপুর৷ সদরটি চাঁচলে অবস্থিত৷ \nতহশিলটি ৯২ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৭ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - ভাকরি, ধানগাড়া-বিষাণপুর, গৌড়হণ্ডা, ক্ষেমপুর, চন্দ্রপাড়া, জালালপুর, মালতীপুর৷ সদরটি মালতীপুরে অবস্থিত৷\nতহশিলটি ১০১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১০ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বাহারাল, চাঁদমণি ১ ও ২, মহানন্দাতলা, ভাদো, বিলাইমারি, দেবীপুর, রতুয়া, কাহালা, সামসি৷ সদরটি রতুয়াতে অবস্থিত৷ \nতহশিলটি ৫১ গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৮ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - আড়াইডাঙা, পরাণপুর, পুখুরিয়া, শ্রীপুর ১ ও ২, মহারাজগঞ্জ, পীরগঞ্জ, সম্বলপুর৷ সদরটি পুখুরিয়াতে অবস্থিত৷\nতহশিলটি ১০৫ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৭ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - ভিঙ্গোলে, কুশিধা, রসিদাবাদ, বারুই, মহেন্দ্রপুর, তুলসীহট্ট, হরিশ্চন্দ্রপুর৷ সদরটি হরিশ্চন্দ্রপুরে অবস্থিত৷ \nতহশিলটি ৭৪ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৯ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - দৌলতপুর, দৌলতনগর, সুলতাননগর, চাঁদপুর(ইসলামপুর), মশালদহ, ভালুকা, মালিওর ১ ও ২, সাদলিচক৷ সদরটি বারদুয়ারীতে অবস্থিত৷", "title": "মালদহ জেলা" }, { "docid": "283107#0", "text": "লালবাগ মহকুমা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার একটি মহকুমা। মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভা এবং মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা ১, ভগবানগোলা ১, লালগোলা ও নবগ্রাম—এই পাঁচটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে এই মহকুমাটি গঠিত। এই মহকুমার অধীনে মোট ৪৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। মহকুমার সদর মুর্শিদাবাদে।", "title": "লালবাগ মহকুমা" } ]
অতিনবতারা কে প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন ?
[ { "docid": "462624#3", "text": "১৮৫ সালে চাইনিজ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেন, এটি আকাশ থেকে বিলীন হতে ৮ মাস সময় লেগেছিল। এটি একটি চকচকে তারকা হিসেবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল;আকাশ দিয়ে চলাচল করা ধূমকেতু হিসেবে নয়। এই পর্যবেক্ষণ সুপারনোভার অস্তিত্ব প্রমাণ করে এবং ধারণা করা হয় ১৮৫ সালের এই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম সফলভাবে সুপারনোভার ইতিহাস সংরক্ষিত হয়। ধারণা করা হয় ১৮৫ সালের সুপারনোভাটি সম্ভবত রোমান সাম্রাজ্যতেও সংরক্ষিত হয়েছে, যদিও এর কোনো প্রমাণ নেই। গ্যাসীও শেল আর-সি-ডব্লিউ ৮৬ কে এই ঘটনার অবশিষ্টাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাম্প্রতিক কালের রঞ্জন রশ্মি'র এক গবেষণার মাধ্যমেও কাঙ্খিত ফলাফল প্রকাশিত হয়।", "title": "অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস" } ]
[ { "docid": "462624#0", "text": "১৮৫ সাল থেকে অতিনবতারা অথবা সুপারনোভা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস শুরু হয়, যখন অতিনবতারা 'এস এন ১৮৫' দেখা যায়। পুরানো সুপারনোভা দেখা যাওয়ার ইতিহাস প্রাচীন মানুষ দ্বারাই সংরক্ষিত হয়েছিল। প্রাচীন কালে ছায়াপথ আকাশগঙ্গা'র মধ্যে অন্যান্য অতিনবতারাগুলোও সেই সময় থেকে পর্যবেক্ষণ হয়ে আসছে। অতিনবতারা ১৬০৪ হলো আমাদের ছায়াপথের অতিসম্প্রতি গঠিত সুপারনোভা।", "title": "অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস" }, { "docid": "462624#12", "text": "সুপারনোভার সত্যিকারের প্রকৃতি কিছু সময়ের জন্য অস্পষ্ট ছিল। ধীরে ধীরে পর্যবেক্ষকরা এক ধরনের তারকার সন্ধান পেলেন যেগুলোর ঐজ্জ্বল্য দীর্ঘ সময়ের পর্যায়ক্রমিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যায়। জন রাসেল হাইন্ড ১৮৪৮ সালে এবং নরম্যান পগসন ১৮৬৩ সালে কিছু তারকা শনাক্ত করেন যেগুলোর ঔজ্জ্বল্যতা হঠাৎ করে বদলে যায়। এই পর্যবেক্ষণটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজর কেড়েছিল। অবশেষে ১৮৬৬ সালে ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম হাগিন্স নব তারকার জন্য প্রথম বর্ণালী মানমন্দির স্থাপন করেন। টি কর্ণিয়া বরালিস নোভার অস্বাভাবিক হাইড্রোজেন বর্ণালি আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রটি তৈরী করেন। হাগিন্স অস্বাভাবিক বিস্ফোরণের অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়ার একটি তত্ত্ব প্রস্তাবনা করেন যা অন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনযোগ আকর্ষণ করে।", "title": "অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস" }, { "docid": "462624#10", "text": "আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে অতি সম্প্রতি ঘটিত সুপারনোভা হলো অতিনবতারা ১৬০৪ যা ১৬০৪ সালে ৯ অক্টোবরে দেখা যায়। কিছু মানুষ এই পর্যবেক্ষণ সংরক্ষণ করেন। তবে ইয়োহানেস কেপলার তাঁর পদ্ধতিগত গবেষণার কারণে উল্লেখযোগ্য হয় উঠেন। 'দে স্তেলা নোভা ইন পেদি সেরপেন্তারিঁ' বইতে কেপলার তাঁর পর্যবেক্ষণ লিখে যান।", "title": "অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস" }, { "docid": "10650#5", "text": "অবলোকিত প্রাচীনতম নীহারিকার নাম এসএন ১৮৫। চীনা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৮৫ খ্রিস্টাব্দে এটি অবলোকন করেছিল। ব্যাপকভাবে প্রথম নীহারিকা অবলোকন করা হয় ১০৫৪ সালে। চীনারাই সেবার এসএন ১০৫৪ নামক অতিনবতারাটি অবলোকন করেছিল। আকাশগঙ্গায় পর্যবেক্ষণকৃত সর্বশেষ অতিনবতারা দুটি ছিল এসএন ১৫৭২ এবং এসএন ১৬০৪। এই অতিনবতারাদ্বয়ের পর্যবেক্ষণ ইউরোপ মহাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রসারে বিশেষ অবদান রেখেছিল। কারণ চাঁদ এবং গ্রহসমূহের বাইরে অবস্থিত মহাবিশ্বের অংশসমূহ অপরিবর্তনীয় বলে এরিস্টটল যে মতবাদের প্রসার ঘটিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে এগুলো ছিল যথোপযুক্ত প্রমাণ।", "title": "অতিনবতারা" }, { "docid": "462624#14", "text": "নতুন করে নবতারা দেখার ইতিহাস ১৯৩০ সাল থেকে ভাল্টার বাডে এবং ফ্রিট্‌জ জুইকি দ্বারা মাউন্ট উইলসন অবজারভেটরি থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তারা 'এস এন্ড্রোমিডা' শনাক্ত করেছিল যাকে তারা ভেবেছিল একটি সাধারণ অতিনবতারকা বা সুপারনোভা। এটি একটি বিস্ফোরণ ছিল যার ফলে সূর্যের ১০^৭ (১০,০০,০০০) বছরের শক্তি উৎপন্ন হয়েছিল। তারা  এই অস্বাভাবিক বিস্ফোরণটিকে বলতে শুরু করলো সুপারনোভা। তারা দাবি করলো যে সাধারণ তারকার মধ্যাকর্ষণ চাপের কারণে চুপসে যাওয়ার ফলে শক্তি নির্গত হওয়ার পর সেগুলো নিউট্রন তারাতে পরিণত হয়। সুপার-নোভা নামটি প্রথম ১৯৩১ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির একটি লেকচারে ফ্রিটজ জুইকি ব্যবহার করেন। পরে ১৯৩৩ সালে আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি এর এক মিটিং-এ এটিকে সাধারণভাবে সুপারনোভা বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৩৮ সালে 'সুপার-নোভার) এর হাইফেন উঠে গিয়ে সুপারনোভা নামে ব্যবহার করা শুরু হয়।", "title": "অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস" }, { "docid": "462624#18", "text": "নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়- এ প্রথম ১৯৬০ সালে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সুপারনোভা পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। তারা নিউ মেক্সিকোর কোরালিটস পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে ২৪ ইঞ্চির একটি টেলিস্কোপ তৈরী করে যা কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। টেলিস্কোপটি প্রতি মিনিটে একটি করে গ্যালাক্সি দেখতে পারতো এবং টিভি স্ক্রীনে পর্যবেক্ষকরা তা দেখতে পেত। এর মাধ্যমে তারা ২ বছরে ১৪টি সুপারনোভা আবিষ্কার করতে পারলো।", "title": "অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস" }, { "docid": "462624#15", "text": "যদিও সুপারনোভা একটি বিরল ঘটনা তবুও প্রতি ৫০ বছরে এটি আমাদের গ্যালাক্সিতে ঘটে। গ্যালাক্সিগুলোর দুরত্ব পরিমাপ করার জন্য ঘন ঘন সুপারনোভা পর্যবেক্ষণ হয়। ১৯৩৩ সালে  প্রথম সুপারনোভা সনাক্তকরণ পেট্রল শুরু হয় জুইকি দ্বারা। ১৯৩৬ সালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি এর যোসেফ যে. জনসন এর সাহায্যে সুপারনোভা সনাক্তকরণ পেট্রল  যোগ দেন। প্যালমার মানমন্দির থেকে ৪০ সে.মি. স্মিট দূরবিক্ষণ যন্ত্র দ্বারা অতি-গ্যালাক্টিক ফটগ্রাফিক প্লেটের সাথে তুলনা করে  তারা ৩ বছরে ১২টি সুপারনোভা আবিষ্কার করেছিল।", "title": "অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস" }, { "docid": "266218#1", "text": "এর আগে ১৫৭২ সালে ট্যুকো ব্রাহে অতিনবতারা ১৫৭২ খুব ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। সেটিও ছিল আকাশগঙ্গার ভেতরে। এরপর আমাদের ছায়াপথে এখন পর্যন্ত আর কোন অতিনবতারা দেখা যায়নি যদিও অন্যান্য ছায়াপথে অনেক অতিনবতারা বিস্ফোরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। কেপলারের নবতারার অবশিষ্টাংশটি এখনও পর্যবেক্ষণ করা যায়, জ্যোতির্বিজ্ঞানে এখনও একে নিয়ে অনেক গবেষণা হয়।", "title": "অতিনবতারা ১৬০৪" }, { "docid": "462624#8", "text": "ডেনমার্ক এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী ট্যুকো ব্রাহে, আইসল্যান্ড এর পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে রাতের আকাশে তার পর্যবেক্ষণের ফলাফল খুব যত্ন করে সংরক্ষণ করে রাখেন। ১৫৭২ সালে তিনি ক্যাশিওপিয়া তারকামন্ডলে একটি নতুন তারকা পর্যবেক্ষণ করেন। পরবর্তীতে এর নাম দেওয়া হয় এস এন ১৫৭২। এই সুপারনোভার অবশিষ্টাংশ ১৯৬০ সাল পর্যন্ত আকাশে ছিল।", "title": "অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস" } ]
ব্লেড কোন ধাতু দ্বারা তৈরি হয় ?
[ { "docid": "626318#0", "text": "ব্লেড হল কোনো যন্ত্র, অস্ত্র বা মেশিনের একটি অংশ যার একটি পাশকে এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে তা দ্বারা বিভিন্ন জিনিস বা তলকে কাটা, কুচি করা, ফুটো করা অথবা আচড় দেয়া যায়। ব্লেড পাথরের টুকরো বা ফলক, ধাতু (যেমন: ইস্পাত), চিনামাটিসহ বিভিন্ন পদার্থ দ্বারা তৈরি হতে পারে। ব্লেড মানবসম্প্রদায়ের অন্যতম প্রাচীন একটি যন্ত্র যা এখনো লড়াই, খাদ্য প্রস্তুতকরণ এবং আরো অনেক উদ্দেশ্যে এখনো ব্যবহৃত হয়ে আসছে।", "title": "ব্লেড" } ]
[ { "docid": "626318#9", "text": "ব্লেডকে সাধারণত মজবুত ও শক্তিপোক্ত পদার্থ দ্বারা তৈরি করা হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুকে কাটতে হলে ব্লেডকে ঐ বস্তু অপেক্ষা আরো কঠিনতর পদার্থ দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে। ব্লেড পর্যাপ্ত পরিমানে মজবুত না হলে তা দ্বারা কোনো কিছু কাটা সম্ভব হয় না বা জলদি নষ্ট হয়ে যায় কারণ এর সাথে ব্লেডের ক্ষয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া, ব্লেডকে যথেষ্ট পরিমানে দৃঢ় হতে হবে যাতে তা যথেষ্ট পরিমানে ওজন ও আঘাত সহ্য করতে পারে এবং স্বাভাবিকভাবেই, ব্লেড যত কঠিনতর হয় ততই কোনো জিনিস কাটা সহজতর হয়ে উঠে। উদাহারণস্বরূপ, ইস্পাতের কুঠার কাঠ থেকে অনেক শক্ত হয় এবং গাছ কাটার সময় সৃষ্ট প্রতিক্রিয়া বলের মোকাবেলায় যথেষ্ট মজবুত। তেমনিভাবে রান্নাঘরে ব্যবহৃত চিনামাটির ছুরি ইস্পাত অপেক্ষা অনমনীয় কিন্তু খুবই ভঙ্গুর। এটি হাত থেকে পড়ে গেলেই ভেঙে পড়তে পারে। তাই ব্লেড তৈরীর সময় ব্লেডটি কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে, কোন পদার্থ দ্বারা তৈরী করা হবে এবং কোন পদ্ধতিতে (যেমনঃ হিট ট্রিটমেন্ট) তৈরী করা হবে তা মাথায় রাখতে হয়। যেহেতু তা ব্লেডের ভঙ্গুরতা এবং দৃঢ়তার উপর প্রভাব ফেলে। একইভাবে ব্লেডের তীক্ষ্ণতা এবং স্থায়িত্বের মধ্যেও ভারসাম্য রাখতে হয়। 'ডিফারেন্সিয়াল হার্ডনিং' অন্যতম একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সকল বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে ব্লেড তৈরী করা যায়। এই পদ্ধতিতে এমন একটি ফলক তৈরী করা যায় যা একই সাথে তীক্ষ্ণ এবং মজবুত।", "title": "ব্লেড" }, { "docid": "626318#8", "text": "'ফুলার' হল ব্লেডের চ্যাপ্টা দিকে উলম্বভাবে থাকা খাজবিশেষ যা ব্লেডের উপর চাপ দিয়ে বা পরবর্তিতে ভেঙে/কেটে তৈরী করা হয়। ব্লেডে উপস্থিত পদার্থ এইভাবে কমিয়ে ফেলায় যদিও ব্লেড দুর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু তা ব্লেডকে, তার দৃঢ়তা না কমিয়েই হালকা করতে পারে। I-বীম তৈরীর ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা হয়। অধিকাংশ ছুরিতে 'ফুলার' এতই ছোট থাকে যে তা ব্লেড থেকে খুব কম পদার্থ অপসারণ করে যার ফলে ব্লেডের ওজনের পরিবর্তনও খুব কম হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো বাহ্যিক হয়ে থাকে।", "title": "ব্লেড" }, { "docid": "626318#4", "text": "একটি সাধারণ ব্লেডের দুটি তল থাকে, যে তল দুটি একটি প্রান্তে মিলিত হয়। ঐ প্রান্তটি আদর্শগতভাবে বাকানো হওয়া উচিত নয় কিন্তু সাধারণত সকল ব্লেডের প্রান্তই কিছু না কিছু বাকানো থাকে। যা কিছুটা বর্ধিত করে বা ইলেকট্রন অণুবীক্ষণযন্ত্র দ্বারা দেখা যায়। হাতল বা ব্লেডের পেছন থেকে চাপ দেওয়ার মাধ্যমে ব্লেডের উপর বলপ্রয়োগ করা হয়। হাতল অথবা ব্লেডের পেছনের দিক ব্লেডের তীক্ষ্ণ প্রান্তের অপেক্ষা বড় ক্ষেত্রফলের হয়ে থাকে। ঐ তীক্ষ্ণ প্রান্তে প্রয়োগকৃত সকল বল কেন্দ্রীভূত হয়ে ঐ জায়গায় চাপ বাড়িয়ে দেয়। এই উচ্চচাপের কারণেই একটি ব্লেড কোনো বস্তুর অণুর বন্ধন সমুহ ভেঙে বস্তুটিকে কেটে ফেলতে পারে। তাই ব্লেডটির শক্ত হবার প্রয়োজন হয় যাতে বস্তুটির অণু বা তন্তুর বন্ধন সমুহ ভাঙার আগে ব্লেডটি ভেঙে না যায়।", "title": "ব্লেড" }, { "docid": "626318#2", "text": "অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারকালে, প্রতিপক্ষকে কাটতে, বিদ্ধ করতে ব্লেডকে নিক্ষেপ করে বা হাতে রেখে আচড় দেয়ার মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর কাজ হল স্নায়ু, পেশী বা পেশী বন্ধনীর তন্তু, রক্তবাহী ধমনীকে ছিন্ন করা যাতে শত্রুপক্ষ পঙ্গু হয় বা মারা যায়। প্রধান রক্তবাহী ধমনীকে ছিন্ন করলে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত ঘটে, যার ফলে সাধারণত মৃত্যু ঘটিত হয়। ছোট ছোট খন্ডসমুহ ব্লেডের মতো আচরণ করে বিধায়, শ্রাপ্নেল ক্ষতের সৃষ্টি করে।", "title": "ব্লেড" }, { "docid": "626318#7", "text": "খাঁজকাটা ব্লেড, যেমন করাত বা পাউরুটির ছুরির ব্লেড, প্রয়োগকৃত বলকে খাজের অগ্রভাগে কেন্দ্রীভূত করে যাতে নরম বা তন্তুময় বস্তুসমুহ খাজে খাজে অনেকগুলো ছোট ছোট ভাগে ভাগ হয়ে যায় এবং চাপও বৃদ্ধি পায়। যদি কোনো ছুরি এমনকি পাইরুটির ছুরিও যদি কোনো ব্রেডের উপর চেপে বসানো হয়, তাহলে রুটিটি শুধুমাত্র থেতলে যাবে কারণ রুটি নরম হওয়ায় স্থিতিস্থাপকতা কম কিন্তু অধিক নমনীয়। কিন্তু যদি পাইরুটির ছুরিকে পাইরুটির উপর কম বল প্রয়োগ করে আনুভুমিকভাবে চালনা করা হয় তবে প্রত্যেকটি খাজ পাইরুটিকে অনেক কম বিকৃত করে কেটে ফেলতে পারে। ছুরির খাজ বেশীরভাগ সময় প্রতিসম হয় যার ফলে ব্লেডকে সামনে পেছনে উভয়দিকে চালিয়ে কোনো বস্তুকে কর্তন করা যায়। একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম হল \"ভেফের খাজ\", যাতে ব্যবহারকারীর থেকে দুরের দিকে ব্লেড চালনা করলে সর্বোচ্চ ভেদ করা সম্ভব হয়। কাঠ এবং ধাতু উভয়ের জন্য করাতের ব্লেড সম্পুর্ন অপ্রতিসম হয়ে থাকে যাতে ব্লেড শুধুমাত্র একদিকে চালনা করলে কাঙ্খিত বস্তু কাটা যায়। (করাত কোনো বস্তুকে কাটার সময় ঐ কাটার সরু জায়গায় বস্তুটিকে গুড়ো করতে থাকে। অর্থাৎ করাত দিয়ে কোনো বস্তুকে কাটলে তা ঐ বস্তুর ক্ষয় ঘটায় এবং করাতের খাজগুলো ঐসব গুড়োকে বের করে আনতেও সাহায্য করে।)", "title": "ব্লেড" }, { "docid": "626318#6", "text": "ব্লেডের আকৃতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি পুরু ব্লেড আরেকটি একই নকশার পাতলা ব্লেড থেকে ভারী, শক্ত ও কঠিনতর হয় এবং একই সাথে কোনো কিছু কাটা বা ভেদ করাকে আরো কষ্টসাধ্য করে তোলে। হাড় ছাড়ানোর ছুরি নমনীয় হবার জন্য পাতলা হয় তেমনি খুদাই করার ছুরি পুরু হয় যাতে তা শক্ত হতে পারে; আবার খঞ্জর পাতলা আকৃতির হয়ে থাকে যাতে তা বেশী ধারালো হয়। একইভাবে ক্যাম্পিং এর ছুরি বেশী ধকল সহ্য করার মতো পুরু হহতে হয়। একটি শক্তপোক্ত বাকানো ব্লেডকে (যেমন:তলোয়ার) প্রতিপক্ষের কাছে থেকেই সহজে চালনা করা যায় যেমনটা অপেক্ষাকৃত সোজা আকৃতির তরবারির বেলায় করা যাবে না। কুঠারের ব্লেড বাকানো থাকলে তা গাছকে কাটার সময় কম জায়গা নিয়ে আঘাত করবে, যার ফলে ঐ জায়গায় অনেক বেশী বল কেন্দ্রীভূত হবে। তেমনি একটি সোজা আকৃতির কুঠার অপেক্ষাকৃত বেশী জায়গা নিয়ে আঘাত করায় তা কম বল প্রয়োগ করতে পারবে।কাঠ কাটার গদা উত্তল আকৃতির হয় যাতে তা কাঠের ভেতর আটকে না যায়। খপেশ, খড়গ বা কুকরি বাকানো হয় এবং ব্লেডের শেষ প্রান্ত অতিরিক্ত ওজন থাকে যার ফলে ব্লেডের সবচেয়ে দ্রুতগামী অংশে বল কেন্দ্রীভূত হয় এবং সর্বোপরি ভেদ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। অপরদিকে তরোয়াল অনেক পাতলা যার ফলে এটি দ্রুততার সাথে কাটতে পারে ও একই কারণে এর কাটার ক্ষমতাও কমে যায়।", "title": "ব্লেড" }, { "docid": "468159#2", "text": "১ টন (৯১০ কেজি) ওজনের এই ভাস্কর্যটি বেস্ট জেনুইন বেল মেটাল, শতকরা ১৬ ভাগ (কমপক্ষে) তামার সংকর ধাতু দিয়ে নির্মিত। আকারের দিক থেকে এটি ছিলো আনুমানিক । এটি একটি আনুভূমিক কড়িকাঠে ঝোলানো ছিলো এবং দুটি ভি আকৃতির কড়িকাঠ সাহায্যের জন্য ছিলো। ভিত্তিটি তৈরি করা হয়েছিল ইট, ধাতু (ষ্টীল) এবং কাঠ (মেহগনি) দিয়ে যার আনুমানিক আকৃতি ছিল । এর পশ্চিম পাশে লেখাছিল \"পাস এন্ড স্টো / ফিলাডা / এম,ডি,সি,সি,এল,আই,আই,আই\" (। ঘন্টাটির উপরের দিকে লেখা ছিলো \"প্রোক্লেইম লিবার্টি থ্রু আউট অল দ্যা ল্যান্ড আনটু অল দ্যা ইনহ্যাবিট্যান্টস দেয়ার অফ লেভ. এক্স,এক্স ভি,ভি,এক্স / বাই দ্যা অর্ডার অব দ্যা অ্যাসেম্বলি অব দ্যা প্রভিন্স অব দ্যা পেনসিলভিনিয়া ফর দ্যা স্টেট হাউস ইন ফিলাডা।\" প্রতিষ্ঠাতার চিহ্নও আছে এতে। স্মিথসোনিয়ান এই ভাস্কর্যটিকে রুপকধর্মী শ্রেনীতে স্থান দিয়েছেন যা স্বাধীনতাকে রুপায়িত করে। ঘন্টাটি পোর্টল্যান্ডের প্রকাশিত হেঁটে ভ্রমনের স্থানের তালিকায় স্থান পেয়েছে।", "title": "লিবার্টি বেল (পোর্টল্যান্ড, ওরেগন)" }, { "docid": "651155#2", "text": "রবার কনভেয়র বেল্টগুলি সাধারণত নীচে পৃষ্ঠতল অনিয়মিত, ছোট্ট উপাদান যা রোলার্সের মধ্যে পড়ে (যেমন, একটি সুদৃশ্য কনভেয়র বার), বা বেল্টের মধ্যে বণ্টন করে, যা রোলার্সের মধ্যে সজীব থাকে। বেল্ট পরিবহন সাধারণত একটি সমতল ধাতু বিছানার উভয় শেষে রোলার সঙ্গে যুক্ত একটি ধাতব ফ্রেম গঠনের অনুরূপ। বেল্টটি রোলারের প্রতিটির কাছে ছিঁড়ে যায় এবং যখন রোলারগুলি একটি (বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা) চালিত হয় তখন ধাতুটি ছাঁচে ঢোকানো কঠিন ধাতু ফ্রেম বেল্টে জুড়ে পণ্য সরানো হয়। ভারী উপাদান পরিবহনের জন্য বেল্টটি টানা হয়, এমন শয্যাগুলি রোলার্সের সাথে প্রতিস্থাপিত হয়। বেল্টের উপর ভারী লোডিং থেকে উত্পন্ন ঘর্ষণ পরিমাণ কমাতে বেল্টের উপর কম ওজন অনুমতি দেয়।", "title": "পরিবাহক বেল্ট" }, { "docid": "536347#2", "text": "ব্ল্যাক বক্স কালো কোন বস্তু নয়। বরং এর রং অনেকটা কমলা ধরণের। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি লেয়ার দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে প্রচণ্ড উত্তাপ, ভাঙচুর, পানি বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও এটি টিকে থাকতে পারে। এটি ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও অক্ষত থাকতে পারে। স্টেইনলেস স্টীল বা টাইটেনিয়ামের খোলস দিয়ে বাক্সের আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয়।", "title": "ফ্লাইট রেকর্ডার" } ]
গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা কবে হয় ?
[ { "docid": "72106#0", "text": "গুপ্ত সাম্রাজ্য (সংস্কৃত: गुप्त राजवंश, \"\") ছিল একটি প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্য। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় ৩২০ থেকে ৫৫০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে এই সাম্রাজ্য প্রসারিত ছিল। মহারাজ শ্রীগুপ্ত \"ধ্রুপদি সভ্যতা\"-র আদর্শে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। গুপ্ত শাসকদের ভারতে যে শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থাপিত হয়েছিল, তার ফলশ্রুতিতে দেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করতে সক্ষম হয়। গুপ্তযুগকে বলা হয় ভারতের স্বর্ণযুগ। এই যুগ ছিল আবিষ্কার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাস্তুবিদ্যা, শিল্প, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ধর্ম ও দর্শনের বিশেষ উৎকর্ষের যুগ; বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতি মূলত এই যুগেরই ফসল। গুপ্ত যুুগের আমলে অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি যেমন কালিদাস, আর্যভট্ট, বরাহমিহির, বিষ্ণু শর্মা -এর অবির্ভাব হয়েছিলো। \nপ্রথম চন্দ্রগুপ্ত, সমুদ্রগুপ্ত ও দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন গুপ্ত সাম্রাজ্যের সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ সম্রাট।\nপ্রায় ৩২০ থেকে ৫৫০ অবধি,গুপ্ত বংশের প্রধান শাখা ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্য শ্বাসন করেছিলেন। এই সাম্রাজ্য শ্রীগুপ্ত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শাসকগণ:", "title": "গুপ্ত সাম্রাজ্য" }, { "docid": "15847#28", "text": "খ্রিষ্টীয় চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্ত রাজবংশের শাসনকালে উত্তর ভারত পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়। হিন্দু নবজাগরণের সুবর্ণযুগ নামে পরিচিত এই সময়কালেই হিন্দু সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও রাজনৈতিক প্রশাসন এক নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। গুপ্ত রাজবংশের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সম্রাট ছিলেন প্রথম চন্দ্রগুপ্ত, সমুদ্রগুপ্ত ও দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। প্রাপ্ত আদি পুরাণ গ্রন্থগুলি এই সময়েই রচিত বলে অনুমিত হয়। মধ্য এশিয়ার হুনদের আক্রমণে এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল। ষষ্ঠ শতাব্দীতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর ভারতে একাধিক আঞ্চলিক রাজন্যশক্তির উদ্ভব ঘটে। সাম্রাজ্য বিভাজনের পর গুপ্তবংশের একটি অপ্রধান শাখা মগধ শাসন করতে থাকে। পরে বর্ধন রাজা হর্ষ তাদের ক্ষমতাচ্যুত করে সপ্তম শতাব্দীর প্রথমভাগে নিজস্ব সাম্রাজ্য স্থাপনে সমর্থ হন।", "title": "ভারতের ইতিহাস" } ]
[ { "docid": "42898#5", "text": "মৌর্য সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে উঠেছিল। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এই সাম্রাজ্য অশোকের রাজত্বকালে দক্ষিণ এশিয়া, পারস্য, আফগানিস্তান অবধি বিস্তার লাভ করেছিল। পরবর্তীকালে শক্তিশালী গুপ্ত সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে ওঠে যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশে এবং পারস্য এবং আফগানিস্তানের কিছু অংশে বিস্তার লাভ করেছিল। বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক যিনি ৬০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে রাজত্ব করেছিলেন।\nপ্রথম বৌদ্ধ পাল রাজা প্রথম গোপাল ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গৌড়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন ধর্মপাল (রাজত্বকাল ৭৭৫-৮১০ খ্রিস্টাব্দ) এবং দেবপাল (রাজত্বকাল ৮১০-৮৫০ খ্রিস্টাব্দ)।", "title": "বঙ্গ" }, { "docid": "15847#30", "text": "ভারতের ধ্রুপদী যুগের সূচনা ঘটে গুপ্ত শাসনকালে। সপ্তম শতাব্দীতে যখন হর্ষ উত্তর ভারতে নিজ কর্তৃত্ব স্থাপন করেন তখন এই যুগ মধ্যগগনে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে উত্তর ভারতীয় আক্রমণকারীদের চাপে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে এই যুগেরও সমাপ্তি ঘটে। এই যুগেই ভারতীয় শিল্পকলার চরম সমৃদ্ধি ঘটে। এই সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের প্রধান আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক বিকাশ সম্ভব হয়। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর সপ্তম শতাব্দীতে কনৌজের রাজা হর্ষ সমগ্র উত্তর ভারতকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পরেই তাঁর সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।", "title": "ভারতের ইতিহাস" }, { "docid": "333440#0", "text": "দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বা চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য () (রাজত্বকাল: ৩৭৫ খ্রিস্টাব্দ-৪১৫ খ্রিস্টাব্দ) একজন শক্তিশালী গুপ্ত সম্রাট ছিলেন। তার শাসনকালে গুপ্ত সাম্রাজ্য সর্বাধিক বিস্তৃত হয় এবং প্রাচীন ভারতের কলা, ভাস্কর্য্য ও স্থাপত্য এক অন্যন্য উচ্চতায় পৌঁছয়। তার শাসনকালকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। পিতা সমুদ্রগুপ্তের মতোই তিনি যেমন ভারতের বিভিন্ন রাজপরিবারের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হইয়ে তাঁদের সমর্থনলাভে সচেষ্ট ছিলেন, আবার ঠিক তেমনই আক্রমণাত্মক নীতি অবলম্বন করে তাঁর সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটান।", "title": "দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত" }, { "docid": "77007#0", "text": "সমুদ্রগুপ্ত (রাজত্বকাল খ্রিস্টীয় ৩৩৫ – ৩৮০ অব্দ) ছিলেন গুপ্তসম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্তের পুত্র, উত্তরাধিকারী এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা। শুধু গুপ্ত বংশেরই নন, তিনি ছিলেন ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামরিক শাসক। সম্ভবত তিনি পিতার প্রথম সন্তান ছিলেন না, কিন্তু শৌর্য ও বীর্যের কারণে প্রথম চন্দ্রগুপ্ত তাঁকেই উত্তরসূরি নির্বাচিত করেন। সমগ্র উত্তর ভারতকে নিজের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে আনেন ও দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজ অঞ্চল অবধি রাজ্যসমূহকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের করদ রাজ্যে পরিণত করেছিলেন সমুদ্রগুপ্ত। সিংহলের রাজাও তাঁর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করেছিলেন।", "title": "সমুদ্রগুপ্ত" }, { "docid": "1497#9", "text": "খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি \"মাৎস্যন্যায়\" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।", "title": "পশ্চিমবঙ্গ" }, { "docid": "15844#10", "text": "ষষ্ঠ শতকের মধ্যে উত্তর ভারত শাসনকারী বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্য বিভিন্ন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এগুলোর মধ্যে মগধ (বিহার) ও মালব (মধ্য প্রদেশ) এ রাজ্য দুটি গুপ্ত বংশের দুটি শাখা দ্বারা শাসিত ছিল। অপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ছিল উত্তর প্রদেশের মৌখরী রাজ্য এবং পাঞ্জাবের পুষ্যভূতি রাজ্য। শশাঙ্ক ছিলেন মগধের গুপ্ত সম্রাট মহাসেন গুপ্তের একজন সীমান্তবর্তী মহাসামন্ত। মহাসেন গুপ্তের পর তিনি বাংলার ক্ষমতা দখল করেন এবং গৌড়ের কর্ণসূবর্ণে তার রাজধানী স্থাপন করেন। শশাঙ্ক ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যা অাক্রমণ করেন এবং সেখানকার শৈলোদ্ভব বংশীয় রাজাকে পরাজিত করে উড়িষ্যা দখল করেন । এ সময় উত্তর ভারত দখলের জন্য বিভিন্ন সাম্রাজ্যের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা শুরু হয়। মালবের রাজা দেবগুপ্ত মৌখরী রাজা গ্রহবর্মণকে পরাজিত করে কনৌজ দখল করেন। কিন্তু একই সময় পুষ্যভূতির রাজা রাজ্যবর্ধন দেবগুপ্তকে অাক্রমণ করে তাকে পরাজিত করেন। এ সময় শশাঙ্ক কনৌজ অাক্রমণ করেন। তিনি কনৌজের অধিকারী রাজ্যবর্ধনকে পরাজিত ও নিহত করে ক্ষমতা দখল করেন। রাজ্যবর্ধনের মৃত্যুর প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য তার ভাই ও উত্তরাধিকারী হর্ষবর্ধন এক বিপুল বাহিনী গঠন করেন। শশাঙ্ক হর্ষবর্ধনের সাথে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেন। কিন্তু হর্ষবর্ধন ছিলেন অত্যধিক শক্তিশালী যোদ্ধা। ছয় বৎসর ধরে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করার পর শশাঙ্ক শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন। হর্ষবর্ধন বাংলার রাজধানী গৌড় দখল করে নেন। এভাবে বাংলার ক্ষণস্থায়ী গৌড় সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।", "title": "বাংলাদেশের ইতিহাস" }, { "docid": "449454#0", "text": "প্রথম কুমারগুপ্ত বা কুমারগুপ্ত মহেন্দ্রাদিত্য (রাজত্বকাল: ৪১৫ খ্রিস্টাব্দ-৪৪৫ খ্রিস্টাব্দ) একজন গুপ্ত সম্রাট ছিলেন। তাঁর রাজত্বকালে তিনি পূর্বে বঙ্গ থেকে পশ্চিমে কাথিয়াওয়াড় এবং উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে নর্মদা নদী পর্য্যন্ত গুপ্ত সাম্রাজ্যের বিস্তার অটুট রাখতে সক্ষম হন। তাঁর রাজত্বকালের অন্তিম পর্যায়ে পুষ্যমিত্র জনজাতির বিদ্রোহ ও শ্বেত হুণ জাতির আক্রমণের কারণে তাঁকে বিব্রত হতে হয়েছিল।", "title": "প্রথম কুমারগুপ্ত" }, { "docid": "75272#3", "text": "খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি \"মাৎস্যন্যায়\" নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে। বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।\nপঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন। অবশেষে ১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করেন। এর পর সুবা বাংলার রাজস্ব আদায়ের অধিকার কোম্পানির হস্তগত হয়। ১৭৬৫ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি স্থাপিত হয়। ধীরে ধীরে সেন্ট্রাল প্রভিন্সের (অধুনা মধ্যপ্রদেশ) উত্তরে অবস্থিত গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের মোহনা থেকে হিমালয় ও পাঞ্জাব পর্যন্ত সকল ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত হয়। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে লক্ষাধিক সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটে। ১৭৭২ সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়।", "title": "পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস" } ]
ডিএনএ-এর মধ্যে কি জিন থাকে ?
[ { "docid": "1365#22", "text": "ডিএনএ সূত্রকে জিন মাত্রিকভাবে সজ্জিত থাকে, যাকে ক্রোমোসোম বলে। ব্যাকটেরিয়াতে প্রতিটি কোষেই একক বৃত্তাকার ক্রোমোসোম থাকে, যেখানে সুকেন্দ্রিক জীবে (যার মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণী অন্তর্ভুক্ত) বহু সংখ্যক মাত্রিক ক্রোমোসোমে ডিএনএ সজ্জিত থাকে। এই ডিএনএ সূত্রকগুলো অনেক লম্বা হয়; উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মানুষের দীর্ঘতম ক্রোমোসোম প্রায় ২৪৭ মিলিয়ন ক্ষার-জোড়া (base pair) নিয়ে গঠিত। কোন ক্রোমোসোমে অবস্থিত ডিএনএ তার গাঠনিক প্রোটিনের সাথে সম্পর্কযুক্ত, যা তাকে সংগঠিত ও বিন্যস্ত রাখে এবং ডিএনএ'র সাথে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে, যা কিনা ক্রোমাটিন নামক একটি পদার্থের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়; সুকেন্দ্রিক জীবে ক্রোমাটিন সাধারণতঃ নিউক্লিওসোমে তৈরি হয়, যা হল হিস্টোন প্রোটিনের কোরের (core) চারপাশে ডিএনএ পেঁচিয়ে তৈরি হয়। কোন জীবের বংশগতিগত পদার্থের সম্পূর্ণ সেটকে (সাধারণতঃ সব ক্রোমোসোমের সম্মিলিত ডিএনএ অনুক্রম) জিনোম বলা হয়।", "title": "জিনতত্ত্ব" }, { "docid": "1365#1", "text": "জিন ডিএনএ'র নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে। ডিএনএ হল এমন একটি অণু যা কিনা চারটি ভিন্ন প্রকৃতির নিউক্লিওটাইডে তৈরি, যাদের বিন্যাসই কোনো অর্গানিজমের জিনেটিক বৈশিষ্ট্যাদি নিঁর্ধারণ করে দেয়। ডিএনএ সাধারণতঃ দ্বি-সর্পিল তন্তুর ন্যায় বিন্যাসিত থাকে ; যেখানে কোন একটি নিউক্লিওটাইড অপর তন্তুতে অবস্থিত নিউক্লিওটাইডের পরিপূরক। প্রতিটি তন্তুই ডিএনএ প্রতিলিপিকরণের সময় তার পরিপূরক তন্তুর জন্যে ছাঁচ হিসাবে কাজ করে, যা কি-না উত্তরাধিকার সূত্রে জিন প্রতিলিপিকরণের ভৌত পদ্ধতি।", "title": "জিনতত্ত্ব" }, { "docid": "10883#5", "text": "ডিএনএ সূত্রের মেরুদন্ড ফসফেট ও চিনি অণুর পুনরাবৃত্তিতে গঠিত। ডিএনএর চিনি হচ্ছে পেন্টোজ (পাঁচ কার্বন বিশিষ্ট) ২-ডিঅক্সিরাইবোজ। এই চিনি ফসফেট গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে পাশাপাশি চিনির অণুর মধ্যে তৃতীয় ও পঞ্চম কার্বন পরমাণুর স্থানে ফসফোডিয়েসটার বন্ধন গঠন করে। এই অপ্রতিসম বন্ধন বোঝায় যে ডিএনএ অণুর মেরু বা দিক আছে। দ্বৈত হেলিক্সে এক সূত্রের নিউক্লিওটাইডের দিক অন্য সূত্রের ঠিক বিপরীত দিকে থাকে। ডিএনএ সূত্রের এই ধরনের বিন্যাসকে প্রতিসমান্তরাল। ডিএনএর অপ্রতিসম প্রান্তকে বলে ৫' (\"ফাইভ প্রাইম\") এবং ৩' (\"থ্রি প্রাইম\") প্রান্ত। ডিএনএ ও আরএনএর মধ্যকার একটি প্রধান পার্থক্য হলো চিনিতে, যেখানে ডিএনএতে ২-ডিঅক্সিরাইবোজ ব্যবহৃত হয় সেখানে আরএনএতে আরেকটি পেন্টোজ চিনি রাইবোজ ব্যবহৃত হয়।", "title": "ডিএনএ" } ]
[ { "docid": "10883#0", "text": "ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড () একটি নিউক্লিক এসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রনের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে। একটি সম্ভাব্য ব্যতিক্রম হচ্ছে কিছু ভাইরাস গ্রুপ যাদের আরএনএ জিনোম রয়েছে, তবে ভাইরাসকে সাধারণত জীবন্ত প্রাণ হিসেবে ধরা হয় না। কোষে ডিএনএর প্রধান কাজ দীর্ঘকালের জন্য তথ্য সংরক্ষন। জিনোমকে কখনও নীলনকশার সাথে তুলনা করা হয় কারণ, এতে কোষের বিভিন্ন অংশে যেমনঃ প্রোটিন ও আরএনএ অণু, গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী থাকে। ডিএনএর যে অংশ এ জিনগত তথ্য বহন করে তাদের বলে জিন, কিন্তু অন্যান্য ডিএনএ ক্রমের গঠনগত তাৎপর্য রয়েছে অথবা তারা জিনগত তথ্য নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।", "title": "ডিএনএ" }, { "docid": "10883#4", "text": "জীবদেহে ডিএনএ একটি একক অণু হিসেবে থাকে না, বরং চাপাচাপি করে জোড়া-অণু হিসেবে থাকে। এই লম্বা সূত্র দুইটি আঙ্গুরের মত প্যাচানো থাকে, যা দ্বৈত হেলিক্সের মত হয়। একটি ডিএনএ সূত্রে থাকে নিউক্লিওটাইড যা ডিএনএ মেরুদন্ডকে ধরে রাখে, এবং একটি ক্ষার যা অন্য ডিএনএ সূত্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এই নিউক্লিওটাইড ও ক্ষারের পুনরাবৃত্তিতেই ডিএনএ সূত্র গঠিত। সাধারনভাবে একটি ক্ষার যদি একটি চিনি অণুর সাথে যুক্ত থাকে তাকে বলে নিউক্লিওসাইড এবং একটি ক্ষার যদি একটি চিনি ও এক বা একাধিক ফসফেট অণুর সাথে যুক্ত থাকে তাকে বলে নিউক্লিওটাইড। যদি একাধিক নিউক্লিওটাইড একসাথে যুক্ত থাকে, যেমন ডিএনএতে, তবে এই পলিমার কে বলে পলিনিউক্লিওটাইড।", "title": "ডিএনএ" }, { "docid": "10883#6", "text": "ডিএনএর দ্বৈত হেলিক্স হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে স্থির থাকে, যা দুটি সূত্রের মধ্যে সংযুক্ত থাকে। ডিএনএতে যে চারটি ক্ষার পাওয়া যায় তা হল এডেনিন (সংক্ষেপে A), সাইটোসিন (C), গুয়ানিন (G) এবং থাইমিন (T)। এরা পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় এডেনিন (A) শুধুমাত্র থাইমিনের(T) সাথে এবং গুয়ানিন(G) শুধুমাত্র সাইটোসিনের(C) সাথে যুক্ত হয়। নিম্নে এই চারটি ক্ষার দেখানো হয়েছে যারা চিনি/ফসফেটের সাথে যুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিউক্লিওটাইড গঠন করে, যেমনঃ এডিনোসিন মনোফসফেট।", "title": "ডিএনএ" }, { "docid": "119160#26", "text": "ডিএনএ অনুক্রমের পরিকীর্ণ পুনরাবৃত্তি বিচ্ছিন্নতামূলক প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। পরিব্যক্তির ফলে দু’টো ডিএনএ তন্তুর সাদৃশ্য বিনষ্ট হলে এই অস্বাভাবিকতা নিরসনের জন্য জিন কনভারসন নামক একটি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। ডিএনএ অনুক্রমের পরিকীর্ণ পুনরাবৃত্তি বিবর্তনশীল জিনগুলোকে জিন কনভারসন প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। দু’টো ডিএনএ তন্তুর মাঝে বৈসাদৃশ্য জিন কনভারসন এর জন্য বাধা সৃষ্টি করে। এই বাধাই উদীয়মান নতুন জিনগুলোকে প্রতিস্থাপিত হওয়া হতে রক্ষা করে। এর ফলে জিন পরিবার ও এলিলগুলোতে নতুন জিন বিবর্তিত হতে পারে। পরিকীর্ণ পুনরাবৃত্তি একারণে খুবই গুরুত্বপূর্ন যে জিনের বাহকরা ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন না হলেও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জিনপুঞ্জ একাধিক জিনপুঞ্জে আলাদা হয়ে যেতে পারে, যার ফলে নতুন প্রজাতি বিবর্তিত হবে।", "title": "প্রজাত্যায়ন" }, { "docid": "66880#57", "text": "কোষগুলির মধ্যে, ডিএনএ ক্রোমোজোমের দীর্ঘ কাঠামোর মধ্যে সাজানো থাকে। কোষ বিভাজনের সময় এই ক্রোমোসোমগুলি ডিএনএ পুনরাবৃত্তির প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রতিলিপি তৈরি করে, যার ফলে প্রতিটি কোষের ক্রোমোজোমের সম্পূর্ণ সেট বজায় থাকে। সুকেন্দ্রিক জীবের (প্রাণী, উদ্ভিদ, ছত্রাক এবং প্রোটিস্টা) ক্ষেত্রে বেশিরভাগের ডিএনএ কোষের নিউক্লিয়াসের ভিতরে থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অঙ্গাণু যেমন, মাইটোকন্ড্রিয়া বা ক্লোরোপ্লাস্ট মধ্যে থাকে। এর বিপরীতে, প্রাক-কেন্দ্রিক জীব (ব্যাকটেরিয়া এবং আর্কিয়া) তাদের ডিএনএ সাইটোপ্লাজমে সংরক্ষিত থাকে। ক্রোমোসোমের মধ্যে, ক্রোমাটিন প্রোটিন যেমন হিস্টোন ডিএনএ-কে সঙ্কুচিত ও সংগঠিত করে রাখে। এই সঙ্কুচিত গঠনগুলি ডিএনএ এবং অন্যান্য প্রোটিনের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ায় সহায়তা করে, ডিএনএর বিভিন্ন অংশগুলির মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।", "title": "জীবন" }, { "docid": "10883#7", "text": "এই ক্ষারগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়; এডেনিন ও গুয়ানিন হল পিউরিন নামক ৫- ও ৬- কার্বনচক্রের হেটারোসাইক্লিক যৌগ এবং সাইটোসিন ও থাইমিন হল পাইরিমিডিন নামক কার্বনচক্রের যৌগ। ইউরাসিল (U) নামে পঞ্চম আরেকটি পাইরিমিডিন ক্ষার আছে যা সাধারণত আরএনএতে থাইমিনের বদলে থাকে। থাইমিনের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে কেবল একটি মিথাইল গ্রুপের অনুপস্থিতি। ডিএনএতে কেবল সাইটোসিনের ভাঙ্গনের ফলে উপজাত হিসেবে ইউরাসিল পাওয়া যেতে পারে, তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে পিবিএস-১ নামের একটি ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাস যার ডিএনএতে ইউরাসিল রয়েছে। কিন্তু আরএনএ সংশ্লেষনের সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইউরাসিল এনজাইমের প্রভাবে একটি মিথাইল গ্রুপ যুক্ত হয়ে থাইমিনে পরিনত হয়। মূলত গাঠনিক ও এনজাইম আরএনএ যেমনঃ ট্রান্সফার আরএনএ ও রাইবোজোমাল আরএনএতেই এই ঘটনা ঘটে।", "title": "ডিএনএ" }, { "docid": "1365#48", "text": "[[ডিএনএ লাইগেজ|লাইগেশন এনজাইমের]] মাধ্যমে ডিএনএ খন্ডসমূহকে পুনঃর্যোজিত করা যেতে পারে এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে গবেষকেরা [[রিকম্বিন্যান্ট ডিএনএ]] তৈরি করেন। রিকম্বিন্যান্ট ডিএনএ প্রযুক্তি সাধারণত [[প্লাজমিড|প্লাজমিডের]] মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে - যাদের স্বল্প কিছু ডিএনএ বিশিষ্ট বৃত্তাকার জিন বিদ্যমান। এ ধরণের প্লাজমিডকে ব্যাক্টেরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়ে গবেষকেরা সেই প্রবেশকৃত ডিএনএ খন্ডকটুকুর সংখ্যাবৃদ্ধি করেন, যা কিনা আণবিক ক্লোনিং হিসেবে পরিচিত। \n[[চিত্র:Ecoli colonies.png|thumb|right|\"[[ই কোলাই]]\" কলোনি, আণবিক ক্লোনিং এর উদাহরণ।]]\n[[পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন|পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশনের]] মাধ্যমেও ডিএনএর সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। ডিএনএর সুনির্দিষ্ট স্বল্প সিকোয়েন্সে পিসিআরের মাধ্যমে পৃথক করে বহুগুণ বর্ধিত করা যায়। ডিএনএর অতি ক্ষুদ্র অংশ বর্ধিত করতে পারে বিধায় নির্দিষ্ট ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপস্থিতি নির্ধারণে পিসিআর বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।", "title": "জিনতত্ত্ব" } ]
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম উপন্যাসের নাম কী ?
[ { "docid": "81541#2", "text": "প্রথম উপন্যাস লেখেন কুয়োতলা। কিন্তু কলেজ - জীবনের বন্ধু সমীর রায়চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর বনাঞ্চল - কুটির চাইবাসায় আড়াই বছর থাকার সময়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় একজন সফল লিরিকাল কবিতে পরিণত হন। একই দিনে বেশ কয়েকটি কবিতা লিখে ফেলার অভ্যাস গড়ে ফেলেন তিনি। শক্তি নিজের কবিতাকে বলতেন পদ্য। ভারবি প্রকাশনায় কাজ করার সূত্রে তার শ্রেষ্ঠ কবিতার সিরিজ বের হয়। পঞ্চাশের দশকে কবিদের মুখপত্র কৃত্তিবাস পত্রিকার অন্যতম কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তার উপন্যাস অবনী বাড়ি আছো? দাঁড়াবার জায়গা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়। রূপচাঁদ পক্ষী ছদ্মনামে অনেক ফিচার লিখেছেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'হে প্রেম, হে নৈশব্দ' ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয় দেবকুমার বসুর চেষ্টায়। ১৯৭০ - ১৯৯৪ আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরি করেছেন।", "title": "শক্তি চট্টোপাধ্যায়" } ]
[ { "docid": "80843#3", "text": "১৯৬৫ সালে তিনি ছাতামাথা নামে একটি উপন্যাস লেখেন । উপন্যাসটিতে ন্যারেটিভ লিখিত হয় পূর্ব বঙ্গের কথ্য ভাষায় এবং সংলাপ লিখিত হয় কলকাতার কথ্য ভাষায় । বাংলায় পূর্ব বঙ্গের ভাষায় লেখা উপন্যাস সম্ভবত এইটিই প্রথম। সেসময়ে সুবিমল বসাক সাহিত্যের ভাষাকে কলুষিত করছেন বলে সমালোচিত হলেও, পরবর্তীকালে, বিশেষ করে পূর্ববঙ্গে এই ভাষায় সাহিত্য রচনা এখন স্বীকৃত। এর পর তিনি ঢাকা শহরের কথ্য ভাষায় একট কাব্যগ্রন্হ প্রকাশ করেন এবং তার নাম দেন হাবিজাবি । ন্যারেটিভের মাধ্যম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তিনি হাংরি আন্দোলন ফুরিয়ে যাবার পরও বজায় রেখেছিলেন । তাঁর পরবর্তী উপন্যাস প্রত্নবীজ-এ তিনি শৈশবের লোদিপুর পাড়ার কথ্য ইনগদির সঙ্গে মিশ্রিত বাংলা, যা ওই অঞ্চলের বাঙালিরা ব্যবহার করেন সেটি প্রয়োগ করেন । পশ্চিমবঙ্গে কালক্রমে একটি মিশ্রিত ভাষায় ন্যারেটিভ তৈরির চল হয়েছে যেটি বহির্বঙ্গীয় বাঙালিরা ব্যবহার করেন ।", "title": "সুবিমল বসাক" }, { "docid": "81541#3", "text": "১৯৬১ সালের নভেম্বরে ইশতাহার প্রকাশের মাধ্যমে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলন - এর জনক মনে করা হয় তাঁদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম । অন্য তিনজন হলেন সমীর রায়চৌধুরী, দেবী রায় এবং মলয় রায়চৌধুরী। শেষোক্ত তিনজনের সঙ্গে সাহিত্যিক মতান্তরের জন্য ১৯৬৩ সালে তিনি হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করে কৃত্তিবাস গোষ্ঠীতে যোগ দেন । তিনি প্রায় ৫০টি হাংরি বুলেটিন প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে কৃত্তিবাসের কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নাম সাহিত্যিক মহলে একত্রে উচ্চারিত হতো, যদিও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হাংরি আন্দোলন এর ঘোর বিরোধী ছিলেন এবং কৃত্তিবাস পত্রিকায় ১৯৬৬ সালে সেই মনোভাব প্রকাশ করে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন।", "title": "শক্তি চট্টোপাধ্যায়" }, { "docid": "2729#1", "text": "সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম অধুনা বাংলাদেশের মাদারীপুরে। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ \"একা এবং কয়েকজন\" এবং ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম উপন্যাস \"আত্মপ্রকাশ\" প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল \"আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি\", \"যুগলবন্দী\" (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), \"হঠাৎ নীরার জন্য\", \"রাত্রির রঁদেভূ\", \"শ্যামবাজারের মোড়ের আড্ডা\", \"অর্ধেক জীবন\", \"অরণ্যের দিনরাত্রি\", \"অর্জুন\", \"প্রথম আলো\", \"সেই সময়\", \"পূর্ব পশ্চিম\", \"ভানু ও রাণু\", \"মনের মানুষ\" ইত্যাদি। শিশুসাহিত্যে তিনি \"কাকাবাবু-সন্তু\" নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা। মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় সাহিত্য প্রতিষ্ঠান সাহিত্য অকাদেমি ও পশ্চিমবঙ্গ শিশুকিশোর আকাদেমির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।", "title": "সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়" }, { "docid": "9297#2", "text": "তাঁর লেখালেখির সূচনা ১৯৪০ দশকের গোড়ার দিকে। ১৯৪২-এ দেশ পত্রিকায় প্রথম গল্প “আবর্তন” লিখে তিনি সকলের নজর কাড়েন। ১৯৪৫-এ প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস দিনগুলি মোর। উল্টোরথ পত্রিকায় ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর একটি বড়গল্প, যার নাম “চেনামুখ । এ গল্পের আখ্যান ছিল উদ্বাত্তদের অসহনীয় জীবন সংগ্রাম। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক এ গল্পের কাহিনী অবলম্বনে তৈরী করে একটি চলচ্চিত্র যার নাম “মেঘে ঢাকা তারা”। এ চলচ্চিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং শক্তিপদ রাজগুরুকে জনসাধারণ্যে পরিচিত করে তোলে। ঋত্বিক ঘটকের প্রশিক্ষণে এ চলচ্চিতের চিত্রনাট্য রিখেছিলেন শক্তিপদ নিজেই।", "title": "শক্তিপদ রাজগুরু" }, { "docid": "563162#2", "text": "মিতিন মাসির প্রথম আত্মপ্রকাশ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। প্রথম উপন্যাস ‘পালাবার পথ নেই’ আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ‘বিষ’, ‘মারণ বাতাস’, ‘তৃষ্ণা মারা গেছে’ ও 'মেঘের পরে মেঘ' প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য লেখা উপন্যাস ও বড়গল্প। কিশোরদের জন্য মিতিন কাহিনী প্রথম পুজোসংখ্যা আনন্দমেলা ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়। নাম ছিল ‘সারাণ্ডায় শয়তান’। এরপর থেকে মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত নিয়মিতভাবে সুচিত্রা ভট্টাচার্য মিতিনমাসির গোয়েন্দা এডভেঞ্চার কাহিনী আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীতে লিখে গেছেন। মিতিন সিরিজের শেষ উপন্যাস \"'স্যান্ডার্স সাহেবের পুঁথি\"' প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে।", "title": "মিতিন মাসি" }, { "docid": "630631#3", "text": "অমিয়ভূষণ মজুমদারের প্রথম প্রকাশিত রচনা হল 'দ্য গড অন মাউন্ট সিনাই' নামের একটি নাটক। এটি মন্দিরা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪০ এর দশকে। ১৯৪৫-এ তিনি প্রথম গল্প রচনা করেন যার নাম ছিল 'প্রমীলার বিয়ে'। তার প্রথম উপন্যাস 'গড় শ্রীখণ্ড'। এটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল সঞ্জয় ভট্টাচার্য সম্পাদিত পূর্বাশা পত্রিকায় ১৩৬০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ সংখ্যা থেকে। পরে উপন্যাসটি ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে বই আকারে প্রকাশিত হয়। ভারতের স্বাধীনতার আগে পরের সময়কালে পদ্মাপারের পটভূমিকায় রচিত হয়েছিল এই উপন্যাসটি। সমাজের উঁচু এবং নিচু কোনো শ্রেণিই বাদ পড়েনি এই উপন্যাসটি থেকে। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস 'নয়নতারা'। এটি ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে রচিত হয়েছিল। প্রথম সংস্করণে এটি 'নীলভূঁইয়া' নামে প্রকাশিত হয়েছিল। চতুরঙ্গ পত্রিকাতে প্রকাশের সময় এটির নাম ছিল নয়নতারা। নীলভূঁইয়া নামে ট্রিলজি লেখার পরিকল্পনায় প্রথম উপন্যাসটি ছিল নয়নতারা কিন্তু পরে ট্রিলজি লেখার পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।", "title": "অমিয়ভূষণ মজুমদার" }, { "docid": "252285#2", "text": "শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন, ১৯৬১ সালে আনন্দবাজারে যোগ দেওয়ার পর তার ছোটগল্প হাজরা নস্করের যাত্রাসঙ্গী, ধানকেউটে ইত্যাদি প্রকাশিত হয়। তার প্রথম উপন্যাস বৃহন্নলা, কিন্তু দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে \"কুবেরের বিষয় আশয়\" প্রকাশিত হওয়ার পরেই শ্যামলের লেখনী বাংলা পাঠকমহলে সমাদৃত হয়। ব্যক্তিজীবনে বোহেমিয়ান, সুরসিক ও আড্ডাবাজ ছিলেন তিনি। আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর অন্যতম কর্তা সন্তোষকুমার ঘোষের সাথে তার মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি যুগান্তরে যোগ দেন। যুগান্তরের সাহিত্য পত্রিকা \"অমৃত\" সম্পাদনা করতেন। দেশভাগের ওপর রচিত তার উপন্যাস \"আলো নেই\"। তার শেষ উপন্যাস হল \"গঙ্গা একটি নদীর নাম\"। ১৯৯০ সালে অবসরের পরে আজকাল পত্রিকা ও সাপ্তাহিক বর্তমানে নিয়মিত লিখতেন তিনি। গ্রামীন জীবন, চাষবাস, সম্পর্কের জটিলতা ইত্যাদি শ্যামলের রচনার বৈশিষ্ট্য। ছোটদের জন্যে \"সাধু কালাচাদের গল্প\", \"ভাস্কো ডা গামার ভাইপো\", \"ক্লাস সেভেনের মিস্টার ব্লেক\" ইত্যাদি বই লিখেছেন। ১৯৯৩ সালে শ্যামল সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন তার বিখ্যাত উপন্যাস \"শাহজাদা দারাশিকোহ\" বইটির জন্যে। তার সম্পাদিত গ্রন্থ বাংলা নামে দেশ। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দেশ বিদেশের নানা ভাষাতে অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে।", "title": "শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়" }, { "docid": "452884#0", "text": "কেট শপ্যাঁ ( জন্ম: ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫০-মৃত্যু: ২২ আগস্ট, ১৯০৪) হলেন একজন আমেরিকান ছোটগল্পকার ও ঔপন্যাসিক। ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত \"দ্য অ্যাওয়েকনিং\" (\"The Awakening\") উপন্যাসটি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস। এছাড়াও তিনি অনেক ছোটগল্প লেখেন। ১৮৯০'এর দশকে \"আটলান্টিক মান্থলি\", \"ভোগ\", \"দ্য সেঞ্চুরি ম্যাগাজিন\", \"দ্য ইয়ুথ'স কম্প্যানিয়ন\" প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর লেখা অনেক ছোট গল্পই প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে এগুলি দুটি পৃথক সংগ্রহ - \"বেয়ু ফোক\" (১৮৯৪) ও \"আ নাইট ইন আকাডিয়া\"য় (১৮৯৭) সংকলিত হয়ে একত্রে প্রকাশিত হয়। তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁকে তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করা হতে থাকে।", "title": "কেট শপ্যাঁ" }, { "docid": "71499#3", "text": "টেনিদাকে নিয়ে 'চার মূর্তি' নামে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম উপন্যাস লেখেন যা ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে 'অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির' থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পরের উপন্যাস 'চার মূর্তির অভিযান' ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে গ্রন্থাকের প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে টেনিদার আসল নাম যে ভজহরি মুখার্জি তা জানা যায় এবং তাঁর বিখ্যাত স্লোগান 'ডি-লা-গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক্‌ ইয়াক্‌' এই উপন্যাসেই প্রথম শোনা যায়। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় টেনিদাকে নিয়ে যে সমস্ত উপন্যাস লিখেছেন, সেগুলি হল-", "title": "টেনিদা" } ]
বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্রটি কোন দেশে নির্মিত হয় ?
[ { "docid": "632846#0", "text": "চলচ্চিত্রের ইতিহাস ঠিক কবে থেকে শুরু তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তারিখে প্যারিস শহরে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় তাদের তৈরী দশটি ছোট ছোট চলচ্চিত্র প্রথমবারের জন্য বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শন করেন। চলমান ছবিকে প্রজেকশন বা অভিক্ষেপনের মাধ্যমে প্রথম সফলভাবে প্রদর্শনের নিদর্শন হিসাবে এই তারিখটিকেই গণ্য করা হয়। চলমান ছবিকে ক্যামেরার সাহায্যে গ্রহণ এবং প্রদর্শনের পূর্ববর্তী কিছু নজির থাকলেও হয় তার গুণমান ছিল নিম্ন নয়ত সেগুলোর কোনোটাই ‘লুমিয়ের সিনেমাটোগ্রাফ’-এর মত বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এই ঘটনার পরে পরেই সারা বিশ্ব জুড়ে প্রচুর ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি তৈরী হয়ে যায় আর মাত্র এক দশকের মধ্যেই চলচ্চিত্র তার অভিনবত্ত্ব কাটিয়ে উঠে এক বিশাল সর্বজনীন বিনোদনশিল্পে পরিণত হয়।", "title": "চলচ্চিত্রের ইতিহাস" } ]
[ { "docid": "480636#6", "text": "প্রথম সবাক চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ১৯৩০এর শুরুর দিকে। চলচ্চিত্রগুলো উর্দু কিংবা ফারসি ভাষায় নির্মিত হতো যাতে বড় বাজার ধরতে পারে। একটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া ফিল্ম কোম্পানি। প্রথম সবাক বাংলা চলচ্চিত্র হচ্ছে 'জামাই ষষ্ঠী' যেটি ১৯৩১ সনে নির্মিত হয়। প্রথম দিককার জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন প্রমথেশ বড়ুয়া ও দেবকী বোস। প্রমথেশ বড়ুয়া চলচ্চিত্র পরিচালনা করে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মাত্রা যোগ করেন। দেবকীও চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তিনি ১৯৩২ সালে 'চণ্ডীদাস' নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রটি শব্দব্যবস্থার জন্য উল্লেখযোগ্য কারণ শব্দগ্রহণকারী মুকুল বোস ডায়লগ স্পেস আউট ও ফ্রিকুয়েন্সি মডুলেশন সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলেন।", "title": "পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র" }, { "docid": "663105#5", "text": "প্রথম নীরব তামিল চলচ্চিত্র, কেচাকাম ভাধাম, ১৯১৮ সালে আর. নটরাজ মুদালিয়র কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। প্রথম সবাক ছবি \"কালিদাস\" বহুভাষী ছিল এবং মুক্তি পায় ৩১ শে অক্টোবর, ১৯৩১ সালে, ভারতের প্রথম সবাক ছবি আলম আরা- এর সাত মাস পরে। শব্দের সঙ্গে চলচ্চিত্র দ্রুত বেশি সংখ্যায় নির্মিত হতে থাকে এবং জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ১৯৩৪ সালে \"লবকুশ\" চলচ্চিত্রটি প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে। এই চলচ্চিত্রে সি পল্লয়াহ পরিচালিত এবং পারপল্লী সুব্বারাও এবং শ্রীরাজানি প্রধান ভূমিকাতে অভিনয় করে এবং চলচ্চিত্রটি অভূতপূর্ব সংখ্যক দর্শকদের আকৃষ্ট করে এবং তরুণ চলচ্চিত্র শিল্পকে মূলধারার সংস্কৃতিকে অনুপ্রাণিত করে।", "title": "দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র" }, { "docid": "263768#3", "text": "\"টনক্রিউজ\" নামে বাবেল্সবার্গে জার্মানির প্রথম \"শব্দধারক মঞ্চ\" নির্মিত হয় ১৯২৯ সালে। \nউইলি ফ্রিটসচের \"মেলোডি অব দ্য হার্ট\" হচ্ছে জার্মানীর প্রথম সবাক চলচ্চিত্র। এরপর ১৯৩০ সালের মধ্যে জোসেফ ভন স্টার্নবার্গের \"দ্য ব্লু অ্যাঞ্জেলের\" প্রদর্শনী ঘটে। এ চলচ্চিত্রে জার্মান অভিনেত্রী মার্লেনে ডিটরিশ এবং \"এমিল জ্যানিংস্\" প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন।", "title": "স্টুডিও বাবেল্সব্যার্গ" }, { "docid": "71038#8", "text": "বিশিষ্ট সাংবাদিক ওবায়েদ-উল হক \"দুঃখে যাদের জীবন গড়া\" (১৯৪৬) প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন হিমাদ্রী চৌধুরী ছদ্মনামে। কলকাতায় চলচ্চিত্রটি নির্মিত হলেও বাংলাদেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাংলাদেশী কোনও মুসলিম পরিচালকের হাতে নির্মিত এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র। উদয়ন চৌধুরী ছদ্মনামে ইসমাইল মোহাম্মদ নির্মাণ করেন \"মানুষের ভগবান\" (১৯৪৭) চলচ্চিত্রটিও। দেশভাগের পরে এঁরা ঢাকায় ফিরে আসেন এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ সৃষ্টি করেন। রাজধানী ঢাকায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান এবং স্টুডিও নির্মাণের উদ্যোগ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালে নাজীর আহমদ (১৯২৫-১৯৯০) ইন আওয়ার মিডস্ট নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন, যা বাংলাদেশ-ভূখণ্ডের প্রথম তথ্যচিত্র হিসেবে স্বীকৃত।", "title": "বাংলাদেশের চলচ্চিত্র" }, { "docid": "663105#4", "text": "প্রথম মাদ্রাজে তৈরি চলচ্চিত্র ছিল কেচাকাম ভাধাম (কেচাকের ধ্বংসের), এটি \"ইন্ডিয়া ফিল্ম কোম্পানি লিমিটেড\" প্রযোজিত এবং আর. নটরাজ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। ১৯২০-এর দশকে নীরব তামিল ভাষার চলচ্চিত্রটি চেন্নাই শহর ও চারপাশের এলাকাতে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়াকরণের জন্য তাদেরকে পুণে বা কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। পরে, এম. কে. তৌগাজা ভাগবঠার মতো কয়েকটি চলচ্চিত্র সেইসব শহরেও তৈরি করা হয়। ১৯২১ সালে তেলেগু শিল্পী ভিশা প্রত্যহনা, একটি নীরব চলচ্চিত্র নির্মাণে সক্রিয় হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেন রঘুধা ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং তাঁর পুত্র আর. এস. প্রকাশ। তারা দুই জন যেরগুদীপিটি ভারাডা রাও-এর সঙ্গে অভিনয় এবং প্রধান ভূমিকাতে থিয়েটার অভিনেতা দশক জুড়ে কয়েক ডজন চলচ্চিত্র উৎপাদন করে। তারা ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগ নিবদ্ধ করে চলচিত্র নির্মানে একটি দীর্ঘস্থায়ী উদাহরণ স্থাপন করেন; \"নন্দনর\", গজেন্দ্র মোখশাম, এবং মৎসাবতার, তাদের তিনটি বিখ্যাত প্রযোজনা, যা ছিল ধর্মীয় পরিচয়, দৃষ্টান্ত এবং নৈতিকতার কেন্দ্রবিন্দু।", "title": "দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র" }, { "docid": "605166#0", "text": "অ্যা নিউ ডে ইন ওল্ড সানা  ২০০৫ সালে ইয়েমেনে তৈরি একটি  রোমান্টিক নাট্য চলচ্চিত্র , যা ইয়েমেনি চলচ্চিত্র ইতিহাসের প্রথম চলচ্চিত্র । এটি ব্রিটিশ নাট্যকার এবং ইয়েমেন পূর্বপুরুষ পরিচালক বাদের বেন হিরসি পরিচালনা করেছেন  এবং আহমেদ আবদালী এই চলচ্চিত্রের প্রযোজনা করেন । এই পুরো চলচ্চিত্রটি ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে দৃশ্যধারন করা হয় । চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৫ সালে এবং কান ফিল্ম ফেস্টিভালে দেখানো প্রথম ইয়েমেনি চলচ্চিত্র ছিল এটি । ইয়েমেনি প্রথম চলচ্চিত্র হিসাবে সারাবিশ্বে এটি ব্যাপক আলোচনায় আসে । সারা বিশ্বে এই চলচ্চিত্রকে ইয়েমেনিদের জাগরণের চিহ্ন হিসাবে দেখতে শুরু করে । বিভিন্ন দেশের গুরুত্ব পূর্ণ পত্রিকা এবং সংবাদ মাধ্যমে অনেক গুরুত্তের সাথে এটি প্রচার করা হয় ।", "title": "অ্যা নিউ ডে ইন ওল্ড সানা" }, { "docid": "71038#6", "text": "১৯২৭-২৮ সালে ঢাকায় প্রথম চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। নওয়াব পরিবারের কয়েকজন তরুণ সংস্কৃতিসেবী নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র সুকুমারী। এর পরিচালক ছিলেন জগন্নাথ কলেজের তৎকালীন ক্রীড়াশিক্ষক অম্বুজপ্রসন্ন গুপ্ত। চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা ছিলেন খাজা নসরুল্লাহ ও সৈয়দ আবদুস সোবহান। উল্লেখ্য তখন নারীদের অভিনয়ের রেওয়াজ চালু হয়নি। নাট্যমঞ্চের নারীচরিত্রেও পুরুষেরাই অভিনয় করতেন।", "title": "বাংলাদেশের চলচ্চিত্র" }, { "docid": "370299#4", "text": "২০১১ সালে তার অভিনিত দোকুদু চলচ্চিত্র প্রথম তেলুগু চলচ্চিত্র যা একই সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি দেয়া হয়। উত্তর, পূর্ব এবং পশ্চিম ভারতের ২১ টি শহরে ছবিটি প্রদর্শিত হয়। প্রথম তেলুগুভাষী চলচ্চিত্র হিসেবে দোকুদু একসাথে এক বিলিয়ন ভারতীয় রুপি আয় করে। ছবিটি সম্পর্কে লস এঞ্জেলস টাইমস পত্রিকার শিরোনাম ছিলো, \"The biggest hit you've never heard of\".। ২০১৪ সালে তিনি মনস্তাত্বিক চলচ্চিত্র নেনোক্কাডিনে অভিনয় করেন। প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি ১.২২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে। তার অভিনীত বক্সঅফিসে সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে মুরারী (২০০১), বিজনেসম্যান (২০১২) এবং শিথামা ভকিতলো সিরিমাল্লে চেট্টু (২০১৩)।", "title": "মহেশ বাবু" }, { "docid": "632846#42", "text": "বিশ্ব জুড়ে চলচ্চিত্রের দ্রুত জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দেশও ব্রিটেন, ফ্রান্স আর যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। ইতালিতে তুরিন শহর দিয়ে শুরু করে অনেক শহরেই চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়। ১৯০৫ সালে স্থাপিত প্রথম ও সেইসময়ের ইতালির বৃহত্তম ফিল্ম কোম্পানি আম্ব্রোসিও-র মূল প্রতিযোগী ছিল ১৯০৬ সালে রোমে স্থাপিত কোম্পানি সিনেস। ইতালির ছবিগুলির বিশেষত্ব ছিল বিশাল কলাকুশলী এবং দৃশ্যাবলীর সমন্বয়ে ঐতিহাসিক মহাকাব্যের চিত্ররূপ। ১৯১১ তে জিওভানি পাস্ত্রনে র তৈরী দুই রিলের ছবি \"লা কাদুতা ডি ট্রইয়া\" (ট্রয়ের পতন) ছবিটি সারা বিশ্বেই সমাদৃত হয়েছিল। এই সময়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবি হল ১৯১২ তে পরিচালক এনরিকো গুয়াজ্জোনির বানানো ৯০ মিনিটের ছবি \"কুও ভাদিস?\" আর ১৯১৪ তে পাস্ত্রনের বানানো আড়াই ঘন্টার \"কাবিরিয়া\"। অন্যদিকে আবার আঁদ্রে ডিড বিখ্যাত হয়েছিলেন তার স্ল্যাপস্টিক কমেডির জন্য।\nপ্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত সমগ্র উত্তর ইউরোপে সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র নির্মাণকারী দেশ ছিল ডেনমার্ক। ১৯০৬ সালে নরডিস্ক কোম্পানির পত্তন করেন ওলে ওলসন, আর পরের বছরেই তিনি ৬৭টি ছবি প্রযোজনা করেন। এরমধ্যে ছিল বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ছবি যেমন \"দেন হাইড স্লাহিন্দে\" (শ্বেত ক্রীতদাস), \"ইসবয়েরনেনজাগ\" (মেরু ভালুক শিকার) আর \"লভ্যাগতেন\" (সিংহ শিকার), বেশিরভাগই পরিচালনা করেছিলেন ভিগো লারসেন। ১৯১০ এর মধ্যে বেশ কিছু ছোট কোম্পানিও ব্যবসায় আসে এবং তারা বিষয়বৈচিত্র্যের দিকে নজর দেয়। কসমোরামা কোম্পানির জন্য পিটার আরবান গ্যাড পরিচালনা করেন \"আফগ্রান্ডেন\" (পাতাল), এতে অভিনয় করেছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী অ্যাস্ট্রা নিয়েলসন। এই ছবিতে যৌনতা, প্রতিহিংসা, নরহত্যার ব্যবহার ও পরবর্তীকালে ছবির সাফল্য ডেনমার্কের চলচ্চিত্রের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।", "title": "চলচ্চিত্রের ইতিহাস" }, { "docid": "93942#0", "text": "সাইবর্গ টু (ইংরেজি: \"Cyborg 2\"), যা কিছু দেশে গ্লাস শ্যাডো নামেও মুক্তি পেয়েছে, ১৯৯৩ সালে নির্মিত একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্র। এটি পরিচলানা করেছেন মাইকেল শ্রোইডার। এটি একটি ধারাবাহিক চলচ্চিত্র। এই ধরাবাহিকে প্রথম চলচ্চিত্রটি ছিলো ১৯৮৯ সালে নির্মিত \"সাইবর্গ\"। এটি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির শ্রেষ্ঠাংশে অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে বেশি উল্লেখযোগ্য। যদিও এর আগে জোলি \"লুকিন' টু গেট আউট\" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, কিন্তু সেটা ছিলো শিশু অভিনেত্রী হিসেবে, এবং নাম ভূমিকায়ও নয়। সাইবর্গ চলচ্চিত্র ধারাবাহিকে তৃতীয় চলচ্চিত্রটি ছিলো ১৯৯৪ সালে নির্মিত \"\"।", "title": "সাইবর্গ ২" } ]
বাঙালি রাজনীতবিদ শামসুল হক কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
[ { "docid": "61126#0", "text": "শামসুল হক (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮ - মৃত্যু: ১৯৬৫) একজন বাঙালি রাজনীতবিদ যাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বিভাগ-পূর্ব ভারতবর্ষে এবং যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের পূর্বসূরী আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তিনি পাকিস্তানের গণ পরিষদের সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৫০ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় বাংলা ভাষার পক্ষে সংগ্রাম করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগের প্রথম এবং তৃতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পূর্ব পাকিস্থানের সরকার বিরোধী রাজনীতিতে তিনি ছিলেন প্রথম সারির নেতা। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে কারামুক্তির পর ঘরোয়া ষড়যন্ত্রের পরিণতিতে আওয়ামী লীগ তাঁকে বহিষ্কার করে ; যার ফলশ্রুতিতে তিনি চিরকালের জন্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এই বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতার নাম ক্রমশ: বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার, তাঁর মস্তিষ্ক বিকৃতি, নিখৌঁজ হওয়া এবং অকাল মৃত্যুর রহস্য দীর্ঘকাল ধরে উন্মোচিত হয় নি। ১৯৬৪ সালে শামছুল হক হঠাৎ করেই নিখোঁজ হন এবং ১৯৬৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ইন্তেকাল করেন। শামসুল হক গবেষণা পরিষদ অনেক খুঁজে মৃত্যুর ৪২ বছর পর ২০০৭ সালে কালিহাতি উপজেলার কদিম হামজানিতে মরহুমের কবর আবিস্কার করে।", "title": "শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)" }, { "docid": "61126#2", "text": "টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় এক নিভৃত গ্রাম মাইঠানে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি ১ শামসুল হক তার মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি একই উপজেলার টেউরিয়া গ্রামে।", "title": "শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)" } ]
[ { "docid": "8763#0", "text": "\"শেরেবাংলা\" আবুল কাশেম ফজলুল হক (পাকিস্থানের প্রকৃত স্থপতি) (অক্টোবর ২৬, ১৮৭৩ - এপ্রিল ২৭, ১৯৬২) বাঙালি রাজনীতিবিদ। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং 'হক সাহেব' নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক অনেক পদে অধিস্তান করেছেন তার মধ্যে কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭ - ১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (১৯৫৫), পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬ - ১৯৫৮) অন্যতম। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।", "title": "আবুল কাশেম ফজলুল হক" }, { "docid": "490661#0", "text": "সৈয়দ শামসুল হুদা কে.সি.আই.ই (১৮৬২-১৯২২) একজন ব্রিটিশ ভারতীয় মুসলিম রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা, নাসিরনগর উপজেলার অন্তর্গত গোকর্ণ গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। বর্তমানে ত্রিতল বিশিষ্ট ভবনটি 'গোকর্ণ নবাব বাড়ি কমপ্লেক্স' নামে পরিচিত। পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া কুমিল্লা জেলার অন্তরভুক্ত ছিল এবং ভারত বিভাজন এর পূর্বে পার্বত্য ত্রিপুরার অন্তর্গত ছিল।", "title": "নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা" }, { "docid": "13822#1", "text": "সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের জ্যেষ্ঠতম।", "title": "সৈয়দ শামসুল হক" }, { "docid": "715454#1", "text": "মোঃ শামসুল হক ১৯৩০ সালের ২৯শে জানুয়ারী তারাকান্দা উপজেলার ধলিয়াকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।", "title": "মোঃ শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)" }, { "docid": "61126#1", "text": "১৯৫০ এবং ১৯৬০-এ বাংলা জাতীয়তাবাদ আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সেই সময় ভারতের মধ্যে তিনি প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি মধ্যবৃত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও সাধারণ নির্বাচনে বিখ্যাত এবং উচু পরিবারের প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি টাঙ্গাইলের জমিদার কুরুম খান পন্নীকে নির্বাচনে পরাজিত করতে সমগ্র ভারতে তার নাম ছড়িতে পড়ে। এই সময় রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারণা ছিল যে রাজনীতি কেবলমাত্র উচ্চ বংশ মর্যাদার কারও জন্যই প্রযোজ্য। এই জয়ের মধ্য দিতে এই ধারনার অবসান হয়, এবং এরই ক্রমধারায় সাধারণের অংশগ্রহনে \"পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ\" নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়। এখানে আওয়ামী শব্দের অর্থ জনতা বা সাধারণ জনগণ। তাই বলা হয়ে থাকে যে তরুন নেতা সামসুল হকের প্রেরণ এবং জনপ্রিয়তা থেকেই আওয়ামী লীগ নামের রাজনৈতিক দলটি গঠিন করা হয়েছিল।", "title": "শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)" }, { "docid": "61126#8", "text": "১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নবাবপুরে আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে ছিলেন না। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলায় ছাত্রদের সভার শুরুতে শামসুল হক সেখানে উপস্থিত হন। তিনি ছাত্রদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, ঐ মুহূর্তে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষে যাবার পরিণতি, যা ভবিষ্যত আন্দোলন ও অন্যান্য কাজের জন্য সুফল বয়ে আনবে না, আনতে পারে না। তাকে সমর্থন দেন খালেক নেওয়াজ খান, কাজী গোলাম মাহবুব ও সলিমুল্লাহ হলের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ছাত্র। কিন্তু ছাত্ররা শামসুল হকের কথা শোনেনি। এরপর গাজীউল হকের সভাপতিত্বে শুরু হয় আমতলার সভা। শামসুল হক তখনও চেষ্টা করেন ; কিন্তু ছাত্ররা সবাই ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে থাকায় শামসুল হকের কথা সেদিন কেউ শোনেনি।। ২১ ফেব্রুয়ারির পর সরকার মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, খয়রাত হোসেন, আবুল হাশিম, মনোরঞ্জন ধর, শামসুল হক সহ কয়েকজনকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে।", "title": "শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)" }, { "docid": "10818#1", "text": "তিনি বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে প্রথম সনেট রচয়িতা।\nকায়কোবাদ ১৮৫৭ সালে (বর্তমানে বাংলাদেশের) ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার অধীনে আগলা-পূর্বপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ঢাকা জেলা জজ কোর্টের একজন আইনজীবি শাহামাতুল্লাহ আল কোরেশীর পুত্র। কায়কোবাদ সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে অধ্যয়ন করেন। পিতার অকালমৃত্যুর পর তিনি ঢাকা মাদ্রাসাতে (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) ভর্তি হন যেখানে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষা পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছিলেন। উপরন্তু, তিনি পরীক্ষা দেননি, বদলে তিনি পোস্টমাস্টারের চাকরি নিয়ে তার স্থানীয় গ্রামে ফিরে আসেন, যেখানে তিনি অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত কাজ করেছেন। ১৯৩২ সালে, তিনি কলকাতাতে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলন-এর প্রধান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।মুসলমান কবি রচিত জাতীয় আখ্যান কাব্যগুলোর মধ্যে সুপরিচিত মহাকবি কায়কোবাদ রচিত ‘মহাশ্মশান’ কাব্যটি। কায়কোবাদের মহাকবি নামের খ্যাতি এই মহাশ্মশান কাব্যের জন্যই। কাব্যটি তিন খন্ডে বিভক্ত। প্রথম খন্ডে ঊনত্রিশ সর্গ,দ্বিতীয় খন্ডে চব্বিশ সর্গ, এবং তৃতীয় খন্ডে সাত সর্গ। মোট ষাট সর্গে প্রায় নয়শ' পৃষ্ঠার এই কাব্য বাংলা ১৩৩১, ইংরেজি ১৯০৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়; যদিও গ্রন্থাকারে প্রকাশ হতে আরো ক'বছর দেরী হয়েছিল। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধযজ্ঞকে রূপায়িত করতে গিয়ে কবি বিশাল কাহিনী,ভয়াবহ সংঘর্ষ, গগনস্পর্শী দম্ভ,এবং মর্মভেদী বেদনাকে নানাভাবে চিত্রিত করেছেন। বিশালতার যে মহিমা রয়েছে তাকেই রূপ দিতে চেয়েছিলেন এই কাব্যে।", "title": "কায়কোবাদ" }, { "docid": "570569#1", "text": "সাদেক ১৯৩৪ সালের ৩০ এপ্রিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি (বর্তমান বাংলাদেশ) যশোরের কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াহিয়া সাদেক ছিলেন বাংলা সরকারের যুগ্ম কমিশনার। সাদেক ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫১ সালে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৫৪ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) পাস করেন। তিনি ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে এম.এ পাস করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় অধিনস্ত কুইন্স কলেজ থেকে অর্থনীতি ও শাসনতন্ত্র বিষয়ে এবং ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের উইলিয়াম কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশুনা করেন।", "title": "আবু শারাফ হিজবুল কাদের সাদেক" } ]
মেসোপটেমিয়া সভ্যতাটি কোন নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল ?
[ { "docid": "7768#0", "text": "মেসোপটেমিয়া (প্রাচীন গ্রীকঃ Μεσοποταμία অর্থ-দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমি, আরবিঃ بلاد الرافدين‎ ) বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিস বা দজলা ও ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। অধুনা ইরাক, সিরিয়ার উত্তরাংশ, তুরষ্কের উত্তরাংশ এবং ইরানের খুযেস্তান প্রদেশের অঞ্চল গুলোই প্রাচীন কালে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয় । মেসোপটেমিয় সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ হতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের মধ্যে মেসোপটেমিয়ায় অতি উন্নত এক সভ্যতার উম্মেষ ঘটেছিল। সভ্যতার আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চল মিশরীয় সভ্যতার থেকে অনেকটাই ভিন্ন ছিল এবং বহিঃশত্রুদের থেকে খুব একটা সুরক্ষিত ছিলনা বলে বারবার এর উপর আক্রমণ চলতে থাকে এবং পরবর্তীতে এখান থেকেই ব্রোঞ্জ যুগে আক্কাদীয়, ব্যবিলনীয়, আসিরীয় ও লৌহ যুগে নব্য-আসিরীয় এবং নব্য-ব্যাবিলনীয় সভ্যতা গড়ে উঠে।\nখ্রিষ্টপূর্ব ১৫০ সালের দিকে মেসোপটেমিয়া পার্সিয়ানদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল কিন্তু পরে এই ভূখন্ডের আধিপত্ত নিয়ে রোমানদের সাথে যুদ্ধ হয় এবং রোমানরা এই অঞ্চল ২৫০ বছরের বেশি শাসন করতে পারে নি। । দ্বিতীয় শতকের শুরুর দিকে পার্সিয়ানরা এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল তাদের শাসনেই থাকে, এরপর মুসলিম শাসনামল শুরু হয় । মুসলিম খিলাফত শাসনে এই অঞ্চল পরবর্তীতে ইরাক নামে পরিচিতি লাভ করে ।", "title": "মেসোপটেমিয়া" }, { "docid": "7768#1", "text": "আধুনিক ইরাকের টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীদ্বয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে সভ্যতার আবির্ভাব ঘটেছিল সেটাই মূলত মেসোমটেমিয়া সভ্যতা নামে পরিচিত। তুরষ্কের আনাতোলিয়া (আর্মেনিয়া)) পর্বতমালা হতে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস দক্ষিণ পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে পারস্য উপসাগরে পরেছে। প্রকৃতপক্ষে পলিসমৃদ্ধ নদীদুটির এই অঞ্চলে এরূপ সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতা করেছিল। মূলত এই উর্বরা অঞ্চলটি (টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস) উত্তরে প্রলম্বিত হয়ে পশ্চিমে বাঁক নিয়ে আবার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে নেমে গিয়ে প্রায় ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হয়। বাঁক বিশিষ্ট এই অঞ্চলটিকে \"উর্বরা অর্ধচন্দ্রাকৃতিক\" হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ইতিহাস বিখ‍্যাত এই অঞ্চলটি উত্তর আর্মেনিয়ার পার্বত্য অঞ্চল, দক্ষিণ ও পশ্চিমে আরব মরুভূম ও পূর্বে জাগরাস পার্বত্য অঞ্চল দ্বারা পরিবেষ্টিত। অবস্থানগত এই বৈশিষ্ট ও আরবদের আদিম যাযাবর সংস্কৃতির মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মেসোপটেমিয়া একটি মিশ্র সভ্যতার ধারা নিয়ে গড়ে উঠেছিল। মেসোপটেমিয়া সভ্যতা ৫০০০ খৃষ্টপূর্বে সূচনা হয়ে পরিপূর্নতা লাভ করে প্রায় খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে। ৩৩৩ খৃষ্টাব্দে এসে বিভিন্ন জনগোষ্ঠির আন্তঃকলহের মধ্য দিয়ে পরষ্পরের ধ্বংস ডেকে আনে এবং ক্ষয়িষ্ণু চরিত্র স্থায়িত্ব লাভ করে।", "title": "মেসোপটেমিয়া" }, { "docid": "296930#9", "text": "তাইগ্রিস ও ইউফ্রেতিস নদীর মধ্যবর্তী উর্বর অববাহিকাতে (যা বর্তমানে ইরাক নামে পরিচিত) বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতাগুলির একটি গড়ে উঠেছিল। এই জায়গাটি পরবর্তীতে মেসোপটেমিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে, যার অর্থ “দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি”। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে সুমেরীয়রা দক্ষিণ মেসোপটেমিয়াতে বসতি স্থাপন করে।", "title": "বিশ্বের ইতিহাস" }, { "docid": "35317#5", "text": "পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞানের সূচনা ঘটে মেসোপটেমিয়ায়। মেসোপটেমিয়া - শব্দটির অর্থ \"নদীসমূহের মধ্যবর্তী ভূমিসমূহ\"। এই অঞ্চলটি টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস নামক দুইটি নদীর মাঝে অবস্থিত ছিল। এই অঞ্চলেই সুমের, অ্যাসিরিয়া এবং ব্যাবিলনিয়ার মত সুপ্রাচীন সম্রাজ্যসমূহ গড়ে উঠেছিলো। খৃস্টপূর্ব প্রায় ৩৫০০ - ৩০০০ অব্দে সুমেরীয়রা কীলকাকার নামে একধরণের লিখন পদ্ধতি তৈরি করেছিলো। এই সুমেরীয়রা খুব মৌলিক কিছু জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক কাজ করেছিলো। এই কাজগুলো খুব বেশি না হলেও এগুলো ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। সুমেরীয়রা নাক্ষত্রিক ধর্মতত্ত্বের (ভৌতিক ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত) গোড়াপত্তন করে। এই ধর্মতত্ত্ব মেসোপটেমীয় পুরাণ এবং ধর্মে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়া ষাটভিত্তিক একধরণের সংখ্যাপদ্ধতি ব্যবহার করতো যা তাদেরকে খুব বড় বা ছোট সংখ্যাসমূহ উপস্থাপনের কাজে সহযোগিতা করতো। তারাই প্রথম একটি বৃত্তকে ৩৬০ ডিগ্রীতে ভাগ করে এবং তার প্রতিটিকে ৬০ মিনিটে ভাগ করে। আরও তথ্যের জন্য \"দেখুন:\" ব্যাবিলনীয় সংখ্যাপদ্ধতি এবং ব্যাবিলনীয় গণিত।", "title": "জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস" } ]
[ { "docid": "7768#2", "text": "মেসোপটেমিয়া নামটি গ্রীকদের দেওয়া, এর প্রকৃত অর্থ হল দুটি নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল। এই অঞ্চলটি প্রধানত জলাভূমি ছিল। নলখাগড়ার জঙ্গল আর খেজুর গাছই ছিল এ প্রধান বনস্পতি। কালক্রমে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর পলিমাটি জমে নিম্নভূমি ভরাট হয়ে এক উর্বর অঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এই উর্বর এলাকায় প্রায় ৬০০০ খৃষ্টপুর্ব থেকেই বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে সমাবেত হতে থাকে। কালক্রমে এরাই মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বীজ বপন করে। নদীবিধৌত এবং প্রাকৃতিক কোন সুরক্ষা ব্যাবস্থা না থাকায় এটি কালক্রমে বহিঃশত্রুদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয় এবং বিভিন্ন আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়। এর ফলে এই সভ্যতায় কয়েকটি সম্রাজ্যের উন্মেষ ঘটে। উত্তরাংশের নাম ছিল এশেরীয়া এবং দক্ষিণাংশের নাম ছিল ব্যাবিলনিয়া। ব্যাবিলোনিয়ার উত্তরে আক্কাদ ও দক্ষিণে সুমের নামে দুটি অংশে বিভক্ত ছিল। প্রকৃতপক্ষে এই দুটিজনগোষ্ঠির সৃজনশীলতার ফসলই হল মেসোপটেমিয়া সভ্যতা।", "title": "মেসোপটেমিয়া" }, { "docid": "35320#0", "text": "ফোরাত নদী () বা ফোরাত দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার একটি নদী। এটি তুরস্কতে উৎপত্তি লাভ করে সিরিয়া ও ইরাকের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দজলা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এবং শাত আল আরব নামে পারস্য উপসাগরে পতিত হয়েছে। ফোরাত ও দজলা নদীর পানি ব্যবহার করেই প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতাগুলি বিকাশ লাভ করেছিল। গ্রিক নাম মেসোপটেমিয়া এই স্বাক্ষরই বহন করছে; শব্দটির আক্ষরিক অর্থ \"দুই নদীর মাঝে\"। এখানেই প্রাচীন সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয় এবং আসিরিয় সভ্যতাগুলি বিকাশ লাভ করেছিল।", "title": "ফোরাত" }, { "docid": "320702#5", "text": "হিসাব বিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনগুলি পাওয়া যায় ব্যাবিলনিয়, এশিরীয় ও সুমেরীয় সভ্যতায়। এই সভ্যতাগুলো প্রায় ৭,০০০ বছর পূর্বে মেসোপটেমিয়া নদীর তীরে গড়ে ওঠে এবং বিকাশ লাভ করে। উক্ত সভ্যতার লোকেরা শুধুমাত্র কৃষি উৎপাদন পরিমাপ করতেই হিসাবের আদিম পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করত। সেই আদিম পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে ফসল গত বছরের তুলনায় কম হয়েছে না বেশি হয়েছে তা নির্ণয় করা যেতো। উৎপাদিত ফসলের একটি অংশ মন্দিরে দান করতে হতো। আর কে কতোটুকু দান করল মন্দির কর্তৃপক্ষ তা দেওয়ালে চিহ্নের মাধ্যমে লিখে রাখতো। এই প্রাচীন দেওয়াল খোদাইগুলোকেও হিসাব বিজ্ঞানের প্রাচীন প্রচেষ্টা বলা যেতে পারে।", "title": "হিসাব বিজ্ঞান" }, { "docid": "1108#22", "text": "এশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলগুলো পৃথিবীর প্রাচীনতম পরিচিত সভ্যতাগুলোর বিকাশস্থল, যা উর্বর নদী উপত্যকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে। সভ্যতাগুলোতে মেসোপটেমিয়া, সিন্ধু উপত্যকা ও হুয়াংহো অনেক মিল রয়েছে। এই সভ্যতাগুলো প্রযুক্তি এবং ধারনা বিনিময় করতে পারে, যেমন গণিত ও চাকা। অন্যান্য উদ্ভাবন, যেমন লিখন রিতি, প্রতিটি সভ্যতায় পৃথকভাবে বিকশিত হয়েছে বলে মনে হয়। শহর, রাজ্য এবং সাম্রাজ্য এসব নিম্নভূমিতে বিকশিত হয়।", "title": "এশিয়া" }, { "docid": "64498#0", "text": "ধারাবাহিক অস্তিত্বের দিক থেকে ভারতের সভ্যতা বিশ্বের সবচেয়ে বেশী বয়সী সভ্যতা। যদি আমরা লিখন পদ্ধতি, ধাতুর কাজ, ও অ-কৃষিভিত্তিক নাগরিক বসতি স্থাপনকে সভ্যতার ন্যূনতম সংজ্ঞা হিসেবে বিবেচনা করি, তবে সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা হল মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা (খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ সহস্রাব্দ), এবং প্রায় কাছাকাছি সময়ের মিশরীয় সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় সহস্রাব্দের মধ্যেই সিন্ধু নদের উপত্যকায় এরকম আদি সভ্যতার উন্মেষ ঘটে। চীনে তা ঘটে খ্রিস্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দের সময়। কিন্তু মিশরীয় ও মেসোপটেমীয় সভ্যতাগুলি রোমান সাম্রাজ্যের সময়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এই এলাকাগুলি ইসলামের অধীনে আসে। ফলে এলাকাগুলির বর্তমান সভ্যতার সাথে প্রাচীন সুমেরীয় বা মিশরীয় সভ্যতার কোন মিল নেই। অন্যদিকে ভারতীয় সভ্যতা প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মোটামুটি অবিকৃত রয়ে গেছে।", "title": "প্রাচীন ভারত" }, { "docid": "296930#31", "text": "চীনের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতাগুলি ছাং চিয়াং, শি চিয়াং এবং হুয়াং হো নামের তিনটি নদীর অববাহিকাতে গড়ে উঠেছিল। কৃষকেরা নদীর পানি ব্যবহার করে জমিতে সেচ দিত। কিন্তু অনেক সময় বন্যারও শিকার হত। ২২০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলি রাজবংশ চীন শাসন করেন। এর মধ্যে প্রথম যে রাজবংশটি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা ভাল তথ্যপ্রমাণ যোগাড় করতে পেরেছেন, সেটি হল শাং রাজবংশ। এই রাজবংশটি ১৭৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হয় এবং তারা প্রায় সাতশত বছরেরও বেশি সময় ধরে চীন শাসন করে।", "title": "বিশ্বের ইতিহাস" } ]
সাইমন ড্রিং কোন দেশের নাগরিক ছিলেন ?
[ { "docid": "259612#1", "text": "ইংল্যান্ডের নরফোকের ফাকেনহাম নামক এক ছোট্ট শহরে ১১ জানুয়ারি, ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন সাইমন ড্রিং। শৈশবকালে \"আওজ নদীতে\" উলঙ্গ অবস্থায় সাঁতার কাটার অভিযোগে তাঁকে বোর্ডিং স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর তিনি \"কিংস্‌ লিন টেকনিক্যাল কলেজে\" অধ্যয়ন করেন। ১৬ বৎসর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করেন। ১৯৬২ সালে বহিঃবিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে ভারত ভ্রমণ করেন।", "title": "সাইমন ড্রিং" } ]
[ { "docid": "259612#0", "text": "সাইমন ড্রিং (জন্মঃ ১১ জানুয়ারি, ১৯৪৫) একজন আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং প্রতিবেদন নির্মাতা। তিনি বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বৈদেশিক প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের অনেক জায়গা ভ্রমণ করে তরতাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। এছাড়াও তিনি লন্ডনভিত্তিক \"দ্য ডেইলী টেলিগ্রাফ\", বিবিসি টেলিভিশন এবং রেডিও সংবাদ ও চলতি ঘটনা তুলে ধরার লক্ষ্যে অনবরত কাজ করছেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর জঘন্য ও নৃশংসতার বিবরণ দৈনিকে তুলে ধরে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।", "title": "সাইমন ড্রিং" }, { "docid": "259612#3", "text": "১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর পুরো দশক জুড়ে তিনি \"ডেইলী টেলিগ্রাফ সংবাদপত্র\" এবং \"বিবিসি টেলিভিশন নিউজের\" বৈদেশিক সংবাদদাতা হিসেবে সারা পৃথিবীতে কর্মরত ছিলেন। ঐ সময়ে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রতিবেদন পাঠাতেন। ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ইউরোপের অস্থিতিশীল ঘটনাপ্রবাহ নিয়মিত তুলে ধরতেন সংবাদ মাধ্যমগুলোয়। পেশাগত জীবনে ২২টি যুদ্ধ ও অভ্যুত্থান কাভার করেছেন। বিবিসি টেলিভিশন ও রেডিও'র সংবাদ এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে কাজ করেছেন প্রায় ২০ বছর। এছাড়া চলচ্চিত্র, আন্তর্জাতিক ঘটনা এবং সঙ্গীত বিষয়ে তাঁর রয়েছে ব্যাপক ও বিচিত্র অভিজ্ঞতা। ইরানের শাহবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করে সায়মন ড্রিং নন্দিত হয়েছিলেন এবং অর্জন করেছিলেন অনেক পুরস্কার।", "title": "সাইমন ড্রিং" }, { "docid": "259612#13", "text": "সাইমন ড্রিং বাংলাদেশের ১ম বেসরকারী পর্যায়ের টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে বিবিসি ছেড়ে তিনি একুশে'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের বেসরকারী টেলিভিশনের আধুনিকতার অন্যতম রূপকার। ২০০২ সালে একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ সম্প্রচার আইন লঙ্ঘনজনিত কারণে তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয় এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি ও তাঁর সহযোগী তিনজন নির্বাহী পরিচালক প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। অতঃপর, ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে সরকার সায়মন ড্রিংয়ের ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাঁকে অবিলম্বে বাংলাদেশ ত্যাগের আদেশ দেন। এরফলে তিনি ১ অক্টোবর, ২০০২ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।", "title": "সাইমন ড্রিং" }, { "docid": "259612#6", "text": "উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভরা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালোরাতে সাইমন ড্রিং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (পরবর্তীতে - হোটেল শেরাটন, বর্তমানে -হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ) লুকিয়ে ছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তানে সামরিক আইনের তোয়াক্কা না করে ২৭ মার্চ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করে ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রেরণ করেন যা \"ট্যাংকস ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান\" শিরোনামে ৩০ মার্চ প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টিতে তাঁর এ প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছিল। উক্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে,", "title": "সাইমন ড্রিং" }, { "docid": "259612#11", "text": "সাইমন ড্রিং তাঁর ১৯৬২ সালের বৈদেশিক ভ্রমণকে কেন্দ্র করে \"বিবিসি রেডিও ফোরের\" জন্য 'অন দ্য রোড এগেইন' নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র তৈরী করেন ১৯৯২ সালে। পরবর্তীকালে ১৯৯৪ সালে ঐ ভ্রমণ নিয়েই একই নামে আরেকটি আট পর্বের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। প্রামাণ্য চিত্রটি বিবিসি টেলিভিশন এবং ডিসকভারী চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছিল। এছাড়াও, ১৯৯৫ সালে \"অন দ্য রোড এগেইন: থার্টি ইয়ার্স অন দ্য ট্র্যাভেলার্স ট্রেইল টু ইন্ডিয়া\" নামে একটি ভ্রমণ কাহিনীবিষয়ক বই পাঠকদেরকে উপহার দেন। বিবিসি রেডিও ফোরের জন্য নির্মাণ করেন ৪০ মিনিটের \"রিটার্ন দ্য রোলিং থান্ডার\", যা ছিল তাঁর ২০ বছর পর ভিয়েতনামে ফিরে যাওয়ার স্মৃতি নিয়ে অনুষ্ঠান।", "title": "সাইমন ড্রিং" }, { "docid": "259612#10", "text": "বিবিসিতে কর্মরত অবস্থায় তিনি অনেকগুলো প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনা ও উপস্থাপনা করেন। আশির দশকের শুরুর দিকে তিনি বিবিসি ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ফিল্ম কোম্পানী খোলেন। সেখান থেকে বিবিসি ও পাবলিক ব্রডকাস্ট সার্ভিসের জন্য নির্মাণ করেন বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র। তাছাড়া - সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন ও লাতিন আমেরিকার ওপর নির্মাণ করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এসব প্রামাণ্যচিত্র বা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক, পরিচালক ও প্রযোজন ছিলেন তিনি নিজেই।", "title": "সাইমন ড্রিং" }, { "docid": "259612#14", "text": "১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানী সেনাদের নির্যাতনের ওপর প্রতিবেদন তৈরী করে অর্জন করেন \"ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টার অব দ্য ইয়ার\"; ইরিত্রিয়া যুদ্ধের ওপর \"ভ্যালিয়ান্ট ফর ট্রুথ\"; কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধের প্রতিবেদনের জন্য \"সনি\" এবং হাইতিতে আমেরিকান আগ্রাসনের ওপর প্রতিবেদন তৈরী করে অর্জন করেন \"নিউইয়র্ক ফেস্টিভ্যাল গ্রান্ড প্রাইজ\"। তিনি একজন সেরা প্রুফ রিডারও ছিলেন।", "title": "সাইমন ড্রিং" }, { "docid": "259612#5", "text": "ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন তাঁকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি ও সুনাম এনে দেয়। সায়মন ড্রিং বাংলাদেশের গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম বিদেশী সাংবাদিক যিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরী করে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেন পাকিস্তানী বাহিনীর লোমহর্ষক নির্যাতন ও গণহত্যার কথা।", "title": "সাইমন ড্রিং" }, { "docid": "259612#12", "text": "হাইতিতে আমেরিকার আগ্রাসন নিয়ে \"ভুডু ডানিসং\"সহ আরও অনেক টেলিভিশন অনুষ্ঠান তৈরী করেন। তাছাড়া, সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের।", "title": "সাইমন ড্রিং" } ]
কুসংস্কার শব্দটির উৎস কোন শব্দ থেকে ?
[ { "docid": "580399#3", "text": "কুসংস্কার শব্দটি পঞ্চদশ শতাব্দীতে প্রথম ইংরেজিতে ব্যবহৃত হয়েছিল যা মূলত ফরাসি সুপারস্টিশন থেকে নেয়া। ইংরেজি বিশেষ্য হিসাবে সর্বপ্রথম পরিচিত ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ফ্রায়ার ডাউস রিপ্লাই (সিএ. ১৪২০), যেখানে কুসংস্কার শব্দের জন্য চারটি শব্দ সুপারিশ করা হয়েছিল, যেমন কেডিশিয়াস, সুপারস্টিশনস, বি গ্লুটোনস, এবং বি প্রাউড। ফ্রেঞ্চ শব্দটি তার রোম্যান্স কণাগুলির সাথে (ইতালীয় সুপারস্টিজিওন, স্প্যানিশ সুপারস্টেসন, পর্তুগিজ সুপারস্টাইকো, কাতালান সুপারস্টিকো) ল্যাটিন সুপারস্টিশিও টি অব্যাহত রেখেছিল।", "title": "কুসংস্কার" } ]
[ { "docid": "18363#2", "text": "ইংরেজি \"খ্রিস্টমাস\" (\"Christmas\") শব্দটি \"খ্রিস্টের মাস (উৎসব)\" শব্দবন্ধটির যুগ্ম অর্থ থেকে উৎসারিত। শব্দটির বুৎপত্তি ঘটে মধ্য ইংরেজি \"Christemasse\" ও আদি ইংরেজি \"Cristes mæsse\" শব্দ থেকে। শেষোক্ত শব্দটির প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় ১০৩৮ সালের একটি রচনায়। \"Cristes\" শব্দটি আবার গ্রিক \"Christos\" এবং \"mæsse\" শব্দটি লাতিন \"missa\" (পবিত্র উৎসব) শব্দ থেকে উদগত। প্রাচীন গ্রিক ভাষায় \"Χ\" (চি) হল Christ বা খ্রিষ্ট শব্দের প্রথম অক্ষর। এই অক্ষরটি লাতিন অক্ষর \"X\"-এর সমরূপ। ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে তাই এই অক্ষরটি খ্রিষ্ট শব্দের নামসংক্ষেপ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। এই কারণে খ্রিষ্টমাসের নামসংক্ষেপ হিসেবে এক্সমাস কথাটি চালু হয়।", "title": "বড়দিন" }, { "docid": "580399#1", "text": "কুসংস্কার শব্দটি প্রায়ই একটি নির্দিষ্ট সমাজের অধিকাংশের দ্বারা অনুসরণ না করা ধর্মের কথা বলে ব্যবহৃত হয়, যদিও প্রথাগত ধর্মের মধ্যে কুসংস্কার রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এটি সাধারণত ভাগ্য, ভবিষ্যদ্বাণী এবং নির্দিষ্ট আধ্যাত্মিক জগতের বিশেষ করে বিশ্বাস এবং অভ্যাসগুলির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, বিশেষ করে এই ধারণাটি যে নির্দিষ্ট (আপাতদৃষ্টিতে) সম্পর্কহীন পূর্বের ঘটনাগুলি দ্বারা ভবিষ্যতের ঘটনাগুলির জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করা যেতে পারে।", "title": "কুসংস্কার" }, { "docid": "580399#12", "text": "অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে লোককাহিনী অধ্যয়নগুলির উন্নতির সাথে সাথে কুসংস্কারের ব্যবহার কখনও কখনও নিরপেক্ষ শব্দ \"লোক বিশ্বাস\" দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল, যা স্থানীয় সাংস্কৃতিক পক্ষপাতের উপর দিয়ে যেতে চেয়েছিল। উভয় পদ ব্যবহৃত হতে থাকে; এইভাবে \"লোক বিশ্বাস\" একটি প্রতিশ্রুতি বাতিল করার জন্য ক্রসিং আঙ্গুলের মত চর্চাকে নির্দেশ করে এবং \"কুসংস্কারকে\" অযৌক্তিক হিসাবে প্রত্যাখ্যান করা বোঝায় যা এ্যাথনোলজি বা লোকাচারবিদ্যা অধ্যয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি নিরপেক্ষ বিবরণের উপর গুরুত্ব দেয়।", "title": "কুসংস্কার" }, { "docid": "95809#1", "text": "কাঁথা শব্দটির কোন উৎস স্পষ্টভাবে জানা যায় নি। সঠিকভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় কাঁথা শব্দটি পূর্বে উচ্চারিত হত \"খেতা\" বলে। বাংলায় ধানের ক্ষেতকে অনেক সময় \"খেত\" বলা হয়।\nনিয়াজ জামানের মতে, কাঁথা শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃতি শব্দ \"কঁথা\" হতে। \"কঁথা\" শব্দটির বাংলা হলো ত্যানা। বা কাপড়ের টুকরা।", "title": "নকশি কাঁথা" }, { "docid": "374673#1", "text": "\"খোরাসান\" নামটির উৎপত্তি পুরনো পারসিক শব্দ \"খোর\" (সূর্য) ও \"আসান\" (মধ্য পারসিক ভাষায় ক্রিয়াপদ হিসেবে এর অর্থ 'আসা', আবার নামপদ ও বিশেষণ হিসেবে অর্থ 'আলো' বা 'আলোকিত') শব্দ থেকে। অর্থাৎ, শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় সূর্যের উদয়ভূমি বা সূর্যালোক। এই অর্থেই শব্দটি পূর্ব দিকের দেশ বোঝাতে প্রযুক্ত হতে থাকে এবং এই অঞ্চলে ইসলামের বিস্তারের সময়কালে পারস্য বা আজকের ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের পূর্ব দিকে অবস্থিত সমগ্র অঞ্চলকে বোঝাতেই এই শব্দটি ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, পূর্বে আলেকজান্ডারের অভিযানের পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত ব্যাকট্রিয় সাম্রাজ্যের নামের উৎপত্তি হিসেবে ধরা হয় যে পারসিক শব্দ বখতার (Bāchtar ‏باختر‎), তারও অর্থ একই, পূর্ব দিকের দেশ।", "title": "বৃহত্তর খোরাসান" }, { "docid": "580399#4", "text": "যদিও ল্যাটিন শব্দ গঠনটি স্পষ্ট, ক্রিয়া থেকে সুপার-স্টেচার, \"দাঁড়ানো, বেঁচে থাকা\", তা মূল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অর্থে স্পষ্ট নয়। এটা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে এমনভাবে \"বিস্ময় বা আতঙ্কিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা\", তবে অন্যান্য সম্ভাবনাগুলি প্রস্তাব করা হয়েছে যেমন অতিরিক্ত অর্থে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি সম্পাদন করা,পুরাতন ও অযৌক্তিক ধর্মীয় অভ্যাস অব্যাহত রাখা।", "title": "কুসংস্কার" }, { "docid": "653285#2", "text": "বিষ্ফূরণ শব্দটি \"Diaspora\" এর বাংলা পারিভাষিক শব্দ। \"Diaspora\" শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ διασπείρω (\"diaspeirō\") থেকে, যার অর্থ \"আমি বিক্ষিপ্ত হই\" বা \"আমি ছড়িয়ে পড়ি\"। প্রাচীন গ্রীসে διασπορά (\"diaspora\") শব্দটির অর্থ ছিল \"বিক্ষিপ্ত হওয়া\", আর এর দ্বারা সমাজের শীর্ষস্থানীয় নাগরিকদের বোঝানো হত যারা উপনিবেশীকরণের উদ্দেশ্যে বা কোন অঞ্চলকে সাম্রাজ্যের অঙ্গীভূতকরণের উদ্দেশ্যে নতুন স্থানে এসেছেন। প্রাচীন যুগের বিষ্ফূরণের একটি উদাহরণ হচ্ছে স্পার্টানদের শাসনে মেসেনীয়দের শতাব্দি ব্যাপী নির্বাসন যা থুসিডাইডসের গ্রন্থ \"পেলপনেশিয়ান যুদ্ধের ইতিহাস\" গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।", "title": "বিস্ফূরণ" }, { "docid": "343277#1", "text": "'বিহু' শব্দের উৎপত্তি সম্বন্ধে নানান মতবাদ আছে, কিন্তু কোনো মতই সর্বসম্মত নয়। কোনো পণ্ডিতের মতে সংস্কৃত 'বিষুবত' শব্দ থেকে বিহু শব্দের উদ্ভৱব হয়েছে। বৈদিক 'বিষুবন' শব্দের অর্থ বছরের যে সময়ে দিন এবং রাত সমান হয়। অনেকের মতে, বিহু শব্দটি বৈ (উপাসনা) এবং হু (গরু) এই শব্দ দুটি থেকে এসেছে। বিষ্ণুপ্রসাদ রাভার মতে বিহু শব্দটি কৃষিজীবী ডিমাসা জনজাতির মধ্যে প্রচলিত শব্দ। তাঁরা তাঁদের দেবতা ব্রাই শিবরাইকে শস্য উৎসর্গ করে শান্তি ও সমৃদ্ধির প্ররার্থনা করেন। বি শব্দটির অর্থ প্রার্থনা করা এবং শু শব্দের অর্থ শান্তি ও সমৃদ্ধি। বিশু শব্দ থেকে বিহু শব্দের উৎপত্তি। অন্যমতে হু শব্দটির অর্থ দান করা।", "title": "বিহু" }, { "docid": "286173#18", "text": "খুংরিকাশির ইংরেজি প্রতিশব্দ “ক্রুপ” (croup) শব্দটির উৎপত্তি আদি আধুনিক ইংরেজি ক্রিয়াপদ “ক্রুপ” থেকে, যার অর্থ “কর্কশ স্বরে কান্নাকাটি করা”; সর্বপ্রথম স্কটল্যান্ডে এই রোগের এই নামকরণ করা হয় এবং ১৮ শতাব্দীতে সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচলিত হয়ে ওঠে৷ হোমার-এর প্রাচীন গ্রীস যুগ থেকে ডিপথেরিয়াজনিত খুংরিকাশির হদিশ জানা যায়৷ ১৮২৬ সালে, ব্রিটোনো ভাইরাসঘটিত খুংরিকাশি এবং ডিপথেরিয়াজনিত খুংরিকাশির মধ্যে প্রভেদের উল্লেখ করেন৷ ফরাসীরা ভাইরাসঘটিত খুরিকাশিকে “ফো ক্রুপ” নামে অভিহিত করত, তারা “ক্রুপ” বলতে ডিপথেরিয়া ব্যাক্টেরিয়াঘটিত রোগ বোঝাত৷ ফলপ্রসূটিকা আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে ডিপথেরিয়ার ফলে খুংরিকাশি প্রায় দেখাই যায় না৷", "title": "খুংরিকাশি" } ]
শ্যামবাজারে মেট্রো রেলের চলাচল প্রথম কোন সালে চালু হয় ?
[ { "docid": "11473#5", "text": "২২ নভেম্বর ১৯৯২ তারিখে দমদম-বেলগাছিয়া অংশটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এই বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র অংশটি খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। টালিগঞ্জ অবধি সম্প্রসারণের দীর্ঘ আট বছর পরে ১৩ অগস্ট ১৯৯৪ তারিখে দমদম-বেলগাছিয়া শাখাটিকে ১.৬২ কিলোমিটার সম্প্রসারিত করে শ্যামবাজার অবধি নিয়ে আসা হয়। সেই বছরের ২ অক্টোবর তারিখে ০.৭১ কিলোমিটার এসপ্ল্যানেড-চাঁদনি চক শাখাটি চালু হয়। শ্যামবাজার-শোভাবাজার-গিরিশ পার্ক (১.৯৩ কিলোমিটার) ও চাঁদনি চক-সেন্ট্রাল (০.৬০ কিলোমিটার) শাখাদুটি চালু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ তারিখে। গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রালের মধ্যবর্তী ১.৮০ কিলোমিটার পথ সম্পূর্ণ হয় ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ তারিখে। এর ফলে বর্তমান মেট্রোলাইনটির কাজ সম্পূর্ণ হয়।", "title": "কলকাতা মেট্রো" }, { "docid": "109204#7", "text": "শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনটিও পাঁচমাথার মোড়েই অবস্থিত। ১৯৯৪ সালের ১৩ অগস্ট কলকাতা মেট্রোর শ্যামবাজার-বেলগাছিয়া ও দমদম-বেলগাছিয়া অংশ দুটি চালু হয়। ১৯৯৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শ্যামবাজার-শোভাবাজার-গিরিশ পার্ক ও চাঁদনি চক-সেন্ট্রাল অংশদুটি চালু হয়। দমদম থেকে টালিগঞ্জ (বর্তমানে মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশন) মেট্রো রেলপথটি চালু হয় ১৯৯৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। মেট্রো রেলের অধিকাংশ অংশই মাটি খুঁড়ে ও বুজিয়ে (কাট-অ্যান্ড-কভার পদ্ধতি) করা হলেও শ্যামবাজার-বেলগাছিয়া অংশটির কাজ হয়েছিল সুড়ঙ্গ নির্মাণ করে।", "title": "শ্যামবাজার" } ]
[ { "docid": "468372#9", "text": "ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) ২০২৪ সালের মধ্যে তিনটি পথে মেট্রো রেল চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো, উত্তরা-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-খিলগাঁও হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত, গুলশান-মিরপুর-মোহাম্মদপুর-ধানমণ্ডি-তেজগাঁও-রামপুরা-বাড্ডা-বারিধারা হয়ে গুলশান পর্যন্ত এবং উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী হয়ে রোকেয়া সরণি-খামারবাড়ী-ফার্মগেট-হোটেল সোনারগাঁও-শাহবাগ-টিএসসি হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত। এর মধ্যে শেষের পথটিতে মেট্রো রেল স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ২০১৯ সাল নাগাদ এ পথেই চলাচল করবে স্বপ্নের সেই ট্রেন। বাকি দুই পথে এখনো সম্ভাব্যতা যাচাই হয়নি।", "title": "ঢাকা মেট্রো" }, { "docid": "568886#1", "text": "পরিকল্পনা করা হয়েছে সিডনি মেট্রো শহরের সিডনি হারবার, কেন্দীয় বানিজ্য অঞ্চল হয়ে যাবে ব্যাংকস্টোন পর্যন্ত। এই রেল পথ নির্মান শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে এবং চালু হবে ২০২৪ সালে। সিডনি মেট্রো ইস্ট, একটি পৃথক লাইন যেটি কেন্দ্রীয় বানিজ্য অঞ্চল থেকে পারামাট্টা, অনুমান করা হচ্ছে এই মেট্রো লাইন ২০২০ সালে চালু হবে। সিডনি অস্টেলিয়ার মধ্যে প্রথম শহর যে শহরে মেট্রো রেলের মত দ্রুতগতির পরিবহন ব্যবস্থা নির্মান করা হচ্ছে। although an initial proposal was raised as early as 2001. .", "title": "সিডনি মেট্রো" }, { "docid": "498874#5", "text": "নির্মাণ কাজটি দুই পর্যায়ে করা হবে। পর্যায়ে-১ সম্পূর্ণ করার জন্য ছয়টি ধাপ রয়েছে।\nপ্রথম ধাপে হায়দ্রাবাদ মেট্রো ৭২.১৬ কিমি রেল পথ নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে এর নির্মাণ কার্য চলছে হায়দ্রাবাদ শহর জুড়ে। এটি ২০১৫ সালের শেষের দিকে চালুর কথা থাকলেও বর্তমানে বলা হচ্ছে ২০১৯ সালে এর নির্মাণ শেষ হবে। ২০১২ সালে বলা হয়েছিল প্রথম ধাপের নির্মাণ খরচ হবে ১৪,০০০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রথ ধাপে ৩০ কিমি পথে মেট্রো রেল চালু হয়েছে।রাজ্য সরকার মেট্রো রেলকে আরও প্রসারিত করার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে মেট্রো লাইন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি পাবলিক সরকারি-বেসরকারী অংশিদারীত্ব (পিপিপি)-এর পরিবর্তে রাজ্য সরকার দ্বারা গৃহীত হয়েছে। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনকে (ডিএমআরসি) দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত মেট্রো পথের নিম্নরূপ:", "title": "হায়দ্রাবাদ মেট্রো" }, { "docid": "517791#0", "text": "কলকাতা মেট্রো লাইন ১ হল কলকাতা মেট্রো রেল এর একটি লাইন।এটি ১৯৮৪ সালে চালু হয়।এটি ভারত তথা ভারতীয় উপমহাদেশর প্রথম ও এশিয়ার পঞ্চম ভূগর্ভস্থ মেট্রো পথ।এই মেট্রো লাইনটির দৈর্ঘ্য ২৭.৩৯ কিলোমিটার।প্রতিদিন এই পথে গড়ে ৭,০০,০০০ জন (৭ লক্ষ) চলাচল করেন। ২০১৮ সালের দূর্গা পুজর অষ্টমিতে ৯ লক্ষ যাত্রী বহন করেছিল যা এই মেট্রো পথের সর্বকালীন রেকর্ড।\nএই মেট্রো পথের উত্তরের অংশের এখনও সম্প্রসারন চলছে।নোয়াপাড়ার পর বরানগর ও দক্ষিনেশ্বর এই মেট্রো পথে যুক্ত করার কাজ চলছে।এই নির্মীয়মাণ অংশের দৈর্ঘ্য ৪.৫ কিলোমিটার।", "title": "কলকাতা মেট্রো লাইন ১" }, { "docid": "468372#5", "text": "ঢাকা মেট্রো রেলের একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং গমনপথ সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদিও এখনও এর নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠানের রুট প্রান্তিককরণে আপত্তি থাকায় কাজটির অগ্রগতি এখন স্থগিত রয়েছে। প্রথম রুটের জন্য চুক্তি ছিল  (এমআরটি লাইন ৬) ২০.১ কিলোমিটারের (১২.৫ মাইল), যার খরচ ছিল $২.৮ বিলিয়ন, এবং চুক্তিটি সরকার জাপান \nআন্তর্জাতিক সহযোগিতা এজেন্সির সাথে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে স্বাক্ষর কর। প্রথম রুট পল্লবী থেকে শুরু হবে, যা সায়েদাবাদ থেকে ঢাকার একটি উত্তর শহরতলী, রাজধানীর দক্ষিণে অবস্থিত। মেট্রো রেলের অধিকাংশই বর্তমান সড়ক এর উপরে নির্মাণ করা হবে, স্টেশনও উপরে নির্মাণ করা হবে। ভারতের দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন একটি প্রকল্পের একটি পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে।", "title": "ঢাকা মেট্রো" }, { "docid": "16565#21", "text": "বর্তমানে শহরতলি রেল পরিষেবা কেবলমাত্র মুম্বই, কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাই শহরেই কার্যকর রয়েছে। দেশের প্রথম দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা কলকাতা শহরতলি রেল চালু হয়েছিল ১৮৫৪ সালে। প্রথম ট্রেনটি চলেছিল হাওড়া থেকে হুগলির মধ্যে ৩৮.৬ কিলোমিটার (২৬ মাইল) পথে। এরপর ১৮৬৭ সালে মুম্বই শহরে চালু হয় মুম্বই শহরতলি রেল। এই রেলপথে প্রতিদিন ৬৩ লক্ষ যাত্রী চলাচল করে। মুম্বই শহরতলি রেলের যাত্রীঘনত্ব সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ। এছাড়া কলকাতাতে একটি চক্র রেলপথ এবং চেন্নাইয়ে চেন্নাই গণ দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা নামে একটি উড়াল রেল পরিষেবা চালু আছে। ১৯৮৪ সালের দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ দ্রুত পরিবহন পরিষেবা কলকাতা মেট্রো চালু হয় কলকাতা শহরে। বর্তমানে দিল্লিতে তিনটি মেট্রো রেলপথ চালু হয়েছে এবং একাধিক মেট্রোপথের কাজ চলছে। হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, আহমদাবাদ ও মুম্বই শহরেও মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে।", "title": "ভারতের পরিবহন ব্যবস্থা" }, { "docid": "109204#6", "text": "১৮৮২ সালে ঘোড়ায় টানা ট্রামের পরিষেবা শ্যামবাজার পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়। ১৮৯৯ সালে ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি ট্রাম বিদ্যুতায়িত করা শুরু করে। ১৯০২ সালের মধ্যেই সমগ্র কলকাতায় বিদ্যুৎচালিত ট্রাম চালু হয়ে যায়। এরপরই ট্রাম পরিষেবা বেলগাছিয়া অবধি প্রসারিত করা হয়। ১৯৪১ সালে সার্কুলার রোডে ট্রাম চালু হয়। উল্লেখ্য, এর পর দীর্ঘদিন ট্রামই ছিল কলকাতার একমাত্র গণ পরিবহন মাধ্যম। ১৮৯৬ সালে কলকাতায় মোটরগাড়ি চালু হলেও, মোটর বাস চালু হয়েছিল ১৯২০ সালে। পাঁচমাথার মোড়ের কাছে বিধান সরণিতে শ্যামবাজার ট্রামডিপো অবস্থিত। সার্কুলার রোডে উনিশশো পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত একটি গারবেজ ক্লিয়ারেন্স লাইট রেলওয়ে ছিল।", "title": "শ্যামবাজার" }, { "docid": "477281#3", "text": "কিন্তু কিছু কারণে প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়েছিল। এই বিলম্বিত প্রধানত হয়েছিল ভূমি অধিগ্রহণ, বস্তি স্থানান্তর এবং রুট পরিবর্তনের ফলে উৎপন্ন সমস্যাগুলির কারণে। পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো করিডর মূলত ২০১২ সাল নাগাদ চালু হওয়ার কথা ছিল, তবে পরবর্তীতে এটি ২০১৫ সালের মধ্যে চালু করার কথা বলা হয়। কিন্তু ওই সময়ে প্রকল্প শেষ কর্তে নির্মান সংস্থা ব্যর্থ হয়। প্রকল্পটি এখন চারটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম পর্যায়ে সেক্টর -৫ থেকে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের জুনে লাইনটি চালুর জন্য কাজ শুরু হয়। কিন্তু সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় এই পথে প্রথম মুট্রো রেল ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চালু করা হবে বলে ঘোষনা করা হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের দ্বিতীয় অংশে ফুলবাগান পর্যন্ত মেট্রো চালু হবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শিয়ালদহ পর্যন্ত কার্যক্রম চলু হবে প্রথম ধাপের তৃতীয় অংশ হিসাবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বা দ্বিতীয় ধাপে যা গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো রেল যাত্রা করবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে।লাইন ২ প্রথমে লাইন ১-এর সঙ্গে সেন্ট্রাল স্টেশনে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত হয় লাইন ১ ও লাইন ২ এসপ্ল্যানেডে যুক্ত হবে। এর ফলে লাইন ২-এর দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নির্মাণ খরচ ৬০০ কোটি টাকা (₹) বৃদ্ধি পায়।", "title": "কলকাতা মেট্রো লাইন ২" } ]
নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী গুজরাটের কততম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ?
[ { "docid": "345869#0", "text": "নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী (; , জন্ম ১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৫০) ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী। এই রাজনীতিবিদ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ষোড়শ সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে বহুমতের দ্বারা জয়লাভ লাভ করেন এবং ২৬শে মে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি গুজরাটের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" } ]
[ { "docid": "345869#24", "text": "২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টি আসনের মধ্যে ১১৫টি দখল করলে মোদী চতুর্থ বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি আরো চারটি আসন দখল করতে সমর্থ হয়। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর \nভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#8", "text": "১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তাঁর ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#17", "text": "২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাঁদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#9", "text": "১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর শঙ্করসিনহা বাগেলা পার্টি থেকে বেরিয়ে যান। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে তিনি পার্টির কার্যনির্বাহী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচনী কমিটিতে তিনি বাগেলার সমর্থকদের পরিবর্তে কেশুভাই পটেলের সমর্থকদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করলে পার্টির মধ্যেকার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিরোধিতা থেমে যেতে বাধ্য হয় এবং ভারতীয় জনতা পার্টি ঐ নির্বাচনে জয়লাভ করে।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#15", "text": "মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তাঁর মন্ত্রীসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাঁদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনী মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। এই সব ঘটনার ফলে গুজরাট শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়। ২০০৭ সালে ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সমাবেশে নির্মাণ কার্যে ৬.৬ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগের চুক্তি হয়।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#14", "text": "দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তাঁর ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রীসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে \nভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#23", "text": "২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#2", "text": "২০০২ খ্রিষ্টাব্দের গুজরাত দাঙ্গার ঘটনায় তাঁর প্রশাসন সমালোচিত হওয়ায় ভারত ও বিদেশে তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত কিন্তু গুজরাটের অর্থনৈতিক উন্নতির বৃদ্ধিতে সহায়ক পরিবেশ গঠনের জন্য তিনি তাঁর আর্থিক নীতির জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর রাজ্যের মানবোন্নয়নের ওপর গঠনমূলক প্রভাব বিস্তারে তাঁর প্রশাসনে্র অক্ষমতার জন্য তিনি সমালোচিতও হয়েছেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345738#3", "text": "১৭ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে, সিপিআই (এম) মায়িল এলাকা কমিটির গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের মডেল গুণগানের জন্য এক বছরের জন্য দল থেকে আবদুল্লাহকুট্টি নির্বাসিত রাখা হয়। তিনি এর আগে বন্ধস এবং হরতালে রাজ্যর স্বার্থ খুব ক্ষতিকারক হয় বলে মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ইসলামের একজন বিশ্বাসী বলে ঘোষণা করেন এবং রমজান মাসে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ যেতেন। তিনি মার্চ ২০০৯ সালে পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হন। \nআবদুল্লাহকুট্টি এপ্রিল ২০০৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস যোগ দেন। তিনি কন্নুর বিধানসভা কেন্দ্রে জন্য আইএনসি প্রার্থী হিসাবে প্রতিযোগিতা করেন এবং নভেম্বর ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি কন্নুর বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে ২০১১ সালে সমাবেশ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি ৬৪৪৩ ভোটে কংগ্রেস (এস) সুপ্রিমো কাদান্নাপালী রামচন্দ্রনকে পরাজিত করেন।", "title": "এ পি আবদুল্লাহকুট্টি" } ]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম কোন স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন ?
[ { "docid": "95463#4", "text": "রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা আরম্ভ হয় দাদা হেমেন্দ্রনাথের হাতে। ছেলেবেলায় রবীন্দ্রনাথ শারীরিকভাবে সুস্থসবল ও বলবান ছিলেন – তিনি গঙ্গায় সাঁতার কাটতেন, পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে বেড়াতেন এমনকি বাড়িতে জুডো ও কুস্তি অনুশীলন করতেন। বাংলা ভাষায় শারীরস্থান, অঙ্কন, ইংরেজি ভাষা (সেই সময় তাঁর সর্বাপেক্ষা অপ্রিয় বিষয়), ভূগোল, ইতিহাস, সাহিত্য, গণিত ও সংস্কৃত চর্চা করতেন গৃহে ও বিদ্যালয়ে। অবশ্য বিদ্যালয়ের ধরাবাঁধা শিক্ষাব্যবস্থা তাঁকে আকৃষ্ট করে রাখতে পারেনি। নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাদেমি, ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ও শেষে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে কিছুকাল পড়াশোনার পর তিনি অবশেষে বিদ্যালয়ে যেতে অস্বীকার করেন। বিদ্যালয়ের নিষ্প্রাণ শিক্ষাব্যবস্থা পরবর্তীকালেও তাঁর দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল।", "title": "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)" }, { "docid": "1528#6", "text": "১৮৭৫ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাতৃবিয়োগ ঘটে। পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে অতিবাহিত করতেন। তাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল ভৃত্যদের অনুশাসনে। শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয়-শিক্ষায় অনাগ্রহী হওয়ায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর ও পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতেন রবীন্দ্রনাথ।", "title": "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" } ]
[ { "docid": "1528#8", "text": "১৮৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে তিনি ব্রাইটনের একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন শেকসপিয়র ও অন্যান্য ইংরেজ সাহিত্যিকদের রচনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে। এই সময় তিনি বিশেষ মনোযোগ সহকারে পাঠ করেন \"রিলিজিও মেদিচি\", \"কোরিওলেনাস\" এবং \"অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা\"। এই সময় তাঁর ইংল্যান্ডবাসের অভিজ্ঞতার কথা \"ভারতী\" পত্রিকায় পত্রাকারে পাঠাতেন রবীন্দ্রনাথ। উক্ত পত্রিকায় এই লেখাগুলি জ্যেষ্ঠভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচনাসহ প্রকাশিত হত \"\" নামে। ১৮৮১ সালে সেই পত্রাবলি \"\" নামে গ্রন্থাকারে ছাপা হয়। এটিই ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রথম গদ্যগ্রন্থ তথা প্রথম চলিত ভাষায় লেখা গ্রন্থ। অবশেষে ১৮৮০ সালে প্রায় দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে কোনো ডিগ্রি না নিয়ে এবং ব্যারিস্টারি পড়া শুরু না করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।", "title": "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" }, { "docid": "95463#7", "text": "১৮৭৮ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে ব্যারিস্টার হওয়ার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ পাড়ি দেন ইংল্যান্ডে। প্রথম দিকে তিনি ব্রাইটন ও হোভের মেদিনা ভিলায় ঠাকুর পরিবারের একটি বাড়িতে অবস্থান করেন। এখানে তিনি একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন (যদিও দাবি করা হয় যে তিনি ব্রাইটন কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন; কিন্তু উক্ত কলেজের রেজিস্টারে তাঁর নাম পাওয়া যায় না)। ১৮৭৭ সালে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র সুরেন্দ্রনাথ ও কন্যা ইন্দিরাকে তাদের মায়ের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে থাকার উদ্দেশ্যে। ১৮৭৮ সালে বড়োদিনটি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কাটানোর পর রবীন্দ্রনাথ দাদার এক বন্ধুর সঙ্গে চলে আসেন লন্ডনে। তাঁর আত্মীয়দের ধারণা ছিল লন্ডনে থাকলেই পড়াশোনায় অধিক মনোযোগ দিতে পারবেন তিনি। সেখানে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ভর্তি হন তিনি। যদিও কোনো ডিগ্রি না নিয়েই এক বছরের মধ্যেই দেশে ফিরে আসেন রবীন্দ্রনাথ। তবে এই বিলেতবাসের সময় ইংরেজি সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছিলেন তিনি, যা পরবর্তীকালে তাঁর সাহিত্য, সঙ্গীত ও নাটকে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। যদিও রবীন্দ্রনাথ ইংরেজদের কঠোর নিয়মানুবর্তিতা বা পারিবারিক রক্ষণশীল ধর্মমত কোনোটিকেই নিজের জীবন বা সৃষ্টিকর্মের মধ্যে সাগ্রহে গ্রহণ করেননি; বরং বেছে নিয়েছিলেন এই দুই জগতের কিছু শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতাকেই।", "title": "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)" }, { "docid": "1528#1", "text": "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে \"তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা\"-এ তাঁর \"\" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তাঁর পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তাঁর মৃত্যু হয়।", "title": "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" }, { "docid": "4098#2", "text": "পিতামহ ও পিতা ছিলেন একাডেমিক নিয়মের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পী। এ সুবাদে শৈশবেই চিত্রকলার আবহে বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৮৮১ থেকে ৮৯ পর্যন্ত সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করেন। ৮৯ সালেই সুহাসিনী দেবীর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৯০ এ গড়া রবীন্দ্রনাথের খামখেয়ালি সভার সদস্য হয়ে তিনি কবিতা পড়েছেন, নাটক করেছেন। ১৮৯৬ সালে কোলকাতা আর্ট স্কুলের সহকারী অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম এই মর্যাদা লাভ করেন। ১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ ও রানী মেরি ভারত ভ্রমণে এলে আর্ট গ্যলারি পরিদর্শনের সময় তাদেরকে ওরিয়েন্টাল আর্ট সম্পর্কে বোঝাবার দ্বায়িত্ব পান। ১৯১৩ সালে লন্ডনে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, এবং তিনি ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে সি আই ই উপাধী লাভ করেন। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি-লিট প্রদান করে ১৯২১ সালে। ১৯৪২ সালে শিল্পীপত্নীর মৃত্যু হয়। ১৯৪১ থেকে ৪৫ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর আচার্য রূপে দ্বায়িত্ব পালন করেন।", "title": "অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর" }, { "docid": "591832#1", "text": "অনুন্নত শ্রেনীর শিক্ষাবিস্তার ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ননের ওপর বিশেষভাবে জোর দেন গুরুচাঁদ ঠাকুর। সামাজিক ও বর্ণহিন্দুর বাধা অতিক্রম করে ১৮৮০ সালে ওড়িয়াকান্দিতে প্রথম বিদ্যাকয় স্থাপন করেন। তার উৎসাহে ১৮ বছরের মধ্যে এটি প্রাথমিক স্তর হতে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নিত হয়। অস্পৃশ্যতা দুরীকরণ ও শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে গণ আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন তিনি। ৯০ বছরের জীবনে ১৮১২ টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে। ১৮৮১ সালে তার উদ্যোগে ও সভাপতিত্বে খুলনার দত্তডাঙায় প্রথম নমঃশূদ্র মহা সম্মেলন হয়। চন্ডাল জাতিকে নমশুদ্র জাতিতে উত্তরনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তার চেষ্টায় একটি প্রতিনিধিদল ১৯০৭ সাকে বাংলা ও আসাম গভর্নর জেনারেলের কাছে এই মর্মে প্রতিবেদন পেশ করেন। যার সাফল্যস্বরূপ ১৯১১ সালের জনগনায় নমশূদ্র নামটি পরিচিতি লাভ করেছিল। তার মৃত্যুর পর এই আন্দোলনের দায়িত্ব নেন রাজনীতিবিদ ও সাংসদ প্রমথরঞ্জন ঠাকুর। দেশবিভাগের পর মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান কেন্দ্র গড়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার ঠাকুরনগরে।", "title": "গুরুচাঁদ ঠাকুর" }, { "docid": "1528#7", "text": "১৮৭৩ সালে এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বের হন। প্রথমে তাঁরা আসেন শান্তিনিকেতনে। এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে কিছুকাল কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। শেষে পুত্রকে নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ যান পাঞ্জাবেরই (অধুনা ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত) ডালহৌসি শৈলশহরের নিকট বক্রোটায়। এখানকার বক্রোটা বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ নিতে শুরু করেন। দেবেন্দ্রনাথ তাঁকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবনী, কালিদাস রচিত ধ্রুপদি সংস্কৃত কাব্য ও নাটক এবং উপনিষদ্‌ পাঠেও উৎসাহিত করতেন। ১৮৭৭ সালে \"ভারতী\" পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। এগুলি হল মাইকেল মধুসূদনের \"\", \"ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী\" এবং \"\" ও \"\" নামে দুটি গল্প। এর মধ্যে \"ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী\" বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই কবিতাগুলি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির অনুকরণে \"ভানুসিংহ\" ভণিতায় রচিত। রবীন্দ্রনাথের \"ভিখারিণী\" গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প। ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ \"কবিকাহিনী\"। এছাড়া এই পর্বে তিনি রচনা করেছিলেন \"\" (১৮৮২) কাব্যগ্রন্থটি। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা \"\" এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।", "title": "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" }, { "docid": "72925#1", "text": "দেবেন্দ্রনাথ ১৮২৩-২৫ সাল পর্যন্ত বাড়িতেই পড়াশোনা করেন। ১৮২৭ সালে তিনি রাজা রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত অ্যাংলো হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে কিছুকাল পড়াশোনার পর তিনি পিতার বিষয়সম্পত্তি ও ব্যবসা দেখাশোনার পাশাপাশি দর্শন ও ধর্মচর্চা শুরু করেন। ১৮৩৮ সালে পিতামহীর মৃত্যুকালে তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি ধর্মবিষয়ে আগ্রহী হয়ে মহাভারত, উপনিষদ ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়ন শুরু করেন। এর ফলে পার্থিব বিষয়ের প্রতি তাঁর বীতস্কৃহা জন্মে এবং তাঁর মধ্যে ঈশ্বরলাভের আকাঙ্ক্ষা প্রবল হয়। তত্ত্বালোচনার উদ্দেশ্যে তিনি ‘তত্ত্বরঞ্জনী সভা’ (১৮৩৯) স্থাপন করেন, পরে যার নাম হয় তত্ত্ববোধিনী সভা । এ সময় তিনি কঠোপনিষদের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন (১৮৪০)।", "title": "দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর" }, { "docid": "82042#2", "text": "গ্রামের স্কুলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু। তারপর অধ্যয়ন করেছেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর গন্তব্য কোলকাতার হেয়ার স্কুর ও সিটি কলেজিয়েট স্কুল। পরে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন প্রথম শ্রেণীতে ষষ্ঠ স্থান অর্জন ক’রে। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে ১ম বিভাগে দশম স্থান অধিকার করে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে। \nপরবর্তী গন্তব্য কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ। থাকতেন ইডেন হোস্টেলে। \n১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতিহাস ও ইংরেজি সাহিত্য - এই দুটি বিষয়ে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন এবং ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে ৯০% নম্বর নিয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ পাশ করেন৷ ১৮৯৭ সালে তিনি ‘প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ’ স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদকসহ দশ হাজার টাকা বৃত্তি লাভ করেন৷ tushar", "title": "যদুনাথ সরকার" } ]
মুকেশ আম্বানি কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
[ { "docid": "609607#0", "text": "মুকেশ আম্বানি (গুজরাতি: મુકેશ અંબાણી; জন্ম ১৯ এপ্রিল ১৯৫৭) হলেন একজন ভারতীয় ধনকুবের। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বৃহৎ শেয়ারের মালিক। রিলায়েন্স ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ কোম্পানির একটি এবং বাজার মূল্যের দিক থেকে ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি। তিনি এই কোম্পানির ৪৪.৭% শেয়ারের মালিক। রিলায়েন্স মূলত শোধন, পেট্রোকেমিক্যাল, এবং তেল ও গ্যাস নিয়ে কাজ করে। রিলায়েন্সের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স রিটেল লিমিটেড, ভারতের বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা।", "title": "মুকেশ আম্বানি" }, { "docid": "609607#1", "text": "মুকেশ ১৯৫৭ সালের ১৯ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ধীরুভাই অম্বানী এবং মাতা কোকিলাবেন অম্বানী। চার ভাইবোনের মধ্যে মুকেশ সর্বজ্যেষ্ঠ। তার ছোট ভাই অনিল আম্বানি এবং দুই বোন দীপ্তি সাল্গাওকার ও নিনা কোঠারি। আম্বানি পরিবার ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত মুম্বইয়ের ভুলেশ্বরে বসবাস করত। ধীরুভাই পরবর্তীতে কলাবাতে \"সি উইন্ড\" নামে একটি ১৪ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেন। মুকেশ ও অনিল সেখানে তাদের পরিবারের সাথে কিন্তু ভিন্ন দুটি তলায় বাস করতেন।", "title": "মুকেশ আম্বানি" } ]
[ { "docid": "609607#6", "text": "তিনি ধীরুভাই অম্বানী ও কোকিলাবেন অম্বানীর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং অনিল আম্বানির বড় ভাই। রিলায়েন্সের মাধ্যমে তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালিক। ২০১২ সালে \"ফোর্বস\" তাকে সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াদলের মালিক করে উল্লেখ করে। তিনি বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল ব্যক্তিগত বাড়ি আন্তিলিয়ায় বাস করেন। এই বাড়িটির মূল্য প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনের হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুসারে, ২০১৫ সালে আম্বানি ভারতীয় মানবহিতৌষীদের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন।", "title": "মুকেশ আম্বানি" }, { "docid": "435109#1", "text": "কাব্বানী লেবাননের রাজধানী বৈরুত জন্ম গ্রহণ করেন। তার মুর্শিদ মোহাম্মদ নিজাম আদিলের নির্দেশে তিনি ১৯৯০ সালে আমেরীকায় বসতি স্থাপন করেন এবং সেখানে ইসলামিক সুপ্রীম কাউন্সিল অব আমেরীকা (আই এস সি এ) নামক একটি বেসরকারী অলাভজনক সংস্থার পাশাপাশি এক ডজনেরও বেশি তাসাউফ চর্চার কেন্দ্র বা সূফি খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দ্যা ইলিজাহ ইন্টারফেইথ ইনষ্টিটিউট বোর্ড অব রিলিজিয়াস লিডার নামক একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনেরও সদস্য।", "title": "হিসাম কাব্বানী" }, { "docid": "609607#3", "text": "মুকেশ ১৯৮৫ সালে নীতা আম্বানির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা। বড় পুত্র অনন্ত আম্বানি এবং ছোট পুত্র আকাশ আম্বানি রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের কৌশলগত বিভাগের প্রধান। কন্যা ইশা আম্বানি জিও ও রিলায়েন্স রিটেলের বোর্ড মেম্বার। তারা মুম্বইয়ে ব্যক্তিগত ২৭ তলা দালান \"আন্তিলিয়া\"য় বসবাস করেন। বাড়িটির মূল্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাড়িটিকে এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল কয়েকটি বাড়ির একটি বলে উল্লেখ করা হয়।", "title": "মুকেশ আম্বানি" }, { "docid": "15751#2", "text": "আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির (অধুনা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের) রামেশ্বরমের এক তামিল মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জয়নুল-আবেদিন ছিলেন একজন নৌকামালিক এবং মাতা অশিয়াম্মা ছিলেন গৃহবধূ। তাঁর পিতা রামেশ্বরম ও অধুনা-বিলুপ্ত ধনুষ্কোডির মধ্যে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের নৌকায় পারাপার করাতেন। কালামের পরিবার ছিল অত্যন্ত গরিব। অল্প বয়স থেকেই পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তাঁকে কাজ করা শুরু করতে হয়। বিদ্যালয়শিক্ষা সমাপ্ত করার পর পিতাকে সাহায্য করার জন্য তাঁকে সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করতে হয়। বিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন সাধারণ মানের ছাত্র। কিন্তু তিনি ছিলেন বুদ্ধিদীপ্ত ও কঠোর পরিশ্রমী ছাত্র। তাঁর শিক্ষাগ্রহণের তীব্র বাসনা ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি পড়াশোনা করতেন ও অঙ্ক কষতেন। রামনাথপুরম স্কোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর কালাম তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ'স কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে সেই কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক হন। পাঠক্রমের শেষের দিকে তিনি পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে উৎসাহ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে চার বছর ওই বিষয় অধ্যয়ন করে নষ্ট করার জন্য তিনি আক্ষেপ করতেন। ১৯৫৫ সালে তিনি মাদ্রাজে (অধুনা চেন্নাই) চলে আসেন। এখানকার মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে তিনি বিমানপ্রযুক্তি শিক্ষা করেন। একটি সিনিয়র ক্লাস প্রোজেক্টে কাজ করার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিন তাঁর কাজে অগ্রগতি না দেখে অসন্তুষ্ট হন। তিনি ভয় দেখান তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে তাঁর বৃত্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কালাম তিন দিনেই কাজ শেষ করেন। তা দেখে ডিন খুশি হন। পরে তিনি কালামকে লিখেছিলেন, \"আমি তোমাকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলাম। তোমাকে এমন সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছিলাম যা করা খুব শক্ত।\" তিনি অল্পের জন্য যোদ্ধা পাইলট হওয়ার সুযোগ হারান। উক্ত পরীক্ষায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর আট জন কর্মীর দরকার ছিল। তিনি পরীক্ষায় নবম হয়েছিলেন।", "title": "এ. পি. জে. আবদুল কালাম" }, { "docid": "636129#1", "text": "১৮৫৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত রংপুরের পায়রাবন্দ জমিদার বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জহিরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের এবং মাতা রাহাতুন্নেছা সাবেরা চৌধুরানী। তার ছোটবোন ছিলেন বেগম রোকেয়া। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে বড় হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই কঠোর পর্দাপ্রথার মধ্যে বড় হন তিনি। শিক্ষা ছিল কুরআন পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভাইদের থেকে শুনে শুনে তিনি পারস্য কবিতা মুখস্ত করে ফেলতেন। ছোটবেলায় পুঁথি পড়তে গিয়ে বাড়িতে ধরাও পড়েছেন তিনি। নিজের চেষ্টায় ইংরেজি ও বাংলা শিখেছিলেন। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার জমিদার আবদুল হালীম খান গজনবীর সাথে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে সম্পন্ন হয়। ২৩ বছর বয়সে তিনি বিধবা হন। তখন তিনি দুই পুত্রের জননী।", "title": "করিমুন্নেসা খানম চৌধুরানী" }, { "docid": "296401#1", "text": "এম এ কাসেম ১৯৪০ সালে ফেনী জেলায় ছাগলনাইয়া থানার দক্ষিণ বল্লভপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাগলনাইয়া থানার বিশেষ করে শুভপুর ইউনিয়নে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।", "title": "মহম্মদ আবুল কাসেম" }, { "docid": "609607#2", "text": "মুকেশ মুম্বইয়ের পেদার রোডের হিল গ্রাঞ্জ হাই স্কুলে পড়াশুনা করেছেন। সেখানে তার ভাই অনিল এবং তার সহযোগী আনন্দ জৈনও তার সহপাঠী ছিলেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল টেকনোলজি (ইউডিসিটি) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিই ডিগ্রি লাভ করেন। মুকেশ পরবর্তীতে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ সম্পন্ন করতে ভর্তি হন কিন্ত তার পিতার রিলায়েন্স প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করতে তিনি এই প্রোগ্রাম শেষ না করেই চলে আসেন। রিলায়েন্স তখন ছোট কিন্তু দ্রুত বর্ধমান প্রতিষ্ঠান ছিল।", "title": "মুকেশ আম্বানি" }, { "docid": "80594#1", "text": "থেনোবিয়া স্পেনের বার্থেলোনা প্রদেশের মালগ্রাত দে মার শহরে পুয়ের্তো রিকান মা এবং কাতালান বাবার ঘরে জন্ম নেন। পরবর্তীতে তিনি পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত তিনি কিউবা তথা কুবাতে ছিলেন। সেসময় তিনি \"দিয়ারিও\" নামের দিনপঞ্জি রচনা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক হন। তিনি নোবেল বিজয়ী স্পেনীয় সাহিত্যিক হুয়ান রামোন হিমেনেথকে ১৯১৬ সালে বিয়ে করেন। হিমেনেথ ১৯৫৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভের মাত্র দুই দিন পরে জরায়ুর ক্যান্সারে তিনি মারা যান।", "title": "থেনোবিয়া কামপ্রুবি আইমার" }, { "docid": "414278#3", "text": "আমির মিনাই ১৮২৮ সালে লখনউয়ের প্রখ্যাত ধার্মিক পণ্ডিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মৌলভি করম মুহাম্মদ মিনাই লখনৌ এর সুপরিচিত ধর্মীয় পণ্ডিত ছিলেন। তাঁর পরিবার লখনউয়ের বিখ্যাত সুফি সাধক হযরত মখদুম শাহ মিনা'র উত্তরসুরী। এ সুফি সাধকের মাজার এখনো অসংখ্য মানুষের তীর্থ। মিনাই পরিবার শাহ মিনা'র এ মাজারকে ঘিরেই শতবর্ষ ধরে বসবাস করত। এজন্য এ এলাকাটি ‍‍\"মিনা বাজার\" বা \"মহল্লা-ই-মিনাইয়ান\" (মিনাইদের বাসস্থান)নামে পরিচিত। আমির লখনউয়ের ফিরিঙ্গি মহলে শিক্ষা লাভ করেন এবং ইসলামী আইনশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। তিনি আওয়াধ এর রাজকীয় কোর্টে যোগদান করেন এবং অতি উচ্চ পদে আসীন হন। পরবর্তীতে ১৮৫৬ সালে ব্রিটিশদের লখনউ আক্রমণ এবং এর পরে ১৮৫৭ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাঁর পারিবারিক বসতবাড়ি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এ সময় আমির তাঁর পরিবারের সাথে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। প্রথমে নিকটবর্তী কাকরি শহরে কবি মহসিন কাকরভি'র কাছে আশ্রয় লাভ করেন, পরে শেষপর্যন্ত রামপুর প্রদেশে বসবাস শুরু করেন। এখানে তিনি নওয়াব ইউসুফ আলী খানের বিরাট আনুকুল্য লাভ করেন। এখানে আমির বিচারকার্যে উচ্চপদ লাভ করেন এবং পরে রামপুরের চমৎকার বিশাল লাইব্রেরির প্রধান নিযুক্ত হন এবং বিখ্যাত উর্দু কবি গালিবের স্থলাভিষিক্ত হয়ে শাসকের রাষ্ট্রীয় কাব্য শিক্ষক (উস্তাদ) হন। আমির এখানে ১৯০০ সাল পর্যন্ত বসবাস করেন। এরপর তিনি তাঁর প্রিয় উর্দু অভিধান \"আমির-উল-লুঘাত\" এর বাকি খণ্ডগুলো প্রকাশ করার জন্য আর্থিক সহায়তা লাভের আশায় দাক্ষিণাত্যের হায়দরাবাদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হায়দ্রাবাদে যাওয়ার ১ মাসের মাথায় ১৯ অক্টোবর, ১৯০০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এখানেই তিনি সমাহিত হন।", "title": "আমির মিনাই" } ]
বাংলা ভাষায় ‘জমিদার’ শব্দের উৎপত্তি কবে হয় ?
[ { "docid": "18215#0", "text": "জমিদার(দেবনাগরী: ज़मींदार , উর্দু : زمیندار বা জমিদার প্রথা বা জমিদারি বা জমিদারি প্রথা ) ফার্সি যামিন (জমি) ও দাস্তান (ধারণ বা মালিকানা)-এর বাংলা অপভ্রংশের সঙ্গে ‘দার’ সংযোগে ‘জমিদার’ শব্দের উৎপত্তি। মধ্যযুগীয় বাংলার অভিজাত শ্রেণীর ভূম্যধিকারীদের পরিচয়জ্ঞাপক নাম হিসেবে শব্দটি ঐতিহাসিক পরিভাষার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মুগল আমলে জমিদার বলতে প্রকৃত চাষির ঊর্ধ্বে সকল খাজনা গ্রাহককে বোঝানো হতো। প্রকৃত চাষি জমিদার নয়, কারণ সে কখনও তার জমি খাজনা বা ভাড়ায় অন্য কাউকে প্রদান করে না। জমিদাররা শুধু খাজনা আদায়ের স্বত্বাধিকারী, জমির স্বত্বাধিকারী নয়। পক্ষান্তরে, জমির মালিকদের বলা হতো রায়ত বা চাষি যাদের নামে জমাবন্দি বা রেন্ট-রোল তৈরি হতো। এই ধারণায় জমিদারগণ রাজস্বের চাষি ছিল মাত্র। এরা ছিল সরকার এবং হুজুরি (স্বতন্ত্র) তালুকদার ব্যতীত নিম্নস্তরের রাজস্ব চাষিদের মধ্যস্থ পক্ষ। হুজুরি তালুকদারগণ খালসায় (খাজাঞ্চি খানায়) সরাসরি রাজস্ব প্রদান করত।", "title": "জমিদার" } ]
[ { "docid": "18215#1", "text": "জমিদার এই পদবি বা শব্দটি ভূঁইয়া বা ভূপতি নামে যে দেশীয় পারিভাষিক শব্দটি প্রচলিত আছে তার সরাসরি প্রতিশব্দ বলা যায়। এই ভূঁইয়া বা ভূপতিরা ছিল ভারতের প্রাক্‌-মুগল আমলের বংশানুক্রমিক উত্তরাধিকারসূত্রে জমির মালিক। মুগলগণ তৎকালে প্রচলিত ভূমি ব্যবস্থাকে তাদের আর্থ-রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থায় রূপান্তর করে। অবশ্য চিরাচরিত ক্ষমতা ও উৎপাদনের উপায়গুলি তেমন বিশেষ পরিবর্তিত হয় নি। মুগলদের আমলে গড়ে ওঠা জমিদারি বৈশিষ্ট্যগতভাবে সব এলাকায় একই রকম ছিল না, এমনকি, বাংলা-বিহার ও উড়িষ্যার সুবাগুলির ভিতরেও অঞ্চলভেদে পার্থক্য ছিল। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে রাজপক্ষ সরাসরি জমি নিয়ন্ত্রণ করত, কিন্তু বাংলায় সরকার কখনও তা করে নি। আকবরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার (১৫৮২) লক্ষ্য ছিল ব্যক্তি-চাষিকে সরাসরি বন্দোবস্ত দান, যা নানা কারণে সুদূর বাংলা প্রদেশে সম্ভব ছিল না। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশের বিশেষ ভৌগোলিক ও জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য। প্রাক্‌-আধুনিক যুগে বাংলায় জমি কেবল উৎপাদনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয়ই ছিল না, জমি ছিল মর্যাদার প্রতীক এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির একটি উৎস। এ কারণে উচ্চাভিলাষী ব্যক্তিদের জন্য জমির ওপর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটি ছিল নানা ধরনের সম্ভাবনার ধারক ও বাহক।", "title": "জমিদার" }, { "docid": "18215#2", "text": "মুগলদের বাংলা জয়ের পর জমিদার একটি বিশেষ পদবি হয় এবং জমিদার বলতে বোঝায় বিভিন্ন ধরনের জমি ও অধিকারের মালিক। স্বায়ত্তশাসিত কিংবা আধা স্বাধীন সর্দার বা গোষ্ঠীপ্রধান থেকে শুরু করে স্বত্বাধিকারী কৃষক যে কেউ জমিদার হয়ে উঠতে পারত। স্বাধীন বা আধা-স্বাধীন সর্দার বা প্রধানরা বশ্যতাক্রমে বা মিত্রতাক্রমে পেশকাশি (নজরানা প্রদানকারী) অধস্তন মিত্রে পরিণত হয়। কিন্তু তাদের প্রশাসনিক স্বশাসনের অধিকার কার্যত অক্ষুন্ন থাকে। আর বাকি সকলেই প্রায় মালজামিন (ভূমি রাজস্ব প্রদানকারী) ছিলেন। তারা মুগলদের জন্য রাজস্ব সংগ্রহ করতেন। মুগলরা স্বশাসিত অথবা সীমান্ত অঞ্চলের সর্দার বা প্রধানদের ছাড়া জমিদার শ্রেণীর বাকি সকল ব্যক্তির বংশানুক্রমিক পদমর্যাদা খর্ব করে। তাদের ওয়ারিশগণ জমিদারিতে বহাল থাকবে কিনা তা কিছুটা হলেও ছিল দেশের সার্বভৌম শাসকের ইচ্ছাধীন। বিদ্রোহ করলে কিংবা নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদেরকে অপসারণ করা যেত। শাসককে পরিতুষ্ট করার বিনিময়ে এই জমিদাররা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেমন, খিলাত (মর্যাদাসূচক পরিচ্ছদ) ও খেতাব লাভের অধিকারী ছিলেন। তাদের মর্যাদা, সম্পদ ও অন্যান্য বিষয়ের দ্বারা নির্ধারিত হতো ঐসব অধিকার।", "title": "জমিদার" }, { "docid": "63731#1", "text": "বাংলা শব্দের প্রকৃত অর্থ জানা না গেলেও ধারনা করা হয় যে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীয় ভাষা থেকে বঙ বা বঙ্গ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। অন্য মতাবলম্বীরা ধারণা করেন যে বাংলা শব্দটি অস্ট্রিক ভাষার ভেঙ্গা শব্দটি থেকে এসেছে যার অর্থ সূর্য-দেবতা। মহাভারত ও পুরাণ অনুসারে ভাঙ্গা শব্দটি এসেছে হিন্দু দেবতা বালির পুত্রের নাম অনুসারে যিনি ভঙ্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুসারে রাজ্যটি কলিঙ্গ অথবা মগধ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলঅ কিছু সময় পাল রাজ্যের শাসনাধীন ছিল। কিছু মুসলিম চিন্তাধারা ভিত্তিক সূত্র অনুসারে বঙ্গ শব্দটি এসেছে ”বং” শব্দ থেকে যিনি [[নুহু নবী| নুহু নবীর পুত্র হিন্দের পুত্র ছিলেন যিনি পরবর্তীতে বাংলায় উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেন", "title": "বাংলার ইতিহাস" }, { "docid": "625824#1", "text": "এটি একটি হিন্দুস্তানি শব্দ, যা উর্দু, বাংলা ও হিন্দি এবং কয়েকটি উত্তর-ভারতীয় ভাষায় ব্যবহৃত হয়। শব্দটি আরবি থেকে সংগৃহীত ফারসি শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। মূলত \"নায়েব\" থেকে এই শব্দের উৎপত্তি। কয়েকটি অঞ্চলে, বিশেষ করে বঙ্গতে, শব্দটি নবাব হিসেবে উচ্চারিত হয়। নবাব শব্দটি পরবর্তীতে ইংরেজি ও অন্যান্য বিদেশি ভাষায় প্রবেশ করে।", "title": "নবাব" }, { "docid": "494100#0", "text": "খাজা (ফার্সীঃ خواجه) ফার্সী শব্দ। ফার্সী খা (خواه) শব্দে ইচ্ছে, আকাঙ্খা বা মনোকামনার ভাব আছে, যা থেকে খাজা শব্দের উৎপত্তি। শব্দটি তুর্কী ভাষায় \"hodja or hoca\", বোসনীয় ভাষায় \"hodža\", আলবানীয় ভাষায় \"hoxha\", গ্রীক ভাষায় \"hotzakis\", রোমানীয় ভাষায় \"hogea': রুপে প্রচলিত আছে। খাজা শব্দের অর্থ সম্মানী, ধনী, গুরু, জ্ঞানী, শক্তিশালী, স্বামী অথবা দুঃখহরণকারী ইত্যাদি। \nখাজা বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে সুফী পীর, দরবেশ এবং শাসকদের পদবী রুপে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।", "title": "খাজা (পদবী)" }, { "docid": "70522#10", "text": "বহু আধুনিক কালোত্তর বিদ্বৎজনের মতে বাংলার প্রেক্ষাপটে ‘নবজাগরণ’ এ পারিভাষিক শব্দটির প্রয়োগ যথার্থ হয় নি। এর সমর্থনে তাঁরা যুক্তি দেখান যে, এর উদ্ভব ঘটে তৎকালীন ঔপনিবেশিক সরকারের প্রশাসনিক ও শিক্ষা সম্পর্কিত কিছু উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। সকল ব্যবস্থা অত্যন্ত সচেতন ও পরিকল্পিতভাবেই নেওয়া হয় যাতে এক বিশেষ সমাজ গড়ে ওঠে, যা ঐ উনিশ শতকেই লক্ষ্য করা গেছে। অবশ্য এ শ্রেণীর আকার-আয়তন ছিল খুবই ছোট আর তা ছিল শহুরে উঁচুতলার হিন্দুদের মাঝেই সীমিত। এ শ্রেণীর চিন্তা-ভাবনা ও কার্যকলাপ বাংলার বৃহত্তর জনসমাজে তেমন প্রভাব ফেলতে পারে নি, এমনকি বলতে গেলে কোন প্রভাবই পড়ে নি। মুসলিম সমাজ এর প্রভাব থেকে পুরোপুরি বাইরেই থেকে যায়। আর পল্লীজনপদের হিন্দু সমাজের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা বলা চলে।", "title": "বাংলার নবজাগরণ" }, { "docid": "96403#1", "text": "কখন কীভাবে এই স্লোগানটির উৎপত্তি হয়েছিল তা সুনিশ্চিতভাবে জানা যায় না। একসূত্রে বলা হয়েছে যে ১৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষা দিবস (১৭ মার্চ) যৌথভাবে পালনের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ-এর আহুত সভায় তৎকালীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফতাব আহমেদ ও চিশতী হেলালুর রহমান \"জয় বাংলা\" স্লোগানটি সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেন। তবে ১৯ জানুয়ারি ১৯৭০-এ ঢাকা শহরের পল্টনের এক জনসভায় ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান তাঁর ভাষণে সর্বপ্রথম \"জয় বাংলা\" স্লোগানটি উচ্চারণ করেছিলেন বলে প্রচলিত আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে প্রথম \"জয় বাংলা\" স্লোগানটি উচ্চারণ করেন ৭ মার্চ ১৯৭০-এ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভার ভাষণে।", "title": "জয় বাংলা" }, { "docid": "79804#2", "text": "পল্লীর জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ লোক সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। এদের একটি বড় অংশ লোক-কবি যাদের সাধারণত বয়াতি বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন রাশিয়ার BAYAT শব্দ থেকে বয়াতি শব্দের উৎপত্তি।বাংলার মাঝিরা নৌকায় পাল তুলে মনের সুখে ভাটিয়ালি গান গায়। দেশের উত্তরাঞ্চলের গাড়োয়ান বা গরুর গারির চালক গাড়ি চালাতে চালাতে ভাওয়াইয়া গানের সুর তুলে। বাউলেরা একতারা বাজিয়ে তাঁদের তত্ত্ব তুলে ধরেন।\nতাঁদের কীর্তি আমাদের সামনে তুলে ধরতে কিছু মানুষ অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। নেত্রকোনা জেলার আইথর নামক স্থানের অধিবাসী চন্দ্রকুমার দে মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রহ করেন। ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন এই গানগুলো সম্পাদনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রকাশ করেন। পশ্চিমবঙ্গের আশুতোষ ভট্টাচার্য এবং বাংলাদেশের ড. মযহারুল ইসলাম সাম্প্রতিক সময়ে লোকসাহিত্য সম্পর্কে অনেক গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।", "title": "বাংলাদেশের লোক সাহিত্য" }, { "docid": "5474#3", "text": "বাংলার নবজাগরণ বলতে বোঝায় ব্রিটিশ রাজত্বের সময় অবিভক্ত ভারতের বাংলা অঞ্চলে ঊনবিংশ ও বিংশ শতকে সমাজ সংস্কার আন্দোলনের জোয়ার ও বহু কৃতি মনীষীর আবির্ভাবকে। মুলত রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭৫-১৮৩৩) সময় এই নব জাগরণের শুরু এবং এর শেষ ধরা হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) সময়ে, যদিও এর পরেও বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ এই সৃজনশীলতা ও শিক্ষাদীক্ষার জোয়ারের বিভিন্ন ধারার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন। ঊনবিংশ শতকের বাংলা ছিল সমাজ সংস্কার, ধর্মীয় দর্শনচিন্তা, সাহিত্য, সাংবাদিকতা, দেশপ্রেম ও বিজ্ঞানের পথিকৃৎদের এক অনন্য সমাহার যা মধ্যযুগের যুগান্ত ঘটিয়ে এদেশে আধুনিক যুগের সূচনা করে।", "title": "বাঙালি জাতি" } ]
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত "দেবদাস" উপন্যাসটি কবে প্রথম প্রকাশিত হয় ?
[ { "docid": "11117#0", "text": "দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি প্রণয়ধর্মী বাংলা উপন্যাস। \"দেবদাস\" শরৎচন্দ্রের প্রথমদিককার উপন্যাস। রচনার সমাপ্তিকাল সেপ্টেম্বর ১৯০০, কিন্তু প্রকাশনার বছর ১৯১৭। উপন্যাসটি নিয়ে শরৎচন্দ্রের দ্বিধা ছিল বলে দীর্ঘ ১৭ বছর প্রকাশ করা থেকে বিরত ছিলেন। উপন্যাসটি তিনি রচনা করেছিলেন মাতাল হয়ে এবং বন্ধু প্রমথনাথ ভট্টাচার্যকে ১৯১৩-তে লেখা এক চিঠিতে শরৎচন্দ্র লিখেছেন, 'ওই বইটা [\"দেবদাস\"] একেবারে মাতাল হইয়া বোতল খাইয়া লেখা।' ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান প্রধান ভাষায় উপন্যাসটি অনূদিত হয়েছে। পারুর জন্য দেবদাসের বিরহ উপজীব্য করে রচিত এই উপন্যাস অবলম্বনে ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯টি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। দেবদাস বিরহকাতর চিরায়ত প্রেমিকের ধ্রুপদি নিদর্শন হিসেবে গণ্য।", "title": "দেবদাস" }, { "docid": "2032#0", "text": "শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ - ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। তাঁর অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। \"বড়দিদি\" (১৯১৩), \"পল্লীসমাজ\" (১৯১৬), \"দেবদাস\" (১৯১৭), \"চরিত্রহীন\" (১৯১৭), \"শ্রীকান্ত\" (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (\"১৯১৮\"), \"গৃহদাহ\" (১৯২০), \"পথের দাবী\" (১৯২৬), \"পরিণীতা\" (১৯১৪), \"শেষ প্রশ্ন\" (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎচন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার দরুন তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত।", "title": "শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়" } ]
[ { "docid": "92839#14", "text": "অপরাজেয় কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস দেবদাস অবলম্বনে নির্মিত দেবদাস চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম এবং শাকিব খানের বিপরীতে \"পার্বতী\" চরিত্রে অভিনয় করেন অপু বিশ্বাস ও \"চন্দ্রমুখী\" চরিত্রে অভিন করেন মৌসুমী। চলচ্চিত্রটি একই পরিচালকের ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দেবদাস চলচ্চিত্রের পুনঃনির্মাণ। পিএ কাজল ভালবাসা আজকাল ছায়াছবিতে তিনি প্রথম মাহিয়া মাহীর বিপরীতে অভিনয় করেন। সাফি উদ্দীন সাফি পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ছায়াছবিতে তার সাথে অভিনয় করেন জয়া আহসান ও আরিফিন শুভ। এই ছায়াছবিতে তিনি দ্বিতীয়বার নেপথ্য শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দেন \"ও প্রিয় আমি তোমার হতে চাই\" গানে। ছায়াছবিটিতে জয় শিকদার চরিত্রে অভিনয় করে অর্জন করেন ২০১৪ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ দর্শক জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার।", "title": "শাকিব খান" }, { "docid": "470320#3", "text": "তার পরবর্তী চলচ্চিত্র \"দেবদাস\" ২০০২ সালে মুক্তি পায়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত \"একই নামের\" উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ খান, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন ও মাধুরী দীক্ষিত। এটি ২০০২ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ছিল। ছবিটি সেবছর সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতীয় নিবেদন ছিল। এটি শ্রেষ্ঠ হিতকর বিনোদন প্রদানকারী জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার, সেরা চলচ্চিত্রের জন্য স্ক্রিন পুরস্কার, এবং বনশালি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পরিচালক পুরস্কার, ও আইফা সেরা পরিচালক পুরস্কার লাভ করেন। \"দেবদাস\" টাইম ম্যাগাজিনের করা \"শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ১০ চলচ্চিত্র\" তালিকায় আটে অবস্থান করে।", "title": "সঞ্জয় লীলা বনশালি" }, { "docid": "595533#0", "text": "দেবদাস শক্তি সামন্ত পরিচালিত ২০০২ সালের বাংলা ভাষার ভারতীয় চলচ্চিত্র। ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিয়োগাত্মক উপন্যাস \"দেবদাস\" অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন শক্তিপদ রাজগুরু ও শক্তি সামন্ত। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পার্বতী চরিত্রে অর্পিতা পাল এবং চন্দ্রমুখী চরিত্রে ইন্দ্রানী হালদার।দেবদাস চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বাবুল বোস। গীত রচনা করেছেন মুকুল দত্ত। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আশা ভোসলে, বাবুল সুপ্রিয় ও কুমার শানু।", "title": "দেবদাস (২০০২-এর বাংলা চলচ্চিত্র)" }, { "docid": "269442#0", "text": "দেবদাস চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ১৯৮২ সালের বাংলাদেশী প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র। বাঙালি কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের \"দেবদাস\" উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়। এটি ছিল বাংলাদেশে \"দেবদাস\" উপন্যাসের প্রথম চলচ্চিত্রায়ণ। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন বুলবুল আহমেদ এবং অন্যতম দুটি চরিত্র পারু'র ভূমিকায় কবরী সারোয়ার ও চন্দ্রমুখী'র ভূমিকায় আনোয়ারা অভিনয় করেন।", "title": "দেবদাস (১৯৮২-এর চলচ্চিত্র)" }, { "docid": "11415#0", "text": "দুর্গেশনন্দিনী সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম উপন্যাস। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস। ১৮৬৫ সালের মার্চ মাসে এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। \"দুর্গেশনন্দিনী\" বঙ্কিমচন্দ্রের চব্বিশ থেকে ছাব্বিশ বছর বয়সের রচনা। এই উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলা কথাসাহিত্যের ধারায় এক নতুন যুগ প্রবর্তিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে উড়িষ্যার অধিকারকে কেন্দ্র করে মোঘল ও পাঠানের সংঘর্ষের পটভূমিতে এই উপন্যাস রচিত হয়। তবে এটিকে সম্পূর্ণরূপে ঐতিহাসিক উপন্যাস মনে করা হয় না। কোনো কোনো সমালোচক এই উপন্যাসে ওয়াল্টার স্কটের \"আইভানহো\" উপন্যাসের ছায়া লক্ষ্য করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশায় এই উপন্যাসের তেরোটি সংস্করণ প্রকাশিত হয় এবং ইংরেজি ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষাতেও এটি অনূদিত হয়।", "title": "দুর্গেশনন্দিনী" }, { "docid": "574369#3", "text": "১১ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কবিতা ‘গুরুবন্দনা’ প্রকাশ পায় তত্ত্বমঞ্জরী পত্রিকায়। প্রথম গল্প ‘টমি’ প্রকাশ পায় অর্চনা পত্রিকায় ১৯২২ সালে। জলধর সেন সম্পাদিত 'ভারতবর্ষ' মাসিক পত্রিকায় ১৩৩০ বঙ্গাব্দে তার প্রথম ধারাবাহিক উপন্যাস 'বিজিতা' প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা, হিন্দি ও মালায়লম ভাষায় যথাক্রমে ভাঙাগড়া, ভাবী ও কূলদেবম নামে চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। তার উপন্যাস পথের শেষে 'বাংলার মেয়ে' নামে নাট্য রূপায়িত ও সাফল্যের সাথে অভিনীত হয়েছে। বাঁশরী, সারথি, উপাসনা, উদ্বোধন, সম্মিলনী, মোহাম্মদী ইত্যাদি পত্রিকায় লেখালিখি করতেন। ব্রতচারিণী, মহিয়সী নারী, ধুলার ধরনী, রাঙা বৌ, ব্যাথিতা ধরিত্রী, বিধবার কথা ইত্যাদি তার রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। সাবিত্রী বিদ্যালয়ে কাজ করার সময়ে তার সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আলাপ হয়। কবি তাকে সাহিত্য রচনায় উৎসাহ প্রদান করেন। তার লেখায় সামাজিক মূল্যবোধ, সনাতন আদর্শের কথা ফুটে উঠতো। শিশুদের জন্যে রচিত ইন্টারন্যাশনাল সার্কাস, কৃষ্ণা সিরিজ ছিল জনপ্রিয়। বাংলা গোয়েন্দা কাহিনী সাহিত্যে তিনিই প্রথম মেয়ে গোয়েন্দা 'কৃষ্ণা'র সৃষ্টি করেন। তিনি কিছু গানও রচনা করেছেন। তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জামসেদপুরে নিখিল ভারত বঙ্গ-সাহিত্য সম্মেলনের পরিচালিকা ছিলেন।", "title": "প্রভাবতী দেবী সরস্বতী" }, { "docid": "11428#1", "text": "কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুর শহরের খঞ্জরপুর পল্লীতে তাঁর প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন। এই সময় তিনি বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস রচনা করেন, যেগুলি বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে থাকত। শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধু সাহিত্যিক সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় ভাগলপুর থেকে কলকাতা ফিরে যাওয়ার সময় শরৎচন্দ্রের অনুমতিতে সেই পাণ্ডুলিপিগুলি নিয়ে যান। পরে এই খাতাগুলি বিভূতিভূষণ ভট্টকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার সময় তিনি বড়দিদি উপন্যাসটি টুকে নিয়ে একটি কপি নিজের কাছে রাখেন। ১৩১৪ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসে ভারতী পত্রিকার সম্পাদিকা সরলা দেবী লাহোর থেকে কলকাতা ফিরে পত্রিকার ভার সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের ওপর অর্পণ করেন। তাঁর আগ্রহে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় সংখ্যায় তিন ভাগে বড়দিদি প্রকাশিত হয়। প্রথম দুই সংখ্যায় লেখক হিসেবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঊহ্য রাখা হলে এই লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কি না তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী হয়। আষাঢ় সংখ্যায় বড়দিদির লেখক হিসেবে শরৎচন্দ্রের নাম প্রকাশ করা হয়। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে যমুনা পত্রিকার সম্পাদক ফণীন্দ্রনাথ পাল শরৎচন্দ্রের নিষেধ সত্ত্বেও এই উপন্যাস পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন।", "title": "বড়দিদি" }, { "docid": "501393#4", "text": "শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দেবদাস উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে ১৯৩৫ সালে প্রমথেশ চন্দ্র বড়ুয়া অভিনীত ও তাঁরই নির্দেশনায় দেবদাস ছবিটি নির্মিত হয়। এই ছবিটি অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে।", "title": "নিউ থিয়েটার্স" } ]
মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ কতদিন ধরে চলেছিল ?
[ { "docid": "358359#0", "text": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ একটি পৌরাণিক যুদ্ধ মহাভারতে যার বর্ণনা আছে। একই পরিবার উদ্ভূত পাণ্ডব ও কৌরব শিবিরের মধ্যে। এই যুদ্ধের বাণী হলো ধর্মের জয় ও অধর্মের বিনাশ। পাণ্ডবরা ন্যায়, কর্তব্য ও ধর্মের পক্ষ। অন্যদিকে কৌরবরা অন্যায়, জোর-জবরধস্তি ও অধর্মের পক্ষ। কথিত আছে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ - ৬০০ অব্দে বর্তমান ভারতের হরিয়ানায় এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১৮দিন।", "title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ" }, { "docid": "628109#1", "text": "মহাভারত ইরাবানকে ১৮-দিনের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে (যা মহাকাব্যটির মুখ্য বিষয়) এক বীরোচিত মৃত্যুতে মরণাপন্ন অবস্থায় চিত্রিত করে। তবুও, দক্ষিণ ভারতীয় বিশ্বাসগুলিতে আরাবানের দেবী কালীকে প্রসন্ন করে তাঁর কৃপালাভ করার এবং যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয়লাভ করার জন্য আত্মবলিদানের সম্মানিত একটি বৈকল্পিক ঐতিহ্য রয়েছে। কত্তান্তবর সংস্কৃতিটি এই আত্মবলিদানের মান রাখতে আরাবানকে ভগবান কৃষ্ণ কর্তৃক অনুমোদিত তিনটি বরের একটিকে দর্শায়। আরাবান অনুরোধ করেছিলেন যে, তাঁর মৃত্যুর আগে তাঁকে বিবাহিত হতে হবে। কৃষ্ণ তাঁর নারীরূপ মোহিনীতে এই বরটি পূর্ণ করেন। তামিলনাড়ুর কুভাগাম-এ, এই ঘটনা একটি ১৮-দিনের উৎসবে পুনরাভিনীত হয়, প্রথমে আরাবানের সঙ্গে থিরুনাঙ্গাইদের ও পুরুষ গ্রামবাসীদের (যারা আরাবানের সঙ্গে সংকল্প গ্রহণ করেছেন) একটি আনুষ্ঠানিক বিবাহ দ্বারা, এবং তারপর আরাবানের বলিদানের আচারের পুনরাভিনয়ের পর তাদের বৈধব্য দ্বারা।", "title": "ইরাবান" } ]
[ { "docid": "4520#40", "text": "কুরুরাষ্ট্রে সামন্তপঞ্চকে কুরুক্ষেত্র নামে এক পুণ্যক্ষেত্রে মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়। পাণ্ডব ও কৌরবদের উদ্যোগে সমস্ত আর্যাবর্তের রাজ্যসমূহ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। কৃষ্ণ তথা দ্বারকার সাহায্য প্রার্থনায় অর্জুন ও দুর্যোধন উভয়েই একই সময়ে দ্বারকায় যান। কিন্তু কৃষ্ণের ভ্রাতা বলরাম যুদ্ধে অংশ না নিয়ে তীর্থযাত্রার সিদ্ধান্ত নেন। আর কৃষ্ণ উভয় দলের আবেদন রক্ষাহেতু অস্ত্রধারণ না করার প্রতিজ্ঞা করে পাণ্ডবদের পরামর্শদাতা রূপে নিজে পাণ্ডবপক্ষে যোগ দেন এবং কৌরবপক্ষে দ্বারকার দুর্জয় নারায়ণী সেনা দান করেন। আপাতদৃষ্টিতে এতে কৌরবপক্ষই লাভবান হলেও স্বয়ং ধর্মরক্ষক ভগবান বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণ নিজে পাণ্ডবপক্ষে থাকায় তারাই লাভবান হয়।", "title": "মহাভারত" }, { "docid": "4520#19", "text": "মহাভারতের মূল বৃত্তান্ত হল চন্দ্রবংশীয় দুই পরিবার পাণ্ডব ও কৌরব তথা ধর্ম ও অধর্ম পক্ষের মধ্যে মহাসংঘর্ষ। পঞ্চপাণ্ডব ও শতকৌরবের মধ্যে ভূমির অধিকার সম্পর্কিত যে যুদ্ধ হয়, তা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই মহাযুদ্ধের সময়কাল সম্পর্কে বিভিন্ন ভারতীয় ও পশ্চিমী গবেষকদের মত বিভিন্ন। যথা –                   এছাড়াও মহাভারতে \"কৃপাচার্য\", \"ঘটোৎকচ\", \"দ্রুপদ\", \"বলরাম\", \"বিরাট\", \"শান্তনু\" এবং অসংখ্য প্রধান-অপ্রধান চরিত্র রয়েছে।", "title": "মহাভারত" }, { "docid": "522411#0", "text": "কাইদু-কুবলাই যুদ্ধ চাগাতাই খানাতের খান কাইদু এবং ইউয়ান রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কুবলাই খান ও কুবলাইয়ের উত্তরসূরি তিমুর খানের মধ্যে সংঘটিত হয়। ১২৬৮ থেকে ১৩০১ সাল পর্যন্ত কয়েক দশক এই সংঘাত চলেছিল। মঙ্গোল গৃহযুদ্ধের পর এই যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় এবং ফলশ্রুতিতে সাম্রাজ্যে ভাঙ্গন ধরে। ১২৯৪ সালে কুবলাই খানের মৃত্যুর সময় নাগাদ মঙ্গোল সাম্রাজ্য চারটি পৃথক খানাতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এগুলি হল: উত্তরপশ্চিমের গোল্ডেন হোর্ড‌, মধ্যভাগের চাগাতাই খানাত, দক্ষিণপশ্চিমের ইলখানাত এবং পূর্বে চীনের ইউয়ান রাজবংশ তিমুর খান পরবর্তীতে পশ্চিমের খানাতসমূহের সাথে শান্তি স্থাপন করলেও ১৩০৪ সালে কাইদুর মৃত্যুর পর চারটি খানাত পৃথকভাবে নিজেদের পরিচালিত করেছে।", "title": "কাইদু-কুবলাই যুদ্ধ" }, { "docid": "358359#4", "text": "দ্বিতীয় দিন কৌরব পক্ষে সেনাপতি ছিলেন ভীষ্ম। পাণ্ডব পক্ষে ছিলেন ধৃষ্টদ্যুম্ন। এই দিনের যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভীষ্ম-অর্জুনের যুদ্ধ। প্রবল যুদ্ধের পরও কেউ জয়ী হতে সক্ষম হলেন না। এদিন ভীম কলিঙ্গরাজ শ্রুতায়ু, তাঁর পুত্র শত্রুদেব ও কেতুমান, ভানুমান, সত্য, সত্যদেব ও বিপুল সংখ্যক কলিঙ্গ সৈন্য হত্যা করেন। এরপরে ভীষ্ম ও ভীমের যুদ্ধ হয়। এ ছাড়া এদিনে অভিমন্যু, ধৃষ্টদ্যুম্ন ও অর্জুন অশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। এই দিন কৌরব পক্ষে ভীষ্ম ছাড়া আর কেউ তেমন বীরত্ব প্রদর্শন করতে পারেন নি।", "title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ" }, { "docid": "358359#3", "text": "প্রথম দিন কৌরব পক্ষে সেনাপতি ছিলেন ভীষ্ম। পাণ্ডব পক্ষে ছিলেন বিরাটরাজের পুত্র শ্বেত। এই দিনের যুদ্ধে পাণ্ডব পক্ষে ভীম ও কৌরব পক্ষে ভীষ্ম বীরত্ব প্রদর্শন করে পরস্পরের বহু সৈন্য হত্যা করেন। এই দিনের যুদ্ধে অর্জুন পুত্র অভিমন্যু অমিত বিক্রম প্রদর্শন করেন। ইনি একই সাথে ভীষ্ম, কৃতবর্মা, কৃপাচার্য ও শল্যের সাথে যুদ্ধ করেন। মদ্ররাজ শল্যের আক্রমণে বিরাটরাজের পুত্র উত্তর পরাজিত ও নিহত হন। এই মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বিরাটের অপর পুত্র শ্বেত ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য প্রবলভাবে যুদ্ধ শুরু করেন। অশেষ বীরত্ব প্রদর্শনের পর ভীষ্ম কর্তৃক ইনি নিহত হন।", "title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ" }, { "docid": "3289#11", "text": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভীষ্ম কৌরব সেনাবাহিনীর সেনাপতি নিয়োজিত হন। কর্ণ দ্রৌপদীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেছিলেন, এই অভিযোগে ভীষ্ম কর্ণকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধা দেন। আসলে তিনি কুন্তীর কন্যাবস্থায় পুত্রলাভের কথা জানতেন এবং চান নি কর্ণ আপন ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুক। যুদ্ধের দশম দিনে ভীষ্ম শরশয্যায় শায়িত হন।", "title": "কর্ণ (মহাভারত)" }, { "docid": "358359#6", "text": "চতুর্থ দিন কৌরব পক্ষে সেনাপতি ছিলেন ভীষ্ম। পাণ্ডব পক্ষে ছিলেন ধৃষ্টদ্যুম্ন। এই দিনে ধৃষ্টদ্যুম্ন শল্যপুত্র সাংযমনিধিকে হত্যা করেন। ভীমের অসীম বীরত্ব প্রদর্শনের কারণে কৌরব সৈন্যের একাংশ পলায়ন করে। পরে ভীষ্ম ভীমের গতিকে রোধ করতে সক্ষম হন। এরপর ভীমের সাথে দুর্যোধনের যুদ্ধ হয়। দুর্যোধনের শরাঘাতে ভীম সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে ভীম পুনরায় আক্রমণ করলে শল্য আহত হয়ে রণক্ষেত্র পরিত্যাগ করেন। এরপর ধৃতরাষ্ট্রের ১৪ জন পুত্র একসাথে আক্রমণ করলে- ভীম জলসন্ধ, সুষেণ, উগ্র, অশ্ব, কেতু, বীরবাহু, ভীম ও ভীমরথকে হত্যা করেন। ধৃতরাষ্ট্রের অন্যান্য পুত্ররা পরে পালিয়ে যায়।", "title": "কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ" }, { "docid": "3289#16", "text": "কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষে পান্ডবদের জয়ের পরেও\nমাতা কুন্তী কাঁদতে লাগলেন। তখন যুধিষ্ঠির কারণ জানতে চাইলে কুন্তি সবকিছু খুলে বলেন। সব শুনে পঞ্চপাণ্ডবও ভেঙে পড়েন। যুধিষ্ঠির বলেন, একথা আগে জানলে এ যুদ্ধই হত না!", "title": "কর্ণ (মহাভারত)" } ]
কোরআনে কী কদর শব্দটির উল্লেখ আছে ?
[ { "docid": "286608#6", "text": "মুসলমানদের কাছে কদরের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কোরআনের সুরা কদরে উল্লেখ আছে, হাজার মাস উপাসনায় যে পূন্য হয়, কদরের এক রাতের উপাসনা তার চেয়ে উত্তম। লাইলাতুল কদরের রাতে সৎ এবং ধার্মিক মুসলমানদের ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। লাইলাতুল কদরে মুসলিমরা আল্লাহর কাছে মাগফিরাত, নাজাত ও ক্ষমা পাওয়ার পরম সুযোগ লাভ করে। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে ইসলামের মহানবী বলেন,\n\"যে ব্যক্তি এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তাঁর পূর্বেকৃত সব গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন।\" (বুখারি)", "title": "শবে কদর" }, { "docid": "286608#0", "text": "শবে কদর () আরবিতে লাইলাতুল কদর। এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুন’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হলো—ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এ রাতে ইসলামের মহানবী, মুহাম্মদের অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। কুরানের বর্ননা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী \"লাইলাতুল কদর\" মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে তারা বিশ্বাস করে।\n৬১০ সালে শবে কদরের রাতে মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত ইসলামের ধর্মের মহানবী, হযরত মুহাম্মদের সঃ নিকট সর্বপ্রথম কোরআন নাজিল হয়। কোন কোন মুসলমানের ধারণা তার নিকট প্রথম সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়। অনেকের মতে এ রাতে ফেরেশতা জীবরাইল এর নিকট সম্পূর্ন কোরআন অবতীর্ন হয় যা পরবর্তিতে ২৩ বছর ধরে ইসলামের নবী মুহাম্মদের নিকট তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে নাজিল করা হয়।", "title": "শবে কদর" }, { "docid": "641620#0", "text": "কদর () শব্দের আভিধানিক অর্থ পরিমাপ করা, কোনো বস্তু উপযোগিতা অনুসারে পরিমিতরূপে তৈরি করা। এছাড়া শরীআতের পরিভাষায় ‘কদার’ শব্দটি মহান আল্লাহর তাকদীর তথা বিধিলিপির অর্থেও ব্যবহৃত হয়।\nঅর্থাৎ কদর হল স্বর্গীয় নিয়তি বা ভাগ্য। এটি ইসলামের ঈমানের ছয়টি বিশ্বাসের একটি, বাকিগুলো হচ্ছে তাওহিদ, আসমানী কিতাবসমূহে বিশ্বাস, ইসলামের নবীদের উপর বিশ্বাস, মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস এবং ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস। এই ধারণাটি কুরআনের মধ্যে উল্লেখ করা হয় আল্লাহর “ফরমান” হিসাবে।", "title": "কদর" }, { "docid": "286608#1", "text": "মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই রাত সর্ম্পকে হাদিস শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। এমনকি মুসলমানদের প্রধান ধর্মী গ্রন্থ আল কোরআনে সূরা ক্বদর নামে স্বতন্ত্র একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। এই সুরায় শবে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।", "title": "শবে কদর" }, { "docid": "17957#1", "text": "এই বিশেষ রাতের ব্যাপারে কুরআনে সরাসরি কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। অবশ্য কেউ কেউ সূরা আদ-দুখান এর ৩ নং আয়াতে উল্লেখিত বরকতময় রাতকে শবে বরাত হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। অন্যরা বরকতময় রাত দ্বারা শবে কদরকে বুঝানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।\nসিহাহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিসগ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। হাদিসগুলোর সনদ বিভিন্ন মানের এবং এবিষয়ে মতভেদ বিদ্যমান। হাদিস শাস্ত্রে 'শবে বরাত' বলতে যে পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা হলো \"লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান\" তথা \"শা'বান মাসের মধ্য রজনী\"। একটি হাদীসে বলা হয়েছে,", "title": "শবে বরাত" } ]
[ { "docid": "64227#4", "text": "(১) এখানে বলা হয়েছে, আমি কদরের রাতে কোরআন নাযিল করেছি আবার সূরা বাকারায় বলা হয়েছে, এ থেকে জানা যায়, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) কাছে হেরা গূহায় যে রাতে আল্লাহর ফেরেশতা অহী নিয়ে এসেছিলেন সেটি রমযান মাসের একটি রাত। এই রাতকে এখানে কদরের রাত বলা হয়েছে। সূরা আদ-দোখানে একে মুবারক রাত বলা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ এই রাতে কোরআন নাযিল করার দুটি অর্থ হতে পারে। প্রথম অর্থ হচ্ছে, এই রাতে সমগ্র কোরআন ওহীর ধারক ফেরেশতাদেরকে দিয়ে দেয়া হয়। অতপর অবস্থা ও ঘটনাবলী অনুযায়ী তেইশ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহর হুকুমে তার আয়াত ও সূরাগুলি রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর ওপর নাযিল করতে থাকেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ অর্থটি বর্ণনা করেছেন। দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, এই রাত থেকেই কোরআন নাযিলের সূচনা হয়। এটি ইমাম শা'বীর উক্তি। এটি একটি অভ্রান্ত সত্য, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর এবং তঁর ইসলামী দাওয়াতের জন্য কোনো ঘটনা বা ব্যাপারে সঠিক নির্দেশ লাভের প্রয়োজন দেখা দিলে তখনই আল্লাহ কোরআনের সূরা ও আয়াতগুলি রচনা করতেন না। বরং সমগ্র বিশ্ব জাহানের সৃষ্টির পূর্বে অনাদিকালে মহান আল্লাহ পৃথিবতে মানব জাতির সৃষ্টি, তাদের মধ্যে নবী প্রেরণ, নবীদের ওপর কিতাব নাযিল, সব নবীর পরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-কে পাঠানো এবং তাঁর প্রতি কোরআন নাযিল করার সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছিলেন। কদরের রাতে কেবলমাত্র এই পরিকল্পনার শেষ অংশের বাস্তবায়ন শুরু হয়।", "title": "সূরা ক্বদর" }, { "docid": "64227#5", "text": "কোনো কোনো তাফসীরকার কদরকে তকদীর অর্থে গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ এই রাতে আল্লাহ তকদীরের ফায়সালা জারী করার জন্য তা ফেরেশতাদের হাতে তুলে দেন। সূরা দুখানের এ আয়াতটি এই বক্তব্য সমর্থন করেঃ অন্যদিকে ইমাম যুহরী বলেন, কদর অর্থ হচ্ছে শ্রেষ্টত্ব ও মর্যাদা। অর্থাৎ এটি অত্যন্ত মর্যাদাশালী রাত। এই অর্থ সমর্থন করে এই সূরার এ আয়াতটি এ ব্যাপারে ব্যাপক মতবিরোধ দেখা যায়। এ সম্পর্কে প্রায় ৪০টি মতের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে আলেম সমাজের সংখ্যাগুরু অংশের মতে রমযানের শেষ দশ তারিখের কোনো একটি বেজোড় রাত হচ্ছে এই কদরের রাত। আবার তাদের মধ্যেও বেশীরভাগ লোকের মত হচ্ছে সেটি সাতাশ তারিখের রাত। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বলেনঃ সেটি সাতাশের বা উনত্রিশের রাত (আবু দাউদ)। হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেনঃ কদরের রাতকে রমযানের শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলির মধ্যে তালাশ করো।", "title": "সূরা ক্বদর" }, { "docid": "546496#23", "text": "মুহাম্মদ (সা) বিদায় হজ্জ এর ভাষণে বলেন, আমি তোমাদের জন্য দুইটি ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি; এই দুইটি হল, আল্লাহর কিতাব-ও সুন্নতে রাসূল। একদল আলেম মনে করেন, যেহেতু কিতাব বলতে মুখস্ত কোন কিছু বা বিচ্ছিন্ন ভাবে লিখিত কোন লিখাকে বুঝায় না, তাই নবীর জীবদ্দশায় কোরআন মাজিদ বই আকারে সংকলিত হয়। আবার, কিছু সংখ্যক আলেম মনে করেন, কুরআন লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কিতাবে (মাকতাবে) যা সংগৃহিত ছিল এবং যা সাহাবিগণ লিখে রেখেছিলেন। কুরআনের সবটুকু তখন ঠিক ছিল তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছিল না। কারণ তখন ওহী অব্যাহত ছিল। কেবল মাত্র নবি (স) এর মুখস্থ করা আয়াতই ছিল সর্বাধিক সত্য।", "title": "কুরআনের ইতিহাস" }, { "docid": "641620#2", "text": "আকীদার মূল বিশ্বাসের একটি হচ্ছে কদর। কিছু মুসলিম বিশ্বাস করে যে ঐশ্বরিক ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে যখন সৃষ্টিকর্তা \"সংরক্ষিত ফলক\" (\"আল-লাওহ আল-মাহফুজ\") করেছেন, যা কিছু ঘটেছে এবং যা কিছু ঘটবে, তা সবকিছুই লিখা আছে। এই বিশ্বাসনুযায়ী, একজন লোক কোন কাজকর্ম করে সেই ফলকের লিখানুযায়ী নয়, বরং সেটা সেখানে লিখা আছে কারণ সৃষ্টিকর্তা সময়ের কোন বাধ্যবাধকতা ছাড়া সকল কর্মসমূহ সম্পর্কে জানেন। অন্যদিকে কার্যকারণসম্বন্ধীয় সম্পর্ক কদরের অংশ, কারণ মানুষের কর্ম প্রভাব ফেলে যা “\"মুছা এবং বিবৃত করা ফলকে\"”(\"লাওহে মাহফুজ\")। বাক্যটির প্রতিফলন মুসলিম মতবাদনুযায়ী যে আল্লাহ একজন লোকের জীবনের সবকিছু পরিমাপ করেছেন, তাদের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য, এবং তাদের চেষ্ঠার ফলও। আবার আল্লাহ কাউকে জোর করার প্রয়োজন পড়ে না ভাল বা খারাপ কিছু করার জন্য তার ইচ্ছার উপর বাধা দিয়ে এবং কেউ বলতে পারবে না যে আল্লাহ তা করেছেন। ভবিষ্যৎ এর উপর যখন নির্দেশ করা হয়, \nআল-কুরআন অনুযায়ী, কিছু লোক নরকে যাবে কারণ তারা খারাপ কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং বাকিরা স্বর্গে যাবে কারণ তাদের ভাল কাজের ফলাফল। এমনকি আল্লাহ তাদেরকে সত্যের পথপ্রদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেন তারপরও তারা বিশ্বাস করতে প্রত্যাখান করবেঃ", "title": "কদর" }, { "docid": "558197#154", "text": "অভিযোগের প্রত্যুত্তরে, মুসলিম মনীষীগণ আরবি অভিধানের সহায়ত নিয়েছেন। তাদের ব্যাখ্যা অনুসারে, মূলত কুরআন চিন্তাশক্তির জন্য যে শব্দটির কথা বলেছে সেটি হলোঃ 'ক্বালব'। একই ধরনের কার্যাবলি ব্যাখ্যার জন্য কুরআন অন্যত্র বিভিন্ন আয়াতে 'সদর' শব্দটি ব্যবহার করেছে। কুরআনের আয়াতসমূহের সর্বোত্তম ব্যাখ্যা হিসেবে মুসলিমগণের মাঝে স্বীকৃত পদ্ধতি হলো কুরআনকে কুরআন দ্বারা ব্যাখ্যা করা। অর্থাৎ, কুরআনের একটী আয়াতকে অন্য আয়াতের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা। ফলে, মুসলিম তাফসীরকারকগণের কাছে এটি সুস্পষ্ট যে, 'ক্বালব' এর অর্থ 'সদর'। আর আরবিতে 'সদর' শব্দের অর্থ বক্ক, বুক, হৃদয়, অন্তর, কেন্দ্র, প্রধান ইত্যাদি।", "title": "কুরআনের সমালোচনা ও খণ্ডন" } ]
ডিজিটাল মুদ্রার ধারণা প্রথম কে প্রদান করেন ?
[ { "docid": "624370#3", "text": "১৯৮৩ সালে ডেভিড চৌম তার গবেষণা পত্রে ডিজিটাল মুদ্রার ধারণা দিয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি ডিজিক্যাশ (DigiCash) একটি ইলেকট্রনিক নগদ সংস্থা (ক্যাশ কোম্পানি) প্রতিষ্ঠা করেন। আমস্টারডামে তার গবেষণার বাণিজ্যিক বিকাশ ঘটানোর জন্য তিনি এটি করেন।", "title": "ডিজিটাল মুদ্রা" } ]
[ { "docid": "624370#5", "text": "ডিজিটাল মুদ্রার উৎপত্তি হয় ১৯৯০-এর দশকে ডট-কম বাবল-এ। ১৯৯৬ সালে প্রথম দিকের অন্যতম ই-গোল্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা স্বর্ণ সমর্থিত ছিল। আরেকটি পরিচিত ডিজিটাল মুদ্রা পরিষেবা ছিল লিবার্টি রিজার্ভ, যা ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; এটি ব্যবহারকারীদের ডলার বা ইউরো লিবার্টি রিজার্ভ বা ইউরো রূপান্তর করতে দিত। এই অবাধে বিনিময় এর জন্য সেখানে ১% ফি নির্ধারিত ছিল। উভয় সেবাই কেন্দ্রের হাতে ছিল, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য নামকরা ছিল, এবং অবধারিতভাবে মার্কিন সরকার এটি বন্ধ করে দেয়। ২০০৫ সালের শুরুর দিকে কিউ (Q) কয়েন বা কিউকিউ কয়েন পণ্য ভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে টেনসেন্ট কিউকিউ-এর বার্তা প্রেরণ প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হতো। কিউ কয়েন চীনে এতটাই কার্যকর হয়েছিল যে সেটি চীনা ইউয়ান মুদ্রা ব্যবস্থায় অস্থিতিশীতা এনেছিল। ২০০৮ সালে বিট কয়েন আসার পরে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিপটোকারেন্সির প্রতি সবার আগ্রহ নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি সবচেয়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এবং গ্রহনযোগ্য ডিজিটাল মুদ্রা হয়ে উঠছে।", "title": "ডিজিটাল মুদ্রা" }, { "docid": "3220#24", "text": "কোপার্নিকাস তার আদর্শ, চিন্তা-ভাবনা, কাজের একটি সারাংশ তৈরী করেন যা তার বন্ধুরা সহজেই পড়তে ও জ্ঞান অর্জন করতে পারে। ১৫১৪ সালে তিনি এই হেলিওসেন্ট্রিকের প্রাথমিক ধারণা দেন। এর মধ্যে ৭ টি ধারণা ছিলো। তিনি পরবর্তিতে আরও কাজ করেন এবং তথ্য ও ডাটা সংগ্রহ করেন। ১৫৩২ সালে তিনি তার “দি রিভিউলিসানবাস ওরবিয়া কেলেসটিয়াম” এর কাজ শেষ করেন। তার কাছের বন্ধুদের আপত্তি থাকা স্বত্তেও তিনি তার বইটি সবার জন্য উম্মুক্ত করতে চান। ১৫৩৩ সালে জন আলবার্ট ইউডমান্সটার রোমে কোপার্নিকাস ত্বত্তের ধারাবাহিক বক্তব্য দেন। পোপ ক্লেমেন(সপ্তম) এবং ক্যাথোলিক কার্ডিনাল এতে খুশী হন এবং এই ত্বত্তের উপর আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৫৩৩ সালের ১ নভেম্বর কার্ডিনাল নিকোলাস রোম থেকে কোপার্নিকাসের নিকট একটি চিঠি প্রদান করেন- \n“কয়েক বছর আগে আমি আপনার কাজ সম্পর্কে অবগত হয়েছি। সে সময় থেকেই আমি অনেক দুঃখ পেয়েছি কারণ আমি জেনেছি আপনি অন্যসব প্রাচীন জ্যোতির্বিদদের মতো নন। আপনি ভিন্ন কিছু করছেন, নতুন কিছু করছেন। আপনি বলেছেন পৃথিবী ঘুরছে সূর্যের চারিদিকে যা মহাবিশ্বের কেন্দ্র। আমি আপনার কাছ থেকে এসব শিখেছি জনাব। যদি আপনার অসুবিধা না হয় তাহলে আপনার এই আবিষ্কারগুলো জ্যোতির্বিদদের কাছে পাঠান এবং আপনার লেখাগুলো একত্র করে আমার কাছে পাঠান। এরপরই ইউরোপের শিক্ষিত লোকের কাছে কোপার্নিকাসের কাজ পৌছুতে থাকে। কোপার্নিকাসে এরপরও তার বইটি প্রকাশ করতে দেরী করেন। তার অন্যতম কারণ ছিলো তিনি তৎকালীন সমাজের অবস্থা সম্পর্কে ভীত ছিলেন। বিদ্বান, পন্ডিত লোকেরা কোপার্নিকাসের দর্শন ও জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে ভিন্ন মত পোষন করেন এবং তিনি ধর্মীয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন।", "title": "নিকোলাউস কোপের্নিকুস" }, { "docid": "456629#3", "text": "প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সৈন্যদের সিনথেটিক ওষুধ দেয়া হয়। পাইরিমিথামাইন এবং ড্যাপ্সোন এর মিশ্রণ, পাইরিমিথামাইন এবং সালফাডক্সাইন এর মিশ্রণ, এবং সালফাডক্সাইন আর পাইপারএকুইন ফসফেটের মিশ্রণ যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এই ওষুধগুলো খুব বাজে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারপর মূল লক্ষ্য হয়ে দাড়ায় প্রথাগত চীনা ভেষজ পরীক্ষা করে নতুন যৌগ আবিষ্কার করা। প্রথম আগ্রহের বিষয় ছিল চ্যাংশ্যাং, যা সম্পর্কে বর্ণনা ছিল প্রাচীনতম মেটারিয়া মেডিকায়(চিকিৎসা সংক্রান্ত গ্রন্থ) যার নাম “ক্যানন অফ দ্যা ডিভাইন হাসব্যান্ডম্যান’স মেটারিয়া মেডিকা”। এটি \"ডাইক্রোয়া ফেব্রিফুগা\" উদ্ভিদের মূলের নির্যাস। একেবারে প্রথম দিকে পরীক্ষিত গাছগুলোর মধ্যে ছিল “হুয়াংঘুয়াহাও” (সুইট ওয়ার্মউড অথবা বৈজ্ঞানিক নাম \"আর্টেমিসিয়া আন্যুয়া\") । এই দুইটি ভেষজ উদ্ভিদ আধুনিক ফার্মাকোলজিতে ব্যাপক সাফল্য আনে।", "title": "প্রজেক্ট ৫২৩" }, { "docid": "624370#12", "text": "২০১২ সালে ভার্চুয়াল মুদ্রাকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংজ্ঞায়িত করে এভাবে, \"এটি এক প্রকার অনিয়মিত, ডিজিটাল মুদ্রা, যা জারি করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে এর ডেভেলপাররা এবং একটি নির্দিষ্ট ভার্চুয়াল সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে ব্যবহৃত এবং গৃহীত হয়\"। ২০১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এটিকে আরও সংক্ষিপ্তভাবে সংজ্ঞায়িত করে এভাবে, \"একটি বিনিময় মাধ্যম যা কিছু ক্ষেত্রে একটি মুদ্রার মত কাজ করে, কিন্তু প্রকৃত মুদ্রার সব বৈশিষ্ট্য নেই\"। ভার্চুয়াল মুদ্রার আসল বৈশিস্ট্য এই সংজ্ঞাগুলো দিয়ে প্রকাশ পায় না, এগুলো আইনি মূল্যবেদনের মত।", "title": "ডিজিটাল মুদ্রা" }, { "docid": "624370#4", "text": "১৯৯৭ সালে, কোকা-কোলা মোবাইল পেমেন্টের মাধ্যমে ভেন্ডিং মেশিন থেকে ক্রয়ের ব্যবস্থা করে। এরপরে ১৯৯৮ সালে পেপ্যাল এর উদ্ভব হয়। ২০০৮ সালে বিটকয়েন চালু হয়, যা ডিজিটাল মুদ্রার শুরু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।", "title": "ডিজিটাল মুদ্রা" }, { "docid": "633888#4", "text": "প্রথম ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে নিরাপদ ব্লকের শিকলের দ্বারা সম্পাদিত লেনদেন বর্ণনা করেন স্টাউট হেবার এবং ডব্লিও. স্কট স্টোরন্নিটা ১৯৯১ সালে|১৯৯২ সালে বেয়ার,হেবার এবং স্টোরন্নিটা পদ্ধতিগতভাবে মার্কেল শাখাকে নকশায় পরিণত করে যা এর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে একাধিক নথি একটি ব্লকে স্থান দিতে সমর্থ হয়|২০০২ সালে ড্যানিয়েল শাসা ও ডেভিট মাজিরিস একটি নেটওয়ার্ক ফাইল ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন যা কেন্দ্রীয়কতাবিহীন নিরাপত্তা দেয়|\nলেখকরা অন্য লেখকদের বিশ্বাস করলেও নেটওয়ার্ককে করে না|তারা ফাইল লেনদেনের জন্য অদ্বিতীয় স্বাক্ষর ব্যবহার করে|এই স্বাক্ষর চেইন ফাইল ব্যবস্থার মূল অংশ ধরে ফেলে(যা হলো মূলত মার্কেল শাখা)|এই প্রক্রিয়ায় একটি প্রধান শিকল চিহ্নিত করা যেতে পারে যেখানে সকল অন্তর্ভুক্ত সেবাগ্রাহক লিখতে পারে এবং যে ব্যবহারকারী একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক ধাঁধাঁ সমাধান করতে পারে সে ব্লক দেখতে পারে|২০০৫ সালে নিক জ্যাবো কেন্দ্রিকতাবিহীন শিরনামের জন্য একটি ব্লকচেইন অনুরূপ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন যা কেন্দ্রিকতাবিহীন|তাছাড়া,তিনি তার লেনদেন ব্যবস্থা যা বিটগোল্ড নামে খ্যাত তার জন্যও তৈরি করেন এবং এ ব্যবস্থায় শিকলে আবদ্ধ কার্যপ্রকৃতি ও কার্যকাল ব্যবহৃত হয়|যাহোক,জ্যাবোর দ্বৈত খরচ নিরপেক্ষ নিরাপদ ব্যবস্থা সাইবিল আক্রমণ থেকে নিরাপদ ছিল না| \n২০০৮ সালে প্রথম ব্লকচেইন প্রসঙ্গায়িত হয় একজন ব্যক্তি বা একদল ব্যক্তি দ্বারা যিনি অথবা যারা সাতশি নাকামতো হিসেবে পরিচিত|ঐ একই বছর নাকামতো দ্বারা এটি বিটকয়েন-এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কার্যকর হয় যেখানে এটি সাধারণ তথ্যভান্ডার হিসেবে নেটওয়ার্কের সব লেনদেনের সেবা প্রদান করে|\nতাই ব্লকচেইন ও বিটকয়েন ব্যবহার প্রথম ডিজিটাল অর্থ সৃষ্টি করে যা দ্বৈত খরচ সমস্যা মোকাবিলা করে কোনো বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া এবং অনুরূপ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি সৃষ্টির জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে ভূমিকা রাখে|\n২০১৪ সালের আগস্টে বিটকয়েন ব্লকচেইন পরিধি ২০ জিবি(গিগাবাইট) হয়ে যায় নেটওয়ার্কের সব লেনদেন ধারণ করে|২০১৫ এর জানুয়ারীতে এই পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩০ জিবি হয়ে যায়|আবার,২০১৫ জানুয়ারী থেকে ১৭'র জানুয়ারী পর্যন্ত বিটকয়েনের ব্লকচেইন ৫০ থেকে ১০০ জিবি হয়ে যায়|যদিও সাতশি নাকামতোর মূল নথিতে ব্লক ও চেইন পৃথক শব্দ,ঘটনাক্রমে ২০১৬ এর মধ্যে এটি ব্লকচেইন নামক একক শব্দ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়|ব্লকচেইন ২.০ একটি নতুন ব্যবস্থা নির্দেশ করে বিভাজিত ব্লকচেইন ডাটাবেস-এর|এটি প্রথম শুরু হয় ২০১৪ তে|অর্থনীতিবিদগণ ব্যখ্যা করেন যে এই দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রোগ্রামিং উপযোগী ব্লকচেইন এমন প্রোগ্রামিং ভাষা নিয়ে আসছে যা ব্যবহারকারীদের আরো জটিল ও কার্যকর চুক্তি তৈরি করতে সুযোগ দিবে যেন আহ্বান বা অনুরোধ করলেই তাদের অর্থপ্রাপ্তি ঘটে অথবা সনদ স্থানান্তর ঘটে যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মালিকদের মধ্যে অর্থবন্টন হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ সীমায় পৌঁছলে| \nব্লকচেইন ২.০ এর প্রযুক্তিগুলো সাধারণ লেনদেনের তুলনায় বেশিকিছু করে এবং মূল্য বা ডিজিটাল অর্থের লেনদেন কোনো প্রকার শক্তিশালী মধ্যবর্তী মাধ্যম ব্যতীত হয় যার জন্য তথ্য ও অর্থপ্রদানের প্রয়োজন পড়ে না|এর বহি:ভূত ব্যক্তিবর্গের বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রবেশের জন্য মধ্যবর্তী শক্তিশালী মাধ্যম প্রয়োজন হয় যার ওপর অংশগ্রহণকারীর নিরাপত্তাসহ নিজের রক্ষিত তথ্য দেখা থেকে মেধা সম্পদ এর নিরাপত্তা পর্যন্ত বহু বিষয় নির্ভর করে|দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্লকচেইন প্রযুক্তি একক ব্যক্তির আধুনিক অদ্বিতীয় পরিচয় ও তথ্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়টি বাস্তবায়িত করে এবং একটি নিরাপদ পথের সৃষ্টি করে যেন অর্থনৈতিক বন্টনের আপেক্ষিক পরিবর্তন করে সামাজিক অসমতার সমস্যা দূরীভূত হয়|ব্লকচেইন ২.০-এর কাজ ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি চেইনবহির্ভূত ওরাকল দরকার হয় যা বহিভূত লেনদেন বাস্তবায়ন করে যেন সময় ও বাজারের অবস্থা অনুযায়ী অর্থের সাথে ব্লকচেইনের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সির সংমিশ্রণ ঘটানো যায়|২০১৬ সালে রাশিয়ান ফেডারেশনের (এনএসডি) কেন্দ্রীয় সুরক্ষা ভান্ডার একটি পথপ্রদর্শক পরিকল্পনা ঘোষণা দেয় যা (এনএক্সটি) ব্লকচেইন ২.০ ব্যবস্থার \nওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে যা ব্লকচেইন ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ভোট ব্যবস্থা নিরীক্ষণ করবে|আইবিএম সিঙ্গাপুরে একটি ব্লকচেইন সম্পৃক্ত গবেষণাকেন্দ্র খোলে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে|অ্যাসেন্সার অনুযায়ী,আবিষ্কারের তথ্য প্রসারণ তত্ত্বের মাধ্যমে পরামর্শ করা হয়েছে যে,২০১৬ সালের অর্থসংক্রান্ত সেবামূলত প্রতিষ্ঠানে বিটকয়েনের লেনদেন ১৩.৫ শতাংশ যা পূর্ববর্তী বিভিন্ন ধরনের মুদ্রার লেনদেনের প্রাধমিক পর্যায়ে চলে গেছে|২০১৬ সালে কারখানা ও বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো একত্রিত হয় বৈশ্বিক ব্লকচেইন ফোরাম গঠনের উদ্দেশ্যে যার সূচনা করে চেম্বার অব ডিজিটাল কমার্স|", "title": "ব্লকচেইন" }, { "docid": "624370#30", "text": "ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রিয় ব্যাংক) এর প্রধান অর্থনীতিবিদ, কাগজ মুদ্রা বিলোপের প্রস্তাব দিয়েছেন। ব্যাংকটি বিটকয়েনেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ২০১৬ সালে এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারিকৃত ডিজিটাল মুদ্রার প্রভাব অন্বেষণ একটি দীর্ঘ গবেষণা কার্যক্রম চালু করেছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর উপরে বিভিন্ন গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। একটি প্রস্তাব এইরকম যে, ডিজিটাল মুদ্রা একটি বিতরণ খাতে জারির ফলে যে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে তা একটি দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদন ৩ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ব্যাংক জানিয়েছে যে তারা বিতরণ খতিয়ানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে ব্যাংকের মূল সফটওয়্যার অবকাঠামোটির পরবর্তী সংস্করণ চায়।", "title": "ডিজিটাল মুদ্রা" }, { "docid": "390799#1", "text": "ম্যাক্মুলান ছিলেন প্রথম যিনি এস.ই.এমের ধারণা বিজ্ঞানমহলে আনেন। যদিও ম্যাক্স নল তার আগে ইলেকট্রন রশ্মির দ্বারা ৫০ মি.মি প্রস্থের ফিল্ডে কন্ট্রাস্ট ছবি তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু প্রথম একটি যথাযত এস.ই.এমের ধারণায় মাইক্রোস্কোপ বানান মান ভন আরডেন ১৯৩৭ সালে। আরডেন শুধু এস.ই.এমের ধারণাই লাগাননি তার সাথে তিনি ক্রোমাটিক অ্যাবারেশন বেছে তা বর্জন করতে পেরেছিলেন। বর্ণীয় অ্যাবারেশন সাধারণ ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে দেখা যায়। এরপরের যত উন্নতি হয়েছে তা সম্ভব হয়েছে চার্লস ওটলি ও জরোন্সকি নামক দুজনের প্রচেষ্টায়। এবং ১৯৬৫ এ প্রথম এস.ই.এম \"স্টিরিওস্ক্যান\" নামে বাজারে আসে।", "title": "স্ক্যানিং ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ" }, { "docid": "24051#6", "text": "সেন্ট জাগোর উপকূলে তাদের প্রথম যাত্রাবিরতিকালে ডারউইন আবিষ্কার করেন আগ্নেয় শিলার উঁচু চূড়ার সাদা একটি অংশে ঝিনুক রয়েছে। ফিটজরয় তাকে চার্লস লায়েলের \"প্রিন্সিপালস অফ জিওলজি\"র প্রথম খণ্ডটি দিয়েছিলেন যাতে ইউনিফির্মিটারিয়ানিজম প্রক্রিয়ায় বহু বছর ধরে ভূমির ধীরে ধীরে উঁচু হওয়া অথবা নিচু হয়ে হারিয়ে যাবার প্রক্রিয়ার উল্লেখ আছে। ডারউইন লায়েলের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন, ভূতত্ত্বের উপর একটি বই লেখার জন্যে চিন্তাভাবনা ও তত্ত্ব তৈরি করতে শুরু করেন।\nব্রাজিলে গিয়ে ডারউইন নিরক্ষীয় বনভূমি দেখে মুগ্ধ হন, কিন্তু সেখানকার দাসপ্রথা তাকে ব্যথিত করে।\nপাতাগোনিয়ার পুনটা আলটায় পাহাড়চূড়ায় তিনি বিশাল সব বিলুপ্ত স্তন্যপায়ীর ফসিল আবিষ্কার করেন, পাশাপাশি তিনি আধুনিক সামুদ্রিক শামুকেরও দেখা পান, সে থেকে তিনি বুঝতে পারেন এ সব প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, বহুকাল পূর্বে কোনো মহাপ্লাবন বা অকস্মাৎ বিপর্যয়ের ফলে নয়। তিনি স্বল্প পরিচিত \"মেগাথেরিয়াম\" আবিষ্কার করেন, যার গায়ের অস্থিময় বর্ম দেখে তিনি প্রথমটায় স্থানীয় আর্মাডিলোর দানবাকার সংস্করণ ভেবেছিলেন। ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর তার এসব আবিষ্কার রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও আরো ফসিলে অনুসন্ধান করতে তিনি স্থানীয় মানুষদের সাথে আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। তিনি লায়েলের দ্বিতীয় ভল্যুমটি পড়েছিলেন এবং তার প্রজাতির \"সৃষ্টির কেন্দ্র\" ধারণাটি মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু তার সংগৃহীত নমুনা এবং তাদের ব্যাখ্যা লায়েলের মসৃণ অবিচ্ছিনতা এবং প্রজাতির বিলুপ্তির ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে।", "title": "চার্লস ডারউইন" } ]
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে এলএনজি ব্যবহারে কি দূষণ কম হয় ?
[ { "docid": "205150#1", "text": "এলএনজি আলাদা কোন জ্বালানি নয়, আদতে এটি প্রাকৃতিক গ্যাসেরই তরল রূপ। প্রাকৃতিক গ্যাস সাধারণ চাপ ও তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। শীতলকরণ (refrigeration) প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের তাপমাত্রা কমিয়ে -১৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে আনলে গ্যাস তরলে পরিণত হয়। এই তরল প্রাকৃতিক গ্যাসকেই এলএনজি বলা হয়। পরিবহনের সুবিধার্থে এক বায়ুমন্ডলীয় চাপে এলএনজি তৈরি করা হয়। এলএনজির প্রধান উপাদান হচ্ছে মিথেন। প্রাকৃতিক গ্যাসকে এলএনজিতে রূপান্তরিত করার সময় মিথেন বাদে অন্যান্য অনাকাংক্ষিত উপাদান যেমন ধূলিকণা, এসিড গ্যাস, হিলিয়াম, পানি, অপেক্ষাকৃত ভারী হাইড্রোকার্বন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি দূর করা হয়, যার কারণে অন্য অনেক জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে এলএনজি ব্যবহারে দূষণ কম হয়।", "title": "তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস" }, { "docid": "205150#5", "text": "পাইপলাইনে বিপণনের পূর্বে এলএনজিকে পুনরায় গ্যাসে পরিণত করা হয়। গ্যাস চালিত যান চালাতে এলএনজি ব্যবহার করা যেতে পারে, যদিও সাধারণত সিএনজি দিয়ে চালানোর জন্যই এদের নকশা করা হয়। এলএনজির শক্তি ঘনত্ব গ্যাসোলিন ও ডিজেলের কাছাকাছি এবং এর দূষণের মাত্রা অনেক কম হলেও বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যবহার সীমিত। প্রথম কারণ, এর উৎপাদন ও পরিবহন খরচ অনেক বেশি। উৎপাদন ও পরিবহন খরচ এলএনজির মোট দামের ৮৫% পর্যন্ত হতে পারে। উপরন্তু, এলএনজি সংরক্ষণের জন্য ব্যয়বহুল ক্রায়োজেনিক (শূন্যের অনেক নিচের তাপমাত্রা) ট্যাংকের প্রয়োজন।", "title": "তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস" } ]
[ { "docid": "205150#2", "text": "এলএনজির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, যখন প্রাকৃতিক গ্যাসকে সাধারণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে তরল করে ফেলা হয় তখন এর আয়তন কমে যায় প্রায় ৬০০ গুন। অর্থাৎ ৬০০ লিটার গ্যাসকে এলএনজিতে রূপান্তরিত করে মাত্র এক লিটারের ছোট্ট একটা বোতলে ভরে ফেলা যায়। এ জন্যই এলএনজি জাহাজে পরিবহন করা সুবিধাজনক। একসাথে অনেক বেশি জ্বালানি পরিবহন করা যায় পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্তপ্রান্তে। যখন পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবহন অসম্ভব কিংবা অর্থনৈতিকভাবে অসাশ্রয়ী, সেসব ক্ষেত্রে গ্যাসকে তরল বানিয়ে তারপর বিশেষভাবে তৈরি সামুদ্রিক জাহাজ বা এলএনজি ট্যাংকারের মাধ্যমে পরিবহন করা যায়।", "title": "তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস" }, { "docid": "205150#7", "text": "এলএনজি তৈরির জন্য এলএনজি প্লান্ট বা কারখানায় সরবরাহকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রথমে স্বল্প পরিমাণে থাকা জল, হাইড্রোজেন সালফাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড এনং যেসব উপাদান অতিরিক্ত কম তাপমাত্রায় জমে যায় (যেমন, বেনজিন) তাদেরকে আলাদা করে ফেলা হয়। এলএনজিতে ৯০% বা তারও বেশি মিথেন থাকে। এছাড়া স্বল্প পরিমাণে থাকে নাইট্রোজেন, ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন এবং কিছু ভারী এলকিন। এলএনজি সচরাচর ঝুঁকিহীন হলেও হঠাৎ গরম কোনো কিছু, যেমন সাধারণ তাপমাত্রার জলের সংস্পর্শে এর দ্রুত অবস্থার পরিবর্তন ( বা \"RPT\") ঘটতে পারে।", "title": "তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস" }, { "docid": "205150#9", "text": "ট্রেন থেকে উৎপাদনের পর এলএনজিকে ট্যাংকে জমা করা হয়। ট্যাংক থেকে পাঠানো হয় জেটিতে, জাহাজে তোলার জন্য। এলএনজি জাহাজগুলোও মূলত একাধিক ট্যাংকের সমাহার, যাতে ভরে এলএনজিকে সমুদ্রপথে এক দেশ থেকে অন্য দেশ, এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে পরিবহন করা হয়। আমদানিকারক জেটিতে পৌছলে এলএনজিকে জাহাজ থেকে নামিয়ে আবার ট্যাংকে সংরক্ষণের জন্য রাখা হয়। ট্যাংকের তাপমাত্রা সবসময় এলএনজির তাপমাত্রায় (-১৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) স্থির রাখতে হয়। যে কারণে এলএনজি ট্যাংক ও জাহাজগুলিও খুব ব্যয়বহুল। আমদানিকারক জেটির পাশেই থাকে রিগ্যাসিফিকেশন বা পুণঃগ্যাসিকরণ টার্মিনাল, যেখানে এলএনজিকে তাপের মাধ্যমে গ্যাসীয় অবস্থায় ফেরত নিয়ে আসা হয়। পুনরুৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস অবশেষে এর ক্রেতাদের মধ্যে বন্টনের জন্য পাইপলাইন নেটওয়ার্ক বা জাতীয়/স্থানীয় গ্যাস গ্রিডে পাঠিয়ে দেয়া হয়।", "title": "তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস" }, { "docid": "113928#17", "text": "জীবাশ্ম জ্বালানি যেহেতু সীমিত তাই ভবিষ্যতের জ্বালানি ব্যবস্থা নির্ভর করবে নবায়নযোগ্য শক্তির উপরে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির উপরে মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না এবং ক্রমান্বয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি জনপ্রিয়তা লাভ করছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তিকে সমালোচনা সহ্য করতে হয়। যেমন নবায়নযোগ্য শক্তির খরচ অনেক বেশি এবং এটি অনেক বেশি প্রকৃতি নির্ভর তথা পরিবর্তনশীল। এছাড়াও কিছু নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌর শক্তি, বায়োম্যাস এর জন্য তুলনামূলক অনেক জায়গার প্রয়োজন হয় বলে মনে করেন অনেকে।", "title": "নবায়নযোগ্য শক্তি" }, { "docid": "255205#2", "text": "জ্বালানি খরচের মূল পার্থক্যের প্রধান কারণ দুটি ভিন্ন ঘনত্বের শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তাই, পেট্রল প্রদায়ক ৩৪.৬ MJ /লিঃ এবং তরল হাইড্রোজেনের প্রদায়ক ১০.১ [MJ/লিঃ]। এই শক্তির ঘনত্ব পরিসংখ্যান ভিত্তিতে, ১৩.৯ লিঃ/১০০ কিমি পেট্রলের উপর নির্ভর করে যে কেউ আশা করবে যে হাইড্রোজেনে ৪৭.৬ লিঃ/১০০ কিমি; যেটি ৫০.০ লি/১০০ কিমি থেকে খুব কাছাকাছি। অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিন শক্তির একটি উৎস হিসেবে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল প্রযুক্তির ন্যায় সাশ্রয়ি হবার ক্ষেত্রে অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে, যদিও এই সিস্টেম যদিও সীমিত কিন্তু এর উত্পাদন যে হচ্ছে সেটাই অনেক বিশাল একটি ব্যাপার।", "title": "বিএমডব্লিউ হাইড্রোজেন ৭" }, { "docid": "649153#5", "text": "আরেকটি সমস্যা হল অ্যালগি ব্লুম। যখন তাপমাত্রা, পুষ্টির সরবরাহ এবং উপলভ্য সূর্যালোক শেওলা বৃদ্ধির জন্য অনুকূল হয়, তখন শেওলা একটি এক্সপোনেনশিয়াল হারে বৃদ্ধি করে, অবশেষে পুষ্টিকর পদার্থ কমে যায় এবং মাছ মরতে থাকে। ক্ষয়প্রাপ্ত অতিরিক্ত শৈবাল বা অ্যালগি পুকুরের জলে সূর্য্যরশ্মির প্রবেশ আটকে দেওয়ায়, জলে অক্সিজেন কমে যাওয়ার ফলে জৈববস্তুটি অক্সিজেনকে নিঃশেষ করে দেয় কারণ এটি জৈব ও অজৈব সলিউশনের (যেমন অ্যামোনিয়াম আয়ন) সাথে দূষিত করে, যা (এবং প্রায়শই) মাছের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।", "title": "মৎস চাষ" }, { "docid": "501144#2", "text": "১৯১০ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর ১৯১২ সালে বাণিজ্যিক রূপে উৎপাদন শুরু হয়। এটি জ্বলে শেষ হলে কোন অবশেষ থাকেনা এবং সালফার নির্গত হয়না , এজন্য মোট জ্বালানী শক্তির তিন শতাংশই বর্তমানে এল পি জি । এটি গ্যাসীয় হওয়ায় কোন পানি দূষণ বা ভূমির দূষণ ঘটেনা। এর ক্যালোরিফিক মান ৪৬.১ MJ/kg যেখানে ফার্নেস তৈলের জন্য এ মান ৪২.৫ MJ/kg পেট্রোল/গ্যাসোলিন এর জন্য ৪৩.৫ MJ/kg । কিন্তু এর শক্তি ঘনত্ব প্রতি একক আয়তনে ২৬ MJ/L অন্যদের তুলনায় বেশ কম; কারণ এর আপেক্ষিক ঘনত্ব ফার্নেস তৈল (প্রায় ০.৫–০.৫৮ kg/L) ও পেট্রোল/গ্যাসোলিন (০.৭১–০.৭৭ kg/L) হতে কম।", "title": "এল পি জি" }, { "docid": "492645#16", "text": "ব্যবহৃত প্লাস্তিক মেডিকেল সামগ্রী এর মধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ল্যান্ডফিলের বদলে চুল্লিতে ভস্মীভূত করা হয়, যাতে রোগের ব্যাপ্তি কমে আসে। এর ফলে মেডিকেল সামগ্রী থেকে আসা প্লাস্টিক বর্জের পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। যদি প্লাস্তিক বর্জকে ভস্মীকরণের মাধ্যমে সঠিকভাবে মীমাংসা না করা হত, তাহলে এখান থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয়েছে বাতাসে গ্যাস হিসেবে বা জল ও বাতাসে ছাই হিসেবে ছড়িয়ে যেতে পারত। অবশ্য অনেক গবেষণাতেই ইনসিনারেশনের ফলে যে বায়বীয় পদার্থ নির্গত হয় সেই ব্যাপারে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করা হয়েছে।", "title": "প্লাস্টিক দূষণ" } ]
ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার সিরিজের প্রথম সিরিজটির নাম কী ?
[ { "docid": "108248#0", "text": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন () ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" নামক কাল্পনিক উপন্যাস সিরিজের প্রথম উপন্যাস। এখানে হ্যারি পটার নামে একজন জাদুকরের কথা বলা হয়েছে, যে এগার বছর বয়সে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করে যে সে একজন জাদুকর এবং হগওয়ার্টস নামের একটি জাদুবিদ্যা শিক্ষার স্কুলে ভর্তি হয়। হগওয়ার্টসে সে রন উইজলি ও হারমায়োনি গ্রেঞ্জার এর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং তাদের সহযোগিতায় কালো জাদুকর লর্ড ভলডেমর্টকে পরাজিত করে এবং পরশপাথরটিকে উদ্ধার করে। ভলডেমর্টই হ্যারির এক বছর বয়সে তার বাবা মাকে হত্যা করেছিল এবং তাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল।", "title": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন" }, { "docid": "59474#5", "text": "হ্যারি পটার সিরিজের ১ম গল্পটি লেখা শেষ করার পর বইটি প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকদের কাছে অনেক ঘুরতে হয়েছিল রাউলিংকে। প্রকাশকদের ধারণা ছিল বইটি তাঁদের ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করবে। আটজন প্রকাশক ফিরিয়ে দেওয়ার পর ব্লুমসবারি নামের একটি প্রকাশনী ১৯৯৭ সালের ২৬ জুন হ্যারি পটার সিরিজের প্রথম বই 'হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন' প্রকাশ করে। এরপরের ইতিহাস সকলেরই জানা। একেবারে অচেনা-অজানা জে.কে. রাউলিং হয়ে যান বিশ্ববিখ্যাত। যে রাউলিংকে এর আগে তার পরিবার ও পরিচিত জনরা ছাড়া অন্য কেউ চিনতো না। বিশ্বব্যাপী হ্যারি পটার সিরিজের ৩৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো জে.কে. রাউলিং এর লেখা হ্যারি পটার সিরিজের বই কেনার জন্য প্রকাশিত হওয়ার আগের দিন রাত থেকে মানুষ বইয়ের দোকানের সামনে লাইন দিতো।", "title": "জে কে রাউলিং" } ]
[ { "docid": "6025#1", "text": "১৯৯৭ সালে \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\" (আমেরিকাতে \"হ্যারি পটার অ্যান্ড সরসারার্স স্টোন\" নামে প্রকাশিত) নামে এই সিরিজের প্রথম বই প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এই সিরিজের বইগুলি রচনার শৈল্পিক উৎকর্ষের জন্য সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে এবং সারাবিশ্বের পাঠকমহলে তুমুল জনপ্রিয়তা ও ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছে। বইয়ের রাজ্যের পাশাপাশি সিনেমা ও ভিডিও গেমসের দুনিয়ায়ও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সাতটি বইয়ের প্রথম ছয়টি বই সারা পৃথিবীতে ৩২৫ মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রী হয়েছে এবং ৬৪টিরও অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। শুধুমাত্র কুরআন ,বাইবেল এবং বুক অব মরমন (মরমনদের ধর্মগ্রন্থ) ছাড়া আর কোন বইয়ের এই রেকর্ড নেই। এই সিরিজের সপ্তম ও সর্বশেষ বই, \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\", প্রকাশিত হয়েছে ২০০৭ সালের ২১ জুলাই। প্রকাশকেরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বইটির রেকর্ড-ভঙ্গকারী ১২ মিলিয়ন কপি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।", "title": "হ্যারি পটার" }, { "docid": "107698#0", "text": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস (ইংরেজি: Harry Potter and the Deathly Hallows) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের সপ্তম ও সর্বশেষ খন্ড। বইটি ২০০৭ সালের ২১ জুলাই প্রকাশিত হয়। পূর্ববর্তী খন্ড \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স\" এর কাহিনীর ধারাবাহিকতায় এ বইটির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এ বইটির মাধ্যমে হ্যারি পটার সিরিজের সমাপ্তি ঘটে।\n\"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস\" যুক্তরাজ্যে ব্লুমসবারি পাবলিশিং, যুক্তরাষ্ট্রে স্কলাস্টিক, কানাডায় রেইনকোস্ট বুকস এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অ্যালান & আনউইন প্রকাশ করে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে ৯৩ টি দেশে একই সাথে প্রকাশিত হয়। \"ডেথলি হ্যালোস\" বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বিক্রিত বই হিসেবে রেকর্ড করে। প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এটির ১৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এই বইটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা, হিন্দি, ইউক্রেনীয়, পোলীয়, সুয়েডীয়, আরবি, ফরাসি, জার্মান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।", "title": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস" }, { "docid": "108251#0", "text": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স (ইংরেজিতে Harry Potter and the Half-Blood Prince) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের ষষ্ঠ বই। এটি ২০০৫ সালের ১৬ জুলাই প্রকাশিত হয়। বইটিতে হ্যারি পটার হগওয়ার্টস স্কুলে তার ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পন করে। বইটিতে লর্ড ভলডেমর্টের অতীত জীবনের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এ বই থেকেই হ্যারি ও অন্যান্যরা শেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। এছাড়া, হ্যারি ও তার বন্ধুদের বয়োঃসন্ধিকালের বিভিন্ন সমস্যা, সম্পর্কের জটিলতা ও আবেগের দ্বন্দ্ব প্রভৃতি বিষয় এই বইটির অন্যতম উপজীব্য বিষয়।", "title": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স" }, { "docid": "6025#0", "text": "হ্যারি পটার ( ) হচ্ছে ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত সাত খন্ডের কাল্পনিক উপন্যাসের একটি সিরিজ। এই সিরিজের উপন্যাসগুলিতে জাদুকরদের পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে এবং কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হ্যারি পটার নামের এক কিশোর জাদুকরকে ঘিরে, যে তার প্রিয় বন্ধু রন উইজলি ও হারমায়নি গ্রেঞ্জারকে সাথে নিয়ে নানা অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়। কাহিনীর বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরিতে। মূল চরিত্র হ্যারি পটারের বড় হওয়ার পথে যেসব ঘটনা ঘটে, তার শিক্ষাজীবন, সম্পর্ক ও অ্যাডভেঞ্চার নিয়েই কাহিনী রচিত হয়েছে। আবার বইটিতে মানুষের বন্ধুত্ব, উচ্চাশা, ইচ্ছা, গর্ব, সাহস, ভালবাসা, মৃত্যু প্রভৃতিকে জাদুর দুনিয়ার জটিল ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ অধিবাসী, অনন্য সংস্কৃতি ও সমাজ প্রভৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। এর কাহিনী মূলত কালো-যাদুকর লর্ড ভলডেমর্ট, যে জাদু সাম্রাজ্যে প্রতিপত্তি লাভের উদ্দেশ্যে হ্যারির বাবা-মাকে হত্যা করেছিল ও তার চিরশত্রু হ্যারি পটারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।", "title": "হ্যারি পটার" }, { "docid": "112527#0", "text": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস (ইংরেজিতে Harry Potter and the Chamber of Secrets) ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের দ্বিতীয় বই। বইটি ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই যুক্তরাজ্যে এবং ১৯৯৯ সালের ২ জুন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়।", "title": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস" }, { "docid": "246526#0", "text": "হ্যারি পটার চলচ্চিত্র সিরিজটি ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত সাত খন্ডের \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস সিরিজের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত। সিরিজে বইয়ের সংখ্যা সাতটি হলেও, চলচ্চিত্র সংখ্যা আটটি। কারণ, সর্বশেষ বইটির কাহিনী অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ এবং জটিল হওয়ায় বইটি অবলম্বনে দুই পর্বের চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।", "title": "হ্যারি পটার (চলচ্চিত্র ধারাবাহিক)" }, { "docid": "108310#0", "text": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অফ ফায়ার (ইংরেজিতে Harry Potter and the Goblet of Fire) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের চতুর্থ বই। এটি ২০০০ সালের ৮ জুলাই প্রকাশিত হয়। বইটি ২০০১ সালে হুগো অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।", "title": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার" }, { "docid": "107671#0", "text": "হারমায়নি জিন গ্রেঞ্জার (ইংরেজিতে Hermione Jean Granger) ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত \"হ্যারি পটার\" উপন্যাস-সিরিজের এক কাল্পনিক চরিত্র। সিরিজের প্রথম উপন্যাস \"হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন\" থেকে পরবর্তী প্রতিটি উপন্যাসে তার উপস্থিতি রয়েছে। সিরিজে সে হ্যারি পটার ও রন উইজলির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তার চরিত্রে বিচক্ষণতা ও বুদ্ধির সমন্বয় ঘটেছে। রাউলিং বলেছেন যে, তিনি হারমায়নির মধ্যে তার নিজের ছোটবেলার চরিত্রকে প্রকাশ করেছেন।", "title": "হারমায়নি গ্রেঞ্জার" }, { "docid": "113919#0", "text": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অফ আজকাবান (ইংরেজিতে Harry Potter and the Prisoner of Azkaban) ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের তৃতীয় বই। বইটি ১৯৯৯ সালের ৮ জুলাই প্রকাশিত হয়। এটি ১৯৯৯ সালে হুইটব্রেড বুক অ্যাওয়ার্ড ও ব্র্যাম স্টোকার অ্যাওয়ার্ড এবং ২০০০ সালে লুকাস অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। এছাড়াও হুগো অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন লাভ করে। বইটির কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র ২০০৪ সালের ৩১ মে যুক্তরাজ্যে এবং ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি লাভ করে।", "title": "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান" } ]
বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের এক কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের বাবার নাম কী ?
[ { "docid": "107058#1", "text": "শম্ভু মিত্রের জন্ম কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে মাতামহ ডাঃ আদিনাথ বসুর গৃহে। তাঁর পিতার নাম শরৎকুমার বসু ও মাতার নাম শতদলবাসিনী দেবী। শম্ভু মিত্রের পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলি জেলার কলাছাড়া গ্রামে। বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত করে ভরতি হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। তবে কলেজের পাঠ সমাপ্ত করেননি। ১৯৩৯ সালে রংমহলে যোগদানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক নাট্যমঞ্চে তাঁর পদার্পণ। পরে যোগ দিয়েছিলেন মিনার্ভায়। নাট্যনিকেতনে \"কালিন্দী\" নাটকে অভিনয়ের সূত্রে সেযুগের কিংবদন্তি নাট্যব্যক্তিত্ব শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সঙ্গে আলাপ হয়। পরবর্তীকালে শিশিরকুমার ভাদুড়ীর প্রযোজনায় \"আলমগীর\" নাটকে অভিনয়ও করেছিলেন। কিন্তু এই সময় থেকেই শিশিরকুমারের থেকে আলাদা সম্পূর্ণ নিজস্ব এক নাট্যঘরানা তৈরিতে উদ্যোগী হন শম্ভু মিত্র।", "title": "শম্ভু মিত্র" } ]
[ { "docid": "107058#0", "text": "শম্ভু মিত্র (২২ অগস্ট, ১৯১৫ – ১৯ মে, ১৯৯৭) ছিলেন বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের এক কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব, স্বনামধন্য আবৃত্তিশিল্পী ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৩৯ সালে বাণিজ্যিক নাট্যমঞ্চে যোগ দেন। পরে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য হন। ১৯৪৮ সালে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন নাট্যসংস্থা বহুরূপী। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বহুরূপীর প্রযোজনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সফোক্লিস, হেনরিক ইবসেন, তুলসী লাহিড়ী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট নাট্যকারের রচনা তাঁর পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয়। শম্ভু মিত্রের স্ত্রী তৃপ্তি মিত্র ও কন্যা শাঁওলী মিত্রও স্বনামধন্য মঞ্চাভিনেত্রী। শাঁওলি মিত্রের নাট্যসংস্থা পঞ্চম বৈদিকের সঙ্গে আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন শম্ভু মিত্র। তাঁর পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হল \"নবান্ন\", \"দশচক্র\", \"রক্তকরবী\", \"রাজা অয়দিপাউস\" ইত্যাদি। তাঁর রচিত নাটকের মধ্যে \"চাঁদ বণিকের পালা\" সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৬ সালে নাটক ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে ম্যাগসেসে পুরস্কার ও ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়।", "title": "শম্ভু মিত্র" }, { "docid": "107058#8", "text": "শম্ভু মিত্র ছিলেন বাংলার এক স্বনামধন্য আবৃত্তিশিল্পী। জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের \"মধুবংশীর গলি\" কবিতাটি আবৃত্তি করে তিনি জনসমাজে বিশেষ সাড়া ফেলেছিলেন। \"রক্তকরবী\", \"চার অধ্যায়\", \"রাজা অয়দিপাউস\", \"তাহার নামটি রঞ্জনা\", \"ডাকঘর\", \"চাঁদ বণিকের পালা\" ও \"অয়দিপাউসের গল্প\" তাঁর স্বকণ্ঠে রেকর্ড করা নাট্যপাঠ। এছাড়া \"শম্ভু মিত্র\" (কবিতা আবৃত্তি), \"রবীন্দ্রনাথের কবিতাপাঠ\", \"দিনান্তের প্রণাম\" তাঁর প্রসিদ্ধ বাংলা কবিতা আবৃত্তির রেকর্ড।", "title": "শম্ভু মিত্র" }, { "docid": "107058#7", "text": "বহুরূপীর প্রযোজনায় শম্ভু মিত্র পরিচালিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হল: \"নবান্ন\", 'বিভাব' ,\"ছেঁড়া তার\", \"পথিক\", \"দশচক্র\", \"চার অধ্যায়\", \"রক্তকরবী\", \"পুতুল খেলা\", \"মুক্তধারা\", \"কাঞ্চনরঙ্গ\", \"বিসর্জন\", \"রাজা অয়দিপাউস\", \"রাজা\", \"বাকি ইতিহাস\", \"পাগলা ঘোড়া\", \"চোপ আদালত চলছে\" ইত্যাদি। \"চাঁদ বণিকের পালা\" তাঁর রচিত একটি কালজয়ী নাটক। এই নাটকের প্রযোজনা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি এই নাটক পাঠ করেছেন এবং রেকর্ডও করেছেন। তাঁর রচিত অন্যান্য নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য: \"উলুখাগড়া\", \"বিভাব\", \"ঘূর্ণি\", \"কাঞ্চনরঙ্গ\" ইত্যাদি। এছাড়া \"গর্ভবতী বর্তমান\" ও \"অতুলনীয় সংবাদ\" নামে দুটি একাঙ্ক নাটকও রচনা করেন। নাট্যরচনা ছাড়াও শম্ভু মিত্র পাঁচটি ছোটোগল্প ও একাধিক নাট্যবিষয়ক প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। তাঁর রচিত \"কাকে বলে নাট্যকলা\" ও \"প্রসঙ্গ: নাট্য\" দুটি বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ।", "title": "শম্ভু মিত্র" }, { "docid": "253600#0", "text": "শ্যামশের রাজ কাপুর (; জন্ম: ২১ অক্টোবর, ১৯৩১ - মৃত্যু: ১৪ আগস্ট, ২০১১) মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প জগতের একসময়কার জনপ্রিয় নায়ক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে হিন্দি সিনেমা অঙ্গনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়, শীর্ষস্থানীয় চিত্রতারকা শিল্পী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তাঁর পিতা \"পৃথ্বীরাজ কাপুর\" ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র তারকা এবং থিয়েটারের অভিনেতা। তিন ভাইয়ের মধ্যে তাঁর অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। বড় ভাই \"রাজ কাপুর\" ও ছোট ভাই \"শশী কাপুর\"। ভাইত্রয় প্রত্যেকেই তাদের পিতার মতো বলিউডে সফলতম অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। বাবা চলচ্চিত্র ও থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিধায় শৈশবের অনেকখানি সময়ই অতিবাহিত করেন কলকাতায়। সেখানে তিনি কিন্ডার গার্টেনে ভর্তি হন। মুম্বইয়ে ফিরে প্রথমে ওয়াদালা'র সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট এবং পরে মাতুঙ্গা'র ডন বস্কো বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। হিউজেস রোডের নিউ এরা বিদ্যালয়ের মাধ্যমে বিদ্যালয় পর্ব সমাপণ করেন শাম্মী।", "title": "শাম্মী কাপুর" }, { "docid": "245334#0", "text": "সুচিত্রা মিত্র (১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯২৪ - ৩ জানুয়ারি, ২০১১) ছিলেন একজন প্রথিতযশা ও স্বনামধন্য ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রসংগীতের একজন অগ্রগণ্য গায়িকা ও বিশেষজ্ঞ। সুচিত্রা মিত্র দীর্ঘকাল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। সংগীত বিষয়ে তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। শেষ জীবনে তিনি রবীন্দ্রসংগীতের তথ্যকোষ রচনার কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী এবং অভিনেত্রীর ভূমিকাও পালন করেছেন। ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গেও তাঁর দীর্ঘকালের যোগসূত্র ছিল। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাঁর দৃপ্ত কণ্ঠে গাওয়া রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের \"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি\" গানটি বিশেষ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। ২০০১ সালে তিনি কলকাতার শেরিফ মনোনীত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন রোগভোগের পর ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ৩ জানুয়ারি, সোমবার কলকাতার বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুচিত্রা মিত্র।", "title": "সুচিত্রা মিত্র" }, { "docid": "335467#0", "text": "ব্রিজমোহন মিশ্র (Hindi: बृजमोहन मिश्र) সাধারণ্যে পন্ডিত বিরজু মহারাজ (Hindi: पंडित बिरजू महाराज)(জন্ম: ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮) নামে পরিচিত, হলেন ভারতে কত্থক নৃত্যে লক্ষ্ণৌ হতে আগত \"কালকা-বিনন্দাদিন\" ঘরণার একজন প্রধান শিল্পী। তিনি কত্থক নৃত্যের জন্য পরিচিত 'মহারাজ' পরিবারের অন্যতম সদস্য, তার পরিবারের অন্যান্য প্রখ্যাত শিল্পীরা হলেন তার দুই চাচা শম্ভু মহারাজ এবং লাচ্চু মহারাজ ও পিতা ও গুরু আচান মহারাজ। যদিও নৃত্যই তার প্রথম শিল্প-শৈলী, কিন্তু ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপরও তার চমত্কার দখল রয়েছে এবং কন্ঠশিল্পী হিসেবেও তিনি প্রভূত সুনামের অধিকারী।", "title": "বিরজু মহারাজ" }, { "docid": "107058#4", "text": "১৯৭৯ সালে প্রায় দৃষ্টিহীন অবস্থায় নান্দীকার প্রযোজিত \"মুদ্রারাক্ষস\" নাটকে চাণক্যের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় বিশেষ সাড়া ফেলেছিল। ১৯৮০-৮১ সালে ফ্রিৎজ বেনেভিৎজের পরিচালনায় ক্যালকাটা রিপোর্টারির প্রযোজনায় \"গ্যালিলিওর জীবন\" নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৮৩ সালে নিজের প্রযোজনায় কন্যা শাঁওলী মিত্র পরিচালিত \"নাথবতী অনাথবৎ\" নাটকে কন্যার সঙ্গে অভিনয় করেন শম্ভু মিত্র। শাঁওলী মিত্রের পরবর্তী নাটক \"কথা অমৃতসমান\"-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন শম্ভু মিত্র। কন্যার নাট্যসংস্থা পঞ্চম বৈদিকের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ও আমৃত্যু কর্মসমিতি সদস্য ছিলেন। ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রবীন্দ্রসদনে পঞ্চম বৈদিকের প্রযোজনায় ও তাঁর পরিচালনায় \"দশচক্র\" নাটকটির পরপর ছয়টি অভিনয় পাঁচ দিনে মঞ্চস্থ হয়। অভিনেতা রূপে এর পর আর কোনোদিন মঞ্চে অবতীর্ণ হননি তিনি।", "title": "শম্ভু মিত্র" }, { "docid": "331014#0", "text": "শাঁওলি মিত্র হচ্ছেন বাংলা থিয়েটার ও সিনেমার অভিনেত্রী। তিনি ঋত্বিক ঘটকের যুক্তি তক্কো আর গপ্পো চলচ্চিত্রে বংগবালা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি ছিলেন শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা এবং তাঁর পিতামাতাও থিয়েটার ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি রবীন্দ্র সার্ধশত জন্মবর্ষ উদযাপন সমিতির একজন চেয়ারপার্সন ছিলেন।", "title": "শাঁওলি মিত্র" }, { "docid": "641081#1", "text": "ভারতীয় গণনাট্য সংঘের ভাঙার পর, শম্ভু মিত্র, বিজন ভট্টাচার্যের মত বিশিষ্ট বাংলা থিয়েটার ব্যক্তিত্ব ১৯৪৮ সালে বহুরূপী তৈরি করেন। একটি যৌগিক নাটক আঙ্গিকের জন্য দলটি নজরে আসে। এই সময়টি বহুরূপীর জন্য  একটি সংগ্রামের সময় ছিল। ১৯৫০ এবং ১৯৫৮ সালের মধ্যে  তাঁরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নাটক পরিচালিত করেন। ১৯৫১ সালে তাঁরা মঞ্চস্থ করেন  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চার অধ্যায়'। ১৯৫৮ সালে তাঁরা রবীন্দ্রনাথের আর একটি সৃষ্টি রক্তকরবী মঞ্চস্থ করেন। পুতুলখেলায়(১৯৫৮), যেটি ইবসেন ডল'স হাউসের রূপায়ন ছিল তাতে বহুরূপী একটি  সংবেদনশীল সমসাময়িক বিষয় সাহসী পদ্ধতিতে স্পর্শ করেন।", "title": "বহুরূপী (নাট্যদল)" } ]
বর্তমানে ভারতে মোট কত কিলোমিটার রেলপথ বিস্তৃত আছে ?
[ { "docid": "5067#1", "text": "ভারতীয় রেল বিশ্বের বৃহত্তম ও ব্যস্ততম রেল পরিবহন ব্যবস্থাগুলির অন্যতম। প্রতিদিন ১ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী এবং ২০ লক্ষ টনেরও বেশি পণ্য ভারতীয় রেলপথে চলাচল করে। এই সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক তথা সরকারি পরিষেবাকর্মী নিয়োগকর্তা। সংস্থার কর্মচারী সংখ্যা ১৪ লক্ষ। দেশের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর রেলওয়ে ব্যবস্থা প্রসারিত। ৬,৯০৯টি স্টেশন বিশিষ্ট ভারতের রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৬৩,৩২৭ কিলোমিটারেরও বেশি। রোলিং স্টকের হিসেবে, ভারতীয় রেল ২০০,০০০টিরও বেশি (পণ্য) ওয়াগন, ৫০,০০০টিরও বেশি কোচ ও ৮,০০০টিরও বেশি লোকোমোটিভের মালিক।", "title": "ভারতীয় রেল" } ]
[ { "docid": "494516#6", "text": "পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যে রেল পরিসেবা প্রদান করে ভারতীয় রেলের তিনটি শাখা, যথা- পূর্ব রেল, দক্ষিণ পূর্ব রেল এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। ২০১৪-১৫ এর শেষের দিকে, পশ্চিমবঙ্গে রেলপথের দৈর্ঘ্য ছিল ৪,৪৮১ কিলোমিটার, যার প্রায় ৪,০০০ কিলোমিটারের বিস্তৃতি ব্রড গেজে রূপান্তরিত হয়েছে এবং প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিয়ায়ন হয়েছে, চালু ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৭১২২ কিলোমিটার এবং মোট ট্র্যাক দৈর্ঘ্য ছিল ১০,৪৬৬ কিলোমিটার। রাজ্যটিতে মোট রেলওয়ে স্টেশনের সংখ্যা ৮০০-এর বেশি।", "title": "পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি" }, { "docid": "718203#1", "text": "বর্তমানে ভারতের দশটি শহরে ১১ টি কার্যকর দ্রুতগামী গণপরিবহন ('মেট্রো' নামেও পরিচিত) ব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের ৫১৫ কিলোমিটারের (৩২০ মাইল) ওপরে মেট্রো লাইন এবং ৩৮১ টি মেট্রো স্টেশন রয়েছে। আরো ৫০০+ কিমি লাইন নির্মাণাধীন রয়েছে। ভারতে মেট্রো রেল লাইন প্রধানত স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলপথ নিয়ে গঠিত হয়। কলকাতা মেট্রো এবং দিল্লি মেট্রোর মতো প্রকল্পগুলি তাদের প্রাথমিকতম লাইনগুলির জন্য ব্রডগেজ গেজ রেলপথ ব্যবহার করেছিল তবে ভারতে নতুন প্রকল্পগুলিতে স্ট্যান্ডার্ড গেজে রোলিং স্টক স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলপথের জন্য আমদানি করা হয়েছে।", "title": "ভারতের শহুরে রেল পরিবহন ব্যবস্থা" }, { "docid": "16565#30", "text": "ভারতে রেল পরিষেবার সূত্রপাত হয় ১৮৫৩ সালে। বর্তমানে রেল মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে সরকারি সংস্থা ভারতীয় রেল এই পরিষেবা প্রদান করে থাকে। ভারতীয় রেল দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা। দৈনিক এক কোটি আশি লক্ষ যাত্রী ও কুড়ি লক্ষ টন পণ্য পরিবহণকারী এই পরিষেবা বিশ্বের বৃহত্তম ও ব্যস্ততম রেল পরিষেবাগুলির অন্যতম। ১৯৪৭ সালে ভারতে ৪২টি রেল ব্যবস্থার অস্তিত্ব ছিল। ১৯৫১ সালে এই সকল রেল ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব করে একক সংস্থায় পরিণত করা হয়। ফলে ভারতীয় রেল বিশ্বের পরিণত হয় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রেল পরিবহন ব্যবস্থায়। বর্তমানে ভারতীয় রেল ষোলোটি অঞ্চল বা জোনে বিভক্ত। এই অঞ্চলগুলি আবার ৬৭টি বিভাগে বিভক্ত। প্রত্যেক বিভাগের একটি বিভাগীয় সদরও রয়েছে। রেল নেটওয়ার্ক দেশের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর প্রসারিত। ভারতে রেলপথে মোট দৈর্ঘ্য ৬৩,৪৬৫ কিলোমিটার। এই পথে স্টেশনের মোট সংখ্যা ৬,৯০৯। ভারতীয় রেলের কর্মীসংখ্যা এক লক্ষ চল্লিশ হাজার। এই সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বা উপযোগমূলক কর্মীনিয়োগকারী সংস্থা। রোলিং স্টক হিসেবে ভারতীয় রেল ২ লক্ষ পণ্যবাহী ওয়াগন, ৫০,০০০ কোচ ও ৮,০০০ রেল ইঞ্জিনের মালিক। এছাড়াও এই সংস্থার নিজস্ব রেল ইঞ্জিন ও কোচ উৎপাদন ব্যবস্থাও রয়েছে। দূরপাল্লা ও শহরতলি – উভয়প্রকার রেল পরিবহন ব্যবস্থাতেই ব্রড, মিটার ও ন্যারো গেজের মাল্টি-গেজ রেল পরিবহন ব্যবস্থা লক্ষিত হয়। বর্তমানে প্রজেক্ট ইউনিগেজ নামে এক প্রকল্পের অধীনে দেশের ১৪,৪০৬ কিলোমিটার ন্যারোগেজ রেলপথকে ব্রডগেজে পরিবর্তিত করার কাজ চলছে।", "title": "ভারতের পরিবহন ব্যবস্থা" }, { "docid": "501335#0", "text": "ভারতে ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী সড়ক ব্যবস্থার বিস্তার এরও বেশী, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ সড়ক ব্যবস্থা। ভারতে মোট জমির প্রতি বর্গ কিলোমিটারে রাস্তা ০.৬৬ কিমি, ভারতের সড়ক ব্যবস্থা পরিমাণগত ঘনত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (০.৬৫) অনুরূপ; এবং চীন ( 0.16 ) অথবা ব্রাজিলের (০.২০) চেয়ে অনেক বেশী। যাইহোক, ভারতের সড়ক গুনগতভাবে আধুনিক মহাসড়ক ও সংকীর্ণ, কাঁচা রাস্তা নিয়ে গঠিত যা বর্তমানে উন্নত করা হচ্ছে। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের ৫৪ শতাংশ (২.৫৩ কিলোমিটার) রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে।", "title": "ভারতীয় সড়ক ব্যবস্থা" }, { "docid": "428669#0", "text": "ভারতের পার্বত্য রেলপথ হল সারা বিশ্বে চালু অনুরূপ ২০টি ন্যারো বা মিটার-গেজ রেলপথের মধ্যে ভারতে চালু ছয় বা সাতটি ছোটো রেলপথ। এই লাইনগুলি চালু হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনকালে। এগুলি আজও চালু অবস্থাতেই আছে। বর্তমানে এগুলি ভারতীয় রেলের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই রেলপথগুলির মধ্যে চারটি উত্তর ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। এগুলি হল: দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (১৮৮১), কালকা-সিমলা রেল (১৮৯৮), কাংড়া উপত্যকা রেল পাঠানকোট (১৯২৪) ও কাশ্মীর রেল (২০০৫)।দুটি রেলপথ অবস্থিত দক্ষিণ ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায়। এগুলি হল: নীলগিরি পার্বত্য রেল, তামিলনাড়ু ও মাথেরন পার্বত্য রেল, মহারাষ্ট্র।২০শ শতাব্দীতে দক্ষিণ অসমের কাছাড় পার্বত্য অঞ্চলের বরাক নদী উপত্যকায় লামডিং–শিলচর লাইনটি চালু হয়। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল, নীলগিরি পার্বত্য রেল ও কালকা-শিমলা রেল ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।", "title": "ভারতের পার্বত্য রেলপথ" }, { "docid": "1497#65", "text": "পশ্চিমবঙ্গে ভূতল সড়কপথের মোট দৈর্ঘ্য ৯২,০২৩ কিলোমিটার (৫৭,১৮০ মাইল)। এর মধ্যে জাতীয় সড়ক ২,৩৭৭ কিলোমিটার (১,৪৭৭ মাইল), এবং রাজ্য সড়ক ২,৩৯৩ কিলোমিটার (১,৪৮৭ মাইল)। রাজ্যে সড়কপথের ঘনত্ব প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে ১০৩.৬৯ কিলোমিটার (প্রতি ১০০ বর্গমাইলে ১৬৬.৯২ মাইল); যা জাতীয় ঘনত্ব প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে ৭৪.৭ কিলোমিটারের (প্রতি ১০০ বর্গমাইলে ১২০ মাইল) থেকে বেশি। রাজ্যের সড়কপথে যানবাহনের গড় গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার/ঘণ্টার (২৫-৩১ মাইল/ঘণ্টা) মধ্যে থাকে। গ্রাম ও শহরাঞ্চলে গতিবেগ ২০-২৫ কিলোমিটার/ঘণ্টার (১২-১৬ মাইল/ঘণ্টা) মধ্যে থাকে। এই মূল কারণ রাস্তার নিম্নমান ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। রাজ্যে রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৪১৩৫.১৯ কিলোমিটার (২৫৬৯ মাইল)। ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেল ক্ষেত্রদুটির সদর কলকাতায় অবস্থিত। রাজ্যের উত্তরভাগের রেলপথ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অন্তর্গত। কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেল পরিষেবা। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অংশ দার্জিলিং হিমালয়ান রেল একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত।", "title": "পশ্চিমবঙ্গ" }, { "docid": "531130#0", "text": "পশ্চিমবঙ্গে ভূতল সড়কপথের মোট দৈর্ঘ্য ৯২,০২৩ কিলোমিটার (৫৭,১৮০ মাইল)। এর মধ্যে জাতীয় সড়ক ২,৩৭৭ কিলোমিটার (১,৪৭৭ মাইল), এবং রাজ্য সড়ক ২,৩৯৩ কিলোমিটার (১,৪৮৭ মাইল)। রাজ্যে সড়কপথের ঘনত্ব প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে ১০৩.৬৯ কিলোমিটার (প্রতি ১০০ বর্গমাইলে ১৬৬.৯২ মাইল); যা জাতীয় ঘনত্ব প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে ৭৪.৭ কিলোমিটারের (প্রতি ১০০ বর্গমাইলে ১২০ মাইল) থেকে বেশি। রাজ্যের সড়কপথে যানবাহনের গড় গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার/ঘণ্টার (২৫-৩১ মাইল/ঘণ্টা) মধ্যে থাকে। গ্রাম ও শহরাঞ্চলে গতিবেগ ২০-২৫ কিলোমিটার/ঘণ্টার (১২-১৬ মাইল/ঘণ্টা) মধ্যে থাকে। এই মূল কারণ রাস্তার নিম্নমান ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। রাজ্যে রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৩,৮২৫ কিলোমিটার (২,৩৭৭ মাইল)। ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেল ক্ষেত্রদুটির সদর কলকাতায় অবস্থিত। রাজ্যের উত্তরভাগের রেলপথ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অন্তর্গত। কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেল পরিষেবা। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অংশ দার্জিলিং হিমালয়ান রেল একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত।\nপশ্চিমবঙ্গের সড়ক পথের মোট দৈর্ঘ্য ৯২,০২৩ কিমি।এর মধ্যে জাতীয় সড়ক হল ২,৫৭৮ কিমি ও রাজ্য সড়ক ২,৩৯৩ কিমি।বাকি ৮৭,০৫২ কিমি হল জেলা সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক।জাতীয় ও রাজ্য সড়ক দ্বারা রাজ্যের বন্দরের সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রগুলি ও শহর ভালোভাবে যুক্ত।", "title": "পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন ব্যবস্থা" }, { "docid": "5067#5", "text": "১৮৫৪ সালে ভারতের তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল লর্ড ডালহৌসি ভারতের প্রধান প্রধান অঞ্চলগুলিকে জুড়ে একটি ভারবাহী রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। সরকারি সুরক্ষা ব্যবস্থায় উৎসাহিত হয়ে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ চলে এবং একাধিক নতুন রেল কোম্পানি স্থাপিত হয়। ফলত ভারতে রেল ব্যবস্থার দ্রুত বিস্তার ঘটতে শুরু করে। অনতিবিলম্বে দেশীয় রাজ্যগুলিও তাদের নিজস্ব রেল ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটায়। এইভাবে অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম ও রাজস্থান নামে পরিচিত রাজ্যগুলিতে রেলপথের বিস্তার ঘটে। ১৮৬০ সালে ভারতে রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১৩৪৯ কিলোমিটার। ১৮৮০ সালে এই দৈর্ঘ্য হয় ২৫,৪৯৫ কিলোমিটার। এই বৃদ্ধি মুখ্যত দেশের তিন প্রধান বন্দর বোম্বাই, কলকাতা ও মাদ্রাজকে কেন্দ্র করে ঘটেছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রেলপথ স্থাপন করেছিল ভারতীয় কোম্পানিগুলিই। যমুনা ব্রিজ নির্মাণ সহ দিল্লি-লাহোর রেলপথটি নির্মাণ করেছিল বাবা শিবদয়াল বেদি অ্যান্ড সনস নামে এক সংস্থা। ১৮৯৫ সালের মধ্যে ভারতে দেশীয় লোকোমোটিভ উৎপাদন শুরু হয়ে যায়। ১৮৯৬ সালে উগান্ডা রেলওয়ের নির্মাণকাজে ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ার ও লোকোমোটিভ পাঠানো হয়েছিল।", "title": "ভারতীয় রেল" }, { "docid": "499742#0", "text": "হাওড়া-নাগপুর-মুম্বই লাইন বা কলকাতা-মুম্বই লাইন পূর্ব ভারত এর বৃহত্তম মহানগরী কলকাতার সঙ্গে মুম্বই এর সরাসরি সংযোগ ঘটিয়েছে। এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য হল ১৯৬৮ কিলোমিটার (১২২৩ মাইল)। এই রেলপথ ভারত এর পাঁচটি রাজ্য অতিক্রম করেছে। এই রাজ্য গুলি হল -", "title": "হাওড়া-নাগপুর-মুম্বই লাইন" }, { "docid": "322856#0", "text": "২নং জাতীয় সড়ক (ভারত) ভারতের প্রধান জাতীয় সড়কগুলির একটি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লি পর্যন্ত বিস্তৃত এই ১৪৬৫ কিলোমিটার সড়ক এই দুই রাজ্য ছাড়াও ঝাড়খন্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের উপর দিয়ে গেছে। এই সড়ক পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কলকাতার কাছে ডানকুনি থেকে শুরু। ডানকুনি থেকে পালশিট ৬৫ কিলোমিটার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে পরিচিত। পালশিট থেকে জি-টি রোড হয়ে বর্ধমান, পানাগড়, দুর্গাপুর, রাণীগঞ্জ ও আসানসোল শহর হয়ে বরাকর শহরে শেষ। ডানকুনি থেকে বরাকর ২৩৫ কিলোমিটার। এরপর ঝাড়খন্ডের মধ্যে মাইথন, নিরসা, ধানবাদ শহর, ইসরি, বরহি হয়ে বরাচট্টি পর্যন্ত। ঝাড়খন্ডে মোট ১৯০ কিলোমিটার। এরপর বিহার রাজ্যে মোট ২০২ কিলোমিটার। বরাচট্টি থেকে শুরু করে গয়া, ডেহরি-অন- শোন, সাসারাম, মোহনিয়া হয়ে উত্তর প্রদেশ সীমান্তের কারমানাশা নদের উপর সেতুতে শেস হয়েছে। এরপর উত্তর প্রদেশে কারমানাশা নদের উপর সেতু থেকে শুরু হয়ে মুঘলসরাই, বারানসী, এলাহাবাদ, কানপুর, এটাওয়া ও আগ্রা হয়ে হরিয়ানা সীমান্তে শেষ হয়। আগ্রা থেকে দিল্লী দুরত্ত ২০০কিলোমিটার। মোট রাস্তা ৭৫২ কিলোমিটার। হরিয়ানায় ঢোকার পর মোট ৭৪ কিলোমিটার রাস্তা রাজ্যের মধ্যে। গুরুত্তপূরন শহর গুলি হল ফরিদাবাদ এবং পলওয়াল। শেষ মেশ দিল্লিতে অন্তিম ১২ কিলোমিটার রাস্তা।", "title": "জাতীয় সড়ক ২ (ভারত, পুরাতন সংখ্যায়ন)" } ]
মাদার টেরিজা কত সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ?
[ { "docid": "9190#2", "text": "১৯৬৯ সালে বিবিসিতে \"সামথিং বিউটিফুল ফর গড\" শিরোনামে ম্যালকম মাগারিজের প্রামাণ্য তথ্যচিত্র প্রচারিত হলে তাঁর দাতব্য ধর্মপ্রচারণাসংঘের কার্যক্রম পশ্চিমা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং টেরিজার খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে। তিনি ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার ও ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন লাভ করেন। টেরিজার মৃত্যুর সময় বিশ্বের ১২৩টি রাষ্ট্রে মৃত্যুপথ যাত্রী এইডস, কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা রোগীদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র, ভোজনশালা, শিশু ও পরিবার পরামর্শ কেন্দ্র, অনাথ আশ্রম ও বিদ্যালয়সহ দ্য মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ৬১০টি কেন্দ্র বিদ্যমান ছিল।", "title": "মাদার টেরিজা" }, { "docid": "10655#19", "text": "কয়েকজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পরে তাঁদের ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ১৯৭৯ সালে মাদার টেরিজা নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করলে ১৯৮০ সালে তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়। আবার ১৯৯২ সালে সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কার পাওয়ার পর ভারতরত্ন পান। আবার ১৯৯৮ সালে অমর্ত্য সেন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ানান তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কাছে অমর্ত্য সেনের নাম ভারতরত্ন সম্মানের জন্য সুপারিশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী তাঁর সুপারিশ মেনে নেন।", "title": "ভারতরত্ন" } ]
[ { "docid": "268957#14", "text": "১৯৭৩ সালে হেনরি কিসিঞ্জার ও লে ডাক থো যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। জানুয়ারি, ১৯৭৩ সালে উত্তর ভিয়েতনাম ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার যুদ্ধ বিরতি এবং সেখান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের প্রেক্ষাপটে তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু লে ডাক থো পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান কেননা তখনো যুদ্ধ চলছিল। কিন্তু তাদেরকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের ফলে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। এরফলে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির দুইজন সদস্য পদত্যাগ করেন। কিন্তু যখন এ পুরস্কারের বিষয়টি ঘোষিত হয়, তখনও উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত ছিল। অনেক সমালোচকদের অভিমত, কিসিঞ্জার শান্তি প্রণেতা ছিলেন না; বরঞ্চ যুদ্ধের ব্যাপক প্রসারে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রেখেছিলেন।", "title": "হেনরি কিসিঞ্জার" }, { "docid": "712437#2", "text": "\"মাদার টেরিজা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি\" প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০০২ সালে \"মাদার টেরিজা: দ্য ফাইনাল ভার্ডিক্ট\" নামে; ২০১৬ সালে যা পরবর্তীতে \"মাদার টেরিজা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি\" শিরোনামে প্রকাশিত হয়। ম্যালকম ম্যাগারিজের প্রামাণ্যচিত্র \"সামথিং বিউটিফুল ফর গড\" (১৯৬৯) পরবর্তী পর্যায়ের টেরিজাকে নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রচারণাকে চট্টোপাধ্যায় অলীক গল্প বলে আখ্যায়িত করেছেন। চট্টোপাধ্যায়ের মতে, টেরিজাকৃত মানবসেবার দাবিগুলো অতিরঞ্জিত; টেরিজা কয়েকশো দুঃস্থ মানুষকে সেবা করলে তার নোবেল ভাষণে দশ হাজার মানুষকে সেবাদানের দাবি করেছেন। টেরিজা মুমূর্ষু অসংখ্য হিন্দু ও মুসলমানকে বলপূর্বক তাদের মৃত্যুশয্যায় খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তর করেছেন। নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার টেরিজা অনেক বড় বড় অনুদান পেয়েছেন যা তিনি তার সেবার মান উন্নতিকরণে ব্যয় করেননি। টেরিজার গর্ভপাতবিরোধিতার সমালোচনাও করেছেন চট্টোপাধ্যায়। বিশ্বের কুখ্যাত স্বৈরচারী একনায়ক, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ অনুদান গ্রহণের জন্যেও চট্টোপাধ্যায় টেরিজার সমালোচনা করেছেন। অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারত থেকে এখনো উপনিবেশী মানসিকতা দূর হয়নি, তাই সাধারণ মানুষ টেরিজার মতো সাদা মহিলাকে সমালোচনা করতে ভয় পায়।", "title": "অরূপ চট্টোপাধ্যায়" }, { "docid": "6751#2", "text": "হেনরি কিসিঞ্জার এবং লি ডাক থো'র নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের ফলে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে লি ডাক থো এ পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এরফলে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির দুইজন সদস্য পদত্যাগ করেন। জানুয়ারি, ১৯৭৩ সালে উত্তর ভিয়েতনাম ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার যুদ্ধ বিরতির আলোচনা এবং সেখান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের প্রেক্ষাপটে তাঁদেরকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু যখন এ পুরস্কারের বিষয়টি ঘোষিত হয়, তখনও উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত ছিল। অনেক সমালোচকদের অভিমত, কিসিঞ্জার শান্তি প্রণেতা ছিলেন না; বরঞ্চ যুদ্ধের ব্যাপক প্রসারে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রেখেছিলেন।", "title": "শান্তিতে নোবেল পুরস্কার" }, { "docid": "710788#0", "text": "একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে মেরি টেরিজা বোজাঝিউ'র জীবন ও কর্ম, যিনি মাদার টেরিজা বা তেরেসা নামে অধিক পরিচিত, তাঁর মৃত্যুর আগে ও পরে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও একাধিক রাষ্ট্রের সরকার দ্বারা নন্দিত ও নিন্দিত হয়েছে। তাঁর ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত দাতব্য ধর্মপ্রচারকদলের ক্রিয়াকলাপ অসংখ্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকরা দাতব্য ধর্মপ্রচারকদলের সেবার নিম্নমান, বলপূর্বক ধর্মান্তর ও মৃত্যুপথযাত্রীদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদানের নিন্দা জ্ঞাপন করেছে এবং তাদের সাথে উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের সম্পর্ক পেয়েছে। টেরিজা গণযোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ছিলেন। অনেক সমালোচক মনে করেন, ক্যাথলিক চার্চ খ্রিষ্টানধর্ম প্রচার ও সমালোচনার মোকাবেলা করতে তেরেসার ভাবমূর্তি ব্যবহার করেছে। বিশ্ববিখ্যাত চিন্তাবিদ জার্মেইন গ্রিয়ার টেরিজাকে 'ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী' বলে সমালোচনা করেছেন। অনেকে তাকে উন্মত্ত উগ্রবাদী, মৌলবাদী তথা ভণ্ড বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন যে তিনি নিজের ধর্মীয় আদর্শ তথা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে দুস্থবঞ্চিতদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।", "title": "মাদার টেরিজার সমালোচনা" }, { "docid": "710788#4", "text": "ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যাঞ্চেটের সম্পাদক রবিন ফক্স ১৯৯১ সালে কলকাতায় তেরিজার সেবাদান প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে চিকিৎসার মানকে গ্রহণযোগ্য নয় বলে সমালোচনা করেছেন।\nভারতীয় লেখক ও চিকিৎসক অরূপ চ্যাটার্জি, যিনি একসময় টেরিজার সেবাদান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন, টেরিজার ধর্মপ্রচারকদলের ক্রিয়াকলাপ অনুসন্ধান করেছেন এবং তাঁর ‘মাদার টেরিজাঃ দ্যা ফাইনাল ভার্ডিক্ট’ নামের বইয়ে মাদারের সেবা-পদ্ধতি ও আরও নানা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে গুরুতর কিছু অভিযোগ করেন। ১৯৯৪ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক তারিক আলী ও ক্রিস্টোফার হিচিন্স টেরিজার ওপর \"হেল'স এঞ্জেল\" (নরকের দেবদূত ) শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেন। ১৯৯৫ সালে হিচিন্স \"দ্য মিশনারি পজিশন মাদার টেরিজা ইন থিওরি ও প্র্যাকটিস (ধর্মপ্রচারক অবস্থান তত্ত্বে ও কর্মে মাদার টেরিজা)\" নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। হিচিন্স টেরিজাকে ভণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছেন।", "title": "মাদার টেরিজার সমালোচনা" }, { "docid": "1108#61", "text": "এছাড়াও, ভারতের মাদার টেরিজা এবং ইরানের শিরিন এবাদি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য তাঁদের উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অধিকারের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এবাদি প্রথম ইরানী এবং প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত।", "title": "এশিয়া" }, { "docid": "290793#28", "text": "২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর, শিশুদের প্রতি অবিচারের বিরুদ্ধে ও শিক্ষার অধিকারের লড়াইয়ের জন্য মালালা ইউসুফজাই ও ভারতীয় সমাজকর্মী কৈলাশ সত্যার্থীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। মাত্র ১৭ বছরে মালালা এই পুরস্কারলাভের সময় বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ীর সম্মান লাভ করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিজ্ঞানী আব্দুস সালামের পর তিনি দ্বিতীয় পাকিস্তানী নাগরিক যিনি এই পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর নোবেল জয় সম্বন্ধে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।\n২০১৪ ইগুয়ালা গণ অপহরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মেক্সিকোর একজন নাগরিক এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাধা দিলেও নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যান। মালালা পরে এই ব্যক্তির প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।", "title": "মালালা ইউসুফজাই" }, { "docid": "9190#3", "text": "মেরি টেরিজা বোজাঝিউ একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব; মৃত্যুর আগে ও পরে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও একাধিক রাষ্ট্রের সরকার দ্বারা নন্দিত ও নিন্দিত হয়েছেন। জার্মেইন গ্রিয়ার টেরিজাকে 'ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী' হিসেবে সমালোচনা করেছেন। ক্রিস্টোফার হিচেন্স, মাইকেল প্যারেন্টি, অরূপ চট্টোপাধ্যায়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রভৃতি ব্যক্তি ও সংস্থা জন্মনিরোধক এবং গর্ভপাতের বিষয়ে তাঁর আপত্তি, দারিদ্র্যের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যে তাঁর বিশ্বাস ও মৃত্যুপথযাত্রীদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করার সমালোচনা করেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল জার্নালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসার নিম্নমানের সমালোচনা করা হয় এবং দানের অর্থের অস্বচ্ছ ব্যয়ের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।", "title": "মাদার টেরিজা" } ]
উসমানীয় সাম্রাজ্য ঐতিহাসিক ভাবে কি নামে পরিচিত ?
[ { "docid": "10823#0", "text": "উসমানীয় সাম্রাজ্য (, আধুনিক তুর্কি: ), ঐতিহাসিকভাবে তুর্কি সাম্রাজ্য বা তুরস্ক বলে পরিচিত, ছিল একটি ইসলামি সাম্রাজ্য। ১২৯৯ সালে অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রথম উসমান উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়ার দ্বায়িত্ব পান সেলযুক সাম্রাজ্য কতৃক। প্রথম দিকে সেলযুক সাম্রাজ্যের প্রতি অনুগত থাকলেও সেলজুক সাম্রাজ্যের ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।\nএবং ধীরে ধীরে একটি বৃহত সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন এবং প্রথম উসমানের মাতা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক শাহজাদা নুমান এর মেয়ে অর্থাৎ আর্তুগুলের স্ত্রী প্রথম মুরাদ কর্তৃক বলকান জয়ের মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের কনস্টান্টিনোপল জয় করার মাধ্যমে উসমানীয়রা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করে।\n১৫২৬ সালে হাঙ্গেরি জয়ের পর ইউরোপের বলকান অঞ্চল সমূহ নিয়ে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে।\n১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহবিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল। ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য" } ]
[ { "docid": "10823#77", "text": "কিছু গোষ্ঠীকে ইসলাম পরিপন্থি মনে করা হত। এদের মধ্যে ছিল দ্রুজ, ইসমাইলি, আলেভি ও আলাউয়ি সম্প্রদায়। ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের চেয়ে তাদের অবস্থান নিচে ছিল। ১৫১৪ সালে সুলতান প্রথম সেলিম আনাতোলিয়ায় আলেভিদের হত্যার জন্য \"ভয়ানক\" নামে পরিচিত হয়ে উঠেন।, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে নজিরবিহীনভাবে ও দ্রুততার সাথে সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ করেন এবং মিশরের মামলুক সালতানাতের সমগ্র অঞ্চল জয় করে নেন। উসমানীয়রা ১৪শ শতাব্দী থেকে খিলাফতের দাবি করে আসছিল। এসকল জয়ের মাধ্যমে তিনি উসমানীয়দের খিলাফতের দাবিকে আরও সংহত করেন। সাম্রাজ্যের বাকি সময় জুড়ে খিলাফত উসমানীয়দের হাতে ছিল এবং ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি খিলাফত বিলুপ্ত করে এবং শেষ খলিফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে ফ্রান্সে নির্বাসনে পাঠায়।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য" }, { "docid": "138300#0", "text": "প্রথম সুলাইমান (উসমানীয় তুর্কি ভাষায়: سليمان اوّل) (\"সুলায়মান দ্য ম্যাগ্নিফিসেন্ট\", তুর্কি ভাষায় মুহতেশিম সুলাইমান বা মহৎ সুলায়মান নামে পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত, তুরস্কে কানুনি সুলতান সুলাইমান নামে পরিচিত) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম এবং সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী শাসনরত সুলতান, যিনি ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন। পাশ্চাত্ত্যে তিনি মহৎ সুলাইমান হিসেবেও পরিচিত। তিনি পুর্নবারের জন্য সম্পূর্ণভাবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের নীতিমালাগুলো তৈরি করেছিলেন বলে প্রাচ্যে তাঁকে বলা হয় বিধানকর্তা সুলাইমান ()। প্রথম সুলাইমান ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপে একজন বিশিষ্ঠ রাজা হিসেবে স্থান লাভ করেন, যার শাসনামলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির বিস্তার ঘটে। সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনী রোমান সাম্রাজ্য এবং হাঙ্গেরির পতন ঘটায়।সুলতান সুলাইমান পারস্যের সাফাভিদ সুলতান, প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় আলজেরিয়া সহ বড় বড় অঞ্চলগুলো রোমান সাম্রাজ্যের হাত থেকে দখল করে নেয়। তাঁর শাসনামলে নৌসেনাপতি হাইরেদ্দীন বারবারোসা স্পেনের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডুরিয়ো নেতৃত্বে সম্মিলিত খ্রিস্টান বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৫৩৮ সালে প্রিভিজার যুদ্ধে বারবারোসা বিজয় লাভ করে।এই উসমানীয় নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে। \nএছাড়াও তার নৌ বাহিনী তৎকালীন স্পেনের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া পলায়নরত নির্বাসিত মুসলিম ও ইহুদিদের উদ্ধারকার্য পরিচালনা করেন।\nসুলতান সুলায়মান ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবেচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান সুলতান।", "title": "প্রথম সুলাইমান" }, { "docid": "1109#24", "text": "গ্রিক ভাষী অধ্যুষিত পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য পশ্চিমে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এর রাজধানী ছিলো কনস্টান্টিনোপল। সম্রাট প্রথম জুথিনিয়ান কনস্টান্টিনোপললের প্রথম স্বর্ণযুগে শাসন করেন: তিনি আইনগত নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেন, হাজিয়া সোফিয়া নির্মাণ তহবিল দেন এবং রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের অধীনে খ্রিস্ট গির্জা আনেন। বেশিরভাগ সময়ের জন্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, এবং সামরিক বাহিনী ছিল। ১২০৪ সালে কনস্ট্যান্টিনোপোলের ধ্বংসসাধনে মারাত্মকভাবে দুর্বল, চতুর্থ ক্রুসেডের সময়, উসমানীয় সাম্রাজ্যের হাতে বাইজেন্টাইনের ১৪৫৩ সালে পতন ঘটে।", "title": "ইউরোপ" }, { "docid": "710705#1", "text": "সেলজুক রুম সালতানাতের পতনের পর আনাতোলিয়া বেশ কিছু স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে যাদেরকে গাজি আমিরাত বলা হত। ১৩০০ সাল নাগাদ দুর্বল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য তুর্কি অধ্যুষিত এই অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা হারায়। কয়েকটি আমিরাতের মাঝে পশ্চিম আনাতোলিয়ার একটি আমিরাত ছিল আরতুগ্রুল গাজীর পুত্র প্রথম উসমানের। তারা নামানুসারেই এই সাম্রাজ্যকে উসমানীয় সাম্রাজ্য বা অটোমান সাম্রাজ্য বলা হয়।\"উসমানের স্বপ্ন\" নামের একটি কিংবদন্তীর কথা বলা হয়ে থাকে যার মাধ্যমে তরুণ উসমান পরবর্তীতে একটি সাম্রাজ্য তৈরি করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিল(তার স্বপ্ন অনুসারে, সাম্রাজ্য ছিল একটি বড় গাছ যার শিকড় তিনটি মহাদেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং যার শাখাগুলি আকাশকে আচ্ছাদিত করেছিল)। তাঁর স্বপ্নমতে, উসমানের সাম্রাজ্যটি ছিল সেই গাছ, যার শিকড় থেকে চারটি নদী-টাইগ্রিস, ইউফ্রেটিস, নীল এবং দানিউব জারি করেছিল। উপরন্তু, গাছটি চারটি পর্বতশ্রেণী, ককেসাস, তোরোস, এটলাস এবং বলকান রেঞ্জকে ছায়ায় আচ্ছাদিত করেছে।সুলতান হিসাবে তাঁর রাজত্বকালে, উসমান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের প্রান্ত পর্যন্ত তুর্কি বসতির সীমানা বিস্তৃত করেন।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাস" }, { "docid": "10823#2", "text": "সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উসমানের নাম থেকে উসমানীয় বা অটোমান নামটি এসেছে। একইভাবে রাজবংশকে উসমানীয় রাজবংশ বা অটোমান রাজবংশ বলা হয়। তুর্কি ভাষায় সাম্রাজ্যকে বলা হত \"দেভলেতি আলিয়া উসমানিয়া\" বা \"উসমানলি দেভলেতি\" বলা হত। আধুনিক তুর্কি ভাষায় \"উসমানলি ইম্পারাতুরলুগু\" বা \"উসমানলি দেভলেতি\" বলা হয়।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য" }, { "docid": "10823#45", "text": "সর্বপ্রথম সুলতান প্রথম মুরাদ মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদ খলিফা দাবি করেন। এর মাধ্যমে উসমানীয় খিলাফতের সূচনা হয়। উসমানীয় সুলতান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় অভিভাবক ছিলেন। তবে সুলতান সব ক্ষেত্রে সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন না। উসমানীয় দরবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ছিল রাজকীয় হারেম। এটি ভালিদ সুলতান কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালিদ সুলতান রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপে অংশ নিতেন। এমন একটি সময়কে \"মহিলা সালতানাত\" বলা হয়। পূর্ববর্তী সুলতানের সন্তানদের থেকে নতুন সুলতান নির্বাচন করা হত। প্রাসাদের স্কুলের কঠোর শিক্ষাক্রম মেধাবী উত্তরাধিকারীদের শিক্ষাদান করার জন্য তৈরী হয়েছিল। এছাড়াও এখানে ভবিষ্যত প্রশাসকদের শিক্ষাদান করার জন্য প্রাসাদের স্কুল ব্যবহৃত হত। এই স্কুল একটি ধারার উপর সবসময় পরিচালিত হয়নি। মুসলিমদের জন্য মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়। এছাড়া ছিল খ্রিষ্টানদের জন্য \"এন্ডেরুন\" নামক আবাসিক স্কুল। এতে আট থেকে বিশ বছরের মধ্যবর্তী বার্ষিক ৩,০০০ জন খ্রিষ্টান বালককে শিক্ষাদান করা হত। রুমেলিয়া ও বলকান অঞ্চলের বিভিন্ন তাদের নিয়ে আসা হত।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য" }, { "docid": "710705#0", "text": "অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম উসমানের দ্বারা। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ যখন কনস্টান্টিনোপল জয় করেন তখন রাষ্ট্রটি একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। ১৬শ শতাব্দীতে সুলতান প্রথম সেলিম এর কাছে আব্বাসীয় খলিফা কর্তিক ইসলামী খেলাফত হস্তান্তর করা হয় শুরু হয় উসমানীয় খেলাফতএবং তার পরে তার ছেলে সুলতান প্রথম সুলাইমানের অধীনে সাম্রাজ্যটি সমৃদ্ধির চূড়ায় পৌছেছিল, তখন এর সীমানা ছিল পূর্বে পারস্য উপসাগর থেকে ইউরোপের বলকান অঞ্চল, উত্তরপূর্বেহাঙ্গেরি, উত্তর কৃষ্ণ সাগর রাশিয়া,ককেসাস, পশ্চিমে ইরান,মধ্যপ্রাচ্য ইরাক সিরিয়া ফিলিস্তিন লেবানন জর্ডান মক্কা মদিনা এবং দক্ষিণে মিশর থেকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত। এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির ও ব্রিটিশদের মিত্র আরব জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহীদের কাছে পরাজয়ের মাধ্যমে। ১৯২২ সালে তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলে গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি অটোমান সাম্রাজ্য ও ইসলামী খেলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা করে।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাস" }, { "docid": "349810#40", "text": "বাইজেন্টিয়াম শব্দটি দ্বারা আধুনিক ইতিহাসবিদরা পরবর্তী রোমান সাম্রাজ্যকে বোঝান। কনস্টান্টিনোপল থেকে শাসন করা সাম্রাজ্যকে তৎকালীন সময়ে “রোমান সাম্রাজ্য” বলা হত। সম্রাট কনস্টান্টাইন এই শহরের নাম দিয়েছিলেন “নতুন রোম”। কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর এর উত্তরাধিকার নিয়ে কোন্দল শুরু হয়। রাশিয়ানরা নিজেদেরকে বাইজেন্টাইন উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করে। সুলতান মুহাম্মদ নিজেকে রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে গণ্য করতেন এবং নিজেকে ‘’কায়সার-ই রুম’’ বা রোমের সিজার হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে তাকে “বিজয়ী” হিসেবেই বেশি স্মরণ করা হয়। তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্টাকাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই আদর্শিক সংঘাত রাশিয়া ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধে ইন্ধন যোগায়। আঠারো ও উনিশ শতকে রুশ সেনারা ধীরে ধীরে কনস্টান্টিনোপলের দিকে অগ্রসর হয়। ১৮৭৭-১৮৭৮ এর রুশ-তুর্কি যুদ্ধের সময় রুশ সেনারা টোপকাপি প্রাসাদের দশ মাইল (১৬ কিমি) পশ্চিমে কনস্টান্টিনোপলের ইয়েশিলকো শহরতলীতে এসে পৌছায়।", "title": "কনস্টান্টিনোপল বিজয়" }, { "docid": "374673#0", "text": "খোরাসান (ফার্সি خراسان, অনেকসময় \"খুরাসান\" হিসেবেও পরিচিত) হল মধ্য এশিয়ার একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল। প্রাচীন গ্রিক ভৌগলিক এরাতোস্থেনিস (২৭৬ খ্রিঃ পূঃ - ১৯৫/১৯৪ খ্রিঃ পূঃ)তাঁর ভূগোলে পরবর্তীকালে খোরাসান বলে পরিচিত এই সমগ্র ভূখণ্ডটিকে 'এরিয়ানা' বলে অভিহিত করেন। মধ্যযুগে বর্তমান ইরানের উত্তরপূর্ব অঞ্চল, প্রায় সমগ্র আফগানিস্তান, দক্ষিণ তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল এই খোরাসানের অন্তর্ভুক্ত বলে পরিগণিত হত। এই অঞ্চলের উত্তরসীমায় ছিল আমু দরিয়া নদী, পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণে মধ্য ইরানের মরু অঞ্চল ও পূর্বে মধ্য আফগানিস্তানের পার্বত্য উচ্চভূমি। মধ্যযুগের কোনও কোনও আরব ঐতিহাসিকের মতে এই অঞ্চলের সীমানা পূর্বদিকে এমনকী ভারতের পশ্চিম সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।\nএই অঞ্চলের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ ও ৫ম শতাব্দীতে এই অঞ্চল হাখমানেশি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীকালে ৩৩০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আলেকজান্ডারের অভিযানের সময় তা গ্রিক সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হয়ে পড়ে। এই সময় থেকে এই অঞ্চল পার্থিয়া নামে পরিচিত হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতাব্দী পর্যন্ত এখানে পার্থিয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১০ম শতাব্দীতে এই অঞ্চল সেলজুক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলে ইসলামি সভ্যতার বিকাশলাভের সাথে সাথে খোরাসান নামটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে খোরাসান ইরানের উত্তরপূর্বের একটি প্রদেশ মাত্র হলেও, সপ্তম শতাব্দী থেকে শুরু করে প্রায় সমগ্র মধ্যযুগ জুড়ে এর বিস্তৃতি ছিল বহুগুণ বেশি। আজকের ইরানের খোরাসান প্রদেশটি এই ঐতিহাসিক অঞ্চলের পশ্চিম অংশের একটি অঞ্চল মাত্র।", "title": "বৃহত্তর খোরাসান" } ]
হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
[ { "docid": "370400#2", "text": "বেদ ( সংস্কৃত: , জ্ঞান ) হল প্রাচীন ভারতে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি । বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদ সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং প্রাচীনতম হিন্দু ধর্মগ্রন্থ । বেদকে \"অপৌরুষেয়\" (\"মানুষের দ্বারা রচিত নয়\") মনে করা হয় । হিন্দুরা বিশ্বাস করে , বেদ প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বর কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে । তাই বেদের অপর নাম শ্রুতি (\"ʼযা শোনা হয়েছে\"ʼ)। অন্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় \"স্মৃতি(হিন্দুধর্ম)। স্মৃতি\" (\"ʼযা মনে রাখা হয়েছেʼ\") । হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে , বেদ সর্বোচ্চ উপাস্য ঈশ্বর ব্রহ্ম কর্তৃক প্রকাশিত । বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা শ্রুতি \"সংহিতা\" নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের যজ্ঞ অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত ॐ", "title": "ধর্মগ্রন্থ" }, { "docid": "354685#3", "text": "হিন্দুধর্মের মুল ধর্মগ্রন্থগুলো হল বেদ ও উপনিষদ যেগুলোকে ঈশ্বরের বানী হিসেবে গণ্য করা হয়| আর মহামনীষিদের বানীগুলোকে যে গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে স্মৃতি বলা হয়।\nইসলামধর্মে কুরআন হল প্রধান ধর্মগ্রন্থ যাকে ঈশ্বরের বাণী হিসেবে গণ্য করা হয়, যেটি ঈশ্বরের কাছ থেকে স্বর্গীয় দুত বা ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রধান নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কাছে প্রেরিত আল্লাহর (ইসলাম ধর্মে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নাম) বাণী হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া, হিন্দুধর্মের স্মৃতির মত ইসলাম ধর্মেও নবী মুহাম্মাদ(সাঃ) এর বাণীসমূহ যা হাদীস নামে পরিচিত, তা প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বিবরণ অনুযায়ী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মৃত্যূর পর বিভিন্ন গ্রন্থ আকারে উৎসসহ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই গ্রন্থগুলোও ইসলামী বিধিবিধানের উৎস।", "title": "হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক" }, { "docid": "481621#1", "text": "হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলির দুটি ঐতিহাসিক শ্রেণীবিন্যাস হল: ‘শ্রুতি’ (যা শোনা হয়েছে) ও স্মৃতি (যা মনে রাখা হয়েছে)। শ্রতিশাস্ত্রগুলি সর্বোচ্চ প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ। এগুলি সেই প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ যেগুলিকে ‘অপৌরুষেয়’ (স্বয়ং ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত) মনে করা হয়। এগুলিই হিন্দুধর্মের কেন্দ্রীয় ধর্মগ্রন্থ। সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও মুখ্য উপনিষদ্‌ সহ সমগ্র বেদ শ্রুতিশাস্ত্রের অন্তর্গত। শ্রুতিশাস্ত্রের বধ্যে উপনিষদ্‌ এককভাবে হিন্দুধর্মে বিশেষ প্রভাবশালী। এই অংশকে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ মনে করা হয়। উপনিষদের কেন্দ্রীয় ভাবনাটি এখনও বিভিন্ন দার্শনিক শাখা ও ধর্মীয় প্রথার উপর বিশেষ প্রভাবশালী।", "title": "হিন্দু ধর্মগ্রন্থ" } ]
[ { "docid": "8289#0", "text": "গিরিশচন্দ্র সেন (জন্ম: ১৮৩৪ - মৃত্যু: ১৯১০)। ভাই গিরিশচন্দ্র সেন নামে তিনি অধিক পরিচিত। তাঁর প্রধান পরিচয় ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন- এর প্রথম বাংলা অনুবাদক হিসেবে। তখন প্রায় ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল যে, মূলভাষা থেকে অনূদিত হলে গ্রন্থটির পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হবে। পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও এমন ধারণা ছিল। এ কারণে অনেক মুসলিম মনীষী এর বঙ্গানুবাদ করতে সাহস পাননি। গিরিশচন্দ্র সেনই অন্য ধর্মালম্বী হয়েও এই ভয়কে প্রথম জয় করেন। শুধু কুরআন শরীফের অনুবাদ নয় তিনি ইসলাম ধর্ম বিষয়ক অনেক গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক গবেষণাও করেন।", "title": "গিরিশ চন্দ্র সেন" }, { "docid": "251352#0", "text": "কালিকা পুরাণ (, ) (খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী) একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। অষ্টাদশ উপপুরাণের অন্যতম। প্রাপ্ত পাঠটিতে ৯৮টি অধ্যায় ও ৯০০০ শ্লোক রয়েছে। এটি কালী ও তাঁর কয়েকটি বিশেষ রূপের (যথা, গিরিজা, ভদ্রকালী ও মহামায়া) উদ্দেশ্যে রচিত একমাত্র গ্রন্থ। এই পুরাণে কামরূপ তীর্থের পর্বত ও নদনদী এবং কামাখ্যা মন্দিরের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। কালী, কামাখ্যা ও দুর্গা সহ বিভিন্ন দেবীর পূজাপদ্ধতি এই পুরাণে লিপিবদ্ধ আছে। সেই কারণে এটি হিন্দুধর্মের শাক্ত শাখার ধর্মগ্রন্থ। সম্ভবত এই গ্রন্থ কামরূপ (বর্তমান অসম) বা বঙ্গদেশে লিখিত হয়েছিল। এই পুরাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রগ্রন্থ। কারণ, অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের \"নিবন্ধ\" (স্মার্ত) লেখকগোষ্ঠী এটিকে শাক্তধর্মের একটি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বলে উল্লেখ করেছেন। এই পুরাণে বেশ কিছু পূর্বপ্রচলিত পৌরাণিক উপাখ্যানেরও উল্লেখ রয়েছে। এই পুরাণ সেই সব বিরল হিন্দু ধর্মগ্রন্থের একটি যেখানে \"হিন্দু\" শব্দটি পাওয়া যায়।", "title": "কালিকা পুরাণ" }, { "docid": "5920#17", "text": "হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হল ঋগ্বেদ। ভাষাতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায় যে ১৭০০ থেকে ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থের রচনা। ঋগ্বেদে রুদ্র নামে এক দেবতার উল্লেখ রয়েছে। রুদ্র নামটি আজও শিবের অপর নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঋগ্বেদে (২।৩৩) তাঁকে \"মরুৎগণের পিতা\" বলে উল্লেখ করা হয়েছে; মরুৎগণ হলেন ঝঞ্ঝার দেবতাদের একটি গোষ্ঠী। এছাড়াও ঋগ্বেদ ও যজুর্বেদে প্রাপ্ত রুদ্রম্ স্তোত্রটিতে রুদ্রকে নানা ক্ষেত্রে শিব নামে বন্দনা করা হয়েছে; এই স্তোত্রটি হিন্দুদের নিকট একটি অতি পবিত্র স্তোত্র। তবে \"শিব\" শব্দটি ইন্দ্র, মিত্র ও অগ্নির বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহৃত হত।", "title": "শিব" }, { "docid": "697495#2", "text": "তোনপা শেন্রাব মিউওকের পুরাণের সাথে বন ধর্মের তিনটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থেরর সম্পর্ক দৃশ্যমান। দু দুস (\"mdo 'dus) যের মিগ\" \"gzer mig) \" এবং যি ব্রিজ (\"gzi brjid) \"—এই তিন ধর্মগ্রন্থের মাঝে প্রথম দুইটি গতের মা ১০ম শতক এবং ১১শ শতকের দিকে পুনঃআবিষ্কার করেন। শেষের ধর্মগ্রন্থটি ১৪শ শতকের দিকে লদেন নিয়িংপো কর্তৃক মুখে মুখে প্রচারিত হয়। এই শতকেই লদেন নিয়িংপো \"প্রতিভা\" (), নামের ধর্মীয় বাণীমালার সূচনা করেন। এতে তোনপা শেনরাবের গল্প উঠে আসে। যদিও তিনি বন্ধর্মের প্রথম গ্তের-স্তোন নন, তবুও তার ধর্মগ্রন্থ বন ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয়গ্রন্থ হয়ে ওঠে। এই ধর্মীয় গ্রন্থের বক্তব্য অনুযায়ী শেনরাব একদা দৈত্য কর্তৃক চুরি হয়ে যাওয়া ঘোড়া খুঁজতে বের হলে বন ধর্মের সূচনা করেন। পুরাণ মতে, শেনরাবের জন্ম তাকজিগ ওলমো লুং রিঙ্গঞ্চলে যা ঐতিহ্যগতভাবে ইয়ুং-দ্রুং-গু-যেগ পর্বত এবং কৈলাস পর্বত ( খুব সম্ভবত ) নামে স্বীকৃত। এই দুই পর্বতে পবিত্রতাকে বিবেচনায় রেখে, বন ধর্ম বিশ্বাসীরা নয় সংখ্যাটিকে এবং স্বস্তিকা চিহ্নকে সৌভাগ্য়ের প্রতীক এবং গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়।", "title": "বন (ধর্ম)" }, { "docid": "499132#1", "text": "এই উপনিষদ্‌টি সম্ভবত ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে রচিত হয়। খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগুরু চৈতন্য মহাপ্রভু এটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এই ছোটো গ্রন্থটিতে দুটি মাত্র শ্লোক আছে। এগুলিকে বলা হয় ‘মহামন্ত্র’। মন্ত্রে ‘হরে’ বা দেবী রাধার নাম আটবার উচ্চারিত হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর দুই হিন্দু দেবতা কৃষ্ণ ও রামের নাম চারবার করে উচ্চারিত হয়েছে। এই গ্রন্থের মতে, এই মন্ত্রটি সজোরে উচ্চারণ করলে কলিযুগের সকল কুপ্রভাব কেটে যায়।\nহিন্দু বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, চার যুগের মধ্যে বর্তমান যুগটি হল কলিযুগ বা কলি (সংস্কৃত:कलि)। ‘সন্তরণ’ শব্দের অর্থ ‘সাঁতার কাটা’। গ্রন্থটির নামের অর্থ তাই, যে জ্ঞানের দ্বারা বর্তমান যুগকে সাঁতরে পার হওয়া যায়।\nএই গ্রন্থটি একটি বৈষ্ণব উপনিষদ্‌। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে এই গ্রন্থের রচনা সম্পূর্ণ হয়। ‘মহামন্ত্র’ নামে পরিচিত দুটি শ্লোক নিয়ে এই উপনিষদ্‌টি গঠিত। \"কলিসন্তরণোপনিষদ্‌\" হল আধুনিক যুগে রচিত একমাত্র গ্রন্থ যাতে কোনও বহুপ্রচলিত মন্ত্র রয়েছে। খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে ভক্তি আন্দোলনের নেতা চৈতন্য মহাপ্রভু এই উপনিষদ্‌টি জনপ্রিয় করে তোলেন।", "title": "কলিসন্তরণোপনিষদ্‌" }, { "docid": "1568#34", "text": "হিন্দুধর্ম \"বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা আবিষ্কৃত আধ্যাত্মিক আইন সঞ্চিত কোষাগার\"-এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। লিপিবদ্ধ করার আগে বহু শতাব্দী ধরে, ধর্মগ্রন্থগুলি মুখস্থ বিদ্যার সাহায্যে পদ্য আকারে মুখে মুখে প্রেরিত হয়েছে। বহু শতাব্দী ধরে, ঋষিগণ ধর্মশাস্ত্রগুলিকে পরিবর্ধিত এবং তার শিক্ষাসমূহের পরিমার্জন করেছেন। বৈদিক পরবর্তী এবং বর্তমান হিন্দুদের বিশ্বাস, অধিকাংশ হিন্দু ধর্মগ্রন্থের সাধারণতঃ আক্ষরিক ব্যাখ্যা করা হয় না। অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় সেগুলির সঙ্গে সংযুক্ত নৈতিকতা এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত রূপক অলংকারযুক্ত অর্থবাদে। অধিকাংশ পবিত্র গ্রন্থগুলি সংস্কৃত ভাষায় লিখিত। ধর্মগ্রন্থগুলি \"শ্রুতি\" ও \"স্মৃতি\" এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত।", "title": "হিন্দুধর্ম" }, { "docid": "1568#39", "text": "শ্রুতি ছাড়া অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিকে সামগ্রিকভাবে স্মৃতি (যে বিষয় স্মরণ করা হইয়াছে) বলা হয়। স্মৃতির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মহাকাব্যগুলি, যা মহাভারত এবং রামায়ণ ইত্যাদিতে নিহিত রয়েছে। ভগবদ্গীতা মহাভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং হিন্দুধর্মের একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এতে একটি মহান যুদ্ধ প্রাক্কালে রাজকুমার অর্জুনকে বলা, একজন বিষ্ণু অবতার, শ্রীকৃষ্ণ থেকে প্রাপ্ত দার্শনিক শিক্ষা রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ দ্বারা কথিত, ভগবদ্গীতা, বেদের সারাংশ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে কখনও কখনও গীতোপনিষদ্ বলে উল্লেখিত, ভগবদ্গীতা, ঔপনিষদি্ক তত্ত্বের কারণে, বিভাগ হিসাবে, প্রায় শ্রুতির মধ্যেই ধরা হয়। স্মৃতির অন্তর্গত পুরাণ, যা বিভিন্ন অবিস্মরণীয় আখ্যায়িকা দ্বারা হিন্দু ধারণা চিত্রিত করে। এর অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য গ্রন্থগুলি হল দেবীমাহাত্ম্যম্, তন্ত্র, যোগসুত্র, তিরুমন্ত্রম্, শিবসূত্র এবং হিন্দু আগম। মনুস্মৃতি হল একটি প্রচলিত নীতিগ্রন্থ, যা সামাজিক স্তরবিন্যাসের উপর নিবন্ধিত সামাজিক নিয়মাবলী, যা পরে ভারতীয় বর্ণাশ্রম তৈরি করতে সমাজকে সাহায্য করেছে।", "title": "হিন্দুধর্ম" } ]
গ্লুকোজের গলনাঙ্ক কত ?
[ { "docid": "97006#3", "text": "গ্লূকোজ একটি মিষ্টি স্বাদযুক্ত দানাদার বা স্ফটিকাকার পদার্থ।। জলে দানায়িত করলে গ্লূকোজের প্রতি অণুতে একটি করে জলের অণু থাকে এবং এই জলযুক্ত গ্লূকোজের গলনাঙ্ক ৮৬° সেলসিয়াস । অনার্দ্র গ্লূকোজের গলনাঙ্ক ১৪৬° সে.। এটি জলে অত্যন্ত দ্রবণীয়। অ্যালকোহলে সামান্য দ্রবণীয়, ইথারে অদ্রবণীয়। এটি চিনির চেয়ে কম মিষ্ট। গ্লূকোজের অণুতে একটি –CHO মূলক এবং ৫টি OH থাকায় এটি অ্যালডিহাইড ও অ্যালকোহল উভয়ের মতো আচরণ করে।", "title": "গ্লুকোজ" } ]
[ { "docid": "463611#0", "text": "গ্লুকাগন () হল অগ্ন্যাশয়ের আলফা কোষ দ্বারা উত্পাদিত পেপ্টাইড হরমোন, যা রক্তপ্রবাহে গ্লুকোজের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। এর বিপরীত প্রভাব হল ইনসুলিন, যা গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। রক্তপ্রবাহে যখন গ্লুকোজের ঘনত্ব অত্যন্ত কমে গেল অগ্ন্যাশয় থেকে গ্লুকাগন নিঃসৃত হয়। এই আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহান্স বিভিন্ন কোষে গঠিত। যেমন: আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা,পিপি, ডি১,ই,এক্স বা এফ ইত্যাদি। আলফা কোষ থেকে গ্লুকাগন নামক হরমন নিঃসৃত হয়। গ্লুকাগন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। শরীরে শর্করা বা গ্লুকোজ এর পরিমাণ কমে গেলে (hypoglycaemia,হাইপোগ্লাইসিমিয়া) আলফা কোষ থেকে গ্লুকাগন ক্ষরিত হয় এবং গ্লুকোনিওজেনেসিস প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ তৈরি করে।", "title": "গ্লুকাগন" }, { "docid": "97006#7", "text": "বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানতে পেরেছেন কেন গ্লুকোজ জীবকোষে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর একটি কারণ হতে পারে, প্রোটিনের অ্যামিনো গ্রুপের সাথে বিক্রিয়ায় অন্যান্য হেক্সোজের তুলনায় গ্লুকোজ কম প্রবণতা দেখায়। বিক্রিয়াটি অনেক এনজাইমের ক্রিয়া হ্রাস করে। গ্লাইকেশন বিক্রিয়ার কম গতিবেগের কারণ হল, গ্লুকোজের কম সক্রিয় গোলাকার সমাণুর প্রতি প্রবণতা। তবুও প্রোটিনের বা লিপিডের গ্লাইকেশন বিক্রিয়াই সম্ভবত ডায়াবেটিসের অনেক দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার কারণ বলে ধারণা করা হয়। অন্যদিকে প্রোটিনের সাথে গ্লুকোজের এনজাইম নিয়ন্ত্রিত যুত বিক্রিয়া অনেক সময় এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।", "title": "গ্লুকোজ" }, { "docid": "97006#12", "text": "খাদ্যের অধিকাংশ কার্বহাইড্রেট হয় গ্লাইকোজেন বা শর্করার অণুর গঠন উপাদান হিসেবে অথবা সুক্রোজ বা ল্যাকটোজের মত মনোস্যাকারাইডের সাথে যুত বিক্রিয়ায় তৈরিতে গ্লুকোজ ধারণ করে। স্ফটিক ফ্রুক্টোজ গ্লুকোজ ধারণ করে না এবং এর শতকরা ৯৮ ভাগই গ্লুকোজ। ক্ষুদ্রান্তের লুমেন অংশে গ্লুকোজ-অলিগো এবং পলিস্যাকারাইড, প্যানক্রিয়াটিক ও অন্ত্রের গ্লাইকোসাইডেজের মাধ্যমে ভেঙে মনোস্যাকারাইডে পরিণত হয়। অন্যান্য পলিস্যাকারাইড মানুষের অন্ত্রে বিক্রিয়া করে না এবং যদি তা ভেঙে মনোস্যাকারাইডে পরিণত হতে হয় তবে অন্ত্রের ফ্লোরা দরকার হয় (ব্যতিক্রম ব্যতীত)। গ্লুকোজ এসময় এপিকেল মেমব্রেন ও পরবর্তিতে ব্যাসেল মেমব্রেনের মধ্য দিয়ে পরিবাহিত হয়। গ্লুকোজের কিছু অংশ মস্তিষ্কের কোয, অন্ত্রের কোষ বা লাল রক্ত কণিকা দ্বারা সরাসরি শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বাকি অংশ লিভার, অ্যাডিপোজ টিসু ও মাংসপেশীর কোষে পৌছে, যেখানে তা ইনসুলিনের প্রভাবে শোষিত হয় ও সংরক্ষিত থাকে। লিভারের কোষ গ্লাইকোজেন গ্লুকোযে পরিণত হতে পারে এবং রক্তে ফিরে আসতে পারে যখন ইনসুলিনের পরিমাণ কম থাকে বা থাকে না। মাংসপেশীর কোষে গ্লাইকোজেন এনজাইমের না থাকার কারণে রক্তে ফিরে আশে না। চর্বির কোষে গ্লুকোজ বিক্রিয়া গতিশীল করতে গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয়।", "title": "গ্লুকোজ" }, { "docid": "97006#2", "text": "গ্লূকোজেরর অণুতে ছয়টি কার্বন পরমাণু থাকে, যার একটি অ্যালডিহাইড গ্রুপের অংশ। তাই শ্রেণীগতভাবে গ্লূকোজ একটি \"অ্যালডোহেক্সোস\"। দ্রবণে গ্লূকোজ অণু খোলা শিকল আকারে বা গোলাকার বলয়াকারে (সাম্যাবস্থায়) থাকতে পারে। গোলাকার গঠনটি ছয় পরমাণু বিশিষ্ট হেমিয়াসেটাল উৎপাদনের জন্য অ্যালডিহাইড কার্বন পরমাণু ও কার্বন-৫ হাইড্রক্সিল গ্রুপের মধ্যকার সমযোজী বন্ধনের ফল। কঠিন অবস্থায় গ্লুকোজ বলয়াকার আকার ধারণ করে। কারণ বলয়ের গঠনটি পাঁচটি কার্বন ও একটি অক্সিজেন পরমাণু ধারণ করে। গ্লুকোজের গোলাকার কাঠামোটিকে অনেক সময় গ্লুকোপাইরানোজ বলেও অভিহিত করা হয়। এই গঠনে প্রত্যেক পরমাণু একটি করে হাইড্রক্সিল গ্রুপের সাথে যুক্ত থাকে, শুধু পঞ্চম পরমাণুটি ব্যতীত যা বলয়ের এর বাইরে ষষ্ঠ পরমাণুর সাথে যুক্ত থাকে এবং CHOH গ্রুপ গঠন করে। গ্লুকোজ সাধারণত সাদা পাউডার বা ক্ষুদ্রাকার কঠিন স্ফটিক আকারে পাওয়া যায়। এটি জলে দ্রবীভূত হতে পারে। জলে এর দ্রাব্যতা খুব বেশী।", "title": "গ্লুকোজ" }, { "docid": "97006#9", "text": "প্রোটিন ও লিপিড উৎপাদনে গ্লুকোজ একটি জটিল বিক্রিয়ক। উদ্ভিদে ও অধিকাংশ প্রাণীদেহে ভিটামিন সি উৎপাদনেও গ্লুকোজ একটি বিক্রিয়ক। অনেক প্রয়োজনীয় বস্তু সংশ্লেষনে গ্লুকোজ বিক্রিয়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্টার্চ, সেলুলোজ ও গ্লাইকোজেন হল গ্লুকোজের পলিমার। দুধের প্রধান চিনি ল্যাকটোজ একটি গ্লুকোজ-গ্যালাকটোজ ডাইস্যাকারাইড। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ডাইস্যাকারাইড সুক্রোজে গ্লুকোজ ফ্রুক্টোজের সাথে যুক্ত থাকে। এসকল সংশ্লেষণ ক্রিয়া গ্লাইকোলাইসিস বিক্রিয়ায় প্রথম ধাপের মাধ্যমে গ্লুকোজের ফসফরিলেশনের উপর নির্ভরশীল।", "title": "গ্লুকোজ" }, { "docid": "60447#0", "text": "গলনাঙ্ক () বলতে কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ গলে তরল পদার্থে রূপান্তরিত হবার প্রক্রিয়াকে বুঝায়। কোন বিশুদ্ধ পদার্থের গলনাঙ্ক আদর্শ তাপমাত্রা এবং চাপে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা হয়ে থাকে। পদার্থকে তাপ প্রয়োগ করলে এর তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। কিন্তু গলনাঙ্কে পৌঁছানোর পর তাপ প্রয়োগ সত্ত্বেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে না। সম্পূর্ণ পদার্থ গলে তরল হয়ে যাওয়ার পর আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। অর্থাৎ গলন প্রক্রিয়ার সময় তাপমাত্রার কোন বৃদ্ধি ঘটে না।\nপদার্থ যখন তরল থেকে কঠিনে পরিণত হয় তখন গলনাঙ্কের তাপমাত্রাকে হিমাঙ্ক বলা হয়। প্রায় সব পদার্থের জন্য গলনাঙ্ক এবং হিমাঙ্ক সমান। ১ বায়ুমন্ডলীয় চাপে বরফের গলনাঙ্ক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের খুব কাছে (৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট, ২৭৩।১৫ কেলভিন)। তবে টাংস্টেনের গলনাঙ্ক সবথেকে বেশি, ৬১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৬৮৩ কেলভিন), এজন্য লাইট বাল্বে টাংস্টেন ব্যবহার করা হয়।", "title": "গলনাঙ্ক" }, { "docid": "97006#8", "text": "গ্লুকোজ বায়োলজিতে একটি সর্বব্যাপী জ্বালানী। ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষ, প্রায় সব জীবে শক্তির একটি উৎস হিসেবে গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয়। শ্বসন ক্রিয়া বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ ব্যবহৃত হতে পারে। শর্করা হল মানব শরীরের শক্তির প্রধান উৎস, যার প্রতি গ্রাম শ্বাসক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ৩.৭৫ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি সরবরাহ করে। শর্করার বিশ্লিষ্ট হয়ে মনো ও ডাইস্যাকারাইড তৈরি করে যার অধিকাংশই হল গ্লুকোজ। গ্লাইকোলাইসিস বিক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লুকোজ অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড ও জল তৈরি করে। এক্ষেত্রে তাপ নির্গত হয়। ইনসুলিন বিক্রিয়া এবং অন্যান্য বিক্রিয়া রক্তে গ্লুকোজের ঘনত্ব নির্ধারণ করে থাকে। মস্তিষ্কের শক্তির প্রধান উৎস গ্লুকোজ এবং একারণে গ্লুকোজের উপস্থিতি শারীরিক ক্রিয়া প্রভাবিত করে। রক্তে গ্লুকোজের স্বল্পতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া যেসকল শারীরিক কর্মকাণ্ডে মানসিক সক্রিয়তা প্রয়োজন, তাদের ব্যাহত করে।", "title": "গ্লুকোজ" }, { "docid": "97006#4", "text": "গবেষণাগারে অ্যালকোহলের উপস্থিতিতে চিনিকে HCl বা HSO দ্বারা আর্দ্র বিশ্লেষিত করে গ্লূকোজ প্রস্তুত করা যায়। অ্যালকোহলে গ্লুকোজ অপেক্ষা ফ্রুক্টোজ অধিক দ্রবণীয় হওয়ায় দানায়ন পদ্ধতিতে গ্লুকোজ পৃথক করার জন্য দ্রাবক হিসাবে অ্যালকোহল ব্যবহৃত হয়। একটি পাত্রে ৪ সি সি গাঢ় HCI ১০০ সি সি ৯০% ইথাইল অ্যালকোহল এবং ৪০ গ্রাম চূর্ণ চিনি নিয়ে ৫০ উষ্ণতায় গরম করা হয়। পাত্রটিকে মাঝে মাঝে ঝাঁকানো হয় যে পর্যন্ত না চিনি সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয়। এতে করে চিনি আর্দ্র-বিশ্লেষিত হয়ে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ তৈরি হয়। ম্রিশ্রণটিকে ঠাণ্ডা করে এতে কেলাসনের সাহায্য করার জন্য কিছু গ্লুকোজের দানা যোগ করলে কম দ্রবণীয় গ্লুকোজ দানায়িত হয় এবং দ্রবণে ফ্রুক্টোজ থেকে যায়। এই গ্লুকোজকে ছেঁকে পৃথক করার পর অ্যালকোহলে পুনরায় দানায়িত করলে প্রায় বিশুদ্ধ গ্লুকোজ পাওয়া যায়।\nCHO + H0 = CHO (গ্লুকোজ) + CHO (ফ্রুক্টোজ)", "title": "গ্লুকোজ" }, { "docid": "413798#0", "text": "গ্লাইকোজেন হোল একটি পুষ্টিজাত পলিস্যাকারাইড। এটি প্রাণীদেহের প্রধান সঞ্চিত খাদ্য উপাদান হলেও নীলাভ সবুজ শৈবাল (সায়ানোব্যাক্টেরিয়া) ও কতিপয় ছত্রাক (যেমন-ইস্ট)-এর খাদ্য উপাদান হিসেবে বিরাজ করে। গ্লাইকোজেনের মূল গাঠনিক একক হলো α-D-গ্লুকোজ।\nঅ্যামাইলোপেকটিন এর মত এর অণু শৃঙ্খল ও শাখান্বিত। প্রতি শাখায় ১০-২০ টি গ্লুকোজ একক থাকে। হাইড্রোলাইসিস শেষে গ্লাইকোজেন হতে কেবল আলফা - D গ্লুকোজ অণু পাওয়া যায়।এর আণবিক সংকেত CHO । প্রাণিদেহে লিভার ও পেশিতে বেশি করে গ্লাইকোজেন জমা থাকে যা প্রয়োজনে গ্লুকোজ এ পরিণত হয়ে কার্বন ও শক্তি সরবরাহ করে।\nসঞ্চিত খাদ্য হিসেবে কাজ করে গ্লাইকোজেন।", "title": "গ্লাইকোজেন" } ]
মালদ্বীপের বর্তমান (২০১৯) রাষ্ট্রপতির নাম কী ?
[ { "docid": "453722#1", "text": "বর্তমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম; যিনি ২০১৩ সালে মোহাম্মদ আন্নি নাশিদ এর উত্তরসূরি হিসাবে ক্ষমতা লাভ করেন।", "title": "মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি" }, { "docid": "347506#0", "text": "আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম (; জন্ম: ২১ মে, ১৯৫৯) মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রের ৬ষ্ঠ ও বর্তমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মালদ্বীপের আইনসভা পিপলস মজলিসে সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের নেতা ছিলেন। ১৯৯৩ সাল থেকে অদ্যাবধি ধারাবাহিকভাবে চার মেয়াদে সংসদ সদস্যরূপে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তিনি মিমু ও বা প্রবালদ্বীপ সংসদীয় এলাকা থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন।", "title": "আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম" } ]
[ { "docid": "319670#0", "text": "মোহাম্মদ ওয়াহিদ হাসান মানিক (; জন্ম: ৩ জানুয়ারি, ১৯৫৩) মালেতে জন্মগ্রহণকারী মালদ্বীপের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত মেয়াদকালে তিনি মালদ্বীপের ৫ম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। একসময় তিনি সংবাদ উপস্থাপক ছিলেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘে ইউনিসেফ, ইউএনডিপি ও ইউনেস্কো’র কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মালদ্বীপের সংসদের সদস্য ছিলেন। মালদ্বীপের প্রথম নাগরিক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মালদ্বীপ টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থাপিত হয়েছেন তিনি।", "title": "মোহাম্মদ ওয়াহিদ হাসান" }, { "docid": "607651#1", "text": "জাপানের রাজধানী টোকিওতে মালদ্বীপের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে, মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে জাপানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। বর্তমানে, মালদ্বীপে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হলেন কাজুমি এন্ডো। ২০১৬ সালে তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়।", "title": "জাপান-মালদ্বীপ সম্পর্ক" }, { "docid": "307737#0", "text": "মামুন আব্দুল গাইয়ুম (; জন্ম: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৩৭) ১৯৭৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ বছর মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০৮ সালে মালদ্বীপে প্রথম বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এ নির্বাচনে মামুন আব্দুল গাইয়ুম এমডিপির মোহাম্মদ নাশিদের কাছে পরাজিত হন।\n১৯৭৮ সালে যে কোনো কারণে ইব্রাহিম নাসির সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গেলে ক্ষমতার হাল ধরেন একনায়ক মামুন আব্দুল গাইয়ুম। তিনি ৩০ বছর মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। প্রতিবারই তিনি একক নির্বাচনী প্রার্থী ছিলেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অভিষিক্ত ছিলেন। তাসত্ত্বেও মালদ্বীপের বাসিন্দারা গণতন্ত্রের সুখ ভোগ করতে পারেনি। মামুন আব্দুল গাইয়ুমের দীর্ঘ শাসনামলে তার নেতিবাচক কাজের কট্টর সমালোচকদের অন্যতম ছিলেন সাংবাদিক নাশিদ।", "title": "মামুন আব্দুল গাইয়ুম" }, { "docid": "528014#6", "text": "২০০৮ সালের জুনে একটি পরিষদ, যেটি “বিশেষ মাজলিস” নামে পরিচিত, একটি নতুন সংবিধান উপস্থাপন করে। ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট এই সংবিধান রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এই সংবিধান প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৩ সালে নাগরিক বিক্ষোভের কারণে রাষ্ট্রপতি গাইয়ুম আধুনিক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশের অঙ্গীকার করার পর। এই সংবিধানে বিচার বিভাগ একটি স্বাধীন কমিশনের আওতায় রাখা হয়েছে, এবং দুর্নীতি দমন ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য আলাদা স্বাধীন কমিশনের বিধান রাখা হয়েছে। এই সংবিধান রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা হ্রাস করেছে এবং সংসদকে শক্তিশালী করেছে।  অন্যান্য পরিবর্তনসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এই সংবিধান অনুসারে “একজন অমুসলিম মালদ্বীপের নাগরিক হতে পারবে না।”", "title": "মালদ্বীপের সংবিধান" }, { "docid": "608624#0", "text": "আল আমীর মোহাম্মদ আমিন ধোশাঈমেয়ানা কিলাইফানু (দিভেহি: އަލްއަމީރު މުހައްމަދު އަމީން ދޮށިމޭނާ ކިލެގެފާނު) (জুলাই ২০, ১৯১০ – জানুয়ারী ১৯, ১৯৫৪), জনপ্রিয় হিসাবে পরিচিত মোহাম্মদ আমিন দিদি ছিলেন মালদ্বীপের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি মালদ্বীপের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১লা জানুয়ারী, ১৯৫৩ থেকে ২১ আগস্ট, ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমিন দিদি ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত মাজিদিয়া স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমিন দিদির আমেনা আমীন নামে একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। তার নাতি আমিন ফয়সাল মালদ্বীপের সাবেক মন্ত্রী এবং মালদ্বীপের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন। তার অন্যান্য নাতীরা হলেনঃ ইব্রাহিম ফয়সাল, ফারহানাজ ফয়সাল ও ইশাত শুভইকার।", "title": "মোহাম্মদ আমিন দিদি" }, { "docid": "319670#3", "text": "২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদের পদত্যাগজনিত কারণে ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ তারিখে মোহাম্মদ ওয়াহিদ হাসান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। পরদিনই নাশিদ জানান যে, তিনি সামরিক বাহিনী ও পুলিশের বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় যে, ওয়াহিদ ও তাঁর সমর্থকেরা সামরিকবাহিনীর সহায়তায় জনগণকে নির্যাতন করেছেন।", "title": "মোহাম্মদ ওয়াহিদ হাসান" }, { "docid": "527544#0", "text": "থীমুগ (দিভেহি: ތީމުގެ, ) মালদ্বীপের  সাবেক প্রেসিডেন্ট এর প্রাসাদ হিসেবে পরিচিত। ১৯৯২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মামুন আব্দুল গাইয়ুম কর্তৃক রাষ্ট্রপতির মর্যাদা বাড়ানোর পর থীমুগ ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট এর প্রাসাদ হিসেবে ছিল, যখন গাইয়ুম দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে পরাজিত হন। মোহাম্মদ নাশিদ, নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট থীমুগকে রক্ষণাবেক্ষণের ঘোষণা দেন এবং মালদ্বীপের নতুন সরকারি বাসভবন হিসেবে পুরাতন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ মুলিয়াগকে পুনরায় ঘোষণা করেন। বর্তমানে থীমুগ মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।", "title": "থীমুগ" }, { "docid": "62676#0", "text": "ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ (জন্ম জুলাই ১০, ১৯২৫) মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৩ সালের ৩০শে অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। অবসর গ্রহণের দীর্ঘ পনের বছর পর ৯২ বছর বয়েসে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাপক দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার কারণে মাহাথির মোহাম্মদ আবারও আসেন রাজনীতিতে। ২০১৮ সালের ৯ মে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে জয়ের পরদিন ১০ মে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।", "title": "মাহাথির বিন মোহাম্মদ" } ]
খিলজি রাজবংশের প্রতিষ্ঠা কবে হয় ?
[ { "docid": "584145#1", "text": "আলাউদ্দিন খিলজি ছিলেন খিলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দিন খিলজির ভাতিজা এবং জামাতা। বীরভূমদেরকে পরাজিত করে জালালুদ্দিন খিলজি যখন দিল্লি দখল করে নেন। তখন আলাউদ্দিন খিলজিকে আমির-ই-তুজুখ বা উদযাপন মন্ত্রী পদ দেওয়া হয়। ১২৯১ সালে জালালুদ্দিন খিলজি তার ভাতিজা আলাউদ্দিন খিলজির হাতে কারা্(কানপুরের নিকটবর্তী এক এলাকা)নামক অঞ্চলের শাসনভার তুলে দেন। ১২৯৬ সালে আলাউদ্দিন খিলজি বসিলা অবরোধ করে জালালুদ্দিন খিলজির কাছে থেকে আবাধ(উত্তর-প্রদেশ) দখল করে সেটা শাসন করা শুরু করেন। ১২৯৬ সালে দেভাগিরি অবরোধ করেন এবং জালালুদ্দিনের বিপুল পরিমানের সম্পদ দখল করে নেন।জালালুদ্দিন খিলজিকে হত্যা করে, তিনি দিল্লিতে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে জালালুদ্দিনের ছেলের কাছ থেকে মুলতান দখল করে নেন।", "title": "আলাউদ্দিন খিলজি" }, { "docid": "378221#1", "text": "খলজি বা খিলজী রাজবংশ হল মধ্য যুগের মুসলিম রাজবংশ যারা ১২৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের বিশাল অংশ শাসন করত। জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজী এর প্রতিষ্ঠাতা । খিলজী শাসনামল অবিশ্বাস ,হিংস্রতা এবং দক্ষিণ ভারতে তাদের শক্ত অভিযানের জন্য খ্যাত হলেও ,খিলজী শাসনামল মূলত ভারতে হওয়া বারবার বর্বর মোঙ্গল অভিযান রুখে দেওয়ার জন্য সুপরিচিত।\nখিলজী রা মূলত তুরক আফগান জাতি গোষ্ঠীর যারা মূলত তুর্কি এবং যারা দিল্লিতে আসার আগে আফগানিস্তান বসবাস করত। জালালুদ্দিন খিলজীর পূর্বসূরীরা হেলমান্দ এবং লামঘান এ ২০০ বছরের ও অধিক সময় ধরে বসবাস করত।", "title": "খিলজি রাজবংশ" }, { "docid": "378221#0", "text": "খিলজি রাজবংশ (; Hindi: सलतनत ख़िलजी) ছিল তুর্কি বংশোদ্ভুত মুসলিম রাজবংশ। ১২৯০ থেকে ১৩২০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই রাজবংশ দক্ষিণ এশিয়ার বিরাট অংশ শাসন করে। জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজি এই রাজবংশের পত্তন করেন। এটি দিল্লি সালতানাত শাসনকারী দ্বিতীয় রাজবংশ। আলাউদ্দিন খিলজির সময় খিলজিরা সফলভাবে মোঙ্গল আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়।", "title": "খিলজি রাজবংশ" } ]
[ { "docid": "378221#2", "text": "তবে খিলজী দের তুর্কি জাতিগোষঠীর থেকে আলাদা ভাবা হত।বরং তারা স্থানীয় আফগানদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তাদের সাথেই মিশে গিয়েছিল এবং তাদের সংস্কৃতিকে নিজের করে নিয়েছিল।দিল্লি দরবারে তারা আফগান হিসেবেই পরিচিত ছিল\nখিলজী রা ছিল দিল্লির মামলুক রাজবংশের সামন্ত এবং দিল্লির সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন এর অধীন । বলবনের উত্তরাধিকারীদের ১২৮৯-১২৯০ সালে হত্যা করা হয় এবং এর পরপরই মামলুকদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে কোন্দল শুরু হয়ে যায়। এই কোন্দলের মধ্যে জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজীর নেতৃত্বে বিদ্রোহ সংগঠিত হয় এবং মামলুকদের বংশের শেষ উত্তরাধিকারী ১৭ বছর বয়সী মুইজ উদ দিন কাইকোবাদ কে হত্যা করেন।", "title": "খিলজি রাজবংশ" }, { "docid": "490853#1", "text": "মালওয়ায় দিল্লি সালতানাতের গভর্নর দিলাওয়ার খান ঘুরি মালওয়া সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৩৯২ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও ১৪০১ সালের পূর্ব পর্যন্ত রাজকীয় প্রতীক ধারণ করেননি। প্রথমে ধার ছিল রাজ্যের রাজধানী। কিন্তু শীঘ্রই তা মান্ডুতে স্থানান্তর করা হয় এবং রাজধানীর নতুন নাম রাখা হয় শাদিয়াবাদ। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র আল্প খান শাসক হন এবং হোশাং শাহ উপাধি ধারণ করেন। প্রথম মাহমুদ শাহ ১৪৩৬ সালের ১৬ মে নতুন সুলতান হন এবং খিলজি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত খিলজি রাজবংশ ১৫৩১ সাল পর্যন্ত মালওয়া শাসন করেছে। প্রথম মাহমুদের পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র গিয়াসউদ্দিন সুলতান হন। গিয়াসউদ্দিনের শাসনের শেষ দিকে তার দুই পুত্র নাসিরউদ্দিন ও আলাউদ্দিনের মধ্যে সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে নাসিরউদ্দিন বিজয়ী হন এবং ১৫০০ সালের ২২ অক্টোবর সিংহাসনে বসেন। ১৫৩১ সালের ২৫ মে মান্ডু দুর্গ গুজরাটের সুলতান বাহাদুর শাহের কাছে পরাজিত হওয়ার পর শেষ শাসক দ্বিতীয় মাহমুদ শাহ আত্মসমর্পণ করেন।", "title": "মালওয়া সালতানাত" }, { "docid": "15844#29", "text": "মাহমুদ শাহের পর তার পুত্র রুকুনউদ্দীন কায়কাউস বাংলার সিংহাসনে অাসীন হন। রুকুনউদ্দীন কায়কাউসের সময় দিল্লীর সুলতান ছিলেন [[আলাউদ্দিন খিলজি|অালাউদ্দীন খিলজী]]। ১৩০১ সালে অালাউদ্দীন খিলজী বাংলা অাক্রমণ করেন। যুদ্ধে কায়কাউস পরাজিত ও নিহত হন। খিলজী কায়কাউসের ভাই ফিরোজ শাহকে তার গভর্নর হিসেবে বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেন। [[ফিরোজ শাহ]] একজান খ্যাতিমান বিজেতা ছিলেন। তিনি খিলজীর নির্দেশে [[পূর্ব বঙ্গ|পূর্ববঙ্গ]] অাক্রমণ করেন এবং [[দেব রাজবংশ|দেব বংশকে]] সমূলে উৎখাত করেন। এর ফলে পূর্ববঙ্গ চিরস্থায়ী ভাবে মুসলিন শাসনাধীনে চলে অাসে। তার সময়েই বিখ্যাত অাউলিয়া [[শাহ জালাল]] বঙ্গদেশে অাগমন করেছিলেন এবং সিলেট জয় করেছিলেন। অালাউদ্দীন খিলজীর মৃত্যুর পরে তিনি স্বাধীনতা অর্জন করেন এবং কিছুদিন স্বাধীনভাবে রাজকার্য করার পর মৃত্যুবরণ করেন।", "title": "বাংলাদেশের ইতিহাস" }, { "docid": "378221#7", "text": "আলাউদ্দিন খিলজী ছিলেন জালাল উদ্দিন খিলজীর ভাইপো এবং জামাতা । যিনি হিন্দু রাজ্য মহারাষ্ট্রের রাজধানী দেবগীরি তে হামলা চালান এবং বিপুল পরিমাণ সম্পদ ভান্ডার লুট করেন। এরপর ১২৯৬ সালে তিনি দিল্লি আসেন এবং নিজ চাচা ও শ্বশুর জালাল উদ্দিন খিলজী কে হত্যা করেন এবং নিজে সুলতান হিসেবে দিল্লীর মসনদে বসেন।", "title": "খিলজি রাজবংশ" }, { "docid": "376898#2", "text": "খিজির খান সৈয়দ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। তৈমুর তাকে মুলতানের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ১৪১৪ সালের ২৮ মে খিজির খান দৌলত খান লোদির কাছ থেকে দিল্লির ভার গ্রহণ করেন এবং সৈয়দ রাজবংশের সূচনা ঘটান। কিন্তু তিনি সুলতান উপাধি ধারণ করেননি বরং তৈমুরি রাজবংশের \"রায়াত ই আলা\" বা সামন্ত হিসেবে শাসন পরিচালনা করেন। ১৪২১ সালের ২০ মে খিজির খানের মৃত্যুর পর তার পুত্র মোবারক খান তার উত্তরাধিকারী হন। তিনি তার মুদ্রায় \"মুইজউদ্দিন মোবারক শাহ\" নাম মুদ্রণ করেন। ইয়াহিয়া বিন আহমদ সিরহিন্দির লেখা \"তারিখ ই মোবারক শাহি\" বইয়ে তার শাসনামলের বিবরণ রয়েছে। মোবারক শাহের মৃত্যুর পর তার ভাতিজা মুহাম্মদ খান ক্ষমতা লাভ করেন এবং সুলতান মুহাম্মদ শাহ হিসেবে নামধারণ করেন। তার মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার পুত্র আলাউদ্দিনকে বাদাউন থেকে ডেকে পাঠান এবং তার উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেন।", "title": "সৈয়দ রাজবংশ" }, { "docid": "378221#4", "text": "জালালউদ্দিন খিলজী যিনি সিংহাসন আরোহণের সময় ৭০ বছর বয়সি ছিলেন , একজন প্রজাদরদি এবং বিনয়ী সুলতান ছিলেন", "title": "খিলজি রাজবংশ" }, { "docid": "378221#16", "text": "আলাউদ্দিন খিলজী নিজের রাজকোষ কে শক্ত করার জন্য কর ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটান যাতে যুদ্ধ এবং বিশাল সেনাবাহিনীর খরচ মিটাতে পারেন। তিনি কৃষিজ করকে ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ তে নিয়ে যান এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা যারা কর সংগ্রহ করে ভাতা পেত তা ও বন্ধ করে দেন ।", "title": "খিলজি রাজবংশ" } ]
সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কারের জন্য খনন কার্য কবে থেকে শুরু হয় ?
[ { "docid": "63623#1", "text": "পূর্ণবর্ধিত সময়কালে এই সভ্যতা হড়প্পা সভ্যতা নামে পরিচিত। হড়প্পা ছিল এই সভ্যতার প্রথম আবিষ্কৃত শহরগুলির অন্যতম। ১৯২০-এর দশকে তদনীন্তন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে এই শহরটি আবিষ্কৃত হয়। ১৯২০ সাল থেকে সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নস্থলগুলিতে খননকার্য চলছে। ১৯৯৯ সালেও এই সভ্যতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নসামগ্রী ও আবিষ্কৃত হয়েছে। মহেঞ্জোদাড়ো সিন্ধু সভ্যতার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।", "title": "সিন্ধু সভ্যতা" }, { "docid": "249249#3", "text": "সিন্ধু সভ্যতার (বা হড়প্পা সভ্যতা) মূল নিহিত রয়েছে ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মেহেরগড় সভ্যতার মধ্যে। পাঞ্জাব ও সিন্ধ অঞ্চলের সিন্ধু নদ উপত্যকায় ২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ সিন্ধু সভ্যতার শ্রেষ্ঠ দু'টি শহর হড়প্পা ও মহেঞ্জোদাড়ো গড়ে ওঠে। এই সভ্যতায় লিখন ব্যবস্থা, নগরকেন্দ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের অস্তিত্ব ছিল। ১৯২০-এর দশকে সিন্ধের সুক্কুরের কাছে মহেঞ্জোদাড়োয় এবং লাহোরের দক্ষিণে পশ্চিম পাঞ্জাবের হরপ্পায় খননকার্য চালিয়ে সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করা হয়। ভারতেও পূর্ব পাঞ্জাবের হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে গুজরাত পর্যন্ত এই সভ্যতার একাধিক কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছে। পশ্চিমে বালুচিস্তানেও এই সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। ১৮৫৭ সালে লাহোর-মুলতান রেলপথ নির্মাণের সময় হরপ্পা প্রত্নক্ষেত্রটি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও, এখানকার অনেক পুরাদ্রব্যই আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।", "title": "হরপ্পা" } ]
[ { "docid": "63623#5", "text": "১৮৭২-৭৫ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম প্রথম হড়প্পা সিলমোহর প্রকাশ করেন। তিনি ভুলবশত এটি ব্রাহ্মী লিপি মনে করেছিলেন। এর প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে ১৯১২ সালে জে. ফ্লিট আরও কতকগুলি হরপ্পা সিলমোহর আবিষ্কার করেন। এই সিলমোহর দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯২১-২২ সালে স্যার জন মার্শাল এই অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য অভিযান চালান। এই অভিযানের ফলশ্রুতিতেই স্যার জন মার্শাল, রায়বাহাদুর দয়ারাম সাহানি ও মাধোস্বরূপ ভাট হরপ্পা এবং রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ই. জে. এইচ. ম্যাককি ও স্যার জন মার্শাল মহেঞ্জোদাড়ো আবিষ্কার করেন। ১৯৩১ সালের মধ্যেই মহেঞ্জোদাড়োর অধিকাংশ প্রত্নস্থল আবিষ্কৃত হয়ে গিয়েছিল। তৎসত্ত্বেও খননকার্য অব্যাহত থাকে। এরপর ১৯৪৪ সালে ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তদনীন্তন ডিরেক্টর স্যার মর্টিমার হুইলারের নেতৃত্বে অপর একটি দল এই অঞ্চলে খননকার্য চালায়। ১৯৪৭ সালের পূর্বে আহমদ হাসান দানি, ব্রিজবাসী লাল, ননীগোপাল মজুমদার, স্যার মার্ক অরেল স্টেইন প্রমুখ এই অঞ্চলে খননকার্যে অংশ নিয়েছিলেন।", "title": "সিন্ধু সভ্যতা" }, { "docid": "63623#23", "text": "ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে সঞ্চিত ভৌমজলকে যেসব প্রাচীন সভ্যতায় কূপের সাহায্যে সংরক্ষিত করা হতো, তাদের মধ্যে প্রথম যে সভ্যতার সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে, তা হলো সিন্ধু সভ্যতা। গ্রামেও যে কাচা ইদারা খনন করা হতো, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। আর আল্লাহডিনো (করাচীর নিকটে)তে উচ্চতর ভূমিতে নির্মিত এক পাথরে বাধানো কূপও রয়েছে। সম্ভবত নিচের ভূক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এটি উচুতে স্থাপন করা হয়েছে। তবে সেখানে পুলি ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।", "title": "সিন্ধু সভ্যতা" }, { "docid": "80059#2", "text": "৪৫০০ খৃ: পূ: সালে সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা সেচের উদ্ভাবন করে। এই উদ্ভাবনার ফলে অনেক পরিকল্পিত বসতি গড়ে ওঠে যেখানে পয়ঃপ্রণালী ছিল। ফলে সিন্ধু সভ্যতার ব্যপ্তি ও সমৃদ্ধি বেড়ে গিয়েছিল, যা পরবর্তী পর্যায়ে নিকাশি ও পয়ঃপ্রণালীর ব্যবহার করে আরও পরিকল্পিত বসতি স্থাপন করতে সাহায্য করে। ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরী করা গিরনারের কৃত্রিম জলাধার গুলি এবং ২৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সেচখাল ব্যবস্থা সিন্ধু সভ্যতার পরিশীলিত সেচ ও জল সংরক্ষণ ব্যবস্থার উজ্বল নিদর্শন। খৃষ্টপূর্বাব্দ ৫ম-৪র্থ শহস্রাব্দেই এই অঞ্চলে তুলা চাষ প্রচলিত ছিল। আখ মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফসল। তবে আখের বিভিন্ন প্রজাতি সম্ভবত বিভিন্ন স্থানে উদ্ভুত হয়েছে; যেমন এস. বারবেরি (S. barberi) ভারতে, এবং এস. এডুল (S. edule) ও এস. অফিসিনারুম(S. officinarum) এসেছে নিউ গিনি থেকে।", "title": "ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাস" }, { "docid": "64498#2", "text": "সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা অনেক বিশাল, সুপরিকল্পিত নগরী নির্মাণ করেছিল, এবং এগুলির আংশিক পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এদের সভ্যতার লিখিত নিদর্শনগুলিতে, যেমন - কাদামাটির চাঙড় কিংবা সিলমোহর, ইত্যাদিতে যে লেখা আছে, যেগুলির পাঠোদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।সিন্ধু সভ্যতার বাসিন্দাদের ব্যাপারে আজ পর্যন্ত অসংখ্য মতামত এসেছে,সভ্যতাটি আবিষ্কারের পর তাৎক্ষনিক ভাবে কিছু পশ্চিমা পণ্ডিত(হুইজেল প্রমুখ) দাবী করেন সভ্যতাটি বর্তমান দক্ষিনভারতীয় দ্রাবিড়দের।যাদের বহিরাগত আর্যরা পরাজিত করে ও সভ্যতাটি ধ্বংস করে দেয়।এই তত্ত্ব দীর্ঘদিন প্রাধান্য পায়।কিন্তু গত বিশ বছর যাবত পরিচালিত তাবৎ পর্যবেক্ষনে এ তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়েছে।বর্তমান বিশেষজ্ঞদের ধারণা,এই প্রাচীন সভ্যতাটি আর্য,দ্রাবিড়(অস্ট্রালয়েড),মঙ্গোল এমনকি সুমেরীয়দেরও মিলিত সৃস্টি।তাছাড়া কোন বাইরের আক্রমণের প্রমাণও পাওয়া যায় নি(প্রাপ্ত ত্রিশটির মত মৃতদেহের কঙ্কাল সিন্ধু সভ্যতার বিলুপ্ত হবারও বহু পরের সময়কার যাকে শুরুতে গণহত্যার প্রমান বলা হয়েছিল) ।আবহাওয়া পরিবর্তন,সরস্বতী নদীর শুকিয়ে যাওয়া,ভুমিকম্প প্রভৃতি মিশ্র কারণে এ সভ্যতা পরিত্যক্ত হয়।উদ্ধারকৃত দ্রব্যের মধ্যে স্বস্তিকা ও মাতৃমূর্তি যথাক্রমে আর্য ও দ্রাবিড়দের উপস্থিতির প্রমাণ।যাই হোক,এ সভ্যতা ধ্বংস হলেও এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান ভারতীয় সভ্যতার ভিত স্থাপিত হয়। গ্রিক মহাবীর আলেকজান্ডার যখন ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারত আক্রমণ করেন, তার আগেই ভারতে বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজ্যের উৎপত্তি ঘটে। আলেকজান্ডার চলে গেলে মৌর্য রাজবংশের অধীনে এই উত্তর ভারতীয় রাজ্যগুলি একত্রিত হয়ে মৌর্য সাম্রাজ্য গঠন করে (৩২২-১৮০ খ্রিপূ)। এরপর কুশানরা উত্তর থেকে আক্রমণ করে এবং ১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কুশান সাম্রাজ্য গঠন করে। খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকে স্থানীয় গুপ্ত রাজবংশ ক্ষমতায় আসে এবং মৌর্যদের হারানো সাম্রাজ্যের প্রায় পুরোটাই পুনরুদ্ধার করে। গুপ্তরা ৩য় শতক থেকে ৫ম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত উত্তর ভারত শাসন করে। এই সময় দক্ষিণ ভারতে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্যের মধ্যে বিভক্ত ছিল। গুপ্তদের পর হর্ষবর্ধন সামান্য সময়ের জন্য উত্তর ভারত শাসন করেন (৬ষ্ট শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত)। এরপর আবার গোটা ভারত বিভিন্ন ক্ষুদ্র রাজ্যের এক জটিল সহাবস্থানমূলক ব্যবস্থায় ফেরত যায়। তবে এই সমস্ত রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মাঝেও ভারতীয় সভ্যতার মূল উপাদানগুলি অবিচ্ছিন্নভাবে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় সহস্রাব্দ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত সঞ্চারিত হয়ে এসেছে।", "title": "প্রাচীন ভারত" }, { "docid": "63623#22", "text": "একথা অনস্বীকার্য যে, নাগরিক বিপ্লবের জন্য কৃষি উৎপাদনের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রসারণ প্রয়োজন। সিন্ধু উপত্যকায় কোনো বিশেষ কারণ ছিলো, যা এ ধরনের প্রসারে অভূতপূর্ব সহযোগিতা করোছিলো। বলা হয় যে, খ্রিস্টপূর্ব ৫৫১০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২২৩০, এ সময়কালে আজকের তুলনায় অত্যন্ত বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায়, সে অঞ্চলে দীর্ঘকাল আর্দ্র পর্ব স্থায়ী হয়েছিলো। পরিবেশের এ সহায়তার কারণে সিন্ধু উপত্যকায় পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ের তুলনায় সে সময়ে অনেক বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছিলো। তবে কৃষিক্ষেত্রে সিন্ধু সভ্যতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটায়, ওই সময়কার কৃষি হাতিয়ার। প্রাচীন সিন্ধু সংস্কৃতির সময়কালে লাঙলের উপস্থিতিই তার একমাত্র প্রমাণ নয়, বরং বানাওয়ালি এবং জাওয়াইওয়ালায় (বাহাওয়ালপুর) কাদামাটির লাঙল আবিষ্কারও একই সূত্রে গাথা। উত্তরপূর্ব আফগানিস্তানে শোরতুঘাই এর সিন্ধু জনবসতিতে লাঙল-কর্ষিত ভূক্ষেত্র পাওয়া গেছে। লাঙল আসার পরে উৎপাদন ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হলেও, ফসল কাটার জন্য তেমন কোনো যন্ত্রপাতি সেসময়ের ইতিহাস থেকে জানা যায় না।", "title": "সিন্ধু সভ্যতা" }, { "docid": "63623#7", "text": "হরপ্পা সভ্যতার পূর্ণবর্ধিত সময়কাল ২৬০০ থেকে ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। সিন্ধু সভ্যতার পূর্বসূরি আদি হরপ্পা সভ্যতা ও উত্তরসূরি পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার সময়কাল মিলিয়ে এই সভ্যতার পূর্ণ বিস্তারকাল খ্রিষ্টপূর্ব তেত্রিশ শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়। সিন্ধু সভ্যতার পর্ববিভাজনের ক্ষেত্রে যে দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয় সেগুলি হল \"পর্ব\" ও \"যুগ\"। আদি হরপ্পা সভ্যতা, পূর্ণবর্ধিত হরপ্পা সভ্যতা ও পরবর্তী হড়প্পা সভ্যতাকে যথাক্রমে আঞ্চলিকীকরণ, সংহতি ও স্থানীয়ভবন যুগও বলা হয়ে থাকে। আঞ্চলিকীকরণ যুগের সূচনা নিওলিথিক মেহেরগড় ২ সময়কাল থেকে। ইসলামাবাদের কায়েদ-এ-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহমদ হাসান দানির মতে, \"মেহেরগড়ের আবিষ্কার সিন্ধু সভ্যতা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ ধারণাটিই পরিবর্তিত করেছে। এর ফলে আমরা একেবারে গ্রামীন জীবনযাপনের সূচনালগ্ন থেকে সমগ্র সভ্যতাটির একটি পূর্ণ চিত্র প্রাপ্ত হয়েছি।\"", "title": "সিন্ধু সভ্যতা" }, { "docid": "63623#24", "text": "প্রাচীন এবং পরিণত সিন্ধু এলাকাসমূহে খেজুর, বদরী (ber), আঙুর এবং আনারস উৎপাদিত হবার প্রমাণ (বীজের স্বাক্ষ্য) পাওয়া গেছে। প্রথম দুটি মেহরগড়ের প্রাচীনতম বসতিস্তরে পাওয়া গেছে। পরের দুটি হেলমন্দ উপত্যকায় উৎপাদিত হতো। আবিস্কৃত প্রাণী অস্থির মধ্যে \"জেবু\"র সন্তানসন্ততিদের হাড়ের সংখ্যা অত্যধিক। বলদ গাড়ি এবং লাঙল টানতো এবং গরু দুধ দিতো, এতেই বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে সিন্ধু এলাকার মানুষজনের জীবনযাত্রার স্বর্ণইতিহাস। এছাড়া সিন্ধু এলাকার জনগণের অন্যতম পেশা ছিলো শিকার। সিন্ধু সীল মোহর দেখে একটি বিষয় বলা যায় যে, বন্য এবং হিংস্র পশুর মোকাবেলা করা তখনকার সময়ের মানুষদের মধ্যে একটি অন্যতম বিষয় হিসেবে প্রতিভাত হয়।", "title": "সিন্ধু সভ্যতা" }, { "docid": "441410#1", "text": "মধ্য পেরুর সমুদ্রোপকূলবর্তী বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক খননস্থলে বিংশ শতাব্দীর বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক খননকার্য চালানো হয়। এর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল ১৯৭০'এর দশকে আসপেরো নামক স্থানে চালানো খননকার্য। এই খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে \"মাইকেল এডওয়ার্ড মোজলি\" প্রমুখ প্রত্নতত্ত্ববিদ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে,এই সভ্যতার মূল ভিত্তি ছিল সমুদ্রজাত খাদ্য। শস্যজাতীয় খাদ্য সিদ্ধ করার উপযোগী কোনওরকম মৃৎপাত্রের অণুপস্থিতি তাঁদের এই সিদ্ধান্তকেই আরও জোরদার করে। খনন অঞ্চলে উঁচু প্ল্যাটফর্মের উপর পাওয়া ছোট ছোট ঢিবি বা স্তূপ থেকে তাঁরা আন্দাজ করেন এগুলি আসলে প্রাণীজ খাদ্য প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত উনুনজাতীয় বস্তুরই অবশেষ মাত্র। এর উপর ভিত্তি করেই এরপর থেকে \"আন্দীয় সভ্যতার সমুদ্রনির্ভরতা\"র তত্ত্ব ঐতিহাসিক মহলে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।", "title": "আন্দীয় সভ্যতার সমুদ্রনির্ভরতা" }, { "docid": "296930#29", "text": "সিন্ধু সভ্যতাতে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত ব্যবস্থা ছিল। নদীর উর্বর অববাহিকায় উৎপাদিত শস্য ও অন্যান্য কৃষিজাত দ্রব্য দিয়ে বণিকেরা বাণিজ্য চালাত। এছাড়া হস্তশিল্পে নির্মিত বস্তু, গয়না, দামী পাথর এবং বস্ত্রের ব্যবসা চলত। মেসোপটেমিয়ার সাথেও এই সভ্যতার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ছিল। কিন্তু ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে এই শক্তিশালী সভ্যতাটির ধীরে ধীরে অবক্ষয় হতে থাকে। ধারণা করা হয় হয়ত ব্যাপক বন্যায় শস্যের ক্ষতি হয়েছিল। কিংবা সিন্ধু নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল বলে পূর্বের উর্বর জমিগুলি শুকিয়ে অনাবাদী হয়ে পড়ে। আরেকটি তত্ত্ব অনুসারে অতিরিক্ত পশুচারণের ফলে জমি শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং এগুলিতে আর ফসল ফলানো সম্ভব ছিল না।", "title": "বিশ্বের ইতিহাস" } ]
কাজী নজরুল ইসলাম মোট কতগুলি গান রচনা করেছেন ?
[ { "docid": "243456#0", "text": "নজরুলগীতি বা নজরুল সঙ্গীত বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান কবি ও সংগীতজ্ঞ কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত গান। তাঁর সীমিত কর্মজীবনে তিনি ৪,০০০-এরও বেশি গান রচনা করেছেন। পৃথিবীর কোনো ভাষায় একক হাতে এত বেশি সংখ্যক গান রচনার উদাহরণ নেই। এসকল গানের বড় একটি অংশ তাঁরই সুরারোপিত। তাঁর রচিত \"চল্‌ চল্‌ চল্‌, ঊর্ধগগনে বাজে মাদল\" বাংলাদেশের রণসংগীত। তাঁর কিছু গান জীবদ্দশায় গ্রন্থাকারে সংকলিত হয়েছিল যার মধ্যে রয়েছে \"গানের মালা\", \"গুল বাগিচা\", \" গীতি শতদল\", \"বুলবুল\" ইত্যাদি। পরবর্তীকালে আরো গান সংগ্রন্থিত হয়েছে। তবে তিনি প্রায়শ তাৎক্ষণিকভাবে লিখতেন; একারণে অনুমান করা হয় প্রয়োজনীয় সংরক্ষণের অভাবে বহু গান হারিয়ে গেছে।", "title": "নজরুলগীতি" } ]
[ { "docid": "569693#3", "text": "তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম \"আলোর পিঠে আঁধার\" ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জি-সিরিজের ব্যানারে প্রকাশিত হয়। এতে মোট গান রয়েছে ৮টি। সব কয়টি গানের কথা লিখেছেন ও সুর তিনি নিজেই এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অর্ক সুমন ও রোকন ইমন। এতে গায়ক বব মার্লের অনুকরণে একটি গান ও একটি আরাধনা সঙ্গীত রয়েছে। এই অ্যালবামের জন্য তিনি ১৪তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কারে মনোনয়ন লাভ করেন। পরের বছর অক্টোবরে তার তৃতীয় একক অ্যালবাম \"বুনোফুল\" প্রকাশিত হয়। এতে মোট ৯টি গান রয়েছে, যার মধ্যে ২টি সাঁওতালি গান রয়েছে। গান দুটি হল \"ফুলগাছটি লাগাইছিলাম\" ও \"কালো জলে কুজলা তালে\"। অ্যালবামটি প্রকাশ করে বেঙ্গল মিউজিক। ২০১৪ সালে মাসরম এন্টারটেইনমেন্ট অনলাইনে অ্যালবামটি প্রকাশ করে। এই অ্যালবামের জন্য তিনি ১৫তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ গায়িকা বিভাগে মনোনীত হন। ২০১৬ সালে তিনি তার চতুর্থ একক অ্যালবামের কাজ শুরু করেন। এছাড়া তিনি গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত \"স্বপ্নজাল\" চলচ্চিত্রে \"থেমে থাকে উদাস দুপুর\" গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব।", "title": "কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম" }, { "docid": "484184#4", "text": "কে. মল্লিক নামে রেকর্ডকৃত তাঁর গাওয়া হিন্দু ধর্মীয় সংগীত, বিশেষত শ্যামাসংগীত প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলায় ইসলামি গান লিখতে শুরু করলে তিনিও ইসলামি গান গাইতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি শিল্পী আব্বাসউদ্দিন আহমদ কে অনুরোধ করেন, নজরুলকে তাঁর জন্য ইসলামি গান লিখে দিতে প্ররোচিত করতে। কিন্তু কে. মল্লিক ইসলামি গান রেকর্ড করলে তাঁর শ্যামাসংগীত বিক্রি কমে যাবে আশঙ্কা করে কাজী নজরুল ইসলাম এবং গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল ইনচার্জ ভগবতী ভট্টাচার্য তাতে রাজি হন নি। ভগবতীবাবুর মৃত্যুর পর দায়িত্বে আসেন শ্রীহেমচন্দ্র সোম। তাঁর সম্মতিতে নজরুল শিল্পীর জন্য ইসলামি গান লিখেন এবং ‘মুন্সী মহাম্মদ কাসেম’ নামেই তা রেকর্ড করা হয়।", "title": "মুন্সী মহম্মদ কাসেম" }, { "docid": "1529#23", "text": "১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা থেকে কলকাতা ফেরার পথে নজরুল দুটি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্মের জন্ম দেন। এই দুটি হচ্ছে বিদ্রোহী কবিতা ও ভাঙ্গার গান সঙ্গীত। এগুলো বাংলা কবিতা ও গানের ধারাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল। বিদ্রোহী কবিতার জন্য নজরুল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। একই সময় রচিত আরেকটি বিখ্যাত কবিতা হচ্ছে \"কামাল পাশা\"- এতে ভারতীয় মুসলিমদের খিলাফত আন্দোলনের অসারতা সম্বন্ধে নজরুলে দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমকালীন আন্তর্জাতিক ইতিহাস-চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯২২ সালে তাঁর বিখ্যাত কবিতা-সংকলন অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থ বাংলা কবিতায় একটি নতুনত্ব সৃষ্টিতে সমর্থ হয়, এর মাধ্যমেই বাংলা কাব্যের জগতে পালাবদল ঘটে। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরপর এর কয়েকটি নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থের সবচেয়ে সাড়া জাগানো কবিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে: \"\"প্রলয়োল্লাস, আগমনী, খেয়াপারের তরণী, শাত-ইল্‌-আরব, বিদ্রোহী, কামাল পাশা\"\" ইত্যাদি। এগুলো বাংলা কবিতার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর শিশুতোষ কবিতা বাংলা কবিতায় এনেছে নান্দনিকতা খুকী ও কাঠবিড়ালি, লিচু-চোর, খাঁদু-দাদু ইত্যাদি তারই প্রমান। কবি তার \"মানুষ\" কবিতায় বলেছিলেন:\nতিনি কালী দেবিকে নিয়ে অনেক শ্যামা সঙ্গিত রচনা করেন, ইসলামী গজলও রচনা করেন।", "title": "কাজী নজরুল ইসলাম" }, { "docid": "582678#2", "text": "১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে গীতিকার হিসাবে তাকিাভুক্ত হন। এরপর একে একে লিখতে থাকেন দারুন সব গান, যার মধ্যে ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’ এবং \"একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার\" অন্যতম। \"সবকটা জানালা খোলে দাওনা\" গানটি তৎকালিন সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর খবর এবং বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানের সূচনা সঙ্গীতে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে এই গানটি পরিচালক কাজী হায়াৎ ১৯৯২ সালে \"সিপাহী\" ছবির টাইটেলেও ব্যবহার করেছিলেন। এই গানটি ছাড়াও নজরুল ইসলাম বাবু’র লিখা দেশাত্মবোধক গানগুলোও আজও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে গাওয়া হয়। কণ্ঠশিল্পী দিলরুবা খানের কণ্ঠে ‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা’ গানটিও নজরুল ইসলাম বাবুর লিখা। তিনি বাংলাদেশ গীতিকবি সংসদের প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ (১৯৭৮-৭৯) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।", "title": "নজরুল ইসলাম বাবু" }, { "docid": "10915#2", "text": "তিনি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বেশ কিছু গান বেতার ও গ্রামোফোনে গেয়েছেন। নজরুলের প্রথম স্বরলিপির সংকলন \"সুরমুকুর\" এর স্বরলিপি তার করা। এতে নজরুলের ২৭টি গানের স্বরলিপি রয়েছে। বইটি ডি এম লাইব্রেরি থেকে ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত হয়। মূলত তারই আগ্রহে নজরুল রেকর্ডিংয়ের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। এছাড়া কৌতুক অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের জীবদ্দশায় তার জীবনীগ্রন্থ \"দাদাঠাকুর\" রচনা করেন নলিনীকান্ত সরকার।", "title": "নলিনীকান্ত সরকার" }, { "docid": "582973#2", "text": "আব্বাসী মোট ৫০টি বই প্রকাশ করেন। তিনি ভাওয়াইয়া গানের উপর দুটি বই প্রকাশ করেন যার মধ্যে ১২০০ গানের উল্লেখ রয়েছে। তিনি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি, নিফফারি এবং সুলতান বহুর কবিতা নিয়ে কয়েকটি বই প্রকাশ করেছেন। তার অন্যান্য কয়েকটি বই হল \"আব্বাসউদ্দীন আহমদ\", \"মানুষ ও শিল্পী\", \"কাজী নজরুল ইসলাম, ম্যান অ্যান্ড পোয়েট\", \"পুড়িব একাকী\", এবং বাংলা ও ইংরেজিতে নজরুল এবং আব্বাসউদ্দিন স্মৃতিময় অ্যালবাম 'সাগা অব টাইম'।", "title": "মুস্তাফা জামান আব্বাসী" }, { "docid": "529221#0", "text": "নির্ঝর কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থ রেজিস্ট্রেশনের তালিকায় ১৯৩৯ সালের ২৩ জানুয়ারি গ্রন্থটির প্রকাশকাল চিহ্নিত হয়। এই গ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ২৫টি।\nনজরুল ইসলামের নির্ঝর বইকে অনেক সমালোচকের কাছে একটি ভাগ্যবিড়ম্বিত বই বলে মনে হয়েছে। যার পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হয়েছিল ১৯২৬ সালে। অধিকাংশ রচনা পত্রপত্রিকায় ১৯২৪-২৫-এর মধ্যে প্রকাশিত হয়। নির্ঝর-এর কবিতাসমূহ নজরুলের কাব্যচর্চার হাতেখড়ি-পর্বের হলেও এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে কবির কাব্যচর্চার প্রায় শেষ পর্যায়ে—১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে। এ গ্রন্থ প্রকাশে নজরুল-পরবর্তী স্বত্বাধিকারীদের অনীহা বা অবহেলাই প্রধানত কারণ হিসাবে চিহ্নিত।", "title": "নির্ঝর" }, { "docid": "243456#10", "text": "এ গ্রন্থে সমাহৃত গানগুলো হলোঃ-\n১৩৫২ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ ( মে, ১৯৫৯ ) প্রমীলা নজরুল ইসলাম ১৬, রাজেন্দ্রলাল স্ট্রিট, কলিকাতা-৬, এই বুলবুল (২য় খন্ড) নামীয় সঙ্গীতগ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। গ্রন্থটির পরিবেশক ছিলেন ডি এম লাইব্রেরি। মূল্য আড়াই টাকা। গ্রন্থটিতে গান ছিল ১০১টি। কবি-পত্নী প্রমীলা নজরুল ইসলাম প্রকাশিকার ভূমিকায় লেখেন, “কবির আধুনিক গানগুলি সংকলন করে “বুলবুল” (২য়) প্রকাশ করা হলো। তাড়াতাড়ি প্রকাশ করার জন্য ছাপায় কিছু ভুল থেকে গেছে। পরবর্তী সংস্করণে আশা করি কোনো ভুল থাকবে না। বইটির শেষ পৃষ্ঠায় কিছু সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। এই গানের বইটির আরেকটি বিশেষত্ব এই যে, এর মধ্যে কবির আধুনিক অপ্রকাশিত কতকগুলি গান আমরা দিতে পেরেছি। নজরুলগীতি যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের কাছে এই বইটি সমাদর পেলে, আমি আমার প্রথম প্রচেষ্টাকে সার্থক বলে মনে করবো।”", "title": "নজরুলগীতি" }, { "docid": "71797#12", "text": "নীলুফার ইয়াসমিন শ্রোতার আসর প্রযোজিত ও খান আতাউর রহমান পরিচালিত 'বেলা শেষের রাগিনী'-তে 'আবার ভালবাসার সাধ জাগে' শিরোনামের নজরুল-সঙ্গীতটি রেকর্ড করেন। বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রম থেকে 'এ কোন সোনার গাঁয়' রেকর্ডে একটি ও নজরুল ইন্সটিটিউট প্রকাশিত 'পাষাণের ভাঙালে ঘুম' ও 'বাজলো কি রে ভোরের সানাই' রেকর্ড দুটিতে দু'টি নজরুল-সঙ্গীত গেয়েছেন। এছাড়াও তাঁর কন্ঠে নজরুল-সঙ্গীত, কীর্তন ও পুরনো দিনের গানের বেশ কয়েকটি অডিও ক্যাসেট ও সিডি বেরিয়েছে। পুরনো দিনের গানের গীতিকাররা হলেন চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও কাজী নজরুল ইসলাম।", "title": "নীলুফার ইয়াসমিন" } ]
রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
[ { "docid": "59459#0", "text": "রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব দে ফুতবল (; \"রয়্যাল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব\") হচ্ছে একটি স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল ক্লাব, যেটি রিয়াল মাদ্রিদ নামে অধিক পরিচিত এবং এটিকে সংক্ষিপ্তভাবে শুধুমাত্র রিয়াল বলা হয়। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে এই ক্লাবটির অবস্থান। এটি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সফল ক্লাব। এই ক্লাবের একটি সফল বাস্কেটবল শাখা রয়েছে। সাদা টি-শার্ট ও শর্টস এবং নীল মোজা হচ্ছে এই ক্লাবের প্রধান পোশাক।\n১৯০২ সালের ৬ই মার্চে, \"মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব\" হিসেবে এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার শুরু হতেই এই ক্লাবটি তাদের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সাদা রঙের পোশাক পরিধান করছে। \"রিয়াল\" শব্দটি স্পেনীয় শব্দ \"রয়্যাল\" হতে আগত। ১৯২০ সালে ত্রয়োদশ আলফনসো-এর পরিহিত রাজকীয় মুকুট এই ক্লাবের প্রতীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ক্লাবটি ১৯৪৭ সাল হতে ৮১,০৪৪ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাদের সকল হোম ম্যাচ খেলছে। অধিকাংশ ইউরোপীয় ক্রীড়া ক্লাবের বিপরীতে, রিয়াল মাদ্রিদের সদস্যগণ (\"সসিওস\") তাদের ইতিহাস জুড়ে এই ক্লাবটির মালিকানায় ছিল এবং এটি পরিচালনা করেছে।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব" }, { "docid": "692705#0", "text": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব হচ্ছে একটি স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল ক্লাব, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে যেটির অবস্থান। এটি স্পেনীয় পেশাদার ফুটবলের শীর্ষ লীগ, লা লিগায় খেলে থাকে। ১৯০২ সালের ৬ই মার্চ তারিখে, মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব হিসেবে এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯০২ সালের ১৩ই মে তারিখে, ক্লাবটি তাদের ইতিহাসে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচটি খেলে; যেখানে তারা কাম্পেওনাতো দে কোপা দে এস.এম. আলফনসো ১৩-এর সেমি-ফাইনালে প্রবেশ করেছিল। ১৯২৯ সালে, রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগার ৩ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মধ্যে একটি যারা লা লিগার ইতিহাসে কখনোই শীর্ষ বিভাগ হতে অবনমিত হয়নি (বাকি দুই সদস্য হলো অ্যাথলেতিক বিলবাও ও বার্সেলোনা)। তখন থেকে, ক্লাবটির প্রথম দলটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সংগঠিত বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। রিয়াল মাদ্রিদ বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সফল ক্লাব, এপর্যন্ত ৬৪টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ ৩৩টি লা লিগা শিরোপা, ১৯টি কোপা দেল রে শিরোপা, ১০টি স্পেনীয় সুপার কাপ শিরোপা, ১টি কোপা এভা দুয়ার্তে শিরোপা এবং ১টি কোপা দে লা লিগা শিরোপা রয়েছে। ইউরোপীয় এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায়, রিয়াল সর্বমোট ২৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ ১৩টি ইউরোপিয়ান কাপ/উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা, ২টি উয়েফা কাপ শিরোপা এবং ৪টি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে, তারা রেকর্ড পরিমাণ ৬টি ক্লাব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করেছে।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়ের তালিকা" } ]
[ { "docid": "59459#5", "text": "আঠারো শতাব্দীতে ইন্সতিতুসিওন লিব্রে দে এন্সেনিয়াঞ্জার শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষার্থী, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের দ্বারা মাদ্রিদে ফুটবল খেলা প্রচারের মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি গড়ে উঠে। ১৮৯৭ সালে, তারা \"(সোসিয়েদাদ) স্কাই ফুটবল\" নামে একটি সংঘ প্রতিষ্ঠিত করেন, যেটি \"লা সোসিয়েদাদ\" (সমাজ) নামেই অধিক পরিচিত। এটি সেসময়ের মাদ্রিদভিত্তিক খেলাধুলার একমাত্র সংঘ ছিল, যেটি প্রতি রবিবার সকালে \"মনক্লোয়া\"য় খেলত। ১৯০০ সালে, এই সংঘের কয়েকজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ার ফলে তারা স্কাই ফুটবল হতে বিভক্ত হয়ে গিয়ে \"নুয়েভা সোসিয়েদাদ দে ফুটবল\" (ফুটবলের নতুন সমাজ) নামে নতুন একটি ক্লাব গঠন করে। বিভক্ত হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন হুলিয়ান পালাকিওস, যিনি রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বিভক্ত হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন দুই ভাই হুয়ান পাদ্রোস এবং কার্লোস পাদ্রোস, যারা পরবর্তীতে রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯০১ সালে, এই নতুন ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে \"মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব\" রাখা হয়। পরবর্তীতে, ১৯০২ সালে পুনর্গঠনের পর \"স্কাই ফুটবল\" সংঘটি নাম পরিবর্তন করে নিউ ফুট-বল ক্লাব রাখে। ১৯০৬ সালের ৬ই মার্চ তারিখে, হুয়ান পাদ্রোসের সভাপতিত্বে একটি নতুন বোর্ড নির্বাচিত হওয়ার পর, মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।\nপ্রতিষ্ঠার ৩ বছর পর, ১৯০৫ সালে, স্পেনীয় কাপের ফাইনালে অ্যাথলেতিক বিলবাওকে হারিয়ে মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব তাদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ১৯০৯ সালের ৪ঠা জানুয়ারি, ক্লাবটির তৎকালীন সভাপতি আদোলফ মেলেন্দেজ স্পেনীয় এফএ-এর সাথে একটি ভিত্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ক্লাবটিকে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যে পরিণত করেন। বেশ কয়েকটি মাঠে খেলার পর ১৯১২ সালে ক্লাবটি \"কাম্পো দে ও'দোনেল\"-এ স্থানান্তরিত হয়েছিল। ১৯২০ সালে, ত্রয়োদশ আলফনসো দ্বারা রিয়াল উপাধি লাভ করার পর, ক্লাবটির নাম পরিবর্তন করে রিয়াল মাদ্রিদ রাখা হয়।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব" }, { "docid": "670353#1", "text": "২০১০ সালে, আলফ্রেদো উয়োয়া দ্বারা মাদ্রিদ সিএফএফ প্রতিষ্ঠিত হয়। রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তারা সাদা জার্সি পরিধান করে, যদিও এই ক্লাবের সাথে রিয়াল মাদ্রিদের কোন সম্পর্ক নেই। মিডিয়া প্রকাশ করে যে, ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদ এই ক্লাবের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করে, কিন্তু পরবর্তীতে তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়।", "title": "মাদ্রিদ সিএফএফ" }, { "docid": "59459#46", "text": "ক্লাবের নিকটতম প্রতিবেশী হল এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, উভয় ফুটবল দল ও ভক্তদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লক্ষ্য করা যায়। ১৯০৩ সালে তিন বাস্ক শিক্ষার্থীদের দ্বারা আতলেতিকো প্রতিষ্ঠিত হলেও,১৯০৪ মাদ্রিদ এফসি-এর ভিন্নমতাবলম্বী সদস্যদেরা এতে যোগদান করে।এই দলটি স্পেনীয় বিমান বাহিনীর ফুটবল দল (নাম পরিবর্তন করে এল আতলেতিকো অ্যাভিসিওনন করা হয়) ফুটবল দলের সাথে একত্রিত যাওয়ার পরে আরও উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং রিয়ালের ইউরোপীয় সাফল্যের আগে ১৯৪০-এর দশকে আতলেতিকো ফ্রাঙ্কোর শাসনের পছন্দের দল হিসেবে বিবেচিত হয়।উপরন্তু,রিয়াল সমর্থকরা প্রাথমিকভাবে মাঝারি ও উচ্চতর শ্রেণি থেকে এসেছিল,আর আতলেতিকোর সমর্থকরা শ্রমিক শ্রেণী থেকে এসেছিলো।বর্তমানে যদিও এই পার্থক্যগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট।১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সাবেক মাঠ চামার্তিনে তারা প্রথমবারের মতো একে অপরের সাথে মুখোমুখি হয়। এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক ডার্বি এবং যেখানে রিয়াল ২-১ গোলে জিতেছিলো।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব" }, { "docid": "59459#8", "text": "১৯৪৫ সালে, সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ইয়েস্তে রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি হন। বার্নাব্যুর সভাপতিত্বে, স্পেনের গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ক্লাবটি তাদের নিজস্ব মাঠ এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সিউদাদ দেপোর্তিভা সংস্কার করেন। উপরন্তু, ১৯৫০-এর দশকে সাবেক \"রিয়াল মাদ্রিদ অপেশাদার\" খেলোয়াড় মিগুয়েল মালবো রিয়াল মাদ্রিদের যুব একাডেমী \"কান্তেরা\" প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, যেটি বর্তমানে লা ফাব্রিকা নামে পরিচিত। ১৯৫৩ সালের শুরুর দিকে, তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবে স্পেনের বাহির হতে বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের দলে অন্তর্ভুক্ত করার একটি নতুন কৌশল শুরু করেন; সে সময় দলে অন্তর্ভুক্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে আলফ্রেদো দি স্তিফানো ছিলেন অন্যতম।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব" }, { "docid": "664604#1", "text": "১৯৪৮ সালে এডি প্লাস আল্ট্রা নামক তৎকালীন \"তেরসেরা ডিভিশনে\" খেলা একটি অপেশাদার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকে সাহায্যকারী ক্লাব হতে রাজি হয়।রিয়াল মাদ্রিদ সেই ক্লাবকে আর্থিক সহায়তা করবে যার বদলে তারা তাদের সেরা খেলোয়াড়টিকে রিয়াল মাদ্রিদকে দিবে।১৯৫২ সাল নাগাদ ক্লাবটি অফিসিয়ালি রিয়াল মাদ্রিদের সংরক্ষিত ক্লাব হয়।\n১৯৭২ সালে ক্লাবটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় \"কাস্তিয়া ক্লাব দে ফুটবল\" বা \"কাস্তিয়া সিএফ\"।দলটি এই সময়েই নিজেদের স্বর্ণযুগ পার করে।\n১৯৯১ সালে \"রয়েল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন\" সংরক্ষিত ক্লাবগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।সেজন্য ক্লাবটির নাম পরিবর্তন করে রিয়াল মাদ্রিদ দেপোর্তিভো ও পরে রিয়াল মাদ্রিদ বি করা হয়।৯০ এর দশকের শুরুর দিকে বর্তমান সময়ের দুই সেরা কোচ ও সাবেক কাস্তিয়া প্লেয়ার ভিসেন্তে দেল বস্ক ও রাফায়েল বেনিতেজ এই ক্লাবেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন।\n২০০৪-০৫ মৌসুমে ক্লাবটি \"রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়া\" নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।২০০৬ সালে ক্লাবের স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে আলফ্রেদো দি স্তিফানো স্টেডিয়াম করা হয়।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়া" }, { "docid": "59459#36", "text": "২০০৬ সালের ৯ই মে তারিখে, মাদ্রিদে রিয়াল মাদ্রিদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে আলফ্রেদো দি স্তিফানো স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হয়। উক্ত স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ স্তাদ দ্য রেঁমসের মুখোমুখি হয়েছিল; এটি ১৯৫৬ সালের ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালের পুনঃখেলা ছিল, যেখানে সার্জিও রামোস, আন্তোনিও কাসসানো (২), রবের্তো সোলদাদো (২) এবং হোসে মানুয়েল জুরাদোর করা গোলের বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদ ৬–১ গোলে ম্যাচটি জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। মাদ্রিদের বাইরে বালদেবেবাসে অবস্থিত ক্লাবের এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রেটি বর্তমানে সিউদাদ রিয়াল মাদ্রিদের অংশ। এই স্টেডিয়ামটি বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের সংরক্ষিত দল রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ার নিজস্ব স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ৫,০০০। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি খেলোয়াড় আলফ্রেদো দি স্তিফানোর নামে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব" }, { "docid": "694991#0", "text": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব হলো স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত একটি ফুটবল ক্লাব, যেটি স্পেনের সর্বোচ্চ ফুটবল লীগের পর্যায় লা লিগায় প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ক্লাবটির হয়ে সর্বমোট ১৮জন সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই ক্লাবটি রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের ক্লাব সদস্যদের মালিকানাধীন এবং এটি সীমিত দায় কোম্পানির মতোই। রিয়াল মাদ্রিদ তাদের সভাপতি একটি ব্যালট নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত করে। খেলোয়াড় এবং কর্মীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষরিতসহ ক্লাবের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করারই হচ্ছে সভাপতির প্রধান দায়িত্ব। স্পেনে, প্রত্যেক সভাপতির তাদের ক্লাবের প্রথম দলের খেলা মাঠে বসে দেখা বাধ্যতামূলক, যেখানে সভাপতি বিপরীত দলের সভাপতির সাথে বসে খেলা উপভোগ করে থাকে।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের সভাপতির তালিকা" }, { "docid": "59459#33", "text": "বিভিন্ন মাঠের নিজেদের হোম ম্যাচ খেলার পরে, রিয়াল মাদ্রিদ ১৯১২ সালে \"কাম্পো দে ও'দোনেলে\" স্থানান্তরিত হয়, যেখানে তারা ১১ বছর সময় ধরে নিজেদের হোম ম্যাচ আয়োজন করেছিল। উক্ত সময়ের পর, মাদ্রিদ এক বছরের জন্য \"কাম্পো দে সিউদাদ লিনিয়ালে\" স্থানান্তরিত হয়েছিল, উক্ত স্টেডিয়ামের দর্শকের জন্য একটি ছোট স্থান ছিল যার মধ্যে একসাথে ৮,০০০ জন দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারত। অতঃপর, রিয়াল মাদ্রিদ \"এস্তাদিও চামার্তিন\" নামক স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ম্যাচের আয়োজন করে; উক্ত স্টেডিয়ামটি ১৯২৩ সালের ১৭ই মে তারিখে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই স্টেডিয়ামে একসাথে ২২,৫০০ দর্শক খেলা দেখার সুযোগ ছিল; এই স্টেডিয়ামেই রিয়াল মাদ্রিদ তার প্রথম স্পেনীয় লিগ শিরোপা জয় উদযাপন করেছিল। বেশ কিছু সাফল্য অর্জনের পর, ১৯৪৩ সালে নির্বাচিত সভাপতি সান্তিয়াগো বার্নাব্যু সিদ্ধান্ত নেন যে, এস্তাদিও চামার্তিন ক্লাবের হোম ম্যাচগুলো আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত এবং এরই ফলস্বরূপ ১৯৪৪ সালের ২৭শে অক্টোবর তারিখে ক্লাবের জন্য নতুন একটি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালের ১৪ই ডিসেম্বর তারিখে সেটি উদ্বোধন করা হয়। এটি বর্তমানে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত, যদিও এটি ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এটি অন্য আরেক নামে পরিচিত ছিল। রিয়াল মাদ্রিদ এবং পর্তুগিজ ক্লাব বেলেনেন্সেসের মধ্যকার ম্যাচটি ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যু-এ অনুষ্ঠিত সর্বপ্রথম ম্যাচ এবং উক্ত ম্যাচটি লস ব্ল্যাঙ্কোসরা ৩–১ গোলে জয়লাভ করেছিল এবং উক্ত ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলেন সাবিনো বারিনাগা।", "title": "রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব" } ]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নেতৃত্ব কে দিয়েছিলো ?
[ { "docid": "6317#5", "text": "প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি তার সম্পদ, সম্মান এবং ক্ষমতার প্রায় সবটুকুই হারিয়ে বসে। এর সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাধারার মূল কারণ ছিল জার্মানির হৃত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূমিকেন্দ্রিক সম্পদ পুণরুদ্ধার করা এবং পুণরায় একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। এর পাশাপাশি পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনের সম্পদসমৃদ্ধ ভূমি নিয়ন্ত্রণে আনাও একটি উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছে। জার্মানির একটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর সম্পাদিত ভার্সাই চুক্তি হতে বেরিয়ে আসার। এরই প্রেক্ষাপটে হিটলার এবং তার নাজি বাহিনীর ধারণা ছিল যে একটি জাতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে সংগঠিত করা সম্ভব হবে।\n নাৎসি বাহিনীর পোল্যান্ড আক্রমণএর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিষ্ক্রিয় রাখার জন্য জার্মানী অনাক্রমণ চুক্তি করে। অন্যদিকে ব্রিটেন ও ফ্রান্স পোল্যান্ডের সাথে সহায়তা চুক্তি করে। ১৯৩৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড অভিযান শুরু হল। ৩রা সেপ্টেম্বর মিত্রবাহিনী জার্মানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল এবং শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।", "title": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ" }, { "docid": "71430#1", "text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পূর্ব এডলফ হিটলারের স্বপ্ন ছিল তৃতীয় রাইখ গড়ার, জার্মানদের পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কিন্তু যুদ্ধে হেরে যায় জার্মানি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি মিত্রশক্তির নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়নের আওতায় চার ভাগে বিভক্ত হয় জার্মানি। পরে ১৯৪৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব জার্মানিকে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যাতে চালু হয় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা। আর বাকি তিন দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাকি অংশকে ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি গঠন করা হয়, চালু হয় পুঁজিবাদী ব্যবস্থা। স্নায়ুযুদ্ধকালে পশ্চিম জার্মানির পুঁজিবাদী অর্থনীতির মন্দ প্রভাব ও ঘরহীন মানুষের স্রোত ঠেকাতে ১৯৬১ সালে পূর্ব জার্মানির শাসকরা বার্লিন প্রাচীর নির্মাণ করে। তবে আশির দশকের শেষে সোভিয়েত ইউনিয়নে গর্বাচেভের উদার নীতিমালা সমগ্র বিশ্বে প্রভাব ফেলে। জার্মানি একীভূত হওয়ার যে দাবি উঠেছিল তার উপর গর্বাচেভের উদার নীতিমালা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর জার্মান একীভূত হওয়ার ঘোষণার সাথে সাথে বার্লিন প্রাচীর ভেঙে দেয়া হয়। স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়। দুই জার্মানি আবারো একীভূত হয়।\nসোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের উদারীক নীতিমালা গ্রহণ করলে দেশটি বহুভাগে বিভক্ত হয়। একে একে সকল রাজ্য স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্ব হয়ে পড়ে এককেন্দ্রিক। মনে করা হত, সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের পতন হলেও একীভূত জার্মানি আবার পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। কিন্তু সেটা হলো না বরং জার্মানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রতে পরিণত হয়। বার্লিন প্রাচীর পতনের পর জার্মানি পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেনি। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার ঢেউ জার্মানিতে লাগলেও তারা দাবি করে মন্দা কাটিয়ে উঠেছে। জার্মানি এগোচ্ছে, সময় লাগলেও পূর্ব-পশ্চিমের অর্থনৈতিক, সামাজিক বৈষম্যের দেয়াল ভাঙছে, বেকারত্বের হারও কমছে। বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানির নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকেরা জার্মান জাতি সম্পর্কে বিশ্ববাসীর অবিশ্বাস, ভয়-ভীতি-সংশয়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঐক্যবদ্ধ জার্মানিকে।", "title": "পূর্ব জার্মানি" } ]
[ { "docid": "6563#1", "text": "হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল \"লেবেনস্রাউম\" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।", "title": "আডলফ হিটলার" }, { "docid": "555330#12", "text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের ফলে সর্বজার্মানবাদ মতবাদের সমাপ্তি ডেকে আনে, যেমনটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সর্ব-দাসত্ব মতবাদ ধংসে নেতৃত্ব দিয়েছিলো। জার্মানির অংশ নিজেই বিধ্বস্ত হয়েছিল, দেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছিলো, প্রথমতঃ সোভিয়েত, ফরাসি, আমেরিকান এবং ব্রিটিশ অঞ্চল এবং তারপর পশ্চিম জার্মানি ও পূর্ব জার্মানিতে। এই দুর্ভোগ লাভ করার জন্য জার্মানিকে অনেক ভুক্তভোগী হতে হয়েছে, এমনকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আঞ্চলিক ক্ষতির তুলনায় এটি ছিল বৃহত্তর। পূর্ব জার্মানির বিশাল অংশ সরাসরি সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পোল্যান্ড এর সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়। জার্মানদের পরাজয়ের মাপকাঠি ছিল অভূতপূর্ব। সর্বজার্মানবাদ ক্রমশ নিষিদ্ধ হতে থাকে, কারণ এই মতবাদটি নাৎসি পার্টির মাধ্যমে \"অভিজাত জাতী\" ও \"নর্ডিজম\" এর বর্ণবাদের সাথে জড়িয়ে যায়। ১৯৯০ সালে পুরানো বিতর্ক পুনর্জাগরিত করে জার্মানিকে পুনরেকত্রীকরণ করা হয়।", "title": "সর্বজার্মানবাদ" }, { "docid": "632390#16", "text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ডে রাশিয়ান এবং জার্মান সেনাবাহিনীর আক্রমণের সাথে। ব্রিটিশ আমল থেকে পোল্যান্ডে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নেতৃত্বে জার্মানির যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট বিইএফ পাঠানো হয়েছিল এবং ১৯৪০ সালের মে মাসে ডানকির্ক থেকে দ্রুতগতিতে জার্মান বাহিনী নিম্ন দেশ এবং ফ্রান্স জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।", "title": "ব্রিটিশ সেনাবাহিনী" }, { "docid": "91001#1", "text": "রমেলের অবদান হিসেবে মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা বলা হলেও তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধেই একজন অত্যন্ত দক্ষ ও সন্মানিত কর্মকর্তা ছিলেন এবং সে সময়ে ইতালীয় ফ্রন্টে বীরত্ব প্রদর্শনের বিনিময়ে তৎকালীন প্রুশিয়ার সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব \"পুর ল্য মেরিত\" অর্জন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে ১৯৪০ সালে জার্মানির ফ্রান্স অভিযানের সময় রমেল একটি পান্‌ৎসার ডিভিশানের নেতৃত্বে ছিলেন, মিত্রবাহিনী যে ডিভিশানটিকে রমেলের বিশেষ রণকৌশলের কারণে ‘ভৌতিক ডিভিশান’ আখ্যা দিয়েছিল।", "title": "এর্ভিন রমেল" }, { "docid": "35420#0", "text": "১০ই মে ১৯৪০ একসাথে চারটি দেশ [ফ্রান্স,বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ড,লুক্সেমবার্গ]আক্রমণ করে ভুয়া যুদ্ধের ইতি টানল জার্মানী ।\nঐদিন জার্মান প্যারাশ্যুটিস্টরা নেদারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি দখল করে নিল । একই দিনে বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষার কেন্দ্র এবেন এমেল দুর্গ ও আলবার্ট খালের সেতুর ওপর অবতরন করলো গ্লাইডাররা [যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম ]। ফরাসিরা ভেবেছিল আক্রমণ আসবে ফ্রান্স জার্মানী সীমান্তের রণরেখা ম্যাগিনোট লাইনের ওপর ।অথবা বেলজিয়ামের ভিতর দিয়ে আমুর হয়ে।তারা ভেবেছিল জার্মানীর প্যানজার বাহিনী আরদেনের জঙ্গল ভেদ করে আসতে পারবে না ।\n১৪ই মে নেদারল্যান্ডের পতন ঘটলো ।রাণী উইলহেলমিনা লন্ডনে নির্বাসিত সরকারের দপ্তর বসালেন ।\nবেলজিয়ামের রণরেখা পীল লাইনের পতন হবার পর মিত্রবাহিনী্ অ্যান্টওয়ার্প নামুর লাইনে থেকে লড়ছিল কিন্ত ১৪ই মে আরদেন থেকে জার্মান বাহিনী বেরিয়ে এসে প্রবল বেগে এগোতে থাকায় তাদের ফ্রান্সে ডেকে নেয়া হলো ।\nফ্রান্সে দিশেহারা মিত্র সেনাদের দুভাগ করে ঘিরে ফেলল শত্রু ।একদল আটকা পড়ল ডানকার্কে ।ইওরোপ থেকে ফরাসি ও BEF [british expiditionary force] সেনা প্রত্যাহারের একমাত্র বন্দর তখন ডানকার্ক ।জার্মানরা পৌছাঁবার আগে তড়িঘড়ি পশ্চাদপসরণ শুরু হলো ।২৬শে মে থেকে ৪ঠা জুন ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর ছত্রছায়ায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইতিহাসের বৃহত্তম সেনা অপসারণের কাজ শেষ হলো ।তবে ফেলে আসতে হলো বেশীরভাগ যন্ত্রাদি ।এরমাঝে ২৭শে মে বেলজিয়ামের পতন হলো ।\n৫ই জুন জার্মানী somme থেকে নতুন করে আক্রমণ শুরু করল । ৯ই জুন aisne এর পতন ঘটল । মাগিনোট রেখা ফেলে রেখে তারা সুইস সীমান্তের দিকে চলে গেল ।\n১০ই জুন ইতালিও যুদ্ধ ঘোষণা করল ।তবে তারা আক্রমণ শুরু করে ২০শে জুন থেকে ।\nফরাসি সরকার প্রথমে তুর ও পরে বোর্দোতে সরে গেল ।\n১৪ই জুন প্যারিসের পতন ঘটল ।\n১৬ই জুন প্রধানমণ্ত্রী রেনো পদত্যাগ করলেন ও তার বদলে এলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নায়ক পেত্যাঁ ।\n২২শে জুন জার্মান-ফরাসি এবং ২৪শে জুন জার্মান-ইতালীয় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।\nএদিকে শার্ল দো গল লন্ডন থেকে ফরাসিদের প্রতি প্রতিরোধের আবেদন জানাতে থাকেন ।অল্প কিছু ফরাসি উপনিবেশ তাতে যোগদান করে ।\nফ্রান্সের বেশিরভাগ এলাকা জার্মানী নিয়ে নেয় ।অল্প কিছু জায়গা জুড়ে পেঁত্যা একটি নিরপেক্ষ কিন্তু জার্মানীর প্রভাবাধীন সরকার গঠন করেন ।এটি ভিশি ফ্রান্স নামে পরিচিত হয় ।\nফরাসি নৌ ও বিমান বাহিনীর হাতবদল না হলেও তাদের নিরপেক্ষ রাখা হয় ।\nকিন্তু ফরাসি নৌ বহর একসময় জার্মানীর হাতে চলে যেতে পারে এই আশঙ্কায় ৩রা জুলাই ব্রিটেন নামমাত্র বাধায় ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রাধহীন বন্দরে থাকা জাহাজগুলি দখল করে নিল ।তবে আলজেরীয় বন্দরের জাহাজগুলি বাধা দিল ও গোলাগুলি হলো ।ফলে পরদিন পেত্যাঁর সরকার ব্রিটেনের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করল ।", "title": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ফ্রান্সের সামরিক ইতিহাস" }, { "docid": "644299#6", "text": "জন হ্যামিল্টন নামে একজন ও এস এস প্রতিনিধি হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে কাজগুলো করেন সেগুলো হল মালামাল নিয়ে সমুদ্রপথে ইতালি থেকে যুগোস্লাভিয়া যাওয়া এবং প্যারাশুট দিয়ে বিমান থেকে ফ্যাসিবাদ ক্রোয়েশিয়ায় অবতরণ করা। তিনি নেপলস-ফোজিয়া যুদ্ধে অংশ নেন এবং পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর ১৩, ১৯৪৪ তারীখে ফার্স্ট লুটেনেন্ট এবং ফেব্রুয়ারী ১৪, ১৯৪৫ খৃষ্টাব্দে ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পান। তিনি বাল্কান এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক মর্যাদা সিল্ভার স্টার পদক জয়ী হন। এছাড়া তিনি শত্রু অঞ্চলে প্যারাশুট নিয়ে অবতরণের জন্য ব্রঞ্জ এরোহেড এবং যুগোস্লাভিয়ার নেতা মার্শাল টিটো’র প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন ডিসেম্বর ২৪, ১৯৪৫ খৃষ্টাব্দে।", "title": "স্টার্লিং হেইডেন" }, { "docid": "362994#1", "text": "লক্ষ্য জার্মানির দখল দ্বারিত্ব থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করা। আক্রমণের ইতিহাসে পৃথিবীর সব চাইতে বড় উভচর আক্রমণ এটি। যার গোপন পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ১৯৪৩ সালের শুরুর দিকে। ফ্রান্স এর এই উপকূল বর্তি এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখতে হিটলার তার সামরিক বাহিনির সব থেকে চৌখুস এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাম করা ফিল্ড মার্শাল Erwin Rommel কে কমান্ডের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পারেননি তিনি আধিপত্য ধরে রাখতে মিত্র পক্ষের যৌথ বাহিনির কাছে তার পরাজয় বরন করতে হয়েছিল। ১,৫৬,০০০ আমেরিকান ব্রিটিশ ও কানাডিয়ান যৌথবাহিনি ফ্রান্সের নরম্যান্ডি অঞ্চলের উপকূলে ৫০ মাইল দীর্ঘ একটি সৈকতের উপরে ৫ টি ভাগে ভাগ হয়ে অবতরন করে । অগাস্ট ১৯৪৪ শেষ দিকে উত্তর ফ্রান্স মিত্র বাহিনির দখলে আসে । জার্মানরা পরাজিত হতে শুরু করে বসন্তের শেষ দিকে ফ্রান্স শত্রু মুক্ত হয় । ইউরোপ জয় শুরু হয়ে ছিল নরম্যান্ডির এই জয় দিয়ে।", "title": "নরম্যান্ডি অবতরণ" }, { "docid": "6317#11", "text": "১০ই মে ১৯৪০ একসাথে চারটি দেশ আক্রমণ করে জার্মানী। ফরাসিরা ভেবেছিল আক্রমণ আসবে ফ্রান্স জার্মানী সীমান্তের রণরেখা ম্যাগিনোট লাইনের ওপর। অথবা বেলজিয়ামের ভিতর দিয়ে আরদেন হয়ে। তারা ভেবেছিল জার্মানীর প্যানজার বাহিনী আরদেনের জঙ্গল ভেদ করে আসতে পারবে না। ১৪ই মে নেদারল্যান্ডের পতন ঘটলো। ১৪ই মে আরদেন থেকে জার্মান বাহিনী বেরিয়ে এসে দিশেহারা মিত্র সেনাদের ছিন্নবিছিন্ন করে প্রবল বেগে এগোতে থাকল। ডানকার্ক বন্দর দিয়ে তড়িঘড়ি ফরাসি ও ব্রিটিশ অভিযানবাহিনীর সেনা পশ্চাদপসরণ শুরু হলো। ২৬শে মে থেকে ৪ঠা জুন ইতিহাসের বৃহত্তম সেনা অপসারণের কাজ শেষ হলো। তবে ফেলে আসতে হলো বেশীরভাগ যন্ত্রাদি। এরমাঝে ২৭শে মে বেলজিয়ামের পতন হলো।", "title": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ" }, { "docid": "717350#0", "text": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৩৯-১৯৪৫) ভারত যুক্তরাজ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রীত ছিল, ব্রিটিশদের অধিনস্ত ভারতবর্ষে পাঁচশত দেশীয় রাজ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল; ব্রিটিশ ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ব্রিটিশ রাজ মিত্রশক্তির অংশ হিসাবে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ কমান্ডের অধীনে যুদ্ধ করার জন্য দেড় লাখ সৈন্য পাঠিয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার যুদ্ধের অর্থ সহায়তায় কোটি কোটি পাউন্ড ধার্য করে। চীন বার্মা ইন্ডিয়া থিয়েটারে চীনকে সমর্থনের জন্য ভারত আমেরিকান কার্যক্রমের ভিত্তি সরবরাহ করেছে।", "title": "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারত" } ]
ইমোজির সর্বপ্রথম ব্যাবহার কোন দেশ করেছিল ?
[ { "docid": "562439#1", "text": "১৯৯০-এর দশকে জাপানি মোবাইল ফোনে ইমোজির প্রথম আবির্ভাব। এরপর অ্যাপেলের আইফোনে ইমোজি অন্তর্ভুক্ত হবার সাথে সাথে ইমোজির দিগ্বিজয় শুরু হয়। পরে অ্যান্ড্রয়েড আর অন্যান্য মোবাইল ফোনগুলি অ্যাপেলকে অনুসরণ করে ইমোজিকে গ্রহণ করে। অ্যাপেলের ম্যাক-ওএস ইমোজির ১০.৭ (লায়ন) সংস্করণটি সমর্থন করে। মাইক্রোসফ্‌ট উইন্ডোজ় ৮-এ সিগো উইআই সিম্বল সিস্টেম ফন্টে একবর্ণী ইউনিকোড ইমোজি চালু করে, পরে উইন্ডোজ় ৮.১-এ সিগো ইউআই ইমোজি ফন্টের মাধ্যমে রঙিন ইমোজি তৈরি করে। ২০১৬-র ৪ঠা নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে প্রথম \"আন্তর্জাতিক ইমোজিকন সম্মেলন\" অনুষ্ঠিত হয়।", "title": "ইমোজি" }, { "docid": "562439#3", "text": "ইমোজি প্রথমে শুধু জাপানি মোবাইল অপারেটর, NTT DoCoMo, au এবং সফ্‌টব্যাঙ্ক মোবাইলে (প্রাক্তন ভোডাফোন) ব্যবহৃত হত। এই সংস্থাগুলি নিজেদের আলাদা আলাদা ইমোজি ব্যবহার করত। বিশ্বের প্রথম ইমোজি শিগেটাকা কুরিতা ১৯৯৮ সালে তৈরি করেন। তিনি ছিলেন NTT DoCoMo-র আই-মোবাইল ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম দলের সদস্য। কুরিতা আবহাওয়ার সংকেত, চিনে অক্ষর এবং রাস্তার চিহ্নগুলোকে ইমোজিকে রূপান্তরিত করেন। এমনকি মাংগায় মনের ভাব বোঝাতে যে সব চিহ্ন ব্যবহৃত হত (যেমন, বুদ্ধি বোঝাতে বাল্‌ব), সেগুলোকেও ইমোজি বানানোর কাজে লাগান। আই-মোডের মেসেজিং পরিষেবাটি বৈদ্যুতিন যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করতে এবং বাজারে নিজেদের উৎকর্ষ বাড়াতে ১৭৬টি ১২×১২ পিক্সেলের ইমোজির প্রথম সেট প্রকাশ করে। কুরিতা মানুষের মুখভঙ্গি এবং শহরের অন্যান্য জিনিসপত্র পর্যবেক্ষণ করে নিজেই প্রথম ১৮০টি ইমোজি তৈরি করেন।", "title": "ইমোজি" } ]
[ { "docid": "562439#15", "text": "২০১৭র জানুয়ারিতে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রথম ইমোজি-সম্বন্ধীয় বড়ো চর্চায় দেখা যায়, কিকা ইমোজি কিবোর্ড দিয়ে ৪২ কোটিরও বেশি ইমোজি পাঠানো হয়েছে এবং আবারও \"আনন্দের অশ্রু-সহ মুখ\" ইমোজিটি সর্বাধিক জনপ্রিয় হিসেবে মান্যতা পায়। হৃদয় এবং চোখসহ হৃদয় ইমোজি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে। গবেষণায় এও দেখা গেছে, ফরাসিরা প্রেম-সম্বন্ধীয় ইমোজিগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে। দেখা গেছে, যেসব দেহে ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্যের মাত্রা অনেক বেশি, সেখানকার মানুষ আনন্দের ইমোজিগুলি বেশি ব্যবহার করছে; যেমন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং চেক প্রজাতন্ত্র। কিন্তু মেক্সিকো, কলম্বিয়া, চিলি ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলি রক্ষণশীল সংস্কৃতির অধিকারী, তাই এখানে দুঃখবাচক ইমোজির চল বেশি।", "title": "ইমোজি" }, { "docid": "4712#11", "text": "১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে কঙ্গোতে মানুষের মধ্যে এইচআইভির সংক্রমণ ছিল সর্বপ্রথম সুপ্রতিষ্ঠিত ঘটনা । ১৯৬৬ সালে নরওয়েতে AIDS এর সংক্রমণ ঘটেছিল । ১৯৬০ সালের জুলাই মাসে, জাতিসংঘ সারা বিশ্ব থেকে ফ্রাংকফোন বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদদের নিযুক্ত করেছিল বেলজিয়াম কর্তৃক ছেড়ে আশা প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ করতে , যারা আফ্রিকান অভিজাতদের দেশ চালানোর জন্য রেখে আসেননি। ১৯৬২ সালের মধ্যে, হাইতিরা দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম সুশিক্ষিত বিশেষজ্ঞদের গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিল ( ৪৮ টি জাতীয় গোষ্ঠীর মধ্য থেকে নিয়োগকৃত ) যা দেশটির প্রায় ৪৫০০ জন । The Origins of AIDS এর লেখক ডাঃ জ্যাক পেপিন লিখেছেন যে, হাইতি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইচআইভি সংক্রমণের একটি রূট এবং এগুলির মধ্যে একটিটি ১৯৬০-এর দশকে আটলান্টিক জুড়ে এইচআইভি বহন করে থাকতে পারে। যদিও, ১৯৬৬ সালের গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসটি উপস্থিত হয়েছিল । উপ-সাহারান আফ্রিকার বাইরে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) সংক্রমণের বেশিরভাগ সংখ্যার এক অজানা ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যেতে পারে যে এইচআইভি সংক্রমিত হয়েছিলেন হাইতিতে এবং তারপর ১৯৬৯ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ নিয়ে আসে । মহামারী তখন দ্রুত উচ্চ ঝুঁকির গ্রুপগুলির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে (প্রাথমিকভাবে, পুরুষদের মধ্যে যারা পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল|", "title": "এইডস" }, { "docid": "305822#1", "text": "খ্রিষ্ট-পূর্ব ২০৬ সালের হ্যান রাজত্বকালে প্রাচীন চীনারা ভবিষ্যৎবাণী করার জন্যে প্রথম কম্পাস আবিষ্কার করেছিল বলে ধারনা করা হয়। বড় ধরনের চামচের ন্যায় চুম্বকজাতীয় পদার্থের সাহায্যে বর্গাকৃতি ব্রোঞ্জ প্লেটে এটিকে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১০৪০-১০৪৪ সাল পর্যন্ত সং রাজত্বকালে সামরিকবাহিনীর মাধ্যমে নৌপথ পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করতো। এছাড়াও, ১১১১-১১১৭ সাল পর্যন্ত নৌপথ নজরদারীতে এর প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। কিন্তু পশ্চিম ইউরোপে সর্বপ্রথম কম্পাসের ব্যবহারের প্রামাণ্য দলিল চিত্রিত রয়েছে ১১৮৭ থেকে ১২০২ সালের মধ্যে। পারস্যে ১২৩২ সালে কম্পাস ব্যবহার করা হয়েছিল। ইউরোপে ১৩০০ সালে শুষ্ক কম্পাস আবিষ্কৃত হয়। বিংশ শতকের প্রথমার্থে এর পরিবর্তে তরল পদার্থে পরিপূর্ণ চৌম্বকীয় কম্পাসের প্রচলন ঘটে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও কম্পাস ব্যবহৃত হয়েছিল।", "title": "কম্পাস" }, { "docid": "562439#7", "text": "২০১০ এর অক্টোবরে ইউনিকোড স্ট্যান্ডার্ডের ৬.০ সংস্করণে অসংখ্য ইমোজি প্রকাশিত হয় (এছাড়াও আন্তর্জাতিক ISO/IEC 10646-এ)। এই সংযুক্তির জন্য আবেদন পাঠিয়েছিল গুগল (কাট মোমোই, মার্ক ডেভিস এবং মার্ক শেরার ২০০৭ এর অগাস্টে ইউনিকোড টেকনিক্যালকে এই সম্বন্ধে চিঠি লিখেছিলেন) এবং অ্যাপল (২০০৯ এর জানুয়ারিতে ৬০৭টি অক্ষর যোগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইয়াসুও কিডা ও পিটার এডবার্গ)। ইউনিকোড এবং ISO/IEC JTC1/SC2/WG2-তে অংশগ্রহণকারী দেশের সংস্থার (মূলত আমেরিকা, জার্মানি, আয়ার্ল্যান্ড ও জাপান) অনেক আলাপ আলোচনার পর প্রচুর নতুন অক্ষর (বেশিরভাগই মানচিত্রের চিহ্ন ও ইউরোপীয় চিহ্ন) গৃহীত ও যুক্ত করা হয়। ইউনিকোড ইমোজিকে গ্রহণ করায় জাপান-সহ বাকি বিশ্ব ইমোজির সাথে পরিচিত হল। ইউনিকোড ৬.০ এর প্রাথমিক ইমোজি সেটে ৭২২টি অক্ষর ছিল, যার মধ্যে ১১৪টি ছিল প্রাক্-৬.০ ইউনিকোড স্ট্যান্ডার্ডের ক্রম অনুযায়ী, আর বাকি ৬০৮টি অক্ষর ইউনিকোড ৬.০ তে প্রথম প্রকাশ করা হয়। ইমোজির জন্য ইউনিকোড নির্দিষ্ট কোনো ব্লক রাখা হয়নি ― সাতটি আলাদা ব্লকে ইমোজিগুলিকে ভাগ করে রাখা হয়েছে (কিছু ব্লক সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে) এবং সেখানে EmojiSources.txt নামে একটি ইউনিকোড ডেটা ফাইল আছে, যেখানে জাপানি ভেন্ডরের লেগাসি অক্ষর সেট আছে। এই অক্ষর সেটে \"আঞ্চলিক নির্দেশক চিহ্ন\" বলে একটি অংশ আছে, যেটি বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকাকে অক্ষর হিসেবে ব্যবহার করা বিকল্প।", "title": "ইমোজি" }, { "docid": "92579#1", "text": "কামানের ব্যবহার ব্যাপকভাবে চালু হয় চীন দেশে, মধ্যযুগে বিশেষ করে ১২শ শতক থেকে। ১২৬০ সালে মধ্যপ্রাচ্যে মমলুক ও মোঙ্গোলদের মধ্যে সংঘটিত আইন জালুতের যুদ্ধে সর্বপ্রথম হস্তচালিত কামান ব্যবহার করা হয়। ১৩শ শতকে ইউরোপের আইবেরীয় উপদ্বীপে (আধুনিক স্পেন ও পর্তুগাল) কামানের ব্যবহার শুরু হয়।", "title": "কামান (অস্ত্র)" }, { "docid": "296930#88", "text": "১৯৫৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাশূন্যে বিশ্বের সর্বপ্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপ করে, যার নাম ছিল স্পুতনিক ১। উপগ্রহটি ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে ৯৬ মিনিটে একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করত এবং একটি বেতার সংকেত প্রেরণ করতে থাকে যা বিশ্বের সর্বত্র গৃহীত হয়। এরপরে স্পুতনিক ২ নামক উপগ্রহে করে লাইকা নামের কুকুরটি প্রথম প্রাণী হিসেবে মহাশূন্যে ভ্রমণ করে; মহাকাশযানটি পৃথিবীতে ফেরত আসতে পারেনি, ফলে মহাশূন্যেই লাইকার মৃত্যু ঘটে। ঠিক তার পরের বছরই ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ এক্সপ্লোরার ১ উৎক্ষেপন করে। দুই পক্ষই মহাকাশ বিজ্ঞানের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত মহাশূন্য অনুসন্ধান উপগ্রহ লুনা ২ চাঁদে অবতরণ করে। ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম মানুষ পরিবহনকারী মহাকাশযান ভোস্তক ১ আকাশে উৎক্ষেপ করে। সোভিয়েত ইউরি গ্যাগারিন প্রথম নভোচারী হিসেবে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন; তিনি ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ভোস্তক মহাকাশযানে বসে প্রায় ৮৯ মিনিট ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেন। ১৯৬৩ সালে ভালেন্তিনা তেরেস্কোভা প্রথম নারী হিসেবে মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন। ১৯৬৫ সালে রুশ নভোচারী আলেক্সি লেওনভ প্রথম নভোচারী হিসেবে মহাশূন্যে পদচারণা করেন।", "title": "বিশ্বের ইতিহাস" }, { "docid": "287200#3", "text": "২০১০ সালে চীনের গুয়াংঝুতে অনুষ্ঠিত ১৬তম এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটের সর্বপ্রথম অন্তর্ভুক্তি ঘটে। এতে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ ও মহিলা - উভয় বিভাগেই এ ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাগতিক দেশ চীনসহ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি আফগানিস্তানও এতে অংশ নেয়। কিন্তু ভারত এতে অংশ নেয়নি। পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত খেলায় পরাভূত করে স্বর্ণপদক জয় করেছিল। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যথাক্রমে রৌপ্যপদক ও ব্রোঞ্জপদক লাভ করে। মহিলা বিভাগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও জাপান যথাক্রমে স্বর্ণপদক, র‌ৌপ্যপদক ও ব্রোঞ্জপদক লাভ করেছিল।", "title": "টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক" }, { "docid": "366963#4", "text": "লুই বোনার্ড নামের একজন ফরাসি বণিকের মাধ্যমে এদেশে আধুনিক পদ্ধতিতে নীলচাষ ও এর ব্যবহার প্রচলন ঘটে। তিনি ১৭৭৭ সালে আমেরিকা থেকে প্রথম নীলবীজ ও আধুনিক চাষের পদ্ধতি এদেশে নিয়ে আসেন। একই বছরে হুগলী নদীর তীরবর্তী গোন্দালপাড়া ও তালডাঙ্গা গ্রামে তিনি সর্বপ্রথম নীলকুঠি স্থাপন করেন। এর কয়েক বছর পরে মালদহে, ১৮১৪ সালে বাকিপুরে, এবং তারপরে যশোরের নহাটা ও কালনাতে নীলকুঠি ও কারখানা স্থাপন করেন। ১৮২০ সালে কালনা থেকে প্রায় দেড় হাজার মণ পরিশোধিত নীল রপ্তানি করে বন্ড উপমহাদেশ ও ব্রিটেনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। ১৮২০ সালে তার মৃত্যু হয়।", "title": "নীল বিদ্রোহ" } ]
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক কে ?
[ { "docid": "1570#2", "text": "অনেকের ধারণা যে, মুহাম্মদ হলেন এই ধর্মের প্রবর্তক। তবে মুসলমানদের মতে, তিনি এই ধর্মের প্রবর্তক নন, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত রাসূল (পয়গম্বর)। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম পুনঃপ্রচার করেন। পবিত্র কুরআন ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়। মুসলিমরা যেকোনো জাতি, বর্ণের মানুষকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত করে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, কুরআন গ্রন্থটি আল্লাহর বাণী এবং এটি তার দ্বারা স্বর্গীয় দূত জিব্রাইল-এর মাধ্যমে মুহাম্মদ-এর নিকট প্রেরিত। তাদের বিশ্বাস অনুসারে মুহাম্মদ স্রষ্টার সর্বশেষ বার্তাবাহক। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ইসলাম হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন ধর্ম এবং কুরআন হচ্ছে সর্বোত্তম জীবন বিধান।", "title": "ইসলাম" }, { "docid": "369720#2", "text": "ইসলাম (আরবি ভাষায়: الإسلام আল্‌-ইসলাম্‌) একটি একেশ্বরবাদী এবং আব্রাহামিক ধর্ম । কুরআন দ্বারা পরিচালিত;  যা  এমন এক কিতাব যাকে এর অনুসারীরা  ( আরবি : الله আল্লাহ ) বানী বলে মনে করে এবং ইসলামের প্রধান নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর প্রদত্ত শিক্ষা পদ্ধতি,জীবনাদর্শও (বলা হয় সুন্নাহ এবং হাদিস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে ) এর ভিত্তি । ইসলামের অনুসারীরা মুহাম্মদ (সঃ) কে শেষ নবী বলে মনে করে। \"ইসলাম\" শব্দের অর্থ \"আত্মসমর্পণ\", বা একক স্রষ্টার নিকট নিজেকে সমর্পন। অনেকের ধারণা যে মুহাম্মদ (সঃ) হলেন এই ধর্মের প্রবর্তক। তবে মুসলমানদের মতে, তিনি এই ধর্মের প্রবর্তক নন বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত রাসূল (পয়গম্বর)। খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম পুনঃপ্রচার করেন। কুরআন ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়। কুরআন আল্লাহর বাণী এবং তার কর্তৃক মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট প্রেরিত বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। তাদের বিশ্বাস অনুসারে মুহাম্মদ (সঃ) শেষ নবী। হাদিসে প্রাপ্ত তাঁর নির্দেশিত কাজ ও শিক্ষার ভিত্তিতে কুরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়।", "title": "বিভিন্ন ধর্ম" }, { "docid": "263098#4", "text": "পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম আঃ হতেই ইসলাম ধর্মের শুরু। হযরত আদম (এডাম) ইসলামের প্রথম নবী । আর ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্ম নেয়া এই ধর্মের সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (স:), পূর্বতন সকল ধর্মপ্রচারকদের আল্লাহ (ঈশ্বর) কর্তৃক প্রেরিত সতর্ককারী হিসেবে মেনে নিয়ে, তিনিই সর্বশেষ সতর্ককারীরূপে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো: আল্লাহ'র কোনো অংশীদার নেই এবং মুহাম্মদ (স:) আল্লাহর বাণীবাহক। এই ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ কোরআন, আর কুরআন ব্যাখ্যায় দ্বারস্থ হতে হয় হাদিস সংকলনসমূহের উপর। এই ধর্মের উল্লেখযোগ্য দিক হলো, জীবনযাত্রার সর্বত্র, যেমন রাজনীতি, সমাজনীতি, পোশাক, খাদ্য, মেলামেশা ইত্যাদিতে এই ধর্ম নিজেকে জড়িয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এই ধর্ম সর্বতোভাবে মুসলমান জাতির পূর্বপুরুষ হিসেবে ইব্রাহিম (আ:) কে উল্লেখ করে থাকে। এছাড়া অন্যান্য নবীদেরকেও আল্লাহ'র প্রেরিত পুরুষ হিসেবে স্বীকার ও সম্মান করে।", "title": "ইব্রাহিমীয় ধর্ম" }, { "docid": "267603#3", "text": "সর্বশেষ একেশ্বরবাদী ধর্ম ইসলাম। এ ধর্মের প্রচারক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।তার আনীত ঐশ্বরিক গ্রন্থ কুরআনুল কারীমের বিভিন্নস্থানে মানবাধিকারের বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে। ইসলামে সার্বজনীন মানবাধিকারের বিষয়টি জীবনের সর্বক্ষেত্র ও বিভাগে পরিব্যাপ্ত। ইসলাম মানবজাতিকে শ্রেষ্ঠত্বের গৌরবময় অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করেছে। মানুষকে সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মর্মবাণী শুনিয়ে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, বংশীয় মর্যাদা, শ্রেণীবৈষম্য ও বর্ণপ্রথার বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে। অধীনদের প্রতি সদাচারী ও ন্যায়পরায়ণ হতে শিক্ষা দিয়েছে। আরব-অনারব, সাদা-কালো সবাই একই পিতা-মাতা হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.)-এর সন্তান। মানুষের মধ্যে মর্যাদার কোনো পার্থক্য হতে পারে না। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানবজাতির সম্মান ও মর্যাদার অধিকার, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি জীবনযাত্রার মৌলিক অধিকার, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকার, জীবনরক্ষণ ও সম্পদের নিরাপত্তার অধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, একতা, সংঘবদ্ধ ও সাম্যের অধিকার, হালাল উপার্জনের অধিকার, এতিম, মিসকিন, অসহায় নারী ও শিশুর অধিকার, প্রতিবেশীর অধিকার, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার, প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রভৃতি সব ব্যাপারেই পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ও কালজয়ী চিরন্তন আদর্শ হিসেবে ইসলাম মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।", "title": "মানবাধিকার" } ]
[ { "docid": "66346#9", "text": "জাকির নায়েক ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত অনেক বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন ও বিতর্ক করেছেন। তিনি বক্তৃতার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় কোরআন ও হাদীসের আলোকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন। বিভিন্ন ধর্মের তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইসলামের অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করা তার অন্যতম কৌশল। নৃতত্ত্ববিদ থমাস ব্লম হানসেন লিখেছেন যে, ডাঃ জাকিরের বিভিন্ন ভাষায় কুরআন ও হাদিস সাহিত্য মনে রাখার ভঙ্গী ও তার ধর্মপ্রচার কর্মকাণ্ড মুসলিমদের মাঝে তাকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। তার অনেক বিতর্ক রেকর্ড করা হয় এবং ভিডিও, ডিভিডি আকারে ও অনলাইনে বিস্তৃত পরিসরে বিতরণ করা হয়। তার আলোচনা ইংরেজিতে রেকর্ড করা হয়ে থাকে এবং সপ্তাহ শেষে মুম্বাইয়ের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন ক্যাবল নেটওয়ার্কে এবং তার নিজস্ব প্রযোজনাধীন পিস টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার আলোচনার বিষয়বস্তুগুলোর মধ্যে কয়েকটি হল: \"ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান\", \"ইসলাম ও খ্রিস্টধর্ম\", এবং \"ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ\"।", "title": "জাকির নায়েক" }, { "docid": "66346#0", "text": "জাকির আব্দুল করিম নায়েক (, ; জন্মঃ ১৮ অক্টোবর ১৯৬৫, মুম্বাই, ভারত) হলেন একজন ভারতীয় ইসলামী চিন্তাবিদ, ধর্মপ্রচারক, বক্তা ও লেখক যিনি ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে কাজ করেন। তিনি 'ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন' নামক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা যেটি পিস টিভি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে থাকে, যার মাধ্যমে তার বক্তৃতা প্রায় দশ কোটি দর্শকের নিকট পৌঁছে যায়। তাকে \"তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের একজন বিশেষজ্ঞ\", \"অনুমেয়ভাবে ভারতের সালাফি মতাদর্শের অনুসারী সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি\", \"টেলিভিশনভিত্তিক-ধর্মপ্রচারণার রকস্টার এবং আধুনিক ইসলামের একজন পৃষ্ঠপোষক\" এবং \"পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় ইসলাম ধর্মপ্রচারক\" বলা হয়ে থাকে। বহু ইসলামী ধর্মপ্রচারকদের সাথে তার ভিন্নতা হল, তার বক্তৃতাগুলো পারস্পারিক আলাপচারিতা ও প্রশ্নোত্তরভিত্তিক, যা তিনি আরবি কিংবা উর্দুতে নয় বরং ইংরেজি ভাষায় প্রদান করেন, এবং অধিকাংশ সময়েই তিনি ঐতিহ্যগত আলখাল্লার পরিবর্তে স্যুট-টাই পরিধান করে থাকেন।", "title": "জাকির নায়েক" }, { "docid": "298104#0", "text": "মুহাম্মদ তাহির উল কাদেরি বর্তমান বিশ্বের সার্বজনীন সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম ধর্মীয় নেতা যাকে শাইখুল ইসলাম বলা হয়। তিনি একজন শিক্ষাবিদ, ইসলামি চিন্তাবিদ, সুবক্তা, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে পরিচিত। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক তিনি। আশির দশকে শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান মিনহাজুল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৮৯ সালে রাজনৈতিক দল গড়েন। তবে শুধু ২০০২ সালেই পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলিম ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা কাদেরি কয়েক বছর টরন্টোতে কাটানোর পর ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফেরেন।", "title": "তাহির উল কাদরি" }, { "docid": "635225#2", "text": "এ ধারার প্রবর্তকদের অন্যতম বসরার সুপ্রসিদ্ধ ‘ইলমুল কালাম’ বিশেষজ্ঞ ইমাম ইবন কুল্লাব: আবূ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবন সাঈদ আল-কাত্তান (২৪১ হি)। মুতাযিলীদের প্রতাপের যুগে মামুনের দরবারে তিনি আহলুস সুন্নাতের পক্ষে বিতর্কে মুতাযিলীদেরকে পরাস্ত করেন। তিনি মহান আল্লাহর ‘যাতী’ বা ‘সত্তীয়’ বিশেষণগুলো স্বীকার করতেন। তবে তিনি মহান আল্লাহর ‘ফিলী’ বা কর্ম বিষয়ক বিশেষণগুলো ব্যাখ্যা করতেন (রূপক অর্থ গ্রহণ করতেন)। ইবন কুল্লাবের ছাত্র ইমাম আবুল হাসান আলী ইবন ইসমাঈল আল-আশআরী (৩২৪ হি) তাঁর মত সমর্থন করেন এবং ‘‘আশআরী’’ মতবাদের জন্ম হয়।", "title": "আশআরী" }, { "docid": "309127#0", "text": "এ কে এম মাঈদুল ইসলাম (মে ২৯, ১৯৪০) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তাঁর পিতা মরহুম আবুল কাসেম পাকিস্তান আন্দোলনের সক্রিয় নেতা ছিলেন। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নির্দেশে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে কেল্লা তৈরী করেন। তৎকালীন ভারতবর্ষে মুসলমানদের এটিই একমাত্র ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের কেল্লা ছিল। মরহুম আবুল কাসেম পরবর্তীকালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরে ডেপুটি স্পীকার নির্বাচিত হন। মাঈদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।", "title": "এ.কে.এম. মাঈদুল ইসলাম" }, { "docid": "570366#1", "text": "ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মবিশ্বাসমতে, একজন ব্যক্তিকে ইসলামে প্রবেশ করতে হলে কিছু মৌলিক বিষয়াদির প্রতি তাঁকে নিঃশর্ত বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। এ সকল বিষয় দ্বিধাহীন চিত্তে অন্তরে ধারণ ও মুখে স্বীকার করার মাধ্যমেই ব্যক্তি ইসলামে দীক্ষিত হতে পারেন এবং তাঁকে 'মুসলিম' নামে অভিহিত করা যায়। এ সকল বিশ্বাসকে ইসলামি পরিভাষায় 'আকাইদ' (বিশ্বাসমালা) বলা হয়। 'আকাইদ' একটি আরবি শব্দ, যা বহুবচনের রূপ। একবচনে শব্দটির রূপ দাঁড়ায় 'আকিদাহ' বা 'আকিদা'। ইসলাম ধর্ম শিক্ষা শাস্ত্রে একজন ব্যক্তিকে প্রাথমিক ও মুখ্যভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আকিদা বিষয়ক অধ্যায়সমূহের পাঠ দেয়া হয়ে থাকে।", "title": "ইসলাম শিক্ষা" } ]
মরেন হিগা ম্যাগির বাবার নাম কী ?
[ { "docid": "490416#1", "text": "রুথ ও উইলিয়াম দম্পতির কন্যা তিনি। বিটলসের প্রতি পিতার অকুণ্ঠ ভালাবাসা থেকে তার নামকরণ হয়। ড্রামারের স্ত্রী স্টার, মরেন কক্স থেকেও এ নামে অক্ষর সংযুক্ত ঘটান। কিন্তু একটি শব্দে নাম নিবন্ধনে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে তার নামে দু'টি 'আর' ও 'ই' যুক্ত করতে হয়েছে। উইলিয়াম ও জেফারসন নামীয় তার আরও দুই ভাই রয়েছে।", "title": "মরেন ম্যাগি" } ]
[ { "docid": "490416#0", "text": "মরেন হিগা ম্যাগি (; জন্ম: ২৫ জুন, ১৯৭৬) সাঁও কার্লোসে জন্মগ্রহণকারী ব্রাজিলের বিখ্যাত প্রমিলা ট্র্যাক ও ফিল্ড অ্যাথলেট। অলিম্পিকে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন তিনি। ১০০ মিটার হার্ডলস ও দীর্ঘ লম্ফে যথাক্রমে ১২.৭১ সেকেন্ড ও ৭.২৬ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে দক্ষিণ আমেরিকার বর্তমান রেকর্ডধারী তিনি। এছাড়াও, ট্রিপল জাম্পে ১৪.৫৩ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে দক্ষিণ আমেরিকার রেকর্ড গড়েছিলেন। ব্রাজিলের প্রথম প্রমিলা অ্যাথলেট হিসেবে ব্যক্তিগত পর্যায়ের ক্রীড়ায় অংশ নিয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয় করেন মরেন ম্যাগি।", "title": "মরেন ম্যাগি" }, { "docid": "675548#1", "text": "রে ১৯১৬ সালের ২৭শে আগস্ট মন্টানার বাটের সেন্ট জেমস হাসপাতালে জন্মগ্রহন করেন। তার জন্মনাম মার্গি রিড। কোন কোন সূত্রে বলা হয় তার প্রকৃত নাম ম্যাগি ওরিড। তার পিতা পিটার এফ রিড জুনিয়র আইরিশ অভিবাসী এবং মাতা মেবেল হেজেল (প্রদত্ত নাম: হুপার) মিলওয়াকি ও মন্টানায় বেড়ে ওঠেন। মার্থার জন্মের সময় দুজনেই স্থানীয় ভডেভিল মঞ্চে \"রিড ও হুপার\" যুগল হিসেবে অভিনয় করতেন। তার জন্মের দুই দিন পরেই তার মা আবার অভিনয় করেন। মার্থা তিন বছর বয়সে তার পিতামাতার সাথে মঞ্চে কাজ করেন। তিনি পরবর্তীকালে তার ভাই বাডের সাথে কাজ করতেন। তারা দুজন এতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে তার পিতামাতা অনুষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে \"মার্গি অ্যান্ড বাড\" রাখা হয়।", "title": "মার্থা রে" }, { "docid": "699176#2", "text": "রায়ান ১৯৬১ সালের ১৯শে নভেম্বর কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের ফেয়ারফিল্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হ্যারি হিয়ারা ছিলেন একজন অংকের শিক্ষক এবং মাতা সুজান জর্ডান (ডুগান) ছিলেন একজন অভিনেত্রী ও ইংরেজির শিক্ষক। তিনি জার্মান, আইরিশ, ও পোলীয় বংশোদ্ভূত। তিনি রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী হিসেবে বেড়ে ওঠেন এবং ফেয়ারফিল্ডের সেন্ট পিয়াস এক্স এলিমেন্টারি স্কুলে পড়াশোনা করেন। তার দুই বোন ডানা ও অ্যানি। তার ভাই অ্যান্ড্রু হিয়ার একজন সঙ্গীতজ্ঞ, তিনি বিলি পিলগ্রিম ব্যান্ডের সদস্য। ১৯৭৬ সালে রায়ানের যখন ১৫ বছর বয়স তখন তার পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।", "title": "মেগ রায়ান" }, { "docid": "636577#3", "text": "মার্গারিটা নাটালি স্মিথ ১৯৩৪ সালের ২৮শে ডিসেম্বর এসেক্সের ইলফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নাথানিয়েল স্মিথ (১৯০২-১৯৯১) ছিলেন একজন জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতেন। স্মিথের মাতা মার্গারেট হাটন (জন্মনাম লিটল, ১৮৯৬-১৯৭৭) ছিলেন একজন স্কটিশ সচিব। স্মিথের পিতামাতা গ্লাসগো থেকে নিউক্যাসল হয়ে লন্ডন আসার পথে ট্রেনে তাদের প্রেমের পরিচয় ও প্রণয়ের গল্প শুনাতেন। চার বছর বয়সে তিনি তাঁর পরিবারের সাথে অক্সফোর্ডে চলে যান। তাঁর দুই ছোট যমজ ভাই রয়েছে। তারা হলেন অ্যালিস্টার (১৯৮১ সালে মারা যান) ও ইয়ান। ইয়ান স্থাপত্য স্কুলে পড়াশুনা করেন। স্মিথ ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত অক্সফোর্ড হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং পরে অক্সফোর্ড প্লেহাউজে অভিনয় বিষয়ে পড়াশুনা করেন।", "title": "ম্যাগি স্মিথ" }, { "docid": "6699#2", "text": "মনরো ১৯২৬ সালের ১ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল নর্মা জেন মর্টেনসন। তিনি গ্লাডিস পার্ল বেকারের (প্রদত্ত নাম মনরো, ১৯০২-১৯৮৪) তৃতীয় সন্তান। গ্লাডিস কনসলিডেটেড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্ম নেগেটিভ কাটার হিসেবে কাজ করতেন। গ্লাডিস পনের বছর বয়সে তার চেয়ে নয় বছরের বড় জন নিউটন বেকারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রবার্ট (১৯১৭-১৯৩৩) এবং বার্নিস (জন্মঃ ১৯১৯)। ১৯২১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং বেকার তার সন্তানদের নিয়ে কেন্টাকি চলে যায়। মনরো তার ভাই বোনদের কথা জানতে পারে এবং তার বড় বোনের সাথে সাক্ষাৎ হয় তার ১২ বছর বয়সে। ১৯২৪ সালে গ্লাডিস তার দ্বিতীয় স্বামী মার্টিন এডওয়ার্ড মর্টেনসনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু মনরো যখন গ্লাডিসের পেটে তখন তা অন্য কারো সন্তান জানতে পেরে মার্টিন ১৯২৮ সালে তাকে তালাক দেন। মনরোর পিতার পরিচয় অজ্ঞাত এবং বেকারই তার উপনাম হিসেবে ব্যবহৃত হত।", "title": "মেরিলিন মনরো" }, { "docid": "644860#1", "text": "মনরোর জন্ম, ১৯৯৩ সালের ২৯শে মে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সান্টা বার্বারা শহরে, তার জন্মগত নাম ডিলিয়ন মনরো বাকলে, তিনি সাংকেতিক ভাষার অনুবাদক ডিক্সি এবং নির্মাণ শ্রমিক জ্যাক বাকলের কন্যা সন্তান। পরবর্তীতে তিনি তার নামের প্রথম অংশ পরিবর্তন করে \"মাইকা\" রাখেন, যেটির মাধ্যমে তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্বজনীনভাবে পরিচিত। মাত্র ১৭ বছর বয়সে, মনরো সান্টা বার্বারা ত্যাগ করেন এবং ডমিনিকান রিপাব্লিক-এর চাবারেটে নামক শহরে কাইটিং নামক খেলার প্রশিক্ষন চালিয়ে যাবার জন্য চলে আসেন, তবে তিনি এর আগের গ্রীষ্মকালীন সময়েও এখানে অতিবাহিত করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি অনলাইন ভিত্তিক স্কুলের মাধ্যমে তার হাই স্কুলের শেষ বর্ষ সমাপ্ত করেন।", "title": "মাইকা মনরো" }, { "docid": "61691#2", "text": "নুরজাহান বা জগতের আলো(জন্মঃ ৩১ মে, ১৫৭৭ – মৃত্যুঃ ১৭ ডিসেম্বর, ১৬৪৫) হচ্ছে সম্রাট জাহাঙ্গীর এর দেয়া নাম। তার আসল নাম ছিল মেহেরুন্নিসা। মেহেরের বাবা ছিল গিয়াস বেগ। তার বাবা গিয়াস বেগ ও মা যখন তেহেরান থেকে ভাগ্যের সন্ধানে হিন্দুস্তান আসছিলেন তখন পথের মধ্যেই নির্জন মরু প্রান্তে এক বাবলা গাছের তলায় জন্ম হয় মেহেরুন্নিসার। গল্প আছে যে এই সময় গিয়াস বেগ ও তার পত্নী এমন দুর্দশায় পরেছিলেন যে মেয়ে কে বাঁচাবার কোন উপায় না পেয়ে তারা পথের মাঝেই কচি মেয়েকে শুইয়ে রেখে রউনা হন। আশা ছিল কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি তাকে পায় নিয়ে আশ্রয় দিবে। কিছুদূর যাবার পর ই শিশু কন্যার কান্না শুনে তারা আর থাকতে পারলেন না। ফিরে এসে মেয়েকে বুকে চেপে নিঃসহায় , নিঃসম্বল গিয়াস বেগ এসে পৌঁছালেন লাহোরে। এবার তার ভাগ্য পরিবর্তন হল। আকবর বাদশার সুনজরে পরলেন তিনি, আর ছোট মেয়ে মেহেরের স্থান হল হেরেমে।", "title": "নূর জাহান" }, { "docid": "326087#0", "text": "মেগান লিন ইয়াং (; জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০) ফিলিপিনো আমেরিকান সুন্দরী, অভিনেত্রী ও মডেল। তিনি মিস ওয়ার্ল্ড ফিলিপাইন খেতাব জয় করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ৬৩তম আসরে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট লাভ করেন। তিনিই হচ্ছেন প্রথম ফিলিপিনা, যিনি মিস ওয়ার্ল্ডের শিরোপা জয় করেছেন। বর্তমানে তিনি এবিএস-সিবিএন’স স্টার ম্যাজিকের সদস্য। বিশিষ্ট অভিনেত্রী লরেন ইয়াংয়ের বড় বোন তিনি।", "title": "মেগান ইয়াং" }, { "docid": "672710#3", "text": "ওহারা ১৯২০ সালের ১৭ই আগস্ট ডাবলিন কাউন্টির শহরতলী রানেলেইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম মরিন ফিট্‌জসিমন্স। তার পিতা চার্লস ফিট্‌জসিমন্স ও মাতা মার্গেরিট (জন্মনাম: লিলবার্ন)। চার্লস পোশাক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ছিলেন এবং শামরক রোভার্স ফুটবল ক্লাব ক্রয় করেছিলেন। ওহারা বাল্যকালে এই দলের সমর্থন করতেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে ওহারা ছিলেন দ্বিতীয় এবং একমাত্র লাল চুলা। তার বড় বোন পেগি এবং ছোট ভাইবোনেরা হলেন চার্লস, ফ্লোরি, মার্গো ও জিমি। পেগি ধর্মীয় কাজে তার জীবন উৎসর্গ করেন এবং চ্যারিটির সিস্টার হয়েছিলেন।", "title": "মরিন ওহারা" }, { "docid": "654366#2", "text": "নর্মা ডেলোরিস এগস্ট্রম ১৯২০ সালের ২৬শে মে নর্থ ডাকোটার জেমসটাউনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মারভিন ওলফ এগস্ট্রম ছিলেন মিডল্যান্ড কন্টিনেন্টাল রেলরোডের স্টেশন এজেন্ট এবং তার মাতা সেলমা অ্যামেলিয়া এগস্ট্রম (প্রদত্ত নাম: অ্যান্ডারসন)। তিনি তার পিতামাতার আট সন্তানের মধ্যে সপ্তম। তার পরিবার লুথেরান ধর্মালম্বী ছিল। তার পিতা ছিলেন সুয়েডীয়-মার্কিন এবং তার মাতা ছিলেন নরওয়েজীয়-মার্কিন। তার চার বছর বয়সে তার মাতা মারা যাওয়ার পর তার পিতা মিন শোম্বারকে বিয়ে করেন।", "title": "পেগি লি" } ]
আবু বিশর আমর ইবনে উসমান ইবনে কানবার আল বিসরি লিখিত সর্বপ্রথম ব্যাকরণ বইটির নাম কী ?
[ { "docid": "361141#0", "text": "আবু বিশর আমর ইবনে উসমান ইবনে কানবার আল বিসরি (আনুমানিক ৭৬০-৭৯৬) (), সাধারণভাবে সিবাওয়েহ নামে পরিচিত () (তার মূল ফারসি নাম ছিল \"Sēbōē\"), ছিলেন আরবি ভাষার একজন প্রভাবশালী ভাষাবিদ ও ব্যাকরণবিদ। তার লেখা \"আল কিতাব\" আরবি ভাষার প্রথম লিখিত ব্যাকরণ। আরবি ব্যাকরণ ও ভাষাতত্ত্বে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকলেও তিনি ছিলেন একজন পারসিয়ান এবং তার মাতৃভাষা আরবি ছিল না। তিনি পরবর্তী জীবনে আরবি শেখেন। তাকে আরবি ভাষার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ভাষাবিদ ও সকল ভাষার শ্রেষ্ঠ পন্ডিতদের অন্যতম ধরা হয়।", "title": "সিবাওয়েহ" } ]
[ { "docid": "108398#4", "text": "\"ইনশা-ই-আবুল ফজল\" বা \"মক্তবাৎ-ই-আল্লামি\" হল আবুল ফজল কর্তৃক লিখিত সরকারি প্রতিবেদনের সংগ্রহ। এই গ্রন্থ দুটি খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডে তুরানের আবদুল্লাহ্ খান উজবেগ, পারস্যের শাহ আব্বাস, খান্দেসের রাজা আলি খান, আহমদনগরের বুরহান-উল-মুলক, ও আবদুর রহিম খান খানান প্রমুখ নিজ অভিজাতবর্গকে লিখিত আকবরের পত্রাবলির সংকলন। দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে আকবর, দানিয়েল, মির্জা শাহ রুখ ও খান খানানকে লিখিত আবুল ফজলের পত্রাবলি। এই গ্রন্থের সংকলক আব্দুস সামাদ।", "title": "আবুল ফজল ইবনে মুবারক" }, { "docid": "366878#9", "text": "ইসলামী আকীদা বিষয়ে প্রথম বই লেখেন ইমাম আবু হানিফা। বইটি \"ফিকহুল আকবর\" নামে পরিচিত। আকীদা বিষয়ে অসংখ্য বই লেখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাচীন কয়েকটি বই হল - ইমাম আহমাদ লিখিত \"আস-সুন্নাহ\", ইমাম আবু দাউদ সুলাইমান লিখিত \"আস-সুন্নাহ\", ইমাম আবু জাফর ত্বহাবী লিখিত \"আকীদাতু আহলিস সুন্নাহ\", ইমাম ইবনে তাইমিয়া লিখিত \"আল আক্বীদাতুল ওয়াসেত্বীয়া\", ইমাম ইবনু রজাব হাম্বালী লিখিত \"কিতাবুত তাওহীদ\" ইত্যাদি। ইমাম ইবনে আবীল ইয আল-হানাফী ইমাম ত্বহাবীর লেখা আকীদার বইয়ের ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেছেন যা \"শারহুল আকীদা আত্-ত্বহাবীয়া\" নামে পরিচিত।", "title": "আকীদা" }, { "docid": "371539#1", "text": "কিতাব আল মিরাজের লেখক আবুল কাশিম আবদাল করিম বিন হাওয়াজিন বিন আবদাল মালিক বিন তালহা বিব মুহাম্মদ আল কুশাইরি আল নিসাবুরি (أبو القاسم عبد الكريم بن هوازن بن عبد الملك بن طلحة بن محمد القشيري)। তার জন্ম ৩৭৬ হিজরী সন এবং মৃত্যু ৪৬৫ হিজরী সন। খ্রিস্টীয় ১৩ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বইটি লাতিন (Liber Scale Machometi) ও স্প্যানিশ ভাষায় এবং ১২৬৪ সালে পুরাতন ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। খ্রিস্টিয় ১৪ শতকে দান্তের লেখা অমর সৃষ্টি ডিভাইন কমেডির বর্ণনার সাথে কিতাব ই মিরাজের জাহান্নামের বর্ণনার মিল পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় দান্তে এই বইটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।", "title": "কিতাব আল মিরাজ" }, { "docid": "431377#1", "text": "হযরত আবু বকর শিবলী (রহঃ) ললাটে প্রিয়নবী (দঃ) চুম্বন করেছেন\nআল্লামা সাখাবী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বর্ণনা করেন,\nক্বারী আবু বকর ইবনে মোজাহেদের (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) নিকট আমি ছিলাম। এ সময় হযরত আবু বকর শিবলী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) আগমন করেন। তখন হযরত আবু বকর ইবনে মোজাহেদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি),হযরত আবু বকর শিবলী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) কে অভ্যর্থনা জানিয়ে আলিঙ্গন করলেন এবং তাঁর ললাটে চুম্বন করলেন।\nতখন আমি আরজ করলাম, “আপনি শিবলী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) কে এভাবে অভ্যর্থনা জানালেম অথচ বাগদাদের সমস্ত উলামায়ে কিরামের ধারণা হল শিবলী হুশবহাল নন।\"\nক্বারী আবু বকর ইবনে মোজাহেদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) জবাব দিলেন, “আমি তাঁর সাথে সে কাজই করেছি যা স্বয়ং প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে করতে দেখেছি।”\nএরপর তিনি তাঁর স্বপ্নের বর্ণনা করলেনঃ আমি স্বপ্নে প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’এর সাক্ষাৎ লাভ করি। শিবলী তখন তাঁর মহান দরবারে হাজির হন। প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দণ্ডায়মান হয়ে তাঁর ললাটে চুম্বন দান করলেন।\nতখন আমার জিজ্ঞাসার কারণে তিনি এরশাদ করলেনঃ “প্রত্যেক নামাজের পর বহু বছর ধরে সে সুরায়ে তওবার শেষ আয়াত পড়ে- “লাকাদ জা আকুম...রাউফুর রাহীম”\nস্বপ্নের পরে শিবলী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাঁর এ আমলের কথা স্বীকার করেন।", "title": "আবু বকর শিবলী" }, { "docid": "13902#51", "text": "আবু বকর সর্বপ্রথম গ্রন্থাকারে কুরআন সংকলন করেন। ইতিপূর্বে কুরআনের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্নভাবে লিপিবদ্ধ ছিল। এছাড়াও হাফেজরা কুরআন মুখস্থ করে রাখতেন। ইয়ামামার যুদ্ধে অনেক হাফেজ শহিদ হলে উমর ইবনুল খাত্তাব গ্রন্থাকারে কুরআন সংকলনের জন্য আবেদন জানান। এই প্রথা মুহাম্মদ (সা.) এর সময় ছিল না বলে প্রথমে আবু বকর এতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু উমর তাকে রাজি করাতে সক্ষম হন। এজন্য জায়েদ ইবনে সাবিতকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্যরা সবাই হাফেজ ছিলেন। তারা কুরআনের সকল অংশ সংগ্রহ করে একক গ্রন্থ হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন এবং হাফেজদের স্মৃতির সাথে সেগুলো মিলিয়ে দেখা হয়।", "title": "আবু বকর" }, { "docid": "485832#7", "text": "গ্রন্থটি আলা হযরত আল মো’তামাদ ওয়াল মোস্তানা নামে আরবিতে রচনা করেন। এতে হিন্দুস্থানের ৫ জন আকাবিরীনে দেওবন্দ ওলামার কিতাব সমূহের বিভিন্ন উর্দু উদ্ধৃতি উল্লেখ করে নিজে এগুলোর আরবী অনুবাদ করে ১৩২৪ হিজরীতে মক্কা ও মদিনার ৩৩ জন মুফতির নিকট কাছে পাঠিয়ে তাঁদের মতামত চান। হারামাঈন শরীফাইনের ৩৩ জন মুফতি গ্রন্থটি পর্যালোচনা করে উক্ত ৫ জন দেওবন্দ ওলামাকে কাফের ঘোষণা করেন। মুফতিগণের উক্ত ফতোয়ার নাম হয় হুসসামুল হারামাঈন বা মক্কা-মদিনার তীক্ষ্ণ তরবারী। অন্যদিকে দেওবন্দ আলেমগণ দাবি করেছেন যে, আহমদ রেজা খান তাদের নামে মিথ্যা কথা লিখে মক্কা ও মদিনার মুফতিদের নিকট পাঠিয়েছিল।\nআ'লা হযরতের সমাধিস্থল ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলী জেলার কারোলানে অবস্থিত। এটি দরগাহ-এ-আলা হযরত নামে পরিচিত।", "title": "আহমদ রেজা খান বেরলভী" }, { "docid": "319344#0", "text": "আবুল হাসান ইয়ামিন উদ-দিন খসরু (১২৫৩ - ১৩২৫) (, ); এক জন সুফি কবি। তিনি ফার্সি ও হিন্দি দুই ভাষায় লিখেছিলেন। তিনি ছিলেন নিজামুদ্দিন আউলিয়ার আধ্যাত্মিক শিষ্য। ইনি কেবল কবি ছিলেন না, ছিলেন এক অনন্য গায়ক। তাকে তবলা ও সেতার যন্ত্রের উদ্ভাবক বলে মনে করা হয়। তিনি প্রাচীনতম জ্ঞাত মুদ্রিত অভিধান ( খালীক-ই-বারি ) লিখেছিলেন। তাকে \"কাওয়ালির জনক\" বলে গণ্য করা হয়। তিনি প্রথম ভারত ও পাকিস্তানে গজল গানের প্রথা চালু করেন। তা আজ ও চলে আসছে। তিনি ফার্সি, আরবি এবং তুর্কি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত কে সমৃদ্ধ তোলেন।", "title": "আমির খসরু" }, { "docid": "11353#0", "text": "আবু বকর মোহাম্মাদ ইবন যাকারিয়া আল রাযি বা আল-রাযি (৮৬৫ - ৯২৫) একজন দক্ষ পারসিক চিকিৎসক এবং দার্শনিক। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞান, আল-কেমি, পদার্থবিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ১৮৪টির বেশি বই লিখেছেন। তিনি সালফিউরিক এসিড আবিষ্কার করেন। তিনি ইথানল উৎপাদন, বিশোধন, ও চিকিৎসায় এর ব্যবহার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন। তিনি একজন বিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন। তিনি বহু দেশ ভ্রমণ করেন। বাগদাদ নগরীতে তাঁর একটি পরীক্ষাগার ছিল। তাঁর নামে ইরানে রাযি ইনষ্টিটিউট এবং রাযি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। ইরানে প্রতি বছর ২৭শে আগস্ট রাযি দিবস পালন করা হয়।", "title": "আল রাযী" }, { "docid": "390549#0", "text": "বাবরনামা (চাঘতাই/পার্শি بابر نامہ‎;´, আক্ষরিক অর্থ 'বাবরের লেখা' বা 'বাবরের বই') হল ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির-উদ্দিন মুহম্মদ বাবরের (১৪৮৩-১৫৩০) লেখা আত্মজীবনী। চাঘতাই ভাষায় রচিত এই বইটি \"তুজুক-ই-বাবরি\" নামেও যথেষ্ট পরিচিত। পরবর্তীকালে মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে হিজরি ৯৯৮ সনে বা ১৫৮৯-৯০ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সভাসদ আব্দুল রহিম বইটি সম্পূর্ণ পারসিক ভাষায় অনুবাদ করেন। বাবরের জীবন ও ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্য আহরণের পক্ষে এই গ্রন্থটি একটি সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও বিশ্বস্ত গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। সাহিত্যমূল্যর দিক থেকেও বইটি উচ্চ প্রশংসিত।", "title": "বাবরনামা" } ]
জৈনধর্মের প্রবক্তা কে ?
[ { "docid": "501830#4", "text": "খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে জৈনধর্মের সর্বাধিক প্রভাবশালী প্রচারক ছিলেন মহাবীর। জৈনদের মতে, তিনি বর্তমান কালচক্রার্ধের (অবসর্পিণী যুগ) ২৪শ তথা সর্বশেষ তীর্থঙ্কর। মহাবীরকে অনেক সময় ভুলবশত জৈনধর্মের প্রবর্তক মনে করা হয়। প্রকৃতপক্ষে জৈনধর্ম তাঁর আগে থেকেই প্রচলিত ছিল এবং তিনি গোড়া থেকেই এই ধর্মের অনুগামী ছিলেন।", "title": "জৈনধর্মের ইতিহাস" } ]
[ { "docid": "501830#0", "text": "জৈনধর্ম হল ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন ধর্ম। জৈনরা চব্বিশ জন তীর্থঙ্করের জীবনীর মধ্য দিয়ে তাঁদের ইতিহাসের রূপরেখা অঙ্কন করেন। জৈন বিশ্বাস অনুসারে, বর্তমান কালচক্রার্ধের (অবসর্পিণী যুগ) প্রথম তীর্থঙ্কর ছিলেন ঋষভনাথ। সর্বশেষ দুই তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ (২৩শ তীর্থঙ্কর, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৮৭২-৭৭২ অব্দ) ও মহাবীর (২৪শ তীর্থঙ্কর, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯-৫২৭ অব্দ) ছিলেন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। ২২শ তীর্থঙ্কর নেমিনাথ সম্পর্কে সীমিত ঐতিহাসিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি ছিলেন কৃষ্ণের জ্ঞাতিভ্রাতা। জৈনধর্ম হল চিরস্থায়িত্বের দর্শন। জৈনরা বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের ধর্ম হল একটি চিরস্থায়ী ধর্ম। হেইনরিক জিমারের মতে, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় বা চতুর্থ সহস্রাব্দেও জৈনধর্মের অস্তিত্ব ছিল। সিন্ধু উপত্যকায় পরবর্তী প্রস্তরযুগীয় একাধিক বৃহদাকার শহরের ধ্বংসস্তুপ থেকে প্রাপ্ত প্রত্নসামগ্রীগুলি পর্যবেক্ষণ করে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন।", "title": "জৈনধর্মের ইতিহাস" }, { "docid": "425517#9", "text": "ইহুদি মা-বাবার সন্তান কোয়েন নিজেকে একজন ধর্মনিরপেক্ষ ইহুদি হিসেবে বিবেচনা করেন, সেইসাথে তিনি নাস্তিকতা, পরাতাত্ত্বিক প্রকৃতিবাদ ও কনফ্লিক্ট থিসিসের একজন স্পষ্টভাষী প্রবক্তা। তিনি দাবী করেন যে ধর্ম ও বিজ্ঞান মৌলিকভাবে অসঙ্গত; কেবলমাত্র প্রমাণের যৌক্তিক মূল্যায়ণই মহাবিশ্ব ও তার কাজের ধরণকে নির্ভরযোগ্যভাবে আবিষ্কার করতে সক্ষম, এবং যেসব বিজ্ঞানী ধর্মকে আঁকড়ে ধরেন তারা এই ধারণাকেই পাকাপোক্ত করেন যে “মানুষ একইসাথে দু’টি সাংঘর্ষিক ধারণাকে তাঁদের মাথায় লালন করতে পারে”। তাঁর মতে, যখন কেউ মহাবিশ্ব সম্পর্কে কোন সত্য উপলব্ধি করতে যান তখন কাজের পদ্ধতি, দর্শন আর ফলাফলের অমিলটাই বিজ্ঞান ও বিশ্বাসের সংঘর্ষের মূল কারণ হয়ে দেখা দেয়।", "title": "জেরি কোয়েন" }, { "docid": "496797#10", "text": "\"ত্রিষষ্টি-শলাকা-পুরুষ-চরিত্র\" বা \"চৌষট্টি মহৎ ব্যক্তির জীবনী\" হল চব্বিশজন তীর্থঙ্কর এবং শলাকাপুরুষ নামে পরিচিত জৈন দর্শনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যাতাদের একটি জীবনীমূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তাঁদের সন্ন্যাস এবং জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তিলাভের ইতিবৃত্তের সঙ্গে সঙ্গে জৈন প্রভাবের কিংবদন্তিমূলক প্রসারের কথাও জানা যায়। এই গ্রন্থটি এখনও জৈনধর্মের আদি ইতিহাস সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্য তথ্যসূত্র। এই গ্রন্থের ‘পরিশিষ্টপর্ব’ বা ‘স্থবিরাবলীচরিত’ নামে পরিচিত নির্ঘণ্ট অংশটি তাঁর নিজের ব্যাখ্যা। এই নির্ঘণ্টটি যথেষ্ট গভীরতাসম্পন্ন একটি সন্দর্ভও বটে। \"ত্রিষষ্টি-শলাকা-পুরুষ-চরিত্র\" গ্রন্থটি \"দ্য লাইভস অফ দ্য জৈন এল্ডার্স\" নামে ইংরেজি ভাষায় অনূদিতও হয়েছে।", "title": "হেমচন্দ্র" }, { "docid": "501830#16", "text": "চন্দ্রগুপ্তের পৌত্র অশোক (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩-২৩২ অব্দ) বৌদ্ধ আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। অশোকের শিলালিপিগুলিতে জৈনদের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই শিলালিপিগুলিতে ‘ধম্মমহামাত্য’দের (সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত ধর্মপ্রচারক) কর্তব্য বর্ণিত আছে। একটি শিলালিপিতে রয়েছে:\nকথিত আছে, অশোকের পৌত্র সম্প্রতি (খ্রিস্টপূর্ব ২২৪-২১৫ অব্দ) সুহস্তী নামক এক জৈন সন্ন্যাসী কর্তৃক জৈনধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তিনি উজ্জয়িনীতে বাস করতেন। মনে করা হয়, তিনি অনেক জৈন মন্দির স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীকালে যে সকল মন্দিরের উৎস বিস্মৃত হয়েছিল, সেগুলিকে তাঁর নির্মিত মন্দির বলে উল্লেখ করা হত।", "title": "জৈনধর্মের ইতিহাস" }, { "docid": "59528#17", "text": "জৈনদের উৎসবে সন্ন্যাসীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়। এঁরা পুরোহিত নন। যদিও কোনো কোনো সম্প্রদায়ে এমন একজন পূজারিকে বিশেষ দৈনিক অনুষ্ঠানগুলি ও মন্দিরের অন্যান্য পৌরোহিত্যকর্মের জন্য নিযুক্ত করা হয়, যিনি নিজে জৈন নন।\nজৈনরা কোনো সুবিধা বা পার্থিব চাহিদা পূরণ অথবা পুরস্কারের আশায় আবেগশূন্য দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করেন না। তাঁরা প্রার্থনা করেন কর্মবন্ধন নাশ ও মোক্ষলাভের জন্য। ‘বন্দেতদ্গুণলব্ধায়ে’ (সেই দেবতাদের কাছে সেই গুণাবলির কামনায় আমরা প্রার্থনা করি) – জৈনদের এই প্রার্থনা বাক্যের মাধ্যমে তাঁদের প্রার্থনার মূল কথাটি বোঝা যায়।\nনবকার মন্ত্র হল জৈনধর্মের একটি মৌলিক প্রার্থনা। এটি যে কোনো সময় পাঠ করা যায়। দেবত্ব অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক গুণগুলিকে এই মন্ত্রের দ্বারা উপাসনা করা হয়। এই মন্ত্রে কোনো ব্যক্তিবিশেষের নাম নেই। জৈনধর্মে পূজা বা প্রার্থনার উদ্দেশ্য হল জাগতিক কামনা ও বন্ধনকে ধ্বংস করা এবং য়াত্মার মোক্ষ অর্জন।", "title": "জৈন ধর্ম" }, { "docid": "654922#6", "text": "প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কর্মকর্তা হলেন পরিচালক এবং সাহায্যকারীরা হলেন শিক্ষা বিষয়ক, ছাত্র বিষয়ক, অনুষদ বিষয়ক, গবেষণা বিষয়ক বিভাগীয় অধ্যক্ষদের সমন্বয়কারীরা। বর্তমানে অধ্যক্ষ সুধীর কুমার জৈন পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যাপনা করছেন। তিনি আইআইটি কানপুর থেকে এসেছেন বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে। অধ্যাপক জৈন ভারতের অন্যতম ভূমিকম্প প্রকৌশলী। তিনি আইআইটিকে তে ভূমিকম্প প্রকৌশলের জাতীয় তথ্য কেন্দ্র (এনআইসিইএ) গড়ে তুলেছেন এবং ভারত সরকারের সহায়তায় ভূমিকম্প প্রকৌশল শিক্ষাকে (এনপিইইই) জাতীয় কর্মসূচীর জন্য তৈরী করেছেন। তিনি \"ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং\"- এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।", "title": "ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান গান্ধীনগর" }, { "docid": "369720#15", "text": "জৈনধর্ম (সংস্কৃত: जैन धर्म) প্রাচীন ভারতে প্রবর্তিত একটি ধর্মমত। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশে এই ধর্মমতাবলম্বীদের দেখা যায়। জৈনধর্মের মূল বক্তব্য হল সকল জীবের প্রতি শান্তি ও অহিংসার পথ গ্রহণ। জৈন দর্শন ও ধর্মানুশীলনের মূল কথা হল দৈব চৈতন্যের আধ্যাত্মিক সোপানে স্বচেষ্টায় আত্মার উন্নতি। যে ব্যক্তি বা আত্মা অন্তরের শত্রুকে জয় করে সর্বোচ্চ অবস্থা প্রাপ্ত হন তাঁকে \"জিন\" (জিতেন্দ্রিয়) আখ্যা দেওয়া হয়। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলিতে জৈনধর্মকে \"শ্রমণ ধর্ম\" বা নির্গ্রন্থদের ধর্মও বলা হয়েছে। কথিত আছে, তীর্থঙ্কর নামে চব্বিশ জন মহাজ্ঞানী কৃচ্ছ্বসাধকের একটি ধারা পর্যায়ক্রমে জৈনধর্মকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। এঁদের মধ্যে ত্রাবিংশ তীর্থঙ্কর ছিলেন পার্শ্বনাথ (খ্রিষ্টপূর্ব নবম শতাব্দী) ও সর্বশেষ তীর্থঙ্কর ছিলেন মহাবীর (খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী)। আধুনিক বিশ্বে জৈনধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম হলেও এই ধর্ম বেশ প্রভাবশালী। ভারতে জৈন ধর্মবলম্বীদের সংখ্যা প্রায় ১০,২০০,০০০। এছাড়া উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, দূরপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্বের অন্যত্রও অভিবাসী জৈনদের দেখা মেলে।\nজৈনরা প্রাচীন \"শ্রমণ\" অর্থাৎ, কৃচ্ছ্বসাধনার ধর্মকে আজও বহন করে নিয়ে চলেছেন। ভারতের অপরাপর ধর্মমত, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষিত হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে বৃত্তিদানের একটি প্রাচীন প্রথা জৈনদের মধ্যে আজও বিদ্যমান; এবং ভারতে এই সম্প্রদায়ের সাক্ষরতার হার অত্যন্ত উচ্চ। শুধু তাই নয়, জৈন গ্রন্থাগারগুলি দেশের প্রাচীনতম গ্রন্থাগারও বটে।", "title": "বিভিন্ন ধর্ম" }, { "docid": "59528#30", "text": "জৈনধর্মের উৎস অজ্ঞাত। জৈনধর্ম হল একটি অনন্তকালীন দর্শন। জৈন কালচক্র অনুসারে, কালচক্রের প্রত্যেক অর্ধে চব্বিশ জন বিশিষ্ট মানুষ তীর্থঙ্করের পর্যায়ে উন্নীত হন এবং মানুষকে মোক্ষের পথ প্রদর্শন করেন। তাই এঁদের বলা হয় মানুষের আধ্যাত্মিক সহায়ক। মহাবীরের পূর্বসূরী তথা ২৩তম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ ছিলেন একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৯ম-৭ম শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে জীবিত ছিলেন। আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থগুলিতে পার্শ্বনাথের অনুগামীদের উল্লেখ আছে। \"উত্তরাধ্যয়ন\" সূত্রের একটি কিংবদন্তিতে পার্শ্বনাথের শিষ্যদের সঙ্গে মহাবীরের শিষ্যদের সাক্ষাতের কথা আছে। এই সাক্ষাতের ফলে পুরনো ও নতুন জৈন শিক্ষাদর্শের মিলন ঘটেছিল।", "title": "জৈন ধর্ম" }, { "docid": "15847#18", "text": "মনে করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব ৫৩৭ অব্দে বোধি লাভ করে সিদ্ধার্থ গৌতম ‘বুদ্ধ’ নামে পরিচিত হন। একই সময় চতুর্বিংশতিতম জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর একই ধরনের অপর একটি ধর্মতত্ত্ব প্রচার করেন; পরবর্তীকালে যা জৈনধর্ম নামে পরিচিত হয়। অবশ্য জৈন বিশ্বাস অনুযায়ী তাঁদের ধর্মতত্ত্ব অনাদিকাল থেকেই প্রচলিত। এও মনে করা হয় যে বেদে কয়েকজন জৈন তীর্থঙ্কর ও শ্রমণ ধর্মান্দোলনের অনুরূপ এক আধ্যাত্মিক সংঘাদর্শের কথা লিখিত আছে। বুদ্ধের শিক্ষা ও জৈন ধর্মতত্ত্ব নির্বাণতত্ত্বের কথা বলে। প্রাকৃত ভাষায় রচিত হওয়ায় তাঁদের ধর্মমত সহজেই সর্বজনগ্রাহ্য হয়ে উঠতে সক্ষম হয়। হিন্দুধর্ম ও ভারতীয় অধ্যাত্মতত্ত্বের বিভিন্ন অভ্যাস যথা নিরামিষ ভক্ষণ, পশুবলি নিবারণ ও অহিংসা প্রভৃতির উপর এই নতুন ধর্মমতের প্রভাব ছিল অত্যন্ত গভীর। জৈনধর্মের ভৌগোলিক বিস্তার ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ হলেও বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীরা বুদ্ধের শিক্ষাদর্শকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, তিব্বত, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।", "title": "ভারতের ইতিহাস" } ]
নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী কোন তারিখে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন ?
[ { "docid": "345869#24", "text": "২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মোদী মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৮৬,৩৭৩ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টি আসনের মধ্যে ১১৫টি দখল করলে মোদী চতুর্থ বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি আরো চারটি আসন দখল করতে সমর্থ হয়। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর \nভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২১শে মে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনন্দীবেন পটেলকে বেছে নেওয়া হয়।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" } ]
[ { "docid": "345869#10", "text": "২০০১ খ্রিষ্টাব্দে কেশুভাই পটেলের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ভূজ ভূমিকম্পে প্রশাসনিক দুর্বলতার অভিযোগ ওঠে।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#14", "text": "দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে। এমনকি কেন্দ্রে তেলুগু দেশম পার্টি ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কঝগম নামক ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বন্ধু দলও এই মত প্রকাশ করে। বিরোধীরা এই বিষয়ে লোকসভা অচল রাখে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোয়াতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় মোদী তাঁর ইস্তফা দিতে চাইলে পার্টি তা গ্রহণ করেনি। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই মোদীর মন্ত্রীসভা একটি জরুরীকালীন সভার সিদ্ধান্তে গুজরাটের রাজ্যপালের নিকট ইস্তফা পেশ করলে বিধানসভা ভেঙ্গে যায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে \nভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২৭টি আসন দখল করে। এই নির্বাচনের প্রচারকার্যে মোদী মুসলিম বিরোধী প্রচার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#8", "text": "১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। এই সময় শঙ্করসিনহা বাগেলা ও কেশুভাই পটেল ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেও নরেন্দ্র মোদী মুরলী মনোহর যোশীর কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রা সংগঠিত করে রাজ্য শাখায় উল্লেখযোগ্য সংগঠক হিসেবে উঠে আসেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তাঁর ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করে।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#15", "text": "মোদীর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীত্বের কালে তিনি হিন্দুত্ব থেকে সরে এসে গুজরাটের উন্নয়নের দিকে জোর দেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে গুজরাটে ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রভাব হ্রাস পায়। মোদী তাঁর মন্ত্রীসভা থেকে গোর্ধান জাদাফিয়া এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরিয়ে দেন। ভারতীয় কিশান সঙ্ঘ কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে মোদী তাঁদের রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদত্ত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি গান্ধীনগরে দুইশোটি বেআইনী মন্দির নির্মাণকে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ জারী করেন। এই সব ঘটনার ফলে গুজরাট শিল্পে বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়। ২০০৭ সালে ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সমাবেশে নির্মাণ কার্যে ৬.৬ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগের চুক্তি হয়।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#9", "text": "১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে মোদী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই সময় তিনি হরিয়াণা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে পার্টির সাংগঠনিক কাজকর্মের দায়িত্ব সামলান। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর শঙ্করসিনহা বাগেলা পার্টি থেকে বেরিয়ে যান। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে তিনি পার্টির কার্যনির্বাহী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচনী কমিটিতে তিনি বাগেলার সমর্থকদের পরিবর্তে কেশুভাই পটেলের সমর্থকদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করলে পার্টির মধ্যেকার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিরোধিতা থেমে যেতে বাধ্য হয় এবং ভারতীয় জনতা পার্টি ঐ নির্বাচনে জয়লাভ করে।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#17", "text": "২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারকে তাঁদের প্রধান হাতিয়ার করে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই মোদী সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য প্রধামনন্ত্রী মনমোহন সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০০৬ মুম্বই বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের অনুমতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান। এই সময় তিনি ২০০১ ভারতীয় সংসদ আক্রমণের প্রধান অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদন্ডের বার বার দাবী জানাতে থাকেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বএ মুম্বই শহরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিরিখে মোদী গুজরাটের লম্বা সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা জোরদার করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোদী মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ২,০৬৩ দিন থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদের রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮২টির মধ্যে ১২২টি আসন দখল করে জয়ী হন এবং মোদী তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদ লাভ করেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#0", "text": "নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী (; , জন্ম ১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৫০) ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী। এই রাজনীতিবিদ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ষোড়শ সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে বহুমতের দ্বারা জয়লাভ লাভ করেন এবং ২৬শে মে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি গুজরাটের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345869#7", "text": "১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হলে মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুর শহরে প্রশিক্ষণের পর তাঁকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ঘোষিত জরুরীকালীন অবস্থায় বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে মোদী গ্রেপ্তারী এড়ানোর জন্য কখনো শিখ, কখনো বয়স্ক ব্যক্তির ছদ্মবেশে গোপণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারপুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরীকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। এই সময় তিনি গুজরাটী ভাষায় \"সংঘর্ষ্ মা গুজরাট\" (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" }, { "docid": "345738#3", "text": "১৭ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে, সিপিআই (এম) মায়িল এলাকা কমিটির গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের মডেল গুণগানের জন্য এক বছরের জন্য দল থেকে আবদুল্লাহকুট্টি নির্বাসিত রাখা হয়। তিনি এর আগে বন্ধস এবং হরতালে রাজ্যর স্বার্থ খুব ক্ষতিকারক হয় বলে মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ইসলামের একজন বিশ্বাসী বলে ঘোষণা করেন এবং রমজান মাসে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ যেতেন। তিনি মার্চ ২০০৯ সালে পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হন। \nআবদুল্লাহকুট্টি এপ্রিল ২০০৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস যোগ দেন। তিনি কন্নুর বিধানসভা কেন্দ্রে জন্য আইএনসি প্রার্থী হিসাবে প্রতিযোগিতা করেন এবং নভেম্বর ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি কন্নুর বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে ২০১১ সালে সমাবেশ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি ৬৪৪৩ ভোটে কংগ্রেস (এস) সুপ্রিমো কাদান্নাপালী রামচন্দ্রনকে পরাজিত করেন।", "title": "এ পি আবদুল্লাহকুট্টি" }, { "docid": "345869#23", "text": "২০১১ সালের শেষের দিকে মোদী গুজরাটের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকটে পৌছুতে সদ্ভাবনা মিশনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার উপবাস অনশন করেন। এই অনশন গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার জন্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমেদাবাদ শহরে তিন দিনের অনশন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়, যার পর তিনি ছাব্বিশটি জেলা ও আটটি শহরে ছত্রিশ বার অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, তবুও এই কর্মসূচী মুসলিম সম্প্রদায় ভালো ভাবে নিতে পারেননি। সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ নামক এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক এক সভায় মোদীকে মুসলিমদের টুপি দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গোধরা শহরে অনশনের সময় মোদী বিরোধী এক মোর্চা সংগঠিত করার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এই কর্মসূচী একটি জনমোহিনী কর্মসূচী হিসেবে অনেকের নিকট সমালোচিত হলেও মোদী নিজে তা অস্বীকার করেন।", "title": "নরেন্দ্র মোদী" } ]
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী কোথায় ?
[ { "docid": "10284#0", "text": "উত্তর কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র যা কোরীয় উপদ্বীপের উত্তর অর্ধাংশ নিয়ে গঠিত। এর সরকারি নাম গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া (কোরীয় ভাষায় 조선민주주의인민공화국 \"চোসন্‌ মিন্‌জুজুই্যই ইন্‌মিন্‌ কোংহুয়াগুক্‌\")। উত্তর কোরিয়ার উত্তরে গণচীন, উত্তর-পূর্বে রাশিয়া, পূর্বে জাপান সাগর, দক্ষিণে দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমে পীত সাগর অবস্থিত। দেশটির আয়তন ১,২০,৫৩৮ বর্গকিলোমিটার। উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রটি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে সোভিয়েত সামরিক বাহিনী কোরীয় উপদ্বীপের উপরের অর্ধাংশ নিয়ন্ত্রণ করেছিল। ১৯৫০-এর দশকের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে এটি সমাজতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহরের নাম পিয়ং ইয়াং। উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া মধ্যবর্তী অবস্থিত কোরীয় সেনামুক্ত অঞ্চল ও প্রাবর অঞ্চল। আম্নোক নদী এবং তুমান নদী উত্তর কোরিয়া এবং গণচীন এর মধ্যবর্তী সীমান্তে অবস্থিত। তুমান নদী একটি অংশ একেবারে উত্তর-পূর্ব অংশে রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে।", "title": "উত্তর কোরিয়া" }, { "docid": "10284#14", "text": "উত্তর কোরিয়ার পর্যটন সরকার দ্বারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। দেশটির পূর্ব প্রান্তে সাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত কুমগানসান নামের পর্বত ও অরণ্যময় এলাকাটি মনোরম দৃশ্যের জন্য পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। উত্তর কোরিয়া সরকার জায়গাটিকে একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করেছে এবং এটি সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস বলে এখানে সমস্ত অর্থের আদান-প্রদান ডলারে সম্পন্ন হয়। রাজধানী পিয়ংইয়াং শহরটিতেও পর্যটকদের জন্য অনেক দর্শনীয় স্থান আছে, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানাটি।", "title": "উত্তর কোরিয়া" }, { "docid": "10284#8", "text": "উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি মূলত পর্যটনভিত্তিক। উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি হচ্ছে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পিত অর্থনীতি, সেইসঙ্গে বিশ্বের স্বতন্ত্র অর্থনীতির মধ্যে একটি। উত্তর কোরিয়ার পর্যটন সরকার দ্বারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত বিধায় এখানে খুব বেশি পর্যটক ঘুরতে আসেন না। দেশটির পূর্ব প্রান্তে সাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত কুমগানসান নামের পর্বত ও অরণ্যময় এলাকাটি মনোরম দৃশ্যের জন্য পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। উত্তর কোরীয় সরকার জায়গাটিকে একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করেছে এবং এটি সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস বলে এখানে সমস্ত অর্থের আদান-প্রদান ডলারে সম্পন্ন হয়। রাজধানী পিয়ং ইয়াং শহরটিতেও পর্যটকদের জন্য অনেক দর্শনীয় স্থান আছে, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানাটি।", "title": "উত্তর কোরিয়া" }, { "docid": "631540#0", "text": "ভূমিকাঃ উত্তর কোরিয়া যা পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত একটি স্বাধীন দেশ যার রাস্ট্রীয় নাম গণতান্ত্রীক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া। এর রাজধানী পিয়ং ইয়ং যা দেশটির সবচেয়ে বড় শহর। কোরীয় উপদ্বীপের উত্তরে এর অবস্থান। এই উপদ্বীপের দক্ষিনে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এর চির বৈরি সম্পর্ক যা শুরু সেই ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরীয় উপদ্বীপ ভাগের মাধ্যমে। সে সময় উত্তর কোরিয়া যায় সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলে আর দক্ষিণ কোরিয়া যায় যুক্তরাষ্টের দখলে। এরপর থেকেই এই উপদ্বিপের দেশ দুটির নিজেদের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক যা মূলত শীতল যুদ্ধের ফলাফল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫০, ২৫ জুন সালে উত্তর কোরীয়ার দক্ষিনে আক্রমণের মধ্য দিয়ে কোরীয় যুদ্ধ হয় যা ১৯৫৩ সালের জুলাই মাসে শেষ হয়।", "title": "উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সংকট ২০১৭-২০১৮" }, { "docid": "10284#11", "text": "উত্তর কোরিয়ার আদর্শ কোরীয় ভাষার নাম মুনহোয়াও, যার অর্থ পরিশীলিত ভাষা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যবহৃত আদর্শ কোরীয় ভাষাটির চেয়ে আলাদা। এটি উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়াং অঞ্চলে প্রচলিত ভাষার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। উত্তর কোরিয়াতে ছয়টি আঞ্চলিক উপভাষা রয়েছে, তবে চেজু দ্বীপের উপভাষাটি বাদে এরা পরস্পর বোধগম্য।", "title": "উত্তর কোরিয়া" }, { "docid": "631885#2", "text": "উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং এ চীনের একটি দূতাবাস ও ছংজিনে একটি কনস্যুলেট জেনারেলের অধিদপ্তর রয়েছে। চীনে বেইজিং এর ছাওইয়াং জেলায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস ও শেনইয়াংয়ে একটি কনস্যুলেট জেনারেল (বাণিজ্যিক দূতাবাস) অবস্থিত।", "title": "চীন-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক" }, { "docid": "17908#0", "text": "পিয়ং ইয়াং (কোরীয় ভাষায়: 평양) পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার রাজধানী শহর। প্রাদেশিক মর্যাদাবিশিষ্ট এই শহরটি কোরীয় উপদ্বীপের উত্তরভাগে অবস্থিত উত্তর কোরিয়া দেশটির পশ্চিম-মধ্য অংশে, তায়েদোং নদীর তীরে, কোরীয় উপসাগর (পীত সাগর) থেকে মূল ভূখণ্ডের ৪৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে একটি সমতল ভূমির উপরে অবস্থিত। শহরটি এখান থেকে উত্তর ও পূর্ব দিকে অনুচ্চ কিছু পর্বতমালার দিকে বিস্তৃত হয়েছে।", "title": "পিয়ং ইয়াং" }, { "docid": "17908#2", "text": "উত্তর কোরিয়ার কিংবদন্তী অনুসারে পিয়ং ইয়াং শহরটি কোরিয়ার প্রাচীনতম শহর যা ১১২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। বলা হয় যে শহরটি আরও প্রাচীন আরেকটি শহরের অবস্থানে নির্মাণ করা হয়েছিল, যা ছিল কোরীয় কিংবদন্তীর তানগুন রাজবংশের (আনুমানিক ২৩৩৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের) রাজধানী। পিয়ং ইয়াং সম্পর্কে সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহাসিক দলিলগুলি ১০৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রচিত হয়। ঐ বছর চীনারা পিয়ং ইয়াঙে একটি বাণিজ্যকুঠি প্রতিষ্ঠা করে এবং পরবর্তীতে শহরটিকে ঘিরে দুর্গপ্রাচীর নির্মাণ করে। পিয়ং ইয়াং ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বহুবার আক্রমণের শিকার হয় এবং প্রতিবারই একে নতুন করে গড়ে তোলা হয়। ৪২৭ খ্রিস্টাব্দে শহরটি উত্তর কোরিয়ার কোগুরিয়ো রাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়। ৬৬৮ সালে চীনা আক্রমণকারীরা এটিকে দখল করে নেয়। ৬৭৬ সালে দক্ষিণের সিল্লা রাজ্য শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কোরিয়ার কোরিয়ো রাজবংশ (৯১৮-১৩৯২) শহরটিকে তাদের দ্বিতীয় রাজধানীর মর্যাদা দেয়। ১৫৯২-১৫৯৩ সালে জাপানিরা শহরটি দখলে নেয়। ১৭শ শতকের শুরুর দিকে ১৬২৭ সালে চৈনিক মাঞ্চুরা শহরটিতে ধ্বংসলীলা চালায়। ১৯শ শতকের শেষের দিকে বহু পশ্চিমা খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক শহরে বাস করা শুরু করেন। ১৮৯০-এর দশকে চীন-জাপান যুদ্ধের সময় (১৮৯৪-৯৫) শহরটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুদ্ধশেষে মহামারী বা প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে শহরটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জাপানিরা শহরটিকে নিয়ন্ত্রণ করত; তারা এটিকে হেইজো নামে ডাকত। জাপানিরা শহরটিকে একটি শিল্পশহর হিসেবে গড়ে তোলে এবং এখানে বহু কলকারখানা স্থাপন করে। ১৯৪৫ সালে কোরিয়া জাপান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। জাপানি শাসনের সময় খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকেরা আরও অনেক তৎপরতা চালান। পিয়ং ইয়াং ও তার আশেপাশে ১০০-রও বেশি গির্জা নির্মাণ করা হয়; বলা হত এশিয়ার সব শহরের মধ্যে পিয়ং ইয়াঙেই প্রোটেস্টান্ট (প্রেসবাইটেরীয়) ঘরানার খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকের সংখ্যা সর্বাধিক। ১৯৪৮ সালে কোরিয়া দুইটি দেশে বিভক্ত হয়ে যায়, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ং ইয়াংকে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী বানানো হয়। ১৯৫০ সালে কোরীয় যুদ্ধের সময় উত্তর কোরীয় সেনারা প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল দখল করলেও শীঘ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জাতিসংঘ বাহিনী উত্তর কোরীয় বাহিনীকে পিছে হটিয়ে দেয় এবং পিয়ং ইয়াঙের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়। কিন্তু চীনা সাম্যবাদী সেনারা দ্রুত শহরটিকে পুনরায় দখল করে। কোরীয় যুদ্ধে (১৯৫০-১৯৫৩) মার্কিন বিমানবাহিনীর বিমানগুলি থেকে বহুশতবার বোমাবর্ষণের কারণে শহরের ব্যাপক ধ্বংসসাধন হয়। ১৯৫৩ সালে চীনা ও সোভিয়েত অর্থসাহায্যের মাধ্যমে পিয়ং ইয়াংকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়।", "title": "পিয়ং ইয়াং" }, { "docid": "609103#0", "text": "উত্তর কোরিয়া-মিশর সম্পর্ক, উত্তর কোরিয়া এবং মিশর এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং-এ মিশরের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে উত্তর কোরিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।", "title": "উত্তর কোরিয়া-মিশর সম্পর্ক" } ]
[ { "docid": "16428#0", "text": "দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ যা কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশটি নিয়ে গঠিত। এর সরকারি নাম কোরীয় প্রজাতন্ত্র ( \"দাএ-হান্-মিন্-‌গুক্‌\")। দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তরে উত্তর কোরিয়া, পূর্বে জাপান সাগর, দক্ষিণে ও দক্ষিণ-পূর্বে কোরিয়া প্রণালী, যা জাপান থেকে দেশটিকে পৃথক করেছে, এবং পশ্চিমে পীত সাগর। সিউল হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।", "title": "দক্ষিণ কোরিয়া" } ]
প্রথম উসমানীয় সুলতানের নাম কী ?
[ { "docid": "138300#0", "text": "প্রথম সুলাইমান (উসমানীয় তুর্কি ভাষায়: سليمان اوّل) (\"সুলায়মান দ্য ম্যাগ্নিফিসেন্ট\", তুর্কি ভাষায় মুহতেশিম সুলাইমান বা মহৎ সুলায়মান নামে পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত, তুরস্কে কানুনি সুলতান সুলাইমান নামে পরিচিত) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম এবং সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী শাসনরত সুলতান, যিনি ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন। পাশ্চাত্ত্যে তিনি মহৎ সুলাইমান হিসেবেও পরিচিত। তিনি পুর্নবারের জন্য সম্পূর্ণভাবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের নীতিমালাগুলো তৈরি করেছিলেন বলে প্রাচ্যে তাঁকে বলা হয় বিধানকর্তা সুলাইমান ()। প্রথম সুলাইমান ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপে একজন বিশিষ্ঠ রাজা হিসেবে স্থান লাভ করেন, যার শাসনামলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির বিস্তার ঘটে। সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনী রোমান সাম্রাজ্য এবং হাঙ্গেরির পতন ঘটায়।সুলতান সুলাইমান পারস্যের সাফাভিদ সুলতান, প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় আলজেরিয়া সহ বড় বড় অঞ্চলগুলো রোমান সাম্রাজ্যের হাত থেকে দখল করে নেয়। তাঁর শাসনামলে নৌসেনাপতি হাইরেদ্দীন বারবারোসা স্পেনের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডুরিয়ো নেতৃত্বে সম্মিলিত খ্রিস্টান বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৫৩৮ সালে প্রিভিজার যুদ্ধে বারবারোসা বিজয় লাভ করে।এই উসমানীয় নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে। \nএছাড়াও তার নৌ বাহিনী তৎকালীন স্পেনের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া পলায়নরত নির্বাসিত মুসলিম ও ইহুদিদের উদ্ধারকার্য পরিচালনা করেন।\nসুলতান সুলায়মান ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবেচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান সুলতান।", "title": "প্রথম সুলাইমান" }, { "docid": "485155#0", "text": "উসমানের তলোয়ার (; ) ছিল উসমানীয় সুলতানদের অভিষেকের সময় ব্যবহৃত রাষ্ট্রীয় তলোয়ার। এই তলোয়ারকে উসমানীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উসমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে। প্রথম উসমানের পৃষ্ঠপোষক ও শ্বশুর শাইখ এদেবালি কর্তৃক তাকে তলোয়ার প্রদানের মাধ্যমে এই প্রথার চর্চা শুরু হয়। একজন সুলতানের সিংহাসনে আরোহণের দুই সপ্তাহের মধ্যে তলোয়ার প্রদানের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হত। রাজধানী কনস্টান্টিনোপলের আইয়ুব সুলতান মসজিদে অভিষেক সম্পন্ন হত। সাহাবি আবু আইয়ুব আনসারির সম্মানে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আইয়ুব মাজার কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছিলেন। আবু আইয়ুব আনসারি ৭ম শতাব্দীতে কনস্টান্টিনোপল অবরোধের সময় মারা যান। এই স্থানকে পবিত্র গণ্য করা হত এবং এখানে তলোয়ার প্রদানের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হত।", "title": "উসমানের তলোয়ার" } ]
[ { "docid": "10823#0", "text": "উসমানীয় সাম্রাজ্য (, আধুনিক তুর্কি: ), ঐতিহাসিকভাবে তুর্কি সাম্রাজ্য বা তুরস্ক বলে পরিচিত, ছিল একটি ইসলামি সাম্রাজ্য। ১২৯৯ সালে অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রথম উসমান উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়ার দ্বায়িত্ব পান সেলযুক সাম্রাজ্য কতৃক। প্রথম দিকে সেলযুক সাম্রাজ্যের প্রতি অনুগত থাকলেও সেলজুক সাম্রাজ্যের ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।\nএবং ধীরে ধীরে একটি বৃহত সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন এবং প্রথম উসমানের মাতা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক শাহজাদা নুমান এর মেয়ে অর্থাৎ আর্তুগুলের স্ত্রী প্রথম মুরাদ কর্তৃক বলকান জয়ের মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের কনস্টান্টিনোপল জয় করার মাধ্যমে উসমানীয়রা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করে।\n১৫২৬ সালে হাঙ্গেরি জয়ের পর ইউরোপের বলকান অঞ্চল সমূহ নিয়ে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে।\n১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহবিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল। ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য" }, { "docid": "179106#0", "text": "প্রথম মাহমুদ (উসমানীয় তুর্কি ভাষায়: محمود اول) কুঁজো হিসাবেও পরিচিত (\"কাম্বুর\")(২০শে সেপ্টেম্বর, ১৭৩০ – ১৩ই ডিসেম্বর, ১৭৫৪) ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান ১৭৩০ থেকে ১৭৫৪ পর্যন্ত। তিনি এডার্ন রাজভবনে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোস্তফা II (১৬৯৫–১৭০৩) এবং তার মাতার নাম ভালিদে সুলতান সালিহা সাবকাতি। প্রথম মাহমুদ ছিল উসমান III (১৭৫৪–৫৭) এর বড় ভাই।", "title": "প্রথম মাহমুদ" }, { "docid": "138930#0", "text": "প্রথম সেলিম (ওসমানীয় তুর্কি: سليم اوّل, আধুনিক তুর্কি: \"I.Selim\" বা \"ইয়াভুজ সুলতান সেলিম\"), ডাকনাম ইয়াভুজ (১০ অক্টোবর ১৪৬৫/১৪৬৬/১৪৭০ – ২২ সেপ্টেম্বর ১৫২০) ছিলেন প্রথম ওসমানীয় খলিফা এবং নবম ওসমানীয় সুলতান। ১৫১২ থেকে ১৫২০ সাল পর্যন্ত ওসমানীয় সুলতান ছিলেন। সাম্রাজ্যের ব্যাপক বিস্তৃতির জন্য তার শাসনামল পরিচিত।১৫১৪ সালে মুসলিম সাম্রাজ্য শিয়া ফেতনা থেকে মুক্ত করার জন্য শিয়া সাফাভি ইসমাইল শাহকে পরাজিত করেন। তৎকালীন মিশরীয় মামুলোকেরা ইউরোপে খৃষ্টানদের সাথে উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ও তৎকালীন সময়ে পর্তুগাল মক্কা-মদিনা ধ্বংসের হুমকি দিলে তারা তা প্রতিরোধ করতে অপারগ থাকায় সুলতান প্রথম সেলিম ১৫১৬ থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে ওসমানীয়রা মিশরের মামলুক সালতানাত জয় করে নেয়।\nএর ফলে লেভান্ট সিরিয়া ফিলিস্তিনি, হেজাজ, তিহামাহ ও মিশর উসমানীয়দের অধিকারে আসে। তিনি ১৫১৭ সালে খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন উপাধি ধারণ করেন। মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল জয় এবং একীভূত করার মাধ্যমে সেলিম মক্কা ও মদিনার রক্ষক হয়ে উঠেন।", "title": "প্রথম সেলিম" }, { "docid": "183164#0", "text": "প্রথম মুহাম্মদ চেলেবি (, \"Mehmed I\" বা \"Mehmed Çelebi\") (১৩৮১ – ২৬ মে ১৪২১) ছিলেন উসমানীয় সুলতান। ১৪১৩ থেকে ১৪২১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজত্ব করেছেন। তিনি সুলতান প্রথম বায়েজীদ ও তার স্ত্রী দাওলাত খাতুনের পুত্র। তার শাসনামল উসমানীয় গৃহযুদ্ধের কারণে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এই গৃহযুদ্ধের ফলে সালতানাত বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। মৃত্যুর পূর্বে তিনি সাম্রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন।", "title": "প্রথম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)" }, { "docid": "170493#0", "text": "প্রথম বায়েজীদ (, ) (ডাকনাম \"ইলদিরিম\" (উসমানীয় তুর্কি: ییلدیرم), \"বজ্রপাত বা বজ্রকঠিন।\") (১৩৬০ – ৮ মার্চ ১৪০৩) ছিলেন উসমানীয় সুলতান। তিনি ১৩৮৯ থেকে ১৪০২ সাল পর্যন্ত শাসন করেছেন। তিনি সুলতান প্রথম মুরাদ ও গুলচিচেক খাতুনের পুত্র। তিনি একটি সুবিশাল সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি কনস্টান্টিনোপলও আক্রমণ করেছিলেন তবে তাতে ব্যর্থ হন। ১৪০২ সালে আঙ্কারার যুদ্ধে তিনি তৈমুর লঙের কাছে পরাজিত ও বন্দী হন। বন্দী অবস্থায় ১৪০৩ সালের মার্চে তিনি ইন্তেকাল করেন।", "title": "প্রথম বায়েজীদ" }, { "docid": "138300#2", "text": "জানা যায় যে, সুলতান সুলাইমান উসমানীয় সাম্রাজ্যের দু'শ বছরের সংসকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে তাঁর হারেমের একজন কানিজ, রোক্সেলানার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রোক্সেলানার নাম পরবর্তীকালে হুরেম সুলতান রাখা হয়। তিনি সুলতান সুলাইমানের পুত্র, সেলিম ইবনে সুলাইমানের গর্ভধারণী হন। সুলতান সুলাইমানের মৃত্যুর পর, সেলিম ইবনে সুলাইমান, 'দ্বিতীয় সেলিম' হিসেবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান হন।", "title": "প্রথম সুলাইমান" }, { "docid": "138300#8", "text": "হুররেম সুলতান ( রোক্সেলানা হিসেবেও পরিচিত ) ছিলেন রুথেনিয় বংশোদ্ভূত উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমানের প্রিয়তম প্রমোদ দাসী (উপপত্নী) ও পরবর্তীকালে তার বৈধ স্ত্রী এবং সম্রাটের সন্তান শাহজাদা মুহাম্মদ, মিরহিমাহ সুলতান, শাহজাদা আবদুল্লাহ, সুলতান দ্বিতীয় সেলিম, শাহজাদা বায়েজিদ এবং শাহজাদা জাহাঙ্গীরের মাতা। হুররেম সম্ভবত কোন ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স ধর্মযাজক পিতার ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি পোল্যান্ড রাজ্যের রুথেনীয় ভয়ভডেশিপের প্রধান শহর ল্বও-এর ৬৮ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের রুহাটাইন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমান পশ্চিম ইউক্রেন)। ১৫২০-এর দশকে ক্রিমিয়ার তাতাররা ওই এলাকার একটি তড়িৎ অভিযানের সময় তাকে বন্দী করে একজন দাসী হিসেবে নিয়ে আসে (সম্ভবত প্রথমে ক্রিমিয়ার নগরী কাফফায়, যা দাস ব্যবসার একটি প্রধান কেন্দ্র, এরপর কনস্টান্টিনোপলে) এবং তাকে প্রথম সুলাইমানের হারেমের জন্য বাছাই করে। তিনিই সুলতানের সর্বাধিক সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেন, এবং আশ্চর্যজনকভাবে চিরায়ত প্রথা ভঙ্গ করে - তিনি দাসত্ব হতেও মুক্তি লাভ করেন। দুইশত বছরের অটোম্যান ঐতিহ্যকে ভঙ্গ করে, একজন প্রাক্তন উপপত্নী এভাবে অবশেষে সুলতানের বৈধ পত্নী হয়ে ওঠে, যা প্রাসাদ ও নগরীর প্রত্যক্ষদর্শীদের জন্য অত্যন্ত হতবাককারী একটি বিষয় ছিল। এই ঘটনা সুলাইমানকে ওরহান গাজির (১৩২৬- ১৩৬২) পর প্রথম দাসী বিবাহকারী সুলতানের পরিচয় এনে দেয় এবং প্রাসাদে হুররামের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে, যার ফলশ্রুতিতে তার অন্যতম পুত্র দ্বিতীয় সেলিম ১৫৬৬ সালে সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার লাভ করেন।\nসুলায়মান বাকি জীবনে রাজসভাতেও হুররেমকে তার সাথে থাকতে দেন, যার ফলে আরেকটি প্রথা ভঙ্গ হয়, আর তা হল, যখন সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারীগণ উপযুক্ত বয়সে পৌঁছুবে, তাঁদেরকে তাঁদের রাজ উপপত্নীসহ (উত্তরাদিকারিদেরকে তাঁদের মাতাসহ) নিকটস্থ প্রদেশে শাসনের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে, উক্ত উপপত্নীদের সন্তান ক্ষমতায় বসার আগ পর্যন্ত তারা ফিরে আসতে পারবে না। সুলতানের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও হুররেম ভূমিকা পালন করেছেন, এবং প্রতীয়মান হয় যে তিনি বৈদেশিক নীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রভাব রেখেছিলেন।", "title": "প্রথম সুলাইমান" }, { "docid": "217228#0", "text": "দ্বিতীয় মুহাম্মদ (, \"Meḥmed-i s̠ānī\"; ) (৩০ মার্চ ১৪৩২ – ৩ মে ১৪৮১) ছিলেন ৭ম উসমানীয় সুলতান। তিনি মুহাম্মদ ফাতেহ অর্থাৎ বিজয়ী মুহাম্মদ নামে পরিচিত। ১৪৪৪ সালের আগস্ট থেকে ১৪৪৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তিনি সুলতান ছিলেন। এরপর ১৪৫১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় মসনদে অসেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি ১৪৮১ সালের মে পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি ও তাঁর শায়খ কনস্টান্টিনোপল এর কাছে প্রথম কনস্টান্টিনোপল যুদ্ধের সময় শহীদ সাহাবী হযরত আইয়ুব আনসারী রাদিআল্লাহু আনহু এর কবর খুঁজে পান ও পরবর্তীতে সেখানে আসে মসজিদ নির্মাণ করেন।রাসূল মোহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর ভবিষ্যৎ বাণী কনস্টান্টিনোপল বিজয়টি তখন এই উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ ২১ বছর বয়সে কনস্টান্টিনোপল জয় এর মাধ্যমে বিজিত হয়।তার অসামান্য দক্ষতা তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে বড় কামান ও স্থল ভাগের উপর দিয়ে জাহাজ নিয়ে যাওয়া ছিল কনস্টান্টিনোপল যুদ্ধের অন্যতম কৃতিত্ব।এর ফলে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়। মুহাম্মদ আনাতোলিয়া,আলবেনিয়া,বসনিয়া,ক্রিমিয়া, ইতালি পর্যন্ত ইউরোপ অভিযান অব্যাহত রাখেন। আধুনিক তুরস্ক ও মুসলিম বিশ্বে সুলতান মুহাম্মদ একজন বীর হিসেবে সম্মানিত হন। তার স্মরণে ইস্তানবুলের ফাতিহ জেলা, ফাতিহ সুলতান মুহাম্মদ সেতু ও ফাতিহ মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে।", "title": "দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)" }, { "docid": "10823#45", "text": "সর্বপ্রথম সুলতান প্রথম মুরাদ মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদ খলিফা দাবি করেন। এর মাধ্যমে উসমানীয় খিলাফতের সূচনা হয়। উসমানীয় সুলতান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় অভিভাবক ছিলেন। তবে সুলতান সব ক্ষেত্রে সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন না। উসমানীয় দরবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ছিল রাজকীয় হারেম। এটি ভালিদ সুলতান কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালিদ সুলতান রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপে অংশ নিতেন। এমন একটি সময়কে \"মহিলা সালতানাত\" বলা হয়। পূর্ববর্তী সুলতানের সন্তানদের থেকে নতুন সুলতান নির্বাচন করা হত। প্রাসাদের স্কুলের কঠোর শিক্ষাক্রম মেধাবী উত্তরাধিকারীদের শিক্ষাদান করার জন্য তৈরী হয়েছিল। এছাড়াও এখানে ভবিষ্যত প্রশাসকদের শিক্ষাদান করার জন্য প্রাসাদের স্কুল ব্যবহৃত হত। এই স্কুল একটি ধারার উপর সবসময় পরিচালিত হয়নি। মুসলিমদের জন্য মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়। এছাড়া ছিল খ্রিষ্টানদের জন্য \"এন্ডেরুন\" নামক আবাসিক স্কুল। এতে আট থেকে বিশ বছরের মধ্যবর্তী বার্ষিক ৩,০০০ জন খ্রিষ্টান বালককে শিক্ষাদান করা হত। রুমেলিয়া ও বলকান অঞ্চলের বিভিন্ন তাদের নিয়ে আসা হত।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য" } ]
সাইদ নুরসির অনুসারীদের কি নামে অভিহিত করা হয় ?
[ { "docid": "367100#1", "text": "নুরসি একটি বিশ্বাসভিত্তিক আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এই আন্দোলন তুরস্কে ইসলামের পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সারাবিশ্বে এর ব্যাপক অনুসারী রয়েছে। তার অনুসারীদের প্রায় \"নুরজু\" বা \"নুর জামাত\" নামে অবিহিত করা হয় এবং তাকে শ্রদ্ধা করে \"উস্তাদ\" ডাকা হয়।অনুরক্ত তুর্কি যুবসমাজ তাকে বদিউজ্জামান বা যুগের বিশ্বয় (Wonder of the age) নামে অভিহিত করে।", "title": "সাইদ নুরসি" } ]
[ { "docid": "367100#6", "text": "আরবিতে আজানের পক্ষাবলম্বন ও অন্যান্য কারণে সাইদ নুরসিকে ইসপারতা প্রদেশে নির্বাসন দেয়া হয়। এই অঞ্চলের জনসাধারণের মধ্যে তার শিক্ষা জনপ্রিয় হয়ে পড়ায় ইসপারতার গভর্নর তাকে বারলা নামক গ্রামে পাঠিয়ে দেন। তার পান্ডুলিপিগুলো সাভ নামক একটি গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানকার লোকেরা তা আরবি হরফে কপি করে যা ১৯২৮ সালে সরকারিভাবে তুর্কি বর্ণমালার মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। সমাপ্ত হওয়ার পর বইগুলো তুরস্কজুড়ে নুরসির অনুসারীদের মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার কাজের ধারা ছিল পাশ্চাত্যকরণ ও ধর্মনিরপেক্ষকরণের জবাবে ইসলামী উত্তর উপস্থাপন করা। কামাল আতাতুর্কের তুরস্কের ক্ষমতা লাভ ও ১৯২৩ সালে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর পাশ্চাত্যকরণ ভালোভাবে গতিলাভ করে।", "title": "সাইদ নুরসি" }, { "docid": "392636#0", "text": "মোহাম্মদ নিজাম আদিল \"Mehmet Nâzım Adil\" (১৯২২ - ২০১৪) যিনি শেখ নিজাম নামে সুপরিচিত, ছিলেন তুর্কী বংশদ্ভূত একজন মুসলিম ছুফি সাধক ও নকশবন্দি তরীকার দীক্ষাগুরু বা পীর। দ্যা ফাই হান্ড্রেড মোষ্ট ইনফ্লুয়েন্শিয়াল মুসলিমস নামক একটি বার্ষিক প্রকাশনার জরীপে বিশ্বে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তারকারী ৫০০ জন মুসলমানের নামের তালিকায় তার নামটিও প্রকাশ প্রায়। শেখ নিজাম তুর্কীর বাসিন্দ ছলেন বিধায় তিনি নিজাম কিবরিশি \"(Turkish: Nazım Kıbrısi)\" নামেও পরিচিত যা তার জন্মস্থান কিবরিশের (Turkish: Kıbrıs) পরিচয় বহন করে। তাছাড়া সম্মানার্থে অনুসারীগণ তার নাম লিখে থাকেন মোহাম্মদ নিজাম আদিল আল-কিবরিশি আল-হক্কানী আল-নকশবন্দি Muhammad Nazim Adil al-Qubrusi al-Haqqani al-Naqshbandi ().", "title": "মোহাম্মদ নিজাম আদিল" }, { "docid": "366752#1", "text": "হোসেন শাহের মূল নাম ছিল সাইদ হোসেন। ১৭৮৮ সালে লেখা \"রিয়াজুস সালাতিন\" অণুসারে তিনি তিরমিজের বাসিন্দা মক্কার শরিফ সাইদ আশরাফুল হোসাইনি আল ফাতিমি আল মাক্কির পুত্র ছিলেন। ইতিহাসবিদ গোলাম হোসেন সেলিম (\"রিয়াজুস সালাতিন\" এর লেখক) ও মুহাম্মদ কাসিম হিন্দু শাহ তাকে সাইদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা তার আরব বংশোদ্ভূত হওয়ার চিহ্ন বহন করে। পাশাপাশি \"সুলতান হোসেন শাহ বিন সাইদ আশরাফুল হুসাইনি\" কথাটি তার মুদ্রায় উল্লেখিত হয়েছে। তবে তার বাংলায় আগমন ও সুলতান শামসউদ্দিন মোজাফফর শাহের উজিরের পদ লাভ করার ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায় না। ধরা হয় যে তিনি প্রথমে মুর্শিদাবাদ জেলার চাঁদপারা গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। এর কারণ হোসেন শাহের প্রথম দিকের বেশ কিছু বিবরণ এই গ্রামের আশেপাশে পাওয়া যায় এবং ১৪৯৪ সালে হোসেন শাহ কর্তৃক নির্মিত \"খেরুর মসজিদ\" এখানে অবস্থিত। \"শেখের দীঘি\" নামক একটি জলাশয়ও তার সাথে সম্পর্কিত।", "title": "আলাউদ্দিন হোসেন শাহ" }, { "docid": "367100#8", "text": "জীবনের শেষ দশকে সাইদ নুরসি ইসপারতা শহরে অবস্থান করেন। বহুদলীয় ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর আদনান মেন্দেরেসের ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ভোট দেয়ার জন্য তিনি তার অনুসারীদের আহ্বান জানান। প্রান্তিক ও রক্ষণশীল জনসাধারণের মধ্যে এই দল সমর্থন করেছিল। সাইদ নুরসি কঠোরভাবে কমুনিস্ট বিরোধী ছিলেন। তিনি একে সময়ের সবচেয়ে বড় ভয়াবহতা বলে উল্লেখ করে। ১৯৫৬ সালে তাকে তার লেখা প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়। তার বইগুলো \"রিসালায়ে নুর\" নামে সংকলিত হয়।", "title": "সাইদ নুরসি" }, { "docid": "367100#2", "text": "সাইদ নুরসি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত পূর্ব আনাতোলিয়ার বিতলিস ভিলায়েত প্রদেশের নুরস নামক কুর্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মস্থানের পন্ডিতদের কাছ থেকে তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। এখানে তিনি ধর্মীয় বিতর্কে পারদর্শিতা দেখান। ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের পর তাকে \"বদিউজ্জামান\" নাম প্রদান করা হয় যার অর্থ \"সময়ের অদ্বিতীয় ও সবচেয়ে উচ্চ ব্যক্তি\"। ভান ভিলায়েতের গভর্নর তাকে তার বাসগৃহে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান। গভর্নরের গ্রন্থাগারে নুরসি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বই থেকে জ্ঞান আহরণ শুরু করেন। এখানে তিনি উসমানীয় তুর্কি ভাষায় রপ্ত করেন। এসময় তিনি সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল যাতে বৈজ্ঞানিক ও ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে এই অঞ্চলে দার্শনিক চিন্তা অগ্রসর হয়। ১৯০৯ সালে কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রোগ্রেসের সংস্কারের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়। কিন্তু পরে তিনি মুক্তি পান। উসমানীয় খিলাফতের শেষের দিকে তিনি একজন শিক্ষা সংস্কারক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন এবং খিলাফতের জনগণের একতার উপর জোর দেন। সুলতান আবদুল হামিদের কাছে তিনি শিক্ষা সংস্কারের আবেদন জানান। মাদ্রাসা ও আধুনিক বিজ্ঞানের সমন্বয়ে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন।", "title": "সাইদ নুরসি" }, { "docid": "367100#0", "text": "সাইদ নুরসি (‎; ১৮৭৭ – ২৩ মার্চ ১৯৬০), বদিউজ্জামান নামেও পরিচিত, ছিলেন একজন সুন্নি মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক। তিনি রিসালায়ে নূর নামক কুরআনের ব্যাখ্যা রচনা করেন। এটির আকার ছয় হাজার পৃষ্ঠার অধিক। আধুনিক বিজ্ঞান ও যুক্তিকে ভবিষ্যতের পথ বিবেচনা করে তিনি সাধারণ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় জ্ঞান ও ধর্মীয় বিদ্যালয়ে আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন।", "title": "সাইদ নুরসি" }, { "docid": "295053#0", "text": "মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক (১৯১৫ - ১৯৭৭) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত পীর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব। তিনি পীর সাহেব চরমোনাই নামে পরিচিত এবং বর্তমানে বহুল পরিচিত চরমোনাইয়ের চিশতিয়া সাবিরিয়া ইমদাদিয়া রশিদিয়া তরিকার প্রবর্তক ও প্রথম পীর। এ তরিকার দ্বিতীয় পীর তার সন্তান মাওলানা ফজলুল করীমের মৃত্যুর পর তিনি অনুসারীদের মাঝে 'দাদা হুজুর' নামে অভিহিত হন।", "title": "সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক" }, { "docid": "113606#0", "text": "সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী (২৫ সেপ্টেম্বর ১৯০৩ - ২২ সেপ্টেম্বের ১৯৭৯), যিনি মাওলানা মওদুদী, বা শাইখ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী নামেও পরিচিত, ছিলেন একজন মুসলিম গবেষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও বিংশ শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক। তিনি তার নিজ দেশ পাকিস্তানের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও ছিলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামী নামক একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলেরও প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন ২০ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম স্কলারদের মধ্যে একজন। তিনি ইতিহাসের দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ ব্যক্তি যাহার গায়েবানা জানাজার নামাজ পবিত্র কাবাতে পড়া হয়।", "title": "সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী" }, { "docid": "608418#0", "text": "নূর জীহান (, জন্মনাম: আল্লাহ রাকি ওসাই; ২১ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ – ২৩ ডিসেম্বর ২০০০), এছাড়াও তার সম্মানিত খেতাব মালিকা-ই-তারান্নুম নামে পরিচিত (, \"সুরের রানী\"), ছিলেন একজন পাকিস্তানি গায়িকা এবং অভিনেত্রী, যিনি প্রাথমিকভাবে ব্রিটিশ ভারতের হয়ে এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। তার প্রায় ৬ দশকের অধিক সময় ধরে তার কর্মজীবনের পার করেন। তিনি বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে বিখ্যাত ছিলেন। যার স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি পাকিস্তানের অন্যতম সম্মানসূচক মালিকা-ই-তারান্নুম বা সুরের রানী খেতাব লাভ করেছিলেন। তিনি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের পাশাপাশি সংগীতের অন্যান্য ধারার প্রতিও দূরদর্শী ছিলেন।", "title": "নূর জীহান" } ]
বেদের প্রথম ভাগ কী ?
[ { "docid": "42564#7", "text": "সামবেদ (সংস্কৃত: सामवेद) (\"সামন্‌\" বা গান ও \"বেদ\" বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।", "title": "বেদ" }, { "docid": "471152#3", "text": "বেদের চারটি ভাগ হল ঋক্‌, সাম, যজুঃ ও অথর্ব। ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলি হল স্তোত্রের সংকলন। এগুলিই ঋগ্বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কে তথ্যের প্রধান উৎস। সামবেদের গানগুলি পুরোপুরিই অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত সংগীতের সংকলন। সামবেদের স্তোত্রগানগুলি সুরে গাওয়া হত। এগুলির সবকটিই ঋগ্বেদ থেকে আহৃত এবং এগুলি কোনো আলাদা শিক্ষা বহন করে না। যজুর্বেদের স্তোত্রগুলি আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকাণ্ডের উপযোগী। আনুষ্ঠানিক ধর্মের প্রয়োজন মেটাতে এগুলি আলাদা করে সংকলিত করা হয়েছে। অথর্ববেদের মন্ত্রগুলি অন্য তিনটি বেদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ইতিহাস ও সমাজতত্ত্ব-সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে এই বেদের স্থান ঋগ্বেদের পরেই।", "title": "বৈদিক পুরাণ" } ]
[ { "docid": "471152#2", "text": "বিষ্ণুপুরাণ অনুসারে, বেদের বর্তমান বিভাগকর্তা হলেন ব্যাস। পৌরাণিক সাহিত্য অনুসারে, বেদ একটিই ছিল। পরে সেটি চারটি (মতান্তরে তিনটি) ভাগে ভাগ করা হয়। বিষ্ণুপুরাণ (৩। ২। ১৮, ৩। ৩। ৪ ইত্যাদি) অনুসারে, দ্বাপর যুগে ব্যাসরূপে বিষ্ণু বেদকে তিনটি বা চারটি ভাগে বিভক্ত করেন। এই ভাগগুলিকে তিনি অসংখ্য শাখায় বিভত করেছিলেন। বায়ুপুরাণ (অংশ ৬০) অনুসারে, ব্রহ্মার অনুরোধে ব্যাস বেদের এই বিভাজন করেন। ভাগবত পুরাণ (১২। ৬। ৩৭) অনুসারে, আদি বেদের উৎস ওঁ অক্ষরটি। এই পুরাণ মতে, দ্বাপর যুগে মানুষের বয়স, গুণ ও বোধশক্তির অধঃপতনের জন্য আদি বেদ চার ভাগে বিভক্ত করা হয়। ভাগবত পুরাণের অন্য একটি কাহিনি (৯। ১৪। ৪৩) অনুসারে, ত্রেতা যুগের সূচনায় রাজা পুরুরবা আদি বেদকে (\"ওঁ\") তিন ভাগে ভাগ করেছিলেন।", "title": "বৈদিক পুরাণ" }, { "docid": "480289#0", "text": "সামবেদ (সংস্কৃত: सामवेद) (\"সামন্‌\" বা গান ও \"বেদ\" বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ। সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে। এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত। এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।", "title": "সামবেদ" }, { "docid": "247275#1", "text": "বিবারের প্রথম পূর্ণ অ্যালবাম \"মাই ওয়ার্ল্ড ২.০\" ২০১০ এর ২৩ মার্চ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করে এবং বেশ কয়েকটি দেশে শীর্ষ দশে স্থান করে নেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটিনাম সনদে ভূষিত হয়। এই অ্যালবামের বেবি গানটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। ইউটিউবের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সর্বাধিক প্রদর্শিত, আলোচিত এবং পছন্দিত ভিডিওগুলোর একটি হলো এই গানটির মিউজিক ভিডিও। বিবারের পরবর্তি অ্যালবাম \"নেভার সে নেভার – দ্য রিমিক্সেস\"। এটি প্রকাশিত হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। তার দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম ছিল আন্ডার দ্য মিসলটো যা মুক্তি পায় ২০১১ সালের নভেম্বরে।", "title": "জাস্টিন বিবার" }, { "docid": "80311#2", "text": "বেন হচ্ছে এই ধারাবাহিকের আসল চরিত্র। বেন এর পুরো নাম বেঞ্জামিন টেনিসন, তাই সে বেন নামে সর্বাধিক পরিচিত। বেন টেন কার্টুন যখন প্রথম শুরু হয় তখন বেন এর বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। খুবই নোংরা থাকত সে। যা তার বোন গোয়েনের বর্ণনায় পাওয়া যায়। একটা সাদা গেঞ্জি পড়ত সে। তার মধ্যে কালো বর্ডার আছে। আর সবুজ রঙের একটা প্যান্ট পড়ে। অনেক পকেট রয়েছে। তার স্কুলে গ্রীস্মের ছুটি আরম্ভ হওয়ায় সে তার বোন গোয়েন কে নিয়ে তাদের দাদুর সাথে ভ্রমনে বের হয়। সেই প্রথম রাতেই ঘটে সেই বিচিত্র ঘটনা। কোনো এক ভুল বোঝাবুঝিরর জন্য বেন জংগলের ভেতর চলে যায়। সেখানে একটা উল্কাপিণ্ড উড়ে যেতে দেখে। হঠাত ঐ জিনিষটি মোড় নিয়ে তার দিকেই পড়তে থাকে। অল্পের জন্য বেন বেচে যায়। কিন্তু তার কৌতুহল থামে না। সে জিনিস টি দেখতে যায়। সে দেখে ওখানে একটা ঘড়ি। বেন হাত বাড়ায়, আর ওই ঘড়ি ওর হাতে আটকে যায়। তারপর ভুল করে টিপাটিপি করতে গিয়ে সে এলিয়েন হয়ে যায় যার নাম ছিল হিট ব্লাস্ট।", "title": "বেন ১০ (টিভি ধারাবাহিক)" }, { "docid": "270945#0", "text": "ব্যাসদেব হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে -- ঋষি বিশেষ । ইনি বশিষ্ঠের প্রপৌত্র, শক্তির পৌত্র, পরাশরের পুত্র শুকদেবের পিতা । ইনি হিন্দুধর্মের প্রাথমিক প্রত্যাদিষ্ট হিন্দুশাস্ত্র হিসেবে স্বীকৃত বেদের ব্যবহারিক-বিন্যাসকারী , পৌরাণিক মহাকাব্য মহাভারত , অষ্টাদশ মহাপুরাণ ( ভাগবতপূরাণ সহ আরও ১৭ ) ও উপপুরাণ , বেদান্তদর্শন , প্রভৃতির সংকলক , সম্পাদক ও অবশেষে সমন্বায়ক এক জ্ঞানান্বেষী ঋষি । \nযমুনানদীতে খেয়া নৌকার ভিতর পরাশর মুনি সত্যবতীর সাথে মিলিত হলে, সত্যবতী গর্ভবতী হন । পরে যমুনা'র একটি দ্বীপে এঁর জন্ম হয় । যমুনার দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন বলে এর নাম হয় দ্বৈপায়ন । এঁর গায়ের রং কালো ছিল বলে , পুরো নাম দাঁড়ায় কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন । এঁর মাথায় কপিল বর্ণের জটা ছিল । তাঁর চোখ ছিল উজ্জ্বল ও মুখে পিঙ্গল বর্ণের দাড়ি ছিল। ইনি তপস্যাবলে মহর্ষিত্ব প্রাপ্ত হয়ে বেদকে চার ভাগে ভাগ করেছিলেন । এই কারণে ইনি \"বেদব্যাস\" বা 'ব্যাস' নামে পরিচিত হন । জন্মের পরপরই ইনি তাঁর মায়ের অনুমতি নিয়ে তপস্যার জন্য যাত্রা করেন । এঁর তপস্যার স্থান ছিল বদরিকাশ্রম । এই কারণে ইনি বাদরায়ণ নামেও পরিচিত ছিলেন ।", "title": "বেদব্যাস" }, { "docid": "439407#1", "text": "১৯৬০ সালের গ্রীষ্মে ক্যাসল রক নামের কাল্পনিক এক শহরের চার বন্ধুর দুঃসাহসিক এক অভিযান উপন্যাসিকাটির মূল উপজীব্য। পাশের চেম্বারলেইন শহর থেকে একবার রে ব্রাওয়ার নামের একটা ছেলে হারিয়ে যায়। সবার ধারণা, ছেলেটা সম্ভবত মারা গেছে। গর্ডি লেকান্স আর তার তিন বন্ধু, ক্রিস চেম্বার্স, টেডি ডুশাম্প আর ভার্ন টেসিও সিদ্ধান্ত নেয় তারা ছেলেটার লাশ খুঁজে বের করবে। বাবা-মাকে ক্যাম্পিঙের কথা বলে ওরা বেরিয়ে পড়ে ছেলেটাকে খুঁজতে। সেই যাত্রায় চার কিশোর, যারা প্রত্যেকে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার, একটা সময়ে কঠিন এক সত্যের মুখোমুখি হয়: তাদের ভবিষ্যতকে গড়বার জন্যে এই ছোট্ট শহরটার আর কিছুই দেবার নেই।", "title": "দ্য বডি (উপন্যাসিকা)" }, { "docid": "688374#0", "text": "দ্য বয় নেক্সট ডোর (ইংরেজি: \"The Boy Next Door\", বাংলা: \"পাশের বাড়ির ছেলে\") হল ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন কামোদ্দীপক থ্রিলার-হরর চলচ্চিত্র। ছবিটির পরিচালক হলেন রব কোহেন এবং চিত্রনাট্যকার হলেন বারবারা কারি। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন জেনিফার লোপেজ, রায়ান গুজম্যান ও ইয়ান নেলসন এবং অন্যতম দু’টি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন জন করবেট ও ক্রিস্টিন শেনোয়েথ। লোপেজ এখানে ক্লেয়ার নামে এক উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তিনি তাঁর স্বামীর (করবেট) সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা করছিলেন। সেই সময় বয়সে ছোটো একটি প্রতিবেশী ছেলের (গুজম্যান) সঙ্গে তাঁর এক রাতের জন্য শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই সম্পর্ক থেকে ক্লেয়ারের প্রতি ছেলেটির একটি বিপজ্জনক মোহ জন্মায়।", "title": "দ্য বয় নেক্সট ডোর (চলচ্চিত্র)" }, { "docid": "675287#0", "text": "বিগ বস ১ হল ভারতীয় টেলিভিশন রিয়ালিটি শো বিগ বসের প্রথম আসর। এটি সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনে ২০০৬ সালের ৩রা নভেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ২৬শে জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বমোট ৮৬ দিন প্রচারিত হয়েছে। বিগ বসে বিগ ব্রাদারের মতো সাধারণ জনগণ না নিয়ে সেলিব্রিটিদের ঘরের বাসিন্দা হিসেবে প্রবেশ করানো হয়েছিল। এই আসরটি বলিউডের অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সী উপস্থাপনা করেছেন। ২০০৭ সালের ২৬শে জানুয়ারি তারিখে, অভিনেতা রাহুল রয় এই আসরের বিজয়ী ঘোষিত হন এবং মডেল ক্যারল গ্র্যাসিয়াস রানার-আপ নির্বাচিত হন।", "title": "বিগ বস ১" } ]
অর্ডোভিশিয়ান যুগের ঠিক আগের যুগের নাম কী ?
[ { "docid": "413410#0", "text": "ক্যাম্ব্রিয়ান হল প্যালিওজোয়িক মহাযুগের প্রথম যুগ। এর স্থায়ীত্ব ছিল থেকে কোটি বছর আগে পর্যন্ত এবং এর পরবর্তী যুগের নাম অর্ডোভিশিয়ান। এর সূচনাকাল, সমাপ্তিকাল এবং উপবিভাগ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো নির্দেশিকা এখনও তৈরি করা যায়নি। অ্যাডাম সেজউইক প্রথম \"ক্যাম্ব্রিয়ান সিরিজ\" নাম দিয়ে যুগটিকে চিহ্নিত করেন। এই নামকরণের কারণ হল ওয়েল্‌স অঞ্চল থেকে ব্রিটেনে অবস্থিত এই যুগের পাথর প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, আর ওয়েল্‌সের লাতিন নাম \"ক্যাম্ব্রিয়া\"। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের পাথরের স্তরের স্বাতন্ত্র্য হল এর মধ্যস্থিত লাগাশ্‌টেটা পলিসঞ্চয়ের মাত্রাধিক্য। এই ধরণের পলিঘটিত পাথরে সুসংরক্ষিত জীবাশ্ম থাকে, যাতে জীবদেহের কঠিন খোলক প্রভৃতি অংশের সাথে সাথে অপেক্ষাকৃত নরম দেহাংশেরও সংরক্ষিত নমুনা পাওয়া যায়। এর ফলে ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের জীবন সম্পর্কে মানুষের গবেষণার সুযোগ ও তা থেকে লব্ধ জ্ঞানের পরিমাণ পরবর্তী কোনো কোনো যুগের তুলনায় বেশি।", "title": "ক্যাম্ব্রিয়ান" }, { "docid": "428123#0", "text": "অর্ডোভিশিয়ান হল পুরাজীব মহাযুগের দ্বিতীয় যুগ। এর সময়সীমা ছিল থেকে কোটি বছর আগে পর্যন্ত। এর পূর্ববর্তী যুগ ক্যাম্ব্রিয়ান এবং পরবর্তী যুগ সিলুরিয়ান। ১৮৭৯ খ্রিঃ বিজ্ঞানী অ্যাডাম সেজউইক এবং রডারিক মার্চিসন এই সময়কালের পাথরগুলিকে যথাক্রমে ক্যাম্ব্রিয়ান ও সিলুরিয়ান যুগের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করলে বিবাদের সূচনা হয়। এই বিবাদ নিরসনের জন্য অন্যতম কেল্টীয় উপজাতি \"অর্ডোভিশি\"-দের নামানুসারে চার্লস ল্যাপওয়ার্থ নতুন একটি ভূতাত্ত্বিক যুগের ধারণা দেন। ল্যাপওয়ার্থ বুঝেছিলেন, বিতর্কিত পাথরের স্তরে প্রাপ্ত জীবাশ্মগুলি পূর্বোক্ত দুই যুগের কোনোটার সাথেই পুরোপুরি খাপ খায় না। যুক্তরাজ্যে চটজলদি অর্ডোভিশিয়ান যুগের স্বীকৃতি না মিললেও অবশিষ্ট বিশ্ব অবিলম্বেই এই ধারণা স্বীকার করে নেয়। ১৯৬০ খ্রিঃ অর্ডোভিশিয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। সে'বছর আন্তর্জাতিক ভূতত্ত্ব কংগ্রেস এটিকে পুরাজীব মহাযুগের অন্যতম যুগ হিসেবে নথিভুক্ত করে।", "title": "অর্ডোভিশিয়ান" }, { "docid": "428123#2", "text": "অর্ডোভিশিয়ান যুগের সূত্রপাত হয় কোটি বছর আগে একটি বিলুপ্তি ঘটনার মাধ্যমে। একে ক্যাম্ব্রিয়ান-অর্ডোভিশিয়ান বিলুপ্তি ঘটনা বলা হয়। এর স্থায়িত্ব ছিল ৪ কোটি ২০ লক্ষ বছর। যুগের শেষভাগে ( কোটি বছর আগে, আইসিএস, ২০০৪) আসে অর্ডোভিশিয়ান-সিলুরিয়ান বিলুপ্তি ঘটনা, যার ধাক্কায় তৎকালীন সামুদ্রিক জীবকুলের ৬০% গণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।", "title": "অর্ডোভিশিয়ান" }, { "docid": "428123#12", "text": "ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে সূচিত ট্যাকোনিক গিরিজনি অর্ডোভিশিয়ানে বজায় ছিল। অন্ত্য অর্ডোভিশিয়ানের আরম্ভে, ৪৬ থেকে ৪৫ কোটি বছর আগে, আয়াপেটাস মহাসাগরের উপকূলবর্তী আগ্নেয়গিরিগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নিক্ষেপের ফলে সামগ্রিক বায়ুমণ্ডলীয় উষ্ণতা বেড়ে যায়। এই আগ্নেয় দ্বীপবলয় আদিম উত্তর আমেরিকার সাথে সংঘর্ষের ফলে অ্যাপালেশিয়ান পর্বতমালার জন্ম দেয়। অন্ত্য অর্ডোভিশিয়ানের শেষভাগে এই অগ্ন্যুৎপাত থেমে গিয়েছিল। ততদিনে গণ্ডোয়ানা দক্ষিণ মেরুর কাছে; তুষারাবৃত।", "title": "অর্ডোভিশিয়ান" } ]
[ { "docid": "428123#11", "text": "অর্ডোভিশিয়ান যুগে দক্ষিণের মহাদেশগুলো গণ্ডোয়ানা অতিমহাদেশ হিসেবে একত্রে ছিল। যুগের প্রারম্ভে গণ্ডোয়ানা নিরক্ষীয় অঞ্চলে থাকলেও যুগের শেষভাগে তা দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি সরে আসে। অর্ডোভিশিয়ানের প্রথম দিকে লরেন্‌শিয়া (বর্তমান উত্তর আমেরিকা), সাইবেরিয়া এবং বাল্টিকা (বর্তমান উত্তর ইউরোপ) আলাদা আলাদা স্বাধীন মহাদেশ থাকলেও পরবর্তীকালে বাল্টিকা লরেন্‌শিয়ার দিকে সরে আসতে থাকে, ফলে তাদের মধ্যবর্তী আয়াপেটাস মহাসাগর সঙ্কুচিত হয়। অ্যাভালোনিয়া ভূভাগ গণ্ডোয়ানা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরে বাল্টিকা ও লরেন্‌শিয়ার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। ফলে গণ্ডোয়ানা ও অ্যাভালোনিয়ার মাঝে রাইক মহাসাগর সৃষ্টি হয়।", "title": "অর্ডোভিশিয়ান" }, { "docid": "637273#6", "text": "অর্ডোভিশিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৪৮৫ মিলিয়ন বছর পূর্ব হতে ৪৪৩ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত। অর্ডোভিশিয়ান পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটা সময় ছিল যখন আদিম মাছ, সেফালোপড (শামুক জাতীয় প্রাণী) এবং প্রবালের মত অনেক জীববিজ্ঞানের শ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছিল যেগুলি বর্তমান সময়েও প্রভাব বিস্তার করছে। সবথেকে প্রচলিত গঠনের প্রাণীর মধ্যে ছিল ট্রাইলোবাইট, শামুক এবং খোলসযুক্ত মাছ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে বলা যায় শূণ্য গন্ডোয়ানা মহাদেশের উপকূলে বসবাস করার জন্যে প্রথম আর্থোপোডা পর্বের প্রাণীরা গিয়েছিল। অর্ডোভিশিয়ান যুগের শেষের দিকে গন্ডোয়ানা দক্ষিণ মেরুতে ছিল, আদি উত্তর আমেরিকা ইউরোপের সাথে সংঘর্ষ করেছিল এবং আটলান্টিক মহাসাগর শুকিয়ে গিয়েছিল। আফ্রিকার হিমবাহের ফলশ্রুতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ব্যাপকভাবে নেমে যায় এবং গন্ডোয়ানার উপকূলে প্রতিষ্ঠিত প্রানীজগত ধ্বংস হয়ে যায়। হিমবাহের ফলে অর্ডোভিশিয়ান-সিলুরিয়ান বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে এবং এর ফলে ৬০% সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং ২৫% প্রাণীর গোত্র বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং একে প্রথম ব্যাপক বিলুপ্তির ঘটনা এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী বিলুপ্তির ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।", "title": "প্যালিওজোয়িক" }, { "docid": "639605#6", "text": "অর্ডোভিশিয়ান যুগের ব্যাপ্তিকাল হল ৪৮.৫ কোটি বছর পূর্ব হতে ৪৪ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত। অর্ডোভিশিয়ান পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটা সময় ছিল যখন আদিম মাছ, সেফালোপড (শামুক জাতীয় প্রাণী) এবং প্রবালের মত অনেক প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছিল যেগুলি বর্তমান সময়েও প্রভাব বিস্তার করছে। সবথেকে প্রচলিত গঠনের প্রাণীর মধ্যে ছিল ট্রাইলোবাইট, শামুক এবং খোলসযুক্ত মাছ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে বলা যায় শূণ্য গন্ডোয়ানা মহাদেশের উপকূলে বসবাস করার জন্যে প্রথম আর্থোপোডা পর্বের প্রাণীরা গিয়েছিল। অর্ডোভিশিয়ান যুগের শেষের দিকে গন্ডোয়ানা বিষুবরেখা হতে দক্ষিণ মেরুতে স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং লউরেনশিয়া বাল্টিকার সাথে সংঘর্ষ করেছিল যার ফলে ইয়াপিটাস মহাসাগর শুকিয়ে গিয়েছিল। গন্ডোয়ানার হিমবাহের ফলশ্রুতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ব্যাপকভাবে নেমে যায় এবং এর উপকূলে প্রতিষ্ঠিত প্রানীজগত ধ্বংস হয়ে যায়। হিমবাহের ফলে স্নোবল আর্থ সৃষ্টি হয় যা অর্ডোভিশিয়ান-সিলুরিয়ান বিলুপ্তির ঘটনা ঘটায় এবং এর ফলে ৬০% সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং ২৫% প্রাণীর গোত্র বিলুপ্ত হয়ে যায়। একে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ব্যাপক বিলুপ্তির ঘটনা এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী বিলুপ্তির ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।", "title": "ফ্যানারোজোয়িক" }, { "docid": "428123#4", "text": "অর্ডোভিশিয়ান যুগ এবং ট্রেমাডোকিয়ান অধোযুগ—উভয়েরই সূচনাকাল নির্ণয়ের পদ্ধতিটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়কালটি বহুসংখ্যক গ্রাপ্‌টোলাইট, কনোডন্ট এবং ট্রাইলোবাইট প্রভৃতির জীবাশ্মের সাথে সমাপতিত হওয়ার ফলে ট্রেমাডোকিয়ানের সূচনাকালের সাপেক্ষে বিজ্ঞানীরা উক্ত জীবগুলিকে সমসাময়িক বলে চিহ্নিত করতে পারেন। সেইসঙ্গে অন্যান্য স্থানে যে সমস্ত জীবের অবশেষ এদের সাথে পাওয়া গেছে, তাদেরও সময়সীমা নির্ধারণের কাজে সুবিধে হয়। এর ফলে অর্ডোভিশিয়ান যুগের সূচনাকালে জীবকুলের পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকা নির্ণয়ের কাজ সহজ হয়ে যায়।", "title": "অর্ডোভিশিয়ান" }, { "docid": "428123#20", "text": "অর্ডোভিশিয়ানের অধিকাংশ সময় জুড়ে প্রাণের বিকাশ দ্রুতলয়ে ঘটেছিল, কিন্তু যুগের শেষদিকে কয়েকটি বিলুপ্তি ঘটনার ফলে বেশ কিছু প্রজাতি মুছে যায়। এদের মধ্যে ছিল বিভিন্ন প্ল্যাঙ্কটন, কনোডন্ট, গ্রাপ্‌টোলাইট এবং ট্রাইলোবাইট-দের কোনো কোনো প্রজাতি(অ্যাগ্নস্টিডা ও টাইকোপ্যারাইডা)। ব্র্যাকিওপড, ব্রায়োজোয়া ও কন্টকত্বকীরাও এই সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং সিলুরিয়ানে টিকে যাওয়া কিছু ব্যতিক্রমী উদাহরণ ছাড়া এন্ডোসেরিড সেফালোপডরা সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই অর্ডোভিশিয়ান-সিলুরিয়ান বিলুপ্তি ঘটনার কারণ ছিল এক তুষার যুগ, যার সাথে প্রথম স্থলজ উদ্ভিদের আবির্ভাবের যোগসূত্র আছে। সব মিলিয়ে অন্ত্য অর্ডোভিশিয়ান ছিল পৃথিবীর গত ৬০ কোটি বছরের ইতিহাসে শীতলতম সময়গুলোর মধ্যে একটা।", "title": "অর্ডোভিশিয়ান" }, { "docid": "397145#0", "text": "ইওসিন বা ইয়োসিন উপযুগ (প্রতীক Eo ) হল ভূতাত্ত্বিক সময়ের হিসেবে সিনোজোয়িক মহাযুগের প্রথম যুগ প্যালিওজিনের দ্বিতীয় অংশ। সময়ের হিসেবে আজ থেকে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে থেকে শুরু করে ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ বছর আগের সময়সীমাকে এই উপযুগ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। প্যালিওজিন যুগের অন্তর্ভুক্ত এর আগের উপযুগটি হল প্যালিওসিন উপযুগ ও পরবর্তী উপযুগটি অলিগোসিন উপযুগ। এইসব যুগ ও উপযুগগুলির সময়সীমা সাধারণভাবে বিভিন্ন যুগান্তকারী ঘটনার দ্বারা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এইধরণের বিভিন্ন যুগান্তকারী ঘটনার মধ্যে ভূতাত্ত্বিক, আবহাওয়া ও জীবাশ্মবিদ্যাগত ঘটনাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ইয়োসিন যুগের সূচনাবিন্দু হিসেবে যে অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্ত সময়টিকে বেছে নেওয়া হয়, সেটি এরকমই একটি পরিবর্তন দ্বারা চিহ্নিত। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন আইসোটোপ C'র তুলনায় C'র ঘনত্ব ছিল অস্বাভাবিক রকম কম। অপরদিকে আজ থেকে ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ বছর আগে সাইবেরিয়ায় এবং উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে চেসাপিক উপসাগরে এক বা একাধিক বৃহৎ উল্কাপাতের অভিঘাতে যে মহাবিপর্যয়ের ফলে পার্থিব পরিবেশ ও জীবজগতের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতায় একটি বৃহৎ ছেদ ঘটে যায়, ভূতাত্ত্বিক ভাষায় সেই \"গ্রঁদ ক্যুপিওর\" নামে অভিহিত ঘটনাপঞ্জীকেই এই উপযুগের অন্তিম-পর্ব ও পরবর্তী অলিগোসিন উপযুগের সূচনাপর্ব বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে এই উপযুগের সূচনা ও শেষবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত ঘটনাগুলি সুনির্দিষ্ট হলেও ঠিক কবে সেগুলি ঘটেছিল, তা মোটামুটিভাবে নির্দিষ্ট করা গেছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।", "title": "ইওসিন" } ]
বাংলাদেশে বছরে মোট কয় বার ধান চাষ হয় ?
[ { "docid": "3732#0", "text": "ধান (বৈজ্ঞানিক নাম \"Oryza sativa\", \"Oryza glaberrima\" ) Graminae/Poaceae গোত্রের দানাশস্যের উদ্ভিদ । ধান উষ্ণ জলবায়ুতে, বিশেষত পূর্ব-এশিয়ায় ব্যাপক চাষ হয়। প্রাচীন চীনা ভাষার Ou-liz শব্দটি আরবিতে Oruz ও গ্রিক ভাষায় Oryza হয়ে শেষে Ritz ও Rice হয়েছে। ধান বা ধান্য শব্দের উৎপত্তি অজ্ঞাত। ধানবীজ বা চাল সুপ্রাচীনকাল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রধান খাদ্য। চীন ও জাপানের রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ১০,০০০ বছর আগে ধান চাষ শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। ব্যাপক অভিযোজন ক্ষমতার দরুন ধান উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, এমনকি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৬০০ মিটার উচ্চতায়ও (জুমলা, নেপাল) জন্মায়। বাংলাদেশে আউশ, আমন এবং বোরো এই তিন মৌসুমে ধান চাষ করা হয়।", "title": "ধান" }, { "docid": "543634#1", "text": "বাংলাদেশের জনগনের একটা বিশাল অংশ তাদের জীবনধারণের জন্য কৃষির উপর নির্ভর করে। যদিও ধান ও পাট এখানকার প্রধান ফসল তা সত্ত্বেও গমের বৃহত্তর গুরুত্ব রয়েছে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে চায়ের চাষ হয়ে থাকে। উর্বর জমি ও পানির প্রাচুর্যতার কারণে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে বছরে তিন বার ধান উথপাদন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও অনেকগুলো কারণে বাংলাদেশের শ্রমনির্ভর কৃষিতে খাদ্য উৎপাদনে উন্নতির মাত্রা অর্জিত হয়েছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন ও সেচ, সারের সর্বোত্তম ব্যবহার ও সরবরাহ এবং গ্রামীণ মানুষকে ঋণের আওতায় আনা। ২০০০ সালে চালের উৎপাদন পরিমান ছিল ৩৫.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন, যা বাংলাদেশের প্রধান ফসল। ২০০৩ সালে ধানে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক যেমন গ্রানুলার কার্বোফুরান, সিনথেটিক পাইরোথ্রোইডস এবং ম্যালাথাইওন ইত্যাদির দেশীয় ব্যবহার ১৩০০০ টন ছাড়িয়ে যায়। কীটনাশক শুধু পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরুপ নয় বরং দরিদ্র চাষীর জন্য বাড়তি খরচের বোঝা হিসেবে দেখা দেয়। ধানে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।", "title": "বাংলাদেশে কৃষি" }, { "docid": "17994#7", "text": "অধিকাংশ বাংলাদেশী কৃষিকাজের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আগে থেকেই ধান ও পাট বাংলাদেশের প্রধান ফসল হিসেবে সুপরিচিত থাকলেও ইদানীং গম চাষের ওপর গুরুত্ব বেড়েছে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে চা উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের উর্বর ভূমি এবং সহজলভ্য পানির উৎসের কারণে এদেশের অনেক স্থানে বছরে তিনবার ধানের ফলন হয়। অনেক নিয়ামকের কারণে বাংলাদেশের কায়িক-শ্রমনির্ভর কৃষি ধীরগতিতে উন্নতি লাভ করছে। বিরূপ আবহাওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সাম্প্রতিককালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ব্যবস্থাপনা, সারের পরিমিত ব্যবহার এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে সঠিক মূলধন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। ফলে আরও উন্নতি আশা করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রধান শস্য ধান উৎপাদিত হয়েছে ২০০০০০০.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০০৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে ধান চাষের জন্য বিভিন্ন কীটনাশক যেমনঃ দানাদার কার্বোফুরান, সিন্থেটিক পাইরিথ্রয়েড এবং ম্যালাথিয়ন বিক্রয় হয়েছে ১৩,০০০ টনেরও বেশি। এই কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি কেবল পরিবেশ দূষণই ঘটাচ্ছে না, বরং দরিদ্র ধানচাষীদের চাষাবাদের খরচও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। ধানের বিপরীতে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে গম উৎপাদিত হয়েছে ১.৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে চাষযোগ্য ভূমির ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে। একারণে জমির উর্বরাশক্তি প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। একারণে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় বৈদেশিক সাহায্য ও বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়। বেকারত্ব এখনও একটি ভয়ঙ্কর সমস্যা এবং কৃষিকাজ এই সকল বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মের যোগান দিতে পারে কি না, তা চিন্তার বিষয়। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ভবিষ্যত সরকারগুলোর একটি প্রধান দায়িত্ব। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের মানুষের উপার্জনের আরেকটি আন্যতম উৎস হল পশুসম্পদ। এই সেক্টরটি অতি দ্রুত উন্নতি করছে।", "title": "বাংলাদেশের অর্থনীতি" } ]
[ { "docid": "3429#10", "text": "বন্দরনগরী ভৈরবের বেশিরভাগ মানুষ ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০০৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ভৈরবে মোট ২০ একর জায়গায় গমের চাষ হয়ে ৬ মেট্রিক টন গম উৎপন্ন হয়। ১৪,২১৯ একর জায়গায় ধান চাষ হলে ২১,৪৭৮ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়। ১,৬৬৬,০০০,০০০ টি ডিম উৎপন্ন হয়। ৩ মেট্রিক টন করে দুধ ও মিষ্টি উৎপন্ন হয়। এছাড়াও ভৈরবে ১,৪৮৪ একর জায়গায় পাট চাষ হয় যেখানে ১,০৮৫ মেট্রিক টন পাট উৎপন্ন হয়। ভাটি এলাকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কিছু অংশ মৎস্য আহরনের সাথে জড়িত। এখানকার প্রধান ফসল ধান। এছাড়া এখানে প্রচুর পরিমানে শীতকালীন সবজি উৎপন্ন্য হয়। এখানকার প্রধান অর্থকরি ফসল পাট।", "title": "ভৈরব উপজেলা" }, { "docid": "17994#2", "text": "বাংলাদেশ বর্ধিত জনসংখ্যার অভিশাপ সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ধান উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বাংলাদেশের চাষাবাদের জমি সাধারণত ধান ও পাট চাষের জন্য ব্যবহৃত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা সত্ত্বেও মোট জনসংখ্যার ১০% থেকে ১৫% অপুষ্টির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি মূলত অনিশ্চিত মৌসুমী চক্র এবং নিয়মিত বন্যা ও খরার উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সঠিকভাবে গড়ে না ওঠায় দেশটির উন্নতি ব্যহত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনি রয়েছে এবং কয়লা, খনিজ তেল প্রভৃতির ছোটোখাটো খনি রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প-অবকাঠামো দুর্বল হলেও এখানে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অঢেল এবং মজুরিও সস্তা।", "title": "বাংলাদেশের অর্থনীতি" }, { "docid": "137682#1", "text": "বাংলামতি চাষের আদর্শ সময় বোরো মৌসুম। ধান গাছের উচ্চতা ৮২ সেমি। এর জীবনকাল ১৫৫ দিন। এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য চাল লম্বা, চিকন, সুগন্ধি ও সাদা। এ ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬.০ টন। বাংলাদেশে উৎপন্ন অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় এ ধান দেখতে দীর্ঘতর ও সরু। ধানের পেছনের অংশ তরবারির ডগার মত বাঁকা। ধানের চারা অবস্থা থেকে শুরু করে পাতা ও কাণ্ড সবুজ থাকা পর্যন্ত সুগন্ধ বেশি ছড়ায়। এমনকি ধান পাকা ও মাড়াই পর্যন্ত সবুজাভ থাকে। এটি কেবল আধুনিক জাতের ধান নয়, এটি উচ্চফলনশীলও বটে। দেশে সুগন্ধি ধান হিসেবে কালজিরা, চিনি কানাই, ব্রি উদ্ভাবিত দুলাভোগ বা অন্য যে পাঁচ-দশটি জাত চাষ হয় তার সবই আমন মৌসুমের। বাংলামতি বাংলাদেশে বোরো মৌসুমে চাষাবাদের উপযোগী প্রথম ও একমাত্র সুগন্ধি ধানের জাত।", "title": "বাংলামতি" }, { "docid": "110214#65", "text": "এদেশের মৌসুমী বৃষ্টিপাত এবং নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্রার কারণে এদেশের প্রধান অর্থকরি ফসল হলো ধান। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাবে দিনে দিনে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ধানচাষ। ধান চাষের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১৮°-৩৫° সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। ফসলের ফুল ধরার সময় তাপমাত্রা ১৮° সেলসিয়াসের থেকে কমে গেলে ধানের বীজ হলদেটে ও দুর্বল হয়ে পড়ে, আবার ৩৫° সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হলে বীজ কালচে হয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা ছাড়াও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে, কিংবা প্রবল শিলাবৃষ্টিতে, কিংবা অসময়ে বন্যায় ধানচাষের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।", "title": "বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব" }, { "docid": "18615#9", "text": "বাংলাদেশের ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের ব্যাপক এলাকা একসময় আউশ আবাদের জন্য খ্যাত ছিল। আশির দশক থেকে ব্যাপক এলাকায় ইরি-বোরো আবাদের ফলে আউশ ধানের আবাদ তেমন হয় না, এমনকি আউশ ধানের অনেক জাত ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। ১৯৭০-৭১ সালে ৩১.৯৩ লক্ষ হেক্টরে আউশের চাষ হতো আর বোরো ১০ লক্ষ হেক্টরের কাছাকাছি জমিতে, যা ২০১২-১৩ সালে আউশ ১০.৫৩ লক্ষ ও বোরো ৫০ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। ১৯৭০-৭১ সালে যেখানে মোট আউশ আবাদের শতকরা ৯৮.৯৯ ভাগ জমিতে স্থানীয় জাতের আউশ আবাদ হয়েছে, সেখানে ২০১২-১৩-তে মোট আউশের শতকরা ২৫.০৭ ভাগ। গত চার দশকে স্থানীয় জাতের আবাদ কমেছে শতকরা ৭৩.৯২ ভাগ।", "title": "আউশ ধান" }, { "docid": "94616#1", "text": "বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলায় রবি মৌসুমে লবণাক্ততা বাড়তে থাকে। অত্যধিক লবণাক্ততাসহিষ্ণু ধানের জাত না থাকায় রবি মৌসুমে জমি পতিত পড়ে থাকে। এ ছাড়াও ৩/৪ ফুটের অধিক পানি ও চিংড়ি চাষের কারণে ধান চাষের সুযোগ থাকে না। ফলে ধানের উৎপাদন কমে যায়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর গবেষক ও বিজ্ঞানীরা গবেষণা পরিচালক ড. আব্দুস সালাম নেতৃত্বে লবণাক্ত সহনশীল জাত আবিষ্কার করেন। যেখানে সাধারণ ধানের চারা 8ds/m লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে না সেখানে এটি সারা জীবন 6ds/m অবস্থায় এবং এটি ১২-১৪ দিন 8ds/m লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। মুন্সীগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা ও বরিশাল জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এ জাতের পরীক্ষামূলক চাষাবাদা চলছে। এতে আশাতীত ফল পাওয়া যায়। ড. সালাম জানান, DFID- Petra ও IRRI প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ৫/৬ টন। আয়ুষ্কাল ১৫০-১৫৫ দিন এবং উচ্চতা ১০০ সেমি।", "title": "ব্রি ধান-৪৭" }, { "docid": "137682#2", "text": "বাংলামতি পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতি সমমানের বলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন। এটি বাসমতির মতোই সুগন্ধ যুক্ত। অন্যদিকে বাসমতির চেয়ে বাংলামতির ফলন বেশি। ভারত ও পকিস্তানের বাসমতির সর্বোচ্চ ফলন একরপ্রতি ফলন ৩০-৪০ মণ। বাংলাদেশের বাংলামতির উৎপাদন একরে ৬০-৮০ মণ পর্যন্ত পাওয়া যাবে।\n\"বাংলামতি\" প্রথম অবমুক্ত করা হয় ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে। বাংলামতির প্রথম হয় ২০১০ খ্রিস্টাব্দের বোরো মৌসুমে। এই চাষ হয় সীমিত পর্যায়ে। ৪-৫ জেলায় মাত্র ১-১২ জন কৃষক এ ধান চাষ করেছেন প্রথম বছরে। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মেছাঘোনা গ্রামের এক কৃষক এস এম আতিয়ার রহমান এই ধান উৎপন্ন করে একরে ৭ মন (প্রতি হেক্টরে ৭ মেট্রিক টন) পেয়েছেন। এ ধানের ফলন হাইব্রিড ধানের কাছাকাছি হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০০৯-এর বোরো মৌসুমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যশোরে পরীক্ষামূলকভাবে এ ধানের চাষ করে সফল হয়েছিল।\nবাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ৫০তম জাত হল ব্রি-৫০, যা বাংলামতি নামেই অধিক পরিচিত। বাংলামতি ধানের চাল ভারত ও পাকিস্তানের বাসমতি ধানের চালের সমকক্ষ । সুপার ফাইন এরোমেটিক রাইস হিসেবে বিশ্বব্যাপী ভারত/পাকিস্তানের বাসমতি চালের যে জনপ্রিয়তা, সুনাম ও উচ্চমূল্য রয়েছে ঠিক সে চালই পাওয়া যাবে বাংলাদেশের বাংলামতি ধান থেকে। পার্থক্য শুধু নামে, আন্তর্জাতিক পেটেন্ট আইনের কারনে একে বাসমতি বলা যাচ্ছে না। তবে বাসমতি ধানের চেয়ে বাংলামতি ধানের ফলন অনেক বেশী। পাকিস্তানের বাসমতি ধানের সর্ব্বোচ্চ একরপ্রতি ফলন যেখানে ৩০-৪০ মণ সেখানে বাংলাদেশের বাংলামতি ধানের একরপ্রতি ফলন ৭০-৮০ মণ। এখানে উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ব্যাপকভাবে চাষকৃত ব্রি -২৮ ধানের থেকেও এর ফলন বেশী, ব্রি -২৮ ধানের একরপ্রতি ফলন ৪৫-৫০মণ। \nবাংলামতি ধানের চাষ পদ্ধতি প্রচলিত ব্রি -২৮ ধানের মত। ধানের বীজতলায় চারার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হলে জমিতে লাগাতে হবে। এক গোছায় ১ থেকে ৩ টি চারাই যথেষ্ঠ। সারি থেকে সারির দুরত্ব হবে ২০ সে মি এবং চারা থেকে চারার দুরত্ব হবে ১৫ সে মি। \nবাংলামতি ধান উচ্চ ফলনশীল জাত হওয়ায় এর প্রচুর শীকড় গজায় এবং ব্রি -২৮ বা ব্রি – ২৯ ধানের চেয়ে এর শীকড় লম্বা ও মাটির গভীরে প্রবেশ করে। সে কারনে এর পানি শোষণ ক্ষমতাও বেশী। লাগানোর পর ক্ষেতে যাতে ২ ইঞ্চি পরিমান পানি থাকে সে দিকে নজর রাখতে হবে।\nবাংলামতি ধান গাছের আকার ব্রি -২৮ ধান গাছের চেয়ে ছোট, পূর্ণবয়ষ্ক গাছের উচ্চতা ৮০-৮৫ সে মি। এ জাতের ধান গাছের জীবনকাল ১৫২-১৫৫ দিন। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২১ গ্রাম। \nব্রি – ৫০ ধান ঢলে পড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এর পরিপক্ক কাল শতভাগ ফুল আসার ১৫-২০ দিনের সম্পন্ন হয় যা অন্যান্য উফশী জাতে দেখা যায় না। এর চালের আকার ভারত ও পাকিস্তানের বাসমতি চালের অনুরুপ। \nবেলে দোয়াঁশ, এটেল দোয়াঁশ এবং মাঝারি উঁচু জমি ব্রি -৫০ ধান বা বাংলামতি চাষের উপযোগী। অর্থাৎ যে সমস্ত জমিতে ব্রি -২৮ ধান চাষ করা হয় সে সমস্ত জমিতে বাংলামতি ধানের চাষ করা যাবে।\nবাংলামতি ধান লম্বা এবং সরু হওয়ায় প্রচলিত মিলে মিলিং করলে চাল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ধান রাবার রোল হলার যুক্ত অটো রাইস মিলে মিরিং করতে হবে, এতে চালের সুগন্ধ বজায় থাকে।", "title": "বাংলামতি" }, { "docid": "110214#70", "text": "এসব ছাড়াও খরার কারণে ধান, পাটসহ অন্যান্য ফসল ও সবজির চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। মার্চ-এপ্রিলের খরা, চাষের জমি তৈরিতে অসুবিধার সৃষ্টি করে, ফলে বোনা আমন, আউশ ও পাট চাষ যথাসময়ে করা যায় না। মে-জুন মাসের খরা, মাঠের উঠতি বোনা আমন, আউশ ও পাটের চাষকে বাধাগ্রস্ত করে। আগস্ট মাসের খরা, রোপা আমন চাষকে বাধাগ্রস্থ করে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের খরা, বোনা ও রোপা আমন ধানের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং ডাল ও আলুর চাষকে বিলম্বিত করে। কাঁঠাল, লিচু, কলা প্রভৃতি ফলের গাছ অতিরিক্ত খরায় মারা যায়। এছাড়া শীতকালীন সবজি ও আখ চাষও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।", "title": "বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব" } ]
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা কত সালে হয়েছিল ?
[ { "docid": "73972#2", "text": "১৭শ শতাব্দীর মধ্যেই ইউরোপীয় বণিকেরা ভারতীয় উপমহাদেশে তাঁদের বাণিজ্যকুঠি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির জোরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের প্রধান শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরের বছর ভারত শাসন আইন পাস হয় এবং উক্ত আইন বলে ব্রিটিশ রাজশক্তি কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার স্বহস্তে তুলে নেয়। পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এক নাগরিক সমাজের উদ্ভব ঘটে। এই সময়কার সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি হল ১৮৮৫ সালে বোম্বাইয়ের গোকুল দাস তেজ পাল সংস্কৃত কলেজে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় প্রশাসন ব্যবস্থার কিছু সংস্কার সাধনে প্রবৃত্ত হয়। মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার ছিল এর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সেই সঙ্গে রাউলাট আইনের মতো দমনমূলক আইনও পাস হয় এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি তোলেন। এই পর্বের গণ-অসন্তোষ থেকে মোহনদাস করমচন্দ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন ঘনীভূত হয়।", "title": "স্বাধীনতা দিবস (ভারত)" }, { "docid": "70934#1", "text": "ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল একটি পরিব্যাপ্ত, একত্রীভূত বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক অভিযান বা আন্দোলন যা অহিংস ও বৈপ্লবিক উভয় দর্শনের প্রচেষ্টায় এবং ভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব এবং অন্যান্য ঔপনিবেশিক প্রশাসন শেষ হয়। সাধারণ ছিল।পর্তুগিজের দ্বারা কর্ণাটকে ঔপনিবেশিক বিস্তারের শুরুতে ষোড়শ শতকে প্রথম প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। সপ্তদশ শতকের মধ্য ও শেষ ভাগে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা উত্তর ভারতে ঔপনিবেশিক বিস্তারের প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে এই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল। তারা প্রার্থনা, আবেদন-নিবেদন এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে এক মধ্য পন্থা অবলম্বন করেছিল। ফলে উনিশ শতকের প্রথম ভাগে লাল-বাল-পাল এবং শ্রী অরবিন্দ এক মৌলবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতার আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৈপ্লবিক জাতীয়তাবাদ ইন্দো-জার্মানি ষড়যন্ত্রএবং গদর ষড়যন্ত্র প্রভাব বিস্তার করছিল। যুদ্ধের শেষ প্রান্তে কংগ্রেস অহিংস আন্দোলনের নীতিমালা অবলম্বন করেছিল এবং অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী নেতৃত্ব দিয়েছিল। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র মত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পরবর্তীকালে একটি বৈপ্লবিক দর্শন অবলম্বন করে আন্দোলনে করতে এসেছিলেন।", "title": "ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন" } ]
[ { "docid": "62683#0", "text": "১৯৩০ সালের ১২ মার্চ ডান্ডি পদযাত্রা বা লবন সত্যাগ্রহ শুরু হয়। এই সত্যাগ্রহ ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লবণ পদযাত্রা ঔপনিবেশিক ভারতে ব্রিটিশদের একচেটিয়া লবণ নীতির বিরুদ্ধে একটি অহিংস করপ্রদান-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হয়। ১৯২০-২২ সালের অসহযোগ আন্দোলনের পর লবণ সত্যাগ্রহই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠিত ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন। ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস \"পূর্ণ স্বরাজ\" প্রস্তাব গ্রহণ করার অব্যবহিত পরেই এই সত্যাগ্রহের সূচনা ঘটে। মহাত্মা গান্ধী আমেদাবাদের কাছে তাঁর সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পদযাত্রা শুরু করে ২৪ দিনে ২৪০ মাইল (৩৯০ কিলোমিটার) পথ পায়ে হেঁটে ডান্ডি গ্রামে এসে বিনা-করে সমুদ্রের জল থেকে লবণ প্রস্তুত করেন। বিরাট সংখ্যক ভারতীয় তাঁর সঙ্গে ডান্ডিতে আসেন। ১৯৩০ সালের ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার সময় গান্ধীজি লবণ আইন ভেঙে প্রথম লবণ প্রস্তুত করেছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর লক্ষাধিক অনুগামীও লবণ আইন ভেঙে ভারতে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করলেন। এই আন্দোলনের ফলে ভারতের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে ব্রিটিশদের মনোভাব অনেকটাই বদলে যায়।", "title": "লবণ সত্যাগ্রহ" }, { "docid": "73972#3", "text": "১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার-সংক্রান্ত প্রস্তাবটিকে আইনত বিধিবদ্ধ করে। এই আইনে যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেই নির্বাচনগুলিতে জয়লাভ করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। পরবর্তী দশকটি ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার দশক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ, শেষবারের জন্য অসহযোগের পথে কংগ্রেসের আন্দোলন এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের নেতৃত্বে মুসলিম জাতীয়তাবাদের উত্থানের মতো ঘটনাগুলি এই দশকেই। ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস পায় ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের আনন্দ বিঘ্নিত হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে উপমহাদেশ বিভাজিত হওয়ার ঘটনায়।", "title": "স্বাধীনতা দিবস (ভারত)" }, { "docid": "624672#20", "text": "ব্রিটিশরা যুদ্ধপরবর্তী স্বাধীনতা এবং ডমিনিয়ন মর্যাদার বিনিময়ে যুদ্ধের প্রচেষ্টায় ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে একটি উচ্চ স্তরের ক্রিপস মিশন পাঠায়। কংগ্রেস অবিলম্বে স্বাধীনতা দাবি করে এবং এই মিশনটি ব্যর্থ হয়। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে গান্ধীজি \"ভারত ছাড়\" আন্দোলনের সূচনা করেন এবং ভারত থেকে ব্রিটিশদের তাৎক্ষনিক প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং দেশব্যাপি আইন অমান্য শুরু হয়। হাজার হাজার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে গান্ধীকে অবিলম্বে কারারুদ্ধ করা হয়। দেশ উত্তোলিত হয়ে ওঠে প্রথমে ছাত্রদের নেতৃত্বে এবং পরে কৃষক রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলির স্থানীয় হিংসাত্মক ঘটনার মধ্য দিয়ে। এগুলি ঘটেছিল মূলত পূর্ব ইউনাইটেড প্রদেশগুলিতে, বিহার এবং বাংলায়। জন. এফ. রিডিকের মতে ৯ আগস্ট ১৯৪২ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৪২ অবধি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে:", "title": "ব্রিটিশ রাজের ইতিহাস" }, { "docid": "70934#4", "text": "১৪৯৮ সালে ইউরোপিয়ান ব্যবসায়ী লাভজনক মসলা বাণিজ্যের অনুসন্ধানে পর্তুগিজ বণিক ভাস্কো-দা-গামা ভারতের পশ্চিম তীরে কালিকট বন্দরে আগমন করেছিল।১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে পলাশির যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করে বাংলায় কোম্পানী শাসনের সূচনা করে। \nএটিই ভারতে ব্রিটিশ রাজের সূচনা হিসেবে বিস্তীর্ণভাবে দেখা হয়। ১৭৬৫ সালেতে বক্সারের যুদ্ধে জয়ের ফলে, কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার ওপর প্রশাসনিক অধিকার লাভ করেছিল। তারপর তারা ১৮৩৯ সালে মহারাজা রণজিৎ সিং-এর মৃত্যুর পর প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ(১৮৪৫–১৮৪৬) ও দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ(১৮৪৮–৪৯)-এর পর পাঞ্জাবও তাদের অধিকারে এনেছিল।", "title": "ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন" }, { "docid": "337037#3", "text": "১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ এ দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের ফলে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায়। এই স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত, প্রায় সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও আইন অমান্য আন্দোলন। স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয় যুক্তরাজ্যের সংসদে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাশ হওয়ার মাধ্যমে। এর ফলে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে গিয়ে কমনওয়েলথ অফ নেশনস-এর অন্তর্গত অধিরাজ্য হিসেবে দু'টি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়। ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ এ ভারত স্বাধীন হলেও দেশের প্রধান হিসেবে তখনও বহাল ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ এবং লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ছিলেন এর গভর্ণর জেনারেল। তখনও দেশে কোনো স্থায়ী সংবিধান ছিল না; ঔপনিবেশিক ভারত শাসন আইনে কিছু রদবদল ঘটিয়েই দেশ শাসনের কাজ চলছিল। ১৯৪৭ খ্রিঃ ২৮শে আগস্ট একটি স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেডকর। ৪ঠা নভেম্বর ১৯৪৭ তারিখে কমিটি একটি খসড়া সংবিধান প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয়। চূড়ান্তভাবে সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে ২ বছর, ১১ মাস, ১৮ দিন ব্যাপী সময়ে গণপরিষদ এই খসড়া সংবিধান আলোচনার জন্য ১৬৬ বার অধিবেশন ডাকে। এই সমস্ত অধিবেশনে জনসাধারণের প্রবেশের অধিকার ছিল। বহু বিতর্ক ও কিছু সংশোধনের পর ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৫০ এ গণপরিষদের ৩০৮ জন সদস্য চূড়ান্ত সংবিধানের হাতে-লেখা দু'টি নথিতে (একটি ইংরেজি ও অপরটি হিন্দি) স্বাক্ষর করেন। এর দু'দিন পর সারা দেশব্যাপী এই সংবিধান কার্যকর হয়।", "title": "সাধারণতন্ত্র দিবস (ভারত)" }, { "docid": "70934#7", "text": "১৮৫৭–৫৮ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে উত্তর এবং মধ্য ভারতে বিদ্রোহের ভারতীয় মহাবিদ্রোহ (সিপাহী বিদ্রোহ), ১৮৫৭ ছিল একটি পর্যায়কাল। এই বিদ্রোহ ছিল কয়েক দশকের ভারতীয় সৈন্য এবং তাদের ব্রিটিশ অফিসারের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্যের ফল। মুঘল এবং পেশয়ার মত ভারতীয় শাসকদের প্রতি ব্রিটিশের ভিন্ন নীতি এবং অযোধ্যার সংযুক্তি ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক মত পার্থক্য সূত্রপাত করছিল। লর্ড ডালহৌসীর স্বত্ত্ববিলোপ নীতি যা দিল্লীর মুঘল মাম্রাজ্যের অপসারণ, কিছু জনগণ রেগে গিয়েছিল। সিপাহী বিদ্রোহ সুনির্দিষ্ট কারণ যে ১৮৫৩ সালে তৈরি .৫৫৭ ক্যালিবার এনফিল্ড(পি/৫৩) রাইফেল কার্তুজ গরু ও শুকরের চর্বি দিয়ে তৈরি হতো। সৈন্যের‍া তাদের রাইফেলের কার্তুজ লোড করার সময় তাদের তা দাঁত দিয়ে ভাঙে লাগাতে হতো। যেহেতু গরু ও শুকরের চর্বি মুখে দেওয়া হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের সৈন্যদের কাছে অধার্মিক কাজ ছিল। ফেব্রুয়ারী ১৮৫৭তে, সিপাহীরা (ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় সৈন্য) নতুন কার্তুজ ব্যবহার করতে অস্বীকার করেছিল। ব্রিটিশ নতুন কার্তুজ প্রতিস্থাপন কর‍ার দাবী করেছিল এবং যা মৌমাছির তেল ও শাকসব্জী তেল থেকে তৈরী হবে। কিন্তু সিপাহীদের কাছে গুজব টিকে থেকেছিল।", "title": "ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন" }, { "docid": "73972#0", "text": "স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫অগাস্ট তারিখটি ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব-মুহুর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয় এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্যের জন্ম ঘটে। দেশভাগের সময় সাম্রদায়িক দাঙ্গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ প্রাণ হারান এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তদবধি প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।", "title": "স্বাধীনতা দিবস (ভারত)" }, { "docid": "71200#0", "text": "ভারত ছাড়ো আন্দোলন () (আগষ্ট আন্দোলন) ছিল একটি আইন অমান্য আন্দোলন যেটি ১৯৪২ সালের ৯ আগস্ট থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর দ্বারা চালিত হয়েছিল। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দাবি করে একটি গণপ্রতিবাদ যেটিকে গান্ধী উল্লেখ করেন ব্রিটিশদেরকে \"ভারত ছাড়ার\" একটি দাবি হিসেবে। ১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট গোয়ালিয়ার ট্যাঙ্ক ময়দানে তিনি এই উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন \"করেঙ্গে নয় মরেঙ্গে\"।", "title": "ভারত ছাড়ো আন্দোলন" } ]
খন্দকের যুদ্ধে মোট কতগুলো ঘোড়া ব্যাবহার করা হয়েছিল ?
[ { "docid": "111254#0", "text": "খন্দকের যুদ্ধ () বা আহযাবের যুদ্ধ () ৫ হিজরিতে (৬২৭ খ্রিষ্টাব্দ) সংঘটিত হয়। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। জোট বাহিনীর সেনাসংখ্যা ছিল প্রায় ১০,০০০ এবং সেসাথে তাদের ৬০০ ঘোড়া ও কিছু উট ছিল। অন্যদিকে মদিনার বাহিনীতে সেনাসংখ্যা ছিল ৩,০০০।", "title": "খন্দকের যুদ্ধ" } ]
[ { "docid": "434227#12", "text": "৭ম হিজরীর মুহাররম মাসে, অর্থাৎ ৬২৮ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে মুসলিমগণ খাইবার যুদ্ধের জন্য রওয়ানা হয়। বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, সে সময় মুসলিম বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৪০০ থেকে ১৮০০ জন এবং সাথে ঘোড়া ছিল ১০০ থেকে ২০০ টি। উম্মে সালামা সহ বেশ কিছু মুসলিম মহিলা আহত সৈন্যদের দেখাশুনা করার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। খায়বারের ১০০০০ সৈন্যের তুলনায় মুসলিম সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল নগণ্য, কিন্তু এই নগণ্য সদস্য সংখ্যাই মুসলিমদের সুবিধা করে দিয়েছিল। স্বল্প সংখ্যক হওয়ার কারণেই মুসলিমগণ নীরবে ও দ্রুতবেগে খায়বারের দিকে মাত্র তিনদিনের মধ্যে অগ্রসর হয়ে আকস্মিকভাবে নগরীতে প্রবেশ করতে পেরেছিল।) এছাড়া বৃহৎসংখ্যক সৈন্য খাইবারবাসীকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। ফলস্বরূপ, ইহুদিগণ কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত হয়ে মুসলিমদের প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়, এবং ইহুদি পরিবারগুলোর হাতে নিজ নিজ দুর্গ রক্ষা করার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। খাইবারের ইহুদিগণ মুসলিমদের শক্তিকে ছোট করে দেখার কারণেই মুহাম্মাদের পক্ষে আপেক্ষিক স্বচ্ছন্দে একটির পর একটি করে প্রতিটি দুর্গ জয় করা সহজ হয়ে গিয়েছিল, এবং সাথে খাদ্য, যুদ্ধাস্ত্র এবং পারিপার্শ্বিক জমিসমূহ দখলও। \nআনাস ইবনে মালিক বলেন:\"আমরা খায়বারে পৌঁছে দেখতে পেলাম সকাল বেলা খাইবারের শ্রমিকরা কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে দিনের কাজে বেরুচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সা) ও তাঁর বাহিনিকে দেখে তারা সবিস্ময়ে বলে উঠলো, “সর্বনাশ! মুহাম্মাদ তার বাহিনীসহ হাজির হয়েছে দেখছি”- বলেই তারা পালিয়ে পেছনে ফিরে যেতে লাগলো। সে দৃশ্য দেখে রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, “আল্লাহু আকবার! খাইবারের পতন ঘটেছে। আমরা কোন জনপদে আগমন করলেই তার অধিবাসীর সকাল বেলাটা দুর্ভাগ্যময় হয়ে ওঠে।”", "title": "খায়বারের যুদ্ধ" }, { "docid": "111254#36", "text": "বন্দীদেরকে বনু নাজ্জার গোত্রের নারী কাইস বিনতে হারিসার বাড়িতে রাখা হয়। এরপর মদিনার বাজারে গর্ত খুড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ বন্দীর শিরচ্ছেদ করা হয়। বনু কুরাইজাকে প্ররোচনাদানকারী হুয়াই বিন আখতাবকেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। ইতিপূর্বে বনু কুরাইজাকে দেয়া তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বনু কুরাইজার ভাগ্য বরণের জন্য হুয়াই তাদের সাথে অবস্থান করছিলেন। তার পোষাক যাতে কেউ নিতে না পারে সেজন্য তিনি তার বিভিন্ন জায়গায় ছিদ্র করে রেখেছিলেন। তাকে নিয়ে আসার পর তিনি মুহাম্মাদ (সা)কে উদ্দেশ্য করে বলেন, \"আপনার সাথে শত্রুতার জন্য আমি নিজেকে নিন্দা করি না। কিন্তু যে আল্লাহর সাথে যুদ্ধ সে পরাজিত হয়।\" এরপর লোকেদের সম্বোধন করে বলেন, \"লোকেরা, আল্লাহর ফয়সালায় কোনো অসুবিধা নেই। এটা ভাগ্যের লিখিত ব্যাপার। এটি এমন হত্যাকান্ড যা বনী ইসরাইলের জন্য আল্লাহ লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন।\" এরপর হুয়াই বসে পড়েন ও তার শিরচ্ছেদ করা হয়।", "title": "খন্দকের যুদ্ধ" }, { "docid": "111254#17", "text": "রাতের বেলায়ও আক্রমণকারী সৈনিকরা পরিখা অতিক্রমের জন্য কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু এসকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মুসলিমরা পরিখার অপর পাশ থেকে তীর নিক্ষেপ করে তাদের বাধা প্রদান করে। পরিখার পুরো দৈর্ঘ্য বরাবর পদাতিকদের মোতায়েন করা সম্ভব ছিল কিন্তু সম্মুখ যুদ্ধে মুসলিমদের সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে তারা এই পদক্ষেপ নেয়নি। পরিখা খননের সময় তোলা মাটি দিয়ে তৈরি বাধের পেছনের সুরক্ষিত অবস্থান থেকে মুসলিমরা তীর ও পাথর ছুড়ে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। ফলে কোনোপ্রকার আক্রমণ হলে ব্যাপক হতাহতের সম্ভাবনা ছিল। লড়াই মূলত উভয় পক্ষের তীর নিক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এতে মুসলিমদের মধ্যে ছয়জন এবং আক্রমণকারীদের মধ্যে দশজন মারা যায়। এছাড়াও দুয়েকজন তলোয়ারের আঘাতেও মারা যায়।", "title": "খন্দকের যুদ্ধ" }, { "docid": "61827#560", "text": "অসমে যুদ্ধ অধিকৃত সংগ্রহগুলি পরিমানে বিশাল, ৮২টি হাতি, সব থেকে দামি ৩ লাখ টাকা নগদ, আর রাজার ফেলে যাওয়া নানান ধরণের মালপত্র। অভিযানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৬৭৫টা কামান – তার মধ্যে একটা বড়, লোহার ৩ মন গোলা ছুঁড়তে পারে, ১৩৪৩টা উটের সুইভেল, ১২০০ রামছাঙ্গি, ৬৫৭০টা গাদা বন্দুক(ম্যাচলক), ৩৪০ মন বারুদ, ১৯৬০ সিন্দুক সোরা – এক একটার ওজন দুই থেকে আড়াই মন, ৭৮২৮টা লোহার ঢাল, ওজন করা হয় নি লোহা, সোরা আর গন্ধক, ১৭৩টা ধানের গোলা – প্রত্যেকটায় ১০ থেকে ১০০০ মন ধান, বহু বছরের রাজা আর ফুকনদের জন্য সঞ্চিত খাদ্য, যা তারা পোড়াতে ভুলে গিয়েছিল – যার অভাবে মীর জুমলার বাহিনীকে হয়ত অভুক্ত মরতে হত।\nকালিয়াবরের ওপরে অহোম নৌবাহিনী পর্যুদস্ত হওয়ায় মনে করার কারণ নেই যে রাজার সব জাহাজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা নৌ বহর বাদ দিলে রাজার নৌশালে প্রচুর নৌকো রাখা ছিল। একটি নৌশাল লাখাউএর দূরে আর একটি ত্রিমোহনীতে মীর জুমলা ঘুরে দেখেন। লাখাউতে১০০টা বাছারি ছপ্পর(ঘাসের ছাদ)ওয়ালা জাহাজ, ৭০, ৮০, ১০০, ১২০ হাত(কিউবিটস) লম্বা, পোক্ত এবং দারুণ সাজসজ্জাওয়ালা। যদিও অসমিয়ারা গড়গাঁও নৌশালায় ১২০টা সমুদ্রে যাওয়া সাজসজ্জাওয়ালা বাছারি জাহাজ ডুবিয়ে চলে গিয়েছিল, তবুও ৬০, ৭০, ৮০ নাবিক বহনক্ষম সমুদ্রগামী ১০০০ জাহাজ মীর জুমলা উদ্ধার করেন।\nঅসমিয়া বন্দুক এবং বারুদ তৈরির প্রযুক্তিবিদদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ জারি করেন। হাতি প্রশিক্ষণের মাহুত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।\nকর্নাটকের মত অসমেও মীর জুমলা মন্দির লুঠ করে প্রচুর অর্থ লাভ করেন। কাজলি দখল করার পর তিনি কামাখ্যা, লুনা চামরি এবং ইসমাইল যোগী মন্দিরগুলি নিজের আওতায় নিয়ে আসেন।", "title": "মীর জুমলা" }, { "docid": "41437#15", "text": "মোট ৫১৫ জন কমান্ডো সিটুপি (C2P) থেকে প্রশিক্ষন নেন। আটজন কমান্ডো শহীদ হন, ৩৪ জন আহত হন এবং আগস্ট-ডিসেম্বরের মাঝে ১৫ জন কমান্ডো শত্রুর হাতে ধরা পড়েন। এই সময় কালের ভেতর নৌ কমান্ডোরা প্রায় ১২৬ টি জাহাজ/কোস্টার/ফেরি নষ্ট বা ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হন, এবং এক সূত্র মোতাবেক অগাস্ট-নভেম্বর ১৯৭১ এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৬৫টি বিভিন্ন ধরনের নৌযান (১৫ টি পাকিস্তানী জাহাজ, ১১ টি কোস্টার, ৭ টি গানবোট, ১১ টি বার্জ, ২ টি ট্যাংকার এবং ১৯টি সাধারণ নৌযান) তারা ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হন। কমপক্ষে ১০০,০০০ টন নৌযান ডুবিয়ে বা বিকল করে দেয়া হয়, জেটি এবং বন্দর অকার্যকর করে দেয়া হয় এবং চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। কোনো নিজস্ব সামরিক নৌযান না থাকা সত্ত্বেও, নৌ কমান্ডোরা তদানিং পুর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) নৌপথকে একরকম নিজেদের দখলেই রেখেছিলো।১৬ অগাস্ট এর অপারেশনের পর, সকল কমান্ডো ভারতে ফেরত যায়। এর পরে নৌ-কমান্ডোরা আর কোন পূর্ব-পরিকল্পিত এবং একযোগে অভিযান পরিচালনা করেননি। তার বদলে, ছোট ছোট দল পাঠানো হতো কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানতে, এবং সুযোগ পেলেই কমান্ডোরা সেখানে আক্রমণ চালাতেন।", "title": "অপারেশন জ্যাকপট" }, { "docid": "111254#10", "text": "যুদ্ধযাত্রার খবর মদিনায় মুহাম্মাদ (সা) এর কাছে পৌছায়। তাই গৃহিতব্য পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি সভা আহ্বান করেন। সভায় বদরের মত খোলা ময়দানে লড়াই এবং উহুদের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শহরের ভেতর থেকে প্রতিরক্ষা উভয় প্রকার মতামত উঠে আসে। সালমান ফারসি পারস্যে থাকাকালীন অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে পরিখা খনন করে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণের মত দেন। আলোচনায় শেষপর্যন্ত এই মত গৃহিত হয়। প্রতি দশজন ব্যক্তির উপর ৪০ হাত পরিখা খননের দায়িত্ব দেয়া হয়।", "title": "খন্দকের যুদ্ধ" }, { "docid": "111254#34", "text": "২৫ দিন অবরোধের পর শেষপর্যন্ত বনু কুরাইজা আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর মুসলিমরা তাদের দুর্গ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নেয়। পুরুষদের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৯০০। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মুহাম্মদ ইবনে মাসালামার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। নারী ও শিশুদেরকে পৃথকভাবে রাখা হয়।", "title": "খন্দকের যুদ্ধ" }, { "docid": "618094#9", "text": "০৬.০৮.২০১৭ তারিখে এনডিআরএফ দল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালয়ে বিশ্বব্যাংকের ত্রাণ ও ত্রাণ অভিযান পরিচালনা করে এবং ০৩ জনকে উদ্ধার করে এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। তারা বিতরণ করেছিল- ২২০০ টি জলের পাউচ, শুকনো দড়ি -১৬ ব্যাগ, গুঁড়া দুধ ৬ কেজি, এবং গুড় ৬০ কেজি। দলটি ২৫৩ জনকে উদ্ধার করেছে, ১০২৯ জন লোককে স্থানান্তর করে এবং ৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। দলটি শেষ পর্যন্ত ১৫০০ টি খাবারের প্যাকেট, জলের পাউচ/বোতল -২৫৬৪ টি, শুকনো খাবার (চাল, ডাল, চিনি, -২৩৬ ব্যাগ, শিশুদের খাবার-২৪ সিটিএন, দুধ-১০৫৬ প্যাকেট, গুর -২২০৫ কেজি, টেরপোলাইন -৫৮ টি, শাকসবজি -৫৪০ কেজি ও ওষুধ বিতরণ করে।", "title": "২০১৭ সালের পশ্চিমবঙ্গ বন্যা" }, { "docid": "609199#6", "text": "কাবুলের আশেপাশে মোতায়েনকৃত তিনটি স্কাড নিক্ষেপক ব্যাটারি জালালাবাদে আফগান সৈন্যদের সমর্থনে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ৪০০টিরও বেশি ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ক্ষেপনাস্ত্রগুলো লক্ষ্যভেদের মাত্রা কম হলেও এগুলো মুজাহিদদের মনোবলের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে, কারণ তারা এই আক্রমণের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারত না।", "title": "জালালাবাদের যুদ্ধ (১৯৮৯)" }, { "docid": "422402#3", "text": "ইবরাহিম লোদির বাহিনীর আকার জানতে পেরে বাবর তার বাহিনীর ডান ভাগকে পানিপথ শহরের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত করেন। এজন্য বৃক্ষশাখা আচ্ছাদিত পরিখা খনন করা হয়। মধ্যভাগে দড়ি দিয়ে বাধা ৭০০টি গরুরগাড়ি রাখা হয়। প্রতি দুইটি গাড়ির মধ্যে ম্যাচলকম্যানদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়। এই ব্যবস্থা প্রণীত হওয়ার সময় ঘোড়সওয়ারদের আক্রমণের জন্য যথেষ্ট স্থান রাখা হয়।", "title": "পানিপথের প্রথম যুদ্ধ" } ]
অটোমান সাম্রাজ্য কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
[ { "docid": "580427#1", "text": "রুশ-নেতৃত্বাধীন জোটটি যুদ্ধে বিজয়ী হয়। এর ফলে রাশিয়া ককেশাস অঞ্চলে কার্স ও বাটুমসহ বেশ কয়েকটি অটোমান প্রদেশ দখল করে নিতে সক্ষম হয়, এবং বুদজাক অঞ্চলটিও দখল করে নেয়। রুমানিয়া, সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো আনুষ্ঠানিকভাবে অটোমান সাম্রাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। প্রায় পাঁচ শতাব্দীব্যাপী অটোমান শাসনের (১৩৯৬–১৮৭৮) পর বুলগেরীয় রাষ্ট্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং এর সীমা দানিয়ুব নদী থেকে বলকান পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত হয় (কেবল উত্তর দব্রুজা অঞ্চলটি রুমানিয়ার অন্তর্গত হয়), এবং সোফিয়া অঞ্চলটিও রাষ্ট্রটির অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৭৮ সালের বার্লিন সম্মেলন অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং গ্রেট ব্রিটেনকে সাইপ্রাস দখলের সুযোগ করে দেয়।", "title": "রুশ–তুর্কি যুদ্ধ (১৮৭৭–১৮৭৮)" } ]
[ { "docid": "10823#0", "text": "উসমানীয় সাম্রাজ্য (, আধুনিক তুর্কি: ), ঐতিহাসিকভাবে তুর্কি সাম্রাজ্য বা তুরস্ক বলে পরিচিত, ছিল একটি ইসলামি সাম্রাজ্য। ১২৯৯ সালে অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রথম উসমান উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়ার দ্বায়িত্ব পান সেলযুক সাম্রাজ্য কতৃক। প্রথম দিকে সেলযুক সাম্রাজ্যের প্রতি অনুগত থাকলেও সেলজুক সাম্রাজ্যের ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।\nএবং ধীরে ধীরে একটি বৃহত সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন এবং প্রথম উসমানের মাতা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক শাহজাদা নুমান এর মেয়ে অর্থাৎ আর্তুগুলের স্ত্রী প্রথম মুরাদ কর্তৃক বলকান জয়ের মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের কনস্টান্টিনোপল জয় করার মাধ্যমে উসমানীয়রা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করে।\n১৫২৬ সালে হাঙ্গেরি জয়ের পর ইউরোপের বলকান অঞ্চল সমূহ নিয়ে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে।\n১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহবিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল। ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্য" }, { "docid": "710705#0", "text": "অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম উসমানের দ্বারা। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ যখন কনস্টান্টিনোপল জয় করেন তখন রাষ্ট্রটি একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। ১৬শ শতাব্দীতে সুলতান প্রথম সেলিম এর কাছে আব্বাসীয় খলিফা কর্তিক ইসলামী খেলাফত হস্তান্তর করা হয় শুরু হয় উসমানীয় খেলাফতএবং তার পরে তার ছেলে সুলতান প্রথম সুলাইমানের অধীনে সাম্রাজ্যটি সমৃদ্ধির চূড়ায় পৌছেছিল, তখন এর সীমানা ছিল পূর্বে পারস্য উপসাগর থেকে ইউরোপের বলকান অঞ্চল, উত্তরপূর্বেহাঙ্গেরি, উত্তর কৃষ্ণ সাগর রাশিয়া,ককেসাস, পশ্চিমে ইরান,মধ্যপ্রাচ্য ইরাক সিরিয়া ফিলিস্তিন লেবানন জর্ডান মক্কা মদিনা এবং দক্ষিণে মিশর থেকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত। এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির ও ব্রিটিশদের মিত্র আরব জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহীদের কাছে পরাজয়ের মাধ্যমে। ১৯২২ সালে তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলে গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি অটোমান সাম্রাজ্য ও ইসলামী খেলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা করে।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাস" }, { "docid": "699061#1", "text": "পশ্চিমের আর্মেনিয়া যাকে বাইজেন্টাইন আর্মেনিয়া নামেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে, ৩৮৭ খ্রিস্টাব্দে, বৃহত্তর আর্মেনিয়া, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য (পশ্চিম আর্মেনিয়া) এবং সাসানীয় সাম্রাজ্য (পূর্ব আর্মেনিয়া) এর বিভাগের পর তৈরি হয়েছিল। ষোড়শ শতাব্দীতে, অটোমান-সাফভিড যুদ্ধে (১৫৩২-১৫৫৫), অটোমান তাদের ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানী সাফভিড রাজবংশের কাছ থেকে অঞ্চলটি জয়লাভ করেছিল, কিন্তু অটোমান-সাফভিড যুদ্ধ (১৬২৩-১৬৩৯) কেবলমাত্র তার পরে অটোমানেরা শাসন করতে পেরেছিল।", "title": "পশ্চিম আর্মেনিয়া" }, { "docid": "559842#1", "text": "১৫৫৬ সালে রাশিয়ার জার চতুর্থ আইভান (যিনি \"ভয়ঙ্কর আইভান\" বা \"আইভান দ্য টেরিবল\" নামে সমধিক পরিচিত) অস্ত্রাখান খানাত দখল করে নেন এবং ভোলগা নদীর সন্নিকটে পাহাড়ের ওপরে একটি নতুন দুর্গ নির্মাণ করেন। এসময় অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান ছিলেন দ্বিতীয় সেলিম, কিন্তু তাঁর প্রধান উজির সুকোল্লু মেহমেত পাশা ছিলেন সাম্রাজ্যের প্রশাসনের প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী। সুকোল্লু পাশা-ই ১৫৬৮ সালে অটোমান সাম্রাজ্য এবং তার উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর (রাশিয়া) মধ্যে দ্বন্দ্বের সূচনা করেন। অটোমানদের জন্য ভবিষ্যতে এর ফলাফল হয়েছিল মারাত্মক। সুকোল্লু পাশা ডন ও ভোলগা নদীদ্বয়কে একটি খাল খননের মাধ্যমে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ১৫৬৯ সালের গ্রীষ্মকালে কাসিম পাশার নেতৃত্বাধীনে ২০,০০০ তুর্কি ও ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ ক্রিমিয়ান তাতার সৈন্যের একটি বিশাল বাহিনীকে অস্ত্রাখান অবরোধ করে খাল খননের কাজ শুরু করার জন্য প্রেরণ করেন। একই সাথে অটোমান নৌবাহিনী অ্যাজোভ অবরোধ করে।", "title": "রুশ–তুর্কি যুদ্ধ (১৫৬৮–১৫৭০)" }, { "docid": "7763#1", "text": "ঠিক কবে এই সাম্রাজ্যের যাত্রা শুরু হয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়, কারণ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও এ নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকের মতে রোমান সম্রাট প্রথম কন্সট্যান্টাইন (রাজত্বকাল: ৩০৬ - ৩৩৭ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন প্রথম বাইজেন্টাইন সম্রাট। সম্রাট কনস্টান্টিনই ৩৩০ খ্রিস্টাব্দে রোম থেকে তার রাজধানী বাইজান্টিয়ামে সরিয়ে আনেন এবং এই শহরকে কন্সটান্টিনোপল নামে পুনর্গঠিত করেন যাকে অনেকেই নতুন রোম নামে অভিহিত করে থাকেন।", "title": "বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য" }, { "docid": "630841#11", "text": "১৫১৭ সালে প্রথম সেলিমের মদিনা এবং মক্কার অধিগ্রহণের শুরু থেকে ১৬ শতকে অটোমান তাদের সাম্রাজ্যকে হেজাজ, লোহিত সাগর সহ আশির অঞ্চল এবং পারস্য উপসাগর অঞ্চলের আল হাসাকে তাদের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করে। এই অঞ্চল সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশে পরিনত হয় যা বর্তমান সৌদি আরব। এছাড়াও তারা মধ্যবর্তী অঞ্চল দাবি করে, যদিও এটি একটি নামমাত্র অধিরাজ্য। কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের শক্তি ও দূর্বলতার তারতম্য অনুসারে এই জমির উপর নিয়ন্ত্রণের মাত্রা পরবর্তী চার শতাব্দী ধরে পরিবর্তিত হয়। হেজাজে মক্কার শরিফরা তাদের অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতো (যদিও এখানে প্রায়ই উসমানীয় এবং মক্কায় গ্যারিসন গভর্নর থাকতো)। দেশের পূর্ব দিকে অটোমানরা ১৭ শতকে আরব গোত্রগুলোর কাছে আল হাসা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে কিন্তু ১ ৯ শতকে আবার পুনরুদ্দার করে। এই সময়ের মধ্যে, অভ্যন্তর অঞ্চল বেশিরভাগ সময় পূর্ববর্তী শতাব্দীর মতো ক্ষুদ্র গোষ্ঠীগত শাসকদের শাসনের অধীনে ছিল।\n১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় আরবে সৌদি রাজবংশের উত্থান শুরু হয়। ঐ বছরে রিয়াদের নিকটে আদ-দরিয়াহ শহরের গোষ্ঠীভিত্তিক শাসক মুহাম্মদ বিন সৌদ, ওয়াহাবী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ধর্মীয় নেতা মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাবের সাথে যোগ দেন। ১৮ শতকে গঠিত এই জোট সৌদি বিস্তারের মতাদর্শিক অনুপ্রেরণা প্রদান করে এবং আজকের সৌদি আরবীয় সাম্রাজ্যের ভিত্তি বজায় রেখেছে। পরের ১৫০ বছরে, সৌদ পরিবারের ভাগ্য একাধিকবার সুপসন্ন এবং অসুভ হয় কারণ সৌদি শাসকরা উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মিশর, উসমানীয় সাম্রাজ্য, অন্যান্য আরব পরিবারের সাথে বিবাদে জড়িয়েছে।", "title": "সৌদি আরবের ইতিহাস" }, { "docid": "710705#8", "text": "১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপলকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী বানিয়ে দ্বিতীয় মুহাম্মদ সুলতান-ই-রুম(আক্ষরিক অর্থে রোমের সম্রাট) উপাধি ধারণ করেন। এই দাবিকে বাস্তবে রুপদানের জন্য সাবেক রোমান সাম্রাজ্যের পশ্চিমের রাজধানী রোমকে বিজয় করার উদ্দেশ্যে প্রচারণা শুরু করেন। তার এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তিনি অনেক বছর অতিবাহিত অ্যাড্রিয়াটিক সাগর এর সুরক্ষিত অবস্থানের উপর যেমন আলবেনীয় ভেনেটা, এবং তারপর অব্যাহত রাখেন ২৮ জুলাই ১৪৮০ তে অটরান্টোতে অটোমান আক্রমণ এবং এপুলিয়া। তুর্কিরা প্রায় এক বছরের মত অটরান্টো ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করে, কিন্তু ৩ মে ১৪৮১ তে দ্বিতীয় মুহাম্মদ এর মৃত্যুর পর নতুন সৈন্যদল দ্বারা ইতালীয় উপদ্বীপে আরও ভেতরে আক্রমণ করার পরিকল্পনা বাতিল করা হয় এবং অবশিষ্ট অটোমান বাহিনী পূর্ব অ্যাড্রিয়াটিক সাগর এ ফিরে আসে।", "title": "উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাস" }, { "docid": "4790#8", "text": "এগারো শতাব্দিতে, অটোম্যান সাম্রাজ্যের সময় তুরস্কের অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন সেখানে অনেক মসজিদের আবির্ভাব ঘটে। অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রথমদিকের বেশকিছু মসজিদ (যেমন: হায়া সফিয়া মসজিদ, ইস্তাম্বুল) তৈরি হয়, যা পূর্বে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের চার্চ বা ক্যাথেড্রাল ছিলো। অটোম্যানরা এই মসজিদগুলোতে তাদের নিজস্ব ডিজাইন ব্যবহার করেন, যেমন: বিশাল কেন্দ্রীয় গম্ভুজ, একাধিক মিনার, খোলা সম্মুখভাগ, ইত্যাদি। তাদের মসজিদগুলোতে কারুকাজময় থাম, এর মাঝে সুপরিসর স্থান, উঁচু ছাদ এবং মিহরাবও দেখা যায়। বর্তমান তুরস্কের অনেক মসজিদই অটোম্যানদের সেই স্থাপত্যশৈলীর ধারক।", "title": "মসজিদ" }, { "docid": "584081#1", "text": "১৬৭২–১৬৭৬ সালের তুর্কি–পোলিশ যুদ্ধের সময় পোডোলিয়া অঞ্চলটি দখল ও বিধ্বস্ত করার পর অটোমান সরকার সমগ্র পূর্ব ইউক্রেনে তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের এ পরিকল্পনায় তাদের সহযোগী ছিলেন তুর্কিপন্থী কসাক হেটমান পেত্রো দোরোশেঙ্কো। দোরোশেঙ্কোর তুর্কিপন্থী নীতিতে অনেক ইউক্রেনীয় কসাক অসন্তুষ্ট হয় এবং তারা ১৬৭৪ সালে আইভান সামোইলোভিচকে (যিনি পশ্চিম ইউক্রেনের হেটমান ছিলেন) সমগ্র ইউক্রেনের হেটমান নির্বাচিত করে।", "title": "রুশ–তুর্কি যুদ্ধ (১৬৭৬–১৬৮১)" }, { "docid": "644567#0", "text": "আহমেদ ১ম (অটোমান তূর্কি: احمد اول \"Aḥmed-i evvel\"; তূর্কিসঃ১ম আহমেদ; (১৮ এপ্রিল ১৫৯০ - ২২ নভেম্বর ১৬১৭) ১৬০৩খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬১৭ খ্রিস্টাব্দে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান ছিলেন। আহমেদের শাসনামল রাজকীয় ফ্র্যাটিট্রিকের অটোমান ঐতিহ্যের সমাপ্তির জন্য উল্লেখযোগ্য।তখন থেকে অটোমান শাসকরা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর আর তাদের ভাইদের হত্যা না করার আইন চালু হয়। তূর্কিতে নির্মিত বিখ্যাত মসজিদ গুলোর মধ্যে তার নির্মিত নীল মসজিদ ছিল বিখ্যাত,যার ফলে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিল।", "title": "১ম আহমেদ" } ]
লিনাক্স কার্নেল অপারেটিং সিস্টেমটি কে প্রথম নির্মাণ করেন ?
[ { "docid": "2324#10", "text": "প্রায় কাছাকাছি সময়ে, ১৯৯১ সালে, লিনুস তোরভাল্দ্‌স নামের এক ফিনীয় ছাত্র হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়-তে পাঠরত অবস্থায় শখের বশে আরেকটি কার্নেলের ওপর কাজ শুরু করেন। এই কার্নেলটিই পরে লিনাক্স কার্নেলে রূপ নেয়। লিনুস প্রথমদিকে মিনিক্স নামের একটি সরলীকৃত ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করেন। মিনিক্সের রচয়িতা ছিলেন এন্ড্রু টানেনবম, এক প্রখ্যাত অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন প্রশিক্ষক। তবে টানেনবম তাঁর মিনিক্স সিস্টেমের ওপর সরাসরি কাজ করে উন্নতিসাধনের অনুমতি দিতেন না। ফলে লিনুসকে মিনিক্সের সমতুল্য একটি সিস্টেম বানাতে হয়। লিনুস প্রথমে আইএ-৩২ এসেম্বলার ও সি-এর সাহায্যে একটি টার্মিনাল এমুলেটর রচনা করেন ও এটিকে কম্পাইল করে বাইনারি আকারে রূপান্তরিত করেন, যাতে এটি যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের বাইরে ফ্লপি ডিস্ক থেকে বুট করে চালানো যায়। টার্মিনাল এমুলেটরটিতে একসাথে দুইটি থ্রেড চলত। একটি থ্রেড ছিল সিরিয়াল পোর্ট থেকে ক্যারেক্টার পড়ার জন্য, আর অন্যটি ছিল পোর্টে ক্যারেক্টার পাঠানোর জন্য। যখন লিনুসের ডিস্ক থেকে ফাইল পড়া ও লেখার প্রয়োজন পড়ল, তখন তিনি এই এমুলেটরটির সাথে একটি সম্পূর্ণ ফাইলসিস্টেম হ্যান্ডলার যোগ করেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি এটিকে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম কার্নেলে রূপ দেন, যাতে এটিকে পজিক্স-অনুগামী সিস্টেমসমূহের ভিত্তিরূপে ব্যবহার করা যায়। লিনাক্স কার্নেলের প্রথম সংস্করণ (০.০.১) ইন্টারনেটে প্রকাশ পায় ১৯৯১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর। কিছুদিন পরেই ১৯৯১-এর অক্টোবরে এর দ্বিতীয় সংস্করণটি বের হয়। তখন থেকে সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার ডেভেলপার লিনাক্সের এই প্রজেক্টে অংশ নিয়েছেন। এরিক রেমন্ড-এর লেখা প্রবন্ধ The Cathedral and the Bazaar-এ লিনাক্স কার্নেলের (ও অন্যান্য সমজাতীয় সফটওয়্যারের) উন্নয়নপ্রক্রিয়ার মডেল সম্পর্কে আলচনা করা হয়েছে।", "title": "লিনাক্স" }, { "docid": "43145#1", "text": "নিজের ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্যে কোন প্রকার আন্তঃপ্ল্যাটফরম উদ্দেশ্য ছাড়াই লিনুস তোরভাল্দ্‌স কতৃক ১৯৯১ সালে প্রথম লিনাক্স কার্নেল নির্মিত হয়। কিন্তু সে সময় থেকে এটি বিশাল সংখ্যার কম্পিউটার স্থাপত্যকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছে, এ সংখ্যা যেকোন কার্নেল বা অপারেটিং সিস্টেম থেকে বেশি। ডেভলপার ও ব্যবহারকারীদের লিনাক্স কার্নেল আকর্ষণ করতে লাগলো, যারা পরবর্তীতে এটিকে অন্যান্য ফ্রি সফটওয়্যার প্রকল্পের, উল্লেখযোগ্যভাবে গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের, ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করেছে। লিনাক্স কার্নেল প্রায় ১,২০০ কোম্পানি থেকে ১২,০০০ ডেভলপারের অবদানে গড়ে উঠেছে।", "title": "লিনাক্স কার্নেল" }, { "docid": "249160#8", "text": "গ্নু প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল একটি ফ্রি সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা। ১৯৯২ এর মধ্যমে গ্নু প্রকল্পের অধিনে অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান প্রধান অংশগুলো তৈরী সম্পন্ন হয়েছিল। এবং কার্নেল গ্নু হার্ড এর কাজ চলছিল। ১৯৯১ সালে লিনুস তোরভাল্দ্‌স পৃথকভাবে লিনাক্স কার্নেল তৈরী করেন, যার মাধ্যমে এই শেষ শূন্যস্থানটিও পূরণ হয়ে যায়। লিনাক্স ০.১২ সংস্করণটি ১৯৯২ সালে জিপিএল লাইসেন্সের অধিনে প্রকাশ করা হয়েছিল। গ্নু এবং লিনাক্স এর সমন্বয়ে সর্বপ্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ ফ্রি সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ করা হয়। যদিও লিনাক্স গ্নু প্রকল্পের অংশ নয়, কিন্তু এটির ডেভলপমেন্টের কাজে GCC এবং আরও কিছু গ্নু প্রোগ্রামিং টুল ব্যবহার করা হয়েছে।", "title": "গ্নু প্রকল্প" } ]
[ { "docid": "43145#0", "text": "লিনাক্স কার্নেল () একটি ওপেন সোর্স মনোলিথিক ইউনিক্স-সদৃশ কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল। লিনাক্স পরিবারের অপারেটিং সিস্টেমগুলো এ কার্নেলের উপর ভিত্তি করে নির্মিত অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে ব্যবহার করে, এবং ঐতিহ্যবাহী কম্পিউটার সিস্টেম যথা-ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং সার্ভার(লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন) হিসাবে, ও বিভিন্ন এম্বেডেড যন্ত্র যেমন রাউটার, বেতার এক্সেস পয়েন্ট, পিবিএক্স, সেটটপ বক্স, স্মার্ট টিভি উভয়েই লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেল কর্তৃক সরবরাহকৃত সেবা ব্যবহার করে। যখন ডেস্কটপ কম্পিউটারে এ কার্নেলের ব্যবহারের পরিমাণ স্বল্প, লিনাক্স-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম মোবাইল থেকে মেইনফ্রেমসহ প্রায় কম্পিউটিঙের প্রতিটা বিভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছে। , সবচেয়ে শক্তিশালী ৫০০টি সুপারকম্পিউটারের সবগুলোই লিনাক্স ব্যবহার করে।", "title": "লিনাক্স কার্নেল" }, { "docid": "2324#8", "text": "১৯৮৩ সালে রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন। গ্নু প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পুরোপুরি বিনামূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। ৯০-এর দশকের শুরুর দিকেই গ্নু এই অপারেটিং সিস্টেমের প্রায় সমস্ত দরকারি উপাদানগুলো বানাতে বা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন কোড লাইব্রেরি, কম্পাইলার, টেক্সট সম্পাদক (টেক্সট এডিটর), একটি ইউনিক্স-সদৃশ খোলস (শেল), এবং আরও অন্যান্য সফটওয়্যার। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তখনও বাকি ছিল, আর তা হল কার্নেল - অপারেটিং সিস্টেমটির নিম্নতম স্তরের উপাদান বা ভিত্তি।", "title": "লিনাক্স" }, { "docid": "2324#1", "text": "লিনাক্স মূলত ইন্টেল এক্স৮৬ আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে পিসির জন্য ডেভেলপ করা হলেও, বর্তমানে এটি অন্য যেকোন অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে বেশি প্ল্যাটফর্মে পোর্ট করা হয়েছে। স্মার্টফোন জগতে লিনাক্স কার্নেল-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েডের আধিপত্যের কারণে, অন্যসব অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে লিনাক্সের সবচেয়ে বড় ইন্সটল-বেস তৈরি হয়ে গেছে। লিনাক্স সার্ভার এবং অন্যান্য বড় আইরন সিস্টেম, যেমন মেইনফ্রেম কম্পিউটার, এবং টপ ৫০০ সুপারকম্পিউটারে ব্যবহৃত একমাত্র অপারেটিং সিস্টেম (লিনাক্স ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে, অন্য সব প্রতিযোগীদের ধীরে ধীরে সরিয়ে দিচ্ছে)। প্রায় ২.৩% ডেস্কটপ কম্পিউটারে বর্তমানে লিনাক্স ব্যবহার করা হয়। লিনাক্স কার্নেল-ভিত্তিক ক্রোম অপারেটিং সিস্টেম চালিত ক্রোমবুক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কে-১৩ শিক্ষার বাজারে গুরুত্বারোপ করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ ডলারের নিচের নোটবুক বিক্রির ২০% ক্রোমবুকই প্রতিনিধিত্ব করে। লিনাক্স এম্বেডেড সিস্টেম-ডিভাইসগুলোতেও ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে টিভো এবং অনুরূপ ডিভিআর ডিভাইস, রাউটার, সুবিধা অটোমেশন কনট্রোল, টিভি, ভিডিও গেম কনসোল এবং স্মার্টওয়াচ অন্তর্ভুক্ত। অনেক স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটার অ্যান্ড্রয়েড এবং অন্যান্য লিনাক্স ডিস্ট্রোতে চলে।", "title": "লিনাক্স" }, { "docid": "2324#11", "text": "লিনাক্সের ০.০১ সংস্করণে লিনুস যথেষ্টসংখ্যক পজিক্স সিস্টেম কল বাস্তবায়ন করেন যাতে লিনাক্স গ্নুর ব্যাশ শেল চালাতে পারে। এই বুটস্ট্র্যাপিং প্রক্রিয়াটির বাস্তবায়ন লিনাক্সের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। প্রথমদিকে লিনাক্স সংস্থাপন (install), গঠন-প্রকৃতি নির্ধারণ (configure) ও সংকলন (compile) করার জন্য মিনিক্স-চালিত কম্পিউটারের প্রয়োজন হত। এছাড়া লিনাক্সের প্রাথমিক সংস্করণগুলোকে হার্ড ডিস্ক থেকে বুট করানোর জন্য অপর একটি অপারেটিং সিস্টেমের উপস্থিতির প্রয়োজন হত। তবে শীঘ্রই এ-সমস্যার সমাধান হিসেবে তৈরি করা হয় কিছু আত্মনির্ভরশীল বুটলোডার; এই বুটলোডারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিতটির নাম লিলো। এরপর লিনাক্স উপযোগিতার হিসেবে মিনিক্সকে দ্রুত ছাড়িয়ে যায়। লিনুস ও লিনাক্স কার্নেলের অন্যান্য প্রাথমিক ডেভেলপারেরা কার্নেলের পরিবর্তন সাধন করেন যাতে সেটি গ্নুর বিভিন্ন উপাদান ও ব্যবহারকারীদের জন্য লেখা প্রোগ্রামগুলোর সাথে কাজ করতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে লিনাক্স গঠন ও উপযোগিতার হিসেবে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমে রূপ নিতে থাকে।", "title": "লিনাক্স" }, { "docid": "251920#25", "text": "অ্যানড্রয়েড কার্নেল লিনাক্স কার্নেলের একটি দীর্ঘ সমর্থিত শাখা বা এলটিএস এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত। ২০১৭ সালের হিসাব মোতাবেক, অ্যানড্রয়েড যন্ত্রাংশগুলো প্রধানত লিনাক্স কার্নেল সংস্করণ ৩.১৮ অথবা ৪.৪ ব্যবহার করছে। কিন্তু মূল কার্নেল যন্ত্রের উপর নির্ভর করে। অ্যানড্রয়েড ১.০ সংস্করণে ২.৬.২৫ কার্নেল ব্যবহারের পরে কার্নেলের অনেক সংস্করণই ব্যবহার করা হয় গুগলের ওপেন সোর্স চিপ ক্রিস ডিবোনা, লিনাক্স ফাউন্ডেশন এবং অনেক সাংবাদিকদের মতে অ্যানড্রয়েড একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন। আবার অনেকে , যেমন গুগলের প্রকৌশলি প্যাট্রিক ব্র্যাডি, মনে করেন ধ্রুপদী ইউনিক্স মর অপারেটিং সিস্টেমের হিসাবে অ্যানড্রয়েড লিনাক্স ডিস্ট্রো নয়। অ্যানড্রয়েডে জিএনইউ সি লাইব্রেরি নেই এবং আরও অনেক কিছু নেই যা সাধারনত একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনে থাকে। অ্যানড্রয়েড ওরিও প্রকাশের পর গুগল জানাচ্ছে যে নতুন যে সিস্টেম-অন-চিপগুলো তৈরি হচ্ছে তাতে যেন নিরাপত্তার প্রয়োজনে লিনাক্স সংস্করন ন্যূনতম ৪.৪ থাকে। যে পুরোনো যন্ত্রগুলো বর্তমানে ওরিওতে আপগ্রেড হয়েছে বা যেসব যন্ত্রে পুরোনো সিস্টেম-অন-চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের জন্য অবশ্য এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়।", "title": "অ্যানড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম)" }, { "docid": "2883#3", "text": "লিনুসের কম্পিউটারে উৎসাহ শুরু হয় একটি কমোডর VIC-20 এর মাধ্যমে। VIC-20 এর পর তিনি একটি Sinclair QL কেনেন যেটিতে তিনি ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেন- বিশেষত এর অপারেটিং সিস্টেম। তিনি এই QL এর জন্য একটি অ্যাসেম্বলার এবং একটি টেক্সট এডিটর প্রোগ্রাম করেন এবং সেই সাথে কিছু গেমও। তিনি প্যাক ম্যান এর একটি ক্লোন কুল ম্যান এর প্রোগ্রাম করার জন্য পরিচিত। তিনি ১৯৯০ সালে ইন্টেল ৮০৩৮৬ প্রসেসর সংবলিত আইবিএম পিসি কেনেন এবং তার মিনিক্স কপি পাওয়ার আগে কয়েক সপ্তাহ প্রিন্স অব পারসিয়া খেলে কাটান যেটি তাকে পরবর্তীতে লিনাক্স নিয়ে কাজ শুরু করতে সাহায্য করেছিল। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ৮৬ ওপেন আর্কিটেকচারের লিনাক্স এবং ইউনিক্সের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড বাইনারী ফরম্যাট নির্ধারনের কাজে জড়িত ছিলেন।", "title": "লিনুস তোরভাল্দ্‌স" }, { "docid": "43145#5", "text": "এরপরে অনেকগুলো লোক এ প্রকল্পের কোডে অবদান রাখেন। প্রথমদিকে মিনিক্স কম্যুনিটি লিনাক্স কার্নেলে তাদের কোড ও ধারণা রাখেন। সেসময়ে গ্নু প্রকল্প এমন কিছু উপাদান সৃষ্টি করেছিলো যা একটি\nফ্রি অপারেটিং সিস্টেমের জন্যে প্রয়োজন, কিন্তু তাদের নিজস্ব কার্নেল গ্নু হার্ডও ছিলো অপূর্ণ ও অনুপস্থিত। বিএসডি অপারেটিং সিস্টেম তখনও নিজেদের আইনি দায় থেকে মুক্ত করতে পারেনি । পূর্ববর্তী সংস্করণসমূহের সীমাবদ্ধ কার্যকারিতা সত্তেও লিনাক্স দ্রুত উন্নয়নকারী ও ব্যবহারকারী অর্জন করে।", "title": "লিনাক্স কার্নেল" } ]
বিশ্বের প্রথম কম্পিউটারের নাম কী ?
[ { "docid": "628657#19", "text": "পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রাম-চালিত কম্পিউটার ছিল জেড থ্রি যা ১৯৪১ সালে কোনরাড যুসে তৈরী করেন। ১৯৯৮ সালে অধ্যাপক রাউল রোহাস প্রমান করেন যে এই নীতিগতভাবে যন্ত্রটি ট্যুরিং কম্প্লিট।. এরপর কোনরাড যুসে এস২ নামক গণনাকারী যন্ত্র যা প্রথম (প্রসেস কন্ট্রোল যন্ত্র ও বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার ব্যবসার প্রতিষ্ঠা করেন যা বিশ্বের প্রথম বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদিত কম্পিউটার জেড ফোর তৈরী করে। এছাড়াও তিনি প্রথম হাই-লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা প্লানক্যালকুল্ তৈরি করেছিলেন।", "title": "কম্পিউটার বিজ্ঞানের ইতিহাস" }, { "docid": "43839#0", "text": "কনরাড ৎসুজে () (২২শে জুন, ১৯১০ – ১৮ই ডিসেম্বর, ১৯৯৫) ছিলেন একজন জার্মান প্রকৌশলী ও কম্পিউটিং অগ্রদূত। তাঁর সেরা অবদান হল ১৯৪১ সালে নির্মিত জেড৩ (Z3), বিশ্বের সর্বপ্রথম কার্যকরী টেপ-রক্ষিত-প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার। ১৯৯৮ সালে প্রমাণিত হয় যে জেডথ্রি টুরিং-সম্পূর্ণ। \nজেড৩-কে প্রথম কম্পিউটার হিসেবে দাবী করা হয়, যদিও এটি পরবর্তীকালের যন্ত্রগুলির মত সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের উপযোগী ছিল না।", "title": "কনরাড ৎসুজে" } ]
[ { "docid": "3502#2", "text": "প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালে মানুষ একসময় সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গননা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।", "title": "কম্পিউটার" }, { "docid": "43839#2", "text": "১৯৪৬ সালে প্রথম কম্পিউটার স্টার্ট-আপ কোম্পানি চালু করার কৃতিত্বও ৎসুজের। এই কোম্পানিটি বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটার তৈরি করে, যার নাম ছিল জেড৪ এবং ১৯৫০ সালে জুরিখের সুইস সরকারী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এটি লিজ নেয়।", "title": "কনরাড ৎসুজে" }, { "docid": "4361#2", "text": "হিউলেট-প্যাকার্ডের প্রস্তুতকৃত প্রথম কম্পিউটার ছিল এইচপি ২১১৬এ। তারা ১৯৬৬ সালে এটি তৈরি করে। ১৯৭২ সালে এইচপি ৩০০০ নামক ক্ষুদ্র কম্পিউটার প্রস্তুত করে যা ব্যবসায়িক কাজে এখনও ব্যবহৃত হয়। ১৯৭৬ সালে কোম্পানির একজন প্রকৌশলী, স্টিফেন ভোজনিয়াক একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার 'র নমুনা তৈরি করে তা পেশ করেন। হিউলেট-প্যাকার্ড সমস্ত সত্ব ত্যাগ করে ভোজনিয়াকে যে কোন পরিকল্পনার অধিকার দান করে। ভোজনিয়াক পরবর্তীতে স্টিভ জবস'র সাথে মিলে অ্যাপ্‌ল ইনকর্পোরেটেড নামক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮০ সালে প্রথম ডেস্কটপ কম্পিউটার এইচপি-৮৫ তৈরি করে। কিন্তু আইবিএম কম্পিউটারের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়ায় তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আইবিএম কম্পিউটারের সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম এমন একটি কম্পিউটার বাজারজাত করে যা এইচপি-১৫০ নামে পরিচিত। কিন্তু তাও বাজার হারায়। হিউলেট-প্যাকার্ডের প্রস্তুতকৃত প্রথম সফল উৎপাদন সামগ্রী ছিল একটি প্রিন্টার। প্রিন্টারটি এইচপি লেসারজেট নামে পরিচিত যা ১৯৮৪ সালে বাজারজাত করা হয়। কিন্তু এর পরপরই হিউলেট-প্যাকার্ড অন্যান্য কোম্পানি যেমন সান মাইক্রোসিস্টেম্‌স, সিলিকন গ্রাফিক্স ও অ্যাপোলো কম্পিউটার'র কারণে বাজার হারাতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৯ সালে হিউলেট-প্যাকার্ড অ্যাপোলো কোম্পানিকে কিনে নেয়। ১৯৯০ সালের পর হিউলেট-প্যাকার্ডকে প্রচুর রাজস্ব হারাতে হয় এবং ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দেয়। এ অবস্থা থেকে কোম্পানির উত্তরণের জন্য \"প্যাকার্ড\" অবসর ত্যাগ করে আবার ব্যবস্থাপনায় ফিরে আসেন। তার চালনায় কোম্পানি আবার গতিশীলতা লাভ করে এবং স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার সামগ্রী বাজারজাত করে আবার জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরই সাথে হিউলেট-প্যাকার্ড বিশ্বের শীর্ষ তিন ব্যক্তিগত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে আসে। ১৯৯৩ সালে কোম্পানি যখন সম্পূর্ণ ঘুরে দাড়াতে সক্ষম হয় তখন প্যাকার্ড অবসর নেন।\nহিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানি ব্যবসার জগতে একটি নতুন ধারার জন্ম দেয়। সহযোগিতা ও সাধারণ স্বার্থই এ ধারার মূলমণ্ত্র। হিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানিতে কর্মরত সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে শেয়ারগ্রাহকদের মতই কোম্পানির অংশ মনে করা হয়। তারা সবাই কোম্পানির স্বার্থর সাথে সমান ভাবে জড়িত বলে ধরা হয়। এ ধরণের মানসিকতার কারণে হিউলেট প্যাকার্ড সমাজের নারী ও সংখ্যালঘুদের কাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়।", "title": "হিউলেট-প্যাকার্ড" }, { "docid": "258496#2", "text": "বিশ্ববিখ্যাত পিসি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডেল’ এর শুরুটা হয় পিসি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে। ছেলেবেলায়ই খণ্ডকালীন চাকরি করে জমানো এক হাজার ডলার নিয়ে ১৯৮৪ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে চালু করেন এই প্রতিষ্ঠানটি। বিক্রি করতেন কম্পিউটারের খুচরা যন্ত্রাংশ। পরে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ডেল কম্পিউটার করপোরেশন।\n১৯৯০ সালের পর থেকে তাঁর এই ব্যবসা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ১৯৯৬ সালে ডেল নিয়ে আসে প্রথম সার্ভার। সে সময় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার লভ্যাংশ পেতে থাকেন তিনি। ২০০১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ডেল আরেক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা কমপ্যাককে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পিসি তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২০১২ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের ৪১তম ধনী মাইকেল ডেল। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলার। ২০০৪ সালে ডেলের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে গেলেও চেয়ারম্যান হিসেবে থেকে যান তিনি। তবে ২০০৭ সালে বোর্ড ও সবার অনুরোধে আবার প্রধান নির্বাহী হন মাইকেল।", "title": "মাইকেল ডেল" }, { "docid": "480047#0", "text": "রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন (জন্ম: ২৩ এপ্রিল, ১৯৪১-মার্চ ৫, ২০১৬) বিখ্যাত মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী। ১৯৭১ সালে ইন্টারনেটের সূচনাকারী আরপানেটে রে টমলিনসন প্রথম ই-মেইল পাঠান। এর আগে একই কম্পিউটারের বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের মধ্যে মেইল আদান-প্রদান করা যেত। কিন্তু টমলিনসনের পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো আরপানেটে যুক্ত বিভিন্ন হোস্টের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান সম্ভব হয়। তিনিই প্রথম কম্পিউটার এবং এর ব্যবহারকারীদের মধ্যে পার্থক্য বোঝানোর জন্য ব্যবহারকারীর নামের সামনে @ চিহ্নটি ব্যবহার শুরু করেন। তারপর থেকে ই-মেইলে এই চিহ্নটি ব্যবহার হযে আসছে। ইন্টারনেট হল অব ফেমে রে টমলিনসনের কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, \"টমলিনসনের ই-মেইল প্রোগ্রাম মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বদলে দিয়ে একটি নতুন বিপ্লবের সূচনা করে\"।", "title": "রে টমলিনসন" }, { "docid": "12024#5", "text": "ইতালীয় ইঞ্জিনিয়ার পিয়ের জর্জিয়ো পেরোটো একটি ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটার আবিষ্কার করেন যার নাম প্রোগ্রাম ১০১ এবং এটিই প্রথম বাণিজ্যিক ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটার যা ইতালীয় কোম্পানি অলিভেট্টি উৎপাদন করেন। প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৬২ সালে। ১৯৬৪ সালে এটি ছাড়া হয় নিউ ইয়র্ক বিশ্ব মেলায়, দাম ছিল $৩২০০ এবং ভলিউম হারে উৎপাদন হয় ১৯৬৫ সালে। প্রোগ্রামা ১০১ আসার পূর্বে কম্পিউটার ছিল একেকটা ট্রাকের সমান এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞরাই ব্যবহার করত। কিন্তু প্রোগ্রামার আকার ছিল একটি টাইপরাইটারের সমান যা সবার ব্যবহার করতে পারত।", "title": "ব্যক্তিগত কম্পিউটার" }, { "docid": "394108#6", "text": "জিএম রিসার্চ ১৯৭৯ সালে একটি পোর্টবল কম্পিউটার উৎপাদন করে। এটির নকশা এবং পেটেন্ট করেন জেমস মুরেজ। এটিকে প্রথমে মাইক্রো স্টার পরে স্মল ওয়ান নামে ডাকা হয়। যদিও জেরক্স দাবি করে তারাই এরকম সিস্টেমের ডিজাইন প্রথম করেছে তবুও পর্যাপ্ত প্রকাশিত দলিলাদি না পাওয়ায় মুরেজকে এটির প্যাটেন্ট দেয়া হয়। আমেরিকা সরকার এসব মেশিন কেনার জন্য চুক্তি করে এছাড়াও আছে স্যান্ডিয়া ল্যাবস, জেনারেল ডাইনামিক্স, বিবিএন সহ আরো বেসরকারি কোম্পানি ও স্বতন্ত্র ব্যক্তি। ১৯৭৯ সালে প্রথম কম্পিউটার প্রদর্শনীতে এবং পরবর্তিতে প্রথম কমডেক্স প্রদর্শনীতে এটি প্রদর্শন করা হয়।", "title": "বহনযোগ্য কম্পিউটার" }, { "docid": "1217#4", "text": "১৬২৩ সালে ভিলহেল্ম শিকার্ড প্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়, যদিও এটি প্রোগ্রামযোগ্য ছিল না।১৬৭৩ সালেগট‌ফ্রিড লাইব‌নিৎস ডিজিটাল যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন যা 'স্টেপড রেকোনার' নামে পরিচিত ছিল। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করার জন্য তাকে প্রথম কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও তথ্য তাত্ত্বিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৮২০ সালে চার্লস জেভিয়ার থমাস অফিসে কাজ করার মত একটি যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর বাজারে ছাড়েন যার নাম ছিল এরিথোমিটার।", "title": "কম্পিউটার বিজ্ঞান" }, { "docid": "43830#1", "text": "১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কম্পিউটার প্রকৌশল ডিগ্রি চালু করে। ২০০৪ সালের অক্টোবর অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭০টি এবিইটি স্বীকৃত কম্পিউটার প্রকৌশল কর্মসূচি রয়েছে। \nইউরোপে কম্পিউটার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করে বিভিন্ন সংস্থা যেগুলো ইকিউএএনআইই এর অংশ হিসেবে কাজ করে।\nপ্রকৌশলীদের পেশার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী বৃদ্ধির কারণে, যারা একই সাথে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ফার্মওয়্যার ডিজাইন এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির সব ধরণের কাজ পরিচালনা করতে পারে, তাদের জন্য বিশ্বের কিছু প্রতিষ্ঠান স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করে থাকে। কম্পিউটার প্রকৌশল এবং তড়িৎ প্রকৌশল উভয় কর্মসূচির পাঠ্যক্রমেই অ্যানালগ এবং ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইন রয়েছে। অধিকাংশ প্রকৌশলের নিয়ম অনুসারে, কম্পিউটার প্রকৌশলীদের জন্য সামান্য গণিত এবং বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।", "title": "কম্পিউটার প্রকৌশল" } ]
কাগজ তৈরির মূল উপাদান কাঠের মণ্ড তৈরি করার মেশিন সর্বপ্রথম কে তৈরি করেন ?
[ { "docid": "89013#4", "text": "চিঠি, সংবাদপত্র ও বইয়ের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান শুরু হবার পর বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আশে, এবং এর সাশ্রয়ী উপাদান হিসেবে কাগজ তৈরি করা ঊনবিংশ শতাব্দীতে নতুন শিল্প রূপে আবির্ভূত হয়। ১৮৪৪ সালে, কানাডিয়ান উদ্ভাবক Charles Fenerty এবং জার্মান উদ্ভাবক F.G. Keller যৌথ ভাবে কাগজ তৈরির মূল উপাদান হিসেবে কাঠের মণ্ড তৈরি করার মেশিন ও প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন। এটা ছিল ২০০০ বছরের পুরনো ও প্রচলিত কাগজ উৎপাদন পক্রিয়ার সময়ের শেষ ও নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে নিউজপ্রিন্ট ও অন্যান্য প্রকার কাগজ উৎপাদন কালের শুরু।প্রাচীন ভারতে হিন্দু রাজত্বকালে লেখাপড়া তালপাতা, কলাপাতা, সুপারি ও নারিকেল গাছের খোসা ভূর্জত্বক এবং অন্যান্য পত্রে লিখিত হত। এই জন্যই চিঠিকে \"পত্র\" বলে এবং পন্ডিতদের ব্যবস্থাপত্রকে \"পাতি\" বলে। কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিখতে তাম্রফলকে অথবা অন্য ধাতুফলকে, কখনও কাষ্ঠ ফলকে অঙ্কিত করা হত। তখন কাগজকে আলেখ্য, পট এবং তুলট বলা হত; সেই কাগজে রাজা ও মহাজনদের খাতা এবং হিসাব প্রভৃতি লেখা হত। ভূটানে, নেপালে এবং অসমে যেরকম প্রাচীন কাগজের নমুনা দেখা গেছে তা বিদেশীয় কাগজ থেকে ভিন্ন।", "title": "কাগজ" }, { "docid": "640901#8", "text": "আধুনিক কাগজ প্রস্তুত শিল্প শুরু হয় ইউরোপে ১৯ শতকের পুর্ব ভাগে। এর অন্যতম কারণ ছিল ফোর্ড্রিনিয়ার যন্ত্রের ক্রমবিকাশ। এই যন্ত্র একক শিটের পরিবর্তে ক্রমাগত কাগজের রোল তৈরী করতে পারত। এই যন্ত্র আকারে বড় ছিল। কিছু কিছু ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ ছিল। ১৮৮৪ সালে কানাডীয় চার্লস ফেনেরটি ও জার্মান এফ.জি.কেলার এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যেখানে মণ্ড তৈরীতে কাঠ ব্যবহার করা যাবে। এই নতুনত্ব ২০০০ বছর ধরে চলে আসা শুধুমাত্র ন্যাকড়া দিয়ে মণ্ড থেকে কাগজ তৈরীর যুগের অবসান ঘটিয়ে খবরের কাগজ তৈরীর সূচনা করল এবং তার ফলে বর্তমানে প্রায় সব কাগজই কাঠের মণ্ড থেকে তৈরী হয়।", "title": "কাগজ তৈরি" } ]
[ { "docid": "107578#1", "text": "রাসায়নিক মণ্ড তৈরি পদ্ধতিতে ছোট ছোট কাঠের টুকরার সাথে নানারকম রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে একটি বড় পাত্রে নেয়া হয় এবং প্রচণ্ড তাপ দেয়ার ফলে রাসায়নিক পদার্থ গুলো ও কাঠের গুড়ি গুলো ভেঙে একটি মিশ্রন তৈরি হয় যা কাঠের তন্তুগুলোকে জমিয়ে ফেলে তন্তু গুলোর কোনোরকম পরিবর্তন না করে। রাসায়নিক মণ্ড যে কোনো শক্ত দ্রব্য প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয় কিংবা এই মণ্ড কোনো উপাদানের সাথে মিশ্রনে ভিন্নরকম বা নতুন কোন গুনাবলী বা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দ্রব্য তৈরী করতে ব্যবহৃত হয়। কাগজ প্রস্তুত করার প্রধান বা সব থেকে জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ক্রাফট পদ্ধতি এরপর দ্বিতীয় প্রধান পদ্ধতির নাম সালফাইট পদ্ধতি। ঐতিহাসিকভাবে \"সোডা দ্বারা মণ্ড\" প্রস্তুত পদ্ধতি প্রথম সফল রাসায়নিক মণ্ড প্রস্তুত পদ্ধতি।", "title": "কাগজ উৎপাদন" }, { "docid": "89013#0", "text": "কাগজ (ইংরেজি ভাষা: Paper) এক ধরনের অত্যন্ত পাতলা বস্তু বা উপাদান সাধারণত যা লিখতে, চিত্র অঙ্কনে ব্যবহার করা হয়। লেখা ছাড়াও কাগজের উপরে লেখা ছাপানো হয় এবং কোন দ্রব্যের মোড়ক হিসেবেও কাগজ ব্যবহৃত হয়। প্রধানত কাঠ, বাঁশ, ছেঁড়া কাপড়, ঘাস, পুরনো কাগজ ইত্যাদি কাগজ তৈরির প্রধান উপাদান। আঁশ জাতীয় এই সব উপাদান দিয়ে মণ্ড তৈরি করা হয় এবং এই মণ্ড মেশিনের মাধ্যমে চাপ দিয়ে পাতলা আস্তরণ ফেলে শুকানো হয়।\nকাগজের বহুবিধ ও বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। লেখালেখির কাজে এবং ছাপানোতে কাগজের সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হলেও মোড়ক তৈরী করার কাজেও কাগজ বহুল ব্যবহৃত বস্তু। অনেক পরিস্কারক দ্রব্যে, বেশ কিছু সংখ্যক কারখানায়, নির্মাণ কাজে, এমনকি খাদ্য হিসেবেও (বিশেষত এশিয়ান সংস্কৃতিতে) কাগজের ব্যবহার রয়েছে।", "title": "কাগজ" }, { "docid": "552224#6", "text": "প্রথম ডেস্কের পরিশোধীত রূপ ১৯ শতকে চিন্তা করা হয়েছিল, যেহেতু শিল্প বিপ্লবের প্রথম পর্যায়ের শেষের দিকে বাষ্প চালিত যন্ত্রপাতি সস্তা কাঠ-মণ্ড কাগজ তৈরি সম্ভব করেছিল। এটি চিন্তা ভিত্তিক কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করে দেয়। যেহেতু এরূপ অফিস কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে, নতুন বাষ্প চালিত কাঠের কাজের যন্ত্র ব্যবহার করে তাদের জন্য ডেস্কের বিশাল পরিমাণে উৎপাদন শুরু হয়। এটি ছিল ডেস্ক উৎপাদনের সর্বপ্রথম সুক্ষ বিভাজন। তারপর থেকে ভালো কাঠমিস্ত্রিরা স্বল্প পরিমাণে ধনীদের বাসা এবং অফিসের জন্য সুন্দর প্রকৃতির ডেস্ক তৈরি করে আসছেন যেখানে যন্ত্রপাতি দ্বারা গুচ্ছ আকারে সরঞ্জাম তৈরি করে বেশীরভাগ ডেস্ক দ্রুত সংযোগ দেয়া হয় অদক্ষ শ্রমিক দ্বারা। তাই শুধুমাত্র এর বয়স একটি পুরাকালের ডেস্কের শ্রেষ্ঠ অবদান বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করে না, যেহেতু একশো বছরেরও বেশি সময় আগে মানের মধ্যে বিভক্ত ঘটেছিল।", "title": "ডেস্ক" }, { "docid": "107578#6", "text": "এ পদ্ধতিতে কাগজ উৎপাদনের জন্য প্রথমে কাগজের মন্ড কে একটি বড় পাত্রে পানির সাথে ভালো করে মেশানো হয়। অতঃপর এই মিশ্রণ কে একটি ছাঁচে ঢালা হয়। এই ছাঁচটি তারের জাল এবং কাঠের ফ্রেম দিয়ে তৈরি। মিশ্রণটিকে ছাঁচে ঢাললে তারের জাল চুঁইয়ে পানি ঝরে যায়, আর আঁশের একটি পাতলা আস্তরণ জালের উপরে থেকে যায়। এই আস্তরণ টি ভেজা থাকে। একে শুকানোর জন্য এর উপরে পশমের কম্বল জাতীয় কাপড় দিয়ে চাপ দেওয়া হয়। এর ফলে আস্তনণটির জলীয় অংশ কম্বল শুষে নেয় এবং এতে কিছুটা দৃঢ়তা দান করে। এরপর এই আস্তরণটিকে ছাঁচ থেকে তুলে ঝুলিয়ে রেখে বা বিছিয়ে রেখে বায়ুতে শুকানো হয়। আর এর মাধ্যমেই তৈরি হয় হাতে তৈরি কাগজ।", "title": "কাগজ উৎপাদন" }, { "docid": "107578#2", "text": "রাসায়নিক পদ্ধতিতে মণ্ড প্রস্তুতের মূল উদ্দেশ্য, লিজনিন (lignin) এর রাসায়নিক গঠন ভেঙে ফেলে কোষ বা তন্তু থেকে আলাদা করে সরিয়ে দেয়া। কারণ লিজনিন উদ্ভিদের কোষগুলোকে দৃঢ় ভাবে আটকে রাখে। রাসায়নিক পদ্ধতিতে এই তন্তু গুলোকে মুক্ত করে দেয় এবং মণ্ড প্রস্তুত করে। এই মণ্ড দিয়ে লেখার, ছাপানোর জন্য বা অন্যান্য কাজের জন্য সাদা কাগজ প্রস্তুত করা যায়। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত মণ্ডের থেকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত মণ্ডের ব্যয় অধিক। এর মূল কারণ ৪০%-৫০% আসল কাঠ দিয়ে বানালেও তা দিয়ে যে টুকু মণ্ড প্রস্তুত করা যায় তার পরিমাণ খুব কম। তথাপি রাসায়নিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত মণ্ড দিয়ে সর্বাধিক শক্ত কাগজ তৈরি করা সম্ভব কারণ এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদের তন্তুর দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকে। এই পদ্ধতির আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে কাজ করতে যে তাপ ও বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তার বেশিরভাগ মণ্ড তৈরির সময় লিজনিন পুড়ে পাওয়া যায়। কাগজের মণ্ড উৎপাদনের সব থেকে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম ক্রাফট পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত মণ্ড হয় সর্বাধিক শক্ত কাগজ যা সরাসরি ব্যাগ বা বাক্স বানাতে ব্যবহার করতে পারে কিন্তু এমনটি না করে কার্ডবোর্ড বানানোর জন্য আরো কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায়।", "title": "কাগজ উৎপাদন" }, { "docid": "107578#4", "text": "যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহারে কাঠের লিজনিন নষ্ট হয়না তাই এই পদ্ধতিতে অনেক বেশি পরিমানে উৎপাদিত দ্রব্য পাওয়া যায় (প্রায় ৯৫%)। কিন্তু এই মণ্ড দিয়ে প্রস্তুতকৃত কাগজ হলুদ রঙের ও ভঙ্গুর হয়। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত আঁশ হয় ছোট হয় নয়ত এই মণ্ড দিয়ে তৈরি কাগজ নরম হয়। যদিও এই পদ্ধতিতে বৃহৎ পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তবুও এর ব্যয় রাসায়নিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত কাগজের ব্যয় থেকে বেশি।", "title": "কাগজ উৎপাদন" }, { "docid": "640901#7", "text": "ইউরোপে, কাগজের ছাচ তৈরীতে ধাতুর তার ব্যবহার করা হত। যেখানে জলছাপ ১৩০০ খ্রিষ্ঠাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। যখন হেম্প ও লাইনেন ন্যাকড়া মণ্ড তৈরীর প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হত। এরপর উৎস হিসেবে তুলা ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৫ শতকের পূর্ব পর্যন্ত বহনযোগ্য প্রিন্টিং মেশিন তৈরীর আগ পর্যন্ত কাগজ উৎপাদন ইউরোপে ততটা জনপ্রিয় ছিল না।", "title": "কাগজ তৈরি" }, { "docid": "89013#11", "text": "সুইডেনে প্রাকৃতিক সেলুলোজ ন্যানোফাইবার থেকে তৈরি ন্যানোপেপার নামের একটি কাগজ উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা স্টিলের মতোই মজবুত। স্টকহোমের সুইডিশ রয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী লারস বার্জল্যান্ড এর থেকে জানা যায় যে, কাগজ তৈরির জন্য কাঠ থেকে মন্ড তৈরির সময় এর ভেতরের প্রাকৃতিক আঁশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এই আঁশগুলো অক্ষত অবস্থায় সংগ্রহ করার একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা হয়েছে। ন্যানোপেপারের সেলুলোজ ফাইবারগুলোর অক্ষত এবং নেটওয়ার্কের মতো সজ্জিত অবস্থায় থাকে তাই এটি এত শক্ত। ফাইবারগুলো একটির সঙ্গে অন্যটির কঠিন বন্ধন তৈরি করে রাখে কিন্তু যেকোনো চাপ বা টানের মতো বাইরের চাপে এগুলো একটি আরেকটির ভেতর দিয়ে পিছলে গিয়ে চাপ সহ্য করতে পারে। প্রচলিত কাগজের আঁশের চেয়ে এই সেলুলোজ ফাইবার অনেক ছোট। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর চাপ সইবার ক্ষমতা ২১৪ মেগাপ্যাসকেল, যা ঢালাই লোহার (১৩০ মেগাপ্যাসকেল) চেয়ে বেশি এবং ভবন ও সেতুতে ব্যবহূত ইস্পাতের (২৫০ মেগাপ্যাসকেল) কাছাকাছি। প্রচলিত কাগজের চাপ সইবার ক্ষমতা এক মেগাপ্যাসকেলেরও কম।", "title": "কাগজ" } ]
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্ম কবে হয় ?
[ { "docid": "4051#3", "text": "পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায় অবস্থিত কামারপুকুর গ্রামে ১৮৩৬ সালে এক দরিদ্র ধর্মনিষ্ঠ রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম হয়। তিনি পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মা চন্দ্রমণি দেবীর চতুর্থ ও শেষ সন্তান। কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মের পূর্বে তাঁর পিতামাতার সম্মুখে বেশ কয়েকটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। সন্তানসম্ভবা চন্দ্রমণি দেবী দেখেছিলেন শিবলিঙ্গ থেকে নির্গত একটি জ্যোতি তাঁর গর্ভে প্রবেশ করছে। তাঁর জন্মের অব্যবহিত পূর্বে গয়ায় তীর্থভ্রমণে গিয়ে ক্ষুদিরাম গদাধর বিষ্ণুকে স্বপ্নে দর্শন করেন। সেই কারণে তিনি নবজাতকের নাম রাখেন গদাধর।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস" }, { "docid": "249790#6", "text": "তাঁরা ছিলেন সমসাময়িক, কিন্তু দেশের দুই রাজ্যে। একজন বাংলায়, অন্য জন সুদূর মহারাষ্ট্রে। \nবাংলার রামকৃষ্ণ পরমহংস জন্মেছিলেন ১৮৩৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। অন্য দিকে, সাঁই বাবার জন্মতারিখ নিয়ে দোলাচল থাকলেও, অনেকের মতে তিনি জন্মেছিলেন ১৮৩৫ সালের সেপ্টেম্বরে।\nঠাকুর রামকৃষ্ণ নিজে কালী ভক্ত হলেও, তাঁর কাছে সব ধর্মই ছিল সমান। একই ভাবে, সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন সাঁই বাবাও। \nতাঁদের দর্শনেই যে শুধু মিল ছিল, তা নয়। অবাক হতে হয় এক তথ্য জানলে যে, ঠাকুর ও সাঁই বাবার মৃত্যুতেও ছিল এক অদ্ভূত যোগসূত্র। কোথাও লিপিবদ্ধ না থাকলেও, কথিত যে, ১৮৮৬ সালের অগস্ট মাস নাগাদ সাঁই বাবা সমাধিস্থ হন তিন দিনের জন্য। \nজানা যায়, ওই একই সময়ে, বাংলায় তখন মৃত্যুশয্যায় ছিলেন ঠাকুর। এবং তিন দিন পরে সাঁই বাবা নিজের দেহে ফিরে এলে, ঠাকুর চলে যান নশ্বর দেহ ছেড়ে।\nকথিত, সাঁই বাবা ফিরে এসে বলেন যে, তিনি তো চিরদিনের জন্যই ‘আল্লা’র কাছে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে, তাঁর বন্ধু শ্রীরামকৃষ্ণও যেতে চান ভগবানের কাছে। তাই তিনি ফিরে আসেন ধরাধামে।\nপ্রসঙ্গত, এমনও শোনা যায় যে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ নাকি সাঁই বাবা সম্পর্কে বলতেন যে, এমনই এক ফকির এসেছেন পৃথিবীতে, যাঁকে হিন্দুরা পুজো করে ঈশ্বর হিসেবে আর মুসলমানরা করে পীর হিসেবে।", "title": "শিরডি সাই বাবা" } ]
[ { "docid": "256926#6", "text": "\"প্রতাপচন্দ্র মজুমদার\" প্রথম ইংরেজিতে শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনী রচনা করেন ১৮৭৯ সালে। \"থেইস্টিক কোয়ার্টারলি রিভিউ\" পত্রিকায় প্রকাশিত \"দ্য হিন্দু সেইন্ট\" নামের রচনাটি তাঁর নজর কাড়ে। এর ফলেই তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। ফলশ্রুতিতে মানবতাবাদে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের অবদানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী অরবিন্দ, লিও তলস্তয় প্রমুখ চিন্তাবিদদের পাশাপাশি তিনিও। পরবর্তীকালে ১৮৯৮ সালে মুলার রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের উপর জীবনী গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন।", "title": "মাক্স মুলার" }, { "docid": "536241#1", "text": "রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমগ্র জীবনকাহিনীটিই \"শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্‌\" ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ছবির শুরুতে দেখানো হয়েছে তদনীন্তন ব্রিটিশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির হুগলি জেলার অন্তঃপাতী কামারপুকুর গ্রামে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের (রামকৃষ্ণ পরমহংসের পূর্বাশ্রমের নাম) জন্ম। এরপর আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ও ভাবতন্ময়তা, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করে রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ প্রভৃতি অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা দেখে ধর্মশিক্ষা, যৌবনে কলকাতায় এসে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরহিত্য গ্রহণ এবং কিছুকাল পরেই পৌরোহিত্য ছেড়ে সাধনায় মনোনিবেশ ও সিদ্ধিলাভের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।", "title": "শ্রীরামকৃষ্ণ দর্শনম্‌" }, { "docid": "657087#0", "text": "স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ (৩০ জানুয়ারি ১৮৬৫ - ১০ জানুয়ারি ১৯১৫) শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সন্ন্যাসী শিষ্যবর্গের অন্যতম। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম ছিল সারদাপ্রসন্ন মিত্র। রামকৃষ্ণ মঠের বাংলা মাসিক পত্রিকা \"উদ্বোধন\" তাঁর উদ্যোগে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে স্বামী বিবেকানন্দের উৎসাহে ১৯০২ খ্রীষ্টাব্দে তিনি আমেরিকা গমন করেন এবং সান ফ্রান্সিসকো কেন্দ্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সান ফ্রান্সিসকোয় একটি নূতন ভবনের নির্মাণ (যা পরে \"হিন্দু মন্দির\" নামে খ্যাত হয়) তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহের একটি। ১৯১৫ খ্রীষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তিনি আততায়ীর ছোঁড়া বোমার আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন।", "title": "ত্রিগুণাতীতানন্দ" }, { "docid": "602675#0", "text": "নরত্তোম দাস ঠাকুর (আনুমানকি ১৪৬৬; মৃত্যু ১৫৩১), এছাড়াও ঠাকুর মহাশয় নামে পরিচিত, ছিলেন একজন গৌড়ীয় বৈষ্ণব সন্ত, যিনি ওড়িশা ও ভারতের বঙ্গে বৈষ্ণব ভক্তি প্রচার করেছিলেন। তিনি ছিলেন রাজা কৃষ্ণানন্দ দত্ত ও নারায়নি দেবীর পুত্র, এবং মুঘল সাম্রাজ্যের (বর্তমান বাংলাদেশ) রাজশাহী জেলার গোপালপুর পরগনায় বেড়ে ওঠেন। ১৫৩১ বঙ্গাব্দ মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে বর্তমান খেতুরি ধামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা বিশাল ভূসম্পত্তিরর মালিক ছিলেন কিন্তু, পিতার এই বিশাল সম্পত্তির প্রতি তার বিন্দু মাত্র লোভ ছিলনা। তার পিতা জাতে কায়স্থ ছিল, সে হিসেবে তিনি কায়স্থের সন্তান,মাত্র ১৬ বছর বয়সে পিতার এই অগাধ সম্পত্তি ত্যাগ করে চলে যান বিন্দাবনে। তার পিতার ইচ্ছা ছিল নরোত্তম সংসারী হইয়া জীবন যাপন করিবে। কিন্তু সংসারে প্রতি তার বিন্দুমাত্র টান ছিলনা।", "title": "নরত্তোম দাস ঠাকুর" }, { "docid": "251578#0", "text": "স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস (১৮ আগষ্ট, ১৮৮০- ২৯ নভেম্বর, ১৯৩৫) নদীয়া জেলার তখনকার সাবডিভিশন কুতুবপুর নামক ছোট গ্রামে (কিন্ত্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলায়) এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর নামেও পরিচিত। চৈতন্য মহাপ্রভুও এই একই জেলায় জন্মগ্রহন করেছিলেন।", "title": "স্বামী নিগমানন্দ" }, { "docid": "360180#1", "text": "কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে কলকাতার ঝামাপুকুর নামক স্থানে (বর্তমানে বেচু চ্যাটার্জি স্ট্রীট) মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতামহ রামজয় বিদ্যাভূষণ তৎকালপ্রসিদ্ধ কলকাতার জোড়াসাঁকো নিবাসী শান্তিরাম সিংহের (কালীপ্রসন্ন সিংহের পিতামহ) সভাপণ্ডিত ছিলেন। কৃষ্ণমোহনের পিতা জীবনকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ২৪ পরগণা জেলার নবগ্রাম নামক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের কন্যা শ্রীমতি দেবীকে বিবাহ করে তিনি শ্বশুরালয়ে বাস করতে থাকেন। উক্ত দম্পতির কৃষ্ণমোহন ব্যতীত আরও দুটি পুত্র ও একটি কন্যা ছিল। তাদের মধ্যে ভুবনমোহন ছিলেন সর্বজ্যেষ্ঠ এবং কালীমোহন কনিষ্ঠপুত্র ছিলেন। পরবর্তীকালে কৃষ্ণমোহনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কালীমোহনও খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষা নেন। বংশবৃদ্ধি হওয়াতে জীবনকৃষ্ণ শ্বশুরালয় ত্যাগ করে গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনে একটি আবাসগৃহে নির্মাণ করে অতি ক্লেশে পরিবার প্রতিপালন করতে থাকেন। এইসময় তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী দেবী গৃহকার্যের সাথে সাথে বেতের দড়ি পাকিয়ে, পৈতের সুতো তৈরী করে কিছু কিছু উপার্জন করতেন এবং তার দ্বারা সংসার নির্বাহ করতে সহায়তা করতেন।", "title": "কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়" }, { "docid": "611943#2", "text": "১৮৬০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার ডিঙ্গামানিক গ্রামে শ্রীঁরাধামাধব চক্রবর্তী ও শ্রীমতি কমলাদেবীর সন্তান হিসাবে শ্রীশ্রী রামঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা ছিলেন চার ভাই ও এক বোন; কালীকুমার, কাশীমণি দেবী, জগবন্ধু এবং যমজ ভাই রাম ও লক্ষ্মণ। দুই যমজ ভাই ছিলেন অবিবাহিত।\nশৈশবে গ্রামের পাঠশালায় বাংলা শেখার মাধ্যমে শ্রীশ্রী রামঠাকুরের শিক্ষা গ্রহণ শুরু হয়। পিতা তন্ত্রসাধক ছিলেন বলে বালক বয়সেই রামায়ণ, মহাভারত এবং পুরাণ চর্চায় তিনি গভীর মনোযোগী হয়ে ওঠেন। তাঁর স্মৃতি শক্তি ছিল প্রখর। দুই যমজ ভাইয়ের একই সঙ্গে উপনয়ন হয়। ত্রিসন্ধ্যাবন্দনা থেকে সব করণীয় কাজ তিনি একাগ্রতার সঙ্গে পালন করতেন।\nশ্রীশ্রী রামঠাকুরের পিতার গুরুদেব ছিলেন শ্রীঁমৃত্যুঞ্জয় ন্যায়পঞ্চানন। তিনি শ্রীশ্রী রামঠাকুরকে খুব স্নেহ করতেন। মাত্র আট বছর বয়সে রামঠাকুর তাঁর পিতাকে হারান। পিতার মৃত্যুর কয়েক দিন পর গুরুদেবের অসুস্থতার খবর শুনে তার মাতা শ্রীমতি কমলাদেবী দুই যমজ পুত্র রাম ও লক্ষ্মণকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে দেখতে যান। তাঁদের সামনেই গুরুদেব শ্রীঁমৃত্যুঞ্জয় ন্যায়পঞ্চানন মারা যান। কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রথমে পিতা, পরে গুরুদেবের মৃত্যুতে বালক রামঠাকুরের মনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মানুষের জীবনমৃত্যু কেন্দ্রিক নানা প্রশ্ন তাঁর মনে ঘুরপাক খেতে থাকে। কোনও এক অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে স্বপ্নে দেখা দিয়ে গুরুদেব তাঁকে সিদ্ধ মন্ত্র দেন। এর পর তাঁর জীবনে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। সিদ্ধ পুরুষের মতো তিনি মাঝে মাঝেই ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়তেন।\nমানসিক ভাবাবিষ্ট শ্রীশ্রী রামঠাকুর ১৮৭২ সালে সকলের অজ্ঞাতে অজানাকে জানার লক্ষ্যে গৃহত্যাগী হন। অনুসন্ধিৎসু বালক পায়ে হেঁটে বন জঙ্গল পাহাড় নদীর অজানা অচেনা পথ পেরিয়ে অবশেষে পৌঁছালেন আসামের শ্রীশ্রী কামাক্ষ্যাদেবীর মন্দিরে। অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে তিনি কামাক্ষ্যা মন্দিরে পৌঁছে গুরুদেবের দেওয়া সিদ্ধ নাম এক মনে জপ করার সময় তিনি পরিষ্কার শুনতে পেলেন, গম্ভীর গলায় তাঁকে কে যেন ডাকছে। রাম, রাম ডাক শুনে তাঁর বুঝতে অসুবিধা হল না, যে গুরুদেবের সিদ্ধ নাম তিনি স্বপ্নে পেয়েছেন, এই ডাক হল তাঁরই।\nডাকের অমোঘ টানে সাড়া দিয়ে বাইরে এসে শ্রীশ্রী রামঠাকুর দেখেন জটাধারী, দীর্ঘাঙ্গী এক জ্যোতির্ময় মহাপুরুষ সামনে দাঁড়িয়ে। তাঁকে গুরু হিসাবে বরণ করে শ্রীশ্রী রামঠাকুর প্রণাম করলেন। গুরুও তাঁর যোগ্য শিষ্যকে আলিঙ্গন করলেন। এর পর শুরু হল গুরুর সঙ্গে অজানার সন্ধানে অন্তহীন পথে যাত্রা।\nকিশোর শ্রীশ্রী রামঠাকুর গুরুর নির্দেশে পাহাড়, মরুপথ পেরিয়ে গভীর অরণ্যের নিরালায় তপস্যায় বসলেন। শোনা যায়, হিমালয় পর্বতমালায় কখনও কৌশিকাশ্রম, কখনও বশিষ্ঠাশ্রম সহ বহু অজানা স্থানে বছরের পর বছর তপস্যা করে এবং তপস্যারত মুনিদের সেবাপূজায় সময় কাটিয়ে তিনি অষ্টসিদ্ধি অর্জন করেন। এর পর গুরুর নির্দেশে লোকালয়ে ফিরে মানবসেবায় নিয়োজিত হন। গুরুর কৃপায় তাঁর কাছে অগম্য স্থান এবং অজ্ঞাত বস্তু বলে কিছু ছিল না। এর পর গুরু তাঁকে মাতৃসেবার জন্য বাড়ি ফিরতে আদেশ করেন। গুরুর নির্দেশ শিরোধার্য করে নিজের রোজগারে মাতৃসেবার জন্য তিনি নোয়াখালির এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে পাচকের কাজ নেন।\nশ্রীশ্রী রামঠাকুর নিষ্ঠার সঙ্গে রান্নার কাজ করতেন। সকলকে নিজের হাতের রান্না খাবার খাইয়ে আনন্দ পেলেও তিনি নিজে এ সব কিছুই খেতেন না। সামান্য দুধ এবং দু’এক টুকরো ফলাহারেই তাঁর শরীর ছিল সুস্থ ও সবল। অচিরেই কর্মদাতা ইঞ্জিনিয়ার বুঝতে পারেন, তাঁর বাড়ির পাচক কোনও সামান্য মানুষ নন; এক মহাপুরুষ। শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বরূপ জানার পর তিনি তাঁকে আর পাচকের কাজ করতে দেননি।\nএরপর শ্রীশ্রী রামঠাকুর ফেণী শহরে এক ওভারসিয়ারের অধীনে সরকারি কাজ নেন। সেই সময় নানা জাতের বহু মহিলা কর্ম সূত্রে ফেণী শহরে থাকতেন। তাঁদের আপন জন বলে কেউ ছিল না। শ্রীশ্রীঠাকুর নিজের হাতে রান্না করে এই সব মহিলাকে যত্ন সহকারে খাওয়াতেন। এদের কেউ অসুস্থ হলে মা বোনের মর্যাদায় সেবা করতেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের এই সেবাপরায়ণতা দেখে তখনকার মহকুমা হাকিম কবি নবীনচন্দ্র সেন শ্রীশ্রী রামঠাকুর সম্পর্কে লিখেছেন, পরসেবায় ছিল তাঁর পরমানন্দ।\nজেলখানার ইটখোলার ঘরে পাবলিক ওয়ার্কস প্রভুদের আনন্দ দিতে কখনও কখনও বারাঙ্গনারা হাজির হত। শ্রীশ্রীঠাকুর তাদেরও রান্না করে খাওয়াতেন, মাতৃজ্ঞানে সেবাযত্ন করতেন। তৎকালীন কুসংস্কারচ্ছন্ন সমাজে যেখানে ছোঁয়াছুঁয়ির নামে শুচিবায়ুগ্রস্ত মনোভাব, বর্ণ বৈষম্যের মতো কুপ্রথার প্রভাব ছিল, তখন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পরিবারের অকৃতদার যুবকের এ হেন আচরণকে সমাজ বিপ্লবের এক উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে।\nকবি নবীনচন্দ্র সেন ‘আমার জীবন’ বইয়ের চতুর্থ ভাগে ‘প্রচারক না প্রবঞ্চক’ অংশে শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কিছু অলৌকিক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রাণিকুলের প্রতি শ্রীশ্রী রামঠাকুরের ছিল যথেষ্ঠ মায়ামমতা। ফুলের সুগন্ধের মতো তাঁর আধ্যাত্মিক জ্ঞান, যৌগিক শক্তি, নানা বিভূতি প্রকাশিত হয়েছে।\nশ্রীশ্রী রামঠাকুর তাঁর জীবনের অর্ধেক সময় লোকচক্ষুর আড়ালে গভীর যোগ সাধনায় মগ্ন ছিলেন। সাধনার মাধ্যমে যে মহাসত্য তিনি উপলিব্ধ করেছিলেন, তা বাকি ৪০ বছর (১৯০৮ থেকে ১৯৪৯) সকলের মঙ্গলে লোকালয়ে বিলিয়েছেন। তাঁর কাছে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শুচি, অশুচির কোনও ভেদ ছিল না। সব ঘটনাই তিনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা করে ভক্তদের বোঝাতেন। প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন সমভাব নিরপেক্ষ শক্তির আধার।\nমন্দির, মসজিদ, গির্জায় নয়, শ্রীশ্রীঠাকুর অবস্থান করেছেন ভক্তের প্রয়োজনে, ভক্তের আলয়ে। লোকালয়ে থাকার প্রায় ৪৫ বছর তিনি মানব মুক্তির দিশা বিতরণ করেছেন। ভক্তদের তিনি বলতেন, আমি আপনাদের জন্য চাইখ্যা ‘নাম’ আনছি। বর্তমানে সদাব্যস্ত গার্হস্থ সমাজে এমন এক সহজ সরল অনাড়ম্বর ‘নাম’ করার নির্দেশ এবং সত্যের প্রতি অনুরাগ পৌঁছে দিতে পারে কৈবল্য মুক্তি। বৈষ্ণব, শৈব এবং শাক্ত মতে প্রয়োজনভিত্তিক নাম বিলি করে তিনি প্রকৃত অর্থেই ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মানব সম্প্রদায়ের প্রচার করে গিয়েছেন। তিনি শুধু আধ্যাত্মিক গুরুই নন, তিনি জন্মজন্মান্তরের মা, বাবা ও বন্ধু।", "title": "রাম ঠাকুর" }, { "docid": "4051#35", "text": "১৮৭৯ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নিজের প্রধান শিষ্যদের সঙ্গে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সাক্ষাৎ হয়। এঁদের অনেকেই ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত। কেউ আবার ছিলেন একান্তই নাস্তিক; নিছক কৌতূহলের বশেই তাঁরা শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ এঁদের সকলের মধ্যেই গভীর প্রভাব বিস্তার করে এবং এঁরা সকলেও তাঁর অনুরাগী ভক্তে পরিণত হন। প্রবল যুক্তিবাদী সুরেন্দ্রনাথ মিত্র তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন, তাঁর ‘কান মলে’ দেওয়ার জন্য; কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের একনিষ্ঠ ভক্তে পরিণত হন। তাঁর অননুকরণীয় ধর্মপ্রচারের ভঙ্গি অনেক সংশয়বাদী ব্যক্তির মনেও দৃঢ় প্রত্যয়ের উন্মেষ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল।", "title": "রামকৃষ্ণ পরমহংস" } ]
চিলির রাজধানী কোথায় ?
[ { "docid": "1302#0", "text": "চিলি (স্পেনীয় ভাষায়: Chile \"চিলে\") দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের একটি দেশ। দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল ঘেঁষে একটি লম্বা ফিতার মত প্রসারিত একটি ভূখণ্ড। উত্তর-দক্ষিণে চিলির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,২৭০ কিলোমিটার, কিন্তু এর গড় বিস্তার ১৮০ কিলোমিটারেরও কম। উত্তরের ঊষর মরুভূমি থেকে শুরু করে দক্ষিণের ঝঞ্ঝাপীড়িত হিমবাহ ও ফিয়র্ডসমূহ চিলির ভূ-দৃশ্যাবলির বৈচিত্র‌্যের স্বাক্ষর বহন করছে। দেশটির মধ্যভাগে একটি উর্বর উপত্যকা অবস্থিত। পূর্বে আন্দেস পর্বতমালা আর্জেন্টিনার সাথে সীমান্ত তৈরি করেছে। চিলির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর সান্তিয়াগো মধ্যভাগের উপত্যকায় অবস্থিত।", "title": "চিলি" }, { "docid": "65369#0", "text": "সান্তিয়াগো (স্পেনীয় ভাষায়: Santiago de Chile) চিলির রাজধানী। এটি চিলির সবচেয়ে বড় নগর এলাকা বৃহত্তর সান্তিয়াগোর কেন্দ্রে, দেশটির কেন্দ্রীয় উপত্যকাতে সমুদ্র তল থেকে ৫২০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সান্তিয়াগো রাজধানী হলেও চিলির জাতীয় কংগ্রেস পার্শ্ববর্তী বালপারাইসো (Valparaíso)-তে অনুষ্ঠিত হয়।", "title": "সান্তিয়াগো, চিলি" }, { "docid": "324775#0", "text": "ভালপারাইসো চিলির একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বন্দর। রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে শহরটি ৬৯.৫ মাইল (১১১.৮ কিমি) দূরে অবস্থিত এবং দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। শহরটি ভালপারাইসো প্রদেশ এবং ভালপারাইসো অঞ্চলের রাজধানী ও মূল কেন্দ্রবিন্দু। সান্তিয়াগো চিলির আনুষ্ঠানিক রাজধানী হলেও, চিলির জাতীয় কংগ্রেস ১৯৯০ সাল থেকে ভালপারাইসোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।", "title": "ভালপারাইসো" }, { "docid": "442706#0", "text": "সালামানকা চিলির একটি শহর যেটি চোয়াপা প্রদেশের কোকিম্বো অঞ্চলে অবস্থিত। এই শহরটি প্রদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র ইল্লাপেল থেকে পূর্বে এবং চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে উত্তরে অবস্থিত। সাধারণত: প্যান-আমেরিকান হাইওয়ের পার্শ্ববর্তী লস ভিলোস থেকে এখানে যাতায়ত করা হয় এবং এর মাধ্যমেই শহরটি পুরো দেশের সাথে সংযুক্ত।", "title": "সালামানকা" }, { "docid": "65365#0", "text": "চিলি বিশ্ববিদ্যালয় () লাতিন আমেরিকার প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি। অনেক সময় এটিকে এর প্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেস বেলিওর সম্মানে \"কাসা দে বেলিও\" (Casa de Bello অর্থাৎ \"বেলিওর বাড়ি\") নামে ডাকা হয়। ১৮৪৩ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।", "title": "চিলি বিশ্ববিদ্যালয়" }, { "docid": "15337#0", "text": "সান্তিয়াগো মেট্রো (স্পেনীয় ভাষায়: Metro de Santiago \"মেত্রো দে সান্তিয়াগো\") চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোকে সেবা প্রদানকারী পাতাল ট্রেন বা মেট্রো ব্যবস্থা। এটি ৫টি লাইন ও ১০৫টি স্টেশনের একটি নেটওয়ার্ক। এর সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১০৪.৫ কিমি। ১৯৭৫ সালে এটির উদ্বোধন হয়। দৈনিক প্রায় ২৫ লক্ষ যাত্রী এই মেট্রো ব্যবহার করেন। এটি চিলির ও সমগ্র লাতিন আমেরিকার অন্যতম সুনির্মিত আধুনিক মেট্রো ব্যবস্থা।", "title": "সান্তিয়াগো মেট্রো" } ]
[ { "docid": "1302#1", "text": "চিলির অধিকাংশ জনগণ দেশের মধ্যাঞ্চলের উর্বর কেন্দ্রীয় উপত্যকায় বাস করেন। বেশির ভাগ লোক স্পেনীয় ও আদিবাসী আমেরিকানদের মিশ্র জাতির লোক। রোমান ক্যাথলিক ধর্ম এখানকার প্রধান ধর্ম। স্পেনীয় ভাষা এখানকার সরকারি ভাষা। \nচিলি দক্ষিণ আমেরিকার একটি নেতৃস্থানীয় শিল্পোন্নত দেশ। এর অর্থনীতি খনন শিল্প ও কৃষিভিত্তিক। চিলি বিশ্বের বৃহত্তম তামা উৎপাদক ও রপ্তানিকারক। এছাড়াও দেশটি ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানি। চিলির ওয়াইন অনেক দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।", "title": "চিলি" }, { "docid": "429307#0", "text": "কিগালি, রুয়ান্ডার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এটি রাষ্ট্রের ভৌগোলিক কেন্দ্রে অবস্থিত। ১৯৬২ সালে রুয়ান্ডার স্বাধীনতার পর রাজধানী হওয়ার পর থেকে শহরটি দেশটির সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবহন কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। রুয়ান্ডার রাষ্ট্রপতির প্রধান বাসভবন এবং অফিস, সরকার মন্ত্রণালয়গুলো শহরের মধ্যে অবস্থিত। শহরের পৌর এলাকা প্রায় ৭০%।", "title": "কিগালি" }, { "docid": "65369#1", "text": "গত প্রায় দুই দশক ধরে অবিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে সান্তিয়াগো দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী নগর এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে বিস্তৃত শহরতলী, বহু শপিং মল এবং আকাশচুম্বী দালানকোঠা। লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন কিছু পুরাকর্ম, যেমন - সান্তিয়াগো মেট্রো এবং চিলির পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তকে সংযোগকারী সদ্যনির্মিত মহাসড়ক ব্যবস্থা কোস্তানেরা নর্তে এখানে অবস্থিত। সান্তিয়াগোতে চিলির বহু গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানির সদর দপ্তর অবস্থিত। এটি একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র।", "title": "সান্তিয়াগো, চিলি" }, { "docid": "542832#0", "text": "চীনের উত্তর-পূর্ব অংশে চিলিন প্রদেশ অবস্থিত। চিলিন প্রদেশের লিয়াওনিং প্রদেশ, পূর্বে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া, পশ্চিমে ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল এবং উত্তরে হেইলংজিয়াং প্রদেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে।\nবাইয়ুন পর্বত চিলিন প্রদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ যার উচ্চতা ২৬৯১ মিটার। চিলিনহাদা, লংগান এবং ঝাং গুয়াংকাই হলো চিলিনের অন্যান্য পর্বতমালা।\nঈয়ালু নদী ও টুমেন চিলিনের দক্ষিণ-পশ্চিমে বয়ে যাওয়া নদী এগুলো উত্তর কোরিয়ার সাথে সীমান্তের কাজ করছে।\nসিপিং, চিলিন শহর, বাইচেং, চ্যাংচুন সংগিয়ুন, ঈয়ানজি, টংহুয়া এবং লিয়াওইউয়ান হলো অন্যান্য শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম।\nমহাদেশীয় মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে চিলিনে ৩৫০ থেকে ১০০০ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয় এবং প্রদেশের শীতকাল তীব্রতাসম্পন্ন। \nচিলিন মূলত কৃষিজাত উৎপন্নকারী প্রদেশ এবং এখানে ভুট্টা, ধান এবং সরগাম জন্মে। ইয়ানবিয়ান জেলায় ধান চাষ প্রধান অর্থকরী ফসল। পশ্চিম চিলিন ভেড়া পালনের জন্য বিখ্যাত।\nশিল্পের মধ্যে অটোমোবাইল, বহনকারী ট্রেন এবং এলয় শিল্প বিখ্যাত।\n২০০৭ সালে চিলিনের জিডিপি ৫২২.৬ বিলিয়ন ছিল যেটা চীনের জাতীয় অর্থনীতিতে ২২ তম স্থান। মাথাপিছু উপার্জন ছিল ১৯,১৬৮ ইউয়ান।\nচিলিনে প্রধান ভ্রমণযোগ্য স্থানসমূহ\nভিজিটররা আসতে পারেন ওয়ান্ডু, গুংনা দুর্গ, গোগুরিও সাইট ও সমাধি এবং পিরামিডাকৃতি সমাধি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভূক্ত। প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান বায়েকডু পর্বত সেইসাথে রয়েছে লেক হ্যাভেন যেটা উত্তর কোরিয়ার সাথে সীমান্তচিহ্নিত।\nযদি আপনার সময় থাকে তবে আপনার ইয়ানবিয়ান কোরীয় স্বায়ত্বশাসিত জেলায় আসা উচিত যেখানে বালহাই রাজ্যের প্রাচীন রাজকীয় সমাধি রয়েছে, লংতাউ পর্বতেও সমাধি রয়েছে যেমন প্রিন্সেস ঝেন জিয়াও এর সমাধিসৌধ।", "title": "চিলিন" } ]
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের বর্তমান (২০১৯) জনসংখ্যা কত ?
[ { "docid": "1099#0", "text": "ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। প্রশাসনিকভাবে এটি দেশটির ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ভৌগোলিকভাবে এটি বাংলাদেশের মধ্যভাগে বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে একটি সমতল এলাকাতে অবস্থিত। ঢাকা একটি অতিমহানগরী (মেগাশহর); ঢাকা মহানগরী এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। জনসংখ্যার বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর (দিল্লি, করাচি ও মুম্বইয়ের পরেই) এবং সমগ্র বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর। জনঘনত্বের বিচারে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ মহানগরী; ১৩৪ বর্গমাইল আয়তনের এই শহরে প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার লোকের বাস।", "title": "ঢাকা" } ]
[ { "docid": "522581#2", "text": "১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তি অনুযায়ী বৃহত্তর ঢাকা শহরের বর্তমান জনসংখ্যা ১ কোটি ৭০ লক্ষ। এই মেগাসিটির বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন) বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.১৮ শতাংশ, কেরানীগঞ্জে ২.৭৫ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও বন্দর এলাকায় যথাক্রমে ৪.০৫ ও ২.২৩ শতাংশ, গাজীপুর মহানগরীতে ৭.৪২ শতাংশ এবং সাভারে এই হার ৮.৫৯ শতাংশ যা মেগাসিটি এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ এই মেগাসিটিতে বাস করে।", "title": "বৃহত্তর ঢাকা" }, { "docid": "110214#84", "text": "এসকল উদ্বাস্তুর কারণে বড় বড় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়েছে রাজধানী শহর ঢাকায়। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে যেখানে ঢাকার জনসংখ্যা ছিলো ১,৭৭,০০০, সেখানে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার জনসংখ্যা এসে দাঁড়ায় ১,৬০,০০,০০০। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবমতে, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ঢাকার জনসংখ্যা হবে ২ কোটি।", "title": "বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব" }, { "docid": "822#2", "text": "বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম যদিও আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৪তম; ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর নবম। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির প্রাক্কলিত (২০১৮) জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে জনবসতি ২৮৮৯ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫ জন)। রাজধানী ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ১.৪৪ কোটি এবং ঢাকা মহানগরীর জনঘনত্ব প্রতি বর্গমা্গইলে ১৯,৪৪৭ জন। দেশের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা; সাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশ।", "title": "বাংলাদেশ" }, { "docid": "701464#5", "text": "বৈশ্বিক বাসযোগ্যতা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা প্রায়শই বিশ্বের সবচেয়ে অবাসযোগ্য শহরের একটি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ঢাকার এই নিম্ন অবস্থানের মূল কারণ হল যানজট এবং বায়ু দূষণ। বৃহত্তর বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অতিমহানগরীগুলির একটি হল ঢাকা। প্রতি বছর আনুমানিক ৩-৪ লক্ষ গ্রাম থেকে ঢাকাতে পাড়ি জমায়। ২০০০ সালের তুলনায় সম্প্রতি বৃহত্তর ঢাকার জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১২ সালে এর জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৭০ লক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে ২০২৫ সালে এই বৃহত্তর মহানগরী এলাকার জনসংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটি ৫০ লক্ষ। এছাড়া ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে জনঘনত্ববিশিষ্ট শহরগুলির একটি; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৫,৫০৮ জন লোক বাস করে। শহরের ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা, অবকাঠামোর অভাব, জনসেবার অপ্রতুলতা, ইত্যাদি কারণে শহরের সমস্ত জনগণের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান দুষ্কর। ব্যক্তিগত মোটরগাড়ির ব্যবহার কম হলেও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কলেবর বৃদ্ধির সাথে সাথে গাড়ির ব্যবহারও বাড়ছে, বাৎসরিক ৮% হারে। ২০২৫ সাল নাগাদ ঢাকাতে প্রায় ৫ লক্ষ মোটরগাড়ি চলতে পারে। ফলে পরিবহন খাত থেকে বায়ু দূষণ ও গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বেড়েই চলছে।", "title": "বৃহত্তর ঢাকা টেকসই নগর পরিবহন প্রকল্প" }, { "docid": "382682#8", "text": "১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সাথে সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা শহরের গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৪ সালে ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষ হাজার ৪৯৫ জন। এরই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা নগরীকে ৫০টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা পৌরসভা গঠন করা হয়। ১৯৭৮ সালে ঢাকা পৌরসভাকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। পৌরসভার চেয়ারম্যান ঢাকা মিউিনিসিপ্যাল করর্পোরেশনের মেয়র নামে পরিচিতি পায়। এই সময় ৫০ জন নির্বাচিত কমিশনারসহ ৫ জন মনোনীত কমিশনার রাখার বিধান ছিল। ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত তৎকালীন মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।", "title": "ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন" }, { "docid": "518389#0", "text": "রাজবাড়ী শহর বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা শহর। পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত এই শহর ঢাকা বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা শহর। রাজবাড়ী শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৬০,০০০। এই শহরটি রেলের শহর  নামেও পরিচিত। এখানে দেশের সেরা মিষ্টিজাত দ্রব্য উৎপন্ন হয়।বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ক্ষুদ্রতম জেলাশহর হলো রাজবাড়ী। রাজবাড়ী একটি রেলকেন্দ্রিক শহর। ১৯২৩ সাল থেকে রাজবাড়ী পৌরসভার কার‍্যক্রম শুরু হয়। আর ১৯৮৪ সালে রাজবাড়ী জেলাশহরের মর‍্যাদালাভ করে। বর্তমানে এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। শহরের আয়তন প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৬০০০০ জন। \nরেলপথ রাজবাড়ী শহরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর রাজবাড়ী আর দক্ষিণ রাজবাড়ী। শহরের এই দুটি প্রধান ভাগকে সংযোগ করেছে রেলগেট। এটি খুব ব্যস্ত স্থান। উত্তর রাজবাড়ীর অংশবিশেষকেই ঐতিহ্যগতভাবে সেন্ট্রাল রাজবাড়ী বলা যেতে পারে। বিশেষত স্টেশন রোড, কলেজ রোড, মারোয়াড়ী পট্টি, বড়বাজার ইত্যাদি হলো সেন্ট্রাল রাজবাড়ীর অংশ। অন্যদিকে দক্ষিণ রাজবাড়ী একটু নতুনভাবে গড়ে উঠেছে। রেলগেট থেকে বড়পুল পর‍্যন্ত দ্বিমুখী রাজপথের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শহরের নামকরা হাইস্কুলগুলো এই অংশে অবস্থিত। তাছাড়া ফার্স্ট ফুড শপ, ইলেক্ট্রনিক শোরুম, হসপিটাল, ক্লিনিক ও প্রশাসনিক দপ্তরসমূহ এ অংশে অবস্থিত। ছোট্ট এ শহরটির মানুষজন সহজ সরল এবং বন্ধুত্বসুলভ। কয়েকটি নাগরিক সমস্যা ব্যতীত রাজবাড়ী একটি শান্তির শহর।", "title": "রাজবাড়ী শহর" }, { "docid": "1099#18", "text": "ক্রমবর্ধমান যানজট এবং জনসংখ্যা সমস্যার মোকাবিলায় জাতীয় সরকার সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী এলাকার দ্রুত নগরায়নের একটি নীতি বাস্তবায়ন করেছে। ঢাকা মহানগরীকে কেন্দ্র করে বিশেষত বর্তমানে দ্রুত জনবিষ্ফোরণের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ২০২০ সালের মধ্যে নগরীর জনসংখ্যা ৩ কোটিকেও ছুঁয়ে ফেলতে পারে। ফলে স্বাভাবিক নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে। তাই ঢাকা শহরকে ঘিরে একদিকে বর্তমানে বিভিন্ন উপনগরীর প্রবর্তন করে ও অন্যদিকে সমগ্র দেশ জুড়েই দারিদ্রের যথাসাধ্য মোকাবিলা করে নগরমুখী লাগামছাড়া জনস্রোতকে কিছুটা মোকাবিলা করাই এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।", "title": "ঢাকা" }, { "docid": "1099#21", "text": "ঢাকা বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। শহরে উঠতি মধ্যবিত্ত জনসংখ্যা বাড়ছে পাশাপাশি আধুনিক ভোক্তা এবং বিলাস পণ্যের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবেই এই শহরে অভিবাসী শ্রমিকদের আকৃষ্ট করে আসছে। হকার, ছোটো দোকান, রিকশা, রাস্তার ধারের দোকান শহরের মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ। শুধুমাত্র রিকশা চালকের সংখ্যাই ৪০০০০০ এর বেশি। কর্মপ্রবাহের প্রায় অর্ধেকই গৃহস্থালি অথবা অপরিকল্পিত শ্রমজীবী হিসাবে কর্মরত আছেন। যদিও টেক্সটাইল শিল্পে প্রায় ৮০০,০০০ এরও বেশি মানুষ কাজ করছেন। তারপরও এখানে বেকারত্বের হার প্রায় ১৯%। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা শহরের স্থাবর সম্পদের মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বার্ষিক ৬.২% প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ২১ হাজার ৫০০কোটিতে উন্নীত হবে। ঢাকার বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১৩৫০ মার্কিন ডলার এবং এখানে প্রায় ৩৪% মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কর্মসংস্থানের সন্ধানে গ্রাম থেকে শহরে এসেছে এবং এদের অনেকেরই দৈনিক আয় ৫ মার্কিন ডলারের কম।", "title": "ঢাকা" }, { "docid": "3779#0", "text": "সাভার বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি রাজধানী শহর ঢাকা হতে প্রায় ২৪ কিলোমিটার উত্তরে (গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে সড়ক পথের দূরত্ব) অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম বড় শহর এবং ঢাকা মেগাসিটির অন্তর্ভুক্ত এলাকা। সাভার বাংলাদেশের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ন উপজেলাগুলোর মধ্যে একটি। জনসংখ্যা অত্যাধিক বেশি হওয়ায় দিন দিন এই অঞ্চল ক্রমাগত দুষিত ও বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সাভারে জনসংখ্যা ১৫ লক্ষাধিক। এছাড়া প্রচুর গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান থাকায় পরিবেশও দুষিত হচ্ছে দ্রুত।", "title": "সাভার উপজেলা" } ]
শেখ মুজিবুর রহমান কোন সালে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন ?
[ { "docid": "867#2", "text": "পাকিস্তানের নতুন সরকার গঠন বিষয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে শেখ মুজিবের আলোচনা বিফলে যাওয়ার পর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মার্চ ২৫ মধ্যরাত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা শহরে গণহত্যা পরিচালনা করে। একই রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীকালে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। রহিমুদ্দিন খান সামরিক আদালতে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে তবে তা কার্যকরা হয় নি। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে ভিত্তি করে সংবিধান প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র চালনার চেষ্টা সত্ত্বেও তীব্র দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সর্বব্যাপী অরাজকতা এবং সেই সাথে ব্যাপক দুর্নীতি মোকাবেলায় তিনি কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দমনের লক্ষ্যে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে এক দলীয় রাজনীতি ঘোষণা করেন। এর সাত মাস পরে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে তিনি সপরিবারে নিহত হন।", "title": "শেখ মুজিবুর রহমান" }, { "docid": "10991#25", "text": "১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে রচিত হয়েছিল এক নতুন অধ্যায়ের। ওইদিন সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান পেশকৃত চতুর্থ সংশোধনী বিল পাস হয়। এর মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল গঠনের পথ উন্মুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতিতে পরিণত হন। এক নজিরবিহীন ন্যূনতম সময়ের মধ্যে (মাত্র ১১ মিনিট) চতুর্থ সংশোধনী বিলটি সংসদে গৃহীত হয় এবং তা আইনে পরিণত হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিলটি নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা বা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়নি। এই বিলের মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থায় এক নজিরবিহীন পরিবর্তন সাধন করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকারী হন। আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে তিনি।এ পদক্ষেপকে তিনি তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লবে’র সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন।", "title": "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" }, { "docid": "690101#2", "text": "মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামিলীগ এর মনোনয়ন নিয়ে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা এর প্রচলন করলে তিনি তাঁর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর পরিচালিত দল ডেমোক্র‌্যাটিক লীগ এ যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকার এর পতন পর্যন্ত তিনি ডেমোক্র‌্যাটিক লীগ এই ছিলেন।", "title": "মইনুল হোসেন" } ]
[ { "docid": "867#0", "text": "শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বাঙালীর অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেন। প্রাচীন বাঙ্গালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের জাতির জনক বা জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি বঙ্গবন্ধু। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।", "title": "শেখ মুজিবুর রহমান" }, { "docid": "657444#1", "text": "বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সৈয়দ ফারুক রহমানের নেতৃত্বে কতিপয় অসন্তুষ্ট ও উচ্চাভিলাষী জুনিয়র অফিসারদের সংঘটিত অভ্যুত্থানে নিহত হন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি ও মুজিবনগর সরকারপ্রধান (বাংলাদেশী প্রবাসী সরকার) ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পর তিনি রক্ষীবাহিনী নামক একটি বিশেষ বাহিনী ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে একদলীয় গণতন্ত্র প্রথা চালু করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের সমাদৃত হয়নি। খন্দকার মোশতাক আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রীসভার বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ১৫ই আগস্ট অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত অফিসারদের সমর্থন করেন এবং নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।.", "title": "৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ বাংলাদেশের সামরিক অভ্যুত্থান" }, { "docid": "867#28", "text": "শেখ মুজিবর রহমান অল্পদিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭০-এ পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার জন্য নির্বাচিত রাজনীতিবিদরা নতুন রাষ্ট্রের প্রথম সংসদ গঠন করেন। মুক্তিবাহিনী এবং অন্যান্য মিলিশিয়াদের নিয়ে নতুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠিত হয়। তাঁরই অভিপ্রায়ক্রমে ১৭ মার্চ ১৯৭২ ভারতীয় বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ত্যাগ করে।", "title": "শেখ মুজিবুর রহমান" }, { "docid": "11821#0", "text": "মোহাম্মদউল্লাহ (অক্টোবর ২১, ১৯২১- নভেম্বর ১১, ১৯৯৯) বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।\nবাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। তৎকালীন গণপরিষদের স্পীকার জনাব মোহাম্মদউল্লাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।\nতার জন্ম লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩ সালে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী এবং ১৯৪৮ সালে কলকাতার রিপন কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। \n১৯৫০ সাল থেকেই তিনি আওয়ামী লীগ এর রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের প্রথম গণপরিষদে তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পদত্যাগ করলে তৎকালীন গণপরিষদের স্পিকার হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের ২৪ জানুয়ারি দেশের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২৭ জানুয়ারি তিনি শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। \n১৯৮০ সালে তিনি বিএনপি -তে যোগ দেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯১ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য (সাংসদ) নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগে যোগ দেন। \n১৯৯৯ সালের ১১ নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।", "title": "মোহাম্মদউল্লাহ" }, { "docid": "34129#8", "text": "১৯৭৩ সালের ৭ মার্চের নির্বাচনে মনসুর আলী পুনরায় পাবনা-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ এ বছর তিনি আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি দলের সদস্য নির্বাচিত হন৷শেখ মুজিবুর রহমান সকল দলকে একত্রিত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি চালু করেন৷ এ সময় ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মনসুর আলী বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন৷ শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) সাধারণ সম্পাদক হন তিনি৷ সময় ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি।", "title": "মুহাম্মদ মনসুর আলী" }, { "docid": "491477#1", "text": "১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে কয়েক বছরের মধ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি ক্রমেই দুর্বল হতে শুরু করে। ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামিক রাষ্ট্রসংস্থার সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের যোগদান থেকেই এই প্রক্রিয়ার সূচনা। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথম মৌলিক পরিবর্তন ঘটে সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে (১৯৭৭-১৯৮১), যখন বাংলাদেশের সংবিধানে কোরআনের বাণী ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ সংযোজন করা হয় এবং সকল রাষ্ট্রীয় কার্যের শুরুতেই এই বাণী পাঠের বিধান চালু হয়। জিয়াউর রহমানের ইসলামী ব্যবস্থা আরও এগিয়ে যায় যখন সামরিক শাসিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৮ সালে একটি সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে মুসলমান কর্তৃক হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর উপর পীড়ন মাত্রা তীব্রতর হয়। ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার 'রাম মন্দির' বিতর্ককে কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে একটি হিন্দু বিরোধী প্রোগ্রাম শুরু হয় যার ফলশ্রুতিতে অত্যন্ত বৃহৎ পরিসরে হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস ও হিন্দুদের উপর নির্যাতন শুরু হয়।", "title": "১৯৯০-এর বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা" }, { "docid": "80810#4", "text": "২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। নবম জাতীয় সংসদে জিল্লুর রহমান সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৯-তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ১৭-তম রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মেয়াদ ছিল ২০০৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নবম সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় তার মেয়াদও দীর্ঘায়িত হয়।", "title": "জিল্লুর রহমান" }, { "docid": "712171#2", "text": "বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ  সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ সালে দ্বিতীয় বারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। আর সেই নির্বাচনের ইশতেহারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছর ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০২১’ এর ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ২০১৩ সালের আগেই বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজেশনের দিকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার সরকার। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বচনী ইশতেহারে বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্বিশালী দেশের কাতারে নিয়ে আসার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।", "title": "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়" } ]
বাংলাদেশের নামকরণ বাংলাদেশ কবে হয় ?
[ { "docid": "822#0", "text": "বাংলাদেশ () দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভৌগোলিকভাবে একটি উর্বর ব-দ্বীপের অংশ বিশেষ। পার্শ্ববর্তী দেশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিকভাবে জাতিগত ও ভাষাগত \"বঙ্গ\" অঞ্চলটির অর্থ পূর্ণ করে। \"বঙ্গ\" ভূখণ্ডের পূর্বাংশ পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পৃথিবীতে যে ক'টি রাষ্ট্র জাতিরাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।", "title": "বাংলাদেশ" }, { "docid": "822#6", "text": "\"বাংলাদেশ\" শব্দটি খুঁজে পাওয়া যায় ২০শ শতাব্দীর শুরুর দিকে, যখন থেকে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত \"নম নম নম বাংলাদেশ মম\" ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত \"আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে\" এর ন্যায় দেশাত্মবোধক গানগুলোর মাধ্যমে সাধারণ পরিভাষা হিসেবে শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। অতীতে \"বাংলাদেশ\" শব্দটিকে দুটি আলাদা শব্দ হিসেবে \"বাংলা দেশ\" আকারে লেখা হত। ১৯৫০ দশকের শুরুতে, বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদীরা শব্দটিকে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল ও সভা-সমাবেশে ব্যবহার করেছে। বাংলা শব্দটি বঙ্গ এলাকা ও বাংলা এলাকা উভয়ের জন্যই একটি প্রধান নাম। শব্দটির প্রাচীনতম ব্যবহার পাওয়া যায় ৮০৫ খ্রিস্টাব্দের নেসারি ফলকে। এছাড়াও ১১-শতকের দক্ষিণ-এশীয় পাণ্ডুলিপিসমূহে \"ভাংলাদেসা\" পরিভাষাটি খুঁজে পাওয়া যায়।", "title": "বাংলাদেশ" } ]
[ { "docid": "822#1", "text": "বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসানে, বঙ্গ (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) এবং ব্রিটিশ ভারত বিভাজন করা হয়েছিল। বিভাজনের পরে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল তখন পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যেটি নবগঠিত দেশ পাকিস্তানের পূর্ব অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পাকিস্তান অধিরাজ্যে থাকাকালীন ‘পূর্ব বাংলা’ থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এ নামটি পরিবর্তিত করা হয়েছিল। শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ঘটেছে দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ; এছাড়াও প্রলম্বিত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও পুনঃপৌনিক সামরিক অভ্যুত্থান এদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বারংবার ব্যাহত করেছে। গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার ধারাবাহিকতা আজ পর্যন্ত। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত দুই দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতি ও সমৃদ্ধি সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।", "title": "বাংলাদেশ" }, { "docid": "71676#0", "text": "বাংলাদেশ নজরুল সেনা একটি বেসরকারি গণ উন্নয়নমূলক সংগঠন। সংগঠনটি মূলত বাংলাদেশের শিশু, কিশোর ও তরুণদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিখ্যাত বাঙালি কবি ও লেখক কাজী নজরুল ইসলামের নামে সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। নজরুলের দর্শন সংগঠনটির উদ্দেশ্যে পূরণে অনুপ্রেরণা প্রদান করে যাচ্ছে।", "title": "বাংলাদেশ নজরুল সেনা" }, { "docid": "400428#1", "text": "বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসানে, বঙ্গ (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) এবং ব্রিটিশ ভারত বিভাগ করা হয়েছিল। বিভাগের পরে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল তখন পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত, যেটি নবগঠিত দেশ পাকিস্তানের পূর্ব অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পাকিস্তান অধিরাজ্যে থাকারকালীন \"পূর্ব বাংলা\" থেকে \"পূর্ব পাকিস্তান\"-এ নামটি পরিবর্তিত করা হয়েছিল। শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।", "title": "বাংলাদেশের রূপরেখা" }, { "docid": "59641#0", "text": "বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ বিভাগ। ২০০৭ সালে এটি শুরুর সময় নাম ছিল বি-লীগ। ২০০৯ সালে লীগের নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ লীগ। ২০১২ লীগের নাম আবারো পরিবর্তন করে বর্তমান নাম রাখা হয়। বর্তমানে এই লীগের স্পন্সর গ্রামীণফোন, যে কারনে এই লীগটি গ্রামীণফোন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ নামেও পরিচিত।\n২০১৫ ও ২০১৬ সালে স্পন্সর ছিলো যথাক্রমে মান্যবর এবং জেবি গ্রুপ।লীগ ও সেই নামে পরিচিত ছিলো।\n২০১৭ তে এর স্পন্সর সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি।", "title": "বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (ফুটবল)" }, { "docid": "400428#0", "text": "বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র যার আনুষ্ঠানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব সীমান্তে আছে ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে আছে মায়ানমার, আর দক্ষিণ উপকূলের দিকে আছে বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে একটি উর্বর বদ্বীপের উপরে অবস্থিত আছে। উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা একত্রে একটি অবিচ্ছিন্ন বাঙালি জাতিগত ও বাংলা-ভাষীগত অঞ্চল গঠণ করে যার নাম \"বঙ্গ\" বা \"বাংলা\"। বঙ্গের পূর্বাংশ বা পূর্ব বাংলা ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নামীয় পৃথক একটি আধুনিক জাতিরাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।", "title": "বাংলাদেশের রূপরেখা" }, { "docid": "15844#0", "text": "বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশটি বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব অংশে প্রাচীন ও ঐতিহাসিক অঞ্চলের প্রধান অংশের সাথে দেশটির সীমানা মিলেছে, যেখানে চার হাজারেরও বেশী বছর ধরে সভ্যতা চলছে, ক্যালকোলিথিক যুগেও। এই অঞ্চলের ইতিহাস বাংলার ইতিহাস এবং ভারতের ইতিহাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এলাকাটির প্রারম্ভিক ইতিহাস হল ভারতীয় সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং হিন্দু ও বৌদ্ধের মধ্যকার দ্বন্দ্বের ইতিহাস। ত্রয়োদশ শতাব্দীর পরে যখন মুসলিম অভিযাত্রীরা, যেমন তুর্কী, ইরানীয়, মুঘল প্রভৃতি এদেশে এসেছিল তখন ইসলাম ধীরে ধীরে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে মুসলিম শাসকরা মসজিদ এবং মাদ্রাসা নির্মাণের মাধ্যমে রূপান্তরের প্রক্রিয়াটিকে শক্তিশালী করে ।", "title": "বাংলাদেশের ইতিহাস" }, { "docid": "822#8", "text": "\"বাংলা\" বা \"বেঙ্গল\" শব্দগুলোর আদি উৎস অজ্ঞাত; ধারণা করা হয় আধুনিক এ নামটি বাংলার সুলতানি আমলের \"বাঙ্গালা\" শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়। কিন্তু কিছু ঐতিহাসিক ধারণা করেন যে, শব্দটি \"বং\" অথবা \"বাং\" নামক একটি দ্রাবিড়ীয়-ভাষী উপজাতি বা গোষ্ঠী থেকে উদ্ভূত হয়েছে। \"বং\" জাতিগোষ্ঠী ১০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন।", "title": "বাংলাদেশ" }, { "docid": "549749#0", "text": "\"বাংলাদেশ\", স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এর পৃথক কোন একক ভৌগলিক ও জাতিগত ঐক্য হিসাবে পরিচয় ছিলনা। এই অঞ্চলকে ধারাবাহিক ভারত সাম্রাজ্য এর একটি অংশ হিসাবে ধরা হয়েছে, এবং ব্রিটিশ সময় থেকে একে সমগ্র বেঙ্গল এর পূর্ব অংশ হিসাবে গঠন করা হয়, যা প্রভাবিত হতো ব্রিটিশ শাসক ও হিন্দু সমাজপতি, বণিক, এবং জমিদার দ্বারা। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরে, বর্তমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব অমুসলিম কর্তৃত্ব থেকে পাকিস্তানের পশ্চিমা অ-বাঙ্গালী মুসলিম অভিজাত শ্রেণীর দখলে আসে। অতঃপর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরই একটি নতুন জাতি এবং নতুন সামাজিক কাঠামো হিসাবে জন্ম হয়।\n১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ ভারত বিভাজন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পূর্ব বাংলার শতকরা ৮০ ভাগ বড় গ্রাম অঞ্চলগুলিতে, শহুরে ভূসম্পত্তি, এবং সরকারি চাকরিতে এবং অর্থ, বাণিজ্য এবং জীবিকায় হিন্দু নিয়ন্ত্রিত ছিল। ভাগের পরবর্তীতে পূর্ববাংলা কাঠামোতে আমুল পরিবর্তন আসে, হিন্দু রাজনৈতিক ও অভিজাত পরিবারেরা তাদের অর্থনৈতিক কাঠামো গুটিয়ে কলকাতা এর মধ্যে সীমিত করে নেয়। পরবর্তীতে হিন্দু কুলীনদের এই শুন্যস্থান দ্রুত মুসলিম হাতে চলে আসে এবং পূর্ব বাংলা অর্থনীতি ও সরকার-প্রধান প্রথমবারের মতো মুসলিম দখলে আসে। এটা অতিদ্রুত সুযোগ তৈরি করে, বিশেষভাবে সরকারী চাকুরী ও বিভিন্ন জীবিকায়, যদিও খুব দ্রুত এটা পশ্চিম পাকিস্তান ভিত্তিক অভিজাত পরিবারের (যে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সরকারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে) নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭১ এর স্বাধীনতার পরপরই পশ্চিম পাকিস্তানের খালি করে দেওয়া স্থান সমূহ কিছু সুযোগসন্ধানী অসৎ অভিজাত শ্রেণীর দখলে চলে যায়। সামান্য কিছু অবাঙ্গালী মুসলিম সদস্য যারা \"বনিক সমাজ\" নামে পরিচিত ব্যতীত সকল ছোট-বড় সব ধরনের বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান বাঙালী মুসলিমের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালের অবাঙ্গালীদের জাতীয়করণের ফলে সকল বৃহৎ কারখানাগুলির উপরও দেশীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা দ্রুততর হয়।", "title": "বাংলাদেশী সমাজ" } ]
তাজমহল কি ইসলামী শিল্পের একটি নিদর্শন ?
[ { "docid": "33117#3", "text": "শাহজাহানের যুগে মুঘল স্থাপত্য এর স্বর্ণযুগে প্রবেশ করে। তিনি অনেক স্মৃতিসৌধ, মসজিদ, দুর্গ নির্মাণ করেন যার মধ্যে রয়েছে আগ্রার তাজমহল, মোতি মসজিদ, লালকেল্লা, দিল্লি জামে মসজিদ। আওরঙ্গজেবের শাসনামলে মুঘল সাম্রাজ্যের সীমানা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায়। শিবাজী ভোসলের অধীনে মারাঠাদের আক্রমণের ফলে সাম্রাজ্যের অবনতি শুরু হয়। আওরঙ্গজেবের সময় দক্ষিণ ভারত জয়ের মাধ্যমে ৩.২ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের বেশি অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয়। এসময় সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ১৫০ মিলিয়নের বেশি যা তৎকালীন পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এবং জিডিপি ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।", "title": "মুঘল সাম্রাজ্য" }, { "docid": "7523#1", "text": "তাজমহলকে (কখনও শুধু \"তাজ\" নামে ডাকা হয়) মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধীটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল। তখন একে বলা হয়েছিল 'universally admired masterpiece of the world's heritage।'", "title": "তাজমহল" }, { "docid": "7523#4", "text": "তাজমহল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নকশার উপর, বিশেষ করে পারস্য ও মুঘল স্থাপত্য অনুসারে। নির্দিষ্ট কিছু নকশা তিমুর ও মুঘল ইমারতের মত হুবহু করা হয়েছে। যাদের মধ্যে তিমুরের গুর-ই-আমির, সমরখন্দে মুঘল সাম্রাজ্যের পূর্বসূরী, হুমায়ূনের মাজার, ইমাদ-উদ-দৌলার মাজার (কখনো ডাকা হয় \"শিশু তাজ\" নামে), এবং দিল্লীতে শাহজাহানের নিজের তৈরি দিল্লী জামে মসজিদ। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায়, মুঘল ইমারত পরিমার্জনের এক নতুন স্তরে পৌছায়। যেখানে পূর্ববর্তী মুঘল ইমারতসমূহ তৈরি হয়েছিল লাল বেলে পাথরে, শাহজাহান চালু করেছিলেন সাদা দামি মার্বেল পাথরের প্রচলন।", "title": "তাজমহল" } ]
[ { "docid": "247350#0", "text": "তাজমহল বাংলাদেশ, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১০ মাইল পূর্বে পেরাব, সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত। এটি প্রকৃত তাজমহলের (ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি মুঘল নিদর্শন) একটি হুবহু নকল বা রেপ্লিকা। এটি ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং তথ্যানুসারে এটি তৈরী করতে মাত্র ৫ বছর এবং USD ৫৮ মিলিয়ন$ খরচ হয়েছে। তাজমহল বাংলাদেশের মালিক আহসানুল্লাহ মনি একজন ধনবান চলচিত্র নির্মাতা। তিনি জানান এই তাজমহলের রেপ্লিকাটি তৈরী করা হয়েছে যেন তার দেশের দরিদ্র মানুষ যাদের ভারত গিয়ে প্রকৃত নিদর্শন দেখার সামর্থ নেই তারা যেন তাজমহল দেখার স্বপ্ন পূরন করতে পারেন নিজের দেশে থেকেই।", "title": "তাজমহল বাংলাদেশ" }, { "docid": "625167#8", "text": "যদিও দেয়াল চিত্রের একটি সুন্দর অতীত রয়েছে, তবুও ইসলামিক বিশ্বে সবচেয়ে উন্নত এবং সবচেয়ে বেশি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে মুদ্রিত অক্ষরসমূহই, বিশেষ করে ক্ষুদ্র কোন মুদ্রা বা এমন কোন ছোট আকৃতির বস্তুতে করা ক্যালিওগ্রাফি বা মুদ্রিত কোন অক্ষর। সুদূর ১৩শ শতাব্দী থেকে পারস্যের প্রচ্ছদগুলোই অনেক বেশি বিখ্যাত। এসকল প্রচ্ছদ গুলো অটোমান প্রচ্ছদ গুলোকে ফুটিয়ে তোলে এবং ভারতের মুঘল সম্রাজ্যের প্রচ্ছদসমূহকে। তবে এইসকল প্রচ্ছদ গুলো মূলত অফিস আদালতেই বেশি ব্যবহৃত হয়, কারণ স্বাভাবিক জীবনে এসকল শিল্পের খুব বেশি দেখা যায় না। এছাড়া একটি বিষয় নিয়ে অনেক মতানৈক্য রয়েছে যে মানুষের আকার আকৃতি অনেকটাই বেশি প্রচলিত চিত্রের ক্ষেত্রে। যদিও ছোট আকৃতির শিল্পগুলোতেও অনেক মানব আকার আকৃতি রয়েছে। বিশেষ করে ১৬শ শতাব্দী থেকে এর ব্যবহার অনেক বেড়েছে। যদিও অনেক আগের ছোট আকৃতির চিত্রে মানব মানব আকার আকৃতির ব্যবহার অনেক বেশি দৃশ্যমান। বিশেষ করে উম্মাদ ডিজার্ট প্রাসাদ (৬৬০-৭৫০) এবং আব্বাসিদ খলিফার আমল (৭৪৯-১২৫৮) এর উৎকৃষ্ট উদাহারণ।\nইসলামী শিল্পে চিত্রের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পারস্যের কবিতার বইয়ে।", "title": "ইসলামী শিল্প" }, { "docid": "625167#4", "text": "পুরোপুরি ভাবে না হলেও ইসলামী শিল্পে মূলত জ্যামিতিক নকশা, লতাপাতার নকশা এবং আরবীয় ক্যালিওগ্রাফি বেশি প্রতিফলিত হয়। কারণ অনেক মুসলিমই মনে করেন মানব শরীরের আকার আকৃতির নকশা একটি খারাপ কাজ। কারণ এটি একটি পাপ, যেহেতু, পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে নিষেধ রয়েছে। অবশ্য ইসলামিক শিল্পের প্রায় প্রতিটা যুগেই মানুষের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। বিশেষ করে ছোট খাট ক্ষেত্রগুলোতে। পূজার ক্ষেত্রে মানব আকৃতির ব্যবহার ইসলামী আইনে এটি সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ যা \"শরীয়া\" নামে পরিচিত। ইসলামী শিল্পে, অনেক আগে থেকেই ছোট প্রাণী এবং মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়, বিশেষ করে শিকারের ছবি। তবে পোট্রেইট এর নিদর্শন খুব বেশি তৈরি হয়নি।", "title": "ইসলামী শিল্প" }, { "docid": "7523#0", "text": "তাজমহল (হিন্দি: ताज महल, উর্দু: تاج محل) ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধটির নকশা কে করেছিলেন এ প্রশ্নে অনেক বিতর্ক থাকলেও, এটি পরিষ্কার যে শিল্পনৈপুণ্যসম্পন্ন একদল নকশাকারক ও কারিগর সৌধটি নির্মাণ করেছিলেন যারা উস্তাদ আহমেদ লাহুরির সাথে ছিলেন, যিনি তাজমহলের মূল নকশাকারক হওয়ার প্রার্থীতায় এগিয়ে আছেন।", "title": "তাজমহল" }, { "docid": "625167#1", "text": "ইসলামিক শিল্প শুধু একটা ধর্মীয় শিল্প নয়, এটা ধনী এবং সব ধরণের মুসলিম সমাজের একটি শিল্প। ধারাবাহিকভাবে অনেক পুরনো উপাদানকে এই শিল্প নিজের অন্তর্ভুক্ত করেছে, বিশেষ করে ইসলামী মওলবীদের দ্বারা যা নিষিদ্ধ হয় নি। এখন \nপর্যন্ত যত ইসলামি শিল্পে যত ক্যালিওগ্রাফি পাওয়া গেছে সেসবে ধর্মীয় দিকটি খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি। বরং প্রাধান্য পেয়েছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির শিল্প। কিন্তু স্থাপত্য ক্ষেত্রে দেখা যায়, ধর্মীয় দিকটি স্থাপত্যে খুব বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। নানারকম মসজিদ এবং এর সমতুল্য অনান্য বস্তুগুলো যার প্রকৃষ্ট উদাহারণ। বিশেষ কিছুর গঠন সম্পর্কিত ছবি কিছুটা ইসলামী ভাবধারা ফুটিয়ে তুললেও, প্রাসাদের দেয়াল, কবিতার বইয়ে ইসলামী ভাবধারা ততটা ফুটে উঠে না। পবিত্র কুরআনের আয়াত এবং ইসলামি ক্যালিগ্রাফি এই শিল্পের প্রধান উপজীব্য বিষয় হলেও, এই শিল্পের অনান্য ক্ষেত্রগুলো যেমন মসজিদের বাতির কাঁচে, কাঠের কারুকাজে, মসজিদের টাইলস, কার্পেটে এসব বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে সমসাময়িক ভাবধারার সাথে মিশ্রিত হয়ে যেখানে ইসলামী মুদ্রিত অংশ বা ভাবধারা বেশি প্রাধান্য পায়।", "title": "ইসলামী শিল্প" }, { "docid": "7523#27", "text": "তাজমহল দেয়াল ঘেরা আগ্রা শহরের দক্ষিণ অংশের একটি জমিতে তৈরি করা হয়েছিল যার মালিক ছিলেন মহারাজা জয় শিং। শাহজাহান তাকে আগ্রার মধ্যখানে একটি বিশাল প্রাসাদ দেওয়ার বদলে জমিটি নেন। তাজমহলের কাজ শুরু হয় সমাধির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে। প্রায় ৩ একর জায়গাকে খনন করে তাতে আলগা মাটি ফেলায় হয় নদীর ক্ষরণ কমানোর জন্য। সম্পূর্ণ এলাকাকে নদীর পাড় থেকে প্রায় ৫০ মিটার উঁচু করা সমান করা হয়। তাজমহল ৫৫ মিটার লম্বা। সমাধিটি নিজে ব্যাসে ১৮ মিটার এবং উচ্চতায় ২৪ মিটার। সমাধি এলাকায় যেখানে পানি চলে আসে সেখানে পরে কুয়া খনন করা হয়েছিল। যা পরে পাথর ফেলে ভরাট করা হয়েছিল, যা ছিল সমাধি ভিত্তিস্থাপন। [একই গভীরতায় আরও একটি কুয়া খনন করা হয়েছিল সময়ের সাথে সাথে পানির স্তর পরিমাপ করার জন্য।]", "title": "তাজমহল" }, { "docid": "520890#4", "text": "উপরন্তু, ইসলামিক সেন্টার এর অবস্থান মালে এর  প্রধান জেটির কাছাকাছি এবং মসজিদের সুন্দর স্থাপত্য শিল্পের কারণে এটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত। মসজিদের জাঁকজমকপূর্ণ সুবর্ণ গম্বুজ মালের দিগন্ত রেখার উপর আরো স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। মসজিদের জ্বলজ্বলে সুবর্ণ গম্বুজ এর স্বতন্ত্রতার পাশাপাশি  এর অভ্যন্তরের দেয়াল সুন্দর কাঠ এর ভাস্কর্য এবং আরবি ক্যালিগ্রাফি দিয়ে সাজানো হয়।কেন্দ্রে এছাড়াও একটি লাইব্রেরি এবং একটি কনফারেন্স হল ঘর রয়েছে। মালে এর সবচেয়ে বিখ্যাত স্থাপত্য নিদর্শন হল তিন তলা বিশিষ্ট ইসলামিক সেন্টার যা নভেম্বর ১৯৮৪ সালে উন্মুক্ত হয়। সেন্টারের গ্র্যান্ড জুমার মসজিদ, মসজিদ-আল-সুলতান মুহাম্মদ তাকুরুফানু আল আযম হল মালদ্বীপ এর সবচেয়ে বড় মসজিদ , যা ৫০০০ এরও বেশি মানুষ ধারণ করতে পারে।", "title": "ইসলামিক সেন্টার (মালদ্বীপ)" }, { "docid": "704239#0", "text": "শাহ তাহমাসবের শাহনামা (ফার্সি: شاهنامه شاه‌طهماسب‎) বা হাফটন শাহনামা হচ্ছে শাহনামার পাণ্ডুলিপি সমূহের মধ্যে অন্যতম সুপরিচিত একটি চিত্র পাণ্ডুলিপি। এটি বৃহত্তর ইরানের অন্যতম জাতীয় ঐতিহ্য এবং পারস্য মিনিয়েচার শিল্পের উচ্চতম নিদর্শন। সম্ভবত আজ পর্যন্ত তৈরিকৃত চিত্র সম্বলিত পান্ডুলিপি সমূহের মধ্যে এটাই সব থেকে বেশি চিত্রায়িত। এতে ৭৫৯ টি পৃষ্ঠা এবনহ ২৫৮ টি মিনিয়েচার আছে। এর পাতার আকার প্রায় ৪৮ x ৩২ সেন্টিমিটার এবং লেখাসমূহ উত্তম মানের নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়েছে। ১৯৭০ এর দিকে এটা ভেঙে যায় এবং পাতাসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন সংগ্রহশালায় রয়েছে।", "title": "শাহতাহমাসবের শাহনামা" } ]
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মায়ের নাম কী ছিল ?
[ { "docid": "5696#1", "text": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯১১ সালের ৫ই মে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বর্তমান পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মিউনিসিপ্যাল অফিসের হেড কেরানী জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদার এবং মাতা প্রতিভাদেবী। তাঁদের ছয় সন্তানঃ মধুসূদন, প্রীতিলতা, কনকলতা, শান্তিলতা, আশালতা ও সন্তোষ। তাঁদের পরিবারের আদি পদবী ছিল দাশগুপ্ত। পরিবারের কোন এক পূর্বপুরুষ নবাবী আমলে “ওয়াহেদেদার” উপাধি পেয়েছিলেন, এই ওয়াহেদেদার থেকে ওয়াদ্দেদার বা ওয়াদ্দার। শৈশবে পিতার মৃত্যুর পর জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদার তাঁর পৈতৃক বাড়ি ডেঙ্গাপাড়া সপরিবারে ত্যাগ করেন। তিনি পটিয়া থানার ধলঘাট গ্রামে মামার বাড়িতে বড় হয়েছেন। এই বাড়িতেই প্রীতিলতার জন্ম হয়। আদর করে মা প্রতিভাদেবী তাঁকে “রাণী” ডাকতেন। পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম শহরের আসকার খানের দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে টিনের ছাউনি দেয়া মাটির একটা দোতলা বাড়িতে স্থায়ীভাবে থাকতেন ওয়াদ্দেদার পরিবার। অন্তর্মুখী, লাজুক এবং মুখচোরা স্বভাবের প্রীতিলতা ছেলেবেলায় ঘর ঝাঁট দেওয়া, বাসন মাজা ইত্যাদি কাজে মা-কে সাহায্য করতেন।", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" } ]
[ { "docid": "5696#0", "text": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার যিনি প্রীতিলতা ওয়াদ্দের নামেও পরিচিত (জন্ম: মে ৫, ১৯১১; মৃত্যু সেপ্টেম্বর ২৪, ১৯৩২), ডাকনাম রাণী, ছদ্মনাম ফুলতার, একজন বাঙালী ছিলেন, যিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহীদ ব্যক্তিত্ব। তৎকালীন পূর্ববঙ্গে জন্ম নেয়া এই বাঙালি বিপ্লবী সূর্য সেনের নেতৃত্বে তখনকার ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং জীবন বিসর্জন করেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব দখলের সময় তিনি ১৫ জনের একটি বিপ্লবী দল পরিচালনা করেন। এই ক্লাবটিতে একটি সাইনবোর্ড লাগানো ছিলো যাতে লেখা ছিলো \"কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ\"। প্রীতিলতার দলটি ক্লাবটি আক্রমণ করে এবং পরবর্তিতে পুলিশ তাদের আটক করে। পুলিশের হাতে আটক এড়াতে প্রীতিলতা সায়ানাইড গলাধঃকরন করে আত্মহত্যা করেন।", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" }, { "docid": "5696#5", "text": "১৯৩০ সালে প্রীতিলতা কলকাতার বেথুন কলেজে পড়তে আসেন। দাদা পূর্ণেন্দু দস্তিদার তখন যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। যুব বিদ্রোহের পর তিনি মধ্য কলকাতায় বিপ্লবী মনোরঞ্জন রায়ের পিসির (গুণু পিসি) বাসায় আশ্রয় নেন। প্রীতিলতা ঐ বাসায় গিয়ে দাদার সঙ্গে প্রায় দেখা করতেন। পূর্ণেন্দু দস্তিদার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলে মনোরঞ্জন রায় (ক্যাবলা’দা নামে পরিচিত) নারী বিপ্লবীদের সংগঠিত করার কাজ করেন। যুব বিদ্রোহের পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার এবং কারাগারে বন্দী নেতাদের সাথে আত্মগোপনে থাকা সূর্য সেনের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ হত। তাঁরা তখন আরো হামলার পরিকল্পনা করছিল। সূর্য সেন প্রেসিডেন্সী কলেজের কেমিষ্ট্রির ছাত্র মনোরঞ্জন রায়কে গান-কটন এবং বোমা তৈরীর নির্দেশ দেন। তিনি এসব সংগ্রহ করে পলাতক বিপ্লবীদের আশ্রয়দাতা গুণু পিসির বাসায় রাখতেন। এ বাসায় বসে প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, রেণুকা রায়, কমলা চ্যাটার্জী প্রমুখ বহু গোপন বৈঠক করেন এবং চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের পর মাষ্টারদার প্রেরিত ইস্তেহার সাইক্লোষ্টাইলে ছাপিয়ে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে বিতরন করেন। মনোরঞ্জন রায়ের সাথে প্রীতিলতা এবং কল্পনা দত্তের পরিচয়ের পর তিনি বুঝতে পারেন যে এই মেয়ে দুটিই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপ্লবী কাজ করতে সক্ষম হবে। ১৯৩০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের নজরদারী এড়িয়ে মনোরঞ্জন রায় কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম এসে সূর্য সেনের হাতে গান-কটন এবং বোমা তুলে দেন। এসময় তিনি জেলে থাকা বিপ্লবীদের সাথে যোগাযোগ করে চিঠির আদান প্রদান এবং কলকাতা থেকে বিস্ফোরক বহন করে আনার বিপদ সম্পর্কে মাষ্টারদার দৃষ্টি আকর্ষন করেন। শহর আর গ্রামের যুবক বয়সীরা পুলিশের চোখে সবচেয়ে বড় সন্দেহভাজন। এ অবস্থায় সূর্য সেন নারী বিপ্লবীদের এসব কাজের দায়িত্ব দেবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। কারণ তখনো গোয়েন্দা বিভাগ মেয়েদের সন্দেহ করতো না। মাষ্টারদার অনুমতি পাওয়ার পর নারীদের বিপ্লবের বিভিন্ন কাজে যুক্ত করা হয়।", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" }, { "docid": "5696#4", "text": "ঢাকায় যখন প্রীতিলতা পড়তে যান তখন “শ্রীসংঘ” নামে একটি বিপ্লবী সংগঠন ছিল। এই দলটি প্রকাশ্যে লাঠিখেলা, কুস্তি, ডনবৈঠক, মুষ্টিযুদ্ধশিক্ষা ইত্যাদির জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ক্লাব তৈরী করেছিল। ঢাকায় শ্রীসংঘের “দীপালী সঙ্ঘ” নামে একটি মহিলা শাখা ছিল। লীলা নাগ (বিয়ের পর লীলা রায়) এর নেতৃত্বে এই সংগঠনটি নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য কাজ করত। গোপনে তাঁরা মেয়েদের বিপ্লবী সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ ও করত। ইডেন কলেজের শিক্ষক নীলিমাদির মাধ্যমে লীলা রায়ের সাথে প্রীতিলতার পরিচয় হয়েছিল। তাঁদের অনুপ্রেরণায় দীপালী সঙ্ঘে যোগ দিয়ে প্রীতিলতা লাঠিখেলা, ছোরাখেলা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন “আই এ পড়ার জন্য ঢাকায় দু’বছর থাকার সময় আমি নিজেকে মহান মাস্টারদার একজন উপযুক্ত কমরেড হিসাবে নিজেকে গডে তোলার চেষ্টা চালিয়েছি”। ১৯২৯ সালের মে মাসে চট্টগ্রামে সূর্য সেন ও তাঁর সহযোগীরা চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের জেলা সম্মেলন, ছাত্র সম্মেলন, যুব সম্মেলন ইত্যাদি আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। নারী সম্মেলন করবার কোন পরিকল্পনা তখনও ছিলো না কিন্তু পূর্ণেন্দু দস্তিদারের বিপুল উৎসাহের জন্যই সূর্য সেন নারী সম্মেলন আয়োজনের সম্মতি দেন। মহিলা কংগ্রেস নেত্রী লতিকা বোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রীতিলতা ঢাকা থেকে এবং তাঁর বন্ধু ও সহযোদ্ধা কল্পনা দত্ত কলকাতা থেকে এসে যোগদান করেন। তাঁদের দুজনের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল সূর্য সেনের অধীনে চট্টগ্রামের বিপ্লবী দলে যুক্ত হওয়ার কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তাঁদের ফিরে যেতে হয়। ১৯৩০ সালের ১৯ এপ্রিল আই এ পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফিরে আসেন প্রীতিলতা। আগের দিন রাতেই চট্টগ্রামে বিপ্লবীদের দীর্ঘ পরিকল্পিত আক্রমণে ধ্বংস হয় অস্ত্রাগার, পুলিশ লাইন, টেলিফোন অফিস এবং রেললাইন। এটি “চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ” নামে পরিচয় লাভ করে। চট্টগ্রামের মাটিতে বিপ্লবীদলের এই উত্থান সমগ্র বাংলার ছাত্রসমাজকে উদ্দীপ্ত করে। প্রীতিলতা লিখেছিলেন “পরীক্ষার পর ঐ বছরেরই ১৯শে এপ্রিল সকালে বাড়ি ফিরে আমি আগের রাতে চট্টগ্রামের বীর যোদ্ধাদের মহান কার্যকলাপের সংবাদ পাই। ঐ সব বীরদের জন্য আমার হৃদয় গভীর শ্রদ্ধায় আপ্লুত হল। কিন্তু ঐ বীরত্বপুর্ণ সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে না পেরে এবং নাম শোনার পর থেকেই যে মাষ্টারদাকে গভীর শ্রদ্ধা করেছি তাঁকে একটু দেখতে না পেয়ে আমি বেদনাহত হলাম”।", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" }, { "docid": "5696#2", "text": "ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা বিদ্যালয় ছিল প্রীতিলতার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯১৮ সালে তিনি এই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন। প্রতি ক্লাসে ভালো ফলাফলের জন্য তিনি সব শিক্ষকের খুব প্রিয় ছিলেন। সেই শিক্ষকের একজন ছিলেন ইতিহাসের ঊষাদি। তিনি প্রীতিলতাকে পুরুষের বেশে ঝাঁসীর রানী লক্ষীবাই এর ইংরেজ সৈন্যদের সাথে লড়াইয়ের ইতিহাস বলতেন। স্কুলে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন ছিলেন কল্পনা দত্ত (পরবর্তীকালে বিপ্লবী)। এক ক্লাসের বড় প্রীতিলতা কল্পনার সাথে ব্যাডমিন্টন খেলতেন। তাঁদের স্বপ্নের কথা লিখেছেন কল্পনা দত্তঃ \"কোন কোন সময় আমরা স্বপ্ন দেখতাম বড় বিজ্ঞানী হব। সেই সময়ে ঝাঁসীর রানী আমাদের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করে। নিজেদেরকে আমরা অকুতোভয় বিপ্লবী হিসাবে দেখা শুরু করলাম।\" স্কুলে আর্টস এবং সাহিত্য প্রীতিলতার প্রিয় বিষয় ছিলো। ১৯২৬ সালে তিনি সংস্কৃত কলাপ পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ করেন। ১৯২৮ সালে তিনি কয়েকটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়ে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। অঙ্কের নম্বর খারাপ ছিল বলে তিনি বৃত্তি পাননি। ম্যাট্রিক পরীক্ষার পর বন্ধের সময় তিনি নাটক লিখেন এবং মেয়েরা সবাই মিলে সে নাটক চৌকি দিয়ে তৈরী মঞ্চে পরিবেশন করেন। পরীক্ষার ফলাফল দেওয়ার সময়টাতে তাঁর বাড়িতে এক বিয়ের প্রস্তাব আসে। কিন্তু প্রীতিলতার প্রবল আপত্তির কারণে বিয়ের ব্যবস্থা তখনকার মতো স্থগিত হয়ে যায়। আই.এ. পড়ার জন্য তিনি ঢাকার ইডেন কলেজে ভর্তি হন। এ কলেজ়ের ছাত্রী নিবাসের মাসিক থাকা খাওয়ার খরচ ছিল ১০ টাকা এবং এর মধ্যে কলেজের বেতন ও হয়ে যেত। এ কারণেই অল্প বেতনের চাকুরে জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদার মেয়েকে আই.এ. পড়তে ঢাকায় পাঠান। ১৯৩০ সালে আই.এ. পরীক্ষায় তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সবার মধ্যে পঞ্চম স্থান লাভ করেন। এই ফলাফলের জন্য তিনি মাসিক ২০ টাকার বৃত্তি পান এবং কলকাতার বেথুন কলেজ়ে বি এ পড়তে যান। বেথুন কলেজে মেয়েদের সাথে তাঁর আন্তরিক সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। বানারসী ঘোষ স্ট্রীটের হোস্টেলের ছাদে বসে প্রীতিলতার বাশীঁ বাজানো উপভোগ করত কলেজের মেয়েরা। প্রীতিলতার বি.এ. তে অন্যতম বিষয় ছিল দর্শন। দর্শনের পরীক্ষায় তিনি ক্লাসে সবার চাইতে ভাল ফলাফল লাভ করতেন। এই বিষয়ে তিনি অনার্স করতে চেয়েছিলেন কিন্তু বিপ্পবের সাথে যুক্ত হবার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কারণে অনার্স পরীক্ষা তাঁর আর দেয়া হয়নি। ১৯৩২ সালে ডিসটিংশান নিয়ে তিনি বি.এ. পাশ করেন। কিন্তু, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় কৃতিত্বের সাথে স্নাতক পাস করলেও তিনি এবং তাঁর সঙ্গী বীণা দাসগুপ্তর পরীক্ষার ফল স্থগিত রাখা হয়। অবশেষে তাঁদেরকে ২২ মার্চ, ২০১২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মরণোত্তর স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করা হয়।", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" }, { "docid": "5696#16", "text": "কল্পনা দত্ত ১৯৩০ সালে প্রীতিলতার বাড়িতে এক আলাপচারিতা প্রসঙ্গে লিখেছেনঃ “কথা হচ্ছিল, পাঁঠা কাটতে পারব কি না। আমি বলেছিলাম, ‘নিশ্চয় পারব, আমার মোটেই ভয় করে না’। প্রীতি উত্তর দিয়েছিল ‘ভয়ের প্রশ্ন না, কিন্তু আমি পারব না নিরীহ একটা জীবকে হত্যা করতে’। একজন তৎক্ষণাৎ প্রশ্ন করল ‘কী, দেশের স্বাধীনতার জন্যও তুমি অহিংস উপায়ে সংগ্রাম করতে চাও?’ আমার মনে পড়ে প্রীতির স্পষ্ট জবাব, ‘স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতেও পারব, প্রাণ নিতে মোটেই মায়া হবে না। কিন্তু নিরীহ জীব হত্যা করতে সত্যি মায়া হয়, পারব না।’”", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" }, { "docid": "5696#13", "text": "ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণে অংশ নেয়া অন্য বিপ্লবীদের দ্রুত স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রীতিলতা। পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া প্রীতিলতাকে বিপ্লবী শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাই স্থান ত্যাগ করে। পরদিন পুলিশ ক্লাব থেকে ১০০ গজ দূরে মৃতদেহ দেখে পরবর্তীতে প্রীতিলতাকে সনাক্ত করেন। তাঁর মৃতদেহ তল্লাশীর পর বিপ্লবী লিফলেট, অপারেশনের পরিকল্পনা, রিভলবারের গুলি, রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ছবি এবং একটা হুইসেল পাওয়া যায়। ময়না তদন্তের পর জানা যায় গুলির আঘাত তেমন গুরুতর ছিল না এবং পটাশিয়াম সায়ানাইড ছিল তাঁর মৃত্যুর কারণ।", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" }, { "docid": "5696#15", "text": "প্রীতিলতার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের অবস্থা নিয়ে কল্পনা দত্ত লিখেছেনঃ “প্রীতির বাবা শোকে দুঃখে পাগলের মত হয়ে গেলেন, কিন্তু প্রীতির মা গর্ব করে বলতেন, ‘আমার মেয়ে দেশের কাজে প্রাণ দিয়েছে'। তাঁদের দুঃখের পরিসীমা ছিল না, তবু তিনি সে দুঃখেকে দুঃখ মনে করেননি। ধাত্রীর কাজ নিয়ে তিনি সংসার চালিয়ে নিয়েছেন, আজো তাঁদের সেভাবে চলছে। প্রীতির বাবা প্রীতির দুঃখ ভুলতে পারেননি। আমাকে দেখলেই তাঁর প্রীতির কথা মনে পড়ে যায়, দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন”।", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" }, { "docid": "5696#7", "text": "রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসীর পর আরো প্রায় নয় মাসের মতো প্রীতিলতাকে কলকাতায় থেকে যেতে হয় বি এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য। পরীক্ষা দিয়ে প্রীতিলতা কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে বাড়ি এসে দেখেন তাঁর পিতার চাকরি নাই। সংসারের অর্থকষ্ট মেটানোর জন্য শিক্ষকতাকে তিনি পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। চট্টগ্রামে বিশিষ্ট দানশীল ব্যাক্তিত্ব অপর্ণাচরণ দে’র সহযোগিতায় তখন নন্দনকাননে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নন্দনকানন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (বর্তমানে অপর্ণাচরণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়)। তিনি এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। স্কুলে যাওয়া, প্রাইভেট পড়ানো, মাকে সাংসারিক কাজে সাহায্য করে তাঁর দিনগুলো কাটছিল। কিন্তু তিনি লিখেছেন “১৯৩২ সালে বি এ পরীক্ষার পর মাষ্টারদার সাথে দেখা করবই এই প্রত্যয় নিয়ে বাড়ী ফিরে এলাম”। বিপ্লবী মাষ্টারদা সূর্য সেনের সাথে সাক্ষাতের আগ্রহের কথা তিনি কল্পনা দত্তকে বলেন। প্রীতিলতা কলকাতা থেকে আসার এক বছর আগে থেকেই কল্পনা দত্ত বেথুন কলেজ থেকে বদলী হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে বি এস সি ক্লাসে ভর্তি হন। সেজন্য প্রীতিলতার আগেই কল্পনা দত্তের সাথে মাষ্টারদার দেখা হয়। ১৯৩১ সালে এই গোপন সাক্ষাতের সময় আত্মগোপনে থাকা মাষ্টারদার সাথে ছিলেন বিপ্লবী নির্মল সেন, তারকেশ্বর দস্তিদার, শৈলেশ্বর চক্রবর্তী এবং কালীকিংকর দে। মাষ্টারদা ঐ সাক্ষাতের সময় কল্পনা দত্তের কাছ থেকে প্রীতিলতা সম্পর্কিত খোঁজ খবর জানতে চান। এরমধ্যে একবার মাষ্টারদার সংগঠন চালানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু অর্থের প্রয়োজন দেখা দিল। প্রীতিলতার বাবা সংসারের খরচ চালানোর জন্য মাসিক বেতনের পুরো টাকাটা প্রীতিলতার হাতে দিতেন। তিনি ঐ টাকাটা সংগঠনের কাজে দিয়ে দিতে চাইলেন। কিন্তু তা নিতে কল্পনা দত্ত আপত্তি করায় প্রীতিলতা কেঁদে বলেন “গরিব দেখে আমাদের টাকা নিতে চান না। আমি যে নিষ্ঠাবান কর্মী হতে পারব তার প্রমাণ করার সুযোগও কি আমায় দেবেন না?”। প্রীতিলতার প্রবল আগ্রহের কারণেই কল্পনা দত্ত একদিন রাতে গ্রামের এক ছোট্ট কুটিরে তাঁর সাথে নির্মল সেনের পরিচয় করিয়ে দেন। ১৯৩২ সালের মে মাসের গোড়ার দিকে ঐ সাক্ষাতে নির্মল সেন প্রীতিলতাকে পরিবারের প্রতি কেমন টান আছে তা জানতে চাইলেন। জবাবে তিনি বলেন “টান আছে। কিন্তু duty to family-কে duty to country-র কাছে বলি দিতে পারব”। যুব বিদ্রোহের পর বিশৃঙ্খল হয়ে পড়া সংগঠনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজে মাষ্টারদা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার কারণে প্রীতিলতার সাথে সে রাতে তাঁর দেখা হয়নি। প্রীতিলতার সাথে এই সাক্ষাতের কথা বলেতে গিয়ে মাষ্টারদা লিখেছেন “অল্প কয়েকদিন পরেই নির্মলবাবুর সঙ্গে আমার দেখা হতেই নির্মলবাবু আমায় বললঃ আমি রাণীকে (প্রীতিলতার ডাক নাম) কথা দিয়েছি আপনার সঙ্গে দেখা করাব, সে এক সপ্তাহের জন্য যে কোন জায়গায় আসতে রাজ়ী আছে। রামকৃষ্ণের সঙ্গে সে ফাঁসীর আগে দেখা করেছে শুনেই তার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা হয়েছিল। তার দেখা করার ব্যাকুলতা শুনে রাজী হলাম এবং কয়েকদিনের মধ্যে (মে মাসের শেষের দিকে) তাকে আনার ব্যবস্থা করলাম”। মাষ্টারদা এবং প্রীতিলতার প্রথম সাক্ষাতের বর্ণনাতে মাষ্টারদা লিখেছেন “তার চোখেমুখে একটা আনন্দের আভাস দেখলাম। এতদূর পথ হেঁটে এসেছে, তার জন্য তার চেহারায় ক্লান্তির কোন চিহ্নই লক্ষ্য করলাম না। যে আনন্দের আভা তার চোখে মুখে দেখলাম, তার মধ্যে আতিশয্য নেই, Fickleness নেই, Sincerity শ্রদ্ধার ভাব তার মধ্যে ফুটে উঠেছে। একজন উচ্চশিক্ষিত cultured lady একটি পর্ণকুটিরের মধ্যে আমার সামনে এসে আমাকে প্রণাম করে উঠে বিনীতভাবে আমার দিকে দাঁড়িয়ে রইল, মাথায় হাত দিয়ে নীরবে তাকে আশীর্ব্বাদ করলাম...\"। রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে তার দেখা হও্য়ার ইতিবৃত্ত, রামকৃষ্ণের প্রতি তার শ্রদ্ধা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রীতিলতা প্রায় দুই ঘন্টার মতো মাষ্টারদার সাথে কথা বলেন। মাষ্টারদা আরো লিখেছেন “তার action করার আগ্রহ সে পরিষ্কার ভাবেই জানাল। বসে বসে যে মেয়েদের organise করা, organisation চালান প্রভৃতি কাজের দিকে তার প্রবৃত্তি নেই, ইচ্ছাও নেই বলে”। তিন দিন ধরে ধলঘাট গ্রামে সাবিত্রী দেবীর বাডিতে অবস্থানকালে আগ্নেয়াস্ত্র triggering এবং targeting এর উপর প্রীতিলতা প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন।", "title": "প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার" }, { "docid": "550202#1", "text": "তার জন্ম হয়েছিল চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে। পিতার নাম চন্দ্রকুমার দস্তিদার এবং মাতার নাম কুমুদিনী দস্তিদার। চট্টগ্রাম কলেজ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯২৭ সালে প্রথম বিভাগে আই.এস.সি পাশ করে যাদবপুরে ভর্তি হন। ছাত্রাবস্থা রাজনীতিতে প্রবেশ করে বি পি এস এর নেতৃস্থানীয় কর্মী হয়েছিলেন এবং সমগ্র চট্টগ্রাম জুড়ে চলা তীব্র স্বাধীনতা আন্দোলন এর সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের পরিবারের সাথে আত্মীয়তা ছিল। তাকে বিপ্লবী আন্দোলনে আনার কৃতিত্ব অনেকটাই পূর্ণেন্দু দস্তিদারের।\nপেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন আইনজীবী।", "title": "পূর্ণেন্দু দস্তিদার" } ]
ডিম্বাশয়ে কি ডিম্বাণু উৎপন্ন হয় ?
[ { "docid": "13855#1", "text": "ডিম্বাশয় ডিম্বাণূ উৎপাদনকারী একটি প্রজনন অঙ্গ এবং স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের একটি অংশ। মেরুদণ্ডী প্রাণীতে এটি সাধারণত একজোড়া করে থাকে। ডিম্বাশয় পুরুষের শুক্রাশয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এতে গোনাড ও অন্তঃক্ষরা উভয় প্রকার গ্রন্থি-ই রয়েছে।\nডিম্বাশয় দেখতে অনেকটা ডিম্বাকার এবং মানুষে এটার আকার—দৈর্ঘে ৩ সে.মি., প্রস্থে ১.৫ সে.মি., এবং পুরুত্বে ১.৫ সে.মি.। (যেকোনো একটির জন্য) শরীরে এর অবস্থান পেলভিস বা শ্রোণীর দেয়াল ঘেষে, যাকে বলা হয় ওভারিয়ান ফসা। সাধারণত ফসার নিচে থাকে বহিঃস্থ ইলিয়াক ধমনী এবং সামনে থাকে মূত্রনালী ও অন্তঃস্থ ইলিয়াক ধমনী।", "title": "ডিম্বাশয়" }, { "docid": "365451#12", "text": "নারী গ্যামেট হল ডিম্বাণু (ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন হয়), চলাচলে অক্ষম বৃহৎ কোষ, যাতে ভ্রূণ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও কোষীয় উপাদান থাকে। ডিম্বকোষ প্রায়শই ভ্রূণ গঠনের সহায়তার জন্য অন্যান্য কোষের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা একটি ডিম তৈরি করে। তবে স্তন্যপায়ী প্রাণিতে নিষিক্ত ভ্রূণ নারী প্রাণীর দেহেই অবস্থান করে, যা তার মায়ের দেহ থেকে সরাসরি পুষ্টি গ্রহণ করে।", "title": "যৌনতা" }, { "docid": "13852#0", "text": "স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ডিম্বাশয়ে অবস্থিত পীত (হলুদ) রংয়ের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যা থেকে প্রজেস্টেরোন হর্মোন নিঃসৃত হয়। ডিম্বাশয়ের পরিপক্ব গ্রাফিয়ান ফলিক্ল থেকে ডিম্বাণু নির্গত হবার পর সেই ফলিকলের অবশিষ্টাংশের কোষগুলি স্নেহপদার্থ সঞ্চয় করে স্ফীত হয় ও কিছু কিছু প্রাণির ক্ষেত্রে লিউটিন নামক ক্যারটিন জাতীয় রঙকের কারণে পীত বঅর্ণ ধারণ করে। কর্পাস লুটেয়াম প্রজেস্টেরোনের প্রধান উৎস এবং অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর গর্ভধারনের জন্য প্রাথমিক গর্ভাবস্থার স্থায়ীত্ব এর তঘেকে নির্গত প্রজেস্টেরোনের উপর সম্পূর্ণ ভাবে নিররভরশীল (গেস্টেশন = গর্ভধারণ, এর থেকে প্রোজেস্টেরণ নামক স্টেরয়েডটির নাম হয়েছে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের স্ত্রঈ প্রজনন চক্রের (উচ্চ শ্রেণির প্রাইমেট দের মেন্স্ট্রু্যাল সাইকল বা অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের ইস্ট্রাস সাইকলের) দ্বিতীয় অর্ধে প্রজেস্টেরোনের প্রভাবে জরায়ুর ভিতরের আবরণ (এন্ডোমেট্রিয়াম)নিষিক্ত ডিম্বাণুর রোপণের জন্য উর্বর হয়ে ওঠে। নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর মধ্যে প্রেথিত হতে না পারলে কর্পাস লুটেয়াম দ্রুত শুকিয়ে কুঁকড়ে যায় ও অ্যাট্রেটিক ফলিকলে পরিণত হয়। প্রজেস্টেরোনের অভাবে জরায়ুর অন্তরাবণের উপরের স্তর তখন হয় ঝরে পড়ে (ও সঙ্গে কিছু রক্তপাত হয় - যা হল উচ্চশ্রেণির প্রাইমেট দের ঋতুস্রাব) অথবা শুকিয়ে অবশোষিত হয়।", "title": "কর্পাস লুটেয়াম" }, { "docid": "316903#1", "text": "উন্নত প্রানীতে ডিম্বাণু সাধারণত ডিম্বাশয়ে তৈরী হয়। স্তন্যপায়ী প্রানীতে ডিম্বাশয়ে অপরিণত জননকোষ থেকে উওজেনেসিস প্রক্রিয়ায় পরিণত ডিম্বাণু সৃষ্টি করে।", "title": "ডিম্বাণু" }, { "docid": "489144#4", "text": "ডিম্বাণু, বা স্ত্রী জনন কোষ, শুক্রাণু হতে অপেক্ষাকৃত বড় এবং সাধারণত তা জন্মের আগে নারীর জরায়ুর ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন হয়।", "title": "মানব প্রজনন" }, { "docid": "546378#7", "text": "\"প্রাথমিক যৌন বৈশিষ্ট্য\" বলতে পুরুষ জননকোষ ও ডিম্বাশয় উৎপাদনঃ নারীদেহে ডিম্বাশয় ডিম্বানু তৈরী করে এবং পুরুষের দেহে শুক্রাশয় থেকে শুক্রাণু তৈরী করে। গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য বলতে অন্যান্য যৌন পার্থক্য নির্দেশ করে, যা শুক্রাণু ও ডিম্বানু সংঘবদ্ধ করতে পরোক্ষ ভাবে সহায়তা করে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই নারী ও পুরুষের বিশেষায়িত ভিন্নতা দেখা যায়, যেমনঃ পুরুষ পাখির উজ্জ্বল পালক, মানুষের মুখের চুল, পূর্বরাগের মত আচরনগত বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি।", "title": "পুরুষ মানুষ" } ]
[ { "docid": "316903#3", "text": "উওপ্লাজম হল ডিম্বাণুর কুসুম, এটি একটি কোষীয় বস্তু যা কোষের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে। এটি কোষের নিউক্লিয়াস যেটিকে জার্মিনাল ভেসিকল বলা হয় এবং নিউক্লিউলাস যেটিকে জার্মিনাল স্পট বলা হয়।\nস্তন্যপায়ী প্রানীর ডিম্বাণু অতি সামান্য পরিমানে পুষ্টিউপাদান সম্পন্ন কুসুম বহন করে যা [ভ্রূণ|[ভ্রূণের]] প্রারম্ভিক অবস্থাতে পুষ্টির যোগান দেয়। পাখির ডিম পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ধারণ করে এবং ডিম থেকে বাচ্চা বেরিয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।", "title": "ডিম্বাণু" }, { "docid": "316903#2", "text": "মানব দেহের সবচেয়ে বড় কোষ হল ডিম্বাণু যা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই খালি চোখে দেখা সম্ভব। মানুষের ডিম্বাণু সাধারনত ০.১২ মিলিমিটার আকারের হয়ে থাকে। মানুষসহ অন্যান্য অমরাবতী প্রানীতে ডিম্বানুর নিষিক্তকরন প্রাণীদেহের অভ্যন্তরে ঘটে থাকে। মানব ডিম্বানু শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হওয়ার পর জরায়ুতে স্থাপিত হয়। এটি বারে বারে দ্বি বিভক্ত হতে থাকে এবং একপর্যায়ে ব্লাস্টোসিস্ট গঠন করে।", "title": "ডিম্বাণু" }, { "docid": "316903#0", "text": "ডিম্বাণু () বলতে জীবের স্ত্রীজননকোষ বুঝানো হয় যা জীবের যৌন জনন প্রক্রিয়ায় শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয়ে থাকে। ডিম্বাণু সাধারনত হ্যপ্লয়েড ক্রোমোসোম ধারন করে থাকে। নিষিক্ত ডিম্বাণু ডিপ্লয়েড যা প্রথমে জাইগোট গঠন করে যা পরবর্তিতে ভ্রূন এবং শিশু জীবে পরিনত হয়।", "title": "ডিম্বাণু" }, { "docid": "7610#1", "text": "কার্বন চক্রে গাছপালা,জলজ উদ্ভিজ্জ এবং সায়ানোব্যাকটেরিয়া সৌরশক্তি দ্বারা সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড ও পানি থেকে কার্বোহাইড্রেড উৎপন্ন করে যার সাথে সাথে বর্জ্য পদার্থ হিসাবে অক্সিজেনও উৎপন্ন করে। কিন্তু,সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়া অন্ধকারে সংঘঠিত হয় না এবং রাতে কিছু পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় উদ্ভিদের শ্বসন ক্রিয়ার জন্য। কার্বন ডাইঅক্সাইড কয়লা বা হাইড্রোকার্বন এর দহন দ্বারা উত্পাদিত হয়।এছাড়াও চিনি থেকে গাঁজন প্রক্রিয়ায় বিয়ার এবং ওয়াইন প্রস্তুতিতে এবং সব জীবন্ত প্রাণীর শ্বসন দ্বারা কার্বন ডাইঅক্সাইড \nউৎপন্ন হয়।এটা মানুষ এবং অন্যান্য জীবজন্তু শ্বাস নেওয়ার সময় ত্যাগ করে।এটা আগ্নেয়গিরি,উষ্ণপ্রসবণ এবং ঐসব জায়গা যেখানে ভূপৃষ্ট পাতলা কার্বোনেট শিলা ক্ষয়ের ফলে।কার্বন ডাই অক্সাইড এছাড়াও সমুদ্র তলদেশে,হ্রদে এবং তেল এবং গ্যাসের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে।", "title": "কার্বন ডাই অক্সাইড" } ]
বাংলাদেশের প্রাচীনতম বৌদ্ধ স্থাপত্য কোনটি ?
[ { "docid": "543851#1", "text": "বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ ও যার অন্তর্ভুক্ত ছিল) ভারতীয় বৌদ্ধ শাসনের প্রথম দিককার সাম্রাজ্য ছিল পাল সাম্রাজ্য যারা অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত শাসন করে। পাল গণ স্থাপত্যের একটি নতুন ধারা তৈরি করে যা \"পাল ভাস্কর্য শিল্প বিদ্যালয়\" নামে পরিচিত ছিল। সুবিশাল বিক্রমশিলা বিহার, ওদন্তপুরু বিহার এবং জগদ্দল বিহার ছিল পালদের কিছু উল্লেখযোগ্য কীর্তি। ধর্মপাল কর্তৃক পাহাড়পুরে স্থাপিত সোমপুর মহাবিহার উপমহাদেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার এবং একে \"পৃথিবীর চোখে সৌন্দর্য\" হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ইউনেস্কো ১৯৮৫ সালে একে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, চীন, জাপান এবং তিব্বত জুড়ে পাল স্থাপত্য অনুসরণ করা হচ্ছিল। বাংলা যথার্থই \"পূর্বের কর্ত্রী\" উপাধি অর্জন করে। ড. স্টেল্লা ক্রাম্রিস্ক বলেন: \"বিহার এবং বাংলার স্থাপত্য নেপাল, বার্মা, শ্রীলংকা এবং জাভার উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।\" ধীমান এবং ভিত্তপাল ছিলেন দুইজন বিখ্যাত পাল ভাস্কর। সোমপুর মহাবিহার সম্পর্কে জনাব জে.সি. ফ্রেঞ্চ দুঃখের সাথে বলেন: \"মিশরের পিরামিডের উপর গবেষণার জন্য আমরা প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করি। কিন্তু আমরা যদি ঐ অর্থের শতকরা মাত্র এক ভাগ সোমপুর মহাবিহারের খননে খরচ করতাম, কে জানে কিরকম আশ্চর্যজনক আবিষ্কার সম্ভব হত।\"", "title": "বাংলাদেশের স্থাপত্য" }, { "docid": "593011#9", "text": "বৌদ্ধ ধর্মীয় ভাস্কর্যসমূহের মধ্যে গৌতম বুদ্ধ প্রধান। মনে করা হয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম বৌদ্ধমূর্তিসমূহ পুণ্ড্রবর্ধন নগরের মূর্তি ছিল। এসকল মূর্তি ও ভাস্কর্য বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা বিশেষত রাজশাহী ও রংপুর এলাকা হতে সংগৃহীত হয়।\nপ্রাচীন বাংলা জৈনমূর্তির মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য। একটি কুমিল্লার ময়নামতি ঢিবি নং ২ থেকে এবং অন্যটি পাহাড়পুর বিহারের ১১০ নং ভিক্ষুকোঠার সামনের বারান্দা থেকে আবিষ্কৃত হয়।\nতের শতকের প্রথমদিকে বাংলায় মুসলিম শাসকগণ বিজয়ী হয়ে এদেশে মুসলিম শাসনের সূচনা করেন। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যাবৃদ্ধি হয় এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন ধর্মানুসারীর সংখ্যা কমে আসে। মূর্তি নির্মাণে পূর্বেকার রাজাদের মত পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ধীরে ধীরে বাংলায় পাল-সেন যুগের ঐতিহ্যবাহী ভাস্কর্যশৈলী স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এই ভাস্কর্যরীতি উত্তরে নেপাল ও তিব্বত; পূর্বে মায়ানমার ও থাইল্যান্ড, দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশে বিস্তৃত হয়।\n১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর গঠিত স্বাধীন রাষ্ট্রের ভাস্কর্যগুলোকে আমরা আধুনিক ভাস্কর্য বলতে পারি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের অধিকাংশ ভাস্কর্য ছিল ধর্মনির্ভর বা দৈব সত্তার প্রতিকৃতি, আধুনিক যুগে ভাস্কর্য ধর্মীয় গণ্ডি ছেড়ে প্রতীকী অর্থপূর্ণ ও নান্দনিকতার বাহন হয়েছে।", "title": "বাংলাদেশের মূর্তি ও ভাস্কর্য" }, { "docid": "16610#19", "text": "পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।\nএটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল। \nশুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার ( তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মচর্চা ও ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন।\nখ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।", "title": "বাংলাদেশের পর্যটন" } ]
[ { "docid": "437388#3", "text": "বারাবার পর্বতে চারটি গুহা রয়েছে, করণ চৌপর, ,লোমাস ঋষি এবং বিশ্ব জোপরি। \"সুদামা\" এবং \",লোমশ ঋষি গুহাগুলি\" ভারতে পাথর-খোদাই স্থাপত্যের প্রাচীনতম উদাহরণ, মৌর্য যুগের স্থাপত্য শিল্পের পুঙ্খানুপুঙ্খ সুক্ষ্মতা এর বৈশিষ্ট্য, যা পরবর্তী শতাব্দীতে স্থাপত্য শিল্পের এক অন্যতম ধারা হিসেবে বিকশিত হয়। মহারাষ্ট্র।মহারাষ্টের অজন্তা এবং কারলা গুহাগুলি।কারলা গুহাগুলিতে পাওয়া বড় বৌদ্ধ চৈত্যগুলির ন্যায় এগুলিও একই ধারার শিল্প, যা পরবর্তীকালে ব্যাপকভাবে দক্ষিণ এশীয় পাথর-খোদাই স্থাপত্যের ঐতিহ্যকে প্রভাবিত করে। বারাবার গুহাগুলিতে যে বিশালাকায় খিলানগুলি আছে তা প্রাচীন ইতিহাসে খুব কম দেখতে পাওয়া যায়।", "title": "বরাবর গুহাসমূহ" }, { "docid": "543645#5", "text": "বাংলার সমাধিক্ষেত্রগুলো আচ্ছাদনবিহীন মাটির কবর থেকে শুরু করে সুগঠিত সমাধিসৌধ পর্যন্ত দেখা যায়। বাংলায় কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাধকের সমাধি রয়েছে। সিলেটে শাহ জালাল (র) এবং পাকন্দুয়ায় আলাউল হক (র), নূর কুতুবুল আলাম (র) ও ছোট দরগাহ সমাধিসমূহ উন্মুক্ত স্থানে অবস্থিত এবং বিশ্বাস করা হয় যে ‘কেবল মৃতব্যক্তির সৎকর্মই তাকে সুরক্ষা ও ছায়া দিতে পারে’। মুন্সিগঞ্জের রামপালের বাবা আদম সাইদ (র) কে বাংলার প্রাচীনতম মুসলিম সাধক বলে মনে করা হয় যার সমাধিটিও কোন স্থাপনার আচ্ছাদনে নেই। প্রথমদিকের গাজীদের সমাধির মধ্যে ত্রিবেণীর জাফর খান এর সমাধিও উন্মুক্ত বা খোলা আকাশের নিচে। দুটি শিলালিপি ৬৯৮ হিজরি (১২৯৮ খ্রিস্টাব্দ) ও ৭১৩ হিজরি(১৩১৩ খ্রিস্টাব্দ) হতে সমাধিটি জাফর খানের বলে মনে হয়। এই সমাধিক্ষেত্রে পাথরের মেঝের উপর ছাদবিহীন দুটি বর্গাকার কক্ষ রয়েছে। এটি কেবল বাংলার প্রাচীনতম মুসলিম স্থাপনাই নয়, এটি পূর্বভারতের প্রাচীনতম টিকে থাকা স্থাপনা। সোনারগাঁর মোগরাপাড়ার পাঁচ পীরের মাজারের নিকট চমৎকার কারুকাজকৃত কালো ব্যাসল্ট পাথরের প্রস্তরসমাধিটি গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ (মৃত্যু:১৪১১ খ্রিস্টাব্দ) এর সমাধি বলে জানা যায়। প্রস্তরসমাধির দুই পাশের কারুকাজ করা প্রদীপের কুলুঙ্গিগুলো গিয়াসউদ্দিনের পিতা সিকান্দার শাহ নির্মিত আদিনা মসজিদ(৭৭৬ হিজরি, ১৩৭৫-৭৬ খ্রিস্টাব্দ) এর নির্মিতি মনে করিয়ে দেয়। এর সমাধিস্তম্ভের প্রতীকসমূহ ইরান এর মধ্যযুগীয় সমাধির ন্যায়। সিকান্দার (মৃত্যু ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দ) কে নয়গম্বুজ বিশিষ্ট(বর্তমানে ভেঙে পড়েছে) বর্গাকার প্রকোষ্ঠে আদিনা মসজিদের পশ্চিম বহিঃপার্শ্বে সমাহিত করা হয়েছিল।", "title": "বাংলার স্থাপত্য" }, { "docid": "1101#9", "text": "বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাদুঘর হচ্ছে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। ১৯১৩ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল এটি উদ্বোধন করেন। বাঙালি ইতিহাস, ঐতিহ্য আর স্থাপত্যশিল্পের বিশাল সম্ভার রয়েছে এই বরেন্দ্র যাদুঘরে। এই জাদুঘর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীন ইতিহাস, সংস্কৃতি আর প্রত্নতত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা। প্রতিদিন প্রাচীন হিন্দু, বৌদ্ধ এবং মুসলিম সভ্যতার নিদর্শন দেখতে কয়েকশ' দর্শনার্থী আসেন এখানে। ১৯৬৪ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এই জাদুঘর পরিচালনা করে আসছে। শনিবার থেকে বুধবার ১০টা থেকে সাড়ে ৫ টা এবং শুধু মাত্র শুক্রবার জাদুঘর দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে জাদুঘরটি। বর্তমানে টিকিট কেটে ঢুকতে হয় এই যাদুঘরে যার মূল্য ৫ টাকা।", "title": "রাজশাহী" }, { "docid": "612299#2", "text": "বাংলার প্রাচীনতম পাথরের দেউল সামনের দিক থেকে শেষ বা চতুর্থ এবং ক্ষুদ্রতম মন্দিরটি।\nJ. D. Beglar সাহেব পঞ্চম মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের বিবরণ দিয়েছেন, এখন সেই পঞ্চম মন্দিরের চিহ্ন মাত্র নেই। এছাড়াও অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে সামনের বাঁ দিকের মন্দির গাত্রের শিলালিপিটি।\nবিনয় ঘোষের লেখা থেকে জানা যায় যে ১৩৮২ শকাব্দে (বা ৭৮ যোগ করে ১৪৬০ খ্রিস্টাব্দে) ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষে অষ্টমী তিথিতে জনৈক রাজা হরিশ্চন্দ্রের স্ত্রী হরিপ্রিয়া তাঁদের ইস্টদেবতা শিবের উদ্দেশ্যে এই মন্দির নির্মাণ করেন। তৃতীয় মন্দিরের শিলালিপি অনুসারে ১৪৬৮ শকাব্দে (১৫৪৬ খ্রিস্টাব্দে) জনৈক ব্রাহ্মণ নন্দ এবং তাঁর স্ত্রী এই মন্দিরটি সংস্কার করেছেন। অর্থাৎ মন্দিরটি আরো আগে নির্মিত।", "title": "বেগুনিয়া (বাংলার মন্দির স্থাপত্য)" }, { "docid": "5273#0", "text": "শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি এই বৌদ্ধ বিহার । এটি ১২শ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।", "title": "শালবন বৌদ্ধ বিহার" }, { "docid": "543851#6", "text": "ব্রিটিশ উপনিবেশ যুগে অতীতে প্রচলিত ইন্দো-ইউরোপিয়ান ধরণের উন্নতি হতে থাকে, যা কিনা ভারতীয়, ইউরোপিয়ান এবং মধ্য এশীয় (ইসলামিক) উপাদানের মিশ্রণে তৈরি। উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য হচ্ছে ঢাকার আহসান মঞ্জিল এবং রংপুর শহরে অবস্থিত তাজহাট রাজবাড়ি।\nবর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, স্থাপত্যের উপকরণ, শিল্পকলা এবং প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির ফলে বাংলাদেশের স্থাপত্য বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্থাপত্যকে এর প্রথাগত রূপ থেকে আধুনিক রূপে নিয়ে এসছে। নগরায়ন এবং আধুনিকায়নের সাথে তাল মিলিয়ে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ব্যাপক মাত্রায় ধারণ করে স্থাপত্য রীতি আধুনিক থেকে আধুনিকতর হচ্ছে। বাংলাদেশের স্থাপত্য এদেশের মানুষের ইতিহাস এবং জীবন সম্পর্কে গভীর তথ্য প্রকাশ করে।", "title": "বাংলাদেশের স্থাপত্য" }, { "docid": "28618#11", "text": "নবদ্বীপের শিবলিঙ্গগুলো বেশিরভাগই বৌদ্ধ প্রভাবিত। পাল যুগে নবদ্বীপ ছিল বৌদ্ধ ধর্মের পীঠস্থান। নবদ্বীপের পশ্চিমে একটি ঢিবি ছিল। তার পূর্ব নাম ‘পারডাঙা’ বর্তমানে ‘পাড়পুর’। নবদ্বীপের বৌদ্ধ-প্রভাবিত শিবমূর্তিগুলি পারডাঙার ধ্বংস স্তুপ থেকে প্রাপ্ত। নবদ্বীপের পূর্বে অবস্থিত \"বল্লালসেনের ঢিবি\" খননের পর প্রাপ্ত স্থাপত্য শৈলীকে অনেকে বৌদ্ধ মন্দির বলে মনে করেছেন। পানশিলা সুবর্ণবিহার নবদ্বীপের সন্নিকটে অবস্থিত। নবদ্বীপের বুড়োশিব, যোগনাথ, বানেশ্বর, হংসবাহন, পারডাঙার শিব প্রভৃতি এই শ্রেণির বৌদ্ধ প্রভাবিত শিবলিঙ্গ। এঁদের কোন গৌরীপট্ট নেই।", "title": "নবদ্বীপ" } ]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
[ { "docid": "2321#0", "text": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে ঢাবি) ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়; যা বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষত্ব হলো বাংলাদেশ স্বাধীন করতে এর বিশেষ অবদান ছিল। যেখানে দেশের সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ অবদান রেখেছিল।", "title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়" }, { "docid": "63805#36", "text": "১৯২১ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যক্ট ১৯২০” দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক চরিত্র বদলে যায় এবং পূর্ব বাংলার কলেজগুলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় এখন মঞ্জুরি প্রদানের ক্ষমতা লাভ করে আগে যা ঢাকা শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। “The east Bengal education ordinance” এর বলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত ৫৫টি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী কলেজের মঞ্জুরি প্রদান ও তত্ত্বাবধানের কর্তৃত্ব লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যার ফলে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, একাডেমিক কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টি ও কোর্ট পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করতে হয়, প্রথম শ্রেণীর কলেজ প্রিন্সিপালদের অর্ন্তভুক্ত করার জন্য। \n১৯৬১ সালে পাকিস্তানের সামরিক সরকারের আজ্ঞাবহ পূর্ব পাকিস্তান সরকার “ঢাকা ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১” দ্বারা “ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যক্ট ১৯২০” বাতিল করে। নতুন অর্ডিন্যান্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের গনতান্ত্রিক ও স্বায়ত্তশাসিত চরিত্রের পরিবর্তন করা হয়, কোর্ট বাতিল করা হয়, একাডেমিক কাউন্সিলকে মনোনীত সংস্থায় রুপান্তর করা হয়, নির্বাচিত ডিন এবং উপাচার্যের নিযুক্তি প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। এ সময় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের নাম সিন্ডিকেট এবং তা পদাধিকার বলে ও চ্যান্সেলর মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ নির্বাহী পরিষদ হয়ে যায়। এই সময় থেকেই উপাচার্যের নিয়োগ কোর্টের পরিবর্তে সরকার দ্বারা করবার ব্যবস্থা করা হয়। \n““ঢাকা ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১” এর সম্পর্কে শিক্ষকদের ক্ষোভ ছিল। ষাটের দশকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনের জন্য আন্দোলন হয়েছে। স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, অধ্যাপক খান সরওয়ার মোর্শেদ শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া উপস্থাপন করেন। খসড়াটি প্রায় অপরিবর্তীত অবস্থায় ‘The Dacca University order 1973’ নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের পরামর্শ ক্রমে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অধ্যাদেশ জারি করেন। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এই আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। \n১৯৭৩ এর অর্ডিন্যান্স চালু হওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ নীল, সাদা ও গোলাপী এই তিন রঙের প্যানেলে বিভক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বীকৃত পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান, এই সমিতির কর্মকর্তারাও প্রতি বছর নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের সাথে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৩-এর ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করা হয় এবং প্রবীণ শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ এনামুল হককে তার চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়।", "title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস" } ]
[ { "docid": "2321#2", "text": "ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্রিটিশ ভারতে তৎকালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে লিখেছেন, বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লর্ড লিটন যাকে বলেছিলেন \"স্পেল্নডিড ইম্পিরিয়াল কমপেনসেশন\"। পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়েছিল, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে। ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর. নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নওয়াব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দচন্দ্র রায়, জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)-এর অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ.এ.টি. আচির্বল্ড, ঢাকা মাদ্রাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ. এইচ. আর. জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি.ডব্লিউ. পিক, এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশ্চন্দ্র আচার্য। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাশ করে 'দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০'। লর্ড রোনাল্ডসে ১৯১৭ হতে ১৯২২ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর থাকা কালে নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা কে বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য ঘোষণা করেন। সৈয়দ শামসুল হুদার সুপারিশে স্যার এ. এফ. রাহমান কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট মনোনীত করা হয়, তিনি ইতিপূর্বে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যরত ছিলেন। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে রফিকুল ইসলামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, নাথান কমিটি রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ।", "title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়" }, { "docid": "683122#1", "text": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ' নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে তিনটি হল - ঢাকা হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হল থেকে একজন করে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধি এবং উপাচার্য মনোনীত একজন শিক্ষক দিয়ে সংসদ গঠিত হত। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়। প্রথমদিকে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি মনোনীত করা হত, ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ডাকসুর সহসভাপতি মনোনীত করা হয়। ১৯৫৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ডাকসুর প্রথম নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকসুর প্রথম সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত এবং প্রথম নির্বাচিত হন এস এ রারী এটি ও জুলমত আলী খান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ডাকসুর সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন থেকে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মাহবুবুর জামান। সর্বশেষ ১৯৯০-৯১ সেশনের জন্য সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে নির্বাচিত হন ছাত্রদলের আমানউল্লাহ আমান ও খায়রুল কবির খোকন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ১৯৯০ পর্যন্ত ৩৬ বার নির্বাচন হয়েছে। উপাচার্য একে আজাদ চৌধুরী ১৯৯৮-এর ২৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করে দেয়ার পরও নানা মহলের চাপ ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বাধায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচন আর হয়নি।", "title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ" }, { "docid": "15599#1", "text": "এটি ময়মনসিংহ শহর হতে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে, ত্রিশাল উপজেলা সদর হতে ৩ কিলোমিটার দূরে নামা পাড়া বটতলায় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা হতে এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজরিত বটতলা ঘেঁষে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত।", "title": "জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়" }, { "docid": "319455#67", "text": "১৯৯২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে শুধু পোস্ট-গ্রাজুয়েশন কোর্স চালু হলেও পরে গ্রাজুয়েশন কোর্সও চালু করা হয়। ২০০৪ সালের ২৭ মার্চ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল করা হয়। বিভাগটি মোকাররম ভবনরাজিতে অবস্থিত মনোরম সায়েন্স কমপ্লেক্স ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় অবস্থিত। এই বিভাগ গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ লুৎফর রহমানের অবদান উল্লেখযোগ্য। এই বিভাগের ১১টি আধুনিক ল্যাবরেটরী রয়েছে। এই বিভাগের অধ্যাপকগণ বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে এসেছেন। ২০১০ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদে প্রথম এই বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা হয়। ২০১০ সালের এসিএম আইসিপিসিতে এই বিভাগের ডিইউ ডার্ক নাইট দল অংশগ্রহণ করে। এই বিভাগের একটি সক্রিয় অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন আছে। ২০১২ সালে বিভাগটি তার প্রতিষ্ঠার ২০ বছর উদযাপন করে। বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের একটি বিশেষ অংশ জুড়ে রয়েছে এ বিভাগের কৃতী শিক্ষার্থীরা। বিশ্বের নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যেমন গুগল, মাইক্রোসফট, মটরোলা, নোকিয়া, সিমেন্স ইত্যাদিতে এই বিভাগের বহু প্রাক্তন শিক্ষার্থী কর্মরত আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অটোমেটেড সিস্টেম সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি সহায়তায় এই বিভাগের অবদান রয়েছে।", "title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহ" }, { "docid": "319455#31", "text": "প্রয়াত অধ্যাপক এ.কে.নাজমুল করিমের উদ্যোগে ও ইউনিসেফের আর্থিক সহযোগিতায় ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদের অধীনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চালু হবার পর বিভাগটি এই অনুষদের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের সাথে সাথে পি.এইচ.ডি ও এম.ফিল. প্রোগ্রাম চালু আছে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক নাজমুল করিম প্রতিষ্ঠিত একটি জাদুঘর আছে যা বাংলাদেশের সার্বিক সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে।", "title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহ" }, { "docid": "2560#5", "text": "১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ২৪ জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা আধুনিক বাংলার ইতিহাসে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, তেমনি ঢাকা কলেজের জন্যও এক অভাবনীয় ঘটনা। কেননা কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই ঢাকা কলেজকে এর অধিভুক্ত করা হয়। সে সময় থেকেই কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হলেও এর কাঠামোগত বা অন্য পরিবর্তনসমূহের কথা ভাবা হয়নি গুরুত্বের সঙ্গে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, সেসময়ের৬ সরকার মূলত কোলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের সঙ্গে এর একটি বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। এমনকি এই কলেজে কোনো নতুন অধ্যাপকও নিয়োগ দেয়া হয়নি। ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে গণিতশাস্ত্রের পন্ডিত অধ্যাপক ব্রেনান্ডকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়। ব্রেনান্ড নিয়োগ পাবার সঙ্গে সঙ্গে কলেজের উন্নতিকল্পে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেন। বলাবাহুল্য, ব্রেনান্ডকে পেয়ে ঢাকা কলেজ এক ক্রান্তিলগ্ন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়।", "title": "ঢাকা কলেজ" }, { "docid": "15606#1", "text": "আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা আহছানিয়া মিশন দ্বারা ১৯৯৫ সনে \"বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২\" অণুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয় যা বাংলাদেশের সর্বাধিক মানসম্পন্ন বেসরকারী বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। ঢাকা আহছানিয়া মিশন একটি অলাভজনক বাংলাদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা ১৯৫৮ সালে খান বাহাদুর আহছানুল্লা প্রতিষ্ঠিত করেন। ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস । স্থাপত্য ও প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও কলা এবং ব্যবসা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা অণুষদের অধীনে রয়েছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়সমূহ। আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিস, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন ও অন্যান্য অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং পেশাদার সম্পর্ক রক্ষণাবেক্ষণ করে ।", "title": "আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়" }, { "docid": "63805#5", "text": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শুরু থেকেই সুপরিকল্পিত ভাবে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হয়। অধুনালিপ্ত পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের রাজধানীর জন্য ঐতিহাসিক বাগ-এ-পাতশাহীতে গড়ে উঠেছিলো রমনীয় \"রমনা\"। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মনোলোভা দৃশ্যাবলী একদিকে যেমন ছিলো প্রগতিশীলতার ধারক, তেমনি তারুণ্যের উন্মত্ততাকে যেনো হাতছানি দিয়েছিলো এক উদাত্ত আহবানে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করে তার পূর্ব পাশে অবস্থিত ঢাকা হল (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল), লিটন হল, কার্জন হল, বিজ্ঞান ভবন সমূহ, ঢাকা হল এর পূর্ব পাশে বিরাট দীঘি, অপর পাশে ফজলুল হক মুসলিম হল। বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে প্রধান প্রবেশ পথ ছিলো ঢাকা হল (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল)- এর দিক থেকে, মাঠে ঢুকতেই ডানে জিমনেসিয়াম আর বামে একটি পুকুর; বিশ্ববিদ্যালয় মাঠটি ত্রিকোণাকৃতি এবং তাতে দুটি ফুটবল গ্রাউন্ড ছিলো। মাঠের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব তিনদিক দিয়েই বৃক্ষশোভিত রাজপথ প্রসারিত; বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণদিকের রাস্তাটি ইউকেলিপটাস শোভিত, যে রাস্তাটি মুসলিম হল পর্যন্ত সম্প্রসারিত এবং মুসলিম হলের সামনে শিরিষ বা রেইনট্রি জাতীয় বৃক্ষ শোভিত; পুরাতন রেললাইনের সঙ্গে সমান্তরাল সাবেক পূর্ববাংলা ও আসাম সরকারের সেক্রেটারিয়েট ভবন, সামনে ইউকেলিপটাস শোভিত প্রশস্ত রাজপথ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ময়দান। ঐ সেক্রেটারিয়েট ভবনের দোতলায় প্রথমে মুসলিম হল এবং একতলায় বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিভাগ বিশেষত কলা অনুষদের বিভাগ এবং ক্লাশরুম প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় এ বিশাল ভবনটির পূর্বাংশ ব্যতীত সবটুকুই সামরিক হাসপাতালে এবং দেশবিভাগের পূর্বে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তর দিকে প্রবাহিত রাজপথের পাশে ছিলো দুটি কি তিনটি বিরাট লাল ইটের দোতলা বাংলো, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরাই বাস করতেন। এ বাংলোগুলোর পেছনে রমনা রেসকোর্সের দিকে মুখ করে বর্ধমান হাউস ও তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক নিবাস। দেশবিভাগের পরে যা হয়েছিলো, পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী প্রথমে খাজা নাজিমউদ্দিন এবং পরে নূরুল আমীনের বাসভবন। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে \"যুক্তফ্রন্টের\" জয়লাভের পর ১৯৫৭ সালে একুশ দফার এক দফা অনুযায়ী বর্ধমান হাউস বাংলা একডেমিতে রূপান্তরিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের ভেতরে সে কালে একটি পুকুর (উত্তর পূর্বকোণে) ছাড়াও একটি জঙ্গলাকীর্ণ পুরাতন কবরস্থান ছিলো, যা এখন নেই।", "title": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস" } ]
ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কে ?
[ { "docid": "434324#0", "text": "বেঞ্জামিন \"বিবি\" নেতানিয়াহু (; জন্ম ২১ অক্টোবর ১৯৪৯) হলেন ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এছাড়াও বর্তমানে নেসেটের সদস্য হিসেবে এবং একটি লিকুড পার্টির সভাপতি হিসেবে কাজ নিয়োজিত রয়েছেন।", "title": "বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু" } ]
[ { "docid": "453644#3", "text": "২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে লেভি ইশকোলের আকস্মিক দেহাবসান ঘটে। এরফলে ১৭ মার্চ, ১৯৬৯ তারিখে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ইসরাইলের রাজনীতিতে ‘আয়রন লেডি’ নামে তাঁকে ডাকা হতো যা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের উপাধি থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন তাঁকে সরকারের সেরা ব্যক্তি নামে আখ্যায়িত করেন।প্রায়শঃই তাঁকে প্রবল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন, স্পষ্টভাষী ও ইহুদিব্যক্তিদের দাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ইয়ম কিপ্পুর যুদ্ধ শেষ হবার পর ১৯৭৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ৩ জুন, ১৯৭৪ তারিখে আইজাক রবিন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।", "title": "গোল্ডা মেয়ার" }, { "docid": "71504#0", "text": "নুরি কামিল মুহাম্মাদ হাসান আল-মালিকি () (জন্ম: ২০শে জুন, ১৯৫০) ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং ইসলামিক দাওয়া পার্টর সেক্রেটারি জেনারেল। আল-মালিকি এবং তার সরকার ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিস্থাপন হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তার ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট কেবিনেট ইরাকের জাতীয় এসেম্বলির স্বীকৃতি লাভ করে ২০০৬ সালের ২০শে মে কার্যক্রম শুরু করেছে।", "title": "নুরি আল-মালিকি" }, { "docid": "260035#0", "text": "জুলিয়া ইলেন গিলার্ড (, জন্ম: ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬১) অস্ট্রেলিয়ার ২৭তম ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জুন ২০১০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনি প্রথম ১৯৯৮ সালে ফেডারেল নির্বাচনে লালোর, ভিক্টোরিয়া থেকে তিনি \"হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ\" এর সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি \"জনসংখ্যা ও অভিবাসন\" মন্ত্রনালয়ের ছায়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাডের লেবার পার্টির ডেপুটি হিসেবে নির্বাচিত হন।", "title": "জুলিয়া গিলার্ড" }, { "docid": "585528#0", "text": "ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ইসরায়েলের সরকারপ্রধান। এই পদধারী ব্যক্তি ইসরায়েলের সবচাইতে ক্ষমতাধর মানুষ হিসেবে পরিগণিত হন। যদিও ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি পদটি রাষ্ট্রপ্রধান তবে প্রধানমন্ত্রীর হাতেই মূল ক্ষমতা ন্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন হচ্ছে জেরুসালেমের 'বেইত রোশ হামেমশালা' ভবন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হতে হয়। ইসরায়েলের আইনসভার নাম হচ্ছে 'নেসেট'। রাষ্ট্রপতি এই নেসেটের যে কোনো সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুমোদন দিতে পারেন এবং ঐ ব্যক্তির স্ব রাজনৈতিক দলকে জিজ্ঞেস করে নেবেন যে মানুষটির প্রতি তাদের দলের সমর্থন আছে কিনা। ঐ ব্যক্তি (নারী বা পুরুষ) সব দিক দিয়ে মনোনয়ন পেয়ে গেলে তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন এবং পরে জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট ধার্য করা দিনে নিজেও ভোট দেবেন অন্যান্য জনগণের সঙ্গে। যে ব্যক্তির রাজনৈতিক দল বেশী ভোট পাবে তিনিই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের ৩ দিন পর (১৭ মে ১৯৪৮) ড্যাভিড বেন গুরিয়ন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। একজন প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে দেশ চালাতে পারবেন।", "title": "ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী" }, { "docid": "616459#1", "text": "দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধন গঠনের প্রাথমিক উদ্যোগ গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালে, যখন ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেনগারিন পাকিস্তানের প্রতিস্থতা মোহাম্মাদ আলি জিন্নাকে একটি তারবার্তা প্রেরণ করেন, কিন্তু জিন্না কোন প্রকার সাড়া দেয়া থেকে বিরত থাকেন। ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের কর্তাব্যাক্তিরা বিশ্বাস করতেন যে করাচীর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক নির্মাণ করা সম্ভব, অন্তত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক। ১৯৫০ এর প্রথম দিকে লন্ডনের পাকিস্তান দূতাবাস ও ইহুদী-ইসরাইলের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়। ভারত কিছু আফগান ইহুদীদের ইসরাইলে প্রত্ত্যাবাসনের জন্য পাকিস্থানের মাটি ব্যাবহারের করার অনুমতি চায়। পাকিস্তান অস্বীকৃতি জানালে ইহুদীরা ইরানের মাটি ব্যাবহার করে।", "title": "ইসরাইল-পাকিস্তান সম্পর্ক" }, { "docid": "119591#0", "text": "হেবরন মসজিদ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ সালে।ইহুদিবাদি ইসরাইলের উগ্রপন্থি ইহুদিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।তখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আইজ্যাক রবিন।যখন ফিলিস্তিনের মুসলমানরা মসজিদ ই ইব্রাহিম এ নামাজ পড়তেছিল।২৯ জন উগ্রপন্থি মিলে ১২৫ জন মুসলমানকে হত্যা করে।ওটা ছিল রমযান মাস এবং পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইলের সেনাবাহিনি আরও ১৯ জন মুসলমানকে হত্যা করে।", "title": "হেবরন মসজিদ হত্যাকাণ্ড" }, { "docid": "5126#5", "text": "ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ (জন্ম জুলাই ১০, ১৯২৫) মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৩ সালের ৩০শে অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। অবসর গ্রহণের দীর্ঘ পনের বছর পর ৯২ বছর বয়েসে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাপক দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার কারণে মাহাথির মোহাম্মদ আবারও আসেন রাজনীতিতে। ২০১৮ সালের ৯ মে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে জয়ের পরদিন ১০ মে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি", "title": "মালয়েশিয়া" }, { "docid": "616459#9", "text": "\"দি এশিয়ান এজ\" এর সাংবাদিক আদ্রেয়ান লেভি ও ক্যাথরিন স্কট ক্লার্কের বই \"Deception: Pakistan, the US and the Global Weapons Conspiracy\" এ বলা হয় যে ইসরাইল ১৯৮০ এর মধ্য ভাগে গুজরাটের জামনগর বিমান ঘাঁটি ব্যাবহার করে কাহুতা নিউক্লিয়ার স্থাপনায় হামলা চালাতে চেয়েছিল। আরও বলা হয় যে, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিজেদের সীমানার খুব কাছে তিনটি দেশের এমন সম্ভাব্য পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশংকায় পরিকল্পনাটি রদ করে দেন।", "title": "ইসরাইল-পাকিস্তান সম্পর্ক" }, { "docid": "704476#2", "text": "১৯৯৪ সালে ২৬ অক্টোবর জর্ডান এবং ইসরাইল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে,অনুষ্ঠানটি হয় জর্ডানে বর্ডারের পাশে ইসরাইলের আলভা বেলিতে। প্রধানমন্ত্রী রবিন এবং প্রধানমন্ত্রী আবদেল ইসলাম আল-মাজালি চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিংটন চুক্তিটি পর্যবেক্ষন করেন । পোগ্রাম শেষ হওয়ার পর হাজারো বেলুন উড়ানো হয়। মিশর স্বাগত জানায় যেখানে সিরিয়া প্রত্যাখ্যান করে ।", "title": "জর্ডান-ইসরাইল শান্তি চুক্তি" } ]
মূল কুরআন রচিত হতে মোট কত বছর সময় লাগে ?
[ { "docid": "4763#1", "text": "মুসলমানদের বিশ্বাসমতে আল্লাহ ফেরেশতা জিব্রাইল এর মাধ্যমে ইসলামিক নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর কাছে মৌখিকভাবে কুরআনের আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন, দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। কুরআনের প্রথম আয়াত অবতীর্ণ হয় ৬০৯ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর যখন মুহাম্মাদের বয়স ৪০ বছর এবং অবতরণ শেষ হয় মুহাম্মাদের তিরোধানের বছর অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকেন কুরআন হচ্ছে মুহাম্মাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক ঘটনা যা তার নবুয়তের প্রমাণস্বরূপ এবং ঐশ্বরিক বার্তা প্রেরণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায় যা আদম থেকে শুরু হয়ে মুহাম্মাদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তবে সুফিবাদের অনুসারীরা বিশ্বাস করে থাকেন মুহাম্মাদের সকল কর্মকান্ডে উম্মতের কাছে বোধগম্য করে তোলার জন্যই কুরআন অবতীর্ণ করা হয়। কুরআনের আয়াতসমূহে কুরআন শব্দটি ৭০ বার এসেছে।", "title": "কুরআন" }, { "docid": "4763#2", "text": "ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআনকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল:", "title": "কুরআন" }, { "docid": "558197#3", "text": "মহানবী মুহাম্মাদ (সা) এর বয়স যখন চল্লিশ বছর, তখন থেকে কুরআন অবতরণ শুরু হয়। এটি ছিল ৬১০ খ্রিস্টাব্দ। এরপর সুদীর্ঘ প্রায় ২২ বছর যাবৎ এর অবতরণ অব্যাহত থাকে এবং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। অবতরণের বিভিন্ন পর্যায়ে যখনই কুরআন নাজিল হতো, মুহাম্মাদ (সা) এবং তার অনুসারীবৃন্দ তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। প্রাথমিকভাবে, কুরআনের নাজিলকৃত অংশে মুখস্থকরণের মাধ্যমে তা সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে, লিখনীর মাধ্যমে তা হিফাজতের ব্যবস্থা করা হয়। সংরক্ষণ ও নির্ভুলতার ক্ষেত্রে কোনো প্রামাণ্য দলিল যখন শুরু থেকেই লিপিবদ্ধ করা হয়, তখন তার গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। লোকমুখে প্রচারিত ইতিহাস, গল্প খুব সহজেই বিকৃত হয়ে যেতে পারে; কিন্তু লিখিত কোন দলিলের ক্ষেত্রে তা হওয়া সম্ভবপর নয়।", "title": "কুরআনের সমালোচনা ও খণ্ডন" }, { "docid": "546496#1", "text": "মুসলমানদের বিশ্বাস ও ইসলামী গবেষকদের তথ্য মতে, কুরআর নাযিল ৬১০ খ্রীস্টাব্দে শুরু হয়, যখন ফেরেশতা জিব্রাঈল (Arabic: جبريل, \"Jibrīl\" or جبرائيل, \"Jibrāʾīl\") মক্কা নগরীর হেরা পর্বতে, সর্ব প্রথম কোরআনের সূরা আলাক্ব এর প্রথম পাঁচটি আয়াত নবী মুহাম্মাদকে পাঠ করান। আর এই ধারাবাহীকতা ৬৩২ খ্রীস্টব্দে তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়। আমরা আজ যে কোরআন গ্রন্থাকারে দেখতে পাই, সেটি সংকল করেছেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু(৬৪৪ থেকে ৬৫৬)। তিনি আমিরুল মু'মিনিন বা বিশ্বাসীদের নেতা হিসাবে তাঁর খিলাফতের (ইসলামিক সরকারের) সময় হুুযায়ফা ইবনে ইয়েমেনি (রা:) এর পরামর্শে এ দায়িত্ব পালন করেন। যার জন্য তাকে আজও জামিউল কুরআন বা কুরআন সংকলনকারি বলা হয়। আর পুরো বিশ্বে তাঁর সময়ে লিপিবদ্ধ করা কুরআন প্রচলিত রয়েছে। অধ্যাপক ফ্রান্সিস এডওয়ার্ড পিটার্স এর ভাষ্যমতে, \"কুরআন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, পক্ষপাত এড়াতে অত্যন্ত রক্ষণশীলতা ও সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।\"", "title": "কুরআনের ইতিহাস" }, { "docid": "546496#13", "text": "বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নের্তৃত্বে কুরানের কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে এর কার্বন ডেটিং করার পর ৯৫.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়ে বলা যায় ৫৬৮ থেকে ৬৪৫ খ্রিষ্ঠাব্দের মধ্যে কুরানের আয়াত লিখা হয়েছিল। সাধারণের মতে মুহম্মদ ৫৭০ খ্রিষ্ঠাব্দ থেকে ৬৩২ খ্রিষ্ঠাব্দ পর্যন্ত বেচেঁ ছিলেন। মুহম্মদের জীবনী আর কোরানের আয়াত সংবলিত এই পাতার বয়স দেখে এটাই অনুমান করা যায় যে, সম্ভবয় কুরানকে বই হিসেবে মুহম্মদের বেচেঁ থাকার সময়ে বা তার মৃত্যুর পরপরই সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছিল।", "title": "কুরআনের ইতিহাস" } ]
[ { "docid": "8289#9", "text": "অনুবাদক হিসেবে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি কুরআনের অনুবাদের কাজ শুরু করেন। তিনি পর্যায়ক্রমে মোট ১২ টি খন্ডে এই অনুবাদকর্ম সমাপ্ত করেন। 'তাপসমালা'র দুটো খন্ড বের হওয়ার পর ১৮৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর কুরআনের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়। প্রথম খন্ড প্রকাশের সময় গিরিশচন্দ্র অনুবাদকের নাম গোপন রাখেন। কারণ তৎকালীন সময়ে কাজটি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। মুসলিম সমাজে এর প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সে সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণাই ছিলনা। গ্রন্থটিতে শুধুমাত্র প্রকাশক গিরিশচন্দ্র সেন এবং মুদ্রক তারিণীচরণ বিশ্বাসের নাম ছিল। ৩২ পৃষ্ঠার এই খন্ডের মূল্য ছিল মাত্র চারআনা। কিন্তু গিরিশচন্দ্রের আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হলো। মুসলমান আলেমসমাজ এই মহৎকর্ম সম্পাদন করার জন্য এই অজ্ঞাতনামা অনুবাদকের প্রশংসা করে ব্রাহ্মসমাজের নিকট পত্র প্রেরণ করেন। তাঁদের প্রশংসাপূর্ণ পত্রের অংশবিশেষ নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ", "title": "গিরিশ চন্দ্র সেন" }, { "docid": "540360#3", "text": "কুরআন মাজীদে ১১৪টি সুরা ও ৬২৩৬টি আয়াত রয়েছে। হাফেজ হওয়ার এ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে সাধারণত ৩ থেকে ৬ বছর লাগে। এর জন্যে বিশেষ মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে কুরআন মুখস্থের সাথে সাথে সঠিক উচ্চারণরীতিও শেখানো হয়। মুসলমান সমাজে হাফেজরা খুবই সম্মানিত। তারা তাদের নামের আগে হাফেজ শব্দটি ব্যবহার করে।", "title": "হাফেজ" }, { "docid": "1378#8", "text": "পারগিটার (১৯২২) বলেছেন, \"মূল পুরাণগুলি\" (\"original Purana\") সম্ভবত বেদের সর্বশেষ লিখিত রূপের সমসাময়িক। এবং পারগিটার (১৯৭৯) মনে করেন, বায়ু পুরাণে যে যুগগুলি ৪৮০০, ৩৬০০, ২৪০০ ও ১২০০ বছরে বিভক্ত হয়েছে তার মধ্যে পৌরাণিক কৃত যুগ \" সমাপ্তি রাম জমদগ্ন্যের দ্বারা হৈহয়দের ধ্বংসপ্রাপ্তিতে; ত্রেতা যুগের সূত্রপাত রাজা সগরের সময়কালে এবং সমাপ্তি রাম দাশরথি কর্তৃক রাক্ষস ধ্বংসে; দ্বাপর যুগের সূত্রপাত অযোধ্যা-প্রত্যাবর্তনে এবং সমাপ্তি ভারতযুদ্ধে।\"\nআরিয়ান রচিত ইন্ডিকায়, মেগাস্থিনিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে ভারতীয়রা শিব (ডায়োনিসাস) থেকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য (সান্ড্রাকোটাস) পর্যন্ত \"ছয় হাজার তেতাল্লিশ বছরে একশো তিপান্ন জন রাজা\" গণনা করে। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে রচিত বৃহদারণ্যক উপনিষদে (৪।৬) গুরু-পরম্পরায় ৫৭টি যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ গুরু-পরম্পরা তারও ১৪০০ বছর আগে থেকে প্রচলিত ছিল। যদিও এই তালিকার যথার্থতা নিয়ে মতদ্বৈধ রয়েছে। কহ্লন রচিত রাজতরঙ্গিনী গ্রন্থে বর্ণিত রাজাবলিতে খ্রিস্টপূর্ব ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত রাজাদের তালিকা পাওয়া যায়।\nপুরাণ গ্রন্থসমুচ্চয় এমন এক জটিল উপাদান-সংগ্রহ যাতে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী সম্প্রদায়ের উদ্ভবতত্ত্ব বর্ণিত হয়েছে। তাই গেভিন ফ্লাড ঐতিহাসিকভাবে লিখিত পুরাণের উদ্ভবের সঙ্গে গুপ্তযুগে নির্দিষ্ট দেবতাকেন্দ্রিক ধর্মসম্প্রদায়ের উদ্ভবের ঘটনাকে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত মনে করেছেন:\n\"যদিও এই গ্রন্থগুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং এদের একটিতে অপরটির উপাদান প্রায়শই গৃহীত হয়েছে, তবুও বলতে হয়, প্রতিটি গ্রন্থেই ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিতে জগতকে দেখা হয়েছে। এগুলিকে প্রচলিত উপকথার এলোপাথাড়ি সংকলন মনে করা উচিত নয়। এগুলি সুসংকলিত, বিষয়গতভাবে সুসংবদ্ধ, বিশ্বচেতনার অভিপ্রকাশ এবং ধর্মীয় তত্ত্বকথা। ব্রাহ্মণদের নির্দিষ্ট গোষ্ঠী নির্দিষ্ট দর্শনকে তুলে ধরার জন্য এগুলি সংকলন করেছিলেন; কেবল কেউ বিষ্ণু, কেউ শিব, কেউ বা দেবী বা অন্য কোনো দেবতার উপর আলোকপাত করেন।\"\nস্থানীয় ভাষার অনুবাদে পুরাণগুলি সহজলভ্য। কথক নামে পরিচিত ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে কথকতার মাধ্যমে ভক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে পুরাণের কাহিনিগুলি জনসমাজে প্রচার করে সাধারণ্যে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেন।", "title": "পুরাণ" }, { "docid": "93023#7", "text": "সুলতান প্রথম আবদুল মজিদ ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদ পুনর্নির্মাণ শুরু করেন। এতে মোট ১৩ বছর লেগেছিল। মূল উপকরণ হিসেবে লাল পাথরের ইট ব্যবহার করা হয়। মেঝে ১২৯৩ বর্গ মিটার বৃদ্ধি করা হয়। দেয়ালে ক্যালিগ্রাফিক শৈলীতে কুরআনের আয়াত উৎকীর্ণ করা হয়। মসজিদের উত্তরে কুরআন শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা নির্মিত হয়।", "title": "মসজিদে নববী" }, { "docid": "546496#58", "text": "বিংশ শতাব্দীতে সানার অনুলিপি আবিষ্কৃত হয় । কার্বন পরীক্ষার মাধ্যমে এটি ৬৩২-৬৭১ খ্রিষ্টাব্দের বলে নির্ধারণ করা গেছে । এর প্রতি পাতার উপরের অংশে এক ধরনের লিপি এবং নীচের অংশে ভিন্ন ধরনের লিপি দেখা যায়। উপরের অংশের আয়াত এবং ক্রমবিন্যাস হুবহু বর্তমানের প্রমিত কুরআনের অনুরুপ। নীচের অংশের লিপিতে সুরার ক্রমবিন্যাসে পার্থক্য রয়েছে। আর যে ভিন্নতা রয়েছে, যেমন শব্দ ও বাক্যাংশ, তার বেশিরভাগই প্রমিত কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যা। নীচের অংশের লিপি প্রমিত, আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ, উবাই ইবনে কাবের অনুলিপি থেকে ভিন্ন। অনেক পন্ডিত মনে করেন, নীচের অংশের লিপি হয়ত কোন সাহাবীর ব্যক্তিগত পান্ডুলিপির অনুলিপি।", "title": "কুরআনের ইতিহাস" } ]
বাংলাদেশ কি একটি ইসলামী রাষ্ট্র ?
[ { "docid": "596329#3", "text": "বাংলাদেশ রাষ্ট্র কেন্দ্র করেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের উদ্ভব । বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম রাষ্ট্র তাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হলো ইসলামী মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রীয় ভূখন্ডের সার্বভৌমত্ব।\nজাতীয়তাবাদের বহিঃপ্রকাশ হলো দেশপ্রেম। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী দেশপ্রেম একটি ইবাদত। এজন্য বলা হয় ইসলাম ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ সমমুখী।", "title": "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ" }, { "docid": "549371#4", "text": "সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা মুছে ফেলাকে বর্ণনা করা হয় বাঙ্গালীত্তের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে এবং তা বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ছিল, উভয়কেই বহুত্ববাদী ও প্রগতিশীল হিসেবে দেখা হয়। যাইহোক,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টির নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্র-অধিকার এবং রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল ঘোষণা করে যে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবোধ নির্দেশ করে ৮৯ ভাগ জনগণ মুসলিম হওয়ায় এটি একটি ইসলামি রাষ্ট্র।\n২০০৮ সালে নতুন নির্বাচিত আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশের সনবিধানের মূল চারটি ভিত্তি ভুমিকাতে উল্লেখের ঘোষণা করে। যদিও জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশ একটি মধ্যম মুসলিম গনতাত্নত্রিক দেশ তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনি বলেন \" বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ, মধ্যম মুসলিম রাষ্ট্র নয়\"।", "title": "বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা" }, { "docid": "822#27", "text": "বাংলাদেশের বৈদেশিক বা আন্তর্জাতিক বা পররাষ্ট্রনীতি হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত অপরাপর রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও আচরণের নীতিমালা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়', এই নীতি অনুসরণ করে বৈদেশিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই বিংশ শতাব্দীর স্নায়ুযুদ্ধে প্রভাবশালী রাষ্ট্রসমূহের পক্ষাবলম্বন থেকে বিরত থেকেছে। একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হওয়ার কারণে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সুদৃঢ় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। পাশাপাশি, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধী।", "title": "বাংলাদেশ" }, { "docid": "822#0", "text": "বাংলাদেশ () দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভৌগোলিকভাবে একটি উর্বর ব-দ্বীপের অংশ বিশেষ। পার্শ্ববর্তী দেশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিকভাবে জাতিগত ও ভাষাগত \"বঙ্গ\" অঞ্চলটির অর্থ পূর্ণ করে। \"বঙ্গ\" ভূখণ্ডের পূর্বাংশ পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পৃথিবীতে যে ক'টি রাষ্ট্র জাতিরাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।", "title": "বাংলাদেশ" }, { "docid": "549371#0", "text": "ধর্ম নিরপেক্ষতা () ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের প্রাথমিক সংবিধানের চারটি প্রধান মূল ভিত্তির মধ্যে একটি।\"ধর্ম নিরপেক্ষতা\" ভিত্তিটি ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সংবিধান থেকে সরিয়ে ফেলেন যা পুনস্থাপন করেন \" পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র উপর \" দ্বারা এবং ১৯৮৮ সালে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ আদালত\"ধর্ম নিরপেক্ষতাকে\" সংবিধানের একটি মূল মতবাদ হিসাবে পুনঃস্থাপন করেন। তবে ইসলাম রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে বহাল ছিল। বাংলাদেশর ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ মুসলিম,বাকি অংশ হচ্ছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য। বছরজুরে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের ধর্ম নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান উৎযাপন করে। দক্ষিণ এশিয়ার ধর্ম নিরপেক্ষতা পশ্চিমা দের থেকে অনেক ক্ষেত্রেই পৃথক যেখানে তারা নিশ্চিতভাবে রাষ্ট্র এবং উপাসনালয়কে পৃথক অবস্থায় রাখে। এর পরিবর্তে এখানে কোন রাষ্ট্র বা সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের স্বীকার না হয়ে যেকোনো ধর্ম চর্চা করা একটি ব্যক্তির স্বাধীনতা ।", "title": "বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা" }, { "docid": "549371#2", "text": "বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধান ৮ নং অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অংশে \"ধর্ম নিরপেক্ষতাকে\" রাষ্ট্র তন্ত্রের একটি ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করে এবং অনুচ্ছেদ ২ক এর প্রথম অংশে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২ এর দ্বিতীয় অংশে যা ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল তাতে বলা আছে -", "title": "বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা" } ]
[ { "docid": "12134#17", "text": "জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর গঠনতন্ত্র অনুসারে, কোরানে বর্নিত আল্লাহর আইন অনুসারে সমগ্র রাষ্ট্রে পরিপূর্ণ ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করা। ইসলামকে বিভক্তির হাত থেকে রক্ষা করে সমগ্র রাষ্ট্রে সম্পূর্ণরূপে কায়েম করিবার জন্য চেষ্টা ও সাধনা করা এবং আল্লাহর নির্দেশিত অবশ্য পালনীয় কর্তব্যসমূহ যেমন নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত ইত্যাদি পালনে নাগরিকদের সচেতন করা। এসবের মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সর্বপ্রকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক হুমকি এবং বিশৃংখলা হইতে রক্ষা করিবার চেষ্টা করা। দায়িত্বশীল নাগরিক এবং চরিত্রবান ও যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে শোষনহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করে জনসাধারণের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন করা এবং বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সংগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।", "title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী" }, { "docid": "12134#0", "text": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যার পূর্বনাম ছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়া আইন বাস্তবায়ন এই দলের উদ্দেশ্য। এই দলের অনুসারীগণ ইসলাম তথা কুরআন-সুন্নাহ মেনে চলেন। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন সম্পর্কিত একটি রুলের রায়ে এই সংগঠনের নিবন্ধন অবৈধ এবং একে নির্বাচনে অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষণা করে।", "title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী" }, { "docid": "12134#2", "text": "১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দলটির নেতাকর্মীরা ফিরে আসার অনুমতি পান এবং ১৯৭৯ সালের মে মাসে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো শরিয়া ভিত্তিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দেশসমূহে লক্ষ করা যায়। জামায়াতের বিরুদ্ধে হিন্দু ও বৌদ্ধ এবং আহমদিয়া মুসলিমদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণের অভিযোগ করা হয়ে থাকে।", "title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী" }, { "docid": "488292#0", "text": "বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে একাধিক ধর্মনিরপেক্ষ নিরীশ্বরবাদী লেখক, ব্লগার ও প্রকাশক ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন। এই আক্রমণের ঘটনাগুলির সম্ভাব্য কারণ হল সমসাময়িক বাংলাদেশে চলমান এক দ্বন্দ্ব। এর এক দিকে আছেন ধর্মনিরপেক্ষ জনসমাজ, যাঁরা বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য বজায় রাখতে চান, ও অন্যদিকে আছেন ইসলামবাদী জনসমাজ যাঁরা বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল-এর বিচারকাজগুলি, যেগুলিতে সাম্প্রতিক অতীতের বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, সেগুলিও এই দ্বন্দ্বের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে।", "title": "বাংলাদেশে ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণ" } ]
কনস্টান্টিনোপল সাম্রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল ?
[ { "docid": "341565#0", "text": "কনস্টান্টিনোপল (; ; ; and modern ) শহরটি ছিল রোমান সাম্রাজ্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য, ল্যাটিন সাম্রাজ্য ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী। ৩২৪ খ্রিষ্টাব্দে সাবেক বাইজেন্টিয়ামে সম্রাট কন্সটান্টাইন কর্তৃক এটি পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। তার নামে এটির নামকরণ করা হয় ও ৩৩০ এর ১১ মে উৎসর্গিত হয়। ১২ শতকে এটি ইউরোপের সর্ববৃহৎ ও সর্বাপেক্ষা ধনী শহর ছিল।", "title": "কনস্টান্টিনোপল" } ]
[ { "docid": "349810#3", "text": "রোমান সম্রাট কন্সট্যান্টাইন কর্তৃক ৩৩০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কনস্টান্টিনোপল রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পরবর্তী ১১ শতাব্দী যাবত শহরটি বেশ কয়েকবার অবরোধ সম্মুখীন হলেও ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ছাড়া এটি কেউ দখল করতে পারেনি। ক্রুসেডাররা কনস্টান্টিনোপলকে ঘিরে একটি অস্থায়ী ল্যাটিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশ বেশ কিছু গ্রীক রাষ্ট্র, বিশেষ করে নাইসিয়া, এপিরাস ও ট্রেবিজন্ডে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই গ্রীকরা মিত্র হিসেবে ল্যাটিন শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করলেও বাইজেন্টাইন মুকুটের জন্যও নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়।", "title": "কনস্টান্টিনোপল বিজয়" }, { "docid": "349810#0", "text": "কনস্টান্টিনোপল বিজয় (, \"\"; )\nরাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর ভবিষ্যৎবাণী কনস্টান্টিনোপল বিজয়,১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সুলতান উসমানীয় সাম্রাজ্য সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ কর্তৃক শহরটি অধিকারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। পূর্বে এটি পূর্ব রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। শহর অধিকারের পূর্বে এটি জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবরোধের সম্মুখীন হয়। এরপর চূড়ান্তভাবে শহরটি উসমানীয়দের অধিকারে আসে। তারও পুর্বে মহান সেলযুক সুলতান আল্প আরসালান ও শহরটি জয় করেছিলেন কিন্তু এর দখল ধরে রাখতে পারেননি।", "title": "কনস্টান্টিনোপল বিজয়" }, { "docid": "341565#1", "text": "কনস্টান্টিনোপলের পূর্বনাম ছিল বাইজান্টিয়াম। সম্রাট কন্সটান্টাইন যখন এখানে রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী সরিয়ে আনেন তখন এই শহরের নামকরন করেন কনস্টান্টিনোপল যার অর্থ কন্সটান্টাইনের শহর।", "title": "কনস্টান্টিনোপল" }, { "docid": "341565#3", "text": "দীর্ঘকাল ধরে এই শহরের মূল গুরুত্ব ছিল বাণিজ্যবন্দর হিসেবে। দ্বিতীয় শতকের শেষ দিকে সম্রাট সেপ্তিমিয়াস সেভারাস তার প্রতিদ্বন্দ্বী পেসিনিয়াস নিগারকে হারানোর পর এই শহরের অনেক ক্ষতি সাধন করেন। কন্সটান্টাইন যখন রোমান সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানীর জন্য জায়গা অনুসন্ধান করছিলেন তখন শুরুতে আরও অন্যান্য শহরের কথাও চিন্তা করেছিলেন। ৩২৪ খ্রিস্টাব্দেও এটি গ্রামের মত ছিল। অনেকটা হঠাৎ করেই তিনি এখানে রাজধানী স্থাপন করেন। খ্রিষ্টান ঐতিহাসিকগণ অলৌকিক প্রভাবের কথা বলেছেন।", "title": "কনস্টান্টিনোপল" }, { "docid": "1109#24", "text": "গ্রিক ভাষী অধ্যুষিত পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য পশ্চিমে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এর রাজধানী ছিলো কনস্টান্টিনোপল। সম্রাট প্রথম জুথিনিয়ান কনস্টান্টিনোপললের প্রথম স্বর্ণযুগে শাসন করেন: তিনি আইনগত নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেন, হাজিয়া সোফিয়া নির্মাণ তহবিল দেন এবং রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের অধীনে খ্রিস্ট গির্জা আনেন। বেশিরভাগ সময়ের জন্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, এবং সামরিক বাহিনী ছিল। ১২০৪ সালে কনস্ট্যান্টিনোপোলের ধ্বংসসাধনে মারাত্মকভাবে দুর্বল, চতুর্থ ক্রুসেডের সময়, উসমানীয় সাম্রাজ্যের হাতে বাইজেন্টাইনের ১৪৫৩ সালে পতন ঘটে।", "title": "ইউরোপ" }, { "docid": "699530#10", "text": "৩২৪ খ্রিস্টাব্দে মহান কন্সট্যান্টাইন বাইজেন্টিয়ামকে রোমান সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন নতুন রোম। ৩৯৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম থিওডোসিয়াসের মৃত্যুর পর এবং রোমান সাম্রাজ্য তার দুই পুত্রের মধ্যে বিভক্ত হয়ে গেলে, এই নগরীর নাম পরিবর্তন করে কনস্টান্টিনোপল রাখা হয় এবং নগরীটিকে পূর্ব রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী করা হয়। এটিকেই পরবর্তীকালে ইতিহাসবেত্তা বাইজেন্টীয় সাম্রাজ্য নামে অভিহিত করেন। এই সাম্রাজ্যই বর্তমান তুরস্কের অঞ্চলসমূহকে মধ্যযুগের শেষ সময় পর্যন্ত শাসন করে। বাকি অঞ্চলসমূহ সাসানীয় সাম্রাজ্যের অধিগত রয়ে যায়।", "title": "তুরস্কের ইতিহাস" }, { "docid": "341565#4", "text": "রাজধানী হবার পরই এই শহরের অভুতপুরব উন্নতি ঘটে। চতুর্থ শতকের শুরুতে এখানে দুই লক্ষাধিক লোক বাস করত। পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য যতদিন গুরুত্বপূর্ণ ছিল ততদিন এই শহরও জৌলুশময় ছিল। কিন্তু ১২০৪ সালে চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ক্রুসেডাররা এই শহরের ব্যাপক ক্ষতি করে। পরবর্তী ২০০ বছর এই শহর অধঃপতনের দিকেই ছিল। তবে খ্রিষ্টান ধর্মের একটি প্রধান শহর হিসেবে এর গুরুত্ব সবসময়ই ছিল। এই শহরের প্রতিরক্ষা পদ্ধতিও ছিল অত্যন্ত দৃঢ়। তাই আরব ও তুর্কিরা বহু শতাব্দী ধরে চেস্টা করেও এই শহর দখল করতে পারে নি। অবশেষে ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ এই শহরটি দখল করেন এবং ওসমানীয় সালতানাতের নতুন রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন।", "title": "কনস্টান্টিনোপল" }, { "docid": "349785#0", "text": "বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনপলের উপর বেশ কয়েকটি অবরোধ আরোপ হয়। এর মধ্যে দুইটি অবরোধ সফল হয়। প্রথমটি হল ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ক্রুসেডারদের অবরোধ এবং দ্বিতীয়টি হল ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের অবরোধ।", "title": "কনস্টান্টিনোপল অবরোধের তালিকা" }, { "docid": "349810#40", "text": "বাইজেন্টিয়াম শব্দটি দ্বারা আধুনিক ইতিহাসবিদরা পরবর্তী রোমান সাম্রাজ্যকে বোঝান। কনস্টান্টিনোপল থেকে শাসন করা সাম্রাজ্যকে তৎকালীন সময়ে “রোমান সাম্রাজ্য” বলা হত। সম্রাট কনস্টান্টাইন এই শহরের নাম দিয়েছিলেন “নতুন রোম”। কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর এর উত্তরাধিকার নিয়ে কোন্দল শুরু হয়। রাশিয়ানরা নিজেদেরকে বাইজেন্টাইন উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করে। সুলতান মুহাম্মদ নিজেকে রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে গণ্য করতেন এবং নিজেকে ‘’কায়সার-ই রুম’’ বা রোমের সিজার হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে তাকে “বিজয়ী” হিসেবেই বেশি স্মরণ করা হয়। তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্টাকাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই আদর্শিক সংঘাত রাশিয়া ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধে ইন্ধন যোগায়। আঠারো ও উনিশ শতকে রুশ সেনারা ধীরে ধীরে কনস্টান্টিনোপলের দিকে অগ্রসর হয়। ১৮৭৭-১৮৭৮ এর রুশ-তুর্কি যুদ্ধের সময় রুশ সেনারা টোপকাপি প্রাসাদের দশ মাইল (১৬ কিমি) পশ্চিমে কনস্টান্টিনোপলের ইয়েশিলকো শহরতলীতে এসে পৌছায়।", "title": "কনস্টান্টিনোপল বিজয়" } ]
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় ক্রিকেট দল কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
[ { "docid": "290161#3", "text": "১৮৯০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তখন তারা সফরকারী ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে প্রথম মাঠে খেলতে নামে। ১৯২৬ সালে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড বা ডব্লিউআইসিবি যোগদান করে। এরপরই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে। ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ৪র্থ টেস্টখেলুড়ে দলের মর্যাদা লাভ করে।", "title": "ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল" }, { "docid": "347260#1", "text": "১৮৮০-এর দশক থেকে আন্তঃ-উপনিবেশ প্রতিযোগিতা ও খেলা আয়োজনের জন্য কোন কেন্দ্রীয় পরিচালনা সংস্থা না থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট একাদশ ইংল্যান্ড, কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করে। কিন্তু ঐ অঞ্চলে একই ধরনের সংস্থা থাকায় অনানুষ্ঠানিকভাবে বড় ক্লাব দলগুলোর সাথে সংঘাতে পরিণত হয়। এ প্রেক্ষিতে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারগণ একটি সংস্থা গঠনের উপযোগিতা উপলদ্ধি করেন। কিন্তু ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য থাকায় তা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের অন্যতম সদস্য ও পরবর্তীকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার আর. এইচ. মল্যাট এ সমস্যা দূরীকরণে এগিয়ে আসেন। তিনি অনেকগুলো অঞ্চলে প্রতিনিধিত্ব করে সংস্থাগুলোকে একত্রিত করার প্রয়াস চালিয়ে সফলকাম হন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নামের সংস্থাটি গঠন করেন। বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত খসড়া সভাটি \"ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কনফারেন্স\" নামে ১৯২৬ সালে পরিচিতি পায়।", "title": "ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ" }, { "docid": "629095#2", "text": "১৮৯৭ সাল থেকে সম্মিলিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল আরও নিয়মিতভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে থাকে। তখন দলটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ নাম ধারন করে লর্ড বার্কলি একাদশ কিংবা আরএ বেনেট একাদশের ন্যায় সফরকারী ইংল্যান্ডের শৌখিন দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে থাকে। তবে, ১৯১২ সালের পর থেকে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফর করেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও ১৯০০, ১৯০৬ ও ১৯২৩ সালে ইংল্যান্ডে যায়। সেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে বিভিন্ন ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল ও ক্ষুদ্রতর কাউন্টি দলগুলোর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল।", "title": "ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা" }, { "docid": "350343#0", "text": "ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্বকারী মহিলাদের ক্রিকেট দল। দলের বর্তমান অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন স্তাফানি টেলর। ৭ মে, ১৯৭৬ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জ্যামাইকার মন্টিগো বে এলাকায় সর্বপ্রথম ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে। দলের সেরা ফলাফল হিসেবে রয়েছে ২০০৫ ও ২০১৩ সালের মহিলাদের বিশ্বকাপে রানার্স-আপ অর্জন। ২০১৬ সালের আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার শিরোপা লাভ করে দলটি।", "title": "ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা ক্রিকেট দল" } ]
[ { "docid": "347260#2", "text": "১৯২৬ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ ক্রিকেট দলের অন্যান্য দেশের বিপক্ষে টেস্ট সফর ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেলা পরিচালনায় এ সংস্থা মূখ্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া ক্রিকেটে আঞ্চলিক চার দিনের প্রতিযোগিতা এবং ঘরোয়া একদিনের (লিস্ট এ) প্রতিযোগিতা ডব্লিউআইসিবি কাপ আয়োজন করে সংস্থাটি। স্যার অ্যালেন স্ট্যানফোর্ডের সম্মানার্থে টুয়েন্টি২০ পদ্ধতির ক্রিকেটে ঘরোয়া স্ট্যানফোর্ড ২০/২০ প্রতিযোগিতায়ও সম্পৃক্ততা রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের।\n২৮,০০০ দর্শকশন বিশিষ্ট কেনসিংটন ওভাল এর সর্ববৃহৎ মাঠ।", "title": "ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ" }, { "docid": "474744#0", "text": "ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল হচ্ছে ১৯৭৪ সালে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুব ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্বকারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দল। প্রতিযোগিতাটির মাধ্যমে ব্রায়ান লারা, শিবনারায়ণ চন্দরপল, রামনরেশ সারওয়ান এবং কোর্টনি ওয়ালশ এর মত খ্যাতিমান ক্রিকেটাররা এসেছেন যারা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তারা এখনো পর্যন্ত ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন; যেটি রিভারসাইড গ্রাউন্ডে ২০০১ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ ছিল। দলটির পরিসংখ্যান বলতে গেলে জয় পেয়েছেন ১২টিতে এবং পরাজিত হয়েছেন ৫টিতে।", "title": "ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল" }, { "docid": "347260#0", "text": "ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (পূর্ব নাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) ওয়েস্ট ইন্ডিজ অঞ্চলের পেশাদার ও শৌখিন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ক্রীড়া পরিচালনা পরিষদ। এক ডজনেরও অধিক ইংরেজি ভাষা-ভাষী ক্যারিবিয় দেশ ও নির্ভরশীল এলাকাসমূহ নিয়ে গঠিত ব্রিটিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত। ১৯২০-এর দশকের শুরুতে এ সংস্থাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নামে গঠিত হয় যা এখনও মাঝে-মধ্যে পরিচিতি পেয়ে আসছে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বর্তমান নামে পরিবর্তন করা হয়। অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুদা এলাকার সেন্ট জন্সে এ সংস্থার সদর দফতর অবস্থিত।", "title": "ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ" }, { "docid": "390939#2", "text": "১৯৭৫ সালে স্বাধীনতালাভের পূর্বেই ১৯৭৩ সালে আইসিসি’র সহযোগী সদস্যের মর্যাদা লাভ করে পাপুয়া নিউগিনি দল। ঐ বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল পাপুয়া নিউগিনি সফরে আসে। খেলায় ৪ উইকেটে জয়লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। দলের পক্ষে ছয়জন আদিবাসী খেলোয়াড় অংশ নেয়। এ সময় থেকেই আদিবাসী খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে আধিপত্য বিস্তার করে।", "title": "পাপুয়া নিউগিনি জাতীয় ক্রিকেট দল" }, { "docid": "253969#7", "text": "কোচ হিসেবে ডানকান ফ্লেচার এবং অধিনায়ক হিসেবে নাসের হুসেনকে নিযুক্ত করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে পুণরায় নতুন করে গঠন করা হয়। দলটি ধারাবাহিকভাবে চারটি টেস্ট সিরিজ জয় করে। তন্মধ্যে ৩১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় ছিল অন্যতম। এছাড়াও তারা পাকিস্তানকেও সিরিজ পরাজয় বরণে বাধ্য করে। ২০০১ সালে স্টিভ ওয়াহ'র নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরে যায়। ভারত এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভাল ফলাফল অর্জন করলেও ২০০২-০৩ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে পুণরায় ৪-১ ব্যবধানে সিরিজে হেরে অস্ট্রেলিয়া ভীতি দূর করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু হাল ছেড়ে না দিয়ে ইংল্যান্ড দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে ও নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে হোয়াইটওয়াশ করে। পোর্ট এলিজাবেথে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে জয়লাভ ছিল ধারাবাহিকভাবে অষ্টম টেস্ট জয় যা ইংল্যান্ডের ৭৫ বছরের মধ্যে প্রথম ধারাবাহিক সাফল্য।", "title": "ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল" }, { "docid": "629095#0", "text": "অত্র নিবন্ধটি কমপক্ষে একটি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পুরুষ, যুব ও মহিলা ক্রিকেট অধিনায়ক সম্পর্কীয়। ৩১ মে, ১৯২৬ তারিখে তৎকালীন ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্সে (বর্তমানের - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল) ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল একযোগে পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত হয়। ১৯২৮ সালে দলটি লর্ডসে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। অন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে ১৯৩০-৩১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অংশ নেয়।", "title": "ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা" } ]
দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি কার উদ্যোগে তৈরি করেন ?
[ { "docid": "82898#0", "text": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি কলকাতার অদূরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত একটি কালীমন্দির। এটি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কামারহাটি শহরের অন্তঃপাতী দক্ষিণেশ্বরে অবস্থিত। ১৮৫৫ সালে প্রসিদ্ধ মানবদরদি জমিদার রানি রাসমণি এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরে দেবী কালীকে \"ভবতারিণী\" নামে পূজা করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট যোগী রামকৃষ্ণ পরমহংস এই মন্দিরে কালীসাধনা করতেন।", "title": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি" } ]
[ { "docid": "329122#0", "text": "নিস্তারিণী কালীবাড়ি হল কলকাতার সিমলা অঞ্চলের একটি পুরনো কালীমন্দির। ১৮৬৫ সালে রথযাত্রার দিন ঈশ্বরচন্দ্র নান এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটি ২৫, বেথুন রো-তে অবস্থিত। ঈশ্বরচন্দ্রের প্রতিবেশী কৃষ্ণচন্দ্র সিংহ বারাণসী থেকে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির ভবতারিণী কালীবিগ্রহের আদলে একটি কালীমূর্তি তৈরি করিয়ে আনেন। কিন্তু তিনি এই বিগ্রহটি প্রতিষ্ঠা করতে অসমর্থ হলে, মূর্তিটি তিনি প্রতিবেশী ঈশ্বরচন্দ্রকে দিয়ে দেন। বর্তমানে \"দি ঈশ্বরচন্দ্র নান দেবোত্তর ট্রাস্ট\" নামে একটি অছিপরিষদ এই মন্দিরের পূজাকার্য পরিচালনা করেন। মন্দিরে মহাসমারোহে দীপান্বিতা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়।", "title": "নিস্তারিণী কালীবাড়ী" }, { "docid": "82898#4", "text": "মন্দিরের ২০ একরের প্লটটি জন হেস্টি নামে এক ইংরেজের কাছ থেকে কেনা হয়। লোকমুখে জায়গাটি পরিচিত ছিল \"সাহেবান বাগিচা\" নামে। এর একটি অংশ ছিল কচ্ছপাকার মুসলমান গোরস্থান। তাই তন্ত্রমতে স্থানটি শক্তি উপাসনার জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। আটবছরে নয় লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই মন্দির নির্মিত হয়। ১৮৫৫ সালের ৩১ মে স্নানযাত্রার দিন মহাসমারোহে মন্দিরে মূর্তিপ্রতিষ্ঠা করা হয়। পূর্বে মন্দিরের আরাধ্যাকে \"মাতা ভবতারিনি কালিকা\" নামে অভিহিত করা হয়েছিল। রামকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রধান পুরোহিত পদে বৃত হন, তাঁর ছোটোভাই গদাধর বা গদাই (পরবর্তীকালে রামকৃষ্ণ পরমহংস) তাঁর সহযোগী হন। পরে তাঁর ভাগনে হৃদয়ও তাঁকে সহায়তা করতে থাকেন।", "title": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি" }, { "docid": "82898#2", "text": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি চত্বরে কালীমন্দির ছাড়াও একাধিক দেবদেবীর মন্দির ও অন্যান্য ধর্মস্থল অবস্থিত। মূল মন্দিরটি নবরত্ন মন্দির। এটি টালিগঞ্জের রামনাথ মণ্ডল নির্মিত নবরত্ন মন্দিরের আদর্শে নির্মিত। মূল মন্দির ছাড়াও রয়েছে \"দ্বাদশ শিবমন্দির\" নামে পরিচিত বারোটি আটচালা শিবমন্দির। মন্দিরের উত্তরে রয়েছে \"শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মন্দির\" নামে পরিচিত রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং মন্দিরের দক্ষিণে রয়েছে নাটমন্দির। মন্দির চত্বরের উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসের বাসগৃহ। মূল মন্দির চত্বরের বাইরে রামকৃষ্ণ পরমহংস ও তাঁর পরিবারবর্গের স্মৃতিবিজড়িত আরও কয়েকটি স্থান রয়েছে, যা আজ পুণ্যার্থীদের কাছে ধর্মস্থানরূপে বিবেচিত হয়।", "title": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি" }, { "docid": "452013#0", "text": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দের প্রার্থনা হল স্বামী বিবেকানন্দের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৮৮৪ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংস নরেন্দ্রনাথ দত্তকে (স্বামী বিবেকানন্দের পূর্বাশ্রমের নাম) দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে আর্থিক উন্নতির জন্য প্রার্থনা করতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু নরেন্দ্রনাথ শেষ পর্যন্ত শুদ্ধ জ্ঞান, ভক্তি ও বৈরাগ্য প্রার্থনা করেন। গবেষকেরা এই ঘটনাটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে এটিকে বিবেকানন্দের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ, বিবেকানন্দ প্রথম দিকে প্রতিমা পূজার বিরোধী হলেও, এই ঘটনার পর থেকে তিনি কালীমূর্তি পূজা মেনে নেন এবং কালীমূর্তির কাছে প্রার্থনা করেন। বি. আর. কিশোরের মতে, \"এই ঘটনা নরেন্দ্রের ভক্তি ও জ্ঞানে নতুন মাত্রা যোগ করে।\"", "title": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দের প্রার্থনা" }, { "docid": "82898#8", "text": "গর্ভগৃহে (স্যাঙ্কটাম স্যাঙ্কটোরিয়াম) শিবের বক্ষোপরে ভবতারিণী নামে পরিচিত কালীমূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত। এই মূর্তিদ্বয় একটি রুপোর সহস্রদল পদ্মের উপর স্থাপিত। \nমূল মন্দিরের কাছে যে বারোটি একই প্রকার দেখতে পূর্বমুখী শিবমন্দির রয়েছে সেগুলি আটচালা স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত। গঙ্গার একটি ঘাটে দুই ধারে এই মন্দিরগুলি দণ্ডায়মান। মন্দির চত্বরের উত্তর-পূর্বে রয়েছে বিষ্ণুমন্দির বা রাধাকান্ত মন্দির। এই মন্দিরে একটি রুপোর সিংহাসনে সাড়ে একুশ ইঞ্চির কৃষ্ণ ও ষোলো ইঞ্চির রাধামূর্তি প্রতিষ্ঠিত।", "title": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি" }, { "docid": "452013#6", "text": "রামকৃষ্ণের নির্দেশ অনুসারে, রাত্রি ৯টার সময় নরেন্দ্রনাথ মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন। মন্দিরে প্রবেশ করে কালীমূর্তির দিকে তাকিয়েই তাঁর মন ভক্তি ও প্রেমে আপ্লুত হয়ে যায়। তিনি কালীমূর্তির সামনে নতজানু অয়ে বসে পড়েন এবং \"আনন্দের উচ্ছ্বাসে\" কালীর নাম বারংবার উচ্চারণ করতে থাকেন। মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর মনে হয় মূর্তিটি \"জীবন্ত ও চৈতন্যময়, দিব্য প্রেম ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ।\" তিনি কালীর কাছে দিব্য জ্ঞান, ভক্তি ও দেবীর দিব্য দর্শন প্রার্থনা করেন এবং যে জন্য তিনি এসেছিলেন, সেই পারিবারিক আর্থিক অবস্থার উন্নতি কল্পে প্রার্থনা করতেই ভুলে যান।", "title": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দের প্রার্থনা" }, { "docid": "328961#1", "text": "জনশ্রুতি, স্থানীয় সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের জমিদার তথা কালীসাধক নন্দদুলাল রায়চৌধুরীর সাত বছর বয়সী মেয়ে করুণার মৃত্যুর পর তিনি \"করুণাময়ী\" নামে এই কালীমূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কালীমূর্তিটি পঞ্চমুন্ডির আসনের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং সাত-বছর-বয়সী মেয়ের রূপে পূজিত হয়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে নন্দদুলাল আদিগঙ্গার তীরে সাবর্ণ চৌধুরীদের ঘাটে গিয়ে একটি কালো পাথর পেয়েছিলেন। সেই পাথরেই মূর্তিটি তৈরি হয়। এই মূর্তির বৈশিষ্ট্য হল, কালী ও শিব একই পাথরে নির্মিত বলে উভয়েরই রং কালো। মূর্তিটি সোনার অলংকারে সজ্জিত থাকে।", "title": "করুণাময়ী কালীবাড়ি, টালিগঞ্জ" }, { "docid": "327841#0", "text": "চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীবাড়ি হল ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকা চিত্তরঞ্জন পার্কে অবস্থিত একটি মন্দির চত্বর ও বাঙালি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ১৯৭৩ সালে এখানে একটি ছোটো পাহাড়ে প্রথমে একটি শিব মন্দির স্থাপিত হয়। এই মন্দিরটি এখনও মন্দির চত্বরে আছে। ১৯৮৪ সালে কালী, শিব ও রাধাকৃষ্ণের জন্য তিনটি বড়ো মন্দির তৈরি হয়। শারদীয়া দুর্গাপূজা এই কালীবাড়িতে খুব জাঁকজমক করে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সাল থেকে এই মন্দিরে দুর্গাপূজা হয়ে আসছে।\nএই মন্দিরটি ১৯৭৩ সালে স্থাপিত হয়। এটি নির্মীয়মান ইবিডিপি কলোনির জমিতে গড়ে ওঠে। কলোনির এক ধারে একটি ছোটো পাহাড়ের উপর একটি শিব মন্দির স্থাপিত হয়। এই বছরই মন্দিরে দুর্গাপূজা শুরু হয়। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলার আটচালা স্থাপত্য শৈলীর ধাঁচে কালী মন্দিরটি নির্মিত হয়। এরপর একটি শিব ও একটি রাধাকৃষ্ণ মন্দির স্থাপিত হয়। ২০০৬-০৯ সাল নাগাদ মন্দিরগুলিতে টেরাকোটার সাজসজ্জা করানো হয়।", "title": "চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীবাড়ি" }, { "docid": "452013#15", "text": "অমিয় পি. সেন লিখেছেন, এই ঘটনা নরেন্দ্রনাথের \"আধ্যাত্মিক যাত্রাকে গভীরতর\" করেছিল। এই ঘটনার পর তিনি দক্ষিণেশ্বরের নির্জন পঞ্চবটীতে প্রায়ই ধ্যানে বসতেন। স্বামী নিখিলানন্দ লিখেছেন, নরেন্দ্রনাথের সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। প্রথমটি একটি সুখী জাগতিক জীবনের এবং দ্বিতীয়টি আধ্যাত্মিক উন্নতি ও স্বাধীনতার। তিনি দ্বিতীয় পথটি নির্বাচন করেন।", "title": "দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দের প্রার্থনা" } ]
আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
[ { "docid": "246010#0", "text": "আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (জুন ১০, ১৯৪২ - জানুয়ারি ২০, ১৯৬৯) একজন শহীদ ছাত্রনেতা; তিনি আইয়ুব খানের পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় জানুয়ারি ২০, ১৯৬৯ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তবে তিনি সর্বসমক্ষে শহীদ আসাদ নামেই অধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। শহীদ আসাদ হচ্ছেন ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনে পথিকৃৎ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন; অন্য দু'জন হচ্ছেন - শহীদ রুস্তম ও শহীদ মতিউর। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক পান।", "title": "আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান" }, { "docid": "599679#1", "text": "আসাদুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১ জানুয়ারি তদাননীত ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমানঃ বাংলাদেশ) মাদারীপুরের কালকিনীর সাহেবরামপুরের সাহেবরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রহমান রাঢ়ি ও মাতা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার বড় আসাদুজ্জামান কিশোর বয়সেই প্রতিবেশি মনোয়ারা বেগম বুনুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের পাঁচ পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।", "title": "মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান" } ]
[ { "docid": "246010#1", "text": "শহীদ আসাদ ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বড় ভাইয়ের নাম প্রকৌশলী রশিদুজ্জামান। শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে মাধ্যমিক শিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার্থে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ও এমসি কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ১৯৬৬ সালে বি.এ এবং ১৯৬৭ সালে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। এই বৎসরেই আসাদ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এবং কৃষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষাণী'র নির্দেশনায় কৃষক সমিতিকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে শিবপুর, মনোহরদী, রায়পুরা এবং নরসিংদী এলাকায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন।", "title": "আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান" }, { "docid": "15751#2", "text": "আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির (অধুনা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের) রামেশ্বরমের এক তামিল মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জয়নুল-আবেদিন ছিলেন একজন নৌকামালিক এবং মাতা অশিয়াম্মা ছিলেন গৃহবধূ। তাঁর পিতা রামেশ্বরম ও অধুনা-বিলুপ্ত ধনুষ্কোডির মধ্যে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের নৌকায় পারাপার করাতেন। কালামের পরিবার ছিল অত্যন্ত গরিব। অল্প বয়স থেকেই পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তাঁকে কাজ করা শুরু করতে হয়। বিদ্যালয়শিক্ষা সমাপ্ত করার পর পিতাকে সাহায্য করার জন্য তাঁকে সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করতে হয়। বিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন সাধারণ মানের ছাত্র। কিন্তু তিনি ছিলেন বুদ্ধিদীপ্ত ও কঠোর পরিশ্রমী ছাত্র। তাঁর শিক্ষাগ্রহণের তীব্র বাসনা ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি পড়াশোনা করতেন ও অঙ্ক কষতেন। রামনাথপুরম স্কোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর কালাম তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ'স কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে সেই কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক হন। পাঠক্রমের শেষের দিকে তিনি পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে উৎসাহ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে চার বছর ওই বিষয় অধ্যয়ন করে নষ্ট করার জন্য তিনি আক্ষেপ করতেন। ১৯৫৫ সালে তিনি মাদ্রাজে (অধুনা চেন্নাই) চলে আসেন। এখানকার মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে তিনি বিমানপ্রযুক্তি শিক্ষা করেন। একটি সিনিয়র ক্লাস প্রোজেক্টে কাজ করার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিন তাঁর কাজে অগ্রগতি না দেখে অসন্তুষ্ট হন। তিনি ভয় দেখান তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে তাঁর বৃত্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কালাম তিন দিনেই কাজ শেষ করেন। তা দেখে ডিন খুশি হন। পরে তিনি কালামকে লিখেছিলেন, \"আমি তোমাকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলাম। তোমাকে এমন সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছিলাম যা করা খুব শক্ত।\" তিনি অল্পের জন্য যোদ্ধা পাইলট হওয়ার সুযোগ হারান। উক্ত পরীক্ষায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর আট জন কর্মীর দরকার ছিল। তিনি পরীক্ষায় নবম হয়েছিলেন।", "title": "এ. পি. জে. আবদুল কালাম" }, { "docid": "246010#9", "text": "১৯৯২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়া ও আসাদ স্মৃতি পরিষদের তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী'র উপস্থিতিতে এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন শহীদ আসাদের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার রশিদুজ্জামান। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই কর্তৃপক্ষীয় অবহেলায় স্থানীয় টোকাই ও দুর্বৃত্তদের দ্বারা ভাস্কর্যটি কাঁত হয়ে পড়ে। এরপর সেখান থেকে কোন একসময় এটি উধাও হয়ে যায়।", "title": "আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান" }, { "docid": "246010#5", "text": "পূর্ব পরিকল্পনা অণুসারে ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ইং তারিখ দুপুরে ছাত্রদেরকে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পার্শ্বে চাঁন খাঁ'র পুল এলাকায় মিছিল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান। পুলিশ তাদেরকে চাঁন খাঁ'র ব্রীজে বাঁধা দেয় ও চলে যেতে বলে। কিন্তু বিক্ষোভকারী ছাত্ররা সেখানে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান নেয় এবং আসাদ ও তার সহযোগীরা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। ঐ অবস্থায় খুব কাছ থেকে আসাদকে লক্ষ্য করে এক পুলিশ অফিসার গুলিবর্ষণ করে। তৎক্ষণাৎ গুরুতর আহত অবস্থায় আসাদকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।", "title": "আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান" }, { "docid": "246010#7", "text": "১৯৭০ সালের ১৫ জানুয়ারি তারিখের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০ জানুয়ারি: শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালনের জন্য পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ঐদিন পূর্ণ দিবস হরতাল আহ্বান করে।", "title": "আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান" }, { "docid": "246010#4", "text": "৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯ইং তারিখে ছাত্রদের ১১ দফা এবং বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যাতে প্রধান ভূমিকা রাখেন শহীদ আসাদ। ১৭ জানুয়ারি, ১৯৬৯ইং সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুষ্ঠিত বৈঠকে ছাত্ররা দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ডাক দেয়। ফলে গভর্নর হিসেবে মোনেম খান ১৪৪ ধারা আইন জারী করেন যাতে করে চার জনের বেশি লোক একত্রিত হতে না পারে।", "title": "আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান" }, { "docid": "246010#2", "text": "ঢাকা'র সিটি ল কলেজে তিনি ১৯৬৮ সালে আরো ভালো ফলাফলের জন্যে দ্বিতীয়বারের মতো এম.এ বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের জন্য চেষ্টা করছিলেন। ১৯৬৯ সালে মৃত্যুকালীন সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে এম.এ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। শহীদ আসাদ তৎকালীন ঢাকা হল (বতর্মান শহীদুল্লাহ হল) শাখার পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে এবং পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (ইপসু-মেনন গ্রুপ), ঢাকা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত প্রাণ আসাদুজ্জামান গরিব ও অসহায় ছাত্রদের শিক্ষার অধিকার বিষয়ে সর্বদাই সজাগ ছিলেন। তিনি শিবপুর নৈশ বিদ্যালয় নামে একটি নৈশ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিবপুর কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদেরকে সাথে নিয়ে আর্থিক তহবিল গড়ে তোলেন।", "title": "আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান" }, { "docid": "65428#1", "text": "মোহাম্মদ আবুল কাসেম ১৯২০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৯ সালে \"বরমা ত্রাহি-মেনকা উচচ বিদ্যলয়\" থেকে তিনটি বিষয়ে লেটার সহ প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৯৪১ সালে \"চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ\" থেকে আই এস সি-তে মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন ৷ পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পদার্থ বিদ্যায় অনার্সসহ ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৪৪ সালে এবং এম, এস, সি, ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৪৫ সালে। তিনি বিখ্যাত গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অধীনে মাস্টার্সের থিসিস করেন।", "title": "আবুল কাসেম (ভাষা সৈনিক)" } ]
চিলির রাজধানীর নাম কী ?
[ { "docid": "65369#0", "text": "সান্তিয়াগো (স্পেনীয় ভাষায়: Santiago de Chile) চিলির রাজধানী। এটি চিলির সবচেয়ে বড় নগর এলাকা বৃহত্তর সান্তিয়াগোর কেন্দ্রে, দেশটির কেন্দ্রীয় উপত্যকাতে সমুদ্র তল থেকে ৫২০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সান্তিয়াগো রাজধানী হলেও চিলির জাতীয় কংগ্রেস পার্শ্ববর্তী বালপারাইসো (Valparaíso)-তে অনুষ্ঠিত হয়।", "title": "সান্তিয়াগো, চিলি" }, { "docid": "1302#0", "text": "চিলি (স্পেনীয় ভাষায়: Chile \"চিলে\") দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের একটি দেশ। দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল ঘেঁষে একটি লম্বা ফিতার মত প্রসারিত একটি ভূখণ্ড। উত্তর-দক্ষিণে চিলির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,২৭০ কিলোমিটার, কিন্তু এর গড় বিস্তার ১৮০ কিলোমিটারেরও কম। উত্তরের ঊষর মরুভূমি থেকে শুরু করে দক্ষিণের ঝঞ্ঝাপীড়িত হিমবাহ ও ফিয়র্ডসমূহ চিলির ভূ-দৃশ্যাবলির বৈচিত্র‌্যের স্বাক্ষর বহন করছে। দেশটির মধ্যভাগে একটি উর্বর উপত্যকা অবস্থিত। পূর্বে আন্দেস পর্বতমালা আর্জেন্টিনার সাথে সীমান্ত তৈরি করেছে। চিলির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর সান্তিয়াগো মধ্যভাগের উপত্যকায় অবস্থিত।", "title": "চিলি" }, { "docid": "324775#0", "text": "ভালপারাইসো চিলির একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বন্দর। রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে শহরটি ৬৯.৫ মাইল (১১১.৮ কিমি) দূরে অবস্থিত এবং দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। শহরটি ভালপারাইসো প্রদেশ এবং ভালপারাইসো অঞ্চলের রাজধানী ও মূল কেন্দ্রবিন্দু। সান্তিয়াগো চিলির আনুষ্ঠানিক রাজধানী হলেও, চিলির জাতীয় কংগ্রেস ১৯৯০ সাল থেকে ভালপারাইসোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।", "title": "ভালপারাইসো" }, { "docid": "442706#0", "text": "সালামানকা চিলির একটি শহর যেটি চোয়াপা প্রদেশের কোকিম্বো অঞ্চলে অবস্থিত। এই শহরটি প্রদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র ইল্লাপেল থেকে পূর্বে এবং চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে উত্তরে অবস্থিত। সাধারণত: প্যান-আমেরিকান হাইওয়ের পার্শ্ববর্তী লস ভিলোস থেকে এখানে যাতায়ত করা হয় এবং এর মাধ্যমেই শহরটি পুরো দেশের সাথে সংযুক্ত।", "title": "সালামানকা" }, { "docid": "65365#0", "text": "চিলি বিশ্ববিদ্যালয় () লাতিন আমেরিকার প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি। অনেক সময় এটিকে এর প্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেস বেলিওর সম্মানে \"কাসা দে বেলিও\" (Casa de Bello অর্থাৎ \"বেলিওর বাড়ি\") নামে ডাকা হয়। ১৮৪৩ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।", "title": "চিলি বিশ্ববিদ্যালয়" } ]
[ { "docid": "1302#1", "text": "চিলির অধিকাংশ জনগণ দেশের মধ্যাঞ্চলের উর্বর কেন্দ্রীয় উপত্যকায় বাস করেন। বেশির ভাগ লোক স্পেনীয় ও আদিবাসী আমেরিকানদের মিশ্র জাতির লোক। রোমান ক্যাথলিক ধর্ম এখানকার প্রধান ধর্ম। স্পেনীয় ভাষা এখানকার সরকারি ভাষা। \nচিলি দক্ষিণ আমেরিকার একটি নেতৃস্থানীয় শিল্পোন্নত দেশ। এর অর্থনীতি খনন শিল্প ও কৃষিভিত্তিক। চিলি বিশ্বের বৃহত্তম তামা উৎপাদক ও রপ্তানিকারক। এছাড়াও দেশটি ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানি। চিলির ওয়াইন অনেক দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।", "title": "চিলি" }, { "docid": "65369#1", "text": "গত প্রায় দুই দশক ধরে অবিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে সান্তিয়াগো দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী নগর এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে বিস্তৃত শহরতলী, বহু শপিং মল এবং আকাশচুম্বী দালানকোঠা। লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন কিছু পুরাকর্ম, যেমন - সান্তিয়াগো মেট্রো এবং চিলির পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তকে সংযোগকারী সদ্যনির্মিত মহাসড়ক ব্যবস্থা কোস্তানেরা নর্তে এখানে অবস্থিত। সান্তিয়াগোতে চিলির বহু গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানির সদর দপ্তর অবস্থিত। এটি একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র।", "title": "সান্তিয়াগো, চিলি" }, { "docid": "4282#0", "text": "শ্রীলংকা\nশ্রীলঙ্কা (, \"শ্রী লাংকাবা\", , \"ইলাংগাই\") দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এর সরকারি নাম গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী শ্রীলঙ্কা। ১৯৭২ সালের আগে এই দ্বীপ সিলন নামেও পরিচিত ছিল। এর প্রশাসনিক রাজধানীর নাম শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে। এর প্রধান শহর কলম্বো। ভারতের দক্ষিণ উপকূল হতে ৩১ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। ২ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে ১৪% এর অধিক লোকজনের দৈনিক আয় ১.২৫ মার্কিন ডলারের নীচে। প্রাচীনকাল থেকেই শ্রীলঙ্কা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। সিংহলি সম্প্রদায় এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। উত্তর-পূর্ব দিকের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে তামিল সম্প্রদায় দেশের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে মূর, বার্ঘের, কাফির, মালয় ঊল্লেখযোগ্য।\nশ্রীলঙ্কা চা, কফি, নারিকেল, রাবার উৎপাদন ও রফতানিতে বিখ্যাত। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংবলিত সমুদ্রসৈকত, ভূদৃশ্য তদুপরী সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শ্রীলঙ্কাকে সারা পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে।\nপৃথিবীতে শ্রীলংকা একমাত্র অমুসলিম দেশ দেখানে রেডিও ও টেলিভিশনে পাঁচ ওয়াক্ত আযান দেয়া হয়।", "title": "শ্রীলঙ্কা" }, { "docid": "65349#2", "text": "১৮৯৭ সালে আলেস্‌সান্দ্রি চিলির লিবারেল পার্টির সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন ও চেম্বার অফ ডেপুটিজ-এ নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি নাইট্রেট খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের পক্ষে রাজনীতি করতেন। তিনি শিল্পমন্ত্রী ও অর্থসংস্থান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ছয়বার কংগ্রেসে ও দুইবার সিনেটে নির্বাচিত হয়ে আসেন। চিলির শহুরে মধ্যবিত্ত ও শ্রমিক শ্রেণীর কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর নাম দেয়া হয় তারাপাকা-র সিংহ (León de Tarapacá)। তিনি ট্রেড ইউনিয়ন বৈধকরণ এবং সমাজকল্যাণ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি উদারপন্থী কোয়ালিশনের নেতা হিসেবে ১৯২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন। তবে চিলির রক্ষণশীল কংগ্রেস তাঁর পদক্ষেপে বাধা দেয়। রাষ্ট্রপতি ও কংগ্রেসের মধ্যে বিবাদের কারণে চিলির রাজনীতি স্থবির হয়ে পড়ে। ১৯২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন কারণ দর্শিয়ে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে এবং আর্তুরো পদত্যাগ করে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে ইতালিতে চলে যান। ১৯২৫ সালের ২০শে মার্চ সেনাবাহিনী আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাঁকে ফেরত আনে। তিনি সংবিধান সংশোধন করে কংগ্রেসের বিপক্ষে রাষ্ট্রপতিকে অধিকতর ক্ষমতা দেয়ার শর্তে ফেরত আসেন। ফিরে আসার পর তিনি বিভিন্ন ধর্মঘট শক্ত হাতে দমন করেন। তাঁর এই ২য় ও স্বল্পকালীন শাসনামলের শেষের দিকে চিলির নতুন সংবিধান পাস হয়। নতুন সংবিধানে নারীর অধিকার, গির্জা ও রাষ্ট্রের পৃথকীকরণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা এবং প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারগুলি নিশ্চিত করা হয়। আর্তুরো ১৯২৫ সালের অক্টোবরে আবার পদত্যাগ করেন এবং ইতালিতে চলে যান। গ্রেট ডিপ্রেশনের মহা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর তিনি ১৯৩২ সালে আবার চিলির রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, কিন্তু এবার তিনি কঠোর সংবিধানবাদী হিসেবে ডানপন্থীদের সমর্থনে ক্ষমতায় আসেন। এ সময় বিশ্ববাজারে চিলির নাইট্রেট ও তামার চাহিদা হ্রাস পায় এবং শ্রমিক শ্রেণীর প্রকৃত আয় হ্রাস পায়। ফলে আলেস্‌সান্দ্রি পাল্‌মা শ্রমিকদের সমর্থন হারান এবং পুনর্নির্বাচনে আর দাঁড়ান নি। ১৯৪৬ সালে তিনি সিনেটে নির্বাচিত হন।", "title": "আর্তুরো আলেস্‌সান্দ্রি" }, { "docid": "577192#1", "text": "ইউনিভার্সিদাদ অস্ট্রাল ডে চিলির সিনে ক্লাবের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে এ উৎসবের সূচনা ঘটে। পরের বছর থেকে ‘ভালদিভিয়া সিনে এন্ড ভিডিও’ শিরোনামে একটি প্রতিযোগিতা এ উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৯৮ সালে বর্তমান নামে পরিচিতি ঘটানো হয়। চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় এ উৎসবটি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। পরবর্তীকালে জাতীয় পর্যায়ে চিলির সেরা চলচ্চিত্র উৎসবে পরিণত হয়। এ পর্যন্ত চার সহস্রাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চলচ্চিত্র এখানে প্রদর্শিত হয়েছে।", "title": "ভালদিভিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব" } ]
ইলেকট্রন আবিষ্কার কে করেন ?
[ { "docid": "4500#2", "text": "ইলেকট্রন যে একটি উপআনবিক কণিকা তা সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী জে. জে. টমসন ১৮৯৭ সালে আবিষ্কার করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাভেন্ডিশ গবেষণাগারে ক্যাথোড রশ্মি নল নিয়ে গবেষণা করার সময় তিনি এই আবিষ্কার করেন। ক্যাথোড রশ্মি নল হল একটি সম্পূর্ণ বদ্ধ কাচের সিলিন্ডার যার মধ্যে দুইটি তড়িৎ ধারক (electrode) শুন্য স্থান দ্বারা পৃথ করা থাকে। যখন দুইটি তড়িৎ ধারকের মধ্যে বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করা হয় তখন ক্যাথোড রশ্মি উৎপন্ন হয় এবং এর ফলে নলের মধ্যে আভার সৃষ্টি হয়। উপর্যুপরী পরীক্ষার মাধ্যমে টমসন প্রমাণ করেন যে চৌম্বকত্বের সাহায্যে রশ্মি থেকে ঋণাত্মক আধান পৃথক করা যায় না; তবে তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা রশ্মিগুলোকে বিক্ষিপ্ত করা যায়। মূলত ইলেকট্রনের আবিষ্কার এবং এর অংশসমূহ সম্বন্ধে ধারণা লাভ করতে গিয়ে টমসনকে তিন তিনটি পরীক্ষা সম্পাদন করতে হয়েছিলো:", "title": "ইলেকট্রন" }, { "docid": "291659#5", "text": "১৯২৮ সালে স্বামী-স্ত্রী একসাথে পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা সম্পর্কীয় গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কর্মে পজিট্রন এবং নিউট্রনকে একত্রে দেখতে পান যা ফলাফলে আশানুরূপ হয়নি। এ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ফলাফলকে কেন্দ্র করে কার্ল ডেভিড এন্ডারসন এবং জেমস চ্যাডউইক কর্তৃক ১৯৩২ সালে নিউট্রন আবিস্কৃত হয়। এ আবিস্কারগুলো ১৮৯৭ সালে জে. জে. থমসনের ইলেকট্রন আবিস্কারের পাশাপাশি আলোচিত হতে থাকে ও জন ডাল্টনের পরমাণু গঠন তত্ত্বের স্থলাভিষিক্ত হয়। ১৯৩৫ সালে জোলিও-কুরি দম্পতি রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা আবিস্কারের দরুন তাদের এ মূল্যায়ন করা হয়। এরফলে স্বল্পকালীন সময়ের জন্যে বোরন, ম্যাগণেসিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়াম সহযোগে আলফা উপাদান থেকে রেডিওআইসোটোপ তৈরী করা সম্ভবপর।", "title": "আইরিন জোলিও-কুরি" }, { "docid": "4485#25", "text": "১৯শ শতকের শেষে ও ২০শ শতকের প্রারম্ভে এসে বিজ্ঞানীরা পদার্থ সম্পর্কে আরও গভীর উপলব্ধি লাভ করেন। ১৮৬৯ সালে দিমিত্রি মেন্দেলিয়েভ সেসময় জ্ঞাত সমস্ত মৌলিক পদার্থকে তাদের সাধারণ ধর্মের ভিত্তিতে একটি পর্যায় সারণিতে শ্রেণীবিন্যস্ত করে। ১৮৯৭ সালে জোসেফ জন টমসন ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন এবং ১৯০৩ সালে তিনি তার “কিশমিশের পুডিং” নামের পরমাণু আদলটি প্রস্তাব করেন, যেখানে ধনাত্মক আধানের পরমাণুর মধ্যে ঋণাত্মক ইলেকট্রনগুলি গ্রথিত থাকে। একই বছরে জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী হানতারো নাগাওকা পরমাণুর \"শনিগ্রহ আদল\" প্রস্তাব করেন যেখানে একটি পরমাণু কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসের চারদিকে বলয়ের মত বহু ইলেকট্রন ঘুরছে। ১৯১১ সালে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস পরীক্ষাগারে শনাক্ত করেন। ১৯১৩ সালে নিলস বোর পরমাণুর যে আদল প্রস্তাব করেন তাতে ইলেকট্রনগুলি একাধিক কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা সংজ্ঞায়িত বিভিন্ন নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরমাণুকেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসকে আবর্তন করে।", "title": "পদার্থ" }, { "docid": "7368#4", "text": "পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা ইলেকট্রন।১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে স্যার জে. জে. থমসন সর্বপ্রথম ইলেকট্রনের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। একটি ইলেকট্রনের আসল ভর অতি সামান্য 9.1085×10g। ইলেকট্রনের আধান -1.6×10 কুলম্ব । ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুর্ণায়মান। ইলেকট্রনকে সাধারণত e প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে ।", "title": "পরমাণু" }, { "docid": "4500#1", "text": "বিজ্ঞানী জি. জনস্টোন স্টোনি সর্বপ্রথম তড়িৎ রসায়নে ইলেকট্রনকে আধানের একটি একক হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তিনিই ১৮৯১ সালে \"ইলেকট্রন\" নামকরণ করেন। ১৮৯০-এর দশকে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী বলেন যে তড়িৎ বিচ্ছিন্ন একেকের দ্বারা গঠিত হতে পারে এবং এভাবেই এ বিষয়ে সবচেয়ে ভাল ধারণা করা সম্ভব। এই এককগুলোর অনেক নামই প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তখনও পর্যন্ত বাস্তব ভিত্তিতে এর প্রমাণ দেয়া সম্ভব হয়নি।", "title": "ইলেকট্রন" } ]
[ { "docid": "456113#5", "text": "১৯৪৮ সালে শিভ ফটো ট্রানজিস্টার আবিষ্কার করেন। সেখানে তিনি তারের পরিবর্তে আলোর বিম্ব ব্যবহার করেন। এ ধারায় পয়েন্ট কন্ট্যাক ট্রানজিস্টারের বিকিরণে ইলেকট্রন হোলগুলো তৈরি করে যা সংগ্রাহক এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ তত্ত্বটি তিনি ১৯৫০ সালের আগে প্রকাশ করেননি। এই আবিষ্কারটি আধুনিক দিনগুলোকে দেশব্যাপী সরাসরি ডায়ালিং পদ্ধতিকে বিস্তৃত করে।", "title": "জন এন. শিভ" }, { "docid": "260034#8", "text": "ইতোমধ্যে ক্যালটেকের প্রফেসর কার্ল এন্ডারসন ইলেকট্রনের ভরের সমান ভর ও ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট পজিট্রন আবিষ্কার করেছেন।। একই বছর তিনি আরেক ধরণের অব-পারমাণবিক কণা আবিষ্কার করে ভেবেছিলেন সেগুলো ইউকাওয়ার মেসন। কিন্তু দেখা গেলো এন্ডারসনের কণাগুলোর ভর ইলেকট্রনের ভরের ২০৭ গুণ। ইউকাওয়ার মেসনের ভর ইলেকট্রনের ২৭০ গুণ। এন্ডারসন তাঁর কণাগুলোর নাম দিলেন ‘মিউ-মেসন’ বা সংক্ষেপে ‘মিউয়ন’।", "title": "দেবেন্দ্র মোহন বসু" }, { "docid": "456113#0", "text": "জন নর্থাপ শিভ (২২শে ফেব্রুয়ারি, ১৯১৩ – ১লা জুন, ১৯৮৪) ছিলেন একজন আমেরিকান পদার্থবিদ এবং উদ্ভাবক। তিনি বেল টেলিফোন গবেষণাগারে ট্রানজিস্টার আবিষ্কারের দিনগুলোতে ইলেক্ট্রনিক্স প্রকৌশল এবং কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বিশেষ করে তিনি পরীক্ষামূলক প্রমাণে দেখান যে, ইলেকট্রন হোলগুলো বাল্ক জার্মেনিয়ামের মাধ্যমে ছড়ায় যা আগের তত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত করে। এটি জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইনের পয়েন্ট কন্টাক ট্রানজিস্টার থেকে উইলিয়াম শকলের রোবাস্ট জংশন ট্রানজিস্টার পর্যন্ত ধারা গুলোকে প্রশস্ত করেছিলো। শিভ ১৯৪৮ সালে ফটো ট্রানজিস্টার আবিষ্কার করেন এবং এটি আবিষ্কারের জন্যই তিনি বিখ্যাত। এটি হল একটি ডিভাইস যা, একটি ফটো ডায়োডের সংবেদনী আলো এবং ট্রানজিস্টারের প্রাপ্ত তড়িৎকে মিলিত করে। ১৯৫৯ সালে তিনি \"শিভ তরঙ্গ যন্ত্র\" তৈরির কাজে এবং তরঙ্গ গতি ব্যাখ্যাকরণে মূল উপকরণ হিসেবে এই তত্ত্বটি ব্যবহার করেন।", "title": "জন এন. শিভ" }, { "docid": "390799#1", "text": "ম্যাক্মুলান ছিলেন প্রথম যিনি এস.ই.এমের ধারণা বিজ্ঞানমহলে আনেন। যদিও ম্যাক্স নল তার আগে ইলেকট্রন রশ্মির দ্বারা ৫০ মি.মি প্রস্থের ফিল্ডে কন্ট্রাস্ট ছবি তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু প্রথম একটি যথাযত এস.ই.এমের ধারণায় মাইক্রোস্কোপ বানান মান ভন আরডেন ১৯৩৭ সালে। আরডেন শুধু এস.ই.এমের ধারণাই লাগাননি তার সাথে তিনি ক্রোমাটিক অ্যাবারেশন বেছে তা বর্জন করতে পেরেছিলেন। বর্ণীয় অ্যাবারেশন সাধারণ ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে দেখা যায়। এরপরের যত উন্নতি হয়েছে তা সম্ভব হয়েছে চার্লস ওটলি ও জরোন্সকি নামক দুজনের প্রচেষ্টায়। এবং ১৯৬৫ এ প্রথম এস.ই.এম \"স্টিরিওস্ক্যান\" নামে বাজারে আসে।", "title": "স্ক্যানিং ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ" }, { "docid": "62068#0", "text": "ক্লিনটন জোসেফ ডেভিসন (জন্ম: অক্টোবর ২২, ১৮৮১ - মৃত্যু: ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৫৮) একজন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। ১৯২৭ সালে বেল ল্যাব্‌স-এ কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি দ্য ব্রোয়ি প্রকল্প নিশ্চিত বলে প্রমাণ করেন। ইলেকট্রন অপবর্তন আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, সকল পদার্থেরই একটি তরঙ্গ ধর্ম রয়েছে। তার এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৩৭ সালে অপর বিজ্ঞানী জর্জ প্যাগেট থমসন-এর সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার ছেলে রিচার্ড ডেভিসন আরেক বিখ্যাত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। তার ভাতিজা ওয়েন উইলিয়ান্‌স রিচার্ডসন নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী।", "title": "ক্লিনটন জোসেফ ডেভিসন" } ]
বেতার ট্রান্সমিটার প্রথম কে তৈরী করেন ?
[ { "docid": "550299#6", "text": "১৮৮৭ সালে জার্মান পদার্থবিদ হেনরিক হার্টজ বেতার তরঙ্গ নিয়ে গবেষনার সময় প্রাথমিক ট্রান্সমিটার তৈরী করেন যাকে \"হার্জের অস্কিলেটর\" বলা হত। দুটো পরিবাহী কন্ডাকটরের মধ্যে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ আদান-প্রদানের মাধ্যমে এটা কাজ করত। ১৮৯৫ সালে, স্পার্ক ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে মার্কোনি সর্বপ্রথম বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী করেন। এটি কিন্তু বর্তমান সময়ের মত অডিও সম্প্রচার করতে পারত না। তার বদলে টেলিগ্রাফিক সঙ্কেত আদান-প্রদান করতে পারত। অপারেটর যিনি মর্স কোড জানতেন তিনি শব্দ শুনে অর্থ বের করতেন। রেডিও প্রযুক্তির প্রথম তিন দশকে (১৮৮৭ সাল থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত) এই স্পার্ক গ্যাপ ট্রান্সমিটারই ব্যবহার করা হত। এই সময়টুকুকে বলা হয় ওয়ারলেস টেলিগ্রাফি বা স্পার্ক এরা বা \"স্ফুলিঙ্গ যুগ\"।", "title": "ট্রান্সমিটার" }, { "docid": "550299#7", "text": "যেহেতু এগুলা দূর্বল তরঙ্গদৈর্ঘ উৎপন্ন এবং নির্গত করত তাই এগুলোতে শব্দ এবং অবান্চিত নয়েজও থাকত অনেক বেশি। নয়েজের ব্যপারটা বুঝিয়ে বলছি, একটি বিস্তৃত বেতার বর্নালীতে সিগনালটি ছড়িয়ে পড়ত এবং অন্য ট্রান্সমিটারকেও তাদের সংকেত আদান-প্রদানে বাধা দিত। ১৯২০ সালের দিকে দুটি ট্রান্সমিটার পদ্ধতি বাজারে চলে এল। একটির নাম আলেক্সেন্ডারসন অল্টারনেটর এবং আরেকটির নাম পওলসন আর্কট্রান্সমিটার, দুটোই ছিল প্রথম যুগের কন্টিনিউয়াস ওয়েভ (সিডব্লিউ) ট্রান্সমিটার।", "title": "ট্রান্সমিটার" } ]
[ { "docid": "65516#6", "text": "জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বেতার উৎস চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহৃত প্রথম বেতার এন্টেনা তৈরি করেছিলেন কার্ল গাথ জান্‌স্কি। বেল টেলিফোন গবেষণাগারে কর্মরত এই প্রকৌশলী ১৯৩১ সালে এ ধরনের একটি এন্টেনা তৈরি করেন। জান্‌স্কির দায়িত্ব ছিল বেতার টেলিফোন সার্ভিসে ব্যাঘাত ঘটায় এমন ধরনের স্থির তরঙ্গের উৎসকে চিহ্নিত করা। তার এন্টেনাটি ২০.৫ মেগাহার্জে এবং ১৪.৬ মিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যে স্বল্প তরঙ্গের বেতার সংকেত গ্রহণের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছিল। একটি ঘূর্ণনক্ষম টেবিলের উপর স্থাপন করার কারণে একে যেকোন দিকে প্রয়োজনমত ঘোরানো যেত। তাই এই যন্ত্রটির নাম হয়ে গিয়েছিল \"জানস্কি'স মেরি-গো-রাউন্ড\"। এর ব্যাস ছিল আনুমানিক ১০০ ফুট (৩০ মিটার) এবং দৈর্ঘ্য ছিল ২০ ফুট (৬ মিটার)। চারটি ফোর্ডের মডেল-টি টায়ারের মাধ্যমে একে যেকোন দিকে ঘোরানো যেত। এভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গৃহীত ব্যতিচার হয়ে আসা স্থির বেতার উৎসের দিক নির্ধারণ করা যেত। অ্যান্টেনার একপাশে একটি অ্যানালগ কাগজ-কলমের ব্যভস্থা ছিল যার মাধ্যমে উপাত্ত জমা করে রাখা যেত। কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন দিক থেকে বেতার সংকেত ধারণ এবং সংগ্রহ করে রাখার পর জান্‌স্কি সেগুলোকে তিনটি স্থির তরঙ্গে বিভক্ত করেন:", "title": "বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র" }, { "docid": "550299#9", "text": "১৯২০ সালে এর ফলেই প্রথম বানিজ্যিক এএম রেডিও সম্প্রচার শুরু হয়েছিল। সত্যিকারের এফএম রেডিও আবিস্কার হয় ১৯৩৩ সালে এডউইন আর্মস্ট্রং কর্তৃক। এটি এএম রেডিওর চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি সুস্থির এবং কম নয়েজ থাকার কারণে ১৯৩৭ সাল থেকে প্রথম কমার্শিয়াল এফএম রেডিও স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ১৯২০ সালের শেষদিক থেকে পরীক্ষামূলক টিভি সম্প্রচারেরও চেষ্টা করা হয়, যদিও সত্যিকারের সফল টেলিভিশন সম্প্রচারণ শুরু করতে করতে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত লেগে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাডারের ব্যবহার ছিল ইউএইচএফ এবং মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গে হাই ফ্রিকোয়েন্সি ট্রান্সমিটারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান এবং আরও বেশ কিছু নতুন নতুন যন্ত্রপাতি যার মধ্যে ছিল: ম্যাগনেট্রন, ক্লিসট্রন এবং ওয়েভ টিউব। ট্রানজিস্টরের আবিস্কারের পরে ১৯৬০ এর দিকে ছোট বহনযোগ্য ট্রান্সমিটারের আবির্ভাব হয় যেমন তারবিহীন মাইক্রোফোন, ওয়াকি-টকি ইত্যাদি। যদিও ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিলিটারীদের ব্যবহৃত ওয়াকি টকি ছিল মূলত ভ্যাকুয়াম টিউব নির্ভর। বর্তমান যুগে, রেডিও বর্ণালীতে সংরক্ষিত বিভিন্ন রেন্জের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করার জন্যে উপযোগী করে ভিন্ন ধরনের ট্রান্সমিটার তৈরী করা হয়েছে যা স্প্রেড স্পেকট্রাম অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন রেন্জে একসাথে কাজ করতে পারে। আরও জানতে পড়ুন আমার অনুবাদকৃত আরেকটি নিবন্ধ বেতার বর্ণালী।", "title": "ট্রান্সমিটার" }, { "docid": "5237#5", "text": "১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের পর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সরকার ও বেতারকেন্দ্রের কর্মীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে একটি শক্তিশালী ট্রান্সমিটার (৫০ কিলোওয়াট মিডিয়াম ওয়েভ) প্রদান করে। এসময় সকল বেতারকর্মীদের ধীরে ধীরে মুজিবনগরে নিয়ে আসা হতে থাকে। ঢাকা থেকেও ঢাকা বেতারের শিল্পী-কুশলীরাও আসতে থাকেন। প্রথম অধিবেশনের দিন ধার্য করা হয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী ১১ জ্যৈষ্ঠ তথা ২৫ মে তারিখ। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ৫৭/৮নং দোতলা বাড়িটিতে রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের আবাসের কক্ষের সাথের একটি কক্ষে উক্ত ট্রান্সমিটার দিয়ে সম্প্রচার শুরু হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীরা অন্য বাড়িতে উঠে যাওয়ার পর সেই ৫৭/৮ নম্বর বাড়িটিই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্থায়ী কার্যালয়রূপে গড়ে ওঠে। এরপর থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে সম্প্রচারিত হতে থাকে। এই কেন্দ্র দুটি ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে পরিচালিত হতো।", "title": "স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র" }, { "docid": "550299#8", "text": "১৯২০ সালে ভ্যাকুয়াম টিউব ট্রান্সমিটার বাজারে আসে যেগুলো পূর্বে উল্লেখকরা নয়েজের ত্রুটিমুক্ত ছিল। এগুলো ১৯১২ সালে আবিস্কৃত এডওয়ার্ড আর্মস্ট্রং এবং আলেক্সান্ডার মেসনার এর যৌথ গবেষণার ফসল \"ফিডব্যাক অস্কিলেটর\" ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছিল। ফিডব্যাক অস্কিলেটরও ১৯০৬ সালে লি দি ফ্রস্ট এর গবেষণায় উদ্ভাবিত ভ্যাকুয়াম টিউবকে কেন্দ্র করে বানানো হয়েছিল। ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহারের প্রথম কারন ছিল এগুলা অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়বহুল। আর ভ্যাকুয়াম টিউব এ্যাম্প্লিফায়েড মডুলেশন ব্যবহার করে / উৎপন্ন করতে পারত যা দ্বারা অডিও বার্তা পাঠানো যেত।", "title": "ট্রান্সমিটার" }, { "docid": "65516#8", "text": "বর্তমানে যা বেতার জ্যোতির্বিজ্ঞান নামে পরিচিত তার অগ্রদূতদের মধ্যে অন্যতম হলেন গ্রোট রেবার। তিনিই প্রথম ১৯৩৭ সালে পরাবৃত্তীয় প্রতিফলন পৃষ্ঠতল নির্মাণ করেন যা ডিশ বা বেতার দূরবীক্ষণের আধুনিক গ্রাহকযন্ত্র নামে পরিচিত। এর ব্যাস ছিল ৯ মিটার। তিনি কার্ল জান্‌স্কির অগ্রবর্তী তথাপি সরল গবেষণাকর্মকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং প্রথমবারের মত বেতার কম্পাঙ্কে মহাকাশের পর্যালোচনা এবং জরিপ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বেতার জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয়টি আরও বিস্তৃতি লাভ করে এবং ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গবেষকরা বিজ্ঞানের এই ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করেন।", "title": "বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র" }, { "docid": "59007#2", "text": "১৯৪৭ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বেল ল্যাবরেটরির উইলিয়াম শকলি, জন বার্ডিন এবং ওয়াল্টার ব্রাটেইন পৃথিবীর প্রথম ব্যবহারিক পয়েন্ট-কন্টাক্ট ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সক্ষম হন। তারা মূলত যুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধে উপযোগীতার জন্য বিশুদ্ধ জার্মেনিয়াম কেলাস মিশ্রিত ডায়োড তৈরির জন্য গবেষণা করছিলেন। এই ডায়োডগুলোকে ক্ষুদ্র তরঙ্গ রাডারের গ্রাহক যন্ত্রে ফ্রিকোয়েন্সি মিক্সার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। একই সময়ে Purdue University তে কর্মরত একদল গবেষক ভাল মানের অর্ধপরিবাহী জার্মেনিয়াম কেলাস তৈরি করতে সক্ষম হন। এই কেলাসগুলোই বেল ল্যাব্‌সে ব্যবহার করা হয়েছিল। এর আগে ব্যবহৃত টিউব-ভিত্তিক প্রযুক্তি দ্রুত সুইচিংয়ের কাজ করতে পারতো না বিধায় এক্ষেত্র সেগুলো ব্যবহার করা সম্ভব ছিলনা। এ কারণে বেল ল্যাব্‌সের গবেষকরা এর পরিবর্তে সলিড স্টেট ডায়োড ব্যবহার করেছিল। এই জ্ঞানটুকু পুঁজি করে তারা একটি ট্রায়োড তৈরীতে মনোনিবেশ করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া মোটেই আগের মত সহজ ছিলনা। এই কাজ করতে গিয়ে তারা যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশীষ্ট্য লক্ষ্য করেন তা ব্যাখ্যা করার জন্য বার্ডিন এক নতুন ধরনের তলীয় পদার্থবিজ্ঞানের অবতারণা করেন। এর মাধ্যমে বার্ডিন ও ব্রাটেইন একটি কর্মক্ষম কৌশল তৈরীতে সমর্থ হন।", "title": "ট্রানজিস্টর" }, { "docid": "28821#4", "text": "১৯৬০ সালে ড্রেক ওজমা প্রকল্প নামে বহার্জাগতিক বু্ধিমত্তার অনুসন্ধানের জন্য প্রথম বেতার প্রকল্প পরিচালনা করেন। এটি অবশ্যই সত্য যে সেদান হাজার তারার অসংখ্য সংকেতের মাঝেও বুদ্ধিমান প্রাণী কর্তৃক প্রেরিত কোনরকম সংকেতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি তবে এর মাধ্যমেই বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। এটি স্বীকার করতে বাধা নেই যে ভিনগ্রহে প্রাণের ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট নিদর্শন নেই কিন্তু ফ্রাঙ্ক ড্রেক বিশ্বাস করেন যে যে ভবিষ্যতে অবশ্যই বহির্জাগতিক সভ্যতা হতে প্রেরিত অর্থবহ সংকেতের সন্ধান পৃথিবীর মানুষ লাভ করবে; হতে পারে সে সংকেত অত্যন্ত ক্ষীণ।", "title": "ফ্রাঙ্ক ড্রেক" }, { "docid": "462479#5", "text": "১৭৯০ সালে ১০ টি ব্যাঙের সমন্বয়ে ইউসেবিও ভাল্লি প্রথম ব্যাঙ ব্যাটারি তৈরি করেন। নিজের কার্যক্রমের ফলাফল বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় ভাল্লি লুইগি গ্যালভানির মত অনুসরণ করে বিশ্বাস করে বসেন যে \"প্রানিজ বিদ্যুৎ \" (অথবা গ্যালভানিক বিদ্যুৎ) ধাতব-ধাতব বিদ্যুৎ (অথবা ভোল্টায়িক বিদ্যুৎ) থেকে ভিন্ন এমনকি দ্বিতীয় ধরণের বিদ্যুতের অস্তিত্বও স্বীকার করেননি। আলেজান্দ্রো ভোল্টার তত্ত্ব সঠিক প্রমাণিত হয়ে যায় যখন তিনি কোন প্রানিজ বস্তু ব্যবহার না করে ভোল্টায়িক স্তম্ভ তৈরি করেন। যেহেতু ভাল্লি নিজেকে বিতর্কের ভুল প্রান্তে পান এবং প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাতে অস্বীকৃতি জানান, তাই তাঁর কাজ অনেকটা আড়ালে থেকে যায় এবং সাদামাটাভাবে সংরক্ষণ করা হয়।", "title": "ব্যাঙ তড়িৎকোষ" } ]
প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু সাল কত ?
[ { "docid": "2139#0", "text": "হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই, ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।", "title": "হুমায়ূন আহমেদ" } ]
[ { "docid": "682358#0", "text": "জল জোছনা বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান বাঙ্গালী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৯৯৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশক হাসান জায়েদী। প্রকাশনা সংস্থা পার্ল পাবলিকেশন। বইটির গ্রন্থস্বত্ব লেখকের অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদের।\nবইটি উৎসর্গ করা হয় পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদারকে। উৎসর্গপত্রে হুমায়ূন আহমেদ লেখেনঃ", "title": "জল জোছনা" }, { "docid": "2139#7", "text": "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জীবনে একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য জীবনের শুরু। এই উপন্যাসটির নাম \"নন্দিত নরকে\"। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপন্যাসটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭২-এ কবি-সাহিত্যিক আহমদ ছফার উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্স কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত বাংলা ভাষাশাস্ত্র পণ্ডিত আহমদ শরীফ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদী মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ভাস্কর শামীম শিকদার। উপন্যাসটি লেখক শিবির হতে বর্ষসেরা উপন্যাসের পুরস্কার লাভ করে। \"শঙ্খনীল কারাগার\" তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস, কিন্তু প্রকাশিত ২য় গ্রন্থ। তাঁর রচিত তৃতীয় উপন্যাস বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক \"তোমাদের জন্য ভালোবাসা\"। \"বিজ্ঞান সাময়িকী\" সাপ্তাহিক পত্রিকায় উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।", "title": "হুমায়ূন আহমেদ" }, { "docid": "1526#10", "text": "মূলত গবেষক ও প্রাবন্ধিক হলেও হুমায়ূন আজাদ ১৯৯০-এর দশকে একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু অবধি তাঁর প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ১২টি । তাঁর ভাষা দৃঢ়, কাহিনীর গঠন সংহতিপূর্ণ এবং রাজনৈতিক দর্শন স্বতঃস্ফূর্ত।", "title": "হুমায়ুন আজাদ" }, { "docid": "429198#0", "text": "শুভ্র বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। শুভ্র শুদ্ধতম মানুষ। তার চোখ খুব খারাপ, চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ; ফলে তার ক্লাসের বন্ধুরা তাকে \"কানাবাবা\" নামে ডাকে। শুভ্র কে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের ৬ টি উপন্যাস রয়েছে ।", "title": "শুভ্র" }, { "docid": "707084#0", "text": "হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য টেলিভিশন ধারাবাহিক এবং টেলিফিল্ম রচনা শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে তার প্রথম টিভি কাহিনীচিত্র প্রথম প্রহর বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এটি তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। পরবর্তী সময়ে তিনি বহু এক পর্বের নাটক নির্মাণ করেছেন। যাদের মধ্যে খেলা, অচিন বৃক্ষ, খাদক, একি কান্ড, একদিন হঠাৎ, অন্যভুবন উল্লেখযোগ্য।", "title": "হুমায়ূন আহমেদের নাটক" }, { "docid": "2139#2", "text": "১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম উপন্যাস \"নন্দিত নরকে,\" ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। সত্তর দশকের এই সময় থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তাঁর সৃষ্ট হিমু এবং মিসির আলি ও শুভ্র চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীও তাঁর সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত, তাঁর রচিত প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী \"তোমাদের জন্য ভালোবাসা\"। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশি না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো \"মধ্যাহ্ন\", \"জোছনা ও জননীর গল্প\", \"মাতাল হাওয়া\", \"লীলাবতী\", \"কবি\", \"বাদশাহ নামদার\" ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে।", "title": "হুমায়ূন আহমেদ" }, { "docid": "1526#0", "text": "হুমায়ুন আজাদ (২৮ এপ্রিল ১৯৪৭ - ১১ আগস্ট ২০০৪; ১৪ বৈশাখ ১৩৫৪ - ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, সমালোচক, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী, কিশোর সাহিত্যিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার। তিনি বাংলাদেশের প্রধান প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক লেখক যিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান- ও সংস্কারবিরোধিতা, নিরাবরণ যৌনতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে নির্মম সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য ১৯৮০-র দশক থেকে ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। গতানুগতিক চিন্তাধারা তিনি সচেতনভাবে পরিহার করতেন। তাঁর \"নারী\" (১৯৯২), \"দ্বিতীয় লিঙ্গ\" (২০০১) এবং \"পাক সার জমিন সাদ বাদ\" (২০০৪) গ্রন্থ তিনটি বিতর্কের ঝড় তোলে এবং \"নারী\" বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।", "title": "হুমায়ুন আজাদ" }, { "docid": "1526#9", "text": "গদ্যের জন্য বেশি জনপ্রিয় হলেও হুমায়ুন আজাদ আমৃত্যু কাব্যচর্চা করে গেছেন। তিনি ষাটের দশকের কবিদের সমপর্যায়ী আধুনিক কবি। সমসাময়িক কালের পরিব্যাপ্ত হতাশা, দ্রোহ, ঘৃণা, বিবমিষা, প্রেম ইত্যাদি তার কবিসত্বার প্রধান নিয়ামক। প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম \"অলৌকিক ইস্টিমার\" যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ এর জানুয়ারিতে (পৌষ, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ)। কাব্যগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন ১৯৬৮-১৯৭২ এর রাত-দিনগুলোর উদ্দেশে। তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ \"জ্বলো চিতাবাঘ\" প্রথম প্রকাশিত হয় ফাল্গুন, ১৩৮৬ বঙ্গাব্দে (মার্চ ১৯৮০)। \"সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে\" তাঁর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। প্রথম প্রকাশের সময় বৈশাখ ১৩৯২ বঙ্গাব্দ (এপ্রিল, ১৯৮৫)। ১৩৯৩ বঙ্গাব্দের ফাল্গুনে (মার্চ ১৯৮৭) প্রকাশিত হয় তাঁর চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ \"যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল\"। তার পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ \"আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে\" প্রকাশিত হয় ১৩৯৬ বঙ্গাব্দের ফাল্গুনে (ফেব্রুয়ারি ১৯৯০)। এর আট বছর পর ১৪০৪ এর ফাল্গুনে (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮) প্রকাশিত হয় তার ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ \"কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু\"। কাব্যগ্রন্থটি কবি তার 'প্রিয় মৃতদের জন্য' উৎসর্গ করেন। সপ্তম কাব্যগ্রন্থ \"পেরোনোর কিছু নেই\" প্রকাশিত হয় ১৪১০ বঙ্গাব্দের মাঘ(ফেব্রুয়ারি, ২০০৪) মাসে। এটিই হুমায়ুন আজাদের জীবদ্দশায় প্রকাশিত শেষ কাব্যগ্রন্থ। তবে হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুর পর বঙ্গাব্দ ১৪১১ এর ফাল্গুনে (ফেব্রুয়ারি,২০০৫) এই সাতটি কাব্যগ্রন্থ সহ আরো কিছু অগ্রন্থিত ও অনূদিত কবিতা নিয়ে তাঁর \"কাব্যসমগ্র\" প্রকাশিত হয়। নব্বুইয়ের দশক থেকে ঢাকার আগামী প্রকাশনী তাঁর গ্রন্থাবলীর প্রধান প্রকাশক।", "title": "হুমায়ুন আজাদ" }, { "docid": "91583#11", "text": "যদিও পাঠকের মনোরঞ্জনই গল্পকার হুমায়ূন আহমেদের প্রধান লক্ষ্য, তবু সমাজের সর্বপ্রকার চালচিত্র হুমায়ূন আহমেদের গল্পে স্থান লাভ করেছে। সর্বপ্রকার মানবচরিত্র ভূমিকা রেখেছে তাঁর গল্পের মানচিত্রে। ব্যাপক অভিজ্ঞতার সঙ্গে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ও কল্পনাশক্তি যুক্ত হওয়ার ফলে তাঁর চরিত্রগুলো সর্বদাই কৌতূহলোদ্দীপক। এ প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য যে সমাজ ও মানুষের সঙ্গে এই লেখকের সম্পর্ক নির্বিরোধী। ফলে চরিত্রচিত্রণে তাঁর নিঃসক্ত অবস্থান স্পষ্ট। তাঁর রচনায় পাঁকের ছবি থেকে পদ্ম বাদ পড়ে যায় নি। হুমায়ূন আহমেদের চরিত্ররা ‘ভালো-মন্দ সকলি মিলায়ে’ মানুষ। চরিত্রচিত্রণে তিনি রাজনীতি করেন না; সাহিত্যের মানুষদের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের সম্পর্ক অরাজনৈতিক। প্রতিহিংসাপরায়ণতা বা বিদ্বেষের চরিতার্থতায় ব্যবহৃত হয়নি তাঁর কলম। লেখকের রাজনীতি শিল্পবিরোধী। হুমায়ূন আহমেদের গল্পে সকল চরিত্র সমান গুরুত্ব লাভ করে, যেমনটি দেখা যায় মিলান কুণ্ডেরার উপন্যাসে।", "title": "মধ্যাহ্ন (উপন্যাস)" } ]
১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান নৌযুদ্ধের সময় পাকিস্থানের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন ?
[ { "docid": "460046#2", "text": "শুরুতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীর সন্ধান করলেও ১৯৪১ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ব্রিটিশ ভারতের পক্ষে বিভিন্ন প্রাদেশিক দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর ১৯৫৫ পর্যন্ত সেচ অধিদপ্তরের সচিব ছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সভাপতি মনোনীত হন। এরপর ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ মেয়াদে অর্থসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সকল পদের প্রধান হিসেবে রাখা হয়। ঐ একই সালে রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো কর্তৃক সাম্যবাদের ছোঁয়া থেকে দূরে রাখতে স্টেট ব্যাংকের গভর্নর মনোনীত হন। ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানের পরমাণু পরিকল্পনায় তাঁকে প্রতিরক্ষা সচিব পদে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়া-উল-হক সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রধান হন। ১৯৮৫ সালে সিনেট সভাপতি হন। জিয়ার মৃত্যুর পর তিনি রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন ও ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে ইসলামী জাহুরি ইত্তেহাদ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।", "title": "গোলাম ইসহাক খান" }, { "docid": "8845#8", "text": "বাঙালিরা মুক্তিবাহিনীতে ঢুকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই এ লিপ্ত হয় যা তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি পায়। রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন মে'মাসে এবং ঐ দেশের রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনকে বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানে তার সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদ-বিরোধী সামরিক অভিযানে লিপ্ত হয়েছে। যদিও জুলাই মাসে তিনি নিক্সনকে টেলিফোনে বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী সামরিক অভিযান এখন গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। ১৯৭১ সালের নভেম্বরে ইয়াহিয়া ভারতের সঙ্গে পশ্চিম ফ্রন্টেও যুদ্ধ করার কথা ভাবেন, এবং ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের বিমান ঘাঁটির ওপর বোমা বর্ষণ করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ জড়ানোর নির্দেশ তার দেশের তিন বাহিনীকে।", "title": "ইয়াহিয়া খান" } ]
[ { "docid": "1495#5", "text": "সারা দেশ যখন ক্ষোভে উত্তাল, তখন ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসে শেখ মুজিবের সঙ্গে সরকার গঠন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু একই সঙ্গে সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা চালানোর পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। \"বেলুচিস্তানের কসাই\" হিসেবে পরিচিত জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়, কিন্তু কোন বাঙালি বিচারপতি তাঁকে শপথ পাঠ করাতে রাজি হন নি। পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হতে থাকে। ১০ থেকে ১৩ মার্চের মধ্যে পাকিস্তান এয়ারলাইন্স তাদের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে পূর্ব পাকিস্তানে জরুরীভিত্তিতে \"সরকারি যাত্রী\" পরিবহণ করতে। এই \"সরকারি যাত্রী\"দের প্রায় সবাই ছিল সাদা পোশাকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সেনা। এমভি সোয়াত নামে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই একটি পাকিস্তানি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। কিন্তু বন্দরের নাবিক ও শ্রমিকেরা মালামাল খালাস করতে অস্বীকার করে। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের একটি দল বাঙালি প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি চালাতে অস্বীকার করে, যার মাধ্যমে শুরু হয় বাঙালি সৈনিকদের বিদ্রোহ। অনেক আশা সত্বেও মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক সফল হয় নি। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে বাঙালি নিধনযজ্ঞের সবুজ সংকেত প্রদান করে সন্ধ্যায় গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান যাত্রা করেন।", "title": "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" }, { "docid": "641885#1", "text": "রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাকিস্তানে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে তিনি জড়িত হয়ে পড়েন। এ সময়ে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত গোপন বার্তা রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খানের কাছে হস্তান্তর করেন। ঐ বার্তায় ইয়াহিয়া খানকে পূর্ব পাকিস্তানে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকল্পে ভারতের সাথে সংঘাতপূর্ণ অবস্থান থেকে বিরত থাকার কথা তুলে ধরা হয়।", "title": "আলেক্সি এ. রোদিওনোভ" }, { "docid": "545212#11", "text": "যেহেতু নৌ কমান্ড পি এন এস গাজীর অফিসারদের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে তাই ক্ষতিগ্রস্থ সাবমেরিন পি এন এস গাজীকে যুদ্ধে ব্যবহার করে পাকিস্তান নৌবাহিনী হুমকি্র পাল্টা জবাব দেয়।কমান্ডার জাফর মুহম্মদ খানের নেতৃত্বে পিএনএস গাজীকে ভারতীয় এয়ার ক্যারিয়ার ভিকর‍্যান্টকে সনাক্ত করার জন্য বরাদ্দ করা হয়। পিএনস গাজীকে ভারতীয় নৌ বাহিনীর বিমানবাহী রণতরী বিক্রান্তকে ডোবানোন জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় যাতে বঙ্গোপোসাগরে ভারতের নৌনিয়ন্ত্রন কমানো যায়৷ ভারতীয় নৌবাহিনীর রণকৌশলে বিভ্রান্ত পাক নৌসেনা বিশাখাপত্তনম বন্দরে বিক্রান্তের খোঁজে (বিক্রান্ত তখন আন্দামানের কাছে ছিল)আসলে ভারতীয় নৌবাহিনীর ডেপ্থ চার্জে পিএনএস গাজী নামক ডুবোজাহাজ বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায় এবং পূর্বক্ষেত্রে নৌ অবরোধ পাকস্বপ্ন সলিলসমাধি লাভ করে৷", "title": "ভারত-পাকিস্তান নৌযুদ্ধ (১৯৭১)" }, { "docid": "545212#0", "text": "১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান নৌযুদ্ধ হচ্ছে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং পাকিস্তানি নৌবাহিনীর মধ্য সংগঠিত যুদ্ধ। এই যুদ্ধটি ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবিচেছদ্য অংশ। যখন ভারতীয় সৈন্য বাহিনী এবং বিমান বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের স্থল সীমা অবরুদ্ধ করে রাখে তখন ভারতীয় নৌবাহিনী জলসীমা থেকে চাপ প্রয়োগ করার জন্য নৌযুদ্ধ শুরু করে।\nপূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযান সফল হওয়ার ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ শুরু করার পূর্বে. ভারতীয় নৌবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি বড় মাপের অপারেশন, অপারেশন ট্রাইন্ড এবং অপারেশন পাইথন পরিচালনা করে।", "title": "ভারত-পাকিস্তান নৌযুদ্ধ (১৯৭১)" }, { "docid": "17736#8", "text": "পাকিস্তানী বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানী উপস্থিত না থাকার কারণ ছিল আর্মি প্রটোকল।আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট.জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সৈন্যবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজী। এরা দুজনেই ছিলেন আঞ্চলিক প্রধান।অন্যদিকে ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান।তাই সেনাবাহিনীর প্রটোকল রক্ষার্থে কোন সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানের সাথে তিনি কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন না।ওসমানি নিজেই এ বিতর্কের জবাব দিয়ে গেছেন।", "title": "মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী" }, { "docid": "596262#0", "text": "মেজর-জেনারেল ইফতেখার খান জানজুয়া, এইচজে এবং বার, এসপিকে, এসকিউএ (মৃত্যুঃ ৯ ডিসেম্বর ১৯৭১) ছিলেন আজ অবধি যুদ্ধে নিহত হওয়া পাকিস্তান সৈন্যবাহিনীর সবচেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাকে ১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের সঙ্গে সংঘটিত সেই 'কচ্ছের র‍্যান' যুদ্ধের নায়ক বলা হয়, ঐ সময় তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে ষষ্ঠ ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধটিতে অংশ নেন এবং বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এর কয়েক মাস পরেই তিনি 'পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ ১৯৬৫'এ জড়িয়ে পড়েন। তিনি করুণভাবে ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় পতিত হন, এ সময় তিনি মেজর-জেনারেল পদবীতে ২৩ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক ছিলেন।\n১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর এক অনুশীলনে ভারতের সেনাবাহিনীর ৩১ এবং ৬৭তম পদাতিক ব্রিগেড পাকিস্তানি সীমার কাছাকাছি (করিম শাহী-কাভদা) চলে আসে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর কিছু জঙ্গীবিমান এবং নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ আইএনএস বিক্রন্ত এবং অন্যান্য যুদ্ধ জাহাজ পাকিস্তানের জলসীমার কাছাকাছি চলে আসে। এপ্রিলের ৮/৯ তারিখে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সেনারা একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই হামলা-পাল্টা হামলার অবস্থান ছিলো র‍্যান অব কচ্ছ এর কাছাকাছি ডিং এলাকায়। বাইরে থেকে বললে সিন্ধু-গুজরাট সীমান্ত। ২৩ এপ্রিল ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার জানজুয়া ৪র্থ পাঞ্জাব রেজিমেন্টকে ঐ এলাকায় অভিযানের জন্য পাঠান। এর সঙ্গে সঙ্গে ৬ষ্ঠ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট এবং ২য় ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টকেও পাঠানো হয় এবং সাথে একটি সাঁজোয়া ইউনিট (১২তম ক্যাভালরির একটি স্কোয়াড্রন) ও যায়। ঐ এলাকাটা ২৬ এপ্রিলের সন্ধ্যার মধ্যে পাকিস্তানি সৈন্যদের দখলে আসে।", "title": "ইফতেখার খান জানজুয়া" }, { "docid": "28517#6", "text": "পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ৫ম প্যারাট্রুপারের কর্নেল ও কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়াজী ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান। কাশ্মির ও শিয়ালকোটের অপারেশনে তিনি ১৪তম প্যারাট্রুপার ডিভিশন, ৫০তম এয়ারবর্ন ডিভশনের নেতৃত্ব দেন। চাভিন্দার যুদ্ধে তিনি অংশ নেন। যুদ্ধের পর নিয়াজী করাচি ও লাহোরের সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান এবং করাচির ৫২তম মেকানাইজড ডিভশনের জিওসি নিযুক্ত হন। ১৯৭০ সালে নিয়াজী ৫০তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সাল নাগাদ তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ লাভ করেন।", "title": "আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী" }, { "docid": "706207#0", "text": "জেনারেল কোটিকালাপুড়ি ভেঙ্কট কৃষ্ণ রাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৪তম প্রধান ছিলেন। তিনি ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৬ সালে মারা যান। তিনি জম্মু-কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং ত্রিপুরা রাজ্যের গভর্নর ছিলেন। ১৯৪২ সালে রাও ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন পেয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে রাও পূর্ব পাকিস্তানে ৮ম মাউন্টেন ডিভিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এলাকা তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন।\nকে ভি কৃষ্ণ রাও ১৯৪২ সালের ৯ই আগস্ট ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর মাহার রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নে কমিশনপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি তরুণ অফিসার হিসেবে বার্মা, নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার এবং বেলুচিস্তান এলাকায় যুদ্ধ করেছিলেন।", "title": "কে ভি কৃষ্ণ রাও" }, { "docid": "412626#1", "text": "ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুকাল অবস্থান করার পর ইস্কান্দার মির্জা ইন্ডিয়ান পলিটিকাল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান তাকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। বাংলা ভাষা আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানে অস্থিরতা দেখা দিলে খাজা নাজিমুদ্দিন তাকে প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন। ১৯৫৫ সালে মালিক গোলাম মুহাম্মদের পর তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। ১৯৫৮ সালে তিনি সংবিধান স্থগিত করে সামরিক আইন জারি করেন। সেনাপ্রধানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রভাব তার সময়ে শুরু হয়। সামরিক আইন জারির বিশ দিন পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আইয়ুব খান তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন। ইস্কান্দার মির্জা লন্ডনে নির্বাসিত হন।", "title": "ইস্কান্দার মির্জা" }, { "docid": "545212#1", "text": "১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ স্থল সীমানা ভিত্তিক যুদ্ধ হওয়ায় ভারতীয় নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি।পাকিস্তানের করাচি থেকে ২০০ মাইল (৩০০ কি. মি.) দক্ষিণে অবস্থিত ভারতের দ্বারকায় নৌবাহিনীর রাডার স্টেশনে ৭ সেপ্টম্বর পাকিস্তানি নৌ বহর একটি অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন দ্বারকা। অপারেশনটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কমান্ডার এস এম আনোয়ার। এই অপারেশনের কারনে ভারতীয় নৌবাহিনীকে দ্রুত আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ফলে ভারতীয় নৌবাহিনীর বাজেট ৩৫০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১.৫ বিলিয়নে।  সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আনা সাবমেরিন এবং ৬ টি  ও এস এ মিসাইল শিপ ভারতীয় নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলে।", "title": "ভারত-পাকিস্তান নৌযুদ্ধ (১৯৭১)" } ]
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ?
[ { "docid": "75825#0", "text": "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত। এটি কুমিল্লার সবচেয়ে পুরাতন এবং বিখ্যাত কলেজ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায় রানী ভিক্টোরিয়ার নামে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঠিকাদারি পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন এবং শিক্ষা-অনুরাগী ছিলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন। এই কলেজ এভাবে পরিপূর্ণ বাস্তবে রূপ নেয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর ব্রিটিশ সরকার তাকে \"রায় বাহাদুর\" উপাধি প্রদান করে। তার স্মতি রক্ষার্তে ভিক্টোরিয়া কলেজের ইন্টারমেডিয়েট শাখায় প্রধান ফটকে একটি সাদা রঙের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন এই কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ যিনি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।", "title": "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ" }, { "docid": "75825#2", "text": "আনন্দচন্দ্র রায় ১৮৮৬ সালে \"রায় এন্ট্রান্স ইস্কুল\" নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৮ সালে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার \"জুবিলি জয়ন্তী\" স্মারক চিহ্ন স্বরূপ এটিকে ভিক্টোরিয়া স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়। পরবর্তীকালে এই বিদ্যাপীটটিই ভিক্টোরিয়া কলেজ নাম ধারণ করে। একই বছর এই কলেজটি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েটেড কলেজ হিসেবে গণ্য হয়। দুর্ভাগ্য এই যে, ১৯০২ সালে এক প্রচন্ড অগ্নিকান্ডের ফলে এই কলেজটি সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়। অবশ্য এর কিছু কাল পরেই প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃক এর পুননির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। ১৮৯৯ সালে ভিক্টোরিয়া কলেজ একটি টালির ঘর দিয়ে শুরু হয়েছিল। পরে অনেকের আর্থানুকূল্যে বর্তমান উচ্চ মাধ্যমিক শাখার অধ্যক্ষের চেম্বার, অফিসকক্ষ, লাইব্রেরী ও অধ্যাপক\nমিলনায়তনটি নির্মিত হয়। শোনা যায় এ কলেজটি ব্যারিস্টার এ রসুল, জনাব হোচ্চাম হায়দার চৌধুরী, নওয়াব ফয়জুন্নেসা প্রমুখ ব্যক্তিদের আর্থিক\nআনুকূল্য লাভেও ধন্য হয়েছিল। ১৯০৪\nসালে একটি ট্রাস্ট ডিডের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজটিকে পৃথক করা হয়েছিল। এই ট্রাস্ট ডিড করার মূল কারণ ছিল কলেজটির সার্বিক উন্নতি সাধন। এ সময়ে কলেজে একটি গভর্নিং বডিও ছিল। এই বডির উপরেই বর্তেছিল কলেজ পরিচালনার দায়ভার। এই গভর্নিং বডি ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কলেজ অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা শ্রী আনন্দচন্দ্র রায়ের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। শ্রী আনন্দচন্দ্র রায় ছিলেন এই গভর্নিং বডির প্রথম সম্পাদক। ১৯০৪ সালের টাস্ট ডিডে মূলত শ্রী আনন্দচন্দ্র রায়কে কলেজ গভর্নিং বডির আজীবন সম্পাদক রাখার স্বপক্ষে একটি রায় ঘোষণা করে হয়েছে। ১৮৯৯ সাল থেকেই কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েটেড কলেজের\nসারিতে দাঁড়াতে সমর্থ হয়েছিল এই কলেজ। এ সময়ে এই কলেজে এফ এ\nস্ট্যান্ডার্ড চালু হয়। এর কিছুকাল পরেই চালু হয় আইএ স্ট্যান্ডার্ড। ১৯০৪ সালের পূর্বে এই কলেজে অন্য কোন বিভাগ বা স্নাতক শ্রেণী চালু করা সম্ভব ছিল না। ১৯১৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েশনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বাস্তব ক্ষেত্রে তাই\nঘটেছিল। ১৯১৮ সালের দিকেই কেবল\nকলেজের নতুন ভবনটি নির্মিত হয় এবং ঐ বছরই স্নাতক শ্রেণী খোলার জন্য\nকোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি আসে। বিজ্ঞান বিষয়ক আইএসসি এফিলিয়েশন আসে ১৯২৪ সালে। অবাক ব্যাপার এই যে, এই কলেজে বিশ দশকের (১৯২৫) মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে দেশ বিভাগ (১৯৪৭) পর্যন্ত ইংরেজী, গণিত, সংস্কৃত, রাজনীতি বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও আরবী বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। তখন অনার্স কোর্স ছিল দুই বছর ব্যাপী। পাস কোর্সও তাই। এমএ কোর্সও দুই বছর পড়ানো হতো। ১৯৪২ সালে এ কলেজে বিএসসি কোর্স চালু হয়। এবং ১৯৫৫-৫৬ সালের দিকে বিকম কোর্স শুরু হয়। এর কিছুকাল আগে থেকেই অর্থাৎ, ১৯৪৭-৪৮ সাল থেকে এখানে আইকম কোর্স চালু ছিল। ১৯৬২-৬৩ সালে ভিক্টোরিয়া কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখায় বিভক্ত হয়। একই প্রশাসনিক দায়িত্বে ডিগ্রি শাখা খোলা হয় মূল কলেজ ভবন থেকে প্রায় দেড় মাইল\nদূরে ধর্মপুর এলাকায়, শহরতলীতে। ডিগ্রি শাখা আবার তিন ভাগে বিভক্ত। কলা অনুষদ, বাণিজ্য অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ। এখানে রয়েছে ডিগ্রি শাখার আলাদা প্রশাসনিক ভবন, বিশাল মসজিদ ও লাইব্রেরী, ছেলেদের জন্য কবি নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাস এবং মেয়েদের জন্য নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছাত্রী হোস্টেল। ভিক্টোরিয়া কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক শাখাও কলা-বাণিজ্য ও বিজ্ঞান - এই দুই অনুষদের বিভক্ত। উচ্চ মাধ্যমিক শাখার মূল ভবনেও রয়েছে বিশাল লাইব্রেরী। মূল ভবনের পশ্চিম পাশে একটি পুকুর ছিল যা ভরাট করে তৈরী করা হয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের পাশেই নির্মিত হয়েছে বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ও মসজিদ। কলেজের সামনে রাণীর দীঘির পাড়ে বসে কবি নজরুল ইসলাম বন্ধুদের নিয়ে প্রতিদিন আসর জমাতেন।\nএখানে বসেই কবি \"মাধবী লতা দোলে\"\nসহ বিভিন্ন গান লিখেছেন। এখানে বসে তিনি নার্গিসকে অনেক চিঠি লিখেছেন । দীর্ঘদিন এই স্মৃতি স্তম্ভ সংষ্কার না করায় এর জীর্ন-শীর্ন অবস্থা হয়েছিলো, কিন্তু ২০১৫ এ এটি নতুন করে তৈরি করা হয়। প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ফলে বর্তমানে এটি সংরক্ষিত অবস্থায় আছে। উচ্চ মাধ্যমিক শাখার সম্মুখ ভাগে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে কলেজের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ওল্ড ভিক্টোরিয়ান্স নির্মাণ\nকরেছে একটি স্মৃতি স্তম্ভ। কলেজের উচ্চ\nমাধ্যমিক শাখার ছাত্রদের জন্য টমসম (মূল : থমসন) ব্রীজের কাসে রয়েছে একটি সোহরাওয়ার্দি ও রবীন্দ্রনাথ ছাত্রাবাস। এবং চর্থায় রয়েছে শেরে বাংলা ছাত্রাবাস। ১৯৬৩-৬৪ সালের দিকে কলেজে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা ও অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। পরে ১৯৭১-৭২ সালের দিকে একাউন্টিং, ব্যবস্থাপনা, রাজনীতি বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন প্রভৃতি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ২৩ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের সব কলেজ এর অধীনে চলে যায়। ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে এই কলেজে বাংলা ও অর্থনীতি বিষয়ে এমএ খোলা হয়েছিল এবং তা প্রায় এক বছরের মতো চালু ছিল। ১৯৮২ সালে এই কলেজে আইসিএমএ কোর্স চালু হয়। ১৯৫৮-৫৯ সালের দিকে এ কলেজে নাইট শিফট চালু হয়। তা ১৯৬৮ সালে ১লা মে নাগাদ চালু ছিল। ১৯৬৮ সালের পয়লা মে কলেজটি সরকারী হয়। এরপর\nথেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন হয়ে কুমিল্লা সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ নামকরণ হয়। ১৯৮৪-৮৫ সাল থেকে কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হিসেবে মর্যাদা পায়। এরপর থেকে ডিগ্রি শাখা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যায়। বর্তমানে কলেজে ২২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। এবং এগুলোর প্রায় প্রত্যেকটি বিষয়ে চালু আছে মাস্টার্স কোর্স।", "title": "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ" } ]
[ { "docid": "75825#1", "text": "অবিভক্ত কুমিল্লা জেলা তথা চট্টগ্রাম বিভাগের সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ। আজ থেকে প্রায় ১১৫ বৎসর পূর্বে এই কলেজের গোড়া পত্তন হয়। জমিদার রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায় ১৮৯৯ সালে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রী আনন্দচন্দ্র রায় (১৮৬৩-১৯২০) মূলত পশ্চিম দেশীয় লোক ছিলেন। তাঁদের পূর্ব পুরুষের উপাধি ছিল সিং। এই কলেজ স্থাপনের পরই বৃটিশ সরকার তাঁকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। প্রকৃতপক্ষে জমিদার রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায় ও তাঁর ভ্রাতা সতীশ চন্দ্র রায়ের উদ্দম ও উদ্যোগেই প্রধানত এই কলেজটি স্থাপিত হয়েছিল। উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা যখন কুমিল্লা শহরের সমৃদ্ধির অপরিহার্য অঙ্গরূপে পরিগণিত হলো, তখন তিনিই প্রথম এই প্রকার প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরের দিকে একটু তাকালেই যে শ্বেত প্রস্তর নির্মিত মুর্তিটি প্রথমেই আগন্তুকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, সেটিই এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায়ের আবক্ষ মূর্তি বা প্রতিকৃতি। এই প্রতিকৃতির একটু নীচেই লেখা রয়েছে : In loving memory of Rai Bahadur Ananda Chandra Roy who founded Comilla Victoria College in 1899। ১৯৩৬ সালে আনন্দচন্দ্র রায়ের এই আবক্ষ মর্মর মুর্তিটির উন্মোচন করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ আনন্দচন্দ্র রায়কে মূলত সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্যই এটি স্থাপন করেছিলেন।", "title": "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ" }, { "docid": "75825#5", "text": "কলেজে রয়েছে বিএনসিসি (সেনা), বিএনসিসি (বিমান), রেড ক্রিসেন্ট, ভিক্টোরিয়া কলেজ বিতর্ক পরিষদ, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার, রোভার স্কাউটস, ক্যাম্পাস বার্তা, রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন, নোঙর, বোটানী সোসাইটি, ক্যারিয়ার ক্লাব ও বিজ্ঞান ক্লাব।", "title": "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ" }, { "docid": "666739#0", "text": "কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার অন্তর্গত শ্রীকাইল গ্রামে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজসেবক হিসেবে খ্যাত ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রম এবং মেধার মাধ্যমে অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থা থেকে তিনি বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছিলেন। তদানীন্তন ত্রিপুরা জেলার (বৃহত্তর কুমিল্লা) মধ্যে শ্রীকাইল কলেজ ছিল প্রথম গ্রেডের দ্বিতীয় কলেজ। কলেজটি যাত্রা শুরু করে মাত্র ৫২ জন ছাত্র নিয়ে এবং ২০০০ সালে এর ছাত্র সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৯০০। শুরুতে এই কলেজে কোন ছাত্রী ছিল না। ২০০০ সালে ছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৪০০।", "title": "শ্রীকাইল সরকারি কলেজ" }, { "docid": "474285#1", "text": "ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা জেলায় প্রতিষ্ঠিত তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ডক্টর এম সামসুল হক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা (ইউনিক) ছিল এতদঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দ্বারা বন্ধ ঘোষণা হওয়ার পর ২০০৬ সালে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রী নেয়ার সুবিধা থাকলেও সীমিত সংখক আসন সংখ্যার কারণে কুমিল্লায় আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। অবশেষে ২০১২ সালে ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কুমিল্লা ও এর আশেপাশের অঞ্চলের বিপুল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা লাভের পথ সুগম হয়।", "title": "ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়" }, { "docid": "92436#0", "text": "নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ নড়াইল জেলা সদরে অবস্থিত নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৮৮৬ খৃস্টাব্দে তৎকালীন স্থানীয় জমিদারদের প্রচেষ্টায় ঐতিহ্যবাহী এ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে সুনাম ও গৌরবোজ্জ্বল ফলাফল দেখিয়ে আসছে এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে রেখেছে অপরিসীম ভূমিকা। ১৯৮০ থৃস্টাব্দে কলেজটি সরকারীকরণ করা হয়। তখন থেকে একে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ নামেও আখ্যায়িত করা করা হয়। ১৯৯৭ খৃস্টাব্দে এ কলেজে ব্যাচেলরস অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে (২০০৯) নয়(৯)টি বিষয়ে ব্যাচেলরস অনার্স ও চার(৪)টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু আছে। ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজটিতে বাংলা, দর্শন, ব্যবস্থাপনা ও গণিত বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়।", "title": "নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ" }, { "docid": "502529#0", "text": "কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বেতাই ড. বি. আর. আম্বেদকর কলেজ নদীয়া জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম বেতাই এ অবস্থিত। এই এলাকায় পূর্বে কোন কলেজ না থাকায় পঠন পাঠনে চরম অসুবিধা হত, এই সমস্যা দূর করতে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মানুষদের উদ্যোগে এবং রাজ্য সরকারের সহায়তায় এই কলেজ গড়ে ওঠে। প্রথমে এখানে একাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতক পর্যন্ত পড়ানো হত, এখন শুধু মাত্র স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়ানো হয়। এছাড়াও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষার স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম ও পড়ানো হয়।", "title": "ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজ" }, { "docid": "552287#0", "text": "বাংলাদেশে অবস্থিত একটি সামরিক কলেজ। কলেজটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ২০০২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজে অধ্যাপনা এবং পরীক্ষার ফলাফল উচ্চ মানের জন্য বিখ্যাত। কুমিল্লা শহর থেকে ১০ কি.মি.দূরে কুমিল্লা সেনানিবাসের পাশে কোটবাড়িতে অবস্থিত।", "title": "কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট কলেজ" }, { "docid": "2523#1", "text": "কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন জেলা। কুমিল্লার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে- শাহ সুজা মাসজিদ, কুমিল্লা বিমানবন্দর ও ইপিজেড, কুমিল্লা স্টেডিয়াম, ধর্মসাগর, রাণীর দিঘী, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, ওয়ার সেমেট্রী, শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতি জাদুঘর, লালমাই-ময়নামতি পার্বত্য অঞ্চল উল্লেখযোগ্য।", "title": "কুমিল্লা" } ]
গোলাম আযম কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন ?
[ { "docid": "11610#6", "text": "পূর্ব পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর (পাকিস্তান গাণতান্ত্রিক দল, জাতীয় আওয়ামী দল, জামায়াত উলমা-ই-ইসলাম ও পাকিস্তান জাতীয় লীগসহ) সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে গোলাম আযম আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিতে শুরু করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে পাবলিক মিটিং-এ ভাঙ্গচুর, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর শারীরিক আক্রমণ ও পার্টি অফিসের লুটপাট ও ধ্বংসের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। ১৯৭০ সালে আযম যখন জামায়াতের প্রধান তখন জামায়াতে ইসলামীর র‌্যালিসহ, কিছু রাজনৈতিক র‌্যালি সশস্ত্র গোন্ডাদের হামলার শিকার হয় এবং অভিযোগ করা হয় এই হামলার উসকানী দিয়েছে আওয়ামী লীগ।", "title": "গোলাম আযম" }, { "docid": "11610#1", "text": "জামায়াতে ইসলামীর নেতা হিসেবে তিনি বিতর্কিত শান্তি বাস্তবায়ন বা শান্তি কমিটির একজন সদস্য ছিলেন, যে কমিটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধী অন্যান্য পাকিস্তানি বাঙ্গালি নেতাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহয়তার জন্য গঠিত আধাসামরিক বাহিনী আলবদর ও রাজাকার গঠনেরও অভিযোগ রয়েছে। এই মিলিশিয়ারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা মুক্তি বাহিনীর বিপ্লবীদের বিরোধিতা করেছিল এবং এরাও যুদ্ধাপরাধের অভিযুগে অভিযুক্ত। যাইহোক, তার আইনজীবীদের ভাষ্যমতে, ১৯৭১ সালে তিনি একজন অসামরিক সাধারণ নাগরিক ছিলেন বলে তার পক্ষে সেনাবাহিনী পরিচালনা বা কোন ধরনের সামরিক বহিনীর কমান্ডার হওয়ার সুযোগ ছিল না। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার জন্য বাংলাদেশ সরকার আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি ব্যতীত বা ভিসাবিহীন অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করেন।", "title": "গোলাম আযম" }, { "docid": "11610#0", "text": "গোলাম আযম (৭ নভেম্বর ১৯২২ - ২৩ অক্টোবর ২০১৪) ছিলেন বাংলাদেশের একজন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবীদ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী। তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর আমির ছিলেন। আযম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন।", "title": "গোলাম আযম" }, { "docid": "11610#7", "text": "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গোলাম আযম রাজনৈতিক অবস্থান নেন ও পাকিস্তান বিভক্তির বিরোধিতা করেন এবং বারবার আওয়ামী লীগ ও মুক্তিবাহিনীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করতে থাকেন। পরবর্তীতে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয় এবং ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। আযমের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ২৫ মার্চের পর থেকে জামায়াতের মুখপত্র বলে পরিচিত দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হত। ২৫ শে মার্চ রাতে সংঘটিত অপারেশন সার্চলাইট এর ছয় দিন পর গোলাম আযম ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে একটি ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি ভারতের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, \"ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানীদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।...আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানদের নিকট হতে কোন প্রকার সাহায্য পাবে না।\" ২০ জুন, ১৯৭১ সালে করা একটি মন্তব্যে গোলাম আযম পাকিস্তানের প্রতি তার সমর্থন পুনরাব্যাক্ত করেন। মন্তব্যটি ছিল, “পাকিস্তনি বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রায় সকল সন্ত্রাসীদের হটিয়ে দিয়েছে।”", "title": "গোলাম আযম" }, { "docid": "12134#11", "text": "৩০ জুন লাহোরে সাংবাদিকদের কাছে গোলাম আযম বলেন, \"তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানে দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) তৎপরতা দমন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই দুস্কৃতকারীদের হাতে বহু জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার উদ্দেশ্য ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য ছিলেন পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। গোলাম আযম ও এই কমিটির সদস্য ছিলেন।", "title": "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী" }, { "docid": "11610#5", "text": "১৯৫৪ সালে আযম সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদীর ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হন। ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন ও \"তাবলিগ-ই-জামায়াতের\" সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে জামায়াতে ইসলামীতে সহযোগী (মুত্তাফিক) হিসেবে যোগদান করার পর ১৯৫৫ সালে গ্রেফতার হয়ে রংপুর কারাগারে অবস্থানকালেই জামায়াতের রুকন হন। ১৯৫৫ সালের জুন মাসে তিনি রাজশাহী বিভাগীয় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। এর এক বছর পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এবং রাজশাহী বিভাগীয় আমীরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্রমেই দলে তার পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে ও ১৯৫৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদাক পদ গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব খান মৌলবাদী ধর্মীয় কাজকর্মের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ও আযম গ্রেফতার হন। তাকে আট মাস আটক করে রাখা হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি তদানীন্তন \"পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর\" আমীর (সভাপতি) পদে অধিষ্ঠিত হন এবং এই পদটি তাকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হয়েছিল। তিনি ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক জোট গঠনের অন্যতম অংশগ্রহনকারী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর তাত্ত্বিক নেতা বা গুরু হিসেবেও পরিচিত।", "title": "গোলাম আযম" }, { "docid": "80727#5", "text": "১৯৭৫ সালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হাতে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে একটি অভ্যূত্থানের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। তিনি ১৯৭৮ সালে শীর্ষ জামায়াত নেতা যেমন, গোলাম আযম ও নিজামীকে বাংলাদেশে ফিরে আসার অনুমতি দেন; তারা পুনরায় জামায়াতে ইসলামীকে পুনরুজ্জীবিত করেন এবং এটি দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক দলে পরিনত হয়। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এবং জামায়াতের যুব সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে সংগঠিত করেন। ১৯৭৮-১৯৮২ তিনি ঢাকা মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩-১৯৮৮ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং আমীর নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত (২০০০) দায়িত্ব পালন করেন।", "title": "মতিউর রহমান নিজামী" } ]
[ { "docid": "11610#2", "text": "তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, মানবাধীকারকর্মী ও লেখিকা সুলতানা কামাল বলেন, “নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে গোলাম আযম ছিলেন জার্মানির সাবেক শাষক হিটলারের সমকক্ষ যিনি গণহত্যা কার্যকর ও জাতিগত নির্মূলে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন।” এই কথার জবাবে আযমের আইনজীবীরা বলেন, “এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও বানোয়াট। হিটলারের পক্ষে এটা করা সম্ভব ছিল কারণ তার কাছে রাষ্ট্র ক্ষমতা ছিল কিন্তু গোলাম আযমের কোন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিল না। ১৯৭১ সালে জেনারেল টিক্কা খান ও ইয়াহিয়া খানের কাছে রাষ্ট্র ক্ষমতা ছিল।”", "title": "গোলাম আযম" }, { "docid": "11610#15", "text": "দৈনিক প্রথম আলো অনুসারে, তিনজন বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা গোলাম আযমের বিরোদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। বাঙ্গালি সাংস্কৃতির বিরূদ্ধে গোলাম আযমের কর্মকান্ডের অভিযোগ উত্থাপন করেন সাইদ শামসুল হক, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করেন বোরহান্নুদ্দিন খান জাহাঙ্গির ও মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড সম্পর্কে অভিযোগ উত্থাপন করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আনিসুজ্জামানের উপত্থাপিত অভিযোগের কিছু বিশেষ অংশ হল,১৯৭৮ সালে গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশের সল্পমেয়াদী ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। কিন্তু তিনি ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে কোন প্রকার বৈধ ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে অবস্থান করেন এবং তার জন্মসূত্রে এদেশে থাকার অধিকার রয়েছে এই অধিকারবলে দেশত্যাগে অস্বীকৃতি জানান। ২০০০ সালের পর গোলাম আযম সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। তার উত্তরসূরী হলেন মতিউর রহমান নিজামী।", "title": "গোলাম আযম" }, { "docid": "11610#10", "text": "১২ আগস্ট, ১৯৭১ সালে দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত একটি বক্তব্যে বলেন, “তথাকথিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকারীরা ইসলাম ও পাকিস্তানের শত্রু।” তিনি ভারতের বিরুদ্ধে আন্দোলনেরও ডাক দেন। গোলাম আযমকে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুগে বলা হয় সেপ্টেম্বরের প্রতম দিকে তিনি রাও ফরমান আলীর সাথে এক গোপন বৈঠক করে এই হত্যাকান্ডের নীলনকশা তৈরি করেন। উল্লেখ্য ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংগ্রামে গোলাম আযমের পশ্চিম পাকিস্তান সফরকালের একটি সাক্ষাৎকারের পূর্ণ বিবরণ দুই কিস্তিতে ছাপা হয়। এই সাক্ষাৎকারে তিনি মুক্তিবাহিনীর সাথে তার দলের সদস্যদের সংঘর্ষের বিভিন্ন বিবরণ ও পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থতির ওপর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,", "title": "গোলাম আযম" } ]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী কোথায় ?
[ { "docid": "3581#0", "text": "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ( \"ইউনাইটেড্ স্টেইট্‌স্ অফ্ আমেরিকা\"; সংক্ষেপে ইউনাইটেড স্টেটস বা ইউ. এস.) উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত একান্ন রাজ্য ও একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা নিয়ে গঠিত এক যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। এই দেশটি যুক্তরাষ্ট্র নামেও পরিচিত। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত আটচল্লিশটি রাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি অঞ্চলসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডটি পশ্চিমে প্রশান্ত ও পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরদ্বয়ের মধ্যস্থলে অবস্থিত; এই অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত যথাক্রমে কানাডা ও মেক্সিকো রাষ্ট্রদ্বয়। আলাস্কা রাজ্যটি অবস্থিত মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমে; এই রাজ্যের পূর্ব সীমান্তে রয়েছে কানাডা ও পশ্চিমে বেরিং প্রণালী পেরিয়ে রয়েছে রাশিয়া। হাওয়াই রাজ্যটি মধ্য-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়াও ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের অনেক অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকারভুক্ত।", "title": "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র" } ]
[ { "docid": "627493#0", "text": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক ২০১৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্র ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতির ঘোষণা দান এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায় নির্দেশ দান। এই সিদ্ধান্ত ছিল বিগত সাত দশকের বৈদেশিক নীতিকে বাতিল করার শামিল। যাইহোক, ঘোষণা অনুসারে এবং উল্লেখ ছাড়া, ট্রাম্প জেরুসালেম দূতাবাস আইনের অধীনে কমপক্ষে আরও ছয় মাস দূতাবাস দাবিত্যাগ স্বাক্ষরিত আইন বাধ্যতামূলক করেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানান এবং ঘোষণাটির প্রশংসা করেন।", "title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি" }, { "docid": "63752#2", "text": "বিগত দুইশত বছর ধরে নিউ ইয়র্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে সম্পদশালী শহর। শহরটি একসময় নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী এমনকি সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও রাজধানী ছিল। বর্তমানে নিউ ইয়র্ক শহর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা কেন্দ্রগুলির একটি। বিশ্বব্যাপী নিউ ইয়র্ক শহরের রাজনীতি, গণমাধ্যম, বিনোদন ও পোশাকশৈলীরর প্রভাব বিশেষ উল্লেখযোগ্য। জাতিসংঘের সদর দপ্তর এখানে অবস্থিত যার কারণে একে আন্তর্জাতিক কূটনীতির তীর্থস্থান বলা যায়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামক রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত বিল ডি ব্লাজিও নিউ ইয়র্ক শহরের বর্তমান নগরপিতা বা মেয়র।", "title": "নিউ ইয়র্ক (শহর)" }, { "docid": "627493#10", "text": "ট্রাম্পের ঘোষণা অনুসরণ করে তুরস্ক, জর্ডান, জার্মানি ও ব্রিটেনের আমেরিকান দূতাবাসগুলি, তাদের আমেরিকান নাগরিকদের সহ যারা বিদেশে ভ্রমণ করছে বা বিদেশে বসবাস করছে তাদেরও নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে। সহিংস বিক্ষোভের সম্ভাবনা সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশে আমেরিকানদের জন্য একটি সাধারণ সতর্কতা জারি করে। জেরুসালেমে আমেরিকান কনস্যুলেট জেরুসালেমের পুরানো শহর থেকে সরকারী কর্মচারীদের ভ্রমণ সীমিত করে। জর্ডানের মার্কিন দূতাবাস রাজধানী ছেড়ে যাওয়া কর্মচারীদের জন্য নিষিদ্ধ করে এবং দূতাবাসের কর্মচারীদের সন্তানদের স্কুলের পরিবর্তে বাড়িতে থাকতে জানানো হয়।", "title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি" }, { "docid": "627493#15", "text": "বিশিষ্ট আমেরিকান ইহুদি সংগঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়, যার মধ্যে প্রধান আমেরিকান ইহুদী সংগঠনগুলির সভাপতি সহ ৫১ টি জাতীয় ইহুদী সংগঠন এবং এর সদস্যও বিদ্যমান: এআইপিএসি, উত্তর আমেরিকার ইহুদী ফেডারেশন, আমেরিকান ইহুদি কংগ্রেস, আমেরিকান ইহুদি কমিটি, হাদাশাহ, যুক্তরাষ্ট্রের সনাতন ইহুদি পরিষদ ইউনিয়ন এবং নব্য ইজরায়েল জাতীয় কাউন্সিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল আন্দোলন, ইসরায়েল এবং বিশ্বব্যাপী শাখাগুলি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে জেরুসালেমকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। অর্থডক্স ইউনিয়ন, সনাতন ইহুদিদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনাইটেড স্টেটের বৃহত্তম অঙ্গসংগঠন, \"জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি শুরু করার জন্য\" ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।", "title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি" }, { "docid": "627493#3", "text": "১৯৪৯ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, কিন্তু জেরুসালেমে চূড়ান্তভাবে শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করে। ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র জেরুসালেমের রাজধানী হিসেবে ইসরায়েলের ঘোষণার বিরোধিতা করেছিলেন এবং ১৯৫০ সালে জেরুসালেমেকে দ্বিতীয় রাজধানী ঘোষণা করার জন্য জর্দানের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিল। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পূর্ব জেরুসালেম দখল করার বিরোধিতা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক অবস্থান জেরুসালেমের ভবিষ্যতের জন্য একটি আলোচিত বিষয়বস্তু। পরবর্তীতে প্রশাসনের অবস্থান ঘোষণা করা হয়েছিল যে জেরুসালেমের ভবিষ্যত একতরফা পদক্ষেপের বিষয় নয় যা আলোচনার প্রতিক্রিয়ায় হতে পারে, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় তেল আবিব থেকে জেরুসালেম পর্যন্ত মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা।", "title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি" }, { "docid": "627493#11", "text": "রাষ্ট্রপতি রেক্স টিলারসনের গভর্নর রাষ্ট্রপতির বিবৃতিটি পরে স্পষ্ট করে জানান \"জেরুসালেমের জন্য কোন চূড়ান্ত অবস্থান নির্ণয় করা হয়নি\" এবং \" এটি খুব স্পষ্ট ছিল যে সীমান্তসহ চূড়ান্ত অবস্থানের জন্য দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।\" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা ৮ ই ডিসেম্বর বলেন যে জেরুসালেমের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক জড়িত রয়েছে তা সহসাই পরিবর্তন হবে না। জেরুসালেমে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের পাসপোর্টের তালিকা করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নীতির অন্তর্ভুক্ত নয়। ডিসেম্বর ৮ তারিখে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড এম স্যাটারফিল্ড বলেছিলেন, \"এই সময়ে কনস্যুলার অনুশীলন বা পাসপোর্ট প্রকাশের ব্যাপারে আমাদের নীতিতে কোন পরিবর্তন হয়নি।\"", "title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি" }, { "docid": "627493#36", "text": "ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে ১৩ ই ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে, ৫০ টিরও বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করে এবং আল কুদস (আরবি ভাষায় \"জেরুসালেম\") ফ্রিডম নেভিগেশন ইস্তাম্বুল ঘোষণা অনুযায়ী \"পূর্ব জেরুসালেম হিসেবে স্বীকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র\" বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির জন্য আহ্বান জানায়। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পক্ষপাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে আর যোগ্য নয় এবং তাদেরকে \"ন্যায্য আলোচক\" হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। সম্মেলনে ইসরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, নিউইয়র্ক টাইমস এই ঘোষণাকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের জন্য \"এখন পর্যন্ত তীব্র প্রতিক্রিয়া\" হিসেবে অভিহিত করেছে।", "title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি" }, { "docid": "2808#0", "text": "নিউ ইয়র্ক () মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের একটি অঙ্গরাজ্য। এই রাজ্যের রাজধানী অ্যালবানি এবং বৃহত্তম শহর নিউ ইয়র্ক সিটি। নিউ ইয়র্ক সিটি সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল শহর।এই শহরের লিবার্টি আইল্যান্ডে বিখ্যাত ষ্ট্যাচু অব লিবার্টি অবস্থিত।", "title": "নিউ ইয়র্ক (অঙ্গরাজ্য)" }, { "docid": "627493#28", "text": "জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ৭ ডিসেম্বর একটি জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ১৪ জন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন, এটি ইউএন এর রায় এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বলে অভিহিত করে। যাইহোক, নিরাপত্তা পরিষদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া বিবৃতি প্রকাশ করতে পারেনি। বলিভিয়া, ব্রিটেন, মিশর, ফ্রান্স, ইতালি, সেনেগাল, সুইডেন ও উরুগুয়েতে জরুরী বৈঠকের অনুরোধ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকী হ্যালি জাতিসংঘকে \"ইসরাইলের প্রতি বৈরী মনোভাবের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র\" বলে অভিহিত করেছেন। ব্রিটেন, ফ্রান্স, সুইডেন, ইতালি এবং জাপান এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যারা জরুরি বৈঠকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। ১৮ ডিসেম্বর, স্বীকৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব ১৪-১ এ ভোট পড়েছিল, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।", "title": "ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি" } ]
ড. কামাল চৌধুরী কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
[ { "docid": "262283#0", "text": "ড. কামাল চৌধুরী (জন্ম: ২৮ জানুয়ারি, ১৯৫৭) (পুরো নাম: কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী) একজন আধুনিক বাঙ্গালী কবি যিনি সত্তর দশকের সঙ্গে চিহ্নিত। চাকুরী সূত্রে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে কর্মরত।", "title": "কামাল চৌধুরী" }, { "docid": "262283#2", "text": "কামাল চৌধুরীর পুরো নাম \"'কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী\"। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি কামাল চৌধুরীর জন্ম হয়েছিল কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয় করা গ্রামে। বাবা আহমদ হোসেন চৌধুরী ও মা বেগম তাহেরা হোসেনের ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে নারায়ণগঞ্জের গোদনইল হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক (এস. এস. সি) এবং ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ. এস. সি) পাশ করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন এবং ব্যাচেলরস ও মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।", "title": "কামাল চৌধুরী" } ]
[ { "docid": "258783#1", "text": "কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার গোপাইরবাগ গ্রামের মুন্সী বাড়ি। পিতা খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী এবং মা আফিয়া বেগম। তার পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর। কবীর চৌধুরীর পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় নিজ গৃহেই। পরিবারের সাহচর্যে তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকে সপ্তম স্থান অধিকার করেন। ১৯৪০ সালে ঢাকা ইন্টামিডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্সে ১৯৪৩ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ শ্রেণীতে ১৯৪৪ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেন।", "title": "কবীর চৌধুরী" }, { "docid": "529757#1", "text": "মুস্তফা কামাল ও হুসনে আরা কামাল এর তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় নাশিদ কামাল যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কামালের পিতা একজন বিচারক ছিলেন এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মা ছিলেন কবি, অধ্যাপিকা ও জনহিতৈষী। তিনি অবসরের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সমাজকল্যাণ বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। \nনাশিদ কামালের দুই বোন হলেন নীলা সাত্তার ও নাফিজা কে মনেম। তাঁর চাচা মুস্তফা জামান আব্বাসী প্রখ্যাত বাংলাদেশী সংগীতজ্ঞ এবং চাচি ফেরদৌসী রহমান জনপ্রিয় নেপথ্য গায়িকা।\nদুই বছর বয়সে নাশিদ কামাল পিতামাতার সঙ্গে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান) চলে আসেন।\nছোট থাকতেই তিনি গান গাওয়া শুরু করেছিলেন। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাকিস্তান টেলিভিশনের (পিটিভি) পূর্বপাকিস্তান কেন্দ্রে (বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভি) এর উদ্বোধনী দিনে শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি গান করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ওস্তাদ পি. সি. গোমেজ, ওস্তাদ আখতার সাদমানি, ওস্তাদ কাদের জামিরি, পণ্ডিত যশরাজ প্রমুখ প্রখ্যাত গুরুর কাছে সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করেন। গান শেখা ও গাওয়ার সঙ্গে তিনি তার্কিক ও উপস্থাপক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের টেলিভিশনে প্রচারিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা “তর্ক যুক্তি তর্ক” অনুষ্ঠানে তিনি শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কার লাভ করেন।", "title": "নাশিদ কামাল" }, { "docid": "15751#2", "text": "আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির (অধুনা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের) রামেশ্বরমের এক তামিল মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জয়নুল-আবেদিন ছিলেন একজন নৌকামালিক এবং মাতা অশিয়াম্মা ছিলেন গৃহবধূ। তাঁর পিতা রামেশ্বরম ও অধুনা-বিলুপ্ত ধনুষ্কোডির মধ্যে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের নৌকায় পারাপার করাতেন। কালামের পরিবার ছিল অত্যন্ত গরিব। অল্প বয়স থেকেই পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তাঁকে কাজ করা শুরু করতে হয়। বিদ্যালয়শিক্ষা সমাপ্ত করার পর পিতাকে সাহায্য করার জন্য তাঁকে সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করতে হয়। বিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন সাধারণ মানের ছাত্র। কিন্তু তিনি ছিলেন বুদ্ধিদীপ্ত ও কঠোর পরিশ্রমী ছাত্র। তাঁর শিক্ষাগ্রহণের তীব্র বাসনা ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি পড়াশোনা করতেন ও অঙ্ক কষতেন। রামনাথপুরম স্কোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর কালাম তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ'স কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে সেই কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক হন। পাঠক্রমের শেষের দিকে তিনি পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে উৎসাহ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে চার বছর ওই বিষয় অধ্যয়ন করে নষ্ট করার জন্য তিনি আক্ষেপ করতেন। ১৯৫৫ সালে তিনি মাদ্রাজে (অধুনা চেন্নাই) চলে আসেন। এখানকার মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে তিনি বিমানপ্রযুক্তি শিক্ষা করেন। একটি সিনিয়র ক্লাস প্রোজেক্টে কাজ করার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিন তাঁর কাজে অগ্রগতি না দেখে অসন্তুষ্ট হন। তিনি ভয় দেখান তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে তাঁর বৃত্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কালাম তিন দিনেই কাজ শেষ করেন। তা দেখে ডিন খুশি হন। পরে তিনি কালামকে লিখেছিলেন, \"আমি তোমাকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলাম। তোমাকে এমন সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছিলাম যা করা খুব শক্ত।\" তিনি অল্পের জন্য যোদ্ধা পাইলট হওয়ার সুযোগ হারান। উক্ত পরীক্ষায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর আট জন কর্মীর দরকার ছিল। তিনি পরীক্ষায় নবম হয়েছিলেন।", "title": "এ. পি. জে. আবদুল কালাম" }, { "docid": "614466#1", "text": "প্রায় ছয় হাজার গানের রচয়িতা, ভাটি বাংলার মরমী ভূবনের কালজয়ী সাধক কামাল উদ্দিন বা কামাল পাশা ১৯০১ সালের ৬ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহন করেন । তাঁর পিতার নাম বাউল কবি আজিজ উদ্দিন ও মাতার নাম আমেনা খাতুন। কামাল উদ্দিন বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চল সিলেট বিভাগের, সুনামগঞ্জ জেলায়, দিরাই উপজেলার, ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে তালুকদার বাড়িতে এক সম্ভান্ত মোসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । মরমী পরিবারে জন্ম নেয়া এই সাধক ছোট বেলা থেকেই তাঁর পিতার কাছে হতে সঙ্গীত চর্চা করেন ।", "title": "কামাল উদ্দিন" }, { "docid": "290383#0", "text": "ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলার শর্শদিতে বাড়ি, ২১ জুলাই ১৯৩৯ সালের গিয়াস কামাল চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এম এ, এলএলবি, জার্নালিজমে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে মস্তিষ্কে রক্ষক্রণ হলে তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।", "title": "গিয়াস কামাল চৌধুরী" }, { "docid": "4096#1", "text": "জন্ম ফেনী জেলায় ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারে। কাইয়ুম চৌধুরী যেখানে জন্মগ্রহণ করেন সেখানে অর্থের জৌলুস না থাকলেও শিক্ষা ও উদার মানসের অবস্থান ছিল । পরিবারের এক সদস্য আমীনুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছিলেন নোয়াখালীর ইতিহাস। পিতা আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী ছিলেন সমবায় বিভাগের পরিদর্শক। পরবর্তীতে তিনি সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নোয়াখালীর গোপাল হালদারের সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্য। কুমিল্লায়গায়ক মোহাম্মদ হোসেন খসরু এবং লোকগানের সাধক শচীন দেববর্মনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল। চট্টগ্রামের আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক যোগাযোগ ছিল । বাবার বদলির চাকরির সুবাদে কাইয়ুম চৌধুরী বাংলার অনেক এলাকায় ঘুরে ফিরেছেন।", "title": "কাইয়ুম চৌধুরী" }, { "docid": "636129#1", "text": "১৮৫৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত রংপুরের পায়রাবন্দ জমিদার বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জহিরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের এবং মাতা রাহাতুন্নেছা সাবেরা চৌধুরানী। তার ছোটবোন ছিলেন বেগম রোকেয়া। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে বড় হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই কঠোর পর্দাপ্রথার মধ্যে বড় হন তিনি। শিক্ষা ছিল কুরআন পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভাইদের থেকে শুনে শুনে তিনি পারস্য কবিতা মুখস্ত করে ফেলতেন। ছোটবেলায় পুঁথি পড়তে গিয়ে বাড়িতে ধরাও পড়েছেন তিনি। নিজের চেষ্টায় ইংরেজি ও বাংলা শিখেছিলেন। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার জমিদার আবদুল হালীম খান গজনবীর সাথে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে সম্পন্ন হয়। ২৩ বছর বয়সে তিনি বিধবা হন। তখন তিনি দুই পুত্রের জননী।", "title": "করিমুন্নেসা খানম চৌধুরানী" }, { "docid": "260430#1", "text": "ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ১৯৪২ সালের ১৫ নভেম্বর সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তাঁর বাবা প্রকৌশলী আবিদ রেজা চৌধুরী এবং মা হায়াতুন নেছা চৌধুরী ৷ তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তাঁর অবস্থান তৃতীয় ৷ ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর শৈশবকাল বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ ৷ বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর শৈশবকাল কেটেছে ৷ তিন বছর বয়সে সিলেট ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে চলে যান আসামের জোড়হাটে ৷ ১৯৪৭ সালের আগস্টে আবার সিলেটে ফিরে আসেন ৷ এরপর তাঁর বাবা বদলি হয়ে ময়মনসিংহে চলে যান। সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন ৷ এরপর ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ৷ এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য তিনি ভর্তি হন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ৷ ১৯৬৩ সালে তিনি প্রথম বিভাগে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন।", "title": "জামিলুর রেজা চৌধুরী" } ]
মাইক্রোসফট কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাকাল কবে ?
[ { "docid": "41885#0", "text": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন () যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এটি বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইসের জন্য সফটওয়্যার তৈরি, লাইসেন্স দেওয়া এবং পৃষ্টপোষকতা করে থাকে। এটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের রেডমন্ড শহরে অবস্থিত। এদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলো হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং মাইক্রোসফট অফিস। ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত হয়।", "title": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন" }, { "docid": "453945#0", "text": "মাইক্রোসফট একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বহুজাতিক কম্পিউটার প্রযুক্তি (\"'হার্ডওয়্যার\"' ও \"'সফটওয়্যার\"') উৎপাদনকারী কোম্পানি। মাইক্রোসফটের যাত্রা শুরু হয় ৪ঠা এপ্রিল ১৯৭৫ সালে, এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং পল এলেন এর হাত ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ম্যাক্সিকোর \"আলবুকুয়ের্ক\"-এ। (Albuquerque, New Mexico)", "title": "মাইক্রোসফটের ইতিহাস" } ]
[ { "docid": "41885#14", "text": "১৮ জুন ২০১২ সালে মাইক্রোসফট সারফেস উন্মোচন করে,যা কোম্পানির ইতিহাসে প্রথম কম্পিউটার যার হার্ডওয়্যার মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরী করা হয়েছে। ২৫ জুন মাইক্রোসফট সামাজিক নেটওয়ার্ক ইয়ামার কিনতে মার্কিন $ ১.২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে। ৩১ জুলাই ২০১২ সালে, মাইক্রোসফট জিমেইল এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আউটলুক.কম ওয়েবমেইল সেবা চালু করে। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সার্ভার ২০১২ মুক্তি পায়। ৩১ জুলাই ২০১২ সালে, মাইক্রোসফট জিমেইল এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আউটলুক.কম ওয়েবমেইল সেবা চালু করে। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সার্ভার ২০১২ মুক্তি পায়। ১লা অক্টোবর মাইক্রোসফট একটি খবর কার্যকলাপের অংশ এমএসএন আরম্ভ করার অভিপ্রায় ঘোষণা দেয়, পরের মাসে উইন্ডোজ ৮ প্রবর্তনের সময়। ২৬ অক্টোবর ২০১২ সালে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ এবং মাইক্রোসফট সারফেস চালু করে। তিন দিন পরে, উইন্ডোজ ফোন ৮ চালু করা হয়। পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি জন্য সম্ভাব্য সঙ্গে মানিয়ে নিতে, মাইক্রোসফট খোলা \"ইট এবং খল\" দোকান সংখ্যা বাড়িয়ে পরিপূরক ইউএস জুড়ে \"হলিডে ষ্টোর\" মাইক্রোসফট খোলে।", "title": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন" }, { "docid": "41885#7", "text": "বিল গেটস, ১৩ জানুয়ারি ২০০০ সালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবস্থান হস্তান্তর করে, স্টিভ বালমার ১৯৮০ সাল থেকে গেটস এর কলেজ বন্ধু এবং কোম্পানীর একজন পুরানো কর্মচারী, প্রধান সফটওয়্যার স্থপতি হিসাবে নিজেকে জন্য একটি নতুন অবস্থানে তৈরি করেন। মাইক্রোসফট সহ বিভিন্ন কোম্পানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি, হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার পরিবর্তন শনাক্ত করা, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে মেধা সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য অক্টোবর ১৯৯৯ সালে ট্রাস্টেড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম জোট গঠিত হয়।সমালোচকের নিন্দা, জোট গ্রাহকরা কীভাবে সফটওয়্যার ব্যবহার করছে তার উপর নির্বিচারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা এবং কম্পিউটার আচরণ কেমন,ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট এর ফর্ম;উদাহরণস্বরূপ, পরিস্থিতি যেখানে শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার তার মালিকের জন্য সুরক্ষিত নয় কিন্তু হিসাবে ভাল তার মালিকের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত। ৩ এপ্রিল ২০০০ সালে, একটি রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম মাইক্রোসফট এর ক্ষেত্রে হস্তান্তর করা হয়, কোম্পানীকে \"অবমাননাকর একাধিকার\" বলে;। এটি ২০০৪ সালে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস সঙ্গে সমাধান করে।২৫ অক্টোবর ২০০১, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এক্সপি মুক্তি দেয়, মূলধারার এনটি লাইনের অধীনে যা মাইক্রোসফট এনটি কোডবেসের ঐক্যবদ্ধ। কোম্পানি এক্সবক্স মুক্তির পরের সেই বছর, সনি এবং নিনটেন্ডো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গেম কনসোল বাজারে প্রবেশ করে। মার্চ ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কোম্পানির বিরুদ্ধে এন্টিট্রাস্ট আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়,উদ্ধৃত অপব্যবহার এর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সাথে প্রভাব কুট্টিত,এ রায় ফলে € ৪৯৭ মিলিয়ন ($ ৬১৩ মিলিয়ন) এবং উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার ব্যতিত উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ এক্সপি হোম এডিশন এন এবং উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশনাল এন এর নতুন সংস্করণ উৎপাদন করা।", "title": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন" }, { "docid": "453945#1", "text": "১৯৮০ সালে মাইক্রোসফট \"আইবিএম\" এর সাথে পার্টনারশিপ করে যাতে বেশিরভাগ আইবিএম-এর কম্পিউটারে মাইক্রোসফটের \"অপারেটিং সিস্টেম\" ব্যবহার করা হয়। ১৯৮৫ সালে আইবিএম কোম্পানি মাইক্রোসফটকে অনুরোধ করে তাদের নতুন কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার জন্য, এই অপারেটিং সিস্টেমের নাম ছিল ওএস/২; মাইক্রোসফট নতুন অপারেটিং সিস্টেম আইবিএম-কে দেয়ার পাশাপাশি অন্য কোম্পানির তৈরিকৃত কম্পিউটারের জন্যও তাদের অপারেটিং সিস্টেম বিক্রি করতে শুরু করে। মাইক্রোসফট সফটওয়্যারের বাজার অধিকাংশই দখল করে নেয় এই অপারেটিং সিস্টেম বিক্রির মাধ্যমে। ১৯৯০ সালের দিকে মাইক্রোসফট ৯০% বাজার দখল করতে সক্ষম হয়।", "title": "মাইক্রোসফটের ইতিহাস" }, { "docid": "41885#10", "text": "বিল গেটস, ২৭ জুন ২০০৮ সালে প্রধান সফটওয়্যার স্থপতি হিসাবে তার ভূমিকা থেকে অবসর গ্রহণ করে, মূখ্য প্রকল্প গুলোর উপদেষ্টা ছাড়াও কোম্পানির ধারনকারী সম্পর্কিত অবস্থান বজায় রাখে। আজুরা সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম, উইন্ডোজের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং বাজারে কোম্পানি ২৭ অক্টোবর ২০০৮ সালে প্রবেশ করে। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে, মাইক্রোসফট ঘোষণায়, মাইক্রোসফট-ব্র্যান্ডেড খুচরা দোকানে একটি ধারাবাহিক খোলার অভিপ্রায় প্রকাশ পায়,এবং ২২ অক্টোবর ২০০৯ সালে, প্রথম খুচরা মাইক্রোসফট স্টোর স্কটসডেল,আরিজোনায় খোলা হয়;প্রথম দোকান খোলার একই দিনে, উইন্ডোজ ৭ আনুষ্ঠানিকভাবে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়।উইন্ডোজ ৭ এর মনোযোগের ছিল কর্মের সাথে পরিমার্জিত ভিস্তার মত ব্যবহার বৈশিষ্ট্য এবং কর্মক্ষমতা উন্নত বৈশিষ্ট্য সাথে বৃহৎভাবে উইন্ডোজ পুনরায় কাজ করা হয়েছিল।", "title": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন" }, { "docid": "41885#3", "text": "১৯৮০ সালে জিনেক্স নামে এটার নিজস্ব ইউনিক্স সংস্করণ সঙ্গে মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবসা প্রবেশ করে। যাইহোক, এমএস-ডস ছিল কোম্পানির আধিপত্য ভিত্তির বিস্তার সহায়ক।ডিজিটাল গবেষণা সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর,মাইক্রোসফট নভেম্বর ১৯৮০ সালে সিপি/এম অপারেটিং সিস্টেম এর একটি সংস্করণ প্রদান করে আইবিএম একটি চুক্তি ঘোষনা,যা আসন্ন আইবিএম পার্সনাল কম্পিউটার সেট (আইবিএম পিসি)তে ব্যবহার করা হয়। এই চুক্তির জন্য, সিয়াটেল কম্পিউটার পণ্য থেকে একটি সিপি/এম ক্লোন ৮৬-ডস ক্রয় করে মাইক্রোসফট এমএস-ডস এর ব্র্যান্ডিং জন্য, যা আইবিএম পিসি ডস নামে পুনরায় রিব্র্যান্ডিং করা হয়।আগস্ট ১৯৮১ সালে আইবিএম পিসি মুক্তির পর, মাইক্রোসফট এমএস-ডস এর মালিকানা বজায় রাখে।আইবিএম কপিরাইটযুক্ত আইবিএম পিসির বায়োস, অন্যান্য কোম্পানির বিপরীত প্রকৌশলীরা আইবিএম হার্ডওয়্যার ছাড়া যাতে আইবিএম পিসি কম্প্যাটিবল হার্ডওয়্যার চালানো যায়, কিন্তু এই ধরনের কোনো সীমাবদ্ধতা অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োগ হয়নি।বিভিন্ন কারণের দরুন, যেমন এমএস-ডস এর সহজলভ্য সফ্টওয়্যার হিসেবে নির্বাচন,অবশেষে মাইক্রোসফট নেতৃস্থানীয় পিসি অপারেটিং সিস্টেমের বিক্রেতা হয়ে ওঠে। ১৯৮৩ সালে মাইক্রোসফট মাউস রিলিজের মাধ্যামে কোম্পানী বাজারের মধ্যে প্রসারিত হয়, পাশাপাশি মাইক্রোসফট প্রেস নামে একটি প্রকাশনা বিভাগ খোলা হয়।পল অ্যালেন হদ্গ্কিন রোগ এর উন্নয়নের পরে ফেব্রুয়ারি মাইক্রোসফট থেকে পদত্যাগ করেন।", "title": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন" }, { "docid": "41885#4", "text": "যৌথভাবে ১৯৮৪ সালে আইবিএম সঙ্গে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম উন্নয়ন শুরু করে, ওএস/২, ২০ নভেম্বর ১৯৮৫ সালে মাইক্রোসফট এমএস-ডস এর গ্রাফিকাল সম্প্রসারণ এর মাধ্যামে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ মুক্তি দেয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ সালে মাইক্রোসফট তার সদর দপ্তর রেডমন্ড এ স্থানান্তর করে, এবং ১৩ মার্চ কোম্পানি পাবলিক মুখী হয়; স্টকের মধ্যে আসন্ন বৃদ্ধি আনুমানিক চার বিলিয়নিয়ার এবং মাইক্রোসফট কর্মচারী থেকে ১২,০০০ মিলিওনেয়ার করতে হবে। আইবিএম এর সাথে অংশীদারিত্বের কারণে, ১৯৯০ সালে সম্ভাব্য সহযোগিতার জন্য ফেডারেল ট্রেড কমিশন চোখ রাখে মাইক্রোসফট উপর;এটা মার্কিন সরকারের সঙ্গে আইনি সংঘর্ষের এক দশকের বেশি সূচনা ছিল। ২ এপ্রিল ১৯৮৭ সালে ওরিজিনাল ইক্যুপমেন্ট ম্যানুফ্রেকচারাস (ওইএম) উপর মাইক্রোসফট তাদের ওএস/২ এর সংস্করণ মুক্তি দেয়; এদিকে, কোম্পানি একটি ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম এর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এনটি উপর কাজ শুরু করে, ২১ জুলাই ১৯৯৩ সালে ওএস/২ থেকে ধারনা ব্যবহার করে বিক্রী শুরু হয়, একটি নতুন মডুলার কার্নেল এবং উইন ৩২ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই), উইন্ডোজ সহজতর করতে ১৬-বিট (এমএস-ডস এর-ভিত্তি করে) পোর্টিং তৈরী করা হয়।মাইক্রোসফট এনটি এর সম্পর্কে আইবিএম অবগত হলে, ওএস/২ অংশীদারিত্বের অবনতি হয়। ১৯৯০ সালে মাইক্রোসফট তার অফিস স্যুট, মাইক্রোসফট অফিস চালু করে।সফটওয়্যার একত্রিত পৃথক অফিস প্রোডাকটিভিটি অ্যাপ্লিকেশন, যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং মাইক্রোসফট এক্সেল হিসাবে। ২২ মে মাইক্রোসফট ইন্টেল ৩৮৬ প্রসেসরের জন্য একটি মসৃণ ইউজার ইন্টারফেস গ্রাফিক্স এবং উন্নত প্রোটেক্ট মোড সামর্থ্য সঙ্গে উইন্ডোজ ৩.০ চালু করে। অফিস এবং উইন্ডোজ উভয় তাদের নিজ নিজ এলাকায় কর্তৃত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।নভেল ১৯৮৪-১৯৮৬ থেকে একটি শব্দ প্রতিদ্বন্দ্বী, মাইক্রোসফট একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা লাভ করার জন্য অনথিভুক্ত তার এপআই গুলি বাকি অংশ দাবি করে একটি মামলা দায়ের করে পরের বছর।", "title": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন" }, { "docid": "41885#5", "text": "২৭ জুলাই ১৯৯৪ সালে, মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস, এন্টিট্রাস্ট বিভাগ অংশ বলেন যে একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রভাব বিবৃতি দায়ের: এর অংশ হচ্ছে-১৯৮৮ সালের শুরুতে, এবং ১৫ জুলাই ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত, মাইক্রোসফট \"প্রসেসর প্রতি\" বিরোধী প্রতিযোগিতামূলক চালানো অনেক ওইএম প্রবর্তিত লাইসেন্স প্রসেসর প্রতি লাইসেন্স এর অধীনে, ওইএম একটি মাইক্রোসফট এর নিকট প্রতিটি কম্পিউটারের বিশেষ মাইক্রোপ্রসেসর সংবলিত বিক্রি করে, যা ওইএম একটি মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত অথবা একটি মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত নয় কম্পিউটার বিক্রি শুরু করে।কার্যত, ওইএম ব্যবহৃত একটি প্রতিদ্বন্দ্বী পিসি অপারেটিং সিস্টেম রয়্যালটি প্রদান করে মাইক্রোসফটকে যখন কোন মাইক্রোসফট পণ্য ব্যবহারের উপর শাস্তি, বা ট্যাক্স আরোপ না করা হয়।১৯৮৮ সাল থেকে, প্রসেসর প্রতি লাইসেন্সের মাইক্রোসফট এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।", "title": "মাইক্রোসফট কর্পোরেশন" }, { "docid": "388989#1", "text": "ডেনিশ অস্টিন ও থমাস রুডকিন মাকিন্টোশ পিসির জন্য প্রথম একটি উপস্থাপনা প্রোগ্রাম তৈরি করেন, ফরথট ইঙ্ক কম্পানির হয়ে। ১৯৮৭ সালে ট্রেডমার্কজনিত কারণে এর পুনঃনামকরন করা হয় \"পাওয়ারপয়েন্ট\", নামটির ধারণা দেন রবার্ট গাস্কিন্স একই বছরের আগস্ট মাসে মাইক্রোসফট এটি ১৪ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়। (বর্তমান বাজারমুল্যে ২৯.১ মিলিয়ন ডলার), এবং মাইক্রোসফটের প্রথম গ্রাফিকাল ব্যবসায়ী ইউনিট যাত্রা শুরু করে এবং সফটওয়্যারটির আরও উন্নতি শাধন করে। ২২ মে ১৯৯০, পাওয়ারপয়েন্ট আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে, একই দিনে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৩.০ মুক্তি দেয়।", "title": "মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট" } ]
দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম কী ?
[ { "docid": "16428#4", "text": "রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৫ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। মুন জে ইন ২০১৭ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি।", "title": "দক্ষিণ কোরিয়া" }, { "docid": "632783#33", "text": "২০১৭ সালে মুন জায়ে-ইন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং সানশাইন নীতিতে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৮ সালের জন্য তার নতুন বছরের ভাষণে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দক্ষিণ কোরিয়ায় আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব দেন। প্রায় দুই বছর পর সিউল-পিয়ংইয়ং হটলাইন পুনরায় চালু করা হয়। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একসঙ্গে মার্চ করে এবং মহিলাদের আইস হকির একটি খেলা মাঠে গড়ায়। অ্যাথলেটদের পাশাপাশি, উত্তর কোরিয়া, কিম জং-উনের বোন কিম ইয়-জং এবং প্রেসিডেন্ট কিম ইয়ং-নাম এবং সামজিয়েন অর্কেস্ট্রা সহকারে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠায় যা অভূতপূর্ব ছিল। প্রতিনিধিদল উত্তর কোরিয়া ভ্রমনের জন্য রাষ্ট্রপতি মুন কে আমন্ত্রণ জানায়। কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক কিম জং-উনের পদক্ষেপে \"সঠিকটা\" সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।", "title": "উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক" } ]
[ { "docid": "296047#0", "text": "পার্ক গুন হে (; জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং-হি'র জ্যেষ্ঠা কন্যা। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৬ এবং ২০১১ থেকে ২০১২ সাল মেয়াদে সেইনুরি দলের (ফেব্রুয়ারি, ২০১২-এর পূর্বে দলের নাম ছিল গ্র্যান্ড ন্যাশনাল পার্টি বা জিএনপি) নেতৃত্বে ছিলেন। পার্ক কোরিয়ার জাতীয় পরিষদে ১৯৯৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত চার মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন। জুন, ২০১২ সালে তিনি পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দক্ষিণ কোরিয়ার ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিন কিম - কিম ইয়াং স্যাম, কিম দায়ে জং এবং কিম জং-পিলের পর তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছেন।", "title": "পার্ক গিউন-হাই" }, { "docid": "608290#5", "text": "দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে কলম্বিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। এই দূতাবাসের প্রধান হলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূত। অপরদিকে, কলম্বিয়ার রাজধানী, বোগোতায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। বর্তমানে, কলম্বিয়ায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হলেন কিম দু সিক।", "title": "কলম্বিয়া–দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক" }, { "docid": "697504#0", "text": "নীল বাড়ি বা ছং ওয়া দে (কোরিয় 청와대; Hanja: ; \"ছং ওয়া দে\"; আক্ষরিক অর্থ \"নীল টাইলের সামিয়ানা\") দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির নির্বাহী কার্যালয় ও সরকারি আবাসন। এখান থেকে দেশটির রাষ্ট্রপতি সকল ধরনের সরকারি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত এই নীল বাড়ির নকশায় কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যকলার প্রাধান্য থাকলেও এর সাথে পশ্চিমা স্থাপত্যকলার জটিল সংমিশ্রণ ঘটেছে।", "title": "নীল বাড়ি" }, { "docid": "16428#3", "text": "দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক ব্যবস্থা একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত বহুদলীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইন প্রণয়ন বিভাগ হতে স্বাধীন। ১৯৪৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে ৫টি বড় সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রতিটি সংশোধনী একটি নতুন প্রজাতন্ত্রের সূচনা হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমান প্রজাতন্ত্রটি ১৯৮৮ সালের সংবিধান সংশোধনীর পরে বহাল হয়েছে।", "title": "দক্ষিণ কোরিয়া" }, { "docid": "340417#0", "text": "কিম ইল-সাং () (জন্ম- ১৫ এপ্রিল ১৯১২- মৃত্যু ৮ জুলাই ১৯৯৪) ছিলেন গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার সাবেক নেতা। তিন দেশটিকে এর প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭২ সাল এবং ১৯৭২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি কোরীয় ওয়ার্কার্স পার্টিরও নেতা ছিলেন ১৯৪৯ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত। তিনি ১৯৫০ সালে সমগ্র উপদ্বীপ অধিকারে আনার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় হস্তক্ষেপ করেন কিন্তু পরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের ফলে যাতে তিনি সফল হতে পারেননা। মাঝে মাঝে কোরীয় গৃহযুদ্ধ নামে পরিচিত কোরীয় যুদ্ধ, তিন বছর চলার পর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ২৫ লাখ বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পর ২৭ জুলাই ১৯৫৩-তে শেষ হয়। কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে আজও যার সমাপ্ত হয়নি বলে ধরা হয়।", "title": "কিম ইল-সাং" }, { "docid": "291716#0", "text": "কিম দায়ে জং (; জন্ম: ৬ জানুয়ারি, ১৯২৫ - মৃত্যু: ১৮ আগস্ট, ২০০৯) দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি হচ্ছেন কোরিয়ার প্রথম ব্যক্তি যিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৫৭ সালে রোমান ক্যাথলিক হন। কখনো কখনো তাঁকে এশিয়ার নেলসন মান্ডেলা নামে ডাকা হয়। কেননা, ক্ষমতায় আরোহণ করতে তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।", "title": "কিম দায়ে জং" }, { "docid": "291716#1", "text": "১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতাসীন ছিলেন। তিনি কিম ইয়াং স্যামের স্থলাভিষিক্ত হন। দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলবর্তী দক্ষিণ জিওলা প্রদেশের হাউই-দো এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।", "title": "কিম দায়ে জং" }, { "docid": "631540#0", "text": "ভূমিকাঃ উত্তর কোরিয়া যা পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত একটি স্বাধীন দেশ যার রাস্ট্রীয় নাম গণতান্ত্রীক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া। এর রাজধানী পিয়ং ইয়ং যা দেশটির সবচেয়ে বড় শহর। কোরীয় উপদ্বীপের উত্তরে এর অবস্থান। এই উপদ্বীপের দক্ষিনে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এর চির বৈরি সম্পর্ক যা শুরু সেই ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরীয় উপদ্বীপ ভাগের মাধ্যমে। সে সময় উত্তর কোরিয়া যায় সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলে আর দক্ষিণ কোরিয়া যায় যুক্তরাষ্টের দখলে। এরপর থেকেই এই উপদ্বিপের দেশ দুটির নিজেদের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক যা মূলত শীতল যুদ্ধের ফলাফল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫০, ২৫ জুন সালে উত্তর কোরীয়ার দক্ষিনে আক্রমণের মধ্য দিয়ে কোরীয় যুদ্ধ হয় যা ১৯৫৩ সালের জুলাই মাসে শেষ হয়।", "title": "উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সংকট ২০১৭-২০১৮" }, { "docid": "296047#7", "text": "দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, দেশের গোপন দলিল-দস্তাবেজে ছে সুন সিলের কোন অধিকার না থাকা স্বত্তেও প্রবেশাধিকার আছে। শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে প্রভাব খাটিয়ে সুন সিল এবং রাষ্ট্রপতির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন জং বাম ও জং হো সং প্রায় ৭৫ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বেয়াইনীভাবে নিজস্ব পারিবারিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়আও একই প্রভাব খাটিয়ে সুন সিল নিজের কন্যা চুং ইউ রা'কে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ইউহা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করান। \nরাষ্ট্রপতির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন জং বাম ও জং হো সংকে গ্রেফতার করা হলে তারা সকল কর্মকান্ড রাষ্ট্রপতির নির্দেশেই হয়েছে বলে জানান। ২৫শে অক্টোবর ২০১৬ সালে পার্ক গুন হে' ছে সুন সিলের সাথে নিজের ঘনিষ্ট সম্পর্কের কথা জনসম্মুক্ষে স্বীকার করেন। এরপরই তার জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে একই সাথে সকল দূর্নীতি একে একে প্রকাশ পেতে শুরু হয়। ১২ই নভেম্বর দেশটির প্রায় ১০লাখ জনগণ গোয়াংহোয়ামুন চত্বরে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবীতে সমাবেশ করে। পার্ক গুন হে তার দূর্নীতির তদন্তে সাহায্যের অস্বীকার করলে আবার দশ লাখের মতো জনতা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।", "title": "পার্ক গিউন-হাই" } ]
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধীর বাবার নাম কী ?
[ { "docid": "33592#4", "text": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালে পোরবন্দরের হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দেওয়ান (প্রধান মন্ত্রী)। মা পুতলিবা করমচাঁদের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পুতলিবা প্রনামী বৈষ্ণব গোষ্ঠীর ছিলেন। করমচাঁদের প্রথম দুই স্ত্রীর প্রত্যেকেই একটি করে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। অজানা কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল (এরকম শোনা যায় যে সন্তান জন্ম দেবার সময়ে তারা মারা যান)। ধার্মিক মায়ের সাথে এবং গুজরাটের জৈন প্রভাবিত পরিবেশে থেকে গান্ধী ছোটবেলা থেকেই জীবের প্রতি অহিংসা, নিরামিষ ভোজন, আত্মশুদ্ধির জন্য উপবাসে থাকা, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ইত্যাদি বিষয় শিখতে শুরু করেন। তিনি জন্মেছিলেন হিন্দু \"বৈশ্য\" গোত্রে যা ছিল ব্যবসায়ী গোত্র।\n১৮৮৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধী তার বাবা মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে (কাস্তুবাই নামেও পরিচিত ছিলেন) বিয়ে করেন। তাদের চার পুত্র সন্তান জন্মায় যাদের নাম হরিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৮৮) মনিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৯২) রামদাস গান্ধী (জন্ম ১৮৯৭) এবং দেবদাস গান্ধী (জন্ম ১৯০০) সালে। মহাত্মা গান্ধী তাঁর ছোটবেলায় পোরবন্দর ও রাজকোটের ছাত্রজীবনে মাঝারি মানের ছাত্র ছিলেন। কোন রকমে গুজরাটের ভবনগরের সামালদাস কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলেজেও সুখী ছিলেন না কারণ তার পরিবারের ইচ্ছা ছিল তাকে ব্যারিস্টার করা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" } ]
[ { "docid": "33592#0", "text": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ( \"মোহান্‌দাস্‌ কারাম্‌চান্দ্‌ গান্ধী\") বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#26", "text": "গান্ধীর ষোল বছর বয়সে তার বাবা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গান্ধী তার বাবার অসুস্থতার পুরো সময় তার সাথে থাকেন। একরাতে গান্ধীর চাচা এসে তাকে বিশ্রাম নেবার সুযোগ করে দেন। তিনি তার শোবার ঘরে ফিরে যান এবং কামনার বশবর্তী হয়ে তার স্ত্রীর সাথে প্রণয়ে লিপ্ত হন। এর সামান্য পরেই একজন কর্মচারী এসে তার পিতার মৃত্যুসংবাদ জানায়। তিনি এ ঘটনাটিকে দ্বিগুণ লজ্জা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এই ঘটনাটি গান্ধীকে ৩৬ বছর বয়সে বিবাহিত থাকা অবস্থায় একজন ব্রহ্মচারী হতে বাধ্য করে।\nএই সিদ্ধান্তের পেছনে ব্রহ্মচর্যের দর্শন তাকে ব্যাপকভাবে প্ররোচিত করে, যা আদর্শগত ও বাস্তবগত পবিত্রতার চর্চা করে। গান্ধী ব্রহ্মচর্যকে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ এবং আত্মোপলব্ধির পন্থা হিসেবে দেখতেন। গান্ধী তার আত্মজীবনীতে তার শৈশবের স্ত্রী কাস্তুর্বার সম্পর্কে তার কামলালসা এবং হিংসার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কথা বলেন। গান্ধী আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আদর্শ হবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন যেন তিনি ভোগ করার বদলে ভালোবাসতে শেখেন। গান্ধীর কাছে ব্রহ্মচর্যের অর্থ, \"চিন্তা, বাক্য ও কর্মের নিয়ন্ত্রণ\"।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#34", "text": "গান্ধীর জন্মদিন অক্টোবর ২ ভারতের জাতীয় ছুটি, গান্ধী জয়ন্তী হিসাবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গান্ধীর জন্মদিনকে বিশ্ব অহিংস দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী বহুত্ববাদী ভারতীয় সমাজে সৌভ্রাতৃত্বপূর্ন সহাবস্থান আদর্শের বিশিষ্ট প্রবক্তা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "62670#0", "text": "সত্যাগ্রহ (সংস্কৃত: सत्याग्रह) মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (যিনি \"মহাত্মা\" গান্ধী নামেও পরিচিত) প্রতিষ্ঠিত একটি দর্শন এবং অহিংস প্রতিরোধের অনুশীলন। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী সত্যাগ্রহের চর্চা করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। তাঁর এই তত্ত্ব নেলসন ম্যান্ডেলার আপার্টহাইট এবং গণঅধিকার আন্দোলনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্টিন লুথার কিং ও জেমস বেভেলের কর্মসূচি সহ সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য আন্দোলনে প্রভাব ফেলে। যারা সত্যাগ্রহের চর্চা করেন তাঁদের সত্যাগ্রহী বলা হয়।", "title": "সত্যাগ্রহ" }, { "docid": "33592#27", "text": "গান্ধী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার সারা জীবন ধরে হিন্দু ধর্মের চর্চা করেন। হিন্দু ধর্ম থেকেই তিনি তাঁর অধিকাংশ আদর্শ গ্রহণ করেন। একজন সাধারণ হিন্দু হিসেবে তিনি সকল ধর্মকে সমানভাবে বিবেচনা করতেন এবং তাঁকে এই ধারণা থেকে বিচ্যুত করার সব প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন। তিনি ব্রহ্মবাদে আগ্রহী ছিলেন এবং সব বড় ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। হিন্দুবাদ সম্পর্কে তিনি নিচের উক্তিটি করেন:\nগান্ধী গুজরাটি ভাষায় \"ভগবত গীতা\"র উপর ধারাভাষ্য লেখেন। গুজরাটি পাণ্ডুলিপিটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন মহাদেব দাসী। তিনি একটি অতিরিক্ত সূচনা এবং ধারাভাষ্য যোগ করেন। এটি গান্ধীর একটি ভূমিকাসহ প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে।\nগান্ধী বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি ধর্মের মূলে আছে সত্য ও প্রেম (করুণা, অহিংসা এবং সোনালী শাসন)। তিনি একজন ক্লান্তিহীন সমাজ সংস্কারক ছিলেন এবং সব ধর্মের ভণ্ডামী, অপকর্ম ও অন্ধবিশ্বাসের বিপক্ষে ছিলেন। ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন:\nপরবর্তী জীবনে তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তিনি হিন্দু কি না তিনি বলেন,\nরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গান্ধীর ভিতরে পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা স্বত্ত্বেও তাঁরা একাধিকবার নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই বিতর্কগুলি সে সময়কার জনপ্রিয়তম দুই ভারতীয়ের ভিতরে দার্শনিক মতভেদকে প্রমাণ করে। ১৫ জানুয়ারি, ১৯৩৪ সালে বিহারে একটি ভূমিকম্প আঘাত করে এবং এটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কারণ হয়। গান্ধী বলেন, এটি হবার কারণ হল উঁচুশ্রেণীর হিন্দুদের অস্পৃশ্যদের তাদের প্রাসাদে ঢুকতে না দেবার পাপের ফল। রবীন্দ্রনাথ গান্ধীর এই মন্তব্যের ব্যাপক বিরোধিতা করে বলেন, ভূমিকম্প কেবল প্রাকৃতিক কারণেই সংঘটিত হতে পারে, অস্পৃশ্যতার চর্চা যতই বেমানান হোক না কেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#24", "text": "শিশু থাকতে গান্ধী পরীক্ষামূলকভাবে মাংস খান। এটি হয়ত তার বংশগত কৌতূহল ও তার বন্ধু শেখ মেহতাবের কারণে হয়েছে। নিরামিষভোজন এর ধারণা হিন্দু ও জৈন ধর্মে গভীরভাবে বিদ্যমান এবং তার স্থানীয় রাজ্য গুজরাটএ, বেশির ভাগ হিন্দুই ছিলেন নিরামিষভোজী। গান্ধী পরিবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। লণ্ডনে পড়তে যাবার আগে গান্ধী তার মা পুতলিবাই এবং চাচা বেচারজির কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি মাংস খাওয়া, মদ্যপান এবং নারীসঙ্গ থেকে বিরত থাকবেন। তিনি এই প্রতিজ্ঞা পালন করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি একটি দর্শন লাভ করেছিলেন। গান্ধী পরবর্তী জীবনে একজন পূর্ণ নিরামিষভোজী হয়ে ওঠেন। তিনি নিরামিষভোজনের উপর \"দি মোরাল বেসিস অফ ভেজিটেরিয়ানিজম\" বইটির পাশাপাশি এ বিষয়ের উপর বেশ কিছু নিবন্ধ লেখেন। এই লেখাগুলো কিছু কিছু ছাপা হয় লণ্ডনের নিরামিষভোজী সংগঠন \"লণ্ডন ভেজিটেরিয়ান সোসাইটি\"র প্রকাশনা \"দি ভেজিটেরিয়ান\" এ। গান্ধী এ সময় অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব্যের সঙ্গলাভ করেন এবং লণ্ডন ভেজিটেরিয়ান সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. জোসেফ ওল্ডফিল্ড এর বন্ধু হয়ে ওঠেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#30", "text": "গান্ধী ছিলেন বহুমূখী লেখক, সম্পাদক। দশক ধরে তিনি সম্পাদনা করেছেন গুজরাটী, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা হরিজন। কেবল ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীন ইন্ডিয়ান অপিনিয়ন ও দেশে ফেরার পর ইয়ং ইন্ডিয়া। তাছাড়া তার হাতেই সম্পাদিত হতো গুজরাটী ভাষার মাসিকপত্র নবজীবন যা পরে হিন্দি ভাষায়ও প্রকাশিত হতো। গান্ধী পত্র-পত্রিকায় প্রচুর চিঠি লিখতেন। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন পত্রিকায় তার চিঠি প্রকাশিত হতো।\nগান্ধীর বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তার আত্মজীবনী, সত্যের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার গল্প (The Story of My Experiments with Truth), দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রাম নিয়ে “দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যাগ্রহ (Satyagraha in South Africa), স্বাধীকার বিষয়ে মেনিফেস্টো “হিন্দি স্বরাজ” (Hind Swaraj or Indian Home Rule) ও গুজরাটী ভাষায় জন রাসকিন-এর Unto This Last । শেষোক্তটি গান্ধীর অর্থনৈতিক কর্মসূচী হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া নিরামিষভোজন, আহার ও স্বাস্থ্য, ধর্ম, সমাজ সংসখবর ইত্যাদি বিষয়েও তিনি প্রচুর লেখালেখি করেছেন। গান্ধী মূলত লিখতেন গুজরাটী ভাষায়। তবে, তাঁর বই-এর হিন্দি ও ইংরেজি অনুবাদ তিনি দেথে দিতেন। \n১৯৬০ এর-এর দশকে ভারত সরকার গান্ধীর রচনাবলী (The Collected Works of Mahatma Gandhi) প্রকাশ করে। প্রায় শতাধিক খন্ডে প্রকাশিত এই রচনাবলীতে প্রায় ৫০,০০০ পাতা আছে। ২০০০ সালে এর একটি পুনমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হলে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। গান্ধীর অনুসারীরা অভিযোগ করে যে, রাজনেতিক উদ্দ্যেশে সেখানে পরিবর্তন করা হয়েছে।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#32", "text": "অনেক রাজনৈতিক নেতা ও আন্দোলনকে গান্ধী প্রভাবিত করেছেন। আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলন-এর অন্যতম নেতা মার্টিন লুথার কিং ও জেসম লওসন গান্ধীর অহিংস নীতির আলোকে নিজেদের কর্মপন্থা ঠিক করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা নেলসন মেন্ডেলাও গান্ধীর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছন। এই তালিকায় আরো আছেন খান আবদুল গাফফার খান , স্টিফ বিকো ও অং সান সু চী \nগান্ধীর জীবন ও শিক্ষা অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। এদের অনেকে পরবর্তী সময়ে গান্ধীকে তাদের শিক্ষাগুরু হিসাবে বর্ণনা করেছেন। আবার অনেকে সারাজীবন গান্ধীর আদর্শ প্রচার করেছেন। ইউরোপে রোমেইন রোল্যান্ড ১৯২৪ সালে প্রথম তার “মহাত্মা গান্ধী” গ্রন্থে তাঁকে ইউরোপে তুলে ধরেন। ১৯৩১ সালে পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন গান্ধীর সঙ্গে পত্রালাপ করেন। গান্ধীর কাছে লেখা এক চিঠিতে আইনস্টাইন গান্ধীকে “আগামী প্রজন্মের জন্য আদর্শ” (a role model for the generations to come) হিসাবে বর্ণনা করেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#35", "text": "দক্ষিণ আফ্রিকায় লেখা গান্ধীর কিছু নিবন্ধ বিতর্কিত। পূণর্মুদ্রিত “দি কালেকটেড ওয়ার্কস অফ মহাত্মা গান্ধী” (ভলিউম ৮, পৃষ্ঠা.১২০) এ গান্ধী “ইণ্ডিয়ান ওপিনিয়ন” প্রবন্ধে ১৯০৮ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার সময় সম্পর্কে বলেন, অনেক স্থানীয় কয়েদী পশুত্ব থেকে কেবল একধাপ উপরে এবং প্রায়ই নিজেদের ভিতরে বিবাদ ও হানাহানি করত”। একই সংকলনের (ভলিউম ২, পৃষ্ঠা.৭৪)তে, গান্ধীর ২৬ সেপ্টেম্বর১৮৯৬ সালে দেয়া একটি ভাষণের উল্লেখ করা হয় যেখানে তিনি কাফির বলেন, যাদের পেশা শিকার করা এবং একমাত্র লক্ষ্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক গবাদি পশু জমিয়ে বউ ক্রয় করা। কাফির শব্দটিকে বর্তমানে আক্রমণাত্মক শব্দ হিসেবে বলা হয়। এমন সব উক্তির জন্য গান্ধীর বিরুদ্ধে বর্ণবাদের কিছু অভিযোগ উঠেছে।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" } ]
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধীর মায়ের নাম কী ?
[ { "docid": "33592#4", "text": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালে পোরবন্দরের হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দেওয়ান (প্রধান মন্ত্রী)। মা পুতলিবা করমচাঁদের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পুতলিবা প্রনামী বৈষ্ণব গোষ্ঠীর ছিলেন। করমচাঁদের প্রথম দুই স্ত্রীর প্রত্যেকেই একটি করে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। অজানা কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল (এরকম শোনা যায় যে সন্তান জন্ম দেবার সময়ে তারা মারা যান)। ধার্মিক মায়ের সাথে এবং গুজরাটের জৈন প্রভাবিত পরিবেশে থেকে গান্ধী ছোটবেলা থেকেই জীবের প্রতি অহিংসা, নিরামিষ ভোজন, আত্মশুদ্ধির জন্য উপবাসে থাকা, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ইত্যাদি বিষয় শিখতে শুরু করেন। তিনি জন্মেছিলেন হিন্দু \"বৈশ্য\" গোত্রে যা ছিল ব্যবসায়ী গোত্র।\n১৮৮৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধী তার বাবা মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে (কাস্তুবাই নামেও পরিচিত ছিলেন) বিয়ে করেন। তাদের চার পুত্র সন্তান জন্মায় যাদের নাম হরিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৮৮) মনিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৯২) রামদাস গান্ধী (জন্ম ১৮৯৭) এবং দেবদাস গান্ধী (জন্ম ১৯০০) সালে। মহাত্মা গান্ধী তাঁর ছোটবেলায় পোরবন্দর ও রাজকোটের ছাত্রজীবনে মাঝারি মানের ছাত্র ছিলেন। কোন রকমে গুজরাটের ভবনগরের সামালদাস কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলেজেও সুখী ছিলেন না কারণ তার পরিবারের ইচ্ছা ছিল তাকে ব্যারিস্টার করা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#24", "text": "শিশু থাকতে গান্ধী পরীক্ষামূলকভাবে মাংস খান। এটি হয়ত তার বংশগত কৌতূহল ও তার বন্ধু শেখ মেহতাবের কারণে হয়েছে। নিরামিষভোজন এর ধারণা হিন্দু ও জৈন ধর্মে গভীরভাবে বিদ্যমান এবং তার স্থানীয় রাজ্য গুজরাটএ, বেশির ভাগ হিন্দুই ছিলেন নিরামিষভোজী। গান্ধী পরিবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। লণ্ডনে পড়তে যাবার আগে গান্ধী তার মা পুতলিবাই এবং চাচা বেচারজির কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি মাংস খাওয়া, মদ্যপান এবং নারীসঙ্গ থেকে বিরত থাকবেন। তিনি এই প্রতিজ্ঞা পালন করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি একটি দর্শন লাভ করেছিলেন। গান্ধী পরবর্তী জীবনে একজন পূর্ণ নিরামিষভোজী হয়ে ওঠেন। তিনি নিরামিষভোজনের উপর \"দি মোরাল বেসিস অফ ভেজিটেরিয়ানিজম\" বইটির পাশাপাশি এ বিষয়ের উপর বেশ কিছু নিবন্ধ লেখেন। এই লেখাগুলো কিছু কিছু ছাপা হয় লণ্ডনের নিরামিষভোজী সংগঠন \"লণ্ডন ভেজিটেরিয়ান সোসাইটি\"র প্রকাশনা \"দি ভেজিটেরিয়ান\" এ। গান্ধী এ সময় অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব্যের সঙ্গলাভ করেন এবং লণ্ডন ভেজিটেরিয়ান সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. জোসেফ ওল্ডফিল্ড এর বন্ধু হয়ে ওঠেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" } ]
[ { "docid": "33592#0", "text": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ( \"মোহান্‌দাস্‌ কারাম্‌চান্দ্‌ গান্ধী\") বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#30", "text": "গান্ধী ছিলেন বহুমূখী লেখক, সম্পাদক। দশক ধরে তিনি সম্পাদনা করেছেন গুজরাটী, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা হরিজন। কেবল ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীন ইন্ডিয়ান অপিনিয়ন ও দেশে ফেরার পর ইয়ং ইন্ডিয়া। তাছাড়া তার হাতেই সম্পাদিত হতো গুজরাটী ভাষার মাসিকপত্র নবজীবন যা পরে হিন্দি ভাষায়ও প্রকাশিত হতো। গান্ধী পত্র-পত্রিকায় প্রচুর চিঠি লিখতেন। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন পত্রিকায় তার চিঠি প্রকাশিত হতো।\nগান্ধীর বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তার আত্মজীবনী, সত্যের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার গল্প (The Story of My Experiments with Truth), দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রাম নিয়ে “দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যাগ্রহ (Satyagraha in South Africa), স্বাধীকার বিষয়ে মেনিফেস্টো “হিন্দি স্বরাজ” (Hind Swaraj or Indian Home Rule) ও গুজরাটী ভাষায় জন রাসকিন-এর Unto This Last । শেষোক্তটি গান্ধীর অর্থনৈতিক কর্মসূচী হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া নিরামিষভোজন, আহার ও স্বাস্থ্য, ধর্ম, সমাজ সংসখবর ইত্যাদি বিষয়েও তিনি প্রচুর লেখালেখি করেছেন। গান্ধী মূলত লিখতেন গুজরাটী ভাষায়। তবে, তাঁর বই-এর হিন্দি ও ইংরেজি অনুবাদ তিনি দেথে দিতেন। \n১৯৬০ এর-এর দশকে ভারত সরকার গান্ধীর রচনাবলী (The Collected Works of Mahatma Gandhi) প্রকাশ করে। প্রায় শতাধিক খন্ডে প্রকাশিত এই রচনাবলীতে প্রায় ৫০,০০০ পাতা আছে। ২০০০ সালে এর একটি পুনমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হলে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। গান্ধীর অনুসারীরা অভিযোগ করে যে, রাজনেতিক উদ্দ্যেশে সেখানে পরিবর্তন করা হয়েছে।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#32", "text": "অনেক রাজনৈতিক নেতা ও আন্দোলনকে গান্ধী প্রভাবিত করেছেন। আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলন-এর অন্যতম নেতা মার্টিন লুথার কিং ও জেসম লওসন গান্ধীর অহিংস নীতির আলোকে নিজেদের কর্মপন্থা ঠিক করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা নেলসন মেন্ডেলাও গান্ধীর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছন। এই তালিকায় আরো আছেন খান আবদুল গাফফার খান , স্টিফ বিকো ও অং সান সু চী \nগান্ধীর জীবন ও শিক্ষা অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। এদের অনেকে পরবর্তী সময়ে গান্ধীকে তাদের শিক্ষাগুরু হিসাবে বর্ণনা করেছেন। আবার অনেকে সারাজীবন গান্ধীর আদর্শ প্রচার করেছেন। ইউরোপে রোমেইন রোল্যান্ড ১৯২৪ সালে প্রথম তার “মহাত্মা গান্ধী” গ্রন্থে তাঁকে ইউরোপে তুলে ধরেন। ১৯৩১ সালে পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন গান্ধীর সঙ্গে পত্রালাপ করেন। গান্ধীর কাছে লেখা এক চিঠিতে আইনস্টাইন গান্ধীকে “আগামী প্রজন্মের জন্য আদর্শ” (a role model for the generations to come) হিসাবে বর্ণনা করেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#27", "text": "গান্ধী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার সারা জীবন ধরে হিন্দু ধর্মের চর্চা করেন। হিন্দু ধর্ম থেকেই তিনি তাঁর অধিকাংশ আদর্শ গ্রহণ করেন। একজন সাধারণ হিন্দু হিসেবে তিনি সকল ধর্মকে সমানভাবে বিবেচনা করতেন এবং তাঁকে এই ধারণা থেকে বিচ্যুত করার সব প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন। তিনি ব্রহ্মবাদে আগ্রহী ছিলেন এবং সব বড় ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। হিন্দুবাদ সম্পর্কে তিনি নিচের উক্তিটি করেন:\nগান্ধী গুজরাটি ভাষায় \"ভগবত গীতা\"র উপর ধারাভাষ্য লেখেন। গুজরাটি পাণ্ডুলিপিটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন মহাদেব দাসী। তিনি একটি অতিরিক্ত সূচনা এবং ধারাভাষ্য যোগ করেন। এটি গান্ধীর একটি ভূমিকাসহ প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে।\nগান্ধী বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি ধর্মের মূলে আছে সত্য ও প্রেম (করুণা, অহিংসা এবং সোনালী শাসন)। তিনি একজন ক্লান্তিহীন সমাজ সংস্কারক ছিলেন এবং সব ধর্মের ভণ্ডামী, অপকর্ম ও অন্ধবিশ্বাসের বিপক্ষে ছিলেন। ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন:\nপরবর্তী জীবনে তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তিনি হিন্দু কি না তিনি বলেন,\nরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গান্ধীর ভিতরে পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা স্বত্ত্বেও তাঁরা একাধিকবার নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই বিতর্কগুলি সে সময়কার জনপ্রিয়তম দুই ভারতীয়ের ভিতরে দার্শনিক মতভেদকে প্রমাণ করে। ১৫ জানুয়ারি, ১৯৩৪ সালে বিহারে একটি ভূমিকম্প আঘাত করে এবং এটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কারণ হয়। গান্ধী বলেন, এটি হবার কারণ হল উঁচুশ্রেণীর হিন্দুদের অস্পৃশ্যদের তাদের প্রাসাদে ঢুকতে না দেবার পাপের ফল। রবীন্দ্রনাথ গান্ধীর এই মন্তব্যের ব্যাপক বিরোধিতা করে বলেন, ভূমিকম্প কেবল প্রাকৃতিক কারণেই সংঘটিত হতে পারে, অস্পৃশ্যতার চর্চা যতই বেমানান হোক না কেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "62670#0", "text": "সত্যাগ্রহ (সংস্কৃত: सत्याग्रह) মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (যিনি \"মহাত্মা\" গান্ধী নামেও পরিচিত) প্রতিষ্ঠিত একটি দর্শন এবং অহিংস প্রতিরোধের অনুশীলন। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী সত্যাগ্রহের চর্চা করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। তাঁর এই তত্ত্ব নেলসন ম্যান্ডেলার আপার্টহাইট এবং গণঅধিকার আন্দোলনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্টিন লুথার কিং ও জেমস বেভেলের কর্মসূচি সহ সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য আন্দোলনে প্রভাব ফেলে। যারা সত্যাগ্রহের চর্চা করেন তাঁদের সত্যাগ্রহী বলা হয়।", "title": "সত্যাগ্রহ" }, { "docid": "33592#34", "text": "গান্ধীর জন্মদিন অক্টোবর ২ ভারতের জাতীয় ছুটি, গান্ধী জয়ন্তী হিসাবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গান্ধীর জন্মদিনকে বিশ্ব অহিংস দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী বহুত্ববাদী ভারতীয় সমাজে সৌভ্রাতৃত্বপূর্ন সহাবস্থান আদর্শের বিশিষ্ট প্রবক্তা।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "33592#6", "text": "গান্ধীজি দাদা আব্দুল্লা এন্ড সন্সের আইনজীবী হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। দক্ষিণ আফ্রিকা গান্ধীর জীবনকে নাটকীয়ভাবে পরবর্তন করে দেয়। এখানে তিনি ভারতীয় ও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সাধারণভাবে প্রচলিত বৈষম্যের শিকার হন। একদিন ডারবানের আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট তার পাগড়ি সরিয়ে ফেলতে বলেন। গান্ধী তা অগ্রাহ্য করেন এবং আদালত কক্ষ থেকে ক্ষোভে বেরিয়ে পড়েন। তাকে পিটার ম্যারিজবার্গের একটি ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামড়া থেকে তৃতীয় শ্রেণীর কামড়ায় যেতে বাধ্য করা হয়, প্রথম শ্রেণীর বৈধ টিকিট থাকা স্বত্ত্বেও। স্টেজকোচে ভ্রমণের সময় একজন চালক তাকে প্রহার করে কারণ তিনি এক ইউরোপীয় যাত্রীকে জায়গা করে দেয়ার জন্য ফুট বোর্ডে চড়তে রাজি হননি। যাত্রাপথে তাকে আরও কষ্ট করতে হয় এবং অনেক হোটেল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এই ঘটনাগুলোকে তার পরবর্তী সামাজিক কার্যকলাপের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখে। ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ, কুসংস্কার এবং অবিচার লক্ষ করে গান্ধী তার জনগণের মর্যাদা এবং অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠেন।", "title": "মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী" }, { "docid": "18519#0", "text": "অচ্যুতানন্দ গোস্বামী (১ মার্চ, ১৯১৮ – ১৬ মার্চ, ১৯৮০) (অচ্যুত গোস্বামী নামে সমধিক পরিচিত; ছদ্মনাম বিক্রমাদিত্য হাজরা) ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক। ইংরেজির এই অধ্যাপক মার্ক্সবাদী সমালোচক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। জন্ম অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ফরিদপুরে। ১৯৪০ সালে ঢাকায় প্রগতি লেখক সংঘ স্থাপনে অন্যতম উদ্যোক্তার ভূমিকা নেন। সেই সময় সোমেন চন্দের সহযোগে \"ক্রান্তি\" পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এছাড়া ১৯৪০-এর দশকের \"প্রতিরোধ\" পত্রিকার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। অধ্যাপনা করেন যাদবপুর বিজয়গড় জ্যোতিষচন্দ্র রায় কলেজে। \"নতুন সাহিত্য\", \"পরিচয়\", \"অগ্রণী\", \"চতুষ্কোণ\" প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর রচনা প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য সমালোচনা গ্রন্থ \"বাংলা উপন্যাসের ধারা\" (১৩৫৭ বঙ্গাব্দ) ও \"ইংরাজী সাহিত্যের ধারা\"। এছাড়া \"অভিষেক\", \"কানাগলির কাহিনী\" (১৯৫৩), \"মৎস্যগন্ধা\" (১৯৫৭), \"রাজ্যচ্যুত ঈশ্বর\" প্রভৃতি উপন্যাসও রচনা করেন।", "title": "অচ্যুত গোস্বামী" } ]